আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

شيء من الحوادث في زمن الفترة

পৃষ্ঠা - ১৪২৫
ষ্ষ্

ঈসা (আ) ও রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর মধ্যবর্তী
যুগের কয়েকটি ঘটনা

(ক) কাষা নির্মাণ

কেউ কেউ বলেন, সর্বপ্রথম যিনি কাবা ঘর নির্মাণ করেন তিনি হলেন আদম (আ)
আবদুল্লাহ্ ইবন অড়ামর বর্ণিত এ সম্পর্কে একটি মারফু হাদীসও আছে ৷ তবে এর সনদে ইবনুল
হায়আ নামক একজন দুর্বল রাবী রয়েছেন ৷ বিশুদ্ধতর অভিমত হলো, সর্বপ্রথম যিনি কাবা ঘর
নির্মাণ করেছেন, তিনি হলেন ইব্রাহীম (আ) ৷ ইতিপুর্বে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ৷
সিমাক ইবন হারব আলী ইবন আবু তড়ালিব থেকে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আলী (রা ) বলেন,
অতঃপর কাবাঘর ধ্বংস হয়ে গেলে আমালিকা বংশীয়রা তা নির্মাণ করে ৷ তারপর আবারও
ধ্বংস হলে জুরহুম বংশীয়রা তা নির্মাণ করে ৷ পুনরায় ধ্বংস হলে এবার কুরাইশরা তা নির্মাণ
করে ৷ কুরাইশের কাবাঘর পুনঃনির্মাণের আলোচনা পরে আসছে ৷ তা ঘটেছিল নবী করীম
(না)-এর নবুওত লাভের পাচ বছর , মতান্তরে পনের বছর আগে ৷ যুহরী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
তখন যৌবনে উপনীত ৷ যথাস্থানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে ইন্শাআল্পাহ ৷

(ণ) কা ব ইৰ্ন ষ্ওস্টয়াই

আবু নু’আয়ম আবু সালামা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, কাব ইবন লুওয়াই
প্রতি শুক্রবার সম্প্রদায়ের লোকদেরকে সমবেত করে ভাষণ দিতেন ৷ কুরাইশরা সে দিনটিকে
বলতো আরুবা’ ৷ বক্ততায় তিনি বলতেন, হে লোক সকল ! তোমরা শ্রবণ কর, শিক্ষা লাভ কর
ও অনুধাবন কর ! অন্ধকার রাত, আলোকােজ্জ্বল দিন বিছানা স্বরুপ পৃথিবী ছাদ আকাশ স্বরুপ,
কীল্কস্বরুপ পাহাড়রাজি আর পথ নির্দেশক তারকারাজি আগের পরের নির্বিশেষে সকল
সকল, নারী ও পুরুষ সর্বপ্রথম স্বীকারােক্তি ফ্লেৰু-এর প্রতি ইঙ্গিতকারী বিষয় এবং রুহ ৷ তোমরা
রক্তের আত্মীয়তা বজায় রেখে চল ৷ বৈবাহিক সম্পর্ক রক্ষা কর ৷ অর্থ-সষ্পদকে ফলপ্রদ বানাও ৷
মৃত্যুবরণকারী কাউকে কি তোমরা ফিরে আসতে কিত্বা মৃত ব্যক্তিকে পুনরুথিত হবে দেখেছা
আসল বাড়ী তোমাদের সম্মুখে ৷ তোমরা যা বলছ, ব্যাপার তার বিপরীত ৷ তোমাদের মর্যাদাকে
তোমরা উৎকর্ষিত করে তােল এবং এর উপর দৃঢ় থাক ৷ অচিরেই আসছে এক মহা সংবাদ ৷
মহান এক নবী আত্মপ্রকাশ করছেন বলে ৷ অতঃপর তিনি আবৃত্তি করেন ?


[شَيْءٌ مِنَ الَحَوَادِثِ فِي زَمَنِ الْفَتْرَةِ] [بُنْيَانُ الْكَعْبَةِ] شَيْءٌ مِنَ الَحَوَادِثِ فِي زَمَنِ الْفَتْرَةِ فَمِنْ ذَلِكَ بُنْيَانُ الْكَعْبَةِ وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ بَنَاهُ آدَمُ. وَجَاءَ فِي ذَلِكَ حَدِيثٌ مَرْفُوعٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، وَفِي سَنَدِهِ ابْنُ لَهِيعَةَ وَهُوَ ضَعِيفٌ، وَأَقْوَى الْأَقْوَالِ أَنَّ أَوَّلَ مَنْ بَنَاهُ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَمَا تَقَدَّمَ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عَرْعَرَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: ثُمَّ تَهَدَّمَ فَبَنَتْهُ الْعَمَالِقَةُ، ثُمَّ تَهَدَّمَ فَبَنَتْهُ جُرْهُمٌ، ثُمَّ تَهَدَّمَ فَبَنَتْهُ قُرَيْشٌ. قُلْتُ سَيَأْتِي بِنَاءُ قُرَيْشٍ لَهُ، وَذَلِكَ قَبْلَ الْمَبْعَثِ بِخَمْسِ سِنِينَ، وَقِيلَ: بِخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ بَلَغَ الْحُلُمَ، وَسَيَأْتِي ذَلِكَ كُلُّهُ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ.
পৃষ্ঠা - ১৪২৬
ষ্ষ্


; এ :

াঠুাচু;ঠু, ফ্লে;পু৷ এাহ্;ট্রু

— রাত ও দিন প্রত্যহ নিত্য-নতৃন ঘটনা নিয়ে আসছে ৷ সেই রাত ও দিন সবই আমাদের
জন্য সমান ৷ বিভিন্ন ঘটনা-দুর্ঘটনা নিয়ে রড়াত-দিন ফিরে আসে ৷ প্রভুত প্রাচুর্য নিয়ে আমাদের
উপর তার আবরণ ঢেলে দেয় ৷ নবী মুহাম্মদ এসে পড়বেন তোমরা টেরও পাবে না ৷ এসে
তিনি বহু সংবাদ প্রদান করবেন, সংবাদদাতা হবেন মহা সত্যবাদী ৷

অতঃপর তিনি বলতেন০ ং সেদিন পর্যন্ত যদি আমি বোচ থাকত ৷ম ,তড়াহলে অবশ্যই আমি
উটের উপর দাড়িয়ে থাকার ন্যায় ঠায় দাড়িয়ে থাকতাঃ এবং বাছুরের ন্যায় দৌড়াতড়াম ৷
তারপর বললেন :


হার, যেদিন সমাজের মানুষ সত্যকে পদানত করতে চইিবে, সেদিন যদি আমি তার
দাওয়াতের সামনে উপস্থিত থাকতে পারতড়াম ৷

বর্ণনাকারী বলেন, কাব ইবন লুওয়াই এর মৃত্যু এবং রাসুল (না)-এর নবুওত লাভের
মাঝে ব্যবধান ছিল পড়াচশত ষাট বছর ৷

(গ) যমযম কুপ পুনঃখনন

জুরহুম গোত্র যমযম কুপ বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে আবদুল মুত্তালিবের সময়কাল পর্যন্ত
তার কোন চিহ্ন বিদ্যমান ছিল না ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, একদা আব্দুল
ঘুত্তালিব হিজরে তথা হাতীমে ঘুমিয়ে ছিলেন ৷ এসম্পর্কে তিনি বলেন যে, হিজরে ঘৃমম্ভ অবস্থায়
আমি স্বপ্নে দেখালাম ৷ এক ব্যক্তি এসে বলল, তুমি তড়ায়ােবা’ খনন কর ৷ ’ আমি জিজ্ঞাসা
করলাম, তড়ায়ােবা কী ? কিন্তু আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়েই যে চলে গেল ৷ পরদিন রাতে
আমি যখন বিছানায় গেলাম এবং ঘুমিয়ে পড়লাম, লোকটি এসে পুনরায় আমাকে বলল,
বাররা’ খনন কর ! আমি জিজ্ঞাসা করলাম, বাররা’ কী ? লোকটি আমাকে জবাব না দিয়েই
চলে গেল ৷ তৃতীয় রাতে আবারো স্বপ্নে দেখলাম যে, কে যেন আমাকে বলছে, মাযনুনা খনন
কর ৷ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, মড়াযনুনা কী ? পরের রাতে আবারো এসে সে বলল, যমযম
খনন কর ৷’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, যমযম কী ? সে বলল, যা কখনো শুকাবে না, মহান
হার্জীগণ যার পানি পান করবেন ৷ গোবর ও রক্তের মধ্যখানে যার অবস্থান, সাদা পা বিশিষ্ট
কড়াকের নিকটে, পিপড়ার বসতির কাছে ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৫৮-

[ذِكْرُ كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ] كَعْبُ بْنُ لُؤَيٍّ رَوَى أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ زَبَالَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ التَّيْمِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ: كَانَ كَعْبُ بْنُ لُؤَيٍّ يَجْمَعُ قَوْمَهُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، - وَكَانَتْ قُرَيْشٌ تُسَمِّي يَوْمَ الْجُمُعَةِ الْعَرُوبَةَ - فَيَخْطُبُهُمْ فَيَقُولُ: أَمَّا بَعْدُ فَاسْمَعُوا وَتَعَلَّمُوا وَافْهَمُوا، وَاعْلَمُوا لَيْلٌ سَاجٍ، وَنَهَارٌ ضَاحٍ، وَالْأَرْضُ مِهَادٌ، وَالسَّمَاءُ بِنَاءٌ، وَالْجِبَالُ أَوْتَادٌ، وَالنُّجُومُ أَعْلَامٌ، وَالْأَوَّلُونَ كَالْآخِرِينَ، وَالْأُنْثَى وَالذَّكَرُ، وَالرُّوحُ وَمَا يَهِيجُ إِلَى بِلًى فَصِلُوا أَرْحَامَكُمْ، وَاحْفَظُوا أَصْهَارَكُمْ، وَثَمِّرُوا أَمْوَالَكُمْ فَهَلْ رَأَيْتُمْ مِنْ هَالِكٍ رَجَعَ أَوْ مَيِّتٍ نُشِرَ؟ الدَّارُ أَمَامَكُمْ وَالظَّنُّ غَيْرُ مَا تَقُولُونَ، حَرَمُكُمْ زَيِّنُوهُ وَعَظِّمُوهُ وَتَمَسَّكُوا بِهِ فَسَيَأْتِي لَهُ نَبَأٌ عَظِيمٌ، وَسَيَخْرُجُ مِنْهُ نَبِيٌّ كَرِيمٌ. ثُمَّ يَقُولُ: نَهَارٌ وَلَيْلٌ كُلَّ يَوْمٍ بِحَادِثٍ سَوَاءٌ عَلَيْنَا لَيْلُهُا وَنَهَارُهَا
পৃষ্ঠা - ১৪২৭
يَئُوبَانِ بِالْأَحْدَاثِ حَتَّى تَأَوَّبَا وَبِالنِّعَمِ الضَّافِي عَلَيْنَا سُتُورُهَا عَلَى غَفْلَةٍ يَأْتِي النَّبِيُّ مُحَمَّدٌ فَيُخْبِرُ أَخْبَارًا صَدُوقًا خَبِيرُهَا ثُمَّ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَوْ كُنْتُ فِيهَا ذَا سَمْعٍ وَبَصَرٍ وَيَدٍ وَرِجْلٍ، لَتَنَصَّبْتُ فِيهَا تَنَصُّبَ الْجَمَلِ، وَلَأَرْقَلْتُ بِهَا إِرْقَالَ الْعِجْلِ، ثُمَّ يَقُولُ: يَا لَيْتَنِي شَاهِدٌ نَجْوَاءَ دَعْوَتِهِ حِينَ الْعَشِيرةُ تَبْغِي الْحَقَّ خِذْلَانًا قَالَ: وَكَانَ بَيْنَ مَوْتِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ، وَمَبْعَثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسُمِائَةِ عَامٍ وَسِتُّونَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ১৪২৮
ষ্ষ্


