আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

ذكر طرح رءوس الكفر في بئر بدر
পৃষ্ঠা - ২৪৩৬


“ঐটা ছিল একটি বিশেষ ফযীলত ৷ বিক্ষু বর্তমানে এর সাথে তুলনা করা যায় এমন দু’টি
পেয়ালার সাথে যায় একটিতে আছে শুভ্র দুধ এবং অপরটিতে পানি ৷ কিন্তু পরিবর্তীতে উভয়টিই
প্রস্রাবে পরিণত হয়ে যায় ৷”

অনুরুপ আরেকটি ঘটনা

ইমাম বায়হাকী বলেন : আবু আবদুল্লাহ আল-হাফিয রাফি’ ইবন মালিক থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, বদর যুদ্ধে এক পর্যায়ে উবাই ইবন খাল্ফের চারপাশে লোকজনের জটলড়া দেখতে
পাই ৷ আমি অগ্রসর হয়ে সেখানে গেলাম ৷ দেখলাম, তার পরিহিত বর্ম বগলের নীচ থেকে
কাটা ৷ সেই র্কাক দিয়ে তরবারি ঢুকিয়ে আমি তাকে আঘাত করলাম ৰু এ সময় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে
একটি তীর এসে আমার চোখ কুড়ে যায় ৷ রাসুল (সা) আমার চোখে একটু থুথু দিলেন ও দৃআ
করলেন ৷ এতে আমার চোখে আর কোন কষ্ট অনুভব হল না ৷ হড়াদীছটি বর্ণিত সুত্রে খুবই
অপরিচিত, যদিও এর সনদ উত্তম ৷ সিহাহ্ সিত্তাহ্র মুহাদ্দিছগণ এ হাদীছটি বর্ণনা করেননি ;
অবশ্য তাবারানী এটা ইবরাহীম ইবন মুনযির থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ বদর যুদ্ধে হযরত আবু
বকর সিদ্দীক তার পুত্র আবদুর রহমানকে ডেকে বললেন, হে দৃরাচড়ারা আমার ধন-সম্পদ
কোথায় ? আবদুর রহমান তখনও মুসলমান হননি এবং ঘুশরিকদের পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করতে
এসেছিলেন ৷ তিনি কবিতার মাধ্যমে জবাবে বললেন : (কবিতার অর্থ৪) ঘোড়া, যুদ্ধাস্ত্র ও
পথভ্রষ্ট বৃদ্ধদের হত্যা করার তরবারি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই ৷ উমাবীর মাগড়াযী গ্রন্থ সুত্রে
আমরা বর্ণনা করেছি যে, বদর যুদ্ধ শেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও আবু বকর সিদ্দীক নিহত শত্রুদের
লাশের মধ্য দিয়ে ইাটছিলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : আমরা এদের শিরগুলাে
কাটবাে ৷ আবু বকর সিদ্দীক (রা) বললেন : যারা আমাদের উপর অত্যাচার-নিপীড়ন
চালিয়েছিল এবং অহংকার প্রদর্শন করত এগুলো হচ্ছে তাদেরই শির ৷

বদর কুয়ায় কাফির সর্দারদের লাশ নিক্ষেপ

ইবন ইসহাক বলেন : ইয়াযিদ ইবন রুমান উরওয়া সুত্রে আইশা (রা) থেকে আমার নিকট
বর্ণনা করেন ৷ বদর যুদ্ধে নিহত কাফিরদেব লাশ বদর কুয়ায় নিক্ষেপ করতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
নির্দেশ দেন ৷ নির্দেশ মত লাশগুলাে তাতে নিক্ষেপ করা হয় ৷ কিন্তু উমাইয়া ইবন খালফেব লাশ
নিক্ষেপ করা হল না ৷ কেননা, তার লাশ ফুলে-কেপে পরিহিত বর্মের সাথে আটকে গিয়েছিল ৷
সাহাবীগণ বর্মের ভিতর থেকে লাশ টেনে বের করার চেষ্টা করলে মাংস ছিড়ে যেতে থাকে ৷
তখন ঐ অবস্থায় রেখেই তাকে মাটিচাপা দেয়া হয় ৷ লাশ নিক্ষেপ শেষ হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
কুপের পাশে দাড়িয়ে তাদের উদ্দেশ করে বলেন : হে কুপের অধিবাসীরা ৷ তোমাদের
প্রতিপালক তোমাদের সাথে যে ওয়দাে করেছিলেন, তা কি তোমরা যথাযথভাবে পেয়েছ ?
আমার প্রতিপালক আমার সাথে যে ওয়দাে করেছিলেন, তা তো আমি যথাযথভাবে পেয়েছি ৷
হযরত আইশা (রা) বলেন, সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি মৃত লোকদের
সাথে কথা বলছেন ? জবাবে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তারা এখন ভালভাবে জোন গিয়েছে যে,
তাদের প্রতিপালক তাদের সাথে যে ওয়দাে করেছিলেন তা সঠিক ৷ হযরত আইশা (রা) বলেন :


[ذِكْرُ طَرْحِ رُءُوسِ الْكُفْرِ فِي بِئْرِ بَدْرٍ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «لَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْقَتْلَى أَنْ يُطْرَحُوا فِي الْقَلِيبِ، طُرِحُوا فِيهِ إِلَّا مَا كَانَ مِنْ أُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ، فَإِنَّهُ انْتَفَخَ فِي دِرْعِهِ فَمَلَأَهَا، فَذَهَبُوا لِيُخْرِجُوهُ فَتَزَايَلَ لَحْمُهُ، فَأَقَرُّوهُ وَأَلْقَوْا عَلَيْهِ مَا غَيَّبَهُ مِنَ التُّرَابِ وَالْحِجَارَةِ، فَلَمَّا أَلْقَاهُمْ فِي الْقَلِيبِ وَقَفَ عَلَيْهِمْ، فَقَالَ: يَا أَهْلَ الْقَلِيبِ، هَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَكُمْ رَبُّكُمْ حَقًّا؟ فَإِنِّي قَدْ وَجَدْتُ مَا وَعَدَنِي رَبِّي حَقًّا. قَالَتْ: فَقَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتُكَلِّمُ قَوْمًا مَوْتَى؟! فَقَالَ: لَقَدْ عَلِمُوا أَنَّ مَا وَعَدَهُمْ رَبُّهُمْ حَقٌّ. قَالَتْ عَائِشَةُ: وَالنَّاسُ يَقُولُونَ: " لَقَدْ سَمِعُوا مَا قُلْتُ لَهُمْ ". وَإِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَقَدْ عَلِمُوا» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «سَمِعَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَسُولَ اللَّهِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ وَهُوَ يَقُولُ: يَا أَهْلَ الْقَلِيبِ، يَا عُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ، وَيَا شَيْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ، وَيَا أُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ، وَيَا أَبَا جَهْلِ
পৃষ্ঠা - ২৪৩৭


লোকজন বলাবলি করে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, আমি তাদেরকে যা বলছি তারা তা
শুনতে পাচ্ছে’ ৷ প্রকৃত পক্ষে তিনি বলেছিলেন, তারা জানতে পারছে’ ৷

ইবন ইসহাক আনাস ইবন মালিক (বা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর সাহাবীগণ একদা মধ্যরাতে শুনতে পান তিনি আহ্বান করছেন : হে কুপের
অধিবাসীরা, হে উতবা ইবন রাবীআ, হে শায়বা ইবন রাবীআ, হে উমাইয়া ইবন খাল্ফ, হে
আবু জাহ্ল ইবন হিশাম ৷ এভাবে কুপের মধ্যে নিক্ষিপ্ত প্রত্যেকের নাম ধরে ধরে বলেন :
তোমরা কি তা সত্যরুপে পেয়েছ, যার ওয়াদা তোমাদের প্রভু তোমাদের সাথে করেছিলেন ?
আমার প্রভু আমাকে যে ওয়াদা দিয়েছিলেন আমি তো তা সত্যরুপে পেয়েছি ৷ সাহাবীগণ তখন
বললেন, ইয়া বাসুলাল্পাহ্! আপনি কি এমন এক সম্প্রদায়ের সাথে কথা বলছেন, যারা মরে পচে
পলে ণ্যেছ ? জবাবে তিনি বললেন, আমি যা বলছি তা তোমরা ওদের থেকে বেশী শুনছ না ৷
অবশ্য তারা আমার কথার উত্তর দিতে পারছে না ৷

ইমাম আহমদ (র) ইবন আবু আদী সুত্রে আনাস (রা) থেকে অনুরুপ ঘটনা বর্ণনা করেছেন
এবং তা বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ্ ৷ ইবন ইসহাক বলেন : আমাকে কতিপয়
বিজ্ঞ ব্যক্তি বলেছেন, বাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন হে কুপের বাসিন্দারা৷ তোমরা ছিলে
তোমাদের নবীর নিকৃষ্টতম আত্মীয়-স্বজন ৷ তোমরা আমাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছ ৷ অন্যরা
আমাকে সত্য বলে মেনে নিয়েছে ৷ তোমরা আমাকে স্বদেশ থেকে বের করে দিয়েছ ৷ অন্যরা
আমাকে আশ্রয় দিয়েছে ৷ তোমরা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছ ৷ আর অন্য লোকেরা
আমাকে সাহায্য করেছে ৷ এখন কি তোমরা সেই প্রতিদান যথার্থ পেয়েছ, যে সম্পর্কে তোমাদের
রব তোমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ? কেননা, আমি সেই প্রতিফল যথার্থভাবে পেয়ে গেছি, যা
দেয়ার প্রতিশ্রুতি আমার বব আমাকে দিয়েছিলেন ৷

ইবন কাহীর বলেন : হযরত আইশা (রা) যদি কুরআনের কোন আঘাতের সাথে বিশেষ
কোন হাদীছের বাহ্যিক দৃষ্টিতে সংঘর্ষ হচ্ছে বলে মনে করেন, তখন তিনি সেই হাদীছের তাবীল
(ব্যাখ্যা) করে থাকেন ৷ এটা যে ধরনের ৷ হযরত আইশার মতে, আলোচ্য হাদীছটি :

আয়াতের সাথে সংঘষিকি ৷ যার অর্থ হচ্ছে, “তুমি তাদেরকে শুনাতে সমর্থ হবে না, যারা কবরে
রয়েছে’ (৩৫ : ২২) ৷ প্রকৃতপক্ষে হাদীছের সাথে এ আঘাতের কোন সংঘর্ষ নেই ৷ সাহড়াবায়ে
কিরাম ও পরবর্তীকালের অধিকাত্শ বিজ্ঞ আলিম এ হাদীছের শাব্দিক অর্থই গ্রহণ করেছেন যা
হযরত আইশার মতের বিপরীত এবং এটাই সঠিক ৷ ইমাম বুখারী বলেন : উবায়দ ইবন
ইসমাঈল উরওয়া থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, হযরত আইশার নিকট আলোচনা করা হল,
ইবন উমর রাসুলুল্লাহ্র বরাত দিয়ে বলছেন যে, মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবারের কান্নাকাটি করার
কারণে কবরে শাস্তি দেয়া হয় ৷ আইশা (রা) বললেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না) তো একথা বলেছিলেন যে, মৃত ব্যক্তিকে তার অপরাধ ও গোনাহের কারণে শাস্তি দেয়া
হচ্ছে ৷ অথচ তার পরিবারের লোকজন এখন তার জন্যে কান্নাকাটি করছে ৷ হযরত আইশা (বা )


بْنَ هِشَامٍ - فَعَدَّدَ مَنْ كَانَ مِنْهُمْ فِي الْقَلِيبِ - هَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا؟ فَإِنِّي قَدْ وَجَدْتُ مَا وَعَدَنِي رَبِّي حَقًّا. فَقَالَ الْمُسْلِمُونَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتُنَادِي قَوْمًا قَدْ جَيَّفُوا؟! فَقَالَ: مَا أَنْتُمْ بِأَسْمَعَ لِمَا أَقُولُ مِنْهُمْ، وَلَكِنَّهُمْ لَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يُجِيبُونِي.» وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَهَذَا عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا أَهْلَ الْقَلِيبِ، بِئْسَ عَشِيرَةُ النَّبِيِّ كُنْتُمْ لِنَبِيِّكُمْ، كَذَّبْتُمُونِي وَصَدَّقَنِي النَّاسُ، وَأَخْرَجْتُمُونِي وَآوَانِي النَّاسُ، وَقَاتَلْتُمُونِي وَنَصَرَنِي النَّاسُ، هَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَكُمْ رَبُّكُمْ حَقًّا؟ فَإِنِّي قَدْ وَجَدْتُ مَا وَعَدَنِي رَبِّي حَقًّا.» قُلْتُ: وَهَذَا مِمَّا كَانَتْ عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، تَتَأَوَّلُهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ - كَمَا قَدْ جُمِعَ مَا كَانَتْ تَتَأَوَّلُهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ فِي جُزْءٍ - وَتَعْتَقِدُ أَنَّهُ مُعَارِضٌ لِبَعْضِ الْآيَاتِ، وَهَذَا الْمَقَامُ مِمَّا كَانَتْ تُعَارِضُ فِيهِ قَوْلَهُ: {وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِي الْقُبُورِ} [فاطر: 22] وَلَيْسَ هُوَ بِمُعَارِضٍ لَهُ، وَالصَّوَابُ قَوْلُ الْجُمْهُورِ مِنَ الصَّحَابَةِ وَمَنْ بَعْدَهُمْ، لِلْأَحَادِيثِ الدَّالَّةِ نَصًّا عَلَى خِلَافِ مَا ذَهَبَتْ إِلَيْهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ
পৃষ্ঠা - ২৪৩৮
بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «ذُكِرَ عِنْدَ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَفَعَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ، فَقَالَتْ: وَهِلَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، إِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّهُ لَيُعَذَّبُ بِخَطِيئَتِهِ وَذَنْبِهِ، وَإِنَّ أَهْلَهُ لَيَبْكُونَ عَلَيْهِ الْآنَ. قَالَتْ وَذَاكَ مِثْلُ قَوْلِهِ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ عَلَى الْقَلِيبِ وَفِيهِ قَتْلَى بَدْرٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ، فَقَالَ لَهُمْ مَا قَالَ، قَالَ: إِنَّهُمْ لَيَسْمَعُونَ مَا أَقُولُ. وَإِنَّمَا قَالَ: إِنَّهُمُ الْآنَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّ مَا كُنْتُ أَقُولُ لَهُمْ حَقٌّ. ثُمَّ قَرَأَتْ: {إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى} [النمل: 80] {وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِي الْقُبُورِ} [فاطر: 22] تَقُولُ: حِينَ تَبَوَّءُوا مَقَاعِدَهُمْ فِي النَّارِ.» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ بِهِ. وَقَدْ جَاءَ التَّصْرِيحُ بِسَمَاعِ الْمَيِّتِ بَعْدَ دَفْنِهِ فِي غَيْرِ مَا حَدِيثٍ، كَمَا سَنُقَرِّرُ ذَلِكَ فِي كِتَابِ الْجَنَائِزِ مِنَ " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنِي عُثْمَانُ، ثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «وَقَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَلِيبِ بَدْرٍ، فَقَالَ: هَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا. ثُمَّ قَالَ: إِنَّهُمُ الْآنَ يَسْمَعُونَ مَا أَقُولُ لَهُمْ. وَذُكِرَ لِعَائِشَةَ فَقَالَتْ: إِنَّمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّهُمُ الْآنَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّ الَّذِي كُنْتُ أَقُولُ لَهُمْ هُوَ الْحَقُّ. ثُمَّ قَرَأَتْ {إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى} [النمل: 80] حَتَّى قَرَأَتِ الْآيَةَ.» وَقَدْ رَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ২৪৩৯


বলেন, ইবন উমরের এ কথাটি তার ঐ কথারই অনুরুপ, যা রাসুলুল্লাহ্ (না) ঐ কুপের পাশে
দাড়িয়ে বলেছিলেন, যে কুপে বদর যুদ্ধে নিহত ঘুশরিকদের লাশ নিক্ষেপ করা হয়েছিল ৷ তিনি
তাদেরকে যা বলার তা বললেন ৷ ইবন উমর বলছেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন আমি যা
বলছি৩ বা তা সবই শুনতে পাচ্ছে ৷ আসলে তিনি বলেছিলেন এখন তারা ভালই বুঝতে
পারছে যে আমি তাদেরকে যা কিছু বলেছিলামত ৷ছিল যথার্থ ৷ তারপর হযরত আইশা এ
আয়াতাৎশ দুটো তিলাওয়াত করলেনং :


(তুমি তো মৃতকে শুনাতে পারবে না (৩০০ : ৫২) এবং তুষ্মে ত্যাদরকে শুনাতে সমর্থ হবে
না, যারা কবরে রয়েছে (৩৫ : ২২“) ৷ আইশা (রা) বলেন, এর অর্থ , হল যখন তারা জাহড়ান্নামে
যাবে ৷ ইমাম মুসলিম এ হাদীছ আবু কুরায়ব সুত্রে আবু উসামা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ মৃত
ব্যক্তিকে করবে দাফন করার পর সে বাইরের কথা শুনতে পায় এ সম্পর্কে একাধিক হাদীছে
সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে ৷ জানাযা অধ্যায়ে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব
ইনশা আল্লাহ ৷ এরপর ইমাম বুখারী বলেন ; উছমান ইবন উমর সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷

এ হাদীছটি ইমাম মুসলিম আবু কুরায়ব সুত্রে আবু উসামা থেকে এবং আবু বকর ইবন আবু
শায়বা ও ওয়াকী’ সুত্রে হিশাম ইবন উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী বলেন,
আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ আবু তালহা থেকে বর্ণিত ৷ বদর যুদ্ধের দিন নবী করীম (না)-এর
নির্দেশে চব্বিশজন কুরায়শ সর্দারের লাশ বদর প্রাতরের একটি কুপে নিক্ষেপ করা হয়েছিল ৷
কুপটি ছিল ভীষণ নােৎরা ও কদর্য ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নীতি ছিল কোন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে
বিজয় লাভ করলে যুদ্ধের ময়দানে তিন দিন অবস্থান করতেন ৷ সে মতে বদর প্রান্তরে
অবন্থানের৩ তৃতীয় দিলে তিনি তার বাহন প্রস্তুত করার আদেশ দেন ৷ বাহনের উপরে যীন তুলে
বেধে দেয়া হল ৷ এরপর তিনি পায়ে হেটে এগিয়ে গেলেন এবং সড়াহাবীগণ তাকে অনুসরণ করে
পিছনে পিছনে গেলেন ৷ তারা বলেন আমরা মনে করছিলাম, হয়ত কোন প্রয়োজনে তিনি
কোথাও যাচ্ছেন ৷ অবশেষে তিনি ঐ কুপের কিনারে গিয়ে র্দাড়ালেন এবং কুপে নিক্ষিপ্ত নিহত
ব্যক্তিদের নাম ও তাদের পিতার নাম ধরে ডেকে বললেন হে অমুকের পুত্র অমুক হে অমুকের
পুত্র অমক ! এখন তো বুঝতে পারছ আল্লাহ্ও ও তার রাসুলের আনুগত্য করা তোমাদের জন্যে
আনন্দকর ছিল কিনা ? আমাদের প্ৰতিপালক আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমরা তাে
তা সত্য পেয়েছি ৷ তোমাদের প্রতিপালক তােমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তোমরা কি ত
সত্য পেয়েছ ? একথা শুনে হযরত উমর (রা ) বললেন ইযা রাসুলাল্লাহ্ ৷ আপনি অড়াত্মড়াহীন
দেহের সাথে কী কথা বলছেন? রাসুলুল্লড়াহ্ (সা) বললেন, সেই মহান সত্তার কলম ! যার হাতে
মুহাম্মদের জীবন, আমি যা বলছি তা ওদের তুলনায় তোমরা বেশী শুনছ না ৷ কাতড়াদা বলেন
আল্লাহ তার রাসুলের কথা শুনাবার জন্যে তাদের দেহে সাময়িকভাবে প্রাণ সঞ্চার করে
দিয়েছিলেন তাদেরকে ভর্চুসনাস্বরুপ এবং লাঞ্চুনা, কষ্ট , অনুশোচনা ও লজ্জা দেয়ার জন্যে ৷ এ
হাদীছ ইবন মাজাহ্ ব্যতীত অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ সাঈদ ইবন আবু আরুবা থেকে বিভিন্ন সুত্রে


مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ. وَعَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ وَكِيعٍ، كِلَاهُمَا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، سَمِعَ رَوْحَ بْنَ عُبَادَةَ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: ذَكَرَ لَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَمَرَ يَوْمَ بَدْرٍ بِأَرْبَعَةٍ وَعِشْرِينَ رَجُلًا مِنْ صَنَادِيدِ قُرَيْشٍ، فَقُذِفُوا فِي طَوِيٍّ مِنْ أَطْوَاءِ بَدْرٍ خَبِيثٍ مُخْبِثٍ، وَكَانَ إِذَا ظَهَرَ عَلَى قَوْمٍ أَقَامَ بِالْعَرْصَةِ ثَلَاثَ لَيَالٍ، فَلَمَّا كَانَ بِبَدْرٍ الْيَوْمَ الثَّالِثَ، أَمَرَ بِرَاحِلَتِهِ فَشُدَّ عَلَيْهَا رَحْلُهَا، ثُمَّ مَشَى وَاتَّبَعَهُ أَصْحَابُهُ وَقَالُوا: مَا نَرَى يَنْطَلِقُ إِلَّا لِبَعْضِ حَاجَتِهِ. حَتَّى قَامَ عَلَى شَفَةِ الرَّكِيِّ، فَجَعَلَ يُنَادِيهِمْ بِأَسْمَائِهِمْ وَأَسْمَاءِ آبَائِهِمْ، يَا فُلَانَ بْنَ فُلَانٍ، وَيَا فُلَانَ بْنَ فُلَانٍ: أَيَسُرُّكُمْ أَنَّكُمْ أَطَعْتُمُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ؟ فَإِنَّا قَدْ وَجَدْنَا مَا وَعَدَنَا رَبُّنَا حَقًّا فَهَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَكُمْ رَبُّكُمْ حَقًّا؟ فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا تُكَلِّمُ مِنْ أَجْسَادٍ لَا أَرْوَاحَ لَهَا؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ مَا أَنْتُمْ بِأَسْمَعَ لِمَا أَقُولُ مِنْهُمْ قَالَ قَتَادَةُ أَحْيَاهُمُ اللَّهُ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ২৪৪০
أَسْمَعَهُمْ قَوْلَهُ، تَوْبِيخًا، وَتَصْغِيرًا، وَنِقْمَةً، وَحَسْرَةً، وَنَدَمًا.» وَقَدْ أَخْرَجَهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ إِلَّا ابْنَ مَاجَهْ، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمُؤَدِّبِ، عَنْ شَيْبَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: حَدَّثَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ. فَذَكَرَ مِثْلَهُ، فَلَمْ يَذْكُرْ أَبَا طَلْحَةَ، وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ، وَلَكِنَّ الْأَوَّلَ أَصَحُّ وَأَظْهَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «تَرَكَ قَتْلَى بَدْرٍ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ حَتَّى جَيَّفُوا، ثُمَّ أَتَاهُمْ فَقَامَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ: يَا أُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ، يَا أَبَا جَهْلِ بْنَ هِشَامٍ، يَا عُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ، يَا شَيْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ، هَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا؟ فَإِنِّي قَدْ وَجَدْتُ مَا وَعَدَنِي رَبِّي حَقًّا. قَالَ فَسَمِعَ عُمَرُ صَوْتَهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتُنَادِيهِمْ بَعْدَ ثَلَاثٍ؟ وَهَلْ يَسْمَعُونَ؟ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى {إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى} [النمل: 80] فَقَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا أَنْتُمْ بِأَسْمَعَ لِمَا أَقُولُ مِنْهُمْ، وَلَكِنْ لَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يُجِيبُوا.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ هُدْبَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ:
পৃষ্ঠা - ২৪৪১


বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম আহমদ ইউনুস, শায়বান, কা৩াদা সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ কাতাদা
আনাস ইবন মালিক থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি আবু তালহার উল্লেখ করেননি ৷ এ
সনদটি সহীহ্ ৷ কিন্তু প্রথমটি অধিকতর সহীহ্ ও প্রসিদ্ধ ৷

ইমাম আহমদ আফ্ফান সুত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ বদর যুদ্ধে নিহত
শত্রুদের লাশ ব সুলুল্লাহ (সা) তিন দিন পর্যন্ত রেখে দেন ৷ অবশেষে লাশে পচন ধরে ৷ তখন
তিনি তাদের কাছে গিয়ে বলেন০ : হে উম৷ ইয়া ইবন খালফ, হে আবু জাহ্ল ইবন হিশাম, হে
উতবা ইবন রাবীআ, হে শায়ব৷ ইবন রাবীআ! ওোমাদের প্রতিপালক তােমাদেরকে যা দেয়ার
ওয়াদা করেছিলেন তা কি তোমরা যথার্থভাবে পেয়েছ ? আমার প্ৰতিপা ৷লক আমাকে যা দেয়ার
ওয়াদ৷ করেছিলেন আমি ওে ৷ তা যথার্থভাবে পেয়েছি ৷

হযরত আনাস বলেন, উমর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কথা শুনতে পেয়ে বললেন, ইয়া
রাসুলা ল্লাহ্! মৃত্যুর তিন দিন পর আপনি তাদেরকে আহ্বান করছেন ? তারা কি আপনার কথা
শুনতে পাচ্ছে ? আল্লাহ্ তো বলেছেন :
ছু৷ এট্রুা
“তুমি তো মৃতকে শুনাতে পারবে না ৷” তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন সেই সত্তার কসম,
যার হাতে আমার প্রাণ, আমি যা যা বলছি তা তাদের তুলনায় তোমরা অধিক শুনছ না ৷ কিন্তু
তারা উত্তর দিত পারছে না ৷ ইমাম মুসলিম এ হাদীছটি হুদবা ইবন খালিদ সুত্রে হ ম্মাদ ইবন
সালাম৷ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, হাসসান ইবন ছাবিত এ প্রসঙ্গে নিম্নের
কবিতাটি আবৃত্তি করেন :
,া১০ ;;;,;

“আমি বালুর টিলার উপরে অবস্থিত যয়নাবের বসতব্াটি চিনলাম, যেমনটি চেনা যায়
পুরাতন কাগহ্রজ্যা উপরে (অস্পষ্ট) হস্তাক্ষর ৷ বাতাস প্রবাহিত হয়ে সে বস৩ তবাটিকে দে ৷ল৷ দেয়
এবং প্রতিটি কাল যেঘ৩ তার উপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করে ৷ ফলে তার চিহ্ন পুরাতন হয়ে গেছে
এবং তা সে পড়েছে ৷ অথচ এক কালে এখানেই আমার প্রেমিকা বসবাস করত ৷ (ওহে করি!)
প্রতিনিয়ত সেই স্মৃতি স্মরণ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখ এবং হৃদয়ের জ্বালা-যন্ত্রণ৷ নিবারণ
কর ৷ মিথ্যা কল্পকাহিনী বলা বাদ দিয়ে সেইসব সত্য ঘটনা বল, যার মধ্যে সন্দেহের কোন
অবকাশ নেই ৷ বদর যুদ্ধে মুশরিকদের মুকাবিলায় মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে যে সৌভাগ্যদান
করেছিলেন, সে কথা বর্ণনা করা সেদিন প্রাত কোলে তাদের কাহিনীকে হিরা পর্বতের ন্যায় (দৃঢ়)
মনে হচ্ছিল ৷ কিন্তু অপরাংহ্র তার গোড়া পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়ে পড়ল ৷ আমরা আমাদের মধ্য হতে
এমন এক বাহিনী নিয়ে তাদের ঘুক৷ ৷বিল৷ করেছি, যে বাহিনীর যুবক ও বৃদ্ধ সব৷ ৷ই ছিল বনের
সিংহের ন্যায় ৷ তারা যুদ্ধে অগ্নিশিখার মধ্যে মুহাম্মদ (সা) এর সম্মুখে থেকে তাকে হিফাযত
করেছে ৷ তাদের হাতে ছিল হাতলযুক্ত৩ রতবারি এবং যোট৷ গ্রন্থিবিশিষ্ট বর্শ৷ ৷৷ সত্য দীনের
খাতিরে বনু আওসের নেতৃবৃন্দকে বনু নাজ্জ্ব ৷রের লোকজন সাহায্য-সহযোগিতা করেছে ৷ আমরা
আবু জাহ্লকে ধ্রাশায়ী করেছি এবং উতবাকে য়মীনের উপর ছুড়ে মেরেছি ৷ আর শায়বাকে


عَرَفْتُ دِيَارَ زَيْنَبَ بِالْكَثِيبِ ... كَخَطِّ الْوَحْيِ فِي الْوَرَقِ الْقَشِيبِ تَدَاوَلُهَا الرِّيَاحُ وَكُلُّ جَوْنٍ ... مِنَ الْوَسْمِيِّ مُنْهَمِرٍ سَكُوبِ فَأَمْسَى رَسْمُهَا خَلَقًا وَأَمْسَتْ ... يَبَابًا بَعْدَ سَاكِنِهَا الْحَبِيبِ فَدَعْ عَنْكَ التَّذَكُّرَ كُلَّ يَوْمٍ ... وَرُدَّ حَرَارَةَ الْقَلْبِ الْكَئِيبِ وَخَبِّرْ بِالَّذِي لَا عَيْبَ فِيهِ ... بِصِدْقٍ غَيْرِ إِخْبَارِ الْكَذُوبِ بِمَا صَنَعَ الْمَلِيكُ غَدَاةَ بَدْرٍ ... لَنَا فِي الْمُشْرِكِينَ مِنَ النَّصِيبِ غَدَاةَ كَأَنَّ جَمْعَهُمُ حِرَاءٌ ... بَدَتْ أَرْكَانُهُ جُنْحَ الْغُرُوبِ فَلَاقَيْنَاهُمُ مِنَّا بِجَمْعٍ ... كَأُسْدِ الْغَابِ مُرْدَانٍ وَشِيبِ أَمَامَ مُحَمَّدٍ قَدْ وَازَرُوهُ ... عَلَى الْأَعْدَاءِ فِي لَفْحِ الْحُرُوبِ بِأَيْدِيهِمْ صَوَارِمُ مُرْهَفَاتٌ ... وَكُلُّ مُجَرَّبٍ خَاظِي الْكُعُوبِ بَنُو الْأَوْسِ الْغَطَارِفُ وَازَرَتْهَا ... بَنُو النَّجَّارِ فِي الدِّينِ الصَّلِيبِ
পৃষ্ঠা - ২৪৪২
فَغَادَرْنَا أَبَا جَهْلٍ صَرِيعًا وَعُتْبَةَ قَدْ تَرَكْنَا بِالْجَبُوبِ ... وَشَيْبَةَ قَدْ تَرَكْنَا فِي رِجَالٍ ذَوِي حَسَبٍ إِذَا نُسِبُوا حَسِيبِ ... يُنَادِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ لَمَّا قَذَفْنَاهُمْ كَبَاكِبَ فِي الْقَلِيبِ ... أَلَمْ تَجِدُوا كَلَامِيَ كَانَ حَقًّا وَأَمْرُ اللَّهِ يَأْخُذُ بِالْقُلُوبِ ... فَمَا نَطَقُوا وَلَوْ نَطَقُوا لَقَالُوا صَدَقْتَ وَكُنْتَ ذَا رَأْيٍ مُصِيبِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «وَلَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُلْقَوْا فِي الْقَلِيبِ أُخِذَ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ فَسُحِبَ فِي الْقَلِيبِ، فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيمَا بَلَغَنِي، فِي وَجْهِ أَبِي حُذَيْفَةَ بْنِ عُتْبَةَ، فَإِذَا هُوَ كَئِيبٌ قَدْ تَغَيَّرَ لَوْنُهُ، فَقَالَ: يَا أَبَا حُذَيْفَةَ، لَعَلَّكَ قَدْ دَخْلَكَ مِنْ شَأْنِ أَبِيكَ شَيْءٌ. أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَا وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا شَكَكْتُ فِي أَبِي وَلَا فِي مَصْرَعِهِ، وَلَكِنِّي كُنْتُ أَعْرِفُ مِنْ أَبِي رَأْيًا وَحِلْمًا وَفَضْلًا، فَكُنْتُ أَرْجُو أَنْ يَهْدِيَهُ ذَلِكَ لِلْإِسْلَامِ، فَلَمَّا رَأَيْتُ مَا أَصَابَهُ، وَذَكَرْتُ مَا مَاتَ عَلَيْهِ مِنَ الْكُفْرِ بَعْدَ الَّذِي كُنْتُ أَرْجُو لَهُ، أَحْزَنَنِي ذَلِكَ. فَدَعَا لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَيْرٍ، وَقَالَ لَهُ خَيْرًا.» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ثَنَا عَمْرٌو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: {الَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَةَ اللَّهِ كُفْرًا} [إبراهيم: 28] قَالَ: هُمْ وَاللَّهِ كُفَّارُ
পৃষ্ঠা - ২৪৪৩


এমন সব লোকদের মধ্যে নিক্ষেপ করেছি যদি তাদের বৎশ পরিচয় দেয়৷ হয়, তবে তারা
সল্লাত বংশ হিসেবে গণ্য হবে ৷ আমরা যখন তাদের দলবলকে কুপের মধ্যে নিক্ষেপ করলাম
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে সম্বোধন করে বললেন ৪৫ তোমরা কি এখন আমার কথা
সত্যরুপে পাওনি ? আল্লাহর নির্দেশ অম্ভরকে প্রভাবিত করে ৷ কিন্তু তারা কোন জবাব দিল না ৷
যদি তার! কথা বলতে সমর্থ হত, তবে অবশ্যই বলত যে, আপনি সত্য কথা বলেছিলেন এবং
আপনি ছিলেন সঠিক সিদ্ধান্তের অধিকারী ৷ ”

ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মুশরিকদের লাশ কুপের মধ্যে নিক্ষেপ করার
নির্দেশ দেন, তখন উত্বা ইবন রবীআর লাশ টেনে-হেচড়ে কুপের নিকট আনা হল ৷ এ সময়
রাসুলুল্লাহ্ (সা) উতৃবার (মুসলমান) ছেলে আবু হুযায়ফার চেহারার দিকে তাকালেন ৷ দেখলেন
যে, সে মর্মড়াহত এবং তার চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : হুযায়ফা !
তােমা ৷র পিতার অবস্থা দেখে সম্ভবত তোমার মনে কিছু তা ৷বের সৃষ্টি হয়েছে! হুযায়ফা বললেন
আল্লাহর কসম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! তা নয় ৷ আমি আমার পিতার কুফরী ও হত্যার ব্যাপারে কোন
প্রকারে দ্বিধাগ্রস্ত নই ৷ তবে আমি আমার পিতাকে যথেষ্ট জ্ঞানী প্রজ্ঞাশীল ও উত্তম গুণের
অধিকারী বলে জানতাম ৷ সে জন্যে আশা করেছিলাম যে, এসব গুণ তাকে ইসলামের দিকে
আকৃষ্ট করবে ৷ বিক্ষ্ম যখন দেখলাম যে, তিনি কুফরী অবস্থায়ই মারা গে লেন, তখন আমার যে
আশা পুর্ণ না হওয়ায় আমি মর্মাহত হয়েছি ৷ একথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কল্যাণের জন্যে
দু’আ করলেন ও তার প্রশংসা করলেন ৷ ইমাম বুখারী বলেন : হুমায়দী ইবন আব্বাস সুত্রে
বর্ণনা করেন, তিনি ৷টুদ্বুদ্বু ণ্এ৷ ! মোঃ ৷টুপুর্দুাট্রু ;,;fl (য রা আল্লাহ্র অনুগ্রহের বদলে অকৃজ্ঞতা
প্রকাশ করে) আয়াতাৎত্ত শর ব্যাথ্যায় বলেছেন, আল্লাহর কসম, এরা হল কুরায়শদের মধ্যকার
কাফিররা ৷ আমর বলেন, এরা হল কুরায়শ সম্প্রদায় এবং মুহাম্মদ (সা) )হচ্ছেন আল্লাহর
নিআমত ৷ এবং :’; ৷ ’ ; :;);’; ং,fi ;, (নিজেদের সম্প্রদ৷ য়কে তারা ধ্বংসের ঘরে পৌছে
দিয়েছে) আয়াতা ৷ ,এ ৷ ১ অর্থ ,১ ( দোযখ) ৷ এখানে বদরের যুদ্ধের দিনে দোযখে
নিক্ষেপের কথা বুঝান হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক বলেন : এ প্রসঙ্গে হ স্নান ইবন ছাবিত তার
কবিতায় বলেন : ,
“আমার কওম যারা তাদের নবীকে আশ্রয় দিয়েছিল এবং গোটা বিশ্ববাসী যখন কুফরীতে
নিমজ্জিত ছিল, তখন তারা তাকে সত্য বলে বিশ্বাস করে নিয়েছিল ৷ এরা ছিল পুর্ব-পুরুষের
উত্তম বৈশিষ্ট্যাবলীর সঠিক উত্তরসুরী ৷ এরা পুণ্যবান আনসারদের সহযোগী ৷ আল্লাহর বণ্টনে
তারা সন্তুষ্ট ৷ বংশীয় মর্যাদায় সম্মানিত শ্রেষ্ঠ নবী যখন তাদের মাঝে আগমন করেন, তখন মধুর
স্বাগত সম্ভাষগে তারা তাকে বরণ করে নেন এবং তারা বলেন, আপনি এখানে নিরাপদে ও
স্বাচ্ছন্দোর সাথে অবস্থান করুন! আপনি শ্রেষ্ঠ নবী, উত্তম প্রতিবেশী ৷ আমরা বড়ই
সৌভ গ্যব ন ৷ তারা তাকে থাক ব ব্যবস্থা করলেন এমন ঘরে, যেখানে কোন ভয়৩ ভীতি ছিল
না ৷ যে এদের প্রতিবেশী হবে এ রকম ঘরই তার থাকবে ৷ ঘুহাজিরপণ যখন হিজরত করে


قُرَيْشٍ قَالَ عَمْرٌو: هُمْ قُرَيْشٌ وَمُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِعْمَةُ اللَّهِ، {وَأَحَلُّوا قَوْمَهُمْ دَارَ الْبَوَارِ} [إبراهيم: 28] قَالَ: النَّارُ يَوْمَ بَدْرٍ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ: قَوْمِي الَّذِينَ هُمُ آوَوْا نَبِيَّهُمُ ... وَصَدَّقُوهُ وَأَهْلُ الْأَرْضِ كُفَّارُ إِلَّا خَصَائِصَ أَقْوَامٍ هُمُ سَلَفٌ ... لِلصَّالِحِينَ مِنَ الْأَنْصَارِ أَنْصَارُ مُسْتَبْشِرِينَ بِقَسْمِ اللَّهِ قَوْلُهُمُ ... لَمَّا أَتَاهُمْ كَرِيمُ الْأَصْلِ مُخْتَارُ أَهْلًا وَسَهْلًا فَفِي أَمْنٍ وَفِي سَعَةٍ ... نِعْمَ النَّبِيُّ وَنِعْمَ الْقَسْمُ وَالْجَارُ فَأَنْزَلُوهُ بِدَارٍ لَا يَخَافُ بِهَا ... مَنْ كَانَ جَارَهُمُ دَارًا هِيَ الدَّارُ وَقَاسَمُوهُ بِهَا الْأَمْوَالَ إِذْ قَدِمُوا ... مُهَاجِرِينَ وَقِسْمُ الْجَاحِدِ النَّارُ سِرْنَا وَسَارُوا إِلَى بَدْرٍ لِحَيْنِهِمُ ... لَوْ يَعْلَمُونَ يَقِينَ الْعِلْمِ مَا سَارُوا دَلَّاهُمُ بِغُرُورٍ ثُمَّ أَسْلَمَهُمْ ... إِنَّ الْخَبِيثَ لِمَنْ وَالَاهُ غَرَّارُ وَقَالَ إِنِّي لَكُمْ جَارٌ فَأَوْرَدَهُمْ ... شَرَّ الْمَوَارِدِ فِيهِ الْخِزْيُ وَالْعَارُ
পৃষ্ঠা - ২৪৪৪

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৫১৫

এখানে আগমন করলেন, তখন এরা নিজেদের ধন সম্পদ তাদেরকে ভাগ করে দিলেন ৷ আর
অংাহ্যকারী ক ফিবদেব তাগে রয়েছে জাহান্নাম ৷ আমরা বদর প্রান্তরের দিকে এগিয়ে গেলাম,
তারাও মৃত্যুর জন্যে সেদিকে এগিয়ে আসল ৷ যদি তারা নিশ্চিততাতবে তাদের পবিণামের কথা
জানত, তবে কিছুওে ই সেদিকে অগ্রসর হত না ৷ ইবলীস তাদেরকে ঘোকাদিয়ে পথ দেখিয়ে
এগিয়ে ৩া নল ৷ তারপর তাদেরকে একাকী ছেড়ে চলে গেল ৷ শয়তান যাকে বন্ধু বানায় তার
সাথে চরম ঘোকাবাজীই করে থাকে ৷ সে বলেছিল, আমি তোমাদের পাশেই থাকর ৷ পরে
তাদেরকে এক নিকৃষ্ট হাটিতে এনে ফেলল, যাতে কেবল লাঞ্চুনা ও অপমানই ছিল ৷ এরপর
যখন আমরা পরস্পরের মুখোমুখি হলাম, তখন শয়তান ণ্াতার সাহায্যকারী দলবল নিয়ে
নেতাদের থেকে কেটে পড়ল ৷ আর একদল দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে ছুটে পালাল ৷

ইমাম আহমদ বলেন : ইয়াহয়া ইবন আবু বকর ও আবদুর রায্যাক ইবন আব্বাস (রা)
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বদর যুদ্ধ <শষ হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) (ক বলা হল, এখন
আবু সুফিয়ানের বাণিজ্য কাফেলাকে আক্রমণ করুন ৷৩ তাদেরকে সাহায্য করার মত আর কেউ
সামনে নেই ৷ তখন আব্বাস বন্দী অবস্থায় শৃগ্রলাবদ্ধ থেকে বলে উঠলেন মুহাম্মদ! এটা তুমি
করতে পড়ার না ৷ রাসুলুল্লাহ্ বললেন, কেন পারব না ? আব্বাস বললেন, আল্লাহ্ তোমাকে দৃ টি
দলের মধ্যে একটি দেয়ার ওয়াদা করেছেন এবং সে ওয়াদা তিনি পুর্ণ করেছেন ৷

বদর যুদ্ধে বড় বড় কাফির নেতাসহ মোট সত্তর জন নিহত হয় ৷ এ যুদ্ধে এক হাযার
ফেরেশতা অংশগ্রহণ করেন ৷ আল্লাহর পুর্ব সিদ্ধান্ত ছিল যে, এ যুদ্ধে যারা বেচে যাবে, তাদের
অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করবে ৷ তাদের সকলকে হত্যা করা আল্লাহ্র আভীষ্ট হলে এ কাজের
জন্যে একজন মাত্র ফিরিশ৩া পাঠিয়েই তিনি তা করতে পারতেন ৷ কিন্তু যুদ্ধে কেবল সে
লোকগুলে ই নিহত ৩হয়েছে, যাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র কল্যাণ ছিল না ৷ এই ফেরেশতাদের মধ্যে
ছিলেন হযরত জিবরীল (আ) ৷ যিনি আল্লাহ্র নির্দোশ লুতৃ জাতির আবাসভুমি মাদাইনকে যমীন
থেকে উপরে তুলে নেন ৷ অথচ সেই ভু খণ্ডের মধ্যে ছিল সাতটি সম্প্রদায়ের লোক জীব জভু,
মাটি, বৃক্ষ-লতা, ফসলাদি এবং আরও অনেক কিছু, যায় তথ্য আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারও জানা
নেই ৷ এসব কিছুসহ ভু-খওটি হযরত জিবরীল (আ) তার একটি পাখার কিনারায় তুলে
আকাশের সীমানা পর্যন্ত উঠিয়ে নেন ৷ এরপর তা উলঢিয়ে নীচে ফেলে দেন এবং৩ তার উপর
চিহ্নিত বিশেষ ধরনের পাথর বর্ষণ করেন ৷ লুৎ জাতির আলোচনায় আমরা এ বিষয়ে উল্লেখ
করে এসেছি ৷

আল্লাহ ঘুমিনদেরকে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাথে সাথে
এর যৌক্তিকতা ও অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য বর্ণনা করে দিয়েছেন ৷ যেমন আল্লাহর বাণী :

সে :





ثُمَّ الْتَقَيْنَا فَوَلَّوْا عَنْ سَرَاتِهِمُ مِنْ مُنْجِدِينَ وَمِنْهُمْ فِرْقَةٌ غَارُوا وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَا: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «لَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْقَتْلَى، قِيلَ لَهُ: عَلَيْكَ الْعِيرَ، لَيْسَ دُونَهَا شَيْءٌ. فَنَادَاهُ الْعَبَّاسُ وَهُوَ فِي الْوِثَاقِ: إِنَّهُ لَا يَصْلُحُ لَكَ. قَالَ: لِمَ، قَالَ: لِأَنَّ اللَّهَ وَعَدَكَ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ، وَقَدْ أَنْجَزَ لَكَ مَا وَعَدَكَ.» وَقَدْ كَانَتْ جُمْلَةُ مَنْ قُتِلَ مِنْ سَرَاةِ الْكُفَّارِ يَوْمَ بَدْرٍ سَبْعِينَ، هَذَا مَعَ حُضُورِ أَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، وَكَانَ قَدَرُ اللَّهِ السَّابِقُ فِيمَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ، أَنْ سَيُسْلِمَ مِنْهُمْ بَشَرٌ كَثِيرٌ، وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَسَلَّطَ عَلَيْهِمْ مَلَكًا وَاحِدًا فَأَهْلَكَهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ، وَلَكِنْ قَتَلُوا مَنْ لَا خَيْرَ فِيهِ بِالْكُلِّيَّةِ، وَقَدْ كَانَ فِي الْمَلَائِكَةِ جِبْرِيلُ، الَّذِي أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى فَاقْتَلَعَ مَدَائِنَ قَوْمِ لُوطٍ وَكُنَّ سَبْعًا، فِيهِنَّ مِنَ الْأُمَمِ وَالدَّوَابِّ وَالْأَرَاضِي وَالْمَزْرُوعَاتِ، وَمَا لَا يَعْلَمُهُ إِلَّا اللَّهُ، فَرَفَعَهُنَّ حَتَّى بَلَغَ بِهِنَّ عَنَانَ السَّمَاءِ عَلَى طَرَفِ جَنَاحِهِ ثُمَّ قَلَبَهُنَّ مُنَكَّسَاتٍ، وَأَتْبَعَهُنَّ بِالْحِجَارَةِ الَّتِي سُوِّمَتْ لَهُمْ، كَمَا ذَكَرْنَا ذَلِكَ فِي قِصَّةِ قَوْمِ لُوطٍ فِيمَا تَقَدَّمَ.
পৃষ্ঠা - ২৪৪৫
وَقَدْ شَرَعَ اللَّهُ جِهَادَ الْمُؤْمِنِينَ لِلْكَافِرِينَ، وَبَيَّنَ تَعَالَى حُكْمَهُ فِي ذَلِكَ فَقَالَ: {فَإِذَا لَقِيتُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا فَضَرْبَ الرِّقَابِ حَتَّى إِذَا أَثْخَنْتُمُوهُمْ فَشُدُّوا الْوَثَاقَ فَإِمَّا مَنًّا بَعْدُ وَإِمَّا فِدَاءً حَتَّى تَضَعَ الْحَرْبُ أَوْزَارَهَا ذَلِكَ وَلَوْ يَشَاءُ اللَّهُ لَانْتَصَرَ مِنْهُمْ وَلَكِنْ لِيَبْلُوَ بَعْضَكُمْ بِبَعْضٍ} [محمد: 4] الْآيَةَ [مُحَمَّدٍ: 4] . وَقَالَ تَعَالَى: {قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللَّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنْصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَيُذْهِبْ غَيْظَ قُلُوبِهِمْ وَيَتُوبُ اللَّهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ} [التوبة: 14] الْآيَةَ [التَّوْبَةِ: 15، 14] . فَكَانَ قَتْلُ أَبِي جَهْلٍ عَلَى يَدَيْ شَابٍّ مِنَ الْأَنْصَارِ، ثُمَّ بَعْدَ ذَلِكَ يُوقَفُ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ، وَيُمْسِكُ بِلِحْيَتِهِ وَيَصْعَدُ عَلَى صَدْرِهِ حَتَّى قَالَ لَهُ: لَقَدِ ارْتَقَيْتَ مُرْتَقًى صَعْبًا يَا رُوَيْعِيَ الْغَنَمِ. ثُمَّ بَعْدَ هَذَا حَزَّ رَأْسَهُ وَاحْتَمَلَهُ حَتَّى وَضْعَهُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ، فَشَفَى اللَّهُ بِهِ قُلُوبَ الْمُؤْمِنِينَ، كَانَ هَذَا أَبْلَغَ مِنْ أَنْ تَأْتِيَهُ صَاعِقَةٌ، أَوْ أَنْ يَسْقُطَ عَلَيْهِ سَقْفُ مَنْزِلِهِ، أَوْ يَمُوتَ حَتْفَ أَنْفِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِيمَنْ قُتِلَ يَوْمَ بَدْرٍ مَعَ الْمُشْرِكِينَ مِمَّنْ كَانَ مُسْلِمًا، وَلَكِنَّهُ خَرَجَ مَعَهُمْ تَقِيَّةً مِنْهُمْ، لِأَنَّهُ كَانَ فِيهِمْ مُضْطَهَدًا قَدْ فَتَنُوهُ عَنْ إِسْلَامِهِ، جَمَاعَةً، مِنْهُمُ الْحَارِثُ بْنُ زَمْعَةَ بْنِ الْأَسْوَدِ، وَأَبُو قَيْسِ بْنُ الْفَاكِهِ وَأَبُو قَيْسِ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ الْمُغِيرَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ أُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ،
পৃষ্ঠা - ২৪৪৬


অতএব যখন তোমরা কাফিরদের সাথে যুদ্ধে মুকাবিলা কর, তখন তাদের গর্দানে আঘাত
কর, পরিশেষে যখন তোমরা তাদেরকে সম্পুর্ণরুপে পরাভুত করবে, তখন তাদেরকে করে
র্বাধ্বে, এরপর হয় অনুকম্পা , নয় মুক্তিপণ ৷ তোমরা জিহাদ চালিয়ে যাবে যতক্ষণ না যুদ্ধ তার
অস্ত্র নামিয়ে ফেলে ৷ এটাই বিধান ৷ এটা এ জন্যে যে, আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তাদেরকে শাস্তি
দিতে পারতেন ৷ কিন্তু তিনি চান তোমাদের একজনকে অপরের দ্বারা পরীক্ষা করতে” (৪ ৭ :
৪) ৷

মহান আল্পাহ্র বাণী :




“তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে ৷ তোমাদের হাতে আল্লাহ্ তাদেরকে শাস্তি দেবেন,

তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তােমাদেরকে বিজয়ী করবেন ও ঘু’মিনদের চিত্ত

প্রশান্ত করবেন এবং তাদের অন্তরের ক্ষোভ দুর করবেন ৷ আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা তার প্রতি
ক্ষমা-পরায়ণ হন” (৯ : ১৪-১৫) ৷

তাই দেখা যায় আবু জাহ্ল একজন আনসার বালকের হাতে নিহত হয় ৷ তারপর
আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ তার বুকের উপর বসে দাড়ি চেপে ধরেন ৷ তখন আবু জাহ্ল তাকে
বললাে হে তৃচ্ছ মেষ রাখলে! আজ তুমি এক কঠিন স্থানে আরোহণ করেছে৷ ৷ তারপর ইবন
মাসউদ তার ঘুণ্ড কেটে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সম্মুখে নিয়ে হাযির করেন ৷ আল্লাহ এভাবে
মুমিনদের চিত্তকে প্রশাস্তি দান করেন ৷ নিঃসন্দেহে আবু জ হ্লের এই মৃত্যু ছিল বজ্রপাতে বা
ছাদ ধসে কারো মৃত্যু বা স্বাভাবিক মৃত্যুর চাইতে অধিকতর লাষ্কৃনাপুর্ণ ৷

ইবন ইসহাক বদর যুদ্ধে নিহত মুশরিকদের তালিকায় এমন কতিপয় ব্যক্তির নাম উল্লেখ
করেছেন, র্ষড়ারা প্রকৃতপক্ষে মুসলমানই ছিলেন, বিন্দু ঘুশরিকদের ভয়ে তাদের পক্ষ হয়ে যুদ্ধ
করতে আসেন ৷ কেননা, ইসলাম গ্রহণের কারণে তারা ছিলেন মক্কার মুশরিকদের হাতে
অত্যাচারিত ও নিগৃহীত ৷ তাদের কয়েকজনের নাম এখানে উল্লেখ করা হল : (১) হারিছ ইবন
যামআ ইবন আসওয়াদ, (২) আবু কায়স ইবন ফাকিহ্ , (৩) আবু কায়স ইবন ওয়ালীদ ইবনুল
মুগীরা, (৪) আলী ইবন উমাইয়া ইবন খালফ (৫) আল ইবন মুনাব্বিহ্ ইবন হাজ্জাজ ৷ ইবন
ইসহাক বলেন, এদের সম্পর্কেই কুরআনের এ আয়াত নাযিল হয় :

ঢু;ৰু ৷,াঢু; ংণ্ৰুএ্ংন্ ণ্;পুৰু ৷ট্রু,া ব্লু ন্দ্বুও৷ ৷৷া; ’ব্ ; ণ্৷ ’৷ ৷ ’ণ্ছুৰুন্দ্বুৰু,’; ;,;fl’: হু,া
’;াওএে ৷ স্রট্রু,ট্রু £টুট্রুহ্রন্ছুর্দুট্রু



وَالْعَاصُ بْنُ مُنَبِّهِ بْنِ الْحَجَّاجِ. قَالَ: وَفِيهِمْ نَزَلَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {إِنَّ الَّذِينَ تَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ ظَالِمِي أَنْفُسِهِمْ قَالُوا فِيمَ كُنْتُمْ قَالُوا كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ فِي الْأَرْضِ قَالُوا أَلَمْ تَكُنْ أَرْضُ اللَّهِ وَاسِعَةً فَتُهَاجِرُوا فِيهَا فَأُولَئِكَ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَسَاءَتْ مَصِيرًا} [النساء: 97] . وَكَانَ جُمْلَةُ الْأُسَارَى يَوْمَئِذٍ سَبْعِينَ أَسِيرًا، كَمَا سَيَأْتِي الْكَلَامُ عَلَيْهِمْ فِيمَا بَعْدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، مِنْهُمْ مِنْ آلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَمُّهُ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَابْنُ عَمِّهِ عَقِيلُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَنَوْفَلُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. وَقَدِ اسْتَدَلَّ الشَّافِعِيُّ وَالْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُمَا بِذَلِكَ، عَلَى أَنَّهُ لَيْسَ كُلُّ مَنْ مَلَكَ ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ يَعْتِقُ عَلَيْهِ، وَعَارَضُوا بِهِ حَدِيثَ الْحَسَنِ، عَنِ ابْنِ سَمُرَةَ فِي ذَلِكَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ فِيهِمْ أَبُو الْعَاصِ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ أُمَيَّةَ، زَوْجُ زَيْنَبَ بِنْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.