আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ذكر ما وقع في السنة الأولى من الهجرة النبوية من الحوادث والوقائع العظيمة

فصل في بناء مسجده الشريف

পৃষ্ঠা - ২২৪০


;, ৷

সমস্ত প্রশংসা-ন্তুতির মালিক আল্লাহ্ তাআলা ৷ আমি তীর প্রশংসা করছি এবং তীর নিকট
সাহায্য প্রার্থনা করছি ৷ আমাদের নফসের অনিষ্ট আর আমলের ত্রুটি থেকে আমরা আল্লাহ্র
নিকট পানাহ্ চাইছি ৷ আল্লাহ্ যাকে হিদায়াত করেন তাকে গোমরাহ্ করার কেউ নেই ৷ আর
আল্লাহ্ যাকে গোমরাহ্ করেন তাকে হিদায়াত করার কেউ নেই ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্
ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই তিনি এক, তার কোন শরীক নেই আল্লাহর কালাম নিঃসন্দেহে
সবচেয়ে সুন্দর কথা ৷ আল্লাহ যার অন্তরকে সুশোতিত করেছেন এবং তাকে ইসলামে প্রবেশ
করিয়েছেন কুফরীর পর সে নিঃসন্দেহে সফলকাম হয়েছে ৷ অন্য মানুষের মধ্য থেকে আল্লাহ
তাকেই বাছাই করে নিয়েছেন ৷ আল্পাহ্র বাণী নিঃসন্দেহে সুন্দরতম বাণী এবং সবচেয়ে
গান্তীর্যপুর্ণও মর্মস্পর্শী বাণী ৷ আল্লাহ্ যাদেরকে ভালাবাসেন, তোমরা তাদেরকে ভালবাসবে ৷
তোমরা সর্বান্তঃকরণে আল্লাহ্কে ভালবাসবে ৷ আল্লাহ্র বাণী আর যিকির সম্পর্কে তোমরা
ক্লাস্তিবােধ করো না ৷ এ ব্যাপারে তোমাদের অন্তর যেন কঠিন ও কঠোর না হয় ৷ কারণ,
আল্লাহ্ যাকে মনোনীত করেন তার উত্তম নামকরণ করেন এবং উত্তম বান্দাদের মধ্যে তাকে
স্থান দান করেন, তাকে উত্তম কথা আর হালাল-হারামের জ্ঞান দান করেন ৷ সুতরাং তোমরা
আল্লাহ্র ইবাদত করবে এবং তার সঙ্গে কোন কিছুকেই শরীক করবে না ৷ আর তোমরা
আল্লাহ্কে ভয় করবে, ভয় করার মত এবং তোমরা মুখে যা বলবে, তার উত্তম বাণীতে
আল্লাহ্কে সত্য জ্ঞান করবে আর আল্লাহ্র আশিসে নিজেদের মধ্যে ভালবাসার বিনিময় করবে ৷
আল্লাহ্র সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করা আল্লাহ্কে ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ করে তোলে ৷

ওয়াস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাভুল্লড়াহ ওয়া বারাকাভুহু ৷

এ ভাষণও মুরসাল সুত্রে বণিতি ৷ তবে পুর্ববর্তী খুতবার এটি সমর্থক যদিও শব্দের
পার্থক্য রয়েছে ৷

অনুচ্ছেদ
মসজিদে নববী নির্মাণ এবং আবু আইউবের গৃহে অবস্থানকাল

আবু আইউব আনসারী (বা) এর গৃহে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অবস্থানের মেয়াদ সম্পর্কে
মতভেদ দেখা যায় ৷ ওয়াকিদী বলেন, সাত মাস; আর অন্যরা বলেন, এক মাসেরও কম সময় ৷
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইমাম বুখারী ইসহড়াক ইবন মানসুর সুত্রে আনাস ইবন মালিক (র) এর বরাতে বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করে মদীনায় উচু এলাকায় বনু আমর ইবন আওফ গোত্রে
অবতরণ করেন ৷ তিনি সেখানে ১৪ রাত্রি অবস্থান করেন ৷ তারপর বনু নাজ্জারের কাছে খবর


[فَصْلٌ فِي بِنَاءِ مَسْجِدِهِ الشَّرِيفِ] ِ فِي مُدَّةِ مُقَامِهِ بِدَارِ أَبِي أَيُّوبَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي مُدَّةِ مُقَامِهِ بِهَا; فَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: سَبْعَةُ أَشْهُرٍ. وَقَالَ غَيْرُهُ: أَقَلُّ مِنْ شَهْرٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ: حَدَّثَنَا أَبُو الْتَّيَّاحِ يَزِيدُ بْنُ حُمَيْدٍ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، نَزَلَ فِي عُلْوِ الْمَدِينَةِ فِي حَيٍّ يُقَالُ لَهُمْ: بَنُو عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، فَأَقَامَ فِيهِمْ أَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى مَلَأِ بَنِي النَّجَّارِ، فَجَاءُوا مُتَقَلِّدِي سُيُوفِهِمْ. قَالَ: وَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَاحِلَتِهِ، وَأَبُو بَكْرٍ رِدْفُهُ، وَمَلَأُ بَنِي النَّجَّارِ حَوْلَهُ، حَتَّى أَلْقَى بِفَنَاءِ أَبِي أَيُّوبَ. قَالَ: فَكَانَ يُصَلِّي حَيْثُ أَدْرَكَتْهُ الصَّلَاةُ، وَيُصَلِّي فِي مَرَابِضِ
পৃষ্ঠা - ২২৪১


প্রেরণ করলে তারা কোষবদ্ধ তরবারি সহ উপস্থিত হয় ৷ রড়াবী আনাস (রা) বলেন : আমি যেন
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে সওয়াবীর উপর দেখতে পাচ্ছি আর হযরত আবু বকর (রা ) তার পেছনে
সওয়ার আর বনু নাজ্জারের সরদারর৷ তীর আশপাশে ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি আবু আইউবের গৃহ
প্ৰাঙ্গণে অবস্থান নেন ৷ রড়াবী বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেখানে সময় হতে সেখানেই নামায
আদায় করে নিতেন ৷ তিনি রকরী রাখার ন্থানেও নামায আদায় করতেন ৷ রড়াবী বলেন, এরপর
তিনি (সা) মসজিদ নির্মাণ করার নির্দেশ দেন ৷ বনু নাজ্জারের নিকট পয়পৰু ম প্রেরণ করলে তারা
হাযির হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : হে বনু নাজ্জার ৷ তোমরা আমাকে এ বাগানের মুল্য
নির্ণয় করে দ ও ৷ তারা বললেনষ্ক না আল্লাহর কলম আমরা আল্লাহর নিকট ছাড়৷ কারো
নিকট থেকে এর মুল্য গ্রহণ করবো না ৷ রাবী বলেন, সেখানে কি ছিল আমি তােমাদেরকে
বলছি ৷ সেখানে ছিল মুশরিকদের কবর ৷ সেখানে ছিল ধ্বংসাবশেষ এবং খেজুর বাগান ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) নির্দেশে কবরগুলো নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয় ধ্বং সাবহ্বশযকে সমতল ভুমিতে
পরিণত করা হয় আর খেজুর গাছগুলাে ৷কেটে ফেলা হয় ৷ রড়াবী বলেন খেজুর গাছগুলো
সাবিবদ্ধ করে কিবলার দিকে রাখা হয় এবং দরজার চৌকাঠ দু’টি করা হয় পাথর দিয়ে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, পাথর বহনকালে র্তার৷ সকলে সমস্বরে সুর করে কবিতা আবৃত্তি করছিলেন
আর তাদের সঙ্গে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলছিলেন :
ণ্এো
“হে আল্লাহ! আখিরাতের মঙ্গল ছাড়া কোন মঙ্গল নেই , সৃতরাৎঙু ’মি সাহায্য কর আনসার
আর মুহাজিরগণকে ৷”

ইমাম বুখারী অন্য কয়েক স্থানেও হাদীছটি বর্ণনা করেন এবং ইমাম মুসলিম আবু আবদুস
সামাদ ও আবদুল ওয়ারিছ ইবন সাঈদ সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম বুখারীর বর্ণনায়
ইং৩ ৷পুর্বে যুহরী সুত্রে উরওয়া থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মসজিদের স্থানটি ছিল খেজুর শুকাবার
খল৷ ৷ দু জন ইয়াতীম ছিল স্থানটির মালিক, যায়৷ ছিল আসআদ ইবন যুরারার প্ৰতিপালনাধীন
আর সে ইয়াতীমদ্বয়ের নাম ছিল সালে এবং সুহায়ল ৷ রাসুলুল্লড়াহ্ (সা)ত তাদের নিকট মুল্য
জানতে চাইলে ভীর৷ বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (না)! আমরা মুল্য গ্রহণ করবো না, বরং জায়গাটি
আপনাকে হিবা করবো ৷ কিন্তু বাসুলুল্লাহ্ এভাবে হিবা বা দান হিসাবে স্থানটি গ্রহণ করতে
অস্বীকার করে ক্রয় করে নিয়ে তথায় মসজিদ নির্মাণ করান ৷ রড়াবী বলেন, সকলের সঙ্গে মাটি
বহনকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবৃত্তি করেন :

“এ বোঝা খায়বরের বোঝা নয়, হে বব, এটা অনেক পুত, অনেক পবিত্র ৷ ”
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরো বলেন ?


الْغَنَمِ، قَالَ: ثُمَّ أَمَرَ بِبِنَاءِ الْمَسْجِدِ، فَأَرْسَلَ إِلَى مَلَأِ بَنِي النَّجَّارِ فَجَاءُوا، فَقَالَ: " يَا بَنِي النَّجَّارِ، ثَامِنُونِي بِحَائِطِكُمْ هَذَا ". فَقَالُوا: لَا وَاللَّهِ لَا نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلَّا إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ: فَكَانَ فِيهِ مَا أَقُولُ لَكُمْ، كَانَتْ فِيهِ قُبُورُ الْمُشْرِكِينَ، وَكَانَتْ فِيهِ خِرَبٌ، وَكَانَ فِيهِ نَخْلٌ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقُبُورِ الْمُشْرِكِينَ فَنُبِشَتْ، وَبِالْخِرَبِ فَسُوِّيَتْ، وَبِالنَّخْلِ فَقُطِعَ. قَالَ: فَصَفُّوا النَّخْلَ قِبْلَةَ الْمَسْجِدِ، وَجَعَلُوا عِضَادَتَيْهِ حِجَارَةً. قَالَ: فَجَعَلُوا يَنْقُلُونَ ذَلِكَ الصَّخْرَ، وَهُمْ يَرْتَجِزُونَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُمْ يَقُولُ: " اللَّهُمَّ إِنَّهُ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الْآخِرَهْ ... فَانْصُرِ الْأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ " » وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَبْدِ الصَّمَدِ عَبْدِ الْوَارِثِ بْنِ سَعِيدٍ، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ الْمَسْجِدَ كَانَ مِرْبَدًا - وَهُوَ بَيْدَرُ التَّمْرِ - لِيَتِيمَيْنِ كَانَا فِي حِجْرِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ وَهُمَا سَهْلٌ وَسُهَيْلٌ، فَسَاوَمَهُمَا فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَا: بَلْ نَهَبُهُ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَأَبَى حَتَّى ابْتَاعَهُ مِنْهُمَا وَبَنَاهُ مَسْجِدًا. قَالَ: وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ يَنْقُلُ مَعَهُمُ التُّرَابَ، يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ২২৪২


“হে আল্লাহ! আখিরাতের পুরস্কারইতেড়া প্রকৃত পুরস্কার ৷ তাই তুমি রহম কর আনসার আর
মুহাজিরগণকে ৷”

মুসা ইবন উকবা উল্লেখ করেন যে, আসআদ ইবন যুরারা ইয়াভীমদ্বয়কে উক্ত স্থানের
পরিবর্তে বিয়াযা’ অঞ্চলে একটা খেজুর বাগান দান করেন ৷ তিনি একথাও উল্লেখ করেন যে,
কারো কারো মতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের নিকট থেকে স্থানটি ক্রয় করে নেন ৷

আমি অর্থাৎ (গ্রন্থকার) বলি, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক উল্লেখ করেন যে, খেজুর শুকাবার
খলাটি ছিল দু’জন ইয়াভীম বালকের যারা মুআয ইবন আফরার তত্ত্বাবধানে ছিল এবং তারা
ছিল আম্র এর পুত্র সাহল এবং সুহায়ল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইমাম বায়হাকী আবু বকর ইবন আবুদৃদুনইয়া সুত্রে হাসান-এর বরাতে বলেন ও রাসুলুল্লাহ্
(সা) মসজিদ নির্মাণ কার্য শুরু করলে সাহাবীগণ এ কাজে তাকে সহায়তা করেন এবং
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ও তাদের সঙ্গে ইট-পাথর বহন করছিলেন; এমনকি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বক্ষ
মুবারক ধুলা-মলিন হয়ে যায় ৷ তখন তিনি বলেন : তোমরা এটাকে মুসা (আ) এর ছাপরার মত
বানিয়ে দাও ৷ তখন আমি হাসানকে জিজ্ঞেস করলাম, মুসা (আ) এর ছাপরা কি জিনিস? তিনি
বললেন, উঠলে ছাদের নাগাল পাওয়া যায় ৷ এ বর্ণনড়াটি মুরসাল পর্যায়ের ৷ বায়হাকী (র) হাম্মাদ
ইবন সালামা সুত্রে উবদাের বরড়াতে বর্ণনা করেন যে, আনসারগণ কিছু অর্থ সংগ্রহ করে তা নিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বললেন :

ইয়া রাসুলাল্লাহ্! (এ টাকা দিয়ে) মসজিদ নির্মাণ করুন এবং তা সুশোভিত করুন ৷ আমরা
আর কতকাল এ ছাপরার তলে নামায আদায় করবো ? তখন আল্লাহর নবী (সা) বললেন :

আমরা তাই মুসার প্রতি আমার কোন অভক্তি নেই ৷ মুসা (আ)-এর ছাপরার ছাপড়া ৷ এ
সুত্রে হড়াদীছটি গরীব পর্যায়ের ৷ আবু দাউদ (র) মুহাম্মদ ইবন হাতিম সুত্রে ইবন উমর (রা)
এর বরাতে বলেন :

“রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আমলে মসজিদে নববীর খুটি ছিল খেজুর গাছের কাণ্ডের আর তার
উপরিভাগ অর্থাৎ ছাদ ছিল খেজুর পাতায় ৷ আবু বকর (রা) এর খিলাফত কালে তা নষ্ট হয়ে
গেলে খেজুরের কাণ্ড আর ডাল-পাতা দিয়ে তা পুনর্নিমাণ করা হয় ৷ উছমড়ান (রা)-এর
খিলাফতকালে তা নষ্ট হয়ে গেলে তা ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয় ৷ অদ্যাবধি অর্থাৎ গ্রন্থকারের
জীবদ্দশা পর্যন্ত তা বহাল আছে ৷ গ্রন্থকার বলেন, এ বর্ণনাটিও গরীব ৷

ইমাম আবু দাউদ মুজাহিদ ইবন মুসা সুত্রে ইবন উমর-এর বরাতে বর্ণনা করেন : ইবন
উমর (রা) বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আমলে মসজিদে নববী ছিল
ইট দ্বারা নির্মিত আর তার ছাদ ছিল খেজুর পাতায় এবং তার খুটি ছিল খেজুর কাঠের ৷ আবু
বকর (রা) তাতে কোন সংযোজন করেননি ৷ উমর (রা) তাতে সংযোজন করেন এবং রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর যুগের ইট আর খেজুর পাতায় ভিতের উপর সংযোজন করেন এবং কাঠের খুটি
ব্যবহার করেন ৷ হযরত উছমান (বা) তা পরিবর্তন করে তাতে অনেক সংযোজন করেন ৷ তিনি


" هَذَا الْحِمَالُ لَا حِمَالَ خَيْبَرْ ... هَذَا أَبَرُّ رُبَّنَا وَأَطْهَرْ " وَيَقُولُ: " اللَّهُمَّ إِنَّ الْأَجْرَ أَجْرُ الْآخِرَهْ ... فَارْحَمِ الْأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ " وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ عَوَّضَهُمَا مِنْهُ نَخْلًا لَهُ فِي بَنِي بَيَاضَةَ، قَالَ: وَقِيلَ: ابْتَاعَهُ مِنْهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قُلْتُ: وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، أَنَّ الْمِرْبَدَ كَانَ لِغُلَامَيْنِ يَتِيمَيْنِ فِي حِجْرِ مُعَاذٍ ابْنِ عَفْرَاءَ، وَهُمَا سَهْلٌ وَسُهَيْلٌ ابْنَا عَمْرٍو. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الدُّنْيَا، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ حَمَّادٍ الضَّبِّيُّ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: «لَمَّا بَنَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسْجِدَ، أَعَانَهُ عَلَيْهِ أَصْحَابُهُ، وَهُوَ مَعَهُمْ يَتَنَاوَلُ اللَّبِنَ، حَتَّى اغْبَرَّ صَدْرُهُ فَقَالَ: " ابْنُوهُ عَرِيشًا كَعَرِيشِ مُوسَى ". فَقُلْتُ لِلْحَسَنِ: مَا عَرِيشُ مُوسَى؟ قَالَ: " إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ بَلَغَ الْعَرِيشَ ".» يَعْنِي السَّقْفَ. وَهَذَا مُرْسَلٌ. وَرَوَى مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ شَدَّادِ
পৃষ্ঠা - ২২৪৩


নকশা করা পাথর দিয়ে দেয়াল নির্মাণ করে তাতে চুনকাম করান এবং ছাদ নির্মাণ করান সেগুন

কাঠ দিয়ে ৷ ইমাম বুখারী আলী ইবন সুত্রে ইয়াকুব ইবন ইবরাহীমের বরাতে অনুরুপ বর্ণনা
করেন ৷

আমি (গ্রন্থকার) বলি যে, হযরত উছমান ইবন আফ্ফান (বা) যে মসজিদে নববীতে
ৎযোজন করেছেন তা করেছেন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিম্নোক্ত বাণীর আলোকে :
শ্রু

“যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করে তা মুরগীর কুটির পরিমাণ ৷হলেও-
আল্লাহ তার জন্য জ ন্নাতে ঘর বানাবেন ৷” তখন যেসব সাহারা বর্তমান ছিলেন, তারা হযরত
উছমানের সঙ্গে একমত হয়েছেন এবং পরবর্তী ক লেও তারা এটাকে পরিবক্তা করেননি ৷ এ
থেকে প্রমাণ উপস্থাপন করে আলিমগণ বলেছেন যে, এ সংযোজনের বিধান সমস্ত মসজিদের
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৷ এসব মসজিদে নামায আদায়ে ছাওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং এসব
মসজিদের উদ্দেশ্যে গমন করা যাবে ৷ দা ৷মিশৃক এর জা ৷মি’ মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ওয়ালীদ ইবন
আবদুল মালিকের শাসনামলে মসজিদে নববীতে সংস্কার সংযোজন করা হয় ৷ খলীফা
ওয়ড়ালীদের বিদেশে মদীনায় খলীফার প্রতিনিধি উমর ইবন আবদুল আযীয এ সং ×স্কার সংযোজন
কর্ম সাধন করেন এবং তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) এর হুজরাকে মসজিদের অন্তর্ভুক্ত করেন এ
সম্পর্কে যথাসময়ে আলোচনা করা হবে ৷ পরবর্তীকালে এতে আরো অনেক সংস্কার স০ ×যোজন
করা হয়েছে এবং কিরলার দিক থেকেও সংযোজন করা হয়েছে যার ফলে রওযা এবং মিম্বর
সামনের সফের পরে চলে যায় ৷ যেমন অধুনা দৃষ্টিগােচর হয় (অর্থাৎ লেখকের জীবদ্দশা
পর্যন্ত) ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন : মসজিদ এবং বাসস্থান নির্মাণ পর্যন্ত রাসুল (বা) হযরত আবু
আইউবের গৃহে অবস্থান করেন এবং নির্মাণ কাজে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে অংশগ্রহণ করেন
মুসলমড়ানদেরকে কাজে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ৷ রাসুলের পদা০ ×ক অনুসরণ করে মুহাজির এবং
আনসা ৷রগণ এ নির্মাণ কার্যে যোগদান করেন ৷ এ প্রসঙ্গে জনৈক মুসলিম করি বলেন :
ক্রো ৷ জো ৷
“আমরা বসে থাকর আর নবীজী কাজ করবেন, আমাদের এ কর্ম হবে ৫কবলই
বিভ্রান্তিকর ৷ ” নির্মাণ কাজ চলাকালে মুসলমানরা সমবেত কণ্ঠে আবৃত্তি করেন :

“পরকালের সুখই পরম সুখ অন্য কিছু নয় ৷ হে আল্লাহ্ ! রহম কর তুমি আনসার আর
মুহাজিরগণকে ৷” তখন রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও বলেন :
“পরকালের সুখই পরম সুখ, অন্য কিছু নয় ৷ হে আল্লাহ ৷ রহম কর মুহাজির আর

আনসারে ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ইটমাটি বহন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে হযরত আমার ইবন
ইয়াসির রাসুল (না)-এর দরবারে হাযির হয়ে আরয করেন :


بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عُبَادَةَ، «أَنَّ الْأَنْصَارَ جَمَعُوا مَالًا، فَأَتَوْا بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ابْنِ هَذَا الْمَسْجِدَ وَزَيِّنْهُ، إِلَى مَتَى نُصَلِّي تَحْتَ هَذَا الْجَرِيدِ؟ فَقَالَ: " مَا بِي رَغْبَةٌ عَنْ أَخِي مُوسَى، عَرِيشٌ كَعَرِيشِ مُوسَى ".» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ مَسْجِدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ سَوَارِيهِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ جُذُوعِ النَّخْلِ، أَعْلَاهُ مُظَلَّلٌ بِجَرِيدِ النَّخْلِ، ثُمَّ إِنَّهَا نَخِرَتْ فِي خِلَافَةِ أَبِي بَكْرٍ، فَبَنَاهَا بِجُذُوعِ وَبِجَرِيدِ النَّخْلِ، ثُمَّ إِنَّهَا نَخَرَتْ فِي خِلَافَةِ عُثْمَانَ، فَبَنَاهَا بِالْآجُرِّ، فَمَا زَالَتْ ثَابِتَةً حَتَّى الْآنَ» وَهَذَا غَرِيبٌ. وَقَدْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، ثَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ «أَنَّ الْمَسْجِدَ كَانَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَبْنِيًّا بِاللَّبِنِ، وَسَقْفُهُ الْجَرِيدُ، وَعُمُدُهُ خَشَبُ النَّخْلِ، فَلَمْ يَزِدْ فِيهِ أَبُو بَكْرٍ شَيْئًا، وَزَادَ فِيهِ عُمَرُ، وَبَنَاهُ عَلَى بِنَائِهِ فِي عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاللَّبِنِ وَالْجَرِيدِ، وَأَعَادَ عُمُدَهُ خَشَبًا، وَغَيَّرَهُ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ،
পৃষ্ঠা - ২২৪৪


ইয়া রাসুলাল্পাহ্! তারা আমাকে মেরে ফেললো ৷ তারা নিজেরা যে বোঝা বহন করে না,
তেমন বোঝা আমার ঘাড়ে চাপায় ৷ উম্মু সালামা (বা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্কে দেখেছি তার
ঘাড় পর্যন্ত প্রলন্বিত চুল থেকে বুলাবালি ঝাড়তে আর তার চুল ছিল কোকড়ানাে ৷ এসময় তিনি
বলছিলেন :

ইবন সুমাইয়ার জন্য আফসেড়াস৷ তারা তোমাকে হতার করছে (বলছ), তারা তোমাকে
হত্যা করবে না, বরং তোমাকে হত্যা করবে এক বিদ্রোহী দল ৷” এ সনদে হাদীছটি মুনকড়াতি ,
এমনকি তা বিচ্ছিন্ন সনদ অর্থাৎ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক এবং উম্মু সালামার মধ্যস্থলে সম্পর্ক
বিচ্ছিন্ন ৷ অবশ্য ইমাম মুসলিম (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের কথা ভিন্ন
সুত্রে উল্লেখ করেছেন ৷ উম্মু সালামা সুত্রে তার বর্ণিত হাদীছে তিনি বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : একটা বিদ্রোহী দল আম্মারকে হরুন্ব্রুা করবে ৷ ইমাম মুসলিম অপর
এক সুত্রে উম্মু সালামা (বা) থেকে বর্ণিত হাদীছে বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : হে ইবন সুমাইয়া৷ তোমার জন্য আফস্যেস ! একটা বিদ্রোহী দল
তোমাকে হত্যা করবে ৷ আবদুর রায্যাক মামার সুত্রে উম্মু সালামা থেকে বর্ণনা করেন :

উম্মু সালামা (রা) বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং তীর সাহাবীগণ যখন মসজিদ নির্মাণ
করছিলেন, তখন প্রত্যেকে একটা ইট বহন করছিলেন; কিন্তু আমার বহন করছিলেন দুটি করে
ইট ৷ একটা তার নিজের, অপরটা নবী (না)-এর পক্ষ থেকে ৷ তখন নবী করীম (না) আম্মারের
পৃষ্ঠদেশে হাত বুলিয়ে বলেন :


ঞে গ্র
হে ইবন সৃমাইয়৷ ! লোকদের জন্য রয়েছে একটি প্ৰতিদান আর তোমার জন্য রয়েছে দু’টি ৷

আর তোমার শেষ খাবার হবে দুধ; একটা বিদ্রোহী দল তোমাকে হত্যা করবে ৷” এ বর্ণনার
সনদ বুখারী-মুসলিমের শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধ ৷

বায়হাকী প্রমুখ একদল রাবী থেকে খালিদ হামযা সুত্রে আবু সাঈদ খুদ্রীর বরাতে বলেন :

আবু সাঈদ থুদরী (রা) বলেছেন : মসজিদে নববীর নির্মাণ কার্যে আমরা একটি একটি করে
ইট বহন করছিলাম আর আমার বহন করছিল দু’টি দুটি করে ৷ নবী করীম (বা) এটা দেখে
তার দেহ থেকে মাটি ঝাড়তে ঝাড়তে বলছিলেন :

দুঃখ আম্মারের জন্য, একটা বিদ্রোহী দল তাকে হত্যা করবে ৷ সে ওদেরকে জান্নাতের
দিকে ডাকবে আর তারা আম্মারকে ডাকবে জাহান্নামের দিকে ৷ রাবী বলেন, আমার বলছিলেন :
আমি ফিতনা থেকে আল্লাহর নিকট পানড়াহ্ চাই ৷ মুসাদ্দাদ সুত্রে খালিদ আল-হামযার বরাতে


وَزَادَ فِيهِ زِيَادَةً كَثِيرَةً، وَبَنَى جِدَارَهُ بِالْحِجَارَةِ الْمَنْقُوشَةِ وَالْقَصَّةِ، وَجَعَلَ عُمُدَهُ مِنْ حِجَارَةٍ مَنْقُوشَةٍ، وَسَقْفَهُ بِالسَّاجِ.» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بِهِ. قُلْتُ: زَادَهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مُتَأَوِّلًا قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ بَنَى لِلَّهِ مَسْجِدًا وَلَوْ كَمَفْحَصِ قَطَاةٍ بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ ".» وَوَافَقَهُ الصَّحَابَةُ الْمَوْجُودُونَ عَلَى ذَلِكَ، وَلَمْ يُغَيِّرُوهُ بَعْدَهُ، فَيُسْتَدَلُّ بِذَلِكَ عَلَى الرَّاجِحِ مِنْ قَوْلَيِ الْعُلَمَاءِ أَنَّ حُكْمَ الزِّيَادَةِ حُكْمُ الْمَزِيدِ، فَتَدْخُلُ الزِّيَادَةُ فِي حُكْمِ سَائِرِ الْمَسْجِدِ مِنْ تَضْعِيفِ الصَّلَاةِ فِيهِ، وَشَدِّ الرِّحَالِ إِلَيْهِ، وَقَدْ زِيدَ فِي زَمَانِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بَانِي جَامِعِ دِمَشْقَ، زَادَهُ لَهُ بِأَمْرِهِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ حِينَ كَانَ نَائِبَهُ عَلَى الْمَدِينَةِ، وَأَدْخَلَ الْحُجْرَةَ النَّبَوِيَّةَ فِيهِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي وَقْتِهِ، ثُمَّ زِيدَ زِيَادَةً كَثِيرَةً فِيمَا بَعْدُ، وَزِيدَ مِنْ جِهَةِ الْقِبْلَةِ، حَتَّى صَارَتِ الرَّوْضَةُ وَالْمِنْبَرُ بَعْدَ الصُّفُوفِ الْمُقَدَّمَةِ، كَمَا هُوَ الْمُشَاهِدُ الْيَوْمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ عَلَى أَبِي أَيُّوبَ، حَتَّى بَنَى مَسْجِدَهُ وَمَسَاكِنَهُ، وَعَمِلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; لِيُرَغِّبَ الْمُسْلِمِينَ فِي الْعَمَلِ فِيهِ، فَعَمِلَ فِيهِ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ، وَدَأَبُوا فِيهِ، فَقَالَ قَائِلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ:
পৃষ্ঠা - ২২৪৫


ইমাম বুখারীও হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ ভিন্ন সনদেও তিনি হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তিনি
অংশটি উল্লেখ করেননি : রু;া ,৷ ৷ ব্লুগ্রে ৷ এ্যাএ,

ইমাম বায়হাকী বলেন যে, ইমাম বুখারী এ অংশটি উল্লেখ না করার কারণ এই যে, ইমাম
মুসলিম আবু নাযরা সুত্রে আবু সাঈদ থেকে বর্ণনা করেছেন :

তিনি বলেন, যিনি আমার চেয়ে উত্তম, তিনি আমাকে খবর দিয়েছেন যে, খন্দক খনন
কালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আম্মারকে লক্ষ্য করে বলেছেন : এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) আম্মারের
মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলছিলেন : ইবন সুমাইয়ার বিপদ! একটা বিদ্রোহী দল তাকে
হত্যা করবে ৷ ইমাম মুসলিম শুব৷ সুত্রে আবু সাঈদ থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ তার
বর্ণনায় আছে :

তিনি বলেন, যিনি আমার চেয়ে উত্তম, তিনি আমাকে জানান আর তিনি হলেন আবু
কাতাদ৷ খন্দক খননকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আম্মার ইবন ইয়াসিরকে বলেন, হে ইবন সুমাইয়া ৷
দুঃখ তোমার জন্য, একটি বিদ্রোহী দল তোমাকে হত্যা করবে ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী উহায়ব সুত্রে আবু সাঈদ থেকে বর্ণনা করে বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন খন্দক খনন করছিলেন, তখন লোকেরা একটা একটা ইট বহন
করছিলেন আর আম্মাৰু ব্যথায় কা৩ র অবস্থায়ও দু দুটি ইট বহন করছিলেন ৷ আবু সাঈদ
বলেন, আমার কোন কোন বন্ধু আমাকে বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার মাথা থেকে মাটি
ঝাড়তে ঝাড়তে বলছিলেন, ইবন সুমাইয়্যাষ্ দুঃখ তোমার জন্য, একটা বিদ্রোহী দল তোমাকে
হত্যা করবে ৷ বায়হাকী বলেন, তিনি নিজে যা শুনেছেন আর সঙ্গীর নিকট থেকে যা শুলেছেন
উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করেছেন ৷ হতে পারে খন্দক খননের কথা উল্লেখ কব টা রাবীর ভ্রম ৷
র্তারা উভয়ে বা তাদের একজন মসজিদ নির্মাণকালে এবং অন্যজন খন্দক খননকালে তাকে
একথা বলেছেন ৷ আ ৷ল্লাহই ভাল জানেন ৷

আমি (প্রন্থকার) বলি, খন্দক খননকালে ইট বহন অর্থহীন ৷ বাহ্যত এটা লিপিকারের
বিভ্রম ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

এ হাদীছটি নবুওয়াতের অন্যতম প্রমাণ ৷ এতে নবী (সা) আগাম জানান যে, এবল্টা
বিদ্রোহী দল আ ম্মারকে হত্যা করবে ৷ সিফ্ফীনের ঘটনায় শামবাসীরা ত৷ ৷কে হত্যা করে ৷ আর
এ ঘটনায় আমার ছিলেন আলী (রা) ও ইরাকীদের সঙ্গে ৷ যথান্থানে এ সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হবে ৷ হযরত আলী (রা) ছিলেন হযরত মুআবিয়ার চেয়ে বেশী হকদার ৷
মুআবিয়ার সঙ্গীদেরকে বিদ্রোহী বলায় তাদেরকে কাফির আখ্যা দেয়৷ অপরিহার্য হয় না ৷
যেমনটি শিয়া প্রমুখ বাতিল ফিরকা প্রয়াস পেয়ে থাকে ৷ প্রকৃত প্রস্তাবে তার৷ বিদ্রোহী হলেও
যুদ্ধের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তারা ছিলেন মুজতাহিদ ৷ সকল মুজতাহিদ যথার্থ সিদ্ধান্তে উপনীত
হতে পারেন না ৷ ইজতিহাদে যিনি ঠিক করেন তার জন্য রয়েছে দুটি বিনিময় আর যিনি ভুল
করেন তার জন্য রয়েছে একটা পুরস্কার ৷ পরবভীকািলে এ হাদীছের সঙ্গে যারা একথা যোগ
করেছে ও


لَئِنْ قَعَدْنَا وَالنَّبِيُّ يَعْمَلُ ... لَذَاكَ مِنَّا الْعَمَلُ الْمُضَلِّلُ وَارْتَجَزَ الْمُسْلِمُونَ وَهُمْ يَبْنُونَهُ يَقُولُونَ: لَا عَيْشَ إِلَّا عَيْشَ الْآخِرَهْ ... اللَّهُمَّ ارْحَمِ الْأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ فَيَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا عَيْشَ إِلَّا عَيْشُ الْآخِرَةِ، اللَّهُمَّ ارْحَمْ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارَ ". قَالَ فَيَدْخُلُ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ، وَقَدْ أَثْقَلُوهُ بِاللَّبِنِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَتَلُونِي، يَحْمِلُونَ عَلَيَّ مَا لَا يَحْمِلُونَ. قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْفُضُ وَفْرَتَهُ بِيَدِهِ، وَكَانَ رَجُلًا جَعْدًا، وَهُوَ يَقُولُ: " وَيْحَ ابْنِ سُمَيَّةَ، لَيْسُوا بِالَّذِينِ يَقْتُلُونَكَ، إِنَّمَا تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".» وَهَذَا مُنْقَطِعٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، بَلْ هُوَ مُعْضَلٌ بَيْنَ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَبَيْنَ أُمِّ سَلَمَةَ، وَقَدْ وَصَلَهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ سَعِيدٍ وَالْحَسَنِ يَعْنِي ابْنَيْ أَبِي الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ أُمِّهِمَا خَيْرَةَ، مَوَلَاةِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تَقْتُلُ عَمَّارًا الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".» وَرَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَمَّارٍ وَهُوَ يَنْقُلُ الْحِجَارَةَ: " وَيْحٌ لَكَ يَا ابْنَ سُمَيَّةَ تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".» وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الْحَسَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ
পৃষ্ঠা - ২২৪৬


“কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে যেন আমার শাফাআতের অংশীদার না করেন ৷ এ

ৎযোজনের মাধ্যমে সে রাসুলের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে ৷ কারণ রাসুলুল্লাহ এমন কথা
বলেননি, প্রামাণ্য সুত্রে৩ তার নিকট থেকে এমন কথা বর্ণিত নেই ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ ৷

তিনি তাদেরকে জ ৷রুন্না৩ তর দিকে ডাকছেন আর তারা তাকে ডাকছে জ ৷হান্নামের দিকে-
আমার তারা এবং তার সঙ্গীরা সিরিয়াবাসীদেরকে ডাকছিলেন সৌহার্দ-সংপ্রীতি ও ঐক্যের
দিকে; আর সিরিয়ড়াবাসীরা কে বেশী হকদার সে কথাবাদ দিয়ে কর্তৃত্ব কবজ৷ করতে চেয়েছিল ৷
তারা এটাও চেয়েছিল যে, লোকেরা নানা দলে বিভক্ত হোক আর প্রান্ত ড়াক দলের মাথায় থাকুক
একজন ইমাম ৷ এটা চালিত করে অনৈক্য আর উম্মতের মতভেদের দিবে ৷

একথা স্বীকার না করলেও এটাই ছিল তাদের মাযহাবের অপবিস্ ৷র্য পরিণতি আর তাদের
গৃহীত ৩নীতির ফলাফল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জা নেন ৷

আমরা যখন সিফ্ফীন-এর ঘটনায় পৌছব, তখন এ বিষয়টা বিস্তারিত আলোচনা করা হবে
আল্লাহর ইচ্ছা ও তার তাওফীকে ৷ এখানে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মসজিদে নববীর নির্মাণ
কাহিনী ৷ তার প্রতিষ্ঠতো ৷র উপর হাযারো দরুদ৬ সলা৷ম বর্নিত হোক ৷

হাফিয বায়হাকী দালাইলুন নবুওয়াত গ্রন্থে হাফিয আবু আবদুল্লাহ সুত্রে রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর আযাদকৃত গোলাম সাফীনার বরাতে বর্ণনা ৷করেন :

তিনি বলেনঃ হযরত আবু বকর (রা) একখানা পাথর এনে তা স্থাপন করলেন, এরপর
হযরত উমর (রা) একখানা পাথর এনে স্থাপন করলেন ৷ এরপর হযরত উছমান (রা) একখানা
পাথর এনে তা স্থাপন করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : আমার পরে এরাই হবে কর্তৃত্বের
অধিকারী ৷

হাফিয বায়হাকী ইয়াহ্ইয়৷ ইবন আব্দুল হামীদ হিম্মানী সুত্রে সাফীনার বরাতে বর্ণনা
করেন : ৷

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদে নববী নির্মাণকালে একটা প্রস্তর স্থাপন করে বলেন :
এবার আবু বকর আমার পাথরের পাশে তার পাথর স্থাপন করুক, এরপর আবু বকরের
পাথরের পাশে উমর তার পাথর স্থাপন করুক, এরপর উমরের পাথরের পাশে উছমান তার
পাথর স্থাপন করুক ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :

ন্র্মুদ্বুন্নে

“আমার পরে এর ই থলীফ৷ হবেন ৷” এই সনদে হাদীছটি নিত ৷ন্তই গরীব পর্যায়ের ৷ ইমাম
আহমদ আবুন নাঘৃর সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর আযাদকৃত গোলাম সাফীনার বরাতে যে
হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, তা ই পরিচিত ৷ তাতে সাফীন৷ বলেন ং

“আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি : খিলাফত থাকবে ত্রিশ বছর, তারপর হবে
রাজতন্ত্র ৷ তারপর সাফীন৷ বলেন : আবু বকরের খিলাফত শুমার কর দু’বছর, উমরের
খিলাফত শুমার কর দশ বছর, উছমানের খিলাফত শুমার কর বার বছর, আলীর খিলাফত


سَلَمَةَ، قَالَتْ: «لَمَّا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ يَبْنُونَ الْمَسْجِدَ، جَعَلَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْمِلُ كُلٌّ وَاحِدٍ لَبِنَةً لَبِنَةً، وَعَمَّارٌ يَحْمِلُ لَبِنَتَيْنِ; لَبِنَةً عَنْهُ، وَلَبِنَةً عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَسَحَ ظَهْرَهُ، وَقَالَ: " ابْنَ سُمَيَّةَ، لِلنَّاسِ أَجْرٌ، وَلَكَ أَجْرَانِ، وَآخِرُ زَادِكَ شَرْبَةٌ مِنْ لَبَنٍ، وَتَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".» وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ ". وَقَدْ أَوْرَدَ الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُهُ، مِنْ طَرِيقِ جَمَاعَةٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: «كُنَّا نَحْمِلُ فِي بِنَاءِ الْمَسْجِدِ لَبِنَةً لَبِنَةً، وَعَمَّارٌ يَحْمِلُ لَبِنَتَيْنِ لَبِنَتَيْنِ، فَرَآهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ يَنْفُضُ التُّرَابَ عَنْهُ وَيَقُولُ: " وَيْحَ عَمَّارٍ، تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ، يَدْعُوهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ، وَيَدْعُونَهُ إِلَى النَّارِ ". قَالَ: يَقُولُ عَمَّارٌ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْفِتَنِ.» لَكِنْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الْإِمَامُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ مُسَدَّدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْمُخْتَارِ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، وَعَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيِّ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ بِهِ، إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ قَوْلَهُ: «تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".»
পৃষ্ঠা - ২২৪৭


শুমার কর ছয় বছর ৷ হাদীসের এ শব্দগুলো আহমদ (র) বর্ণিত ৷ আবু দাউদ, ইমাম তিরমিযী ও
নাসাঈ সাঈদ ইবন জড়ামহান সুত্রে ও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী হাদীছটিকে হাসান’
বলে মন্তব্য করে বলেন, এ সুত্র ছাড়া হাদীছটি আমাদের জানা নেই ৷ আর তিরমিযীর ভাষায় :

“আমার পর খিলাফত থাকবে ত্রিশ বছর, এরপর হবে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র ৷” তিনি হাদীছের
অবশিষ্টড়াৎশও উল্লেখ করেছেন ৷

আমি (গ্রন্থকার) বলছি, মসজিদে নববী প্রথম যখন নির্মাণ করা হয় তখন তাতে থুতবা
দানের জন্য বিষয় ছিল না; বরং রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার মুসাল্লার’ নিকট ব্ধ্বদয়ালে একটা খুঢির
সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে খুতবা দিতেন ৷ পরে তবে খুতবার জন্য মিম্বর জৈমার করা হলে তিনি
সেদিকে অগ্রসর হলে খুটিটি দশ মাসের গভর্বিতী উষ্টীর মত অঝোরে ক্রন্দন করা শুরু করে ৷
কারণ, খুটিটি নিকট থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খুতবা শ্রবণ করতে! ৷ য়থস্থানে রাসুলের বিষয়
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ৷ খুটিটি ক্রন্দন করতে লাগলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
নিকটে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে সান্তুনা দেন ৷ যেমন ক্রন্দনরত শিশুকে সান্তুনা দান করলে সে
চুপ হয়ে যায় ৷ এ বিষয়ে পরে সাহল ইবন সাআদ সাইদী, জাবির, আবদৃল্লাহ্ ইবন উমর,
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস, আনাস ইবন মালিক ও উন্মু সালামা (রা) সুত্রে বর্ণিত হাদীছে উল্লেখ
করা হবে ৷ আনাস ইবন মালিক সুত্রে এ হাদীছটি বর্ণনা করার পর হযরত হাসান বসরী কি
চমৎকার মন্তব্য করেছেন ৷ তিনি বলেন :

ণ্াপ্রু
৭ ৷ ৷ প্রুদ্বুা

“হে মুসলিম সমাজ! রাসুলে করীম (না)-এর ভালবাসায় আপুত হয়ে কাষ্ঠ পর্যন্ত ক্রন্দন
করছে ৷ যারা রাসুলের দীদার প্রত্যাশী, তারা কি রাসুলে পাকের প্রেমে আপ্লুত হওয়ার অধিকতর
হকদার নয় ?

মসজিদে নববীর ফযীলত

ইমাম আহমদ (র) ইয়ড়াহ্ইয়া ইবন উনায়স সুত্রে তার পিতার বরাতে হাদীছ বর্ণনা করে
বলেন %

দু’ ব্যক্তির মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়, এক ব্যক্তি বনু খড়াদৃরার, অপর ব্যক্তি বনু আমৃর ইবন
আওফের ৷ তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত মসজিদ কোনটি তা নিয়ে তাদের মধ্যে এ বিরোধ দেখা
দেয় ৷ খুদ্রী ব্যক্তিটি বলেন : তা হলো রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মসজিদ (অর্থাৎ মসজিদে নববী) ৷
পক্ষাম্ভরে বনু আমৃরের লোকটি বলেন, তা হচ্ছে কুবার মসজিদ ৷ উভয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নিকট আগমন করে এ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :


قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَكَأَنَّهُ إِنَّمَا تَرَكَهَا لِمَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ طَرِيقٍ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِعَمَّارٍ حِينَ جَعَلَ يَحْفِرُ الْخَنْدَقَ، جَعَلَ يَمْسَحُ رَأْسَهُ، وَيَقُولُ: " بُؤْسَ ابْنِ سُمَيَّةَ، تَقْتُلُهُ فِئَةٌ بَاغِيَةٌ ".» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي مَسْلَمَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي أَبُو قَتَادَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ: " بُؤْسًا لَكَ يَا ابْنَ سُمَيَّةَ، تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".» وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا حَفَرَ الْخَنْدَقَ، كَانَ النَّاسُ يَحْمِلُونَ لَبِنَةً لَبِنَةً، وَعَمَّارٌ نَاقِهٌ مِنْ وَجَعٍ كَانَ بِهِ، فَجَعَلَ يَحْمِلُ لَبِنَتَيْنِ لَبِنَتَيْنِ،» قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِي «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَنْفُضُ التُّرَابَ عَنْ رَأْسِهِ، وَيَقُولُ: " وَيْحَكَ ابْنَ سُمَيَّةَ، تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَقَدْ فَرَّقَ بَيْنَ مَا سَمِعَهُ بِنَفْسِهِ، وَمَا سَمِعَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ২২৪৮
وَيُشْبِهُ أَنْ يَكُونَ قَوْلُهُ: الْخَنْدَقَ. وَهْمًا أَوْ أَنَّهُ قَالَ لَهُ ذَلِكَ فِي بِنَاءِ الْمَسْجِدِ، وَفِي حَفْرِ الْخَنْدَقِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: حَمْلُ اللَّبِنِ فِي حَفْرِ الْخَنْدَقِ لَا مَعْنَى لَهُ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ اشْتَبَهَ عَلَى النَّاقِلِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذَا الْحَدِيثُ مِنْ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ حَيْثُ أَخْبَرَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ عَنْ عَمَّارٍ أَنَّهُ تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ، وَقَدْ قَتَلَهُ أَهْلُ الشَّامِ فِي وَقْعَةِ صِفِّينَ، وَعَمَّارٌ مَعَ عَلِيٍّ وَأَهْلِ الْعِرَاقِ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ وَتَفْصِيلُهُ فِي مَوْضِعِهِ. وَقَدْ كَانَ عَلِيٌّ أَحَقَّ بِالْأَمْرِ مِنْ مُعَاوِيَةَ، وَلَا يَلْزَمُ مِنْ تَسْمِيَةِ أَصْحَابِ مُعَاوِيَةَ بُغَاةً تَكْفِيرُهُمْ، كَمَا يُحَاوِلُهُ جَهَلَةُ الْفِرْقَةِ الضَّالَّةِ مِنَ الشِّيعَةِ وَغَيْرِهِمْ; لِأَنَّهُمْ، وَإِنْ كَانُوا بُغَاةً فِي نَفْسِ الْأَمْرِ، فَإِنَّهُمْ كَانُوا مُجْتَهِدِينَ فِيمَا تَعَاطَوْهُ مِنَ الْقِتَالِ، وَلَيْسَ كُلُّ مُجْتَهِدٍ مُصِيبًا، بَلِ الْمُصِيبُ لَهُ أَجْرَانِ، وَالْمُخْطِئُ لَهُ أَجْرٌ، وَمَنْ زَادَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ بَعْدَ قَوْلِهِ: " «تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» ": لَا أَنَالَهَا اللَّهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَقَدِ افْتَرَى فِي هَذِهِ الزِّيَادَةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْهَا إِذْ لَمْ تُنْقَلْ مِنْ طَرِيقٍ تُقْبَلُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا قَوْلُهُ: «يَدْعُوهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ، وَيَدْعُونَهُ إِلَى النَّارِ» فَإِنَّ عَمَّارًا وَأَصْحَابَهُ يَدْعُونَ أَهْلَ الشَّامِ إِلَى الْأُلْفَةِ وَاجْتِمَاعِ الْكَلِمَةِ، وَأَهْلُ الشَّامِ يُرِيدُونَ أَنْ يَسْتَأْثِرُوا بِالْأَمْرِ دُونَ مَنْ هُوَ أَحَقُّ بِهِ، وَأَنْ يَكُونَ النَّاسُ أَوْزَاعًا عَلَى كُلِّ قُطْرٍ إِمَامٌ بِرَأْسِهِ، وَهَذَا يُؤَدِّي إِلَى افْتِرَاقِ الْكَلِمَةِ، وَاخْتِلَافِ الْأُمَّةِ، فَهُوَ لَازِمُ مَذْهَبِهِمْ وَنَاشِئٌ عَنْ مَسْلَكِهِمْ، وَإِنْ كَانُوا لَا يَقْصِدُونَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَيَأْتِي تَقْرِيرُ هَذِهِ الْمَبَاحِثِ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَى وَقْعَةِ صِفِّينَ مِنْ كِتَابِنَا
পৃষ্ঠা - ২২৪৯

ওদ্বুক্ট্র২ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া


“তা হল এ মসজিদ (অর্থাৎ মসজিদে নবৰী ) ৷ তিনি আরো বলেন০ : এতে অনেক কল্যাণ
রয়েছে ৷ অর্থাৎ মসজিদে কুবায় ৷ ” তিরমিযী কুতড়ায়বা সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করে তাকে হাসান
সহীহ্ হাদীছ বলে মন্তব্য করেন ৷

আহমদ (র) ইসহাক ইবন ইয়াহইয়া সুত্রে তিরমিযী ও নাসাঈ উভয়ে কুতড়ায়বা সুত্রে আবু
সাঈদ থেকে তিনি তার পিত ৷ থেকে বর্ণনা করে বলেন :

তাকওয়ার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ বিষয়ে দু’ব্যক্তি বিতণ্ডায় লিপ্ত হয় ৷ এরপর পুর্ব বর্ণিত
হাদীছটি উল্লেখ করেন ৷

সহীহ্ মুসলিম শরীফে আবু সালামা সুত্রে বর্ণিত হাদীছে বলা হয়েছে যে, তিনি এ সম্পর্কে
আবদুর রহমান ইবন আবু সাঈদকে জিজ্ঞাসা করলেন ও

তাকওয়ার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ সম্পর্কে তুমি তোমার পিত ৷র কাছে কী শুনেছ?
আমার পিতা বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট আগমন করে এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস
করলে তিনি হাতে কঙ্কর তুলে নিয়ে তা নিক্ষেপ করে বললেন ও তা হলো তোমাদের এ
মসজিদ ৷

ইমাম আহমদ (র) ওয়াকী সুত্রে সাহল ইবন সাআদ থেকে বর্ণনা করে বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর যুগে তড়াকওয়ার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ বিষয়ে দৃ’ব্যক্তি বিরোধে
প্রবৃত্ত হয় ৷ তাদের একজন বললেনঃ তা হলো রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর মসজিদ (মসজিদে নবৰী
অপর ব্যক্তি বললাে তা হলো মসজিদে কুবা ৷ উভয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট গিয়ে এ
সম্পর্কে ভীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন : তা হলো আমার এ মসজিদ (মসজিদে নবৰী) ৷
ইমাম আহমদ (র) আবু নুআয়ম সুত্রে উবাই ইবন বাজার থেকে বর্ণনা করে বলেন :

ণ্প্ট্টন্এৰু

“তাকওয়ার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ হলো আমার এই মসজিদ (মসজিদে নববী)৷ ”
বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত এসব হাদীছ৷ দ্ব৷ রা নিশ্চিত হওয়া যায় যে, মসজিদে তাক্ওয়৷ হলো মসজিদে
নবৰী ৷ হযরত উমর (বা) তার পুত্র আবদুল্লাহ ইবন উমর, যায়দ ইবন ছাবিত এবং হযরত
সাঈদ ইবন মুসড়ায়্যাব এ মত পোষণ করেন ৷ আর ইবন জা ৷রীর (তাবারী) এ মতই গ্রহণ করেন ৷
অন্যরা বলেন, মসজিদে কুবা স০ ক্রাম্ভ আয়াত নাযিল এবং এসব হাদীছের মধ্যে কোন বিরোধ
নেই, সে কথা ইভ্রুত তাপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ কারণ, এ মসজিদ মানে মসজিদে নবৰী এ সব
গুণ বৈশ্যিষ্ট্যর সবচেয়ে বেশী উপযুক্তত ৷ তন্মধ্যে একটা এই যে, এ মসজিদ হলো যে তিনটি
মসজিদের অন্যত ত,ম যে সম্পর্কে বুখাবী এবং মুসলিম শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে০ ,


هَذَا، بِحَوَلِ اللَّهِ وَقُوَّتِهِ، وَحُسْنِ تَأْيِيدِهِ وَتَوْفِيقِهِ. وَالْمَقْصُودُ هَاهُنَا إِنَّمَا هُوَ قِصَّةُ بِنَاءِ الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ، عَلَى بَانِيهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَالتَّسْلِيمِ. وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ ": حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ إِمْلَاءً، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ بْنُ شَرِيكٍ، ثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا حَشْرَجُ بْنُ نُبَاتَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «جَاءَ أَبُو بَكْرٍ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَؤُلَاءِ وُلَاةُ الْأَمْرِ بَعْدِي ".» ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْحِمَّانِيِّ، عَنْ حَشْرَجٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ: «لَمَّا بَنَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسْجِدَ، وَضَعَ حَجَرًا، ثُمَّ قَالَ: لِيَضَعْ أَبُو بَكْرٍ حَجَرًا إِلَى جَنْبِ حَجَرِي، ثُمَّ لْيَضَعْ عُمَرُ حَجَرَهُ إِلَى جَنْبِ حَجَرِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ لْيَضَعْ عُثْمَانُ حَجَرَهُ إِلَى جَنْبِ حَجَرِ عُمَرَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَؤُلَاءِ الْخُلَفَاءُ مِنْ بَعْدِي ".» وَهَذَا الْحَدِيثُ بِهَذَا السِّيَاقِ غَرِيبٌ جِدًّا. وَالْمَعْرُوفُ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ حَشْرَجِ بْنِ نُبَاتَةَ
পৃষ্ঠা - ২২৫০


৷ ;,;

“এ তিন মসজিদ ভিন্ন অপর কে ন মসজিদের দিকে সফর করা যাবে না০ : (১) আমার এ
মসজিদ (মসজিদে নববী), (২) মাসজিদুল হারাম ও (ও) বায়তু ল মুকাদ্দাসের মসজিদ ৷

সহীহ্ মুসলিমে আবু সাঈদ সুত্রেও নবী করীম (সা ) থেকে অনুরুপ বর্ণিত আছে ৷

বুখারী শরীফে এবং মুসলিম শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে :

“রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : আমার এ মসজিদে এক নামায অন্য মসজিদে হাযার নড়ামাযের
চাইতে উত্তম; তবে মাসজিদুল হারাম ব্যভীত৷ ” ঘুসনাদে আহমদে হাসান সনদে আরো একটি
সুন্দর অতিরিক্ত সংযোজন আছে ৷ আর তা এইং : ক্রো ৷ ঞ১ ষ্এে কারণ , এটা অনেক

মর্যাদাপুর্ণ ৷ বুখারী এবং মুসলিম শরীফে ইয়াহ্ইয়া আল-কাত্তান সুত্রে হযরত আবু হুরায়রা (রা)
থেকে বর্ণিত হয়েছে :

চুণ্ঞে


“আমার গৃহ আর আমার মিম্বরের মধ্যস্থলে রয়েছে জান্নাতের অন্যতম বাগান আর আমার

মিম্বর হবে আমার হড়াওযের উপর ৷ ” এ মসজিদ (মসজিদে নববী)-এর ফযীলত বিষয়ে অনেক

অনেক হাদীছ রয়েছে ৷ কিতড়াবুল আহকড়াম আ ল-কা ড়াবীর’ এর মানাসিক অধ্যায়ে সে সব হাদীছ

আমরা উল্লেখ করবো ইনশাআল্লাহ্ ৷৩ তার প্ৰতিই আমাদের আস্থা আর তার উপরই আমাদের
ভরসা ৷ মহান আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি নেই, কোন ক্ষমতা ৷নেই ৷

পক্ষান্তরে ইমাম মালিক (র) এবং তার সঙ্গী সাথীরা এ মত পোষণ করেন যে মদীনায়
মসজিদ মাসজিদুল হারাম থেকে শ্রেষ্ঠ ৷ কারণ,৩ তা নির্মাণ করেছেন হযরত ৩ইবরড়াহীম (আ) আর
এটা নির্মাণ করেছেন হযরত মুহাম্মদ (সা) ৷ আর এটা জানা কথা যে হযরত মুহাম্মদ (সা)
হযরত ইব্রাহীম (আ) এর তুলনায় শ্রেষ্ঠ ৷ অপরদিকে জমহুর ইমাম ও ৰিদগ্ধ আলিমগণ এর
বিপরীত মত পোষণ করেন এবং তারা স্থির করেছেন যে, মাসজিদুল হারাম শ্রেষ্ঠ ও
ফযীল৩ তপুর্ণ ৷ কারণ, তা এমন এক নগরীতে অবস্থিত যাকে আল্লাহ হারাম তথা মর্ষাদাপুর্ণ
করেছেন যেদিন আসমান যমীন পয়দা করেছেন সেদিনই ৷ ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ্ এবং
ঘুহম্মাদৃর রাসুলুল্লাহ্ খাতাযুল মুরসালীনও তার মর্যাদা বহাল রেখেছেন ৷৩ তাই তাতে এমন সব
গুণ বৈশিক্টোর সমাবেশ ঘটেছে, যা অন্য কোন মসজিদের নেই ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা
অন্যত্র করা হবে ৷

মােরাঃ€ণাং০€০য়ো
৫০ —— পুে

الْعَبْسِيِّ، وَعَنْ بَهْزٍ وَزَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ وَعَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، كِلَاهُمَا عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " الْخِلَافَةُ ثَلَاثُونَ عَامًا، ثُمَّ يَكُونُ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ الْمُلْكُ ". ثُمَّ قَالَ سَفِينَةُ: أَمْسِكْ، خِلَافَةَ أَبِي بَكْرٍ سَنَتَيْنِ، وَخِلَافَةَ عُمَرَ عَشْرَ سِنِينَ، وَخِلَافَةَ عُثْمَانَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، وَخِلَافَةَ عَلِيٍّ سِتَّ سِنِينَ.» هَذَا لَفْظُ أَحْمَدَ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ طُرُقٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِهِ. وَلَفَظُهُ: «الْخِلَافَةُ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً، ثُمَّ يَكُونُ مُلْكًا عَضُوضًا ".» وَذَكَرَ بَقِيَّتَهُ. قُلْتُ: وَلَمْ يَكُنْ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلَ مَا بُنِيَ مِنْبَرٌ يَخْطُبُ النَّاسَ عَلَيْهِ، بَلْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ النَّاسَ، وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى جِذْعٍ عِنْدَ مُصَلَّاهُ فِي الْحَائِطِ الْقِبْلِيِّ، فَلَمَّا اتُّخِذَ لَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ الْمِنْبَرُ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ، وَعَدَلَ إِلَيْهِ لِيَخْطُبَ عَلَيْهِ، وَجَاوَزَ ذَلِكَ الْجِذْعَ، خَارَ ذَلِكَ الْجِذْعُ وَحَنَّ حَنِينَ النُّوقِ الْعِشَارِ; لِمَا كَانَ يَسْمَعُ مِنْ خُطَبِ الرَّسُولِ عَلَيْهِ السَّلَامُ عِنْدَهُ، فَرَجَعَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاحْتَضَنَهُ حَتَّى سَكَنَ، كَمَا يَسْكُنُ الْمَوْلُودُ الَّذِي يَسْكُتُ، كَمَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُ ذَلِكَ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