আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

كتاب مبعث رسول الله صلى الله عليه وسلم وذكر شيء من البشارات بذلك

باب في هواتف الجان

পৃষ্ঠা - ১৬৫৬

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর যৌবন প্রাপ্তি ও আল্লাহর আশ্রয়

মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যৌবনে পদার্পণ করলেন ৷ আল্লাহ তাআলা
তীর নিরাপত্তা দান করেন এবং জাহিলিয়াতের পংকিলতা থেকে র্তাকে রক্ষা করেন ৷ এভাবে
যখন তিনি ৰয়ঃপ্রাপ্ত হলেন, তখন তিনি ব্যক্তিত্বে সমাজের শ্রেষ্ঠ মানুষ, চরিত্রে সর্বাপেক্ষা সুন্দর
বংশ মর্যাদার সবচাইতে কুলীন, প্রতিবেশী হিসেবে সর্বোত্তম, সহনশীলতায় সর্বশ্রেষ্ঠ,
কথা-বার্তায় সর্বাধিক সত্যবাদী, বিশ্বস্ততায় সকলের সেরা এবং অশ্লীলত৷ ও মন্দ স্বভাব থেকে
সর্বাধিক পবিত্র ও মুক্ত ৷ সমাজের মানুষ এখন র্তাকে একমাত্র আল-আমীন’ বা বিশ্বাসভাজন
বলে সম্বোধন করে ৷

মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক বলেন, মহড়ানবী (সা) কে আল্লাহ তা আলা যে শৈশবে রক্ষণাবেক্ষণ
করেন এবং জাহিলিয়াতের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখেন, সে সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন :
একদিন আমি কুরায়শ-এর কয়েকটি কিশোরের সঙ্গে অবস্থান করছিলাম ৷ খেলার ছলে আমরা
পাথর কুড়িয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিচ্ছিলাম ৷ আমরা প্রত্যেকে পরনের লুঙ্গি খুলে
তা’ ঘাড়ে রেখে এর ওপর পাথর বহন করছিলাম ৷ আমি ওদের সঙ্গে একবার সামনে যাচ্ছিলড়াম
আবার কখনো পেছনে পড়ছিলাম ৷ এমন সময় অদৃশ্য থেকে কে একজন আমাকে প্রচণ্ড একটি
ঘুষি মারলো এবং আমাকে বললো, লুঙ্গিটা পরে নাও ৷ সঙ্গে সঙ্গে আমি লুঙ্গিটি র্কাধ থেকে নিয়ে
পরে নিলাম ৷ তারপর পুনরায় খালি কাধে পাথর বহন করতে শুরু করলাম ৷ তখন আমার
সাথীদের মধ্যে একমাত্র আমিই ছিলাম লুঙ্গি পরিহিত ৷

এই ঘটনাটি সহীহ বুখারীতে বর্ণিত কাবা নির্মাণের সময়কার ঘটনার অনুরুপ ৷ সে সময়ে
তিনি এবং তার চাচা আব্বাস পাথর বহন করছিলেন ৷ ঘটনাটি যদি সে ঘটনা না হয়ে থাকে
তবে এটা ছিল তার পুর্বাভাস স্বরুপ ৷ আল্পাহই ভালো জানেন ৷

আব্দুর রাঘৃযাক বর্ণনা করেন যে, হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) বলেছেন, কাবা
নির্মাণের সময় রাসুলুল্পাহ (সা) পাথর বহ্নের কাজে যোগ দেন ৷ দেখে আব্বাস বললেন, লুঙ্গি
র্কাধে রেখে পাথর বহন কর ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তা-ই করলেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে
পড়েন এবং তীর চক্ষুদ্বয় আকাশের দিকে নিবদ্ধ হয় ৷ কিছুক্ষণ পর তিনি উঠে দাড়িয়ে বললেন ,
আমার লুঙ্গি ! তখন আব্বাস তাকে লুঙ্গি পরিয়ে দেন ৷ এটি বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনা ৷

বায়হাকী ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, কুরায়শ যখন
বায়তৃল্লাহ নির্মাণ করে, তখন আব্বাস বায়তুল্লাহ্র দিকে পাথর বয়ে নিয়ে আসছিলেন ৷ ইবনে
আব্বাস বলেন, কুরায়শরা দু’জন দু’জন করে লোককে জুড়ি বেধে দেয় ৷ পুরুষরা পাথর


[بَابٌ فِي هَوَاتِفِ الْجَانِّ] وَهُوَ مَا أَلْقَتْهُ الْجَانُّ عَلَى أَلْسِنَةِ الْكُهَّانِ، وَمَسْمُوعًا مِنَ الْأَوْثَانِ وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ الْجُعْفِيُّ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنِي عُمَرُ - هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ زَيْدٍ - أَنَّ سَالِمًا حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: مَا سَمِعْتُ عُمَرَ يَقُولُ لِشَيْءٍ قَطُّ: إِنِّي لَأَظُنُّهُ. إِلَّا كَانَ كَمَا يَظُنُّ، بَيْنَمَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ جَالِسٌ إِذْ مَرَّ بِهِ رَجُلٌ جَمِيلٌ فَقَالَ: لَقَدْ أَخْطَأَ ظَنِّي، أَوْ إِنَّ هَذَا عَلَى دِينِهِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، أَوْ لَقَدْ كَانَ كَاهِنَهُمْ، عَلَيَّ الرَّجُلَ. فَدُعِيَ بِهِ فَقَالَ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ: مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ اسْتَقْبَلَ بِهِ رَجُلًا مُسْلِمًا. قَالَ: فَإِنِّي أَعْزِمُ عَلَيْكَ إِلَّا مَا أَخْبَرْتَنِي. قَالَ: كُنْتُ كَاهِنَهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ. قَالَ: فَمَا أَعْجَبُ مَا جَاءَتْكَ بِهِ جِنِّيَّتُكَ؟ قَالَ: بَيْنَمَا أَنَا فِي السُّوقِ يَوْمًا جَاءَتْنِي أَعْرِفُ فِيهَا الْفَزَعَ فَقَالَتْ
পৃষ্ঠা - ১৬৫৭
أَلَمْ تَرَ الْجِنَّ وَإِبْلَاسَهَا ... وَيَأْسَهَا مِنْ بِعْدِ إِنْكَاسِهَا وَلُحُوقَهَا بِالْقِلَاصِ وَأَحْلَاسِهَا قَالَ عُمَرُ: صَدَقَ، بَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ عِنْدَ آلِهَتِهِمْ، إِذْ جَاءَ رَجُلٌ بِعِجْلٍ فَذَبَحَهُ فَصَرَخَ بِهِ صَارِخٌ لَمْ أَسْمَعْ صَارِخًا قَطُّ أَشَدَّ صَوْتًا مِنْهُ يَقُولُ: يَا جَلِيحُ أَمْرٌ نَجِيحٌ رَجُلٌ فَصِيحٌ يَقُولُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَوَثَبَ الْقَوْمُ فَقُلْتُ: لَا أَبْرَحُ حَتَّى أَعْلَمَ مَا وَرَاءَ هَذَا، ثُمَّ نَادَى: يَا جَلِيحُ أَمْرٌ نَجِيحٌ رَجُلٌ فَصِيحٌ يَقُولُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَقُمْتُ فَمَا نَشِبْنَا أَنْ قِيلَ: هَذَا نَبِيٌّ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَهَذَا الرَّجُلُ هُوَ سَوَادُ بْنُ قَارِبٍ الْأَزْدِيُّ، وَيُقَالُ: السَّدُوسِيُّ مِنْ أَهْلِ السَّرَاةِ مِنْ جِبَالِ الْبَلْقَاءِ لَهُ صُحْبَةٌ، وَوِفَادَةٌ قَالَ أَبُو حَاتِمٍ، وَابْنُ مَنْدَهْ: رَوَى عَنْهُ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَأَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ، وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: لَهُ صُحْبَةٌ، وَهَكَذَا ذَكَرَهُ فِي أَسْمَاءِ الصَّحَابَةِ أَحْمَدُ بْنُ رَوْحٍ الْبَرْذَعِيُّ الْحَافِظُ والدَّارَقُطْنِيُّ وَغَيْرُهُمَا، وَقَالَ الْحَافِظُ عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ سَعِيدٍ الْمِصْرِيُّ: سَوَادُ بْنُ قَارِبٍ بِالتَّخْفِيفِ، وَقَالَ عُثْمَانُ الْوَقَّاصِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ: كَانَ مِنْ أَشْرَافِ أَهْلِ الْيَمَنِ ذَكَرَهُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي الدَّلَائِلِ، وَقَدْ رُوِيَ حَدِيثُهُ مِنْ وُجُوهٍ أُخَرَ مُطَوَّلَةٍ بِأَبْسَطَ مِنْ رِوَايَةِ الْبُخَارِيِّ.
পৃষ্ঠা - ১৬৫৮

স্থানান্তর করতো আর মহিলারা মশলা বহন করতো ৷ আব্বাস বলেন, আমি এবং আমার
ভাতিজাও সেই কাজে শরীক ল্ডিংাম ৷ আমরা লুঙ্গি কাধে রেখে তার উপরে করে পাথর বহন
করতড়াম ৷ কোন লোক আসতে দেখলে লুঙ্গিট৷ পরে নিতাম ৷ এক পর্যায়ে আমি হ টছি আর
মুহাম্মদ আমার সম্মুখে ৷ হঠাৎ তিনি উপুড় হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ৷ আমি আমার
পাখরগুলো ফেলে দৌড়ে আসলাম ৷ দেখতে পেলাম, মুহাম্মদ আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন ৷
আমি জিজ্ঞেস করলাম, তে তামার কী হয়েছে ? তিনি উঠে দাডালেন এবং লুঙ্গিটা হাতে নিয়ে
বললেন, আমাকে উলং গ চলতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ ” আব্বাস বলেন, মানুষ র্তাকে পাগল
বলবে, এই ভয়ে আমি ঘটনড়াট৷ গোপন করে রাখতাম ৷

বায়হাকী বর্ণনা করেন যে, হযরত আলী (রা) বলেন, আমিএরাসুলুল্লড়াহ্ (না)-কে বলতে
শুনেছি, “জাহিলী যুগের মানুষ যে সব রীতি নীতি পালন করত আমার মনে কখনো তার
কো ৷নটি পালন করার ইচ্ছা জাগ্রত হয়নি ৷ তবে ইে রাতে তে মন কিছু করতে ণ্১চোয়ছিলাম; কিন্তু
আল্লাহ উভয় ঘটনায় আমাকে রক্ষা করেছেন ৷ এক রাতে আমি ছাগলের পালের সঙ্গে ছিলাম ৷
আমি আমার সঙ্গী যুবককে বললাম, তুমি আমার ছাগলগুলো দেখ, মক্কায় প্রবেশ করে আমি
অন্য যুবকদের মত গল্প-গুজবে অংশ্যাহং৷ করে আমি ৷ সঙ্গীটি বলল, ঠিক আছে, যাও ৷ নবীজি
(না) বলেন, আমি মক্কা প্রবেশ করে প্রথম বাড়িতে পৌছেই বাজনার শব্দ শুনতে পেলাম ৷
জিজ্ঞেস করলাম, এসব কী হচ্ছে ? লোকেরা বলল, অমুক অমুককে বিয়ে করেছে ৷ আমি বসে
দেখতে শুরু করলাম ৷ আল্লাহ আমাকে ল্ডিংায় অচেতন করে দিলেন ৷ আল্লাহর কসম রৌদ্রের
স্পর্শ ছাড়া অন্য কিছু আমাকে সজাপ করতে পারেনি ৷ জাগ্রত হয়ে আমি সঙ্গীর কাছে ফিরে
এলাম ৷ সঙ্গীটি জিজ্ঞেস করলো, কী করেছে৷ ? আমি বললাম, কিছুই করিনি ৷ তারপর তাকে
ঘটনার ইতিবৃত্ত শোনা লাম ৷

এরপর আরেক রাতে আমি সঙ্গীকে বললাম, তুমি আমার ছাগলগুলো দেখ, আমি একটু
গল্প করে আমি ৷ সঙ্গী তাতে সম্মত হলে আমি মক্কা প্রবেশ করে আগের রাতের ন্যায় এ রাতেও
অনুরুপ বাজনার আওয়াজ শুনতে পেলাম ৷ জিজ্ঞেস করলে বলা হলো যে, অমুক অমুককে বিয়ে
করেছে ৷ আমি বসে দেখতে শুরু করলাম ৷ কিন্তু আল্লাহ আমাকে গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন করে
দিলেন ৷ আল্লাহ্র কসম ! রােদ্রের স্পর্শ ছাড়া অন্য কিছু আমাকে জাগ্রত করতে পারেনি ৷ জাগ্রত
হয়ে আমি সঙ্গীর নিকট ফিরে গেলাম ৷ সঙ্গী বলল,কী করেছে৷ ? আমি বললড়াম , কিছুই নয় ৷
তারপর আমি তাকে ঘটনার ইতিবৃত্ত শোনালাম ৷ আল্লাহ্র কসম , এরপর আর কখনো আমি এ
ধরনের কাজের ইচ্ছে করিনি ৷ শেষে পর্যন্ত আল্লাহ আমাকে নবুয়তের মর্যাদায় ভুষিত করেন ৷
হাদীসটি অভ্যস্ত গরীব পর্যায়ের ৷

হাফিজ বায়হাকী বর্ণনা করেন যে, হযরত যায়েদ ইবনে হারিছা (রা) বলেছেন, তামার
তৈরি একটি দেব মুর্তি ছিল ৷ নাম ছিল তার আসাফ ও নড়ায়েলা ৷ বড়ায়ভুল্লাহ্ তাওয়াফ করার
সময় মুশরিকরা তাকে স্পর্শ করত ৷ একদিন রাসুলুল্লাহ্ (না) বায়তৃল্লাহ্ তাওয়াফ করেন ৷
আমিও তার সঙ্গে তাওয়াফ করি ৷ উক্ত দেব মুর্তিটি অতিক্রমকালে আমি তাকে স্পর্শ করি ৷
দেখে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “ওটা স্পর্শ করে৷ না ৷” যায়েদ ইবনে হারিছা বলেন ,তাওয়াফের


وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبٍ مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَنَّهُ حَدَّثَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَيْنَمَا هُوَ جَالِسٌ فِي النَّاسِ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذْ أَقْبَلَ رَجُلٌ مِنَ الْعَرَبِ دَاخِلَ الْمَسْجِدِ يُرِيدُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهِ عُمَرُ قَالَ: إِنَّ الرَّجُلَ لَعَلَى شِرْكِهِ مَا فَارَقَهُ بَعْدُ أَوْ لَقَدْ كَانَ كَاهِنًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ. فَسَلَّمَ عَلَيْهِ الرَّجُلُ ثُمَّ جَلَسَ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: هَلْ أَسْلَمْتَ؟ قَالَ: نَعَمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَالَ: فَهَلْ كُنْتَ كَاهِنًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ؟ فَقَالَ الرَّجُلُ: سُبْحَانَ اللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَقَدْ خِلْتَ فِيَّ وَاسْتَقْبَلْتَنِي بِأَمْرٍ مَا أَرَاكَ قُلْتَهُ لِأَحَدٍ مِنْ رَعِيَّتِكَ مُنْذُ وُلِّيتَ مَا وُلِّيتَ. فَقَالَ عُمَرُ: اللَّهُمَّ غَفْرًا، قَدْ كُنَّا فِي الْجَاهِلِيَّةِ عَلَى شَرٍّ مِنْ هَذَا نَعْبُدُ الْأَصْنَامَ، وَنَعْتَنِقُ الْأَوْثَانَ حَتَّى أَكْرَمَنَا اللَّهُ بِرَسُولِهِ وَبِالْإِسْلَامِ. قَالَ: نَعَمْ وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَقَدْ كُنْتُ كَاهِنًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ. قَالَ: فَأَخْبِرْنِي مَا جَاءَ بِهِ صَاحِبُكَ. قَالَ: جَاءَنِي قَبْلَ الْإِسْلَامِ بِشَهْرٍ أَوْ شَيْعِهِ فَقَالَ أَلَمْ تَرَ الْجِنَّ وَإِبْلَاسَهَا ... وَيَأْسَهَا مِنْ بَعْدِ إِنْكَاسِهَا وَلُحُوقَهَا بِالْقِلَاصِ وَأَحْلَاسِهَا
পৃষ্ঠা - ১৬৫৯
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَذَا الْكَلَامُ سَجْعٌ لَيْسَ بِشِعْرٍ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَعْبٍ: فَقَالَ عُمَرُ عِنْدَ ذَلِكَ يُحَدِّثُ النَّاسَ: وَاللَّهِ إِنِّي لَعِنْدَ وَثَنٍ مِنْ أَوْثَانِ الْجَاهِلِيَّةِ فِي نَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ، قَدْ ذَبَحَ لَهُ رَجُلٌ مِنَ الْعَرَبِ عِجْلًا فَنَحْنُ نَنْتَظِرُ قَسْمَهُ أَنْ يَقْسِمَ لَنَا مِنْهُ إِذْ سَمِعْتُ مَنْ جَوْفِ الْعِجْلَ صَوْتًا مَا سَمِعْتُ صَوْتًا قَطُّ أَشَدَّ مِنْهُ، وَذَلِكَ قَبْلَ الْإِسْلَامِ بِشَهْرٍ أَوْ شَيْعِهِ يَقُولُ: يَا ذَرِيحُ، أَمْرٌ نَجِيحٌ، رَجُلٌ يَصِيحُ، يَقُولُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُقَالَ: رَجُلٌ يَصِيحُ بِلِسَانٍ فَصِيحٍ يَقُولُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ قَالَ: وَأَنْشَدَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ عَجِبْتُ لِلْجِنِّ وَإِبْلَاسِهَا ... وَشَدِّهَا الْعِيسَ بِأَحْلَاسِهَا تَهْوِي إِلَى مَكَّةَ تَبْغِي الْهُدَى ... مَا مُؤْمِنُو الْجِنِّ كَأَنْجَاسِهَا وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حُجْرِ بْنِ النُّعْمَانِ الشَّامِيُّ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَنْصُورٍ الْأَنْبَارِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْوَقَّاصِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ قَالَ: «بَيْنَمَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ذَاتَ يَوْمٍ جَالِسٌ، إِذْ مَرَّ بِهِ رَجُلٌ، فَقِيلَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَتَعْرِفُ هَذَا
পৃষ্ঠা - ১৬৬০

মধ্যেই আমি মনে মনে বলি, আবারও আমি মুর্তিটি স্পর্শ করব; দেখি কী হয় ৷ আমি পুনরায়
ওটা স্পর্শ করলে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “তোমাকে নিষেধ করা হয়েছিল না ?” বায়হাকী
বলেন, অপর এক সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, যায়েদ বলেছেন, যে সত্তা তাকে সম্মানিত করেছেন
এবং তীর ওপর কিতাব অবতারণ করেছেন, আমি তার শপথ করে বলছি, তিনি কখনো কোন
মুর্তি স্পর্শ করেননি ৷ এ অবস্থ্যয়ই মহান আল্লাহ তাকে তার মর্যাদার অভিষিক্ত করেন এবং তার
ওপর কিতাব নাযিল করেন ৷

তা ছাড়া উপরে বর্ণিত হয়েছে যে, বাহীরা যখন রাসুলুল্লাহ (সা)- কে লাভ ও উবৃযার নামে
শপথ করে প্রশ্ন করেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, “এদের দোহাই দিয়ে আমাকে কিছু
জিজ্ঞেস করবেন না ৷ আল্লাহর শপথ ! আমার নিকট এদের চাইতে ঘৃণার পাত্র দ্বিতীয়টি আর
৫নই

হাফিজ আবু বকর বায়হাকী অপর এক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হযরত জাবির ইবনে
আব্দুল্লাহ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) মুশরিকদের সঙ্গে তাদের আচার-অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন ৷
একদিন তিনি শুনতে পেলেন যে, তার পিছনে দুই ফোরশতা ৷ তাদের একজন অপরজনকে
বলছেন, চল, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর পিছনে গিয়ে দীড়াই ৷ সঙ্গীটি বললেন, আমরা তার
পিছনে দীড়াই কী করে; তিনি যে মুর্তি চুম্বনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন ৷ রাবী জাবির বলেন, এরপর
কখনো নবীজী (সা) মুশরিকদের সঙ্গে তাদের আচার অনুষ্ঠানে যোগ দেননি ৷

বলা বাহুল্য যে, আলোচ্য হাদীসটি ৰিতবিতি ৷ উক্ত হাদীসের একজন রাবী উসমান ইবনে
আবু শায়বার ব্যাপারে একাধিক ইমাম আপত্তি উত্থাপন করেছেন ৷ এমনকি ইমাম আহমদ
বলেছেন, তীর ভইি এ হাদীসের একটি বর্ণও উচ্চারণ করতেন না ৷

ইমাম বায়হাকী কারো কারো থেকে বর্ণনা করেছেন যে, এ হাদীসের মর্য হলো যারা দেব
মুর্তি চুম্বন করত, নবী করীম (না) তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ৷ আর এ ঘটনাটি
নবী করীম (না)-এর প্রতি ওহী অবতরণের পুর্বের ৷ আল্লাহই ভালো জানেন ৷ যায়েদ ইবনে
হারিছার হাদীসে তো বলা হয়েছে যে, নবুওতের মর্যাদার ভুষিত হওয়ার আগে কখনো নবীজী
(সা) মুশরিকহুদর আচার-অনুষ্ঠানে যোগ দেননি ৷ এক হাদীসে আছে যে, রাসুলুল্পাহ (না)
আরাফার রাতে মুযদালিফায় অবস্থান করতেন না ৷ বরং লোকদের সঙ্গে আরাফাতেই অবস্থান
করতেন ৷ যেমন ইউনুস ইবনে বুকায়র বর্ণিত এক হাদীসে আছে, হযরত জুবায়র ইবনে মুতইম
(বা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা)-কে তার সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্য থেকে কেবল তাকেই
আরাফাতে উটের ওপর অবস্থানরত দেখেছি ৷ তিনি তখনো নিজ সম্প্রদায়ের দীনের অনুসারী
ছিলেন ৷ আল্লাহ র্তাকে তাওফীক দিয়েছিলেন বলেই এমনটি হয়েছে ৷

বায়হাকী বলেন, নিজ সম্প্রদায়ের দীন কথাটার অর্থ হলো ইব্রাহীম ও ইসমাঈল (আ ) এর
দীনের অবশিষ্টাৎশ ৷ অন্যথায় নবী কবীম (সা) জীবনে কখনো শিরক করেননি ৷

আমার মতে উপরের বর্ণনায় একথাও বোঝা যায় যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার প্রতি ওহী
অবতারণের পুর্বেও আরাফার অবস্থান করতেন ৷ আল্লাহ তাওফীক দিয়েছিলেন বলেই এমনটি


الْمَارَّ؟ قَالَ: وَمَنْ هَذَا؟ قَالُوا: هَذَا سَوَادُ بْنُ قَارِبٍ الَّذِي أَتَاهُ رَئِيُّهُ بِظُهُورِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ عُمَرُ فَقَالَ لَهُ: أَنْتَ سَوَادُ بْنُ قَارِبٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَأَنْتَ عَلَى مَا كُنْتَ عَلَيْهِ مِنْ كَهَانَتِكَ؟ قَالَ: فَغَضِبَ، وَقَالَ: مَا اسْتَقْبَلَنِي بِهَذَا أَحَدٌ مُنْذُ أَسْلَمْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ عُمَرُ: يَا سُبْحَانَ اللَّهِ مَا كُنَّا عَلَيْهِ مِنَ الشِّرْكِ أَعْظَمُ مِمَّا كُنْتَ عَلَيْهِ مِنْ كَهَانَتِكَ فَأَخْبِرْنِي بِإِتْيَانِكَ رَئِيُّكَ بِظُهُورِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: نَعَمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، بَيْنَمَا أَنَا ذَاتَ لَيْلَةٍ بَيْنَ النَّائِمِ وَالْيَقْظَانِ، إِذْ أَتَانِي رَئِيِّي فَضَرَبَنِي بِرِجْلِهِ، وَقَالَ: قُمْ يَا سَوَادُ بْنَ قَارِبٍ وَاسْمَعْ مَقَالَتِي، وَاعْقِلْ إِنْ كُنْتَ تَعْقِلُ إِنَّهُ قَدْ بُعِثَ رَسُولٌ مِنْ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبٍ، يَدْعُو إِلَى اللَّهِ وَإِلَى عِبَادَتِهِ، ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ عَجِبْتُ لِلْجِنِّ وَتَطْلَابِهَا ... وَشَدِّهَا الْعِيسَ بِأَقْتَابِهَا تَهْوِي إِلَى مَكَّةَ تَبْغِي الْهُدَى ... مَا صَادِقُ الْجِنِّ كَكَذَّابِهَا فَارْحَلْ إِلَى الصَّفْوَةِ مِنْ هَاشِمٍ ... لَيْسَ قُدَّامُاهَا كَأَذْنَابِهَا قَالَ: قُلْتُ: دَعْنِي أَنَامُ فَإِنِّي أَمْسَيْتُ نَاعِسًا. قَالَ: فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الثَّانِيَةُ أَتَانِي فَضَرَبَنِي بِرِجْلِهِ، وَقَالَ: قُمْ يَا سَوَادُ بْنَ قَارِبٍ، وَاسْمَعْ مَقَالَتِي، وَاعْقِلْ إِنْ كُنْتَ تَعْقِلُ إِنَّهُ بُعِثَ رَسُولٌ مِنْ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبٍ يَدْعُو إِلَى اللَّهِ وَإِلَى
পৃষ্ঠা - ১৬৬১
عِبَادَتِهِ، ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: عَجِبْتُ لِلْجِنِّ وَتَخْيَارِهَا ... وَشَدِّهَا الْعِيسَ بِأَكْوَارِهَا تَهْوِي إِلَى مَكَّةَ تَبْغِي الْهُدَى ... مَا مُؤْمِنُو الْجِنِّ كَكُفَّارِهَا فَارْحَلْ إِلَى الصَّفْوَةِ مِنْ هَاشِمٍ ... بَيْنَ رَوَابِيهَا وَأَحْجَارِهَا قَالَ: قُلْتُ: دَعْنِي أَنَامُ فَإِنِّي أَمْسَيْتُ نَاعِسًا. فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الثَّالِثَةُ، أَتَانِي فَضَرَبَنِي بِرِجْلِهِ، وَقَالَ: قُمْ يَا سَوَادُ بْنَ قَارِبٍ فَاسْمَعْ مَقَالَتِي وَاعْقِلْ إِنْ كُنْتَ تَعْقِلُ، إِنَّهُ قَدْ بُعِثَ رَسُولٌ مِنْ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبٍ يَدْعُو إِلَى اللَّهِ، وَإِلَى عِبَادَتِهِ ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ عَجِبْتُ لِلْجِنِّ وَتَحْسَاسِهَا ... وَشَدِّهَا الْعِيسَ بِأَحْلَاسِهَا تَهْوِي إِلَى مَكَّةَ تَبْغِي الْهُدَى ... مَا خَيِّرُ الْجِنِّ كَأَنْجَاسِهَا فَارْحَلْ إِلَى الصَّفْوَةِ مِنْ هَاشِمٍ ... وَاسْمُ بِعَيْنَيْكَ إِلَى رَأْسِهَا قَالَ: فَقُمْتُ، وَقُلْتُ: قَدِ امْتَحَنَ اللَّهُ قَلْبِي. فَرَحَّلْتُ نَاقَتِي، ثُمَّ أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ يَعْنِي مَكَّةَ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَصْحَابِهِ فَدَنَوْتُ فَقُلْتُ: اسْمَعْ مَقَالَتِي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: هَاتِ فَأَنْشَأْتُ أَقُولُ أَتَانِي نَجِيِّي بَعْدَ هَدْءٍ وَرَقْدَةٍ ... وَلَمْ يَكُ فِيمَا قَدْ تَلَوْتُ بِكَاذِبِ ثَلَاثَ لَيَالٍ قَوْلُهُ كُلَّ لَيْلَةٍ ... أَتَاكَ رَسُولٌ مِنْ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ
পৃষ্ঠা - ১৬৬২


সম্ভব হয়েছে ৷ ইমাম আহমদ ও ইয়াকুব মহাম্মদ ইবনে ইসহাক সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷ তার ভাষা হম্বো : আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে তার প্ৰতি ওহী অবতারণের পুর্বে
লোকদের সঙ্গে আরাফায় উটের পিঠে অবস্থানরত দেখেছি ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি তাদের সাথেই
ফিরতেন ৷ আল্লাহ র্তাকে এর তওফীক দিয়েছিলেন ৷

হযরত জুবায়র ইবনে মুতইম সুত্রে ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একদিন আরাফায় আমার উট হারিয়ে ফেলি ৷ আমি তার খোজে বের হলাম ৷ হঠাৎ দেখি, নবী
করীম (সা) দাড়িয়ে আছেন ৷ মনে মনে বললাম, ইনি তো হুমস১ গোত্রের মানুষ ৷ এখানে কেন
ইনি ?

ফিজার যুদ্ধে ৰাসুলুল্লাহ (সা) এর উপস্থিতি

ইবনে ইসহড়াক বলেন, ফিজার যুদ্ধ যখন পুরোদমে চলছে, ন্ন্থড়াসৃলুল্লাহ (না) তখন কুড়ি
বছরের যুবক ৷ উল্লেখ্য যে, কিনানা এবং আয়লানের কায়স পরস্পর রক্ত সম্পর্কীয় এই দু’টি
গোত্র নিষিদ্ধ সময়ে এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কারণে এ যুদ্ধকে ফিজার যুদ্ধ বা সীমালংঘন যুদ্ধ
বলা হয় ৷ এ যুদ্ধে কুরায়শ ও কিনানার নেতৃত্বে ছিলেন হাবব ইবনে উমাইয়৷ ইবনে আবদে
শামস ৷ দিনের প্রথম ভাগে কায়স গোত্র কিনানার ওপর জয়লাভ করেছিল ৷ দিনের মাঝামাঝিতে
এসে বিজয় কিনানা গোত্রের হাতে চলে আসে ৷

ইবনে হিশাম বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন চৌদ্দ কিংবা পনের বছর বয়সে উপনীত হন,
তখন সহযোগী কিনানাসহ কুরায়শ এবং আয়লানের কায়স-এর মধ্যে ফিজার যুদ্ধ শুরু হয় ৷

ঘটনার পটভুমি নিম্নরুপ : উরওয়া আর রিহাল (ইবন উতবা ইবন জাফর ইবন কিলাব ইবন
রবীয়া ইবন আমির ছাছাআ ইবন মুআবিয়া ইবন বকর ইবন হাওয়াযিন) নু’মান ইবনে
মুনযিরকে ব্যবসা করার অনুমতি দেয় ৷ এ খবর শুনে বনু যামুরা (ইবন বকর ইবন আবদে
মানাত ইবন কিনানা) গোত্রের বারাষ ইবনে কায়স বলে , কিনানার স্বার্থ নষ্ট করে তুমি নুমানকে
ব্যবসা করার অনুমতি দিলে ? উরওয়া আর রিহাল বলল, ছুব্রুড়া, দিয়েছি সকলের স্বার্থে ব্যাঘাত
ঘটলেও ৷ এ কথার পর উরওয়া আর রিহাল চলে যায় ৷ বারাযও প্রতিশোধ নেয়ার লক্ষেব্ল
স্যুযাগের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে ৷ মক্কার উচু অঞ্চলের যী-তিলাল নামক স্থানের দক্ষিণে পৌছে
উরওয়া অসতর্ক হয়ে পড়ে ৷ সুযোগ বুঝে বারাষ তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং তাকে হত্যা
করে ফেলে ৷ ঘটনাটি ঘটে নিষিদ্ধ মাসে ৷ এ কারণে তা ফিজার নামে আখ্যায়িত হয় ৷ এ
ব্যাপারে গর্ব প্রকাশ করে বারাষ কবিতার কয়েকটি পংক্তিও আওড়ায় ৷ উরওয়ার এ হত্যাকাণ্ড
প্রসঙ্গে লবীদ ইবন রবীয়াও কয়েকটি পংক্তি রচনা করেন ৷

ইবনে হিশাম বলেন, এরপর জনৈক ব্যক্তি কুরায়শের নিকট এসে সংবাদ দিল যে, বারাষ
উরওয়াকে খুন করে ফেলেছে ৷ তা-ও আবার নিষিদ্ধ মাসে, উকায মেলার স্থানে ৷ অতএব
তোমরা হাওয়াযিন গোত্র যাতে টের না পায় সেভাবে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাও ৷ কিভু এর



১ হুমস বলতে কুরায়শ ণেত্রে বোঝানো হতো হুমস মানে দুঢতা তারা র্দীনের ব্যাপারে অনঢ়-অবিচল থাকভৈতা বলে
তাদেরকে হুমস বলা হতে


فَشَمَّرْتُ عَنْ ذَيْلِي الْأِزَارَ وَوَسَّطَتْ بِيَ الذِّعْلِبُ الْوَجْنَاءُ غُبْرَ السَّبَاسِبِ ... فَأَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ لَا شَيْءَ غَيْرُهُ وَأَنَّكَ مَأْمُونٌ عَلَى كُلِّ غَالِبِ ... وَأَنَّكَ أَدْنَى الْمُرْسَلِينَ وَسِيلَةً إِلَى اللَّهِ يَا ابْنَ الْأَكْرَمِينَ الْأَطَايِبِ ... فَمُرْنَا بِمَا يَأْتِيكَ يَا خَيْرَ مَنْ مَشَى وَإِنْ كَانَ فِيمَا جَاءَ شَيْبُ الذَّوَائِبِ ... وَكُنْ لِي شَفِيعًا يَوْمَ لَا ذُو شَفَاعَةٍ سِوَاكَ بِمُغْنٍ عَنْ سَوَادِ بْنِ قَارِبِ قَالَ: فَفَرِحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ، بِمَقَالَتِي فَرَحًا شَدِيدًا حَتَّى رُئِيَ الْفَرَحُ فِي وُجُوهِهِمْ. قَالَ: فَوَثَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَالْتَزَمَهُ، وَقَالَ: قَدْ كُنْتُ أَشْتَهِي أَنْ أَسْمَعَ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْكَ فَهَلْ يَأْتِيكَ رَئِيُّكَ الْيَوْمَ؟ قَالَ: أَمَّا مُنْذُ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ فَلَا، وَنِعْمَ الْعِوَضُ كِتَابُ اللَّهِ مِنَ الْجِنِّ. ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: كُنَّا يَوْمًا فِي حَيٍّ مِنْ قُرَيْشٍ يُقَالَ لَهُمْ: آلُ ذَرِيحٍ، وَقَدْ ذَبَحُوا عِجْلًا لَهُمْ وَالْجَزَّارُ يُعَالِجُهُ إِذْ سَمِعْنَا صَوْتًا مِنْ جَوْفِ الْعِجْلَ وَلَا نَرَى شَيْئًا قَالَ: يَا آلَ ذَرِيحٍ، أَمْرٌ نَجِيحٌ، صَائِحٌ يَصِيحُ، بِلِسَانٍ فَصِيحٍ، يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ» . وَهَذَا مُنْقَطِعٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَيَشْهَدُ لَهُ رِوَايَةُ الْبُخَارِيُّ وَقَدْ تَسَاعَدُوا عَلَى أَنَّ السَّامِعَ الصَّوْتَ مِنَ الْعِجْلِ هُوَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১৬৬৩
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ سَهْلٍ الْخَرَائِطِيُّ فِي كِتَابِهِ الَّذِي جَمَعَهُ فِي هَوَاتِفِ الْجَانِّ: حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى الْمُؤَدِّبُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِمْرَانَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْوَصَّافِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: «دَخَلَ سَوَادُ بْنُ قَارِبٍ السَّدُوسِيُّ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ: نَشَدْتُكَ بِاللَّهِ يَا سَوَادُ بْنَ قَارِبٍ، هَلْ تُحْسِنُ الْيَوْمَ مَنْ كَهَانَتِكَ شَيْئًا؟ فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَا اسْتَقْبَلْتَ أَحَدًا مِنْ جُلَسَائِكَ بِمِثْلِ مَا اسْتَقْبَلْتَنِي بِهِ. قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ يَا سَوَادُ مَا كُنَّا عَلَيْهِ مِنْ شِرْكِنَا أَعْظَمُ مِمَّا كُنْتَ عَلَيْهِ مِنْ كَهَانَتِكَ وَاللَّهِ يَا سَوَادُ لَقَدْ بَلَغَنِي عَنْكَ حَدِيثٌ إِنَّهُ لَعَجَبٌ مِنَ الْعَجَبِ. قَالَ: إِي وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّهُ لَعَجَبٌ مِنَ الْعَجَبِ. قَالَ: فَحَدِّثْنِيهِ قَالَ: كُنْتُ كَاهِنًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَبَيْنَا أَنَا ذَاتَ لَيْلَةٍ نَائِمٌ إِذْ أَتَانِي نَجِيِّي فَضَرَبَنِي بِرِجْلِهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا سَوَادُ اسْمَعْ أَقُلْ لَكَ. قُلْتُ: هَاتِ. قَالَ عَجِبْتُ لِلْجِنِّ وَأَنْجَاسِهَا ... وَرَحْلِهَا الْعِيسَ بِأَحْلَاسِهَا تَهْوِي إِلَى مَكَّةَ تَبْغِي الْهُدَى ... مَا مُؤْمِنُوهَا مِثْلَ أَرْجَاسِهَا فَارْحَلْ إِلَى الصَّفْوَةِ مِنْ هَاشِمٍ ... وَاسْمُ بِعَيْنَيْكَ إِلَى رَأْسِهَا قَالَ: فَنِمْتُ، وَلَمْ أَحْفِلْ بِقَوْلِهِ شَيْئًا. فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الثَّانِيَةُ أَتَانِي فَضَرَبَنِي بِرِجْلِهِ، ثُمَّ قَالَ لِي: قُمْ يَا سَوَادُ بْنَ قَارِبٍ اسْمَعْ أَقُلْ لَكَ قُلْتُ: هَاتِ قَالَ
পৃষ্ঠা - ১৬৬৪


মধ্যে হড়াওয়াযিন ঘটনাটি জেনে ফেলে ৷ তারা কুরায়শদের ধাওয়া করে ৷ কুরায়শরা হারামে
প্রবেশ করার পুর্বেই হাওয়াযিনরা তাদেরকে নাগালে পেয়ে যায় ৷ তখন সংঘর্ষ শুরু হয় ৷ সারা
দিন যুদ্ধশেষে রাতের বেলা কুরায়শরা হারামে প্রবেশ করতে সক্ষম হয় ৷ ফলে হাওয়াযিনরা
নিবৃত্ত হয় ৷ পরদিন আবার সংঘর্ষ শুরু হয় ৷ এ সংঘর্ষ কয়েকদিন অব্যাহত থাকে ৷ প্রত্যেক
সম্প্রদায়ের লোক তাদের নেতাদের ওপর পুর্ণ নির্ভর করে ৷

কুরায়শ ও কিনানার সব কটি গোত্রের নেতৃত্ব একজনের হাতে ছিল ৷ আর কায়স-এর
সবগুলো ণ্গাত্রের নেতৃত্ব অপর একজনের হাতে ছিল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক
দিন এ যুদ্ধে উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ তার চড়াচারা তাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ এ প্রসঙ্গে
রাসুলুল্লাহ (সা) নিজে বলেছেনং

আমি শত্রুদের নিক্ষিপ্ত তীর কুড়িয়ে চাচাদের হাতে তুলে দিতামা

ইবনে হিশাম বলেন,ফিজারের যুদ্ধ দীর্ঘকাল পর্যন্ত চলেছিল তা’ আমার উল্লেখিত বর্ণনার
চইিতেও দীর্ঘতর ছিল ৷ সীরাত সম্পর্কিত আলোচনায় অপ্রাসঙ্গিক বলে এখানে তা উল্লেখ করা
হলে৷ না ৷

সুহায়লী বলেন, আরবে ফিজার সংঘটিত হয়েছিল চারটি ৷ মাসউদী এ যুদ্ধগুলাের কথা
উল্লেখ করেছেন ৷ এ যুদ্ধগুলোর সর্ব শেষটি হলো এই ফিজারুল বারায ৷ ফিজারুল বারাযের
যুদ্ধ হয়েছে চার দিন ৷ (তখনকার দিনের নাম অনুসারে) ১ শামতা ২ আবসা ৷ এ দৃ’দিনের
লড়াই হয়েছে উকায-এর নিকট ৷ ৩ আশৃ গুবব ৷ চারদিনের মধ্যে এ দিনের যুদ্ধই বেশি
গুরুত্বপুর্ণ ব্যি ৷ এ দিনে রাসুলুল্লাহ (সা) উপস্থিত ছিলেন ৷ এ দিনে কুরায়শ ও বনু কিনানার দুই
নেতা হাবৃব ইবন উমাইয়াএবং তার ভাই সুফিয়ান নিজেরা নিজেদেরকে শিকন্সে আটকে রাখে,
যাতে বাহিনীর যােদ্ধারা পালিয়ে না যায় ৷ এই দিনে কায়স গোত্র পালিয়ে যায় ৷ তবে বনু নায্র
নিজেদের অবস্থায় অটল থাকে ৷ : হারীরা ৷ এই দিনের যুদ্ধ হয়েছিল নাখলার নিকট ৷ তারপর
বিবদমান উভয় পক্ষ আগামী বছর উকাযের নিকট যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে ৷
নির্দিষ্ট সময়ে তারা অঙ্গীকার পালনে লিপ্ত হলে উতবা ইবনে রবীয়া উটে সওয়ার হয়ে ডাক
দিয়ে বলে, ওহে মুযার সম্প্রদায় ! কোন যুক্তিতে তোমরা লড়াই করছ ? জবাবে হাওয়াযিনরা
বলল, আপনি কী প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন, বলুন ৷ উতবা বলল, আমি সন্ধি করতে চাই ৷ তারা
বলল, সন্ধি কি শর্তে হবে বলুন ৷ উতবা ইবনে রবীয়া বলল : আমাদের হাতে তোমাদের যে সব
লোক নিহত হয়েছে আমরা তোমাদেরকে তাদের রক্তপণ পরিশোধ করব ৷ তা আমার না হওয়া
পর্যন্ত আমাদের সম্পদ তোমাদের কাছে বন্ধক রাখব ৷ আর তোমাদের নিকট আমরা যে রক্তপণ
পাওনা আছি, তা মাফ করে দেব ৷ শুনে হাওয়াযিনরা বলল, এই চুক্তির দায়িত্ব কে নেবে ?
উতবা বলল, আমি ৷ হাওয়াযিনরা বলল, আপনি কে ? উতবা বলল , আমি উতবা ইবনে রবীয়া ৷
অবশেষে উক্ত প্রস্তাব অনুযায়ী সন্ধি স্থাপিত হয় এবং যুদ্ধবত লোকদের নিকট চল্লিশ ব্যক্তিকে
প্রেরণ করা হয় ৷ হড়াকীম ইবনে হিযাম (রা) তাদের একজন ছিলেন ৷ যখন বনু আমির ইবনে
ছাছা’আ দেখল যে, বন্ধক তাদের হাতে এসে গেছে, তখন তারা তাদের রক্তপণের দাবি ত্যাগ
করে এবং এভাবে ফিজার যুদ্ধের অবসান ঘটে ৷ ঐতিহাসিক উমাবী ফিজার-এর যুদ্ধসমুহ এবং


عَجِبْتُ لِلْجِنِّ وَتَطْلَابِهَا ... وَشَدِّهَا الْعِيسَ بِأَقْتَابِهَا تَهْوِي إِلَى مَكَّةَ تَبْغِي الْهُدَى ... مَا صَادِقُ الْجِنِّ كَكَذَّابِهَا فَارْحَلْ إِلَى الصَّفْوَةِ مِنْ هَاشِمٍ ... لَيْسَ الْمَقَادِيمُ كَأَذْنَابِهَا قَالَ: فَحَرَّكَ قَوْلُهُ مِنِّي شَيْئًا، وَنِمْتُ فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الثَّالِثَةُ أَتَانِي فَضَرَبَنِي بِرِجْلِهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا سَوَادُ بْنَ قَارِبٍ أَتَعْقِلُ أَمْ لَا تَعْقِلُ؟ قُلْتُ: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَ: ظَهَرَ بِمَكَّةَ نَبِيٌّ يَدْعُو إِلَى عِبَادَةِ رَبِّهِ فَالْحَقْ بِهِ اسْمَعْ أَقُلْ لَكَ. قُلْتُ: هَاتِ. قَالَ عَجِبْتُ لِلْجِنِّ وَتَنْفَارِهَا ... وَرَحْلِهَا الْعِيسَ بِأَكْوَارِهَا تَهْوِي إِلَى مَكَّةَ تَبْغِي الْهُدَى ... مَا مُؤْمِنُو الْجِنِّ كَكُفَّارِهَا فَارْحَلْ إِلَى الصَّفْوَةِ مِنْ هَاشِمٍ ... بَيْنَ رَوَابِيهَا وَأَحْجَارِهَا قَالَ: فَعَلِمْتُ أَنَّ اللَّهَ قَدْ أَرَادَ بِي خَيْرًا فَقُمْتُ إِلَى بُرْدَةٍ لِي فَفَتَقْتُهَا وَلَبِسْتُهَا، وَوَضَعْتُ رِجْلِي فِي غَرْزِ رِكَابِ النَّاقَةِ، وَأَقْبَلْتُ حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَرَضَ عَلَيَّ الْإِسْلَامَ فَأَسْلَمْتُ، وَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ فَقَالَ: إِذَا اجْتَمَعَ الْمُسْلِمُونَ فَأَخْبِرْهُمْ فَلَمَّا اجْتَمَعَ الْمُسْلِمُونَ قُمْتُ فَقُلْتُ
পৃষ্ঠা - ১৬৬৫
أَتَانِي نَجِيِّي بَعْدَ هَدْءٍ وَرَقْدَةٍ ... وَلَمْ يَكُ فِيمَا قَدْ بَلَوْتُ بِكَاذِبِ ثَلَاثَ لَيَالٍ قَوْلُهُ كُلَّ لَيْلَةٍ ... أَتَاكَ رَسُولٌ مِنْ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ فَشَمَّرْتُ عَنْ ذَيْلِي الْإِزَارَ وَوَسَّطَتْ ... بِيَ الذِّعْلِبُ الْوَجْنَاءُ غُبْرَ السَّبَاسِبِ وَأَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ لَا رَبَّ غَيْرُهُ ... وَأَنَّكَ مَأْمُونٌ عَلَى كُلِّ غَائِبِ وَأَنَّكَ أَدْنَى الْمُرْسَلِينَ وِسَيلَةً ... إِلَى اللَّهِ يَا ابْنَ الْأَكْرَمِينَ الْأَطَايِبِ فَمُرْنَا بِمَا يَأْتِيكَ يَا خَيْرَ مُرْسَلٍ ... وَإِنْ كَانَ فِيمَا جَاءَ شَيْبُ الذَّوَائِبِ قَالَ: فَسُرَّ الْمُسْلِمُونَ بِذَلِكَ فَقَالَ عُمَرُ: هَلْ تُحِسُّ الْيَوْمَ مِنْهَا بِشَيْءٍ؟ قَالَ: أَمَّا مُذْ عَلَّمَنِي اللَّهُ الْقُرْآنَ فَلَا» . وَقَدْ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ السَّائِبِ الْكَلْبِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ، قَالَ: «لَمَّا وَرَدَ سَوَادُ بْنُ قَارِبٍ عَلَى عُمَرَ قَالَ: يَا سَوَادُ بْنَ قَارِبٍ مَا بَقِيَ مِنْ كَهَانَتِكَ؟ فَغَضِبَ، وَقَالَ: مَا أَظُنُّكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اسْتَقْبَلْتَ أَحَدًا مِنَ الْعَرَبِ بِمِثْلِ هَذَا. فَلَمَّا رَأَى مَا فِي وَجْهِهِ مِنَ الْغَضَبِ قَالَ: انْظُرْ سَوَادُ، لَلَّذِي كُنَّا عَلَيْهِ قَبْلَ الْيَوْمِ مِنَ الشِّرْكِ أَعْظَمُ. ثُمَّ قَالَ: يَا سَوَادُ حَدِّثْنِي حَدِيثًا كُنْتُ أَشْتَهِي أَسْمَعُهُ مِنْكَ، قَالَ: نَعَمْ بَيَنَا أَنَا فِي إِبِلٍ لِي بِالسَّرَاةِ لَيْلًا وَأَنَا نَائِمٌ وَكَانَ لِي نَجِيٌّ مِنَ الْجِنِّ فَأَتَانِي فَضَرَبَنِي بِرِجْلِهِ فَقَالَ لِي: قُمْ يَا سَوَادُ بْنَ قَارِبٍ فَقَدْ ظَهَرَ بِتِهَامَةَ نَبِيٌّ يَدْعُو إِلَى الْحَقِّ، وَإِلَى طَرِيقٍ مُسْتَقِيمٍ فَذَكَرَ الْقِصَّةَ كَمَا تَقَدَّمَ، وَزَادَ فِي آخِرِ الشِّعْرِ
পৃষ্ঠা - ১৬৬৬


তার দিন-ক্ষণ সম্পর্কে আছরাম সুত্রে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন ৷ আছরাম হলেন মুগীরা
ইবনে আলী ৷ মুপীরা আবু উবায়দা মা’মার ইবনে মুছান্নড়া থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

অধ্যায়

হাফিজ বায়হাকী বর্ণনা করেন যে, জুবায়র ইবনে মুতইম (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন, “আমি আমার চাচাদের সঙ্গে হিলফুল মুতারািবীনে’উপস্থিত ছিলাম ৷ এখন আমি তা’
ভঙ্গ করা পছন্দ করি না; বিনিময়ে বহমুল্য লাল উট দিলেও নয় ৷”

হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত হাদীসে আছে : রাসুলুল্লাহ (যা) বলেছেন, “হিলফুল
মুতামািবীন ছাড়া আমি কুরায়শদের কোন চুক্তিতে উপস্থিত ছিলাম না এখন বিনিময়ে আমাকে
লাল উট দেয়া হলেও আমি তা ভঙ্গ করা পছন্দ করি না ৷” আবু হুরায়রা (রা) বলেন,
মুতড়াব্যিবীন বলতে বোঝানো হয়েছে হাশিম, উমাইয়া, যুহ্রা ও মাখযুমকে ৷ বায়হাকী বলেন,
হাদীসের এই ব্যাখ্যাটি মুদরাজ বা রাৰীর বাড়তি বর্ণনা ৷ এ রাবীহ্ পরিচয়ও অজ্ঞাত ৷ কোন
কোন সীরাত বিশেষজ্ঞদের ধারণা এখানে হিলফুল মুতায়িব্রুবীন বলতে হিলফুল ফুযুল বোঝান
হয়েছে ৷ কেননা রাসুলুল্লাহ (যা) হিলফুল মুতায়িবীন এর সময়কাল পাননি ৷

আমার মতে, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ৷ তার কারণ কুরায়শরা অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছিল
কুসাই-এর মৃত্যুর পর ৷ কুসাই কর্তৃক তার পুত্র আব্দুদ্দারকে সিকায়ড়া, রিফাদা , লিওয়া, নাদওয়া
ও হিজাবার দায়িতু প্ৰদানকে কেন্দ্র করে বিরোধ ছিল ৷ এই সিদ্ধান্তে বনু ট্রুআব্দে মানাফের
আপত্তি ছিল ৷ কুরায়শের সকল গোত্র এ ব্যাপারে সোচ্চার হয় এবং নিজ নিজ পক্ষের
সহযোগিতা করার ব্যাপারে পরস্পর অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় ৷ এ খবর শুনে আবৃদে মানাফের গোত্রের
লোকরা একটি পাত্রে সুগন্ধি রেখে তাতে হাত রেখে তারাও অঙ্গীকার ব্যক্ত করে ৷ বৈঠক থেকে
উঠে তারা বায়তুল্পাহ্র খুঢিতে হাত মুছে ৷ এ কারণে তাদেরকে মুতড়াব্যিবীন’ বা সুপন্ধিওয়ালা
নাম দেয়া হয় ৷ এ ঘটনাটি প্রাচীন আমলের ৷ কাজেই প্রমাণিত হয় যে, আলোচ্য অঙ্গীকার দ্বারা
হিলফুল ফুযুল বোঝানো হয়েছে ৷ ইিলফুল ফুযুল সম্পাদিত হয়েছিল আব্দুল্লাহ ইবন জাদআনের
ঘরে ৷ যেমন হুমায়দী বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (যা) বলেছেন, “আমি আব্দুল্লাহ ইবনে
জাদআনের ঘরে একটি অঙ্গীকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলাম ৷ ইসলামের যুপেও যদি
আমাকে তেমন অঙ্গীকারের প্রতি আহ্বান করা হতো, আমি তাতে সাড়া দিতাম ৷” উপস্থিত
ব্যক্তিবর্গ তাতে নগরবড়াসীর ওপর অত্যাচার ও অন্যায়ের প্রতিরোধ করার শপথ নিয়েছিলেন ৷

ঐতিহাসিকগণ বলেন, হিলফুল ফুযুল সম্পাদিত হয়েছিল রাসুলুল্লাহ (না)-এর নবুয়ত
লাভের কুড়ি বছর আগে যুলকা’দা মাসে, ফিজার যুদ্ধের চার মাস পরে ৷ ফিজার সংঘটিত
হয়েছিল একই বছরের শাবান মাসে ৷

হিলফুল ফুযুল ছিল আরবের ইতিহাসে সবাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ শপথ ৷ এ ব্যাপারে সর্বপ্রথম যিনি
মুখ খুলেন এবং যিনি এর প্রস্তাব উত্থাপন করেন, তিনি হলেন যুবায়র ইবনে আব্দুল ঘুত্তালিব ৷
যে পটভুমির ওপর ভিত্তি করে এই অঙ্গীকার সম্পাদিত হয়েছিল, তা হলো এই :

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৭৩-

وَكُنْ لِي شَفِيعًا يَوْمَ لَا ذُو قُرَابَةٍ ... سِوَاكَ بِمُغْنٍ عَنْ سَوَادِ بْنِ قَارِبِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: سِرْ فِي قَوْمِكَ، وَقُلْ هَذَا الشِّعْرَ فِيهِمْ» . وَرَوَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ الْحَكَمِ بْنِ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ الْمُحَارِبِيِّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ الصَّمَدِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي سَوَادُ بْنُ قَارِبٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: كُنْتُ نَائِمًا عَلَى جَبَلٍ مِنْ جِبَالِ السَّرَاةِ فَأَتَانِي آتٍ فَضَرَبَنِي بِرِجْلِهِ، وَذَكَرَ الْقِصَّةَ أَيْضًا. وَرَوَاهُ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ الْبَرَاءِ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: «قَالَ سَوَادُ بْنُ قَارِبٍ: كُنْتُ نَازِلًا بِالْهِنْدِ فَجَاءَنِي رَئِيِّي ذَاتَ لَيْلَةٍ فَذَكَرَ الْقِصَّةَ، وَقَالَ بَعْدَ إِنْشَادِ الشِّعْرِ الْأَخِيرِ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ، وَقَالَ: أَفْلَحْتَ يَا سَوَادُ» . وَرَوَى الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: إِنَّ أَوَّلَ خَبَرٍ كَانَ بِالْمَدِينَةِ بِمَبْعَثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; أَنَّ امْرَأَةً بِالْمَدِينَةِ كَانَ لَهَا تَابِعٌ مِنَ الْجِنِّ فَجَاءَ فِي صُورَةِ طَائِرٍ أَبْيَضَ فَوَقَعَ عَلَى حَائِطٍ لَهُمْ فَقَالَتْ لَهُ: لِمَ لَا تَنْزِلُ إِلَيْنَا فَتُحَدِّثَنَا وَنُحَدِّثَكَ، وَتُخْبِرَنَا وَنُخْبِرَكَ؟ فَقَالَ لَهَا: إِنَّهُ قَدْ بُعِثَ نَبِيٌّ بِمَكَّةَ حَرَّمَ الزِّنَا، وَمَنَعَ مِنَّا الْقَرَارَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ
পৃষ্ঠা - ১৬৬৭
عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ قَالَ: إِنَّ أَوَّلَ خَبَرٍ قَدِمَ الْمَدِينَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ امْرَأَةً تُدْعَى فَاطِمَةَ كَانَ لَهَا تَابِعٌ فَجَاءَهَا ذَاتَ يَوْمٍ فَقَامَ عَلَى الْجِدَارِ فَقَالَتْ: أَلَا تَنْزِلُ؟ فَقَالَ: لَا إِنَّهُ قَدْ بُعِثَ الرَّسُولُ الَّذِي حَرَّمَ الزِّنَا. وَأَرْسَلَهُ بَعْضُ التَّابِعِينَ أَيْضًا، وَسَمَّاهُ بِابْنِ لَوْذَانَ، وَذَكَرَ أَنَّهُ كَانَ قَدْ غَابَ عَنْهَا مُدَّةً، ثُمَّ لَمَّا قَدِمَ عَاتَبَتْهُ فَقَالَ: إِنِّي جِئْتُ الرَّسُولَ فَسَمِعْتُهُ يُحَرِّمُ الزِّنَا فَعَلَيْكِ السَّلَامُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قَالَ: «قَالَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ خَرَجْنَا فِي عِيرٍ إِلَى الشَّامِ قَبْلَ أَنْ يُبْعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا كُنَّا بِأَفْوَاهِ الشَّامِ، وَبِهَا كَاهِنَةٌ فَتَعَرَّضَتْنَا فَقَالَتْ: أَتَانِي صَاحِبِي فَوَقَفَ عَلَى بَابِي فَقُلْتُ: أَلَا تَدْخُلُ؟ فَقَالَ: لَا سَبِيلَ إِلَى ذَلِكَ خَرَجَ أَحْمَدُ، وَجَاءَ أَمْرٌ لَا يُطَاقُ، ثُمَّ انْصَرَفْتُ فَرَجَعْتُ إِلَى مَكَّةَ فَوَجَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ خَرَجَ بِمَكَّةَ يَدْعُو إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ،» وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: كَانَ الْوَحْيُ يُسْمَعُ، فَلَمَّا كَانَ الْإِسْلَامُ مُنِعُوا. وَكَانَتِ امْرَأَةٌ مِنْ بَنِي أَسَدٍ يُقَالَ لَهَا: سُعَيْرَةُ لَهَا تَابِعٌ مِنَ الْجِنِّ فَلَمَّا رَأَى الْوَحْيَ لَا يُسْتَطَاعُ، أَتَاهَا فَدَخَلَ فِي صَدْرِهَا فَضَجَّ فِي صَدْرِهَا، فَذَهَبَ عَقْلُهَا، فَجَعَلَ يَقُولُ مِنْ صَدْرِهَا: وُضِعَ الْعِنَاقُ، وَمُنِعَ الرِّفَاقُ، وَجَاءَ أَمْرٌ لَا يُطَاقُ، وَأَحْمَدُ حَرَّمَ الزِّنَا.
পৃষ্ঠা - ১৬৬৮


য়াবীদ গোত্রের এক ব্যক্তি কিছু ব্যবসা পণ্য নিয়ে মক্কা আসে ৷ আল ইবনে ওয়ায়িল তার
থেকে কিছু সওদা ক্রয় করে ৷ কিন্তু পরে সে তার মুল্য পরিশোধ করতে অস্বীকার করে ৷ অগতা৷
যাবীদী তার পাওনা আদায় করার জন্য আহলাফ তথা আব্দুদ্দার , মাখযুম জাম্হ, সাহ্ম ও আদী
ইবনে কা-ব-এর শরণাপন্ন হয় ৷ কিন্তু তারা আল ইবনে ওয়ায়িল--এর বিপক্ষে তাকেসাহাষ্য
করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় এবং তাকে শাসিয়ে দেয় ৷ অবস্থা বেগতিক দেখে যাবীদী
ভোরে আবু কুবায়স পর্বতে আরোহণ করে উচ্চ স্বরে কাব্যাকারে তার অতা৷চারিত হওয়ার কথা
প্রচার করে ৷ কুরায়শরা তখন কাব৷ চতুরে আলাপ-আলোচনায় রত ৷ যুবায়র ইবনে আব্দুল
মুত্তালিব বিষয়টি গুরুতৃসহকারে বিবেচনা করেন এবং বলেন, ঘটনাটিকে এভাবে উপেক্ষা করা
যায় না ৷ এর একটা সুরাহ৷ হওয়া দরকার ৷ এবার হাশিম যুহরড়া ও তাইম ইবনে যুর৷ আব্দুল্লাহ
ইবনে জাদ’আন এর বাড়িতে সমবেত হন ৷ আব্দুল্লাহ ইবনে জাদ’আন মেহমানদের আপ্যায়নের
ব্যবস্থা করেন ৷ এ বৈঠকে যুদ্ধ নিষিদ্ধ মাস যুলকা’দায় র্তারা ৷আল্লাহ্র নামে এই মর্মে
অঙ্গীকারাবদ্ধ হন যে, তারা অত্যাচারিতের পক্ষে অ৩ ৷৷চারীর৷ ৷বরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভা ৷বে কাজ
করবে, যাতে করে জালিম মজলুমের পাওনা আদায় করতে ৩বাধঢু হয় ৷ যতদিন পর্যন্ত সমুদ্রে
ঢেউ উথিত হবে, যতদিন পর্যন্ত হেব৷ ও ছাবীর পর্বতদ্বয় আপন স্থানে স্থির থাকবে, ততদিন
পর্যন্ত আমাদের এই অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে ৷ আর জীবন য়াত্রায় আমরা একে অপরের
সাহায্য করব ৷ কুরায়শরা এই অঙ্গীকা ৷রকে হিলফুল ফুযুল’ নামে নামকরণ করে এবং বলে, এরা
একটি মহত কাজে আত্মনিয়োগ করেছে ৷৩ তারপর এই যুবকরা আল ইবনে ওয়ায়িল এর নিকট
গিয়ে৩ তার থেকে যাবীদীর পণ্য উদ্ধার করে৩ তাকে ফেরত দেন ৷ যুবায়র ইবনে আব্দুল মুত্তালিব
এ ব্যাপারে বলেন :

ন্ার্চুা৯ ৷ ৰুণ্,া


কয়েক মহান ব্যক্তি এই মর্মে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে যে, মক্কার বুকে কোনো জ লিম পা
রাখতে পারবে না; নগরবাসী বিদেশী সকলেই এখানে নিরাপদে অবস্থান করবে ৷

একটি গরীব পর্যায়ের হাদীসে কাসিম ইবনে ছ৷ ৷ৰিত উল্লেখ করেন, কাছআম গোত্রের এক
ব্যক্তি হজ্জ কিৎব৷ উমরাহ্ উপলক্ষে মক্কায় আগমন করে ৷৩ তার একটি কন্যা তার সঙ্গে ছিল ৷
যেয়েটি ছিল অত্যন্ত রুপসী এবং তার নাম ছিল কা ভুল ৷ নাবীহ ইবন৷ হ ৷জ্জাজ যেয়েটিকে পিতার
নিকট হতে অপহরণ করে নিয়ে লুকিয়ে রাখে ৷ ফলে কাছ আমী লোকটি তার মেয়েকে উদ্ধারের
ফরিয়াদ জানায় ৷৩ তাকে তখন বলা হলো, তুমি হিলফুল ফুযুল’ যুবসৎরু ঘর শরণাপন্ন হও ৷
লােকটি কার বার নিকটে দাড়িয়ে ইাক দিল, হিলফুল ফুযুল এর সদস্যগণ কে কোথায় আছেন ?
সঙ্গে সঙ্গে হিলফুল ফুযুল এর কমীগণ কােষমুক্ত৩ তরবারি হাতে চতৃর্দিক হতে ছুটে আসেন এবং
বলেন, তোমার সাহায্যকারীরা হাজির, তোমার কী হয়েছে ? সােকটি বলল, নাবীহ আমার
কন্যার ব্যাপারে আমার প্রতি জুলুম করেছে ৷ আমার কন্যাকে সে জোর করে আমার থেকে
ছিনিয়ে নিয়েছে ৷ অভিযোগ শুনে তারা দোকটিকে নিয়ে নাবীহ-এর পৃহের দরজায় গিয়ে


وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَرَائِطِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَلَوِيُّ بِمِصْرَ حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يَزِيدَ عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ عَمَّنْ حَدَّثَهُ «عَنْ مِرْدَاسِ بْنِ قَيْسٍ السَّدُوسِيِّ قَالَ: حَضَرْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَقَدْ ذُكِرَتْ عِنْدَهُ الْكِهَانَةُ، وَمَا كَانَ مِنْ تَغْيِيرِهَا عِنْدَ مَخْرِجِهِ - فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ كَانَ عِنْدَنَا فِي ذَلِكَ شَيْءٌ أَخْبِرُكَ أَنَّ جَارِيَةً مِنَّا يُقَالَ لَهَا: الْخَلَصَةُ لَمْ يُعْلَمْ عَلَيْهَا إِلَّا خَيْرًا، إِذَا جَاءَتْنَا فَقَالَتْ: يَا مَعْشَرَ دَوْسٍ، الْعَجَبُ الْعَجَبُ لِمَا أَصَابَنِي هَلْ عَلِمْتُمْ إِلَّا خَيْرًا؟ قُلْنَا: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَتْ: إِنِّي لَفِي غَنَمِي إِذْ غَشِيَتْنِي ظُلْمَةٌ، وَوَجَدْتُ كَحِسِّ الرَّجُلِ مَعَ الْمَرْأَةِ، فَقَدْ خَشِيتُ أَنْ أَكُونَ قَدْ حَبِلْتُ، حَتَّى إِذَا دَنَتْ وِلَادَتُهَا، وَضَعَتْ غُلَامًا أَغْضَفَ لَهُ أُذُنَانِ كَأُذُنَيِ الْكَلْبِ فَمَكَثَ فِينَا حَتَّى إِنَّهُ لَيَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ إِذْ وَثَبَ وَثْبَةً وَأَلْقَى إِزَارَهُ، وَصَاحَ بِأَعْلَى صَوْتِهِ، وَجَعَلَ يَقُولُ: يَا وَيْلَةْ يَا وَيْلَةْ، يَا عَوْلَةْ يَا عَوْلَةْ، يَا وَيْلَ غَنْمٍ، يَا وَيْلَ فَهْمٍ مِنْ قَابِسِ النَّارِ، الْخَيْلُ وَاللَّهِ وَرَاءَ الْعَقَبَةِ، فِيهِنَّ فِتْيَانٌ حِسَانٌ نَجِبَةٌ. قَالَ: فَرَكِبْنَا وَأَخَذْنَا الْأَدَاةَ، وَقُلْنَا: يَا وَيْلَكَ مَا تَرَى؟ فَقَالَ: هَلْ مِنْ جَارِيَةٍ طَامِثٍ؟ فَقُلْنَا: وَمَنْ لَنَا بِهَا؟ فَقَالَ شَيْخٌ مِنَّا: هِيَ وَاللَّهِ عِنْدِي عَفِيفَةُ الْأُمِّ. فَقُلْنَا: فَعَجِّلْهَا فَأَتَى بِالْجَارِيَةِ، وَطَلَعَ
পৃষ্ঠা - ১৬৬৯
الْجَبَلَ، وَقَالَ لِلْجَارِيَةِ: اطْرَحِي ثَوْبَكِ، وَاخْرُجِي فِي وُجُوهِهِمْ، وَقَالَ الْقَوْمُ: اتَّبِعُوا أَثَرَهَا، وَقَالَ لِرَجُلٍ مِنَّا يُقَالَ لَهُ: أَحْمَرُ بْنُ حَابِسٍ: يَا أَحْمَرُ بْنَ حَابِسٍ عَلَيْكَ أَوَّلُ فَارِسٍ فَحَمَلَ أَحْمَرُ فَطَعَنَ أَوَّلَ فَارِسٍ فَصَرَعَهُ وَانْهَزَمُوا فَغَنِمْنَاهُمْ قَالَ: فَابْتَنَيْنَا عَلَيْهِمْ بَيْتًا، وَسَمَّيْنَاهُ ذَا الْخَلَصَةِ وَكَانَ لَا يَقُولُ لَنَا شَيْئًا إِلَّا كَانَ كَمَا يَقُولُ حَتَّى إِذَا كَانَ مَبْعَثُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ لَنَا يَوْمًا: يَا مَعْشَرَ دَوْسٍ، نَزَلَتْ بَنُو الْحَارِثِ بْنِ كَعْبٍ فَارْكَبُوا فَرَكِبْنَا فَقَالَ لَنَا: أَكْدِسُوا الْخَيْلَ كَدْسًا، احْشُوَا الْقَوْمَ رَمْسًا الْقَوْهُمْ غَدِيَّةً، وَاشْرَبُوا الْخَمْرَ عَشِيَّةً قَالَ: فَلَقِينَاهُمْ فَهَزَمُونَا وَغَلَبُونَا فَرَجَعْنَا إِلَيْهِ فَقُلْنَا: مَا حَالُكَ وَمَا الَّذِي صَنَعْتَ بِنَا؟ فَنَظَرْنَا إِلَيْهِ وَقَدِ احْمَرَّتْ عَيْنَاهُ، وَانْتَصَبَتْ أُذُنَاهُ، وَانْبَرَمَ غَضْبَانَ حَتَّى كَادَ أَنْ يَنْفَطِرَ، وَقَامَ فَرَكِبْنَا، وَاغْتَفَرْنَا هَذِهِ لَهُ، وَمَكَثْنَا بَعْدَ ذَلِكَ حِينًا، ثُمَّ دَعَانَا فَقَالَ: هَلْ لَكَمَ فِي غَزْوَةٍ تَهَبُ لَكُمْ عِزًّا، وَتَجْعَلُ لَكُمْ حِرْزًا، وَيَكُونُ فِي أَيْدِيكُمْ كَنْزًا؟ فَقُلْنَا: مَا أَحْوَجَنَا إِلَى ذَلِكَ فَقَالَ: ارْكَبُوا فَرَكِبْنَا فَقُلْنَا: مَا تَقُولُ؟ فَقَالَ: بَنُو الْحَارِثِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১৬৭০


উপস্থিত হন ৷ নাবীহ বেরিয়ে আসলে তারা বলেন, হতভাপা কোথাকার ! মেয়েটিকে নিয়ে আর ৷
তুই তাে জানিস্ আমরা কারা, কি কাজের শপথ নিয়েছি আমরা ৷ নাবীহ বলল, ঠিক আছে,
তাই করছি, তবে আমাকে একটি মাত্র রাতের অবকাশ দিন ৷ তারা বললেন, না, আল্লাহর
শপথ ! কিছুতেই তা হতে পারে না ৷ অগত্যা নাবীহ মেয়েটিকে তাদহ্বদর হাতে অর্পণ করে ৷ তখন
সে আক্ষেপের সহিত কয়েকটি পংক্তি উচ্চারণ করে ৷

জুরহুম গোত্র জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের সহায়তা দান ’ বিষয়ক একটি অঙ্গীকার
নিয়েছিল ৷ কেউ কেউ বলেন, আলোচ্য অঙ্গীকারও জুরহুমের সেই অঙ্গীকারের অনুরুপ বলে
একে হিলফুল ফুযুল নামে নামকরণ করা হয়েছে ৷ যে তিন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির উহুদ্যাপে
জুরহুমের সেই অঙ্গীকার সম্পাদিত হয়েছিল, তাদের প্রত্যেকেরই নাম ফায্ল ১ ফায্ল ইবনে
ফুযালা ২ ফায্ল ইবনে ওয়াদাআহ ৩ ফায্ল ইবনে হারিছ ৷ এটা ইবনে কুতায়বার বক্তব্য ৷
অন্যদের মতে তিনজনের নাম হলো, ১ ফাঘৃল ইবন শুরাআ ২ ফায্ল ইবনে বুযাআ
৩ ফাঘৃল ইবন কুযা’আ ৷ এটি সুহায়লীর বর্ণনা ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন : কুরায়শের কয়েকটি গোত্র পরস্পর হলফ গ্রহণের আহ্বান
জানায় ৷ এ উদ্দেশ্যে তারা মক্কার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে জাদ ’আনের
ঘরে সমবেত হন ৷ সেদিনকার সেই বৈঠকে বনু হড়াশিম , বনু আব্দুল মুত্তালিব , বনু আসাদ ইবনে
আব্দুল উয্যা, ম্যুহ্রা ইবন কিলাব এবং তায়ম ইবন মুবরা পরস্পর এই মর্মে অঙ্গীকারাবদ্ধ হন
যে, মক্কার বাসিন্দা হোক কিংবা তিন দেশের লোক হোক, যখনই কেউ অন্যের হাতে নির্যাতনের
শিকার হবে, তারা তার সর্বাত্মক সাহায্যে এগিয়ে আসবেন ৷ জুলুমের প্রতিকার না করা পর্যন্ত
তারা ক্ষাম্ভ হবেন না ৷ কুরায়শরা এই অঙ্গীকারকে হিলফুল ফুযুল নামে অভিহিত করে ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, তালহা ইবন আব্দুল্লাহ ইবন ইসহাক বলেন, তালহা ইবন
আব্দুল্লাহ ইবন আউফ যুহরী বর্ণনা করেন যে , রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :

“আমি আব্দুল্লাহ ইবন জাদআনের ঘরে এক অঙ্গীকার সভায় উপস্থিত ছিলাম ৷ সেই

অঙ্গীকার ভঙ্গ করার বিনিময়ে যদি আমাকে লাল উটও দেয়া হয় তবু আমি তাতে সম্মত হব না ৷
আর ইসলামের আমলেও যদি তার প্রতি আহ্বান করা হতো আমি তাতে সাড়া দিতাম ৷ ”

ইবন ইসহাক বলেন : মুহাম্মদ ইবন ইবরাহীম ইবন হারিছ’আত-তায়মী বর্ণনা করেন যে,
হুসায়ন ইবন আলী (রা) ও ওলীদ ইবনে উতবা ইবনে আবু সুফিয়ান-এর মধ্যে যুল-মারওয়ার
কিছু সম্পদ নিয়ে বিবাদ ছিল ৷ ওলীদ তখন মদীনায় গভর্নর ৷ তার চাচা মুআবিয়া ইবনে আবু
সুফিয়ান তাকে মদীনায় গভর্নর নিযুক্ত করেছিলেন ৷ ক্ষমতার বলে ওলীদ পাওনা আদায়ে
হুসায়ন (রা)-এর ওপর অবিচার করেন ৷ তখন হুসায়ন (রা) বললেন আমি আল্লাহর নামে
শপথ করে বলছি, আপনি হয় আমার প্রতি সুবিচার করবেন,অন্যথায় তরবারি হাতে নিয়ে আমি


مَسْلَمَةَ، ثُمَّ قَالَ: قِفُوا فَوَقَفْنَا. ثُمَّ قَالَ: عَلَيْكُمْ بِفَهْمٍ، ثُمَّ قَالَ: لَيْسَ لَكُمْ فِيهِمْ ذَمٌّ، عَلَيْكُمْ بِمُضَرَ، هُمْ أَرْبَابُ خَيْلٍ وَنَعَمٍ، ثُمَّ قَالَ: لَا رَهْطُ دُرَيْدِ بْنِ الصِّمَّةِ، قَلِيلُ الْعَدَدِ، وَفِيُّ الذِّمَّةِ، ثُمَّ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ عَلَيْكُمْ بِكَعْبِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَاشْكُرُوهَا صَنِيعَةَ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ فَلْيَكُنْ بِهِمُ الْوَقِيعَةُ قَالَ: فَلَقِينَاهُمْ فَهَزَمُونَا، وَفَضَحُونَا فَرَجَعْنَا، وَقُلْنَا: وَيْلَكَ مَاذَا تَصْنَعُ بِنَا؟ قَالَ: مَا أَدْرِي كَذَبَنِي الَّذِي كَانَ يَصْدُقُنِي اسْجُنُونِي فِي بَيْتِي ثَلَاثًا، ثُمَّ ائْتُونِي فَفَعَلْنَا بِهِ ذَلِكَ، ثُمَّ أَتَيْنَاهُ بَعْدَ ثَالِثَةٍ فَفَتَحْنَا عَنْهُ فَإِذَا هُوَ كَأَنَّهُ جَمْرَةُ نَارٍ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ دَوْسٍ حُرِسَتِ السَّمَاءُ، وَخَرَجَ خَيْرُ الْأَنْبِيَاءِ قُلْنَا: أَيْنَ؟ قَالَ: بِمَكَّةَ، وَأَنَا مَيِّتٌ فَادْفِنُونِي فِي رَأْسِ جَبَلٍ فَإِنِّي سَوْفَ أَضْطَرِمُ نَارًا، وَإِنْ تَرَكْتُمُونِي كُنْتُ عَلَيْكُمْ عَارًا فَإِذَا رَأَيْتُمُ اضْطِرَامِي وَتَلَهُّبِي فَاقْذِفُونِي بِثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ، ثُمَّ قُولُوا مَعَ كُلِّ حَجَرٍ: بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ فَإِنِّي أَهْدَأُ وَأُطْفَأُ، قَالَ: وَإِنَّهُ مَاتَ فَاشْتَعَلَ نَارًا فَفَعَلْنَا بِهِ مَا أَمَرَ وَقَدْ قَذَفْنَاهُ بِثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ نَقُولُ مَعَ كُلِّ حَجَرٍ: بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ فَخَمَدَ وَطُفِئَ، وَأَقَمْنَا حَتَّى قَدِمَ عَلَيْنَا الْحَاجُّ فَأَخْبَرُونَا بِمَبْعَثِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ» غَرِيبُّ جِدًّا. وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ جُنْدُبٍ عَنِ النَّضْرِ
পৃষ্ঠা - ১৬৭১
بْنِ سُفْيَانَ الْهُذَلِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَرَجْنَا فِي عِيرٍ لَنَا إِلَى الشَّامِ فَلَمَّا كُنَّا بَيْنَ الزَّرْقَاءِ، وَمَعَانٍ قَدْ عَرَّسْنَا مِنَ اللَّيْلِ فَإِذَا بِفَارِسٍ يَقُولُ وَهُوَ بَيْنُ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ: أَيُّهَا النِّيَامُ هُبُّوا فَلَيْسَ هَذَا بِحِينِ رُقَادٍ، قَدْ خَرَجَ أَحْمَدُ وَطُرِدَتِ الْجِنُّ كُلَّ مَطْرَدٍ فَفَزِعْنَا، وَنَحْنُ رُفْقَةٌ حَزَاوِرَةٌ، كُلُّهُمْ قَدْ سَمِعَ بِهَذَا فَرَجَعْنَا إِلَى أَهْلِنَا فَإِذَا هُمْ يَذْكُرُونَ اخْتِلَافًا بِمَكَّةَ، بَيْنَ قُرَيْشٍ فِي نَبِيٍّ قَدْ خَرَجَ فِيهِمْ مَنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ اسْمُهُ أَحْمَدُ. ذَكَرَهُ أَبُو نُعَيْمٍ. وَقَالَ الْخَرَائِطِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَلَوِيُّ بِمِصْرَ حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ نَفَرًا مِنْ قُرَيْشٍ مِنْهُمْ وَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَيٍّ وَزَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشِ بْنِ رِئَابٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ، كَانُوا عِنْدَ صَنَمٍ لَهُمْ يَجْتَمِعُونَ إِلَيْهِ قَدِ اتَّخَذُوا ذَلِكَ الْيَوْمَ مِنْ كُلِّ سَنَةٍ عِيدًا كَانُوا يُعَظِّمُونَهُ، وَيَنْحَرُونَ لَهُ الْجَزُورَ، ثُمَّ يَأْكُلُونَ وَيَشْرَبُونَ الْخَمْرَ، وَيَعْكُفُونَ عَلَيْهِ فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فِي اللَّيْلِ فَرَأَوْهُ مَكْبُوبًا عَلَى وَجْهِهِ فَأَنْكَرُوا ذَلِكَ فَأَخَذُوهُ فَرَدُّوهُ إِلَى حَالِهِ فَلَمْ يَلْبَثْ أَنِ انْقَلَبَ انْقِلَابًا عَنِيفًا فَأَخَذُوهُ فَرَدُّوهُ إِلَى حَالِهِ فَانْقَلَبَ
পৃষ্ঠা - ১৬৭২


রাসুলুল্লাহ (না)-এর মসজিদে দাড়িয়ে হিলফুল ফুযুল-এর কর্মীদের আহ্বান করব ৷ আব্দুল্লাহ
ইবন যুবায়র তখন ওলীদের নিকট উপস্থিত ছিলেন ৷ হুসায়ন (বা) এর কথা শুনে তিনি বললেন,
আমিও আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি ৷ হুসায়ন যদি এরুপ অক্রন্থ ন জানান তা’হলে আমিও
আমার তরবারি হাতে তার পাশে এসে দীড ৷ব ৷ হয়ত তিনি তার ন্যায্য অধিক ব ফিরে পাবেন,
অন্যথায় আমরা একত্রে জীবন দেব ৷

বর্ণনাকারী বলেন, এ সংবাদ মিসওয়ার ইবনে মাখরামার নিকট পৌছলে তিনিও একই কথা
বলেন ৷ আব্দুর রহমান ইবন উছমান ইবন উবায়েদুল্লাহ আত্তায়মীও অভিন্ন উক্তি করেন ৷
ওলীদ ইবনে উতব৷ সব খবর পেয়ে অবশেষে হুসায়ন (রা)-কে তার ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে
দেন ৷ তাতে হুসায়ন (রা) সভুষ্ট হয়ে যান ৷

নৰীব্জী (না)-এর সাথে থাদীজা বিনতে খুওয়ায়লিদের বিবাহ

ইবন ইসহাক বলেন, থাদীজা বিনত খুওয়ায়লিদ একজন স্ন্নান্ত ব্যবসায়ী মহিলা ছিলেন ৷
লাভে অং শীদারিবু তুর চুক্তিতে ৩পুরুষদেরকেত তিনি তার ব্যবসায় ৷নয়ােগ করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ
(না)-এর সতাবাদিতা, বিশ্বস্তত৷ ও সচ্চরিত্রতার কথা জানতে পেরে তিনি তার নিকট প্রস্তাব
পাঠালেন, যেন তিনি ব্যবসায় পণ্য নিয়ে সিরিয়া সফর করেন ৷ বিনিময়ে তিনি তাকে অন্যদের
তুলনায় অধিক মুনাফা প্রদানের প্রস্তাব করেন ৷ সঙ্গে থাকবে খাদীজার গোলাম মায়সারা ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) থাদীজার এই প্রস্তাবে সম্মত হন এবং পণ্যসামগ্রী নিয়ে সিরিয়ার উদ্দেশে
রওয়ানা হন ৷ তার সঙ্গে থাদীজার গোলাম মায়সারাও রওয়ানা হন ৷ সিরিয়া পৌছে রাসুলুল্লাহ
(সা) জনৈক পাদ্রীর গির্জার নিকট একটি গাছের ছায়ায় অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ পাদ্রী মায়সারাকে
ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করেন, গাছের নিচে অবতরণকারী ব্যক্তিটি কে ? মায়সারা বললেন, ইনি
হারমবাসী কুরায়শী বংশের এক ব্যক্তি ৷ পাদ্রী বললেন, এ যাতে এই গাছের নিচে নবী ব্যতীত
কেউ অবতরণ করেনি ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) তার নিয়ে আসা ব্যবসা পণ্য বিক্রি করলেন
এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ দিয়ে তার পছন্দমত অন্য মাল ক্রয় করলেন ৷ এরপর মায়সারাকে নিয়ে
মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন ৷

ঐতিহাসিকদের ধারণা, মায়সারা লক্ষ্য করেন যে, সুর্যের তাপ প্রখর হওয়ার সাথে সাথে
দু’জন ফেরেশতা মুহাম্মদ (সা) কে ছায়া প্রদান করছেন ৷ তখন তিনি উটের পিঠে চড়ে এগিয়ে
চলছিলেন ৷ মক্কায় এসে থাদীজ কে তিনি তার পণ্য বুঝিয়ে দেন ৷ থাদীজা দ্বিগুণ বা প্রায় দ্বিগুণ
মুল্যে তা বিক্রি করেন ৷ মায়সারা থাদীজার নিকট পাদ্রীর মন্তব্যর কথা এবং নবীজী (সা) কে

দুই ফেরেশত ৷র ছায়াদানের কথা ব্যক্ত করেন ৷ আর থাদীজা ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা, স্ল্লান্ত ও
বুদ্ধিমতী মহিলা ৷

মায়সারা ঘটনার ইতিবৃত্ত ওনালে থাদীজা (রা) রাসুলুল্লাহ (সা) ফে ডেকে পাঠালেন ৷
ঐতিহাসিকদের ধারণা, হযরত থাদীজা (বা) রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলেন চাচাব্লু তা ভাই!
আপনার সুখ্যাতি, আপনার বিশ্বস্ততা, আপনার উত্তম চরিত্র, সত্যৰাদিতা এ সবের কারণে
আমি আপনার প্রতি আকৃষ্ট ৷ তারপর তিনি সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন ৷ উল্লেখ্য যে, থাদীজা


الثَّالِثَةَ فَلَمَّا رَأَوْا ذَلِكَ اغْتَمُّوا لَهُ، وَأَعْظَمُوا ذَلِكَ، فَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ: مَا لَهُ قَدْ أَكْثَرَ التَّنَكُّسَ، إِنَّ هَذَا لِأَمْرٍ قَدْ حَدَثَ، وَذَلِكَ فِي اللَّيْلَةِ الَّتِي وُلِدَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَعَلَ عُثْمَانُ يَقُولُ أَيَا صَنَمَ الْعِيدِ الَّذِي صُفَّ حَوْلَهُ ... صَنَادِيدُ وَفْدٍ مِنْ بِعِيدٍ وَمِنْ قُرْبِ تَكَوَّسْتَ مَغْلُوبًا فَمَا ذَاكَ قُلْ لَنَا ... أَذَاكَ سَفِيهٌ أَمْ تَكَوَّسْتَ لِلْعَتْبِ فَإِنْ كَانَ مِنْ ذَنْبٍ أَتَيْنَا فَإِنَّنَا ... نَبُوءُ بِإِقْرَارٍ وَنَلْوِي عَنِ الذَّنْبِ وَإِنْ كُنْتَ مَغْلُوبًا تَكَوَّسْتَ صَاغِرًا ... فَمَا أَنْتَ فِي الْأَوْثَانِ بِالسَّيِّدِ الرَّبِّ قَالَ: فَأَخَذُوا الصَّنَمَ فَرَدُّوهُ إِلَى حَالِهِ فَلَمَّا اسْتَوَى هَتَفَ بِهِمْ هَاتِفٌ مِنَ الصَّنَمِ، بِصَوْتٍ جَهِيرٍ وَهُوَ يَقُولُ: تَرَدَّى لِمَوْلُوْدٍ أَنَارَتْ بِنُورِهِ ... جَمِيعُ فِجَاجِ الْأَرْضِ فِي الشَّرْقِ وَالْغَرْبِ وَخرَّتْ لَهُ الْأَوْثَانُ طُرًّا وَأُرْعِدَتْ ... قُلُوبُ مُلُوكِ الْأَرْضِ طُرًّا مِنَ الرُّعْبِ وَنَارُ جَمِيعِ الْفُرْسِ بَاخَتْ وَأَظْلَمَتْ ... وَقَدْ بَاتَ شَاهُ الْفُرْسِ فِي أَعْظَمِ الْكَرْبِ وَصُدَّتْ عَنِ الْكُهَّانِ بِالْغَيْبِ جِنُّهَا ... فَلَا مُخْبِرٌ عَنْهُمْ بِحَقٍّ وَلَا كَذِبَ فَيَالَ قُصَيٍّ إِرْجِعُوا عَنْ ضَلَالِكُمْ ... وَهُبُّوا إِلَى الْإِسْلَامِ وَالْمَنْزِلِ الرَّحْبِ قَالَ: فَلَمَّا سَمِعُوا ذَلِكَ خَلَصُوا نَجِيًّا فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: تَصَادَقُوا، وَلْيَكْتُمْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ فَقَالُوا: أَجَلْ فَقَالَ لَهُمْ وَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلٍ:
পৃষ্ঠা - ১৬৭৩
تَعْلَمُونَ - وَاللَّهِ - مَا قَوْمُكُمْ عَلَى دِينٍ، وَلَقَدْ أَخْطَئُوا الْحُجَّةَ، وَتَرَكُوا دِينَ إِبْرَاهِيمَ مَا حَجَرٌ تُطِيفُونَ بِهِ لَا يَسْمَعُ وَلَا يُبْصِرُ وَلَا يَنْفَعُ وَلَا يَضُرُّ؟ يَا قَوْمِ، الْتَمِسُوا لِأَنْفُسِكُمُ الدِّينَ. قَالَ: فَخَرَجُوا عِنْدَ ذَلِكَ يَضْرِبُونَ فِي الْأَرْضِ، وَيَسْأَلُونَ عَنِ الْحَنِيفِيَّةِ دِينِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَأَمَّا وَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلٍ فَتَنَصَّرَ، وَقَرَأَ الْكُتُبَ حَتَّى عَلِمَ عِلْمًا، وَأَمَّا عُثْمَانُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ فَسَارَ إِلَى قَيْصَرَ فَتَنَصَّرَ، وَحَسُنَتْ مَنْزِلَتُهُ عِنْدَهُ، وَأَمَّا زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ فَأَرَادَ الْخُرُوجَ فَحُبِسَ، ثُمَّ إِنَّهُ خَرَجَ بَعْدَ ذَلِكَ فَضَرَبَ فِي الْأَرْضِ حَتَّى بَلَغَ الرِّقَّةَ مِنْ أَرْضِ الْجَزِيرَةِ فَلَقِيَ بِهَا رَاهِبًا عَالِمًا فَأَخْبَرَهُ بِالَّذِي يَطْلُبُ فَقَالَ لَهُ الرَّاهِبُ: إِنَّكَ لَتَطْلُبُ دِينًا مَا تَجِدُ مَنْ يَحْمِلُكَ عَلَيْهِ، وَلَكِنْ قَدْ أَظَلَّكَ زَمَانُ نَبِيٍّ يَخْرُجُ مِنْ بَلَدِكَ يُبْعَثُ بِدِينِ الْحَنِيفِيَّةِ فَلَمَّا قَالَ لَهُ ذَلِكَ رَجَعَ يُرِيدُ مَكَّةَ فَغَارَتْ عَلَيْهِ لَخْمٌ فَقَتَلُوهُ، وَأَمَّا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ فَأَقَامَ بِمَكَّةَ حَتَّى بُعِثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ خَرَجَ مَعَ مَنْ خَرَجَ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ فَلَمَّا صَارَ بِهَا تَنَصَّرَ، وَفَارَقَ الْإِسْلَامَ فَكَانَ بِهَا حَتَّى هَلَكَ هُنَالِكَ نَصْرَانِيًّا، تَقَدَّمَ فِي تَرْجَمَةِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ لَهُ شَاهِدٌ. وَقَدْ قَالَ الْخَرَائِطِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ صَالِحٍ أَبُو بَكْرٍ الْوَرَّاقُ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنِي أَبِي حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَنَسٍ السُّلَمِيِّ عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ مِرْدَاسٍ أَنَّهُ كَانَ بِغَمْرَةٍ فِي لَقَاحٍ لَهُ نِصْفَ النَّهَارِ، إِذْ طَلَعَتْ عَلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ১৬৭৪


(বা) কুরায়শ মহিলাদের মধ্যে বংশগতভাবে অতিশয় সস্রান্ত, মর্যাদায় সকলের সেরা ও শ্রেষ্ঠ
বিত্তবতী মহিলা ছিলেন ৷ তার সম্প্রদায়ের প্রতেকেই সুযোগ সাপেক্ষে তার প্রতি লালায়িত
ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বিষয়টি তার চাচাদের গোচরে দেন ৷ শুনে চাচা হামযা (রা ) রাসুলুল্লাহ
(সড়া)-কে নিয়ে খুওয়াইলিদ ইবনে আসাদ-এর নিকট গমন করেন ৷ খুওয়াইলিদ-এর সঙ্গে
আলাপ আলোচনার পর খাদীজার সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সড়া)-এর বিবাহ সম্পাদন করেন ৷

ইবনে হিশাম বলেন ৪ মহর হিসাবে তাকে তিনি বিশটি উট প্রদান করেন ৷ এটিই ছিল
রাসুলুল্পাহ (সড়া)-এর প্রথম বিবাহ ৷ খাদীজা (রা)-এর মৃত্যু পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সড়া) আর কোন
বিবাহ করেন নি ৷

ইবনে ইসহাক বলেন : ইবরাহীম ব্যতীত রাসুলুল্লাহ (না)-এর সকল সন্তান খাদীজার

গর্ভেই জন্ম লাভ করেন ৷ তারা হলেন, ১ কাসিম ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর আবুল কাসিম

উপনামটি এই কাসিম-এর নামেই ছিল ৷ ২ তায়িব ৩ তাহির ৷-;৷ যায়নাব ৫ রুকাইয়া
৬ উম্মে কুলসুম ৭ ফাতিমা (রাযিয়া আল্লাহ তাআলা আনহুম আজমড়ায়ীন্ন্)

ইবনে হিশাম বলেন, রাসুলুল্লাহ (সড়া)-এর পুত্রদের মধ্যে কাসিম ছিলেন সকলের বড় ৷
তারপর তাব্যিব ৷ তারপর তাহির ৷ আর কন্যাদের মধ্যে বড় হলেন রুকাইয়া ৷ তারপর
যায়নাব, তারপর উষ্মে কুলসুম , তারপর ফাতিমা (বা) ৷

বায়হাকী বলেন, আমি আবু বকর ইবনে আবু খায়ছামার একটি লিপিতে পড়েছি; তাতে
উল্লেখ আছে যে, মুসআব ইবনে আব্দুল্লাহ যুবায়রী বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর জেক্তষ্ঠ পুত্রের
নাম কাসিম, তারপর যায়নাব, তারপর আব্দুল্লাহ, তারপর উষ্মে কুলসুম, তারপর আব্দুল্লাহ ৷
তারপর ফাতিমা ৷ তারপর রুকাইয়া ৷ আর তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইনতিকাল করেন কাসিম ৷
তারপর আব্দুল্লাহ ৷ আর খাদীজা (বা) আযু পেয়েছিলেন পয়ষট্টি বছর ৷ মতাম্ভরে পঞ্চাশ বছর ৷
এ অভিমতটিই বিশুদ্ধতর ৷ অন্যদের মতে কাসিম বাহনে আরোহণের উপযুক্ত এবং বুদ্ধিসম্পন্ন
হয়ে রাসুলুল্লাহ (না)-এর নবুওত লাভের পর মারা যান ৷ কেউ কেউ বলেন, কাসিম যখন মারা
যান তখন তিনি দৃগ্ধপোষ্য শিশু ৷ তার মৃত্যুর পর রাস্ফুবুল্লাহ (সা) বলেছিলেনঃ “ওর জন্য
জান্নাতে স্তন্যদাত্রী রাখা আছে ৷ সে তার দুধ পানের মেয়াদ পুর্ণ করবে ৷ ” তবে প্রসিদ্ধ মতে,
রাসুলুল্লাহ্ (সড়া)-এর এ উক্তিটি ছিল ইব্রাহীম সম্পর্কে ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র ইবন আব্বাস (যা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন,
খাদীজার গর্ভে রাসুলুল্লাহ (না)-এর দুই পুত্র সন্তান এবং চার কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেন ৷
১ কাসিম ২ আব্দুল্লাহ, ৩ ফাতিমা : উষ্মে কুলসুম ৫ যায়নাব ৬ রুকাইয়া ৷ যুবায়র ইবনে
বাক্কার বলেন, আব্দুল্লাহ তাব্যিব ও তাহিরও বলা হতো ৷ কারণ তিনি হযরতের নবুয়ত প্রাপ্তির
পর জন্মলাভ করেছিলেন ৷

যাহোক, নবী করীম (সড়া)-এর অন্য পুত্রগণ তীর নবুওত লাভের আগেই মারা যায় ৷ অবশ্য
কন্যাগণ নবুওতের যুগ লাভ করেন ৷ তারা ইসলাম কবুল করেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে
হিজরত করেন ৷ ইবনে হিশাম বলেন, ইব্রাহীম-এর জন্ম মারিয়া কিবতিয়ার গর্ভে ৷


نَعَامَةٌ بَيْضَاءُ عَلَيْهَا رَاكِبٌ عَلَيْهِ ثِيَابٌ بِيضٌ مِثْلُ اللَّبَنِ فَقَالَ: يَا عَبَّاسُ بْنَ مِرْدَاسٍ، أَلَمْ تَرَ أَنَّ السَّمَاءَ كَفَتْ أَحْرَاسَهَا، وَأَنَّ الْحَرْبَ تَجَرَّعَتْ أَنْفَاسَهَا، وَأَنَّ الْخَيْلَ وَضَعَتْ أَحْلَاسَهَا، وَأَنَّ الَّذِي نَزَلَ بِالْبِرِّ وَالتَّقْوَى يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لَيْلَةَ الثُّلَاثَا، صَاحِبُ النَّاقَةِ الْقَصْوَا قَالَ: فَرَجَعْتُ مَرْعُوبًا قَدْ رَاعَنِي مَا رَأَيْتُ، وَسَمِعْتُ حَتَّى جِئْتُ وَثَنًا لَنَا يُدْعَى الضِّمَارَ، وَكُنَّا نَعْبُدُهُ، وَنُكَلَّمُ مَنْ جَوْفِهِ فَكَنَسْتُ مَا حَوْلَهُ، ثُمَّ تَمَسَّحْتُ بِهِ وَقَبَّلْتُهُ فَإِذَا صَائِحٌ مَنْ جَوْفِهِ يَقُولُ قُلْ لِلْقَبَائِلِ مِنْ سُلَيْمٍ كُلِّهَا ... هَلَكَ الضَّمَارُ وَفَازَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ هَلَكَ الضِّمَارُ وَكَانَ يُعْبَدُ مَرَّةً ... قَبْلَ الْكِتَابِ مَعَ النَّبِيِّ مُحَمَّدِ إِنَّ الَّذِي وَرِثَ النُّبُوَّةَ وَالْهُدَى ... بِعْدَ ابْنِ مَرْيَمَ مِنْ قُرَيْشٍ مُهْتَدِ قَالَ: فَخَرَجْتُ مَرْعُوبًا حَتَّى أَتَيْتُ قَوْمِي فَقَصَصْتُ عَلَيْهِمُ الْقِصَّةَ، وَأَخْبَرْتُهُمُ الْخَبَرَ، وَخَرَجْتُ فِي ثَلَاثِمِائَةٍ مِنْ قَوْمِي بَنِي حَارِثَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِالْمَدِينَةِ فَدَخَلْنَا الْمَسْجِدَ فَلَمَّا رَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِي: يَا عَبَّاسُ كَيْفَ كَانَ إِسْلَامُكَ؟ فَقَصَصْتُ عَلَيْهِ الْقِصَّةَ قَالَ: فَسُرَّ بِذَلِكَ، وَأَسْلَمْتُ أَنَا وَقَوْمِي. وَرَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي الدَّلَائِلِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ১৬৭৫
عَاصِمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بِهِ، ثُمَّ رَوَاهُ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ الْأَصْمَعِيِّ حَدَّثَنِي الْوَصَّافِيُّ عَنْ مَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ إِسْحَاقَ الْخُزَاعِيِّ عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ مِرْدَاسٍ السُّلَمِيِّ قَالَ: أَوَّلُ إِسْلَامِي أَنَّ مِرْدَاسًا أَبِي لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ أَوْصَانِي بِصَنَمٍ لَهُ يُقَالَ لَهُ: ضِمَارٌ فَجَعَلْتُهُ فِي بَيْتٍ، وَجَعَلْتُ آتِيهِ كُلَّ يَوْمٍ مَرَّةً فَلَمَّا ظَهَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعْتُ صَوْتًا مُرْسَلًا فِي جَوْفِ اللَّيْلِ رَاعَنِي فَوَثَبْتُ إِلَى ضِمَارٍ مُسْتَغِيثًا، وَإِذَا بِالصَّوْتِ مِنْ جَوْفِهِ وَهُوَ يَقُولُ: قَلْ لِلْقَبِيلَةِ مِنْ سُلَيْمٍ كِلِّهَا ... هَلَكَ الْأَنِيسُ وَعَاشَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ أَوْدَى ضِمَارُ وَكَانَ يُعْبَدُ مَرَّةً ... قَبْلَ الْكِتَابِ إِلَى النَّبِيِّ مُحَمَّدِ إِنَّ الَّذِي وَرِثَ النُّبُوَّةَ وَالْهُدَى ... بَعْدَ ابْنِ مَرْيَمَ مِنْ قُرَيْشٍ مُهْتَدِ قَالَ: فَكَتَمْتُهُ النَّاسَ فَلَمَّا رَجَعَ النَّاسُ مِنَ الْأَحْزَابِ، بَيْنَا أَنَا فِي إِبِلِي بِطَرَفِ الْعَقِيقِ مَنْ ذَاتِ عِرْقٍ رَاقِدًا سَمِعْتُ صَوْتًا، وَإِذَا بِرَجُلٍ عَلَى جَنَاحِ نَعَامَةٍ، وَهُوَ يَقُولُ: النُّورُ الَّذِي وَقَعَ لَيْلَةَ الثُّلَاثَاءِ، مَعَ صَاحِبِ النَّاقَةِ الْعَضْبَاءِ، فِي دِيَارِ إِخْوَانِ بَنِي الْعَنْقَاءِ. فَأَجَابَهُ هَاتِفٌ مِنْ شِمَالِهِ وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ১৬৭৬

আলেকজাদ্রিয়া-অধিপতি মুকাওকিস মারিয়াকে রাসুল (না)-এর থেদমতে উপহাররুপে
পাঠিয়েছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর সকল সহধর্মিনী ও সন্তানপণের ব্যাপারে আমরা
ইনশাআল্লাহ স্বতন্ত্রভারে সীরাত অধ্যায়ের শেষে আলোকপাত করব ৷

ইবনে হিশাম বলেন, রাসুলুল্লাহ (না) যখন খাদীজা (রা)-কে বিবাহ করেন, তখন তীর
বয়স ছিল পচিশ বছর ৷ একাধিক আলিম আমার নিকট এরুপ বর্ণনা দিয়েছেন ৷ তন্মধ্যে আবু
আমর আল মাদানী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান এক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আমর ইবন আসাদ যখন খাদীজাকে
রাসুলুল্পাহ (না)-এর নিকট বিবাহ দেন তখন রাসুলুল্লাহ (সা)-ত্ন্ধ্রার বয়স ছিল পচিশ বছর ৷
কুরায়শরা তখন কাবা নির্মাণ করছে ৷

অনুরুপডাবে বায়হাকী হাকিম থেকে বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ (না) যখন খাদীজা
(রড়া)-কে বিবাহ করেন, তখন তীর বয়ষ ছিল পচিশ বছর ৷ আর খাদীজার বয়স তখন পয়ত্রিশ ,
মতাস্তরে পচিশ ৷

খাদীজাকে বিবাহ করার পুর্বে রাসুলুল্লাহ (সা ) এর পেশা
হযরত আবুছরায়রা (বা) বর্ণনা করেন, যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
ব্লু;ব্লু র্তু ৷“, হুা৷ ৷ঢু ১ ব্লুট্রুা৷ ৷ ;,;; ৷;
“আল্লাহ এমন কোন নবী প্রেরণ করেন নি, যিনি ছাগল চরান নি ৷
এ কথা শুনে সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া বাসুলাল্লাহ্! আপনিও ? নবী করীম (না)
বললেন : “হীড়া আমিও কয়েকটি মুদ্রা (কীরাত)-এৱ বিনিময়ে মক্কাবাসীদের ছাপল চরিয়েছি ৷ ”

আর কারো কারো মতে এর অর্থ কারারীত’ নামক স্থানে বকরী চরিয়েছি ৷ ইমাম বুখারী
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম বায়হার্কী রবী ইবনে বদর, আবুয ঘুবায়র ও জাবির (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, “একটি জােয়ান উটনীর বিনিময়ে দুইটি সফরে আমি
খাদীজার জন্য শ্রম দিয়েছি ৷ ”

ইমাম বায়হাকী (র) অপর এক সুত্রে ইবনে আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, খাদীজার পিতা খাদীজাকে রাসুলুল্পাহ (না)-এর নিকট বিবাহ দেওয়াকালে যতদুর
মনে হয় ণ্নশাগ্রস্ত ছিলেন ৷

ইমাম বায়হার্কী অপর এক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হযরত আমার ইবনে ইয়াসির যখনই
লোকদেরকে রাসুল (না)-এর খাদীজাকে বিবাহ করা সংক্রান্ত আলোচনা করতে শুনতেন , তখন
বলতেন, রাসুল (না)-এর খাদীজাকে বিবাহ করার , বিষয়টি আমি সবচেয়ে ভালো জানি ৷ আমি
রাসুল (না)-এর সমবয়সী ও আঃরঙ্গ সঙ্গী; ইিশাম ৷ একদিন আমি তার সঙ্গে বের হই ৷
হাযওয়ারা নামক স্থানে পৌছে আমরা লোঃষ্ক পেলাম যে, খাদীজার এক বোন বসে চামড়া


بَشِّرِ الْجِنَّ وَإِبْلَاسَهَا ... أَنْ وَضَعَتِ الْمَطِيُّ أَحْلَاسَهَا وَكَلَأَتِ السَّمَاءُ أَحْرَاسَهَا قَالَ: فَوَثَبْتُ مَذْعُورًا، وَعَلِمْتُ أَنَّ مُحَمَّدًا مُرْسَلٌ فَرَكِبْتُ فَرَسِي، وَاحْتَثَثْتُ السَّيْرَ حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَيْهِ فَبَايَعْتُهُ، ثُمَّ انْصَرَفْتُ إِلَى ضِمَارٍ فَأَحْرَقْتُهُ بِالنَّارِ، ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنْشَدْتُهُ شِعْرًا أَقُولُ فِيهِ لَعَمْرُكَ إِنِّي يَوْمَ أَجْعَلُ جَاهِلًا ... ضِمَارًا لِرَبِّ الْعَالَمِينَ مُشَارِكًا وَتَرْكِي رَسُولَ اللَّهِ وَالْأَوْسَ حَوْلَهُ ... أُولَئِكَ أَنْصَارٌ لَهُ مَا أُولَئِكَا كَتَارِكِ سَهْلِ الْأَرْضِ وَالْحَزْنَ يَبْتَغِي ... لِيَسْلُكَ فِي وَعْثِ الْأُمُورِ الْمَسَالِكَا فَآمَنْتُ بِاللَّهِ الَّذِي أَنَا عَبْدُهُ ... وَخَالَفْتُ مَنْ أَمْسَى يُرِيدُ الْمَهَالِكَا وَوَجَّهْتُ وَجْهِي نَحْوَ مَكَّةَ قَاصِدًا ... أُبَايِعُ نَبِيَّ الْأَكْرَمِينَ الْمُبَارَكَا نَبِيٌّ أَتَانَا بَعْدَ عِيسَى بِنَاطِقٍ ... مِنَ الْحَقِّ فِيهِ الْفَصْلُ فِيهِ كَذَلِكَا أَمِينٌ عَلَى الْقُرْآنِ أَوَّلُ شَافِعٍ ... وَأَوَّلُ مَبْعُوثٍ يُجِيبُ الْمَلَائِكَا تَلَافَى عُرَى الْإِسْلَامِ بَعْدَ انْتِقَاضِهَا ... فَأَحْكَمَهَا حَتَّى أَقَامَ الْمَنَاسِكَا عَنَيْتُكَ يَا خَيْرَ الْبَرِيَّةِ كُلِّهَا ... تَوَسَّطْتَ فِي الْفَرْعَيْنِ وَالْمَجْدِ مَالِكا
পৃষ্ঠা - ১৬৭৭
وَأَنْتَ الْمُصَفَّى مِنْ قُرَيْشٍ إِذَا سَمَتْ ... عَلَى ضُمْرِهَا تَبْقَى الْقُرُونَ الْمُبَارَكَا إِذَا انْتَسَبَ الْحَيَّانِ كَعْبٌ وَمَالِكٌ ... وَجَدْنَاكَ مَحْضًا وَالنِّسَاءَ الْعَوَارِكَا قَالَ الْخَرَائِطِيُّ: وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَلَوِيُّ بِمِصْرَ حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، وَسَلَمَةُ بْنُ الْفَضْلِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي شَيْخٌ مِنَ الْأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَحْمُودٍ مِنْ آلِ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ رِجَالًا مِنْ خَثْعَمٍ كَانُوا يَقُولُونَ: إِنَّ مِمَّا دَعَانَا إِلَى الْإِسْلَامِ أَنَّا كُنَّا قَوْمًا نَعْبُدُ الْأَوْثَانَ فَبَيْنَا نَحْنُ ذَاتَ يَوْمٍ عِنْدَ وَثَنٍ لَنَا، إِذْ أَقْبَلَ نَفَرٌ يَتَقَاضَوْنَ إِلَيْهِ، يَرْجُونَ الْفَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ، لِشَيْءٍ شَجَرَ بَيْنَهُمْ إِذْ هَتَفَ بِهِمْ هَاتِفٌ مِنَ الصَّنَمِ فَجَعَلَ يَقُولُ يَا أَيُّهَا النَّاسُ ذَوُو الْأَجْسَامِ ... مِنْ بَيْنِ أَشْيَاخٍ إِلَى غُلَامِ مَا أَنْتُمْ وَطَائِشُ الْأَحْلَامِ ... وَمُسْنِدُ الْحُكْمِ إِلَى الْأَصْنَامِ أَكُلُّكُمْ فِي حِيرَةِ النِّيَامِ ... أَمْ لَا تَرَوْنَ مَا أَرَى أَمَامِي مِنْ سَاطِعٍ يَجْلُو دُجَى الظَّلَامِ ... قَدْ لَاحَ لِلنَّاظِرِ مِنْ تِهَامِ ذَاكَ نَبِيٌّ سَيِّدُ الْأَنَامِ ... قَدْ جَاءَ بَعْدَ الْكُفْرِ بِالْإِسْلَامِ
পৃষ্ঠা - ১৬৭৮

বিক্রি করছেন ৷ দেখে তিনি আমাকে নিকটে ডাকেন ৷ আমি তার নিকটে ফিরে যাই আর
রাসুলুল্লাহ (না) সেখানে আমার অপেক্ষায় থাকেন ৷ থাদীজার বোনটি আমাকে বললেন, আচ্ছা
তোমার এই সঙ্গী কি খাদীজাকে বিবাহ করতে আগ্রহী নয়? আমার (বা) বলেন, একথার কোন
জবাব না দিয়ে আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট গিয়ে তাকে বিষয়টি অবহিত করি ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, অবশ্যই আগ্রহী ৷ থাদীজার বোনকে রাসুল (না)-এর এ কথাটি
জানালে তিনি বললেন, আগামীকাল সকালে আপনারা আমাদের বাড়িতে আসুন ৷ আমরা
পরদিন সকালে থাদীজার বাড়িতে গেলাম ৷ গিয়ে দেখতে পেলাম যে , তারা একটি গরু জবাই
করেছেন এবং থাদীজার পিতাকে উত্তম জামা-কাপড় পরিয়ে রেখেছেন ৷ তখন তার দাড়িতে
থেজাব মেখে রেখেছিলেন ৷ আমি থাদীজার ভাইয়ের সঙ্গে কথা-বললংম ৷ তিনি তার পিতার
সঙ্গে আলাপ করলেন ৷ থাদীজার পিতা তখন মদপান করে নেশাগ্রস্ত ছিলেন ৷ থাদীজার তাই
তাকে রাসুলুল্পাহ (না)-এর মর্যাদা সম্পর্কে অবহিত করেন এবং খাদীজাকে তার নিকট বিবাহ
দেওয়ার কথা প্রস্তাব করেন ৷ তিনি তাতে সম্মতি দেন এবং তাকে বিবাহ দিয়ে দেন ৷ তারা
গরুর গোশত রান্না করে তাদের আপ্যায়নের আয়োজন করেন ৷ আমর খাওয়া-দাওয়া করি ৷

এর মধ্যে থাদীজার পিতা ঘুমিয়ে পড়েন ৷ কিছুক্ষণ পর ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই বলে
চিৎকার করে ওঠেন যে, আমার পারে এ সব কিসের পোশাক? দাড়িতে এসব কিসের খেজাব?
এ খানাপিনা কিসের? জবাবে তার যে কন্যা আম্মারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তিনি বললেন,
আপনার জামাতা মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ আপনাকে এই পোশাক পরিয়েছেন ৷ আর এই গাভীটি
আপনার জন্য হাদিয়া এসেছিল; থাদীজার বিয়ে উপলক্ষে একে আমরা যবাই করেছি ৷ কিন্তু
তিনি খড়াদীজাকে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ্র নিকট বিয়ে দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন এবং
উচ্চকষ্ঠে চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে হিজরে ইসমাঈল তথা হাতীমে চলে আসেন ৷ হাশিম
গোত্রীয় লোকেরা রাসুলুল্লাহ (সা) কে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে আসেন এবং থাদীজার পিতার সঙ্গে
কথা বলেন ৷ থাদীজার পিতা বললেন তোমাদের যে লােকটির নিকট আমি থাদীজাকে বিবাহ
দিয়েছি বলে তোমাদের ধারণা, সে কোথায় ? জবাবে রাসুল (সা) তার সামনে এসে উপস্থিত
হন ৷ থাদীজার আব্বা নবীজী (না)-কে এক নজর দেখে বললেন, আমি যদি এর নিকট
থাদীজাকে বিবাহ দিয়ে থাকি তাে ভালো, অন্যথায় এখন আমি খাদীজাকে এর নিকট বিবাহ
দিয়ে দিলাম ৷

সুহায়লী উল্লেখ করেছেন যে,ইমাম যুহরী তার সীরাত গ্রন্থে পুর্বোক্ত বর্ণনার মত থাদীজার
পিতা যখন তাকে রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট বিবাহ দেন, তখন তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে
বর্ণনা করেছেন ৷ ঘুআম্মিলী বলেন, সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলো, থাদীজার চাচা আমর ইবনে আসাদ
খাদীজাকে রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট বিবাহ দিয়েছিলেন ৷ সুহায়লী এই অভিমতকেই প্রাধান্য
দিয়েছেন ৷ ইবনে আব্বাস ও আয়েশা (বা) অনুরুপ অভিমত বর্ণনা করেছেন যে, আয়েশা (রা)
বলেন, খুওয়াইলিদ ফিজাব যুদ্ধের আগেই ইনতিকাল করেছিলেন ৷ তুব্বা বাদশাহ যখন হাজরে
আসওয়াদকে ইয়ামানে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, তখন এই খুওয়াইলিদই তার বিরোধিতা
করেছিলেন ৷ খুওয়াইলিদ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠলে কুরায়শ-এব একদল লোকও


أَكْرَمَهُ الرَّحْمَنُ مِنْ إِمَامِ وَمِنْ رَسُولٍ صَادِقِ الْكَلَامِ ... أَعْدَلَ ذِي حُكْمٍ مِنَ الْأَحْكَامِ يَأْمُرُ بِالصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ ... وَالْبِرِّ وَالصِّلَاتِ لِلْأَرْحَامِ وَيَزْجُرُ النَّاسَ عَنِ الْآثَامِ ... وَالرِّجْسِ وَالْأَوْثَانِ وَالْحَرَامِ مِنْ هَاشِمٍ فِي ذِرْوَةِ السَّنَامِ ... مُسْتَعْلِنًا فِي الْبَلَدِ الْحَرَامِ قَالَ: فَلَمَّا سَمِعْنَا ذَلِكَ تَفَرَّقْنَا عَنْهُ، وَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمْنَا. وَقَالَ الْخَرَائِطِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْبَلَوِيُّ حَدَّثَنَا عُمَارَةُ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَكْبَرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ بَنِي تَمِيمٍ يُقَالُ لَهُ: رَافِعُ بْنُ عُمَيْرٍ وَكَانَ أَهْدَى النَّاسِ لِلطَّرِيقِ، وَأَسْرَاهُمْ بِلَيْلٍ، وَأَهْجَمَهُمْ عَلَى هَوْلٍ، وَكَانَتِ الْعَرَبُ تُسَمِّيهِ لِذَلِكَ دُعْمُوصَ الْعَرَبِ، لِهِدَايَتِهِ وَجَرَاءَتِهِ عَلَى السَّيْرِ فَذَكَرَ عَنْ بَدْءِ إِسْلَامِهِ قَالَ: إِنِّي لَأَسِيرُ بِرَمْلِ عَالِجٍ ذَاتَ لَيْلَةٍ إِذْ غَلَبَنِي النَّوْمُ فَنَزَلْتُ عَنْ رَاحِلَتِي وَأَنَخْتُهَا وَتَوَسَّدْتُ ذِرَاعَهَا وَنِمْتُ، وَقَدْ تَعَوَّذْتُ قَبْلَ نَوْمِي فَقُلْتُ: أَعُوذُ بِعَظِيمِ هَذَا الْوَادِي مِنَ الْجِنِّ مِنْ أَنْ أُؤْذَى أَوْ أُهَاجَ فَرَأَيْتُ فِي مَنَامِي رَجُلًا شَابًّا يَرْصُدُ نَاقَتِي، وَبِيَدِهِ حَرْبَةٌ يُرِيدُ أَنْ يَضَعَهَا فِي نَحْرِهَا فَانْتَبَهْتُ لِذَلِكَ فَزِعًا فَنَظَرْتُ يَمِينًا وَشِمَالًا فَلَمْ أَرَ شَيْئًا فَقُلْتُ: هَذَا حُلْمٌ، ثُمَّ عُدْتُ فَغَفَوْتُ فَرَأَيْتُ فِي مَنَامِي مِثْلَ رُؤْيَايَ الْأُولَى فَانْتَبَهْتُ
পৃষ্ঠা - ১৬৭৯
فَدُرْتُ حَوْلَ نَاقَتِي فَلَمْ أَرَ شَيْئًا، وَإِذَا نَاقَتِي تُرْعَدُ، ثُمَّ غَفَوْتُ فَرَأَيْتُ مِثْلَ ذَلِكَ فَانْتَبَهْتُ فَرَأَيْتُ نَاقَتِي تَضْطَرِبُ وَالْتَفَتُّ فَإِذَا أَنَا بَرْجَلٍ شَابٍّ كَالَّذِي رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ بِيَدِهِ حَرْبَةٌ، وَرَجُلٍ شَيْخٍ مُمْسِكٍ بِيَدِهِ يَرُدُّهُ عَنْهَا وَهُوَ يَقُولُ يَا مَالِكُ بْنَ مُهَلْهِلِ بْنِ دِثَارِ ... مَهْلًا فِدًى لَكَ مِئْزَرِي وَإِزَارِي عَنْ نَاقَةِ الْإِنْسِيِّ لَا تَعْرِضْ لَهَا ... وَاخْتَرْ بِهَا مَا شِئْتَ مِنْ أَثْوَارِي وَلَقَدْ بَدَا لِي مِنْكَ مَا لَمْ أَحْتَسِبْ ... أَلَّا رَعَيْتَ قَرَابَتِي وَذِمَارِي تَسْمُو إِلَيْهِ بِحَرْبَةٍ مَسْمُومَةٍ ... تَبًّا لِفِعْلِكَ يَا أَبَا الْغَفَّارِ لَوْلَا الْحَيَاءُ وَأَنَّ أَهْلَكَ جِيرَةٌ ... لَعَلِمْتَ مَا كَشَّفْتَ مِنْ أَخْبَارِي قَالَ: فَأَجَابَهُ الشَّابُّ وَهُوَ يَقُولُ أَأَرَدْتَ أَنْ تَعْلُو وَتَخْفِضَ ذِكْرَنَا ... فِي غَيْرِ مُزْرِيةٍ أَبَا الْعَيْزَارِ مَا كَانَ فِيهِمْ سَيِّدٌ فِيمَا مَضَى ... إِنَّ الْخِيَارَ هُمُو بَنُو الْأَخْيَارِ فَاقْصِدْ لِقَصْدِكَ يَا مُعَكْبِرُ ... إِنِّمَا كَانَ الْمُجِيرُ مُهَلْهِلَ بْنَ دِثَارِ قَالَ: فَبَيْنَمَا هُمَا يَتَنَازَعَانِ، إِذْ طَلَعَتْ ثَلَاثَةُ أَثْوَارٍ مِنَ الْوَحْشِ فَقَالَ الشَّيْخُ لِلْفَتَى: قُمْ يَا ابْنَ أُخْتِ، فَخُذْ أَيُّهَا شِئْتَ فَدَاءً لِنَاقَةِ جَارِي الْإِنْسِيِّ. فَقَامَ الْفَتَى فَأَخَذَ مِنْهَا ثَوْرًا وَانْصَرَفَ، ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى الشَّيْخِ فَقَالَ: يَا هَذَا إِذَا نَزَلْتَ وَادِيًا مِنَ الْأَوْدِيَةِ فَخِفْتَ هَوْلَهُ فَقُلْ: أَعُوذُ بِاللَّهِ رَبِّ مُحَمَّدٍ مِنْ هَوْلِ هَذَا الْوَادِي وَلَا تَعُذْ بِأَحَدٍ مِنَ الْجِنِّ فَقَدْ بَطَلَ أَمْرُهَا قَالَ: فَقُلْتُ لَهُ: وَمَنْ مُحَمَّدٌ هَذَا؟ قَالَ: نَبِيٌّ عَرَبِيٌّ لَا شَرْقِيٌّ وَلَا غَرْبِيٌّ بُعِثَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ. قُلْتُ:
পৃষ্ঠা - ১৬৮০


তার সঙ্গে যোগ দেয় ৷ তারপর একদিন তুব্বা একটি ভয়ংকর স্বপ্ন দেশে এই পরিকল্পনা ত্যাগ
করেন এবং হাজার আসওয়াদকে যথাস্থানে বহাল রাখেন ৷

ইবনে ইসহাক সীরাত গ্রন্থের পরিশিষ্টে লিখেছেন, খাদীজার ভাই আমর ইবনে
খুওয়ইিলিদ-ই খাদীজাকে রাসুলুল্পাহ (না)-এর নিকট বিবাহ দিয়েছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভালো
জানেন ৷

অধ্যায়

ইবনে ইসহাক বলেন, গোলাম মায়সারা খাদীজার নিকট পাদ্রীর যে উক্তির কথা উল্লেখ
করেছিল এবং সফরে দুই ফেরেশতা কর্তৃক নবীজী (না)-কে ছায়া প্রদান করতে দেখেছিল
খাদীজা (বা) তার চাচাত্যে ভাই ওয়ড়ারাকা ইবনে নওফল ইবনে আসাদ ইবনে আব্দুল ওয্যা
ইবনে কুসাইকে সে সম্পর্কে অবহিত করেন ৷ শুনে ওয়ারাকা বললেন, খাদীজা ! ঘটনাটি যদি
সত্যি হয়ে থাকে, তা হলে এ কথা নিশ্চিত যে, মুহাম্মদ এই উষ্মত্তের নবী ৷ আর আমি নিজেও
জানি যে, এই উষ্মতের জন্য একজন নবীর আবির্ভাব হতে যাচ্ছে ৷ এটাই সেই যুগ ৷ এরপর
থেকে ওয়ারাকা বিষয়টি সপ্রমাণিত দেখার জন্য উংদ্বগ-উৎকষ্ঠা প্রকাশ করতে পুরু করেন এবং
নিম্নোক্ত পংক্তিগুলো আবৃত্তি করেন ৷

ণ্
এেঞণ্ ণ্খৃশ্াশ্রুএ£;স্ন্থ<ন্ওওান্ন্ওষ্ন্এ
ট্রু;ন্; ব্রট্রুন্ৰু,ড়ু
াছুঠুঠুছুছুট্রুএেঠু৷ ৰু;া


, : ণ্ ৷ :

ষ্ :



¢ : ৷ ৷ ৷ ৷ ণ্

ংণ্হ্রাট্রু ট্রু,াদ্বু ৷পুণ্ ৷ব্লু৷ ল্টেন্৷ ৷ঠুট্রুষ্

প্রুএ ৷ এ ৷ছুটুপুগ্লু

é : :

৷ পুাষ্,


وَأَيْنَ مَسْكَنُهُ؟ قَالَ: يَثْرِبُ ذَاتُ النَّخْلِ قَالَ: فَرَكِبْتُ رَاحِلَتِي حِينَ بَرَقَ لِيَ الصُّبْحُ وَجَدَدْتُ السَّيْرَ حَتَّى تَقَحَّمْتُ الْمَدِينَةَ فَرَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَدَّثَنِي بِحَدِيثِي قَبْلَ أَنْ أَذْكُرَ لَهُ مِنْهُ شَيْئًا، وَدَعَانِي إِلَى الْإِسْلَامِ فَأَسْلَمْتُ قَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَكُنَّا نَرَى أَنَّهُ هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِ {وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِنَ الْإِنْسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا} [الجن: 6] . وَرَوَى الْخَرَائِطِيُّ مِنْ طَرِيقِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ حَمَّادِ بْنِ أَبِي حَبِيبَةَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: إِذَا كُنْتَ بِوَادٍ تَخَافُ السَّبْعَ فَقُلْ: أَعُوذُ بِدَانْيَالَ وَالْجُبِّ مِنْ شَرِّ الْأَسَدِ. وَرَوَى الْبَلَوِيُّ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قِصَّةَ قِتَالِ عَلِيٍّ الْجِنَّ بِالْبِئْرِ ذَاتِ الْعَلَمِ الَّتِي بِالْجُحْفَةِ حِينَ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَقِي لَهُمُ الْمَاءَ فَأَرَادُوا مَنْعَهُ، وَقَطَعُوا الدَّلْوَ فَنَزَلَ إِلَيْهِمْ، وَهِيَ قِصَّةٌ مُطَوَّلَةٌ مُنْكَرَةٌ جِدًّا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْخَرَائِطِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو الْحَارِثِ مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ الدِّمَشْقِيُّ
পৃষ্ঠা - ১৬৮১
وَغَيْرُهُ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِنْتِ شُرَحْبِيلَ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ الْحَجَّاجِ حَدَّثَنَا مَجَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ رَجُلٍ قَالَ: كُنْتُ فِي مَجْلِسِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَعِنْدَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَذَاكَرُونَ فَضَائِلَ الْقُرْآنِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: خَوَاتِيمُ سُورَةِ النَّحْلِ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: سُورَةُ يس، وَقَالَ عَلِيٌّ: فَأَيْنَ أَنْتُمْ، عَنْ فَضِيلَةِ آيَةِ الْكُرْسِيِّ؟ أَمَا إِنَّهَا خَمْسُونَ كَلِمَةً فِي كُلِّ كَلِمَةٍ سَبْعُونَ بَرَكَةً. قَالَ: وَفِي الْقَوْمِ عَمْرُو بْنُ مَعْدِ يكَرِبَ لَا يُحِيرُ جَوَابًا فَقَالَ: أَيْنَ أَنْتُمْ عَنْ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ؟ فَقَالَ عُمَرُ: حَدِّثْنَا يَا أَبَا ثَوْرٍ قَالَ: بَيْنَا أَنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِذْ جَهَدَنِي الْجُوعُ فَأَقْحَمْتُ فَرَسِي فِي الْبَرِّيَّةِ، فَمَا أَصَبْتُ إِلَّا بَيْضَ النَّعَامِ، فَبَيْنَا أَنَا أَسِيرُ، إِذَا أَنَا بِشَيْخٍ عَرَبِيٍّ فِي خَيْمَةٍ، وَإِلَى جَانِبِهِ جَارِيَةٌ كَأَنَّهَا شَمْسٌ طَالِعَةٌ، وَمَعَهُ غُنَيْمَاتٌ لَهُ، فَقُلْتُ لَهُ: اسْتَأْسِرْ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ فَرَفَعَ رَأَسَهُ إِلَيَّ، وَقَالَ: يَا فَتَى إِنْ أَرَدْتَ قِرًى فَانْزِلْ، وَإِنْ أَرَدْتَ مَعُونَةً أَعَنَّاكَ، فَقُلْتُ لَهُ: اسْتَأْسِرْ فَقَالَ عَرَضْنَا عَلَيْكَ النُّزْلَ مِنَّا تَكَرُّمًا ... فَلَمْ تَرْعَوِي جَهْلًا كَفِعْلِ الْأَشَائِمِ وَجِئْتَ بِبُهْتَانٍ وَزُورٍ وَدُونَ مَا ... تَمَنَّيْتَهُ بِالْبَيْضِ حَزُّ الْحَلَاقِمِ
পৃষ্ঠা - ১৬৮২


০ ’ ’ : ) শ্ , : ’ :


£শুটুঠুছু ৷ ;, ৷ ড়ু
অর্থ৪ আমি অতি আগ্রহের সাথে এমন একটি জিনিসকে বারবার বলে আসছি, যা দীর্ঘদিন
যাবত অনেককে র্কাদিয়ে আসছে ৷ খাদীজার নিকট থেকেও নতুন করে সে বিষয়ে নানাবিধ
গুণের বিবরণ পাওয়া গেল ৷ শোন খাদীজা৷ আমার প্রভীক্ষা অনেক দীর্ঘ হয়েছে ৷ আমার
প্রত্যাশা, মক্কার উচ্চভুমি ও নিম্নভুমির মধ্যখান থেকে যেন তোমার সে কথা বাস্তবায়িত হচ্ছে
বলে দেখতে পাই, যে কথা তুমি খৃন্টান ধর্মযাজকের সুত্রে জানালে ৷ বন্তুত ধর্মযাজকের কথায়

কোন (হরফের হোক, আমি তা চাই না ৷

সে প্ৰতীক্ষিত বিষয়টি এই যে, মুহাম্মদ অচিরেই সমাজের নেত৷ হবেন এবং নিজের
বিরুদ্ধবাদীদের তিনি পরাস্ত করবেন ৷ পৃথিবীর সর্বত্র তিনি এমন নুর ছড়াবেন, যা দ্বার বাতিনি
সমগ্র বিশ্বজগতকে উদ্ভাসিত করবেন ৷ যারা তার সঙ্গে যুদ্ধ করবেন,ত তারা পর্মুদস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত
হবে ৷ আর যারা তার সঙ্গে শান্তি ও সষ্গ্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয় ন্ন্দ্বার৷ হবে স্থিতিশীল ও
বিজয়ী ৷

হয়ে! যখন এ সব ঘটনা ঘটবে, তখন যদি আমি জীবিত থাকতে পারতাম, তা হলে
তোমাদের সকলের আগে আমিই৩ র্বী ৷র দলতুক্ত হতাম ৷ আমি সেই দলের অন্তর্ভুক্ত হতাম যাকে
কুরায়শ অত্যন্ত অপসন্দ করবে ৷ যদিওত ৷রা তার বিরুদ্ধে চিৎকার করে মক্কাকে প্রকম্পিত করে
তৃলবে ৷ যাকে তারা সকলে অপসন্দ করবে, আমার প্রত্যাশা তিনি আরশের অধিপতির নিকট
পৌছে যাবেন, যদিও তারা অধচ্পতিত হবে ৷ উর্ধ্বলোকে আরোহণকারীকে যারা গ্রহণ করে,
তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করা ছাড়া এই অবঃপতনের আর কোন কারণ নেই ৷

কুরায়শরা যদি বেচে থাকে আর আমিও যদি বেচে থাকি তবে সেদিন অস্বীকারকারীরা
চিৎকার করে তােলপাড় করবে ৷ আর আমি যদি মারা যাই তাহলে যুবকরা দুর্ভাগ্যের কবল
থেকে মুক্তির পথ প্রত্যক্ষ করবে ৷

ইবনে ইসহাক সুত্রে বর্ণিত ইউনুস ইবনে বুকায়র-এর বর্ণনা মতে ওয়ারাক৷ ইবনে নওফল
আরো বলেছেন-


ৰুাএি
#


’ ব্লু শ্ ’ ৩ × : × গ্র ’ :


) ; ষ্

এর্চুা৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৭৪-

قَالَ: وَوَثَبَ إِلَيَّ وَثْبَةً، وَهُوَ يَقُولُ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَكَأَنِّي مَثَلْتُ تَحْتَهُ، ثُمَّ قَالَ: أَقْتُلُكَ أَمْ أُخَلِّي عَنْكَ؟ قُلْتُ: بَلْ خَلِّ عَنِّي، قَالَ: فَخَلَّى عَنِّي، ثُمَّ إِنْ نَفْسِي حَدَّثَتْنِي بِالْمُعَاوَدَةِ فَقُلْتُ: اسْتَأْسِرْ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ فَقَالَ: بِبِسْمِ اللَّهِ وَالرَّحْمَنِ فُزْنَا ... هُنَالِكَ وَالرَّحِيمِ بِهِ قَهَرْنَا وَمَا تُغْنِي جَلَادَةُ ذِي حِفَاظٍ ... إِذَا يَوْمًا لِمَعْرَكَةٍ بَرَزْنَا ثُمَّ وَثَبَ لِي، وَثْبَةً كَأَنِّي مَثَلْتُ تَحْتَهُ فَقَالَ: أَقْتُلُكَ أَمْ أُخَلِّي عَنْكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: بَلْ خَلِّ عَنِّي فَخَلَّى عَنِّي فَانْطَلَقْتُ غَيْرَ بَعِيدٍ، ثُمَّ قُلْتُ فِي نَفْسِي: يَا عَمْرُو، أَيَقْهَرُكَ هَذَا الشَّيْخُ وَاللَّهِ لَلْمَوْتُ خَيْرٌ لَكَ مِنَ الْحَيَاةِ فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ لَهُ: اسْتَأْسِرْ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ، فَوَثَبَ إِلَيَّ وَثْبَةً وَهُوَ يَقُولُ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَكَأَنِّي مَثَلْتُ تَحْتَهُ فَقَالَ: أَقْتُلُكَ أَمْ أُخَلِّي عَنْكَ؟ قُلْتُ: بَلْ خَلِّ عَنِّي فَقَالَ: هَيْهَاتَ يَا جَارِيَةُ، ائْتِينِي بِالْمُدْيَةِ فَأَتَتْهُ بِالْمُدْيَةِ فَجَزَّ نَاصِيَتِي، وَكَانَتِ الْعَرَبُ إِذَا ظَفِرَتْ بِرَجُلٍ فَجَزَّتْ نَاصِيَتَهُ اسْتَعْبَدَتْهُ فَكُنْتُ مَعَهُ أَخْدِمُهُ مُدَّةً، ثُمَّ إِنَّهُ قَالَ: يَا عَمْرُو أُرِيدُ أَنْ تَرْكَبَ مَعِيَ الْبَرِّيَّةَ، وَلَيْسَ بِي مِنْكَ وَجَلٌ; وَإِنِّي بِبِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ لَوَاثِقٌ. قَالَ: فَسِرْنَا حَتَّى أَتَيْنَا وَادِيًا أَشِبًا مُهَوِّلًا مُغَوِّلًا، فَنَادَى بِأَعْلَى صَوْتِهِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَلَمْ يَبْقَ
পৃষ্ঠা - ১৬৮৩
طَيْرٌ فِي وَكْرِهِ إِلَّا طَارَ، ثُمَّ أَعَادَ الصَّوْتَ فَلَمْ يَبْقَ سَبْعٌ فِي مَرْبِضِهِ إِلَّا هَرَبَ، ثُمَّ أَعَادَ الصَّوْتَ فَإِذَا نَحْنُ بِحَبَشِيٍّ قَدْ خَرَجَ عَلَيْنَا مِنَ الْوَادِي كَالنَّخْلَةِ السَّحُوقِ، فَقَالَ لِي: يَا عَمْرُو إِذْ رَأَيْتَنَا قَدِ اتَّحَدْنَا فَقُلْ: غَلَبَهُ صَاحِبِي بِبِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ. قَالَ: فَلَمَّا رَأَيْتُهُمَا قَدِ اتَّحَدَا قُلْتُ: غَلَبَهُ صَاحِبِي بِاللَّاتِ وَالْعُزَّى فَلَمْ يَصْنَعِ الشَّيْخُ شَيْئًا فَرَجَعَ إِلَيَّ وَقَالَ: قَدْ عَلِمْتُ أَنَّكَ قَدْ خَالَفْتَ قَوْلِي. قُلْتُ أَجَلْ وَلَسْتُ بِعَائِدٍ. فَقَالَ: إِذَا رَأَيْتَنَا قَدِ اتَّحَدْنَا فَقُلْ: غَلَبَهُ صَاحِبِي بِبِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَقُلْتُ: أَجَلْ فَلَمَّا رَأَيْتُهُمَا قَدِ اتَّحَدَا قُلْتُ: غَلَبَهُ صَاحِبِي بِبِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ قَالَ: فَاتَّكَأَ عَلَيْهِ الشَّيْخُ فَبَعَجَهُ بِسَيْفِهِ فَاشْتَقَّ جَوْفَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ شَيْئًا كَهَيْئَةِ الْقِنْدِيلِ الْأَسْوَدِ، ثُمَّ قَالَ: يَا عَمْرُو هَذَا غِشُّهُ وَغِلُّهُ، ثُمَّ قَالَ: أَتَدْرِي مَنْ تِلْكَ الْجَارِيَةُ؟ قُلْتُ: لَا. قَالَ: تِلْكَ الْفَارِعَةُ بِنْتُ السَّلِيلِ الْجُرْهُمِيِّ، وَكَانَ أَبُوهَا مِنْ خِيَارِ الْجِنِّ، وَهَؤُلَاءِ أَهْلُهَا، وَبَنُو عَمِّهَا يَغْزُونِي مِنْهُمْ كُلَّ عَامٍ رَجُلٌ، يَنْصُرُنِي اللَّهُ عَلَيْهِ بِبِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، ثُمَّ قَالَ: قَدْ رَأَيْتَ مَا كَانَ مِنِّي إِلَى الْحَبَشِيِّ وَقَدْ غَلَبَ عَلَيَّ الْجُوعُ فَائْتِنِي بِشَيْءٍ آكُلُهُ. فَأَقْحَمْتُ بِفَرَسِي الْبَرِّيَّةَ، فَمَا أَصَبْتُ إِلَّا بَيْضَ النَّعَامِ، فَأَتَيْتُهُ بِهِ فَوَجَدْتُهُ نَائِمًا، وَإِذَا تَحْتَ
পৃষ্ঠা - ১৬৮৪



ৰুাট্রুঠু ট্রু ,ওংওও ৰুা৷১৷ ৷ ট্রু,ও :,;;—;,;é ণ্ডু৷ ৷ ,&,fl ৷ ও এে,ওওও দ্বু র্মুওও ঢে৷ ৷

’ৰু;াব্লুও র্দু;’ষ্ও’ ;, ৷,টু ৷ ৷ ;াও,৷ £হ্র (ন্ওা;ও ’ওওপুও ;ওৰুপু;, ;, ৷ ন্ও ,ওওষ্ ’ ন্,

শ্

ণ্ওএ১ ৷ এ

€ এ এি ৷ পুএএি


কী সকাল কী সন্ধ্যা, তোমার মনের ব্যথায় আমিও ব্যথিত ৩৷ আমি আরো ব্যথিত সেই
লোকদের বিরহে, যাদের বিরহ আমার কাম্য নয় ৷ তুমিও বোধ হয় দু দিন পর তাদের থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ৷ আমি আরো ব্যথিত সেই সত্য সংবাদের জন্য, যা মুহাম্মদ সম্পর্কে প্রকাশিত
হয়েছে ৷ তার অনুপন্থিত্যি৩ ই যে শুভকামনাকা রী তার সম্পর্কে স বাদ দিয়েছে ৷

ওহে নাজ্বদ ও গাওর এর শ্রেষ্ঠ রমণী ! ভারী মাল বোঝাই উটের আরোহী বণিক কাফেলার
সঙ্গে বুসরা বাজারে তুমি যে যুবককে প্রেরণ করেছিলে, এখন তিনি তোমার কাছে ফিরে
এসেছেন ৷ এখন তিনি আমাদেরকে সজ্ঞানে সংবাদ দিচ্ছে সার্বিক কল্যাণের ৷ সত্য প্রকাশের
অনেক দ্বার আছে, দ্বার খোলার জন্য আছে চড়াবি ৷ তিনি সংবাদ দিচ্ছেন যে, এই প্রত্যন্ত সরু
অঞ্চলের সকলের প্রতি আব্দুল্লাহর পুত্র আহমদ প্রেরিত হচ্ছেন ৷

আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তিনি হুদ, সালিহ, মুসা ও ইবরাহীম (আ) এর ন্যায় স৩ ত্যবাদীরুপে
আবির্ভুত হবেন অচিরেই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে সর্বত্র ৷ দিকে দিকে দৃষ্টিগােচর হতে শুরু
করবে তার ঔজ্জ্বল্য ৷ আর তার অনুসরণ করবে, লুওয়াই ও পানির গোত্র আবাল বৃদ্ধ
সকলে ৷ তার আবির্ভাব পর্যন্ত যদি আমি বেচে থাকি, তবে৩ তাকে পেয়ে আমি বড়ই আনন্দিত
হব ৷ অন্যথায় জেনে রাখ হে খাদীজা৷ তোমার দেশ ত্যাগ করে আমি চলে যাব অন্য কোন
প্রশস্ত ভুখণ্ডে ৷

উমাবী এর সঙ্গে যোগ করে আরো উল্লেখ করেছেন :
ছুট্রুওওও



رَأْسِهِ شَيْءٌ كَهَيْئَةِ الْخَشَبَةِ فَاسْتَلَلْتُهُ، فَإِذَا هُوَ سَيْفٌ عَرْضُهُ شِبْرٌ فِي سَبْعَةِ أَشْبَارٍ فَضَرَبْتُ سَاقَيْهِ ضَرْبَةً أَبَنْتُ السَّاقَيْنِ مَعَ الْقَدَمَيْنِ فَاسْتَوَى عَلَى فِقَارِ ظَهْرِهِ، وَهُوَ يَقُولُ: قَاتَلَكَ اللَّهُ مَا أَغْدَرَكَ يَا غَدَّارُ. قَالَ عُمَرُ: ثُمَّ مَاذَا صَنَعْتَ؟ قُلْتُ: فَلَمْ أَزَلْ أَضْرِبُهُ بِسَيْفِي حَتَّى قَطَّعْتُهُ إِرْبًا إِرْبًا. قَالَ: فَوَجَمَ لِذَلِكَ، ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: بِالْغَدْرِ نِلْتَ أَخَا الْإِسْلَامِ عَنْ كَثَبٍ ... مَا إِنْ سَمِعْتُ كَذَا فِي سَالِفِ الْعَرَبِ وَالْعُجْمُ تَأْنَفُ مَمَّا جِئْتَهُ كَرَمًا ... تَبًّا لِمَا جِئْتَهُ فِي السَّيِّدِ الْأَرَبِ إِنِّي لَأَعْجَبُ أَنِّي نِلْتَ قِتْلَتَهُ ... أَمْ كَيْفَ جَازَاكَ عِنْدَ الذَّنْبِ لَمْ تَنُبِ قِرْمٌ عَفَا عِنْكَ مَرَّاتٍ وَقَدْ عَلِقَتْ ... بِالْجِسْمِ مِنْكَ يَدَاهُ مَوْضِعَ الْعَطَبِ لَوْ كُنْتُ آخُذُ فِي الْإِسْلَامِ مَا فَعَلُوا ... فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَهْلُ الشِّرْكِ وَالصُّلُبِ إِذًا لَنَالَتْكَ مِنْ عَدْلِي مُشَطِّبَةٌ ... تَدْعُو لِذَائِقِهَا بِالْوَيْلِ وَالْحَرَبِ قَالَ: ثُمَّ مَا كَانَ مِنْ حَالِ الْجَارِيَةِ؟ قُلْتُ: ثُمَّ إِنِّي أَتَيْتُ الْجَارِيَةَ فَلَمَّا رَأَتْنِي قَالَتْ: مَا فَعَلَ الشَّيْخُ؟ قُلْتُ: قَتَلَهُ الْحَبَشِيُّ فَقَالَتْ: كَذَبْتَ بَلْ قَتَلْتَهُ أَنْتَ بِغَدْرِكَ، ثُمَّ أَنْشَأَتْ تَقُولُ عَيْنُ جُودِي لِلْفَارِسِ الْمِغْوَارِ ... ثُمَّ جُودِي بِوَاكِفَاتٍ غِزَارِ
পৃষ্ঠা - ১৬৮৫
لَا تَمَلِّي الْبُكَاءَ إِذْ خَانَكِ الدَّ هْرُ بِوَافٍ حَقِيقَةً صَبَّارِ ... وَتَقِيٍّ وَذِي وَقَارٍ وَحِلْمٍ وَعَدِيلِ الْفَخَارِ يَوْمَ الْفَخَارِ ... لَهْفَ نَفْسِي عَلَى بَقَائِكَ عَمْرُو أَسْلَمَتْكَ الْأَعْمَارُ لِلْأَقْدَارِ ... وَلَعَمْرِي لَوْ لَمْ تَرُمْهُ بِغَدْرٍ رُمْتَ لَيْثًا بِصَارِمٍ بِتَّارِ قَالَ: فَأَحْفَظَنِي قَوْلُهَا فَاسْتَلَلْتُ سَيْفِي، وَدَخَلْتُ الْخَيْمَةَ لِأَقْتُلَهَا فَلَمْ أَرَ فِي الْخَيْمَةِ أَحَدًا فَاسْتَقْتُ الْمَاشِيَةَ، وَجِئْتُ إِلَى أَهْلِي. وَهَذَا أَثَرٌ عَجِيبٌ وَالظَّاهِرُ أَنَّ الشَّيْخَ كَانَ مِنَ الْجَانِّ، وَكَانَ مِمَّنْ أَسْلَمَ، وَتَعَلَّمَ الْقُرْآنَ، وَفِيمَا تَعَلَّمَهُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ. وَكَانَ يَتَعَوَّذُ بِهَا. وَقَالَ الْخَرَائِطِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَلَوِيُّ حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلَاءِ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدَّتِهِ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ: كَانَ زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ وَوَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلٍ يَذْكُرَانِ أَنَّهُمَا أَتَيَا النَّجَاشِيَّ بَعْدَ رُجُوعِ أَبْرَهَةَ مِنْ مَكَّةَ قَالَا: فَلَمَّا دَخَلْنَا عَلَيْهِ قَالَ لَنَا: اصْدُقَانِي أَيُّهَا الْقُرَشِيَّانِ هَلْ وُلِدَ فِيكُمْ مَوْلُودٌ أَرَادَ أَبُوهُ ذَبْحَهُ فَضَرَبَ عَلَيْهِ بِالْقِدَاحِ فَسَلِمَ وَنُحِرَتْ عَنْهُ إِبِلٌ كَثِيرَةٌ؟ قُلْنَا: نَعَمْ قَالَ: فَهَلْ لَكُمَا عِلْمٌ بِهِ مَا فَعَلَ؟ قُلْنَا: تَزَوَّجَ امْرَأَةً يُقَالَ لَهَا: آمِنَةُ بِنْتُ وَهْبٍ تَرَكَهَا حَامِلًا وَخَرَجَ قَالَ: فَهَلْ تَعْلَمَانِ وُلِدَ أَمْ لَا؟ قَالَ وَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلٍ: أُخْبِرُكَ أَيُّهَا
পৃষ্ঠা - ১৬৮৬


৷ ,ব্লু
ফলে মানুষ অনুসরণ করবে সেই ব্যক্তির দীনের , যিনি সব কল্যাণের কেন্দ্রবিন্দু, যিনি সৃষ্টির
সেরা মানুষ ৷ যিনি মক্কায় নির্মাণ করেছেন সুদৃঢ় এক ইমারত ৷ সর্বত্র কুফরির ঘনঘটা সত্বেও

যে ঘরে জ্বলজ্বল জ্বলছে হেদায়াতের প্রদীপ ৷ যে গৃহ সকল গোত্রের কেন্দ্রবিন্দু, যে ঘরের প্রতি
চতুর্দিক থেকে যেয়ে আসে দুর্বল ও সরল উট ৷

আবুল কাসিম সুহায়লী কধৃকি তার আর রাউজুল উনুফ’ গ্রন্থে বর্ণিত ওয়ারাকা ইবনে
নওফলের আরো কয়েকটি পংক্তি নিম্নরুপ :

’ শ্ )


০ ’ : ’ ’ : ’

শ্রী

০ ’ : ’ ৩ × ; ’ : ’ ,ন্

এে

× : ’ : : ; :

১১

খু

০ ,


’ ’ ’

খু;স্

০ শ্ ’ : : ’ ’ :


’ : ’ :

গ্র@ গ্১
আমি অনেককে উপদেশ দিয়েছি যে, আমি সতর্ককারী ৷ অ৩ এর কেউ যেন তােমাদেরকে
প্রভাবিত করতে না পারে তোমরা তোমাদের সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত অন্য কারো দাসতৃ করবে না ৷

যদি তারা তোমাদের আহ্বান করে, তবে বলে দিবে- তোমাদের ও আমাদের মাঝে প্রাচীর
রয়েছে ৷

আমরা পবিত্রতা জ্ঞাপন করি আরশের অধিপতির , পবিত্রতা র্যার অবিচ্ছেদ্য গুণ আমাদের
আগে জুদী পর্বত আর জড় পদার্থরাজিও তার পবিত্রতা জ্ঞাপন করেছে ৷ সৃষ্টির সবকিছু তার
অনুগত ৷ তার রাজত্বের প্রতি হাত বাড়ানো কারো জন্য উচিত নয় ৷

আমরা যা কিছু দেখছি, তার কোনটিরই ঔজ্জ্বল্য অবশিষ্ট থাকবে না ৷ থাকবেন শুধু
ইলাহ সম্পদ-সন্তান সবই ধ্বংস হয়ে যাবে ৷ মহা শক্তিধর হরমুজ সম্রাটের ধন-ভাণ্ডার তার


الْمَلِكُ أَنِّي لَيْلَةً قَدْ بِتُّ عِنْدَ وَثَنٍ لَنَا كُنَّا نُطِيفُ بِهِ وَنَعْبُدُهُ إِذْ سَمِعْتُ مِنْ جَوْفِهِ هَاتِفًا يَقُولُ: وُلِدَ النَّبِيُّ فَذَلَّتِ الْأَمْلَاكُ ... وَنَأَى الضَّلَالُ وَأَدْبَرَ الْإِشْرَاكُ ثُمَّ انْتَكَسَ الصَّنَمُ عَلَى وَجْهِهِ. فَقَالَ زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ: عِنْدِي كَخَبَرِهِ أَيُّهَا الْمَلِكُ. قَالَ: هَاتِ قَالَ: أَنَا فِي مِثْلِ هَذِهِ اللَّيْلَةِ الَّتِي ذَكَرَ فِيهَا حَدِيثَهُ خَرَجْتُ مِنْ عِنْدِ أَهْلِي وَهُمْ يَذْكُرُونَ حَمْلَ آمِنَةَ حَتَّى أَتَيْتُ جَبَلَ أَبِي قُبَيْسٍ; أُرِيدُ الْخُلُوَّ فِيهِ لِأَمْرٍ رَابَنِي إِذْ رَأَيْتُ رَجُلًا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ لَهُ جَنَاحَانِ أَخْضَرَانِ فَوَقَفَ عَلَى أَبِي قُبَيْسٍ ثُمَّ أَشْرَفَ عَلَى مَكَّةَ فَقَالَ: ذَلَّ الشَّيْطَانْ، وَبَطَلَتِ الْأَوْثَانْ، وَوُلِدَ الْأَمِينُ ثُمَّ نَشَرَ ثَوْبًا مَعَهُ وَأَهْوَى بِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ فَرَأَيْتُهُ قَدْ جَلَّلَ مَا تَحْتَ السَّمَاءِ وَسَطَعَ نُورٌ كَادَ أَنْ يَخْتَطِفَ بَصَرِي وَهَالَنِي مَا رَأَيْتُ وَخَفَقَ الْهَاتِفُ بِجَنَاحَيْهِ حَتَّى سَقَطَ عَلَى الْكَعْبَةِ فَسَطَعَ لَهُ نُورٌ أَشْرَقَتْ لَهُ تِهَامَةُ وَقَالَ: ذَكَتِ الْأَرْضُ وَأَدَّتْ رَبِيعَهَا وَأَوْمَأَ إِلَى الْأَصْنَامِ الَّتِي كَانَتْ عَلَى الْكَعْبَةِ فَسَقَطَتْ كُلُّهَا. قَالَ النَّجَاشِيُّ وَيْحَكُمَا! أُخْبِرُكُمَا عَمَّا أَصَابَنِي إِنِّي لَنَائِمٌ فِي اللَّيْلَةِ الَّتِي ذَكَرْتُمَا فِي قُبَّةٍ وَقْتَ خَلْوَتِي، إِذْ خَرَجَ عَلَيَّ مِنَ الْأَرْضِ عُنُقٌ وَرَأَسٌ وَهُوَ يَقُولُ: حَلَّ الْوَيْلُ بِأَصْحَابِ الْفِيلْ،
পৃষ্ঠা - ১৬৮৭
رَمَتْهُمْ طَيْرٌ أَبَابِيلْ، بِحِجَارَةٍ مِنْ سِجِّيلْ، هَلَكَ الْأَشْرَمْ، الْمُعْتَدِي الْمُجْرِمْ، وَوُلِدَ النَّبِيُّ الْأُمِّيُّ، الْمَكِّيُّ الْحَرَمِيُّ، مَنْ أَجَابَهُ سَعَدْ، وَمَنْ أَبَاهُ عَنَدْ. ثُمَّ دَخَلَ الْأَرْضَ فَغَابَ فَذَهَبْتُ أَصِيحُ فَلَمْ أُطِقِ الْكَلَامَ، وَرُمْتُ الْقِيَامَ فَلَمْ أُطِقِ الْقِيَامَ، فَصَرَعْتُ الْقُبَّةَ بِيَدِي فَسَمِعَ بِذَلِكَ أَهْلِي فَجَاءُونِي فَقُلْتُ: احْجُبُوا عَنِّي الْحَبَشَةَ فَحَجَبُوهُمْ عَنِّي ثُمَّ أُطْلِقَ عَنْ لِسَانِي وَرِجْلِي. وَرَوَى الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ فِي تَارِيخِهِ فِي تَرْجَمَةِ الْحَارِثِ بْنِ هَانِئِ بْنِ الْمُدْلِجِ بْنِ الْمِقْدَادِ بْنِ زَمْلِ بِنِ عَمْرٍو الْعُذْرِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ زَمِلِ بْنِ عَمْرٍو الْعُذْرِيِّ قَالَ: كَانَ لِبَنِي عُذْرَةَ صَنَمٌ يُقَالُ لَهُ: حَمَامٌ. وَكَانُوا يُعَظِّمُونَهُ وَكَانَ فِي بَنِي هِنْدِ بْنِ حَرَامِ بْنِ ضِنَّةَ بْنِ عَبْدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ عُذْرَةَ وَكَانَ سَادِنُهُ رَجُلًا يُقَالَ لَهُ: طَارِقٌ وَكَانُوا يَعْتِرُونَ عِنْدَهُ فَلَمَّا ظَهَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعْنَا صَوْتًا يَقُولُ: يَا بَنِي هِنْدِ بْنِ حَرَامٍ ظَهَرَ الْحَقُّ وَأَوْدَى حَمَامُ، وَدَفَعَ الشِّرْكَ الْإِسْلَامُ. قَالَ: فَفَزِعْنَا لِذَلِكَ وَهَالَنَا فَمَكَثْنَا أَيَّامًا ثُمَّ سَمِعْنَا صَوْتًا وَهُوَ يَقُولُ: يَا طَارِقُ يَا طَارِقْ، بُعِثَ النَّبِيُّ
পৃষ্ঠা - ১৬৮৮


কাজে আসেনি ৷ আদ জাতিও চিরদিন বেচে থাকতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি ৷ বায়ু বহন করে
রেড়াত যে সুলায়মান (আ)-কে তিনিও থাকতে পারেননি ৷ মৃত্যুর পরোয়ানা পায়ে পায়ে ঘুরছে
জিন-মানব সকলের ৷ সেই প্রতাপশালী রাজা-বাদশাহরা এখন কোথায়, যাদের কাছে চতুর্দিক
থেকে দলে দলে মানুষ আগমন করতো?

মুভ্যু একটি কুপ ৷ এই কুপে সব মানুষকে একদিন না একদিন অবতরণ করতেই হবে
যেমন অবতরণ করেছে অতীতের লোকেরা ৷

সুহায়লী বলেন, আবুল ফারাজ এ পংক্তিগুলো ৷ওয়ারাকা র বলে উল্লেখ করেছেন এবং আরো
বলেছেন, এর মধ্যে কোন কো ন প০ ক্তি উমায়্যা ইবনে আবি সালতের বলে উল্লেখ করা হয় ৷
উমর (রা) মাঝেমধ্যে এ সব কবিতা ৷র পং ক্তি প্রমাণস্বরুপ আবৃত্তি করতেন বলে আমরা পুর্বেই
বলে এসেছি

রাসুলুল্লাহ (না)-এর নবুওত নাভের পাচ বছর পুর্বে
কুরায়শ কর্তৃক কা ৰার পুনর্নির্মাণ

বায়হাকীর মতে কাবা পুনর্বির্মাণের কাজ সম্পাদিত হয় রাসুলুল্লাহ (সা ) খাদীজাকে বিবাহ
করার পুর্বে ৷ তবে প্রসিদ্ধ মতে কুরায়শ কর্তৃক কাব৷ নির্মাণের ঘটনা ঘটে রাসুল (সা)
খাদীজাকে বিবাহ করার দশ বছর পরে ৷ ইমাম বায়হাকীর বর্ণনা মতে, পবিত্র কাবা সর্বপ্রথম
নির্মিত হয়েছিল হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর আমলে ৷ ইব্রাহীম (আ)-এর কাহিনীতে আমরা সে
সম্পর্কে আলোচনা করে এসেছি ৷ ইমাম ব্ায়বাকী সহীহ বুখারীতে এ বিষয়ে বর্ণিত ইবনে
আব্বাস (না)-এর একটি হাদীসও উল্লেখ করেছেন ৷ সাথে সাথে পবিত্র কা’বা হযরত আদম
(আ)-এর আমলে নির্মিত হওয়া সংক্রান্ত ইসরাঈলী ব্র্ণনাগুলােও উল্লেখ করেছেন ৷ সে সব
বর্ণনা বিশুদ্ধ নয় ৷ কেননা কুরআনের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, ইব্রাহীম (আ)-ই
সর্বপ্রথম কাবা নির্মাণ করেন এবং তার ভিত্তি স্থাপন করেন ৷ বলা বাহুল্য, কাবার অবস্থান
স্থুলটি পুর্ব থেকেই কেদ্রীয় মর্যাদার অধিকারী সকল যুগে, সব সময় সম্মানিত ছিল ৷ যেমন
আল-কুরআনে আল্লাহ তাআল৷ বলেন :

র্দ্র ’ ন্ ন্ হ্র ন্া

এেঘ্র
;,াট্রুা

“নিশ্চয়ই মানব জাতির জন্য সর্বপ্রথম যে ঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে৷ র্বাক্কায় (অর্থাৎ
মক্কায়) তা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারী ৷ তাতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, যেমন
মাকামে ইব্রাহীম ৷ আর যে কেউ সেখানে প্রবেশ করে, সে নিরাপদ ৷ মানুষের মধ্যে যার
সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশে ঐ ঘরের হজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য ৷
(আলেষ্ইমরান : ৯৬-৯ ৭)


الصَّادِقْ، بِوَحْيٍ نَاطِقْ، صَدَعَ صَادِعٌ بِأَرْضِ تِهَامَةْ، لِنَاصِرِيهِ السَّلَامَةْ، وَلِخَاذِلِيهِ النَّدَامَةْ، هَذَا الْوَدَاعُ مِنِّي إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةْ. قَالَ زَمِلٌ: فَوَقَعَ الصَّنَمُ لِوَجْهِهِ. «قَالَ زَمِلٌ: فَابْتَعْتُ رَاحِلَةً، وَرَحَلْتُ حَتَّى أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ نَفَرٍ مِنْ قَوْمِي وَأَنْشَدْتُهُ شِعْرًا قُلْتُهُ: إِلَيْكَ رَسُولَ اللَّهِ أَعْمَلْتُ نَصَّهَا ... وَكَلَّفْتُهَا حَزْنًا وَقَوْزًا مِنَ الرَّمْلِ لِأَنْصُرَ خَيْرَ النَّاسِ نَصْرًا مُؤَزَّرًا ... وَأَعْقِدُ حَبْلًا مِنْ حِبَالِكَ فِي حَبْلِي وَأَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ لَا شَيْءَ غَيْرُهُ ... أَدِينُ بِهِ مَا أَثْقَلَتْ قَدَمِي نَعْلِي قَالَ: فَأَسْلَمْتُ وَبَايَعَتْهُ وَأَخْبَرْنَاهُ بِمَا سَمِعْنَا فَقَالَ: ذَاكَ مِنْ كَلَامِ الْجِنِّ ثُمَّ قَالَ: يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَى الْأَنَامِ كَافَّةً أَدْعُوهُمْ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ وَأَنِّي رَسُولُهُ وَعَبْدُهُ، وَأَنْ يَحُجُّوا الْبَيْتَ وَيَصُومُوا شَهْرًا مِنِ اثْنَيْ عَشَرَ شَهْرًا وَهُوَ شَهْرُ رَمَضَانَ فَمَنْ أَجَابَنِي فَلَهُ الْجَنَّةُ نُزُلَا، وَمَنْ عَصَانِي كَانَتِ النَّارُ لَهُ مُنْقَلَبًا. قَالَ: فَأَسْلَمْنَا وَعَقَدَ لَنَا لِوَاءً
পৃষ্ঠা - ১৬৮৯
وَكَتَبَ لَنَا كِتَابًا نُسْخَتُهُ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ لِزَمِلِ بْنِ عَمْرٍو وَمِنْ أَسْلَمَ مَعَهُ خَاصَّةً إِنِّي بَعَثْتُهُ إِلَى قَوْمِهِ عَامِدًا فَمِنْ أَسْلَمَ فَفِي حِزْبِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَمَنْ أَبَى فَلَهُ أَمَانُ شَهْرَيْنِ شَهِدَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ الْأَنْصَارِيُّ.» ثُمَّ قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: غَرِيبٌ جِدًّا. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ فِي كِتَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَسَنِ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو الْمُنْذِرِ هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَانِيِّ قَالَ: كَانَ مِنَّا رَجُلٌ يُقَالَ لَهُ: مَازِنُ بْنُ الْغَضُوبَةِ. يَسْدُنُ صَنَمًا بِقَرْيَةٍ يُقَالَ لَهَا: سَمَايَا مِنْ عُمَانَ وَكَانَتْ تُعَظِّمُهُ بَنُو الصَّامِتِ وَبَنُو حُطَامَةَ وَمَهْرَةُ وَهُمْ أَخْوَالُ مَازِنٍ أُمُّهُ زَيْنَبُ بِنْتُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ حُوَيْصٍ أَحَدِ بَنِي نُمْرَانَ. قَالَ مَازِنٌ: فَعَتَرْنَا يَوْمًا عِنْدَ الصَّنَمِ عَتِيرَةً وَهِيَ الذَّبِيحَةُ فَسَمِعْتُ صَوْتًا مِنَ الصَّنَمِ يَقُولُ: يَا مَازِنُ، اسْمَعْ تُسَرَّ، ظَهَرَ خَيْرٌ وَبَطَنَ شَرٌّ، بُعِثَ نَبِيٌّ مِنْ مُضَرْ، بِدِينِ اللَّهِ الْأَكْبَرْ، فَدَعْ نَحِيَتًا مَنْ حَجَرْ; تَسْلَمْ مِنْ حَرِّ سَقَرْ، قَالَ: فَفَزِعْتُ لِذَلِكَ فَزَعًا شَدِيدًا ثُمَّ عَتَرْنَا بَعْدَ أَيَّامٍ عَتِيرَةً أُخْرَى، فَسَمِعْتُ صَوْتًا مِنَ الصَّنَمِ يَقُولُ: أَقْبِلْ إِلَيَّ أَقْبِلْ، تَسْمَعْ مَا لَا تَجْهَلْ، هَذَا نَبِيٌّ مُرْسَلْ، جَاءَ بِحَقٍّ مُنْزَلْ، فَآمِنْ بِهِ
পৃষ্ঠা - ১৬৯০


সহীহ বুখারী ও মুসলিমে হযরত আবু যর (রা) কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, আবু যর (রা)
বলেন, আমি একদিন জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! কোনৃ মসজিদ সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ?
রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : আল-মাসজিদুল হড়ারাম’ ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোনটি ষ্
নবী করীম (সা) বললেন : আল মাসজিদুল আক্সা ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, এই দু’য়ের
মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল কতটুকু ? তিনি বললেন : চল্লিশ বছর’ ৷

এ বিষয়ে পুর্বে আমরা আলোচনা করে এসেছি এবং একথাও উল্লেখ করেছি যে, মাসজিদুল
আকসার ভিত্তি স্থাপন করেন ইসমাঈল তথা হযরত ইয়াকুব (আ) ৷

সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আছে যে, এই মক্কা নগরীকে আল্লাহ তা আলা আসমান যমীন
সৃষ্টি করার দিন থেকেই সম্মানিত করেছেন ৷ ফলে তা কিয়ামত পর্যন্ত সম্মানিতই থাকবে ৷

ইমাম বায়হাকী আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, পৃথিবী
সৃষ্টির দুই হাজার বছর আগেও বায়তুল্লাহ বিদ্যমান ছিল ৷ পবিত্র কুরাআনের (ৰু ১র্টু১৷ ৷ ৷ é; ’ ,

র্দু১ৰুাৰু০) (আর যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হলো) এর ব্যাথ্যা;র তিনি বলেন, এই
বায়তুল্পাহ্র নিচ থেকেই পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হয়েছে ৷ মানসুরও মুজাহিদ থেকে অনুরুপ
অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷

আমার মতে, এই বর্ণনাটি অতিশয় গরীব পর্যায়ের ৷ সম্ভবত এটি সেই দুই থলের একটি
থেকে নেয়া, যা ইয়ারমুকের যুদ্ধের সময় আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা)-এর হস্তগত হয়েছিল ৷

এ দু’টি ইসরাঈলী বর্ণনায় তরপুর ছিল ৷ তাতে ঘুনকার ও গরীব বর্ণনাও ছিল অসংখ্য ৷

ইমাম বায়হাকী আরো বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা) বলেন যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন ;; আল্লাহ তাআলা জিবরাঈল (আ)-কে আদম ও হাওয়া (আ)-এর
নিকট প্রেরণ করেন ৷ জিবরাঈল (আ) তাদের বললেন, আল্লাহ্ নির্দেশ দিয়েছেন, আমার
সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একটি ঘর নির্মাণ কর ৷ এই বলে জিবরাঈল (আ) তাদেরকে ঘরের চৌহদ্দি
চিহ্নিত করে দেন ৷ আদম (আ) মাটি খনন ও হাওয়া (আ) মাটি স্থানান্তরের কাজ শুরু করে
দেন ৷ এক পর্যায়ে নিচ থেকে পানি র্তাদেরকে বলে, হে আদম! যথেষ্ট হয়েছে ৷ আদম ও
হাওয়া (আ) গৃহ নির্মাণ কাজ শেষ করলে আল্লাহ তাআলা আদম (আ)-এর প্ৰতি ঘরটি
তাওয়াফ করতে প্রত্যাদেশ করেন এবং তাকে বলা হলো, তুমিই প্রথম মানুষ আর এটি প্রথম
ঘর ৷ এরপর কয়েক যুগ অতিক্রাম্ভ হওয়ার পর হয়রত নুহ (আ) সেই ঘরের হজ্জ করেন ৷
এরপর আবার কয়েক যুগ অতিক্রাম্ভ হলে পরে এক সময় হযরত ইবরাহীম (আ) গৃহটি
পুনর্নির্মাণ করেন ৷ বায়হড়াকী বলেন, ইবনে লাহীআ এমনি এককভাবে মারফু সুত্রে হড়াদীসটি
বর্ণনা করেন ৷ আমার মতে এ রাবী যয়ীফ এটা আব্দুল্লাহ ইবনে আমর-এর উক্তি হওয়ার
অতিমতই অধিকতর শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য ৷

রাবী বর্ণনা করেন যে, আদম (আ) বায়ভুল্লাহর হজ্জ করেন ৷ তখন একদল ফেরেশতা
তীর নিকট এসে বলেন যে, আপনার হজ্জ কবুল হয়েছে ৷ হে আদম ! আপনার পুর্বে আমরা দৃই
হাজার বছর ধরে হজ্জ করে আসছি ৷


كَيْ تَعْدِلْ، عَنْ حَرِّ نَارٍ تُشْعَلْ، وَقُودُهَا الْجَنْدَلْ. قَالَ مَازِنٌ: فَقُلْتُ: إِنَّ هَذَا لَعَجَبٌ، وَإِنَّ هَذَا لَخَيْرٌ يُرَادُ بِي وَقَدِمَ عَلَيْنَا رَجُلٌ مِنَ الْحِجَازِ فَقُلْتُ: مَا الْخَبَرُ وَرَاءَكَ؟ فَقَالَ: ظَهَرَ رَجُلٌ يُقَالَ لَهُ: أَحْمَدُ يَقُولُ لِمَنْ أَتَاهُ: أَجِيبُوا دَاعِيَ اللَّهِ فَقُلْتُ: هَذَا نَبَأُ مَا سَمِعْتُ فَثُرْتُ إِلَى الصَّنَمِ فَكَسَرْتُهُ جُذَاذًا وَرَكِبْتُ رَاحِلَتِي حَتَّى قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَرَحَ اللَّهُ صَدْرِي لِلْإِسْلَامِ فَأَسْلَمْتُ وَقُلْتُ: كَسَرْتُ بَاجِرَ أَجْذَاذًا وَكَانَ لَنَا ... رَبًّا نُطِيفُ بِهِ ضَلًّا بِتَضْلَالِ بِالْهَاشِمِيِّ هَدَانَا مِنْ ضَلَالَتِنَا ... وَلَمْ يَكُنْ دِينُهُ مِنِّي عَلَى بَالِ يَا رَاكِبًا بَلِّغَنْ عَمْرًا وَإِخْوَتَهُ ... أَنِّي لِمَنْ قَالَ رَبِّي بَاجِرٌ قَالِ يَعْنِي: بِعَمْرٍو الصَّامِتَ وَإِخْوَتِهُ حُطَامَةَ. «فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرُؤٌ مُولَعٌ بِالطَّرَبِ وَبِالْهَلُوكِ مِنَ النِّسَاءِ، وَشُرْبِ الْخَمْرِ وَأَلَحَّتْ عَلَيْنَا السُّنُونَ فَأَذْهَبْنَ الْأَمْوَالَ وَأَهْزَلْنَ السَّرَارِيَّ وَلَيْسَ لِي وَلَدٌ، فَادْعُو اللَّهَ أَنْ يُذْهِبَ عَنِّي مَا أَجِدُ، وَيَأْتِيَنَا بِالْحَيَا، وَيَهَبَ لِي وَلَدًا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اللَّهُمَّ أَبْدِلْهُ
পৃষ্ঠা - ১৬৯১
بِالطَّرَبِ قِرَاءَةَ الْقُرْآنِ، وَبِالْحَرَامِ الْحَلَالَ، وَبِالْإِثْمِ وَبِالْعَهْرِ عِفَّةً، وَآتِهِ بِالْحَيَا، وَهَبْ لَهُ وَلَدًا.» قَالَ: فَأَذْهَبُ اللَّهُ عَنِّي مَا أَجِدُ وَأُخْصِبَتْ عُمَانُ، وَتَزَوَّجْتُ أَرْبَعَ حَرَائِرَ وَحَفِظْتُ شَطْرَ الْقُرْآنِ، وَوَهَبَ لِي حَيَّانَ بْنَ مَازِنٍ وَأَنْشَأَ يَقُولُ: إِلَيْكَ رَسُولَ اللَّهِ خَبَّتْ مَطِيَّتِي ... تَجَوبُ الْفَيَافِي مِنْ عُمَانَ إِلَى الْعَرْجِ لِتَشْفَعَ لِي يَا خَيْرَ مَنْ وَطِئَ الْحَصَى ... فَيَغْفِرَ لِي رَبِّي فَأَرْجِعَ بِالْفَلْجِ إِلَى مَعْشَرٍ خَالَفْتُ فِي اللَّهِ دِينَهُمْ ... فَلَا رَأْيُهُمْ رَأْيِي وَلَا شَرْجُهُمْ شَرْجِي وَكُنْتُ امْرَأً بِالْخَمْرِ وَالْعَهْرِ مُولَعًا ... شَبَابِيَ حَتَّى آذَنَ الْجِسْمُ بِالنَّهْجِ فَبَدَّلَنِي بِالْخَمْرِ خَوْفًا وَخَشْيَةً ... وَبِالْعَهْرِ إِحْصَانًا فَحَصَّنَ لِي فَرْجِي فَأَصْبَحْتُ هَمِّي فِي الْجِهَادِ وَنِيَّتِي ... فَلِلَّهِ مَا صَوْمِي وَلِلَّهِ مَا حَجِّي قَالَ: فَلَمَّا أَتَيْتُ قَوْمِي أَنَّبُونِي وَشَتَمُونِي وَأَمَرُوا شَاعِرًا لَهُمْ فَهَجَانِي فَقُلْتُ: إِنْ رَدَدْتُ عَلَيْهِ فَإِنَّمَا أَهْجُو نَفْسِي فَرَحَلْتُ عَنْهُمْ، فَأَتَتْنِي مِنْهُمْ زُلْفَةٌ عَظِيمَةٌ وَكُنْتُ الْقَيِّمَ بِأُمُورِهِمْ فَقَالُوا: يَا ابْنَ عَمٍّ، عِبْنَا عَلَيْكَ أَمَرًا وَكَرِهْنَا ذَلِكَ، فَإِنْ أَبَيْتَ ذَلِكَ فَارْجِعْ وَقُمْ بِأُمُورِنَا، وَشَأْنُكَ وَمَا تَدِينُ بِهِ. فَرَجَعْتُ مَعَهُمْ وَقُلْتُ:
পৃষ্ঠা - ১৬৯২

ইউনুস ইবনে বুকায়র ইবনে ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন যে, ইবনে ইসহাক বলেন,
মদীনায় নির্জাচেযাগ্য একদল আলিম আমার নিকট উরওয়া ইবনে যুবাযর থেকে বর্ণনা করেন
যে, উরওয়া বলেন, কোন নবীই এমন ছিলেন না যে, তিনি বায়তৃল্লাহর হজ্জ করেন নি তবে হুদ
ও সালিহ (আ) এর ব্যতিক্রম ৷ পুর্বে আমরা হুদ ও সালিহ (আ) বায়তুল্লাহর হজ্জ করেছেন বলে
উল্লেখ করেছি ৷ তার অর্থ পারিভাষিক হজ্জ নয় বরং কাবার অবস্থানন্থল প্রদক্ষিণ যদিও সে
সময় ওখানে কোন গৃহ ছিল না ৷

বাযহাকী বর্ণনা করেন যে, খালিদ ইবন আরআরা বলেন, এক ব্যক্তি হযরত আলী
(রা)-এর নিকট আল্লাহর বাণী০ ং

; ৷ ;

গ্রাব্র১এে এেএে ণ্ডু র্ন্তটু খ্ণুর্চুর্বু)

সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন যে, এটি কি পৃথিবীতে নির্মিত সর্বপ্রথম ঘর ? জবাবে তিনি
বললেন, না, বরং এটি সর্বপ্রথম সেই গৃহ, যাতে মানবজাতির জন্য বরকত, পথের দিশা ও
মাকামে ইব্রাহীম রক্ষিত হয়েছে ৷ আর এটি সর্বপ্রথম এমন ঘর, যাতে কেউ প্রবেশ করলে সে
নিরাপদ ৷ যদি তুমি বল, চাইলে আমি তোমাকে এই ঘর নির্মাণের ইতিবৃত্ত শোনাতে পারি ৷
শোন তার :

আল্লাহ তাআলা হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর প্রতি প্ৰত্যাদেশ করলেন যে, তুমি পৃথিবীতে
আমার উদ্দেশে একটি ঘর নির্মাণ কর ৷ প্ৰত্যাদেশ পাওয়ার পর হযরত ইব্রাহীম (আ)-এব
হৃদয় ভয়ে সংকুচিত হয়ে ওঠে ৷ আল্লাহ তাআলা সাকীনা পাঠান আর তা হলো মস্তকবিশিষ্ট
একটি প্রবল বায়ু প্রবাহ ৷ ঐ বায়ু প্রবাহটি হযরত ইব্রাহীম (আ)-কে আরবে নিয়ে আসে ৷
তারপর তা বায়তৃল্লাহর স্থানে সাপের মত কুণ্ডলী পাকড়ায়! ইব্রাহীম (আ) সেই স্থানে কাবা
নির্মাণ করেন ৷ নির্মাণ কাজের শেষ পর্যায়ে হাজরে আসওয়াদ স্থাপনের সময় তিনি পুত্র
ইসমাঈলকে বললেন, আমাকে একটি পাথর খুজে এনে দাও ৷ পাথর খুজে শুন্য হাতে ফিরে
এসে ইসমাঈল (আ) দেখলেন, হাজরে আসওয়াদ’ যথাস্থানে স্থাপিত হয়ে আছে ৷ পিতাকে
জিজ্ঞেস করলেন, এটা আপনি কোথায় পেলেন ? জবাবে ইব্রাহীম (আ) বললেন, তোমার
ওপর ভরসা করতে পারেন না এমন এক সত্তা অর্থাৎ জিবরাঈল আকাশ থেকে এটি এনে
দিয়েছেন ৷ তখন ইব্রাহীম (আ) কাবার নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন ৷

হযরত আলী (রা) বলেন, এভাবে এক যুগ অতিক্রাম্ভ হওয়ার পর এক সময়ে কারাগৃহ
বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে ৷ তখন আমালিকা সম্প্রদা য় তা’ পুনর্নির্মাণ করে ৷ তারপর আবার বিধ্বস্ত হলে
জুরহুমরা পুনর্নির্মাণ করে ৷ আবার বিধ্বস্ত হলে এবার কুরায়শ সম্প্রদায়ত ত’৷ নির্মাণ করে ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) তখন পরিণত যুবক ৷ নির্মাণ কাজে সর্বশেষ হড়াজরে আসওয়াদ যথাস্থানে স্থাপন
করতে গিয়ে কুরায়শদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় ৷ শেষে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, সর্বপ্রথম যিনি
এখানে উপস্থিত হবেন, তিনি আমাদের মাঝে এই বিরোধের সমাধান দেবেন ৷ আমরা সকলে
তার সিদ্ধান্ত মেনে নেব ৷ দেখা গেল , তারপর সর্বপ্রথম যিনি তাদের কাছে উপস্থিত হলেন, তিনি


لَبُغْضُكُمْ عِنْدَنَا مُرٌّ مَذَاقَتُهُ ... وَبُغْضُنَا عِنْدَكُمْ يَا قَوْمَنَا لَبَنُ لَا يَفْطِنُ الدَّهْرُ إِنْ بُثَّتْ مَعَائِبُكُمْ ... وَكُلُّكُمْ حِينَ يُثْنَى عَيْبُنَا فَطِنُ شَاعِرُنَا مُفْحَمٌ عَنْكُمْ وَشَاعِرُكُمْ ... فِي حَدْبِنَا مُبْلِغٌ فِي شَتْمِنَا لَسِنُ مَا فِي الْقُلُوبِ عَلَيْكُمْ فَاعْلَمُوا ... وَغِرٌ وَفِي قُلُوبِكُمُ الْبَغْضَاءُ وَالْإِحَنُ قَالَ مَازِنٌ: فَهَدَاهُمُ اللَّهُ بَعْدُ إِلَى الْإِسْلَامِ جَمِيعًا. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ فِي مُغَازِيهِ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ يَعْنِي عَمَّهُ قَالَ: قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ: إِنَّهُ ذُكِرَ لِي عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «هَتَفَ هَاتِفٌ مِنَ الْجِنِّ عَلَى أَبِي قُبَيْسٍ فَقَالَ: قَبَّحَ اللَّهُ رَأْيَكُمْ آلَ فِهْرٍ ... مَا أَرَقَّ الْعُقُولَ وَالْأَفْهَامَ حِينَ تَعْصِي لِمَنْ يَعِيبُ عَلَيْهَا ... دِينَ آبَائِهَا الْحُمَاةِ الْكِرَامِ حَالَفَ الْجِنُّ جِنَّ بُصْرَى عَلَيْكُمُ ... وَرِجَالَ النَّخِيلِ وَالآطَامِ
পৃষ্ঠা - ১৬৯৩
تُوشِكُ الْخَيْلُ أَنْ تَرَوْهَا تَهَادَى تَقْتُلُ الْقَوْمَ فِي حَرَامٍ بِهَامِ ... هِلْ كَرِيمٌ مِنْكُمُ لَهُ نَفْسُ حُرٍّ مَاجِدُ الْوَالِدَيْنِ وَالْأَعْمَامِ ... ضَارِبٌ ضَرْبَةً تَكُونُ نَكَالًا وَرَوَاحًا مِنْ كُرْبَةٍ وَاغْتِمَامِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَأَصْبَحَ هَذَا الشِّعْرُ حَدِيثًا لِأَهْلِ مَكَّةَ يَتَنَاشَدُونَهُ بَيْنَهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَذَا شَيْطَانٌ يُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْأَوْثَانِ يُقَالَ لَهُ: مِسْعَرٌ وَاللَّهُ مُخْزِيهِ فَمَكَثُوا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَإِذَا هَاتِفٌ يَهْتِفُ عَلَى الْجَبَلِ يَقُولُ نَحْنُ قَتَلْنَا فِي ثَلَاثٍ مِسْعَرَا ... إِذْ سَفَّهَ الْجِنَّ وَسَنَّ الْمُنْكَرَا قَنَّعْتُهُ سَيْفًا حُسَامًا مُشْهَرَا ... بِشَتْمِهِ نَبِيَّنَا الْمُطَهَّرَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَذَا عِفْرِيتٌ مِنَ الْجِنِّ اسْمُهُ سَمْجٌ آمَنَ بِي سَمَّيْتُهُ عَبْدَ اللَّهِ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ فِي طَلَبِهِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَقَالَ عَلِيٌّ: جَزَاهُ اللَّهُ خَيْرًا يَا رَسُولَ اللَّهِ.» وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي الدَّلَائِلِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا أَبُو الْفَضْلِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُوسَى بْنِ أَبِي حَرْبٍ الصَّفَّارُ حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ الْفَرَجِ الرِّيَاشِيُّ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১৬৯৪

রাসুলুল্লাহ (সা) ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) তাদের মধ্যে উদ্ভুত সমস্যার সমাধান এভাবে প্রদান করেন
যে, পাথরটিকে একটি চাদরে বসিয়ে তাদের সব কটি গোত্র প্রধান পাথরটিকে যথাস্থানে নিয়ে
যাবে ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী আলী ইবনে আবী তালিব থেকে বর্ণনা করেন যে, আলী (রা ) বলেন,
জুরহুমের পর যখন বায়তুল্লাহ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে তখন কুরায়শরা তা’ পুনর্নির্মাণ করে ৷ কিন্তু
হাজ্যর আসওয়াদ স্থাপন নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় ৷ অবশেষে তারা এই মর্মে
একমত হয় যে, অতঃপর যিনি সর্বপ্রথম এই দরজা দিয়ে কাবায় প্রবেশ করবেন, তিনি হাজরে
আসওয়াদ যথাস্থানে স্থাপন করবেন ৷ তারপর কাবার বনু শায়বা দরজা দিয়ে সর্বপ্রথম
রাসুলুল্লাহ (সা) প্রবেশ করেন ৷ কাবায় প্রবেশ করে রাসুলুল্লাহ (সা) একটি চাদর আনার
আদেশ দেন ৷ চাদর আনা হলে রাসুলুল্লাহ (সা) হড়াজরে আসওয়ড়াদটি তার মধ্যখানে রাখেন এবং
প্রত্যেক গোত্রপতিকে চাদরটি এক এক অংশ ধরবার আদেশ্ণ্ দেন ৷ রাসুলুল্লাহু (না)-এর
আদেশমত গোত্রপতিরা পাথরটি তুলে নিয়ে যায় ৷ শেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজ হাতে কাপড়
থেকে তুলে পাথরটি যথাস্থানে স্থাপন করে দেন ৷

ইয়াকুব ইবনে সুফিয়ান বর্ণনা করেন যে, ইবনে শিহাব বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন
যৌবনে পদার্পণ করেন, তখন এক মহিলা কাবায় সুগন্ধির ধুনি দেয় ৷ তখন একটি জ্বলম্ভ অঙ্গার
কড়াবার গিলাফে গিয়ে পড়ে ৷ এতে আগুন ধরে যায় এবং কাবা ঘরটি পুড়ে যায় ৷ তখন তারা
তা ভেঙে ফেলে ৷ তারপর কুরায়শ পুড়ে যাওয়া ঘরটি মেরামত করে ৷ হাজরে আসওয়াদের
স্থান পর্যন্ত এসে তারা বিবাদে জড়িয়ে পড়ে, কোন গোত্র তা যথাস্থানে স্থাপন করবে ৷ অবশেষে
তারা বলে যে, এসো সর্বপ্রথম যিনি এখানে এসে উপস্থিত হবেন, তার ওপর মীমাংসার তার
অর্পণ করি ৷ দেখা গেল,এরপর রাসুলুল্লাহ (সা) সর্বপ্রথম তাদের সামনে উপস্থিত হন ৷ পারে
তার পশমী চাদর ৷ কুরায়শ তার ওপর মীমাংসার তার অর্পণ করে ৷ তিনি পাথরটিকে একটি
কাপড়ে তুলে নেন ৷ তারপর প্রত্যেক গোত্রের সরদারপণ বেরিয়ে আসেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
তাদের প্রত্যেককে কাপড়ের এক একটি অংশ ধরিয়ে দেন ৷ তারা পাথরটিকে বহন করে নিয়ে
যায় আর রাসুলুল্লাহ (সা) নিজ হাতে পাথরটি কাপড় থেকে তুলে যথড়াস্থানে স্থাপন করে দেন ৷
সেই থেকে কুরায়শ তাকে আল-আমীন’ নামে অভিহিত করতে থাকে ৷ তখনো তার ওপর ওহী
অবতীর্ণ হয়নি ৷ এরপর থেকে মক্কার লোকেরা উট জবাই করার আগে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ
করতো ৷ বর্ণনাটি সুসামঞ্জস্যপুর্ণ এবং যুহ্রীর সীরাত থেকে নেয়া হলেও আলোচ্য বর্ণনাটি
কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী ৷ যেমন বর্ণনায় বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন যৌবনে পদাপণ
করলেন অথবা প্রসিদ্ধ মতে যখন এই ঘটনাটি ঘটে, তখন রাসুলুল্লাহ (সা) এর বয়স পয়ত্রিশ
বছর ৷ মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক ইবনে ইয়াসার তা’ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন ৷ মুসা ইবনে
উকবা বলেন,কাবার পুনর্নির্মাণের ঘটনা সংঘটিত হয় নবুওতের পনের বছর আগে ৷ মুজাহিদ,
উরওয়া, মুহাম্মদ ইবনে জুবায়র ইবনে মুতইম প্রমুখের অভিমতও অনুরুপ ৷


أَبِي ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ بَهْرَامٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ قَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى حَضْرَمَوْتَ فِي حَاجَةٍ قَبْلَ الْهِجْرَةِ، حَتَّى إِذَا كُنْتُ فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ سَاعَةً مِنَ اللَّيْلِ فَسَمِعْتُ هَاتِفًا يَقُولُ: أَبَا عَمْرٍو تَنَاوَبَنِي السُّهُودُ ... وَرَاحَ النَّوْمُ وَامْتَنَعَ الْهُجُودُ لِذِكْرِ عِصَابَةٍ سَلَفُوا وَبَادُوا ... وَكُلُّ الْخَلْقِ قَصْرُهُمُ يَبِيدُ تَوَلَّوْا وَارِدِينَ إِلَى الْمَنَايَا ... حِيِاضًا لَيْسَ مَنْهَلَهَا الْوُرُودُ مَضَوْا لِسَبِيلِهِمْ وَبَقِيتُ خَلْفًا ... وَحِيدًا لَيْسَ يُسْعِفُنِي وَحِيدُ سُدًى لَا أَسْتَطِيعُ عِلَاجَ أَمْرٍ ... إِذَا مَا عَالَجَ الطِّفْلُ الْوَلِيدُ فَلَأْيًا مَا بَقِيتُ إِلَى أُنَاسٍ ... وَقَدْ بَاتَتْ بِمَهْلِكِهَا ثَمُودُ وَعَادٌ وَالْقُرُونُ بِذِي شُعُوبٍ ... سَوَاءٌ كُلُّهُمْ إِرَمٌ حَصِيدُ قَالَ: ثُمَّ صَاحَ بِهِ آخَرُ: يَا خَرْعَبْ، ذَهَبَ بِكَ الْعَجَبْ، إِنَّ الْعَجَبَ كُلَّ الْعَجَبْ، بَيْنَ زُهْرَةَ وَيَثْرِبْ،. قَالَ: وَمَا ذَاكَ يَا شَاحِبْ؟ قَالَ: نَبِيُّ السَّلَامْ، بُعِثَ بِخَيْرِ الْكَلَامْ، إِلَى جَمِيعِ الْأَنَامْ، فَاخْرُجْ مِنَ الْبَلَدِ الْحَرَامْ، إِلَى
পৃষ্ঠা - ১৬৯৫
نَخِيلٍ وَآطَامْ. قَالَ: مَا هَذَا النَّبِيُّ الْمُرْسَلْ، وَالْكِتَابُ الْمُنَزَّلْ، وَالْأُمِّيُّ الْمُفَضَّلْ؟ قَالَ: رَجُلٌ مِنْ وَلَدِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ. قَالَ: هَيْهَاتَ، فَاتَ عَنْ هَذَا سِنِّي وَذَهَبَ عَنْهُ زَمَنِي لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَالنَّضْرَ بْنَ كِنَانَةَ نَرْمِي غَرَضًا وَاحِدًا وَنَشْرَبُ حَلَبًا بَارِدًا وَلَقَدْ خَرَجْتُ بِهِ مِنْ دَوْحَةٍ فِي غَدَاةٍ شَبِمَةٍ وَطَلَعَ مَعَ الشَّمْسِ وَغَرَبَ مَعَهَا يَرْوِي مَا يَسْمَعُ وَيُثْبِتُ مَا يُبْصِرُ وَلَئِنْ كَانَ هَذَا مِنْ وَلَدِهِ لَقَدْ سُلَّ السَّيْفُ، وَذَهَبَ الْخَوْفُ، وَدُحِضَ الزِّنَا وَهَلَكَ الرِّبَا. قَالَ: فَأَخْبِرْنِي مَا يَكُونُ؟ قَالَ: ذَهَبَتِ السَّرَّاءَ وَالْمَجَاعَةْ، وَالشِّدَّةُ وَالشَّجَاعَةْ، إِلَّا بَقِيَّةً فِي خُزَاعَةْ. وَذَهَبَتِ الضَّرَّاءُ وَالْبُؤْسُ، وَالْخُلُقُ الْمَنْقُوسُ إِلَّا بَقِيَّةً مِنَ الْخَزْرَجِ وَالْأَوْسِ. وَذَهَبَتِ الْخُيَلَاءُ وَالْفَخْرُ، وَالنَّمِيمَةُ وَالْغَدْرُ، إِلَّا بَقِيَّةً فِي بَنِي بَكْرٍ - يَعْنِي ابْنَ هَوَازِنَ - وَذَهَبَ الْفِعْلُ الْمُنَدِّمْ، وَالْعَمَلُ الْمُؤَثِّمْ، إِلَّا بَقِيَّةً فِي خَثْعَمْ. قَالَ: أَخْبِرْنِي مَا يَكُونُ؟ قَالَ: إِذَا غُلِبَتِ الْبَرَّةْ، وَلُطِمَتِ الْحُرَّةْ، فَاخْرُجْ مِنْ بِلَادِ الْهِجْرَةْ، وَإِذَا كُفَّ
পৃষ্ঠা - ১৬৯৬


মুসা ইবনে উকবার ভাষ্যমতে ফিজার ও কাবা নির্মাণের মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল
পনের বছর ৷

আমার মতে, ফিজার ও হিলফুল ফুযুলের ঘটনা সংঘটিত হয় একই বছরে ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ (না)-এর বয়স বিশ বছর ৷ এই উক্তিটি মুহাম্মদ ইবনে ইসহাকের মতকে শক্তিশালী
করে ৷

মুসা ইবনে উকবা বলেন, কুরায়শের কাবা গৃহ পুনর্নির্মাণের প্রতি উদ্বুদ্ধ হওয়ার পটভুমি
এই যে, বিভিন্ন সময়ের প্লাবনের ফলে কাবার দেয়াল কিছুটা খসে পড়ে ৷ তাতে কুরায়শ
কাবার অভ্যন্তরে পানি ঢুকে পড়ার আশংকা বোধ করে ৷ অপরদিকে মালীহ নামক এক ব্যক্তি
কাবার সুগন্ধি চুরি করে নিয়ে যায় ৷ তাই কুরায়শ কা’বার ভিত্তি আরো শক্ত করার এবং সাধারণ
মানুষের প্রবেশ রোধ করার জন্য কাবার দরজা আরো উচু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ৷ এরজন্য
তারা অর্থ ও শ্রমিক সংগ্রহ করে ৷ এবার তারা কাবার গৃহ ভেঙে ৷:ফলার জন্য প্রস্তুতি নেয় এবং
এই বলে অন্যদের সতর্ক করে দেয় যেন কেউ এতে বাধা দিতে না আসে ৷ ওলীদ ইবনে মুগীরা
সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন এবং বাবার কিয়দংশ ভেঙে ফেলেন ৷ তার দেথাদেখি অন্যরাও তার
অনুসরণ করে ৷

এতে কুরায়শরা আনন্দিত হয় এবং এর জন্য শ্রমিক নিয়োগ করে ৷ কিন্তু একজন শ্রমিকও

এক পা সামনে অগ্রসর হতে পারছে না ৷ তারা যেন দেখছে যে, একটি সাপ কাবা ঘর জড়িয়ে
আছে ৷ সাপটির’লেজ আর মাথা একই জায়গায় ৷ এতে তারা ও তসস্ত্রস্ত হয়ে পড়ে ৷ তারা
আশংকা বোধ করে যে, কা’বা ঘর ভেঙে ফেলার চেষ্টায় ফলেই এমনটি হয়েছে ৷ অথচ কা’বাই
ছিল তাদের রক্ষাকবচ ও মর্যাদার হেতৃ ৷ কুরায়শরা এবার কিৎকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়ে ৷ এবার
মুগীরা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে মাখয়ুম এগিয়ে আসেন ৷ তিনি কুরায়শদের
যথােপযুক্ত উপদেশ প্রদান করেন এবং তাদের আদেশ দেন যেন তারা ঝগড়া-বিবাদ না করে
এবং বাবা নির্মাণে বিদ্বেষ পরিহার করে ৷ তারা যেন কা’বা নির্মাণের কাজকে চার ভাগে ভাগ
করে নেয় এবং এই মহান কাজে কোন হারাম সম্পদের মিশ্রণ না ঘটায় ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
এবার কুরায়শরা মুগীরা ইবনে আব্দুল্লাহ্র উপদেশ অনুযায়ী কাজ করার উদ্যোগ নিলে সাপটি
আকাশে চলে যায় এবং অদৃশ্য হয়ে যায় ৷ তাদের ধারণার তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয়েছিল ৷
মুসা ইবনে উকবা বলেন, অনেকের ধারণা, একটি পাখি সাপটিকে ছে৷ মেরে ধরে নিয়ে
আজইয়াদের দিকে নিক্ষেপ করে ৷

মুহাম্মদ ইবনে ইসহড়াক বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন পয়ত্রিশ বছরে উপনীত হন, তখন
কুরায়শরা কাবা নির্মাণের জন্য সম্মত হয় ৷ তাদের এ আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল
কাবার ছাদ স্থাপন করা ৷ আরেকটি কারণ, তারা কা,বা গৃহ ধসে যাওয়ার আশংকা করছিল ৷
উল্লেখ্য যে, সে সময় কা’বা ঘর উচ্চতায় একজন মানুষের উচ্চতার চেয়ে সামান্য বেশি উচু
ছিল ৷ তারা কা’বা গৃহকে আরো উচু এবং ছাদবিশিষ্ট করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে ৷ ঘটনার
পটভুমি নিম্নরুপ :


السَّلَامْ، وَقُطِعَتِ الْأَرْحَامْ، فَاخْرُجْ مِنَ الْبَلَدِ الْحَرَامْ، قَالَ: أَخْبِرْنِي مَا يَكُونُ؟ قَالَ: لَوْلَا أُذُنٌ تَسْمَعْ، وَعَيْنٌ تَلْمَعْ; لَأَخْبَرْتُكَ بِمَا يُفْزِعْ. ثُمَّ قَالَ: لَا مَنَامٌ هَدَّأْتَهُ بِنَعِيمٍ ... يَا ابْنَ غَوْطٍ وَلَا صَبَاحٌ أَتَانَا قَالَ: ثُمَّ صَرْصَرَ صَرْصَرَةً كَأَنَّهَا صَرْصَرَةُ حُبْلَى فَذَهَبَ الْفَجْرُ فَذَهَبْتُ لِأَنْظُرَ فَإِذَا عَظَايَةٌ وَثُعْبَانٌ مَيِّتَانِ. قَالَ: فَمَا عَلِمْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ إِلَّا بِهَذَا الْحَدِيثِ. ثُمَّ رَوَاهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَلِيٍّ عَنِ النَّضْرِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ حَسَّانَ بْنِ عُبَادَةَ بْنِ مُوسَى عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ بَهْرَامٍ، عَنْ شَهْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ قَالَ: لَمَّا بَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْعَةَ الْعَقَبَةِ خَرَجْتُ إِلَى حَضْرَمَوْتَ لِبَعْضِ الْحَاجَةِ قَالَ: فَقَضَيْتُ حَاجَتِي ثُمَّ أَقْبَلْتُ حَتَّى إِذَا كُنْتُ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ نِمْتُ فَفَزِعْتُ مِنَ اللَّيْلِ بِصَائِحٍ يَقُولُ أَبَا عَمْرٍو تَنَاوَبَنِي السُّهُودُ ... وَرَاحَ النَّوْمُ وَانْقَطَعَ الْهُجُودُ وَذَكَرَ مِثْلَهُ بِطُولِهِ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ১৬৯৭
عَلِيٍّ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو غَزِيَّةَ مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى عَنِ الْعَطَّافِ بْنِ خَالِدٍ الْوَابِصَيِّ عَنْ خَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ تَمِيمًا الدَّارِيَّ يَقُولُ: كُنْتُ بِالشَّامِ حِينَ بُعِثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَجْتُ لِبَعْضِ حَاجَتِي فَأَدْرَكَنِي اللَّيْلُ فَقُلْتُ: أَنَا فِي جِوَارِ عَظِيمِ هَذَا الْوَادِي اللَّيْلَةَ. قَالَ: فَلَمَّا أَخَذْتُ مَضْجَعِي إِذَا أَنَا بِمُنَادٍ يُنَادِي لَا أَرَاهُ: عُذْ بِاللَّهِ فَإِنَّ الْجِنَّ لَا تُجِيرُ أَحَدًا عَلَى اللَّهِ فَقُلْتُ: ايْمُ اللَّهِ تَقُولُ؟ فَقَالَ: قَدْ خَرَجَ رَسُولُ الْأُمِّيِّينَ رَسُولُ اللَّهِ وَصَلَّيْنَا خَلْفَهُ بِالْحَجُونِ فَأَسْلَمْنَا وَاتَّبَعْنَاهُ وَذَهَبَ كَيْدُ الْجِنِّ وَرُمِيَتْ بِالشُّهُبِ فَانْطَلِقْ إِلَى مُحَمَّدٍ رَسُولِ رَبِّ الْعَالَمِينَ فَأَسْلِمْ. قَالَ تَمِيمٌ: فَلَمَّا أَصْبَحْتُ ذَهَبْتُ إِلَى دَيْرِ أَيُّوبَ فَسَأَلْتُ رَاهِبًا وَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ فَقَالَ الرَّاهِبُ: قَدْ صَدَقُوكَ يَخْرُجُ مِنَ الْحَرَمِ، وَمُهَاجَرُهُ الْحَرَمُ وَهُوَ خَيْرُ الْأَنْبِيَاءِ فَلَا تُسْبَقْ إِلَيْهِ قَالَ تَمِيمٌ: فَتَكَلَّفْتُ الشُّخُوصَ حَتَّى جِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمْتُ. وَقَالَ حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْهُذَلِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَاعِدَةَ الْهُذَلِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كُنَّا عِنْدَ صَنَمِنَا سُوَاعٍ، وَقَدْ جَلَبْنَا إِلَيْهِ غَنَمًا لَنَا، مِائَتَيْ شَاةٍ قَدْ أَصَابَهَا جَرَبٌ، فَأَدْنَيْنَاهَا مِنْهُ لِنَطْلُبَ بَرَكَتَهُ فَسَمِعْتُ مُنَادِيًا مِنْ جَوْفِ الصَّنَمِ يُنَادِي: قَدْ ذَهَبَ كَيْدُ الْجِنِّ وَرُمِينَا بِالشُّهُبِ لِنَبِيٍّ اسْمُهُ أَحْمَدُ
পৃষ্ঠা - ১৬৯৮

একদল লোক কাবার একটি মুল্যবান সম্পদ চুরি করে ৷ তা কাবার মধ্যস্থলে একটি গর্ভে
রক্ষিত ছিল ৷ পরবর্তীতে তা বনু মালীহ ইবনে আসর ইবনে খুযাআর দাৰীক নামক জনৈক
গোলামের নিকট পাওয়া যায় ৷ ফলে কুরায়শরা তার হাত কেটে দেয় ৷ কুয়ায়শদের ধারণা ছিল,
ওটি যারা চুরি করেছিল তারাই তা দাবীক এর নিকট বেখেছিল ৷

অপরদিকে রোম দেশীয় এক বণিকের একটি জাহাজ সমুদ্রে ভেসে ভেসে জেদ্দায় এসে
পৌছে এবং ভেঙে যায় ৷ কুরায়শরা তার কাঠগুলাে সংগ্রহ করে তা’ দিয়ে তারা কাবার ছাদ
দেওয়ার ব্যবস্থা করে ৷ উমুৰী বলেন, জাহড়াজটি ছিল রোম সম্রটি কায়সার-এর ৷ জাহাজটি
পাথর,কাঠ, লোহা ইত্যাদি নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে নিয়োজিত ছিল ৷ কায়সার বাকুম রুমীর
সঙ্গে জাহাজটি সেই গির্জা অভিমুখে রওয়ানা করিয়েছিলেন, যা পাবস্যবাসীরা আগুনে পুড়িয়ে
ফেলেছিল ৷ জাহাজটি জেদ্দায় ঠেকে যাওয়ার পর আল্লাহ তার উপর দিয়ে প্রবল বায়ু প্রেরণ
করেন ৷ সেই বায়ুর ঝাপটায় জাহাজটি ভেঙে যায় ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মক্কায় একজন কিবতী ছুতার ছিল ৷ কাবা যেবামতের অনেক সরঞ্জাম
সে প্রস্তুত করে দেয় ৷ অপর দিকে একটি সাপ কাৰার কুপ থেকে বেরিয়ে এসে কিবতী তার
প্রতিদিন যে কাজ আঞ্জাম দিত, তা লমোঃ করে দিত ৷ ভ্য়ংকর সেই সাপটি কাবার দেয়ালে
উঠে উকি ঝুকি মারত ৷ কেউ তার নিকট অগ্রসর হলে সে মুখ হা-করে কণা তুলে তাকিয়ে
থাকত ৷ এতে মানুষ ভীতষ্সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ত ৷ এমনিডাবে প্রতিদিনকার ন্যায় একদিন সাপটি
কাবার দেয়ালে উঠে উকি দিলে আল্লাহ একটি পাখি প্রেরণ করেন ৷ পাখিটি সাপটিকে ছো
মেরে নিয়ে যায় ৷ ফলে কুরায়শ বলে, আমরা বিশ্বাস করি যে, আল্লাহ আমাদের পরিকল্পনায়
সত্তুষ্ট হয়েছেন ৷ আমাদের আছে দক্ষ কারিগর, আছে কাঠ ৷ আর সাপের সমস্যা থেকেও
আল্লাহ্ আমাদের মুক্তি দিলেন ৷

সুহায়লী রাযীন থেকে বর্ণনা করেন, জুরহমের আমলে এক চোর কাবার গুপ্ত ভান্ডার চুরি
করার উদ্দেশে কাবায় প্রবেশ করে ৷ চুরি করার জন্য লোকটি কুপে অবতরণ করলে কুপের
পাড় তার ওপর ভেঙে পড়ে ৷ সংবাদ পেয়ে কুরায়শরা তাকে বের করে আগে এবং চুরি করা
সম্পদ উদ্ধার করে ৷ এরপর থেকে সেই কুপে একটি সাপ বসবাস করতে শুরু করে ৷ সাপটির
মাথা ছিল একটা ছাগল ছানার মাথার মত ৷ পেট সাদা আর পিঠ কালো ৷ সাপটি এই কুপে দীর্ঘ
পড়াচ শ’ বছর অবস্থান করে ৷ এটাই ছিল সেই মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক বর্ণিত সাপ ৷

ইবনে ইসহাক বলেন, কুরায়শ যখন কাবার পুরনো ভিত্তি ভেঙে নতুনভাবে ভিত্তি স্থাপনের
সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আবু ওহাব অড়ামর ইবনে আয়িদ ইবনে আবৃদ ইবনে ইমরান ইবনে মাখবুম
-ইবন হিশামের মতে আয়িদ ইবন ইমরান ইবন মাখবুম কাবার একটি পাথর খসিয়ে নেয় ৷
কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে পাথরটি তার হাত থেকে লাফ দিয়ে স্বস্থানে ফিরে যায় ৷ তা’ লক্ষ্য করে সে
বলে, হে কুৰায়শ সম্প্রদায়! কাবা নির্মাণে তোমরা তোমাদের উপান্তিতি পবিত্র সম্পদ ব্যতীত ন্
অন্য কিছু মিশিয়ো না ৷ এতে কোন গণিকার উপার্জন এবং সুদের এবং জুলুমের অর্থ যেন না

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৭৫-

قَالَ: فَقُلْتُ: غَوَيْتُ وَاللَّهِ. فَصَرَفْتُ وَجْهَ غَنَمِي مُنْجِدًا إِلَى أَهْلِي فَلَقِيتُ رَجُلًا فَخَبَّرَنِي بِظُهُورِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ذَكَرَهُ أَبُو نُعَيْمٍ هَكَذَا مُعَلَّقًا ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ السِّنْدِيِّ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ حَكِيمِ بْنِ عَطَاءٍ الظَّفَرِيِّ - مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ مِنْ وَلَدِ رَاشِدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ - عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ رَاشِدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهُ قَالَ: كَانَ الصَّنَمُ الَّذِي يُقَالَ لَهُ: سُوَاعٌ بِالْمَعْلَاةِ مِنْ رُهَاطٍ تَدِينُ لَهُ هُذَيْلٌ وَبَنُو ظَفَرِ بْنِ سُلَيْمٍ فَأَرْسَلَتْ بَنُو ظَفَرٍ رَاشِدَ بْنَ عَبْدِ رَبِّهِ بِهَدِيَّةٍ مِنْ سُلَيْمٍ إِلَى سُوَاعٍ قَالَ رَاشِدٌ: فَأَلْقَيْتُ مَعَ الْفَجْرِ إِلَى صَنَمٍ قَبْلَ صَنَمِ سُوَاعٍ فَإِذَا صَارِخٌ يَصْرُخُ مِنْ جَوْفِهِ: الْعَجَبُ كُلُّ الْعَجَبْ، مِنْ خُرُوجِ نَبِيٍّ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبْ، يُحَرِّمُ الزِّنَا وَالرِّبَا وَالذَّبْحَ لِلْأَصْنَامِ وَحُرِسَتِ السَّمَاءُ، وَرُمِينَا بِالشُّهُبْ، الْعَجَبُ كُلُّ الْعَجَبْ. ثُمَّ هَتَفَ صَنَمٌ آخَرُ مِنْ جَوْفِهِ تُرِكَ الضِّمَارُ وَكَانَ يُعْبَدْ، خَرَجَ أَحْمَدْ، يُصَلِّي الصَّلَاةَ، وَيَأْمُرُ بِالزَّكَاةِ
পৃষ্ঠা - ১৬৯৯
وَالصِّيَامِ، وَالْبِرِّ وَالصِّلَاتِ لِلْأَرْحَامِ ثُمَّ هَتَفَ مِنْ جَوْفِ صَنَمٍ آخَرَ هَاتِفٌ يَقُولُ: إِنَّ الَّذِي وَرِثَ النُّبُوَّةَ وَالْهُدَى ... بَعْدَ ابْنِ مَرْيَمَ مِنْ قُرَيْشٍ مُهْتَدِ نَبِيٌّ أَتَى يُخَبِّرُ بِمَا قَدْ سَبَقْ ... وَبِمَا يَكُونُ مِنَ الْغَدِ «قَالَ رَاشِدٌ: فَأَلْفَيْتُ سُوَاعًا مَعَ الْفَجْرِ وَثَعْلَبَانِ يَلْحَسَانِ مَا حَوْلَهُ وَيَأْكُلَانِ مَا يُهْدَى لَهُ، ثُمَّ يُعَرِّجَانِ عَلَيْهِ بِبَوْلِهِمَا. فَعِنْدَ ذَلِكَ يَقُولُ رَاشِدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ: أَرَبٌّ يَبُولُ الثَّعْلَبَانِ بَرَأْسِهِ ... لَقَدْ ذَلَّ مَنْ بالَتْ عَلَيْهِ الثَّعَالِبُ وَذَلِكَ عِنْدَ مَخْرَجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمُهَاجَرِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ وَتَسَامَعَ النَّاسُ بِهِ فَخَرَجَ رَاشِدٌ حَتَّى أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الْمَدِينَةَ، وَمَعَهُ كَلْبٌ لَهُ وَاسْمُ رَاشِدٍ: يَوْمَئِذٍ ظَالِمٌ وَاسْمُ كَلْبِهِ: رَاشِدٌ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا اسْمُكَ قَالَ: ظَالِمٌ. قَالَ: فَمَا اسْمُ كَلْبِكَ؟ قَالَ: رَاشِدٌ. قَالَ: اسْمُكَ رَاشِدٌ وَاسْمُ كَلْبِكَ ظَالِمٌ. وَضَحِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَايَعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَقَامَ بِمَكَّةَ مَعَهُ. ثُمَّ طَلَبَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَطِيعَةً بِرُهَاطٍ، وَوَصَفَهَا لَهُ فَأَقْطَعَهُ رَسُولُ
পৃষ্ঠা - ১৭০০


ঢুকে ৷ অনেকের ধারণা, এই উক্তিটি ওলীদ ইবন মুগীরা ইবনে আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন
মাখযুম এর ৷ কিভু ইবনে ইসহাক উক্তিটি আবু ওহাব ইবনে আমরের হওয়ার ম৩ টিকে প্রাধান্য

দিয়েছেন ৷ ইবনে ইসহাক বলেন, উক্ত আবু ওহাব ছিলেন রাসুলুল্লাহ ৷ সা)-এর পিতার মামা ৷
তিনি অত্যন্ত সল্লাভ ও প্রশং সাহ ব্যক্তি ছিলেন ৷

ইবনে ইসহাক বলেন তারপর কুরায়শর৷ কাবাকে কয়েক ভাগে বিভক্ত করে নেয় ৷
দরজার অং শ নির্মাণের দায়িতৃ নেয় বনু আবৃদ মানাফ ও যুহর৷ গোত্রদ্বয়; রুকন আসওয়াদ ও
রুকন ইয়ামানীর মধ্যবর্তী স্থানের দায়িতৃ পায় বনু মাথযুম ৷ আর কুরায়শের আরো কয়েকটি
গোত্র তাদের সঙ্গে মিলে কাজ করে ৷ কাবার পিছনের অংশ পায় বনু জামৃহ ও বনু সাহ্ম ৷

অপরদিকে বনু আব্দুদ্দার ইবনে কুসাই, বনু আসাদ ইবনে আবদুল উঘৃয৷ ও বনু আদী
ইবনে কাব হিজর তথা ৷হাত্তীম নির্মাণের দায়িতুপ্রাপ্ত হয় ৷

কিন্তু মানুষত ৷’ ভাঙার ব্যাপারে ভয় পাচ্ছিল এবং প্রতোৰ্কষ্টক্ট্র গা বাচিয়ে চলার চেষ্টা
করছিল ৷ তখন ওলীদ ইবনে মুগীরা বলেন, ঠিক আছে, আমি তােমাংদরকে কা বাগৃহ ভাঙার
কাজ শুরু করে দিচ্ছি ৷ এই বলে তিনি পাইতি নিয়ে কাবার সামনে গিয়ে র্দাড়ান এবং বলতে
শুরু করেন, হে আল্লাহ ! তুমি আমাদের মন থেকে ডীতি দুর করে দাও ৷ কল্যাণ ব্যতীত অন্য
কিছু৫ তা আমাদের অভীষ্ট নয় ৷ ” তারপর তিনি দৃই রুকনের কিছু অং শ ভেঙে ফেলেন ৷ সেই
রাতের মত এর ফল কি পাতায় তা দেখার জন্য লোকজন অপেক্ষা করে এবং বলে , আমরা
অপেক্ষা করছি ৷ ওলীদ ইবন মুগীরা যদি কোন বিপদে পতিত হন, তা হলে আমরা কাবার
একটুও ধ্বংস করতে যাবো না এবং যা ভাঙা হয়েছে, তাও পুর্বের মত করে দেব ৷ আর যদি
তাকে কোন বিপদ স্পর্শ না করে তা হলে বুঝে নেব, আমরা কাবা ভাঙার যে পরিকল্পনা
নিয়েছি, আল্লাহ তাতে সন্তুষ্ট আছেন ৷ পরদিন সকালে ওলীদ আবার কাবা গৃহ ভাঙার কাজ শুরু
করেন ৷ তার সঙ্গে অন্যরাও ভাঙতে শুরু করে ৷ অবশেষে ভাঙার কাজ যখন ইররাহীম (আ ) এর
ভিত্তি পর্যন্ত পৌছে, তখন তারা একটি সবুজ পাথর দেখতে পায় ৷ পাথরটি দস্তসারির ন্যায়,
যেন একটি অপর্ঢিকে জড়িয়ে আছে ৷ ইয়ায়ীদ ইবন রুমান থেকে বর্ণিত সহীহ বুখারীর এক
হাদীসে ,া১৷ ৷ য়ুদুহ্র বলা হয়েছে ৷ অর্থ ৎ পাথরটি দেখতে উটের কুজের মত৷ সুহায়লী
বলেন, আমার ধারণা সীরারু তর বর্ণনায় শব্দটি এা৷£ রুপে (জিহবার ন্যায়) ব্যবহার
রাবীর ভ্রম মাত্র ৷

ইবন ইসহাক বলেন, কা বাগৃহ ভাঙার কাজে অং শগ্রহণকারীদের একজন কা’বার দুইটি
পাথরের মাঝে শাবল ঢুকিয়ে চাপ দেয় ৷ তাতে একটি পাথর নড়ে উঠলে সাথে সাথে সমগ্র
মক্কানগরী কেপে ওঠে ৷ ফলে তারা ঐ অংশ ভাঙা থেকে বিরত থাকে ৷

মুসা ইবনে উকবা বলেন৪ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) এর ধারণা কুরায়শ এর
কতিপয় প্রবীণ ব্যক্তি বলরু তন যে, কুরায়শর৷ যখন কা বার কিছু পাথর ইবরাহীম ও ইসমাঈল
আে)-এর ভিত্তির নিকট সরিয়ে নিতে সমবেত হয়, তখন তাদের একজন প্রথম ভিত্তির একটি
পাথর সরাতে উদ্যত হয় ৷ অবশ্য তার কথা জানা ছিল না যে, এটি প্রথম ভিত্তির পাথর ৷


اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَعْلَاةِ مِنْ رُهَاطٍ شَأْوَ الْفَرَسِ وَرَمْيَتُهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ بِحَجَرٍ وَأَعْطَاهُ إِدَاوَةً مَمْلُوءَةً مِنْ مَاءٍ وَتَفَلَ فِيهَا، وَقَالَ لَهُ: فَرِّغْهَا فِي أَعْلَى الْقَطِيعَةِ وَلَا تَمْنَعِ النَّاسَ فُضُولَهَا فَفَعَلَ. فَجَعَلَ الْمَاءَ مَعِينًا يَجْرِي إِلَى الْيَوْمِ فَغَرَسَ عَلَيْهَا النَّخْلَ» وَيُقَالَ: إِنَّ رُهَاطًا كُلَّهَا تَشْرَبُ مِنْهُ فَسَمَّاهَا النَّاسُ مَاءَ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَأَهْلُ رُهَاطٍ يَغْتَسِلُونَ بِهَا وَبَلَغَتْ رَمْيَةُ رَاشِدٍ الرَّكِيبَ الَّذِي يُقَالَ لَهُ: رَكِيبُ الْحَجَرِ وَغَدَا رَاشِدٌ عَلَى سُوَاعٍ فَكَسَرَهُ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْخُزَاعِيُّ الْأَهْوَازِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ بْنِ دِلْهَاثِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْرِعِ بْنِ يَاسِرِ بْنِ سُوَيْدٍ صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ أَبِيهِ دِلْهَاثٍ عَنْ أَبِيهِ إِسْمَاعِيلَ أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ اللَّهِ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ مُسْرِعِ بْنِ يَاسِرٍ أَنَّ أَبَاهُ يَاسِرًا حَدَّثَهُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ الْجُهَنِيِّ أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ قَالَ: خَرَجْتُ حَاجًّا فِي جَمَاعَةٍ مِنْ قَوْمِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَرَأَيْتُ
পৃষ্ঠা - ১৭০১
فِي الْمَنَامِ وَأَنَا بِمَكَّةَ نُورًا سَاطِعًا مِنَ الْكَعْبَةِ حَتَّى أَضَاءَ فِي جَبَلِ يَثْرِبَ وَأَشْعَرِ جُهَيْنَةَ فَسَمِعْتُ صَوْتًا فِي النُّورِ وَهُوَ يَقُولُ: انْقَشَعَتِ الظَّلْمَاءُ وَسَطَعَ الضِّيَاءُ وَبُعِثَ خَاتَمُ الْأَنْبِيَاءِ، ثُمَّ أَضَاءَ إِضَاءَةً أُخْرَى حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى قُصُورِ الْحِيرَةِ وَأَبْيَضِ الْمَدَائِنِ، فَسَمِعْتُ صَوْتًا فِي النُّورِ وَهُوَ يَقُولُ: ظَهَرَ الْإِسْلَامُ وَكُسِرَتِ الْأَصْنَامُ وَوُصَلَتِ الْأَرْحَامُ، فَانْتَبَهْتُ فَزِعًا فَقُلْتُ لِقَوْمِي: وَاللَّهِ لَيَحْدُثَنَّ فِي هَذَا الْحَيِّ مِنْ قُرَيْشٍ حَدَثٌ، وَأَخْبَرْتُهُمْ بِمَا رَأَيْتُ فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى بِلَادِنَا جَاءَنَا رَجُلٌ فَأَخْبَرَنَا أَنَّ رَجُلًا يُقَالَ لَهُ: أَحْمَدُ قَدْ بُعِثَ، فَأَتَيْتُهُ فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا رَأَيْتُ فَقَالَ: يَا عَمْرُو بْنَ مُرَّةَ إِنِّي الْمُرْسَلُ إِلَى الْعِبَادِ كَافَّةً أَدْعُوهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ وَآمُرُهُمْ بِحَقْنِ الدِّمَاءِ وَصِلَةِ الْأَرْحَامِ وَعِبَادَةِ اللَّهِ وَرَفْضِ الْأَصْنَامِ وَحَجِّ الْبَيْتِ وَصِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ شَهْرٍ مِنِ اثْنَيْ عَشَرَ شَهْرًا فَمَنْ أَجَابَ فَلَهُ الْجَنَّةُ وَمَنْ عَصَى فَلَهُ النَّارُ، فَآمِنْ يَا عَمْرُو بْنَ مُرَّةَ يُؤَمِّنْكَ اللَّهُ مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ. فَقُلْتُ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ آمَنْتُ بِكُلِّ مَا جِئْتَ بِهِ مِنْ حَلَالٍ وَحَرَامٍ، وَإِنْ أَرْغَمَ ذَلِكَ كَثِيرًا مِنَ الْأَقْوَامِ. ثُمَّ أَنْشَدْتُهُ أَبْيَاتًا قُلْتُهَا حِينَ سَمِعْتُ بِهِ وَكَانَ لَنَا صَنَمٌ وَكَانَ أَبِي سَادِنًا لَهُ، فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَكَسَرْتُهُ ثُمَّ لَحِقْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَقُولُ: شَهِدْتُ بِأَنَّ اللَّهَ حَقٌّ وَأَنَّنِي ... لِآلِهَةِ الْأَحْجَارِ أَوَّلُ تَارِكِ فَشَمَّرْتُ عَنْ سَاقِي إِزَارَ مُهَاجِرٍ ... إِلَيْكَ أَدِبُّ الْغَوْرَ بَعْدَ الدَّكَادِكِ
পৃষ্ঠা - ১৭০২


সরানোর উদ্দেশ্যে লোকটি পাথরটি তুলে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনতা পাথরের নিচে বিদ্যুতের
ঝলক দেখতে পায়, যেন তা লোকটির চোখ ঝলসে দেয়ার উপক্রম হয় এবং পাথরটি তার হাত
থেকে ছুটে গিয়ে যথাস্থানে বসে যায় ৷ তা’ দেখে সােকটি নিজে এবং নির্মাণ শ্রমিকরা ভীত হয়ে
পড়ে ৷ পাথরটি যখন তার নিচের বিদ্যুৎ ঝলকানি ঢেকে ফেলে, ত খন শ্রপ্লিকরা পুনরায় নির্ম ণ

কাজে আত্মনিয়োগ করে এবং বলাবলি করে কেউ এই পাথর এবং এই স্তরের অন্য কিছু
সরাবার চেষ্টা করো না ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, কুরায়শরা রুক্ন এ সুরিয়ানী
ভাষায় লিখিত একটি লিপি পেয়েছিল ৷ কিন্তু তারা৩ার মর্ম উদ্ধার করতে পারেনি ৷ পরে জনৈক
ইহুদী তাদেরকে লিপিটি পা ঠ করে শোনার ৷ তাতে লেখা ৷ংছিল ,

; ষ্


, এ

আমি মক্কার অধিপতি আল্লাহ্ ৷ এই মকাকে আমি সেদিন সৃষ্টি করেছি, যেদিন আকাশসমুহ

ও পৃথিবী সৃষ্টি করি এবং সুর্য ও চন্দ্রকে আকৃতি দান করি ৷ এবং তাকে আমি সা৩ টি রাজ্য দ্বারা

আচ্ছাদিত করি ৷ এর পাহাড় দু টি স্থানান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত এর কোন নড়চড় হবে না ৷ এর
অধিবাসীদের জন্য এটি পানি ও দৃধসমৃদ্ধ, বরকতময় ৷

ইবনে ইসহাক বলেন, আমার নিকট বর্ণিত হয়েছে যে, কুরায়শ রামাকামে ইবরাহীমে
একটি লিপি পায় ৷ তাতে লেখা ছিল : এটি আল্লাহর পবিত্র মক্কা ৷ এর তিন পথে এখানকার
অধীবাসীদের জীবিকা আসে ৷ এর অধিবাসীদের কেউ এর মর্যাদা ক্ষুগ্ন করতে পারবে না ৷

ইবনে ইসহাক বলেন, লাইছ ইবনে আবী সুলায়ম-এর ধারণা মতে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর
আবির্ভাবের চল্লিশ বছর আগে কুরায়শরা কাবায় একটি লিপি পায় ৷ তাতে লেখা ছিল :

× # @


যে ব্যক্তি কল্যাণের বীজ বপন করবে, সে ঈর্ষণীয় ফসল তুলবে আর যে ব্যক্তি অকল্যাণের
বীজ বপন করবে, সে অনুতাপেব ফসল তুলবে ৷ মানুষ কাজ করে অসৎ আর প্রতিদান চায়
সৎকাজের ? এটা যেমন কাটাময় বৃক্ষ থেকে আব্দুর ফল লাভ করা আর কি?

সাঈদ ইবনে ইয়াহইয়া আল-উমাবী বলেন, ঘুহরী সুত্রে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন ব্রু মাকামে ইবরাহীমে তিনটি লিপি পাওয়া যায় ৷ এক পাতা য় লেখা ৷ছিল


এে ব্লু এ স্পো মোঃ ণ্এ,৷ অে ধ্ব্লুএ প্রু৷ এ ’ ১াচে


لِأَصْحَبَ خَيْرَ النَّاسِ نَفْسًا وَوَالِدًا رَسُولَ مَلِيكِ النَّاسِ فَوْقَ الْحَبَائِكِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَرْحَبًا بِكَ يَا عَمْرُو بْنَ مُرَّةَ. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي ابْعَثْ بِي إِلَى قَوْمِي لَعَلَّ اللَّهَ أَنَّ يَمُنَّ بِي عَلَيْهِمْ كَمَا مَنَّ بِكَ عَلِيَّ، فَبَعَثَنِي إِلَيْهِمْ وَقَالَ: عَلَيْكَ بِالْقَوْلِ السَّدِيدِ وَلَا تَكُنْ فَظًّا، وَلَا مُتَكَبِّرًا، وَلَا حَسُودًا. فَأَتَيْتُ قَوْمِي فَقُلْتُ لَهُمْ: يَا بَنِي رِفَاعَةَ، ثُمَّ يَا بَنِي جُهَيْنَةَ إِنِّي رَسُولٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ إِلَيْكُمْ، أَدْعُوكُمْ إِلَى الْجَنَّةِ، وَأُحَذِّرُكُمُ النَّارَ، وَآمُرُكُمْ بِحَقْنِ الدِّمَاءِ، وَصِلَةِ الْأَرْحَامِ، وَعِبَادَةِ اللَّهِ، وَرَفْضِ الْأَصْنَامِ، وَحَجِّ الْبَيْتِ، وَصِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ، شَهْرٍ مِنِ اثْنَيْ عَشَرَ شَهْرًا، فَمَنْ أَجَابَ فَلَهُ الْجَنَّةُ وَمَنْ عَصَى فَلَهُ النَّارُ، يَا مَعْشَرَ جُهَيْنَةَ إِنَّ اللَّهَ - وَلَهُ الْحَمْدُ - جَعَلَكُمْ خِيَارَ مَنْ أَنْتُمْ مِنْهُ، وَبَغَّضَ إِلَيْكُمْ فِي جَاهِلِيَّتِكُمْ مَا حَبَّبَ إِلَى غَيْرِكُمْ مِنَ الرَّفَثِ ; لِأَنَّهُمْ كَانُوا يَجْمَعُونَ بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ وَيَخْلُفُ الرَّجُلُ عَلَى امْرَأَةِ أَبِيهِ، وَالتِّرَاتِ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ، فَأَجِيبُوا هَذَا النَّبِيَّ الْمُرْسَلَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَنِي لُؤَيِّ بْنِ غَالِبٍ تَنَالُوا شَرَفَ الدُّنْيَا وَكَرَامَةَ الْآخِرَةِ، سَارِعُوا سَارِعُوا فِي ذَلِكَ تَكُنْ لَكُمْ فَضِيلَةٌ عِنْدَ اللَّهِ فَأَجَابُوا إِلَّا رَجُلًا مِنْهُمْ قَامَ فَقَالَ: يَا عَمْرُو بْنَ مُرَّةَ أَمَرَّ اللَّهُ عَلَيْكَ عَيْشَكَ، أَتَأْمُرُنَا أَنْ نَرْفُضَ آلِهَتَنَا، وَنُفَرِّقَ جَمَاعَتَنَا بِمُخَالَفَةِ دِينِ آبَائِنَا إِلَى مَا يَدْعُو هَذَا الْقُرَشِيُّ مِنْ أَهْلِ تِهَامَةَ؟ ! لَا وَلَا مَرْحَبًا وَلَا كَرَامَةَ ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ
পৃষ্ঠা - ১৭০৩
إِنَّ ابْنَ مُرَّةَ قَدْ أَتَى بِمَقَالَةٍ ... لَيْسَتْ مَقَالَةَ مَنْ يُرِيدُ صَلَاحَا إِنِّي لَأَحْسَبُ قَوْلَهُ وَفَعَالَهُ ... يَوْمًا وَإِنْ طَالَ الزَّمَانُ رِيَاحَا أَتُسَفِّهُ الْأَشْيَاخَ مِمَّنْ قَدْ مَضَى ... مَنْ رَامَ ذَلِكَ لَا أَصَابَ فَلَاحَا فَقَالَ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ: الْكَاذِبُ مِنِّي وَمِنْكَ أَمَرَّ اللَّهُ عَيْشَهُ وَأَبْكَمَ لِسَانَهُ وَأَكْمَهَ بَصَرَهُ. قَالَ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ: وَاللَّهِ مَا مَاتَ حَتَّى سَقَطَ فُوهُ وَكَانَ لَا يَجِدُ طَعْمَ الطَّعَامِ وَعَمِيَ وَخَرِسَ. وَخَرَجَ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ وَمَنْ أَسْلَمَ مِنْ قَوْمِهِ حَتَّى أَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَحَّبَ بِهِمْ وَحَبَاهُمْ وَكَتَبَ لَهُمْ كِتَابًا هَذِهِ نُسْخَتُهُ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ عَلَى لِسَانِ رَسُولِ اللَّهِ بِكِتَابٍ صَادِقٍ وَحَقٍّ نَاطِقٍ مَعَ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ الْجُهَنِيِّ لِجُهَيْنَةَ بْنِ زَيْدٍ: إِنَّ لَكُمْ بُطُونَ الْأَرْضِ وَسُهُولَهَا وَتِلَاعَ الْأَوْدِيَةِ وَظُهُورَهَا تَرْعَوْنَ نَبَاتَهُ وَتَشْرَبُونَ صَافِيَهُ عَلَى أَنْ تُقِرُّوا بِالْخُمْسِ، وَتُصَلُّوا الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ، وَفِي التَّبِعَةِ وَالصُّرَيْمَةِ شَاتَانِ إِنِ اجْتَمَعَتَا وَإِنْ تَفَرَّقَتَا فَشَاةٌ شَاةٌ، لَيْسَ عَلَى أَهْلِ الْمِيرَةِ صَدَقَةٌ، وَلَا عَلَى الْوَارِدَةِ لَبِقَةٌ، وَشَهِدَ مَنْ حَضَرَنَا مِنَ
পৃষ্ঠা - ১৭০৪

আমি মক্কার অধিপতি আল্লাহ ৷ চন্দ্র সুর্য সৃষ্টি করার দিনই আমি তৈরি করেছি এবং সাত
রাজ্য দ্বারা তাকে আবৃত করেছি ও তার অধিবাসীদের জন্য গোশতে ও দৃধে বরকতদ দা
করেছি ৷

দ্বিতীয় লিপিতে ছিল :
গ্রএপুক্ট্র
মোঃগ্যে এ
আমি মক্কার অধিপতি আল্লাহ ৷ আমি রাহিম (আত্মীয়৩ তা) সৃষ্টি করেছি এবং আমার নাম

থেকে তার নামকরণ করেছি ৷ অতএব, যে লোক তা বজায় রাখবে আমি তাকে কাছে টেনে
আনবো ৷ আর যে তা ছিন্ন করবে, আমিও তাকে ছিন্নভিন্ন করব

তৃতীয় লিপিতে ছিল :



আমি মক্কার অধিপতি অ ৷ল্লাহ ৷ আমি কল্যাণ অকল্যাণ ও তার ভাগ্যলিপি মির্ধারণ করেছি ৷
সুতরাং সুসংবাদ সেই ব্যক্তির জন্য, যার দুই হাতে আমি কল্যাণ চালু করেছি আর ধ্বংস সেই
ব্যক্তির জন্য, যার দুই হাতে আমি চালু করেছি অকল্যাণ ৷

ইবন ইসহাক বলেন, তারপর কুরায়শ গোত্রগুলো কাব৷ নির্মাণের জন্য পাথর সংগ্রহ করে ৷
প্রত্যেক গোত্র স্বতন্ত্রভাবে পাথর সগ্রেহের কাজ সম্পন্ন করে ৷ তারপর তার৷ কাব৷ নির্মাণ করে ৷
নির্মাণ কাজ রুক্ন (হাজরে আসওয়াদ) এর স্থান পর্বত পৌছলে তারা বিবাদে লিপ্ত হয়ে পড়ে ৷
প্রবুত্যক গোত্রই চাইছিল যেন তারাই তাকে স্বস্থানে পুনঃস্থাপন করে , অন্য কেউ নয় ৷ তাদের
এই বিবাদ চরম আকার ধারণ করে ৷ তারা পরস্পর অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত
হয় ৷ বনু আবদৃদ্দার রক্ত ভর্তি একটি পাত্র উপস্থিত করে ৷ তারপর তারা এবং বনু আদী ইবন
কাব ইবন লুআই মৃত্যুর অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এবং পাত্রের রক্তে হাত ঢুকায় ৷ তাকে তারা
লাকাতুদ্দাম’ তথা রক্ত চুক্তি নামে আখ্যা দেয় ৷ কুরায়শরা এই অবস্থায় চার ফি পাচ দিন
অতিবাহিত করে ৷ তারপর তারা মসজিদে সমবেত হয়ে পরামর্শ করে ৷ কোন কোন রর্ণনাকারীর
ধারণা, সে সময়ের কুরায়শদের প্রবীণতম ব্যক্তি আবু উমাইয়া ইবন মুপীরা (ইবন আবদুল্লাহ
ইবন আমর ইবন মাখঃযুম) বললেন, হে কুরায়শ সম্প্রদায় ৷ ণ্তামাদের বিবাদের যীমাৎসা তোমরা
এভাবে কর যে, মসজিদের এই দরজা দিয়ে সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি প্রবেশ করবে, তার হাতে
তোমরা এর মীমাংসার তার অর্পণ করবে ৷ সে তোমাদের মাঝে এই বিবাদের মীমাংসা করবে ৷
এ প্রস্তাবে তারা সম্মত হয় ৷ দেখা গেল, যিনি সর্ব প্রথম মসজিদে প্রবেশ করলেন তিনি
রাসুলুল্পাহ্ (সা ) ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে দেখে তারা বলে উঠল, এই যে আমাদের আল-আমীন’
মুহাম্মদ এসেছেন, তার সিদ্ধান্তে আমরা রাজী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাদের নিকটে গেলে তারা
বিষয়টি তাকে জ ৷নায় ৷ রাসৃতল্লাহ্ (সা) বললেন : “আমাকে একটি কাপড় এনে দাও ৷ ’কাপড়
দেওয়া হলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) রুক্ন অর্থাৎ হাজরে আসওয়াদ নিজ হাতে তুলে সেই কাপড়ের


الْمُسْلِمِينَ بِكِتَابِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَذَلِكَ حِينَ يَقُولُ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ أَظْهَرَ دِينَهُ ... وَبَيَّنَ بُرْهَانَ الْقُرَانِ لِعَامِرِ كِتَابٌ مِنَ الرَّحْمَنِ نُورٌ لِجَمْعِنَا ... وَأَحْلَافِنَا فِي كُلِّ بَادٍ وَحَاضِرِ إِلَى خَيْرِ مَنْ يَمْشِي عَلَى الْأَرْضِ كُلِّهَا ... وَأَفْضَلِهَا عِنْدَ اعْتِكَارِ الضَّرَائِرِ أَطَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ لَمَّا تَقَطَّعَتْ ... بُطُونُ الْأَعَادِي بِالظُّبَا وَالْخَوَاطِرِ فَنَحْنُ قَبِيلٌ قَدْ بُنِيَ الْمَجْدُ حَوْلَنَا ... إِذَا اجْتُلِيَتْ فِي الْحَرْبِ هَامُ الْأَكَابِرِ بَنُو الْحَرْبِ نَفْرِيهَا بِأَيْدٍ طَوِيلَةٍ ... وَبِيضٍ تَلَأْلَأَ فِي أَكُفِّ الْمَغَاوِرِ تَرَى حَوْلَهُ الْأَنْصَارَ تَحْمِي أَمِيرَهُمْ ... بِسُمْرِ الْعَوَالِي وَالصِّفَاحِ الْبَوَاتِرِ إِذَا الْحَرْبُ دَارَتْ عِنْدَ كُلِّ عَظِيمَةٍ ... وَدَارَتْ رَحَاهَا بِاللِّيُوثِ الْهَوَاصِرِ
পৃষ্ঠা - ১৭০৫
تَبَلَّجَ مِنْهُ اللَّوْنُ وَازْدَادَ وَجْهُهُ كَمِثْلِ ضِيَاءِ الْبَدْرِ بَيْنَ الزَّوَاهِرِ وَقَالَ: أَبُو عُثْمَانَ سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الْأُمَوِيُّ فِي مَغَازِيهِ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا الْمُجَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ وَالْأَجْلَحُ عَنِ الشَّعْبِيِّ حَدَّثَنِي شَيْخٌ مِنْ جُهَيْنَةَ قَالَ: مَرِضَ مِنَّا رَجُلٌ مَرَضًا شَدِيدًا فَثَقُلَ حَتَّى حَفَرْنَا لَهُ قَبْرَهُ، وَهَيَّأْنَا أَمْرَهُ، فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ فَتَحَ عَيْنَيْهِ وَأَفَاقَ فَقَالَ: أَحْفَرْتُمْ لِي؟ قَالُوا: نَعَمْ قَالَ: فَمَا فَعَلَ الْفَصْلُ؟ وَهُوَ ابْنُ عَمٍّ لَهُ قُلْنَا: صَالِحٌ مَرَّ آنِفًا يَسْأَلُ عَنْكَ. قَالَ: أَمَا إِنَّهُ يُوشِكُ أَنْ يُجْعَلَ فِي حُفْرَتِي إِنَّهُ أَتَانِي آتٍ حِينَ أُغْمِيَ عَلَيَّ فَقَالَ: ابْكِ هُبَلْ، أَمَا تَرَى حُفْرَتَكَ تُنْتَثَلْ، وَأُمُّكَ قَدْ كَادَتْ تَثْكَلْ؟ أَرَأَيْتُكَ إِنْ حَوَّلْنَاهَا عَنْكَ بِالْمِحْوَلْ، ثُمَّ مَلَأْنَاهَا بِالْجَنْدَلْ، وَقَذَفْنَا فِيهَا الْفَضَلْ، الَّذِي مَضَى فَأَجْزَأَكْ، وَظَنَّ أَنْ لَنْ يَفْعَلْ، أَتَشْكُرُ لِرَبِّكَ وَتُصَلِّ وَتَدَعُ دِينَ مَنْ أَشْرَكَ وَضَلَّ؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: قُمْ قَدْ بَرِئْتَ. قَالَ: فَبَرِئَ الرَّجُلُ وَمَاتَ الْفَضْلُ، فَجُعِلَ فِي حُفْرَتِهِ. قَالَ الْجُهَنِيُّ: فَرَأَيْتُ الْجُهَنِيَّ بَعْدَ ذَلِكَ يُصَلِّي وَيَسُبُّ الْأَوْثَانَ وَيَقَعُ فِيهَا. وَقَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ قَالَ: بَيْنَمَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي مَجْلِسٍ يَتَحَدَّثُونَ عَنِ الْجِنِّ فَقَالَ خُرَيْمُ بْنُ فَاتِكٍ الْأَسَدِيُّ: أَلَا
পৃষ্ঠা - ১৭০৬

ওপর রাখলেন ৷ তারপর বললেন : “প্রত্যেক গোত্র কাপড়ের এক একটি কোন ধর ৷ তারপর
সকলে মিলে তা তলে নিয়ে যাও ৷ তারা তা ই করল ৷ তা নিয়ে তারা যথাস্থানে পৌছলে তিনি
নিজ হাতে তা স্থাপন করে দেন ৷ উল্লেখ্য যে, কুরায়শরা রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে ইতিপুর্বেই
আল-আমীন’ নামে ডাকতে৷ ৷

ইমাম আহমদ বলেন, সাইব ইবন আবদুল্লাহ বর্ণনা করেন যে, তিনি জাহেলী যুগে কাবা
নির্মাতাদের একজন ছিলেন ৷ তিনি বলেন, আমার একটি পাথর ছিল ৷ আল্লাহর স্থলে আমি তার
ইবাদত করতাম ৷ আমি গাঢ় দুধ নিয়ে আসতাম, যা ছিল আমার অতি প্রিয় ৷ সেই দুধ উক্ত
পাথরের গায়ে ছিটিয়ে দিতাম আর একটি কুকুর এসে তা চেটে যেত এবং এক পা উঠিয়ে তাতে
পেশার করে দিত ৷ কাব৷ নির্মাণের এক পর্যায়ে আমরা হাজরে আসওয়ার্ভদর স্থানে উপনীত
হলাম ৷ কিন্তু কেউ পাথরটি দেখতে পেলো না ৷ হঠাৎ দেখা গেল, পাথরটি আমার পাথরগুলাের
মধ্যখানে, দেখতে ঠিক মানুষের মাথার ন্যায়, যেন তা থেকে মানুষের মুখমগুল আত্মপ্রকাশ
করবে ৷ দেখে কুরায়শের একটি গোত্র বলল, এটা আমরা স্থাপন করব ; আরেক গোত্র বলল, না
আমরা স্থাপন করব ৷ লোকেরা বলল, এর সমাধানের জন্য তোমরা একজন সালিস নিযুক্ত কর ৷
অবশেষে সিদ্ধান্ত হলো, বাহির থেকে সর্বপ্রথম যিনি এখানে আসবেন, তিনিই এ সমস্যার
সমাধান করবেন ৷ আসলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৷ তাকে দেখে লোকেরা বলে উঠল , তোমাদের
মাঝে আল-আমীন এসে গেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-কে তারা বিষয়টি অবহিত করল ৷ তিনি
পাথরটি একটি কাপড়ে রাখলেন ৷ তারপর প্রত্যেক গোত্রকে ডাকলেন ৷ তারা কাপড়ের এক
একটি প্রান্ত ধরে পাথরটি তৃ£ল যথাস্থানে নিয়ে যান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজ হাতে তা যথাস্থানে
স্থাপন করেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আমলে কাব৷ আঠার হাত লম্বা ছিল ৷ প্রথমে
কাবাকে মিসরীয় কা পড় দ্বারা ঢেকে রাখা হতো ৷ তারপর বারুর’ বস্ত্র দ্বারা ডাকা হয় ৷ সর্বপ্রথম
যিনি কা বায় রেশমী কাপড়ের গিলাফ পরান, তিনি হলেন হাজ্জ জ্জাজ ইবন ইউসুফ ৷

আমার মতে, কুরায়শরা কা যা থেকে হিজরকে বের করে ফেলে ৷ পরিমাণে তা উত্তর দিক
থেকে ছয় কি সাত হাত ৷ এর কারণ অর্থের অভাব ৷ কাবাকে হুবহু ইবরাহীমী ভিত্তির ওপর
নির্মাণ করার সামর্থ্য কুরায়শদের ছিল না ৷ তারা পুর্ব দিকে কাবার একটি মাত্র দরজা রাখে ৷
আর তা স্থাপন করে উচু করে ৷ যাতে ইচ্ছা করলেই যে কেউ তাতে প্রবেশ করতে না পারে,
যেন প্রবেশাধিকার তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে ৷

সহীহ বুখারী ও মুসলিমে হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে বলেছিলেন ষ্ক

শ্শ্শ্শ্শ্শ্

৷ এ্যা

তুমি কি জানাে না যে, তোমার সম্প্রদায় অর্থ সংকঃট ছিল ? তোমার সম্প্রদা য় নওমুসলিম
না হলে আমি কা বাকে ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণ করত ৷ম ৷ তখন পুর্বমুখী একটি দরজা আর
পশ্চিম যুখী একটি দরজা রাখতাম ৷ আর হিজ্বর তথা হড়াতীমকে কা বার অন্তর্ভুক্ত করে নিতাম


أُحَدِّثُكَ كَيْفَ كَانَ إِسْلَامِي؟ قَالَ: بَلَى قَالَ: إِنِّي يَوْمًا فِي طَلَبِ ذَوْدٍ لِي، أَنَا مِنْهَا عَلَى أَثَرٍ، تَنْصَبُ وَتَصْعَدُ، حَتَّى إِذَا كُنْتُ بِأَبْرَقِ الْعِرَاقِ، أَنَخْتُ رَاحِلَتِي وَقُلْتُ: أَعُوذُ بِعَظِيمِ هَذِهِ الْبَلْدَةِ، أَعُوذُ بِرَئِيسِ هَذَا الْوَادِي. فَإِذَا بِهَاتِفٍ يَهْتِفُ بِي وَيْحَكَ عُذْ بِاللَّهِ ذِي الْجَلَالِ ... وَالْمَجْدِ وَالنَّعْمَاءِ وَالْإِفْضَالِ ثُمَّ اتْلُ آيَاتٍ مِنَ الْأَنْفَالِ ... وَوَحِّدِ اللَّهَ وَلَا تُبَالِي قَالَ: فَذُعِرْتُ ذُعْرًا شَدِيدًا ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى نَفْسِي فَقُلْتُ: يَا أَيُّهَا الْهَاتِفُ مَا تَقُولُ ... أَرَشَدٌ عِنْدَكَ أَمْ تَضْلِيلُ بَيِّنْ هَدَاكَ اللَّهُ مَا الْحَوِيلُ قَالَ: فَقَالَ: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ ذُو الْخَيْرَاتِ ... بِيَثْرِبَ يَدْعُو إِلَى النَّجَاةِ يَأَمْرُ بِالْبِرِّ وَبِالصَّلَاةِ ... وَيَزَعُ النَّاسَ عَنِ الْهَنَاتِ قَالَ: قُلْتُ لَهُ: وَاللَّهِ لَا أَبْرَحُ حَتَّى آتِيَهُ، وَأُومِنَ بِهِ فَنَصَبْتُ رِجْلِي فِي غَرْزِ رَاحِلَتِي وَقُلْتُ: أَرْشِدْنِي أَرْشِدْنِي هُدِيتَا ... لَا جُعْتَ مَا عِشْتَ وَلَا عَرِيتَا وَلَا بَرِحْتَ سَيِّدًا مَقِيتًا ... لَا تُؤْثِرِ الْخَيْرَ الَّذِي أُتِيتَا
পৃষ্ঠা - ১৭০৭
عَلَى جَمِيعِ الْجِنِّ مَا بَقِيَتَا فَقَالَ: صَاحَبَكَ اللَّهُ وَأَدَّى رَحْلَكَا ... وَعَظَّمَ الْأَجْرَ وَعَافَى نَفْسَكَا آمِنْ بِهِ أَفْلَجَ رَبِّي حَقَّكَا ... وَانْصُرْهُ أَعَزَّ رَبِّي نَصْرَكَا قَالَ: قُلْتُ: مَنْ أَنْتَ عَافَاكَ اللَّهُ حَتَّى أُخْبِرَهُ إِذَا قَدِمْتَ عَلَيْهِ؟ فَقَالَ: أَنَا مَالِكُ بْنُ مَالِكٍ وَأَنَا نَقِيبُهُ عَلَى جِنِّ نَصِيبِينَ، وَكَفَيْتُ إِبِلَكَ حَتَّى أَضُمَّهَا إِلَى أَهْلِكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. قَالَ: فَخَرَجْتُ حَتَّى أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالنَّاسُ أَرْسَالٌ إِلَى الْمَسْجِدِ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ كَأَنَّهُ الْبَدْرُ يَخْطُبُ النَّاسَ فَقُلْتُ: أُنِيخُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ حَتَّى يُصَلِّيَ، وَأَدْخُلُ عَلَيْهِ فَأُسَلِّمُ وَأُخْبِرُهُ عَنْ إِسْلَامِي. فَلَمَّا أَنَخْتُ خَرَجَ إِلَيَّ أَبُو ذَرٍ فَقَالَ: مَرْحَبًا وَأَهْلًا وَسَهْلًا قَدْ بَلَغَنَا إِسْلَامُكَ فَادْخُلْ فَصَلِّ. فَفَعَلْتُ ثُمَّ جِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَنِي بِإِسْلَامِي فَقُلْتُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ. قَالَ: أَمَا إِنَّ صَاحِبَكَ قَدْ وَفَّى لَكَ وَهُوَ أَهْلُ ذَلِكَ وَأَدَّى إِبِلَكَ إِلَى أَهْلِكَ. وَقَدْ رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ فِي تَرْجَمَةِ خُرَيْمِ بْنِ فَاتِكٍ مِنْ مُعْجَمِهِ الْكَبِيرِ
পৃষ্ঠা - ১৭০৮

এ কারণে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ক্ষমতাসীন হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) )-এর নির্দেশনা
মোতাবেক কা বাকে পুনঃর্নির্মাণ করেন ৷৩ তাতে কা বা পরিপুর্ণরুপে ইবরাহীম (আ) এর ভিত্তিতে
ফিরে আসে এবং যারপরনাই আকর্ষণীয় গৃহে পরিণত হয় ৷ তিনি মাটি সং লগ্ন করে দু’টি দরজা
তৈয়ার করেন ৷ একটি পুর্বযুখী আর অপরটি পশ্চিমমুখী ৷ একটি দিয়ে মানুষ প্রবেশ করতো,
অপরটি দিয়ে বের হতো ৷ তারপর হাজ্জা জ ইবন ইউসুফ ইবন যুবায়রকে হত্যা করে খলীফা
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের নিকট পত্র লেখেন ৷৩ তাতে তিনি ইবন যুবায়র কর্তৃক কা বা
পুন ংনির্মাণের কথা উল্লেখ করেন ৷ তখন তাদের বিশ্বাস ছিল, ইবন যুবায়র ক জটি নিজের
মজ্যিাত করেছিলেন ৷ তাই খলীফ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান কা বাকে পুর্বের মত করে
নির্মাণ করার আদেশ দেন ৷ তখন উত্তর দিকের দেয়াল ভেঙে হিজ্বরকে বের করে ফেলা হয়
এবং তার পাথরগুলোকে কা’বার মাটিতে সযত্নে পুতে রাখা হয় ৷ দরজা দুটো উচু করা হয়
এবং পশ্চিম দিককে বন্ধ করে দিয়ে পুর্ব দিককে আগের মত রাখা হয় ৷ পরবর্তীতে খলীফা
মনসুর কাবাকে ইবন যুবায়রের ভিতের ওপর ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে ইমাম মালিকের
মতামত চা ৷ইলে তিনি বলেন, রাজা-কাদশারা কা বাকে তামাশার পাত্রে পরিণত করুক আমি তা
পছন্দ করি না ৷ ফলে খলীফা মনসুর কা বাকে পুর্বাবস্থায় রেখে দেন ৷ এখনও তা সেই রুপেই
বিদ্যমান ৷

কাবার আশপাশ থেকে সর্বপ্রথম ঘরবাড়ি সরিয়ে দেন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা ) ৷
মালিকদের নিকট থেকে ক্রয় করে তিনি সেগুলো ভেঙে ফেলেন ৷ পরে হযরত উসমান (বা)
আরো কয়েকটি বাড়ি ক্রয় করে সেগুলোও ভেঙে ফেলেন ৷ তারপর ইবন যুবায়র (বা ) তার
শাসনামলে কা বার তিতকে আরও মজবুত করেন ৷ দেয়ালগুলোর সৌন্দর্য এবং দরজার সং খ্যা
বৃদ্ধি করেন ৷৩ তবে তিনি আর কিছু করতে পারেননি ৷৩ তারপর আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান
খলীফা হয়ে কাবার দেয়াল আরো উচু করেন এবং হাজ্জা জ ইবন ইউসুফের মাধ্যমে কা বাকে
রেশমী কাপড়ের গিলাফ দ্বারা আবৃত করেন ৷ সুরা বাকারার আয়াত :

এর তাফসীরে আমরা কা বা নির্মাণের কাহিনী এবং এতদসংক্রাম্ভ হাদীসসমুহ উল্লেখ
করেছি ৷ প্রয়োজনে সেখানে দেখে নেয়া যেতে পারে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, যখন তারা কা বার নির্মাণ কাজ তাদের ইচ্ছানুযায়ী শেষ করে তখন
যুবায়র ইবন আবদুল মুত্তালিব তাদেরকে সেই সাপটির কাহিনী ণ্শানান, যার ভয়ে কুরায়শরা
কাব৷ নির্মাণের কাজ করতে প ৷রছিল না ৷ ঘটনাটি তিনি ক ৷ব্যাক৷ রে বিবৃত করেন :

গ্র পুি এ এ


এেপ্

ম্পো
মোঃ


قَائِلًا: حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْحَاقَ الْيَسِيرِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الشَّامِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى الْإِسْكَنْدَرِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ خُرَيْمُ بْنُ فَاتِكٍ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَلَا أُخْبِرُكَ كَيْفَ كَانَ بَدْءُ إِسْلَامِي؟ قَالَ: بَلَى. فَذَكَرَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: فَخَرَجَ إِلَيَّ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فَقَالَ: ادْخُلْ فَقَدْ بَلَغَنَا إِسْلَامُكَ. فَقُلْتُ: لَا أُحْسِنُ الطُّهُورَ فَعَلِّمْنِي فَدَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَأَنَّهُ الْبَدْرُ، وَهُوَ يَقُولُ: مَا مِنْ مُسْلِمٍ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ صَلَّى صَلَاةً يَحْفَظُهَا وَيَعْقِلُهَا إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّةَ. فَقَالَ لِي عُمَرُ: لَتَأْتِيَنِّي عَلَى هَذَا بِبَيِّنَةٍ أَوْ لَأُنَكِّلَنَّ بِكَ، فَشَهِدَ لِي شَيْخُ قُرَيْشٍ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَأَجَازَ شَهَادَتَهُ» . ثُمَّ رَوَاهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ تَسْنِيمٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ خَلِيفَةَ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لِخُرَيْمِ بْنِ فَاتِكٍ: حَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ يُعْجِبُنِي. فَذَكَرَ مِثْلَ السِّيَاقِ الْأَوَّلِ سَوَاءً. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الْمَلِكِ أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْقُرَشِيُّ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنُ بِنْتِ شُرَحْبِيلَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১৭০৯
الدَّيْلَمِيِّ قَالَ: أَتَى رَجُلٌ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ: بَلَغَنَا أَنَّكَ تَذْكُرُ سَطِيحًا تَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ خَلَقَهُ لَمْ يَخْلُقْ مِنْ بَنِي آدَمَ شَيْئًا يُشْبِهُهُ؟ قَالَ: قَالَ: نَعَمْ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ سَطِيحًا الْغَسَّانِيَّ لَحْمًا عَلَى وَضَمٍ وَلَمْ يَكُنْ فِيهِ عَظْمٌ وَلَا عَصَبٌ إِلَّا الْجُمْجُمَةُ وَالْكَفَّانِ وَكَانَ يُطْوَى مِنْ رِجْلَيْهِ إِلَى تَرْقُوَتِهِ كَمَا يُطْوَى الثَّوْبُ وَلَمْ يَكُنْ فِيهِ شَيْءٌ يَتَحَرَّكُ إِلَّا لِسَانُهُ فَلَمَّا أَرَادَ الْخُرُوجَ إِلَى مَكَّةَ حُمِلَ عَلَى وَضَمِهِ فَأُتِيَ بِهِ مَكَّةَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ أَرْبَعَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ عَبْدُ شَمْسٍ وَهَاشِمٌ ابْنَا عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ وَالْأَحْوَصُ بْنُ فِهْرٍ وَعَقِيلُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍّ فَانْتَمَوْا إِلَى غَيْرِ نَسَبِهِمْ. وَقَالُوا: نَحْنُ أُنَاسٌ مَنْ جُمَحَ أَتَيْنَاكَ، بَلَغَنَا قُدُومُكَ فَرَأَيْنَا أَنَّ إِتْيَانَنَا إِيَّاكَ حَقٌّ لَكَ وَاجِبٌ عَلَيْنَا وَأَهْدَى إِلَيْهِ عَقِيلٌ صَفِيحَةً هِنْدِيَّةً وَصَعْدَةً رُدَيْنِيَّةً فَوُضَعِتْ عَلَى بَابِ الْبَيْتِ الْحَرَامِ لَيَنْظُرُوا أَهَلْ يَرَاهَا سَطِيحٌ أَمْ لَا. فَقَالَ: يَا عَقِيلُ نَاوِلْنِي يَدَكَ فَنَاوَلَهُ يَدَهُ فَقَالَ: يَا عَقِيلُ وَالْعَالِمِ الْخَفِيَّةْ، وَالْغَافِرِ الْخَطِيَّةْ، وَالذِّمَّةِ الْوَفِيَّةْ، وَالْكَعْبَةِ الْمَبْنِيَّةْ، إِنَّكَ لَجَاءٍ بِالْهَدِيَّةْ، الصَّفِيحَةِ الْهِنْدِيَّةْ، وَالصَّعْدَةِ الرُّدَيْنِيَّةْ. قَالُوا: صَدَقْتَ يَا سَطِيحُ فَقَالَ: وَالْآتِي بِالْفَرَحْ، وَقَوْسِ قُزَحْ، وَسَائِرِ الْفَرَحْ، وَاللَّطِيمِ الْمُنْبَطِحْ، وَالنَّخْلِ وَالرُّطَبِ وَالْبَلَحْ، إِنَّ الْغُرَابَ حَيْثُ مَرَّ سَنَحْ، فَأَخْبَرَ أَنَّ الْقَوْمَ لَيْسُوا مَنْ جُمَحْ، وَأَنَّ نَسَبَهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ
পৃষ্ঠা - ১৭১০


গ্রএে
াএ্াপ্রুপ্রুন্
যে সাপটি কুরায়শের উদ্বেগের কারণ হয়ে র্দড়াড়িয়েছিল, একটি ঈগল পাখি কিরুপ
নির্ভুলভাবে তাকে ছে৷ মেরে নিয়ে গেল, তা দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি ৷ সাপটি কখনো কুণ্ডলী
পাকিয়ে কখনো কথা তুলে ছোবল মারার তঙ্গিতে থাকত ৷ যখনই আমরা কাবা সংস্কারের
উদ্যেড়াপ নিয়েহি, তখনই সে রুখে দাড়িয়েছে এবং তার স্বভাবসুলভ ভীতিপ্রদ ভঙ্গিতে ভয়
দেখিয়েছে ৷ আমরা যখন এই আপদের ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে গেলাম, তখন ঈগলটি এসে
আমাদেরকে রক্ষা করল এবং সংস্কারের কাজে আমাদের আর কোন বাধা থাকল না ৷

পরদিন আমরা সকলে বিবন্ত্র অবস্থায় সংস্কার কাজে লেগে পেলাম ৷ মহান আল্লাহ এ
কাজটি করার সুযোগ দিয়ে বনু লুওয়াইকে অর্থাৎ আমাদেরকে গৌরঘানিঃত করলেন ৷ তবে
তাদের পরে বনু আদী এবং বনু মুররাও এ কাজে এসে জড়ো হয়েছে ৷ বনু কিলাব ছিল এ কাজে
তাদের চেয়েও অগ্রণী ৷ আল্লাহ আমাদেরকে কাবার নিকট বসবাসের সুযোগ দিয়ে সম্মানিত
করেছেন ৷ আশা করা যায় , এ কাজের প্রতিদান আল্লাহর নিকট পাওয়া যাবে ৷ উল্লেখ্য যে, এর
আগে একটি অধ্যায়ে আমরা বলে এসেছি, আল্লাহ তাআলড়া রাসুলুল্লাহ (সা) কে জাহেলিয়াতের
পঙ্কিলতা থেকে সর্বতোভাবে নিরাপদ বেখেছিলেন ৷ যেমন কাবা নির্মক্রোর সময় তিনি এবং তার
চাচা আব্বাস (বা) পাথর স্থানান্তরের কাজ করতেন ৷ এক পর্যায়ে তিনি পরিধানের কাপড় খুলে
তা র্কাধের ওপর রেখে পাথর বহন করে নিয়ে যেতে শুরু করলেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ র্তাকে
কাপড় খুলতে ধারণ করে দেন ৷ ফলে তৎক্ষণাৎ তিনি কাপড় পরে নেন

অধ্যায়

ইবন ইসহাক বলেন, কুরায়শদেরকে হুমুস নামে অভিহিত করা হতো ৷ এর ধাতুগত অর্থ
দীনের ব্যাপারে চরম কঠোরতা ৷ তাদেরকে এই নামে নামকরণের কারণ হলো, তারা হারম
শরীফকে সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতো ৷ যে কারণে তারা আরাফার রাতে এখান
থেকে বের হতো না ৷ তারা বলত, আমরা হলাম হারমের সন্তান এবং এর অধিবাসী ৷ ফলে
তারা এ কথা আরাফার অবস্থান বর্জন করত ৷ এটা হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর অন্যতম স্মৃতি
একথা জানা থাকা সত্বেও তারা তা বর্জন করত ৷ মনপড়া কুসংস্কার থেকে তারা একটুও নড়চড়
করতো না ৷ ইহরাম অবস্থায় তারা দুধ থেকে ছানা ঘি চর্বি কিছুই সংগ্রহ করত না তারা
পশমের তৈরি র্তাবুতে প্রবেশ করত না এবং ছায়ায় বসার প্রয়োজন হলে চামড়ার ঘর ছাড়া অন্য
কোন ঘরের ছায়ায় বসত না ৷ হজ্জ ও উমরা পালনকারীদেরকে তারা তাদের সরবরাহকৃত
পোশাক ব্যতীত অন্য পােশাকে তাওয়াফ করতে এবং তাদের দেয়া খাবার ব্যতীত অন্য খাবার
খেতে বারণ করত ৷ হজ্জ উমরাহ পালনকারীদের কেউ যদি কুরায়শ, তাদের বংশধর কিৎবা
তাদের দলভুক্ত কিনানা ও থুযাআ কারোর নিকট থেকে কাপড় না (পত, তবে তাকে বিবস্ত্র
তাওয়াফ করতে হতো ৷ মহিলাদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য হতো ৷ এ কারণে এমন পরিস্থিতিতে
মহিলারা যথাস্থানে হাত রেখে রায়তুল্লাহ তাওয়াফ করত আর বলত :


ذِي الْبِطَحْ، قَالُوا: صَدَقْتَ يَا سَطِيحُ، نَحْنُ أَهْلُ الْبَيْتِ الْحَرَامِ أَتَيْنَاكَ لِنَزُورَكَ ; لِمَا بَلَغَنَا مِنْ عِلْمِكَ فَأَخْبِرْنَا عَمَّا يَكُونُ فِي زَمَانِنَا هَذَا وَمَا يَكُونُ بَعْدَهُ فَلَعَلَّ أَنْ يَكُونَ عِنْدَكَ فِي ذَلِكَ عِلْمٌ. قَالَ: الْآنَ صَدَقْتُمْ خُذُوا مِنِّي وَمِنْ إِلْهَامِ اللَّهِ إِيَّايَ أَنْتُمْ يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ فِي زَمَانِ الْهَرَمِ، سَوَاءٌ بَصَائِرُكُمْ وَبَصَائِرُ الْعَجَمِ، لَا عِلْمَ عِنْدَكُمْ وَلَا فَهْمَ، وَيَنْشَأُ مِنْ عَقِبِكُمْ ذَوُو فَهْمٍ يَطْلُبُونَ أَنْوَاعُ الْعِلْمِ، فَيَكْسِرُونَ الصَّنَمَ وَيَبْلُغُونَ الرَّدْمَ وَيَقْتُلُونَ الْعَجَمْ يَطْلُبُونَ الْغُنْمَ. قَالُوا: يَا سَطِيحُ فَمِنْ يَكُونُ أُولَئِكَ؟ فَقَالَ لَهُمْ: وَالْبَيْتِ ذِي الْأَرْكَانِ، وَالْأَمْنِ وَالسُّكَّانِ، لَيَنْشَؤُنَّ مِنْ عَقِبِكُمْ وِلْدَانٌ يَكْسِرُونَ الْأَوْثَانَ، وَيُنْكِرُونَ عِبَادَةَ الشَّيْطَانِ، وَيُوَحِّدُونَ الرَّحْمَنَ، وَيَنْشُرُونَ دِينَ الدَّيَّانِ، يُشْرِفُونَ الْبُنْيَانَ، وَيَسْتَفْتُونَ الْفِتْيَانَ. قَالُوا: يَا سَطِيحُ مِنْ نَسْلِ مَنْ يَكُونُ أُولَئِكَ؟ قَالَ: وَأَشْرَفِ الْأَشْرَافِ وَالْمُفْضِي لِلْإِسْرَافِ وَالْمُزَعْزِعِ الْأَحْقَافِ وَالْمُضْعِفِ الْأَضْعَافِ لَيَنْشَؤُنَّ الْآلَافُ مِنْ عَبْدِ شَمْسٍ وَعَبْدِ مَنَافٍ نُشُوءًا يَكُونُ فِيهِ اخْتِلَافٌ، قَالُوا: يَا سَوْءَتَاهُ يَا سَطِيحُ فَمَا تُخْبِرُنَا مِنَ الْعِلْمِ بِأَمْرِهِمْ وَمِنْ
পৃষ্ঠা - ১৭১১
أَيِّ بَلَدٍ يَخْرُجُ أُولَئِكَ؟ فَقَالَ: وَالْبَاقِي الْأَبَدْ، وَالْبَالِغِ الْأَمَدْ، لَيَخْرُجَنَّ مَنْ ذَا الْبَلَدْ، فَتًى يَهْدِي إِلَى الرَّشَدْ، يَرْفُضُ يَغُوثَ وَالْفِنَدْ، يَبْرَأُ مِنْ عِبَادَةِ الضِّدَدْ، يَعْبُدُ رَبًّا انْفَرَدْ، ثُمَّ يَتَوَفَّاهُ اللَّهُ مَحْمُودًا، مِنَ الْأَرْضِ مَفْقُودًا، وَفِي السَّمَاءِ مَشْهُودًا، ثُمَّ يَلِي أَمْرَهُ الصِّدِّيقْ، إِذَا قَضَى صَدَقْ، وفِي رَدِّ الْحُقُوقِ لَا خَرِقٌ وَلَا نَزِقْ، ثُمَّ يَلِي أَمْرَهُ الْحَنِيفْ، مُجَرِّبٌ غِطْرِيفْ، وَيَتْرُكُ قَوْلَ الْعَنِيفْ، قَدْ ضَافَ الْمَضِيفْ، وَأَحْكَمَ التَّحْنِيفْ، ثُمَّ يَلِي أَمْرَهُ دَاعِيًا لِأَمْرِهِ مُجَرِّبًا، فَيَجْتَمِعُ لَهُ جُمُوعًا وَعُصَبًا، فَيَقْتُلُونَهُ نِقْمَةً عَلَيْهِ وَغَضَبًا، فَيُؤْخَذُ الشَّيْخُ فَيُذْبَحُ إِرَبًا، فَيَقُومُ بِهِ رِجَالٌ خُطَبَاءُ، ثُمَّ يَلِي أَمْرَهُ النَّاصِرْ، يَخْلِطُ الرَّأْي بِرَأْي النَّاكِرْ، يُظْهِرُ فِي الْأَرْضِ الْعَسَاكِرْ، ثُمَّ يَلِي بَعْدَهُ ابْنُهُ يَأْخُذُ جَمْعَهُ، وَيَقِلُّ حَمْدُهُ، وَيَأْخُذُ الْمَالَ، وَيَأْكُلُ وَحْدَهُ وَيُكْثِرُ الْمَالَ لِعَقِبِهِ مِنْ بَعْدِهِ ثُمَّ يَلِي مِنْ بَعْدِهِ عِدَّةُ مُلُوكْ، لَا شَكَّ الدَّمُ فِيهِمْ مَسْفُوكْ، ثُمَّ يَلِي مَنْ بَعْدِهِمُ الصُّعْلُوكْ،
পৃষ্ঠা - ১৭১২

আজ আমার লজ্জাস্থানের অংশবিশেষ বা পুরোটা বিবস্ত্র হয়েছে ঠিক কিন্তু আজকের পর
আর এমনটি হতে দেব না ৷

যদি কেউ কোন হুমসীর কাপড় পাওয়া সত্বেও যে নিজের কাপড় পরে তাওয়াফ করত তবে
তাওয়াফ শেষে তাকে সেই কাপড় খুলে ফেলে দিতে হতো ৷ পরে সেই কাপড় আর সে ব্যবহার
করতে পারত না ৷ তার বা অন্য কারো জন্য সেই কাপড় স্পর্শ করার অনুমতি ছিল না ৷ আরব
সেই কাপড়ের নাম দিয়েছিল আল-লাকি’ ৷ ইবন ইসহাক বলেন, কুরায়শ এমনি কুসংস্কারে
নিমজ্জিত হ্নিন্ ৷ এই অবস্থায় আল্লাহ মুহাম্মদ (না)-কে প্রেরণ করেন এবং মুশরিকদের মনগড়া
কুসংস্ক৷ র ৷প্রতিরোধে তীর ওপর কুরআন নাযিল করেন ৷ আল্লাহ তাআলা বলেন :




তারপর অন্যরা যেখান থেকে প্রত্যবের্ডন করে, ণ্,তামরাও সে’ন্ ন্ থেকে প্রত্যাবর্তন করবে

আর আল্লাহ্ৱ নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে ৷ বন্তুত আল্লাহ ক্ষমড়ালীল পরম দয়ালু ৷ (২ বাকারাং :
১ ৯৯ ২০ : )

অর্থাৎ আরবের সর্বসাধারণ যেভাবে আরাফা থেকে প্রত্যাবর্তন করে, তেমনি তােমরাও
আরাফা থেকে প্রত্যাবর্তন কর ৷

আমরা আগেও উল্লেখ করে এসেছি যে, ওহী নাযিলের পুর্ব থেকেই রাসুলুল্লাহ (সা) আল্লাহ
প্রদত্ত তাওফীক অনুযায়ী আরাফায় অবস্থান করতেন ৷

অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা কুরায়শরা লোকদের ওপর যে পোশাক ও যে খাবার
হারাম করে নিয়েছিল, তা বা তিন ঘোষণা করে বলেন :




অর্থাৎ হে বনী আদম ! প্রত্যেক সালাতের সময় তোমরা সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান করবে,
আহার করবে ও পান করবে; কিন্তু অপচয় করবে না ৷ নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ
করেন না ৷ বল, আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য যেসব শোভার বস্তু ও বিশুদ্ধ জীবিকা সৃষ্টি
করেছেন, তা কে হারাম করলো ? (আরাফ : ৩ ১-৩২)

যিয়াদ আল বুকায়ী ইবন ইসহড়াক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, কুরায়শের এসব কুসংস্কার
আবিষ্কারের ঘটনা হাতীর ঘটনার আগে ঘটেজ্জি, নাকি পরে তা’ আমার জানা নেই ৷


يَطْوِيهِمْ كَطَيِّ الدُّرْنُوكْ، ثُمَّ يَلِي مِنْ بَعْدِهِ عُظْهُورٌ يُقْصِي الْخَلْقَ وَيُدْنِي مُضَرَ، يَفْتَتِحُ الْأَرْضَ افْتِتَاحًا مُنْكَرًا، ثُمَّ يَلِي قَصِيرُ الْقَامَةْ، بِظَهْرِهِ عَلَامَةْ، يَمُوتُ مَوْتًا وَسَلَامَةْ، ثُمَّ يَلِي قَلِيلًا بَاكِرْ، يَتْرُكُ الْمُلْكَ بَائِرْ، ثُمَّ يَلِي أَخُوهُ بِسُنَّتِهِ سَابِرْ، يَخْتَصُّ بِالْأَمْوَالِ وَالْمَنَابِرْ، ثُمَّ يَلِي مِنْ بَعْدِهِ أَهْوَجْ، صَاحِبُ دُنْيَا وَنَعِيمٍ مُخْلِجْ، يَتَشَاوَرُهُ مُعَاشِرُهُ وَذَوُوهُ، يَنْهَضُونَ إِلَيْهِ يَخْلَعُونَهُ بِأَخْذِ الْمُلْكِ وَيَقْتُلُونَهُ، ثُمَّ يَلِي أَمْرَهُ مِنْ بَعْدِهِ السَّابِعْ، يَتْرُكُ الْمُلْكَ مَحَلًّا ضَائِعْ، بَنُوهُ فِي مُلْكِهِ كَالْمُشَوَّهِ جَائِعْ، عِنْدَ ذَلِكَ يَطْمَعُ فِي الْمُلْكِ كُلُّ عُرْيَانْ، وَيَلِي أَمْرَهُ اللَّهْفَانْ، يُرْضِي نِزَارًا جَمْعُ قَحْطَانْ، إِذَا الْتَقَيَا بِدِمَشْقَ جَمْعَانْ، بَيْنَ بُنْيَانَ وَلُبْنَانَ، يُصَنَّفُ الْيَمَنُ يَوْمَئِذٍ صِنْفَانْ، صِنْفُ الْمَسَرَّةِ وَصِنْفُ الْمَخْذُولِ لَا تَرَى إِلَّا حِبَاءً مَحْلُولْ، وَأَسِيرًا مَغْلُولْ، بَيْنَ الْقِرَابِ
পৃষ্ঠা - ১৭১৩
وَالْخُيُولْ، عِنْدَ ذَلِكَ تُخْرَبُ الْمَنَازِلْ، وَتُسْلَبُ الْأَرَامِلْ، وَتُسْقِطُ الْحَوَامِلْ، وَتَظْهَرُ الزَّلَازِلْ، وَتَطْلُبُ الْخِلَافَةَ وَائِلْ، فَتَغْضَبُ نِزَارْ، فَتُدْنِي الْعَبِيدَ وَالْأَشْرَارْ، وَتُقْصِي الْأَمْثَالَ وَالْأَخْيَارْ، وَتَغْلُو الْأَسْعَارْ، فِي صَفَرِ الْأَصْفَارْ، يَغُلُّ كُلُّ جَبَّارٍ مِنْهُ، ثُمَّ يَسِيرُونَ إِلَى خَنَادِقَ وَإِنَّهَا ذَاتُ أَشْعَارٍ وَأَشْجَارْ، تَصُدُّ لَهُ الْأَنْهَارْ، وَيَهْزِمُهُمْ أَوَّلَ النَّهَارْ، تَظْهَرُ الْأَخْيَارْ، فَلَا يَنْفَعُهُمْ نَوْمٌ وَلَا قَرَارْ، حَتَّى يَدْخُلَ مِصْرًا مِنَ الْأَمْصَارْ، فَيُدْرِكَهُ الْقَضَاءُ وَالْأَقْدَارْ. ثُمَّ يَجِيءُ الرُّمَاةْ، تَلُفُّ مُشَاةْ، لِقَتْلِ الْكُمَاةْ، وَأَسْرِ الْحُمَاةْ، وَمَهْلِكِ الْغُوَاةْ، هُنَالِكَ يُدْرَكُ فِي أَعْلَى الْمِيَاهْ، ثُمَّ يَبُورُ الدِّينُ وَتُقْلَبُ الْأُمُورْ، وَتُكْفَرُ الزَّبُورْ، وَتُقْطَعُ الْجُسُورْ، فَلَا يُفْلِتُ إِلَّا مَنْ كَانَ فِي جَزَائِرِ الْبُحُورْ، ثُمَّ تَبُورُ الْحُبُوبْ، وَتَظْهَرُ الْأَعَارِيبْ، لَيْسَ فِيهِمْ مُعِيبْ، عَلَى أَهْلِ الْفُسُوقِ وَالرِّيبْ، فِي زَمَانٍ عَصِيبْ، لَوْ كَانَ لِلْقَوْمِ حَيَاءٌ وَمَا تُغْنِي الْمُنَى. قَالُوا: ثُمَّ مَاذَا يَا سَطِيحُ؟ قَالَ: ثُمَّ يَظْهَرُ رَجُلٌ مَنْ أَهْلِ الْيَمَنْ، كَالشَّطَنْ، يُذْهِبُ اللَّهُ عَلَى رَأْسِهِ الْفِتَنْ. وَهَذَا أَثَرٌ غَرِيبٌ كَتَبْنَاهُ لِغَرَابَتِهِ وَمَا تَضَمَّنَ مِنَ الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ وَقَدْ تَقَدَّمَ قِصَّةُ شِقٍّ وَسَطِيحٍ مَعَ رَبِيعَةَ بْنِ نَصْرٍ مَلِكِ الْيَمَنِ وَكَيْفَ بَشَّرَا بِوُجُودِ رَسُولِ
পৃষ্ঠা - ১৭১৪
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَذَلِكَ تَقَدَّمَ قِصَّةُ سَطِيحٍ مَعَ ابْنِ أُخْتِهِ عَبْدِ الْمَسِيحِ حِينَ أَرْسَلَهُ مَلِكُ بَنِي سَاسَانَ لِارْتِجَاسِ الْإِيوَانِ وَخُمُودِ النِّيرَانِ وَرُؤْيَا الْمُوبَذَانِ وَذَلِكَ لَيْلَةَ مَوْلِدِ الَّذِي نُسِخَ بِشَرِيعَتِهِ سَائِرُ الْأَدْيَانِ.