আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

ذكر نقض الصحيفة

পৃষ্ঠা - ১৯৪৬


হযরত অইিশা (রা) বলেন, এরপর ইবন দাগিন্নড়া আবু বকর (রা)-এর নিকট এসে বলে, হে
আবু বকর! আপনি তো জানেন, কুরায়শগণ আপনার প্রতি কী শর্ত আরোপ করেছিল ৷ আপনি
হয় ওই শর্ত মুতাবিক আপনার কাজকর্ম সীমাবদ্ধ রাখবেন, নতুবা আমার আশ্রয়দান জনিত
যিম্মড়াদারী আমাকে ফিরিয়ে দিবেন ৷ কারণ, কারো সাথে চুক্তিবদ্ধ হবার পর ওই যিম্মাদারী
পালনে আমি ব্যর্থ হয়েছি আরবরা এমন কথা শুনুক ও বলাবলি করুক আমি তা পসন্দ করি না ৷
হযরত আবু বকর (রা) বললেন, আমি বরং তোমার যিষ্মদোরী তোমার নিকট ফিরিয়ে দিচ্ছি
এবং মহান আল্লাহ্র আশ্রয় নিয়েই আমি সন্তুষ্ট ৷

এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গী হয়ে হযরত আবু বকর (রা)এর মদীনায় হিজরতের পুর্ণ
ঘটনা তিনি বর্ণনা করেন ৷ যা একটু পরেই বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আবদুর রহমান ইবন কাসিম আমার নিকট তার পিতা সুত্রে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেন যে, ইবন দাগিন্নড়ার আশ্রয় থেকে হযরত আবু বকর (রা) বেরিয়ে আসার
পর কুরায়শের এক অজ্ঞ ও মুর্থ ব্যক্তির সাথে তার সাক্ষাত হয় ৷ হযরত আবু বকর (রা) তখন
কাৰাপৃহের দিকে যাচ্ছিলেন ৷ ওই দোকটি হযরত আবু বকর (রা)-এর মাথায় ধুলা নিক্ষেপ
করে ৷ এরপর ওয়ালীদ ইবন মুপীরা কিৎবা আস ইবন ওয়াইল সে পথে যাচ্ছিল ৷ আবু বকর
(রা) তাকে বললেন, এ মুর্থটি কি করলো দেখেছ কি : ওয়াশীদ ইবন মুপীরা কিত্বা আস ইবন
ওয়াইল বলল, ওত্তো নয় বরং তুমিই এজন্যে দায়ী ৷ তখন হযরত আবু বকর (রা) বলছিলেন,
হে প্রতিপালকা আপনি কতইনা ধৈর্যশীল! হে প্রতিপালক, আপনি কতই না ধৈর্যশীল ৷ হে
প্রতিপালক, আপনি কতই না ধৈর্যশীল !

পরিৰেদ

ইবনইসহাক (র) বনু হাশিম ও বনু আবদুল মুত্তালিবের বিরুদ্ধে কুরায়শদের অঙ্গীকারাবদ্ধ
হওয়া, অন্যায় চুক্তি সম্পাদন, তাদেরকে আবু তালিব গিরিসঙ্কটে অবরুদ্ধ রাখা এবং ওই
চুক্তিপত্র ভঙ্গ করার মাঝে একান্তই প্রাসঙ্গিকভাবে উপরেক্তে বংনািগুলাে উল্লেখ করেছেন ৷
এজন্যে ইমাম শাফিঈ (র) বলেছেন, ইসলামের যুদ্ধের ইতিহাস জানতে যে আগ্রহী সে ইবন
ইসহাকের উপর নির্ভরশীল না হয়ে পারে না ৷

চুক্তিনামা বিনষ্টকরণ

ইবন ইসহাক বলেন, বনু হাশিম ও বনু আবদুল মুত্তালিবের লোকেরা সেই স্থানেই অবস্থান
করছিল যেখানে অবস্থানের কথা কুরায়শের দোবেরাে লিখিত চুক্তিনামায় উল্লেখ করেছিল ৷
তারপর কুরায়শ বংশেরই কতক লোক ঐ চুক্তিনামা ভঙ্গ করতে উদ্যোগী হন ৷ এই লক্ষ্য
বাস্তবায়নে হিশাম ইবন আমর ইবন হারিছ ইবন হাবীব ইবন নাসর ইবন মালিক ইবন হাসান
ইবন আমির ইবন লুওয়ইি অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন ৷ হিশাম ছিলেন নাযলা ইবন হিশাম
ইবন আবৃদ মানাফ-এর বৈমাত্রেয় ভাইয়ের ছেলে ৷ বনু হাশিম গোত্রের সাথে তার সুসম্পর্ক
ছিল ৷ নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যেও তিনি অন্যতম প্রভাবশালী লোক ছিলেন ৷ আমার নিকট বর্ণনা
পৌছেছে যে, বনু হাশিম ও বনু আবদ্মল মুত্তালিব গিরিসঙ্কটে অস্তৰীণ থাকা অবস্থায় হাশিম উট


[ذِكْرُ نَقْضِ الصَّحِيفَةِ] نَقْضُ الصَّحِيفَةِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: هَذَا وَبَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ فِي مَنْزِلِهِمُ الَّذِي تَعَاقَدَتْ فِيهِ قُرَيْشٌ عَلَيْهِمْ، فِي الصَّحِيفَةِ الَّتِي كَتَبُوهَا، ثُمَّ إِنَّهُ قَامَ فِي نَقْضِ الصَّحِيفَةِ نَفَرٌ مِنْ قُرَيْشٍ، وَلَمْ يَبْلُ فِيهَا أَحَدٌ أَحْسَنَ مِنْ بَلَاءِ هِشَامِ بْنِ عَمْرِو بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ حَبِيبِ بْنِ نَصْرِ بْنِ جُزَيْمَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ حِسْلِ بْنِ عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ ابْنَ أَخِي نَضْلَةَ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ لِأُمِّهِ، وَكَانَ هِشَامٌ لِبَنِي هَاشِمٍ وَاصِلًا، وَكَانَ ذَا شَرَفٍ فِي قَوْمِهِ، فَكَانَ فِيمَا بَلَغَنِي يَأْتِي بِالْبَعِيرِ، وَبَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ فِي الشِّعْبِ لَيْلًا، قَدْ أَوْقَرَهُ طَعَامًا، حَتَّى إِذَا بَلَغَ بِهِ فَمَ الشِّعْبِ، خَلَعَ خِطَامَهُ مِنْ رَأْسِهِ، ثُمَّ ضَرَبَ عَلَى جَنْبَيْهِ، فَدَخَلَ الشِّعْبَ عَلَيْهِمْ، ثُمَّ يَأْتِي بِهِ قَدْ أَوْقَرَهُ بُرًّا، فَيَفْعَلُ بِهِ مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ إِنَّهُ مَشَى إِلَى زُهَيْرِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ
পৃষ্ঠা - ১৯৪৭


বোঝাই করে খাদ্য নিয়ে তাদের নিকট আসতেন ৷ গিরিসঙ্কটের মুখে এসে তিনি উটের লাগাম
খুলে নিয়ে উটটির দু ’পাশে আঘাত করতেন যার ফলে উটটি সোজা ৷গিরিসঙ্কটের মধ্যে ঢুকে
অম্ভরীণ লোকদের নিকট চলে যেত ৷ হাশিম মাঝে মাঝে উট বোঝাই করে গমও নিয়ে
আসতেন এবং একই ভাবে উটটি ভেতরে পাঠিয়ে দিতেন ৷

একদিন তিনি যুহায়র ইবন আবু উমাইয়া ইবন মুগীর৷ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন
মাখবুম এর নিকট এসে উপস্থিত হন ৷ যুহড়ায়রের মা ছিলেন আবদুল মুত্তালিবের কন্যা আতিকা ৷
হিশাম বললেন, হে ষুহায়র! তুমি কি এতে স্বাচ্ছন্দা বোধ করছো যে, তুমি পেট পুরে থাচ্ছ,
জামা-কাপড় পরিধান করছ এবং বিয়ে-শাদী করছ আর অন্যদিকে ন্কুতামায় মাতুল গোত্রের
লোকেরা কোন প্রকারের বেচা-কেনা ও বিয়ে-শাদী দিতে যা করতে পারছে না? আমি তো
আল্লাহর কসম করে বলতে পারি ত্বোমার মাতুল গোত্রের স্থলে হ্নদি আবুল হাকাম ইবন
হিশামের মাতুল গোত্র হত এবং এরা তোমাকে যে অমানবিক অবরোধে অংশগ্রহণের আহ্বান
জানিয়েছে তুমি যদি তাদেরকে তাদের মাতুল গোত্রের বিরুদ্ধে এ প্রকারের আহ্বান জানাতে
তবে তারা কখনো তোমার আহ্বানে সাড়া দিত না ৷ যুহায়র বললেন, আফসােস হে হিশাম ৷
আমি এখন কী করতে পারি ? আমি তো একা ৷ আল্লাহর কসম, আমি যদি একজন সহযােপীও
পেতাম, তবে ওই চুক্তি ভঙ্গ করার জন্যে উদ্যোপী হ৩াম ৷ হিশাম বললেন একজন সহযোগী
তো তুমি পেয়েই গেছে৷ ৷ ষুহায়র বললেন, কে যে ব্যক্তি? হিশাম বললেন আমি ৷ যুহায়র
বললেন, আমাদের সাথী হিসেবে তৃভীয় একজনের খোজ কর ৷ তৃতীয় ব্যক্তির খোজে হিশাম
হাযির হলেন মৃত ৩ঈম ইবন আদীর নিকট ৷ তিনি বললেন, হে মু৩ ৩ঈম! কুরায়শদের প্রতি
আপনার সমর্থ্যনর কারণে আপনার চোখের সামনে বনু আবৃদ মানাফ গোত্রের দুটো শ৷ ৷খ৷ ধ্বংস
হয়ে যাবে আর চেয়ে চেয়ে তা দেখলে তাতে কি আপনি স্বাচ্ছন্দাবোধ্ করছেন ? কুরায়শ
সম্পুদায়কে যদি আপনি ওই সুযোগ দেন, তবে গোত্র দুটোকে ধ্বং স করে দিতে তারা আপনার
চেয়ে দ্রুত এগিয়ে যাবে ৷ মুতঈম বললেন, হায় আমি কীই-বা করতে পারি ? আমি তো একা ৷
হিশাম বললেন, আপনার সহযোপীরুপে আপনি দ্বিভীয়জন পেয়ে গেছেন ৷ তিনি বললেন ওই
ব্যক্তিটি কে ? হিশ্া৷ম বললেন, আমি ৷ মুতঈম বললেন, তবে তৃতীয় একজনের খোজ কর ৷
হিশাম বললেন, তৃভীয়জনের ব্যবন্থাও আমি করে ব্লেখেছি ৷ মুতঈম বললেন, ঐ তৃতীয় ব্যক্তিঢি
কে ? হিশাম বললেন, যুহায়র ইবন আবু উম ইায়া ৷ মু৩ ৩ঈম বললেন, তাহলে চতুর্থ একজন খুজে
নাও ৷ এবার হিশাম উপস্থিত হলেন আবুল বৃখতারী ইবন হিশামের নিকট ৷ মু৩ ৩ঈমকে যা
বলেছিলেন তাকেও তিনি তা বললেন ৷ সে বলল, তুমি অন্য কাউকে কি পারে, যে এ ব্যাপারে
সাহায্য করবে ? হিশাম বললেন, হা পাব ৷ আবুল বৃখতারী বলল, কে সে ? হিশাম বললেন,
যুহায়র ইবন আবী উমাইয়া, ঘু৩ ৩ঈম ইবন আদী এবং আমি আছি আপনার সাথে ৷ সে বলল,
তবে পঞ্চম ব্যক্তির খোজ কর ৷ পঞ্চম ব্যক্তির খোজে হিশাম গেলেন ইবন আসওয়াদ ইবন
ঘুত্তালিব ইবন আমাদের নিকট ৷ সে অবরুদ্ধ লোকদের সাথে? তার আত্মীয়ত৷ এবং তাদের প্রতি
তার দায়িত্ব ও কতবাের কথা তিনি তাকে স্মরণ করিয়ে দিলেন ৷ সে বলল আপনি আমাকে যে
কাজের প্রতি ৩আহ্বান করছেন ওই কাজে সহযােগিরু৷ ৷করার জন্যে অন্য কেউ আছে কি ? হিশাম
বললেন হী৷ আছে এবং তিনি উপরোক্ত ব্যক্তিদের নাম বললেন ৷ এরপর তারা সকলে মক্কার


وَكَانَتْ أُمُّهُ عَاتِكَةَ بِنْتَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَقَالَ: يَا زُهَيْرُ أَقَدْ رَضِيتَ أَنْ تَأْكُلَ الطَّعَامَ، وَتَلْبَسَ الثِّيَابَ، وَتَنْكِحَ النِّسَاءَ، وَأَخْوَالُكَ حَيْثُ قَدْ عَلِمْتَ لَا يُبَاعُونَ وَلَا يُبْتَاعُ مِنْهُمْ، وَلَا يَنْكِحُونَ وَلَا يُنْكَحُ إِلَيْهِمْ؟ أَمَا إِنِّي أَحْلِفُ بِاللَّهِ لَوْ كَانُوا أَخْوَالَ أَبِي الْحَكَمِ بْنِ هِشَامٍ ثُمَّ دَعَوْتَهُ إِلَى مِثْلِ مَا دَعَاكَ إِلَيْهِ مِنْهُمْ، مَا أَجَابَكَ إِلَيْهِ أَبَدًا. قَالَ: وَيْحَكَ يَا هِشَامُ! فَمَاذَا أَصْنَعُ؟ إِنَّمَا أَنَا رَجُلٌ وَاحِدٌ، وَاللَّهِ لَوْ كَانَ مَعِي رَجُلٌ آخَرُ لَقُمْتُ فِي نَقْضِهَا. قَالَ: قَدْ وَجَدْتَ رَجُلًا. قَالَ: مَنْ هُوَ؟ قَالَ: أَنَا. قَالَ لَهُ زُهَيْرٌ: أَبْغِنَا ثَالِثًا. فَذَهَبَ إِلَى الْمُطْعِمِ بْنِ عَدِيٍّ فَقَالَ لَهُ: يَا مُطْعِمُ أَقَدْ رَضِيتَ أَنْ يَهْلِكَ بَطْنَانِ مِنْ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ، وَأَنْتَ شَاهِدٌ عَلَى ذَلِكَ. مُوَافِقٌ لِقُرَيْشٍ فِيهِ؟ ! أَمَا وَاللَّهِ، لَئِنْ أَمْكَنْتُمُوهُمْ مِنْ هَذِهِ لَتَجِدُنَّهُمْ إِلَيْهَا مِنْكُمْ سِرَاعًا. قَالَ: وَيْحَكَ! فَمَاذَا أَصْنَعُ؟ إِنَّمَا أَنَا رَجُلٌ وَاحِدٌ. قَالَ: قَدْ وَجَدْتَ لَكَ ثَانِيًا. قَالَ: مَنْ؟ قَالَ: أَنَا. قَالَ: أَبْغِنَا ثَالِثًا. قَالَ: قَدْ فَعَلْتُ. قَالَ: مَنْ هُوَ؟ قَالَ: زُهَيْرُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ. قَالَ: أَبْغِنَا رَابِعًا. فَذَهَبَ إِلَى أَبِي الْبَخْتَرِيِّ بْنِ هِشَامٍ فَقَالَ لَهُ نَحْوًا مِمَّا قَالَ لِلْمُطْعِمِ بْنِ عَدِيٍّ فَقَالَ: وَهَلْ تَجِدُ أَحَدًا يُعِينُ عَلَى هَذَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: مَنْ هُوَ؟ قَالَ: زُهَيْرُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ وَالْمُطْعِمُ بْنُ عَدِيٍّ وَأَنَا مَعَكَ. قَالَ: أَبْغِنَا خَامِسًا. فَذَهَبَ إِلَى زَمْعَةَ بْنَ الْأَسْوَدِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَسَدٍ. فَكَلَّمَهُ وَذَكَرَ لَهُ قَرَابَتَهُمْ وَحَقَّهُمْ، فَقَالَ لَهُ: وَهَلْ عَلَى هَذَا الْأَمْرِ الَّذِي تَدْعُونِي إِلَيْهِ مِنْ أَحَدٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. ثُمَّ سَمَّى الْقَوْمَ. فَاتَّعَدُوا خَطْمَ الْحَجُونِ لَيْلًا بِأَعْلَى مَكَّةَ، فَاجْتَمَعُوا هُنَالِكَ، وَأَجْمَعُوا
পৃষ্ঠা - ১৯৪৮


উচ্চভুমি হাতম আলহাজুন নামক স্থানে রাতের বেলা সমবেত হওয়ার জন্যে অঙ্গীকারাবদ্ধ
হলেন ৷ যথা সময়ে তারা সকলে সেখানে সমবেত হলেন ৷ সবাই একমত হয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ
হলেন যে ওই চুক্তিনাম৷ বিনষ্ট করা র জন্যে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ৷

যুহায়র বললেন আমি সর্বাগ্রে কথা বলব ৷ সকাল বেলা তব তাদের মজলিসে উপস্থিত

হন ৷ যুহায়র ইবন আবু উমাইয়৷ উপস্থিত হন বিশেষ একটি পোশাক পরিধান করে ৷ তিনি
সাতবাব বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করেন তারপর লোক সমক্ষে উপস্থিত হন ৷ তিনি
বলেন হে মক্কার অধিবা সিপণ৷ আমরা কি এভাবে আহার্য গ্রহণও জান কাপড় পরিধান করতে
থাকবাে, আর বনু হাশিম গোত্র ধ্বংস হয়ে যাবে ?৩ তারা কোন কিছু ক্রয় বিক্রয় করতে পারছে
না ৷ আল্লাহর কসম, এই আত্মীয়ত ৷ছেদনকারী জুলুমমুলক চুক্তিনাম৷ ছিডে না ফেলা পর্যন্ত আমি

ক্ষান্ত হয় ন ৷ মসজিদের একপাশে বসে থাক ৷আবু জাহ্ল বলে উঠল, আল্লাহর কসম,তু মি
সেটি ছিড়তে পারবে না ৷ এবার যামআ ইবন আসওয়াদ বলে উঠলেন, আল্লাহর কসম, তুমি

তো জঘন্য মিথ্যাবাদী তুমি যখন এ চুক্তিনামা তৈরী করেছিলে তখন আমরা তাতে রাযী ছিলাম
না ৷ আবুল বুখতারী বললেন, যাম আ ঠিকই বলেছে, ওই চুক্তিনামায় যা লেখা রয়েছে আমরা
তাতে সম্মত নই-আমরা তা সমর্থন করি না ৷ মুতঈম ইবন আদী বললেন, আপনারা দুজনে
সত্য বলেছেন, আপনাদের কথার বিপরীত কথা যে বলে, সে মিথ্যাবাদী ৷ ওই চুক্তিপত্র ও তাতে
উল্লিখিত বিষয়ের ব্যাপারে আমরা আল্লাহর নিকট আমাদের সম্পর্কহীনতা প্রকাশ করছি ৷ হিশাম
ইবন আমরও অনুরুপ বক্তব্য রাখলেন ৷ আবু জ হল বলল, এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ৷
নিশ্চয়ই রাতের বেলা অন্যত্র এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ৷ এ ঘটনা স ঘটিত হওয়ার সময়
আবু তালিব মসজিদের এক প্রান্তে বসা ছিলেন ৷ চুক্তিনামা ছিড়ে ফেলার জন্যে মুতঈম ইবন
আদী এগিয়ে গেলেন ৷ তিনি চুক্তিপত্রটি এমতাবস্থায় পেলেন যে ষ্টুছু,াএ্ ৷াং৮ হে আল্লাহ
আপনার নামে শুরু করছি) অংশ ছাড়া অন্য সব লেখা পােকায় খেয়ে যেচ্লেছে ৷ চুক্তিনামার
লেখক ছিল মানসুর ইবন ইকরিম৷ ৷ কথিত আছে যে, পরবর্তীকালে তার হাত অবশ হয়ে
গিয়েছিল ৷

ইবন হিশাম বলেন, কতক জ্ঞানী ওণী লোক উল্লেখ করেছেন যে রাসুলুল্লাহ (সা) আবু
তালিবকে বলেছিলেন, চাচা! কুরায়শদের চুক্তিপত্রের প্রতি আল্লাহ তা আল৷ উইপোকা লাগিয়ে
দিয়েছেন ৷ তাতে আল্লাহর নামগুলো অবশিষ্ট ছিল ৷ আর জুলুম-অন্যায় , আত্মীয়তাছেদনকা রী, ও
মিথ্যা বিবরণগুলো ৷সব খেয়ে নিংশেষ করে দিয়েছে ৷ আবু তালিব বললেন, তোমার প্ৰতিপালক
কি তোমাকে এ স বাদ দিয়েছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ইা৷ ৷ আবৃত তালিব বললেন,
আল্লাহর কসম, আপাতত কেউ যেন তোমার নিকট না আসে ৷ আবৃত তালিব কুরায়শদের নিকট
ছুটে গিয়ে বললেন, “হে কুরায়শ বৎশীয়র৷ ! আমার তা ৷তিজা আমাকে এরুপ সংবাদ দিয়েছে ৷
তোমরা তোমাদের চুক্তিনড়ামা এখানে নিয়ে এসো দেখি ৷ আমার ভাতিজা যা বলেছে চুক্তিনামার
অবস্থা যদি তাই হয়, তবে আমাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের এ অপকর্ম থেকে তোমরা বিরত
থাকবে এবং ওই চুক্তি থেকে সরে দাড়াবে ৷ আর যদি তার কথা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয় তবে
আমার তা নিজ কে আমি তোমাদের হাতে তুলে দিব’ ৷ উপস্থিত সকলে বলল, ঠিক আছে,


أَمْرَهُمْ، وَتَعَاقَدُوا عَلَى الْقِيَامِ فِي الصَّحِيفَةِ حَتَّى يَنْقُضُوهَا، وَقَالَ زُهَيْرٌ: أَنَا أَبْدَؤُكُمْ فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ يَتَكَلَّمُ. فَلَمَّا أَصْبَحُوا غَدَوْا إِلَى أَنْدِيَتِهِمْ، وَغَدَا زُهَيْرُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ عَلَيْهِ حُلَّةٌ، فَطَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ، فَقَالَ: يَا أَهْلَ مَكَّةَ، أَنَأْكُلُ الطَّعَامَ، وَنَلْبَسُ الثِّيَابَ، وَبَنُو هَاشِمٍ هَلْكَى، لَا يَبْتَاعُونَ وَلَا يُبْتَاعُ مِنْهُمْ؟ وَاللَّهِ، لَا أَقْعُدُ حَتَّى تُشَقَّ هَذِهِ الصَّحِيفَةُ الْقَاطِعَةُ الظَّالِمَةُ. قَالَ أَبُو جَهْلٍ: وَكَانَ فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ: كَذَبْتَ، وَاللَّهِ لَا تُشَقُّ. قَالَ زَمْعَةُ بْنُ الْأَسْوَدِ: أَنْتَ وَاللَّهِ أَكْذَبُ، مَا رَضِينَا كِتَابَهَا حَيْثُ كُتِبَتْ. قَالَ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ: صَدَقَ زَمْعَةُ لَا نَرْضَى مَا كُتِبَ فِيهَا، وَلَا نُقِرُّ بِهِ. قَالَ الْمُطْعِمُ بْنُ عَدِيٍّ: صَدَقْتُمَا وَكَذَبَ مَنْ قَالَ غَيْرَ ذَلِكَ، نَبْرَأُ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا، وَمِمَّا كُتِبَ فِيهَا. قَالَ هِشَامُ بْنُ عَمْرٍو نَحْوًا مِنْ ذَلِكَ. قَالَ أَبُو جَهْلٍ: هَذَا أَمْرٌ قَدْ قُضِيَ بِلَيْلٍ، تُشُووِرَ فِيهِ بِغَيْرِ هَذَا الْمَكَانِ. وَأَبُو طَالِبٍ جَالِسٌ فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ، وَقَامَ الْمُطْعِمُ بْنُ عَدِيٍّ إِلَى الصَّحِيفَةِ لِيَشُقَّهَا، فَوَجَدَ الْأَرَضَةَ قَدْ أَكَلَتْهَا إِلَّا " بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ "، وَكَانَ كَاتِبُ الصَّحِيفَةِ مَنْصُورَ بْنَ عِكْرِمَةَ فُشَلَّتْ يَدُهُ فِيمَا يَزْعُمُونَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَذَكَرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ لِأَبِي طَالِبٍ: " «يَا عَمِّ، إِنَّ اللَّهَ قَدْ سَلَّطَ الْأَرَضَةَ عَلَى صَحِيفَةِ قُرَيْشٍ، فَلَمْ تَدَعْ فِيهَا اسْمًا هُوَ لِلَّهِ إِلَّا أَثْبَتَتْهُ فِيهَا، وَنَفَتْ مِنْهَا الظُّلْمَ وَالْقَطِيعَةَ وَالْبُهْتَانَ» ". فَقَالَ: أَرَبُّكَ أَخْبَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا يَدْخُلُ عَلَيْكَ أَحَدٌ. ثُمَّ خَرَجَ إِلَى قُرَيْشٍ، فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ! إِنَّ ابْنَ أَخِي أَخْبَرَنِي بِكَذَا وَكَذَا، فَهَلُمَّ صَحِيفَتَكُمْ فَإِنْ كَانَتْ كَمَا قَالَ، فَانْتَهُوا عَنْ قَطِيعَتِنَا، وَانْزِلُوا عَنْهَا. وَإِنْ كَانَ
পৃষ্ঠা - ১৯৪৯


আপনার প্রস্তাবে আমরা সবাই রাযী ৷ এরপর এ বিষয়ে তারা অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় ৷ তারপর তারা
চুক্তিনামড়াটি এনে দেখল যে, সেটির অবস্থা ঠিক তাই যেমনটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন ৷
কুরায়শরা তাতে অপ্রন্তুত হয়ে যায় ৷ সে পরিস্থিতিতে কুরায়শদের উপারাল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ
চুজািমো ছিড়ে ফেলেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, ওই চুক্তিনামা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া এবং তাতে বর্ণিত বিষয়াদি
অকার্যকর হয়ে যাওয়ার পর আবু তালিব একটি কবিতা আবৃত্তি করেন ৷ চুক্তিনমো বিনষ্ট করে
দেয়ার জন্যে যারা ঐতিহাসিক ভুমিকাপ ড়ালন করেন কবিতায় তিনি তাদের প্রশংসা করেন ৷

! ষ্ ! শ্শ্শ্শ্শ্

ওহে, আমাদের সমুদ্র অভিযাত্রী আবিসিনিয়ায় অবস্থানকারী ভাইগণ দুর দেশে অবস্থান করা

সত্বেও তাদের প্রতি আমাদের প্ৰতিপালকের দয়া অবতীর্ণ হয়েছে কি রু বন্তুত মহান আল্লাহ
মানব জাতিকে বহু অবকাশ দান করেন ৷


মহান আল্লাহ্ তাদেরকে অবগত করিয়েছেন যে, চুক্তিনামা ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে এবং
আল্লাহ যা পসন্দ করেন না তা বিনষ্ট হয়ই ৷

সেটিতে একাধারে মিথ্যা ও জাদু সন্নিবেশিত হয়েছে ৷ জাদু ও ইন্দ্রজাল শেষ পর্যন্ত উচ্চগামী
থাকে না ৷

সেটির জন্যে এমন লোকেরা পরস্পরকে আহ্বান করেছে যারা সুশ্রী নয় ৷ ফলে সেটির
দুর্ভাগ্য তার মাথ র উপরই চক্কর দিচ্ছে ৷

; ;

;র্চু১াদ্বুট্রু
এই চুক্তিপত্রের জন্মই হয়েছিল পাপের গর্ভে ৷ এটির উদ্দেশ্য ছিল পরস্পর সহষোগিতড়াকারী
ও আনুগত্য প্রদর্শনকারী গোত্রীয় ভাইদের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন করা ৷

ন্ ণ্পু,;
মক্কাবাসিগণ যেন সফর করে অন্যত্র পালিয়ে যায় ৷ অকল্যাণ ও অনিষ্টের আশংকায় তাদের
বুক যেন সদা থরথর করে র্কাপছে ৷

; ণ্ ) ,

এপু)শুাহ্প্লু

এটি প্রস্তুত করা হয়েছিল এ জন্যে যে, যেন মক্কায় রেখে যাওয়া হয় একজন কৃষককে যে
ওখানকার কাজকর্ম পরিচালনা করবে ৷ সে হবে তখন সেখানে পলায়নকারীদের পক্ষ থেকে
নিদর্শন ও চিহ্ন ৷ সেই সব কাজ করবে ৷


كَاذِبًا، دَفَعْتُ إِلَيْكُمُ ابْنَ أَخِي. فَقَالَ الْقَوْمُ: قَدْ رَضِينَا فَتَعَاقَدُوا عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ نَظَرُوا فَإِذَا هِيَ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَزَادَهُمْ ذَلِكَ شَرًّا، فَعِنْدَ ذَلِكَ صَنَعَ الرَّهْطُ مِنْ قُرَيْشٍ فِي نَقْضِ الصَّحِيفَةِ مَا صَنَعُوا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا مُزِّقَتْ وَبَطَلَ مَا فِيهَا، قَالَ أَبُو طَالِبٍ فِيمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ أُولَئِكَ الْقَوْمِ الَّذِينَ قَامُوا فِي نَقْضِ الصَّحِيفَةِ، يَمْدَحُهُمْ: أَلَا هَلْ أَتَى بَحْرِيَّنَا صُنْعُ رَبِّنَا ... عَلَى نَأْيِهِمْ وَاللَّهُ بِالنَّاسِ أَرْوَدُ فَيُخْبِرَهُمْ أَنَّ الصَّحِيفَةَ مُزِّقَتْ ... وَأَنَّ كَلَّ مَا لَمْ يَرْضَهُ اللَّهُ مُفْسَدُ تَرَاوَحَهَا إِفْكٌ وَسِحْرٌ مَجَمَّعٌ ... وَلَمْ يُلْفَ سِحْرٌ آخِرَ الدَّهْرِ يَصْعَدُ تَدَاعَى لَهَا مَنْ لَيْسَ فِيهَا بِقَرْقَرٍ ... فَطَائِرُهَا فِي رَأْسِهَا يَتَرَدَّدُ وَكَانَتْ كِفَاءً وَقْعَةٌ بِأَثِيمَةٍ ... لِيُقْطَعَ مِنْهَا سَاعِدٌ وَمُقَلَّدُ وَيَظْعَنَ أَهْلُ الْمَكَّتَيْنِ فَيَهْرُبُوا ... فَرَائِصُهُمْ مِنْ خَشْيَةِ الشَّرِّ تُرْعَدُ
পৃষ্ঠা - ১৯৫০


, ;



পলায়নরত লোকগুলাে যেন দলবদ্ধভাবে দু’টি ঢিলার মধ্যখানে আরোহণ করে ৷ তীরেব
আক্রমণ, ধনুক নিক্ষেপ এবং অগ্নিদাহন যেন তাদেরকে তড়াে করে ফেরে ৷

ট্রু ন্টুট্রু
কোন অনিষ্টকারী ব্যক্তি যদি মক্কায় সম্মানিত ও মর্যাদাবান হতে চায়তো তবে এটা
সকলেরই জানা উচিত যে, মক্কাভুমি আমরা প্রাচীনকাল থেকেই মর্যাদাবান ও সম্মানিত বংশ ৷

শ্শ্শ্শ্শ্শ্


আমরা মক্কায় লালি৩ পালিত হচ্ছি সেই কাল থেকে যখন সেখানে মানব বসতি ছিল
নিতান্ত কম ৷ এরপর আমরা অনবরত কল্যাণ অর্জনকারী ও প্রশংসা লাভকারী হয়ে জীবন যাপন
করে আসছি ৷

; :

আমরা লোকজনকে খাদ্য দান করতে থাকি যতক্ষণ না দানশীলতার সম্মান অন্যদের থেকে
খসে পড়ে একমাত্র আমাদের জন্যে হয়ে যায় ৷ আমরা তখনও দান করি যখন (দরিদ্র হয়ে
যাওয়ার আশংকায়) নামী-দামী দানশীলদের হাত র্কাপতে শুরু করে ৷


ওই মানবগােষ্ঠীকে আল্পাহ্ তা জানা পুরস্কার দান করুন যারা হুজুন এলাকায় একত্রিত
হয়েছিল একটি সুমহান লক্ষ্য নিয়ে ৷ আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার পথ
নির্দেশ করুন ৷

শ্শ্শ্শ্শ্শ্


তারা আলোচনায় বলেছিলেন হাতম আল-হুজুন’ নামক স্থানে ৷ তারা যেন এক একজন
নেতা ৷ বন্তুত তারা সর্বাধিক সম্মানিত ও মর্যাদাবান ৷
ঠু,াছুা
ওই চুক্তিনামা ছিড়ে ফেলতে সহযোগিতা করেছিল প্রত্যেক ৰুদ্ধবাজ ভীরন্দাজ ব্যক্তি, যে
আত্মরক্ষার্থে এমন মযবুত লৌহবর্ম পরিধান করে যে, চলাফেলার সময় বর্ষের ভাবে যেন সে
নুয়ে যায় ৷
কঠিন সমস্যা এবং বিপদ উত্তরণে তাদের প্ৰতেকে পারদর্শী ও সাহসী ৷ মশালধারীর
দু হাতে একেক জন যেন দেদীপ্যমান অগ্নিমশা ল ৷


وَيُتْرَكَ حَرَّاثٌ يُقَلِّبُ أَمْرَهُ أَيُتْهِمُ فِيهَا عِنْدَ ذَاكَ. وَيُنْجِدُ ... وَتَصْعَدُ بَيْنَ الْأَخْشَبَيْنِ كَتِيبَةٌ لَهَا حُدُجٌ سَهْمٌ وَقَوْسٌ وَمِرْهَدُ ... فَمَنْ يَنْشَ مِنْ حُضَّارِ مَكَّةَ عِزُّهُ فَعِزَّتُنَا فِي بَطْنِ مَكَّةَ أَتْلَدُ ... نَشَأْنَا بِهَا وَالنَّاسُ فِيهَا قَلَائِلٌ فَلَمْ نَنْفَكِكْ نَزْدَادُ خَيْرًا وَنُحْمَدُ ... وَنُطْعِمُ حَتَّى يَتْرُكَ النَّاسُ فَضْلَهُمْ إِذَا جَعَلَتْ أَيْدِي الْمُفِيضِينَ تُرْعَدُ ... جَزَى اللَّهُ رَهْطًا بِالْحَجُونِ تَتَابَعُوا عَلَى مَلَأٍ يَهْدِي لِحَزْمٍ وَيُرْشِدُ ... قُعُودًا لَدَى خَطْمِ الْحَجُونِ كَأَنَّهُمْ مَقَاوِلَةٌ بَلْ هُمْ أَعَزُّ وَأَمْجَدُ
পৃষ্ঠা - ১৯৫১


তিনি (রাসুলুল্লাহ্) লুওয় ই ইবন গালিব গোত্রের স্জ্রান্ত লোকদের অন্যতম অপমান ও
লাঞ্চুনার মুভ্রুখড়ামুখি হলে৩ তার চেহারা মলিন হয়ে যায় ৷

তিনি দীর্ঘাঙ্গী মানুষ ৷ পায়ের পােছার অর্ধেক পােশাকের বাইরে থাকে ৷ তার ঢেহারার
ওসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা ও সৌভাগ্য কামনা করা হয়ে থাকে ৷

তিনি মহান দানশীল পুরুষ ৷ তিনি নেতা এবং নেতার পুত্র ৷ অতিথি আপ্যায়নে তিনি
অপরকে উৎসাহিত করেন এবং নিজেও অতিথি আপ্যায়নে নিয়োজিত থাকেন ৷


-’১ছুণ্,ট্রুর্মু১ ,

আমরা যখন দেশে ৷বিদেশে ভ্রমণরত থাকি তখন স্বগােত্রীয়দের পবিৰার পবিজনের প্ৰতি
সদাচরণ করেন এবং তাদের জন্য সুব্যবন্থা করে দেন ৷




সম্পাদিত চুক্তিনামা বিনষ্টকরণে এই চুক্তি প্রত্যাখড়ানকারী নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ছিলেন
অড়াপোসহীন ৷ এ কাজে তারা প্রশংসা লাভ করেছেন ৷

-’১ট্রুদ্ভ’এ এর্তু১১ ৷ ঠু১£টুট্রুষ্ঠাং ৷টুছু১’১
তাদের যা সিদ্ধান্ত নেয়ার তারা রাতেই সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৷ এরপর ভোর বেলা তারা
ধীরে ধীরে যথাস্থানে উপস্থিত হন ৷ অথচ লোকজন তখনও ন্ডিড়ামগ্ন ৷
é»
তারা সাহল ইবন বায়যার নিকট ফিরে গেলেন ৷ তাদের কর্মকাণ্ডে সে সন্তুষ্ট ছিল ৷ একাজে
আবু বকর এবং মুহাম্মাদও আনন্দিত হন ৷

-’১’১’গ্লু১’১
যখনই আমাদের কোন সমস্যা সমাধানে লোকজন এগিয়ে এসেছেন তখনই প্রমাণিত হয়েছে
যে, প্রাচীনকাল থেকে আমরা সবার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রক্ষা করে এসেছি ৷
াৰু’ওএ
প্রাচীনকাল থেকেই আমরা কখনো অন্যায়-অবিচার সমর্থন করিনি ৷ আমরা যা ইচ্ছা করি তা
অর্জন করি ৷ কিন্তু জোর-জবরদস্তি করি না ৷




أَعَانَ عَلَيْهَا كُلُّ صَقْرٍ كَأَنَّهُ إِذَا مَا ... مَشَى فِي رَفْرَفِ الدِّرْعِ أَحْرَدُ جَرِيءٌ عَلَى جُلَّى الْخُطُوبِ كَأَنَّهُ ... شِهَابٌ بِكَفَّيْ قَابِسٍ يَتَوَقَّدُ مِنَ الْأَكْرَمِينَ مِنْ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبٍ ... إِذَا سِيمَ خَسْفًا وَجْهُهُ يَتَرَبَّدُ طَوِيلُ النِّجَادِ خَارِجٌ نِصْفُ سَاقِهِ ... عَلَى وَجْهِهِ يُسْقَى الْغَمَامُ وَيُسْعَدُ عَظِيمُ الرَّمَادِ سَيِّدٌ وَابْنُ سَيِّدٍ ... يَحُضُّ عَلَى مَقْرَى الضُّيُوفِ وَيَحْشُدُ وَيَبْنِي لِأَبْنَاءِ الْعَشِيرَةِ صَالِحًا ... إِذَا نَحْنُ طُفْنَا فِي الْبِلَادِ وَيَمْهَدُ أَلَظَّ بِهَذَا الصُّلْحِ كُلُّ مُبَرَّأٍ ... عَظِيمِ اللِّوَاءِ أَمْرُهُ ثُمَّ يُحْمَدُ قَضَوْا مَا قَضَوْا فِي لَيْلِهِمْ ... ثُمَّ أَصْبَحُوا عَلَى مَهَلٍ وَسَائِرُ النَّاسِ رُقَّدُ هُمُ رَجَعُوا سَهْلَ بْنَ بَيْضَاءَ رَاضِيًا ... وَسُرَّ أَبُو بَكْرٍ بِهَا وَمُحَمَّدُ مَتَى شُرِّكَ الْأَقْوَامُ فِي جُلِّ أَمْرِنَا ... وَكُنَّا قَدِيمًا قَبْلَهَا نُتَوَدَّدُ وَكُنَّا قَدِيمًا لَا نُقِرُّ ظُلَامَةً ... وَنُدْرِكُ مَا شِئْنَا وَلَا نَتَشَدَّدُ فَيَالَ قُصَيٍّ هَلْ لَكُمْ فِي نُفُوسِكُمْ ... وَهَلْ لَكُمْ فِيمَا يَجِيءُ بِهِ غَدُ
পৃষ্ঠা - ১৯৫২
فَإِنِّي وَإِيَّاكُمْ كَمَا قَالَ قَائِلٌ لَدَيْكَ الْبَيَانُ لَوْ تَكَلَّمْتَ أَسْوَدُ قَالَ السُّهَيْلِيُّ: أَسْوَدُ اسْمُ جَبَلٍ قُتِلَ بِهِ قَتِيلٌ، وَلَمْ يُعْرَفْ قَاتِلُهُ، فَقَالَ أَوْلِيَاءُ الْمَقْتُولِ: لَدَيْكَ الْبَيَانُ لَوْ تَكَلَّمْتَ أَسْوَدُ. أَيْ: يَا أَسْوَدُ، لَوْ تَكَلَّمْتَ لَأَبَنْتَ لَنَا عَمَّنْ قَتَلَهُ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ: شِعْرَ حَسَّانَ يَمْدَحُ الْمُطْعِمَ بْنَ عَدِيٍّ وَهُشَامَ بْنَ عَمْرٍو ; لِقِيَامِهِمَا فِي نَقْضِ الصَّحِيفَةِ الظَّالِمَةِ الْفَاجِرَةِ الْغَاشِمَةِ. وَقَدْ ذَكَرَ الْأُمَوِيُّ هَاهُنَا أَشْعَارًا كَثِيرَةً اكْتَفَيْنَا بِمَا أَوْرَدَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: سَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ صَالِحٍ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ: مَتَى خَرَجَ بَنُو هَاشِمٍ مِنَ الشِّعْبِ؟ قَالَا: فِي السَّنَةِ الْعَاشِرَةِ. يَعْنِي مِنَ الْبِعْثَةِ، قَبْلَ الْهِجْرَةِ بِثَلَاثِ سِنِينَ. قُلْتُ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ بَعْدَ خُرُوجِهِمْ تُوُفِّيَ أَبُو طَالِبٍ عَمُّ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَزَوْجَتُهُ خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُ ذَلِكَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.