আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب مجادلة المشركين رسول الله - صلى الله عليه وسلم - وإقامته الحجة الدامغة عليهم

পৃষ্ঠা - ১৮৭১


ঘটনা এই : আমি এবং আবু জাহ্ল মক্কার এবচু পলি দিয়ে হেটে যাচ্ছিলড়াম ৷ হঠাৎ রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে আমাদের দেখা হয়ে যায় ৷ আবু জাহ্লকে উদ্দেশ্য করে তিনি বললেন, হে
আবুল হাকাম! আপনি আল্লাহর প্রতি এবং তীর রাসুলের প্রতি এগিয়ে আসুন, আমি আপনাকে
আল্লাহ্র প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ৷ আবু জাহ্ল বলল, হে মুহাম্মাদ, আমাদের উপাস্যগুলাের
সমালোচনা ও ওগুলােকে গালমন্দ করা থেকে তুমি কি বিরত থাকবে ? তুমি কি এটাই চাও যে,
আমি এই সাক্ষ্য দিই যে, তুমি তোমার রিসালাংতর দায়িত্ব ণ্:পীছে দিয়েছ ? আমরা কি কখনো
তোমার দায়িত্ব পালনের সাক্ষ্য দিব ?

আল্লাহর কলম, আমি যদি জানতাম যে, তুমি যা বলছ তা সত্য, তবে আমি নিশ্চয়ই
তোমার অনুসরণ করতড়াম ৷ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আপন পথে চলে গেলেন ৷ আর আবু
জাহ্ল আমার দিকে ফিরে বলল, আল্লাহর কলম, আমি নি ত জানি যে, সে যা বলছে তা
সত্য ৷ তবে কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো আমাকে তার অনুসরণে বাধা দিচ্ছে ৷ গৌরব ও মর্যাদা
বর্ণনার প্রতিযোগিতায় কুসাইর বংশধরগণ বলল, আমাদের আছে কাবাগৃহ তত্ত্বড়াবধানের
দায়িত্ব, তখন আমরা বললাম, হী৷ , ঠিক আছে ৷ তারা বলুল , আমাদের আছে হড়াজীদেরকে পানি
পান করানোর মর্যাদাপুর্ণ দায়িত্ব ৷ আমরা বললাম, হী৷ তাও ঠিক আছে ৷ তারা বলল, আমাদের
আছে পরামর্শ সভার দায়িত্ব ৷ আমরা বললাম, হী৷ তাও ঠিক আছে ৷ তারা বলল, আমাদের
পতাকা বহনের দায়িত্ব আছে, আমরা বললাম, ছুব্রুা, তাও আছে বৈ কি৷ এরপর তারা
লোকজনকে আখ্যায়িত করে এবং আমরা লোকজনকে আখ্যায়িত করি ৷

অবশেষে প্রতিযোগী দুই সওয়াবী যখন সমান সমান হয়ে গেল, তখন তারা, বলল,
আমাদের মধ্যে একজন নবী আছেন ৷” সুতরাং আল্লাহর কলম, আমি কখনো তার অনুসরণ
করব না ৷

বায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ হাকিম আবু ইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আবু জাহ্ল ও আবু সুফিয়ান এক জায়গায় বসা ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের পাশ
দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন ৷ আবু জাহ্ল বলল, এটি তোমাদের নবী, হে আব্দ শামসৃ গোত্র! আবু
সুফিয়ান বলল, আমাদের পােত্রে নবী আবির্ভুত হবে এতে কি তুমি অবাক হচ্ছে৷ ? তাহলে কি
যারা আমাদের চেয়ে সংখ্যায় কম এবং মর্যাদায় নীচ , তাদের মধ্য থেকে নবী হবে ? আবু জাহ্ল
বলল, আমার অবাক সাথে এ জন্যে যে, প্রবীণ লোকদেরকে বাদ দিয়ে অল্পবয়স্ক বালক কেমন
করে নবী হয় ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের কথাবার্তা শুনছিলেন ৷ তিনি তাদের নিকট এসে
বললেন, হে আবু সুফিয়ান৷ আপনি তো আল্লাহ্ এবং তার রাসুলের জন্যে ক্রুদ্ধ হননি আপনি
বরং ক্রুদ্ধ হয়েছেন নিজের বংশ মর্যাদার জন্যে ৷ আর হে আবুল হাকাম ! আল্লাহর কলম, আপনি
অবশ্যই প্রচুর র্কাদবেন এবং কম হাসবেন ৷ তখন আবু জাহ্ল বলল, তাতিজা! তোমার
নবুওয়াতী দৃষ্টিকোণ থেকে তুমি আমাকে কত মন্দ সতর্কবাণীই না শুনালে৷ এ সুত্রে হড়াদীছটি
-মুরসাল ঘটে এবং এটির মধ্যে কোন এক স্থানে বর্ণনাকারীর সংখ্যা মাত্র একজনে নেমে
এসেছে

১৭ ৰু ণোণোণো(ট্রুঘ্নেরাঃ৪গাে০ওেয়াে

عَنْ يُونُسَ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ قَالَ: حُدِّثْتُ «أَنَّ أَبَا جَهْلٍ وَأَبَا سُفْيَانَ وَالْأَخْنَسَ بْنَ شَرِيقٍ خَرَجُوا لَيْلَةً لِيَسْمَعُوا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَهُوَ يُصَلِّي بِاللَّيْلِ فِي بَيْتِهِ، فَأَخَذَ كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ مَجْلِسًا لِيَسْتَمِعَ مِنْهُ، وَكُلٌّ لَا يَعْلَمُ بِمَكَانِ صَاحِبِهِ، فَبَاتُوا يَسْتَمِعُونَ لَهُ، حَتَّى إِذَا أَصْبَحُوا وَطَلَعَ الْفَجْرُ تَفَرَّقُوا، فَجَمَعَهُمُ الطَّرِيقُ، فَتَلَاوَمُوا، وَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: لَا تَعُودُوا فَلَوْ رَآكُمْ بَعْضُ سُفَهَائِكُمْ لَأَوْقَعْتُمْ فِي نَفْسِهِ شَيْئًا. ثُمَّ انْصَرَفُوا، حَتَّى إِذَا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الثَّانِيَةُ، عَادَ كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ إِلَى مَجْلِسِهِ، فَبَاتُوا يَسْتَمِعُونَ لَهُ حَتَّى إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ تَفَرَّقُوا، فَجَمَعَهُمُ الطَّرِيقُ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ مِثْلَ مَا قَالُوا أَوَّلَ مَرَّةٍ. ثُمَّ انْصَرَفُوا، فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الثَّالِثَةُ، أَخَذَ كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ مَجْلِسَهُ، فَبَاتُوا يَسْتَمِعُونَ لَهُ، حَتَّى إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ تَفَرَّقُوا، فَجَمَعَهُمُ الطَّرِيقُ، فَقَالُوا: لَا نَبْرَحُ حَتَّى نَتَعَاهَدَ أَنْ لَا نَعُودَ فَتَعَاهَدُوا عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ تَفَرَّقُوا فَلَمَّا أَصْبَحَ الْأَخْنَسُ بْنُ شَرِيقٍ أَخَذَ عَصَاهُ، ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى أَتَى أَبَا سُفْيَانَ فِي بَيْتِهِ، فَقَالَ: أَخْبِرْنِي يَا أَبَا حَنْظَلَةَ عَنْ رَأْيِكَ فِيمَا سَمِعْتَ مِنْ مُحَمَّدٍ. فَقَالَ: يَا أَبَا ثَعْلَبَةَ وَاللَّهِ لَقَدْ سَمِعْتُ أَشْيَاءَ أَعْرِفُهَا وَأَعْرِفُ مَا يُرَادُ بِهَا. فَقَالَ الْأَخْنَسُ: وَأَنَا وَالَّذِي حَلَفْتَ بِهِ. ثُمَّ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ حَتَّى أَتَى أَبَا جَهْلٍ فَدَخَلَ عَلَيْهِ بَيْتَهُ، فَقَالَ: يَا أَبَا الْحَكَمِ مَا رَأْيُكَ فِيمَا سَمِعْتَ مِنْ مُحَمَّدٍ؟ فَقَالَ: مَاذَا سَمِعْتُ! تَنَازَعْنَا نَحْنُ وَبَنُو عَبْدِ مَنَافٍ الشَّرَفَ ; أَطْعَمُوا فَأَطْعَمْنَا، وَحَمَلُوا فَحَمَلْنَا، وَأَعْطَوْا فَأَعْطَيْنَا، حَتَّى إِذَا تَجَاثَيْنَا عَلَى الرُّكَبِ، وَكُنَّا كَفَرَسَيْ رِهَانٍ، قَالُوا: مِنَّا نَبِيٌّ يَأْتِيهِ الْوَحْيُ مِنَ السَّمَاءِ، فَمَتَى نُدْرِكُ هَذِهِ؟ وَاللَّهِ لَا نَسْمَعُ بِهِ أَبَدًا، وَلَا نُصَدِّقُهُ. فَقَامَ عَنْهُ الْأَخْنَسُ بْنُ شَرِيقٍ»