আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في وفاة أبي طالب عم رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ২০১৪


সব কিসৃসা কাহিনীর কোন ভিত্তি নেই ৷ এগুলো সরাসরি মিথ্যা ও বানােয়াট কথা ৷ এগুলো
মোটেই শুদ্ধ নয় ৷ বন্তুত র্চাদ যখন বিদীর্ণ হয়ে গিয়েছিল, তখনও আকাশেই ছিল ৷ তবে
রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন সেটির দিকে ইঙ্গিত করলেন, তখন তার ইঙ্গিতে সেটি দৃই খণ্ডে বিভক্ত
হয়ে যায় এবং একখণ্ড চলতে চলতে হেব৷ পাহাড়ের উল্টে৷ দিক বরাবর চলে আসে ৷ তখন
দর্শকর৷ এই খণ্ড আর ওই খণ্ড উভয় খণ্ডের মাঝ দিয়ে হেব৷ পর্বত দেখতে পান ৷ যেমনটি
বলেছেন ইবন মাসউদ (বা) যে, তিনি নিজে তা প্রত্যক্ষ করেছেন ৷ পক্ষান্তরে ঘুসনাদে আহমদ
গ্রন্থে হযরত আনাস (র) সুত্রে যা বর্ণিত হয়েছে যে, মক্কায় চাদ বিদীর্ণ হয়েছে দু’বার বাহ্যত
তা দ্বারা একথা বুঝানো হয়েছে যে, দুবার নয়, বরং বিদীর্ণ হয়ে র্চাদ দু’খণ্ডে বিভক্ত হয়ে
পড়েছিল ৷ আল্লাহ্ই৩ ভাল জানেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চাচা আবু তালিবের ইনতিকাল

চাচা আবু তালিবের ইনতিকালের পর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সহধর্মিণী হযরত খাদীজা বিনত
থুওয়াইলিদ (রা) ইনতিকাল করেন ৷ কারো কারো মতে চচ৷ আবু তালিবের পুর্বে হযরত
থাদীজার (রা) ইননিক ল হয় ৷ প্রথম অভিম৩ ই প্রসিদ্ধ ৷ এ দুটো ঘটনা ই বেঃদনাদায়ক ৷ আবু
তালিবের বিয়ােগ অনুভুত হয় বহিরাঙ্গনে খাদীজ র (রা) অনুপন্থিতির প্রতিক্রিয়া হয় মর্মমুলে ;
আবু তালিব ছিলেন কাফির ৷ আর খাদীজা (রা ) ছিলেন ঈমানদার ও সিদ্দীক৷ ৷ আল্লাহ তার
প্রতি প্রসন্ন হোন এবং তাকে সন্তুষ্ট করুন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, হযরত খাদীজা (বা ) এবং আবু তালিব দু’জনে একই বছরে
ইনতিকাল করেন ৷ এদের দু’জনের অবর্তমানে বিরামহীনভাবে বিপদাপদ আসতে থাকে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপর ৷ সকল বিপদাপদে হযরত খাদীজা (রা) ছিলেন নতার সত্যিকার ও
যোগ্য পরামর্শদাত্রী ৷৩ তার নিকট এসেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) শান্তি পাে৩ ন ৷ চাচা আবু তালিব
ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর শক্তি ও সাহায্যকারী, বিপদাপদে রক্ষাকর্তা এবং আপন সম্প্রদায়ের
হাত থেকে নিরাপত্তা প্রদানকারী ৷৩ তাদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে মদীনায় হিজরতের তিন বছর
পর্বে ৷ চাচা আবু তালিবের ইনতিকালের পর কুরায়শী কাফিরের৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর উপর
এমন অত্যাচার-নির্যা তন শুরু করল যা আবু তালিবের জীবদ্দশায় তারা চিন্তা ও করতে পারত
না ৷ তাদের এক মুর্থ ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপর চড়া ও হয় এবং তার মাথায় বুলি নিক্ষেপ
করে ৷ হিশাম ইবন উরওয়া তার পি৩ ৷ থেকে বর্ণনা করেন যে, তারপর ধুলি-ধুসরিত মাথায়
বাড়ী ফিরেন ৷ তখন তার এক কন্যা কেদে কেদে পিতার মাথা ধৃয়ে দিচ্ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা )
বল লন, প্রিয় কন্যা ৷ কেদে৷ না মহান আল্লাহ তোমার পি৩ ৷কে অবশ্যই রক্ষা করবেন ৷ তিনি
তখন এও বলেছিলেন যে, আবু৩৷ তালিবের ইনতিকালের পুর্ব পর্যন্ত কুরায়শর৷ আমার সাথে এমন
কোন আচরণ করতে পারেনি, যা আমাকে কষ্ট দেয় ৷ ইবন ইসহাক আরো উল্লেখ করেছেন যে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রান্নাবান্নার সময় তাদের এক দুর্বৃত্ত এ যে ওই ইাড়িতে আবর্জনা নিক্ষেপ
করতো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে ল৷ ৷ঠি দিয়ে তা উঠিয়ে নিজের দরজার সম্মুখে ফেলে দিতেন এবং
বলতেন হে আবৃদ মানাফের বং শধরগণ! প্রতিবেশীর সাথে তোমাদের এফী আচরণ তারপর
তিনি ওই ময়লা রাস্তায় ফেলে দিতেন ৷


شَاهَدَ ذَلِكَ. وَمَا وَقَعَ فِي رِوَايَةِ أَنَسٍ فِي " مُسْنَدِ أَحْمَدَ ": فَانْشَقَّ الْقَمَرُ بِمَكَّةَ مَرَّتَيْنِ. فِيهِ نَظَرٌ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ أَرَادَ فِرْقَتَيْنِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [فَصْلٌ فِي وَفَاةِ أَبِي طَالِبٍ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] َ ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِ خَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ زَوْجَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَقِيلَ: بَلْ هِيَ تُوُفِّيَتْ قَبْلَهُ. وَالْمَشْهُورُ الْأَوَّلُ. وَهُمَا الْمُشْفِقَانِ; هَذَاكَ فِي الظَّاهِرِ، وَهَذِهِ فِي الْبَاطِنِ هَذَاكَ كَافِرٌ، وَهَذِهِ مُؤْمِنَةٌ صِدِّيقَةٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ خَدِيجَةَ وَأَبَا طَالِبٍ هَلَكَا فِي عَامٍ وَاحِدٍ، فَتَتَابَعَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَصَائِبُ، بِهُلْكِ خَدِيجَةَ، وَكَانَتْ لَهُ وَزِيرَ صِدْقٍ عَلَى الْإِسْلَامِ، يَسْكُنُ إِلَيْهَا، وَبِهُلْكِ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ، وَكَانَ لَهُ عَضُدًا وَحِرْزًا فِي أَمْرِهِ، وَمَنَعَةً وَنَاصِرًا عَلَى قَوْمِهِ، وَذَلِكَ قَبْلَ مُهَاجَرِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ بِثَلَاثِ سِنِينَ، فَلَمَّا هَلَكَ أَبُو طَالِبٍ، نَالَتْ قُرَيْشٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَذَى مَا لَمْ تَكُنْ تَطْمَعُ بِهِ فِي حَيَاةِ أَبِي طَالِبٍ، حَتَّى اعْتَرَضَهُ سَفِيهٌ مِنْ سُفَهَاءِ قُرَيْشٍ، فَنَثَرَ
পৃষ্ঠা - ২০১৫


ইবন ইসহাক বলেন আবু৩ তালিব অন্তিম শয্যায় শায়িত এ স০ বাদ পেয়ে কুরায়শ ( বা)
একে অন্যকে বলাবলি করতে লাগলো হাময৷ ও উমর (র ) ইতে ৷মধ্যে ইসলাম গ্রহণ করেছে
আর মুহাম্মদ (সা ) এর আনীত বিষয়টি কুরায়শের সকল গোত্রের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ৷ এখন
চল, আমরা আবু তালিবের নিকট য ই এবং তার ভাতিজার স্বার্থ যে আমাদের থেকে কিছু
অঙ্গীকার নিক আর আমাদের স্বার্থে তার থেকে কিছু প্রতিশ্রুতি ৷নয়ে দিক ৷ আল্লাহর কসম,
আরবগণ যে আমাদের উপর তাকে প্রাধান্য দিবে না সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আব্বাস ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, তার৷ আবু তালিবের নিকট গেল এবং তার সাথে আলাপ আলোচনা করল ৷
এ প্রতিনিধি দলে ছিল কুরায়শ বংশের অভিজাত নেতৃবর্গ ৷ তাদের মধ্যে উতব৷ ইবন রাবীআ,
শায়ব৷ ইবন রাবীআ আবু জাহ্ল ইবন হিশাম, উমাইয়া ইবন খাল্ফ , আবু সুফিয়ান ইবন হারব
প্রমুখ ছিল ৷ তারা বলল , হে আবু তালিব ৷ আমাদের মধ্যে আপনার স্থান যে কত উধের্ব তাতাে
আপনি জানেন ৷ এখন আপনার অন্তিম অরস্থা,৩ তাও আপনি দেখছেন ৷ আপনার মৃত্যু ঘটবে এ
আশ০ করে আমরা শ০ কিত ৷ আমাদের মাঝে এবং আপনার তাতিজার মাঝে যে ম৩ বিরোধ
রয়েছে তাতে৷ আপনি জ নেনই ৷ আপনি তাকে একটু ডেকে পাঠান ৷ তারপর তার স্বার্থে
আমাদের কিছু অঙ্গীকার নিন আর আমাদের স্বার্থে তার কিছু অঙ্গীকার নিয়ে দিন যাতে পরে
আমরা তার থেকে বিরত থাকি, সেও আমাদের পেছনে লাগা থেকে বিরত থাকে ৷ যাতে যে
আমাদের এবং আমাদের ধর্মের ব্যাপারে বিরুপ ৷সমালোচন৷ না করে আর আমরাও তাকে এবং
তার ধর্মকে গালমন্দ না করি ৷ আবু৩ তালিব রাসুলুল্লাহ (সা) ক ডেকে পাঠ লেন ৷ তিনি এলে
আবু তালিব বললেন, ভাতিজা ৷ এই যে তোমার সম্প্রদায়ের সম্রান্ত ব্যক্তিবর্গ ৷ তারা তোমার
নিকট এসেছেন যাতে তুমি ওদের থেকে কিছু অঙ্গীকার নিয়ে নাও এবং ওদেরকে তুমি কিছু
অঙ্গীকার দিয়ে দাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, চাচা ৷ আপনারা আমাকে শুধু একটি কথা দিন
যার মাধ্যমে আপনারা সম্পুর্ণ আরব জাহানের অধিপতি হতে পারবেন এবং সমগ্র অনারব অঞ্চল
আপনাদের করতলগত থাকবে ৷ তখন আবু জাহ্ল বলল, ইা৷ এরুপ হলে আমরা তোমার
পিতার কসম, একটি কেন দশটি কথাও মানতে পারি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) বললেন, তবে আপনারা
সবাই বলুন “লা-ইলাহা ইল্লা ল্লাহ্”া

আর আল্লাহ ব্যতীত যেগুলোর উপাসনা করছেন সেগুলো আপনার ৷পরিত্যাগ করুন ৷ তার
একথা শুনে তারা হাত তালি দিয়ে উঠলো এব০ বলল “হে মুহম্মদ ৷ তুমি কি বহু উপাস্যের
পরিবর্তে ৩একজন মাত্র ইলাহ্ সাব্যস্ত করতে চাও ? এতে৷ তোমার এক আশ্চর্যজনক প্রস্তাব ৷
এরপর তারা পরস্পরে বলাবলি করলো, আল্লাহর কসম , এই লোকের নিকট তোমরা যা গেছে
তার কিছুই সে তােমাদেরকে দেবে না ৷ সুতরাং চলে যাও এবং নিজেদের পিতৃধর্মে অবিচল থাক
যতক্ষণ না আল্লাহ তোমাদের ও তার মধ্যে ফায়সালা করে দেন ৷ একথা বলে তারা নিজ নিজ
পথে চলে গেল ৷

এবার আবু তালিব বললেন, ভাতিজা ৷ আমি তো দেখলাম যে তুমি ওদের নিকট অন্যায়
কিছু চা ওনি ৷ আবু৩ তালিবের একথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আশাবাদী হলেন যে, আবু৩ তালিব

া,৷শ্রোা৪গাে০০০া৷া
৩০ — হু

عَلَى رَأْسِهِ تُرَابًا، فَحَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْتَهُ، وَالتُّرَابُ عَلَى رَأْسِهِ، فَقَامَتْ إِلَيْهِ إِحْدَى بَنَاتِهِ، فَجَعَلَتْ تَغْسِلُهُ وَتَبْكِي، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا تَبْكِي يَا بُنَيَّةُ; فَإِنَّ اللَّهَ مَانِعٌ أَبَاكِ ". - وَيَقُولُ بَيْنَ ذَلِكَ - " مَا نَالَتْنِي قُرَيْشٌ شَيْئًا أَكْرَهُهُ حَتَّى مَاتَ أَبُو طَالِبٍ ".» وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ قَبْلَ ذَلِكَ، أَنَّ أَحَدَهُمْ رُبَّمَا طَرَحَ الْأَذَى فِي بُرْمَتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا نُصِبَتْ لَهُ. قَالَ: فَكَانَ إِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ - كَمَا حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عُرْوَةَ - «يَخْرُجُ بِذَلِكَ الشَّيْءِ عَلَى الْعُوْدِ فَيَقِفُ بِهِ عَلَى بَابِهِ، ثُمَّ يَقُولُ: يَا بَنِي عَبْدَ مَنَافٍ، أَيُّ جِوَارٍ هَذَا؟ ثُمَّ يُلْقِيهِ فِي الطَّرِيقِ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: لَمَّا اشْتَكَى أَبُو طَالِبٍ، وَبَلَغَ قُرَيْشًا ثِقَلُهُ، قَالَتْ قُرَيْشٌ بَعْضُهَا لِبَعْضٍ: إِنَّ حَمْزَةَ وَعُمَرَ قَدْ أَسْلَمَا، وَقَدْ فَشَا أَمْرُ مُحَمَّدٍ فِي قَبَائِلِ قُرَيْشٍ كُلِّهَا، فَانْطَلِقُوا بِنَا إِلَى أَبِي طَالِبٍ فَلْيَأْخُذْ لَنَا عَلَى ابْنِ أَخِيهِ وَلْيُعْطِهِ مِنَّا، فَإِنَّا وَاللَّهِ مَا نَأْمَنُ أَنْ يَبْتَزُّونَا أَمْرَنَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنْ بَعْضِ أَهْلِهِ، «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: لَمَّا مَشَوْا إِلَى أَبِي طَالِبٍ وَكَلَّمُوهُ، وَهُمْ أَشْرَافُ
পৃষ্ঠা - ২০১৬


বুঝি ঈমান আনয়ন করবেন ৷ তাই তিনি বলতে লাগলেন, চাচা তবে আপনি ওই কালেমাটি
বলুন, তাহলে কিয়ামতের দিনে আপনার জন্যে সুপারিশ করা আমার জন্যে বৈধ হবে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আগ্রহ দেখে আবু তালিব বললেন, ভাতিজা! যদি আমার মৃত্যুর পর
তোমাকে ও তোমার নিজ গোষ্ঠীর প্রতি পাল-মন্দের আশংকা না থাকত এবং আমি মৃত্যু ভয়ে

কালেমা পাঠ করতাম ৷ শুধুতে তোমাকে খুশী করার জন্যে আ ৷মি ওই কথাটি বলেছি ৷

অবশেষে আবু তালিবের মৃত্যুর মুহুর্তটি যখন খুবই নিকটবর্তী ৷ক্ষ্ল৷ , তখন আব্বাস তার
দিকে তাকিয়ে দেখলেন যে তার (ঠ ট দুটো নড়ছে ৷ আব্বাস ৩ ৷ব ৫ঠাটে নিজের কান লাগালেন
এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ডেকে বললেন ভাতিজা ৷? আল্লাহর কসম আমার ভাইকে তুমি যা
বলতে অনুরোধ করেছিলে তিনি এখন তাই বলছেন৷ ৷রাসুলুল্লাহ্ (সা)াললেন আমি তো তা
শুনিনি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আগত কুরায়শ প্রতিনিধিদল সম্পর্কে আল্লাহ্ত তা জানা নাযিল
করলেন :

১ ১০

“ সােয়াদ, শপথ উপদেশপুর্ণ কুরআনের, তুমি অবশ্যই সত্যবাদী ৷ কিন্তু কাফিরর৷ ঔদ্ধত তা
ও বিরোধিতায় ডুবে আছে (৩৮ : ১ ২) ৷

তড়াফসীর গ্রন্থে আমি এ আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েছি ৷ উপরোক্ত হাদীছে উল্লিখিত হযরত
, আব্বাস (রা) এর বক্তব্য “ নিজ ! আমার ভাইকে ৩মি যা বলতে অনুরোধ করেছিলে অর্থাৎ
“লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্” আমার তা ৷ই তো এখন তাই বললেন” দ্বারা প্রমাণ উপস্থাপন করে শিয়া
সম্প্রদায়ের কতক গৌড়া ব্যক্তি এই অভিমত পোষণ করে যে, আবৃত তালিব মুসলিম রুপে
ইনতিকাল করেছেন ৷৩ তাদের এই অভিমতে তর বিরুদ্ধে একাধিক যুক্তি পেশ করা যায় ৷ প্রথমত

এই হাদীছের সনদে অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছে যার পরিচয় অস্পষ্ট ৷ যেমন বলা হয়েছে আবদুল্লাহ
ইবন মা বাদ তার পরিবারের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এতে সং শ্রিষ্ট ব্যক্তির নাম
এবং অবস্থা দুটে ই অজ্ঞাত ৩রয়েছে ৷ এ প্রকারের অস্পষ্টতাসম্পন্ন একক বর্ণনা অপ্রহণযোগ্য
বটে ৷ এ সম্পর্কে ইমাম আহমদ, নাসাঈ ও ইবন জারীর প্রমুখ আবু উসামা সাঈদ ইবন
জুবায়র থেকে বর্ণনা করেছেন কিন্তু ওই বর্ণনায় হযরত আব্বাস (রা)-এর বক্তব্য নেই ৷
সুফিয়ান ছাওরী সাঈদ ইবন জুবায়র (রা ) সুত্রে ইবন আব্বাস (বা) থেকে এই হাদীছথানা
বর্ণনা করেছেন কিন্তু তাতে হযরত আব্বাসের (বা) বক্তব্য নেই ৷ তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন
জারীর (র) এই বর্ণনা উল্লেখ করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী এটি হাসান পর্যায়ের হাদীছ বলে
মন্তব্য করেছেন ৷ আল্লাম৷ বায়হাকী (র) ছাওরী ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন
যে তিনি বলেছেন, আবু৩ তালিব যখন মৃ৩ ভ্যু শয্যায, তখন কুরায়শের লোকজন তার নিকট
উপস্থিত ৩হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) ছিলেন আবৃত তালিবের মাথার নিকট ৷ অন্য এক লোক এসে
সেখানে বসে পড়ে ৷ তাকে বাধা দেয়ার জন্যে আবু জাহ্ল উদ্যত হয় ৷ তারা সকলে আবু
তালিবের নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করল ৷ এরপর তাকে উদ্দেশ্য
করে আবু তালিব বললেন, ভাতিজা! তে ৷মার সম্প্রদায়ের নিকট তুমি কি ঢাও ন্ উত্তরে


قَوْمِهِ; عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَشَيْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَأَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ، وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، فِي رِجَالٍ مِنْ أَشْرَافِهِمْ، فَقَالُوا: يَا أَبَا طَالِبٍ، إِنَّكَ مِنَّا حَيْثُ قَدْ عَلِمْتَ، وَقَدْ حَضَرَكَ مَا تَرَى وَتَخَوَّفْنَا عَلَيْكَ، وَقَدْ عَلِمْتَ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَ ابْنِ أَخِيكَ، فَادْعُهُ فَخُذْ لَنَا مِنْهُ وَخُذْ لَهُ مِنَّا; لِيَكُفَّ عَنَّا، وَلِنَكُفَّ عَنْهُ، وَلِيَدَعَنَا وَدِينَنَا، وَلِنَدَعَهُ وَدِينَهُ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ أَبُو طَالِبٍ، فَجَاءَهُ، فَقَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، هَؤُلَاءِ أَشْرَافُ قَوْمِكَ قَدِ اجْتَمَعُوا لَكَ، لِيُعْطُوكَ وَلِيَأْخُذُوا مِنْكَ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَعَمْ، كَلِمَةٌ وَاحِدَةٌ تُعْطُونِيهَا، تَمْلِكُونَ بِهَا الْعَرَبَ، وَتَدِينُ لَكُمْ بِهَا الْعَجَمُ ". فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ: نَعَمْ وَأَبِيكَ، وَعَشْرَ كَلَمَّاتٍ. قَالَ: " تَقُولُونَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَتَخْلَعُونَ مَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِهِ ". قَالَ: فَصَفَّقُوا بِأَيْدِيهِمْ، ثُمَّ قَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، أَتُرِيدُ أَنْ تَجْعَلَ الْآلِهَةَ إِلَهًا وَاحِدًا، إِنَّ أَمْرَكَ لَعَجَبٌ! قَالَ: ثُمَّ قَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: إِنَّهُ وَاللَّهِ مَا هَذَا الرَّجُلُ بِمُعْطِيكُمْ شَيْئًا مِمَّا تُرِيدُونَ، فَانْطَلِقُوا وَامْضُوا عَلَى دِينِ آبَائِكُمْ، حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ، ثُمَّ تَفَرَّقُوا. قَالَ: فَقَالَ أَبُو طَالِبٍ: وَاللَّهِ يَا ابْنَ أَخِي، مَا رَأَيْتُكَ سَأَلْتَهُمْ شَطَطًا. قَالَ: فَطَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ، فَجَعَلَ يَقُولُ لَهُ: أَيْ عَمِّ، فَأَنْتَ فَقُلْهَا، أَسْتَحِلُّ لَكَ بِهَا الشَّفَاعَةَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، قَالَ: فَلَمَّا رَأَى حِرْصَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، وَاللَّهِ لَوْلَا مَخَافَةُ السُّبَّةِ عَلَيْكَ، وَعَلَى بَنِي أَبِيكَ مِنْ بَعْدِي، وَأَنْ تَظُنَّ قُرَيْشٌ أَنِّي إِنَّمَا قُلْتُهَا جَزَعًا مِنَ الْمَوْتِ، لَقُلْتُهَا، لَا
পৃষ্ঠা - ২০১৭
أَقُولُهَا إِلَّا لِأَسُرَّكَ بِهَا. قَالَ: فَلَمَّا تَقَارَبَ مِنْ أَبِي طَالِبٍ الْمَوْتُ، نَظَرَ الْعَبَّاسُ إِلَيْهِ يُحَرِّكُ شَفَتَيْهِ، فَأَصْغَى إِلَيْهِ بِأُذُنِهِ. قَالَ: فَقَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، وَاللَّهِ لَقَدْ قَالَ أَخِي الْكَلِمَةَ التِي أَمَرْتَهُ أَنْ يَقُولَهَا. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَمْ أَسْمَعْ. قَالَ: وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِي أُولَئِكَ الرَّهْطِ: {ص وَالْقُرْآنِ ذِي الذِّكْرِ بَلِ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي عِزَّةٍ وَشِقَاقٍ} [ص: 1] [ص: 2، 1] الْآيَاتِ» . وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ ". وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدِ اسْتَدَلَّ بَعْضُ مَنْ ذَهَبَ مِنَ الشِّيعَةِ وَغَيْرِهِمْ مِنَ الْغُلَاةِ، إِلَى أَنَّ أَبَا طَالِبٍ مَاتَ مُسْلِمًا بِقَوْلِ الْعَبَّاسِ هَذَا الْحَدِيثَ: يَا ابْنَ أَخِي! لَقَدْ قَالَ الْكَلِمَةَ التِي أَمَرْتَهُ أَنْ يَقُولَهَا. يَعْنِي لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. وَالْجَوَابُ عَنْ هَذَا مِنْ وُجُوهٍ; أَحَدُهَا، أَنَّ فِي السَّنَدِ مُبْهَمًا لَا يُعْرُفُ حَالُهُ، وَهُوَ قَوْلُهُ: عَنْ بَعْضِ أَهْلِهِ. وَهَذَا إِبْهَامٌ فِي الِاسْمِ وَالْحَالِ، وَمِثْلُهُ يُتَوَقَّفُ فِيهِ لَوِ انْفَرَدَ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ جَرِيرٍ نَحْوًا مِنْ هَذَا السِّيَاقِ، مِنْ طَرِيقِ أَبِي أُسَامَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، حَدَّثَنَا عَبَّادٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَذَكَرَهُ، وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ الْعَبَّاسِ. وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ أَيْضًا، عَنِ
পৃষ্ঠা - ২০১৮


রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন আমি তাদের নিকট শুধু একটি কালেমার ঘোষণা চাই যার ফলে
সমগ্র আরব জাতি তাদের অনুগত হবে, সমগ্র অনারব লোক তাদেরকে কর দেবে ৷ শুধু একটি
কালেমার ঘোষণা চাই ৷ আবু তালিব জিজ্ঞেস করলেন, ওই কালেমাটি কী ? বাসুলুল্পাহ (সা)
বললেন সেটি হল “লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্” ৷ তখন উপস্থিত কুরায়শগণ বলল যে কি সকল
উপাস্যের পরিবর্তে একজন মাত্র উপাস্য নির্ধারণ করতে চায় ? এটি তো আশ্চর্য ব্যাপার ৷ এ
প্রসং গে আল্লাহ তা অ ৷লা নাযিল করলেন :
“সোয়াদ শপথ উপদেশপুর্ণ কুরআনের তুমি অবশ্যই সত্যবাদী কিভু কাফিররা ঔদ্ধত্য ও

বিরোধিতায় ডুবে আছে ৷ তাদের পুর্বে আমি কত জনগোষ্ঠী ধ্বহ:ন্স করেছি ৷ তখন ওরা আর্ত
চীৎকার করেছিল কিন্তু তখন পবিত্রাণের কোন উপায় ছিল না ৷ তারা বিম্ময় বোধ করছে যে,

তাদের নিকট তাদেরই মধ্য থেকে একজন স৩ র্ককারী এল এবং কাফিরর৷ বলে এতে৷ এক
জাদুকর মিথ্যাবাদী ৷ সে কি বহু ইলাহের পরিবর্তে এক ইলাহ্ বানিয়ে নিয়েছে ? এতো এক
অত্যাচর্য ব্যাপার ৷ তাদের প্রধান প্রধান ব্যক্তিরা সরে পড়ে এই বলে, তোমরা চলে যাও এবং
তোমাদের দেবতাদের পুজায় তোমরা অবিচল থাক ৷ নিশ্চয়ই এ ব্যাপারটি উদ্দেশ্যমুলক ৷ আমরা
তো অন্য ধর্মাদর্শে এরুপ কথা শুনিনি ৷ এটি একটি মনগড়া উক্তি মাত্র ৷”

এ ছাড়াও ইবন ইসহাকের উদ্ধৃত একটি অধিকতর বিশুদ্ধ বর্ণনা উপরোক্ত বর্ণনার বিপরীত
মম প্রকাশ করছে ৷ তা হল, ইমাম বুথারী ইবন মুসায়্যাব তার পিতা থেকে বর্ণনা
করেছেন যে আবু তালিবের মৃত্যু যখন ঘনিয়ে এলো, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখানে উপস্থিত
হন ৷ আবু জাহ্ল তখন সেখানে ছিল ৷ আবু৩ তালিবের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, চাচা
আপনি একটিমাত্র কালেমড়া-লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্” বলুন, সেটির ওসীলায় আমি আল্লাহ্র নিকট
আপনার জন্যে সুপা ৷বিশ ৷করব ৷ ’ একথা শুনে আবু জাহ্ল ও আবদুল্লাহ্ ইবন উমাইয়৷ বলল,
“অড়াবু৩ তালিব! আপনি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম পরিত্যাগ করছেন?” তারা অনবরত একথা
বলে যাচ্ছিল ৷ সর্বশেষে আবু৩ তালিব বললেন, আমি আবদুল মুত্তালিবের ধর্মে অবিচল আছি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “আমাকে নিষেধ না করা পর্যন্ত আমি আপন র জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা

করেই যাব ৷ তখনই নাযিল হল :

গোংপ্রুও ট্রু গ্লুট্রু ৷ ড্রুাদ্বুাহু
টুদুএ
“আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশবিকদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী এবং ঘু’মিনদের জন্যে
সংগত নয় ৷ যখন এটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তারা জাহান্নড়ামী (৯ : ১ ১৩ ১ ১৪ ) এবং নাযিল
হল
ন্,ংহ্র ৷ চু,; র্দু;;ছু,;ট্রখু এ্এ ৷
“তুমি যাকে তা ৷লবাসাে ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে জানতে পারবে না (২৮ : ৫৬) ৷


الْأَعْمَشِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ الْكُوفِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَذَكَرَهُ بِغَيْرِ زِيَادَةِ قَوْلِ الْعَبَّاسِ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَحَسَّنَهُ، وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ جَرِيرٍ أَيْضًا، وَلَفْظُ الْحَدِيثِ مِنْ سِيَاقِ الْبَيْهَقِيِّ، فِيمَا رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ الثَّوْرِيِّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «مَرِضَ أَبُو طَالِبٍ، فَجَاءَتْ قُرَيْشٌ، وَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِنْدَ رَأْسِ أَبِي طَالِبٍ مَجْلِسُ رَجُلٍ، فَقَامَ أَبُو جَهْلٍ كَيْ يَمْنَعَهُ ذَاكَ، وَشَكَوْهُ إِلَى أَبِي طَالِبٍ، فَقَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، مَا تُرِيدُ مِنْ قَوْمِكَ؟ فَقَالَ: " يَا عَمِّ، إِنَّمَا أُرِيدُ مِنْهُمْ كَلِمَةً، تَذِلُّ لَهُمْ بِهَا الْعَرَبُ، وَتُؤَدِّي إِلَيْهِمْ بِهَا الْجِزْيَةَ الْعَجَمُ، كَلِمَةٌ وَاحِدَةٌ ". قَالَ: مَا هِيَ؟ قَالَ: " لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ". قَالَ: فَقَالُوا: أَجَعَلَ الْآلِهَةَ إِلَهًا وَاحِدًا، إِنَّ هَذَا لَشَيْءٌ عُجَابٌ!» قَالَ: وَنَزَلَ فِيهِمْ: {ص وَالْقُرْآنِ ذِي الذِّكْرِ} [ص: 1] الْآيَاتِ، إِلَى قَوْلِهِ {إِلَّا اخْتِلَاقٌ} [ص: 7] [ص: 1 - 7] ثُمَّ قَدْ عَارَضَهُ - أَعْنِي سِيَاقَ ابْنِ إِسْحَاقَ - مَا هُوَ أَصَحُّ مِنْهُ، وَهُوَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ قَائِلًا: حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِيهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، «أَنَّ أَبَا طَالِبٍ لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ، دَخَلَ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدَهُ أَبُو جَهْلٍ، فَقَالَ: " أَيْ عَمِّ، قُلْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، كَلِمَةٌ أُحَاجُّ لَكَ بِهَا عِنْدَ اللَّهِ ". فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ وَعَبْدُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ২০১৯


ইমাম মুসলিম (র) এটি ইসহাক ইবন ইবরাহীম ও আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রাঘৃযাকের
বরাতে উদ্ধৃত করেছেন ৷৩ তারা দৃজনে যুহরী সুত্রে সাঈদ ইবন মৃসাইয়ারের মাধ্যমে তার পিতা
থেকে অনুরুপ বণ্নাি করেছেনা ওই বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা) আবৃত তালিবের নিকট
বারবার তার প্রস্তাব পেশ করছিলেন আর আবু জাহ্ল ও আবদুল্লাহ ইবন উমা ইয়া তাদের কথা
পুনরুল্পেখ করে যাচ্ছিলা শেষ পর্যন্ত আবু৩ তালিব বললেন “আমি আবদুল মুত্তালিবের ধর্মমতে
অবিচল বইলাম এবং৩ তিনি “ল ইলাহা ইল্পাল্লাহ্ বলতে ৩আীকৃতি জানালেনা তখন রাসুলুল্পাহ্
(সা) বললেন “আপনার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনার ব্যাপারে নিষেধ ন করা পর্যন্ত আমি আপনার
জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেই যাব ৷” তখন আল্লাহ্ তা আলা নাযিল করব্:লন :


০ ’


এবং আবু তালিব সম্পর্কে নাযিল হল :

’ণ্াৰু৷ ১১১১ ’ণ্চ্ন্ন্ও ১১ ,;১শু ৰুএ্যা দু>ওঞ১ ;ণ্ন্ন্ পু-;ণ্ন্ পু ;ন্ওণ্ড্র ৰু ,া;া
ঙ্
তুমি যাকে ভালবাসো ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না তবে আল্লাহ্ই
যাকে ইচ্ছা করেন তাকে সৎপথে আনয়ন করেন এবং তিনিই ভাল জানেন সৎপথ
অনুসারীদেরকে ৷ ইমাম আহমদ, মুসলিম তিরমিযী ও নাসাঈ (র) হযরত আবু হুরায়রা (যা)
থেকে অনুরুপ বর্ণনা করৈছেন ৷ তিনি বলেছেন, আবু তালিবের মৃত্যু যখন ঘনিয়ে এলো, তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) )র্তার নিকট এলেন এবং বললেন “চাচা আপনি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” বলুন
তাহলে আমি কিয়ামাত র দিনে আপনার পক্ষে সাক্ষ্য দিব ৷” আবৃত তালিব বললেন, “মৃত্যুভয়
আবু তালিবকে একতুবাদের সাক্ষ্য প্রদা নে প্ৰরোাচিত করেছে” কুরায়শদের এরুপ অপবাদ দানের
আশংকা না থাকলে আমি অবশ্যই ওই সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে তোমার মন শান্ত করতাম এবং
কেবলমাত্র তোমাকে খুশী করার জন্যে আমি ওই কালেমা উচ্চারণ করতাম ৷ এ প্রেক্ষিতে

আল্লাহ্ তা জানা নাযিল করলেন ও

-ব্লুা৷ ;;ট্রু এ্ ছু৷ ৰুণ্ ,ছুষ্ র্চে;ট্রুৰুদ্বু ষ্টু’ এট্রুা

অ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা), ইবন উমর (রা), মুজাহিদ (র) ক তাদা(র) শাবী প্রমুখ
তাফসীরকারগণও একথা বলেছেন যে, আয়াত টি নাযিল হয়েছে আবু তালিব সম্পর্কো
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আবুালিবকেত “লা ইলাহাইল্লাল্লাহ্” বলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷ তিনি সে প্রস্তাব
প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন যে, তিনি পুর্বপুরুষদের ধর্মমতে অবিচল থাকবেন ৷ তার শেষ কথা
ছিল তিনি আবদুল মুত্তালিবের ধর্মমবুত ই আছেনা

ইমাম বুখারী (র) এর একটি বর্ণনা এসকল বর্ণনাকে শক্তিশালী করো তা হল ইমাম
বুখারী বর্ণিত আর তা হচ্ছে এই৪ আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব হযরত রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
বলেছিলেন, আপনার চাচা আবৃত তালিব (তা আপনাকে রক্ষা করতেন এবং আপনার জন্যে


بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ: يَا أَبَا طَالِبٍ، تَرْغَبُ عَنْ مِلَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ؟ فَلَمْ يَزَالَا يُكَلَمَّانِهِ، حَتَّى قَالَ آخِرَ شَيْءٍ كَلَّمَهُمْ بِهِ: عَلَى مِلَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَأَسْتَغْفِرَنَّ لَكَ مَا لَمْ أُنْهَ عَنْكَ ".» فَنَزَلَتْ {مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ} [التوبة: 113] وَنَزَلَتْ: {إِنَّكَ لَا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ} [القصص: 56] وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ وَعَبْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ. وَأَخْرَجَاهُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِيهِ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ فِيهِ: «فَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْرِضُهَا عَلَيْهِ، وَيَعُودَانِ لَهُ بِتِلْكَ الْمَقَالَةِ، حَتَّى قَالَ آخَرَ مَا قَالَ: هُوَ عَلَى مِلَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَأَبَى أَنْ يَقُولَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَا لَأَسْتَغْفِرَنَّ لَكَ، مَا لَمْ أُنْهَ عَنْكَ ".» فَأَنْزَلَ اللَّهُ - يَعْنِي بَعْدَ ذَلِكَ -: {مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى} [التوبة: 113] وَنَزَلَ فِي أَبِي طَالِبٍ: {إِنَّكَ لَا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ} [القصص: 56] . وَهَكَذَا رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَمُسْلِمٌ، وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২০২০


অন্যান্য কুরায়শদের বিরাগতাজন হয়েছেন ৷ আপনি তার কতটুকু উপকার করতে পেরেছেন ?
উত্তরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ;


“তিনি এখন জাহান্নামের উপরের স্তরে রয়েছেন ৷” আমি ন থাকলে তিনি জাহান্নামেব
গভীর৩ ম নিম্নন্তরে থাকতেন ৷ ইমাম মুসলিম (র) উক্ত হাদীছ আবদুল মালিক ইবন
উমায়র থেকে তার সহীহ গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন ৷ আব নাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছেন, তার নিকট তার চাচার কথা আলোচিত হচ্ছিল ৷ তখন
তিনি বলছিলেন :

ধ্ এএে (ক্ট ণ্ডু১


“আশা করি কিয়ামব্লু তর দিনে আমার সুপাবিশ তার উপবনরে আসবে ৷” ফলে তাকে
আগুনের উপরের স্তরে রাখা হবে ৷ যাতে তার পায়ের পিট পর্যন্ত আগুন থাকবে ৷ তাতে তার
মাথার নগয টগবগ করে ফুটতে থাকবে ৷ এটি সহীহ্ বুখারী র ভাষা ৷ এক বর্ণনায় আছে,
“তাতে তার মগযের মুল অংশ ফুটতে থাকবে ৷ ”

ইমাম মুসলিম ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :

১১১ন
“জাহান্নামে সবচেয়ে হালকা ও সহজ আমার ভোগ করবেন আবু তালিব ৷ তাকে আগুনের
দুটো পাদুকা পরানাে হবে ৷ তাতে তার মাথা ৷র মপয টগবগ করে ফুটতে থাকবে ৷” ইউনুস ইবন

বুকায়রের মাগাযী গ্রন্থে আছে, “পাদৃক৷ দৃটোর তাপে তার মাথার মপয় ফুটবে এবং গলে গলে
তার পদদ্বয় পর্যন্ত পড়াবে ৷ ” সুহায়লী এটি উল্লেখ করেছেন ৷

হাফিয আবু বকর বায়যার তার মুসনাদ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে আমর ইবন ইসমাঈল
ইবন মুজালিদ জাবির (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কে জিজ্ঞেস করা
হয়েছিল যে, আপনি কি আবু তালিবের কোন উপকার করতে পেরেছেন ? তিনি বললেন, আমি
তাকে জাহান্নামের গভীর থেকে উপরের স্তরে তুলে এসেছি ৷ বায়যার একাই এটি উদ্ধৃত
করেছেন ৷ সুহায়লী বলেন হযরত আব্বাস (রা) তার ৩ ই আবৃত তালিব সম্পর্কে যে সাক্ষ্য
দিয়েছেন যে, আবুতালিব কালেম৷ উচ্চারণ করেছেন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) “আমি( তা শুনিনি” বলে
ওই সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যান করলেন এজন্যে যে, সে সময়ে আব্বাস (রা) কাফির ছিলেন ৷ কা ৷ফিরের

, সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয় ৷
আমি বলি, সনদের দুর্বলতার কারণে ওই বর্ণনা বিশুদ্ধ নয় ৷ তার প্রমাণ হল পরবর্তীতে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে আবু তালিব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ৷ তখন তিনি ওই উত্তর
দিয়েছিলেন যা ইতে তাপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আর যদি বর্ণনাটি বিশুদ্ধ বলে ধরা হয়, তবে
প্ৰত্যাখ্যানের কারণ এই যে, প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার পর মৃত্যুর ফেরেশতাদেরকে দেখে আর


كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: «لَمَّا حَضَرَتْ وَفَاةُ أَبِي طَالِبٍ، أَتَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " يَا عَمَّاهُ، قُلْ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، أَشْهَدُ لَكَ بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ". فَقَالَ: لَوْلَا أَنْ تُعَيَّرَنِي قُرَيْشٌ; يَقُولُونَ: مَا حَمَلَهُ عَلَيْهِ إِلَّا جَزَعُ الْمَوْتِ. لَأَقْرَرْتُ بِهَا عَيْنَكَ، وَلَا أَقُولُهَا إِلَّا لِأُقِرَّ بِهَا عَيْنَكَ.» فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {إِنَّكَ لَا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ} [القصص: 56] وَهَكَذَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، وَابْنُ عُمَرَ، وَمُجَاهِدٌ، وَالشَّعْبِيُّ، وَقَتَادَةُ: إِنَّهَا نَزَلَتْ فِي أَبِي طَالِبٍ حِينَ عَرَضَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَقُولَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. فَأَبَى أَنْ يَقُولَهَا، وَقَالَ: هُوَ عَلَى مِلَّةِ الْأَشْيَاخِ. وَكَانَ آخِرَ مَا قَالَ: هُوَ عَلَى مِلَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. وَيُؤَكِّدُ هَذَا كُلَّهُ مَا قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ قَالَ: «قَلْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا أَغْنَيْتَ عَنْ عَمِّكَ، فَإِنَّهُ كَانَ يَحُوطُكَ وَيَغْضَبُ لَكَ. قَالَ: هُوَ فِي ضَحْضَاحٍ مِنْ نَارٍ، وَلَوْلَا أَنَا لَكَانَ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ طُرُقٍ عَنْ
পৃষ্ঠা - ২০২১
عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ بِهِ. وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّهُ «سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذُكِرَ عِنْدَهُ عَمُّهُ، فَقَالَ: " لَعَلَّهُ تَنْفَعُهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَيُجْعَلُ فِي ضَحْضَاحٍ مِنَ النَّارِ، يَبْلُغُ كَعْبَيْهِ، يَغْلِي مِنْهُ دِمَاغُهُ ".» لَفْظُ الْبُخَارِيِّ، وَفِي رِوَايَةٍ: «تَغْلِي مِنْهُ أُمُّ دِمَاغِهِ ".» وَرَوَى مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ عَفَّانَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَهْوَنُ أَهْلِ النَّارِ عَذَابًا أَبُو طَالِبٍ، مُنْتَعِلٌ بِنَعْلَيْنِ مِنْ نَارٍ يَغْلِي مِنْهُمَا دِمَاغُهُ ".» وَفِي " مَغَازِي " يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ: «يَغْلِي مِنْهُمَا دِمَاغُهُ، حَتَّى يَسِيلَ عَلَى قَدَمَيْهِ ".» . ذَكَرَهُ السُّهَيْلِيُّ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا عُمَرُ، هُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ:
পৃষ্ঠা - ২০২২


তালিব কালেমা উচ্চারণ করেছিলেন ৷ এ অবস্থায় ঈমান আনয়নে কোন লাভ হয় না ৷ আল্লাহই
ভাল জানেন ৷

আবু দাউদ ৩ায়ালিসী বলেন আলী (রা) বলছিলেন, আমার পিতার ইনতিকালের পর
আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলি “আপনার চাচার ওফাত হয়েছে ৷ উত্তরে
তিনি বললেন, যাও তাকে দাফন করে ফেল ৷ আমি বললাম, তো মুশরিক অবস্থায়
মৃত্যুবরণ করেছেন ৷ তিনি বললেন, সাও, তাকে দাফন কর ৷’ এরপর আমার নিকট না আসা
পর্যন্ত কোন মন্তব্য করে৷ না ৷ হযরত আলী (রা) বলেন, এরপর আমি তাই করলাম এবং তার
নিকট ফিরে এলাম ৷ এবার তিনি আমাকে গোসল করার নিঘৃর্দা৷ ঢািলেন ৷ এ হাদীছটি ইমাম
নাসাঈ , উদ্ধৃত করেছেন ৷

আবু দাউদ ও নাসা ৷ঈ দৃ’জনে এটি বর্ণনা করেছেন সুফিয়ান আলী (রা) সুত্রে ৷ হযরত
আলী (রা) বলেছেন আবু৩ ৩ালিবের মৃতু তুার পর আমি বললাম, “ইয় বাসুলাল্লন্ আপনার
পথ ভ্রষ্ট অভিভাবক মারা গেছেন ৷ এখন তাকে দাফন করবে কে ?” তিনি বললেন, “তুমি যাও
তোমার পিতাকে দাফন করে ফেল এবং আমার নিকট না আসা পর্যন্ত কোন মন্তব্য করো না ৷”
দাফন করে আমি তার নিকট ফিরে আসি ৷ তিনি আমাকে নির্দেশ দেয়ায় আমি গোসল করি ৷
তারপর তিনি এমন কতক দৃআ করলেন সেগুলোর পরিবর্তে দুনিয়ার অন্য যে কোন কিছু গ্রহণে
আমি খুশী নই ৷

হাফিয বায়হাকী বলেন ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) আবু
তালিবের দাফন-কাফন শেষে ফিরে এলেন এবং বললেন, “আমি আপনার আত্মীয়তা রক্ষা
করেছি এবং হে চাচা, আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করেছি ৷ ” আবুল ইয়ামান হা ৷ওযানী
মুরসালভা বে রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি আবু৩ তালিবের দাফন কাফনে
শরীক হননি ৷ এ বর্ণনায় ইব্রাহীম নামক রাবীর বিশ্বন্তত৷ সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে ৷

আমি বলি, একাধিক বর্ণনাকারী এই ইব্রাহীম থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ তাদের মধ্যে
রয়েছে ফযল ইবন মুসা সায়নানী এবং মুহাম্মদ ইবন সালাম বায়কান্দী ৷ এতদস্যত্ত্বও ইবন আদী
বলেছেন যে, তিনি প্রসিদ্ধ ও পরিচিত ব্যক্তি নন এবং হার নিকট থেকেই তিনি হাদীছ বর্ণনা
করুন না কেন, সেগুলো বিশুদ্ধ নয় ৷

আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি যে, চাচা আবু৷ ত ৷লিব প্ৰচওভা বে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে এবং তার
সাহাবীদেরকে রক্ষা করতে ন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রভুত সুনাম ও প্ৰশ্াৎসা করতেন ৷
আমরা তার যে সব কবি৩ ৷ও উল্লেখ করেছি, যেগুলোতে তিনি রাসৃলুল্লাহ্ (সা) ও তার
সাহাবীদের প্রতি তার মায়া মমতা ও ভালবাসার কথা প্রকাশ করেছেন এবং তার
বিরুদ্ধাচরণকারীদেরকে দােষারােপ করেছেন ৷ এ সকল কবিতা তিনি এতন্:ৰিশুদ্ধষ্ওউচ্চাঙ্গের
ভাষায় রচনা করেছেন যে, তার কোন তুলনা হ্তে পারে না ৷ :ফ্লোন আররীভফ্লেভােয়ী:ব্রাক্তি
তার সম মানের কবিতা রচনায় সক্ষুম নয় ৷ , এসর্ রক্তৃব্যবিবৃতি প্রর্দুদানের সময় তিনি জ়ন্মোক্তা ,
যে; রন্সুলুল্পদ্ হ্,স্লোণ্ইঃণ্স্ন্ত্যষ্’ পুণ্যবান্৷ ওহু;হুাত্যু,ন্ৰুপ্াথপ্রান্তণ্া কিন্তু তাৰুন্প্স্যত্ত্বও ণ্তিনিপ্রুতান্তেরিকঅ্যাং:
ঈমা,ন তৃা৷ন্ত্রয়ন ;করুরননিঃা,বৃরৎ তিনি তার বৃনন্ত ব্রের জ্ঞান ও ম্বীকারোব্ধির মধ্যেপংর্থক্রা সৃষ্টি


«سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَوْ قِيلَ لَهُ -: هَلْ نَفَعْتَ أَبَا طَالِبٍ؟ قَالَ: " أَخْرَجْتُهُ مِنَ النَّارِ إِلَى ضَحْضَاحٍ مِنْهَا ".» تَفَرَّدَ بِهِ الْبَزَّارُ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَإِنَّمَا لَمْ يَقْبَلِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهَادَةَ الْعَبَّاسِ لِأَخِيهِ، أَنَّهُ قَالَ الْكَلِمَةَ، وَقَالَ: " لَمْ أَسْمَعْ " ; لِأَنَّ الْعَبَّاسَ كَانَ إِذْ ذَاكَ كَافِرًا، غَيْرَ مَقْبُولِ الشَّهَادَةِ. قُلْتُ: وَعِنْدِي أَنَّ الْخَبَرَ بِذَلِكَ مَا صَحَّ، لِضَعْفِ سَنَدِهِ كَمَا تَقَدَّمَ، وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ أَبِي طَالِبٍ، فَذَكَرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ. وَبِتَقْدِيرِ صِحَّتِهِ، لَعَلَّهُ قَالَ ذَلِكَ عِنْدَ مُعَايَنَةِ الْمَلَكِ بَعْدَ الْغَرْغَرَةِ، حِينَ لَا يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ نَاجِيَةَ بْنَ كَعْبٍ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عَلِيًّا، يَقُولُ: «لَمَّا تُوُفِّيَ أَبِي، أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: إِنْ عَمَّكَ قَدْ تُوُفِّيَ، فَقَالَ: " اذْهَبْ فَوَارِهِ ". فَقُلْتُ: إِنَّهُ مَاتَ مُشْرِكًا. فَقَالَ: " اذْهَبْ فَوَارِهِ، وَلَا تُحْدِثَنَّ شَيْئًا حَتَّى تَأْتِيَنِي ". فَفَعَلْتُ، ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَأَمَرَنِي أَنْ أَغْتَسِلَ.» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ بِهِ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ২০২৩


করেছেন ৷ সহীহ বুখারী গ্রন্থের “আল ঈমান” অধ্যায়ের ব্যাখ্যায় আমরা জ্ঞান ও বিশ্বাসের
মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে আলোচনা করেছি ৷ এ প্রসং গে ইঙ্গিত পাওয়া যায় আল্লাহ তা আলার
বাণীতে ৷ আল্লন্ ৰু তাআলা বলেন :

শ্ ( : ;




আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা তাকে সেরুণ জানে যেরুণ তারা নিজেদের

সম্ভানদেরকে, চেনে এবং তাদের একদল জেনেশুনে সত্য গোপন করে থাকে ৷ (২ ৷ৰু ১৪৬)
ফিরআওনের সম্প্রদায় সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন :

বুর্চুএ১১হ্র্চু
“তারা অন্যায় ও উদ্ধ৩ ৩াবে নিদর্শনগুলাে প্র৩ ব্রুাথ্যান করল ৷ যদিও তাদের অন্তর এ
গুলোকে সত্য বলে গ্রহণ করেছিল ৷” হযরত মুসা (আ) ফিরআওনকে বলেছিলেন :

া;াষ্ৰু৷ ট্রু,দ্বুা, );ঢু; ষ্; ,শুা৷, স্পে ৷ বু চু, ৰু৷ ৷ ব্লুন্াপ্রুগু ,াদ্বু;৷ ;” ;হ্রগ্র; ;ব্লুত্র
১র্দুৰুহৃঠুঞ

“তুমি তো ৷অবশ্যই অবগত আছ যে, এ সমস্ত স্পষ্ট নিদর্শন আকাশমণ্ডলীও ণ্ পৃথিবীর

প্রতিপা লকই অবতীর্ণ করেছেন প্রত্যক্ষ প্রমাণ স্বরুপ ৷ হে ফিরআওন আমিওে ৷দেখছি তোমার
ৎস আসন্ন ৷” (১ ৭ : ১০২) ৷

কেউ কেউ বলেছেন : ছুট্রুশ্ট্রু ট্রু,ট্রুর্দুট্রুহুট্রু ট্টর্দু; ;,;;;; ন্ট্রট্রু শ্তারা অন্যকে তা শ্রবণে
বিরত রাখে এবং নিজেরাও তা থেকে দুরে থাকে (৬হৰু ২৬) ৷ আয়াত টি নাযিল হয়েছে আবু
তালিব সম্পর্কে ৷ এই দৃষ্টিকোণ থেকে যে তিনি লোকজনকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপর
আক্রমণ নির্যা৩ ন করা থেকে বিরত রাখতেন আ র এদিকে রাসুলুল্লাহ্ (না) যে হিদায়াত ও সত্য
দীন নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ থেকে তিনি নিজে বিরত থাকতেন ৷ কথিত আছে যে ইবন
আব্বাস (রা) , কা ৷সিম ইবন মুখায়মারাহ, হাবীব ইবন ছা বি৩ , আতা ইবন দীনড়ার, মুহাম্মদ ইবন
কাব ও অন্যান্যর৷ এরুপ অভিমত পোষণ করেন ৷ মুলত তাদের এ বক্তব্য সন্দেহমৃক্ত নয় ৷
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

হযরত ইবন আব্বাসের অন্য বর্ণনাটি অধিকতর প্রসিদ্ধ ৷ তা হল, আঘাতের ব্যাখ্যায় তিনি
বলেছেন, “তারা লোকজনকে মুহাম্মদ (সা) প্রতি ঈমান আনয়ৰে বাধা দেয় ৷ তাফসীরকার
মুজাহিদ কা তাদা ও জাহ্হাক প্রমুখ এ ব্যাখ্যা প্রদান করেন ৷ ইবন জ বীবও এ মত পোষণ
করতেন ৷ বস্তুত যুশরিকদের চুড়ান্ত দুর্নড়াম বর্ণনার জন্যে এ আয়াত নাযিল করা হয়েছে যে, তারা
অন্যান্য লোকজনকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অনুসরণ থেকে বাধা দিত আর নিজেরাও তার থেকে
উপকৃত হত না ৷ এ জন্যে আল্লাহ তাআলা বলেছেন :


أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ نَاجِيَةَ، «عَنْ عَلِيٍّ: لَمَّا مَاتَ أَبُو طَالِبٍ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ عَمَّكَ الشَّيْخَ الضَّالَّ قَدْ مَاتَ، فَمَنْ يُوَارِيهِ؟ قَالَ: " اذْهَبْ فَوَارِ أَبَاكَ، وَلَا تُحْدِثَنَّ شَيْئًا حَتَّى تَأْتِيَنِي ". فَأَتَيْتُهُ، فَأَمَرَنِي فَاغْتَسَلْتُ، ثُمَّ دَعَا لِي بِدَعَوَاتٍ، مَا يَسُرُّنِي أَنَّ لِي بِهِنَّ مَا عَلَى الْأَرْضِ مِنْ شَيْءٍ.» وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو سَعْدٍ الْمَالِينِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ بْنُ عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هَارُونَ بْنِ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رِزْمَةَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَارَضَ جِنَازَةَ أَبِي طَالِبٍ، فَقَالَ: " وَصَلَتْكَ رَحِمٌ، وَجُزِيتَ خَيْرًا يَا عَمِّ ".» قَالَ: وَرُوِيَ عَنْ أَبِي الْيَمَانِ الْهَوْزَنِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْسَلًا. وَزَادَ: وَلَمْ يَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ. قَالَ: وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ هَذَا هُوَ الْخُوَارِزْمِيُّ، تَكَلَّمُوا فِيهِ. قُلْتُ: قَدْ رَوَى عَنْهُ غَيْرُ وَاحِدٍ; مِنْهُمْ الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى السِّينَانِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَّامٍ الْبِيكَنْدِيُّ، وَمَعَ هَذَا قَالَ ابْنُ عَدِيٍّ: لَيْسَ بِمَعْرُوفٍ، وَأَحَادِيثُهُ عَنْ كُلِّ مَنْ رَوَى عَنْهُ لَيْسَتْ بِمُسْتَقِيمَةٍ. وَقَدْ قَدَّمْنَا مَا كَانَ يَتَعَاطَاهُ أَبُو طَالِبٍ مِنَ الْمُحَامَاةِ، وَالْمُحَاجَّةِ، وَالْمُمَانَعَةِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالدَّفْعِ عَنْهُ، وَعَنْ أَصْحَابِهِ، وَمَا قَالَهُ فِيهِ مِنَ الْمَمَادِحِ وَالثَّنَاءِ،
পৃষ্ঠা - ২০২৪
وَمَا أَظْهَرَ لَهُ وَلِأَصْحَابِهِ مِنَ الْمَوَدَّةِ وَالْمَحَبَّةِ وَالشَّفَقَةِ فِي أَشْعَارِهِ التِي أَسْلَفْنَاهَا، وَمَا تَضَمَّنَتْهُ مِنَ الْعَيْبِ وَالتَّنَقُّصِ لِمَنْ خَالَفَهُ وَكَذَّبَهُ، بِتِلْكَ الْعِبَارَةِ الْفَصِيحَةِ، الْبَلِيغَةِ، الْهَاشِمِيَّةِ، الْمُطَّلِبِيَّةِ، التِي لَا تُدَانَى وَلَا تُسَامَى، وَلَا يُمْكِنُ عَرَبِيًّا مُقَارَبَتُهَا، وَلَا مُعَارَضَتُهَا، وَهُوَ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ يَعْلَمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَادِقٌ، بَارٌّ، رَاشِدٌ، وَلَكِنْ مَعَ هَذَا لَمْ يُؤْمِنْ قَلْبُهُ. وَفَرْقٌ بَيْنَ عِلْمِ الْقَلْبِ وَتَصْدِيقِهِ، كَمَا قَرَّرْنَا ذَلِكَ فِي شَرْحِ كِتَابِ الْإِيمَانِ مِنْ - صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ - وَشَاهِدُ ذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَعْرِفُونَهُ كَمَا يَعْرِفُونَ أَبْنَاءَهُمْ وَإِنَّ فَرِيقًا مِنْهُمْ لَيَكْتُمُونَ الْحَقَّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ} [البقرة: 146] . وَقَالَ تَعَالَى فِي قَوْمِ فِرْعَوْنَ: {وَجَحَدُوا بِهَا وَاسْتَيْقَنَتْهَا أَنْفُسُهُمْ} [النمل: 14] . وَقَالَ مُوسَى لِفِرْعَوْنَ: {لَقَدْ عَلِمْتَ مَا أَنْزَلَ هَؤُلَاءِ إِلَّا رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ بَصَائِرَ وَإِنِّي لَأَظُنُّكَ يَا فِرْعَوْنُ مَثْبُورًا} [الإسراء: 102] ، وَقَوْلُ بَعْضِ السَّلَفِ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَهُمْ يَنْهَوْنَ عَنْهُ وَيَنْأَوْنَ عَنْهُ} [الأنعام: 26] إِنَّهَا نَزَلَتْ فِي أَبِي طَالِبٍ، حَيْثُ كَانَ يَنْهَى النَّاسَ عَنْ أَذِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيَنْأَى هُوَ عَمَّا جَاءَ بِهِ الرَّسُولُ مِنَ الْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ، فَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَالْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ، وَحَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، وَعَطَاءِ بْنِ دِينَارٍ، وَمُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، وَغَيْرِهِمْ، وَفِيهِ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْأَظْهَرُ - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - الرِّوَايَةُ الْأُخْرَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: وَهُمْ يَنْهَونَ