আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة عيسى بن مريم

ذكر رفع عيسى عليه السلام

পৃষ্ঠা - ১০১৯
ষ্ষ্

হযরত ঈসা (আ) কে আসমানে উঠিয়ে নেয়ার বর্ণনা

আল্লাহ তআিলা কতৃক ঈসা (আ) কে রক্ষা এবং ইয়াহুদী ও নাসারাদের
তান্ক শুলে চড়াৰার মিথ্যা দাবি প্রসঙ্গ

এ প্রস গে আল্লাহর বাণী৪


ভ্রুভ্রুভ্রুভ্রুভ্রু


এবং তারা চক্রান্ত করেছিল, আল্লাহও কৌশল করেছিলেন, আল্লাহ কৌশলীদের শ্রেষ্ঠ ৷

স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বললেন, “হে ঈসা ! আমি তোমার কাল পুর্ণ করছি এবং আমার নিকট

তোমাকে তুলে নিচ্ছি এবং যারা কুযহ্বী করেছে তাদের মধ্য হতে তোমাকে পবিত্র করছি ৷ আর

তোমার অনুসারীদেরকে কিয়ড়ামত পর্যন্ত কাফিরদের উপর প্রাধান্য দিচ্ছি ৷ অতঃপর আমার কাছে

তোমাদের প্রত্যাবর্তন ৷ তারপর যে বিষয়ে তোমাদের মতাম্ভর ঘটছে আমি তা মীমাংসা করে
দিব ৷ ” (আলে-ইমরান : ৫৪ ৫৫)

অৰুল্লাহ্ আরও বলেন০ ং

প্

টু,া,
ৰু




[ذِكْرُ رَفْعِ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ] ُ، إِلَى السَّمَاءِ فِي حِفْظِ الرَّبِّ، وَبَيَانُ كَذِبِ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى، عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ، فِي دَعْوَى الصَّلْبِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَمَكَرُوا وَمَكَرَ اللَّهُ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ إِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى إِنِّي مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَيَّ وَمُطَهِّرُكَ مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا وَجَاعِلُ الَّذِينَ اتَّبَعُوكَ فَوْقَ الَّذِينَ كَفَرُوا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأَحْكُمُ بَيْنَكُمْ فِيمَا كُنْتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ} [آل عمران: 54] [النِّسَاءِ: 155 - 159] .
পৃষ্ঠা - ১০২০
ষ্ষ্


এবং তারা লানতগ্রস্ত হয়েছিল তাদের অংগীকার তংগের জন্যে, আল্লাহর আয়াতকে

প্রত্যাখ্যান করার জন্যে ,নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার জন্যে এবং আমাদের হৃদয়
আচ্ছাত,দি তাদের এই উক্তির জন্যে ৷ বরং তাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ তাতে মােহর মেরে
দিয়েছেন ৷ সুতরাং তাদের অল্প সং ×থ্যাক লোকই বিশ্বাস করে ৷ এবং তারা লা’নতগ্রস্ত হয়েছিল
তাদের কুফরীর জন্যে ও মারয়ামের বিরুদ্ধে গুরুতর অপবাদেব জন্যে ৷ আর আমরা আল্লাহর
রাসুল মারয়াম-তনয় ঈস৷ মসীহ্কে হত্যা করেছি তাদের এই উক্তির জন্যে ৷ অথচ তারা
তাকে হত্যা করেনি, ক্রুশ্াৰিদ্ধও করেনি, কিন্তু তাদের এরুপ বিভ্রম হয়েছিল ৷ যারা তার সম্বন্ধে
মতভেদ করেছিল, তারা নিশ্চয়ই তার সম্বন্ধে সং ×শয়যুক্ত ছিল; এ সম্পর্কে অনুমানের অনুসরণ
ব্যতীত তাদের কোন জ্ঞা ৷নই ছিল না ৷ এটা নিশ্চিত যে, তারা তাদুক হত ৷ করেনি, এব০ আল্লাহ

তাকে তার নিকট তলে নিয়েছেন এবং অ আভৃা৷হ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ কিত ৷বীদের মধ্যে
প্রত্যেকে তার মৃত্যুর পুর্বে তাকে বিশ্বাস করবেই এবং কিয়ামতের দিন যে তাদের বিরুদ্ধে
সাক্ষ্য দিবে ৷ (নিসা : ১ ৫৫ ১৫৯)

উপরোক্ত আয়াতসমুহ দ্বারা আল্লাহ মানুষকে জানিয়ে দিলেন যে তিনি হযরত ঈস৷ ৷ আ)
কে নিদ্রাচ্ছনু করার পরে আসমানে তুলে নেন এটা সন্দেহাভীতত৷ ৩াবে বিশুদ্ধ মত ৷ ইযাছদীরা
ঐ যুগের জনৈক কাফির বাদশাহর সাথে ষড়যন্ত্র করে তাকে যে নির্যাতন করতে ঢেয়েছিল,
আল্লাহ তা থেকে তাকে মুক্ত করেন ৷

হাসান বসরী ও মুহাম্মদ ইসহাক বলেন, ঐ বাদশাহ্র নাম ছিল দাউদ ইবন নুর৷ ৷ সে ঈসা
(আ) কে হত্যা ও ক্রুশবিদ্ধ করার হুকুম দেয় ৷ হুকুম পেয়ে ইয়ড়াহুদীরা শুক্রবার দিবাগত
শনিবার রাত্রে বায়ত ল মুকাদ্দাসের একটি কক্ষে ঈসা (আ )-কে অবরুদ্ধ করে রাখে ৷ পরে যখন
হত্যার উদ্দেশ্যে তারা কক্ষে প্রবেশ করে তখন আল্লাহ্ তা আলা কক্ষে বিদ্যমান ঈসা ( ন্ত্র৷ ) এর
অনুসারীদের মধ্য হতে একজনের চেহারাকে তার চেহারার সদৃশ করে দেন এবং ঈস৷ (আ) )-কে
বাতায়ন পথে আকাশে তলে নেন ৷ কক্ষে যারা ছিলত তারা ঈস৷ (অ ) কে তুলে নেয়ার দৃশ্য
প্রত্যক্ষ করছিল ৷ ইতিমধ্যে বাদশাহ্র রক্ষীরা কক্ষে প্রবেশ করে ঈসা (আ) এর চেহারা বিশিষ্ট
ঐ যুবককে দেখতে পায় ৷ তারা তাকেই ঈসা (আ) মনে করে ধরে এনে শুলে চড়ায় এবং
মাথায় কটি ব টুপি পরায় ৷ত তাকে অধিক লাঞ্ছিত করার জন্যেত তারা এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে ৷
সাধারণ নাসারা, যারা ঈসা (আ ) এর ঘটনা প্রত তাক্ষ করেনি,ত ইরয়াহুদীদের ঈসা (আ ) (ক
ক্রুশ বিদ্ধ করার দাবি মেনে নেয় ৷ ফলে, তার রাও সত্য থেকে স্পন্ট ও চুড়ান্ত বিভ্রান্তির অতল

তলে নিক্ষিপ্ত হয় ৷ সেই জন্যে আল্লাহ বলেন, কিত ৷বীদের প্রত্যেকেই তার মৃত্যুর পুর্বেত

প্ৰতি বিশ্বাস করবে ৷” অর্থাৎ কিয়ড়ামতের পুর্বে শেষ যুগে ঈসা (আ) যখন পৃথিবীতে পুনরায়
আসবেন তখন ত ৷র স্বাভাবিক মৃত ত্যুর পুর্বে তখনকার সকল কিতাবীরাই তার প্রতি বিশ্বাস
আনবে ৷ কেননা তিনি পুনর্বার পৃথিবীতে আসবেন এব০ শুকর বধ করবেন ক্রুশ ধ্বং ×স করবেন
জিযিয়া কর রহিত করবেন এবং ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দীন কবুল করবেন না তাফসীর
গ্রন্থে সুরা নিসায় এই আয়াতে র ব্যাখ্যার এ প্রসহ্গে যাবতীয় হাদীস আমরা উল্লেখ করেছি এবং
এই কিভাবে ’ফিত ৷ন ও মালাহিম (কিয়ামত পুর্ব বিপর্যয় ও মহাযুদ্ধ) অধ্যায়ে মাসীহুদ্


فَأَخْبَرَ تَعَالَى أَنَّهُ رَفَعَهُ إِلَى السَّمَاءِ بَعْدَ مَا تَوَفَّاهُ بِالنَّوْمِ عَلَى الصَّحِيحِ الْمَقْطُوعِ بِهِ، وَخَلَّصَهُ مِمَّنْ كَانَ أَرَادَ أَذِيَّتَهُ مِنَ الْيَهُودِ الَّذِينَ وَشَوْا بِهِ إِلَى بَعْضِ الْمُلُوكِ الْكَفَرَةِ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ. قَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: كَانَ اسْمُهُ دَاوُدَ بْنَ يُورَا فَأَمَرَ بِقَتْلِهِ وَصَلْبِهِ فَحَصَرُوهُ فِي دَارٍ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَذَلِكَ عَشِيَّةَ الْجُمُعَةِ لَيْلَةَ السَّبْتِ، فَلَمَّا حَانَ وَقْتُ دُخُولِهِمْ أُلْقِيَ شَبَهُهُ عَلَى بَعْضِ أَصْحَابِهِ الْحَاضِرِينَ عِنْدَهُ، وَرُفِعَ عِيسَى مِنْ رَوْزَنَةٍ مِنْ ذَلِكَ الْبَيْتِ إِلَى السَّمَاءِ، وَأَهْلُ الْبَيْتِ يَنْظُرُونَ، وَدَخَلَ الشُّرَطُ فَوَجَدُوا ذَلِكَ الشَّابَّ الَّذِي أُلْقِيَ عَلَيْهِ شَبَهُهُ، فَأَخَذُوهُ ظَانِّينَ أَنَّهُ عِيسَى، فَصَلَبُوهُ وَوَضَعُوا الشَّوْكَ عَلَى رَأْسِهِ إِهَانَةً لَهُ، وَسَلَّمَ لِلْيَهُودِ عَامَّةُ النَّصَارَى الَّذِينَ لَمْ يُشَاهِدُوا مَا كَانَ مِنْ أَمْرِ عِيسَى أَنَّهُ صُلِبَ، وَضَلُّوا بِسَبَبِ ذَلِكَ ضَلَالًا مُبِينًا كَثِيرًا فَاحِشًا بَعِيدًا، وَأَخْبَرَ تَعَالَى بِقَوْلِهِ: {وَإِنْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ إِلَّا لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ} [النساء: 159] أَيْ: بَعْدَ نُزُولِهِ إِلَى الْأَرْضِ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، قَبْلَ قِيَامِ السَّاعَةِ، فَإِنَّهُ يَنْزِلُ وَيَقْتُلُ الْخِنْزِيرَ، وَيَكْسِرُ الصَّلِيبَ وَيَضَعُ الْجِزْيَةَ، وَلَا يَقْبَلُ إِلَّا الْإِسْلَامَ، كَمَا بَيَّنَّا ذَلِكَ بِمَا وَرَدَ فِيهِ مِنَ الْأَحَادِيثِ عِنْدَ تَفْسِيرِ هَذِهِ الْآيَةِ الْكَرِيمَةِ مِنْ سُورَةِ " النِّسَاءِ " وَكَمَا سَنُورِدُ ذَلِكَ مُسْتَقْصًى
পৃষ্ঠা - ১০২১
ষ্ষ্


দাজ্জাল প্রসংণে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ৷ দাজ্জালকে হত্যার জন্যে ইমাম
মাহদীর অবতরণ প্রসংগে যত হাদীস ও রিওয়ায়ত আছে, সবই সেখানে বর্ণনা করা হবে ৷
এখানে আমরা ঈসা (আ)-কে আসমানে উঠিয়ে নেয়া সম্পর্কে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখব ৷

ইবন আবি হাতিম ইবন আব্বাস (না)-এর বরাতে বর্ণনা করেন, আল্লাহ যখন ঈসা
(আ)-কে আসমানে তুলে নিতে ইচ্ছা করলেন তখন ঘটনা ছিল এই যে, বায়তৃল মুকাদ্দাসের
একটি কক্ষে ঈসা (আ)-এর বারজন হাওয়ারী অবস্থান করছিলেন ৷ তিনি মসজিদের একটি
ঝরনায় গোসল করে ঐ কক্ষে শিষ্যদের নিকট যান ৷ তীর মাথার চুল থেকে তখনও পানি ঝরে
পড়ছিল ৷ তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তি আছে, যে তার প্রতি ঈমান আনার
পর বারো (১২) বার আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে ৷ এরপরে তিনি তাদের নিকট
জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে কে রাজী আছে যাকে আমার গঠনাকৃতি দ্বারা পরিবতনি করা
হবে এবং আমার স্থলে তাকে হত্যা করা হবে, পরিণামে আমার সাথে সেমর্যদাে লাভ করবে?
উপস্থিত শিষ্যদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ এক যুবক দণ্ডায়মান হলেন ৷ ঈসা (আ) তাকে বললেন, বন ৷
এরপর তিনি দ্বিতীয় বার একই আহ্বান জানান ৷ এবারও ঐ যুবকটি দণ্ডায়মান হলেন ৷ ঈসা
(আ) র্তাকে বসতে বললেন ৷ তৃতীয়বার তিনি আবারও একই আহ্বান রাখেন ৷ ঐ যুবক দাড়িয়ে
বললেন, এ জন্যে আমি প্রস্তুত ৷ ঈসা (আ) বললেন, তাই হবে, তুমিই এর অধিকারী ৷ অতঃপর
যুবকটির গঠনাকৃতিকে ঈসার গঠনাকৃতি দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়া এবং মসজিদের একটি
বাতায়ন পথে ঈসা (আ) কে আসমানে তুলে নেয়া হয় ৷ এরপর ইয়ড়াহুদীদের একটি
অনুসন্ধানকারী দল ঈসা (আ)-কে ধরার জন্যে এসে উক্ত যুবককে ঈসা (আ) মনে করে ধরে
নিয়ে আসে ও তাকে হত্যা করে এবং ক্রুশবিদ্ধ করে ৷ জনৈক শিষ্য ঈসা (আ)-এর প্রতি ঈমান
আনার পর বার বার বিশ্বাসঘাতকতা করে ৷ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বনী ইসরাঈল তিন দলে
বিভক্ত হয়ে পড়ে; যথা৪

১ আল-ইয়াকুবিয়্যা৪ এই দল বিশ্বাস করে যে, এতদিন আল্লাহ স্বয়ং আমাদের মাঝে
বিদ্যমান ছিলেন, এখন তিনি আসমানে উঠে গিয়েছেনৃ ৷

২ আলনাসতৃরিয়্যা : এই দলের বিশ্বাস হল, আল্লাহ্র পুত্র আমাদের মধ্যে এতদিন
ছিলেন, এখন র্তাকে আল্লাহ নিজের কাছে উঠিয়ে নিয়েছেন;

৩ আল মুসলিমুন : এই দলের মতে ঈসা (আ) আল্লাহ্র বান্দা ও রাসুল ৷ আল্লাহর
যতদিন ইচ্ছা ছিল ততদিন তিনি আমাদের মধ্যে ছিলেন ৷ এখন র্তাকে আল্লাহ নিজের সান্নিধ্যে
উঠিয়ে নিয়েছেন ৷ উক্ত তিন দলের মধ্যে কাফির দুই দল একত্রিত হয়ে মুসলিম দলের বিরুদ্ধে
লড়াই অব্যাহত রাখে; ফলে মুসলিম দল নিস্তেজ হয়ে পড়ে ৷ এ অবস্থা দীর্ঘদিন চলার পর
আল্লাহ মুহাম্মাদ (না)-কে রসুলরুপে প্রেরণ করেন ৷ ইবন আব্বাস (রা) বলেন, এই দিকে
ইৎগিত করেই কুরআনে বলা হয়েছে “পরে আমি মুমিনদেরকে শক্তিশালী করলাম তাদের
শত্রুদের মুকাবিলায়; ফলে তারা বিজয়ী হল (৬ সাফ : ১৪) ৷ এ হাদীসের সনদ ইবন আব্বাস
(রা) পর্যন্ত বিশুদ্ধ এবং মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ্ ৷ ইমাম নাসাঈ আবু কুরায়বের সুত্রে আবু
মুআবিয়া থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন জারীর মুসলিম ইবন জানাদার সুত্রে আবু


فِي كِتَابِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ " عِنْدَ أَخْبَارِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، فَنَذْكُرُ مَا وَرَدَ فِي نُزُولِ الْمَسِيحِ الْمَهْدِيِّ، عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنْ ذِي الْجَلَالِ ; لِقَتْلِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ الْكَذَّابِ الدَّاعِي إِلَى الضَّلَالِ. وَهَذَا ذِكْرُ مَا وَرَدَ فِي الْآثَارِ فِي صِفَةِ رَفْعِهِ إِلَى السَّمَاءِ. قَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: لَمَّا أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَرْفَعَ عِيسَى إِلَى السَّمَاءِ، خَرَجَ عَلَى أَصْحَابِهِ، وَفِي الْبَيْتِ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا مِنْهُمْ - مِنَ الْحَوَارِيِّينَ يَعْنِي - فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ مِنْ عَيْنٍ فِي الْبَيْتِ، وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ مَاءً فَقَالَ: إِنَّ مِنْكُمْ مَنْ يَكْفُرُ بِي اثْنَتَيْ عَشْرَةَ مَرَّةً بَعْدَ أَنْ آمَنَ بِي. ثُمَّ قَالَ: أَيُّكُمْ يُلْقَى عَلَيْهِ شَبَهِي فَيُقْتَلَ مَكَانِي، وَيَكُونَ مَعِي فِي دَرَجَتِي؟ فَقَامَ شَابٌّ مِنْ أَحْدَثِهِمْ سِنًّا، فَقَالَ لَهُ: اجْلِسْ. ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِمْ، فَقَامَ الشَّابُّ، فَقَالَ: اجْلِسْ. ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِمْ، فَقَامَ الشَّابُّ، فَقَالَ: أَنَا. فَقَالَ: أَنْتَ هُوَ ذَاكَ. فَأُلْقِيَ عَلَيْهِ شَبَهُ عِيسَى، وَرُفِعَ عِيسَى مِنْ رَوْزَنَةٍ فِي الْبَيْتِ إِلَى السَّمَاءِ. قَالَ: وَجَاءَ الطَّلَبُ مِنَ الْيَهُودِ فَأَخَذُوا الشَّبَهَ فَقَتَلُوهُ ثُمَّ صَلَبُوهُ، فَكَفَرَ بِهِ بَعْضُهُمُ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ مَرَّةً بَعْدَ أَنْ آمَنَ بِهِ، وَافْتَرَقُوا ثَلَاثَ فِرَقٍ، فَقَالَتْ طَائِفَةٌ: كَانَ اللَّهُ فِينَا مَا شَاءَ ثُمَّ صَعِدَ إِلَى السَّمَاءِ. وَهَؤُلَاءِ الْيَعْقُوبِيِّةُ، وَقَالَتْ
পৃষ্ঠা - ১০২২
فِرْقَةٌ: كَانَ فِينَا ابْنُ اللَّهِ مَا شَاءَ، ثُمَّ رَفَعَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ. وَهَؤُلَاءِ النَّسْطُورِيَّةُ، وَقَالَتْ فِرْقَةٌ: كَانَ فِينَا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ رَفَعَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ، وَهَؤُلَاءِ الْمُسْلِمُونَ، فَتَظَاهَرَتِ الْكَافِرَتَانِ عَلَى الْمُسْلِمَةِ فَقَتَلُوهَا، فَلَمْ يَزَلِ الْإِسْلَامُ طَامِسًا حَتَّى بَعَثَ اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {فَأَيَّدْنَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَى عَدُوِّهِمْ فَأَصْبَحُوا ظَاهِرِينَ} [الصف: 14] . وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ - إِلَى ابْنُ عَبَّاسٍ - عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ بِهِ نَحْوَهُ، وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ سَلْمِ بْنِ جُنَادَةَ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، وَهَكَذَا ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ السَّلَفِ، وَمِمَّنْ ذَكَرَ ذَلِكَ مُطَوَّلًا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ: وَجَعَلَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، يَدْعُو اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، أَنْ يُؤَخِّرَ أَجَلَهُ، يَعْنِي لِيُبَلِّغَ الرِّسَالَةَ، وَيُكْمِلَ الدَّعْوَةَ، وَيُكْثِرَ النَّاسُ الدُّخُولَ فِي دِينِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ. قِيلَ: وَكَانَ عِنْدَهُ مِنَ الْحَوَارِيِّينَ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا ; بُطْرُسُ، وَيَعْقُوبُ بْنُ زَبْدِي، وَيَحْنَسُ أَخُو يَعْقُوبَ، وَأَنْدَرَاوِسُ، وَفِلِيبُّسُ، وَأَبْرَثَلْمَا، وَمَتَّى، وَتُومَاسُ، وَيَعْقُوبُ بْنُ حَلْقِيَا، وَتُدَّاوُسُ، وَفَتَاتْيَا، يُودُسُ زَكَرِيَّا يَوُطَا، وَهَذَا هُوَ الَّذِي دَلَّ الْيَهُودَ عَلَى عِيسَى. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَكَانَ فِيهِمْ رَجُلٌ آخَرُ اسْمُهُ سَرْجَسُ، كَتَمَتْهُ
পৃষ্ঠা - ১০২৩
ষ্ষ্


মুআবিয়া থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ এ ছাড়া আরও অনেক গ্রন্থকার এ হাদীস স্ব-স্ব
কিতাবে উল্লেখ করেছেন ৷ এ হাদীসটি সবচেয়ে দীর্ঘড়ায়িতভাবে বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবন
ইসহাক ৷ তার বর্ণনায় এস্যেছ, ঈসা (আ) আল্লাহর নিকট তার মত্যুকে পিছিয়ে দেয়ার জন্যে
দোয়া করতেন, যাতে তিনি রিসালাতের দায়িত্ব পুর্ণ করতে পারেন ৷ দাওয়াতী কাজ সম্প্রসারণ
করতে পারেন এবং অধিক পরিমাণ লোক যাতে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করতে পারে ৷ কথিত
আছে, হযরত ঈসা (আ)-এর সান্নিধ্যে রারজন হাওয়ারী ছিলেন; (১) পিতর, (২) ইয়াকুব ইবন
যাবদা (সিবদিয়), (৩) ,ইয়াহ্নাস (য়ুহড়ান্না) ইনি ইয়াকুবের ভাই ছিলেন (৪) ইনদারাউস
(আশ্রিয়), (৫) ফিলিপ, (৬) আবরো ছালমা (বর্তলময়), (৭) মথি, (৮) টমাস (থমা), (৯)
ইয়াকুব ইবন হালকুবা (আলকেয়) , (১০) তড়াদাউস (থদ্দেয়), (১১) ফাতাতিয়া শিমন ও ( ১২)
(ইয়াহুদা ইস্কারিযােৎ) ইউদাস কারয়া ইউতা এই শেষোক্ত ব্যক্তি ইয়াহুদীদেরকে ঈসা
(আ)-এর সন্ধান দিয়েছিল ৷ ইবন ইসহাক লিখেছেন, হাওয়াবীদের মধ্যে সারজিস নামক আর
এক ব্যক্তি ছিল যার কথা নাসারারা গোপন রাখে ৷ এই ব্যক্তিকেই মাসীহ্র রুপ দেয়া হয়েছিল
এবং ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৷ কিংহ্ নাসারাদের কিছু অংশের মতে যাকে মাসীহ্র রুপ দেয়া হয়
ও ক্রুশে ৰিদ্ধ করা হয়, তার নাম জভাস ইবন কারয়া ইউতা ৷

যাহ্হড়াক ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) শামউনকে তার
স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন এবং ইয়াহুদীরা জভাসকে হত্যা করেছিল যাকে ঈসার অনুরুপ আকৃতি
দেয়া হয়েছিল ৷ আহমদ ইবন মারওয়ান বলেন, মুহাম্মদ ইবন জাহ্ম ফাবৃরা থেকে শুনেছেন
কুরআনের আয়াত “তারা চক্রাম্ভ করেছিল আর আল্লাহ্ও কৌশল অবলম্বল করেছিলেন এবং
আল্লাহ কৌশলীদের শ্রেষ্ঠ ৷” এ সম্পর্কে ফাবৃরা বলেছেন যে, ঈসা (আ) দীর্ঘ দিন তার খালার
নিকট থেকে দুরে থাকার পর একদিন খালার বাড়িতে আসেন ৷ তার আগমন দেখে রা’স আল
জালুত নামক ইয়াহুদী সেখানে উপস্থিত হয় এবং ঈসা (আ)ষ্এর বিরুদ্ধে লোকজনকে জমায়েত
করে ৷ ফলে বহু লোক জমায়েত হলো আর তারা দরজা ভেত্গে ফেলে এবং রাস আল-জালুত
ঈসা ,(আ)-কে ধরে আমার জন্যে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ৷ আল্লাহ ঈসা (আ ) কে তার দৃষ্টি
থেকে আড়াল করে রাখেন ৷ কিছু সময় পর সে বেরিয়ে এসে বলল, ঈসাকে ঘরের মধ্যে
দেখতে পেলাম না ৷ রা’স আল জালুতের সাথে ছিল নাংগা তলােয়ার ৷ এ দিকে আল্লাহ তাকেই
ঈসার রুপে রুপান্তরিত করে দিয়েছিলেন ৷ উপস্থিত সবাই বলল, তুমি-ই তাে ঈসা ৷ সুতরাং
তারা তাকে ধরে হত্যা করল ও শুলে বিদ্ধ করল ৷ এদিকে ইংগিত করেই আল্লাহ বলেছেন ;
“তারা তাকে হত্যা করেনি, ক্রুশবিদ্ধও করেনি; বিৎ তাদের এইরুপ বিভ্রম হয়েছিল ৷” ইবন
জারীর ওহব ইবন মুনাববিহ্ থেকে বর্ণনা করেন যে, ঈসা (আ) সতের জন হাওয়ারী সহ
এক ঘরে প্রবেশ করেন ৷ এ অবস্থা তাদেরকে যেরাও করে ফেলে ৷ যখন তারা দেখে
ইয়াহুদীরা ঘরের ভেতর প্রবেশ করে তখন আল্লাহ তাদের সকলের চেহারাকে ঈসা (আ) এর
চেহারার মত করে দেন ৷ এ দেখে বনী ইসরাঈলরা বলল, তোমরা সবাই যাদু করে আমাদেরকে
ঘেড়াকা দিচ্ছ ৷ হয় আসল ঈসাকে আমাদের নিকট বের করে দাও, নচেৎ তোমাদের সবাইকে



টীকা ও বন্ধনীযুক্ত নামগুলো বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটির প্রকাশিত ইনজীল শরীফ থেকে গৃহীত ৷


النَّصَارَى، وَهُوَ الَّذِي أُلْقِيَ شَبَهُ الْمَسِيحِ عَلَيْهِ، فَصُلِبَ عَنْهُ. قَالَ: وَبَعْضُ النَّصَارَى يَزْعُمُ أَنَّ الَّذِي صُلِبَ عَنِ الْمَسِيحِ وَأُلْقِيَ عَلَيْهِ شَبَهُهُ، يُودُسُ زَكَرِيَّا يَوُطَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الضَّحَّاكُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: اسْتَخْلَفَ عِيسَى شَمْعُونَ، وَقَتَلَتِ الْيَهُودُ يُودُسُ زَكَرِيَّا يَوُطَا الَّذِي أُلْقِيَ عَلَيْهِ الشَّبَهُ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ مَرْوَانَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْجَهْمِ. قَالَ: سَمِعْتُ الْفَرَّاءَ يَقُولُ فِي قَوْلِهِ: {وَمَكَرُوا وَمَكَرَ اللَّهُ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ} [آل عمران: 54] قَالَ: إِنَّ عِيسَى غَابَ عَنْ خَالَتِهِ زَمَانًا، فَأَتَاهَا فَقَامَ رَأْسُ الْجَالُوتِ الْيَهُودِيُّ، فَضَرَبَ عَلَى عِيسَى، حَتَّى اجْتَمَعُوا عَلَى بَابِ دَارِهِ، فَكَسَرُوا الْبَابَ، وَدَخَلَ رَأْسُ الْجَالُوتِ لِيَأْخُذَ عِيسَى، فَطَمَسَ اللَّهُ عَيْنَيْهِ عَنْ عِيسَى ثُمَّ خَرَجَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: لَمْ أَرَهُ. وَمَعَهُ سَيْفٌ مَسْلُولٌ، فَقَالُوا: أَنْتَ عِيسَى. وَأَلْقَى اللَّهُ شَبَهَ عِيسَى عَلَيْهِ، فَأَخَذُوهُ، فَقَتَلُوهُ، وَصَلَبُوهُ، فَقَالَ جَلَّ ذِكْرُهُ: {وَمَا قَتَلُوهُ وَمَا صَلَبُوهُ وَلَكِنْ شُبِّهَ لَهُمْ} [النساء: 157] وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنَا ابْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ الْقُمِّيُّ، عَنْ هَارُونَ بْنِ عَنْتَرَةَ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ: أَتَى عِيسَى وَمَعَهُ سَبْعَةَ عَشَرَ مِنَ الْحَوَارِيِّينَ فِي بَيْتٍ، فَأَحَاطُوا بِهِمْ، فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَيْهِمْ صَوَّرَهُمُ اللَّهُ كُلَّهُمْ عَلَى صُورَةِ عِيسَى، فَقَالُوا لَهُمْ: سَحَرْتُمُونَا، لَتُبْرِزُنَّ لَنَا عِيسَى أَوْ لَنَقْتُلَنَّكُمْ جَمِيعًا، فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ১০২৪
ষ্ষ্


হত্যা করব ৷ তখন ঈসা (আ) সাথীদেরকে বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আছ, যে নিজের
প্রাণের বিনিময়ে আজ জান্নাত ক্রয় করবে ৷ এক ব্যক্তি বললেন, আমি রাজি আছি ৷ এরপর যে
ব্যক্তি বনী-ইসরাঈলদের সম্মুখে এসে বললেন, আমিই ঈসা বন্তুত ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ ঈসা
(আ)-এর আকৃতি দান করেছিলেন ৷ তখন তারা র্তাকে ধরে হত্যা করল ও ক্রুশবিদ্ধ করল ৷ এ
জন্যই বনী-ইসরাঈলরা বিভ্রান্ত হয় ও ধারণা করে যে, তারা ঈসা (আ)-কেই হত্যা করেছে ৷
অন্যান্য খ্রীষ্টানরাও এই একই ধারণা পোষণ করে এবং বলে ঈসাকে হত্যা করা হয়েছে ৷ অথচ
ঐ দিনই আল্লাহ ঈসা (আ) কে আসমানে তুলে নিয়েছিলেন ৷

ইবন জারীর ওহব থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহ যখন ঈসা (আ) কে জানিয়ে দেন যে,
অচিরেই তুমি দুনিয়া থেকে নিকৃতি পাচ্ছ তখন তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হন ৷
এ সময় তিনি হড়াওয়ারীগণকে দাওয়াত করেন ৷ তাদের জন্যে খাদ্য প্রস্তুত করেন ৷ র্তাদেরকে
জানিয়ে দেন যে, রাত্রে তোমরা আমার নিকট আসবে, তোমাদের কাছে আমার প্রয়োজন আছে; ৷
হাওয়ারীগণ রাত্রে আসলে ঈসা (আ) তাদেরকে নিজ হাতে পানা পরিবেশন করে খাওয়ার ৷
আহার শেষে নিজেই র্তাদের হাত ধুয়ে দেন ও নিজের কাপড় দ্বারা র্তাদের হাত মুছে দেন ৷ এ
সব দেখে হড়াওয়ারীগণ আশ্চর্যানিত হলেন এবং বিরত বোধ করলেন ৷ ঈসা (আ) বললেন দেখ,
আমি যা কিছু করব কেউ যদি তার প্রতিবাদ করে তবে সে আমার শিষ্যদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং
আমিও তার কেউ নই ৷ তখন তারা তা মেনে নিলেন ৷

আর ঈসা (আ) বললেন, আমি আজ রাত্রে তোমাদের সাথে যে আচরণ করলাম, ণ্তামাদের
সেবা করলাম, খাদ্য পরিবেশন করলাম, হাত ধুয়ে দিলাম, এ যেন তোমাদের জন্যে অনুকরণীয়
আদর্শ হয়ে থাকে ৷ তোমরা জান যে, আমি তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ৷ সুতরাং তোমরা একে
অপরের উপর নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করবে না; ৷ বরং নিজেকে অপরের চাইতে ছোট জ্ঞান
করবে ৷ তোমরা তো প্রত্যক্ষ করলে, কিভাবে আমি তোমাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত
করলাম ৷ তোমরাও ঠিক এই ভাবে করবে ৷ আর তোমাদের কাছে আমার যে প্রয়োজন তা হল,
তোমরা আমাকে সাহায্য করবে, আমার জন্যে আল্লাহ্র নিকট দোয়া করবে এবং মনে প্রাণে
দোয়া করবে যেন তিনি আমার মৃত্যকে পিছিয়ে দেন ৷ ঈসা (আ)-এর কথা শোনার পর
হাওয়ারীগণ যখন দোয়া করার জন্যে প্রস্তুত হলেন এবং নিবিষ্ট চিত্তে দোয়া করতে বললেন
তখন গভীর নিঃদৃ৷ তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেললো ৷ ফলে র্তারা দোয়া করতে সমর্থ হলেন না ৷
ঈসা (আ) তাদেরকে ঘুম থেকে জাগাবার চেষ্টা করেন এবং বলেন, কী আশ্চর্য, তোমরা কি মাত্র
একটা রাত আমার জন্যে ধৈর্যধারণ করতে ও আমাকে সাহায্য করতে পারবে না? তারা
বললেন, আল্লাহ্র কসম, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না যে, আমাদের এ কী হল? আমরা তো
প্রতি দিন রাত্রে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত জেগে থাকি, কথাবার্তা বলি; কিন্তু আজ রাত্রে তার কিছুই
করতে পারছি না ৷ যখনই দোয়া করতে যাই তখনই ঘুম এসে মাঝখানে বাধা হয়ে দাড়ায় ৷
তখন হযরত ঈসা (আ) বললেন, রাখলে মাঠ থেকে বিদায় নিচ্ছে আর বকরীগুলো চারিদিকে
ছড়িয়ে পড়ছে ৷ এ জাতীয় আরও বিভিন্ন কথা তিনি বলতে থাকেন এবং নিজের বিয়োগ রাখার
কথা ব্যক্ত করেন ৷


عِيسَى لِأَصْحَابِهِ: مَنْ يَشْتَرِي مِنْكُمْ نَفْسَهُ الْيَوْمَ بِالْجَنَّةِ. فَقَالَ رَجُلٌ: أَنَا. فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: أَنَا عِيسَى. وَقَدْ صَوَّرَهُ اللَّهُ عَلَى صُورَةِ عِيسَى، فَأَخَذُوهُ فَقَتَلُوهُ وَصَلَبُوهُ، فَمِنْ ثَمَّ شُبِّهَ لَهُمْ، وَظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ قَتَلُوا عِيسَى، وَظَنَّتِ النَّصَارَى مِثْلَ ذَلِكَ، أَنَّهُ عِيسَى، وَرَفَعَ اللَّهُ عِيسَى مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَحَدَّثَنَا الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ مَعْقِلٍ أَنَّهُ سَمِعَ وَهْبًا يَقُولُ: إِنَّ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ لَمَّا أَعْلَمَهُ اللَّهُ أَنَّهُ خَارِجٌ مِنَ الدُّنْيَا جَزِعَ مِنَ الْمَوْتِ، وَشَقَّ عَلَيْهِ، فَدَعَا الْحَوَارِيِّينَ وَصَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا فَقَالَ: احْضُرُونِي اللَّيْلَةَ ; فَإِنَّ لِي إِلَيْكُمْ حَاجَةً. فَلَمَّا اجْتَمَعُوا إِلَيْهِ مِنَ اللَّيْلِ عَشَّاهُمْ، وَقَامَ يَخْدِمُهُمْ، فَلَمَّا فَرَغُوا مِنَ الطَّعَامِ، أَخَذَ يَغْسِلُ أَيْدِيَهُمْ وَيُوَضِّئُهُمْ بِيَدِهِ، وَيَمْسَحُ أَيْدِيَهُمْ بِثِيَابِهِ، فَتَعَاظَمُوا ذَلِكَ وَتَكَارَهُوهُ، فَقَالَ: أَلَا مَنْ رَدَّ عَلَيَّ شَيْئًا اللَّيْلَةَ مِمَّا أَصْنَعُ فَلَيْسَ مِنِّي وَلَا أَنَا مِنْهُ. فَأَقَرُّوهُ حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْ ذَلِكَ قَالَ: أَمَّا مَا صَنَعْتُ بِكُمُ اللَّيْلَةَ مِمَّا خَدَمْتُكُمْ عَلَى الطَّعَامِ، وَغَسَلْتُ أَيْدِيَكُمْ بِيَدِي، فَلْيَكُنْ لَكُمْ بِي أُسْوَةٌ، فَإِنَّكُمْ تَرَوْنَ أَنِّي خَيْرُكُمْ فَلَا يَتَعَظَّمْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ، وَلْيَبْذُلْ بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ نَفْسَهُ كَمَا بَذَلْتُ نَفْسِي لَكُمْ، وَأَمَّا حَاجَتِي الَّتِي اسْتَعَنْتُكُمْ عَلَيْهَا، فَتَدْعُونَ لِيَ اللَّهَ وَتَجْتَهِدُونَ فِي الدُّعَاءِ أَنْ يُؤَخِّرَ أَجَلِي. فَلَمَّا نَصَبُوا أَنْفُسَهُمْ لِلدُّعَاءِ وَأَرَادُوا أَنْ يَجْتَهِدُوا، أَخَذَهُمُ النَّوْمُ حَتَّى لَمَّ يَسْتَطِيعُوا دُعَاءً، فَجَعَلَ يُوقِظُهُمْ وَيَقُولُ: سُبْحَانَ اللَّهِ،
পৃষ্ঠা - ১০২৫
أَمَا تَصْبِرُونَ لِي لَيْلَةً وَاحِدَةً، تُعِينُونِي فِيهَا؟ فَقَالُوا: وَاللَّهِ مَا نَدْرِي مَا لَنَا، وَاللَّهِ لَقَدْ كُنَّا نَسْمُرُ فَنُكْثِرُ السَّمَرَ، وَمَا نُطِيقُ اللَّيْلَةَ سَمَرًا، وَمَا نُرِيدُ دُعَاءً إِلَّا حِيلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ. فَقَالَ: يُذْهَبُ بِالرَّاعِي وَتَتَفَرَّقُ الْغَنَمُ. وَجَعَلَ يَأْتِي بِكَلَامٍ نَحْوَ هَذَا يَنْعَى بِهِ نَفْسَهُ. ثُمَّ قَالَ: الْحَقُّ لَيَكْفُرَنَّ بِي أَحَدُكُمْ قَبْلَ أَنْ يَصِيحَ الدِّيكُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، وَلَيَبِيعَنِّي أَحَدُكُمْ بِدَرَاهِمَ يَسِيرَةٍ، وَلَيَأْكُلَنَّ ثَمْنِي. فَخَرَجُوا وَتَفَرَّقُوا، وَكَانَتِ الْيَهُودُ تَطْلُبُهُ فَأَخَذُوا شَمْعُونَ - أَحَدَ الْحَوَارِيِّينَ - فَقَالُوا: هَذَا مِنْ أَصْحَابِهِ. فَجَحَدَ وَقَالَ: مَا أَنَا بِصَاحِبِهِ. فَتَرَكُوهُ ثُمَّ أَخَذَهُ آخَرُونَ فَجَحَدَ كَذَلِكَ، ثُمَّ سَمِعَ صَوْتَ دِيكٍ فَبَكَى وَأَحْزَنَهُ. فَلَمَّا أَصْبَحَ أَتَى أَحَدُ الْحَوَارِيِّينَ إِلَى الْيَهُودِ، فَقَالَ: مَا تَجْعَلُونَ لِي إِنْ دَلَلْتُكُمْ عَلَى الْمَسِيحِ. فَجَعَلُوا لَهُ ثَلَاثِينَ دِرْهَمًا فَأَخَذَهَا وَدَلَّهُمْ عَلَيْهِ. وَكَانَ شُبِّهَ عَلَيْهِمْ قَبْلَ ذَلِكَ فَأَخَذُوهُ وَاسْتَوْثَقُوا مِنْهُ، وَرَبَطُوهُ بِالْحَبْلِ وَجَعَلُوا يَقُودُونَهُ، وَيَقُولُونَ: أَنْتَ كُنْتَ تُحْيِي الْمَوْتَى وَتَنْتَهِرُ الشَّيْطَانَ، وَتُبْرِئُ الْمَجْنُونَ، أَفَلَا تُنَجِّي نَفْسَكَ مِنْ هَذَا الْحَبْلِ؟ وَيَبْصُقُونَ عَلَيْهِ، وَيُلْقُونَ عَلَيْهِ الشَّوْكَ، حَتَّى أَتَوْا بِهِ الْخَشَبَةَ الَّتِي أَرَادُوا أَنْ يَصْلُبُوهُ عَلَيْهَا، فَرَفَعَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ وَصَلَبُوا مَا شُبِّهَ لَهُمْ، فَمَكَثَ سَبْعًا. ثُمَّ إِنْ أُمَّهُ وَالْمَرْأَةَ الَّتِي كَانَ يُدَاوِيهَا عِيسَى، فَأَبْرَأَهَا اللَّهُ مِنَ الْجُنُونِ، جَاءَتَا تَبْكِيَانِ حَيْثُ كَانَ الْمَصْلُوبُ، فَجَاءَهُمَا عِيسَى، فَقَالَ: عَلَامَ تَبْكِيَانِ. قَالَتَا: عَلَيْكَ. فَقَالَ: إِنِّي قَدْ رَفَعَنِي اللَّهُ إِلَيْهِ، وَلَمْ يُصِبْنِي إِلَّا خَيْرٌ، وَإِنَّ هَذَا شَيْءٌ شُبِّهَ لَهُمْ، فَأْمُرَا الْحَوَارِيِّينَ أَنْ يَلْقَوْنِي إِلَى مَكَانِ كَذَا وَكَذَا. فَلَقَوْهُ إِلَى ذَلِكَ الْمَكَانِ أَحَدَ عَشَرَ، وَفَقَدَ الَّذِي كَانَ بَاعَهُ وَدَلَّ عَلَيْهِ الْيَهُودَ، فَسَأَلَ عَنْهُ أَصْحَابَهُ فَقَالُوا: إِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ১০২৬

প্ অতঃপর ঈসা (আ) বললেন : আমি তোমাদেরকে একটি সত্য কথা বলছি তোমাদের
মধ্যে একজন আজ মােরগ ডাক দেয়ার পুর্বে আমার সাথে তিনবার বিশ্বাসঘাতকতা করবে,
তোমাদের মধ্যে একজন সামান্য কয়েকটি দিরহামের বিনিময়ে শত্রুদের কাছে আমার সন্ধান
বলে দেবে এবং আমার বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থ ভক্ষণ করবে ৷ এরপর তারা সেখান থেকে বেরিয়ে
পড়ল ও বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল ৷ এদিকে ইয়াহুদীরা ঈসা (আ)-কে সন্ধান করে ফিরছে ৷ তারা
শামউন নামক এক হাওয়ারীকে ধরে বলল, এই ব্যক্তি ঈসার শিষ্য ৷ কিন্তু সে অস্বীকার করে
বলল, আমি ঈসার শিষ্য নই ৷ এ কথা বললে, তারা শামউনকে ছেড়ে দিল ৷ কিছুক্ষণ পরে
তাকে অন্য ইয়াহুদীরা পাকড়াও করলে সে পুর্বের ন্যায় উত্তর দিয়ে আত্মরক্ষা করল ৷ এমন সময়
ঈসা হঠাৎ মোরগের ডাক শুনতে পান ৷ মোরগের ডাক শুনে তিনি চিস্তিত হয়ে পড়েন এবং
র্কাদতে থাকেন ৷ প্রভাত হওয়ার পর র্জ্যনক হাওয়ারী ইয়াহুদীদের নিকট গিয়ে বলল, আমি যদি
তোমাদেরকে ঈসা মাসীহ্র সন্ধান দিই, তা হলে তোমরা আমাকে কী পুরস্কার দিবে? ইয়াহুদীরা
তাকে ত্রিশটি দিরহাম দিল, বিনিময়ে সে তাদের নিকট তার সন্ধান বসে দিল ৷ কিন্তু এর পুর্বেই
তাকে ঈসার অনুরুপ চেহারা দান করা হয় এবং তাদেরকে বিভ্রাস্তিতে ফেলা হয় ৷ ফলে তাকেই
তারা পাকড়াও করে বলি দ্বারা শক্ত করে বাধল এবং একথা বলতে বলতে টেনে হেচড়ে নিয়ে
গেল যে, তৃমিই তো মৃতকে জীবিত করতে, জীন-ভুত তাড়াতে, পাগল মানুষকে সুস্থ করে
দিতে ৷ এখন এই রশির বন্ধন থেকে নিজেকে যুক্ত কর দেখি তারা তার উপর থুথু নিক্ষেপ
করল, দেহে র্কাটা ফুটাল এবং যেই ক্রুশে বিদ্ধ করার জন্যে স্থাপন করা হয়েছিল সেখানে
তাকে নিয়ে আসল ৷

ইতিমধ্যে ঈসা (আ) কে আল্লাহ নিজ সান্নিধ্যে তুলে নিয়েছেন এবং ইয়াহুদীরা ঐ চেহারা
পরিবর্তিত ব্যক্তিকে ক্রুশবিদ্ধ করল ৷ ক্রুশের উপরে লাশ সাত দিন পর্যন্ত ছিল ৷ এরপর ঈসা
(আ)-এর মা এবং অন্য এক মহিলা যে পাগল ছিল এবং যাকে ঈসা (আ) সুস্থ করেছিলেন
উভয়ে র্কাদতে র্কাদতে ক্রুশবিদ্ধ লােকটির কাছে আসলেন ৷ তখন হযরত ঈসা (আ )-র্তাদের
কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা র্কাদছেন কেন? তারা বললেন, আমরা তো তোমার
জন্যে র্কাদছি ৷ ঈসা (আ) বললেন, আমাকে আল্লাহ তার সান্নিধ্যে তুলে নিয়েছেন এবং উত্তম
অবস্থায় রেখেছেন; আর এই যাকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছে তার ব্যাপারে ইয়াহুদীরা বিভ্রান্তির
শিকার হয়েছে ৷ অতঃপর তিনি হাওয়ারীদের প্রতি নির্দেশ দিলেন যেন, অমুক স্থানে তারা তার
সাথে সাক্ষাত করেন ৷ নির্দেশ মতে এগারজন হাওয়ারী তথায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাতে মিলিত
হন ৷ সেই এক হাওয়ারী অনুপস্থিত থাকে, যে ঈসাকে দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করেছিল এবং
ইয়াহুদীদেরকে তার সন্ধান বলে দিয়েছিল; তার সম্পর্কে ঈসা (আ) শিষ্যদের নিকট জিজ্ঞেস
করলেন ৷ উত্তরে তারা জানাল যে, সে তার কর্মের উপর অনুতপ্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে ৷ ঈসা
(আ) বললেন, যদি সে তওবা করত তবে আল্লাহ তার তওবা কবৃল করতেন ৷ অতঃপর তিনি
ইয়াহ্ইয়া নামক সেই যুবকের কথা জিজ্ঞেস করলেন, যে তাদেরকে অনুসরণ করত ৷ তিনি
জানালেন, সে তোমাদের সাথেই আছে ৷ এরপর ঈসা (আ) বললেন, তোমরা এখান থেকে চলে
যাও; কেননা, অচিরেই তোমরা নিজ নিজ সম্প্রদায়ের ভাষায় কথা বলবে ৷ সুতরাং তাদেরকে
সতর্ক করবে এবং দীনের দাওয়াত দেবে ৷


نَدِمَ عَلَى مَا صَنَعَ، فَاخْتَنَقَ وَقَتَلَ نَفْسَهُ. فَقَالَ: لَوْ تَابَ لَتَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ. ثُمَّ سَأَلَهُمْ عَنْ غُلَامٍ يَتْبَعُهُمْ يُقَالُ لَهُ: يُحَنَّا. فَقَالَ: هُوَ مَعَكُمْ فَانْطَلِقُوا فَإِنَّهُ سَيُصْبِحُ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْكُمْ يُحَدِّثُ بِلُغَةِ قَوْمٍ فَلْيُنْذِرْهُمْ وَلْيَدْعُهُمْ. وَهَذَا إِسْنَادٌ غَرِيبٌ عَجِيبٌ، وَهُوَ أَصَحُّ مِمَّا ذَكَرَهُ النَّصَارَى، لَعَنَهُمُ اللَّهُ، مِنْ أَنَّ الْمَسِيحَ جَاءَ إِلَى مَرْيَمَ، وَهِيَ جَالِسَةٌ تَبْكِي عِنْدَ جِذْعِهِ، فَأَرَاهَا مَكَانَ الْمَسَامِيرِ مِنْ جَسَدِهِ، وَأَخْبَرَهَا أَنَّ رُوحَهُ رُفِعَتْ، وَأَنَّ جَسَدَهُ صُلِبَ، وَهَذَا بُهْتٌ وَكَذِبٌ وَاخْتِلَاقٌ وَتَحْرِيفٌ وَتَبْدِيلٌ وَزِيَادَةٌ بَاطِلَةٌ فِي الْإِنْجِيلِ عَلَى خِلَافِ الْحَقِّ وَمُقْتَضَى النَّقْلِ. وَحَكَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ يَحْيَى بْنِ حَبِيبٍ، فِيمَا بَلَغَهُ أَنَّ مَرْيَمَ سَأَلَتْ مِنْ بَيْتِ الْمَلِكِ - بَعْدَ مَا صُلِبَ الْمَصْلُوبُ بِسَبْعَةِ أَيَّامٍ، وَهِيَ تَحْسَبُ أَنَّهُ ابْنُهَا - أَنْ يُنْزِلَ جَسَدَهُ، فَأَجَابَهُمْ إِلَى ذَلِكَ، وَدُفِنَ هُنَالِكَ، فَقَالَتْ مَرْيَمُ لِأُمِّ يَحْيَى: أَلَا تَذْهَبِينَ بِنَا نَزُورُ قَبْرَ الْمَسِيحِ. فَذَهَبَتَا فَلَمَّا دَنَتَا مِنَ الْقَبْرِ، قَالَتْ مَرْيَمُ لِأُمِّ يَحْيَى: أَلَا تَسْتَتِرِينَ. فَقَالَتْ: وَمِمَّنْ أَسْتَتِرُ. فَقَالَتْ: مِنْ هَذَا الرَّجُلِ الَّذِي هُوَ عِنْدَ الْقَبْرِ. فَقَالَتْ أُمُّ يَحْيَى: إِنِّي لَا أَرَى أَحَدًا. فَرَجَتْ مَرْيَمُ أَنْ يَكُونَ جِبْرِيلَ، وَكَانَتْ قَدْ بَعُدَ عَهْدُهَا بِهِ فَاسْتَوْقَفَتْ أُمَّ يَحْيَى وَذَهَبَتْ نَحْوَ الْقَبْرِ، فَلَمَّا دَنَتْ مِنَ الْقَبْرِ قَالَ لَهَا جِبْرِيلُ، وَعَرَفَتْهُ: يَا مَرْيَمُ، أَيْنَ تُرِيدِينَ؟ فَقَالَتْ: أَزُورُ قَبْرَ الْمَسِيحِ وَأُسَلِّمُ عَلَيْهِ وَأَحْدِثُ عَهْدًا بِهِ. فَقَالَ: يَا مَرْيَمُ، إِنَّ هَذَا لَيْسَ الْمَسِيحَ، إِنَّ اللَّهَ قَدْ رَفَعَ الْمَسِيحَ وَطَهَّرَهُ مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا، وَلَكِنْ هَذَا الْفَتَى الَّذِي أُلْقِيَ شَبَهُهُ عَلَيْهِ وَصُلِبَ وَقُتِلَ مَكَانَهُ، وَعَلَامَةُ ذَلِكَ أَنَّ أَهْلَهُ قَدْ
পৃষ্ঠা - ১০২৭
ষ্ষ্


এই হাদীসের সনদ গরীব ও অভিনব ৷ তবে নাসারাদের বর্ণনা সমুহের মধ্যে এটা অনেকটা
বিশুদ্ধ ৷ত তারা বলেছে মসীহ্ মারয়ামের নিকট এসেছিলেন ৷ মারযাম খেজুর গাছের শাখার
কাছে বসে কাদছিলেন ৷ ঈসা (আ)ত তাকে দেহের ক্ষত-ৰিক্ষত স্থানগুলাে দেখান এবং
মারয়ামকে জানান যে, তার রুহ্কে উপরে তুলে নেয়া হয়েছে এবং দেহকে ক্রুশবিদ্ধ করা
হয়েছে ৷ নাসা রাদের বর্ণিত এ ঘটনা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া , অতিবঞ্জিত ও বাতিল ৷
সত্যের পরিপন্থী ও অতিরিক্ত সং৷ য়ােজন ৷

ইবন আসাকির ইয়াহ্ইয়া ইবন হাবীবেব সুত্রে বর্ণনা করেন যে যে ব্যক্তিকে ক্রুশবিদ্ধ করা
হয়েছিল, মারযাম ধারণা করেছিলেন যে, সে তারই পুত্র ৷ত তাই তিনি ঘটনার সাত দিন পর
বাদশাহ্র লোকদের নিকট গিয়ে লাশটি নামিয়ে দেয়ার আবেদন জানান ৷ তারা তার আবেদনে
সাড়া দেয় এবং সেখানেই লাশটি দাফন করা হয় ৷ত তারপর মারযাম ইয়াহ্ইয়া ৷র মাকে বললেন,
চল, আমরা মাসীহ্র কবর যিয়ারত করে আসি ৷ উভয়ে রওয়ানা হলেন ৷ কবরের কাছাকাছি
পৌছলে মারযাম ইয়াহ্ইয়ার মাকে বললেন, পর্দা কর ৷ ইয়াহ্ইয়ার মা বললেন কার থেকে পর্দা
করব? বললেন কেন কবরের কাছে ঐ যে লোকটিকে দেখা যায়, তার থেকে ৷ ইয়াহ্ইয়ার মা
বললেন, কী বলছ? আমি তে ৷ কাউকে দেখতে পাচ্ছি না ! মারযাম তখন ভাবলেন, ইনি
জিবর৷ ঈল ফিরিশতা হযেন ৷ বস্তুত জিবরাঈলকে ৷তান বহু পুর্বে দেখেছিলেন ৷



যা হোক, ইয়াহ্ইয়া ৷র মাকে সেখানে রেখে মারযাম কবরের কাছে গেলেন ৷ কবরের নিকট
গেলে তিনি তাকে চিনতে পান ৷ আর জিবরাঈল বললেন, মারযাম ! কোথায় যাচ্ছা মারযাম
বললেন, মাসীহ্র কবর যিয়ারত করতে এবং তাকে সালাম জানাতে ৷ জিবরাঈল বললেন
মারযাম এ তো মাসীহ্ নয় ৷ তাকে তাে আল্লাহ তার স ৷তুন্নিধ্যে লে নিয়েছেন কাফিরদের হাত
থেকে তাকে পবিত্র করেছেন ৷ তবে কবরবাসীকে মসীহ্র আকৃতি বদলে দেয়৷ হয়েছে এবং
তাকেই, ক্রুশৰিদ্ধ করা হয়েছে ৷ এর নিদর্শন হচ্ছে এটা যে, ঐ লোকটির পরিবারের লোকজন
একে খুজে বেড়াচ্ছে, কোথাও তার সন্ধান পাচ্ছে না এবং তার কি হয়েছে তাও তারা জানে না;
এর জন্যে তারা কেবল কান্নাকাটি করে ফিরছে ৷ তুমি অমুক দিন অমুক বাগানের নিকট আসলে
মাসীহ্র সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে ৷ এ কথা বলে জিবরাঈল সেখান থেকে প্রস্থান করেন ৷

মারযাম তার বোনের নিকট ফিরে এসে জিবরাঈলের ব্যাপারে জানালেন এবং বাগানের
বিষয়টিও বললেন ৷ নির্দিষ্ট দিনে মারয়াম সেই বাগানের নিকট গেলে সেখানে মাসীহ্কে দেখতে
পান ৷ ঈসা ৷(আ) মাকে দেখতে পেয়ে তার দিকে ছুটে আসেন, মা তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং
তার মাথায় চুম্বন দেন ৷ তিনি পুর্বের মত তার জন্যে দোয়া করেন ৷ তারপর বলেন যা! আমার
সম্প্রদায়ের লোকেরা আমাকে হত্যা করতে পারেনি, আল্লাহ আমা৷,ক তার সান্নিধ্যে তুলে
নিয়েছেন এবং আপনার সাথে সাক্ষাত করার অনুমতি দিয়েছেন ৷ অচিরেই আপনার মৃত্যু হবে ৷
ধৈর্য ধরুন ও বেশী বেশী আল্লাহ্কে স্মরণ করুন ৷ অত ংপর ঈসা উর্ধলোকে চলে গেলেন ৷
এরপর মারয়ামের সাথে তার মৃত্যুর পুর্বে ঈসার আর সাক্ষাত হয়নি ৷ রাবী বলেন, ঈসা
(আ) এর উর্ধারোহনের পরে তার মা পাচ বছর জীবিত ছিলেন এবং তিপ্পান্ন বছর বয়সকালে
তিনি ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷
আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ২৪-


فَقَدُوهُ فَلَا يَدْرُونَ مَا فُعِلَ بِهِ، فَهُمْ يَبْكُونَ عَلَيْهِ، فَإِذَا كَانَ يَوْمُ كَذَا وَكَذَا، فَأْتِي غَيْضَةَ كَذَا وَكَذَا، فَإِنَّكِ تَلْقَيْنَ الْمَسِيحَ. قَالَ: فَرَجَعَتْ إِلَى أُخْتِهَا، وَصَعِدَ جِبْرِيلُ فَأَخْبَرَتْهَا عَنْ جِبْرِيلَ، وَمَا قَالَ لَهَا مِنْ أَمْرِ الْغَيْضَةِ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ الْيَوْمُ، ذَهَبَتْ فَوَجَدَتْ عِيسَى فِي الْغَيْضَةِ، فَلَمَّا رَآهَا أَسْرَعَ إِلَيْهَا فَأَكَبَّ عَلَيْهَا، فَقَبَّلَ رَأْسَهَا وَجَعَلَ يَدْعُو لَهَا كَمَا كَانَ يَفْعَلُ، وَقَالَ: يَا أُمَّهْ، إِنَّ الْقَوْمَ لَمْ يَقْتُلُونِي، وَلَكِنَّ اللَّهَ رَفَعَنِي إِلَيْهِ، وَأَذِنَ لِي فِي لِقَائِكَ، وَالْمَوْتُ يَأْتِيكِ قَرِيبًا، فَاصْبِرِي وَاذْكُرِي اللَّهَ. ثُمَّ صَعِدَ عِيسَى فَلَمْ تَلْقَهُ إِلَّا تِلْكَ الْمَرَّةَ حَتَّى مَاتَتْ. قَالَ: وَبَلَغَنِي أَنَّ مَرْيَمَ بَقِيَتْ بَعْدَ عِيسَى خَمْسَ سِنِينَ، وَمَاتَتْ وَلَهَا ثَلَاثٌ وَخَمْسُونَ سَنَةً، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا. وَقَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ: كَانَ عُمَرُ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، يَوْمَ رُفِعَ، أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَفِي الْحَدِيثِ: «إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ يَدْخُلُونَهَا جُرْدًا مُرْدًّا مُكَحَّلِينَ، أَبْنَاءَ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً» وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ: «عَلَى مِيلَادِ عِيسَى، وَحُسْنِ يُوسُفَ» وَكَذَا قَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنَّهُ قَالَ: رُفِعَ عِيسَى، وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ "، وَيَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ الْفَسَوِيُّ فِي " تَارِيخِهِ "، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ১০২৮
عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، أَنَّ أُمَّهُ فَاطِمَةَ بِنْتَ الْحُسَيْنِ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ تَقُولُ: «أَخْبَرَتْنِي فَاطِمَةُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَهَا أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ كَانَ بَعْدَهُ نَبِيٌّ إِلَّا عَاشَ الَّذِي بَعْدَهُ نِصْفَ عُمْرِ الَّذِي كَانَ قَبْلَهُ، وَأَنَّهُ أَخْبَرَنِي: أَنَّ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ عَاشَ عِشْرِينَ وَمِائَةَ سَنَةٍ، فَلَا أَرَانِي إِلَّا ذَاهِبٌ عَلَى رَأْسِ سِتِّينَ» هَذَا لَفْظُ الْفَسَوِيِّ ; فَهُوَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ. قَالَ الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ: وَالصَّحِيحُ أَنَّ عِيسَى لَمْ يَبْلُغْ هَذَا الْعُمْرَ، وَإِنَّمَا أَرَادَ بِهِ مُدَّةَ مَقَامِهِ فِي أُمَّتِهِ، كَمَا رَوَى سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ جَعْدَةَ، قَالَ: قَالَتْ فَاطِمَةُ: «قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ مَكَثَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ أَرْبَعِينَ سَنَةً» وَهَذَا مُنْقَطِعٌ. وَقَالَ جَرِيرٌ، وَالثَّوْرِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ: مَكَثَ عِيسَى فِي قَوْمِهِ أَرْبَعِينَ عَامًا. وَيُرْوَى عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيٍّ، أَنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، رُفِعَ لَيْلَةَ الثَّانِي وَالْعِشْرِينَ مِنْ رَمَضَانَ، وَتِلْكَ اللَّيْلَةُ فِي مِثْلِهَا تُوُفِّيَ عَلِيٌّ بَعْدَ طَعْنِهِ بِخَمْسَةِ أَيَّامٍ. وَقَدْ رَوَى الضَّحَّاكُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عِيسَى لَمَّا رَفَعَ إِلَى السَّمَاءِ جَاءَتْهُ سَحَابَةٌ فَدَنَتْ مِنْهُ حَتَّى جَلَسَ عَلَيْهَا، وَجَاءَتْهُ مَرْيَمُ فَوَدَّعَتْهُ وَبَكَتْ، ثُمَّ رُفِعَ وَهِيَ تَنْظُرُ إِلَيْهِ وَأَلْقَى إِلَيْهَا عِيسَى بُرْدًا لَهُ وَقَالَ: هَذَا عَلَامَةُ مَا بَيْنِي وَبَيْنَكِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. وَأَلْقَى عِمَامَتَهُ إِلَى شَمْعُونَ، وَجَعَلَتْ أُمُّهُ تُوَدِّعُهُ بِأُصْبُعِهَا، تُشِيرُ بِهَا إِلَيْهِ حَتَّى غَابَ عَنْهَا. وَكَانَتْ تُحِبُّهُ حُبًّا شَدِيدًا ; لِأَنَّهُ تَوَفَّرَ
পৃষ্ঠা - ১০২৯
ষ্ষ্


হাসান বসরী (র) বলেছেন, যে দিন হযরত ঈস৷ (আ)-কে আসমানে নেয়া হয় সে দিন
পর্যন্ত তার বয়স হয়েছিল চৌত্রিশ বছর ৷ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে জা ৷ন্নাতবাসীদের চুল ছোট হয়ে
দীড়ি উদ্ধৃত ৩হয়নি তারা এমন যুবকই হবেন ৷ তাদের চোখে সুরম৷ লাগান থাকবে ও তারা
তেত্রিশ বছরের যুবক হবেন ৷ অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে , জ ৷ন্নাতবাসীর৷ ঈস৷ (আ) এর
সযবয়সের হবেন এবং ইউসুফ (আ)-এর সৌন্দর্যমণ্ডিত চেহারা লাভ করবেন ৷ হাম্মাদ ইবন
সালম৷ সাঈদ ইবনুল মুসায়িাব থেকে বর্ণা৷ করেন, ঈস৷ (আ) কে যখন আসমানে ভুলে নেয়া
হয় তখন তার বয়স ছিল তেত্রিশ বছর ৷

হাকিম তার মুসতড়াদরাক গ্রন্থে এবং ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ফাসাবী তার ইতিহাস গ্রন্থে
ইবন আবি মারয়ামের সুত্রে আয়েশা (রা ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমাকে
ফাতিমড়া (রা) বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) ত কে জা ৷নিয়েছেন৪ একজন নবীর পরে যদি আর
এক জন নবীর আ ৷বির্তার হয়ত তবে পরবর্তী নবীর বয়স পুর্ববর্তী নবীর বয়সের অর্ধেক হয় ৷ নবী
(সা) আমাকে আরও বলেছেন যে, ঈস৷ ইবন মারয়ড়াম একশ বিশ বছর জীবিত ছিলেন ৷
সুতরাং আমি দেখছি, ষাট বছরের মাথায় আমার মৃত্যু হবে ৷ ফাসাবীর বর্ণিত এ হাদীসের সনদ
গরীব পর্যায়ের ৷

ইবন আসাকির বলেন, বিশুদ্ধ মত এই যে, ঈস৷ ৷(আ) ঐ পরিমাণ বয়স পাননি ৷ এর দ্বারা
তার উস্মতের মধ্যেত তার অবন্থানকাল বুঝানই উদ্দেশ্য ৷ যেমন সুফিয়ান ইবন উয়ায়না

ইয়াহ্য়৷ ইবন জা ’দা থেকে বর্ণনা করেন, হযরত ফা ৷তিমা (রা) বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
জানিয়েছেন : ঈস৷ ইবন মারয়াম বনী ইসরাঈলের মধ্যে চল্লিশ বছর অবস্থান করেছিলেন ৷ এ
হাদীসের সনদ বিচ্ছিন্ন ৷ জারীর ও ছাওরী আমাশের মাধ্যমে ইবরাহীম থেকে বর্ণনা করেন :
ঈস৷ (আ) তার সম্প্রদায়ের মধ্যে চল্লিশ বছর অবস্থান করেছিলেন ৷ আমীরুল মুমিনীন হযরত
আলী (রা) থেকে বর্ণিত : হযরত ঈস৷ (আ)-কে রমযান মাসের বাইশ তারিখের রাত্রে আকাশে
উঠিয়ে নেয়া হয় ৷ হযরত আলী (রা) ও শত্রুদের বর্শার আঘাত পাওয়ার পাচ দিন পর
রমযানের বাইশ তারিখ রাত্রে ইনতিকা ৷ল করেন ৷

যাহ্হাক (র) ইবন আব্বাস (যা) থেকে বণ্টা৷ করেন ঈস৷ (আ) কে যখন আসমানে তুলে
নেয়া হয় তখন এক খণ্ড যেঘ তার নিকটবর্তী হয় ৷ তিনি এর উপর বসেন ৷ মা মারয়াম সেখানে
উপস্থিত হন ৷ পুত্রকে বিদায় জানান ও ক ন্নাকাটি করেন ৷ তারপরে তাকে তুলে নেয়া হয় ৷
মারয়াম তাকিয়ে সে দৃশ্য দেখতে থাকেন ৷ উর্ধে উঠার সময় ঈস৷ (আ)ত তার মাকে নিজের
চাদরখানা দিয়ে যান এবং বলেন, এইটি হবে কিয়ামতের দিনে আমার ও আপনার মধ্যে
পরিচয়ের উপায় ৷ শিষ্য শাযউনের উদ্দেশ্যে তিনি নিজের পাগডীটি নিক্ষেপ করেন ৷ ঈস৷ যখন
উপরের দিকে উঠতে থাকেন তখন মা মারয়াম হাতের আঙ্গুল উঠিয়ে ইংগিতে তাকে বিদায়
জানাতে থাকেন ৷ যতক্ষণ না তিনি চোখের আড়ালে চলে যান ৷ মারয়াম ঈসাকে অত্যধিক স্নেহ
করতেন ৷ কেননা, পিতা না থাকার কারণে ঈস৷ পিতড়ামাত৷ উভয়ের ভালবাসা মাকেই দিতেন ৷
সফরে হোক কিৎব৷ বাড়িতে ৩হোক মারয়াম ঈসাকে সর্বদা কাছে রাখতে ,ন মুহ্রতেরি জন্যেও দুরে
যেতে তেন না ৷ জনৈক কবি বলেছেন :


عَلَيْهَا حُبُّهُ مِنْ جِهَتَيِ الْوَالِدَيْنِ، إِذْ لَا أَبَ لَهُ، وَكَانَتْ لَا تُفَارِقُهُ سَفَرًا وَلَا حَضَرًا. قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ: وَكُنْتُ أَرَى كَالْمَوْتِ مِنْ بَيْنِ سَاعَةٍ ... فَكَيفَ بِبَيْنٍ كَانَ مَوْعِدَهُ الْحَشْرُ وَذَكَرَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ عَنْ مُجَاهِدِ بْنِ جَبْرٍ، أَنَّ الْيَهُودَ لَمَّا صَلَبُوا ذَلِكَ الرَّجُلَ الَّذِي شُبِّهَ لَهُمْ، وَهُمْ يَحْسَبُونَهُ الْمَسِيحَ، وَسَلَّمَ لَهُمْ أَكْثَرُ النَّصَارَى ; بِجَهْلِهِمْ ذَلِكَ، تَسَلَّطُوا عَلَى أَصْحَابِهِ بِالْقَتْلِ وَالضَّرْبِ وَالْحَبْسِ فَبَلَغَ أَمْرُهُمْ إِلَى صَاحِبِ الرُّومِ، وَهُوَ مَلِكُ دِمَشْقَ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ الْيَهُودَ قَدْ تَسَلَّطُوا عَلَى أَصْحَابِ رَجُلٍ كَانَ يَذْكُرُ لَهُمْ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ، وَكَانَ يُحْيِي الْمَوْتَى، وَيُبْرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ، وَيَفْعَلُ الْعَجَائِبَ، فَعَدَوْا عَلَيْهِ فَقَتَلُوهُ، وَأَهَانُوا أَصْحَابَهُ وَحَبَسُوهُمْ. فَبَعَثَ فَجِيءَ بِهِمْ وَفِيهِمْ يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، وَشَمْعُونُ، وَجَمَاعَةٌ، فَسَأَلَهُمْ عَنْ أَمْرِ الْمَسِيحِ، فَأَخْبَرُوهُ عَنْهُ فتَابَعَهُمْ فِي دِينِهِمْ وَأَعْلَى كَلِمَتَهُمْ، وَظَهَرَ الْحَقُّ عَلَى الْيَهُودِ، وَعَلَتْ كَلِمَةُ النَّصَارَى عَلَيْهِمْ، وَبَعَثَ إِلَى الْمَصْلُوبِ فَوُضِعَ عَنْ جِذْعِهِ، وَجِيءَ بِالْجِذْعِ الَّذِي صُلِبَ عَلَيْهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ فَعَظَّمَهُ، فَمِنْ ثَمَّ عَظَّمَتِ النَّصَارَى الصَّلِيبَ، وَمِنْ هَاهُنَا دَخَلَ دِينُ النَّصْرَانِيَّةِ فِي الرُّومِ. وَفِي هَذَا نَظَرٌ مِنْ وُجُوهٍ ; أَحَدُهَا، أَنَّ يَحْيَى بْنَ زَكَرِيَّا نَبِيٌّ، لَا يُقِرُّ عَلَى أَنَّ الْمَصْلُوبَ عِيسَى ; فَإِنَّهُ مَعْصُومٌ يَعْلَمُ مَا وَقَعَ عَلَى جِهَةِ الْحَقِّ. الثَّانِي، أَنَّ الرُّومَ لَمْ يَدْخُلُوا فِي دِينِ الْمَسِيحِ إِلَّا بَعْدَ ثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ،
পৃষ্ঠা - ১০৩০
ষ্ষ্



এক মুহুর্তের বিরহ যেখানে আমার নিকট মৃতুদ্র যন্ত্রণার ন্যায় কঠিন, সেখানে রোজ হাশর
পর্যন্ত দীর্ঘ বিরহ ব্যথা আমি কিভাবে সইবঃ

ইসহাক ইবন বিশর মুজ৷ ৷হিদ ইবন জুবায়র (র) সুত্রে বর্ণনা করেন, ইয়াহুদীরা মসীহ্রুপী
যেই ব্যক্তিকে ক্রুশবিদ্ধ করেছিল তাকে তারা আসল মসীহ্ বলেই বিশ্বাস করত ৷ অধিকাৎশ
নাসারা মুর্থতাবশত এই বিশ্বাসেরই সমর্থক ছিল ৷ এরপর তারা মাসীহ্র শিষ্য সমর্থকদের উপর
ধর-পাকড়, হত্যা ও নির্যাতন আরম্ভ করে ৷ এ সংবাদ রোম অধিপতি ও তদানিন্তন দামিশকের
বাদশাহ্র নিকট পৌছে ৷ বাদশাহ্কে জানান হয় যে, ইয়াহুদীরা এমন এক ব্যক্তির শিষ্য
সমর্থকদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে, যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর রাসুল বলে দাবী করে, সে
মৃত্যকে জীবিত করে, জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ রোপীকে নিরা ৷ময় করে এবং আরো অনেক বিস্ময়কর ঘটনা
ঘটায় ৷ ইয়াহুদীরা তার উপর চড়াও হয় এবং তাকে হত্যা করে ৷ তার শিষ্য ও অনুসারীদেরকে
লাঞ্ছিত করে ও বন্দী করে রাখে ৷ এ সব কথা শুনে বাদশাহ উক্ত নবীর কতিপয় অনুসারীকে
তার নিকট আনার জন্যে দুত প্রেরণ করেন ৷

বাদশাহ্র দুত কয়েকজন অনুসারীকে সেখানে নিয়ে আসে ৷ এদের মধ্যে ইয়াহ্ইয়৷ ইবন
যাকা ৷বিয়্যা এবং শামউন সহ বেশ কিছুলোক ছিলেন ৷ বাদশাহ তাদের নিকট মাসীভ্রু র কার্যাবলী
সম্পর্কে জিজ্ঞ৷ ৷সাবাদ করেন ৷ ত ৷রা বিস্তারিত ভাবে মাসীহ্র কাজকর্ম সম্পর্কে বাদশাহকে অবগত
করেন ৷ সবকিছু শুনে বাদশাহ তাদের নিকট মাসীহ্র দীন গ্রহণ করেন ৷ তাদের দীনের
দাওয়াতের প্রসার ঘটান ৷ এভাবে ইয়৷ হুদীদের উপরে সত্য বিজয় লাভ করে এবং নাসারাদের
বাণী তাদের উপর গ্রেষ্ঠত্বের সম্মানে ভুষিত হয় ৷ অতঃপর বাদশাহ ক্রুশবিদ্ধ লাশের কাছে লোক
প্রেরণ করেন ৷ শুল কাষ্ঠ থেকে লাশ নামান হয় এবং ক্রুশ ৷-ফলকটি নিয়ে আসা হয় ৷ বাদশাহ
ক্রুশ ফলককে সম্মান প্রদর্শন করেন ৷ তখন থেকে নাসারা সম্প্রদায় ক্রুশচিহ্নকে সম্মান করতে
শুরু করে ৷ এ ঘটনার পর থেকে নাসারা (খ্রীষ্টান) ধর্ম রোম সাম্রাজে প্রসার লাভ করে ৷ কিন্তু
কয়েকটি কারণে এই বর্ণনাটি সৎশয়মুক্ত নয় ৷ এক৪ ইয়াহয়৷ ইবন যাকারিয়্যা (আ) নবী
ছিলেন ৷ ঈসা (আ) কে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছে, এ কথা তিনি স্বীকা ৷র করতেন না ৷ কেননা তিনি
ছিলেন যা সুম নবী ৷ ঈসা (আ) কে নিরাপদ হেফাজতে নেয়া হয়েছে এই সত্যে তিনি বিশ্বাস
করতেন ৷ দুই৪ মাসীহ্র আগমনের তিনশ’ বছর পর রোম সাম্রাজেব্র খৃষ্টান ধম প্রবেশ করে
তার পুর্বে নয় ৷ এটা ই ঐতিহাসিক সত্য ৷ কেননা রোমে খ্রীষ্টা ৷ন ধর্ম প্রবেশ করেছিল কুসতুনভীন
ইবন কুসতু ন এর শাসনামলে, যিনি ছিলেন কনষ্টানটিনােপল তথা ৷ইস্তাম্বুল শহরের প্রতিষ্ঠাতা ৷
এ বিষয়ে আমরা পরে আলোচনা করব ৷ তিন ন ৪াইয় হুদীরা ঐ ব্যক্তিকে শুলে চড়ানাের পর সেই
স্থানটিকে একটি ঘৃণিত স্থান হিসেবে ফেলে রাখে ৷ সেখানে তারা ময়লা-আবর্জনা ও মৃত
জীবজভু নিক্ষেপ করত ৷ সম্রাট কনক্টানটাইনের আমল পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকে ৷
অতঃপর সম্রাট কনন্টানটাইনে ম৷ হাযলানা আল হার্বানিয়৷ আল-ফুনদুকানিয়৷ উক্ত ক্রুশবিদ্ধ
লােকটিকে মাসীহ্ বলে বিশ্বাস করেন এবং সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করেন ৷ তিনি সেখানে


وَذَلِكَ فِي زَمَانِ قُسْطَنْطِينَ بْنِ قَسْطَسَ بَانِي الْمَدِينَةِ الْمَنْسُوبَةِ إِلَيْهِ عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ. الثَّالِثُ، أَنَّ الْيَهُودَ لَمَّا صَلَبُوا ذَلِكَ الرَّجُلَ ثُمَّ أَلْقَوْهُ بِخَشَبَتِهِ جَعَلُوا مَكَانَهُ مَطْرَحًا لِلْقُمَامَةِ وَالنَّجَاسَةَ وَجِيَفَ الْمَيْتَاتِ وَالْقَاذُورَاتِ، فَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى كَانَ فِي زَمَانِ قُسْطَنْطِينَ الْمَذْكُورِ، فَعَمَدَتْ أُمُّهُ هِيلَانَةُ الْحَرَّانِيَّةُ الْفِنْدِقَانِيَّةُ فَاسْتَخْرَجَتْهُ مِنْ هُنَالِكَ مُعْتَقِدَةً أَنَّهُ الْمَسِيحُ، وَوَجَدُوا الْخَشَبَةَ الَّتِي صُلِبَ عَلَيْهَا الْمَصْلُوبُ، فَذَكَرُوا أَنَّهُ مَا مَسَّهَا ذُو عَاهَةٍ إِلَّا عُوفِيَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَكَانَ هَذَا أَمْ لَا؟ وَهَلْ كَانَ هَذَا لِأَنَّ ذَلِكَ الرَّجُلَ الَّذِي بَذَلَ نَفْسَهُ كَانَ رَجُلًا صَالِحًا، أَوْ كَانَ هَذَا مِحْنَةً وَفِتْنَةً لِأُمَّةِ النَّصَارَى فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ؟ حَتَّى عَظَّمُوا تِلْكَ الْخَشَبَةَ وَغَشَّوْهَا بِالذَّهَبِ وَاللَّآلِئِ، وَمِنْ ثَمَّ اتَّخَذُوا الصُّلْبَانَاتِ وَتَبَرَّكُوا بِشَكْلِهَا وَقَبَّلُوهَا، لَعَنَهُمُ اللَّهُ، وَأَمَرَتْ أُمُّ الْمَلِكِ هِيلَانَةُ فَأُزِيلَتْ تِلْكَ الْقُمَامَةُ، وَبُنِيَ مَكَانَهَا كَنِيسَةٌ هَائِلَةٌ مُزَخْرَفَةٌ بِأَنْوَاعِ الزِّينَةِ. فَهِيَ هَذِهِ الْمَشْهُورَةُ الْيَوْمَ بِبَلَدِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، الَّتِي يُقَالُ لَهَا: الْقُمَامَةُ. بِاعْتِبَارِ مَا كَانَ عِنْدَهَا، وَيُسَمُّونَهَا الْقِيَامَةَ، يَعْنُونَ الَّتِي يَقُومُ جَسَدُ الْمَسِيحِ مِنْهَا. ثُمَّ أَمَرَتْ هِيلَانَةُ بِأَنْ تُوضَعَ قُمَامَةُ الْبَلَدِ، وَكُنَاسَتُهُ وَقَاذُورَاتُهُ عَلَى الصَّخْرَةِ الَّتِي هِيَ قِبْلَةُ الْيَهُودِ، فَلَمْ تَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى فَتَحَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَيْتَ الْمَقْدِسِ، فَكَنَسَ عَنْهَا الْقُمَامَةَ بِرِدَائِهِ، وَطَهَّرَهَا مِنَ الْأَخْبَاثِ وَالْأَنْجَاسِ، وَلَمْ يَضَعِ الْمَسْجِدَ وَرَاءَهَا، وَلَكِنْ أَمَامَهَا، حَيْثُ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ بِالْأَنْبِيَاءِ، وَهُوَ الْأَقْصَى.