আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب كيف بدأ الوحي إلى رسول الله - صلى الله عليه وسلم -

পৃষ্ঠা - ১৭১৫

য়াসুলুস্নাহ (না)-এর নবুওত লাভ এবং
এতদ্সস্পার্কিত কঃরকটি পুরতািস

মুহষ্মেদ ইবন ইসহাক বলেন, অনেক ইহুদী পণ্ডিত, নাসারা গণক এবং আরবের অনেকে
আবির্ভাবের আগেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে বলাবলি করতেন যে, তীর আগমনের সময় ঘনিয়ে
এসেছে ৷ ইহুদী ও নাসারা পণ্ডিতপণ তাদের কি৩ তাবসমুহে বর্ণিত রাসল (সা) এর গুণারলী ও
তার আগমন কালের বিবরণ এবং তাদের নযীদের প্রতিশ্রুতি থেকে রষয়টির ব্যাপারে অবহিত
হতে পেয়েছিলেন ৷ যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন :

ণ্ট্রিবু১১:ণ্ড্র
অর্থাৎ যারা অনুসরণ করে বা৩ ড়াবাহক উন্নী নবীর, যার উল্লেখ তাওরাত ও ইনৃজীল যা
তাদ্যেষ্ক নিকট আছে তাতে লিপিবদ্ধ পায়; (৭ আ রাফং ১৫৭)

আল্লাহ তা আলা অন্যত্র বলেন :

শ্



স্মরণ কর, যখন ঈসা ইবন মরিয়ম বলল, হে বনী ইসরাঈল আমি তোমাদের প্ৰতি প্রেরিত
আল্লাহ্র রাসুল, আমার আগমন পুর্বের তাওরাতের সত্যায়নকারী রুপে এবং এমন এক রড়াসুলের
সুসংবাদ দানকারী রুপে যিনি আমার পরে আগমন করবেন, যার নাম হবে আহমদ ৷

আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে বলেন ’ণ্র্ট




০ : : ) ’ : শ্


মুহাম্মদ আল্লাহ্র রাসুল ৷ তার সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে
পরস্পরের প্রতি সহড়ানুতুতিশীল; আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় প্প্খ্যাঃ মোঃন্নহ্রন্হ্০ চ্মোঃ

[بَابُ كَيْفَ بَدَأَ الْوَحْيُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -] َ - وَذِكْرُ أَوَّلِ شَيْءٍ أُنْزِلَ عَلَيْهِ مِنَ الْقُرْآنِ الْعَظِيمِ كَانَ ذَلِكَ وَلَهُ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنَ الْعُمُرِ أَرْبَعُونَ سَنَةً، وَحَكَى ابْنُ جَرِيرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ كَانَ عُمُرُهُ إِذْ ذَاكَ ثَلَاثًا وَأَرْبَعِينَ سَنَةً. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا قَالَتْ: «أَوَّلُ مَا بُدِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنَ الْوَحْيِ الرُّؤْيَا الصَّادِقَةُ فِي النَّوْمِ، فَكَانَ لَا يَرَى رُؤْيَا إِلَّا جَاءَتْ مِثْلَ فَلَقِ الصُّبْحِ، ثُمَّ حُبِّبَ إِلَيْهِ الْخَلَاءُ، فَكَانَ يَخْلُو بِغَارِ حِرَاءٍ فَيَتَحَنَّثُ فِيهِ وَهُوَ التَّعَبُّدُ اللَّيَالِيَ ذَوَاتِ الْعَدَدِ قَبْلَ أَنْ يَنْزِعَ إِلَى أَهْلِهِ،
পৃষ্ঠা - ১৭১৬


স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জিনকে যারা কুরআন পাঠ
শুনছিল ৷ যখন তারা তার নিকট উপস্থিত হলো, তারা বলল, চুপ করে শ্রবণ কর ৷ যখন কুরআন
পাঠ সমাপ্ত হলো, তারা তাদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে গেল সতর্ককারীরুপে ৷ তারা বলল, হে
আমাদের সম্প্রদায় ! আমরা এমন এক কিতাবের পাঠ শ্রবণ করেছি, যা অবতীর্ণ হয়েছে মুসার
পরে, এটা তার পুর্ববর্তী কিতাবকে সমর্থন করে এবং সত্য ও সরল পথের দিকে পরিচালিত
করে ৷ (৪৬ আহকাফ : ২৯৩০ )

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, ইয়াকুব ইবন উতবা ইবন মুগীরা ইবন আখনাস
বলেন, উল্কা নিক্ষেপের ফলে সর্বপ্রথম ভয় পেয়েছিল সাকীফ গোত্রের একটি শাখা ৷ আমর ইবন
উমাইয়া নামক বনু ইলাজ-এর অতি তীক্ষ্ণধী ও ধুর্ত এক ব্যক্তি ছিল ৷ সাকীফ এর সেই
সােকগুলো তার নিকট গিয়ে বলল, হে আমরা এসব উল্কা নিক্ষেপের ফলে আকাশে কী ঘটেছে,
আপনি কী তা লক্ষ্য করছেন না ? লোকটি বলল, হ্যা, লক্ষ্য করছি বৈকি ৷ তোমরা খোজ নিয়ে
দেখ, এটি কোন তারকা ষ্ যদি এটি জলে-ন্থলে , শীভ্রুতগ্রীভ্রুষ্ম দিক নির্ণয়কারী সেই তারকা হয়,
তবে আল্লাহ্র শপথ, এই ঘটনা দুনিয়ার বিপর্যয় আর এই সৃষ্টি জগতের ধ্বংস বৈ নয় ৷ আর
যদি এটি অন্য তারকা হয়, সেই তারকা যদি আপন স্থানে বহাল থাকে, তবে বুঝতে হয়ে এটি
আল্লাহ্র বিশেষ কোন সিদ্ধান্তের ফলে হয়েছে ৷ তোমরা খোজ নিয়ে দেখ আসল ঘটনা কী ?

ইবন ইসহাক বলেন, কোন কোন আলিম বর্ণনা করেন যে, বনু সাহ্ম গোত্রের এক মহিলা
ছিল ৷ নাম ছিল তার ণাইতালাহ ৷ জাহেলী যুগে সে জ্যোতিষী ছিল ৷ এক রাতে তার জিন
সঙ্গীটি তার নিকট আসে ৷ এসে সে আওয়াজ দিয়ে বলে, অড়ামি যা জানবার জানি উৎসর্গের
দিন ৷ কুরায়শরা এ সংবাদ শুনে বলল, সে আসলে কী বলতে যাচ্ছে ? তারপর সে আরও এক
রাতে এসে অনুরুপ আওয়াজ দিয়ে বলল, ঘীটি, জান ঘাটি কী ? দক্ষিণের অভিজাত বাহিনী
তাতে ধরাশায়ী হবে ৷ এ সংবাদ পেয়েও কুরায়শরা বলল, লোকটি কী বলতে চায়ঃ কিছু একটা
ঘটতে যাচ্ছে বোধ হয় ৷ তোমরা লক্ষ্য রায় , কী ঘটে ৷ কিন্তু তখনো তারা কিছুই বুঝে উঠতে
পারল না ৷ যখন ঘীটির নিকট বদর ও উহুদ যুদ্ধ সংঘটিত হলো তখন তারা বুঝতে পারল যে,
জিনটি আসলে কী সংবাদ দিয়েছিল ৷

ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন, আলী ইবন নাফি আল-জুরাশী বলেন যে, জাহেলী যুগে
ইয়ামানের জামব গোত্রের একজন পণক ছিল ৷ যখন রাসুলুল্লাহ (না)-এর ব্যাপারে বলাবলি শুরু
হলো এবং তা গেটি৷ আরবে ছড়িয়ে পড়ল, তখন ঐ গোত্রের লোকেরা ঐ গণককে বলল, এই
লোকটির ব্যাপারে একটু ভেবে দেখুন ! তারা তার সঙ্গে সাক্ষাত করার জন্য এক পাহাড়ের
পাদদেশে সমবেত হলো ৷ সুর্য উদিত হলে সে তাদের সম্মুখে উপস্থিত হয় ৷ তাদের নিকট
পৌছে সে তার ধনুকের ওপর ভর দিয়ে দাড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে ৷
তারপর মাথা দোলাতে দোলাতে বলে, লোক সকল ! আল্লাহ মুহাম্মদকে সম্মানিত করেছেন,
তাকে মনোনীত করেছেন ও তার অভরকে পবিত্র করেছেন ৷ লোক সকল ৷ তোমাদের মাঝে তার
অবস্থান ক’দিনের মাত্র ৷ এই বলে সে যেখান থেকে এসেছিল, দ্রুতপদে সেখানে চলে যায় ৷
ইবন ইসহাক এরপর সাওয়াদ ইবন কারিব-এর কাহিনী উল্লেখ করেন ৷ সেই আলোচনা আমরা
জিনদের অদৃশ্যবাণী’ অধ্যায়ের জন্য রেখে দিলাম ৷


وَيَتَزَوَّدُ لِذَلِكَ، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى خَدِيجَةَ فَيَتَزَوَّدُ لِمِثْلِهَا، حَتَّى فَجِئَهُ الْحَقُّ، وَهُوَ فِي غَارِ حِرَاءٍ، فَجَاءَهُ الْمَلَكُ، فَقَالَ: اقْرَأْ. فَقَالَ: " مَا أَنَا بِقَارِئٍ ". قَالَ: " فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدُ، ثُمَّ أَرْسَلَنِي، فَقَالَ: اقْرَأْ. فَقُلْتُ: مَا أَنَا بِقَارِئٍ. فَأَخَذَنِي، فَغَطَّنِي الثَّانِيَةَ حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدُ، ثُمَّ أَرْسَلَنِي فَقَالَ: اقْرَأْ. فَقُلْتُ: " مَا أَنَا بِقَارِئٍ فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي الثَّالِثَةَ حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدُ، ثُمَّ أَرْسَلَنِي، فَقَالَ: {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ خَلَقَ الْإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ عَلَّمَ الْإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ} [العلق: 1] ، فَرَجَعَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَرْجُفُ فُؤَادُهُ، فَدَخَلَ عَلَى خَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ، فَقَالَ: " زَمِّلُونِي زَمِّلُونِي ". فَزَمَّلُوهُ حَتَّى ذَهَبَ عَنْهُ الرَّوْعُ، فَقَالَ لِخَدِيجَةَ، وَأَخْبَرَهَا الْخَبَرَ: " لَقَدْ خَشِيتُ عَلَى نَفْسِي " فَقَالَتْ خَدِيجَةُ: كَلَّا وَاللَّهِ، لَا يُخْزِيكَ اللَّهُ أَبَدًا ; إِنَّكَ لَتَصِلُ الرَّحِمَ، وَتَقْرِي الضَّيْفَ، وَتَحْمِلُ الْكَلَّ، وَتُكْسِبُ الْمَعْدُومَ، وَتُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ. فَانْطَلَقَتْ بِهِ خَدِيجَةُ حَتَّى أَتَتْ بِهِ وَرَقَةَ بْنَ نَوْفَلِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى، ابْنَ عَمِّ خَدِيجَةَ وَكَانَ امْرَءًا تَنَصَّرَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَكَانَ يَكْتُبُ الْكِتَابَ الْعِبْرَانِيَّ، فَيَكْتُبُ مِنَ الْإِنْجِيلِ بِالْعِبْرَانِيَّةِ مَا
পৃষ্ঠা - ১৭১৭

বলেন, যখন সেই ঋণ পরিশোধ করার দিন তারিখ এসে গেল, আমি তার নিকট গিয়ে র্তার
আমার কলার এবং চাদর টেনে ধরি ৷ তিনি তখন তার সাহাবীগণের সঙ্গে এক জানাযায়
উপস্থিত ছিলেন ৷ আমি তার প্রতি উগ্র মুর্তিতে দৃষ্টিপাত করি এবং বলি, মুহাম্মদ৷ তুমি কি
আমার পাওনা আদায় করবে না? আল্লাহর শপথ, আমি জানি, আব্দুল মুত্তালিবের বংশটাই
লেনদেনে এভাবে টালবাহানা করতে অভ্যস্ত ৷” যায়দ বলেন, একথা শুনে উমর (বা) আমার
প্রতি চোখ তুলে তাকালেন ৷ তার চোখ দৃ’টো যেন ভাটার মত জ্বলছে ৷ তা ৷রপর তিনি বললেন,
ওহে আল্লাহর দৃশমনা তুই আল্লাহর রাসুলকে কী বলছিস আর তার সঙ্গে কী আচরণ করছিল
সবই আমি শুনৃছি, দেখছি ৷ সেই আল্লাহ্র শপথ, যিনি তাকে সত্যসহ ৷;প্রর ৷ করেছেন আমি
যদি ত ৷র ভৎসনার ভয় না করতাম, তা হলে৩ তলোয়ার দিয়ে তোর গদান উড়িয়ে দিতাম ৷ রাসুল
(না) তখন শান্ত ও হাসিমুখে উমর (রা) এর প্রতি তাকিয়ে আছেন ৷৩ তারপর তিনি বললেন :

“হে উমর! আমার আর তার তোমার থেকে এর স্থলে অন্যরুপ ব্যবহার প্রাপ্য ছিল ৷
তোমার উচিত ছিল, আমাকে ঋণ আদায়ে উত্তম পন্থা অবলম্বন করার এবং তাকে আমার সঙ্গে
উত্তম ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া ৷ যাও হে উমর ৷ লোকটার পাওন৷ পরিশোধ করে দাও ৷ আর
ৰিশসা (প্রায় দেড় মণ) খেজুর বেশি দিয়ে দাও ৷,

এ ঘটনা দেখে যায়দ ইবনে সাইয়৷ মুসলমান হয়ে যান এবং তার পরবর্তীকালের সকল
জিহাদে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন ৷ তাবুকের বছর তিনি ইনতিকা ৷ল করেন ৷
আল্লাহ ত ৷র ৷প্রতি স৩দয় হোনা তারপর ইবনে ইসহাক হযরত সালমান ফ৷ ৷রসী (বা ) এর ইসলাম
গ্রহণের কাহিনী বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন :

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, সালমান ফারসী (বা) নিজের মুখে আমাকে
বলেছেন যে, আমি ছিলাম ই’ংপাহানের অধিবাসী এবং পারসিক ধর্মাবলম্বী ৷ যে গ্রামে আমার
বাস ছিল৩ তার নাম জাই ৷ আমার পিতা ছিলেন সেই গ্রামের প্রধান ৷ আমি ছিলাম পিতার
সর্বাধিক প্রিয় পা ৷ত্র ৷ স্নেহের আতিশয্যে তিনি আমাকে ত ৷র গৃহে আবদ্ধ করে রাখতেন, যেমন
দাসীদের ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে ৷ মজুসী ধর্ম আমি অ৩ তান্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করতাম ৷ এক
পর্যায়ে আমিই হলাম সেই অগ্নিকুণ্ডের রক্ষণাবেক্ষণক ৷রী, যা সর্বদা প্রজ্বলিত রাখা হতো, এক
মুহ্রর্তের জন্যও নিভতে দেয়৷ হতো না ৷

তিনি বলেন, আমার পিতা বিপুল জমি জমার মালিক ছিলেন ৷ তিনি নিজেই তার
জমি জমার দেখাশুনা করতেন ৷ একদিন তিনি কোন এক নিম ণ কাজে হাত দেন ৷ ফলে
আমাকে তিনি বলেন, নির্মাণ কাজের ব্যস্ততার কারণে আজকের মত আমি জমিজমা দেখাশুনা
করতে পারছি না ৷ আজকের মত তুমি গিয়ে একটু তদারকি কর ৷ তিনি আমাকে এ সং ক্রম্ভা
কিছু নির্দেশও দেন ৷ তারপর তিনি আমাকে বলেন, ফিরতে বিলম্ব করে৷ না ৷ কারণ তুমি আমার
চোখের আড়ালে চলে গেলে জমিজমার চাইতে তৃমিই আমার বেশি ভ ৷বনার কারণ হয়ে পাতা ও ৷
তখন আমি কোন কাজই করতে পারি না ৷

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়৷ (২য খণ্ড) ৭ ৭-

شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَكْتُبَ، وَكَانَ شَيْخًا كَبِيرًا قَدْ عَمِيَ، فَقَالَتْ لَهُ خَدِيجَةُ: " يَا بْنَ عَمِّ! اسْمَعْ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ. فَقَالَ لَهُ وَرَقَةُ: يَا بْنَ أَخِي، مَاذَا تَرَى؟ فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - خَبَرَ مَا رَأَى، فَقَالَ لَهُ وَرَقَةُ: هَذَا النَّامُوسُ الَّذِي كَانَ نُزِّلَ عَلَى مُوسَى، يَا لَيْتَنِي فِيهَا جَذَعًا، لَيْتَنِي أَكُونُ حَيًّا إِذْ يُخْرِجُكَ قَوْمُكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " أَوَمُخْرِجِيَّ هُمْ؟ " فَقَالَ: نَعَمْ، لَمْ يَأْتِ أَحَدٌ بِمِثْلِ مَا جِئْتَ بِهِ إِلَّا عُودِيَ، وَإِنْ يُدْرِكْنِي يَوْمُكَ أَنْصُرْكَ نَصْرًا مُؤَزَّرًا. ثُمَّ لَمْ يَنْشَبْ وَرَقَةُ أَنْ تُوُفِّيَ، وَفَتَرَ الْوَحْيُ فَتْرَةً حَتَّى حَزِنَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِيمَا بَلَغَنَا - حُزْنًا غَدَا مِنْهُ مِرَارًا كَيْ يَتَرَدَّى مِنْ رُءُوسِ شَوَاهِقِ الْجِبَالِ، فَكُلَّمَا أَوْفَى بِذِرْوَةِ جَبَلٍ لِكَيْ يُلْقِيَ نَفْسَهُ تَبَدَّى لَهُ جِبْرِيلُ، فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ، إِنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ حَقًّا. فَيَسْكُنُ لِذَلِكَ جَأْشُهُ، وَتَقَرُّ نَفْسُهُ، فَيَرْجِعُ، فَإِذَا طَالَتْ عَلَيْهِ فَتْرَةُ الْوَحْيِ غَدَا لِمِثْلِ ذَلِكَ، فَإِذَا أَوْفَى بِذِرْوَةِ جَبَلٍ تَبَدَّى لَهُ جِبْرِيلُ، فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ.» هَكَذَا وَقَعَ مُطَوَّلًا فِي بَابِ التَّعْبِيرِ مِنَ " الْبُخَارِيِّ ". قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ «أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيَّ قَالَ وَهُوَ يُحَدِّثُ عَنْ فَتْرَةِ الْوَحْيِ فَقَالَ فِي حَدِيثِهِ: بَيْنَا أَنَا أَمْشِي إِذْ سَمِعْتُ صَوْتًا مِنَ السَّمَاءِ، فَرَفَعْتُ
পৃষ্ঠা - ১৭১৮


কাটালাম ৷ কিন্তু আল্লাহ্র শপথ করে বলছি, কিছু দিন যেতে না যেতেই তারও মৃত্যু ঘনিয়ে
আসে ৷ মৃত্যুর আগে আমি তাকে বললাম , জনাব ! অমুক ব্যক্তি আমাকে অযুকের নিকট যাওয়ার
ওসীয়ত করেন ৷ তারপর দ্বিভীয়জন তৃতীয় আরেকজনের নিকট যাওয়ার ওসীয়ত করেন ৷
সবশেষে তৃতীয়জন আমাকে ওসীয়ত করেন আপনার নিকট আগমন করার জন্যে ৷ এখন
আপনি আমাকে কার সান্নিধ্য অবলম্বনের উপদেশ দেবেন এবং আমাকে কী আদেশ দেবেন?
বললেন, বৎস ৷ আমি আল্লাহ্র শপথ করে বলছি, আমাদের ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত এমন একজন
লোকও বেচে নেই; যার নিকট যাওয়ার জন্য আমি তোমাকে আদেশ করতে পারি ৷ তবে
রোমের আমুরিয়াহ নামক স্থানে একজন লোক আছেন, তিনি আমাদের ধর্মাবলম্বী ৷ ইচ্ছে করলে
তুমি তার নিকট যেতে পার ৷ কারণ, তিনিও আমাদের অভিন্ন পথের যাত্রী ৷

যখন তিনি মারা গেলেন এবং তার দাফনকাফন সম্পন্ন হলো; আমি আমুরিয়ার সেই
ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাত করলাম এবং আমার বৃত্তান্ত শোনালাম ৷ তিনি বললেন ঠিক আছে তুমি
আমার নিকট থাক ৷ আমি এবারও এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে অবস্থান করতে তশুরু করলাম যিনি
আমার পুর্বের গুরুদেরই ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম ৷ সালমান ফারসী (রা ) বলেন,
এসময়ে আমি কিছু উপার্জনও করি ৷ কয়েকটি গাডী ও ছাপল আমার মালিকানায় আসে !
কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তারও মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসে ৷ তখন আমি তাকে রললাম,
জনাব ! আমি প্রথমে অমুকের সাহচর্যে ছিলাম ৷ তারপর তিনি আমাকে অযুকের নিকট যাওয়ার
ওসীয়ত করেন ৷ এরপর তিনি অমুকের নিকট যাওয়ার ওসিয়ত করেন ৷ অতঃপর তিনি আমাকে
অমুকের নিকট যাওয়ার ওসীয়ত করেন ৷ সর্বশেষ ব্যক্তি আমাকে ওসীয়ত করেন আপনার
সান্নিধ্য অবলম্বন করতে ৷ এখন আপনি আমাকে কার সাহচর্য অবলম্বনের ওসীয়ত করবেন এবং
আমাকে কী আদেশ দেবেন ? তিনি বললেন, বাংলা আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমার

জানা মতে আমাদের পথের যাত্রী এমন একজন লোকও বেচে নেই, আমি তোমাকে যার নিকট

যাওয়ার আদেশ করতে পারি ৷ তবে এমন একজন নবীর আবির্তাবকাল ঘনিয়ে এসেছে, যিনি
দীনে ইবরাহীমসহ প্রেরিত হবেন ৷ আরব ভুমিতে তার আবিভাব ঘটবে ৷ এবং খেজুর বীথি
বেষ্টিত ভুমি হবে৩ তার হিজরত স্থল ৷ তার প্রকাশ্য কিছু লক্ষণ থাকবে তিনি হ দিয়া গ্রহণ
করবেন, সাদক৷ খাবেন না ৷ তার দুই কাধের মাঝে থাকবে নবুওতে তর মােহর ৷ সম্ভব হলে সেই
দেশে প্রায় ভুমি তার সঙ্গে মিলিত হও ৷

সালমান ফারসী (রা) বলেন, তারপর তিনি মৃত্যুবরণ করেন ও তার দাফন-কাফন
সম্পন্ন হয় ৷ আমি আরো কিছুকাল আমুরিয়ায় অবস্থান করি৷ তারপর আমি একটি বণিক
কাফেলার সাক্ষাত পেয়ে তাদেরকে বললাম, তোমরা আমাকে আরব ভুমিতে নিয়ে যাও,
বিনিময়ে আমি আমাদেরকে আমার এই গাডী ও ছাগলগুলো দিয়ে দেব ৷৩ তারা বলল, ঠিক
আছে, চল ৷ আমি তাদেরকে আমার গাডী আর ছাগলগুলাে দিয়ে নেই আর তারা আমাকে সঙ্গে
করে নিয়ে যায় ৷ কিন্তু ওয়াদীল কুরায় পৌছে তারা আমার প্রতি জুলুম করে ৷ আমাকে তারা এক
ইহুদীর নিকট দাসরুপে বিক্রি করে দেয় ৷ আমি তার নিকট থাকতে শুরু করি ৷ এ জায়গায়
খেজুর বৃক্ষ দেখে আমি আশাষিত হলাম যে, আমার গুরু আমাকে যে নগরীর কথা বলেছেন,
এটাই সম্ভবত সেই নগরী ৷


بَصَرِي، فَإِذَا الْمَلَكُ الَّذِي جَاءَنِي بِحِرَاءٍ جَالِسٌ عَلَى كُرْسِيٍّ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، فَرُعِبْتُ مِنْهُ، فَرَجَعْتُ، فَقُلْتُ: زَمِّلُونِي زَمِّلُونِي، فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ قُمْ فَأَنْذِرْ وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ وَالرُّجْزَ فَاهْجُرْ} [المدثر: 1] [الْمُدَّثِّرِ: 1 - 5] فَحَمِيَ الْوَحْيُ وَتَتَابَعَ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: تَابَعَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ وَأَبُو صَالِحٍ يَعْنِي عَنِ اللَّيْثِ وَتَابَعَهُ هِلَالُ بْنُ رَدَّادٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَقَالَ يُونُسُ وَمَعْمَرٌ: بَوَادِرُهُ. وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ فِي مَوَاضِعَ مِنْهُ، وَتَكَلَّمْنَا عَلَيْهِ مُطَوَّلًا فِي أَوَّلِ شَرْحِ الْبُخَارِيِّ فِي كِتَابِ بَدْءِ الْوَحْيِ إِسْنَادًا وَمَتْنًا. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ فِي صَحِيحِهِ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ بِهِ، وَمِنْ طَرِيقِ يُونُسَ وَمَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ كَمَا عَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ عَنْهُمَا، وَقَدْ رَمَزْنَا فِي الْحَوَاشِي عَلَى زِيَادَاتِ مُسْلِمٍ وَرِوَايَاتِهِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ، وَانْتَهَى سِيَاقُهُ إِلَى قَوْلِ وَرَقَةَ: أَنْصُرْكَ نَصْرًا مُؤَزَّرًا.
পৃষ্ঠা - ১৭১৯


সুহায়লী বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় বর্ণনাকারীর নাম হচ্ছে হাসান ইবন আমারা ৷ তিনি একজন
দুর্বল রাবী ৷ রর্ণনাটি বিশুদ্ধ হলে তা মুনকার’ হবে না ৷ কেননা ইবন জরীর উল্লেখ করেছেন
যে, ঈসা (আ)-কে আসমানে উঠানাের পর তিনি পুনরায় আবির্ভুত হয়েছিলেন এবং তার মা
এবং অন্য এক ত্রীলোককে ক্রুশবিদ্ধ ব্যক্তির লাশের নিকট কান্নাকাটি করছেন বলে দেখতে
পান ৷ তখন তিনি নিহত হননি বলে তাদের জানিয়ে দেন ৷ এরপর হৃওয়ড়ারীগণকে বিভিন্ন দিকে
প্রেরণ করেন ৷ সুহায়লী বলেন, একবার তার অবতরণ যখন সম্ভব হয়েছিল তখন একাধিকবার
অবতরণ করাও সম্ভবপর ৷ শেষবার তিনি প্রকাশ্যে অবতরণ করে ক্রুশ ধ্বংস করবেন, শুকর
নিধন করবেন এবং তখন বনী জুযামের এক মহিলাকে বিবাহ করবেন ৷ যখন তার ইনতিকাল
হবে তখন তাকে রড়াসুলুল্লাহ (সা) এর রওযা শরীফের হুজরায় দাফন করা হবে ৷

ইমাম বায়হড়াকী দালায়িলুন নুবুওয়াত’ গ্রন্থে অপর এক সুত্রে সালমান ফারসী (রা)-এর
ইসলাম গ্রহণের কাহিনী বর্ণনা করেছেন ৷ তাতে রয়েছে যে, ইয়াযীদ ইবনে সাওহান বলেন যে
তিনি শুনেছেন, সালমান ফারসী (বা) নিজে তার ইসলাম গ্রহণের কাহিনী বর্ণনা করেছেন যে ,
তিনি রামাহুরমুয’ অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন ৷ তার এক বড় ভাই হিল অতিশয় বিত্তশালী ৷
সালমান (রা) ছিলেন দরিদ্র ৷ তিনি বিত্তশালী ভাইয়ের আশ্রয়ে থাকতেন ৷ গ্রাম প্রধানের ছেলে
ছিল তার সঙ্গী ৷ সে তার সঙ্গে তাদের এক শিক্ষা গুরুর নিকট যাওয়াঅসাে করত ৷ ঐ ছেলেটি
গুহায় অবস্থানকারী কতিপয় খৃন্টানের নিকটও যেত ৷ সালমান (রা) একদিন আবদার করলেন
তিনিও তাদের সঙ্গে গুহায় যাবেন ৷ জবাবে ছেলেটি তাকে বলল, তোমার বয়স কম ৷ আমার
আশংকা হয়, তুমি তাদের তথ্য ফীস করে দিবে আর তার ফলে আমার আব্বা তাদেরকে হত্যা
করে ফেলবেন ৷ বিন্দু সালমান ছিলেন নাছোড় বান্দা ৷ তিনি নিশ্চয়তা দিলেন যে , তার কারণে
তাদের কোন ক্ষতি হবে না ৷ অবশেষে সালমান (বা) তার সঙ্গে সেখানে গেলেন ৷ দেখলেন,
সেখানে ছয় কি সাতজন লোক, ইবাদত করতে করতে তাদের আত্মা দেহ থেকে বেরিয়ে
যাওয়ার মত অবস্থা ৷ তারা দিনে বোযা রাখেন আর সারারাত জেগে ইবাদত করেন ৷ তারা
লতাপাতা আর যাপান তাই খান ৷ ছেলেটি তাকে তাদের পরিচয় দিয়ে বলল, এরা পুর্ববর্তী
রাসুলগণের প্রতি ঈমান রাখেন এবং বিশ্বাস করেন যে, ঈসা আল্লাহর বান্দা , তার রাসুল এবং
তার এক দাসীর পুত্র ৷ বিভিন্ন মুজিযা দ্বারা তিনি তাকে সাহায্য করেছেন ৷ গুহড়ার লোকেরা
তাকে বলল, শোন বালক! নিশ্চয় তোমার একজন বব আছেন ৷ মৃত্যুর পর তুমি পুনরায়
জীবিত হবে ৷ তোমার সামনে রয়েছে জান্নাত ও জাহড়ান্নষ্মে ৷ আর এই যারা আগুন পুজা করে,
তারা কুফরের ধারক ও বিভ্রান্ত ৷ তাদের কর্মকাণ্ডে আল্লাহ সভুষ্ট নন ৷ তারা আল্লাহর দীনের
ওপর প্রতিষ্ঠিত নয় ৷ তারপর থেকে সালমান (বা) ঐ ছেলের সঙ্গে তাদের কাছে যেতে থাকেন
এবং শেষ পর্যন্ত সম্পুর্ণরুপে তাদের সঙ্গে থেকে যান ৷ বিন্দু ক’দিন যেতে না যেতে সে দেশের
রাজা তাদেরকে ওখান থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয় ৷ সে রাজা ছিলেন
সেই বালকের পিতা, যার সঙ্গ ধরে সালমান (বা) সেখানে অড়াসা-যাওয়া করতেন ৷ রাজা তার
পুত্রকে নিজের কাছে আটকে রাখেন ৷ সালমান (বা) তার বড় ভাইয়ের নিকট তাদের দীনের
দাওয়াত পেশ করেন ৷ জবাবে সে বলে , আমি জীবিকা উপার্জনের কাজে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত ৷
সালমান তখন সে সব ইবাদতকারী সঙ্গীদের সাথে রওয়ানা হলেন ৷ এক সময় তারা মুসেলের


فَقَوْلُ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ: أَوَّلُ مَا بُدِئَ بِهِ مِنَ الْوَحْيِ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ فَكَانَ لَا يَرَى رُؤْيَا إِلَّا جَاءَتْ مِثْلَ فَلَقِ الصُّبْحِ يُقَوِّي مَا ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ اللَّيْثِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: فَجَاءَنِي جِبْرِيلُ وَأَنَا نَائِمٌ بِنَمَطٍ مِنْ دِيبَاجٍ فِيهِ كِتَابٌ، فَقَالَ: اقْرَأْ. فَقُلْتُ: " مَا أَقْرَأُ ". فَغَتَّنِي حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ الْمَوْتُ ثُمَّ أَرْسَلَنِي وَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ عَائِشَةَ سَوَاءً. فَكَانَ هَذَا كَالتَّوْطِئَةِ لِمَا يَأْتِي بَعْدَهُ مِنَ الْيَقَظَةِ، وَقَدْ جَاءَ مُصَرَّحًا بِهَذَا فِي مَغَازِي مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّهُ رَأَى ذَلِكَ فِي الْمَنَامِ، ثُمَّ جَاءَهُ الْمَلَكُ فِي الْيَقَظَةِ. وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ الْأَصْبَهَانِيُّ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ الْحَسَنِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَجْلَحِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ قَيْسٍ قَالَ: إِنَّ أَوَّلَ مَا يُؤْتَى بِهِ الْأَنْبِيَاءُ فِي الْمَنَامِ حَتَّى تَهْدَأَ قُلُوبُهُمْ، ثُمَّ يَنْزِلُ الْوَحْيُ بَعْدُ وَهَذَا مِنْ قِبَلِ عَلْقَمَةَ بْنِ قَيْسٍ نَفْسِهِ وَهُوَ كَلَامٌ حَسَنٌ يُؤَيِّدُهُ مَا قَبْلَهُ، وَيُؤَيِّدُهُ مَا بَعْدَهُ.