আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

مقتل أبي البختري بن هشام
পৃষ্ঠা - ২৪১৭


আবদুল মুত্তালিব কারও সামনে পড়লে তাকেও হত্যা করো না ৷ কেননা , তাকে জোর করে
যুদ্ধে আনা হয়েছে ৷ এ কথা শুনে আবু হুযায়ফা উতবা ইবন রাবীআ বললেন আমরা আমাদের
বাপ, ভাই ও পুত্রদের হত্যা করবো আর আব্বাসকে ছেড়ে দিবাে, তা কী করে হয় ? আল্লাহর
কসম, সে যদি আমার সামনে পড়ে, তবে আমি তাকে তরবাবি দ্বারা আঘাত করবোই ৷ এ
সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পৌছলে তিনি উমরকে ডেকে বলেন : ওহে আবু হাফ্স!১
আল্লাহর রাসুলের চাচার চেহারায় কি তরবাবি চালান যায় ম্ব উমর বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ্া
আমাকে অনুমতি দিন আমি তলোয়ার দিয়ে তার পর্দান উড়িয়ে < দ্য:ব৷ ৷ আল্লাহর কসম, সে
মৃনাফিক হয়ে গেছে ৷ পরবর্তীতে আবু হুযায়ফা বলতেন, ঐ দিন আমি ৷যে কথাটি বলেছিলড়াম,
তার জন্যে আমি নিজেকে নিরাপদ মনে করি না ৷ একমাত্র শাহাদংশ্চেভ্রর দ্বারা কাফ্ফারা দেওয়া
ছাড়া রক্ষা হবে না বলে আমি সর্বদা শংকিত থাকি ৷ অবশেষে ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি শহীদ হন ৷

আবুল বুখতারী ইবন হিশামের হত্যার ঘটনা

ইবন ইসহাক বলেন, বদর যুদ্ধে রাসুলুল্পাহ (সা) আবুল বুখতস্টুরীকে হত্যা করতে নিষেধ
করেন ৷ কেননা, মক্কায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে নির্যাতন করা থেকে তিনি কুয়ায়শদেরকে নিবৃত্ত
করতেন ৷ তিনি নিজে কখনও রাসুলুল্লাহ্কে কষ্ট দেননি এবং এমন কোন আচরণও করেননি
যাতে তার মন ব্যথিত হয় ৷ এছাড়া কুরায়শদের যে লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ও বনু হাশিমকে আবু৩ তালিব গিবিসঙ্কটে অবরুদ্ধ রাখা হয় সে চুক্তিপত্র ভঙ্গের ব্যাপারে তিনি
অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন ৷ বদর রণাংগনে আবুল বুখ৩ তারী যুজায়যার ইবন যিয়াদের সামনে
পড়েন ৷ মুজাযযার ছিলেন আনসারদের মিত্র ৷ তিনি আবুল বুখতারীকে জানিয়ে দেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তোমাকে হত্যা করতে আমাদেরকে ধারণ করে দিয়েছেন ৷ আবুল বৃখ৩ তারীর
সঙ্গে ছিল ৰু জুনাদ৷ ইবন মালীহ৷ নামক লায়ছ গোত্রীয় তার এক বন্ধু ৷ মক্কা থেকে সে আবুল
বুখতারীর সঙ্গে এসেছিল ৷ তার সম্পর্কে আবুল বুখতারী বললেন, আমার সংপীটির কী হবে ?
উত্তরে যুজাযুযার জানালেন আল্লাহর কসম, তোমার সঙ্গীকে ছাড়া হবে না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
কেবল তোমার একার কথাই বলেছেন ৷ আবুল বুখত তারী বললেন, তাহলে আল্লাহর কসম করে
বলছি, আমি ও সে এক সাথেই মরব ৷ যাতে পশ্চাতে ৩কুরায়শ মহিলারা আমার সম্পর্কে এ কথা
বলতে না পারে যে, নিজের জীবন রক্ষার্থে আমি আমার সঙ্গীকে ত্যাগ করেছি ৷ একথা বলেই
তিনি যুজাযযারের উপর আক্রমণ করলেন এবং নিম্নের ছন্দটি পড়লেন ং

“কোন সস্তুাম্ভ লোক তার সঙ্গীকে কখনও পবি৩ ৷৷গ করে না ৷ হয় সে সঙ্গীর জন্যে জীবন
বিলিয়ে দেয় , না হয় অন্য কো ন উপায় বের করে নেয় ৷

তারপর উভয়ের মধ্যে লড়াই শুরু হলে আবুল বুখতারী মারা যায় ৷ এ প্রসঙ্গে ঘুজাযুযার
নিম্নোক্ত কবিতাটি আবৃত্তি করেন :



১ হযরত উমর বলেন, আল্লাহর কসম এই দিনই সর্বপ্রথম রাসুলুল্লাহ (না) আমাকে “আবু হাফস’ কৃনিয়াতে
আখ্যায়িত করেন ৷


[مَقْتَلُ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ بْنِ هِشَامٍ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَإِنَّمَا «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قَتْلِ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، لِأَنَّهُ كَانَ أَكَفَّ الْقَوْمِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِمَكَّةَ، كَانَ لَا يُؤْذِيهِ وَلَا يَبْلُغُهُ عَنْهُ شَيْءٌ يَكْرَهُهُ، وَكَانَ مِمَّنْ قَامَ فِي نَقْضِ الصَّحِيفَةِ، فَلَقِيَهُ الْمُجَذَّرُ بْنُ ذِيَادٍ الْبَلَوِيُّ حَلِيفُ الْأَنْصَارِ فَقَالَ لَهُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَانَا عَنْ قَتْلِكَ. وَمَعَ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ زَمِيلٌ لَهُ خَرَجَ مَعَهُ مِنْ مَكَّةَ، وَهُوَ جُنَادَةُ ابْنُ مُلَيْحَةَ، وَهُوَ مِنْ بَنِي لَيْثٍ. قَالَ: وَزَمِيلِي؟ فَقَالَ لَهُ الْمُجَذَّرُ: لَا وَاللَّهِ، مَا نَحْنُ بِتَارِكِي زَمِيلِكَ، مَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ إِلَّا بِكَ وَحْدَكَ. قَالَ: لَا وَاللَّهِ، إِذًا لَأَمُوتَنَّ أَنَا وَهُوَ جَمِيعًا، لَا يَتَحَدَّثُ عَنِّي نِسَاءُ مَكَّةَ أَنِّي تَرَكْتُ زَمِيلِي حِرْصًا عَلَى الْحَيَاةِ. وَقَالَ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ وَهُوَ يُنَازِلُ الْمُجَذَّرَ: لَنْ يُسْلِمَ ابْنُ حُرَّةٍ زَمِيلَهُ ... حَتَّى يَمُوتَ أَوْ يَرَى سَبِيلَهُ قَالَ: فَاقْتَتَلَا فَقَتَلَهُ الْمُجَذَّرُ بْنُ ذِيَادٍ، وَقَالَ فِي ذَلِكَ إِمَّا جَهِلْتَ أَوْ نَسِيتَ نَسَبِي ... فَأَثْبِتِ النِّسْبَةَ إِنِّي مِنْ بَلِي الطَّاعِنِينَ بِرِمَاحِ الْيَزَنِي ... وَالضَّارِبِينَ الْكَبْشَ حَتَّى يَنْحَنِي بَشِّرْ بِيُتْمٍ مَنْ أَبُوهُ الْبَخْتَرِي ... أَوْ بَشِّرَنْ بِمِثْلِهَا مِنِّي بَنِي أَنَا الَّذِي يُقَالُ أَصْلِي مِنْ بَلِي ... أَطْعَنُ بِالصَّعْدَةِ حَتَّى تَنْثَنِي وَأَعْبِطُ الْقِرْنَ بِعَضْبٍ مَشْرَفِي ... أُرْزِمُ لِلْمَوْتِ كَإِرْزَامِ الْمَرِي فَلَا يَرَى مُجَذَّرًا يَفْرِي فَرِي ثُمَّ أَتَى الْمُجَذَّرُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ، لَقَدْ جَهِدْتُ عَلَيْهِ أَنْ يَسْتَأْسِرَ فَآتِيكَ بِهِ، فَأَبَى إِلَّا أَنْ يُقَاتِلَنِي، فَقَاتَلْتُهُ فَقَتَلْتُهُ» .