আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب بدء الهجرة من مكة إلى المدينة

পৃষ্ঠা - ২১৩০


নাজ্জার মাযিনিয়্যা নাজ্জারিয়্যা ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ইনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে বহু যুদ্ধে
উপস্থিত ছিলেন ৷ তার বোন এবং স্বামী যায়দ ইবন আসিমও যুদ্ধে উপ ত ছিলেন ৷ তার দু’পুত্র
থুবায়ব এবং আবদুল্লাহ তার সাথে যুদ্ধে শরীক ছিলেন ৷ তার পুত্র খুবায়বকে ভও নবী
মুসায়লামা কায্যাব হত্যা করেছিল ৷ মুসায়লামা র্তাকে বলেছিল, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে,
মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহর রাসুল ? খুবায়ব (রা) বললেন, হীা, আমি তো ওই সাক্ষব্রই দিই ৷ এবার
মুসায়লামা বলল, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসুল ? তিনি বললেন, না, আমি ওই
সাক্ষ্য দিই না ৷ তুমি ভাল করে শুনে নাও যে, আমি ওই সাক্ষ্য র্দিহ্ না ৷ ফলে সে একটি একটি
করে তার অঙ্গ-প্রতক্ষোদি কটিতে থাকে ৷ ওই অবস্থায় মুসায়লড়ামার হাতেই তিনি শাহড়াদাতবরণ
করেন ৷ তিনি অবিরত বলে যাচ্ছিলেন, না, আমি তোমার কোন কথাই শুনছি না ৷ তার মা উম্মু
আন্মারাহ (রা) মুসলমানদের সাথে ওই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন ৷ যাতে যুসায়লামা নিহত
হয় ৷ যুদ্ধ শেষে তিনি যখন বাড়ী ফিরে এলেন, তখন তার দেহে তীর ও ছবির আঘাত মিলিয়ে
প্রায় ১২ টি ক্ষতচিহ্ন ছিল ৷

আকাবার শপথে উপস্থিত অপর মহিলা হলেন উম্মু মানী’ আসমা বিনৃত আমর ইবন আদী
ইবন নাবী ইবন আমর ইবন সাওয়াদ ইবন গানাম ইবন কাআব ইবন সালামা ৷ আল্লাহ র্তাদের
সকলের প্রতি প্রসন্ন হোন ৷

মক্কা থেকে মদীনায় হিজৱত

ইমাম যুহরী উরওয়া সুত্রে হযরত আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ আইশা (রা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আর তখন তিনি ছিলেন মক্কায় আমাকে দেখানো হয়েছে হিজৱত
ভুমি ৷ তা কােলাহলপুর্ণ এলাকা, খর্জুর বৃক্ষ পরিরেষ্টিত কৃষ্ণ প্রস্তরময় দু’টি অঞ্চলের মধ্যখড়ানে
তা অবস্থিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন একথা বলেন, তখন কিছু লোক মদীনায় দিকে হিজৱত করে
এবং মুসলমানদের মধ্যে যারা হাবশায় হিজৱত করেছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ফিরে
এসে মদীনায় হিজৱত করেন ৷ ইমাম বুখড়ারী এ বর্ণনা করেন ৷ হযরত আবু মুসা (বা) নবী (সা)
থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ আমি স্বপ্নে দেখি যে, আমি মক্কা থেকে এমন এক ভুমিতে হিজৱত
করছি, যা খর্জুর বৃক্ষ পরিরেষ্টিত ৷ আমার ধারণা হল যে, এলাকাটা হবে ইয়ামামা বা হিজর,
দেখা গেল যে তা মদীনা অর্থাৎ ইয়াছরিব ৷ ইমাম বুখড়ারী অন্যত্র দীর্ঘ এ হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷ আর ইমাম মুসলিম আবু কুরাইব সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন কায়স এর বরাতে নবী (সা)
থেকে দীর্ঘ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ বায়হাকী হাফিয সুত্রে জারীর (যা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
নবী সাল্লাল্পাহ্ আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেন :

আল্লাহ তাআলা আমার প্রতি ওহী প্রেরণ করেন, এ তিনটি শহরের যেখানেই অবস্থান
করবে তা-ই হবে তোমার হিজৱত ভুমি মদীনা, বাহরাইন বা কিন্নড়াসিরীন ৷ বিজ্ঞজনেরা
বলেন যে, এরপর তার জন্যে মদীনাকেই সুনির্দিষ্ট ভাবে নির্ধারিত করে দেয়া হয় ৷ তখন তিনি
তার সঙ্গী সাহাবীদেরকে সেখানে হিজৱত করার নির্দেশ দান করেন ৷

এ হাদীছটি অতিশয় গরীব (অর্থাৎ কোন এক যুগে মাত্র একজন রাবী হাদীছটি রিওয়ায়াত
করেন) ৷ আর ইমাম তিরমিযী র্তার জামি’ গ্রন্থের মানাকিব তথা গুণাবলী অধ্যায়ে আবু


[بَابُ بَدْءِ الْهِجْرَةِ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ] قَالَ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ بِمَكَّةَ لِلْمُسْلِمِينَ: " قَدْ أُرِيتُ دَارَ هِجْرَتِكُمْ، أُرِيتُ سَبْخَةً ذَاتَ نَخْلٍ بَيْنَ لَابَتَيْنِ ". فَهَاجَرَ مَنْ هَاجَرَ قِبَلَ الْمَدِينَةِ حِينَ ذَكَرَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ مَنْ كَانَ هَاجَرَ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ.» رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ. وَقَالَ أَبُو مُوسَى، «عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ أَنِّي أُهَاجِرُ مِنْ مَكَّةَ إِلَى أَرْضٍ بِهَا نَخْلٌ، فَذَهَبَ وَهْلِي إِلَى أَنَّهَا الْيَمَامَةُ أَوْ هَجَرُ، فَإِذَا هِيَ الْمَدِينَةُ يَثْرِبُ ".» وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ أَسْنَدَهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ بِطُولِهِ، وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ. زَادَ مُسْلِمٌ: وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ، كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بُرْدَةَ،
পৃষ্ঠা - ২১৩১


আম্বার সুত্রে জারীর থেকে এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ তার বর্ণিত হাদীছে তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আল্লাহ তা’আলা আমার প্রতি ওহী করেন যে, এ তিন স্থানের
যেখানেই তুমি অবতরণ করবে তাহলে তোমার হিজরত-স্থল : মদীনা, বাহরাইন অথবা
কিন্নাসিরীন ৷ এরপর ইমাম তিরমিযী বলেন : হাদীছটি গরীব ৷ ফযল ইবন মুসা ব্যতীত অপর
কোন সুত্রে আমরা হাদীছটি জানি না ৷ আবু আম্মার এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷

আমি বলি, এ পায়লান ইবন আদুল্লাহ্ আল-আমিরীকে ইবন হাব্বান নির্ভরযোগ্য
বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন ৷ অবশ্য তিনি একথাও বলেছেন যে, তিনি আবু যুরআ সুত্রে
হিজরত সংক্রান্ত একটা মুনকার তথা অগ্রহণযােপ্য হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আল্লাহ তাআলা যখন নিম্নোক্ত আয়াত দ্বারা যুদ্ধের অনুমতি দান
করেন :

১র্পি১া
(শে
“যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হলো তাদেরকে, যারা আক্রান্ত হয়েছে ৷ কারণ তাদের প্রতি জুলুম
করা হয়েছে ৷ আর আল্লাহ্ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করতে সম্যক সক্ষম, তাদেরকে তাদের
বাড়ীঘর থেকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে শুধু এ কারণে যে, তারা বলে আল্লাহ
আমাদের পালনকর্তা (২২ : ৩৯) ৷

আল্লাহ্ যখন যুদ্ধের অনুমতি দান করেন, ইসলামের ব্যাপারে আনসার গোত্র রাসুলের
আনুসরণ করেন, রাসুলকে তারা সাহায্য করেন, তারা রাসুলের অনুসারীকেও সাহায্য করেন
এবং অনেক মুসলমান আনসারদের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করেন, তখন রাসুল (সা) তার কওমের
ৰু সঙ্গী-সাথী এবং মক্কায় বসবাসরত মুসলমানদেরকে মদীনায় হিজরত করার নির্দেশ দান করে
আনসার ভাইদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য বলেন ৷ এ নির্দেশে তিনি বললেন : আল্লাহ
তাআলা তোমাদের জন্য এমন কিছু ভাই এবং এমন কিছু স্থানের ব্যবস্থা করেছেন, যেখানে
তোমরা নিরাপত্তা লাভ করবে ৷ ফলে তারা দলে দলে বের হলেন আর রাসুলুল্লাহ (সা) মক্কা
থেকে মদীনায় হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার জন্য আপন পালনকর্তার নির্দেশের অপেক্ষায়
মক্কায় অবস্থান করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণের মধ্যে কুরায়শের বনু মাখযুম শাখা
থেকে যিনি সর্ব প্রথম হিজরত করেন তিনি ছিলেন আবু সালামা আবদুল্লাহ ইবন আব্দুল আসাদ
ইবন হিলাল ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন মখবুম ৷ আকাবার বায়আতের এক বছর পুর্বে
তিনি হিজরত করেন ৷ হাবশা থেকে মক্কায় ফিরে আসার পর কুরায়শের নির্যাতনের মুখে তিনি
হড়াবশায় ফিরে যাওয়ার সংকল্প করেন ৷ মদীনায় র্তার কিছু ভাই আছে বলে জানতে পেয়ে তিনি
মদীনায় হিজরত করতে মনস্থ করেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : আমার পিতা সালামা ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর সুত্রে তদীয় দাদী
উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণনা করে বলেন : আবু সালামা যখন মদীনায় হিজরত করার সিদ্ধান্ত


