আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في ذكر مخالفة قبائل قريش بني هاشم وبني عبد المطلب في نصر رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ১৯১৮

এবং এ সকল প্রেক্ষাপটে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নবুওয়াত ও সভ্যতার পক্ষে প্রকাশিত দলীল-
প্রমাণাদি এ পরিচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে ৷

যুহরী থেকে মুসা ইবন উকবা বর্ণনা করেছেন যে, মুশরিকগণ ইতোপুর্বে মুসলমানদের প্রতি
যত অত্যাচার ও জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছিল পরবর্তীতে তারা তার চেয়েও কঠোরতর নির্যাতন
চালাতে শুরু করে ৷ যার ফলে মুসলমানদের জীবনযাত্রা দৃর্বিষহ হয়ে উঠে ৷ র্তারা নানা প্রকারের
কঠোর বিপদ-আপদের সম্মুখীন হন ৷ প্রকাশ্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে হত্যার ষড়যন্থে ঐকমত্যে
পৌছে ৷ ওদের কর্মতৎপরতা লক্ষ্য করে আবু তালিব নিজে বনু আবদুল ঘুত্তালিব গোত্রের সকল
লোককে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপস্থিত হতে বললেন এবং হত্যা প্রবাসীদের হাত থেকে
তাকে রক্ষা করার নির্দেশ দিলেন ৷ বনু আবদুল মুত্তালিব গোত্রের মুসলিম-কাফির নির্বিশেষে
সকলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পাশে এসে র্দাড়ান ৷ কেউ আসেন ৷:ণাষ্ঠীগত সম্মান রক্ষার তাড়নায়
আর কেউ আসেন ঈমানী চেতনার ৷ কুরায়শের লোকেরা দেখল যে, স্বগােত্রীয় লোকেরা তার
পক্ষপাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন এবং ঐ প্রশ্নে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠেছেন ৷ তখন
মুশরিকরা সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, তাকে হত্যা করার জন্যে ওরা বতক্ষণ তাদের হাতে সমর্পণ
না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা ওদের সাথে উঠাবসা করবে না দিক্রয়-বিক্রয় করবে না এবং
ওদের ঘর-বাড়ীতে প্রবেশ করবে না ৷ এমর্মে তারা একটা চুক্তিনামা ও অঙ্গীকার-পত্র সম্পাদন
করে নিল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে সমর্পণ না করা পর্যন্ত তারা বনু হাশিম গোত্রের সাথে কোন
আপােস-মীমাংসা করবে না এবং কোন প্রকারের সহানুভুতি-সহমর্মিতা প্রদর্শন করবে না ৷ এ
প্রেক্ষিতে বনু হাশিম গোত্রের লোকজন আবু তালিব গিরিসঙ্কটে অম্ভরীণ থাকেন ৷ এ সময়ে
র্তারা অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টে পতিত হন ৷ কুরায়শরা এদের হাট-বাজার বন্ধ করে দেয় ৷ তাদেরকে
তারা কোন ভােগ্যপণ্য বিক্রির জন্যে মক্কায় আসতে দিত না ৷ আবার তাদের কিছু ক্রয়ের
প্রয়োজন হলে কুরায়শী লোকেরা, এগিয়ে গিয়ে তা ক্রয় করে নিত যাতে অম্ভরীণ লোকদের
নিকট ওই পণ্যদ্রব্য পৌছতে না পারে ৷ এর দ্বারা তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল রাসুলুল্পাহ্
(না)-কে নাগালের মধ্যে পাওয়া এবং তাকে হত্যা করা ৷ চাচা আবু তালিব তখন রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে রক্ষা করার জন্যে নানা কৌশল অবলম্বন করতেন ৷ রাতের বেলা অম্ভরীণ লোকেরা
যখন ঘুমেড়াতে যেত, তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তার বিছানায় শোয়াতেন ৷ উদ্দেশ্য হল
কোন ষড়যন্ত্রকারী যদি সেখানে থাকে, তবে সে যেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে ওখানে দেখে ৷ পরে
সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আবু তালিব তীর কোন পুত্রকে কিৎবা ভাইকে কিত্বা চাচাত ভাইকে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিছানায় যেতে বলতেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে অন্য একটি বিছানায়
নিয়ে আসতেন এবং তিনি সেখানে ঘুমােতেন ৷ এ অবস্থায় তৃতীয় বছরের মাথায় বনু আবৃদ
মানাফ, বনু কুসাই এবং বনু হাশিমের নারীদের গর্ভজাত কতক লোক এ অমানবিক আচরণের
জন্যে নিজেদেরকে দােষারোপ করে ৷ তারা উপলব্ধি করে যে, এর মাধ্যমে তারা আত্মীয়তা
বন্ধন ছিন্ন করেছে এবং মানবাধিকার লংঘন করেছে, ৷ সে রাতেই তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে,
ইতোপুর্বে সম্পাদিত চুক্তিনামা তারা ভঙ্গ করবে এবং ওই চুক্তির সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করবে ৷
এদিকে আল্লাহ্ তাআলা তাদের চুক্তিপত্রের প্রতি উইপােকা পাঠালেন ৷ চুক্তিপত্রের যে যে স্থানে
চুক্তি বিষয়ক শব্দ ছিল সে যে স্থানগুলো পােকাংত খেয়ে ফেলে ৷ বর্ণিত আছে যে, চুক্তিপত্রটি


الْمُسْلِمِينَ كَأَشَدِّ مَا كَانُوا، حَتَّى بَلَغَ الْمُسْلِمِينَ الْجُهْدُ، وَاشْتَدَّ عَلَيْهِمُ الْبَلَاءُ، وَاجْتَمَعَتْ قُرَيْشٌ فِي مَكْرِهَا أَنْ يَقْتُلُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلَانِيَةً، فَلَمَّا رَأَى أَبُو طَالِبٍ عَمَلَ الْقَوْمِ جَمَعَ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يُدْخِلُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - شِعْبَهُمْ، وَأَمَرَهَمْ أَنْ يَمْنَعُوهُ مِمَّنْ أَرَادُوا قَتْلَهُ، فَاجْتَمَعُوا عَلَى ذَلِكَ، مُسْلِمُهُمْ وَكَافِرُهُمْ، فَمِنْهُمْ مَنْ فَعَلَهُ حَمِيَّةً، وَمِنْهُمْ مَنْ فَعَلَهُ إِيمَانًا وَيَقِينًا، فَلَمَّا عَرَفَتْ قُرَيْشٌ أَنَّ الْقَوْمَ قَدْ مَنَعُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَجْمَعُوا عَلَى ذَلِكَ، اجْتَمَعَ الْمُشْرِكُونَ مِنْ قُرَيْشٍ، فَأَجْمَعُوا أَمْرَهُمْ أَنْ لَا يُجَالِسُوهُمْ، وَلَا يُبَايِعُوهُمْ، وَلَا يَدْخُلُوا بُيُوتَهُمْ، حَتَّى يُسَلِّمُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لِلْقَتْلِ، وَكَتَبُوا فِي مَكْرِهِمْ صَحِيفَةً وَعُهُودًا وَمَوَاثِيقَ، لَا يَقْبَلُوا مِنْ بَنِي هَاشِمٍ أَبَدًا صُلْحًا، وَلَا تَأْخُذُهُمْ بِهِمْ رَأْفَةٌ، حَتَّى يُسْلِمُوهُ لِلْقَتْلِ. فَلَبِثَ بَنُو هَاشِمٍ فِي شِعْبِهِمْ ثَلَاثَ سِنِينَ، وَاشْتَدَّ عَلَيْهِمُ الْبَلَاءُ وَالْجَهْدُ، وَقَطَعُوا عَنْهُمُ الْأَسْوَاقَ، فَلَا يَتْرُكُوا لَهُمْ طَعَامًا يَقَدَمُ مَكَّةَ وَلَا بَيْعًا إِلَّا بَادَرُوهُمْ إِلَيْهِ فَاشْتَرَوْهُ ; يُرِيدُونَ بِذَلِكَ أَنْ يُدْرِكُوا سَفْكَ دَمِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَكَانَ أَبُو طَالِبٍ إِذَا أَخَذَ النَّاسُ مَضَاجِعَهُمْ، أَمَرَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَاضْطَجَعَ عَلَى فِرَاشِهِ ; حَتَّى يَرَى ذَلِكَ مَنْ أَرَادَ بِهِ مَكْرًا وَاغْتِيَالًا لَهُ، فَإِذَا نَوَّمَ النَّاسُ، أَمَرَ أَحَدَ بَنِيهِ أَوْ إِخْوَتِهِ أَوْ بَنِي عَمِّهِ فَاضْطَجَعَ عَلَى فِرَاشِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَمَرَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنْ يَأْتِيَ بَعْضَ فُرُشِهِمْ فَيَنَامَ عَلَيْهِ، فَلَمَّا كَانَ رَأْسُ ثَلَاثِ سِنِينَ، تَلَاوَمَ رِجَالٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ، وَمِنْ قُصَيٍّ، وَرِجَالٌ مِنْ سِوَاهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ قَدْ وَلَدَتْهُمْ نِسَاءٌ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ، وَرَأَوْا أَنَّهُمْ قَدْ قَطَعُوا الرَّحِمَ، وَاسْتَخَفُّوا بِالْحَقِّ، وَاجْتَمَعَ أَمْرُهُمْ مِنْ لَيْلَتِهِمْ عَلَى نَقْضِ مَا تَعَاهَدُوا عَلَيْهِ مِنْ