আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب مولد رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ১৪৬৬

রড়াসুলুল্পাহ (না)-এর জন্ম

রাসুঙ্গুল্লাহ (সা) সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করেন ৷ ইমাম মুসলিম তার সহীহ মুসলিমে আবু
কাতাদা (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, এক বেদৃইন জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ৷ সোমবার
দিনের রােযা সম্পর্কে আপনি কী বলেন? জবাবে রাসুলুস্লাহ (সা) বনলেন : ঐ দিলেই তো
আমার জন্য এবং ঐ দিলেই আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ হয় ৷

ইমাম আহমদ (র) ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) জন্মগ্রহণ করেছেন সোমবার দিন, নবুওত পেয়েছেন সোমবার দিন, মদীনা
ইিজরতের উদ্দেশ্যে মক্কা ত্যাগ করেছেন সোমবার দিন, মদীনায় পৌছেছেন সোমবার দিন, তার
ওফাত হয়েছে সোমবার দিন এবং হাজরে আসওয়াদ স্থাপন করেছেন সোমবার দিন ৷ অপর এক
বর্ণনায় আছে, সুরা মায়িদাব আয়াত ণ্ধুছুট্রু ৷ ণ্ব্লুট্রু ;এ^হু! ণ্টু’ এ৷ (আজ আমি তোমাদের
জা তোমাদের দীনকে পরিপুর্ণ করে দিলাম) এর অবতরণ এবং বদর যুদ্ধও এই সোমবার দিন
সংঘটিত হয়েছে ৷ কিস্তু এই অভিমতটি সঠিক নয় ৷ কারণ, ইবন আসাকিরের মতে নির্ভরযোগ্য
অভিমত হলো, বদর যুদ্ধ ও আলোচ্য আয়াতের অবতরণ শুক্রবার দিন হয়েছে ৷ তার
অভিমতটিই যথার্থ ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) ইবন আব্বাস (না) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সোমবার দিনই ইন্তিকাল
করেছেন ৷ এভাবে ভিন্ন সুত্রে ইবনে আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্পাহ (সা)
সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সোমবার দিনই ইস্তিকাল করেছেন ৷ এভাবে ভিন্ন সুত্রে
ইবনে আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) সোমবার দিন জন্ম গ্রহণ করেছেন,
তার সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করার ব্যাপারে কারও কোন দ্বিমত নেই ৷ যিনি বলেছেন যে,
রাসুলুল্পাহ (সা) রবিউল আউয়াল মাসের সতের তারিখ শুক্রবার দিন জন্মগ্রহণ করেছেন, তিনি
মারাত্মক ভুল করেছেন ৷ হাফিজ ইবনে দিহইয়া জনৈক শিয়ারইলামুর রার্বী বি-ইসামিল হাদী
নামক গ্রন্থ থেকে এরুপ একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেন ৷ তিনি একে যয়ীফ বলে মন্তব্য করেছেন ৷
এটা আসলেও দুর্বল ৷

জমহুর আলিমণণের সর্বসষ্মত সিদ্ধান্ত যে, রাসুঙ্গুশাহ (সা) জন্মের মাসটি হলো রবিউল
আউয়াল মাস ৷ তারিখের ব্যাপারে নানা অভিমত রয়েছে ৷ ইবন আবদুস বার তার ইসতিরড়াব
গ্রন্থে রবিউল আউয়াল মাসের ২ তারিখের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ ওয়াকির্দীও অনুরুপ বর্ণনা


[بَابُ مَوْلِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] [تَارِيخُ وَمَكَانُ وِلَادَتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] وُلِدَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَامُهُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، لِمَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي صَحِيحِهِ مِنْ حَدِيثِ غَيْلَانَ بْنِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ «أَنَّ أَعْرَابِيًّا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا تَقُولُ فِي صَوْمِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ؟ فَقَالَ: ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيهِ، وَأُنْزِلَ عَلَيَّ فِيهِ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي عِمْرَانَ عَنْ حَنَشٍ الصَّنْعَانِيِّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَاسْتُنْبِئَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَخَرَجَ مُهَاجِرًا مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَقَدِمَ الْمَدِينَةَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَتُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَرَفَعَ الْحَجَرَ الْأَسْوَدَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَرَوَاهُ ابْنُ عُفَيْرٍ، وَابْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، وَزَادَ: وَنَزَلَتْ سُورَةُ الْمَائِدَةِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ} [المائدة: 3] وَهَكَذَا رَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ مُوسَى بْنِ دَاوُدَ بِهِ، وَزَادَ أَيْضًا: وَكَانَتْ،
পৃষ্ঠা - ১৪৬৭
وَقْعَةُ بَدْرٍ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَمِمَّنْ قَالَ هَذَا يَزِيدُ بْنُ حَبِيبٍ. وَهَذَا مُنْكَرٌ جِدًّا قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَالْمَحْفُوظُ أَنَّ بَدْرًا وَنُزُولَ {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ} [المائدة: 3] يَوْمُ الْجُمُعَةِ، وَصَدَقَ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَرَوَى عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَتُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَهَكَذَا رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ وَلِدَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ. وَهَذَا مَا لَا خِلَافَ فِيهِ أَنَّهُ وُلِدَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَأَبْعَدَ بَلْ أَخْطَأَ مَنْ قَالَ: وُلِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِسَبْعَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ. نَقَلُهُ الْحَافِظُ ابْنُ دِحْيَةَ فِيمَا قَرَأَهُ فِي كِتَابِ إِعْلَامِ الْوَرَى بِأَعْلَامِ الْهُدَى لِبَعْضِ الشِّيعَةِ، ثُمَّ شَرَعَ ابْنُ دِحْيَةَ فِي تَضْعِيفِهِ وَهُوَ جَدِيرٌ بِالتَّضْعِيفِ; إِذْ هُوَ خِلَافُ النَّصِّ، ثُمَّ الْجُمْهُورُ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ فَقِيلَ: لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْهُ قَالَهُ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ فِي الِاسْتِيعَابِ، وَرَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ نَجِيحِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَدَنِيِّ، وَقِيلَ: لِثَمَانٍ خَلَوْنَ
পৃষ্ঠা - ১৪৬৮

হুমায়দী ইবন হাষম থেকে ৮ তারিখের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ মালিক, আকীল ও ইউনুস
ইবন ইয়াযীদ প্রমুখ যুহরী মুহাম্মদ ইবন জুবায়র ইবন ঘুৎইম সুত্রে এই অভিমত বর্ণনা
করেছেন ৷ ইবন আবদুল বার বর্ণনা করেছেন যে , ঐতিহাসিকগণ এই অভিমতকে সঠিক বলে
সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ৷ হাফিয মুহাম্মদ ইবন মুসা আলখাওয়ারেযমী এই অভিমতটি অকাট্য বলে
দাবি করেছেন ৷ হাফিয আবুল খাত্তাব ইবন দিহইয়া তার অ্যাত তানভীর ফী মাওলিদিল
বাশীরিন নাযীর’ গ্রন্থে এই অভিমতকে প্রাধান্য দিয়েছেন ৷ কারও কারও মতে, রবিউল আউয়াল
মাসের দশ তারিখ ৷ ইবন দিহইয়া তার কিভাবে এই অভিমত উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইবন আসাকির
আবু জাফর অড়াল-ৰাকির থেকে এবং মুজান্সিদ (র) শাবী থেকে এই অভিমত উদ্ধৃত করেছেন ৷
কারও কারও মতে রবিউল আউয়াল মাসের বার তারিখ ৷ ইবন ইসহাক এ অভিমতের পক্ষে
সুস্পষ্ট বক্তব্য পেশ করেছেন ৷

ইবন আবু শায়বা তার মুসান্নাফ গ্রন্থে হযরত জাবির (রা) এবং ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেছেন যে, তারা বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) হাতির ঘটনার বহর রবিউল আউয়াল মাসের
আঠার তারিখ সােমবারে জন্মগ্রহণ করেন ৷ এই দিলেই তিনি নবুওত লাভ করেন ৷ এই দিলেই
তার মিরাজের ঘটনা সংঘটিত হয়, এই দিলেই তিনি হিজরত করেন এবং এই দিলেই র্তার
ওফাত হয় ৷ জমহুরের নিকট এই অভিমতই প্রসিদ্ধ ৷ আল্লাহই সম্যক জ্ঞাত ৷

কারও কারও মতে , রবিউল আউয়ড়ান্সের সতের তারিখ ৷ ইবন দিহইয়া কোন কোন শিয়া
আলিম থেকে এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ কেউ কেউ বলেন, রবিউল আউয়ালের ৮ দিন বাকী
থাকতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ ইবন দিহইয়া ইবন হাষম থেকে এই অভিমত উদ্ধৃত করেছেন ৷
তবে ইবন হাষম থেকে বিশুদ্ধভাবে বর্ণিত দুটি মতের বিশুদ্ধতর প্রথমটি হচ্ছে নবী করীম
(না)-এর জন্ম রবিউল আউয়ালের আট তারিখে ৷ তা থােক বর্ণিত দ্বিতীয় অভিমতটি হচ্ছে এই
যে, রাসুলুল্পাহ (সা) রমযান সালে জন্মগ্রহণ করেছেন ৷ এটি অত্যন্ত গরীব পর্যায়ের বর্ণনা ৷ এই
অভিমতের ভিত্তি এই যে, যেহেতু সর্বসষ্মত মতে কোনও এক রমযান মাসে নবী করীম
(সা)-এর প্ৰতি প্রথম ওহী নাযিল হয় আর তা ছিল তার চল্লিশ বছর বয়সে, কাজেই তার জন্মও
রমযান মাসেই হয়ে থাকবে ৷ তবে এই অভিমতটিতে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে ৷

খায়হামা ইবন সুশায়মান ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুন্নাহ (সা)
রবিউস্ মাসে সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করেন ৷ রৰিউস্ আউয়াল মাসের শুরুর দিকে সোমবার
তিনি নৰুওত লাভ করেন এবং ঐ মাসেবহ সোমবার তার প্ৰতি সুরা বাকারা নাযিল হয় ৷ ইবন
আসাক্কিন্নেব এ বর্ণনা অত্যত গন্নীব পর্যায়ের ৷ য়ুবন্মেৱ ইবন বাৰ্াব বলেন, নর্ষী করীম (না)-যে
তার মা আর্বী তাণিচ্বব পিরিসশ্ক্টে ৰিতাব দামবাব নিকটে আ’হ্মামে তাপ্যাষ্কে পর্বে ধারণ
করেন এবং রমযান মস্কো বাব তারিখে তিনি সেই বাত্রীত্বেই স্থুমিষ্ঠ যা, যা পরবর্তীতে মোঃ
ইবন মৈং এৰ্৷ ডাই শোব রৈব জ্যো-এব বাড়ি বসে মোঃ হয় ৷

যআি ইবন আনাকাি৷ বর্ণনা করেন যে, ৰাসুলুক্সাহ (না) ন্তোক্রোব দশ তারিঃখ মোঃ
প্র্তে প্লো এবং মোঃ মস্কো বাব তান্ধিথে সোমবার মোঃ অ্যাং ৷ এটি ছিল যতীন
ম্পো ২৩তম বছরে ৷ বথিং আছে যে, লীেহ্মা স্ফো রশীদ এর মা মোঃ শ্লে হস্কো


مِنْهُ. حَكَاهُ الْحُمَيْدِيُّ عَنِ ابْنِ حَزْمٍ، وَرَوَاهُ مَالِكٌ وَعُقَيْلٌ وَيُونُسُ بْنُ يَزِيدَ وَغَيْرُهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ. وَنَقَلَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ عَنْ أَصْحَابِ التَّارِيخِ أَنَّهُمْ صَحَّحُوهُ، وَقَطَعَ بِهِ الْحَافِظُ الْكَبِيرُ مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْخُوَارِزْمِيُّ، وَرَجَّحَهُ الْحَافِظُ أَبُو الْخَطَّابِ ابْنُ دِحْيَةَ فِي كِتَابِهِ التَّنْوِيرِ فِي مَوْلِدِ الْبَشِيرِ النَّذِيرِ. وَقِيلَ: لِعَشْرٍ خَلَوْنَ مِنْهُ نَقَلَهُ ابْنُ دِحْيَةَ فِي كِتَابِهِ، وَرَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ، وَرَوَاهُ مُجَالِدٌ عَنِ الشَّعْبِيِّ كَمَا مَرَّ، وَقِيلَ: لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْهُ نَصَّ عَلَيْهِ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَرَوَاهُ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ فِي مُصَنَّفِهِ عَنْ عَفَّانَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ مِينَا عَنْ جَابِرٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُمَا قَالَا: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ الثَّانِي عَشَرَ مِنْ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَفِيهِ بُعِثُ، وَفِيهِ عُرِجَ بِهِ إِلَى السَّمَاءِ، وَفِيهِ هَاجَرَ، وَفِيهِ مَاتَ. وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ عِنْدَ الْجُمْهُورِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقِيلَ: لِسَبْعَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْهُ كَمَا نَقَلَهُ ابْنُ دِحْيَةَ عَنْ بَعْضِ الشِّيعَةِ، وَقِيلَ: لِثَمَانٍ بَقِينَ مِنْهُ. نَقَلَهُ ابْنُ دِحْيَةَ مِنْ خَطِّ الْوَزِيرِ أَبِي رَافِعٍ ابْنِ الْحَافِظِ أَبِي مُحَمَّدِ ابْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ وَالصَّحِيحُ
পৃষ্ঠা - ১৪৬৯
عَنِ ابْنِ حَزْمٍ الْأَوَّلُ; أَنَّهُ لِثَمَانٍ مَضَيْنَ مِنْهُ. كَمَا نَقَلَهُ عَنْهُ الْحُمَيْدِيُّ وَهُوَ أَثْبَتُ. وَالْقَوْلُ الثَّانِي; أَنَّهُ وُلِدَ فِي رَمَضَانَ نَقَلَهُ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ بَكَّارٍ، وَهُوَ قَوْلٌ غَرِيبٌ جِدًّا وَكَانَ مُسْتَنَدُهُ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أُوحِيَ إِلَيْهِ فِي رَمَضَانَ بِلَا خِلَافٍ، وَذَلِكَ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً مِنْ عُمُرِهِ فَيَكُونُ مَوْلِدُهُ فِي رَمَضَانَ. وَهَذَا فِيهِ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى خَيْثَمَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْحَافِظُ عَنْ خَلَفِ بْنِ مُحَمَّدٍ كُرْدُوسٍ الْوَاسِطِيِّ عَنِ الْمُعَلَّى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَأُنْزِلَتْ عَلَيْهِ النُّبُوَّةُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ فِي أَوَّلِ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَأُنْزِلَتْ عَلَيْهِ الْبَقَرَةُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ حَمَلَتْ بِهِ أُمُّهُ فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ فِي شِعْبِ أَبِي طَالِبٍ عِنْدَ الْجَمْرَةِ الْوُسْطَى، وَوُلِدَ بِمَكَّةَ بِالدَّارِ الْمَعْرُوفَةِ بِمُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ أَخِي الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ.
পৃষ্ঠা - ১৪৭০

াৰুন্তুলোঃ তংআেণ্ল্লীন্ক্ত বহ্ন্ধিটিংক৷ ল্টোদ পত্বিপাতকঢোগ্মন্ত্যদশ ৰুহ্রতো ৷ প্লক্সউস্ফোটোভৌরােড়িটি
াস্ফোব্লইজ্যোপ্রেরিঃট্ত তো৷ র্চিা৷ব্রই চ,ল্গু

ৰু৷ জুইযিলীন্আঃলর্কালন্৷ লাসুললাল (সী) এলংলন্ন্৷ ৷ইল লনোং ওথ৷ এপ্রিক্ষো ৷র্বৃণ্
র্তীযিধোশ্লেফ্রীালহাঅ্যাংম্ল স্পোত্তুল ঢিকিখোক সলশোচ্৷ র্ড লোঃপুল^৷ ৰু
ংন্নাম্ভীতাঃ ফ্রীৰ্লফ্রীালল ঐরজ্জ্বক্তাম্ভ ৷ললশিংহুলপ্সন্টোললোঃ ন্প্ং ন্ৰু ৰু ন্ ৰু ভু-গ্লুন্ ট্রুর্দুৰুট্রু ভু

ন্ত্রা৷ঢ়ন্তী ন্শ্১^ন্ন্রু ৷ণ্ান্ ,ফু ? ৷
স্পো,ৰু ট্রহুষ্টুনলোঃ সহুবচুৰুন্ব কুকুাশু বাসুক্ষাং (ৰুসৃতৃ)স্মি এব্লু জন্মের ঘৃৰুটনচিঘইটছিল্ হড়ী ,,
া ৷হ্ আক্রমভ্রুণরুবস্ফু ৷ জমহ্ব্রেৱ ন্৷ কটএটুাই প্রসিদ্ধৃ অ্ ভিম্তু৷ ছুববাহীম ইবনু মুনষিব







,, স্পে ন্ত্যা ড্রুল সুক্ষ্মাহ্(র্বুসা) (“য় হ্স্তীশুবুত্রু, ,ন্, যচ্াবুবছুব জনুঘেহুণ্কবেছেন এবৃহ্র, এব্চছিশ
বছরের মাথায় নবুওত লাভ করেছেন, তাতে আমাদের আলিমগভ্রুণ্ব্ কাব্লুও ক্লোনুও ধুবুছুায়
নেই ৷ বায়হাকী ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সী)
স্খাখাংর্নীন্অ্যাংম্বীইর্য অ্যাংর্ভহীক্রীছো ৷ লোঃইজ্বইখির্টার্ণর্নীর্কভৈর্কী ঘে, কগ্নিঙ্গী ইবন
অ্যাংঅ্যাংলোঃঅ্যাংলোঃঅ্যাংশ্হ্ লোঃলোঃলল লট্যাং লইর অ্যাংইণ কাল ৷
জ্যাক্কল জললোঃখ্যাঃ ৷ ঞ্জোাল ৷লা) ল’নী ছু য়ীপুর স্থলল লালই মোঃল স্কুলাঙ্কুছু স্থলন্
ন্লাশ্স্থিলোঃল অ্যাংালবৈছিলোঃ আলনিঃ বল, ন্া৷কি লাসুলুলাছু র্ভুসার্টু লড়ৰু ললাগুল ৰুর্তিনি
বললেন, বড় তো রাণ্টাল্লীই সৈাশুৰুই ৷ প্তধে র্তীামি তার তার্ণে ৰুদৃসিয়াভৈ এপৌট্ ৷ ইস্তীৰীর্হিনীর
ন্ ধ্বংসলীলা আমি মোঃ দেগ্রাছি ৮ইন্ডো ইলোঃঅ্যাং ট্যাংমোঃ মোঃ রাম্নোচ্ছে:সো) এর
ণ্লন্সেৰুকাি রিঃ ষ্কেগ্র

ন্হুহীবীনইংহািল ল্যাংছু লোঃলল প্যুহ্লল লটল৷ ইউর্বিল৷ ৷ইিল্পীাল লমোঃ কাি ললৰু লধ্ সংললশু
ইন্ত্রাকুার্কষ্কে লোঃলোঃষ্ণেললহুণঃঅ্যাংল লষ্ণেললব্ লল ৷ আল বালুললই ৷সা)
ৰুৰুলৰুল্গুভু শ্ণ্ন্লণ্ ষ্লস্পোন্ন্নোংলাণ্াল ৷;লছব্ পল ৷ র্মুইালঈ ইললন্তিদুলালল ইলন
ংদ্বুতইৰুমণ্ংন্বল্লোস্পংসৌং লললাংথিংলমোঃলোঃ লালধ্ ৰ্হুল লহৃা ৷ লষ্াবুল৷ লাক্টনিলাণ্া
ইট্টোছা“উর্কীধেব ক্ষাংন্হুাছইব্লিপ্ারৈ ৷ অ ৷রু লাসুলুলাহুলৰুগুৎ লীভ লাফ্রী কা ল পুর্নলোঃইধ্ব
লালয় লইল লোঃ

হাফিজ বায়হাকী বর্ণনা করেন যে, আবুল হওয়ায়রিছ বলেন, আমি শ্যুনছি যে, আবদুল

< লিলস্থলললললোঃললহুফ্রী ন্লৰু৷ নভুা৷ ই শীশু ৷হৃষ্ললা৷ন্াললজ্ঞাস্৷ র্কালছেন কুলাছ তুমি বড ধ্ না
ৰীপুছুলাইদ্বুক্ট্রড়াছুভুর্চুালোঃঅ্যাংন্ং ; ৰুষ্ঙুদ্হ(সাটু আছুটু৷ অপেক্ষ, অ্াৰুা,

ব ( § ৷;শ্ মোঃ মিঃ চ্ছুছুা৷ হ্রস্টিংছুাহ ছুসা)রুহাম্ভী হার্টনাব বছব্ল জন্যেহ্ণ করেছেন ৷ আিাব স্পষ্ট

আিাৰুাভ্রুদ্বুদ্বু,পুিরুয নিকট গিয়ে, দ্ড়িয়ােছুৰুলন্ ৷ আর

মনে আছে (য, আমার ,
ব্লান্নুস্থুল্লাহ্ৰুস্লো৷ জন্মেব্ ৷ম্রাথ্রাষ্ণুনুরওতলাড় করেনা

ইয়াকুব ইবন সুযিম্নোকপ্লিকত্নেনঅ্যাং দুঃমোঃপাকেলোঃান্নমোঃট্র আঃলোঃহ

সােষ্ট্রমোঃস্ফোফৌ ৷ সৌং ক্লীট্যাং ষ্ৰ,ন্তেহুঅ্যাং লোঃা; ব্লোঃাস্তীসঃক্ষ্য £য; সৃামোঃ ইবন

খ্যাঃ;ন্সা দ্বা৷হুর্ক মোঃরুসৌংমোঃ মোঃাৱজ্যি৷ মোঃজ্জ্বা৷;ক্ষাং রায়ুলোঃ (ন্স্রা)ণ্ৰুএ্যা দু ’জ্জরর
মোঃা;দ্যোক্রোজ্বব্লল্দো লোঃলোঃলোঃক্তাত্নীব্ল লোঃষ্কে ব্লক্রোছেঃম্ভা;৷ লোঃণ










وَرَوَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عُقْبَةَ بْنِ مُكْرَمٍ عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ شَرِيكٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: حُمِلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَاشُورَاءَ الْمُحَرَّمِ، وَوُلِدَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ، سَنَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ مِنْ غَزْوَةِ أَصْحَابِ الْفِيلِ. وَذَكَرَ غَيْرُهُ أَنَّ الْخَيْزُرَانَ، وَهِيَ أَمُّ هَارُونَ الرَّشِيدِ لَمَّا حَجَّتْ أَمَرَتْ بِبِنَاءِ هَذِهِ الدَّارِ مَسْجِدًا فَهُوَ يُعْرَفُ بِهَا الْيَوْمَ. وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ أَنَّ مَوْلِدَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ كَانَ فِي الْعِشْرِينَ مِنْ نِيسَانَ. وَهَذَا أَعْدَلُ الْأَزْمَانِ وَالْفُصُولِ، وَذَلِكَ لِسَنَةِ اثْنَتَيْنِ وَثَمَانِينَ وَثَمَانِمِائَةٍ لِذِي الْقَرْنَيْنِ فِيمَا ذَكَرَ أَصْحَابُ الزِّيجِ، وَزَعَمُوا أَنَّ الطَّالِعَ كَانَ لِعِشْرِينَ دَرَجَةً مِنَ الْجَدْيِ وَكَانَ الْمُشْتَرِي وَزُحَلُ مُقْتَرِنَيْنَ فِي ثَلَاثِ دَرَجٍ مِنَ الْعَقْرَبِ، وَهِيَ دَرَجَةٌ وَسْطَ السَّمَاءِ وَكَانَ مُوَافِقًا مِنَ الْبُرُوجِ الْحَمَلَ وَكَانَ ذَلِكَ عِنْدَ طُلُوعِ الْقَمَرِ أَوَّلَ اللَّيْلِ. نَقَلَهُ كُلَّهُ ابْنُ دِحْيَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مَوْلِدُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَامَ الْفِيلِ. وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ عَنِ الْجُمْهُورِ. قَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ: وَهُوَ الَّذِي لَا يَشُكُّ فِيهِ أَحَدٌ مِنْ عُلَمَائِنَا أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وُلِدَ عَامَ الْفِيلِ، وَبُعِثَ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً مِنَ الْفِيلِ.
পৃষ্ঠা - ১৪৭১
وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي الْمُطَّلِبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ قَالَ: وُلِدْتُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ، كُنَّا لِدَيْنِ، قَالَ: وَسَأَلَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قُبَاثَ بْنَ أُشْيَمٍ أَخَا بَنِي يَعْمُرَ بْنِ لَيْثٍ: أَنْتَ أَكْبَرُ أَمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْبَرُ مِنِّي، وَأَنَا أَقْدَمُ مِنْهُ فِي الْمِيلَادِ، وَرَأَيْتُ خَذْقَ الْفِيلِ أَخْضَرَ مُحِيلًا وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالْحَاكِمُ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ عُكَاظٍ ابْنَ عِشْرِينَ سَنَةً. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ كَانَ الْفُجَّارُ بَعْدَ الْفِيلِ بِعِشْرِينَ سَنَةً وَكَانَ بِنَاءُ الْكَعْبَةِ بَعْدَ الْفُجَّارِ بِخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً وَالْمَبْعَثُ بَعْدَ بِنَائِهَا بِخَمْسِ سِنِينَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ: كَانَتْ عُكَاظُ بَعْدَ الْفِيلِ بِخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَبِنَاءُ الْكَعْبَةِ بَعْدَ عُكَاظٍ بِعَشْرِ سِنِينَ وَالْمَبْعَثُ بَعْدَ بِنَائِهَا بِخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ১৪৭২

করেন ৷ এর পরের বছর পর অনুষ্ঠিত হয় উকায মেলা ৷ পচিশ বছর পর কাবা পুনঃনির্মিত
হয় ৷ চল্লিশ বছরের মাথায় নবী করীম (সা) নবৃওত লাভ করেন ৷

সারকথা, জমহুর-এর অভিমত অনুযায়ী রাসুলুল্লাহ (সা) হস্তির ঘটনার বছর জন্মগ্রহণ
করেছেন ৷ কারও মতে হস্তির ঘটনার একমাস পরে ৷ কারও মতে চল্লিশব্ক্ত দিন পরে, অপর কারও
মতে পঞ্চাশ দিন পরে ৷ পঞ্চাশ দিনের অভিমতই সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ৷

আবু জাফর বাকের (র) থেকে বর্ণিত যে, হস্তি বাহিনীর আগমনের ঘটনা ঘুহাববমের মধ্য
ভাগে ঘটেছিল আর রাসুসুল্লাহ (না)-এর জন্মের ঘটনা ঘটে তার পঞ্চান্ন দিন পরে ৷ অন্যরা
বলেন, না বরং হন্তির ঘটনা ঘটেছে রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্মের দশ বছর আগে ৷ ইবন আবৃযা
এরুপ বলেছেন ৷ কারও কারও মতে, ৫তইশ বছর আগে ৷ কেউ কেউ বলেছেন, ত্রিশ বছর
পরে ৷ মুসা ইবন উকবা যুহরী থেকে এই অভিমত ব্যক্ত করেন এবং তিনি ওই অভিমত সমর্থনও
করেছেন ৷ আবু যড়াকড়ারিয়া আজলানী বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্ম হস্তির ঘটনার চল্লিশ বছর
পরের ঘটনা ৷ ইবন আসাকিরের এই বন্নাি অত্যন্ত পরীব পর্যায়ের ৷ ইবন আব্বাস (না) থেকে
একটি বর্ণনা আছে যে, তিনি বলেছেন রাসুলুল্লাহ (সা) হস্তির ঘটনার পনের বছর আগে
জন্মগ্রহণ করেন ৷ তবে এই বর্ণনাটি গরীব, মুনকড়ার ও দুর্বল ৷ তবে রড়াসুলুল্লাহ (সা) এর জন্ম
হস্তির ঘটনার বছরে হওয়ার বিষয়টি প্রায় সর্বসষ্মত ৷


وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ الْمَدِينِيِّ حَدَّثَنَا الزُّبَيْرُ بْنُ مُوسَى عَنْ أَبِي الْحُوَيْرِثِ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ يَقُولُ لِقُبَاثِ بْنِ أُشْيَمٍ الْكِنَانِيِّ ثُمَّ اللَّيْثِيِّ: يَا قُبَاثُ أَنْتَ أَكْبَرُ أَمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْبَرُ مِنِّي، وَأَنَا أَسَنُّ وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ، وَوَقَفَتْ بِي أُمِّي عَلَى رَوْثِ الْفِيلِ مُحِيلًا أَعْقِلُهُ. وَتُنُبِّئَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا نُعَيْمٌ يَعْنِي ابْنَ مَيْسَرَةَ عَنْ بَعْضِهِمْ عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ أَنَّهُ قَالَ: أَنَا لِدَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وُلِدْتُ عَامَ الْفِيلِ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ أَنَّهُ قَالَ: أَنَا أَصْغَرُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَنَتَيْنِ قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ النَّوْفَلِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ قَالَ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ، وَكَانَتْ بَعْدَهُ عُكَاظٌ بِخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَبُنِيَ الْبَيْتُ عَلَى رَأْسِ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً مِنَ الْفِيلِ، وَتَنَبَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً مِنَ الْفِيلِ.
পৃষ্ঠা - ১৪৭৩
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُلِدَ عَامَ الْفِيلِ، عَلَى قَوْلِ الْجُمْهُورِ. فَقِيلَ: بَعْدَهُ بِشَهْرٍ، وَقِيلَ: بِأَرْبَعِينَ يَوْمًا، وَقِيلَ: بِخَمْسِينَ يَوْمًا وَهُوَ أَشْهَرُ، وَعَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ كَانَ قُدُومُ الْفِيلِ لِلنِّصْفِ مِنَ الْمُحَرَّمِ، وَمَوْلِدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَهُ بِخَمْسٍ وَخَمْسِينَ لَيْلَةً. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ كَانَ عَامُ الْفِيلِ قَبْلَ مَوْلِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَشْرِ سِنِينَ قَالَهُ ابْنُ أَبْزَى. وَقِيلَ: بِثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً رَوَاهُ شُعَيْبُ بْنُ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَقِيلَ: بَعْدَ الْفِيلِ بِثَلَاثِينَ سَنَةً قَالَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَاخْتَارَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَيْضًا رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَالَ أَبُو زَكَرِيَّا الْعَجْلَانِيُّ: بَعْدَ الْفِيلِ بِأَرْبَعِينَ عَامًا رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا، وَأَغْرَبُ مِنْهُ مَا قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ حَدَّثَنِي شُعَيْبُ بْنُ حَيَّانَ عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَبِي عَمْرٍو عَنِ الْكَلْبِيِّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ الْفِيلِ بِخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ، وَمُنْكَرٌ، وَضَعِيفٌ أَيْضًا قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ وَالْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ أَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وُلِدَ عَامَ الْفِيلِ.
পৃষ্ঠা - ১৪৭৪

রন্সুলুন্নাহ (সা) এর জন্মের বিবরণ

আমরা পুর্বে উল্লেখ করে এসেছি যে, আবদুস মুত্তাশির পুত্র আবদুরাহকে মরেহ করার
মান্নত করে পরে আরঘোই ৰ্স্খান্ব তার পরিবর্তে একপত উট যৰেহ করেন ৷ কারণ, মহান
অল্লেস্ফো আঅপাে নির্ধারণ মোতাবেক আশুয়াংর মৈং সমগ্র আদম সঙ্কানের সরদার সর্বশেম
রাসুদ ও fl! নর্ষীর আর্বিঙ্কার পুর্বেই নির্ধারিত করে ন্নেখেহিদেন ৷ এরপর আবদুস মুতাসিম
র্তাৰে ষুৰাইশের এক মাড়াষ্ পরিবারে ষুব্দিমষ্ঠী ৰিচক্ষণ কন্য আযিনা ৰিনতে ওহৰ্ (ইবন
আরদে মড়ানড়াফ্ ইবন বাহবা)-এর সঙ্গে বিবাহ দেন ৷ তাদের মিপন্মো পর রড়াসুসুল্লাহ (সা)
আমিনার পর্তে আসেন ৷ বনাবাহন্য, ওরকো ইবন নজ্যো বোন উত্তর কিতাব রকৌকা ৰিনতে
নওফ্স আমিনার সঙ্গে মিলনের পুর্বে আব্দুল্লাহর লশাটে নুর দেখতে পেয়েছিলেন ৷ ফলে তিনি
উক্ত নুরের হেয়াে লাভ করতে উদগ্রীব হয়ে পড়েন ৷ কারণ তিনি তার ডাই-এর নিকট শুনতে
পেয়েছিলেন যে, মুহাম্মদ নামক একজন নবী আবির্ভুত হবেন এবং সে সময়টি আসন্ন ৷ তাই
তিনি আবদুল্লাহর সাথে মিলনের জন্য, মতাস্তরে বিবাহের জন্য নিজেকে পেশ করেন ৷ বিবাহের
প্রস্তাবের কথাই সমধিক প্রসিদ্ধ ৷ কিস্তু আবদুল্লাহ সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ৷ পরবর্তীতে সেই
নুর আমিনার মধ্যে স্থানান্তরিত হলে ওরাকা ইবন নওফলের বোনের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করার জন্য
আবদুল্লাহ অনেকটা বিরত বোধ করেন ৷ এবার তিনি নিজে অনুরুপ প্রস্তাব দিলে মহিলাটি বলে
এখন আর তোমাকে দিয়ে আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷ তখন সে সৌভাপ্য থেকে বঞ্চিত
হওয়ায় অড়াক্ষেপ করে এবং অত্যন্ত উচুমানেব কয়েকটি পংক্তি আবৃত্তি করে ৷ উল্লেখ যে, এভাবে
চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার ব্যাপারটি রাসুলুল্লাহ (না)-এর কারণেই ঘৰুটছিল, আব্দুল্লাহর জন্য
নয় ৷ আল্লাহ তাআলা বলেন :

“রাসুল কাকে বানাবেন, আল্লাহ নিজেই তা ভালো জানেন ৷ ”

ইতিপুর্বে এ মর্মে একটি হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন যে, অবৈধ
মিলনে নয় বৈবাহিক বন্ধন থেকেই তিনি জন্মলাভ করেছেন ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় তার পিতা আবদুল্লাহ ইস্তিকাল করেন ৷ এটাই
প্রসিদ্ধ অভিমত ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ বর্ণনা করেন যে, আইয়ুব বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আবদুল
মুত্তাণিব কুরায়শ-এর এক বণিক কাফেলার সঙ্গে সিরিয়ার গাজা অঞ্চলে যান ৷ বাণিজ্য শেষে
ফেরার পথে মদীনা পৌছলে আবদুল্লাহ অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ ফলে তিনি তার মাতুলগােষ্ঠী বনী
আদী ইবন নাজ্জার-এর কাছে থেকে যান এবং তাদের নিকট অসুস্থ অবস্থায় এক মাস অবস্থান
করেন ৷ সঙ্গীরা মক্কা পৌছলে আবদুল মুত্তাসিব পুত্রের কথা জানতে চাইলে তারা বলে, র্তাকে


[صِفَةُ مَوْلِدِهِ الشَّرِيفِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] صِفَةُ مَوْلِدِهِ الشَّرِيفِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ قَدْ تَقَدَّمُ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ لَمَّا ذَبَحَ تِلْكَ الْإِبِلَ الْمِائَةَ عَنْ وَلَدِهِ عَبْدِ اللَّهِ حِينَ كَانَ نَذَرَ ذَبْحَهُ فَسَلَّمَهُ اللَّهُ تَعَالَى; لِمَا كَانَ قُدِّرَ فِي الْأَزَلِ مِنْ ظُهُورِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاتَمِ الرُّسُلِ، وَسَيِّدِ وَلَدِ آدَمَ مِنْ صُلْبِهِ فَذَهَبَ كَمَا تَقَدَّمَ فَزَوَّجَهُ أَشْرَفَ عَقِيلَةٍ فِي قُرَيْشٍ، آمِنَةَ بِنْتَ وَهْبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ زُهْرَةِ الزُّهْرِيَّةَ فَحِينَ دَخَلَ بِهَا، وَأَفْضَى إِلَيْهَا حَمَلَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ كَانَتْ أُمُّ قَنَّالٍ رُقَيْقَةُ بِنْتُ نَوْفَلٍ أُخْتُ وَرَقَةَ بْنِ نَوْفَلٍ تَوَسَّمَتْ مَا كَانَ بَيْنَ عَيْنَيْ عَبْدِ اللَّهِ قَبْلَ أَنْ يُجَامِعَ آمِنَةَ مِنَ النُّورِ فَوَدَّتْ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ مُتَّصِلًا بِهَا لِمَا كَانَتْ تَسْمَعُ مِنْ أَخِيهَا مِنَ الْبِشَارَاتِ بِوُجُودٍ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ قَدْ أَزِفَ زَمَانُهُ فَعَرَضَتْ نَفْسَهَا عَلَيْهِ. قَالَ بَعْضُهُمْ: لِيَتَزَوَّجَهَا وَهُوَ أَظْهَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَامْتَنَعَ عَلَيْهَا. فَلَمَّا انْتَقَلَ ذَلِكَ النُّورُ الْبَاهِرُ إِلَى آمِنَةَ بِمُوَاقَعَتِهِ إِيَّاهَا كَأَنَّهُ تَنَدَّمَ عَلَى مَا كَانَتْ عَرَضَتْ عَلَيْهِ فَتَعَرَّضَ لَهَا لِتُعَاوِدَهُ فَقَالَتْ: لَا حَاجَةَ لِي فِيكَ، وَتَأَسَّفَتْ عَلَى مَا فَاتَهَا مِنْ ذَلِكَ، وَأَنْشَدَتْ فِي ذَلِكَ مَا قَدَّمْنَاهُ مِنَ الشِّعْرِ الْفَصِيحِ الْبَلِيغِ، وَهَذِهِ الصِّيَانَةُ لِعَبْدِ اللَّهِ لَيْسَتْ لَهُ، وَإِنَّمَا هِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ১৪৭৫
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّهُ كَمَا قَالَ تَعَالَى {اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ} [الأنعام: 124] وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ الْمَرْوِيُّ مِنْ طَرِيقٍ جَيِّدٍ أَنَّهُ قَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ «وُلِدْتُ مِنْ نِكَاحٍ لَا مِنْ سِفَاحٍ» . وَالْمَقْصُودُ أَنَّ أُمَّهُ حِينَ حَمَلَتْ بِهِ تُوُفِّيَ أَبُوهُ عَبْدُ اللَّهِ وَهُوَ حَمْلٌ فِي بَطْنِ أُمِّهِ، عَلَى الْمَشْهُورِ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ هُوَ الْوَاقِدِيُّ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ الرَّبَذِيُّ وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ قَالَا: خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِلَى الشَّامِ إِلَى غَزَّةَ فِي عِيرٍ مِنْ عِيرَاتِ قُرَيْشٍ يُحَمِّلُونَهُ تِجَارَاتٍ فَفَرَغُوا مِنْ تِجَارَتِهِمْ، ثُمَّ انْصَرَفُوا فَمَرُّوا بِالْمَدِينَةِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَوْمَئِذٍ مَرِيضٌ فَقَالَ: أَتَخَلَّفُ عِنْدَ أَخْوَالِي بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ فَأَقَامَ عِنْدَهُمْ مَرِيضًا شَهْرًا، وَمَضَى أَصْحَابُهُ فَقَدِمُوا مَكَّةَ فَسَأَلَهُمْ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ عَنِ ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالُوا: خَلَّفْنَاهُ عِنْدَ أَخْوَالِهِ بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ وَهُوَ مَرِيضٌ فَبَعَثَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ أَكْبَرَ وَلَدِهِ الْحَارِثَ فَوَجَدَهُ قَدْ تُوُفِّيَ وَدُفِنَ فِي دَارِ النَّابِغَةِ فَرَجَعَ إِلَى أَبِيهِ فَأَخْبَرَهُ فَوَجَدَ عَلَيْهِ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ وَإِخْوَتُهُ وَأَخَوَاتُهُ وَجْدًا شَدِيدًا، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ حَمْلٌ، وَلِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَوْمَ تُوُفِّيَ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ১৪৭৬


অসুস্থ অবস্থায় তার মাতুলালয়ে রেখে এসেছি ৷ খবর শুনে আবদুল মুত্তালিব তার বড় ছেলে
হারিছকে প্রেরণ করেন ৷ হারিছ মদীনায় গিয়ে দেখেন, আবদুল্লাহর ইন্তিকাল হ্য়েছে এবং
দারুন্নাবিগায় র্তাকে দাফন করা হয়েছে ৷ তখন তিনি ফিরে এসে পিতাকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত
করেন ৷ সংবাদ শুনে পিতা আবদুল মুত্তালিব ও আবদুল্লাহর ভাই-বোনেরা শোকাহত হয়ে
পড়েন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তখন মায়ের গর্ভে ৷ মৃত্যুকালে আবদুল্লাহব্ল বয়স ছিল পচিশ বছর া

ওয়াকিদী বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে আবদুল্পাহর মৃত্যুর ব্যাপারে এটিই সর্বাপেক্ষা সঠিক
অভিমত ৷ তিনি বর্ণনা করেন যে, আবদুল মুত্তালিব আব্দুল্লাহকে খেজুর আনবার জন্য মদীনা
প্রেরণ করেছিলেন ৷ সেখানে তিনি ইন্তিকাল করেন ৷

মুহাম্মদ ইবন সাদ বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ (সা)এর বয়স যখন আটাশ মাস, তখন
তার পিতা আবদুল্লাহর মৃত্যু হয় ৷ কারও কারও মতে, তখন তার বয়স ছিল সাত মাস ৷ তবে
মুহাম্মদ ইবন সাদ-এর নিজের অভিমত হলো, আবদুল্লাহ মৃত্যুকালে রাসুলুল্লাহ (সা) মাতৃগর্ভে
ছিলেন ৷ যুবায়র ইবন বাক্কার-এর বর্ণনা মতে পিতার মৃত্যুকান্সে রাসুলুল্লাহ (সা) ছিলেন দুই
মাসের শিশু ৷ মায়ের মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল বার বছর আর যখন তার দাদার মৃত্যু হয়,
তখন তিনি আট বছরের কিশোর ৷ মৃত্যুকালে দাদা আবদুল মুত্তাশিব চাচা আবু তালিবের হাতে
তীর লালন-পালনের তার অর্পণ করে যান ৷ ওয়াক্ষিদী ও তার লিপিকার (ইবন সাদ) পিতার
মৃত্যুর সময় রাসুলুল্পাহ (সা) মায়ের গর্ভে ছিলেন ৷ এটিই এর্তীমত্বের উর্ধ্বতন স্তর ৷ এমর্মে
হাদীছ পুর্বেই উদ্ধৃত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “আমি গর্ভে থাকাবন্থায় আমার মা
স্বপ্নে দেখেন যে, যেন তার মধ্য থেকে একটি নুর বের হয়ে সিরিয়ার রাজপ্রাসাদসমুহ
আলোকিত করে ফেলেছে ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, আমিনা বিনতে ওহব নিজে বলতেন
যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তার গর্ভে থাকাকালে স্বপ্নে কে যেন তাকে বলে যায় , তুমি এই উম্মতের
সরদারকে গর্ভে ধারণ করেছ ৷ তিনি ভুমিষ্ঠ হলে তুমি বলবে, একে আমি সকল হিংসুকের অনিষ্ট
ও যাবতীয় বিপদাপদ থেকে এক আল্লাহর আশ্রয়ে সােপর্দ করছি ৷ কারণ প্ৰশংসার্দু আল্লাহর
নিকট তিনি মর্যাদাবান ৷ র্তার সঙ্গে এমন একটি নুর বের হবে, যা সিরিয়ার রাজপ্রাসাদ সমুহকে
আলোকিত করে ফেলবে ৷ ভুমিষ্ঠ হলে তুমি তার নাম রাখবে মুহাম্মদ, তাওরাতে তার নাম
আহমদ ৷ আকাশ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা তার প্রশংসা করে ৷ ইনজীলেও তার নাম আহমদ ৷
আর কুরআনে তার নাম মুহাম্মদ ৷

আমিনার স্বপ্ন সম্পর্কিত এই দুটি হাদীস প্রমাণ করে যে, তিনি স্বপ্নে দেখেছিলেন যেন তার
মধ্য হতে এমন একটি নুর বের হয়েছিল, যাতে সিরিয়ার প্রাসাদসমুহ আলোকিত হয়ে যায় ৷
অতঃপর নবী করীম (না)-এর জন্মের পর তিনি এই স্বপ্নের বাস্তবরুপ প্রত্যক্ষ করেন ৷

মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমিনা বিনতে ওহব
বলেছেন মুহাম্মদ আমার গর্ভে থাকাবন্থায় প্রসব পর্যন্ত তার জন্য আমি বিন্দুমাত্র কষ্ট অনুভব
করিনি ৷ প্রসবের সময় তার সঙ্গে একটি নুর বের হয়, যা পৃথিবীর পুর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সব
আলোকিত করে তোলে ৷ আমার মত থেকে বের হওয়াকালে তিনি উভয় হাতে মাটিতে ভর
দেন ৷ অতঃপর হাতে এক মুঠাে মাটি নিয়ে আসমানের দিকে উচু করেন ৷ কারো কারো মতে


قَالَ الْوَاقِدِيُّ: هَذَا هُوَ أَثْبَتُ الْأَقَاوِيلِ فِي وَفَاةِ عَبْدِ اللَّهِ وَسِنِّهِ عِنْدَنَا. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنِي مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بَعَثَ عَبْدَ اللَّهِ إِلَى الْمَدِينَةِ يَمْتَارُ لَهُمْ تَمْرًا فَمَاتَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: وَقَدْ أَنْبَأَنَا هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيُّ عَنْ أَبِيهِ، وَعَنْ عَوَانَةَ بْنِ الْحَكَمِ قَالَا: تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بَعْدَمَا أَتَى عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِيَةٌ وَعِشْرُونَ شَهْرًا، وَقِيلَ: سَبْعَةُ أَشْهُرٍ، وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: وَالْأَوَّلُ أَثْبَتُ؛ أَنَّهُ تُوُفِّيَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَمْلٌ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَسَنٍ عَنْ عَبْدِ السَّلَامِ عَنِ ابْنِ خَرَّبُوذَ قَالَ: تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بِالْمَدِينَةِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنُ شَهْرَيْنِ، وَمَاتَتْ أُمُّهُ وَهُوَ ابْنُ أَرْبَعِ سِنِينَ، وَمَاتَ جَدُّهُ وَهُوَ ابْنُ ثَمَانِ سِنِينَ فَأَوْصَى بِهِ إِلَى عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ وَالَّذِي رَجَّحَهُ الْوَاقِدِيُّ، وَكَاتِبُهُ الْحَافِظُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، تُوُفِّيَ أَبُوهُ وَهُوَ جَنِينٌ فِي بَطْنِ أُمِّهِ. وَهَذَا أَبْلَغُ الْيُتْمِ، وَأَعْلَى مَرَاتِبِهِ وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي الْحَدِيثِ «، وَرُؤْيَا أُمَّيِ الَّذِي رَأَتْ حِينَ حَمَلَتْ بِي كَأَنَّهُ خَرَجَ مِنْهَا نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ» وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فَكَانَتْ آمِنَةُ بِنْتُ وَهْبٍ أُمُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُحَدِّثُ أَنَّهَا
পৃষ্ঠা - ১৪৭৭
أُتِيَتْ حِينَ حَمَلَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقِيلَ لَهَا: إِنَّكِ قَدْ حَمَلْتِ بِسَيِّدِ هَذِهِ الْأُمَّةِ فَإِذَا وَقَعَ إِلَى الْأَرْضِ فَقُولِي: أُعِيذُهُ بِالْوَاحِدْ مِنْ شَرِّ كُلِّ حَاسِدْ فِي كُلِّ بَرٍّ عَامِدْ، وَكُلِّ عَبْدٍ رَائِدْ، نُزُولَ غَيْرِ ذَائِدْ، فَإِنَّهُ عَبْدُ الْحَمِيدِ الْمَاجِدْ حَتَّى أَرَاهُ قَدْ أَتَى الْمَشَاهِدْ. وَآيَةُ ذَلِكَ أَنَّهُ يَخْرُجُ مَعَهُ نُورٌ يَمْلَأُ قُصُورَ بُصْرَى مِنْ أَرْضِ الشَّامِ فَإِذَا وَقَعَ فَسَمِّيهِ مُحَمَّدًا فَإِنَّ اسْمَهُ فِي التَّوْرَاةِ أَحْمَدُ يَحْمَدُهُ أَهْلُ السَّمَاءِ وَأَهْلُ الْأَرْضِ، وَاسْمَهُ فِي الْإِنْجِيلِ أَحْمَدُ يَحْمَدُهُ أَهْلُ السَّمَاءِ وَأَهْلُ الْأَرْضِ، وَاسْمَهُ فِي الْقُرْآنِ مُحَمَّدٌ. وَهَذَا وَذَاكَ يَقْتَضِي أَنَّهَا رَأَتْ حِينَ حَمَلَتْ بِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَأَنَّهُ خَرَجَ مِنْهَا نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ، ثُمَّ لَمَّا، وَضَعَتْهُ رَأَتْ عِيَانًا تَأْوِيلَ ذَلِكَ كَمَا رَأَتْهُ قَبْلَ ذَلِكَ هَاهُنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ هُوَ الْوَاقِدِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ عَنْ أَخِيهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ ح، وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ১৪৭৮

রাসুলুল্পাহ (সা) দুই ছুাটুতে ভর করে হামাগুড়িরত অবস্থায় তুমিষ্ঠ হন ৷ আর তীর সঙ্গে এমন
একটি আলো নির্গত হয় যে, তার আলোতে সিরিয়ার রাজপ্রাসাদ ও হাট-বাজার সব আলোকিত
হয়ে যায় ৷ আমিনা বলেন, সেই আলোতে বসরার উটের ঘাড;সমুহ দৃশ্যমান হয়ে উঠে ৷ তখন

শিশু নবীর মাথা আসমানের দিকে উথিত ছিল ৷ বায়হাকী উছমান ইবন আবুল আস থেকে
বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেন, আমার যা আমাকে বলেন যে, আমিনা ৰিনতে ওহব শিশু নধীকে
প্রসবের সময় তিনি ঘটনাহলে উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি বলেন, যে রাতে আমিনার ঘরে আমি নুর
ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাইনি ৷ আমি দেখতে পেলাম, আকাশের তারকাগুলো যেন এসে
আমার পায়ের ওপর পড়ছে ৷

কাজী ইয়ায আবদুর রহমান ইবন আওফ এর মা শিফা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
শুনেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) দুই হাতে ভর করে ভুমিষ্ঠ হয়ে কেদে ওঠেন ৷ তখন আমি শুনতে
পেলাম, কেউ একজন বসে উঠলেন : “আল্লাহ আপনাকে রহম করুন” ৷ আর তার সঙ্গে এমন
এক আলো উদ্ভাসিত হয় যে, তাতে রোমের বৃাজপ্রাসাদসমুহ দৃশ্যমান হয়ে ওঠে ৷

মুহ্াষ্মঙ্গ ইবন ইসহ্াক বলেন, রাসুলুল্পাহ (সা) তুমিষ্ঠ হওয়ার পর আমিনা তার দাসী
মারফত আবদুল মুত্তালিবের নিকট খবর পাঠান ৷ স্বামী আবদুল্লাহ তো আমিনার অন্তঃসত্ত্বা
অবন্থায়ই মারা গিয়েছিলেন ৷ কথিত আছে যে, আবদুল্লাহ যখন মৃত্যুবরণ করেন , রাসুলুল্লাহ
(না) তখন আটাশ মাসের শিশু ৷ আর কোনটা সঠিক, তা আল্পাহই ভালো জানেন ৷

দাসী গিয়ে আবদুল মুত্তালিবকে বলে যে, দেখে আসুন, আপনার একটি নাতি হয়েছে ৷
আবদুল মুত্তালিব আমিনার নিকট আসলে আমিনা সব ঘটনা খুলে বলেন ৷ এই সন্তানের ,
ব্যাপারে তিনি স্বপ্নে কি দেখেছিলেন এবং তার কি নাম রাখতে আদিষ্ট হয়েছেন, তাও তিনি
ব্যক্ত করেন ৷ সব শুনে আবদুল মুত্তালিব রাসুলুল্পাহ (না)-কে নিয়ে কাবার অভ্যন্তরে হোবল
এর কাছে গিয়ে দাড়িয়ে তার জন্য দোয়া করেন এবং মহান আল্লাহর সমীপে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন
করে বলেন :





শ্৷ : ))¢ )




০ শ্ :ষ্ণ্

) :

;, ৷


جَعْفَرٍ الزُّهْرِيُّ عَنْ عَمَّتِهِ أُمِّ بَكْرٍ بِنْتِ الْمِسْوَرِ عَنْ أَبِيهَا، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمَدَنِيُّ، وَزِيَادُ بْنُ حَشْرَجٍ عَنْ أَبِي، وَجْزَةَ ح، وَحَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنْ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ ح، وَحَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - دَخَلَ حَدِيثُ بَعْضِهِمْ فِي حَدِيثِ بَعْضٍ - أَنَّ آمِنَةَ بِنْتَ وَهْبٍ قَالَتْ: لَقَدْ عَلِقْتُ بِهِ - تَعْنِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَمَا وَجَدْتُ لَهُ مَشَقَّةً حَتَّى وَضَعْتُهُ فَلَمَّا فَصَلَ مِنِّي خَرَجَ مَعَهُ نُورٌ أَضَاءَ لَهُ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ إِلَى الْمَغْرِبِ ثُمَّ وَقَعَ إِلَى الْأَرْضِ مُعْتَمِدًا عَلَى يَدَيْهِ، ثُمَّ أَخَذَ قَبْضَةً مِنَ التُّرَابِ فَقَبَضَهَا، وَرَفَعَ رَأَسَهُ إِلَى السَّمَاءِ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: وَقَعَ جَاثِيًا عَلَى رُكْبَتَيْهِ، وَخَرَجَ مَعَهُ نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ، وَأَسْوَاقُهَا حَتَّى رَأَيْتُ أَعْنَاقَ الْإِبِلِ بِبُصْرَى رَافِعًا رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ مُبَشِّرُ بْنُ الْحَسَنِ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عِمْرَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ أَبِي سُوَيْدٍ الثَّقَفِيِّ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ حَدَّثَتْنِي أُمِّي أَنَّهَا شَهِدَتْ، وِلَادَةَ آمِنَةَ
পৃষ্ঠা - ১৪৭৯
بِنْتِ وَهْبٍ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ وَلَدَتْهُ قَالَتْ: فَمَا شَيْءٌ أَنْظُرُ إِلَيْهِ فِي الْبَيْتِ إِلَّا نُورٌ، وَإِنِّي أَنْظُرُ إِلَى النُّجُومِ تَدْنُو حَتَّى إِنِّي لِأَقُولُ لَيَقَعْنَ عَلَيَّ. وَذَكَرَ الْقَاضِي عِيَاضٌ عَنِ الشِّفَاءِ أُمِّ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّهَا كَانَتْ قَابِلَتَهُ، وَأَنَّهَا أَخْبَرَتْ بِهِ حِينَ سَقَطَ عَلَى يَدَيْهَا، وَاسْتَهَلَّ سَمِعَتْ قَائِلًا يَقُولُ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ. وَإِنَّهُ سَطَعَ مِنْهُ نُورٌ رُئِيَتْ مِنْهُ قُصُورُ الرُّومِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا، وَضَعَتْهُ بَعَثَتْ إِلَى عَبْدِ الْمُطَّلِبِ جَارِيَتَهَا - وَقَدْ هَلَكَ أَبُوهُ، وَهِيَ حُبْلَى - وَيُقَالَ: إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ هَلَكَ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنُ ثَمَانِيَةٍ وَعِشْرِينَ شَهْرًا فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ - فَقَالَتْ: قَدْ وُلِدَ لَكَ اللَّيْلَةَ غُلَامٌ فَانْظُرْ إِلَيْهِ فَلَمَّا جَاءَهَا، أَخْبَرَتْهُ وَحَدَّثَتْهُ بِمَا كَانَتْ رَأَتْ حِينَ حَمَلَتْ بِهِ وَمَا قِيلَ لَهَا فِيهِ وَمَا أُمِرَتْ أَنْ تُسَمِّيَهُ فَأَخَذَهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَأَدْخَلَهُ عَلَى هُبَلَ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ فَقَامَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ يَدْعُو وَيَشْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، وَيَقُولُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَعْطَانِي ... هَذَا الْغُلَامَ الطَّيِّبَ الْأَرْدَانِ قَدْ سَادَ فِي الْمَهْدِ عَلَى الْغِلْمَانِ ... أُعِيذُهُ بِاللَّهِ ذِي الْأَرْكَانِ حَتَّى يَكُونَ بِلُغَةِ الْفِتْيَانِ ... حَتَّى أَرَاهُ بَالِغَ الْبُنْيَانِ أُعِيذُهُ مِنْ كُلِّ ذِي شَنَآنِ ... مِنْ حَاسِدٍ مُضْطَرِبِ الْعِنَانِ
পৃষ্ঠা - ১৪৮০


— সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি আমাকে পবিত্র আস্তিন এর অবািকারী এই শিশুটি
দান করেছেন ৷ আমার বাসনা, দােলনায় বসেই এই শিশু আর সব শিশুর ওপর কর্তৃতু করবে ৷
রুকন বিশিষ্ট ঘরের নিকট আমি এর জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করছি ৷ এই শিশুকে আমি যুবকদের
আদর্শরুপে পরিণত বয়সে দেখতে চাই ৷ সকল অনিষ্ট ও হিংসুকের ৰিদ্বেষ থেকে এর জন্য আমি
আশ্রয় চাই ৷ আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি উদ্ধত ফণাবিশিষ্ট চক্ষুবিহীন সর্প থেকে ৷ তুমিই (হে
আমার প্রিয় নাতি !) কুরআনে-মহান গ্রন্থসমুহে আহমদ নামে আখ্যায়িত এবং লোকজনেব
রসনড়ায় তোমার নামটি লিপিবদ্ধ রয়েছে ৷

বায়হাকী বর্ণনা করেন, ইবন আব্বাস (বা) তার পিতা আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) খ তনাকৃত ও নাড়ি কর্ভিত জন্মগ্রহণ করেন দেখে তার দাদা
আবদুল মুত্তান্সিব মুগ্ধ হয়ে যান এবং বলেন, উত্তরকালে আমার এই সত্তানটি যশস্বী হ্বে ৷
বাস্তবেও তাই হয়েছে ৷ এর বিশুদ্ধতা সন্দেহমুক্ত নয় ৷ অনুরুপ একটি বর্ণনা আবু নুয়ায়মেরও
রয়েছে ৷ কেউ কেউ একে বিশুদ্ধ এমন কি মুতাওয়াতির ণ্ন্ন্র্নড়াভ্রুয়র পর্যন্ত বলেছেন ৷ কিত্তু তাও
সন্সেহ্মুক্ত নয় ৷ ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, আনা’ঞ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন : “আল্লাহর নিকট আমার মর্যাদার একটি হলো এই যে, আমি খতনাকৃত অবস্থায়
জন্মলড়াভ করেছি এবং আমার লজ্জা স্থান কেউ দেখতে পড়ায়নি ৷”

হাফিজ ইবন আসাকির আবু বাকরাহ থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেন, জিবরীল (আ)
যখন নবী করীম (না)-এর বক্ষ বিদারণ (সীনা চাক) করেন, তখন তিনি তার খতনাও করেন ৷
এটা নিতান্ত গরীব পর্যায়ের ৷ অন্য এক সুত্রে বর্ণিত আছে, নবী করীম (না)-এর দাদা আবদুল
মুত্তালিব তার খাতনা করেন এবং সেই উপলক্ষে কুরাইশদেরকে দাওয়াত দিয়ে আখ্যায়িত
করেন ৷

বায়হাকী আবুল হাকাম তানুখী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কুরাইশদের সমাজে
নিয়ম ছিল যে, কোন সন্তান জন্ম হলে তারা নবজাতককে পরবর্তী ভোর পর্যন্ত কতিপয় কুরাইশ
মহিলাদের নিকট দিয়ে রাখত ৷ শিশুটিকে তারা পাথর নির্মিত ডেপ দিয়ে ঢেকে রাখতো ৷
রাসুলুল্লাহ (না) ভুমিষ্ঠ হলে নিয়ম অনুযায়ী আবদুল মুত্তালিব র্তাকেও সেই মহিলাদের হাতে
অর্পণ করেন ৷ মহিলারা তাকেও ডেগ দিয়ে ঢেকে রাখে ৷ ভোর হলে এসে তারা দেখতে পায়
যে, ডেগ ফেটে দ্বিখণ্ডিত হয়ে আছে আর শিশু মুহাম্মদ দু’চোখ খুলে বিক্ষারিত নয়নে আকাশের
দিকে তাকিয়ে আছেন ৷ মহিলারা দৌড়ে আবদুল মুত্তালিবের নিকট এসে বলে, কি আশ্চর্য,
এরুপ নবজাতক তো আমরা কখনও দেথিনি ৷ ভোরে এসে আমরা দেখতে পেলাম যে, ডেগ
ফেটে দ্বিখণ্ডিত হয়ে আছে আর সে চোখ র্দু’টো খুলে বিহ্মারিত নয়নে আকাশের দিকে তাকিয়ে
আছে! শুনে আবদুল মুত্তালিব বললেন, তাকে তোমরা হেফাজত কর, আমি আশা করি,
ভবিষ্যতে এই শিশু যশস্বী হয়ে কিৎবা বললেন, যে প্রচুর কল্যাণের অধিকারী হবে ৷ সপ্তম দিনে
আবদুল মুত্তালিব তার আকীকা করেন এবং কুরাইশদেরকে দাওয়াত করেন ৷ আহার শেষে
মেহমানরা বলল, আবদুল মুত্তালিব! যে সন্তানের উপলক্ষে আজকের এই নিমন্ত্রণের আয়োজন,
তার নাম কি রাখলে? আবদুল মুত্তালিব বললেন, আমি তার নাম মুহাম্মদ রেখেছি ৷ শুনে তারা
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৬২-


ذِي هِمَّةٍ لَيْسَ لَهُ عَيْنَانِ حَتَّى أَرَاهُ رَافِعَ اللِّسَانِ ... أَنْتَ الَّذِي سُمِّيتَ فِي الْفُرْقَانِ فِي كُتُبٍ ثَابِتَةِ الْمَثَانِي ... أَحْمَدَ مَكْتُوبًا عَلَى اللِّسَانِ وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ حَاتِمٍ الدَّارَبْجِرْدِيُّ بِمَرْوٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْبُوشَنْجِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو أَيُّوبَ سُلَيْمَانُ بْنُ سَلَمَةَ الْخَبَائِرِيُّ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَطَاءِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ زِيَادِ بْنِ الْحَارِثِ الصُّدَائِيُّ بِمِصْرَ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِيهِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَخْتُونًا مَسْرُورًا قَالَ: فَأَعْجَبَ جَدَّهُ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ وَحَظِيَ عِنْدَهُ، وَقَالَ: لَيَكُونَنَّ لِابْنِي هَذَا شَأْنٌ فَكَانَ لَهُ شَأْنٌ. وَهَذَا الْحَدِيثُ فِي صِحَّتِهِ نَظَرٌ وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمِصِّيصِيِّ عَنْ هُشَيْمٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِنْ كَرَامَتِي عَلَى اللَّهِ أَنِّي وُلِدْتُ مَخْتُونًا، وَلَمْ يَرَ سَوْءَتِي أَحَدٌ» ثُمَّ أَوْرَدَهُ مِنْ طَرِيقِ الْحَسَنِ بْنِ عَرَفَةَ عَنْ هُشَيْمٍ بِهِ، ثُمَّ أَوْرَدَهُ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمَانَ هُوَ الْبَاغَنْدِيُّ حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ১৪৮১
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَيُّوبَ الْحِمْصِيُّ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَبِي مُوسَى الْمَقْدِسِيُّ حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَسْرُورًا مَخْتُونًا. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْغِطْرِيفِيُّ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمَالِكِيُّ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سَلَمَةَ الْخَبَائِرِيُّ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَطَاءٍ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانٍ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِيهِ الْعَبَّاسِ قَالَ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَخْتُونًا مَسْرُورًا فَأَعْجَبَ ذَلِكَ جَدَّهُ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ وَحَظِيَ عِنْدَهُ، وَقَالَ: لَيَكُونَنَّ لِابْنِي هَذَا شَأْنٌ فَكَانَ لَهُ شَأْنٌ. وَقَدِ ادَّعَى بَعْضُهُمْ صِحَّتَهُ لِمَا وَرَدَ لَهُ مِنَ الطُّرُقِ حَتَّى زَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ مُتَوَاتِرٌ، وَفِي هَذَا كُلِّهِ نَظَرٌ. وَمَعْنًى مَخْتُونًا أَيْ: مَقْطُوعَ الْخِتَانِ، وَمَسْرُورًا أَيْ: مَقْطُوعَ السُّرَّةِ مِنْ بَطْنِ أُمِّهِ. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُيَيْنَةَ الْبَصَرِيِّ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَائِنِيُّ السُّلَمِيُّ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ مُحَارِبِ بْنِ سَلْمِ بْنِ زِيَادٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ: أَنَّ جِبْرِيلَ خَتَنَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ
পৃষ্ঠা - ১৪৮২


বলল, পরিবারের অন্যদের নামের সঙ্গে মিল রেখে নাম রাখলেন না যে ৷ আবদুল মুত্তালিব
বললেন, আমার ইচ্ছা, আসমানে স্বয়ং আল্লাহ আর যমীনে তার সৃষ্টিকুল তার প্রশংসা করবেন ৷
ভাষাৰিদগণ বলেন, মুহাম্মদ কেবল র্তাষ্ককই বলা হয়ে থাকে, যিনি যাবতীয় মহৎ গুণের ধারক ৷
যেমন : করি বলেন-



— দুর হয়ে যাও, তুমি অভিশাপকে অস্বীকার করেছ ৷ আমি আমার গ্রাকে সর্বগুণে
গ্রুণৎসিত, সম্মানিত, আদরে শাসিত মর্যাদাবান মুহ্ষ্মদের উদ্দেশ্যে পরিচালিত করেছি ৷

কোন কোন আদিম বসেন,আল্লাহ ইনহাম করেছিলেন যে, তোমরা এর নাম রাখ মুহাম্মদ ৷
কারণ, এই শিশুর মধ্যে যাবতীয় মহৎগুণ বিদ্যমান ৷ যাতে নামে ও কাজে মিল হয় এবং যাতে
নাম ও নামকরণ আকারে ও তাংপর্যে সাযুজ্যপুর্ণ হয় ৷ যেমন নবীজি (না)-এর চাচা আবু তালিব
বলেন :

fl ষ্


,মর্যাদা দানের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তার জন্য নিজের নাম থেকে নাম যের করে এসেছেন ৷
আরশের অধিপতি আল্লাহর নাম মাহমুদ আর ইনি মুহাম্মদ ৷

কারও কারও মতে এই পংক্তিটি হাসৃসান ইবনে সাধিত-এর রচিত ৷

রাসুলুল্লাহ (না)-এর নামসমুহ এবং তার শামায়িল তথা অবয়বের বর্ণনা, পুত-পবিত্র,
নবুওতেৱ প্রমাণাদি ও মর্যাদার বিবরণ সীরাত অধ্যায়ের শেষে উল্লেখ করব, ইনশাআল্লাহ ৷

বায়হাকী আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি
একদিন বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার নবুওতের একটি আলামত আমাকে আপনার দীন
কবুল করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল ৷ দােলনড়ায় থাকতে আমি আপনাকে দেখেছি যে, আপনি চাদের
সঙ্গে কথা বলছেন এবং নিজের আঙ্গুল দিয়ে চাদের প্রতি ইংগিত করছেন ৷ আপনি যেদিকে
ইশারা করতেন র্চাদ সেদিকেই ঝুকে পড়তাে ৷ জবাবে নবী কবীম (সা) বললেন, “আমি তখন
র্চাদের সঙ্গে কথা বলতাম এবং র্চাদ আমার সঙ্গে কথা বলত্তো এবং আমার কান্না ভুলিয়ে দিত ৷
আর আমি আরশেৱ নিচে চাদের সিজদা করা কালে তার পতনের শব্দ শুনতে পেতাম ৷” রাবী
বলেন, এ বর্ণনার রাবী একজন মাত্র আর তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ৷


طَهَّرَ قَلْبَهُ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ جَدَّهُ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ خَتَنَهُ، وَعَمِلَ لَهُ دَعْوَةً جَمَعَ قُرَيْشًا عَلَيْهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَنْبَأَنِي مُحَمَّدُ بْنُ كَامِلٍ الْقَاضِي شِفَاهًا أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَهُ يَعْنِي السُّلَمِيَّ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ أَبِي الْحَكَمِ التَّنُوخِيِّ قَالَ: كَانَ الْمَوْلُودُ إِذَا وُلِدَ فِي قُرَيْشٍ دَفَعُوهُ إِلَى نِسْوَةٍ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى الصُّبْحِ يَكْفَأْنِ عَلَيْهِ بُرْمَةً فَلَمَّا وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَفَعَهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ إِلَى نِسْوَةٍ فَكَفَأْنَ عَلَيْهِ بُرْمَةً فَلَمَّا أَصْبَحْنَ أَتَيْنَ فَوَجَدْنَ الْبُرْمَةَ قَدِ انْفَلَقَتْ عَنْهُ بِاثْنَتَيْنِ، وَوَجَدْنَهُ مَفْتُوحَ الْعَيْنَيْنِ شَاخِصًا بِبَصَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ فَأَتَاهُنَّ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَقُلْنَ لَهُ: مَا رَأَيْنَا مَوْلُودًا مِثْلَهُ وَجَدْنَاهُ قَدِ انْفَلَقَتْ عَنْهُ الْبُرْمَةُ، وَوَجَدْنَاهُ مَفْتُوحًا عَيْنَاهُ شَاخِصًا بِبَصَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ: احْفَظْنَهُ فَإِنِّي أَرْجُو أَنْ يَكُونَ لَهُ شَأْنٌ أَوْ أَنْ يُصِيبَ خَيْرًا فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ السَّابِعُ ذَبَحَ عَنْهُ، وَدَعَا لَهُ قُرَيْشًا فَلَمَّا أَكَلُوا قَالُوا: يَا عَبْدَ الْمُطَّلِبِ أَرَأَيْتَ ابْنَكَ هَذَا الَّذِي أَكْرَمْتَنَا عَلَى وَجْهِهِ مَا سَمَّيْتَهُ؟ قَالَ: سَمَّيْتُهُ مُحَمَّدًا. قَالُوا: فَلِمَ رَغِبْتَ بِهِ عَنْ أَسْمَاءِ أَهْلِ بَيْتِهِ؟ قَالَ: أَرَدْتُ أَنْ يَحْمَدَهُ اللَّهُ فِي السَّمَاءِ، وَخَلْقُهُ فِي الْأَرْضِ. قَالَ أَهْلُ اللُّغَةِ: كُلُّ جَامِعٍ لِصِفَاتِ الْخَيْرِ يُسَمَّى مُحَمَّدًا كَمَا قَالَ بَعْضُهُمْ
পৃষ্ঠা - ১৪৮৩
إِلَيْكَ - أَبِيتَ اللَّعْنَ - أَعْمَلْتُ نَاقَتِي ... إِلَى الْمَاجِدِ الْقَرْمِ الْكَرِيمِ الْمُحَمَّدِ وَقَالَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ: أَلْهَمَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ سَمَّوْهُ مُحَمَّدًا لِمَا فِيهِ مِنَ الصِّفَاتِ الْحَمِيدَةِ لِيَلْتَقِيَ الِاسْمُ وَالْفِعْلُ، وَيَتَطَابَقَ الِاسْمُ وَالْمُسَمَّى فِي الصُّورَةِ وَالْمَعْنَى كَمَا قَالَ عَمُّهُ أَبُو طَالِبٍ، وَيُرْوَى لِحَسَّانَ وَشَقَّ لَهُ مِنَ اسْمِهِ لِيُجِلَّهُ ... فَذُو الْعَرْشِ مَحْمُودٌ وَهَذَا مُحَمَّدُ وَسَنَذْكُرُ أَسْمَاءَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَشَمَائِلَهُ وَهِيَ صِفَاتُهُ الظَّاهِرَةُ، وَأَخْلَاقُهُ الطَّاهِرَةُ، وَدَلَائِلُ نَبُّوَّتِهِ، وَفَضَائِلُ مَنْزِلَتِهِ فِي آخِرِ السِّيرَةِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ شَيْبَانَ الرَّمْلِيُّ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَلَبِيُّ حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَثْرِبِيٍّ «عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ دَعَانِي إِلَى الدُّخُولِ فِي دِينِكَ، أَمَارَةٌ لِنُبُوَّتِكَ رَأَيْتُكَ فِي الْمَهْدِ تُنَاغِي الْقَمَرَ، وَتُشِيرُ إِلَيْهِ بِأُصْبُعِكَ فَحَيْثُ أَشَرْتَ إِلَيْهِ مَالَ. قَالَ: إِنِّي كُنْتُ أُحَدِّثُهُ وَيُحَدِّثُنِي وَيُلْهِينِي عَنِ الْبُكَاءِ، وَأَسْمَعُ وَجْبَتَهُ حِينَ يَسْجُدُ تَحْتَ الْعَرْشِ» . ثُمَّ قَالَ: تَفَرَّدَ بِهِ اللَّيْثِيُّ وَهُوَ مَجْهُولٌ.
পৃষ্ঠা - ১৪৮৪

রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর জন্মের রাতে সংঘটিত
অলৌকিক ঘটনাবলী

রাসুলুল্লাহ (সঃ) যে রাতে তুমিষ্ঠ হন, যে রাতে অসংখ্য মুর্তির উপুড় হয়ে পড়া ও স্থানচ্যুত
হওয়া, যবশা অধিপতি নাআশীর মোঃ ঘটনার বিবরণ, জন্মের সময় রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর সঙ্গে
নুর বের হয়ে তাতে সিরিয়ার প্রাসাদসমুহ আলোকিত হয়ে যাওয়া; রাসুল (না)-এর মাতুণর্ত
থেকে হামাগুড়ি দিয়ে আকাশপানে মাথা ডুবে বের হয়ে আসা, ডেণ ফেটে শিংধিত হয়ে
যাওয়া, রাসুলুল্লাহ (সঃ) যে বয়ে জন্মনাত করেন, যে য্যাটি আলোকিত হয়ে যাওয়া এবং
নজ্যোড়াঙ্গি মানুষের নিকটবর্তী হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনার বিবরণ আমরা ইতিপুর্বে অজ্ঞাত
স্থান থেকে অিনের কথা বলা অধ্যায়ে উল্লেখ করে এসেছি ৷

সুহায়শী বর্ণনা করেন যে, ইবশীস জীবনে চারবার বিলাপ করে : ১ অভিশপ্ত হওয়ার
সময় ৷ ২ জান্নাত থেকে বিতাড়িত হওয়ার সময় ৷ ৩ রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর জন্মের সময় এবং
৪ সুরা ফাতিহা নাযিল হওয়ার সময় ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক হযরত অড়ায়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, এক
ইহুদী মক্কায় বাস করত ৷ যে সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করতো ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) যে রাতে ভুমিষ্ঠ
হন যে রাতে কুরইিশ এর এক মজলিসে সে বলল, আজ রাতে কি তোমাদের মধ্যে কারও
কোনও সন্তানের জন্ম হয়েছে? জবাবে তারা বলল, আল্লাহর কসম ! আমরা এ রকম কিছুই জানি
না ৷ ইহুদীটি বলল, আল্লাহ আকবার ! তোমাদের অজাম্ভে ঘটে থাকলে তো কোনও অসুবিধা
নেই ৷ তবে তোমরা খোজ করে দেখ এবং যা বলছি স্মরণ রাখ ৷ এ রাতে আখেরী নবী ভুমিষ্ঠ
হয়েছেন ৷ তার দুই র্কাধের মধ্যবর্তী স্থানে একটি চিহ্ন আছে ৷ তাতে ঘোড়ার কেশরের মত
একগুচ্ছ চুল আছে ৷ দুরাত তিনি দুধ পান করবেন না ৷ কারণ একটি দুষ্ট জিন তার মুখে আঙ্গুল
ঢুকিয়ে দিয়েছে ৷ ফলে তাকে দুধ পান থেকে নিবৃত্ত রাখা হয়েছে ৷

শুনে লোকজন মজলিস ছেড়ে উঠে চতুর্দিক ছড়িয়ে পড়ে ৷ ইহুদীর কথায় তারা হতভম্ভ
স্তঙ্কিত ! ঘরে গিয়ে প্রত্যেকে তারা ঘরের লোকদেরকে এ খবরটি শুনায় ৷ শুনে তারা বলে উঠে,
হীড়া , আল্লাহর শপথ ! আব্দুল্লাহ ইবন আবদুল মুত্তালিবের একটি পুত্র সন্তান তুমিষ্ঠ হয়েছে ৷ তারা
তার নাম ব্লেখেছে মুহাম্মদ ৷ এবার তারা ইহুদীর কথা ও এই নবজড়াতক সম্পর্কে কানাঘুষা করতে
করতে ইহুদীর নিকট যায় এবং তাকে এ খবরটি জানায় ৷ ইহুদীটি বলল, তোমরা আমাকে নিয়ে
চল, আমি তাকে একটু দেখব ৷ লোকেরা ইহুদীকে নিয়ে আমেনার ঘরে গিয়ে তাকে বলল,
তোমার পুত্রটিকে একটু আমাদের কাছে দাও ৷ আংমনা পুত্রকে তাদের কাছে দিলে তারা তার


[فَصْلٌ فِيمَا وَقَعَ مِنَ الْآيَاتِ لَيْلَةَ مَوْلِدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] فَصْلٌ فِيمَا وَقَعَ مِنَ الْآيَاتِ لَيْلَةَ مَوْلِدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ قَدْ ذَكَرْنَا فِي بَابِ هَوَاتِفِ الْجَانِّ مَا تَقَدَّمَ مِنْ خُرُورِ كَثِيرٍ مِنَ الْأَصْنَامِ لَيْلَتَئِذٍ لِوُجُوهِهَا وَسُقُوطِهَا عَنْ أَمَاكِنِهَا وَمَا رَآهُ النَّجَاشِيُّ مَلِكُ الْحَبَشَةِ، وَظُهُورِ النُّورِ مَعَهُ حَتَّى أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ حِينَ وُلِدَ وَمَا كَانَ مِنْ سُقُوطِهِ جَاثِيًا رَافِعًا رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ، وَانْفِلَاقِ تِلْكَ الْبُرْمَةِ عَنْ وَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَمَا شُوهِدَ مِنَ النُّورِ فِي الْمَنْزِلِ الَّذِي وُلِدَ فِيهِ، وَدُنُوِّ النُّجُومِ مِنْهُمْ، وَغَيْرِ ذَلِكَ. حَكَى السُّهَيْلِيُّ عَنْ تَفْسِيرِ بَقِيِّ بْنِ مَخْلَدٍ الْحَافِظِ: أَنَّ إِبْلِيسَ رَنَّ أَرْبَعَ رَنَّاتٍ; حِينَ لُعِنَ، وَحِينَ أُهْبِطَ، وَحِينَ وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحِينَ أُنْزِلَتِ الْفَاتِحَةُ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ يَهُودِيٌّ قَدْ سَكَنَ مَكَّةَ يَتَّجِرُ بِهَا فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةَ الَّتِي وُلِدَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فِي مَجْلِسٍ مِنْ قُرَيْشٍ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ هَلْ وُلِدَ
পৃষ্ঠা - ১৪৮৫


পিঠের কাপড় সরিয়ে ইহুদীর বর্ণিত নিদর্শনটি দেখতে পায় ৷ সাথে সাথে ইহুদী অজ্ঞান হয়ে
মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ৷ তার জ্ঞান ফিরলে লোকেরা তাকে বলল, কী ব্যাপার, আপনার হয়েছে
কি? ইহুদীটি বলল, আল্লাহর শপথ? নবুওত বনী ইসরাঈল থেকে বিদায় নিল! তোমরা এতে
আনন্দিত হও, হে কুরাইশের দল! আল্লাহর শপথ, তোমাদের সহায়তায় তিনি এমন বিজয় লাভ
করবেন যে, প্রাচ্যে-প্ৰতীচ্যে তার সুসমাচার ছড়িয়ে পড়বে ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন
যে, হাসৃসান ইবন সাবিত (রা) বলেছেন, আমি তখন সাত কি আট বছরের বালক ৷ যা শুনি বা
দেখি, তা বুঝবার বয়স তখন আমার হয়েছে ৷ হঠাৎ একদিন সকাল বেলা ইয়াসরিবে জনৈক
ইহুদীকে চীৎকার করে বলতে শুনলাম, হে ইহুদী সমাজ! চীৎকার শুনে লোকজন তার নিকট
এসে ডীড় জমায় এবং বলে, বল, কি হয়েছে তোমার? সে লোঃ আহমদ নামের যে লোকটির
জন্ম হওয়ার কথা, এই রাতে তার তারকা উদিত হয়েছে ৷

হাফিজ আবু নুয়ায়ম দালায়িলুন্নবুওয়াহ্ কিভাবে বর্ণনা করেছেন যে, আবু মালিক ইবন
সিনান বলেন, একদা আমি গল্পগুজব করার জন্য আবদুল আণহাল পােত্রে যাই ৷ তখন আমরা
তাদের সঙ্গে সন্ধিৰদ্ধ ৷ সে সময়ে আমি শুনতে পেলাম যে, ইউশা নামক এক ইহুদী বলছে,
আহমদ নবীর’ আগমনের সময় ঘনিয়ে এসেছে ৷ তিনি হোরম থেকে রেৰিয়ে আসবেন ৷ এ
কথা শুনে খলীফা ইবন ছালাবা আন-আশহালী উপহাস করে জিজ্ঞাসা করল, তার পরিচয় কী
হো ইহুদী বলল, তিনি হবেন এমন এক ব্যক্তি যিনি না হবেন বেটে, না লম্বা ৷ দুচোখে তার
লালিমা থাকবে ৷ তিনি হবেন কমলীওয়ালা ৷ তিনিও গাধায় সওয়ার হবেন ৷ তার কাধে তরবারী
ঝুলানো থাকবে ৷ এই নগরী হবে তার হিজরত স্থল ৷ আবু মালিক ইবন সিনান বলেন, ইহুদীর
কথায় অস্তিতুত হয়ে আমি আমার স্বগােত্র রনু খাদরায় চলে এলাম ৷ আমার নিকট থােক ঘটনার
বিবরণ শুনে এক ব্যক্তি বলে উঠল, এ কথা কি ইউশা একাই বলছে, নাকি ইয়াসরিবের সব
ইহুদীর একই কথা! আবু মালিক বলেন, এই ঘটনার পর আমি বনু কুরায়যার নিকট যাই ৷
সেখান গিয়ে দেখতে পেলাম, একদল মানুষ আখেরী নবী সষ্পর্কেই আলাপ-আলোচনা করছে ৷
কথা প্রসঙ্গে যুরায়র ইবন রাতা বললেন, সেই লাল নক্ষত্রটি উদিত হয়ে গেছে, যা কখনও
কোনও নবীর আগমন বা আবির্তাৰের উপলক্ষ ছাড়া কােনদিন উদিত হয় না ৷ এখন তো
আহমদ ছাড়া আর কোন নবীর আগমনের বাকী নেই ৷ আর এই ইয়াসরিবই হবে তার
হিজরত স্থল ৷

আবু সাঈদ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) মদীনা আগমন করার পর আমার আব্বা তাকে
এই ঘটনাটি শুনান ৷ শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ যুবায়র যদি মুসলমান হত, তাহলে
নেতৃস্থানীয় অনেক ইহুদীও মুসলমান হয়ে যেত ৷ কারণ ওরা এর অনুগত ৷ ’

আবু নুয়ায়ম (র) বর্ণনা করেন যে, যায়দ ইবন সাবিত (বা) বলেন, বনু কুরায়যা ও বনু
নযীর এর ইহুদী পণ্ডিতগণ নবী কয়ীম (না)-এর পরিচিতি সম্পর্কে আলোচনা করতেন ৷
অবশেষে লাল নক্ষত্র উদিত হয়ে গেলে তারা ঘোষণা করে যে, ইনিই আখেরী নবী; এর পরে
আর কোনও নবী আসবেন না ৷ নাম তার আহমদ এবং তার হিজরত স্থল হবে ইয়াসরিব ৷ কিন্তু
যখন নবী করীম (সা) হিজরত করে মদীনায় আসলেন আর তারা র্তাকে অগ্রাহ্য করে , হিংসা


فِيكُمُ اللَّيْلَةَ مَوْلُودٌ؟ فَقَالَ الْقَوْمُ: وَاللَّهِ مَا نَعْلَمُهُ. فَقَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ أَمَا إِذَا أَخْطَأَكُمْ فَلَا بَأْسَ، انْظُرُوا وَاحْفَظُوا مَا أَقُولُ لَكُمْ: وُلِدَ هَذِهِ اللَّيْلَةَ نَبِيُّ هَذِهِ الْأُمَّةِ الْأَخِيرَةِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ عَلَامَةٌ فِيهَا شَعَرَاتٌ مُتَوَاتِرَاتٌ كَأَنَّهُنَّ عُرْفُ فَرَسٍ، لَا يَرْضَعُ لَيْلَتَيْنِ; وَذَلِكَ أَنَّ عِفْرِيتًا مِنَ الْجِنِّ أَدْخَلَ أُصْبُعَهُ فِي فَمِهِ فَمَنَعَهُ الرَّضَاعَ فَتَصَدَّعَ الْقَوْمُ مِنْ مَجْلِسِهِمْ، وَهُمْ يَتَعَجَّبُونَ مِنْ قَوْلِهِ وَحَدِيثِهِ فَلَمَّا صَارُوا إِلَى مَنَازِلِهِمْ أَخْبَرَ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ أَهْلَهُ فَقَالُوا: قَدْ وَاللَّهِ وُلِدَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ غُلَامٌ سَمَّوْهُ مُحَمَّدًا فَالْتَقَى الْقَوْمُ فَقَالُوا: هَلْ سَمِعْتُمْ حَدِيثَ الْيَهُودِيِّ؟ وَهَلْ بَلَغَكُمْ مَوْلِدُ هَذَا الْغُلَامِ؟ فَانْطَلَقُوا حَتَّى جَاءُوا الْيَهُودِيَّ فَأَخْبَرُوهُ الْخَبَرَ. قَالَ: فَاذْهَبُوا مَعِيَ حَتَّى أَنْظُرَ إِلَيْهِ فَخَرَجُوا بِهِ حَتَّى أَدْخَلُوهُ عَلَى آمِنَةَ فَقَالُوا: أَخْرِجِي إِلَيْنَا ابْنَكِ فَأَخْرَجَتْهُ، وَكَشَفُوا لَهُ عَنْ ظَهْرِهِ فَرَأَى تِلْكَ الشَّامَةَ فَوَقَعَ الْيَهُودِيُّ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ فَلَمَّا أَفَاقَ قَالُوا لَهُ: مَا لَكَ؟ وَيْلَكَ! قَالَ: قَدْ ذَهَبَتْ وَاللَّهِ النُّبُوَّةُ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، أَفَرِحْتُمْ بِهَا يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ؟ وَاللَّهِ لَيَسْطُوَنَّ بِكُمْ سَطْوَةً يَخْرُجُ خَبَرُهَا مِنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ شِئْتُ مِنْ رِجَالِ قَوْمِي مِمَّنْ لَا أَتَّهِمُ عَنْ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: إِنِّي لَغُلَامٌ يَفَعَةٌ ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ أَوْ ثَمَانِ
পৃষ্ঠা - ১৪৮৬
سِنِينَ أَعْقِلُ مَا رَأَيْتُ وَسَمِعْتُ إِذَا بِيَهُودِيٍّ فِي يَثْرِبَ يَصْرُخُ ذَاتَ غَدَاةٍ: يَا مَعْشَرَ يَهُودَ. فَاجْتَمَعُوا إِلَيْهِ، وَأَنَا أَسْمَعُ فَقَالُوا: وَيْلَكَ مَا لَكَ؟ قَالَ: قَدْ طَلَعَ نَجْمُ أَحْمَدَ الَّذِي يُولَدُ بِهِ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ. وَرَوَى الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي كِتَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَامِرِيِّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ سُحَيْمٍ، وَرُبَيْحِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي مَالِكِ بْنِ سِنَانٍ يَقُولُ جِئْتُ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ يَوْمًا; لِأَتَحَدَّثَ فِيهِمْ، وَنَحْنُ يَوْمئِذٌ فِي هُدْنَةٍ مِنَ الْحَرْبِ فَسَمِعْتُ يُوشَعَ الْيَهُودِيَّ: يَقُولُ أَظَلَّ خُرُوجُ نَبِيٍّ يُقَالَ لَهُ: أَحْمَدُ يُخْرُجُ مِنَ الْحَرَمِ. فَقَالَ لَهُ خَلِيفَةُ بْنُ ثَعْلَبَةَ الْأَشْهَلِيُّ كَالْمُسْتَهْزِئِ بِهِ مَا صِفَتُهُ؟ فَقَالَ: رَجُلٌ لَيْسَ بِالْقَصِيرِ وَلَا بِالطَّوِيلِ فِي عَيْنَيْهِ حُمْرَةٌ يَلْبَسُ الشَّمْلَةَ، وَيَرْكَبُ الْحِمَارِ، سَيْفُهُ عَلَى عَاتِقِهِ، وَهَذَا الْبَلَدَ مُهَاجَرُهُ. قَالَ: فَرَجَعْتُ إِلَى قَوْمِي بَنِي خُدْرَةَ، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ أَتَعَجَّبُ مِمَّا يَقُولُ يُوشَعُ فَأَسْمَعُ رَجُلًا مِنَّا يَقُولُ: وَيُوشَعُ يَقُولُ هَذَا وَحْدَهُ؟! كُلُّ يَهُودَ يَثْرِبَ يَقُولُونَ هَذَا، قَالَ أَبِي مَالِكِ بْنِ سِنَانٍ: فَخَرَجْتُ حَتَّى جِئْتُ بَنِي قُرَيْظَةَ فَأَجِدُ جَمْعًا فَتَذَاكَرُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَاطَا: قَدْ طَلَعَ الْكَوْكَبُ الْأَحْمَرُ الَّذِي لَمْ يَطْلُعْ إِلَّا لِخُرُوجِ نَبِيٍّ وَظُهُورِهِ، وَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ إِلَّا أَحْمَدُ، وَهَذَا مُهَاجَرُهُ. قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ১৪৮৭

০০
আঃহৃ বিদলোঃএ্যাল্চীটহােআে মোঃ

জ লোঃঅ্যাংলোঃ ৷ মোঃল্টো র্তন্মোক্ষিঅন্নেরুষ্ ন্সইঃলোঃ উল্লেক্ষীকৌরেংস্থয় জন্ৰুআঃন্বৃআম্নম
চ্যালোঃট্যাং ট্যাংবমোঃলোঃমুেহ্রযলোঃ ট্যাং ন্সঙ্গোরু ইহ্মা>সুযষক্রোবল্যাংচ্ছু সিরিয়ার
মোঃভ্রল্টোন্তাজ্জিমুজ্যিন্সে মোঃল্দোম্তােমস্পোরীক্ষোজ্যো লীেলোঃহ্রৰুহমোঃহুনণ্ড্রজকিংবা
চলোঃ, জজ্যো তোক্টাত্ংবস্টিং মোঃ ল্টোজ্যোরাির্ক্সল্পাঅ্যাং ৷ইেল্লিমশ্নোত্তঢস্কোনেক্ষত্রে ,টব্দিত
মোঃ মোঃজজ্জক্সিফ্তেজত্নতিঃব প্লিচ্যেচআঃজন্নল্কি আিসভ্রছোশ্চাআঃ অ্যাংতৌব দ্যোদ্রজব্লশ্বক্ষো জজজগ্ৰুরুজ
ক্রোকািহ্মব মোঃ প্রবৱস্পেতবক্রোড়াবৰুঅ্যাংকুন্তবনিখ্যাঃর্ভবহওখাংইতমোঃ

ব জ জন্ হীজচক্কোদ্রুচ চজতন্চাচ্চজ হুহ্রজ জরু জ; ল্যাংস্কেণ্আলেতেণীষ্ম্রজ জজ চ শ্জ চ? জ চ দুপ্ ৰুশুশ্ ?ৰ্ণ্গুজ : চজ চন্ন্;

দ্ দ্ জ চ্;গ্লু জ ৰু বজবজব্র জশুজষ্মু দ্ স্র্ন ণ্ : পুজব্ক্ত জঙ্কুজ চ;জ১ ক্রুঙ্গ;: , জ স্পেজ>দ্ জচজট্রু
:জট্রুজট্রুম্পে ছুছুভুফ্লোদটুছুফুটু ,০ি বঝুনুন্জমুংণুসড়াহ্লু আলৰুহুজজব্লুজত্ত ;হৃন্ধুণ্ডুযছেদ্ভুহৃ লজত্নন্জন্ন
ছুজন্ফুবৰুৰুহৃৰুশু ক্কুচ চন্রু£বৰু ম্খে ইনি মোঃ ৰুবণ্ৰুবব্লু অ্যাংপুৰুরুচ্বৰুরুৰুছুব
বভ্রুলনু,চবজন্জক্কুজষ্টুজজ ট্রুন্৫য়ুবজজৰুব্রড্রুত জুন্মুহ্জহ্ণ কুব্রে (স হ্নবৃদ্বচুত কিসবাব্ৰ রাজ্বপ্রুজসৃ দু কুদ্রিপুব্লুন্ধ্রযে
ত্রাডুব্লুৰুজ ঠেজফ্তেতুজর জ জ> ন্লোঃ মৈংপাবৰুস্যেবৃ ৩জপুিকুণ্ড নিঃভ য়ুজয়্ জ তৃজ;ধৃচৰু,এব্ আংগৃ ব্লুক
ব্লুজজ জব্লুছমুেহুমরুগাংস্থুয়ুতড্রু পশঃ জ বজ১ছুয়জ ড্রুব্লুদ শুকিংয্যফ্লেএবপ্রুৰুসিবীঘ্র ধুর্মখ্যাঃকে

ষ্ র্জিদৃড্রুখনু > জম্মেজশ্ জণ্দ্ ন্ কুতণ্ড্রজল্লুজ মুেজড়রুফ্লু বুকািয়ুপুনিব্লে ষ্ঙ্কুজৰুহ্জ তাডুজ £ন্খুয়ে
ব্লুদ্বুজডুজণ্ড্রৰ্ড্রুজৰুদজ্ররুজজন্ নুশুহু ন্ , জন্ৰুত্জ ড্রি ক্রুয়ুক তুজহুদর্জ্জীপদ্সুয়ুহ্রহৃছডিব্লুয পুড্রেব্লুছুষ্টুজ
উপরোক্ত ঘটনায় কিসরা ভীত্ অ্যাংসাঃট্যাং জ মোঃস্টো মোঃ স্টিংব্লুৱ
কুবুত পুজৰুজঢুজছুচ না জৰুন্নুবনুেহুষ্প্রুতিছুৰুপ্রজব্লিষ্দ্দুবর্থ্যৰুক্ ড্রোজকু পজঠুজব্লুকি জ স্কুজথুড়াহুচুব্লুফ্লুন্নুট পরে
হিঃহুস্যুনৃ বা উছুষ্টুষ্টুছু প্জ যদুবৃব্লুরুিউহুদ্দগ্নেতিনি বৃজলুনব্লুৰুণ্চুতজম্রুব্লুৰু জজক্কুৰুৰুঢুতুড়াঘুহুদ্ভুহুহ্রক
কেন সমবেত করা হভ্রুলোঃ ছুবুসন্নুষ্ণেসঃমঝু সাঃ জষ্জব্লুজ জইজ ত্যুবহ্নিট্রুহুহ্ব্লুব্লুহ্ল্লুই

তবে আমরা জানতে পারব এ সময় আগুন পত হওয়া সং ক্রস্তি পত্র ত্জদের কাছে
ব মোঃ মোঃন্থ দ্রুপ্রব্ঙলোঃবেস্ফোজ্যো জ্বিলোঃবস্তে ক্হ্ন্-জ বদ্রৰুষ্মব্লু মোঃ যী মোঃল্দো
তাঃস্ফো মোঃল্দোংগুযমোঃ গ্রর্শ্বর্থী থাঃ মোঃ জ শু ণ্ন্ৰু ন্ ং ণ্ন্ৰু জন্ ৰু> জ ব জ বশু ং ব ৰুং ব

জণ্জশ্ড্ মৰু, জ র্চুজ নজধ্বহ্র তুসো) রু দ্লীেন্তুড়া র্চু;কৃন্নুছুজ জ> শু১ ম্পুদু;> দ্রুব;ঢ়ষ্ৰু চজম্ব ণ্হ্র পু ত্নশ্ বচর্গণ্ )জ×জজম্ব জ ঢু১ন্দুৱষ্ন্তু

জ স্তুব্ৰুৰুগুজ বৰুন্বৰুন্রুব জন্থহ্রজহ্রহ্ব বডাঃবট্রুট বন্ৰুন্তুন্ধু ন্তজজজজ্রৰুব্জ ন্ণ্;জক্ট্রি
জ এহ্ন্>ব্প্রুৰুরুজ৩ ; জ;ণ্ ণ্ঞ্জীৰু,রিঃছু ক্লড্রুত্বহ্রব্ল উ,ন্টু সুক্রোড়ু ৰুপুে,ৰু কৃব্যুন্রুিব্লুৰু ন্, জহুবন্শুণ্জজণ্জ জ

জ জৰুৰুজ ণ্ ন্ছুভৃব্লুক্কুজণ্ ন্বৃৰুলণ্জহ্রছুৰু ৰুজ্যিন্বৰুৰু জরুৰু স্ররুবজব ঞ্জুর্থ কুন্থজৰুহ্ত্নেন্ষ্শ্হ্রজৰুজজন্নেন্রু জ ন্ জব
বললেন ,আরবের কোনও এক উপকণ্ঠে বিশেষ কোনও একটি ঘটনা ঘটে থজকুহুব ন্জহুছুত্গ্রাৎ

কিসরা নুমান ইবন মুনযির এর নিকট এ মর্মে পত্র লিখেনং :
ট্রিজষ্ট্র, জণ্ৰের্টষ্টুক্ট্রগ্যণ্ ল্গুল্ডে >গ্র জ ভু চজণ্ড চস্টীজষ্জজ৫ জচভু নম্বোহুজত্; জব্লৱচাজব চজ১ ব্রুন্তি জজৰু জ<জজজক্তক্তজন্ন্
ছুৰুজব্হুটব চুপ্রুপক্লন্হ্রথন্ৰুবজন্নুবজৰু ৰুৰুহুন্ফ্রা ন্ন্ৰু ৰুবন্,১বপ্লুর্তি স্কুব পাওখ্যাঃড্রোবজব

প্
ল্জচ্ছু ষ্টুল্গুৰুভুৰুচাম্ৰু র্ভুতচাষুব্রুড়িৰুক্কব্লুন্নুশ্চেপজন্ ষ্কে জ দুেহুন্ র্চু ণ্ৰুন্ৰুপ্ভু টুহুছুহু প্রভ্রুহুজব হজ৭জব্লুদ্বুজজষ্ট্রহু জমোঃ জ বুজব













চজহ্ণ্শ চজছুজজজৰ রুশুমচ’ভু জ শ্চেদ্যে জংজচ ণ্ড্রচর্কু-ব্ওজচ্ছুব্জী ন্থেচ ক্রদ্ভজচ র্যশ্,চ চ জ ও চট্ৰু;হ্রজণ্ড্রজণ্শ্জজল্: ভ্রচজজব্রু ;ন্গ্দ্দুষ্চব্লু

,জরুৎ ফেলোঃ মোঃ দ্যো ফ্লিসৌং ণ্অ্যাংআেসীহজইবন্চঅ্যাং জৈ মোঃট্যাঈল্যাংলা
জলোঃ দ্যোজট্যাংৰুক্তেল্যাং সৌংজলোঃজ ল্টিব্রুএন্তেশ্ খ্যাঃফ্লিজািঙ্গাজস্ফোলোঃং
অ্যাংমোঃচ্ছেম্ভিমোঃলোঃ ফ্লিমোঃ জ্যিআঃবে জমোঃসৌংজ্যোণ্চলোঃ
যা ইচ্ছা লোঃলোঃ মোঃন্ন্মোঃজন্নেজ্যোত্যুঃজ্বলোঃজ্যো,জ্যোফ্লো


قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَهُ أَبِي هَذَا الْخَبَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْ أَسْلَمَ الزُّبَيْرُ، وَذَوُوهُ مِنْ رُؤَسَاءِ الْيَهُودِ، إِنَّمَا هُمْ لَهُ تَبَعٌ وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ السِّنْدِيِّ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ قَيْسِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أُمِّ سَعْدٍ بِنْتِ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ يَقُولُ: كَانَ أَحْبَارُ يَهُودِ بَنِي قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ، يَذْكُرُونَ صِفَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا طَلَعَ الْكَوْكَبُ الْأَحْمَرُ أَخْبَرُوا أَنَّهُ نَبِيٌّ، وَأَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدَهُ، وَاسْمُهُ أَحْمَدُ، وَمُهَاجَرُهُ إِلَى يَثْرِبَ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ أَنْكَرُوا وَحَسَدُوا وَكَفَرُوا. وَقَدْ أَوْرَدَ هَذِهِ الْقِصَّةَ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي كِتَابِهِ مِنْ طُرُقٍ أُخْرَى وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَيَّانَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي عَاصِمٍ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَيَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: قَالَ زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ: قَالَ لِي حَبْرٌ مِنْ أَحْبَارِ الشَّامِ: قَدْ خَرَجَ فِي بَلَدِكَ نَبِيٌّ أَوْ هُوَ خَارِجٌ قَدْ خَرَجَ نَجْمُهُ فَارْجِعْ فَصَدِّقْهُ، وَاتَّبِعْهُ.
পৃষ্ঠা - ১৪৮৮
[ذِكْرُ ارْتِجَاسِ إِيوَانِ كِسْرَى وَسُقُوطِ الشُّرُفَاتِ وَخُمُودِ النِّيرَانِ] ذِكْرُ ارْتِجَاسِ إِيوَانِ كِسْرَى وَسُقُوطِ الشُّرُفَاتِ، وَخُمُودِ النِّيرَانِ، وَرُؤْيَا الْمُوبِذَانِ، وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الدَّلَالَاتِ قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ سَهْلٍ الْخَرَائِطِيُّ فِي كِتَابِ هَوَاتِفِ الْجَانِّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو أَيُّوبَ يَعْلَى بْنُ عِمْرَانَ - مِنْ آلِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ - حَدَّثَنِي مَخْزُومُ بْنُ هَانِئٍ الْمَخْزُومِيُّ عَنْ أَبِيهِ - وَأَتَتْ عَلَيْهِ خَمْسُونَ وَمِائَةُ سَنَةٍ - قَالَ: لَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الَّتِي وُلِدَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ارْتَجَسَ إِيوَانُ كِسْرَى، وَسَقَطَتْ مِنْهُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ شُرْفَةً، وَخَمَدَتْ نَارُ فَارِسَ، وَلَمْ تُخْمَدْ قَبْلَ ذَلِكَ بِأَلْفِ عَامٍ، وَغَاضَتْ بُحَيْرَةُ سَاوَةَ، وَرَأَى الْمُوبِذَانِ إِبِلًا صِعَابًا تَقُودُ خَيْلًا عِرَابًا قَدْ قَطَعَتْ دِجْلَةَ، وَانْتَشَرَتْ فِي بِلَادِهِمْ فَلَمَّا أَصْبَحَ كِسْرَى أَفْزَعَهُ ذَلِكَ فَتَصَبَّرُ عَلَيْهِ تَشَجُّعًا، ثُمَّ رَأَى أَنَّهُ لَا يَدَّخِرُ ذَلِكَ عَنْ مَرَازِبَتِهِ فَجَمَعَهُمْ وَلَبِسَ تَاجَهُ وَجَلَسَ عَلَى سَرِيرِهِ ثُمَّ بَعَثَ إِلَيْهِمْ فَلَمَّا اجْتَمَعُوا عِنْدَهُ قَالَ: أَتُدْرُونَ فِيمَ بَعَثْتُ إِلَيْكُمْ؟ قَالُوا: لَا إِلَّا أَنْ يُخْبِرَنَا الْمَلِكُ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ وَرَدَ عَلَيْهِمْ كِتَابٌ بِخُمُودِ النِّيرَانِ فَازْدَادَ غَمًّا إِلَى غَمِّهِ،
পৃষ্ঠা - ১৪৮৯

ব্যক্তির সন্ধান দেব, যিনি এর জবাব দিতে সক্ষম হবেন ৷ কিসরা তাকে ঘটনাটি খুলে বলেন ৷
জবাবে আবদুল মাসীহ বলেন, আমার এক মামা এর জবাব দিতে পারবেন ৷ তিনি সিরিয়ার
সাতীহ নামক স্থানের উপকষ্ঠে বাস করেন ৷ কিসরা বললেন, ঠিক আছে ৷ তুমি তার কাছে গিয়ে
দেখ, সে এর জবাব দিতে পারে কিনা ৷ আমি যা জানতে চাই তাকে তা জিজ্ঞেস করে তার
ব্যাখ্যা জেনে এসো ৷ আবদুল মাসীহ সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়ার রওয়ানা হয়ে মুমুর্বু সাতীহ এর নিকট
পৌছেন ৷ তিনি তাকে সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞাসা করেন ৷ কিন্তু সাতীহ সালামের কোন
জবড়াবও দিলেন না বা কোন কথাও বললেন না ৷ তখন আবদুল মাসীহ কবিতার কয়েকটি পংক্তি
আবৃত্তি করেন ৷ তা শুনে এবার সাতীহ মাথা তুলে বলেন, আবদুল মাসীহ! উটের পিঠে চড়ে
তুমি সাতীহ এর নিকট এসেছ ৷ অথচ সে তখন মৃত্যুপথযাত্রী ৷ আমি আমি, তোমাকে সাসান
বংশের বাদশাহ প্রেরণ করেছেন ৷ রড়াজপ্রাসাদ প্রকম্পিত হওয়ায় অগ্নিকুণ্ড নিতে যাওয়ায় এবং

মুবিযানের স্বপ্ন যাতে তিনি দেখতে পেয়েছেন যে, উটগুব্লা যেড়াগুলোক্লে তাড়া করছে এবং

দজলা অতিক্রম করে জনপদসমুহে ছড়িয়ে পড়েছে ৷ শোন হে আবদুল মাসীহ! যখন তিলাওয়াত
বৃদ্ধি পাবে, <মাটা ছড়িওয়ালা আত্মপ্রকাশ করবেন, সামাওয়া উপত্যক৷ প্লাবিত হবে, সাওয়াহ্রদ
শুকিয়ে যাবে এবং পারস্যের অগ্নিকুণ্ড নিতে যাবে, তখন নাম আর সাতীহ এর জন্য শাম থাকবে
না ৷ গদ্বুজ্যো সমসংখ্যক রাজত্ব-রাণী তার কর্তৃতু কেড়ে নেবে, আর সেই সময়টি এসে পড়েছে ৷
একথাটি উচ্চারণ করেই সাতীহ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ৷

আবদুল মাসীহ তখনই ৰাহনে চড়ে কবিতা আবৃত্তি করতে করতে রওয়ানা হয়ে পড়েন ৷
কিসরার নিকট এসে তিনি তাকে শুনান ৷ সাতীহ যা বলেছেন, তার বিবরণ দেন ৷ শুনে কিসরা
বলে উঠেন, তার মানে র্দাড়াল, আমার পর চৌদ্দজন রাজা রাজত্ব করবে ৷

বাস্তবিক পরবর্তী চার বছরে দশজন রাজা পারস্যের সিংহাসনে বসেন ৷ অবশিষ্টপণ রাজত্ব
করেন হযরত উসমান (রা)-এর খিলাফত পর্যন্ত ৷ ৰায়যাৰীও অনুরুপ বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন ৷
আমার মতে, পারস্যের সর্বশেষ রাজা যার নিকট থেকে রাজত্ব ছিনিয়ে নেয়া হয়-তিনি হলেন,
ইয়াযদাগির্দ ইবন শাহরিয়ার ইবন পারভেজ ইবন হুরমুয ইবন নওশিরওয়ী ৷ এই রাজার
আমলেই রাজপ্রাসাদে ফাটল ধরে ৷ তার আগে তার পুর্বসুরীরা তিন হাজার একশ চৌষট্টি বছর
রাজত্ব করেছিলেন ৷ এদের সর্বপ্রথম রাজা ছিলেন খিওমারত ইবন উমাইম ইবন লাওয ইবন
সাম ইবন নুহ্ ৷

আলোচ্য সাতীহ এর পরিচয় প্রসঙ্গে ইবন আসাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে লিখেছেন যে, এই
দােকটির নাম রর্বী ইবন রর্বীমা ইবন মাসউদ ইবন মাষিন ইবন যিব ইবন আর্দী ইবন মড়াষিন
ইবন আস-আবদ ৷ কেউ কেউ তাকে রর্বী ইবন মাসউদও বলেছেন ৷ তার মা রিদআ ৰিনতে সাপ
ইবনুল হারািহ আস-হাঙ্গুৰী ৷ তার বত্শ সডিকা জািতাবেও বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবনে আসড়াকির এর
মতে তিনি ঙ্গাৰিরড়ার বাস করতেন ৷ তিনি আৰু হাতিম সজিংতনৌ থেকে বর্ণনা করেন যে,
তার করেস্কো শন্মেখ বলেছেন, সসৌং বম্বো সেকেমান ইবন আদ এর পরবর্তী যুগের মনুেধ্ ৷
মবড়াপ্লাবনের আমলে তার জন্ম ৷ বাদশাহ ইনাঅ্যাং মাংস পর্ঘস্ব তিনি সীৰিত হিসেব ৷
বর্খাৎ পার ত্রিশ প্রজন্মের আবু তিনি লাভ হ্মন ৷ তার অ্যাং ছিল তার মোঃ ৷


ثُمَّ أَخْبَرَهُمْ بِمَا رَأَى وَمَا هَالَهُ فَقَالَ الْمُوبِذَانُ: وَأَنَا - أَصْلَحَ اللَّهُ الْمَلِكَ - قَدْ رَأَيْتُ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ رُؤْيَا، ثُمَّ قَصَّ عَلَيْهِ رُؤْيَاهُ فِي الْإِبِلِ فَقَالَ: أَيُّ شَيْءٍ يَكُونُ هَذَا يَا مُوبِذَانُ؟ قَالَ: حَدَثٌ يَكُونُ فِي نَاحِيَةِ الْعَرَبِ وَكَانَ أَعْلَمَهُمْ مِنْ أَنْفُسِهِمْ فَكَتَبَ عِنْدَ ذَلِكَ مِنْ كِسْرَى مَلِكِ الْمُلُوكِ إِلَى النُّعْمَانِ بْنِ الْمُنْذِرِ أَمَّا بَعْدُ: فَوَجِّهْ إِلَيَّ بِرَجُلٍ عَالِمٍ بِمَا أُرِيدُ أَنْ أَسْأَلَهُ عَنْهُ فَوَجَّهَ إِلَيْهِ بِعَبْدِ الْمَسِيحِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَيَّانَ بْنِ بُقَيْلَةَ الْغَسَّانِيِّ فَلَمَّا وَرَدَ عَلَيْهِ قَالَ لَهُ: أَلَكَ عِلْمٌ بِمَا أُرِيدُ أَنْ أَسْأَلَكَ عَنْهُ؟ فَقَالَ: لِتُخْبِرَنِي أَوْ لِيَسْأَلَنِي الْمَلِكُ عَمَّا أَحَبَّ فَإِنْ كَانَ عِنْدِي مِنْهُ عِلْمٌ أَخْبَرْتُهُ، وَإِلَّا أَخْبَرْتُهُ بِمَنْ يَعْلَمُ فَأَخْبَرَهُ بِالَّذِي وَجَّهَ بِهِ إِلَيْهِ فِيهِ. قَالَ: عِلْمُ ذَلِكَ عِنْدَ خَالٍ لِي يَسْكُنُ مَشَارِفَ الشَّامِ يُقَالَ لَهُ: سَطِيحٌ. قَالَ: فَائْتِهِ فَاسْأَلْهُ عَمَّا سَأَلَتُكَ عَنْهُ، ثُمَّ ائْتِنِي بِتَفْسِيرِهِ فَخَرَجَ عَبْدُ الْمَسِيحِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى سَطِيحٍ، وَقَدْ أَشَفَى عَلَى الضَّرِيحِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ وَكَلَّمَهُ فَلَمْ يَرُدَّ إِلَيْهِ سَطِيحٌ جَوَابًا فَأَنْشَأَ يَقُولُ: أَصُمَّ أَمْ يَسْمَعُ غِطْرِيفُ الْيَمَنْ ... أَمْ فَادَ فَازْلَمَّ بِهِ شَأْوُ الْعَنَنْ يَا فَاصِلَ الْخُطَّةِ أَعْيَتْ مَنْ وَمَنْ ... وَكَاشِفَ الْكُرْبَةِ عَنْ وَجْهٍ غَضِنْ أَتَاكَ شَيْخُ الْحَيِّ مَنْ آلِ سَنَنْ وَأُمُّهُ مِنْ آلِ ذِئْبِ بْنِ حَجَنْ ...
পৃষ্ঠা - ১৪৯০
أَزْرَقُ بَهْمُ النَّابِ صَرَّارُ الْأُذُنْ أَبْيَضُ فَضْفَاضُ الرِّدَاءِ وَالْبَدَنْ ... رَسُولُ قَيْلِ الْعُجْمِ يَسْرِي لِلْوَسَنْ لَا يَرْهَبُ الرَّعْدَ وَلَا رَيْبَ الزَّمَنْ تَجُوبُ بِي الْأَرْضَ عَلَنْدَاةٌ شَزَنْ ... تَرْفَعُنِي وَجْنًا وَتَهْوِي بِي وَجَنْ حَتَّى أَتَى عَارِي الْجَآجِي وَالْقَطَنْ تَلُفُّهُ فِي الرِّيحِ بَوْغَاءُ الدِّمَنْ ... كَأَنَّمَا حُثْحِثَ مِنْ حِضْنَيْ ثَكَنْ قَالَ: فَلَمَّا سَمِعَ سَطِيحٌ شِعْرَهُ رَفَعَ رَأْسَهُ: يَقُولُ عَبْدُ الْمَسِيحِ عَلَى جَمَلٍ مُشِيحْ أَتَى سَطِيحْ، وَقَدْ أَوْفَى عَلَى الضَّرِيحْ، بَعَثَكَ مَلِكُ بَنِي سَاسَانْ لِارْتِجَاسِ الْإِيوَانْ، وَخُمُودِ النِّيرَانْ، وَرُؤْيَا الْمُوبِذَانْ; رَأَى إِبِلًا صِعَابًا تَقُودُ خَيْلًا عِرَابًا قَدْ قَطَعَتْ دِجْلَةَ، وَانْتَشَرَتْ فِي بِلَادِهَا يَا عَبْدَ الْمَسِيحِ، إِذَا كَثُرَتِ التِّلَاوَةُ، وَظَهَرَ صَاحِبُ الْهِرَاوَةِ، وَفَاضَ وَادِي السَّمَاوَةِ، وَغَاضَتْ بُحَيْرَةُ سَاوَةَ، وَخَمَدَتْ نَارُ فَارِسَ فَلَيْسَ الشَّامُ لِسَطِيحٍ شَامًا يَمْلِكُ مِنْهُمْ مُلُوكٌ، وَمَلِكَاتْ عَلَى عَدَدِ الشُّرُفَاتْ، وَكُلَّمَا هُوَ آتٍ آتْ. ثُمَّ قَضَىَ سَطِيحٌ مَكَانَهُ فَنَهَضَ عَبْدُ الْمَسِيحِ إِلَى رَاحِلَتِهِ وَهُوَ يَقُولُ: شَمِّرْ فَإِنَّكَ مَاضِي الْعَزْمِ شِمِّيرُ لَا يُفْزِعَنَّكَ تَفْرِيقٌ وَتَغْيِيرُ
পৃষ্ঠা - ১৪৯১

আবদুল কায়স গোত্র দাবি করে যে, সাতীহ তাদের বংশের লোক, অপরদিকে আযদ
গোত্রীয়দের দাবি হচ্ছে যে, তিনি তাদের বংশের ৷ অধিকাংশ মুহাদ্দিস সাডীহকে আযদ বংশীয়
বলে অভিমত প্রকাশ করেন ৷ তবে আমি বুঝে উঠতে পারছি না যে , তার প্রকৃত পরিচয় কী?
তবে তার বংশধররা নিজেদেরকে আযদবংশীয় বলে দাবি করেন ৷

ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, সাতীহ-এর সঙ্গে আদম
সন্তানের কারো কোনও মিল ছিল না ৷ তার দেহ ছিল গোশতের একটি টুকরা, যার মাথায়
দৃ’চােখে ও দৃ’হাতে ছাড়া আর কোথাও অস্থি অথবা শিরা ছিল না ৷ কাপড় যেভাবে র্ডাজ করা
যায় তেমনি তাকেও দৃ’পা থেকে ঘাড় পর্যন্ত ডড়াজ করা যেত ৷ জিহবা ছাড়া আর দেহে নাড়বার
মত কিছুই ছিল নট্রু ৷ কেউ কেউ বলেন, সাতীহ রেগে গেলে তার দেহ ফুলে যেত এবং তিনি
বসে পড়তেন ৷

ইবন আব্বাস (বা) আরও বলেন, সাতীহ একবার মক্কায় এসেছিলেন ৷ কুসাই এর দৃই পুত্র
আব্দে শামস ও আব্দে মানাফ সহ মক্কার নেতৃস্থানীয় অনেকে তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে
আসেন ৷ তারা তাকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন ৷ সব প্রশ্নের ঠিক ঠিক
জবাব তিনি দেন ৷ শেষ যুগে কী ঘটবে, যে বিষয়েও তারা তাকে জিজ্ঞাসা করে ৷ জবাবে তিনি
বলেন, আল্লাহ আমাকে যা ইলহাম করেছেন, তার আলোকে বলছি যে, হে আরব জাতি ৷
তোমরা এখন চরম বার্ধক্যের যুগে উপনীত ৷ তোমাদের আর অনারবদের বুদ্ধি-বিচক্ষণতা
সমান ৷ তোমাদের নিকট না আছে বিদ্যা, না আছে বুদ্ধি ৷ তবে তোমাদের পরবর্তীদের মধ্যে
এমন কিছু বিবেকৰান লোকের আবির্ভাব ঘটবে যে, তারা নানা প্রকার বিদ্যা অৰেষণ করবে ৷
সেই বিদ্যার আলোকে তারা মুর্তি ভেঙ্গে চুরমার করে ফেনবে, বোপ্য লোকের অনুসরণ করবে,
অনারবদের হত্যা করবে এবং বকরীর পাল আলাপ করে বেড়াবে ৷ অতঃপর এই নগরবাসীদের
মধ্যে হতে এমন একজন সুপথপ্রাপ্ত নবীর আবির্ভাব ঘটবে, যিনি সত্য ও সঠিক পথের
দিক-নির্দেশনা করবেন এবং বহু দেবতার উপাসনা পরিহার করে এক রব এর ইবাদত
করবেন ৷ অতঃপর আল্লাহ তাকে প্রশংসিত এক স্থানে তুলে নেবেন ৷ তখন তিনি ইহজগত
থেকে আড়ালে থাকবেন; বিতু আকাশে থাকবেন প্রকাশমান ৷ তারপর এমন এক সিদ্দিক তথা
মহাসত্যবাদী তার স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি বিচার করবেন সঠিক এবং অধিকার প্রদানে হবেন
অকুণ্ঠচিত্ত ৷

এরপর সরল-সঠিক পথের অনুসারী, অভিজ্ঞ ও সমাত এক ব্যক্তি তার স্থুশাডিষিক্ত হবেন ৷
আতিথোতাে ও ন্যায় বিচারে তিনি হবেন সর্বজনবিদিত ৷ অতঃপর সাতীহ হযরত উদ্যান (বা) ,
তার হত্যা এবং তত্পরবর্তী বনু উমাইয়া ও বনু আব্বাসের যুগে যা কিছু ঘটবে, সব উল্লেখ
করেন ৷ এরপর যত ফেতনা ও যুদ্ধ-কািহ সংঘটিত হবে, তাও তার বক্তব্য থেকে বাদ পড়েনি ৷
ইবন আসাবির ইবন আব্বাস (না) থেকে এই বর্শনাঢি বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন ৷

উপরে আমরা উল্লেখ করে এসেছি যে, এক স্বপ্নের ব্যাখ্যার সাতীহ ইয়মােনের বাদশাহ
রর্বীয়া ইবন নাসরষ্কে ইমামানে বা কী অরহ্মেকতা দেখা দিবে এবং বিশ্বের ক্ষমতার মত দেন

হবে, সবকিছুর তবিষ্যৰ্পৌ কন্নেহিণেন ৷ এমনকি জ্যোও বঘেচ্চিস্ন যে, এক পর্যায়ে


إِنْ يُمْسِ مُلْكُ بَنِي سَاسَانَ أَفْرَطَهُمْ فَإِنَّ ذَا الدَّهْرَ أَطْوَارٌ دَهَارِيرُ ... فَرُبَّمَا رُبَّمَا أَضْحَوْا بِمَنْزِلَةٍ يَخَافُ صَوْلَهُمُ الْأُسْدُ الْمَهَاصِيرُ مِنْهُمْ أَخُو الصَّرْحِ بَهْرَامٌ وَإِخْوَتُهُ وَالْهُرْمُزَانُ وَشَابُورٌ وَسَابُورُ ... وَالنَّاسُ أَوْلَادُ عَلَّاتٍ فَمَنْ عَلِمُوا أَنْ قَدْ أَقَلَّ فَمَحْقُورٌ وَمَهْجُورُ وَرُبَّ قَوْمٍ لَهُمْ صُحْبَانُ ذِي أُذُنٍ بَدَتْ تُلَهِّيهِمُ فِيهِ الْمَزَامِيرُ ... وَهُمْ بَنُو الْأُمِّ إِمَّا إِنْ رَأَوْا نَشَبًا فَذَاكَ بِالْغَيْبِ مَحْفُوظٌ وَمَنْصُورُ وَالْخَيرُ وَالشَّرُّ مَقْرُونَانِ فِي قَرْنٍ فَالْخَيرُ مُتَّبَعٌ وَالشَّرُّ مَحْذُورُ قَالَ: فَلَمَّا قَدِمَ عَبْدُ الْمَسِيحِ عَلَى كِسْرَى، أَخْبَرَهُ مَا قَالَ لَهُ سَطِيحٌ فَقَالَ كِسْرَى: إِلَى أَنْ يَمْلِكَ مِنَّا أَرْبَعَةَ عَشَرَ مَلِكًا كَانَتْ أُمُورٌ وَأُمُورٌ فَمَلَكَ مِنْهُمْ عَشَرَةٌ فِي أَرْبَعِ سِنِينَ، وَمَلَكَ الْبَاقُونَ إِلَى خِلَافَةِ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ إِدْرِيسَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حَرْبٍ الْمَوْصِلِيِّ بِنَحْوِهِ. قُلْتُ: كَانَ آخِرَ مُلُوكِهِمْ - الَّذِي سُلِبَ مِنْهُ الْمُلْكُ - يَزْدَجِرْدُ بْنُ شَهْرَيَارَ بْنِ أَبْرَوِيزَ بْنِ هُرْمُزَ بْنِ أَنُوشِرْوانَ وَهُوَ الَّذِي انْشَقَّ الْإِيوَانُ فِي زَمَانِهِ وَكَانَ
পৃষ্ঠা - ১৪৯২
لِأَسْلَافِهِ فِي الْمُلْكِ ثَلَاثَةُ آلَافِ سَنَةٍ وَمِائَةٌ وَأَرْبَعَةٌ وَسِتُّونَ سَنَةً وَكَانَ أَوَّلَ مُلُوكِهِمْ خَيُومَرْتُ بْنُ أَمِيمَ بْنِ لَاوَذَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. أَمَّا سَطِيحٌ هَذَا فَقَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَارِيخِهِ: هُوَ الرَّبِيعُ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ مَسْعُودِ بْنِ مَازِنِ بْنِ ذِئْبِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ مَازِنِ بْنِ الْأَزْدِ. وَيُقَالَ: الرَّبِيعُ بْنُ مَسْعُودٍ. وَأُمُّهُ رَدْعَا بِنْتُ سَعْدِ بْنِ الْحَارِثِ الْحَجُورِيِّ. وَذُكِرَ غَيْرُ ذَلِكَ فِي نَسَبِهِ قَالَ: وَكَانَ يَسْكُنُ الْجَابِيَةَ. ثُمَّ رَوَى عَنْ أَبِي حَاتِمٍ السِّجِسْتَانِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ الْمَشْيَخَةَ مِنْهُمْ أَبُو عُبَيْدَةَ وَغَيْرُهُ قَالُوا: وَكَانَ مِنْ بَعْدِ لُقْمَانَ بْنِ عَادٍ وُلِدَ فِي زَمَنِ سَيْلِ الْعَرِمِ، وَعَاشَ إِلَى مُلْكِ ذِي نُوَاسٍ، وَذَلِكَ نَحْوٌ مَنْ ثَلَاثِينَ قَرْنًا وَكَانَ مَسْكَنُهُ الْبَحْرَيْنِ، وَزَعَمَتْ عَبْدُ الْقَيْسِ أَنَّهُ مِنْهُمْ، وَتَزْعُمُ الْأَزْدُ أَنَّهُ مِنْهُمْ، وَأَكْثَرُ الْمُحَدِّثِينَ يَقُولُونَ: هُوَ مِنَ الْأَزْدِ وَلَا نَدْرِي مِمَّنْ هُوَ؟ غَيْرَ أَنَّ وَلَدَهُ يَقُولُونَ: إِنَّهُ مِنَ الْأَزْدِ. وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: لَمْ يَكُنْ شَيْءٌ مِنْ بَنِي آدَمَ يُشْبِهُ سَطِيحًا إِنَّمَا كَانَ لَحْمًا عَلَى وَضَمٍ، لَيْسَ فِيهِ عَظْمٌ وَلَا عَصَبٌ إِلَّا فِي رَأْسِهِ وَعَيْنَيْهِ وَكَفَّيْهِ وَكَانَ يُطْوَى كَمَا يُطْوَى الثَّوْبُ مِنْ رِجْلَيْهِ إِلَى عُنُقِهِ، وَلَمْ يَكُنْ فِيهِ شَيْءٌ يَتَحَرَّكُ إِلَّا لِسَانُهُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: إِنَّهُ كَانَ إِذَا غَضِبَ انْتَفَخَ وَجَلَسَ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَدِمَ مَكَّةَ فَتَلَقَّاهُ جَمَاعَةٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ১৪৯৩

ল্ট্যাংলোঃ-ল্দো দ্যোক্লচট্যাত্ত্বট্যাং-এব মোঃ ফ্লি অ্যাংবআেলোঃল্টো ইবন
াল্যাংব্ল অ্যাং লোঃ লোঃনঙ্কেক্ষেক্ললোঃফ্ন্াইস্ফোাযীষ্করৈমোঃবহোল্লেভ্রক্ষাংআঃলোঃসোর
লোঃলোঃলোঃঅ্যাংকল্পে,ৰুপ্সাব্লিচ্চলোঃত্ক্লোঅ্যাংম্রলোঃ সৌং মৌলোঃ ংামেংষ্
পড়বে ৷ রবীয়া জিজ্ঞাসা কলোঃলোঃামোঃক্লোদ্যেখ্যাঃা ব্রাচ্ছেন্মোা সৌং বাষ্প্লোল্লু ষ্ণাচ্চাওমোঃন
ন্প্রুছুব্ত্রল্পোণ্নন্থীৰুযহ্রব্লহ্ন্নিব্লল্ট ষ্টুলোঃত্মৰ্বাহুজ্জক শুহ্হীশুত্বাহ্রন্নৰুৰুান্ছুবীব্লুাৰুজ্বিস্কৃাষ্ব্লুা ,এই, ৰুন্নম্ভী কার
শ্বন্ৰুাা১ক ফ্লোবন্তুারু>জ়বলোঃ ণ্হু১ণ্ান্ষ্টুৰুব্র র্নিহ্নিব্লুন্ইৰুন্ ৰুম্ন ন্শু ফ্লিাচ্ৰুা ক্ট্রনৰু ন্ইৰুন্ লোঃার
ম্পো দ্ভুল্গুাভ্রুক্কুমোঃ,য়ুগ পর্যঙু বাভ্রুতু,ৰু,,ত্মাবৃষ্টু, ব্লুস্হুদ্বুাবিদ্দড্রুমৃাৰুৰুথ্াকৃদ্বুৰ্ ৱবীয়ুা, পুনরুায়্ জ্বিজ্ঞাড্রুা
ছুচ্জাে ল্পঃএৰ্বাব্লুণ্শ্ণ্শুঅ্যাংচ্চ্ ন্াকিণ্ব>জ্রৰুাব্রে ষ্টুাত্নীহুৰু শ্১ৰু ণ্ত্মাহ্নে>রুৰুকিষ্ন্ন্থগ্রোব ন্৭াষ
ান্হ্নওহ্মা> ১ ছুও-ন্ মোঃপুন্ বৃবছুচুৰুষ্ লোঃ বন্নু স্ৎকর্মুশ্রীব্লুৰুহ্না চ্ছুদ্ভুব্লুৰুপ্£স্থুদ্বুষ্টুন

ভাগ্যবান আর অসৎ লোকেরা হবে দুর্ভাগা ৷ রবীয়া আবার ৩ক্তিৰুষ্ষ্ক্কাসা করেন, তুমোঃফ্লো
শ্লোলে,ত তা কি সত্য? সাভীহ বলেন, জী ,সত্য ৷ অস্তমান সুর্যের লালিমা, নিশীঠথর
এর্কীত্যুঃান্মঃমোঃপিক্ষীর্দীব ,ত্মীন্তোআ ন্ন্াার্কে টী র্সিলোঃাচুেসৎবাদ
মোঃ আঃন্ণ্দ্বইৰুসল্গুা স্ফোস্ত্রস্কোব্লুফ্লু<া মোঃদ্ধ জ্যোলোঃাম্ভ ইর্তিপু€ৰ্ ম্ভাকুাদ্বপুশু

চাশ্দ্ষ্ট্র চাৰ্ চচদ্ন্চাশ্ষ্ট্র দুবৃস্ ফ্লুচ ম্বু ঙন্চন্ চু“হুশ্ক্তৰুড্রুস্ফুক্কু চাচক্ষুন্ট্রু ’, ৰুদুা চ,শ্০ ৰু এ ষ্দ্ম্পেট্রু

,<;ন্ ; চল্,শ্চ>ান্নিল্দোন্যুণ্হ্রট্ষ্ স্াধে০ ট্রু,া১,া১ন্ড্রুষ্ দুৰু< ঙ্গ১চ;াত্ত্ব ণ্ ;ন্র্কু(ন্ষ্,ষ্ ;ৰুর্বৃ১,া < ; ত্বগুদ্ব ছুন্দ্বুর্বৃন্ ;১া১ন্ব্লুচ
, ৰু এব্লু ক ল্লিতর্ষীদুেহুচ্চন্া নিয়্রুাং ৰু ,,ন্ ,শ্চে ; ধ্,ন্ৰু ,, ন্ৰু , ঠু ,, , ,চু ,ৰু,ৰুক্ষু,ৰু

ৰুৰুট্টট্র’হুংষ্ট্রৰ্বান্ন্াৰুপ্াশু ;ং ফ্লু ন্ব্লুরুদ্ধ,ৰু , ক্ক;াং ন্দ্রল্কাষ্র্ষ’াব্র ণিষ্ট্রত্ত ম্নোত্ত্ব১ণ্ পুব্ললোঃ লোঃ

চুা১ র্সা১ব্যাংশুচচাপ্ চন্ন্নোা,শু চ স্মতু ,ল্লীচু ব্রঙ্কুাত্যে চ্য ণ্ান্ৰচা হ ধ্বন ব্রু, ;গু ন্ভৃক্লীা১বটু,া ’ার্ল াগ্লুাাধ্

০ ) : )

ন্াক্ষেদ্দৌাম্পোজ্যোা জাোওৰুশ্ষ্াট্টষ্াপু র্চাম্পোষ্ট্রট্যাংদ্দৌর্স্টস্টো ;কুলীেক্রনিঃ
চক্তা চ<জ্যোঅ্যাংম্পোফজ্যোালোঃআঃঙ্কো আ অ্যাংম্বক্ষেন্তেবঢ়মোঃ আেকাজ্যা
চল্যাংক্যেলোঃঅ্যাংঙ্গাথো মোঃ মোঃ নামোঃঅ্যাংতাদ্দো শ্লোলোঃ ও
াঢক্রোল্টোল্পেল্দোবজ্জীাা চক্তর্ন্তঢ চাওচাৰুা চাটাণ্ প্ণ্া ,ৎ:াগ্?গাংাণহ্রণ্চান্ লোঃাও ও১রুাৰুন্র্স’

শুণ্ণ্হু,ল্গুজাইবন্াাৰুাান্ত্রৰুৰ্ ল্গুলোঃদ্বশ্লে ওৰুও ষ্;াব্হুা ন্াদ্ভৰ্াজ্জ ইব্স্জ্জীব্ষ্ার্কিংব্
ত্যার্নিতুদ্বীবীও অনুবাপহুর্ণনা র্ভ মুংরে বব্র্লাছন র্সর্তীইসর্ম্পকেপ্লিচুব বর্লিনৃা ইট্রুাহুন্বিই ৷
অংনত্র্বী তা সিষ্কল্ান্ধীও ৷ “ মোঃর্গকুচী ইশুলী ওাই &,%?§§ মোঃনঃ

মোঃ৷ মোঃ ক্রুর্বীহীর্বীষ্টুা সাপ্টিই ণুর্চআাহীম্ভীব্া শুায় ন্চন্ইন্ান্ল্গুহ্লাৰুগুত নান্ডেব্
করেছিলেন ৷ তাছাড়া আমরা এমন বর্ণনাও পেয়েছি যে, নবী করীম (সা) কে সাভীই
সাজািাড্ডাম্ভেমোঃর্লাট্াঅ্যাংসাঞ্জন্থালোঃমোঃক্ষাং খ্যাঃভাং মোঃ কদর

ৰুর্কীকৈলোঃবেহুক্ষাংসিখ্যাঃলোঃঈম্পমোঃাটীন্থের্ধি ’ ৰ্বা “ “ ং ন্ “

ল্পে,কুক্তব্লুর্টা>ারু ,চক্তর্ন্তান্ব ন্ন্বন>৷াব্রা ন্থঢ় চারুক্তাচা>ান্ডে শ্চ ও ত্বক্কু ৰেন্ট্টা ন্১ ইও চারু?ংক্ট :চও ও ;

ন্ ন্ান্নাম্নাব্লু মোঃমৈংঅ্যাংলোঃ ল্ফ্তেশু , , মোঃ, ণ্াই ব্রুর্শ্বন্মব্ মোঃ ভিত্তি ন্নেহ্ স্ৰুদ্রুণ্ৰুৰুশুহু
এমন হাদীস, অ্যাংলোঃত্বোপ্লাংমোঃামোঃট্যাংম্বিহ্মা লোঃলোঃ এ্যাপ

ট্রুব্রিৰুৰুব্লুরুণ পুাত্নাযাযক্কুয , কিভুতৃন্ওেরুিশুহৃশুন্হু ৰুম্বা১ারু; ও রু ন্ৰু ৰু ষ্ষ্ণ্ক্ক প্ণ্ন্ষ্ও ৰুন্ ণ্ৰুত্ষ্ট্ট

আলোচ্য বক্তব্যের লা জ্যিজ্জ চর্তোপ্ৰশ্ম্মে কংক্ষ্ণআঃস্পোনীিলোঃন্অ্যাংষ্ট ৰিদ্দাহিলভোবহুঙ্কোঢড়
ক্ষোফ্তেলোঃসৃলোঃ ম্পান্মোশ্চদ্যোা ওাল্ডিংতিরুিইষ্কেলামোক্লম্নষুাত্বদ্রুষ্াননি ণ্া;স্ফোন মোঃনলেক্ষো ৷







رُؤَسَائِهِمْ مِنْهُمْ عَبْدُ شَمْسٍ، وَعَبْدُ مَنَافٍ أَبْنَاءُ قُصَيٍّ فَامْتَحَنُوهُ فِي أَشْيَاءَ فَأَجَابَهُمْ فِيهَا بِالصِّدْقِ. فَسَأَلُوهُ عَمَّا يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ فَقَالَ: خُذُوا مِنِّي، وَمِنْ إِلْهَامِ اللَّهِ إِيَّايَ; أَنْتُمُ الْآنَ يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ فِي زَمَانِ الْهَرَمْ، سَوَاءٌ بَصَائِرُكُمْ وَبَصَائِرُ الْعَجَمْ لَا عِلْمَ عِنْدَكُمْ وَلَا فَهْمْ، وَيَنْشَأُ مِنْ عَقِبِكُمْ ذَوُو فَهْمٍ يَطْلُبُونَ أَنْوَاعَ الْعِلْمِ فَيَكْسِرُونَ الصَّنَمْ، وَيَتْبَعُونَ الرَّدَمْ، وَيَقْتُلُونَ الْعَجَمْ، وَيَطْلُبُونَ الْغَنَمْ، ثُمَّ قَالَ: وَالْبَاقِي الْأَبَدْ، وَالْبَالِغُ الْأَمَدْ، لَيَخْرُجَنَّ مِنْ ذَا الْبَلَدْ، نَبِيٌّ مُهْتَدْ، يَهْدِي إِلَى الرَّشَدْ، يَرْفُضُ يَغُوثَ وَالْفَنَدْ، يَبْرَأُ عَنْ عِبَادَةِ الضِّدَدْ، يَعْبُدُ رَبًّا انْفَرَدْ. ثُمَّ يَتَوَفَّاهُ اللَّهُ بِخَيْرِ دَارٍ مَحْمُودًا مِنَ الْأَرْضِ مَفْقُودًا، وَفِي السَّمَاءِ مَشْهُودًا، ثُمَّ يَلِي أَمْرَهُ الصِّدِّيقْ إِذَا قَضَى صَدَقْ، وَفِي رَدِّ الْحُقُوقِ لَا خَرِقٌ وَلَا نَزِقْ، ثُمَّ يَلِي أَمْرَهُ الْحَنِيفْ مُجَرِّبٌ غِطْرِيفْ قَدْ أَضَافَ الْمُضِيفْ، وَأَحْكَمَ التَّحْنِيفْ، ثُمَّ ذَكَرَ عُثْمَانَ وَمَقْتَلَهُ وَمَا يَكُونُ بَعْدَ ذَلِكَ مِنْ أَيَّامِ بَنِي أُمَيَّةَ، ثُمَّ بَنِي الْعَبَّاسِ وَمَا بَعْدَ ذَلِكَ مِنَ الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ سَاقَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ بِسَنَدِهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِطُولِهِ. وَقَدْ قَدَّمْنَا قَوْلَهُ لِرَبِيعَةَ بْنِ نَصْرٍ مَلِكِ الْيَمَنِ حِينَ أَخْبَرَهُ بِرُؤْيَاهُ قَبْلَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ১৪৯৪
يُخْبِرَهُ بِهَا، ثُمَّ مَا يَكُونُ فِي بِلَادِ الْيَمَنِ مِنَ الْفِتَنِ، وَتَغْيِيرِ الدُّوَلِ حَتَّى يَعُودَ إِلَى سَيْفِ بْنِ ذِي يَزَنَ فَقَالَ لَهُ: أَفَيَدُومُ ذَلِكَ مِنْ سُلْطَانِهِ أَمْ يَنْقَطِعُ؟ قَالَ: بَلْ يَنْقَطِعُ قَالَ: وَمَنْ يَقْطَعُهُ؟ قَالَ: نَبِيٌّ زَكِيٌّ يَأْتِيهِ الْوَحْيُ مِنْ قِبَلِ الْعَلِيِّ قَالَ: وَمِمَّنْ هَذَا النَّبِيُّ؟ قَالَ: مِنْ وَلَدِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ، يَكُونُ الْمُلْكُ فِي قَوْمِهِ إِلَى آخِرِ الدَّهْرِ قَالَ: وَهَلْ لِلدَّهْرِ مِنْ آخِرٍ؟ قَالَ: نَعَمْ يَوْمَ يُجْمَعُ فِيهِ الْأَوَّلُونَ وَالْآخِرُونَ يَسْعَدُ فِيهِ الْمُحْسِنُونَ، وَيَشْقَى فِيهِ الْمُسِيئُونَ قَالَ: أَحَقٌّ مَا تُخْبِرُنِي؟ قَالَ: نَعَمْ وَالشَّفَقِ وَالْغَسَقْ وَالْقَمَرِ إِذَا اتَّسَقْ، إِنَّ مَا أَنْبَأْتُكَ عَلَيْهِ لَحَقٌّ، وَوَافَقَهُ عَلَى ذَلِكَ شِقٌّ سَوَاءً بِسَوَاءٍ بِعِبَارَةٍ أُخْرَى كَمَا تَقَدَّمَ، وَمِنْ شِعْرِ سَطِيحٍ قَوْلُهُ: عَلَيْكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ فِي السِّرِّ وَالْجَهْرِ ... وَلَا تَلْبِسُوا صِدْقَ الْأَمَانَةِ بِالْغَدْرِ وُكُونُوا لِجَارِ الْجَنْبِ حِصْنًا وَجُنَّةً إِذَا ... مَا عَرَتْهُ النَّائِبَاتُ مِنَ الدَّهْرِ وَرَوَى ذَلِكَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، ثُمَّ أَوْرَدَ ذَلِكَ الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا الْجَرِيرِيُّ فَقَالَ: وَأَخْبَارُ سَطِيحٍ كَثِيرَةٌ وَقَدْ جَمَعَهَا غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْمَشْهُورُ أَنَّهُ كَانَ كَاهِنًا وَقَدْ أَخْبَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَنْ نَعْتِهِ وَمَبْعَثِهِ، وَرُوِيَ لَنَا بِإِسْنَادٍ اللَّهُ بِهِ أَعْلَمُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «سُئِلَ عَنْ سَطِيحٍ فَقَالَ: نَبِيٌّ ضَيَّعَهُ قَوْمُهُ» .
পৃষ্ঠা - ১৪৯৫


কেননা, উপরিউক্ত বর্ণনায় আমরা বলেছি যে, সাতীহ তার ভাপিনাকে বলেছিলেন, হে আবদুল
মাসীহ যখন তিলাওয়াত বৃদ্ধি পাবে, শক্ত ছড়িওয়ালা আত্মপ্রকাশ করবেন, সামাওয়ার উপত্যকা
কুসে উঠবে, সাওয়াহ্রদ শুকিয়ে যাবে ও পারস্যের অপ্লিকুণ্ড নিবক্তভ্র যা:র, সাতীহ-এর জন্য শাম
আর খান থাকবে না, গস্তুজের সংখ্যার সমান সংখ্যক রাজত্ব-বাণী শ্যামর রাজত্ব করবে ৷ আর যা
আসবার, তা আসবেই ৷

এরপর সাভীহর মৃত্যু হয় ৷ ঘটনাটা ছিল ৱাসুলুল্লাহ (সা)-এর জন্মের একমাস কিংবা তার
চাইতে কিছু কম পরে ৷ তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ইরাকের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার কোন এক প্রত্যন্ত
অঞ্চলে ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷

ইবন তাররার আল হারীরি বলেন, সাতীহ সাতশ’ বছরের আযু পেয়েছিলেন ৷ আবার কেউ
বলেন, পড়াচশ’ বছর, কেউ বলেন, তিনশ’ বছর ৷ ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, এক বাদশাহ
সাতীহকে একটি শিশুর বংশ পরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, যার ন্পিভৃপরিচয় সম্পর্কে
মতভেদ ছিল ৷ জবাবে সাতীহ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে তার সমাধান দেন ৷ এমনি এক জটিল সমস্যার
সমাধান পেয়ে বাদশাহ র্তাকে বললেন, সাতীহ! তোমার এই বিদ্যার উৎস সম্পর্কে তুমি আমাকে
বলবে কি? জবাবে সাতীহ বললেন, এই বিদ্যা আমার নিজস্ব নয় ৷ আমি এই বিদ্যা লাভ
করেছি, আমার সেই ভাইয়ের নিকট থেকে, যিনি সিনাই পর্বতে ওহী শ্রবণ করেছিলেন ৷
বাদশাহ বললেন, এমন নয় (তা যে, তোমার সেই জিন ভাইটি সর্বক্ষণ তোমার সঙ্গে
থাকে-কখ্যনা তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না? না, এমন নয় বরং আমি যখন বিচ্ছিন্ন হয়ে
পড়ি, সেও আলাদা হয়ে যায় ৷ তবে সে যা বলে , আমি তা ছাড়া অন্যকিছু বলি না ৷

উপরে বর্ণিত হয়েছে যে, সাতীহ এবং আরেকজন ভবিষ্যদ্বক্তা (ইবন মসআব ইবন
ইযাশকুর ইবন রাহম ইবন বুসর ইবন উকবা) একই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ৷ জন্মের পর
তাদেরকে তারীফা বিনতে হুসাইন আল হামীদিয়াহ নড়াম্বী এক গণক ঠাকুরণীর নিকট নিয়ে
যাওয়া হয় ৷ সে তাদের মুখে থুথু দেয় ৷ ফলে তার থেকে তারা জ্যেড়াতিষৰিদ্যা লাভ করে ৷ আর
সেই গণক ঠাকুরণী সেদিনই মারা যায় ৷ সাতীহ ছিলেন আধা মানুষ ৷ কথিত আছে যে, খালিদ
ইবন আবদুল্লাহ আল-কাসরী র্তারই বংশের লোক ৷ উল্লেখ্য যে, শিক্ সাতীহ-এর বেশ কিছুকাল
আগে মারা যান ৷

অপরদিকে আবদুল মাসীহ ইবন আমর ইবন কায়স ইবন হায়্যান ইবন নুফায়লা
আল-গাস্সানী আন-নাসরানী ছিলেন একজন প্রবীণ ব্যক্তি ৷ হাফিজ ইবন আসাকির তার
ইতিহাস গ্রন্থে তার জীবন-চরিত আলোচনা করেছেন এবং বলেছেন, এই আবদুল মাসীহ্-ই
খালিদ ইবন ওলীদ (রা)-এর সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন ৷ এই প্রসঙ্গে ইবন আসাকির দীর্ঘ একটি
কাহিনীও উল্লেখ করেছেন এবং এও লিখেছেন যে, খালিদ ইবন ওলীদ (বা) এক সময় তার হাত
থেকে বিষ পেয়েছিলেন ৷ কিন্তু তা তার বিন্দুমাত্র অনিষ্ট করেনি ৷ কেননা বিয়ের পাত্র হাতে নিয়ে
তিনি বলেছিলেন :

ঢ় ; : # ১ ধ্
এে১া
শ্ শ্ শ্
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৬৩-
ণোণোণো(হ্রাশ্রোা৪গাে০ওেড়াড়া

قُلْتُ: أَمَّا هَذَا الْحَدِيثُ فَلَا أَصْلَ لَهُ فِي شَيْءٍ مِنْ كُتُبِ الْإِسْلَامِ الْمَعْهُودَةِ، وَلَمْ أَرَهُ بِإِسْنَادٍ أَصْلًا، وَيُرْوَى مِثْلُهُ فِي خَبَرِ خَالِدِ بْنِ سِنَانٍ الْعَبْسِيِّ وَلَا يَصِحُّ أَيْضًا. وَظَاهِرُ هَذِهِ الْعِبَارَاتِ تَدُلُّ عَلَى عِلْمٍ جَيِّدٍ لِسَطِيحٍ، وَفِيهَا رَوَائِحُ التَّصْدِيقِ لَكِنَّهُ لَمْ يُدْرِكِ الْإِسْلَامَ كَمَا قَالَ الْجَرِيرِيُّ فَإِنَّهُ قَدْ ذَكَرْنَا فِي هَذَا الْأَثَرِ أَنَّهُ قَالَ لِابْنِ أُخْتِهِ: يَا عَبْدَ الْمَسِيحِ إِذَا كَثُرَتِ التِّلَاوَةْ، وَظَهْرَ صَاحِبُ الْهِرَاوَةْ، وَفَاضَ وَادِي السَّمَاوَةْ، وَغَاضَتْ بُحَيْرَةُ سَاوَةْ، وَخَمَدَتْ نَارُ فَارِسَ فَلَيْسَ الشَّامُ لِسَطِيحٍ شَامًا، يَمَلِكُ مِنْهُمْ مُلُوكٌ، وَمَلِكَاتْ عَلَى عَدَدِ الشُّرُفَاتْ، وَكُلُّ مَا هُوَ آتٍ آتْ، ثُمَّ قَضَى سَطِيحٌ مَكَانَهُ. وَكَانَ ذَلِكَ بَعْدَ مَوْلِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَهْرٍ - أَوْ شَيْعِهِ أَيْ أَقَلَّ مِنْهُ - وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِأَطْرَافِ الشَّامِ مِمَّا يَلِي أَرْضَ الْعِرَاقِ فَاللَّهُ أَعْلَمُ بِأَمْرِهِ وَمَا صَارَ إِلَيْهِ، وَذَكَرَ ابْنُ طَرَّارٍ الْجَرِيرِيُّ أَنَّهُ عَاشَ سَبْعَمِائَةِ سَنَةٍ، وَقَالَ غَيْرُهُ: خَمْسَمِائَةِ سَنَةٍ، وَقِيلَ ثَلَاثَمِائَةِ سَنَةٍ فَاَللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ مَلِكًا سَأَلَ سَطِيحًا عَنْ نَسَبِ غُلَامٍ اخْتُلِفَ فِيهِ فَأَخْبَرَهُ عَلَى الْجَلِيَّةِ فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ مَلِيحٍ فَصِيحٍ. فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ: يَا سَطِيحُ أَلَا تُخْبِرُنِي عَنْ عِلْمِكَ هَذَا؟ فَقَالَ: إِنَّ عِلْمِي هَذَا لَيْسَ مِنِّي وَلَا بِخَرْمٍ وَلَا بِظَنٍّ، وَلَكِنْ أَخَذْتُهُ عَنْ أَخٍ لِي جِنِّيٍّ قَدْ سَمِعَ الْوَحْيَ بِطُورِ سَيْنَاءَ فَقَالَ لَهُ: أَرَأَيْتَ أَخَاكَ هَذَا الْجِنِّيَّ، أَهْوَ مَعَكَ لَا يُفَارِقُكَ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ لَيَزُولَ حَيْثُ أَزُولْ،
পৃষ্ঠা - ১৪৯৬


এই বলে তিনি পাত্রস্থ পদার্থগুলো খেয়ে ফেলেন ৷ খালিদ ইবনে ওলীদের জ্ঞান হারাবার
উপক্রম হয় ৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি দু’হাতে নিজের দু’হাতে চাপড় মারেন এবং ঘর্মাক্ত হন ৷ তিনি
জ্ঞান ফিরে পান ৷ তখন আবদুল মাসীহকে তিনি কয়েকটি পংক্তি আবৃত্তি করে শুনান ৷

আবু নুআয়ম শুআয়ব এর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, মাররুয যাহরান
নামক স্থানে একজন ধর্যযাজক বাস করতেন ৷ তার নাম ছিল ঈস ৷ তিনি সিরিয়ার অধিবাসী
ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন আস ইবন ওয়ায়েল এর আশ্রিত ৷ আল্লাহ তাকে প্রচুর জ্ঞান দান
করেছিলেন এবং তাতে মক্কাবাসীদের জন্য বহু উপকার করেছিলেন ৷৩ তার একটি উপাসনালয়
ছিল, তাচ তই তিনি সর্বদা ৷থাকতেন ৷ বছরে কেবল একবার মক্কায় আস্তেন এবং মক্কাবাসীদের
সাথে দেখা সাক্ষাত করতেন ৷ তিনি তাদেরকে বলতেন, হে মক্কাবাসী ! অচিরেই তোমাদের
মাঝে এমন এক নবজাতকের আবির্ভাব হবে, সমগ্র আরব যার ধর্ম অবলম্বন করবে এবং আজম
তথা আরবের বাইরেও তার রাজৎ ছড়িয়ে পড়বে ৷ এই সেই সময , যে ব্যক্তি তাকে পাবে এবং
তার আনুগত্য করবে, সে কৃতকার্যহবে ৷ আর যে ব্যক্তি তাকে পেয়েও র্তার বিরুদ্ধাচরণ করবে,
সে ব্যর্থকাম হবে ৷ আল্লাহর শপথ ৷ তীর অনুসন্ধান ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে মদ-রুটি ও
শান্তির দেশ ত্যাগ করে আমি এই অভাব অশান্তি ও নিরাপত্তাহীনাঃ ৷র দেশে আসিনি৷ মক্কায়
কোন সন্তান ভুমিষ্ঠ হলেই তিনি তার ব্যাপারে খোজ খবর নিতেন এবং শুনে বলতেন, না, এখন
তার আগমন ঘটেনি ৷ তখন তাকে বলা হতো, তাহলে বলুন না, সেই শি শুটি (কমন হবে?
তিনি বলতেন, না, বলা যাবে না ৷ প্ৰভীক্ষিত সেই মহান শিশুটির পরিচয় তিনি তার নিরাপত্তার
খাতিরেই গোপন রাখতেন ৷ কারণ তিনি জা নতে ন যে, সেই শিশুটির স্বজাতি তার অনিষ্ট করার
চেষ্টা করবে ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) যে রাতে ভুমিষ্ঠ হন ৷ সেদিন প্ৰত্যুষে আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মুত্তালিব
এসে ঈসের উপাসনালয়ের প্রধান ফটকের কাছে র্দাড়িয়ে তাকে ডাক দেন ৷ ডাক শুনে তিনি
আওয়াজ করে জিজ্ঞেস করেন, কো তিনি বললেন, আমি আবদুল্লাহ ৷ যাজক তার নিকটে এসে
বললেন, তমি তার পিতা হও ৷ আমি সেই শিশুটির কথা তোমাদের বলতাম যে, তিনি সোমবার
দিনে তুমিষ্ঠ হবেন, সােমবারে নবুওত লাভ করবেন এবং সোমবারেই তার ইস্তিকাল হবে ৷ সেই
প্রভীক্ষিত শিশুটি ভুমিষ্ঠ হয়ে গেছেন ৷ আবদুল্লাহ বললেন, আজ প্রত ত্যুষে আমার একটি সন্তান
জন্মেছে ৷ জিজ্ঞাসা করলেন,ত তার ৷কি নাম রেখেছেন? আব্দুল্লাহ বললেন, নাম রেখেছি, মুহাম্মদ ৷
পাদ্রী বললেন, হে কা বাব সেবায়ে৩ গণ! আমারও কামনা এই ছিল যে, সেই শিশুটি যেন
আপনাদের মধ্য থেকেই আগমন করেন ৷ তিনটি লক্ষ্যণ আমি বুঝতে পেয়েছি যে, আপনার
পুত্রই সেই প্রত্তীক্ষিত শিশু ৷ এক, গত রাতে তার নক্ষত্র উদিত হয়েছে ৷ দুই, আজ তিনি ভুমিষ্ঠ
হয়েছেন এবং তিন, তার নাম মুহাম্মদ ৷ আপনি যান ৷ আমি আপনাদেরকে যে শিশুটির কথা
বলতাম, আপনার পুত্র তিনিই ৷ আবদুল্লাহ জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি করে বুঝলেন যে,
আমার পুএই তিনি? আজকে (তা অন্য শিশুরও জন্ম হয়ে থাকতে পারে? পাদ্রী বললেন,
আপনার পুত্রের সঙ্গে তার নাম মিলে গেছে ৷ আর আল্লাহ আলিমদের জন্য তার ইলমকে
সন্দেহজনক করেন না ৷ কারণ, তা হলো অকাট্য প্রমাণ স্বরুপ ৷


وَلَا أَنْطِقُ إِلَّا بِمَا يَقُولْ. وَتَقَدَّمَ أَنَّهُ وُلِدَ هُوَ وَشِقُّ بْنُ مُصْعَبِ بْنِ يَشْكُرَ بْنِ رُهْمِ بْنِ بُسْرِ بْنِ عُقْبَةَ الْكَاهِنُ الْآخَرُ، وُلِدَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ فَحُمِلَا إِلَى الْكَاهِنَةِ طَرِيفَةَ بِنْتِ الْحُسَيْنِ الْحِمْيَرِيَّةِ فَتَفَلَتْ فِي أَفْوَاهِهِمَا فَوَرِثَا مِنْهَا الْكِهَانَةَ، وَمَاتَتْ مِنْ يَوْمِهَا وَكَانَ نِصْفَ إِنْسَانٍ، وَيُقَالَ: إِنَّ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ مِنْ سُلَالَتِهِ وَقَدْ مَاتَ شِقٌّ قَبْلَ سَطِيحٍ بِدَهْرٍ. وَأَمَّا عَبْدُ الْمَسِيحِ بْنُ عَمْرِو بْنِ قَيْسِ بْنِ حَيَّانَ بْنِ بُقَيْلَةَ الْغَسَّانِيُّ النَّصْرَانِيُّ فَكَانَ مِنِ الْمُعَمَّرِينَ وَقَدْ تَرْجَمَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَارِيخِهِ، وَقَالَ: هُوَ الَّذِي صَالَحَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ عَلَى الْحِيرَةِ، وَذَكَرَ لَهُ مَعَهُ قِصَّةً طَوِيلَةً، وَأَنَّهُ أَكَلَ مِنْ يَدِهِ سُمَّ سَاعَةٍ فَلَمْ يُصِبْهُ سُوءٌ; لِأَنَّهُ لَمَّا أَخَذَهُ قَالَ: بِسْمِ اللَّهِ وَبِاللَّهِ رَبِّ الْأَرْضِ وَالسَّمَاءِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ أَذًى، ثُمَّ أَكَلَهُ فَعَلَتْهُ غَشْيَةٌ فَضَرَبَ بِيَدَيْهِ عَلَى صَدْرِهِ، ثُمَّ عَرِقَ وَأَفَاقَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَذَكَرَ لِعَبْدِ الْمَسِيحِ أَشْعَارًا غَيْرَ مَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ الْحَسَنِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ حَدَّثَنَا الْمُسَيَّبُ بْنُ شَرِيكٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَرِيكٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: كَانَ
পৃষ্ঠা - ১৪৯৭
بِمَرِّ الظَّهْرَانِ رَاهِبٌ مِنَ الرُّهْبَانِ يُدْعَى عِيصًا مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَكَانَ مُتَخَفِّرًا بِالْعَاصِ بْنِ وَائِلٍ وَكَانَ اللَّهُ قَدْ آتَاهُ عِلْمًا كَثِيرًا، وَجَعَلَ فِيهِ مَنَافِعَ كَثِيرَةً لِأَهْلِ مَكَّةَ مِنْ طِيبٍ وَرِفْقٍ وَعِلْمٍ وَكَانَ يَلْزَمُ صَوْمَعَةً لَهُ، وَيَدْخُلُ مَكَّةَ فِي كُلِّ سَنَةٍ فَيَلْقَى النَّاسَ، وَيَقُولُ: إِنَّهُ يُوشِكُ أَنْ يُولَدَ فِيكُمْ مَوْلُودٌ يَا أَهْلَ مَكَّةَ يَدِينُ لَهُ الْعَرَبُ، وَيَمْلِكُ الْعَجَمَ هَذَا زَمَانُهُ، وَمَنْ أَدْرَكَهُ وَاتَّبَعَهُ أَصَابَ حَاجَتَهُ، وَمَنْ أَدْرَكَهُ فَخَالَفَهُ أَخْطَأَ حَاجَتَهُ، وَتَاللَّهِ مَا تَرَكْتُ أَرْضَ الْخَمْرِ وَالْخَمِيرِ وَالْأَمْنِ وَلَا حَلَلْتُ بِأَرْضِ الْجُوعِ وَالْبُؤْسِ وَالْخَوْفِ إِلَّا فِي طَلَبِهِ وَكَانَ لَا يُولَدُ بِمَكَّةَ مَوْلُودٌ إِلَّا يَسْأَلُ عَنْهُ فَيَقُولُ: مَا جَاءَ بَعْدُ فَيُقَالَ لَهُ: فَصِفْهُ فَيَقُولُ: لَا وَيَكْتُمُ ذَلِكَ; لِلَّذِي قَدْ عَلِمَ أَنَّهُ لَاقٍ مِنْ قَوْمِهِ مَخَافَةً عَلَى نَفْسِهِ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ دَاعِيَةً إِلَى أَدْنَى مَا يَكُونُ إِلَيْهِ مِنَ الْأَذَى يَوْمًا. وَلَمَّا كَانَ صَبِيحَةُ الْيَوْمِ الَّذِي وُلِدَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ حَتَّى أَتَى عِيصًا فَوَقَفَ فِي أَصْلِ صَوْمَعَتِهِ، ثُمَّ نَادَى يَا عِيصًا فَنَادَاهُ مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ فَأَشْرَفَ عَلَيْهِ فَقَالَ: كُنْ أَبَاهُ فَقَدْ وُلِدَ الْمَوْلُودُ الَّذِي كُنْتُ أُحَدِّثُكُمْ عَنْهُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَيُبْعَثُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَيَمُوتُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، قَالَ: فَإِنَّهُ قَدْ وُلِدَ لِي مَعَ الصُّبْحِ مَوْلُودٌ قَالَ فَمَا سَمَّيْتَهُ؟ قَالَ: مُحَمَّدًا قَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَشْتَهِي أَنَّ يَكُونَ هَذَا الْمَوْلُودُ فِيكُمْ أَهْلَ
পৃষ্ঠা - ১৪৯৮

তাছাড় তা এর আরও একটি প্রমাণ হলো, আপনার পুত্র এখন ব্যাথাগ্রস্ত ৷ তার এই ব্যথা
তিনদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ৷ এতে তার ক্ষুধা প্রকাশ পাবে ৷ অতপ্পর তিনি সুন্থতা লাভ
করবেন ৷ আপনি আপনার জিহ্বাকে সংযত করে চলবেন ৷ কেননা, তার প্রতি এত বেশি বিদ্বেষ
পোষণ করা হবে, যা কখনো অন্য কারও বেলায় হয়নি এবং তার উপর এত বেশি অত্যাচার
হবে, যা অন্য কারও উপর কােনদিন হয়নি ৷ তার কথা বলার বয়স পর্যন্ত যদি আপনি বেচে
থাকেন এবং তিনি তার দাওয়াতের কাজ শুরু করেন, তাহলে আপনারাজাতির পক্ষ থেকে
আপনি এমন আচরণ দেখতে পাবেন, যা আপনি সহ্য করতে পারবেন না ৷ তখন ধৈর্যধারণ আর
লাঞ্চুনা ভোগ করা ব্যতীত কোন গতি থাকবে না ৷ অতএব আপনি আপনার জিহবাকে সংযত
রাখবেন এবং তাকে চোখে চোখে রাখবেন ৷ আবদুল্লাহ জিজ্ঞাসা করলেন, শিশুটির আবু কত
হবো পাদ্রী বললেন, আয়ু৩ তার বেশি হোক আর কম হোক নত্তুরে পৌছবে না ৷ সত্তুরের নিচে
ষাটের ওপরে যে কোন বেজােড সং থ্যার বয়সে তার মৃত্যু হন্থ< ৷ আর এই হবে৩ তার উম্মতের
অধিকাৎহু শের গড় আবু ৷

বর্ণনাকারী বলেন, মুহাররমের দশ তারিখে রাসুলুল্লাহ (সা) মায়ের গর্ভে আসেন এবং
হস্তিবাহিনীর যুদ্ধের ণ্তইশ দিন আগে রমযান মাসের বার তারিখে সোমবার ভুমিষ্ঠ হন ৷

রাসুলুল্লাহ (না)-এর লালন-পালনকারী ও দাই-মাগণের বিবরণ

উম্মে আয়মান রাসুলুল্লাহ (না)-কে লালন পালন করতেন ৷ তার আসল নাম ছিল
বারাকা এই উম্মে আয়মানকে রাসুলুল্লাহ (সা) উত্তরাধিকার সুত্রে পেয়েছিলেন ৷ পরবর্তীকালে
নবী করীম (সা) তাকে আযাদ করে তার আয়াদকৃত গোলাম যায়েদ ইবনে হাবিছা র সঙ্গে বিবাহ
দেন ৷ এই ত্রীর গর্ভেই যায়েদ ইবনে হারিছার পুত্র উসামা ইবনে যায়েদ (রা) এর জন্ম হয় ৷

হালীমা সা দিয়ার আগে তার মা আমিনা এবং আবু লাহাব এর দাসী ছুওয়াইবা (রা)
রাসুলুল্লাহ (না)-কে দুধপান করাতেন ৷

ইমাম বুখারী ও মুসলিমত তাদের সহীহদ্বয়ে বর্ণনা করেন যে, আবু সুফিয়ানের কন্যা উম্মে
হাবীবা একদিন রাসুল (সা) কে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমার বোন আয্যাহ্ বিনত
আবু সুফিয়ানকে বিয়ে করুন! উত্তরে রাসুল (সা) বললেনং এটি কি তুমি পছন্দ কর? আমি
বললামং : ত্মী হ্যা ৷ তবে আমিই তো আপনার একমাত্র শ্রী নই? কল্যাণ লাভে আমার বোনটি
আমার সাথে শরীক হোক এটি আমার পছন্দনীয় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : কিভু আমার জন্য
হালাল হবে না ৷ উম্মে হাবীবাহ বলেন, তখন আমি বললাম, আমরা কিত্তু বলাবলি করছি যে ,
আপনি আবু সালামার কন্যাকে বিয়ে করতে আগ্রহী ৷ এক বর্ণনায় আবু সালামার কন্যা দৃররার
নামও উল্লেখ আছে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : তুমি কি উম্মে সালামার কন্যার কথা বলছন্
আমি বললাম, জী হীা ৷ তিনি বললেন০ উম্মে সালামার কন্যা যদি আমার ত্রীর সাথে আগত
পালিতা কন্যা নাও হত ,তবুও সে আমার জন্য হালাল হত না ৷ কারণ সে আমার দুধ ভাই এর
কন্যা ৷ ছুওয়াইবা আমি এবং আবু সালামা উভয়বেইি দুধ পান করান ৷ অতএব তোমরা আমার


الْبَيْتِ; لِثَلَاثِ خِصَالٍ نَعْرِفُهُ بِهَا مِنْهَا أَنَّ نَجْمَهُ طَلَعَ الْبَارِحَةَ، وَأَنَّهُ وُلِدَ الْيَوْمَ، وَأَنَّ اسْمَهُ مُحَمَّدٌ انْطَلِقْ إِلَيْهِ فَإِنَّ الَّذِي كُنْتُ أُحَدِّثُكُمْ عَنْهُ ابْنُكَ قَالَ: فَمَا يُدْرِيكَ أَنَّهُ ابْنِي، وَلَعَلَّهُ أَنْ يُولَدَ فِي هَذَا الْيَوْمِ مَوْلُودٌ غَيْرُهُ؟ قَالَ: قَدْ وَافَقَ ابْنُكَ الِاسْمَ، وَلَمْ يَكُنِ اللَّهُ لِيُشَبِّهَ عِلْمَهُ عَلَى الْعُلَمَاءِ فَإِنَّهُ حُجَّةٌ، وَآيَةُ ذَلِكَ أَنَّهُ الْآنَ وَجِعٌ فَيَشْتَكِي أَيَّامًا ثَلَاثَةً، يَظْهَرُ بِهِ الْجُوعُ ثَلَاثًا ثُمَّ يُعَافَى فَاحْفَظْ لِسَانَكَ فَإِنَّهُ لَمْ يُحْسَدْ أَحَدٌ حَسَدَهُ قَطُّ، وَلَمْ يُبْغَ عَلَى أَحَدٍ كَمَا يُبْغَى عَلَيْهِ، إِنْ تَعِشْ حَتَّى يَبْدُوَ مَقَالُهُ، ثُمَّ يَدْعُوَ لَظَهَرَ لَكَ مِنْ قَوْمِكَ مَا لَا تَحْتَمِلُهُ إِلَّا عَلَى صَبْرٍ وَعَلَى ذُلٍّ فَاحْفَظْ لِسَانَكَ، وَدَارِ عَنْهُ. قَالَ: فَمَا عُمُرُهُ؟ قَالَ: إِنْ طَالَ عُمُرُهُ أَوْ قَصُرَ لَمْ يَبْلُغِ السَّبْعِينَ يَمُوتُ فِي وِتْرٍ دُونَهَا مِنَ السِّتِّينَ فِي إِحْدَى وَسِتِّينَ أَوْ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ فِي أَعْمَارِ جُلِّ أُمَّتِهِ. قَالَ: وَحُمِلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَاشُورَاءِ الْمُحَرَّمِ، وَوُلِدَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ مِنْ غَزْوَةِ أَصْحَابِ الْفِيلِ هَكَذَا رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ.