আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب هجرة من هاجر من أصحاب رسول الله من مكة إلى أرض الحبشة

পৃষ্ঠা - ১৮৯১


রাজ দরবারে উপস্থিত হওয়ার পর জা ফর ইবন আবৃত তালিব (রা) সকলের পক্ষে কথা
বললেন ৷ রাজা বললেন, তোমরা যে ধর্ম অনুসরণ করছো, সেটা কী ? তোমরা তে৷ স্বজাতির
ধর্ম ত্যাগ করেছে৷ অথচ ইয়াহুদী কিত্বা খৃক্টান ধর্মও গ্রহণ করোনি ৷ জাফর (রা) বললেন,
“রাজন, আমরা ছিলাম অংশীবাদী ৷ আমরা মুর্তিপুজ৷ করতাম ৷ মৃত প্রাণীর গোশত থেতাম ৷
প্রতিবেশীর সাথে অসদাচরণ করত ৷ম ৷ খুন খারাবী ও অন্যান্য অপকর্মকেও আমাদের কেউ
কেউ বৈধ মনে করত ৷ আমরা হালাল-হারামের ধার ধরতাম না ৷ এ অবস্থায় আল্লাহ তা আলা
আমাদের প্রতি আমাদেরই মধ্য থেকে একজন লোককে রাসুলরুপে প্রেরণ করলেন ৷ তার
সতবােদি৩ ৷ প্ৰতিজ্ঞাপুরণ ও আমানত দারী সম্পর্কে আমরা সম্যক অবগত ছিলাম ৷ তিনি
আমাদেরকে আহ্বান জানলেন আমরা যেন এক লা শয়ীক আল্লাহর ইবাদত করি ৷ আমরা
যেন আত্মীয়৩ ৷ বন্ধন ছিন্ন না ৷করি ৷ প্রতিবেশীর হক নষ্ট না করি ৷ মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে
নামায আদায় করি ৷ তার সত্তুষ্টির জন্যে রোযা পালন করি এবং তিনি ব্যতীত অন্য কারো
ইবাদত না করি ৷
ইবন ইসহাক থেকে যিয়াদ উদ্ধৃত করেছেন যে জা ফর ইবন আবু৩ তালিব আরো বলেন,
“ওই রাসুল আমাদেরকে আল্লাহর প্রতি আহবান জানান ৷ তিনি আদেশ করেন আমরা যেন
আল্লাহ্র একতুবাদ মেনে নিই, তাৱ ইবাদত করি আর আমাদের পুর্বপুরুষপণ এবং আমরা
আল্লাহ্ ব্যতীত যে মুর্তিপুজ৷ ও পাথরপুজ৷ করতাম, তা যেন পরিহার করি ৷ তিনি আমাদেরকে
সত্য কথা বলার জন্যে, আমানত পরিশোধের জন্যে, আত্মীয়ত৷ রক্ষার জন্যে, সৎ প্রতিবেশী
সুলভ আচরণ করার জন্যে এবং হারাম কাজও খুন খারাবী থেকে বেচে থাকার জন্যে নির্দেশ
দেন ৷ অশ্লীল৩ ৷, মিথ্যাচ৷ ৷র, ইয়াভীমের সম্পদ আত্মসাৎ সতী সাধৰী নারীর প্রতি মিথ্যা অপবাদ
আরোপ করতে তিনি ধারণ করেন ৷ তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন আমরা যেন আল্লাহর
ইবাদত করি ৷৩ তার সাথে কিছুকে শরীক না করি, নামায আদায় করি, যাকাত দেই এবং বোমা
পালন করি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এভাবে ইসলামের বিধি-বিধানের কথা তারা এক এক করে
তার নিকট পেশ করেন ৷ অত: পর আমরা সেই রাসুলকে সত্য বলে গ্রহণ করি ৷৩ তার প্রতি
ঈমান আনয়ন করি ৷ অ ৷ল্লাহ্র নিকট থেকে তিনি যা ৷নিয়ে এসেছেন আমরা তা অনুসরণ করি ৷
এ প্রেক্ষিতে আমরা একক, অনন্য ল৷ ৷-শরীক আল্পাহ্র ইবাদত করতে থাকি ৷ তার সাথে কা ৷উকে
শরীক করা থেকে বিরত থাকি ৷ তিনি আমাদের জন্যে যা হারাম বলে ঘোষণা করেছেন
আমরা সেগুলোকে হারামরুপে বর্জন করতে থাকি এবং তিনি যা হালাল ঘোষণা দিয়েছেন তা
হালালরুপে গ্রহণ করি ৷ এই পরিস্থিতিতে আমাদের সম্প্রদায়ের লোকজন আমাদের শত্রু
হয়ে উঠে ৷ আমাদেরকে আমাদের দীন-ধর্ম থেকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্যে এবং আল্লাহর
ইবাদত ছেড়ে মুর্তিপুজায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে আমাদের উপর তারা নির্যাতন
চালাতে থাকে ৷ আমরা পুর্বে যেমন নাপাক ও অপবিত্র কাজগুলো হালাল মনে করতাম এখনও
যেন তা করি , সে জন্যে তার৷ আমাদেরকে দুঃখ-কষ্ট দিতে থাকে ৷ তারা যখন আমাদের
উপর নির্যাতন চালাল, আমাদের জীবন দৃর্বিষহ করে তুলল এবং আমাদের ধর্ম পালনে বাধা
সৃষ্টি করল, তখন আমরা আপনার রাজ্যে পালিয়ে এলাম ৷ অন্য সকলের পরিবর্তে আপনাকেই
আমরা বেছে নিলাম ৷ অন্যদের পরিবর্তে আপনার প্ৰতিবেশকেই অগ্ৰাধিকার দিলাম ৷ রাজনা


يُهْدُونَ إِلَيْهِ مِنْ مَكَّةَ الْأُدُمُ وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّهُمْ أَهْدَوْا إِلَيْهِ فَرَسًا وَجُبَّةَ دِيبَاجٍ فَلَمَّا أَدْخَلُوا عَلَيْهِ هَدَايَاهُ، قَالُوا لَهُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ إِنَّ فِتْيَةً مِنَّا سُفَهَاءَ فَارَقُوا دِينَ قَوْمِهِمْ، وَلَمْ يَدْخُلُوا فِي دِينِكَ، وَجَاؤُوا بَدِينٍ مُبْتَدَعٍ لَا نَعْرِفُهُ، وَقَدْ لَجَؤُوا إِلَى بِلَادِكَ، وَقَدْ بَعَثَنَا إِلَيْكَ فِيهِمْ عَشَائِرُهُمْ، آبَاؤُهُمْ وَأَعْمَامُهُمْ وَقَوْمُهُمْ لِتَرُدَّهُمْ عَلَيْهِمْ، فَإِنَّهُمْ أَعْلَى بِهِمْ عَيْنًا. فَقَالَتْ بَطَارِقَتُهُ: صَدَقُوا أَيُّهَا الْمَلِكُ، لَوْ رَدَدْتَهُمْ عَلَيْهِمْ، كَانُوا هُمْ أَعْلَى بِهِمْ عَيْنًا، فَإِنَّهُمْ لَنْ يَدْخُلُوا فِي دِينِكَ فَتَمْنَعَهُمْ لِذَلِكَ. فَغَضِبَ، ثُمَّ قَالَ: لَا، لَعَمْرُ اللَّهِ لَا أَرُدُّهُمْ عَلَيْهِمْ حَتَّى أَدْعُوَهُمْ، فَأُكَلِّمَهُمْ وَأَنْظُرَ مَا أَمْرُهُمْ، قَوْمٌ لَجَؤُوا إِلَى بِلَادِي، وَاخْتَارُوا جِوَارِي عَلَى جِوَارِ غَيْرِي، فَإِنْ كَانُوا كَمَا يَقُولُونَ رَدَدْتُهُمْ عَلَيْهِمْ، وَإِنْ كَانُوا عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ مَنَعْتُهُمْ، وَلَمْ أَدْخُلْ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُمْ، وَلَمْ أُنْعِمْهُمْ عَيْنًا وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّ أُمَرَاءَهُ أَشَارُوا عَلَيْهِ بِأَنْ يَرُدَّهُمْ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ حَتَّى أَسْمَعَ كَلَامَهُمْ، وَأَعْلَمَ عَلَى أَيِّ شَيْءٍ هُمْ عَلَيْهِ. فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَيْهِ، سَلَّمُوا وَلَمْ يَسْجُدُوا لَهُ، فَقَالَ: أَيُّهَا الرَّهْطُ أَلَا تُحَدِّثُونِي مَا لَكُمْ لَا تُحَيُّونِي كَمَا يُحَيِّينِي مَنْ أَتَانَا مِنْ قَوْمِكُمْ؟ وَأَخْبِرُونِي مَاذَا تَقُولُونَ فِي عِيسَى، وَمَا دِينُكُمْ؟ أَنَصَارَى