আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب هجرة من هاجر من أصحاب رسول الله من مكة إلى أرض الحبشة

পৃষ্ঠা - ১৮৯০


এবার রাজা বললেন, তাহলে তোমাদের ধর্ম কি ?৩ তারা বললেন, ইসলাম ৷ রাজা বললেন:
ইসলাম কী ?ত তারা বললেন, আমরা আল্লাহর ইবাদত করি ৷ তার সাথে কা ৷উকে শরীক করি না ৷
তিনি বললেন, এই ধর্ম কে নিয়ে এসেছেন ?ত তারা বললেন, এটি আমাদের নিকট নিয়ে
এসেছেন আমাদের মধ্যকার একজন ৷ আমরা তাকে সম্যক চিনি ৷ তার বংশ পরিচয় জানি ৷
আমাদের পুর্ববর্তী সম্প্রদায়সমুহের প্রতি ৩আল্পাহ তাআলা যেমন রাসুল প্রেরণ করেছেন, তেমনি

তাকে আমাদের প্ৰতি রাসুলরুপে প্রেরণ করেছেন ৷ তিনি আমাদেরকে সততা, সত বােদিতা,
প্রতিজ্ঞা ৷পুরণ ও আমানত রক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন এবং মুর্তিপুজা করতে নিষেধ করেছেন ৷ তিনি
আমাদেরকে আদেশ করেছেন একক লা-শরীক আল্লাহর ইবাদত করতে ৷ আমরা তাকে সত্য
নবী বলে বরণ করে নিয়েছি ৷ আল্লাহর বাণী উপলব্ধি করেছি এবৎ তিনি যা এসেছেন তা যে
আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসেছেন তা অনুধাবন করেছি ৷ আমরা এরুপ করার কারণে আমাদের
সম্প্রদায় আমাদের শত্রুতে পরিণত হয়েছে৷ তার৷ সতব্রবাদী নবীর সাথে শত্রুত৷ পোষণ
করেছে ৷ তাকে মিথ্যাবাদী ঠাওরিয়েছে এবং তাকে হত্যার প্রয়াস পেয়েছে ৷ তারা আমাদেরকে
মুর্তিপুজায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছে ৷ ফলে, আমরা আমাদের প্রাণ বীচানাে ও ধর্ম রক্ষার জন্যে
আপনার নিকট পালিয়ে এসেছি ৷

রাজা বললেন, আল্লাহর কসম, এতো সেই জোাতির উৎস থেকে উৎসারিত যেখান থেকে
এসেছিল হযরত মুসা (আ)-এর ধর্ম ৷

হযরত জাফর (বা) বললেন, অভিবাদন সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে বলেছেন
যে, জান্নাতরাসীদের অভিবাদন হল “সালাম” ৷ তিনি আমাদেরকে সালামের মাধ্যমে অভিবাদন

জানানো র নির্দেশ দিয়েছেন ৷ সুতরাং আমরা পরস্পার যে ভ ৷বে অভিবাদন জানাই, আপনাকেও

সে ভ ৷রে অভিবাদন জা ৷নিয়েছি ৷ আর ঈস৷ ইবন মারয়াম (আ) সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হল,
তিনি ভাল ল্লাহ্ তা আলার বান্দ৷ ও রাসুল ৷ তিনি মারয়ামের প্ৰতি নিক্ষিপ্ত অ ৷ল্লাহ্র কালেম৷ ও রুহ
এবং তিনি সতী-সাধবী কুমারী মাতা ৷র পুত্র ৷ এবার রাজা একটি শুষ্ক কা ৷ষ্ঠখণ্ড হাতে তুলে নিলেন
এবং বললেন, এরা যা বলেছে মারয়াম পুত্র ঈসাত ৷র চেয়ে এতর্টুকুও অতিরিক্ত নন ৷ তখন
আবিসিনিয়ার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ বললেন, রাজন হাবশী লোকজন আপনার একথা শুনলে
তার৷ অবশ্যই আপনাকে সিংহাসনচ্যুত করবে ৷ তিনি বললেন, আল্লাহর কলম, আমি ঈস৷ (আ)
সম্পর্কে যা বলেছি কখনােতার ব্যতিক্রম কিছু বলব না ৷ আল্লাহ যখন আমাকে আমার রাজতু
ফিরিয়ে দেন, তখন লোকজন তো আল্লাহর আনুগত্য করেনি ৷ সুতরাং আমিও আল্লাহর দীনের
ব্যাপারে লোকজনের কথা মানবাে না ৷ এ জাতীয় অপকর্ম থেকে আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা
করি ৷ ইবন ইসহাক সুত্রে ইউনুস বর্ণনা করেছেন যে, রাজা নাজাশী মহাজিরগণের নিকট লোক
পাঠিয়ে তাদেরকে একত্রিত তহওয়ার নির্দেশ দিলেন ৷ তিনি মুসলমানদের কথা শুনবেন আমর
ইবন আস এবং আবদুল্লাহ ইবন আবু রাবীআর নিকট এর চেয়ে ৫ক্ষাভের বিষয় অন্য কিছু ছিল
না ৷ নাজাশীর দুত আগমন করার পর মুসলমানগণ একত্রিত হলেন এবং পরস্পর আলোচনা
করলেন যে, তারা কী বলবেন ? শেতষে তারা সিদ্ধান্ত নিলেন যে, পরিস্থিতি য ই হোক আল্লাহ্র
কসম ,আমরা ত ৷ই বলব, যা আমরা জানি ৷ আমরা যে দীনের উপর আছি এবং রাসুলুল্লাহ (সা)
আমাদের নিকট যা নিয়ে এস্যেছন, তাই বলবো ৷ তাতে যা হয় হবে ৷


وَأَمَّا رِوَايَةُ أُمِّ سَلَمَةَ، فَقَدْ قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَارِثِ بْنِ هِشَامٍ «عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا قَالَتْ لَمَّا ضَاقَتْ عَلَيْنَا مَكَّةُ، وَأُوذِيَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَفُتِنُوا، وَرَأَوْا مَا يُصِيبُهُمْ مِنَ الْبَلَاءِ وَالْفِتْنَةِ فِي دِينِهِمْ، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لَا يَسْتَطِيعُ دَفْعَ ذَلِكَ عَنْهُمْ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ فِي مَنَعَةٍ مِنْ قَوْمِهِ وَمِنْ عَمِّهِ، لَا يَصِلُ إِلَيْهِ شَيْءٌ مِمَّا يَكْرَهُ وَمِمَّا يَنَالُ أَصْحَابَهُ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " إِنَّ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ مَلِكًا لَا يُظْلَمُ أَحَدٌ عِنْدَهُ، فَالْحَقُوا بِبِلَادِهِ حَتَّى يَجْعَلَ اللَّهُ لَكُمْ فَرَجًا وَمَخْرَجًا مِمَّا أَنْتُمْ فِيهِ ". فَخَرَجْنَا إِلَيْهَا أَرْسَالًا حَتَّى اجْتَمَعْنَا بِهَا، فَنَزَلْنَا بِخَيْرِ دَارٍ إِلَى خَيْرِ جَارٍ آمِنِينَ عَلَى دِينِنَا، وَلَمْ نَخْشَ فِيهَا ظُلْمًا، فَلَمَّا رَأَتْ قُرَيْشٌ أَنَّا قَدْ أَصَبْنَا دَارًا وَأَمْنًا، اجْتَمَعُوا عَلَى أَنْ يَبْعَثُوا إِلَى النَّجَاشِيِّ فِينَا، لِيُخْرِجُونَا مِنْ بِلَادِهِ وَلِيَرُدَّنَا عَلَيْهِمْ، فَبَعَثُوا عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ فَجَمَعُوا لَهُ هَدَايَا وَلِبَطَارِقَتِهِ، فَلَمْ يَدَعُوا مِنْهُمْ رَجُلًا إِلَّا هَيَّؤُوا لَهُ هَدِيَّةً عَلَى حِدَةٍ، وَقَالُوا لَهُمَا: ادْفَعُوا إِلَى كُلِّ بِطْرِيقٍ هَدِيَّتَهُ قَبْلَ أَنْ تَتَكَلَّمُوا فِيهِمْ، ثُمَّ ادْفَعُوا إِلَيْهِ هَدَايَاهُ، فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ يَرُدَّهُمْ عَلَيْكُمْ قَبْلَ أَنْ يُكَلِّمَهُمْ فَافْعَلُوا. فَقَدِمَا عَلَيْهِ، فَلَمْ يَبْقَ بِطْرِيقٌ مِنْ بَطَارِقَتِهِ إِلَّا قَدَّمُوا إِلَيْهِ هَدِيَّتَهُ وَكَلَّمُوهُ، وَقَالُوا لَهُ: إِنَّمَا قَدِمَنَا عَلَى هَذَا الْمَلِكِ فِي سُفَهَائِنَا، فَارَقُوا أَقْوَامَهُمْ فِي دِينِهِمْ، وَلَمْ يَدْخُلُوا فِي دِينِكُمْ. فَبَعَثَنَا قَوْمُهُمْ لِيَرُدَّهُمُ الْمَلِكُ عَلَيْهِمْ، فَإِذَا نَحْنُ كَلَّمْنَاهُ فَأَشِيرُوا عَلَيْهِ بِأَنْ يَفْعَلَ. فَقَالُوا: نَفْعَلُ. ثُمَّ قَدَّمُوا إِلَى النَّجَاشِيِّ هَدَايَاهُ، وَكَانَ مِنْ أَحَبِّ مَا