আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب مجادلة المشركين رسول الله - صلى الله عليه وسلم - وإقامته الحجة الدامغة عليهم

পৃষ্ঠা - ১৮৬৫


গিয়ে কতগুলো প্রস্তাব পেশ করব ? এমনও হতে পারে যে কোন একটি প্রস্তাব সে গ্রহণ করবে
এবং আমাদেরকে জ্বালাতন করা থেকে বিরত থাকবে ৷ উপস্থিত লোকজন বলল, হে আবু
ওয়ালীদ, আপনি তাই করুন ৷ উতবা উঠে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট বসে ৷ এরপর
উতবা ধন-সম্পদ ও রাজতু সম্পর্কে যে সব প্রস্তাব দিয়েছে এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা উত্তর
দিয়েছেন তার বিবরণ দেয় ৷

যিয়াদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেছেন যে উতরা বলেছিল , হে কুরায়শ সম্প্রদায় ! আমি কি
মুহাম্মদের নিকট যাব এবং তার সাথে আলড়াপ-আন্থলাচনা করে তার নিকট কতক প্রস্তাব পেশ
করব ? এমনও হতে পারে যে, সে কোন একটি প্রস্তাব পেশ করবে এবং আমরা প্রস্তাব অনুযায়ী
তার চাহিদা পুরণ করব এবং ফলশ্রুতিতে সে আমাদেরকে জ্বালাতন করা থেকে বিরত থাকবে ৷
এ ঘটনা সংঘটিত হয় তখন, যখন হযরত হামযা (বা) ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তারা দেখতে
পায় যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথীদেব সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷

তখন উপস্থিত লোকজন বলল, হ্যা, হে আবু ওয়ালীদ! আপনি তার নিকট যান এবং তার
সাথে কথা বলুন ৷ উতবা উঠে দাড়ায় এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট গিয়ে বসে ৷ সে বলে,
ভাতিজা আমাদের মধ্যে এবং আমাদের গোত্রের মধ্যে তোমার মর্যাদা এবং আভিজাত্যের কথা
তো তোমার জানা আছে ৷ তবে তোমার সম্প্রদায়ের নিকট তুমি এমন একটি গুরুতর বিষয় নিয়ে
এসেছ যা দ্বারা তুমি তাদের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করে দিয়েছ, তাদের গুণীজনদেরকে মুর্থরুগে
আখ্যায়িত করেছ, তাদের উপাস্যগুলাে ও ধ্র্মমতের নিন্দাবাদ করেছ এবং তাদের পরলােকগত
পুর্ব পুরুষদেরকে কাফির বলে আখ্যায়িত করেছ ৷ তুমি আমার কথা গােন, আমি তোমার নিকট
কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করছি ৷ তুমি সেগুলো ভালভাবে বিবেচনা করে দেখবে ৷ এমনও হতে
পারে যে, তার মধ্যে কোন একটি প্রস্তাব তুমি গ্রহণ করবে ৷

রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, আবুল ওয়ালীদ! বলুন, আমি শুনছি ৷ সে বলল, ভাতিজা! তুমি
যা নিয়ে এসেছ তার মাধ্যমে ধন-সম্পদ অর্জন করা যদি তোমার উদ্দিষ্ট হয়, তবে আমাদের
প্রত্যেকের ধন-সম্পদের একটা অংশ আমরা তোমাকে দিয়ে দেব ফলে তুমি আমাদের সবার
চেয়ে বড় সম্পদশালী হয়ে যাবে ৷ তুমি যদি মর্যাদা অত্তনি করতে চাও, তবে আমরা তোমাকে
চিরদিনের জন্যে নেতা রুপে বরণ করে নেবাে ৷ তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে নেতৃতু দেব না ৷
তুমি যদি রাজতৃ চাও আমরা তোমাকে আমাদের রাজা রুপে বরণ করবো ৷ তোমার নিকট যে
অদৃশ্য আগন্তুক আসে যে যদি জিন হয়ে থাকে এবং তার হাত থেকে আত্মরক্ষায় তুমি যদি
অক্ষয় হয়ে থাক, তবে আমরা ভাক্তার-কবিরাজ ডেকে এনে অর্থব্যয় তোমাকে সুস্থ করে তুলব ৷
কারণ, মাঝে মাঝে অনুষঙ্গী তার মুল ব্যক্তির উপর প্রাধান্য লাভ করে, যার জন্যে চিকিৎসার
প্রয়োজন দেখা দেয় ৷ উতবা হুবহু একথা অথবা এ জাতীয় অন্য কিছু বলেছিল ৷ উতবার বক্তব্য
শেষ হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে আবুল ওয়ালীদ, আপনার কথা শেষ হয়েছে ? সে
বলল, হীা, শেষ হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এবার আমার বক্তব্য শুনুন ৷ সে বলল, ঠিক
আছে, বলে যাও ! ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) পড়তে শুরু করলেন :


قَوْلَهُ: {الَّذِينَ جَعَلُوا الْقُرْآنَ عِضِينَ فَوَرَبِّكَ لَنَسْأَلَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ} [الحجر: 91] » [الْحِجْرِ: 91 - 93] قُلْتُ: وَفِي ذَلِكَ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى إِخْبَارًا عَنْ جَهْلِهِمْ وَقِلَّةِ عَقْلِهِمْ: {بَلْ قَالُوا أَضْغَاثُ أَحْلَامٍ بَلِ افْتَرَاهُ بَلْ هُوَ شَاعِرٌ فَلْيَأْتِنَا بِآيَةٍ كَمَا أُرْسِلَ الْأَوَّلُونَ} [الأنبياء: 5] . فَحَارُوا مَاذَا يَقُولُونَ فِيهِ، فَكُلُّ شَيْءٍ يَقُولُونَهُ بَاطِلٌ ; لِأَنَّ مَنْ خَرَجَ عَنِ الْحَقِّ مَهْمَا قَالَهُ أَخْطَأَ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {انْظُرْ كَيْفَ ضَرَبُوا لَكَ الْأَمْثَالَ فَضَلُّوا فَلَا يَسْتَطِيعُونَ سَبِيلًا} [الفرقان: 9] وَقَالَ الْإِمَامُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنِ الْأَجْلَحِ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْكِنْدِيُّ عَنِ الذَّيَّالِ بْنِ حَرْمَلَةَ الْأَسَدِيِّ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «اجْتَمَعَ قُرَيْشٌ يَوْمًا، فَقَالُوا: انْظُرُوا أَعْلَمَكُمْ بِالسِّحْرِ وَالْكِهَانَةِ وَالشِّعْرِ، فَلْيَأْتِ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي فَرَّقَ جَمَاعَتَنَا، وَشَتَّتَ أَمْرَنَا، وَعَابَ دِينَنَا، فَلْيُكَلِّمْهُ وَلْيَنْظُرْ مَاذَا يَرُدُّ عَلَيْهِ، فَقَالُوا: مَا نَعْلَمُ أَحَدًا غَيْرَ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ. فَقَالُوا: أَنْتَ يَا أَبَا الْوَلِيدِ. فَأَتَاهُ عُتْبَةُ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ أَنْتَ خَيْرٌ أَمْ عَبْدُ اللَّهِ؟ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -. فَقَالَ: أَنْتَ خَيْرٌ أَمْ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ؟ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -. فَقَالَ: إِنْ كُنْتَ تَزْعُمُ أَنَّ هَؤُلَاءِ خَيْرٌ مِنْكَ، فَقَدْ عَبَدُوا الْآلِهَةَ الَّتِي عِبْتَ، وَإِنْ كُنْتَ تَزْعُمُ أَنَّكَ خَيْرٌ مِنْهُمْ فَتَكَلَّمْ حَتَّى