আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل تعذيب قريش للمسلمين لاتباعهم النبي عليه الصلاة والسلام

পৃষ্ঠা - ১৮৬১

৩ শ্শ্ ; ) ৩ ;ণ্ ষ্০ ন্ শ্শ্!০ ষ্ ষ্ : ন্ণ্ ধ্ষ্স্ :
ঠোট্রুব্র র্দ;ৰুা
“দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে” হা-মীম ৷ এটি দয়াময়, পরম দয়ালুর নিকট হতে
অবতীর্ণ ৷ এটি এক কিতাব বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে এর আয়াতসমুহ আরবী ভাষায়
কুরআনরুপে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্যে ৷ সুসংবাদদাত৷ ও সতর্ককারীরুপে ৷ কিন্তু ওদের
অধিকাংশই বিমুখ হয়েছে ৷ সুতরাং তারা শুনরে না ৷ ওরা বলে, তুমি যার প্রতি আমাদেরকে
আহ্বান করছ সে বিষয়ে আমাদের অন্তর আবরণ-আচ্ছাদিত , কর্ণে আছে বধিরতা এবং তোমার
ও আমাদের মধ্যে আছে অন্তরাল ৷ সুতরাং তুমি তোমার কাজ কর এবং আমরা আমাদের কাজ
করি ৷ বলুন, আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের
ইলাহ্ একমাত্র ইলাহ্ ৷
অতএব র্তারই পথ দৃঢ়ভাবে অবলম্বন কর এবং তারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর ৷ দুর্তোগ

অংশীবাদীদের জন্যে ৷ যারা যাকাত প্রদান করে না এবং ওরা আখিরাতে ও অবিশ্বাসী ৷ যারা
ঈম৷ ৷ন আসে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার ৷

বলুন, তোমরা কি তাকে অস্বীকার করবেই, যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে এবং
তোমরা তার সমকক্ষ দাড় করাতে চাচ্ছ ? তিনি তো জগতসমুহের প্রতিপালক ৷ তিনি স্থাপন
করেছেন অটল পর্বত মালা ভু পৃষ্ঠে এবং তাতে রেখেছেন কল্যাণ এবং চার দিনের মধ্যে তার
ব্যবস্থা করেছেন খাদ্যের সমভাবে যাঞ্চাকারীদের জন্যে ৷ এরপর তিনি আকাশের দিকে
মনোনিবেশ করেন যা ছিল ধুম্রপুঞ্জ বিশেষ ৷ অনম্ভর তিনি সেটিকে এবং পৃথিবীকে বললেন,
তোমরা উভয়ে আস, ইচ্ছার অথবা অনিচ্ছায় ওরা বলল, আমরা এলাম অনুগত হয়ে ৷ এরপর
তিনি আকাশ জগত কে দু দিনে সপ্তাকা শে পরিণত করলেন এবং প্রত্যেক আকাশে সেটির বিধান
ব্যক্ত করলেন এবং আমি নিকটবর্তী আকাশ্ কে সুশোভিত করলাম প্রদীপমাল৷ দ্বারা এবং
করলাম সুরক্ষিত ৷ এটি পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহ্র ব্যবস্থাপনা ৷ তবু তারা যদি মুখ ফিরিয়ে
নেয়, তবে বলুন, আমি তো তোমাদেরকে সতর্ক করছি এবং ধ্বংসকর শান্তির আদ ও ছামুদের
শাস্তির অনুরুপ (৪ ১ : ১ ১৩) ৷

এবার উ৩ বা বলল, যথেষ্ট হয়েছে ৷ এ ছাড় ৷অন্য কিছু কি তোমার নিকট নেই ? তিনি
বললেন, না ৷ উতবা এবার কুরায়শী নে৩ তৃবৃন্দের নিকট ফিরে গেল ৷৩ তারা বলল, ওদিককার
খবর কী ? সে বলল, তোমরা যা না বলতে, আমার ধারণা তার সবই আমি তাকে বলেছি ৷
তারা বলল, যে কি কে ন উত্তর দিয়েছে ? সে বলল, হ্যা ৷ এরপর সে বলল, যিনি কা বাগৃহ
নির্মাণ করেছেন সেই পবিত্র সত্তার শপথ করে আমি বলছি, সে যা বলেছে আমি তার কিছুই
বৃঝিনি ৷ শুধু এতটুকু বুঝেছি যে, আদ ও ছামুদ সম্প্রদায়ের উপর আগত একটি বিকট চিৎকারের
আগমন সম্পর্কে যে তোমাদেরকে সতর্ক করেছে ৷ তারা বলল, হায় ! এটি কেমন কথা ! একজন
লোক আরবী ভাষায় আপনার সাথে কথা বলল, অথচ আপনি তা বুঝতে পারলেন না সে


مَاجَهْ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ الطَّنَافِسِيِّ عَنْ وَكِيعٍ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ الْعَبْدِيِّ عَنْ خَبَّابٍ قَالَ: «شَكَوْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَرَّ الرَّمْضَاءِ، فَلَمْ يُشْكِنَا.» وَالَّذِي يَقَعُ لِي وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ مُخْتَصَرٌ مِنَ الْأَوَّلِ، وَهُوَ أَنَّهُمْ شَكَوْا إِلَيْهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مَا يَلْقَوْنَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ مِنَ التَّعْذِيبِ بِحَرِّ الرَّمْضَاءِ، وَأَنَّهُمْ يَسْحَبُونَهُمْ عَلَى وُجُوهِهِمْ فَيَتَّقُونَ بِأَكُفِّهِمْ، وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنْ أَنْوَاعِ الْعَذَابِ، كَمَا تَقَدَّمَ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ وَغَيْرِهِ، وَسَأَلُوا مِنْهُ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنْ يَدْعُوَ اللَّهَ لَهُمْ عَلَى الْمُشْرِكِينَ، أَوْ يَسْتَنْصِرَ عَلَيْهِمْ، فَوَعَدَهُمْ ذَلِكَ وَلَمْ يُنْجِزْهُ لَهُمْ فِي الْحَالَةِ الرَّاهِنَةِ، وَأَخْبَرَهُمْ عَمَّنْ كَانَ قَبْلَهُمْ ; أَنَّهُمْ كَانُوا يَلْقَوْنَ مِنَ الْعَذَابِ مَا هُوَ أَشَدُّ مِمَّا أَصَابَهُمْ، وَلَا يَصْرِفُهُمْ ذَلِكَ عَنْ دِينِهِمْ، وَيُبَشِّرُهُمْ أَنَّ اللَّهَ سَيُتِمُّ هَذَا الْأَمْرَ، وَيُظْهِرُهُ، وَيُعْلِيهِ، وَيَنْشُرُهُ، وَيَنْصُرُهُ فِي الْأَقَالِيمِ وَالْآفَاقِ، حَتَّى يَسِيرَ الرَّاكِبُ مِنْ صَنْعَاءَ إِلَى حَضْرَمَوْتَ، لَا يَخَافُ إِلَّا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَالذِّئْبَ عَلَى غَنَمِهِ، وَلَكِنَّكُمْ تَسْتَعْجِلُونَ ; وَلِهَذَا قَالَ: «شَكَوْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَرَّ الرَّمْضَاءِ فِي وُجُوهِنَا وَأَكُفِّنَا، فَلَمْ يُشْكِنَا» أَيْ لَمْ يَدْعُ لَنَا فِي السَّاعَةِ الرَّاهِنَةِ، فَمَنِ اسْتَدَلَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَلَى عَدَمِ الْإِبْرَادِ أَوْ عَلَى وُجُوبِ مُبَاشَرَةِ الْمُصَلِّي بِالْكَفِّ، كَمَا هُوَ أَحَدُ قَوْلَيِ الشَّافِعِيِّ فَفِيهِ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.