আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة الأبواء

غزوة الأبواء

পৃষ্ঠা - ২৩০৪


তারা মদীনায় ফিরে এসে জানতে পারেন যে ঐ দিনই রিফাঅ আর মৃত্যু হয়েছিল ৷ আরো
হল সিলসিলা ইবন বারহাম এবং কিনানা ইবন সুরিয়া ৷ ইয়াহুদী মুনাফিকদের মধ্যে এরা
ইসলাম গ্রহণ করেছিল ৷ এসব মুনাফিক মসজিদে উপস্থিত হতো, মুসলমানদের কথাবার্তা
শুনভো এবং তাদেরকে নিয়ে উপহাস করবু তা ৷ একদিন তাদের কিছু লোক মসজিদে উপস্থিত
হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) দেখতে পান যে তারা একে অপরের সঙ্গে নিচু স্বরে কথা বলছে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দোশ তাদেরকে মসজিদ থেকেতাড়িয়ে দেয়া হয় ৷ আবু আইউব৷ দ ৷ড়িয়ে
বনু নাজ্জারের সদস্য আম্র ইবন কায়সের পা ধরে টেনে হেচড়ে তাকে বের করেন ৷ এ
ল্যেকটি ছিল জাহিলী য়ুগে৩ তাদের প্রতিমার৩ তত্তুাবধায়ক ৷ এ সময় সে বলছিল হে আবু
আইউব, তুমি আমাকে বনু ছ৷ লাবার খােয়াড় থেকে বের কাৰু৷ দিচ্ছন্ এরপর আবু আইউব
রাফি ইবন ওয়াদীআ নাজ্জারীর দিকে এগিয়ে যান এবং কাপড়ে পেচিয়ে সজোরে টান দেন,
মুখে কিল-ঘুষি দিয়ে তাকে মসজিদ থেকে এই বলতে বলতে বের করে দেন ধিক তোমায়,
পাপিষ্ঠ মুনাফিক ৷ আর যায়দ ইবন আমরের দিকে এপিংণ্ন্’ ধ্ ম ন অ ৷ম্মারা ইবন হায্ম ৷ লে৷ ৷কটি
ছিল দীর্ঘ দাড়িধারী ৷ দাড়ি ধরে টেনে হেচড়ে৩ তাকে মসজিদ থেকে বের করেন ৷ এরপর আম্মারা
তার দু হাত একত্র করে তা র বুকে প্রচণ্ড ঘুষি যাবেন, যাতে সে মাটিতে পড়ে যায় ৷ তখন সে
বলছিল, হে আম্মারা৷ তুমি আমার বুকে আঘাত করলে ? তখন আম্মারা বললেন যে,
মুনাফিক ! আল্লাহ তােকে দুর করুন, আল্পাহ্ তোর জন্য যে আমার প্রস্তুত করে রেখেছেন , তা
এর চাইতেও কঠোর ৷ আর কখনো রাসুলের মসজিদের কাছেও আসবি না ৷ আবু মুহাম্মদ
মাসউদ ইবন আওস ইবন যায়দ ইবন আসরাম ইবন যায়দ ইবন ছালাবা ইবন পানাম ইবন
মালিক ইবন নাজ্জার ইনি ছিলেন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবী ৷ তিনি কায়স ইবন
আমর ইবন সাহলের দিকে এগুলেন ৷ সে ছিল যুবক এবং সে ছাড়া মুনাফিকদের মধ্যে আর
কোন যুবক ছিল না ৷ গলা ধাক্কা দিয়ে তিনি তাকে বের করে দেন ৷ বনু খাদ্রার জনৈক ব্যক্তি
হারিছ ইবন আমরের দিকে অগ্রসর হন ৷ এ লোকটি ছিল দীর্ঘকেশী ৷ তিনি তার চুল ধরে তাকে
টেনে হেচড়ে একেবারে ধরাশায়ী করে বের করেছেন ৷ এ সময় সে মুনাফিকঢি বলছিল, হে
আবুল হারিছ ৷ তুমি বড় কঠোর আচরণ করলে ৷ তখন তিনি বললেন, এটা তেব পাওনা ছিল
যে আল্লাহ্র দুশমনাক কারণ আল্লাহ ভোর সম্পর্কে আয়াত নাযিল করেছেন ৷ আর কখনো
রাসুলুল্লাহ্র মসজিদের নিকটেও আসবি না, কারণ তুই অপবিত্র ৷ বনী আসর ইবন আওফের
জনৈক ব্যক্তি তার ভাই যাবী ইবন হ বিছেব দিকে অগ্রসর হন এবং শক্তভাবে তাকে মসজিদ
থেকে বের করতে করতে নাকে হাত দিয়ে বলেন ভোর উপর শয়তান সওয়ার হয়েছে ৷ এরপর
ইমাম ইবন ইসহাক এ ব্যাপারে সুরা বাকারা ও সুরা৩ তাওবার যেসব আয়াত নাযিল হয়েছে
সেসবের উল্লেখ করে এর ব্যাথ্যায় ফলপ্রসু ও কল্যাণকর আলোচনা করেছেন ৷ আল্লাহ্ তার
প্রতি রহম করুন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রথম যুদ্ধাডিযান

আবওয়৷ বা ওয়াদ্দানের যুদ্ধ হাময৷ ইবন আবদুল মুত্তালিব বা উবায়দা ইবন হারিছের
বাহিনীর অভিযানের বিবরণ মাগাযী পর্যায়ে আলোচিত হবে ৷ বুখারী ইবন ইসহাকের বরাতে


[غَزْوَةُ الْأَبْوَاءِ] ذِكْرُ أَوَّلِ الْمَغَازِي، وَهِيَ غَزْوَةُ الْأَبْوَاءِ، وَيُقَالُ لَهَا: غَزْوَةُ وَدَّانَ، وَأَوَّلُ الْبُعُوثِ، وَهُوَ بَعْثُ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَوْ عُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ، كَمَا سَيَأْتِي فِي الْمَغَازِي قَالَ الْبُخَارِيُّ: كِتَابُ الْمَغَازِي، قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَوَّلُ مَا غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَبْوَاءُ، ثُمَّ بُوَاطُ، ثُمَّ الْعُشَيْرَةُ. ثُمَّ رَوَى «عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، أَنَّهُ سُئِلَ: كَمْ غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: تِسْعَ عَشْرَةَ. شَهِدَ مِنْهَا سَبْعَ عَشْرَةَ، أَوَّلُهُنَّ الْعُسَيْرَةُ أَوِ الْعُشَيْرَةُ» . وَسَيَأْتِي الْحَدِيثُ بِإِسْنَادِهِ وَلَفْظِهِ وَالْكَلَامُ عَلَيْهِ عِنْدَ غَزْوَةِ الْعُشَيْرَةِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَبِهِ الثِّقَةُ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، عَنْ بُرَيْدَةَ، قَالَ ( «: غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّ عَشْرَةَ غَزْوَةً» . وَلِمُسْلِمٍ عَنْهُ، أَنَّهُ «غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّ عَشْرَةَ
পৃষ্ঠা - ২৩০৫


কিত তাবুল মাণাযীতে বলেন০ ং রাসুলুল্লাহ্ (সা) সর্বপ্রথম যে যুদ্ধাভিযান বা গাবওয়ায় অংশ নেন
তা হল আবৃওয়া যুদ্ধ, এরপর বুয়ড়াত, তারপর আশীরাব যুদ্ধ ৷৩ তারপর রাবী বলেন, যায়দ ইবন
আরকাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কয়ঢি
গাযওয়ায় অং ×শগ্রহং করেছেন ? তিনি বললেন : ১৯টিতে ৷ তবে মতাম্ভরে তিনি ১ ৭টিতে
উপস্থিত ছিলেন ৷ এর মধ্যে প্রথমটা হলো আসীর৷ বা আশীরাব যুদ্ধ ৷ গাণ্ঘুওয়৷ আশীরাব বর্ণনায়
সনদ ও মুল পাঠসহ এ বিষয়ে আলোচনা পরে আসছে ৷ আর সহীহ্ বুখারীতে বুরায়দা সুত্রে
বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১৬টি গাযওযায় যোগদান করেন ৷ আর মুসলিম শরীফে একই
রাবী থেকে বর্ণিত আছে, যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে ১৬ট৷ গাযওয়ায় অংশ গ্রহণ
করেন ৷ একই রাবী সুত্রে মুসলিমের বর্ণনায় আছে যে, রা-সুলুল্লাহ্ (স) ১৯টা গায্ওয়ায়
যোগদান করেন ৷ আর এগুলোর মধ্যে যুদ্ধ করেন ৮টায় ৷ হুসাইন ইবন ওয়াকিদ বুরায়দা
থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) ১ ৭টা গাযওয়ায় অংশ গ্রহণ করেন এবং যুদ্ধ করেন
৮টাতে বদর, উহুদ, আহযাব, মুরায়সী, কাদীদ, খায়বর, মক্কা ও নায়ন ৷ ২৪ টা মারিয়া
তথা বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ আর ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান মাক্হুল সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১৮টা গাযওয়ায় অংশ গ্রহণ করেন, যুদ্ধ করেন ৮টিতে ৷ এগুলোর প্রথম হলো
বদর, পরে উহুদ, তারপর আহযাব, তারপর কুরায়যা, তারপর ৰিরে মাউনা, এরপর খুযাআ
গোত্রের বনু মুস্তালিক, এরপর গাযওয়৷ খায়বর, তারপর গাযওয়৷ মক্কা, তারপর হুনায়ন এবং

তাইফ ৷ কুরায়য৷ র পর বি রে মা ৷উনা ৷র উল্লেখ তর্কাতীত নয় ৷ আর বিশুদ্ধ কথা এই যে, তা ছিল
উহুদ যুদ্ধের পর, যে সম্পর্কে পরে আলোচনা আসছে ৷ ইয়াকুব বলেন ৪ সাঈদ ইবন ঘুসায্যব
বলেছেন৪ রাসুলুল্পাহ্ (সা) ১৮টা গাযওয়ায় অংশ্যাহণ করেন ৷ আরেকবার আমি তাকে বলতে
শুনেছি, তিনি চব্বিশটিতে অং ×শগ্রহণ করেছেন ৷ আমি জানি না, এটা তার অনুমান, নাকি পরে
তিনি শুনে বলেছেন ৷৩ তাবারানী যুহ্রী থেকে বর্ণনা করে বলেন৪ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ২৪টা
গাযওয়ায় অং ×শগ্নহণ করেন ৷ আবদুর রহমান ইবন হুমায়দ৩ তার মুসনাদ গ্রন্থে জাবির (রা) এর
বরাতে বলেন৪ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ২১টি গাঘৃওয়ায় অ ×শ গ্রহণ করেন ৷ আর হাকিম হিশাম সুত্রে
কাতাদার বরাতে বর্ণনা করেনং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মাগাযী এবং সারিয়ার মোট সং ×থ্যা ছিল
৪৩টি ৷ অতঃপর হাকিম বলেনঃ হয়তো৩ তিনি গাযওয়া১ ও সারিয়৷ উভয় প্ৰক৷ র অভিযান বুঝাতে
চেয়েছেন ৷ >

আল ইকলীল গ্রন্থে আমি বা রা৷বাহিকভ৷ ৷বে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রেরিত অভিযানসমুহের
উল্লেখ করেছি, যেগুলোর সংখ্যা শতাধিক ৷ হাকিম বলেন আমাদের একজন বিশ্বস্ত সঙ্গী
বুখারড়ায় আমাকে জানান যে,৩ তিনি আবু আবদ্ল্লাহ্ মুহাম্মদ ইবন নাসরশ্এর গ্রন্থে যুদ্ধ ছাড়া
সত্তরটির অধিক সারিয়৷ ও অভিযাত্রী বাহিনীর নাম পড়েছেন ৷ হাকিমের এই বর্ণনা রীতিমভাে
বিস্ময়কর আর কা৩ তাদার উক্তির যে ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন, তাও সন্দেহাভীত নয় ৷ ইমাম
আহমদ আযহ৷ র ইবন কাসিম বা ৷সিবী সুত্রে কা ৷তাদ৷ থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর



১ গড়ায়ওয়৷ হচ্ছে ঐ সব যুদ্ধাতিযান, যেণ্ডলোতে স্বয়ং× নবী করীম (সা) উপস্থিত ছিলেন ৷ পক্ষান্তার সারিয়৷ বলা
হয় তার প্রেরিত বাহিনীগুলির অভিযানসমুহকে ৷


غَزْوَةً» وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ عَنْهُ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَقَاتَلَ فِي ثَمَانٍ مِنْهُنَّ» . وَقَالَ الْحُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا سَبْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَقَاتَلَ فِي ثَمَانٍ، يَوْمَ بَدْرٍ، وَأُحُدٍ وَالْأَحْزَابِ، وَالْمُرَيْسِيعِ، وَقُدَيْدٍ، وَخَيْبَرَ، وَمَكَّةَ، وَحُنَيْنٍ، وَبَعَثَ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ سَرِيَّةً. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ التَّنُوخِيُّ ثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي النُّعْمَانُ، عَنْ مَكْحُولٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا ثَمَانِيَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، قَاتَلَ فِي ثَمَانِ غَزَوَاتٍ، أَوَّلُهُنَّ بَدْرٌ، ثُمَّ أُحُدٌ، ثُمَّ الْأَحْزَابُ، ثُمَّ قُرَيْظَةُ، ثُمَّ بِئْرُ مَعُونَةَ، ثُمَّ غَزْوَةُ بَنِي الْمُصْطَلِقِ مِنْ خُزَاعَةَ، ثُمَّ غَزْوَةُ خَيْبَرَ، ثُمَّ غَزْوَةُ مَكَّةَ ثُمَّ حُنَيْنٌ وَالطَّائِفُ» . قَوْلُهُ: بِئْرُ مَعُونَةَ بَعْدَ قُرَيْظَةَ فِيهِ نَظَرٌ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهَا بَعْدَ أُحُدٍ، كَمَا سَيَأْتِي. قَالَ يَعْقُوبُ: حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرْنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، 103 سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ يَقُولُ: «غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ غَزْوَةً» . وَسَمِعْتُهُ مَرَّةً أُخْرَى يَقُولُ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ. فَلَا أَدْرِي أَكَانَ ذَلِكَ وَهْمًا أَوْ شَيْئًا سَمِعَهُ بَعْدَ ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ২৩০৬
وَقَدْ رَوَى الطَّبَرَانِيُّ عَنِ الدَّبَرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: «غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ غَزْوَةً» . وَقَالَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سَلَّامٍ، ثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ غَزْوَةً» . وَقَدْ رَوَى الْحَاكِمُ مِنْ طَرِيقِ هِشَامٍ، عَنْ قَتَادَةَ أَنَّ مَغَازِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَرَايَاهُ كَانَتْ ثَلَاثًا وَأَرْبَعِينَ. ثُمَّ قَالَ الْحَاكِمُ: لَعَلَّهُ أَرَادَ السَّرَايَا دُونَ الْغَزَوَاتِ، فَقَدْ ذَكَرْتُ فِي " الْإِكْلِيلِ "، عَلَى التَّرْتِيبِ، بُعُوثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَرَايَاهُ زِيَادَةً عَلَى الْمِائَةِ. قَالَ: وَأَخْبَرَنِي الثِّقَةُ مِنْ أَصْحَابِنَا بِبُخَارَى أَنَّهُ قَرَأَ فِي كِتَابِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدِ بْنِ نَصْرٍ السَّرَايَا وَالْبُعُوثَ دُونَ الْحُرُوبِ نَيِّفًا وَسَبْعِينَ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ الْحَاكِمُ غَرِيبٌ جِدًّا وَحَمْلُهُ كَلَامَ قَتَادَةَ عَلَى مَا قَالَ، فِيهِ نَظَرٌ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ أَزْهَرَ بْنِ الْقَاسِمِ الرَّاسِبِيِّ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتُوَائِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ أَنَّ مَغَازِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَرَايَاهُ ثَلَاثٌ وَأَرْبَعُونَ، أَرْبَعٌ وَعِشْرُونَ بَعْثًا وَتِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً خَرَجَ فِي ثَمَانٍ مِنْهَا بِنَفْسِهِ، بَدْرٍ، وَأُحُدٍ،
পৃষ্ঠা - ২৩০৭


পায্ওয়া ও সারিয়ার মোট সংখ্যা ৪৩টি ৷ ২৪টি মারিয়া আর ১৯টি গাযুওয়া ৷ এর মধ্যে ৮টিতে
যুদ্ধ হয়েছে ৷ সেগুলো হলো : বদর, উহুদ, আহযাব, মুরায়সী, খায়বর, মক্কা বিজয় এবং
হুনায়ন ৷ আর মুসা ইবন উকবা যুহ্রী সুত্রে বলেন : এগুলো হলো রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর গায্ওয়া ,
যেগুলােতে তিনি শরীক ছিলেন এবং যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ৷ দ্বিতীয় সনে বদরের যুদ্ধ রমাযান
মাসে ৷ এরপর তৃতীয় সনে শাওয়াল মাসে উহুদে তিনি লড়াই করেন ৷ এরপর তিনি লড়াই
করেন খন্দকের যুদ্ধে ৷ এটাকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয় ৷ ইিজরী ৪র্থ সনের শাওয়াল মাসে
বনী কুরায়যা, এরপর ৫ম সনে শাবান মাসে তিনি বনী মুসৃতালিক ও বনী লিহ্ইয়ানের যুদ্ধে
অংশ্যাহণ করেন ৷ ষষ্ঠ সনে তিনি খায়বর যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেন, ৮ম সনে (মক্কা) বিজয়কালে
রমাযান মাসে তিনি অভিযান পরিচালনা করেন ৷ এরপর ৷:-ম সনে শাওয়াল মাসে তিনি
হুনায়নের যুদ্ধ লড়েন ও তারপর তাইফ অবরোধ করেন ৷ আর নবম সনে আবু বকর (রা)-এর
নেতৃত্বে হজ্জ পালিত হয় ৷ আর দশম সনে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বিদায় হজ্জ করেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ্
(না) ১ ২টা পায্ওয়ায় অংশগ্রহণ করেন, যেগুলোতে কোন যুদ্ধ হয়নি ৷ প্রথম যে পায্ওয়ায়
রাসুলুল্লাহ্ (সা) অংশ্যাহণ করেন, তা ছিল আবওয়ার অভিযান ৷

হাম্বল ইবন হিলাল যুহ্রীর বরাতে বলেন : যুদ্ধ সম্পর্কে প্রথম যে আয়াতটি নাযিল হয়
তা হলো :াটুট্রুাট্রুা;ৰু

“যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়, তাদেরকে অনুমতি দেয়া হল, কারণ, তারা মজলুম”-
আঘাতের শেষ পর্যন্ত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমনের পর এ আয়াত নাযিল হয় ৷ আর
সর্বপ্রথম যে যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) শরীক হন, তা ছিল বদর য়ুদ্ধ ১ ৭ রমাযান শুক্রবার ৷ তিনি
বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনী নাযীরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ৷ এরপর শাওয়াল মাসে উহুদ
যুদ্ধ করেন অর্থাৎ তৃতীয় সনে ৷ এরপর ৪র্থ সনে শাওয়াল মাসে খন্দক যুদ্ধ করেন ৷ পরে ৫ম
সনে শা’বান মাসে বনী লিহ্ইয়ানের যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেন ৷ ৬ষ্ঠ সনে খায়বর যুদ্ধ এবং ৮ম
সনে শাবান মাংস মক্কা বিজয়ের অভিযানে নেতৃতৃ দেন ৷ ৮ম সনে রমাযান মাসে হুনায়নের যুদ্ধ
হয় ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১১টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, যেগুলোতে কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সর্বপ্রথম যে গায্ওয়ায় অংশ নেন, তা হলো আবওয়া, এরপর আল-আশীরা,
তারপর গায্ওয়া গাতফান, তারপর পায্ওয়া বনী সুলায়ম, এরপর পায্ওয়া আল-আবৃওয়া,
এরপর পায্ওয়া বদর আল-উলা (প্রথম বদর যুদ্ধ) , তারপর গাঘৃওয়া তাইফ, তারপর গাঘৃওয়া
হুদায়বিয়া, তারপর পায্ওয়া সাফরা, এরপর গায্ওয়া তাবুক ছিল তার শেষ অভিযান ৷ এরপর
তিনি সারিয়াসমুহের উল্লেখ করেন ৷ হাফিয ইবন আসাকির-এর ইতিহাস গ্রন্থ থেকে নিয়ে আমি
এটি লিপিবদ্ধ করেছি ৷ তবে এটি একটি বিরল বর্ণনা ৷ পরে আমরা ধারাবাহিকভাবে যা লিখবাে,
তা-ই সঠিক ও বিশুদ্ধ ৷

আর সিয়ার ও মাপাযীর বিষয়টা অত্তীব গুরুত্বপুর্ণ ৷ এর প্রতি গুরুতৃ আরোপ করা, এ
থেকে শিক্ষা গ্রহণ এবং এর জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ আবশ্যক ৷ যেমন মুহাম্মদ ইবন উমর
আল-ওয়ড়াকিদী আলী ইবন হুসাইন সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন আমরা কুরআন


وَالْأَحْزَابِ، وَالْمُرَيْسِيعِ، وَقُدَيْدٍ، وَخَيْبَرَ، وَفَتْحِ مَكَّةَ، وَحُنَيْنٍ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ: هَذِهِ مَغَازِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي قَاتَلَ فِيهَا، يَوْمَ بَدْرٍ فِي رَمَضَانَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ ثُمَّ قَاتَلَ يَوْمَ أُحُدٍ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ، ثُمَّ قَاتَلَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ - وَهُوَ يَوْمُ الْأَحْزَابِ وَبَنِي قُرَيْظَةَ - فِي شَوَّالٍ مِنْ سَنَةِ أَرْبَعٍ، ثُمَّ قَاتَلَ بَنِي الْمُصْطَلِقِ وَبَنِي لِحْيَانَ فِي شَعْبَانَ مِنْ سَنَةِ خَمْسٍ ثُمَّ قَاتَلَ يَوْمَ خَيْبَرَ سَنَةَ سِتٍّ، ثُمَّ قَاتَلَ يَوْمَ الْفَتْحِ فِي رَمَضَانَ سَنَةَ ثَمَانٍ، ثُمَّ قَاتَلَ يَوْمَ حُنَيْنٍ، وَحَاصَرَ أَهْلَ الطَّائِفِ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَمَانٍ، ثُمَّ حَجَّ أَبُو بَكْرٍ سَنَةَ تِسْعٍ، ثُمَّ حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ سَنَةَ عَشْرٍ، وَغَزَا ثِنْتَيْ عَشْرَةَ غَزْوَةً وَلَمْ يَكُنْ فِيهَا قِتَالٌ، وَكَانَتْ أَوَّلُ غَزْوَةٍ غَزَاهَا الْأَبْوَاءَ. وَقَالَ حَنْبَلُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ هِلَالِ بْنِ الْعَلَاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ الرَّقِّيِّ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ مَازِنٍ الْيَمَانِيِّ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَوَّلُ آيَةٍ نَزَلَتْ فِي الْقِتَالِ: {أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا} [الحج: 39] الْآيَةَ [الْحَجِّ: 39] بَعْدَ مَقْدَمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ فَكَانَ أَوَّلُ مَشْهَدٍ شَهِدَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَدْرٍ يَوْمَ الْجُمْعَةِ، لِسَبْعَ عَشْرَةَ مِنْ رَمَضَانَ. إِلَى أَنْ قَالَ: ثُمَّ غَزَا بَنِي النَّضِيرِ ثُمَّ غَزَا أُحُدًا فِي شَوَّالٍ - يَعْنِي مِنْ سَنَةِ ثَلَاثٍ - ثُمَّ قَاتَلَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ ثُمَّ قَاتَلَ بَنِي لِحْيَانَ فِي شَعْبَانَ سَنَةَ خَمْسٍ، ثُمَّ قَاتَلَ يَوْمَ خَيْبَرَ سَنَةَ سِتٍّ، ثُمَّ قَاتَلَ يَوْمَ الْفَتْحِ فِي شَعْبَانَ سَنَةَ ثَمَانٍ، وَكَانَتْ حُنَيْنٌ فِي رَمَضَانَ سَنَةَ ثَمَانٍ،
পৃষ্ঠা - ২৩০৮


মজীদের সুরা যেভাবে শিখভাম , সে ভাবে রাসুল (সা)-এর যুদ্ধের বিববণসমুহ সম্পর্কে শিক্ষা
লাভ করি ৷ ওয়াকিদী বলেন : আমি মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,
আমি আমার চাচা যুহ্রীকে বলতে শুনেছি : ইলমুল মাগাযী হচ্ছে এমনি এক ইল্ম, যাতে
নিহিত রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের জ্ঞান ৷

আর মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র ) ইয়ড়াহুদী মুনাফিকদের বড় বড় কাফিব সম্পর্কে আলোচনা
করার পর বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন দুশমনের সঙ্গে জিহাদের
জন্য আল্পাহ্র নির্দেশ অনুযায়ী ৷ আশপাশের মুশরিকদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য আল্লাহ্ র্তাকে
নির্দেশ দেন ৷ তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১ ২ই রবিউল আউয়াল সোমবার দুপুরের দিকে
মদীনায় আগমন করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বয়স তখন ছিল ৫৩ বছর ৷ এটা ছিল
নুবুওয়াতপ্রাপ্তির ১৩ বছর পরের ঘটনা ৷ রবিউল আউয়াল মাসের অবশিষ্ট দিনগুলো, রবিউছ
ছানী, জুমদােল উলা ও জুমাদাছ ছানী, রজব, শাবান, রমড়াযান, শাওয়াল , যিলকাদ ও যিলহাজ্জ
অর্থাৎ বছরের শেষাবধি তিনি মদীনায় অবস্থান করেন ৷ এ বছর হজ্ঞেৰুর কর্তৃতু মুশরিকদের হাতে
ছিল ৷ মুহাররম মাসও তিনি এভাবে কাটালেন ৷ মদীনায় আগমনের ১২ মাসের মাথায় সফর
মাসে তিনি মুজাহিদের বেশে বের হন ৷ ইবন হিশাম বলেন : এ সময় তিনি সাআদ ইবন
উবাদাকে মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করে যান ৷ ইবন ইসহাক বলেন, তিনি ওয়াদ্দান পর্যন্ত
পৌছেন; এটাকে আব্ওয়ার যুদ্ধ বলা হয়ে থাকে ৷ ইবন জারীর বলেন : এটাকে ওয়াদ্দানের
যুদ্ধও বলা হয় ৷ তিনি কুরায়শ এবং বনী যামরা ইবন বকর ইবন আবদ মানাত ইবন কিনানার
উদ্দেশ্যে বহির্গত হন ৷ এখানে তিনি বনী যামরার সাথে সমঝোতা করেন এবং বনী যামরার পক্ষ
থেকে মাখৃশী ইবন আম্র যামরী উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যন্থতা করেন ৷ সে সময় ইনিই ছিলেন
তাদের নেতা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় ফিরে আসেন, কোন সংঘাতের মুখোমুখি হননি ৷ সফর
মাসের অবশিষ্ট দিনগুলাে এবং রবিউল আউয়ালের প্রাথমিক দিনগুলাে তিনি মদীনায় অবস্থান
করেন ৷ ইবন হিশাম বলেন : এটা ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রথম গায্ওয়া ৷ আর ওয়াকিদী
বলেন ;; তার পতাকা ছিল চাচা হড়ামযার হাতে এবং তীর পতাকা ছিল সাদা বঙ্গের ৷

উবায়দা ইবন হাবিছের অভিযান

ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (সা) মদীনায় অবস্থানকালে উবায়দা ইবন হারিছ ইবন
মুত্তালিব ইবন আবদ্ মানাফ ইবন কুসাইকে ৬০ জন যা ৮০ জনের বাহিনীসহ প্রেরণ করেন ৷ এ
বাহিনীর সকলেই ছিলেন অশ্বারোহী এবং মুহাজির ৷ তাদের মধ্যে কোন আনসরীি ছিলেন না ৷ এ
বাহিনী রওনা হয়ে চলতে চলতে ছানিয়ড়াতুল মুররার’ নিস্নাঞ্চলে একটা কৃয়াের নিকট পৌছে ৷
সেখানে কুরায়শের এক বিশাল দলের মুখোমুখি হয় ৷ তবে সেখানে কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷ অবশ্য
সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস এ সময় একটা তীর নিক্ষেপ করেন ৷ আর এটা ছিল ইসলামের
ইতিহাসে আল্লাহর রাস্তায় নিক্ষিপ্ত প্রথম তীর ৷ এরপর সকলে সেখান থেকে ফিরে আসেন ৷
মুসলমানরা তখন ছিলেন হর্যোৎফুল্ল ৷ এ সময় বনু যুহ্রার মিত্র মিকদাদ ইবন আমর
আল-বাহরানী এবং বনু নাওফিল ইবন আবদ মড়ানাফের মিত্র উতবা ইবন গায্ওয়ান ইবন জাবির
আল-মাযিনী মুশরিকদের দল থেকে পলায়ন করে মুসলমানদের দলে যোগ দেন ৷ এরা উভয়েই


وَغَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِحْدَى عَشْرَةَ غَزْوَةً لَمْ يُقَاتِلْ فِيهَا، فَكَانَتْ أَوَّلُ غَزْوَةٍ غَزَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَبْوَاءَ، ثُمَّ الْعُشَيْرَةَ ثُمَّ غَزْوَةَ غَطَفَانَ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَنِي سُلَيْمٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ الْأَبْوَاءَ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَدْرٍ الْأُولَى، ثُمَّ غَزْوَةَ الطَّائِفِ، ثُمَّ غَزْوَةَ الْحُدَيْبِيَةِ، ثُمَّ غَزْوَةَ الصَّفْرَاءِ، ثُمَّ غَزْوَةَ تَبُوكَ آخِرَ غَزْوَةٍ. ثُمَّ ذَكَرَ الْبُعُوثَ. هَذَا كَتَبْتُهُ مِنْ تَارِيخِ الْحَافِظِ ابْنِ عَسَاكِرَ وَهُوَ غَرِيبٌ جِدًّا، وَالصَّوَابُ مَا سَنَذْكُرُهُ فِيمَا بَعْدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ مُرَتَّبًا. وَهَذَا الْفَنُّ مِمَّا يَنْبَغِي الِاعْتِنَاءُ بِهِ وَالِاعْتِبَارُ بِأَمْرِهِ وَالتَّهَيُّؤُ لَهُ، كَمَا رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ يَقُولُ: كُنَّا نُعَلَّمُ مَغَازِيَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا نُعَلَّمُ السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: سَمِعْتُ عَمِّي الزُّهْرِيَّ يَقُولُ فِي عِلْمِ الْمَغَازِي: عِلْمُ الْآخِرَةِ وَالدُّنْيَا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي " الْمَغَازِي " بَعْدَ ذِكْرِهِ مَا تَقَدَّمَ مِمَّا سُقْنَاهُ عَنْهُ مِنْ تَعْيِينِ رُءُوسِ الْكُفْرِ مِنَ الْيَهُودِ وَالْمُنَافِقِينَ، لَعَنَهُمُ اللَّهُ أَجْمَعِينَ وَجَمَعَهُمْ فِي أَسْفَلِ سَافِلِينَ: ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَهَيَّأَ لِحَرْبِهِ، وَقَامَ فِيمَا أَمَرَهُ اللَّهُ بِهِ مِنْ جِهَادِ عَدُوِّهِ وَقِتَالِ مَنْ أَمَرَهُ بِهِ مِمَّنْ يَلِيهِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ.
পৃষ্ঠা - ২৩০৯
قَالَ: وَقَدْ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ حِينَ اشْتَدَّ الضَّحَاءُ، وَكَادَتِ الشَّمْسُ تَعْتَدِلُ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً مَضَتْ مِنْ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ ابْنُ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ سَنَةً، وَذَلِكَ بَعْدَ أَنْ بَعَثَهُ اللَّهُ بِثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً، فَأَقَامَ بَقِيَّةَ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَشَهْرَ رَبِيعٍ الْآخِرِ، وَجُمَادَيَيْنِ، وَرَجَبًا، وَشَعْبَانَ، وَشَهْرَ رَمَضَانَ، وَشَوَّالًا، وَذَا الْقَعْدَةِ، وَذَا الْحِجَّةِ - وَوَلِيَ تِلْكَ الْحَجَّةَ الْمُشْرِكُونَ - وَالْمُحَرَّمَ، ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَازِيًا فِي صَفَرٍ عَلَى رَأْسِ اثْنَيْ عَشَرَ شَهْرًا مِنْ مَقْدَمِهِ الْمَدِينَةَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَتَّى بَلَغَ وَدَّانَ، وَهِيَ غَزْوَةُ الْأَبْوَاءِ - قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَيُقَالُ لَهَا: غَزْوَةُ وَدَّانَ - أَيْضًا يُرِيدُ قُرَيْشًا وَبَنِي ضَمْرَةَ بْنِ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ مَنَاةَ بْنِ كِنَانَةَ فَوَادَعَتْهُ فِيهَا بَنُو ضَمْرَةَ، وَكَانَ الَّذِي وَادَعَهُ مِنْهُمْ مَخْشِيَّ بْنَ عَمْرٍو الضَّمْرِيَّ، وَكَانَ سَيِّدَهُمْ فِي زَمَانِهِ ذَلِكَ وَرَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَلَمْ يَلْقَ كَيْدًا، فَأَقَامَ بِهَا بَقِيَّةَ صَفَرٍ وَصَدْرًا مِنْ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَهِيَ أَوَّلُ غَزْوَةٍ غَزَاهَا، عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَ لِوَاؤُهُ مَعَ عَمِّهِ حَمْزَةَ وَكَانَ أَبْيَضَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مُقَامِهِ ذَلِكَ بِالْمَدِينَةِ عُبَيْدَةَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ فِي سِتِّينَ أَوْ ثَمَانِينَ رَاكِبًا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، لَيْسَ فِيهِمْ مِنَ الْأَنْصَارِ أَحَدٌ، فَسَارَ حَتَّى بَلَغَ مَاءً بِالْحِجَازِ بِأَسْفَلِ ثَنِيَّةِ
পৃষ্ঠা - ২৩১০


ছিলেন মুসলমান ৷ তবে কাফিরদের দলের সঙ্গে মিশে বেরিয়েছিলেন ৷ ইবন ইসহড়াক বলেন : এ
সময় মুশরিকদের দলপতি ছিল ইকরিমা ইবন আবু জাহ্ল ৷ পক্ষান্তরে ইবন হিশাম আবু আমর
ইবন আলা এবং আবু আমর আল-মদােনীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন যে , তখন ঘুশরিকদের দলপতি
ছিল মিক্রায ইবন হাফ্স ৷

আমার মতে, ওয়াকিদীর উদ্ধৃতি দিয়ে ইতেড়াপুর্বে দুটি উক্তি উল্লিখিত হয়েছে ৷ এক উক্তি
মতে মুশরিকদের দলপতি ছিল মিক্রায ৷ অপর উক্তি মতে তাদের দলপতি ছিল আবু সুফিয়ান
সাখৃর ইবন হার্ব ৷ তবে আবু সুফিয়ান সে বাহিনীর নেতা ছিলেন এ মতকেই তিনি প্রাধান্য
দেন ৷ এরপর ইবন ইসহাক এ বাহিনী সম্পর্কে একটা কসীদার উল্লেখ করেছেন, যা (আবু
বকর) সিদ্দীকের বলে কথিত আছে ৷ কাসীদাটির শুরু এই :

গ্লুা
তুমি কি সালমার কল্পনায় কোমল উপত্যকায় জন্ম নিয়েছ ? এবং সমাজে এক নব বিষয়
হিসাবে উদ্ভুত হয়েছ ?
তুমি লুয়াই গােত্রকে দেখতে পারে যে কোন উপদেশ বা কোন বাহিনী তাদেরকে কুফর
থেকে বিরত রাখে না ৷

তাদের কাছে এসেছেন এক সত্য রাসুল ৷ র্তড়ারুক তারা অস্বীকার করে এবং বলে তুমি
আমাদের মধ্যে থাকতে পারবে না ৷
আমরা তাদেরকে সত্যের দিকে ডাকলে তারা পেছনে ফিরে যায় এবং হীপানো কুকুরের
মতো ঘেউ ঘেউ করে পালায় ৷

দীর্ঘ এ কাসীদার জবাবে আবদুল্লাহ ইবন যাবআরীর একটি কাসীদা বর্ণিত আছে, যার শুরু
এ রকম :
,
আমি কি এমন ব্যক্তির ধ্বংসন্তুপের নিকট আশাইছ নামক স্থানে ক্রন্দন করেছি এমন চক্ষু
দিয়ে, যায় অশ্রু অব্যাহত ধারায় প্রবাহিত হয় ?
কালের বিম্ময়, আর কাল তো সবটাই বিস্ময়, তা আগের হোক বা পরের হোক ৷
একটা বিদ্রোহী বাহিনী আমাদের নিকট এসেছে, যার নেতৃতৃ দিচ্ছে উবায়দা, যুদ্ধকালে
যাকে ডাকা হয় ইবন হারিছ বলে ৷


الْمَرَةِ، فَلَقِيَ بِهَا جَمْعًا عَظِيمًا مِنْ قُرَيْشٍ، فَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمْ قِتَالٌ، إِلَّا أَنَّ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَاصٍّ قَدْ رَمَى يَوْمَئِذٍ بِسَهْمٍ فَكَانَ أَوَّلَ سَهْمٍ رُمِيَ بِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فِي الْإِسْلَامِ، ثُمَّ انْصَرَفَ الْقَوْمُ عَنِ الْقَوْمِ وَلِلْمُسْلِمِينَ حَامِيَةٌ وَفَرَّ مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ الْمِقْدَادُ بْنُ عَمْرٍو الْبَهْرَانِيُّ حَلِيفُ بَنِي زُهْرَةَ، وَعُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ بْنِ جَابِرٍ الْمَازِنِيُّ حَلِيفُ بَنِي نَوْفَلِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ، وَكَانَا مُسْلِمَيْنِ، وَلَكِنَّهُمَا خَرَجَا لِيَتَوَصَّلَا بِالْكُفَّارِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ يَوْمَئِذٍ عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ. وَرَوَى ابْنُ هِشَامٍ، عَنْ أَبِي عَمْرِو بْنِ الْعَلَاءِ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الْمَدَنِيِّ أَنَّهُ قَالَ كَانَ عَلَيْهِمْ مِكْرَزُ بْنُ حَفْصٍ قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ عَنْ حِكَايَةِ الْوَاقِدِيِّ قَوْلَانِ، أَحَدُهُمَا أَنَّهُ مِكْرَزٌ وَالثَّانِي أَنَّهُ أَبُو سُفْيَانَ صَخْرُ بْنُ حَرْبٍ وَأَنَّهُ رَجَّحَ أَنَّهُ أَبُو سُفْيَانَ فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ الْقَصِيدَةَ الْمَنْسُوبَةَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فِي هَذِهِ السَّرِيَّةِ الَّتِي أَوَّلُهَا: أَمِنْ طَيْفِ سَلْمَى بِالْبِطَاحِ الدَّمَائِثِ ... أَرِقْتَ وَأَمْرٌ فِي الْعَشِيرَةِ حَادِثِ تَرَى مِنْ لُؤَيٍّ فِرْقَةً لَا يَصُدُّهَا ... عَنِ الْكُفْرِ تَذْكِيرٌ وَلَا بَعْثُ بَاعِثِ رَسُولٌ أَتَاهُمْ صَادِقٌ فَتَكَذَّبُوا ... عَلَيْهِ وَقَالُوا لَسْتَ فِينَا بِمَاكِثِ
পৃষ্ঠা - ২৩১১


(আমাদেরকে আহ্বান করে যে,) আমরা যেন মক্কায় বিসর্জা৷ দেই মুর্তিপুজা, যা সম্রান্তদেব
, জন্যে উত্তম উত্তরাধিকার ৷

তিনি দীর্ঘ কাসীদাটি উল্লেখ করেছেন ৷ আমরাও পুরোটাই উদ্ধৃত করতাম, তবে বাধ
সেধেছে এই যে, ভাষায় পণ্ডিত ইমাম আবদুল মালিক ইবন হিশাম উল্লেখ করেছেন যে,
অধিকাংশ জ্ঞানীরা এ কাসীদাদ্বয়কে অস্বীকার করেছেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, সাআদ ইবন
আবু ওয়াক্কাস তার যে তীর নিক্ষেপ সম্পর্কে এ কবিতা আবৃত্তি করেছেন বলে ঐতিহাসিকরা
উল্লেখ করেন :

৷ ট্টো ১৷ ৷
রাসুলুল্লাহ্ কি খবর পেয়েছেন যে, আমি আমার সঙ্গীদের সহায়তা করেছি আমার তীরের
অগ্রভাগ দ্বারা ?
আমি সেগুলো দিয়ে প্রতিরোধ করে চলেছি তাদের অগ্রবর্তীদেরকে প্রতেৰুক প্রস্তরময় এবং
নরম ভুমিতে ৷
হে আল্লাহ্র রাসুল ! আমার আগে কোন তীর নিক্ষেপকারী দুশমনের জন্যে তীর তৈয়ার
করেনি ৷
এ্যাএএ
আর তা এ জন্যে যে, আপনার দীন সত্য দীন এবং আপনার আনীত দীন সত্য, তাই
সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী ৷
তা দ্বারা মু’মিনরা পাবে নাজাত আর কাফিররা হবে লাঞ্ছিত অপেক্ষা-স্থলে ৷
৷ এ ১াম্পে

হে (ইকরামা) ইবন আবু জাহ্ল! ধিক তোমাকে ! আমাকে তিরস্কার করবে না যে, আমি
গোমরাহ করেছি গোত্রকে ৷

ইবন হিশাম বলেন, কবিতা বিষয়ে যাদের জ্ঞান আছে, তাদের অধিকাৎশ এ পংক্তিগুলাে
সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাসের বলে স্বীকার করেন না ৷ ইবন ইসহাক বলেন ষ্ক উবায়দার পতাকা
ছিল ইসলামে প্রথম পতাকা, যা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোন মুসলমানের নিকট নিজ হাতে অর্পণ
করেছেন ৷ পক্ষান্তরে যুহ্রী, মুসা ইবন উকবা এবং ওয়াকিদী এ মতের বিরোধিতা করেন ৷
তাদের মতে হাম্যার বাহিনী উবায়দা ইবন হারিছের বাহিনীর পুর্বেই প্রেরিত হয়েছিল ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷ সাআদ ইবন আবু ওযাক্কাস প্রসঙ্গে উল্লিখিত হবে যে, সারিয়ার আমীরদের মধ্যে
প্রথম ছিলেন আবদুল্লাহ্ ইবন জাহাশ আসাদী ৷


إِذَا مَا دَعَوْنَاهُمْ إِلَى الْحَقِّ أَدْبَرُوا ... وَهَرُّوا هَرِيرَ الْمُحْجَرَاتِ اللَّوَاهِثِ الْقَصِيدَةَ إِلَى آخِرِهَا، وَذَكَرَ جَوَابَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزِّبَعْرَى فِي مُنَاقَضَتِهَا الَّتِي أَوَّلُهَا: أَمِنْ رَسْمِ دَارٍ أَقْفَرَتْ بِالْعَثَاعِثِ ... بَكَيْتَ بِعَيْنٍ دَمْعُهَا غَيْرُ لَابِثِ وَمِنْ عَجَبِ الْأَيَّامِ وَالدَّهْرُ كُلُّهُ ... لَهُ عَجَبٌ مِنْ سَابِقَاتٍ وَحَادِثِ لِجَيْشٍ أَتَانَا ذِي عُرَامٍ يَقُودُهُ ... عُبَيْدَةُ يُدْعَى فِي الْهِيَاجِ ابْنَ حَارِثِ لِنَتْرُكَ أَصْنَامًا بِمَكَّةَ عُكَّفًا مَوَارِيثَ مَوْرُوثٍ كَرِيمٍ لِوَارِثِ وَذَكَرَ تَمَامَ الْقَصِيدَةِ وَمَا مَنَعَنَا مِنْ إِيرَادِهَا بِتَمَامِهَا إِلَّا أَنَّ الْإِمَامَ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ هِشَامٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ - وَكَانَ إِمَامًا فِي اللُّغَةِ - ذَكَرَ أَنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ يُنْكِرُ هَاتَيْنِ الْقَصِيدَتَيْنِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ: سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ فِي رَمْيَتِهِ تِلْكَ فِيمَا يَذْكُرُونَ: أَلَا هَلَ اتَى رَسُولَ اللَّهِ أَنِّي ... حَمَيْتُ صَحَابَتِي بِصُدُورِ نَبْلِي أَذُودُ بِهَا أَوَائِلَهُمْ ذِيَادًا ... بِكُلِّ حُزُونَةٍ وَبِكُلِّ سَهْلِ
পৃষ্ঠা - ২৩১২
فَمَا يَعْتَدُّ رَامٍ فِي عَدُوٍّ ... بِسَهْمٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَبْلِي وَذَلِكَ أَنَّ دِينَكَ دِينُ صِدْقٍ ... وَذُو حَقٍّ أَتَيْتَ بِهِ وَفَضْلِ يُنَجَّى الْمُؤْمِنُونَ بِهِ وَيُخْزَى ... بِهِ الْكُفَّارُ عِنْدَ مَقَامِ مَهْلِ فَمَهْلًا قَدْ غَوَيْتَ فَلَا تَعِبْنِي ... غَوِيَّ الْحَيِّ وَيْحَكَ يَا بْنَ جَهْلِ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَأَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ يُنْكِرُهَا لِسَعْدٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فَكَانَتْ رَايَةُ عُبَيْدَةَ - فِيمَا بَلَغْنَا - أَوَّلَ رَايَةٍ عَقَدَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْإِسْلَامِ لِأَحَدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. وَقَدْ خَالَفَهُ الزُّهْرِيُّ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَالْوَاقِدِيُّ، فَذَهَبُوا إِلَى أَنَّ بَعْثَ حَمْزَةَ قَبْلَ بَعْثِ عُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَيَأْتِي فِي حَدِيثِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنَّ أَوَّلَ أُمَرَاءِ السَّرَايَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ الْأَسَدِيُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَبَعْضُ الْعُلَمَاءِ يَزْعُمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَهُ حِينَ أَقْبَلَ مِنْ غَزْوَةِ الْأَبْوَاءِ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَى الْمَدِينَةِ. وَهَكَذَا حَكَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ.