আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب هجرة من هاجر من أصحاب رسول الله من مكة إلى أرض الحبشة

পৃষ্ঠা - ১৯১৪


ট্রু,ৰুষ্ এেট্রুশ্রো ৷ ন্,;র্প৷ ৷টুট্রুগ্লু;
;াপ্রুপু;;ৰু
এটি রাসুলুল্লাহ-এর পক্ষ থেকে আবিসিনিয়ায় রাজা আসহাম নাজাশীর প্রতি প্রেরিত লিপি ৷
শান্তি বর্ধিত হোক তার উপর যে হিদায়াতের পথ অনুসরণ করে ৷ আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি
ঈমান আনয়ন করে এবং সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই ৷ তিনি একক, তার
কোন শরীক নেই ৷ তিনি শ্রী কিৎবা সন্তান গ্রহণ করেননি এবং যে ব্যক্তি এই সাক্ষ্য দেয় যে,
মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল ৷ আমি আপনাকে আল্লাহ তাআলার প্রতি দাওয়াত
দিচ্ছি ৷ আমি নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুল ৷ আপনি ইসলাম গ্রহণ করুন, তাহলে নিরাপত্তা পাবেন ৷
হে কিতাবিগণ! এসো সে কথায় যা আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে অভিন্ন ৷ যেন আমরা
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত না করি ৷ কোন কিছুকেই তার শরীক না করি এবং
আমাদের কেউ কাউকে আল্লাহ ব্যতীত প্রতিপালকরুপে গ্রহণ না করে ৷ যদি তারা মুখ ফিরিয়ে
দেয়, তবে বল, তোমরা সাক্ষী থাক, আমরা মুসলিম (২৩) (৩ : ৬৪ ) হে নাজাশী ! আপনি যদি
ইসলাম গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান, তবে আপনার সম্প্রদায়ের সকল খৃক্টানের পাপ আপনার উপর
বতাবে ৷
বায়হাকী (র) আবিসিনিয়ায় হিজরত সম্পর্কিত ঘটনা বর্ণনা করার পর এভাবে চিঠি বিষয়ক
আলোচনা উল্লেখ করেছেন ৷ অবশ্য এভাবে উল্লেখ করার যথার্থতা সন্দেহমুক্ত নয় ৷ কারণ,
এচিঠি দেয়া হয়েছিল হযরত জাফর (রা) ও তীর সঙ্গীগণ যে নাজাশীর সাথে কথা বলেছিলেন
যে নাজাশীর পরে ক্ষমতাসীন নাজাশীকে ৷ বন্তুত মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে রাসুলুল্লাহ্ (না)
আল্লাহ্র প্রতি দাওয়াত দিয়ে অন্যান্য রাষ্ট্ৰনায়কদেরকে যে পত্রাবলী দিয়েছিলেন এটি তারই
একটি ৷ এ সময় তিনি রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস, পারস্য সম্রাট কিসরা, মিসর-রাজ ফিরআওন
এবং আবিসিনিয়ায় রজো নাজাশীর নিকট পত্র প্রেরণ করেছিলেন ৷

যুহরী বলেন, সকল রাষ্ট্র প্রধানের নিকট রাসুলুল্লাহ্কেই মর্মের পত্র প্রেরণ করেছিলেন ৷
সকল চিঠিতেই এ আয়াত ছিল ৷ এটি সুরা আবুল-ইমরানের আয়াত ৷ এটি যে মাদানী সুরা
তাতে কোন দ্বিমত নেই ৷ এ আয়াতগুলাে সুরার প্রথম দিকের আয়াত ৷ আলোচ্য সুরার প্রথম
দিকের ৮৩ টি আয়াত নাজরানের খৃষ্টান প্রতিনিধিদেরকে উপলক্ষ করে নাযিল হয়েছে ৷
তাফ্সীর গ্রন্থে আমরা এটি উল্লেখ করেছি ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহর ৷

সুতরাং এ পত্রখানা দেয়া হয়েছিল দ্বিতীয় নাজাশীকে ৷ প্রথম নাজাশীকে নয় ৷ বর্ণনায়
আসহাম” নামের উল্লেখ সম্ভবত কোন বর্ণনাকারীর নিজস্ব উপলব্ধি প্রসুত সংযোজন ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷

এ আলোচনার সাথে উপরোক্ত পত্র অপেক্ষা নিম্নে বর্ণিত পত্রটি উদ্ধৃত করা অধিকতর

প্রাসংগিক ও খুক্তিসংগত ৷ বায়হাকী (র) উল্লেখ করেছেন যে, হাকিম মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) জাফর ইবন আবু তালির ও তার সঙ্গীদের


{الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِهِ هُمْ بِهِ يُؤْمِنُونَ وَإِذَا يُتْلَى عَلَيْهِمْ قَالُوا آمَنَّا بِهِ إِنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّنَا إِنَّا كُنَّا مِنْ قَبْلِهِ مُسْلِمِينَ أُولَئِكَ يُؤْتَوْنَ أَجْرَهُمْ مَرَّتَيْنِ بِمَا صَبَرُوا وَيَدْرَؤُونَ بِالْحَسَنَةِ السَّيِّئَةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ وَإِذَا سَمِعُوا اللَّغْوَ أَعْرَضُوا عَنْهُ وَقَالُوا لَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ لَا نَبْتَغِي الْجَاهِلِينَ} [القصص: 52] [الْقِصَصِ: 52 - 55]