আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب هجرة من هاجر من أصحاب رسول الله من مكة إلى أرض الحبشة

পৃষ্ঠা - ১৮৭৫


অন্যদিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যদি নিম্নস্বরে কুরআন তিলাওয়াত করতেন, তাহলে যারা
মনোযোগ সহকারে তিলাওয়াত শুনতে চাইতেন, তারা তা শুনতে পেতেন না ৷ এই প্রেক্ষিতে
পাঠ করবেন না যায় ফলে ওরা সবইি আপনার নিকট থেকে দুরে সরে যায় ৷ ৷ঠু ;ষ্১!ট্রু
এবং অতিশয় ক্ষীণস্বরেও পাঠ করবেন না ৷ তা হলে তো গোপনে শ্ররণকারীরা তা শুনছুত পাবে
না ৷ এমনও হতে পারে যে, সে যা শুনবে তাতে তার অম্ভরে থােদাভীতি সৃষ্টি হবে এবং সে
উপকৃত হবে ৷ মৈং ম্রাট্রু৷ ;,ং ; :fi;; ৷ টু ররং এ দুয়ের মধ্যপস্থা অবলম্বন করুন!

পরিছেদ : সাহাবায়ে কিরাম (রা)-এর আবিসিনিয়ায় হিজৱত

মুসলমানদের মধ্যে যারা অপেক্ষাকৃত দুর্বল ছিলেন , তাদের প্রতি মুশরিকদের
অত্যাচার-নির্যাতন, নির্দয় প্রহার এবং অপমান, লাঞ্চুনার কথা ইভােপুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷
আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবী (সা) থেকে ওদেরকে সরিয়ে রেখেছিলেন এবং চাচা আবু তালিবের
মাধ্যমে তাকে কাফিরদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন ৷ এ বিষয়ে ইতোপুর্বে উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আল্লাহ্র জন্যে ৷

ঐতিহাসিক ওয়াকিদী বলেন, তারা নবুওয়াতের পঞ্চম বছর রজব মাসে আবিসিনিয়ায়
উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ সর্বপ্রথম ১ ১জন পুরুষ এবং : জন মহিলা সেখানে হিজৱত করেন ৷
পদব্রজে এবং সওয়ারীতে আরোহণ করে তারা সাগর তীরে গিয়ে পৌছেন ৷ এরপর অ র্ধ
দীনারের বিনিময়ে আবিসিনিয়া পর্যন্ত একটি নৌকা ভাড়া করেন ৷ তারা হলেন উছমান ইবন
আফ্ফান, তার সহধর্মিণী রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কন্যা রুকাইয়া , আবু হুযায়ফা ইবন উতবা , তার
শ্রী সাহ্লা বিনত সুহায়ল, যুবায়র ইবন আওঅ্যাম , মুসআব ইবন উমায়র , আবদুর রহমান ইবন
আওফ , আবু সালামা ইবন আবদুল আসাদ, তার শ্রী উন্মু সালামা বিনত আবু উমাইয়া, উছমান
ইবন মাযউন, আমির ইবন রাবীআ আল-আনাসী, তার শ্রী লায়লা বিনত আবু হাছামড়াহ্, আবু
সাবুরা ইবন আবু রুহাম মতান্তরে আবু হাতির ইবন আমর, সুহায়ল ইবন বায়দা, আবদুল্লাহ
ইবন মাসউদ বাযিয়াল্লাহু আনহুম কৃআজমাঈন ৷

ইবন জারীর (র) প্রমুখ বলেন, মহিলা ও শিশু ব্যতীত শুধু পুরুষ ছিলেন ৮২ জন ৷ আমার
ইবন ইয়াসির (বা) তাদের সাথে ছিলেন কিনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে ৷ তিনি যদি
তাদের সাথে থাকেন, তবে তাদের সংখ্যা হবে ৮৩ ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) তার সড়াহাবীদের উপর আপতিত
মুশরিকদের জুলুম-নির্যাতন দেখলেন এবং এও দেখলেন যে, আল্লাহ তাআলা নিজ কুদরতে
এবং আবু তালিবের মাধ্যমে তাকে ওদের জুলুম থেকে রক্ষা করছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কিভু
নিজে তার সাহাবীদেরকে বিপদাপদ ও জুলুম-নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে পারছেন না ৷ তখন
তিনি সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা যদি আবিসিনিয়া চলে যেতে, তাহলে ভাল
হত ৷ কারণ, সেখানে একজন রাজা আছেন যিনি কারো প্রতি জুলুম করেন না ৷ এবং সেটি
একটি ভাল রাজ্য ৷ ওখানে গেলে আল্লাহ তাআলা তােমাদেরকে এই জুলুম-নির্যাতন থেকে
মুক্তির ব্যবস্থা করে দিবেন ৷ এ প্রেক্ষিতে জুলুম-অত্যাচার থেকে মুক্তি এবং দীন-ধর্ম রক্ষার


[بَابُ هِجْرَةِ مَنْ هَاجَرَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ مِنْ مَكَّةَ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ] ِ فِرَارًا بِدِينِهِمْ مِنَ الْفِتْنَةِ قَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُ أَذِيَّةِ الْمُشْرِكِينَ لِلْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، وَمَا كَانُوا يُعَامِلُونَهُمْ بِهِ مِنَ الضَّرْبِ الشَّدِيدِ، وَالْإِهَانَةِ الْبَالِغَةِ، وَكَانَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ حَجَزَهُمْ عَنْ رَسُولِهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَمَنَعَهُ بِعَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ كَمَا تَقَدَّمَ تَفْصِيلُهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ أَنَّ خُرُوجَهُمْ إِلَيْهَا فِي رَجَبٍ سَنَةَ خَمْسٍ مِنَ الْبِعْثَةِ، وَأَنَّ أَوَّلَ مَنْ هَاجَرَ مِنْهُمْ أَحَدَ عَشَرَ رَجُلًا وَأَرْبَعُ نِسْوَةٍ، وَأَنَّهُمُ انْتَهَوْا إِلَى الْبَحْرِ مَا بَيْنَ مَاشٍ وَرَاكِبٍ، فَاسْتَأْجَرُوا سَفِينَةً بِنِصْفِ دِينَارٍ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَهُمْ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَامْرَأَتُهُ رُقَيَّةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَبُو حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ وَامْرَأَتُهُ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلٍ، وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ وَمُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الْأَسَدِ وَامْرَأَتُهُ أُمُّ سَلَمَةَ بِنْتُ أَبِي أُمَيَّةَ،