আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل في مقتل أمية بن خلف
পৃষ্ঠা - ২৪১৮


“হয়তো তুমি আমার বৎ শপবিচয় জান না; কিৎব৷ জানলেও ভুলে গিয়েছ ৷ তবে বাস্তব
প্রমাণের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছি যে আমি বাল৷ গোত্রের লোক ৷ যারা ইয়ামানের ভৈত বি বর্শ৷ দ্বারা
(শত্রুকে) আঘাত করে এবং শত্রুপক্ষের বীর যোদ্ধারা যতক্ষণ পরাভুত না হয়, ততক্ষণ তাদের
উপর আঘাতের পর আঘাত হানতে থাকে ৷ (হে পথিক ) বুখতারীর সন্তানদেবকে ইয়াত্তীম
হওয়ার সংবাদ দাও; কিৎবা আমার সন্তানদের নিকট এ জাতীয় কোন সৎ বাদ পৌছিয়ে মা ও ৷
আমি সেই ব্যক্তি, যার সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে যে , আমার মুল হচ্ছে বাল৷ গোত্র ৷ আমি বর্শা

দ্বারা আঘাত করতে থাকি যতক্ষণ না তা বীকা হয়ে যায় ৷ আপন্ই৷ আমার প্রতিপক্ষকে ধারাল

মাশরাফী তরবারি দ্বারা হত্যা করি ৷ আমি মৃত ভ্যুকে সেইরুপ দ্রুত কামনা করি যেরুপ কামনা
করে ঐ উদ্রী যার স্তনে দুধ জমাট বেধে যাওয়ায় যন্ত্রণ৷ ৷ভাগ করে মুজাযযারের এ
কথাগুলােকে কেউ মিথ্যা হিসেবে দেখতে পাবে না ৷”

এরপর মুজায্যার রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে বললেন সেই সভার কসম , যিনি

আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন আমি তাকে বন্দী অবস্থায় আপনার নিকট নিয়ে আসতে

প্রাণপণ চেষ্টা করেছি; কিন্তু সে আমার সাথে যুদ্ধ করা ছা ড়৷ আর ৷কছুণ্ডে ই রাষী হল না ৷ ফলে
আমাকে তার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে হয় এবং আমার হাতে সে নিহত হয় ৷

উমাইয়া ইবন খাশৃফের হত্যার ঘটনা

ইবন ইসহাক আবদুর রহমান ইবন আওফ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
মক্কায় অবস্থানকালে উমাইয়া ইবন খাল্ফের সাথে আমার বন্ধুতু ছিল ৷ আমার নাম ছিল আবৃদে
আমর ৷ ইসলাম গ্রহণ করার পর ঐ নাম পরিবর্তন করে আমার নতুন নামকরণ করা হয় আবদুর
রহমান ৷ তখন সে আমার সাথে সাক্ষাত করে বলল, ওহে আবদে আমর ! তোমার পিতার রাখা
নাম কি পরিবর্তন করে ফেলেছ ? আমি বললাম, হী৷ ৷ সে বলল, আমি রহমান চিনি না ৷ সুতরাং
তোমাকে ডাকার জন্যে এমন একটা নাম রাখ, যা আমাদের দুজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে ৷
এখন থেকে তোমাকে পুর্বের নামে ডাকলে তুমি সাড়া দিয়ে না আর আমিও তোমাকে এমন নাম
ধরে ডাকবাে না যে নাম আমি চিনি না ৷ এরপর থেকে আমাকে আবদে আমর বলে ডাকলে
আমি তার ডাকে সাড়া দিতাম না ৷ আবদুর রহমান বলেন, আমি উম ৷ইয়াকে বললাম হে আবু
আলী ! তুমি তোমার পসন্দমত একটা নাম রাখ ৷ সে বলল, তোমার নাম “আবদুল ইলাহ্া
আমি বাংলায়, তাই হোক ৷ এরপর থেকে আমি যখন তার পাশ দিয়ে যেতাম সে আমাকে
আবদুল ইলাহ বলে সম্বোধন করতো ৷ আমি তার সে ডাকে সাড়া দিতাম এবং তার সাথে
কথাবার্তা বলতাম ৷ বদরের যুদ্ধে আমি তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম দেখলাম উমাইয়া তার পুত্র
আলীর হাত ধরে দাড়িয়ে আছে ৷ আমার কাছে ছিল কয়েকটি লৌহবর্ম ৷ এগুলো আমি আমার
হাতে নিহত৷ ৷ত্রুদের থেকে সৎগ্র হ করেছিলাম ৷ উমাইয়া আমাকে দেখে আবদে আমর বলে
ডাক দিল ৷ কিন্তু আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম না ৷ তখন সে আবদে ইলাহ বলে ডাকল ৷
এবার তার ডাকে আমি সাড়৷ দিলাম ৷ সে বলল, আমার ব্যাপারে কি তোমার কোন দরদ নেই ?
তোমার কাছে সে বর্মগুলো আছে তার থেকে কি আমি তোমার জন্যে অধিক কল্যাণকর নই ?
আমি বললাম, অবশ্যই ৷ তারপর আমি হারুত তর বর্মগুলাে ফেলে দিয়ে তার ও তার পুত্রের


[فَصْلٌ فِي مَقْتَلِ أُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، وَحَدَّثَنِيهِ أَيْضًا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَغَيْرُهُمَا، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ: كَانَ أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ لِي صَدِيقًا بِمَكَّةَ، وَكَانَ اسْمِي عَبْدَ عَمْرٍو، فَتَسَمَّيْتُ حِينَ أَسْلَمْتُ: عَبْدَ الرَّحْمَنِ. فَكَانَ يَلْقَانِي إِذْ نَحْنُ بِمَكَّةَ فَيَقُولُ: يَا عَبْدَ عَمْرٍو، أَرَغِبْتَ عَنِ اسْمٍ سَمَّاكَهُ أَبَوَاكَ؟ قَالَ: فَأَقُولُ: نَعَمْ. قَالَ: فَإِنِّي لَا أَعْرِفُ الرَّحْمَنَ، فَاجْعَلْ بَيْنِي وَبَيْنَكَ شَيْئًا أَدْعُوكَ بِهِ، أَمَّا أَنْتَ فَلَا تُجِيبُنِي بِاسْمِكَ الْأَوَّلِ، وَأَمَّا أَنَا فَلَا أَدْعُوكَ بِمَا لَا أَعْرِفُ. قَالَ: وَكَانَ إِذَا دَعَانِي: يَا عَبْدَ عَمْرٍو، لَمْ أُجِبْهُ. قَالَ: فَقُلْتُ لَهُ: يَا أَبَا عَلِيٍّ، اجْعَلْ مَا شِئْتَ. قَالَ فَأَنْتَ عَبْدُ الْإِلَهِ. قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَكُنْتُ إِذَا مَرَرْتُ بِهِ قَالَ: يَا عَبْدَ الْإِلَهِ. فَأُجِيبُهُ فَأَتَحَدَّثُ مَعَهُ، حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ، مَرَرْتُ بِهِ وَهُوَ وَاقِفٌ مَعَ ابْنِهِ عَلِيٍّ، وَهُوَ آخِذٌ بِيَدِهِ. قَالَ: وَمَعِي أَدْرَاعٌ لِي قَدِ اسْتَلَبْتُهَا، فَأَنَا أَحْمِلُهَا، فَلَمَّا رَآنِي قَالَ: يَا عَبْدَ عَمْرٍو. فَلَمْ أُجِبْهُ. فَقَالَ: يَا عَبْدَ الْإِلَهِ. فَقُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: هَلْ لَكَ فِيَّ، فَأَنَا خَيْرٌ لَكَ مِنْ هَذِهِ الْأَدْرَاعِ الَّتِي مَعَكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ، هَا اللَّهِ. قَالَ: فَطَرَحْتُ الْأَدْرَاعَ مِنْ يَدِي، وَأَخَذْتُ بِيَدِهِ وَبِيَدِ ابْنِهِ،
পৃষ্ঠা - ২৪১৯

(আলীর) হাত ধরলাম ৷ সে বলল, আজকের ন্যায় আর কোন (খৃশীর) দিন কখনও দেখিনি ৷ সে
বলল, তোমাদের কি দুধের প্রয়োজন আছে ? এরপর আমি তাদের দু’জনকে নিয়ে চললাম ৷

ইবন ইসহাক সাঅড়াদ ইবন ইব্রাহীম সুত্রে আবদুর রহমান ইবন আওফ থেকে ব০নাি
করেন, আমি যখন উমাইয়া ও তার পুত্রের হাত ধরে র্দাড়িয়েছিলাম তখন সে আমাকে জিজ্ঞেস
করল, ওহে আবদে ইলাহ্ষ্ তোমাদের মধ্যে এ লোকটি কে, যে তার বুকে উটপাখীর পড়ালক
লাগিয়ে রেখেছে ? আমি বললড়াম, হামযা ৷ সে বলল, এ লোকটি তো আমাদের বিরুদ্ধে অনেক
কিছুই করেছে ৷ আবদুর রহমান বলেন, আমি যখন তাদের দু’জনকে সাথে নিয়ে চলছিলাম,
তখন বিলাল উমাইয়াকে দেখতে পান ৷ এই উমাইয়া বিলালকে ইসলাম গ্রহণের দায়ে মক্কায়
নির্মমভাবে শাস্তি প্রদান করত ৷ বিলাল তাকে দেখেই বললেন, এই তো কাফির নেতা উমাইয়া
ইবন খালুফ ৷ সে যদি আজ রক্ষা পেয়ে যায়, তবে তো আমার রক্ষা নেই ৷ আমি বললাম,
বিলাল! এতো এখন আমার বন্দী ৷ বিলাল বললেন, যে যদি বেচে যায়, তবে তো আমার রক্ষা
নেই ৷ এরপর বিলাল উইচ্চ৪স্বরে ডেকে বললেন, হে আল্লাহর সাহায্যকারিগণৰু কাফির সর্দার
উমাইয়া ইবন খালফ এখানে আছে ৷ সে যদি বেচে যায়, তবে আমার আর রক্ষা নেই ৷ বিলালের
আহ্বানে আনসারগণ ছুটে এসে আমাদেরকে চারিদিক থেকে র্কাকনের মত বেষ্টন করে ফেলল ৷
আমি তাদের আক্রমণ থােক উমাইয়াকে বীচড়াবার চেষ্টা করতে লাগলাম ৷ এর মধ্যে একজন
পেছন থেকে উমাইয়ার ছেলের পায়ে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায় ৷ এ দেশে উমাইয়া
এমন জোরে চিৎকার করল যে, ঐরুপ চিৎকার আমি কখনও শুনিনি ৷ আমি বললড়াম, উমাইয়া!
তুমি নিজের চিন্তা কর, আজ আর রক্ষা নেই ৷ আল্লাহ্র কসম, আমি তোমাকে কিছুতেই বাচাতে
পারব না ৷ শেষ পর্যন্ত মুসলমানগণ উমাইয়া ও তার পুত্রকে তরবারি দ্বারা ক্ষত-বিক্ষত করে
হত্যা করল ৷ পরবর্তীতে আবদুর রহমান প্রায়ই বলতেন , বিলড়াল আমাকে বর্য ও বব্দীর ব্যাপারে
কষ্ট দিয়েছে, আল্লাহ্ তাকে রহম করুন ৷

ইমাম বুখারী তার সহীহ্ গ্রন্থে প্রায় অনুরুপ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ ওয়ড়াকালাত অধ্যায়ে
আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ্ আবদুর রহমান ইবন আওফ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
উমাইয়া ইবন খাল্ফের সাথে আমি এই মর্মে একটা চুক্তিপত্র সম্পাদন করেছিলাম যে, সে
মক্কায় আমার ধন-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করবে এবং আমি মদীনায় তার ধন-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ
করব ৷ চুক্তিপত্রে আমার নামের অংশ রাহমড়ান’ শব্দটি যখন লিখলাম, তখন সে আপত্তি জানিয়ে
বলল, রাহমানকে তো আমি চিনি না; বরং জাহিলী যুগে তোমার যে নাম ছিল সে নামই লিখ ৷
তখন আমি তাতে অফুবদে আমব লিখে দিলাম ৷ বদর যুদ্ধের দিন লোকজন ঘুমিয়ে পড়লে
উমাইয়াকে বীচাবার জন্যে তাকে নিয়ে একটি পাহাড়ের দিকে গেলাম ৷ এ সময় বিলাল তাকে
দেখে ফেলে এবং দ্রুত আনসারদের এক সমাবেশে গিয়ে জানায় এই তো উমাইয়া ইবন
খালুফ ৷ যদি উমাইয়া বেচে যায়, তবে আমার রক্ষা নেই ৷ তখন আনসারদের একটি দল তাকে
সাথে নিয়ে আমাদের দিকে ছুটল ৷ যখন আমার আশঙ্কা হল যে, তারা আমাদের নিকটে এসে
পড়বে, তখন আমি উমাইয়ার পুত্রকে তাদের জন্যে পিছনে ছেড়ে এলাম, যাতে তারা ওকে নিয়ে
ব্যস্ত থাকে ৷ কিন্তু তারা তৎক্ষণাৎ তাকে হত্যা করে ফেলল ৷ এরপর তারা আমাদের দিকে যেয়ে


