আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب هجرة من هاجر من أصحاب رسول الله من مكة إلى أرض الحبشة

পৃষ্ঠা - ১৮৯৩


আমাদের একান্ত আশা যে, আপনার আশ্রয়ে আসার পর কেউ আমাদের উপর জুলুম করতে
পারবে না ৷

রাবী বলেন, তখন নাজাশী বললেন, তোমাদের নবী তোমাদের নিকট যা নিয়ে এসেছেন
তার কোন অংশ কি তোমার নিকট আছে ? ইতোমধ্যে তিনি তার ধর্মযাজকদেরকে ডেকে
এসেছিলেন ৷ তার পাশে বলে তারা ধর্মগ্রন্থ খুলে বসলেন ৷ হযরত জ্বাফর বললেন, হা৷ বাণী
আছে ৷ রাজা বললেন, তা নিয়ে এসো এবং পড়ে শুনাও ? হযরত জাফর সুরা মারয়ামের গুরু
থেকে কিছু অংশ তিলাওয়াত করলেন ৷ তা শুনে নাজাশী র্কাদতে’ শুরু করলেন ৷ অশ্রুতে তার
দাড়ি ভিজে গেল ৷ ধর্মযাজকরা কেদে কেদে তাদের ধর্মগ্রন্থ ভিজিয়ে ফেললেন ৷ এবার রাজা
বললেন, এই বাণী নিশ্চয়ই সেই জ্যোতির্ময় উৎস থেকে উৎসারিত হয়েছে, যেখান থেকে মুসা
(আ)-এর বাণী উৎসারিত হয়েছিল ৷ কুরায়শ প্রতিনিধিদেরকে তিনি বললেন, তোমরা সোজা
চলে যাও ৷ আমি এদেরকে তোমাদের হাতে তুলে দেবাে না এবং এ বিষয়ে আমি তােমাদেরকে
খুশী করতে পারব না ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমরাও ওখান থেকে বেরিয়ে এলাম ওদের
দুজনের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবন আবু রাবীআ আমাদের প্রতি অনেকটা সহানুভুতিশীল ছিল ৷

এরপর আমর ইবন আস বলল, আল্লাহর কসম , পরের দিন আমি আবার যাব এবং এমন
কাজ করব যে, এই সবুজেব দেশ থেকে আমি ওদেরকে সমুলে উৎপাটিত করে দেব ৷ আমি
রাজাকে বলব, রাজা যে ঈসা (আ)-এর উপাসনা করে থাকেন সেই ঈসাকে ওরা দাস বলে
বিশ্বাস করে ৷ আবদুল্লাহ ইবন আবু রাবীআ তাকে বলল, “তুমি ওসব করো না ৷ কারণ, ওরা
আমাদের বিরোধিতা করলেও তারা তো আমাদের আত্মীয়, আমাদের উপর তাদেরও একটা হক
রয়েছে ৷ সে বলল, না, আল্লাহর কসম, আমি ওই কাজ করবই ৷

পরের দিন যে রাজ-দরবারে উপস্থিত হয়ে বলে, রাজন! ওরা তো ঈসা (আ) সম্পর্কে
গুরুতর কথা বলে ৷ ওদেরকে ডেকে এনে ঈসা (আ) সম্বন্ধে ওদের বিশ্বাসের কথা জিজ্ঞেস
করুন ৷

রাজা পুনরায় আমাদের নিকট লোক পাঠালেন ৷ আল্লাহর কসম , এসময়ে আমরা যে
বিপদের সম্মুখীন হই ইতােপুর্বে আর তেমনটি হইনি ৷ আমরা একে অন্যকে বললাম, যদি ঈসা
(আ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন তবে কী উত্তর দিবে ? আমাদের সকলে বলল, তার সম্পর্কে
আল্লাহ তাআলা যা বলেছেন এবং আমাদের নবী (সা) আমাদেরকে যা বলার নির্দেশ দিয়েছেন,
আমরা তাই বলব ৷ তখন তারা সকলে রাজার নিকট গিয়ে উপস্থিত হলেন ৷ তার সেনাপতিগণ
তখন তার পাশে উপবিষ্ট ৷ আমাদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, ঈসা (আ) সম্পর্কে তোমরা কী
বলো ? সবার পক্ষ থেকে জাফর (বা) বললেন, আমরা এটা বলি যে, তিনি আল্লাহর বন্দো,
আল্লাহর রাসুল, আল্লাহর রুহ এবং আল্লাহর কালেমা, সতী-সাধবী কুমারীর প্ৰতি আল্লাহ সেটিকে
নিক্ষেপ করেছেন ৷ একথা শুনে নাজাশী যমীনের দিকে হাত নামালেন এবং দু’ আঙ্গুলের মাঝে
একটি ছোট শুকনো কাষ্ঠখও তুলে নিয়ে বললেন, আপনি ঈসা (আ) সম্পর্কে যা বলেছেন ঈসা
(আ) তা থেকে এতৃটুকুও বেশী নন ৷


نَقُولُ؟ نَقُولُ وَاللَّهِ مَا نَعْرِفُ، وَمَا نَحْنُ عَلَيْهِ مِنْ أَمْرِ دِينِنَا، وَمَا جَاءَ بِهِ نَبِيُّنَا - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَائِنًا فِي ذَلِكَ مَا كَانَ. فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَيْهِ، كَانَ الَّذِي يُكَلِّمُهُ مِنْهُمْ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ لَهُ النَّجَاشِيُّ: مَا هَذَا الدِّينُ الَّذِي أَنْتُمْ عَلَيْهِ؟ فَارَقْتُمْ دِينَ قَوْمِكُمْ، وَلَمْ تَدْخُلُوا فِي يَهُودِيَّةٍ، وَلَا نَصْرَانِيَّةٍ، فَمَا هَذَا الدِّينُ؟ فَقَالَ لَهُ جَعْفَرٌ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، كُنَّا قَوْمًا عَلَى الشِّرْكِ، نَعْبُدُ الْأَوْثَانَ، وَنَأْكُلُ الْمَيْتَةَ، وَنُسِيءُ الْجِوَارَ، وَنَسْتَحِلُّ الْمَحَارِمَ بَعْضُنَا مِنْ بَعْضٍ، فِي سَفْكِ الدِّمَاءِ وَغَيْرِهَا، لَا نُحِلُّ شَيْئًا وَلَا نُحَرِّمُهُ، فَبَعَثَ اللَّهُ إِلَيْنَا نَبِيًّا مِنْ أَنْفُسِنَا، نَعْرِفُ وَفَاءَهُ وَصِدْقَهُ وَأَمَانَتَهُ، فَدَعَانَا إِلَى أَنْ نَعْبُدَ اللَّهَ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَنَصِلَ الْأَرْحَامَ، وَنَحْمِيَ الْجِوَارَ، وَنُصَلِّيَ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَنَصُومَ لَهُ، وَلَا نَعْبُدَ غَيْرَهُ. وَقَالَ زِيَادٌ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: فَدَعَانَا إِلَى اللَّهِ ; لِنُوَحِّدَهُ وَنَعْبُدَهُ، وَنَخْلَعَ مَا كُنَّا نَعْبُدُ نَحْنُ وَآبَاؤُنَا مِنْ دُونِهِ مِنَ الْحِجَارَةِ وَالْأَوْثَانِ، وَأَمَرَنَا بِصِدْقِ الْحَدِيثِ، وَأَدَاءِ الْأَمَانَةِ، وَصِلَةِ الرَّحِمِ، وَحُسْنِ الْجِوَارِ، وَالْكَفِّ عَنِ الْمَحَارِمِ وَالدِّمَاءِ، وَنَهَانَا عَنِ الْفَوَاحِشِ، وَقَوْلِ الزُّورِ، وَأَكْلِ مَالِ الْيَتِيمِ، وَقَذْفِ الْمُحْصَنَةِ، وَأَمَرَنَا أَنْ نَعْبُدَ اللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا، وَأَمَرَنَا بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ وَالصِّيَامِ قَالَ: فَعَدُّوا عَلَيْهِ أُمُورَ الْإِسْلَامِ فَصَدَّقْنَاهُ وَآمَنَّا بِهِ وَاتَّبَعْنَاهُ عَلَى مَا جَاءَ بِهِ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ، فَعَبَدْنَا اللَّهَ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَلَمْ نُشْرِكْ بِهِ شَيْئًا، وَحَرَّمْنَا مَا حَرَّمَ عَلَيْنَا، وَأَحْلَلْنَا مَا أَحَلَّ لَنَا، فَعَدَا عَلَيْنَا قَوْمُنَا فَعَذَّبُونَا وَفَتَنُونَا عَنْ