আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ذكر ما وقع في السنة الأولى من الهجرة النبوية من الحوادث والوقائع العظيمة

فصل: وبنى رسول الله صلى الله عليه وسلم بعائشة في شوال من هذه السنة

পৃষ্ঠা - ২২৮০


পৌছেছিল যে, তারা মুসলমানদেরকে জাদু করেছে, যার ফলে হিজরতের পর তাদের কোন
সন্তান জন্ম নেবে না ৷ ইয়াহ্রদীদের কল্পিত ধারণাকে আল্লাহ্ মিথ্যা প্রতিপন্ন করলেন ৷

অনুচ্ছেদ
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হযরত আইশা (রা)-কে ঘরে ভোলা প্রসঙ্গে

ইমাম আহমদ ওয়াকী সুত্রে হযরত আইশা (রা) থেকে হাদীছ বর্ণনা করেন ৷ হযরত
আইশা (রা),বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) শাওয়াল মাসে আমাকে বিবাহ করেন এবং শাওয়াল মাসে
আমাকে ঘরে তুলে আনেন ৷ তাই রাসুল (সা )-এব সহধর্মিণীদের মধ্যে কে তার নিকট আমার
চাইতে অধিকতর প্রিয় ছিলেন ? আর এজ্যন্যই হযরত আইশা পসন্দ করতেন যে, শ্ৰীরা শাওয়াল
মাসেই স্বামীগৃহে গমন করুক ৷ মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজা সুফিয়ান ছাওরী সুত্রে
হাদীছটি বর্ণনা করেন এবং ইমাম তিরমিযী হাদীছটিকে হাসান-সহীহ্ বলে অভিহিত করে মন্তব্য
করেন যে, সুফিয়ান ছাওরীর সুত্র ছাড়া অন্য কোন সুত্র হাদীছটি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই ৷
এ হাদীছ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নবী করীম (সা)-এর সঙ্গে হযরত আইশা (রা)-এর বাসর
হিজরতের সাত বা আট মাস পরে হয়েছিল ৷ ইবন জারীর তাবারী এ দু’টি উক্তিই উল্লেখ
করেছেন ৷ ইতোপুর্বে হযরত সাওদার সঙ্গে নবী (সা)-এর বিবাহের বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করা
হয়েছে এবং কিভাবে এ বিবাহ সংঘটিত হয়েছে এবং হযরত আইশার সঙ্গে তার বাসরের
বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আর এ বাসর হয় মদীনা আগমনের পর সোকজনের
বর্তমানকালের অভ্যাসের বিপরীতে সুনেহ্’ নামক স্থানে দিনের বেলা ৷ নবী করীম (সা) কর্তৃক
শাওয়াল মাসে হযরত আইশা (রা)-এব সঙ্গে সংগত হওয়ার মধ্যে কিছু লোকের এ ধারণার
প্রতিবাদ রয়েছে যে, দুই ঈদের মধ্যবর্তী কালে (অর্থাৎ শাওয়াল মাসে) নববধুর সঙ্গে সংগত
হলে স্বামী-শ্ৰীর মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার আশংকা থাকে ৷ এ কারণে কেউ কেউ এ সময়ের
মিলনকে না-পসন্দ করতেন ৷ এ কথার কোন ভিত্তি নেই ৷ এ ধরনের উক্তির১ প্রতিবাদ করেই
হযরত আইশা (বা) বলেন : নবী (সা) আমাকে শাওয়াল মাসে বিবাহ করেছেন এবং শাওয়াল
মাসেই আমার সঙ্গে সংগত হয়েছেন ৷ সুতরাং তীর ত্রীদের মধ্যে কে তার নিকট আমার চেয়ে
প্রিয়তর ? এ থেকে বুঝা যায় যে, হযরত আইশা (বা) বুঝতে পেরেছেন যে, নবী (সা)-এর
শ্রীদের মধ্যে তিনি তার নিকট সবচেয়ে বেশী প্রিয় ৷ তার এ উপলব্ধি যথার্থ ৷ কারণ, এর পক্ষে
স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে ৷ প্রমাণ হিসাবে সহীহ্ বুখারীতে আমর ইবন আস (রা) থেকে বর্ণিত হড়াদীছ
দু’ঢিই যথেষ্ট ৷ উক্ত হাদীছে আছে, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনার নিকট প্রিয়তম
ব্যক্তি কে ? তিনি বললেন, আইশা ৷ আমি বললাম , পুরুষদের মধ্যে কে আপনার নিকট সবচেয়ে
বেশী প্রিয় ? তিনি বললেন, অইিশার পিতা ৷



১ আবু আসিম বলেন ;; অতীতকালে শাওয়াল মাসে প্লেপ রোগ ছড়িয়ে পড়ার কারণে লোকেরা এ মাসে শ্রী
সংপমকে অশুভ কর্ম মনে করতো ৷ তার এ উক্তি ঠিক হয়ে থাকলে এ ধারণা দুর করার জন্যই তিনি
শাওয়াল মাসে শ্রীদের সঙ্গে সংগত হন ৷ ইবন সাআদ তারকাত খ ৮ পৃ , ৬০


[فَصْلٌ: وَبَنَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَائِشَةَ فِي شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ] فَصْلٌ وَبَنَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَائِشَةَ فِي شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَوَّالٍ، وَبَنَى بِي فِي شَوَّالٍ، فَأَيُّ نِسَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَحْظَى عِنْدَهُ مِنِّي؟ وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَسْتَحِبُّ أَنْ تُدْخِلَ نِسَاءَهَا فِي شَوَّالٍ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ طُرُقٍ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ فَعَلَى هَذَا يَكُونُ دُخُولُهُ بِهَا، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بَعْدَ الْهِجْرَةِ بِسَبْعَةِ أَشْهُرٍ أَوْ ثَمَانِيَةِ أَشْهُرٍ. وَقَدْ حَكَى الْقَوْلَيْنِ ابْنُ جَرِيرٍ، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي تَزْوِيجِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بِسَوْدَةَ كَيْفِيَّةُ تَزْوِيجِهِ وَدُخُولِهِ بِعَائِشَةَ، بَعْدَ مَا قَدِمُوا الْمَدِينَةَ وَأَنَّ دُخُولَهُ بِهَا كَانَ بِالسُّنْحِ نَهَارًا. وَهَذَا خِلَافُ مَا يَعْتَادُهُ النَّاسُ الْيَوْمَ. وَفِي دُخُولِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بِهَا فِي شَوَّالٍ، رَدٌّ لِمَا يَتَوَهَّمُهُ بَعْضُ النَّاسِ مِنْ كَرَاهِيَةِ الدُّخُولِ بَيْنَ الْعِيدَيْنِ خَشْيَةَ الْمُفَارَقَةِ بَيْنَ
পৃষ্ঠা - ২২৮১
الزَّوْجَيْنِ، وَهَذَا لَيْسَ بِشَيْءٍ; لِمَا قَالَتْهُ عَائِشَةُ، رَادَّةً عَلَى مَنْ تَوَهَّمَهُ مِنَ النَّاسِ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ: تَزَوَّجَنِي فِي شَوَّالٍ، وَبَنَى بِي - أَيْ دَخَلَ بِي - فِي شَوَّالٍ، فَأَيُّ نِسَائِهِ كَانَ أَحْظَى عِنْدَهُ مِنِّي. فَدَلَّ هَذَا عَلَى أَنَّهَا فَهِمَتْ مِنْهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَنَّهَا أَحَبُّ نِسَائِهِ إِلَيْهِ، وَهَذَا الْفَهْمُ مِنْهَا صَحِيحٌ لِمَا دَلَّ عَلَى ذَلِكَ مِنَ الدَّلَائِلِ الْوَاضِحَةِ، وَلَوْ لَمْ يَكُنْ إِلَّا الْحَدِيثُ الثَّابِتُ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " «عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: " عَائِشَةُ ". قُلْتُ: مِنَ الرِّجَالِ؟ قَالَ: " أَبُوهَا ".»