আব্দুল মুত্তালিব বলেন, পরিচয় ও জায়গার নির্দেশনা পেয়ে আমি কোদাল নিয়ে সেখানে
গেলাম ৷ পুত্র হারিছ ইবন আব্দুল মুত্তালিবও সঙ্গে ছিল ৷ সে সময় পর্যন্ত তার অন্য কোন পুত্র
ছিল না ৷ খনন কার্য শুরু হয়ে এক সময়ে তা ণ্শষ হলো ৷ আব্দুল মুত্তালিব পানি দেখতে পেয়ে
উচ্চস্বরে আল্লাহ আকবর বলে উঠলেন ৷ তাকবীর ধ্বনি শুনে কুরাইশরা বুঝল যে, আব্দুল
মুত্তালিব এর উদ্দেশ্যে হাসিল হয়ে গেছে ৷ ফলে তারা তার নিকট শ্ন্শুায়ে বলল, হে আব্দুল
মুত্তালিব ! আপনি যে কুপের সন্ধান পেয়েছেন, তা আমাদের পিতা ইসমাঈলের কুপ এবং
নিঃসন্দেহে তাতে আমাদের অধিকার আছে ৷ অতএব আমাদেরকে তার ভাগ দিতে হবে ৷
আব্দুল মুত্তালিব বললেন, না, তা হবে না ৷ এ কুরুপ শুধু আমাকেই দেওয়া হয়েছে, এতে
তোমাদের কোন অংশ নেই ৷ কুরাইশরা বলল, আমরা এর দাবি ছাড়ব না ৷ প্রয়োজনে
আপনার সঙ্গে লড়াই করে হলেও আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে ছাড়ব ৷ আব্দুল
মুত্তালিব বললেন, ঠিক আছে, তা-ই যদি করো, তা হলে একজন লোক ঠিক কর, আমরা তার
উপর এর বিচারের তার অর্পণ করব ৷ কুরাইশরা বলল, বনু সাদ ইবন হুয়াইমের গণক
ঠাকুরণীর কাছে চলুন ৷ আব্দুল মুত্তালিব বললেন, ঠিক আছে ৷ এই গণক ঠাকুরণীর আবাসস্থল
ছিল সিরিয়ার দিকে ৷

আব্দুল মুত্তালিব রওয়ানা হলেন ৷ সঙ্গে তার বনু উমাইয়া এবং কুরাইশের প্রত্যেক গোত্রের
একজন করে একদল লোক ৷ তখনকার দিলে তা ছিল এক বিরান মরু প্রাতর ৷ এক সময়ে
আব্দুল মুত্তালিব ও তার সঙ্গীদের পানি শেষ হয়ে গেল ৷ তারা তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়লেন ৷
এমন কি প্রাণ হারারার উপক্রম হল ৷ ফলে আব্দুল মুত্তালিবের সঙ্গীরা অন্যদের নিকট পানি
চাইল ৷ কিন্তু তারা পানি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলল, আমরা নিজেরাও তোমাদের মত এ মরু
প্রান্তরে বিপন্ন হওয়ার আশংকা করছি ৷ অগত্যা আব্দুল মুত্তালিব সঙ্গীদেরকে বললেন, পায়ে
কিছুটা শক্তি-সামর্থ্য থাকতেই তোমরা নিজেদের জন্য গর্ত খনন করে রাখ, যাতে কেউ মারা
গেলে সঙ্গীরা তাকে সেই গর্ভে পুতে রাখতে পারে ৷ এভাবে সর্বশেষ একজন হয়ত সমাধি থেকে
বঞ্চিত হবে ৷ তা হয় হোক ৷ গোটা কাফেলা বিনা দাফনে থাকা অপেক্ষা একজন থাকাই ভালো ৷
সঙ্গীরা বলল, আপনার এই আদেশ অতি উত্তম ৷ আমরা তাই করব ৷ প্রতেক্লকেই নিজের জন্য
গর্ত খনন করল এবং বসে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে লাগল ৷

অতঃপর আব্দুল মুত্তালিব সাথীদের বললেন, আমরা এভাবে নিজেদেরকে মৃত্যুর হাতে
সােপর্দ করে বসে রইলাম ৷ চেষ্টা করলে হয়ত আল্লাহ কোন প্রকারে পানির ব্যবস্থা করেও
দিবেন ৷ বসে না থেকে তোমরা সামনে অগ্রসর হয়ে দেখ ৷ তারা রওয়ানা হলো ৷ আব্দুল
মুত্তালিবের উট উঠে র্দাড়াতেই তার পায়ের নীচ থেকে সুমিষ্ট পানির ফোয়ারা বইতে শুরু
করল ৷ আব্দুল ঘুত্তালিব তাকবীর ধ্বনি দিয়ে উঠলেন ৷ সংগীরাও তাকবীর দিয়ে উঠল ৷ আব্দুল
মুত্তালিব বাহন থেকে নেমে পানি পান করলেন ৷ সংগীরাও পানি পান করে তৃষ্ণা নিবারণ করল
এবং আপন আপন মশক ভরে নিল ৷ অতঃপর আব্দুল মুত্তালিব কুরাইশের গোত্রসমুহের
প্রতিনিধিদেরকে আহ্বান করলেন ৷ এতক্ষণ তারা তাকিয়ে এসব অবস্থা দেখছিল ৷ আব্দুল
মুত্তালিব বললেন, “এসো এসো এই যে পানি ! আল্লাহ আমাদের তৃষ্ণা নিবারণ করেছেন ৷


[ذِكْرُ تَجْدِيدِ حَفْرِ زَمْزَمَ] عَلَى يَدَيْ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ، الَّتِي كَانَ قَدْ دَرَسَ رَسْمُهَا بَعْدَ طَمِّ جُرْهُمٍ لَهَا إِلَى زَمَانِهِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بَيْنَمَا هُوَ نَائِمٌ فِي الْحِجْرِ، إِذْ أُتِيَ فَأُمِرَ بِحَفْرِ زَمْزَمَ وَكَانَ أَوَّلَ مَا ابْتُدِئَ بِهِ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ مِنْ حَفْرِهَا، كَمَا حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ الْمِصْرِيُّ عَنْ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْيَزَنِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زُرَيْرٍ الْغَافِقِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ يُحَدِّثُ حَدِيثَ زَمْزَمَ حِينَ أُمِرَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بِحَفْرِهَا قَالَ: قَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ: إِنِّي لَنَائِمٌ فِي الْحِجْرِ إِذْ أَتَانِي آتٍ فَقَالَ لِي: احْفِرْ طِيبَةَ قَالَ: قُلْتُ: وَمَا طِيبَةُ؟ قَالَ: ثُمَّ ذَهَبَ عَنِّي فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ رَجَعْتُ إِلَى مَضْجَعِي فَنِمْتُ فَجَاءَنِي فَقَالَ: احْفِرْ بَرَّةَ قَالَ: قُلْتُ: وَمَا بَرَّةُ؟ قَالَ: ثُمَّ ذَهَبَ عَنِّي فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ رَجَعْتُ إِلَى مَضْجَعِي فَنِمْتُ فَجَاءَنِي فَقَالَ: احْفِرِ الْمَضْنُونَةَ قَالَ: قُلْتُ: وَمَا الْمَضْنُونَةُ؟ قَالَ: ثُمَّ ذَهَبَ عَنِّي فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ رَجَعْتُ إِلَى مَضْجَعِي فَنِمْتُ فِيهِ فَجَاءَنِي قَالَ: احْفِرْ زَمْزَمَ قَالَ: قُلْتُ: وَمَا زَمْزَمُ؟ قَالَ: لَا تَنْزِفُ أَبَدًا وَلَا تُذِمُّ، تَسْقِي
পৃষ্ঠা - ১৪২৯
الْحَجِيجَ الْأَعْظَمَ. وَهِيَ بَيْنَ الْفَرْثِ وَالدَّمِ، عِنْدَ نُقْرَةِ الْغُرَابِ الْأَعْصَمِ، عِنْدَ قَرْيَةِ النَّمْلِ. قَالَ: فَلَمَّا بَيَّنَ لِي شَأْنَهَا، وَدَلَّ عَلَى مَوْضِعِهَا، وَعَرَفَ أَنَّهُ قَدْ صُدِقَ، غَدًا بِمِعْوَلِهِ، وَمَعَهُ ابْنُهُ الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ - وَلَيْسَ لَهُ يَوْمئِذٍ وَلَدٌ غَيْرُهُ - فَحَفَرَ فَلَمَّا بَدَا لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ الطَّيُّ كَبَّرَ فَعَرَفَتْ قُرَيْشٌ أَنَّهُ قَدْ أَدْرَكَ حَاجَتَهُ فَقَامُوا إِلَيْهِ فَقَالُوا: يَا عَبْدَ الْمُطَّلِبِ إِنَّهَا بِئْرُ أَبِينَا إِسْمَاعِيلَ، وَإِنَّ لَنَا فِيهَا حَقًّا فَأَشْرِكْنَا مَعَكَ فِيهَا. قَالَ: مَا أَنَا بِفَاعِلٍ، إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ قَدْ خُصِصْتُ بِهِ دُونَكُمْ، وَأُعْطِيتُهُ مِنْ بَيْنِكُمْ، قَالُوا لَهُ: فَأَنْصِفْنَا فَإِنَّا غَيْرُ تَارِكِيكَ حَتَّى نُخَاصِمَكَ فِيهَا. قَالَ: فَاجْعَلُوا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ مَنْ شِئْتُمْ أُحَاكِمْكُمْ إِلَيْهِ. قَالُوا: كَاهِنَةُ بَنِي سَعْدِ بْنِ هُذَيْمٍ. قَالَ: نَعَمْ. وَكَانَتْ بِأَشْرَافِ الشَّامِ فَرَكِبَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ، وَمَعَهُ نَفَرٌ مِنَ بَنِي أُمَيَّةَ، وَرَكِبَ مِنْ كُلِّ قَبِيلَةٍ مِنْ قُرَيْشٍ نَفَرٌ فَخَرَجُوا وَالْأَرْضُ إِذْ ذَاكَ مَفَاوِزُ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِهَا نَفَدَ مَاءُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَأَصْحَابُهُ فَعَطِشُوا حَتَّى اسْتَيْقَنُوا بِالْهَلَكَةِ فَاسْتَسْقَوْا مَنْ مَعَهُمْ فَأَبَوْا عَلَيْهِمْ، وَقَالُوا: إِنَّا بِمَفَازَةٍ، وَإِنَّا نَخْشَى عَلَى أَنْفُسِنَا مِثْلَ مَا أَصَابَكُمْ. فَقَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ: إِنِّي أَرَى أَنْ يَحْفِرَ كُلُّ رَجُلٍ مِنْكُمْ حُفْرَتَهُ لِنَفْسِهِ بِمَا بِكُمُ الْآنَ مِنَ الَقُوَّةِ فَكُلَّمَا مَاتَ رَجُلٌ دَفَعَهُ أَصْحَابُهُ فِي حُفْرَتِهِ ثُمَّ وَارَوْهُ حَتَّى يَكُونَ آخِرُهُمْ
পৃষ্ঠা - ১৪৩০
ষ্ষ্


তারাও সেই পানি পান করল এবং পরিতৃপ্ত হলো ৷ অতঃপর বলল, আল্লাহ আপনাকে আমাদের
উপর বিজয়ী করেছেন ৷ শপথ আল্লাহর, যমযমের ব্যাপারে আমরা আপনার সঙ্গে আর কখনো
বিবাদ করব না ৷ এই মরু অঞ্চলে যিনি আপনাকে এ পানি দান করলেন, তিনিই আপনাকে
যমযম দান করেছেন ৷ অতএব নিরাপদে আপনি আপনার কুপের নিকট ফিরে যান ৷ আব্দুল
মুত্তালিব ফিরে গ্যেলেন ৷ প্রতিপক্ষও তার সঙ্গে ফিরে গেল ৷ যমযম সম্পর্কিত বিবাদের মীমাংা
এভাবেই হয়ে গেল ৷ গণক ঠাকুরণীর কাছে আর যাওয়ার প্রয়োজন হলো না ৷ তারা তার হাতে
যমযমের অধিকার ছেড়ে দিল ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এই হলো আলী ইবন আবু তালিব (রা) থেকে বর্ণিত যমযম
সম্পর্কিত বর্ণনা ৷ অন্য এক সুত্রে আমি শুনেছি যে, আব্দুল মুত্তালিব বর্ণনা করেছেন, স্বপ্নে যখন
তাকে যমযম খনন করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তখন এ-ও বলা হয়েছিল এরপর তুমি
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পানির জন্য দোয়া করবে ৷ আল্লাহর ঘরের হড়াজীরা তা পান করবে ৷ এই কুপ
যতদিন টিকে থাকবে, তা থেকে কোন ভয়ের কারণ থাকবে ণ্ন্া ৷

বর্ণনড়াকারী বলেন, এ সময় আব্দুল মৃত্তালিব কুরাইশেয় নিকট গিয়ে বললেন, তোমরা জেনে
রাখ, আমি যমযম খননের জন্যে আদিষ্ট হয়েছি ৷ তারা জিজ্ঞাসা করল, যমযম কোথায় তা কি
আপনাকে বলে দেওয়া হয়েছে? আব্দুল মুত্তালিব বললেন, না জানানো হয়নি ৷ লোকেরা বলল
তা হলে এ স্বপ্নটি যে বিছানায় শুয়ে দেখেছিলেন, আজও সে বিছানায় ঘুমাবেন ৷ এই স্বপ্ন যদি
সত্যিই আল্লাহর পক্ষ থােক হয়ে থাকে, তা হলে আল্লাহ বিষয়টা বিস্তারিত জানিয়ে দিবেন ৷
আর যদি তা’ শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে তাহলে সে আর আসবে না ৷ আব্দুল মুত্তালিব
ফিরে গেলেন এবং ঘুমিয়ে পড়লেন ৷ এবারও স্বপ্ন দেখলেন, কে যেন বলছে, যমযম খনন কর,
যদি তুমি তা কর তা হলে লজ্জিত হবে না ৷ তা তোমার মহান পিতার উত্তরাধিকার; কখনো
তা’ শুকাবে না ৷ হাজীগণকে তুমি তা’ থেকে পান করাবে ৷ মানতকারীরা সেখানে প্রাচুর্যের জন্য
মানত করবে ৷ তা পৈত্রিক সম্পত্তি হবে এবং মজবুত বন্ধন হবে ৷ তার স্থান তুমি জান আর তা
রক্ত ও গোবরের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আব্দুল ঘুত্তালিবকে যখন স্বপ্নে এ সব কথা বলা হলো, তখন তিনি
জিজ্ঞাসা করলেন, কুপটির অবস্থান কোথায়? বলা হলো পিপড়ের ঢিবির নিকট ৷ আপামীকাল
ওখানে কাক ঠোক্রাবে ৷

উক্ত বিবরণ দৃ’টির কোনটি যথার্থ, তা আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ আব্দুল ঘুত্তালিব পরের দিন
পুত্র হারিছকে সঙ্গে নিয়ে বের হলেন ৷ সে সময়ে হারিছ ছাড়া তার আর কোন পুত্র ছিল না ৷
উমুবীর বর্ণনা মতে, তার গোলাম পিপড়ের ঢিবিতে গিয়ে দেখতে পেলেন যে, আসাফ ও নায়লা
মুর্তিদ্বয়ের মধ্যখানে কাক ঠোকরাচ্ছে ৷ এই দুই মুর্তির নিকট কুরাইশরা পশু বলি দিত ৷ আব্দুল
মুত্তালিব কােদাল দিয়ে মাটি খুড়তে শুরু করেন ৷ দেখে কুরাইশের লোকেরা ছুটে এসে বলল,
আল্লাহ্র কসম! আমরা তোমাকে এই জায়গার মাটি খুড়তে দেব না ৷ আমাদের দুই দেবতার
মধ্যকার এই স্থানে আমরা পশু বলি দেই ৷ শুনে আব্দুল মুত্তালিব পুত্র হারিছকে বললেন, আমি


رَجُلًا وَاحِدًا فَضَيْعَةُ رَجُلٍ وَاحِدٍ أَيْسَرُ مِنْ ضَيْعَةٍ رَكْبَ جَمِيعًا. فَقَالُوا: نِعْمَ مَا أَمَرْتَ بِهِ فَحَفَرَ كُلُّ رَجُلٍ لِنَفْسِهِ حُفْرَةً، ثُمَّ قَعَدُوا يَنْتَظِرُونَ الْمَوْتَ عَطْشَى، ثُمَّ إِنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: إِنَّ إِلْقَاءَنَا بِأَيْدِينَا هَكَذَا لِلْمَوْتِ - لَا نَضْرِبُ فِي الْأَرْضِ لَا نَبْتَغِي لِأَنْفُسِنَا - لَعَجْزٌ فَعَسَى أَنْ يَرْزُقَنَا اللَّهُ مَاءً بِبَعْضِ الْبِلَادِ. فَارْتَحَلُوا حَتَّى إِذَا بَعَثَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ رَاحِلَتَهُ انْفَجَرَتْ مِنْ تَحْتِ خُفِّهَا عَيْنُ مَاءٍ عَذْبٍ فَكَبَّرَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ وَكَبَّرَ أَصْحَابُهُ، ثُمَّ نَزَلَ فَشَرِبَ وَشَرِبَ أَصْحَابُهُ، وَاسْتَقَوْا حَتَّى مَلَئُوا أَسْقِيَتَهُمْ، ثُمَّ دَعَا قَبَائِلَ قُرَيْشٍ، وَهُمْ يَنْظُرُونَ إِلَيْهِمْ فِي جَمِيعِ هَذِهِ الْأَحْوَالِ فَقَالَ: هَلُمُّوا إِلَى الْمَاءِ فَقَدْ سَقَانَا اللَّهُ فَجَاءُوا فَشَرِبُوا وَاسْتَقَوْا كُلُّهُمْ، ثُمَّ قَالُوا لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ: قَدْ وَاللَّهِ قُضِيَ لَكَ عَلَيْنَا وَاللَّهِ مَا نُخَاصِمُكَ فِي زَمْزَمَ أَبَدًا، إِنَّ الَّذِي سَقَاكَ هَذَا الْمَاءَ بِهَذِهِ الْفَلَاةِ لَهُو الَّذِي سَقَاكَ زَمْزَمَ فَارْجِعْ إِلَى سِقَايَتِكَ رَاشِدًا فَرَجَعَ وَرَجَعُوا مَعَهُ، وَلَمْ يَصِلُوا إِلَى الْكَاهِنَةِ، وَخَلُّوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ زَمْزَمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَهَذَا مَا بَلَغَنِي عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فِي زَمْزَمَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَدْ سَمِعْتُ مَنْ يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَنَّهُ قِيلَ لَهُ حِينَ أُمِرَ بِحَفْرِ زَمْزَمَ ثُمَّ ادْعُ بِالْمَاءِ الرِّوَى غَيْرِ الْكَدِرْ يَسْقِي حَجِيجَ اللَّهِ فِي كُلِّ مَبَرْ
পৃষ্ঠা - ১৪৩১
ষ্ষ্


কুপ খনন করা পর্যন্ত তুমি আমার হেফাজতের ব্যবস্থা কর ৷ আল্লাহর কসম, আমি যে কাজের
আদেশ পেয়েছি, তা আমি বাস্তবায়ন করবই ৷ আব্দুল মুত্তালিবের দৃঢ়তা দেখে কুরাইশের
লোকেরা তাকে আর খনন কাজে বাধা দিল না ৷

আব্দুল মুত্তালিব খনন কার্য চালাতে থাকলেন ৷ অল্প একটু খনন করার পরই পানি বেরিয়ে
এলো ৷ আব্দুল মুত্তালিব তাকবীর ধ্বনি দিয়ে উঠলেন এবং পরিষ্কার বুঝতে পারলেন যে , তিনি
যে স্বপ্ন দেখেছেন, তা সত্য ৷

বেশ কিছুটা খনন করার পর আব্দুল মুত্তালিব তাতে স্বর্ণের দু’টি হরিণ মুর্তি পান ৷ জুরহুম
গোত্র এখানে তা পুতে ব্লেখেছিল ৷ সেখানে তিনি কয়েকটি তলোয়ার এবং কিছু বর্ষ পেলেন ৷
দেখে কুরাইশরা বলল, “আব্দুল মুত্তালিব ৷ এতে তোমার সঙ্গে আমাদের ভাগ আছে ৷” আব্দুল
মুত্তালিব বললেন, “না, তা হবে না ৷ তবে একটি সুরাহায় আসতে পার ৷ এসো লটারীর
মাধ্যমে আমরা এর মীমাংসা করি ৷ ” কুরাইশরা বলল, তা কিভাবে হবে বলুন ৷ আব্দুল মুত্তালিব
বললেন, কাবার নামে দুটি তীর নাও ৷ আমার নামে নাও দুটি এবং তোমাদের নামে দুটি ৷
যার তীর যে জিনিসটির উপর গিয়ে পড়বে সে তার মালিক হবে আর যার তীর লক্ষ্যচ্যুত
হবে, সে কিছুই পাবে না ৷ কুরাইশরা বলল, আপনার প্রস্তাবটি ন্যায়সঙ্গত ৷

আব্দুল মুত্তালিব কাবার নামে দুটি হলুদ তীর নিলেন ৷ নিজের জন্য নিলেন দু’টি কালো
তীর এবং কুরাইশদের জন্য নিলেন দু’টি সাদা তীর ৷ কুরাইশের বড় দেবতা তার নিকটবর্তী
তীর নিক্ষেপকারীর নিকট তীরগুলি অর্পণ করে ৷ হোবল যে কারণে আবু সুফিয়ান ওহুদ যুদ্ধের
দিন বলেছিল হোবলের জয় হোক- আব্দুল মুত্তালিব অ ৷ল্লাহ্র নিকট দোয়া করতে লাগলেন :

০ ব্লু ন্ ! প্ণ্

ষ্ঠাংএ
১পু৷ এ

স্পো ৷ গ্রা৷ ৷ ঠুটু১ট্রুহু, ট্রু৷ ’;,’: এে ণ্,এ্ ৷ ;,;;;

এ :


হে আল্লাহ! আপনি প্রশংসিত রাজাধিরাজ ৷ আপনি আমার প্রতিপালক আপনিই সৃষ্টির
সুচনাকারী এবং পুনঃসৃষ্টিকারী ৷ আপনি পাথুরে পাহাড়কে সুদৃঢ় করে রেখেছেন ৷ আপনার নিকট
থেকে আসে অর্থ ও পশু সম্পদ ৷ আপনি চাইলে আমার মনে ইলহাম করবেন কাবার ঐ স্থানটি
যেখানে ইবরাহীম ও ইসমাঈল (আ)এর স্বর্ণালঙ্কার ও অস্ত্রশস্ত্র প্রোথিত রয়েছে ৷ আজ আপনি
আমাকে অবহিত করেন আপনার ইচ্ছা যদি আপনার মর্জি হয় ৷ আমি শপথ করেছি ৷ আপনি
আমাকে তা দিয়ে দিন ৷ আমি আর কিছু চইিবাে না ৷

এবার তীর নিক্ষেপ শুরু হলো ৷ হলুদ তীর দু’টি গিয়ে হরিণ মুর্তির উপর পতিত হলো ৷ যা’
ছিল কাবার জন্য ৷ কালো দু’টি গিয়ে পড়ল তরবাৰী ও বর্যগুলাের উপর ৷ এগুলো পেলেন


لَيْسَ يَخَافُ مِنْهُ شَيْءٌ مَا عَمَرْ قَالَ: فَخَرَجَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ حِينَ قِيلَ لَهُ ذَلِكَ إِلَى قُرَيْشٍ فَقَالَ: تَعْلَمُوا أَنِّي قَدْ أُمِرْتُ أَنْ أَحْفِرَ زَمْزَمَ قَالُوا: فَهَلْ بُيِّنَ لَكَ أَيْنَ هِيَ؟ قَالَ: لَا، قَالُوا: فَارْجِعْ إِلَى مَضْجَعِكَ الَّذِي رَأَيْتَ فِيهِ مَا رَأَيْتَ فَإِنْ يَكْ حَقًّا مِنَ اللَّهِ يُبَيِّنْ لَكَ، وَإِنْ يَكُ مِنَ الشَّيْطَانِ فَلَنْ يَعُودَ إِلَيْكَ. فَرَجَعَ وَنَامَ فَأُتِيَ فَقِيلَ لَهُ: احْفِرْ زَمْزَمْ إِنَّكَ إِنْ حَفَرْتَهَا لَنْ تَنْدَمْ، وَهِيَ تُرَاثٌ مِنْ أَبِيكَ الْأَعْظَمْ، لَا تَنْزِفُ أَبَدًا وَلَا تُذِمْ، تَسْقِي الْحَجِيجَ الْأَعْظَمْ مِثْلَ نَعَامٍ حَافِلٍ لَمْ يُقْسَمْ، وَيَنْذِرُ فِيهَا نَاذِرٌ لِمُنْعِمْ، تَكُونُ مِيرَاثًا وَعَقْدًا مُحْكَمْ، لَيْسَتْ كَبَعْضِ مَا قَدْ تَعْلَمْ، وَهِيَ بَيْنَ الْفَرْثِ وَالدَّمْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَزَعَمُوا أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ حِينَ قِيلَ لَهُ ذَلِكَ قَالَ: وَأَيْنَ هِيَ؟ قِيلَ لَهُ: عِنْدَ قَرْيَةِ النَّمْلِ، حَيْثُ يَنْقُرُ الْغُرَابُ غَدًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ. قَالَ: فَغَدَا عَبْدُ الْمُطَّلِبِ وَمَعَهُ ابْنُهُ الْحَارِثُ، وَلَيْسَ لَهُ يَوْمئِذٍ وَلَدٌ غَيْرُهُ - زَادَ الْأُمَوِيُّ وَمَوْلَاهُ أَصْرَمُ - فَوَجَدَ قَرْيَةَ النَّمْلِ، وَوَجَدَ الْغُرَابَ يَنْقُرُ عِنْدَهَا بَيْنَ الْوَثَنَيْنِ إِسَافٍ وَنَائِلَةَ، اللَّذَيْنِ كَانَتْ قُرَيْشٌ تَنْحَرُ عِنْدَهُمَا فَجَاءَ بِالْمِعْوَلِ وَقَامَ لِيَحْفِرَ حَيْثُ أُمِرَ فَقَامَتْ إِلَيْهِ قُرَيْشٌ، وَقَالُوا: وَاللَّهِ لَا نَتْرُكُكَ تَحْفِرُ بَيْنَ
পৃষ্ঠা - ১৪৩২
وَثَنَيْنَا اللَّذَيْنِ نَنْحَرُ عِنْدَهُمَا فَقَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ لِابْنِهِ الْحَارِثِ: ذُدْ عَنِّي حَتَّى أَحْفِرَ فَوَاللَّهِ لَأَمْضِيَنَّ لِمَا أُمِرْتُ بِهِ فَلَمَّا عَرَفُوا أَنَّهُ غَيْرُ نَازِعٍ خَلُّوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْحَفْرِ، وَكَفُّوا عَنْهُ فَلَمْ يَحْفِرْ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى بَدَا لَهُ الطَّيُّ فَكَبَّرَ، وَعَرَفَ أَنَّهُ قَدْ صُدِقَ فَلَمَّا تَمَادَى بِهِ الْحَفْرُ وَجَدَ فِيهَا غَزَالَتَيْنِ مَنْ ذَهَبٍ اللَّتَيْنِ كَانَتْ جُرْهُمٌ قَدْ دَفَنَتْهُمَا، وَوَجَدَ فِيهَا أَسْيَافًا قَلْعِيَّةً وَأَدْرَاعَا فَقَالَتْ لَهُ قُرَيْشٌ: يَا عَبْدَ الْمُطَّلِبِ لَنَا مَعَكَ فِي هَذَا شِرْكٌ وَحَقٌّ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ هَلُمَّ إِلَى أَمْرٍ نِصْفٍ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ، نَضْرِبُ عَلَيْهَا بِالْقِدَاحِ قَالُوا: وَكَيْفَ نَصْنَعُ؟ قَالَ: أَجْعَلُ لِلْكَعْبَةِ قَدَحَيْنِ، وَلِي قَدَحَيْنِ، وَلَكُمْ قَدَحَيْنِ فَمَنْ خَرَجَ قَدَحَاهُ عَلَى شَيْءٍ كَانَ لَهُ، وَمَنْ تَخَلَّفَ قَدَحَاهُ فَلَا شَيْءَ لَهُ قَالُوا: أَنْصَفْتَ فَجَعَلَ لِلْكَعْبَةِ قَدَحَيْنِ أَصْفَرَيْنِ، وَلَهُ أَسْوَدَيْنِ، وَلَهُمْ أَبْيَضَيْنِ، ثُمَّ أَعْطَوُا الْقِدَاحَ لِلَّذِي يَضْرِبُ عِنْدَ هُبَلَ، وَهُبَلُ أَكْبَرُ أَصْنَامِهِمْ، وَلِهَذَا قَالَ أَبُو سُفْيَانَ يَوْمَ أُحُدٍ اعْلُ هُبَلُ يَعْنِي هَذَا الصَّنَمَ، وَقَامَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ يَدْعُو اللَّهَ، وَذَكَرَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ جَعَلَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ الْمَحْمُودْ رَبِّي فَأَنْتَ الْمُبْدِئُ الْمُعيِدْ وَمُمْسِكُ الرَّاسِيَةِ الْجُلْمُودْ مِنْ عَنْدِكَ الطَّارِفُ وَالتَّلِيدْ
পৃষ্ঠা - ১৪৩৩
ষ্ষ্


