আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل في فضل من شهد بدرا من المسلمين
فصل في فضل من شهد بدرا من المسلمين
فصل في فضل من شهد بدرا من المسلمين
পৃষ্ঠা - ২৫৪৩


প্


০০ মা৪ মা$

৬৬ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

উছমান ইবন আফ্ফান : তিনি তীর শ্রী ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কন্যা হযরত রুকাইয়ার

বোপাক্রান্ত হওয়ার কারণে যুদ্ধে শরীক হতে পারেননি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে গনীমতের
অংশ ও পুরস্কার প্রদান করেন ৷

সাঈদ ইবন যায়দ ইবন আসর ইবন নুফায়ল : যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন সিরিয়ার ৷ সেখান
থেকে আসার পর তাকে গনীমতের অংশ ও পুরস্কার দেয়৷ হয় ৷

তালহ৷ ইবন উবায়দুল্লাহ্ : তিনিও যুদ্ধের সময় সিরিয়ায় ছিলেন ৷ ভীকেও গনীমতের ভাগ
ও পুরস্কার দেয়৷ হয় ৷

আবু যুবাবা বশলীর ইবন আবদুল মুনযির : রাওহা নামক ন্থাশ্চে পৌছার পর রাসুলুল্পাহ্
জানতে পারলেন যে, মক্কা থেকে সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধের উদ্দেশ্যে এদিকে রওনা হয়েছে ৷
তখন তিনি সেখান থেকে তালহাকে মদীনায় শাসনভার দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেন ৷
রাসুলুল্লড়াহ্ (সা) তাকে গনীমতের অংশ দেন এবং যুদ্ধের পুরঙ্কারও দেন ৷

হারিছ ইবন হাতির ইবন উবায়দ ইবন উমাইয়৷ : ভীকেও রাসুলুল্লাহ্ (সা ) পথ থেকে
ফিরিয়ে দেন ৷ পরে তাকে গনীমতের অংশ ও পুরস্কার দেয়া হয় ৷

হারিছ ইবন সাম্মা : রাওহা নামক স্থানে পৌছলে তার পা ভেঙ্গে যায় ৷ ফলে তিনি সেখান
থেকে ফিরে আসেন ৷ র্তাকে গনীমতের ভাগ দেয়৷ হয় ৷ ওয়াকিদী বলেন, তাকে পুরস্কারও
দেয়৷ হয় ৷

খাওয়াত ইবন জুবায়র : তিনিও যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত ছিলেন না ৷ কিন্তু তাকে গনীমতের
অংশ ও পুরস্কার দেয়া হয় ৷

আবুসৃ সাবাহ্ ইবন ছাবিত : তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে যুদ্ধের জন্যে বের হন ৷ পথে
তীর পায়ের নলায় একটা পাথরের আঘাত লাগে ৷ তিনি সেখান থেকে ফিরে আসেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভীকে গনীমতের অংশ ও পুরস্কার দান করেন ৷

ওয়াকিদীর মতে সাআদ আবু মালিক ও এর মধ্যে একজন ৷ যুদ্ধে গমনের জন্যে তিনি প্রস্তুতি
নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু হঠাৎ মারা যান ৷ কারও মতে তিনি রাওহড়ায় মারা যান ৷ র্তাকে গনীমতের
অংশ ও পুরস্কার দেয়৷ হয় ৷

বদর যুদ্ধে র্যারা শহীদ হয়েছিলেন
বদর যুদ্ধে মোট চৌদ্দ জন মুসলমান শহীদ হন ৷ তাদের মধ্যে মুহাজির ছিলেন ছয় জন :
উবায়দা ইবন হারিছ ইবন মুত্তালিব ৷ যুদ্ধে তার পা কাটা যায় ৷ এরপর সাফরা নামক স্থানে
পৌছে তিনি মারা যান ৷
উমায়র ইবন আবু ওয়াক্কাস যুহ্রী ৷ তিনি সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাসের ভাই ছিলেন ৷
আস ইবন সাঈদ তাকে হত্যা করে ৷ সে সময় তার বয়স হয়েছিল ষোল বছর ৷ কথিত
আছে, বয়স কম হওয়ার কারণে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে পথ থেকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ


[فَصْلٌ فِي فَضْلِ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ] قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي هَذَا الْبَابِ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، ثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ حُمَيْدٍ، سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ: «أُصِيبَ حَارِثَةُ يَوْمَ بَدْرٍ، فَجَاءَتْ أُمُّهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ عَرَفْتَ مَنْزِلَةَ حَارِثَةَ، مِنِّي فَإِنْ يَكُ فِي الْجَنَّةِ أَصْبِرُ وَأَحْتَسِبُ، وَإِنْ تَكُنِ الْأُخْرَى تَرَ مَا أَصْنَعُ. فَقَالَ: وَيْحَكِ، أَوَهَبِلْتِ، أَوَجَنَّةٌ وَاحِدَةٌ هِيَ؟ إِنَّهَا جِنَانٌ كَثِيرَةٌ، وَإِنَّهُ فِي جَنَّةِ الْفِرْدَوْسِ.» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ ثَابِتٍ وَقَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، وَأَنَّ حَارِثَةَ كَانَ فِي النَّظَّارَةِ، وَفِيهِ: «إِنَّ ابْنَكِ أَصَابَ الْفِرْدَوْسَ الْأَعْلَى» وَفِي هَذَا تَنْبِيهٌ عَظِيمٌ عَلَى فَضْلِ أَهْلِ بَدْرٍ، فَإِنَّ هَذَا الَّذِي لَمْ يَكُنْ فِي بَحْبَحَةِ الْقِتَالِ
পৃষ্ঠা - ২৫৪৪


যে, তাদের স০ ×খ্যা ছিল নয়শ ত্রিশ জন ৷৩ তবে এরুপ সুনির্দিষ্ট স০ ×খ্যা নির্ধারণ ৷প্রমাণ সাপেক্ষ ৷
পুর্বে এক হাদীছের উদ্ধৃতি ৩দিয়ে বলা হয়েছে যে, কুরায়শদের স০ ×খ্যা ছিল এক হাযারের বেশী ৷
সম্ভবত সৈন্যদের সাথে আগত বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদেরকেও এই স০ ×খ্যার মধ্যে ধরা
হয়েছে ৷ সহীহ্ ৰুখারী গ্রন্থে হযরত বা বা ইবন আযিব (র ) থেকে বর্ণিত হাদীছ আগেই উল্লেখ
করা হয়েছে যে বদর যুদ্ধে কুরায়শদের সত্তর জন নিহত ও সত্তর জন বন্দী হয় ৷ এটাই
অধিকাৎশ ঐতিহাসিকের মত ৷ ক আর ইবন মালিক তার কাসীদায় বলেন : (কবিতা) এরপর
উট বাধার দুর্গন্ধময় স্থানে পড়ে থাকল তাদের সত্তর জন লোক যাদের মধ্যে উতবা ও
আসওয়ড়াদ রয়েছে ৷

ওয়াকিদী বলেন, এই স০ ×খ্যার উপর ঐতিহাসিকদের ঐকমত্য প্রতি ষ্ঠিত ৷কিন্তু ওয়াকিদীর
এই দা ৷বী বিতর্কাভীত নয় ৷ কেননা মুসা ইবন উক্বা ও উরওয়৷ এই স০ ×খ্যা স্বীকার করেন না ৷

তারা বলেছেন, ভিন্ন সংখ্যা ৷ এরা ৷উভয়েই ইতিহাসের ইমাম ৷ সুতরাং তাদের মতামত ব্যতীত

ঐকমত্যের দ বী সঠিক নয় ৷ যদিও সহীহ্ হাদীছের মুকাবিলড়ায় ঠাদের মতামত দুর্বল ৷ ইবন
ইসহাক ও অন্যরা বদর যুদ্ধে কুরায়শদের নিহত ও বন্দীদের নাম ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ
করেছেন ৷ হাফিয যিয়া’ তার আহকাম’ গ্রন্থে চমৎকারতাবে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করেছেন ৷
বদর যুদ্ধের শুরুতেই বলা হয়েছে যে, কুরায়শদের মধ্যে সর্বপ্রথম নিহত হয় আসওয়াদ ইবন
আবদুল আসাদ মাখবুমী এবং যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রথম পলায়ন করে খালিদ ইবন আলাম খুযাঈ বা
উকায়লী ৷ সে ছিল বনু মাখবুমের মিত্র ৷ কিন্তু পালায়ন করে তার লাভ হয়নি ৷ কেননা, অচিরেই
সে ধরা পড়ে ও বন্দী হয় ৷ সে তার কবিতায় বলেছেং :

(কবিতা) আমরা পশ্চাৎ দিকে যখন হয়ে রক্ত ঝরাইনি, বরৎ রক্ত ঝরেছে আমাদের দেহের
সম্মুখ দিক হতে ৷

কিন্তু তার এ দ৷ ৷বী মিথ্যা ৷ কুরায়শদের মধ্যে সর্বপ্রথম বন্দী হয় উকব৷ ইবন অড়াবী মুআয়ত
ও নযর ইবন হড়ারিছ ৷ এ দু জনকেই বন্দী অবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সা) এর সম্মুখে হত্যা করা হয় ৷
তবে কাকে প্রথমে হত্যা করা হয়েছিল, সে বিষয়ে দু’ধরনের বক্তব্য আছে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা)
কয়েকজন বন্দীকে বিনা মুক্তিপণে ছেড়ে দেন ৷ র্তারা হচ্ছেন :
১ আবুল আস ইবন রবী উমাবী ৷
২ মুত্তা ৷লিব ইবন৷ হা ন৩ তার ইবন হড়ারিছ মাখয়ুমী ৷
৩ সায়ফী ইবন আবু রিফা আ ৷
৪ কবি আবুইবযা ৷
৫ ওয়াহব ইবন উমায়র উমায়র ইবন ওয়াহব আল-জুমাহী ৷

এ কয়জন ব্যতীত অবশিষ্ট সকল বন্দী থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছিল ৷ এমনকি
রাসুলুল্লাহ্র চাচা আব্বাসের নিকট থেকে সবচেয়ে বেশী মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছিল ৷ অন্য
কোন বন্দীর নিকট থেকে এঙ্গু তা অধিক মুক্তিপণ আদায় করা হয়নি ৷ এরুপ করা হয় যাতে
রাসুলুল্লাহ্র চাচা বলে নমনীয়তা অবলম্বন করা হয়েছে এরুপ সন্দেহের কোন অবকাশ না


وَلَا فِي حَوْمَةِ الْوَغَى، بَلْ كَانَ مِنَ النَّظَّارَةِ مِنْ بَعِيدٍ، وَإِنَّمَا أَصَابَهُ سَهْمٌ غَرْبٌ، وَهُوَ يَشْرَبُ مِنَ الْحَوْضِ، وَمَعَ هَذَا أَصَابَ بِهَذَا الْمَوْقِفِ الْفِرْدَوْسَ، الَّتِي هِيَ أَعْلَى الْجِنَانِ وَأَوْسَطُ الْجَنَّةِ، وَمِنْهُ تُفَجَّرُ أَنْهَارُ الْجَنَّةِ، الَّتِي أَمَرَ الشَّارِعُ أُمَّتَهُ إِذَا سَأَلُوا اللَّهَ الْجَنَّةَ أَنْ يَسْأَلُوهُ إِيَّاهَا، فَإِذَا كَانَ هَذَا حَالُ هَذَا، فَمَا ظَنُّكَ بِمَنْ كَانَ وَاقِفًا فِي نَحْرِ الْعَدُوِّ، وَعَدُوُّهُمْ عَلَى ثَلَاثَةِ أَضْعَافِهِمْ عَدَدًا وَعُدَدًا. ثُمَّ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ جَمِيعًا عَنْ إِسْحَاقَ ابْنِ رَاهْوَيْهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قِصَّةَ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ وَبَعْثِهِ الْكِتَابَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ، وَأَنَّ عُمَرَ اسْتَأْذَنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ضَرْبِ عُنُقِهِ، فَإِنَّهُ قَدْ خَانَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا، وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ» وَلَفْظُ الْبُخَارِيِّ: «أَلَيْسَ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ؟! وَلَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ، فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ وَجَبَتْ لَكُمُ الْجَنَّةُ " أَوْ " قَدَ غَفَرْتُ لَكُمْ " فَدَمَعَتْ عَيْنَا عُمَرَ، وَقَالَ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ.» وَرَوَى مُسْلِمٌ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، «أَنَّ
পৃষ্ঠা - ২৫৪৫


থাকে ৷ অথচ যে আনসাররা তাকে বন্দী করেছিলেন, তারাই রাসুলুল্লাহকেত তার মুক্তিপণ না
নিয়ে ছেড়ে দেয়ার জন্যে অনুরোধ জানিয়েছিলেন ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, তার
ধার্যকৃত মুক্তিপণ হতে এক দিরহামও কম নিও না ৷ বদর যুদ্ধের বন্দীদের ঘুক্তিপণের পরিমাণ
সবার জন্যে এক রকম ছিল না, বরৎ৩ ব ম৷ ছিল ৷ সর্বনিম্ন পরিমাণ ছিল চারশ দিরহাম ৷

কারও থেকে নেয়া হয় চল্লিশ উকিয়া স্বর্ণ ৷ মুসা ইবন উকবা বলেন, আব্বাসের নিকট থেকে
যুক্তিপণ নেয়া হয় একশ’ উকিয়া স্বর্ণ ৷ কতিপয় বন্দী যুক্তিপণ আদায়ে ব্যর্থ হলে তাদেরকে
মুক্তিপণের পরিমাণ অনুযায়ী কাজে লাগান হয় ৷ এ সম্পর্কে ইমাম আহমদ (র) আলী ইবন
আসিম সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন যে, বদর যুদ্ধে আ ৷টককুত কিছু সংখ্যক বন্দীর
দেয়ার মত মুক্তিপণ ছিল না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাদেরকে ঘুক্তিপণের বিনিময়ে আনসার শিশুদের
লেখা ৷৷শিক্ষ ৷দেয়ার কাজে নিযুক্ত করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন এক শিশু কাদতে র্কাদতে তার
মায়ের কাছে আসে ৷ যা তার র্কাদার কারণ জিজ্ঞেস করলে শিশুটি বলল, আমার শিক্ষক
আমাকে যেরেছে ৷ তখন মা বলল, যে দুরাচার বদরের খুনের প্রতিশোধ্ নিতে চাচ্ছে ৷ আর
কখনও তার কাছে শিখতে ৩যেও ন৷ ৷ এ হাদীছটি শুধু ইমাম আহমদ বর্ণনা করেছেন, তবে এটি
সুনানের শর্ত অনুযায়ী বর্ণিত ৷ পুর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷

অনুচ্ছেদ
বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুসলমানদের মর্যাদা

সংক্রান্ত অধ্যায়ে ইমাম বুখারী বলেন ঘ্র আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ আনাস থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, হারিছা ছিল একজন অল্প বয়সী যুবক ৷ বদর যুদ্ধে সে শহীদ হয়ে গেলে
তার মা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ হারিছা আমার কত
আদরের সন্তান তা আপনি জা নেন ৷ সে যদি জান্নাতী হয় তা হলে আমি ধৈর্য ধারণ করবো এবং
এ জন্যে ছওয়ারের আশা পোষণ করবো ৷ আ র যদি ভিন্ন কিছু হয়, তবে আপনি তো দেখতেই
পাচ্ছেন, আমি কি করছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, থাম , পাগল হয়েছ নাকি ৷ জান্নাত কি মাত্র
একটি ? অনেক জান্নাত আছে ৷ সে তো জান্নাতুল ফিরদাউসে আছে ৷ এ হাদীছটি অন্য সুত্রে
ছড়াবিত, কাতাদ৷ ও আসাম থেকে বর্ণিত ৷ তাতে আছে “হারিছা ছিল যুদ্ধের ময়দানের
পর্য্যবক্ষণকরীি এবং “তোমার ছেলে জ ন্ন৷ ল ফিরদাউসের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত আছে ৷
কথাটির মধ্যে বদরী সাহাবীদের মর্যাদার ব্যাপারে এক নিগৃঢ়৩ তত্ত্ব লুক্কায়িত আছে ৷ কেননা,
রিহাছা বণক্ষেত্রে বা যুদ্ধের সারিতে ছিলেন না ৷ বরং দুর থেকে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছিলেন ৷
তিনি হা ওয থেকে পানি পান করার সময় হঠাৎ এক তীর এসেত তার শরীরে বিদ্ধ হয় ৷ যুদ্ধের
সাথে এতটুকু সৎশ্রিষ্টতা ৷র জন্যে পুরস্কার স্বরুপ তাকে সেই ফিরদা উসে স্থান দেয়৷ হয়, যা সকল
জান্নাতের সেরা জান্নাত, সর্বোত্তম জান্নাত, যেখান থেকে নহর প্রবাহিত হয়ে চলে গিয়েছে
অন্যান্য জ ন্নাতে যে জান্নাত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার উম্মতকে বলেছেন, তোমরা যখন
আল্লাহ্র কাছে জান্নাতের প্রার্থনা কর, তখন জান্না ল ফিরদড়াউসের জন্যে প্রার্থনা করবে ৷


عَبْدًا لِحَاطِبٍ جَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْكُو حَاطِبًا، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَيَدْخُلَنَّ حَاطِبٌ النَّارَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَذَبْتَ، لَا يَدْخُلُهَا، فَإِنَّهُ شَهِدَ بَدْرًا وَالْحُدَيْبِيَةَ.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنِي الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَنْ يَدْخُلَ النَّارَ رَجُلٌ شَهِدَ بَدْرًا أَوِ الْحُدَيْبِيَةَ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ.» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ سِنَانٍ، وَمُوسَى بْنِ إِسْمَاعِيلَ، كِلَاهُمَا عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ بِهِ. وَرَوَى الْبَزَّارُ فِي " مُسْنَدِهِ " ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَرْزُوقٍ، ثَنَا أَبُو حُذَيْفَةَ، ثَنَا
পৃষ্ঠা - ২৫৪৬


এমতাবস্থায় হারিছার মর্যাদা যদি এতো বড় হয়, তা হলে যারা তিনগুণ বেশী সৈন্য ও অস্তে
সজ্জিত শত্রুদের মুখোমুখি হয়ে লড়াই করেছিলেন, তাদের মর্যাদা যে কত উচু হতে পারে তা
সহজেই অনুমেয় ৷

এ ছাড়া ইমাম বৃখারী ও মুসলিম নিজ নিজ গ্রন্থে ইসহাক ইবন রাহ্ওয়ায়হ সুত্রে আলী
ইবন আবুতা তালিব (রা) বর্ণিত হাতির ইবন আবু বালতাআর ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ হা৩ ৷তিব ৮ম
হিজরীতে মক্কা বিজয়ের বছর মক্কাবাসীদের নিকট এক গোপন চিঠি প্রেরণ করেছিলেন ৷
এতে হযরত উমর ক্রুদ্ধ হয়েত তাকে হত্যা করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্র নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেন
এবং বলেন, যে আল্লাহ, রাসুল ও ঘু মিনদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্
(সা) বলেছিলেন, সে তো বদর যুদ্ধে অং ষ্াকশগ্রহন্ কারী লোক ৷ তুমি কি জান ? আল্লাহ নিশ্চয়ই
বদরী সাহাবীদের প্রতি সদয় হয়ে বলে দিয়েছেন, তোমাদের যা ইচ্ছা কর, আমি তোমাদেরকে
ক্ষমা করে দিয়েছি ৷ ’ বুখারীর শব্দমালা হচ্ছে এরুপ সে কি বদরী সাহাবী নয় : আল্লাহ
নিশ্চয়ই বদরীদের প্রতি লক্ষ্য করেছেন এবং ঘোষণা দিয়েছেন, তোমরা তোমাদের যা ইচ্ছা
কর ৷ জান্নাত তোমাদের জন্যে অবধারিত ৎব৷ (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) আমি তোমাদেরকে ক্ষমা
করে দিয়েছি ৷ এ কথা শুনে উমরেব দু’ চোখ অশ্রু সজল হয়ে উঠল ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ ও

তার রাসুলই সর্বাধিক জ্ঞাত ৩৷ ইমাম মুসলিম কুতায়বা সুত্রে জাবির থেকে বর্ণনা করেন যে
একদা হ দিব-এর এক গোলাম এসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট হাতিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ
করল এবং বলল, ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্! হাতিব অবশ্যই জাহান্নামে যাবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
তুমি মিথ্যা বলছো, সে জাহান্নামে যাবে না, কারণ সে বদর ও হুদায়বিয়ায় উপস্থিত ছিল ৷ ইমাম
আহমদ মুসলিমের শর্তে নিম্নোক্ত হাদীছটি উল্লেখ করেছেন : সুলায়মান ইবন দাউদের সুত্রে
জাবির থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন : যে ব্যক্তি বদর কিৎবা
হুদায়বিয়ায় অংশগ্রহণ করেছে, সে কখনও জাহান্নামে প্রবেশ করবে না ৷ ইমাম আহমদ বলেন,
ইয়াযীদ আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত ৷ নবী করীম (সা) বলেন : আল্লাহ্ তাআল৷ বদরীদের
প্রতি সদয় দৃষ্টি রেখে ঘোষণা করেছেন :

-ণ্গ্র ’১ং)ব্লুছু ন্এপুড্রু: র্চুণ্ ৷টুপুট্রুড্রু;া

“তোমরা যা ইচ্ছে কর, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি ৷ এ হ দীছটি আবু দাউদও
তার কি৩ ৷বে ইয়াদীদ ইবন হারুন সুত্রে উল্লেখ করেছেন ৷ বায্যার ত ৷র মুসনাদ গ্রন্থে মুহাম্মদ
ইবন মারয়ুক সুত্রে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন৪ যারা
বদর যুদ্ধে অং শগ্রহণ করেছে আশা করি আল্লাহ্ চাহেন তো তারা কেউই দােযখে যাবে না ৷

হাদীছটি আবু হুরায়রা (বা) থেকে এই একটি সুত্রেই বর্ণিত হয়েছে ৷ লেখক বলেন, এ হাদীছটি
কেবল বায্যারই বর্ণনা করেছেন, অন্য কেউ বর্ণনা করেননি ৷ এবং এটা সহীহ্ হাদীছের শর্ত
অনুযায়ী বর্ণিত ৷ ইমাম বুখারী তার সহীহ্ গ্রন্থে বদর যুদ্ধে ফেরেশতাদের অংশগ্রহণ
অনুচ্ছেদে ইসহাক ইবন ইবরাহীমের সুত্রে মুআয ইবন রাফি আযরাকী থেকে বর্ণনা করেন


عِكْرِمَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ لَا يَدْخُلَ النَّارَ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ» . ثُمَّ قَالَ لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. قُلْتُ: وَقَدْ تَفَرَّدَ الْبَزَّارُ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ فِي بَابِ شُهُودِ الْمَلَائِكَةِ بَدْرًا: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ - وَكَانَ أَبُوهُ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ - قَالَ: «جَاءَ جِبْرِيلُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَا تَعُدُّونَ أَهْلَ بَدْرٍ فِيكُمْ قَالَ: مِنْ أَفْضَلِ الْمُسْلِمِينَ - أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا - قَالَ: وَكَذَلِكَ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ» . انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ.