আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل تعذيب قريش للمسلمين لاتباعهم النبي عليه الصلاة والسلام

পৃষ্ঠা - ১৮৫৪


করতেন ৷ এরকম আরো অনেক প্রকারে তারা মুসলমানদের উপর নির্যাতন চালাত ৷ এ সম্পর্কে
ইবন ইসহাক ও অন্যান্যদের দ্বারা বর্ণিত হাদীছগুলাে আমরা ইতোপুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ এ
সকল অত্যাচার নির্যা৩ নের প্রেক্ষাপটে মুসলমানগণ রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট অনুরোধ

জানিয়েছিলেন তিনি যেন মুশারিকদের বিরুদ্ধে আল্লাহ্র নিকট বদ দু আ করেন ৷ অথবা এ দু আ
করেন যে, আল্লাহ্ যেন মুসলমানদের বিজয় দান করেন ৷ তিনি এ দৃআ করবেন বলে
মুসলমানদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তিনি দৃআ করেননি বরং
পুর্ববর্তী ঈমানদারদের ইতিহাস ও ঘটনা উল্লেখ করেছেন যে, তারা আরো কঠোর ও
কঠিন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ৷ কিন্তু তবুত তারা দীন থেকে বিচ্যুত হননি ৷ প্রসঙ্গক্রমে
তিনি মুসলমানদেরকে ঐ সুসং বাদ দেন যে, দীন ই ইসলামকে আল্লাহ তা আলা অতিসতৃর
পুংতিা দা ন করবেন ৷ এটিকে রিশ্বময় প্রচারিত ও প্রসারিত করবেন এবং দেশে দেশে এ ধর্মকে
এবং ঐ ধর্মের অনুসারীদেরকে সাহায্য করবেন ৷ অবশেষে এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি হবে যে,
সওয়ারী ও মুসাফির ব্যক্তি সান আ থেকে হাদরামাউত পর্যন্ত দীর্ঘপথ পাড়ি দিবে একমাত্র

আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ভয় তার অম্ভরে থাকবে না ৷ এমনকি তার বকরীপালের উপর
বাঘের আক্রমণেরও আশংকা থাকবে না ৷ তবে তিনি তাদেরকে বলেছেন যে, তোমরা তাড়াহুড়া
কবছ ৷ এ প্রেক্ষাপটে বর্ণনাকারী বলেছেন যে, আমাদের মুখে ও হাতে প্রচণ্ড তাপ লাগার কথা
অভিযোগ আকারে আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পেশ করি ৷ তিনি আমাদের
অভিযোগ নিরসনে তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা নেননি ৷ অর্থাৎ ওই কঠিন সময়ে আমাদের জন্যে
দৃআাকরেননি !

এ হাদীছের আলোকে যারা একথা বলেন যে, যুহরের নামায আদায়কালে সুর্যতাপে
শীতলতা আমার মত বিলন্ব করা সমীচীন নয় এবং যারা একথা বলেন যে, নামাষের মধ্যে
সিজদার সময় মাটিতে হাত রাখা ওয়াজিব, তাদের বক্তব্য সংশয়মুক্ত নয় ৷ এটি ইমাম শাফিঈ
(র)-এর দুটো অভিমতের একটি ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিরুদ্ধে মুশরিকদের তর্ক-বিতর্ক

তাদের প্রত্যুত্তরে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর য়থোপযুক্ত প্রমাণ পেশ এবং পোড়ামি, হিংসা,
সত্যদ্রোহিতা ও প্রত্যাথ্যানমুলক মানসিকতার তাড়নায় প্রকাশ্যে তারা সত্য আীকার করলেও
মনে মনে তাদের সত্য উপলব্ধি ও সাত তারাীকৃতি প্রদা ন সংক্রান্ত বিবরণ নিম্নে দেয়া হলো ৷

ইসহাক ইবন রাহ্ওয়ায়হ বলেন, আবদুর রায্যাক (বা) হযরত ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে

ন্ব্ করেন ৷ তিনি বলেন, একদা ওয়ালীদ ইবন মুগীরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট উপস্থিত
নিা; তাকে কুরআন পাঠ করে শো নান ৷ তাতে সে কুরআনের প্রতি কিছুটা আকৃষ্ট ও বিন্মা

হয়ে পড়ে এ সংবাদ আবু জা হ্লের নিকট পৌছে যায় ৷ সে ওয়ালীদের নিকট এসে বলে, চাচা
আপনার গোত্রের লোকেরা আপনার জন্যে কিছু মালামাল সংগ্রহ করতে চাচ্ছে ৷ ওয়ালীদ বলল,
কেন কী হয়েছে ? সে বলল, আপনাকে দেখার জন্যে ৷ কারণ, আপনি র্মুহাষ্মদের নিকট
গিয়েছেন আপনার পুর্ব ধর্মমত পরিত্যাগ করার জন্যে ৷ ওয়ালীদ বলল, কুরায়শের লোকজন
তো জানে যে, আমি তাদের অন্যতম ধনাঢব্র ব্যক্তি ৷ তাহলে ধন-সম্পদের আমার প্রয়োজন কী ?


[فَصْلٌ تَعْذِيبُ قُرَيْشٍ لِلْمُسْلِمِينَ لِاتِّبَاعِهِمُ النَّبِيَّ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّهُمْ عَدَوْا عَلَى مَنْ أَسْلَمَ وَاتَّبَعَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنْ أَصْحَابِهِ، فَوَثَبَتْ كُلُّ قَبِيلَةٍ عَلَى مَنْ فِيهَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَجَعَلُوا يَحْبِسُونَهُمْ وَيُعَذِّبُونَهُمْ بِالضَّرْبِ وَالْجُوعِ وَالْعَطَشِ، وَبِرَمْضَاءِ مَكَّةَ إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ ; مَنِ اسْتَضْعَفُوهُ مِنْهُمْ، يَفْتِنُونَهُمْ عَنْ دِينِهِمْ، فَمِنْهُمْ مَنْ يُفْتَنُ مِنْ شِدَّةِ الْبَلَاءِ الَّذِي يُصِيبُهُمْ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَصْلُبُ لَهُمْ، وَيَعْصِمُهُ اللَّهُ مِنْهُمْ، فَكَانَ بِلَالٌ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ لِبَعْضِ بَنِي جُمَحَ مُوَلَّدًا مِنْ مُوَلَّدِيهِمْ، وَهُوَ بِلَالُ بْنُ رَبَاحٍ وَكَانَ اسْمُ أُمِّهِ حَمَامَةَ، وَكَانَ صَادِقَ الْإِسْلَامِ، طَاهِرَ الْقَلْبِ، وَكَانَ أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ يُخْرِجُهُ إِذَا حَمِيَتِ الظَّهِيرَةُ، ثُمَّ يَأْمُرُ بِالصَّخْرَةِ الْعَظِيمَةِ فَتُوضَعُ عَلَى صَدْرِهِ، ثُمَّ يَقُولُ لَهُ: لَا وَاللَّهِ لَا تَزَالُ هَكَذَا حَتَّى تَمُوتَ، أَوْ تَكْفُرَ بِمُحَمَّدٍ، وَتَعْبُدَ اللَّاتَ وَالْعُزَّى. فَيَقُولُ وَهُوَ فِي ذَلِكَ: أَحَدٌ أَحَدٌ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فَحَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَ وَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلٍ يَمُرُّ بِهِ وَهُوَ يُعَذَّبُ بِذَلِكَ، وَهُوَ يَقُولُ: أَحَدٌ أَحَدٌ، فَيَقُولُ: أَحَدٌ أَحَدٌ وَاللَّهِ يَا بِلَالُ. ثُمَّ يُقْبِلُ عَلَى أُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ وَمَنْ يَصْنَعُ ذَلِكَ بِهِ مِنْ بَنِي جُمَحَ، فَيَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ১৮৫৫


আবুজাহ্ল বলল, তাহলে আপনার গোত্রের উদ্দেশ্যে আপনি এমন একটি জোরালো বক্তব্য
পেশ করুন যাতে তারা বুঝতে পারে যে, আপনি মুহাম্মদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করেন ৷ ওয়ালীদ
বলল, আমি কী বলব ? আল্লাহর কসম, তোমাদের মধ্যে কেউই গীতিকাব্য, ছন্দ, কাসীদা এবং
জিনদের কবিতা সম্পর্কে আমার চেয়ে অধিক অবগত নয়, আল্লাহ কসম, মুহাম্মদ যা বলছে তা
তো ওগুলাের কো ৷নটির সাথেই মিলছে না ৷ আল্লাহ্র কসম , সে যা বলছে তার মধ্যে এক বিশেষ
মাধুর্য রয়েছে, তাতে রয়েছে আকর্ষণ ৷৩ তার উপরের অং শ ফলবান অ র নীচের অং শ পানিসিক্ত ৷
সে অবশ্যই বিজয়ী হতে থাকবে, বিজিত হবে না ৷৩ তার বিপরীতে যা আছে ত যে সব কিছুকে যে
ভেঙ্গে চুরমার করে দিবে ৷

আবু জাহ্ল বলল, আপনি তার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য না করা পর্যন্ত আপনার গোত্রের
লোকেরা আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না ৷ ওয়ালীদ বলল, ঠিক আছে, অপেক্ষা কর, আমি একটু
ভেবে নিই ৷ তােব-চিস্তে সে বলল, এটি অন্য করো নিকট থেকে প্রাপ্ত জাদৃ ব্যতীত কিছু নয় ৷
এ প্রেক্ষিতে ন যিল হয়০ : ৰু,ট্রু ;, ৷র্দুট্রু ৰুা৷ ব্লু ’;া১;ৰু , ৷ ; ট্রুাছুঠু ;,;; ,;;;
াটুপ্ঠু: অ আমাকে ছেড়ে দাও এবং তাকে, যাকে আমি সৃষ্টি করেছি অসাধারণ করে ৷ আমি
তাকে দিয়েছি বিপুল ধন সম্পদ এবং নিত্যসং গী পুত্রগণ (৭৪ : ১ ১-১৩) ৷ বায়হাকী (র)
হাকিম ইসহাক সুত্রে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

হাম্মাদ ইবন যায়দ আইয়ুব সুত্রে ইকরিমা থেকে মুরসাল পদ্ধতিতে হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷ উক্ত বর্ণনায় আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওয়ালীদের নিকট এ আয়াত পাঠ
করেছিলেন :

fl ’fl ’ ’হুর্শি §
র্টৰু ব্লুা৷ ৷ ;, ৷


আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি নিষেধ
করেন অশ্লীলত ৷, অসৎ কার্য ও সীমালং ঘন ৷ তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন যাতে তোমরা
শিক্ষা গ্রহণ কর (১৬০ : ৯০) ৷

বায়হাকী (র) হাকিম ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একদা ওয়ালীদ
ইবন মুপীরা এবং কুরায়শের কতক নেতৃস্থানীয় লোক একন্থানে মিলিত হয় ৷ উপস্থিত লোকদের
মধ্যে যে ছিল বয়ােবৃদ্ধ ৷ তখন হব্লুজ্জর মওসুম নিকটবর্তী ছিল ৷ যে প্রস্তাব করল যে, আরবের
বিভিন্ন প্রতিনিধিদল এ সময়ে তোমাদের নিকট আসবে ৷ তোমাদের প্রতিপক্ষ মুহাম্মদের কথা
তো তারা জেনেছে ৷ সুতরাং তার ব্যাপারে তোমরা একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর ৷ তার
সম্পর্কে কেউ জিজ্ঞেস করলে সকলে একই কথা বলবে ৷ একেক জন একেক কথা বলবে না
যাতে করে একজনের কথায় আরেকজন মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হও এবং একজনের কথা
অপরজনের কথাকে বাতিল করে দেয় ৷

তারা বলল, হে আবু আবৃদ শামস ! আপনিই একটি সিদ্ধান্ত দিয়ে দিন ৷ আমরা সবাই তাই
ফ্লোন নেবে৷ ৷ সে বলল, না, তােমরাই বরং প্রস্তাব পেশ কর, আমি শুনি ৷ তারা বলল, আমরা

৬াশ্রোা৪গাে০০০া৷া
১৬ —— ং

أَحْلِفُ بِاللَّهِ، لَئِنْ قَتَلْتُمُوهُ عَلَى هَذَا لَأَتَّخِذَنَّهُ حَنَانًا. قُلْتُ: قَدِ اسْتَشْكَلَ بَعْضُهُمْ هَذَا مِنْ جِهَةِ أَنَّ وَرَقَةَ تُوُفِّيَ بَعْدَ الْبَعْثَةِ فِي فَتْرَةِ الْوَحْيِ، وَإِسْلَامِ مَنْ أَسْلَمَ إِنَّمَا كَانَ بَعْدَ نُزُولِ {يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ} [المدثر: 1] فَكَيْفَ يَمُرُّ وَرَقَةُ بِبِلَالٍ وَهُوَ يُعَذَّبُ؟ وَفِيهِ نَظَرٌ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ مُرُورَ أَبِي بَكْرٍ بِبِلَالٍ وَهُوَ يُعَذَّبُ، فَاشْتَرَاهُ مِنْ أُمَيَّةَ بِعَبْدٍ لَهُ أَسْوَدَ، فَأَعْتَقَهُ وَأَرَاحَهُ مِنَ الْعَذَابِ، وَذَكَرَ مُشْتَرَاهُ لِجَمَاعَةٍ مِمَّنْ أَسْلَمَ مِنَ الْعَبِيدِ وَالْإِمَاءِ ; مِنْهُمْ بِلَالٌ وَعَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ وَأُمُّ عُبَيْسٍ، وَزِنِّيرَةُ الَّتِي أُصِيبَ بَصَرُهَا ثُمَّ رَدَّهُ اللَّهُ تَعَالَى لَهَا، وَالنَّهْدِيَّةُ وَابْنَتُهَا اشْتَرَاهُمَا مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ، بَعَثَتْهُمَا سَيِّدَتُهُمَا تَطْحَنَانِ لَهَا، فَسَمِعَهَا وَهِيَ تَقُولُ لَهُمَا: وَاللَّهِ لَا أُعْتِقُكُمَا أَبَدًا. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: حِلًّا يَا أُمَّ فُلَانٍ. فَقَالَتْ: حِلًّا، أَنْتَ أَفْسَدْتَهُمَا فَأَعْتِقْهُمَا. قَالَ: فَبِكَمْ هُمَا؟ قَالَتْ: بِكَذَا وَكَذَا. قَالَ: قَدْ أَخَذْتُهُمَا، وَهُمَا حُرَّتَانِ، أَرْجِعَا إِلَيْهَا طَحِينَهَا. قَالَتَا: أَوْ نَفْرَغُ مِنْهُ يَا أَبَا بَكْرٍ ثُمَّ نَرُدُّهُ إِلَيْهَا؟ قَالَ: ذَلِكَ إِنْ شِئْتُمَا: وَاشْتَرَى جَارِيَةً بَنِي مُؤَمَّلٍ حَيٌّ مِنْ بَنِي عَدِيٍّ كَانَ عُمَرُ يَضْرِبُهَا عَلَى الْإِسْلَامِ.
পৃষ্ঠা - ১৮৫৬
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ بَعْضِ أَهْلِهِ، قَالَ: قَالَ أَبُو قُحَافَةَ لِأَبِي بَكْرٍ: يَا بُنَيَّ، إِنِّي أَرَاكَ تَعْتِقُ ضِعَافًا، فَلَوْ أَنَّكَ إِذْ فَعَلْتَ مَا فَعَلْتَ أَعْتَقْتَ رِجَالًا جُلَدَاءَ يَمْنَعُونَكَ وَيَقُومُونَ دُونَكَ. قَالَ: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا أَبَتِ إِنِّي إِنَّمَا أُرِيدُ مَا أُرِيدُ. قَالَ: فَيُتَحَدَّثُ أَنَّهُ مَا أُنْزِلَ هَؤُلَاءِ الْآيَاتُ إِلَّا فِيهِ وَفِيمَا قَالَ أَبُوهُ {فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى} [الليل: 5] إِلَى آخِرِ السُّورَةِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ عَنْ زِرٍّ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: أَوَّلُ مَنْ أَظْهَرَ الْإِسْلَامَ سَبْعَةٌ ; رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَبُو بَكْرٍ وَعَمَّارٌ وَأُمُّهُ سُمَيَّةُ، وَصُهَيْبٌ وَبِلَالٌ وَالْمِقْدَادُ فَأَمَّا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَمَنَعَهُ اللَّهُ بِعَمِّهِ وَأَبُو بَكْرٍ مَنَعَهُ اللَّهُ بِقَوْمِهِ، وَأَمَّا سَائِرُهُمْ فَأَخَذَهُمُ الْمُشْرِكُونَ فَأَلْبَسُوهُمْ أَدْرَاعَ الْحَدِيدِ، وَصَهَرُوهُمْ فِي الشَّمْسِ، فَمَا مِنْهُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا وَقَدْ وَاتَاهُمْ عَلَى مَا أَرَادُوا إِلَّا بِلَالًا فَإِنَّهُ هَانَتْ عَلَيْهِ نَفْسُهُ فِي اللَّهِ تَعَالَى، وَهَانَ عَلَى قَوْمِهِ، فَأَخَذُوهُ فَأَعْطَوْهُ الْوِلْدَانَ، فَجَعَلُوا يَطُوفُونَ بِهِ فِي شِعَابِ مَكَّةَ وَهُوَ يَقُولُ: أَحَدٌ أَحَدٌ. وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ مُجَاهِدٍ مُرْسَلًا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ «: وَكَانَتْ بَنُو مَخْزُومٍ يَخْرُجُونَ بِعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ وَبِأَبِيهِ
পৃষ্ঠা - ১৮৫৭


তাকে গণক বলব ৷ সে বলল না, সেভাে গণক নয় ৷ আমি গণকদেরকে দেখেছি ৷ তার পেশ
করা বাণী গণকদের মত্রের ধ্বনির মত নয় ৷ তারা বলল, আমরা তাকে জিনগ্রস্ত বলব ৷ সে
বলল, আমি জিনগ্রস্ত ব্যক্তিদেরকে দেখেছি এবং সে সম্পর্কে আমার প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে ৷
তার কথা ৷কিন্তু জিনগ্রস্ত লোকের প্রলাপও নয় তালমন্দের মিশ্রণও নয় ৷ তারা বলল, তাহলে
আমরা তাকে কবি বলব ৷ সে বলল, সেতে তা কবি নয় ৷ প্রশং সাগীতি, নিন্দাগীতি , ছোট কবিতা ও
বড় কবিতাসহ সকল প্রকারের কবিতা সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা ৷রয়ােছ ৷ তার বক্তব্য তো
কবিতা নয় ৷ তারা বলল, তাহলে আমরা তাকে জাদুকর বলব ৷ সে বলল, সে তো জাদুকর
নয় ৷ আমি জাদুকরদেরকেও দেখেছি, তাদের জাদুও দেখেছি ৷ তার বাণী জাদুমন্ত্র নয় ৷
জাদৃকরের পিট দেয়াও নয় ৷
তারা বলল, হে আবু আবৃদ শামস্৷ তাহলে আমরা তাকে কী বলব ? সে বলল , আল্লাহর
কসম, তার কথায় একটি বিশেষ মাধুর্য রয়েছে ৷ সেটির গোড়ার দিক হল রসসিক্ত ৷ আর শাখা
প্রশাখা হল ফল সমৃদ্ধ ৷ তার সম্পর্কে তোমরা উপরোক্ত মউব্যগুলাের যেটিই বল তাতে সবাই
বুঝে নিয়ে যে, তোমাদের কথা মিথ্যা ৷ তবে তাকে জাদুকর বলাটাই অধিকতর যুক্তিসৎগত ৷
সুতরাং তোমরা সকলে তাকে এমন জাদুকর বলবে যে মানুষকে ধর্ম, তার পিতৃপুরুষ, তার শ্রী
তার ভাই ওত তার জ্ঞাতিগােষ্ঠীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেয় ৷ এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর তারা
ওয়া ৷লীদের কাছ থেকে বিদায় নেয় ৷ পরবর্তীতে তারা ণ্লাকজনের অপেক্ষায় থাকে ৷

অবশেষে হজ্জ মওসুম উপস্থিত হয় ৷ তাদের পাশ দিয়ে যারাই যেত তারা ওদেরকে মুহাম্মদ
(সা) সম্পর্কে সতর্ক করে দিত এবং তার সম্পর্কে অসত্য কথা শুনাত ৷ এ প্রেক্ষিতে ওয়ালীদ
সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআল৷ এ আয়াত নাযিল করেন : ৰুৰ্ট্রু৷ ’;দুছু ধ্ ৷১ট্রু , ণ্া১ ট্রু,;;, :,;”);
াৰুটুধ্ৰুদ্বু ;,;;;’, ৷ৰুটুৰুধ্ট্রুহু খুারু আমাকে ছেড়ে দাও এবং তাকে য়াকে আমি সষ্টি কর্বুরছি
অসাধারণ করে ৷ আমি তাকে দিয়েছি বিপুল ধন সম্পদ এবং নিত্যসৎপী পুত্রগণ ( ৭৪ :
১ ১ ১৩) ৷

ওয়ালীদের আসবে উপস্থিত ওই সকল লোক যারা ৷কুরআন সম্পর্কে জা দু কবিতা ইত্যাদি
কট্রুক্তি করেছে৩ তাদের সম্পর্কে নাযিল হল ৷টু১াৰু
টুরুণ্-ংগ্ঠু সুতরাং শপথ আপনার প্রতিপা ৷লকের, আমি ওদের সকলকে প্রশ্ন করবই সে বিষয়ে৷ যা
ওরাকরে (১৫ং ৯২) ৷

আমি বলি, ওদের অজ্ঞতা ও নির্বুদ্ধিতামুলক মন্তব্য সম্পর্কে অবহিত করে আল্লাহ তাআলা
বলেন :

প্রুটু’৷ এে ৷ ’াটুট্রুঢ়র ট্রুাঠু
তারা এও বলে, এটি অলীক কল্পনা হয়ত সে উদ্ভাবন করেছে, না হয় সে একজন কবি ৷
অতএব, সে আনয়ন করুক আমাদের নিকট এক নিদর্শন যেরুপ নিদর্শনসহ প্রেরিত হয়েছিল


وَأُمِّهِ وَكَانُوا أَهْلَ بَيْتِ إِسْلَامٍ إِذَا حَمِيَتِ الظَّهِيرَةُ يُعَذِّبُونَهُمْ بِرَمْضَاءِ مَكَّةَ، فَيَمُرُّ بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَيَقُولُ فِيمَا بَلَغَنِي: صَبْرًا آلَ يَاسِرٍ مَوْعِدُكُمُ الْجَنَّةُ» وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عِصْمَةَ الْعَدْلِ حَدَّثَنَا السَّرِيُّ بْنُ خُزَيْمَةَ حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ أَبِي عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مَرَّ بِعَمَّارٍ وَأَهْلِهِ وَهُمْ يُعَذَّبُونَ، فَقَالَ: " أَبْشِرُوا آلَ عَمَّارٍ وَآلَ يَاسِرٍ، فَإِنَّ مَوْعِدَكُمُ الْجَنَّةُ ".» فَأَمَّا أُمُّهُ فَقَتَلُوهَا ; تَأْبَى إِلَّا الْإِسْلَامَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: أَوَّلُ شَهِيدٍ كَانَ فِي الْإِسْلَامِ اسْتُشْهِدَ أُمُّ عَمَّارٍ سُمَيَّةُ، طَعَنَهَا أَبُو جَهْلٍ بِحَرْبَةٍ فِي قُبُلِهَا. وَهَذَا مُرْسَلٌ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ أَبُو جَهْلٍ الْفَاسِقُ الَّذِي يُغْرِي بِهِمْ فِي رِجَالٍ مِنْ قُرَيْشٍ، إِذَا سَمِعَ بِالرَّجُلِ قَدْ أَسْلَمَ لَهُ شَرَفٌ وَمَنَعَةٌ، أَنَّبَهُ وَخَزَّاهُ، وَقَالَ: تَرَكْتَ دِينَ أَبِيكَ، وَهُوَ خَيْرٌ مِنْكَ، لَنُسَفِّهَنَّ حِلْمَكَ، وَلَنُفَيِّلَنَّ رَأْيَكَ،
পৃষ্ঠা - ১৮৫৮
وَلَنَضَعَنَّ شَرَفَكَ. وَإِنْ كَانَ تَاجِرًا قَالَ: وَاللَّهِ لَنُكْسِدَنَّ تِجَارَتَكَ، وَلَنُهْلِكَنَّ مَالَكَ. وَإِنْ كَانَ ضَعِيفًا ضَرَبَهُ، وَأَغْرَى بِهِ. لَعَنَهُ اللَّهُ وَقَبَّحَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي حَكِيمُ بْنُ جُبَيْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ: أَكَانَ الْمُشْرِكُونَ يَبْلُغُونَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنَ الْعَذَابِ مَا يُعْذَرُونَ بِهِ فِي تَرْكِ دِينِهِمْ؟ قَالَ: نَعَمْ وَاللَّهِ، إِنْ كَانُوا لَيَضْرِبُونِ أَحَدَهُمْ وَيُجِيعُونَهُ وَيُعَطِّشُونَهُ، حَتَّى مَا يَقْدِرُ أَنْ يَسْتَوِيَ جَالِسًا مِنْ شِدَّةِ الضُّرِّ الَّذِي بِهِ، حَتَّى يُعْطِيَهُمْ مَا سَأَلُوهُ مِنَ الْفِتْنَةِ، حَتَّى يَقُولُوا لَهُ: اللَّاتُ وَالْعُزَّى إِلَهُكَ مِنْ دُونِ اللَّهِ؟ فَيَقُولُ: نَعَمْ. افْتِدَاءً مِنْهُمْ ; مِمَّا يَبْلُغُونَ مِنْ جُهْدِهِمْ. قُلْتُ: وَفِي مِثْلِ هَذَا أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ} [النحل: 106] الْآيَةَ [النَّحْلِ: 106] فَهَؤُلَاءِ كَانُوا مَعْذُورِينَ بِمَا حَصَلَ لَهُمْ مِنَ الْإِهَانَةِ وَالْعَذَابِ الْبَلِيغِ. أَجَارَنَا اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ مُسْلِمٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ خَبَّابِ بْنِ الْأَرَتِّ قَالَ: كُنْتُ رَجُلًا قَيْنًا، وَكَانَ لِي عَلَى الْعَاصِ بْنِ وَائِلٍ دَيْنٌ، فَأَتَيْتُهُ أَتَقَاضَاهُ، فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ، لَا أَقْضِيكَ حَتَّى تَكْفُرَ
পৃষ্ঠা - ১৮৫৯


পুর্ববর্তিগণ (২১ং : ৫) ৷ বস্তুত রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে তারা কি বক্তব্য দিয়ে সে বিষয়ে তারা
অস্থির৩ ৷য় ভুগছিল ৷৩ তারা যা ই বলতে চেয়েছে,৩ তা-ই মিথ্যা ও অসতরুপে চিহ্নিত হয়েছে ৷
কারণ, সত্য পথ যে ত্যাগ করে, তার সকল কথা ৷ই ভুল হয় ৷ আল্লাহ্ তাআল৷ বলেন :

দেখুন, ওরা আপনার কী উপমা দেয়! ওরা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং ওরা পথ পাবে
না (১ ৭ : ৪৮) ৷

আরদ ইবন হুমায়দ৩ তার মুসনাদ গ্রন্থে আবু বকর ইবন আবু শায়বা জাবির ইবন
আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, কুরা য়শ বংশের লোকেরা একদিন এক
পরামর্শ সভায় মিলিত হয় ৷ তারা বলল, জাদুবিদ্যা, ৰুজব্বতিষশাস্ত্র এবং কবিতা সম্পর্কে
আমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সব ধিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তাকে খুজে বের কর ৷ সে যেন ওই লোকের
নিকট যায় , যে আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরিয়েছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বিশৃগ্রলা সৃষ্ট করে
দিয়েছে এবং আমাদের ধর্মের নিন্দা করেছে ৷ আমাদের অভিজ্ঞ লোকটি যেন তার সাথে কথা
বলে এবং সে কি উত্তর দেয়৩ তা লক্ষ্য করে ৷ তারা বলল, এ বিষয়ে উতব৷ ইবন রাবীআ ব্যতীত
অন্য কা ৷উকে আমরা উপযুক্ত মনে করছি না ৷ উতবার উদ্দেশ্যে তারা বলল হে আবু ওয়ালীদ
আপনিই এই দায়িত্ব পালন করুন ৷ তখন উতব৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট আসে ৷ সে বলে
হে মুহা ম্মদ৷ তুমি উত্তম, নাকি তোমার পিতা আবদুল্লাহ ? তিনি কিছু না বলে চুপ করে রইলেন ৷
সে এবার বলল, তুমি উত্তম, নাকি আবদুল মুত্তালিব ? তিনি চুপ করে রইলেন ৷ উতব৷ এবার
বলল, তুমি যদি মনে কর যে, তারা তোমার চেয়ে উত্তম ছিলেন, তবে তারা তো সে সব
উপাস্যের উপাসনা করে গিয়েছেন তুমি যেগুলোর নিন্দা করছ ৷ আর তুমি যদি মনে কর যে,
তুমি তাদের তুলনায় উত্তম তবে তুমি তোমার নিজের কথা বল আমরা তা শুনি ৷

আল্লাহ্র কসম নিজ সম্প্রদায়ের জন্যে তুমি যত ক্ষতিকর ও অলক্ষুণেত ততোধিক ক্ষতিকর
ও অলক্ষুণে কাউকে আমরা দেখি না ৷ তুমি আমাদের ঐক্যে ফ টল ধবিয়েছ ৷ আমাদের
সমাজের শৃগ্রল৷ নষ্ট করে দিয়েছ এবং আমাদের ধর্মের নিন্দা করেছ ৷ সমগ্র আরব দেশে এ
কথা ছড়িয়ে পড়েছে যে, কুরায়শ পােত্রে একজন জাদুকরের আবির্ভাব ঘটেছে ৷ একজন গণকের
আগমন ঘটেছে ৷ আল্লাহর কসম, আমরা এখন গর্ভবতী মহিলার প্রাণফাট৷ চীৎকারের ন্যায়
একটি চীৎকারের আশংকায় অস্থির রয়েছি যে চীৎকার শুনে আমাদের একদল অপরদলের উপর
তরবারি হাতে বাপিয়ে পড়বে ৷ ফলে আমরা সবাই ধ্বংস হয়ে যাব ৷ ওহে, তোমার যদি কোন
অভাব-অনটন থাকে, তাহলে আমরা তোমাকে প্রচুর ধন-সম্পদ স ংগ্রহ করে দিব, যাতে তুমি
কুরায়শ বং শের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি হতে পার ৷ তোমার যদি বিয়ে শাদী করার ইচ্ছা ৷থাকে
তবে কুরায়শ বংশের যে মহিলাকে তোমার পসন্দ হয় তার কথা বল, সে রকম দশ জন মহিলা
আমরা তোমার নিকট বিয়ে দিয়ে দিব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আপনার কথা কি শেষ
হয়েছে ? সে বলল, হী৷ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :


بِمُحَمَّدٍ. فَقُلْتُ: لَا وَاللَّهِ لَا أَكْفُرُ بِمُحَمَّدٍ حَتَّى تَمُوتَ، ثُمَّ تُبْعَثَ. قَالَ: فَإِنِّي إِذَا مُتُّ ثُمَّ بُعِثْتُ، جِئْتَنِي وَلِي ثَمَّ مَالٌ وَوَلَدٌ فَأُعْطِيكَ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى {أَفَرَأَيْتَ الَّذِي كَفَرَ بِآيَاتِنَا وَقَالَ لَأُوتَيَنَّ مَالًا وَوَلَدًا} [مريم: 77] إِلَى قَوْلِهِ {وَنَرِثُهُ مَا يَقُولُ وَيَأْتِينَا فَرْدًا} [مريم: 80] [مَرْيَمَ: 77 - 80] أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، وَغَيْرِهِمَا مِنْ طُرُقٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَفِي لَفْظٍ لِلْبُخَارِيِّ: كُنْتُ قَيْنًا بِمَكَّةَ فَعَمِلْتُ لِلْعاصِ بْنِ وَائِلٍ سَيْفًا، فَجِئْتُ أَتَقَاضَاهُ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا بَيَانٌ وَإِسْمَاعِيلُ قَالَا: سَمِعْنَا قَيْسًا يَقُولُ: «سَمِعْتُ خَبَّابًا يَقُولُ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَهُوَ مُتَوَسِّدٌ بِبُرْدَةٍ وَهُوَ فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ، وَقَدْ لَقِينَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ شِدَّةً، فَقَلْتُ أَلَا تَدْعُو اللَّهَ؟ فَقَعَدَ وَهُوَ مُحْمَرُّ الْوَجْهِ، فَقَالَ: " قَدْ كَانَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ لَيُمَشَّطُ بِأَمْشَاطِ الْحَدِيدِ مَا دُونَ عِظَامِهِ مِنْ لَحْمٍ أَوْ عَصَبٍ، مَا يَصْرِفُهُ ذَلِكَ عَنْ دِينِهِ، وَيُوضَعُ الْمِنْشَارُ عَلَى مِفْرَقِ رَأْسِهِ فَيُشَقُّ بِاثْنَتَيْنِ، مَا يَصْرِفُهُ ذَلِكَ عَنْ دِينِهِ، وَلَيُتِمَّنَّ اللَّهُ هَذَا الْأَمْرَ، حَتَّى يَسِيرَ الرَّاكِبُ مِنْ صَنْعَاءَ إِلَى حَضْرَمَوْتَ، مَا يَخَافُ إِلَّا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ ".» زَادَ بَيَانٌ «وَالذِّئْبَ عَلَى غَنَمِهِ» وَفِي
পৃষ্ঠা - ১৮৬০
رِوَايَةٍ: «وَلَكِنَّكُمْ تَسْتَعْجِلُونَ ".» انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَدْ رَوَى مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْ خَبَّابٍ وَهُوَ مُخْتَصَرٌ مِنْ هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَنْ سُفْيَانَ. ح وَابْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ وَهْبٍ عَنْ خَبَّابٍ قَالَ: «شَكَوْنَا إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - شِدَّةَ الرَّمْضَاءِ، فَمَا أَشْكَانَا.» يَعْنِي فِي الصَّلَاةِ، وَقَالَ ابْنُ جَعْفَرٍ: فَلَمْ يُشْكِنَا. وَقَالَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ وَهْبٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ خَبَّابًا يَقُولُ: «شَكَوْنَا إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - شِدَّةَ الرَّمْضَاءِ، فَلَمْ يُشْكِنَا.» قَالَ شُعْبَةُ: يَعْنِي فِي الظُّهْرِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالنَّسَائِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ وَهْبٍ عَنْ خَبَّابٍ قَالَ: «شَكَوْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَرَّ الرَّمْضَاءِ. زَادَ الْبَيْهَقِيُّ: فِي وُجُوهِنَا وَأَكُفِّنَا، فَلَمْ يُشْكِنَا.» وَفِي رِوَايَةٍ «: شَكَوْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الصَّلَاةَ فِي الرَّمْضَاءِ، فَلَمْ يُشْكِنَا.» وَرَوَاهُ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ১৮৬১

৩ শ্শ্ ; ) ৩ ;ণ্ ষ্০ ন্ শ্শ্!০ ষ্ ষ্ : ন্ণ্ ধ্ষ্স্ :
ঠোট্রুব্র র্দ;ৰুা
“দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে” হা-মীম ৷ এটি দয়াময়, পরম দয়ালুর নিকট হতে
অবতীর্ণ ৷ এটি এক কিতাব বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে এর আয়াতসমুহ আরবী ভাষায়
কুরআনরুপে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্যে ৷ সুসংবাদদাত৷ ও সতর্ককারীরুপে ৷ কিন্তু ওদের
অধিকাংশই বিমুখ হয়েছে ৷ সুতরাং তারা শুনরে না ৷ ওরা বলে, তুমি যার প্রতি আমাদেরকে
আহ্বান করছ সে বিষয়ে আমাদের অন্তর আবরণ-আচ্ছাদিত , কর্ণে আছে বধিরতা এবং তোমার
ও আমাদের মধ্যে আছে অন্তরাল ৷ সুতরাং তুমি তোমার কাজ কর এবং আমরা আমাদের কাজ
করি ৷ বলুন, আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের
ইলাহ্ একমাত্র ইলাহ্ ৷
অতএব র্তারই পথ দৃঢ়ভাবে অবলম্বন কর এবং তারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর ৷ দুর্তোগ

অংশীবাদীদের জন্যে ৷ যারা যাকাত প্রদান করে না এবং ওরা আখিরাতে ও অবিশ্বাসী ৷ যারা
ঈম৷ ৷ন আসে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার ৷

বলুন, তোমরা কি তাকে অস্বীকার করবেই, যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে এবং
তোমরা তার সমকক্ষ দাড় করাতে চাচ্ছ ? তিনি তো জগতসমুহের প্রতিপালক ৷ তিনি স্থাপন
করেছেন অটল পর্বত মালা ভু পৃষ্ঠে এবং তাতে রেখেছেন কল্যাণ এবং চার দিনের মধ্যে তার
ব্যবস্থা করেছেন খাদ্যের সমভাবে যাঞ্চাকারীদের জন্যে ৷ এরপর তিনি আকাশের দিকে
মনোনিবেশ করেন যা ছিল ধুম্রপুঞ্জ বিশেষ ৷ অনম্ভর তিনি সেটিকে এবং পৃথিবীকে বললেন,
তোমরা উভয়ে আস, ইচ্ছার অথবা অনিচ্ছায় ওরা বলল, আমরা এলাম অনুগত হয়ে ৷ এরপর
তিনি আকাশ জগত কে দু দিনে সপ্তাকা শে পরিণত করলেন এবং প্রত্যেক আকাশে সেটির বিধান
ব্যক্ত করলেন এবং আমি নিকটবর্তী আকাশ্ কে সুশোভিত করলাম প্রদীপমাল৷ দ্বারা এবং
করলাম সুরক্ষিত ৷ এটি পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহ্র ব্যবস্থাপনা ৷ তবু তারা যদি মুখ ফিরিয়ে
নেয়, তবে বলুন, আমি তো তোমাদেরকে সতর্ক করছি এবং ধ্বংসকর শান্তির আদ ও ছামুদের
শাস্তির অনুরুপ (৪ ১ : ১ ১৩) ৷

এবার উ৩ বা বলল, যথেষ্ট হয়েছে ৷ এ ছাড় ৷অন্য কিছু কি তোমার নিকট নেই ? তিনি
বললেন, না ৷ উতবা এবার কুরায়শী নে৩ তৃবৃন্দের নিকট ফিরে গেল ৷৩ তারা বলল, ওদিককার
খবর কী ? সে বলল, তোমরা যা না বলতে, আমার ধারণা তার সবই আমি তাকে বলেছি ৷
তারা বলল, যে কি কে ন উত্তর দিয়েছে ? সে বলল, হ্যা ৷ এরপর সে বলল, যিনি কা বাগৃহ
নির্মাণ করেছেন সেই পবিত্র সত্তার শপথ করে আমি বলছি, সে যা বলেছে আমি তার কিছুই
বৃঝিনি ৷ শুধু এতটুকু বুঝেছি যে, আদ ও ছামুদ সম্প্রদায়ের উপর আগত একটি বিকট চিৎকারের
আগমন সম্পর্কে যে তোমাদেরকে সতর্ক করেছে ৷ তারা বলল, হায় ! এটি কেমন কথা ! একজন
লোক আরবী ভাষায় আপনার সাথে কথা বলল, অথচ আপনি তা বুঝতে পারলেন না সে


مَاجَهْ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ الطَّنَافِسِيِّ عَنْ وَكِيعٍ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ الْعَبْدِيِّ عَنْ خَبَّابٍ قَالَ: «شَكَوْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَرَّ الرَّمْضَاءِ، فَلَمْ يُشْكِنَا.» وَالَّذِي يَقَعُ لِي وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ مُخْتَصَرٌ مِنَ الْأَوَّلِ، وَهُوَ أَنَّهُمْ شَكَوْا إِلَيْهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مَا يَلْقَوْنَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ مِنَ التَّعْذِيبِ بِحَرِّ الرَّمْضَاءِ، وَأَنَّهُمْ يَسْحَبُونَهُمْ عَلَى وُجُوهِهِمْ فَيَتَّقُونَ بِأَكُفِّهِمْ، وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنْ أَنْوَاعِ الْعَذَابِ، كَمَا تَقَدَّمَ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ وَغَيْرِهِ، وَسَأَلُوا مِنْهُ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنْ يَدْعُوَ اللَّهَ لَهُمْ عَلَى الْمُشْرِكِينَ، أَوْ يَسْتَنْصِرَ عَلَيْهِمْ، فَوَعَدَهُمْ ذَلِكَ وَلَمْ يُنْجِزْهُ لَهُمْ فِي الْحَالَةِ الرَّاهِنَةِ، وَأَخْبَرَهُمْ عَمَّنْ كَانَ قَبْلَهُمْ ; أَنَّهُمْ كَانُوا يَلْقَوْنَ مِنَ الْعَذَابِ مَا هُوَ أَشَدُّ مِمَّا أَصَابَهُمْ، وَلَا يَصْرِفُهُمْ ذَلِكَ عَنْ دِينِهِمْ، وَيُبَشِّرُهُمْ أَنَّ اللَّهَ سَيُتِمُّ هَذَا الْأَمْرَ، وَيُظْهِرُهُ، وَيُعْلِيهِ، وَيَنْشُرُهُ، وَيَنْصُرُهُ فِي الْأَقَالِيمِ وَالْآفَاقِ، حَتَّى يَسِيرَ الرَّاكِبُ مِنْ صَنْعَاءَ إِلَى حَضْرَمَوْتَ، لَا يَخَافُ إِلَّا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَالذِّئْبَ عَلَى غَنَمِهِ، وَلَكِنَّكُمْ تَسْتَعْجِلُونَ ; وَلِهَذَا قَالَ: «شَكَوْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَرَّ الرَّمْضَاءِ فِي وُجُوهِنَا وَأَكُفِّنَا، فَلَمْ يُشْكِنَا» أَيْ لَمْ يَدْعُ لَنَا فِي السَّاعَةِ الرَّاهِنَةِ، فَمَنِ اسْتَدَلَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَلَى عَدَمِ الْإِبْرَادِ أَوْ عَلَى وُجُوبِ مُبَاشَرَةِ الْمُصَلِّي بِالْكَفِّ، كَمَا هُوَ أَحَدُ قَوْلَيِ الشَّافِعِيِّ فَفِيهِ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.