আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

فصل في فرضية صوم شهر رمضان سنة ثنتين قبل وقعة بدر

পৃষ্ঠা - ২৩৩৯

আলী ইবন আসিম আইশা (রা) সুত্রে বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন (আর্থাৎ) আহ্লে
কিতাব সম্পর্কে তারা আমাদেরকে জুমুআর দিন এবং কিবলার চাইতে অন্য কোন জিনিসের
জন্য বেশী হিৎ না করে না আল্লাহ আমাদেরকে জুমুআর দিন দান করেছেন ৷ আর ইয়াহ্রদীরা
এ সম্পর্কে গােমরাহ হয়েছে ৷ আল্লাহ আমাদেরকে কিবলার দিকে হিদায়াত করেছেন ইয়াহ্রদীরা
কিবলা সম্পর্কে গােমরাহ ৷ ইমামের পিছনে আমীন বলার জন্যও চারা আমাদেরকে হিংসা
করে ৷

দ্বিতীয় হিজরীতে বদর যুদ্ধের পুর্বে রমাযান
মাসের রোয৷ ফরম হওয়া প্রসঙ্গে

ইবন জারীর বলেন : এই সনে রমাযানের রােয়৷ ফরম করা হয় ৷ কেউ কেউ বলেন যে ,
এবইি বছর শাবান মাসে রোযা ফরম করা হয় ৷ এরপর তিনি বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ (সা )
মদীনায় আগমন করে দেখতে পান যে ইয়াহুদীর৷ আশুরার দিন রােযা পালন করছে ৷
সম্পর্কে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে৪ এ এমন একটা দিন যেদিন আল্লাহ মুসএা
(আ)-কে নাজাত দেন (এবং এ দিনে ফিরআওনের লোকজনকে ডুবিয়ে মারেন ), তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : তোমাদের চাইতে আমরাই বরং মুসার বেশী ঘনিষ্ঠ ৷ তাই তিনি
নিজে আশুরার রােযা রাখেন এবং লোকজনকে এ দিনে রোয৷ রাখার নির্দেশ দেন ৷ বুখারী এবং
মুসলিম শরীফে ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে হাদীছটি বর্ণিত আছে ৷ আল্লাহ তাআল৷ বলেন :
৷ ৰুদ্বুা;

;) ; ,


হে ঈমানদ৷ ৷রগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেয়া হলো, যেমন বিধান দেয়া হয়েছিল
তোমাদের পুর্ববর্তিগণকে, যাতে করে তে ড়ামরা মুত্তাকী হতে পার (সিয়াম) স্বল্প
কয়েকদিনের ৷£ তোমাদের মধ্যে কেউ পীড়িত হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় এ স০ খ্যা পুরণ
করে নিতে হবে ৷ এটা যাদেরকে অতিশয় কষ্ট দেয় তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদয়া-
একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দান করা ৷ যদি কেউ স্বত৪স্ফুর্তভাবে সৎকার্য করে তবে তা তার
পক্ষে অধিক কল্যাণকর ৷ আর সিয়ড়াম পালন করাই তে ৷মাদের জন্য অধিকতর কল্যাণকর-
যদি তোমরা জানতে ৷ রমযান মাস, এ মাসে মানুষের দিশারী, সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও
সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরুপে কুরআন নাযিল হয়েছে ৷ সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস
পাবে তারা যেন এতে রোযা পালন করে ৷ আর কেউ পীড়িত থাকলে বা সফরে থাকলে অন্য
সময় এ স০ খ্যা পুরণ করবে ৷ আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান, যা কষ্টকর তা চান না
এ জন্য যে তোমরা স০ খ্যা পুর্ণ করবে এবং৫ তোমাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করার জন্য
তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করবে এবং যাতে তোমরা শুকরিয়া আদায় করতে পার (২ :
১৮৩-১৮৫) ৷


[فَصْلٌ فِي فَرْضِيَّةِ صَوْمِ شَهْرِ رَمَضَانَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ قَبْلَ وَقْعَةِ بَدْرٍ] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ فُرِضَ صِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ فُرِضَ فِي شَعْبَانَ مِنْهَا. ثُمَّ حَكَى «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ وَجَدَ الْيَهُودَ يَصُومُونَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ، فَسَأَلَهُمْ عَنْهُ فَقَالُوا: هَذَا يَوْمٌ نَجَّى اللَّهُ فِيهِ مُوسَى. فَقَالَ: نَحْنُ أَحَقُّ بِمُوسَى مِنْكُمْ، فِصَامَهُ وَأَمَرَ النَّاسَ بِصِيَامِهِ» وَهَذَا الْحَدِيثُ ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ أَيَّامًا مَعْدُودَاتٍ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ} [البقرة: 183] الْآيَةَ [الْبَقَرَةِ: 183 - 185]
পৃষ্ঠা - ২৩৪০


এ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট হাদীছ আর বর্ণিত রিওয়ায়াত এবং এ থেকে সংগৃহীত বিধান সম্পর্কে
আমরা তাফসীর গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য ৷
ইমাম আহমদ (র) আবু নসর, আম্র ইবন মুররা সুত্রে মুআয ইবন জাবাল থেকে বর্ণনা
করে বলেন : সালাতের উপর তিনটা অবস্থা অতিবাহিত হয় সিয়ামের উপরও তিনটা অবস্থা
অতিক্রান্ত হয়েছে ৷ তারপর তিনি সালা তে তর অবস্থা উল্লেখ করেন সিয়ামের অবস্থা সম্পর্কে
তিনি বলেনং : রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করে নামে তিন দিন সিয়াম পালন করতেন ৷ এ
সময় তিনি আশুরার রোযাও রাখতেন ৷ তারপর আল্লাহ ন্গুার উপর রােয়৷ ফরয় করে আয়াত
নাযিল করেন :
-“ণ্’ওএও ;এ :; এ ৷ এ এএ এও ণ্এন্এএ :ওএএ এএ’ও প্ং০’এন্ ;;এ এএএ

থেকে ;,ট্রু র্চুট্রু০ ণ্ঢ়: হ্ঠু ১১ ছুঠুসৌং ১ ৷ ; পর্যন্ত ৷ তখন্য যার ইচ্ছা রোযা রাখতো

আর যার ইচ্ছা একজন মিসকীনকে খাবার দান করলেত তার জন্য আ ই যথেষ্ট হতো ৷ অতঃপর

আল্লাহ অপর আয়াত নাযিল
<ৰু০;পুস্ স্ ৷ ণ্বু০ ১ঠু: পর্যন্ত ৷ এতে সুস্থ মুকীমের জন্য সিয়াম পালন অবধারিত করেন
এবং পীড়িত আর মুসাফিরের জন্য রুখসত বা রাখা না রাখার অবকাশ দেন ৷ যে বয়োবৃদ্ধ
ব্যক্তি সিয়াম পালন করতে সক্ষম নয়, তার জন্য রােযা পালন না করার এ অবকাশ বা
অনুমতি ৷ এ হলো দুটো অবস্থা ৷ তিনি বলেন০ : তারা পানাহার এবং ত্রীগমন করতে৷ যাবত না
ঘুমাতে৷ ৷ ঘৃমালে এ (সব থেকে) বিরত থাকতে ৷ ৷ আনসারের এক ব্যক্তি যাকে বলা হতে তা
ছুরমা, লোকটি সারাদিন রােযা রেখে কায়িক শ্রম দেয় অর্থ ৎ শ্রমিকের কাজ করে এবং গৃহে
ফিরে ইশার নামায পড়ে ঘুমিয়ে পড়ে পানাহার না করেই এবং এ অবস্থায়ও পরদিন বোযা
রাখে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স) তাকে দেখলেন যে, বেশ পরিশ্রম করছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে
বললেনঃ

“কি ব্যাপার, আমি তোমাকে কষ্টের পরিশ্রম করতে দেখছি ৷ লোকটি তাকে এ ব্যাপারে
অবহিত করলো ৷ বর্ণনাক৷ রী বলেন০ ং একদিন উমর (রা) নিদ্রার পর ত্রীগমন করেন ৷ পরে তিনি
রাসুলুল্লাহ্ (স) এর নিকট আগমন করে তাকে এ সম্পর্কে জানালে আল্লাহ তা আলা ষ্কঠুধু ; ৷

৷ ৷প্রু; ৷ ণ্’;
ট্রু ৷ পর্যন্ত আয়াত নাযিল করেন ৷

আবু দাউদ তার সুনান গ্রন্থে এবং হাকিম তার মুস্তাদরাকে মাসউদীর হাদীছ থেকে অনুরুপ
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আর বুখারী-মুসলিমে যুহ্রী সুত্রে আইশা (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন : আশুরায় রােযা রাখা হতো; কিন্ডু রমাযানের বোয়ার আয়াত নাযিল হলে যার ইচ্ছা
রোযা রাখভো যার ইচ্ছা না রাখতো ৷ ইমাম বুখারী (র ) ইবন উমর এবং ইবন মাসউদ (বা)


وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ مِنْ إِيرَادِ الْأَحَادِيثِ الْمُتَعَلِّقَةِ بِذَلِكَ، وَالْآثَارِ الْمَرْوِيَّةِ فِي ذَلِكَ وَالْأَحْكَامِ الْمُسْتَفَادَةِ مِنْهُ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: «أُحِيلَتِ الصَّلَاةُ ثَلَاثَةَ أَحْوَالٍ، وَأُحِيلَ الصِّيَامُ ثَلَاثَةَ أَحْوَالٍ. فَذَكَرَ أَحْوَالَ الصَّلَاةِ، قَالَ وَأَمَّا أَحْوَالُ الصِّيَامِ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَجَعَلَ يَصُومُ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، وَصَامَ عَاشُورَاءَ، ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، فَرَضَ عَلَيْهِ الصِّيَامَ، وَأَنْزَلَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ} [البقرة: 183] إِلَى قَوْلِهِ {وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ} [البقرة: 184] فَكَانَ مَنْ شَاءَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَطْعَمَ مِسْكِينًا، فَأَجْزَأَ ذَلِكَ عَنْهُ، ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، أَنْزَلَ الْآيَةَ الْأُخْرَى {شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ} [البقرة: 185] إِلَى قَوْلِهِ {فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ} [البقرة: 185] فَأَثْبَتَ صِيَامَهُ عَلَى الْمُقِيمِ الصَّحِيحِ، وَرَخَّصَ فِيهِ لِلْمَرِيضِ وَالْمُسَافِرِ، وَأَثْبَتَ الْإِطْعَامَ لِلْكَبِيرِ الَّذِي لَا يَسْتَطِيعُ الصِّيَامَ، فَهَذَانِ حَوْلَانِ» . قَالَ: «وَكَانُوا يَأْكُلُونَ، وَيَشْرَبُونَ، وَيَأْتُونَ النِّسَاءَ مَا لَمْ يَنَامُوا، فَإِذَا نَامُوا، امْتَنَعُوا ثُمَّ إِنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ: صِرْمَةُ. كَانَ يَعْمَلُ صَائِمًا حَتَّى أَمْسَى، فَجَاءَ إِلَى أَهْلِهِ فَصَلَّى الْعِشَاءَ، ثُمَّ نَامَ، فَلَمْ يَأْكُلْ وَلَمْ يَشْرَبْ حَتَّى أَصْبَحَ، فَأَصْبَحَ صَائِمًا فَرَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَهَدَ جَهْدًا شَدِيدًا، فَقَالَ: مَا لِي أَرَاكَ قَدْ جَهَدْتَ جَهْدًا شَدِيدًا؟ فَأَخْبَرَهُ، قَالَ: وَكَانَ عُمَرُ قَدْ أَصَابَ مِنَ النِّسَاءِ بَعْدَ مَا نَامَ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ
পৃষ্ঠা - ২৩৪১


থেকে অনুরুপ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ এ বিষয়ে লিখার জন্য তাফসীর এবং আহকামুল কড়াবীর’
এ ভিন্ন মওকা রয়েছে ৷ আল্লাহ্র নিকট সাহায্য কাম্য ৷

ইবন জারীর বলেন € এ বছর লোকজনকে যাকাতুল ফিত্র তথা সাদাকাতুল ফিতরের
নির্দেশ দেয়া হয় ৷ কথিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঈদুল ফিতরের একদিন বা দু’দিন পুর্বে
লোকজনের উদ্দেশ্যে থুত্বা দেন এবং তিনি সাদাকা ফিত্র আদায় করার জন্য ল্যেকজনকে
নির্দেশ দেন ৷ রাবী বলেন : এ বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঈদের নামায পড়েন এবং লোকজনকে
নিয়ে ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বহির্গত হন ৷ আর এ ছিল প্রথম ঈদের নামায, যা রাসুলুল্লাহ (সা)
আদায় করেন ৷ লোকেরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সম্মুখে একটা বল্লম নিয়ে র্দাড়ায় ৷ এটা ছিল
যুবায়র (রা)-এর ৷ হাব্শার বাদশাহ তাকে এ বল্লম দান করেছিলেন ৷ ঈদে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সম্মুখে এটি স্থাপন করা হতো ৷

আমি (ইবন কাহীর) বলি : পরবভীকািলের একাধিক ব্যক্তি উল্লেখ করেন যে, এ বছর
সম্পদের যাকাত ফরয করা হয় ৷ বদর যুদ্ধের ঘটনা আলোচনা করার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ্ তাআলা ৷ তার প্ৰতিই তো আস্থা আর তার উপরই ভরসা ৷
লা হাওলা ওয়া লা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিব্যিল আযীম ৷


عَزَّ وَجَلَّ: {أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ هُنَّ لِبَاسٌ لَكُمْ} [البقرة: 187] إِلَى قَوْلِهِ: {ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ} [البقرة: 187] » [الْبَقَرَةِ: 187] وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ فِي " سُنَنِهِ "، وَالْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " مِنْ حَدِيثِ الْمَسْعُودِيِّ نَحْوَهُ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: «كَانَ عَاشُورَاءُ يُصَامُ، فَلَمَّا نَزَلَ رَمَضَانُ كَانَ مَنْ شَاءَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ.» وَلِلْبُخَارِيِّ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَابْنِ مَسْعُودٍ مِثْلَهُ، وَلِتَحْرِيرِ هَذَا مَوْضِعٌ آخَرُ مِنَ " التَّفْسِيرِ " وَمِنَ " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ " وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ أُمِرَ النَّاسُ بِزَكَاةِ الْفِطْرِ، وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ النَّاسَ قَبْلَ الْفِطْرِ بِيَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ، وَأَمَرَهُمْ بِذَلِكَ. قَالَ: وَفِيهَا صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْعِيدِ، وَخَرَجَ بِالنَّاسِ إِلَى الْمُصَلَّى، فَكَانَ أَوَّلَ صَلَاةِ عِيدٍ صَلَّاهَا، وَخَرَجُوا بَيْنَ يَدَيْهِ بِالْحَرْبَةِ، وَكَانَتْ لِلزُّبَيْرِ، وَهَبَهَا لَهُ النَّجَاشِيُّ، فَكَانَتْ تُحْمَلُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَعْيَادِ. قُلْتُ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ، فِيمَا ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْمُتَأَخِّرِينَ، فُرِضَتِ الزَّكَاةُ ذَاتُ النُّصُبِ، كَمَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُ ذَلِكَ كُلِّهِ بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ، وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ.