আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل ذكر سماع الجن لقراءة رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ২০৫২


ইমাম আহমদ আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবন আবু জাবাল উদওয়ানী তার পিতা
থেকে বর্ণনা করেছেন যে , তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে ছাকীফ গোত্রের পুর্ব প্রান্তে একটি লাঠি
কিংবা ধনৃকে ভর করে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন ৷ তখন তিনি সাহায্য লাভের আশায় তাদের
নিকট আগমন করেছিলেন ৷ আমি তাকে বলতে শুনেছি ;,াপু:৷ ৷দ্ভু ন্ঢুট্রুপু ৷, এই সুরা শেষ
পর্যন্ত ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি জাহিলী যুগে এই সুরা মুখস্থ করে কেলেছিলাম ৷ তখনও আমি
মুশরিক ছিলাম ৷ এরপর ইসলাম গ্রহণের পরে আমি তা তিলাওয়াত করি ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
ছাকীফ পােত্রর লোকেরা তখন আমাকে ডেকে বলেছিল, এই লোকের মুখ থেকে তুমি কী
শুনেছ ? তার মুখ থেকে শোনা সুরাটি আমি ওদের নিকট তিলাওয়াত করলাম ৷ ওদের সাথে
কুরা য়শী লোক যারা ছিল তারা বলল, আমাদের এই লোক সম্পর্কে আমরা অধিক অবগত ৷

সে যা বলছে, আমরা যদি তা সত্য বলে জানতাম, তাহলে আমরা অবশ্যই তার অনুসরণ
করতাম ৷

সহীহ্ বৃখারী ও মুসলিমে আছে, আবদুল্লাহ ইবন ওয়াহড়াবেৰু বরাৰ্ঢুত আইশা (রা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, উহুদ দিবস কি
অপেক্ষা অধিক কঠিন কোন দিবস আপনার জীবনে এসেছে ? উত্তরে তিনি বললেন, তোমার
সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আমি যে নির্যাতন ভোগ করেছি তার চেয়েও কঠিন নির্যাতন ভোগ
করেছি আকবাে দিবসে ৷ সেদিন আমি নিজেকে আবৃদ ইয়ালীল ইবন আবৃদ কিলড়ালের পুত্রদের
নিকট পেশ করেছিলাম ৷ আমি যা চেয়েছিলাম সে মতে তারা সাড়া দেয়নি ৷ তখন আমি ফিরে
আসছিলাম ৷ আমি তখন দুঃখে ব্যথায় জর্জরিত ৷ শ্রাম্ভ-ক্লান্ত ৷ কারণ আল ছাআলিব নামক স্থানে
এসে আমি সন্বিৎ ফিরে পাই ৷ আমি আমার মাথা উঠিয়ে দেখলাম একখণ্ড যেঘ আমাকে ছায়া
দিয়ে যাচ্ছিল ৷ তাকিয়ে দেখি, সেখানে জিবরাঈল (আ) ৷ তিনি আমাকে ডেকে বললেন,
আপনার সম্প্রদায় আপনাকে কী বল্যেছ এবং কী প্রভ্যুত্তর দিয়েছে তা আল্লাহ্ তাআলা
শুনেছেন ৷ তিনি আপনার সাহায্যে পাহাড়ের দায়িতৃপ্রাপ্ত ফেরেশতাকে পাঠিয়েছেন ৷ ওদেরকে
আপনি যে শাস্তি দিতে চান ফেরেশতাকে তা করার নির্দেশ দিন ৷ সে তা করে দেবে ৷ এরপর
পাহাড়ের ফেরেশতা আমাকে সালাম দিয়ে ঢেকে বললেন হে মুহাম্মদ (সা ) ! আল্লাহ্ তা আলা
আমাকে পাঠিয়েছেন ৷ আপনার গোত্রের লোকেরা আপনাকে কী উত্তর দিয়েছে তা তিনি
শুনেছেন ৷ আমি পাহাড়ের দায়িতৃপ্রাপ্ত ফেরেশতা ৷ আল্লাহ তাআলা আমাকে আপনার নিকট
প্রেরণ করেছেন ৷ আপনি ওদেরকে যে শাস্তি দিতে চান, সে মতে আপনি আমাকে নির্দেশ দিন ৷
আপনি যদি চান তবে এই দুই পাহাড় দিয়ে তাদেরকে চাপা দেয়া হবে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)
বললেন, না, তা নয় ৷ আমি বরং আশা করছি যে, তাদের বৎশে আল্লাহ্ তাআলা এমন লোক
দিবেন, যারা আল্লাহর ইরাদত করবে তার সাথে কাউকে শরীক করবে না ৷

পরিচ্ছেদ

জিনদের রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কুরআন তিলাওয়ড়াত শ্রবণ

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক এ ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন, ঘটনাটি ঘটেছিল রাসুলুল্লাহ্ (না ) এর
তাইফ থেকে ফিরে আসার সময় ৷ নাখলা নামক স্থানে রাত্রি যাপনের পর সাহাবীগণসহ তিনি


لِتَأْمُرَهُ بِمَا شِئْتَ فِيهِمْ. ثُمَّ نَادَانِي مَلَكُ الْجِبَالِ، فَسَلَّمَ عَلَيَّ، ثُمَّ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ اللَّهَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ، وَأَنَا مَلَكُ الْجِبَالِ قَدْ بَعَثَنِي إِلَيْكَ رَبُّكَ; لِتَأْمُرَنِي بِأَمْرِكَ، فَمَا شِئْتَ؟ إِنْ شِئْتَ أَنْ أُطْبِقَ عَلَيْهِمُ الْأَخْشَبَيْنِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بَلْ أَرْجُو أَنْ يُخْرِجَ اللَّهُ مِنْ أَصْلَابِهِمْ مَنْ يَعْبُدُ اللَّهَ وَحْدَهُ، لَا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا» . [فَصْلُ ذِكْرِ سَمَاعِ الْجِنِّ لِقِرَاءَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] فَصْلٌ وَقَدْ ذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ سَمَاعَ الْجِنِّ لِقِرَاءَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَلِكَ مَرْجِعَهُ مِنَ الطَّائِفِ حِينَ بَاتَ بِنَخْلَةَ، وَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ الصُّبْحَ، فَاسْتَمَعَ الْجِنُّ الَّذِينَ صُرِفُوا إِلَيْهِ قِرَاءَتَهُ هُنَالِكَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانُوا سَبْعَةَ نَفَرٍ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهِمْ قَوْلَهُ: {وَإِذْ صَرَفْنَا إِلَيْكَ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْآنَ} [الأحقاف: 29] قُلْتُ: وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ مُسْتَقْصًى فِي " التَّفْسِيرِ "، وَتَقَدَّمَ قِطْعَةٌ مِنْ ذَلِكَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ مَرْجِعَهُ مِنَ الطَّائِفِ فِي جِوَارِ الْمُطْعِمِ بْنِ عَدِيٍّ، وَازْدَادَ قَوْمُهُ عَلَيْهِ حَنَقًا، وَغَيْظًا، وَجُرْأَةً، وَتَكْذِيبًا، وَعِنَادًا. وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.
পৃষ্ঠা - ২০৫৩


ফজ্যরর নামায আদায় করছিলেন ৷ সেখানে জিনেরা তার কুরআন৩ তিলাওয়াত শুনেছিল ৷ ইবন
ইসহাক বলেন, ওই জিনদের সংখ্যা ছিল সাত ৩৷ ওদের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা
নাযিল করলেন ;;

াঢু;’া)ছুৰু র্দুা৷)
স্মৃরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জিনা:ক, যারা কুরআন পাঠ
শুনছিল (৪৬ ও ২৯) ৷
তাফসীর গ্রন্থে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ তার কিছুটা এই গ্রন্থে
ইণ্ডে তাপুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷ আল্লাহ্ই ভ ল জানেন ৷

তাইফ থেকে প্ৰতদ্রাবর্তনের পথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মু৩ তঈম ইবন আদীর দায়িত্বে মক্কায়
প্রবেশ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সম্প্রদায়ের লোকজন এবার আরো কঠোর ভাবে তার প্রতি
হিৎসা বিদ্বেষ, শত্রুত৷ ও বিদ্রোহ শুরু করে দিল ৷ মহান আ ৷হ্ই সাহায় ৷৷কাে ৷রী এবং তার উপরই
ভরসা ৷

উমাবী তার মাগাযী গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় র্তাকে আশ্রয় দেয়ার
প্রস্তাব সহকারে আরীকাত না৷মের এক ব্যক্তিকে পাঠিয়েছিলেন আখনাস ইবন শুরায়কের
নিকট ৷ সে বলল, আমরা কুরায়শ গোত্রের মিত্র ! কুরায়শ বৎশে বিপর্যয় ও অশান্তি সৃষ্টিকারী
কোন লোককে আমরা আশ্রয় দিতে পারি না ৷ এরপর আশ্রয় কামনা করে তিনি দুত পাঠালেন
সুহায়ল ইবন আমরের নিকট ৷ সে বলল, আমরা আমির ইবন লুওয়াই-এর বংশধর ৷ ইবন
লুওয ই এর বিরুদ্ধাচরণকারী কাউকে আমরা আশ্রয় দিতে পারব না ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
প্রস্ত৷ ৷ব পাঠালেন মুতঈম ইবন আদীর নিকট ৷ যুতঈম বললেন তাই হয়ে তাকে আসতে বল
রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তা ৷র নিকট গেলেন এবং সেখানে বা ৷ত্রি যাপন করলেন ৷ সকাল বেলা রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে সাথে নিয়ে মু৩ তঈম বের হলেন ৷ মু৩ তঈমের সংগী হল৩ তার পুত্ররা ৷ ওরা ছয়জন কি
সাতজন ৷ সব৷ ৷ই তরবারি সজ্জিত ৷ তারা মাসজিদুল হারামে প্রবেশ করল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এর
উদ্দেশ্যে মু৩ তঈম বললেন, যান তাওয়াফ করুন ৷ ওরা সকলে তরবারি উঠিয়ে তাওয়াফের
এলাকায় পাহারা দিচ্ছিল ৷ কিছুক্ষ্যণর মধ্যে আবু সুফিয়ান এলেনমু তঈমের নিকট ৷ তিনি
বললেন, আপনি কি ওর আশ্রয়দা৩ তা নাকি তার অনুসারী ? মু৩ তঈম বললেন, আমি ওর
আশ্রয়-দাতা ৷ আবু সুফিয়ান বললেন, তবে আপনার আশ্রয়দানকে অবমাননা করা হবে না ৷
আবু সুফিয়ান কিছুক্ষণ মুতঈমের নিকট বললেন ৷ ইতোমধ্যে রাসুলুল্পাহ (সা) তাওয়াফ শেষ
করলেন ৷ তিনি ঘরে ফিরে এলেন ৷ ওরাও ফিরে এল ৷ আবু সুফিয়ান চলে গেলেন তার
সাথীদের নিকট ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কয়েক দিন ওখানে অবস্থান করলেন; এরপর মদীনায়
হিজরত করার অনুমতি এল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মদীনায় হিজরৰ৩ র অল্প কিছু দিন পর
মুতঈম ইবন আদীর ওফাত হয় ৷ তখন কবি হাসৃসান ইবন ছাবিত বললেন আল্লাহর কসম
আমি অবশ্যই তার গোকাগাথা গা ৷ইব ৷


وَقَدْ ذَكَرَ الْأُمَوِيُّ فِي " مَغَازِيهِ " أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُرَيْقِطٍ إِلَى الْأَخْنَسِ بْنِ شَرِيقٍ، فَطَلَبَ مِنْهُ أَنْ يُجِيرَهُ بِمَكَّةَ، فَقَالَ: إِنَّ حَلِيفَ قُرَيْشٍ لَا يُجِيرُ عَلَى صَمِيمِهَا. ثُمَّ بَعَثَهُ إِلَى سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو ; لِيُجِيرَهُ، فَقَالَ: إِنَّ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ لَا تُجِيرُ عَلَى بَنِي كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ. فَبَعَثَهُ إِلَى الْمُطْعِمِ بْنِ عَدِيٍّ ; لِيُجِيرَهُ، فَقَالَ: نَعَمْ، قُلْ لَهُ فَلْيَأْتِ. فَذَهَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَاتَ عِنْدَهُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، فَلَمَّا أَصْبَحَ خَرَجَ مَعَهُ هُوَ وَبَنُوهُ سِتَّةٌ - أَوْ سَبْعَةٌ - مُتَقَلِّدِي السُّيُوفَ جَمِيعًا، فَدَخَلُوا الْمَسْجِدَ وَقَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: طُفْ. وَاحْتَبَوْا بِحَمَائِلِ سُيُوفِهِمْ فِي الْمَطَافِ، فَأَقْبَلَ أَبُو سُفْيَانَ إِلَى مُطْعِمٍ، فَقَالَ: أَمُجِيرٌ أَمْ تَابِعٌ؟ قَالَ: لَا، بَلْ مُجِيرٌ. قَالَ: إِذًا لَا تُخْفَرُ. فَجَلَسَ مَعَهُ حَتَّى قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَوَافَهُ، فَلَمَّا انْصَرَفَ انْصَرَفُوا مَعَهُ، وَذَهَبَ أَبُو سُفْيَانَ إِلَى مَجْلِسِهِ. قَالَ: فَمَكَثَ أَيَّامًا ثُمَّ أُذِنَ لَهُ فِي الْهِجْرَةِ، فَلَمَّا هَاجَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ تُوُفِّيَ الْمُطْعِمُ بْنُ عَدِيٍّ بَعْدَهُ بِيَسِيرٍ، فَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ: وَاللَّهِ لَأَرْثِيَنَّهُ، فَقَالَ فِيمَا قَالَ: فَلَوْ كَانَ مَجْدٌ يُخْلِدُ الْيَوْمَ وَاحِدًا ... مِنَ النَّاسِ نَجَّى مَجْدُهُ الْيَوْمَ مُطْعِمَا أَجَرْتَ رَسُولَ اللَّهِ مِنْهُمْ فَأَصْبَحُوا ... عِبَادَكَ مَا لَبَّى مُحِلٌّ وَأَحْرَمَا فَلَوْ سُئِلَتْ عَنْهُ مَعَدٌّ بِأَسْرِهَا ... وَقَحْطَانُ أَوْ بَاقِي بَقِيَّةِ جُرْهُمَا لَقَالُوا هُوَ الْمُوفِي بِخُفْرَةِ جَارِهِ ... وَذِمَّتِهِ يَوْمًا إِذَا مَا تَذَمَّمَا