আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

باب ذكر بني إسماعيل وما كان من أمور الجاهلية إلى زمان البعثة

ذكر أصول أنساب عرب الحجاز إلى عدنان

পৃষ্ঠা - ১৩০৮
ষ্ষ্

আদনান পর্যন্ত হিজাষের আরবদের উর্ধ্বতন
বংশ ধারা

আদনান-এর দুইজন পুত্র ছিলেন ( ১) সাদ (২) আক সুহায়লী বলেন : আর আদনানের
আরো দুইজন সন্তান ছিলেন একজনের নাম হারিছ এবং অপরজনকে বলা হতো মযহব ৷ তিনি
বলেন, তার সন্তানদের মধ্যে যাহ্হাক নামের আরেক জ্যনর উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আবার কারো
কারো মতে যাহ্হাক ছিলেন সাদ-এর পুত্র, আদনান-এর নন ৷ তিনি বলেন : কেউ কেউ
বলেছেন যে, আদন-যার নামে আদন বা এডেন নগরীর নামকরণ করা হয়েছে এবং আবইয়ান
ও আদ্নান-এর অপর দৃইপুত্র ছিলেন ৷ এটি তাৰারীর বর্ণনা ৷

আর তাকে আশাআরির বংশে বিবাহ করেন এবং ইয়ামানে তাদের জনপদে বসবাস করেন
ফলে তারা একই ভাষাভাষী হয়ে যান এবং এর ফলে কোন কোন ইয়ামানবাসী ধারণা করেন
র্তারাও ঐ বংশের লোক ৷ ফলে তারা বলে তাকে ইবন আদনান ইবন আব্দুল্লাহ ইবনুল আয্দ্
ইবন ইয়াগুছ ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, আক্ ইবন আদ্নান ইবন যাইব (মতান্তরে রাইস)
ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আসাদ ৷ আর বিশুদ্ধ কথা হলো আমরা যা উল্লেখ করেছি যে, তারা আসলে
আদ্নান এর বংশধর ৷ এ প্রসঙ্গে করি আব্বাস ইবন মিরদাস বলেন €


আক ইবন আদনান, যারা পাসসান গোত্রের সঙ্গে ক্রীড়া-কৌতৃক করতো, যতদিন পর্যন্ত না
তাদেরকে সম্পুর্ণরুপে বিতাড়িত করে দেয়া হয় ৷

আর সাদ এর ছিলেন৷ চার পুত্র নিযার, কুযাআ, কুন্ছ ও ইয়াদ ৷ আর কুযাআ ছিলেন
যা দের ভৈজ্যষ্ঠ সন্তান এজন্য তাকে আবু কুযা আ নামে অভিহিত করা হতো ৷ কুযা আ ৷সস্পর্কে
ইতিপুর্বে আমরা ভিন্ন মতের উল্লেখ করেছি ৷ কিভু ইবন ইসহাক প্রমুখের নিকট এটাই বিশুদ্ধ ৷
আল্লাহই ভালো জানেন ৷

আর কুনৃছ সম্পর্কে বলা হয় যে, তার বং শধারা ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের কেউই আর বেচে
নেই ৷ তবে অতীত ইতিহাস বেত্তাদের এক দলিলের মতে নু মান ইবন মুনযির যিনি ছিলেন
হীরায় কিসৃরার প্রতিনিধি, তিনি ছিলেন কুনৃছ-এর বংশধর ৷ ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

ভিন্ন মতে তিনি ছিলেন হিময়া ৷র বং শের লোক ৷ আল্লাহই ভালো জানেন ৷

[ذِكْرُ أُصُولِ أَنْسَابِ عَرَبِ الْحِجَازِ إِلَى عَدْنَانَ] ذِكْرُ أُصُولِ أَنْسَابِ عَرَبِ الْحِجَازِ إِلَى عَدْنَانَ وَذَلِكَ; لِأَنَّ عَدْنَانَ وُلِدَ لَهُ وَلَدَانِ; مَعَدٌّ وَعَكٌّ قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَلِعَدْنَانَ أَيْضًا ابْنٌ اسْمُهُ الْحَارِثُ وَآخَرُ يُقَالَ لَهُ: الْمُذْهَبُ قَالَ وَقَدْ ذُكِرَ أَيْضًا فِي بَنِيهِ الضَّحَّاكُ، وَقِيلَ: إِنَّ الضَّحَّاكَ ابْنٌ لِمَعَدٍّ لَا ابْنُ عَدْنَانَ قَالَ: وَقِيلَ: إِنَّ عَدَنَ الَّذِي تُعْرَفُ بِهِ مَدِينَةُ عَدَنَ، وَكَذَلِكَ أَبْيَنُ كَانَا ابْنَيْنِ لِعَدْنَانَ. حَكَاهُ الطَّبَرِيُّ فَتَزَوَّجَ عَكٌّ فِي الْأَشْعَرِيِّينَ، وَسَكَنَ فِي بِلَادِهِمْ مِنَ الْيَمَنِ فَصَارَتْ لُغَتُهُمْ وَاحِدَةً فَزَعَمَ بَعْضُ أَهْلِ الْيَمَنِ أَنَّهُمْ مِنْهُمْ فَيَقُولُونَ: عَكُّ بْنُ عَدْنَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَزْدِ بْنِ يَغُوثَ، وَيُقَالُ: عَكُّ بْنُ
পৃষ্ঠা - ১৩০৯
ষ্ষ্


আর নেবার-এর তিনপুত্র ছিলেন রবীআ, মুযার এবং আনসার ৷ ইবন হিশাম বলেন :
ইয়াদ নামক নেযার অপর এক পুত্র ছিলেন ৷ যেমন করি বলেন :


আর এমন অনেক যুবক আছে, যাদের চেহারা সুন্দর, তারা হচ্ছে ইয়াদ ইবন নিযার ইবন
মাদ এর সন্তান ৷

ইবন হিশাম বলেন : ইয়াদ ও মুযার ছিলেন সহোদর ভাই, র্তাদের ম৷ সাওদা ছিলেন আক
ইবন আদনানের কন্যা ৷ আর রবীআ ও আনসার-এর মা ছিলেন আক ইবন আদনান-এর অপর
কন্যা শাকীকা, মত তবে জুমআ বিনতঅ আক ৷ ইবন ইসহাক বলেন০ ং আনসার হচ্ছেন খাছআম
ও বাজীলার পি৩ ৷ ৷ জরীর ইবন আব্দুল্লাহ আল-বাজা লী এই বাজীলারই অধস্তন বংশধর ৷ তিনি
বলেন : আনসার ইয়ামাংন আগমন করে ইয়ামানীদের সঙ্গে ৷মলেমৈশে সেখানেই বসবাস
করেন ৷ ইবন হিশাম বলেন : ইয়ামানবাসীরা বলে যে, আনৃসাব ইবন আরাশ ইবন লাহ্ইয়ান
ইবন আমর ইবনুল গাওছ ইবন নাব্তৃ ইবন মালেক ইবন যায়ছ ইবন কাহলান ইবন সাবা ৷
আমি বলিং ইতিপুর্বে সাব৷ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে ৷৩ তা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় ৷ আল্লাহ
ভালো জানেন ৷ ঐতিহাসিকরা বলেনং : মুযার হচ্ছেন প্রথম ব্যক্তি যিনি হুদী গান গেয়ে গেয়ে উট
ইাকানাের প্রবর্তক ৷ কা ৷রণ, র্ত৷ ৷র কন্ঠস্বর ছিল সুমধুর ৷ একদিন উটের পিঠ থেকে পড়ে যান ;
মাটিতে পড়ে তার হাত ৫৩ সে গেলে তিনি বলে উঠেনং হায় আমার হাত ৷ হায় আমার হাত ৷ এ
থেকেই উটের দ্রুতগতির প্রচলন হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন : মুযার ইবন নিযারের দুই পুত্র
ছিলেন, ইলিয়াছ ও আইলান আর ইলিয়াসের ছিলেন তিন পুত্র মুদ্রিক৷ , তাবিখা এবং কুমআ ৷
আর এদের মতো ছিলেন খানদাফ বিনৃত ইমরান ইবন ইলহড়াফ ইবন কুযাআ ৷ ইবন ইসহাক
বলেন : মুদরিকার নাম ছিল আমের আর তাবিখার নাম ছিল উমর ৷ তবে তারা দু’জনে মিলে
একটা শিকার করেন ৷ তারা উভয়ে যখন তা রান্না করছিলেন, তখন ভয়ে উটটি পালিয়ে যায় ৷
আমের উটের খোজে বের হন এবং শেষ পর্যন্ত তা খুজে পান ৷ অপরজন রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন ৷
উভয়ে পিতার নিকট এসে তাকে এ কাহিনী শুনালে তিনি আমেরকে বললেনং : তুমি হলে
মুদরিকা (পাকড়াওকা রী) আর আমরকে বললেনং তুমি হলে তাৰিখ৷ (রন্ধনকারী) ৷ তিনি আরো
বলেনং মুদাবের বং শধারা সম্পর্কে অবহিত ব্যক্তিদের ধারণা যে, খুযাঅ হাচ্ছেন আমর ইবন
লুহাই ইবন কুম আ ইবন ইলিয়াস এর বংশধর ৷ আমি বলিং এটা স্প্ষ্টি যে, তিনি তাদের বংশের
লোক, কিন্তু তাদের পিত তপুরুষ নন ৷ আর তারা যে হিমৃয়ার গোত্রের লোক, সে কথা আগেই
বলা হয়েছে ৷ আল্লাহই ভালো জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : মুদ্রিকার দুই ছেলে খুযায়ম৷ ও হুযাইল আর এদের উভয়ের মা
হচ্ছেন কুযাআ গোত্রের এক মহিলা ৷ আর খুযায়মার সন্তান ছিলেন কিনানা, আসাদ, উসদা
ও হাওন ৷ আবু জাফর তাবারী কিনানার সন্তানদের ব্যাপারে এ চারজনের অতিরিক্ত


عَدْنَانَ بْنِ الذِّيبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَسَدِ، وَيُقَالَ: الرَّيْثُ بَدَلَ الذِّيبِ وَالصَّحِيحُ مَا ذَكَرْنَا مِنْ أَنَّهُمْ مِنْ عَدْنَانَ. قَالَ عَبَّاسُ بْنُ مِرْدَاسٍ وَعَكُّ بْنُ عَدْنَانَ الَّذِينَ تَلَقَّبُوا ... بِغَسَّانَ حَتَّى طُرِّدُوا كُلَّ مَطْرَدِ وَأَمَّا مَعَدٌّ فَوُلِدَ لَهُ أَرْبَعَةٌ: نِزَارٌ وَقُضَاعَةُ وَقَنَصٌ وَإِيَادٌ وَكَانَ قُضَاعَةُ بِكْرَهُ وَبِهِ كَانَ يُكَنَّى، وَقَدْ قَدَّمْنَا الْخِلَافَ فِي قُضَاعَةَ، وَلَكِنَّ هَذَا هُوَ الصَّحِيحُ عِنْدَ ابْنِ إِسْحَاقَ وَغَيْرِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا قَنَصٌ فَيُقَالُ: إِنَّهُمْ هَلَكُوا، وَلَمْ يَبْقَ لَهُمْ بَقِيَّةٌ إِلَّا أَنَّ النُّعْمَانَ بْنَ الْمُنْذِرِ الَّذِي كَانَ نَائِبًا لِكِسْرَى عَلَى الْحِيرَةِ كَانَ مِنْ سُلَالَتِهِ عَلَى قَوْلِ طَائِفَةٍ مِنَ السَّلَفِ، وَقِيلَ: بَلْ كَانَ مِنْ حِمْيَرَ كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا نِزَارٌ فَوُلِدَ لَهُ رَبِيعَةُ وَمُضَرُ وَأَنْمَارٌ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَإِيَادُ بْنُ نِزَارٍ كَمَا قَالَ الشَّاعِرُ وَفُتُوٌّ حَسَنٌ أَوْجُهُهُمْ ... مِنْ إِيَادِ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ
পৃষ্ঠা - ১৩১০
قَالَ: وَإِيَادُ وَمُضَرُ شَقِيقَانِ أُمُّهُمَا سَوْدَةُ بِنْتُ عَكِّ بْنِ عَدْنَانَ، وَأُمُّ رَبِيعَةَ وَأَنْمَارٍ شُقَيْقَةُ بِنْتُ عَكِّ بْنِ عَدْنَانَ، وَيُقَالُ: جُمْعَةُ بِنْتُ عَكِّ بْنِ عَدْنَانَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَمَّا أَنْمَارٌ فَهُوَ وَالِدُ خَثْعَمٍ وَبَجِيلَةَ قَبِيلَةِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ قَالَ: وَقَدْ تَيَامَنَتْ فَلَحِقَتْ بِالْيَمَنِ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَأَهْلُ الْيَمَنِ يَقُولُونَ أَنْمَارُ بْنُ أَرَاشِ بْنِ لَحْيَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْغَوْثِ بْنِ نَبْتِ بْنِ مَالِكِ بْنِ زَيْدِ بْنِ كَهْلَانَ بْنِ سَبَأٍ قُلْتُ: وَالْحَدِيثُ الْمُتَقَدِّمُ فِي ذِكْرِ سَبَأٍ يَدُلُّ عَلَى هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالُوا: وَكَانَ مُضَرُ أَوَّلَ مَنْ حَدَا; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ كَانَ حَسَنَ الصَّوْتِ فَسَقَطَ يَوْمًا عَنْ بَعِيرِهِ فَوَثَبَتْ يَدُهُ فَجَعَلَ يَقُولُ: وَا يَدَيَّاهُ وَا يَدَيَّاهُ فَأَعْنَقَتِ الْإِبِلُ لِذَلِكَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَلَدَ مُضَرُ بْنُ نِزَارٍ رَجُلَيْنِ إِلْيَاسَ وَعَيْلَانَ، وَوُلِدَ لِإِلْيَاسَ مُدْرِكَةُ وَطَابِخَةُ وَقَمَعَةُ، وَأُمُّهُمْ خِنْدِفُ بِنْتُ عِمْرَانَ بْنِ الْحَافِ بْنِ قُضَاعَةَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ اسْمُ مُدْرِكَةَ عَامِرًا، وَاسْمُ طَابِخَةَ عَمْرًا، وَلَكِنِ اصْطَادَ صَيْدًا فَبَيْنَا هُمَا يَطْبُخَانِهِ إِذْ نَفَرَتِ الْإِبِلُ فَذَهَبَ عَامِرٌ فِي طَلَبِهَا حَتَّى أَدْرَكَهَا وَجَلَسَ الْآخَرُ يَطْبُخُ فَلَمَّا رَاحَا عَلَى أَبِيهِمَا ذَكَرَا لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ১৩১১
ষ্ষ্


আমের হারিছ, নাযীর, খানাম, সাদ আওযা, জারওয়াল, হিদাল এবং পায্ওয়ান এর
নাম উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেন : আর কিনানার সন্তান ছিলেন নযর , মালিক, আবদ
মানাত এবং মালকান ৷

কুরায়শ তথা বনু নযর ইবন কিনানা-এর বংশধারা ও শ্রেষ্ঠত্ব

ইবন ইসহাক বলেন : নযর-এর মা বাবা ছিলেন সুর ইবন উদ্ ইবন তাবিখার কন্যা ৷ আর
তার সমস্ত সত্তানৰা তার অন্য ত্রীর গর্ভজাত ৷ এ মতের ব্যিরাধিভা করেন ইবন হিশাম ৷ তার
মতে বাররা ৰিনৃত মুর হচ্ছেন নয্র, মালিক ও মাসুকান-এর মা ৷ আর আবৃদে মানতে-এর মা
হশ্নেন আয্দ সানুআ গোত্রের হানা বিনৃত সুয়াইদ ইবন গিতরীফ ৷ ইবন হিশাম বলেন : নঘৃরই
হচ্ছেন কুরাইশ আর তার সন্তানরাই কুরায়শী নামে পরিচিত হন ৷ তিনি এও বলেন যে, কারো
কারো মতে ফিহ্র ইবন মালিক হচ্ছেন কুরায়শ, আর ন্শুার সম্ভানরা কুরড়ায়শী ৷ যারা তার সন্তান
নয়, তারা কুরায়শী একাধিক কুলজিবিশারদ যথা শায়খ আবু উমর ইবন আব্দুল বার, যুবায়র
ইবন বাক্কার এবং মুহুআব প্রমুখ এ দুটি উক্তির উল্লেখ করেছেন ৷ আবু উবায়দ এবং ইবন
আব্দুল বাবু বলেন : আসআদ ইবন কারন-এর উক্তি মতে অধিকাত্শ ঐতিহাসিক এ মত
পোষণ করেন যে, কুরায়শ হচ্ছেন নযর ইবন কিনানা ৷

আমি বলবো : হিশাম ইবন মুহাম্মদ ইবন সাইব আল-কানবী এবং আবু উবায়দা মাযার
ইবন মুসান্ন৷ এ মতের সমর্থনে প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন ৷ আর তিনি শাফিঈ মাযহড়াবের প্রসারে
অবদান রাখেন ৷ পক্ষান্তরে আবু উমর এ মত পোষণ করেন যে, কুরায়শ হচ্ছেন ফিহ্র ইবন
মালিক ৷ এ মতের সমর্থনে তিনি প্রমাণ উপস্থিত করে বলেন যে, বর্তমানে এমন কেউ নেই, যে
নিজেকে কুরড়ায়শী বলে দাবী করে অথচ সে ফিহ্র ইবন মালিক-এর বংশধর নয় ৷ অতঃপর
তিনি এ উক্তির পক্ষে যুবড়ায়র ইবন বাক্কার মুসআর ইবন যুবড়ায়র ৷ এবং আলী ইবন
কায়সান-এর নাম উল্লেখ করে বলেন : এ ব্যাপারেইত এরাই হচ্ছেন সর্বজন স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ ৷
আর যুবড়ায়র ইবন বাক্কার বলেন : কুরায়শ ও অন্যান্য বংশধারা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা একমত
যে ফিহ্র ইবন মালিকই হচ্ছেন কুরড়ায়শদের আদি পুরুষ ৷ ইবন মালিক-এর উর্ধ্বতন পুরুষদের
কেউই কুরায়শ নামে অভিহিত হননি ৷ অতঃপর এ বক্তব্যের সমর্থনে তিনি অনেক প্রমাণ দেন ৷
কুলায়ব ইবন ওয়ায়েল-এর সুত্রে বুখারী বর্ণনা করেন যে, আমি নবীব্জীর ঘরে লালিত যয়নবকে
বললাম, আমাকে জানান যে, নবী করীম (সা) কি মুযার গোত্রের লোক ছিলেলঃ তিনি
বললেনঃ তিনি নযর ইবন কিনানা গোত্রের মুযার গোত্রেরই ছিলেন ৷ আর তাবারানী জাশীশ
আল কিন্দীর বরাতে বর্ণনা করেন যে, রাসুল (না)-এর নিকট কিন্দা থেকে একদল লোক
আগমন করে বললাে৪ আপনি তো আমাদের বংশের লোক ৷ তখন তিনি বললেন, না, বরং
আমরা নসর ইবন কিনানা গোত্রের দোক ৷ আমরা আমাদের মাতৃপক্ষ সম্পর্কে কোন সন্দেহ
পোষণ করি না এবং আমাদের উর্ধ্বতন পিতৃ পুরুষ আমরা অস্বীকার করি না ৷

আশ-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৪৯-

لِعَامِرٍ: أَنْتَ مُدْرِكَةُ، وَقَالَ لِعَمْرٍو: أَنْتَ طَابِخَةُ قَالَ: وَأَمَّا قَمْعَةُ فَيَزْعُمُ نُسَّابُ مُضَرَ أَنَّ خُزَاعَةَ مِنْ وَلَدِ عَمْرِو بْنِ لُحَيِّ بْنِ قَمَعَةَ بْنِ إِلْيَاسَ قُلْتُ: وَالْأَظْهَرُ أَنَّهُ مِنْهُمْ لَا وَالِدُهُمْ وَأَنَّهُمْ مِنْ حِمْيَرَ كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَلَدَ مُدْرِكَةُ خُزَيْمَةَ وَهُذَيْلًا، وَأُمُّهُمَا امْرَأَةٌ مِنْ قُضَاعَةَ، وَوَلَدَ خُزَيْمَةُ كِنَانَةَ وَأَسَدًا وَأَسَدَةَ وَالْهُونَ، قَالَ: وَوَلَدَ كِنَانَةُ النَّضْرَ وَمَالِكًا وَعَبْدَ مَنَاةَ وَمِلْكَانَ. وَزَادَ أَبُو جَعْفَرٍ الطَّبَرِيُّ فِي أَبْنَاءِ كِنَانَةَ عَلَى هَؤُلَاءِ الْأَرْبَعَةِ عَامِرًا وَالْحَارِثَ وَالنُّضَيْرَ وَغَنْمًا وَسَعْدًا وَعَوْفًا وَجَرْوَلًا وَالْحُدَالَ وَغَزْوَانَ.