আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب هجرة من هاجر من أصحاب رسول الله من مكة إلى أرض الحبشة

পৃষ্ঠা - ১৮৮০


ইবন দাববাহ ইবন হারিছ, আমর ইবন আবু সারাহ ইবন রাবীআ ইবন হিলাল ইবন মালিক

ইবন দাব্বাহ ইবন হারিছ, ইয়ায ইবন যুহায়র ইবন আবু শাদ্দাদ ইবন রাবীআ ইবন হিলাল
ইবন মালিক ইবন দাব্বাহ, আমর ইবন হারিছ ইবন যুহায়র ইবন আবী শাদ্দাদ ইবন রাবীআ,
উছমান ইবন আবদ গানাম ইবন যুহায়র , সাঈদ ইবন আবদ কায়স ইবন লাকীত এবং তার ভাই
হারিছ ৷ তারা ফিহর বংশের অন্তর্ভুক্ত ৷

ইবন ইসহাক বলেন, অনুষঙ্গী হিসেবে পমনকারী নাবালক পুত্রগণ এবং সেখানে

জন্মগ্রহণকারী শিশুগণকে বাদ দিয়ে হিসেব করলে আবিসিনিয়ায় হিজরতকারী মুসলামানদের

ৎখ্যা হয় ৮৩ ৷ অবশ্য, যদি আম্মার ইবন ইয়াসির (রা) কে হিজরতকারীদের মধ্যে গণ্য করা
হয়, তবে ৮৩ জন হবে ৷ তবে তার আবিসিনিয়ায় গমন সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে জানা যায় না ৷

ইবন ইসহাক যে উল্লেখ করেছেন যে, মক্কা থেকে র্যারা আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছেন,
তাদের মধ্যে আবু মুসা আশআরীও রয়েছেন আমার মতে তার এই মন্তব্য নির্ত্যাযোগ্য মনে হয়
না ? এ প্রসঙ্গে ইমাম আহমদ (র) বলেন, হাসান ইবন মুসা ইবন মাসউদ (বা) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে নাজাশী নিকট প্রেরণ করলেন ৷
আমরা সংখ্যায় প্রায় ৮০ জন ছিলাম ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ, জাফর,
আবদুল্লাহ ইবন আরফাতা, উছমান ইবন মাযউন এবং আবু মুসা ৷ র্তারা নাজাশীর নিকট
এলেন ৷ অন্যদিকে কুরায়শ গোত্রের লোকেরা আমর ইবন আস এবং আমার ইবন ওয়ালীদকে
মুল্যবান উপটোকন দিয়ে নাজাশীর নিকট প্রেরণ করে ৷ নাজাশীর দরবারে উপস্থিত হয়ে তারা
তাকে সিজদা করে এবং খুব দ্রুত তাদের একজন তার ডানদিকে এবং অপরজন বামদিকে বসে
পড়ে ৷ তারপর তারা তাকে বলে, আমাদের স্বগােত্রীয় কিছু লোক আমাদের প্ৰতি বিরুপ হয়ে
এবং আমাদের ধর্ম ত্যাগ করে আপনার বাজে এসে আশ্রয় নিয়েছে ৷ নাজাশী বললেন, ওরা
এখন কোথায় ? তারা বলল, আপনার রাজ্যেই আছে ৷ ওদেরকে ডেকে পাঠান ৷ নাজাশী
তাদেরকে ডেকে আনলেন ৷ হযরত জাফর (রা ) তার সাথীদেরকে বললেন, “আজ আমি
আপনাদের সকলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখব ৷ সকলে তা মেনে নিলেন ৷ তিনি নাজাশীকে
সালাম দিলেন, বিন্দু সিজদা করলেন না ৷ রাজ-দরবারের লোকেরা বলল, আপনি জাহীপনাকে
সিজদা করলেন না কেন ? হযরত জাফর উত্তরে বললেন, আমরা মহান আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য
কাউকে সিজদা করি না ৷ নাজাশী বললেন, এ কেমন কথা ? জাফর (রা) বললেন, “আল্লাহ
তাআলা আমাদের প্ৰতি একজন রাসুল প্রেরণ করেছেন ৷ ওই রাসুল আমাদেরকে নির্দেশ
দিয়েছেন আমরা যেন একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে সিজদা না করি ৷ তিনি আমাদেরকে
নামায আদায় করতে এবং যাকাত দানের নির্দেশ দিয়েছেন ৷” কুরায়শ প্রতিনিধি আমর বলে
উঠলেন, ওরা ঈসা ইবন মারয়ামের ব্যাপারে আপনার বিশ্বাসের বিপরীত বিশ্বাস পোষণ করে ৷
নাজাশী বললেন, ঈসা (আ) এবং তার মা মারয়াম সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কী ? তিনি বললেন,
তাদের সম্পর্কে আমরা ঠিক তা-ই বলি যা আল্লাহ্ বলেছেন, আর তা হলো , তিনি আল্লাহর
কালেমা ও বাণী এবং তার বহু ৷ এ রুহকে তিনি সতীসাধবী কুমারী মারয়ামের প্ৰতি নিক্ষেপ
করেছেন ৷ কোন পুরুষ ওই কুমারীকে স্পর্শ করেনি এবং কোন পুরুষ তার মধ্যে সন্তানের বীজ


الْعَبْدَرِيُّ وَمَعَهُ امْرَأَتُهُ أُمُّ حَرْمَلَةَ بِنْتُ عَبْدِ الْأَسْوَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ، وَوَلَدَاهُ عَمْرُو بْنُ جَهْمٍ وَخُزَيْمَةُ بْنُ جَهْمٍ وَأَبُو الرُّومِ بْنُ عُمَيْرِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ عَبْدِ الدَّارِ وَفِرَاسُ بْنُ النَّضْرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ كَلَدَةَ وَعَامِرُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ أَخُو سَعْدٍ وَالْمُطَّلِبُ بْنُ أَزْهَرَ بْنِ عَبْدِ عَوْفٍ الزُّهْرِيُّ وَامْرَأَتُهُ رَمْلَةُ بِنْتُ أَبِي عَوْفِ بْنِ صُبَيْرَةَ وَوَلَدَتْ لَهُ بِهَا عَبْدَ اللَّهِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ وَأَخُوهُ عُتْبَةُ وَالْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ وَالْحَارِثُ بْنُ خَالِدِ بْنِ صَخْرٍ التَّيْمِيُّ وَامْرَأَتُهُ رَيْطَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ جُبَيْلَةَ وَوَلَدَتْ لَهُ بِهَا مُوسَى وَعَائِشَةَ، وَزَيْنَبَ، وَفَاطِمَةَ وَعَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ كَعْبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ تَيْمِ بْنِ مُرَّةَ وَشَمَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ الشَّرِيدِ الْمَخْزُومِيُّ قَالَ: وَإِنَّمَا سُمِّيَ شَمَّاسًا لِحُسْنِهِ، وَأَصْلُ اسْمِهِ عُثْمَانُ بْنُ عُثْمَانَ وَهُبَّارُ بْنُ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ الْمَخْزُومِيُّ وَأَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ وَهُشَامُ بْنُ أَبِي حُذَيْفَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ وَسَلَمَةُ بْنُ هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ وَعَيَّاشُ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ وَمُعَتِّبُ بْنُ عَوْفِ بْنِ عَامِرٍ وَيُقَالُ لَهُ: عَيْهَامَةُ وَهُوَ مِنْ حُلَفَاءِ بَنِي مَخْزُومٍ. قَالَ: وَقُدَامَةُ وَعَبْدُ اللَّهِ أَخَوَا عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ وَالسَّائِبُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ وَحَاطِبُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ مَعْمَرٍ وَمَعَهُ امْرَأَتُهُ فَاطِمَةُ بِنْتُ الْمُجَلِّلِ، وَابْنَاهُ