আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في ذكر مخالفة قبائل قريش بني هاشم وبني عبد المطلب في نصر رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ১৯১৭




;;fl



এ১া৷এ ন্ঠোষ্ট্রপ্রুছুএন্
াঠু ংএএ র্চুব্লু১ম্ ণ্এ ৷ট্রএ্া এা৷ ৷ এংএএ হ্াপুও৷াট্রুষ্ট্রুব্রট্রুা শুাএ ;াপু ৰুড্রু এট্রু৷ ৷ট্রুএ;ন্এ এে ৷
ঞ,নিট্রুষ্পব্রএন্ক্লো এৰুা৷ধ্প্রু;ণ্এা;ঞান্াএাণ্ণ্এন্াগ্রান্এাশ্ন্



ন্এ;ষ্ এএছুছু ৷’ এ৷ ড্রুট্রুন্ষ্াএ টুএে ণ্এ ৷ ঠুাঠুগ্রান্ ’;ণ্ ংান্ট্রুরুা ৷

“পরম দয়ালু দয়াময় আল্লাহর নামে ৷ আসহাম ইবন আবজুর নাজা স্পোর পক্ষ থেকে আল্লাহর
রাসুল মুহাম্মদ (না)-এর প্রতি ৷ হে আল্লাহর নবী আপনার উপর শান্তি বর্ধিত হোক এবং
আল্লাহর রহমত ও বরকত নাযিল হোক ! যে মহান সত্তা আমাকে ইসলামের প্রতি হিদায়াত
করেছেন তিনি ব্যতীত কোন ইলড়াহ্ ও উপাস্য নেই ৷ হে আল্লাহর রাসুল ! আপনার চিঠি আমার
নিকট পৌছেছে ৷ ওই চিঠিতে আপনি ঈস৷ ৷-(আ) এর বর্ণনা দিয়েছেন ৷ আসমান ও যমীনের
প্ৰতিপালকের কসম, ঈসা (আ) সম্পর্কে আপনি যা, উল্লেখ করেছেন তিনি তার চাইতে
এতট্রুকুও অতিরিক্ত নন ৷ আপনি আমার প্ৰতি যে বিষয়গুলো সম্বলিত পত্র প্রেরণ করেছেন তা
আমি উপলব্ধি করেছি ৷ আপনার চাচাত ভাই ও তার সাথীদের জন্যে আতিথ্যের ব্যরস্থুা
করেছি ৷ আ ৷মি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি সতাবাদী এবংঅ ৷ল্লাহ্র সত্যায়িত রাসুল আ ৷মি আপনার
প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছি এবং আপনার চাচাত ভাইয়ের নিকট বায়আত করেছি ৷ আর
আপনার চাচাত ভাইয়ের মাধ্যমে বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করেছি ৷ হে
আল্লাহর নবী আমি বারিহা ইবন ইসহাম ইবন আবজুরকে আপনার নিকট প্রেরণ করলাম ৷

আমি ৫৩ ৷ আমার নিজের ব্যতীত ৩অন্য কারো উপর কর্তৃহ্শীল নই ৷ আপনি যদি চান, তাহলে
আমি আপনার খিদমতে হা ৷যির হবে৷ ৷ তবে আমি নিশ্চিত সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি যা বলেন, তা
অকাট্য সত্য ৷ ”

পরিচ্ছেদ
কুরায়শদের বয়কট

রাসুলুল্লাহ (না)-কে সাহায্য করার প্রশ্নে বনু হাশিম ও বনু আবদিল মুত্তালিব গোত্রের
আহ্বানের প্রেক্ষিতে কুরায়শী অন্যান্য গোত্রের৷ বিরোধিতা করে এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
তাদের নিকট হস্তান্তর না করা পর্যন্ত ওই গোত্রদ্বয়ের সাথে ৰিয়ে-শাদী ও রেচা-কেনার সম্পর্ক
ছিন্ন রাখার ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করে এবং দীর্ঘদিন য়াবত ওদেরকে আবু
তালিব গিরিসঙ্কটে অন্তরীণ করে রাখে ৷ এ বিষয়ে৩ ৷দের নিবর্তামুলক ও অন্যায় চুক্তিপত্র তৈ


عَلَى طَاعَتِهِ وَأَنْ تَتَّبِعَنِي فَتُؤْمِنَ بِي، وَبِالَّذِي جَاءَنِي ; فَإِنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَقَدْ بَعَثْتُ إِلَيْكُمُ ابْنَ عَمِّي جَعْفَرًا وَمَعَهُ نَفَرٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَإِذَا جَاؤُوكَ فَاقْرِهِمْ، وَدَعِ التَّجَبُّرَ، فَإِنِّي أَدْعُوكَ وَجُنُودَكَ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَقَدْ بَلَّغْتُ وَنَصَحْتُ، فَاقْبَلُوا نَصِيحَتِي، وَالسَّلَامُ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى ".» فَكَتَبَ النَّجَاشِيُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، إِلَى مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ مِنَ النَّجَاشِيِّ الْأَصْحَمِ بْنِ أَبْجَرَ: سَلَامٌ عَلَيْكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مِنَ اللَّهِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الَّذِي هَدَانِي إِلَى الْإِسْلَامِ، فَقَدْ بَلَغَنِي كِتَابُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فِيمَا ذَكَرْتَ مِنْ أَمْرِ عِيسَى فَوَرَبِّ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ إِنَّ عِيسَى مَا يَزِيدُ عَلَى مَا ذَكَرْتَ، وَقَدْ عَرَفْنَا مَا بَعَثْتَ بِهِ إِلَيْنَا، وَقَدْ قَرَيْنَا ابْنَ عَمِّكَ وَأَصْحَابَهُ، فَأَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ صَادِقًا مُصَدَّقًا، وَقَدْ بَايَعْتُكَ وَبَايَعْتُ ابْنَ عَمِّكَ، وَأَسْلَمْتُ عَلَى يَدَيْهِ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، وَقَدْ بَعَثْتُ إِلَيْكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ بِأَرِيحَا بْنِ الْأَصْحَمِ بْنِ أَبْجَرَ فَإِنِّي لَا أَمْلِكُ إِلَّا نَفْسِي، وَإِنْ شِئْتَ أَنْ آتِيَكَ، فَعَلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنِّي أَشْهَدُ أَنَّ مَا تَقُولُ حَقٌّ. [فَصْلٌ فِي ذِكْرِ مُخَالَفَةِ قَبَائِلِ قُرَيْشٍ بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فِي نَصْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] فَصْلٌ فِي ذِكْرِ مُخَالَفَةِ قَبَائِلِ قُرَيْشٍ بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فِي نَصْرِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَتَحَالُفِهِمْ فِيمَا بَيْنَهُمْ عَلَيْهِمْ، عَلَى أَنْ لَا يُبَايِعُوهُمْ وَلَا يُنَاكِحُوهُمْ، حَتَّى يُسْلِمُوا إِلَيْهِمْ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَحَصْرِهِمْ إِيَّاهُمْ فِي شَعْبِ أَبِي طَالِبٍ مُدَّةً طَوِيلَةً، وَكِتَابَتِهِمْ بِذَلِكَ صَحِيفَةً ظَالِمَةً فَاجِرَةً، وَمَا ظَهَرَ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ مِنْ آيَاتِ النُّبُوَّةِ وَدَلَائِلِ الصِّدْقِ. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ: ثُمَّ إِنَّ الْمُشْرِكِينَ اشْتَدُّوا عَلَى
পৃষ্ঠা - ১৯১৮

এবং এ সকল প্রেক্ষাপটে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নবুওয়াত ও সভ্যতার পক্ষে প্রকাশিত দলীল-
প্রমাণাদি এ পরিচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে ৷

যুহরী থেকে মুসা ইবন উকবা বর্ণনা করেছেন যে, মুশরিকগণ ইতোপুর্বে মুসলমানদের প্রতি
যত অত্যাচার ও জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছিল পরবর্তীতে তারা তার চেয়েও কঠোরতর নির্যাতন
চালাতে শুরু করে ৷ যার ফলে মুসলমানদের জীবনযাত্রা দৃর্বিষহ হয়ে উঠে ৷ র্তারা নানা প্রকারের
কঠোর বিপদ-আপদের সম্মুখীন হন ৷ প্রকাশ্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে হত্যার ষড়যন্থে ঐকমত্যে
পৌছে ৷ ওদের কর্মতৎপরতা লক্ষ্য করে আবু তালিব নিজে বনু আবদুল ঘুত্তালিব গোত্রের সকল
লোককে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপস্থিত হতে বললেন এবং হত্যা প্রবাসীদের হাত থেকে
তাকে রক্ষা করার নির্দেশ দিলেন ৷ বনু আবদুল মুত্তালিব গোত্রের মুসলিম-কাফির নির্বিশেষে
সকলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পাশে এসে র্দাড়ান ৷ কেউ আসেন ৷:ণাষ্ঠীগত সম্মান রক্ষার তাড়নায়
আর কেউ আসেন ঈমানী চেতনার ৷ কুরায়শের লোকেরা দেখল যে, স্বগােত্রীয় লোকেরা তার
পক্ষপাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন এবং ঐ প্রশ্নে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠেছেন ৷ তখন
মুশরিকরা সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, তাকে হত্যা করার জন্যে ওরা বতক্ষণ তাদের হাতে সমর্পণ
না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা ওদের সাথে উঠাবসা করবে না দিক্রয়-বিক্রয় করবে না এবং
ওদের ঘর-বাড়ীতে প্রবেশ করবে না ৷ এমর্মে তারা একটা চুক্তিনামা ও অঙ্গীকার-পত্র সম্পাদন
করে নিল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে সমর্পণ না করা পর্যন্ত তারা বনু হাশিম গোত্রের সাথে কোন
আপােস-মীমাংসা করবে না এবং কোন প্রকারের সহানুভুতি-সহমর্মিতা প্রদর্শন করবে না ৷ এ
প্রেক্ষিতে বনু হাশিম গোত্রের লোকজন আবু তালিব গিরিসঙ্কটে অম্ভরীণ থাকেন ৷ এ সময়ে
র্তারা অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টে পতিত হন ৷ কুরায়শরা এদের হাট-বাজার বন্ধ করে দেয় ৷ তাদেরকে
তারা কোন ভােগ্যপণ্য বিক্রির জন্যে মক্কায় আসতে দিত না ৷ আবার তাদের কিছু ক্রয়ের
প্রয়োজন হলে কুরায়শী লোকেরা, এগিয়ে গিয়ে তা ক্রয় করে নিত যাতে অম্ভরীণ লোকদের
নিকট ওই পণ্যদ্রব্য পৌছতে না পারে ৷ এর দ্বারা তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল রাসুলুল্পাহ্
(না)-কে নাগালের মধ্যে পাওয়া এবং তাকে হত্যা করা ৷ চাচা আবু তালিব তখন রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে রক্ষা করার জন্যে নানা কৌশল অবলম্বন করতেন ৷ রাতের বেলা অম্ভরীণ লোকেরা
যখন ঘুমেড়াতে যেত, তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তার বিছানায় শোয়াতেন ৷ উদ্দেশ্য হল
কোন ষড়যন্ত্রকারী যদি সেখানে থাকে, তবে সে যেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে ওখানে দেখে ৷ পরে
সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আবু তালিব তীর কোন পুত্রকে কিৎবা ভাইকে কিত্বা চাচাত ভাইকে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিছানায় যেতে বলতেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে অন্য একটি বিছানায়
নিয়ে আসতেন এবং তিনি সেখানে ঘুমােতেন ৷ এ অবস্থায় তৃতীয় বছরের মাথায় বনু আবৃদ
মানাফ, বনু কুসাই এবং বনু হাশিমের নারীদের গর্ভজাত কতক লোক এ অমানবিক আচরণের
জন্যে নিজেদেরকে দােষারোপ করে ৷ তারা উপলব্ধি করে যে, এর মাধ্যমে তারা আত্মীয়তা
বন্ধন ছিন্ন করেছে এবং মানবাধিকার লংঘন করেছে, ৷ সে রাতেই তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে,
ইতোপুর্বে সম্পাদিত চুক্তিনামা তারা ভঙ্গ করবে এবং ওই চুক্তির সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করবে ৷
এদিকে আল্লাহ্ তাআলা তাদের চুক্তিপত্রের প্রতি উইপােকা পাঠালেন ৷ চুক্তিপত্রের যে যে স্থানে
চুক্তি বিষয়ক শব্দ ছিল সে যে স্থানগুলো পােকাংত খেয়ে ফেলে ৷ বর্ণিত আছে যে, চুক্তিপত্রটি


الْمُسْلِمِينَ كَأَشَدِّ مَا كَانُوا، حَتَّى بَلَغَ الْمُسْلِمِينَ الْجُهْدُ، وَاشْتَدَّ عَلَيْهِمُ الْبَلَاءُ، وَاجْتَمَعَتْ قُرَيْشٌ فِي مَكْرِهَا أَنْ يَقْتُلُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلَانِيَةً، فَلَمَّا رَأَى أَبُو طَالِبٍ عَمَلَ الْقَوْمِ جَمَعَ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يُدْخِلُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - شِعْبَهُمْ، وَأَمَرَهَمْ أَنْ يَمْنَعُوهُ مِمَّنْ أَرَادُوا قَتْلَهُ، فَاجْتَمَعُوا عَلَى ذَلِكَ، مُسْلِمُهُمْ وَكَافِرُهُمْ، فَمِنْهُمْ مَنْ فَعَلَهُ حَمِيَّةً، وَمِنْهُمْ مَنْ فَعَلَهُ إِيمَانًا وَيَقِينًا، فَلَمَّا عَرَفَتْ قُرَيْشٌ أَنَّ الْقَوْمَ قَدْ مَنَعُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَجْمَعُوا عَلَى ذَلِكَ، اجْتَمَعَ الْمُشْرِكُونَ مِنْ قُرَيْشٍ، فَأَجْمَعُوا أَمْرَهُمْ أَنْ لَا يُجَالِسُوهُمْ، وَلَا يُبَايِعُوهُمْ، وَلَا يَدْخُلُوا بُيُوتَهُمْ، حَتَّى يُسَلِّمُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لِلْقَتْلِ، وَكَتَبُوا فِي مَكْرِهِمْ صَحِيفَةً وَعُهُودًا وَمَوَاثِيقَ، لَا يَقْبَلُوا مِنْ بَنِي هَاشِمٍ أَبَدًا صُلْحًا، وَلَا تَأْخُذُهُمْ بِهِمْ رَأْفَةٌ، حَتَّى يُسْلِمُوهُ لِلْقَتْلِ. فَلَبِثَ بَنُو هَاشِمٍ فِي شِعْبِهِمْ ثَلَاثَ سِنِينَ، وَاشْتَدَّ عَلَيْهِمُ الْبَلَاءُ وَالْجَهْدُ، وَقَطَعُوا عَنْهُمُ الْأَسْوَاقَ، فَلَا يَتْرُكُوا لَهُمْ طَعَامًا يَقَدَمُ مَكَّةَ وَلَا بَيْعًا إِلَّا بَادَرُوهُمْ إِلَيْهِ فَاشْتَرَوْهُ ; يُرِيدُونَ بِذَلِكَ أَنْ يُدْرِكُوا سَفْكَ دَمِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَكَانَ أَبُو طَالِبٍ إِذَا أَخَذَ النَّاسُ مَضَاجِعَهُمْ، أَمَرَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَاضْطَجَعَ عَلَى فِرَاشِهِ ; حَتَّى يَرَى ذَلِكَ مَنْ أَرَادَ بِهِ مَكْرًا وَاغْتِيَالًا لَهُ، فَإِذَا نَوَّمَ النَّاسُ، أَمَرَ أَحَدَ بَنِيهِ أَوْ إِخْوَتِهِ أَوْ بَنِي عَمِّهِ فَاضْطَجَعَ عَلَى فِرَاشِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَمَرَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنْ يَأْتِيَ بَعْضَ فُرُشِهِمْ فَيَنَامَ عَلَيْهِ، فَلَمَّا كَانَ رَأْسُ ثَلَاثِ سِنِينَ، تَلَاوَمَ رِجَالٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ، وَمِنْ قُصَيٍّ، وَرِجَالٌ مِنْ سِوَاهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ قَدْ وَلَدَتْهُمْ نِسَاءٌ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ، وَرَأَوْا أَنَّهُمْ قَدْ قَطَعُوا الرَّحِمَ، وَاسْتَخَفُّوا بِالْحَقِّ، وَاجْتَمَعَ أَمْرُهُمْ مِنْ لَيْلَتِهِمْ عَلَى نَقْضِ مَا تَعَاهَدُوا عَلَيْهِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ১৯১৯


কাবাগৃহের ছাদের সাথে ঝুলানাে ছিল ৷ অ ৷ল্লাহ্ তাআলার নামের ন্থানগুলোও পােকায় খেয়ে
ফেলে ৷ ফলে শিরক, জুলুম-অত্যাচার এবং আত্মীয়ত ৷ ছিন্নকাবী বিষয় সম্বলিত বিবরণগুলো
অবশিষ্ট থাকে ৷ চুক্তিনামার এ অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ্ত তা আল৷ প্রিয়নবী (সা) ৫ক অবহিত
করেন ৷ তিনি চাচা আবু তালিবকে এটা জানান ৷ আবৃত তালিব বললেন উজ্জ্বল নক্ষত্ররাজির
কলম, সে নিশ্চয়ই আমার সাথে মিথ্যা কথা বলেনি ৷ বনু আবদিল মুত্তালিব গোত্রের কতক
সঙ্গীৰুসাথী নিয়ে তিনি মাসজিদুল হারামে উপস্থিত হন ৷ সেখানে কুরায়শগণ উপ ত ছিল ৷
তাদেরকে এদিকে আসতে দেখে কুরায়শগণ মনে করেছিল যে, সুকঠিন দুঃখদুর্দশায় অতিষ্ঠ
এরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে হস্তান্তর করার উদ্দেশ্যে গিবিসংকট থেকে বেরিয়ে এসেছে ৷ সেখানে
উপস্থিত হয়ে আবুত তালিব বললেন, ৫তামাদের এখানে একটা ঘটনা ঘটেছে তা আমরা এখন
তোমাদেরকে বলবো না ৷ তোমরা যে চুক্তিনাম৷ তৈরী করেছ আগে সেটি নিয়ে আস ৷ তারপর
৫তামাদের আর আমাদের মাঝে কোন আপোস রফা হলেও হতে পারে ৷ চুক্তিনাম৷ উপ
করার পুর্বে তারা সেটি দেখে ফেলে কিনা এ আশং কায তিনি এ কথা বললেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) ৫ক তাদের হাতে সমর্পণ ৷করা হবে এ ব্যাপারে সন্দেহ সং শ৫য়র উ৫র্ধ্ব উঠে এবং নিশ্চিত
হয়ে তারা চুক্তিনামাটি হাযির করে ৷ সেটি সকলের সম্মুখে রাখা হয় ৷ তারা বলল, এখন সে
সময় এসেছে যে, তোমরা আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করবে এবং এমন এক বিষয়ের প্রতি তোমরা
ফিরে আসবে যা ৫ত ৷মাদের সম্প্রদায়কে পুনরায় ঐক্যবদ্ধ করবে ৷ ওই একটি মাত্র ব্যক্তি
আমাদের ও ৫তামাদের মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্নতিন্ন করে দিয়েছে ৷ তোমরা নিজেদের সম্প্রদায় ও
গােত্রকে ধ্বংস ও বিপর্যস্ত করে দেয়ার জন্যে ওই বিপজ্জনক লোকটিকে আস্কারা দিয়েছ

আবু তালিব বললেন, আমি তোমাদের নিকট এসেছি তোমাদেরকে একটি ন্যায়ানুগ প্রস্তাব
দেয়ার জন্যে ৷ আমার ভাতিজ৷ কখনো মিথ্যা বলে না ৷ সে আমাকে জ৷ ৷নিয়েছে যে, তোমাদের
নিকট যে চুক্তিনাম৷ রয়েছে তার সাথে আল্লাহ তা আলার কোন সম্পর্ক নেই ৷ ৫সটি৫তঅ আল্লাহ
তা আলার যত নাম ছিল তার সবগুলো তিনি মিটিয়ে ৫ফলেছেন ৷ তোমাদের অকৃতজ্ঞতা,
আমাদের সাথে আত্মীয়ত৷ ছিন্ন করা এবং আমাদের প্রতি তোমাদের জুলুম নির্যাতনের
বিষয়গুলো তাতে অবশিষ্ট রেখেছেন ৷ সুতরাং ভাতিজ৷ যা বলেছে ঘটনা যদি তা ই হয়ে থাকে,
তাহলে তোমরা হুশিয়ার হও ! আল্লাহর কলম, আমাদের শেষ ব্যক্তিটির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত
আমরা কখনো তাকে তোমাদের হাতে সমর্পণ করব না ৷ আর সে যা বলেছে তা যদি অসত্য
হয়, তবে আমরা নিশ্চয় ত ৷কে তোমাদের হাতে তুলে দিব ৷ এরপর তোমরা তাকে হত্যা করবে,
নাকি জীবিত রাখবে সেটা৫ তামাদের ইচ্ছা ৷৩ তারা বলল, ঠিক আছে, আপনার প্রস্তাবে আমরা
রাযী ৷ এরপর তারা চুক্তিনামা খুলল এবং সতবােদী সতাযিত ৩রাসুল যেমন বলেছেন ঘটনা হুবহু

৫তমনি দেখতে পেল ৷

কুরায়শরা যখন ৫দখল ৫য, ঘটনা আবৃত তালিবের বংনাি মুতাবিকই ঘটেছে তখন তারা
বলল, আল্লাহর কলম, এটি নিশ্চয়ই ৫তামাদের ওই লোকের জাদু৷ এ কথা বলে তারা

তোপুর্বেকার সম্মতি প্রত্যাহার করে এবং পুর্বের চাইতে ৩ও জঘন্য কুফরী৫ত প্রত্যাবর্তন করে
এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার স্বগাে ত্রীয়দের প্রতি কঠোর জুলুম-নির্যাতনের অঙ্গীকারে অবিচল

থাকে ৷


الْغَدْرِ وَالْبَرَاءَةِ مِنْهُ، وَبَعَثَ اللَّهُ عَلَى صَحِيفَتِهِمُ الْأَرَضَةَ، فَلَحَسَتْ كُلَّ مَا كَانَ فِيهَا مِنْ عَهْدٍ وَمِيثَاقٍ، وَيُقَالُ: كَانَتْ مُعَلَّقَةً فِي سَقْفِ الْبَيْتِ فَلَمْ تَتْرُكِ اسْمًا لِلَّهِ فِيهَا إِلَّا لَحَسَتْهُ، وَبَقِيَ مَا كَانَ فِيهَا مِنْ شِرْكٍ وَظُلْمٍ وَقَطِيعَةِ رَحِمٍ، وَأَطْلَعَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ رَسُولَهُ عَلَى الَّذِي صَنَعَ بِصَحِيفَتِهِمْ، فَذَكَرَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لِأَبِي طَالِبٍ فَقَالَ أَبُو طَالِبٍ: لَا وَالثَّوَاقِبِ، مَا كَذَبَنِي. فَانْطَلَقَ يَمْشِي بِعِصَابَتِهِ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، حَتَّى أَتَى الْمَسْجِدَ وَهُوَ حَافِلٌ مِنْ قُرَيْشٍ، فَلَمَّا رَأَوْهُمْ عَامِدِينَ لِجَمَاعَتِهِمْ، أَنْكَرُوا ذَلِكَ، وَظَنُّوا أَنَّهُمْ خَرَجُوا مِنْ شِدَّةِ الْبَلَاءِ فَأَتَوْهُمْ لِيُعْطُوهُمْ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَتَكَلَّمَ أَبُو طَالِبٍ فَقَالَ: قَدْ حَدَثَتْ أُمُورٌ بَيْنَكُمْ لَمْ نَذْكُرْهَا لَكُمْ، فَأْتُوا بِصَحِيفَتِكُمُ الَّتِي تَعَاهَدْتُمْ عَلَيْهَا، فَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ صُلْحٌ. وَإِنَّمَا قَالَ ذَلِكَ، خَشْيَةَ أَنْ يَنْظُرُوا فِي الصَّحِيفَةِ قَبْلَ أَنْ يَأْتُوا بِهَا، فَأَتَوْا بِصَحِيفَتِهِمْ مُعْجَبِينَ بِهَا، لَا يَشُكُّونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مَدْفُوعٌ إِلَيْهِمْ، فَوَضَعُوهَا بَيْنَهُمْ، وَقَالُوا: قَدْ آنَ لَكُمْ أَنْ تَقْبَلُوا، وَتَرْجِعُوا إِلَى أَمْرٍ يَجْمَعُ قَوْمَكُمْ، فَإِنَّمَا قَطَعَ بَيْنِنَا وَبَيْنَكُمْ رَجُلٌ وَاحِدٌ، جَعَلْتُمُوهُ خَطَرًا لِهَلَكَةِ قَوْمِكُمْ وَعَشِيرَتِكُمْ وَفَسَادِهُمْ. فَقَالَ أَبُو طَالِبٍ: إِنَّمَا أَتَيْتُكُمْ لِأُعْطِيَكُمْ أَمْرًا لَكُمْ فِيهِ نَصَفٌ ; إِنَّ ابْنَ أَخِي قَدْ أَخْبَرَنِي وَلَمْ يَكَذِبْنِي، أَنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِنْ هَذِهِ الصَّحِيفَةِ الَّتِي فِي أَيْدِيكُمْ، وَمَحَا كُلَّ اسْمٍ هُوَ لَهُ فِيهَا، وَتَرَكَ فِيهَا غَدْرَكُمْ وَقَطِيعَتَكُمْ إِيَّانَا، وَتَظَاهُرَكُمْ عَلَيْنَا بِالظُّلْمِ، فَإِنْ كَانَ الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ ابْنُ أَخِي
পৃষ্ঠা - ১৯২০


আবু তালিব গোত্রের লোকজন বললেন, আমরা নই বরং আমাদের বিরোধী পক্ষই জাদৃমন্ত্র
ও মিথ্যাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার যোগ্যতর পাত্র ৷ তোমরা কী মনে কর ? আমরা তো
দেখছি যে, আমাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের প্রশ্নে তোমরা যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছ আমাদের কর্ম
অপেক্ষা সেঢিই জাদুমস্তেব বলে অভিহিত হওয়ার অধিকতর যোগ্য তামাদের এ ঐকমত্যের
বিষয় যদি জাদুর ভেল্কিবাজি না হতো, তা হলে তোমাদের চুক্তিনামা নষ্ট হত না ৷ সেটিতো
তোমাদেরই হাতে ছিল ৷ ওই চুক্তিনামায় মহান আল্লাহ্র যত নাম ছিল্ তিনি তার সবগুলো মুছে
দিয়েছেন ৷ আর সীমালংঘন ও সত্যাদ্রাহিতার কথাগুলো অবশিষ্ট ৰু;বরু,থছেন ৷ এখন বল, আমরা
জাদুকর, নাকি তোমরা ?

এ প্রেক্ষিতে বনু আবৃদ মানাফ, বনু কুসাই, হাশিমী নারীদের গ্ার্ভজাত কতক কুরায়শী
পুরুষ যাদের মধ্যে ছিলেন আবুল ’বুখতারী, মুতঈম ইবন আদী, যুহায়র ইবন আবু উমাইয়া
ইবন মুগীরা, যামআ ইবন আসওয়াদ, হিশাম ইবন আমর (চুক্তিনামাটি তার কাছে ছিল ৷ তিনি
বনু আমির ইবন লুওয়াই গোত্রের লোক ছিলেন) এবং বনু আমির ঢপাত্রের অন্য কতক স্স্থাত ও
নেতৃস্থানীয় লোক বলে উঠলেন এ চুক্তিনামায় যা আছে তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক বা
দায়-দায়িতৃ নেই ৷

তখন আবু জাহ্ল (তার উপর আল্লাহ্র লানত বর্নিত হোক) বলল, এটি একটি পুর্ব
পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ৷ রাতের বেলা এ ষড়যন্ত্র চুড়ান্ত করা হয়েছে ৷ এরপর চুক্তিনাম৷ সম্পর্কে, যারা
চুক্তিনাম৷ প্রত্যাখ্যান ও সেটির সাথে সম্পর্কচুতির ঘোষণা দিলেন তাদের প্ৰশংসায় এবং
আবিসিনিয়ার নড়াজাশীর প্রশংসা করে আবুতালিব একটি কবিতা রচনা ও আবৃত্তি করেন ৷

বায়হাকী (র) বলেন, আমার শায়খ আবু আবদুল্লাহ হাফিয এরুপই বর্ণনা করেছেন, মুসা
ইবন উকবার বর্ণনার ন্যায় ৷ অর্থ৷ ৷ৎ ইবন লাহিয়৷ উরওয়া ইবন যুবায়র সুত্রে ৷ ইতোপুর্বে
মুসা ইবন উক্বার বর্ণনা উল্লিখিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন, আ ৷বিসিনিয়ায় হিজরতের ঘটনা
ঘটেছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিদেশে শিআরে আবু তালিব তথা আবু তালিবের গিরিসঙ্কটে
অম্ভরীণ হওয়ার পর ৷ ণ্

আমি বলি, আবৃত তালিবের যে লামিয়া কাসীদ৷ ৷র কথা আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি, সেটিও
তিনি রচনা করেছিলেন তাদের গিরিসঙ্কটে অবস্থান নেয়ার পর ৷ সুতরাং সেখানেই কবিতাটির
উল্লেখ করা অধিকতর যুক্তিযুক্ত ছিল , যা আমরা করে এসেছি ৷ আল্লাহ্ তা আ ৷লাই ভাল জানেন ৷

এরপর বায়হাকী (র) ইউনুস সুত্রে মুহাম্মদ ইবন ইসহাক থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার রিসালাতে র বাণী প্রচার করেই যাচ্ছিলেন ৷ বনু হ শিম ও বনু আবদুল
ঘুত্তালিরের লোকজন তার সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন ৷ তারা তাকে ওদের হাতে সমর্পণ
করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ৷ মুলত কুরায়শ সম্প্রদায়ভৃক্ত অন্যান্য গোত্রের ন্যায় বনু হাশিম
এবং বনু আবদুল মুত্তালিব গোত্রও ধর্ম বিশ্বাসে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর বিরোধী ছিল ৷ কিন্তু তারা
নিজেদের জ্ঞাতি ভাইকে লাঞ্ছিত করা ও অত্যাচারীদের হাতে সমর্পণ করা থেকে নিজেদেরকে
বীচিয়ে রেথেছিল ৷


كَمَا قَالَ، فَأَفِيقُوا، فَوَاللَّهِ لَا نُسْلِمُهُ أَبَدًا حَتَّى نَمُوتَ مِنْ عِنْدِ آخِرِنَا، وَإِنْ كَانَ الَّذِي قَالَ بَاطِلًا، دَفَعْنَاهُ إِلَيْكُمْ، فَقَتَلْتُمُوهُ أَوِ اسْتَحْيَيْتُمْ. قَالُوا: قَدْ رَضِينَا بِالَّذِي تَقُولُ. فَفَتَحُوا الصَّحِيفَةَ، فَوَجَدُوا الصَّادِقَ الْمَصْدُوقَ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَدْ أَخْبَرَ خَبَرَهَا، فَلَمَّا رَأَتْهَا قُرَيْشٌ كَالَّذِي قَالَ أَبُو طَالِبٍ قَالُوا: وَاللَّهِ إِنْ كَانَ هَذَا قَطُّ إِلَّا سِحْرٌ مِنْ صَاحَبِكُمْ، فَارْتَكَسُوا، وَعَادُوا بِشَرِّ مَا كَانُوا عَلَيْهِ مِنْ كُفْرِهِمْ، وَالشِّدَّةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَعَلَى رَهْطِهِ، وَالْقِيَامِ بِمَا تَعَاهَدُوا عَلَيْهِ، فَقَالَ أُولَئِكَ النَّفَرُ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ: إِنَّ أَوْلَى بِالْكَذِبِ وَالسِّحْرِ غَيْرَنَا، فَكَيْفَ تَرَوْنَ، فَإِنَّا نَعْلَمُ أَنَّ الَّذِي اجْتَمَعْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ قَطِيعَتِنَا أَقْرَبُ إِلَى الْجِبْتِ وَالسِّحْرِ مِنْ أَمْرِنَا، وَلَوْلَا أَنَّكُمُ اجْتَمَعْتُمْ عَلَى السِّحْرِ، لَمْ تَفْسَدْ صَحِيفَتُكُمْ وَهِيَ فِي أَيْدِيكُمْ ; طَمَسَ اللَّهُ مَا كَانَ فِيهَا مِنَ اسْمِهِ، وَمَا كَانَ فِيهَا مِنْ بَغْيٍ تَرَكَهُ، أَفَنَحْنُ السَّحَرَةُ أَمْ أَنْتُمْ؟ ! فَقَالَ عِنْدَ ذَلِكَ النَّفَرُ مِنْ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ، وَبَنِي قُصَيٍّ، وَرِجَالٌ مِنْ قُرَيْشٍ وَلَدَتْهُمْ نِسَاءٌ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ ; مِنْهُمْ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ وَالْمُطْعِمُ بْنُ عَدِيٍّ وَزُهَيْرُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ وَزَمْعَةُ بْنُ الْأَسْوَدِ وَهُشَامُ بْنُ عَمْرٍو وَكَانَتِ الصَّحِيفَةُ عِنْدَهُ، وَهُوَ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ فِي رِجَالٍ مِنْ أَشْرَافِهِمْ وَوُجُوهِهِمْ: نَحْنُ بُرَآءُ مِمَّا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ. فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ لَعَنَهُ اللَّهُ: هَذَا أَمْرٌ قُضِيَ بِلَيْلٍ. وَأَنْشَأَ أَبُو طَالِبٍ يَقُولُ الشِّعْرَ فِي شَأْنِ صَحِيفَتِهِمْ، وَيَمْتَدِحُ النَّفَرَ الَّذِينَ تَبَرَّؤُوا مِنْهَا، وَنَقَضُوا مَا كَانَ فِيهَا مِنْ عَهْدٍ، وَيَمْتَدِحُ النَّجَاشِيَّ
পৃষ্ঠা - ১৯২১
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَكَذَا رَوَى شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ. يَعْنِي مِنْ طَرِيقٍ عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ. يَعْنِي كَسِيَاقِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ أَنَّهُ قَالَ: إِنَّمَا كَانَتْ هِجْرَةُ الْحَبَشَةِ بَعْدَ دُخُولِهِمْ إِلَى الشِّعْبِ عَنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لَهُمْ فِي ذَلِكَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: وَالْأَشْبَهُ أَنَّ أَبَا طَالِبٍ إِنَّمَا قَالَ قَصِيدَتَهُ اللَّامِيَّةَ، الَّتِي قَدَّمْنَا ذِكْرَهَا، بَعْدَ دُخُولِهِمُ الشِّعْبَ أَيْضًا فَذِكْرُهَا هَاهُنَا أَنْسَبُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ: مِنْ طَرِيقِ يُونُسَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: فَلَمَّا مَضَى رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلَى الَّذِي بُعِثَ بِهِ، وَقَامَتْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو عَبْدِ الْمُطَّلِبِ دُونَهُ، وَأَبَوْا أَنْ يُسْلِمُوهُ، وَهُمْ مِنْ خِلَافِهِ عَلَى مِثْلِ مَا قَوْمُهُمْ عَلَيْهِ، إِلَّا أَنَّهُمْ أَنِفُوا أَنْ يَسْتَذِلُّوا وَيُسْلِمُوا أَخَاهُمْ لِمَا قَارَفَهُ مِنْ قَوْمِهِ، فَلَمَّا فَعَلَتْ ذَلِكَ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ، وَعَرَفَتْ قُرَيْشٌ أَنْ لَا سَبِيلَ إِلَى مُحَمَّدٍ، اجْتَمَعُوا عَلَى أَنْ يَكْتُبُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَنْ لَا يُنَاكِحُوهُمْ، وَلَا يَنْكِحُوا إِلَيْهِمْ، وَلَا يُبَايِعُوهُمْ وَلَا يَبْتَاعُوا مِنْهُمْ، وَكَتَبُوا صَحِيفَةً فِي ذَلِكَ،
পৃষ্ঠা - ১৯২২


বনু হাশিম এবং বনু আবদুল মুত্তালিব গোত্রীয়র৷ যখন ঐরুপ অবস্থান গ্রহণ করলেন এবং
কুরায়শরাও বুঝে নিল যে, মুহাম্মাদ (সা) কে হাতে পাওয়ার আর কোন উপায় নেই, তখন তারা
বনু হাশিম ও বনু আবদুল মুত্তালিব গোত্রের বিরুদ্ধে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্যে একমত হয় ৷ তারা
এ বিষয়ে একমত ৩হয় যে হাশিমী ও মুত্তা ৷লিবীদের কা ৷উকে তারা বিয়ে করবে না এবং নিজেদের
কাউকে ওদের নিকট বিয়ে দািব না ৷৩ তাদের নিকট কিছু বিক্রি করবে না এবং তাদের থেকে
কিছু ক্রয় করবে না ৷ এমর্মে তারা একটি চুক্তিপত্র সম্পাদন করে এবং সেটি কা বাগৃহে ঝুলিয়ে
রাখে ৷ এরপর তারা মুসলমানদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ৷ তারা তাদেরকে বন্দী করে এবং নানা
রকম নির্যাতনউৎপীড়ন করতে থাকে ৷ কঠিন থেকে কঠিনতর বিপদ নেমে আসে মুসলমানদের
উপর এবং এটা তাদেরকে প্রচণ্ডতাবে নাড়৷ দেয় ৷ এরপর ঘৃহাম্মদ ইবন ইসহাক রাসুলুল্লাহ্
(না) স-হ হাশিমী ও মুত্তালিবীদের আবু৩ তালিব পিরিসঙ্কটে মবন্থান গ্রহণ এবং সেখানে যে
দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেন তার দীর্ঘ বর্ণনা দেন ৷ ওই বর্ণনায় আছে যে খাদ্যের অভাবে ক্ষুধার্ত ও
ষ্ণ৩ার্ততৃ শিশুদের আহাজারী পিরিসঙ্কটের বাইর থেকেও পৃশান৷ যেত ৷ অবশেষে সাধারণভাবে
কুরায়শের লোকজন অম্ভরীণ লোকদের ওপর পরিচালিত অত্যাচার-নির্যাতনকে ঘৃণার চোখে
দেখতে থাকে এবং নির্যাতনমুলক চুক্তিপত্রের প্রতি নিজেদের নারাযী প্রকাশ করে ৷

বর্ণনাকারিগণ একথাও উল্লেখ করেন যে, আপন দয়ায় মহান আল্লাহ ওই চুক্তিনামার প্রতি
উইপোকা প্রেরণ করেন এবং চুক্তিনামায় আল্লাহর নাম উল্লিখিত সকল স্থান পোকাতে থেয়ে
ফেলে ৷ অবশিষ্ট থাকে শুধু জুলুম-নির্যা৩ ৩ন, আত্মীয়৩ ৷ ছিন্ন করা এবং মিথ্যাচারগুলাের বিবরণ ৷
এরপর মহান আল্পাহ্ এ বিষয়ে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) কে অবহিত করেন এবং তিনি চাচা আবু
তালিবকে তা জানান ৷ বর্ণনাকারিগণ এরপর মুসা ইবন উকবার বর্ণনার ন্যায় অবশিষ্ট ঘটনা
সবিস্তারে বর্ণনা করেন ৷

যিয়াদ সুত্রে মুহাম্মদ ইবন ইসহাক থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে ইবন হিশাম বলেন, কুরায়শরা যখন
দেখল যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণ এমন এক স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন, যেখানে
তারা শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করেছেন, তাদের মধ্যে যারা নাজাশীর নিকট গিয়েছেন তিনি
তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন ৷ এ ছাড়া ইতোমধ্যে হযরত উমর (রা) ইসলাম গ্রহণ
করেছেন, এখন উমর (রা) ও হড়াময৷ (রা) দৃ’জনেই রাসুলুল্লাহ্ (না) ও তার সাহাবীদের সাথে
রয়েছেন ৷ বিভিন্ন গোত্রে উপগােত্রে-ইসলামের দাওয়াত ছড়িয়ে পড়ছে ৷ এ পরিস্থিতিতে
কুরায়শগণ এক সমাবেশে মিলিত হয় এবং তারা বনু হাশিম ও বনু আবদুল মুত্তালিব গোত্রের
বিরুদ্ধে এমন একটি চুক্তিনড়াম৷ সম্পাদনের বিষয়ে পরামর্শ করে যার বিষয়বস্তু এ হবে যে, তারা
ওদের নিকট নিজেদের পুত্রকন্যা বিয়ে দিবে না, ওদের নিকট কিছু বিক্রি করবে না এবং ওদের
থেকে কিছু ক্রয়ও করবে না ৷ আলোচনা শেষে তারা এ বিষয়ে একমত হয় এবং একটি
চুক্তিনামা তৈরী করে সকলে তা মেনে চলতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় ৷ গুরুত্ব বৃদ্ধির জন্যে তারা
সেটিকে কা বাগৃহের অভ্যন্তরে ঝুলিয়ে রাখে ৷ চুক্তিনামাঢির লেখক ছিল মানসুর ইবন ইকরিমা
(ইবন আমির ইবন হাশিম ইবন আবৃদ মানাফ ইবন আবদিদ্দার ইবন কুসাই) ৷ ইবন হিশাম
বলেন, কারো কারো মতে সেটি লিখেছিল নাযর ইবন হারিছ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই লেখকের


وَعَلَّقُوهَا بِالْكَعْبَةِ، ثُمَّ عَدَوْا عَلَى مَنْ أَسْلَمَ فَأَوْثَقُوهُمْ وَآذَوْهُمْ، وَاشْتَدَّ الْبَلَاءُ عَلَيْهِمْ، وَعَظُمَتِ الْفِتْنَةُ، وَزُلْزِلُوا زِلْزَالًا شَدِيدًا. ثُمَّ ذَكَرَ الْقِصَّةَ بِطُولِهَا فِي دُخُولِهِمْ شِعْبَ أَبِي طَالِبٍ وَمَا بَلَغُوا فِيهِ مِنْ فِتْنَةِ الْجَهْدِ الشَّدِيدِ، حَتَّى كَانَ يُسْمَعُ أَصْوَاتُ صِبْيَانِهِمْ يَتَضَاغَوْنَ مِنْ وَرَاءِ الشِّعْبِ ; مِنَ الْجُوعِ، حَتَّى كَرِهَ عَامَّةُ قُرَيْشٍ مَا أَصَابَهُمْ، وَأَظْهَرُوا كَرَاهِيَتَهُمْ لِصَحِيفَتِهِمُ الظَّالِمَةِ، وَذَكَرُوا أَنَّ اللَّهَ بِرَحْمَتِهِ أَرْسَلَ عَلَى صَحِيفَةِ قُرَيْشٍ الْأَرَضَةَ، فَلَمْ تَدَعْ فِيهَا اسْمًا هُوَ لِلَّهِ إِلَّا أَكَلَتْهُ، وَبَقِيَ فِيهَا الظُّلْمُ وَالْقَطِيعَةُ وَالْبُهْتَانُ، فَأَخْبَرَ اللَّهُ تَعَالَى بِذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَخْبَرَ بِذَلِكَ عَمَّهُ أَبَا طَالِبٍ ثُمَّ ذَكَرَ بَقِيَّةَ الْقِصَّةِ كَرِوَايَةِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ وَأَتَمَّ. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ عَنْ زِيَادٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا رَأَتْ قُرَيْشٌ أَنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَدْ نَزَلُوا بَلَدًا أَصَابُوا مِنْهُ أَمْنًا وَقَرَارًا، وَأَنَّ النَّجَاشِيَّ قَدْ مَنَعَ مَنْ لَجَأَ إِلَيْهِ مِنْهُمْ، وَأَنَّ عُمَرَ قَدْ أَسْلَمَ، فَكَانَ هُوَ وَحَمْزَةُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَصْحَابِهِ، وَجَعَلَ الْإِسْلَامُ يَفْشُو فِي الْقَبَائِلِ، فَاجْتَمَعُوا وَأْتَمَرُوا أَنْ يَكْتُبُوا كِتَابًا يَتَعَاقَدُونَ فِيهِ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، عَلَى أَنْ لَا يَنْكِحُوا إِلَيْهِمْ وَلَا يُنْكِحُوهُمْ، وَلَا يَبِيعُوهُمْ شَيْئًا وَلَا يَبْتَاعُوا مِنْهُمْ، فَلَمَّا اجْتَمَعُوا لِذَلِكَ كَتَبُوا فِي صَحِيفَةٍ، ثُمَّ تَعَاهَدُوا وَتَوَاثَقُوا عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ عَلَّقُوا الصَّحِيفَةَ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ ; تَوْكِيدًا عَلَى أَنْفُسِهِمْ، وَكَانَ كَاتِبُ الصَّحِيفَةِ مَنْصُورَ بْنَ عِكْرِمَةَ بْنِ عَامِرِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ عَبْدِ الدَّارِ بْنِ قُصَيٍّ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ:
পৃষ্ঠা - ১৯২৩


জন্যে বদ-দু আ করেছিলেন ৷ ফলে তার হাতের কতক আঙ্গু ল অবশ হয়ে যায় ৷ ওয়াকিদী
বলেন, চুক্তিনামাটি লিখেছিল৩ তাল্হ৷ ইবন আবু তা ৷লহ৷ আবদ৷ ৷মী ৷

আমি বলি প্রসিদ্ধ কথা হচ্ছে মানসুর ইবন ইকরিমা ই চুক্তিনামা ৷টির লেখক ছিল ৷ যেমনটি
ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন ৷ তারই৷ হত ৩অবশ হয়ে গিয়েছিল ৷ ওই হাত দ্বারা সে কোন কাজ
করতে পারত না ৷ এ প্রসংগে কুরায়ভৈশর লোকজন রলত, দেখ দেখ, ওই যে মানসুর ইবন
ইকরিমা ! ওয়াকিদী বলেন, চুক্তিনামাটি কাবাগৃহের অভ্যন্তরে ঝুলানাে ছিল ৷

ইবন ইসহাক বলেন কুরায়শর৷ যখন এই চুক্তি সম্পাদন করে তখন বনু হাশিম ও বনু
আবদুল মুত্তালিব গোত্রের লোকেরা আবু৩ তালিবের নিকট উপস্থিত হয় এবং তার সাথে তারা
সবাই আবু তালিব পিরিসঙ্কট গিয়ে সমবেত হয় ৷ আবু লাহাব আবদুল উঘৃয৷ ইবন আবদুল
মুত্তালিব বনু হাশিম গোত্র ছেড়ে বেরিয়ে যায় ৷ সে কুরায়শদের সাথে মিলিত হয় এবং তাদের
শক্তি বৃদ্ধি করে ৷

হুস৷ ৷ইন ইবন আবদুল্লাহ আমাকে জা ৷নিয়েছেন যে, আপন সম্প্রদায়কে ত্যাগ করে
কুরায়শদের শক্তি বৃদ্ধি করার পর আবু লাহাব হিনদ বিনত উতব৷ ইবন য়াবীআর সাথে সাক্ষাত
করে ৷ সে হিনৃদকে বলে, হে উতবার কন্যা! আমি কি লাভ ও উঘৃযা প্রতিমাকে সাহায্য করতে
পেরেছি ? এবং যে ব্যক্তি তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে , সেগুলোর বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে আমি
কি ভাবে ত্যাগ করতে পেয়েছি ? হিন্দ বলল, ইা, অবশ্যই, হে আবু উতবা ! আল্লাহ আপনার
কল্যাণ করুন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, আবু লাহাব যে সব কথাবার্তা
বলত, তার একটি এই, “মুহাম্মাদ (সা) আমাকে বহ বিষয়ের ভয় প্রদর্শন করেছে ৷ অথচ তার
কিছুই আমি এখনও বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি না ৷ যে মনে করে যে, ওগুলো মৃত্যুর পর পাওয়া
যাবে ৷ এরপর আমার হাতে আর কীইবা দেয়৷ হবো একথা বলে সে তার দু’হাতে কু দেয় এবং
বলে “(তারা দুহাত ধ্বংস হয়ে যাক, মুহাম্মদ (সা) যা বলছে তার কিছুই তো তােদের মধ্যে
দেখছি না ৷ এ প্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তা ৷আলা না ৷যিল করলেন গ্র ৰু৷ ৷ ৷ ;ন্ ;দ্র ধ্বংস
হো ক আবু লাহাবের দু হাত এবং£ সে নিজেও ধ্বংস হোক১ ৷

ইবন ইসহাক বলেন, চুক্তিনামা সম্পাদনে কুরায়শকুল যখন ঐক্যবদ্ধ হল এবং যা করার তা
করল , তখন আবু তালিব নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করলেন :

আমাদের মাঝে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সে সম্পর্কে আমার পক্ষ থেকে লুওয়াই
পােত্রকে বিশেষ করে লুওয়াই গোত্রের খুস এবং বনু ক আর উপগােত্রকে এ সং বাদ
পৌছিয়ে দাও ৷


৷ ৷ মোঃ ণ্৷ ৷



১ সুরা লাহাব : আয়াত ১ ৷


وَيُقَالُ: النَّضْرُ بْنُ الْحَارِثِ فَدَعَا عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَشُلَّ بَعْضُ أَصَابِعِهِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَ الَّذِي كَتَبَ الصَّحِيفَةَ طَلْحَةُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ الْعَبْدَرِيُّ. قُلْتُ: وَالْمَشْهُورُ أَنَّهُ مَنْصُورُ بْنُ عِكْرِمَةَ كَمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَهُوَ الَّذِي شُلَّتْ يَدُهُ، فَمَا كَانَ يَنْتَفِعُ بِهَا، وَكَانَتْ قُرَيْشٌ تَقُولُ بَيْنَهَا: انْظُرُوا إِلَى مَنْصُورِ بْنِ عِكْرِمَةَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَتِ الصَّحِيفَةُ مُعَلَّقَةً فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا فَعَلَتْ ذَلِكَ قُرَيْشٌ، انْحَازَتْ بَنُو هَاشِمٍ، وَبَنُو الْمُطَّلِبِ، إِلَى أَبِي طَالِبٍ فَدَخَلُوا مَعَهُ فِي شِعْبِهِ، وَاجْتَمَعُوا إِلَيْهِ، وَخَرَجَ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ أَبُو لَهَبٍ عَبْدُ الْعُزَّى بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِلَى قُرَيْشٍ، فَظَاهَرَهُمْ. وَحَدَّثَنِي حُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ أَبَا لَهَبٍ لَقِيَ هِنْدَ بِنْتَ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، حِينَ فَارَقَ قَوْمَهُ وَظَاهَرَ عَلَيْهِمْ قُرَيْشًا، فَقَالَ: يَا ابْنَةَ عُتْبَةَ هَلْ نَصَرْتُ اللَّاتَ وَالْعُزَّى، وَفَارَقْتُ مَنْ فَارَقَهَا وَظَاهَرَ عَلَيْهَا؟ قَالَتْ: نَعَمْ، فَجَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا يَا أَبَا عُتْبَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحُدِّثْتُ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي بَعْضِ مَا يَقُولُ: يَعِدُنِي مُحَمَّدٌ أَشْيَاءَ لَا أَرَاهَا، يَزْعُمُ أَنَّهَا كَائِنَةٌ بَعْدَ الْمَوْتِ، فَمَاذَا وَضَعَ فِي يَدِي بَعْدَ
পৃষ্ঠা - ১৯২৪

তোমরা কি জ নো না যে, আমরা মুহাম্মাদ (সা) কে নবীরুপে পেয়েছি যেমন নবী ছিলেন
মুসা (আ) ৷ প্রাচীন কিতাবসমুহে মুহাম্মদ (সা) এর নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে ৷

তার প্রতি ৩আল্লাহ্র বন্দোগণের ভালবাসা রয়েছে ৷ আল্লাহ তা জানা যাকে ভালবাসা দিয়ে

বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেন, তার চেয়ে উত্তম অন্য কেউ হয় না>া



তে ৷মাদের কিতড়ারুবয় মধ্যে তোমরা বিপদাপদ সম্পর্কিত যে সকল বিবরণ পেয়েছ
তোমাদের দৃর্তোগ স্বরুপ হযরত সালিহ্ (আ)-এর উদ্রীর চীৎকারের ন্যায় সেগুলো তোমাদের
উপর আপতিত হবেই ৷

ৰু ন্


তোমরা সচেতন হও সতর্ক হও, কবর খোড়ার আগেই এবং সজাগ হও সে সময় আসার
আগে যখন নির্দোষ ব্যক্তি দোষী ব্যক্তির ন্যায় বিপন্ন হয়ে যাবে ৷

াটুট্রু ট্রু;ছু ছুাঠু
তোমরা মিথ্যাবাদীদের অনুসরণ করো না এবং বন্ধুত্ব ও আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপনের পর
আমাদের সাথে সম্পাদিত চুক্তি ভঙ্গ করো না ৷

গ্র১-১ত্র
কঠিন যুদ্ধ বিগ্রহ তোমরা টেনে এলো না ৷ অনেক সময় স্বাদ গ্রহণকারীর জন্যে যুদ্ধের দুধ
ভীষণ তিক্ত হয় ৷

বড়ায়তুল্লাহ্ শরীফের মালিকের কসম, আমরা আহমদ (সা)কে কখনো হস্তান্তর করব না
কোন কুকুরের হাতে এবং না কে ন দৃংখ-দৃর্দশা র মুখে ৷

আমরা আহমদ (সা) কে তোমাদের হাতে সমর্পণ করব না যতক্ষণ না আমাদের আর
তে ড়ামাদের মাঝে যুদ্ধ বিজেতা অশ্বদল এবং যুদ্ধে পারদর্শী হস্তগুলোর ফায়সালা হয় ৷ যে হস্ত
কাসাসী তরবারি দ্বারা দৃর্ধর্য যােদ্ধাকে কেটে টুকরো টুকরো করে দেয় ৷

ব্লুদ্বুট্রুছুৰুা
শ্ , ,



১ সুহায়লী বলেন ও )ন্া১ ৰুাট্রু ব্যাকরণগত দিক থেকে এটি একটি জটিল বড়াক্যাত্শ ৷


ذَلِكَ. ثُمَّ يَنْفُخُ فِي يَدَيْهِ فَيَقُولُ: تَبًّا لَكُمَا، لَا أَرَى فِيكُمَا شَيْئًا مِمَّا يَقُولُ مُحَمَّدٌ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى {تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ} [المسد: 1] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا اجْتَمَعَتْ عَلَى ذَلِكَ قُرَيْشٌ، وَصَنَعُوا فِيهِ الَّذِي صَنَعُوا، قَالَ أَبُو طَالِبٍ: أَلَا أَبْلِغَا عَنِّي عَلَى ذَاتِ بَيْنِنَا ... لُؤَيًّا وَخُصَّا مِنْ لُؤَيٍّ بَنِي كَعْبِ أَلَمْ تَعْلَمُوا أَنَّا وَجَدْنَا مُحَمَّدًا ... نَبِيًّا كَمُوسَى خُطَّ فِي أَوَّلِ الْكُتْبِ وَأَنَّ عَلَيْهِ فِي الْعِبَادِ مَحَبَّةً ... وَلَا خَيْرَ مِمَّنْ خَصَّهُ اللَّهُ بِالْحُبِّ وَأَنَّ الَّذِي أَلْصَقْتُمْ مِنْ كِتَابِكُمْ ... لَكُمْ كَائِنٌ نَحْسًا كَرَاغِيَةِ السَّقْبِ أَفِيقُوا أَفِيقُوا قَبْلَ أَنْ يُحْفَرَ الثَّرَى ... وَيُصْبِحَ مَنْ لَمْ يَجْنِ ذَنْبًا كَذِي الذَّنْبِ وَلَا تَتْبَعُوا أَمْرَ الْوُشَاةِ وَتَقْطَعُوا ... أَوَاصِرَنَا بَعْدَ الْمَوَدَّةِ وَالْقُرْبِ وَتَسْتَجْلِبُوا حَرْبًا عَوَانًا وَرُبَّمَا ... أَمَرَّ عَلَى مَنْ ذَاقَهُ حَلَبُ الْحَرْبِ فَلَسْنَا وَرَبِّ الْبَيْتِ نُسْلِمُ أَحَمَدًا ... لِعَزَّاءَ مِنْ عَضِّ الزَّمَانِ وَلَا كَرْبِ
পৃষ্ঠা - ১৯২৫


ফড়ায়সালা হবে একটি সংকীর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে যেখানে তুমি দেখতে পাবে তীর ও বল্লমেব
ভগ্নাং শগুলাে এবং দেখতে পাবে কালো কালো বড় বড় শকুন, যেন সেগুলো একত্রিত হয়েছে
পানির ঘ৷ ৷ভ্রুট ৷


আস্ত স্তব৷ বল ও অশ্বশালায় অশ্বদলের উত্তেজনাকর পায়চারি এবং সাহসী বীর যোদ্ধাদের সদম্ভ
ইাকডাক যেন নিজেই একটি যুদ্ধক্ষেত্র ৷

শ্শ্শ্শ্শ্

আমাদের পিতা হাশিম কি যুদ্ধ করার জন্যে লুঙ্গি গুটিয়ে কােমর বাধেননি ? এবং৩ তিনি

কি তার বংশধরদেরকে বল্লম নিক্ষেপ ও তরবারির পরিচালনায় পারদর্শী হওয়ার উপদেশ
দিয়ে য ৷ননি ?

যুদ্ধ-ব্বিাহে আমরা ক্লান্ত হই না যতক্ষণ না যুদ্ধ নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে ৷ মাঝে মাঝে যে

সকল কঠিনও ওবড় বড় বিপদাপদ আমাদের উপর আপতিত হয় তাতে আমরা কোন অভিযোগ
করি না ৷ আমরা তাতে ক্লান্ত হই না ৷


আমরা কিভু তখনও নিরাপত্তারক্ষী ও সুবিবেচক থাকি, যখন প্রচণ্ড ভয়ে অন্যান্য বীর
যোদ্ধাদের প্রাণ উড়ে যায় ৷

ইবন ইসহাক বলেন এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না) ও তার সঙ্গীপণ দুই বছর বা তিন বছর
সেখানে অন্তরীণ থাকলেন ৷ ভীষণ দুঃখ কষ্টে তাদের দিন কাটে ৷ কুরায়শ বংশের যারা
আত্মীয়-বৎসল ছিল গোপনে তাদের পাঠানো সামান্যদ্রব্য সামগ্রী ব্যতীত অন্য কিছুই তাদের
নিকট পৌছাতে৷ না ৷

কথিত আছে যে, একদিন হার্কীম ইবন হিযাম ইবন খুওয়ায়লিদ ইবন আমাদের সাথে আবু
জাহ্ল ইবন হিশামের সাক্ষাত হয় ৷ হার্কীমের সাথে একজন ক্রীতদাস ছিল ৷ সে গম বহন করে
নিয়ে যাচ্ছিল ৷৩ তাদের উদ্দেশ্য ছিল৩ তার ফুফু খাদীজা বিনৃত খুওয়ায়লিদ (রা)-এর নিকট তা’
পৌছিয়ে দেয়া ৷ খাদীজা ৷(রা) তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে গিরিসঙ্কটে অন্তরীণ ছিলেন ৷
আবু জাহ্ল তার পিছু নিল ৷ সে বলল, তুমি কি বনু হাশিমের নিকট খাদ্য নিয়ে যাচ্ছ ? শাসিয়ে
দিয়ে সে আরো বলল, আল্লাহর কসম, তুমি খাদ্য নিয়ে ওদের নিকট যেতে পারবে না ৷ যদি
যাও, তবে আমি তোমাকে মক্কায় অপমানিত ও লাঞ্ছিত করে ছাড়ব ৷ তখন সেখানে উপস্থিত হয়
আবুল বুখতারী ইবন হিশাম ইবন হারিছ ইবন আসাদ ৷ সে বলল, তোমাদের দুজনের মধ্যে কি
ঘটনা ঘটেছে ? আবু জাহ্ল অভিযোগ করে বলল, হাকীম ইবন হিযাম বনু হাশিমের নিকট খাদ্য
নিয়ে যাচ্ছে ৷ আবুল বুখ৩ তারী বলল, সে তো খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছে৩ তার ফুফুর জন্যে ৷ আমি
ওকে খ৷ দ্যসামগ্রীসহ পাঠিয়েছি ৷ খাদীজার নিকট খাদ্য পৌছাতে তুমি কি বাধা দেবে ? ওর পথ


وَلَمَّا تَبِنْ مِنَّا وَمِنْكُمْ سَوَالِفٌ وَأَيْدٍ أُتِرَّتْ بِالْقُسَاسِيَّةِ الشُّهْبِ ... بِمُعْتَرَكٍ ضَيْقٍ تَرَى كِسَرَ الْقَنَا بِهِ وَالنُّسُورَ الطُّخْمَ يَعْكُفْنَ كَالشَّرْبِ ... كَأَنَّ مُجَالَ الْخَيْلِ. فِي حَجَرَاتِهِ وَمَعْمَعَةَ الْأَبْطَالِ مَعْرَكَةُ الْحَرْبِ ... أَلَيْسَ أَبُونَا هَاشِمٌ شَدَّ أَزْرَهُ وَأَوْصَى بَنِيهِ بِالطِّعَانِ وَبِالضَّرْبِ ... وَلَسْنَا نَمْلُّ الْحَرْبَ حَتَّى تَمَلَّنَا وَلَا نَشْتَكِي مَا قَدْ يَنُوبُ مِنَ النَّكْبِ ... وَلَكِنَّنَا أَهْلُ الْحَفَائِظِ وَالنُّهَى إِذَا طَارَ أَرْوَاحُ الْكُمَاةِ مِنَ الرُّعْبِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَقَامُوا عَلَى ذَلِكَ سَنَتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا، حَتَّى جَهِدُوا، وَلَمْ يَصِلْ إِلَيْهِمْ شَيْءٌ إِلَّا سِرًّا، مُسْتَخْفِيًا بِهِ مَنْ أَرَادَ صِلَتَهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ، وَقَدْ كَانَ أَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ فِيمَا يَذْكُرُونَ لَقِيَ حَكِيمَ بْنَ حِزَامِ بْنِ خُوَيْلِدِ بْنِ أَسَدٍ مَعَهُ
পৃষ্ঠা - ১৯২৬
غُلَامٌ يَحْمِلُ قَمْحًا، يُرِيدُ بِهِ عَمَّتَهُ خَدِيجَةَ بِنْتَ خُوَيْلِدٍ، وَهِيَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَمَعَهُ فِي الشِّعْبِ، فَتَعَلَّقَ بِهِ، وَقَالَ: أَتَذْهَبُ بِالطَّعَامِ إِلَى بَنِي هَاشِمٍ؟ ! وَاللَّهِ لَا تَذْهَبُ أَنْتَ وَطَعَامُكَ حَتَّى أَفْضَحَكَ بِمَكَّةَ. فَجَاءَهُ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ بْنُ هِشَامِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَسَدٍ فَقَالَ: مَا لَكَ وَلَهُ؟ فَقَالَ: يَحْمِلُ الطَّعَامَ إِلَى بَنِي هَاشِمٍ. فَقَالَ لَهُ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ: طَعَامٌ كَانَ لِعَمَّتِهِ عِنْدَهُ، بَعَثَتْ إِلَيْهِ، أَتَمْنَعُهُ أَنْ يَأْتِيَهَا بِطَعَامِهَا؟ ! خَلِّ سَبِيلَ الرَّجُلِ. قَالَ: فَأَبَى أَبُو جَهْلٍ لَعَنَهُ اللَّهُ حَتَّى نَالَ أَحَدُهُمَا مِنْ صَاحِبِهِ، فَأَخَذَ لَهُ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ لَحْيَ بِعِيرٍ، فَضَرَبَهُ بِهِ فَشَجَّهُ، وَوَطِئَهُ وَطْئًا شَدِيدًا وَحَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَرِيبٌ يَرَى ذَلِكَ، وَهُمْ يَكْرَهُونَ أَنْ يَبْلُغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَصْحَابَهُ فَيَشْمَتُوا بِهِمْ، وَرَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلَى ذَلِكَ يَدْعُو قَوْمَهُ لَيْلًا وَنَهَارًا، وَسِرًّا وَجِهَارًا، مُنَادِيًا بِأَمْرِ اللَّهِ تَعَالَى، لَا يَتَّقِي فِيهِ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ، فَجَعَلَتْ قُرَيْشٌ حِينَ مَنَعَهُ اللَّهُ مِنْهَا، وَقَامَ عَمُّهُ وَقَوْمُهُ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ دُونَهُ، وَحَالُوا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا أَرَادُوا مِنَ الْبَطْشِ بِهِ يَهْمِزُونَهُ وَيَسْتَهْزِئُونَ بِهِ وَيُخَاصِمُونَهُ، وَجَعَلَ الْقُرْآنُ يَنْزِلُ فِي قُرَيْشٍ بِأَحْدَاثِهِمْ، وَفِيمَنْ نَصَبَ لِعَدَاوَتِهِ، مِنْهُمْ مَنْ سَمَّى لَنَا، وَمِنْهُمْ مَنْ نَزَلَ فِيهِ الْقُرْآنُ فِي عَامَّةٍ مَنْ ذَكَرَ اللَّهُ مِنَ الْكُفَّارِ. فَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَبَا لَهَبٍ وَنُزُولَ السُّورَةِ فِيهِ وَأُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ وَنُزُولَ قَوْلِهِ تَعَالَى
পৃষ্ঠা - ১৯২৭


ছেড়ে দাও ৷ ওকে যেতে দাও ৷ আবু জাহ্ল কথা শুনল না ৷ ফলে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি ও
মারামারি শুরু হয় ৷ একটি উটের চোয়াল নিয়ে আবুল বুখতারী তাকে মেরে রক্তাক্ত করে দেয়
এবং মাটিতে ফেলে পায়ে মাড়িয়ে দেয় ৷ কাছে দাড়িয়ে হযরত হাময৷ (বা) এসব দেখছিলেন ৷
নিজেদের মধ্যে মারামাবির এ সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট ৷;পীছুক আর তাতে তিনি খুশী
হন এটাতারা পসন্দ করেনিা

বস্তুত এমন দুঃসময়েও রাসুলুল্লাহ্ (না) তার সম্প্রদায়ের লোকজনকে দিনে-রাতে

প্রকাশ্যে-গোপনে রীতিমত আল্লাহর প্রতি দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তিনি কাউকে ভয়
করছিলেন না ৷ এভাবে কুরায়শদেব আক্রমণ থেকে আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ (না)-কে রক্ষা
করলেন ৷ তার চাচা এবং ববু হাশিম ও বনু মুত্তালিব গোত্রদ্বয় তার সাহায্যে এগিয়ে এল ৷
রাসুলুল্লাহ (না)-কে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে তারা অম্ভরায়
হয়ে র্দাড়াল ৷ তখন কুরায়শর৷ তার সুনাম ও সমালোচনা শুরু করে ৷ তাকে নিয়ে ঠ ট্টা বিদ্র্যপ
করতে থাকে এবং তার বিরুদ্ধে অযথা ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি করতে থাকে ৷ এদিকে কুরায়শদের এ
সকল অন্যায় আচার-আচরণ ও কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে কুরআনের আয়াত নাযিল হতে
থাকে ৷ যারা তার সাথে শত্রুতা পোষণ করত, তাদের সম্পর্কেও আয়াত আসতে থাকে ৷ এ
জাতীয় কতক কাফির লোকের কথা কুরআন মজীদে এসেছে স্পষ্ট ভাবে নাম উল্লেখ করে ৷ আর
কতকের কথা এসেছে সাধারণভাবে ৷ এ প্রসৎগে ইবন ইসহাক আবু লাহাব এবং তাকে উপলক্ষ
করে সুরা লাহাব (সরা নং ১ ১১) নাযিল হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন ৷ অনুরুপতাবে কাফির
উম ৷ইয়৷ ইবন থা ৷লফকে উপলক্ষ করে ;ট্রুট্রুট্রু৷ ;;;;¢ এহ্র৷ ৰু)ঠুড্রু পুর্ণ সুরা (সুরা নং ১০৪) নাযিল
হওয়ার কথা এবং আস ইবন ওয়াইলকে উপলক্ষ করে পুব্রেট্রু ৷াপ্রু )ব্লুদ্বু ;;; ৷ ৷ fl ৷
৷ ৰু৷ প্রুট্রু ৰুা৷এ :-,::;’:; (১৯৪ ৭৭) আয়াত নাযিল হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন ৷

এ বিষয়ে ইতে তাপুর্বে কিছু তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আবু জাহ্ল ইবন হিশাম রাসুলুল্লাহ
(সা) কে বলেছিল, তুমি আমাদের উপাস্যকে পালমন্দ করা বন্ধ করবে, না হয় আমরা তোমার
উপাস্যকে গালমন্দ করব ৷ তখন আল্লাহ্ত তা আল৷ নাযিল করলেন এট্রু’ৰু :-,,, ;;;;;; ;-,;fl ৷

-ণ্ংা; )ঠুছু ৷ );; ধ্া৷ ৷ ৷স্পে ধ্া৷ ৷ যারা আল্লাহ ব্যতীত অর্নোর উপাসনা করে

তাংদর উপাস্যদেরকে তোমরা পালমন্দ কর না ৷ তাহলে সীমালৎঘন ও অজ্ঞতাবশত তারা
তা আল্লাহ্কে পানি দিয়ে (৬০ : ১ :৮)১ নায্র ইবন হারিছ ইবন কালদা ইবন আলকামা মতাস্তরে
আলকামা ইবন কালদা সম্পর্কে ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে , রাসুলুল্লাহ্ (না) যে সকল
মজলিসে বসে কুরআন তিলাওয়াত করতেন এবং আল্লাহর দাওয়াত তেন তার উঠে যাওয়ার
পর নাযর ইবন হারিছ ওই সকল মজলিসে বসত ৷ সে রুস্তম এবং ইসকড়ানদিয়ারের ক হিনী
এবৎপ পারসিক সম্রাটদের আমলে তাদের যুদ্ধ বিগ্রহের কথা আলোচনা করত ৷ তারপর বলত
আল্লাহর কসম, মুহাম্মদ (সা) এর কথা আমার কথায় চেয়ে মোটেই উত্তম নয় ৷ আমার এগুলো
যেমন লিখিত কাহিনী তার কথাও তেমন লিখিত কা ৷হিনী ৷ এ প্রেক্ষিতে আল্লাহ৩ তা জানা নাযিল



১ সুরা আনআম ৷; আয়াত ১০৮ ৷

€০া৷া

২২ ম্প

{وَيْلٌ لِكُلِّ هُمَزَةٍ لُمَزَةٍ} [الهمزة: 1] السُّورَةِ بِكَمَالِهَا فِيهِ وَالْعَاصَ بْنَ وَائِلٍ وَنُزُولَ قَوْلِهِ تَعَالَى {أَفَرَأَيْتَ الَّذِي كَفَرَ بِآيَاتِنَا وَقَالَ لَأُوتَيَنَّ مَالًا وَوَلَدًا} [مريم: 77] فِيهِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ وَأَبَا جَهْلِ بْنَ هِشَامٍ وَقَوْلَهُ لِلنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: لَتَتْرُكَنَّ سَبَّ آلِهَتِنَا، أَوْ لَنَسُبُّنَّ إِلَهَكَ. وَنُزُولَ قَوْلِ اللَّهِ فِيهِ {وَلَا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ فَيَسُبُّوا اللَّهَ عَدْوًا بِغَيْرِ عِلْمٍ} [الأنعام: 108] الْآيَةَ [الْأَنْعَامِ: 108] وَالنَّضْرَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ كَلَدَةَ بْنِ عَلْقَمَةَ وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: عَلْقَمَةُ بْنُ كَلَدَةَ قَالَهُ السُّهَيْلِيُّ وَجُلُوسَهُ بَعْدَ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي مَجَالِسِهِ، حَيْثُ يَتْلُو الْقُرْآنَ وَيَدْعُو إِلَى اللَّهِ، فَيَتْلُو عَلَيْهِمُ النَّضْرُ شَيْئًا مِنْ أَخْبَارِ رُسْتُمَ وَأَسْفَنْدِيَارَ وَمَا جَرَى بَيْنَهُمَا مِنَ الْحُرُوبِ فِي زَمَنِ الْفُرْسِ، ثُمَّ يَقُولُ: وَاللَّهِ، مَا مُحَمَّدٌ بِأَحْسَنَ حَدِيثًا مِنِّي، وَمَا حَدِيثُهُ إِلَّا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ، اكْتَتَبَهَا كَمَا اكْتَتَبْتُهَا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى {وَقَالُوا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ اكْتَتَبَهَا فَهِيَ تُمْلَى عَلَيْهِ بُكْرَةً وَأَصِيلًا} [الفرقان: 5] وَقَوْلَهُ
পৃষ্ঠা - ১৯২৮


এগুলো তো সেকালের উপকথা, যা সে লিখে নিয়েছে ৷ এগুলো সকাল সন্ধ্যা তার নিকট পাঠ
করা হয় (২৫ং : ৫) ৷ আল্লাহ তা আল৷ অন্যত্র বলেনং : ণ্ ;; ৷ এএে ৷ ৰুাটু< ৰুাট্রু , দুর্তো ৷গ
প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী পাপীর (৪৫ : ৭) ৷

ইবন ইসহাক বলেন, একদিন বাসুলুল্লাহ্ (সা) ওয়ালীদ ইবন মুগীরাকে নিয়ে মসজিদে বসে
ছিলেন ৷ তখন নায্র ইবন হাবিছ এসেত তাদের নিকট বসে ৷ মজলিসে কুরায়শের অন্যান্য
লোকজনও ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কথা বলছিলেন ৷ নাযব ইবন হারিছ তার কথায় বাধা দেয় ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) এমন জোরালো ভাষায় নাযরেব প্রত্যুত্তর দেন যে, সে লা-জবাব হয়ে যায় ৷
এরপর তিনি নাযব ইবন হারিছ ও অন্যান্য লোকদের নিকট এ আয়াত তিল ওয়াত করেন :

ন্১াটুদ্বু$ ;,াব্র, ’;,ং,টু;,া, (,; ণ্;; ৷ ণ্ন্;ড্রুন্,; মোঃ ণ্এ৷ ৷ ;,ং,টু; ট্রু,; ৰু,,; ;এ ৷;, ণ্ব্লু; ৷
ণ্,ং,;;,পু;;;ন্৷ ধ্রু;ছুন্হুশ্ ট্রু’;, ;হুৰুহৃ; ৷হ্;ট্রুন্ষ্ ংণ্’;এ — টু;ং;এ১ ৷বু,পু ,-; টুাও ; ঞ;১; ; ৷ইণ্ গু;খৃ

তোমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের উপাসনা কর, সেগুলো তো জাহান্নামের
ইন্ধন, তোমরা সকলে তার মধ্যে প্রবেশ করবে ৷ ওগুলো ৷যদি প্রকৃত ৩ই ইলাহ্ হত তবে ওগুলো

হান্নামে প্রবেশ করত না ৷ ওদের সকলেই তার মধ্যে স্থায়ী হবে ৷ সেখানে থাকবে তাদের
আর্তনাদ এবং সেখানে তারা কিছুই শুনতে পাবে না (২১ : ৯৮ ১ : : ) ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সেখান থেকে উঠে গেলেন ৷ এবার সেখানে উপস্থিত হল আবদুল্লাহ ইবন যাবআরী সাহ্মী
সেখানে সে বসল, ওয়ালীদ ইবন মুগীরা তাকে বলল, আল্লাহর কসম, একটু আগে আবদুল
মুত্তালিবের পৌত্রের ঘুক৷ ৷বিলায় নাযব ইবন হ বিছ দাড াণ্ডে তই পারেনি ৷ মুহাম্মদ (সা) বলেছে যে,
আমরা সবাই এবং আমরা যাদের উপাসনা করি তারা সবাই জাহান্নামের ইন্ধন হব ৷ আবদুল্লাহ
ইবন যাবআরী বলল, আল্লাহর কসম, আমি যদি তাকে পেতাম, তবে উপযুক্ত জবাব দিয়ে
দিতাম ৷ তোমরা মুহাম্মদ (সা)-ফে জিজ্ঞেস কর অ ৷ল্লাহ্ ব্যতীত অন্য যাদের আমরা উপাসনা
করি তারা এবং আমরা উপাসকরা সকলেই কি জাহান্নামের ইন্ধন হবে ? তাহলে আমরা তো
ফেরেশতাদের উপাসনা করি, ইয়াহ্রদীগণ নবী উযায়র (আ)-এর উপাসনা এবং খৃক্টানগণ নবী
ঈসা (আ) এর উপাসনা করে ৷ ইবন যাবআরীর কথায় ওয়ালীদ নিজে এবং তার সাথে যায়া
মজলিসে উপস্থিত ছিল সকলে খুব খুশী হয় ৷৩ তারা বুঝতে পারে যে, এটি উপযুক্ত উত্তর এবং
তাতে যাবআ ৷রীর জয় সুনিশ্চিত ৷ এ সংবাদ রাসুলুল্লাহ (সা)-এর নিকট পৌছে ৷ ফলে ব্যাখ্যার
তিনি বলেন, আল্লাহ ব্যতীত যে সকল উপাস্য নিজেদের উপাসনা ভালবাসে, সে সকল উপাস্য
তাদের উপাসকদের সাথে জাহান্নামের ইন্ধন হবে ৷ ওরা তো মুলত শয়তানের উপাসনা করে
এবং শয়তানগণ যাদের উপাসনার নির্দেশ দেয়, সেগুলোর উপাসনা করে ৷ এ প্রেক্ষাপটে আল্লাহ
তাআলা নাযিল করলেন :

;া;

এে ণ্ণ্ট্ট ক্কু শ্যে


{وَيْلٌ لِكُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ} [الجاثية: 7] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «وَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِيمَا بَلَغَنَا، يَوْمًا مَعَ الْوَلِيدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ فِي الْمَسْجِدِ، فَجَاءَ النَّضْرُ بْنُ الْحَارِثِ حَتَّى جَلَسَ مَعَهُمْ، وَفِي الْمَجْلِسِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ رِجَالِ قُرَيْشٍ، فَتَكَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَعَرَضَ لَهُ النَّضْرُ فَكَلَّمَهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَتَّى أَفْحَمَهُ، ثُمَّ تَلَا عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ: {إِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ أَنْتُمْ لَهَا وَارِدُونَ لَوْ كَانَ هَؤُلَاءِ آلِهَةً مَا وَرَدُوهَا وَكُلٌّ فِيهَا خَالِدُونَ لَهُمْ فِيهَا زَفِيرٌ وَهُمْ فِيهَا لَا يَسْمَعُونَ} [الأنبياء: 98] [الْأَنْبِيَاءِ: 98 - 100] ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَقْبَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزِّبَعْرَى السَّهْمِيُّ حَتَّى جَلَسَ، فَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ لَهُ: وَاللَّهِ مَا قَامَ النَّضْرُ بْنُ الْحَارِثِ لِابْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ آنِفًا وَمَا قَعَدَ، وَقَدْ زَعَمَ مُحَمَّدٌ، أَنَّا وَمَا نَعْبُدُ مِنْ آلِهَتِنَا هَذِهِ، حَصَبُ جَهَنَّمَ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزِّبَعْرَى: أَمَا وَاللَّهِ لَوْ وَجَدْتُهُ لَخَصَمْتُهُ، فَسَلُوا مُحَمَّدًا ; أَكُلُّ مَا نَعْبُدُ مِنْ دُونِ اللَّهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ مَعَ مَنْ عَبَدَهُ؟ فَنَحْنُ نَعْبُدُ الْمَلَائِكَةَ، وَالْيَهُودُ تَعْبُدُ عُزَيْرًا وَالنَّصَارَى تَعْبُدُ عِيسَى. فَعَجِبَ الْوَلِيدُ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ فِي الْمَجْلِسِ مِنْ قَوْلِ ابْنِ الزِّبَعْرَى وَرَأَوْا أَنَّهُ قَدِ احْتَجَّ وَخَاصَمَ. فَذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ: " كُلُّ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُعْبَدَ مِنْ دُونِ اللَّهِ فَهُوَ مَعَ مَنْ عَبَدَهُ، إِنَّهُمْ إِنَّمَا يَعْبُدُونَ الشَّيَاطِينَ، وَمَنْ
পৃষ্ঠা - ১৯২৯


যাদের জন্যে আমার নিকট হতে পুর্ব থেকে কল্যাণ নির্ধারিত রয়েছেন তাদেরকে ওই
জাহ)ন্ন)ম থেকে দুরে রাখা হবে ৷ তারা সেটির ক্ষীণতম শব্দও শুনবে না এবং লেখার তার)
তাদের মন য) চায় চিরকড়াল তা ভোগ করবে (২১৪ ১০ ১ ১০২) অর্থাৎ হযরত ঈস) (আ)
হযরত উযায়র (আ) এবৎঅ অ )ল্লাহ্র আনুগতেদ্র জীবন য) পনক)রী যাজক ও প)দ্রিগণ ওই শাস্তির
অন্তঙুক্তি হবেন ন) ৷ যে সকল মুশরিক লোক ফেরেশত )দের উপাসন) করে এবং এ কথ) বিশ্বাস
করে যে, ফেরেশত)গণ আল্লাহর কন্যা,ত তাদের সম্পর্কে নিম্নোক্ত আয়াত এবং এর পরবর্তী
আয়াতসমুহ নাযিল হয় :

মোঃ১

“তারা বলে, দয়)ময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন, তিনি পবিত্র, মহান ৷ ওর) তে) তার

সম্মানিত বলো” (২১ : ২৬) )

ইবন য)বআরীর মন্তব্যে মুশরিকদের আনন্দ প্রকাশের প্রেক্ষিতে নাযিল হল :

ট্রু,টুৰুধ্ৰু;র্দুষ্টুশ্ঠুট্র ন্ন্’১ র্দু) ১াৰু১ ১৷ ৷ এ হুটুট্রু,ড্রু;ষ্ঢু ’,১
যখন ম)রয়াম তনয়ের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন কর) হয়, তখন আপনার সম্প্রদায় গো বগােল আরম্ভ
করে দেয় এবং বলে, আমাদের দেবতাগুলো শ্রেষ্ঠ, না ঈস) ? ওর) কেবল বাকবিতণ্ড)র
উদ্দেশ্যেই আপনাকে একথা বলে ৷ বন্তুত ওর) এক বিতণ্ডাকারী সম্প্রদায় ৷ (৪৩ : ৫ ৭-৫৮)
তার) যে যুক্তি উপস্থাপন করোছ৩ ত) নিঃসন্দেহে অসার ৷ তার) )নিজেরাও এর অসারত ) সম্পর্কে
অবগত ৷ ক)রণ, তার) তে) আরবী ভাষাভাষী লোক ৷ তাদের ভাষায় £ (যেগুলো) শব্দটি জড়ন্
পদার্থের জন্যে ব্যবহৃত হয় ৷ সুতরাং ণ্ ৷ ণ্পু,ঠু , ণ্১ এ ৷ ;,,ঠু ,ম্ ৰু,ং,’ণ্ ট্রুগ্ট্ ৷ণ্, ণ্ন্নু ৷
, , ৷ , ৷, তোমর) এবং তোমরা যাদের উপাসনা কর সকলেই জ হোন্ন)মের ইন্ধন ৷ তোমর)
সকলে জাহ)ন্ন)মে প্রবেশ করবে (২১ : ৯৮) আয়াতে ( (যেগুলো) দ্বার) ওই সকল জড়
পাথরকে বুঝানো হয়েছে প্রতিম)রুগে তার) যে গুলোর উপাসনা করে ৷ কল্পিত ৩আকৃতি ৩তৈরী
করে তার) যে সব ফেরেশত) র উপাসন) করে, সে সকল ফেরেশ তা ওই শব্দের আওতায় পড়েন
ন) ৷ অনুরুপভ) বে হযরত ঈস) (আ), হযরত উযায়র (আ) এবং কোন পুণ্যব)ন ব)ন্দ) ৷;
যেগুলো) শব্দের আওতায় পড়েন ন) ৷ কারণ, ৷হু শব্দটি শব্দগত এবং অর্থগত কোন ভাবেই
তাদেরকে বুঝায় ন) ৷ তাই ওই ঝগড়াটে কাফিররাও আসে যে, উল্লিখিত মজলিসে তর্কস্থলে
তার) যে ঈস) (আ) এর দৃষ্টান্ত উল্লেখ করেছে, ত) নিশ্চিতভ)বেই আমার ও ভিত্তিহীন ৷ যেমন
আল্লাহ্ তা আল) বলেছেন :

» ষ্ ) ৷ : ণ্ ৷ :


ওর) কেবল বাক বিত গু)ব উদ্দেশ্যেই আপনাকে ঐকথ) বলে ৷ এরপর আল্লাহ্ ত) আল)
বলেছেনং : ,ছুগু ;, ৷ সে ঈস) তে) এক ব)ন্দ), যাকে আমি
অনুগ্রহ করেছিলাম) (৪৩ : ৫৯) আমার নবুওয়)ত প্রদাবের মাধ্যমে


أَمَرَتْهُمْ بِعِبَادَتِهِ ". فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِنَّ الَّذِينَ سَبَقَتْ لَهُمْ مِنَّا الْحُسْنَى أُولَئِكَ عَنْهَا مُبْعَدُونَ لَا يَسْمَعُونَ حَسِيسَهَا وَهُمْ فِيمَا اشْتَهَتْ أَنْفُسُهُمْ خَالِدُونَ} [الأنبياء: 101] » [الْأَنْبِيَاءِ: 101، 102] أَيْ ; عِيسَى، وَعُزَيْرٌ وَمَنْ عُبِدَ مِنَ الْأَحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ الَّذِينَ مَضَوْا عَلَى طَاعَةِ اللَّهِ تَعَالَى. وَنَزَلَ فِيمَا يَذْكُرُونَ أَنَّهُمْ يَعْبُدُونَ الْمَلَائِكَةَ، وَأَنَّهَا بَنَاتُ اللَّهِ {وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَنُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ بَلْ عِبَادٌ مُكْرَمُونَ} [الأنبياء: 26] وَالْآيَاتُ بَعْدَهَا. وَنَزَلَ فِي إِعْجَابِ الْمُشْرِكِينَ بِقَوْلِ ابْنِ الزِّبَعْرَى {وَلَمَّا ضُرِبَ ابْنُ مَرْيَمَ مَثَلًا إِذَا قَوْمُكَ مِنْهُ يَصِدُّونَ وَقَالُوا أَآلِهَتُنَا خَيْرٌ أَمْ هُوَ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلًا بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُونَ} [الزخرف: 57] . إِنَّمَا أُرِيدَ بِذَلِكَ مَا كَانُوا يَعْبُدُونَهُ مِنَ الْأَحْجَارِ الَّتِي كَانَتْ صُوَرَ أَصْنَامٍ، وَلَا يَتَنَاوَلُ ذَلِكَ الْمَلَائِكَةَ الَّذِينَ زَعَمُوا أَنَّهُمْ يَعْبُدُونَهُمْ فِي هَذِهِ الصُّوَرِ، وَلَا الْمَسِيحَ، وَلَا عُزَيْرًا وَلَا أَحَدًا مِنَ الصَّالِحِينَ ; لِأَنَّ اللَّفْظَ لَا يَتَنَاوَلُهُمْ، لَا لَفْظًا وَلَا مَعْنًى، فَهُمْ يَعْلَمُونَ أَنَّ مَا ضَرَبُوهُ بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ مِنَ الْمَثَلِ جَدَلٌ بَاطِلٌ، كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلًا بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُونَ} [الزخرف: 58] ثُمَّ قَالَ إِنْ هُوَ أَيْ عِيسَى {إِلَّا عَبْدٌ أَنْعَمْنَا عَلَيْهِ} [الزخرف: 59] أَيْ بِنُبُوَّتِنَا
পৃষ্ঠা - ১৯৩০


(া০০ ৷,টুন্ ৷ এবং তাকে করেছিলাম বনী ইসরাঈলের জন্যে দৃষ্টান্ত অর্থাৎ আমার পরিপুর্ণ শক্তির
প্রমাণ যে, আমি যা চাই তা করতে পারি ৷ যেমন তাকে আমি সৃষ্টি করেছি মহিলা থেকে
পুরুষের স্পর্শ ব্যতিরেকে ৷ হাওয়াকে সৃষ্টি করে, পুরুষ থেকে মহিলা ব্যতিরেকে ৷ আর আদম
(আ)-কে সৃষ্টি করেছি নাবী-পুরুষ ব্যতিরেকে ৷ অন্য সকল মানুষকে সৃষ্টি করেছি পুরুষ ও
মহিলা থেকে ৷ অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন : ,এে ই’ ০’ এ শুা, যেন তাকে
মানুষের জন্যে নিদর্শন স্বরুপ স্থির করি ৷ (১৯ : ২১) অর্থাং আমার অনন্য শক্তির প্রমাণ স্বরুপ
£০ট্রু০ হী০ছু,’, এবং আমার নিকট থেকে এক অনুগ্রহ স্বরুপ আমি যাকে ইচ্ছা ওই রহমত
ও দয়া প্রদানে কৃতার্থ করি ৷

ইবন ইসহাক আখনাস ইবন শুরায়কের কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে ছু)হু র্দুা০ট্রু ছুা,
;,র্দু০ৰু,০ছু এ্১ান্ এবং অনুসরণ করবে না সে ব্যক্তির যে কথায় কথায় শপথ করে, যে লাঞ্ছিত ৷
(৬৮০ ং ১০) ওয়ালীদ ইবন মুর্গীরার কথা উল্লেখ করে ইবন ইসহাক বলেন, মুগীরা বলেছিল,
ওহী কি শুধু মুহাম্মদের উপর অবতীর্ণ হতে থাকবে আর আমি বঞ্চিত হতে থাকর ৷ অথচ আমি
কুরায়শ বংশের অন্যতম গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নেতা ? ছাকীফ গোত্রের প্রধান আবু মাসউদ আমর
ইবন আমর (১) ছাকাফীও কি বঞ্চিত হবে ? দুই জনপদের আমরা দৃ’জনই তাে প্রতিপত্তিশালী
শীর্ষস্থানীয় নেতা ৷ এ প্রসং গে আল্লাহ তাআলা নাযিল করেন : ’;,াং,ছুট্রু৷ ৷ ৷’;০ , ’১াং, ং,পুাপ্রুর’,
-ন্দিএণ্;ঠু ;,ট্রুছু ,ঘ্র৷ ৷ ,; ,); , ণ্ তারা বলে এই কুরআন কেন অবতীর্ণ হল না দুই
জনপদের কো ন প্রতিপত্তিশ৷ লী ব্যক্তির উপর (৪৩৪ ৩১) ৷

ইবন ইসহাক উব৷ ই ইবন খাল্ফের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ সে উক্বা ইবন আবী
যুআয়তকে বলেছিল, তুমি মুহাম্মাদ (সা) এর মজলিসে বসেছ এবৎ৩ তার কথা শুনেছ এই সংবাদ
আমার নিকট এসেছে ৷ তুমি যতক্ষণ পর্যন্তত ৷র মুখে থুথু না দািব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমার মুখ
দেখা তোমার জন্যে হারাম ৷ আল্লাহর দৃশমন উক্বা (ত তার প্রতি আল্লাহর লা ন৩ ) তা ই করে ৷
এ প্রসংগে আল্লাহ্ তা অ ৷লা নিম্নের আয়াতদ্বয় ও পরের আয়াত নাযিল করেনঃ

— >@-ং, প্রুট্ঠুট্৷ ঠুইণ্ রু১ংৰু১ট্ট র্দু স্পো, ং’ টু ’,“,ব্লুপু ,৭ট্রু১হু১ ণ্হ্ন ’ণ্,এশুপ্রে ’ ১১হ্নঠু হুটুঠুঢ়
জালিম ব্যক্তি সেদিন নিজ হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় ! আমি যদি রাসুলের

সাথে সৎপথ অবলম্বন করতাম ৷ হায় দুর্তোগ আমার ৷ আমি যদি অমুককে অন্তরঙ্গ রুপে গ্রহণ না
করতড়াম (২৫০ : ২৭২৮) ৷

ইবন ইসহাক বলেন, উব ই ইবন খাল্ফ একটি জীর্ণ পুরনো হাড় হাতে ৩নিয়ে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট আসলো এবং বলল, হে মুহম্মদ ৷ তুমি তা মনে কর যে, জীর্ণ হয়ে যাওয়ার
পরও আল্লাহ তাআলা এটিকে পুনরুথিত করবেন ৷ এরপর সে স্বহস্তে ওই হাড়টিকে চুর্ণ-বিচুর্ণ



১ সীরাতে হালবিয়্যাতে এরুপ আছে ৷ মিসরী কপিতে আমর ইবন উমর এবং সীরাতে ইবন হিশামে উমর ইবন
উমায়র ৷


{وَجَعَلْنَاهُ مَثَلًا لِبَنِي إِسْرَائِيلَ} [الزخرف: 59] أَيْ دَلِيلًا عَلَى تَمَامِ قُدْرَتِنَا عَلَى مَا نَشَاءُ حَيْثُ خَلَقْنَاهُ مِنْ أُنْثَى بِلَا ذَكَرٍ، وَقَدْ خَلَقْنَا حَوَّاءَ مِنْ ذَكَرٍ بِلَا أُنْثَى، وَخَلَقْنَا آدَمَ لَا مِنْ هَذَا وَلَا مِنْ هَذَا، وَخَلَقْنَا سَائِرَ بَنِي آدَمَ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى، كَمَا قَالَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى {وَلِنَجْعَلَهُ آيَةً لِلنَّاسِ} [مريم: 21] أَيْ أَمَارَةً وَدَلِيلًا عَلَى قُدْرَتِنَا الْبَاهِرَةِ {وَرَحْمَةٍ مِنَّا} [مريم: 21] نَرْحَمُ بِهَا مَنْ نَشَاءُ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ الْأَخْنَسَ بْنَ شَرِيقٍ وَنُزُولَ قَوْلِهِ تَعَالَى، فِيهِ: {وَلَا تُطِعْ كُلَّ حَلَّافٍ مَهِينٍ} [القلم: 10] الْآيَاتِ. وَذَكَرَ الْوَلِيدَ بْنَ الْمُغِيرَةِ حَيْثُ قَالَ: أَيَنْزِلُ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَأُتْرَكُ وَأَنَا كَبِيرُ قُرَيْشٍ وَسَيِّدُهَا، وَيُتْرُكُ أَبُو مَسْعُودٍ عَمْرُو بْنُ عُمَيْرٍ الثَّقَفِيُّ سَيِّدُ ثَقِيفٍ؟ ! فَنَحْنُ عَظِيمَا الْقَرْيَتَيْنِ. وَنُزُولَ قَوْلِهِ تَعَالَى فِيهِ: {وَقَالُوا لَوْلَا نُزِّلَ هَذَا الْقُرْآنُ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الْقَرْيَتَيْنِ عَظِيمٍ} [الزخرف: 31] وَالَّتِي بَعْدَهَا. وَذَكَرَ أُبَيَّ بْنَ خَلَفٍ حِينَ قَالَ لِعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ: أَلَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّكَ جَالَسْتَ مُحَمَّدًا، وَسَمِعْتَ مِنْهُ، وَجْهِي مِنْ وَجْهِكَ حَرَامٌ، إِلَّا أَنْ تَتْفُلَ فِي وَجْهِهِ. فَفَعَلَ ذَلِكَ عَدُوُّ اللَّهِ عُقْبَةُ لَعَنَهُ اللَّهُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {وَيَوْمَ يَعَضُّ الظَّالِمُ عَلَى يَدَيْهِ يَقُولُ يَا لَيْتَنِي اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُولِ سَبِيلًا يَا وَيْلَتَى لَيْتَنِي لَمْ أَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِيلًا} [الفرقان: 27] [الْفَرْقَانِ: 27، 28] وَالَّتِي بَعْدَهَا.
পৃষ্ঠা - ১৯৩১
قَالَ: «وَمَشَى أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ بِعَظْمٍ بَالٍ قَدْ أَرَمَّ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَنْتَ تَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ هَذَا بَعْدَ مَا أَرَمَّ؟ ! ثُمَّ فَتَّهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ نَفَخَهُ فِي الرِّيحِ نَحْوَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ: " نَعَمْ، أَنَا أَقُولُ ذَلِكَ، يَبْعَثُهُ اللَّهُ وَإِيَّاكَ بَعْدَ مَا تَكُونَانِ هَكَذَا، ثُمَّ يُدْخِلُكَ النَّارَ ".» وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ قَالَ مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنْشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ} [يس: 78] [يس: 78، 79] إِلَى آخِرِ السُّورَةِ. قَالَ «وَاعْتَرَضَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِيمَا بَلَغَنِي، وَهُوَ يَطُوفُ عِنْدَ بَابِ الْكَعْبَةِ، الْأَسْوَدُ بْنُ الْمُطَّلِبِ وَالْوَلِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ وَالْعَاصُ بْنُ وَائِلٍ فَقَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، هَلُمَّ فَلْنَعْبُدْ مَا تَعْبُدُ، وَتَعْبُدْ مَا نَعْبُدُ، فَنَشْتَرِكُ نَحْنُ وَأَنْتَ فِي الْأَمْرِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِمْ: {قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ} [الكافرون: 1] » [الْكَافِرُونَ: 1، 2] إِلَى آخِرِهَا. وَلَمَّا سَمِعَ أَبُو جَهْلٍ بِشَجَرَةِ الزَّقُّومِ، قَالَ: أَتَدْرُونَ مَا الزَّقُّومُ، هُوَ تَمُرُّ يُضْرَبُ بِالزُّبْدِ، ثُمَّ قَالَ: هَلُمُّوا فَلْنَتَزَقَّمْ! فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِنَّ شَجَرَةَ الزَّقُّومِ طَعَامُ الْأَثِيمِ} [الدخان: 43] [الدُّخَانِ: 43، 44] قَالَ: «وَوَقَفَ
পৃষ্ঠা - ১৯৩২


করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে লক্ষ্য করে বাতাসে উড়িয়ে দেয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হীা,
নিশ্চয়ই, আমি এখনও বলছি যে, এ অবস্থায় পৌছে যাওয়ার পরও আল্লাহ্ তাআল৷ তোমাকে
এবং ওই হাড়কে পুনরুথিত করবেন, তারপর তোমাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন ৷ এ প্রসংগে
আল্লাহ তাআল৷ নাযিল করেন ?

এে ’ব্লুছুণ্০ব্লু
ৰুা;ব্লুাছুশু ট্রুএছুৰু ব্লুওব্লুব্লুব্লুট্রু এব্লু৷ ৷ওহ্ট্রুওট্র৷ ,ব্লু১ ৷
এবং সে আমার সম্পর্কে উপম৷ রচনা করে অথচ যে নিজের সৃষ্টির কথা ভুলে যায়, সে
বলে অস্থিতে প্রাণ সঞ্চাব করবে কে ? যখন সেটি পচেগলে যারুব ? বলুন, সেটির মধ্যে প্রাণ
সঞ্চার করবেন সেই সত্তা-যিনি এটি প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি প্রত্যেকটি সৃষ্টি
সম্পর্কে অবগত ৷ সুরার শেষ পর্যন্ত (৩৬ : ৭৮ ৭৯) ৷
বর্ণিত আছে যে, একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) রায় তুল্লাহ্ পর ফ তাওয়াফ করছিলেন ৷ বা বা
শরীফের দরজা র নিকট আসওয়াদ ইবন মুত্তা ৷লিব, ওয়া ৷লীদ ইবন মুগীরা , উম ৷ইয়া ইবন খ৷ ৷লফ
এবং আল ইবন ওয়াইল এসে তীর সম্মুখে র্দাড়ায় ৷ র্তারা বলে, হে মুহাম্মদ! এসো, তুমি যার
ইবাদত কর আমরা তার ইবাদত করব এবং আমরা যার ইবাদত করি তুমিও তার ইবাদত
করবে ৷ ইবাদতের মধ্যে আমরা পরস্পর অংশীদার হই ৷৩ তাদের এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আল্লাহ
তা জানা না ৷যিল করলেন ?



;,ব্লু১ ৷ ঠুট্রু ট্রু ৷ ১৷ এব্লুব্লুওও৷ ৷ ৷,দ্বুা; এও
-বলুন, হে ক ফিবগণ তোমার যার ইবাদত কর আমরা তার ইবাদত করি না ৷ সুরার
শেষ পর্যন্ত ৷ (১০৯ং : ১-২) ৷

জাহান্নড়ামীদের খাদ্য স্বরুপ যাক্কুম বৃক্ষের কথা শুনে আবু জাহ্ল বলেছিল ৷ যাক্কুম কী তা
তোমরা জান কি ? বন্তুত সেটি হল পনীর মিশ্রিত খেজুর ৷ এরপর সে বলল, তোমরা সবাই
এগিয়ে এসো, আমরা যাক্কুম খাব ৷ তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেন ৪

ঝুট্রুব্লু:ৰুা৷ ’ণ্৮াণ্ ট্রব্লুওহু৷ ৷ ’;’)’;: ট্রুা

-নিশ্চয়ই যাক্কুম বৃক্ষ পাপীদের খাদ্য (৪৪ ? ৪৩-৪ : ) ৷
ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে, একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং ওয়ালীদ ইবন মুগীরা
পরস্পর আলাপ-আলোচনা করছিলেন ৷ আলোচনার ফলশ্রুতিতে ওয়ালীদ ইসলাম কবুল করবে
বলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আশা করছিলেন ৷ ঘটনাক্রমে অন্ধ সাহাবী ইবন উম্মে মাকভুম (বা)
সেখানে উপস্থিত হন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে কথা বলে তার কাছ থেকে কুরআন
তিলাওয়াত শুনতে চান ৷ ওয়ালীদের সাথে গুরুত্বপুর্ণ আলোচনায় বাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্যস্ত থাকায়
এবং তার ফলশ্রুতিতে ওয়ালীদের ইসলাম গ্রহণে আশাবাদী থাকায় এবং ইবন উম্মে মাকতুমের
কারণে তাতে বিব্ল সৃষ্টি হওয়ার আশংকায় তিনি তার প্রতি কিছুটা বিরক্ত হলেন ৷ অন্ধ সাহাবী
ইবন উম্মে মাকভুম (বা) তা বুঝতে পারেননি ৷ কুরআন শোনার জন্যে বারবার তাগিদ দেয়ায়


الْوَلِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ فَكَلَّمَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَرَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يُكَلِّمُهُ، وَقَدْ طَمِعَ فِي إِسْلَامِهِ، فَمَرَّ بِهِ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ عَاتِكَةَ بِنْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَنْكَثَةَ الْأَعْمَى، فَكَلَّمَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَجَعَلَ يَسْتَقْرِئُهُ الْقُرْآنَ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ حَتَّى أَضْجَرَهُ، وَذَلِكَ أَنَّهُ شَغَلَهُ عَمَّا كَانَ فِيهِ مِنْ أَمْرِ الْوَلِيدِ وَمَا طَمِعَ فِيهِ مِنْ إِسْلَامِهِ، فَلَمَّا أَكْثَرَ عَلَيْهِ انْصَرَفَ عَنْهُ عَابِسًا، وَتَرَكَهُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {عَبَسَ وَتَوَلَّى أَنْ جَاءَهُ الْأَعْمَى} [عبس: 1] » [عَبَسَ: 1، 2] إِلَى قَوْلِهِ {مَرْفُوعَةٍ مُطَهَّرَةٍ} [عبس: 14] وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ الَّذِي كَانَ يُحَدِّثُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حِينَ جَاءَهُ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ مَنْ عَادَ مِنْ مُهَاجِرَةِ الْحَبَشَةِ إِلَى مَكَّةَ، وَذَلِكَ حِينَ بَلَغَهُمْ إِسْلَامُ أَهْلِ مَكَّةَ، وَكَانَ النَّقْلُ لَيْسَ بِصَحِيحٍ، وَلَكِنْ كَانَ لَهُ سَبَبٌ، وَهُوَ مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " وَغَيْرِهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - جَلَسَ يَوْمًا مَعَ الْمُشْرِكِينَ، وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ {وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ} [النجم: 1] [النَّجْمِ: 1، 2] يَقْرَؤُهَا عَلَيْهِمْ حَتَّى خَتَمَهَا وَسَجَدَ، فَسَجَدَ مَنْ هُنَاكَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُشْرِكِينَ وَالْجِنِّ وَالْإِنْسِ» . وَكَانَ لِذَلِكَ سَبَبٌ ذَكَرَهُ كَثِيرٌ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى:
পৃষ্ঠা - ১৯৩৩


ভ্রা-কুঞ্চিত করেত তাকে রেখে বাসুলুল্লাহ (সা) প্রন্থান করলেন ৷ তখন আল্লাহ্ তা আলা নাযিল
করলেন ও

-সে ভ্রা-কুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল ৷ কারণ, তার নিকট অন্ধ লোকটি এল ৷
আপনি কেমন করে জানবেন যে সে হয়ত পবিশুদ্ধ হত ৷ অথবা উপদেশাগ্রহণ করত ৷ ফলে
উপদেশ তার উপকারে আসত ৷ পক্ষাম্ভরে যে পরোয়া করে না আপনি তার প্রতি মনোযোগ
দিয়েছেন ৷ অথচ সে পরিশুদ্ধ না হলে আপনার কোন দ য়িঙুহু নেই অন্যপক্ষে যে আপনার
নিকট ছুটে আসে আর সে সশ০ ক চিত্ত ৷ আপনিও ৷ তাকে অবজ্ঞা করলেন ৷ না, (তা হয় না ৷) এটি

তো উপদের্শবাণী ৷ যে ইচ্ছা করবে, যে এটি স্মরণ রাখবে ৷ সেটি আছে মহান লিপিসমুহে, যা
উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, পবিত্র ৷ (সুরা নং ৮০) কেউ কেউ বলেন, এ ঘটনায় যার সাথে রাসুলুল্লাহ্
(সা) কথা বলছিলেন, সে ছিল উমাইয়া ইবন খালফ ৷

(৬১) সুরা আবাসা : ১, ২

এরপর ইবন ইসহাক (র) সে সকল লোকের কথা আলোচনা করেছেন র্ষারা আবিসিনিয়া
থেকে মক্কায় ফিরে এসেছিলেন ৷ বন্তুত তা রা সংবাদ পেয়েছিলেন যে মক্কাবাসীরা সকলেই
ইসলাম গ্রহণ করেছে ৷ আসলে এ সংবাদটি সত্য ছিল না ৷ অবশ্য এমন সংবাদ প্রচারিত হওয়ার
কারণও ছিল ৷ সহীহ্ বুখারী ও অন্যান্য হাদীছ গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে , একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মুশরিকদের সাথে বসা ছিলেন ৷ তখন আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন :

এে১এ ণ্১এ
শপথ নক্ষত্রের যখন সেটি হয় অস্তমিত ৷ তোমাদের স০ ×গী বিভ্রাম্ভও নয়, বিপ থপামীও নয়
(৫৩০ ১) ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) এ সুরা শেষ পর্যন্ত ওদের সম্মুখে৩ তিলাওয়াত করলেন এবং সিজদা
করলেন ৷ সেখানে উপস্থিত মুসলমান, মুশরিক, জিন, ইনসান সকলেই তার অনুসরণে সিজদা
দিল ৷ এ ঘটনার পেছনেও একটি কারণ রয়েছে ৷



আমি আপনার পুর্বে যে সকল রাসুল কি×বা নবী প্রেরণ করেছি তাদের কেউ যখনই কিছু

আকাডক্ষা করেছে তখনই শয়তান তার আকাহ্মোয় কিছু প্রক্ষিপ্ত করেছে ৷ কিন্তু শয়তান যা

প্রক্ষিপ্ত করে আল্লাহ তা বিদুরিত করেন ৷ এরপর তার আয়াতসমুহকে সুপ্ৰতিষ্ঠিত করেন এবং

আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় (২২৪ ৫২) ৷ আঘাতের ব্যাখ্যার অধিকাত্শ তাফ্ন্সীরকার ওই কারণ

উল্লেখ করেছেন ৷ প্রসঙ্গক্রমে তারা পারানীক (ৰুব্লুটু ; ৷ ট্রু; )-এর কাহিনীও উল্লেখ করেছেন ৷ জ্যি

এ কাহিনীর উল্লেখ থেবেইি আমি সর্বতোভাবে বিরত রয়েছি ৷ যাতে অনভিজ্ঞ লোকজন বিভ্রান্তির
শিকার না হয় ৷

এ বিষয়ে সহীহ্ বুখ্যরীতে উদ্ধৃত ঘটনা এই : ইমাম বুখারী (র) বলেন, আবু মা’মার
ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, সুরা নাজম পাঠান্তে রাসুলুল্লাহ্ (সা)


{وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رَسُولٍ وَلَا نَبِيٍّ إِلَّا إِذَا تَمَنَّى أَلْقَى الشَّيْطَانُ فِي أُمْنِيَّتِهِ فَيَنْسَخُ اللَّهُ مَا يُلْقِي الشَّيْطَانُ ثُمَّ يُحْكِمُ اللَّهُ آيَاتِهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ} [الحج: 52] وَذَكَرُوا قِصَّةَ الْغَرَانِيقِ، وَقَدْ أَحْبَبْنَا الْإِضْرَابَ عَنْ ذِكْرِهَا صَفْحًا ; لِئَلَّا يَسْمَعَهَا مَنْ لَا يَضَعُهَا عَلَى مَوَاضِعِهَا، إِلَّا أَنَّ أَصْلَ الْقِصَّةِ فِي " الصَّحِيحِ ". قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «سَجَدَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِالنَّجْمِ، وَسَجَدَ مَعَهُ الْمُسْلِمُونَ وَالْمُشْرِكُونَ، وَالْجِنُّ وَالْإِنْسُ.» انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ سَمِعْتُ الْأَسْوَدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «قَرَأَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - النَّجْمَ بِمَكَّةَ، فَسَجَدَ فِيهَا، وَسَجَدَ مَنْ مَعَهُ غَيْرَ شَيْخٍ أَخَذَ كَفًّا مِنْ حَصًى أَوْ تُرَابٍ، فَرَفَعَهُ إِلَى جَبْهَتِهِ، وَقَالَ: يَكْفِينِي هَذَا. فَرَأَيْتُهُ بَعْدُ قُتِلَ كَافِرًا» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ حَدَّثَنَا رَبَاحٌ عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِمَكَّةَ سُورَةَ النَّجْمِ، فَسَجَدَ وَسَجَدَ مَنْ عِنْدَهُ، فَرَفَعْتُ رَأْسِي وَأَبَيْتُ أَنْ أَسْجُدَ، وَلَمْ يَكُنْ أَسْلَمَ يَوْمَئِذٍ الْمُطَّلِبُ فَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ لَا يَسْمَعُ أَحَدًا يَقْرَؤُهَا إِلَّا سَجَدَ مَعَهُ.» وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১৯৩৪


সিজদা করলেন ৷ মুসলমান মুশরিক-জিন-ইনসান নির্বিশেষে উপস্থিত সকলে তার সাথে সিজদা
করল ৷ এ বর্ণনা ইমাম বুখারী (র) একাই উদ্ধৃত করেছেন ৷ সহীহ্ মুসলিমে এটি নেই ৷

ইমাম বুখারী (র) আরো বলেন মুহাম্মদ ইবন বাশৃশার আবদুল্লাহ (র) সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লড়াহ্ (সা) সুরা নাজ্বম তিলাওয়াত করলেন ৷ তিনি তখন মক্কায়
অবস্থান করছিলেন ৷ তাতে তিনি সিজদা করলেন ৷ তার সাথে যারা ছিল তারাও সিজদা
করলেন ৷ কিত্তু একজন বৃদ্ধ লোক ছিল ব্যতিক্রম ৷ সে সিজদা করেনি ৷ সে বরং এক ঘুষ্টি মাটি
কিৎবা কংকর হাতে নিয়ে তার কপাল পর্যন্ত তুলল এবং বলল, সিজাদার স্থলে আমার জন্যে
এতটু কুই যথেষ্ট ৷ পরবর্তীতে আমি ওই বৃদ্ধকে দেখেছি যে, সে কাফির অবস্থায় নিহত হয়েছো
ইমাম মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসাঈ (র) এ হাদীছ ভাষা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইব্রাহীম জাফর ইবন মৃত্তালিব সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় সুরা নাজম
তিলাওয়াত করে সিজদা করেন ৷ তার নিকট যারা ছিলেন তারাও সিজদা করেন ৷ এরপর আমি
আমার মাথা উঠিয়ে ফেললাম এবং সিজদা দানে অস্বীকৃতি জানালাম ৷ আলোচ্য মুত্তালিব ইবন
আবু ওদাআ তখনও ইসলাম গ্রহণ করেননি ৷ পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ পরবর্তীতে তিনি
যার মুখেই এই সুরার তিলাওয়াত শুনতেন তার সাথে সিজদা করতেন ৷ ইমাম নাসাঈ (র) এ
হাদীছ আবদুল মালিক ইবন আবদুল হামীদ সুত্রে ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ উভয় প্রকার বর্ণনার মধ্যে এভাবে সমন্বয় সাধন করা যায় যে, শেষোক্ত ব্যক্তি
সিজদায় গিয়েছিলেন এবং পরে অহংকারবশত সিজদা থেকে মাথা তুলে ফেলেছিলেন আর ইবন
মাসউদ (রা) যার সম্পর্কে বলেছেন যে, ওই বৃদ্ধ লোক সিজদা করেনি সে আদৌ সিজদা
করেনি ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷

মােদ্দাকথা, সংবাদ বর্ণনাকারী যখন দেখলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অনুসরণে উপস্থিত
মুশরিকগণ সিজদা করেছেন তখন তার ধারণা হয় যে, ঘৃশরিকগণ ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সমঝোতায় পৌছেছে ৷ উভয় পক্ষের মধ্যে আর কোন সংঘাত সংঘর্ষ
নেই ৷ এই সংবাদ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং আবিসিনিয়ড়ায় অবস্থানকারী মুহাজিরদের নিকটও
গিয়ে পৌছে ৷ তার সংবাদটি সঠিক বলে বিশ্বাস করেন ৷ ফলে আশায় বুক বেধে তাদের একদল
মক্কায় ফিরে আসেন ৷ তাদের কতক অবশ্য সেখানে রয়ে যান ৷ এ হিসাবে তাদের উভয় দলের
অবন্থানই যথার্থ ৷

এ প্রেক্ষাপটে যারা আবিসিনিয়া থেকে ফিরে এসেছিলেন ইবন ইসহাক তাদের নাম উল্লেখ
করেছেন ৷ তারা হলেন-উছমান ইবন আফ্ফান (রা) , তার ত্রী নবীশ্দুহিতা রুকাইয়া (রা),
আবু হুযায়ফা ইবন উতবা ইবন রাবীআ (বা) , তার শ্রী সাহলা বিনৃত সুহায়ল (রা) , আবদুল্লাহ
ইবন জাহশ ইবন রিআব (রা) , উতবা ইবন গায়ওয়ান (রা), যুবায়র ইবন আওঅ্যাম (রা) ,
মুসআব ইবন উমায়র (রা), সুওয়ায়বিত ইবন সাআদ (রা), তুলায়ব ইবন উমায়র (রা),
আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা), মিকদাদ ইবন অড়ামর (রা) , আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) ,

আবু সালামা ইবন আবদুল আসাদ (বা) , তার শ্রী উম্মে সালামা বিনৃত আবু উমাইয়া ইবন ঘুপীরা


عَبْدِ الْحَمِيدِ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ بِهِ. وَقَدْ يُجْمَعُ بَيْنَ هَذَا وَالَّذِي قَبْلَهُ، بِأَنَّ هَذَا سَجَدَ وَلَكِنَّهُ رَفَعَ رَأْسَهُ اسْتِكْبَارًا، وَذَلِكَ الشَّيْخُ الَّذِي اسْتَثْنَاهُ ابْنُ مَسْعُودٍ لَمْ يَسْجُدْ بِالْكُلِّيَّةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ النَّاقِلَ لَمَّا رَأَى الْمُشْرِكِينَ قَدْ سَجَدُوا مُتَابَعَةً لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - اعْتَقَدَ أَنَّهُمْ قَدْ أَسْلَمُوا، وَاصْطَلَحُوا مَعَهُ، وَلَمْ يَبْقَ نِزَاعٌ بَيْنَهُمْ، فَطَارَ الْخَبَرُ بِذَلِكَ وَانْتَشَرَ حَتَّى بَلَغَ مُهَاجِرَةَ الْحَبَشَةِ بِهَا، فَظَنُّوا صِحَّةَ ذَلِكَ، فَأَقْبَلَ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ طَامِعِينَ بِذَلِكَ، وَثَبَتَتْ جَمَاعَةٌ، وَكِلَاهُمَا مُحْسِنٌ مُصِيبٌ فِيمَا فَعَلَ، فَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَسْمَاءَ مَنْ رَجَعَ مِنْهُمْ ; عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَامْرَأَتُهُ رُقَيَّةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَبُو حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَامْرَأَتُهُ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشِ بْنِ رِئَابٍ وَعُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ وَمُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَسُوَيْبِطُ بْنُ سَعْدٍ وَطُلَيْبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَالْمِقْدَادُ بْنُ عَمْرٍو وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الْأَسَدِ وَامْرَأَتُهُ أُمُّ سَلَمَةَ بِنْتُ أَبِي أُمَيَّةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، وَشَمَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ وَسَلَمَةُ بْنُ هِشَامٍ وَعَيَّاشُ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ وَقَدْ حُبِسَا بِمَكَّةَ حَتَّى مَضَتْ بَدْرٌ وَأُحُدٌ وَالْخَنْدَقُ وَعَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ وَهُوَ مِمَّنْ شُكَّ فِيهِ، أَخَرَجَ إِلَى الْحَبَشَةِ أَمْ لَا وَمُعَتِّبُ بْنُ عَوْفٍ وَعُثْمَانُ بْنُ مَظْعُونٍ وَابْنُهُ السَّائِبُ وَأَخَوَاهُ قُدَامَةُ
পৃষ্ঠা - ১৯৩৫


(রা) , শাম্মাস ইবন উছমান (রা) , সালামা ইবন হিশাম (রা) , আইয়াশ ইবন আবু রাবীআ (বা),
এ দু’জনকে মক্কায় বন্দী করা হয় ৷ তাদের বন্দী থাকা অবস্থায় বদর, উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধ
ৎঘটিত হয় ৷ আমার ইবন ইয়াসির (রা) অবশ্য তিনি আবিসিনিয়ায় ইিজরত করেছিলেন
কিনা তাতে সংশয় রয়েছে ৷ ঘুআত্তাব ইবন আওফ (বা) , উছমান ইবন মাযউন (রা) , সাইব
(রা), কুদামা ইবন মাযউন (রা) , আবদুল্লাহ ইবন মাযউন (রা) , থুনায়স ইবন হুযাফা (বা) ,
হিশাম ইবন আস ইবন ওয়াইল (রা-খন্দকের যুদ্ধ শেষ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি মক্কায় আটক
ছিলেন, আমির ইবন রাবীআ (রা) , তার শ্রী লায়লা বিনৃত আবু হাছামাহ্ ( রা) , আবদুল্লাহ ইবন
মাথরামা (রা ) , আবদুল্লাহ ইবন সুহায়ল ইবন আমর (বা) বদর যুদ্ধের দিন পর্যন্ত ইনি মক্কায়
বন্দী ছিলেন ৷ ওই দিন পালিয়ে মুসলমানদের নিকট চলে যান এবং বদর যুদ্ধে অংশ নেন ৷ আবু
সুবরা ইবন আবু রুহাম (রা) , র্তার ত্রী উম্মে কুলছুম বিনৃত সুহায়ল (রা ) সাকরান ইবন আমর
ইবন আবদে শামস (বা), তার ত্রী সাওদ৷ বিনৃত যামআ (রা) মদীনায় হিজরতের পুর্বে
সাকরানের (রা) মৃত্যু হয় ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাওদাকে সহধর্মিণীরুপে গ্রহণ করেন ৷
সাআদ ইবন খাওলা (রা) , আবু উবায়দা ইবন জারবাহ্ (রা) , আমর ইবন হড়ারিছ ইবন যুহায়র
(বা), সুহায়ল ইবন বায়যা (বা) , আমর ইবন আবু সারাহ (রা)-প্রত্যাবতনিঃকারীদের মধ্যে
সর্বমোট তেত্রিশ জন পুরুষ ছিলেন ৷
ইমাম বুখারী (র) বলেছেন, হযরত আইশা (বা) বংনাি করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ইরশাদ করেছেন, তোমাদের হিজরতের স্থান আমাকে দেখানো হয়েছে ৷ সেটি হল দুই
কংকরময় ভুমির মধ্যবর্তী খেজুর বাগান সমৃদ্ধ অঞ্চল ৷ পরবর্তীতে মক্কা থেকে মদীনায়
হিজরতকারিগণ মদীনায় গিয়ে পৌছলেন এবং আবিসিনিয়ায় হিজরতকারিগণের প্রায় সকলেই
সেখান থেকে মদীনায় চলে আসেন ৷ এ বিষয়ে আবু মুসা ও আসমা (রা)-এর বর্ণনা রয়েছে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে ৷ আবু মুসা (রা) এর বর্ণনা ইতোপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেটি সহীহ্
বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে আছে ৷ হযরত আসমা ৰিনত উমায়স (রা)-এর বর্ণনাটি “খায়বার
বিজয়ের পরবর্তী ঘটনা ৷ এটি আবিসিনিয়ায় হিজরতকাবিপণের শেষ দলের মদীনায়
প্রত্যাবর্তনকালীন ঘটনা প্রসঙ্গে বংনাি করা হবে ৷

ইমাম ৰুখারী (র) বলেন, ইয়াহ্ইয়া ইবন হাম্মাদ আবদুল্লাহ সুত্রে বংনাি করেন যে,
তিনি বলেছেন, এমন এক সময় ছিল যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) নামাযরত থাকলেও আমরা র্তাকে
সালাম দিতাম এবং ওই অবস্থায় তিনি সালামের উত্তর দিতেন ৷ নজােশীর দেশ থেকে আমরা
যখন ফিরে এলাম, তখন তার নামাযরত অবস্থায় আমরা র্তাকে সালাম দিলাম কিন্তু তিনি
সালামের উত্তর দিলেন না ৷ আমরা আরয করলাম ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা)! আমরা ইতোপুর্ব
নামায়ের মধ্যে আপনাকে সালাম দিতাম এবং আপনি সালামের উত্তর দিতেন ৷ নড়াজাশীর ওখান
থেকে ফিরে এসে আমরা আপনাকে সালাম দিলাম কিন্তু আপনি তো সালামের কোন উত্তর
দিলেন না ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, বন্তুত : নামায়ের মধ্যে একাগ্রতাও একাত্তভারে কাম্য ৷
ইমাম বুখারী মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসাঈ (র) অন্য সনদে সুলায়মান ইবন মাহরান সুত্রে
আ’মাশ থেকে এটি বংনি৷ করেছেন ৷ এই বংনািটি সহীহ্ বুথারী ও সহীহ্ ঘুসলিমে উল্লিখিত


وَعَبْدُ اللَّهِ ابْنَا مَظْعُونٍ وَخُنَيْسُ بْنُ حُذَافَةَ وَهِشَامُ بْنُ الْعَاصِ بْنِ وَائِلٍ وَقَدْ حُبِسَ بِمَكَّةَ إِلَى بَعْدِ الْخَنْدَقِ وَعَامِرُ بْنُ رَبِيعَةَ وَامْرَأَتُهُ لَيْلَى بِنْتُ أَبِي حَثْمَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَخْرَمَةَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو وَقَدْ حُبِسَ حَتَّى كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ فَانْحَازَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ فَشَهِدَ مَعَهُمْ بَدْرًا وَأَبُو سَبْرَةَ بْنُ أَبِي رُهْمٍ وَامْرَأَتُهُ أُمُّ كُلْثُومِ بِنْتُ سُهَيْلٍ، وَالسَّكْرَانُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ وَامْرَأَتُهُ سَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ وَقَدْ مَاتَ بِمَكَّةَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ وَخَلَفَ عَلَى امْرَأَتِهِ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَسَعْدُ بْنُ خَوْلَةَ وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ بْنِ زُهَيْرٍ وَسُهَيْلُ بْنُ بَيْضَاءَ وَعَمْرُو بْنُ أَبِي سَرْحٍ فَجَمِيعُهُمْ ثَلَاثَةٌ وَثَلَاثُونَ رَجُلًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: هِجْرَةُ الْحَبَشَةِ، وَقَالَتْ عَائِشَةُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: «أُرِيتُ دَارَ هِجْرَتِكُمْ ذَاتَ نَخْلٍ بَيْنَ لَابَتَيْنِ ".» فَهَاجَرَ مَنْ هَاجَرَ قَبِلَ الْمَدِينَةِ، وَرَجَعَ عَامَّةُ مَنْ كَانَ هَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ. فِيهِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَأَسْمَاءَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -. وَقَدْ تَقَدَّمَ حَدِيثُ أَبِي مُوسَى وَهُوَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَسَيَأْتِي حَدِيثُ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ بَعْدَ فَتْحِ خَيْبَرَ حِينَ قَدِمَ مَنْ كَانَ تَأَخَّرَ مِنْ مُهَاجِرَةِ الْحَبَشَةِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ.
পৃষ্ঠা - ১৯৩৬
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَهُوَ يُصَلِّي، فَيَرُدُّ عَلَيْنَا، فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ عِنْدِ النَّجَاشِيِّ سَلَّمْنَا عَلَيْهِ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْنَا، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَيْكَ فَتَرُدُّ عَلَيْنَا، قَالَ: " إِنَّ فِي الصَّلَاةِ شُغُلًا» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ أُخَرَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَهُوَ يُقَوِّي تَأْوِيلَ مَنْ تَأَوَّلَ حَدِيثَ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ الثَّابِتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ": «كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى نَزَلَ قَوْلُهُ {وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ} [البقرة: 238] فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ، وَنُهِينَا عَنِ الْكَلَامِ» . عَلَى أَنَّ الْمُرَادَ جِنْسُ الصَّحَابَةِ ; فَإِنَّ زَيْدًا أَنْصَارِيٌّ مَدَنِيٌّ، وَتَحْرِيمُ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ ثَبَتَ بِمَكَّةَ، فَتَعَيَّنَ الْحَمْلُ عَلَى مَا تَقَدَّمَ، وَأَمَّا ذِكْرُهُ الْآيَةَ وَهِيَ مَدَنِيَّةٌ فَمُشْكِلٌ، وَلَعَلَّهُ اعْتَقَدَ أَنَّهَا الْمُحَرِّمَةُ لِذَلِكَ، وَإِنَّمَا كَانَ الْمُحَرِّمُ لَهُ غَيْرَهَا مَعَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১৯৩৭


যায়দ ইবন আরকামের (রা) হাদীছে “আমরা কথা বলতাম” অংশে আমরা দ্বারা সকল
সাহাবীকে বুঝানাের ব্যাথ্যাকে জোরালো করে ৷

সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ ঘৃসলিমে বর্ণিত যায়দ ইবন আরকাম (বা) এর হাদীছ এই ং তিনি
বলেছেন ইরু৩ তাপুর্বে আমরা নামাযের মধ্যে বাক্যালাপ করতাম ৷ অবশেষে নাযিল হল :
স্পো ধ্দু৷ ৷ স্পে প্রু এএবৎ তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে র্দাড়৷ : বিনীত ভাবে ৷ ( ২ ২৩৮)
এরপর আমাদেরকে নামাযের মধ্যে কথাবার্তা বলতে নিষেধ করা হল এবং নীরবতা অবলম্বনের
নির্দেশ দেয়া হল ৷ আলোচ্য হাদীছে আমরা” শব্দ দ্বারা সকল সড়াহাবাকে বুঝানো হয়েছে ৷
কারণ, হযরত যায়দ ইবন আরকাম (রা) মাদানী ও আনসাৰী সাহৰ্বী ৷ নামাযে কথা বলা নিষিদ্ধ
হয়েছে মর্কী জীবনে ৷ সুতরাং হাদীছে উল্লিখিত “আমরা” শ ব্দের ব্যাখা৷ এটাই এতদ্সক্ষে তার
সংশ্লিষ্ট আয়াত উল্লেখ করার জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বটে ৷ কারণ, এ আয়াত মদীনায় অবতীর্ণ
তবে এর সমাধান এভাবে হতে পারে যে,৩ তিনি ধারণা করেছেন যে, এটিই নামাযে বকাোলাপ
নিষিদ্ধকারী আয়াত ৷ কিত্তু মুলত নামাযে কথা নিষিদ্ধকারী আয়াত এটি সহ অনা একটি
আয়াতও রয়েছে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, প্রথম অবস্থায় যে সকল মুসলমান মুশরিকদের অত্যাচার থেকে
আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে প্রভাবশালী মুশরিক ব্যক্তিদের আশ্রয়ে গিয়েছিলেন র্তাদের একজন হলেন
হযরত উছমান ইবন মাযউন (রা) ৷ তিনি ওয়ালীদ ইবন মুগীরা-এর আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন ৷
আবু সালাম৷ ইবন আবদুল আসাদ (রা) আশ্রয় নিয়েছিলেন তার মামা আবু তালিবের নিকট ৷
তার মা বাররা ছিলেন আবদুল মুত্তালিবের কন্যা ৷ উছমান ইবন মাযউন সম্পর্কে সালিহ্ ইবন
ইব্রাহীম ইবন আবদুর রহমান ইবন আ ওফ আমার নিকট নিম্নোক্ত হাদীছ বর্ণনা করেছেন এমন
বর্ণনাকারী থেকে যিনি সরাসরি উছমান ইবন মাযউন থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ উছমান ইবন
মাযউন (রা) যখন দেখলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণ ভীষণ দুঃখ-কষ্ট ও জুলুম
অত্যাচারের মধ্যে দিন গুজরান করছেন আর তিনি ওয়ালীদ ইবন মুগীরার আশ্রয়ে থাকার
কারণে সকাল-সন্ধ্য৷ তথা সর্বক্ষণ নিরাপদে চলাফেরা করছে,ন তখন তিনি আপন মনে বললেন
আল্লাহর কলম, একজন যুশরিক মানুষের আশ্রয়ে থেকে আমার সকালষ্সন্ধ্য৷ অতিবাহিত হচ্ছে
আর আমার সাথী ও দীনী ভাইগণ আল্লাহ পথে নানা দুঃখ-কষ্ট ভোগ করছেন যা আমার
উপর আপতিত হচ্ছে না ৷ এটি নিশ্চয়ই আমার ঈমানের দৃর্বলতা ও আমলের ত্রুটি ৷ এরপর
তিনি ওয়ালীদ ইবন মুগীরার নিকট গেলেন ৷৩ তাকে বললেন হে আবু আবদ শামস৷ আপনি
আপনার যিম্মাদারী পালন করেছেন ৷ আপনার আশ্রয় গ্রহণ করে আমাকে রক্ষার যে দায়িতৃ আমি
আপনাকে দিয়েছিলাম সেটি আমি এখন প্রত্যাহার করে নিলাম ৷ তিনি বললেন ভাতিজা তুমি
কেন তা করছ ? আমার সম্প্রদায়ের কেউ তে ৷মাকে কষ্ট দিয়েছে বলে কি ? উছমান (রা)
বললেন, না, তা নয় ৷ বরং আমি আল্লাহ তা আলার আশ্রমে যেতে আগ্রহী হয়েছি ৷ আল্লাহ
তাআলার আশ্রয় ব্যতীত অন্য কারো নিকট আশ্রয় গ্রহণে আমি রাযী নই ৷ তিনি বললেন, তবে
মসজিদে চল এবং সেখানে জনসমক্ষে আমার আশ্রয় প্রত্যাহারের ঘোষণা দিবে- যেমনটি
আমি তোমাকে আশ্রয়ে নেয়ার কথাটা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলাম ৷


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مِمَّنْ دَخَلَ مَعَهُمْ بِجِوَارِ ; عُثْمَانَ بْنُ مَظْعُونٍ فِي جِوَارِ الْوَلِيدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الْأَسَدِ فِي جِوَارِ خَالِهِ أَبِي طَالِبٍ ; فَإِنَّ أُمَّهُ بَرَّةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَأَمَّا عُثْمَانُ بْنُ مَظْعُونٍ فَإِنَّ صَالِحَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ حَدَّثَنِي، عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ عُثْمَانَ قَالَ: لَمَّا رَأَى عُثْمَانُ بْنُ مَظْعُونٍ مَا فِيهِ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنَ الْبَلَاءِ، وَهُوَ يَرُوحُ وَيَغْدُو فِي أَمَانٍ مِنَ الْوَلِيدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ غُدُوِّي وَرَوَاحِي آمِنًا فِي جِوَارِ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الشِّرْكِ، وَأَصْحَابِي وَأَهْلُ دِينِي يَلْقَوْنَ مِنَ الْبَلَاءِ وَالْأَذَى فِي اللَّهِ مَا لَا يُصِيبُنِي، لَنَقْصٌ كَثِيرٌ فِي نَفْسِي. فَمَشَى إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَا عَبْدِ شَمْسٍ وَفَتْ ذِمَّتُكَ، قَدْ رَدَدْتُ إِلَيْكَ جِوَارَكَ. قَالَ: لِمَ يَا بْنَ أَخِي؟ لَعَلَّهُ آذَاكَ أَحَدٌ مِنْ قَوْمِي؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنِّي أَرْضَى بِجِوَارِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَلَا أُرِيدُ أَنْ أَسْتَجِيرَ بِغَيْرِهِ. قَالَ: فَانْطَلِقْ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَارْدُدْ عَلَيَّ جِوَارِي عَلَانِيَةً كَمَا أَجَرْتُكَ عَلَانِيَةً. قَالَ: فَانْطَلَقَا، فَخَرَجَا حَتَّى أَتَيَا الْمَسْجِدَ، فَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ: هَذَا عُثْمَانُ قَدْ جَاءَ يَرُدُّ عَلَيَّ جِوَارِي. قَالَ: صَدَقَ، قَدْ وَجَدْتُهُ وَفِيًّا كَرِيمَ الْجِوَارِ، وَلَكِنِّي قَدْ أَحْبَبْتُ أَنْ لَا أَسْتَجِيرَ بِغَيْرِ اللَّهِ، فَقَدْ رَدَدْتُ عَلَيْهِ جِوَارَهُ. ثُمَّ انْصَرَفَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَلَبِيدُ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ كِلَابٍ فِي مَجْلِسٍ مِنْ قُرَيْشٍ يَنْشُدُهُمْ، فَجَلَسَ
পৃষ্ঠা - ১৯৩৮


র্তারা দৃ’জনে মসজিদে উপস্থিত হন ৷ ওয়ালীদ ইবন মুগীরা বলল, এ হল উছমান ইবন
মাযউন, আমার আশ্রয় প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার জন্যে এখানে এসেছে ৷ উছমান ইবন
মাযউন বললেন, “ইদ্রড়া, তিনি সত্য বলেছেন ৷ আমি তাকে একজন যথাযথ প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী
ও আশ্রয়দাতারুপে পেয়েছিলাম ৷ কিন্তু এখন আল্লাহ্ তাআলার আশ্রয় ব্যতীত অন্য কারো
আশ্রয় গ্রহণে আমি রাযী নই ৷ তাই এতদ্বারা আমি তার আশ্রয়ের সুযোগ প্রত্যাহার করে
নিলাম ৷” এরপর উছমান (রা) চলে গেলেন ৷ এক জায়গায় দেখলেন, কুরায়শদের এক
মজলিসে করি লাবীদ ইবন রাবীআ ইবন মালিক ইবন জাফর কবিতা পাঠ করছেন ৷ উছমান
ইবন মাযউন তাদের ওখানে বসে পড়লেন ৷ লাবীদ বললেন :


আল্লাহ্ ব্যতীত সব কিছুই বাতিল ও অসার ৷ ’ হযরত উছমান (রা) বলে উঠলেন, ঠিক,
ঠিক, সত্য, সত্য ৷ লাবীদ বললেন ?,
ঠু;া)ইা৷ষ্কৃঠু ৰুাব্লুট্রু ব্লুব্লুর্দুাছুট্রু
সকল নিআমত ও সুখ নিশ্চয়ই তিরােহিত হবে ৷ ’ হযরত উছমান ইবন মাযউন (রা) বলে
উঠলেন, এটি তুমি অসত্য বলেছি বেহেশতের সুখ ও নিআমত তিরােহিত হবে না ৷ লাবীদ
বললেন, হে কুরায়শ সম্প্রদায় ! ণ্তামাদের কোন সাথী তাে আমাকে কোন দািব বাধা দেয়নি কষ্ট
দেয়নি ৷ তোমাদের মধ্যে করে এ নতুন ব্যাপার ঘটল ৷ উপস্থিত এক ব্যক্তি বলল, এ হল মুর্থ
লোকদের মধ্যে একজন ৷ তারা তাদের পিতৃধর্ম ত্যাগ করেছে ৷ তার কথায় আপনি কিছু মনে
করবেন না ৷ উছমান (বা) ওই লোকের কথার প্রতিবাদ করলেন ৷ ক্রমে ক্রমে উভয়ের মধ্যে
উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হল ৷ ওই লোক উঠে হযরত উছমান (রা)-কে চোখে সজােরে
চপেটড়াঘাত করে ৷ তার তা চোখে লাগার চোখ নীল হয়ে যায় ৷ ওয়ালীদ ইবন মুগীরা নিকটে
ছিল ৷ উছমান (রা)-এর উপর অত্যাচার সে দেখছিল ৷ এবার সে বলল, আল্লাহ্র কসম, হে
ভাতিজা৷ তোমার যে চোখে চড় পড়েনি সে চোখ তো ডাগ্যবান ৷ আহ্ তুমি তো একটি সুরক্ষা
ও নিরাপত্তার মধ্যে ছিলে ৷ উছমান বললেন, আল্লাহ্র কলম , আমার অসুস্থ চক্ষুটি আল্লাহ্র পথে
যে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে আমার সুস্থ চক্ষুটি বরং ওইরুপ আঘাত পেতে উন্মুখ ৷ হে আবু আবৃদ
শামৃস, যে মহান সত্তা আপনার চাইতে অধিক শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান আমি এখন তার আশ্রয়ে
রয়েছি ৷ ওয়ালীদ বলল, ভাতিজা৷ তুমি পুনরায় আমার আশ্রয়ে চলে আস, তোমাকে রক্ষার
দায়িত্ব আমাকে দাও ৷ ’ উছমান (রা) বললেন, না তা হয় না ৷ ’

ইবন ইসহাক বলেন, আবু সালড়ামা ইবন আবদুল আসাদ সম্পর্কে আবু ইসহাক ইবন
ইয়াসার আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আবু সালড়ামা (রা) বলেছেন, তিনি যখন আবু
তালিবের আশ্রয় গ্রহণ করলেন, তখন বনু মাখবুমের কতক লোক আবু তালিবের নিকট উপস্থিত
হয় ৷ তারা বলল, হে আবু তালিব! আপনি তো আপনার ভাতিজা মুহাম্মদ (সা) কে আমাদের
হাত থেকে রক্ষা করছেন ৷ এখন আবার আমাদেরই লোক আবু সালড়ামাকে রক্ষা করে বাড়াবাড়ি
করছেন কেন ? তিনি বললেন, যে আমার আশ্রয় কামনা করেছে ৷ সে আমার ডাপ্নে ৷ আমার


مَعَهُمْ عُثْمَانُ فَقَالَ لَبِيدٌ: أَلَا كُلُّ شَيْءٍ مَا خَلَا اللَّهَ بَاطِلُ فَقَالَ عُثْمَانُ: صَدَقْتَ. فَقَالَ لَبِيدٌ: وَكُلُّ نَعِيمٍ لَا مَحَالَةَ زَائِلُ فَقَالَ عُثْمَانُ: كَذَبْتَ ; نَعِيمُ الْجَنَّةِ لَا يَزُولُ. فَقَالَ لَبِيدٌ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، وَاللَّهِ مَا كَانَ يُؤْذَى جَلِيسُكُمْ، فَمَتَى حَدَثَ هَذَا فِيكُمْ؟ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: إِنَّ هَذَا سَفِيهٌ فِي سُفَهَاءَ مَعَهُ، قَدْ فَارَقُوا دِينَنَا، فَلَا تَجِدَنَّ فِي نَفْسِكَ مِنْ قَوْلِهِ. فَرَدَّ عَلَيْهِ عُثْمَانُ حَتَّى شَرِيَ أَمْرُهُمَا فَقَامَ إِلَيْهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ وَلَطَمَ عَيْنَهُ فَخَضَّرَهَا، وَالْوَلِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ قَرِيبٌ يَرَى مَا بَلَغَ عُثْمَانَ فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ يَا بْنَ أَخِي، إِنْ كَانَتْ عَيْنُكَ عَمَّا أَصَابَهَا لَغَنِيَّةً، وَلَقَدْ كُنْتَ فِي ذِمَّةٍ مَنِيعَةٍ. قَالَ: يَقُولُ عُثْمَانُ: بَلْ وَاللَّهِ إِنَّ عَيْنِيَ الصَّحِيحَةَ لَفَقِيرَةٌ إِلَى مِثْلِ مَا أَصَابَ أُخْتَهَا فِي اللَّهِ، وَإِنِّي لَفِي جِوَارِ مَنْ هُوَ أَعَزُّ مِنْكَ وَأَقْدَرُ يَا أَبَا عَبْدِ شَمْسٍ. فَقَالَ لَهُ الْوَلِيدُ: هَلُمَّ يَا بْنَ أَخِي إِنْ شِئْتَ إِلَى جِوَارِكَ فَعُدْ. قَالَ: لَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأَمَّا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الْأَسَدِ فَحَدَّثَنِي أَبِي إِسْحَاقُ بْنُ يَسَارٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ لَمَّا اسْتَجَارَ بِأَبِي طَالِبٍ مَشَى إِلَيْهِ رِجَالٌ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ، فَقَالُوا لَهُ: يَا أَبَا طَالِبٍ هَذَا مَنَعْتَ مِنَّا ابْنَ أَخِيكَ مُحَمَّدًا، فَمَا لَكَ وَلِصَاحِبِنَا تَمْنَعُهُ مِنَّا،
পৃষ্ঠা - ১৯৩৯


ভাপ্লেকে যদি আমি রক্ষা করতে না পারি, তবে ভাতিজাকেও রক্ষা করতে পারব না ৷ আবু
লাহাব দাড়িয়ে বলল, হে কুরায়শ সম্প্রদায়! আল্লাহ্র কসম, তোমরা কিন্তু এই বয়ােবৃদ্ধ
সম্মানিত লোকটির সাথে খুব বাড়াবাড়ি করছ ৷ তার সম্প্রদায়ের নােকদেরকে আশ্রয় দানের
কারণে তোমরা সবসময় তা ৷র প্রতি আক্রমণাত্মক আচরণ করছ ৷ আল্লাহর কসম, তোমরা হয়ত
একাজ থেকে বিরত থাকবে, নতু বা আমিও তার পক্ষে দাড়াব ৷ তিনি যে দায়িত্ব নিয়েছেন সে
দায়িত্ব পালনে আমি তার সাহায্যকারী হব যাতে করেত তার ইচ্ছা পুরণ হয় ৷” ওরা বলল, হে
আবু উ৩ব৷ ! আপনি যা অপসন্দ করেন, আমরা বরং তা থেকে বিরত থাকব’ ৷ মুলত আবু
লাহাব রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর বিরুদ্ধে ওই লোকদের পরামর্শদাত৷ ও সাহায্যকারী ছিল ৷ ফলে
রতা৷ ততটুকুভেই থেমে যায় ৷

আবু লাহাবের বক্তব্য শুনে আবু তালিব তার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন এবং তিনি আশা
করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পক্ষে আবু লাহাব তাকে সাহায্য করবে ৷ এ প্রেক্ষিতে আবু
তড়ালিবকে এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে সাহায্য করার জ়ন্যে আবু লাহাবকে উৎসাহিত করে আবু
তালিব নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেন০ ং
এেঞ্জো ৮)া
যে ব্যক্তির চাচা আবু উতায়বা, নিশ্চয় সে ব্যক্তি এমন এক বাগানে অবস্থান করে যেখানে
তার উপর কোন জুলুম-অত্যাচার করার কল্পনাও করা যায় না ৷
আমি তাকে বলছি, অবশ্য আমার উপদেশ সে কতটুকু মেনে চলবে তা জা ৷নি না, হে আবু
মুঅ আ ৷ব, তোমার বং শ ও গো ত্রকে তুমি সঠিক ও নিরাপদ রাখ ৷
তুমি যতদিন জীবিত থাকবে ততদিন যুগের মধ্যে এমন কোন কালিমা ও মন্দ চিহ্ন যেন না
পড়ে যদ্দারা তোমাকে এই বলে গালমন্দ করা হবে যে, যথা সময়ে তুমি যুদ্ধের ময়দানে অবতীর্ণ
হওনি ৷
দ্রৰু১প্প ’ চুা১১
কাউকে অক্ষম বানিয়ে দেয়ার দক্ষতা অন্যের নিকট থেকে দুরে সরিয়ে দাও, অর্থাৎ এই
কৃতিত্ব অন্যের হাতে তুলে দিও না ৷ কারণ, অক্ষমতা মেনে নেয়ার জন্যে অবশ্যই তােমাকে সৃষ্টি
করা হয়নি ৷

এবং যুদ্ধে অবতীর্ণ হও ৷ কারণ যুদ্ধই ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে ৷ যুদ্ধবাজ মানুষদেরকে তুমি
কখনো দেখবে না যে, আত্মসমর্পণে বাধ্য করা ব্যতীত তারা অনুগত হয়েছে ৷


قَالَ: إِنَّهُ اسْتَجَارَ بِي وَهُوَ ابْنُ أُخْتِي، وَإِنْ أَنَا لَمْ أَمْنَعِ ابْنَ أُخْتِي، لَمْ أَمْنَعِ ابْنَ أَخِي، فَقَامَ أَبُو لَهَبٍ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، وَاللَّهِ لَقَدْ أَكْثَرْتُمْ عَلَى هَذَا الشَّيْخِ، مَا تَزَالُونَ تَتَوَاثَبُونَ عَلَيْهِ فِي جِوَارِهِ مِنْ بَيْنِ قَوْمِهِ، وَاللَّهِ لَتَنْتَهُنَّ أَوْ لَنَقُومَنَّ مَعَهُ فِي كُلِّ مَا قَامَ فِيهِ، حَتَّى يَبْلُغَ مَا أَرَادَ. قَالَ: فَقَالُوا: بَلْ نَنْصَرِفُ عَمَّا تَكْرَهُ يَا أَبَا عُتْبَةَ. وَكَانَ لَهُمْ وَلِيًّا وَنَاصِرًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَبْقَوْا عَلَى ذَلِكَ، فَطَمِعَ فِيهِ أَبُو طَالِبٍ حِينَ سَمِعَهُ يَقُولُ مَا يَقُولُ، وَرَجَا أَنْ يَقُومَ مَعَهُ فِي شَأْنِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ أَبُو طَالِبٍ يُحَرِّضُ أَبَا لَهَبٍ عَلَى نُصْرَتِهِ وَنُصْرَةِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: وَإِنَّ امْرَأً أَبُو عُتَيْبَةَ عَمُّهُ ... لَفِي رَوْضَةٍ مَا أَنْ يُسَامُ الْمَظَالِمَا أَقُولُ لَهُ وَأَيْنَ مِنْهُ نَصِيحَتِي ... أَبَا مُعْتِبٍ ثَبِّتْ سَوَادَكَ قَائِمَا وَلَا تَقْبَلَنَّ الدَّهْرَ مَا عِشْتَ خُطَّةً ... تُسَبُّ بِهَا إِمَّا هَبَطْتَ الْمُوَاسِمَا وَوَلِّ سَبِيلَ الْعَجْزِ غَيْرَكَ مِنْهُمُ ... فَإِنَّكَ لَمْ تُخْلَقْ عَلَى الْعَجْزِ لَازِمَا وَحَارِبْ فَإِنَّ الْحَرْبَ نِصْفٌ وَلَنْ تَرَى ... أَخَا الْحَرْبِ يُعْطِي الْخَسْفَ حَتَّى يُسَالَمَا وَكَيْفَ وَلَمْ يَجْنُوا عَلَيْكَ عَظِيمَةً ... وَلَمْ يَخْذُلُوكَ غَانِمًا أَوْ مُغَارِمَا جَزَى اللَّهُ عَنَّا عَبْدَ شَمْسٍ وَنَوْفَلًا ... وَتَيْمًا وَمَخْزُومًا عُقُوقًا وَمَأْثَمَا بِتَفْرِيقِهِمْ مِنْ بَعْدِ وُدٍّ وَأُلْفَةٍ ... جَمَاعَتَنَا كَيْمَا يَنَالُوا الْمَحَارِمَا
পৃষ্ঠা - ১৯৪০
كَذَبْتُمْ وَبَيْتِ اللَّهِ نُبْزَى مُحَمَّدًا وَلَمَّا تَرَوْا يَوْمًا لَدَى الشِّعْبِ قَائِمَا قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَبَقِيَ مِنْهَا بَيْتٌ تَرَكْنَاهُ.