عَنْ أَبِي مُوسَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الْأَشْعَرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الْحَدِيثَ بِطُولِهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ إِمْلَاءً، أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْقَاسِمُ بْنُ الْقَاسِمِ السَّيَّارِيُّ بِمَرْوَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ هِلَالٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ عُبَيْدٍ الْكِنْدِيُّ عَنْ غَيْلَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَامِرِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ جَرِيرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ أَوْحَى إِلَيَّ: أَيَّ هَؤُلَاءِ الْبِلَادِ الثَّلَاثِ نَزَلْتَ فَهِيَ دَارُ هِجْرَتِكَ; الْمَدِينَةَ; أَوِ الْبَحْرَيْنِ; أَوْ قِنَّسْرِينَ ".» قَالَ أَهْلُ الْعِلْمِ: ثُمَّ عَزَمَ لَهُ عَلَى الْمَدِينَةِ، فَأَمَرَ أَصْحَابَهُ بِالْهِجْرَةِ إِلَيْهَا. هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا. وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي الْمَنَاقِبِ مِنْ " جَامِعِهِ " مُنْفَرِدًا بِهِ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ الْحُسَيْنِ بْنِ حُرَيْثٍ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى عَنْ عِيسَى بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ غَيْلَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَامِرِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عُمَرَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ أَوْحَى إِلَيَّ: أَيَّ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةَ نَزَلْتَ فَهِيَ
পৃষ্ঠা - ২১৩২
دَارُ هِجْرَتِكَ; الْمَدِينَةَ، أَوِ الْبَحْرَيْنِ، أَوْ قِنَّسْرِينَ ".» ثُمَّ قَالَ: غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ الْفَضْلِ، تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو عَمَّارٍ. قُلْتُ: وَغَيْلَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعَامِرِيُّ هَذَا، ذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " الثِّقَاتِ " إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: رَوَى عَنْ أَبِي زُرْعَةَ حَدِيثًا مُنْكَرًا فِي الْهِجْرَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: لَمَّا أَذِنَ اللَّهُ تَعَالَى فِي الْحَرْبِ بِقَوْلِهِ: {أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ إِلَّا أَنْ يَقُولُوا رَبُّنَا اللَّهُ} [الحج: 39] [الْحَجِّ: 40، 39] الْآيَةَ. فَلَمَّا أَذِنَ اللَّهُ فِي الْحَرْبِ، وَبَايَعَهُ هَذَا الْحَيُّ مِنَ الْأَنْصَارِ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَالنُّصْرَةِ لَهُ، وَلِمَنِ اتَّبَعَهُ وَأَوَى إِلَيْهِمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْحَابَهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ مِنْ قَوْمِهِ وَمَنْ مَعَهُ بِمَكَّةَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ بِالْخُرُوجِ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَالْهِجْرَةِ إِلَيْهَا، وَاللُّحُوقِ بِإِخْوَانِهِمْ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَقَالَ: «إِنَّ اللَّهَ قَدْ جَعَلَ لَكُمْ إِخْوَانًا وَدَارًا تَأْمَنُونَ بِهَا ".» فَخَرَجُوا أَرْسَالًا، وَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ يَنْتَظِرُ أَنْ يَأْذَنَ لَهُ رَبُّهُ فِي الْخُرُوجِ مِنْ مَكَّةَ وَالْهِجْرَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ. فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ هَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ مِنْ قُرَيْشٍ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ، أَبُو سَلَمَةَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْأَسَدِ بْنِ هِلَالِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ
পৃষ্ঠা - ২১৩৩


নেন, তখন তিনি আমার জন্য৩ তার সওয়ারী প্রন্তুত করেন এবং আমাকে তার পিঠে আরোহণ
করান এবং আমার পুত্র সালামা ইবন আবু সালামাকে আমার কোলে দেন ৷ তারপর আমাকে
নিয়ে বের হয়ে৩ তার সওয়াবী চালনা করেন ৷ বনু মুগীরার লোকেরা তাকে দেখে তার দিকে
তােড় এসে বলে : তুমি নিজে তো আমাদেরকে অশ্রা ব্যকর হিজরত করে যাচ্ছো সে যাও, কিন্তু
আমাদের এ কন্যাকে নিয়ে কি কারণে আমরা তোমাকে দেশে দেশে সফর করতে দেবে৷ ? উম্মু
সালামা বলেন, তাই তারা তার হাত থেকে উটের রশি ছিনিয়ে নেয় এবং তার নিকট থেকে
আমাকেও নিয়ে নেয় ৷ তিনি বলেন, এসময় বনু আবদুল আসাদ অর্থাৎ আবু সালামার বংশের
লোকেরা ক্রুদ্ধ হয়ে বললো, আল্পাহ্র কসম, আমরা আমাদের বংশের সম্ভানকে তার কাছে
থাকতে দেবাে না ৷ তোমরা তো আমাদের সঙ্গীর নিকট থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়েছ ৷ উম্মু

সালামা বলেন, আমার পুত্র সালামাকে নিয়ে৩ ৷রা পরস্পবে টান৷ ৷-৫ইাপ্ড়া করে এবং শেষ পর্যন্ত
তারা তার হাতকে ছ৷ ৷ড়িয়ে নেয় ৷ বনু আবদুল আসাদ তাকে নিয়ে চলে যায় এবং বনু মুপীরা
আমাকে তাদের কাছে আটকিয়ে রাখে এবং আমার স্বামী আবু ৷সালাম৷ একা মদীনা অভিমুখে
রওনা হলেন ৷ তিনি বলেন : এভাবে তারা আমার, আমার স্বামী এবং সন্তানের মধ্যে বিচ্ছেদ
সৃষ্টি করে দেয় ৷ তিনি বলেন : প্রতিদিন ভোরে আমি বের হতাম এবং প্রাম্ভরে গিয়ে সন্ধ্য৷ পর্যন্ত
কান্নকােটি করতাম ৷ এক বছর বা তার কাছাকাছি সময় পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকে ৷ শেষ
পর্যন্ত বনু মুগীরার মধ্য থেকে আমার চাচাত ভাই এসে আমার অবস্থা দেখে আমার প্ৰতি দয়া
পরবশ হয়ে বনু মুগীরাকে বলে :

এ অসহায় নারীঢির প্ৰতি জু৩লু-ম অবিচ৷ ৷র থেকে তোমরা কি নিঃবৃত্ত হবে না? তার স্বামী এবং
সন্তানের মধ্যে তোমরা তো বিচ্ছেদ ঘটালে ৷ তিনি বলেন, তখন তারা আমাকে বলেং : তুমি
ইচ্ছা করলে তোমার স্বামীর সঙ্গে মিলিত হতে পার ৷ তিনি বলেন, এ সময় আবদুল আসাদ
গোত্রে লোকজন আমার সত্তানকে আমার নিকট ফিরিয়ে দেয় ৷ তিনি বলেন এ সময় আমার
উটনী রওনা হয় এবং আমি আম৷ ৷র সন্তানকে আমার কো লে তুলে নিইা তারপর আমার স্বামীর
উদ্দেশ্যে আমি মদীনায় রওনা হই এবং এসময় আল্লাহর সৃষ্টিকুলের কেউই আমার সঙ্গে ছিল
না ৷ এমনকি আমি যখন তানঈমে’ এসে পৌছি, তখন বনু আদি গোত্রের উছমান ইবন তালহা
ইবন আবু তালহার সাথে আমার সাক্ষাত হয় ৷ তিনি আমাকে বললেন, হে আবু উমায়্যার কন্যা ৷
কোথায় যাচ্ছা আমি বললাম, মদীনায় আমার স্বামীর নিকট যেতে চাই ৷ তিনি বললেন, তোমার
সঙ্গে আর কেউ আছে কি ? আমি বাংলায় : আল্লাহ্ তাআল৷ এবং আমার এ সত্তানটি ছাড়া
আমার সাথে আর কেউ নেই ৷ তখন তিনি বললেন : আল্লাহ্র কসম, আমি তো তোমাকে একা
ছাড়তে পারি না ৷ এ বলে তিনি আমার উটের লাগাম ধরে আমার সঙ্গে চলতে থাকেন ৷
আল্লাহ্র কসম, আরবের যেসব লোকের সঙ্গে আমি চলেছি, তাদের মধ্যে তার চেয়ে বেশী ভদ্র

কাউকে দেখিনি আমি ৷ কোন মনযিলে উপনীত হলে তিনি আমার জন্য উটকে বসাতেন এবং
নিজে পেছনে সরে যেতে তন ৷ আমি নিচে অবতরণ করলে তিনি সওয়ড়ারী থেকে হাওদাটি
নামাতেন এবং দুরে গাছের সঙ্গে বেধে তিনি নীচে বিশ্রাম গ্রহণ করতেন ৷ রওনা করার সময়
এলে তিনি উটের নিকট এগিয়ে আসতেন, উটকে এগিয়ে দিতেন এবং উটকে তৈয়ার করে তিনি
নিজে দুরে সরে যেতেন এবং আমাকে বলতেন : তুমি সওয়ড়ার হও ৷ আমি উটের পিঠে ঠিক


وَكَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَيْهَا قَبْلَ بَيْعَةِ الْعَقَبَةِ بِسَنَةٍ، حِينَ آذَتْهُ قُرَيْشٌ مَرْجِعَهُ مِنَ الْحَبَشَةِ، فَعَزَمَ عَلَى الرُّجُوعِ إِلَيْهَا، ثُمَّ بَلَغَهُ أَنَّ بِالْمَدِينَةِ لَهُمْ إِخْوَانًا فَعَزَمَ إِلَيْهَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: لَمَّا أَجْمَعَ أَبُو سَلَمَةَ الْخُرُوجَ إِلَى الْمَدِينَةِ رَحَّلَ لِي بَعِيرَهُ، ثُمَّ حَمَلَنِي عَلَيْهِ، وَجَعَلَ مَعِي ابْنِي سَلَمَةَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ فِي حِجْرِي، ثُمَّ خَرَجَ يَقُودُ بِي بِعِيرَهُ، فَلَمَّا رَأَتْهُ رِجَالُ بَنِي الْمُغِيرَةِ قَامُوا إِلَيْهِ، فَقَالُوا: هَذِهِ نَفْسُكَ غَلَبْتَنَا عَلَيْهَا، أَرَأَيْتَ صَاحِبَتَنَا هَذِهِ عَلَامَ نَتْرُكُكَ تَسِيرُ بِهَا فِي الْبِلَادِ؟ قَالَتْ: فَنَزَعُوا خِطَامَ الْبَعِيرِ مِنْ يَدِهِ، وَأَخَذُونِي مِنْهُ. قَالَتْ: وَغَضِبَ عِنْدَ ذَلِكَ بَنُو عَبْدِ الْأَسَدِ رَهْطُ أَبِي سَلَمَةَ، فَقَالُوا: وَاللَّهِ لَا نَتْرُكُ ابْنَنَا عِنْدَهَا إِذْ نَزَعْتُمُوهَا مِنْ صَاحِبِنَا، قَالَتْ: فَتَجَاذَبُوا ابْنِي سَلَمَةَ بَيْنَهُمْ حَتَّى خَلَعُوا يَدَهُ، وَانْطَلَقَ بِهِ بَنُو عَبْدُ الْأَسَدِ، وَحَبَسَنِي بَنُو الْمُغِيرَةِ عِنْدَهُمْ، وَانْطَلَقَ زَوْجِي أَبُو سَلَمَةَ إِلَى الْمَدِينَةِ، قَالَتْ: فَفُرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَ ابْنِي وَبَيْنَ زَوْجِي. قَالَتْ: فَكُنْتُ أَخْرُجُ كُلَّ غَدَاةٍ فَأَجْلِسُ فِي الْأَبْطَحِ، فَمَا أَزَالُ أَبْكِي حَتَّى أُمْسِيَ - سَنَةً أَوْ قَرِيبًا مِنْهَا - حَتَّى مَرَّ بِي رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَمِّي أَحَدُ بَنِي الْمُغِيرَةِ، فَرَأَى مَا بِي فَرَحِمَنِي، فَقَالَ لِبَنِي الْمُغِيرَةِ: أَلَا تُخْرِجُونَ هَذِهِ الْمِسْكِينَةَ؟ فَرَّقْتُمْ بَيْنَهَا وَبَيْنَ زَوْجِهَا
পৃষ্ঠা - ২১৩৪


মতো সওয়ার হয়ে বসলে তিনি এসে উটের লাপাম ধরতেন এবং আমাকে নিয়ে তিনি অগ্রে
অগ্রে চলতেন ৷ এভাবে তিনি আমাকে মনযিলে নিয়ে যেতেন ৷ আমাকে মদীনায় নিয়ে যাওয়া
পর্যন্ত তিনি আমার সঙ্গে এরুপই করতে থাকেন ৷ শেষ পর্যন্ত কৃবায় বনু আমর ইবন আওফের
জনপদের প্রতি দৃষ্টি পড়লে তিনি বলে উঠলেন : এ জনপদেই তোমার স্বামী রয়েছেন ৷ আর
আবু সালামা সে জনপদেই অবস্থান করছিলেন ৷ আল্লাহ্ তাআলার বরকত ও কল্যাণ নিয়ে তুমি
যে জনপদে প্রবেশ কর ৷

একথা বলেই তিনি মক্কার পথে রওনা হয়ে যান ৷ তিনি বলণ্তন ও ইসলামের কারণে আবু
সালামার পরিবারের লোকজন যেসব বিপদাপদের সম্মুখীন হয়েছে অন্য কোন পরিবারের
লোকজন তেমন বিপদের সম্মুখীন হয়েছে বলে আমার জানা নেই এবং উছমান ইবন তালহার
চাইতে ভদ্র মানুষ আমি কখনো সঙ্গী হিসাবে পাইনি ৷ এ উছমান ইবন তালহা ইবন আবু তালহা ,
আল আবদারী হুদায়বিয়ার সন্ধির পর ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তিনি এবং খালিদ ইবন ’ওয়ালীদ
এক সঙ্গে হিজরত করেন ৷ উহুদ যুদ্ধের দিন র্তার পিতা, তিন ভাই-হারিছ, কিলাব এবং মুসাফি
এবং তার মামা উছমান ইবন আবু তালহা-এরা সকলেই শহীদ হন ৷ মক্কা বিজয়ের দিন
রাসুলুল্লাহ্ (না) তার এবং তার চাচাত ভ শায়বার নিকট কাবা শরীফের চাবি অর্পণ করেন ৷
তার চাচাত ভাই শায়বা ছিলেন বনু শায়বার আদি পুরুষ ৷ জাহিলী যুগে কাবড়া শরীফের চাবি
তাদের নিকট ছিল ৷ নবী (সা) ইসলামী ষুগেও তা বহাল রাখেন ৷ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা
নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন :

৷ ৰুহুা

“নিশ্চয় আল্লাহ তােমাদেরকে নির্দেশ দেন আমানত তার হকদারকে প্রত্যর্পণ করতে” (৪ :
৫৮) ৷

ইবন ইসহাক বলেন : আবু সালামার পর প্রথম যে ব্যক্তি মদীনায় হিজরত করেন তিনি
হলেন বনী আদীর মিত্র আমির ইবন রাবীআ ৷ তার সঙ্গে তার শ্রী লায়লা বিন্ত আবু হাছমা
আল-আদর্বিয়াও ছিলেন ৷ এরপর বনু উমাইয়া ইবন আবদে শামস-এর মিত্র আবদুল্লাহ ইবন
জাহাশ ইবন রিয়াব ইবন ইয়ামার ইবন সুরুরা ইবন সুবরা ইবন কাবীর ইবন গানাম দুদান এবং
আসাদ ইবন খুযায়মা ৷ তিনি পরিবার-পরিজন এবং তার ভাই আবদ আবু আহমদকেও সঙ্গে
নিয়ে গমন করেন ৷ ইবন ইসহাকের বর্ণনানুযায়ী তার নাম ছিল আবদ ৷ কারো কারো মতে তার
নাম ছিল ছুমামা ৷ সুহায়লী বলেন : প্রথম অভিমতই বিশুদ্ধতর , আর আবু আহমদ ছিলেন দৃষ্টি
শক্তিহীন ব্যক্তি, কিন্তু কোন দিশারী-সহকড়ারী ব্যভীতই তিনি মক্কার উচ্চভুমি নিম্নভুমি ঘুরে
রেড়াতেন ৷ তিনি একজন কবিও ছিলেন ৷ তার শ্রী ছিলেন আবু সুফিয়ান ইবন হাবব এর কন্যা
ফারিআহ ৷ আর তার মাতা ছিলেন উমায়ম৷ বিন্ত আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিম ৷ হিজরত বনু
জাহশের ঘরবাড়ী জনশুন্য করে দেয় ৷

এক দিনের ঘটনা ৷ মক্কার উচ্চতুমি দিয়ে যাচ্ছিলেন উতবা ইবন রাবীআ, আব্বাস ইবন
আবদুল ঘুত্তালিব এবং আবু জাহ্ল ইবন হিশাম ৷ উতব৷ দেখতে পেলেন যে, বনু জাহাশের


وَبَيْنَ وَلَدِهَا؟ قَالَتْ: فَقَالُوا لِي: الْحَقِي بِزَوْجِكِ إِنْ شِئْتِ. قَالَتْ: فَرَدَّ بَنُو عَبْدِ الْأَسَدِ إِلَيَّ عِنْدَ ذَلِكَ ابْنِي، قَالَتْ: فَارْتَحَلْتُ بَعِيرِي، ثُمَّ أَخَذْتُ ابْنِي فَوَضَعْتُهُ فِي حِجْرِي، ثُمَّ خَرَجْتُ أُرِيدُ زَوْجِي بِالْمَدِينَةِ، قَالَتْ: وَمَا مَعِي أَحَدٌ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ، حَتَّى إِذَا كُنْتُ بِالتَّنْعِيمِ لَقِيتُ عُثْمَانَ بْنَ طَلْحَةَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَخَا بَنِي عَبْدِ الدَّارِ، فَقَالَ: إِلَى أَيْنَ يَا ابْنَةَ أَبِي أُمَيَّةَ؟ قُلْتُ: أُرِيدُ زَوْجِي بِالْمَدِينَةِ. قَالَ: أَوْ مَا مَعَكِ أَحَدٌ؟ قُلْتُ: مَا مَعِي أَحَدٌ إِلَّا اللَّهُ وَابْنِي هَذَا. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا لَكِ مِنْ مَتْرَكٍ. فَأَخَذَ بِخِطَامِ الْبَعِيرِ فَانْطَلَقَ مَعِي يَهْوِي بِي، فَوَاللَّهِ مَا صَحِبْتُ رَجُلًا مِنَ الْعَرَبِ قَطُّ أَرَى أَنَّهُ كَانَ أَكْرَمَ مِنْهُ; كَانَ إِذَا بَلَغَ الْمَنْزِلَ أَنَاخَ بِي، ثُمَّ اسْتَأْخَرَ عَنِّي، حَتَّى إِذَا نَزَلْتُ اسْتَأْخَرَ بِبَعِيرِي فَحَطَّ عَنْهُ، ثُمَّ قَيَّدَهُ فِي الشَّجَرِ، ثُمَّ تَنَحَّى إِلَى شَجَرَةٍ فَاضْطَجَعَ تَحْتَهَا، فَإِذَا دَنَا الرَّوَاحُ قَامَ إِلَى بَعِيرِي فَقَدَّمَهُ فَرَحَّلَهُ، ثُمَّ اسْتَأْخَرَ عَنِّي، وَقَالَ: ارْكَبِي. فَإِذَا رَكِبْتُ فَاسْتَوَيْتُ عَلَى بَعِيرِي، أَتَى فَأَخَذَ بِخِطَامِهِ فَقَادَنِي حَتَّى يَنْزِلَ بِي، فَلَمْ يَزَلْ يَصْنَعُ ذَلِكَ بِي حَتَّى أَقْدَمَنِي الْمَدِينَةَ، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَى قَرْيَةِ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ بِقُبَاءٍ، قَالَ: زَوْجُكِ فِي هَذِهِ الْقَرْيَةِ - وَكَانَ أَبُو سَلَمَةَ بِهَا نَازِلًا - فَادْخُلِيهَا عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ. ثُمَّ انْصَرَفَ رَاجِعًا إِلَى مَكَّةَ فَكَانَتْ تَقُولُ: مَا أَعْلَمُ أَهْلَ بَيْتٍ فِي الْإِسْلَامِ أَصَابَهُمْ مَا أَصَابَ آلَ أَبِي سَلَمَةَ، وَمَا رَأَيْتُ صَاحِبًا قَطُّ كَانَ أَكْرَمَ مِنْ عُثْمَانَ بْنِ طَلْحَةَ. أَسْلَمَ عُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْعَبْدَرِيُّ هَذَا بَعْدَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَهَاجَرَ هُوَ وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ مَعًا، وَقُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ أَبُوهُ وَإِخْوَتُهُ; الْحَارِثُ، وَكِلَابٌ،
পৃষ্ঠা - ২১৩৫
وَمُسَافِعٌ، وَعَمُّهُ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ، وَدَفَعَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْفَتْحِ، وَإِلَى ابْنِ عَمِّهِ شَيْبَةَ، وَالِدِ بَنِي شَيْبَةَ، مَفَاتِيحَ الْكَعْبَةِ، أَقَرَّهَا عَلَيْهِمْ فِي الْإِسْلَامِ كَمَا كَانَتْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ. وَنَزَلَ فِي ذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا} [النساء: 58] الْآيَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ كَانَ أَوَّلَ مَنْ قَدِمَهَا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ بَعْدَ أَبِي سَلَمَةَ، عَامِرُ بْنُ رَبِيعَةَ حَلِيفُ بَنِي عَدِيٍّ، مَعَهُ امْرَأَتُهُ لَيْلَى بِنْتُ أَبِي حَثْمَةَ الْعَدَوِيَّةُ، ثُمَّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشِ بْنِ رِيِابِ بْنِ يَعْمَرَ بْنِ صَبْرَةَ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ غَنْمِ بْنِ دُودَانَ بْنِ أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ، حَلِيفُ بَنِي أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، احْتَمَلَ بِأَهْلِهِ وَبِأَخِيهِ عَبْدٍ أَبِي أَحْمَدَ - اسْمُهُ عَبْدٌ كَمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَقِيلَ: ثُمَامَةُ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ - وَكَانَ أَبُو أَحْمَدَ رَجُلًا ضَرِيرَ الْبَصَرِ، وَكَانَ يَطُوفُ مَكَّةَ أَعْلَاهَا وَأَسْفَلَهَا بِغَيْرِ قَائِدٍ، وَكَانَ شَاعِرًا وَكَانَتْ عِنْدَهُ الْفَارِعَةُ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ بْنِ حَرْبٍ، وَكَانَتْ أُمُّهُ أُمَيْمَةَ بِنْتَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ، فَغُلِقَتْ دَارُ بَنِي جَحْشٍ هِجْرَةً، فَمَرَّ بِهَا عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ،
পৃষ্ঠা - ২১৩৬


বসত বাড়ির দরজা রুদ্ধ ৷ তাতে কেউ বসবাস করে না ৷ এ অবস্থা দেখে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে
আরোহণকারী বলে উঠে :

এহ্র স্
যে কোন গৃহ যত দীর্ঘ দিন তা নিরাপদে থাকুক না কেন, একদিন বায়ুপ্রবাহ তা গ্রাস
করবে, আচ্ছন্ন করবে তাকে ধ্বংসলীলা ৷

ইবন হিশাম বলেন, এই কবিতাটি আবু দাউদ আয়াদীর কাসীদা থেকে নেয়া হয়েছে ৷
সুহায়লী বলেন, আবু দাউদের নাম হল হানযালা ইবন শারকী ৷ কারো কারো মতে তীর নাম
হারিছা ৷ এরপর উতবা বললো, বনু জাহশের গৃহ জনশুন্য পড়ে আছে বসবাস করার কেউ
নেই ৷ তখন আবু জাহ্ল বললাে : তবে এ ফাল ইবন ফাল-এর জন্য কেন তুমি বোদন করছ ?
এরপর আব্বড়াসকে উদ্দেশ করে বলে এতেড়া তোমার ভাতিজার কাণ্ড ৷ সেই তো আমাদের দলে
র্ভাঙ্গন ধরিয়েছে, আমাদের ঐক্য বিনষ্ট করেছে এবং আমাদের ম হত্ব;াকার আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন
করেছে ৷

ইবন ইসহাক বলেন : এরপর আবু সালামা আমির ইবন রাবীআ এবং বনু জাহাশ কুবায়
মুবাশৃশির ইবন আবদে মুনযির-এর নিকট অবস্থান করতে থাকেন ৷ এরপর মুহড়াজিরগণ দলে
দলে আগমন করতে থাকেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন : বনু গানাম ইবন দুদান ইসলাম গ্রহণ করে
এবং তাদের নারী-পুরুষরা হিজরত করে মদীনায় আগমন করেন ৷ আর তারা ছিলেন আবদুল্লাহ্
ইবন জাহাশ, তার ভাই আবু আহমদ উক্কশা ইবন মিহসান, ওয়াহ্বের পুত্র শুজা ও উকবা
আরবাদ ইবন জামীরার মুনকিয ইবন নাবাতা, সাঈদ ইবন রড়াকীশ মিহরায ইবন নাযলা, যায়দ
ইবন ফাকীশ, কায়স ইবন জাবির , আমৃর ইবন মিহসান, মালিক ইবন আমর, সাফওয়ড়ান ইবন
আমর, সাকাফ ইবন আমৃর ও রাবীআ ইবন আকছুম যুবড়ায়র ইবন উবায়দা তামাম ইবন
উবায়দা, সাখবারা ইবন উবায়দা, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ এবং তাদের নারীদের
মধ্যে যয়নব বিনৃত জাহাশ, বিনৃত জাহাশ উম্মে হাবীব বিনৃত জাহাশ জুদামা বিনৃত জন্দল, উম্মু
কায়স বিনৃত মিহসান, উম্মু হাবীব বিনৃত সুমামা, আমিনা বিনৃত রড়াকীশ এবং সাখবারা বিনৃত
তামীম ৷ মদীনায় তাদের হিজরত প্রসঙ্গে আবু আহমদ ইবন জাহাশ নিম্নোক্ত কবিতা রচনা
করেন :


যে সত্তাকে আমি না দেখে ভয় করি ভোরে তার পানে রওনা হওয়ার সময় উম্মে আহমদ
যখন আমাকে দেখে ফেলে ৷

তখন সে বলে : তোমাকে যদি হিজরত করতেই হয়, তবে ইয়াছরিব থেকে দুরে সরে
অপর কোন নগরে আমাদেরকে নিয়ে চল ৷


وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَأَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ، وَهُمْ مُصْعِدُونَ إِلَى أَعْلَى مَكَّةَ، فَنَظَرَ إِلَيْهَا عُتْبَةُ تَخْفِقُ أَبْوَابُهَا يَبَابًا لَيْسَ بِهَا سَاكِنٌ، فَلَمَّا رَآهَا كَذَلِكَ تَنَفَّسَ الصُّعَدَاءَ وَقَالَ: وَكُلُّ دَارٍ وَإِنْ طَالَتْ سَلَامَتُهَا ... يَوْمًا سَتُدْرِكُهَا النَّكْبَاءُ وَالْحُوبُ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَهَذَا الْبَيْتُ لِأَبِي دَاوُدَ الْإِيَادِيِّ فِي قَصِيدَةٍ لَهُ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَاسْمُ أَبِي دَاوُدَ حَنْظَلَةُ بْنُ شَرْقِيٍّ. وَقِيلَ: جَارِيَةُ. ثُمَّ قَالَ عُتْبَةُ: أَصْبَحَتْ دَارُ بَنِي جَحْشٍ خَلَاءً مِنْ أَهْلِهَا. فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ: وَمَا تَبْكِي عَلَيْهِ مِنْ قُلِّ بْنِ قُلٍّ. ثُمَّ قَالَ - يَعْنِي لِلْعَبَّاسِ -: هَذَا مِنْ عَمَلِ ابْنِ أَخِيكَ هَذَا، فَرَّقَ جَمَاعَتَنَا، وَشَتَّتَ أَمْرَنَا، وَقَطَّعَ بَيْنَنَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَنَزَلَ أَبُو سَلَمَةَ، وَعَامِرُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَبَنُو جَحْشٍ بِقُبَاءَ عَلَى مُبَشِّرِ بْنِ عَبْدِ الْمُنْذِرِ، ثُمَّ قَدِمَ الْمُهَاجِرُونَ أَرْسَالًا. قَالَ: وَكَانَ بَنُو غَنْمِ بْنِ دُودَانَ أَهْلَ إِسْلَامٍ قَدْ أَوْعَبُوا إِلَى الْمَدِينَةِ هِجْرَةً رِجَالُهُمْ وَنِسَاؤُهُمْ; عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ، وَأَخُوهُ أَبُو أَحْمَدَ، وَعُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ، وَشُجَاعٌ وَعُقْبَةُ ابْنَا
পৃষ্ঠা - ২১৩৭


এ্যা
তাকে আমি বললাম, ইয়াছরিব আমার আকাভক্ষার স্থান নয়, রহমান যা চান ইনসান তো
সেদিকেই ধাবিত হয় ৷

আল্লাহ্ এবং রাসুলের দিকেই আমার মুখ ফিরালড়াম ৷ আর যে আল্লাহর দিকে মুখ ফিরাবে
সে কোন দিন ব্যর্থ মনােরথ হবে না ৷

ণ্ৰুষ্
কতো উপদেশদাতা বন্ধুকে আমরা বিসর্জন দিয়েছি, বিসর্জন দিয়ছি, কতো উপদেশদাতা
নারীকে, অশ্রুজলে ত্রুন্দনরত আর বিলাপরত অবস্থায় ৷
তারা মনে করতো জুলুম আমাদের শহর থেকে দুরে (তাই হিজরত নিম্প্রয়ােজন) ৷ আর
আমরা মনে করি মুল্যবান বন্তুই আমরা সন্ধান করছি

আমি বনু গুনামকে আহ্বান জানিয়েছি তাদের রক্তের হিফাযতের তার , সত্যের তবে , যখন
তা প্রকাশ পায় জনগণের নিকট স্পষ্ট ভাবে ৷

যখন তাদের ডাকা হয়, তারা আল-হামদু লিল্লাহ্ বলে সাড়া দেয় ৷ যখন আহ্বান করে
তাদেরকে আরোহণকারী সত্যের দিকে , সাফল্যের দিকে, তখন তারা সাড়া দেয় ৷


আমরা এবং আমাদের বন্ধুরা দুরে ছিলাম ইিদায়াত থেকে ৷ তারা আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র
ধারণ করে এবং হামলা চালায় ৷

তারা ছিল যেন দু’টি বাহিনী, একটি ছিল তাওফীকধন্য হিদায়াতের পথে, আর অপর
বাহিনী ছিল আযাবে নিপতিত ৷

একটা বাহিনী বিদ্রোহ করে আর মিথ্যা আশা করে আর ইবলীস তাদের পদস্থালিত করে ৷
ফলে তারা হয় ব্যর্থ মনােরথ ৷

এ এ


وَهْبٍ، وَأَرْبَدُ بْنُ حُمَيِّرَةَ، وَمُنْقِذُ بْنُ نُبَاتَةَ، وَسَعِيدُ بْنُ رُقَيْشٍ، وَمُحْرِزُ بْنُ نَضْلَةَ، وَيَزِيدُ بْنُ رُقَيْشٍ، وَقَيْسُ بْنُ جَابِرٍ، وَعَمْرُو بْنُ مِحْصَنٍ، وَمَالِكُ بْنُ عَمْرٍو، وَصَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، وَثَقْفُ بْنُ عَمْرٍو، وَرَبِيعَةُ بْنُ أَكْثَمَ، وَالزُّبَيْرُ بْنُ عُبَيْدَةَ، وَتَمَّامُ بْنُ عُبَيْدَةَ، وَسَخْبَرَةُ بْنُ عُبَيْدَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ، وَمِنْ نِسَائِهِمْ زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ، وَحَمْنَةُ بِنْتُ جَحْشٍ، وَأُمُّ حَبِيبٍ بِنْتُ جَحْشٍ، وَجُذَامَةُ بَنَتُ جَنْدَلٍ، وَأُمُّ قَيْسٍ بِنْتُ مِحْصَنٍ، وَأُمُّ حَبِيبٍ بِنْتُ ثُمَامَةَ، وَآمِنَةُ بِنْتُ رُقَيْشٍ، وَسَخْبَرَةُ بِنْتُ تَمِيمٍ. قَالَ أَبُو أَحْمَدَ بْنِ جَحْشٍ فِي هِجْرَتِهِمْ إِلَى الْمَدِينَةِ. وَلَمَّا رَأَتْنِي أُمُّ أَحْمَدَ غَادِيًا ... بِذِمَّةِ مَنْ أَخْشَى بِغَيْبٍ وَأَرْهَبُ تَقُولُ فَإِمَّا كُنْتَ لَا بُدَّ فَاعِلًا ... فَيَمِّمْ بِنَا الْبُلْدَانَ وَلْتَنْأَ يَثْرِبُ
পৃষ্ঠা - ২১৩৮
فَقُلْتُ لَهَا مَا يَثْرِبٌ بِمَظِنَّةٍ وَمَا يَشَأِ الرَّحْمَنُ فَالْعَبْدُ يَرْكَبُ ... إِلَى اللَّهِ وَجْهِي وَالرَّسُولِ وَمَنْ يُقِمْ إِلَى اللَّهِ يَوْمًا وَجْهَهُ لَا يُخَيَّبُ ... فَكَمْ قَدْ تَرَكْنَا مِنْ حَمِيمٍ مُنَاصِحٍ وَنَاصِحَةٍ تَبْكِي بِدَمْعٍ وَتَنْدِبُ ... تَرَى أَنَّ وِتْرًا نَأْيُنَا عَنْ بِلَادِنَا وَنَحْنُ نَرَى أَنَّ الرَّغَائِبَ نَطْلُبُ ... دَعَوْتُ بَنِي غَنْمٍ لِحَقْنِ دِمَائِهِمُ وَلِلْحَقِّ لَمَّا لَاحَ لِلنَّاسِ مَلْحَبُ ... أَجَابُوا بِحَمْدِ اللَّهِ لَمَّا دَعَاهُمُ إِلَى الْحَقِّ دَاعٍ وَالنَّجَاحِ فَأَوْعَبُوا ... وَكُنَّا وَأَصْحَابٌ لَنَا فَارَقُوا الْهُدَى أَعَانُوا عَلَيْنَا بِالسِّلَاحِ وَأَجْلَبُوا ... كَفَوْجَيْنِ أَمَّا مِنْهُمَا فَمُوَفَّقٌ عَلَى الْحَقِّ مَهْدِيٌّ وَفَوْجٌ مُعَذَّبُ ... طَغَوْا وَتَمَنَّوْا كِذْبَةً وَأَزَلَّهُمْ عَنِ الْحَقِّ إِبْلِيسٌ فَخَابُوا وَخَيَّبُوا ... وَرِعْنَا إِلَى قَوْلِ النَّبِيِّ مُحَمَّدٍ فَطَابَ وُلَاةُ الْحَقِّ مَنَّا وَطَيَّبُوا ... نَمُتُّ بِأَرْحَامٍ إِلَيْهِمْ قَرِيبَةٍ وَلَا قُرْبَ بِالْأَرْحَامِ إِذْ لَا تُقَرَّبُ ... فَأَيُّ ابْنِ أُخْتٍ بَعْدَنَا يَأْمَنَنَّكُمْ وَأَيَّةُ صِهْرٍ بَعْدَ صِهْرِيَ تُرْقَبُ
পৃষ্ঠা - ২১৩৯


আমরা প্রত্যাবর্ভা করি নবী মুহাম্মাদের বাণীর প্রতি ৷ ফলে সত্যের সাধকরা হয় আমাদের
প্রতি প্রসন্ন ৷


আমরা তাদের সঙ্গে নৈকটোর সম্পর্ক দ্বারা সম্পর্ক স্থাপন করি, আর আত্মীয়তার সম্পর্কের
তােয়াক্কা না করলে তা মযবুত হয় না ৷ এমন সম্পর্ক কোন কাজেও আসে না ৷

এেএে
সুতরাং আমাদের পর কোন বোনের ছেলে তোমাদের থেকে নিরাপদ থাকবে, আর আমার
জামইি হওয়ার পর কোন জামাইয়ের প্রতীক্ষায় ?

এক দিন তুমি জানতে পারবে আমাদের মধ্যে কে সতোব নিকটতর, যখন জনগণের
ব্যাপার নিয়ে তারা বিবাদে জড়িয়ে পড়বে ৷

ইবন ইসহাক বলেন: এরপর (হিজরতের উদ্দেশ্যে) বহিগ্তি হন উমর ইবন খাত্তাব এবং
আইয়্যাশ ইবন আবী রাবীআ ৷ নাফি আবদুল্লাহ্ ইবন উমর সুত্রে তার পিতা থেকে বর্ণনা করে
বলেন, আমি যখন হিজরতের সংকল্প করি , তখন আমি, আইয়াশ ইবন আবু রাবীআ এবং
হিশাম ইবন আস সরফ নামক স্থানের কাছে বনু গিফারের জলাশয়ের নিকট তানাযুব নামক
স্থানে মিলিত হয়ে প্রতিজ্ঞা করি যে, আমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি প্ৰতুব্রুষে সেখানে পৌছতে পারবে
না, ধরে নেয়া হবে যে, সে আটকা পড়েছে সুতরাং তার সঙ্গীদ্বয় তোর অপেক্ষায় না থেকে যাত্রা
অব্যাহত রাখবে ৷ ভোরে আমি এবং আইয়াশ তানাযুব উপস্থিত হই আর হিশাম আটকা পড়ে
এবং নির্যাতনের শিকার হয় ৷ মদীনায় পৌছে আমরা কইবনয় বনু আমর ইবনু আওফের পল্লীতে
অবস্থান করি ৷ আবু জাহ্ল ইবন হিশাম এবং হারিস ইবন হিশাম বেরিয়ে আইয়াশের নিকট
আসে ৷ আর আইয়াশ ছিলেন উভয়ের চাচাত ভাই এবং বৈমাত্রেয় ভাই ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (না)
তখনো মক্কায় অবস্থান করছিলেন ৷ এরা দুজন আইয়াশের নিকট আগমন করে তার সঙ্গে কথা
বলতে গিয়ে তাকে জানায় যে, তোমার মা মানত করেছেন যে, তোমাকে না দেখে তিনি মাথার
চুল আচড়াবেন না ৷ তিনি আরো মানত করেছেন যে, তোমাকে না দেখা পর্যন্ত তিনি কোন
ছায়ায় বসবেন না ৷ এসব শুনে তার অন্তর বিগলিত হয় ৷ আমি তাকে বললাম, আল্লাহ্র কসম,
এরা আসলে তোমাকে দীন থেকে বিচ্যুত করতে চায় ৷ কাজেই তাদের ব্যাপারে তুমি সতর্ক
থাকবে ৷ আমি আল্লাহ্র কসম করে বলছি, উকুন তোমার মাকে উত্যক্ত করলে তিনি অবশ্যই
চিরুনী ব্যবহার করবেন ৷ আর মক্কার উষ্ণতা তীব্র আকার ধারণ করলে তিনি অবশ্যই ছায়ায়
যাবেন ৷ আইয়াশ বললেন, আমি আমার মায়ের কসম পুর্ণ করবো এবং মক্কায় আমার যে
ধ্ন-সম্পদ রয়েছে তাও নিয়ে আসবাে ৷ তিনি বলেন, আমি তাকে বললাম , আল্লাহর কসম, তুমি
তো ভাল করেই জান যে, আমি কুরায়শের মধ্যে সর্বাধিক ধনী ব্যক্তি ৷ আমার অর্ধেক সম্পদ
তোমাকে দান করবো, তবু তুমি তাদের সঙ্গে যেয়াে না ৷ তিনি বলেন, ফলে তিনি তাদের সঙ্গে


سَتَعْلَمُ يَوْمًا أَيُّنَا إِذْ تَزَيَّلُوا ... وَزُيِّلَ أَمْرُ النَّاسِ لِلْحَقِّ أَصْوَبُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ خَرَجَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَعَيَّاشُ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ حَتَّى قَدِمَا الْمَدِينَةَ، فَحَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: اتَّعَدْتُ لَمَّا أَرَدْنَا الْهِجْرَةَ إِلَى الْمَدِينَةِ أَنَا وَعَيَّاشُ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ وَهِشَامُ بْنُ الْعَاصِ التَّنَاضِبَ، مِنْ أَضَاةِ بَنِي غِفَارٍ فَوْقَ سَرِفَ، وَقُلْنَا: أَيُّنَا لَمْ يُصْبِحْ عِنْدَهَا; فَقَدْ حُبِسَ فَلْيَمْضِ صَاحِبَاهُ. قَالَ: فَأَصْبَحْتُ أَنَا وَعَيَّاشٌ عِنْدَ التَّنَاضِبِ، وَحُبِسَ هِشَامٌ وَفُتِنَ فَافْتَتَنَ، فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ نَزَلْنَا فِي بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ بِقُبَاءَ، وَخَرَجَ أَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ، وَالْحَارِثُ بْنُ هِشَامٍ، إِلَى عَيَّاشٍ - وَكَانَ ابْنَ عَمِّهِمَا وَأَخَاهُمَا لِأُمِّهِمَا - حَتَّى قَدِمَا الْمَدِينَةَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فَكَلَّمَاهُ، وَقَالَا لَهُ: إِنَّ أُمَّكَ قَدْ نَذَرَتْ أَنْ لَا يَمَسَّ رَأْسَهَا مُشْطٌ حَتَّى تَرَاكَ، وَلَا تَسْتَظِلَّ مِنْ شَمْسٍ حَتَّى تَرَاكَ فَرَقَّ لَهَا، فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّهُ وَاللَّهِ إِنْ يُرِيدُكَ الْقَوْمُ إِلَّا لِيَفْتِنُوكَ عَنْ دِينِكَ فَاحْذَرْهُمْ، فَوَاللَّهِ لَوْ قَدْ آذَى أُمَّكَ الْقَمْلُ لَامْتَشَطَتْ، وَلَوْ قَدِ اشْتَدَّ عَلَيْهَا حُرُّ مَكَّةَ لَاسْتَظَلَّتْ. قَالَ: فَقَالَ: أَبَرُّ قَسَمَ أُمِّي وَلِي هُنَالِكَ مَالٌ فَآخُذُهُ. قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ إِنَّكَ لَتَعْلَمُ أَنِّي لَمِنْ أَكْثَرِ قُرَيْشٍ مَالًا، فَلَكَ نِصْفُ مَالِي، وَلَا تَذْهَبْ مَعَهُمَا. قَالَ: فَأَبَى عَلَيَّ إِلَّا أَنْ يَخْرُجَ مَعَهُمَا، فَلَمَّا أَبَى
পৃষ্ঠা - ২১৪০


বের হতে অস্বীকার করেন ৷ তিনি যখন এটা অর্থদুৎ মক্কদুয় ফিরে যাওয়া ছাড়া আর সবই

অস্বীকদু র করলেন, তখন আমি তাকে বললদুম যে, তুমি যখন যা করা র তইি করবে তখন আমার
এ উটনীটি গ্রহণ কর ৷ এটি উচ্চ বংশজাত এবৎ অনুগত উটনী ৷ তুমি তার পিঠে চড়বে আর

এদের কো ন বিষয় তোমাকে সন্দেহে ফেললে তার পিঠে চড়ে তুমি ফিরে আসবে ৷ ফলে উটনীর

পিঠে চড়ে তিনি তাদের উভয়ের সঙ্গে বের হলেন, পথিমধ্যে আবু জাহ্ল তাকে বলে; তাই

আল্লাহ্র কসম, আমি মনে করি আমার উটনীটি বেশ অবসন্ন হয়ে পড়েছে ৷ তুমি কি আমাকে

তোমার উটনীর পিঠে বসতে দেবে আ দুইয়দুশ বললেন ৷ কেন নয় অবশ্য অবশ্যই তিনি উটনী

বসালেন আর তা দুরদু দু জানও উটনী বসদুলেদু ৷ত তারদু সকলে মতদুটিং নামলে দু’জনে ছুটে এসে

তাকে কষে বেধে ফেলে এবং মক্কদুয় পৌছে তার প্রতি নির্যাতন দু>দুলদুয় ৷ উমর বলেন, আমরা

বলতড়াম, যে ব্যক্তি পরীক্ষায় পড়েছে অদুল্লাহ্ তার তাওবদু কবুল করবেন না ৷ আর তারাও
নিজেদের জন্য একথদুই বলতেদু ৷ এ সময় রদুসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করেন এবং আল্লাহ্

তাঅদুলা নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন :

শ্ষ্ ; ষ্ট্র শ্০ন্০ :!শ্০শ্শ্ষ্ : :!শ্ষ্শ্০;ণ্ শ্ণ্ ০া


বল, হে আমার বান্দদুগণ তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচদুর করেছ আল্লাহ্র অনুগ্রহ
থেকে নিরদুশ হবে না ৷ আল্লাহ সম্মুদয় পাপ ক্ষমা করে দেবেন ৷ তিনি তেদু ক্ষমাশীল, পরম
দয়দুলু ৷ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমুখী হও এবং তার কাছে আত্মসমর্পণ কর
তোমাদের নিকট আমার আমার পুর্বে ৷ তার পরে তোমদুদেরকে সাহায্য করা হবে না ৷
তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে উত্তম যা নাযিল করা হয়েছে তোমরা
তার অনুসরণ কর তোমাদের উপর অতর্কিত ভাবে তোমাদের অজ্ঞাতসদুরে আযাব আসার পুর্বে
(৩৯ :

উমর (রা) বলেন, আমি উপরোক্ত আয়াত লিপিবদ্ধ করে হিশদুম ইবন আস এর নিকট
প্রেরণ করি ৷ হিশদুম বলেন৪ লিপিটি আমার নিকট পৌছলে আমি যীতৃয়দু’ উপত তক্যেয় উঠতে
উঠতে ও নদুমতে নদুমতে তা পাঠ করতে থাকি ৷ কিন্তু তার মর্ম উদ্ধার করতে ৩পদুরছিলাম না ৷
শেষ পর্যন্ত আ দুমি দু ’আ করি০ : হে আল্পাহ্ ৷ আমার নিকট আয়াতটি নাযিলের মর্ম স্পষ্ট করে দিন ৷
তখন অদুল্পাহ্ আমার অত্তরে এ তারের উদয় ঘটান যে, এটি তেদু আমাদের প্রসঙ্গেই নাযিল
হয়েছে ৷ আমরদু নিজেদের সম্পর্কে যা বলদুবলি কবতাম এবং আমাদের সম্পর্কে লোকেরা যা
বলদুবলি করতো, যে প্রসঙ্গেই আয়দুতগুলাে নাযিল হয়েছে ৷ তিনি বলেন, আমি আমার উটের
নিকট ফিরে এলাম এবং তদুর পিঠে সওয়ার হয়ে মদীনায় গিয়ে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সঙ্গে
মিলিত হলাম ৷ ইবন হিশদুম উল্লেখ করেন যে, ওয়দুলীদ ইবন মুগীরা হিশদুম ইবন আস এবং
আইয়দুশ ইবন আবু রাবীআকে মদীনায় নিয়ে আসে ৷ তাদের দু জনকে মক্কদু থেকে চুরি করে
নিজের উটের উপর সওয়ার করে মদীনায় নিয়ে আসে আর সে নিজে তাদের সঙ্গে পায়ে হেটে
আসে ৷ পথে পা ফসকে গিয়ে তার আঙ্গুল যখম হলে সে বলে :


إِلَّا ذَلِكَ قُلْتُ: أَمَا إِذْ قَدْ فَعَلْتَ مَا فَعَلْتَ، فَخُذْ نَاقَتِي هَذِهِ; فَإِنَّهَا نَاقَةٌ نَجِيبَةٌ ذَلُولٌ، فَالْزَمْ ظَهْرَهَا، فَإِنْ رَابَكَ مِنْ أَمْرِ الْقَوْمِ رَيْبٌ فَانْجُ عَلَيْهَا. فَخَرَجَ عَلَيْهَا مَعَهُمَا، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ، قَالَ لَهُ أَبُو جَهْلٍ: يَا أَخِي، وَاللَّهِ لَقَدِ اسْتَغْلَظْتُ بَعِيرِي هَذَا، أَفَلَا تَعْقِبُنِي عَلَى نَاقَتِكَ هَذِهِ. قَالَ: بَلَى. فَأَنَاخَ وَأَنَاخَا لِيَتَحَوَّلَ عَلَيْهَا، فَلَمَّا اسْتَوَوْا بِالْأَرْضِ عَدَوَا عَلَيْهِ، فَأَوْثَقَاهُ رِبَاطًا، ثُمَّ دَخَلَا بِهِ مَكَّةَ وَفَتَنَاهُ فَافْتَتَنَ. قَالَ عُمَرُ: فَكُنَّا نَقُولُ: لَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِمَّنِ افْتَتَنَ تَوْبَةً. وَكَانُوا يَقُولُونَ ذَلِكَ لِأَنْفُسِهِمْ حَتَّى قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، وَأَنْزَلَ اللَّهُ: {قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ وَأَنِيبُوا إِلَى رَبِّكُمْ وَأَسْلِمُوا لَهُ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَكُمُ الْعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنْصَرُونَ وَاتَّبِعُوا أَحْسَنَ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَكُمُ الْعَذَابُ بَغْتَةً وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ} [الزمر: 53] [الزَّمْرِ: 53 - 55] . قَالَ عُمَرُ: فَكَتَبْتُهَا بِيَدِي، وَبَعَثْتُ بِهَا إِلَى هِشَامِ بْنِ الْعَاصِ، قَالَ هِشَامٌ: فَلَمَّا أَتَتْنِي جَعَلْتُ أَقْرَؤُهَا بِذِي طُوًى أُصَعِّدُ بِهَا فِيهِ وَأُصَوِّبُ، وَلَا أَفْهَمُهَا حَتَّى قُلْتُ: اللَّهُمَّ فَهِّمْنِيهَا. فَأَلْقَى اللَّهُ فِي قَلْبِي أَنَّهَا إِنَّمَا أُنْزِلَتْ فِينَا وَفِيمَا كُنَّا نَقُولُ فِي أَنْفُسِنَا وَيُقَالُ فِينَا. قَالَ: فَرَجَعْتُ إِلَى بَعِيرِي، فَجَلَسْتُ عَلَيْهِ، فَلَحِقْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ. وَذَكَرَ ابْنُ هِشَامٍ أَنَّ الَّذِي قَدِمَ بِهِشَامِ بْنِ الْعَاصِ، وَعَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ إِلَى الْمَدِينَةِ
পৃষ্ঠা - ২১৪১
الْوَلِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، سَرَقَهُمَا مِنْ مَكَّةَ، وَقِدَمَ بِهِمَا يَحْمِلُهُمَا عَلَى بَعِيرِهِ، وَهُوَ مَاشٍ مَعَهُمَا، فَعَثَرَ فَدَمِيَتْ أُصْبُعُهُ، فَقَالَ: هَلْ أَنْتِ إِلَّا أُصْبُعٌ دَمِيتِ ... وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا لَقِيتِ وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، سَمِعَ الْبَرَاءَ، قَالَ: «أَوَّلُ مَنْ قَدِمَ عَلَيْنَا مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ، ثُمَّ قَدِمَ عَلَيْنَا عَمَّارٌ وَبِلَالٌ.» وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، قَالَ: «أَوَّلُ مَنْ قَدِمَ عَلَيْنَا مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ، وَكَانَا يُقْرِئَانِ النَّاسَ، فَقَدِمَ بِلَالٌ وَسَعْدٌ وَعَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ، ثُمَّ قَدِمَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي عِشْرِينَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا رَأَيْتُ أَهْلَ الْمَدِينَةِ فَرِحُوا بِشَيْءٍ فَرَحَهُمْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى جَعَلَ الْإِمَاءُ يَقُلْنَ: قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا قَدِمَ حَتَّى قَرَأْتُ {سَبْحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى} [الأعلى: 1] فِي سُورٍ مِنَ الْمُفَصَّلِ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ২১৪২


ট্টো
তুমি তাে একটা আঙ্গুল বৈ নও! রক্তাপুত হয়েছো ৷ আর যা কষ্ট করলে তা তো করলে
আল্লাহ্র রাস্তায়ই ৷

ইমাম বুখারী আবুল ওয়ালীদ সুত্রে বারা’ ইবন আযিব (রা)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন :
সর্বপ্রথম যিনি আমাদের নিকট আগমন করেন, তিনি ছিলেন মুসআব ইবন উমায়র, তারপর
ইবন উম্মে মাকতুম ৷ এরপর আমাদের নিকট আগমন করেন আমার এবং বিলাল ৷ মুহাম্মাদ
ইবন বাশৃশার বারা’ ইবন আযিব সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : সর্বপ্রথম আমাদের নিকট
আগমন করেন মুসআর ইবন উমায়র এবং ইবন উম্মে মাকতুম এবং এরা দু’জনে লোকদেরকে
কুরআন মজীদ শিখাতেন ৷ এরপর আগমন করেন বিলাল, সাআদ এবং আমার ইবন ইয়াসির ৷
এরপর নবী করীম (না)-এর ২০ জন সাহাবীর একটা দল নিয়ে উমর ইবন খাত্তার আগমন
করেন ৷ তারপর আগমন করেন রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) ৷ রাসুলের আগমনে মদীনাবাসীরা যতটা
আনন্দিত হয়, ততটা আনন্দিত হতে তাদেরকে আমি আর কখনেৰু দেখিনি ৷ এমনকি নারীরাও
রাসুলের আগমনের কথা বলাবলি করে ৷ তার আগমন পর্যন্ত আমি ঘৃফাসৃসাল সুরাগুলোর মধ্যে
সুরা আলা’ শিখে নেই ৷ আর ইমাম মুসলিম তার সহীহ্ গ্রন্থে ইসরাঈল সুত্রে বারা ইবন আযিব
থেকে অনুরুপ হাদীছ বর্ণনা করেন ৷ তাতে স্পষ্ট করে একথার উল্লেখ রয়েছে যে, মদীনায়
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আগমনের পুর্বেই সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস আগমন করেছিলেন ৷ মুসা
ইবন উকবা যুহরী সুত্রে ধারণা ব্যক্ত করেন যে , সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর
পরে হিজরত করেন ৷ তবে প্ৰথমােক্ত মতটিই বিশুদ্ধ ৷

ইবন ইসহাক বলেন : উমর ইবন খাত্তাব (বা) এবং তার সঙ্গী-সাথীদের মধ্যে ছিলেন তার
ভাই যায়দ ইবন খাত্তাব, আমর ও আরদৃল্লাহ্ৰু এরা দু’জন ছিলেন সুরাকা ইবন মু’তামির এর
পুত্র, উমরের কন্যা হাফসার স্বামী থুনায়স ইবন হুযাফা সাহ্মী এবং তার চড়াচাত ভাই সাঈদ
ইবন যায়দ ইবন আমর ইবন নুফায়ল তাদের মিত্র ওয়াকিদ ইবন আবদৃল্লাহ্ তাযীমী, বনু
আজল এবং বনু বুকায়র থেকে তাদের মিত্রদ্বয় খাওলা ইবন আবু খাওলা এবং মালিক ইবন
আবু খাওলা এবং বনু সাআদ ইবন লায়ছ থেকে তাদের মিত্র ইয়াস, খালিদ, আকিল এবং
আমির, এরা কুবায় বনু আমর ইবন আওফ-এর শাখা গোত্র রিফাআ ইবন আবদুল মুনযির ইবন
যিন্নীর এর গৃহে অবস্থান করেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এরপর এক এক করে মুহাজিরদের আগমন-ধারা অব্যাহত থাকে ৷
তালহ৷ ইবন উবায়দুল্লাহ্ এবং সুহড়ায়ব ইবন সিনড়ান ইবন হারিছ ইবন খাযরাজের ভাই খুবায়ব
ইবন ইসাফ-এর গৃহে অবস্থান করেন সুনাহ্ নামক স্থানে ৷ কেউ কেউ বলেন, তালহ৷ আসআদ
ইবন যুরারার গৃহে অবস্থান করেন ৷

ইবন হিশাম বলেন : আবু উছমান নাহদী সুত্রে আমি জানতে পেয়েছি যে, সুহায়ব
হিজরতের ইচ্ছা করলে কুরায়শের কাফিররা তাকে বলে, তুমি তো আমাদের কাছে এসেছিলে
নিঃস্ব, হীন ও তুচ্ছ অবস্থায় ৷ এরপর তোমার ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে এখন তো তুমি
বেশ মর্যাদাসম্পন্ন আর এখন তুমি এখান থেকে চলে যেতে চাও তোমার জান আর মাল নিয়ে ৷


أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ بِنَحْوِهِ، وَفِيهِ التَّصْرِيحُ بِأَنَّ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ هَاجَرَ قَبْلَ قُدُومِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، وَقَدْ زَعَمَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّهُ إِنَّمَا هَاجَرَ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالصَّوَابُ مَا تَقَدَّمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا قَدِمَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْمَدِينَةَ هُوَ وَمَنْ لَحِقَ بِهِ مِنْ أَهْلِهِ وَقَوْمِهِ وَأَخُوهُ زَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَعَمْرٌو وَعَبْدُ اللَّهِ ابْنَا سُرَاقَةَ بْنِ الْمُعْتَمِرِ، وَخُنَيْسُ بْنُ حُذَافَةَ السَّهْمِيُّ زَوْجُ ابْنَتِهِ حَفْصَةَ، وَابْنُ عَمِّهِ سَعِيدُ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، وَوَاقِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التَّمِيمِيُّ حَلِيفٌ لَهُمْ، وَخَوْلِيُّ بْنُ أَبِي خَوْلِيٍّ، وَمَالِكُ بْنُ أَبِي خَوْلِيٍّ حَلِيفَانِ لَهُمْ مِنْ بَنِي عِجْلٍ، وَبَنُو الْبُكَيْرِ إِيَاسٌ، وَخَالِدٌ، وَعَاقِلٌ، وَعَامِرٌ، وَحُلَفَاؤُهُمْ مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ لَيْثٍ، فَنَزَلُوا عَلَى رَفَاعَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُنْذِرِ بْنِ زَنْبَرٍ فِي بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ بِقُبَاءَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ تَتَابَعَ الْمُهَاجِرُونَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، فَنَزَلَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَصُهَيْبُ بْنُ سِنَانٍ عَلَى خُبَيْبِ بْنِ إِسَافٍ، أَخِي بَلْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ بِالسَّنْحِ. وَيُقَالُ: بَلْ نَزَلَ طَلْحَةُ عَلَى أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ
পৃষ্ঠা - ২১৪৩


আল্লাহর কসম, তা হতে পারবে না ৷ তখন সুহায়ব (বা) তাদেরকে বললেন, কি বল, আমি
সম্পদ তোমাদের হাতে তুলে দিলে তোমরা কি আমার পথ ছেড়ে দেবে ? তারা বলে, হাপ্রু
অবশ্যই ৷ তখন সুহায়ব বললেন৪ আমি আমার সমস্ত সম্পদ তোমাদের হাতে অর্পণ করলাম ৷
এ সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পৌছলে তিনি বলেন০ : ০ রু০ ৰু০, মোঃ রুশ্শু
সুহায়ব লাভবান হয়েছে লাভবান হয়েছে সুহায়ব ৷ আর ইমাম বাযহ কী (র) বলেন৪ হাকিম
আবু আবদৃল্লাহ্ সুত্রে সাআদ ইবন মুসাইয়াব সুহায়ব সুত্রে বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন :

“আমাকে (স্বপ্নযাে গে) তোমাদের হিজর৩ ভুমি দেখানো হয়েছে ৷ তা দেখানো হয়েছে দুই
কঙ্করময় ভুমির মাঝখান থেকে ৷৩ তা হয়ে হয় হিজর, অথবা তা হবে ইয়াছবিব ৷”

সুহায়ব বলেন৪ রাসুলুল্পাহ্ (সা) মদীনা অভিমুখে রওনা হন, তার সঙ্গে রওনা হন আবু
বকর (বা) ৷ আমি তার সঙ্গে বের হওয়ার স০ কল্প করেছিলাম ৷ কিন্তু কিছু স০ খ্যক কুবায়শী
যুবক আমাকে বাধা দেয় ৷ সে রাত আমি দাড়িয়ে থাকি, বসতে পারিনি ৷ তারা বললো, তার
পেটের কারণে আল্লাহ তাকে তোমাদের থেকে মুক্ত রেখেছেন ৷ আৰু লে আমার পেটে কোন
অসুখ ছিল না ৷ ফলে তারা ঘুমিয়ে পড়লে চুপিসারে আমি বেরিয়ে পড়ি তাদের কিছু লোক
আমার সঙ্গে এসে মিলিত হয় ৷ আমি বেরিয়ে আসার পর তারা আমাকে ফিরিয়ে নিতে চায় ৷

আমি তাদের বলি, আমি তোমাদেরকে কয়েক উকিয়া স্বর্ণ দান করলে তোমরা আমার পথ ছেড়ে

দেবে ? তোমরা কথা রাখবে তো : তারা তা ৷ই করে ৷ আমি তাদের সঙ্গে মক্কা ফিরে আসি এব০
তাদেরকে বলি, তোমরা দরজার দেহলিজ খুড়ে দেখ ৷ কারণ, সেখানে ঐ উকিয়াগুলাে আছে
আর অমুক নারীর কাছে যাও এব০৩ তার কাছ থেকে দুই জোড়া পবিধেয় বস্ত্র নিয়ে নাও ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুবড়া থেকে মদীনায় যাওয়ার পুর্বে আমি তার নিকট উপস্থিত হই ৷ আমাকে
দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : ব্লু ৷ ৷ ৫গুএ ন্ন্ৰু ৷প্রু ৷ ৷পু

হে আবু ইয়াহ্ইয়া, ব্যবসা লাভজনক হয়েছে ৷ ”

তখন আমি বললড়াম, ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্! আমার আগে তো কেউ আপনার কাছে আসেনি
এবং জিবরাঈল (আ) ব্যতীত কেউ আপনাকে এ খবর দেয়নি ৷ ইবন ইসহাক বলেন : হামযা
ইবন আবদুল মুত্তালিব, যায়দ ইবন হারিছা আবু মারছাদ, কুনড়ায ইবন হুসাইন এবং তার
পুত্র মারছাদ-এর৷ উভয়েই গানাবী এবং হামযার মিত্র ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আযাদকৃত গোলাম
আনিসা এবং আবুকাবশা এরা কুবায় বনু আমর ইবন আওফ গোত্রের কুলছুম ইবন হিদাম-এর
গৃহে অবস্থান করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, সাআদ ইবন খায়সামার গৃহে অবস্থান করেন ৷
আবার কারো কারো মতে বরং হাময৷ অবস্থান করেন আসআদ ইবন যুবারার গৃহে ৷ আসল
ব্যাপার আল্লাহই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, উবায়দা ইবন হারিছ এবং তার দুই ভাই তুফায়ল ও হুসাইন এবং বনু
আবদৃদদার এর সুয়৷ ৷ইবিত ইবন স ৷আদ ইবন হুরায়মালা এব০ মিসতাহ্ ইবন উছাছা, বনু আবদ
বনু কুসাই এর তুলায়ব ইবন উযায়র এবং উতবা ইবন গাযওয়ান এর আযাদকৃত গোলাম
খাব্বাব কুবায় বা লাজালান গোত্রের আবদুল্লাহ ইবন সালামার গৃহে অবস্থান করেন ৷ আর


قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَذُكِرَ لِي عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: «بَلَغَنِي أَنَّ صُهَيْبًا حِينَ أَرَادَ الْهِجْرَةَ، قَالَ لَهُ كُفَّارُ قُرَيْشٍ: أَتَيْتَنَا صُعْلُوكًا حَقِيرًا، فَكَثُرَ مَالُكَ عِنْدَنَا وَبَلَغْتَ الَّذِي بَلَغْتَ، ثُمَّ تُرِيدُ أَنْ تَخْرُجَ بِمَالِكِ وَنَفْسِكَ؟ وَاللَّهِ لَا يَكُونُ ذَلِكَ. فَقَالَ لَهُمْ صُهَيْبٌ: أَرَأَيْتُمْ إِنْ جَعَلْتُ لَكُمْ مَالِي أَتُخَلُّونَ سَبِيلِي؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: فَإِنِّي قَدْ جَعَلْتُ لَكُمْ مَالِي. فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " رَبِحَ صُهَيْبٌ، رَبِحَ صُهَيْبٌ» وَقَدْ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: حَدَّثَنَا الْحَافِظُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ إِمْلَاءً، أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مِيكَالَ، أَخْبَرَنَا عَبْدَانُ الْأَهْوَازِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحَرِيشِ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ حُذَيْفَةَ بْنِ صَيْفِيِّ بْنِ صُهَيْبٍ، حَدَّثَنِي أَبِي وَعُمُومَتِي، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ صُهَيْبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «أُرِيتُ دَارَ هِجْرَتِكُمْ سَبْخَةً بَيْنَ ظَهَرَانِي حَرَّتَيْنِ، فَإِمَّا أَنْ تَكُونَ هَجَرَ أَوْ تَكُونُ يَثْرِبَ ". قَالَ: وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَخَرَجَ مَعَهُ أَبُو بَكْرٍ، وَكُنْتُ قَدْ هَمَمْتُ مَعَهُ بِالْخُرُوجِ فَصَدَّنِي فِتْيَانٌ مِنْ قُرَيْشٍ، فَجَعَلْتُ لَيْلَتِي تِلْكَ أَقُومُ لَا أَقْعُدُ، فَقَالُوا: قَدْ شَغَلَهُ اللَّهُ عَنْكُمْ بِبَطْنِهِ. وَلَمْ أَكُنْ شَاكِيًا. فَنَامُوا فَخَرَجْتُ وَلَحِقَنِي مِنْهُمْ نَاسٌ بَعْدَمَا
পৃষ্ঠা - ২১৪৪
سِرْتُ بَرِيدًا لِيَرُدُّونِي، فَقُلْتُ لَهُمْ: هَلْ لَكَمَ أَنْ أُعْطِيَكُمْ أَوَاقِيَ مِنْ ذَهَبٍ وَتُخَلُّوا سَبِيلِي وَتُوفُوا لِي. فَفَعَلُوا فَتَبِعْتُهُمْ إِلَى مَكَّةَ فَقُلْتُ: احْفُرُوا تَحْتَ أُسْكُفَّةِ الْبَابِ، فَإِنَّ تَحْتَهَا أَوَاقِيَ، وَاذْهَبُوا إِلَى فُلَانَةَ فَخُذُوا الْحُلَّتَيْنِ. وَخَرَجْتُ حَتَّى قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقُبَاءَ قَبْلَ أَنْ يَتَحَوَّلَ مِنْهَا، فَلَمَّا رَآنِي قَالَ: " يَا أَبَا يَحْيَى، رَبِحَ الْبَيْعُ ". ثَلَاثًا. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا سَبَقَنِي إِلَيْكَ أَحَدٌ، وَمَا أَخْبَرَكَ إِلَّا جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَنَزَلَ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، وَأَبُو مَرْثَدٍ كَنَّازُ بْنُ الْحُصَيْنِ، وَابْنُهُ مَرْثَدٌ الْغَنَوِيَّانِ حَلِيفَا حَمْزَةَ، وَأَنَسَةُ وَأَبُو كَبْشَةَ مَوْلَيَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى كُلْثُومِ بْنِ الْهِدْمِ أَخِي بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ بِقُبَاءَ، وَقِيلَ: عَلَى سَعْدِ بْنِ خَيْثَمَةَ. وَقِيلَ: بَلْ نَزَلَ حَمْزَةُ عَلَى أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ: وَنَزَلَ عُبَيْدَةُ بْنُ الْحَارِثِ وَأَخَوَاهُ الطُّفَيْلُ،
পৃষ্ঠা - ২১৪৫


একদল মুহড়াজিরসহ আবদুর রহমান ইবন আওফ অবস্থান করেন সাআদ ইবন রবী’-এর গৃহে ৷
আর সুবায়র ইবন আওয়াম এবং আবু সুবরা ইবন আবু রাহাম অবস্থান করেন যুনযির ইবন
মুহাম্মদ ইবন উক্বা ইবন উহায়হা ইবন জাল্লাহ বনু জাহজীর মহল্লা আবায় অবস্থান
করেন ৷ আর যুসআব ইবন উমায়র অবস্থান করেন সাআদ ইবন মুআয-এর গৃহে ৷ আর
আবু হুযায়ফা ইবন উতবা এবং তার আযাদকৃত গোলাম সালিম অবস্থান করেন সালামার গৃহে ৷
উমাবীর উদ্ধৃতি দিয়ে ইবন ইসহাক বলেন যে, বনু হারিছার খুবাণ্;বেঃ ইবন আসাফ এর গৃহে
তিনি অবস্থান করেন ৷ আর উতবা ইবন গাযওয়ান অবস্থান করেন বনু আবদুল আশহালে
আব্বাদ ইবন বিশৃর ইবন-ওয়াক্কাশ এর গৃহে ৷ আর উছমান ইবন আফফান অবস্থান করেন বনু
নাজ্জার মহল্লায় হাসৃসান ইবন ছাবিত এর ভাই আওস ইবন ছাবিত বৃন মুনযির-এর গৃহে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, একদল অবিবাহিত ঘুহাজির অবস্থান করেন সাআদ ইবন খায়ছামার
গৃহে ৷ কারণ, তিনি নিজেও ছিলেন অবিবাহিত ৷ আসল ব্যাপা<:৷ কি ছিল তা আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আহমদ ইবন আবু বকর সুত্রে ইবন উমরের উদ্ধৃতি
দিয়ে বলেন : মদীনায় উপস্থিত হয়ে আমরা আস্বা অঞ্চলে অবস্থান করি ৷ (আমাদের মধ্যে
ছিলের্স’) উমর ইবন খাত্তাব আবু উবড়ায়দা ইবন জাররড়াহ্ এবং আবু হুযায়ফার আযাদকৃত
গোলাম সালিম ৷ আবু হুযায়ফার আযাদকৃত গোলাম সালিম তাদের মধ্যে ইমামতি করতেন ৷
কারণ, তাদের মধ্যে তিনি কুরআন পাঠে বেশী পারঙ্গম ছিলেন ৷

পরিহেদ
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হিজরত
আল্লাহ্ পাক বলেন :

১’৷ ন্ণ্ট্ট ১১১
াৰু,ট্রুহ্র১ ’

বল, হে আমার পালনকর্তা৷ আমাকে প্রবেশ করাও কল্যাণের সাথে এবং আমাকে বের
কর কল্যাণের সাথে এবং তোমার নিকট থেকে আমাকে দান কর সাহায্যকারী শাক্তি” (১৭ :
৮০) ৷

এভাবে দুআ করার জন্য আল্লাহ তাআলা তীর নবীকে নির্দেশ দেন ৷ কারণ, এতে রয়েছে
আসন্ন প্রসন্নতা এবং দ্রুত নিক্রমণের পথ ৷ তাই তো আল্লাহ তাআলা তাকে নবীর শহরের প্রতি
হিজরত করার অনুমতি দান করেন, যে স্থানে রয়েছে সাহায্যকারী এবং বন্ধু ভাবাপন্ন লোকজন ৷
ফলে মদীনা তার জন্য হয়েছে নিবাস আর নিরাপদ স্থান, আর মদীনায় বাসিন্দারা হয়েছেন তার
জন্য আনসার তথা সাহায্যকারী ৷

আহমদ ইবন হাম্বল এবং উছমান ইবন আবু শায়বা জারীর সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা
করেন :


وَحُصَيْنٌ وَمِسْطَحُ بْنُ أُثَاثَةَ وَسُويْبِطُ بْنُ سَعْدِ بْنِ حُرَيْمِلَةَ أَخُو بَنِي عَبْدِ الدَّارِ، وَطُلَيْبُ بْنُ عُمَيْرٍ أَخُو بَنِي عَبْدِ بْنِ قُصَيٍّ، وَخَبَّابٌ مَوْلَى عُتْبَةَ بْنِ غَزَوَانَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَمَةَ أَخِي بَلْعَجْلَانَ بِقُبَاءَ، وَنَزَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فِي رِجَالٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ عَلَى سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ، وَنَزَلَ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، وَأَبُو سَبْرَةَ بْنُ أَبِي رُهْمٍ عَلَى مُنْذِرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عُقْبَةَ بْنِ أُحَيْحَةَ بْنِ الْجُلَاحِ بِالْعُصْبَةِ دَارِ بَنِي جَحْجَبَى، وَنَزَلَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ عَلَى سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، وَنَزَلَ أَبُو حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ، وَسَالِمٌ مَوْلَاهُ عَلَى - شَكَّ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَالَ الْأُمَوِيُّ: عَلَى خُبَيْبِ بْنِ إِسَافٍ أَخِي بَنِي حَارِثَةَ - وَنَزَلَ عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ عَلَى عَبَّادِ بْنِ بِشْرِ بْنِ وَقْشٍ فِي بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، وَنَزَلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَلَى أَوْسِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ الْمُنْذِرِ أَخِي حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ فِي دَارِ بَنِي النَّجَّارِ، قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَنَزَلَ الْعُزَّابُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ عَلَى سَعْدِ بْنِ خَيْثَمَةَ، وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ عَزَبًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ زُرَارَةَ
পৃষ্ঠা - ২১৪৬


“রাসুল (সা) মক্কায় ছিলেন, এরপর তাকে হিজরতে র নির্দেশ দান করা হয় এবং তার উপর
নাযিল করা হয়ং :

;, )ট্রু০ড়ু
কাতাদ৷ বলেন অর্থ
মক্কা থেকে হিজরত আর ৷ ট্রুট্রু দ্বু১ এেছুা£ ;£’fl টু,০ ণ্৷ )ট্রু;ছুাট্রু অর্থ আল্লাহর র্ধকিতাব , তার
নির্ধারিতকরণ এবং দণ্ডবিধি প্রভৃতি বিধানসমুহ ৷ ’

ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহাবী মুহাজিরদের হিজরতের পর রাসুলুল্লাহ্
(সা) নিজের হিজরতের জন্য অনুমতির অপেক্ষায় মক্কায় অবস্থান ল করছিলেন এবংঅ আটকা পড়া
বা নির্যা ৷তনগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গ ছ৷ ৷ড়া তার সঙ্গে পেছনে কেউ থেকে ধাননি ৷ যারা মক্কায় থেকে যান
তাদের মধ্যে আ ৷লী ইবন আবু৩ তালিব এবং আবু বকর ইবন আবু কুহম্ফ৷ ৷রাযিয়াল্লাহু আনহুমাও
ছিলেন ৷ আর আবু বকর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট ৷ইজরাতর জন্য প্রায়ই অনুমতি
চাইতেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বলতেন৪ “তুমি তাড়া হুড়৷ বরাে না হয়তো আল্লাহ
তোমাকে একজন সঙ্গী দান করবেন ৷”এ সময় আবু বকর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা,)-এর সঙ্গী
হওয়ার আকাম্ভক্ষা পোষণ করতেন ৷ কুরায়শরা যখন দেখলো যে, দেশের বাইরে রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর সঙ্গী সাথী এবং সমর্থক একটি দল সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং তারা ঘুহাজির
সাহাবীদেরকেও বের হয়ে৩ তাদের নিকট গমন করতে দেখলো তখন তারা বুঝতে পারলাে যে
তারা এমন এক স্থানে অবতরণ করেছে এবং সেখানে তারা নিরাপদ স্থা ন করে নিয়েছে , তখন
তাদের আশঙ্কা জাগলো যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আয়োজন সম্পন্ন করেছেন ৷
তখন তারা তার প্রসঙ্গ (আলোচনা করার জন্য) দারুন নাদওয়ায়’ সমবেত হয় ৷ আর এ দারুন
নাদওয়া’ ছিল কুসা ৷ই ইবন কিলাব এর গৃহ ৷ কুরায়শরা পরামর্শের জন্য এখানে সমবেত হতো ন্
এবং সেখানে পরামর্শক্রমে৩ ৷র৷ সিদ্ধ ন্ত গ্রহণ করতো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ব্যাপারে তারা

শংকিত হয়ে সিদ্ধা ৷ম্ভ গ্রহণ করার নিমিত্ত দারুন নাদওয়ায় সমবেত হওয়া ঠিক করে ৷

যার বিরুদ্ধে কোন অপবাদ সম্পর্কে আমি জ্ঞাত নই এমন রাবী আবদুল্লাহ ইবন আবু নাজীহ
সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস থেকে ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন : কুরায়শের লোকেরা যখন এ
বিষয়ে একমত হয় এবং রাসুলুল্লাহ (না)-এর প্রসঙ্গ নিয়ে আলোর্চন৷ ও পরামর্শের দিনক্ষণ
নির্ধারণ করে এবং দারুন নাদওয়ায় একত্রিত হওয়া সাবস্তে হয় এবং তারা এ দিনটার নামকরণ
করে ইয়াওঘুন যাহ্মা’ তথা ভিড়ের দিন ৷ এ দিন সকালে অভিশপ্ত ইবলীস একজন প্রবীণের
বেশভুষড়া ধারণ করে উক্ত পরামর্শ-গৃহের দরজায় এসে দীড়ায় ৷ তাকে দরজায় দেখে লোকেরা
তার সম্পর্কে জানতে চায় ৷ সে বলে৪ নাজদের একজন শায়খ ৷ তোমাদের কর্মসুচী সম্পর্কে
জানতে পেরে তোমরা কী আলোচনা কর তা শোনার জন্য উপস্থিত হয়েছেন হতে পারে উত্তম
প্রস্তা ব আর হিতকর মতামত দান থেকে তোমাদেরকে তিনি বঞ্চিত করবেন না ৷ তার বক্তব্য
শুনে সকলে বললো , ঠিক আছে ৷ দয়া করে ভেতরে এসে বসুন ৷ শায়খে নাজদী ভেতরে প্রবেশ
করে তাদের সঙ্গে বসে ৷ কুরায়শের স্স্রান্ত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে এ সমাবেশে যারা সমবেত হয়,


بْنِ مُصْعَبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: قَدِمْنَا مِنْ مَكَّةَ فَنَزَلْنَا الْعُصْبَةَ ; عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ، وَسَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ، فَكَانَ يَؤُمُّهُمْ سَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ لِأَنَّهُ كَانَ أَكْثَرَهُمْ قُرْآنًا.