وَهُوَ يَقُولُ: مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ قَطُّ، أَمَا لَكُمْ حَاجَةٌ فِي اللَّبَنِ؟ ثُمَّ خَرَجْتُ أَمْشِي بِهِمَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ: قَالَ لِي أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ وَأَنَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ ابْنِهِ آخُذُ بِأَيْدِيهِمَا: يَا عَبْدَ الْإِلَهِ، مَنِ الرَّجُلُ مِنْكُمُ، الْمُعْلَمُ بِرِيشَةِ نَعَامَةٍ فِي صَدْرِهِ؟ قَالَ: قُلْتُ: ذَاكَ حَمْزَةُ. قَالَ: ذَاكَ الَّذِي فَعَلَ بِنَا الْأَفَاعِيلَ. قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَقُودُهُمَا إِذْ رَآهُ بِلَالٌ مَعِي، وَكَانَ هُوَ الَّذِي يُعَذِّبُ بِلَالًا بِمَكَّةَ عَلَى الْإِسْلَامِ، فَلَمَّا رَآهُ قَالَ: رَأَسُ الْكُفْرِ أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا. قَالَ: قُلْتُ: أَيْ بِلَالُ، أَبِأَسِيرِي؟ قَالَ: لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا. قَالَ: ثُمَّ صَرَخَ بِأَعْلَى صَوْتِهِ: يَا أَنْصَارَ اللَّهِ، رَأْسُ الْكُفْرِ أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا. فَأَحَاطُوا بِنَا حَتَّى جَعَلُونَا فِي مِثْلِ الْمَسَكَةِ، فَأَنَا أَذُبُّ عَنْهُ. قَالَ: فَأَخْلَفَ رَجُلٌ السَّيْفَ، فَضَرَبَ رِجْلَ ابْنِهِ فَوَقَعَ، وَصَاحَ أُمَيَّةُ صَيْحَةً مَا سَمِعْتُ بِمِثْلِهَا قَطُّ. قَالَ: قُلْتُ: انْجُ بِنَفْسِكَ وَلَا نَجَاءَ، فَوَاللَّهِ مَا أُغْنِي عَنْكَ شَيْئًا. قَالَ: فَهَبَرُوهُمَا بِأَسْيَافِهِمْ حَتَّى فَرَغُوا مِنْهُمَا. قَالَ: فَكَانَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ يَقُولُ: يَرْحَمُ اللَّهُ بِلَالًا، فَجَعَنِي بِأَدْرَاعِي وَبِأَسِيرَيَّ.
পৃষ্ঠা - ২৪২০
وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " قَرِيبًا مِنْ هَذَا السِّيَاقِ، فَقَالَ فِي الْوِكَالَةِ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ، هُوَ ابْنُ الْمَاجِشُونِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ: كَاتَبْتُ أُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ كِتَابًا بِأَنْ يَحْفَظَنِي فِي صَاغِيَتِي بِمَكَّةَ وَأَحْفَظَهُ فِي صَاغِيَتِهِ بِالْمَدِينَةِ، فَلَمَّا ذَكَرْتُ الرَّحْمَنَ قَالَ: لَا أَعْرِفُ الرَّحْمَنَ، كَاتَبْنِي بِاسْمِكَ الَّذِي كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ. فَكَاتَبْتُهُ عَبْدَ عَمْرٍو، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ، خَرَجْتُ إِلَى جَبَلٍ لِأُحْرِزَهُ حِينَ نَامَ النَّاسُ، فَأَبْصَرَهُ بِلَالٌ، فَخَرَجَ حَتَّى وَقَفَ عَلَى مَجْلِسٍ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَ: أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ؟ ! لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا أُمَيَّةُ، فَخَرَجَ مَعَهُ فَرِيقٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فِي آثَارِنَا، فَلَمَّا خَشِيتُ أَنْ يَلْحَقُونَا، خَلَّفْتُ لَهُمُ ابْنَهُ لِأَشْغَلَهُمْ فَقَتَلُوهُ ثُمَّ أَتَوْا حَتَّى تَبِعُونَا، وَكَانَ رَجُلًا ثَقِيلًا، فَلَمَّا أَدْرَكُونَا قُلْتُ لَهُ: ابْرُكْ. فَبَرَكَ فَأَلْقَيْتُ عَلَيْهِ نَفْسِي لِأَمْنَعَهُ، فَتَخَلَّلُوهُ بِالسُّيُوفِ مِنْ تَحْتِي حَتَّى قَتَلُوهُ، وَأَصَابَ أَحَدُهُمْ رِجْلِي بِسَيْفِهِ. فَكَانَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ يُرِينَا ذَلِكَ الْأَثَرَ فِي ظَهْرِ قَدَمِهِ. سَمِعَ يُوسُفُ صَالِحًا، وَإِبْرَاهِيمُ أَبَاهُ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ بَيْنِهِمْ كُلِّهِمْ. وَفِي مُسْنَدِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، أَنَّهُ هُوَ الَّذِي قَتَلَ أُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ.