আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل أشعار من جهة المشركين يرثون بها قتلاهم يوم بدر
فصل أشعار من جهة المشركين يرثون بها قتلاهم يوم بدر
فصل أشعار من جهة المشركين يرثون بها قتلاهم يوم بدر
فصل أشعار من جهة المشركين يرثون بها قتلاهم يوم بدر
فصل أشعار من جهة المشركين يرثون بها قتلاهم يوم بدر
فصل أشعار من جهة المشركين يرثون بها قتلاهم يوم بدر
পৃষ্ঠা - ২৫৭৮


ইবন হারিছের একটি পা কেটে যায় ৷ সেসময় তিনি নিম্নের কবিতাটি আবৃত্তি করেন ৷ কিন্তু ইবন
হিশাম এ কবিতাটি উবায়দার বলে স্বীকার করেননি ৷

অর্থ : অচিরেই মক্কাবাসীদের নিকট আমাদের সম্পর্কে একটি ঘটনার সংবাদ গিয়ে
পৌছবে ৷ সে সংবাদ শুনে এখ ড্রুন থেকে যারা দুরে অবস্থান করছে তারা ঘাবড়ে যাবে ৷

উতবা সম্পর্কে, যখন মুে পালাচ্ছিল এবং তারপরে শায়বা, আর যে অবস্থায় থাকতে
উতবার প্রথম ছেলেঢিও ( ওয়া ল্লীদ) সম্মত ছিল ৷

তারা যদি আমার পা হ্মেটেন্দিয়ে থাকে, তবে এতে আমি বিচলিত নই, কেননা, আমি
মুসলমান ৷ এর বিনিময়ে আমিৰুরুআল্লাহ্র পক্ষ থেকে অচিরেই এক সুখমর জীবন আশা করি ৷

সে জীবন হবে হ্রদের সাথে যারা মুর্ডিং মত স্বচ্ছ ৷ উচ্চতর জন্নাতে যারা উচ্চ মর্যাদা
পারে তাদের জন্যে নির্ধারিত থাকবে এ সব হ্রর ৷

তা পাওয়ার জন্যে আমি এমন এক জীবনকে বিক্রি করে দিয়েছি যার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে
আমি অবহিত ৷ আমি তা দ্রুত্বচুকড়ামনা করেছি ৷ এমনকি কাছের জিনিসকেও পরিত্যাগ করছি ৷

পরম দয়ালু সত্তা আপন ন্অনুগ্রহে আমাকে ইসলামের পোশাক দিয়ে সম্মানিত করেছেন-
যা আমার যাবতীয় অপরাধকে ঢেকে ফেল্যেছ ৷

যে দিন সকাল বেলা জ’ামার সমকক্ষ লোকের পক্ষ থেকে মুকাবিলা করার আহ্বান
আসলো সে দিন তাদের সাথে যুদ্ধ করা আমার কাছে খারাপ ঠেকেনি ৷

যখন তারা নবী করীম (না)-এর নিকট (মল্লযুদ্ধের ) দাবী জালাল তখন তিনি আমাদের
তিনজন ব্যতীত অন্য কাউকে ডাকেননি ৷ সুতরাং আমরা আহ্বানকারীদের সামনে গিয়ে
উপস্থিত হলাম ৷

আমরা বর্শা হাতে নিয়ে সিংহের মত গর্জে উঠে তাদের সামনে হাযির হলাম এবং রহমান
আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্যে পাপিষ্ঠদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকলাম ৷

এরপর আমরা তিনজনই আপন জায়গায় অবিচল থাকলাম ৷ আর তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে
পড়ালা ৷

ইবন ইসহাক লিখেছেনৰুধ্৪ বদর যুদ্ধে হারিছ ইবন হিশাম যুদ্ধ না করে দলবল ফেলে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে ৷ এ সম্পর্কে হাস্সান ইবন ছাবিতের নিন্দাসুচক কবিতাও
রয়েছে

হাস্সান ইৰ্ন ছাবিত আরও বলেন :

অর্থ : হে হারিছ ! যুদ্ধ ও দুর্যোগকালে এমন সব লোকের উপর তুমি নির্ভর করলে যারা
মোটেই নির্ভরযোগ্য ছিল না ৷


[فَصْلٌ أَشْعَارٌ مِنْ جِهَةِ الْمُشْرِكِينَ يَرْثُونَ بِهَا قَتْلَاهُمْ يَوْمَ بَدْرٍ] فَصْلٌ وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَشْعَارًا مِنْ جِهَةِ الْمُشْرِكِينَ قَوِيَّةَ الصَّنْعَةِ، يَرْثُونَ بِهَا قَتْلَاهُمْ يَوْمَ بَدْرٍ، فَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُ ضِرَارِ بْنِ الْخَطَّابِ بْنِ مِرْدَاسٍ أَخِي بَنِي مُحَارِبِ بْنِ فِهْرٍ، وَقَدْ أَسْلَمَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَالسُّهَيْلِيُّ فِي " رَوْضِهِ " يَتَكَلَّمُ عَلَى أَشْعَارِ مَنْ أَسْلَمَ مِنْهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ: عَجِبْتُ لِفَخْرِ الْأَوْسِ وَالْحَيْنُ دَائِرُ ... عَلَيْهِمْ غَدًا وَالدَّهْرُ فِيهِ بَصَائِرُ وَفَخْرِ بَنِي النَّجَّارِ أَنْ كَانَ مَعْشَرٌ ... أُصِيبُوا بِبَدْرٍ كُلُّهُمْ ثَمَّ صَائِرُ فَإِنْ تَكُ قَتْلَى غُودِرَتْ مِنْ رِجَالِنَا ... فَإِنَّا رِجَالًا بَعْدَهُمْ سَنُغَادِرُ وَتَرْدِي بِنَا الْجُرْدُ الْعَنَاجِيجُ وَسْطَكُمْ ... بَنِي الْأَوْسِ حَتَّى يَشْفِيَ النَّفْسَ ثَائِرُ
পৃষ্ঠা - ২৫৭৯

সেই সাফরা এলাকার একজন হচ্ছেন উবায়দা, তুমি তার জন্যে র্কাদো যিনি ছিলেন
যেহমান মুসাফিরের জন্যে নিবেদিত এবং বিপদকালে দুঃস্থ বিধবারা তার কাছে আসতাে ৷ তিনি
ছিলেন অসহড়ায়দের জন্যে বৃক্ষ স্বরুপ ৷

তুমি র্কার্দো সে সব লোকের উদ্দেশ্যে যারা প্রতেব্রক শীতের মওসুমে দুর্ভিক্ষের কারণে
দিগন্তরেখা লাল হয়ে যাওয়ার সময় তার নিকট আসতাে ৷

আর তুমি ইয়াডীমদের স্মরণে র্কাদো যারা ঝঞাবায়ু প্রবাহিত হলে তার কাছে এসে
আশ্রয় নিত ৷ আরও র্কড়াদো ডেগের নীচে আগুন জ্বালানাের জন্যে, যা দীর্ঘ দিন যাবত টগবগ
করে ফুটতেড়া ৷

এরপর যদি কখনও আগুনের তেজ কমে যেত, তখন তিনি মোটা মোটা কাঠ দিয়ে সে
আগুন আবার প্ৰজ্বলিত করে দিতেন ৷

এই ব্যবস্থা তিনি করতেন রাত্রিকালে আগমনকারী পথিক কিৎবা আপ্যায়নের প্ৰত্যাশী
লোকদের জন্যে এবং সেসব পথহারা পথিকদের জন্যে যারা কুকুরের আওয়াজ শুনে সেদিকে
অগ্রসর হয়ে তার কাছে উপস্থিত হত ৷

আতিকার কবিতা

উমাবী তার মাপাযী গ্রন্থে সাঈদ ইবন কুতৃন থেকে বর্ণনা করেন : আতিকা বিনত আবদুল
ঘুত্তালিব পুর্বে এক স্বপ্ন দেখেছিলেন ৷ বদর যুদ্ধের পর স্বপ্নের সাথে মিলে যাওয়ায় নিম্নোক্ত
কবিতা আবৃত্তি করেন :
অর্থ : আমার স্বপ্ন কি বাস্তবে পরিণত হয়নি এবং তার ব্যাখ্যা কি তোমাদের সামনে
আসেনি ? যখন সম্প্রদায়ের একদল লোক পলায়ন করল ৷

যে ব্যক্তি স্বচক্ষে দেখেছে যে, ধারাল তরবারি কী ভাবে সঞ্চালিত হয়েছে, তখন তােমাংদর
কাছে আমার যে স্বপ্ন বিশ্বাসযেগ্যে হয়েছে ৷

আমি তোমাদের নিকট সত্য কথা বলেছিলড়াম, মিথ্যা কথা বলি নাই ৷ বন্তুত আমাকে
মিথ্যাবাদী ঠাওরিয়েছে সে, যে নিজে,মিথুক্লক ৷

হাকীম তাে এমনিতে পালায়নি বরং মৃত্যুর ভয়ে সে পালিয়েছে ৷ অবশ্য পালিয়ে যাওয়ার
সকল পথই তার রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷

সে দিন তোমাদের মাথার উপরে ছিল ভারতীয় তরবারি এবং বাহরায়নের খৎ গোত্রে
নির্মিত বর্শা যা দেখতে চকমকে ও প্রতিপক্ষের উপর বিজয় নিশ্চিত করে ৷

সে তরবারির ধারাল অংশটি উজ্জ্বলতায় এমন ঝলমল করে যে, যদি কোন গর্জনকান্নী
সিংহরুপ বীরের হাতে পড়ে, তবে তা অগ্লিস্ফুলিঙ্গের ন্যায় মনে হয় ৷


وَوَسْطَ بَنِي النَّجَّارِ سَوْفَ نَكُرُّهَا لَهَا بِالْقَنَا وَالدَّارِعِينَ زَوَافِرُ ... فَنَتْرُكُ صَرْعَى تَعْصِبُ الطَّيْرُ حَوْلَهُمْ وَلَيْسَ لَهُمْ إِلَّا الْأَمَانِيَّ نَاصِرُ ... وَتَبْكِيهِمُ مِنْ أَهْلِ يَثْرِبَ نِسْوَةٌ لَهُنَّ بِهَا لَيْلٌ عَنِ النَّوْمِ سَاهِرُ ... وَذَلِكَ أَنَّا لَا تَزَالُ سُيُوفُنَا بِهِنَّ دَمٌ مِمَّنْ يُحَارِبْنَ مَائِرُ ... فَإِنْ تَظْفَرُوا فِي يَوْمِ بَدْرٍ فَإِنَّمَا بِأَحْمَدَ أَمْسَى جَدُّكُمْ وَهْوَ ظَاهِرُ ... وَبِالنَّفَرِ الْأَخْيَارِ هُمْ أَوْلِيَاؤُهُ يُحَامُونَ فِي اللَّأْوَاءِ وَالْمَوْتُ حَاضِرُ ... يُعَدُّ أَبُو بَكْرٍ وَحَمْزَةُ فِيهِمُ وَيُدْعَى عَلِيٌّ وَسْطَ مَنْ أَنْتَ ذَاكِرُ ... أُولَئِكَ لَا مَنْ نَتَّجَتْ فِي دِيَارِهَا بَنُو الْأَوْسِ وَالنَّجَّارِ حِينَ تُفَاخِرُ ... وَلَكِنْ أَبُوهُمْ مِنْ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبٍ إِذَا عُدَّتِ الْأَنْسَابُ كَعْبٌ وَعَامِرُ ... هُمُ الطَّاعِنُونَ الْخَيْلَ فِي كُلِّ مَعْرَكٍ غَدَاةَ الْهِيَاجِ الْأَطْيَبُونَ الْأَكَاثِرُ
পৃষ্ঠা - ২৫৮০


হায় ! আমার পিতার কসম! সেদিন কি অবস্থাই না হয়েছিল, যে দিন মুহাম্মদের সাথে
মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ৷ যে দিন তুমুল যুদ্ধের সময় গর্দানসমুহ কর্তিত হয়েছিল ৷

ৰু সে দিন সামনা-সামনি যুদ্ধে পাতলা ধারাল তরবারিগুলাে তোমাদের উপর দিয়ে এমন ভাবে
অতিক্রম করে গেল, যেমন দক্ষিণের যেঘমালা আকাশ পথ অতিক্রম করে যায় ৷

এরপর তার অনেক তরবারি কর্ম সম্পাদন করে শীতল হয়ে যায় এবং যে সেগুলোকে
দুঢ়তর করতো, যে ওগুলো ওলট-পালট করে রেখে দেয় ৷

কী দশা আজ সে সব নিহত লোকদের যাদের লাশ বদরের পুরনো নােৎরা কুপে নিক্ষিপ্ত
হয়েছে ৷ আর তড়াদেরই বা কী দুর্দশা, যারা যুদ্ধ করতে এসে আমার ভাইপোর কাছে বন্দী
অবস্থায় আছে ৷

এরা কী দুর্বল নারী ছিল ? নাকি আল্লাহ্র পক্ষ থেকে মৃত্যু এসে তাদেরকে সেখানে হীকিয়ে
নিয়ে গিয়েছিল ? আর মৃত্যু তো একটা র্ফড়াদ হিসাবেই গণ্য হয়ে থাকে ক্ষ্

তাহলে রণাঙ্গনে মুকাবিলার সময় মুহাম্মদকে তার চাচাত ভাইয়েরা কী প্রকৃতিতে
দেখেছিল ? আর অভিজ্ঞতার পরীক্ষা তো যুদ্ধের ময়দানেই হয়ে থাকে ৷

তরবারির প্রচণ্ড আঘাত ণ্তামাদেরকে কি এমন ভাবে সংকীর্ণ করে ফেলেনি, যা প্রত্যক্ষ

করে কাপুরুষরা ঘাবড়ে যায় এবং দিনের বেলায়ই (তরবারির ঝিলিকে) চোখে আকাশের তারা
দেখা যায় ৷

আমি কসম করে বলছি তারা যদি প্রত্যাবর্ত্য৷ করে, তা হলে তুমি তাদেরকে সমুদ্রে
নিক্ষেপ করবে, তারা সেখানে গিয়ে পড়বে ৷ অশ্ববাহিনী যা পরীক্ষা করে অভিজ্ঞতা অর্জন
করেছে ৷

এ যুদ্ধে ব্যবহৃত তরবারির উজ্জ্বলতা যেন সুর্যের কিরণ ৷ সে তরবারির আলোর শিখায় যেন
প্রভাতকালীন সুর্যের লালিমা প্রস্ফুঢিত হচ্ছে ৷

উমাবী তার কিভাবে নিম্নের কবিতাটিও আতিকার বলে উল্লেখ করেছেন ৷
অে

অর্থ : বদর যুদ্ধে নবী মুহাম্মদের জন্যে কেন তোমরা ধৈর্য প্রদর্শন করনি ? আর যুদ্ধে যে
জড়িয়ে যায় ধৈর্যশীল হওয়া তার জন্যে অপরিহার্য ৷ তোমরা সেই তীক্ষ্ণ ধারাল তরবারির আঘাত
থেকে কেন ফিরে এলে না, যে তরবারি বহনকারী মু’মিনদের হাতে ঝলসে উঠছিল ৷

সেই শুভ্র তরবারির সামনে কেন তোমরা সহনশীল হতে পারলে না, যায় ফলে চিহ্নিত স্বল্প
ৎখ্যক মু’মিনের হাতে তোমরা বন্দী হয়ে গেলে ৷

আর তোমরা যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে এলে ৷ সেই লোক কখনও বীর হতে পারে না,
যে অস্ত্র নিয়ে লড়াই করতে গিয়ে পলায়ন করে ৷


فَأَجَابَهُ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ بِقَصِيدَتِهِ الَّتِي أَسْلَفْنَاهَا، وَهِيَ قَوْلُهُ: عَجِبْتُ لِأَمْرِ اللَّهِ وَاللَّهُ قَادِرُ ... عَلَى مَا أَرَادَ لَيْسَ لِلَّهِ قَاهِرُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَاسْمُهُ شَدَّادُ بْنُ الْأَسْوَدِ بْنِ شَعُوبَ قُلْتُ: وَقَدْ ذَكَرَ الْبُخَارِيُّ أَنَّهُ خَلَفَ عَلَى امْرَأَةِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، حِينَ طَلَّقَهَا الصِّدِّيقُ، وَذَلِكَ لَمَّا حَرَّمَ اللَّهُ الْمُشْرِكَاتِ عَلَى الْمُسْلِمِينَ، وَاسْمُهَا أُمُّ بَكْرٍ -: تُحَيِّي بِالسَّلَامَةِ أُمُّ بَكْرٍ ... وَهَلْ لِي بَعْدَ قَوْمِي مِنْ سَلَامِ فَمَاذَا بِالْقَلِيبِ قَلِيبِ بَدْرٍ ... مِنَ الْقَيْنَاتِ وَالشَّرْبِ الْكِرَامِ وَمَاذَا بِالْقَلِيبِ قَلِيبِ بَدْرٍ ... مِنَ الشِّيزَى تُكَلَّلُ بِالسَّنَامِ وَكَمْ لَكَ بِالطَّوِيِّ طَوِيِّ بَدْرٍ ... مِنَ الْحَوْمَاتِ وَالنَّعَمِ الْمُسَامِ وَكَمْ لَكَ بِالطَّوِيِّ طَوِيِّ بَدْرٍ ... مِنَ الْغَايَاتِ وَالدُّسُعِ الْعِظَامِ
পৃষ্ঠা - ২৫৮১


মুহাম্মদ তো তোমাদের নিকট সেই বাণী-ই নিয়ে এসেছেন ৷ যে বাণী নিয়ে এসেছিলেন
পুর্ববর্তী নবীগণ ৷ আর আমার ডাইপাে (মুহাম্মদ) একজন পুণ্যবান ও সত্যবাদী ৷ তিনি কোন
করি নন ৷

তোমরা তোমাদের নবীর যে ক্ষতি সাধন করেছ, তা অচিরেই পুষিয়ে যাবে এবং বনু আমর
ও বনু আমির উভয় গোত্রই তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে ৷

আবু তালিব পুত্র তালিবের কবিতা
আবু তালিবের পুত্র তালিব রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্ৰশংসায় নিম্নোক্ত কবিতা রচনা করেন ৷
এর মধ্যে তিনি বদর যুদ্ধে নিহত ও কুপে নিক্ষেপ্ত কুরায়শদের জন্যে শোক প্রকাশ করেছেন ৷ এ
সময় তিনি তার স্ব-সম্প্রদায়ের ধর্মের উপরই প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ৷
অর্থ : শুনে রাখ! আমার চোখ বনু কাআবের জ্যন্য কেদে কেদে অশ্রুশুন্য হয়ে পড়েছে ৷
কিন্তু বনুকাআবকে সে চোখে দেখেনি ৷

জেনে রাখ ! বনু কাআব যুদ্ধ-বিগ্রহে পারস্পরিক সহযোগিতা পরিত্যাগ করেছে এবং
অপরাধে জড়িত হয়ে পড়েছে ৷ ফলে কালের করলে প্রাসে তারা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ৷

আর বনু আমিরের অবস্থা এই যে, প্রত্যুষে বিপদ এসে পড়লে তারা কাদতে থাকে ৷ হায় ,
যদি আমি জানতাম যে, এ উভয় গোত্রের লোকদেরকে কখন নিকট থেকে দেখার সুযোগ হবে ?

সুতরাং হে আমার ভাইয়েরাৰু হে বনু আবদে শামস ও বনু নাওফিল ৷ আমি তোমাদের
জন্যে নিজেকে উৎসর্গ করে বলছি, তোমরা আমাদের মধ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিয়ো না ৷

আর পারস্পরিক ঐক্য ও সংহতি গড়ে ওঠার পর এমন কোন ঘটনা সৃষ্টি করে উপাখ্যানে
পরিণত হয়ে যেয়ো না যে , বিপদগ্রস্ত হওয়ার জন্যে একে অপরকে দােষারোপ করতে থাকবে ৷

তোমাদের কি জানা নেই যে, দাহিস’ যুদ্ধের পরিণতি কী হয়েছিল ৷ আর আবু ইয়াকসুমের
যুদ্ধের কথাও কি স্মরণ নেই যখন তারা ভৈসন্যবাহিনী দিয়ে গিরিপথ ভরে ফেলেছিল ?

যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিহত করা না হত যিনি ব্যতীত অন্য কিছুই নেই, তাহলে
বীচার জন্যে তোমরা মাটির নীচে কোন সুড়ৎগও খুজে পেতে না ৷

কুরায়শদের মধ্যে আমরা বড় ধরনের কোন অপরাধ করিনি ৷ শুধু এই কাজটি ব্যতীত যেৰু
ভু-পৃষ্ঠে বিচরণকারীদের মধ্যে সর্বোত্তম লোকটিকে আমরা হিফাযত করেছি ৷

তিনি নির্ভরযোগ্য, বিপদের বন্ধু, তার গুণাবলী মাহাত্ম্যপুর্ণ ৷ তিনি কৃপণ নন এবং
ঝগড়াটেও নন ৷

কল্যাণপ্রাথীরা তার শরণাপন্ন হয় ৷ তারা সর্বক্ষণ তার দৃয়ারে ভীড় করে থাকে ৷ তারা এমন
একটি নহরের কাছে আসে, যার পানি কখনওহ্রড়াস পায় না এবং শুকিয়েও যায় না ৷


وَأَصْحَابِ الْكَرِيمِ أَبِي عَلِيٍّ أَخِي الْكَأْسِ الْكَرِيمَةِ وَالنِّدَامِ ... وَإِنَّكَ لَوْ رَأَيْتَ أَبَا عَقِيلٍ وَأَصْحَابَ الثَّنِيَّةِ مِنْ نَعَامِ ... إِذًا لَظَلِلْتَ مِنْ وَجْدٍ عَلَيْهِمْ كَأُمِّ السَّقْبِ جَائِلَةَ الْمَرَامِ ... يُخَبِّرُنَا الرَّسُولُ لَسَوْفَ نَحْيَا وَكَيْفَ حَيَاةُ أَصْدَاءٍ وَهَامِ قُلْتُ: وَقَدْ أَوْرَدَ الْبُخَارِيُّ بَعْضَهَا فِي " صَحِيحِهِ " لِيُعْرَفَ بِهِ حَالُ قَائِلِهَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَالَ أُمَيَّةُ بْنُ أَبِي الصَّلْتِ، يَرْثِي مِنْ قُتِلَ مِنْ قُرَيْشٍ يَوْمَ بَدْرٍ: أَلَّا بَكَيْتِ عَلَى الْكِرَا ... مِ بَنِي الْكِرَامِ أُولِي الْمَمَادِحْ
পৃষ্ঠা - ২৫৮২


আল্লাহর কসম, আমার অন্তর ততক্ষণ পর্যন্ত চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত
তোমরা খাযরাজ-এর উপর হামলা না করবে ৷
যিরার ইবন খাত্তাবের কবিতা

ইবন ইসহাক তার গ্রন্থে যুপরিকদের রচিত এমন কিছু কবিতা উল্লেখ করেছেন, যা বদর
যুদ্ধে তাদের নিহত ট্লাকদের শোকগাথা হিসেবে পরিচিত ৷ তার মধ্যে বনু মৃহারিব ইবন
ফিহ্রির লোক যিরার ইবন মুত্তালিব ইবন মিরদাস-এর নিম্নোক্ত কবিতাটি এখানে উল্লেখ করা
হল ৷ পরবর্তীতে যিরার ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ সৃহায়লী তার রচিত রওযাতৃল উনুফ্ গ্রন্থে এমন
কিছু লোকের কবিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, যারা পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷




;,এে




প্রে স্

অর্থ : আওস গোত্রের অহংকার দেখে আমি অবাক হয়ে যাই ৷ কেননা, আগামীকাল

তাদের উপরও মৃত্যুর চাকা ঘুরে আসবে ৷ আর কাল-পরিত্রুমার মধ্যে থাকে অনেক শিক্ষণীয়
বিষয় ৷

আমার আরও অবাক লাগে বনু নাজ্জারের অহংকার দেখে ৷ তাদের অহংকার এ কারণে যে,
বদর যুদ্ধে একটি জনগোষ্ঠী সম্পুর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যায় ৷ আর তারা সেখানে বহাল তবিয়তে
রয়েছে ৷

আমাদের বংশের নিহত লােকগুলো যদি ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকে, তবে তাতে কোন
চিন্তা নেই ৷ কেননা, তাদের পরে আমরা পুরুষরা তাে বেচেই আছি ৷ অচিরেই আমরা ধ্বংসাত্মক
হামলা চালাব ৷



১ ইবন হিশাম এর পরে নিম্নের ছন্দটি উল্লেখ করেছেন :
অর্থ৪ সে দৃ গোত্র আমার তাই তাদের পিতা ছাড়া অন্য কারও দিকে যাদের সম্পর্ক করা হয় না এবং যাদের
প্রতিবেশীরা তাদের প্রতি অপহরণের অভিযোগ দেয় না ৷


كَبُكَا الْحَمَامِ عَلَى فُرُو عِ الْأَيْكِ فِي الْغُصُنِ الْجَوَانِحْ ... يَبْكِينَ حَرَّى مُسْتَكِي نَاتٍ يَرُحْنَ مَعَ الرَّوَائِحُ ... أَمْثَالُهُنَّ الْبَاكِيَا تُ الْمُعْوِلَاتُ مِنَ النَّوَائِحُ ... مَنْ يَبْكِهِمْ يَبْكِي عَلَى حُزْنٍ وَيَصْدُقُ كُلُّ مَادِحْ ... مَاذَا بِبَدْرٍ وَالْعَقَنْ قَلِ مِنْ مَرَازِبَةٍ جَحَاجِحُ ... فَمَدَافِعُ الْبَرْقَيْنِ فَالْ حَنَّانِ ... مِنْ طَرَفِ الْأَوَاشِحْ شُمْطٍ وَشُبَّانٍ بَهَا لِيلٍ مَغَاوِيرٍ وَحَاوِحْ ... أَلَّا تَرَوْنَ لِمَا أَرَى وَلَقَدْ أَبَانَ لِكُلِّ لَامِحْ ... أَنْ قَدْ تَغَيَّرَ بَطْنُ مَكَّ ةَ فَهْيَ مُوحِشَةُ الْأَبَاطِحْ ...
পৃষ্ঠা - ২৫৮৩
হে বনু আওস ৷ ক্ষুদ্র কেশর বিশিষ্ট দীর্ঘকায় তেজী ঘোড়া আমাদেরকে নিয়ে তোমাদের
মাঝে ঝাপিয়ে পড়বে এবং আমাদের ব্যথিত হৃদয় শান্তি পাবে ৷

আর সেই ঘোড়ায় চড়ে আমরা বনু নাজ্জারের মধ্যে ঢুকে পড়বাে ৷ এ ঘোড়াগুলো বর্শ৷ ও
বর্মধারীদেরও বহন করবে ৷

আমরা তাদেরকে ধ্রড়াশায়ী করে ফেলে রাখবাে, আর পাখীরা তাদের চার পাশে ঘিরে
থাকবে ৷ তখন মিথ্যা আশা ছাড়া তাদের অন্য কোন সাহায্যকারী থাকবে না ৷

ইয়াছরিব অঞ্চলের মহিলারা তাদের গােকে র্কাদবে ৷ সেখানেই তারা রাত কাটাবে এবং
নিদ্রাহীন অবস্থায় থাকবে ৷

আর ঐ অবস্থা এ জন্যে হবে যে, আমাদের তররারি সর্বদা তাদের রক্ত ঝরাঃত থাকবে,
যাদের সাথে এ তররারি যুদ্ধ করবে ৷

যদি তোমরা বদর যুদ্ধে জয়ী হয়ে থাক, তবে তা এ কারণে যে, আমাদেরই এক লোক
আহমদকে তোমরা পেয়ে থেছ আর তিনি তাে বিজয়ীই হন ৷

আর এমন কিছু লোকজন তার সাথে রয়েছে, যারা সমাজে উত্তম লোক হিসেবে বিবেচিত
এবং তার আপনজন ৷ বিপদ কালে তারা তাকে সাহায্য করেন ৷ কিন্তু মৃত্যু তো সবার জন্যে
অবধারিত ৷

তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন আবু বকর ও হামযা ৷ আর আলীকে ধরা হয় তাদের
মধ্যমণি রুপে যাকে তুমি স্মরণ করতে পার ৷

এদের দ্বারাই বিজয় লাভ করা সম্ভব হয়েছে ৷ বনু আওস ও বনু নাজ্জারের বংশোদ্ভুত
সন্তানদের দ্বারা বিজয় আসেনি যাদের নিয়ে ওরা পর্ব করে ৷

তুমি যখন বনু কাআব ও বনু আমিবের বংশপঞ্জি গণনা করবে, তখন দেখবে তাদের
উর্ধ্বতন পুরুষ হলেন লুয়াই ইবন পালিব ৷

এরা প্রতিটি যুদ্ধে অশ্বারোহীদের প্ৰতি তাক করে বর্শা নিক্ষেপকারী এবং কঠিন দৃর্যোগকালে
সদড়াচরণকারী ও পুণ্য সঞ্চয়কারী ৷

যিরারের উপরোক্ত কবিতার জবাবে কাআব ইবন মালিক যে কাসীদা আবৃত্তি করেন আমরা
কিছু পুর্বে তা উল্লেখ করেছি ৷ যার প্রথম কথা এই :

অর্থ : আমি আল্লাহ্র সিদ্ধান্ত দেখে বিস্মিত ৷ তিনি যা ইচ্ছা করেন তা বান্তবায়নে সক্ষম ৷
আল্লাহ্কে অক্ষম করার শক্তি কারও নেই ৷

ইবন ইসহাক বলেন : বদর যুদ্ধ প্রসঙ্গে আবু বকর শাদদড়াদ ইবন আসওয়াদ ইবন শুউব
নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন ৷


مِنْ كُلِّ بِطْرِيقٍ لِبِطْ رِيقٍ نَقِيِّ الْوُدِّ وَاضِحْ ... دُعْمُوصِ أَبْوَابِ الْمُلُو كِ وَجَائِبٍ لِلْخَرْقِ فَاتِحْ ... وَمِنَ السَّرَاطِمَةِ الْخَلَا جِمَةِ الْمَلَاوِثَةِ الْمَنَاجِحْ ... الْقَائِلِينَ الْفَاعِلِي نَ الْآمِرِينَ بِكُلِّ صَالِحْ ... الْمُطْعِمِينَ الشَّحْمَ فَوْ قَ الْخُبْزِ شَحْمًا كَالْأَنَافِحْ ... نُقُلِ الْجِفَانِ مَعَ الْجِفَا نِ إِلَى جِفَانٍ كَالْمَنَاضِحْ ... لَيْسَتْ بِأَصْفَارٍ لِمَنْ يَعْفُو وَلَا رُحٍّ رَحَارِحْ ... لِلضَّيْفِ ثُمَّ الضَّيْفِ بَعْ دَ الضَّيْفِ وَالْبُسُطِ السَّلَاطِحْ
পৃষ্ঠা - ২৫৮৪


লেখক বলেন : ইমাম বুখারী উল্লেখ করেছেন যে, আল্লাহ্ মুশরিক নারীকে মুমিন পুরুষের
জন্যে হারাম ঘোষণা করলে হযরত আবু বকর সিদ্দীক তার মুশরিকা ত্রী উম্মে বকরকে তালাক
দেন ৷ তখন শাদ্দাযা ইবন আসওয়াদ উক্ত উম্মে বকরকে বিবাহ করে ৷

(অর্থ ৪) উম্মে বকর তো লহা শান্তিতে জীবন যাপন করছে ৷ কিস্তু আমার স্ব-সম্প্রদায় ধ্বংস
হওয়ার পর আমার জীবনে কি কোন শাস্তি আছে ?

বদরের কুয়োর কাছে গায়িকা ও মদ্যপায়ীদের কী অবস্থাই না হয়েছে ৷

বদরের কুয়োর কাছে আবলুস কাঠের পাত্রে উচু করে ভর্তি করা কুজের গােশতের কী
দশাই না হল !

বদরের পাড় বীধা কুয়োর কাছে কত যে মুক্ত উট ও চতুষ্পদ জন্তুর পাল ছিল !

বদরের পাড় বাধা কুয়োর কাছে কী পরিমাণ দুর্বার শক্তি ও বড় বড় পেয়ালা ছিল !

আর সেখানে সম্রাম্ভ আবু আলীর কত যে সঙ্গী ছিল যারা ছিল তার উৎকৃষ্ট মদের
আসরের বন্ধু-বান্ধব ৷

তুমি যদি দেখতে আবুআকীল ও নিয়াম পর্বতদ্বয়ের মধ্যবর্তী উপত্যকায় অবস্থানকারীদের
তৎপরতা ৷

তবে তুমি সেখানে যাদেরকে পেতে তাদের উপর তুমি যেতে উঠতে ৷ যেভাবে উটের
বাচ্চার যা তার উদ্দেশ্য পুরণের জন্যে যেতে ওঠে ৷

রাসুল আমাদের জানাচ্ছেন যে, অচিরেই আমাদেরকে আবার জীবিত করা হবে ৷ কিন্তু
মৃতদের বিচুর্ণ হাড় ও মাথার খুলি কীভাবে জীবন লাভ করতে পারে ?

ইমাম বুখারী তার সহীহ্ গ্রন্থে এই কাসীদার কিছু অংশ উদ্ধৃত করেছেন যাতে কবির
মানসিকতা প্রকাশ পায় ৷

উমাইয়া ইবন আবুসৃ সালতের কবিতা

ইবন ইসহাক বলেন : বদর যুদ্ধে নিহত কুরায়শদের জন্যে শোক প্রকাশ করে উমাইয়া
ইবন আবুস সালত নিম্নের কাসীদাটি আবৃত্তি করেন :

১া৷

(অর্থ ৪) কেন তুমি র্কাদছো না সস্রান্ত পরিবারের স্ন্তুাম্ভ সন্তানদের জন্যে যারা প্রশংসা
পাওয়ার অধিকারী ৷

যেমন কেদে থাকে কবুতর বৃক্ষের ঝুলন্ত তালে বসে

পুঞ্জীভুত যস্ত্র০া৷য় সে কাদতে থাকে এবং সন্ধ্যাকালে অন্যান্য প্রত্যাবর্তাজ্বকারীদের সাথে
সেও প্রত্যাবর্তন করে ৷


وُهُبِ الْمِئِينَ مِنَ الْمِئِي ... نَ إِلَى الْمِئِينَ مِنَ اللَّوَاقِحْ سَوْقَ الْمُؤَبَّلِ لِلْمُؤَبَّلِ ... صَادِرَاتٍ عَنْ بَلَادِحْ لِكِرَامِهِمْ فَوْقَ الْكِرَا ... مِ مَزِيَّةٌ وَزْنَ الرَّوَاجِحْ كَتَثَاقُلِ الْأَرْطَالِ بَالْ ... قِسْطَاسِ بِالْأَيْدِي الْمَوَائِحْ خَذَلَتْهُمُ فِئَةٌ وَهُمْ ... يَحْمُونَ عَوْرَاتِ الْفَضَائِحْ الضَّارِبِينَ التَّقْدُمِيَّةَ ... بِالْمُهَنَّدَةِ الصَّفَائِحْ وَلَقَدْ عَنَانِي صَوْتُهُمْ ... مِنْ بَيْنِ مُسْتَسْقٍ وَصَائِحْ لِلَّهِ دَرُّ بَنِي عَلِيٍّ ... أَيِّمٍ مِنْهُمْ وَنَاكِحْ
পৃষ্ঠা - ২৫৮৫


তাদের দৃষ্টান্ত ঐসব বিলাপকারী মহিলা যারা উক্ট্রচ্চ৪স্বরে ক্রন্দন করে ৷

যে তাদের উপর ক্রন্দন করবে, সে দুঃখের কারণেই ক্রন্দন করবে এবং প্রতেদ্রক
প্ৰশংসাকারী যথাঃইি বলে থাকে ৷

বদরের প্রান্তরে ও টিলা ব উপর সর্দারদের কী যে শোচনীয় পরিণতি হয়ে গেল ৷

বারকায়ন অঞ্চলের নিম্নভুমিতে ও আওয়াশিহ্ অঞ্চলের টিলাগুলোতে কী যে কাণ্ড ঘটে
গেল

কিশোর ও যুবক সর্দার আর উদ্ধত ধ্বংসকাবীদের কী পরিণতি যে হল ৷

তোমরা কি তা দেখতে পাওনা, যা আমি দেখতে পাচ্ছি ৷ অথচ প্রত্যেক দর্শকদের কাছেই
তা প্রকাশমান ৷

মক্কা উপত্যকার তো ঢেহারাই পরিবর্তা হয়ে গিয়েছে এবং তা এক ভয়াল জনপদে পরিণত
হয়েছে

অহংকারের সাথে পদচারণাকারীদের সে যে কী অবস্থা হল যাদের গায়ের রং ছিল
উজ্জ্বল ফর্স৷ ৷

তারা ছিল রাজা-বাদশাহদের দরবারের কীট ৷ দুর্গম পথ অতিক্রম করে বিজয় লাভকারী ৷
তারা ছিল অতিভােজী, হুৎ ৷রকারী বিশালাদেহী ও সফলকাম নেতা ৷

তারা ছিল বক্তা, কর্মতৎপর ও সৎ কাজ মাত্রেরই নির্দেশ দানকাৰী ৷

তারা রুটির উপর মাছের পেঢির মত চর্বি রেখে আপ্যায়ন করতো ৷

তারা কুয়ার ন্যায় পাত্রের সাথে বড় বড় পাত্র নিয়ে হাউজের মত পাত্রের দিকে ছুটতো ৷
সে পাত্রগুলো যাঞাকারীদের জন্যে শুন্য বা এলোমেলো ছিল না ৷

এ পাত্রগুলাে নির্ধারিত ছিল একের পর এক আগমনকারী অতিথিদের জন্যে এবং এগুলো
ছিল দীর্ঘ ও প্রসারিত ৷

তারা শত শত বরং হাযার হাযার গর্ভবতী উট দান করে দেয় ৷
সে যেন বালাদিহ অঞ্চল থেকে আগমনকারী উটের কাফেলাকে হীকিয়ে দেয়া হচ্ছে ৷

অন্যদের মর্যাদার উপর তাদের মর্যাদার শ্রেষ্ঠতৃ এমন, যেমন শ্রেষ্ঠতৃ রয়েছে ঝুকে পড়া
পাল্লার ওযনের ৷

যেমন দানশীল হাত দ্বারা প্রদত্ত জিনিস পাল্লায় ওযন করলে ভারী হয়ে যায় ৷

একটি দল তাদের সাহায্য পরিত্যাগ করল ৷ অথচ তারা নিজেদের সম্রম লাঞ্জুনা থেকে রক্ষা
করছিল ৷

তারা শুভ্র ভারতীয় তরবারি দ্বারা অগ্রগামী সৈন্য দলের উপর আঘাত হানছিল ৷


إِنْ لَمْ يُغِيرُوا غَارَةً شَعْوَاءَ تُجْحِرُ كُلَّ نَابِحْ ... بِالْمُقْرَبَاتِ الْمُبْعِدَا تِ الطَّامِحَاتِ مَعَ الطَّوَامِحْ ... مُرْدًا عَلَى جُرْدٍ إِلَى أُسْدٍ مُكَالِبَةٍ كَوَالِحْ ... وَيُلَاقِ قِرْنٌ قِرْنَهُ مَشْيَ الْمُصَافِحِ لِلْمُصَافِحْ ... بِزُهَاءِ أَلْفٍ ثُمَّ أَلْ فٍ بَيْنَ ذِي بَدَنٍ وَرَامِحْ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: تَرَكْنَا مِنْهَا بَيْتَيْنِ نَالَ فِيهِمَا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قُلْتُ: هَذَا شِعْرُ الْمَخْذُولِ الْمَعْكُوسِ الْمَنْكُوسِ، الَّذِي حَمَلَهُ كَثْرَةُ جَهْلِهِ وَقِلَّةُ عَقْلِهِ، عَلَى أَنْ مَدَحَ الْمُشْرِكِينَ وَذَمَّ الْمُؤْمِنِينَ، وَاسْتَوْحَشَ بِمَكَّةَ مِنْ أَبِي جَهْلِ بْنِ هِشَامٍ، وَأَضْرَابِهِ مِنَ الْكَفَرَةِ اللِّئَامِ، وَالْجَهَلَةِ الطَّغَامِ، وَلَمْ يَسْتَوْحِشْ بِهَا مِنْ
পৃষ্ঠা - ২৫৮৬


তাদের আর্তনাদ আমাকে পীড়া দিচ্ছিল ৷ তাদের কেউ পানির জন্য হীক-ডাক করছিল আর
কেউ যন্ত্রণায় ছটফট করছিল ৷

আল্লাহ্ই হলেন বনু আলীর হিফাযতকারী, যাদের মধ্যে ছিল বিধবা ও সধবা মহিলারা ৷

যদি তারা এমন কোন আকস্মিক আক্রমণ না করে থাকে, যা ঘেউ যেউকারীকে গর্ভে
লুকাতে বাধ্য করে ৷

এমন আক্রমণ যা অনুগত, দুরপাল্লার পথ অতিক্রমকারী ও ক্ষিপ্রগতিসম্পন্ন ঘোটকীর
মুকাবিলায় অনুরুপ ঘোটকীর দ্বারা সাধিত হয় ৷

যে আক্রমণ হয় পৌফ-দাড়িহীন কিশোরদের দ্বারা মারা সােমহীন অশ্বপৃষ্ঠে আরোহণ
করে হিংস্র সিৎহের দিকে কুকুরের মত ঝাপিয়ে পড়ে ৷

সম মানের লোকেরা পরস্পরে এমনভাবে মুখোমুখি হয়, যেমন একজন কর মর্কাকারী অন্য
একজন কর মর্দনকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে থাকে ৷ প্

যারা সংখ্যায় এক হাযার , তারপর আরও এক হাযার ৷ এরা ছিল লৌহ বর্ম পরিহিত ও বর্শা
নিক্ষেপঃণ দক্ষ ৷

ইবন হিশাম বলেন : রাসুলুল্লাহ্র সহাবাগণ সম্পর্কে আপত্তিকর উক্তি থাকায় পংক্তি ছেড়ে
দেয়া হয়েছে

আমার মতে এটি একটি সমর্থনহীন প্রত্যাথ্যাত ও বুদ্ধিভ্রষ্ট ব্যক্তির কড়াসীদা ৷ এর দ্বারা
বক্তার চরম মুর্থতড়া ও অজ্ঞানতা প্রকাশ পেয়েছে ৷ কেননা যে এখানে মুশরিকদের প্রশংসা ও
ঘু’মিনদের নিন্দা করেছে ৷ আবু জাহ্ল ও তার দোসরদের অনুপস্থিতিতে মক্কাভুমি তার কাছে
উজাড় মনে হয়েছে ৷ যারা ছিল মুর্থ, সীমা লংঘনকারী, দৃষ্ট কাফির ৷ কিন্তু আল্পাহ্র প্রিয় রাসুল
-যিনি মড়ানবকুলের গৌরব, চাদের চাইতেও উজ্জ্বল যার চেহারা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় যিনি মহীয়ান,
তার সাথী সত্যানুসারী আবু বকর সিদ্দীক, যিনি ছিলেন সকল প্রকার কল্যাণমুলক কাজে অগ্রণী,
বিশ্বপ্রভু আল্পাহ্র পথে হাযার হাযার অর্থ ব্যয়কারী, অনুরুপডাবে অন্যান্য সড়াহড়াবায়ে কিরাম,
যারা মুর্থতা ত্যাগ করে জ্ঞানের সন্ধানে ছুটেছেন এবং দারুল কুফর ত্যাগ করে দারুল ইসলামে
গমন করেছেন তাদের অবর্তমানে মক্কাভুমি তাদের কাছে উজাড় মনে হয় না ৷ আলোর
সাথে অন্ধকার ও রাতের সাথে দিনকে তারা ঘুলিয়ে ফেলেন না ৷ বদর যুদ্ধ প্রসঙ্গে আরও বহু
কবিতা আছে ৷ ইবন ইসহাক সেগুলো উল্লেখ করেছেন ৷ গ্রন্থের কলেবর বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ও
পাঠকদের বিরক্তির আশংকায় আমরা এই পর্যন্ত উদ্ধৃত করেই ক্ষান্ত দিলাম ৷

উমাবী তার মাগাযী গ্রন্থে তার পিতা সুত্রে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) জাহেলী কবিতা আবৃত্তিকে ক্ষমার চোখে দেখেছেন ৷ সুলায়মান বলেন, এ প্রসঙ্গে যুহরী
বলেছেন যে,, “তবে ছুটি কড়াসীদা এর ব্যতিক্রম ৷ তার একটি হল উমাইয়া ইবন আবিস
সালতের কবিতা যার মধ্যে বদরী সাহাবীগণের কুৎসা আছে ৷ দ্বিতীয়টি আশার কবিতা-
যার মধ্যে আখওয়াসের উল্লেখ আছে ৷ তবে এ হাদীছটি গরীব অপরিচিত এবং এর একজন
বর্ণনাকারী সুলায়মান ইবন আরকামের বর্ণনা অগ্রহণযােগ্য ৷

€০য়ো

৭৫

عَبْدِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَحَبِيبِهِ وَخَلِيلِهِ، فَخْرِ الْبَشَرِ، وَمَنْ وَجْهُهُ أَنْوَرُ مِنَ الْقَمَرِ، ذِي الْعِلْمِ الْأَكْمَلِ، وَالْعَقْلِ الْأَشْمَلِ، وَمِنْ صَاحِبِهِ الصِّدِّيقِ الْمُبَادِرِ إِلَى التَّصْدِيقِ، وَالسَّابِقِ إِلَى الْخَيْرَاتِ، وَفَعْلِ الْمَكْرُمَاتِ، وَبَذْلِ الْأُلُوفِ وَالْمِئَاتِ، فِي طَاعَةِ رَبِّ الْأَرْضِ وَالسَّمَاوَاتِ، وَكَذَلِكَ بَقِيَّةِ أَصْحَابِهِ الْغُرِّ الْكِرَامِ، الَّذِينَ هَاجَرُوا مِنْ دَارِ الْكُفْرِ وَالْجَهْلِ إِلَى دَارِ الْعِلْمِ وَالْإِسْلَامِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْ جَمِيعِهِمْ، مَا اخْتَلَطَ الضِّيَاءُ وَالظَّلَامُ، وَمَا تَعَاقَبَتِ اللَّيَالِي وَالْأَيَّامُ، وَقَدْ تَرَكْنَا أَشْعَارًا كَثِيرَةً أَوْرَدَهَا ابْنُ إِسْحَاقَ، رَحِمَهُ اللَّهُ خَوْفَ الْإِطَالَةِ وَخَشْيَةَ الْمَلَالَةِ، وَفِيمَا أَوْرَدْنَا كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ قَالَ الْأُمَوِيُّ فِي " مَغَازِيهِ ": سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَرْقَمَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «عَفَا عَنْ شِعْرِ الْجَاهِلِيَّةِ» . قَالَ سُلَيْمَانُ: فَذَكَرَ ذَلِكَ الزُّهْرِيُّ فَقَالَ: «عَفَا عَنْهُ إِلَّا قَصِيدَتَيْنِ، كَلِمَةَ أُمَيَّةَ الَّتِي ذَكَرَ فِيهَا أَهْلَ بَدْرٍ، وَكَلِمَةَ الْأَعْشَى الَّتِي يَذْكُرُ فِيهَا الْأَحْوَصَ» . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ أَرْقَمَ هَذَا مَتْرُوكٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