আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في خروجه عليه الصلاة والسلام مع عمه أبي طالب إلى الشام وقصته مع بحيرى الراهب

পৃষ্ঠা - ১৫২৮

চাচা আবু তালিংবর সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা) এর
সিরিয়া সফর এবং পাদ্রী বাহীরার সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গ

ইবন ইসহাক বলেন, অতঃপর আবু তালিব বড়াণিজােপলক্ষে একটি কাফেলার সঙ্গে সিরিয়া
রওয়ানা হন ৷ প্রস্তুতি সম্পন্ন করে যেই মাত্র তিনি রওয়ানা হন, ঠিক তখনি রাসুলুল্লাহ (না)
তাকে জড়িয়ে ধরেন ৷ এতে তার প্রতি আবু তালিব বিগলিত হয়ে পড়েন এবং বলে ওঠেন,
আল্লাহর শপথ ! একে আমি সঙ্গে করে নিয়ে যাব ৷ আমিও তাকে আমার থেকে বিচ্ছিন্ন করব না,
সেও কখনো আমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না ৷

যা হোক, রাসুলুল্লাহ (সা)-কে সঙ্গে করে আবু তালিব রওয়ানা হন ৷ কাফেলা সিরিয়ার
বুসরা নামক এক স্থানে যাত্রা বিরতি করে৷ সেখানকার একটি গীর্জায় এক পাদ্রী অবস্থান
করেন ৷ তার নাম ছিল বাহীরা ৷

খৃষ্টীয় ধর্মের তিনি বড় পণ্ডিত ছিলেন ৷ পাদ্রীতু গ্রহণ অবধি তিনি ঐ পীর্জায়ই সব সময়
থাকতেন ৷ খৃষ্টানদের ধারণা মতে, খ্রীষ্টীয় ধর্মগ্রন্থে তিনিই ছিলেন শীর্ষস্থানীয় পণ্ডিত ৷
উত্তরাধিকার সুত্রে এই জ্ঞান তারা পেয়ে থাকেন ৷

মক্কার এই বণিক কাফেলা এর আগেও বহুবার এ পথ চলাচল করেছে ৷ কিন্তু পাদ্রী বাহীরা
এতকাল পর্যন্ত কখনো তাদের সঙ্গে কথাও বলেন নি এবং তাদের প্রতি ফিরেও তাকান নি ৷
কিত্তু এই যাত্রায় কাফেলা পাদ্রীর গীর্জার নিকটে অবতরণ করলে পাদ্রী তাদের জন্য খাবারের
আয়োজন করেন ৷ কাফেলার লোকজনের ধারণা মতে, পাদ্রী তার গীর্জায় বলে কিছু একটা লক্ষ্য
করেই এমনটি করেছিলেন ৷ তাদের ধারণা, পাদ্রী কাফেলার মাঝে রাসুলুল্পাহ (সা)-কে দেখে
ফেলেছিলেন ৷ ফলে তখন একখণ্ড মেঘ দলের মধ্য থেকে শুধু রাসুলুল্লাহ (না)-কেই ছায়া ণ্
দিচ্ছিল ৷ কাফেলার লোকেরা আরও সামনে অগ্রসর হয়ে পাদ্রীর কাছাকাছি একটি গাছের ছায়ায়
অবস্থান নেয় ৷ পাদ্রী রাসুলুল্লাহ (না)-কে মেঘের ছায়া প্রদান এবং তার প্রতি গাছের ডাল-পালা
ঝুকে থাকছে লক্ষ্য করেন ৷ এসব দেখে পাদ্রী তার পীর্জা হতে বেরিয়ে আসেন ৷ এদিকে তার
আদেশে খাবার প্ৰন্তুত করা হয় ৷ এবার তিনি কাফেলার নিকট লোক প্রেরণ করেন ৷ কাফেলার
প্রতিনিধি দল পাদ্রীর নিকট উপস্থিত হলে পাদ্রী বলেন, ওহে কুরাইশ সম্প্রদায়! আমি তোমাদের
জন্য খাবারের আয়োজন করেছি ৷ আমার একান্ত কামনা তোমরা প্রতেব্রুকে আমার এই
আয়োজনে উপস্থিত হবে, বড় ছোট,গােলাম-আযাদ সকলে ৷ জবাবে একজন বলল, আজ
আপনি ব্যতিক্রম কিছু করছেন দেখছি ৷ ইতিপুর্বে ক্খনাে তো আপনি আমাদের জন্য এরুপ
আয়োজন করেন নি ৷ অথচ এর আগেও বহুবার আমরা এই পথে যাতায়াত করেছি ৷ আজ এমন


[فَصْلٌ فِي خُرُوجِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مَعَ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ إِلَى الشَّامِ وَقِصَّتِهِ مَعَ بَحِيرَى الرَّاهِبِ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ أَبَا طَالِبٍ خَرَجَ فِي رَكْبٍ تَاجِرًا إِلَى الشَّامِ فَلَمَّا تَهَيَّأَ لِلرَّحِيلِ، وَأَجْمَعَ السَّيْرَ صَبَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِيمَا يَزْعُمُونَ - فَرَقَّ لَهُ أَبُو طَالِبٍ، وَقَالَ: وَاللَّهُ لَأَخْرُجَنَّ بِهِ مَعِي وَلَا أُفَارِقُهُ وَلَا يُفَارِقُنِي أَبَدًا، أَوْ كَمَا قَالَ فَخَرَجَ بِهِ فَلَمَّا نَزَلَ الرَّكْبُ بُصْرَى مِنْ أَرْضِ الشَّامِ، وَبِهَا رَاهِبٌ يُقَالَ لَهُ: بَحِيرَى فِي صَوْمَعَةٍ لَهُ وَكَانَ إِلَيْهِ عِلْمُ أَهْلِ النَّصْرَانِيَّةِ، وَلَمْ يَزَلْ فِي تِلْكَ الصَّوْمَعَةِ مُنْذُ قَطُّ رَاهِبٌ فِيهَا إِلَيْهِ يَصِيرُ عِلْمُهُمْ عَنْ كِتَابٍ - فِيمَا يَزْعُمُونَ - يَتَوَارَثُونَهُ كَابِرًا عَنْ كَابِرٍ فَلَمَّا نَزَلُوا ذَلِكَ الْعَامَ بِبَحِيرَى كَانُوا كَثِيرًا مَا يَمُرُّونَ بِهِ قَبْلَ ذَلِكَ فَلَا يُكَلِّمُهُمْ وَلَا يَعْرِضُ لَهُمْ حَتَّى كَانَ ذَلِكَ الْعَامُ فَلَمَّا نَزَلُوا قَرِيبًا مِنْ صَوْمَعَتِهِ صَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا كَثِيرًا، وَذَلِكَ - فِيمَا يَزْعُمُونَ - عَنْ شَيْءٍ رَآهُ وَهُوَ فِي صَوْمَعَتِهِ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الرَّكْبِ حِينَ أَقْبَلُوا، وَغَمَامَةٌ تُظِلُّهُ مِنْ بَيْنِ الْقَوْمِ، ثُمَّ أَقْبَلَوا فَنَزَلُوا فِي
পৃষ্ঠা - ১৫২৯
ظِلِّ شَجَرَةٍ قَرِيبًا مِنْهُ فَنَظَرَ إِلَى الْغَمَامَةِ حِينَ أَظَلَّتِ الشَّجَرَةُ، وَتَهَصَّرَتْ أَغْصَانُ الشَّجَرَةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى اسْتَظَلَّ تَحْتَهَا فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ بَحِيرَى نَزَلَ مِنْ صَوْمَعَتِهِ وَقَدْ أَمَرَ بِطَعَامٍ فَصُنِعَ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ: إِنِّي صَنَعْتُ لَكُمْ طَعَامًا يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ تَحْضُرُوا كُلُّكُمْ كَبِيرُكُمْ، وَصَغِيرُكُمْ وَعَبْدُكُمْ وَحُرُّكُمْ. فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ: وَاللَّهِ يَا بَحِيرَى إِنَّ لَكَ لَشَأْنًا الْيَوْمَ! مَا كُنْتَ تَصْنَعُ هَذَا بِنَا وَقَدْ كُنَّا نَمُرُّ بِكَ كَثِيرًا فَمَا شَأْنُكَ الْيَوْمَ؟ قَالَ لَهُ بَحِيرَى: صَدَقْتَ قَدْ كَانَ مَا تَقُولُ، وَلَكِنَّكُمْ ضَيْفٌ وَقَدْ أَحْبَبْتُ أَنْ أُكْرِمَكُمْ، وَأَصْنَعَ لَكُمْ طَعَامًا فَتَأْكُلُونَ مِنْهُ كُلُّكُمْ فَاجْتَمَعُوا إِلَيْهِ، وَتَخَلَّفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَيْنِ الْقَوْمِ لِحَدَاثَةِ سِنِّهِ فِي رِحَالِ الْقَوْمِ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَلَمَّا رَآهُمْ بَحِيرَى لَمْ يَرَ الصِّفَةَ الَّتِي يَعْرِفُ وَيَجِدُ عِنْدَهُ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، لَا يَتَخَلَّفَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ عَنْ طَعَامِي قَالُوا: يَا بَحِيرَى مَا تَخَلَّفَ أَحَدٌ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَأْتِيَكَ إِلَّا غُلَامٌ وَهُوَ أَحْدَثُنَا سِنًّا فَتَخَلَّفَ فِي رِحَالِنَا قَالَ: لَا تَفْعَلُوا! ادْعُوهُ فَلْيَحْضُرْ هَذَا الطَّعَامَ مَعَكُمْ قَالَ: فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ مَعَ الْقَوْمِ: وَاللَّاتِ وَالْعُزَّى إِنْ كَانَ لَلُؤْمًا بِنَا أَنْ يَتَخَلَّفَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَنْ طَعَامٍ مِنْ بَيْنِنَا، ثُمَّ قَامَ إِلَيْهِ فَاحْتَضَنَهُ، وَأَجْلَسَهُ مَعَ الْقَوْمِ فَلَمَّا رَأَى بَحِيرَى جَعَلَ يَلْحَظُهُ لَحْظًا شَدِيدًا، وَيَنْظُرُ إِلَى أَشْيَاءَ مِنْ جَسَدِهِ قَدْ كَانَ يَجِدُهَا عِنْدَهُ مِنْ صِفَتِهِ حَتَّى إِذَا فَرَغَ الْقَوْمُ مِنْ طَعَامِهِمْ وَتَفَرَّقُوا قَامَ
পৃষ্ঠা - ১৫৩০

কি হলো বলুন তো? বাহীরা বললেন, ঠিকই বলেছ! তোমার কথা যথার্থ ৷ ব্যাপার তেমন কিছু
নয় ৷ তোমরা মেহমান ৷ একবেলা খাবার খাইয়ে তোমাদের যেহমানদারী করতে আশা
করেছিলাম আর কি ৷

কুরাইশ বণিক কাফেলার সকলেই পদ্রীর নিকট সমবেত হন ৷ বয়সে ছোট হওয়ার কারণে
রাসুলুল্লাহ (সা) গাছের নিচে তাদের মালপত্রের নিকট থেকে যান ৷ পাদ্রী যখন দেখলেন যে,
কাফেলার সব লোকই এসেছে ৷ কিন্তু তিনি যে গুণ ও লক্ষণের কথা জানতেন, তা কারো মধ্যে
দেখা যাচ্ছে না ৷ তখন তিনি বললেন, হে কুরাইশ সম্প্রদায় ৷ আমার খাবার থেকে তোমাদের
একজনও যেন বাদ না যায় ৷ লোকেরা বলল, হে বাহীরা ৷ আপনার নিকট যাদের আসা উচিত
ছিল, তাদের একজনও অনুপস্থিত নেই ৷ কেবল বয়সে আমাদের সকলের ছোট একটি বালক
র্তাবুতে রয়ে গেছে ৷ পাদ্রী বলল, “না, তা করো না ৷ ওকেও ডেকে পাঠাও, যেন সেও
তোমাদের সঙ্গে এই খাবাবে শরীক হতে পারে ৷” বর্ণনাকারী বলেন এর জবাবে কাফেলার এক
কুরাইশ সদস্য বলে উঠল, লাত-ওজ্জার শপথ ! মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মুত্তালিব
এই খাবারে আমাদের মধ্য থেকে অনুপস্থিত থাকা আমাদের জন্য দৃর্তাগ্যই বটে ৷ অতঃপর সে
উঠে গিয়ে মুহাম্মদ (না)-কে কোলে করে এনে সকলের সঙ্গে আহারে বসিয়ে দেয় ৷ বাহীরা
তাকে দেখে গভীর দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকেন এবং তার দেহে সেসব লক্ষণ দেখার
চেষ্টা করেন, যা তিনি তার কিভাবে ইতিপুর্বে পেয়েছিলেন ৷

আহার পর্ব শেষে সকলে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে পড়ল ৷ এই সুযোগে বাহীরা রাসুলুল্লাহ
(না)-এর কাছে গিয়ে বললেন, “হে বালক! আমি তোমাকে লাত-ওজ্জার শপথ দিয়ে জানতে
চাচ্ছি, আমি তোমাকে যা জিজ্ঞেস করবো, তার যথার্থ জবাব দিবে কিং” বাহীরা লাভ ওজ্জার
নামে এই জন্যই কসম থেয়েছিলেন যে, তিনি মুহাম্মদ (না)-এর সম্প্রদায়কে এ দুই নামের শপথ
করতে অভ্যস্ত বলে শুনেছিলেন ৷ যা হোক, জবাবে রাসুলুল্পাহ (সা) বললেন, আপনি আমাকে
লাতওজ্জার নামে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না ৷ আল্লাহর শপথ! আমি এই দু’টোর মত অন্য
কিছুকেই এত ঘৃণা করি না ৷ বাহীরা বললেন, আল্লাহর শপথ ৷ আমি তোমাকে যা যা জিজ্ঞেস
করবো, তার যথাযথ জবাব তু দিবে কি? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আপনার যা ইচ্ছে হয়
জিজ্ঞেস করুন ৷ বাহীরা রাসুলুল্লাহ (না)-কে তার ঘুম, আকার-আকৃতি ইত্যাদি সব বিষয়ে
জিজ্ঞেস করতে শুরু করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) এক এক করে সব প্রশ্নের জবাব দিলেন ৷ তার
প্রদত্ত সব বিবরণ বাহীরার পুর্ব থেকে জানা নবীর গুণাবলীর সঙ্গে হুবহু মিলে যায় ৷ তারপর
বাহীরা তার পিঠে দৃষ্টিপাত করে পুর্ব থেকে জানা বিবরণ অনুযায়ী তার দৃ’স্কন্ধের মধ্যবর্তী স্থানে
নবুওতের মহর দেখতে পান ৷

পাদ্রী বাহীরা এবার নবীজির চাচা আবু তালিব-এর দিকে ফিরে বললেন এই বালক
আপনার কী হয় ? আবু তালিব বললেন, আমার পুত্র ৷ বাহীরা বলবেন, না যে আপনার পুত্র নয় ৷
এই বালকের পিতা জীবিত থাকতে পারে না ৷ আবু তালিব বললেন, ও আমার ভাতিজা ৷ পদ্রী
বললেন, ওর পিতার কি হয়েছে? আবু তালিব বললেন, ও যখন তার মায়ের গর্ভে তখন ওর
পিতা মারা যান ৷ পাদ্রী বললেন, ঠিক বলেছেন ৷ ভাতিজাকে নিয়ে আপনি দেশে ফিরে যান ৷


إِلَيْهِ بَحِيرَى. وَقَالَ لَهُ: يَا غُلَامُ أَسْأَلُكَ بِحَقِّ اللَّاتِ وَالْعُزَّى إِلَّا أَخْبَرْتَنِي عَمَّا أَسْأَلُكَ عَنْهُ، وَإِنَّمَا قَالَ لَهُ بَحِيرَى ذَلِكَ; لِأَنَّهُ سَمِعَ قَوْمَهُ يَحْلِفُونَ بِهِمَا فَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَهُ: لَا تَسْأَلْنِي بِاللَّاتِ وَالْعُزَّى فَوَاللَّهِ مَا أَبْغَضْتُ شَيْئًا قَطُّ بُغْضَهُمَا فَقَالَ لَهُ بَحِيرَى: فَبِاللَّهِ إِلَّا مَا أَخْبَرْتَنِي عَمَّا أَسْأَلُكَ عَنْهُ فَقَالَ لَهُ: سَلْنِي عَمَّا بَدَا لَكَ فَجَعَلَ يَسْأَلُهُ عَنْ أَشْيَاءَ مِنْ حَالِهِ مِنْ نَوْمِهِ وَهَيْئَتِهِ وَأُمُورِهِ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُخْبِرُهُ فَوَافَقَ ذَلِكَ مَا عِنْدَ بَحِيرَى مَنْ صِفَتِهِ، ثُمَّ نَظَرَ إِلَى ظَهْرِهِ فَرَأَى خَاتَمَ النُّبُوَّةِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ عَلَى مَوْضِعِهِ مَنْ صِفَتِهِ الَّتِي عِنْدَهُ فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: مَا هَذَا الْغُلَامُ مِنْكَ؟ قَالَ: ابْنِي قَالَ بَحِيرَى: مَا هُوَ بِابْنِكَ وَمَا يَنْبَغِي لِهَذَا الْغُلَامِ أَنْ يَكُونَ أَبُوهُ حَيًّا قَالَ: فَإِنَّهُ ابْنُ أَخِي قَالَ: فَمَا فَعَلَ أَبُوهُ؟ قَالَ: مَاتَ وَأَمُّهُ حُبْلَى بِهِ. قَالَ: صَدَقْتَ ارْجِعْ بِابْنِ أَخِيكَ إِلَى بَلَدِهِ، وَاحْذَرْ عَلَيْهِ يَهُودَ فَوَاللَّهِ لَئِنْ رَأَوْهُ وَعَرَفُوا مِنْهُ مَا عَرَفْتُ، لِيَبْغُنَّهُ شَرًّا فَإِنَّهُ كَائِنٌ لِابْنِ أَخِيكَ هَذَا شَأْنٌ عَظِيمٌ فَأَسْرِعْ بِهِ إِلَى بِلَادِهِ فَخَرَجَ بِهِ عَمُّهُ أَبُو طَالِبٍ سَرِيعًا حَتَّى أَقْدَمَهُ مَكَّةَ حِينَ فَرَغَ مِنْ تِجَارَتِهِ بِالشَّامِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَزَعَمُوا - فِيمَا رَوَى النَّاسُ - أَنَّ زُرَيْرًا وَتَمَّامًا وَدَرِيسًا - وَهُمْ نَفَرٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ - قَدْ كَانُوا رَأَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَمَا
পৃষ্ঠা - ১৫৩১
رَأَى بَحِيرَى فِي ذَلِكَ السَّفَرِ الَّذِي كَانَ فِيهِ مَعَ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ فَأَرَادُوهُ فَرَدَّهُمْ عَنْهُ بَحِيرَى فَذَكَّرَهُمُ اللَّهَ وَمَا يَجِدُونَ فِي الْكِتَابِ مِنْ ذِكْرِهِ، وَصَفَتِهِ، وَأَنَّهُمْ إِنْ أَجْمَعُوا لِمَا أَرَادُوا بِهِ لَمْ يَخْلُصُوا إِلَيْهِ حَتَّى عَرَفُوا مَا قَالَ لَهُمْ، وَصَدَّقُوهُ بِمَا قَالَ فَتَرَكُوهُ وَانْصَرَفُوا عَنْهُ. وَقَدْ ذَكَرَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ أَنَّ أَبَا طَالِبٍ قَالَ فِي ذَلِكَ ثَلَاثَ قَصَائِدَ هَكَذَا ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَذَا السِّيَاقَ مِنْ غَيْرِ إِسْنَادٍ مِنْهُ وَقَدْ وَرَدَ نَحْوَهُ مِنْ طَرِيقٍ مُسْنَدٍ مَرْفُوعٍ فَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَرَائِطِيُّ: حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ حَدَّثَنَا قُرَادٌ أَبُو نُوحٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُوسَى عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَرَجَ أَبُو طَالِبٍ إِلَى الشَّامِ، وَمَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَشْيَاخٍ مِنْ قُرَيْشٍ فَلَمَّا أَشْرَفُوا عَلَى الرَّاهِبِ - يَعْنِي بَحِيرَى - هَبَطُوا فَحَلُّوا رِحَالَهُمْ فَخَرَجَ إِلَيْهِمُ الرَّاهِبُ كَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ يَمُرُّونَ بِهِ فَلَا يَخْرُجُ وَلَا يَلْتَفِتُ إِلَيْهِمْ قَالَ: فَنَزَلَ، وَهُمْ يُحِلُّونَ رِحَالَهُمْ فَجَعَلَ يَتَخَلَّلُهُمْ حَتَّى جَاءَ فَأَخَذَ بِيَدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: هَذَا سَيِّدُ الْعَالَمِينَ، وَفِي رِوَايَةِ الْبَيْهَقِيِّ زِيَادَةٌ: هَذَا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ هَذَا يَبْعَثُهُ اللَّهُ رَحْمَةً لِلْعَالِمِينَ فَقَالَ لَهُ أَشْيَاخٌ مِنْ قُرَيْشٍ: وَمَا عِلْمُكَ؟ فَقَالَ: إِنَّكُمْ حِينَ
পৃষ্ঠা - ১৫৩২


আর ওর ব্যাপারে ইহুদীদের থেকে সতর্ক থাকবেন ৷ আল্লাহর শপথ ! ইহুদীরা যদি ওকে দেখতে
পায় আর আমি ওর ব্যাপারে যা কিছু বুঝতে পেয়েছি, যদি তারা তা বুঝতে পারে, তাহলে ওরা
ওর অনিষ্ট করবে ৷ আপনার এই তাজিতাটি ভবিষ্যতে বিশিষ্ট মর্যাদার অধিকারী হবেন ৷ আপনি
ওকে নিয়ে শীঘ্র দেশে ফিরে যান ৷ আবু তালিব সিরিয়ার বাণিজ্য ৷:ণষ করে রাসুল্লাহ (না)-কে
নিয়ে তাড়াতাড়ি মক্কায় ফিরে আসেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, যারীরা, ছামামা ও দারিসমা আহলে কিতাবের এই তিন ব্যক্তিও
বাহীরার মত উক্ত সফরে রাসুলুল্পাহ (সা)-কে দেখেছিল এবং তাকে সনাক্ত করতে পেয়েছিল ৷
তারা রাসুল (না)-এর ক্ষতিসা ধন করার চেষ্টাও করে ৷ বাহীরা তাদেরকে নিবৃত্ত করেন ৷ তিনি
তাদেরকে আল্লাহর কথা এবং তাওরাতে মুহাম্মদ (সা ) সম্পর্কে যে বিবরণ আংছ, সে সবের কথা
স্মরণ করিয়ে দেন ৷ তারা তার বক্তব্য বুঝে ফেলে এবং তাকে সত্য বলে মেনে নেয় ৷ ফলে
তারা মুহাম্মদ (সা) কে ছেড়ে দিয়ে ফিরে যায় ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র ইবন ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু তালিব উক্ত ঘটনার
বিবরণ দিয়ে তিনটি কাসীদা আবৃত্তি করেছিলেন ৷ এতো গেল ইবন ইসহাক এর বর্ণনা ৷ অন্য
এক মুসনাদেও মারফু সুত্রে অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷

হাফিজ আবু বকর আল-খারায়েতী বর্ণনা করেন যে, আবু বকর ইবন আবু মুসা তার পিতা
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আবু তালিব সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ তার সঙ্গে রাসুলুল্লাহ
(সা)সহ আরও কয়েকজন কুরাইশী ব্যক্তি ৷ পাদ্রী বাহীরার এলাকায় গিয়ে তারা যাত্রা বিরতি
করে ৷ তাদেরকে দেখে পাদ্রী বেরিয়ে আসেন ৷ এর আগেও তারা এই পথে চলাচল করত; কিত্তু
পাদ্রী কখনো বেরিয়ে আসেন নি, তাদের প্রতি ফিরেও তাকান নি ৷ যা হোক কুরাইশ কাফেলা
অবতরণ করে আর পাদ্রী বেরিয়ে তাদের নিকটে চলে আসেন ৷ এসেই তিনি নবীজি (সা) এর
হাত ধরে ফেলে বলেন, “ইনি বিশ্বজগতের সরদার ৷” বায়হাকীর বর্ণনায় অতিরিক্ত রয়েছে,
“ইনি বিশ্বজগতের প্রভুর রাসুল! আল্লাহ তাকে ৰিশ্বজগতের জন্য রহমত বানিয়ে প্রেরণ
করেছেন ৷ একথা শুনে কুরায়শের কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি বলে উঠল, আপনি তার সম্পর্কে কী
জানেনঃ পাদ্রী বললেন, তোমরা পেছনের ঐ পাহাড়ের পাদদেশ অতিক্রম করার সময় প্রতিটি
গাছ, প্রতিটি পাথর তার প্ৰতি সিজদায় লুটিয়ে পড়েছিল ৷ আর এগুলো নবী ছাড়া অন্য কাউকেই
সিজদা করে না ৷ আর আমি তাকে তার র্কাধের সামান্য নিচে অবস্থিত মহরে নবুওত দেখে
সনাক্ত করতে পেরেছি ৷

অতঃপর পাদ্রী ফিরে গিয়ে তাদের জন্য খাবার প্রন্তুত করেন এবং খাবার নিয়ে এসে
দেখতে পেলেন যে, একটি মেঘখণ্ড নবীজি (না)-কে ছায়া প্রদান করছে ৷ তিনি তখন উটের
দেখাশোনা করছিলেন ৷ কাফেলার কাছে এসে তিনি বললেন, ঐ দেখ মেঘ ওকে ছায়া দিচ্ছে ৷
লোকেরা নবীজিকে গাছের ছায়া তলে নিয়ে আসে ৷ নবীজি (সা) গাছের ছায়ায় বসা মাত্র ছায়া
তার প্রতি ঝুকে পড়ে ৷ পাদ্রী বললেন, “লক্ষ্য কর, গাছের ছায়া ওর প্রতি ঝুকে পড়েছে ৷”
বর্ণনাকারী বলেন, পাদ্রী তখন কাফেলার লোকদেরকে শপথ দিয়ে বললেন, যেন তারা নবীজি
(না)-কে নিয়ে রােমে না যায় ৷ কারণ রোমবাসী তাকে দেখলে লক্ষণ দেখে চিনে ফেলবে এবং


أَشْرَفْتُمْ مِنَ الْعَقَبَةِ لَمْ يَبْقَ شَجَرَةٌ وَلَا حَجَرٌ إِلَّا خَرَّ سَاجِدًا وَلَا يَسْجُدُونَ إِلَّا لِنَبِيٍّ، وَإِنِّي أَعْرِفُهُ بِخَاتَمِ النُّبُوَّةِ أَسْفَلَ مِنْ غُضْرُوفِ كَتِفِهِ، ثُمَّ رَجَعَ فَصَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا. فَلَمَّا أَتَاهُمْ بِهِ - وَكَانَ هُوَ فِي رَعْيَةِ الْإِبِلِ - فَقَالَ: أَرْسِلُوا إِلَيْهِ فَأَقْبَلَ، وَغَمَامَةٌ تُظِلُّهُ فَلَمَّا دَنَا مِنَ الْقَوْمِ قَالَ: انْظُرُوا إِلَيْهِ عَلَيْهِ غَمَامَةٌ فَلَمَّا دَنَا مِنَ الْقَوْمِ وَجَدَهُمْ قَدْ سَبَقُوهُ إِلَى فَيْءِ الشَّجَرَةِ فَلَمَّا جَلَسَ مَالَ فَيْءُ الشَّجَرَةِ عَلَيْهِ قَالَ: انْظُرُوا إِلَى فَيْءِ الشَّجَرَةِ مَالَ عَلَيْهِ قَالَ: فَبَيْنَمَا هُوَ قَائِمٌ عَلَيْهِمْ وَهُوَ يُنَاشِدُهُمْ أَلَّا يَذْهَبُوا بِهِ إِلَى الرُّومِ فَإِنَّ الرُّومَ إِنْ رَأَوْهُ عَرَفُوهُ بِالصِّفَةِ فَقَتَلُوهُ فَالْتَفَتَ فَإِذَا هُوَ بِسَبْعَةِ نَفَرٍ مِنَ الرُّومِ قَدْ أَقْبَلُوا قَالَ: فَاسْتَقْبَلَهُمْ فَقَالَ: مَا جَاءَ بِكُمْ؟ قَالُوا: جِئْنَا أَنَّ هَذَا النَّبِيَّ خَارِجٌ فِي هَذَا الشَّهْرِ فَلَمْ يَبْقَ طَرِيقٌ إِلَّا بُعِثَ إِلَيْهِ نَاسٌ، وَإِنَّا أُخْبِرْنَا خَبَرَهُ إِلَى طَرِيقِكَ هَذِهِ قَالَ: فَهَلْ خَلَّفْتُمْ أَحَدًا هُوَ خَيْرٌ مِنْكُمْ؟ قَالُوا: لَا إِنَّمَا أُخْبِرْنَا خَبَرَهُ إِلَى طَرِيقِكَ هَذِهِ قَالَ: أَفَرَأَيْتُمْ أَمْرًا أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَقْضِيَهُ هَلْ يَسْتَطِيعُ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ رَدَّهُ؟ فَقَالُوا: لَا قَالَ: فَبَايَعُوهُ، وَأَقَامُوا مَعَهُ عِنْدَهُ قَالَ: فَقَالَ الرَّاهِبُ: أَنْشُدُكُمُ اللَّهَ أَيُّكُمْ وَلِيُّهُ قَالُوا: أَبُو طَالِبٍ فَلَمْ يَزَلْ يُنَاشِدُهُ حَتَّى رَدَّهُ، وَبَعَثَ مَعَهُ أَبُو بَكْرٍ بِلَالًا، وَزَوَّدَهُ الرَّاهِبُ مِنَ الْكَعْكِ وَالزَّيْتِ. هَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ أَبِي الْعَبَّاسِ الْفَضْلِ بْنِ سَهْلٍ الْأَعْرَجِ عَنْ قُرَادٍ أَبِي نُوحٍ بِهِ،
পৃষ্ঠা - ১৫৩৩
وَالْحَاكِمُ وَالْبَيْهَقِيُّ وَابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ أَبِي الْعَبَّاسِ مُحَمَّدِ بْنِ يَعْقُوبَ الْأَصَمِّ عَنْ عَبَّاسِ بْنِ مُحَمَّدٍ الدُّورِيِّ بِهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي نُوحٍ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَزْوَانَ الْخُزَاعِيِّ مَوْلَاهُمْ، وَيُقَالَ لَهُ: الضَّبِّيُّ، وَيُعْرَفُ بِقُرَادٍ سَكَنَ بَغْدَادَ وَهُوَ مِنَ الثِّقَاتِ الَّذِينَ أَخْرَجَ لَهُمُ الْبُخَارِيُّ، وَوَثَّقَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأَئِمَّةِ وَالْحُفَّاظِ، وَلَمْ أَرَ أَحَدًا جَرَّحَهُ، وَمَعَ هَذَا فِي حَدِيثِهِ هَذَا غَرَابَةٌ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَقَالَ عَبَّاسٌ الدُّورِيُّ: لَيْسَ فِي الدُّنْيَا أَحَدٌ يُحَدِّثُ بِهِ غَيْرُ قُرَادٍ أَبِي نُوحٍ وَقَدْ سَمِعَهُ مِنْهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ رَحِمَهُ اللَّهُ وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ لِغَرَابَتِهِ، وَانْفِرَادِهِ حَكَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، وَابْنُ عَسَاكِرَ. قُلْتُ: فِيهِ مِنَ الْغَرَائِبِ أَنَّهُ مِنْ مُرْسَلَاتِ الصَّحَابَةِ فَإِنَّ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ إِنَّمَا قَدِمَ فِي سَنَةِ خَيْبَرَ سَنَةَ سَبْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ وَلَا يُلْتَفَتُ إِلَى قَوْلِ ابْنِ إِسْحَاقَ فِي جَعْلِهِ لَهُ مِنَ الْمُهَاجِرَةِ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ مِنْ مَكَّةَ، وَعَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ فَهُوَ مُرْسَلٌ فَإِنَّ هَذِهِ الْقِصَّةَ كَانَتْ، وَلِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْعُمُرِ فِيمَا ذَكَرَهُ بَعْضُهُمْ ثِنْتَا عَشْرَةَ سَنَةً، وَلَعَلَّ أَبَا مُوسَى تَلَقَّاهُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَكُونُ أَبْلَغَ أَوْ مِنْ بَعْضِ كِبَارِ الصَّحَابَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَوْ كَانَ هَذَا مَشْهُورًا مَذْكُورًا أَخَذَهُ مِنْ طَرِيقِ الِاسْتِفَاضَةِ.
পৃষ্ঠা - ১৫৩৪


হত্যা করে ফেলবে ৷ এ কথা বলেই পাদ্রী মুখ ফিবিয়েই দেখতে পেলেন যে, সাতজন রােমক
এগিয়ে আসছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, দেখে পাদ্রী তাদের প্রতি এগিয়ে গয়ে জিজ্ঞেস করলেন

তোমাদের আগমনের উদ্দেশ্য কী? জবাবে তার৷ বলল, আসলাম, কারণ আমরা জানতে
পেয়েছি যে, এই নগরীতে এ মাসেই এই নবীর আগমন ঘটতে যাচ্ছে ৷ তাই প্রতিটি রাস্তায়
লোক প্রেরণ করা হয়েছে ৷ আর আমরা আপনার এ পথ দিয়ে তার আগমনের সংবাদ পেয়েছি ৷
পাদ্রী বললে, আচ্ছা, তোমাদের পেছনে কি কেউ আছে তোমাদের চাইতে উত্তম? তারা বলল,
না ৷ আমরা কেবল নবীর এই পথে আগমনের সং বাদ পেয়েই এসেছি ছ৷ পাদ্বী বললেন, আচ্ছা,
বলতো, আল্লাহ যে কাজ সম্পাদন করার ইচ্ছা করেন, তাপ্রতিরােধ করার ক্ষমতা কি কোন
মানুষের আছে? তারা বলল, না’ ৷ বর্ণনাক ৷রী বলেন, একথার পর তা ৷রা পাদ্রীর শিষ্যতু গ্রহণ
করে এবং তার সাহচর্য অবলম্বন করে ৷

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর পাদ্রী কুরাইশ কাফেলাকে লক্ষ্য করে জিজ্ঞেস করেন, আমি
তােমাদেরকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, বল তো, এই বালকের অভিভাবক কে?
জবাবে তারা বলল, আবু তালিব ৷ পাদ্রী নবীজির ব্যাপারে পুনঃপুনঃ অনুরোধ করায় আবু বকর
ও বিলালকে সাথে দিয়ে নবীজিকে মক্কায় ফেরত পাঠিয়ে দেন ৷ পাদ্রী পাথেয় হিসাবে কিছু পিঠা
ও যয়তুন তেল তীর সঙ্গে দিয়ে দেন ৷

তিরমিযী, হাকিম, বায়হাকী ও ইবন আসাকির এবং আরও বহু হাদীসবেত্তা ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এই হাদীসটির সনদ গরীব পর্যায়ের ৷ ইমাম তিরমিযী বলেছেন,
বর্ণনাটি হাসান ও গরীব ৷ বায়হাকী ও ইবন আসাকিরও এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷

আমার মতে, এ বংনিাটিতে কয়েকটি গারাবাত বিদ্যমান ৷ প্রথমত, এটি সাহাবীগণের
মুরসা ল বর্ণনার অন্তর্ভুক্ত ৷ কারণ আবু মুসা আশআরী আরবে আগমন করেছেন খায়বারের বছর
অর্থাৎ হিজরতের সপ্তম বছর ৷ ইবন ইসহাক যে তাকে মক্কা থেকে হাবশায় হিজরত কারী
অভিহিত করেছেন, যে তথ্য গ্রহণযোগ্য নয় ৷ অতএব বর্ণনাটি মুরসাল ৷ কারণ, ঘটনাটি যখন
ঘটে, তখন রাসুল (না)-এর বয়স ছিল বার বছর ৷ সম্ভবত আবু মুসা এ প্রসিদ্ধ ঘটনাটি অন্য
কারো মুখে শুনেই বর্ণনা করেছেন ৷

দ্বিতীয়ত, এর চেয়ে বিশুদ্ধ৩ র হাদীসেও মেঘের কথা উল্লেখ নেই ৷৩ তৃভীযত, এই যে বলা
হল, আবু বকর তার সঙ্গে বিলালকে প্রেরণ করলেন, কথাটাও গ্রহণযোগ্য নয়; কারণ, সে
সময়ে রাসুলুল্লাহ (না)-এর বয়স ছিল বার বছর, তাহলে আবু বকর এর বয়স ছিল নয় কি দশ
বছর ৷ আর বিলালের বয়স তার চেয়েও কম ৷ এমতাবস্থায় প্রশ্ন জাগে, ঘটনাটি যখন ঘটে,
তখন আবু বকরই বা কোথায় ছিলেন, বিলালই বা ছিলেন কোথায়? দৃ’জনই তো তখন
ঘটনান্থলে অনুপস্থিত ৷ তবে, একথা বলা যায় যে, ঘটনাটি এরুপ ঘটেছিল ঠিকই ৷ তবে এটি
অন্য কোন ঘটনা কিৎব৷ তখন রাসুলুল্পাহ (না)-এর বয়স বার বছর হওয়ার বর্ণনাটি সঠিক নয় ৷
করণ, ওয়াকিদী ছাড়া আর কেউ বার বছরের কথা উল্লেখ করেন নি ৷ সুহায়লী বর্ণনা করেছেন
যে, সে সময়ে রাসুলুল্লাহ (সা) এর বয়স ছিল নয় বছর ৷ আল্লাহই৩ ৷লাে জানেন ৷


الثَّانِي: أَنَّ الْغَمَامَةَ لَمْ تُذْكَرْ فِي حَدِيثٍ أَصَحَّ مِنْ هَذَا. الثَّالِثُ: أَنَّ قَوْلَهُ، وَبَعْثَ مَعَهُ أَبُو بَكْرٍ بِلَالًا إِنْ كَانَ عُمُرُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ إِذْ ذَاكَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً فَقَدْ كَانَ عُمُرُ أَبِي بَكْرٍ إِذْ ذَاكَ تِسْعَ سِنِينَ أَوْ عَشْرَةَ، وَعُمُرُ بِلَالٍ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ فَأَيْنَ كَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذْ ذَاكَ؟ ثُمَّ أَيْنَ كَانَ بِلَالٌ؟ كِلَاهُمَا غَرِيبٌ اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يُقَالَ: إِنَّ هَذَا كَانَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَبِيرٌ، إِمَّا بِأَنْ يَكُونَ سَفَرُهُ بَعْدَ هَذَا أَوْ إِنْ كَانَ الْقَوْلُ بِأَنَّ عُمُرَهُ كَانَ إِذْ ذَاكَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً غَيْرَ مَحْفُوظٍ فَإِنَّهُ إِنَّمَا ذَكَرَهُ مُقَيَّدًا بِهَذَا الْوَاقِدِيُّ، وَحَكَى السُّهَيْلِيُّ عَنْ بَعْضِهِمْ، أَنَّهُ كَانَ عُمُرُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ إِذْ ذَاكَ تِسْعَ سِنِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي حَبِيبَةَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ قَالُوا: لَمَّا بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، خَرَجَ بِهِ عَمُّهُ أَبُو طَالِبٍ إِلَى الشَّامِ فِي الْعِيرِ الَّتِي خَرَجَ فِيهَا لِلتِّجَارَةِ، وَنَزَلُوا بِالرَّاهِبِ بَحِيرَى فَقَالَ لِأَبِي طَالِبٍ فِي السِّرِّ مَا قَالَ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَحْتَفِظَ بِهِ فَرَدَّهُ مَعَهُ أَبُو طَالِبٍ إِلَى مَكَّةَ.
পৃষ্ঠা - ১৫৩৫
وَشَبَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أَبِي طَالِبٍ، يَكْلَؤُهُ اللَّهُ وَيَحْفَظُهُ وَيَحُوطُهُ مِنْ أُمُورِ الْجَاهِلِيَّةِ، وَمَعَائِبِهَا لِمَا يُرِيدُ مِنْ كَرَامَتِهِ حَتَّى بَلَغَ أَنْ كَانَ رَجُلَاً أَفْضَلَ قَوْمِهِ مُرُوءَةً، وَأَحْسَنَهُمْ خُلُقًا وَأَكْرَمَهُمْ مُخَالَطَةً وَأَحْسَنَهُمْ جِوَارًا، وَأَعْظَمَهُمْ حِلْمًا وَأَمَانَةً وَأَصْدَقَهُمْ حَدِيثًا، وَأَبْعَدَهُمْ مِنَ الْفُحْشِ وَالْأَذَى مَا رُئِيَ مُلَاحِيًا وَلَا مُمَارِيًا أَحَدًا حَتَّى سَمَّاهُ قَوْمُهُ الْأَمِينَ; لِمَا جَمَعَ اللَّهُ فِيهِ مِنَ الْأُمُورِ الصَّالِحَةِ فَكَانَ أَبُو طَالِبٍ يَحْفَظُهُ وَيَحُوطُهُ وَيَنْصُرُهُ وَيُعَضِّدُهُ حَتَّى مَاتَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ خِدَاشٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ - أَوْ أَبَا طَالِبٍ شَكَّ خَالِدٌ - قَالَ: لَمَّا مَاتَ عَبْدُ اللَّهِ عَطَفَ عَلَى مُحَمَّدٍ فَكَانَ لَا يُسَافِرُ سَفَرًا إِلَّا كَانَ مَعَهُ فِيهِ، وَإِنَّهُ تَوَجَّهَ نَحْوَ الشَّامِ فَنَزَلَ مَنْزِلًا فَأَتَاهُ فِيهِ رَاهِبٌ فَقَالَ: إِنَّ فِيكُمْ رَجُلًا صَالِحًا، ثُمَّ قَالَ: أَيْنَ أَبُو هَذَا الْغُلَامِ؟ قَالَ: فَقَالَ: هَا أَنَا ذَا وَلِيُّهُ، أَوْ قِيلَ: هَذَا وَلِيُّهُ قَالَ: احْتَفِظْ بِهَذَا الْغُلَامِ وَلَا تَذْهَبْ بِهِ إِلَى الشَّامِ إِنَّ الْيَهُودَ حُسُدٌ، وَإِنِّي أَخْشَاهُمْ عَلَيْهِ. قَالَ: مَا أَنْتَ تَقُولُ ذَلِكَ، وَلَكِنَّ اللَّهَ يَقُولُهُ فَرَدَّهُ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسَتُودِعُكَ مُحَمَّدًا، ثُمَّ إِنَّهُ مَاتَ.