আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

شيء من الحوادث في زمن الفترة

ذكر تزويج عبد المطلب ابنه عبد الله من آمنة بنت وهب الزهرية

পৃষ্ঠা - ১৪৪১

আমিনা বিনতে ওহব যুহরিয়ার সঙ্গে পুত্র
আবদুল্লাহর বিবাহ

ইবন ইসহাক বলেন, ঐতিহাসিকদের মতে, অতঃপর আবদুল মুত্তালিব পুত্র আবদুল্লাহর
হাত ধরে বনু আসাদ ইবন আবদুল উযয৷ ইবন কুস৷ই এর এক মহিলার নিকট গমন করেন ৷
মহিলাটি হলো ওয়ারাকা ইবন নওফলের বোন ৷ তার নাম ছিল উম্মে কিতাল  ৷ সে সময়ে সে
কা 'বার নিকট অবস্থান করছিল ৷ আবদুল্লাহ্কে দেখে সে বলল, আবদুল্লাহ ৷ তুমি যাচ্ছ কোথায় ?
আবদুল্লাহ বললেন, আমি আমার আব্বার সঙ্গে যাচ্ছি ৷ মহিলাটি বলল, যদি তুমি এই মুহুর্তে
আমার সাথে মিলিত হতে সম্মত হও তা হলে আমি তোমার বদলে যে সংখ্যক উট জবাই করা
হয়েছে, সে সংখ্যক উট তোমাকে দেব ৷ জবাবে আবদুল্লাহ বললেন, আমি আমার আব্বার সঙ্গে
আছি ৷ তাকে ছেড়ে অন্যত্র যাওয়া বা তার মতের বাইরে কিছু করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় ৷
আবদুল্লাহ্কে নিয়ে আবদুল মুত্তালিব ওহব ইবন আবদে মানাফ , ইবন যুহরা  ইবন কিলাব ইবন
মুররা ইবন কাব ইবনে লুওয়াই ইবন গালিব ইবন ফিহর এর নিকট যান ৷ ওহব ইবন আবদে
মানাফ তখন বয়স ও মযদািয় বনু যুহরার সর্দার ছিলেন ৷ আলাপ আলোচনার পর তার কন্যা
আমিনার সঙ্গে আবদুল্লাহর বিবাহ হয়ে যায় ৷ আমিনাও ছিলেন তার সম্প্রদায়ের মহিলাদের
নেত্রী ৷ ঐতিহাসিকদের মতে বাড়িতে নিয়ে আসার পর আমিনার সঙ্গে আবদুল্লাহর বাসর হয় ৷
তাতে রাসুলুল্লাহ (সা) তার গর্ভে আসেন ৷

অতঃপর আবদুল্লাহ পুনরায় বনু আমাদের উল্লিখিত মহিলার নিকট যান ৷ কিন্তু মহিলাটি
এবার তাকে কিছুই বলল না ৷ আবদুল্লাহ বললেন, কী ব্যাপার, আজ যে কোন প্রস্তাবই করছ না,
যেমনটি গতকাল করেছিলাে মহিলাটি বলল, গতকাল তোমার সঙ্গে যে নুর ছিল , এখন আর তা
নেই ৷ তোমাকে এখন আর আমার প্রয়োজন নেই ৷ উল্লেখ্য যে, এই মহিলা তার ভাই ওয়ারাকা
ইবন নওফলের নিকট গুনেছিল যে, এই উম্মতের  মধ্যে একজন নবী আগমন করবেন ৷ তাই
তার আকাত্তখা ছিল যে, সেই নবী তারই গর্ভ থেকে জন্মলাভ করুন ৷ কিন্তু আল্লাহ তাকে
সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত  ও পবিত্র বংশে প্রেরণ করেছেন ৷, যেমন , এক আয়াতে আল্লাহ তা ' আলা
বলেছেন :

“আল্লাহ রিসালাতের ভার কার উপর অর্পণ করবেন, তা তিনিই ভাল জানেন ৷”
(৬ : ১২৪ )

রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্মের বিস্তারিত কাহিনী পরে আলোচনা করা হবে ৷

উম্মে কিতাল বিনতে নওফল তার ব্যর্থতার জন্যে অনুতাপ প্রকাশ করতে গিয়ে নিম্নোক্ত
পংক্তিগুলো আবৃত্তি করেছিলেন ৷ ইবন ইসহাক সুত্রে বর্ণিত বায়হাকীর বর্ণনা থেকে তার প্রমাণ
পাওয়া যায়


[ذِكْرُ تَزْوِيجِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ مِنْ آمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ الزُّهْرِيَّةِ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ انْصَرَفَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ آخِذًا بِيَدِ ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ فَمَرَّ بِهِ - فِيمَا يَزْعُمُونَ - عَلَى امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَيٍّ، وَهِيَ أُمُّ قَنَّالٍ أُخْتُ وَرَقَةَ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَيٍّ، وَهِيَ عِنْدَ الْكَعْبَةِ فَنَظَرَتْ إِلَى وَجْهِهِ فَقَالَتْ: أَيْنَ تَذْهَبُ يَا عَبْدَ اللَّهِ؟ قَالَ: مَعَ أَبِي قَالَتْ: لَكَ مِثْلُ الْإِبِلِ الَّتِي نُحِرَتْ عَنْكَ وَقَعْ عَلَيَّ الْآنَ. قَالَ: أَنَا مَعَ أَبِي وَلَا أَسْتَطِيعُ خِلَافَهُ وَلَا فِرَاقَهُ. فَخَرَجَ بِهِ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ حَتَّى أَتَى وَهْبَ بْنَ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ زُهْرَةَ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرٍ، وَهُوَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدُ بَنِي زُهْرَةَ سِنًّا وَشَرَفًا فَزَوَّجَهُ ابْنَتَهُ آمِنَةَ بِنْتَ وَهْبٍ وَهِيَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدَةُ نِسَاءِ قَوْمِهَا فَزَعَمُوا أَنَّهُ دَخَلَ عَلَيْهَا حِينَ أُمْلِكَهَا مَكَانَهُ فَوَقَعَ عَلَيْهَا فَحَمَلَتْ مِنْهُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهَا فَأَتَى الْمَرْأَةَ الَّتِي عَرَضَتْ عَلَيْهِ مَا عَرَضَتْ فَقَالَ لَهَا: مَا لَكِ لَا تَعْرِضِينَ عَلَيَّ الْيَوْمَ مَا كُنْتِ عَرَضْتِ بِالْأَمْسِ؟ قَالَتْ لَهُ: فَارَقَكَ النُّورُ الَّذِي كَانَ مَعَكَ بِالْأَمْسِ،
পৃষ্ঠা - ১৪৪২

,ট্রুরু১ছু

¢
)ষ্ শ্


শ্ ষ্ণ্ ’ ) শ্ ষ্ :

-শোন, তুমি যুহ্্ররার বংশ ধরদের আকড়ে ধরে রাখবে তারা যেখানেই থাকুক ৷ আর
আমিনা যে একজন বালককে গর্ভে ধারণ করেছে।  হেদায়াতের অগ্রপথিককে দেখতে পাবে যখন
সে তার উপর উপগত হবে আর ঐ নুরকে যা তার সম্মুখে পথ প্রদর্শক হিসাবে চলে ৷ সব মানুষ
তাকে কামনা করে ৷ তিনি হিদায়াত প্রাপ্ত ও ইমাম হয়ে মানুষের নেতা হবেন ৷ আল্লাহ তাকে
পরিচ্ছন্ন নির্মল নুর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন ৷ তারপর তার নুর আমাদের থেকে অন্ধকার দৃরীভুত
করেছে ।
তা আল্লাহ্র সৃষ্টি ৷ তিনি তা দান করেছেন ৷ দিনের বেলা যখন তিনি চলমান থাকেন অথবা
স্বন্থানে অবস্থান করেন ৷
কুফরীর পর তিনি মক্কাবাসীদের হেদায়ত দান করবেন ৷ তারপর তিনি তাদের উপর সিয়াম
সাধনা ফরয করবেন আবু বকর মুহাম্মদ ইবন জাফর ইবন সাহল আল খারয়েতী ইবন
আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, বিবাহ করানোর উদ্দেশ্যে আবদুল
মুত্তালিব যখন পুত্র আবদুল্লাহ্কে নিয়ে রওয়ানা হন তখন তিনি তড়াবাল র এক ইহুদী পণক
ঠাকুরণীর নিকট যান ৷ এই মহিলাটি বিভিন্ন কিতাব পড়াশুনা করেছিল তার নাম ছিল ফাতেমা
বিনতে মুর আল খাসআমিয়া মহিলাটি আবদুল্লাহর চেহারায় নবুয়তের নুর দেখতে পেয়ে বলে
উঠল, ওহে যুবক ! তুমি কি এই মুহুর্তে আমার সঙ্গে মিলিত হতে পারঃ তবে তোমাকে আমি
একশত উট প্রদান করব জবাবে আবদুল্লাহ বললেন :

-এতো হারাম! আর হারামের পরিণতি হচ্ছে ধ্বংস ৷ আমি তাে বৈধ পবিণয়ের সন্ধান

করছি কী করে আমিশ্ব আমার আহ্বানে সাড়া দিইা সঘ্রম্ভে মানুষ তো নিজের মান মর্যাদা ও
দীন-ঈমড়ান রক্ষা করে চলে ৷

আবদুল্লাহ পিতার সঙ্গে চলে যান ৷ পিতা আমিনা বিনতে ওহ্বের সঙ্গে ওড়াকে বিবাহ
দিলেন আবদুল্লাহ আমিনার নিকট তিন দিন অবস্থান করেন অতঃপর এক সময়ে গণক
ঠাকুরণীর নিকট গেলে মহিলাটি জিজ্ঞসা করল, আমার নিকট থেকে গিয়ে তুমি কী করলো
আবদুল্লাহ তাকে বিবাহের সংবাদ শুনালেন শুনে মহিলাটি বলল, আমি চরিত্রহীনা নারী নই ৷


فَلَيْسَ لِي بِكَ الْيَوْمَ حَاجَةٌ. وَقَدْ كَانَتْ تَسْمَعُ مِنْ أَخِيهَا وَرَقَةَ بْنِ نَوْفَلٍ - وَكَانَ قَدْ تَنَصَّرَ، وَاتَّبَعَ الْكُتُبَ - أَنَّهُ كَائِنٌ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ نَبِيٌّ فَطَمِعَتْ أَنْ يَكُونَ مِنْهَا فَجَعَلَهُ اللَّهُ تَعَالَى فِي أَشْرَفِ عُنْصُرٍ وَأَكْرَمِ مَحْتَدٍ، وَأَطْيَبِ أَصْلٍ، كَمَا قَالَ تَعَالَى {اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ} [الأنعام: 124] وَسَنَذْكُرُ الْمَوْلِدَ مُفَصَّلًا. وَمِمَّا قَالَتْ أُمُّ قَنَّالٍ بِنْتُ نَوْفَلٍ مِنَ الشِّعْرِ تَتَأَسَّفُ عَلَى مَا فَاتَهَا مِنَ الْأَمْرِ الَّذِي رَامَتْهُ، وَذَلِكَ فِيمَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ: عَلَيْكَ بَآلِ زُهْرَةَ حَيْثُ كَانُوا ... وَآمِنَةَ الَّتِي حَمَلَتْ غُلَامَا تَرَى الْمَهْدِيَّ حِينَ نَزَا عَلَيْهَا ... وَنُورًا قَدْ تَقَدَّمَهُ أَمَامَا إِلَى أَنْ قَالَتْ فَكُلُّ الْخَلْقِ يَرْجُوهُ جَمِيعًا ... يَسُودُ النَّاسَ مُهْتَدِيًا إِمَامَا بَرَاهُ اللَّهُ مِنْ نُورٍ صَفَاءً ... فَأَذْهَبَ نُورُهُ عَنَّا الظَّلَامَا وَذَلِكَ صُنْعُ رَبِّكَ إِذْ حَبَاهُ ... إِذَا مَا سَارَ يَوْمًا أَوْ أَقَامَا
পৃষ্ঠা - ১৪৪৩


তবে তোমার ঢেহারায় বিশেষ নুর দেখে ঢেয়েছিলাম যে, তা আমার মধ্যে আসুক ৷ কিন্তু
আল্লাহর ইচ্ছা ছিল অন্যরকম ৷ এই বলে মহিলাটি কয়েকটি পংক্তি আবৃত্তি করেন ৷


,াদ্বু৷ ৷ ৷




আমি একটি মেঘখণ্ডকে আলােকময় হতে দেখেছি ৷ ফলে মেঘমালা আলোকিত হয়ে
উঠেছে ৷ আমি তাকে এমন একটি নুর মনে করলাম ৷ যার কারণে পুর্ণিমার চীদের আলোকিত
করার ন্যায় তার পার্শ্ববর্তী সবকিছু আলোকিত হয়ে গেল ৷
আমি তাকে এমন পর্বের বন্তু হিসেবে বরণ করে নিলাম, যাকে আমি নিয়েই আসর ৷
প্রত্যেক চকমকি প্রজ্জ্বলিত কারী তা প্রজ্জ্বলিত করতে পারে না ৷
আল্লাহর শ ৷,পথ যুহরিয়৷ গোত্রের নারী তোমার সাধারণ কো ন বস্ত্র ছিনিয়ে নেযনি অথচ তুমি
তা জান না ৷ ফাতেম৷ আরো বলে

০’ :

০ ’ শ্

া১৷ ট্রুাছুাছুন্

;,
;,র্চু৷ এে,

— হে বনু হাশিম আমিনা তোমাদের ভাইকে ধারণ করেছে যখন তারা মধুযামিনী
উদযাপন করেছে ৷ যেমনি ভাবে প্রদীপের আলো নির্বাপিত হওয়ার সময় ভৈতল মিশ্রিত
সলতেকে ধারণ করে

যুবক যা অর্জন করে তার সবটুকু পৈত্রিক সম্পত্তি নয় ৷ আর যা সে নষ্ট করে তা সে
উদাসীনতার কারণে নষ্ট করে না ৷ তুমি সৌজন্যমুলক আচরণ করতে থাক যদি তুমি নেতৃতু
চাও ৷ কারণ তোমার বহু সভান-সন্ততির অধিকারী দাদা আর নানাই তোমার নেতৃত্বের জন্য
যথেষ্ট ৷ তোমার নেতৃত্বের জন্য যথেষ্ট হবে তুমি কৃপণ হও অথবা দাতাই হও ৷ আমিনা তার
থেকে এক মহান সন্তান ধারণ করেছে ৷ তিনি এমন এক গৌরবময় সন্তান ধারণ করেছেন যার
তুলনা নইি ৷


فَيَهْدِي أَهْلَ مَكَّةَ بَعْدَ كُفْرٍ ... وَيَفْرِضُ بَعْدَ ذَلِكُمُ الصِّيَامَا وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ سَهْلٍ الْخَرَائِطِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَارَةَ الْقُرَشِيُّ حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ الزَّنْجِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا انْطَلَقَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بِابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ لِيُزَوِّجَهُ مَرَّ بِهِ عَلَى كَاهِنَةٍ مِنْ أَهْلِ تَبَالَةَ مُتَهَوِّدَةٍ قَدْ قَرَأَتِ الْكُتُبَ يُقَالَ لَهَا: فَاطِمَةُ بِنْتُ مُرٍّ الْخَثْعَمِيَّةُ فَرَأَتْ نُورَ النُّبُوَّةِ فِي وَجْهِ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَتْ: يَا فَتَى هَلْ لَكَ أَنْ تَقَعَ عَلَيَّ الْآنَ، وَأُعْطِيكَ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: أَمَّا الْحَرَامُ فَالْمَمَاتُ دُونَهْ ... وَالْحِلُّ لَا حِلٌّ فَأَسْتَبِينَهْ فَكَيْفَ بِالْأَمْرِ الَّذِي تَبْغِينَهْ ... يَحْمِي الْكَرِيمُ عِرْضَهُ وَدِينَهْ ثُمَّ مَضَى مَعَ أَبِيهِ فَزَوَّجَهُ آمِنَةَ بَنْتَ وَهْبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ زُهْرَةَ فَأَقَامَ عِنْدَهَا ثَلَاثًا، ثُمَّ إِنَّ نَفْسَهُ دَعَتْهُ إِلَى مَا دَعَتْهُ إِلَيْهِ الْكَاهِنَةُ فَأَتَاهَا فَقَالَتْ: مَا صَنَعْتَ بَعْدِي؟ فَأَخْبَرَهَا فَقَالَتْ: وَاللَّهِ مَا أَنَا بِصَاحِبَةِ رِيبَةٍ، وَلَكِنِّي رَأَيْتُ فِي وَجْهِكَ نُورًا فَأَرَدْتُ أَنْ يَكُونَ فِيَّ، وَأَبَى اللَّهُ إِلَّا أَنْ يَجْعَلَهُ حَيْثُ أَرَادَ، ثُمَّ أَنْشَأَتْ فَاطِمَةُ تَقُولُ: إِنِّي رَأَيْتُ مُخِيلَةً لَمَعَتْ ... فَتَلَأْلَأَتْ بِحَنَاتِمِ الْقَطْرِ
পৃষ্ঠা - ১৪৪৪

ইমাম আবু নুআয়ম তার দালাযিলুন নবুওয়াতে বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (বা)
বলেছেন, আবদুল মুত্তালিব এক শীতের সফরে ইয়ামানে যান ৷ সেখানে তিনি এক ইহুদী
পণ্ডিতের সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ আবদুল মুত্তালিবের ভাষায়, তখন জনৈক আহলি কিতাব
আমাকে বলল, আপনার অনুমতি পেলে আমি আপনার শরীরের কিছু অংশ দেখতে চাই ৷ আমি
বললড়াম, হীা, দেখতে পার, যদি তা গোপন অঙ্গ না হয় ৷ আবদুল মুত্তালিব বলেন, অনুমতি
পেয়ে লোকটি এক এক করে উভয় নাকের ভিতরে খুটিয়ে দেখল ৷ অতঃপর বলে উঠল, আমি
সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তোমার দুহাতের এক হাতে রাজত্ব আর অপর হাতে রয়েছে নবুওত ৷ আর
আমি তা বনুযুহ্রায় দেখতে পাচ্ছি ৷ এ কেমন করে হলো? আমি বললাম , তা আমি জানি না ৷
লোকটি বলল, তোমার কি শাণ্ড়াড়াহ’ আছেঃ আমি বললাম, শাগাহ’ আবার কী? লোকটি বলল

মানে ত্রী ৷ আমি বললাম, বর্তমানে নেই ৷ লোকটি বলল তাহলে ফিরে গিয়ে যুহ্রা পােত্রে
একটা বিয়ে করে নেবেন ৷

আবদুল মুত্তালিব দেশে ফিরে গেলেন এবং হালা বিনতে ৬-হ্বা ইবন আবদে মানাফ ইবন
যাহরাকে বিয়ে করলেন ৷ হালার গর্ভে হামযা ও সাফিয়্যা জন্মগ্রহণ করলেন ৷ অতঃপর
আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মুত্তালিব আমিনা বিনতে ওহবকে বিবাহ করেন ৷ আমিনড়ার গর্ভে
জন্মুলাভ করেন রাসুলুল্পাহ (সা) ৷ আবদুল্লাহ আমিনাকে বিয়ে করার পর কুরাইশরা বলাবলি
করতে শুরু করে যে , আবদুল্লাহ তার পিতা আবদুল মুত্তালিবকে লাভ করে দিয়েছে ৷


فَلَمَأْتُهَا نُورًا يُضِيءُ لَهُ مَا حَوْلَهُ كَإِضَاءَةِ الْبَدْرِ ... وَرَجَوْتُهَا فَخْرًا أَبُوءُ بِهِ مَا كُلُّ قَادِحِ زَنْدِهِ يُورِي ... لَلَّهِ مَا زُهْرِيَّةٌ سَلَبَتْ ثَوْبَيْكَ مَا اسْتَلَبَتْ وَمَا تَدْرِي وَقَالَتْ فَاطِمَةُ أَيْضًا: بَنِي هَاشِمٍ قَدْ غَادَرَتْ مِنْ أَخِيكُمْ ... أَمِينَةُ إِذْ لِلْبَاهِ يَعْتَرِكَانِ كَمَا غَادَرَ الْمِصْبَاحَ عِنْدَ خُمُودِهِ ... فَتَائِلُ قَدْ مِيثَتْ لَهُ بِدِهَانِ وَمَا كُلُّ ما يَحْوِي الْفَتَى مِنْ تِلَادِهِ ... بَحَزْمٍ وَلَا مَا فَاتَهُ لِتَوَانِي فَأَجْمِلْ إِذَا طَالَبْتَ أَمْرًا فَإِنَّهُ ... سَيَكْفِيكَهُ جِدَّانِ يَعْتَلِجَانِ سَيَكْفِيكَهُ إِمَّا يِدٌ مُقْفَعِلَّةٌ ... وَإِمَّا يَدٌ مَبْسُوطَةٌ بِبَنَانِ وَلَمَّا حَوَتْ مِنْهُ أَمِينَةُ مَا حَوَتْ ... حَوَتْ مِنْهُ فَخْرًا مَا لِذَلِكَ ثَانِ. وَرَوَى أَبُو نُعَيْمٍ الْحَافِظُ فِي كِتَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عِمْرَانَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِي عَوْنٍ عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: إِنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ قَدِمَ الْيَمَنَ فِي رِحْلَةِ الشِّتَاءِ فَنَزَلَ عَلَى حَبْرٍ مِنَ الْيَهُودِ قَالَ: فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ১৪৪৫
لِي رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الزَّبُورِ: يَعْنِي أَهْلَ الْكِتَابِ: يَا عَبْدَ الْمُطَّلِبِ أَتَأْذَنُ لِي أَنْ أَنْظُرَ إِلَى بَعْضِكَ؟ قَالَ: نَعَمْ إِذَا لَمْ يَكُنْ عَوْرَةً، قَالَ: فَفَتَحَ إِحْدَى مَنْخَرَيَّ فَنَظَرَ فِيهِ، ثُمَّ نَظَرَ فِي الْآخَرِ فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنَّ فِي إِحْدَى يَدَيْكَ مُلْكًا وَفِي الْأُخْرَى نُبُوَّةً، وَإِنَّا نَجِدُ ذَلِكَ فِي بَنِي زُهْرَةَ فَكَيْفَ ذَلِكَ؟ قُلْتُ: لَا أَدْرِي قَالَ: هَلْ لَكَ مِنْ شَاعَةٍ؟ قُلْتُ: وَمَا الشَّاعَةُ؟ قَالَ: زَوْجَةٌ قُلْتُ: أَمَّا الْيَوْمُ فَلَا. قَالَ: فَإِذَا رَجَعْتَ فَتَزَوَّجْ فِيهِمْ فَرَجَعَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَتَزَوَّجَ هَالَةَ بِنْتَ وُهَيْبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ زُهْرَةَ فَوَلَدَتْ حَمْزَةَ وَصْفِيَّةَ، ثُمَّ تَزَوَّجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ آمِنَةَ بِنْتَ وَهْبٍ فَوَلَدَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ قُرَيْشٌ حِينَ تَزَوَّجَ عَبْدُ اللَّهِ بِآمِنَةَ: فَلَجَ أَيْ فَازَ، وَغَلَبَ عَبْدُ اللَّهِ عَلَى أَبِيهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ.