আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل تعذيب قريش للمسلمين لاتباعهم النبي عليه الصلاة والسلام

পৃষ্ঠা - ১৮৫৫


আবুজাহ্ল বলল, তাহলে আপনার গোত্রের উদ্দেশ্যে আপনি এমন একটি জোরালো বক্তব্য
পেশ করুন যাতে তারা বুঝতে পারে যে, আপনি মুহাম্মদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করেন ৷ ওয়ালীদ
বলল, আমি কী বলব ? আল্লাহর কসম, তোমাদের মধ্যে কেউই গীতিকাব্য, ছন্দ, কাসীদা এবং
জিনদের কবিতা সম্পর্কে আমার চেয়ে অধিক অবগত নয়, আল্লাহ কসম, মুহাম্মদ যা বলছে তা
তো ওগুলাের কো ৷নটির সাথেই মিলছে না ৷ আল্লাহ্র কসম , সে যা বলছে তার মধ্যে এক বিশেষ
মাধুর্য রয়েছে, তাতে রয়েছে আকর্ষণ ৷৩ তার উপরের অং শ ফলবান অ র নীচের অং শ পানিসিক্ত ৷
সে অবশ্যই বিজয়ী হতে থাকবে, বিজিত হবে না ৷৩ তার বিপরীতে যা আছে ত যে সব কিছুকে যে
ভেঙ্গে চুরমার করে দিবে ৷

আবু জাহ্ল বলল, আপনি তার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য না করা পর্যন্ত আপনার গোত্রের
লোকেরা আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না ৷ ওয়ালীদ বলল, ঠিক আছে, অপেক্ষা কর, আমি একটু
ভেবে নিই ৷ তােব-চিস্তে সে বলল, এটি অন্য করো নিকট থেকে প্রাপ্ত জাদৃ ব্যতীত কিছু নয় ৷
এ প্রেক্ষিতে ন যিল হয়০ : ৰু,ট্রু ;, ৷র্দুট্রু ৰুা৷ ব্লু ’;া১;ৰু , ৷ ; ট্রুাছুঠু ;,;; ,;;;
াটুপ্ঠু: অ আমাকে ছেড়ে দাও এবং তাকে, যাকে আমি সৃষ্টি করেছি অসাধারণ করে ৷ আমি
তাকে দিয়েছি বিপুল ধন সম্পদ এবং নিত্যসং গী পুত্রগণ (৭৪ : ১ ১-১৩) ৷ বায়হাকী (র)
হাকিম ইসহাক সুত্রে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

হাম্মাদ ইবন যায়দ আইয়ুব সুত্রে ইকরিমা থেকে মুরসাল পদ্ধতিতে হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷ উক্ত বর্ণনায় আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওয়ালীদের নিকট এ আয়াত পাঠ
করেছিলেন :

fl ’fl ’ ’হুর্শি §
র্টৰু ব্লুা৷ ৷ ;, ৷


আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি নিষেধ
করেন অশ্লীলত ৷, অসৎ কার্য ও সীমালং ঘন ৷ তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন যাতে তোমরা
শিক্ষা গ্রহণ কর (১৬০ : ৯০) ৷

বায়হাকী (র) হাকিম ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একদা ওয়ালীদ
ইবন মুপীরা এবং কুরায়শের কতক নেতৃস্থানীয় লোক একন্থানে মিলিত হয় ৷ উপস্থিত লোকদের
মধ্যে যে ছিল বয়ােবৃদ্ধ ৷ তখন হব্লুজ্জর মওসুম নিকটবর্তী ছিল ৷ যে প্রস্তাব করল যে, আরবের
বিভিন্ন প্রতিনিধিদল এ সময়ে তোমাদের নিকট আসবে ৷ তোমাদের প্রতিপক্ষ মুহাম্মদের কথা
তো তারা জেনেছে ৷ সুতরাং তার ব্যাপারে তোমরা একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর ৷ তার
সম্পর্কে কেউ জিজ্ঞেস করলে সকলে একই কথা বলবে ৷ একেক জন একেক কথা বলবে না
যাতে করে একজনের কথায় আরেকজন মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হও এবং একজনের কথা
অপরজনের কথাকে বাতিল করে দেয় ৷

তারা বলল, হে আবু আবৃদ শামস ! আপনিই একটি সিদ্ধান্ত দিয়ে দিন ৷ আমরা সবাই তাই
ফ্লোন নেবে৷ ৷ সে বলল, না, তােমরাই বরং প্রস্তাব পেশ কর, আমি শুনি ৷ তারা বলল, আমরা

৬াশ্রোা৪গাে০০০া৷া
১৬ —— ং

أَحْلِفُ بِاللَّهِ، لَئِنْ قَتَلْتُمُوهُ عَلَى هَذَا لَأَتَّخِذَنَّهُ حَنَانًا. قُلْتُ: قَدِ اسْتَشْكَلَ بَعْضُهُمْ هَذَا مِنْ جِهَةِ أَنَّ وَرَقَةَ تُوُفِّيَ بَعْدَ الْبَعْثَةِ فِي فَتْرَةِ الْوَحْيِ، وَإِسْلَامِ مَنْ أَسْلَمَ إِنَّمَا كَانَ بَعْدَ نُزُولِ {يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ} [المدثر: 1] فَكَيْفَ يَمُرُّ وَرَقَةُ بِبِلَالٍ وَهُوَ يُعَذَّبُ؟ وَفِيهِ نَظَرٌ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ مُرُورَ أَبِي بَكْرٍ بِبِلَالٍ وَهُوَ يُعَذَّبُ، فَاشْتَرَاهُ مِنْ أُمَيَّةَ بِعَبْدٍ لَهُ أَسْوَدَ، فَأَعْتَقَهُ وَأَرَاحَهُ مِنَ الْعَذَابِ، وَذَكَرَ مُشْتَرَاهُ لِجَمَاعَةٍ مِمَّنْ أَسْلَمَ مِنَ الْعَبِيدِ وَالْإِمَاءِ ; مِنْهُمْ بِلَالٌ وَعَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ وَأُمُّ عُبَيْسٍ، وَزِنِّيرَةُ الَّتِي أُصِيبَ بَصَرُهَا ثُمَّ رَدَّهُ اللَّهُ تَعَالَى لَهَا، وَالنَّهْدِيَّةُ وَابْنَتُهَا اشْتَرَاهُمَا مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ، بَعَثَتْهُمَا سَيِّدَتُهُمَا تَطْحَنَانِ لَهَا، فَسَمِعَهَا وَهِيَ تَقُولُ لَهُمَا: وَاللَّهِ لَا أُعْتِقُكُمَا أَبَدًا. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: حِلًّا يَا أُمَّ فُلَانٍ. فَقَالَتْ: حِلًّا، أَنْتَ أَفْسَدْتَهُمَا فَأَعْتِقْهُمَا. قَالَ: فَبِكَمْ هُمَا؟ قَالَتْ: بِكَذَا وَكَذَا. قَالَ: قَدْ أَخَذْتُهُمَا، وَهُمَا حُرَّتَانِ، أَرْجِعَا إِلَيْهَا طَحِينَهَا. قَالَتَا: أَوْ نَفْرَغُ مِنْهُ يَا أَبَا بَكْرٍ ثُمَّ نَرُدُّهُ إِلَيْهَا؟ قَالَ: ذَلِكَ إِنْ شِئْتُمَا: وَاشْتَرَى جَارِيَةً بَنِي مُؤَمَّلٍ حَيٌّ مِنْ بَنِي عَدِيٍّ كَانَ عُمَرُ يَضْرِبُهَا عَلَى الْإِسْلَامِ.