আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب هجرة من هاجر من أصحاب رسول الله من مكة إلى أرض الحبشة

পৃষ্ঠা - ১৯০৪


পরিস্থিতি কুরায়শদেরকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে ৷ আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) বলেন, হযরত
উমর (রা)-এর ইসলাম গ্রহণের পুর্ব পর্যন্ত আমরা কাবা শরীফের নিকট নামায আদায় করতে
পারতাম না ৷ হযরত উমর (রা) যখন ইসলাম গ্রহণ করলেন, তখন তিনি কুরায়শদের বিরুদ্ধে
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন এবং নিজে কাবা শরীফে নামায আদায় করলেন ৷ আমরাও তার সাথে
সেখানে নামায আদায় করলাম ৷

আমি বলি , সহীহ্ ৰুখারীতে ইবন মাসউদ (রা)-এর একটি হাদীছ আছে ৷ তিনি বলেছেন,
“হযরত উমর (রা)-এর ইসলাম গ্রহণের পর থেকে আমরা শক্তিশালী হতে লাগলাম যিয়াদ
বৃকাঈ বলেন, ইবন মাসউদ (রা) বলেছেন, হযরত উমর (রশ্মি-এর ইসলাম গ্রহণ করাই ছিল
একটি বিজয় ৷ র্তার হিজরত ছিল বিরাট সাহায্য এবং তার শাসন ছিল একটি রহমত ৷ হযরত
উমর (রা)-এর ইসলাম গ্রহণের পুর্বে আমরা কাবা শরীফের নিকট নামায আদায় করতে
পারতাম না : তার ইসলাম গ্রহণ করার পর কুরায়শদের প্রতি তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন এবং
কা’বাগৃহের নিকট নামায আদায় করলেন ৷ আমরাও তার সাথে নামায আদায় করলাম ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীপণের আবিসিনিয়ার হিজরতের পর
হযরত উমর (রা) ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ ইবন ইসহড়াক উম্মে আবদুল্লাহ বিনত আবু হাছামা
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আল্লাহর কসম, আমরা আবিসিনিয়ার দিকে যাচ্ছিলাম ৷
জরুরী প্রয়োজনে আমির (রা) বাইরে গিয়েছিলেন ৷ হঠাৎ উমর এসে উপস্থিত হলেন ৷ তিনি
আমার নিকট এসে দীড়ালেন ৷ তখনও তিনি ইসলাম গ্রহণ করেননি ৷ তার বহু জুলুম-নির্যাতনের
শিকার আমরা হয়েছিলাম ৷ উমর (রা) বললেন, হে উম্মে আবদুল্লাহ তোমরা কি দেশ ছেড়ে চলে
যাচ্ছে ? আমি বললাম হ্যা আপনারা যখন আমাদেরকে নানা ভাবে কষ্ট দিচ্ছেন নির্যাতন
করছেন, তখন আমরা আল্লাহর দুনিয়ার অনব্লি কোন দেশে চলে যাব ৷ যেখানে মহান আল্লাহ
আমাদের নিষ্কৃতির ব্যবস্থা করবেন ৷ তখন উমর বললেন, তাই হোক আল্লাহ তোমাদের সহায়
হোন ৷ সে মুহুর্তে আমি উমরের মধ্যে এমন নম্রতা ও উদারতা লক্ষ্য করলাম, যা ইতোপুর্বে
কখনো তার মধ্যে দেখা যায়নি ৷ এরপর তিনি নিজ গন্তব্যে চলে গেলেন ৷ আমার যা মনে হল
আমাদের দেশত্যাগে তিনি ব্যথিত হয়েছিলেন ৷ ইতোমধ্যে প্রয়োজন সমাধা করে আমির ফিরে
এলেন ৷ আমি বললাম, হে আবু আবদুল্লাহ! একটু আগে আপনি যদি উমরের নম্রতা ও উদারতা
এবং আমাদের ব্যাপারে দুঃখিত হওয়ার পরিস্থিতিটা দেখতে পেতেন! আমির বললেন, উমর
ইসলাম কবুল করুন তুমি কি তা“ কামনা কর ? আমি বললাম হ্যা, তা বটে ৷ তিনি বললেন,
খাত্তারের গাধা যতক্ষণ ইসলাম গ্রহণ না করবে, ততক্ষণ তোমার এ দেখা সত্বেও তাতে উমরের
ইসলাম গ্রহণের সম্ভাবনা নেই ৷ উম্মে আবদুল্লাহ বলেন , ইসলামের প্রতি উমরের অনমনীয়তা,
রুক্ষতা ও কঠােরতার প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেছিলেন ৷

আমি বলি যারা মনে করেন যে, হযরত উমর (বা) : :তম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি এ
বর্ণনা তাদের মন্তব্যকে রদ করে দেয় ৷ কারণ, আবিসিনিয়ায় হিজরতকারী মুসলমানদের সংখ্যা
৮ : এর উপরে ছিল ৷ তবে উপরোক্ত মন্তব্য সঠিক বলে ধরে নেয়া যাবে তখন, যখন বলা হবে
যে, হিজরতকারীদের হিজরতের পর যারা মক্কায় অবশিষ্ট ছিলেন তাদের সংখ্যা অনুসারে হযরত


ابْنُ أَخِي النَّجَاشِيِّ ذُو مِخْبَرٍ. أَوْ ذُو مِخْمَرٍ أَرْسَلَهُ لِيَخْدِمَ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عِوَضًا عَنْ عَمِّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَأَرْضَاهُمَا. وَقَالَ السُّهَيْلِيُّ: تُوُفِّيَ النَّجَاشِيُّ فِي رَجَبٍ سَنَةَ تِسْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ. وَفِي هَذَا نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا الْفَقِيهُ أَبُو إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الطُّوسِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ حَدَّثَنَا هِلَالُ بْنُ الْعَلَاءِ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا أَبِي الْعَلَاءُ بْنُ هِلَالٍ حَدَّثَنَا أَبِي هِلَالُ بْنُ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي غَالِبٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: «قَدِمَ وَفْدُ النَّجَاشِيِّ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَامَ يَخْدِمُهُمْ، فَقَالَ أَصْحَابُهُ: نَحْنُ نَكْفِيكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: " إِنَّهُمْ كَانُوا لِأَصْحَابِي مُكْرِمِينَ، وَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ أُكَافِئَهُمْ ".» ثُمَّ قَالَ: وَأَخْبَرَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ الْأَصْبَهَانِيُّ أَنْبَأَنَا أَبُو سَعِيدِ بْنُ الْأَعْرَابِيِّ حَدَّثَنَا هِلَالُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ زَيْدٍ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: «قَدِمَ وَفْدُ النَّجَاشِيِّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَامَ يَخْدِمُهُمْ، فَقَالَ أَصْحَابُهُ: نَحْنُ