আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب هجرة من هاجر من أصحاب رسول الله من مكة إلى أرض الحبشة

পৃষ্ঠা - ১৮৯৪


রাজার এ বক্তব্যে সেনাপতিদের মধ্যে গুঞ্জরণ সৃষ্টি হয় ৷ তিনি বললেন আল্লাহর কলম,
তোমরা গুঞ্জরণ কর আর অসত্তুষ্ট হও আমি যা বলেছি৩াই সঠিক ৷ ঘুসলমানদেরকে উদ্দেশ্য
করে তিনি বললেন, আপনারা যেতে পারেন ৷ এ রাজে৷ আপনারা সম্পুর্ণ নিরাপদ ৷ কেউ
আপনাদেরকে পালি দিলে জরিমানা দিতে হবে ৷ কেউ আপনাদের পালি দিলে জরিমানা দিতে
হবে ৷ কেউ আপনাদেরকে পালি দিলে জরিমানা দিতে হবে ৷ একে একে তিনবার তিনি এ
ঘোষণা দিলেন ৷ আপনাদের কাউকে কষ্ট দিয়ে আমি স্বর্ণখণ্ডের অধিকারী হব, তাও আমি পসন্দ
করি না ৷ ইবন ইসহাক থেকে যিয়াদের বর্ণনায় আছে আমি স্বর্ণের মালিক হই তাও আমার
পসন্দ নয় ৷ ইবন হিশাম বলেন রাজা তখন স্বর্ণখণ্ডের পরিবর্তে স্বর্ণের পাহাড়’ শব্দ
বলেছিলেন ৷

এরপর নাজাশী বললেন, আল্লাহ্ তাআলা যখন আমাকে রাজতু ফিরিয়ে দিলেন, তখন
তিনি আমার থেকে ঘুষ নেননি আর তখন লোকজন আমার আনগত ৷ করেনি ৷ তাহলে আমি
তাদের কথা মানতে যাবো কেন ? তারপর তিনি তার লোককে বললেন কুরায়শ প্রতিনিধিদের
দেয়া ৷উপচৌকন সামগ্রী ফিরিয়ে দাও ৷

ওসবে আমার প্রয়োজন নেই ৷ আর তাদেরকে বললেন, তোমরা দু’জন আমার রাজ্য ছেড়ে
চলে যাও ৷ এরপর তারা যা নিয়ে এসেছিল তা সহ ব্যর্থতার গ্নানি নিয়ে চলে গেল ৷ আমরা
উত্তম রাবষ্ট্ৰর উত্তম মানুষের প্রতিবেশে সেখানে বসবাস করতে থাকি ৷

ইতে ৷মধ্যে আরিসিনিয়ার জনৈক বিদ্রোহী ব্যক্তি নাজাশীর রাজ্য কেড়ে নিতে উদ্যত হয় ৷
এতে আমরা ভীষণ দুঃখ পাই ৷ আমরা এ জন্যে শং ত হয়ে পড়ি যে, সে লোক যদি ক্ষমতায়
অধিষ্ঠিত হয়, তবে নাজাশী আমাদের যেরুপ কদর করেছেন ওই ব্যক্তি তা নাও করতে পারে ৷
আমরা আল্লাহর দরবারে নাজাশীর জন্যে দুআ ও সাহায্য প্রার্থনা করতে থাকি ৷ নাজাশী
যুদ্ধাভিযানে বের হলেন ৷ আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণ নিজেদের মধ্যে আলোচনা
করলাম যে, আমাদের মধ্য থেকে ঘটনাস্থুলে কে যাবে এবং দেখবে কোন পক্ষ বিজয়ী হচ্ছে ৷
যুবায়র (রা) বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন বটে ,কিত্তু তিনি বললেন, “আমি মাঝে” ৷ উপস্থিত
সাথিগ ৷ণ চামড়ার একটি মশক ফুলিয়ে তার বুকের নীচে বেধে দেন ওই মশকে ভর করে সাতার
দিয়ে তিনি নীলনদ পার হন ৷ তিনি নদীর অপর তীরের যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে পৌছেন ৷ শেষ পর্যন্ত
রাজত্বের দাবীদ৷ ৷র বিদ্রোহী লোকটি পরা ৷স্ত ও নিহত হয় ৷ নাজা ৷শীর জয় হয় ৷ যুবায়র (রা) ফিরে
আসেন ৷ দুর থেকে চাদর যেড়ে৩ তিনি আমাদেরকে বিজয়ের সৃসং বাদ জ৷ ৷নিয়ে বলেন, সুসংবাদ
গ্রহণ করুন, আল্লাহ্ তা জানা নাজাশীকে জয়ী করেছেন ৷ আমি বললাম আল্লাহর কসম
নাজাশীর বিজয়ে আমরা যা খুশী হয়েছিলাম অন্য কোন বিষয়ে তে মন খুশী হয়েছি বলে
আমাদের জানা নেই ৷ এরপর আমরা সেখানে বসবাস করতে থাকি ৷ ইতোমধ্যে আমাদের কেউ
কেউ মক্কায় ফিরে আসেন এবং কেউ কেউ ওখানে থেকে যান ৷

যুহরী বলেন, উম্মে সালাম৷ (রা) থেকে বর্ণিত এই বর্ণনা আমি উরওয়া ইবন যুবায়র
(রা) কে শুন ই ৷ তখন উরওয়া বললেন, আল্লাহ্ যখন আমার রাজত্ব ফিরিয়ে দিলেন, তখন
তিনি তো আমার নিকট থেকে ঘুষ নেননি যে, আমি তার ব্যাপারে ঘুষ নিব ? এবং তখন


دِينِنَا، لِيَرُدُّونَا إِلَى عِبَادَةِ الْأَوْثَانِ مِنْ عِبَادَةِ اللَّهِ، وَأَنْ نَسْتَحِلَّ مَا كُنَّا نَسْتَحِلُّ مِنَ الْخَبَائِثِ، فَلَمَّا قَهَرُونَا وَظَلَمُونَا، وَضَيَّقُوا عَلَيْنَا، وَحَالُوا بَيْنَنَا وَبَيْنَ دِينِنَا، خَرَجْنَا إِلَى بِلَادِكَ، وَاخْتَرْنَاكَ عَلَى مَنْ سِوَاكَ، وَرَغِبْنَا فِي جِوَارِكَ وَرَجَوْنَا أَنْ لَا نُظْلَمَ عِنْدَكَ أَيُّهَا الْمَلِكُ. قَالَتْ: فَقَالَ النَّجَاشِيُّ: هَلْ مَعَكَ شَيْءٌ مِمَّا جَاءَ بِهِ؟ وَقَدْ دَعَا أَسَاقِفَتَهُ فَأَمَرَهُمْ فَنَشَرُوا الْمَصَاحِفَ حَوْلَهُ فَقَالَ لَهُ جَعْفَرٌ: نَعَمْ. قَالَ: هَلُمَّ فَاتْلُ عَلَيَّ مِمَّا جَاءَ بِهِ. فَقَرَأَ عَلَيْهِ صَدْرًا مِنْ {كهيعص} [مريم: 1] فَبَكَى وَاللَّهِ النَّجَاشِيُّ حَتَّى اخْضَلَّتْ لِحْيَتُهُ، وَبَكَتْ أَسَاقِفَتُهُ حَتَّى أَخْضَلُوا مَصَاحِفَهُمْ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ هَذَا الْكَلَامَ لَيَخْرُجُ مِنَ الْمِشْكَاةِ الَّتِي جَاءَ بِهَا مُوسَى، انْطَلِقُوا رَاشِدِينَ، لَا وَاللَّهِ لَا أَرُدُّهُمْ عَلَيْكُمْ، وَلَا أُنْعِمُكُمْ عَيْنًا. فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِ، وَكَانَ أَتْقَى الرَّجُلَيْنِ فِينَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: وَاللَّهِ لَآتِيَنَّهُ غَدًا بِمَا أَسْتَأْصِلُ بِهِ خَضْرَاءَهُمْ، وَلَأُخْبِرُنَّهُ أَنَّهُمْ يَزْعُمُونَ أَنَّ إِلَهَهُ الَّذِي يَعْبُدُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ عَبْدٌ. فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ: لَا تَفْعَلْ، فَإِنَّهُمْ وَإِنْ كَانُوا خَالَفُونَا فَإِنَّ لَهُ رَحِمًا وَلَهُمْ حَقًّا. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَأَفْعَلَنَّ. فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ دَخَلَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: أَيُّهَا الْمَلِكُ إِنَّهُمْ يَقُولُونَ فِي عِيسَى قَوْلًا عَظِيمًا. فَأَرْسِلْ إِلَيْهِمْ فَسَلْهُمْ عَنْهُ. فَبَعَثَ وَاللَّهِ إِلَيْهِمْ، وَلَمْ يَنْزِلْ بِنَا مِثْلُهَا، فَقَالَ بَعْضُنَا لِبَعْضٍ: مَاذَا تَقُولُونَ لَهُ فِي عِيسَى إِنْ هُوَ سَأَلَكُمْ عَنْهُ؟ فَقَالُوا: نَقُولُ وَاللَّهِ الَّذِي قَالَهُ اللَّهُ فِيهِ وَالَّذِي أَمَرَنَا نَبِيُّنَا أَنْ نَقُولَهُ فِيهِ. فَدَخَلُوا عَلَيْهِ وَعِنْدَهُ بَطَارِقَتُهُ فَقَالَ: مَا