আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في وفاة خديجة بنت خويلد وذكر شيء من فضائلها ومناقبها

পৃষ্ঠা - ২০২৫


ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্


তাদের মধ্যে কতক আপনার দিকে কান পেতে রাখে কিন্তু আমি তাদের অম্ভরের উপর
আবরণ দিয়ে রেখেছি যেন তারা তা উপলব্ধি করতে না পারে ৷ তাদেরকে বধিৱ করেছি এবং
সমস্ত নিদর্শন প্রত্যক্ষ করলেও তারা তাতে ঈমান আনবে ন ৷ এমনকি তারা যখন আপনার
নিকট উপস্থিত হয়েত তর্কে লিপ্ত হয় তখন কাফিররা বলে এটি তে ৷ অতীভ্রুত র উপাখ্যান
ব্যতীত আর কিছুই নয় ৷ তারা অন্যকে তা থেকে বিরত রাখে এবং নািউজরাও তা থেকে বিরত
থাকে ৷ আর তারা শুধু নিজেদেরকে ধ্বংস করে অথচ তারা উপলব্ধি কার না ৷ ” (৬ : ২৫ ২৬)
আয়াতে উল্লিখিত ণ্ছু১দ্ভু (তারা) শব্দ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে এটি দ্বার৷ একক ব্যক্তি নয় বরং
ব্যক্তি সমষ্টিকে বুঝানো হয়েছে আর তারা হল বাক্যের প্রথমে উল্লিাই৷ ও ব্যক্তিরা:

এ এ এ এ

(তারা নিজেরা শুধু নিজেদেরকে ধ্ব স করে অথচ তারা তা উপলব্ধি করে না) আয়াতাৎশ
তাদের পুর্ণাঙ্গ ধ্বংস ও দৃর্নাম নির্দেশ করে ৷ আবৃত তালিব এই প্রকৃতির লোক ছিলেন না ৷ তিনি
বরং তাদের কথায় ও কাজে সর্বশক্তি দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ ( সত্বেও তার সাথীদেরকে শত্রুদের হাত
থেকে রক্ষা করতেন ! কিন্তু তা সংত্ত্ব ও আল্লাহ্তাআলার মহান হিকমত ও প্রজ্ঞ৷ এবং অনন্য
যৌক্তিকতার প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তাআলা আবু তালিবের ভাগ্যে ঈমান আনয়ন বরাদ্দ করেননি ৷
আল্লাহ তাআলার ওই প্ৰজ্ঞা ও যৌক্তিকতার প্রতি বিশ্বাস রাখা আমাদের কর্তব্য এবং তার
সিদ্ধ ৷ন্ত মেনে নিতে আমরা বাধ্য ৷ মুশরিকদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা
যদি আমাদেরকে নিষেধ না করতেন ত তাহলে আমরা অবশ্যই আবৃত তালিবের জন্যে ক্ষমা প্রার্থ্যা৷
করতাম এবং তার জন্যে আল্লাহর রহমত কামনা করতাম ৷

পরিচ্ছেদ
হযরত খাদীজা (রা) বিন্ত খুওয়াইলিদ-এর ওফাত

তার ফযীলত ও মর্যাদার কতক ইরুত ৷পুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷ আল্লাহ তা ভালো তার প্রতি
সন্তুষ্ট হোন এবংত তাকেও সন্তুষ্ট করুন! তার শেষ বাসস্থান হিসাবে জান্নাত মনয়ুর করুন!
নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ত তা আল৷ হযরত খাদীজা (রা) এর শেষ বাসস্থান জ ন৷ ত নির্ধারণ করেছেন ৷
সতাবাদী ও সতাবাদীরু পে স্বীকৃত প্রিয়নবী (সা) এর বাণী দ্বারাও প্ৰমাণিত৷ তিনি হযরত
খাদীজ৷ ৷(রা) কে জান্নাতে মণি ঘুক্তার৩ ভৈত রী একটি বাসস্থানের সুস× বাদ দিয়েছেন, যেখানে
থাকবে না কোন শোরগােল আর থাকবেন, কোন দুঃখ-কষ্ট ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান উরওয়া ইরন যুবায়র (রা ) সুত্রে বলেছেন, নামায ফরয
হওয়ার পুর্বেই হযরত থাদীজা (রা)-এর ওফাত হয় ৷ অন্য সনদে যুহরী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেছেন রাসুলুল্লাহ (না)-এর মদীনায় হিজরতের পুর্বে এবং নামায ফরম হওয়ার পুর্বে মক্কায়
হযরত থাদীজ৷ (রা)এর ওফাত হয় ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, হযরত খাদীজ৷ (বা) এবং


النَّاسَ عَنْ مُحَمَّدٍ أَنْ يُؤْمِنُوا بِهِ. وَبِهَذَا قَالَ مُجَاهِدٌ، وَقَتَادَةُ، وَالضَّحَّاكُ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَهُوَ اخْتِيَارُ ابْنِ جَرِيرٍ، وَتَوْجِيهُهُ أَنَّ هَذَا الْكَلَامَ سِيقَ لِتَمَامِ ذَمِّ الْمُشْرِكِينَ، حَيْثُ كَانُوا يَصُدُّونَ النَّاسَ عَنِ اتِّبَاعِ الْحَقِّ، وَلَا يَنْتَفِعُونَ هُمْ أَيْضًا بِهِ، وَلِهَذَا قَالَ {وَمِنْهُمْ مَنْ يَسْتَمِعُ إِلَيْكَ وَجَعَلْنَا عَلَى قُلُوبِهِمْ أَكِنَّةً أَنْ يَفْقَهُوهُ وَفِي آذَانِهِمْ وَقْرًا وَإِنْ يَرَوْا كُلَّ آيَةٍ لَا يُؤْمِنُوا بِهَا حَتَّى إِذَا جَاءُوكَ يُجَادِلُونَكَ يَقُولُ الَّذِينَ كَفَرُوا إِنْ هَذَا إِلَّا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ وَهُمْ يَنْهَوْنَ عَنْهُ وَيَنْأَوْنَ عَنْهُ وَإِنْ يُهْلِكُونَ إِلَّا أَنْفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ} [الأنعام: 25] يَدُلُّ عَلَى تَمَامِ الذَّمِّ، وَأَبُو طَالِبٍ لَمْ يَكُنْ بِهَذِهِ الْمَثَابَةِ، بَلْ كَانَ يَصُدُّ النَّاسَ عَنْ أَذِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ، بِكُلِّ مَا يَقْدِرُ عَلَيْهِ مِنْ فِعَالٍ وَمَقَالٍ، وَنَفْسٍ وَمَالٍ، وَلَكِنْ مَعَ هَذَا لَمْ يُقَدِّرِ اللَّهُ لَهُ الْإِيمَانَ; لِمَا لَهُ تَعَالَى فِي ذَلِكَ مِنَ الْحِكْمَةِ الْعَظِيمَةِ، وَالْحُجَّةِ الْقَاطِعَةِ الْبَالِغَةِ الدَّامِغَةِ، التِي يَجِبُ الْإِيمَانُ بِهَا وَالتَّسْلِيمُ لَهَا، وَلَوْلَا مَا نَهَانَا اللَّهُ عَنْهُ مِنَ الِاسْتِغْفَارِ لِلْمُشْرِكِينَ لَاسْتَغْفَرْنَا لِأَبِي طَالِبٍ وَتَرَحَّمْنَا عَلَيْهِ. [فَصْلٌ فِي وَفَاةِ خَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ وَذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ فَضَائِلِهَا وَمَنَاقِبِهَا] فَصْلٌ فِي وَفَاةِ خَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ وَذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ فَضَائِلِهَا، وَمَنَاقِبِهَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا، وَجَعَلَ جَنَّاتِ الْفِرْدَوْسِ مُنْقَلَبَهَا وَمَثْوَاهَا، وَقَدْ فَعَلَ ذَلِكَ لَا
পৃষ্ঠা - ২০২৬


অ ৩া৷বু তালিবের মৃত্যু একই বছরে হয় ৷ বায়হাকী (র) বলেন আমার নিকট বর্ণনা পৌছেহে যে,
আবু তালিবের মৃণ্ডু ভ্যুব তিন দিন পর হযরত খাদীজা (রা) এর ওফাত হয় ৷ আবদুল্লাহ ইবন
মুনদাহ্ তা ৷ব “আল মাআরিফাহ্’ গ্রন্থে এবং আমাদের শায়খ আবু আবদুল্লাহ হাফিয তা উদ্ধৃত
করেছেন ৷

বায়হাকী (র) বলেন, ওয়াকিদীব ধারণা যে , আবুতালিব ও হযরত থাদীজা (বা ) হিজবতের
তিন বছর , পুর্বে ইনতিকাল করেন ৷ গিরিসঙ্কটের নির্বাসন থেকে তারা যে বছর বেরিয়ে
এসেছিলেন সে বছরেই তাদের মৃত্যু হয় ৷ আবু তালিবের ৩৫ দিন পুর্বে খাদীজার (রা) ওফাত
হয় ৷

আমার মতে, তারা “নামায ফরয হওয়ার পুর্বে” বলে বুঝিয়েছেঃ৷ মিরাজের রাতে নামায
ফরয হওয়ার পুর্বে ৷ আমাদের জন্যে সমীচীন ছিল মিরাজের ঘটনা বর্ণনার পুর্বে খাদীজা ৷(রা )
ও আবু তালিবের ওফাণ্ডে র ঘটনা উল্লেখ করা যেমনটি করেছেন বায়হাকী প্রমুখ আলিমগণ!

তবে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে আমরা তাদের মৃত্যুর ঘটনা পরে উ ধ্ল্লখ করেছি ৷ অচিরেইত

বিবৃত হবে ৷ কারণ এই পদ্ধতিতে ই বাক্য ও ঘটনা সাজিয়ে গুছিয়ে বর্ণনা করা যাবে
ইনৃশাআল্লাহ্ ৷

ইমাম বৃখারী (র) বলেন, কুতায়ব৷ আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন
জিবরাঈল (আ) উপস্থিত হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে বললেন, ইয়৷ বাসুলুল্লাহ্ৰু এই যে খাদীজা
(রা) , তিনি পাত্রের তরকারি অথবা আহার্য অথবা পানীয় নিয়ে আসছেন আপনার নিকট ৷ তিনি
যখন আপনার নিকট উপস্থিত হবেন তখন, তার প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে
এবং আমার পক্ষ থেকে আপনি তাকে সালাম পৌছিয়ে দিবেন এবং তাকে জ ন্নাতেব একটি
বাসন্থানের সুসংবাদ দেবেন ৷ সেটি হবে মুক্তার৩ তৈ রী ৷ তাতে কোন শোরগােল ও দুঃ খ কষ্ট
থাকবে না ৷ ইমাম মুসলিম (র) মুহাম্মদ ইবন ফুযায়ল থেকে এটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী
(র) বলেন, মুসাদ্দাদ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, ইয়াহ্ইয়া ইবন ইসমাঈল আবদুল্লাহ
ইবন আবু আওফা ৷কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, নবী করীম (সা) কি খাদীজা ৷(রা ) কে সুসং বাদ
দিয়েছিলেন ? উত্তরে আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা বললেন, হ্যা, তিনি সুসং বাদ দিয়েছিলেন
একটি জ ন্ননীি গৃহেব, যেটি মুক্তার তৈরী ৷ তাতে না থাকবে কোন শোরগােল আর না থাকবে
কোন দুঃখ-কষ্ট ৷ ইমাম বুখারী ও মুসলিম এই হাদীছটি ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ থেকেও
বর্ণনা করেছেন ৷

সুহায়লী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত খাদীজা (রা) কে জান্নাতে ৩বাশের তৈ গৃহের
সুসংবাদ দিয়েছিলেন অর্থাৎ মুক্ত ব র্বীশ ৷ কারণ, তিনি ঈমান আনয়নে সকল বাধা তুচছ
করে অগ্রগামিত ৷ লাভ করেছিলেন ৷ ওই গৃহে শোরগােল এবং ৪খ-কষ্ট থাকবে না ৷
কারণ তিনি কখনো রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে উট্টচ্চ৪স্বরে কথা বলেননি এবং৩ তার নিকট
শোরগােল করেননি ৷ তিনি জীবনে কো ন দিন রাসৃলুল্লাহ্ (সা) কে কষ্ট দেননি দুঃখ দেননিা

ইমাম বুথা ৷রী ও মুসলিম তাদের সহীহ্ গ্রন্থে হিশাম ইবন উরওয়ার মাধ্যমে তার পিতা সুত্রে
হযরত আইশা (রা) থেকে উদ্ধৃত করেছেন যে, হযরত আইশা (রা) বলেছেন আমি হযরত

৬াশ্রোা৪গাে০০০া৷া
৩১ —

مَحَالَةَ، بِخَبَرِ الصَّادِقِ الْمَصْدُوقِ، حَيْثُ بَشَّرَهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ، لَا صَخَبَ فِيهِ، وَلَا نَصَبَ. قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: قَالَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ: وَقَدْ كَانَتْ خَدِيجَةُ تُوُفِّيَتْ قَبْلَ أَنْ تُفْرَضَ الصَّلَاةُ. ثُمَّ رَوَى مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: تُوُفِّيَتْ خَدِيجَةُ بِمَكَّةَ، قَبْلَ خُرُوجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَقَبْلَ أَنْ تُفْرَضَ الصَّلَاةُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: مَاتَتْ خَدِيجَةُ وَأَبُو طَالِبٍ فِي عَامٍ وَاحِدٍ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: بَلَغَنِي أَنَّ خَدِيجَةَ تُوُفِّيَتْ بَعْدَ مَوْتِ أَبِي طَالِبٍ بِثَلَاثَةِ أَيَّامٍ. ذَكَرَهُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَنْدَهْ فِي كِتَابِ " الْمَعْرِفَةِ "، وَشَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَزَعَمَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ خَدِيجَةَ، وَأَبَا طَالِبٍ، مَاتَا قَبْلَ الْهِجْرَةِ بِثَلَاثِ سِنِينَ، عَامَ خَرَجُوا مِنَ الشِّعْبِ، وَأَنَّ خَدِيجَةَ تُوُفِّيَتْ قَبْلَ أَبِي طَالِبٍ بِخَمْسٍ وَثَلَاثِينَ لَيْلَةً. قُلْتُ: مُرَادُهُمْ قَبْلَ أَنْ تُفْرَضَ الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ، وَكَانَ
পৃষ্ঠা - ২০২৭
الْأَنْسَبُ بِنَا أَنْ نَذْكُرَ وَفَاةَ أَبِي طَالِبٍ وَخَدِيجَةَ قَبْلَ الْإِسْرَاءِ، كَمَا ذَكَرَهُ الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَلَكِنْ أَخَّرْنَا ذَلِكَ عَنِ الْإِسْرَاءِ لِمَقْصِدٍ سَتَطَّلِعُ عَلَيْهِ بَعْدَ ذَلِكَ، فَإِنَّ الْكَلَامَ بِهِ يَنْتَظِمُ وَيَتَّسِقُ السِّيَاقُ، كَمَا تَقِفُ عَلَى ذَلِكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلِ بْنِ غَزَوَانَ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: «أَتَى جِبْرِيلُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذِهِ خَدِيجَةُ قَدْ أَتَتْ مَعَهَا إِنَاءٌ فِيهِ إِدَامٌ - أَوْ طَعَامٌ أَوْ شَرَابٌ - فَإِذَا هِيَ أَتَتْكَ، فَاقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلَامُ مِنْ رَبِّهَا وَمِنِّي، وَبَشِّرْهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ، لَا صَخَبَ فِيهِ وَلَا نَصَبَ.» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: «قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: بَشَّرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَدِيجَةَ؟ قَالَ: نَعَمْ، بِبَيْتٍ مِنْ قَصَبٍ، لَا صَخَبَ فِيهِ وَلَا نَصَبَ.» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ بِهِ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَإِنَّمَا بَشَّرَهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ - يَعْنِي: قَصَبَ اللُّؤْلُؤِ - لِأَنَّهَا حَازَتْ قَصَبَ السَّبْقِ إِلَى الْإِيمَانِ، لَا صَخَبَ فِيهِ وَلَا نَصَبَ، لِأَنَّهَا لَمْ تَرْفَعْ صَوْتَهَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ تُتْعِبْهُ يَوْمًا مِنَ الدَّهْرِ، فَلَمْ تَصْخَبْ
পৃষ্ঠা - ২০২৮


খাদীজা (রা)-এর প্রতি যত ঈর্ষাকাতর ছিলাম রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অন্য কোন সহধর্মিণীর প্ৰতি
তেমনটা ছিলাম না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে আমার বিবাহের পুবেই খাদীজা (রা) এর
ওফাত হয় ৷ ঈর্ষা৩ক৷ র ছিলাম এ জন্যে যে আমি তাকে বারবার খাদীজা (রা) এর কথা
আলোচনা করতে শুনতাম ৷ উপরন্তু আল্লাহ্৩ ত৷ আল৷ রাসুল (না)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাকে
জান্নাতে ঘুক্তার তৈরী একটি বাসগৃহের সংবাদ দিতে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কখনো বকরীয

করলে খাদীজা (রা) এর বান্ধবীদের নিকট যথাসাধ্য অধিক পরিমাণে ৷গোশত পাঠাবু৩ ন ৷ এটি
ইমাম বৃখারীর ভাষ্য ৷

অন্য এক বংনািয় আছে, হযরত আইশ৷ (বা) বলেন, খাদীজা (রা)-এর প্ৰতি আমি যত

৩ছিলাম রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অন্য কোন সহধর্মিণীর প্ৰতি আমি ড্ড ঈর্ষাম্বিত ছিলাম
না ৷ যারাসুলুল্লাহ্ (সা ) অধিক পরিমাণে তার কথা আলোচনা করচে ন বলে আমিত ৷করতাম ৷
তার ইনতিকালের তিন বছর পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বিয়ে করেন ৷ আল্লাহ তা আলা

জিবরাঈল (আ )এর মাধ্যমে বাসুলুল্লাহ্ (না)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন খাদীজা (রা ) £ক জান্নাতে
মুক্তার তৈরী একটি বাসগৃহের সংবাদ দেয়ার জন্যে ৷ ইমাম বুখারী (র) এর অন্য এক বর্ণনায়
আছে হযরত আইশা (রা) বলেন, আমি খাদীজা ৷(রা) এর প্রতি যত ঈর্ষাকাত র ছিলাম অন্য
কারো প্রতি ততট৷ ছিলাম না ৷ আমি তাকে দেখিনি কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা ) অনেক বেশী বেশী
তার আলোচনা করতেন ৷ কোন কোন সময় বকরী যবাহ্ করলে তার কতক অঙ্গ প্ৰত্যঙ্গ তিনি
খাদীজার (রা) বান্ধবীদের জন্যে পাঠিয়ে দিতেন ৷ মাঝে মাঝে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
বলতাম, দুনিয়াতে যেন খাদীজাছ ছাড়া আর কোন মহিলাই ছিল না ৷ তখন তিনি বলতেন, সে
তো শ্রীর ন্যায় শ্রী ছিল বটে ৷ তার ঘরেই আমার ছেলেমেয়ে জন্ম নিয়েছিল ৷

এরপর ইমাম বুখারী (র) বলেছেন, ইসমাঈল আইশা (বা ) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেছেন, খুওয়াইলিদের কন্যা এবং খাদীজার (রা) বোন হালাহ একদিন রাসুলুল্লাহ (সা) এর
নিকট প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করলেন ৷৩ তার কণ্ঠস্বর শুনে খাদীজা (রা) এর অনুমতি প্রা৭নাি
করার কথা রাসুল (সা )-এর মনে পড়ল ৷ তাতে তিনি ব্যাকুল হয়ে উঠলেন এবং বললেন, হায়
আল্লাহ্ ৷ এ যে হালাহ্ এসেছে ৷ এ ঘটনায় আমি ঈর্ষাম্বিত হলাম এবং বাংলায় আপনার কী হল
যে, রক্তিম দু চোয়াল বিশিষ্ট কুরায়শী এক বুড়ীর কথা আপনি বারবার স্মরণ করছেন ৷ সে তো ,
করেই কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে ৷ তার উত্তম বিকল্প আল্লাহ তাআল৷ আপনাকে দান
করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম (ব) সুওয়াইদ আলী ইবন মৃসহির থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ এতে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, হযরত আইশা (রা) হযরত খাদীজা (রা)-এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ
ছিলেন সম্মানের দিক থেকে হোক কিত্বা দাম্পত্য জীবনের দিক থেকে হোক ৷ কারণ, রাসুলুল্লাহ্
(সা) হযরত আইশা (রা)-এর উপরোক্ত মন্তব্য প্ৰত্যাথ্যান করেননি এবং এর কোন উত্তরও
দেননি ৷ ইমাম বুখারী (র) এর বর্ণনা থেকে তা প্রতীয়মান হয় ৷

পক্ষাম্ভরে ইমাম আহমদ হযরত আইশা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একদিন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত খাদীজা (বা) সম্পর্কে আলোচনা করলেন ৷ তার প্রশংসা তিনি আনেক


عَلَيْهِ يَوْمًا، وَلَا آذَتْهُ أَبَدًا. وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا قَالَتْ: «مَا غِرْتُ عَلَى امْرَأَةٍ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ - وَهَلَكَتْ قَبْلَ أَنْ يَتَزَوَّجَنِي - لِمَا كُنْتُ أَسْمَعُهُ يَذْكُرُهَا، وَأَمَرَهُ اللَّهُ أَنْ يُبَشِّرَهَا بِبَيْتٍ مِنْ قَصَبٍ، وَإِنْ كَانَ لَيَذْبَحُ الشَّاةَ فَيُهْدِي فِي خَلَائِلِهَا مِنْهَا مَا يَسَعُهُنَّ.» لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. وَفِي لَفْظٍ لَهُ عَنْ عَائِشَةَ: «مَا غِرْتُ عَلَى امْرَأَةٍ مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ، مِنْ كَثْرَةِ ذِكْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهَا، قَالَتْ: وَتُزَوَّجَنِي بَعْدَهَا بِثَلَاثِ سِنِينَ، وَأَمَرَهُ رَبُّهُ عَزَّ وَجَلَّ - أَوْ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ - أَنْ يُبَشِّرَهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ.» وَفِي لَفْظٍ لَهُ، قَالَتْ: «مَا غِرْتُ عَلَى أَحَدٍ مِنْ نِسَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ، وَمَا رَأَيْتُهَا، وَلَكِنْ كَانَ يُكْثِرُ ذِكْرَهَا، وَرُبَّمَا ذَبَحَ الشَّاةَ، ثُمَّ يُقَطِّعُهَا أَعْضَاءً، ثُمَّ يَبْعَثُهَا فِي صَدَائِقِ خَدِيجَةَ، فَرُبَّمَا قُلْتُ لَهُ: كَأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِي الدُّنْيَا امْرَأَةٌ إِلَّا خَدِيجَةَ. فَيَقُولُ: " إِنَّهَا كَانَتْ وَكَانَتْ، وَكَانَ لِي مِنْهَا وَلَدٌ» ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ خَلِيلٍ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «اسْتَأْذَنَتْ
পৃষ্ঠা - ২০২৯


ঈর্ষা ত হয়ে উঠলাম এবং বললাম, ইয়া রড়াসুলাল্লাহ্ রক্তিম দু চোয়াল বিশিষ্ট এক কুরায়শী
বুড়ীর চেয়ে অনেক ভাল ত্রী তো আল্লাহ্ তাআলা আপনাকে দিয়েছেন ৷ আমার মন্তব্য শুনে
ক্ষোভে ও দু৪খে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখমণ্ডল এমনি বিবর্ণ হয়ে পড়েছিল যা ওহী নাযিল
হওয়ার সময় অথবা আকাশে কাল মেঘ দেখা দেয়৷ কালে তা রহমতের মেঘ, না আযাবের মেঘ
এটা আমার পুর্বে ছাড়া অন্য কোন সময় আমি দেখিনি ৷ ইমাম আহমদ (র) আবদুল
মালিক ইবন উমায়র সুত্রে অনুরুপ উদ্ধৃত করেছেন ৷ ওই বর্ণনার )ট্রুও১ট্রু;; ৷ ; ৷ স্পে ন্ (রক্তিম
দু চোয়াল) এর পরে এ fl ৷ )ংা৷ ৷ এ; দু;ন্নুাট্রুণ্; (যে প্রথম যুগে মৃতৃবরণ করেছে) কথাটি
অতিরিক্ত রয়েছে এবং ) রুটুছু শ্াব্দের পরিবর্তে ;, ;’: শব্দ রয়েছে ইমাম আহমদ (র) একা এই
বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন ৷

এটি একটি ভাল সনদ ৷ ইবন ইসহাক আইশা (রা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন হযরত খাদীজ৷ (রা)-এর কথা আলোচনা করতেন, তখন তার প্রশৎসায়
পঞ্চমুখ হয়ে উঠতেন ৷ আইশা (বা ) বলেন, একদিন আমি ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠলাম এবং বললড়াম,
আপনার কী হল যে, আপনি ব্যাপকভাবে রক্তিম চোয়াল বিশিষ্ট ওই মহিলার কথা আলোচনা
করছেন ৷ আল্লাহ (তা আপনাকে তার উত্তম বিকল্প দান করেছেন ৷ উত্তরে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন আল্লাহ তা আলা আমাকে তার উত্তম বিকল্প দেননি ৷ সে ৫৩ ৷ এমন এক মহিলা ছিল
সবাই যখন আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছে তখন সে আমার প্ৰতি ঈমান এনেছে ৷ সবাই যখন
আমাকে মিথ্যাবাদী ঠাওরিয়েছে, তখন সে আমাকে সতবােদীরুপে গ্রহণ করেছে ৷ মানুষ যখন
আমাকে কেবল বাংলা দিয়েছে, তখন সে আপন ধন-সম্পদ দিয়ে আমার সহযোগিতা করেছে ৷
আমার অন্যান্য শ্রী যেখানে আমাকে সন্তান দানে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে তার মাধ্যমে আল্লাহ
তাআলা আমাকে সন্তান দান করেছেন ৷ এটিও ইমাম আহমদ (র)-এর একক বর্ণনা ৷ এটির
সনদে কোন সমস্যা নেই ৷ বর্ণনাকারী মুজালিদ-এর বর্ণনার সমর্থনে ইমাম মুসলিম অন্য হাদীছ
উদ্ধৃত করেছেন ৷ তার সম্পর্কে বিতর্ক সর্বজন বিদিত ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

“অন্যান্য শ্রী যেখানে আমাকে সন্তান দিতে ব্যর্থ হয়েছে অথচ তার মাধ্যমে আল্লাহ আমাকে
সন্তান দান করেছেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর এ উক্তিটি সম্ভবত মারিয়া (রা)-এর ঘরে নবীপুত্র
হযরত ইবরাহীম (রা) এর জন্মের পুর্বেকার ৷ মুলত এ মন্তব্য মারিয়া কিবতিয়্যাহ (বা ) রাসুলের
তত্তাবধানে আমার পুর্বের ৷ এটাই নিশ্চিত ৷ কারণ, ইণ্ডে তাপুর্বে আলোচিত হয়েছে এবং পরেও
আলোচিত হবে যে, একমাত্র ইবরাহীম (রা ) ব্যতীত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সকল ছেলে-যেয়ে
হযরত খাদীজ৷ (রা)-এর যরেই জন্মগ্রহণ করেন ৷ ইবরাহীম (রা)-এর জন্ম হয় মিসরবাসিনী
হযরত মারিয়া কিবতিয়্যাহ এর গর্ভে ৷

একদল উলামায়ে কিরাম এই হাদীছ দ্বারা প্রমাণ করেন যে, হযরত আইশ৷ (বা) থেকে
হযরত খাদীজ৷ (ব ) অধিক মর্যাদাবান ও উত্তম ৷ অপর একদল এই হাদীছের সনদ সম্পর্কে
বিরুপ মন্তব্য করেছেন ৷ অন্য একদল এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, দ ম্প জীবনের দৃষ্টিকোণ থেকে
হযরত আইশা (বা) উত্তম ছিলেন ৷ বর্ণনা থেকে তা স্পষ্ট বুঝা যায় কিংবা এরুপ ধারণা পাওয়া



১ ঠুৰু;ট্রু০ছু মুখের লাবণ্য সরে গািয় মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেল ৷


هَالَةُ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ أُخْتُ خَدِيجَةَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَرَفَ اسْتِئْذَانَ خَدِيجَةَ، فَارْتَاعَ، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ هَالَةُ ". فَغِرْتُ، فَقُلْتُ: مَا تَذْكُرُ مِنْ عَجُوزٍ مِنْ عَجَائِزِ قُرَيْشٍ، حَمْرَاءِ الشِّدْقَيْنِ، هَلَكَتْ فِي الدَّهْرِ، قَدْ أَبْدَلَكَ اللَّهُ خَيْرًا مِنْهَا.» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ سُوِيْدِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ بِهِ. وَهَذَا ظَاهِرٌ فِي التَّقْرِيرِ عَلَى أَنَّ عَائِشَةَ خَيْرٌ مِنْ خَدِيجَةَ، إِمَّا فَضْلًا وَإِمَّا عِشْرَةً; إِذْ لَمْ يُنْكِرْ عَلَيْهَا، وَلَا رَدَّ عَلَيْهَا ذَلِكَ، كَمَا هُوَ ظَاهِرُ سِيَاقِ الْبُخَارِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَلَكِنْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ - هُوَ ابْنُ سَلَمَةَ -، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ - هُوَ ابْنُ عُمَيْرٍ -، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا خَدِيجَةَ فَأَطْنَبَ فِي الثَّنَاءِ عَلَيْهَا، فَأَدْرَكَنِي مَا يُدْرِكُ النِّسَاءَ مِنَ الْغَيْرَةِ، فَقُلْتُ: لَقَدْ أَعْقَبَكَ اللَّهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مِنْ عَجُوزٍ مِنْ عَجَائِزِ قُرَيْشٍ حَمْرَاءِ الشِّدْقَيْنِ. قَالَتْ: فَتَغَيَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَغَيُّرًا لَمْ أَرَهُ تَغَيَّرَ عِنْدَ شَيْءٍ قَطُّ، إِلَّا عِنْدَ نُزُولِ الْوَحْيِ، أَوْ عِنْدَ الْمَخِيلَةِ حَتَّى يَعْلَمَ، رَحْمَةٌ أَوْ عَذَابٌ»
পৃষ্ঠা - ২০৩০
وَكَذَا رَوَاهُ عَنْ بَهْزِ بْنِ أَسَدٍ وَعُثْمَانَ بْنِ مُسْلِمٍ، كِلَاهُمَا عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ بِهِ، وَزَادَ بَعْدَ قَوْلِهِ: حَمْرَاءُ الشِّدْقَيْنِ: «هَلَكَتْ فِي الدَّهْرِ الْأَوَّلِ. قَالَتْ: فَتَمَعَّرَ وَجْهُهُ تَمَعُّرًا، مَا كُنْتُ أَرَاهُ إِلَّا عِنْدَ نُزُولِ الْوَحْيِ، أَوْ عِنْدَ الْمَخِيلَةِ حَتَّى يَنْظُرَ; أَرَحْمَةً أَوْ عَذَابًا؟» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مُجَالِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا ذَكَرَ خَدِيجَةَ أَثْنَى عَلَيْهَا بِأَحْسَنِ الثَّنَاءِ، قَالَتْ: فَغِرْتُ يَوْمًا. فَقُلْتُ: مَا أَكْثَرَ مَا تَذْكُرُهَا، حَمْرَاءُ الشِّدْقِ، قَدْ أَبْدَلَكَ اللَّهُ خَيْرًا مِنْهَا. قَالَ: " مَا أَبْدَلَنِي اللَّهُ خَيْرًا مِنْهَا، قَدْ آمَنَتْ بِي إِذْ كَفَرَ بِي النَّاسُ، وَصَدَقَتْنِي إِذْ كَذَّبَنِي النَّاسُ، وَوَاسَتْنِي بِمَالِهَا إِذْ حَرَمَنِي النَّاسُ، وَرَزَقَنِي اللَّهُ وَلَدَهَا إِذْ حَرَمَنِي أَوْلَادَ النِّسَاءِ ".» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ أَيْضًا، وَإِسْنَادُهُ لَا بَأْسَ بِهِ، وَمُجَالِدٌ رَوَى لَهُ مُسْلِمٌ مُتَابَعَةً، وَفِيهِ كَلَامٌ مَشْهُورٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَعَلَّ هَذَا - أَعْنِي قَوْلَهُ: «وَرَزَقَنِي اللَّهُ وَلَدَهَا إِذْ حَرَمَنِي أَوْلَادَ النِّسَاءِ»
পৃষ্ঠা - ২০৩১


যায় ৷ কারণ, রুপে-গুণে, যৌবন-সৌন্দর্যে এবং মনােরম সংসার জীবন যাপনে হযরত আইশা
(রা) ছিলেন পুর্ণাঙ্গ ও পরিপুর্ণ ৷ “আল্লাহ আপনাকে তার উত্তম বিকল্প দান করেছেন ৷” এ মন্তব্য

রানিজের পবিত্রত৷ বর্ণনা করা এবং নিজেকে খাদীজা ৷(রা) থেকে ভ ৷ল বলা হযরত আইশা
(রা) এর উদ্দিষ্ট ছিল না ৷ কে পবিত্রাত্ম৷ আর কে৩ তা নন, সে বিচারের তার মুলত আল্লাহ্রই
হাতে ৷ যেমন আল্লাহ তা ৩া৷লা বলেন :

০০০০০

“তোমরা আত্মপ্ৰশৎস৷ করো না ৷ ” তিনিই৩ ৷ল জানেন মুত্তাকা কে ?
আল্লাহ তা আল৷ অন্যত্র বলেন০ ং


“আপনি কি তাদেরকে দেখননি যারা নিজেদের পবিত্র মনে করেন ? না বরং আল্লাহ যাকে
ইচ্ছা পবিত্র করেন ৷” (৪৪ ৪৯)

খাদীজা (রা) ও আইশা (রা)-এর মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ এ মানআলাতে অতীত ও বর্তমান
উলামায়ে কিরাম ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেন ৷ শিয়াপন্থিগণ কোন মহিলাকেই হযরত খাদীজা
(রা)-এর সমকক্ষ মনে করে না ৷ যুক্তি হিসেবে তারা বলে যে, স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তাকে
সালাম জানিয়েছেন ৷ ইবরাহীম (রা) ব্যতীত রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সকল সন্তান তার গর্ভে জন্ম
নেন ৷ তার জীবদ্দশায় তার সম্মানার্থে রাসুলুল্লাহ্ (সা) অন্য কাউকে বিয়ে করেননি ৷ ইসলাম
গ্রহণে ৷তিনি সকলের অংাণী ৷ তিনি স৩ ত্যানুসারীদের অন্যতম এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নবুওয়াত
লাভের সুচনায়৩ তিনি তার নবুওয়াতের স্বীকৃতি ৩দিয়েছেন ৷ তার জান মাল রাসুলুল্লাহ্( স৷ ) এর
জন্যে উৎসর্গ করে দিয়েছেন ৷

আহলুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামাআতের কেউ কেউ বলেন, তাদের উভয়ের প্রকৃতব্রকেরই কোন
কোন দিকে অন্যজন থেকে শ্রেষ্ঠতৃ রয়েছে ৷ এটি সর্বজন বিদিত ৷ তবে হযরত আইশা (রা) কে
অধিকতর গ্রেষ্ঠতৃ প্রদানে যারা উৎসাহবােধ্ করেন, তাদের এমনাে ভাবের কারণ হচ্ছে তিনি
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর কন্যা ৷ তিনি হযরত খাদীজা ৷(রা) থেকে বেশী জ্ঞানী ৷
বস্তুত মেধা, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও ভাষার প্রাঞ্জলতার ক্ষেত্রে উম্মণ্ডে র কেউই হযরতঅ অ্যাইশার (রা)
সমকক্ষ নন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত আইশা (রা) কে যত তা ৷লবাসতেন অন্য কা ৷উকে ততটা
নয় ৷ তার পবিত্রত৷ ও সতীত্বে র সমর্থনে সপ্ত আকাশের উপর থেকে আয়াত নাযিল হয়েছে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ইনতিকালের পর তার থেকে হাদীছ বর্ণনার মাধ্যমে হযরত আইশা (রা)
জ্ঞানের এক বিশাল ও বরকতময় ভাণ্ডার উম্ম৩ তাক উপহার দিয়েছেন ৷ এমনকি কেউ কেউ এ
প্রসিদ্ধ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন যে,
াটুর্দুছু
তোমাদের দীনের অর্ধাং শ তোমরা হুমায়রা অর্থাৎ আইশা (রা) থেকে গ্রহণ কর ৷ ” তবে
সঠিক কথা হল, তাদের প্ৰতেব্রুবেইি এক এক দিক থেকে গ্রেষ্ঠত্বে র অধিকারী ৷৩ ৩াদের গ্রেষ্ঠত্বের
বিষয়গুলো সম্পর্কে যে চিম্ভা-ভাবনা ও পর্যবেক্ষণ করবে, সে অবশ্যই পরম আনন্দিত ও বিস্মিত


كَانَ قَبْلَ أَنْ يُولَدَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَارِيَةَ، وَقَبْلَ مَقْدِمِهَا بِالْكُلِّيَّةِ. وَهَذَا مُتَعَيِّنٌ فَإِنَّ جَمِيعَ أَوْلَادِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَمَا تَقَدَّمَ وَكَمَا سَيَأْتِي مِنْ خَدِيجَةَ، إِلَّا إِبْرَاهِيمَ، فَمِنْ مَارِيَةَ الْقِبْطِيَّةِ الْمِصْرِيَّةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. وَقَدِ اسْتَدَلَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ جَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى تَفْضِيلِ خَدِيجَةَ عَلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَأَرْضَاهُمَا، وَتَكَلَّمَ آخَرُونَ فِي إِسْنَادِهِ، وَتَأَوَّلَهُ آخَرُونَ عَلَى أَنَّهَا كَانَتْ خَيْرًا عِشْرَةً، وَهُوَ مُحْتَمَلٌ أَوْ ظَاهِرٌ، وَسَبَبُهُ أَنَّ عَائِشَةَ سَمَتْ بِشَبَابِهَا، وَحُسْنِهَا، وَجَمِيلِ عِشْرَتِهَا، وَلَيْسَ مُرَادُهَا بِقَوْلِهَا: قَدْ أَبْدَلَكَ اللَّهُ خَيْرًا مِنْهَا. أَنَّهَا تُزَكِّي نَفْسَهَا وَتُفَضِّلُهَا عَلَى خَدِيجَةَ، فَإِنَّ هَذَا أَمْرٌ مَرْجِعُهُ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، كَمَا قَالَ {فَلَا تُزَكُّوا أَنْفُسَكُمْ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ اتَّقَى} [النجم: 32] وَقَالَ تَعَالَى: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يُزَكُّونَ أَنْفُسَهُمْ بَلِ اللَّهُ يُزَكِّي مَنْ يَشَاءُ} [النساء: 49] الْآيَةَ. وَهَذِهِ مَسْأَلَةٌ وَقَعَ النِّزَاعُ فِيهَا بَيْنَ الْعُلَمَاءِ قَدِيمًا وَحَدِيثًا، وَتَجَاذَبَهَا طَرَفَا نَقِيضٍ; أَهِلُ التَّشَيُّعِ وَغَيْرُهُمْ، لَا يَعْدِلُونَ بِخَدِيجَةَ أَحَدًا مِنَ النِّسَاءِ، لِسَلَامِ الرَّبِّ عَلَيْهَا، وَكَوْنِ وَلَدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمِيعِهِمْ - إِلَّا إِبْرَاهِيمَ - مِنْهَا، وَكَوْنِهِ لَمْ يَتَزَوَّجْ عَلَيْهَا حَتَّى مَاتَتْ; إِكْرَامًا لَهَا، وَتَقَدُّمِ إِسْلَامِهَا، وَكَوْنِهَا مِنَ الصِّدِّيقَاتِ، وَلَهَا مَقَامُ صِدْقٍ فِي أَوَّلِ الْبِعْثَةِ، وَبَذَلَتْ نَفْسَهَا وَمَالَهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
পৃষ্ঠা - ২০৩২


হবে ৷ তবে এ বিষয়ে সর্বাধিক উত্তম পথ হল এটি আল্লাহর প্ৰতি ন্যস্ত করা যে, আল্লাহ্ই ভাল
জানেন তাদের দু’জনের কে অধিকতর মর্যাদাবান ও শ্রেষ্ঠ ৷ কোন বিশেষ ক্ষেত্রে অকাট্য ও
সন্দেহাতীত প্রমাণ গেলে সে ক্ষেত্রে নিশ্চিত মন্তব্য করা যেতে পারে ৷ অথবা কোন ক্ষেত্রে প্রবল
ধারণা জনা৷লে সে বলবে যে, আমার জানা মতে আমার এই মন্তব্য পেশ করলাম ৷ যে ব্যক্তি এ
মাসআলায় কিংবা অন্য কোন মাসআলায় মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে চায়, তার জন্যে
উত্তম পন্থা হল একথা বলা “আল্লাহ্ইতাল জ নেন”

ইমাম আহমদ বুখারী মুসলিম, তিরমিষী নাস ঈ প্রমুখ হিশাম ইবন উরওয়া
আলী ইবন আবু৩ তালিব (র ) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন ( য, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ
করেছেন০ ং


শ্রেষ্ঠ মহিলা ইমরানের কন্যা মারয়াম এবং শ্রেষ্ঠ মহিলা ন্াশু-য়াইলিদের কন্যা খাদীজা (র৷ )া
এর অর্থ তারা নিজ নিজ যুগের শ্রেষ্ঠ মহিলা ছিলেন ৷

শুব৷ বুররা ইবন ইয়াস থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেছেন :

’ ৷ৰুদ্বু

ন্ন্ন্ন্ন্ন্


পুরুষদের মধ্যে অনেকেই কামালিয়াত অর্জন করেছেন কিত্তু মহিলাদের মধ্যে

কামালিয়াত ও পুর্ণতা পেয়েছেন তিনজন ৷ ইমরানের কন্যা মারয়াম, ফিরআওনের শ্রী আসিয়া

এবং খুওয়াইলিদের কন্যা খাদীজা (রা ) ৷ আর সকল মহিলার উপর আইশার (বা) শ্রেষ্ঠতৃ তেমন
যেমন সকল খাদ্যের উপর ছ৷ ৷রীদ অর্থাৎ গোশত-রুটির মিশ্রিত খাদ্যের শ্রেষ্ঠতু ৷

ইবন মারদাবিয়্যাহ এই হাদীছ তার তাফসীর গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন ৷ শু বা ও তার পরবর্তী
বংনিাকারিগণ ৷পর্যম্ভ এই হাদীছের সনদ বিশুদ্ধ ৷ বিশ্নেষকগণ ৷বলেন যে অবদান ও কমগুণ
উল্লিখিত তিন মহিলা ৩ার্থ ৎ আসিয়া, মারয়াচুাও খাদীজা ৷(রা) এর মধ্যে ছিল তাহল তাদের
প্ৰতোকেই এক একজন নবী-রাসুলের যিম্মাদারী গ্রহণ ৷করেছিলেন এবং অত্যন্ত বিশ্বস্তত৷ ও
নিষ্ঠার সাথে ওই যিম্মাদারী পালন করেছেন ৷ তারা সংশ্লিষ্ট নবীগণের প্ৰতি ঈমান এনেছেন ৷
আসিয়া হযরত মুসা (আ)-কে লালন, পালন করেছেন, তার উপকার করেছেন এবং নবুওয়াত
লাভের পর তাকে সত্য নবী রুপে গ্রহণ করে তবে প্রতি ঈমান এসেছেন ৷ মারয়াম (আ) তার
পুত্র ঈস৷ (আ)-এর যিম্মাদারী নিয়েছিলেন ৷ পরিপুর্ণতাবে সে যিম্মাদারী পালন করেছিলেন ৷
রিসালাত পাওয়ার পর তিনি তার প্রতি ঈমান এসেছিলেন ৷ হযরত খাদীজা (বা) প্রিয়নবী
(সা) এর সাথে স্বেচ্ছায়ও সাগ্রহে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
থিদমতে নিজের ধন সম্পদ ব্যয় করেছিলেন ৷ তার প্রাং ৩ ওহী নাযিল হওয়ার পর তাকে সত্য
নবী রুপে গ্রহণ করে তার প্রতি ঈমান এসেছিলেন ৷


وَأَمَّا أَهْلُ السُّنَّةِ; فَمِنْهُمْ مَنْ يَغْلُو أَيْضًا، وَيُثْبِتُ لِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا مِنَ الْفَضَائِلِ مَا هُوَ مَعْرُوفٌ، وَلَكِنْ تَحْمِلُهُمْ قُوَّةُ التَّسَنُّنِ عَلَى تَفْضِيلِ عَائِشَةَ; لِكَوْنِهَا ابْنَةَ الصِّدِّيقِ، وَلِكَوْنِهَا أَعْلَمَ مِنْ خَدِيجَةَ، فَإِنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِي الْأُمَمِ مِثْلُ عَائِشَةَ فِي حِفْظِهَا وَعِلْمِهَا وَفَصَاحَتِهَا وَعَقْلِهَا، وَلَمْ يَكُنِ الرَّسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّ أَحَدًا مِنْ نِسَائِهِ كَمَحَبَّتِهِ إِيَّاهَا، وَنَزَلَتْ بَرَاءَتُهَا مِنْ فَوْقِ سَبْعِ سَمَاوَاتٍ، وَرَوَتْ بَعْدَهُ عَنْهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عِلْمًا جَمًّا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ، حَتَّى قَدْ ذَكَرَ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ الْحَدِيثَ الْمَشْهُورَ: «خُذُوا شَطْرَ دِينِكُمْ عَنِ الْحُمَيْرَاءِ» وَالْحُقُّ أَنَّ كُلًّا مِنْهُمَا لَهَا مِنَ الْفَضَائِلِ مَا لَوْ نَظَرَ النَّاظِرُ فِيهِ لَبَهَرَهُ وَحَيَّرَهُ، وَالْأَحْسَنُ التَّوَقُّفُ فِي ذَلِكَ، وَرَدُّ عِلْمِ ذَلِكَ، إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَمَنْ ظَهَرَ لَهُ دَلِيلٌ يَقْطَعُ بِهِ، أَوْ يَغْلِبُ عَلَى ظَنِّهِ فِي هَذَا الْبَابِ، فَذَاكَ الَّذِي يَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يَقُولَ بِمَا عِنْدَهُ مِنَ الْعِلْمِ، وَمَنْ حَصَلَ لَهُ تَوَقُّفٌ فِي هَذِهِ الْمَسْأَلَةِ، أَوْ فِي غَيْرِهَا، فَالطَّرِيقُ الْأَقْوَمُ وَالْمَسْلَكُ الْأَسْلَمُ أَنْ يَقُولَ: اللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَالْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ
পৃষ্ঠা - ২০৩৩
طُرُقٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ نِسَائِهَا مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَخَيْرُ نِسَائِهَا خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ ".» أَيْ: خَيْرُ زَمَانِهِمَا. وَرَوَى شُعْبَةُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَبِيهِ قُرَّةَ بْنِ إِيَاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَمُلَ مِنَ الرِّجَالِ كَثِيرٌ، وَلَمْ يَكْمُلْ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا ثَلَاثٌ; مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَآسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ، وَخَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَفَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ ".» رَوَاهُ ابْنُ مَرْدَوَيْهِ فِي " تَفْسِيرِهِ ". وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ إِلَى شُعْبَةَ، وَبَعْدَهُ. قَالُوا: وَالْقَدْرُ الْمُشْتَرَكُ بَيْنَ هَذِهِ الثَّلَاثِ نِسْوَةٍ، آسِيَةَ وَمَرْيَمَ وَخَدِيجَةَ، أَنَّ كُلًّا مِنْهُنَّ كَفَلَتْ نَبِيًّا مُرْسَلًا، وَأَحْسَنَتِ الصُّحْبَةَ فِي كَفَالَتِهَا، وَصَدَّقَتْهُ; فَآسِيَةُ رَبَّتْ مُوسَى، وَأَحْسَنَتْ إِلَيْهِ، وَصَدَّقَتْهُ حِينَ بُعِثَ، وَمَرْيَمُ كَفَلَتْ وَلَدَهَا أَتَمَّ كَفَالَةٍ وَأَعْظَمَهَا، وَصَدَّقَتْهُ حِينَ أُرْسِلَ، وَخَدِيجَةُ رَغِبَتْ فِي تَزْوِيجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَا، وَبَذَلَتْ فِي ذَلِكَ أَمْوَالَهَا كَمَا تَقَدَّمَ، وَصَدَّقَتْهُ حِينَ نَزَلَ عَلَيْهِ الْوَحْيُ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَقَوْلُهُ: «وَفَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ ".» هُوَ ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ شُعْبَةَ أَيْضًا، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُرَّةَ الطَّيِّبِ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَمُلَ