كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ১৪৪৬


রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর পবিত্র জীবনচরিত

আল্লাহ তাআলা বলেন :
ন্া;৷ হ্রা৷া
“আল্লাহ রিসালাতের ভার কার উপর অর্পণ করবেন তা তিনিই ভালো জানেন ৷ (৬৪ ১ ২৪ )
রোমান সম্রাট ইিরাক্লিয়াস আবু সৃফিয়ানকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর পরিচয় সম্পর্কে যে ক’টি
প্রশ্ন করেছিলেন, তাতে তিনি একথাও জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তোমাদের মাঝে তার বংশ
মর্যাদা কেমন? উত্তরে আবু সুফিয়ান বলেছিলেন, আমাদের মধ্যে তিনি সম্রাম্ভ বংশীয় ৷ তখন
হিরাক্লিয়াস বলেছিলেন, এমনিভাবে সব রাসুলই নিজ নিজ সমাজের সম্রাভ বংশে প্রেরিত হয়ে
থাকেন ৷ অর্থাৎ রাসুলগণ বংশগতভাবে সকলের চাইতে সম্রাত আর তাদের বংশের জনসংথ্যাও
সর্বাধিক হয়ে থাকে ৷

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হলেন আদম সন্তানদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং ইহকাল-পরকালে তাদের
পর্বের ধন ৷ তার উপনাম আবুল কাসিম ও আবু ইবরাহীম ৷ তিনিই মুহাম্মদ, আহমাদ,
আলমাহী যীর মাধ্যমে কুফরের মুলোৎপাটিত হয় ৷ তিনিই আল-আকিব-যীর পরে আর কোন
নবী নেই ৷ আল-হাশির-যীর পদপ্রড়াম্ভে সকল মানুষকে সমবেত করা হবে ৷ তিনি আল-মুকফী ,
নবীউর রহমত, নবীউত তওবা, নবীউল মালহড়ামাহ, খাতামুন্নাবিয়িন, আল-ফাতিহ, ত্মাহা,
ইয়াসীন ও আবদুল্লাহ ৷

বায়হাকী বলেন, কোন কোন আলিম রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর আরও অনেক নামের উল্লেখ
করেছেন ৷ কুরআনে আল্লাহ তাকে রাসুল, নবী, আসীন, শাহিদ, মুবাশৃশির , নাযীর , দাঈআন
ইলাল্লাহি বিইঘৃনিহী, সিরাজাম মুনীরা, রাউফুর রাহীম ও ঘুযাক্কির অভিধায় অভিহিত করেছেন ৷
আল্লাহ র্তাকে রহমত, নিয়ামত ও হড়াদী বানিয়েছেন ৷ সীরাত আলোচনার পর স্বতন্ত্র একটি
অধ্যায়ে আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর নাম সংক্রান্ত হাদীসসমুহ উদ্ধৃত করব ৷ এ বিষয়ে বহু
হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ বায়হড়াকী ও ইবন আসাকির সেগুলো সংকলন করেছেন ৷ তাছাড়া
স্বতস্ত্রভাবে অনেকে এ বিষয়ে বহু গ্রন্থও রচনা করেছেন ৷ এমনকি কেউ কেউ তো রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর এক হাজার নামের তালিকা সংকলনের কসরত পর্যন্ত করেছেন ৷ তিরমিযী শরীফের
ভাষকাের ইবনুল আরাবী আল-মালিকী তার আল আহওয়াযী গ্রন্থে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর
চৌষট্টিটি নামের উল্লেখ করেছেন ৷


[كِتَابُ سِيرَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] [بَابُ ذِكْرِ نَسَبِهِ الشَّرِيفِ] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ كِتَابُ سِيرَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذِكْرُ أَيَّامِهِ وَغَزَوَاتِهِ وَسَرَايَاهُ وَالْوُفُودِ إِلَيْهِ وَشَمَائِلِهِ وَفَضَائِلِهِ وَدَلَائِلِهِ الدَّالَّةِ عَلَيْهِ، بَابُ ذِكْرِ نَسَبِهِ الشَّرِيفِ، وَطِيبِ أَصْلِهِ الْمُنِيفِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ} [الأنعام: 124] وَلَمَّا سَأَلَ هِرَقْلُ مَلِكُ الرُّومِ أَبَا سُفْيَانَ تِلْكَ الْأَسْئِلَةَ عَنْ صِفَاتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ قَالَ: كَيْفَ نَسَبُهُ فِيكُمْ؟ قَالَ: هُوَ فِينَا ذُو نَسَبٍ. قَالَ: كَذَلِكَ الرُّسُلُ تَبْعَثُ فِي أَنْسَابِ قَوْمِهَا. يَعْنِي: فِي أَكْرَمِهَا أَحْسَابًا، وَأَكْثَرِهَا قَبِيلَةً صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. فَهُوَ سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ وَفَخْرُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، أَبُو الْقَاسِمِ وَأَبُو إِبْرَاهِيمَ مُحَمَّدُ وَأَحْمَدُ وَالْمَاحِي الَّذِي يُمْحَى بِهِ الْكُفْرُ وَالْعَاقِبُ الَّذِي مَا بَعْدَهُ نَبِيٌّ وَالْحَاشِرُ الَّذِي يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى قَدَمَيْهِ وَالْمُقَفَّى وَنَبِيُّ الرَّحْمَةِ
পৃষ্ঠা - ১৪৪৭


রাসুলুল্লাহ (সা) হলেন অবদুল্লাহর পুত্র ৷ আবদুল্লাহ ছিলেন তার পিতা আবদুল মুত্তালিবের
কনিষ্ঠ পুত্র ৷ এই আবদুল্লাহই ইতিহাসে দ্বির্তীয় যবীহ বলে খ্যাত, ইা৷র বদলে একশত উট
জবাই করা হয়েছিল ৷ পুর্বে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ৷

যুহরী বলেন, আবদুল্লাহ ছিলেন কুরাইশের সবচাইতে সুশ্রী ব্যক্তি ৷ তার ভাইর৷ হচ্ছেন
হারিস, যুবায়র, হামযা, যিরার , আবু তালিব (যার আসল নাম আবদে মানাফ) , আবু লাহাব
(যার আসল নাম আব্দুল উয্ যা) মুকাওয়িম (যার আসল নাম আবদুল কাবা) ৷ কারও করেও
মতে মুকাওয়িম আর আব্দুল কাব৷ ভিন্ন ভিন্ন দুই ব্যক্তি ৷ হাজাল (যার আসল নাম
মুগীরা)-প্ৰখ্যাত দানশীল, গায়দাক (যার আসল নাম নওফল৷ কারও কারও মতে পায়দাক
আর হাজাল এক ও অভিন্ন ব্যক্তি ৷ এরা সকলেই ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা) এর চাচা৷ তার ফুফী
ছিলেন ছয়জন ৷ তারা হলেন, আরওয়া, বাররা, উমায়মাহ্, সাফিয়্যাহ্, আতিকাহ্ ও উম্মে
হাকীম যার অপর নাম বায়য়৷ ৷ এদের প্রতেত্নাদুবর বম্পোরে পরে আলোচনা করব
ইনশাআল্লাহ ৷ এরা সকলে ছিলেন আবদুল ঘুত্তালিবের সম্ভান্ন্ আবদুল মৃত্তালিবের আসল নাম
ছিল শায়বাহ ৷৩ তার মাথায় কয়েকটি সাদা চুল ছিল বলে তাকে শায়বাহ বলা হতো ৷ আবার
তার বদান্যতার কারণে তাকে শায়বাতুল হামদও বলা হতো৷

তাকে আবদুল মুত্তালিব নামে আখ্যায়িত করার নেপথ্য কারণ এই যে, তার পিতা হাশিম
বাণিজেদ্রাপলক্ষে যখন মদীনায় পথে সিরিয়া অভিমুখে রওয়ান৷ হন, তখন একন্থানে আমর ইবনে
যায়েদ (ইবনে লাবীদ ইবনে হারাম ইবনে খিদাশ ইবনে খানদাফ ইবনে আদী ইবনে নাজ্জার
আল-খাজরাজী আননাজ্জারী)এর বাড়িতে যেহমান হন ৷ আমর ইবনে যায়েদ ছিলেন তার
সম্প্রদায়ের সরদার ৷ এ সময়ে তার সালম৷ নান্নী এক কন্যাকে দেখে হাশিম মুগ্ধ হন ৷ তিনি
তাকে বিবাহের জন্যত ৷র পিতার নিকট প্রস্তাব দেন ৷ আমার ইবন যায়েদ এই শর্তে মেয়েকে
তা তার নিকট বিয়ে দেন যে, মেয়ে পিত্রা লয়েই অবস্থান করবে ৷ কারো কারো মতে , বিবাহের শর্ত
এই ছিল যে, মদিনায় ছাড়া সালম৷ সন্তান প্ৰসব করতে পারবে না ৷ সিরিয়া থেকে ফিরে হাশিম
শ্রী সালমার সঙ্গে বাসর করেন এবং তাকে সঙ্গে নিয়ে মক্কায় চলে আসেন ৷ পরে পুনরায় ব্যবসা
উপলক্ষে বের হলে ল্লীকেও তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যান ৷ শ্রী সালম৷ তখন গর্ভবতী ৷ ফলে তাকে
মদীনায় রেখে হাশিম সিরিয়া গমন করেন ৷ কিন্তু ঘটনাক্রমে পাজায় তার মৃত্যু ঘটে ৷ শ্রী সালমা
য়থাসময়ে একটি পুত্র সন্তান প্ৰসব করেন ৷ তিনি তার নাম রাখেন শায়ব৷ ৷ শায়ব৷ দীর্ঘ সাত
বছর তার মাতুলালয় আদী ইবন নাজ্জার গোত্রে অবস্থান করে ৷ এরপর চাচ৷ মুত্তালিব ইবনে
আব্দ মানাফ এসে একদিন শায়বাকে গোপনে মায়ের নিকট হতে নিয়ে মক্কায় চলে যান ৷
লোকেরা দেখে জিজ্ঞাসা করে , আপনার সঙ্গে এই বালকটি কে? উত্তরে মুত্তালিব বলেন, এো;
(অর্থাৎ আমার গোলাম) ৷ জনতা তাকে সাদরে বরণ করে নেয় এবং তাকে আবদুল মুত্তালিব বা
মুত্তালিবের গোলাম বলে ডাকতে শুরু করে এবং এই নামই প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷ আবদুল মুত্তালিব
ধীরে ধীরে বড় হতে থাকেন ৷ এক পর্যায়ে কুরাইশ সমাজের নেতৃত্বের আসন লাভ করেন ৷
সকলের সেরা ব্যক্তি বলে পরিচিতি লাভ করেন ৷ আবদুল মুত্তালিব এখন সকলের মধ্যমণি ৷
হাজীদের পানি পান করানো (সিকায়া) এবং জনকল্যাণমুলক সব কাজ (রিফাদা)-এর ৫ তৃতু


وَنَبِيُّ التَّوْبَةِ وَنَبِيُّ الْمَلْحَمَةِ وَخَاتَمُ النَّبِيِّينَ وَالْفَاتِحُ وَطه وَيس وَعَبْدُ اللَّهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَزَادَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ فَقَالَ: سَمَّاهُ اللَّهُ فِي الْقُرْآنِ رَسُولًا نَبِيًّا أُمِّيًّا شَاهِدًا مُبَشِّرًا نَذِيرًا، وَدَاعِيًا إِلَى اللَّهِ بِإِذْنِهِ وَسِرَاجًا مُنِيرًا، وَرَءُوفًا رَحِيمًا وَمُذَكِّرًا، وَجَعَلَهُ رَحْمَةً وَنِعْمَةً وَهَادِيًا. وَسَنُورِدُ الْأَحَادِيثَ الْمَرْوِيَّةَ فِي أَسْمَائِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فِي بَابٍ نَعْقِدُهُ بَعْدَ فَرَاغِ السِّيرَةِ فَإِنَّهُ قَدْ وَرَدَتْ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ فِي ذَلِكَ، اعْتَنَى بِجَمْعِهَا الْحَافِظَانِ الْكَبِيرَانِ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ، وَأَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ عَسَاكِرَ، وَأَفْرَدَ النَّاسُ فِي ذَلِكَ مُؤَلَّفَاتٍ حَتَّى رَامَ بَعْضُهُمْ أَنْ يَجْمَعَ لَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَلْفَ اسْمٍ. وَأَمَّا الْفَقِيهُ الْكَبِيرُ أَبُو بَكْرِ ابْنُ الْعَرَبِيِّ الْمَالِكِيُّ شَارِحُ التِّرْمِذِيِّ بِكِتَابِهِ الَّذِي سَمَّاهُ الْأَحْوَذِيَّ فَإِنَّهُ ذَكَرَ مِنْ ذَلِكَ أَرْبَعَةً وَسِتِّينَ اسْمًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَكَانَ أَصْغَرَ وَلَدِ أَبِيهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَهُوَ الذَّبِيحُ الثَّانِي الْمَفْدِىُّ بِمِائَةٍ مِنَ الْإِبِلِ كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَكَانَ أَجْمَلَ رِجَالِ قُرَيْشٍ، وَهُوَ أَخُو الْحَارِثِ وَالزُّبَيْرِ وَحَمْزَةَ وَضِرَارٍ وَأَبِي طَالِبٍ وَاسْمُهُ عَبْدُ مَنَافٍ وَأَبِي لَهَبٍ وَاسْمُهُ عَبْدُ الْعُزَّى
পৃষ্ঠা - ১৪৪৮
وَالْمُقَوَّمِ وَاسْمُهُ عَبْدُ الْكَعْبَةِ، وَقِيلَ هُمَا اثْنَانِ، وَحَجْلٍ وَاسْمُهُ الْمُغِيرَةُ وَالْغَيْدَاقِ وَهُوَ كَثِيرُ الْجُودِ، وَاسْمُهُ نَوْفَلٌ، وَيُقَالَ: إِنَّهُ حَجْلٌ وَالْعَبَّاسِ فَهَؤُلَاءِ أَعْمَامُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَعَمَّاتُهُ سِتٌّ; وَهُنَّ أَرْوَى وَبَرَّةُ وَأُمَيْمَةُ وَصَفِيَّةُ وَعَاتِكَةُ وَأُمُّ حَكِيمٍ وَهِيَ الْبَيْضَاءُ، وَسَنَتَكَلَّمُ عَلَى كُلٍّ مِنْهُمْ فِيمَا بَعْدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. فَهَؤُلَاءِ أَوْلَادُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَاسْمُهُ شَيْبَةُ يُقَالَ: لِشَيْبَةٍ كَانَتْ فِي رَأْسِهِ، وَيُقَالَ لَهُ: شَيْبَةُ الْحَمْدِ لِجُودِهِ، وَإِنَّمَا قِيلَ لَهُ: عَبْدُ الْمُطَّلِبِ; لِأَنَّ أَبَاهُ هَاشِمًا لَمَّا مَرَّ بِالْمَدِينَةِ فِي تِجَارَتِهِ إِلَى الشَّامِ نَزَلَ عَلَى عَمْرِو بْنِ زَيْدِ بْنِ لَبِيدِ بْنِ حَرَامِ بْنِ خِدَاشِ بْنِ عَامِرِ بْنِ غَنْمِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ الْخَزْرَجِيِّ النَّجَّارِيِّ وَكَانَ سَيِّدَ قَوْمِهِ فَأَعْجَبَتْهُ ابْنَتُهُ سَلْمَى فَخَطَبَهَا إِلَى أَبِيهَا فَزَوَّجَهَا مِنْهُ، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ مُقَامَهَا عِنْدَهُ. وَقِيلَ: بَلِ اشْتَرَطَ عَلَيْهِ أَنْ لَا تَلِدَ إِلَّا عِنْدَهُ بِالْمَدِينَةِ فَلَمَّا رَجَعَ مِنَ الشَّامِ بَنَى بِهَا وَأَخَذَهَا مَعَهُ إِلَى مَكَّةَ فَلَمَّا خَرَجَ فِي تِجَارَةٍ أَخَذَهَا مَعَهُ وَهِيَ حُبْلَى فَتَرَكَهَا بِالْمَدِينَةِ، وَدَخَلَ الشَّامَ فَمَاتَ بِغَزَّةَ، وَوَضَعَتْ سَلْمَى وَلَدَهَا فَسَمَّتْهُ شَيْبَةُ فَأَقَامَ عِنْدَ أَخْوَالِهِ بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ سَبْعَ سِنِينَ، ثُمَّ جَاءَ عَمُّهُ الْمُطَّلِبُ بْنُ عَبْدِ مَنَافٍ فَأَخَذَهُ خُفْيَةً مِنْ أُمِّهِ فَذَهَبَ بِهِ إِلَى مَكَّةَ فَلَمَّا رَآهُ النَّاسُ وَرَأَوْهُ عَلَى الرَّاحِلَةِ قَالُوا: مَنْ هَذَا مَعَكَ؟ فَقَالَ: عَبْدِي. ثُمَّ جَاءُوا فَهَنَّئُوهُ بِهِ وَجَعَلُوا يَقُولُونَ لَهُ: عَبْدُ الْمُطَّلِبِ لِذَلِكَ فَغَلَبَ عَلَيْهِ وَسَادَ
পৃষ্ঠা - ১৪৪৯


মুত্তালিবের পরে এখন তার হাতে ৷ জুরহুমের আমল থেকে পরিত্যক্ত হয়ে থাকা যমযম কুপ
তিনি পুনঃ খনন করেন ৷ যমযম খননকালে প্রাপ্ত সোনার হরিণ মুর্তিদ্বয়ের সোনা দ্বারা তিনিই
সর্বপ্রথম কাবার দরজায় প্ৰলেপ দেন ৷ আবদুল মুত্তালিবের ভাই-বোনেরা হচ্ছেন আসাদ,
ফুয্লা, আবু সাইফী, হড়ায়্যা, খালেদা, রুকাইয়া, শিক্ষা ও য’য়ীফা ৷ এরা সকলে হাশিমের
পুত্র-কন্যা ৷ হাশিমের আসল নাম আমর ৷ কোনো এক দুর্তিক্ষের বছর গোশতের সঙ্গে ছারীদ
তথা ঝোল মিশ্রিত রুটির টুকরা দুর্তিক্ষ কবলিত অসহায় লোকদের খাবার দিয়েছিলেন বলে
লোকেরা তাকে হাশিম নাম দেয় ৷ হাশিম শব্দের অর্থ মিশ্রণকারী ৷ হাশিম ছিলেন তার পিতার
ণ্জ্যষ্ঠ পুত্র ৷ ইবন জারীর বর্ণনা করেন যে, হাশিম ছিলেন তার ভাই আবদে শামস এর জমজ ৷
হাশিম যখন মায়ের পেট থেকে বের হন তখন তার পা আবদে শামস এর মাথার সঙ্গে আটকে
ছিল ৷ এতে দৃ’জনের শরীর থেকেই রক্তক্ষরণ হয় ৷ এতে লোকেরা মন্তব্য করে যে, এর ফলে
এই দৃ’ ভাইয়ের সন্তানদের মাঝে বিবাদ জন্ম নেবে ৷ কার্যত হয়ােছও তাই ৷ একশ তেত্রিশ
হিজয়ী সনে বসু আব্বাস ও বনু উমাইয়৷ ইবনে আবদে শামস-ধ্;ার মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত
অনুষ্ঠিত হয় ৷

হাশিমের তৃতীয় সহোদর হলেন মুত্তালিব ৷ মুত্তালিব ছিলেন পিতার কনিষ্ঠ সন্তান ৷ তার
মায়ের নাম আতিক৷ বিনতে মুররা ইবন হিলাল ৷ তার চতুর্থ ভাইয়ের নাম নওফল ৷ নওফল
আরেক মায়ের সন্তান ৷ তার নাম ওয়াকিদা বিনতে আমর আল মায়েনিয়াহ ৷ পিতার মৃত্যুর
পর এরা প্রত্যেকেই নেতৃত্বে আসীন হন ৷ সমাজের মানুষ তাদেরকে ত্রাণকর্তা বলে অভিহিত
করত ৷ কারণ তারা বিভিন্ন দেশের রাজা-বাদশাহদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে কুর৷ ৷ইশদের
জন্য যে ণ্কাংনা দোশ ব্যবসা করতে যাওয়ার অবাধ নিরাপত্তা এনে দিয়েছিলেন ৷ হাশিম
সিরিয়া, রোম ও পাস্সান থেকে, আবদে শাম্স হাবশার রাজা বড় নাজাশী থেকে, নওফল
কিসরা থেকে এবং মুত্তালিব হিময়ার এর রাজ্যওলো থেকে নিরাপত্তা এনে দেন ৷ কবির ভাষায় :


- ওহে পরিভ্রমণকারী মুসাফিয়ৰু তুমি তো আবদে মানাফের বং শের লোকদের
আতিথেয়তা গ্রহণ না করে ছাড়নি

পিতার মৃত্যুর পর হাশিমের দায়িত্বে ছিল সিকড়ায়৷ তথা হাজীদের পানি পান করানো ও
ব্রিফাদা তথা জনকল্যাণমুলক কাজ ৷ আর হাশিম ও তার ভাই মুত্তালিবের যৌথ দায়িত্বে ছিল
আত্মীয় স্বজনের বংশ তালিকা সংরক্ষণ করা ৷ তারা সব ভাই জাহিলিয়াত ও ইসলামের উভয়
পরিবেশে একান্নডুক্ত ছিলেন, কখনো জ্যি হননি ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর বন্দী জীবনে তারাও
গিরিবর্তে তার সঙ্গে অবস্থান করেছিলেন ৷ সরে গিয়েছিল শুধু আবদে শামস ও নওফল ৷ এ
কারণে আবু তান্সিব তাদের সম্পর্কে বনডেন ং

#

র্চে;)১

-ত্মনতিবিলন্বে আল্লাহ যেন আবদে শামস ও নওফনকে শাস্তি দিয়ে তাদের অপকর্মের
বিচার করেন ৷


فِي قُرَيْشٍ سِيَادَةً عَظِيمَةً، وَذَهَبَ بِشَرَفِهِمْ وَرِئَاسَتِهِمْ فَكَانَ جِمَاعُ أَمْرِهِمْ عَلَيْهِ، وَكَانَتْ إِلَيْهِ السِّقَايَةُ وَالرِّفَادَةُ بَعْدَ الْمُطَّلِبِ وَهُوَ الَّذِي جَدَّدَ حَفْرَ زَمْزَمَ بَعْدَمَا كَانَتْ مَطْمُومَةً مَنْ عَهْدِ جُرْهُمٍ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ حَلَّى الْكَعْبَةَ بِذَهَبٍ فِي أَبْوَابِهَا مِنْ تَيْنَكَ الْغَزَالَتَيْنِ اللَّتَيْنِ مِنْ ذَهَبٍ وَجَدَهُمَا فِي زَمْزَمَ مَعَ تِلْكَ الْأَسْيَافِ الْقَلْعِيَّةِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَعَبْدُ الْمُطَّلِبِ أَخُو أَسَدٍ وَنَضْلَةَ وَأَبِي صَيْفِيٍّ وَحَيَّةَ وَخَالِدَةَ وَرُقَيَّةَ وَالشِّفَاءِ وَضَعِيفَةَ، كُلُّهُمْ أَوْلَادُ هَاشِمٍ وَاسْمُهُ عَمْرٌو وَإِنَّمَا سُمِّيَ هَاشِمًا; لَهَشْمِهِ الثَّرِيدَ مَعَ اللَّحْمِ لِقَوْمِهِ فِي سِنِي الْمَحْلِ، كَمَا قَالَ مَطْرُودُ بْنُ كَعْبٍ الْخُزَاعِيُّ فِي قَصِيدَتِهِ، وَقِيلَ: هِيَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزِّبَعْرَى: عَمْرُو الَّذِي هَشَمَ الثَّرِيدَ لِقَوْمِهِ ... قَوْمٍ بمَكَّةَ مُسْنِتِينَ عِجَافِ سُنَّتْ إِلَيْهِ الرِّحْلَتَانِ كِلَاهُمَا سَفَرُ الشِّتَاءِ وَرِحْلَةُ الْأَصْيَافِ وَذَلِكَ; لِأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ رِحْلَتَيِ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِ أَبِيهِ، وَحَكَى ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّهُ كَانَ تَوءَمَ أَخِيهِ عَبْدِ شَمْسٍ، وَأَنَّ هَاشِمًا خَرَجَ وَرِجْلُهُ
পৃষ্ঠা - ১৪৫০
مُلْتَصِقَةٌ بِرَأْسِ عَبْدِ شَمْسٍ فَمَا تَخَلَّصَتْ حَتَّى سَالَ بَيْنَهُمَا دَمٌ فَقَالَ النَّاسُ: بِذَلِكَ يَكُونُ بَيْنَ أَوْلَادِهِمَا حُرُوبٌ فَكَانَتْ وَقْعَةُ بَنِي الْعَبَّاسِ مَعَ بَنِي أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ مِنَ الْهِجْرَةِ، وَشَقِيقُهُمُ الثَّالِثُ الْمُطَّلِبُ وَكَانَ الْمُطَّلِبُ أَصْغَرَ وَلَدِ أَبِيهِ، وَأُمُّهُمْ عَاتِكَةُ بِنْتُ مُرَّةَ بْنِ هِلَالٍ، وَرَابِعُهُمْ نَوْفَلٌ مِنْ أُمٍّ أُخْرَى، وَهِيَ وَاقِدَةُ بِنْتُ عَمْرٍو الْمَازِنِيَّةُ كَانُوا قَدْ سَادُوا قَوْمَهُمْ بَعْدَ أَبِيهِمْ، وَصَارَتْ إِلَيْهِمُ الرِّيَاسَةُ وَكَانَ يُقَالَ لَهُمْ: الْمُجِيرُونَ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُمْ أَخَذُوا لِقَوْمِهِمْ قُرَيْشٍ الْأَمَانَ مِنْ مُلُوكِ الْأَقَالِيمِ; لِيَدْخُلُوا فِي التِّجَارَاتِ إِلَى بِلَادِهِمْ فَكَانَ هَاشِمٌ قَدْ أَخَذَ أَمَانًا مِنْ مُلُوكِ الشَّامِ وَالرُّومِ وَغَسَّانَ وَأَخْذَ لَهُمْ عَبْدُ شَمْسٍ مِنَ النَّجَاشِيِّ الْأَكْبَرِ مَلِكِ الْحَبَشَةِ وَأَخَذَ لَهُمْ نَوْفَلٌ مِنَ الْأَكَاسِرَةِ وَأَخْذَ لَهُمُ الْمُطَّلِبُ أَمَانًا مِنْ مُلُوكِ حِمْيَرَ، وَلَهُمْ يَقُولُ الشَّاعِرُ: يَا أَيُّهَا الرَّجُلُ الْمُحَوِّلُ رَحْلَهُ ألَّا نَزَلْتَ بَآلِ عِبْدِ مَنَافِ وَكَانَ إِلَى هَاشِمٍ السِّقَايَةُ وَالرِّفَادَةُ بَعْدَ أَبِيهِ، وَإِلَيْهِ وَإِلَى أَخِيهِ الْمُطَّلِبِ نَسَبُ ذَوِي الْقُرْبَى، وَقَدْ كَانُوا شَيْئًا وَاحِدًا فِي حَالَتِيِ الْجَاهِلِيَّةِ وَالْإِسْلَامِ لَمْ يَفْتَرِقُوا، وَدَخَلُوا مَعَهُمْ فِي الشِّعْبِ، وَانْخَذَلَ عَنْهُمْ بَنُو عَبْدِ شَمْسٍ وَنَوْفَلٍ، وَلِهَذَا يَقُولُ أَبُو طَالِبٍ فِي قَصِيدَتِهِ: جَزَى اللَّهُ عَنَّا عَبْدَ شَمْسٍ وَنَوْفَلًا عُقُوبَةَ شَرٍّ عَاجِلًا غَيْرَ آجَلٍ وَلَا يُعْرَفُ بَنُو أَبٍ تَبَايَنُوا فِي الْوَفَاةِ مِثْلُهُمْ فَإِنَّ هَاشِمًا مَاتَ بِغَزَّةَ مِنْ أَرْضِ
পৃষ্ঠা - ১৪৫১


আবু তালিবের ,পুত্রগণ এক একজন এক এক স্থানে মারা যান ৷ অন্য কোন পিতার
সন্তানদের সাধারণত এভাবে মৃত্যুবরণ করতে দেখা যায় না ৷ যেমনঃ হাশিম জেরুজালেমের
গাজ৷ উপত্যকায় মৃত্যুবরণ করেন, আবদে শামস মারা যায় মক্কায়, নওফল ইরাকের সালামান
নামক স্থানে আর মুত্তালিবের মৃত্যু হয় ইয়েমেনের রায়মান নমক জায়গায় ৷ অনুপম রুপের
কারণে মৃত্তালিবকে কামরও (চন্দ্র) বলা হতো ৷ হাশিম, আবদে শামস, নওফল ও মুত্তালিব এই
চর ৷ভাইই সর্বজন পরিচিত ৷ এদের আরেকজন অথ্যাত ভাই ছিলেন, তার নাম ছিল আবু আমর
বা আবদ ৷ তবে তার আসল নাম আবদে কুসাই ৷ এই অখ্যাতির কারণে মানুষ তাকে তাদের
আপন তাই বলে গণ্য করত না ৷ এরপর তাদের আর কোনো ভাই ছিলেন না ৷ যুবায়র ইবনে
বাক্কার প্রমুখ একথা বলেছেন ৷

মুত্তালিবের ছয় বোন ছিলেন ৷ তাদের নাম ছিল তামাযুব, হায়্যা, রীতা, কিলাবা, উম্মুল
আখসা ও উম্মে সুফিয়ান ৷ এরা সকলে আবদে মান৷ ফের সন্তান ছিলেন ৷ মানাফ একটি মুতিঃ
নাম ৷ আবদে মানাফের প্রকৃত নাম ছিল মুপীরা ৷ পিতার ন্সীবদ্দশাতেই তিনি সমাজের ৫নতৃন্
দিতেন ৷ সকলের কাছে তিনি একজন শ্রদ্ধাভাজন ও মাননীহৃ৷ ব্যক্তি বলে পরিচিত ছিলেন ৷
আবদে মানাফ ছিলেন আবদৃদ্দার এর৬ ভাই ৷ আবদুদ্দার ছিলেন পিতার বড় সন্তান ৷ মৃত্যুকালে
পিতা তাবেইি নিজের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ওসিয়ত করে যান ৷ আবদুল উযয৷ , আবৃদ , বাররাহ্
এবং তাখাম্মুরও আবদে মানাফের তাই ৷ এদের মায়ের নাম ছিল হয়৷ ৷ই বিনতে হালীল ৷ হয়৷ ৷ই
এর পিতা হালীল ছিলেন খুযায়৷ গোত্রের সর্বশেষ শাসনকর্তা ৷ তারা সকলেই কুসাই এর সন্তান
ছিলেন ৷ কুসাই-এর আসল নাম যায়েদ ৷ কুসাই নামকরণের কারণ হলো, পিতার মৃত্যুর পর
তার মা পুনরায় রবীয়৷ ইবন হিযাম ইবন আযরা এর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ৷ বিবাহের
পর রবীয়৷ ত্রীকে নিয়ে নিজ দেশে রওয়ান৷ হন ৷ শিশু যয়েদও তখন মায়ের সঙ্গে ছিলেন ৷ সেই
থেকে তিনি কুসাই নামে অভিহিত হন ৷ কুসাই শব্দের অর্থ হচ্ছে দুরদেশী ৷ অতঃপর বড় হয়ে
তিনি মক্কায় ফিরে আসেন ৷ কুরায়শরা এদিক-সেদিক বিক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়ার পর কুসাই বিভিন্ন
এলাকা থেকে খুজে এনে আবার তাদেরকে মক্কায় প্রতিষ্ঠিত করেন ৷ বায়তুল্লাহর দখল থেকে
বনি খুযাআকে উৎখাত করে তাদেরকে মক্কা থেকে বের করে দেন ৷ সত্য স্ব-ন্থানে প্রতিষ্ঠিত
এবং কুস ই এককভাবে কুরাইশের নেতৃৰছুর আসনে অধিষ্ঠিত হন ৷ দৌত্যকর্ম, যমযম কুপ
থেকে হাজীদের পান করানো, বায়তুল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণ, যুদ্ধের সময় পতাকা বহন এবং দারুন
নাদওয়া ইত্যাদি সবকিছুই তার মা ৷য়িত্বে ছিল ৷ বিখ্যাত দারুন-নাদওয়া তার ঘরেই ছিল ৷৩ তাই
কবি বলেন, :


-আমার জীবলের শপথ ! কুসাই ছিলেন সকলের মিলন সাধনকারী ৷ তার মাধ্যমে আল্লাহ
ফিহর এর সব কটি গোত্রকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন ৷

কুসাই ছিলেন যাহরার৬ ভাই ৷৩ দু জন ছিলেন কিলাবের পুত্র ৷৩ তাইম ও ইয়াকয৷ আবু
মাখয়ুমের ভাই ৷৩ র বাতিনজনই ছিলেন মুররা-এর পুত্র ৷ মুররার ভাই ছিলেন আদী ও হাসীস ৷
আলবিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৬০-

الشَّامِ، وَعَبْدَ شَمْسٍ مَاتَ بِمَكَّةَ، وَنَوْفَلًا مَاتَ بِسَلْمَانَ مِنْ أَرْضِ الْعِرَاقِ، وَمَاتَ الْمُطَّلِبُ - وَكَانَ يُقَالَ لَهُ: الْقَمَرُ لِحُسْنِهِ - بِرَدْمَانَ مِنْ طَرِيقِ الْيَمَنِ فَهَؤُلَاءِ الْإِخْوَةُ الْأَرْبَعَةُ الْمَشَاهِيرُ وَهُمْ; هَاشِمٌ وَعَبْدُ شَمْسٍ وَنَوْفَلٌ وَالْمُطَّلِبُ، وَلَهُمْ أَخٌ خَامِسٌ لَيْسَ بِمَشْهُورٍ وَهُوَ أَبُو عَمْرٍو وَاسْمُهُ عَبْدٌ، وَأَصْلُ اسْمِهِ عَبْدُ قُصَيٍّ فَقَالَ النَّاسُ: عَبْدُ بْنُ قُصَيٍّ دَرَجَ وَلَا عَقِبَ لَهُ. قَالَهُ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ وَغَيْرُهُ. وَأَخَوَاتٌ سِتٌّ وَهُنَّ; تُمَاضِرُ وَحَيَّةُ وَرَيْطَةُ وَقِلَابَةُ وَأُمُّ الْأَخْثَمِ وَأُمُّ سُفْيَانَ، كُلُّ هَؤُلَاءِ أَوْلَادُ عَبْدِ مَنَافٍ، وَمُنَافٌ اسْمُ صَنَمٍ، وَأَصْلُ اسْمِ عَبْدِ مَنَافٍ الْمُغِيرَةُ وَكَانَ قَدْ رَأَسَ فِي زَمَنِ وَالِدِهِ، وَذَهَبَ بِهِ الشَّرَفُ كُلَّ مَذْهَبٍ، وَهُوَ أَخُو عَبْدِ الدَّارِ الَّذِي كَانَ أَكْبَرَ وَلَدِ أَبِيهِ، وَإِلَيْهِ أَوْصَى بِالْمَنَاصِبِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَعَبْدِ الْعُزَّى وَعَبْدٍ وَبَرَّةَ وَتَخْمُرَ، وَأُمُّهُمْ كُلِّهِمْ حُبَّى بَنَتُ حَلِيلِ بْنِ حَبْشِيَّةَ بْنِ سَلُولِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عَمْرٍو الْخُزَاعِيِّ، وَأَبُوهَا آخِرُ مُلُوكِ خُزَاعَةَ وَوُلَاةُ الْبَيْتِ مِنْهُمْ، وَكُلُّهُمْ أَوْلَادُ قُصَيٍّ وَاسْمُهُ زَيْدٌ، وَإِنَّمَا سُمِّيَ بِذَلِكَ; لِأَنَّ أُمَّهُ تَزَوَّجَتْ بَعْدَ أَبِيهِ بِرَبِيعَةَ بْنِ حَرَامِ بْنِ عُذْرَةَ فَسَافَرَ بِهَا إِلَى بِلَادِهِ وَابْنُهَا صَغِيرٌ فَسُمِّيَ قُصَيًّا لِذَلِكَ، ثُمَّ عَادَ إِلَى مَكَّةَ وَهُوَ كَبِيرٌ، وَلَمَّ شَعَثَ قُرَيْشٍ وَجَمَعَهَا مِنْ مُتَفَرِّقَاتِ الْبِلَادِ، وَأَزَاحَ يَدَ خُزَاعَةَ عَنِ الْبَيْتِ
পৃষ্ঠা - ১৪৫২


তারা তিনজন ছিলেন কা’ব এর পুত্র ৷ কা’ব প্ৰতি জুমাবারে তার সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ
দিতেন এবং তাদেরকে রাসুলুল্লাহ (সা )-এর আগমনের সুসৎবাদ গোনাতেন এবং এ সংক্রান্ত
নানা রকম কবিতা আবৃত্তি করে গােনাতেন ৷ যেমন আমরা পুর্বে বলে এসেছি ৷ কাব ছিলেন
আয়ের, সামাহ, খুযায়মাহ, সাদ, হারিছ ও আওফ-এর ভাই ৷ তার৷ সাতজন ছিলেন
লুওয়াই-এর পুত্র, আল আদরাম-এর ভাই ৷ লুওয়াই ছিলেন তাইম-এর ভাই আবু তাইম
আল-আদরাম ছিলেন পালিব এর পুত্র ৷ হারিছ ও গালিবের ভাই ছিলেন মুহাবিব ৷ এরা তিনজন
ছিলেন ফিহর এর সন্তান ৷ ফিহর ছিল হারিছ-এর ভাই ৷ তাদের পিত ৷ ছিলেন মালিক ৷ মালিক
ছিলেন সালত ইয়াখলুদের ভাই ৷ এরা তিনজন ছিলেন নড়াযর এর পুত্র ৷ বিশুদ্ধ বর্ণনা মত ৩, এই
নড়াযর ই ছিলেন কুরায়শ বংশের স্থপতি ৷ আমরা পুর্বে এর প্রমাণও পেশ করে এসেছি ৷ নড়াযর
ছিলেন মালিক, ম ৷লকান ও আবদে ম ৷নাত ৩প্রমুখের ভাই ৷৩ তারা সকলে ছিলেন কিনানার পুত্র ৷
আসাদ, আসদাহ ও হাওন ছিলেন কিনানা রে ভাই ৷ এরা সকলেই ছিলেন খুযায়মার পুত্র ৷ খুযায়মা
ছিলেন হুযায়লের ভাই ৷ থুযায়ম৷ ও হুযায়ল ছিলেন মুদরিকাহ্র পুত্র ৷ মুদরিকার আসল নাম
ছিল আমর ৷ তার ভাই ছিলেন তাবিখা, যার আসল ছিল নাম আমির ৷ মুদরিকা, তাবিখা , ও
কামআ তিন জনই ছিলেন ইলিয়াসের পুত্র ৷ ইলিয়াসের এক ভাই ছিলেন গায়লান ৷ পায়লান
ছিলেন কায়স গোত্রের পিত৷ ৷ এই ইলিয়াস ও গায়লান দুইজন ছিলেন রবীয়ার ভাই মুযার
এর সন্তান ৷ মুযার ও রবীয়াকে সরাসরি ইসমাঈল (আ)-এর বংশধর বলে দাবি করা হয় ৷
আনমার ও ইয়াদ তায়ামুনা নামে এদের আরও দুই ভাই ছিলেন ৷ এই চার ভাই ছিলেন কুযাআর
ভাই নেবার-এর সন্তান ৷ এই অভিমত তাদের, হারা মনে করেন যে, কুযাআ হিজাযী ও
আদনানী বংশোদ্ভুত ৷ উপরে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ নেযার ও কুয়াঅ৷ মাআদ ইবনে
আদনান এর সন্তান ৷

আরবদের যে বৎশনাম৷ আমরা বর্ণনা করলাম এ ব্যাপারে আলিমগভ্রুণর কোনো দ্বিমত
নেই ৷ এই বৎশত ৷লিকায় প্রমাণিত হয় যে, আরবের সকল গোত্রের বৎশ পরম্পরা এই পর্যন্ত
গিয়ে পৌছে ৷ এ কার ৷বণেই হযরত ইবনে আব্বাস (রা) প্রমুখ


গ্লুএো

বল, আমি এর বিনিময়ে তোমাদের নিকট থেকে আত্মীয়ের সৌহার্দা ব্যতীত অন্য কোন
প্রতিদান চাই না ৷ (৪ ২৪২৩) এই আঘাতের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে, কুরায়শের যত গোত্র আছে
তাতে এমন কোনো গোত্র নেই, যাদের সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (স৷ ) এর বংশ সম্পৃক্ত নয় ৷ ইবনে
আব্বাস (রা) যথাংইি বলেছেন ৷ আমিতে ৷-এ ও বলতে চাই যে, আরবের সকল আদনানী গোত্র
পিতৃকুলের দিক থেকে রাসুল (সা) পর্যন্তষ্ গিয়ে পৌছে ৷ অনেক গোত্র মাত ট্রুকুলের দিক থেকেও
এর সাথে সম্পর্কিত ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক প্রমুখ এরুপই বলেছেন ৷ হাফিজ ইবনে
আসাকির এর অভিমত ও অনুরুপ ৷ আদনানের জীবন চরিতে আমরা তার বা শনাম৷ এবং সে
সম্পর্কিত মতভেদের উল্লেখ করেছি ৷ আর এও বলেছি যে, আদনান নিশ্চিতরুপে ইসমাঈল
(আ)-এর বংশধর ৷ যদিও তাদের দুজনের মধ্যে কত পুরুষের ব্যবধান, তাতে মতবিরোধ


وَأَجْلَاهُمْ عَنْ مَكَّةَ، وَرَجَعَ الْحَقُّ إِلَى نِصَابِهِ، وَصَارَ رَئِيسَ قُرَيْشٍ عَلَى الْإِطْلَاقِ، وَكَانَتْ إِلَيْهِ الرِّفَادَةُ وَهُوَ سَنَّهَا وَالسِّقَايَةُ وَالسَّدَانَةُ وَالْحِجَابَةُ وَاللِّوَاءُ، وَدَارُهُ دَارُ النَّدْوَةِ كَمَا تَقَدَّمَ بَسْطُ ذَلِكَ كُلِّهُ، وَلِهَذَا قَالَ الشَّاعِرُ: قُصَيٌّ لَعَمْرِي كَانَ يُدْعَى مُجَمِّعًا بِهِ جَمَعَ اللَّهُ الْقَبَائِلَ مِنْ فِهْرٍ وَهُوَ أَخُو زُهْرَةَ كِلَاهُمَا ابْنَا كِلَابٍ أَخِي تَيْمٍ، وَيَقَظَةَ أَبِي مَخْزُومٍ ثَلَاثَتُهُمْ أَبْنَاءُ مُرَّةَ أَخِي عَدِيٍّ وَهُصَيْصٍ، وَهُمْ أَبْنَاءُ كَعْبٍ وَهُوَ الَّذِي كَانَ يَخْطُبُ قَوْمَهُ كُلَّ جُمُعَةٍ، وَيُبَشِّرُهُمْ بِمَبْعَثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيُنْشِدُ فِي ذَلِكَ أَشْعَارًا كَمَا قَدَّمَنَا وَهُوَ أَخُو عَامِرٍ وَسَامَةَ وَخُزَيْمَةَ وَسَعْدٍ وَالْحَارِثِ وَعَوْفٍ، سَبْعَتُهُمْ أَبْنَاءُ لُؤَيٍّ أَخِي تَيْمٍ الْأَدْرَمِ، وَهُمَا أَبْنَاءُ غَالِبٍ أَخِي الْحَارِثِ، وَمُحَارِبٍ ثَلَاثَتُهُمْ أَبْنَاءُ فِهْرٍ، وَهُوَ أَخُو الْحَارِثِ، وَكِلَاهُمَا ابْنُ مَالِكٍ وَهُوَ أَخُو الصَّلْتِ وَيَخْلُدَ، وَهُمْ بَنُو النَّضْرِ الَّذِي إِلَيْهِ جِمَاعُ قُرَيْشٍ عَلَى الصَّحِيحِ كَمَا قَدَّمْنَا الدَّلِيلَ عَلَيْهِ وَهُوَ أَخُو مَالِكٍ وَمِلْكَانَ وَعَبْدِ مَنَاةَ، وَغَيْرِهِمْ، كُلُّهُمْ أَوْلَادُ كِنَانَةَ أَخِي أَسَدٍ وَأَسَدَةَ وَالْهَوْنِ أَوْلَادِ خُزَيْمَةَ، وَهُوَ أَخُو هُذَيْلٍ، وَهُمَا ابْنَا مُدْرِكَةَ - وَاسْمُهُ عَمْرٌو أَخُو طَابِخَةَ
পৃষ্ঠা - ১৪৫৩
- وَاسْمُهُ عَامِرٌ - وَقَمَعَةَ ثَلَاثَتُهُمْ أَبْنَاءُ إِلْيَاسَ، وَأَخُو إِلْيَاسَ هُوَ عَيْلَانُ وَالِدُ قَيْسٍ كُلِّهَا وَهُمَا وَلَدَا مُضَرَ أَخِي رَبِيعَةَ، وَيُقَالَ لَهُمَا: الصَّرِيحَانِ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ، وَأَخَوَاهُمَا أَنْمَارٌ وَإِيَادٌ تَيَامَنَا، أَرْبَعَتُهُمْ أَبْنَاءُ نِزَارٍ أَخِي قُضَاعَةَ - فِي قَوْلِ طَائِفَةٍ مِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّ قُضَاعَةَ حِجَازِيَّةٌ عَدْنَانِيَّةٌ - وَقَدْ تَقَدَّمَ بَيَانُهُ، كِلَاهُمَا أَبْنَاءُ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ. وَهَذَا النَّسَبُ بِهَذِهِ الصِّفَةِ لَا خِلَافَ فِيهِ بَيْنَ الْعُلَمَاءِ فَجَمِيعُ قَبَائِلِ عَرَبِ الْحِجَازِ يَنْتَهُونَ إِلَى هَذَا النَّسَبِ، وَلِهَذَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَغَيْرُهُ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {ذَلِكَ الَّذِي يُبَشِّرُ اللَّهُ عِبَادَهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ قُلْ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى وَمَنْ يَقْتَرِفْ حَسَنَةً نَزِدْ لَهُ فِيهَا حُسْنَى إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ شَكُورٌ} [الشورى: 23] لَمْ يَكُنْ بَطْنٌ مِنْ بُطُونِ قُرَيْشٍ، إِلَّا وَلِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَسَبٌ يَتَّصِلُ بِهِمْ. وَصَدَقَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِيمَا قَالَ، وَأَزْيَدَ مِمَّا قَالَ; وَذَلِكَ أَنَّ جَمِيعَ قَبَائِلِ الْعَرَبِ الْعَدْنَانِيَّةِ تَنْتَهِي إِلَيْهِ بِالْآبَاءِ وَكَثِيرٌ مِنْهُمْ بِالْأُمَّهَاتِ أَيْضًا، كَمَا ذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ فِي أُمَّهَاتِهِ وَأُمَّهَاتِ آبَائِهِ وَأُمَّهَاتِهِمْ، مِمَّا يَطُولُ ذِكْرُهُ. وَقَدْ حَرَّرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ وَالْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي تَرْجَمَةِ عَدْنَانَ، نَسَبَهُ وَمَا قِيلَ فِيهِ، وَأَنَّهُ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ لَا مَحَالَةَ، وَإِنِ اخْتُلِفَ فِي كَمْ بَيْنَهُمَا أَبًا؟ عَلَى أَقْوَالٍ قَدْ بَسَطْنَاهَا
পৃষ্ঠা - ১৪৫৪

রয়েছে ৷ উপরে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে এসেছি ৷ আদনান থেকে আদম
(আ) পর্যন্ত বংশধারাও উল্লেখ করেছি এবং এ সম্পর্কিত আবুল আব্বাস এর একটি কবিতাও
উদ্ধৃত করেছি ৷ হিজাযী আরবের ইতিহাসে এসবের উল্লেখ পাওয়া যায় ৷ ইমাম আবু জাফর
ইবনে জারীর তার তারীখ’ গ্রন্থের প্রথম দিকে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে মনােজ্ঞ আলোচনা
করেছেন ৷

বায়হাকী--- আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নবী কবীম (সা )এর
নিকট সংবাদ এলো যে, কিনদাহ গোত্রের কতিপয় লোক মনে করে যে, তারা আর নবী করীম
(সা) একই বংশোদ্ভুত ৷ এ সংবাদ শুনে নবী করীম (সা) প্বাললেন : আব্বাস এবং আবু
সুফিয়ান ইবনে হড়ারবও এরুপ বলত এবং নিরাপত্তা লাভ করত ৷ আর আমরা নিজেদের
বংশধারা অস্বীকার করি না ৷ আমরা নাযর ইবনে কিনানা এর বংশধর ৷ ’ এ বর্ণনার সনদে সন্দেহ
আছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর নবী করীম (সা) খুতবা দান করেন ৷ তাতে তিনি বলেন :

আমি মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম ইবন আবদে মানাফ
ইবনে কুসাই ইবনে কিলড়াব ইবনে মুররা ইবন কাব ইবন লুওয়াই ইবন গালিব ইবন ফিহর
ইবন মালিক ইবন নাযর ইবন কিনানাহ ইবন খুযায়মা ইবন মুদরিকা ইবন ইলিয়াস ইবন মুযার
ইবন নিযাব ৷ মানুষের গোত্র যেখানেই বিভক্ত হয়েছে সেখানেই আল্লাহ আমাকে উত্তম ভাগে
স্থান দিয়েছেন ৷ যেমন : আমি পিতা-মাতা থেকে বৈধভাবে জন্মলাভ করেছি, জাহিলিয়াতের
ব্যভিচার আমার বংশলতিকাকে স্পর্শ করতে পারেনি ৷ আমার জন্ম বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে,
অবৈধ সম্পর্ক থেকে নয় ৷ এই পবিত্রতার ধারা আদম থেকে আমার আব্বা-আম্মা পর্যন্ত
অব্যাহতভাবে চলে এসেছে ৷ অতএব ব্যক্তির দিক থেকেও আমি তোমাদের মধ্যে সেরা ; বংশের
দিক থেকেও ৷ এ সনদটি অত্যন্ত গরীব’ পর্যায়ের ৷ এতে কুদামী নামক একজন দুর্বল রাবীর
একক বর্ণনা রয়েছে ৷ তবে এর সমর্থনে অন্যান্য বর্ণনা পরে আসছে ৷ আবদুর রাজ্জাক বর্ণনা
করেন যে, আবু জাফর আল বাকির পবিত্র কুরআনের ংণ্ছুট্রুর্দু৷ :, ৰুটুশুঠু ণ্ব্লু ঢ় এ্গ্া
এই আঘাতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে র্জাহিলী যুগের সন্তান জন্মের কোন
অবৈধ উপায় স্পর্শ করেনি ৷ তিনি আরও বলেন, রাসুলুল্লাহ (না) নিজে বলেছেন :

(ত্মি ট্রুগ্লুর্দুষ্দ্বু

আবধ সম্পর্ক থেকে নয়-আমি বৈবাহিক বন্ধন থেকে জন্মলাভ করেছি ৷ এটি একটি

উত্তম মুরসাল রিওয়ায়ত ৷

বায়হাকী মুহাম্মদ (র)-এর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন :
নিশ্চয় আল্লাহ আমাকে বৈবাহিক বন্ধন থেকে নির্গত করেছেন-অবৈধ সম্পর্ক থেকে নয় ৷ উমর
(রা) আলী ইবনে আবু তালিব থেকে বর্ণনা করেন যে, রড়াসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন :


দ্
ষ্দ্বু


فِيمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا بَقِيَّةَ النَّسَبِ مَنْ عَدْنَانَ إِلَى آدَمَ، وَأَوْرَدْنَا قَصِيدَةَ أَبِي الْعَبَّاسِ النَّاشِئِ الْمُتَضَمِّنَةَ ذَلِكَ، كُلُّ ذَلِكَ فِي أَخْبَارِ عَرَبِ الْحِجَازِ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ تَكَلَّمَ الْإِمَامُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ رَحِمَهُ اللَّهُ فِي أَوَّلِ تَارِيخِهِ عَلَى ذَلِكَ كَلَامًا مَبْسُوطًا جَيِّدًا مُحَرَّرًا نَافِعًا. وَقَدْ وَرَدَ حَدِيثٌ فِي انْتِسَابِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَى عَدْنَانَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَلَكِنِ اللَّهُ أَعْلَمُ بِصِحَّتِهِ كَمَا قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ الْمُقْرِئُ بِبَغْدَادَ حَدَّثَنَا أَبُو عِيسَى بَكَّارُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ بَكَّارٍ حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ أَحْمَدُ بْنُ مُوسَى بْنِ سَعِيدٍ إِمْلَاءً سَنَةَ سِتٍّ وَتِسْعِينَ وَمِائَتَيْنِ حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ الْقَلَانِسِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ رَبِيعَةَ الْقُدَامِيُّ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسٍ، وَعَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ قَالَ: بَلَغَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رِجَالًا مِنْ كِنْدَةَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ مِنْهُ وَأَنَّهُ مِنْهُمْ فَقَالَ: إِنَّمَا كَانَ يَقُولُ ذَلِكَ الْعَبَّاسُ وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ لِيَأْمَنَا بِذَلِكَ، وَإِنَّا لَنْ نَنْتَفِيَ مِنْ آبَائِنَا نَحْنُ بَنُو النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ قَالَ: «وَخَطَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ১৪৫৫
بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيِّ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضِرِ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارٍ وَمَا افْتَرَقَ النَّاسُ فِرْقَتَيْنِ إِلَّا جَعَلَنِي اللَّهُ فِي خَيْرِهَا فَأُخْرِجْتُ مِنْ بَيْنِ أَبَوِيَّ فَلَمْ يُصِبْنِي شَيْءٌ مِنْ عُهْرِ الْجَاهِلِيَّةِ، وَخَرَجْتُ مِنْ نِكَاحٍ وَلَمْ أَخْرُجْ مِنْ سِفَاحٍ، مِنْ لَدُنْ آدَمَ حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَى أَبِي وَأُمِّي فَأَنَا خَيْرُكُمْ نَفْسًا وَخَيْرَكُمْ أَبًا» . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ تَفَرَّدَ بِهِ الْقُدَامِىُّ وَهُوَ ضَعِيفٌ. وَلَكِنْ سَنَذْكُرُ لَهُ شَوَاهِدَ مِنْ وُجُوهٍ أُخَرَ; فَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُهُ «خَرَجْتُ مِنْ نِكَاحٍ لَا مِنْ سِفَاحٍ» قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى {لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ} [التوبة: 128] قَالَ: لَمْ يُصِبْهُ شَيْءٌ مِنْ وِلَادَةِ الْجَاهِلِيَّةِ. قَالَ: «وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي خَرَجْتُ مِنْ نِكَاحٍ، وَلَمْ أَخْرُجْ مِنْ سِفَاحٍ» «. وَهَذَا مُرْسَلٌ جَيِّدٌ. وَهَكَذَا رَوَاهُ» الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ
পৃষ্ঠা - ১৪৫৬


অবৈধ সম্পর্ক থেকে নয়, বৈবাহিক সম্বন্ধ থেকে আমি নির্গত হয়েছি ৷ আদম থেকে আমার
আব্বা-আম্মা আমাকে জন্ম দেওয়া পর্যন্ত আমার বংশধারায় এই পবিত্রতা অব্যাহত ছিল ৷ আমার
জন্যে জাহিলিয়াতের কোন অপকর্ম আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি ৷ বর্ণনাটি বিশুদ্ধ হওয়ার
ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে ৷

ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
ৰু১১ষ্টুাট্রু ধ্রু০

জাহিলী যুগের লোকদের কেড়ান বিবাহ আমাকে জন্ম দেয়নি ৷ যে বিবাহ থেকে আমার
জন্ম তা ইসলামের বিবাহ ৷ এ বর্ণনাটিও গরিব পর্যায়ের ৷ মুহাম্মদ ংইরন সাদ বর্ণনা করেন,
হযরত আয়েশা (রা)এর বরাতে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন আসাকির ইবনে
আব্বাস (বা) সুত্রে ঠুর্দু াহু৷ ! ষ্ঙ্কু ;া ট্রুা;শু (সিজদাকাবীদের সঙ্গে তোমার উঠা-বসা
দেখেন ৷ ২৬ : ২১৯) এইআয়াতের র্ব্যাখ্যায় বলেছেন : অর্থাৎ স্রক নবীর পরে আরেক নবী
আসেন ৷ এক পর্যায়ে আমিও নবীরুপে আবির্ভুত হয়েছি ৷ ইবন সা’দ মুহাম্মদ কালবীর পিতার
সুত্রে বলেন, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর মায়ের বংশধারার পাচশত মহিলার
তালিকা সংকলন করেছি ৷৩ তাদের কেড়ান একজনকে না ব্যাভিচারী পেয়েছি না জাহিলিয়াতের
কোন অনাচারে সম্পৃক্ত পেয়েছি ৷ বুখারী শরীফে আবু হুরায়র৷ (বা) থেকে বর্ণিত আছে যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন ?

(
)


— মানব ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা উত্তম যুগে আমি প্রেরিত হয়েছি ৷ এক এক করে বহু যুগ
অতিক্রাম্ভ হওয়ার পর এই যুগে এসে আমার আবির্ভাব হয়েছে, ৷

সহীহ ঘুসলিমে ওয়াছিলা ইবন আসকা থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
আল্লাহ ইবরাহীমের বংশ থেকে ইসমাঈলকে, ইসমাঈলের বংশ থেকে বনু কিনানাকে, বনু
কিনানা থেকে কুরায়শকে এবং কুরায়শ থেকে বনু হাশিমকে নির্বাচিত করেছেন ৷ আর আমাকে
নির্বাচিত করেছেন হাশিম থেকে ৷

ইমাম আহমদ---মুত্তালিব ইবন আবু ওয়াদাআহ আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে ,
তিনি বলেছেন,একদা লোকেরা কানা ঘুষ৷ শুরু করলে সে খবর রাসুলুল্লাহ (না)-এর কানে
আসে ৷ ফলে তিনি মিম্বরে উঠে বললেন : আমি কােণ্’ জনতা জবাব দিল, আপনি আল্লাহর
রাসুল (সা) ৷ নবী করীম (সা) বললেন : “আমি আবদুল মুত্তালিব এর পুত্র আবদৃল্লাহর সন্তান
মুহাম্মদ ৷ আল্লাহ জগত সৃষ্টি করে আমাকে সৃষ্টির সেরা বানিয়েছেন ৷ সকল মানুষকে দুইটি দলে
বিভক্ত করে আমাকে শ্রেষ্ঠ দলে স্থান দিয়েছেন ৷ আবার বিভিন্ন গোত্র সৃষ্টি করে আমাকে সেরা
গোত্রে রেখেছেন ৷ অতঃপর সব গো ৷ত্রকে বিভিন্ন পরিবারে বিভক্ত করে আমাকে তাদের শ্রেষ্ঠ


الصَّاغَانِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي بُكَيْرٍ عَنْ عَبْدِ الْغَفَّارِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ أَخْرَجَنِي مِنَ النِّكَاحِ، وَلَمْ يُخْرِجْنِي مِنَ السِّفَاحِ» . وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَدِيٍّ مَوْصُولًا فَقَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَمْرٍو الْعَدَنِيُّ الْمَكِّيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ قَالَ: أَشْهَدُ عَلَى أَبِي حَدَّثَنِي عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَرَجْتُ مِنْ نِكَاحٍ، وَلَمْ أَخْرُجْ مِنْ سِفَاحٍ مِنْ لَدُنْ آدَمَ إِلَى أَنْ وَلَدَنِي أَبِي وَأُمِّي، وَلَمْ يُصِبْنِي مِنْ سِفَاحِ الْجَاهِلِيَّةِ شَيْءٌ» . وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَا يَكَادُ يَصِحُّ. وَقَالَ هُشَيْمٌ: حَدَّثَنَا الْمَدِينِيُّ عَنْ أَبِي الْحُوَيْرِثِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا «وَلَدَنِي مِنْ نِكَاحِ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ شَيْءٌ، مَا وَلَدَنِي إِلَّا نِكَاحٌ كَنِكَاحِ الْإِسْلَامِ» . وَهَذَا أَيْضًا غَرِيبٌ أَوْرَدَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، ثُمَّ أَسْنَدَهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَفِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১৪৫৭

পরিবারের সদস্য করেছেন ৷ ফলে আমি পরিবারের দিক থেকেও তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং
ব্যক্তিগত দিক থেকেও তোমাদের মধ্যে সেরা ৷ ”

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ---আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি একদিন বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ! কুরাইশরা যখন নিজেরা পরস্পরে মিলিত
হয়, তখন হাসিমুখে মিলিত হয় ৷ আর আমাদের সঙ্গে সাক্ষত হলে তাদের চেহারায় বৈরীভাব
ফুটে ওঠে ৷ একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হলেন ৷ তারপর বললেন :




“যার মুঠোয় মুহাম্মদের জীবন, আ ৷মি তার শপথ করে বলছি, ততক্ষণ পর্যন্ত কো ন মানুষের
হৃদয়ে ঈমান প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না সে আল্লাহ ও তার রাসুলেব সত্মষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে
তোমাদের ভালোবাসার ৷ ” আব্বাস (বা) বলেন, একথা শুনে আমি বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহা
কুরাইশরা একদিন বলে তাদের বংশধারা নিয়ে আলোচনায় প্রবৃত্ত হলো ৷ তাতে আপনাকে
তারা কোন এক উষর ভুমিতে অবস্থিত খেজুর গাছের সঙ্গে তুলনা করল ৷ শুনে রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন : “আল্লাহ বিশ্বজগত সৃষ্টি করে আমাকে সৃষ্টির সেরা দলের অন্তর্ভুক্ত করলেন ৷ অতঃপর
সৃষ্টির সব মানুষকে বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত করলেন, তাতে গোত্র হিসেবেও আমাকে সকলের
শ্রেষ্ঠ গোত্রে রাখলেন ৷ অতঃপর যখন মানুষগুলােকে বিজ্যি পরিবারে বিভক্ত করলেন, তখনও
পরিবারের দিক থেকেও আমাকে সকলের শ্রেষ্ঠ পরিবারভুক্ত করলেন ৷ অতএব আমি ব্যক্তি
হিসাবেও সৃষ্টির সেরা পরিবার হিসাবেও সকলের শ্রেষ্ঠ ৷
ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুলাহ (সা) বলেছেন :
“আল্লাহ সৃষ্টির সকল মানুষকে দু’ভাগে বিভক্ত করেন ৷ তাতে দু’ত৷ পের মধ্যে যেভ্রাগ শ্রেষ্ঠ,
আমাকে তার অন্তর্ভুক্ত করেন ৷ কুরআনের আয়াত ৷ এ
৷ তথা ডানের লোকদের
অন্তর্ভুক্ত ৷ আবার আমি স্পেপু ৷ ,া হু ৷ এর সকলের সেরা ৷ এই দুই ভ ৷গকে আবার
তিনভা ৷গে তাপ করেন ৷ আমাকে তার মধ্যকার শ্রেষ্ঠ ভাগে রাখেন ৷ পবিত্র কুরআনের আয়াত
একথাই বলা হয়েছে ৷ আমি
এই ট্রু ,টুব্লুৰু££ বা ংত্াগ্রগ্ামীর্দেয় ৫সরা ৷ অতঃপর এই তিন দলকে বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত
করেছেন ৷ আমাকে বানিয়েছেন সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ গোত্রের মানুষ০ ং

: ) ’ :



(আমি তােমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা একে অপরকে
চিনতে পার ৷ তোমাদের যে যত মুত্তাকী, আল্লাহর নিকট সে তত মর্যাদাবান ৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞানী


وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ عَمِّهِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وُلِدْتُ مِنْ نِكَاحٍ غَيْرِ سِفَاحٍ» . ثُمَّ أَوْرَدَ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَاصِمٍ عَنْ شَبِيبٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى {وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ} [الشعراء: 219] قَالَ: «مِنْ نَبِيٍّ إِلَى نَبِيٍّ حَتَّى أُخْرِجْتُ نَبِيًّا،» وَرَوَاهُ عَنْ عَطَاءٍ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْكَلْبِيُّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَتَبْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسَمِائَةِ أَمٍّ فَمَا وَجَدْتُ فِيهِنَّ سِفَاحًا وَلَا شَيْئًا مِمَّا كَانَ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ. وَثَبَتَ فِي صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بُعِثْتُ مِنْ خَيْرِ قُرُونِ بَنِي آدَمَ قَرْنًا فَقَرْنًا حَتَّى بُعِثْتُ مِنَ الْقَرْنِ الَّذِي كُنْتُ فِيهِ» وَفِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ مِنْ حَدِيثِ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ شَدَّادٍ أَبِي عَمَّارٍ عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى مِنْ وَلَدِ إِبْرَاهِيمَ إِسْمَاعِيلَ، وَاصْطَفَى مِنْ بَنِي إِسْمَاعِيلَ بَنِي كِنَانَةَ، وَاصْطَفَى مِنْ بَنِي كِنَانَةَ
পৃষ্ঠা - ১৪৫৮
قُرَيْشًا، وَاصْطَفَى مِنْ قُرَيْشٍ بَنِي هَاشِمٍ، وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ» . . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ قَالَ: قَالَ الْعَبَّاسُ ( «بَلَغَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْضُ مَا يَقُولُ النَّاسُ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَقَالَ: مَنْ أَنَا؟ قَالُوا: أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ قَالَ: أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِ خَلْقِهِ، وَجَعَلَهُمْ فِرْقَتَيْنِ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِ فِرْقَةٍ، وَخَلَقَ الْقَبَائِلَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِ قَبِيلَةٍ، وَجَعَلَهُمْ بُيُوتًا فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ بَيْتًا فَأَنَا خَيْرُكُمْ بَيْتًا، وَخَيْرُكُمْ نَفْسًا» . صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا أَبَدًا إِلَى يَوْمِ الدِّينِ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ قُرَيْشًا إِذَا الْتَقَوْا لَقِيَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا بِالْبَشَاشَةِ، وَإِذَا لَقُونَا لَقُونَا بِوُجُوهٍ لَا نَعْرِفُهَا فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ ذَلِكَ غَضَبًا شَدِيدًا، ثُمَّ قَالَ: وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَا يَدْخُلُ قَلْبَ رَجُلٍ الْإِيمَانُ حَتَّى يُحِبَّكُمْ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ قُرَيْشًا جَلَسُوا فَتَذَاكَرُوا أَحْسَابَهُمْ فَجَعَلُوا مَثَلَكَ كَمَثَلِ نَخْلَةٍ فِي كَبْوَةٍ مِنَ الْأَرْضِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ يَوْمَ خَلَقَ الْخَلْقَ جَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ، ثُمَّ لَمَّا فَرَّقَهُمْ قَبَائِلَ جَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ قَبِيلَةً، ثُمَّ حِينَ جَعَلَ الْبُيُوتَ جَعَلَنِي فِي خَيْرِ
পৃষ্ঠা - ১৪৫৯


ও সর্বজ্ঞাত৷ ৷ ৪৯ : ১৩) আয়াতের এটাই অর্থ ৷ আমি আদমের সন্তানদের সর্বাপেক্ষা মুত্তাকী
এবং আল্লাহর নিকট সবচাইতে মর্যাদাসম্পন্ন ৷ কথাটা গর্ব নয় ৷ অতঃপর গোত্রগুলোকে বিভিন্ন
পরিবারে বিভক্ত করেন এবং আমাকে শ্রেষ্ঠ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত করেন ৷ আল্লাহর বাণী৪



ার্গো ৷
(হে আহলে বায়ত ! ) আল্লাহ তোমাদের থেকে পঙ্কিলতা দুর করে তােমাদেরকে
সর্বোতভাবে পবিত্র করতে চান ৷) আয়াতে এ দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷ ফলে আমি ও
আমার পরিবার যাবতীয় পাপ পঙ্কিল৩ ৷ থেকে পবিত্র ৷ বর্ণনাটি ণ্া রবৈ ও মুনকার পর্যায়ের ৷
হাকিম ও বায়হড়াকী ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমরা একদিন
রাসুলুল্লাহ (না)-এর ঘরের আঙ্গিনড়ায় বসা ছিলাম ৷ এ সময় এক মহিলা সে স্থান দিয়ে অতিক্রম
করেন ৷ দেখে একজন বলল, ইনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর কন্যা ৷ ঠিক তখন আবু সৃফিয়ান বলল,
হাশিম গোত্রে মুহাম্মদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে গােবরে পদ্মফুলের মতো ৷ মহিলাটি চলে গেলেন এবং
কথাটা রাসুলুল্লাহ (না)-এর কানে দিলেন ৷ শুনে রাসুলুল্লাহ (সা৷ আমাদের নিকট আসলেন ৷
তার চেহারায় তখন অসন্তোষ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল ৷ এসে তিনি বললেন : “ব্যাপার কি, আমি কী
সব কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছি? আল্লাহ সাত আক শ সৃষ্টি করে তার উর্ধ্বলোকে যাদেরকে ইচ্ছা
স্থান দিলেন ৷ অতঃপর তার সৃষ্টির মধ্যে বনী আদমকে মনোনীত করলেন ৷ বনী আদমের মধ্য
থেকে মনোনীত করলেন আরবদেরকে আর আরবদের মধ্য থেকে মনোনীত করলেন মুয়ারকে ৷
মুযার-এর থেকে মনোনীত করলেন কুরাইশকে, কুরাইশ থেকে বনু হাশিমকে , আর বনু হাশিম
থেকে আমাকে ৷ অতএব আমি সেবার সেরা ৷ ফলে যে ব্যক্তি আরবদেরকে ভালোবাসল, সে
আমার খাতিরেই তাদেরকে ভালোবাসল ৷ আর যে ব্যক্তি আরবদের সঙ্গে বিদ্বেষ পোষণ করল,
আমার সঙ্গে বিদ্বেষ থাকার কারণেই তাদের সঙ্গে যে বিদ্বেষ পোষণ করল ৷”

তবে সহীহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন :
,পু;;গু ৰুাদ্বু ভ্রুণ্ এে ৷ ব্লু,ট্রুন্ ;; ৷ এ’, ’; ’ ঢৰুা
“আমি কিয়ামতের দিন আদম সন্তানদের সরদার রুপে থাকবাে ৷ এটা আমার পর্ব নয় ৷”

হাকিম ও বায়হাকী আয়েশা (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) বলেছেন : “জিবরাঈল আমাকে বললেন যে, আমি পৃথিবীট৷ পুর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত তন্ন
তন্ন করে দেখলাম, মুহাম্মদ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কাউকে পেলাম না ৷ আবার পৃথিবীট৷ পুর্ব থেকে
পশ্চিম পর্যন্ত উলট পালট করলাম, কিত্তু হাশিমের গোত্র অপেক্ষা ৷উত্তম কোন গোত্রের খোজ
পেলাম না ৷ বায়হাকী মন্তব্য করেন যে, বর্ণনাগুলোতে দুর্বল৩ ৷ থাকলেও একটি অপরটির
সমর্থক হওয়ায় গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৷

ঠিক এই মর্মে আবু তালিব নবী করীম (সা) এর প্রশংসায় বলতেন :
াটু৷ ৷
গ্রত্রৈ


بُيُوتِهِمْ فَأَنَا خَيْرُهُمْ نَفْسًا وَخَيْرُهُمْ بَيْتًا» وَرَوَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ عَنِ ابْنِ فُضَيْلٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: بَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَهُ بِنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ، وَلَمْ يَذْكُرِ الْعَبَّاسَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِبْعِيٍّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ قَسَمَ الْخَلْقَ قِسْمَيْنِ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمَا قِسْمًا فَذَلِكَ قَوْلُهُ {وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ} [الواقعة: 27] {وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ} [الواقعة: 41] فَأَنَا مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ، وَأَنَا خَيْرُ أَصْحَابِ الْيَمِينِ، ثُمَّ جَعَلَ الْقِسْمَيْنِ أَثْلَاثًا فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهَا ثُلُثًا فَذَلِكَ قَوْلُهُ {أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ} [الواقعة: 8] {وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ} [الواقعة: 10] فَأَنَا مِنَ السَّابِقِينَ وَأَنَا خَيْرُ السَّابِقِينَ، ثُمَّ جَعَلَ الْأَثْلَاثَ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهَا قَبِيلَةً فَذَلِكَ قَوْلُهُ {وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ} [الحجرات: 13] وَأَنَا أَتْقَى وَلَدِ آدَمَ وَأَكْرَمُهُمْ عَلَى اللَّهِ وَلَا فَخْرَ، ثُمَّ جَعَلَ الْقَبَائِلَ بُيُوتًا فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهَا بَيْتًا، وَذَلِكَ قَوْلُهُ {إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا} [الأحزاب: 33] » [الْأَحْزَابِ: 33] فَأَنَا وَأَهْلُ بَيْتِي مُطَهَّرُونَ مِنَ الذُّنُوبِ. وَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ غَرَابَةٌ، وَنَكَارَةٌ. وَرَوَى الْحَاكِمُ وَالْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ ذَكْوَانَ خَالِ وَلَدِ حَمَّادِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১৪৬০
زَيْدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ «إِنَّا لَقُعُودٌ بِفِنَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ مَرَّتْ بِهِ امْرَأَةٌ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ: هَذِهِ ابْنَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: مَثَلُ مُحَمَّدٍ فِي بَنِي هَاشِمٍ مَثَلُ الرَّيْحَانَةِ فِي وَسَطِ النَّتَنِ فَانْطَلَقَتِ الْمَرْأَةُ فَأَخْبَرَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْرَفُ فِي وَجْهِهِ الْغَضَبُ فَقَالَ: مَا بَالُ أَقْوَالٍ تَبْلُغُنِي عَنْ أَقْوَامٍ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ سَبْعًا فَاخْتَارَ الْعَلْيَاءَ مِنْهَا فَأَسْكَنَهَا مَنْ شَاءَ مَنْ خَلْقِهِ، ثُمَّ خَلَقَ الْخَلْقَ فَاخْتَارَ مِنَ الْخَلْقِ بَنِي آدَمَ، وَاخْتَارَ مِنْ بَنِي آدَمَ الْعَرَبَ، وَاخْتَارَ مِنَ الْعَرَبِ مُضَرَ، وَاخْتَارَ مِنْ مُضَرَ قُرَيْشًا، وَاخْتَارَ مِنْ قُرَيْشٍ بَنِي هَاشِمٍ، وَاخْتَارَنِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ فَأَنَا خِيَارٌ مِنْ خِيَارٍ فَمَنْ أَحَبَّ الْعَرَبَ فَبِحُبِّي أَحَبَّهُمْ، وَمَنْ أَبْغَضَ الْعَرَبَ فَبِبُغْضِي أَبْغَضَهُمْ» . وَهَذَا أَيْضًا حَدِيثٌ غَرِيبٌ. وَثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا فَخْرَ» وَرَوَى الْحَاكِمُ وَالْبَيْهَقِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي أُسَامَةَ - أَوْ أَبِي سَلَمَةَ - عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَالَ لِي جِبْرِيلُ: قَلَبْتُ الْأَرْضَ مِنْ مَشَارِقِهَا وَمَغَارِبِهَا فَلَمْ أَجِدْ رَجُلًا أَفْضَلَ مِنْ مُحَمَّدٍ وَقَلَبْتُ
পৃষ্ঠা - ১৪৬১

¢ ৷ ;, , ;

াব্লুৰুট্রু,ব্লুড়ু ;,াড়ু

এেএ
)

ন্ণ্ এএএৰুা

ব্লু


কুরায়শ যদি কখনো গৌরব করার জন্য সমবেত হয়, তো আবদে মানাফ-ই সেই মহান
ব্যক্তি, যাকে নিয়ে কুরাইশ পর্ব করতে পারে ৷ আবার আবদে মানড়াফের সম্রান্ত ও অভিজাত
ব্যক্তিদের খুজে পেতে চাইলে তাদেরকে হাশিম গোত্রেই খুজতে হবে ৷
তারা যদি আরো গৌরব করতে চায়, তাহলে মুহাম্মদকে ণ্ায়েই তা করতে হবে ৷ কেননা
মুহাষ্মদই হলেন তাদের মধ্যে মহান ব্যক্তিদের বাছাই করা ব্যক্তি ৷
কুরাইশের শীর্ণ মোটা সকলে আমাদের বিরুদ্ধে লড়তে চেয়েছিল ৷ কিত্তু তাতে তারা সফল
হয়নি এবং তাদের বৃদ্ধির বিভ্রাট ঘটেছে ৷
অতীতে আমরা অত্যাচার স্বীকার কর৩ ৷ম না ৷ লোকে অবজ্ঞা ভরে মুখ ফিরিয়ে নিলে
আমরা তা সোজা করে দি৩ ৷ম ৷ যে কোন দুর্দিনে আমরা তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করতাম আর
বিরুদ্ধবাদীদের প্রতিরাে ৷ধ্ করতাম ৷ আমাদের উসিলায় নেতিয়ে পড়া ৷কাঠ সোজা হয়ে র্দাড়াত
বংআমাদের এই সহযােগি৩ যে তা সজীব হতো এবং বৃদ্ধি লাভ করত ৷
আবুস সাক৷ ন খারীম ইবনে আউস সুত্রে বলেন, রাসুলুল্পাহ (সা) তাবুক থেকে ফিরে আসা
কালে আমি তার দরবারে হাজির হলাম , তখন আমি ইসলাম গ্রহণ ৷করি ৷ তখন শুনতে পেলাম,
আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব বলছেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনার প্রশংসা করতে
চাই ৷ জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আচ্ছা বল, আল্লাহ তোমার মুখে ফুল চন্দনঃ ফুটানা
অনুমতি পেয়ে বলতে শুরু করলেন :

া১

ণ্উ


ৰুব্লু


الْأَرْضَ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا فَلَمْ أَجِدْ بَنِي أَبٍ أَفْضَلَ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ» . قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذِهِ الْأَحَادِيثُ، وَإِنْ كَانَ فِي رُوَاتِهَا مَنْ لَا يُحْتَجُّ بِهِ فَبَعْضُهَا يُؤَكِّدُ بَعْضًا، وَمَعْنَى جَمِيعِهَا يَرْجِعُ إِلَى حَدِيثِ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: وَفِي هَذَا الْمَعْنَى يَقُولُ أَبُو طَالِبٍ يَمْتَدِحُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا اجْتَمَعَتْ يَوْمًا قُرَيْشٌ لِمَفْخَرٍ فَعَبْدُ مَنَافٍ سِرُّهَا وَصَمِيمُهَا ... فَإِنْ حُصِّلَتْ أَشْرَافُ عَبْدِ مَنَافِهَا فَفِي هَاشِمٍ أَشْرَافُهَا وَقَدِيمُهَا وَإِنْ فَخَرَتْ يَوْمًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا هُوَ الْمُصْطَفَى مِنْ سِرِّهَا ... وَكَرِيمُهَا تَدَاعَتْ قُرَيْشٌ غَثُّهَا وَسَمِينُهَا عَلَيْنَا فَلَمْ تَظْفَرْ وَطَاشَتْ حُلُومُهَا وَكُنَّا قَدِيمًا لَا نُقِرُّ ظُلَامَةً ... إِذَا مَا ثَنَوْا صُعْرَ الْخُدُودِ نُقِيمُهَا وَنَحْمِي حِمَاهَا كُلَّ يَوْمٍ كَرِيهَةٍ وَنَضْرِبُ عَنْ أَجْحَارِهَا مَنْ يَرُومُهَا ... بِنَا انْتَعَشَ الْعُودُ الذَّوَاءُ وَإِنَّمَا بِأَكْنَافِنَا تَنْدَى وَتَنْمَى أُرُومُهَا وَقَالَ أَبُو السُّكَيْنِ زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى الطَّائِيُّ فِي الْجُزْءِ الْمَنْسُوبِ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ১৪৬২


এক সময়ে আপনি অবস্থান করেছেন, ছায়াময় এবং সংরক্ষিত স্থানে ৷ তারপর আপনি ধরায়
অবতরণ করলেন ৷ তখন আপনি না পুর্ণাঙ্গ মানব, না গোশতের টুকরা, না রক্তপিণ্ড ৷ বরং এক
ফৌটা বীর্য কিশত্যিত আরোহণ করে আসলেন ৷ অথচ, তখনকার সব জনপদ ভেসে গিয়েছিল
প্রাবনের পানিতে ৷ তারপর আপনি পিতার মেরুদণ্ড থেকে মায়ের গর্ভে স্থানান্তরিত হলেন এবং
ধীরে ধীরে একজন পুর্ণাঙ্গ মানবের রুপ ধারণ করলেন ৷ নিজ ঘরের শোভা হয়ে এক সময়ে
ভুমিষ্ঠ হলেন পৃথিবীতে ৷ আপনি যখন জন্মগ্রহণ করলেন, তখন আপনার আলোতে আলোকিত

হল সমগ্র পৃথিবী ৷ এখন সেই আলোতে আমরা পথ চলি ৷

এই কৰিতড়াগুলো হড়াস্সান ইবনে সাবিত (রা)-এর নামেও বর্ণিত হয়েছে ৷ যেমন : ইবন
আসাকির ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, একদিন আমি
রাসুলুল্লাহ (না)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আমার আব্বা-আমা আপনার জন্য কুরবান হোন ৷ বলুন
তো, আদম (আ) যখন জান্নড়াতে, আপনি তখন কোথায় ছিলেলঃ ইবন আব্বাস (রা) বলেন,
আমার এ প্রশ্ন শুনে নবী কবীম (সা) হেসে উঠলেন ৷ এমনকি তার নামনের ক’টি র্দাত দেখা
গেল ৷ তারপর তিনি বললেন : আমি আদমের যেরুদণ্ডে ছিলাম ৷ আমার পিতৃপুরুষ নুহ (আ)
তার মেরুদণ্ডে করে আমাকে নিয়ে কিশতিতে আরোহণ করেন ৷ তারপর আমাকে আমার
পিতৃপুরুষ ইবরড়াহীমের মেরুদণ্ডে করে (অগ্নিকুণ্ডে) নিক্ষেপ করা হয় ৷ আমার বংশ লতিকার
কোন পিতা-মাতাই জীবনে কখনো ব্যভিচারে সম্পৃক্ত হননি ৷ আল্লাহ আমাকে কৃলীন যেরুদণ্ড
থেকে পুত-পবিত্র জরায়ুতে স্থানান্তরিত করতে থাকেন ৷ আমার পরিচয় হেদায়াতের উপর
প্রতিষ্ঠিত ৷ যখনই মানুষ ভালো-মন্দ দৃ’দলে বিভক্ত হয়, আমি ভালো ও শ্রেষ্ঠ দলে থাকি ৷
আল্লাহ নবুওত দ্বারা আমার অঙ্গীকার এবং ইসলাম দ্বারা আমার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন ৷ তাওরাত
ও ইনজীলে আমার সুসংবাদ প্রকাশ করেছেন এবং প্রত্যেক নবীকে আমার বিস্তারিত পরিচয়
জানিয়েছেন ৷ আমার নুরে বিশ্বজগত এবং আমার মুখমণ্ডলে যেঘমালা আলোকিত হয় ৷ আল্লাহ
আমাকে তার কিতাব শিক্ষা দিয়েছেন এবং তার নামে আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন ৷ আল্লাহ
তার নিজের নাম থেকে বের করে আমার নাম রেখেছেন ৷ ফলে আরশের অধিপতি হলেন
মাহমুদ আর আমি হলাম মুহাম্মদ ও আহমদ ৷ আল্লাহ আমাকে হাউযে কাওছার দিয়ে ধন্য করার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং আমাকে সর্বপ্রথম সুপারিশকারী এবং সর্বপ্রথম সুপারিশ মঞ্জুরকৃত
ব্যক্তিরুপে মনোনীত করেছেন ৷ এরপর আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের জন্য শ্রেষ্ঠ যুগে
আমার আবির্ভাব ঘটিয়েছেন ৷ আমার উম্মত অত্যধিক প্রশংসাকারী ৷ তারা সৎকাজের আদেশ
করে এবং অন্যায় কাজ থেকে বারণ করে ৷ ’

ইবন আব্বাস (বা) বলেন, তখন হাসৃসান ইবন সাবিত নবী কবীম (না)-এর শানে পুর্বোক্ত
পৎক্তিগুলো আবৃত্তি করেন যাতে বলা হয়েছে



২ ২ ২ ২২


الْمَشْهُورِ: حَدَّثَنِي عَمُّ أَبِي زَحْرُ بْنُ حِصْنٍ عَنْ جَدِّهِ حُمَيْدِ بْنِ مُنْهِبٍ قَالَ قَالَ جَدِّي خُرَيْمُ بْنُ أَوْسٍ: هَاجَرْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدِمْتُ عَلَيْهِ مُنْصَرَفَهُ مِنْ تَبُوكَ فَأَسْلَمْتُ فَسَمِعْتُ الْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَمْتَدِحَكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قُلْ لَا يَفْضُضِ اللَّهُ فَاكَ فَأَنْشَأَ يَقُولُ: مِنْ قَبْلِهَا طِبْتَ فِي الظِّلَالِ وَفِي مُسْتَوْدَعٍ حَيْثُ يُخْصَفُ الْوَرَقُ ثُمَّ هَبَطْتَ الْبِلَادَ لَا بَشَرٌ أَنْتَ وَلَا مُضْغَةٌ وَلَا عَلَقُ ... بَلْ نُطْفَةٌ تَرْكَبُ السَّفِينَ وَقَدْ أَلْجَمَ نَسْرَا وَأَهْلَهُ الْغَرَقُ تُنْقَلُ مِنْ صَالِبٍ إِلَى رَحَمٍ إِذَا مَضَى عَالَمٌ بَدَا طَبَقُ ... حَتَّى احْتَوَى بَيْتُكَ الْمُهَيْمِنُ مِنْ خِنْدَفَ عَلْيَاءَ تَحْتَهَا النُّطُقُ وَأَنْتَ لَمَّا وُلِدْتَ أَشْرَقَتِ الْأَرْضُ وَضَاءَتْ بِنُورِكَ الْأُفُقُ ... فَنَحْنُ فِي ذَلِكَ الضِّيَاءِ وَفِي ال نُّورِ وَسُبْلِ الرَّشَادِ نَخْتَرِقُ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الشِّعْرُ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ فَرَوَى الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ১৪৬৩
عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي الْحَسَنِ بْنِ أَبِي الْحَدِيدِ أَخْبَرَنَا أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ أَبِي نَصْرٍ أَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو حُصَيْنٍ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدٍ التَّمِيمِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الزَّاهِدُ الْخُرَاسَانِيُّ حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ بُنَانٍ حَدَّثَنَا سَلَّامُ بْنُ سُلَيْمَانَ أَبُو الْعَبَّاسِ الْمَكْفُوفُ الْمَدَائِنِيُّ حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ بْنُ عُمَرَ عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ عَطَاءٍ، وَمُجَاهِدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ «سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي أَيْنَ كُنْتَ، وَآدَمُ فِي الْجَنَّةِ؟ قَالَ: فَتَبَسَّمَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ، ثُمَّ قَالَ: كُنْتُ فِي صُلْبِهِ، وَرُكِبَ بِيَ السَّفِينَةُ فِي صُلْبِ أَبِي نُوحٍ، وَقُذِفَ بِيَ فِي صُلْبِ أَبِي إِبْرَاهِيمَ لَمْ يَلْتَقِ أَبَوَايَ عَلَى سِفَاحٍ قَطُّ، لَمْ يَزَلِ اللَّهُ يَنْقُلُنِي مِنَ الْأَصْلَابِ الْحَسِيبَةِ إِلَى الْأَرْحَامِ الطَّاهِرَةِ، صِفَتِي مَهْدِيٌّ لَا يَنْشَعِبُ شُعْبَتَانِ إِلَّا كُنْتُ فِي خَيْرِهِمَا وَقَدْ أَخَذَ اللَّهُ بِالنُّبُوَّةِ مِيثَاقِي، وَبِالْإِسْلَامِ عَهَدِي، وَبَشَّرَ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ ذِكْرِي وَبَيَّنَ كُلُّ نَبِيٍّ صِفَتِي تُشْرِقُ الْأَرْضُ بِنُورِي وَالْغَمَامُ لِوَجْهِي، وَعَلَّمَنِي كِتَابَهُ وَرَوَى بِي سَحَابَهُ، وَشَقَّ لِيَ اسْمًا مَنْ
পৃষ্ঠা - ১৪৬৪

শুনে নবী করীম (সা) বললেন, আল্লাহ হাসৃসানের প্রতি রহমত করুন ৷ তৎক্ষণাং আলী
ইবন আবু তালিব বলে উঠলেন, কাবার প্রভুর শপথ, হাস্সানের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে
গেছে ৷ ইবন আসাকির এ বর্ণনাটিকে গরীব বলেছেন ৷ আমার মতে এগুলো মুনকারও বটে ৷

কাজী ইয়ায তার আশ-শিফা গ্রন্থে বলেছেন, বিভিন্ন আসমানী কিভাবে যে আহমদের
কথা বলা হয়েছে এবং ব্রিজ্যিন্ব্রীক্লে স্টুফ্লোত্মোঃছ তার নামে যেন কারও
নামকরণ করা না হয় এবং তার অ্যার্বভারৈর আর্পেকেশুষ্টেযর্দা নীিইজকে আহমদ বলে দাবি না
করে , কৌশলে আল্লাহ তার পথ রুদ্ধ করে দেন ৷ যাতে দৃর্বলমনা লোকদের মধ্যে কোন রকম
চুমোঃল্পঃ ল্লট্যাংছোষ্টৱফ্তে নঃহ্ন্মেরেদচজােরুিসৌং ৰুৰীমৰু চুমাশ্লেন্নদঅজ্যিব্লে পুর্বে
দ্বহৃক্ষ্মলোঃ১অরক্কোহ্মক্ষারম্নর্তমুহক্ষোন্মোফোণাদ্যোক্তহক্ষষি ;প্রুম্নেচ্ট্টমুহলোঃনাঃমৱ ফ্তেক্রাদ্রাৰীর
ৰু-ল্পেজ্যো ন্থবে’গ্ৰুমোঃ রম্পেকাজ্যোলেল্ডেক্যেন্তোন্ধা আরঘেরস্তুমোঃষ্ক মোঃঢভাপের
ছেলেদের মুহাম্মদ নামে নামকরণ কিরুচ্ছেঈন্থির্হিজ্জাশ্যেয়সৌং স্রন্থচ্ছির্কীইর্দো লোঃইিস্ট্রলোঃর্দদ্ব ৷
লোঃ লোঃ শ্লোলোঃন্জৈ লিংফ্তেট্যাং জ়লোঃঅ্যাংস্কেলীে;স্লোখ্যাঃ ,ইলোঃস্ফোস্ফোসারী,
ণ্ল্যাংষ্মদ্রুস্টুবম্রামোঃপ্লো ,অ্যাংষ্মদ্ ঞ্জীচ্চচ্চুণিঢোক্টোজ্যেন্ধুজশ্রিডুপুদ্মুহাদ্যো ইয়্যা;দ্ভাদ্যোন
চল্দোজ্জীঙ্গীচ্যামোঃষ্ক ১খুন্নল্টিন্সেলোঃষ্হীংশৃঅ্যাংল্লদ্দৌগ্ন ক্ষোক্রোম্রাজি-ম্নেজ্যামে
চ্চসৌংমোঃলোঃতানোংষ্কমোঃ মোঃ স্কোপজ্যোঅ্যাংছুশ্:স্তেফ্লোদ্ব ল্লুহান্সদ
চুভুন্মাব্রুন্ধুপ্লিন্সে ইিঢোৰুণ্ মুভুকুট্রুশ্রিণ্ মোঃশ্নোম্ত্নে চাসাযষ্কনঃআঃ প্লোইতো জ্জিষ্হমুন্নহীঙ্কোই
লীেমোঃমোঃ দ্র্যক্তি রু,ন্বুজ্যিল্যাং ব্লঅ্যান্নহুজ্যোচাৰুজ্যোহুদণুত্বিন্অ্যাংন্ অেল্যাংসৌংঢুম্ভাদ্যোক
দ্যোষীন্>ক্রো ঙ্গীক্লক্ষেক্ষোন্হ্বফ্লিন্ঢোজ্যোকােম ল্যাং মোঃট্রমোঃ পঞ্জোন্ৰুখ্যাঃয়িন্বুত্ত
ঢ় স্ফোখন্মারুহ্ত্ত্বরু


أَسْمَائِهِ فَذُو الْعَرْشِ مَحْمُودٌ وَأَنَا مُحَمَّدٌ، وَوَعَدَنِي أَنْ يَحْبُوَنِي بِالْحَوْضِ وَالْكَوْثَرِ، وَأَنْ يَجْعَلَنِي أَوَّلَ شَافِعٍ وَأَوَّلَ مُشَفَّعٍ، ثُمَّ أَخْرَجَنِي مِنْ خَيْرِ قَرْنٍ لِأُمَّتِي، وَهُمُ الْحَمَّادُونَ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ» . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فِي النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِنْ قَبْلِهَا طِبْتَ فِي الظِّلَالِ وَفِي مُسْتَوْدَعٍ يَوْمَ يُخْصَفُ الْوَرَقُ ... ثُمَّ سَكَنْتَ الْبِلَادَ لَا بَشَرٌ أَنْتَ وَلَا نُطْفَةٌ وَلَا عَلَقُ مُطَهَّرٌ تَرْكَبُ السَّفِينَ وَقَدْ أَلْجَمَ نَسْرًا وَأَهْلَهُ الْغَرَقُ ... تُنْقَلُ مِنْ أَصْلُبٍ إِلَى رَحِمٍ إِذَا مَضَى طَبَقٌ بَدَا طَبَقُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يَرْحَمُ اللَّهُ حَسَانَ» فَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَجَبَتِ الْجَنَّةُ لِحَسَّانَ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ. ثُمَّ قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا قُلْتُ: بَلْ مُنْكَرٌ جِدًّا. قَالَ: وَالْمَحْفُوظُ أَنَّ هَذِهِ الْأَبْيَاتَ لِلْعَبَّاسِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، ثُمَّ أَوْرَدَهَا مِنْ حَدِيثِ أَبِي السَّكَنِ زَكَرِيَّا بْنِ يَحْيَى الطَّائِيِّ كَمَا تَقَدَّمَ قُلْتُ: وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَزْعُمُ أَنَّهَا لِلْعَبَّاسِ بْنِ مِرْدَاسٍ السُّلَمِيِّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১৪৬৫
تَنْبِيهٌ: قَالَ الْقَاضِي عِيَاضٌ فِي كِتَابِهِ الشِّفَاءِ: وَأَمَّا أَحْمَدُ الَّذِي أَتَى فِي الْكُتُبِ، وَبَشَّرَتْ بِهِ الْأَنْبِيَاءُ فَمَنَعَ اللَّهُ بِحِكْمَتِهِ أَنْ يُسَمَّى بِهِ أَحَدٌ غَيْرُهُ وَلَا يُدْعَى بِهِ مَدْعُوٌّ قَبْلَهُ حَتَّى لَا يَدْخُلَ لَبْسٌ عَلَى ضَعِيفِ الْقَلْبِ أَوْ شَكٌّ، وَكَذَلِكَ مُحَمَّدٌ لَمْ يُسَمَّ بِهِ أَحَدٌ مِنَ الْعَرَبِ وَلَا غَيْرِهِمْ، إِلَى أَنْ شَاعَ قَبْلَ وُجُودِهِ وَمِيلَادِهِ، أَنَّ نَبِيًّا يُبْعَثُ اسْمُهُ مُحَمَّدٌ فَسَمَّى قَوْمٌ قَلِيلٌ مِنَ الْعَرَبِ أَبْنَاءَهُمْ بِذَلِكَ رَجَاءَ أَنْ يَكُونَ أَحَدُهُمْ هُوَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَاتَهُ وَهُمْ; مُحَمَّدُ بْنُ أُحَيْحَةَ بْنِ الْجُلَاحِ الْأَوْسِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْأَنْصَارِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْبَرَاءِ الْكِنْدِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سُفْيَانَ بْنِ مُجَاشِعٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حُمْرَانَ الْجُعْفِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ خُزَاعِيٍّ السُّلَمِيُّ لَا سَابِعَ لَهُمْ، وَيُقَالَ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ سُمِّيَ مُحَمَّدًا مُحَمَّدُ بْنُ سُفْيَانَ بْنِ مُجَاشِعٍ وَالْيَمَنُ تَقُولُ: بَلْ مُحَمَّدُ بْنُ الْيَحْمُدِ مِنَ الْأَزْدِ، ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ حَمَى كُلَّ مَنْ تَسَمَّى بِهِ أَنْ يَدَّعِيَ النُّبُوَّةَ أَوْ يَدَّعِيَهَا لَهُ أَحَدٌ أَوْ يَظْهَرَ عَلَيْهِ سَبَبٌ يُشَكِّكُ أَحَدًا فِي أَمْرِهِ حَتَّى تَحَقَّقَتِ السِّمَتَانِ لَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُنَازَعْ فِيهِمَا. هَذَا لَفْظُهُ.
পৃষ্ঠা - ১৪৬৬

রড়াসুলুল্পাহ (না)-এর জন্ম

রাসুঙ্গুল্লাহ (সা) সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করেন ৷ ইমাম মুসলিম তার সহীহ মুসলিমে আবু
কাতাদা (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, এক বেদৃইন জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ৷ সোমবার
দিনের রােযা সম্পর্কে আপনি কী বলেন? জবাবে রাসুলুস্লাহ (সা) বনলেন : ঐ দিলেই তো
আমার জন্য এবং ঐ দিলেই আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ হয় ৷

ইমাম আহমদ (র) ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) জন্মগ্রহণ করেছেন সোমবার দিন, নবুওত পেয়েছেন সোমবার দিন, মদীনা
ইিজরতের উদ্দেশ্যে মক্কা ত্যাগ করেছেন সোমবার দিন, মদীনায় পৌছেছেন সোমবার দিন, তার
ওফাত হয়েছে সোমবার দিন এবং হাজরে আসওয়াদ স্থাপন করেছেন সোমবার দিন ৷ অপর এক
বর্ণনায় আছে, সুরা মায়িদাব আয়াত ণ্ধুছুট্রু ৷ ণ্ব্লুট্রু ;এ^হু! ণ্টু’ এ৷ (আজ আমি তোমাদের
জা তোমাদের দীনকে পরিপুর্ণ করে দিলাম) এর অবতরণ এবং বদর যুদ্ধও এই সোমবার দিন
সংঘটিত হয়েছে ৷ কিস্তু এই অভিমতটি সঠিক নয় ৷ কারণ, ইবন আসাকিরের মতে নির্ভরযোগ্য
অভিমত হলো, বদর যুদ্ধ ও আলোচ্য আয়াতের অবতরণ শুক্রবার দিন হয়েছে ৷ তার
অভিমতটিই যথার্থ ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) ইবন আব্বাস (না) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সোমবার দিনই ইন্তিকাল
করেছেন ৷ এভাবে ভিন্ন সুত্রে ইবনে আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্পাহ (সা)
সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সোমবার দিনই ইস্তিকাল করেছেন ৷ এভাবে ভিন্ন সুত্রে
ইবনে আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) সোমবার দিন জন্ম গ্রহণ করেছেন,
তার সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করার ব্যাপারে কারও কোন দ্বিমত নেই ৷ যিনি বলেছেন যে,
রাসুলুল্পাহ (সা) রবিউল আউয়াল মাসের সতের তারিখ শুক্রবার দিন জন্মগ্রহণ করেছেন, তিনি
মারাত্মক ভুল করেছেন ৷ হাফিজ ইবনে দিহইয়া জনৈক শিয়ারইলামুর রার্বী বি-ইসামিল হাদী
নামক গ্রন্থ থেকে এরুপ একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেন ৷ তিনি একে যয়ীফ বলে মন্তব্য করেছেন ৷
এটা আসলেও দুর্বল ৷

জমহুর আলিমণণের সর্বসষ্মত সিদ্ধান্ত যে, রাসুঙ্গুশাহ (সা) জন্মের মাসটি হলো রবিউল
আউয়াল মাস ৷ তারিখের ব্যাপারে নানা অভিমত রয়েছে ৷ ইবন আবদুস বার তার ইসতিরড়াব
গ্রন্থে রবিউল আউয়াল মাসের ২ তারিখের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ ওয়াকির্দীও অনুরুপ বর্ণনা


[بَابُ مَوْلِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] [تَارِيخُ وَمَكَانُ وِلَادَتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] وُلِدَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَامُهُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، لِمَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي صَحِيحِهِ مِنْ حَدِيثِ غَيْلَانَ بْنِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ «أَنَّ أَعْرَابِيًّا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا تَقُولُ فِي صَوْمِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ؟ فَقَالَ: ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيهِ، وَأُنْزِلَ عَلَيَّ فِيهِ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي عِمْرَانَ عَنْ حَنَشٍ الصَّنْعَانِيِّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَاسْتُنْبِئَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَخَرَجَ مُهَاجِرًا مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَقَدِمَ الْمَدِينَةَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَتُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَرَفَعَ الْحَجَرَ الْأَسْوَدَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَرَوَاهُ ابْنُ عُفَيْرٍ، وَابْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، وَزَادَ: وَنَزَلَتْ سُورَةُ الْمَائِدَةِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ} [المائدة: 3] وَهَكَذَا رَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ مُوسَى بْنِ دَاوُدَ بِهِ، وَزَادَ أَيْضًا: وَكَانَتْ،
পৃষ্ঠা - ১৪৬৭
وَقْعَةُ بَدْرٍ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَمِمَّنْ قَالَ هَذَا يَزِيدُ بْنُ حَبِيبٍ. وَهَذَا مُنْكَرٌ جِدًّا قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَالْمَحْفُوظُ أَنَّ بَدْرًا وَنُزُولَ {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ} [المائدة: 3] يَوْمُ الْجُمُعَةِ، وَصَدَقَ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَرَوَى عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَتُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَهَكَذَا رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ وَلِدَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ. وَهَذَا مَا لَا خِلَافَ فِيهِ أَنَّهُ وُلِدَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَأَبْعَدَ بَلْ أَخْطَأَ مَنْ قَالَ: وُلِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِسَبْعَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ. نَقَلُهُ الْحَافِظُ ابْنُ دِحْيَةَ فِيمَا قَرَأَهُ فِي كِتَابِ إِعْلَامِ الْوَرَى بِأَعْلَامِ الْهُدَى لِبَعْضِ الشِّيعَةِ، ثُمَّ شَرَعَ ابْنُ دِحْيَةَ فِي تَضْعِيفِهِ وَهُوَ جَدِيرٌ بِالتَّضْعِيفِ; إِذْ هُوَ خِلَافُ النَّصِّ، ثُمَّ الْجُمْهُورُ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ فَقِيلَ: لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْهُ قَالَهُ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ فِي الِاسْتِيعَابِ، وَرَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ نَجِيحِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَدَنِيِّ، وَقِيلَ: لِثَمَانٍ خَلَوْنَ
পৃষ্ঠা - ১৪৬৮

হুমায়দী ইবন হাষম থেকে ৮ তারিখের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ মালিক, আকীল ও ইউনুস
ইবন ইয়াযীদ প্রমুখ যুহরী মুহাম্মদ ইবন জুবায়র ইবন ঘুৎইম সুত্রে এই অভিমত বর্ণনা
করেছেন ৷ ইবন আবদুল বার বর্ণনা করেছেন যে , ঐতিহাসিকগণ এই অভিমতকে সঠিক বলে
সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ৷ হাফিয মুহাম্মদ ইবন মুসা আলখাওয়ারেযমী এই অভিমতটি অকাট্য বলে
দাবি করেছেন ৷ হাফিয আবুল খাত্তাব ইবন দিহইয়া তার অ্যাত তানভীর ফী মাওলিদিল
বাশীরিন নাযীর’ গ্রন্থে এই অভিমতকে প্রাধান্য দিয়েছেন ৷ কারও কারও মতে, রবিউল আউয়াল
মাসের দশ তারিখ ৷ ইবন দিহইয়া তার কিভাবে এই অভিমত উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইবন আসাকির
আবু জাফর অড়াল-ৰাকির থেকে এবং মুজান্সিদ (র) শাবী থেকে এই অভিমত উদ্ধৃত করেছেন ৷
কারও কারও মতে রবিউল আউয়াল মাসের বার তারিখ ৷ ইবন ইসহাক এ অভিমতের পক্ষে
সুস্পষ্ট বক্তব্য পেশ করেছেন ৷

ইবন আবু শায়বা তার মুসান্নাফ গ্রন্থে হযরত জাবির (রা) এবং ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেছেন যে, তারা বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) হাতির ঘটনার বহর রবিউল আউয়াল মাসের
আঠার তারিখ সােমবারে জন্মগ্রহণ করেন ৷ এই দিলেই তিনি নবুওত লাভ করেন ৷ এই দিলেই
তার মিরাজের ঘটনা সংঘটিত হয়, এই দিলেই তিনি হিজরত করেন এবং এই দিলেই র্তার
ওফাত হয় ৷ জমহুরের নিকট এই অভিমতই প্রসিদ্ধ ৷ আল্লাহই সম্যক জ্ঞাত ৷

কারও কারও মতে , রবিউল আউয়ড়ান্সের সতের তারিখ ৷ ইবন দিহইয়া কোন কোন শিয়া
আলিম থেকে এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ কেউ কেউ বলেন, রবিউল আউয়ালের ৮ দিন বাকী
থাকতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ ইবন দিহইয়া ইবন হাষম থেকে এই অভিমত উদ্ধৃত করেছেন ৷
তবে ইবন হাষম থেকে বিশুদ্ধভাবে বর্ণিত দুটি মতের বিশুদ্ধতর প্রথমটি হচ্ছে নবী করীম
(না)-এর জন্ম রবিউল আউয়ালের আট তারিখে ৷ তা থােক বর্ণিত দ্বিতীয় অভিমতটি হচ্ছে এই
যে, রাসুলুল্পাহ (সা) রমযান সালে জন্মগ্রহণ করেছেন ৷ এটি অত্যন্ত গরীব পর্যায়ের বর্ণনা ৷ এই
অভিমতের ভিত্তি এই যে, যেহেতু সর্বসষ্মত মতে কোনও এক রমযান মাসে নবী করীম
(সা)-এর প্ৰতি প্রথম ওহী নাযিল হয় আর তা ছিল তার চল্লিশ বছর বয়সে, কাজেই তার জন্মও
রমযান মাসেই হয়ে থাকবে ৷ তবে এই অভিমতটিতে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে ৷

খায়হামা ইবন সুশায়মান ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুন্নাহ (সা)
রবিউস্ মাসে সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করেন ৷ রৰিউস্ আউয়াল মাসের শুরুর দিকে সোমবার
তিনি নৰুওত লাভ করেন এবং ঐ মাসেবহ সোমবার তার প্ৰতি সুরা বাকারা নাযিল হয় ৷ ইবন
আসাক্কিন্নেব এ বর্ণনা অত্যত গন্নীব পর্যায়ের ৷ য়ুবন্মেৱ ইবন বাৰ্াব বলেন, নর্ষী করীম (না)-যে
তার মা আর্বী তাণিচ্বব পিরিসশ্ক্টে ৰিতাব দামবাব নিকটে আ’হ্মামে তাপ্যাষ্কে পর্বে ধারণ
করেন এবং রমযান মস্কো বাব তারিখে তিনি সেই বাত্রীত্বেই স্থুমিষ্ঠ যা, যা পরবর্তীতে মোঃ
ইবন মৈং এৰ্৷ ডাই শোব রৈব জ্যো-এব বাড়ি বসে মোঃ হয় ৷

যআি ইবন আনাকাি৷ বর্ণনা করেন যে, ৰাসুলুক্সাহ (না) ন্তোক্রোব দশ তারিঃখ মোঃ
প্র্তে প্লো এবং মোঃ মস্কো বাব তান্ধিথে সোমবার মোঃ অ্যাং ৷ এটি ছিল যতীন
ম্পো ২৩তম বছরে ৷ বথিং আছে যে, লীেহ্মা স্ফো রশীদ এর মা মোঃ শ্লে হস্কো


مِنْهُ. حَكَاهُ الْحُمَيْدِيُّ عَنِ ابْنِ حَزْمٍ، وَرَوَاهُ مَالِكٌ وَعُقَيْلٌ وَيُونُسُ بْنُ يَزِيدَ وَغَيْرُهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ. وَنَقَلَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ عَنْ أَصْحَابِ التَّارِيخِ أَنَّهُمْ صَحَّحُوهُ، وَقَطَعَ بِهِ الْحَافِظُ الْكَبِيرُ مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْخُوَارِزْمِيُّ، وَرَجَّحَهُ الْحَافِظُ أَبُو الْخَطَّابِ ابْنُ دِحْيَةَ فِي كِتَابِهِ التَّنْوِيرِ فِي مَوْلِدِ الْبَشِيرِ النَّذِيرِ. وَقِيلَ: لِعَشْرٍ خَلَوْنَ مِنْهُ نَقَلَهُ ابْنُ دِحْيَةَ فِي كِتَابِهِ، وَرَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ، وَرَوَاهُ مُجَالِدٌ عَنِ الشَّعْبِيِّ كَمَا مَرَّ، وَقِيلَ: لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْهُ نَصَّ عَلَيْهِ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَرَوَاهُ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ فِي مُصَنَّفِهِ عَنْ عَفَّانَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ مِينَا عَنْ جَابِرٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُمَا قَالَا: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ الثَّانِي عَشَرَ مِنْ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَفِيهِ بُعِثُ، وَفِيهِ عُرِجَ بِهِ إِلَى السَّمَاءِ، وَفِيهِ هَاجَرَ، وَفِيهِ مَاتَ. وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ عِنْدَ الْجُمْهُورِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقِيلَ: لِسَبْعَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْهُ كَمَا نَقَلَهُ ابْنُ دِحْيَةَ عَنْ بَعْضِ الشِّيعَةِ، وَقِيلَ: لِثَمَانٍ بَقِينَ مِنْهُ. نَقَلَهُ ابْنُ دِحْيَةَ مِنْ خَطِّ الْوَزِيرِ أَبِي رَافِعٍ ابْنِ الْحَافِظِ أَبِي مُحَمَّدِ ابْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ وَالصَّحِيحُ
পৃষ্ঠা - ১৪৬৯
عَنِ ابْنِ حَزْمٍ الْأَوَّلُ; أَنَّهُ لِثَمَانٍ مَضَيْنَ مِنْهُ. كَمَا نَقَلَهُ عَنْهُ الْحُمَيْدِيُّ وَهُوَ أَثْبَتُ. وَالْقَوْلُ الثَّانِي; أَنَّهُ وُلِدَ فِي رَمَضَانَ نَقَلَهُ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ بَكَّارٍ، وَهُوَ قَوْلٌ غَرِيبٌ جِدًّا وَكَانَ مُسْتَنَدُهُ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أُوحِيَ إِلَيْهِ فِي رَمَضَانَ بِلَا خِلَافٍ، وَذَلِكَ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً مِنْ عُمُرِهِ فَيَكُونُ مَوْلِدُهُ فِي رَمَضَانَ. وَهَذَا فِيهِ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى خَيْثَمَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْحَافِظُ عَنْ خَلَفِ بْنِ مُحَمَّدٍ كُرْدُوسٍ الْوَاسِطِيِّ عَنِ الْمُعَلَّى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَأُنْزِلَتْ عَلَيْهِ النُّبُوَّةُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ فِي أَوَّلِ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَأُنْزِلَتْ عَلَيْهِ الْبَقَرَةُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ حَمَلَتْ بِهِ أُمُّهُ فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ فِي شِعْبِ أَبِي طَالِبٍ عِنْدَ الْجَمْرَةِ الْوُسْطَى، وَوُلِدَ بِمَكَّةَ بِالدَّارِ الْمَعْرُوفَةِ بِمُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ أَخِي الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ.
পৃষ্ঠা - ১৪৭০

াৰুন্তুলোঃ তংআেণ্ল্লীন্ক্ত বহ্ন্ধিটিংক৷ ল্টোদ পত্বিপাতকঢোগ্মন্ত্যদশ ৰুহ্রতো ৷ প্লক্সউস্ফোটোভৌরােড়িটি
াস্ফোব্লইজ্যোপ্রেরিঃট্ত তো৷ র্চিা৷ব্রই চ,ল্গু

ৰু৷ জুইযিলীন্আঃলর্কালন্৷ লাসুললাল (সী) এলংলন্ন্৷ ৷ইল লনোং ওথ৷ এপ্রিক্ষো ৷র্বৃণ্
র্তীযিধোশ্লেফ্রীালহাঅ্যাংম্ল স্পোত্তুল ঢিকিখোক সলশোচ্৷ র্ড লোঃপুল^৷ ৰু
ংন্নাম্ভীতাঃ ফ্রীৰ্লফ্রীালল ঐরজ্জ্বক্তাম্ভ ৷ললশিংহুলপ্সন্টোললোঃ ন্প্ং ন্ৰু ৰু ন্ ৰু ভু-গ্লুন্ ট্রুর্দুৰুট্রু ভু

ন্ত্রা৷ঢ়ন্তী ন্শ্১^ন্ন্রু ৷ণ্ান্ ,ফু ? ৷
স্পো,ৰু ট্রহুষ্টুনলোঃ সহুবচুৰুন্ব কুকুাশু বাসুক্ষাং (ৰুসৃতৃ)স্মি এব্লু জন্মের ঘৃৰুটনচিঘইটছিল্ হড়ী ,,
া ৷হ্ আক্রমভ্রুণরুবস্ফু ৷ জমহ্ব্রেৱ ন্৷ কটএটুাই প্রসিদ্ধৃ অ্ ভিম্তু৷ ছুববাহীম ইবনু মুনষিব







,, স্পে ন্ত্যা ড্রুল সুক্ষ্মাহ্(র্বুসা) (“য় হ্স্তীশুবুত্রু, ,ন্, যচ্াবুবছুব জনুঘেহুণ্কবেছেন এবৃহ্র, এব্চছিশ
বছরের মাথায় নবুওত লাভ করেছেন, তাতে আমাদের আলিমগভ্রুণ্ব্ কাব্লুও ক্লোনুও ধুবুছুায়
নেই ৷ বায়হাকী ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সী)
স্খাখাংর্নীন্অ্যাংম্বীইর্য অ্যাংর্ভহীক্রীছো ৷ লোঃইজ্বইখির্টার্ণর্নীর্কভৈর্কী ঘে, কগ্নিঙ্গী ইবন
অ্যাংঅ্যাংলোঃঅ্যাংলোঃঅ্যাংশ্হ্ লোঃলোঃলল লট্যাং লইর অ্যাংইণ কাল ৷
জ্যাক্কল জললোঃখ্যাঃ ৷ ঞ্জোাল ৷লা) ল’নী ছু য়ীপুর স্থলল লালই মোঃল স্কুলাঙ্কুছু স্থলন্
ন্লাশ্স্থিলোঃল অ্যাংালবৈছিলোঃ আলনিঃ বল, ন্া৷কি লাসুলুলাছু র্ভুসার্টু লড়ৰু ললাগুল ৰুর্তিনি
বললেন, বড় তো রাণ্টাল্লীই সৈাশুৰুই ৷ প্তধে র্তীামি তার তার্ণে ৰুদৃসিয়াভৈ এপৌট্ ৷ ইস্তীৰীর্হিনীর
ন্ ধ্বংসলীলা আমি মোঃ দেগ্রাছি ৮ইন্ডো ইলোঃঅ্যাং ট্যাংমোঃ মোঃ রাম্নোচ্ছে:সো) এর
ণ্লন্সেৰুকাি রিঃ ষ্কেগ্র

ন্হুহীবীনইংহািল ল্যাংছু লোঃলল প্যুহ্লল লটল৷ ইউর্বিল৷ ৷ইিল্পীাল লমোঃ কাি ললৰু লধ্ সংললশু
ইন্ত্রাকুার্কষ্কে লোঃলোঃষ্ণেললহুণঃঅ্যাংল লষ্ণেললব্ লল ৷ আল বালুললই ৷সা)
ৰুৰুলৰুল্গুভু শ্ণ্ন্লণ্ ষ্লস্পোন্ন্নোংলাণ্াল ৷;লছব্ পল ৷ র্মুইালঈ ইললন্তিদুলালল ইলন
ংদ্বুতইৰুমণ্ংন্বল্লোস্পংসৌং লললাংথিংলমোঃলোঃ লালধ্ ৰ্হুল লহৃা ৷ লষ্াবুল৷ লাক্টনিলাণ্া
ইট্টোছা“উর্কীধেব ক্ষাংন্হুাছইব্লিপ্ারৈ ৷ অ ৷রু লাসুলুলাহুলৰুগুৎ লীভ লাফ্রী কা ল পুর্নলোঃইধ্ব
লালয় লইল লোঃ

হাফিজ বায়হাকী বর্ণনা করেন যে, আবুল হওয়ায়রিছ বলেন, আমি শ্যুনছি যে, আবদুল

< লিলস্থলললললোঃললহুফ্রী ন্লৰু৷ নভুা৷ ই শীশু ৷হৃষ্ললা৷ন্াললজ্ঞাস্৷ র্কালছেন কুলাছ তুমি বড ধ্ না
ৰীপুছুলাইদ্বুক্ট্রড়াছুভুর্চুালোঃঅ্যাংন্ং ; ৰুষ্ঙুদ্হ(সাটু আছুটু৷ অপেক্ষ, অ্াৰুা,

ব ( § ৷;শ্ মোঃ মিঃ চ্ছুছুা৷ হ্রস্টিংছুাহ ছুসা)রুহাম্ভী হার্টনাব বছব্ল জন্যেহ্ণ করেছেন ৷ আিাব স্পষ্ট

আিাৰুাভ্রুদ্বুদ্বু,পুিরুয নিকট গিয়ে, দ্ড়িয়ােছুৰুলন্ ৷ আর

মনে আছে (য, আমার ,
ব্লান্নুস্থুল্লাহ্ৰুস্লো৷ জন্মেব্ ৷ম্রাথ্রাষ্ণুনুরওতলাড় করেনা

ইয়াকুব ইবন সুযিম্নোকপ্লিকত্নেনঅ্যাং দুঃমোঃপাকেলোঃান্নমোঃট্র আঃলোঃহ

সােষ্ট্রমোঃস্ফোফৌ ৷ সৌং ক্লীট্যাং ষ্ৰ,ন্তেহুঅ্যাং লোঃা; ব্লোঃাস্তীসঃক্ষ্য £য; সৃামোঃ ইবন

খ্যাঃ;ন্সা দ্বা৷হুর্ক মোঃরুসৌংমোঃ মোঃাৱজ্যি৷ মোঃজ্জ্বা৷;ক্ষাং রায়ুলোঃ (ন্স্রা)ণ্ৰুএ্যা দু ’জ্জরর
মোঃা;দ্যোক্রোজ্বব্লল্দো লোঃলোঃলোঃক্তাত্নীব্ল লোঃষ্কে ব্লক্রোছেঃম্ভা;৷ লোঃণ










وَرَوَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عُقْبَةَ بْنِ مُكْرَمٍ عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ شَرِيكٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: حُمِلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَاشُورَاءَ الْمُحَرَّمِ، وَوُلِدَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ، سَنَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ مِنْ غَزْوَةِ أَصْحَابِ الْفِيلِ. وَذَكَرَ غَيْرُهُ أَنَّ الْخَيْزُرَانَ، وَهِيَ أَمُّ هَارُونَ الرَّشِيدِ لَمَّا حَجَّتْ أَمَرَتْ بِبِنَاءِ هَذِهِ الدَّارِ مَسْجِدًا فَهُوَ يُعْرَفُ بِهَا الْيَوْمَ. وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ أَنَّ مَوْلِدَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ كَانَ فِي الْعِشْرِينَ مِنْ نِيسَانَ. وَهَذَا أَعْدَلُ الْأَزْمَانِ وَالْفُصُولِ، وَذَلِكَ لِسَنَةِ اثْنَتَيْنِ وَثَمَانِينَ وَثَمَانِمِائَةٍ لِذِي الْقَرْنَيْنِ فِيمَا ذَكَرَ أَصْحَابُ الزِّيجِ، وَزَعَمُوا أَنَّ الطَّالِعَ كَانَ لِعِشْرِينَ دَرَجَةً مِنَ الْجَدْيِ وَكَانَ الْمُشْتَرِي وَزُحَلُ مُقْتَرِنَيْنَ فِي ثَلَاثِ دَرَجٍ مِنَ الْعَقْرَبِ، وَهِيَ دَرَجَةٌ وَسْطَ السَّمَاءِ وَكَانَ مُوَافِقًا مِنَ الْبُرُوجِ الْحَمَلَ وَكَانَ ذَلِكَ عِنْدَ طُلُوعِ الْقَمَرِ أَوَّلَ اللَّيْلِ. نَقَلَهُ كُلَّهُ ابْنُ دِحْيَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مَوْلِدُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَامَ الْفِيلِ. وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ عَنِ الْجُمْهُورِ. قَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ: وَهُوَ الَّذِي لَا يَشُكُّ فِيهِ أَحَدٌ مِنْ عُلَمَائِنَا أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وُلِدَ عَامَ الْفِيلِ، وَبُعِثَ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً مِنَ الْفِيلِ.
পৃষ্ঠা - ১৪৭১
وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي الْمُطَّلِبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ قَالَ: وُلِدْتُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ، كُنَّا لِدَيْنِ، قَالَ: وَسَأَلَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قُبَاثَ بْنَ أُشْيَمٍ أَخَا بَنِي يَعْمُرَ بْنِ لَيْثٍ: أَنْتَ أَكْبَرُ أَمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْبَرُ مِنِّي، وَأَنَا أَقْدَمُ مِنْهُ فِي الْمِيلَادِ، وَرَأَيْتُ خَذْقَ الْفِيلِ أَخْضَرَ مُحِيلًا وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالْحَاكِمُ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ عُكَاظٍ ابْنَ عِشْرِينَ سَنَةً. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ كَانَ الْفُجَّارُ بَعْدَ الْفِيلِ بِعِشْرِينَ سَنَةً وَكَانَ بِنَاءُ الْكَعْبَةِ بَعْدَ الْفُجَّارِ بِخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً وَالْمَبْعَثُ بَعْدَ بِنَائِهَا بِخَمْسِ سِنِينَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ: كَانَتْ عُكَاظُ بَعْدَ الْفِيلِ بِخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَبِنَاءُ الْكَعْبَةِ بَعْدَ عُكَاظٍ بِعَشْرِ سِنِينَ وَالْمَبْعَثُ بَعْدَ بِنَائِهَا بِخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ১৪৭২

করেন ৷ এর পরের বছর পর অনুষ্ঠিত হয় উকায মেলা ৷ পচিশ বছর পর কাবা পুনঃনির্মিত
হয় ৷ চল্লিশ বছরের মাথায় নবী করীম (সা) নবৃওত লাভ করেন ৷

সারকথা, জমহুর-এর অভিমত অনুযায়ী রাসুলুল্লাহ (সা) হস্তির ঘটনার বছর জন্মগ্রহণ
করেছেন ৷ কারও মতে হস্তির ঘটনার একমাস পরে ৷ কারও মতে চল্লিশব্ক্ত দিন পরে, অপর কারও
মতে পঞ্চাশ দিন পরে ৷ পঞ্চাশ দিনের অভিমতই সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ৷

আবু জাফর বাকের (র) থেকে বর্ণিত যে, হস্তি বাহিনীর আগমনের ঘটনা ঘুহাববমের মধ্য
ভাগে ঘটেছিল আর রাসুসুল্লাহ (না)-এর জন্মের ঘটনা ঘটে তার পঞ্চান্ন দিন পরে ৷ অন্যরা
বলেন, না বরং হন্তির ঘটনা ঘটেছে রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্মের দশ বছর আগে ৷ ইবন আবৃযা
এরুপ বলেছেন ৷ কারও কারও মতে, ৫তইশ বছর আগে ৷ কেউ কেউ বলেছেন, ত্রিশ বছর
পরে ৷ মুসা ইবন উকবা যুহরী থেকে এই অভিমত ব্যক্ত করেন এবং তিনি ওই অভিমত সমর্থনও
করেছেন ৷ আবু যড়াকড়ারিয়া আজলানী বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্ম হস্তির ঘটনার চল্লিশ বছর
পরের ঘটনা ৷ ইবন আসাকিরের এই বন্নাি অত্যন্ত পরীব পর্যায়ের ৷ ইবন আব্বাস (না) থেকে
একটি বর্ণনা আছে যে, তিনি বলেছেন রাসুলুল্লাহ (সা) হস্তির ঘটনার পনের বছর আগে
জন্মগ্রহণ করেন ৷ তবে এই বর্ণনাটি গরীব, মুনকড়ার ও দুর্বল ৷ তবে রড়াসুলুল্লাহ (সা) এর জন্ম
হস্তির ঘটনার বছরে হওয়ার বিষয়টি প্রায় সর্বসষ্মত ৷


وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ الْمَدِينِيِّ حَدَّثَنَا الزُّبَيْرُ بْنُ مُوسَى عَنْ أَبِي الْحُوَيْرِثِ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ يَقُولُ لِقُبَاثِ بْنِ أُشْيَمٍ الْكِنَانِيِّ ثُمَّ اللَّيْثِيِّ: يَا قُبَاثُ أَنْتَ أَكْبَرُ أَمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْبَرُ مِنِّي، وَأَنَا أَسَنُّ وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ، وَوَقَفَتْ بِي أُمِّي عَلَى رَوْثِ الْفِيلِ مُحِيلًا أَعْقِلُهُ. وَتُنُبِّئَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا نُعَيْمٌ يَعْنِي ابْنَ مَيْسَرَةَ عَنْ بَعْضِهِمْ عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ أَنَّهُ قَالَ: أَنَا لِدَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وُلِدْتُ عَامَ الْفِيلِ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ أَنَّهُ قَالَ: أَنَا أَصْغَرُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَنَتَيْنِ قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ النَّوْفَلِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ قَالَ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ، وَكَانَتْ بَعْدَهُ عُكَاظٌ بِخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَبُنِيَ الْبَيْتُ عَلَى رَأْسِ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً مِنَ الْفِيلِ، وَتَنَبَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً مِنَ الْفِيلِ.
পৃষ্ঠা - ১৪৭৩
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُلِدَ عَامَ الْفِيلِ، عَلَى قَوْلِ الْجُمْهُورِ. فَقِيلَ: بَعْدَهُ بِشَهْرٍ، وَقِيلَ: بِأَرْبَعِينَ يَوْمًا، وَقِيلَ: بِخَمْسِينَ يَوْمًا وَهُوَ أَشْهَرُ، وَعَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ كَانَ قُدُومُ الْفِيلِ لِلنِّصْفِ مِنَ الْمُحَرَّمِ، وَمَوْلِدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَهُ بِخَمْسٍ وَخَمْسِينَ لَيْلَةً. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ كَانَ عَامُ الْفِيلِ قَبْلَ مَوْلِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَشْرِ سِنِينَ قَالَهُ ابْنُ أَبْزَى. وَقِيلَ: بِثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً رَوَاهُ شُعَيْبُ بْنُ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَقِيلَ: بَعْدَ الْفِيلِ بِثَلَاثِينَ سَنَةً قَالَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَاخْتَارَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَيْضًا رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَالَ أَبُو زَكَرِيَّا الْعَجْلَانِيُّ: بَعْدَ الْفِيلِ بِأَرْبَعِينَ عَامًا رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا، وَأَغْرَبُ مِنْهُ مَا قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ حَدَّثَنِي شُعَيْبُ بْنُ حَيَّانَ عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَبِي عَمْرٍو عَنِ الْكَلْبِيِّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ الْفِيلِ بِخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ، وَمُنْكَرٌ، وَضَعِيفٌ أَيْضًا قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ وَالْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ أَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وُلِدَ عَامَ الْفِيلِ.
পৃষ্ঠা - ১৪৭৪

রন্সুলুন্নাহ (সা) এর জন্মের বিবরণ

আমরা পুর্বে উল্লেখ করে এসেছি যে, আবদুস মুত্তাশির পুত্র আবদুরাহকে মরেহ করার
মান্নত করে পরে আরঘোই ৰ্স্খান্ব তার পরিবর্তে একপত উট যৰেহ করেন ৷ কারণ, মহান
অল্লেস্ফো আঅপাে নির্ধারণ মোতাবেক আশুয়াংর মৈং সমগ্র আদম সঙ্কানের সরদার সর্বশেম
রাসুদ ও fl! নর্ষীর আর্বিঙ্কার পুর্বেই নির্ধারিত করে ন্নেখেহিদেন ৷ এরপর আবদুস মুতাসিম
র্তাৰে ষুৰাইশের এক মাড়াষ্ পরিবারে ষুব্দিমষ্ঠী ৰিচক্ষণ কন্য আযিনা ৰিনতে ওহৰ্ (ইবন
আরদে মড়ানড়াফ্ ইবন বাহবা)-এর সঙ্গে বিবাহ দেন ৷ তাদের মিপন্মো পর রড়াসুসুল্লাহ (সা)
আমিনার পর্তে আসেন ৷ বনাবাহন্য, ওরকো ইবন নজ্যো বোন উত্তর কিতাব রকৌকা ৰিনতে
নওফ্স আমিনার সঙ্গে মিলনের পুর্বে আব্দুল্লাহর লশাটে নুর দেখতে পেয়েছিলেন ৷ ফলে তিনি
উক্ত নুরের হেয়াে লাভ করতে উদগ্রীব হয়ে পড়েন ৷ কারণ তিনি তার ডাই-এর নিকট শুনতে
পেয়েছিলেন যে, মুহাম্মদ নামক একজন নবী আবির্ভুত হবেন এবং সে সময়টি আসন্ন ৷ তাই
তিনি আবদুল্লাহর সাথে মিলনের জন্য, মতাস্তরে বিবাহের জন্য নিজেকে পেশ করেন ৷ বিবাহের
প্রস্তাবের কথাই সমধিক প্রসিদ্ধ ৷ কিস্তু আবদুল্লাহ সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ৷ পরবর্তীতে সেই
নুর আমিনার মধ্যে স্থানান্তরিত হলে ওরাকা ইবন নওফলের বোনের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করার জন্য
আবদুল্লাহ অনেকটা বিরত বোধ করেন ৷ এবার তিনি নিজে অনুরুপ প্রস্তাব দিলে মহিলাটি বলে
এখন আর তোমাকে দিয়ে আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷ তখন সে সৌভাপ্য থেকে বঞ্চিত
হওয়ায় অড়াক্ষেপ করে এবং অত্যন্ত উচুমানেব কয়েকটি পংক্তি আবৃত্তি করে ৷ উল্লেখ যে, এভাবে
চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার ব্যাপারটি রাসুলুল্লাহ (না)-এর কারণেই ঘৰুটছিল, আব্দুল্লাহর জন্য
নয় ৷ আল্লাহ তাআলা বলেন :

“রাসুল কাকে বানাবেন, আল্লাহ নিজেই তা ভালো জানেন ৷ ”

ইতিপুর্বে এ মর্মে একটি হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন যে, অবৈধ
মিলনে নয় বৈবাহিক বন্ধন থেকেই তিনি জন্মলাভ করেছেন ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় তার পিতা আবদুল্লাহ ইস্তিকাল করেন ৷ এটাই
প্রসিদ্ধ অভিমত ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ বর্ণনা করেন যে, আইয়ুব বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আবদুল
মুত্তাণিব কুরায়শ-এর এক বণিক কাফেলার সঙ্গে সিরিয়ার গাজা অঞ্চলে যান ৷ বাণিজ্য শেষে
ফেরার পথে মদীনা পৌছলে আবদুল্লাহ অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ ফলে তিনি তার মাতুলগােষ্ঠী বনী
আদী ইবন নাজ্জার-এর কাছে থেকে যান এবং তাদের নিকট অসুস্থ অবস্থায় এক মাস অবস্থান
করেন ৷ সঙ্গীরা মক্কা পৌছলে আবদুল মুত্তাসিব পুত্রের কথা জানতে চাইলে তারা বলে, র্তাকে


[صِفَةُ مَوْلِدِهِ الشَّرِيفِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] صِفَةُ مَوْلِدِهِ الشَّرِيفِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ قَدْ تَقَدَّمُ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ لَمَّا ذَبَحَ تِلْكَ الْإِبِلَ الْمِائَةَ عَنْ وَلَدِهِ عَبْدِ اللَّهِ حِينَ كَانَ نَذَرَ ذَبْحَهُ فَسَلَّمَهُ اللَّهُ تَعَالَى; لِمَا كَانَ قُدِّرَ فِي الْأَزَلِ مِنْ ظُهُورِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاتَمِ الرُّسُلِ، وَسَيِّدِ وَلَدِ آدَمَ مِنْ صُلْبِهِ فَذَهَبَ كَمَا تَقَدَّمَ فَزَوَّجَهُ أَشْرَفَ عَقِيلَةٍ فِي قُرَيْشٍ، آمِنَةَ بِنْتَ وَهْبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ زُهْرَةِ الزُّهْرِيَّةَ فَحِينَ دَخَلَ بِهَا، وَأَفْضَى إِلَيْهَا حَمَلَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ كَانَتْ أُمُّ قَنَّالٍ رُقَيْقَةُ بِنْتُ نَوْفَلٍ أُخْتُ وَرَقَةَ بْنِ نَوْفَلٍ تَوَسَّمَتْ مَا كَانَ بَيْنَ عَيْنَيْ عَبْدِ اللَّهِ قَبْلَ أَنْ يُجَامِعَ آمِنَةَ مِنَ النُّورِ فَوَدَّتْ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ مُتَّصِلًا بِهَا لِمَا كَانَتْ تَسْمَعُ مِنْ أَخِيهَا مِنَ الْبِشَارَاتِ بِوُجُودٍ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ قَدْ أَزِفَ زَمَانُهُ فَعَرَضَتْ نَفْسَهَا عَلَيْهِ. قَالَ بَعْضُهُمْ: لِيَتَزَوَّجَهَا وَهُوَ أَظْهَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَامْتَنَعَ عَلَيْهَا. فَلَمَّا انْتَقَلَ ذَلِكَ النُّورُ الْبَاهِرُ إِلَى آمِنَةَ بِمُوَاقَعَتِهِ إِيَّاهَا كَأَنَّهُ تَنَدَّمَ عَلَى مَا كَانَتْ عَرَضَتْ عَلَيْهِ فَتَعَرَّضَ لَهَا لِتُعَاوِدَهُ فَقَالَتْ: لَا حَاجَةَ لِي فِيكَ، وَتَأَسَّفَتْ عَلَى مَا فَاتَهَا مِنْ ذَلِكَ، وَأَنْشَدَتْ فِي ذَلِكَ مَا قَدَّمْنَاهُ مِنَ الشِّعْرِ الْفَصِيحِ الْبَلِيغِ، وَهَذِهِ الصِّيَانَةُ لِعَبْدِ اللَّهِ لَيْسَتْ لَهُ، وَإِنَّمَا هِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ১৪৭৫
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّهُ كَمَا قَالَ تَعَالَى {اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ} [الأنعام: 124] وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ الْمَرْوِيُّ مِنْ طَرِيقٍ جَيِّدٍ أَنَّهُ قَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ «وُلِدْتُ مِنْ نِكَاحٍ لَا مِنْ سِفَاحٍ» . وَالْمَقْصُودُ أَنَّ أُمَّهُ حِينَ حَمَلَتْ بِهِ تُوُفِّيَ أَبُوهُ عَبْدُ اللَّهِ وَهُوَ حَمْلٌ فِي بَطْنِ أُمِّهِ، عَلَى الْمَشْهُورِ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ هُوَ الْوَاقِدِيُّ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ الرَّبَذِيُّ وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ قَالَا: خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِلَى الشَّامِ إِلَى غَزَّةَ فِي عِيرٍ مِنْ عِيرَاتِ قُرَيْشٍ يُحَمِّلُونَهُ تِجَارَاتٍ فَفَرَغُوا مِنْ تِجَارَتِهِمْ، ثُمَّ انْصَرَفُوا فَمَرُّوا بِالْمَدِينَةِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَوْمَئِذٍ مَرِيضٌ فَقَالَ: أَتَخَلَّفُ عِنْدَ أَخْوَالِي بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ فَأَقَامَ عِنْدَهُمْ مَرِيضًا شَهْرًا، وَمَضَى أَصْحَابُهُ فَقَدِمُوا مَكَّةَ فَسَأَلَهُمْ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ عَنِ ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالُوا: خَلَّفْنَاهُ عِنْدَ أَخْوَالِهِ بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ وَهُوَ مَرِيضٌ فَبَعَثَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ أَكْبَرَ وَلَدِهِ الْحَارِثَ فَوَجَدَهُ قَدْ تُوُفِّيَ وَدُفِنَ فِي دَارِ النَّابِغَةِ فَرَجَعَ إِلَى أَبِيهِ فَأَخْبَرَهُ فَوَجَدَ عَلَيْهِ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ وَإِخْوَتُهُ وَأَخَوَاتُهُ وَجْدًا شَدِيدًا، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ حَمْلٌ، وَلِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَوْمَ تُوُفِّيَ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ১৪৭৬


অসুস্থ অবস্থায় তার মাতুলালয়ে রেখে এসেছি ৷ খবর শুনে আবদুল মুত্তালিব তার বড় ছেলে
হারিছকে প্রেরণ করেন ৷ হারিছ মদীনায় গিয়ে দেখেন, আবদুল্লাহর ইন্তিকাল হ্য়েছে এবং
দারুন্নাবিগায় র্তাকে দাফন করা হয়েছে ৷ তখন তিনি ফিরে এসে পিতাকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত
করেন ৷ সংবাদ শুনে পিতা আবদুল মুত্তালিব ও আবদুল্লাহর ভাই-বোনেরা শোকাহত হয়ে
পড়েন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তখন মায়ের গর্ভে ৷ মৃত্যুকালে আবদুল্লাহব্ল বয়স ছিল পচিশ বছর া

ওয়াকিদী বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে আবদুল্পাহর মৃত্যুর ব্যাপারে এটিই সর্বাপেক্ষা সঠিক
অভিমত ৷ তিনি বর্ণনা করেন যে, আবদুল মুত্তালিব আব্দুল্লাহকে খেজুর আনবার জন্য মদীনা
প্রেরণ করেছিলেন ৷ সেখানে তিনি ইন্তিকাল করেন ৷

মুহাম্মদ ইবন সাদ বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ (সা)এর বয়স যখন আটাশ মাস, তখন
তার পিতা আবদুল্লাহর মৃত্যু হয় ৷ কারও কারও মতে, তখন তার বয়স ছিল সাত মাস ৷ তবে
মুহাম্মদ ইবন সাদ-এর নিজের অভিমত হলো, আবদুল্লাহ মৃত্যুকালে রাসুলুল্লাহ (সা) মাতৃগর্ভে
ছিলেন ৷ যুবায়র ইবন বাক্কার-এর বর্ণনা মতে পিতার মৃত্যুকান্সে রাসুলুল্লাহ (সা) ছিলেন দুই
মাসের শিশু ৷ মায়ের মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল বার বছর আর যখন তার দাদার মৃত্যু হয়,
তখন তিনি আট বছরের কিশোর ৷ মৃত্যুকালে দাদা আবদুল মুত্তাশিব চাচা আবু তালিবের হাতে
তীর লালন-পালনের তার অর্পণ করে যান ৷ ওয়াক্ষিদী ও তার লিপিকার (ইবন সাদ) পিতার
মৃত্যুর সময় রাসুলুল্পাহ (সা) মায়ের গর্ভে ছিলেন ৷ এটিই এর্তীমত্বের উর্ধ্বতন স্তর ৷ এমর্মে
হাদীছ পুর্বেই উদ্ধৃত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “আমি গর্ভে থাকাবন্থায় আমার মা
স্বপ্নে দেখেন যে, যেন তার মধ্য থেকে একটি নুর বের হয়ে সিরিয়ার রাজপ্রাসাদসমুহ
আলোকিত করে ফেলেছে ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, আমিনা বিনতে ওহব নিজে বলতেন
যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তার গর্ভে থাকাকালে স্বপ্নে কে যেন তাকে বলে যায় , তুমি এই উম্মতের
সরদারকে গর্ভে ধারণ করেছ ৷ তিনি ভুমিষ্ঠ হলে তুমি বলবে, একে আমি সকল হিংসুকের অনিষ্ট
ও যাবতীয় বিপদাপদ থেকে এক আল্লাহর আশ্রয়ে সােপর্দ করছি ৷ কারণ প্ৰশংসার্দু আল্লাহর
নিকট তিনি মর্যাদাবান ৷ র্তার সঙ্গে এমন একটি নুর বের হবে, যা সিরিয়ার রাজপ্রাসাদ সমুহকে
আলোকিত করে ফেলবে ৷ ভুমিষ্ঠ হলে তুমি তার নাম রাখবে মুহাম্মদ, তাওরাতে তার নাম
আহমদ ৷ আকাশ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা তার প্রশংসা করে ৷ ইনজীলেও তার নাম আহমদ ৷
আর কুরআনে তার নাম মুহাম্মদ ৷

আমিনার স্বপ্ন সম্পর্কিত এই দুটি হাদীস প্রমাণ করে যে, তিনি স্বপ্নে দেখেছিলেন যেন তার
মধ্য হতে এমন একটি নুর বের হয়েছিল, যাতে সিরিয়ার প্রাসাদসমুহ আলোকিত হয়ে যায় ৷
অতঃপর নবী করীম (না)-এর জন্মের পর তিনি এই স্বপ্নের বাস্তবরুপ প্রত্যক্ষ করেন ৷

মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমিনা বিনতে ওহব
বলেছেন মুহাম্মদ আমার গর্ভে থাকাবন্থায় প্রসব পর্যন্ত তার জন্য আমি বিন্দুমাত্র কষ্ট অনুভব
করিনি ৷ প্রসবের সময় তার সঙ্গে একটি নুর বের হয়, যা পৃথিবীর পুর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সব
আলোকিত করে তোলে ৷ আমার মত থেকে বের হওয়াকালে তিনি উভয় হাতে মাটিতে ভর
দেন ৷ অতঃপর হাতে এক মুঠাে মাটি নিয়ে আসমানের দিকে উচু করেন ৷ কারো কারো মতে


قَالَ الْوَاقِدِيُّ: هَذَا هُوَ أَثْبَتُ الْأَقَاوِيلِ فِي وَفَاةِ عَبْدِ اللَّهِ وَسِنِّهِ عِنْدَنَا. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنِي مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بَعَثَ عَبْدَ اللَّهِ إِلَى الْمَدِينَةِ يَمْتَارُ لَهُمْ تَمْرًا فَمَاتَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: وَقَدْ أَنْبَأَنَا هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيُّ عَنْ أَبِيهِ، وَعَنْ عَوَانَةَ بْنِ الْحَكَمِ قَالَا: تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بَعْدَمَا أَتَى عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِيَةٌ وَعِشْرُونَ شَهْرًا، وَقِيلَ: سَبْعَةُ أَشْهُرٍ، وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: وَالْأَوَّلُ أَثْبَتُ؛ أَنَّهُ تُوُفِّيَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَمْلٌ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَسَنٍ عَنْ عَبْدِ السَّلَامِ عَنِ ابْنِ خَرَّبُوذَ قَالَ: تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بِالْمَدِينَةِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنُ شَهْرَيْنِ، وَمَاتَتْ أُمُّهُ وَهُوَ ابْنُ أَرْبَعِ سِنِينَ، وَمَاتَ جَدُّهُ وَهُوَ ابْنُ ثَمَانِ سِنِينَ فَأَوْصَى بِهِ إِلَى عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ وَالَّذِي رَجَّحَهُ الْوَاقِدِيُّ، وَكَاتِبُهُ الْحَافِظُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، تُوُفِّيَ أَبُوهُ وَهُوَ جَنِينٌ فِي بَطْنِ أُمِّهِ. وَهَذَا أَبْلَغُ الْيُتْمِ، وَأَعْلَى مَرَاتِبِهِ وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي الْحَدِيثِ «، وَرُؤْيَا أُمَّيِ الَّذِي رَأَتْ حِينَ حَمَلَتْ بِي كَأَنَّهُ خَرَجَ مِنْهَا نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ» وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فَكَانَتْ آمِنَةُ بِنْتُ وَهْبٍ أُمُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُحَدِّثُ أَنَّهَا
পৃষ্ঠা - ১৪৭৭
أُتِيَتْ حِينَ حَمَلَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقِيلَ لَهَا: إِنَّكِ قَدْ حَمَلْتِ بِسَيِّدِ هَذِهِ الْأُمَّةِ فَإِذَا وَقَعَ إِلَى الْأَرْضِ فَقُولِي: أُعِيذُهُ بِالْوَاحِدْ مِنْ شَرِّ كُلِّ حَاسِدْ فِي كُلِّ بَرٍّ عَامِدْ، وَكُلِّ عَبْدٍ رَائِدْ، نُزُولَ غَيْرِ ذَائِدْ، فَإِنَّهُ عَبْدُ الْحَمِيدِ الْمَاجِدْ حَتَّى أَرَاهُ قَدْ أَتَى الْمَشَاهِدْ. وَآيَةُ ذَلِكَ أَنَّهُ يَخْرُجُ مَعَهُ نُورٌ يَمْلَأُ قُصُورَ بُصْرَى مِنْ أَرْضِ الشَّامِ فَإِذَا وَقَعَ فَسَمِّيهِ مُحَمَّدًا فَإِنَّ اسْمَهُ فِي التَّوْرَاةِ أَحْمَدُ يَحْمَدُهُ أَهْلُ السَّمَاءِ وَأَهْلُ الْأَرْضِ، وَاسْمَهُ فِي الْإِنْجِيلِ أَحْمَدُ يَحْمَدُهُ أَهْلُ السَّمَاءِ وَأَهْلُ الْأَرْضِ، وَاسْمَهُ فِي الْقُرْآنِ مُحَمَّدٌ. وَهَذَا وَذَاكَ يَقْتَضِي أَنَّهَا رَأَتْ حِينَ حَمَلَتْ بِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَأَنَّهُ خَرَجَ مِنْهَا نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ، ثُمَّ لَمَّا، وَضَعَتْهُ رَأَتْ عِيَانًا تَأْوِيلَ ذَلِكَ كَمَا رَأَتْهُ قَبْلَ ذَلِكَ هَاهُنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ هُوَ الْوَاقِدِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ عَنْ أَخِيهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ ح، وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ১৪৭৮

রাসুলুল্পাহ (সা) দুই ছুাটুতে ভর করে হামাগুড়িরত অবস্থায় তুমিষ্ঠ হন ৷ আর তীর সঙ্গে এমন
একটি আলো নির্গত হয় যে, তার আলোতে সিরিয়ার রাজপ্রাসাদ ও হাট-বাজার সব আলোকিত
হয়ে যায় ৷ আমিনা বলেন, সেই আলোতে বসরার উটের ঘাড;সমুহ দৃশ্যমান হয়ে উঠে ৷ তখন

শিশু নবীর মাথা আসমানের দিকে উথিত ছিল ৷ বায়হাকী উছমান ইবন আবুল আস থেকে
বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেন, আমার যা আমাকে বলেন যে, আমিনা ৰিনতে ওহব শিশু নধীকে
প্রসবের সময় তিনি ঘটনাহলে উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি বলেন, যে রাতে আমিনার ঘরে আমি নুর
ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাইনি ৷ আমি দেখতে পেলাম, আকাশের তারকাগুলো যেন এসে
আমার পায়ের ওপর পড়ছে ৷

কাজী ইয়ায আবদুর রহমান ইবন আওফ এর মা শিফা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
শুনেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) দুই হাতে ভর করে ভুমিষ্ঠ হয়ে কেদে ওঠেন ৷ তখন আমি শুনতে
পেলাম, কেউ একজন বসে উঠলেন : “আল্লাহ আপনাকে রহম করুন” ৷ আর তার সঙ্গে এমন
এক আলো উদ্ভাসিত হয় যে, তাতে রোমের বৃাজপ্রাসাদসমুহ দৃশ্যমান হয়ে ওঠে ৷

মুহ্াষ্মঙ্গ ইবন ইসহ্াক বলেন, রাসুলুল্পাহ (সা) তুমিষ্ঠ হওয়ার পর আমিনা তার দাসী
মারফত আবদুল মুত্তালিবের নিকট খবর পাঠান ৷ স্বামী আবদুল্লাহ তো আমিনার অন্তঃসত্ত্বা
অবন্থায়ই মারা গিয়েছিলেন ৷ কথিত আছে যে, আবদুল্লাহ যখন মৃত্যুবরণ করেন , রাসুলুল্লাহ
(না) তখন আটাশ মাসের শিশু ৷ আর কোনটা সঠিক, তা আল্পাহই ভালো জানেন ৷

দাসী গিয়ে আবদুল মুত্তালিবকে বলে যে, দেখে আসুন, আপনার একটি নাতি হয়েছে ৷
আবদুল মুত্তালিব আমিনার নিকট আসলে আমিনা সব ঘটনা খুলে বলেন ৷ এই সন্তানের ,
ব্যাপারে তিনি স্বপ্নে কি দেখেছিলেন এবং তার কি নাম রাখতে আদিষ্ট হয়েছেন, তাও তিনি
ব্যক্ত করেন ৷ সব শুনে আবদুল মুত্তালিব রাসুলুল্পাহ (না)-কে নিয়ে কাবার অভ্যন্তরে হোবল
এর কাছে গিয়ে দাড়িয়ে তার জন্য দোয়া করেন এবং মহান আল্লাহর সমীপে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন
করে বলেন :





শ্৷ : ))¢ )




০ শ্ :ষ্ণ্

) :

;, ৷


جَعْفَرٍ الزُّهْرِيُّ عَنْ عَمَّتِهِ أُمِّ بَكْرٍ بِنْتِ الْمِسْوَرِ عَنْ أَبِيهَا، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمَدَنِيُّ، وَزِيَادُ بْنُ حَشْرَجٍ عَنْ أَبِي، وَجْزَةَ ح، وَحَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنْ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ ح، وَحَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - دَخَلَ حَدِيثُ بَعْضِهِمْ فِي حَدِيثِ بَعْضٍ - أَنَّ آمِنَةَ بِنْتَ وَهْبٍ قَالَتْ: لَقَدْ عَلِقْتُ بِهِ - تَعْنِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَمَا وَجَدْتُ لَهُ مَشَقَّةً حَتَّى وَضَعْتُهُ فَلَمَّا فَصَلَ مِنِّي خَرَجَ مَعَهُ نُورٌ أَضَاءَ لَهُ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ إِلَى الْمَغْرِبِ ثُمَّ وَقَعَ إِلَى الْأَرْضِ مُعْتَمِدًا عَلَى يَدَيْهِ، ثُمَّ أَخَذَ قَبْضَةً مِنَ التُّرَابِ فَقَبَضَهَا، وَرَفَعَ رَأَسَهُ إِلَى السَّمَاءِ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: وَقَعَ جَاثِيًا عَلَى رُكْبَتَيْهِ، وَخَرَجَ مَعَهُ نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ، وَأَسْوَاقُهَا حَتَّى رَأَيْتُ أَعْنَاقَ الْإِبِلِ بِبُصْرَى رَافِعًا رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ مُبَشِّرُ بْنُ الْحَسَنِ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عِمْرَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ أَبِي سُوَيْدٍ الثَّقَفِيِّ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ حَدَّثَتْنِي أُمِّي أَنَّهَا شَهِدَتْ، وِلَادَةَ آمِنَةَ
পৃষ্ঠা - ১৪৭৯
بِنْتِ وَهْبٍ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ وَلَدَتْهُ قَالَتْ: فَمَا شَيْءٌ أَنْظُرُ إِلَيْهِ فِي الْبَيْتِ إِلَّا نُورٌ، وَإِنِّي أَنْظُرُ إِلَى النُّجُومِ تَدْنُو حَتَّى إِنِّي لِأَقُولُ لَيَقَعْنَ عَلَيَّ. وَذَكَرَ الْقَاضِي عِيَاضٌ عَنِ الشِّفَاءِ أُمِّ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّهَا كَانَتْ قَابِلَتَهُ، وَأَنَّهَا أَخْبَرَتْ بِهِ حِينَ سَقَطَ عَلَى يَدَيْهَا، وَاسْتَهَلَّ سَمِعَتْ قَائِلًا يَقُولُ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ. وَإِنَّهُ سَطَعَ مِنْهُ نُورٌ رُئِيَتْ مِنْهُ قُصُورُ الرُّومِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا، وَضَعَتْهُ بَعَثَتْ إِلَى عَبْدِ الْمُطَّلِبِ جَارِيَتَهَا - وَقَدْ هَلَكَ أَبُوهُ، وَهِيَ حُبْلَى - وَيُقَالَ: إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ هَلَكَ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنُ ثَمَانِيَةٍ وَعِشْرِينَ شَهْرًا فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ - فَقَالَتْ: قَدْ وُلِدَ لَكَ اللَّيْلَةَ غُلَامٌ فَانْظُرْ إِلَيْهِ فَلَمَّا جَاءَهَا، أَخْبَرَتْهُ وَحَدَّثَتْهُ بِمَا كَانَتْ رَأَتْ حِينَ حَمَلَتْ بِهِ وَمَا قِيلَ لَهَا فِيهِ وَمَا أُمِرَتْ أَنْ تُسَمِّيَهُ فَأَخَذَهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَأَدْخَلَهُ عَلَى هُبَلَ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ فَقَامَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ يَدْعُو وَيَشْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، وَيَقُولُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَعْطَانِي ... هَذَا الْغُلَامَ الطَّيِّبَ الْأَرْدَانِ قَدْ سَادَ فِي الْمَهْدِ عَلَى الْغِلْمَانِ ... أُعِيذُهُ بِاللَّهِ ذِي الْأَرْكَانِ حَتَّى يَكُونَ بِلُغَةِ الْفِتْيَانِ ... حَتَّى أَرَاهُ بَالِغَ الْبُنْيَانِ أُعِيذُهُ مِنْ كُلِّ ذِي شَنَآنِ ... مِنْ حَاسِدٍ مُضْطَرِبِ الْعِنَانِ
পৃষ্ঠা - ১৪৮০


— সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি আমাকে পবিত্র আস্তিন এর অবািকারী এই শিশুটি
দান করেছেন ৷ আমার বাসনা, দােলনায় বসেই এই শিশু আর সব শিশুর ওপর কর্তৃতু করবে ৷
রুকন বিশিষ্ট ঘরের নিকট আমি এর জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করছি ৷ এই শিশুকে আমি যুবকদের
আদর্শরুপে পরিণত বয়সে দেখতে চাই ৷ সকল অনিষ্ট ও হিংসুকের ৰিদ্বেষ থেকে এর জন্য আমি
আশ্রয় চাই ৷ আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি উদ্ধত ফণাবিশিষ্ট চক্ষুবিহীন সর্প থেকে ৷ তুমিই (হে
আমার প্রিয় নাতি !) কুরআনে-মহান গ্রন্থসমুহে আহমদ নামে আখ্যায়িত এবং লোকজনেব
রসনড়ায় তোমার নামটি লিপিবদ্ধ রয়েছে ৷

বায়হাকী বর্ণনা করেন, ইবন আব্বাস (বা) তার পিতা আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) খ তনাকৃত ও নাড়ি কর্ভিত জন্মগ্রহণ করেন দেখে তার দাদা
আবদুল মুত্তান্সিব মুগ্ধ হয়ে যান এবং বলেন, উত্তরকালে আমার এই সত্তানটি যশস্বী হ্বে ৷
বাস্তবেও তাই হয়েছে ৷ এর বিশুদ্ধতা সন্দেহমুক্ত নয় ৷ অনুরুপ একটি বর্ণনা আবু নুয়ায়মেরও
রয়েছে ৷ কেউ কেউ একে বিশুদ্ধ এমন কি মুতাওয়াতির ণ্ন্ন্র্নড়াভ্রুয়র পর্যন্ত বলেছেন ৷ কিত্তু তাও
সন্সেহ্মুক্ত নয় ৷ ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, আনা’ঞ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন : “আল্লাহর নিকট আমার মর্যাদার একটি হলো এই যে, আমি খতনাকৃত অবস্থায়
জন্মলড়াভ করেছি এবং আমার লজ্জা স্থান কেউ দেখতে পড়ায়নি ৷”

হাফিজ ইবন আসাকির আবু বাকরাহ থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেন, জিবরীল (আ)
যখন নবী করীম (না)-এর বক্ষ বিদারণ (সীনা চাক) করেন, তখন তিনি তার খতনাও করেন ৷
এটা নিতান্ত গরীব পর্যায়ের ৷ অন্য এক সুত্রে বর্ণিত আছে, নবী করীম (না)-এর দাদা আবদুল
মুত্তালিব তার খাতনা করেন এবং সেই উপলক্ষে কুরাইশদেরকে দাওয়াত দিয়ে আখ্যায়িত
করেন ৷

বায়হাকী আবুল হাকাম তানুখী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কুরাইশদের সমাজে
নিয়ম ছিল যে, কোন সন্তান জন্ম হলে তারা নবজাতককে পরবর্তী ভোর পর্যন্ত কতিপয় কুরাইশ
মহিলাদের নিকট দিয়ে রাখত ৷ শিশুটিকে তারা পাথর নির্মিত ডেপ দিয়ে ঢেকে রাখতো ৷
রাসুলুল্লাহ (না) ভুমিষ্ঠ হলে নিয়ম অনুযায়ী আবদুল মুত্তালিব র্তাকেও সেই মহিলাদের হাতে
অর্পণ করেন ৷ মহিলারা তাকেও ডেগ দিয়ে ঢেকে রাখে ৷ ভোর হলে এসে তারা দেখতে পায়
যে, ডেগ ফেটে দ্বিখণ্ডিত হয়ে আছে আর শিশু মুহাম্মদ দু’চোখ খুলে বিক্ষারিত নয়নে আকাশের
দিকে তাকিয়ে আছেন ৷ মহিলারা দৌড়ে আবদুল মুত্তালিবের নিকট এসে বলে, কি আশ্চর্য,
এরুপ নবজাতক তো আমরা কখনও দেথিনি ৷ ভোরে এসে আমরা দেখতে পেলাম যে, ডেগ
ফেটে দ্বিখণ্ডিত হয়ে আছে আর সে চোখ র্দু’টো খুলে বিহ্মারিত নয়নে আকাশের দিকে তাকিয়ে
আছে! শুনে আবদুল মুত্তালিব বললেন, তাকে তোমরা হেফাজত কর, আমি আশা করি,
ভবিষ্যতে এই শিশু যশস্বী হয়ে কিৎবা বললেন, যে প্রচুর কল্যাণের অধিকারী হবে ৷ সপ্তম দিনে
আবদুল মুত্তালিব তার আকীকা করেন এবং কুরাইশদেরকে দাওয়াত করেন ৷ আহার শেষে
মেহমানরা বলল, আবদুল মুত্তালিব! যে সন্তানের উপলক্ষে আজকের এই নিমন্ত্রণের আয়োজন,
তার নাম কি রাখলে? আবদুল মুত্তালিব বললেন, আমি তার নাম মুহাম্মদ রেখেছি ৷ শুনে তারা
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৬২-


ذِي هِمَّةٍ لَيْسَ لَهُ عَيْنَانِ حَتَّى أَرَاهُ رَافِعَ اللِّسَانِ ... أَنْتَ الَّذِي سُمِّيتَ فِي الْفُرْقَانِ فِي كُتُبٍ ثَابِتَةِ الْمَثَانِي ... أَحْمَدَ مَكْتُوبًا عَلَى اللِّسَانِ وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ حَاتِمٍ الدَّارَبْجِرْدِيُّ بِمَرْوٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْبُوشَنْجِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو أَيُّوبَ سُلَيْمَانُ بْنُ سَلَمَةَ الْخَبَائِرِيُّ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَطَاءِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ زِيَادِ بْنِ الْحَارِثِ الصُّدَائِيُّ بِمِصْرَ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِيهِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَخْتُونًا مَسْرُورًا قَالَ: فَأَعْجَبَ جَدَّهُ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ وَحَظِيَ عِنْدَهُ، وَقَالَ: لَيَكُونَنَّ لِابْنِي هَذَا شَأْنٌ فَكَانَ لَهُ شَأْنٌ. وَهَذَا الْحَدِيثُ فِي صِحَّتِهِ نَظَرٌ وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمِصِّيصِيِّ عَنْ هُشَيْمٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِنْ كَرَامَتِي عَلَى اللَّهِ أَنِّي وُلِدْتُ مَخْتُونًا، وَلَمْ يَرَ سَوْءَتِي أَحَدٌ» ثُمَّ أَوْرَدَهُ مِنْ طَرِيقِ الْحَسَنِ بْنِ عَرَفَةَ عَنْ هُشَيْمٍ بِهِ، ثُمَّ أَوْرَدَهُ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمَانَ هُوَ الْبَاغَنْدِيُّ حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ১৪৮১
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَيُّوبَ الْحِمْصِيُّ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَبِي مُوسَى الْمَقْدِسِيُّ حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَسْرُورًا مَخْتُونًا. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْغِطْرِيفِيُّ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمَالِكِيُّ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سَلَمَةَ الْخَبَائِرِيُّ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَطَاءٍ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانٍ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِيهِ الْعَبَّاسِ قَالَ: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَخْتُونًا مَسْرُورًا فَأَعْجَبَ ذَلِكَ جَدَّهُ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ وَحَظِيَ عِنْدَهُ، وَقَالَ: لَيَكُونَنَّ لِابْنِي هَذَا شَأْنٌ فَكَانَ لَهُ شَأْنٌ. وَقَدِ ادَّعَى بَعْضُهُمْ صِحَّتَهُ لِمَا وَرَدَ لَهُ مِنَ الطُّرُقِ حَتَّى زَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ مُتَوَاتِرٌ، وَفِي هَذَا كُلِّهِ نَظَرٌ. وَمَعْنًى مَخْتُونًا أَيْ: مَقْطُوعَ الْخِتَانِ، وَمَسْرُورًا أَيْ: مَقْطُوعَ السُّرَّةِ مِنْ بَطْنِ أُمِّهِ. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُيَيْنَةَ الْبَصَرِيِّ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَائِنِيُّ السُّلَمِيُّ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ مُحَارِبِ بْنِ سَلْمِ بْنِ زِيَادٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ: أَنَّ جِبْرِيلَ خَتَنَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ
পৃষ্ঠা - ১৪৮২


বলল, পরিবারের অন্যদের নামের সঙ্গে মিল রেখে নাম রাখলেন না যে ৷ আবদুল মুত্তালিব
বললেন, আমার ইচ্ছা, আসমানে স্বয়ং আল্লাহ আর যমীনে তার সৃষ্টিকুল তার প্রশংসা করবেন ৷
ভাষাৰিদগণ বলেন, মুহাম্মদ কেবল র্তাষ্ককই বলা হয়ে থাকে, যিনি যাবতীয় মহৎ গুণের ধারক ৷
যেমন : করি বলেন-



— দুর হয়ে যাও, তুমি অভিশাপকে অস্বীকার করেছ ৷ আমি আমার গ্রাকে সর্বগুণে
গ্রুণৎসিত, সম্মানিত, আদরে শাসিত মর্যাদাবান মুহ্ষ্মদের উদ্দেশ্যে পরিচালিত করেছি ৷

কোন কোন আদিম বসেন,আল্লাহ ইনহাম করেছিলেন যে, তোমরা এর নাম রাখ মুহাম্মদ ৷
কারণ, এই শিশুর মধ্যে যাবতীয় মহৎগুণ বিদ্যমান ৷ যাতে নামে ও কাজে মিল হয় এবং যাতে
নাম ও নামকরণ আকারে ও তাংপর্যে সাযুজ্যপুর্ণ হয় ৷ যেমন নবীজি (না)-এর চাচা আবু তালিব
বলেন :

fl ষ্


,মর্যাদা দানের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তার জন্য নিজের নাম থেকে নাম যের করে এসেছেন ৷
আরশের অধিপতি আল্লাহর নাম মাহমুদ আর ইনি মুহাম্মদ ৷

কারও কারও মতে এই পংক্তিটি হাসৃসান ইবনে সাধিত-এর রচিত ৷

রাসুলুল্লাহ (না)-এর নামসমুহ এবং তার শামায়িল তথা অবয়বের বর্ণনা, পুত-পবিত্র,
নবুওতেৱ প্রমাণাদি ও মর্যাদার বিবরণ সীরাত অধ্যায়ের শেষে উল্লেখ করব, ইনশাআল্লাহ ৷

বায়হাকী আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি
একদিন বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার নবুওতের একটি আলামত আমাকে আপনার দীন
কবুল করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল ৷ দােলনড়ায় থাকতে আমি আপনাকে দেখেছি যে, আপনি চাদের
সঙ্গে কথা বলছেন এবং নিজের আঙ্গুল দিয়ে চাদের প্রতি ইংগিত করছেন ৷ আপনি যেদিকে
ইশারা করতেন র্চাদ সেদিকেই ঝুকে পড়তাে ৷ জবাবে নবী কবীম (সা) বললেন, “আমি তখন
র্চাদের সঙ্গে কথা বলতাম এবং র্চাদ আমার সঙ্গে কথা বলত্তো এবং আমার কান্না ভুলিয়ে দিত ৷
আর আমি আরশেৱ নিচে চাদের সিজদা করা কালে তার পতনের শব্দ শুনতে পেতাম ৷” রাবী
বলেন, এ বর্ণনার রাবী একজন মাত্র আর তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ৷


طَهَّرَ قَلْبَهُ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ جَدَّهُ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ خَتَنَهُ، وَعَمِلَ لَهُ دَعْوَةً جَمَعَ قُرَيْشًا عَلَيْهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَنْبَأَنِي مُحَمَّدُ بْنُ كَامِلٍ الْقَاضِي شِفَاهًا أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَهُ يَعْنِي السُّلَمِيَّ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ أَبِي الْحَكَمِ التَّنُوخِيِّ قَالَ: كَانَ الْمَوْلُودُ إِذَا وُلِدَ فِي قُرَيْشٍ دَفَعُوهُ إِلَى نِسْوَةٍ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى الصُّبْحِ يَكْفَأْنِ عَلَيْهِ بُرْمَةً فَلَمَّا وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَفَعَهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ إِلَى نِسْوَةٍ فَكَفَأْنَ عَلَيْهِ بُرْمَةً فَلَمَّا أَصْبَحْنَ أَتَيْنَ فَوَجَدْنَ الْبُرْمَةَ قَدِ انْفَلَقَتْ عَنْهُ بِاثْنَتَيْنِ، وَوَجَدْنَهُ مَفْتُوحَ الْعَيْنَيْنِ شَاخِصًا بِبَصَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ فَأَتَاهُنَّ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَقُلْنَ لَهُ: مَا رَأَيْنَا مَوْلُودًا مِثْلَهُ وَجَدْنَاهُ قَدِ انْفَلَقَتْ عَنْهُ الْبُرْمَةُ، وَوَجَدْنَاهُ مَفْتُوحًا عَيْنَاهُ شَاخِصًا بِبَصَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ: احْفَظْنَهُ فَإِنِّي أَرْجُو أَنْ يَكُونَ لَهُ شَأْنٌ أَوْ أَنْ يُصِيبَ خَيْرًا فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ السَّابِعُ ذَبَحَ عَنْهُ، وَدَعَا لَهُ قُرَيْشًا فَلَمَّا أَكَلُوا قَالُوا: يَا عَبْدَ الْمُطَّلِبِ أَرَأَيْتَ ابْنَكَ هَذَا الَّذِي أَكْرَمْتَنَا عَلَى وَجْهِهِ مَا سَمَّيْتَهُ؟ قَالَ: سَمَّيْتُهُ مُحَمَّدًا. قَالُوا: فَلِمَ رَغِبْتَ بِهِ عَنْ أَسْمَاءِ أَهْلِ بَيْتِهِ؟ قَالَ: أَرَدْتُ أَنْ يَحْمَدَهُ اللَّهُ فِي السَّمَاءِ، وَخَلْقُهُ فِي الْأَرْضِ. قَالَ أَهْلُ اللُّغَةِ: كُلُّ جَامِعٍ لِصِفَاتِ الْخَيْرِ يُسَمَّى مُحَمَّدًا كَمَا قَالَ بَعْضُهُمْ
পৃষ্ঠা - ১৪৮৩
إِلَيْكَ - أَبِيتَ اللَّعْنَ - أَعْمَلْتُ نَاقَتِي ... إِلَى الْمَاجِدِ الْقَرْمِ الْكَرِيمِ الْمُحَمَّدِ وَقَالَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ: أَلْهَمَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ سَمَّوْهُ مُحَمَّدًا لِمَا فِيهِ مِنَ الصِّفَاتِ الْحَمِيدَةِ لِيَلْتَقِيَ الِاسْمُ وَالْفِعْلُ، وَيَتَطَابَقَ الِاسْمُ وَالْمُسَمَّى فِي الصُّورَةِ وَالْمَعْنَى كَمَا قَالَ عَمُّهُ أَبُو طَالِبٍ، وَيُرْوَى لِحَسَّانَ وَشَقَّ لَهُ مِنَ اسْمِهِ لِيُجِلَّهُ ... فَذُو الْعَرْشِ مَحْمُودٌ وَهَذَا مُحَمَّدُ وَسَنَذْكُرُ أَسْمَاءَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَشَمَائِلَهُ وَهِيَ صِفَاتُهُ الظَّاهِرَةُ، وَأَخْلَاقُهُ الطَّاهِرَةُ، وَدَلَائِلُ نَبُّوَّتِهِ، وَفَضَائِلُ مَنْزِلَتِهِ فِي آخِرِ السِّيرَةِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ شَيْبَانَ الرَّمْلِيُّ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَلَبِيُّ حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَثْرِبِيٍّ «عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ دَعَانِي إِلَى الدُّخُولِ فِي دِينِكَ، أَمَارَةٌ لِنُبُوَّتِكَ رَأَيْتُكَ فِي الْمَهْدِ تُنَاغِي الْقَمَرَ، وَتُشِيرُ إِلَيْهِ بِأُصْبُعِكَ فَحَيْثُ أَشَرْتَ إِلَيْهِ مَالَ. قَالَ: إِنِّي كُنْتُ أُحَدِّثُهُ وَيُحَدِّثُنِي وَيُلْهِينِي عَنِ الْبُكَاءِ، وَأَسْمَعُ وَجْبَتَهُ حِينَ يَسْجُدُ تَحْتَ الْعَرْشِ» . ثُمَّ قَالَ: تَفَرَّدَ بِهِ اللَّيْثِيُّ وَهُوَ مَجْهُولٌ.
পৃষ্ঠা - ১৪৮৪

রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর জন্মের রাতে সংঘটিত
অলৌকিক ঘটনাবলী

রাসুলুল্লাহ (সঃ) যে রাতে তুমিষ্ঠ হন, যে রাতে অসংখ্য মুর্তির উপুড় হয়ে পড়া ও স্থানচ্যুত
হওয়া, যবশা অধিপতি নাআশীর মোঃ ঘটনার বিবরণ, জন্মের সময় রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর সঙ্গে
নুর বের হয়ে তাতে সিরিয়ার প্রাসাদসমুহ আলোকিত হয়ে যাওয়া; রাসুল (না)-এর মাতুণর্ত
থেকে হামাগুড়ি দিয়ে আকাশপানে মাথা ডুবে বের হয়ে আসা, ডেণ ফেটে শিংধিত হয়ে
যাওয়া, রাসুলুল্লাহ (সঃ) যে বয়ে জন্মনাত করেন, যে য্যাটি আলোকিত হয়ে যাওয়া এবং
নজ্যোড়াঙ্গি মানুষের নিকটবর্তী হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনার বিবরণ আমরা ইতিপুর্বে অজ্ঞাত
স্থান থেকে অিনের কথা বলা অধ্যায়ে উল্লেখ করে এসেছি ৷

সুহায়শী বর্ণনা করেন যে, ইবশীস জীবনে চারবার বিলাপ করে : ১ অভিশপ্ত হওয়ার
সময় ৷ ২ জান্নাত থেকে বিতাড়িত হওয়ার সময় ৷ ৩ রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর জন্মের সময় এবং
৪ সুরা ফাতিহা নাযিল হওয়ার সময় ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক হযরত অড়ায়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, এক
ইহুদী মক্কায় বাস করত ৷ যে সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করতো ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) যে রাতে ভুমিষ্ঠ
হন যে রাতে কুরইিশ এর এক মজলিসে সে বলল, আজ রাতে কি তোমাদের মধ্যে কারও
কোনও সন্তানের জন্ম হয়েছে? জবাবে তারা বলল, আল্লাহর কসম ! আমরা এ রকম কিছুই জানি
না ৷ ইহুদীটি বলল, আল্লাহ আকবার ! তোমাদের অজাম্ভে ঘটে থাকলে তো কোনও অসুবিধা
নেই ৷ তবে তোমরা খোজ করে দেখ এবং যা বলছি স্মরণ রাখ ৷ এ রাতে আখেরী নবী ভুমিষ্ঠ
হয়েছেন ৷ তার দুই র্কাধের মধ্যবর্তী স্থানে একটি চিহ্ন আছে ৷ তাতে ঘোড়ার কেশরের মত
একগুচ্ছ চুল আছে ৷ দুরাত তিনি দুধ পান করবেন না ৷ কারণ একটি দুষ্ট জিন তার মুখে আঙ্গুল
ঢুকিয়ে দিয়েছে ৷ ফলে তাকে দুধ পান থেকে নিবৃত্ত রাখা হয়েছে ৷

শুনে লোকজন মজলিস ছেড়ে উঠে চতুর্দিক ছড়িয়ে পড়ে ৷ ইহুদীর কথায় তারা হতভম্ভ
স্তঙ্কিত ! ঘরে গিয়ে প্রত্যেকে তারা ঘরের লোকদেরকে এ খবরটি শুনায় ৷ শুনে তারা বলে উঠে,
হীড়া , আল্লাহর শপথ ! আব্দুল্লাহ ইবন আবদুল মুত্তালিবের একটি পুত্র সন্তান তুমিষ্ঠ হয়েছে ৷ তারা
তার নাম ব্লেখেছে মুহাম্মদ ৷ এবার তারা ইহুদীর কথা ও এই নবজড়াতক সম্পর্কে কানাঘুষা করতে
করতে ইহুদীর নিকট যায় এবং তাকে এ খবরটি জানায় ৷ ইহুদীটি বলল, তোমরা আমাকে নিয়ে
চল, আমি তাকে একটু দেখব ৷ লোকেরা ইহুদীকে নিয়ে আমেনার ঘরে গিয়ে তাকে বলল,
তোমার পুত্রটিকে একটু আমাদের কাছে দাও ৷ আংমনা পুত্রকে তাদের কাছে দিলে তারা তার


[فَصْلٌ فِيمَا وَقَعَ مِنَ الْآيَاتِ لَيْلَةَ مَوْلِدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] فَصْلٌ فِيمَا وَقَعَ مِنَ الْآيَاتِ لَيْلَةَ مَوْلِدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ قَدْ ذَكَرْنَا فِي بَابِ هَوَاتِفِ الْجَانِّ مَا تَقَدَّمَ مِنْ خُرُورِ كَثِيرٍ مِنَ الْأَصْنَامِ لَيْلَتَئِذٍ لِوُجُوهِهَا وَسُقُوطِهَا عَنْ أَمَاكِنِهَا وَمَا رَآهُ النَّجَاشِيُّ مَلِكُ الْحَبَشَةِ، وَظُهُورِ النُّورِ مَعَهُ حَتَّى أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ حِينَ وُلِدَ وَمَا كَانَ مِنْ سُقُوطِهِ جَاثِيًا رَافِعًا رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ، وَانْفِلَاقِ تِلْكَ الْبُرْمَةِ عَنْ وَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَمَا شُوهِدَ مِنَ النُّورِ فِي الْمَنْزِلِ الَّذِي وُلِدَ فِيهِ، وَدُنُوِّ النُّجُومِ مِنْهُمْ، وَغَيْرِ ذَلِكَ. حَكَى السُّهَيْلِيُّ عَنْ تَفْسِيرِ بَقِيِّ بْنِ مَخْلَدٍ الْحَافِظِ: أَنَّ إِبْلِيسَ رَنَّ أَرْبَعَ رَنَّاتٍ; حِينَ لُعِنَ، وَحِينَ أُهْبِطَ، وَحِينَ وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحِينَ أُنْزِلَتِ الْفَاتِحَةُ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ يَهُودِيٌّ قَدْ سَكَنَ مَكَّةَ يَتَّجِرُ بِهَا فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةَ الَّتِي وُلِدَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فِي مَجْلِسٍ مِنْ قُرَيْشٍ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ هَلْ وُلِدَ
পৃষ্ঠা - ১৪৮৫


পিঠের কাপড় সরিয়ে ইহুদীর বর্ণিত নিদর্শনটি দেখতে পায় ৷ সাথে সাথে ইহুদী অজ্ঞান হয়ে
মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ৷ তার জ্ঞান ফিরলে লোকেরা তাকে বলল, কী ব্যাপার, আপনার হয়েছে
কি? ইহুদীটি বলল, আল্লাহর শপথ? নবুওত বনী ইসরাঈল থেকে বিদায় নিল! তোমরা এতে
আনন্দিত হও, হে কুরাইশের দল! আল্লাহর শপথ, তোমাদের সহায়তায় তিনি এমন বিজয় লাভ
করবেন যে, প্রাচ্যে-প্ৰতীচ্যে তার সুসমাচার ছড়িয়ে পড়বে ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন
যে, হাসৃসান ইবন সাবিত (রা) বলেছেন, আমি তখন সাত কি আট বছরের বালক ৷ যা শুনি বা
দেখি, তা বুঝবার বয়স তখন আমার হয়েছে ৷ হঠাৎ একদিন সকাল বেলা ইয়াসরিবে জনৈক
ইহুদীকে চীৎকার করে বলতে শুনলাম, হে ইহুদী সমাজ! চীৎকার শুনে লোকজন তার নিকট
এসে ডীড় জমায় এবং বলে, বল, কি হয়েছে তোমার? সে লোঃ আহমদ নামের যে লোকটির
জন্ম হওয়ার কথা, এই রাতে তার তারকা উদিত হয়েছে ৷

হাফিজ আবু নুয়ায়ম দালায়িলুন্নবুওয়াহ্ কিভাবে বর্ণনা করেছেন যে, আবু মালিক ইবন
সিনান বলেন, একদা আমি গল্পগুজব করার জন্য আবদুল আণহাল পােত্রে যাই ৷ তখন আমরা
তাদের সঙ্গে সন্ধিৰদ্ধ ৷ সে সময়ে আমি শুনতে পেলাম যে, ইউশা নামক এক ইহুদী বলছে,
আহমদ নবীর’ আগমনের সময় ঘনিয়ে এসেছে ৷ তিনি হোরম থেকে রেৰিয়ে আসবেন ৷ এ
কথা শুনে খলীফা ইবন ছালাবা আন-আশহালী উপহাস করে জিজ্ঞাসা করল, তার পরিচয় কী
হো ইহুদী বলল, তিনি হবেন এমন এক ব্যক্তি যিনি না হবেন বেটে, না লম্বা ৷ দুচোখে তার
লালিমা থাকবে ৷ তিনি হবেন কমলীওয়ালা ৷ তিনিও গাধায় সওয়ার হবেন ৷ তার কাধে তরবারী
ঝুলানো থাকবে ৷ এই নগরী হবে তার হিজরত স্থল ৷ আবু মালিক ইবন সিনান বলেন, ইহুদীর
কথায় অস্তিতুত হয়ে আমি আমার স্বগােত্র রনু খাদরায় চলে এলাম ৷ আমার নিকট থােক ঘটনার
বিবরণ শুনে এক ব্যক্তি বলে উঠল, এ কথা কি ইউশা একাই বলছে, নাকি ইয়াসরিবের সব
ইহুদীর একই কথা! আবু মালিক বলেন, এই ঘটনার পর আমি বনু কুরায়যার নিকট যাই ৷
সেখান গিয়ে দেখতে পেলাম, একদল মানুষ আখেরী নবী সষ্পর্কেই আলাপ-আলোচনা করছে ৷
কথা প্রসঙ্গে যুরায়র ইবন রাতা বললেন, সেই লাল নক্ষত্রটি উদিত হয়ে গেছে, যা কখনও
কোনও নবীর আগমন বা আবির্তাৰের উপলক্ষ ছাড়া কােনদিন উদিত হয় না ৷ এখন তো
আহমদ ছাড়া আর কোন নবীর আগমনের বাকী নেই ৷ আর এই ইয়াসরিবই হবে তার
হিজরত স্থল ৷

আবু সাঈদ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) মদীনা আগমন করার পর আমার আব্বা তাকে
এই ঘটনাটি শুনান ৷ শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ যুবায়র যদি মুসলমান হত, তাহলে
নেতৃস্থানীয় অনেক ইহুদীও মুসলমান হয়ে যেত ৷ কারণ ওরা এর অনুগত ৷ ’

আবু নুয়ায়ম (র) বর্ণনা করেন যে, যায়দ ইবন সাবিত (বা) বলেন, বনু কুরায়যা ও বনু
নযীর এর ইহুদী পণ্ডিতগণ নবী কয়ীম (না)-এর পরিচিতি সম্পর্কে আলোচনা করতেন ৷
অবশেষে লাল নক্ষত্র উদিত হয়ে গেলে তারা ঘোষণা করে যে, ইনিই আখেরী নবী; এর পরে
আর কোনও নবী আসবেন না ৷ নাম তার আহমদ এবং তার হিজরত স্থল হবে ইয়াসরিব ৷ কিন্তু
যখন নবী করীম (সা) হিজরত করে মদীনায় আসলেন আর তারা র্তাকে অগ্রাহ্য করে , হিংসা


فِيكُمُ اللَّيْلَةَ مَوْلُودٌ؟ فَقَالَ الْقَوْمُ: وَاللَّهِ مَا نَعْلَمُهُ. فَقَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ أَمَا إِذَا أَخْطَأَكُمْ فَلَا بَأْسَ، انْظُرُوا وَاحْفَظُوا مَا أَقُولُ لَكُمْ: وُلِدَ هَذِهِ اللَّيْلَةَ نَبِيُّ هَذِهِ الْأُمَّةِ الْأَخِيرَةِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ عَلَامَةٌ فِيهَا شَعَرَاتٌ مُتَوَاتِرَاتٌ كَأَنَّهُنَّ عُرْفُ فَرَسٍ، لَا يَرْضَعُ لَيْلَتَيْنِ; وَذَلِكَ أَنَّ عِفْرِيتًا مِنَ الْجِنِّ أَدْخَلَ أُصْبُعَهُ فِي فَمِهِ فَمَنَعَهُ الرَّضَاعَ فَتَصَدَّعَ الْقَوْمُ مِنْ مَجْلِسِهِمْ، وَهُمْ يَتَعَجَّبُونَ مِنْ قَوْلِهِ وَحَدِيثِهِ فَلَمَّا صَارُوا إِلَى مَنَازِلِهِمْ أَخْبَرَ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ أَهْلَهُ فَقَالُوا: قَدْ وَاللَّهِ وُلِدَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ غُلَامٌ سَمَّوْهُ مُحَمَّدًا فَالْتَقَى الْقَوْمُ فَقَالُوا: هَلْ سَمِعْتُمْ حَدِيثَ الْيَهُودِيِّ؟ وَهَلْ بَلَغَكُمْ مَوْلِدُ هَذَا الْغُلَامِ؟ فَانْطَلَقُوا حَتَّى جَاءُوا الْيَهُودِيَّ فَأَخْبَرُوهُ الْخَبَرَ. قَالَ: فَاذْهَبُوا مَعِيَ حَتَّى أَنْظُرَ إِلَيْهِ فَخَرَجُوا بِهِ حَتَّى أَدْخَلُوهُ عَلَى آمِنَةَ فَقَالُوا: أَخْرِجِي إِلَيْنَا ابْنَكِ فَأَخْرَجَتْهُ، وَكَشَفُوا لَهُ عَنْ ظَهْرِهِ فَرَأَى تِلْكَ الشَّامَةَ فَوَقَعَ الْيَهُودِيُّ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ فَلَمَّا أَفَاقَ قَالُوا لَهُ: مَا لَكَ؟ وَيْلَكَ! قَالَ: قَدْ ذَهَبَتْ وَاللَّهِ النُّبُوَّةُ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، أَفَرِحْتُمْ بِهَا يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ؟ وَاللَّهِ لَيَسْطُوَنَّ بِكُمْ سَطْوَةً يَخْرُجُ خَبَرُهَا مِنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ شِئْتُ مِنْ رِجَالِ قَوْمِي مِمَّنْ لَا أَتَّهِمُ عَنْ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: إِنِّي لَغُلَامٌ يَفَعَةٌ ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ أَوْ ثَمَانِ
পৃষ্ঠা - ১৪৮৬
سِنِينَ أَعْقِلُ مَا رَأَيْتُ وَسَمِعْتُ إِذَا بِيَهُودِيٍّ فِي يَثْرِبَ يَصْرُخُ ذَاتَ غَدَاةٍ: يَا مَعْشَرَ يَهُودَ. فَاجْتَمَعُوا إِلَيْهِ، وَأَنَا أَسْمَعُ فَقَالُوا: وَيْلَكَ مَا لَكَ؟ قَالَ: قَدْ طَلَعَ نَجْمُ أَحْمَدَ الَّذِي يُولَدُ بِهِ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ. وَرَوَى الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي كِتَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَامِرِيِّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ سُحَيْمٍ، وَرُبَيْحِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي مَالِكِ بْنِ سِنَانٍ يَقُولُ جِئْتُ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ يَوْمًا; لِأَتَحَدَّثَ فِيهِمْ، وَنَحْنُ يَوْمئِذٌ فِي هُدْنَةٍ مِنَ الْحَرْبِ فَسَمِعْتُ يُوشَعَ الْيَهُودِيَّ: يَقُولُ أَظَلَّ خُرُوجُ نَبِيٍّ يُقَالَ لَهُ: أَحْمَدُ يُخْرُجُ مِنَ الْحَرَمِ. فَقَالَ لَهُ خَلِيفَةُ بْنُ ثَعْلَبَةَ الْأَشْهَلِيُّ كَالْمُسْتَهْزِئِ بِهِ مَا صِفَتُهُ؟ فَقَالَ: رَجُلٌ لَيْسَ بِالْقَصِيرِ وَلَا بِالطَّوِيلِ فِي عَيْنَيْهِ حُمْرَةٌ يَلْبَسُ الشَّمْلَةَ، وَيَرْكَبُ الْحِمَارِ، سَيْفُهُ عَلَى عَاتِقِهِ، وَهَذَا الْبَلَدَ مُهَاجَرُهُ. قَالَ: فَرَجَعْتُ إِلَى قَوْمِي بَنِي خُدْرَةَ، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ أَتَعَجَّبُ مِمَّا يَقُولُ يُوشَعُ فَأَسْمَعُ رَجُلًا مِنَّا يَقُولُ: وَيُوشَعُ يَقُولُ هَذَا وَحْدَهُ؟! كُلُّ يَهُودَ يَثْرِبَ يَقُولُونَ هَذَا، قَالَ أَبِي مَالِكِ بْنِ سِنَانٍ: فَخَرَجْتُ حَتَّى جِئْتُ بَنِي قُرَيْظَةَ فَأَجِدُ جَمْعًا فَتَذَاكَرُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَاطَا: قَدْ طَلَعَ الْكَوْكَبُ الْأَحْمَرُ الَّذِي لَمْ يَطْلُعْ إِلَّا لِخُرُوجِ نَبِيٍّ وَظُهُورِهِ، وَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ إِلَّا أَحْمَدُ، وَهَذَا مُهَاجَرُهُ. قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ১৪৮৭

০০
আঃহৃ বিদলোঃএ্যাল্চীটহােআে মোঃ

জ লোঃঅ্যাংলোঃ ৷ মোঃল্টো র্তন্মোক্ষিঅন্নেরুষ্ ন্সইঃলোঃ উল্লেক্ষীকৌরেংস্থয় জন্ৰুআঃন্বৃআম্নম
চ্যালোঃট্যাং ট্যাংবমোঃলোঃমুেহ্রযলোঃ ট্যাং ন্সঙ্গোরু ইহ্মা>সুযষক্রোবল্যাংচ্ছু সিরিয়ার
মোঃভ্রল্টোন্তাজ্জিমুজ্যিন্সে মোঃল্দোম্তােমস্পোরীক্ষোজ্যো লীেলোঃহ্রৰুহমোঃহুনণ্ড্রজকিংবা
চলোঃ, জজ্যো তোক্টাত্ংবস্টিং মোঃ ল্টোজ্যোরাির্ক্সল্পাঅ্যাং ৷ইেল্লিমশ্নোত্তঢস্কোনেক্ষত্রে ,টব্দিত
মোঃ মোঃজজ্জক্সিফ্তেজত্নতিঃব প্লিচ্যেচআঃজন্নল্কি আিসভ্রছোশ্চাআঃ অ্যাংতৌব দ্যোদ্রজব্লশ্বক্ষো জজজগ্ৰুরুজ
ক্রোকািহ্মব মোঃ প্রবৱস্পেতবক্রোড়াবৰুঅ্যাংকুন্তবনিখ্যাঃর্ভবহওখাংইতমোঃ

ব জ জন্ হীজচক্কোদ্রুচ চজতন্চাচ্চজ হুহ্রজ জরু জ; ল্যাংস্কেণ্আলেতেণীষ্ম্রজ জজ চ শ্জ চ? জ চ দুপ্ ৰুশুশ্ ?ৰ্ণ্গুজ : চজ চন্ন্;

দ্ দ্ জ চ্;গ্লু জ ৰু বজবজব্র জশুজষ্মু দ্ স্র্ন ণ্ : পুজব্ক্ত জঙ্কুজ চ;জ১ ক্রুঙ্গ;: , জ স্পেজ>দ্ জচজট্রু
:জট্রুজট্রুম্পে ছুছুভুফ্লোদটুছুফুটু ,০ি বঝুনুন্জমুংণুসড়াহ্লু আলৰুহুজজব্লুজত্ত ;হৃন্ধুণ্ডুযছেদ্ভুহৃ লজত্নন্জন্ন
ছুজন্ফুবৰুৰুহৃৰুশু ক্কুচ চন্রু£বৰু ম্খে ইনি মোঃ ৰুবণ্ৰুবব্লু অ্যাংপুৰুরুচ্বৰুরুৰুছুব
বভ্রুলনু,চবজন্জক্কুজষ্টুজজ ট্রুন্৫য়ুবজজৰুব্রড্রুত জুন্মুহ্জহ্ণ কুব্রে (স হ্নবৃদ্বচুত কিসবাব্ৰ রাজ্বপ্রুজসৃ দু কুদ্রিপুব্লুন্ধ্রযে
ত্রাডুব্লুৰুজ ঠেজফ্তেতুজর জ জ> ন্লোঃ মৈংপাবৰুস্যেবৃ ৩জপুিকুণ্ড নিঃভ য়ুজয়্ জ তৃজ;ধৃচৰু,এব্ আংগৃ ব্লুক
ব্লুজজ জব্লুছমুেহুমরুগাংস্থুয়ুতড্রু পশঃ জ বজ১ছুয়জ ড্রুব্লুদ শুকিংয্যফ্লেএবপ্রুৰুসিবীঘ্র ধুর্মখ্যাঃকে

ষ্ র্জিদৃড্রুখনু > জম্মেজশ্ জণ্দ্ ন্ কুতণ্ড্রজল্লুজ মুেজড়রুফ্লু বুকািয়ুপুনিব্লে ষ্ঙ্কুজৰুহ্জ তাডুজ £ন্খুয়ে
ব্লুদ্বুজডুজণ্ড্রৰ্ড্রুজৰুদজ্ররুজজন্ নুশুহু ন্ , জন্ৰুত্জ ড্রি ক্রুয়ুক তুজহুদর্জ্জীপদ্সুয়ুহ্রহৃছডিব্লুয পুড্রেব্লুছুষ্টুজ
উপরোক্ত ঘটনায় কিসরা ভীত্ অ্যাংসাঃট্যাং জ মোঃস্টো মোঃ স্টিংব্লুৱ
কুবুত পুজৰুজঢুজছুচ না জৰুন্নুবনুেহুষ্প্রুতিছুৰুপ্রজব্লিষ্দ্দুবর্থ্যৰুক্ ড্রোজকু পজঠুজব্লুকি জ স্কুজথুড়াহুচুব্লুফ্লুন্নুট পরে
হিঃহুস্যুনৃ বা উছুষ্টুষ্টুছু প্জ যদুবৃব্লুরুিউহুদ্দগ্নেতিনি বৃজলুনব্লুৰুণ্চুতজম্রুব্লুৰু জজক্কুৰুৰুঢুতুড়াঘুহুদ্ভুহুহ্রক
কেন সমবেত করা হভ্রুলোঃ ছুবুসন্নুষ্ণেসঃমঝু সাঃ জষ্জব্লুজ জইজ ত্যুবহ্নিট্রুহুহ্ব্লুব্লুহ্ল্লুই

তবে আমরা জানতে পারব এ সময় আগুন পত হওয়া সং ক্রস্তি পত্র ত্জদের কাছে
ব মোঃ মোঃন্থ দ্রুপ্রব্ঙলোঃবেস্ফোজ্যো জ্বিলোঃবস্তে ক্হ্ন্-জ বদ্রৰুষ্মব্লু মোঃ যী মোঃল্দো
তাঃস্ফো মোঃল্দোংগুযমোঃ গ্রর্শ্বর্থী থাঃ মোঃ জ শু ণ্ন্ৰু ন্ ং ণ্ন্ৰু জন্ ৰু> জ ব জ বশু ং ব ৰুং ব

জণ্জশ্ড্ মৰু, জ র্চুজ নজধ্বহ্র তুসো) রু দ্লীেন্তুড়া র্চু;কৃন্নুছুজ জ> শু১ ম্পুদু;> দ্রুব;ঢ়ষ্ৰু চজম্ব ণ্হ্র পু ত্নশ্ বচর্গণ্ )জ×জজম্ব জ ঢু১ন্দুৱষ্ন্তু

জ স্তুব্ৰুৰুগুজ বৰুন্বৰুন্রুব জন্থহ্রজহ্রহ্ব বডাঃবট্রুট বন্ৰুন্তুন্ধু ন্তজজজজ্রৰুব্জ ন্ণ্;জক্ট্রি
জ এহ্ন্>ব্প্রুৰুরুজ৩ ; জ;ণ্ ণ্ঞ্জীৰু,রিঃছু ক্লড্রুত্বহ্রব্ল উ,ন্টু সুক্রোড়ু ৰুপুে,ৰু কৃব্যুন্রুিব্লুৰু ন্, জহুবন্শুণ্জজণ্জ জ

জ জৰুৰুজ ণ্ ন্ছুভৃব্লুক্কুজণ্ ন্বৃৰুলণ্জহ্রছুৰু ৰুজ্যিন্বৰুৰু জরুৰু স্ররুবজব ঞ্জুর্থ কুন্থজৰুহ্ত্নেন্ষ্শ্হ্রজৰুজজন্নেন্রু জ ন্ জব
বললেন ,আরবের কোনও এক উপকণ্ঠে বিশেষ কোনও একটি ঘটনা ঘটে থজকুহুব ন্জহুছুত্গ্রাৎ

কিসরা নুমান ইবন মুনযির এর নিকট এ মর্মে পত্র লিখেনং :
ট্রিজষ্ট্র, জণ্ৰের্টষ্টুক্ট্রগ্যণ্ ল্গুল্ডে >গ্র জ ভু চজণ্ড চস্টীজষ্জজ৫ জচভু নম্বোহুজত্; জব্লৱচাজব চজ১ ব্রুন্তি জজৰু জ<জজজক্তক্তজন্ন্
ছুৰুজব্হুটব চুপ্রুপক্লন্হ্রথন্ৰুবজন্নুবজৰু ৰুৰুহুন্ফ্রা ন্ন্ৰু ৰুবন্,১বপ্লুর্তি স্কুব পাওখ্যাঃড্রোবজব

প্
ল্জচ্ছু ষ্টুল্গুৰুভুৰুচাম্ৰু র্ভুতচাষুব্রুড়িৰুক্কব্লুন্নুশ্চেপজন্ ষ্কে জ দুেহুন্ র্চু ণ্ৰুন্ৰুপ্ভু টুহুছুহু প্রভ্রুহুজব হজ৭জব্লুদ্বুজজষ্ট্রহু জমোঃ জ বুজব













চজহ্ণ্শ চজছুজজজৰ রুশুমচ’ভু জ শ্চেদ্যে জংজচ ণ্ড্রচর্কু-ব্ওজচ্ছুব্জী ন্থেচ ক্রদ্ভজচ র্যশ্,চ চ জ ও চট্ৰু;হ্রজণ্ড্রজণ্শ্জজল্: ভ্রচজজব্রু ;ন্গ্দ্দুষ্চব্লু

,জরুৎ ফেলোঃ মোঃ দ্যো ফ্লিসৌং ণ্অ্যাংআেসীহজইবন্চঅ্যাং জৈ মোঃট্যাঈল্যাংলা
জলোঃ দ্যোজট্যাংৰুক্তেল্যাং সৌংজলোঃজ ল্টিব্রুএন্তেশ্ খ্যাঃফ্লিজািঙ্গাজস্ফোলোঃং
অ্যাংমোঃচ্ছেম্ভিমোঃলোঃ ফ্লিমোঃ জ্যিআঃবে জমোঃসৌংজ্যোণ্চলোঃ
যা ইচ্ছা লোঃলোঃ মোঃন্ন্মোঃজন্নেজ্যোত্যুঃজ্বলোঃজ্যো,জ্যোফ্লো


قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَهُ أَبِي هَذَا الْخَبَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْ أَسْلَمَ الزُّبَيْرُ، وَذَوُوهُ مِنْ رُؤَسَاءِ الْيَهُودِ، إِنَّمَا هُمْ لَهُ تَبَعٌ وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ السِّنْدِيِّ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ قَيْسِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أُمِّ سَعْدٍ بِنْتِ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ يَقُولُ: كَانَ أَحْبَارُ يَهُودِ بَنِي قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ، يَذْكُرُونَ صِفَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا طَلَعَ الْكَوْكَبُ الْأَحْمَرُ أَخْبَرُوا أَنَّهُ نَبِيٌّ، وَأَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدَهُ، وَاسْمُهُ أَحْمَدُ، وَمُهَاجَرُهُ إِلَى يَثْرِبَ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ أَنْكَرُوا وَحَسَدُوا وَكَفَرُوا. وَقَدْ أَوْرَدَ هَذِهِ الْقِصَّةَ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي كِتَابِهِ مِنْ طُرُقٍ أُخْرَى وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَيَّانَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي عَاصِمٍ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَيَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: قَالَ زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ: قَالَ لِي حَبْرٌ مِنْ أَحْبَارِ الشَّامِ: قَدْ خَرَجَ فِي بَلَدِكَ نَبِيٌّ أَوْ هُوَ خَارِجٌ قَدْ خَرَجَ نَجْمُهُ فَارْجِعْ فَصَدِّقْهُ، وَاتَّبِعْهُ.
পৃষ্ঠা - ১৪৮৮
[ذِكْرُ ارْتِجَاسِ إِيوَانِ كِسْرَى وَسُقُوطِ الشُّرُفَاتِ وَخُمُودِ النِّيرَانِ] ذِكْرُ ارْتِجَاسِ إِيوَانِ كِسْرَى وَسُقُوطِ الشُّرُفَاتِ، وَخُمُودِ النِّيرَانِ، وَرُؤْيَا الْمُوبِذَانِ، وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الدَّلَالَاتِ قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ سَهْلٍ الْخَرَائِطِيُّ فِي كِتَابِ هَوَاتِفِ الْجَانِّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو أَيُّوبَ يَعْلَى بْنُ عِمْرَانَ - مِنْ آلِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ - حَدَّثَنِي مَخْزُومُ بْنُ هَانِئٍ الْمَخْزُومِيُّ عَنْ أَبِيهِ - وَأَتَتْ عَلَيْهِ خَمْسُونَ وَمِائَةُ سَنَةٍ - قَالَ: لَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الَّتِي وُلِدَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ارْتَجَسَ إِيوَانُ كِسْرَى، وَسَقَطَتْ مِنْهُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ شُرْفَةً، وَخَمَدَتْ نَارُ فَارِسَ، وَلَمْ تُخْمَدْ قَبْلَ ذَلِكَ بِأَلْفِ عَامٍ، وَغَاضَتْ بُحَيْرَةُ سَاوَةَ، وَرَأَى الْمُوبِذَانِ إِبِلًا صِعَابًا تَقُودُ خَيْلًا عِرَابًا قَدْ قَطَعَتْ دِجْلَةَ، وَانْتَشَرَتْ فِي بِلَادِهِمْ فَلَمَّا أَصْبَحَ كِسْرَى أَفْزَعَهُ ذَلِكَ فَتَصَبَّرُ عَلَيْهِ تَشَجُّعًا، ثُمَّ رَأَى أَنَّهُ لَا يَدَّخِرُ ذَلِكَ عَنْ مَرَازِبَتِهِ فَجَمَعَهُمْ وَلَبِسَ تَاجَهُ وَجَلَسَ عَلَى سَرِيرِهِ ثُمَّ بَعَثَ إِلَيْهِمْ فَلَمَّا اجْتَمَعُوا عِنْدَهُ قَالَ: أَتُدْرُونَ فِيمَ بَعَثْتُ إِلَيْكُمْ؟ قَالُوا: لَا إِلَّا أَنْ يُخْبِرَنَا الْمَلِكُ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ وَرَدَ عَلَيْهِمْ كِتَابٌ بِخُمُودِ النِّيرَانِ فَازْدَادَ غَمًّا إِلَى غَمِّهِ،
পৃষ্ঠা - ১৪৮৯

ব্যক্তির সন্ধান দেব, যিনি এর জবাব দিতে সক্ষম হবেন ৷ কিসরা তাকে ঘটনাটি খুলে বলেন ৷
জবাবে আবদুল মাসীহ বলেন, আমার এক মামা এর জবাব দিতে পারবেন ৷ তিনি সিরিয়ার
সাতীহ নামক স্থানের উপকষ্ঠে বাস করেন ৷ কিসরা বললেন, ঠিক আছে ৷ তুমি তার কাছে গিয়ে
দেখ, সে এর জবাব দিতে পারে কিনা ৷ আমি যা জানতে চাই তাকে তা জিজ্ঞেস করে তার
ব্যাখ্যা জেনে এসো ৷ আবদুল মাসীহ সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়ার রওয়ানা হয়ে মুমুর্বু সাতীহ এর নিকট
পৌছেন ৷ তিনি তাকে সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞাসা করেন ৷ কিন্তু সাতীহ সালামের কোন
জবড়াবও দিলেন না বা কোন কথাও বললেন না ৷ তখন আবদুল মাসীহ কবিতার কয়েকটি পংক্তি
আবৃত্তি করেন ৷ তা শুনে এবার সাতীহ মাথা তুলে বলেন, আবদুল মাসীহ! উটের পিঠে চড়ে
তুমি সাতীহ এর নিকট এসেছ ৷ অথচ সে তখন মৃত্যুপথযাত্রী ৷ আমি আমি, তোমাকে সাসান
বংশের বাদশাহ প্রেরণ করেছেন ৷ রড়াজপ্রাসাদ প্রকম্পিত হওয়ায় অগ্নিকুণ্ড নিতে যাওয়ায় এবং

মুবিযানের স্বপ্ন যাতে তিনি দেখতে পেয়েছেন যে, উটগুব্লা যেড়াগুলোক্লে তাড়া করছে এবং

দজলা অতিক্রম করে জনপদসমুহে ছড়িয়ে পড়েছে ৷ শোন হে আবদুল মাসীহ! যখন তিলাওয়াত
বৃদ্ধি পাবে, <মাটা ছড়িওয়ালা আত্মপ্রকাশ করবেন, সামাওয়া উপত্যক৷ প্লাবিত হবে, সাওয়াহ্রদ
শুকিয়ে যাবে এবং পারস্যের অগ্নিকুণ্ড নিতে যাবে, তখন নাম আর সাতীহ এর জন্য শাম থাকবে
না ৷ গদ্বুজ্যো সমসংখ্যক রাজত্ব-রাণী তার কর্তৃতু কেড়ে নেবে, আর সেই সময়টি এসে পড়েছে ৷
একথাটি উচ্চারণ করেই সাতীহ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ৷

আবদুল মাসীহ তখনই ৰাহনে চড়ে কবিতা আবৃত্তি করতে করতে রওয়ানা হয়ে পড়েন ৷
কিসরার নিকট এসে তিনি তাকে শুনান ৷ সাতীহ যা বলেছেন, তার বিবরণ দেন ৷ শুনে কিসরা
বলে উঠেন, তার মানে র্দাড়াল, আমার পর চৌদ্দজন রাজা রাজত্ব করবে ৷

বাস্তবিক পরবর্তী চার বছরে দশজন রাজা পারস্যের সিংহাসনে বসেন ৷ অবশিষ্টপণ রাজত্ব
করেন হযরত উসমান (রা)-এর খিলাফত পর্যন্ত ৷ ৰায়যাৰীও অনুরুপ বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন ৷
আমার মতে, পারস্যের সর্বশেষ রাজা যার নিকট থেকে রাজত্ব ছিনিয়ে নেয়া হয়-তিনি হলেন,
ইয়াযদাগির্দ ইবন শাহরিয়ার ইবন পারভেজ ইবন হুরমুয ইবন নওশিরওয়ী ৷ এই রাজার
আমলেই রাজপ্রাসাদে ফাটল ধরে ৷ তার আগে তার পুর্বসুরীরা তিন হাজার একশ চৌষট্টি বছর
রাজত্ব করেছিলেন ৷ এদের সর্বপ্রথম রাজা ছিলেন খিওমারত ইবন উমাইম ইবন লাওয ইবন
সাম ইবন নুহ্ ৷

আলোচ্য সাতীহ এর পরিচয় প্রসঙ্গে ইবন আসাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে লিখেছেন যে, এই
দােকটির নাম রর্বী ইবন রর্বীমা ইবন মাসউদ ইবন মাষিন ইবন যিব ইবন আর্দী ইবন মড়াষিন
ইবন আস-আবদ ৷ কেউ কেউ তাকে রর্বী ইবন মাসউদও বলেছেন ৷ তার মা রিদআ ৰিনতে সাপ
ইবনুল হারািহ আস-হাঙ্গুৰী ৷ তার বত্শ সডিকা জািতাবেও বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবনে আসড়াকির এর
মতে তিনি ঙ্গাৰিরড়ার বাস করতেন ৷ তিনি আৰু হাতিম সজিংতনৌ থেকে বর্ণনা করেন যে,
তার করেস্কো শন্মেখ বলেছেন, সসৌং বম্বো সেকেমান ইবন আদ এর পরবর্তী যুগের মনুেধ্ ৷
মবড়াপ্লাবনের আমলে তার জন্ম ৷ বাদশাহ ইনাঅ্যাং মাংস পর্ঘস্ব তিনি সীৰিত হিসেব ৷
বর্খাৎ পার ত্রিশ প্রজন্মের আবু তিনি লাভ হ্মন ৷ তার অ্যাং ছিল তার মোঃ ৷


ثُمَّ أَخْبَرَهُمْ بِمَا رَأَى وَمَا هَالَهُ فَقَالَ الْمُوبِذَانُ: وَأَنَا - أَصْلَحَ اللَّهُ الْمَلِكَ - قَدْ رَأَيْتُ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ رُؤْيَا، ثُمَّ قَصَّ عَلَيْهِ رُؤْيَاهُ فِي الْإِبِلِ فَقَالَ: أَيُّ شَيْءٍ يَكُونُ هَذَا يَا مُوبِذَانُ؟ قَالَ: حَدَثٌ يَكُونُ فِي نَاحِيَةِ الْعَرَبِ وَكَانَ أَعْلَمَهُمْ مِنْ أَنْفُسِهِمْ فَكَتَبَ عِنْدَ ذَلِكَ مِنْ كِسْرَى مَلِكِ الْمُلُوكِ إِلَى النُّعْمَانِ بْنِ الْمُنْذِرِ أَمَّا بَعْدُ: فَوَجِّهْ إِلَيَّ بِرَجُلٍ عَالِمٍ بِمَا أُرِيدُ أَنْ أَسْأَلَهُ عَنْهُ فَوَجَّهَ إِلَيْهِ بِعَبْدِ الْمَسِيحِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَيَّانَ بْنِ بُقَيْلَةَ الْغَسَّانِيِّ فَلَمَّا وَرَدَ عَلَيْهِ قَالَ لَهُ: أَلَكَ عِلْمٌ بِمَا أُرِيدُ أَنْ أَسْأَلَكَ عَنْهُ؟ فَقَالَ: لِتُخْبِرَنِي أَوْ لِيَسْأَلَنِي الْمَلِكُ عَمَّا أَحَبَّ فَإِنْ كَانَ عِنْدِي مِنْهُ عِلْمٌ أَخْبَرْتُهُ، وَإِلَّا أَخْبَرْتُهُ بِمَنْ يَعْلَمُ فَأَخْبَرَهُ بِالَّذِي وَجَّهَ بِهِ إِلَيْهِ فِيهِ. قَالَ: عِلْمُ ذَلِكَ عِنْدَ خَالٍ لِي يَسْكُنُ مَشَارِفَ الشَّامِ يُقَالَ لَهُ: سَطِيحٌ. قَالَ: فَائْتِهِ فَاسْأَلْهُ عَمَّا سَأَلَتُكَ عَنْهُ، ثُمَّ ائْتِنِي بِتَفْسِيرِهِ فَخَرَجَ عَبْدُ الْمَسِيحِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى سَطِيحٍ، وَقَدْ أَشَفَى عَلَى الضَّرِيحِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ وَكَلَّمَهُ فَلَمْ يَرُدَّ إِلَيْهِ سَطِيحٌ جَوَابًا فَأَنْشَأَ يَقُولُ: أَصُمَّ أَمْ يَسْمَعُ غِطْرِيفُ الْيَمَنْ ... أَمْ فَادَ فَازْلَمَّ بِهِ شَأْوُ الْعَنَنْ يَا فَاصِلَ الْخُطَّةِ أَعْيَتْ مَنْ وَمَنْ ... وَكَاشِفَ الْكُرْبَةِ عَنْ وَجْهٍ غَضِنْ أَتَاكَ شَيْخُ الْحَيِّ مَنْ آلِ سَنَنْ وَأُمُّهُ مِنْ آلِ ذِئْبِ بْنِ حَجَنْ ...
পৃষ্ঠা - ১৪৯০
أَزْرَقُ بَهْمُ النَّابِ صَرَّارُ الْأُذُنْ أَبْيَضُ فَضْفَاضُ الرِّدَاءِ وَالْبَدَنْ ... رَسُولُ قَيْلِ الْعُجْمِ يَسْرِي لِلْوَسَنْ لَا يَرْهَبُ الرَّعْدَ وَلَا رَيْبَ الزَّمَنْ تَجُوبُ بِي الْأَرْضَ عَلَنْدَاةٌ شَزَنْ ... تَرْفَعُنِي وَجْنًا وَتَهْوِي بِي وَجَنْ حَتَّى أَتَى عَارِي الْجَآجِي وَالْقَطَنْ تَلُفُّهُ فِي الرِّيحِ بَوْغَاءُ الدِّمَنْ ... كَأَنَّمَا حُثْحِثَ مِنْ حِضْنَيْ ثَكَنْ قَالَ: فَلَمَّا سَمِعَ سَطِيحٌ شِعْرَهُ رَفَعَ رَأْسَهُ: يَقُولُ عَبْدُ الْمَسِيحِ عَلَى جَمَلٍ مُشِيحْ أَتَى سَطِيحْ، وَقَدْ أَوْفَى عَلَى الضَّرِيحْ، بَعَثَكَ مَلِكُ بَنِي سَاسَانْ لِارْتِجَاسِ الْإِيوَانْ، وَخُمُودِ النِّيرَانْ، وَرُؤْيَا الْمُوبِذَانْ; رَأَى إِبِلًا صِعَابًا تَقُودُ خَيْلًا عِرَابًا قَدْ قَطَعَتْ دِجْلَةَ، وَانْتَشَرَتْ فِي بِلَادِهَا يَا عَبْدَ الْمَسِيحِ، إِذَا كَثُرَتِ التِّلَاوَةُ، وَظَهَرَ صَاحِبُ الْهِرَاوَةِ، وَفَاضَ وَادِي السَّمَاوَةِ، وَغَاضَتْ بُحَيْرَةُ سَاوَةَ، وَخَمَدَتْ نَارُ فَارِسَ فَلَيْسَ الشَّامُ لِسَطِيحٍ شَامًا يَمْلِكُ مِنْهُمْ مُلُوكٌ، وَمَلِكَاتْ عَلَى عَدَدِ الشُّرُفَاتْ، وَكُلَّمَا هُوَ آتٍ آتْ. ثُمَّ قَضَىَ سَطِيحٌ مَكَانَهُ فَنَهَضَ عَبْدُ الْمَسِيحِ إِلَى رَاحِلَتِهِ وَهُوَ يَقُولُ: شَمِّرْ فَإِنَّكَ مَاضِي الْعَزْمِ شِمِّيرُ لَا يُفْزِعَنَّكَ تَفْرِيقٌ وَتَغْيِيرُ
পৃষ্ঠা - ১৪৯১

আবদুল কায়স গোত্র দাবি করে যে, সাতীহ তাদের বংশের লোক, অপরদিকে আযদ
গোত্রীয়দের দাবি হচ্ছে যে, তিনি তাদের বংশের ৷ অধিকাংশ মুহাদ্দিস সাডীহকে আযদ বংশীয়
বলে অভিমত প্রকাশ করেন ৷ তবে আমি বুঝে উঠতে পারছি না যে , তার প্রকৃত পরিচয় কী?
তবে তার বংশধররা নিজেদেরকে আযদবংশীয় বলে দাবি করেন ৷

ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, সাতীহ-এর সঙ্গে আদম
সন্তানের কারো কোনও মিল ছিল না ৷ তার দেহ ছিল গোশতের একটি টুকরা, যার মাথায়
দৃ’চােখে ও দৃ’হাতে ছাড়া আর কোথাও অস্থি অথবা শিরা ছিল না ৷ কাপড় যেভাবে র্ডাজ করা
যায় তেমনি তাকেও দৃ’পা থেকে ঘাড় পর্যন্ত ডড়াজ করা যেত ৷ জিহবা ছাড়া আর দেহে নাড়বার
মত কিছুই ছিল নট্রু ৷ কেউ কেউ বলেন, সাতীহ রেগে গেলে তার দেহ ফুলে যেত এবং তিনি
বসে পড়তেন ৷

ইবন আব্বাস (বা) আরও বলেন, সাতীহ একবার মক্কায় এসেছিলেন ৷ কুসাই এর দৃই পুত্র
আব্দে শামস ও আব্দে মানাফ সহ মক্কার নেতৃস্থানীয় অনেকে তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে
আসেন ৷ তারা তাকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন ৷ সব প্রশ্নের ঠিক ঠিক
জবাব তিনি দেন ৷ শেষ যুগে কী ঘটবে, যে বিষয়েও তারা তাকে জিজ্ঞাসা করে ৷ জবাবে তিনি
বলেন, আল্লাহ আমাকে যা ইলহাম করেছেন, তার আলোকে বলছি যে, হে আরব জাতি ৷
তোমরা এখন চরম বার্ধক্যের যুগে উপনীত ৷ তোমাদের আর অনারবদের বুদ্ধি-বিচক্ষণতা
সমান ৷ তোমাদের নিকট না আছে বিদ্যা, না আছে বুদ্ধি ৷ তবে তোমাদের পরবর্তীদের মধ্যে
এমন কিছু বিবেকৰান লোকের আবির্ভাব ঘটবে যে, তারা নানা প্রকার বিদ্যা অৰেষণ করবে ৷
সেই বিদ্যার আলোকে তারা মুর্তি ভেঙ্গে চুরমার করে ফেনবে, বোপ্য লোকের অনুসরণ করবে,
অনারবদের হত্যা করবে এবং বকরীর পাল আলাপ করে বেড়াবে ৷ অতঃপর এই নগরবাসীদের
মধ্যে হতে এমন একজন সুপথপ্রাপ্ত নবীর আবির্ভাব ঘটবে, যিনি সত্য ও সঠিক পথের
দিক-নির্দেশনা করবেন এবং বহু দেবতার উপাসনা পরিহার করে এক রব এর ইবাদত
করবেন ৷ অতঃপর আল্লাহ তাকে প্রশংসিত এক স্থানে তুলে নেবেন ৷ তখন তিনি ইহজগত
থেকে আড়ালে থাকবেন; বিতু আকাশে থাকবেন প্রকাশমান ৷ তারপর এমন এক সিদ্দিক তথা
মহাসত্যবাদী তার স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি বিচার করবেন সঠিক এবং অধিকার প্রদানে হবেন
অকুণ্ঠচিত্ত ৷

এরপর সরল-সঠিক পথের অনুসারী, অভিজ্ঞ ও সমাত এক ব্যক্তি তার স্থুশাডিষিক্ত হবেন ৷
আতিথোতাে ও ন্যায় বিচারে তিনি হবেন সর্বজনবিদিত ৷ অতঃপর সাতীহ হযরত উদ্যান (বা) ,
তার হত্যা এবং তত্পরবর্তী বনু উমাইয়া ও বনু আব্বাসের যুগে যা কিছু ঘটবে, সব উল্লেখ
করেন ৷ এরপর যত ফেতনা ও যুদ্ধ-কািহ সংঘটিত হবে, তাও তার বক্তব্য থেকে বাদ পড়েনি ৷
ইবন আসাবির ইবন আব্বাস (না) থেকে এই বর্শনাঢি বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন ৷

উপরে আমরা উল্লেখ করে এসেছি যে, এক স্বপ্নের ব্যাখ্যার সাতীহ ইয়মােনের বাদশাহ
রর্বীয়া ইবন নাসরষ্কে ইমামানে বা কী অরহ্মেকতা দেখা দিবে এবং বিশ্বের ক্ষমতার মত দেন

হবে, সবকিছুর তবিষ্যৰ্পৌ কন্নেহিণেন ৷ এমনকি জ্যোও বঘেচ্চিস্ন যে, এক পর্যায়ে


إِنْ يُمْسِ مُلْكُ بَنِي سَاسَانَ أَفْرَطَهُمْ فَإِنَّ ذَا الدَّهْرَ أَطْوَارٌ دَهَارِيرُ ... فَرُبَّمَا رُبَّمَا أَضْحَوْا بِمَنْزِلَةٍ يَخَافُ صَوْلَهُمُ الْأُسْدُ الْمَهَاصِيرُ مِنْهُمْ أَخُو الصَّرْحِ بَهْرَامٌ وَإِخْوَتُهُ وَالْهُرْمُزَانُ وَشَابُورٌ وَسَابُورُ ... وَالنَّاسُ أَوْلَادُ عَلَّاتٍ فَمَنْ عَلِمُوا أَنْ قَدْ أَقَلَّ فَمَحْقُورٌ وَمَهْجُورُ وَرُبَّ قَوْمٍ لَهُمْ صُحْبَانُ ذِي أُذُنٍ بَدَتْ تُلَهِّيهِمُ فِيهِ الْمَزَامِيرُ ... وَهُمْ بَنُو الْأُمِّ إِمَّا إِنْ رَأَوْا نَشَبًا فَذَاكَ بِالْغَيْبِ مَحْفُوظٌ وَمَنْصُورُ وَالْخَيرُ وَالشَّرُّ مَقْرُونَانِ فِي قَرْنٍ فَالْخَيرُ مُتَّبَعٌ وَالشَّرُّ مَحْذُورُ قَالَ: فَلَمَّا قَدِمَ عَبْدُ الْمَسِيحِ عَلَى كِسْرَى، أَخْبَرَهُ مَا قَالَ لَهُ سَطِيحٌ فَقَالَ كِسْرَى: إِلَى أَنْ يَمْلِكَ مِنَّا أَرْبَعَةَ عَشَرَ مَلِكًا كَانَتْ أُمُورٌ وَأُمُورٌ فَمَلَكَ مِنْهُمْ عَشَرَةٌ فِي أَرْبَعِ سِنِينَ، وَمَلَكَ الْبَاقُونَ إِلَى خِلَافَةِ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ إِدْرِيسَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حَرْبٍ الْمَوْصِلِيِّ بِنَحْوِهِ. قُلْتُ: كَانَ آخِرَ مُلُوكِهِمْ - الَّذِي سُلِبَ مِنْهُ الْمُلْكُ - يَزْدَجِرْدُ بْنُ شَهْرَيَارَ بْنِ أَبْرَوِيزَ بْنِ هُرْمُزَ بْنِ أَنُوشِرْوانَ وَهُوَ الَّذِي انْشَقَّ الْإِيوَانُ فِي زَمَانِهِ وَكَانَ
পৃষ্ঠা - ১৪৯২
لِأَسْلَافِهِ فِي الْمُلْكِ ثَلَاثَةُ آلَافِ سَنَةٍ وَمِائَةٌ وَأَرْبَعَةٌ وَسِتُّونَ سَنَةً وَكَانَ أَوَّلَ مُلُوكِهِمْ خَيُومَرْتُ بْنُ أَمِيمَ بْنِ لَاوَذَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. أَمَّا سَطِيحٌ هَذَا فَقَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَارِيخِهِ: هُوَ الرَّبِيعُ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ مَسْعُودِ بْنِ مَازِنِ بْنِ ذِئْبِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ مَازِنِ بْنِ الْأَزْدِ. وَيُقَالَ: الرَّبِيعُ بْنُ مَسْعُودٍ. وَأُمُّهُ رَدْعَا بِنْتُ سَعْدِ بْنِ الْحَارِثِ الْحَجُورِيِّ. وَذُكِرَ غَيْرُ ذَلِكَ فِي نَسَبِهِ قَالَ: وَكَانَ يَسْكُنُ الْجَابِيَةَ. ثُمَّ رَوَى عَنْ أَبِي حَاتِمٍ السِّجِسْتَانِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ الْمَشْيَخَةَ مِنْهُمْ أَبُو عُبَيْدَةَ وَغَيْرُهُ قَالُوا: وَكَانَ مِنْ بَعْدِ لُقْمَانَ بْنِ عَادٍ وُلِدَ فِي زَمَنِ سَيْلِ الْعَرِمِ، وَعَاشَ إِلَى مُلْكِ ذِي نُوَاسٍ، وَذَلِكَ نَحْوٌ مَنْ ثَلَاثِينَ قَرْنًا وَكَانَ مَسْكَنُهُ الْبَحْرَيْنِ، وَزَعَمَتْ عَبْدُ الْقَيْسِ أَنَّهُ مِنْهُمْ، وَتَزْعُمُ الْأَزْدُ أَنَّهُ مِنْهُمْ، وَأَكْثَرُ الْمُحَدِّثِينَ يَقُولُونَ: هُوَ مِنَ الْأَزْدِ وَلَا نَدْرِي مِمَّنْ هُوَ؟ غَيْرَ أَنَّ وَلَدَهُ يَقُولُونَ: إِنَّهُ مِنَ الْأَزْدِ. وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: لَمْ يَكُنْ شَيْءٌ مِنْ بَنِي آدَمَ يُشْبِهُ سَطِيحًا إِنَّمَا كَانَ لَحْمًا عَلَى وَضَمٍ، لَيْسَ فِيهِ عَظْمٌ وَلَا عَصَبٌ إِلَّا فِي رَأْسِهِ وَعَيْنَيْهِ وَكَفَّيْهِ وَكَانَ يُطْوَى كَمَا يُطْوَى الثَّوْبُ مِنْ رِجْلَيْهِ إِلَى عُنُقِهِ، وَلَمْ يَكُنْ فِيهِ شَيْءٌ يَتَحَرَّكُ إِلَّا لِسَانُهُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: إِنَّهُ كَانَ إِذَا غَضِبَ انْتَفَخَ وَجَلَسَ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَدِمَ مَكَّةَ فَتَلَقَّاهُ جَمَاعَةٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ১৪৯৩

ল্ট্যাংলোঃ-ল্দো দ্যোক্লচট্যাত্ত্বট্যাং-এব মোঃ ফ্লি অ্যাংবআেলোঃল্টো ইবন
াল্যাংব্ল অ্যাং লোঃ লোঃনঙ্কেক্ষেক্ললোঃফ্ন্াইস্ফোাযীষ্করৈমোঃবহোল্লেভ্রক্ষাংআঃলোঃসোর
লোঃলোঃলোঃঅ্যাংকল্পে,ৰুপ্সাব্লিচ্চলোঃত্ক্লোঅ্যাংম্রলোঃ সৌং মৌলোঃ ংামেংষ্
পড়বে ৷ রবীয়া জিজ্ঞাসা কলোঃলোঃামোঃক্লোদ্যেখ্যাঃা ব্রাচ্ছেন্মোা সৌং বাষ্প্লোল্লু ষ্ণাচ্চাওমোঃন
ন্প্রুছুব্ত্রল্পোণ্নন্থীৰুযহ্রব্লহ্ন্নিব্লল্ট ষ্টুলোঃত্মৰ্বাহুজ্জক শুহ্হীশুত্বাহ্রন্নৰুৰুান্ছুবীব্লুাৰুজ্বিস্কৃাষ্ব্লুা ,এই, ৰুন্নম্ভী কার
শ্বন্ৰুাা১ক ফ্লোবন্তুারু>জ়বলোঃ ণ্হু১ণ্ান্ষ্টুৰুব্র র্নিহ্নিব্লুন্ইৰুন্ ৰুম্ন ন্শু ফ্লিাচ্ৰুা ক্ট্রনৰু ন্ইৰুন্ লোঃার
ম্পো দ্ভুল্গুাভ্রুক্কুমোঃ,য়ুগ পর্যঙু বাভ্রুতু,ৰু,,ত্মাবৃষ্টু, ব্লুস্হুদ্বুাবিদ্দড্রুমৃাৰুৰুথ্াকৃদ্বুৰ্ ৱবীয়ুা, পুনরুায়্ জ্বিজ্ঞাড্রুা
ছুচ্জাে ল্পঃএৰ্বাব্লুণ্শ্ণ্শুঅ্যাংচ্চ্ ন্াকিণ্ব>জ্রৰুাব্রে ষ্টুাত্নীহুৰু শ্১ৰু ণ্ত্মাহ্নে>রুৰুকিষ্ন্ন্থগ্রোব ন্৭াষ
ান্হ্নওহ্মা> ১ ছুও-ন্ মোঃপুন্ বৃবছুচুৰুষ্ লোঃ বন্নু স্ৎকর্মুশ্রীব্লুৰুহ্না চ্ছুদ্ভুব্লুৰুপ্£স্থুদ্বুষ্টুন

ভাগ্যবান আর অসৎ লোকেরা হবে দুর্ভাগা ৷ রবীয়া আবার ৩ক্তিৰুষ্ষ্ক্কাসা করেন, তুমোঃফ্লো
শ্লোলে,ত তা কি সত্য? সাভীহ বলেন, জী ,সত্য ৷ অস্তমান সুর্যের লালিমা, নিশীঠথর
এর্কীত্যুঃান্মঃমোঃপিক্ষীর্দীব ,ত্মীন্তোআ ন্ন্াার্কে টী র্সিলোঃাচুেসৎবাদ
মোঃ আঃন্ণ্দ্বইৰুসল্গুা স্ফোস্ত্রস্কোব্লুফ্লু<া মোঃদ্ধ জ্যোলোঃাম্ভ ইর্তিপু€ৰ্ ম্ভাকুাদ্বপুশু

চাশ্দ্ষ্ট্র চাৰ্ চচদ্ন্চাশ্ষ্ট্র দুবৃস্ ফ্লুচ ম্বু ঙন্চন্ চু“হুশ্ক্তৰুড্রুস্ফুক্কু চাচক্ষুন্ট্রু ’, ৰুদুা চ,শ্০ ৰু এ ষ্দ্ম্পেট্রু

,<;ন্ ; চল্,শ্চ>ান্নিল্দোন্যুণ্হ্রট্ষ্ স্াধে০ ট্রু,া১,া১ন্ড্রুষ্ দুৰু< ঙ্গ১চ;াত্ত্ব ণ্ ;ন্র্কু(ন্ষ্,ষ্ ;ৰুর্বৃ১,া < ; ত্বগুদ্ব ছুন্দ্বুর্বৃন্ ;১া১ন্ব্লুচ
, ৰু এব্লু ক ল্লিতর্ষীদুেহুচ্চন্া নিয়্রুাং ৰু ,,ন্ ,শ্চে ; ধ্,ন্ৰু ,, ন্ৰু , ঠু ,, , ,চু ,ৰু,ৰুক্ষু,ৰু

ৰুৰুট্টট্র’হুংষ্ট্রৰ্বান্ন্াৰুপ্াশু ;ং ফ্লু ন্ব্লুরুদ্ধ,ৰু , ক্ক;াং ন্দ্রল্কাষ্র্ষ’াব্র ণিষ্ট্রত্ত ম্নোত্ত্ব১ণ্ পুব্ললোঃ লোঃ

চুা১ র্সা১ব্যাংশুচচাপ্ চন্ন্নোা,শু চ স্মতু ,ল্লীচু ব্রঙ্কুাত্যে চ্য ণ্ান্ৰচা হ ধ্বন ব্রু, ;গু ন্ভৃক্লীা১বটু,া ’ার্ল াগ্লুাাধ্

০ ) : )

ন্াক্ষেদ্দৌাম্পোজ্যোা জাোওৰুশ্ষ্াট্টষ্াপু র্চাম্পোষ্ট্রট্যাংদ্দৌর্স্টস্টো ;কুলীেক্রনিঃ
চক্তা চ<জ্যোঅ্যাংম্পোফজ্যোালোঃআঃঙ্কো আ অ্যাংম্বক্ষেন্তেবঢ়মোঃ আেকাজ্যা
চল্যাংক্যেলোঃঅ্যাংঙ্গাথো মোঃ মোঃ নামোঃঅ্যাংতাদ্দো শ্লোলোঃ ও
াঢক্রোল্টোল্পেল্দোবজ্জীাা চক্তর্ন্তঢ চাওচাৰুা চাটাণ্ প্ণ্া ,ৎ:াগ্?গাংাণহ্রণ্চান্ লোঃাও ও১রুাৰুন্র্স’

শুণ্ণ্হু,ল্গুজাইবন্াাৰুাান্ত্রৰুৰ্ ল্গুলোঃদ্বশ্লে ওৰুও ষ্;াব্হুা ন্াদ্ভৰ্াজ্জ ইব্স্জ্জীব্ষ্ার্কিংব্
ত্যার্নিতুদ্বীবীও অনুবাপহুর্ণনা র্ভ মুংরে বব্র্লাছন র্সর্তীইসর্ম্পকেপ্লিচুব বর্লিনৃা ইট্রুাহুন্বিই ৷
অংনত্র্বী তা সিষ্কল্ান্ধীও ৷ “ মোঃর্গকুচী ইশুলী ওাই &,%?§§ মোঃনঃ

মোঃ৷ মোঃ ক্রুর্বীহীর্বীষ্টুা সাপ্টিই ণুর্চআাহীম্ভীব্া শুায় ন্চন্ইন্ান্ল্গুহ্লাৰুগুত নান্ডেব্
করেছিলেন ৷ তাছাড়া আমরা এমন বর্ণনাও পেয়েছি যে, নবী করীম (সা) কে সাভীই
সাজািাড্ডাম্ভেমোঃর্লাট্াঅ্যাংসাঞ্জন্থালোঃমোঃক্ষাং খ্যাঃভাং মোঃ কদর

ৰুর্কীকৈলোঃবেহুক্ষাংসিখ্যাঃলোঃঈম্পমোঃাটীন্থের্ধি ’ ৰ্বা “ “ ং ন্ “

ল্পে,কুক্তব্লুর্টা>ারু ,চক্তর্ন্তান্ব ন্ন্বন>৷াব্রা ন্থঢ় চারুক্তাচা>ান্ডে শ্চ ও ত্বক্কু ৰেন্ট্টা ন্১ ইও চারু?ংক্ট :চও ও ;

ন্ ন্ান্নাম্নাব্লু মোঃমৈংঅ্যাংলোঃ ল্ফ্তেশু , , মোঃ, ণ্াই ব্রুর্শ্বন্মব্ মোঃ ভিত্তি ন্নেহ্ স্ৰুদ্রুণ্ৰুৰুশুহু
এমন হাদীস, অ্যাংলোঃত্বোপ্লাংমোঃামোঃট্যাংম্বিহ্মা লোঃলোঃ এ্যাপ

ট্রুব্রিৰুৰুব্লুরুণ পুাত্নাযাযক্কুয , কিভুতৃন্ওেরুিশুহৃশুন্হু ৰুম্বা১ারু; ও রু ন্ৰু ৰু ষ্ষ্ণ্ক্ক প্ণ্ন্ষ্ও ৰুন্ ণ্ৰুত্ষ্ট্ট

আলোচ্য বক্তব্যের লা জ্যিজ্জ চর্তোপ্ৰশ্ম্মে কংক্ষ্ণআঃস্পোনীিলোঃন্অ্যাংষ্ট ৰিদ্দাহিলভোবহুঙ্কোঢড়
ক্ষোফ্তেলোঃসৃলোঃ ম্পান্মোশ্চদ্যোা ওাল্ডিংতিরুিইষ্কেলামোক্লম্নষুাত্বদ্রুষ্াননি ণ্া;স্ফোন মোঃনলেক্ষো ৷







رُؤَسَائِهِمْ مِنْهُمْ عَبْدُ شَمْسٍ، وَعَبْدُ مَنَافٍ أَبْنَاءُ قُصَيٍّ فَامْتَحَنُوهُ فِي أَشْيَاءَ فَأَجَابَهُمْ فِيهَا بِالصِّدْقِ. فَسَأَلُوهُ عَمَّا يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ فَقَالَ: خُذُوا مِنِّي، وَمِنْ إِلْهَامِ اللَّهِ إِيَّايَ; أَنْتُمُ الْآنَ يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ فِي زَمَانِ الْهَرَمْ، سَوَاءٌ بَصَائِرُكُمْ وَبَصَائِرُ الْعَجَمْ لَا عِلْمَ عِنْدَكُمْ وَلَا فَهْمْ، وَيَنْشَأُ مِنْ عَقِبِكُمْ ذَوُو فَهْمٍ يَطْلُبُونَ أَنْوَاعَ الْعِلْمِ فَيَكْسِرُونَ الصَّنَمْ، وَيَتْبَعُونَ الرَّدَمْ، وَيَقْتُلُونَ الْعَجَمْ، وَيَطْلُبُونَ الْغَنَمْ، ثُمَّ قَالَ: وَالْبَاقِي الْأَبَدْ، وَالْبَالِغُ الْأَمَدْ، لَيَخْرُجَنَّ مِنْ ذَا الْبَلَدْ، نَبِيٌّ مُهْتَدْ، يَهْدِي إِلَى الرَّشَدْ، يَرْفُضُ يَغُوثَ وَالْفَنَدْ، يَبْرَأُ عَنْ عِبَادَةِ الضِّدَدْ، يَعْبُدُ رَبًّا انْفَرَدْ. ثُمَّ يَتَوَفَّاهُ اللَّهُ بِخَيْرِ دَارٍ مَحْمُودًا مِنَ الْأَرْضِ مَفْقُودًا، وَفِي السَّمَاءِ مَشْهُودًا، ثُمَّ يَلِي أَمْرَهُ الصِّدِّيقْ إِذَا قَضَى صَدَقْ، وَفِي رَدِّ الْحُقُوقِ لَا خَرِقٌ وَلَا نَزِقْ، ثُمَّ يَلِي أَمْرَهُ الْحَنِيفْ مُجَرِّبٌ غِطْرِيفْ قَدْ أَضَافَ الْمُضِيفْ، وَأَحْكَمَ التَّحْنِيفْ، ثُمَّ ذَكَرَ عُثْمَانَ وَمَقْتَلَهُ وَمَا يَكُونُ بَعْدَ ذَلِكَ مِنْ أَيَّامِ بَنِي أُمَيَّةَ، ثُمَّ بَنِي الْعَبَّاسِ وَمَا بَعْدَ ذَلِكَ مِنَ الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ سَاقَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ بِسَنَدِهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِطُولِهِ. وَقَدْ قَدَّمْنَا قَوْلَهُ لِرَبِيعَةَ بْنِ نَصْرٍ مَلِكِ الْيَمَنِ حِينَ أَخْبَرَهُ بِرُؤْيَاهُ قَبْلَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ১৪৯৪
يُخْبِرَهُ بِهَا، ثُمَّ مَا يَكُونُ فِي بِلَادِ الْيَمَنِ مِنَ الْفِتَنِ، وَتَغْيِيرِ الدُّوَلِ حَتَّى يَعُودَ إِلَى سَيْفِ بْنِ ذِي يَزَنَ فَقَالَ لَهُ: أَفَيَدُومُ ذَلِكَ مِنْ سُلْطَانِهِ أَمْ يَنْقَطِعُ؟ قَالَ: بَلْ يَنْقَطِعُ قَالَ: وَمَنْ يَقْطَعُهُ؟ قَالَ: نَبِيٌّ زَكِيٌّ يَأْتِيهِ الْوَحْيُ مِنْ قِبَلِ الْعَلِيِّ قَالَ: وَمِمَّنْ هَذَا النَّبِيُّ؟ قَالَ: مِنْ وَلَدِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ، يَكُونُ الْمُلْكُ فِي قَوْمِهِ إِلَى آخِرِ الدَّهْرِ قَالَ: وَهَلْ لِلدَّهْرِ مِنْ آخِرٍ؟ قَالَ: نَعَمْ يَوْمَ يُجْمَعُ فِيهِ الْأَوَّلُونَ وَالْآخِرُونَ يَسْعَدُ فِيهِ الْمُحْسِنُونَ، وَيَشْقَى فِيهِ الْمُسِيئُونَ قَالَ: أَحَقٌّ مَا تُخْبِرُنِي؟ قَالَ: نَعَمْ وَالشَّفَقِ وَالْغَسَقْ وَالْقَمَرِ إِذَا اتَّسَقْ، إِنَّ مَا أَنْبَأْتُكَ عَلَيْهِ لَحَقٌّ، وَوَافَقَهُ عَلَى ذَلِكَ شِقٌّ سَوَاءً بِسَوَاءٍ بِعِبَارَةٍ أُخْرَى كَمَا تَقَدَّمَ، وَمِنْ شِعْرِ سَطِيحٍ قَوْلُهُ: عَلَيْكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ فِي السِّرِّ وَالْجَهْرِ ... وَلَا تَلْبِسُوا صِدْقَ الْأَمَانَةِ بِالْغَدْرِ وُكُونُوا لِجَارِ الْجَنْبِ حِصْنًا وَجُنَّةً إِذَا ... مَا عَرَتْهُ النَّائِبَاتُ مِنَ الدَّهْرِ وَرَوَى ذَلِكَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، ثُمَّ أَوْرَدَ ذَلِكَ الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا الْجَرِيرِيُّ فَقَالَ: وَأَخْبَارُ سَطِيحٍ كَثِيرَةٌ وَقَدْ جَمَعَهَا غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْمَشْهُورُ أَنَّهُ كَانَ كَاهِنًا وَقَدْ أَخْبَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَنْ نَعْتِهِ وَمَبْعَثِهِ، وَرُوِيَ لَنَا بِإِسْنَادٍ اللَّهُ بِهِ أَعْلَمُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «سُئِلَ عَنْ سَطِيحٍ فَقَالَ: نَبِيٌّ ضَيَّعَهُ قَوْمُهُ» .
পৃষ্ঠা - ১৪৯৫


কেননা, উপরিউক্ত বর্ণনায় আমরা বলেছি যে, সাতীহ তার ভাপিনাকে বলেছিলেন, হে আবদুল
মাসীহ যখন তিলাওয়াত বৃদ্ধি পাবে, শক্ত ছড়িওয়ালা আত্মপ্রকাশ করবেন, সামাওয়ার উপত্যকা
কুসে উঠবে, সাওয়াহ্রদ শুকিয়ে যাবে ও পারস্যের অপ্লিকুণ্ড নিবক্তভ্র যা:র, সাতীহ-এর জন্য শাম
আর খান থাকবে না, গস্তুজের সংখ্যার সমান সংখ্যক রাজত্ব-বাণী শ্যামর রাজত্ব করবে ৷ আর যা
আসবার, তা আসবেই ৷

এরপর সাভীহর মৃত্যু হয় ৷ ঘটনাটা ছিল ৱাসুলুল্লাহ (সা)-এর জন্মের একমাস কিংবা তার
চাইতে কিছু কম পরে ৷ তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ইরাকের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার কোন এক প্রত্যন্ত
অঞ্চলে ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷

ইবন তাররার আল হারীরি বলেন, সাতীহ সাতশ’ বছরের আযু পেয়েছিলেন ৷ আবার কেউ
বলেন, পড়াচশ’ বছর, কেউ বলেন, তিনশ’ বছর ৷ ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, এক বাদশাহ
সাতীহকে একটি শিশুর বংশ পরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, যার ন্পিভৃপরিচয় সম্পর্কে
মতভেদ ছিল ৷ জবাবে সাতীহ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে তার সমাধান দেন ৷ এমনি এক জটিল সমস্যার
সমাধান পেয়ে বাদশাহ র্তাকে বললেন, সাতীহ! তোমার এই বিদ্যার উৎস সম্পর্কে তুমি আমাকে
বলবে কি? জবাবে সাতীহ বললেন, এই বিদ্যা আমার নিজস্ব নয় ৷ আমি এই বিদ্যা লাভ
করেছি, আমার সেই ভাইয়ের নিকট থেকে, যিনি সিনাই পর্বতে ওহী শ্রবণ করেছিলেন ৷
বাদশাহ বললেন, এমন নয় (তা যে, তোমার সেই জিন ভাইটি সর্বক্ষণ তোমার সঙ্গে
থাকে-কখ্যনা তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না? না, এমন নয় বরং আমি যখন বিচ্ছিন্ন হয়ে
পড়ি, সেও আলাদা হয়ে যায় ৷ তবে সে যা বলে , আমি তা ছাড়া অন্যকিছু বলি না ৷

উপরে বর্ণিত হয়েছে যে, সাতীহ এবং আরেকজন ভবিষ্যদ্বক্তা (ইবন মসআব ইবন
ইযাশকুর ইবন রাহম ইবন বুসর ইবন উকবা) একই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ৷ জন্মের পর
তাদেরকে তারীফা বিনতে হুসাইন আল হামীদিয়াহ নড়াম্বী এক গণক ঠাকুরণীর নিকট নিয়ে
যাওয়া হয় ৷ সে তাদের মুখে থুথু দেয় ৷ ফলে তার থেকে তারা জ্যেড়াতিষৰিদ্যা লাভ করে ৷ আর
সেই গণক ঠাকুরণী সেদিনই মারা যায় ৷ সাতীহ ছিলেন আধা মানুষ ৷ কথিত আছে যে, খালিদ
ইবন আবদুল্লাহ আল-কাসরী র্তারই বংশের লোক ৷ উল্লেখ্য যে, শিক্ সাতীহ-এর বেশ কিছুকাল
আগে মারা যান ৷

অপরদিকে আবদুল মাসীহ ইবন আমর ইবন কায়স ইবন হায়্যান ইবন নুফায়লা
আল-গাস্সানী আন-নাসরানী ছিলেন একজন প্রবীণ ব্যক্তি ৷ হাফিজ ইবন আসাকির তার
ইতিহাস গ্রন্থে তার জীবন-চরিত আলোচনা করেছেন এবং বলেছেন, এই আবদুল মাসীহ্-ই
খালিদ ইবন ওলীদ (রা)-এর সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন ৷ এই প্রসঙ্গে ইবন আসাকির দীর্ঘ একটি
কাহিনীও উল্লেখ করেছেন এবং এও লিখেছেন যে, খালিদ ইবন ওলীদ (বা) এক সময় তার হাত
থেকে বিষ পেয়েছিলেন ৷ কিন্তু তা তার বিন্দুমাত্র অনিষ্ট করেনি ৷ কেননা বিয়ের পাত্র হাতে নিয়ে
তিনি বলেছিলেন :

ঢ় ; : # ১ ধ্
এে১া
শ্ শ্ শ্
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৬৩-
ণোণোণো(হ্রাশ্রোা৪গাে০ওেড়াড়া

قُلْتُ: أَمَّا هَذَا الْحَدِيثُ فَلَا أَصْلَ لَهُ فِي شَيْءٍ مِنْ كُتُبِ الْإِسْلَامِ الْمَعْهُودَةِ، وَلَمْ أَرَهُ بِإِسْنَادٍ أَصْلًا، وَيُرْوَى مِثْلُهُ فِي خَبَرِ خَالِدِ بْنِ سِنَانٍ الْعَبْسِيِّ وَلَا يَصِحُّ أَيْضًا. وَظَاهِرُ هَذِهِ الْعِبَارَاتِ تَدُلُّ عَلَى عِلْمٍ جَيِّدٍ لِسَطِيحٍ، وَفِيهَا رَوَائِحُ التَّصْدِيقِ لَكِنَّهُ لَمْ يُدْرِكِ الْإِسْلَامَ كَمَا قَالَ الْجَرِيرِيُّ فَإِنَّهُ قَدْ ذَكَرْنَا فِي هَذَا الْأَثَرِ أَنَّهُ قَالَ لِابْنِ أُخْتِهِ: يَا عَبْدَ الْمَسِيحِ إِذَا كَثُرَتِ التِّلَاوَةْ، وَظَهْرَ صَاحِبُ الْهِرَاوَةْ، وَفَاضَ وَادِي السَّمَاوَةْ، وَغَاضَتْ بُحَيْرَةُ سَاوَةْ، وَخَمَدَتْ نَارُ فَارِسَ فَلَيْسَ الشَّامُ لِسَطِيحٍ شَامًا، يَمَلِكُ مِنْهُمْ مُلُوكٌ، وَمَلِكَاتْ عَلَى عَدَدِ الشُّرُفَاتْ، وَكُلُّ مَا هُوَ آتٍ آتْ، ثُمَّ قَضَى سَطِيحٌ مَكَانَهُ. وَكَانَ ذَلِكَ بَعْدَ مَوْلِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَهْرٍ - أَوْ شَيْعِهِ أَيْ أَقَلَّ مِنْهُ - وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِأَطْرَافِ الشَّامِ مِمَّا يَلِي أَرْضَ الْعِرَاقِ فَاللَّهُ أَعْلَمُ بِأَمْرِهِ وَمَا صَارَ إِلَيْهِ، وَذَكَرَ ابْنُ طَرَّارٍ الْجَرِيرِيُّ أَنَّهُ عَاشَ سَبْعَمِائَةِ سَنَةٍ، وَقَالَ غَيْرُهُ: خَمْسَمِائَةِ سَنَةٍ، وَقِيلَ ثَلَاثَمِائَةِ سَنَةٍ فَاَللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ مَلِكًا سَأَلَ سَطِيحًا عَنْ نَسَبِ غُلَامٍ اخْتُلِفَ فِيهِ فَأَخْبَرَهُ عَلَى الْجَلِيَّةِ فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ مَلِيحٍ فَصِيحٍ. فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ: يَا سَطِيحُ أَلَا تُخْبِرُنِي عَنْ عِلْمِكَ هَذَا؟ فَقَالَ: إِنَّ عِلْمِي هَذَا لَيْسَ مِنِّي وَلَا بِخَرْمٍ وَلَا بِظَنٍّ، وَلَكِنْ أَخَذْتُهُ عَنْ أَخٍ لِي جِنِّيٍّ قَدْ سَمِعَ الْوَحْيَ بِطُورِ سَيْنَاءَ فَقَالَ لَهُ: أَرَأَيْتَ أَخَاكَ هَذَا الْجِنِّيَّ، أَهْوَ مَعَكَ لَا يُفَارِقُكَ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ لَيَزُولَ حَيْثُ أَزُولْ،
পৃষ্ঠা - ১৪৯৬


এই বলে তিনি পাত্রস্থ পদার্থগুলো খেয়ে ফেলেন ৷ খালিদ ইবনে ওলীদের জ্ঞান হারাবার
উপক্রম হয় ৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি দু’হাতে নিজের দু’হাতে চাপড় মারেন এবং ঘর্মাক্ত হন ৷ তিনি
জ্ঞান ফিরে পান ৷ তখন আবদুল মাসীহকে তিনি কয়েকটি পংক্তি আবৃত্তি করে শুনান ৷

আবু নুআয়ম শুআয়ব এর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, মাররুয যাহরান
নামক স্থানে একজন ধর্যযাজক বাস করতেন ৷ তার নাম ছিল ঈস ৷ তিনি সিরিয়ার অধিবাসী
ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন আস ইবন ওয়ায়েল এর আশ্রিত ৷ আল্লাহ তাকে প্রচুর জ্ঞান দান
করেছিলেন এবং তাতে মক্কাবাসীদের জন্য বহু উপকার করেছিলেন ৷৩ তার একটি উপাসনালয়
ছিল, তাচ তই তিনি সর্বদা ৷থাকতেন ৷ বছরে কেবল একবার মক্কায় আস্তেন এবং মক্কাবাসীদের
সাথে দেখা সাক্ষাত করতেন ৷ তিনি তাদেরকে বলতেন, হে মক্কাবাসী ! অচিরেই তোমাদের
মাঝে এমন এক নবজাতকের আবির্ভাব হবে, সমগ্র আরব যার ধর্ম অবলম্বন করবে এবং আজম
তথা আরবের বাইরেও তার রাজৎ ছড়িয়ে পড়বে ৷ এই সেই সময , যে ব্যক্তি তাকে পাবে এবং
তার আনুগত্য করবে, সে কৃতকার্যহবে ৷ আর যে ব্যক্তি তাকে পেয়েও র্তার বিরুদ্ধাচরণ করবে,
সে ব্যর্থকাম হবে ৷ আল্লাহর শপথ ৷ তীর অনুসন্ধান ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে মদ-রুটি ও
শান্তির দেশ ত্যাগ করে আমি এই অভাব অশান্তি ও নিরাপত্তাহীনাঃ ৷র দেশে আসিনি৷ মক্কায়
কোন সন্তান ভুমিষ্ঠ হলেই তিনি তার ব্যাপারে খোজ খবর নিতেন এবং শুনে বলতেন, না, এখন
তার আগমন ঘটেনি ৷ তখন তাকে বলা হতো, তাহলে বলুন না, সেই শি শুটি (কমন হবে?
তিনি বলতেন, না, বলা যাবে না ৷ প্ৰভীক্ষিত সেই মহান শিশুটির পরিচয় তিনি তার নিরাপত্তার
খাতিরেই গোপন রাখতেন ৷ কারণ তিনি জা নতে ন যে, সেই শিশুটির স্বজাতি তার অনিষ্ট করার
চেষ্টা করবে ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) যে রাতে ভুমিষ্ঠ হন ৷ সেদিন প্ৰত্যুষে আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মুত্তালিব
এসে ঈসের উপাসনালয়ের প্রধান ফটকের কাছে র্দাড়িয়ে তাকে ডাক দেন ৷ ডাক শুনে তিনি
আওয়াজ করে জিজ্ঞেস করেন, কো তিনি বললেন, আমি আবদুল্লাহ ৷ যাজক তার নিকটে এসে
বললেন, তমি তার পিতা হও ৷ আমি সেই শিশুটির কথা তোমাদের বলতাম যে, তিনি সোমবার
দিনে তুমিষ্ঠ হবেন, সােমবারে নবুওত লাভ করবেন এবং সোমবারেই তার ইস্তিকাল হবে ৷ সেই
প্রভীক্ষিত শিশুটি ভুমিষ্ঠ হয়ে গেছেন ৷ আবদুল্লাহ বললেন, আজ প্রত ত্যুষে আমার একটি সন্তান
জন্মেছে ৷ জিজ্ঞাসা করলেন,ত তার ৷কি নাম রেখেছেন? আব্দুল্লাহ বললেন, নাম রেখেছি, মুহাম্মদ ৷
পাদ্রী বললেন, হে কা বাব সেবায়ে৩ গণ! আমারও কামনা এই ছিল যে, সেই শিশুটি যেন
আপনাদের মধ্য থেকেই আগমন করেন ৷ তিনটি লক্ষ্যণ আমি বুঝতে পেয়েছি যে, আপনার
পুত্রই সেই প্রত্তীক্ষিত শিশু ৷ এক, গত রাতে তার নক্ষত্র উদিত হয়েছে ৷ দুই, আজ তিনি ভুমিষ্ঠ
হয়েছেন এবং তিন, তার নাম মুহাম্মদ ৷ আপনি যান ৷ আমি আপনাদেরকে যে শিশুটির কথা
বলতাম, আপনার পুত্র তিনিই ৷ আবদুল্লাহ জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি করে বুঝলেন যে,
আমার পুএই তিনি? আজকে (তা অন্য শিশুরও জন্ম হয়ে থাকতে পারে? পাদ্রী বললেন,
আপনার পুত্রের সঙ্গে তার নাম মিলে গেছে ৷ আর আল্লাহ আলিমদের জন্য তার ইলমকে
সন্দেহজনক করেন না ৷ কারণ, তা হলো অকাট্য প্রমাণ স্বরুপ ৷


وَلَا أَنْطِقُ إِلَّا بِمَا يَقُولْ. وَتَقَدَّمَ أَنَّهُ وُلِدَ هُوَ وَشِقُّ بْنُ مُصْعَبِ بْنِ يَشْكُرَ بْنِ رُهْمِ بْنِ بُسْرِ بْنِ عُقْبَةَ الْكَاهِنُ الْآخَرُ، وُلِدَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ فَحُمِلَا إِلَى الْكَاهِنَةِ طَرِيفَةَ بِنْتِ الْحُسَيْنِ الْحِمْيَرِيَّةِ فَتَفَلَتْ فِي أَفْوَاهِهِمَا فَوَرِثَا مِنْهَا الْكِهَانَةَ، وَمَاتَتْ مِنْ يَوْمِهَا وَكَانَ نِصْفَ إِنْسَانٍ، وَيُقَالَ: إِنَّ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ مِنْ سُلَالَتِهِ وَقَدْ مَاتَ شِقٌّ قَبْلَ سَطِيحٍ بِدَهْرٍ. وَأَمَّا عَبْدُ الْمَسِيحِ بْنُ عَمْرِو بْنِ قَيْسِ بْنِ حَيَّانَ بْنِ بُقَيْلَةَ الْغَسَّانِيُّ النَّصْرَانِيُّ فَكَانَ مِنِ الْمُعَمَّرِينَ وَقَدْ تَرْجَمَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَارِيخِهِ، وَقَالَ: هُوَ الَّذِي صَالَحَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ عَلَى الْحِيرَةِ، وَذَكَرَ لَهُ مَعَهُ قِصَّةً طَوِيلَةً، وَأَنَّهُ أَكَلَ مِنْ يَدِهِ سُمَّ سَاعَةٍ فَلَمْ يُصِبْهُ سُوءٌ; لِأَنَّهُ لَمَّا أَخَذَهُ قَالَ: بِسْمِ اللَّهِ وَبِاللَّهِ رَبِّ الْأَرْضِ وَالسَّمَاءِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ أَذًى، ثُمَّ أَكَلَهُ فَعَلَتْهُ غَشْيَةٌ فَضَرَبَ بِيَدَيْهِ عَلَى صَدْرِهِ، ثُمَّ عَرِقَ وَأَفَاقَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَذَكَرَ لِعَبْدِ الْمَسِيحِ أَشْعَارًا غَيْرَ مَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ الْحَسَنِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ حَدَّثَنَا الْمُسَيَّبُ بْنُ شَرِيكٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَرِيكٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: كَانَ
পৃষ্ঠা - ১৪৯৭
بِمَرِّ الظَّهْرَانِ رَاهِبٌ مِنَ الرُّهْبَانِ يُدْعَى عِيصًا مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَكَانَ مُتَخَفِّرًا بِالْعَاصِ بْنِ وَائِلٍ وَكَانَ اللَّهُ قَدْ آتَاهُ عِلْمًا كَثِيرًا، وَجَعَلَ فِيهِ مَنَافِعَ كَثِيرَةً لِأَهْلِ مَكَّةَ مِنْ طِيبٍ وَرِفْقٍ وَعِلْمٍ وَكَانَ يَلْزَمُ صَوْمَعَةً لَهُ، وَيَدْخُلُ مَكَّةَ فِي كُلِّ سَنَةٍ فَيَلْقَى النَّاسَ، وَيَقُولُ: إِنَّهُ يُوشِكُ أَنْ يُولَدَ فِيكُمْ مَوْلُودٌ يَا أَهْلَ مَكَّةَ يَدِينُ لَهُ الْعَرَبُ، وَيَمْلِكُ الْعَجَمَ هَذَا زَمَانُهُ، وَمَنْ أَدْرَكَهُ وَاتَّبَعَهُ أَصَابَ حَاجَتَهُ، وَمَنْ أَدْرَكَهُ فَخَالَفَهُ أَخْطَأَ حَاجَتَهُ، وَتَاللَّهِ مَا تَرَكْتُ أَرْضَ الْخَمْرِ وَالْخَمِيرِ وَالْأَمْنِ وَلَا حَلَلْتُ بِأَرْضِ الْجُوعِ وَالْبُؤْسِ وَالْخَوْفِ إِلَّا فِي طَلَبِهِ وَكَانَ لَا يُولَدُ بِمَكَّةَ مَوْلُودٌ إِلَّا يَسْأَلُ عَنْهُ فَيَقُولُ: مَا جَاءَ بَعْدُ فَيُقَالَ لَهُ: فَصِفْهُ فَيَقُولُ: لَا وَيَكْتُمُ ذَلِكَ; لِلَّذِي قَدْ عَلِمَ أَنَّهُ لَاقٍ مِنْ قَوْمِهِ مَخَافَةً عَلَى نَفْسِهِ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ دَاعِيَةً إِلَى أَدْنَى مَا يَكُونُ إِلَيْهِ مِنَ الْأَذَى يَوْمًا. وَلَمَّا كَانَ صَبِيحَةُ الْيَوْمِ الَّذِي وُلِدَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ حَتَّى أَتَى عِيصًا فَوَقَفَ فِي أَصْلِ صَوْمَعَتِهِ، ثُمَّ نَادَى يَا عِيصًا فَنَادَاهُ مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ فَأَشْرَفَ عَلَيْهِ فَقَالَ: كُنْ أَبَاهُ فَقَدْ وُلِدَ الْمَوْلُودُ الَّذِي كُنْتُ أُحَدِّثُكُمْ عَنْهُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَيُبْعَثُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَيَمُوتُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، قَالَ: فَإِنَّهُ قَدْ وُلِدَ لِي مَعَ الصُّبْحِ مَوْلُودٌ قَالَ فَمَا سَمَّيْتَهُ؟ قَالَ: مُحَمَّدًا قَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَشْتَهِي أَنَّ يَكُونَ هَذَا الْمَوْلُودُ فِيكُمْ أَهْلَ
পৃষ্ঠা - ১৪৯৮

তাছাড় তা এর আরও একটি প্রমাণ হলো, আপনার পুত্র এখন ব্যাথাগ্রস্ত ৷ তার এই ব্যথা
তিনদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ৷ এতে তার ক্ষুধা প্রকাশ পাবে ৷ অতপ্পর তিনি সুন্থতা লাভ
করবেন ৷ আপনি আপনার জিহ্বাকে সংযত করে চলবেন ৷ কেননা, তার প্রতি এত বেশি বিদ্বেষ
পোষণ করা হবে, যা কখনো অন্য কারও বেলায় হয়নি এবং তার উপর এত বেশি অত্যাচার
হবে, যা অন্য কারও উপর কােনদিন হয়নি ৷ তার কথা বলার বয়স পর্যন্ত যদি আপনি বেচে
থাকেন এবং তিনি তার দাওয়াতের কাজ শুরু করেন, তাহলে আপনারাজাতির পক্ষ থেকে
আপনি এমন আচরণ দেখতে পাবেন, যা আপনি সহ্য করতে পারবেন না ৷ তখন ধৈর্যধারণ আর
লাঞ্চুনা ভোগ করা ব্যতীত কোন গতি থাকবে না ৷ অতএব আপনি আপনার জিহবাকে সংযত
রাখবেন এবং তাকে চোখে চোখে রাখবেন ৷ আবদুল্লাহ জিজ্ঞাসা করলেন, শিশুটির আবু কত
হবো পাদ্রী বললেন, আয়ু৩ তার বেশি হোক আর কম হোক নত্তুরে পৌছবে না ৷ সত্তুরের নিচে
ষাটের ওপরে যে কোন বেজােড সং থ্যার বয়সে তার মৃত্যু হন্থ< ৷ আর এই হবে৩ তার উম্মতের
অধিকাৎহু শের গড় আবু ৷

বর্ণনাকারী বলেন, মুহাররমের দশ তারিখে রাসুলুল্লাহ (সা) মায়ের গর্ভে আসেন এবং
হস্তিবাহিনীর যুদ্ধের ণ্তইশ দিন আগে রমযান মাসের বার তারিখে সোমবার ভুমিষ্ঠ হন ৷

রাসুলুল্লাহ (না)-এর লালন-পালনকারী ও দাই-মাগণের বিবরণ

উম্মে আয়মান রাসুলুল্লাহ (না)-কে লালন পালন করতেন ৷ তার আসল নাম ছিল
বারাকা এই উম্মে আয়মানকে রাসুলুল্লাহ (সা) উত্তরাধিকার সুত্রে পেয়েছিলেন ৷ পরবর্তীকালে
নবী করীম (সা) তাকে আযাদ করে তার আয়াদকৃত গোলাম যায়েদ ইবনে হাবিছা র সঙ্গে বিবাহ
দেন ৷ এই ত্রীর গর্ভেই যায়েদ ইবনে হারিছার পুত্র উসামা ইবনে যায়েদ (রা) এর জন্ম হয় ৷

হালীমা সা দিয়ার আগে তার মা আমিনা এবং আবু লাহাব এর দাসী ছুওয়াইবা (রা)
রাসুলুল্লাহ (না)-কে দুধপান করাতেন ৷

ইমাম বুখারী ও মুসলিমত তাদের সহীহদ্বয়ে বর্ণনা করেন যে, আবু সুফিয়ানের কন্যা উম্মে
হাবীবা একদিন রাসুল (সা) কে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমার বোন আয্যাহ্ বিনত
আবু সুফিয়ানকে বিয়ে করুন! উত্তরে রাসুল (সা) বললেনং এটি কি তুমি পছন্দ কর? আমি
বললামং : ত্মী হ্যা ৷ তবে আমিই তো আপনার একমাত্র শ্রী নই? কল্যাণ লাভে আমার বোনটি
আমার সাথে শরীক হোক এটি আমার পছন্দনীয় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : কিভু আমার জন্য
হালাল হবে না ৷ উম্মে হাবীবাহ বলেন, তখন আমি বললাম, আমরা কিত্তু বলাবলি করছি যে ,
আপনি আবু সালামার কন্যাকে বিয়ে করতে আগ্রহী ৷ এক বর্ণনায় আবু সালামার কন্যা দৃররার
নামও উল্লেখ আছে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : তুমি কি উম্মে সালামার কন্যার কথা বলছন্
আমি বললাম, জী হীা ৷ তিনি বললেন০ উম্মে সালামার কন্যা যদি আমার ত্রীর সাথে আগত
পালিতা কন্যা নাও হত ,তবুও সে আমার জন্য হালাল হত না ৷ কারণ সে আমার দুধ ভাই এর
কন্যা ৷ ছুওয়াইবা আমি এবং আবু সালামা উভয়বেইি দুধ পান করান ৷ অতএব তোমরা আমার


الْبَيْتِ; لِثَلَاثِ خِصَالٍ نَعْرِفُهُ بِهَا مِنْهَا أَنَّ نَجْمَهُ طَلَعَ الْبَارِحَةَ، وَأَنَّهُ وُلِدَ الْيَوْمَ، وَأَنَّ اسْمَهُ مُحَمَّدٌ انْطَلِقْ إِلَيْهِ فَإِنَّ الَّذِي كُنْتُ أُحَدِّثُكُمْ عَنْهُ ابْنُكَ قَالَ: فَمَا يُدْرِيكَ أَنَّهُ ابْنِي، وَلَعَلَّهُ أَنْ يُولَدَ فِي هَذَا الْيَوْمِ مَوْلُودٌ غَيْرُهُ؟ قَالَ: قَدْ وَافَقَ ابْنُكَ الِاسْمَ، وَلَمْ يَكُنِ اللَّهُ لِيُشَبِّهَ عِلْمَهُ عَلَى الْعُلَمَاءِ فَإِنَّهُ حُجَّةٌ، وَآيَةُ ذَلِكَ أَنَّهُ الْآنَ وَجِعٌ فَيَشْتَكِي أَيَّامًا ثَلَاثَةً، يَظْهَرُ بِهِ الْجُوعُ ثَلَاثًا ثُمَّ يُعَافَى فَاحْفَظْ لِسَانَكَ فَإِنَّهُ لَمْ يُحْسَدْ أَحَدٌ حَسَدَهُ قَطُّ، وَلَمْ يُبْغَ عَلَى أَحَدٍ كَمَا يُبْغَى عَلَيْهِ، إِنْ تَعِشْ حَتَّى يَبْدُوَ مَقَالُهُ، ثُمَّ يَدْعُوَ لَظَهَرَ لَكَ مِنْ قَوْمِكَ مَا لَا تَحْتَمِلُهُ إِلَّا عَلَى صَبْرٍ وَعَلَى ذُلٍّ فَاحْفَظْ لِسَانَكَ، وَدَارِ عَنْهُ. قَالَ: فَمَا عُمُرُهُ؟ قَالَ: إِنْ طَالَ عُمُرُهُ أَوْ قَصُرَ لَمْ يَبْلُغِ السَّبْعِينَ يَمُوتُ فِي وِتْرٍ دُونَهَا مِنَ السِّتِّينَ فِي إِحْدَى وَسِتِّينَ أَوْ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ فِي أَعْمَارِ جُلِّ أُمَّتِهِ. قَالَ: وَحُمِلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَاشُورَاءِ الْمُحَرَّمِ، وَوُلِدَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ مِنْ غَزْوَةِ أَصْحَابِ الْفِيلِ هَكَذَا رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ.
পৃষ্ঠা - ১৪৯৯
[ذِكْرُ حَوَاضِنِهِ وَمَرَاضِعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] ذِكْرُ حَوَاضِنِهِ، وَمَرَاضِعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ كَانَتْ أُمُّ أَيْمَنَ، وَاسْمُهَا بَرَكَةُ تَحْضُنُهُ وَكَانَ قَدْ وَرِثَهَا عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ أَبِيهِ فَلَمَّا كَبِرَ أَعْتَقَهَا وَزَوَّجَهَا مَوْلَاهُ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ فَوَلَدَتْ لَهُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَأَرْضَعَتْهُ مَعَ أُمِّهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مَوْلَاةُ عَمِّهِ أَبِي لَهَبٍ ثُوَيْبَةُ قَبْلَ حَلِيمَةَ السَّعْدِيَّةِ. أَخْرَجَ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ فِي صَحِيحِهِمَا مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ «أُمِّ حَبِيبَةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ انْكِحْ أُخْتِي بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ، وَلِمُسْلِمٍ: عَزَّةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَوَتُحِبِّينَ ذَلِكَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ لَسْتُ لَكَ بِمُخْلِيَةٍ، وَأُحِبُّ مَنْ شَارَكَنِي فِي خَيْرِ أُخْتِي فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَحِلُّ لِي قَالَتْ: فَإِنَّا نُحَدَّثُ أَنَّكَ تُرِيدُ أَنْ تَنْكِحَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، وَفِي رِوَايَةٍ دُرَّةَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ: بِنْتُ أُمِّ سَلَمَةَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: إِنَّهَا لَوْ لَمْ تَكُنْ رَبِيبَتِي فِي حِجْرِي مَا حَلَّتْ لِي; إِنَّهَا لَابْنَةُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ أَرْضَعَتْنِي، وَأَبَا سَلَمَةَ ثُوَيْبَةُ فَلَا تَعْرِضْنَ عَلَىَّ بَنَاتِكُنَّ وَلَا أَخَوَاتِكُنَّ» زَادَ الْبُخَارِيُّ
পৃষ্ঠা - ১৫০০


কাছে তোমাদের কন্যা ও বোনদের কোন প্রস্তাব নিয়ে এস না ৷ বুখারীর বর্ণনায় এও আছে যে,
উরওয়া (র) বলেন, ছুওয়াইবা হচ্ছেন আবু লাহাবের আযাদকৃতা দাসী ৷ মুক্তি পাওয়ার পর
তিনি রাসুলুল্লাহ (সা)-কে দুধ পান করিয়ে ছিলেন ৷ আবু লাহাব এর মৃত্যুর পর তারই
পরিবারের কেউ একজন তাকে অত্যন্ত বিমর্য অবস্থায় স্বপ্নে দেখেন ৷ তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস
করেন, আপনি এখন কি হালে আছেন? আবু লাহাব বলল, তোমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর
এ পর্যন্ত আমি কোন কল্যাণ চোখে দেখিনি ৷ তবে ছুওয়াইবাকে মৃকুক্ত করে দেয়ার বদৌলতে
আমি এই পর্যায়ে উপনীত হয়েছি ৷ এই বলে সে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তজ্জীয় মধ্যবর্তী স্থানে
অবস্থিত একটি ছিদ্রের প্রতি ইংগিত করে ৷

সুহায়লী প্রমুখ উল্লেখ করেছেন, আবু লাহাবকে যিনি স্বপ্নে দেখেছিলেন, তিনি তারই ভাই
আব্বাস (রা) ৷ ঘটনাটি ঘটেছিল আবু লাহড়ারের মৃত্যুর এক বছর পর, বদর যুদ্ধের পরে ৷ সেই
স্বপ্নের বিবরণে একথাও উল্লেখ আছে যে, আবু লাহাব আব্বম্পাক বলেছিল যে, সোমবার
দিবসে আমার শাস্তি লঘু করা হয় ৷ অভিজ্ঞ মহল বলেন, তার কারণ এই ছিল যে, ছুওয়াইবা
যখন আবু লাহাবকে তার ভাতিজা মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহর জন্মের সুসংবাদ প্রদান করে,
তক্ষণাৎ সে ছুওয়াইরাকে আযড়াদ করে দিয়েছিল ৷ এটা তারই পুরস্কার স্বরুপ ৷

হলীেমার ঘরে রড়াসুলুল্লাহ (সা)

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন; অতঃপর রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্য হালীমা বিনতে আবী
যুওয়াইব-এর দুধপানের ব্যবস্থা করা হয় ৷ হালীমার পিতা আবু যুওয়াইব-এর পুরো নাম
আবদুল্লাহ ইবন হারিছ ৷ তার বংশলতিকা হচ্ছে এরুপ ৷ আবদুল্লাহ ইবন শাজনাহ ইবন জাৰির
ইবন বিযাম ইবন নাসিরা ইবন সাদ ইবন বকর ইবন হাওয়াযিন ইবনে মনসুর ইবন ইকরিমা
ইবন হাফসা ইবন কায়স আইলান ইবন মুযার ৷ ইবন ইসহাক বলেন : আর রাসুলুল্লাহ
(না)-এর দৃধপিতা-তথা হালীমার স্বামীর নাম হারিছ ইবন আবদুল উযযা ইবন রিফাআ ইবন
মিলান ইবন নাসিরা ইবন সাদ ইবন বকর ইবন হাওয়াযিন ৷ নবী করীম (না)-এর দুধ ভাই
বোনদের নাম যথাক্রমে আবদুল্লাহ ইবন হারিছ, আনীসা বিনতে হারিছ ও হুযাফা বিনতে
হারিছ ৷ হুযাফার অপর নাম শায়মা ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, এই শায়মাই তার মায়ের সঙ্গে
রাসুলুল্লাহ (সা)-কে তাদের বাড়িতে তার অবস্থানকালে লালন পালন করতেন ৷

ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন জাফর ইবন আবু তালিব সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেন, আমি হালিমা বিনতে হারিছ সম্পর্কে শুনেছি যে , তিনি বলেছেন : কোন এক দুর্তিক্ষের
বছর দৃগ্ধপোষ্য শিশু সঞ্চাহের জন্য বনু সাদের কয়েকজন মহিলার সঙ্গে আমি মক্কায় যাই ৷
( ওয়াকেদী তার সনদে উল্লেখ করেছেন যে, দুন্ধ্যপায্য শিশু অম্বেষণকারী মহিলাদের সংখ্যা ছিল
দশ) ৷ দুর্বল একটি গাধীতে সওয়ার হয়ে আমি মক্কায় পৌছি ৷ আমার সঙ্গে ছিল আমারই একটি
শিশু সন্তান আর একটি বুড়ো উটনী ৷ আল্লাহর শপথ ! উটনীটি আমার এক ফৌটা দৃধও দিচ্ছিল
না ৷ আর শিশুটির যন্ত্রণায় আমরা সেই রাতে একবিন্দুও ঘুমাতে পারিনি ৷ কারণ তাকে
খাওয়াবার মত না পেয়েছি আমার স্তনে এক কেটিড়া দুধ, না পেয়েছি তাকে পান করাবার মত
উটনীর সামান্য দুধ ৷ তবে আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠে স্বচ্ছলতা লাভে আশাবাদী ছিলাম ৷


قَالَ عُرْوَةُ: وَثُوَيْبَةُ مَوْلَاةٌ لِأَبِي لَهَبٍ أَعْتَقَهَا فَأَرْضَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا مَاتَ أَبُو لَهَبٍ أُرِيَهُ بَعْضُ أَهْلِهِ بِشَرِّ خَيْبَةٍ فَقَالَ لَهُ: مَاذَا لَقِيتَ؟ فَقَالَ أَبُو لَهَبٍ لَمْ أَلْقَ بَعْدَكُمْ خَيْرًا غَيْرَ أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ بِعَتَاقَتِي ثُوَيْبَةَ، وَأَشَارَ إِلَى النُّقْرَةِ الَّتِي بَيْنَ الْإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا مِنَ الْأَصَابِعِ. وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ وَغَيْرُهُ: إِنَّ الرَّائِيَ لَهُ هُوَ أَخُوهُ الْعَبَّاسُ وَكَانَ ذَلِكَ بَعْدَ سَنَةٍ مِنْ وَفَاةِ أَبِي لَهَبٍ بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ، وَفِيهِ أَنَّ أَبَا لَهَبٍ قَالَ لِلْعَبَّاسِ: إِنَّهُ لَيُخَفَّفُ عَلَيَّ فِي مِثْلِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ قَالُوا: لِأَنَّهُ لَمَّا بَشَّرَتْهُ ثُوَيْبَةُ بِمِيلَادِ ابْنِ أَخِيهِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَعْتَقَهَا مِنْ سَاعَتِهِ فَجُوزِيَ بِذَلِكَ لِذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ১৫০১
[ذِكْرُ رَضَاعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ حَلِيمَةَ السَّعْدِيَّةِ] ذِكْرُ رَضَاعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ حَلِيمَةَ بِنْتِ أَبِي ذُؤَيْبٍ السَّعْدِيَّةِ، وَمَا ظَهَرَ عَلَيْهِ مِنَ الْبَرَكَةِ، وَآيَاتِ النُّبُوَّةِ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَاسْتُرْضِعَ لَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ حَلِيمَةَ بِنْتِ أَبِي ذُؤَيْبٍ، وَاسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ شِجْنَةَ بْنِ جَابِرِ بْنِ رِزَامِ بْنِ نَاصِرَةَ بْنِ سَعْدِ بْنِ بَكْرِ بْنِ هَوَازِنَ بْنِ مَنْصُورِ بْنِ عِكْرِمَةَ بْنِ خَصَفَةَ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَيْلَانَ بْنِ مُضَرَ. قَالَ: وَاسْمُ أَبِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي أَرْضَعَهُ - يَعْنِي زَوْجَ حَلِيمَةَ - الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ رَفَاعَةِ بْنِ مَلَّانَ بْنِ نَاصِرَةَ بْنِ سَعْدِ بْنِ بَكْرِ بْنِ هَوَازِنَ، وَإِخْوَتُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ - يَعْنِي مِنَ الرَّضَاعَةِ - عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ، وَأُنَيْسَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ، وَحُذَافَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ وَهِيَ الشَّيْمَاءُ، وَذَكَرُوا أَنَّهَا كَانَتْ تَحْضُنُ رَسُولَ
পৃষ্ঠা - ১৫০২

যা হোক, অতি দুর্বল গাধীটির পিঠে সওয়ার হয়ে আমরা মক্কা এসে পৌছলাম ৷ দৃর্বলতার
কারণে গাধীটি আমাদেরকে যেন বহন করতে পারছিল না ৷ আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি,
আমাদের সব ক’জন মহিলার সম্মুখেই রাসুলুল্লাহ (না)-কে পেশ করা হয়েছিল ৷ কিংব্লু শিশুটি
এভীম শুনে কেউই তাকে গ্রহণ করতে সম্মত হল না ৷ আমরা বললাম এই এভীম শিশুর যা
আমাদের কি করতে পারবো আমরা তে তা শিশুর পিতার নিকট থেকে সুযোগ সুবিধা আশা ৷করি ৷
আর এই শিশুটির মাসে তো আমাদের কিছুই করতে পারবে না৷

যা হোক, আমি ছাড়া আমার সঙ্গী সব মহিলা একটি করে শিশু নিয়ে নেয় ৷ আমরা যখন
মুহাম্মদ ছাড়া আর কোন শিশুই পেলাম না এবং ফেরার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করলাম; তখন আমার
স্বামী হারিছকে বললাম, আল্লাহর শপথ, শিশু সন্তান না নিয়ে এইভাবে শুন্য হাতে ফিরে যেতে
আমার খারাপ লাগছে ৷ আমি ওই এভীম শিশুটিকে অবশ্যই নিয়ে যাব ৷ স্বামী বললেন, ঠিক
আছে, তাই কর হতে পারে , আল্লাহ তার মধ্যে আমাদের জন্য বরকত রেখেছেন ৷ আমি গিয়ে
শিশুটিকে নিয়ে নিলাম ৷ আল্লাহর শপথ, আমি তো তাকে গ্রহ-শ্ করেছিলাম অন্য শিশু না ৷পেয়ে
নিতা ৷ম্ভ নিরুপায় হয়ে ৷ এভীম মুহ৷ ম্মদকে নিয়ে আমি আমার বাহণের কাছে গেলাম ৷ আমি লক্ষ্য
করলাম, আমার স্তনদ্বয় পর্যাপ্ত দৃধে পরিপুর্ণ ৷ শিশু মুহাম্মদ তৃপ্তির সাথে তা পান করে এবং৩ তার
দুধ ভাইও সেই দুধ পান করে তৃপ্ত হয় ৷ আমার স্বামী উটনীর নিকট গেলেন ৷ তিনি দেখতে
পান যে, তার স্তন দুধে পরিপুর্ণ ৷ উটনী থেকে তিনি দুধ দােহন করলেন ৷ নিজে পান করলেন,
আমিও তুপ্তি সহকারে পান করলাম ৷ আমরা শান্তিতে রাত কাটা ৷লাম ৷

সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার স্বামী আমাকে বললেন, হালীমা৷ আল্লাহর শপথ, আমার
মনে হচ্ছে, তুমি একটি বরকতময় শিশুই নিয়েছ ৷ দেখলে না, ওকে আনার পর থেকে এই রাতে
আমরা কত কল্যাণ ও বরকত লাভ করলাম !’ এরপর থেকে আল্লাহ আমাদের জন্য এই কল্যাণ
আরও বৃদ্ধি করতে থাকেন ৷

এরপর আমরা সকলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম ৷ শপথ আল্লাহর! আমার পাধীটি
আমাদের নিয়ে এত ড্রুতপতিতে ছুটে চলে যে, সঙ্গের একটি পাধাও তার নাপাল পাচ্ছিল না ৷৩ তা
দেখে আমার সঙ্গীরা বলতে শুরু করে যে, আবু যুআইব-এর কন্যা ! ব্যা ৷পারট৷ কী? এই কি
ন্ তোমার সেই পাধী, যাতে করে তুমি আমাদের সঙ্গে এসেছিলে? আমি বললাম , হীা, এটিই
আমার সেই পাধী, যাতে চড়ে আমি তোমাদের সঙ্গে এসেছিলাম ৷ তারা বলল, আল্লাহর শপথ !
নিশ্চয় এর বিশেষ কোন রহস্য আছে ৷

এভাবে আমরা বনৃ সাদ-এর এলাকায় এসে পৌছলাম ৷ তখন এই ভুখণ্ড অপেক্ষা আল্লাহর
জমীনে অধিকতর অনুর্বর কোন ভুমি ছিল বলে আমার মনে হয় না ৷ আমার বকরীর পাল
সারাদিন চরে সন্ধ্যাবেলা তৃপ্ত পেটে স্তন ভর্তি দুধ নিয়ে ফিরে আসতে শুরু করে ৷ আমরা
ইচ্ছামত দুধ দােহন করতে লাপলাম ৷ অথচ, আমাদের আশেপাঢ৷ তখন কারও বকরীই এক
ফৌটা দুধ দিচ্ছিল না ৷ প্রতিবেশীর বকরীগুলাে সারাদিন চরে সন্ধ্যাবেলা ক্ষুধার্ত (পটেই ফিরে
আসভাে ৷ তারা তাদের রাখালদের বলে দেয় যে, আবু যুআইব-এর কন্যার বকরী পাল যেখানে
চরে, আজ থেকে আমাদের বকরীগুলােও তোমরা সেখানেই চরাবে ৷ ফলে, তারা তাদের বকরী


اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أُمِّهِ إِذْ كَانَ عِنْدَهُمْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي جَهْمُ بْنُ أَبِي جَهْمٍ مَوْلًى لِاِمْرَأَةٍ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ كَانَتْ عِنْدَ الْحَارِثِ بْنِ حَاطِبٍ، وَيُقَالَ لَهُ: مَوْلَى الْحَارِثِ بْنِ حَاطِبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: حُدِّثْتُ عَنْ حَلِيمَةَ ابْنَةِ الْحَارِثِ أَنَّهَا قَالَتْ: قَدِمْتُ مَكَّةَ فِي نِسْوَةٍ - وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ بِإِسْنَادِهِ أَنَّهُنَّ كُنَّ عَشْرَ نِسْوَةٍ مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ يَلْتَمِسْنَ بِهَا الرُّضَعَاءَ - مِنْ بَنِي سَعْدٍ نَلْتَمِسُ بِهَا الرُّضَعَاءَ، وَفِي سَنَةٍ شَهْبَاءَ فَقَدِمْتُ عَلَى أَتَانٍ لِي قَمْرَاءَ، كَانَتْ أَذَمَّتْ بِالرَّكْبِ، وَمَعِي صَبِيٌّ لَنَا، وَشَارِفٌ لَنَا وَاللَّهِ مَا تَبِضُّ بِقَطْرَةٍ وَمَا نَنَامُ لَيْلَتَنَا ذَلِكَ أَجْمَعَ مَعَ صَبِيِّنَا ذَاكَ، مَا نَجِدُّ فِي ثَدْيِي مَا يُغْنِيهِ وَلَا فِي شَارِفِنَا مَا يُغَذِّيهِ، وَلَكِنَّا كُنَّا نَرْجُو الْغَيْثَ وَالْفَرَجَ فَخَرَجْتُ عَلَى أَتَانِي تِلْكَ فَلَقَدْ أَذَمَّتْ بِالرَّكْبِ حَتَّى شَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ ضَعْفًا وَعَجَفًا فَقَدِمْنَا مَكَّةَ فَوَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ مِنَّا امْرَأَةً إِلَّا
পৃষ্ঠা - ১৫০৩
وَقَدْ عُرِضَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَأْبَاهُ إِذَا قِيلَ: إِنَّهُ يَتِيمٌ تَرَكْنَاهُ، وَقُلْنَا: مَاذَا عَسَى أَنْ تَصْنَعَ إِلَيْنَا أُمُّهُ؟ إِنَّمَا نَرْجُو الْمَعْرُوفَ مِنْ أَبِي الْوَلَدِ فَأَمَّا أُمُّهُ فَمَاذَا عَسَى أَنْ تَصْنَعَ إِلَيْنَا؟ فَوَاللَّهِ مَا بَقِيَ مِنْ صَوَاحِبِي امْرَأَةٌ إِلَّا أَخَذَتْ رَضِيعًا غَيْرِي فَلَمَّا لَمْ نَجِدْ غَيْرَهُ، وَأَجْمَعْنَا الِانْطِلَاقَ قُلْتُ لِزَوْجِي الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى: وَاللَّهِ وَإِنِّي لَأَكْرَهُ أَنْ أَرْجِعَ مِنْ بَيْنِ صَوَاحِبِي لَيْسَ مَعِيَ رَضِيعٌ، لَأَنْطَلِقَنَّ إِلَى ذَلِكَ الْيَتِيمِ فَلْآخُذَنَّهُ. فَقَالَ: لَا عَلَيْكِ أَنْ تَفْعَلِي فَعَسَى أَنْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَنَا فِيهِ بَرَكَةً فَذَهَبْتُ فَأَخَذَتْهُ فَوَاللَّهِ مَا أَخَذْتُهُ إِلَّا أَنِّي لَمْ أَجِدْ غَيْرَهُ فَمَا هُوَ إِلَّا أَنْ أَخَذْتُهُ فَجِئْتُ بِهِ رَحْلِي فَأَقْبَلَ عَلَيْهِ ثَدْيَايَ بِمَا شَاءَ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبَ حَتَّى رَوِيَ، وَشَرِبَ أَخُوهُ حَتَّى رَوِيَ، وَقَامَ صَاحِبِي إِلَى شَارِفِنَا تِلْكَ فَإِذَا إِنَّهَا لَحَافِلٌ فَحَلَبَ مَا شَرِبَ، وَشَرِبْتُ حَتَّى رَوِينَا فَبِتْنَا بِخَيْرِ لَيْلَةٍ فَقَالَ صَاحِبِي حِينَ أَصْبَحْنَا: يَا حَلِيمَةُ وَاللَّهِ إِنِّي لِأَرَاكِ قَدْ أَخَذْتِ نَسَمَةً مُبَارَكَةً; أَلَمْ تَرَيْ مَا بِتْنَا بِهِ اللَّيْلَةَ مِنَ الْخَيْرِ وَالْبَرَكَةِ حِينَ أَخَذْنَاهُ! فَلَمْ يَزَلِ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَزِيدُنَا خَيْرًا، ثُمَّ خَرَجْنَا رَاجِعِينَ إِلَى بِلَادِنَا فَوَاللَّهِ لَقَطَعَتْ أَتَانِي بِالرَّكْبِ حَتَّى مَا يَتَعَلَّقُ بِهَا حِمَارٌ حَتَّى إِنَّ صَوَاحِبِي لَيَقُلْنَ: وَيْلَكِ يَا بِنْتَ أَبِي ذُؤَيْبٍ هَذِهِ أَتَانُكِ الَّتِي خَرَجْتِ عَلَيْهَا مَعَنَا؟ فَأَقُولُ: نَعَمْ وَاللَّهِ إِنَّهَا لَهِيَ فَيَقُلْنَ: وَاللَّهِ إِنَّ لَهَا لَشَأْنًا حَتَّى قَدِمْنَا أَرْضَ بَنِي سَعْدٍ وَمَا أَعْلَمُ أَرْضًا مِنْ أَرْضِ اللَّهِ أَجْدَبَ مِنْهَا فَإِنْ كَانَتْ غَنَمِي لَتَسْرَحُ، ثُمَّ تَرُوحُ شِبَاعًا لَبَنًا،
পৃষ্ঠা - ১৫০৪

আমার বকরী পালের সঙ্গে চরাতে শুরু করে ৷ কিভু তার পরও তাদের বকরী সেই দৃধৰিহীন
ক্ষুধা ৷র্ত অবস্থায় ফিরতো আ র আমার বকরী ফিরতে ৷তৃপ্তপেটে স্তন ভর্তি ৩দৃধ নিয়েই ৷ এইডা ৷বে
দৃ’দৃ’টি বছর পর্যন্ত আল্লাহ আমাদেরকে বরকত দান করতে থাকেন ৷

দুর্ভিক্ষের কারণে তখনকার পারিপার্শিক অবস্থা এই ছিল যে, পরিণত বয়সের একটি
যুরককে একটি কিশোরের সঙ্গে তুলনা করা মুশকিল ছিল ৷ কিত্তু আল্লাহর শ্ পথ দৃ ’টি বছর
অতিক্রাম্ভ হতে না হতে মুহাম্মদ একটি নাদৃস-নুদুস বালকে পরিণত হন ৷ আমরা তাকে তার
মায়ের নিকট নিয়ে গেলাম ৷ অথচ, তার বরকত থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকায় তাকে ফিরিয়ে
দিতে আমাদের মন সরছিল না ৷ যা হোক, তার মা তাকে দেখার পর আমি বললাম , আরও
একটি বছরের জন্য আপনার পুত্রকে আমার নিকট দিয়ে দিন ৷ আমি মক্কার মহামারীতে
ছেলেটির আক্রান্ত হয়ে পড়ার আশংকা করছি ৷ আল্লাহর শপথ, আমি কথাটা বারবার বলার
শেষ পর্যন্ত তিনি সম্মত হয়ে বললেন, ঠিক আছে নিয়ে যাও!

তাকে সঙ্গে করে আমরা বাড়ি চলে গেলাম ৷ দুই কি তিন মাস কাটন্গেল ৷ একদিন তিনি
তার দুধ-শরীক এক ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের বাড়ির পেছনে বকরী রােতে যান ৷ হঠাৎ তার
ভাইটি দৌড়ে এসে বলল, আমাদের ঐ কুরাইশী ভাইকে সাদা পোশাক পরা দু’জন লোক এসে
তাকে শুইয়ে তার পেট চিরে ফেলেছে! খবর শুনে আমি ও তার দৃধ্ পিতা দৌড়ে তার নিকট
গিয়ে দেখতে পেলাম, বিবর্ণ অবন্থ য় তিনি দাড়িয়ে আছেন ৷৩ তার দুধ পিতা তাকে বুকে জড়িয়ে
ধরে জিজ্ঞাসা করেন, যারা! তোমার কী হয়েছে? জবাবে তিনি বললেন, সাদা পোশাক পরা
দু’জন লোক এসে আমাকে শুইয়ে ফেলে এবং আমার পেট চিরে পেটের ভেতর থেকে কী যেন
বের করে ফেলে দিল! তারপর আমার পেট আগে যেমন ছিল তেমনি করে দেয় ৷ হড়ালীমা
বলেন, আমরা তাকে ঘরে নিয়ে গেলাম ৷৩ তার দুধ পিতা বললেন, হালীমা! আশংকা হয় যে,
আমার এই সত্তানটিকে জিনে পেয়ে বস্যেছ ৷ চল, আমরা যা আশঙ্কা করছি, কিছু একটা ঘটে
যাওয়ার আগেইভ ৷লোয় ভালোয় আমরা তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আমি ৷
তাকে নিয়ে আমরা তার মায়ের কাছে চলে গেলাম ৷ দেখে তার মা জিজ্ঞাসা করলেন, ব্যাপার
কী, হে স্নেহশীলা ধাত্রী? আমার পুত্রের প্রতি তোমাদের দৃজনের এত আগ্রহ থাকা সত্বেও
তোমরা একে ফিরিয়ে আমলে কেনঃ হালীম৷ ও তার স্বামী বললেন, আল্লাহর শপথ ! আল্লাহর
অনুগ্রহে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি ৷ এখন এর ব্যাপারে আমাদের মনে নানা
আপদ-ৰিপদের আশংকা হচ্ছে ৷ তাই আপনার পুত্রকে আপনার নিকট ফিরিয়ে দিতে
আসলাম ৷

তখন তিনি বলেন, তোমরা কিসের আশংকা করছ? কী ঘটেছে সত্যি করে আমাকে খুলে
বল আমরা তাকে ঘটনা ৷র বৃত্তান্ত শোনালাম ৷ শুনে তিনি বললেন, তে ৷মর৷ কি এর ব্যাপারে দুষ্ট
জিনের ভয় করছ? কখনো নয়, আল্লাহর শপথ! আমার এই পুত্রের উপর শয়তানের কোন হাত
থাকতে পারে না ৷ আল্লাহর শপথ ৷ আমরা এই পুত্র ভবিষ্যতে বিরাট কিছু হবে ৷ আমি কি
তােমাদেরকে এর ঘটনা শোনার? আমার বললাম, জী হীা, গােনান ৷ তিনি বললেন ও যখন
আমার গর্ভে, তখন একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন আমার ভেতর থেকে এক ঝলক আলো


فَنَحْلِبُ مَا شِئْنَا وَمَا حَوَالَيْنَا أَوْ حَوْلَنَا أَحَدٌ تَبِضُّ لَهُ شَاةٌ بِقَطْرَةِ لَبَنٍ، وَإِنَّ أَغْنَامَهُمْ لَتَرُوحَ جِيَاعًا حَتَّى إِنَّهُمْ لَيَقُولُونَ لِرُعَاتِهِمْ أَوْ لِرُعْيَانِهِمْ وَيْحَكُمُ انْظُرُوا حَيْثُ تَسْرَحُ غَنَمُ بِنْتِ أَبِي ذُؤَيْبٍ فَاسْرَحُوا مَعَهُمْ فَيَسَرَحُونَ مَعَ غَنَمِي حَيْثُ تَسْرَحُ فَتَرُوحُ أَغْنَامُهُمْ جِيَاعًا مَا فِيهَا قَطْرَةُ لَبَنٍ، وَتَرُوحُ أَغْنَامِي شِبَاعًا لَبَنًا نَحْلِبُ مَا شِئْنَا فَلَمْ يَزَلِ اللَّهُ يُرِينَا الْبَرَكَةَ نَتَعَرَّفُهَا حَتَّى بَلَغَ سَنَتَيْهِ فَكَانَ يَشِبُّ شَبَابًا لَا تَشِبُّهُ الْغِلْمَانُ فَوَاللَّهِ مَا بَلَغَ السَّنَتَيْنِ حَتَّى كَانَ غُلَامًا جَفْرًا فَقَدِمْنَا بِهِ عَلَى أُمِّهِ، وَنَحْنُ أَضَنُّ شَيْءٍ بِهِ مِمَّا رَأَيْنَا فِيهِ مِنَ الْبَرَكَةِ. فَلَمَّا رَأَتْهُ أُمُّهُ قُلْنَا لَهَا: يَا ظِئْرُ دَعِينَا نَرْجِعُ بِابْنِنَا هَذِهِ السَّنَةَ الْأُخْرَى فَإِنَّا نَخْشَى عَلَيْهِ وَبَاءَ مَكَّةَ فَوَاللَّهِ مَا زِلْنَا بِهَا حَتَّى قَالَتْ: فَنَعَمْ فَسَرَّحَتْهُ مَعَنَا فَأَقَمْنَا بِهِ شَهْرَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً فَبَيْنَا هُوَ خَلْفَ بُيُوتِنَا مَعَ أَخٍ لَهُ مِنَ الرَّضَاعَةِ فِي بَهْمٍ لَنَا جَاءَنَا أَخُوهُ ذَلِكَ يَشْتَدُّ فَقَالَ: ذَاكَ أَخِي الْقُرَشِيُّ جَاءَهُ رَجُلَانِ عَلَيْهِمَا ثِيَابٌ بِيضٌ فَأَضْجَعَاهُ فَشَقَّا بَطْنَهُ. فَخَرَجْتُ أَنَا وَأَبُوهُ نَشْتَدُّ نَحْوَهُ فَنَجِدُهُ قَائِمًا مُنْتَقِعًا لَوْنُهُ فَاعْتَنَقَهُ أَبُوهُ وَقَالَ يَا بُنَيَّ مَا شَأْنُكَ؟
পৃষ্ঠা - ১৫০৫
قَالَ: جَاءَنِي رَجُلَانِ عَلَيْهِمَا ثِيَابٌ بِيضٌ أَضْجَعَانِي وَشَقَّا بَطْنِي، ثُمَّ اسْتَخْرَجَا مِنْهُ شَيْئًا فَطَرَحَاهُ، ثُمَّ رَدَّاهُ كَمَا كَانَ. فَرَجَعْنَا بِهِ مَعَنَا فَقَالَ أَبُوهُ: يَا حَلِيمَةُ لِقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ ابْنِي قَدْ أُصِيبَ فَانْطَلِقِي بِنَا نَرُدُّهُ إِلَى أَهْلِهِ قَبْلَ أَنْ يَظْهَرَ بِهِ مَا نَتَخَوَّفُ قَالَتْ حَلِيمَةُ: فَاحْتَمَلْنَاهُ فَلَمْ تُرَعْ أُمُّهُ إِلَّا بِهِ فَقَدِمْنَا بِهِ عَلَيْهَا فَقَالَتْ: مَا رَدَّكُمَا بِهِ فَقَدْ كُنْتُمَا عَلَيْهِ حَرِيصَيْنِ؟ فَقَالَا: لَا وَاللَّهِ إِلَّا أَنَّ اللَّهَ قَدْ أَدَّى عَنَّا، وَقَضَيْنَا الَّذِي عَلَيْنَا، وَقُلْنَا نَخْشَى الْإِتْلَافَ وَالْأَحْدَاثَ نَرُدُّهُ إِلَى أَهْلِهِ فَقَالَتْ: مَا ذَاكَ بِكُمَا فَاصْدُقَانِي شَأْنَكُمَا فَلَمْ تَدَعْنَا حَتَّى أَخْبَرْنَاهَا خَبَرَهُ فَقَالَتْ: أَخَشِيتُمَا عَلَيْهِ الشَّيْطَانَ؟ كَلَّا وَاللَّهِ مَا لِلشَّيْطَانِ عَلَيْهِ مِنْ سَبِيلٍ وَاللَّهِ إِنَّهُ لِكَائِنٌ لِابْنِي هَذَا شَأْنٌ أَلَا أُخْبِرُكُمَا خَبَرَهُ. قُلْنَا: بَلَى قَالَتْ: حَمَلْتُ بِهِ فَمَا حَمَلْتُ حَمْلَا قَطُّ أَخَفَّ مِنْهُ فَأُرِيتُ فِي النَّوْمِ حِينَ حَمَلْتُ بِهِ كَأَنَّهُ خَرَجَ مِنِّي نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ، ثُمَّ وَقَعَ حِينَ وَلَدْتُهُ، وُقُوعًا مَا يَقَعُهُ الْمَوْلُودُ، مُعْتَمِدًا عَلَى يَدَيْهِ رَافِعًا رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَدَعَاهُ عَنْكُمَا. وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رُوِيَ مِنْ طُرُقٍ أُخَرَ وَهُوَ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْمَشْهُورَةِ الْمُتَدَاوَلَةِ بَيْنَ أَهْلِ السِّيَرِ وَالْمَغَازِي.
পৃষ্ঠা - ১৫০৬

বের হয়ে তাতে সিরিয়ার সকল রাজপ্রাসাদ আলোকিত হয়ে গেছে ৷ আবার আমি যখন তাকে
প্রসব করি, তখন সে আকাশ পানে মাথা তুলে দু’হাতে ভর করে হামাগুড়ি দিয়ে ভুমিষ্ঠ হয় ৷
সুতরাং তোমরা এ নিয়ে দুশ্চিভা করো না এ বর্ণনাটি আরও একাধিক সুত্রেও বর্ণিত হয়েছে ৷
সীরাত ও মাগড়াযী বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে এটি একটি প্রসিদ্ধ বর্ণনা ৷

ওয়াকিদীইবন আব্বাসের বরাতে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেছেন, হালীমা একদিন নবী
করীম (না)-এর সন্ধানে বের হন ৷ খুজে খুজে একন্থানে তাকে তার বোনের সঙ্গে পান ৷ তখন
তাদের গানের পশুগুলো শুয়ে রয়েছিল ৷ দেখে হালীমা বললেন, তোমরা এই পরমের মধ্যে বসে
আছা জবাবে শিশু নবীর বোন বললেন, আম্মা ! আমার এ ভাইঢির তো গরম পাচ্ছে না ৷
দেখলাম, একখঃণ্ড মেঘ ওকে ছায়া দিচ্ছে ৷ ও থামলে মেঘও থােম যায়, ও চললে যেঘও ওর
সাথে সাথে চলতে শুরু করে ৷ এই অবস্থায়ই আমরা এই জায়গায় এসে পৌছেছি ৷

ইবন ইসহাক থালিদ ইবন মাদান সুত্রে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেছেন, কয়েকজন
সাহাবী একদিন রড়াসুলুল্লাহ (সা)-কে বললেন, আমাদেরকে আপন্ৰুশর নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন ৷
নবী করীম (সা) বললেন, ইা, বলছি; আমি আমার পিতা ইবরাহীমের দোয়া ও ঈসার
সুসংবাদ ৷ আর আমি গর্ভে থাকাবস্থায় আমার আশা স্বপ্নে দেখেন, তার ভেতর থেকে এক ঝলক
নুর বেরিয়ে আসে, যার আলোকে সিরিয়ার রাজপ্রাসাদসমুহ আলোকিত হয়ে উঠে ৷ সাদ ইবন
বকর রুগাংত্র আমি লালিত-পালিত হই ৷ একদিন আমি আমাদের ছাগল-ভেড়া চরাচ্ছিলাম ৷ এমন
সময় সাদা পেশোক পরিহিত দু’জন লোক আমার নিকট আসে ৷ সঙ্গে তাদের বরফ ভর্তি একটি
সোনার তশতরী ৷ আমাকে তারা শুইয়ে ফেলে, আমার পেট চিরে ফেলে তারপর হৃৎপিও বের
করে তা চিরে ভিতর থেকে কালো রংয়ের একটি রক্তপিণ্ড বের করে ফেলে দেয় ৷ তারপর সাথে
আনা বরফ দ্বারা আমার হৃৎপিণ্ড ও পেট ধুয়ে দিয়ে আমাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে ৷
তারপর তাদের একজন অপরজনকে বলে, একে তার দশজন উম্মতের সঙ্গে ওজন কর ৷
অপরজন আমাকে আমার দশজন উম্মতের সঙ্গে ওজন করে ৷ আমার পাল্লা ভারী হয় ৷ তারপর
বলে, এবার তাকে তার একশ’ উম্মতের সঙ্গে ওজন করা সে আমাকে একশ’ জনের সঙ্গে ওজন
করে ৷ এবারও আমার পাল্লা ভারী হয় ৷ আবার বলে, এবার তাকে তার উম্মতের এক হাজার
জনের সঙ্গে ওজন কর ৷ আমাকে এক হাজার জনের সঙ্গে ওজন করে ৷ এবারও আমার পাল্লা
ভারী হয় ৷ এইবার লোকটি বলে, হয়েছে, আর প্রয়োজন নেই ৷ একে তার সমস্ত উম্মতের
সঙ্গেও যদি ওজন করা হয়, তবু তার পাল্লাই ভারী হবে ৷ এ সনদটি উত্তম ৷

আবু নুআয়ম তার দালায়িল’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে, উতবা ইবন আবদুল্লাহ বলেন, এক
ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (না)-কে জিজ্ঞাসা করে, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার প্রথম জীবনের অবস্থা
কেমন ছিল? জবাবে নবী করীম (সা) বললেন, যে মহিলা আমাকে দৃধ পান করাতেন, তিনি
ছিলেন বনু সড়াদ গোত্রীয় ৷ একদিন আমি আর তার এক পুত্র ভেড়া-বকরী চরানোর জন্য মাঠে
যাই ৷ যাওয়ার সময় সঙ্গে করে খাবার কিছু নিয়ে যাইনিঃ ৷ তাই আমি আমার দুধ ভাইকে
বললড়াম, তুমি গিয়ে আমার নিকট থেকে খাবার নিয়ে এস ৷ আমার ভাই চলে গেল আর আমি
পশুপালের নিকট রয়ে গেলাম ৷ হঠাৎ দেখি, শকুনের মত দুটি সাদা রংয়ের পাখি আমার দিকে


وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ حَدَّثَنِي مُعَاذُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: خَرَجَتْ حَلِيمَةُ تَطْلُبُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ وَجَدَتِ الْبَهْمَ تَقِيلُ فَوَجَدَتْهُ مَعَ أُخْتِهِ فَقَالَتْ: فِي هَذَا الْحَرِّ! فَقَالَتْ أُخْتُهُ: يَا أُمَّهْ مَا وَجَدَ أَخِي حَرًّا رَأَيْتُ غَمَامَةً تَظَلُّ عَلَيْهِ إِذَا وَقَفَ وَقَفَتْ وَإِذَا سَارَ سَارَتْ حَتَّى انْتَهَى إِلَى هَذَا الْمَوْضِعِ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ «عَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ قَالُوا لَهُ أَخْبِرْنَا عَنْ نَفْسِكَ قَالَ: نَعَمْ أَنَا دَعْوَةُ أَبِي إِبْرَاهِيمَ، وَبُشْرَى عِيسَى عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَرَأَتْ أُمِّي حِينَ حَمَلَتْ بِي أَنَّهُ خَرَجَ مِنْهَا نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ، وَاسْتُرْضِعْتُ فِي بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ فَبَيْنَا أَنَا فِي بَهْمٍ لَنَا أَتَانِي رَجُلَانِ عَلَيْهِمَا ثِيَابٌ بِيضٌ مَعَهُمَا طَسْتٌ مِنْ ذَهَبٍ مَمْلُوءٌ ثَلْجًا فَأَضْجَعَانِي فَشَقَّا بَطْنِي، ثُمَّ اسْتَخْرَجَا قَلْبِي فَشَقَّاهُ فَأَخْرَجَا مِنْهُ عَلَقَةً سَوْدَاءَ فَأَلْقَيَاهَا، ثُمَّ غَسَلَا قَلْبِي وَبَطْنِي بِذَلِكَ الثَّلْجِ حَتَّى إِذَا أَنْقَيَاهُ رَدَّاهُ كَمَا كَانَ، ثُمَّ قَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: زِنْهُ بِعَشَرَةٍ مِنْ أُمَّتِهِ فَوَزَنَنِي بِعَشَرَةٍ فَوَزَنْتُهُمْ، ثُمَّ قَالَ: زِنْهُ بِمِائَةٍ مِنْ أُمَّتِهِ فَوَزَنَنِي بِمِائَةٍ فَوَزَنْتُهُمْ، ثُمَّ قَالَ: زِنْهُ بِأَلْفٍ مِنْ أُمَّتِهِ فَوَزَنَنِي بِأَلْفٍ فَوَزَنْتُهُمْ فَقَالَ: دَعْهُ عَنْكَ فَلَوْ وَزَنْتَهُ بِأُمَّتِهِ لَوَزَنَهُمْ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ.
পৃষ্ঠা - ১৫০৭

খেয়ে আসছে ৷ এসে একটি অপরটিকে বলে, এই কি সেই লোকঃ অপরটি বলল, ইক্রা ৷ তারপর
তারা ল্লুত আমার একেবারে নিকটে এসে আমাকে চিৎ করে শুইয়ে আমার পেট চিরে ফেলে ৷
তারপর আমার হৃৎপিণ্ড বের করে তার মধ্য থেকে দুটি কালো রক্তপিণ্ড বের করে ৷ তারপর
বরফের পানি দিয়ে আমার পেট ধুয়ে নেয় ৷ তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আমার হৃদপিণ্ড ধোয় ৷
তারপর আমার হৃদয়ে প্রশাস্তি ঢেলে দেয় ৷ তারপর একজন অপরজনকে বলে, এবার সেলাই
করে দাও ৷ পেট সেলাই করে আমার ওপর নবুওতের মোহর অংকিত করে দেয় ৷ তারপর
একজন অপরজনকে বলে, একে র্দাড়ির এক পাল্লায় রেখে আর তার উষ্মতের এক হাজার
জনকে অপর পাল্লায় রেখে ওজন কর ৷ সে মতে আমাকে ওজন করা হল ৷ আমি দেখলাম, এক
হাজার জনের পাল্লা উপরে ওঠে গেল ৷ আমার ভয় হচ্ছিল, তাদের কেউ আমার পর হুমড়ি খেয়ে
পড়ে কিনা ৷ তখন একজন বলল, যদি এর সকল উম্মতের সঙ্গেও একে ওজন করা হয়, তবু এর
পাল্লা ভারী হবে ৷

তারপর তারা আমাকে ফেলে চলে যায় ৷ আমি ভীষণ ভয় পেয়ে গেলাম ৷ তারপর মায়ের
নিকট গিয়ে ঘটনা খুলে বললাম ৷ শুনে তিনিও শংকিত হয়ে পড়েন: পাছে আমার কোন ক্ষতি
হয়ে যায় ৷ তাই তিনি বললেন, তোমার জন্য আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি ৷ সঙ্গে সঙ্গে
তিনি উটের পিঠে করে আমাকে আমার আমার নিকট নিয়ে পেলেন ৷ বললেন, আমি আমার
আমানত বুঝিয়ে দিলাম ও দায়িত্ব পালন করলাম ৷ এই বলে তিনি আমার সব ঘটনা খুলে
বললেন ৷ বিক্ষ্ম সব শুনেও আমার আম্মা বিন্দুমাত্র বিচলিত হলেন না ৷ তিনি বললেন, আমি স্বপ্নে
দেখেছি, আমার ভেতর থেকে এক ঝলক নুর বের হয়, যার আলোকে সিরিয়ার
রাজ-প্রাসাদগুলো আলোকিত হয়ে যায় ৷ এই বর্ণনায় এমন একজন নারী রয়েছেন যার জাল
হাদীস রটনার দৃর্নাম রয়েছে-যদ্দরুন হাফিজ ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, আবুযর পিফারী
(রা) বলেছেন, একদিন আমি বললাম, ইয়া রাসুলড়াল্লাহ! আপনি কি করে জানলেন এবং কিভাবে
নিশ্চিত হলেন যে, আপনি নবী? উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, শোন হে আবু মর ! আমি
মক্কার উপকষ্ঠে অবস্থান করছিলাম ৷ এই সময়ে দু’জন ফেরেশতা আমার নিকট আগমন করেন ৷
একজন মাটিতে অবতরণ করেন আর অপরজন আকাশ ও জমিনের মধ্যখানে অবস্থান করেন ৷
এক পর্যায়ে র্তাদের একজন অপরজনকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইনিই কি সেই লোকঃ অপরজন
বললেন হীশ্ব, ইনিই সেই লোক ৷ তখন প্রথমজন বললেন : একে একজন মানুষের সঙ্গে ওজন
কর ৷ ফেরেশতা আমাকে একজন মানুষের সঙ্গে ওজন করে ৷ ওজনে আমার পাল্লা ভারী হয় ৷

ইবন আসাকির সম্পুর্ণ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷ এতে তিনি নবী করীম (সা)-এর
বক্ষবিদারণ , বক্ষ সেলাই ও দুই র্কাধের মাঝে সােহরে নবুওত স্থাপনের কথাও উল্লেখ করেছেন ৷

এ বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে এরপর তারা চলে যান ৷ আমি যেন এখনো তা দিব্যি দেখতে
পাচ্ছি ৷

সহীহ মুসলিমে আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন, একদিন
শিশু নবীর নিকট জিবরীল (আ) আগমন করেন ৷ নবী করীম (সা) তখন অন্য বালকদের সাথে
খেলা করছিলেন ৷ জিবরীল (আ) শিশু নবীকে ধরে মাটিতে শুইয়ে তার পেট চিরে তার হৃদপিণ্ড


وَقَدْ رَوَى أَبُو نُعَيْمٍ الْحَافِظُ فِي الدَّلَائِلِ مِنْ طَرِيقِ عُمَرَ بْنِ الصُّبْحٍ وَهُوَ أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ مَكْحُولٍ عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ هَذِهِ الْقِصَّةَ مُطَوَّلَةً جِدًّا، وَلَكِنَّ عُمَرَ بْنَ صُبْحٍ هَذَا مَتْرُوكٌ كَذَّابٌ مُتَّهَمٌ بِالْوَضْعِ; فَلِهَذَا لَمْ نَذْكُرْ لَفْظَ الْحَدِيثِ إِذْ لَا يُفْرَحُ بِهِ، ثُمَّ قَالَ: وَحَدَّثَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ حَمْدَانَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ نُفَيْرٍ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو السُّلَمِيِّ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ عَبْدٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ كَيْفَ كَانَ أَوَّلُ شَأْنِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «كَانَتْ حَاضِنَتِي مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَابْنٌ لَهَا فِي بَهْمٍ لَنَا، وَلَمْ نَأْخُذْ مَعَنَا زَادًا فَقُلْتُ: يَا أَخِي اذْهَبْ فَائْتِنَا بِزَادٍ مِنْ عِنْدِ أُمِّنَا فَانْطَلَقَ أَخِي وَمَكَثْتُ عِنْدَ الْبَهْمِ فَأَقْبَلَ طَائِرَانِ أَبْيَضَانِ كَأَنَّهُمَا نَسْرَانِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: أَهْوَ هُوَ؟ فَقَالَ: نَعَمْ. فَأَقْبَلَا يَبْتَدِرَانِي فَأَخَذَانِي فَبَطَحَانِي لِلْقَفَا فَشَقَّا بَطْنِي، ثُمَّ اسْتَخْرَجَا قَلْبِي فَشَقَّاهُ فَأَخْرَجَا مِنْهُ عَلْقَتَيْنِ سَوْدَاوَيْنِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: ائْتِنِي بِمَاءٍ ثَلْجٍ فَغَسَلَا بِهِ جَوْفِي، ثُمَّ قَالَ: ائْتِنِي بِمَاءٍ بَرَدٍ فَغَسَلَا بِهِ قَلْبِي، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ১৫০৮
قَالَ: ائْتِنِي بِالسَّكِينَةِ فَذَرَّهَا فِي قَلْبِي، ثُمَّ قَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: حُصْهُ فَحَاصَهُ، وَخَتَمَ عَلَى قَلْبِي بِخَاتَمِ النُّبُوَّةِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: اجْعَلْهُ فِي كِفَّةٍ، وَاجْعَلْ أَلْفًا مِنْ أُمَّتِهِ فِي كِفَّةٍ فَإِذَا أَنَا أَنْظُرُ إِلَى الْأَلْفِ فَوْقِي أُشْفِقُ أَنْ يَخِرَّ عَلَيِّ بَعْضُهُمْ فَقَالَ: لَوْ أَنَّ أُمَّتَهُ وُزِنَتْ بِهِ لَمَالَ بِهِمْ، ثُمَّ انْطَلَقَا فَتَرَكَانِي، وَفَرِقْتُ فَرَقًا شَدِيدًا، ثُمَّ انْطَلَقْتُ إِلَى أُمِّي فَأَخْبَرْتُهَا بِالَّذِي لَقِيتُ فَأَشْفَقَتْ أَنْ يَكُونَ قَدِ الْتُبِسَ بِي. فَقَالَتْ: أُعِيذُكَ بِاللَّهِ فَرَحَّلَتْ بَعِيرًا لَهَا، وَحَمَلَتْنِي عَلَى الرَّحْلِ، وَرَكِبَتْ خَلَفِي حَتَّى بَلَغْنَا إِلَى أُمِّي فَقَالَتْ أَدَّيْتُ أَمَانَتِي وَذِمَّتِي، وَحَدَّثَتْهَا بِالَّذِي لَقِيتْ فَلَمْ يَرُعْهَا، وَقَالَتْ: إِنِّي رَأَيْتُ خَرَجَ مِنِّي نُورٌ أَضَاءَتْ مِنْهُ قُصُورُ الشَّامِ» . وَرَوَاهُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ بَقِيَّةَ بْنِ الْوَلِيدِ بِهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَغَيْرُهُ عَنْ بَقِيَّةَ بْنِ الْوَلِيدِ بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ الْقُرَشِيُّ أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ «سَمِعْتُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ عَلِمْتَ أَنَّكَ
পৃষ্ঠা - ১৫০৯


বের করে আনেন ৷ তারপর হৃৎপিণ্ড থেকে একটি কালো রক্তপিণ্ড বের করেন এবং বলেন, এটি
শয়তানের অংশ ৷ তারপর সোনার একটি পাত্রে যমযমের পানি দ্বারা হৃদপিণ্ডটি ধুয়ে নেন ৷
অতঃপর তা যথাস্থড়ানে স্থাপন করে দেন ৷

ঘটনা দেখে বালকরা দৌড়ে নবীজির দুধ-মায়ের নিকট এসে বলে, মুহাম্মদকে খুন করা
হয়েছে ৷ শুনে সকলে তার নিকট দৌড়ে আসে ৷ তখন তার মুখমণ্ডল ফ্যাকাশে ৷ আনাস (রা )
বলেন, আমি তার বুকে সেই সেলাইয়ের দাগ দেখতে পেতাম ৷

ইবন আসাকির আনাস (রা) সুত্রে আরও বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নামায মদীনায়
ফরয হয় ৷ দুইজন ফেরেশতা রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট এসে তাকে যমযমের কাছে নিয়ে
যান ৷ তারপর তার পেট চিরে নাড়িভুড়ি বের করে একটি সোনার পেয়ালায় নিয়ে যমযমের
পানি দ্বারা তা ধুয়ে দেন ৷ তারপর তার উদবকে প্রজ্ঞা ও ইলম দ্বরা ভরে দেন ৷

অন্য সুত্রে আনাস (রা) থেকে আরও বর্ণিত আছে ৷ তিনি বলেছেন, পরপর তিন রাত
রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট কয়েকজন ফেরেশতা আগমন করেন ৷ তাদের একজন অন্যদেরকে
বলেন, মানুষের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি এবং তাদের নেতাকে নিয়ে চল ৷ ফেরেশতারা তাকে যমযমের
নিকট নিয়ে যান এবং তার পেট বিদীর্ণ করেন ৷ তারপর একটি সোনার পাত্র এনে শিশু নবীর
পেটকে ধুয়ে তা প্ৰজ্ঞাও ঈমান দ্বারা ভরে দেন ৷

উল্লেখ্য যে, সহীহ বুখারী ও যুসলিমে বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত মিরাজের হাদীসেও উক্ত রাতে
নবীজির বক্ষবিদারণ এবং যমযমের পানি দ্বুারা তা ধৌত করার ঘটনা উল্লেখিত হয়েছে ৷ তবে
এতে কোনও বৈপরীতা নেই ৷ কারণ, হতে পারে একই ঘটনা নবী করীম (না)-এর জীবনে
দু’ৰার ঘটেছে ৷ একবার তার শৈশবে আর একবার মিরাজের রাতে, তাকে উর্ধ্বজগতে
আরোহণ এবং আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার উপযাের্গীর জন্য প্রন্তুতি করার লক্ষে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) তার সাহাবীগণকে বলতেন, “আমি তোমাদের শ্রেষ্ঠ
আরবী, আমি কুরাইশী এবং দুধপান করেছি আমি সাদ ইবন বকর গোত্রে ৷ ”

ইবন ইসহাক আরো বলেন, দুধ ছাড়ানাের পর হালীমা শিশু নবীকে তার মায়ের নিকট
ফিরিয়ে দিতে যাওয়ার পথে একদিন তিনি নবীজ্যিক নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন ৷ পথে নাসারাদের
একটি কাফেলার সঙ্গে তাদের সাক্ষাত হয় ৷ দেখে কাফেলার লোকেরা শিশু নবীর দিকে এগিয়ে
এসে র্তাকে চুমাে খায় এবং বলে, এই বালকটিকে অবশ্যই আমরা আমাদের রাজার নিকট নিয়ে
যাব ৷ কারণ, ছেলেটি ভবিষ্যতে বিরাট কিছু হবে ৷ হালীমা বড় কষ্টে পুত্রকে তাদের হাত থেকে
ছাড়িয়ে আনেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, উক্ত কাফেলার হাত থেকে মুক্ত করে তাকে নিয়ে যখন
হালীমা মক্কার নিকটে চলে আসেন, তখন হঠাৎ শিশু নবী (সা) হারিয়ে যান ৷ অনেক খোজাখুজি
করে হালীমা আর তাকে পেলেন না ৷ সংবাদ পেয়ে দাদা আবদুল ঘুত্তালিব নিজে এবং আরও
একদল লোক তার সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন ৷ খুজতে খুজতে ওয়ারাকা ইবন নওফল ও অপর এক
ব্যক্তি তার সন্ধান পান ৷ পেয়ে তাকে তারা দাদা আবদুল মুত্তালিবের নিকট নিয়ে যান ৷ আবদুল
মুত্তালিব শিশু নবীজিকে কাধে তুলে নিয়ে বায়তুল্পাহয় চলে যান এবং তাওয়াফে শিশু নবীজির
নিরাপত্তার জন্য দোয়া করেন ৷ অতঃপর তাকে তার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দেন ৷

আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহড়ায়া (২র খণ্ড) ৬৪-

نَبِيٌّ حِينَ عَلِمْتَ ذَلِكَ، وَاسْتَيْقَنْتَ أَنَّكَ نَبِيٌّ؟ قَالَ: يَا أَبَا ذَرٍّ أَتَانِي مَلَكَانِ، وَأَنَا بِبَعْضِ بَطْحَاءِ مَكَّةَ فَوَقَعَ أَحَدُهُمَا عَلَى الْأَرْضِ وَكَانَ الْآخَرُ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: أَهْوَ هُوَ؟ قَالَ: هُوَ هُوَ. قَالَ: فَزِنْهُ بِرَجُلٍ فَوُزِنْتُ بِرَجُلٍ فَرَجَحْتُهُ» . وَذَكَرَ تَمَامَهُ وَذَكَرَ شَقَّ صَدْرِهُ وَخِيَاطَتَهُ، وَجَعْلَ الْخَاتَمِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ قَالَ فَمَا هُوَ إِلَّا أَنْ وَلَّيَا عَنِّي فَكَأَنَّمَا أُعَايِنُ الْأَمْرَ مُعَايَنَةً. ثُمَّ أَوْرَدَ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ بِنَحْوِ ذَلِكَ، وَمِنْ حَدِيثِ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ بِأَبْسَطَ مِنْ ذَلِكَ. وَثَبَتَ فِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَاهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَهُوَ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ فَأَخَذَهُ فَصَرَعَهُ فَشَقَّ عَنْ قَلْبِهِ فَاسْتَخْرَجَ الْقَلْبَ وَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ عَلَقَةً فَقَالَ: هَذَا حَظُّ الشَّيْطَانِ مِنْكَ، ثُمَّ غَسَلَهُ فِي طَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ بِمَاءِ زَمْزَمَ، ثُمَّ لَأَمَهُ ثُمَّ أَعَادَهُ فِي مَكَانِهِ، وَجَاءَ الْغِلْمَانُ يَسْعَوْنَ إِلَى أُمِّهِ - يَعْنِي ظِئْرَهَ - فَقَالُوا: إِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ قُتِلَ فَاسْتَقْبَلُوهُ وَهُوَ مُنْتَقِعُ اللَّوْنِ. قَالَ أَنَسٌ: وَقَدْ كُنْتُ أَرَى
পৃষ্ঠা - ১৫১০
أَثَرَ ذَلِكَ الْمِخْيَطِ فِي صَدْرِهِ» وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ وَهْبٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ الصَّلَاةَ فُرِضَتْ بِالْمَدِينَةِ، وَأَنَّ مَلَكَيْنِ أَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَهَبَا بِهِ إِلَى زَمْزَمَ فَشَقَّا بَطْنَهُ فَأَخْرَجَا حَشْوَتَهُ فِي طَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ فَغَسَلَاهُ بِمَاءِ زَمْزَمَ، ثُمَّ كَبَسَا جَوْفَهُ حِكْمَةً وَعِلْمًا» . . وَمِنْ طَرِيقِ ابْنِ وَهْبٍ أَيْضًا عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَامِرِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَنَسٍ «قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ لَيَالٍ قَالَ: خُذُوا خَيْرَهُمْ وَسَيِّدَهُمْ فَأَخَذُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعُمِدَ بِهِ إِلَى زَمْزَمَ فَشُقَّ جَوْفُهُ، ثُمَّ أُتِيَ بِتَوْرٍ مِنْ ذَهَبٍ فَغُسِلَ جَوْفُهُ، ثُمَّ مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا» وَثَبَتَ مِنْ رِوَايَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ، وَفِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ طَرِيقِ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ عَنْ أَنَسٍ، وَعَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَقَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ وَعَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ عَنِ
পৃষ্ঠা - ১৫১১


উমাবী বর্ণনা করেন যে, আবদুল মুত্তালিব পুত্র আবদুল্লাহকে আদেশ করেন, যেন তিনি শিশু
নবীজিকে সঙ্গে করে নিয়ে আরবের বিভিন্ন গোত্রে ঘুরে তার জন্য একজন দাই-মা ঠিক করে
নেন ৷ আবদুল্লাহ শিশু নবীকে দুধ পান করানোর জন্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে হালীযাকে ঠিক
করেন ৷

বর্ণিত আছে যে, শিশু নবী হালীমার নিকট ছয় বছর অবস্থান করেন ৷ এই সময়ে তার দাদা
বছরে একবার তাকে দেখতে যেতেন ৷ বক্ষবিদারণের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর হালীমা শিশু
নবীকে তার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিয়ে যান ৷ তিনি যখন আট বছরের বালক তখন মা আমিনা
মৃত্যুবরণ করেন ৷ এবার দাদা আবদুল মুত্তালিব তার লালন-পালনের দায়িত্ব নেন ৷ তার দশ
বছর বয়সের সময় দাদা আবদুল মুত্তালিবও মারা যান ৷ তখন নবীজির লালন-পালনের দায়িতু
হাতে নেন, তবে দুই আপন চাচা যুবায়র ও আবু তালিব ৷ তের বছর বয়সে তিনি চাচা
ষুবায়র-এর সঙ্গে ইয়ামান গমন করেন ৷ এই সফরে তার কয়েকন্টি আলৌকিক ঘটনা প্রকাশ
পায় ৷ তার একটি হলো, চলার পথে একটি উট তাকে দেখেই বসে পড়ে ৷ এমনকি তার বুক
মাটি স্পর্শ করে ৷ নবীজি (না) তাতে চড়ে বসেন ৷ আরেকটি ঘটনা হলো , ইয়ামানের একন্থানে
তখন র্বাধভাঙ্গা প্লাবন হচ্ছিল ৷ নবীজির উসিলায় আল্লাহ তাআলা বন্যার পানি শুকিয়ে দেন ৷
কাফেলার সকলে অনায়াসে পথ অতিক্রম করে ৷ তারপর চাচা যুবায়র নবীজির চৌদ্দ বছর
বয়সে মারা যান ৷ এইবার চাচা আবু তালিব একাই নবীজি (সা) কে লালনপালন করতে শুরু
করেন ৷ এ বর্ণনায় একজন দুর্বল রাবী রয়েছেন ৷

যােটকথা , রাসুলুল্লাহ (না)-এর শৈশবেই হড়ালীমা সাদিয়া ও তার পরিবার-পরিজনের ওপর
তার বরকত প্রকাশ পায় ৷ তারপর সেই বরকত হাওয়াযিন গোত্রের সকলের ওপর ছড়িয়ে পড়ে;
পরবর্তীকালে যখন তাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর নবী করীম (সা) তাদেরকে বন্দী করেন তখন
তারা সেই দুধপানের দােহইি দিয়ে তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে ৷ নবী করীম (সা) তাদেরকে
মুক্তিদান করেন এবং তাদের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করেন ৷ এটি মক্কা বিজয়ের একমাস পরের
ঘটনা ৷ পরে যথাস্থানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আসবে, ইনৃশাআল্পাহ ৷

হাওয়াযিন-এর ঘটনা সম্পর্কে ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, আমর ইবনে শুয়াইব এর
দাদা বলেছেন, হুনড়ায়নে আমরা রাসুলুল্লাহ (না)-এর সঙ্গে ছিলাম ৷ তিনি তাদের থেকে প্রাপ্ত
গনীমতের মান ও বন্দীদের নিয়ে রওয়ানা হলে হাওয়াযিন-এর একটি প্রতিনিধি দল
জিয়িররানা নামক স্থানে তার সঙ্গে সাক্ষাত করে ৷ তারা তখন ইসলাম গ্রহণ করে ফেলেছে ৷
এসে তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা আপনার আপনজন ও আত্মীয় ৷ আমরা যে বিপদে
পড়েছি তা আপনার অজানা নয় ৷ আপনি আমাদের প্রতি দয়া করুন, আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া
করবেন ৷ যুহায়র ইবন সরদ নামক তাদের একজন বক্তা দাড়িয়ে বলে , ইয়া রাসুলাল্লাহ! বন্দী
মহিলাদের মধ্যে আপনার ঐসব খালা আর বোনরাও আছে, যারা আপনাকে কােলে-র্কাহ্বধ নিয়ে
লালন পালন করেছিল ৷ এখন যদি আমরা শিমর এর পুত্র কিংবা নুমান ইবন মুনযির এর পুত্রকে



النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ الْإِسْرَاءِ كَمَا سَيَأْتِي قِصَّةُ شَرْحِ الصَّدْرِ لَيْلَتَئِذٍ، وَأَنَّهُ غُسِلَ بِمَاءِ زَمْزَمَ وَلَا مُنَافَاةَ; لِاحْتِمَالِ وُقُوعِ ذَلِكَ مَرَّتَيْنِ; مَرَّةً وَهُوَ صَغِيرٌ، وَمَرَّةً لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ لِيَتَأَهَّبَ لِلْوُفُودِ إِلَى الْمَلَأِ الْأَعْلَى، وَلِمُنَاجَاةِ الرَّبِّ عَزَّ وَجَلَّ وَالْمُثُولِ بَيْنَ يَدَيْهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِأَصْحَابِهِ «أَنَا أَعْرَبُكُمْ أَنَا قُرَشِيٌّ، وَاسْتُرْضِعْتُ فِي بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ» وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ حَلِيمَةَ لَمَّا أَرْجَعَتْهُ إِلَى أُمِّهِ بَعْدَ فِطَامِهِ، مَرَّتْ بِهِ عَلَى رَكْبٍ مِنَ النَّصَارَى فَقَامُوا إِلَيْهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فَقَلَّبُوهُ، وَقَالُوا: إِنَّا سَنَذْهَبُ بِهَذَا الْغُلَامِ إِلَى مَلِكِنَا فَإِنَّهُ كَائِنٌ لَهُ شَأْنٌ فَلَمْ تَكَدْ تَنْفَلِتُ مِنْهُمْ إِلَّا بَعْدَ جَهْدٍ. وَذَكَرَ أَنَّهَا لَمَّا رَدَّتْهُ حِينَ تَخَوَّفَتْ عَلَيْهِ أَنْ يَكُونَ أَصَابَهُ عَارِضٌ فَلَمَّا قَرُبَتْ مِنْ مَكَّةَ افْتَقَدَتْهُ فَلَمْ تَجِدْهُ فَجَاءَتْ جَدَّهُ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ فَخَرَجَ هُوَ وَجَمَاعَةٌ فِي طَلَبِهِ فَوَجَدَهُ وَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلٍ، وَرَجُلٌ آخَرُ مِنْ قُرَيْشٍ فَأَتَيَا بِهِ جَدَّهُ فَأَخَذَهُ عَلَى عَاتِقِهِ وَذَهَبَ فَطَافَ بِهِ يُعَوِّذُهُ وَيَدْعُو لَهُ، ثُمَّ رَدَّهُ إِلَى أُمِّهِ آمِنَةَ. وَذَكَرَ الْأُمَوِيُّ مِنْ طَرِيقِ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْوَقَّاصِيِّ - وَهُوَ ضَعِيفٌ - عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قِصَّةَ مَوْلِدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَرَضَاعِهِ مِنْ حَلِيمَةَ عَلَى غَيْرِ سِيَاقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ. وَذَكَرَ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ أَمَرَ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ أَنْ يَأْخُذَهُ فَيَطُوفَ بِهِ فِي أَحْيَاءِ الْعَرَبِ لِيَجِدَ لَهُ مُرْضِعَةً فَطَافَ حَتَّى اسْتَأْجَرَ حَلِيمَةَ عَلَى رَضَاعِهِ، وَذَكَرَ أَنَّهُ أَقَامَ عِنْدَهَا سِتَّ سِنِينَ
পৃষ্ঠা - ১৫১২
تُزِيرُهُ جَدَّهُ فِي كُلِّ عَامٍ فَلَمَّا كَانَ مِنْ شَقِّ صَدْرِهِ عِنْدَهُمْ مَا كَانَ رَدَّتْهُ إِلَيْهِمْ فَأَقَامَ عِنْدَ أُمِّهِ حَتَّى كَانَ عُمُرُهُ ثَمَانِي سِنِينَ مَاتَتْ فَكَفَلَهُ جَدُّهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَمَاتَ وَلَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَشْرُ سِنِينَ فَكَفَلَهُ عَمَّاهُ شَقِيقَا أَبِيهِ الزُّبَيْرُ، وَأَبُو طَالِبٍ فَلَمَّا كَانَ لَهُ بِضْعَ عَشْرَةَ سَنَةً خَرَجَ مَعَ عَمِّهِ الزُّبَيْرِ إِلَى الْيَمَنِ فَذَكَرَ أَنَّهُمْ رَأَوْا مِنْهُ آيَاتٍ فِي تِلْكَ السَّفْرَةِ مِنْهَا; أَنَّ فَحْلًا مِنَ الْإِبِلِ كَانَ قَدْ قَطَعَ بَعْضَ الطَّرِيقِ فِي وَادٍ، مَمَرُّهُمْ عَلَيْهِ، فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَرَكَ حَتَّى حَكَّ بِكَلْكَلِهِ الْأَرْضَ فَرَكِبَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَمِنْهَا أَنَّهُ خَاضَ بِهِمْ سَيْلًا عَرَمْرَمًا فَأَيْبَسَهُ اللَّهُ تَعَالَى حَتَّى جَاوَزُوهُ، ثُمَّ مَاتَ عَمُّهُ الزُّبَيْرُ، وَلَهُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ سَنَةً فَانْفَرَدَ بِهِ أَبُو طَالِبٍ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ بَرَكَتَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ حَلَّتْ عَلَى حَلِيمَةَ السَّعْدِيَّةِ وَأَهْلِهَا وَهُوَ صَغِيرٌ، ثُمَّ عَادَتْ عَلَى هَوَازِنَ بِكَمَالِهِمْ فَوَاضِلُهُ حِينَ أَسَرَهُمْ بَعْدَ وَقْعَتِهِمْ وَذَلِكَ بَعْدَ فَتْحِ مَكَّةَ بِشَهْرٍ فَمَتُّوا إِلَيْهِ بِرَضَاعِهِ فَأَعْتَقَهُمْ، وَتَحَنَنَّ عَلَيْهِمْ، وَأَحْسَنَ إِلَيْهِمْ، كَمَا سَيَأْتِي مُفُصَّلًا فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فِي وَقْعَةِ هَوَازِنَ: عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحُنَيْنٍ فَلَمَّا أَصَابَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ১৫১৩


দুধপান করিয়ে থাকত!ম এবং পরে যদি তাদের পক্ষ থেকেও আমাদের প্রতি সেইরুপ বিপদ
আসতাে, যেমন এসেছে, আপনার পক্ষ থেকে তাহলে তো আমরা তাদের অনুগ্রহ প্রত্যাশা
করত!ম ৷ অথচ, আপনি হচ্ছেন শ্রেষ্ঠ অভিভ!বক ৷ এই বলে সে কবিতার কয়েকটি পংক্তি
আবৃত্তি করে :





টুটুছুট্রু! ৷এ

০ণ্বুট্রু!ফু


)র্চুৰুট্রু৷ মোঃ

শ্ ষ্ ! : ধ্হু



এগ্রি১

-হে আল্লাহর রসুল ! মহ!নুভবতা দ্বার! আপনি আমাদের প্রতি ৩অনুগ্রহ করুন ৷ আপনিই
আমাদের প্রত্যাশিত ও নির্বাচিত ব্যক্তি ৷

আপনি এমন রমণীর প্রতি ৩অনুযহ করুন, ভ!গ্য যাকে (তার স্বগােত্রের কাছে ফিরে যাওয়া
থেকে) বিরত রেখেছে, যার জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং তার জীবন ধারায় এসেছে
পরিবর্তা ৷

যে আমাদের যুগকে বানিয়ে রেখেছে দুঃখে আর্তনাদক!রী ৷ ঐ সকল লোক যাদের রয়েছে
সীমাহীন মর্মবেদনা ও দুঃখের প্রচণ্ড চাপ ৷

যদি না আপনার পক্ষ থেকে সম্প্রসারিত বরকতময় হাত তার ক্ষতিপুরণ করে ৷ হে শ্রেষ্ঠ
সহনশীল মানব যার সহনশীল৩ ! প্রকাশ পায় যখন তাকে পরীক্ষা কর! হয় ৷

আপনি সেই মহিলাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন, যাদের দুধ আপনি পান করেছেন ৷ যখন
আপনার সুখ তাদের দৃধেপুর্ণ থাকতে! ! অনুগ্রহ করুন সেই সব মহিলাদের প্রতি তখন আপনার
জন্য শোভনীয় হত , আপনি য! করতেন এবং যা করতেন ন! সবই ৷

আপনি আমাদের ঐ ব্যক্তির ন্যায় করবেন না, যে মৃত্যুবরণ করেছে ৷ আপনি আমাদেরকে
বীচিয়ে রাখুন ৷ কেননা, আমরা একটি সঘুজ্জ্বল সম্প্রদায় ৷

নিশ্চয় আমরা নিয়ামতের শোকর আদায় করে থাকি যদিও অন্যত্র৩ আর না শোকরী করা
হয় ৷ আমাদের এ কৃতজ্ঞতা আজকের দিনের পরও বহাল থাকবে ৷


أَمْوَالِهِمْ وَسَبَايَاهُمْ، أَدْرَكَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ بِالْجِعْرَانَةِ وَقَدْ أَسْلَمُوا فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا أَصْلٌ وَعَشِيرَةٌ، وَقَدْ أَصَابَنَا مِنَ الْبَلَاءِ مَا لَمْ يَخْفَ عَلَيْكَ فَامْنُنْ عَلَيْنَا مَنَّ اللَّهُ عَلَيْكَ، وَقَامَ خَطِيبُهُمْ زُهَيْرُ بْنُ صُرَدٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ مَا فِي الْحَظَائِرِ مِنَ السَّبَايَا خَالَاتُكَ، وَحَوَاضِنُكَ اللَّاتِي كُنَّ يَكْفُلْنَكَ فَلَوْ أَنَّا مَلَحْنَا ابْنَ أَبِي شَمِرٍ أَوِ النُّعْمَانَ بْنَ الْمُنْذِرِ، ثُمَّ أَصَابَنَا مِنْهُمَا مِثْلَ الَّذِي أَصَابَنَا مِنْكَ رَجَوْنَا عَائِدَتَهُمَا، وَعَطْفَهُمَا، وَأَنْتَ خَيْرُ الْمَكْفُولِينَ. ثُمَّ أَنْشَدَ: امْنُنْ عَلَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ فِي كَرَمٍ ... فَإِنَّكَ الْمَرْءُ نَرْجُوهُ وَنَدَّخِرُ امْنُنْ عَلَى بَيْضَةٍ قَدْ عَاقَهَا قَدَرٌ ... مُمَزَّقٌ شَمْلُهَا فِي دَهْرِهَا غِيَرُ أَبْقَتْ لَنَا الدَّهْرَ هُتَّافًا عَلَى حَزَنٍ ... عَلَى قُلُوبِهُمُ الْغَمَّاءُ وَالْغُمَرُ إِنْ لَمْ تَدَارَكْهَا نَعْمَاءُ تَنْشُرُهَا ... يَا أَرْجَحَ النَّاسِ حِلْمًا حِينَ يُخْتَبَرُ امْنُنْ عَلَى نِسْوَةٍ قَدْ كُنْتَ تَرْضَعُهَا ... إِذْ فُوكَ يَمْلَؤُهُ مِنْ مَحْضِهَا دِرَرُ امْنُنْ عَلَى نِسْوةٍ قَدْ كُنْتَ تَرْضَعُهَا ... وَإِذْ يُرِينَكَ مَا تَأْتِي وَمَا تَذَرُ
পৃষ্ঠা - ১৫১৪
لَا تَجْعَلَنَّا كَمَنْ شَالَتْ نَعَامَتُهُ وَاسْتَبْقِ مِنَّا فَإِنَّا مَعْشَرٌ زُهُرُ ... إِنَّا لَنَشْكُرُ لِلنُّعْمَى وَإِنْ كُفِرَتْ وَعِنْدَنَا بَعْدَ هَذَا الْيَوْمِ مُدَّخَرُ وَقَدْ رُوِيَتُ هَذِهِ الْقِصَّةُ مِنْ طَرِيقِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ رُمَاحِسٍ الْكَلْبِيِّ الرَّمْلِيِّ عَنْ زِيَادِ بْنِ طَارِقٍ الْجُشَمِيِّ عَنْ أَبِي صُرَدٍ زُهَيْرِ بْنِ جَرْوَلٍ - وَكَانَ رَئِيسَ قَوْمِهِ - قَالَ: لَمَّا أَسَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ فَبَيْنَا هُوَ يُمَيِّزُ بَيْنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَثَبَتَ حَتَّى قَعَدْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَأَسْمَعْتُهُ شِعْرًا أَذْكُرُهُ حِينَ شَبَّ، وَنَشَأَ فِي هَوَازِنَ حَيْثُ أَرْضَعُوهُ: امْنُنْ عَلَيْنِا رَسُولَ اللَّهِ فِي دَعَةٍ ... فَإِنَّكَ الْمَرْءُ نَرْجُوهُ وَنَنْتَظِرُ امْنُنْ عَلَى بَيْضَةٍ قَدْ عَاقَهَا قَدَرٌ ... مُمَزَّقٍ شَمْلُهَا فِي دَهْرِهَا غِيَرُ أَبْقَتْ لَنَا الْحَرْبُ هُتَّافًا عَلَى حَزَنٍ ... عَلَى قُلُوبِهُمُ الْغَمَّاءُ وَالْغُمَرُ إِنْ لَمْ تَدَارَكْهَا نَعْمَاءُ تَنْشُرُهَا ... يَا أَرْجَحَ النَّاسِ حِلْمًا حِينَ يُخْتَبَرُ امْنُنْ عَلَى نِسْوَةٍ قَدْ كُنْتَ تَرْضَعُهَا ... إِذْ فُوكَ تَمْلَؤُهُ مِنْ مَحْضِهَا الدِّرَرُ إِذْ أَنْتَ طِفْلٌ صَغِيرٌ كُنْتَ تَرْضَعُهَا ... وَإِذْ يُرِينَكَ مَا تَأْتِي وَمَا تَذَرُ
পৃষ্ঠা - ১৫১৫


উল্লেখ্য যে, যুহায়র ইবন সরদ ছিলেন তার গোত্রের নেতা ৷ তিনি বলেন, হুনায়নের দিন
আমাদেরকে বন্দী করে রাসুলুল্লাহ (সা) যখন আমাদের নবী পুরুষদের আলাদা করছিলেন,
তখন হঠাৎ আমি তার সম্মুখে গিয়ে দাড়িয়ে য ই এবং কবিতার ছন্দে তার হা ওয়াযিন গোত্রে
প্রতিপালিত হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে ৫ইে ৷ অন্য বর্ণনায় এ পংামোঃলোতে ঈষৎ শাব্দিক
পরিবর্তন সহ বর্ধিত আরো কয়েকটি চরণ আছে, যা নিম্নরুপ ৷


এেএে ;এ ৷ ৷ ৷১; ,ব্রা;এে

-৫হ আল্লাহর রাসুল ! স্বাচ্ছন্দা প্রদানের ক্ষেত্রে আপনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন ৷
আপনিই আমাদের কাজ্জিত ও প্রত্যাশিত ব্যক্তি ৷

সুতরাং আপনি আপনার যে মায়ের দুধ পান করতেন, তাকে আপনি ক্ষমার পোশাক পরিয়ে
দিন ৷ ক্ষমা খ্যাতি প্রসারের হেতু হয়ে থাকে ৷

আমরা আপনার নিকট ক্ষমার প্ৰও ব্রাশা করি, যা দ্বারা আপনি এই কয়েকটি প্রাণীকে
আচ্ছড়াদিত করবেন ৷

অতএব, আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন ! আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি থেকে কিয়ামতের দিন
আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করবেন ৷ যখন আপনাকে সফলতা প্রদান করা হবে ৷

সবকিছু শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, এই গনীমত ও বন্দীদের মধ্যকার যারা আমার ও
বনু আবদুল মুত্তালিবের ভাগে আসবে, তা আমি আল্লাহর ওয়ান্তে তােমাদেরকে দান করে
দিলাম ৷ ’

একথা শুনে আনসারপণ বললেন, তাহলে যা আমাদের ভাগে আসবে, আমরাও তা আল্লাহ
ও তার রাসুলের খাতিরে দান করলাম ৷

এই সময়ে রাসুলুল্লাহ (সা) নারী ও শিশুসহ ছয় হাজার লোককে মুক্তি দান করেছিলেন
এবং তাদেরকে বিপুল সংখ্যক পশু ও দাস-দাসী প্রদান করেন ৷ আবুল হুসায়ন ইবন ফারিস
মন্তব্য করেন যে, সেই দিন নবী জ্জীম (সা) যে সম্পদ ফিরিয়ে দেন এবং যেসব বন্দীদের মুক্ত
করে দেন, তার মুল্য ছিল পঞ্চাশ কোটি দ্যোহাম ৷ আর এইসব ছিল তাদের জীবনে পাওয়া
নবীজির নগদ বরকত ৷ যারা দুনিয়ার ন্ধীননে নবী করীম (না)-এর অনুসরণ করবে, আখিরাতে
তারা তার যে কি পরিমাণ বরকত লাভ ঙ্কাৰে তা সহজেই অনুমেয় ৷

ইবন ইসহড়াক বলেন, হালীমার খ্যাঃ প্লো পর্ব শেষে ফিরে এসে রাসুলুল্লাহ (সা) আল্লাহর
হেফাজতে মা আমিনা ও পরে দাদা অ্যাংঅ্যাং এর সঙ্গে বসবাস করতে শুরু করেন ৷
আল্লাহ ওাকে উত্তমরুপে লালন পালন ম্মেখ্যাঃ ৷ তার বয়স ছয় বছরে উপনীত হলে মা
আমিনা ইস্তিকাল করেন ৷


لَا تَجْعَلَنَّا كَمَنْ شَالَتْ نَعَامَتُهُ وَاسْتَبْقِ مِنَّا فَإِنَّا مَعْشَرٌ زُهُرُ ... إِنَّا لَنَشْكُرُ لِلنُّعْمَى وَإِنْ كُفِرَتْ وَعِنْدَنَا بَعْدَ هَذَا الْيَوْمِ مُدَّخَرُ ... فَأَلْبِسِ الْعَفْوَ مَنْ قَدْ كُنْتَ تَرْضَعُهُ مِنْ أُمَّهَاتِكَ إِنَّ الْعَفْوَ مُشْتَهَرُ ... إِنَّا نُؤَمِّلُ عَفْوًا مِنْكَ تُلْبِسُهُ هَذِي الْبَرِيَّةَ إِذْ تَعْفُو وَتَنْتَصِرُ ... فَاغْفِرْ عَفَا اللَّهُ عَمَّا أَنْتَ رَاهِبُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِذْ يُهْدَى لَكَ الظَّفَرُ قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَّا مَا كَانَ لِي وَلِبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَهُوَ لِلَّهِ وَلَكُمْ» . فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: وَمَا كَانَ لَنَا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَسَيَأْتِي أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَطْلَقَ لَهُمُ الذُّرِّيَّةَ، وَكَانَتْ سِتَّةَ آلَافٍ مَا بَيْنَ صَبِيٍّ وَاِمْرَأَةٍ، وَأَعْطَاهُمْ أَنْعَامًا وَأَنَاسِيَّ كَثِيرًا حَتَّى قَالَ أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ فَارِسَ: فَكَانَ قِيمَةَ مَا أَطْلَقَ لَهُمْ يَوْمَئِذٍ خَمْسَمِائَةِ أَلْفِ أَلْفِ دِرْهَمٍ. فَهَذَا كُلُّهُ مِنْ بَرَكَتِهِ الْعَاجِلَةِ فِي الدُّنْيَا فَكَيْفَ بِبَرَكَتِهِ عَلَى مَنِ اتَّبَعَهُ فِي الدَّارِ الْآخِرَةِ.
পৃষ্ঠা - ১৫১৬
[فَصْلُ وَفَاةِ أُمِّهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمَا جَاءَ فِي اسْتِغْفَارِهِ لَهَا بَعْدَ مَوْتِهَا] فَصْلٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ ذِكْرِ رُجُوعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، إِلَى أُمِّهِ آمِنَةَ بَعْدَ رَضَاعَةِ حَلِيمَةَ لَهُ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَعَ أُمِّهِ آمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ وَجَدِّهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فِي كَلَاءَةِ اللَّهِ وَحِفْظِهِ، يُنْبِتُهُ اللَّهُ نَبَاتًا حَسَنًا لِمَا يُرِيدُ بِهِ مِنْ كَرَامَتِهِ فَلَمَّا بَلَغَ سِتَّ سِنِينَ تُوُفِّيَتْ أُمُّهُ آمِنَةُ بِنْتُ وَهْبٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزَمٍ أَنَّ أُمَّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آمِنَةَ، تُوُفِّيَتْ وَهُوَ ابْنُ سِتِّ سِنِينَ، بِالْأَبْوَاءِ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ كَانَتْ قَدْ قَدِمَتْ بِهِ عَلَى أَخْوَالِهِ مِنْ بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ تُزِيرُهُ إِيَّاهُمْ فَمَاتَتْ وَهِيَ رَاجِعَةٌ بِهِ إِلَى مَكَّةَ. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ بِأَسَانِيدِهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَتْ بِهِ أُمُّهُ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَمَعَهُ أُمُّ أَيْمَنَ، وَلَهُ سِتُّ سِنِينَ فَزَارَتْ أَخْوَالَهُ قَالَتْ أُمُّ أَيْمَنَ: فَجَاءَنِي ذَاتَ يَوْمٍ رَجُلَانِ مِنْ يَهُودِ الْمَدِينَةِ فَقَالَا لِي: أَخْرِجِي إِلَيْنَا أَحْمَدَ نَنْظُرُ إِلَيْهِ فَنَظَرا إِلَيْهِ وَقَلَّبَاهُ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: هَذَا نَبِيُّ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَهَذِهِ دَارُ هِجْرَتِهِ، وَسَيَكُونُ بِهَا مِنَ الْقَتْلِ وَالسَّبْيِ أَمْرٌ عَظِيمٌ فَلَمَّا سَمِعَتْ أُمُّهُ خَافَتْ وَانْصَرَفَتْ بِهِ فَمَاتَتْ بِالْأَبْوَاءِ وَهِيَ رَاجِعَةٌ.
পৃষ্ঠা - ১৫১৭

ইবন ইসহাক বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর ইবন মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন হায়ম
বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা)-এর বয়স যখন ছয় বছর, তখন তার মা আমিনা মক্কা ও
মদীনায় মধ্যবর্তী আবওয়া নামক স্থানে ইন্তিকাল করেন ৷ নবীজিকে সঙ্গে করে তিনি তার
মড়াতুলালয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন ৷ তারা ছিলেন আদী ইবন নাজ্জার গোত্রভুক্ত ৷ মক্কায়
প্রত্যাবর্ত্যনর পথে তার ইস্তিকাল হয় ৷

ওয়াকিদী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)-কে সঙ্গে করে যা মদীনায় তার মাতুলালয়ে যান ৷ দাসী
উম্মে আয়মানও সঙ্গে ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এর বয়স তখন ছয় বছর ৷

উম্মে আয়মান বলেন, এ সময়ে একদিন দু’জন ইহুদী আমার নিকট এসে বলল, আহমদকে
নিয়ে এস দেখি! আমরা তাকে দেখতে এসেছি ৷ তারা র্তাকে দেখে ফিরিয়ে দিয়ে একজন
অপরজনকে বলে, এ ছেলেই এই উন্মতের নবী ৷ আর এটাই হল তার হিজবত স্থল ৷ একে
কেন্দ্র করে অনেক যুদ্ধবিগ্রহের ঘটনা ঘটরে ৷ মা আমিনা এ সংবাদ শুনে ঘাবড়ে যান এবং
তাকে নিয়ে ফেরত রওয়ানা হন ৷ এই ফেরার পথেই আবওয়া নামক স্থানে তার ইন্তিকাল হয় ৷

ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন যে, বুরায়দা (রা) বলেন, একদিন আমরা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর
সঙ্গে বের হই ৷ ওয়াদ্দান নামক স্থানে উপনীত হলে নবী করীম (সা) বললেন, তােমরা এখানে
অবস্থান কর, আমি আসছি ৷ এই বলে তিনি চলে গেলেন ৷ কিছুক্ষণ পর তিনি ভারাক্রাস্ত হৃদয়ে
ফিরে আসেন ৷ এসে বললেন :

আমি আমার আম্মার কবরের কাছে গিয়ে আমার রব-এর নিকট তার জন্য সুপারিশ করার
অনুমতি চাই ৷ কিন্তু তিনি আমাকে তা থেকে বারণ করলেন ৷ আর আমি তোমাদেরকে
ইতিপুর্বে যিয়ারত করতে বারণ করেছিলাম ৷ এখন থেকে তোমরা কবর যিয়ারত করবে ৷
তিনদিনের পর কুরবানীর পশুর গোশত থেতেও আমি তোমাদেরকে রাবণ করেছিলাম ৷ এখন
থেকে য়ে ক’দিন ইচ্ছা তা খেতে পারবে এবং মতদিন ইচ্ছা ধরে রাখতে পারবে ৷ তোমাদেরকে
আমি মদের পাত্রে পানি পান করতে নিষেধ করেছিলাম ৷ এখন থেকে সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে
নিলাম ৷

বায়হষ্কর্কী বর্ণনা করেন যে, হযরত বুরায়দা (রা) বলেছেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা) একটি
কবরের নিকট গিয়ে বসে পড়েন ৷ দেখাদেখি লোকেরাও তীর চতুস্পার্পে বসে পড়ে ৷ বসে নবী
করীম (সা) মাথা নাড়তে নাড়তে র্কাদতে লাপলেন ৷ উমর (বা) তার নিকটে এগিয়ে গিয়ে
জিজ্ঞেস করেন, আপনি র্কাদছেন কেন ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা)? নবী কৰীম (সা) বললেন, এটি
আমার আম্মা আমিনা বিনতে ওহব-এর কবর ৷ আমার রব-এর নিকট আমি তার এই কবরঢি
যিয়ারত করার অনুমতি চেয়েস্থিলাম ৷ তিনি আমাকে অনুমতি দেন, কিস্তু তার মাগফিরড়াতের
আবেদন করার অনুমতি চাইলে তিনি তাতে সম্মতি দিলেন না ৷ মায়ের কথা ভেবে আমি
র্কাদছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সেইদািনর মত এত বেশি সময় ধরে র্কাদতে নবীজিকে কখনও
দেখা যায়নি ৷


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ جَابِرٍ عَنْ سِمَاكٍ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِوَدَّانَ قَالَ: مَكَانَكُمْ حَتَّى آتِيَكُمْ فَانْطَلَقَ ثُمَّ جَاءَنَا وَهُوَ سَقِيمٌ فَقَالَ: إِنِّي أَتَيْتُ قَبْرَ أُمِّ مُحَمَّدٍ فَسَأَلْتُ رَبِّي الشَّفَاعَةَ - يَعْنِي لَهَا - فَمَنَعَنِيهَا، وَإِنِّي كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا. وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الْأَضَاحِي بَعْدَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فَكُلُوا وَأَمْسِكُوا مَا بَدَا لَكُمْ. وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ الْأَشْرِبَةِ فِي هَذِهِ الْأَوْعِيَةِ فَاشْرَبُوا مَا بَدَا لَكُمْ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ «انْتَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى رَسْمِ قَبْرٍ فَجَلَسَ وَجَلَسَ النَّاسُ حَوْلَهُ كَثِيرٌ فَجَعَلَ يُحَرِّكُ رَأْسَهُ كَالْمُخَاطِبِ ثُمَّ بَكَى فَاسْتَقْبَلَهُ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ: مَا يُبْكِيكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: هَذَا قَبْرُ آمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ اسْتَأْذَنْتُ رَبِّي فِي أَنْ أَزُورَ قَبْرَهَا فَأَذِنَ لِي، وَاسْتَأْذَنْتُهُ فِي الِاسْتِغْفَارِ لَهَا فَأَبَى عَلَيَّ، وَأَدْرَكَتْنِي رِقَّتُهَا فَبَكَيْتُ قَالَ: فَمَا
পৃষ্ঠা - ১৫১৮


আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)এর বরাতে বায়হড়াকী বংনাি করেন, ইবন মাসউদ (রা)
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এক দিন কব্রস্থড়ান যিয়ারত করতে বের হন ৷ আমরাও তার সঙ্গে বের
হলাম ৷ তার আদেশে আমরা এক জায়গায় বসে পড়লাম ৷ তিনি ঘুরে ঘুরে কবর দেখছেন ৷ এক
পর্যায়ে একটি কবরের নিকট গিয়ে তিনি দাড়িয়ে যান ৷ দীর্ঘক্ষণ পর্য৷ ন্ত নিম্নস্বরে কি যেন বলতে
থাকেন ৷ তারপর তিনি কেদে উঠেন ৷ তার ক ৷ন্ন৷ দেখে আমরাও কেদে ফেললাম ৷ অবশেষে
তিনি আমাদের কাছে ফিরে আসেন ৷ উমর ইবন খাত্তাব (বা) এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ (সা) ! আপনি কাদছেন কেন? আপনার কান্না তো আমাদেরকেও কাদিয়েছে এবং ভয়
পাইয়ে দিয়েছে৷ তিনি আমাদের নিকটে এসে বললেন এবং বললেন, “আমার কান্ন৷ বুঝি
তােমাদেরকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে?” আমরা বললাম, “জী হীা ৷ তিনি বললেন, যে কবরঢির
সামনে আমাকে তোমরা কথা বলতে দেখেছ, সেটি আমিনা বিনতে ওহব-এর কবর ৷ আমার
রব্-এর নিকট আমি তার যিয়ারত করার অনুমতি প্রার্থনা করেছিলাম ৷ তিনি আমাকে অনুমতি
প্রদান করেন ৷ আবার তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার অনুমতিও চেয়েছিলাম , কিন্তু আমার বব সেই
অনুমতি দিলেন না এবং আমার প্ৰতি নাযিল করলেন :

১১
এবুষ্া

; ,





“আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী এবং মুমিনদের জন্য সং গত
নয় ৷ যখন একথা সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তারা জা ৷হান্নামী ৷ ইব্রাহীম তার পিতার জন্য ক্ষমা
প্রার্থনা করেছিল, তাকে এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে ৷ অতঃপর যখন তার নিকট এ কথা
সুস্পষ্ট হলো যে, সে আল্লাহর শত্রু তখন ইব্রাহীম তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল ৷ ইব্রাহীম তো
কোমল-হৃদয় ও সহনশীল ৷ (তাওবা : ১ ১৩ ১ ১৪ )

ফলে মায়ের জন্য পুত্রের হৃদয় যেভাবে বিগলিত হয় আমার অবন্থাও ঠিক৩ ৷ই হলো ৷ এ
কারণেই আমি কেদেছি ৷ ” বর্ণনাঢি গরীব পর্যায়ের ৷ হাদীছের প্রসিদ্ধ ছয় কিভাবে তা ৷র উল্লেখ
নেই ৷ ইমাম মুসলিম হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) একদিন তার মায়ের কবর যিয়ারত করেন ৷ তখন তিনি নিজেও কান্নাকাটি করেন এবং
আশেপাশের লোকদেরও কাদান ৷ তারপর তিনি বলেন, “আমার রব্-এর নিকট আমি আমার
মায়ের কবর জিয়ারত করার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি আমাকে অনুমতি দেন ৷ কিত্তু মায়ের
জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুমতি চাইলে আমার রব্ আমাকে সেই অনুমতি দেননি ৷ এখন থেকে
তোমরা কবর যিয়ারত করবে, কবর তােমাদেরকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিবে ৷ ” ইমাম
মুসলিম আনাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ
(সা) বলুন তো আমার আব্ব৷ কোথায়? নবী করীম (সা) বললেন, জাহান্নামে ৷ একথা শুনে


رَأَيْتُ سَاعَةً أَكْثَرَ بَاكِيًا مِنْ تِلْكَ السَّاعَةِ» . تَابَعَهُ مُحَارِبُ بْنُ دِثَارٍ عَنْ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ، ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ عَنْ بَحْرِ بْنِ نَصْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ هَانِئٍ عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ الْأَجْدَعِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْظُرُ فِي الْمَقَابِرِ وَخَرَجْنَا مَعَهُ فَأَمَرَنَا فَجَلَسْنَا، ثُمَّ تَخَطَّى الْقُبُورَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى قَبْرٍ مِنْهَا فَنَاجَاهُ طَوِيلًا، ثُمَّ ارْتَفَعَ نَحِيبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَاكِيًا فَبَكَيْنَا لِبُكَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَتَلَقَّاهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الَّذِي أَبْكَاكَ؟ لَقَدْ أَبْكَانَا وَأَفْزَعَنَا فَجَاءَ فَجَلَسَ إِلَيْنَا فَقَالَ: أَفْزَعَكُمْ بُكَائِي؟ قُلْنَا: نَعَمْ قَالَ: إِنَّ الْقَبْرَ الَّذِي رَأَيْتُمُونِي أُنَاجِي قَبْرَ آمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ، وَإِنِّي اسْتَأْذَنْتُ رَبِّي فِي زِيَارَتِهَا فَأَذِنَ لِي، وَاسْتَأْذَنْتُ رَبِّي فِي الِاسْتِغْفَارِ لَهَا فَلَمْ يَأْذَنْ لِي فِيهِ، وَنَزَلَ عَلَيَّ " {مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ وَمَا كَانَ اسْتِغْفَارُ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ إِلَّا عَنْ مَوْعِدَةٍ
পৃষ্ঠা - ১৫১৯
وَعَدَهَا إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ} [التوبة: 113] " فَأَخَذَنِي مَا يَأْخُذُ الْوَلَدُ لِلْوَالِدَةِ مِنَ الرِّقَّةِ فَذَلِكَ الَّذِي أَبْكَانِي» غَرِيبٌ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَرَوَى مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ «زَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْرَ أُمِّهِ فَبَكَى وَأَبْكَى مَنْ حَوْلَهُ، ثُمَّ قَالَ: اسْتَأْذَنْتُ رَبِّي فِي زِيَارَةِ قَبْرِ أُمِّي فَأَذِنَ لِي، وَاسْتَأْذَنْتُهُ فِي الِاسْتِغْفَارِ لَهَا فَلَمْ يَأْذَنْ لِي فَزُورُوا الْقُبُورَ تُذَكِّرُكُمُ الْمَوْتَ» وَرَوَى مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ عَنْ عَفَّانَ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَجُلًا قَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ أَبِي؟ قَالَ: فِي النَّارِ فَلَمَّا قَفَّى دَعَاهُ فَقَالَ: إِنَّ أَبِي وَأَبَاكَ فِي النَّارِ» . وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي نُعَيْمٍ الْفَضْلِ بْنِ دُكَيْنٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ «جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ أَبِي كَانَ يَصِلُ الرَّحِمَ وَكَانَ وَكَانَ فَأَيْنَ هُوَ؟ قَالَ: فِي النَّارِ قَالَ: فَكَأَنَّ الْأَعْرَابِيَّ وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ১৫২০

লোকটি ফিরে যেতে উদ্যত হলে তিনি তাকে ডেকে বললেন, “আমার পিতা এবং তোমার পিতা
উভয়েই জাহান্নামে ৷”

বায়হাকী হযরত সাদ (বা) থেকে বনাি করেন যে, তিনি বলেন এক বেদুঈন নবী কবীম
(সা) এর নিকট এসে বলল, আমার আব্বা আত্মীয় বৎসল ছিলেন ৷ তার অমুক অমুক গুণ ছিল ৷
এখন তিনি কোথায় আছেনঃ জবাবে নবী করীম (সা) বললেন, জাহান্নামে’ ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
একথা শুনে বেদৃঈন অস্থির হয়ে পড়ে এবং বলে, ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা) ! আপনার পিতা
কোথায়ঃ নবী কবীম (সা) বললেন, যখনই তুমি কোন কাফিরের কবর অতিক্রম করবে, তাকে
জাহান্নামের সংবাদ দেবে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লোকটি মুসলমান হয়ে যায় ৷

পরে সে বলে, রাসুলুল্লাহ (সা) আমার উপর একটি কষ্টকর কাজ দিলেন ৷ এরপর থেকে
আমি যখনই যে কাফিরের কবরের নিকট দিয়ে অতিক্রম করোৰুষ্ট্র তাকেই জাহান্নড়ামের সংবাদে
দিয়েছি ৷ এটাও গরীব পর্যায়ের বর্ণনা, বিশুদ্ধ হাদীসসমুহে অনুক্ত ৷

ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন আমর ৷রা) বলেছেন একদিন আমরা
রাসুলুলাহ (সা) এর সঙ্গে হীটছিলাম ৷ হঠাৎ একজন মহিলা দেখা গেল ৷ তাকে নবী করীম (সা)
চিন্যেছন বলে আমরা ধারণা করিনি ৷ রাস্তার মধ্যখানে এসে নবী করীম (সা) র্দাড়িয়ে যান ৷
মহিলাও নবীজির নিকটে এসে র্দাড়ান ৷ তখন দেখা গেল, তিনি রাসুলুলাহ (না)-এর কন্যা
ফাতিমা ৷ নবী করীম (সা) বললে, ফাতিমা! কিসে তোমাকে তোমার ঘর থেকে বের করে
আনলো? ফাতিমা (বা) বললেন, এই গৃহবাসীদের মৃতের আত্মার মাণফেরাত প্রার্থনা ও
সমবেদনা প্রকাংশর জন্য এখানে এসেছি ৷ নবী করীম (সা) বললেন, বোধহয় তু তাদের সঙ্গে
কবর পর্যন্ত গিয়েছিল্যে জবাবে তিনি বললেন : লোকদের সঙ্গে মৃতের কবর পর্যন্ত যাওয়া থেকে
আল্লাহ আমাকে রক্ষা করুন ৷ আমি তো এ বিষয়ে আপনি যা বলে থাকেন তা শুনেছি ৷ নবী
করীম (সা) বললেন, “যদি তু তাদের সঙ্গে কবর পর্যন্ত যেতে, তবে জান্নাত দেখতে পেতে
না, যতক্ষণ না তোমার বাপের দাদা তা প্রত্যক্ষ করতেন ৷” আহমদ আবু দাউদ, নাসায়ী ও
বায়হাকী প্রমুখ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এর একজন রাবীকে অনেকে বিত ত
বলেছেন ৷ আবদুল মুত্তালিব জাহেলী দীনের অনুসারী রুপেই মারা যান ৷ তবে তার এবং আবু
তালিবের দীনের ব্যাপারে শিয়াদের তিন্নমর্ভ রয়েছে ৷ আবু তালিবের ওফাত অধ্যায়ে এ বিষয়ে
আলোকপাত করা হবে ৷

বায়হাকী তার দালায়লুন নুবুওয়াহ্’ গ্রন্থে এই হাদীসগুলো উল্লেখ করে মন্তব্য করেন যে,
রাসুলুল্পাহ (না)-এর পিতা-মাতা ও দাদার অবস্থা আখিরাতে কেন এরুপ হবে না? তারা তো
পৌত্তলিক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন এবং ঈসা (আ)-এর দীনেরও র্তারা অনুসরণ করতেন
না ৷ তবে তাদের এই কুফরীতে রাসুলুল্লাহ (সা) এর বংশ পরিচয়ে কোন কলংক আসে না ৷
কারণ, কাফিরে কাফিরে বিবাহ শুদ্ধ ৷ এ কারণেই স্বামী ত্রী একত্রে ইসলাম গ্রহণ করলে বিবাহ
নবায়ন করতে হয় না না তাতে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে হয় না ৷ উল্লেখ্য যে, একাধিক সুত্রে
বর্ণিত একটি হাদীসে আছে যে, দুই নবীর মধ্যবর্তী সময়কার মানুষ, অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু, পাগল


فَأَيْنَ أَبُوكَ؟ قَالَ: حَيْثُمَا مَرَرْتَ بِقَبْرِ كَافِرٍ فَبَشِّرْهُ بِالنَّارِ قَالَ: فَأَسْلَمَ الْأَعْرَابِيُّ بَعْدُ فَقَالَ: لَقَدْ كَلَّفَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَعَبًا، مَا مَرَرْتُ بِقَبْرِ كَافِرٍ إِلَّا بَشَّرْتُهُ بِالنَّارِ» غَرِيبٌ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ أَبِي أَيُّوبَ حَدَّثَنَا رَبِيعَةُ بْنُ سَيْفٍ الْمَعَافِرَيُّ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ «بَيْنَمَا نَحْنُ نَمْشِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ بَصُرَ بِاِمْرَأَةٍ لَا نَظُنُّ أَنَّهُ عَرَفَهَا فَلَمَّا تَوَسَّطَ الطَّرِيقَ وَقَفَ حَتَّى انْتَهَتْ إِلَيْهِ فَإِذَا فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا أَخْرَجَكِ مِنْ بَيْتِكِ يَا فَاطِمَةُ؟ فَقَالَتْ: أَتَيْتُ أَهْلَ هَذَا الْبَيْتِ فَرَّحَمْتُ إِلَيْهِمْ مَيِّتَهُمْ، وَعَزَّيْتُهُمْ قَالَ: لَعَلَّكِ بَلَغْتِ مَعَهُمُ الْكُدَى. قَالَتْ: مَعَاذَ اللَّهِ أَنْ أَكُونَ بَلَغْتُهَا مَعَهُمْ; وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَذْكُرُ فِي ذَلِكَ مَا تَذْكُرُ. قَالَ: لَوْ بَلَغْتِيهَا مَعَهُمْ مَا رَأَيْتِ الْجَنَّةَ حَتَّى يَرَاهَا جَدُّ أَبِيكِ» ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ، مِنْ حَدِيثِ رَبِيعَةَ بْنِ سَيْفِ بْنِ مَاتِعٍ الْمَعَافِرَيِّ الصُّنَّمِيِّ الْإِسْكَنْدَرِيِّ وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ
পৃষ্ঠা - ১৫২১
الْبُخَارِيُّ: عِنْدَهُ مَنَاكِيرٌ، وَقَالَ النَّسَائِيُّ: لَيْسَ بِهِ بَأْسٌ، وَقَالَ مَرَّةً: صَدُوقٌ، وَفِي نُسْخَةٍ: ضَعِيفٌ، وَذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي الثِّقَاتِ، وَقَالَ: كَانَ يُخْطِئُ كَثِيرًا، وَقَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: صَالِحٌ، وَقَالَ ابْنُ يُونُسَ فِي تَارِيخِ مِصْرَ: فِي حَدِيثِهِ مَنَاكِيرٌ تُوُفِّيَ قَرِيبًا مِنْ سَنَةِ عِشْرِينَ وَمِائَةٍ وَالْمُرَادُ بِالْكُدَى: الْقُبُورُ، وَقِيلَ: النَّوْحُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ مَاتَ عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ مِنْ دِينِ الْجَاهِلِيَّةِ، خِلَافًا لِفِرْقَةِ الشِّيعَةِ فِيهِ وَفِي ابْنِهِ أَبِي طَالِبٍ عَلَى مَا سَيَأْتِي فِي وَفَاةِ أَبِي طَالِبٍ، وَقَدْ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ بَعْدَ رِوَايَتِهِ هَذِهِ الْأَحَادِيثَ فِي كِتَابِهِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ: وَكَيْفَ لَا يَكُونُ أَبَوَاهُ وَجَدُّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بِهَذِهِ الصِّفَةِ فِي الْآخِرَةِ وَقَدْ كَانُوا يَعْبُدُونَ الْوَثَنَ حَتَّى مَاتُوا، وَلَمْ يَدِينُوا دِينَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَكُفْرُهُمْ لَا يَقْدَحُ فِي نَسَبِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ; لِأَنَّ أَنْكِحَةَ الْكُفَّارِ صَحِيحَةٌ أَلَا تَرَاهُمْ يُسْلِمُونَ مَعَ زَوْجَاتِهِمْ فَلَا يَلْزَمُهُمْ تَجْدِيدُ الْعَقْدِ وَلَا مُفَارَقَتُهُنَّ إِذَا كَانَ مِثْلُهُ يَجُوزُ فِي الْإِسْلَامِ، وَبِاللَّهِ التَّوْفِيقُ انْتَهَى كَلَامُهُ.
পৃষ্ঠা - ১৫২২


এবং বধিরদেরকে কিয়ামতের চতুরে পরীক্ষা করা হবে ৷ তখন তাদের কেউ জবাব দিতে
পারবে, কেউ পারবে না ৷ আমার মতে এই হাদীসের বক্তব্য আর নবী করীম (না)-এর
পিতা-মাতা ও দাদা সম্পর্কে জাহান্নামী হওয়ার সংবাদ প্রদানের মধ্যে কোন বিরোধ নেই ৷
কেননা, সে সময় এরাও ঐ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হবেন, যারা জবাব দানে অক্ষম হবে ৷

; : শ্ : ঙ্কুপ্র

এই আঘাতের তাফসীরে আমি বিষয়টি বিস্তারিতভড়াবে আলোচনা করেছি ৷

সুহায়লী কর্তৃক বর্ণিত এক হাদীসে আছে যে , আয়েশা (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর
দােয়ায় আল্লাহ তাআলা তার পিতা-মাতা দু’জনকেই জীবিত করেছিলেন ৷ জীবন পেয়ে তারা
নবীর প্রতি ঈমান আনয়ন করেন ৷ আল্লাহর কুদরতের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে এমনটি সম্ভবপর
হলেও প্রকৃত পক্ষে এই বর্ণনাটি একান্তই মুনকাব’ পর্যায়ের ৷ সহীহ হাদীসে এর বিপরীত বক্তব্য
রয়েছে ৷ আল্লাহই সম্যক জ্ঞাত ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মা আমিনা বিনতে ওহব-এর মৃত্যুর পর রাসুলুল্লাহ (সা) দাদা
আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিম-এর তত্ত্বড়াবধানে থাকেন ৷ সে সময়ে কাবার ছায়ায় আবদুল
মুত্তালিরের জন্য বিছানা পাতা হত ৷ আবদুল মুত্তালিব তাতে বসতেন এবং তার সম্ভান-সম্ভতিরা
সেই বিছানার চারদিকে বসে পড়ত ৷ তার সম্মানার্থে কেউই বিছানার উপরে উঠে বসত না ৷
নাদুসনুদুস বালক নবী (না)-ও সেই মজলিসে আসতেন এবং আবদুল মুত্তালিবের বিছানার
ওপর বসে পড়তেন ৷ তা দেখে তার চাচারা র্তাকে ধরে সরিয়ে বসাবার চেষ্টা করতেন ৷ কিন্তু
আবদুল মুত্তালিব বলতেন, আমার এ নাতিটিকে তোমরা ছেড়ে দাও ৷ আল্লাহর শপথ ! ভবিষ্যতে
ও বিরাট কিছু হবে ৷ এই বলে আবদুল মুত্তালিব নবীজিকে নিজ হাতে ধরে নিজের বিছানার
বসিয়ে নিয়ে পিঠে হাত বুলিয়ে দিতেন এবং তিনি যা করতে চাইতেন, তাতে সহযোগিতা
করতেন ৷

ওয়াকিদী একাধিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে , রাসুলুল্লাহ (না) যা আমিনার কাছে থাকতেন ৷
মায়ের ইস্তিকাল হলে দাদা আবদুল মুত্তালিব তীর লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ আবদুল
মুত্তালিব তাকে নিজের ঔরসজাত সন্তানদের চাইতেও বেশি স্নেহ করতেন এবং সব সময় র্তাকে
কাছে কাছে রাখতেন ৷ শয়নে-স্বপনে সৰ্বাবস্থায় নবীজি দাদা আবদুল মৃত্তালিবের একাম্ভে যেতে
পারতেন ৷ দাদার বিছানার গিয়ে বসলে আবদুল মুত্তালিব বলতেন, একে তোমরা ছেড়ে দাও,
আমার এই সম্ভানটি কালে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করবে ৷

বনু মুদলাজ এর একদল লেকে আবদুল মুত্তালিবকে বলল, এই ছেলের প্রতি বিশেষভাবে
দৃষ্টি রাখবেন ৷ কারণ এর পায়ের আকৃক্কিমকােমে ইব্রাহীমের পায়ের আকৃতির সাথে অধিক
সাদৃশ্যপুর্ণ আর কোন পা আমরা মোঃ৷ এষ্কপা শুনে আবদুল মুত্তালিব আবু তালিবকে
বললেন, ণ্শান, এরা কী বলছে! সেই আন মোঃ আবু তালিব নবী কবীম (না)-কে বিশেষ


قُلْتُ: وَإِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَبَوَيْهِ وَجَدِّهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بِأَنَّهُمْ مِنْ أَهْلِ النَّارِ، لَا يُنَافِي الْحَدِيثَ الْوَارِدَ عَنْهُ مَنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ «أَنَّ أَهْلَ الْفَتْرَةِ وَالْأَطْفَالَ وَالْمَجَانِينَ وَالصُّمَّ يُمْتَحَنُونَ فِي الْعَرَصَاتِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ،» كَمَا بَسَطْنَاهُ سَنَدًا وَمَتْنًا فِي تَفْسِيرِنَا عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى {وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِينَ حَتَّى نَبْعَثَ رَسُولًا} [الإسراء: 15] فَيَكُونُ مِنْهُمْ مَنْ يُجِيبُ وَمِنْهُمْ مَنْ لَا يُجِيبُ فَيَكُونُ هَؤُلَاءِ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ لَا يُجِيبُ فَلَا مُنَافَاةَ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي ذَكَرَهُ السُّهَيْلِيُّ، وَذَكَرَ أَنَّ فِي إِسْنَادِهِ مَجْهُولَينِ إِلَى ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَ رَبَّهُ أَنْ يُحْيِيَ أَبَوَيْهِ فَأَحْيَاهُمَا وَآمَنَا بِهِ» فَإِنَّهُ حَدِيثٌ مُنْكَرٌ جِدًّا، وَإِنْ كَانَ مُمْكِنًا بِالنَّظَرِ إِلَى قُدْرَةِ اللَّهِ تَعَالَى لَكِنَّ الَّذِي ثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ يُعَارِضُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَصْلٌ فِي كَفَالَةِ جَدِّهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بَعْدَ وَفَاةِ أُمِّهِ]
পৃষ্ঠা - ১৫২৩
فَصْلٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَعَ جَدِّهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ - يَعْنِي بَعْدَ مَوْتِ أُمِّهِ آمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ - فَكَانَ يُوضَعُ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ فِرَاشٌ فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ وَكَانَ بَنُوهُ يَجْلِسُونَ حَوْلَ فِرَاشِهِ ذَلِكَ حَتَّى يَخْرُجَ إِلَيْهِ لَا يَجْلِسُ عَلَيْهِ أَحَدٌ مِنْ بَنِيهِ إِجْلَالًا لَهُ قَالَ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِي وَهُوَ غُلَامٌ جَفْرٌ حَتَّى يَجْلِسَ عَلَيْهِ فَيَأْخُذُهُ أَعْمَامُهُ لِيُؤَخِّرُوهُ عَنْهُ فَيَقُولُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ إِذَا رَأَى ذَلِكَ مِنْهُمْ: دَعُوا ابْنِي فَوَاللَّهِ إِنَّ لَهُ لَشَأْنًا، ثُمَّ يُجْلِسُهُ مَعَهُ عَلَى فِرَاشِهِ وَيَمْسَحُ ظَهْرَهُ بِيَدِهِ، وَيَسُرُّهُ مَا يَرَاهُ يَصْنَعُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَحَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ عَاصِمٍ الْأَسْلَمِيُّ عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ جَهْمٍ، وَحَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ، وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي الْحُوَيْرِثِ، وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ سُحَيْمٍ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ - دَخَلَ حَدِيثُ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ - قَالُوا: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكُونُ مَعَ أُمِّهِ آمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ فَلَمَّا تُوُفِّيَتْ قَبَضَهُ إِلَيْهِ جَدُّهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ وَضَمَّهُ وَرَقَّ عَلَيْهِ رِقَّةً لَمْ يَرِقَّهَا عَلَى
পৃষ্ঠা - ১৫২৪


হেফাজতে রাখতে শুরু করেন ৷ আবদুল মুত্তালিব উম্মে আয়মানকে-যিনি নবীজিকে
(কালে-কাধে নিতেনশ্বলেছিলেন, বড়ারাকাহ! আমার এই নাতির ব্যাপারে উদাসীন হয়াে না ৷
আমি একে সিদরাতুল মুনতাহার নিকট বলেকদেব সঙ্গে দেখতে পেয়েছি, ৷ আর আহলে
কিতাবদের ধারণা আমার এই সভানটি এই উম্মতের নবী হবে উল্লেখ্য যে, আবদুল মুত্তালিব
যখনই থানা যেতেন বলতেন, আমার নড়াতিকে নিয়ে এস ৷ তখন নবীজিকে তার কাছে এসে
দেয়৷ হত ৷ মৃত্যুকালে আবদুল মুত্তালিব আবু তালিবকে রাসুলুল্লাহ (না)-এর দেখাশুনা করার
জন্য অসিয়ত করে যান ৷ এই অসিয়তের পরেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং হাজুন নামক স্থানে
সমাধিস্থ হন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) আট বছরে উপনীত হলে তার দাদা আবদুল মুত্তালিব
মৃত্যুবরণ করেন ৷ মৃত্যুর প্রাক্কালে তিনি তার কন্যাদের ডেকে তাদের বিলাপ করার আদেশ
দেন ৷ সেই মেয়েরা হলো, আরওয়া, উমাইয়া, বাররা, সাফিফ্যা, আতিকা ও উম্মে হাকীম
আল-বড়ায়যা ৷ তাদের পিতাকে শুনিয়ে তারা যে কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন ইবন ইসহাক সেগুলি
উদ্ধৃত করেন ৷ এগুলে৷ ছিল খুবই মর্মস্পশী বিলাপ ৷ ইবন ইসহাক এ বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করেছেন ৷ ইবন ইিশাম বলেন, এই কবিতাগুলো যে তাদেরই, তা যথার্থ বলে কোন
কাব্য বিশারদই স্বীকার করেন নি ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিমের মৃত্যুর পর যমযম ও পানি পান
করানো (সিকড়ায়া)-এর দায়িত্ব তীর পুত্র আব্বড়াসের ওপর অর্পিত হয় ৷ আব্বাস (রা) বয়সে তার
ভাইদের মধ্যে সকলের কনিষ্ঠ ৷ ইসলামের প্রতিষ্ঠা লাভ করা পর্যন্ত এই দায়িতৃ তারই হতে
থাকে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)-ও এই দায়িতু তারই হাতে বহাল রাখেন ৷ দাদা আবদুল মুত্তালিবের
মৃত্যুর পর রাসুলুল্লাহ (সা) আবদুল মুত্তালিবের ওসিয়ত অনুসারে চাচা আবু তালিব-এর
তত্ত্বড়াবধানে থাকতে শুরু করেন ৷ আবু তালিব ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা)-এর পিতা আবদুল্লাহর
সহােদর ৷ তাদের দৃ’জনেবই মা হলেন, ফাতিমা বিনতে আমর ইবন আয়িয ইবন ইমরান ইবন

মাখযুম ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) চাচার সঙ্গে সঙ্গেই থাকতেন ৷

ওয়াকিদীর বর্ণনায় আরো আছে, আবু তালিবের সংসার ছিল অসচ্ছল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)-কে
তিনি এত বেশি আদর করতেন যে, নিজের ঔরসজাত সন্তানদেরকে তত আদর করতেন না ৷
রাসুলুল্লাহ (সা)-কে নিজের পার্শে না নিয়ে তিনি ঘুমাতেন না ৷ বাইরে কোথাও গেলে র্তাকেও
সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন ৷ তাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি আহার করতেন ৷ তাকে ছাড়া আহার করলে
আবু তালিব এবং তার পরিবারের কারও আহারে তৃপ্তি আসত না ৷ সবাই খেতে বসলে আবু
তালিব বলতেন, তোমরা একটু অপেক্ষা কর, আমার অড়াদরের দৃলালটি এসে যাক ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) এসে তাদের সঙ্গে আহার করলে তাদের আহার্য উদ্বুত্ত থাকতো ৷ এ ব্যাপারে আবু তালিব
বলতেন, তুমি বড় বরকতময় ৷ সকালে ঘুম থেকে উঠলে সবইিকে যেখানে মলিন ও আলুথালু
মনে হত, সেখানে রাসুলুল্লাহকে অনেক দীপ্তিময় ও লাবণ্যময় দেখাতে৷ ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৬৫

وَلَدِهِ وَكَانَ يُقَرِّبُهُ مِنْهُ وَيُدْنِيهِ، وَيَدْخُلُ عَلَيْهِ إِذَا خَلَا وَإِذَا نَامَ وَكَانَ يَجْلِسُ عَلَى فِرَاشِهِ فَيَقُولُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ إِذَا رَأَى ذَلِكَ: دَعُوا ابْنِي إِنَّهُ لَيُؤْنِسُ مُلْكًا. وَقَالَ قَوْمٌ مِنْ بَنِي مُدْلِجٍ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ: احْتَفِظْ بِهِ فَإِنَّا لَمْ نَرَ قَدَمًا أَشْبَهَ بِالْقَدَمِ الَّذِي فِي الْمَقَامِ مِنْهُ فَقَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ لِأَبِي طَالِبٍ: اسْمَعْ مَا يَقُولُ هَؤُلَاءِ! فَكَانَ أَبُو طَالِبٍ يَحْتَفِظُ بِهِ، وَقَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ لِأُمِّ أَيْمَنَ - وَكَانَتْ تَحْضُنُهُ -: يَا بَرَكَةُ لَا تَغْفُلِي عَنِ ابْنِي فَإِنِّي وَجَدْتُهُ مَعَ غِلْمَانٍ قَرِيبًا مِنَ السِّدْرَةِ، وَإِنَّ أَهْلَ الْكِتَابِ يَزْعُمُونَ أَنَّ ابْنِي نَبِيُّ هَذِهِ الْأُمَّةِ وَكَانَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ لَا يَأْكُلُ طَعَامًا إِلَّا يَقُولُ عَلَيَّ بِابْنِي فَيُؤْتَى بِهِ إِلَيْهِ فَلَمَّا حَضَرَتْ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ الْوَفَاةُ أَوْصَى أَبَا طَالِبٍ بِحِفْظِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحِيَاطَتِهِ، ثُمَّ مَاتَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ، وَدُفِنُ بِالْحَجُونِ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِي سِنِينَ هَلَكَ جَدُّهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بْنُ هَاشِمٍ، ثُمَّ ذَكَرَ جَمْعَهُ بَنَاتِهِ، وَأَمْرَهُ إِيَّاهُنَّ أَنْ يَرْثِينَهُ، وَهُنَّ أَرْوَى وَأُمَيْمَةُ وَبَرَّةُ وَصَفِيَّةُ وَعَاتِكَةُ وَأُمُّ حَكِيمٍ الْبَيْضَاءُ، وَذَكَرَ أَشْعَارَهُنَّ وَمَا قُلْنَ فِي رِثَاءِ أَبِيهِنَّ وَهُوَ يَسْمَعُ قَبْلَ مَوْتِهِ. وَهَذَا أَبْلَغُ النَّوْحِ، وَبَسَطَ الْقَوْلَ فِي ذَلِكَ وَقَدْ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَلَمْ أَرَ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ يَعْرِفُ هَذَا الشِّعْرَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا هَلَكَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بْنُ هَاشِمٍ، وَلِيَ السِّقَايَةَ
পৃষ্ঠা - ১৫২৫
وَزَمْزَمَ بَعْدَهُ ابْنُهُ الْعَبَّاسُ وَهُوَ مِنْ أَحْدَثِ إِخْوَتِهِ سِنًّا فَلَمْ تَزَلْ إِلَيْهِ حَتَّى قَامَ الْإِسْلَامُ، وَأَقَرَّهَا فِي يَدِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ جَدِّهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، مَعَ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ لِوَصِيَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لَهُ بِهِ، وَلِأَنَّهُ كَانَ شَقِيقَ أَبِيهِ عَبْدِ اللَّهِ أُمُّهُمَا فَاطِمَةُ بِنْتُ عَمْرِو بْنِ عَائِذِ بْنِ عِمْرَانَ بْنِ مَخْزُومٍ قَالَ: فَكَانَ أَبُو طَالِبٍ هُوَ الَّذِي يَلِي أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ إِلَيْهِ، وَمَعَهُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ ابْنِ نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ، وَحَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَنْصَارِيُّ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي حَبِيبَةَ - دَخَلَ حَدِيثُ بَعْضِهِمْ فِي حَدِيثِ بَعْضٍ - قَالُوا: لَمَّا تُوُفِّيَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ قَبَضَ أَبُو طَالِبٍ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ يَكُونُ مَعَهُ وَكَانَ أَبُو طَالِبٍ لَا مَالَ لَهُ وَكَانَ يُحِبُّهُ حُبًّا شَدِيدًا لَا يُحِبُّهُ وَلَدَهُ وَكَانَ لَا يَنَامُ إِلَّا إِلَى جَنْبِهِ وَيَخْرُجُ فَيَخْرُجُ مَعَهُ، وَصَبَّ بِهِ أَبُو طَالِبٍ صَبَابَةً لَمْ يَصَبَّ مِثْلَهَا بِشَيْءٍ قَطُّ وَكَانَ يَخُصُّهُ بِالطَّعَامِ وَكَانَ إِذَا أَكَلَ عِيَالُ أَبِي طَالِبٍ جَمِيعًا أَوْ فُرَادَى لَمْ يَشْبَعُوا، وَإِذَا أَكَلَ مَعَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَبِعُوا فَكَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُغَدِّيَهُمْ قَالَ: كَمَا أَنْتُمْ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ১৫২৬

হাসান ইবন আরাফা (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বলেছেন, ভোর

হলে আবু তালিব শিশুদের জন্য একপাত্রে খাওয়ার আয়োজন করতেন ৷ শিশুরা বসে কাড়াকাড়ি

করে যেতে শুরু করত ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ (স) সেই কাড়াকাড়িতে যোগ দিতেন না ৷ তিনি হাত
সরিয়ে নািতন ৷ দেখে চাচা আবু তালিব তার জন্য আলাদা পাত্রের ব্যবস্থা করেন ৷

ইবন ইসহাক রনাি করেন, লাহাব গোত্রের এক ব্যক্তি গণক ছিল ৷ লোকটি মক্কায় আসলে
কুরাইশের লোকেরা তাদের সম্ভানদেরকে তার কাছে নিয়ে যেত ৷ একবার রাসুলুল্লাহ (সা ) এর
ওপর গণকের চোখ পড়ে ৷ এক পর্যায়ে সে বলে, ওই ছেলেটিকে আমার কাছে নিয়ে এসো ৷
তার অতিরিক্ত আগ্রহ দেখে আবু তালিব তাকে সরিয়ে নিয়ে যান ৷ কিন্তু গণক বলতে থাকে ,
আরে এইমাত্র আমি যে ছেলেটিকে দেখলাম, ওকে একটু আমার কাছে নিয়ে এস ৷ আল্লাহর
শপথ, ভবিষ্যতে ও বিরাট কিছু হবে ৷ বংনািকারী বলেন, কিত্তু আবু তালিব নবীজিকে নিয়ে
সরে পড়েন ৷


يَأْتِيَ ابْنِي فَيَأْتِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَأْكُلُ مَعَهُمْ فَكَانُوا يُفْضِلُونَ مِنْ طَعَامِهِمْ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُمْ لَمْ يَشْبَعُوا فَيَقُولُ أَبُو طَالِبٍ: إِنَّكَ لَمُبَارَكٌ. وَكَانَ الصِّبْيَانُ يُصْبِحُونَ رُمْصًا شُعْثًا، وَيُصْبِحُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَهِينًا كَحِيلًا. وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَمْرٍو سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: كَانَ بَنُو أَبِي طَالِبٍ يُصْبِحُونَ غُمْصًا رُمْصًا، وَيُصْبِحُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَقِيلًا دَهِينًا وَكَانَ أَبُو طَالِبٍ يُقَرِّبُ إِلَى الصِّبْيَانِ صَفْحَتَهُمْ أَوَّلَ الْبُكْرَةِ فَيَجْلِسُونَ وَيَنْتَهِبُونَ، وَيَكُفُّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ لَا يَنْتَهِبُ مَعَهُمْ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ عَمُّهُ عَزَلَ لَهُ طَعَامَهُ عَلَى حِدَةٍ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلًا مِنْ لِهْبٍ كَانَ عَائِفًا فَكَانَ إِذَا قَدِمَ مَكَّةَ أَتَاهُ رِجَالٌ مَنْ قُرَيْشٍ بِغِلْمَانِهِمْ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ، وَيَعْتَافُ لَهُمْ فِيهِمْ قَالَ: فَأَتَى أَبُو طَالِبٍ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ غُلَامٌ مَعَ مَنْ يَأْتِيهِ قَالَ: فَنَظَرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ شَغَلَهُ
পৃষ্ঠা - ১৫২৭
عَنْهُ شَيْءٌ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ: الْغُلَامُ عَلِيَّ بِهِ فَلَمَّا رَأَى أَبُو طَالِبٍ حِرْصَهُ عَلَيْهِ غَيَّبَهُ عَنْهُ فَجَعَلَ يَقُولُ: وَيَلَكُمْ رُدُّوا عَلَيَّ الْغُلَامَ الَّذِي رَأَيْتُهُ آنِفًا فَوَاللَّهِ لَيَكُونَنَّ لَهُ شَأْنٌ قَالَ: وَانْطَلَقَ بِهِ أَبُو طَالِبٍ.
পৃষ্ঠা - ১৫২৮

চাচা আবু তালিংবর সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা) এর
সিরিয়া সফর এবং পাদ্রী বাহীরার সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গ

ইবন ইসহাক বলেন, অতঃপর আবু তালিব বড়াণিজােপলক্ষে একটি কাফেলার সঙ্গে সিরিয়া
রওয়ানা হন ৷ প্রস্তুতি সম্পন্ন করে যেই মাত্র তিনি রওয়ানা হন, ঠিক তখনি রাসুলুল্লাহ (না)
তাকে জড়িয়ে ধরেন ৷ এতে তার প্রতি আবু তালিব বিগলিত হয়ে পড়েন এবং বলে ওঠেন,
আল্লাহর শপথ ! একে আমি সঙ্গে করে নিয়ে যাব ৷ আমিও তাকে আমার থেকে বিচ্ছিন্ন করব না,
সেও কখনো আমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না ৷

যা হোক, রাসুলুল্লাহ (সা)-কে সঙ্গে করে আবু তালিব রওয়ানা হন ৷ কাফেলা সিরিয়ার
বুসরা নামক এক স্থানে যাত্রা বিরতি করে৷ সেখানকার একটি গীর্জায় এক পাদ্রী অবস্থান
করেন ৷ তার নাম ছিল বাহীরা ৷

খৃষ্টীয় ধর্মের তিনি বড় পণ্ডিত ছিলেন ৷ পাদ্রীতু গ্রহণ অবধি তিনি ঐ পীর্জায়ই সব সময়
থাকতেন ৷ খৃষ্টানদের ধারণা মতে, খ্রীষ্টীয় ধর্মগ্রন্থে তিনিই ছিলেন শীর্ষস্থানীয় পণ্ডিত ৷
উত্তরাধিকার সুত্রে এই জ্ঞান তারা পেয়ে থাকেন ৷

মক্কার এই বণিক কাফেলা এর আগেও বহুবার এ পথ চলাচল করেছে ৷ কিন্তু পাদ্রী বাহীরা
এতকাল পর্যন্ত কখনো তাদের সঙ্গে কথাও বলেন নি এবং তাদের প্রতি ফিরেও তাকান নি ৷
কিত্তু এই যাত্রায় কাফেলা পাদ্রীর গীর্জার নিকটে অবতরণ করলে পাদ্রী তাদের জন্য খাবারের
আয়োজন করেন ৷ কাফেলার লোকজনের ধারণা মতে, পাদ্রী তার গীর্জায় বলে কিছু একটা লক্ষ্য
করেই এমনটি করেছিলেন ৷ তাদের ধারণা, পাদ্রী কাফেলার মাঝে রাসুলুল্পাহ (সা)-কে দেখে
ফেলেছিলেন ৷ ফলে তখন একখণ্ড মেঘ দলের মধ্য থেকে শুধু রাসুলুল্লাহ (না)-কেই ছায়া ণ্
দিচ্ছিল ৷ কাফেলার লোকেরা আরও সামনে অগ্রসর হয়ে পাদ্রীর কাছাকাছি একটি গাছের ছায়ায়
অবস্থান নেয় ৷ পাদ্রী রাসুলুল্লাহ (না)-কে মেঘের ছায়া প্রদান এবং তার প্রতি গাছের ডাল-পালা
ঝুকে থাকছে লক্ষ্য করেন ৷ এসব দেখে পাদ্রী তার পীর্জা হতে বেরিয়ে আসেন ৷ এদিকে তার
আদেশে খাবার প্ৰন্তুত করা হয় ৷ এবার তিনি কাফেলার নিকট লোক প্রেরণ করেন ৷ কাফেলার
প্রতিনিধি দল পাদ্রীর নিকট উপস্থিত হলে পাদ্রী বলেন, ওহে কুরাইশ সম্প্রদায়! আমি তোমাদের
জন্য খাবারের আয়োজন করেছি ৷ আমার একান্ত কামনা তোমরা প্রতেব্রুকে আমার এই
আয়োজনে উপস্থিত হবে, বড় ছোট,গােলাম-আযাদ সকলে ৷ জবাবে একজন বলল, আজ
আপনি ব্যতিক্রম কিছু করছেন দেখছি ৷ ইতিপুর্বে ক্খনাে তো আপনি আমাদের জন্য এরুপ
আয়োজন করেন নি ৷ অথচ এর আগেও বহুবার আমরা এই পথে যাতায়াত করেছি ৷ আজ এমন


[فَصْلٌ فِي خُرُوجِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مَعَ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ إِلَى الشَّامِ وَقِصَّتِهِ مَعَ بَحِيرَى الرَّاهِبِ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ أَبَا طَالِبٍ خَرَجَ فِي رَكْبٍ تَاجِرًا إِلَى الشَّامِ فَلَمَّا تَهَيَّأَ لِلرَّحِيلِ، وَأَجْمَعَ السَّيْرَ صَبَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِيمَا يَزْعُمُونَ - فَرَقَّ لَهُ أَبُو طَالِبٍ، وَقَالَ: وَاللَّهُ لَأَخْرُجَنَّ بِهِ مَعِي وَلَا أُفَارِقُهُ وَلَا يُفَارِقُنِي أَبَدًا، أَوْ كَمَا قَالَ فَخَرَجَ بِهِ فَلَمَّا نَزَلَ الرَّكْبُ بُصْرَى مِنْ أَرْضِ الشَّامِ، وَبِهَا رَاهِبٌ يُقَالَ لَهُ: بَحِيرَى فِي صَوْمَعَةٍ لَهُ وَكَانَ إِلَيْهِ عِلْمُ أَهْلِ النَّصْرَانِيَّةِ، وَلَمْ يَزَلْ فِي تِلْكَ الصَّوْمَعَةِ مُنْذُ قَطُّ رَاهِبٌ فِيهَا إِلَيْهِ يَصِيرُ عِلْمُهُمْ عَنْ كِتَابٍ - فِيمَا يَزْعُمُونَ - يَتَوَارَثُونَهُ كَابِرًا عَنْ كَابِرٍ فَلَمَّا نَزَلُوا ذَلِكَ الْعَامَ بِبَحِيرَى كَانُوا كَثِيرًا مَا يَمُرُّونَ بِهِ قَبْلَ ذَلِكَ فَلَا يُكَلِّمُهُمْ وَلَا يَعْرِضُ لَهُمْ حَتَّى كَانَ ذَلِكَ الْعَامُ فَلَمَّا نَزَلُوا قَرِيبًا مِنْ صَوْمَعَتِهِ صَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا كَثِيرًا، وَذَلِكَ - فِيمَا يَزْعُمُونَ - عَنْ شَيْءٍ رَآهُ وَهُوَ فِي صَوْمَعَتِهِ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الرَّكْبِ حِينَ أَقْبَلُوا، وَغَمَامَةٌ تُظِلُّهُ مِنْ بَيْنِ الْقَوْمِ، ثُمَّ أَقْبَلَوا فَنَزَلُوا فِي
পৃষ্ঠা - ১৫২৯
ظِلِّ شَجَرَةٍ قَرِيبًا مِنْهُ فَنَظَرَ إِلَى الْغَمَامَةِ حِينَ أَظَلَّتِ الشَّجَرَةُ، وَتَهَصَّرَتْ أَغْصَانُ الشَّجَرَةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى اسْتَظَلَّ تَحْتَهَا فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ بَحِيرَى نَزَلَ مِنْ صَوْمَعَتِهِ وَقَدْ أَمَرَ بِطَعَامٍ فَصُنِعَ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ: إِنِّي صَنَعْتُ لَكُمْ طَعَامًا يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ تَحْضُرُوا كُلُّكُمْ كَبِيرُكُمْ، وَصَغِيرُكُمْ وَعَبْدُكُمْ وَحُرُّكُمْ. فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ: وَاللَّهِ يَا بَحِيرَى إِنَّ لَكَ لَشَأْنًا الْيَوْمَ! مَا كُنْتَ تَصْنَعُ هَذَا بِنَا وَقَدْ كُنَّا نَمُرُّ بِكَ كَثِيرًا فَمَا شَأْنُكَ الْيَوْمَ؟ قَالَ لَهُ بَحِيرَى: صَدَقْتَ قَدْ كَانَ مَا تَقُولُ، وَلَكِنَّكُمْ ضَيْفٌ وَقَدْ أَحْبَبْتُ أَنْ أُكْرِمَكُمْ، وَأَصْنَعَ لَكُمْ طَعَامًا فَتَأْكُلُونَ مِنْهُ كُلُّكُمْ فَاجْتَمَعُوا إِلَيْهِ، وَتَخَلَّفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَيْنِ الْقَوْمِ لِحَدَاثَةِ سِنِّهِ فِي رِحَالِ الْقَوْمِ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَلَمَّا رَآهُمْ بَحِيرَى لَمْ يَرَ الصِّفَةَ الَّتِي يَعْرِفُ وَيَجِدُ عِنْدَهُ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، لَا يَتَخَلَّفَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ عَنْ طَعَامِي قَالُوا: يَا بَحِيرَى مَا تَخَلَّفَ أَحَدٌ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَأْتِيَكَ إِلَّا غُلَامٌ وَهُوَ أَحْدَثُنَا سِنًّا فَتَخَلَّفَ فِي رِحَالِنَا قَالَ: لَا تَفْعَلُوا! ادْعُوهُ فَلْيَحْضُرْ هَذَا الطَّعَامَ مَعَكُمْ قَالَ: فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ مَعَ الْقَوْمِ: وَاللَّاتِ وَالْعُزَّى إِنْ كَانَ لَلُؤْمًا بِنَا أَنْ يَتَخَلَّفَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَنْ طَعَامٍ مِنْ بَيْنِنَا، ثُمَّ قَامَ إِلَيْهِ فَاحْتَضَنَهُ، وَأَجْلَسَهُ مَعَ الْقَوْمِ فَلَمَّا رَأَى بَحِيرَى جَعَلَ يَلْحَظُهُ لَحْظًا شَدِيدًا، وَيَنْظُرُ إِلَى أَشْيَاءَ مِنْ جَسَدِهِ قَدْ كَانَ يَجِدُهَا عِنْدَهُ مِنْ صِفَتِهِ حَتَّى إِذَا فَرَغَ الْقَوْمُ مِنْ طَعَامِهِمْ وَتَفَرَّقُوا قَامَ
পৃষ্ঠা - ১৫৩০

কি হলো বলুন তো? বাহীরা বললেন, ঠিকই বলেছ! তোমার কথা যথার্থ ৷ ব্যাপার তেমন কিছু
নয় ৷ তোমরা মেহমান ৷ একবেলা খাবার খাইয়ে তোমাদের যেহমানদারী করতে আশা
করেছিলাম আর কি ৷

কুরাইশ বণিক কাফেলার সকলেই পদ্রীর নিকট সমবেত হন ৷ বয়সে ছোট হওয়ার কারণে
রাসুলুল্লাহ (সা) গাছের নিচে তাদের মালপত্রের নিকট থেকে যান ৷ পাদ্রী যখন দেখলেন যে,
কাফেলার সব লোকই এসেছে ৷ কিন্তু তিনি যে গুণ ও লক্ষণের কথা জানতেন, তা কারো মধ্যে
দেখা যাচ্ছে না ৷ তখন তিনি বললেন, হে কুরাইশ সম্প্রদায় ৷ আমার খাবার থেকে তোমাদের
একজনও যেন বাদ না যায় ৷ লোকেরা বলল, হে বাহীরা ৷ আপনার নিকট যাদের আসা উচিত
ছিল, তাদের একজনও অনুপস্থিত নেই ৷ কেবল বয়সে আমাদের সকলের ছোট একটি বালক
র্তাবুতে রয়ে গেছে ৷ পাদ্রী বলল, “না, তা করো না ৷ ওকেও ডেকে পাঠাও, যেন সেও
তোমাদের সঙ্গে এই খাবাবে শরীক হতে পারে ৷” বর্ণনাকারী বলেন এর জবাবে কাফেলার এক
কুরাইশ সদস্য বলে উঠল, লাত-ওজ্জার শপথ ! মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মুত্তালিব
এই খাবারে আমাদের মধ্য থেকে অনুপস্থিত থাকা আমাদের জন্য দৃর্তাগ্যই বটে ৷ অতঃপর সে
উঠে গিয়ে মুহাম্মদ (না)-কে কোলে করে এনে সকলের সঙ্গে আহারে বসিয়ে দেয় ৷ বাহীরা
তাকে দেখে গভীর দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকেন এবং তার দেহে সেসব লক্ষণ দেখার
চেষ্টা করেন, যা তিনি তার কিভাবে ইতিপুর্বে পেয়েছিলেন ৷

আহার পর্ব শেষে সকলে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে পড়ল ৷ এই সুযোগে বাহীরা রাসুলুল্লাহ
(না)-এর কাছে গিয়ে বললেন, “হে বালক! আমি তোমাকে লাত-ওজ্জার শপথ দিয়ে জানতে
চাচ্ছি, আমি তোমাকে যা জিজ্ঞেস করবো, তার যথার্থ জবাব দিবে কিং” বাহীরা লাভ ওজ্জার
নামে এই জন্যই কসম থেয়েছিলেন যে, তিনি মুহাম্মদ (না)-এর সম্প্রদায়কে এ দুই নামের শপথ
করতে অভ্যস্ত বলে শুনেছিলেন ৷ যা হোক, জবাবে রাসুলুল্পাহ (সা) বললেন, আপনি আমাকে
লাতওজ্জার নামে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না ৷ আল্লাহর শপথ! আমি এই দু’টোর মত অন্য
কিছুকেই এত ঘৃণা করি না ৷ বাহীরা বললেন, আল্লাহর শপথ ৷ আমি তোমাকে যা যা জিজ্ঞেস
করবো, তার যথাযথ জবাব তু দিবে কি? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আপনার যা ইচ্ছে হয়
জিজ্ঞেস করুন ৷ বাহীরা রাসুলুল্লাহ (না)-কে তার ঘুম, আকার-আকৃতি ইত্যাদি সব বিষয়ে
জিজ্ঞেস করতে শুরু করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) এক এক করে সব প্রশ্নের জবাব দিলেন ৷ তার
প্রদত্ত সব বিবরণ বাহীরার পুর্ব থেকে জানা নবীর গুণাবলীর সঙ্গে হুবহু মিলে যায় ৷ তারপর
বাহীরা তার পিঠে দৃষ্টিপাত করে পুর্ব থেকে জানা বিবরণ অনুযায়ী তার দৃ’স্কন্ধের মধ্যবর্তী স্থানে
নবুওতের মহর দেখতে পান ৷

পাদ্রী বাহীরা এবার নবীজির চাচা আবু তালিব-এর দিকে ফিরে বললেন এই বালক
আপনার কী হয় ? আবু তালিব বললেন, আমার পুত্র ৷ বাহীরা বলবেন, না যে আপনার পুত্র নয় ৷
এই বালকের পিতা জীবিত থাকতে পারে না ৷ আবু তালিব বললেন, ও আমার ভাতিজা ৷ পদ্রী
বললেন, ওর পিতার কি হয়েছে? আবু তালিব বললেন, ও যখন তার মায়ের গর্ভে তখন ওর
পিতা মারা যান ৷ পাদ্রী বললেন, ঠিক বলেছেন ৷ ভাতিজাকে নিয়ে আপনি দেশে ফিরে যান ৷


إِلَيْهِ بَحِيرَى. وَقَالَ لَهُ: يَا غُلَامُ أَسْأَلُكَ بِحَقِّ اللَّاتِ وَالْعُزَّى إِلَّا أَخْبَرْتَنِي عَمَّا أَسْأَلُكَ عَنْهُ، وَإِنَّمَا قَالَ لَهُ بَحِيرَى ذَلِكَ; لِأَنَّهُ سَمِعَ قَوْمَهُ يَحْلِفُونَ بِهِمَا فَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَهُ: لَا تَسْأَلْنِي بِاللَّاتِ وَالْعُزَّى فَوَاللَّهِ مَا أَبْغَضْتُ شَيْئًا قَطُّ بُغْضَهُمَا فَقَالَ لَهُ بَحِيرَى: فَبِاللَّهِ إِلَّا مَا أَخْبَرْتَنِي عَمَّا أَسْأَلُكَ عَنْهُ فَقَالَ لَهُ: سَلْنِي عَمَّا بَدَا لَكَ فَجَعَلَ يَسْأَلُهُ عَنْ أَشْيَاءَ مِنْ حَالِهِ مِنْ نَوْمِهِ وَهَيْئَتِهِ وَأُمُورِهِ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُخْبِرُهُ فَوَافَقَ ذَلِكَ مَا عِنْدَ بَحِيرَى مَنْ صِفَتِهِ، ثُمَّ نَظَرَ إِلَى ظَهْرِهِ فَرَأَى خَاتَمَ النُّبُوَّةِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ عَلَى مَوْضِعِهِ مَنْ صِفَتِهِ الَّتِي عِنْدَهُ فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: مَا هَذَا الْغُلَامُ مِنْكَ؟ قَالَ: ابْنِي قَالَ بَحِيرَى: مَا هُوَ بِابْنِكَ وَمَا يَنْبَغِي لِهَذَا الْغُلَامِ أَنْ يَكُونَ أَبُوهُ حَيًّا قَالَ: فَإِنَّهُ ابْنُ أَخِي قَالَ: فَمَا فَعَلَ أَبُوهُ؟ قَالَ: مَاتَ وَأَمُّهُ حُبْلَى بِهِ. قَالَ: صَدَقْتَ ارْجِعْ بِابْنِ أَخِيكَ إِلَى بَلَدِهِ، وَاحْذَرْ عَلَيْهِ يَهُودَ فَوَاللَّهِ لَئِنْ رَأَوْهُ وَعَرَفُوا مِنْهُ مَا عَرَفْتُ، لِيَبْغُنَّهُ شَرًّا فَإِنَّهُ كَائِنٌ لِابْنِ أَخِيكَ هَذَا شَأْنٌ عَظِيمٌ فَأَسْرِعْ بِهِ إِلَى بِلَادِهِ فَخَرَجَ بِهِ عَمُّهُ أَبُو طَالِبٍ سَرِيعًا حَتَّى أَقْدَمَهُ مَكَّةَ حِينَ فَرَغَ مِنْ تِجَارَتِهِ بِالشَّامِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَزَعَمُوا - فِيمَا رَوَى النَّاسُ - أَنَّ زُرَيْرًا وَتَمَّامًا وَدَرِيسًا - وَهُمْ نَفَرٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ - قَدْ كَانُوا رَأَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَمَا
পৃষ্ঠা - ১৫৩১
رَأَى بَحِيرَى فِي ذَلِكَ السَّفَرِ الَّذِي كَانَ فِيهِ مَعَ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ فَأَرَادُوهُ فَرَدَّهُمْ عَنْهُ بَحِيرَى فَذَكَّرَهُمُ اللَّهَ وَمَا يَجِدُونَ فِي الْكِتَابِ مِنْ ذِكْرِهِ، وَصَفَتِهِ، وَأَنَّهُمْ إِنْ أَجْمَعُوا لِمَا أَرَادُوا بِهِ لَمْ يَخْلُصُوا إِلَيْهِ حَتَّى عَرَفُوا مَا قَالَ لَهُمْ، وَصَدَّقُوهُ بِمَا قَالَ فَتَرَكُوهُ وَانْصَرَفُوا عَنْهُ. وَقَدْ ذَكَرَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ أَنَّ أَبَا طَالِبٍ قَالَ فِي ذَلِكَ ثَلَاثَ قَصَائِدَ هَكَذَا ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَذَا السِّيَاقَ مِنْ غَيْرِ إِسْنَادٍ مِنْهُ وَقَدْ وَرَدَ نَحْوَهُ مِنْ طَرِيقٍ مُسْنَدٍ مَرْفُوعٍ فَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَرَائِطِيُّ: حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ حَدَّثَنَا قُرَادٌ أَبُو نُوحٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُوسَى عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَرَجَ أَبُو طَالِبٍ إِلَى الشَّامِ، وَمَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَشْيَاخٍ مِنْ قُرَيْشٍ فَلَمَّا أَشْرَفُوا عَلَى الرَّاهِبِ - يَعْنِي بَحِيرَى - هَبَطُوا فَحَلُّوا رِحَالَهُمْ فَخَرَجَ إِلَيْهِمُ الرَّاهِبُ كَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ يَمُرُّونَ بِهِ فَلَا يَخْرُجُ وَلَا يَلْتَفِتُ إِلَيْهِمْ قَالَ: فَنَزَلَ، وَهُمْ يُحِلُّونَ رِحَالَهُمْ فَجَعَلَ يَتَخَلَّلُهُمْ حَتَّى جَاءَ فَأَخَذَ بِيَدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: هَذَا سَيِّدُ الْعَالَمِينَ، وَفِي رِوَايَةِ الْبَيْهَقِيِّ زِيَادَةٌ: هَذَا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ هَذَا يَبْعَثُهُ اللَّهُ رَحْمَةً لِلْعَالِمِينَ فَقَالَ لَهُ أَشْيَاخٌ مِنْ قُرَيْشٍ: وَمَا عِلْمُكَ؟ فَقَالَ: إِنَّكُمْ حِينَ
পৃষ্ঠা - ১৫৩২


আর ওর ব্যাপারে ইহুদীদের থেকে সতর্ক থাকবেন ৷ আল্লাহর শপথ ! ইহুদীরা যদি ওকে দেখতে
পায় আর আমি ওর ব্যাপারে যা কিছু বুঝতে পেয়েছি, যদি তারা তা বুঝতে পারে, তাহলে ওরা
ওর অনিষ্ট করবে ৷ আপনার এই তাজিতাটি ভবিষ্যতে বিশিষ্ট মর্যাদার অধিকারী হবেন ৷ আপনি
ওকে নিয়ে শীঘ্র দেশে ফিরে যান ৷ আবু তালিব সিরিয়ার বাণিজ্য ৷:ণষ করে রাসুল্লাহ (না)-কে
নিয়ে তাড়াতাড়ি মক্কায় ফিরে আসেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, যারীরা, ছামামা ও দারিসমা আহলে কিতাবের এই তিন ব্যক্তিও
বাহীরার মত উক্ত সফরে রাসুলুল্পাহ (সা)-কে দেখেছিল এবং তাকে সনাক্ত করতে পেয়েছিল ৷
তারা রাসুল (না)-এর ক্ষতিসা ধন করার চেষ্টাও করে ৷ বাহীরা তাদেরকে নিবৃত্ত করেন ৷ তিনি
তাদেরকে আল্লাহর কথা এবং তাওরাতে মুহাম্মদ (সা ) সম্পর্কে যে বিবরণ আংছ, সে সবের কথা
স্মরণ করিয়ে দেন ৷ তারা তার বক্তব্য বুঝে ফেলে এবং তাকে সত্য বলে মেনে নেয় ৷ ফলে
তারা মুহাম্মদ (সা) কে ছেড়ে দিয়ে ফিরে যায় ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র ইবন ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু তালিব উক্ত ঘটনার
বিবরণ দিয়ে তিনটি কাসীদা আবৃত্তি করেছিলেন ৷ এতো গেল ইবন ইসহাক এর বর্ণনা ৷ অন্য
এক মুসনাদেও মারফু সুত্রে অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷

হাফিজ আবু বকর আল-খারায়েতী বর্ণনা করেন যে, আবু বকর ইবন আবু মুসা তার পিতা
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আবু তালিব সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ তার সঙ্গে রাসুলুল্লাহ
(সা)সহ আরও কয়েকজন কুরাইশী ব্যক্তি ৷ পাদ্রী বাহীরার এলাকায় গিয়ে তারা যাত্রা বিরতি
করে ৷ তাদেরকে দেখে পাদ্রী বেরিয়ে আসেন ৷ এর আগেও তারা এই পথে চলাচল করত; কিত্তু
পাদ্রী কখনো বেরিয়ে আসেন নি, তাদের প্রতি ফিরেও তাকান নি ৷ যা হোক কুরাইশ কাফেলা
অবতরণ করে আর পাদ্রী বেরিয়ে তাদের নিকটে চলে আসেন ৷ এসেই তিনি নবীজি (সা) এর
হাত ধরে ফেলে বলেন, “ইনি বিশ্বজগতের সরদার ৷” বায়হাকীর বর্ণনায় অতিরিক্ত রয়েছে,
“ইনি বিশ্বজগতের প্রভুর রাসুল! আল্লাহ তাকে ৰিশ্বজগতের জন্য রহমত বানিয়ে প্রেরণ
করেছেন ৷ একথা শুনে কুরায়শের কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি বলে উঠল, আপনি তার সম্পর্কে কী
জানেনঃ পাদ্রী বললেন, তোমরা পেছনের ঐ পাহাড়ের পাদদেশ অতিক্রম করার সময় প্রতিটি
গাছ, প্রতিটি পাথর তার প্ৰতি সিজদায় লুটিয়ে পড়েছিল ৷ আর এগুলো নবী ছাড়া অন্য কাউকেই
সিজদা করে না ৷ আর আমি তাকে তার র্কাধের সামান্য নিচে অবস্থিত মহরে নবুওত দেখে
সনাক্ত করতে পেরেছি ৷

অতঃপর পাদ্রী ফিরে গিয়ে তাদের জন্য খাবার প্রন্তুত করেন এবং খাবার নিয়ে এসে
দেখতে পেলেন যে, একটি মেঘখণ্ড নবীজি (না)-কে ছায়া প্রদান করছে ৷ তিনি তখন উটের
দেখাশোনা করছিলেন ৷ কাফেলার কাছে এসে তিনি বললেন, ঐ দেখ মেঘ ওকে ছায়া দিচ্ছে ৷
লোকেরা নবীজিকে গাছের ছায়া তলে নিয়ে আসে ৷ নবীজি (সা) গাছের ছায়ায় বসা মাত্র ছায়া
তার প্রতি ঝুকে পড়ে ৷ পাদ্রী বললেন, “লক্ষ্য কর, গাছের ছায়া ওর প্রতি ঝুকে পড়েছে ৷”
বর্ণনাকারী বলেন, পাদ্রী তখন কাফেলার লোকদেরকে শপথ দিয়ে বললেন, যেন তারা নবীজি
(না)-কে নিয়ে রােমে না যায় ৷ কারণ রোমবাসী তাকে দেখলে লক্ষণ দেখে চিনে ফেলবে এবং


أَشْرَفْتُمْ مِنَ الْعَقَبَةِ لَمْ يَبْقَ شَجَرَةٌ وَلَا حَجَرٌ إِلَّا خَرَّ سَاجِدًا وَلَا يَسْجُدُونَ إِلَّا لِنَبِيٍّ، وَإِنِّي أَعْرِفُهُ بِخَاتَمِ النُّبُوَّةِ أَسْفَلَ مِنْ غُضْرُوفِ كَتِفِهِ، ثُمَّ رَجَعَ فَصَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا. فَلَمَّا أَتَاهُمْ بِهِ - وَكَانَ هُوَ فِي رَعْيَةِ الْإِبِلِ - فَقَالَ: أَرْسِلُوا إِلَيْهِ فَأَقْبَلَ، وَغَمَامَةٌ تُظِلُّهُ فَلَمَّا دَنَا مِنَ الْقَوْمِ قَالَ: انْظُرُوا إِلَيْهِ عَلَيْهِ غَمَامَةٌ فَلَمَّا دَنَا مِنَ الْقَوْمِ وَجَدَهُمْ قَدْ سَبَقُوهُ إِلَى فَيْءِ الشَّجَرَةِ فَلَمَّا جَلَسَ مَالَ فَيْءُ الشَّجَرَةِ عَلَيْهِ قَالَ: انْظُرُوا إِلَى فَيْءِ الشَّجَرَةِ مَالَ عَلَيْهِ قَالَ: فَبَيْنَمَا هُوَ قَائِمٌ عَلَيْهِمْ وَهُوَ يُنَاشِدُهُمْ أَلَّا يَذْهَبُوا بِهِ إِلَى الرُّومِ فَإِنَّ الرُّومَ إِنْ رَأَوْهُ عَرَفُوهُ بِالصِّفَةِ فَقَتَلُوهُ فَالْتَفَتَ فَإِذَا هُوَ بِسَبْعَةِ نَفَرٍ مِنَ الرُّومِ قَدْ أَقْبَلُوا قَالَ: فَاسْتَقْبَلَهُمْ فَقَالَ: مَا جَاءَ بِكُمْ؟ قَالُوا: جِئْنَا أَنَّ هَذَا النَّبِيَّ خَارِجٌ فِي هَذَا الشَّهْرِ فَلَمْ يَبْقَ طَرِيقٌ إِلَّا بُعِثَ إِلَيْهِ نَاسٌ، وَإِنَّا أُخْبِرْنَا خَبَرَهُ إِلَى طَرِيقِكَ هَذِهِ قَالَ: فَهَلْ خَلَّفْتُمْ أَحَدًا هُوَ خَيْرٌ مِنْكُمْ؟ قَالُوا: لَا إِنَّمَا أُخْبِرْنَا خَبَرَهُ إِلَى طَرِيقِكَ هَذِهِ قَالَ: أَفَرَأَيْتُمْ أَمْرًا أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَقْضِيَهُ هَلْ يَسْتَطِيعُ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ رَدَّهُ؟ فَقَالُوا: لَا قَالَ: فَبَايَعُوهُ، وَأَقَامُوا مَعَهُ عِنْدَهُ قَالَ: فَقَالَ الرَّاهِبُ: أَنْشُدُكُمُ اللَّهَ أَيُّكُمْ وَلِيُّهُ قَالُوا: أَبُو طَالِبٍ فَلَمْ يَزَلْ يُنَاشِدُهُ حَتَّى رَدَّهُ، وَبَعَثَ مَعَهُ أَبُو بَكْرٍ بِلَالًا، وَزَوَّدَهُ الرَّاهِبُ مِنَ الْكَعْكِ وَالزَّيْتِ. هَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ أَبِي الْعَبَّاسِ الْفَضْلِ بْنِ سَهْلٍ الْأَعْرَجِ عَنْ قُرَادٍ أَبِي نُوحٍ بِهِ،
পৃষ্ঠা - ১৫৩৩
وَالْحَاكِمُ وَالْبَيْهَقِيُّ وَابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ أَبِي الْعَبَّاسِ مُحَمَّدِ بْنِ يَعْقُوبَ الْأَصَمِّ عَنْ عَبَّاسِ بْنِ مُحَمَّدٍ الدُّورِيِّ بِهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي نُوحٍ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَزْوَانَ الْخُزَاعِيِّ مَوْلَاهُمْ، وَيُقَالَ لَهُ: الضَّبِّيُّ، وَيُعْرَفُ بِقُرَادٍ سَكَنَ بَغْدَادَ وَهُوَ مِنَ الثِّقَاتِ الَّذِينَ أَخْرَجَ لَهُمُ الْبُخَارِيُّ، وَوَثَّقَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأَئِمَّةِ وَالْحُفَّاظِ، وَلَمْ أَرَ أَحَدًا جَرَّحَهُ، وَمَعَ هَذَا فِي حَدِيثِهِ هَذَا غَرَابَةٌ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَقَالَ عَبَّاسٌ الدُّورِيُّ: لَيْسَ فِي الدُّنْيَا أَحَدٌ يُحَدِّثُ بِهِ غَيْرُ قُرَادٍ أَبِي نُوحٍ وَقَدْ سَمِعَهُ مِنْهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ رَحِمَهُ اللَّهُ وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ لِغَرَابَتِهِ، وَانْفِرَادِهِ حَكَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، وَابْنُ عَسَاكِرَ. قُلْتُ: فِيهِ مِنَ الْغَرَائِبِ أَنَّهُ مِنْ مُرْسَلَاتِ الصَّحَابَةِ فَإِنَّ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ إِنَّمَا قَدِمَ فِي سَنَةِ خَيْبَرَ سَنَةَ سَبْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ وَلَا يُلْتَفَتُ إِلَى قَوْلِ ابْنِ إِسْحَاقَ فِي جَعْلِهِ لَهُ مِنَ الْمُهَاجِرَةِ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ مِنْ مَكَّةَ، وَعَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ فَهُوَ مُرْسَلٌ فَإِنَّ هَذِهِ الْقِصَّةَ كَانَتْ، وَلِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْعُمُرِ فِيمَا ذَكَرَهُ بَعْضُهُمْ ثِنْتَا عَشْرَةَ سَنَةً، وَلَعَلَّ أَبَا مُوسَى تَلَقَّاهُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَكُونُ أَبْلَغَ أَوْ مِنْ بَعْضِ كِبَارِ الصَّحَابَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَوْ كَانَ هَذَا مَشْهُورًا مَذْكُورًا أَخَذَهُ مِنْ طَرِيقِ الِاسْتِفَاضَةِ.
পৃষ্ঠা - ১৫৩৪


হত্যা করে ফেলবে ৷ এ কথা বলেই পাদ্রী মুখ ফিবিয়েই দেখতে পেলেন যে, সাতজন রােমক
এগিয়ে আসছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, দেখে পাদ্রী তাদের প্রতি এগিয়ে গয়ে জিজ্ঞেস করলেন

তোমাদের আগমনের উদ্দেশ্য কী? জবাবে তার৷ বলল, আসলাম, কারণ আমরা জানতে
পেয়েছি যে, এই নগরীতে এ মাসেই এই নবীর আগমন ঘটতে যাচ্ছে ৷ তাই প্রতিটি রাস্তায়
লোক প্রেরণ করা হয়েছে ৷ আর আমরা আপনার এ পথ দিয়ে তার আগমনের সংবাদ পেয়েছি ৷
পাদ্রী বললে, আচ্ছা, তোমাদের পেছনে কি কেউ আছে তোমাদের চাইতে উত্তম? তারা বলল,
না ৷ আমরা কেবল নবীর এই পথে আগমনের সং বাদ পেয়েই এসেছি ছ৷ পাদ্বী বললেন, আচ্ছা,
বলতো, আল্লাহ যে কাজ সম্পাদন করার ইচ্ছা করেন, তাপ্রতিরােধ করার ক্ষমতা কি কোন
মানুষের আছে? তারা বলল, না’ ৷ বর্ণনাক ৷রী বলেন, একথার পর তা ৷রা পাদ্রীর শিষ্যতু গ্রহণ
করে এবং তার সাহচর্য অবলম্বন করে ৷

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর পাদ্রী কুরাইশ কাফেলাকে লক্ষ্য করে জিজ্ঞেস করেন, আমি
তােমাদেরকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, বল তো, এই বালকের অভিভাবক কে?
জবাবে তারা বলল, আবু তালিব ৷ পাদ্রী নবীজির ব্যাপারে পুনঃপুনঃ অনুরোধ করায় আবু বকর
ও বিলালকে সাথে দিয়ে নবীজিকে মক্কায় ফেরত পাঠিয়ে দেন ৷ পাদ্রী পাথেয় হিসাবে কিছু পিঠা
ও যয়তুন তেল তীর সঙ্গে দিয়ে দেন ৷

তিরমিযী, হাকিম, বায়হাকী ও ইবন আসাকির এবং আরও বহু হাদীসবেত্তা ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এই হাদীসটির সনদ গরীব পর্যায়ের ৷ ইমাম তিরমিযী বলেছেন,
বর্ণনাটি হাসান ও গরীব ৷ বায়হাকী ও ইবন আসাকিরও এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷

আমার মতে, এ বংনিাটিতে কয়েকটি গারাবাত বিদ্যমান ৷ প্রথমত, এটি সাহাবীগণের
মুরসা ল বর্ণনার অন্তর্ভুক্ত ৷ কারণ আবু মুসা আশআরী আরবে আগমন করেছেন খায়বারের বছর
অর্থাৎ হিজরতের সপ্তম বছর ৷ ইবন ইসহাক যে তাকে মক্কা থেকে হাবশায় হিজরত কারী
অভিহিত করেছেন, যে তথ্য গ্রহণযোগ্য নয় ৷ অতএব বর্ণনাটি মুরসাল ৷ কারণ, ঘটনাটি যখন
ঘটে, তখন রাসুল (না)-এর বয়স ছিল বার বছর ৷ সম্ভবত আবু মুসা এ প্রসিদ্ধ ঘটনাটি অন্য
কারো মুখে শুনেই বর্ণনা করেছেন ৷

দ্বিতীয়ত, এর চেয়ে বিশুদ্ধ৩ র হাদীসেও মেঘের কথা উল্লেখ নেই ৷৩ তৃভীযত, এই যে বলা
হল, আবু বকর তার সঙ্গে বিলালকে প্রেরণ করলেন, কথাটাও গ্রহণযোগ্য নয়; কারণ, সে
সময়ে রাসুলুল্লাহ (না)-এর বয়স ছিল বার বছর, তাহলে আবু বকর এর বয়স ছিল নয় কি দশ
বছর ৷ আর বিলালের বয়স তার চেয়েও কম ৷ এমতাবস্থায় প্রশ্ন জাগে, ঘটনাটি যখন ঘটে,
তখন আবু বকরই বা কোথায় ছিলেন, বিলালই বা ছিলেন কোথায়? দৃ’জনই তো তখন
ঘটনান্থলে অনুপস্থিত ৷ তবে, একথা বলা যায় যে, ঘটনাটি এরুপ ঘটেছিল ঠিকই ৷ তবে এটি
অন্য কোন ঘটনা কিৎব৷ তখন রাসুলুল্পাহ (না)-এর বয়স বার বছর হওয়ার বর্ণনাটি সঠিক নয় ৷
করণ, ওয়াকিদী ছাড়া আর কেউ বার বছরের কথা উল্লেখ করেন নি ৷ সুহায়লী বর্ণনা করেছেন
যে, সে সময়ে রাসুলুল্লাহ (সা) এর বয়স ছিল নয় বছর ৷ আল্লাহই৩ ৷লাে জানেন ৷


الثَّانِي: أَنَّ الْغَمَامَةَ لَمْ تُذْكَرْ فِي حَدِيثٍ أَصَحَّ مِنْ هَذَا. الثَّالِثُ: أَنَّ قَوْلَهُ، وَبَعْثَ مَعَهُ أَبُو بَكْرٍ بِلَالًا إِنْ كَانَ عُمُرُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ إِذْ ذَاكَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً فَقَدْ كَانَ عُمُرُ أَبِي بَكْرٍ إِذْ ذَاكَ تِسْعَ سِنِينَ أَوْ عَشْرَةَ، وَعُمُرُ بِلَالٍ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ فَأَيْنَ كَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذْ ذَاكَ؟ ثُمَّ أَيْنَ كَانَ بِلَالٌ؟ كِلَاهُمَا غَرِيبٌ اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يُقَالَ: إِنَّ هَذَا كَانَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَبِيرٌ، إِمَّا بِأَنْ يَكُونَ سَفَرُهُ بَعْدَ هَذَا أَوْ إِنْ كَانَ الْقَوْلُ بِأَنَّ عُمُرَهُ كَانَ إِذْ ذَاكَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً غَيْرَ مَحْفُوظٍ فَإِنَّهُ إِنَّمَا ذَكَرَهُ مُقَيَّدًا بِهَذَا الْوَاقِدِيُّ، وَحَكَى السُّهَيْلِيُّ عَنْ بَعْضِهِمْ، أَنَّهُ كَانَ عُمُرُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ إِذْ ذَاكَ تِسْعَ سِنِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي حَبِيبَةَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ قَالُوا: لَمَّا بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، خَرَجَ بِهِ عَمُّهُ أَبُو طَالِبٍ إِلَى الشَّامِ فِي الْعِيرِ الَّتِي خَرَجَ فِيهَا لِلتِّجَارَةِ، وَنَزَلُوا بِالرَّاهِبِ بَحِيرَى فَقَالَ لِأَبِي طَالِبٍ فِي السِّرِّ مَا قَالَ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَحْتَفِظَ بِهِ فَرَدَّهُ مَعَهُ أَبُو طَالِبٍ إِلَى مَكَّةَ.
পৃষ্ঠা - ১৫৩৫
وَشَبَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أَبِي طَالِبٍ، يَكْلَؤُهُ اللَّهُ وَيَحْفَظُهُ وَيَحُوطُهُ مِنْ أُمُورِ الْجَاهِلِيَّةِ، وَمَعَائِبِهَا لِمَا يُرِيدُ مِنْ كَرَامَتِهِ حَتَّى بَلَغَ أَنْ كَانَ رَجُلَاً أَفْضَلَ قَوْمِهِ مُرُوءَةً، وَأَحْسَنَهُمْ خُلُقًا وَأَكْرَمَهُمْ مُخَالَطَةً وَأَحْسَنَهُمْ جِوَارًا، وَأَعْظَمَهُمْ حِلْمًا وَأَمَانَةً وَأَصْدَقَهُمْ حَدِيثًا، وَأَبْعَدَهُمْ مِنَ الْفُحْشِ وَالْأَذَى مَا رُئِيَ مُلَاحِيًا وَلَا مُمَارِيًا أَحَدًا حَتَّى سَمَّاهُ قَوْمُهُ الْأَمِينَ; لِمَا جَمَعَ اللَّهُ فِيهِ مِنَ الْأُمُورِ الصَّالِحَةِ فَكَانَ أَبُو طَالِبٍ يَحْفَظُهُ وَيَحُوطُهُ وَيَنْصُرُهُ وَيُعَضِّدُهُ حَتَّى مَاتَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ خِدَاشٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ - أَوْ أَبَا طَالِبٍ شَكَّ خَالِدٌ - قَالَ: لَمَّا مَاتَ عَبْدُ اللَّهِ عَطَفَ عَلَى مُحَمَّدٍ فَكَانَ لَا يُسَافِرُ سَفَرًا إِلَّا كَانَ مَعَهُ فِيهِ، وَإِنَّهُ تَوَجَّهَ نَحْوَ الشَّامِ فَنَزَلَ مَنْزِلًا فَأَتَاهُ فِيهِ رَاهِبٌ فَقَالَ: إِنَّ فِيكُمْ رَجُلًا صَالِحًا، ثُمَّ قَالَ: أَيْنَ أَبُو هَذَا الْغُلَامِ؟ قَالَ: فَقَالَ: هَا أَنَا ذَا وَلِيُّهُ، أَوْ قِيلَ: هَذَا وَلِيُّهُ قَالَ: احْتَفِظْ بِهَذَا الْغُلَامِ وَلَا تَذْهَبْ بِهِ إِلَى الشَّامِ إِنَّ الْيَهُودَ حُسُدٌ، وَإِنِّي أَخْشَاهُمْ عَلَيْهِ. قَالَ: مَا أَنْتَ تَقُولُ ذَلِكَ، وَلَكِنَّ اللَّهَ يَقُولُهُ فَرَدَّهُ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسَتُودِعُكَ مُحَمَّدًا، ثُمَّ إِنَّهُ مَاتَ.
পৃষ্ঠা - ১৫৩৬


মুহাম্মদ ইবন সালিহ সুত্রে ওয়াকিদী বর্ণনা করেছেন যে, বাসুলুল্লাহ (সা ) এর বয়স যখন
বার বছর, তখন তিনি চাচা আবু তালিব এর সাথে একটি বণিক কাফেলার সাথে সিরিয়া সফর
করেন ৷ পথে তারা পাদ্রী বাহীরার যেহমান হন ৷ তখন বাহীরা আবু তড়ালিবের কানে কানে কী
যেন বললেন ৷ নবীজি (না)-এর প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখার জনটু৷ বলেন ৷ ফলে আবু তালিব
র্তাকে মক্কায় ফেরত পাঠিয়ে দেন ৷

মহান আল্লাহর হেফাজতে আবু তালিবের নিকট থেকে রাসুলুল্লাহ (সা) যৌবনপ্রাপ্ত হন ৷
এ সময়ে আল্লাহ তাকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় যাবতীয় জাহিলী কর্মকাণ্ড ও দোষ-ক্রটি থেকে মুক্ত
রাখেন ৷ ফলে তিনি সমাজে ব্যক্তিত্বে সকলের শ্রেষ্ঠ, চরিত্রে সর্বোত্তম, আলাপে-ব্যবহাবে,
উঠার-বসার সবচাইতে ড্ড, সহনশীলতা-বিশ্বস্ততায় সবচাইতে মহান, কথাবার্তায় সত্যবাদী,
সমস্ত অশ্লীলতা ও নােৎরামী থেকে মুক্ত ৷ কখনো ভীকে নিন্দাবাদ করতে বা কারো সাথে
কলহ-বিবাদ করতে দেখা যায়নি ৷ সব দেখে তীর স্বজা ত তার নাম দেয় আল-আমীন’ ৷
আল্লাহ প্রদত্ত এসব গুণাবলি দেখে আবু তালিব নিজের এৰু পর্যন্ত তার রক্ষণাবেক্ষণ ও
সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রাখেন ৷

মুহাম্মদ ইবন সাদ আবু মুজলিয থেকে বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ’র মৃত্যুর পর আবু
তালিব মুহাম্মদ (না)-এর প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হন ৷ নবীজি (না)-কে সঙ্গে না নিয়ে তিনি
সফর করতেন না ৷ একবার (নবীজিকে সঙ্গে নিয়ে) তিনি সিরিয়ার অভিমুখে রওয়ানা হন ৷
পথে এক স্থানে যাত্রা বিরতি দেন ৷ এক পাদ্রী সেখানে এসে বলেন, তোমাদের মধ্যে একজন
পুণ্যবান ব্যক্তি আছেন ৷ অতঃপর বললেন, এই বালকের পিতা কােথড়ায়ঃ জবাবে আবু তালিব
বললেন, এই (তা আমিই তার অ ভভাবক ৷ পাদ্রী বললেন, এই বালকের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য
রাখবেন ৷ একে নিয়ে সিরিয়া যাবেন না ৷ ইহুদীরা বড় হিংসাপরায়ণ ৷ সুযোগ পেলে তারা এর
ক্ষতি করবে বলে আমি আশংকা করছি ৷ আবু তালিব বললেন, একথা শুধু আপনিই বলছেন না,
এটা অড়াল্লাহরও কথা ৷ অতঃপর আবু তালিব র্তাকে মক্কা ফেরতে পাঠান এবং বলেন, হে
আল্লাহ! মুহাম্মদকে আমি তোমার হাতে সােপর্দ করলাম ৷ আবু তালিব মৃত্যু পর্যন্ত মুহাম্মদ
(না)-এর দেখাংন্যে করেন ৷

বাহীরার কাহিনী

সুহায়লী যুহরীর সীরাত গ্রন্থ থেকে বর্ণনা করেন যে, বাহীরা একজন ইহুদী পণ্ডিত ছিলেন ৷
আমার মতে, উপরের কাহিনী থেকে যা বুঝা যায়, তা হলো, বাহীরা ছিলেন খৃষ্টান পাদ্রী ৷
আল্লাহই সম্যক অবহিত ৷ মাসউদী থেকে বর্ণিত বাহীরা আবদুল কায়স গোত্রের লোক ছিলেন ৷
তীর আসল নাম ছিল জারজীস ৷

ইবন কুতায়বার মাআবিফ’ কিভাবে আছে, ইসলামের সামান্য পুর্বে জাহেলী যুগে এক
ব্যক্তি শুনতে পেয়েছিলেন যে, কে যেন বলছে, পৃথিবীর সেরা মানুষ তিনজন ৷ বাহীরা, রিআব
ইবন বারা আশ-শান্নী এবং তৃডীয়জনের আগমন এখনও ঘটেনি ৷ সেই তৃতীয়জন ছিলেন
প্রভীক্ষিত রাসুলুল্লাহ (সা) ৷ ইবন কুতায়বা বলেন, এই ঘোষণা শ্রবণের পর বিআব ইবন শান্নী
এবং তার পিতার করবে অবিরাম হালকা বৃষ্টিপাত হতে দেখা গিয়েছিল ৷


[قِصَّةُ بَحِيرَى] حَكَى السُّهَيْلِيُّ عَنْ سِيَرِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ بَحِيرَى كَانَ حَبْرًا مِنْ أَحْبَارِ الْيَهُودِ قُلْتُ: وَالَّذِي يَظْهَرُ مِنْ سِيَاقِ الْقِصَّةِ أَنَّهُ كَانَ رَاهِبًا نَصْرَانِيًّا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَعَنِ الْمَسْعُودِيِّ أَنَّهُ كَانَ مَنْ عَبْدِ الْقَيْسِ وَكَانَ اسْمُهُ سَرْجِسَ، وَفِي كِتَابِ الْمَعَارِفِ لِابْنِ قُتَيْبَةَ سُمِعَ هَاتِفٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَبْلَ الْإِسْلَامِ بِقَلِيلٍ يَهْتِفُ، وَيَقُولُ: أَلَا إِنَّ خَيْرَ أَهْلِ الْأَرْضِ ثَلَاثَةٌ بَحِيرَى، وَرِئَابٌ الشَّنِّيُّ وَالثَّالِثُ الْمُنْتَظَرُ وَكَانَ الثَّالِثُ الْمُنْتَظَرُ هُوَ الرَّسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ابْنُ قُتَيْبَةَ: وَكَانَ قَبْرُ رِئَابٍ الشَّنِّيُّ، وَقَبْرُ وَلَدِهِ مِنْ بَعْدِهِ لَا يَزَالُ يُرَى عِنْدَهَا طَشٌّ وَهُوَ الْمَطَرُ الْخَفِيفُ.
পৃষ্ঠা - ১৫৩৭
[فَصْلٌ فِي مَنْشَئِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَمُرَبَّاهُ وَكِفَايَةِ اللَّهِ لَهُ] فَصْلٌ فِي مَنْشَئِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَمُرَبَّاهُ وَكِفَايَةِ اللَّهِ لَهُ وَحِيَاطَتِهِ وَكَيْفَ كَانَ يَتِيمًا فَآوَاهُ وَعَائِلًا فَأَغْنَاهُ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فَشَبَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكْلَؤُهُ اللَّهُ وَيَحْفَظُهُ وَيَحُوطُهُ مِنْ أَقْذَارِ الْجَاهِلِيَّةِ، لِمَا يُرِيدُ مِنْ كَرَامَتِهِ، وَرِسَالَتِهِ حَتَّى بَلَغَ أَنْ كَانَ رَجُلًا أَفْضَلَ قَوْمِهِ مُرُوءَةً، وَأَحْسَنَهُمْ خُلُقًا، وَأَكْرَمَهُمْ حَسَبًا، وَأَحْسَنَهُمْ جِوَارًا، وَأَعْظَمَهُمْ حِلْمًا، وَأَصْدَقَهُمْ حَدِيثًا، وَأَعْظَمَهُمْ أَمَانَةً، وَأَبْعَدَهُمْ مِنَ الْفُحْشِ وَالْأَخْلَاقِ الَّتِي تُدَنِّسُ الرِّجَالَ; تَنَزُّهًا وَتَكَرُّمًا. حَتَّى مَا اسْمُهُ فِي قَوْمِهِ إِلَّا الْأَمِينُ لِمَا جَمَعَ اللَّهُ فِيهِ مِنَ الْأُمُورِ الصَّالِحَةِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِيمَا ذُكِرَ لِي - يُحَدِّثُ عَمَّا كَانَ اللَّهُ يَحْفَظُهُ بِهِ فِي صِغَرِهِ، وَأَمْرِ جَاهِلِيَّتِهِ أَنَّهُ قَالَ «لِقَدْ رَأَيْتُنِي فِي غِلْمَانٍ مِنْ قُرَيْشٍ، نَنْقُلُ الْحِجَارَةَ لِبَعْضِ مَا يَلْعَبُ الْغِلْمَانُ، كُلُّنَا قَدْ تَعَرَّى وَأَخَذَ إِزَارَهُ وَجَعَلَهُ عَلَى رَقَبَتِهِ; يَحْمِلُ عَلَيْهِ الْحِجَارَةَ فَإِنِّي لَأُقْبِلُ مَعَهُمْ كَذَلِكَ، وَأُدْبِرُ إِذْ لَكَمَنِي لَاكَمٌ مَا أَرَاهُ لَكْمَةً
পৃষ্ঠা - ১৫৩৮
وَجِيعَةً، ثُمَّ قَالَ: شُدَّ عَلَيْكَ إِزَارَكَ قَالَ: فَأَخَذْتُهُ فَشَدَدْتُهُ عَلَيَّ، ثُمَّ جَعَلْتُ أَحْمِلُ الْحِجَارَةَ عَلَى رَقَبَتِي وَإِزَارِي عَلَيَّ، مِنْ بَيْنِ أَصْحَابِي» وَهَذِهِ الْقِصَّةُ شَبِيهَةٌ بِمَا فِي الصَّحِيحِ عِنْدَ بِنَاءِ الْكَعْبَةِ حِينَ كَانَ يَنْقُلُ هُوَ وَعَمُّهُ الْعَبَّاسُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْهَا فَهِيَ مُتَقَدِّمَةٌ عَلَيْهَا كَالتَّوْطِئَةِ لَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ «لَمَّا بُنِيَتِ الْكَعْبَةُ ذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْقُلُ الْحِجَارَةَ فَقَالَ الْعَبَّاسُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اجْعَلْ إِزَارَكَ عَلَى عَاتِقِكَ مِنَ الْحِجَارَةِ فَفَعَلَ فَخَرَّ إِلَى الْأَرْضِ، وَطَمَحَتْ عَيْنَاهُ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَامَ فَقَالَ: إِزَارِي فَشَدَّ عَلَيْهِ إِزَارَهُ» أَخْرَجَاهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، وَأَخْرَجَاهُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ رَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ عَنْ زَكَرِيَّاءَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ جَابِرٍ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، وَأَبُو سَعِيدِ بْنُ أَبِي عَمْرٍو قَالَا: أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الصَّاغَانِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بُكَيْرٍ الْحَضْرَمِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ১৫৩৯

সায়ফ ইবন যী-ইয়াযান-এর বর্ণনা এবং
নবী করীম (সা) সম্পর্কে তার সুসংবাদ প্রদান

হাফিজ আবু বকর মুহাম্মদ ইবন জাফর ইবন সাহ্ল খারাইতি তার হড়াওয়াতিফুল জান’
নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, আলী ইবন হারব আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা ) সুত্রে বর্ণনা
করেন, সায়ফ ইবন ষী-ইয়াযান এক সময় হাবশার (ইথিওপিয়া)-এর শাসন ক্ষমতা লাভ
করেন ৷ ইবন মুনযিরের মতে সায়ফ ইবন যী-ইয়াযানের নাম নুমান ইবন কায়স ৷ এটি ছিল
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্মের দৃ’বছর পরের ঘটনা ৷

এ উপলক্ষে আরবের প্রতিনিধি ও কবিপণ র্তাকে অভিনন্দন জানাতে এবং তার
জনকল্যাণমুলক কর্যতৎপরতায় প্রশংসা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে তার নিকট হাজির হন ৷ কুরায়শ
বংশীয় প্রতিনিধি দলে অন্যান্য নেতার মধ্যে আব্দুল মুত্তালিব ইবন হাশিম, উমাইয়া ইবন আবদ
শামৃস আবু আব্দুল্লাহ, আব্দুল্লাহ্ ইবন জাদআন এবং খুওয়াইলিদ ইবন আসাদ প্রমুখও ছিলেন ৷
তারা সানৃআয় গিয়ে সায়ফ-এর সাথে সাক্ষাত করেন ৷ তখন তিনি পামাদান পর্বতের চুড়ায়
নির্মিত রাজপ্রাসাদে অবস্থান করছিলেন ৷ করি উমাইয়া ইবন আবী সালুত তার নিম্নোক্ত কবিতায়
পামাদান পর্বতের কথা উল্লেখ করেছেন :

আপনি তৃপ্তি সহকারে পান করুন, আপনার মাথায় আছে সুউচ্চ মুকুট ৷ আপানার অবস্থান
হলো পামাদান পর্বতের চুড়ায় অবস্থিত রাজপ্রাসাদে ৷”

রাজপ্রহরী রাজার নিকট গিয়ে আগন্তুকদের অবস্থান সম্পর্কে র্তাকে অবহিত করলো ৷ রাজা
তাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দিলেন ৷ তীর নিকটবর্তী হয়ে আব্দুল মুত্তালিব কথা বলার অনুমতি

চাইলেন ৷ রাজা বললেন, আপনি যদি আমার সম্মুখে দীড়িয়ে কথা বলার যোগ্যতা রাখেন তবে
আপনাকে অনুমতি দিলাম ৷ আপনি কথা বলুন ৷

আব্দুল মুত্তালিব বলতে শুরু করলেন, হে রাজন ৷ আল্লাহ্ তাআলা আপনাকে এমন একটি
উচ্চ স্থানে বসিয়েছেন যা অর্জন ক্যাদৃৰ্ার, যা সুরক্ষিত এবং সুমহান ৷ তিনি আপনাকে এমন
বংশের অন্তর্ভুক্ত করেছেন যার উৎস পবিত্র, মুল সুমিষ্ট, শিকড় সুদৃঢ় এবং যার শাখ প্রশাখা
বিন্তুত হয়েছে সর্বাধিক মর্যাদাবান স্থানে ও মোঃ ৷


عَبْدِ اللَّهِ الدَّشْتَكِيُّ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي قَيْسٍ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ عِكْرِمَةَ حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ يَنْقُلُ الْحِجَارَةَ إِلَى الْبَيْتِ، حِينَ بَنَتْ قُرَيْشٌ الْبَيْتَ قَالَ وَأَفْرَدَتْ قُرَيْشٌ رَجُلَيْنِ رَجُلَيْنِ، الرِّجَالُ يَنْقُلُونَ الْحِجَارَةَ، وَكَانَتِ النِّسَاءُ تَنْقُلُ الشَّيْدَ. قَالَ: فَكُنْتُ أَنَا وَابْنُ أَخِي وَكُنَّا نَحْمِلُ عَلَى رِقَابِنَا، وَأُزُرُنَا تَحْتَ الْحِجَارَةِ فَإِذَا غَشِيَنَا النَّاسُ ائْتَزَرْنَا فَبَيْنَمَا أَنَا أَمْشِي وَمُحَمَّدٌ أَمَامِي قَالَ: فَخَرَّ وَانْبَطَحَ عَلَى وَجْهِهِ فَجِئْتُ أَسْعَى وَأَلْقَيْتُ حَجَرِي وَهُوَ يَنْظُرُ إِلَى السَّمَاءِ فَقُلْتُ: مَا شَأْنُكَ فَقَامَ وَأَخَذَ إِزَارَهُ قَالَ: إِنِّي نُهِيتُ أَنْ أَمْشِيَ عُرْيَانًا. قَالَ، وَكُنْتُ أَكْتُمُهَا مِنَ النَّاسِ مَخَافَةَ أَنْ يَقُولُوا مَجْنُونٌ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا هَمَمْتُ بِشَيْءٍ مِمَّا كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَهُمُّونَ بِهِ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا لَيْلَتَيْنِ كِلْتَاهُمَا عَصَمَنِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِمَا قُلْتُ لَيْلَةً لِبَعْضِ فِتْيَانِ مَكَّةَ - وَنَحْنُ فِي رِعَاءِ غَنَمِ أَهْلِهَا - فَقُلْتُ لِصَاحِبِي: أَبْصِرْ لِي غَنَمِي حَتَّى أَدْخَلَ مَكَّةَ أَسْمُرُ فِيهَا كَمَا يَسْمُرُ الْفِتْيَانُ فَقَالَ: بَلَى قَالَ: فَدَخَلْتُ حَتَّى جِئْتُ أَوَّلَ دَارٍ مِنْ دُورِ مَكَّةَ سَمِعْتُ عَزْفًا بِالْغَرَابِيلِ وَالْمَزَامِيرِ،
পৃষ্ঠা - ১৫৪০
فَقُلْتُ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: تَزَوَّجَ فُلَانٌ فُلَانَةً فَجَلَسْتُ أَنْظُرُ، وَضَرَبَ اللَّهُ عَلَى أُذُنِي فَوَاللَّهِ مَا أَيْقَظَنِي إِلَّا مَسُّ الشَّمْسَ فَرَجَعْتُ إِلَى صَاحِبِي فَقَالَ: مَا فَعَلْتَ؟ فَقُلْتُ: مَا فَعَلْتُ شَيْئًا، ثُمَّ أَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي رَأَيْتُ، ثُمَّ قُلْتُ لَهُ لَيْلَةً أُخْرَى: أَبْصِرْ لِي غَنَمِي حَتَّى أَسْمُرَ فَفَعَلَ فَدَخَلْتُ فَلَمَّا جِئْتُ مَكَّةَ سَمِعْتُ مِثْلَ الَّذِي سَمِعْتُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ فَسَأَلْتُ فَقِيلَ: نَكَحَ فُلَانٌ فُلَانَةً فَجَلَسْتُ أَنْظُرُ، وَضَرَبَ اللَّهُ عَلَى أُذُنِي فَوَاللَّهِ مَا أَيْقَظَنِي إِلَّا مَسُّ الشَّمْسِ فَرَجَعْتُ إِلَى صَاحِبِي فَقَالَ: مَا فَعَلْتَ؟ فَقُلْتُ: لَا شَيْءَ ثُمَّ أَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ فَوَاللَّهِ مَا هَمَمْتُ وَلَا عُدْتُ بَعْدَهُمَا لِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ حَتَّى أَكْرَمَنِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بِنُبُوَّتِهِ» . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا وَقَدْ يَكُونُ عَنْ عَلِيٍّ نَفْسِهِ، وَيَكُونُ قَوْلُهُ فِي آخِرِهِ حَتَّى أَكْرَمَنِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بِنُبُوَّتِهِ مُقْحَمًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَشَيْخُ ابْنِ إِسْحَاقَ هَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي الثِّقَاتِ، وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ مِنْ رِجَالِ الصَّحِيحِ قَالَ شَيْخُنَا فِي تَهْذِيبِهِ: وَلَمْ أَقِفْ عَلَى ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَفَّانَ الْعَامِرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو
পৃষ্ঠা - ১৫৪১


হে রাজন ! আপনি আরবের রাজা এবং তাদের বসন্ত কাল স্বরুপ যার দ্বারা জনপদগুলো
সবুজ-শ্যামল হয়েছে ৷ আপনি আরবদের শীর্ষতম ব্যক্তি, আপনার প্রতি মাথা নত করে আরবের
শহর-নপরগুলাে ৷ আপনি তাদের স্তম্ভ যার উপর তারা নির্ভর করে ৷ আপনি তাদের আশ্রয়স্থল
যেখানে এসে লোকজন আশ্রয় লাভ করে ৷ আপনার পুর্বপুরুষগণ ছিলেন অত্যন্ত স্ল্লাম্ভ ৷
আমাদের জন্যে আপনি৩াদের উত্তম উত্তরাধিকারী ৷ তারা যা র পর্বপুরুষ৩ তিনি কখনো নিম্পুভ
হতে পারেন না এবং আপনি যাদের উত্তর পুরুষ তারা কখনো ধ্বংস হতে পারেন না

মহারাজা আমরা মহান আল্লাহর হারাম শরীফের অধিবাসী এবং তার পবিত্র ঘরের
তত্ত্বাবধায়ক ৷ আপনার যে বিপদ আমাদের বেদনাহত করে রেখেছিল বিপদ থেকে মুক্তি লাভের
মহাউৎসবে আপনাকে অভিনন্দন জানানোর তাপিদে আমরা আপনার নিকট এসেছি ৷ আমরা
অভিবাদন জ্ঞাপনকারী দল ৷ দীর্ঘদিন অবস্থান করে আপনার বোঝা হয়ে থাকার দল নই ৷

রাজা বললেন, হে সুবক্তা ! আপনার পরিচয় কি ? তিনি বললেন, আমি হাশ্যিমর পুত্র আব্দুল
মুত্তালিব ৷ রাজ বললেন, আমাদের ভাগে ? ইা, তিনি উত্তর দিলেন ৷ রাজা বললেন “নিকটে
আসুন ৷ ” অতঃপর তিনি তাকে কাছে টেনে নিলেন ৷ তাকে এবং তার সাথীদেরকে সামনে নিয়ে
তিনি বললেন, “মারহাবা স্বাগতম” আপনারা এসেছেন মিত্রদেশে , এসেছেন প্রচুর দানশীল
রাজার নিকট, তিনি আপনাদেরকে প্রচুর পরিমাণে দান করবেন ৷

রাজা আপনাদের বক্তব্য শুনেছেন, আপনাদের আত্মীয়৩ ৷র পরিচয় পেয়েছেন ৷ তিনি
আপনাদের পবিত্র উসিলাও গ্রহণ করেছেন ৷ আপনাদের জন্যে সার্বক্ষগি ৷ক মেহমানদারীর ব্যবস্থা
রয়েছে ৷ যতদিন মন চায় আপনারা এখানে অবস্থান করুন! আপনাদের জন্যে আতিথ্য ও
সম্মানের সুব্যবস্থা রয়েছে ৷ বিদায়ক্ষগে আপনাদের জন্যে উপহারের ব্যবস্থা থাকবে ৷ এরপর
তারা যেহমানখান৷ ও সম্মানিত অতিথিদের বিশ্রামাপারে গমন করেন ৷ তারা একমাস সেখানে
অবস্থান করেন ৷

ইতিমধ্যে তারাও রাজার সাথে সাক্ষাত করেন নি আর রাজাও তাদের বিদায়ের অনুমতি
দেন নি ৷ একদিন তাদের কথা রাজার স্মরণ হলো ৷ লোক মারফত তিনি আব্দুল মুত্তালিবকে
ডেকে পাঠালেন ৷ অতঃপর একান্ত সান্নিধ্যে এসে তাকে বললেন, হে আব্দুল মুত্তালিবা
আমার জানা কিছু গোপন তত্ত্ব আমি আপনাকে আমার ৷ আপনার স্থানে অন্য কেউ হলে
কিন্তু তাকে আমি তা জানাতাম না৷ আমি আপনাকে দুরদর্শিত৷ ও বিচক্ষণ৩ ৷র খনিরুপে
দেখতে পাচ্ছি ৷ তাই আপনার নিকট তা ব্যক্ত করছি ৷ আল্লাহ্৩ ৷ আল৷ যতদিন এ সংবাদ
প্রকাশের অনুমতি ৩না ৷দিবেন ততদিন যেন এটি গোপন থাকে ৷ আল্লাহ্ তা আলা নিশ্চয়ই তার
ইচ্ছ ৷ চ্ছপুরণ করবেন ৷

আমি আমার নিজের পছন্দের গোপন কিতাব ও লুক্কায়িত অভিজ্ঞতার একটি গুরুতৃপুর্ণ
সংবাদ ও সুমহান বিষয় পেয়েছি যাতে সাধারণভাবে সকল মানুষের জন্যে এবং বিশেষভাবে
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (২য় খণ্ড) ৬৬

أُسَامَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَيَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ قَالَ «كَانَ صَنَمٌ مِنْ نُحَاسٍ يُقَالَ لَهُ: إِسَافٌ أَوْ نَائِلَةُ يَتَمَسَّحُ بِهِ الْمُشْرِكُونَ إِذَا طَافُوا فَطَافَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَطَفْتُ مَعَهُ فَلَمَّا مَرَرْتُ مَسَحْتُ بِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَمَسَّهُ قَالَ زَيْدٌ: فَطُفْنَا فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: لَأَمَسَّنَّهُ حَتَّى أَنْظُرَ مَا يَكُونُ فَمَسَحْتُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَمْ تُنْهَ؟» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ زَادَ غَيْرُهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو بِإِسْنَادِهِ قَالَ زَيْدٌ: فَوَالَّذِي أَكْرَمَهُ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ مَا اسْتَلَمَ صَنَمًا قَطُّ حَتَّى أَكْرَمَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِالَّذِي أَكْرَمَهُ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ. وَتَقَدَّمَ قَوْلُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ لَبَحِيرَى حِينَ سَأَلَهُ بِاللَّاتِ وَالْعُزَّى «لَا تَسْأَلْنِي بِهِمَا فَوَاللَّهِ مَا أَبْغَضْتُ شَيْئًا بُغْضَهُمَا» فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ أَخْبَرَنَا أَبُو سَعْدٍ الْمَالِينِيُّ أَنْبَأَنَا أَبُو أَحْمَدَ ابْنُ عَدِيٍّ الْحَافِظُ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَسْبَاطٍ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْهَدُ مَعَ الْمُشْرِكِينَ مَشَاهِدَهُمْ قَالَ: فَسَمِعَ مَلَكَيْنِ خَلْفَهُ وَأَحَدُهُمَا يَقُولُ لِصَاحِبِهِ: اذْهَبْ بِنَا
পৃষ্ঠা - ১৫৪২
حَتَّى نَقُومَ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كَيْفَ نَقُومُ خَلْفَهُ، وَإِنَّمَا عَهْدُهُ بِاسْتِلَامِ الْأَصْنَامِ قُبَيْلُ؟ قَالَ: فَلَمْ يَعُدْ بَعْدَ ذَلِكَ أَنْ يَشْهَدَ مَعَ الْمُشْرِكِينَ مَشَاهِدَهُمْ» . . فَهُوَ حَدِيثٌ أَنْكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ حَتَّى قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِيهِ: لَمْ يَكُنْ أَخُوهُ يَتَلَفَّظُ بِشَيْءٍ مِنْ هَذَا وَقَدْ حَكَى الْبَيْهَقِيُّ عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّ مَعْنَاهُ أَنَّهُ شَهِدَ مَعَ مَنْ يَسْتَلِمُ الْأَصْنَامَ، وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُوحَى إِلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ أَنَّهُ اعْتَزَلَ شُهُودَ مَشَاهِدِ الْمُشْرِكِينَ حَتَّى أَكْرَمَهُ اللَّهُ بِرِسَالَتِهِ، وَثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ أَنَّهُ كَانَ لَا يَقِفُ بِالْمُزْدَلِفَةِ لَيْلَةَ عَرَفَةَ بَلْ كَانَ يَقِفُ مَعَ النَّاسِ بِعَرَفَاتٍ كَمَا قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ عَنْ عَمِّهِ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ جُبَيْرٍ قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى دِينِ قَوْمِهِ وَهُوَ يَقِفُ عَلَى بَعِيرٍ لَهُ بِعَرَفَاتٍ مِنْ بَيْنِ قَوْمِهِ حَتَّى يَدْفَعَ مَعَهُمْ تَوْفِيقًا مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: مَعْنَى قَوْلِهِ عَلَى دِينِ قَوْمِهِ، مَا كَانَ بَقِيَ مِنْ إِرْثِ إِبْرَاهِيمَ، وَإِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَلَمْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ قَطُّ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا.
পৃষ্ঠা - ১৫৪৩

আপনার সম্প্রদায় ও আপনার নিজের জন্যে মর্যাদার জীবন ও পরিপুর্ণ সম্মানের পুর্বাভাস
রয়েছে ৷ আব্দুল ঘুত্তালিব বললেন, আপনার মত ল্যেকেরাই চিরসুখী ও পুণ্যময় জীবনের
অধিকারী হয়ে থাকেন ৷ পশু সম্পদের মালিক মরুবাসী দলে দলে আপনার জন্যে কােররানী
হউক ৷ বলুন তো ঐ বিষয়টি কি ? রাজা বললেন, তেহাম৷ অঞ্চলে একটি শিশুর জন্ম হবে ৷ তার
দু’ র্কাধের মধ্যবর্তী স্থানে মােহর অংকিত থাকবে ৷ সেতৃতৃ তারই হবে ৷ কিয়ামত পর্যন্ত তারই
বদৌলতে আপনাদের নেতৃতু প্রতিষ্ঠিত থাকবে ৷

আব্দুল মুত্তা ৷লির বললেন, আল্লাহ অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন একটি প্রতিনিধিদল যত অধিক
কল্যাণ নিয়ে দেশে ফিরে যায় তার চাইতে অধিক কল্যাণ নিয়ে আমরা স্বদেশে ফিরছি ৷
মহারাজের পক্ষ থেকে অভয় পেলে আমি আমার সুসংবাদ বিষয়ে এমন আরও কিছু বিষয়
জিজ্ঞেস করতাম যা দ্বারা আমার আনন্দ আরো বৃদ্ধি পেত ৷ ইবন যী-ইয়াযান বললেন, এটিই
তার আবির্তাবের সময় ৷ এমনও হতে পারে যে, ইতিমধ্যে তার জন হয়ে গেছে ৷ তার নাম
মুহাম্মদ ৷ তার পিতা-মাত৷ দুজনেরই মৃত্যু হবে ৷ দাদা ও চাচা ত;ব্র লালন-পালন করবেন ৷
আল্লাহ তাকে প্রকাশ্যে প্রেরণ করবেন ৷ আমাদের মধ্য থেকে তার সাহায্যকারী নির্ধারিত
করবেন ৷ এসব সাহায্যকারী দ্বারা তিনি তার বন্ধুদেরকে, বিজয় দিবেন এবং তার শত্রুদেরকে
লাঞ্ছিত করবেন ৷ তাদের দ্বারা মানুষের সস্তুম রক্ষা করবেন ৷ তাদের মাধ্যমে সেরা ভুখণ্ডগুলাে
জয় করাবেন, মুর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলবেন পুজা অর্চনার অগ্নিকুণ্ড নিভিয়ে দিবেন, দয়াময়
আল্লাহ্র ইবাদত চালু হবে এবং শয়তান বিতাড়িত হবে ৷ তার বক্তব্য হবে সুস্পষ্ট বিচার
মীমা০ সায় তিনি হবেন ন্যায়পরায়ণ ৷ তিনি সৎকাজের আদেশ দিবেন এবং নিজে তা আমল
করবেন ৷ অসৎকাজে বারণ করবেন এবং নিজে তা বর্জন করবেন ৷

আব্দুল মুত্তালিব বললেন, মহারাজা আপনি সৌভাগ্যবান হউন, আপনার উন্নতি হোক,
আপনার রাজতৃ দীর্ঘস্থায়ী হোক এবং আপনি দীর্ঘজীবী হউন ৷ আমি এট্রুকু বলার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছি
যে, মহারাজ কি আমাকে গোপনে আরো একটু বিস্তারিত জানাবেন ? তিনি তো ইতিমধ্যে আমার
নিকট অনেকটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন ৷

তখন ইবন যী ইয়ায ন বললেন গিলাফ আচ্ছাদিত বায় তুল্লাহ্ শরীফের কসম কাধের
চিহ্ন দ্বারা এটা আমার কাছে নিশ্চিত যে, হে আব্দুল ঘুত্তালিব ৷ আপনিই তার পিতামহ ৷
তাতে এতটুকু মিথ্যা নেই ৷ একথা শুনে আব্দুল মুত্তালিব সিজদায় লুটিয়ে পড়লেন ৷ রাজা
বললেন, মাথা তুলুন ৷ আপনার হৃদয় প্রশাস্তি লাভ করুক ৷ আপনার মর্যাদা সুউচ্চ হোক ৷
আমি যা বলেছি তা থেকে আপনি কি কিছুটা অনুমান করতে পেয়েছেন ? আব্দুল মুত্তালিব
বললেন, মহারাজ ৷ আমার এক পুত্র ছিল ৷ সে ছিল আমার পরম স্নেহের ৷ নিজ বংশের ওহব
তনয়া আমিনা নামের এক স্ন্তুাম্ভ মহিলার সাথে আ ৷মি তার বিবাহ দিয়েছিলাম ৷ তা যে গর্ভে জন্ম
নেয় একপুত্র সন্তান ৷ আমি তার নাম রেখেছি মুহাম্মদ ৷ সে মাতৃগর্ভে থাকা ৷অবস্থায় তার পিতা
মারা যায় ৷ শৈশ্াবে সে তার মাকে হারায় ৷ আমি নিজে এবং তার চাচা দু দান তার

লালন-পালনের ভ ৷র নিয়েছি ৷


قُلْتُ: وَيُفْهَمُ مِنْ قَوْلِهِ هَذَا أَيْضًا أَنَّهُ كَانَ يَقِفُ بِعَرَفَاتٍ قَبْلَ أَنْ يُوحَى إِلَيْهِ. وَهَذَا تَوْفِيقٌ مِنَ اللَّهِ لَهُ، وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ يَعْقُوبَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بِهِ، وَلَفْظُهُ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ يُنَزَّلَ عَلَيْهِ، وَإِنَّهُ لَوَاقِفٌ عَلَى بَعِيرٍ لَهُ مَعَ النَّاسِ بِعَرَفَاتٍ حَتَّى يَدْفَعَ مَعَهُمْ تَوْفِيقًا مِنَ اللَّهِ وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: أَضْلَلْتُ بَعِيرًا لِي بِعَرَفَةَ فَذَهَبْتُ أَطْلُبُهُ فَإِذَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاقِفٌ فَقُلْتُ: إِنَّ هَذَا مِنَ الْحُمْسِ، مَا شَأْنُهُ هَاهُنَا؟ وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ১৫৪৪
[ذِكْرُ شُهُودِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ حَرْبَ الْفِجَارِ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَاجَتْ حَرْبُ الْفِجَارِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً، وَإِنَّمَا سُمِّيَ يَوْمُ الْفِجَارِ; بِمَا اسْتَحَلَّ فِيهِ هَذَانَ الْحَيَّانِ - كِنَانَةُ قَيْسِ عَيْلَانَ - مِنَ الْمَحَارِمِ بَيْنَهُمْ وَكَانَ قَائِدَ قُرَيْشٍ وَكِنَانَةَ حَرْبُ بْنُ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ وَكَانَ الظَّفَرُ فِي أَوَّلِ النَّهَارِ. لِقَيْسٍ عَلَى كِنَانَةَ حَتَّى إِذَا كَانَ فِي وَسَطِ النَّهَارِ كَانَ الظَّفَرُ لِكِنَانَةَ عَلَى قَيْسٍ. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَلَمَّا بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ سَنَةً أَوْ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً - فِيمَا حَدَّثَنِي بِهِ أَبُو عُبَيْدَةَ النَّحْوِيُّ عَنْ أَبِي عَمْرِو بْنِ الْعَلَاءِ - هَاجَتْ حَرْبُ الْفِجَارِ بَيْنَ قُرَيْشٍ وَمَنْ مَعَهَا مِنْ كِنَانَةَ وَبَيْنَ قَيْسِ عَيْلَانَ وَكَانَ الَّذِي هَاجَهَا أَنَّ عُرْوَةَ الرَّحَّالَ ابْنَ عُتْبَةَ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ كِلَابِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ بَكْرِ بْنِ هَوَازِنَ أَجَازَ لَطِيمَةً - أَيْ تِجَارَةً -