আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

كتاب مبعث رسول الله صلى الله عليه وسلم وذكر شيء من البشارات بذلك

قصة سيف بن ذي يزن الحميري، وبشارته بالنبي الأمي

পৃষ্ঠা - ১৬৪৭

আবু নুআয়ম বলেন সুলায়যান আবদুল্লাহ ইবন দায়লামী থেকে বর্ণিত ৷ এক লোক হযরত
ইবন আব্বাস (বা) এর নিকট এসে বলল, আমরা শুনেছি যে, আপনি সাতীহ সম্পর্কে আলোচনা
করেন, এমনকি আপনি বলে থাকেন যে, আল্লাহ তাআলা তাকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন
যে, অন্য কোন মানুষকে সেরুপ সৃষ্টি করেননি ৷ ইবন আব্বাস (রা) বললেন, হ্যা আল্লাহ
তাআলা সাতীহ গাসৃসানীকে সৃষ্টি করেছেন গোলাকার কাঠের উপর ন্তুপীকৃত গোশতের ন্যায় ৷
তার শরীরে হড়াড়ও ছিল না রগও ছিল না ৷ ছিল শুধু মাথায় খুলি আর হাতের দৃ’টো তালু ৷ তার
পা দৃটোকে সে গলার সাথে ভীজ করে রাখত যেমন কাপড় ভীজ করে রাখা হয় ৷ জিহ্বা ব্যতীত
তার দেহে এমন কোন অঙ্গ ছিল না যা নড়াচড়া করতে পারত ৷ মক্কা যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের
পর তার দেহকে কাঠের ওপর উঠানাে হয় এবং এভাবে সে মক্কা :পাছে ৷ কুরায়শ বংশের
নেতৃস্থানীয় চার ব্যক্তি অর্থাৎ আবদ শামস ইবন আবদ মানাফ , হাশিম ইবন আবদ মানড়াফ ইবন
কুসাই, আহওয়াশ ইবন ফিহ্র এবং আকীল ইবন আবী ওয়াক্কম্পো তার নিকট উপস্থিত হন ৷
তারা নিজেদের বংশপরিচয় গোপন করে বলেন, আমরা জুমাহ্ গোব্ত্রর লোক আপনার আগমন
সংবাদ পেয়ে আপনার সাথে সাক্ষাত করতে এসেছি ৷ আমরা মনে করি আপনার সম্মানার্থে
আপনার সাথে দেখা করা আমাদের কর্তব্য ৷ আকীল তার জন্যে উপহার স্বরুপ একটি ভারতীয়
তরবারি এবং একটি রাদীনী বর্শা নিয়ে যান ৷ সাতীহ সেগুলো দেখতে পায় কিনা তা যাচাই
করার জন্যে তারা সেগুলো রাখেন কাবা গৃহের দরজার ওপর ৷ সাতীহ বলল, হে আকীল ৷
তোমার হাতখান৷ আমাকে দেখাও তো, সে তার হাত দেখাল ৷ তখন সাতীহ বলল, হে আকীল ৷
গোপন বিষয়ে জ্ঞাত সত্তার কসম, পাপ মােচনকারী এবং পরিপুর্ণ দায়িতু গ্রহণকারী সত্তার
কসম, এই কাবাগৃহের কসম , তুমি তো কিছু উপহার নিয়ে এসেছ আর তা হলো ভারতীয়
তরবারি ও রাদীনী বর্শা ৷ তারা বললেন, সাতীহ! আপনি ঠিকই বলেছেন ৷

এবার সে বলল, আনন্দ দানকারীর কসম, রঙধনুর কসম , অন্যান্য আনন্দ সামগ্রীর কসম ,
আরবী ঘোড়ার কসম, খেজুর গাছ, তাজা ও কাচা খেজুরের কসম, কাক যেখানেই যায়
ধরা পড়ে যায় ৷ এখন তোমাদের বলে দিচ্ছি তোমরা তো জুমাহ্ গোত্রের লোক নও ৷
তোমরা আরববাসী কুরায়শ গোত্রের লোক ৷ তারা বলল, হা, হে সাতীহ! আমরা কাবা
শরীফ এলাকার অধিবাসী ৷ আপনার জ্ঞান ও প্রজ্ঞা সম্বন্ধে আমরা যা শুনেছি তার প্রেক্ষিতে
আমরা আপনার সাথে সাক্ষাত করতে এসেছি ৷ এখন আপনি আমাদের বলুন, আমাদের যুগে
কি কি ঘটবে তারপরে কি কি ঘটবে ! এ বিষয়ে নিশ্চয় আপনার অবগতি আছে ৷ সে বলল,
তোমরা ঠিকই বলেছ ৷ আমার কথা আমার প্ৰতি মহান আল্লাহর ইলহাম তথা গোপন
ৎবাদের কথা শোন ৷

হে আরব বংশীয় প্রতিনিধি দল ! এখন তোমরা তোমাদের বার্ধক্যে পৌছে গেছ ৷ তোমাদের
আর অনারবদের দুরদৃষ্টি এখন সমান সমান ৷ এখন তোমাদের কোন জ্ঞানও নেই প্রজ্ঞাও নেই ৷
তোমাদের বংশধর থেকে অনেক পরম জ্ঞানী লোকের আবির্ভাব ঘটবে ৷ নানা প্রকারের জ্ঞান
তারা অর্জন করবে ৷ তারা মুর্তিগুলাে ভেঙে ফেলবে ৷ তারা দুর-দুরাম্ভ পর্যন্ত গিয়ে পৌছবে ৷
অনারবদের হত্যা করবে ৷ বকরীর পাল খুজে নেবে ৷


[قِصَّةُ سَيْفِ بْنِ ذِي يَزَنَ الْحِمْيَرِيِّ، وَبِشَارَتُهُ بِالنَّبِيِّ الْأُمِّيِّ] وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ سَهْلٍ الْخَرَائِطِيُّ فِي كِتَابِهِ هَوَاتِفِ الْجَانِّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ بَكْرٍ - هُوَ ابْنُ بَكَّارٍ الْقَعْنَبِيُّ - عَنْ أَحْمَدَ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيِّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا ظَهَرَ سَيْفُ بْنُ ذِي يَزَنَ - قَالَ ابْنُ الْمُنْذِرِ: وَاسْمُهُ النُّعْمَانُ بْنُ قَيْسٍ - عَلَى الْحَبَشَةِ، وَذَلِكَ بَعْدَ مَوْلِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَنَتَيْنِ، أَتَتْهُ وُفُودُ الْعَرَبِ وَشُعَرَاؤُهَا، تُهَنِّئُهُ وَتَمْدَحُهُ وَتَذْكُرُ مَا كَانَ مِنْ حُسْنِ بَلَائِهِ، وَأَتَاهُ فِيمَنْ أَتَاهُ وَفْدُ قُرَيْشٍ فِيهِمْ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بْنُ هَاشِمٍ، وَأُمَيَّةُ بْنُ عَبْدِ شَمْسٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جُدْعَانَ، وَخُوَيْلِدُ بْنُ أَسَدٍ فِي أُنَاسٍ مِنْ وُجُوهِ قُرَيْشٍ فَقَدِمُوا عَلَيْهِ صَنْعَاءَ فَإِذَا هُوَ فِي رَأْسِ غُمْدَانَ الَّذِي ذَكَرَهُ أُمَيَّةُ بْنُ أَبِي الصَّلْتِ
পৃষ্ঠা - ১৬৪৮
وَاشْرَبْ هَنِيئًا عَلَيْكَ التَّاجُ مُرْتَفِعًا ... فِي رَأْسِ غُمْدَانَ دَارًا مِنْكَ مِحْلَالَا فَدَخَلَ عَلَيْهِ الْآذِنُ فَأَخْبَرَهُ بِمَكَانِهِمْ فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَنَا عَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَاسْتَأْذَنَهُ فِي الْكَلَامِ فَقَالَ لَهُ: إِنْ كُنْتَ مِمَّنْ يَتَكَلَّمُ بَيْنَ يَدَيِ الْمُلُوكِ فَقَدْ أَذِنَّا لَكَ. فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَلَّكَ أَيُّهَا الْمَلِكُ مَحَلًّا رَفِيعًا صَعْبًا مَنِيعًا شَامِخًا بَاذِخًا، وَأَنْبَتَكَ مَنْبَتًا طَابَتْ أَرُومَتُهُ، وَعَزَّتْ جُرْثُومَتُهُ، وَثَبَتَ أَصْلُهُ، وَبَسَقَ فَرْعُهُ، فِي أَكْرَمِ مَوْطِنٍ وَأَطْيَبِ مَعْدِنٍ فَأَنْتَ - أَبَيْتَ اللَّعْنَ - مَلِكُ الْعَرَبِ، وَرَبِيعُهَا الَّذِي تَخْصَبُ بِهِ الْبِلَادُ، وَرَأْسُ الْعَرَبِ الَّذِي لَهُ تَنْقَادُ، وَعَمُودُهَا الَّذِي عَلَيْهِ الْعِمَادُ، وَمَعْقِلُهَا الَّذِي يَلْجَأُ إِلَيْهِ الْعِبَادُ، وَسَلَفُكَ خَيْرُ سَلَفٍ، وَأَنْتَ لَنَا مِنْهُمْ خَيْرُ خَلَفٍ فَلَنْ يَخْمُدَ مَنْ هُمْ سَلَفُهُ، وَلَنْ يَهْلِكَ مَنْ أَنْتَ خَلَفُهُ، وَنَحْنُ أَيُّهَا الْمَلِكُ أَهْلُ حَرَمِ اللَّهِ، وَسَدَنَةُ بَيْتِهِ أَشْخَصَنَا إِلَيْكَ الَّذِي أَبْهَجَنَا مِنْ كَشْفِكَ الْكَرْبَ الَّذِي قَدْ فَدَحَنَا، وَفْدُ التَّهْنِئَةِ لَا وَفْدُ الْمَرْزِئَةِ. قَالَ: وَأَيُّهُمْ أَنْتَ أَيُّهَا الْمُتَكَلِّمُ؟ قَالَ: أَنَا عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بْنُ هَاشِمٍ. قَالَ: ابْنُ أُخْتِنَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: ادْنُ. فَأَدْنَاهُ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِ وَعَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ: مَرْحَبًا وَأَهْلًا وَنَاقَةً وَرَحْلًا وَمُسْتَنَاخًا سَهْلًا، وَمَلِكًا رِبَحْلًا يُعْطِي عَطَاءً جَزْلًا، قَدْ سَمِعَ الْمَلِكُ مَقَالَتَكُمْ، وَعَرَفَ قَرَابَتَكُمْ وَقَبِلَ وَسِيلَتَكُمْ فَأَنْتُمْ أَهْلُ
পৃষ্ঠা - ১৬৪৯

হে সাতীহ! প্রতিনিধি দলের ওরা কারা ? সাভীহ বলল, রুকন বিশিষ্ট নিরাপদ ও
বসবাসকারী সমৃদ্ধ গৃহের কসম, তােমাদেরই বংশধর থেকে কতগুলো সন্তান জন্ম নেবে
যারা প্রতিমাগুলাে ভাৎচুর করবে, শয়তানের উপাসনা প্রত্যাখ্যান করবে, দয়াময় আল্লাহর
একতু ঘোষণা করবে, সকল দীনের শ্রেষ্ঠ দীন প্রচার করবে ৷ তারা উচ্চ মর্যাদা লাভ করবে
এবং যুব সমাজকে দলে টেনে নিয়ে ৷ তারা বলল, হে সার্তীহ্৷ কার বং শে ওরা জন্ম
নেবে? বলল, সর্বাধিক মর্যাদাশীল সত্তার কসম, মর্যাদার স্তরে উন্নীত কারীর কসম ,
মরুভুমির বালুরাশি ন্থানাম্ভরকারীর কসম এবং দ্বিগুণ চতুগুণে বর্ধিতকারীর কসমৰু ওরা
হাজার হাজার লোক জন্ম নিবে আবদ শামস ও আবদ মানাফের বংশে ৷ বংশ পরম্পরায় তারা
এভাবে জন্ম নিবে ৷

তারা বলল, হায়রে দুঃখ ! হে সাতীহ ৷ আপনি আমাদেরকে যা জানালেন তা তো আমাদের
জন্যে অকল্যাণকর বটে ৷ আচ্ছা বলুন তো ওরা কোন শহর থেকে বের হবো সাতীহ বলল,
চিরঞ্জীব সত্তার কসম, অনাদি অনন্ত সত্তার কসম, নিশ্চয় এই শহর ;থা,বৰু বের হবে এক যুবক,
যে সৎপথের দিক নির্দেশনা দেবে ৷ ইয়াপুছ ও ফানড়াদ প্রতিমা বর্জন করবে ৷

আল্লাহ্র শরীকরুপে কল্পিত সকল উপাস্যের উপাসনা থেকে মুক্ত থাকবে ৷ একক
প্রতিপালকের ইবাদত করবে ৷ অবশেষে আল্লাহ তাআলা তাকে সুনাম অর্জনকারী ও

ৎসিতরুপে জীবন অবসান করবেন ৷ পৃথিবী থেকে তিনি বিদায় নিবেন ৷ উর্ধ্ব জগতে থাকবে
তার সাক্ষ্যগণ ৷ এরপর তার কর্মতার গ্রহণ করবেন সিদ্দীক (রা ) ৷ তিনি যখন বিচার করবেন,
ন্যায় বিচার করবেন ৷ মানুষের অধিকার ও পাওনা পরিশোধে তীর কোন ভয়ভীতি ও
দায়িত্হীনতা থাকবে না ৷ এরপর ওই শাসনভার গ্রহণ করবেন সঠিক দীনের অনুসারী একজন
শ্রদ্ধাভাজন ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি ৷ অসত্য কথাবার্তা তিনি কঠোরতার সাথে দমন করবেন ৷
সৎলােকদের তিনি আপ্যায়ন করাঘেন ৷ সঠিক ধর্মমতকে তিনি সুদৃঢ় করবেন ৷ এরপর একজন
অভিজ্ঞ ব্যক্তির হাতে তার দায়িতৃ ন্যস্ত করবেন ৷ এ ব্যক্তি একই সাথে জনমত এবং রাসুলুল্লাহ
(না)-এর আত্মীয়তা দুটোরই অধিকারী হবেন ৷ ফলে শত্রুগণ শত্রুতা ও বিদ্বেষবশত তাকে
হত্যা করবে ৷ এরপর একজন মান্যগণ্য ব্যক্তিকে ওই দাযিতৃ দেয়া হবে ৷ এক সময় র্তাকেও
হত্যা করা হবে ৷ তার হত্যার বিরুদ্ধে কতক লোক প্রতিবাদমুখর হবে ৷

এরপর একজন সাহায্যকারী ওই দায়িতৃ নেবে ৷ তীর অভিমত দুষ্টলোকের অভিমতের সাথে
মিলে যাবে ৷ তখন পৃথিবীতে সেনাতন্ত্র চালু হবে ৷ এরপর তার পুত্র ওই দায়িতৃ গ্রহণ করবে ৷
সে ধনসম্পদ সংগ্রহে মনোনিবেশ করবে ৷ লোকমুখে তার প্রশংসা হ্রাস পাবে ৷ ধনসম্পদ
আত্মসাত করবে এবং সে একাই সেগুলো ভোগ করবে ৷ তারপর তার বংশধররা প্রচুর
ধনসম্পদের মালিক হবে ৷ এরপর একাধিক রাজা ওই পদে আসীন হবে ৷ এতে কোন সন্দেহ
নেই যে, তাদের মধ্যে খুনােখুনি ও রক্তপাত হবে ৷

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৭২-

اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَلَكُمُ الْكَرَامَةُ مَا أَقَمْتُمْ وَالْحِبَاءُ إِذَا ظَعَنْتُمْ، ثُمَّ أُنْهِضُوا إِلَى دَارِ الْكَرَامَةِ وَالْوُفُودِ فَأَقَامُوا شَهْرًا لَا يَصِلُونَ إِلَيْهِ وَلَا يَأْذَنُ لَهُمْ بِالِانْصِرَافِ. ثُمَّ انْتَبَهَ لَهُمُ انْتِبَاهَةً فَأَرْسَلَ إِلَى عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَأَدْنَى مَجْلِسَهُ وَأَخْلَاهُ، ثُمَّ قَالَ: يَا عَبْدَ الْمُطَّلِبِ إِنِّي مُفْضٍ إِلَيْكَ مِنْ سِرِّ عِلْمِي، مَا أَنْ لَوْ يَكُونُ غَيْرُكَ لَمْ أَبُحْ بِهِ، وَلَكِنِّي رَأَيْتُكَ مَعْدِنَهُ; فَأَطْلَعْتُكَ طَلِيعَهُ فَلْيَكُنْ عِنْدَكَ مَطْوِيًّا حَتَّى يَأْذَنَ اللَّهُ فِيهِ فَإِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ: إِنِّي أَجِدُّ فِي الْكِتَابِ الْمَكْنُونِ وَالْعِلْمِ الْمَخْزُونِ الَّذِي اخْتَرْنَاهُ لِأَنْفُسِنَا، وَاحْتَجَبْنَاهُ دُونَ غَيْرِنَا خَيْرًا عَظِيمًا، وَخَطَرًا جَسِيمًا فِيهِ شَرَفُ الْحَيَاةِ، وَفَضِيلَةُ الْوَفَاةِ لِلنَّاسِ عَامَّةً وَلِرَهْطِكَ كَافَّةً وَلَكَ خَاصَّةً. فَقَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ: أَيُّهَا الْمَلِكُ مِثْلُكَ سَرَّ وَبَرَّ فَمَا هُوَ؟ فِدَاكَ أَهْلُ الْوَبَرِ زُمَرًا بَعْدَ زُمَرٍ. قَالَ: إِذَا وُلِدَ مَوْلُودٌ بِتِهَامَةْ، غُلَامٌ بِهِ عَلَامَةْ، بَيْنَ كَتِفَيْهِ شَامَةْ، كَانَتْ لَهُ الْإِمَامَةْ، وَلَكُمْ بِهِ الزَّعَامَةْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةْ. قَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ: أَبَيْتَ اللَّعْنَ، قَدْ أُبْتُ بِخَيْرِ مَا آبَ بِهِ وَافِدٌ، وَلَوْلَا هَيْبَةُ الْمَلِكِ وَإِجْلَالُهُ وَإِعْظَامُهُ; لَسَأَلْتُهُ مِنْ سَارِّهِ إِيَّايَ مَا أَزْدَادُ بِهِ سُرُورًا. قَالَ ابْنُ ذِي يَزَنَ: هَذَا حِينُهُ الَّذِي يُولَدُ فِيهِ، أَوْ قَدْ وُلِدَ وَاسْمُهُ مُحَمَّدٌ يَمُوتُ أَبُوهُ وَأُمُّهُ، وَيَكْفُلُهُ جَدُّهُ وَعَمُّهُ، وَلَدْنَاهُ مِرَارًا وَاللَّهُ بَاعِثُهُ جِهَارًا، وَجَاعِلٌ لَهُ مِنَّا أَنْصَارًا يُعِزُّ بِهِمْ أَوْلِيَاءَهُ، وَيُذِلُّ بِهِمْ أَعْدَاءَهُ، وَيَضْرِبُ بِهِمُ النَّاسَ عَنْ عُرْضٍ، وَيَسْتَبِيحُ بِهِمْ كَرَائِمَ الْأَرْضِ يَكْسِرُ
পৃষ্ঠা - ১৬৫০
الْأَوْثَانَ، وَيُخْمِدُ النِّيرَانَ، وَيَعْبُدُ الرَّحْمَنَ وَيَدْحَرُ الشَّيْطَانَ، قَوْلُهُ فَصْلٌ وَحُكْمُهُ عَدْلٌ، يَأْمُرُ بِالْمَعْرُوفِ وَيَفْعَلُهُ وَيَنْهَى عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُبْطِلُهُ. فَقَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ: أَيُّهَا الْمَلِكُ عَزَّ جَدُّكَ، وَعَلَا كَعْبُكَ، وَدَامَ مُلْكُكَ، وَطَالَ عُمُرُكَ، فَهَذَا نِجَارِي فَهَلِ الْمَلِكُ سَارَّنِي بِإِفْصَاحٍ، فَقَدْ وَضَّحَ لِي بَعْضَ الْإِيضَاحِ. فَقَالَ ابْنُ ذِي يَزَنَ: وَالْبَيْتِ ذِي الْحُجُبِ وَالْعَلَامَاتِ عَلَى النُّقُبِ، إِنَّكَ يَا عَبْدَ الْمُطَّلِبِ لَجَدُّهُ غَيْرَ كَذِبٍ. فَخَرَّ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ سَاجِدًا فَقَالَ: ارْفَعْ رَأْسَكَ ثَلَجَ صَدْرُكَ، وَعَلَا أَمْرُكَ فَهَلْ أَحْسَسْتَ شَيْئًا مِمَّا ذَكَرْتُ لَكَ؟ فَقَالَ: أَيُّهَا الْمَلِكُ كَانَ لِيَ ابْنٌ وَكُنْتُ بِهِ مُعْجَبًا، وَعَلَيْهِ رَفِيقَا فَزَوَّجْتُهُ كَرِيمَةً مَنْ كَرَائِمِ قَوْمِهِ آمِنَةَ بِنْتَ وَهْبٍ فَجَاءَتْ بِغُلَامٍ سَمَّيْتُهُ مُحَمَّدًا فَمَاتَ أَبُوهُ وَأُمُّهُ وَكَفَلْتُهُ أَنَا وَعَمُّهُ. قَالَ ابْنُ ذِي يَزَنَ: إِنَّ الَّذِي قُلْتُ لَكَ كَمَا قُلْتَ فَاحْتَفِظْ بِابْنِكَ، وَاحْذَرْ عَلَيْهِ الْيَهُودَ فَإِنَّهُمْ لَهُ أَعْدَاءٌ، وَلَنْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَهُمْ عَلَيْهِ سَبِيلًا، وَاطْوِ مَا ذَكَرْتُ لَكَ دُونَ هَؤُلَاءِ الرَّهْطِ الَّذِينَ مَعَكَ; فَإِنِّي لَسْتُ آمَنُ أَنْ تُدْخِلَهُمُ النَّفَاسَةُ مِنْ أَنْ تَكُونَ لَكُمُ الرِّيَاسَةُ فَيَطْلُبُونَ لَهُ الْغَوَائِلَ، وَيَنْصِبُونَ لَهُ الْحَبَائِلَ فَهُمْ فَاعِلُونَ أَوْ أَبْنَاؤُهُمْ، وَلَوْلَا أَنِّي أَعْلَمُ أَنَّ الْمَوْتَ مُجْتَاحِي قَبْلَ مَبْعَثِهِ; لَسِرْتُ بِخَيْلِي وَرَجِلِي حَتَّى أُصَيِّرَ يَثْرِبَ دَارَ مُلْكِي فَإِنِّي أَجِدُ فِي الْكِتَابِ النَّاطِقِ وَالْعِلْمِ السَّابِقِ أَنَّ بِيَثْرِبَ اسْتِحْكَامُ أَمْرِهِ، وَأَهْلُ
পৃষ্ঠা - ১৬৫১

এরপর একজন খােদাভীরু দরবেশ লোক ওই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ৷ তিনি ওদেরকে
কাপড়ের ন্যায় ভীজ করে গুঢিয়ে ফেলবেন ৷ এরপর দায়িত্ব নিবে একজন পাপাচারী লোক ৷ সে
সতাকে দুরে সরিয়ে দেবে এবং ক্ষতিকর কাজগুলো কাছে টেনে নেবে ৷ অন্যায়ভাবে রাজ্যগুলো
জয় করবে ৷ এরপর একজন খর্বকায় লোক ওই দায়িত্ব নেবে ৷ তার পৃষ্ঠদেশে একটি চিহ্ন
থাকবে বটে ৷ শান্তির সাথে তার মৃত্যু হবে ৷ এরপর অল্পদিনের জন্যে একজন অল্প বয়স্ক বালক
ওই দায়িত্ব নেবে ৷ সে রাজত্ব ত্যাগ করার পর তার শাসন রীতি বহাল রেখে তার ভাই প্রকাশ্যে
ওই দায়িত্ব নেবে ৷ ধনসম্পদ ও সিংহাসনের প্রতি তার চরম আকর্ষণ থাকবে ৷ এরপর দায়িত্ব
নেবে একজন কর্মচঞ্চল ব্যক্তি ৷ সে হবে দুনিয়াদার ও ভোগবিলাসী ৷ তার বন্ধু বান্ধবপণ হবে
তার উপদেষ্টা ৷ এক সময় তারা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে এবং তাকে পরিত্যাগ করবে ৷
পরবর্তীতে তাকে হত্যা করে রাজত্ব দখল করে নেবে ৷ এরপর ক্ষমতা নেবে একজন অথর্ব
অকর্মণ্য লোক ৷ দেশটিকে সে বরবাদ করে ছাড়বে ৷ তার রাজত্ব ত র ছেলেরা সব ঘৃণাহ
হবে ৷ তারপর সকল নগ্নদেহী তথা নিকৃষ্ট লোকেরা রাষ্ট্র ক্ষমতা পাওয়ার চেষ্টা করবে এবং
আক্ষেপকারী ব্যক্তি ক্ষমতা লাভ করবে ৷ সে কাহতান বংশের শুনযার গোত্রের প্রতি সত্তুষ্ট
থাকবে ৷ লেবানন ও বিনয়ানের মধ্যবর্তীন্থান দামেস্কে যখন দু’দল মুখোমুখি হবে তখন সে
ইয়মােনকে দু’ভাগে ভাগ করবে ৷ একদল হবে পরামর্শভিত্তিক শাসক, অপর দল হবে লাঞ্ছিত ও
অপমানিত ৷ তখন তুমি অশ্বারোহী ও তরবারির মাঝখানে শুধু হাত-পা বীধা শিকল পরা
বন্দীদের দেখতে পাবে ৷ তখন ঘর-দোর ও জনপদশুলো ধ্বংস হয়ে ৷ বিধ্বাদের ধনসম্পদ
লুষ্ঠিত হবে ৷ গর্ভব্তীদের গর্ভপাত ঘটবে ৷ ভুমিকম্প শুরু হবে ৷ দেশ তখন একজন আশ্রয়দাতা
খুজবে ৷ তখন নেযার গোত্র বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে ৷ তারা ক্রীতদাস ও মন্দ লোকদেরকে কাছে
টানবে ৷ ভাল ও উত্তম লোকদেরকে দুরে ঠেলে দিবে ৷ সফর মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য
সামগ্রীর মুল্য বেড়ে যাবে ৷ দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে ৷ তারপর তারা পরিখা বিশিষ্ট স্থানের দিকে
যাত্রা করবে ৷ ওই স্থানটি হবে বৃক্ষরাজি বিশিষ্ট ৷ নদনদী গতিরোধকরবে ৷ দিবসের প্রথম ভাগে
সে শত্রুদেরকে পরাজিত করবে ৷ তখন ভাল মানুষগুলো বেরিয়ে আসবে ৷ কিন্তু নিদ্রা ও বিশ্রাম
তাদের কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না ৷ অবশেষে সে এক শহরে প্রবেশ করবে ৷ সেখানে তার
ইনতিকাল হবে ৷ তারপর পদাতিক তীরন্দাজ বাহিনী আসবে সাহসী লোকদেরকে হত্যা করতে
এবং প্রহরীদেরকে বন্দী করতে ৷ পথভ্রষ্টগণ তখন ধ্বংস হয়ে এবং তার মৃত্যু হবে উপকুল
অঞ্চলে ৷

এরপর দীন ধর্ম বিনষ্ট হবে ৷ কাজকর্ম উন্টে যাবে ৷ অড়াসমানী গ্নহু প্রত্যাখ্যান করা হবে ৷
পুল ভেঙে ফেলা হবে ৷ দ্বীপাঞ্চলে যারা থাকবে তারা ব্যতীত অন্য কেউ মাসের শেষ দিবস
পর্যন্ত জীবিত থাকবে না ৷ এরপর খাদ্যশস্য ধ্বংস হতে থাকবে ৷ বেদুইন গ্রাম লোকেরা ক্ষমতা
দখল করবে ৷ সেই দুর্তোগের যুগে তাদের মধ্যে এমন কোন লোক থাকবে না যে
পাপাচড়ারীদেরকে এবং বিধর্মীদেরকে দেশেত্রুঢি ধরিয়ে দেবে ৷ তখন যারা জীবিত থাকবে তারা
মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত থাকবে না ৷


نُصْرَتِهِ، وَمَوْضِعُ قَبْرِهِ، وَلَوْلَا أَنِّي أَقِيهِ الْآفَاتِ، وَأَحْذَرُ عَلَيْهِ الْعَاهَاتِ لَأَعْلَنْتُ - عَلَى حَدَاثَةِ سِنِّهِ - أَمْرَهُ، وَلَأَوْطَأْتُ عَلَى أَسْنَانِ الْعَرَبِ عَقِبَهُ، وَلَكِنِّي صَادِفٌ ذَلِكَ إِلَيْكَ، عَنْ غَيْرِ تَقْصِيرٍ بِمَنْ مَعَكَ قَالَ: ثُمَّ أَمَرَ لِكُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ بِعَشَرَةِ أَعْبُدٍ وَعَشْرِ إِمَاءٍ، وَبِمِائَةٍ مِنَ الْإِبِلِ، وَحُلَّتَيْنِ مِنَ الْبُرُودِ، وَبِخَمْسَةِ أَرْطَالٍ مِنَ الذَّهَبِ وَعَشَرَةِ أَرْطَالِ فِضَّةٍ، وَكَرِشٍ مَمْلُوءٍ عَنْبَرًا، وَأَمَرَ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ بِعَشْرَةِ أَضْعَافِ ذَلِكَ، وَقَالَ لَهُ: إِذَا حَالَ الْحَوْلُ فَأْتِنِي فَمَاتَ ابْنُ ذِي يَزَنَ قَبْلَ أَنْ يَحُولَ الْحَوْلُ. فَكَانَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ كَثِيرًا مَا يَقُولُ لَا يَغْبِطْنِي رَجُلٌ مِنْكُمْ بِجَزِيلِ عَطَاءِ الْمَلِكِ فَإِنَّهُ إِلَى نَفَادٍ، وَلَكِنْ لِيَغْبِطْنِي بِمَا يَبْقَى لِي وَلِعَقِبِي مِنْ بَعْدِي ذِكْرُهُ وَفَخْرُهُ وَشَرَفُهُ. فَإِذَا قِيلَ لَهُ مَتَى ذَلِكَ؟ قَالَ: سَيُعْلَمُ وَلَوْ بَعْدَ حِينٍ. قَالَ: وَفِي ذَلِكَ يَقُولُ أُمَيَّةُ بْنُ عَبْدِ شَمْسٍ جَلَبْنَا النُّصْحَ تَحْقُبُهُ ... الْمَطَايَا عَلَى أَكْوَارِ أَجْمَالٍ وَنُوقِ مُغَلْغِلَةٌ مَرَاتِعُهَا تُعَالَى ... إِلَى صَنْعَاءَ مِنْ فَجٍّ عَمِيقِ تَؤُمُّ بِنَا ابْنَ ذِي يَزَنَ ... وَيُغْرِي بِذَاتِ بِطُونِهَا ذَمُّ الطَّرِيقِ وَتَرْعَى مِنْ مَخَائِلِهِ بُرُوقًا ... مُوَاصِلَةَ الْوَمِيضِ إِلَى بُرُوقِ
পৃষ্ঠা - ১৬৫২
فَلَمَّا وَاقَعَتْ صَنْعَاءَ حَلَّتْ بِدَارِ الْمُلْكِ وَالْحَسَبِ الْعَتِيقِ وَهَكَذَا رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي الدَّلَائِلِ، مِنْ طَرِيقِ عَمْرِو بْنِ بِكْرِ بْنِ بَكَّارٍ الْقَعْنَبِيِّ بِهِ. ثُمَّ قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: أُخْبِرْتُ عَنْ أَبِي الْحَسَنِ عَلِيِّ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُفَيْرِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الصَّقْرِ بْنِ عُفَيْرِ بْنِ زُرْعَةَ بْنِ سَيْفِ بْنِ ذِي يَزَنَ حَدَّثَنِي أَبِي أَبُو يَزَنَ إِبْرَاهِيمُ حَدَّثَنَا عَمِّي أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَبُو رَجَاءٍ حَدَّثَنَا عَمِّي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عُفَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ زُرْعَةَ بْنِ سَيْفِ بْنِ ذِي يَزَنَ الْحِمْيَرِيِّ قَالَ لَمَّا ظَهَرَ جَدِّي سَيْفُ بْنُ ذِي يَزَنَ عَلَى الْحَبَشَةِ وَذَكَرَهُ بِطُولِهِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الْخَرَائِطِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو يُوسُفَ يَعْقُوبُ بْنُ إِسْحَاقَ الْقُلُوسِيُّ حَدَّثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ الْفَضْلِ بْنِ أَبِي سُوَيَّةَ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ أَبِيهِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُوَيَّةَ عَنْ جَدِّهِ أَبِي سُوَيَّةَ عَنْ أَبِيهِ خَلِيفَةَ قَالَ: سَأَلْتُ مُحَمَّدَ
পৃষ্ঠা - ১৬৫৩


প্রতিনিধি দল বলল, হে সাভীহ! এরপর কী হবো সে বলল, এরপর লম্বা রশির ন্যায়
দীর্ঘকায় একজন ইয়ামানী লোক বেরিয়ে আসবে ৷ তার দ্বারা আল্লাহ তাঅড়ালা সকল
ফিতনা-ফাসাদ নির্মুল করে দেবেন ৷

উপরোক্ত বর্ণনা একটি বিস্ময়কর ও বিরল বর্ণনা বটে ৷ এটির মধ্যে ফিতনা-ফাসাদ এবং

শেষ যুগের বিপর্যয় সম্পর্কিত আলোচনা থাকার কারণে এবং এটির অসাধারণত্বের কারণে
আমরা এটি উল্লেখ করেছি ৷

ইয়ামানের রাজা রাবীআ ইবন নাসরের সাথে শিক ও সাভীহের সাক্ষাত ও আলোচনা এবং
রাসুলুল্লাহ (সা) সম্পর্কে তাদের সুসংবাদ দানের বিষয় ইতিপুর্বে বর্ণনা করা হয়েছে ৰু
অনুরুপভাবে আপন ভাগ্নে আবদুল মাসীহের সাথে সাভীহের সংঘটিত ঘটনা যখন বড়ানু সাসান
বংশীয় পারস্য সম্রাট তাকে পাঠিয়েছিল রাজপ্রাসাদের চুড়া ধ্বৎস ণ্নবং উপাসনার অগ্নিকুণ্ড নিভে
যাওয়ার ঘটনা জানার জন্য, তাও ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

পারস্যের বিচারক ও আইন শাস্ত্রবিদের দেখা স্বপ্নের কথাও আলোচিত হয়েছে ৷ এসব
ঘটনা ঘটেছিল প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (না)-এর জন্মগ্নহণের রাতে ৷ তার শরীয়ত ও ধর্ম তো
অন্য সকল দীন ধর্মকে রহিত করে দিয়েছে ৷


بْنَ عُثْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ سُوَاةَ بْنِ خَثْعَمِ بْنِ سَعْدٍ فَقُلْتُ: كَيْفَ سَمَّاكَ أَبُوكَ مُحَمَّدًا؟ فَقَالَ: سَأَلْتُ أَبِي عَمَّا سَأَلْتَنِي عَنْهُ فَقَالَ: خَرَجْتُ رَابِعَ أَرْبَعَةٍ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ أَنَا مِنْهُمْ وَسُفْيَانُ بْنُ مُجَاشِعِ بْنِ دَارِمٍ وَأُسَامَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُنْدُبِ بْنِ الْعَقِيدِ وَيَزِيدُ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ حَرْبُوصِ بْنِ مَازِنٍ، وَنَحْنُ نُرِيدُ ابْنَ جَفْنَةَ مَلِكَ غَسَّانَ فَلَمَّا شَارَفْنَا الشَّامَ نَزَلْنَا عَلَى غَدِيرٍ عَلَيْهِ شَجَرَاتٌ فَتَحَدَّثْنَا فَسَمِعَ كَلَامَنَا رَاهِبٌ فَأَشْرَفَ عَلَيْنَا فَقَالَ: إِنَّ هَذِهِ لُغَةٌ مَا هِيَ بِلُغَةِ هَذِهِ الْبِلَادِ قُلْنَا: نَعَمْ نَحْنُ قَوْمٌ مِنْ مُضَرَ قَالَ: مِنْ أَيِّ الْمُضَرِيِّينَ؟ قُلْنَا: مِنْ خِنْدَفٍ قَالَ: أَمَا إِنَّهُ سَيُبْعَثُ وَشِيكًا نَبِيٌّ خَاتَمُ النَّبِيِّينَ فَسَارِعُوا إِلَيْهِ، وَخُذُوا بِحَظِّكُمْ مِنْهُ تَرْشُدُوا فَقُلْنَا لَهُ: مَا اسْمُهُ؟ قَالَ: اسْمُهُ مُحَمَّدٌ قَالَ: فَرَجَعْنَا مِنْ عِنْدِ ابْنِ جَفْنَةَ فَوُلِدَ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنَّا ابْنٌ فَسَمَّاهُ مُحَمَّدًا يَعْنِي أَنَّ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ طَمِعَ فِي أَنْ يَكُونَ هَذَا النَّبِيُّ الْمُبَشَّرُ بِهِ وَلَدَهُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَرَائِطِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي سَعْدٍ حَدَّثَنَا حَازِمُ بْنُ عِقَالِ بْنِ الزَّهْرِ بْنِ حَبِيبِ بْنِ الْمُنْذِرِ بْنِ أَبِي الْحُصَيْنِ بْنِ السَّمَوْءَلِ بْنِ عَادِيَاءَ حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ حَيْرَانَ بْنِ جَمِيعِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ سِمَاكِ بْنِ الْحُصَيْنِ بْنِ السَّمَوْءَلِ بْنِ عَادِيَاءَ قَالَ: لَمَّا حَضَرَتِ الْأَوْسَ بْنَ حَارِثَةَ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ الْوَفَاةُ اجْتَمَعَ إِلَيْهِ قَوْمُهُ مِنْ غَسَّانَ فَقَالُوا: إِنَّهُ قَدْ حَضَرَكَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ১৬৫৪
أَمْرِ اللَّهِ مَا تَرَى، وَكُنَّا نَأْمُرُكَ بِالتَّزَوُّجِ فِي شَبَابِكَ فَتَأْبَى. وَهَذَا أَخُوكَ الْخَزْرَجُ لَهُ خَمْسَةُ بَنِينَ، وَلَيْسَ لَكَ وَلَدٌ غَيْرَ مَالِكٍ فَقَالَ: لَنْ يَهْلَكَ هَالِكٌ تَرَكَ مِثْلَ مَالِكٍ إِنَّ الَّذِي يُخْرِجُ النَّارَ مِنَ الْوَثِيمَةِ، قَادِرٌ أَنْ يَجْعَلَ لِمَالِكٍ نَسْلًا وَرِجَالًا بُسْلًا، وَكُلٌّ إِلَى الْمَوْتِ. ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى مَالِكٍ، وَقَالَ: أَيْ بُنَيَّ الْمَنِيَّةُ وَلَا الدَّنِيَّةُ، الْعِقَابُ وَلَا الْعِتَابُ، التَّجَلُّدُ وَلَا التَّلَدُّدُ، الْقَبْرُ خَيْرٌ مِنَ الْفَقْرِ، إِنَّهُ مَنْ قَلَّ ذَلَّ، وَمَنْ كَرَّ فَرَّ، وَمِنْ كَرَمِ الْكَرِيمِ الدَّفْعُ عَنِ الْحَرِيمِ وَالدَّهْرُ يَوْمَانِ; فَيَوْمٌ لَكَ وَيَوْمٌ عَلَيْكَ، فَإِذَا كَانَ لَكَ فَلَا تَبْطَرْ، وَإِذَا كَانَ عَلَيْكَ فَاصْطَبِرْ، وَكُلَاهُمَا سَيَنْحَسِرُ لَيْسَ يُفْلِتُ مِنْهُمَا الْمَلِكُ الْمُتَوَّجُ وَلَا اللَّئِيمُ الْمُعَلْهَجُ، سَلِّمْ لِيَوْمِكَ حِيَالَ رَبِّكَ. ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: شَهِدْتُ السَّبَايَا يَوْمَ آلِ مُحَرَّقٍ ... وَأَدْرَكَ عُمُرِي صَيْحَةَ اللَّهِ فِي الْحِجْرِ فَلَمْ أَرَ ذَا مُلْكٍ مِنَ النَّاسِ وَاحِدًا ... وَلَا سُوقَةً إِلَّا إِلَى الْمَوْتِ وَالْقَبْرِ فَعَلَّ الَّذِي أَرْدَى ثَمُودًا وَجُرْهُمًا ... سَيُعْقِبُ لِي نَسْلًا عَلَى آخِرِ الدَّهْرِ تَقَرُّ بِهِمْ مِنْ آلِ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ ... عُيُونٌ لَدَى الدَّاعِي إِلَى طَلَبِ الْوَتْرِ فَإِنْ لَمْ تَكُ الْأيَّامُ أَبْلَيْنَ جَدَّتِي ... وَشَيَّبْنَ رَأْسِي وَالْمَشِيبُ مَعَ الْعُمُرِ
পৃষ্ঠা - ১৬৫৫
فَإِنَّ لَنَا رَبًّا عَلَا فَوْقَ عَرْشِهِ عَلِيمًا بِمَا يَأْتِي مِنَ الْخَيْرِ وَالشَّرِّ ... أَلَمْ يَأْتِ قَوْمِي أَنَّ للَّهِ دَعْوَةً يَفُوزُ بِهَا أَهْلُ السَّعَادَةِ وَالْبِرِّ ... إِذَا بُعِثَ الْمَبْعُوثُ مِنْ آلِ غَالِبٍ بَمَكَّةَ فِيمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْحِجْرِ ... هُنَالِكَ فَابْغُوا نَصْرَهُ بِبِلَادِكُمْ بَنِي عَامِرٍ إِنَّ السَّعَادَةَ فِي النَّصْرِ قَالَ: ثُمَّ قُضِيَ مِنْ سَاعَتِهِ.