আব্দুল মুত্তালিব ৷ কুরাইশদের সাদা ৷ভীর দু ’টো লক্ষ্যচ্যুত হলো ৷ আব্দুল মুত্তা ৷লিব তরবারী এবং
হরিণ মুর্তি দু ’টি কা বার দরজায় স্থাপন করে রাখেন ৷ লোকের ধারণা তা-ই ছিল কা বার পায়ে
প্রথম সোনার অলংকার ৷ তারপর আব্দুল মুত্তালিব যমযম ক্যুপ হাজীদের পানি পানের ব্যবস্থা
করেন ৷

ইবন ইসহড়াক প্রমুখ বলেন, আব্দুল মুত্তালিবের আমলে যমযম উদধাটিত হওয়ার আগে
মক্কায় আরো অনেকগুলো কুপ ছিল ৷ ইবন ইসহাক সেগুলোর সংখ্যা এবং নামধামও উল্লেখ
করেছেন ৷ সবশেষে বলেন, কিন্তু যমযম অন্যসব কুপের উপর প্রাধান্য লাভ করে এবং মানুষ
অন্যান্য কুপ ছেড়ে যমযমের প্রতি ছুটে আসে ৷ কারণ যমযম মসজিদুল হারামে অবস্থিত ৷ আর
এর পানি সব কুপ অপেক্ষা উত্তম ৷ সর্বোপরি, যমযম ইব্রাহীম (আ)-এর পুত্র ইসমাঈল
(আ)-এর কুপ ৷ আরদে মানাফের গোত্র এই কুপ নিয়ে কুরাইব্;শর অন্যান্য গোত্র এবং সমস্ত
আরবের উপর পর্ব করত ৷

হযরত আবৃযর (রা) এর ইসলাম গ্রহণ বিষয়ক মুসালম রীৰুফর এক হাদীসে আছে যে
রাসুলুল্লাহ (সা) যমযম সম্পর্কে বলেছেনং : ণ্ছু ; ৷ব্লুদ্বু প্রু ওাষ্ ণ্া;াদ্বু ষ্ ৷

“এই যমযম তার পানকারীর জন্য খাদ্য স্বরুপ এবং তা রোগের নিরাময়ও বটে ৷

ইমাম আহমদ হযরত জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রা)-এর বরাতে বলেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেনঃ

“যমযমের পানি যে উদ্দেশ্যে পান করা হয় তা পুরণ হয় ৷”
ইবন মাজাহ্র বর্ণনায় এর পাঠ হচ্ছে০ ং ৰুএ ;,:: ম্বু৷ ণ্প্রুছু £:

হাকিম (র) ইবন আব্বাস (রা) এর বরাতে বর্ণনা ৷করেন যে, তিনি জনৈক ব্যক্তিকে
বলেছেন, তুমি যখন যমযমের পানি পান করবে, তখন কিবলার দিকে মুখ করবে, বিসমিল্লাহ
বলবে, তিন নিঃশ্বাসে পান করবে এবং পরিতৃপ্তি সহকারে পান করবে ৷ যখন পান করা শেষ
করবে, তখন আল-হামদৃ লিল্লাহ’ বলবে ৷ কারণ, রাসুলুল্লাহ (সা) বল্যেছন : “আমাদের ও
মুনাফিকদের মাঝে পার্থক্য হলো, ওরা যমযমের পানি তৃপ্তি সহকারে পান করে না ৷ ”

আব্দুল মুত্তালিব থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন : “হে আল্লাহ! এই যমযমের পানি
আমি পােসলকারীর জন্য হালাল মনে করি না ৷ যমযমের পানি পানকারীর জন্য বৈধ ৷” কেউ
কেউ এ উক্তিটি আব্বাস (রা)-এর বলে মত প্রকাশ করলেও বিশুদ্ধ মতে এটি আবদুল
মুত্তালিবেরই উক্তি ৷ কেননা তিনিই এটি পুনঃ খনন করেছিলেন ৷

উমাবী তার মাগাযীতে বর্ণনা করেছেন যে, আবু উবড়ায়দ ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ ও আব্দুর
রহমান ইবন হারমালড়াহ সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ আব্দুর রহমান ইবন হারমালা বলেন, আমি
সাঈদ ইবন মুসড়ায়ব্রুড়াবকে বলতে শুনেছি যে, আব্দুল মুত্তালিব ইবন হাশিম যখন যমযম খনন
করলেন তখন বলেছিলেন, “এই কুপ পােসলকারীর জন্য হড়ালাল নয়, এটি কেবল পানকারীর
জন্যই বৈধ ৷” তিনি যমযম কুপে দু’টি হাউজ তৈরি করে দিয়েছিলেন ৷ একটি পান করার জন্য


إِنْ شِئْتَ أَلْهَمْتَ كَمَا تُرِيدْ لِمَوْضِعِ الْحِلْيَةِ وَالْحَدِيدْ فَبَيِّنِ الْيَوْمَ لِمَا تُرِيدْ إِنِّي نَذَرْتُ الْعَاهِدَ الْمَعْهُودْ اجْعَلْهُ لِي رَبِّ فَلَا أَعُودْ قَالَ: وَضَرَبَ صَاحِبُ الْقِدَاحِ فَخَرَجَ الْأَصْفَرَانِ عَلَى الْغَزَالَتَيْنِ لِلْكَعْبَةِ، وَخَرَجَ الْأَسْوَدَانِ عَلَى الْأَسْيَافِ وَالْأَدْرَاعِ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَتَخَلَّفَ قَدَحَا قُرَيْشٍ فَضَرَبَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ الْأَسْيَافَ بَابًا لِلْكَعْبَةِ، وَضَرَبَ فِي الْبَابِ الْغَزَالَتَيْنِ مِنْ ذَهَبٍ فَكَانَ أَوَّلَ ذَهَبٍ حُلِّيَتْهُ الْكَعْبَةُ - فِيمَا يَزَعُمُونَ - ثُمَّ إِنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ أَقَامَ سِقَايَةَ زَمْزَمَ لِلْحَاجِّ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ أَنَّ مَكَّةَ كَانَ فِيهَا أَبْيَارٌ كَثِيرَةٌ قَبْلَ ظُهُورِ زَمْزَمَ فِي زَمَنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، ثُمَّ عَدَّدَهَا ابْنُ إِسْحَاقَ، وَسَمَّاهَا، وَذَكَرَ أَمَاكِنَهَا مِنْ مَكَّةَ، وَحَافِرِيهَا إِلَى أَنْ قَالَ: فَعَفَتْ زَمْزَمُ عَلَى الْبِئَارِ كُلِّهَا، وَانْصَرَفَ النَّاسُ كُلُّهُمْ إِلَيْهَا لِمَكَانِهَا مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَلِفَضْلِهَا عَلَى مَا سِوَاهَا مِنَ الْمِيَاهِ، وَلِأَنَّهَا بِئْرُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَافْتَخَرَتْ بِهَا بَنُو عَبْدِ مَنَافٍ عَلَى قُرَيْشٍ كُلِّهَا، وَعَلَى سَائِرِ الْعَرَبِ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ فِي حَدِيثِ إِسْلَامِ أَبِي ذَرٍّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي زَمْزَمَ: " إِنَّهَا لَطَعَامُ طُعْمٍ، وَشِفَاءُ سُقْمٍ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْوَلِيدِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُؤَمَّلِ
পৃষ্ঠা - ১৪৩৪
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَاءُ زَمْزَمَ لِمَا شُرِبَ لَهُ» . وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُؤَمَّلِ وَقَدْ تَكَلَّمُوا فِيهِ، وَلَفْظُهُ «مَاءُ زَمْزَمَ لِمَا شُرِبَ لَهُ» وَرَوَاهُ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الْمَوَالِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَاءُ زَمْزَمَ لِمَا شُرِبَ لَهُ» وَلَكِنْ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ ضَعِيفٌ وَالْمَحْفُوظُ عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُؤَمَّلِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَاكِمُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا «مَاءُ زَمْزَمَ لِمَا شُرِبَ لَهُ» وَفِيهِ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَكَذَا رَوَى ابْنُ مَاجَهْ أَيْضًا وَالْحَاكِمُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ لِرَجُلٍ إِذَا شَرِبْتَ مِنْ زَمْزَمَ فَاسْتَقْبِلِ الْكَعْبَةَ وَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ، وَتَنَفَّسْ ثَلَاثًا، وَتَضَلَّعْ مِنْهَا فَإِذَا فَرَغْتَ فَاحْمَدِ اللَّهَ ; فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ آيَةَ مَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْمُنَافِقِينَ لَا يَتَضَلَّعُونَ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ.» . وَقَدْ ذُكِرَ عَنْ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَنَّهُ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي لَا أُحِلُّهَا لِمُغْتَسِلٍ،
পৃষ্ঠা - ১৪৩৫
ষ্ষ্


অপরটি ওজু করার জন্য ৷ তখন তিনি বলেছিলেন, একে আমি গোসলের জন্য ব্যবহারের
অনুমতি দেবে না ৷ তার উদ্দেশ্যে ছিল মসজিদকে পবিত্র রাখা ৷

আবু উবায়দ অন্য এক সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, আসিম ইবন আবুন্নাজুদ আব্বাস (রা) কে
বলতে শুনেছেন, আমি একে পােসলকারীর জন্য হালাল করব না এটি পানকারীর জন্য বৈধ ৷
আব্দুর রহমান ইবন মাহ্দী সুফিয়ান ও আব্দুর রহমান ইবন আলাকামা সুত্রেও ইবন আব্বাস
(বা) থেকে অনুরুপ বর্ণিত আছে ৷

মুলত যমযমের পানি দ্বারা গোসল করা নিষিদ্ধ নয় ৷ কিন্তু আব্দুল মুত্তালিব ও আব্বাস (বা)
এ কাজ থেকে মানুষকে নিরুৎসাহিত করার জন্য এমনটি বলেছিলেন বলে মনে হয় ৷

উল্লেখ্য যে, আব্দুল মুত্তালিব যতদিন বেচে ছিলেন, ততদিন পর্যন্ত তিনিই যমযমের
তত্ত্বাবধানের দাযিতু পালন করেন ৷ তার মৃত্যুর পর সেই দায়িতু পুত্র আবু তালিবের উপর
ন্যান্ত হয় ৷

আবু তালিব অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়েন ৷ বাধ্য হয়ে তিনি তার ভাই আব্বাস-এর নিকট থেকে
দশ হাজার মুদ্রা ঋণ নিয়ে হাজীদের জন্য যমযমের কাজে ব্যয় করেন ৷ কথা ছিল , পরের বছর
সে ঋণ গােধ করে দেবেন ৷ কিন্তু একবছর চলে যাওয়ার পরও আবু তালিবের স্বচ্ছলতা ফিরে
আসল না ৷ তাই তিনি আব্বাসকে বললেন, তুমি আমাকে চৌদ্দ হাজার মুদ্রা ঋণ দাও ৷ আগামী
বছর আমি তোমার সব পাওনা পরিশোধ করে দেব ৷ জবাবে আব্বাস (রা) বললেন, এই শর্তে
দিতে পারি যে, যদি আপনি যথাসময়ে ঋণ শেড়াধ করতে না পারেন, তাহলে যমযমের কর্তৃতু
আমার হাতে চলে আসবে ৷ আবু তালিব শর্তটি মেনে নেন ৷ এক বছর চলে যাওয়ার পরও আবু
তালিব ঋণ পরিশোধ করার কোন ব্যবস্থা করতে পারলেন না ৷ ফলে শর্ত অনুযায়ী যমযমের
দায়িত্বভার আব্বাসকে দিয়ে দেন ৷ আব্বাসের পরে যমযমের দায়িতু আব্বাসের পুত্র আব্দুল্লাহর
হাতে আসে ৷ আন্দুল্লাহর পরে আসে আলী ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাসের হাতে ৷ তারপর
আসে দাউদ ইবন আলীর হাতে ৷ অতঃপর সুলায়মান ইবন আলীর হাতে ৷ অতঃপর ঈসা ইবন
আলীর হাতে ৷ অতঃপর মনসুর যমযমের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং তার অড়াযাদকৃত গোলাম
আবু রাযীনকে দেখা-গোনার দায়িত্ব অর্পণ করেন ৷ উমুবী এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷


وَهِيَ لِشَارِبٍ حِلٌّ وَبِلٌّ. وَقَدْ ذَكَرَهُ بَعْضُ الْفُقَهَاءِ عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ عَنْ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ نَفْسِهِ فَإِنَّهُ هُوَ الَّذِي جَدَّدَ حَفْرَ زَمْزَمَ كَمَا قَدَّمْنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ الْأُمَوِيُّ فِي مَغَازِيهِ: حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدٍ أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يُحَدِّثُ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ هَاشِمٍ حِينَ احْتَفَرَ زَمْزَمَ قَالَ: لَا أُحِلُّهَا لِمُغْتَسِلٍ، وَهِيَ لِشَارِبٍ حِلٌّ وَبِلٌّ، وَذَلِكَ أَنَّهُ جَعَلَ لَهَا حَوْضَيْنِ حَوْضًا لِلشُّرْبِ، وَحَوْضًا لِلْوُضُوءِ فَعِنْدَ ذَلِكَ قَالَ: لَا أُحِلُّهَا لِمُغْتَسِلٍ ; لِيُنَزِّهَ الْمَسْجِدَ عَنْ أَنْ يُغْتَسَلَ فِيهِ. قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: قَالَ الْأَصْمَعِيُّ: قَوْلُهُ، وَبِلٌّ إِتْبَاعٌ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: وَالْإِتْبَاعُ لَا يَكُونُ بِوَاوِ الْعَطْفِ، وَإِنَّمَا هُوَ كَمَا قَالَ مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ: إِنَّ بِلَّ بِلُغَةِ حِمْيَرَ: مُبَاحٌ. ثُمَّ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ أَنَّهُ سَمِعَ رِزًّا أَنَّهُ سَمِعَ الْعَبَّاسَ يَقُولُ: لَا أُحِلُّهَا لِمُغْتَسِلٍ، وَهِيَ لِشَارِبٍ حِلٌّ وَبِلٌّ. وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَلْقَمَةَ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ ذَلِكَ. وَهَذَا صَحِيحٌ إِلَيْهِمَا كَأَنَّهُمَا يَقُولَانِ ذَلِكَ فِي أَيَّامِهِمَا عَلَى سَبِيلِ التَّبْلِيغِ وَالْإِعْلَامِ بِمَا اشْتَرَطَهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ عِنْدَ حَفْرِهِ
পৃষ্ঠা - ১৪৩৬
لَهَا فَلَا يُنَافِي مَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ كَانَتِ السِّقَايَةُ إِلَى عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَيَّامَ حَيَاتِهِ، ثُمَّ صَارَتْ إِلَى ابْنِهِ أَبِي طَالِبٍ مُدَّةً، ثُمَّ اتُّفِقَ أَنَّهُ أَمْلَقَ فِي بَعْضِ السِّنِينَ فَاسْتَدَانَ مِنْ أَخِيهِ الْعَبَّاسِ عَشَرَةَ آلَافٍ إِلَى الْمَوْسِمِ الْآخَرِ، وَصَرَفَهَا أَبُو طَالِبٍ فِي الْحَجِيجِ فِي عَامِهِ فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِالسِّقَايَةِ فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ لَمْ يَكُنْ مَعَ أَبِي طَالِبٍ شَيْءٌ فَقَالَ لِأَخِيهِ الْعَبَّاسِ: أَسْلِفْنِي أَرْبَعَةَ عَشَرَ أَلْفًا أَيْضًا إِلَى الْعَامِ الْمُقْبِلِ أُعْطِيكَ جَمِيعَ مَالِكَ. فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ: بِشَرْطِ إِنْ لَمْ تُعْطِنِي تَتْرُكِ السِّقَايَةَ لِي أَكْفِكَهَا. فَقَالَ: نَعَمْ. فَلَمَّا جَاءَ الْعَامُ الْآخَرُ لَمْ يَكُنْ مَعَ أَبِي طَالِبٍ مَا يُعْطِي الْعَبَّاسَ فَتَرَكَ لَهُ السِّقَايَةَ فَصَارَتْ إِلَيْهِ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِ صَارَتْ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ وَلَدِهِ، ثُمَّ إِلَى عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، ثُمَّ إِلَى دَاوُدَ بْنِ عَلِيٍّ، ثُمَّ إِلَى سُلَيْمَانَ بْنِ عَلِيٍّ، ثُمَّ إِلَى عِيسَى بْنِ عَلِيٍّ، ثُمَّ أَخَذَهَا الْمَنْصُورُ وَاسْتَنَابَ عَلَيْهَا مَوْلَاهُ أَبَا رَزِينٍ، ذَكَرَهُ الْأُمَوِيُّ.
পৃষ্ঠা - ১৪৩৭

আবদুল মুত্তালিবের পুত্র যবাহ
করার মানত

ইবন ইসহাক বলেন, যমযম খনন করার সময় কুরাইশের সঙ্গে আবদুল মুত্তালিবের যে
বিবাদ হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে তিনি মানত করেছিলেন যে যদি তার দশটি সন্তান জন্ম নেয়
এবং বয়ঃপ্রাপ্ত হয়ে তীকে শত্রুদের থেকে রক্ষা করার উপযুক্ত হয় , তাহলে তাদের একজনকে
কাবার নিকটে আল্লাহর উদ্দেশ্যে জবাই করবেন ৷ যখন তীর ং-ৰুম্ভান সংখ্যা দশে উপনীত হয়
এবং তিনি উপলব্ধি করলেন যে, তারা র্তাকে রক্ষা করতে সমর্থ, তখন তাদের সকলকে
একত্রিত করে তিনি তার মানতের কথা অবহিত করলেন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য তাদের
প্রতি আহ্বান জানালেন ৷ তারা হলেন হারিছ, যুরায়র , হাজাল , যেরার, মুকাওয়িম , আবু লাহাব ,
আব্বাস, হড়ামযা, আবু তালিব ও আবদুল্লাহ ৷ পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে পুত্ররা বললেন,
আমরা কিভাবে আপনার এই মানত পুরণ করতে পারি ? আবদুল মুত্তালিব বললেন, তীরে নিজের
নাম লিখে আমার কাছে নিয়ে এসো ৷ পুত্ররা তা করলেন ৷ আবদুল মুত্তালিব তাদেরকে কাবার
অভ্যন্তরে হোবল দেবতার মুর্তিব্ নিকট নিয়ে যান ৷

উল্লেখ্য যে, কাবার জন্য নিবেদিত উপটোকনাদি কাবা স্থিত একটি গহ্বরে রাখা হত ৷
আর হোবলের নিকট সাতটি লটারীর তীর ছিল ৷ বিশেষ কোন সমস্যা দেখা দিলে মুশরিকরা
তার নিকট গিয়ে লটারী ফেলে মীমাংসায় আসত ৷ বিশেষ প্রক্রিয়ায় এই তীর থেকে যে
নিদের্শনা পাওয়া যেত, তইি তারা সর্বাম্ভকরণে মেনে নিত ৷

আবদুল মুত্তালিব পুত্রদের নিয়ে হোবলের কাছে গেলেন এবং যথারীতি লটারী তীর
তৃললেন ৷ নাম আসল আবদৃল্লাহ্র ৷ আবদুল্লাহ ছিলেন পুত্রদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ এবং তার
সর্বাধিক প্রিয় ৷ আবদুল মুত্তালিব পুত্র আবদৃল্লাহ্র হাত ধরলেন এবং ছবি নিয়ে তাকে জবাই
করার জন্য আসাফ ও নায়েলড়া প্রতিমা দুইটির দিকে অগ্রসর হলেন ৷ তা দেখতে পেয়ে কুরাইশ
তাদের মজলিস থেকে দৌড়ে এসে বলল, আবদুল মুত্তালিব ! আপনার উদ্দেশ্য কী? আবদুল
মুত্তালিব বললেন, আমি একে জবাই করব ৷ কুরাইশ এবং আবদুল মুত্তালিবের পুত্ররা বললেন,
আল্লাহর কলম ! কোন নিশ্চিত বিকল্প না হওয়া পর্যন্ত আপনি একে জবাই করতে পারবেন না ৷
যদি তা’ করেন, তাহলে পুত্র বলি দেওয়ার ধারা চালু হয়ে যাবে ৷ তাহলে মানুষের নিরাপত্তা

কেমন করে রক্ষিত হবে ?

[ذِكْرُ نَذْرِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ذَبْحَ أَحَدِ وَلَدِهِ] ذِكْرُ نَذْرِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ذَبْحَ أَحَدِ وَلَدِهِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ - فِيمَا يَزْعُمُونَ - نَذَرَ حِينَ لَقِيَ مِنْ قُرَيْشٍ مَا لَقِيَ عِنْدَ حَفْرِ زَمْزَمَ لَئِنْ وُلِدَ لَهُ عَشَرَةُ نَفَرٍ، ثُمَّ بَلَغُوا مَعَهُ حَتَّى يَمْنَعُوهُ لَيَنْحَرَنَّ أَحَدَهُمْ لِلَّهِ عِنْدِ الْكَعْبَةِ فَلَمَّا تَكَامَلَ بَنُوهُ عَشَرَةً، وَعَرَفَ أَنَّهُمْ سَيَمْنَعُونَهُ، وَهُمُ ; الْحَارِثُ وَالزُّبَيْرُ وَحَجْلٌ وَضِرَارٌ وَالْمُقَوَّمُ وَأَبُو لَهَبٍ وَالْعَبَّاسُ وَحَمْزَةُ وَأَبُو طَالِبٍ وَعَبْدُ اللَّهِ، جَمَعَهُمْ ثُمَّ أَخْبَرَهُمْ بِنَذْرِهِ، وَدَعَاهُمْ إِلَى الْوَفَاءِ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ بِذَلِكَ فَأَطَاعُوهُ، وَقَالُوا: كَيْفَ نَصْنَعُ؟ قَالَ: لِيَأْخُذْ كُلُّ رَجُلٍ مِنْكُمْ قِدْحًا، ثُمَّ يَكْتُبُ فِيهِ اسْمَهُ، ثُمَّ ائْتُونِي فَفَعَلُوا ثُمَّ أَتَوْهُ فَدَخَلَ بِهِمْ عَلَى هُبَلَ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ وَكَانَ هُبَلُ عَلَى بِئْرٍ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ، وَكَانَتْ تِلْكَ الْبِئْرُ هِيَ الَّتِي يُجْمَعُ فِيهَا مَا يُهْدَى لِلْكَعْبَةِ وَكَانَ عِنْدَ هُبَلَ قِدَاحٌ سَبْعَةٌ، وَهِيَ الْأَزْلَامُ الَّتِي يَتَحَاكَمُونَ إِلَيْهَا إِذَا أَعْضَلَ عَلَيْهِمْ أَمْرٌ مِنْ عَقْلٍ أَوْ نَسَبٍ أَوْ أَمْرٍ مِنَ الْأُمُورِ جَاءُوهُ فَاسْتَقْسَمُوا بِهَا فَمَا أَمَرَتْهُمْ بِهِ أَوْ نَهَتْهُمْ عَنْهُ امْتَثَلُوهُ.
পৃষ্ঠা - ১৪৩৮


ইউনুস ইবন বুকায়র ইবন ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন যে, জবাই করার জন্য যখন আবদুল
মুত্তালিব আবদুল্লাহ্কে পায়ের নীচে চেপে ধরেন, তখন আব্বাস আবদুল্লাহ্কে পিতার পদতল
থেকে টেনে সরিয়ে নেন ৷ এর কারণে আবদুল মুত্তালিব আব্বাসের মৃখমণ্ডলে এমন প্রচণ্ড আঘাত
করেন যে, মৃত্যু পর্যন্ত যে আঘাতের দাগ থেকে যায় ৷

অতঃপর কুরাইশরা আবদুল মুত্তালিবকে পরামর্শ দিল যে, হিজ্ায়ে একজন গণক ঠাকুরণী
আছে ৷ তার অনুগত জিন আছে ৷ তার কাছে গিয়ে আপনি এ বিষয়ে আলাপ করুন ৷ তারপর
সে আপনাকে যা আদেশ করে, আপনি তা-ই করুন, তাতে আমরা আপনাকে বাধা দিব না ৷
যদি সে আবদুল্লাহ্কে জবাই করতে বলে, আপনি তা-ই করতে পারবেন ৷ আর যদি
আবদুল্লাহ্কে নিঙ্কুতি দিয়ে আপনাকে অন্য কোন পরামর্শ দেয়, তবে তা-ও আপনি মেনে
নেবেন ৷

সে মতে আবদুল মুত্তালিব দল-বলসহ মদীনা অভিমুখে রওয়ানা হলেন ৷ মদীনা শহরে এসে
তিনি গণকের সাক্ষাৎ পেলেন ৷ তার নাম ছিল সাজাহ্ ৷ আবদুল মুত্তালিব তার সঙ্গে
আলাপ-আলোচনা করলেন এবং নিজের সমস্যার কথা জানালেন ৷ বিস্তারিত শুনে গণক ঠাকুরনী
বলল, আজ আপনারা ফিরে যান, আমার অনুগত জিন যখন আসবে; তখন তার কাছ থেকে
আমি এ সমস্যার সমাধান জেনে রাখব ৷ আবদুল মুত্তালিব সঙ্গীদের নিয়ে ফিরে গেলেন ৷ গণক
ঠাকুরণীর নিকট থেকে বের হয়ে এসে আবদুল মুত্তালিব আল্লাহ্র নিকট দোয়া করতে লাগলেন
পরদিন যথা সময়ে তারা গণক ঠাকুরণীর নিকট গিয়ে উপস্থিত হন ৷ গণক ঠাকুরণী বলল,
আপনাদের সমস্যার সমাধান আমি পেয়ে গেছি ৷ আচ্ছা, আপনাদের সমাজে মুক্তিপণের পরিমাণ
কতঃ তারা বলল, দশটি উট ৷ গণক ঠাকুরণী বলল, আপনারা দেশে ফিরে যান ৷ গিয়ে দশটি
উট নিন ৷ এই দশটি উট ও ছেলেটির মধ্যে লটারী করুন ৷ লটারীতে যদি ছেলেটির নাম আসে,
তাহলে আরও দশটি উট নিয়ে আবারো লটারী করুন ৷ আর যদি উটের নাম আসে, তাহলে
পুত্রের স্থলে উটগুলো জবাই করুন ৷ এতেই তোমাদের প্রভু সন্তুষ্ট হয়েছেন বলে ধরে নেয়া
যাবে ৷ ছেলেটির জীবনও তাতে বেচে যাবে ৷

আবদুল মুত্তালিব সঙ্গীদের নিয়ে মক্কায় ফিরে আসলেন ৷ সকলের সম্মতিক্রমে লটারী শুরু
হলো ৷ আবদুল মুত্তালিব আল্লাহ্র নিকট দোয়া করতে লাগলেন ৷ দশটি উট এবং আবদুল্লাহ্কে
উপস্থিত করা হল ৷ লটারী টানা হলো ৷ নাম আসল আবদুল্লাহ্র ৷ এবার আরো দশটি উট
বাড়িয়ে লটারী দেওয়া হলো ৷ এভাবে দশটি করে উট বাড়িয়ে লটারী টানা হলো ৷ কিন্তু
প্রতিবারই আবদুল্লাহ্র নাম উঠতে লাগল ৷ অবশেষে একশত উট আর আবদুল্লাহ্র মধ্যে লটারী
দেওয়া হলে উটের নাম উঠলো ৷ আবদুল মুত্তালিব তখন হোবলের নিকট দীড়িয়ে আল্পাহ্র
কাছে দোয়া ৰু করছিলেন ৷ কুরাইশের লোকেরা র্তাকে বলল, সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে ৷
আল্লাহ আপনার প্রতি সভৃষ্ট হয়েছেন ৷ কিন্তু আবদুল মুত্তালিব বললেন, না, এতে হবে না ৷
আরো তিনবার লটারী না করে আমি নিশ্চিত হতে পারছি না ৷ অগত্যা লোকেরা আরো তিনবার
লটারী দিল ৷ প্রতিবারই উটের নাম আসল ৷ এবার উটগুলাে জবাই করা হলো আর আবদুল্লাহ
বেচে গেলেন ৷


وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ لَمَّا جَاءَ يَسْتَقْسِمُ بِالْقِدَاحِ عِنْدَ هُبَلَ خَرَجَ الْقِدْحُ عَلَى ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ وَكَانَ أَصْغَرَ وَلَدِهِ، وَأَحَبَّهُمْ إِلَيْهِ فَأَخَذَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بِيَدِ ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَخَذَ الشَّفْرَةَ، ثُمَّ أَقْبَلَ بِهِ إِلَى إِسَافٍ وَنَائِلَةَ لِيَذْبَحَهُ فَقَامَتْ إِلَيْهِ قُرَيْشٌ مِنْ أَنْدِيَتِهَا فَقَالُوا: مَا تُرِيدُ يَا عَبْدَ الْمُطَّلِبِ؟ قَالَ: أَذْبَحُهُ. فَقَالَتْ لَهُ قُرَيْشٌ وَبَنُوهُ وَاللَّهِ لَا تَذْبَحُهُ أَبَدًا حَتَّى تُعْذِرَ فِيهِ ; لَئِنْ فَعَلْتَ هَذَا لَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِابْنِهِ حَتَّى يَذْبَحَهُ فَمَا بَقَاءُ النَّاسِ عَلَى هَذَا. وَذَكَرَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ أَنَّ الْعَبَّاسَ هُوَ الَّذِي اجْتَذَبَ عَبْدَ اللَّهِ مِنْ تَحْتِ رِجْلِ أَبِيهِ حِينَ وَضَعَهَا عَلَيْهِ لِيَذْبَحَهُ فَيُقَالَ: إِنَّهُ شَجَّ وَجْهَهُ شَجَّا لَمْ يَزَلْ فِي وَجْهِهِ إِلَى أَنْ مَاتَ، ثُمَّ أَشَارَتْ قُرَيْشٌ عَلَى عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى الْحِجَازِ فَإِنَّ بِهَا عَرَّافَةً لَهَا تَابِعٌ فَيَسْأَلُهَا عَنْ ذَلِكَ، ثُمَّ أَنْتَ عَلَى رَأْسِ أَمْرِكَ إِنْ أَمَرَتْكَ بِذَبْحِهِ فَاذْبَحْهُ، وَإِنْ أَمَرَتْكَ بِأَمْرٍ لَكَ وَلَهُ فِيهِ مَخْرَجٌ قَبِلْتَهُ. فَانْطَلَقُوا حَتَّى أَتَوُا الْمَدِينَةَ فَوَجَدُوا الْعَرَّافَةَ، وَهِيَ سَجَاحُ - فِيمَا ذَكَرَهُ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ - بِخَيْبَرَ فَرَكِبُوا حَتَّى جَاءُوهَا فَسَأَلُوهَا، وَقَصَّ عَلَيْهَا عَبْدُ الْمُطَّلِبِ خَبَرَهُ وَخَبَرَ ابْنِهِ فَقَالَتْ لَهُمُ: ارْجِعُوا عَنِّي الْيَوْمَ حَتَّى يَأْتِيَنِي تَابِعِي فَأَسْأَلُهُ فَرَجَعُوا مِنْ عِنْدِهَا فَلَمَّا خَرَجُوا قَامَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ يَدْعُو اللَّهَ، ثُمَّ غَدَوْا عَلَيْهَا فَقَالَتْ لَهُمْ: قَدْ جَاءَنِي الْخَبَرُ كَمِ الدِّيَةُ فِيكُمْ؟ قَالُوا: عَشْرٌ مِنَ الْإِبِلِ. وَكَانَتْ كَذَلِكَ قَالَتْ: فَارْجِعُوا إِلَى بِلَادِكُمْ، ثُمَّ قَرِّبُوا صَاحِبَكُمْ وَقَرِّبُوا عَشْرًا مِنَ الْإِبِلِ، ثُمَّ اضْرِبُوا عَلَيْهَا وَعَلَيْهِ بِالْقِدَاحِ فَإِنْ
পৃষ্ঠা - ১৪৩৯

এক বর্ণনায় আছে যে, উটের সংখ্যা একশ’তে পৌছার পরও আবদৃল্লাহর নাম আসে ৷
তখন আরো একশত বাড়িয়ে লটারী দেওয়া হয় ৷ এবারও আবদুল্পাহ্র নাম আসলে উট আরো
একশত বাড়ানো হয় ৷ এভাবে তিনশত উট আর আবদুল্লাহর মাঝে লটারী দেওয়ার পর উটের
নাম আসে ৷ তখন গিয়ে আবদুল মুত্তালিব উটগুলো জবাই করেন ৷ তবে প্রথম বর্ণনাটিই
বিশুদ্ধতর ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷

এক বর্ণনায় আছে যে, জনৈক মহিলা ইবন আব্বাস (রা)-এর নিকট এসে জিজ্ঞাসা করে
যে, সে মানত করেছিল কাবার নিকটে তার একটি সন্তান বলি দেবে ৷ এখন তার করণীয় কী?
জবাবে ইবন আব্বাস (মা) তাকে একশত উট জবাই করার আদেশ দেন এবং মহিলাকে
আবদুল মুত্তালিবের ঘটনাটি গুলিয়ে দেন ৷ আবার মহিলা আবদুল্লাহ্ ইবন্ উমর (রা)-কে
সমস্যাটির কথা জানালে তিনি কোন সিদ্ধান্ত দানে বিরত থাকেন ৷ মারওয়ান ইবন হাকাম তখ্যা
মদীনায় গভর্নর ৷ তিনি সংবাদ শুনে বললেন দুজনের একজনের সিদ্ধাম্ভও সঠিক হয়নি ৷
অতঃপর তিনি মহিলাকে পুত্র জবাই করতে নিষেধ করে দিয়ে তার সাধ্যমত সৎকাজ করতে
আদেশ দেন ৷ উট জবাই করার আদেশ তিনি দিলেন না ৷ পরে এরুপ সমস্যায় মানুষ
মারওয়ানের ফয়সালা অনুযায়ীই আমল করতে শুরু করে ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৫৯-

خَرَجَتْ عَلَى صَاحِبِكُمْ فَزِيدُوا مِنَ الْإِبِلِ حَتَّى يَرْضَى رَبُّكُمْ، وَإِنْ خَرَجَتْ عَلَى الْإِبِلِ فَانْحَرُوهَا عَنْهُ فَقَدْ رَضِيَ رَبُّكُمْ وَنَجَا صَاحِبُكُمْ، فَخَرَجُوا حَتَّى قَدِمُوا مَكَّةَ فَلَمَّا أَجْمَعُوا عَلَى ذَلِكَ الْأَمْرِ قَامَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ يَدْعُو اللَّهَ، ثُمَّ قَرَّبُوا عَبْدَ اللَّهِ وَعَشْرًا مِنَ الْإِبِلِ، ثُمَّ ضَرَبُوا فَخَرَجَ الْقِدْحُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ فَزَادُوا عَشْرًا ثُمَّ ضَرَبُوا فَخَرَجَ الْقِدْحُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ فَزَادُوا عَشْرًا فَلَمْ يَزَالُوا يَزِيدُونَ عَشْرًا عَشْرًا، وَيَخْرُجُ الْقِدْحُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ حَتَّى بَلَغَتِ الْإِبِلُ مِائَةً، ثُمَّ ضَرَبُوا فَخَرَجَ الْقِدْحُ عَلَى الْإِبِلِ فَقَالَتْ: عِنْدَ ذَلِكَ قُرَيْشٌ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَهُوَ قَائِمٌ عِنْدَ هُبَلَ يَدْعُو اللَّهَ: قَدِ انْتَهَى رِضَى رَبِّكَ يَا عَبْدَ الْمُطَّلِبِ فَزَعَمُوا أَنَّهُ قَالَ: لَا حَتَّى أَضْرِبَ عَلَيْهَا بِالْقِدَاحِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ فَضَرَبُوا ثَلَاثًا وَيَقَعُ الْقِدْحُ فِيهَا عَلَى الْإِبِلِ فَنُحِرَتْ ثُمَّ تُرِكَتْ لَا يُصَدُّ عَنْهَا إِنْسَانٌ وَلَا يُمْنَعُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُقَالَ: وَلَا سَبْعٌ. وَيُقَالَ: إِنَّهُ لَمَّا بَلَغَتِ الْإِبِلُ مِائَةً خَرَجَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ أَيْضًا فَزَادُوا مِائَةً أُخْرَى حَتَّى بَلَغَتْ مِائَتَيْنِ فَخَرَجَ الْقِدْحُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ فَزَادُوا مِائَةً أُخْرَى فَصَارَتِ الْإِبِلُ ثَلَاثَمِائَةٍ، ثُمَّ ضَرَبُوا فَخَرَجَ الْقِدْحُ عَلَى الْإِبِلِ فَنَحَرَهَا عِنْدَ ذَلِكَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَى عَنِ ابْنِ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ سَأَلَتْهُ
পৃষ্ঠা - ১৪৪০
امْرَأَةٌ أَنَّهَا نَذَرَتْ ذَبْحَ وَلَدِهَا عِنْدَ الْكَعْبَةِ فَأَمَرَهَا بِذَبْحِ مِائَةٍ مِنَ الْإِبِلِ، وَذَكَرَ لَهَا هَذِهِ الْقِصَّةَ عَنْ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَسَأَلَتْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَلَمْ يُفْتِهَا بِشَيْءٍ بَلْ تَوَقَّفَ فَبَلَغَ ذَلِكَ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرٌ عَلَى الْمَدِينَةِ فَقَالَ: إِنَّهُمَا لَمْ يُصِيبَا الْفُتْيَا، ثُمَّ أَمَرَ الْمَرْأَةَ أَنْ تَعْمَلَ مَا اسْتَطَاعَتْ مِنَ الْخَيْرِ، وَنَهَاهَا عَنْ ذَبْحِ وَلَدِهَا، وَلَمْ يَأْمُرْهَا بِذَبْحِ الْإِبِلِ وَأَخَذَ النَّاسُ بِقَوْلِ مَرْوَانَ بِذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১৪৪১

আমিনা বিনতে ওহব যুহরিয়ার সঙ্গে পুত্র
আবদুল্লাহর বিবাহ

ইবন ইসহাক বলেন, ঐতিহাসিকদের মতে, অতঃপর আবদুল মুত্তালিব পুত্র আবদুল্লাহর
হাত ধরে বনু আসাদ ইবন আবদুল উযয৷ ইবন কুস৷ই এর এক মহিলার নিকট গমন করেন ৷
মহিলাটি হলো ওয়ারাকা ইবন নওফলের বোন ৷ তার নাম ছিল উম্মে কিতাল  ৷ সে সময়ে সে
কা 'বার নিকট অবস্থান করছিল ৷ আবদুল্লাহ্কে দেখে সে বলল, আবদুল্লাহ ৷ তুমি যাচ্ছ কোথায় ?
আবদুল্লাহ বললেন, আমি আমার আব্বার সঙ্গে যাচ্ছি ৷ মহিলাটি বলল, যদি তুমি এই মুহুর্তে
আমার সাথে মিলিত হতে সম্মত হও তা হলে আমি তোমার বদলে যে সংখ্যক উট জবাই করা
হয়েছে, সে সংখ্যক উট তোমাকে দেব ৷ জবাবে আবদুল্লাহ বললেন, আমি আমার আব্বার সঙ্গে
আছি ৷ তাকে ছেড়ে অন্যত্র যাওয়া বা তার মতের বাইরে কিছু করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় ৷
আবদুল্লাহ্কে নিয়ে আবদুল মুত্তালিব ওহব ইবন আবদে মানাফ , ইবন যুহরা  ইবন কিলাব ইবন
মুররা ইবন কাব ইবনে লুওয়াই ইবন গালিব ইবন ফিহর এর নিকট যান ৷ ওহব ইবন আবদে
মানাফ তখন বয়স ও মযদািয় বনু যুহরার সর্দার ছিলেন ৷ আলাপ আলোচনার পর তার কন্যা
আমিনার সঙ্গে আবদুল্লাহর বিবাহ হয়ে যায় ৷ আমিনাও ছিলেন তার সম্প্রদায়ের মহিলাদের
নেত্রী ৷ ঐতিহাসিকদের মতে বাড়িতে নিয়ে আসার পর আমিনার সঙ্গে আবদুল্লাহর বাসর হয় ৷
তাতে রাসুলুল্লাহ (সা) তার গর্ভে আসেন ৷

অতঃপর আবদুল্লাহ পুনরায় বনু আমাদের উল্লিখিত মহিলার নিকট যান ৷ কিন্তু মহিলাটি
এবার তাকে কিছুই বলল না ৷ আবদুল্লাহ বললেন, কী ব্যাপার, আজ যে কোন প্রস্তাবই করছ না,
যেমনটি গতকাল করেছিলাে মহিলাটি বলল, গতকাল তোমার সঙ্গে যে নুর ছিল , এখন আর তা
নেই ৷ তোমাকে এখন আর আমার প্রয়োজন নেই ৷ উল্লেখ্য যে, এই মহিলা তার ভাই ওয়ারাকা
ইবন নওফলের নিকট গুনেছিল যে, এই উম্মতের  মধ্যে একজন নবী আগমন করবেন ৷ তাই
তার আকাত্তখা ছিল যে, সেই নবী তারই গর্ভ থেকে জন্মলাভ করুন ৷ কিন্তু আল্লাহ তাকে
সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত  ও পবিত্র বংশে প্রেরণ করেছেন ৷, যেমন , এক আয়াতে আল্লাহ তা ' আলা
বলেছেন :

“আল্লাহ রিসালাতের ভার কার উপর অর্পণ করবেন, তা তিনিই ভাল জানেন ৷”
(৬ : ১২৪ )

রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্মের বিস্তারিত কাহিনী পরে আলোচনা করা হবে ৷

উম্মে কিতাল বিনতে নওফল তার ব্যর্থতার জন্যে অনুতাপ প্রকাশ করতে গিয়ে নিম্নোক্ত
পংক্তিগুলো আবৃত্তি করেছিলেন ৷ ইবন ইসহাক সুত্রে বর্ণিত বায়হাকীর বর্ণনা থেকে তার প্রমাণ
পাওয়া যায়


[ذِكْرُ تَزْوِيجِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ مِنْ آمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ الزُّهْرِيَّةِ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ انْصَرَفَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ آخِذًا بِيَدِ ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ فَمَرَّ بِهِ - فِيمَا يَزْعُمُونَ - عَلَى امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَيٍّ، وَهِيَ أُمُّ قَنَّالٍ أُخْتُ وَرَقَةَ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَيٍّ، وَهِيَ عِنْدَ الْكَعْبَةِ فَنَظَرَتْ إِلَى وَجْهِهِ فَقَالَتْ: أَيْنَ تَذْهَبُ يَا عَبْدَ اللَّهِ؟ قَالَ: مَعَ أَبِي قَالَتْ: لَكَ مِثْلُ الْإِبِلِ الَّتِي نُحِرَتْ عَنْكَ وَقَعْ عَلَيَّ الْآنَ. قَالَ: أَنَا مَعَ أَبِي وَلَا أَسْتَطِيعُ خِلَافَهُ وَلَا فِرَاقَهُ. فَخَرَجَ بِهِ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ حَتَّى أَتَى وَهْبَ بْنَ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ زُهْرَةَ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرٍ، وَهُوَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدُ بَنِي زُهْرَةَ سِنًّا وَشَرَفًا فَزَوَّجَهُ ابْنَتَهُ آمِنَةَ بِنْتَ وَهْبٍ وَهِيَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدَةُ نِسَاءِ قَوْمِهَا فَزَعَمُوا أَنَّهُ دَخَلَ عَلَيْهَا حِينَ أُمْلِكَهَا مَكَانَهُ فَوَقَعَ عَلَيْهَا فَحَمَلَتْ مِنْهُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهَا فَأَتَى الْمَرْأَةَ الَّتِي عَرَضَتْ عَلَيْهِ مَا عَرَضَتْ فَقَالَ لَهَا: مَا لَكِ لَا تَعْرِضِينَ عَلَيَّ الْيَوْمَ مَا كُنْتِ عَرَضْتِ بِالْأَمْسِ؟ قَالَتْ لَهُ: فَارَقَكَ النُّورُ الَّذِي كَانَ مَعَكَ بِالْأَمْسِ،
পৃষ্ঠা - ১৪৪২

,ট্রুরু১ছু

¢
)ষ্ শ্


শ্ ষ্ণ্ ’ ) শ্ ষ্ :

-শোন, তুমি যুহ্্ররার বংশ ধরদের আকড়ে ধরে রাখবে তারা যেখানেই থাকুক ৷ আর
আমিনা যে একজন বালককে গর্ভে ধারণ করেছে।  হেদায়াতের অগ্রপথিককে দেখতে পাবে যখন
সে তার উপর উপগত হবে আর ঐ নুরকে যা তার সম্মুখে পথ প্রদর্শক হিসাবে চলে ৷ সব মানুষ
তাকে কামনা করে ৷ তিনি হিদায়াত প্রাপ্ত ও ইমাম হয়ে মানুষের নেতা হবেন ৷ আল্লাহ তাকে
পরিচ্ছন্ন নির্মল নুর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন ৷ তারপর তার নুর আমাদের থেকে অন্ধকার দৃরীভুত
করেছে ।
তা আল্লাহ্র সৃষ্টি ৷ তিনি তা দান করেছেন ৷ দিনের বেলা যখন তিনি চলমান থাকেন অথবা
স্বন্থানে অবস্থান করেন ৷
কুফরীর পর তিনি মক্কাবাসীদের হেদায়ত দান করবেন ৷ তারপর তিনি তাদের উপর সিয়াম
সাধনা ফরয করবেন আবু বকর মুহাম্মদ ইবন জাফর ইবন সাহল আল খারয়েতী ইবন
আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, বিবাহ করানোর উদ্দেশ্যে আবদুল
মুত্তালিব যখন পুত্র আবদুল্লাহ্কে নিয়ে রওয়ানা হন তখন তিনি তড়াবাল র এক ইহুদী পণক
ঠাকুরণীর নিকট যান ৷ এই মহিলাটি বিভিন্ন কিতাব পড়াশুনা করেছিল তার নাম ছিল ফাতেমা
বিনতে মুর আল খাসআমিয়া মহিলাটি আবদুল্লাহর চেহারায় নবুয়তের নুর দেখতে পেয়ে বলে
উঠল, ওহে যুবক ! তুমি কি এই মুহুর্তে আমার সঙ্গে মিলিত হতে পারঃ তবে তোমাকে আমি
একশত উট প্রদান করব জবাবে আবদুল্লাহ বললেন :

-এতো হারাম! আর হারামের পরিণতি হচ্ছে ধ্বংস ৷ আমি তাে বৈধ পবিণয়ের সন্ধান

করছি কী করে আমিশ্ব আমার আহ্বানে সাড়া দিইা সঘ্রম্ভে মানুষ তো নিজের মান মর্যাদা ও
দীন-ঈমড়ান রক্ষা করে চলে ৷

আবদুল্লাহ পিতার সঙ্গে চলে যান ৷ পিতা আমিনা বিনতে ওহ্বের সঙ্গে ওড়াকে বিবাহ
দিলেন আবদুল্লাহ আমিনার নিকট তিন দিন অবস্থান করেন অতঃপর এক সময়ে গণক
ঠাকুরণীর নিকট গেলে মহিলাটি জিজ্ঞসা করল, আমার নিকট থেকে গিয়ে তুমি কী করলো
আবদুল্লাহ তাকে বিবাহের সংবাদ শুনালেন শুনে মহিলাটি বলল, আমি চরিত্রহীনা নারী নই ৷


فَلَيْسَ لِي بِكَ الْيَوْمَ حَاجَةٌ. وَقَدْ كَانَتْ تَسْمَعُ مِنْ أَخِيهَا وَرَقَةَ بْنِ نَوْفَلٍ - وَكَانَ قَدْ تَنَصَّرَ، وَاتَّبَعَ الْكُتُبَ - أَنَّهُ كَائِنٌ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ نَبِيٌّ فَطَمِعَتْ أَنْ يَكُونَ مِنْهَا فَجَعَلَهُ اللَّهُ تَعَالَى فِي أَشْرَفِ عُنْصُرٍ وَأَكْرَمِ مَحْتَدٍ، وَأَطْيَبِ أَصْلٍ، كَمَا قَالَ تَعَالَى {اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ} [الأنعام: 124] وَسَنَذْكُرُ الْمَوْلِدَ مُفَصَّلًا. وَمِمَّا قَالَتْ أُمُّ قَنَّالٍ بِنْتُ نَوْفَلٍ مِنَ الشِّعْرِ تَتَأَسَّفُ عَلَى مَا فَاتَهَا مِنَ الْأَمْرِ الَّذِي رَامَتْهُ، وَذَلِكَ فِيمَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ: عَلَيْكَ بَآلِ زُهْرَةَ حَيْثُ كَانُوا ... وَآمِنَةَ الَّتِي حَمَلَتْ غُلَامَا تَرَى الْمَهْدِيَّ حِينَ نَزَا عَلَيْهَا ... وَنُورًا قَدْ تَقَدَّمَهُ أَمَامَا إِلَى أَنْ قَالَتْ فَكُلُّ الْخَلْقِ يَرْجُوهُ جَمِيعًا ... يَسُودُ النَّاسَ مُهْتَدِيًا إِمَامَا بَرَاهُ اللَّهُ مِنْ نُورٍ صَفَاءً ... فَأَذْهَبَ نُورُهُ عَنَّا الظَّلَامَا وَذَلِكَ صُنْعُ رَبِّكَ إِذْ حَبَاهُ ... إِذَا مَا سَارَ يَوْمًا أَوْ أَقَامَا
পৃষ্ঠা - ১৪৪৩


তবে তোমার ঢেহারায় বিশেষ নুর দেখে ঢেয়েছিলাম যে, তা আমার মধ্যে আসুক ৷ কিন্তু
আল্লাহর ইচ্ছা ছিল অন্যরকম ৷ এই বলে মহিলাটি কয়েকটি পংক্তি আবৃত্তি করেন ৷


,াদ্বু৷ ৷ ৷




আমি একটি মেঘখণ্ডকে আলােকময় হতে দেখেছি ৷ ফলে মেঘমালা আলোকিত হয়ে
উঠেছে ৷ আমি তাকে এমন একটি নুর মনে করলাম ৷ যার কারণে পুর্ণিমার চীদের আলোকিত
করার ন্যায় তার পার্শ্ববর্তী সবকিছু আলোকিত হয়ে গেল ৷
আমি তাকে এমন পর্বের বন্তু হিসেবে বরণ করে নিলাম, যাকে আমি নিয়েই আসর ৷
প্রত্যেক চকমকি প্রজ্জ্বলিত কারী তা প্রজ্জ্বলিত করতে পারে না ৷
আল্লাহর শ ৷,পথ যুহরিয়৷ গোত্রের নারী তোমার সাধারণ কো ন বস্ত্র ছিনিয়ে নেযনি অথচ তুমি
তা জান না ৷ ফাতেম৷ আরো বলে

০’ :

০ ’ শ্

া১৷ ট্রুাছুাছুন্

;,
;,র্চু৷ এে,

— হে বনু হাশিম আমিনা তোমাদের ভাইকে ধারণ করেছে যখন তারা মধুযামিনী
উদযাপন করেছে ৷ যেমনি ভাবে প্রদীপের আলো নির্বাপিত হওয়ার সময় ভৈতল মিশ্রিত
সলতেকে ধারণ করে

যুবক যা অর্জন করে তার সবটুকু পৈত্রিক সম্পত্তি নয় ৷ আর যা সে নষ্ট করে তা সে
উদাসীনতার কারণে নষ্ট করে না ৷ তুমি সৌজন্যমুলক আচরণ করতে থাক যদি তুমি নেতৃতু
চাও ৷ কারণ তোমার বহু সভান-সন্ততির অধিকারী দাদা আর নানাই তোমার নেতৃত্বের জন্য
যথেষ্ট ৷ তোমার নেতৃত্বের জন্য যথেষ্ট হবে তুমি কৃপণ হও অথবা দাতাই হও ৷ আমিনা তার
থেকে এক মহান সন্তান ধারণ করেছে ৷ তিনি এমন এক গৌরবময় সন্তান ধারণ করেছেন যার
তুলনা নইি ৷


فَيَهْدِي أَهْلَ مَكَّةَ بَعْدَ كُفْرٍ ... وَيَفْرِضُ بَعْدَ ذَلِكُمُ الصِّيَامَا وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ سَهْلٍ الْخَرَائِطِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَارَةَ الْقُرَشِيُّ حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ الزَّنْجِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا انْطَلَقَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بِابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ لِيُزَوِّجَهُ مَرَّ بِهِ عَلَى كَاهِنَةٍ مِنْ أَهْلِ تَبَالَةَ مُتَهَوِّدَةٍ قَدْ قَرَأَتِ الْكُتُبَ يُقَالَ لَهَا: فَاطِمَةُ بِنْتُ مُرٍّ الْخَثْعَمِيَّةُ فَرَأَتْ نُورَ النُّبُوَّةِ فِي وَجْهِ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَتْ: يَا فَتَى هَلْ لَكَ أَنْ تَقَعَ عَلَيَّ الْآنَ، وَأُعْطِيكَ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: أَمَّا الْحَرَامُ فَالْمَمَاتُ دُونَهْ ... وَالْحِلُّ لَا حِلٌّ فَأَسْتَبِينَهْ فَكَيْفَ بِالْأَمْرِ الَّذِي تَبْغِينَهْ ... يَحْمِي الْكَرِيمُ عِرْضَهُ وَدِينَهْ ثُمَّ مَضَى مَعَ أَبِيهِ فَزَوَّجَهُ آمِنَةَ بَنْتَ وَهْبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ زُهْرَةَ فَأَقَامَ عِنْدَهَا ثَلَاثًا، ثُمَّ إِنَّ نَفْسَهُ دَعَتْهُ إِلَى مَا دَعَتْهُ إِلَيْهِ الْكَاهِنَةُ فَأَتَاهَا فَقَالَتْ: مَا صَنَعْتَ بَعْدِي؟ فَأَخْبَرَهَا فَقَالَتْ: وَاللَّهِ مَا أَنَا بِصَاحِبَةِ رِيبَةٍ، وَلَكِنِّي رَأَيْتُ فِي وَجْهِكَ نُورًا فَأَرَدْتُ أَنْ يَكُونَ فِيَّ، وَأَبَى اللَّهُ إِلَّا أَنْ يَجْعَلَهُ حَيْثُ أَرَادَ، ثُمَّ أَنْشَأَتْ فَاطِمَةُ تَقُولُ: إِنِّي رَأَيْتُ مُخِيلَةً لَمَعَتْ ... فَتَلَأْلَأَتْ بِحَنَاتِمِ الْقَطْرِ
পৃষ্ঠা - ১৪৪৪

ইমাম আবু নুআয়ম তার দালাযিলুন নবুওয়াতে বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (বা)
বলেছেন, আবদুল মুত্তালিব এক শীতের সফরে ইয়ামানে যান ৷ সেখানে তিনি এক ইহুদী
পণ্ডিতের সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ আবদুল মুত্তালিবের ভাষায়, তখন জনৈক আহলি কিতাব
আমাকে বলল, আপনার অনুমতি পেলে আমি আপনার শরীরের কিছু অংশ দেখতে চাই ৷ আমি
বললড়াম, হীা, দেখতে পার, যদি তা গোপন অঙ্গ না হয় ৷ আবদুল মুত্তালিব বলেন, অনুমতি
পেয়ে লোকটি এক এক করে উভয় নাকের ভিতরে খুটিয়ে দেখল ৷ অতঃপর বলে উঠল, আমি
সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তোমার দুহাতের এক হাতে রাজত্ব আর অপর হাতে রয়েছে নবুওত ৷ আর
আমি তা বনুযুহ্রায় দেখতে পাচ্ছি ৷ এ কেমন করে হলো? আমি বললাম , তা আমি জানি না ৷
লোকটি বলল, তোমার কি শাণ্ড়াড়াহ’ আছেঃ আমি বললাম, শাগাহ’ আবার কী? লোকটি বলল

মানে ত্রী ৷ আমি বললাম, বর্তমানে নেই ৷ লোকটি বলল তাহলে ফিরে গিয়ে যুহ্রা পােত্রে
একটা বিয়ে করে নেবেন ৷

আবদুল মুত্তালিব দেশে ফিরে গেলেন এবং হালা বিনতে ৬-হ্বা ইবন আবদে মানাফ ইবন
যাহরাকে বিয়ে করলেন ৷ হালার গর্ভে হামযা ও সাফিয়্যা জন্মগ্রহণ করলেন ৷ অতঃপর
আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মুত্তালিব আমিনা বিনতে ওহবকে বিবাহ করেন ৷ আমিনড়ার গর্ভে
জন্মুলাভ করেন রাসুলুল্পাহ (সা) ৷ আবদুল্লাহ আমিনাকে বিয়ে করার পর কুরাইশরা বলাবলি
করতে শুরু করে যে , আবদুল্লাহ তার পিতা আবদুল মুত্তালিবকে লাভ করে দিয়েছে ৷


فَلَمَأْتُهَا نُورًا يُضِيءُ لَهُ مَا حَوْلَهُ كَإِضَاءَةِ الْبَدْرِ ... وَرَجَوْتُهَا فَخْرًا أَبُوءُ بِهِ مَا كُلُّ قَادِحِ زَنْدِهِ يُورِي ... لَلَّهِ مَا زُهْرِيَّةٌ سَلَبَتْ ثَوْبَيْكَ مَا اسْتَلَبَتْ وَمَا تَدْرِي وَقَالَتْ فَاطِمَةُ أَيْضًا: بَنِي هَاشِمٍ قَدْ غَادَرَتْ مِنْ أَخِيكُمْ ... أَمِينَةُ إِذْ لِلْبَاهِ يَعْتَرِكَانِ كَمَا غَادَرَ الْمِصْبَاحَ عِنْدَ خُمُودِهِ ... فَتَائِلُ قَدْ مِيثَتْ لَهُ بِدِهَانِ وَمَا كُلُّ ما يَحْوِي الْفَتَى مِنْ تِلَادِهِ ... بَحَزْمٍ وَلَا مَا فَاتَهُ لِتَوَانِي فَأَجْمِلْ إِذَا طَالَبْتَ أَمْرًا فَإِنَّهُ ... سَيَكْفِيكَهُ جِدَّانِ يَعْتَلِجَانِ سَيَكْفِيكَهُ إِمَّا يِدٌ مُقْفَعِلَّةٌ ... وَإِمَّا يَدٌ مَبْسُوطَةٌ بِبَنَانِ وَلَمَّا حَوَتْ مِنْهُ أَمِينَةُ مَا حَوَتْ ... حَوَتْ مِنْهُ فَخْرًا مَا لِذَلِكَ ثَانِ. وَرَوَى أَبُو نُعَيْمٍ الْحَافِظُ فِي كِتَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عِمْرَانَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِي عَوْنٍ عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: إِنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ قَدِمَ الْيَمَنَ فِي رِحْلَةِ الشِّتَاءِ فَنَزَلَ عَلَى حَبْرٍ مِنَ الْيَهُودِ قَالَ: فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ১৪৪৫
لِي رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الزَّبُورِ: يَعْنِي أَهْلَ الْكِتَابِ: يَا عَبْدَ الْمُطَّلِبِ أَتَأْذَنُ لِي أَنْ أَنْظُرَ إِلَى بَعْضِكَ؟ قَالَ: نَعَمْ إِذَا لَمْ يَكُنْ عَوْرَةً، قَالَ: فَفَتَحَ إِحْدَى مَنْخَرَيَّ فَنَظَرَ فِيهِ، ثُمَّ نَظَرَ فِي الْآخَرِ فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنَّ فِي إِحْدَى يَدَيْكَ مُلْكًا وَفِي الْأُخْرَى نُبُوَّةً، وَإِنَّا نَجِدُ ذَلِكَ فِي بَنِي زُهْرَةَ فَكَيْفَ ذَلِكَ؟ قُلْتُ: لَا أَدْرِي قَالَ: هَلْ لَكَ مِنْ شَاعَةٍ؟ قُلْتُ: وَمَا الشَّاعَةُ؟ قَالَ: زَوْجَةٌ قُلْتُ: أَمَّا الْيَوْمُ فَلَا. قَالَ: فَإِذَا رَجَعْتَ فَتَزَوَّجْ فِيهِمْ فَرَجَعَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَتَزَوَّجَ هَالَةَ بِنْتَ وُهَيْبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ زُهْرَةَ فَوَلَدَتْ حَمْزَةَ وَصْفِيَّةَ، ثُمَّ تَزَوَّجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ آمِنَةَ بِنْتَ وَهْبٍ فَوَلَدَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ قُرَيْشٌ حِينَ تَزَوَّجَ عَبْدُ اللَّهِ بِآمِنَةَ: فَلَجَ أَيْ فَازَ، وَغَلَبَ عَبْدُ اللَّهِ عَلَى أَبِيهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ.