আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ذكر ما وقع في السنة الأولى من الهجرة النبوية من الحوادث والوقائع العظيمة

فصل في عقد رسول الله صلى الله عليه وسلم لواء لسعد بن أبي وقاص

পৃষ্ঠা - ২২৮৯


ছেড়োছুড়ি হয়, কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷ ওয়াকিদী বলেন, মুশরিকরা সংখ্যায় ছিল দু’শ’ জন এবং
তাদের নেতা ছিল আবু সুফিয়ান সাখৃর ইবন হারব ৷ আমাদের মতে এটাই বিশুদ্ধ কথা ৷ কেউ
কেউ বলেন যে, তাদের নেতা ছিল মুক্রিয ইবন হাফ্স ৷
অনুচ্ছেদ
সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা)-এর অভিযান

ওয়াকিদী বলেন : এ বছর অর্থাৎ হিজরী প্রথম সালে যিলকাদ মাসে রাসুল (সা) সাআদ
ইবন আবু ওয়াক্কাসকে খারার অভিমুখে প্রেরণ করেন ৷ এ দলের সাদা পতাকা বহন করেন
মিকদাদ ইবন আসওয়াদ (রা) ৷ আবু বকর ইবন ইসমাঈল তার পিতা সুত্রে আমির ইবন
সাআদেৱ বরাতে বলেন, ২০ বা ২১ জন মুজাহিদ নিয়ে আমি বের হই ৷ দিনের বেলা আমরা
লুকিয়ে থড়াকতড়াম এবং রাতের বেলা সফর করতাম ৷ পঞ্চম দিন ভোরে আমরা খারার’ পৌছি
এবং বাবার অতিক্রম না করার জন্য রাসুল (সা) আমাকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেছিলেন ৷ কুরায়শের
কাফেলা একদিন পুকেহ এ জায়গাটি অতিক্রম করে যায় ৷ বণিক দলে ছিল ৭০ জন লোক আর
সাআদেৱ সঙ্গে যীরা ছিলেন, র্তাদের সকলেই ছিলেন মুহাজির ৷ আবু জাফর ইবন জারীর (র)
বলেন, ইবন ইসহাকের মতে ওয়াকিদী বর্ণিত পুর্বোক্ত তিনটি অভিযানই সংঘটিত হয় তৃতীয়
হিজরীতে ৷ আমার মতে ইবন ইসহাকের এ উক্তিটি দ্ব্যর্থহীন নয়, চিন্তা-ভাবনাকারী ব্যক্তি এটা
অনুধাবন করতে পারবে ৷ প্রথম হিজরী সনের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে কিতাবুল মাপাযীর শুরুতে এ
সম্পর্কে আমরা আলোচনা করবো ৷ এর পরই ইনশাআল্লাহ্ সে আলোচনা আসবে ৷ এটাও তার
লক্ষ্য হতে পারে যে, এসব অভিযান সংঘটিত হয়েছে প্রথম সনে ৷ সেখানে পৌছে এ বিষয়ে
আমরা আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো ৷ আর ওয়াকিদীর নিকট অতিরিক্ত উত্তম তথ্য
রয়েছে ৷ আর সম্ভবত তার রয়েছে লিখিত ইতিহাস ৷ এবং তিনি ইতিহাস বিষয়ের অন্যতম মহান
ইমাম ৷ এমনিতে তত্ত্বগত ভাবে তিনি সত্যবাদী, তবে তার বর্ণনায় অতিকথন থাকে ৷
অড়াত-তড়াক্মীল ফী মারিফাতিছ ছিকাত ওয়ায-যুআফা ওয়াল মাজাহীল’ নামক গ্রন্থে তার
গ্রহণযোগ্যতা ও তার বিরুপ সমালোচনা সম্পর্কে সবিস্তারে আলোচনা করেছি ৷

অনুম্মেদ

এই মুবারক বছর অর্থাৎ হিজরী প্রথম সালে মারা জনআেহণ করেছেন, তাদের সর্ব প্রথমজন
হলেন আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ৷ তার আম্মা আসমা এবং খালা আইশার বরাতে বুখারী এ কথা
বর্ণনা করেছেন ৷ তীর মাতা আসমা (বা) এবং খালা উন্মুল মু’মিনীন আইশা (রা) এরা উভয়েই
হলেন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর কন্যা ৷ কেউ কেউ বলেন নুমান ইবন বাশীর তীর
(আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র) ৬ মাস পুর্বে জন্মগ্রহণ করেন ৷ এ মত অনুযায়ী আবদুল্লাহ্ ইবন
যুবায়র হিজরতের পর মুহাজিরদের মধ্যে প্রথম নবজাত শিশু ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তারা
উভয়েই দ্বিতীয় হিজরী সনে জন্মগ্রহণ করেছেন ৷ প্রথমােক্ত মতই স্পষ্ট, যা আমরা ইতােপুর্বে


[فَصْلٌ فِي عَقْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِوَاءً لِسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ] فَصْلٌ قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا - يَعْنِي فِي السَّنَةِ الْأُولَى فِي ذِي الْقَعْدَةِ - عَقَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ إِلَى الْخَرَّارِ لِوَاءً أَبْيَضَ يَحْمِلُهُ الْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ، فَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: خَرَجْتُ فِي عِشْرِينَ رَجُلًا عَلَى أَقْدَامِنَا - أَوْ قَالَ: أَحَدٍ وَعِشْرِينَ رَجُلًا - فَكُنَّا نَكْمُنُ النَّهَارَ وَنَسِيرُ اللَّيْلَ، حَتَّى صَبَّحْنَا الْخَرَّارَ صُبْحَ خَامِسَةٍ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ عَهِدَ إِلَيَّ أَنْ لَا أُجَاوِزَ الْخَرَّارَ، وَكَانَتِ الْعِيرُ قَدْ سَبَقَتْنِي قَبْلَ ذَلِكَ بِيَوْمٍ،» قَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَتِ الْعِيرُ سِتِّينَ، وَكَانَ مَنْ مَعَ سَعْدٍ كُلُّهُمْ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ. قَالَ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ: وَعِنْدَ ابْنِ إِسْحَاقَ، أَنَّ هَذِهِ السَّرَايَا الثَّلَاثَ - الَّتِي ذَكَرَهَا الْوَاقِدِيُّ - كُلَّهَا فِي السَّنَةِ الثَّانِيَةِ مِنَ الْهِجْرَةِ مِنْ وَقْتِ التَّارِيخِ. قُلْتُ: كَلَامُ ابْنِ إِسْحَاقَ لَيْسَ بِصَرِيحٍ - فِيمَا قَالَهُ أَبُو جَعْفَرٍ، لِمَنْ تَأَمَّلَهُ - كَمَا سَنُورِدُهُ فِي أَوَّلِ كِتَابِ الْمَغَازِي، فِي أَوَّلِ السَّنَةِ الثَّانِيَةِ مِنَ الْهِجْرَةِ،