আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل فيما اعترض به المشركون على رسول الله - صلى الله عليه وسلم -

পৃষ্ঠা - ১৮৩৬


গুশুগুন্টুএ ট্র্দঔা ৰুষ্ টু১ৰুষ্এ ংণ্ঠ এেএ — ফ্তেৰু; ৷ছু১র্দ্রএ ৰুন্ন্ছুটুউ ;ব্লু; ;:’
কুরায়শ গোত্র তাদের খ্যাত অথ্যাত এবং উচু নীচু সবাইকে আমাদের বিরুদ্ধে
প্রতিযােগিত ৷র জন্যে আহ্বান করেছে ৷ কিন্তু তারা সফল হতে প ৷রেনি বরং৩ তাদের বুদ্ধিবিভ্রম
ঘটেছে ৷
াৰুঠুছুৰু’; ঢ়’ব্র,
সুপ্রাচীনকাল থেকেই আমরা কোন প্রকার জুলুম-নির্যাতনকে সমর্থন করি না ৷ কেউ
অহংকারবশত ঘাড় বীকা করলে আমরা তা সোজা করে দিই ৷
ঠুৰুহ্ন১১
সকল দুঃখ-দুর্দিনে আমরা কুরায়শ গোত্রের মর্যাদ৷ রক্ষা করি এবং যে কেউ এই বংশের
ঘর-দোর ও দুর্গ-কুঠুরীতে আক্রমণের দুরভিসন্ধি করে আমরা তাকে প্রতিহত করি ৷

শ্

আমাদের মাধ্যমেই বীক৷ লাঠি সোজা হয়েছে এবং আমাদের দ্বারাই এ বংশের শিকড় ও
মুল পত্র পল্লবিত ও বিকশিত হয়েছে ৷
পরিহেদ

রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জব্দ করার উদ্দেশে ঘুশরিকরা যে সব নিদর্শন ও
অলৌকিক ঘটনা প্রদর্শনের দাবী জানিয়েছিল

তাদের এ দাবী ছিল সত ব্রুদ্রোহিতামুলক ৷ হিদায়াত কামনা ও সৎপথপ্রাপ্তির উদ্দেশ্যে নয় ৷
এ জন্যেই তাদের অধিকা ৎশ আবদা ৷রই পুরণ করা হয়নি ৷ কা ৷রণ, মহান আল্লাহর নিশ্চিত জানা
ছিল যে, তাদের পেশকৃত দাবী ও ঘটনাগুলাে স্বচক্ষে দেখা সত্বেও তা ৷রা তাদের সত্যদ্রোহিতায়
অন্ধ হয়ে থাকবে এবং তাদের গোমরাহীর অন্ধকারে আবর্তিত হতে থাকবে ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ
তাআলা বলেন :

শ্ষ্ ) ষ্ ; ষ্৷ ;; ষ্!শ্ষ্!শ্ষ্াপ্শ্ শ্ : : শ্ম্শ্শ্ষ্ $« :াশ্ :৮


তারা আল্লাহর নামে কঠিন শপথ করে বলে, তাদের নিকট যদি কোন নিদর্শন আসতো,
তবে অবশ ৷৩ৰুই ৷ ৷রা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করত ৷বলুন, নিদর্শন তো অ ৷ল্লাহ্র ইখতিয়ারভুক্ত ৷
তাদের নিকট নিদর্শন আসলেও তারা যে বিশ্বাস করবে না তা কিভা ৷বে তোমাদের বোধগম্য
করা যাবে ? তারা যেমন প্রথমবার তাতে বিশ্বাস করেনি তে মন আমিও তাদের অম্ভরে ও নয়নে
বিভ্রান্তি সৃষ্টি করব এবং তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় উদভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়াতে দেব ৷ আমি
তাদের নিকট ফেরেশতা প্রেরণ করলেও এবং মৃতেরা তাদের সাথে কথা বললেও এবং সকল
বস্তুকে তা ৷দের সম্মুখে হাবিব করলেও যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন নতার৷ বিশ্বাস করবে না ৷ কিন্তু
তাদের অধিকাং শই অজ্ঞ (৬৪ ১০৯ ১১১) ৷


تَدَاعَتْ قُرَيْشٌ غَثُّهَا وَسَمِينُهَا عَلَيْنَا فَلَمْ تَظْفَرْ وَطَاشَتْ حُلُومُهَا ... وَكُنَّا قَدِيمًا لَا نُقِرُّ ظُلَامَةً إِذْ مَا ثَنَوْا صُغْرَ الرِّقَابِ نُقِيمُهَا ... وَنَحْمِي حِمَاهَا كُلَّ يَوْمِ كَرِيهَةٍ وَنَضْرِبُ عَنْ أَحْجَارِهَا مَنْ يَرُومُهَا ... بِنَا انْتَعَشَ الْعُودُ الذَّوَاءُ وَإِنَّمَا بِأَكْنَافِنَا تَنْدَى وَتَنْمِي أُرُومُهَا [فَصْلٌ فِيمَا اعْتَرَضَ بِهِ الْمُشْرِكُونَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -] فَصْلٌ فِيمَا اعْتَرَضَ بِهِ الْمُشْرِكُونَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَمَا تَعَنَّتُوا عَلَيْهِ فِي أَسْئِلَتِهِمْ إِيَّاهُ أَنْوَاعًا مِنَ الْآيَاتِ، وَخَرْقِ الْعَادَاتِ، عَلَى وَجْهِ الْعِنَادِ، لَا عَلَى وَجْهِ طَلَبِ الْهُدَى وَالرَّشَادِ ; فَلِهَذَا لَمْ يُجَابُوا إِلَى كَثِيرٍ مِمَّا طَلَبُوا، وَلَا مَا إِلَيْهِ رَغِبُوا ; لِعِلْمِ الْحَقِّ سُبْحَانَهُ أَنَّهُمْ لَوْ عَايَنُوا وَشَاهَدُوا مَا أَرَادُوا، لَاسْتَمَرُّوا فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ، وَلَظَلُّوا فِي غَيِّهِمْ وَضَلَالِهِمْ يَتَرَدَّدُونَ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَأَقْسَمُوا بِاللَّهِ جَهْدَ أَيْمَانِهِمْ لَئِنْ جَاءَتْهُمْ آيَةٌ لَيُؤْمِنُنَّ بِهَا قُلْ إِنَّمَا الْآيَاتُ عِنْدَ اللَّهِ وَمَا يُشْعِرُكُمْ أَنَّهَا إِذَا جَاءَتْ لَا يُؤْمِنُونَ وَنُقَلِّبُ أَفْئِدَتَهُمْ وَأَبْصَارَهُمْ كَمَا لَمْ يُؤْمِنُوا بِهِ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَنَذَرُهُمْ فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ وَلَوْ أَنَّنَا نَزَّلْنَا إِلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةَ وَكَلَّمَهُمُ الْمَوْتَى وَحَشَرْنَا عَلَيْهِمْ كُلَ شَيْءٍ قُبُلًا مَا كَانُوا لِيُؤْمِنُوا إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ يَجْهَلُونَ.} [الأنعام: 109] [يُونُسَ: 96 - 97]
পৃষ্ঠা - ১৮৩৭


তোমার সাথে কথা বলবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) সব সময় এটাই কামনা করতেন তারা যেন
সৎপথে আসে ৷ তাদের সত্যদ্রোহিতায় তিনি দুঃখ পেতেন ৷ তাদের উপস্থিতির কথা শুনে তিনি
ধারণা করেন যে, ঈমান আনায়নের ব্যাপারে তাদের মনে কোন নতুন অনুভুতি সৃষ্টি হয়েছে ৷
তইি সংবাদ শুনে দ্রুত তিনি তাদের নিকট উপস্থিত হন এবং তাদের নিকট গিয়ে বলেন ৷

তারা বলল, হে মুহাম্মাদ ! আমরা তোমার নিকট সংবাদ পাঠিয়েছি এজন্যে যে এ বিষয়ে
আমরা তোমার ওযর-আপত্তির পথ বন্ধ করে দিতে চাই ৷ তুমি তোমার সম্প্রদায়ের মধ্যে যে
বিশৃৎখলা সৃষ্টি করেছ কোন মানুষ তার নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে তেমন কিছু করেছে বলে
আমাদের জানা নেই ৷ তুমি আমাদের পুর্বপুরুষদের দৃর্নড়াম করেছ, আমাদের ধর্মের দোষত্রুটি
বর্ণনা ও সমালোচনা করেছ ৷ আমাদের জ্ঞানী-গুণী লোকদেরকে তুমি মুর্থ বলেছ ৷ আমাদের
উপাস্যগুলােকে তুমি পালমন্দ করেছ ৷ আমাদের ঐক্যবদ্ধ সম্প্রদড়ায়কে তুমি বিচ্ছিন্ন ও বিভক্ত
করে দিয়েছ ৷ এমন কোন মন্দ কাজ ও মন্দ আচরণ নেই; যা তুমি আমাদের সাথে করনি ৷
তোমার এরুপ প্রচারের দ্বারা ধন-সম্পদ সংগ্রহ করাই যদি উদ্দিষ্ট হয়, তবে আমাদের সকলের
ধন-সম্পদ থেকে কিছু কিছু আমরা তোমাকে দিয়ে দিব যার ফলে ভুমি আমাদের সকলের
চইিতে অধিক সম্পদশালী হয়ে যাবে ৷ সম্মান ও মর্যাদাই যদি তোমার কাম্য হয়, তবে আমরা
তোমাকে আমাদের সকলের নেতা রুপে বরণ করে নিব ৷ তুমি যদি রাজা হতে চাও আমরা
তোমাকে আমাদের রাজারুপে গ্রহণ করব ৷ আর তোমার নিকট এসকল বিষয় সংবাদ নিয়ে যে
আসে, যে যদি জিন হয়ে থাকে যাকে তুমি দেখতে পাও এবং যে তোমাকে কাবু করেছে, তবে
তার হাত থেকে তোমাকে রক্ষা করার জন্যে চিকিৎসা খাতে যত অর্থ-কড়ি লাগে আমরা তা
ব্যয় করে তোমাকে সুস্থ করে তৃলব ৷ এর কােনটিই যদি তুমি গ্রহণ না কর, তবে তোমার কোন
ওমর-আপত্তি আমরা মেনে নেব না ৷

উত্তরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আপনারা যা বলছেন তার কােনটিই আমার ক্ষেত্রে
প্রযোজ্য নয় ৷ আমি যে বিষয়টি নিয়ে এসেছি তা দ্বারা আপনাদের ধন-সম্পদ হস্তগত করা
আমার উদ্দেশ্য নয় ৷ আপনাদের মাঝে সম্মানজনক স্থান লাভ করাও আমার উদ্দেশ্য নয় ৷
রাজতৃও আমি চাই না ৷ বরং মহান আল্লাহ্ আমাকে আপনাদের নিকট প্রেরণ করেছেন
রাসুলরুপে ৷ তিনি আমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন এবং আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন আমি
যেন আপনাদেরকে পুরস্কারের সুসংবাদ এবং শাস্তির ব্যাপারে সতর্ক করি ৷ আমি আমার
প্রতিপালকের দেয়া রিসালাতের বাণী আপনাদের নিকট পৌছিয়ে দিলাম এবং আপনাদের
কল্যাণ কামনা করছি ৷ আমি যা এসেছি আপনারা যদি তা গ্রহণ করেন, তবে ইহ্কালীন ও
পরকালীন কল্যাণ আপনারা লাভ করতে পারবেন, আর যদি তা প্রত্যাখ্যান করেন, তবে আমি
ধৈর্য ধারণ করব যতক্ষণ না আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আপনাদের ও আমার ব্যাপারে কোন ফায়সালা
আসছে ৷

এরপর কুরায়শের লোকেরা বলল, আমরা তোমাকে যে সকল প্রস্তাব দিয়েছি, তার
কােনটিই যদি তুমি গ্রহণ না কর, তবে অন্য একটি কাজ কর ৷ তুমি তো জান যে, আমাদের
দেশ খুব ছোট, আমাদের ধন-সম্পদ খুবই কম এবং আমরা খুব দুঃখ-কষ্টে জীবন যাপন করি ৷

১৩ ণোণোণো(ট্রুঘ্নেরাঃ৪গাে০ওেয়াে

وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَا مَنَعَنَا أَنْ نُرْسِلَ بِالْآيَاتِ إِلَّا أَنْ كَذَّبَ بِهَا الْأَوَّلُونَ وَآتَيْنَا ثَمُودَ النَّاقَةَ مُبْصِرَةً فَظَلَمُوا بِهَا وَمَا نُرْسِلُ بِالْآيَاتِ إِلَّا تَخْوِيفًا} [الإسراء: 59] وَقَالَ تَعَالَى: {وَقَالُوا لَنْ نُؤْمِنَ لَكَ حَتَّى تَفْجُرَ لَنَا مِنَ الْأَرْضِ يَنْبُوعًا أَوْ تَكُونَ لَكَ جَنَّةٌ مِنْ نَخِيلٍ وَعِنَبٍ فَتُفَجِّرَ الْأَنْهَارَ خِلَالَهَا تَفْجِيرًا أَوْ تُسْقِطَ السَّمَاءَ كَمَا زَعَمْتَ عَلَيْنَا كِسَفًا أَوْ تَأْتِيَ بِاللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ قَبِيلًا أَوْ يَكُونَ لَكَ بَيْتٌ مِنْ زُخْرُفٍ أَوْ تَرْقَى فِي السَّمَاءِ وَلَنْ نُؤْمِنَ لِرُقِيِّكَ حَتَّى تُنَزِّلَ عَلَيْنَا كِتَابًا نَقْرَؤُهُ قُلْ سُبْحَانَ رَبِّي هَلْ كُنْتُ إِلَّا بَشَرًا رَسُولًا} [الإسراء: 90] [الْإِسْرَاءِ: 90 - 93] . وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذِهِ الْآيَاتِ وَمَا يُشَابِهُهَا فِي أَمَاكِنِهَا فِي التَّفْسِيرِ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ رَوَى يُونُسُ وَزِيَادٌ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ شَيْخٌ مَنْ أَهْلِ مِصْرَ يُقَالُ لَهُ: مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي مُحَمَّدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَعِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «اجْتَمَعَ عِلْيَةٌ مِنْ أَشْرَافِ قُرَيْشٍ وَعَدَّدَ أَسْمَاءَهُمْ بَعْدَ غُرُوبِ الشَّمْسِ عِنْدَ ظَهْرِ الْكَعْبَةِ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: ابْعَثُوا إِلَى مُحَمَّدٍ فَكَلِّمُوهُ وَخَاصِمُوهُ حَتَّى تُعْذِرُوا فِيهِ. فَبَعَثُوا إِلَيْهِ إِنَّ أَشْرَافَ قَوْمِكَ قَدِ اجْتَمَعُوا لَكَ لِيُكَلِّمُوكَ. فَجَاءَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - سَرِيعًا، وَهُوَ يَظُنُّ أَنَّهُ قَدْ بَدَا لَهُمْ فِي أَمْرِهِ بَدَاءٌ، وَكَانَ حَرِيصًا يُحِبُّ رُشْدَهُمْ، وَيَعِزُّ عَلَيْهِ عَنَتُهُمْ، حَتَّى جَلَسَ إِلَيْهِمْ، فَقَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّا قَدْ بَعَثْنَا إِلَيْكَ لِنُعْذِرَ فِيكَ، وَإِنَّا وَاللَّهِ لَا
পৃষ্ঠা - ১৮৩৮


তোমার প্রতিপালক যিনি তোমাকে রিসালাত সহকারে পড়াঠিয়েছেনঃ তুমি তার নিকট এ আর্জি
পেশ কর, তিনি যেন আমাদের এলাকাকে সংকুচিত করে রাখা এই পাহাড়টি দুরে সরিয়ে দেন
এবং আমাদের দেশের আয়তন বাড়িয়ে দেন ৷ আরো নিবেদন পেশ কর, তিনি যেন আমাদের
দেশে সিরিয়া ও ইরাকের ন্যায় নদ-নদী প্রবাহিত করে দেন ৷ আমাদের মৃত পুর্বপুরুষদেরকে
পুনর্জীবিত করে দেন ৷ পুনরুজ্জীবিত মানুষদের মধ্যে যেন কুসাঈ ইবন কিলাবও থাকেন ৷
কারণ, তিনি একজন সত্যবাদী ও শ্রদ্ধাভাজন প্রবীণ লোক ছিলেন ৷ তিনি পুনরুজ্জীবিত হয়ে
এলে তুমি যা বলছ, তা সত্যি কি মিথ্যা আমরা তাকে জিজ্ঞেস করব ৷ আমরা তোমাকে যা
বললাম, তুমি যদি তা করে দেখাতে পার এবং আমাদের পুর্বপুরুষেরা যদি তোমাকে সতাবাদী
বলে প্রত্যায়ন করেন, তবে আমরা তোমাকে সত্যবাদী বলে মেনে নেব ৷ আমরা তখন আল্লাহ্র
নিকট তোমার বিশেষ মর্যাদা রয়েছে বলে বুঝতে পারব এবং এও বুঝতে পারব যে, তুমি যেমন
বলছ ঠিকই আল্লাহ্ তাআলা তোমাকে রাসুলরুপে প্রেরণ করেছেন ৷

রাসুর্চুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে বললেন, ওই সব কাজ করার জন্যে তো আমাকে প্রেরণ করা
হয়নি ৷ আমি তো আপনাদের নিকট এসেছি সে সব বিষয় নিয়ে, যেগুলো সহকারে আল্পাহ্
তড়াআলা আমাকে পাঠিয়াছেন ৷ যে সব বিষয়সহ আমি আপনাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি, সে
গুলো আমি আপনাদের নিকট পৌছিয়ে দিয়েছি ৷ আপনারা যদি সেগুলো গ্রহণ করেন, তবে
ইহকালে ও পরকালে আপনাদের কল্যাণ হবে ৷ আর যদি সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেন, তবে আমি
ধৈর্য-ধারণ করব এবং আল্লাহ্ তাআলার নির্দেশের অপেক্ষায় থাকব যতক্ষণ না আল্লাহ্ তাআলা
আমারও আপনাদের মাঝে ফায়সালা করে দেন ৷

তারা বলল, আমরা যা চেয়েছি তুমি যদি তা করতে না পার , তবে তুমি এ কাজটি কর যে, ,
তুমি তোমার প্রতিপালককে বল, তিনি যেন আমাদের নিকট একজন ফেরেশতা পাঠিয়ে দেন ,
যে তোমার কথাগুলো সত্য বলে প্রত্যায়ন করবে এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের
তর্যভিযােগগুলো খণ্ডন করবে ৷ আর তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট নিবেদন পেশ করবে তিনি
যেন আমাদের জন্যে রাগ-বাগিচা, সম্পদরাশি এবং স্বর্ণ, রৌপোর প্রাসাদরাজির ব্যবস্থা করে
দেন ৷ তোমার জীবিকা অষেষণের ঝামেলা থেকে যেন তিনি তোমাকে মুক্ত করে দেন ৷ আমরা
তো তোমাকে দেখছি যে, জীৰিকার তাকীদে তুমি হাটে-বাজারে যাচ্ছ এবং জীবিকা অম্বেষণ
করছ যেমনটি আমরা করছি ৷ যদি এটুকু করতে পায়, তার তোমার প্রতিপালকের নিকট
তোমার মর্যাদা ও গুরুত্ব কতটুকু তা আমরা বুঝতে পারব ৷ তুমি যেমন নিজেকে রাসুল বলে
মনে করছো তা যদি সঠিক হয়েই থাকে, তবে একাজগুলো তুমি কর ৷

রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাদেরকে বললেন, আমি ওসব কিছুই করব না, আমি আমার
প্রতিপালকের নিকট এ জাতীয় কোন আবেদন করব না ৷ এ সকল কাজ করার জন্যে আমাকে
আপনাদের প্রতি প্রেরণ করা হয়নি ৷ বরং আল্লাহ্ তাআলা আমাকে প্রেরণ করেছেন
সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রুপে ৷ আমি যা এসেছি আপনারা যদি তা গ্রহণ করেন, তবে তাতে
আপনাদের ইহকাল-পরকালের কল্যাণ হবে ৷ আর যদি তা প্রত্যাখ্যান করেন, তবে আমি ধৈর্য


نَعْلَمُ رَجُلًا مِنَ الْعَرَبِ أَدْخَلَ عَلَى قَوْمِهِ مَا أَدْخَلْتَ عَلَى قَوْمِكَ ; لَقَدْ شَتَمْتَ الْآبَاءَ، وَعِبْتَ الدِّينَ، وَسَفَّهْتَ الْأَحْلَامَ، وَشَتَمْتَ الْآلِهَةَ، وَفَرَّقْتَ الْجَمَاعَةَ، وَمَا بَقِيَ مِنْ قَبِيحٍ إِلَّا وَقَدْ جِئْتَهُ فِيمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ، فَإِنْ كُنْتَ إِنَّمَا جِئْتَ بِهَذَا الْحَدِيثِ تَطْلُبُ مَالًا جَمَعْنَا لَكَ مِنْ أَمْوَالِنَا حَتَّى تَكُونَ أَكْثَرَنَا مَالًا، وَإِنْ كُنْتَ إِنَّمَا تَطْلُبُ الشَّرَفَ فِينَا سَوَّدْنَاكَ عَلَيْنَا، وَإِنَّ كُنْتَ تُرِيدُ مُلْكًا مَلَّكْنَاكَ عَلَيْنَا، وَإِنْ كَانَ هَذَا الَّذِي يَأْتِيكَ رَئِيًّا تَرَاهُ قَدْ غَلَبَ عَلَيْكَ وَكَانُوا يُسَمُّونَ التَّابِعَ مِنَ الْجِنِّ الرَّئِيَّ فَرُبَّمَا كَانَ ذَلِكَ، بَذَلْنَا أَمْوَالَنَا فِي طَلَبِ الطِّبِّ حَتَّى نُبْرِئَكَ مِنْهُ أَوْ نُعْذِرَ فِيكَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " مَا بِي مَا تَقُولُونَ، مَا جِئْتُكُمْ بِمَا جِئْتُكُمْ بِهِ أَطْلُبُ أَمْوَالَكُمْ، وَلَا الشَّرَفَ فِيكُمْ، وَلَا الْمُلْكَ عَلَيْكُمْ، وَلَكِنَّ اللَّهَ بَعَثَنِي إِلَيْكُمْ رَسُولًا، وَأَنْزَلَ عَلَيَّ كِتَابًا، وَأَمَرَنِي أَنْ أَكُونَ لَكُمْ بَشِيرًا نَذِيرًا، فَبَلَّغْتُكُمْ رِسَالَةَ رَبِّي، وَنَصَحْتُ لَكُمْ، فَإِنْ تَقْبَلُوا مِنِّي مَا جِئْتُكُمْ بِهِ فَهُوَ حَظُّكُمْ مِنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَإِنْ تَرُدُّوهُ عَلَيَّ أَصْبِرُ لِأَمْرِ اللَّهِ، حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ ". أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -. فَقَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، فَإِنْ كُنْتَ غَيْرَ قَابِلٍ مِنَّا مَا عَرَضْنَا عَلَيْكَ، فَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ أَضْيَقَ بِلَادًا، وَلَا أَقَلَّ مَالًا، وَلَا أَشَدَّ عَيْشًا مِنَّا. فَسَلْ لَنَا رَبَّكَ الَّذِي بَعَثَكَ بِمَا بَعَثَكَ بِهِ فَلْيُسَيِّرْ عَنَّا هَذِهِ الْجِبَالَ الَّتِي قَدْ ضَيَّقَتْ عَلَيْنَا، وَلَيَبْسُطْ لَنَا بِلَادَنَا، وَلْيُجْرِ فِيهَا أَنْهَارًا كَأَنْهَارِ الشَّامِ وَالْعِرَاقِ، وَلْيَبْعَثْ لَنَا مَنْ مَضَى مِنْ آبَائِنَا، وَلْيَكُنْ فِيمَنْ يُبْعَثُ لَنَا مِنْهُمْ قُصَّيُّ بْنُ كِلَابٍ ; فَإِنَّهُ كَانَ شَيْخًا صَدُوقًا، فَنَسْأَلَهُمْ عَمَّا تَقُولُ أَحَقٌّ هُوَ أَمْ بَاطِلٌ؟ فَإِنْ فَعَلْتَ مَا سَأَلْنَاكَ وَصَدَّقُوكَ، صَدَّقْنَاكَ وَعَرَفْنَا بِهِ مَنْزِلَتَكَ
পৃষ্ঠা - ১৮৩৯


তার পরিবার পরিজনের নিকট ফিরে আসেন ৷৩ তারা যখন তাকে ভোকছিল, তখন যে বিরাট
আশা নিয়ে তিনি ওদের নিকট গিয়েছিলেন, সে আশা ভঙ্গ হওয়ায় তিনি খুবই মর্মাহত হন ৷
যখন দেখা গেল যে, তারা রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে দুরে সরে থাকতে চায় এবং তাদের সম্মিলিত
ওই সমাবেশ ছিল অৰিচার, সীমালৎঘন ও সতব্রদ্রোহিত ড়ার মজলিস ৷ তখন মহান আল্লাহর
হিকমত ও তার রহমতের দাবী ছিল যে, ওদের আহ্বানে সাড়া দেয়া যাবে না ৷ কেননা, মহান
আল্লাহর সম্যক জ ৷ন৷ ছিল যে, তাতে ও ওরা ঈমান আনয়ন করবে না ৷ ফলশ্রুতিতে বরং তাদের
শাস্তি-ই ত্বরান্বিত হবে ৷

এ প্রস গে ইমাম আহমদ (র) বলেন, উছমান ইবন মুহাম্মদ ইবন আব্বাস (বা) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন মক্কার অধিবাসিগণ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট অনুরোধ করেছিল তিনি
যেন তাদের জন্যে সাফ৷ পাহাড়কে স্বর্ণে রুপান্তরিত করে দেন এবং অন্যান্য পাহাড়গুলোকে
তাদের নিকট থেকে দুরে সরিয়ে দেন যাতে তারা স্বাচ্ছন্দো (ক্ষত-ফসল উৎপাদন করতে পারে ৷
আল্লাহ তা আলার পক্ষ থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলা হল যে, আপনি ইচ্ছা ৷করলে৩ তাদের ওই
অনুরোধের ব্যাপারে অপেক্ষা করতে পারেন আর ইচ্ছ করলে তাদের আবদা রগুলো পুরণও করে
দেখাতে পারেন ৷ তবে তখনও যদিত ৷র৷ কুফরী করে, তাহলে তারা নিশ্চয় তাৎক্ষণিকভা ৷বে

ধ্বংস হয়ে যাবে, যেমন হয়েছে তাদের পুর্ববর্তী উম্মত ৩৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আমি
বরং তাদের ব্যাপারে অপেক্ষা করব ৷ এ প্ৰসৎগে আল্লাহ তাআলা বলেন :

া ড্রুব্লু


পুর্ববর্তিগণ কর্তৃক নিদর্শন অম্বীক৷ ৷র করাই আমাকে নিদর্শন প্রেরণ করা হতে ৩বিরত রাখে ৷

আমি শিক্ষাপ্রদ নিদর্শনস্বরুপ ছামুদ জাতিকে উষ্টী দিয়েছিলাম, এরপর তারা তার প্রতি জুলুম
করেছিল (১ ৭ ৫৯) ৷

ইমাম নাসা ৷ঈ (র)-ও অনুরুপ হাদীছ হযরত জারীর (র ) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুর রহমান হযরত ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, কুরায়শ বংশের লোকজন রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলেছিল আপনি আমাদের জন্যে
আপনার প্ৰতিপালকের দরবারে দুআ করুন যাতে তিনি সাফা পাহাড়কে আমাদের জন্যে স্বর্ণে
পরিণত করে দেন তাহলে আমরা আপনার প্রতি ঈমান আনব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
তোমরা কি সত্যিই ঈমান আনবে ? তারা বলল, ছুব্রু৷ আমরা ঈমান আনব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
দুআ করলেন ৷ হযরত জিবরাঈল (আ) এলেন ৷ তিনি বললেন , হে মুহাম্মদ ৷ আপনার
প্রতিপালক আপনাকে সালাম বলেছেন এবং এ কথা বলেছেন যে, যদি আপনি চান তবে সাফা
পাহাড় স্বর্ণে পরিণত হবেই ৷ কিন্তু এরপর যদি ওদের কেউ কুফরী করে, তবে আমি এমন শান্তি
দিব যা বিশ্বের কাউকেই দেব না ৷ আর আপনি যদি চান তবে আমি তাদের জন্যে রহমত ও
তাওবার দরজা খুলে দেব ৷ রাসুপুহু:া৷হু (সা) বললেন, তাহলে রহমত ও তাওবার দরজাই বরং
খুলে দিন ৷ দুটো হাদীছের সনদই উৎকৃষ্ট বটে ৷ বেশ কিছু সংখ্যক তাবিঈ থেকে এ হাদীছখানা




عِنْدَ اللَّهِ، وَأَنَّهُ بَعَثَكَ رَسُولًا كَمَا تَقُولُ. فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " مَا بِهَذَا بُعِثْتُ، إِنَّمَا جِئْتُكُمْ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ بِمَا بَعَثَنِي بِهِ، فَقَدْ بَلَّغْتُكُمْ مَا أُرْسِلْتُ بِهِ إِلَيْكُمْ، فَإِنْ تَقْبَلُوهُ، فَهُوَ حَظُّكُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَإِنْ تَرُدُّوهُ عَلَيَّ، أَصْبِرُ لِأَمْرِ اللَّهِ حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ ". قَالُوا: فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ لَنَا هَذَا فَخُذْ لِنَفْسِكَ ; فَسَلْ رَبَّكَ أَنْ يَبْعَثَ لَنَا مَلَكًا يُصَدِّقُكَ بِمَا تَقُولُ، وَيُرَاجِعُنَا عَنْكَ، وَتَسْأَلُهُ فَيَجْعَلُ لَنَا جِنَانًا وَكُنُوزًا وَقُصُورًا مِنْ ذَهَبٍ وَفِضَّةٍ، وَيُغْنِيكَ عَمَّا نَرَاكَ تَبْتَغِي، فَإِنَّكَ تَقُومُ فِي الْأَسْوَاقِ، وَتَلْتَمِسُ الْمَعَايِشَ كَمَا نَلْتَمِسُهُ، حَتَّى نَعْرِفَ فَضْلَ مَنْزِلَتِكَ مِنْ رَبِّكَ، إِنَّ كُنْتَ رَسُولًا كَمَا تَزْعُمُ. فَقَالَ لَهُمْ: " مَا أَنَا بِفَاعِلٍ، مَا أَنَا بِالَّذِي يَسْأَلُ رَبَّهُ هَذَا، وَمَا بُعِثْتُ إِلَيْكُمْ بِهَذَا، وَلَكِنَّ اللَّهَ بَعَثَنِي بَشِيرًا وَنَذِيرًا، فَإِنْ تَقْبَلُوا مَا جِئْتُكُمْ بِهِ، فَهُوَ حَظُّكُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَإِنْ تَرُدُّوهُ عَلَيَّ، أَصْبِرُ لِأَمْرِ اللَّهِ حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ ". قَالُوا: فَأَسْقِطِ السَّمَاءَ كَمَا زَعَمْتَ أَنَّ رَبَّكَ إِنْ شَاءَ فَعَلَ، فَإِنَّا لَنْ نُؤْمِنَ لَكَ إِلَّا أَنْ تَفْعَلَ. فَقَالَ: " ذَلِكَ إِلَى اللَّهِ، إِنْ شَاءَ فَعَلَ بِكُمْ ذَلِكَ ". فَقَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، مَا عَلِمَ رَبُّكَ أَنَّا سَنَجْلِسُ مَعَكَ، وَنَسْأَلُكَ عَمَّا سَأَلْنَاكَ عَنْهُ، وَنَطْلُبُ مِنْكَ مَا نَطْلُبُ، فَيَتَقَدَّمُ إِلَيْكَ وَيُعْلِمُكَ مَا تُرَاجِعُنَا بِهِ، وَيُخْبِرُكَ مَا هُوَ صَانِعٌ فِي ذَلِكَ بِنَا إِذَا لَمْ نَقْبَلْ مِنْكَ مَا جِئْتَنَا بِهِ؟ فَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّهُ إِنَّمَا يُعَلِّمُكَ هَذَا رَجُلٌ بِالْيَمَامَةِ، يُقَالُ لَهُ: الرَّحْمَنُ. وَإِنَّا وَاللَّهِ لَا نُؤْمِنُ بِالرَّحْمَنِ أَبَدًا، فَقَدْ أَعْذَرْنَا إِلَيْكَ يَا مُحَمَّدُ، أَمَا وَاللَّهِ لَا نَتْرُكُكَ وَمَا فَعَلْتَ بِنَا حَتَّى نُهْلِكَكَ أَوْ تُهْلِكَنَا. وَقَالَ قَائِلُهُمْ: نَحْنُ نَعْبُدُ الْمَلَائِكَةَ، وَهِيَ بَنَاتُ اللَّهِ، وَقَالَ قَائِلُهُمْ: لَنْ نُؤْمِنَ لَكَ حَتَّى تَأْتِيَنَا بِاللَّهِ
পৃষ্ঠা - ১৮৪০


মুরসাল পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়েছে ৷৩ তারা হলেন সাঈদ ইবন জুবায়র, কা৩াদা, ইবন জুরায়জ
প্রমুখ ৷

ইমাম আহমদ ও তিরমিযী (র) আবদুল্লাহ্ ইবন মুবারক আবু উমামা১ (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আমার প্রতিপালক মক্কাভুমির সবটাই আমার জন্যে স্বর্ণে
পরিণত করে দিলে আমি তাতে খুশী হবো কিনা জানতে চেয়েছেন ৷ আমি বলেছি যে, তা করার
দরকার নেই ৷ আমি বরং একদিন তৃপ্তির সাথে আহার করব এবং একদিন উপােস করব ৷
তাতেই আমি সভুষ্ট ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুবহু একথাটিই বলেছিলেন কিৎবা এ মর্মের উক্তি
করেছিলেন ৷ তিনি আরো বলেছিলেন, আমি যখন উপােস থাকর, তখন বিনয় সহকারে,
কান্নাকাটি করে আপনার দরবারে দুআ করব এবং আপনাকে স্মরণ করব ৷ আর যখন তৃপ্ত হয়ে
যাব, তখন আপনার প্রশংসা করব ও গােকর আদায় করব ৷ এটি ইমাম আহমদ (র)-এর বর্ণনা
তিরমিযী (র) এটিকে হাসান বলে অভিহিত করেছেন ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন কুরায়শ
ৎশের লোকেরা নাযর ইবন হারিছ এবং উকবা ইবন আবী মুআয়৩ তকে মদীনায় ইয়াহুদীদের
নিকট প্রেরণ করেছিল ৷ত তারা ওদেরকে বলেছিল তোমরা দু’ জন গিয়ে ইয়ড়াহ্রদী৷ যা জকদের নিকট
মুহাম্মদ (সা) এর পরিচয় দেবে এবং তার বক্তব্য সম্পর্কে জ্ঞাত করবে এবং তার সতাসত্য
সম্পর্কে তাদেরকে জিজ্ঞেস করবে ৷ কারণ, তারা প্রথম আসমানী কিতাবপ্রাপ্ত সম্প্রদায় ৷ নবী
রাসুলগণ সম্পর্কে তাদের সেই জ্ঞান আছে যা আমাদের নেই ৷ ওরা দু জন যাত্রা করে এবং
মদীনায় গিয়ে পৌছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পরিচয় ক র্যকলাপ ও৩ তার কতক বক্তব্য উল্লেখ
করে ওরা ইয়াহুদী যাজকদেরকে তার সত্যাসত্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে ৷ ত ৷র৷ দু জলে বলেছিল
আপনারা তাওরাত কি৩াবপ্রাপ্ত সম্প্রদায় ৷ আমরা আপনাদের নিকট এসেছি এ উদ্দেশ্যে যে
আমাদের ওই সােকটি সম্পর্কে আপনারা আমাদেরকে প্রকৃত ৩তথ্য জানাবেন ৷ ইয়াহদী যাজকগণ
ওদেরকে বলল, আমরা তেড়ামাদেরকে তিনটি প্রশ্ন শিখিয়ে দিচ্ছি ৷ তোমরা তাকে ওই বিষয়
সম্পর্ক জিজ্ঞেস করবে ৷ তিনি যদি ওগুলোর ঠিক ঠিক উত্তর দিতে পারেন, তবে তিনি নিশ্চয়ই
রিসাল৩ প্রাপ্ত নবী ৷ আর তা না পারলে নিশ্চয়ই সে মিথ্যাবাদী , প্রতারক ৷ এরপর তার সম্পর্কে
তােমরাই তোমাদের সিদ্ধ৷ ৷স্ত নিবে ৷

প্রথমত, তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করবে সেই একদল যুবক সম্পর্কে, যার৷ প্রথম যুগে
হারিয়ে গিয়েছিল ওদের পরিণতি কী হয়েছিল ? কারণ তাদেরকে কেন্দ্র করে আশ্চর্যজনক ঘটনা
ঘটেছিল ৷ দ্বিতীয়ত তাকে জিজ্ঞেস করবে সেই ব্যক্তি সম্পর্কে, যে পৃথিবীর পুর্ব প্রান্ত থেকে
পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত ভ্রমণ করেছিল তার বৃত্তান্ত কী ? তৃতীয়৩ তাকে জিজ্ঞেস করবে রুহ সম্পর্কে ৷
রুহ কী ? তিনি যদি এগুলো সম্পর্কে তোমাদেরকে জানাতে পারেন, তবে তিনি নিশ্চয়ই নবী ৷
তোমরা তার অনুসরণ করবে ৷ অন্যথায় সে একজন মিথ্যাবাদী ৷ তার সম্পর্কে তোমরা যা
করতে চাও করবে ৷

১ কোন কোন কপিতে কাসিম ইবন আবু উমাম৷ বলা হয়েছে ৷ মুলত তিনি হলেন কাসিম ইবন আবদুর রহমান ,
বনী উমাইয়া দিমাশকী এর মুক্ত ক্রীতদাস ৷ তিনি আবু উমাম৷ ব্যতীত অন্য কোন সাহাবী থেকে হাদীছ
বর্ণনা করেননি ৷




وَالْمَلَائِكَةِ قَبِيلًا. فَلَمَّا قَالُوا ذَلِكَ، قَامَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَنْهُمْ وَقَامَ مَعَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَخْزُومٍ وَهُوَ ابْنُ عَمَّتِهِ عَاتِكَةَ بِنْتِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، عَرَضَ عَلَيْكَ قَوْمُكَ مَا عَرَضُوا فَلَمْ تَقْبَلْهُ مِنْهُمْ، ثُمَّ سَأَلُوكَ لِأَنْفُسِهِمْ أُمُورًا ; لِيَعْرِفُوا بِهَا مَنْزِلَتَكَ مِنَ اللَّهِ فَلَمْ تَفْعَلْ، ثُمَّ سَأَلُوكَ أَنْ تُعَجِّلَ مَا تُخَوِّفُهُمْ بِهِ مِنَ الْعَذَابِ، فَوَاللَّهِ لَا أُومِنُ لَكَ أَبَدًا، حَتَّى تَتَّخِذَ إِلَى السَّمَاءِ سُلَّمًا، ثُمَّ تَرْقَى فِيهِ وَأَنَا أَنْظُرُ حَتَّى تَأْتِيَهَا وَتَأْتِيَ مَعَكَ بِنُسْخَةٍ مَنْشُورَةٍ، وَمَعَكَ أَرْبَعَةٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ يَشْهَدُونَ لَكَ أَنَّكَ كَمَا تَقُولُ، وَايْمُ اللَّهِ، لَوْ فَعَلْتَ ذَلِكَ لَظَنَنْتُ أَنِّي لَا أُصَدِّقُكَ. ثُمَّ انْصَرَفَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِلَى أَهْلِهِ حَزِينًا أَسِفًا ; لِمَا فَاتَهُ مِمَّا طَمِعَ فِيهِ مِنْ قَوْمِهِ حِينَ دَعَوْهُ وَلِمَا رَأَى مِنْ مُبَاعَدَتِهِمْ إِيَّاهُ» وَهَذَا الْمَجْلِسُ الَّذِي اجْتَمَعَ عَلَيْهِ هَؤُلَاءِ الْمَلَأُ مَجْلِسُ ظُلْمٍ وَعُدْوَانٍ وَعِنَادٍ، وَلِهَذَا اقْتَضَتِ الْحِكْمَةُ الْإِلَهِيَّةُ وَالرَّحْمَةُ الرَّبَّانِيَّةُ أَلَّا يُجَابُوا لِي مَا سَأَلُوا ; لِأَنَّ اللَّهَ عَلِمَ أَنَّهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ بِذَلِكَ، فَيُعَاجِلُهُمْ بِالْعَذَابِ. كَمَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «سَأَلَ أَهْلُ مَكَّةَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنْ يَجْعَلَ لَهُمُ الصَّفَا ذَهَبًا، وَأَنْ يُنَحِّيَ عَنْهُمُ الْجِبَالُ فَيَزْدَرِعُوا، فَقِيلَ لَهُ: إِنْ شِئْتَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ১৮৪১


নাযর ও উকবা ফিরে এল কুরায়শ সম্প্রদায়ের নিকট ৷ তারা বলল, হে কুরায়শ সম্প্রদায় !
আমরা এমন বিষয় নিয়ে এসেছি যা তোমাদের মাঝে এবং মুহাম্মাদ (সা)-এরমাঝে স্পষ্ট
মীমাংসা করে দিয়ে ৷ ইয়াহ্রদী যাজকদল আমাদেরকে পরামর্শ দিয়েছে তাকে কয়েকটি বিষয়
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে ৷ উক্ত বিষয়গুলো তারা ওদেরকে জানায় ৷

তখন কুরায়শের লোকেরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসে এবং বলে, হে মুহাম্মদ !
আমাদেরকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত কর দেখি ৷ ইয়াহ্রদীদের নির্দেশিত বিষয়গুলো তারা
র্তাকে জিজ্ঞেস করে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, আপনারা যা জিজ্ঞেস করেছেন, সে সম্পর্কে
আলি আগামীকাল আপনাদেরকে জানার ৷ তিনি ইনশাআল্লাহ্ বলতে ঐসময় তুলে যান ৷ ওরা
প্রন্থান করল ৷ এদিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) একে একে পনের দিন অপেক্ষা করলেন বিন্তু ঐ সম্পর্কে
কোন ওহী নাযিল হলো না, হযরত জিবরাঈল (আ) ও আসলেন না ৷ মক্কার অধিবাসীরা খুশীতে
আটখানা ৷ তারা বলছিল, মুহাম্মদ (সা) আমাদেরকে পরেরদিন উত্তর দেয়ার অঙ্গীকার করেছে,
অথচ পনের দিনের মাথায়ও সে আমাদেরকে প্রশ্নক্তেড়া৷ সম্পর্কে কোন উত্তর দিচ্ছে না ৷ ওহী বন্ধ
থাকায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন ৷ মক্কাবাসীদের অব্যাহত কটুক্তি ও তিরষ্কড়ার
র্তাকে পীড়া দিচ্ছিল ৷ অবশেষে সুরা কাহ্ফ নিয়ে হযরত জিবরাঈল (আ) এলেন ৷ মুশরিকদের
আচরণে ক্ষুব্ধ ও অধৈর্য হয়ে উঠার রাসুলুস্লাহ্ (না)-এর প্রতি মৃদু তিরঙ্কার রয়েছে এ সুরার ৷
এতে তাদের প্রশ্নকৃত যুবকের তথ্য এবং পৃথিবী প্রদিক্ষণকারী ব্যক্তির বর্ণনা রয়েছে ৷ অন্যত্র রুহ
সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন :

; :৩ শ্শ্০!শ্০শ্ষ্৷ শ্০গ্রষ্ধ্০ণ্০
¥ flfl

ওরা আপনাকে রুহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে ৷ বলুন, রুহ আমার প্রতিপালকের আদেশ

ঘটিত এবং তােমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দেয়া হয়েছে (১৭ : ৮৫) ৷ ঐ বিষয়ে আমরা

ৎখানুপুংখ ও বিস্তারিত ভাবে তড়াফসীর গ্রন্থে আলোচনা করেছি ৷ সে সম্পর্কে অধিকতর জ্ঞান
আহরণে কারো আগ্নহ থাকলে সেখানে দেখে নিতে পারবেন ৷

মুশরিকদের প্রশ্ন উপলক্ষে আরো নাযিল হল :
আপনি কি মনে করেন যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসিগণ আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে
বিস্ময়কর : (১৮ : ৯) ৷ এরপর তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করেছেন ৷ অবশ্য

মধ্যখানে নিশ্চয়তাসুচক ইনশাআল্পাহ্ (যদি আল্পাহ্ চান) বলার শিক্ষা দেয়া হয়েছে ৷ শর্তসুচক
অর্থে নয় ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :

শ্ শ্
া;৷ ৷ ষ্ণু

মোঃ


تَسْتَأْنِيَ بِهِمْ، وَإِنْ شِئْتَ أَنْ تُؤْتِيَهُمُ الَّذِي سَأَلُوا، فَإِنْ كَفَرُوا أُهْلِكُوا كَمَا أُهْلِكَتْ مَنْ قَبْلَهُمْ. قَالَ: " لَا، بَلْ أَسَتَأْنِي بِهِمْ ". فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَمَا مَنَعَنَا أَنْ نُرْسِلَ بِالْآيَاتِ إِلَّا أَنْ كَذَّبَ بِهَا الْأَوَّلُونَ وَآتَيْنَا ثَمُودَ النَّاقَةَ مُبْصِرَةً فَظَلَمُوا بِهَا} [الإسراء: 59] » الْآيَةَ وَهَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ جَرِيرٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ عِمْرَانَ أَبِي الْحَكَمِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَالَتْ قُرَيْشٌ لِلنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يَجْعَلْ لَنَا الصَّفَا ذَهَبًا وَنُؤْمِنُ بِكَ. قَالَ: " وَتَفْعَلُونَ؟ ". قَالُوا: نَعَمْ قَالَ: فَدَعَا، فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ، فَقَالَ: إِنَّ رَبَّكَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ، وَيَقُولُ لَكَ: إِنْ شِئْتَ أَصْبَحَ الصَّفَا لَهُمْ ذَهَبًا، فَمَنْ كَفَرَ مِنْهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ عَذَّبْتُهُ عَذَابًا لَا أُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِنَ الْعَالَمِينَ، وَإِنْ شِئْتَ فَتَحْتُ لَهُمْ بَابَ الرَّحْمَةِ وَالتَّوْبَةِ. قَالَ: " بَلِ التَّوْبَةُ وَالرَّحْمَةُ ".» وَهَذَانَ إِسْنَادَانِ جَيِّدَانِ، وَقَدْ جَاءَ مُرْسَلًا عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ التَّابِعِينَ ; مِنْهُمْ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ وَقَتَادَةُ وَابْنُ جُرَيْجٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ.
পৃষ্ঠা - ১৮৪২


আমি যখন সম্প্রদায়ের লোকদেরকে দেখলাম যে, তাদের মধ্যে কোন দয়ামায়া নেই এবং
আত্মীয়তা ও বন্ধুত্বের সকল মাধ্যম তারা ছিন্ন করে দিয়েছে ৷

৩ শ্ )

তারা প্রকাশে৷ আমাদের সাথে শত্রুতা পোষণ ও অত্যাচার করার ণ্ঘাষণা ৷দিয়েছে ! তারা
দুর-দুরান্তের শত্রুপক্ষের নির্দেশ অনুসরণ করছে ৷
ট্রুাণ্াঠুন্া৷এ মোঃ এ,

আমাদের বিরুদ্ধে তারা এমন এক সম্প্রদায়ের সাথে মৈত্রী চুক্তি করেছে যারা আমাদের
বিরুদ্ধে অপবাদ রটড়ায় এবং আমাদের অবর্ত্যা৷নে যারা আমাদের প্ৰতিহিংসায় দাতে আঙ্গুল
কামড়ায় ৷



# ; : ’ , fl

ওদের জন্যে আমি নিজেকে সংযত ণ্রখেছি উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত তীক্ষ্ণধার তরবারি এবং
সোজা সরল বর্শা থাকা সত্বেও ৷

আমার জ্ঞাতিগােষ্ঠি ও পরিবারের লোকদেরকে আমি বায়তৃল্লাহ্ শরীফের নিকট উপ

করেছি এবং বায়তুল্পাহ্ শরীফের দেয়ালের সাথে লাগানো গিলাফের আশ্রয় নিয়েছি ৷

আমরা সবাই এক সঙ্গে বায়তৃল্লাহ্ শরীফের প্রধান ফটক্যে৷ সামনে দা ৷ড়িয়েছিলাম ৷ যেখানে
এসে প্রত্যেক তীর্থযাত্রী নিজ নিজ মানত পুর্ণ করে ৷



যেখানে আশআর গোত্রের লোকেরা তাদের সওয়ায়ী উটগুলো বসার ৷ আসাফ ও নাইলা
প্রতিমাদ্বয়ের মধ্যবর্তী পানি প্রবাহের স্থলে ৷
উটগুলোর বাহুদেশে কিৎবা ঘাড়ে চিহ্ন খচিত ৷ সিদ্দীস ও বড়াযিল নামক স্থানদ্বয়ের মধ্যবর্তী
স্থানে ৷
ব্লুট্রঠু ৷ দ্বু,;
ওই উট পালে নর উট ওই গুলোর শ্বেতবর্ণ মাথা , ঘাড় ও গলদেশের সৌন্দর্য এবং
চাকচিক্য দেখে তোমার মনে হবে ওই গুলো যেন ফলবান বৃক্ষশাখা ৷


وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ عَنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: «عَرَضَ عَلَيَّ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَجْعَلَ لِي بَطْحَاءَ مَكَّةَ ذَهَبًا، فَقُلْتُ: لَا يَا رَبُّ، أَشْبَعُ يَوْمًا وَأَجُوعُ يَوْمًا أَوْ نَحْوَ ذَلِكَ فَإِذَا جُعْتُ، تَضَرَّعْتُ إِلَيْكَ وَذَكَرْتُكَ، وَإِذَا شَبِعْتُ، حَمِدْتُكَ وَشَكَرْتُكَ ".» لَفْظُ أَحْمَدَ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ. وَعَلِيُّ بْنُ يَزِيدَ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي شَيْخٌ مَنْ أَهْلِ مِصْرَ قَدِمَ عَلَيْنَا مُنْذُ بِضْعٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً، عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «بَعَثَتْ قُرَيْشٌ النَّضْرَ بْنَ الْحَارِثِ وَعَقَبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ إِلَى أَحْبَارِ يَهُودَ بِالْمَدِينَةِ، فَقَالُوا لَهُمَا: سَلُوهُمْ عَنْ مُحَمَّدٍ وَصِفَا لَهُمْ صِفَتَهُ، وَأَخْبِرَاهُمْ بِقَوْلِهِ، فَإِنَّهُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ الْأَوَّلِ، وَعِنْدَهُمْ عِلْمُ مَا لَيْسَ عِنْدَنَا مِنْ عِلْمِ الْأَنْبِيَاءِ. فَخَرَجَا حَتَّى قَدِمَا الْمَدِينَةَ، فَسَأَلَا أَحْبَارَ يَهُودَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَوَصَفَا لَهُمْ أَمْرَهُ وَبَعْضَ قَوْلِهِ، وَقَالَا: إِنَّكُمْ أَهْلُ التَّوْرَاةِ وَقَدْ جِئْنَاكُمْ لِتُخْبِرُونَا عَنْ صَاحِبِنَا هَذَا. قَالَ: فَقَالَتْ لَهُمْ أَحْبَارُ يَهُودَ: سَلُوهُ عَنْ ثَلَاثٍ نَأْمُرُكُمْ بِهِنَّ، فَإِنْ أَخْبَرَكُمْ بِهِنَّ فَهُوَ نَبِيٌّ مُرْسَلٌ، وَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ فَالرَّجُلُ مُتَقَوِّلٌ، فَرَوا فِيهِ رَأْيَكُمْ ; سَلُوهُ عَنْ فِتْيَةٍ ذَهَبُوا فِي الدَّهْرِ الْأَوَّلِ مَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ؟ فَإِنَّهُ قَدْ كَانَ لَهُمْ حَدِيثٌ عَجِيبٌ، وَسَلُوهُ عَنْ رَجُلٍ طَوَّافٍ
পৃষ্ঠা - ১৮৪৩



আমি মানুষের প্রতিপালক আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি এমন নিন্দুক থেকে যে মন্দ
কথায় আমাদের তিরস্কা ৷র করে কিৎবা অন্যায় মিষ্টি কথায় আমাদেরকে উপহাস করে ৷
আমি আরো আশ্রয় প্রার্থনা করছি এমন শত্রু থেকে, যে আমাদেরকে দােষারোপ করতে
চেষ্টা করে এবং এমন সব ধর্মীয় বিধা ন সং যুক্ত করতে চায় যা আমরা পালন করি না ৷

৩ শ্ :

শপথ ছওর পর্বতের এবং শপথ সেই মহান সত্তার যিনি ছাবীর পর্বতকে স্বস্থানে স্থাপন
করেছেন এবং শপথ হেরা গুহায় আরোহণকারী ও তা থেকে অবতরণকারীর ৷

এবং শপথ বায়তুল্লাহ্ শরীফের যে বায়তৃল্লাহ্ শরীফ মক্কায় অবস্থিত ৷ আর শপথ মহান
আল্লাহর নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ উদা সীন নন ৷
এওাট্রুষ্টুান্ট্রু
শপথ হাজারে আসওয়াদের যখন লোকজন সেটিকে স্পর্শ করে এবং বুকে জড়িয়ে ধরে
সকাল-সন্ধ্যড়ায় ৷

শপথ কঠিন পাথরে হযরত ৩ইবরাহীম (আ) এর পদচিহ্নের তার জুতে বিহীন নগ্ন পায়ের
জন্যে যে পাথরও নম্র হয়েছিল ৷


এবং শপথ সাফা-মারওয়ার মধ্যবর্তী সাঈ-এর স্থানের এবং সেখানে অবস্থিত ছবি ও
প্রতিমাগুলোর ৷


এবং শপথ বায়তুল্লাহ্ শরীফের হজ্জ পালনকারীর ৷ যে হজ্জ পালন করে সওয়ারীতে
আরোহণ করে, যে হজ্জ পালন করে মানত পুরণের জন্যে এবং যে হজ্জ পালন করে পদব্রজে ৷

মাশঅড়ারে আকসা তথা আরাফাত ময়দানের শপথ ৷ যখন হাজীগণ ওই ময়দানের উদ্দেশ্যে

যাত্রা করে ৷ এবং যখন তারা সম্মুথস্থ ফাকা প্রবাহস্থল দিয়ে আরাফাত পর্বতের দিকে অগ্রসর
হয়

প্রুক্ট্রফো


طَافَ مَشَارِقَ الْأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا، مَا كَانَ نَبَؤُهُ؟ وَسَلُوهُ عَنِ الرُّوحِ، مَا هِيَ؟ فَإِنْ أَخْبَرَكُمْ بِذَلِكَ فَهُوَ نَبِيٌّ فَاتَّبِعُوهُ، وَإِنْ لَمْ يُخْبِرْكُمْ فَهُوَ رَجُلٌ مُتَقَوِّلٌ، فَاصْنَعُوا فِي أَمْرِهِ مَا بَدَا لَكُمْ. فَأَقْبَلَ النَّضْرُ وَعُقْبَةُ حَتَّى قَدِمَا عَلَى قُرَيْشٍ، فَقَالَا: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، قَدْ جِئْنَاكُمْ بِفَصْلِ مَا بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ مُحَمَّدٍ، قَدْ أَمَرَنَا أَحْبَارُ يَهُودَ أَنْ نَسْأَلَهُ عَنْ أُمُورٍ. فَأَخْبَرَاهُمْ بِهَا. فَجَاءُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، أَخْبِرْنَا. فَسَأَلُوهُ عَمَّا أَمَرُوهُمْ بِهِ. فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " أُخْبِرُكُمْ غَدًا بِمَا سَأَلْتُمْ عَنْهُ ". وَلَمْ يَسْتَثْنِ، فَانْصَرَفُوا عَنْهُ، وَمَكَثَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - خَمْسَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، لَا يُحْدِثُ اللَّهُ إِلَيْهِ فِي ذَلِكَ وَحْيًا، وَلَا يَأْتِيهِ جِبْرِيلُ، حَتَّى أَرْجَفَ أَهْلُ مَكَّةَ، وَقَالُوا: وَعَدَنَا مُحَمَّدٌ غَدًا، وَالْيَوْمَ خَمْسَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، قَدْ أَصْبَحْنَا فِيهَا لَا يُخْبِرُنَا بِشَيْءٍ مِمَّا سَأَلْنَاهُ عَنْهُ، وَحَتَّى أَحْزَنَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مَكْثُ الْوَحْيِ عَنْهُ، وَشَقَّ عَلَيْهِ مَا يَتَكَلَّمُ بِهِ أَهْلُ مَكَّةَ، ثُمَّ جَاءَهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ بِسُورَةِ أَصْحَابِ الْكَهْفِ، فِيهَا مُعَاتَبَتُهُ إِيَّاهُ عَلَى حُزْنِهِ عَلَيْهِمْ، وَخَبَرُ مَا سَأَلُوهُ عَنْهُ مِنْ أَمْرِ الْفِتْيَةِ وَالرَّجُلِ الطَّوَّافِ، وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا} [الإسراء: 85] » وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ فِي " التَّفْسِيرِ " مُطَوَّلًا فَمَنْ أَرَادَهُ فَعَلَيْهِ بِكَشْفِهِ مِنْ هُنَاكَ.
পৃষ্ঠা - ১৮৪৪



ৰায়তৃল্পাহ্ শরীফের কসম, তোমাদের ধারণা নিশ্চিতভাবে মিথ্যা ৷ আমরা কখনো মুহাম্মদ
(না)-কে ফেলে দেব না, তোমাদের হাতে তুলে দেব না ৷ বরং তার পাশে থেকে আমরা
তোমাদের প্ৰতি তীর ও বর্শা নিক্ষেপ করব ৷

, : ) ১ ( ) : ; ,

,
আমরা তাকে রক্ষা করব এবং নিরাপদ রাখব ৷ প্রয়োজনে র্তার চারিপাশে অবস্থান করে
আমরা নিজেরা শত্রুর আঘাতে জর্জরিত হয় এবং আমাদের ত্রী-পুত্রের কথা ভুলে যাব ৷


শেষ পর্যন্ত লৌহ নির্মিত অস্ত্র নিয়ে একটি সম্প্রদায় তোমাদের ঘুকাবিলার জন্যে আসর
হবে ৷ যেমন কুপের সর্বশেষ অবশিষ্ট পানি বহনকরী অশ্বদল অগ্রসর হয় ৷



) শ্ : : ব্লু » ( শ্ : ন্ ,

র্দঞ
অবশেষে আমরা দেখব আমাদের প্রতিহিংসা পােষণকারী ব্যক্তিকে শরাঘাতে জর্জরিত হয়ে
সে মুখ থুবড়ে পড়ে যাচ্ছে ৷ নুইয়ে থাকা অস্ত্র বহনকারী যেমন মুখ থুবড়ে পড়ে যায় ৷

া১া

আল্লাহ্র কসম, আমি যা দেখতে পাচ্ছি তা যদি সত্য হয়, তবে আমাদের তরবারি মিলিত
হবে নিরস্ত্র লোকদের সাথে ৷ অর্থাৎ আমাদের তরবারির ভয়ে শত্রুপক্ষ নিরস্ত্র হয়ে পড়বে ৷

পেব্লুা
তরবারি থাকবে একজন নওজােয়ানের হাতে ৷ সে অগ্নিক্ষুলিঙ্গের ন্যায় ৷ নেতৃত্ব প্রদানকারী,
আস্থাভাজন, সত্যের প্রহরী এবং বীর ও সাহসী ৷

-,ান্ব্রে ৷;৷ট্রুাট্রু ৷,টুট্রু;ঠুন্

এভাবে আমাদের জন্যে আসবে মাস দিন ও সষ্ম৷ ৷নিত বছর এবং আসবে বছরের পর বছর ৷
-ব্লুষ্কৃাঠুশুট্রুঙু প্রুট্র ’,;£ ,াব্লু৷ ৷ ’ান্ৰুধ্’ন্; — ;:; ;fl ৷ট্রু৷ ৰুার্টণ্টুট্র ’¢,: ৷হুৰুএ

নিজ সম্প্রদায়ের লোকেরা বর্জন করেছে তাতে কি আসে-যায় : আমাদের ওই যুবক তো

যােগ্যতম নেতা, যে সাহসী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অনড় প্রাচীর ও প্রতিরোধ সৃষ্টি করে ৷ সে
আশালীনও নয়, আর নিজের কাজ অন্যের হাতে তুলে দেয় এবং সে অক্ষমও নয় ৷

× :

৷ ,

সে জ্যোতির্ময়, তার ঘুখমওলের উসিলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয় ৷ সে ইয়াতীমদের আশ্রয়স্থল
এবং বিধবাদেব র্ক্ষক ৷


وَنَزَلَ قَوْلُهُ: {أَمْ حَسِبْتَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيمِ كَانُوا مِنْ آيَاتِنَا عَجَبًا} [الكهف: 9] . ثُمَّ شَرَعَ فِي تَفْصِيلِ أَمْرِهِمْ، وَاعْتَرَضَ فِي الْوَسَطِ بِتَعْلِيمِهِ الِاسْتِثْنَاءَ، تَحْقِيقًا لَا تَعْلِيقًا، فِي قَوْلِهِ {وَلَا تَقُولَنَّ لِشَيْءٍ إِنِّي فَاعِلٌ ذَلِكَ غَدًا إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ وَاذْكُرْ رَبَّكَ إِذَا نَسِيتَ} [الكهف: 23] [الْكَهْفِ: 83] ثُمَّ شَرَحَ أَمْرَهُ، وَحَكَى خَبَرَهُ، وَقَالَ فِي سُورَةِ " سُبْحَانَ ": {وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي} [الإسراء: 85] أَيْ خَلْقٌ عَجِيبٌ مِنْ خَلْقِهِ، وَأَمْرٌ مِنْ أَمْرِهِ، قَالَ لَهَا: كُونِي. فَكَانَتْ، وَلَيْسَ لَكُمُ الِاطِّلَاعُ عَلَى كُلِّ مَا خَلَقَهُ، وَتَفْسِيرُ كَيْفِيَّتِهِ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ يَصْعُبُ عَلَيْكُمْ، بِالنِّسْبَةِ إِلَى قُدْرَةِ اللَّهِ تَعَالَى وَحِكْمَتِهِ ; وَلِهَذَا قَالَ {وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا} [الإسراء: 85] وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَنَّ الْيَهُودَ سَأَلُوا عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِالْمَدِينَةِ فَتَلَا عَلَيْهِمْ هَذِهِ الْآيَةَ. فَإِمَّا أَنَّهَا نَزَلَتْ مَرَّةً ثَانِيَةً، أَوْ ذَكَرَهَا جَوَابًا، وَإِنْ كَانَ نُزُولُهَا مُتَقَدِّمًا، وَمَنْ قَالَ: إِنَّهَا إِنَّمَا نَزَلَتْ بِالْمَدِينَةِ. وَاسْتَثْنَاهَا مِنْ سُورَةِ " سُبْحَانَ "، فَفِي قَوْلِهِ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا خَشِيَ أَبُو طَالِبٍ دَهْمَاءَ الْعَرَبِ أَنْ يَرْكَبُوهُ مَعَ
পৃষ্ঠা - ১৮৪৫


ক্তেপু,ট্টষ্ও
হাশিমী বং শের দীন দুঃ খী লোকেরা তার নিকট আশ্রয় নেয় ৷৩ তার নিকট গিয়ে দয়া ও
অনুগ্রহ লাভ করে ৷
-এওচ্৷ ৷ মোঃৰু১
আমার জীবনের কসম, আসয়াদ ও বিকর এ দু’গােত্র আমাদের প্ৰতি হিংসা বিদ্বেষ চরিতার্থ
করার পথে ণ্নমেছে ৷ তারা আমাদেরকে দলে-উপদলে বিভক্ত করেছে ভক্ষণকারীর জন্য ৷


-@ন্এে ৷ ;া৷ব্লুং , ৷ ৷;া০ ৷ ;,$’, এেট্রু ৷“ট্রুএ; ণ্ ঠুা;দ্ভু

উছমান এবং কুনফুয গোত্র আমাদের প্রতি অনিষ্ট সাধন থেকে বিরত থাকেনি ৷ বরং তারাও
উপরোল্লিখিত গোত্রগুলোর অনুসরণ করেছে ৷

এে
তারা উবাই এবং আবদ ইয়াপুছের পুত্রের আনুগত্য করেছে ৷ আমাদের ব্যাপারে কোন
বক্তব্য প্রদানকারীর বক্তব্যকে তারা গুরুত্ব দেয়নি ৷

যেমনটি আমরা অসৎ আচরণের সম্মুখীন হয়েছি সুবায় এবং নাওফিল গোত্রের পক্ষ থেকে ৷
তারা সকলেই মুখ ফিরিয়ে চলে গিয়েছে ৷ কেউই আমাদের সাথে তাল আচরণ করেনি ৷
;,া১
তারা যদি দুঃখ-দৃর্দণার সম্মুখীন হয় অথবা আল্লাহ্ তাআলা আমাদেরকে তাদের উপর
বিজয় দেন, তবে আমরা তাদেরকে কড়ায় গণ্ডায় প্রতিদান দেবাে ৷

১ )

ওই যে আবু আমর, আমাদের প্রতি হিং সা বিদ্বেষ ছাড়া যে অন্য কিছু জানে না ৷ সে চায়
আমাদেরকে এখান থেকে তা ৷ড়িয়ে বকরীপা ৷লক ও উটপালকদের মধ্যে পা ৷ঠিয়ে দিতে ৷

ণ্

ট্রুা;হ্র ণ্; ১াট্রু

আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রচনায় সে সকাল-সন্ধ্য৷ ক ৷নড়াঘুষ৷ করে ৷ হে আবু আমরা তুমি
গোপন আলোচনা চালিয়ে যাও এবং ষড়যন্ত্র পাকাতে থাক ৷


আল্লাহ্ তা জানা আমাদেরকে এমন কিছু দান করবেন যা আমাদেরকে ঢেকে ফেলবে ৷ হা
তুমি তা প্রকাশ্যে দেখতে পাবে ৷ সেটি গোপন থাকবে না ৷

প্ান্৮এেপু মোঃৰু ;;এে


قَوْمِهِ، قَالَ قَصِيدَتَهُ الَّتِي تَعَوَّذَ فِيهَا بِحَرَمِ مَكَّةَ، وَبِمَكَانِهَا مِنْهَا، وَتَوَدَّدَ فِيهَا أَشْرَافَ قَوْمِهِ، وَهُوَ عَلَى ذَلِكَ يُخْبِرُهُمْ وَغَيْرَهُمْ فِي شِعْرِهِ أَنَّهُ غَيْرُ مُسْلِمٍ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَلَا تَارِكُهِ لِشَيْءٍ أَبَدًا حَتَّى يَهْلِكَ دُونَهُ، فَقَالَ: وَلَمَّا رَأَيْتُ الْقَوْمَ لَا وُدَّ فِيهِمُ ... وَقَدْ قَطَّعُوا كُلَّ الْعُرَى وَالْوَسَائِلِ وَقَدْ صَارَحُونَا بِالْعَدَاوَةِ وَالْأَذَى ... وَقَدْ طَاوَعُوا أَمْرَ الْعَدُوِّ الْمُزَايِلِ وَقَدْ حَالَفُوا قَوْمًا عَلَيْنَا أَظِنَّةً ... يَعَضُّونَ غَيْظًا خَلْفَنَا بِالْأَنَامِلِ صَبَرْتُ لَهُمْ نَفْسِي بِسَمْرَاءَ. سَمْحَةٍ ... وَأَبْيَضَ عَضْبٍ مِنْ تُرَاثِ الْمَقَاوِلِ وَأَحْضَرْتُ عِنْدَ الْبَيْتِ رَهْطِي وَإِخْوَتِي ... وَأَمْسَكْتُ مِنْ أَثْوَابِهِ بِالْوَصَائِلِ قِيَامًا مَعًا مُسْتَقْبِلِينَ رِتَاجَهُ ... لَدَى حَيْثُ يَقْضِي حَلْفَهُ كُلُّ نَافِلِ وَحَيْثُ يُنِيخُ الْأَشْعَرُونَ رِكَابَهُمْ ... بِمُفْضَى السُّيُولِ مِنْ إِسَافٍ وَنَائِلِ مُوَسَّمَةَ الْأَعْضَادِ أَوْ قَصَرَاتِهَا ... مُخَيَّسَةً بَيْنَ السَّدِيسِ وَبَازِلِ تَرَى الْوَدْعَ فِيهَا وَالرُّخَامَ وَزِينَةً ... بِأَعْنَاقِهَا مَعْقُودَةً كَالْعَثَاكِلِ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ مِنْ كُلِّ طَاعِنٍ ... عَلَيْنَا بِسُوءٍ أَوْ مُلِحٍّ بِبَاطِلِ
পৃষ্ঠা - ১৮৪৬


আমাদের প্ৰতি৩ার বিদ্বেষের ফলশ্রুতিতে আখশাব ও মুজাদিল পাহাড়ের মধ্যবর্তী সকল
টিলা তার জন্যে সংকীর্ণ ও সংবল্টপন্ন হয়ে উঠেছে ৷


আবু ওয়ালিদকে জিজ্ঞেস করি, আমাদের প্রতি তোমার ঘৃণা তৎপরতা ও প্রতারকের ন্যায়
আচরণ দ্বারা তুমি আমাদের কতটুকু ক্ষতি করতে পেরেছ ?

fl ’

ট্টোট্রল্ক৷ এ


তুমি আমাদের মধ্যে এমন একজন লোক ছিলে যে আপন বিবেক বিবেচনা অনুসরণ করে
বংদয়া দা ৷ক্ষিণ্য সহ জীবন যাপন করতে ৷ তুমি ণ্ডে ৷ ইতোপুর্বে মুর্থ ছিলে না ৷




ৰু মোঃ

এরপর হে উতবা ৷ আমাদের ব্যাপারে তুমি কোন শত্রু , হিংসুক, বিদ্বেষ পােষণকারী ও দুষ্ট
লোকের কথা শ্রবণ করো না?

০ শ্ শ্


আবু সুফিয়ান আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে চলে গিয়েছে ৷ যেমন চলে যায় বড় বড়
রাজড়া-বাদশাহদের কেউ কেউ ৷
যে চলে যায় নাজ্বদ অঞ্চলে এবং তার শীতল পানির দেশে ৷ সে আসে যে, তোমাদের
ব্যাপারে আমি নির্লিপ্ত নই ৷
প্রু১ ৷ এ
কল্যাণকামী মানুষের কর্মের ন্যায় সে আমাদেরকে জানায় যে, যে আমাদের প্ৰতি
সহানুভুতিশীল ৷ আর তা ড়ার অন্তর্নিহিত শক্রতা সে লুকিয়ে রাখে ৷



র্স্ট১া৷১৷ ৷ ”fl ৷ ৰুাট্রু; ৷
হে মুতঈম, আমাদের বিজয়ের দািন আমি তোমাকে অপমানিত করব না ৷ বিপদাপদ ও
গুরুত্বপুর্ণ কর্মকাণ্ডের দিলেও নয় ৷
ৰুাঠু
তর্কপটু প্রচণ্ড ঝগড়া টে তাবিকি প্রতিপক্ষ যেদিন তোমার সাথে তর্ক করার জন্যে উপস্থিত
হবে, সেদিনও আমি তোমাকে অপদন্থ করবো না ৷
হে মুতঈম, সম্প্রদায়ের লোকেরা তোমাকে চারিদিকে চিহ্নিত করে আক্রমণের অক্ষ্যস্থল
বানিয়েছে ৷ তবে আমি যখন কারো দায়িতৃপ্রাপ্ত হই, তখন তাকে ধ্বংস হতে দিই না ৷


وَمِنْ كَاشِحٍ يَسْعَى لَنَا بِمَعِيبَةٍ وَمِنْ مُلْحَقٍ فِي الدِّينِ مَا لَمْ نُحَاوِلِ ... وَثَوْرٍ وَمَنْ أَرْسَى ثَبِيرًا مَكَانَهُ وَرَاقٍ لِبِرٍّ فِي حِرَاءٍ وَنَازِلِ ... وَبِالْبَيْتِ حَقِّ الْبَيْتِ مِنْ بَطْنِ مَكَّةٍ وَبِاللَّهِ إِنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِغَافِلِ ... وَبِالْحَجَرِ الْمُسْوَدِّ إِذْ يَمْسَحُونَهُ إِذَا اكْتَنَفُوهُ بِالضُّحَى وَالْأَصَائِلِ ... وَمَوْطِئِ إِبْرَاهِيمَ فِي الصَّخْرِ رَطْبَةً عَلَى قَدَمَيْهِ حَافِيًا غَيْرَ نَاعِلِ ... وَأَشْوَاطٍ بَيْنَ الْمَرْوَتَيْنِ إِلَى الصَّفَا وَمَا فِيهِمَا مِنْ صُورَةٍ وَتَمَاثِلِ ... وَمَنْ حَجَّ بَيْتَ اللَّهِ مِنْ كُلِّ رَاكِبٍ وَمِنْ كُلِّ ذِي نَذْرٍ وَمِنْ كُلِّ رَاجِلِ ... وَبِالْمَشْعَرِ الْأَقْصَى إِذَا عَمَدُوا لَهُ إِلَالًا إِلَى مُفْضَى الشِّرَاجِ الْقَوَابِلِ ... وَتَوْقَافِهِمْ فَوْقَ الْجِبَالِ عَشِيَّةً يُقِيمُونَ بِالْأَيْدِي صُدُورَ الرَّوَاحِلِ ... وَلَيْلَةِ جَمْعٍ وَالْمَنَازِلِ مِنْ مِنًى وَهَلْ فَوْقَهَا مِنْ حُرْمَةٍ وَمَنَازِلِ ... وَجَمْعٍ إِذَا مَا الْمُقْرِبَاتُ أَجَزْنَهُ سِرَاعًا كَمَا يَخْرُجْنَ مِنْ وَقْعِ وَابِلِ ... وَبِالْجَمْرَةِ الْكُبْرَى إِذَا صَمَدُوا لَهَا يَؤُمُّونَ. قَذْفًا رَأْسَهَا بِالْجَنَادِلِ ... وَكِنْدَةَ إِذْ هُمْ بِالْحِصَابِ عَشِيَّةً تُجِيزُ بِهِمْ حُجَّاجُ بَكْرِ بْنِ وَائِلِ
পৃষ্ঠা - ১৮৪৭


০ ) ণ্ ণ্ ;


আমরা যদি দলবদ্ধ ও বহুজনের সমষ্টি হতে পারতাম, তোমরা যা করেছ তার সবগুলোই
ঝেড়ে-মৃছে নিশ্চিহ্ন করে দিতাম ৷ আর আমাদের আনীত বিষয়ের অনুসরণ করে তোমরা
সংরক্ষিত দুধেল ট্ষ্টীব দুধ দোহন করতে ৷

লুওয ই ইবন গ্লালিব গোত্রে বহু মাধ্যম ছিল ৷ সম্মানিত ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ওগুলো
আমাদের দিকে ঠেলে দিয়েছেন ৷

শ্শ্শ্শ্শ্ : শ্ ) fl :

নুফায়ল গোত্রের লোকজন তো এমন যে, জুডো পারে ও নগ্নপায়ে পৃথিবীতে যত
বিচরণকারী আছে সবার মধ্যে ওরা মন্দতর ও নিকৃষ্টতম ৷
ষ্এট্টঙ্এ
কুসাইর গোত্রকে সংবাদ দাও যে, অচিরেই আমাদের ব্যাপারটি বিস্তার লাভ করবে ৷
কুসাইর গােত্রকে আরো জানিয়ে দাও যে, আমাদের এ অবস্থার পর তাদের লাঞ্চুনার যুগ শুরু
হবে ৷
হ্রাপু এ টুট্রুষ্)পুা টুড্রু

আমি যদি রাতের বেলা কুসাই এর নিকট যাই আর কুসা ইির গোত্রের আশ্রয় ব্যতীত অন্য
কোন স্থানে আশ্রয় নিই, তবে তা অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার বলে গণ্য হবে ৷

০ ) ’

াৰুগ্লুওাশুত্রএ

তারা যদি নিজেদের গৃহ ও পরিবারের মধ্যে আমাদের সঠিক পরিচয় বর্ণনা করে, তবে
সম্ভানবর্তী মাতাদের নিকট আমরা সহানুভুতির পাত্র বলে বিবেচিত হয় ৷

আমাদের সকল বন্ধু এবং ভাগ্নেদের ব্যাপারে যখন আমরা হিসেব কবি এবং পর্যালোচনা
করি, তখন দেখতে পইি যে, তারা আমাদের প্রতি নির্যাতনকারী ৷ মোটেও অনুগ্রহশীল ও দয়ালু
নয় ৷

শ্ শ্



১ এই লাইন এবং এর পুর্বের লাইন এ দুটো লাইন আসলায়ন গ্রন্থে নেই ৷ সীরাতে ইবন হিশাম থেকে আমরা
এ দুটো লাইন এসেছি ৷

২ এঞএ্ ৷ বাচ্চাওয়ালা মহিলা ৷


حَلِيفَانِ شَدَّا عَقْدَ مَا احْتَلَفَا لَهُ ... وَرَدَّا عَلَيْهِ عَاطِفَاتِ الْوَسَائِلِ وَحَطْمِهِمُ سُمْرَ الصِّفَاحِ وَسَرْحَهُ ... وَشِبْرِقَهُ وَخْدَ النَّعَامَ الْجَوَافِلِ فَهَلْ بَعْدَ هَذَا مِنْ مُعَاذٍ لِعَائِذٍ ... وَهَلْ مِنْ مُعِيذٍ يَتَّقِي اللَّهَ عَاذِلِ يُطَاعُ بِنَا الْعِدَى وَوَدُّوا لَوَ انَّنَا ... تُسَدُّ بِنَا أَبْوَابُ تُرْكٍ وَكَابُلِ كَذَبْتُمْ وَبَيْتِ اللَّهِ نَتْرُكَ مَكَّةً ... وَنَظْعَنُ إِلَّا أَمْرُكُمْ فِي بَلَابِلِ كَذَبْتُمْ وَبَيْتِ اللَّهِ نُبْزَى مُحَمَّدًا ... وَلَمَّا نُطَاعِنْ دُونَهُ وَنُنَاضِلِ وَنُسْلِمُهُ حَتَّى نُصَرَّعَ حَوْلَهُ ... وَنَذْهَلَ عَنْ أَبْنَائِنَا وَالْحَلَائِلِ وَيَنْهَضَ قَوْمٌ بِالْحَدِيدِ إِلَيْكُمُ ... نُهُوضَ الرَّوَايَا تَحْتَ ذَاتِ الصَّلَاصِلِ وَحَتَّى نَرَى ذَا الضِّغْنِ يَرْكَبُ رَدْعَهُ ... مِنَ الطَّعْنِ فِعْلَ الْأَنْكَبِ الْمُتَحَامِلِ وَإِنَّا لَعَمْرُ اللَّهِ إِنْ جَدَّ مَا أَرَى ... لَتَلْتَبِسَنْ أَسْيَافُنَا بِالْأَمَاثِلِ بِكَفَّيْ فَتًى مِثْلِ الشِّهَابِ سَمَيْدَعٍ ... أَخِي ثِقَةٍ حَامِي الْحَقِيقَةِ بَاسِلِ شُهُورًا وَأَيَّامًا وَحَوْلًا مُجَرَّمًا ... عَلَيْنَا وَتَأْتِي حُجَّةٌ بَعْدَ قَابِلِ
পৃষ্ঠা - ১৮৪৮


তবে কিলাব ইবন মুর্রা গোত্রের কিছু লোক ব্যতিক্রম বটে ৷ আমাদের প্রতি লাঞ্চুনাদায়ক
অবাধ্যতা ও অসদাচরণ থেকে তারা মুক্ত ও পবিত্র ৷

’ : শ্

এট্টি১পুড্রুর্শ্বছুধ্া
তাদের জন্যে সাদর-সম্ভাষণ ৷ তাদের দলটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সীমালৎঘন-
কারী ও মুর্থ লোকদেরকে আমাদের থেকে দুরে সরিয়ে দিয়েছে ৷
এে টুব্লেট্রু
ওদের আওতায় মধ্যে আমাদের পানি পানের কুপ ছিল ৷ আর পালিব গোত্রের মধ্যে আমরা
ছিলাম নেতৃস্থানীয় ও প্রভাবশালী ৷

ওরা উল্লিখিত গোত্রদ্বয় এবং হাশিম বং শীয় স্দ্রাম্ভ গোত্রের একদল তারুণ্যে উদ্দীপ্ত

সুগন্ধিতে হাত রেখে শপথকারী যুবক ৷ যেমন রেত পরিচালনাকড়ারী কর্মকারদের সম্মুখে ভীক্ষ্ণ
দেদীপ্যমান তলোয়াররাশি ৷

াপ্রু£)র্দু৷ এে

তারা কোন হিৎসা-বিদ্বেষ পোষণ করেনি, কোন প্রকারের খুন-খারাবি করেনি এবং অসত্
গোত্রগুলাের সাথে মৈত্রী বন্ধন স্থাপন করেনি ৷

ওরা এমন এক গোত্র, তুমি প্রহরীর ভুমিকা য় ওদের যুবকদেরকে দেখবে তারা যেন৩ তিলের
উপরের কালো আবরণ ৷



তারা সিনদাকী ও প্রেমময়ী এক ক্রীতদা সীর বংশধর ৷ আর কায়স ইবন আকিলের ক্রীতদাস
জুমাহের বংশধর ৷
পক্ষান্তরে আমরা নেতৃত্ব প্রদানকারী সন্তান্ত লোকদের বংশধর ৷ যুদ্ধ-বিগ্রহের সময় আমাদের
সাহসী পুর্বপুরুষদের নামের মধ্যে থাকত শত্রুপক্ষের মৃত্যু-সৎবাদ ৷

০ ’ :

সত্যিই সম্প্রদায়ের ভাপ্লে গোত্র যুহায়র গোত্র খুব ভাল গোত্র ৷ ত রা সাহসী ও যোদ্ধা বটে
জ্যি অন্যায় আক্রমণের দায় থেকে পবিত্র ও মুক্ত ৷




وَمَا تَرْكُ قَوْمٍ لَا أَبَا لَكَ سَيِّدًا يَحُوطُ الذِّمَارَ غَيْرَ ذَرْبٍ مُوَاكِلِ ... وَأَبْيَضَ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ ثِمَالَ الْيَتَامَى عِصْمَةً لِلْأَرَامِلِ ... يَلُوذُ بِهِ الْهُلَّاكُ مِنْ آلِ هَاشِمٍ فَهُمْ عِنْدَهُ فِي رَحْمَةٍ وَفَوَاضِلِ ... لَعَمْرِي لَقَدْ أَجْرَى أَسِيدٌ وَبِكْرُهُ إِلَى بُغْضِنَا وَجَزَّآنَا لِآكِلِ ... وَعُثْمَانُ لَمْ يَرْبَعْ عَلَيْنَا وَقُنْفُذٌ وَلَكِنْ أَطَاعَا أَمْرَ تِلْكَ الْقَبَائِلِ ... أَطَاعَا أُبَيًّا وَابْنَ عَبْدِ يَغُوثِهِمْ وَلَمْ يَرْقُبَا فِينَا مَقَالَةَ قَائِلِ ... كَمَا قَدْ لَقِينَا مِنْ سُبَيْعٍ وَنَوْفَلٍ وَكُلٌّ تَوَلَّى مُعْرِضًا لَمْ يُجَامِلِ ... فَإِنْ يُلْفَيَا أَوْ يُمْكِنِ اللَّهُ مِنْهُمَا نَكِلْ لَهُمَا صَاعًا بِصَاعِ الْمُكَايِلِ. ... وَذَاكَ أَبُو عَمْرٍو أَبَى غَيْرَ بُغْضِنَا لِيُظْعِنَنَا فِي أَهْلِ شَاءٍ وَجَامِلِ ... يُنَاجِي بِنَا فِي كُلِّ مُمْسًى وَمُصْبَحٍ فَنَاجِ أَبَا عَمْرٍو بِنَا ثُمَّ خَاتَلِ ... وَيُؤْلِي لَنَا بِاللَّهِ مَا إِنْ يَغُشُّنَا بَلَى قَدْ نَرَاهُ جَهْرَةً غَيْرَ حَائِلِ ... أَضَاقَ عَلَيْهِ بُغْضُنَا كُلَّ تَلْعَةٍ مِنَ الْأَرْضِ بَيْنَ أَخْشُبٍ فَمُجَادِلِ
পৃষ্ঠা - ১৮৪৯


@

এওঞ্জোা র্চু এে১এট্র৷ মোঃ

আমি নিজেকে দিয়ে তার চারিদিকে রক্ষা ব্যুহ তৈরী করেছি এবং তাকে নিরাপদ বুরবুখছি ৷
আমার চোখের পানি এবং বক্ষ পেতে দিয়ে তার প্রতি আগত আক্রমণ আমি প্রতিহত করেছি ৷

ইবন হিশাম বলেন, কাসীদার এই অংশটি বিশুদ্ধ সুত্রে আমার নিকট পৌছেছে ৷ কতক
বিতা বিশেষজ্ঞ এ কাসীদার অধিকাৎশ বিশুদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ৷

আমি বলি এটি একটি সুদীর্ঘ, উচ্চাদের ও প্রাঞ্জল কবি৩া ৷ যবুক এর রচয়িতা ববুল প্রকাশ
করা হয়েছে৩ তিনি ব্যতীত অন্য কারো পক্ষে এমন কবিতা রচনা করা সন্তবও নয় ৷ এটি সাবআ
মুআল্লাকাত অপেক্ষা অধিকতর উন্নত এবং তার ও বিষয়ের উৎকর্যতার দিক থেকে ওই
সবগুলো থেকে উত্তম ৷ উমাবী আরো কিছু অতিরিক্ত চরণ সআংাজন কবুর কাসীদাটি তার
মাগাযী গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

পরিবুচ্ছদ

ইবন ইসহাক বলেন, এরপর তারা ইসলাম গ্রহণকারী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অনুসারী
সাহাবীগণের উপর নির্যাতন শুরু কবুর ৷ প্রত্যেক গোত্রের লোকজন তাদের নিজ নিজ গোত্রের
মুসলমানদের উপর বাপিয়ে পড়ে ৷ ইসলাম তব্রাবুগ বাধ্য করার জন্যে তারা দুর্বল
মুসলমানদেরকে বন্দী কবুর রাখা, ক্ষুধা-৩ তষ্ণায় কষ্ট দেয়া, প্রহার করা এবং প্রখর রৌদ্রে উত্তপ্ত
মরুভুমিবুত পাথর চাপা দেয়াসহ নানা প্রকারের নির্যাতন চালাতে থাকে ৷ সীমাহীন নির্যাতনের
মুখে কেউ কেউ বাহ্যিক ভাবে ইসলাম ত্যাগের কথা উচ্চারণ করেন ৷ আবার শত নির্যাতনের
মুখেও কেউ কেউ ইসলাম ধর্মে অবিচল থাকেন এবং অ আল্লাহ্ তা আলা তাদেরকে মুশরিকদের
হাত থেকে রক্ষা করেন ৷
হযরত আবু বকর (রা) এর ক্রীতদাস হযরত বিলাল (রা) ছিলেন তখন বনু জুমাহ্
গোত্রের ক্রীতদাস ৷ জন্মগ৩ ভাবে তিনি ওদের ক্রী৩ দাস ছিলেন ৷ তার পুরো নাম বিলাল
ইবন রড়াবাহ ৷ মায়ের নাম হামামা ৷ তিনি ছিলেন একজন পুণ্যাত্মা র্খাটি মুসলমান ৷ তার
মালিক ক ফির উমাইয়া ইবন খাল্ফ প্রচণ্ড রৌদ্রতাপদগ্ধ দুপুবুরতাতবুক মাঠে নিয়ে যেত ৷
৩ারপর তাবুক চিৎ করে শুইবুয় বুকের উপর বড় বড় পাথর চাপিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিত ৷
তার নিবুর্দশানৃসারে হযরত বিলাল (রা)-এর বুকের উপর বড় বড় পাথর চাপিয়ে দেয়া হত ৷
এরপর পাষণ্ড উমাইয়া বলত, আল্লাহ্র কসম, যতক্ষণ তুই মুহাম্মাদকে ছেড়ে দিয়ে লাভ ও
উবযার উপাসনা না করবি কিৎবা যতক্ষণ বুতার মৃত্যু না হবুব ততক্ষণ তুই এভাবেই
থাকবি ৷ কিন্তু এ অবস্থায়ও হযরত বিলাল (রা) অবিরত বলবুত থাকবুতন, আহাদ, আহাদ
আল্লাহ্ এক ! আল্লাহ এক ! !
ইবন ইসহাক বলেন, হিশাম ইবন উরওয়া তার পিতার বরাবুত আমাকে ববুলবুছন
যে, হযরত বিলাল (রা) এভাবে নির্যাতিত হচ্ছিলেন আর আহাদ আহাদ’ বলে ঘোষণা
দিচ্ছিলেন ৷ এ অবস্থায় ওয়ারাকা ইবন নাওফিল তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিবুলন ৷ তিনি বললেন,
হয়ে আল্লাহ্ এ যে বিলাল ৷ এরপর তিনি উমাইয়া ইবন খাল্ফ এবং জুমাহ গোত্রের যারা


وَسَائِلْ أَبَا الْوَلِيدِ مَاذَا حَبَوْتَنَا ... بِسَعْيِكَ فِينَا مُعْرِضًا كَالْمُخَاتِلِ وَكُنْتَ امْرَأً مِمَّنْ يُعَاشُ بِرَأْيِهِ ... وَرَحْمَتِهِ فِينَا وَلَسْتَ بِجَاهِلِ فَعُتْبَةُ لَا تَسْمَعْ بِنَا قَوْلَ كَاشِحٍ ... حَسُودٍ كَذُوبٍ مُبْغِضٍ ذِي دَغَاوِلِ وَمَرَّ أَبُو سُفْيَانَ عَنِّي مُعْرِضًا ... كَمَا مَرَّ قَيْلٌ مِنْ عِظَامِ الْمَقَاوِلِ يَفِرُّ إِلَى نَجْدٍ وَبَرْدِ مِيَاهِهِ ... وَيَزْعُمُ أَنِّي لَسْتُ عَنْكُمْ بِغَافِلِ وَيُخْبِرُنَا فِعْلَ الْمُنَاصِحِ أَنَّهُ ... شَفِيقٌ وَيُخْفِي عَارِمَاتِ الدَّوَاخِلِ أَمُطْعِمُ لَمْ أَخْذُلْكَ فِي يَوْمِ نَجْدَةٍ ... وَلَا مُعْظِمٍ عِنْدَ الْأُمُورِ الْجَلَائِلِ وَلَا يَوْمِ خَصْمٍ إِذْ أَتَوْكَ أَلِدَّةً ... أُولِي جَدَلٍ مِنَ الْخُصُومِ الْمُسَاجِلِ أَمُطْعِمُ إِنَّ الْقَوْمَ سَامُوكَ خُطَّةً ... وَإِنِّي مَتَى أُوكَلْ فَلَسْتُ بِوَائِلِ جَزَى اللَّهُ عَنَّا عَبْدَ شَمْسٍ وَنَوْفَلًا ... عُقُوبَةَ شَرٍّ عَاجِلًا غَيْرَ آجِلِ بِمِيزَانِ قِسْطٍ لَا يُخِسُّ شَعِيرَةً ... لَهُ شَاهِدٌ مِنْ نَفْسِهِ غَيْرُ عَائِلِ لَقَدْ سَفُهَتْ أَحْلَامُ قَوْمٍ تَبَدَّلُوا ... بَنِي خَلَفٍ قَيْضَا بِنَا وَالْغَيَاطِلِ وَنَحْنُ الصَّمِيمُ مِنْ ذُؤَابَةِ هَاشِمٍ ... وَآلِ قُصَيٍّ فِي الْخُطُوبِ الْأَوَائِلِ
পৃষ্ঠা - ১৮৫০


এ নৃশংস অত্যাচারে জড়িত ছিল তাদের নিকট গেলেন এবং বললেন আমি আল্লাহর
কসম করে বলছি, তোমরা যদি তাকে এভাবে হত্যা কর, তবে আমি তাকে একজন
দরবেশরুপে গণ্য করবো ৷ ,

আমি বলি, কেউ কেউ এ বর্ণনাটিকে মর্মপত দিক থেকে বাস্তবতাবর্জিত বলে গণ্য করেন ৷
কারণ, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওহীপ্রাপ্তির পরপর ওহী বিরতির মেয়াদকালে ওয়ারাকা ইবন
নাওফিলের মৃত্যু হয় ৷ আর প্রথম যুগে যারা ইসলামগ্রহণ করেছেন তাদের ইসলামগ্রহণ ছিল
ওহী বিরতির মেয়াদশেষে ’ট্র,াং৷ ৷ ঠুট্রু১ নাযিল হওয়ার পর ৷ তাহলে হযরত বিলালের
অত্যাচারিত হওয়ার প্রাক্কালে ওয়ারাকা তার পাশ দিয়ে যেতে পারেন কী করে ? সুতরাং এ
বর্ণনার গ্রহণযোগ্যতা সন্দেহাভীত নয় ৷

ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে, হযরত বিলাংলর নির্যাতিত হাওয়ার সময় হযরত আবু
বকর (রা) ওদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ এরপর একটি কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাসের বিনিময়ে তিনি উমইিয়া
ইবন খালফ থেকে তাকে কিনে নিয়ে মুক্ত করে এই কঠোর নির্যাতন থেকে রেহাই দেন ৷ হযরত
আবু বকর (রা) ইসলাম গ্রহণকারী যাদেরকে ক্রয় করে নিয়েছিলেন সে সকল ক্রীতদাস ও
ক্রীতদাসীর সংখ্যা অনেক ৷ তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন হযরত রিলাল (বা) , আমির ইবন
ফুহায়রা (রা) উম্মু উমায়স১ (রা) , তার চোখ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ পরে আল্লাহ্ তার দৃষ্টিশক্তি
ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ৷ নাহদিয়্যা (রা) ও তার কন্যা ৷ তাদেরকে বনু আবদুদ্দার গোত্র থেকে
তিনি ক্রয় করেছিলেন ৷ র্তাদের মহিলা মালিক তাদেরকে পাঠিয়েছিল গম ভাঙ্গার জন্যে ৷ হযরত
আবু বকর (রা) শুনছিলেন যে, তাদের মালিক বলছিল আল্লাহর কসম , আমি কখনো তোমাদের
দু’জনকে যুক্তি দেবাে না ৷ তখন হযরত আবু বকর (রা) বললেন, হে অমুকের মা ! তুমি তোমার
শপথ ভেঙে ফেল ৷ সে বলল, আপনি বরং তার ব্যবস্থা করুন ৷ আপনি তো ওদেরকে পথভ্রষ্ট
করে দিয়েছেন ৷ আপনি গিয়ে ওদেরকে যুক্ত করুন ৷ তিনি বললেন, কত মুল্যে তুমি ওদেরকে
আমার নিকট হস্তান্তর করবে ? সে বলল, এত এত মুল্যে ৷ হযরত আবু বকর (রা) বললেন,
আমি ওদেরকে গ্রহণ করলাম ৷

এখন ওরা দু’জন মুক্ত ৷ তোমরা যাও, ওর গম ওকে ফিরিয়ে দাও ৷ র্তারা বললেন, হে আবু
বকর (রা) ৷ পেষার কাজ শেষ করে আমরা তা ফিরিয়ে দেবাে ? তিনি বললেন, এটা তোমাদের
ইচ্ছা ৷

হযরত আবু বকর (রা) বনু মুআম্মাল গোত্রের একটি ক্রীতদাসী ক্রয় করেছিলেন ৷ বনু
মুআম্মাল গোত্র হল বনু আদী ৫গাংত্রর একটি শাখা গোত্র ৷ ইসলামগ্রহণের কারণে উমর যাকে
প্ৰহার করতেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু আতিক বর্ণনা করেছেন আমির
ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র থেকে ৷ তার পরিবারের জনৈক লোকের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি



১ আসলায়ন গ্রন্থে রয়েছে উম্মু উমায়স ৷ বিশুদ্ধ অভিমত এই যে, র্ষার দৃষ্টিশক্তি ল্যেপ পেয়েছিল তিনি হলেন
যিমনিরাহ ৷ হতে পারে যে, অনুলেখকের লেখার সময় ওই নামটি ছুটে যায় ৷ কারণ, ইবন হিশাম ওই
নামটি উম্মু উমায়সের পর উল্লেখ করেছেন ৷


وَسَهْمٌ وَمَخْزُومٌ تَمَالَوْا وَأَلَّبُوا عَلَيْنَا الْعِدَى مِنْ كُلِّ طِمْلٍ وَخَامِلِ ... فَعَبْدَ مَنَافٍ أَنْتُمْ خَيْرُ قَوْمِكُمْ فَلَا تُشْرِكُوا فِي أَمْرِكُمْ كَلَّ وَاغِلِ ... لَعَمْرِي لَقَدْ وَهَنْتُمُ وَعَجَزْتُمُ وَجِئْتُمْ بِأَمْرٍ مُخْطِئٍ لِلْمَفَاصِلِ ... وَكُنْتُمْ حَدِيثًا حَطْبَ قَدْرٍ وَأَنْتُمُ أَلَانَ حِطَابُ أَقْدُرٍ وَمَرَاجِلِ ... لِيَهْنِ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ عُقُوقُنَا . وَخِذْلَانُنَا وَتَرْكُنَا فِي الْمَعَاقِلِ ... فَإِنْ نَكُ قَوْمًا نَتَّئِرْ مَا صَنَعْتُمُ وَتَحْتَلِبُوهَا لِقْحَةً غَيْرَ بَاهِلِ ... وَسَائِطُ كَانَتْ فِي لُؤَيِّ بْنِ غَالِبٍ نَفَاهُمْ إِلَيْنَا كُلَّ صَقْرٍ حُلَاحِلِ ... وَرَهْطُ نُفَيْلٍ شَرُّ مَنْ وَطِئَ الْحَصَى وَأَلْأَمُ حَافٍ مِنْ مَعَدٍّ وَنَاعِلِ ... فَأَبْلِغْ قُصَيًّا أَنْ سَيُنْشَرُ أَمْرُنَا وَبَشِّرْ قُصِيًّا بَعْدَنَا بِالتَّخَاذُلِ ... وَلَوْ طَرَقَتْ لَيْلًا قُصَيًّا عَظِيمَةٌ إِذَا مَا لَجَأْنَا دُونَهُمْ فِي الْمَدَاخِلِ ... وَلَوْ صَدَقُوا ضَرْبًا خِلَالَ بُيُوتِهِمْ لَكُنَّا أُسًى عِنْدَ النِّسَاءِ الْمَطَافِلِ ... فَكُلُّ صَدِيقٍ وَابْنُ أُخْتٍ نَعُدُّهُ لَعَمْرِي وَجَدْنَا غِبَّهُ غَيْرَ طَائِلِ
পৃষ্ঠা - ১৮৫১


বলেন, আবু কুহাফা তদীয় পুত্র আবু বকরকে বলেছিলেন, হে বৎস ৷ আমি তো তোমাকে
দেখছি যে, তুমি শুধু দুর্বল দাসদাসীগুলাে মুক্ত করছ ৷ ক্রীতদাস মুক্ত করতে গিয়ে তুমি যদি
াস্থ্যবান ও শক্তিশালী লোক মুক্ত করতে, তবে তারা তোমাকে রক্ষা করতে পারত এবং
তােমার পাশে দীড়াত ৷ তখন আবু বকর (রা) বলেছিলেন, পিতা ! আমার এ কাজের পেছনে
একটি মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে ৷ বর্গনাকাবী বলেন, এরপর একথা সর্বত্র আলোচিত হয়েছে যে,
হযরত আ বুবকর (রা) ও তার পিতার কথােপকথন উপলক্ষে নিম্নোক্ত আয়াত গুলো নাযিল হয়ষ্ :

প্রুৰু,ৰু

সুতরাং কেউ দান করলে, ঘুত্তাকী হলে এবং যা উত্তম তা গ্রহণ করলে আমি তার জন্যে
সুগম করে দিব সহজ পথ ৷ এবং কেউ কার্পণ্য করলে ও নিজেকোয়ষ্ সম্পুর্ণ মনে করলে আর
যা উত্তম তা বত্তনি করলে তার জন্যে আমি সুগম করে দিব কঠোর পরিণামের প থ ৷ এবং তার
সম্পদ তার কোন কাজে আসবে না যখন সে ধ্বং স হবে ৷ আমার কাজ তো কেবল প থ-নির্দেণ
করা ৷ আমি তো মালিক পরলোকের ও ইহলােকের ৷ আমি তােমাদেরকে লেলিহান অগ্নি
সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছি ৷ তাতে প্রবেশ করবে সে যে নিতান্ত হতভাগ্য ৷ যে আীকার করে
এবং মুখ ফিরিয়ে নেয় ৷ আর সেটি থেকে বহুদুরে রাখা হবে পরম ঘুত্তাকীকে যোীয় সম্পদ
দান করে আত্মশুদ্ধির জন্যে এবং তার প্রতি কারো অন্যুারুহর প্রতিদানে নয় ৷ কেবল তার মহান
প্ৰতিপালকের সভৃষ্টির প্ৰত্যাশায় ৷ সে৫ তো অচিরেই সন্তোষ লাভ করবে (৯২৪ ৫ ২১) ৷

ইতোপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইমাম আহমদ (র) ও ইবন মাজা (র) আসিম ইবন
বাহদালা ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, সর্বপ্রথম ইসলাম
গ্রহণের কথা প্রকাশ করেছেন সাতজন ৷ রাসুলুরাহ্ (না)-আবু বকর (রা), আষ্মার (রা),
আম্মারের মা সুমাইয়া (রা), সুহায়ব (রা), বিলাল (বা) এবং মিকদাদ (রা) ৷ তাদের মধ্যে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তার চাচার মাধ্যমে আল্লাহ্ তাআলা হিফাযত করেছেন ৷াীয় সম্প্রদায়ের
মাধ্যমে তিনি আবু বকর (রা)-কে রক্ষা করেছেন ৷ অবশিষ্ট সকলকে মুশরিকরা ধরে নিয়ে যায়
এবং লোহার বম পরিয়ে প্রখর রৌদ্রে ফেলে রাখে ৷ ফলে, হযরত বিলাল (রা) ব্যতীত
অন্যান্যরা বাহ্যত মুশরিকদের নির্দেশ মেনে নেন ৷ হযরত বিলাল (বা) এমন ছিলেন যে,
আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় নিজের জীবনকে তিনি তুচ্ছ জ্ঞান করতেন এবং নিজের সম্প্রদায়ের
নিকটও তিনি তমন গুরুতুপুর্ণ বিবেচিত হতেন না ৷ ত ই তা বা তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং
ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের হাতে তুলে দেয় ৷ গলায় রশি বোধ তারা তাকে মক্কার পথে পথে
ঘুরাতে থা কে ৷ হযরত বিলাল শুধু বলছিলেন, আহাদ’ আহাদ’ ৷
সৃফিয়ান ছাওরী (র) উক্ত হাদীছ মানসুর সুত্রে তিনি মুজাহিদ থেকে মুরসাল রুপে বর্ণনা
করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বনু মাথযুম গোত্রের লোকেরা আম্মার ইবন ইয়াসির, তার পিতা এবং
মাতাকে খোলা প্রাম্ভরে নিয়ে যেত ৷ তাদের গোটা পরিবার ইসলামে দীক্ষিত হয়েছিল ৷ ওরা


سِوَى أَنَّ رَهْطًا مِنْ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ ... بَرَاءٌ إِلَيْنَا مِنْ مَعَقَّةِ خَاذِلِ وَهَنَّا لَهُمْ حَتَّى تَبَدَّدَ جَمْعُهُمْ ... وَيَحْسُرَ عَنَّا كُلُّ بَاغٍ وَجَاهِلِ وَكَانَ لَنَا حَوْضُ السِّقَايَةِ فِيهِمُ ... وَنَحْنُ الْكُدَى مِنْ غَالِبٍ وَالْكَوَاهِلِ شَبَابٌ مِنَ الْمُطَّيِّبِينَ وَهَاشِمٍ ... كَبِيضِ السُّيُوفِ بَيْنَ أَيْدِي الصَّيَاقِلِ فَمَا أَدْرَكُوا ذَحْلًا وَلَا سَفَكُوا دَمًا ... وَلَا حَالَفُوا إِلَّا شِرَارَ الْقَبَائِلِ بِضَرْبٍ تَرَى الْفِتْيَانَ فِيهِ كَأَنَّهُمْ ... ضَوَارِي أُسُودٍ فَوْقَ لَحْمٍ خَرَادِلِ بَنِي أَمَةٍ مَحْبُوبَةٍ هِنْدِكِيَّةٍ ... بَنِي جُمَحٍ عُبَيْدِ قَيْسِ بْنِ عَاقِلِ وَلَكِنَّنَا نَسْلٌ كِرَامٌ لِسَادَةٍ ... بِهِمْ نُعِيَ الْأَقْوَامُ عِنْدَ الْبَوَاطِلِ وَنِعْمَ ابْنُ أُخْتِ الْقَوْمِ غَيْرَ مُكَذَّبٍ ... زُهَيْرٌ حُسَامًا مُفْرَدًا مَنْ حَمَائِلِ أَشَمُّ مِنَ الشُّمِّ الْبَهَالِيلِ يَنْتَمِي ... إِلَى حَسَبٍ فِي حَوْمَةِ الْمَجْدِ فَاضِلِ لَعَمْرِي لَقَدْ كُلِّفْتُ وَجْدًا بِأَحْمَدٍ ... وَإِخْوَتِهِ دَأْبَ الْمُحِبِّ الْمُوَاصِلِ فَمَنْ مِثْلُهُ فِي النَّاسِ أَيُّ مُؤَمَّلٍ ... إِذَا قَاسَهُ الْحُكَّامُ عِنْدَ التَّفَاضُلِ
পৃষ্ঠা - ১৮৫২


নির্যাতনের মুখে আত্মরক্ষার জন্যে ওদের কথামত এরুপ বলতে হত ৷ আমি বলি, এ ধরনের

পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটে আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেন :

১১ টু,<পুটু ঙ্র্চুণ্ট্রুখুৰু ,ংা০ ০ ং ’ ধ্ট্রুএট্রু; ষ্টু,দ্বু’৷ ৰু;,টুধ্ ৰু৷ ৷ ধ্ন্ড্রুন্ ৷ (;; ট্রু ন্ৰু <াএ্াপ্রু )দ্বুদ্বু র্টু ন্টুধ্

“কেউ ঈমান আনয়নের পর আল্লাহ্কে অস্বীকার করলে এবং কুফরীর জন্যে হৃদয় উন্মুক্ত

রাখলে তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তার জন্যে আছে মহাশান্তি ৷ তবে তার

জন্যে বুনয় যাকে কুফরী করার জন্যে বাধ্য করা হয় ৷ কিন্তু তার অন্তর ঈমানে অবিচলিত

( ১৬ ১ :৬) ৷ বন্তুত তাদের প্রতি আপতিত নৃশংস জুলুম ও অত্যাচারের প্রেক্ষিতে তারা নিরুপায়

হয়ে গিয়েছিল ৷ আল্লাহ্ তাআলা নিজ কুদরত ও শক্তিতে আমাদেরকে ওই প্রকারের

জুলুম নির্যাতন থেকে রক্ষা করুন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু মুআবিয়া খাব্বাব ইবন আরতের বরাতে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেছেন, আমি এক সময় কর্মকার ছিলাম ৷ আস ইবন ওয়াইলের নিকট আমার
কিছুণ্ৰু পা ওনা ছিল ৷ পাওনা উসুল করার জন্যে আমি তার নিকট উপস্থিত হই সে বলে, তুমি
যতক্ষণ মুহাম্মদ (সা) কে প্রত্যাখ্যান না করবে ততক্ষণ তোমার পাওনা পরিশোধ করব না ৷
তখন আমি বললাম, “আমি মুহাম্মদ (না)-কে কখনো প্রত্যাখ্যান করব না ৷ এমনকি তোমার
মৃত্যু হলে এবং মৃত্যুর পর তুমি পুনরুথিত হলেও না ৷ তখন সে বলল, “তাহলে আমার মৃত্যুর
পর আমি পুনরুথিত হলে তখন সেখানে আমার ধনসম্পদ ও ছেলে যেয়ে নিশ্চয়ই থাকবে ৷
তুমি তখন আমার নিকট এসো, আমি সেখানে তোমার পাওনা পরিশোধ করে দোবা ৷ এ
প্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তা আলা নাযিল করলেন০ ং

আপনি কি লক্ষ্য করেছেন ওই ব্যক্তির প্রতি যে আমার আয়াতসমুহ প্রত্যাখ্যান করে এবং
বলে, “আমাকে ধন-সম্পদ এবং সন্তান-সম্ভতি দেয়া হবেই ৷” সে কি অদৃশ্য সম্বন্ধে অবগত
হয়েছে অথবা দয়াময়ের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি৷ লা ৩ করেছে ? কখনই নয়, সে যা বলেত তা আমি
লিখে রাখবই এবং তার শা ৷স্তি বৃদ্ধি করতে থাকর ৷ সে যে বিষয়ে কথা বলে, তা থাকবে আমার
অধিকারে এবং সে আমার নিকট আসবে একা (১৯ : ৭৭) ৷
ইমাম বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্যরা আমাশ সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ সহীহ্ বুখায়ীর
ভাষ্য এই : “আমি মক্কায় কর্মকার ছিলাম ৷ আস ইবন ওয়াইলকে আমি একটি তরবারি বানিয়ে

দিই ৷ পরে পারিশ্রমিক নিতে তার নিকট উপস্থিত হই ৷ এরপর তিনি পুর্ণ হাদীছটি বর্ণনা
করেন ৷



১ অন্য বর্ণনায় আবুজাহ্ল তার লজ্জান্থানে আঘাত করে বলে উল্লিখিত হয়েছে ৷ সম্পাদকদ্বয়


حَلِيمٌ رَشِيدٌ عَادِلٌ غَيْرُ طَائِشٍ ... يُوَالِي إِلَهًا لَيْسَ عَنْهُ بِغَافِلِ كَرِيمُ الْمَسَاعِي مَاجِدٌ وَابْنُ مَاجِدٍ ... لَهُ إِرْثُ مَجْدٍ ثَابِتٍ غَيْرِ نَاصِلِ وَأَيَّدَهُ رَبُّ. الْعِبَادِ بِنَصْرِهِ ... وَأَظْهَرَ دِينًا حَقُّهُ غَيْرُ زَائِلِ فَوَاللَّهِ لَوْلَا أَنْ أَجِيءَ بِسُبَّةٍ ... تُجَرُّ عَلَى أَشْيَاخِنَا فِي الْمَحَافِلِ لَكُنَّا اتَّبَعْنَاهُ عَلَى كُلِّ حَالَةٍ ... مِنَ الدَّهْرِ جِدًّا غَيْرَ قَوْلِ التَّهَازُلِ لَقَدْ عَلِمُوا أَنَّ ابْنَنَا لَا مُكَذَّبٌ ... لَدَيْنَا وَلَا يُعْنَى بِقَوْلِ الْأَبَاطِلِ فَأَصْبَحَ فِينَا أَحْمَدٌ فِي أَرُومَةٍ ... تُقَصِّرُ عَنْهَا سُورَةُ الْمُتَطَاوِلِ حَدِبْتُ بِنَفْسِي دُونَهُ وَحَمَيْتُهُ ... وَدَافَعْتُ عَنْهُ بِالذَّرَا وَالْكَلَاكِلِ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: هَذَا مَا صَحَّ لِي مِنْ هَذِهِ الْقَصِيدَةِ، وَبَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ يُنْكِرُ أَكْثَرَهَا. قُلْتُ: هَذِهِ قَصِيدَةٌ عَظِيمَةٌ فَصِيحَةٌ بَلِيغَةٌ جِدًّا ; لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَقُولَهَا إِلَّا
পৃষ্ঠা - ১৮৫৩


বুখারী (র) বলেন, হুমায়দী খাবৃবাব (বা) সুত্রে বলেন তিনি বলেছেন এক সময়

আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট উপ তহই ৷ তখন তিনি কা বাগৃহের ছায়ায় চাদরকে
বালিশ্ রুপে ব্যবহার করে শুয়ে ছিলেন ৷ আমরা তখন মুশবিকদের প্রচণ্ড নির্যাতনের শিকার
হচ্ছিলাম ৷ আমি তাকে বললাম, “আপনি কি আল্লাহর নিকট দু অ৷ করবেন না ?” আমার কথা
শুনে তিনি উঠে বললেন ৷ রাগেত নয় মুখমণ্ডল তখন রক্তিম হয়ে উঠেছে ৷ এরপর তিনি বললেন

তোমাদের পুর্বে যারা ছিল লৌহ নির্মিত চিরুনী দিয়ে নদের দেহ চিরে দেয়া হয়েছে ৷ দেহের
মাংসও শিরা ভেদ করে ন হাড় পর্যন্ত পৌছেছে ৷ এত অত্যাচার নির্যাতনও তাদেরকে দীন
থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি ৷ত তাদের মাথার উপর করাত রেখে :াদেরকে চিরে দু টুকব৷ করে
ফেলা হয়েছে ৷ তবু তাদেরকে দীন থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি ৷ মহান আল্লাহ আমাদের এই
দীনকে নিশ্চয়ই পুর্ণতা দান করবেন ৷ শেষে এমন এক পরিবেশ তৈ রী হবে যে পথিক সানাআ
থেকে হ দবামাউত পর্যন্ত দীর্ঘ পথ নিরাপদে অতিক্রম করবে ৷ একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত অন্য
কাউকে সে ভয় করবে না ৷ রাবী বুনান এত তটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা ৷করেছে, “তখন পথিকত
বকরীপালে বাঘের আক্রমণের আশংকাও করবে না ৷” অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, রাসুলুল্লারহ্
(সা) বলেছেন, “তোমরা কিভু ছুরা করে অস্থির হয়ে পড়ছ” এ অংশটি শুধু ইমাম বুখারী (র)
উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম এটুকু উদ্ধৃত করেননি ৷ খাবৃবাব (বা) থেকে অন্য সুত্রে একটি
হাদীছ বর্ণিত হয়েছে ৷ সেটি এটি অপেক্ষা সংক্ষিপ্ত ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুর রহমান খাবৃবাব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, ষুহরের নামায়ের সময়ে প্রচণ্ড গরম লাগার কথা অভিযোগ আকারে আমরা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে জানাই ৷ আমাদের অভিযোগ নিরসনে তিনি তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা
নেননি ৷ ইবন জা ফরের বর্ণনায় আছে যে, “তিনি অভিযোগ রুপে এটি গ্রহণ করেননি ৷

ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন সুলায়মান ইবন দাউদ খাবৃবাব (রা) সুত্রে
বলেছেন ৷ তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট দাবদাহের অভিযোগ পেশ
করলাম ৷ তিনি আমাদের অভিযোগ নিরসনে কোন ব্যবস্থা নিলেন না ৷ শুব৷ বলেন, অর্থাৎ
মধ্যাহ্নের দাবদাহ ৷

ইমাম মুসলিম, নাসা ঈ, বায়হা ৷কী প্রমুখ (র) আবু ইসহাক সুবাঈ খাবৃবাব (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন ৷ আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট প্রচণ্ড খরত নপের অভিযোগ
পেশ কবি ৷ বায়হাকীর বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে, “আমাদের হাতে ও মুখে প্রচণ্ড গরম লাগার

অনুযোগ কবি ৷ আমাদের অনুযোগ নিরসনে তিনি তাৎক্ষণিক কে ন ব্যবস্থা নেননি ৷ অন্য এক

বর্ণনায় আছে যে, “আমরা প্রচণ্ড গরমের মধ্যে নামায আদায় সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-^এর
নিকট অনুযোগ কবি ৷ তিনি তা নিরসনে কো ন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেননি ৷

ইবন মাজাও সংক্ষিপ্ত আকারে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ প্রথম হাদীছের মর্ম এই ছিল যে,
মুশবিকগণ কর্তৃক প্রচণ্ড উত্তপ্ত মরুভুমিতে নির্যাতন করার কথা তারা অভিযোগ আকারে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট পেশ করেন ৷ ওরা মুসলমানদেরকে উপুড় করে মাটিতে ফেলে টেনে
হিচড়ে নিয়ে যেত ৷ আর মুসলিমরা নিজেদের হাতের তালুর সাহায্যে নিজেদেরকে রক্ষার চেষ্টা


مَنْ نُسِبَتْ إِلَيْهِ، وَهِيَ أَفْحَلُ مِنَ الْمُعَلَّقَاتِ السَّبْعِ، وَأَبْلَغُ فِي تَأْدِيَةِ الْمَعْنَى مِنْهَا جَمِيعًا، وَقَدْ أَوْرَدَهَا الْأُمَوِيُّ فِي " مَغَازِيهِ " مُطَوَّلَةً بِزِيَادَاتٍ أُخَرَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.