আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة عيسى بن مريم

باب بيان أن الله تعالى منزه عن الولد

পৃষ্ঠা - ৯৬৬
ষ্ষ্


এ প্রসংগে সুরা মারয়ামে আল্লাহ বলেন :


,
¥’ তাং)ধুস্ষ্ত্নী গ্রস্পো শুশ্ংপুট্রু
,


-তার৷ বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন ! তোমরা তো এক বীভৎস কথার অবতারণা
করেছ; (অর্থাৎ তোমাদের এ কথা অত্যন্ত ভয়াবহ, কুরুচিপুর্ণ ও নিরেট মিথ্যা ৷) এতে যেন
আকাশমণ্ডলী বিদীর্ণ হয়ে যাবে, পৃথিবী খণ্ড-বিখণ্ড হবে ও পর্বতমওলী চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে আপতিত
হবে, যেহেতু তারা দয়াময়ের প্রতি সন্তান আরোপ করে ৷ অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের
জন্যে শোভন নয় ৷ আক কাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে এমন কেউ নেই, যে দয়াময়ের নিকট বান্দারুপে
উপস্থিত হয়ে না ৷ তিনি তাদেরকে পরিরেষ্টন করে রেখেছেন এবৎ৩ তিনি তাদেরকে বিশেষভাবে
গণনা করেছেন, এবং কিয়ামত দিবসে তাদের সকলেই তার নিকট আসবে একাকী অবস্থায় ৷
(১৯ মারয়াম৪ ৮৮ ৯৫)

উক্ত আয়া৩ তসমুহে আল্লাহ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে, সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর জন্যে
মোটেই শোভনীয় নয় ৷ কেননা তিনি সব কিছুরই সৃষ্টিকর্তা ও মালিক এবং সব কিছু তার
মুখাপেক্ষী ও অনুগত ৷ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সকলেই তার দাস, তিনি এ সবের প্রতিপালক ৷
তিনি ব্যতীত আর কো ন উপাস্য নেই , আর কো ন প্ৰতিপালকও নেই ৷ যেমন আল্লাহ তা আলা
বলেন :




ণ্ট্টড্রু

ৰুট্রুৰুষ্টুণ্ পুওপ্লু;স্পোঠু-ষ্টুটুঠুপুর্মু;এেৰু ;;ৰুাহ্র’ ;পুা হু ৰু,ট্রুা৷১া৷ব্লুৰ্া৷১াট্রুড্রুষুর্দু এ
)

১া


[بَابُ بَيَانِ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى مُنَزَّهٌ عَنِ الْوَلَدِ] قَالَ تَعَالَى فِي آخِرِ هَذِهِ السُّورَةِ: {وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَنُ وَلَدًا لَقَدْ جِئْتُمْ شَيْئًا إِدًّا} [مريم: 88] أَيْ شَيْئًا عَظِيمًا، وَمُنْكَرًا مِنَ الْقَوْلِ وَزُورًا. {تَكَادُ السَّمَاوَاتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَتَنْشَقُّ الْأَرْضُ وَتَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّا أَنْ دَعَوْا لِلرَّحْمَنِ وَلَدًا وَمَا يَنْبَغِي لِلرَّحْمَنِ أَنْ يَتَّخِذَ وَلَدًا إِنْ كُلُّ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ إِلَّا آتِي الرَّحْمَنِ عَبْدًا لَقَدْ أَحْصَاهُمْ وَعَدَّهُمْ عَدًّا وَكُلُّهُمْ آتِيهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَرْدًا} [مريم: 90] فَبَيِّنَ أَنَّهُ تَعَالَى لَا يَنْبَغِي لَهُ الْوَلَدُ ; لِأَنَّهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ وَمَالِكُهُ، وَكُلُّ شَيْءٍ فَقِيرٌ إِلَيْهِ، خَاضِعٌ ذَلِيلٌ لَدَيْهِ، وَجَمِيعُ سُكَّانِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ عَبِيدُهُ، وَهُوَ رَبُّهُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، وَلَا رَبَّ سِوَاهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَجَعَلُوا لِلَّهِ شُرَكَاءَ الْجِنَّ وَخَلَقَهُمْ وَخَرَقُوا لَهُ بَنِينَ وَبَنَاتٍ بِغَيْرِ عِلْمٍ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يَصِفُونَ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنَّى يَكُونُ لَهُ وَلَدٌ وَلَمْ تَكُنْ لَهُ صَاحِبَةٌ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْءٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ فَاعْبُدُوهُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الْأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ} [الأنعام: 100] [الْأَنْعَامِ: 100 - 103] . فَبَيَّنَ أَنَّهُ خَالِقُ كُلِّ
পৃষ্ঠা - ৯৬৭
ষ্ষ্


তারা জিনকে আল্লাহর শরীক করে, অথচ তিনিই ওদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তারা
অজ্ঞতাবশত আল্লাহর প্ৰতি পুত্রকন্যা আরোপ করে; তিনি পবিত্র মহিমম্বিত৷ এবং তারা যা
বলে, তিনি তার উভ্রুর্ধ্ব ৷ তিনি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, তার সন্তান হাব কিরুপে? তার তো
কো ন ত্রী নেই? তিনিইতে ৷সমন্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্যেক বস্তু সম্পর্কে তিনিই সবিশেষ
অবহিত ৷ তিনিই তো আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপা ৷লক; তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই; তিনিই
সব কিছুর স্রষ্টা; সুতরাং তামরা তীর ইবাদত কর; তিনি সব কিছুরত তত্ত্বাবধায়ক ৷ তিনি
দৃষ্টির অধিগম্য নহেন কিন্তু দৃষ্টি শক্তি তার অধিগত এবং তিনিই সৃক্ষ্মদর্শী সম্যক পরিজ্ঞাত
(৬ আনআমং ১০০ ১০৩)

এখানে আল্লাহ স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, তিনি সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা ৷ সৃতবাৎ কিরুপে তার
সন্তান হতে পারে? আমরা জানি, সম-শ্রেণীর দু’জনের মিলন ব্যতীত সন্তান হয় না ৷ আর
আল্লাহর সমকক্ষ, সদৃশ ও সমশ্রেণীর কেউ নেই ৷ অতএব, তার শ্লীও £নই ৷ সুতরাং তার
সন্তানও হতে পারে না ৷ যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেন :


বল, তিনিই আল্লাহ একক ও অদ্বিভীয় ৷ আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নভ্রুহন সকলেই তার
মুখাপেক্ষী ৷ তিনি কাউকেও জন্ম দেননি এবং তাকেও জন দেয়া হয়নি এবং তার সমতুল্য
কেউ-ই নেই ৷ ( ১ ১ ২ ইখলাস :; ১ ৪)

আল্লাহ একক’ অর্থ তিনি এমন এক অস্তিতু র্যার সত্তার কোন সদৃশ নেই ৷ গুণারলীর কোন
দৃষ্ট৷ ম্ভ নেই এবং কর্মকাণ্ডের কো ন উদাহরণ নেই ৷াপ্এ ৷ (আ স সামাদ) এমন মনিবকে বলা
হয় যার মধ্যে জ্ঞান প্রজ্ঞা, করুণ৷ ও সমস্ত গুণাবলী পরিপুর্ণভাবে থাকে ৷ এ ংণ্পুত তিনি কাউকে
জন্ম দেননি ৷ এ ণ্৷ এ অর্থ পুর্বের কোন কিছু থেকে তিনি সৃষ্টি নন ৷ ৷ ম্র-^-ৰু fl ং;,:<; ট্রু৷ §
া১ ৷ অর্থাৎ তার সমকক্ষ, সমপর্যায়ের ও সমান আর কেউ নেই ৷ এ আয়াতগুলো থেকে জানা
গেল যে, আল্লাহর নবীর, কাছাকাছি, তার চেয়ে উধের্ব বা সমপর্যায়ের অন্য কেউ নেই ৷ সুতরাং
তীর সন্তান হওয়ার কোন পথই খোলা নেই ৷ কেননা সন্তান জন্ম হয় সম জাতীয় বা অন্তত
সম শ্রেণীর কাছাক কাছি দু’ জনের মাধ্যমে কিন্তু আল্লাহত তার অনেক উধের্ব ৷ অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ

৷ ৷ প্রু;১াঠু



ৰু৷ ৷ ণ্এা৷ৰু ৷র্টু;শুাহ্ন্

ঢেপ্লৰু এ গ্র০বু)খু

০ :

ধ্এ ৷প্রু

প্ ; :



شَيْءٍ، فَكَيْفَ يَكُونُ لَهُ وَلَدٌ، وَالْوَلَدُ لَا يَكُونُ إِلَّا بَيْنَ شَيْئَيْنِ مُتَنَاسِبَيْنِ! وَاللَّهُ تَعَالَى لَا نَظِيرَ لَهُ، وَلَا شَبِيهَ لَهُ، وَلَا عَدِيلَ لَهُ، وَلَا صَاحِبَةَ لَهُ، فَلَا يَكُونُ لَهُ وَلَدٌ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ اللَّهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ} [الإخلاص: 1] وَهُوَ السَّيِّدُ الَّذِي كَمُلَ فِي عِلْمِهِ وَحِكْمَتِهِ وَرَحْمَتِهِ، وَجَمِيعِ صِفَاتِهِ. {لَمْ يَلِدْ} [الإخلاص: 3] أَيْ: لَمْ يُوجَدْ مِنْهُ وَلَدٌ. {وَلَمْ يُولَدْ} [الإخلاص: 3] أَيْ: وَلَمْ يَتَوَلَّدْ عَنْ شَيْءٍ قَبْلَهُ. {وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ} [الإخلاص: 4] أَيْ: وَلَيْسَ لَهُ عِدْلٌ وَلَا مُكَافِئٌ وَلَا مُسَاوٍ، فَقَطَعَ النَّظِيرَ الْمُدَانِيَ وَالْأَعْلَى وَالْمُسَاوِيَ ; فَانْتَفَى أَنْ يَكُونَ لَهُ وَلَدٌ، إِذْ لَا يَكُونُ الْوَلَدُ إِلَّا مُتَوَلِّدًا بَيْنَ شَيْئَيْنِ مُتَعَادِلَيْنِ أَوْ مُتَقَارِبَيْنِ، وَتَعَالَى اللَّهُ عَنْ ذَلِكَ عُلُوًّا كَبِيرًا. وَقَالَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَتَقَدَّسَ: {يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَا تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلَا تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلَّا الْحَقَّ إِنَّمَا الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَسُولُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ وَلَا تَقُولُوا ثَلَاثَةٌ انْتَهُوا خَيْرًا لَكُمْ إِنَّمَا اللَّهُ إِلَهٌ وَاحِدٌ سُبْحَانَهُ أَنْ يَكُونَ لَهُ وَلَدٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَكَفَى بِاللَّهِ وَكِيلًا لَنْ يَسْتَنْكِفَ الْمَسِيحُ أَنْ يَكُونَ عَبْدًا لِلَّهِ وَلَا الْمَلَائِكَةُ الْمُقَرَّبُونَ وَمَنْ يَسْتَنْكِفْ عَنْ عِبَادَتِهِ وَيَسْتَكْبِرْ فَسَيَحْشُرُهُمْ إِلَيْهِ جَمِيعًا فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَيُوَفِّيهِمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدُهُمْ مِنْ فَضْلِهِ وَأَمَّا الَّذِينَ اسْتَنْكَفُوا وَاسْتَكْبَرُوا فَيُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَلَا يَجِدُونَ لَهُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا} [النساء: 171] [النِّسَاءِ: 171 - 173] .
পৃষ্ঠা - ৯৬৮
ষ্ষ্


৩ ’ ’ ৷ন্ )

ণ্ট্রি

১াটু ;ট্রু১

১ছুৰুন্শ্১ট্ট ৰু৷ ১ ৷ট্রুন্৷ চুএে ৷ ১ ১এ ১ন্ষ্ ণ্শুএ ১ ১ ১হ্ঠু
-হে কিতাবীগণ দীনের ব্যাপারে বাড়াব৷ ৷ড়ি করে নাও আল্লাহ সম্বন্ধে সত্য ব্যতীত বলো
ন৷ ৷ মারয়াম তনয় ঈসা মসীহ্ তো আল্লাহর রাসুল এবং ৩ ৷র রাণী, যা তিনি ৷মারয়ামের নিকট
প্রেরণ করেছিলেন ও তার আদেশ ৷ সুতরাং তোমরা আল্লাহ ও তার রাসুলে ঈমান আন এবং
বলো না তিন ৷ নিবৃত্ত হও, এটা তোমাদের জন্যে কল্যাণকর হবে ৷ আল্লাহ তাে একমাত্র ইলাহ;
তার সন্তান হবে-৩ তিনি এ থেকে পবিত্র ৷ আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই;
কর্মবিধানে আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ মসীহ আল্লাহর বান্দা হওয়তৃক কখনো হেয় জ্ঞান করে না এবং
ঘনিষ্ঠ ফেরেশতাগণও করে না ৷ এবং কেউ তার ইবাদতকে হেয় জ্ঞান করলে এবং অহংকার
করলে তিনি অবশ ৷ই তাদের সকলকে তার নিকট একত্র করবেন ৷ যারা ঈমান আসে ও সৎকার্য
করে তিনি তাদেরকে পুর্ণ পুরস্কার দান করবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশী দিবেন; কিন্তু
যায়া হেয় জ্ঞান করে ও অহংকার করে তাদেরকে৩ তিনি মর্যত্তুদ শাস্তি দান করবেন এবং আল্লাহ
ব্যতীত তাদের জন্যে তারা কো ন অভিতাবক ও সহায় পাবে না ৷ (৪ নিসা : ১৭১ ১ ৭৩)

আল্লাহ আহ্লে কিতাব ও তাদের অনুরুপ সম্প্রদায়কে ধর্মীয় বিষয়ে বাড়াবাড়ি ও অহ কার
প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন ৷ ধর্মে বাড়া বাড়ি অর্থ আকীদা বিশ্বাস ও ক্রিয়া কর্মে নির্ধারিত
সীমা লঙ্ঘন করা ৷ নাসারা বা খৃষ্ট ন সম্প্রদায় মাসীহ্-এর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি ও সীমা লঙ্ঘন
করেছে ৷ এ ক্ষেত্রে তাদের উচিত ছিল তাকে আল্লাহর বান্দ৷ ও রাসুল হিসেবে বিশ্বাস করা এবং
এই আকীদা পোষণ করা যে, তিনি আল্লাহর সতী বীদী কুমারী মারয়ামের সন্তান ৷ ফিরিশতা
জিবরাঈলকে আল্লাহ মারয়ামের নিকট প্রেরণ করেন ৷ তিনি আল্লাহর হকুম অনুযায়ী মারয়ামের
মধ্যে কুক দেন ৷ এই প্রক্রিয়ায় হযরত ঈসা (আ) মারয়ামের গর্ভে আসেন ৷ ফিরিশতার কুকে
মারয়ামের ভিতর যে জিনিসটি প্রবেশ করে, তা হল রুহুল্লাহ বা আল্লাহর রুহ্ ৷ এই রুহ্ আল্লাহর
কোন অংশ নয় বরং আল্লাহর সৃষ্টি বা মাখৃলুক ৷ অ ৷ল্লাহ্র দিকে রুহ্কে সম্পর্কিত করা ৷হয়েছে
সম্মানার্থে ও গুরুতৃ প্রকাশের উদ্দেশ্যে ৷ যেমন বলা হয়ে থাকে, রায়তৃল্লাহ্ (আল্লাহর ঘর)

কাতুল্লাহ (আ ল্লাহ্র উষ্টী) আবদুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা) ই৩ ৷৷দি ৷ অনুরুপ একই উদ্দেশে বলা
হয়েছে রুহুল্লাহ্ অর্থাৎ আল্লাহর রুহ ৷ বিনা পিতার জন্ম হওয়ায় হযরত ঈসাকে বলা হয়েছে
রুহল্লাহ্ ৷ তাকে কালেমাভুল্লাহ ব৷ আল্লাহর কলেমাও (বাণী) বলা হয় ৷ £কনন৷ আল্লাহর এক
কলেমার (বাণী) দ্বারাই তিনি অস্তিত্ব লাভ করেন ৷ যেমন আল্লাহ বলেছেন :

া!ন্শ্ শ্ ষ্হু

) ৷ন্




يَنْهَى تَعَالَى أَهْلَ الْكِتَابِ وَمَنْ شَابَهَهُمْ، عَنِ الْغُلُوِّ وَالْإِطْرَاءِ فِي الدِّينِ، وَهُوَ مُجَاوَزَةُ الْحَدِّ ; فَالنَّصَارَى - لَعَنَهُمُ اللَّهُ - غَلَوْا وَأَطْرَوُا الْمَسِيحَ حَتَّى جَاوَزُوا الْحَدَّ، فَكَانَ الْوَاجِبُ عَلَيْهِمْ أَنْ يَعْتَقِدُوا أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، وَابْنُ أَمَتِهِ الْعَذْرَاءِ الْبَتُولِ، الَّتِي أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا، فَبَعَثَ اللَّهُ الْمَلَكَ جِبْرِيلَ إِلَيْهَا، فَنَفَخَ فِيهَا عَنْ أَمْرِ اللَّهِ نَفْخَةً حَمَلَتْ مِنْهَا بِوَلَدِهَا عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَالَّذِي اتَّصَلَ بِهَا مِنَ الْمَلَكِ هِيَ الرُّوحُ الْمُضَافَةُ إِلَى اللَّهِ إِضَافَةَ تَشْرِيفٍ وَتَكْرِيمٍ، وَهِيَ مَخْلُوقَةٌ مِنْ مَخْلُوقَاتِ اللَّهِ تَعَالَى، كَمَا يُقَالُ: بَيْتُ اللَّهِ، وَنَاقَةُ اللَّهِ، وَعَبْدُ اللَّهِ، وَكَذَا: رُوحُ اللَّهِ، أُضِيفَتْ إِلَيْهِ تَشْرِيفًا لَهَا وَتَكْرِيمًا، وَسُمِّيَ عِيسَى بِهَا ; لِأَنَّهُ كَانَ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَبٍ، وَهِيَ الْكَلِمَةُ أَيْضًا الَّتِي عَنْهَا خُلِقَ، وَبِسَبَبِهَا وُجِدَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {إِنَّ مَثَلَ عِيسَى عِنْدَ اللَّهِ كَمَثَلِ آدَمَ خَلَقَهُ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ قَالَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ} [آل عمران: 59] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَقَالُوا اتَّخَذَ اللَّهُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ بَلْ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ كُلٌّ لَهُ قَانِتُونَ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَإِذَا قَضَى أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ} [البقرة: 116] [التَّوْبَةِ: 30] . فَأَخْبَرَ تَعَالَى أَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى، عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ، كُلٌّ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৯৬৯
ষ্ষ্


আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্ট৷ ম্ভ আদমের দৃষ্টান্ত সদৃশ ৷৩ তাকে বলেছিলেন, হও, ফলে সে হয়ে
গেল ৷ (৩ আলে ইমরান৪ ৫৯) ৷ অন্যত্র আল্লাহ বলেছেন০ : তারা বলে , আল্লাহ সন্তান গ্রহণ
করেছেন ৷ তিনি অতি পবিত্র ৷ বরং আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই ৷
সব কিছু ত ৷রই এক ম্ভ অনুগত ৷ আল্লাহ আকাশমওলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা ৷ এর ফলে তিনি কোন
কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন তার জন্য শুধু বলেন, হও আর তা হয়ে যায় ৷ (২ বাকারা
১ ১৬ ১ ১ ৭)

এখানে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ইয়াহুদীরা বলে, উযায়র আল্লাহর পুত্র এবং খৃষ্টানরা
বলে, মসীহ্ আল্লাহর পুত্র ৷ এটা তাদের মুখের কথা ৷ পুর্বে যারা কুফরী করেছিল এরা তাদের
মত কথা বলে ৷ আল্লাহ ওদেরকে ধ্বংস করুন ৷ তারা (কমন করে সত্য বিমুখ হয় ৷ ” (৯ তা ওরা
৪ ৩০) ৷ এখানে আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইয়াহুদী ও খৃষ্টান অভিশপ্ত উভয় দলই আল্লাহর
ব্যাপারে অন্যায় ও অযৌক্তিক দাবি করেছে এবং ধারণা করেছে যে আল্লাহর পুত্র সন্তান আছে ৷
অথচ তাদের এ দাবির বহু উরুর্ধ্ব আল্লাহর মর্যাদা ৷ আল্লাহ আরও জানিয়েছেন যে, তাদের এ
দাবি সম্পুর্ণ মনগড়া ৷ এদের পুর্ববর্তী পথভ্রষ্ট মানুষও এ জাতীয় মনগড়া উক্তি করেছে ৷ তাদের
সাথে এদের অম্ভরের মিল রয়েছে ৷ যেমন পথভ্রষ্ট গ্রীক দার্শনিকগণ বলেছেন, ওয়াজিবুল উজ্ব দে
ঈশ্বর বা আল্লাহ তাদের পরিভাষার আদি কারণ বা প্রথম অস্তিত্ব ৷া ০০ ৷ , ৰুা৷৷ ৷ ডা; )
( এ এ১৷ ৷ থেকে আকলে আউয়াল (বুদ্ধি সত্তা) প্রকাশ পায় ৷ অতঃপর আকলে আউয়াল থেকে
দ্বিতীয় অ কলে (বুদ্ধিমত্তা) প্রাণ (গ্রা০ৰুরু০) আকাশকক্ষপথ (;া৷ৰু ) সৃষ্টি হয় ৷ অত০পর দ্বিতীয়
আকল থেকে অনুরুপ৩ তিনটি সৃষ্টির উদ্ভব হয় ৷ এভাবে চলতে চলতে বুদ্ধিসত্তা ১০টি প্রাণ
(প্লেপ্ ) ৯টি এব০ আকাশকক্ষপথ ৯ টিতে গিয়ে শেষ হয়েছে ৷ এগুলোর প্রকৃত কটির যে সব
নাম ত রা উল্লেখ করেছে এবংত তাদের শক্তি ও ক্ষমত তার যে বর্ণনা দিয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা,
মনগড়া ও নেহাৎ ধারণা প্রসুত ৷ তাদের বক্তব্যের অসারতা, ভ্রষ্টত৷ ও যুর্থতা বর্ণনা করার স্থান
এটা নয় ৷ অনুরুপ আরবের কতিপয় মুশরিক গোত্র মুর্থতাবশত বিশ্বাস করত যে, ফিরিশতাগণ
আল্লাহর কন্যা ৷ তাদের মতে, আল্লাহ মর্যাদাবা ন জিন সর্দারদের জামাত৷ ৷ উভয়ের মাধ্যমে জন্ম
হয়েছে ফিরিশত ৷ ৷ এ সুত্রেই ফিরিশতাগণ আল্লাহর কন্যা অথচ আল্লাহ এ জাতীয় শির্ক থেকে
সম্পুর্ণ মুক্ত ও পবিত্র ৷
আল্লাহর বাণী :
তারা দয়াময় আল্লাহর বান্দ৷ ফিরিশতাদরকে নারী গণ্য করেছে; এদের সৃষ্টি কিত
প্রত্যক্ষ করেছিল? তাদের উক্তি লিপিবদ্ধ করা হবে এর০ তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে ৷ (৪৩
যুখরুফং : ১৯)

এ প্রসংগে অন্যত্র আল্লাহ বলেন : এখন তাদেরকে জিজ্ঞেস কর, তোমার প্ৰতিপালকের
জংন্যই কি রয়েছে কন্যা সন্তান এবং ওদের জন্যে পুত্র সন্তান? অথবা আমি কি ফিরিশতাদেরকে


الْفَرِيقَيْنِ ادَّعَوْا عَلَى اللَّهِ شَطَطًا، وَزَعَمُوا أَنَّ لَهُ وَلَدًا، تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُونَ عُلُوًّا كَبِيرًا، وَأَخْبَرَ أَنَّهُمْ لَيْسَ لَهُمْ مُسْتَنَدٌ فِيمَا زَعَمُوهُ، وَلَا فِيمَا ائْتَفَكُوهُ، إِلَّا مُجَرَّدُ الْقَوْلِ وَمُشَابَهَةُ مَنْ سَبَقَهُمْ إِلَى هَذِهِ الْمَقَالَةِ الضَّالَّةِ، تَشَابَهَتْ قُلُوبُهُمْ، وَذَلِكَ أَنَّ الْفَلَاسِفَةَ - عَلَيْهِمْ لَعْنَةُ اللَّهِ - زَعَمُوا أَنَّ الْعَقْلَ الْأَوَّلَ صَدَرَ عَنْ وَاجِبِ الْوُجُودِ، الَّذِي يُعَبِّرُونَ عَنْهُ بِعِلَّةِ الْعِلَلِ، وَالْمَبْدَأِ الْأَوَّلِ، وَأَنَّهُ صَدَرَ عَنِ الْعَقْلِ الْأَوَّلِ عَقْلٌ ثَانٍ، وَنَفْسٌ وَفَلَكٌ، ثُمَّ صَدَرَ عَنِ الثَّانِي كَذَلِكَ، حَتَّى تَنَاهَتِ الْعُقُولُ إِلَى عَشَرَةٍ، وَالنُّفُوسُ إِلَى تِسْعَةٍ، وَالْأَفْلَاكُ إِلَى تِسْعَةٍ، بِاعْتِبَارَاتٍ فَاسِدَةٍ ذَكَرُوهَا، وَاخْتِيَارَاتٍ بَارِدَةٍ أَوْرَدُوهَا، وَلِبَسْطِ الْكَلَامِ مَعَهُمْ، وَبَيَانِ جَهْلِهِمْ وَقِلَّةِ عَقْلِهِمْ، مَوْضِعٌ آخَرُ. وَهَكَذَا طَوَائِفُ مِنْ مُشْرِكِي الْعَرَبِ ; زَعَمُوا لِجَهْلِهِمْ أَنَّ الْمَلَائِكَةَ بَنَاتُ اللَّهِ، وَأَنَّهُ صَاهَرَ سَرَوَاتِ الْجِنِّ فَتَوَلَّدَ مِنْهُمَا الْمَلَائِكَةُ، تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُونَ، وَتَنَزَّهَ عَمَّا يُشْرِكُونَ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَجَعَلُوا الْمَلَائِكَةَ الَّذِينَ هُمْ عِبَادُ الرَّحْمَنِ إِنَاثًا أَشَهِدُوا خَلْقَهُمْ سَتُكْتَبُ شَهَادَتُهُمْ وَيُسْأَلُونَ} [الزخرف: 19] . وَقَالَ تَعَالَى: {فَاسْتَفْتِهِمْ أَلِرَبِّكَ الْبَنَاتُ وَلَهُمُ الْبَنُونَ أَمْ خَلَقْنَا الْمَلَائِكَةَ إِنَاثًا وَهُمْ شَاهِدُونَ أَلَا إِنَّهُمْ مِنْ إِفْكِهِمْ لَيَقُولُونَ وَلَدَ اللَّهُ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ أَصْطَفَى الْبَنَاتِ عَلَى الْبَنِينَ مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ أَمْ لَكُمْ سُلْطَانٌ مُبِينٌ فَأْتُوا بِكِتَابِكُمْ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ وَجَعَلُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا وَلَقَدْ عَلِمَتِ الْجِنَّةُ إِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ} [الصافات: 149] [الصَّافَّاتِ: 149 - 160] .
পৃষ্ঠা - ৯৭০
ষ্ষ্


নরীরুপে সৃষ্টি করেছিলাম আর তারা তা প্রত্যক্ষ করছিল? দেখ, ওরা তো মনগড়া কথা বলে
যে, আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন ৷ ওর নিশ্চয়ই মিথ্যারাদী ৷ তিনি কি পুত্র সন্তানের পরিবর্তে
কন্যা সন্তান পছন্দ করতেন : তোমাদের কী হয়েছে, তমর কিরুপ বিচার করঃত তবে কি
তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না তোমাদের কী সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণ আছে? তোমরা সত্যবদী
হলে তোমাদের কিতাব উপস্থিত কর ওরা আল্লাহ ও জিন জাতির মধ্যে আত্মীয়তর সম্পর্ক
স্থির করেছে, অথচ জিনেরা জানে তদেরকেও উপস্থিত করা হবে শাস্তির জন্যে ৷ ওরা যা বলে
তা থেকে আল্লাহ পবিত্র মহান ৷ আল্লাহর একনিষ্ঠ বড়ান্দগণ ব্যতীত ৷ ( ৩৭ আয়াত :
১ : ৯ ১৬০ )

অন্যত্র আল্লাহ বলেন : ওরা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন ৷ তিনি পবিত্র মহান !
তারা তো তার সম্মানিত বন্দা ৷ তারা আগে বেড়ে কথা বলে না; ওরা তো তার আদেশ
অনুসরেই কাজ করে থাকে ওদের সম্মুখে ও পশ্চা তে য কিছু আছে ত৩ তিনি অবগত তারা
সুপারিশ করে শুধু৩ তাদের জন্যে, যাদের প্ৰতি তিনি সন্তুষ্ট এবং তারা তার তার ভীত সন্ত্রম্ভ ৷
তাদের মধ্যে যে বলবে, আমিই ইলাহ তিনি ব্যতীত তাকে আমি প্ৰতিফল দিব জাহান্নড়াম ,
এভাবেই আমি জালিমদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি ৷ ( ২১ আন্বিয়া : ২৬ ২৯)

মকী সুরা কাহ্ফের শুরুতে আল্লাহ বলেন : “ ৎসা আল্লাহরই যিনি তার বন্দার প্রতি

এই কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং এতে তিনি বক্রতা রাখেন নি ৷ একে করেছেন সুপ্ৰতিষ্ঠিত

র্ত তার কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করার জন্যে এবং মৃমিনগণ, যারা সৎকর্ম করে , তাদেরকে এই

সুসং বাদ দেবা র জন্যে যে, তাদের জন্যে আছে উত্তম পুরস্কার, যাতে তা রা হবে চিরস্থায়ী ৷ এবং

সতর্ক করার জন্যে তাদেরকে যারা বলে যে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন ৷ এ বিষয়ে ওদের

কোন জ্ঞান নেই এবং ওদের পি৩ তপুরুষদেরও ছিল না ৷ ওদের মুখ নি ৪সৃত বাক্য কী সাংঘাতিক
ওরা তো কেবল মিশ্ধ্যাই বলে ৷ (১৮ কা হ্ফ৪ ১ ৫ )

অন্যত্র আল্লাহ বলেন : তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন ৷ তিনি মহান, পবিত্র ৷
তিনি অতবমুক্ত আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে,৩ তারই ৷ এ বিষয়ে তোমাদের
নিকট কোন সনদ নেই ওে মরা কি আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলছ যে বিষয়ে তোমাদের
কোন জ্ঞান বেইঃ বল, যারা আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করবে তারা সফলকম হবে না
পৃথিবীতে ওদের জন্যে আছে কিছু সুখ সস্তোগ; পরে আমারই নিকট ওদের প্রত্যাবর্তন ৷ আর
কুফরীর কারণে ওদেরকে আমি কঠোর শান্তির আস্বাদ গ্রহণ করার (১০ য়ুনুস০ : ৬৮ ৭০ )

কুরআন মজীদের উপরোক্ত মক্কী আয়তগুলােতে ইহুদী খৃষ্টন, মুশরিক ও দর্শনিকদের
সমস্ত দল-উপদলের মতামতের খণ্ডন করা হয়েছে যারা অজ্ঞতাবশত , বিশ্বাস করে ও দাবি করে
যে, আল্লাহ্র সন্তান আছে ৷ এসব জালিমদের সীমালংঘনমুলক উক্তি থেকে আল্লাহ পবিত্র ও
মহান

এ জঘন্য উক্তি উচ্চরণকরীদের মধ্যে সবচাইতে প্রসিদ্ধ দল হল খ্রিষ্টান সম্প্রদায় ৷ এ
কারণে কুরআন মজীদে তাদের খণ্ডন করা হয়েছে সবচাইতে বেশী তাদের স্ব বিরােধী উক্তি,
অজ্ঞতা ও জ্ঞানের দৈন্যের কথা বিশদভবে আলোচনা করা হয়েছে তাদের এই কুফরী উক্তির


وَقَالَ تَعَالَى: {وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَنُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ بَلْ عِبَادٌ مُكْرَمُونَ لَا يَسْبِقُونَهُ بِالْقَوْلِ وَهُمْ بِأَمْرِهِ يَعْمَلُونَ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَشْفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ارْتَضَى وَهُمْ مِنْ خَشْيَتِهِ مُشْفِقُونَ وَمَنْ يَقُلْ مِنْهُمْ إِنِّي إِلَهٌ مِنْ دُونِهِ فَذَلِكَ نَجْزِيهِ جَهَنَّمَ كَذَلِكَ نَجْزِي الظَّالِمِينَ} [الأنبياء: 26] [الْكَهْفِ: 1 - 5] . وَقَالَ تَعَالَى: {قَالُوا اتَّخَذَ اللَّهُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ هُوَ الْغَنِيُّ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ إِنْ عِنْدَكُمْ مِنْ سُلْطَانٍ بِهَذَا أَتَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ قُلْ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ لَا يُفْلِحُونَ مَتَاعٌ فِي الدُّنْيَا ثُمَّ إِلَيْنَا مَرْجِعُهُمْ ثُمَّ نُذِيقُهُمُ الْعَذَابَ الشَّدِيدَ بِمَا كَانُوا يَكْفُرُونَ} [يونس: 68] [يُونُسَ: 68 - 70] . فَهَذِهِ الْآيَاتُ الْمَكِّيَاتُ الْكَرِيمَاتُ تَشْمَلُ الرَّدَّ عَلَى سَائِرِ فِرَقِ الْكَفَرَةِ ; مِنَ الْفَلَاسِفَةِ وَمُشْرِكِي الْعَرَبِ وَالْيَهُودِ وَالنَّصَارَى، الَّذِينَ ادَّعَوْا وَزَعَمُوا بِلَا عِلْمٍ، أَنَّ لِلَّهِ وَلَدًا، سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يَقُولُ الظَّالِمُونَ الْمُعْتَدُونَ عُلُوًّا كَبِيرًا. وَلَمَّا كَانَتِ النَّصَارَى، عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ الْمُتَتَابِعَةُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، مِنْ أَشْهَرِ
পৃষ্ঠা - ৯৭১
ষ্ষ্


মধ্যে আবার বিভিন্ন দল উপদলের সৃষ্টি হয়েছে ৷ আর এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক ৷ কেননা,
বাতিল পন্থীরা নানা দলাদলি, মত বিরোধ ও স্ব-বিরােধিত ৷র শিকার হয়েই থাকে ৷ পক্ষান্তয়ে
হক এর মধ্যে কে ন স্ব-বিরোধ থাকে না ৷ আল্লাহ তাআল৷ বলেন :

ট্রু,০ ঠু,াওর্দু,ট্রু
এ যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও পক্ষ থেকে হত, তবে তারা তাতে অনেক অসং গতি
পেত ৷ (৪ নিসাং : ৮২)

এ থেকে বুঝা গেল, যা হক ও সত্য, তা অভিন্ন ও অপরিবর্তিত থাকে এবং যা বাতিল ও
অসত্য তা বিকৃত ও অঙ্গতিপুর্ণ হয় ৷ এ কারণে পথভ্রষ্ট ও অভিশপ্ত খ্রিস্টানদের একদল বলছে
যে, মাসীহ্-ই আল্লাহ; অন্য দল বলছে, মসীহ৷ অ ৷ল্লাহ্র পুত্র; তৃতীয় আর একদল বলছে, আল্লাহ
হলেন৩ তিন জনের তভীয় জন ৷ সুরা আল মাযিদায় আল্লাহর বানী০ : “যারা বলে, মারয়াম তনয়
মসীহ্-ই আল্লাহ, তারা তো কুফরী করেছেই ৷ বল, আল্লাহ মারয়াম তনয় মসীহ্, তার মতো
এবং দুনিয়ার সকলকে যদি ধ্বংস করতে ইচ্ছা করেন তবে তাকে বা ধ ৷দিবার শক্তি কার আছে?
আসমান ও যমীনের এবং ওগুলোর মধ্যে যা ’কিছু আছে তার সার্বতৌমতু আল্লাহরই ৷ তিনি যা
ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবংঅ অ ৷ল্লাহ সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান ৷” (৫ মায়িদাং : ১ ৭)

এ আয়াতে আল্লাহ খ্রিস্টানদের কুফরী ও অজ্ঞতার কথা প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছেন যে ,
তিনিই সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও নিয়ন্ত্রণকারী, সব কিছুর উপর ইচ্ছামত ক্ষমতা প্রয়োপকারী , সব
কিছুর প্রভু ও পালনকারী এবং তিনি সব কিছুর রাজাধিরড়াজ ও উপাস্য ৷ উক্ত সুরার শেষ দিকে
আল্লাহ বলেন, “যারা বলে, আল্লাহ-ই মারয়াম তনয় মসীহ্, তার৷ তো কুফরী করেছেই অথচ
মসীহ্ বলেছিল, হে বনী ইসরাঈল, তোমরা আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালক
আল্লাহর ইবাদত কর ৷ কেউ আল্লাহর শরীক সাব্যস্ত করলে আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত নিষিদ্ধ
করবেন ও তার আবাস জাহান্নাম; জালিমদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই ৷

যারা বলে, আল্লাহ তো তিনের মধ্যে একজন, তারা তো কুফরী করেছেই, যদিও এক ইলাহ্
ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই ৷ তারা যা বলে তা হতে নিবৃত্ত না হলে, তাদের মধ্যে যারা
কুফরী করেছে৩ তাদের উপর অবশ্যই মর্মত্তুদ শাস্তি আপতি ত হবেই ৷ তবে কি তারা আল্লাহর
দিকে প্রত্যাবর্তন করবে না ও তার নিকট ক্ষমা ৷প্রার্থন৷ করবে না? আল্লাহ ওে ৷ ক্ষমাশীল, পরম
দয়ালু ৷ মারয়াম তনয় মসীহ্ তো কেবল একজন রাসুল! তার পুর্বে বহু রাসুল গত হয়েছে এবং
তার মাত৷ ৷সত্যনিষ্ঠ ছিল ৷ তারা উতয়ে খাদ্য গ্রহণ করত ৷ দেখ, আমি ওদের জন্যে আয়াত
সমুহ কিরুপ বিশদভাবে বর্ণনা করি; আরও দেখ, ওরা কিভা ৷বে সত্যবিযুখ হয় ৷ (৫ মাযিদাং :
৭২ ৭৫) ৷

উপরোক্ত আয়াত সমুহে আল্লাহ দ্ব্যর্থহীন ভাবে খ্রিস্টানদের কুফরীর কথা জানিয়ে বলে
দিয়েছেন যে, তারা তাদের নবী ঈস৷ (আ)-কে আল্লাহর পুত্র বলে, অথচ সেই ঈসাই তাদেরকে
সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি আল্লাহর সৃষ্ট, আল্লাহ-ই তাকে প্রতিপালন করেছেন
এবং মায়ের গর্ভে তাকে আকৃতি দান করেছেন ৷ তিনি এক ও অদ্বিভীয় আল্লাহর ইবাদতের


مَنْ قَالَ بِهَذِهِ الْمَقَالَةِ، ذُكِرُوا فِي الْقُرْآنِ كَثِيرًا ; لِلرَّدِّ عَلَيْهِمْ وَبَيَانِ تَنَاقُضِهِمْ، وَقِلَّةِ عِلْمِهِمْ، وَكَثْرَةِ جَهْلِهِمْ، وَقَدْ تَنَوَّعَتْ أَقْوَالُهُمْ فِي كُفْرِهِمْ ; وَذَلِكَ أَنَّ الْبَاطِلَ كَثِيرُ التَّشَعُّبِ وَالِاخْتِلَافِ وَالتَّنَاقُضِ، وَأَمَّا الْحَقُّ فَلَا يَخْتَلِفُ وَلَا يَضْطَرِبُ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا} [النساء: 82] . فَدَلَّ عَلَى أَنَّ الْحَقَّ يَتَّحِدُ وَيَتَّفِقُ، وَالْبَاطِلَ يَخْتَلِفُ وَيَضْطَرِبُ. فَطَائِفَةٌ مِنْ ضُلَّالِهِمْ وَجُهَّالِهِمْ زَعَمُوا أَنَّ الْمَسِيحَ هُوَ اللَّهُ. تَعَالَى اللَّهُ، وَطَائِفَةٌ قَالُوا: هُوَ ابْنُ اللَّهِ، عَزَّ اللَّهُ. وَطَائِفَةٌ قَالُوا: هُوَ ثَالِثُ ثَلَاثَةٍ. جَلَّ اللَّهُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي أَوَّلِ سُورَةِ " الْمَائِدَةِ ": {لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ قُلْ فَمَنْ يَمْلِكُ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا إِنْ أَرَادَ أَنْ يُهْلِكَ الْمَسِيحَ ابْنَ مَرْيَمَ وَأُمَّهُ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا وَلِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ} [المائدة: 17] . فَأَخْبَرَ تَعَالَى عَنْ كُفْرِهِمْ وَجَهْلِهِمْ، وَبَيَّنَ أَنَّهُ الْخَالِقُ الْقَادِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ، الْمُتَصَرِّفُ فِي كُلِّ شَيْءٍ وَأَنَّهُ رَبُّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكُهُ وَإِلَهُهُ. وَقَالَ فِي أَوَاخِرِهَا: {لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ وَقَالَ الْمَسِيحُ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اعْبُدُوا اللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ ثَالِثُ ثَلَاثَةٍ وَمَا مِنْ إِلَهٍ إِلَّا إِلَهٌ وَاحِدٌ وَإِنْ لَمْ يَنْتَهُوا عَمَّا يَقُولُونَ لَيَمَسَّنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ أَفَلَا يَتُوبُونَ إِلَى اللَّهِ وَيَسْتَغْفِرُونَهُ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ مَا الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ وَأُمُّهُ صِدِّيقَةٌ كَانَا يَأْكُلَانِ الطَّعَامَ انْظُرْ كَيْفَ نُبَيِّنُ لَهُمُ الْآيَاتِ ثُمَّ انْظُرْ أَنَّى يُؤْفَكُونَ} [المائدة: 72] [الْمَائِدَةِ: 72 - 75] .
পৃষ্ঠা - ৯৭২
ষ্ষ্


দিকে মানুষকে আহ্বান করেছেন এবং এর বিরুদ্ধকারীদেরকে পরকালের শাস্তি , লাঞ্চুনা, ব্যর্থতা
ও জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শন করেছেন ৷ আল্লাহর বাণী : “নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে
অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার বাসস্থান হয়
জাহান্নাম ৷ অতাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই ৷” এরপর বলেছেন : “নিশ্চয় তারা কাফির,
যারা বলে : আল্লাহ তিনের এক; অথচ এক উপাস্য ছাড়া কোন উপাস্য নেই ৷”

ইবন জারীর প্রমুখ বলেছেন, “আল্লাহ তিনের এক” এ কথা দ্বারা খ্রিস্টানদের ত্রিত্বাদের
কথা বলা হয়েছে ৷ কেননা তারা তিন সভায় বিশ্বাসী ৷ যথা : পিতার সত্তা, পুত্রের সত্তা এবং
কলেম৷ বা বাণীর সত্তা যা পিতার থেকে পুত্রের নিকট অবতরণ করে ৷ এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে
মতবিরোধ হয়েও তিনটি উপদলের সৃষ্টি হয় যথা০ ং মালিকিয়্যা, ইয়া’ কুৰিয়্যা ও নাসতৃরিয়া৷ ৷
পরবর্তীতে আমরা তাদের মতবিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ৷ খ্রিস্টানদের মধ্যে এই
ত্রিতুবাদের জন্ম হয় মসীহ্ এর তিন শ বছর পরে এবং শেষ নবীর আগমনের তিন শ’ বছর
পুর্বে সম্রাট কনষ্টানটাইন ইবন কুসতুস এর আমলে ৷ এ কারণে আল্লাহ বলেছেন : “এক উপাস্য
ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই ৷” অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কোন প্রভু নেই ৷ তিনি একক ৷ তবে
কোন শরীক নেই ৷ তার কোন সদৃশ নেই ৷ তার সমতুল্য কেউ নেই ৷ তার শ্রী নেই, সন্তান
নেই ৷

এরপর তাদেরকে সাবধান ও সতর্ক করে আল্লাহ বলেন “তারা যদি তাদের এসব কথা
তবিরত না হয় তবে তাদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে৩ তাদেরকে কঠিন যস্ত্রণাদায়ক শাস্তি
দান করা হবে ৷ অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে তার নিজ করুণাবশে এসব জঘন্য বিষয় থেকে
তওবা ও ইসৃতিপফারের দিকে আহ্বান করে বলেছেন, “তারা কি আল্লাহ্র নিকট তওবা করবে
ণ্া৷,তার নিকট ক্ষমা চাইবে না? বস্তুত আল্লাহ বড় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷” এরপরে আল্লাহ
হযরত ঈস৷ ও তার মায়ের অবস্থা বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন যে, মসীহ্ কেবল আল্লাহর
বান্দা ও রাসুল এবং তার মা একজন পবিত্র ও সত ৷নিষ্ঠ মহিলা, পাপাচারিণী নন ৷ অথচ
অভিশপ্ত ইয়াহুদীরা তার উপর ঐরুপ অপবাদ দিয়ে থাকে ৷ এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে,
মরায়াম নবী ছিলেন না ৷ যেমনটি আমাদের একদল আলিম ধারণা করেছেন ৷ “তারা উভয়েই
খাদ্য গ্রহণ করত” এ কথা দ্বারা ইং গত করা হয়েছে যে , অন্যদের মত তাদেরও
পেশাব-পায়খানার প্রয়োজন হতো ৷ এমতাবস্থায় তারা ইলাহ্ হন কীরুপে? আল্লাহ তাদের এ
মুর্থতাব্যঞ্জক উক্তি থেকে মুক্ত ও পবিত্র ৷ সুদ্দী প্রমুখ আলিমগণ বলেছেন, আল্লাহর বাণী ং “
নিশ্চয়ত ৷রা কাফির, যারা বলেং আল্লাহ তিন জনের একজন ৷” এখানে ঈস৷ ও তার মাকে
সম্পর্কে থ্রিষ্টানদের বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে ৷ তারা ঈস৷ ও তার মা ইলাহ্ বলত যেমন
ইলাহ্ বলত আল্লাহ্কে ৷ এই সুরার শেষ দিকে আল্লাহ তাদের এ বিশ্বাসের কথা উল্লেখ
করেছেন ৷ আল্লাহর বাণী :

০ )



আল-বিদায়া ওয়ান নিহড়ায়া (২য় খণ্ড) ১৯-

حَكَمَ تَعَالَى بِكُفْرِهِمْ شَرْعًا وَقَدَرًا، وَأَخْبَرَ أَنَّ هَذَا صَدَرَ مِنْهُمْ، مَعَ أَنَّ الرَّسُولَ إِلَيْهِمْ، وَهُوَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، قَدْ بَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ عَبْدٌ مَرْبُوبٌ مَخْلُوقٌ، مُصَوَّرٌ فِي الرَّحِمِ، دَاعٍ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَتَوَعَّدَهُمْ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ بِالنَّارِ، وَعَدَمِ الْفَوْزِ بِدَارِ الْقَرَارِ، وَالْخِزْيِ فِي الدَّارِ الْآخِرَةِ، وَالْهَوَانِ وَالْعَارِ، وَلِهَذَا قَالَ: {إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ} [المائدة: 72] ثُمَّ قَالَ: {لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ ثَالِثُ ثَلَاثَةٍ وَمَا مِنْ إِلَهٍ إِلَّا إِلَهٌ وَاحِدٌ} [المائدة: 73] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ: الْمُرَادُ بِذَلِكَ قَوْلُهُمْ بِالْأَقَانِيمِ الثَّلَاثَةِ: أُقْنُومُ الْأَبِ، وَأُقْنُومُ الِابْنِ، وَأُقْنُومُ الْكَلِمَةِ الْمُنْبَثِقَةِ مِنَ الْأَبِ إِلَى الِابْنِ، عَلَى اخْتِلَافِهِمْ فِي ذَلِكَ مَا بَيْنَ الْمَلَكِيَّةِ وَالْيَعْقُوبِيَّةِ وَالنَّسْطُورِيَّةِ، عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ، كَمَا سَنُبَيِّنُ كَيْفِيَّةَ اخْتِلَافِهِمْ فِي ذَلِكَ، وَمَجَامِعَهُمُ الثَّلَاثَةَ فِي زَمَنِ قُسْطَنْطِينَ بْنِ قَسْطَسَ، وَذَلِكَ بَعْدَ الْمَسِيحِ بِثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ، وَقَبْلَ الْبَعْثَةِ الْمُحَمَّدِيَّةِ بِثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ، وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {وَمَا مِنْ إِلَهٍ إِلَّا إِلَهٌ وَاحِدٌ} [المائدة: 73] أَيْ: وَمَا مِنْ إِلَهٍ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَلَا نَظِيرَ لَهُ، وَلَا كُفْءَ لَهُ، وَلَا
পৃষ্ঠা - ৯৭৩
ষ্ষ্







আল্লাহ যখন বলবেন, হে মারয়াম তনয় ঈসাৰু তুমি কি ৷:লকদেরকে বলেছিলে যে

তে ৩ামরা আল্লাহ ব্যতীত আমাকে ও আমার মাকে ইলাহরুপে গ্রহণ করা সে বলবে, ভুমিই
মহিমাম্বিত! যা বলা র অধিকার আমার নেই তা বলা আমার পক্ষে শোভন নয় ৷ যদি আমিওা
বলতাম, তবে নিশ্চয়ই তুমি তা জানতে ৷ আমার অম্ভরে যা আছে তা’ ৫৩ ৷ তুমি অবগত আছ

কিন্তু তোমার অন্তরে কী আছে, আমি তা’ অবগত নই; তুমি তো অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক
পরিজ্ঞাত ৷ তুমি আমাকে যে আদেশ করেছ তা’ ব্যতীত তাদেরকে আমি কিছুই বলিনি ; তা এই :
তোমরা আমার ও তোমাদের প্রতিপালক আল্পাহ্র ইবাদত কর; এবং যতদিন আমি তাদের
মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি ছিলাম তাদের কার্যকলাপের সা ৷ক্ষী; কিন্তু যখন তুমি আমাকে তুলে
নিলে তখন ভুমি ইণ্ তা ছিতুল তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক এবং তুমিই সর্ববিষয়ে সাক্ষী ৷

তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও তবে তারা তো তােমারই ৰান্দা, আর যদি তাদেরকে ক্ষমা কর
তবে তুমি তাে পরাত্রুমশা লী , প্ৰজ্ঞাময় ৷ (৫ মায়িদা : ১ ১৬ ১ ১৮ )

এখানে আল্লাহ ভবিষ্যতের সংবাদ দিয়েছেন যে , কিয়ামতের দিন আল্লাহ হযরত ঈসা
(আ)-কে তার উম্মত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন ৷ তার উম্মতের মধ্যে যারা তাকে আল্লাহর পুত্র
অথবা আল্লাহ্র শরীক কিৎব৷ তাকেই আল্লাহ বলে বিশ্বাস করতো এবং ঈসাই তাদেরকে এ
বিশ্বাস করতে বলেছেন বলে তার উপর মিথ্যা আরোপ করেছে তাদের ব্যাপারে এই
জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷ আল্লাহ তো ভালরুপেই জানেন যে, ঈসা এরুপ কথা আদৌ বলেন নি
তবুও তাকে জিজ্ঞেস করবেন তার সত্যতা প্রকাশ ও মিথ্যা আরোপকারীদের মুখােশ উন্যোচন
করার উদ্দেশ্যে ৷ আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করবেন : “হে ঈসা ইবন মারয়াম! তুমি কি
ণ্লাকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে , আল্লাহ্কে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাকে উপাস্য সাব্যস্ত কর?
ঈসা (আ) বলবেন, “আপনি পবিত্র অর্থাৎ আপনি সকল শরীফের উধের্ব ৷ “আমার জানা
শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা’ বলার কোন অধিকার আমার সেই ৷ অর্থাৎ
আপনি ব্যতীত এ কথা বলার অধিকার অন্য কারও নেই ৷ ” যদি আমি বলে থাকি তবে আপনি
অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনে যা আছে জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার
মনে আছে ৷ নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞা৩ ৷”

হযরত ঈসা (আ) এ জবাবে আদবের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন : আমি তো তাদেরকে
কিছুই বলিনি, শুধু যে কথাই বলেছি যা আপনি বলতে আদেশ করেছিলেন ৷ অর্থাৎ যখন
আমাকে রাসুলরুপে প্রেরণ করেন এবং আমাকে কিতাব দান করেন যা তাঃদ্যাকে আমি পড়ে


صَاحِبَةَ لَهُ وَلَا وَلَدَ، ثُمَّ تَوَعَدَهُمْ وَتَهَدَّدَهُمْ فَقَالَ: {وَإِنْ لَمْ يَنْتَهُوا عَمَّا يَقُولُونَ لَيَمَسَّنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ} [المائدة: 73] ثُمَّ دَعَاهُمْ بِرَحْمَتِهِ وَلُطْفِهِ إِلَى التَّوْبَةِ وَالِاسْتِغْفَارِ مِنْ هَذِهِ الْأُمُورِ الْكِبَارِ، وَالْعَظَائِمِ الَّتِي تُوجِبُ النَّارَ، فَقَالَ: {أَفَلَا يَتُوبُونَ إِلَى اللَّهِ وَيَسْتَغْفِرُونَهُ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [المائدة: 74] ثُمَّ بَيَّنَ حَالَ الْمَسِيحِ وَأُمِّهِ، وَأَنَّهُ عَبْدٌ رَسُولٌ، وَأُمُّهُ صِدِّيقَةٌ، أَيْ لَيْسَتْ بِفَاجِرَةٍ، كَمَا يَقُولُهُ الْيَهُودُ، لَعَنَهُمُ اللَّهُ. وَفِيهِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهَا لَيْسَتْ بِنَبِيَّةٍ، كَمَا زَعَمَهُ طَائِفَةٌ مِنْ عُلَمَائِنَا. وَقَوْلُهُ: {كَانَا يَأْكُلَانِ الطَّعَامَ} [المائدة: 75] كِنَايَةٌ عَنْ خُرُوجِهِ مِنْهُمَا، كَمَا يَخْرُجُ مِنْ غَيْرِهِمَا، أَيْ: وَمَنْ كَانَ بِهَذِهِ الْمَثَابَةِ، كَيْفَ يَكُونُ إِلَهًا؟! تَعَالَى اللَّهُ عَنْ قَوْلِهِمْ وَجَهْلِهِمْ عُلُوًّا كَبِيرًا. وَقَالَ السُّدِّيُّ وَغَيْرُهُ: الْمُرَادُ بِقَوْلِهِ: {لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ ثَالِثُ ثَلَاثَةٍ} [المائدة: 73] زَعْمُهُمْ فِي عِيسَى وَأُمِّهِ أَنَّهُمَا إِلَهَانِ مَعَ اللَّهِ ; يَعْنِي كَمَا بَيَّنَ تَعَالَى كُفْرَهُمْ فِي ذَلِكَ بِقَوْلِهِ فِي آخِرِ هَذِهِ السُّورَةِ الْكَرِيمَةِ: {وَإِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَءَأَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَهَيْنِ مِنْ دُونِ اللَّهِ قَالَ سُبْحَانَكَ مَا يَكُونُ لِي أَنْ أَقُولَ مَا لَيْسَ لِي بِحَقٍّ إِنْ كُنْتُ قُلْتُهُ فَقَدْ عَلِمْتَهُ تَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِي وَلَا أَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِكَ إِنَّكَ أَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ مَا قُلْتُ لَهُمْ إِلَّا مَا أَمَرْتَنِي بِهِ أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 116] [الْمَائِدَةِ: 116 - 118] .
পৃষ্ঠা - ৯৭৪
ষ্ষ্


শুন ই ৷ অ৩ তঃপর তিনি তাদেরকে যা বলেছিলেন তা ব্যাখ্যা করে রলেন০ “তোমরা আল্লাহর
দাসতু অবলম্বন কর, যিনি আমার ও তোমাদের পালনকর্তা’ ৷ ’অখাৎ যিনি আমারও সৃষ্টিকর্তা
তােমাদেরও সৃষ্টিকর্তা এবং যিনি আমারও রিযিকদাতা, তােমাদেরও রিযিকদাত৷ ৷ “আমি তাদের
সম্পর্কে অবগত ছিলাম যতদিন তাদের মধ্যে ছিলাম ৷” “অতঃপর যখন আপনি আমাকে তুলে
নিলেন ৷” অর্থাৎ তারা যখন আমাকে হত্যার ও শুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করে, তখন দয়া পররশ
হয়ে আপনি আমাকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে আপনার নিকট তুলে নেন এবং তাদের
একজনের চেহারাকে আমার চেহ ৷রায় পরিবর্তন করে দেন, ফলে তারা তার উপর আক্রমণ করে
ও নিজেদের জিঘাৎস৷ চরি৩ার্থ করে ৷ এ অবস্থা হওয়ার পরে “আপনিই তাদের সম্পর্কে অবগত
রয়েছেন ৷ আপনি সর্ববিযয়ে পুর্ণ পরিজ্ঞাত ৷” এরপর হযরত ঈস৷ তার অনুসারী নাসারা বা
থ্রিষ্ট৷ ৷নদের থেকে নিজের সম্পর্ক ছিন্ন করে৩াদের ব্যাপারটি আল্লাহ্র নিকট সোপর্দ করে বলেন
“ যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন তবে তারা আপনার দাস ৷” অর্থাৎ তারা যে শাস্তির
উপযুক্ত ৷ আর যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন, তবে আপনিই পরাক্রাম্ভ , মহাবিজ্ঞ ৷” ক্ষমা
করার ব্যাপারে আল্লাহর ইচ্ছার উপর সোপর্দ করার অর্থ এই নয় যে, বাস্তবেও তাদেরকে ক্ষমা
করা হবে ৷ এ জন্যেই এখানে আল্লাহ্র ণ্ডণাবলীর মধ্য থেকে পাফুরুর রাহীম (ক্ষমাশীল , দয়াল্যু
না বলে আযীযুন হাকীম (মহা পরাক্রমশালী প্ৰজ্ঞাময়) বলা হয়েছে ৷

তাফসীর কি৩াবে আমরা ইমাম আহমদের বর্ণিত হযরত আবু যর (রা)-এর হাদীস উল্লেখ
করেছি-যা তেতিনি বলেছেন, এক রাত্রে রাসুলুল্লাহ (সা ) স ৷লাতে দাড়িয়ে সকাল পর্যন্ত নিম্নের
আয়াতটি তিলাওয়াত করতে থাকেন :

’ :


“ আপনি যদি তাদেরকে শাস্তি দেন তবে তারা তো আপনারই দাস; আর যদি তাদেরকে
ক্ষমা করেন তবে আপনি মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন ৷ আমি
আল্লাহর নিকট আমার উম্মতের জন্যে শাফাআত প্রার্থনা করলে তিনি আমাকে তা দান করেন ৷
আল্লাহ চাহে (তা মুশরিক রাতী৩ অনা৷ন৷ পাপী রস্পোর৷ তা লাভ করবে ৷ এরপর তিনি
নিম্নলিখিত আয়াতসমুহ পাঠ করেন :




ঞা (র্চু fl”


এ ¥’ ৷ এ

¢ fl fl :

ণ্ এ,,;এস্র৷ ’ ৷রু৷ ৷এ এ৷ ৷
“আকাশ ৷ও পৃথিবী এবং যা কিছু ওগুলোর অন্তর্বর্তী তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি ৷
মি যদি ক্রীড়ার উপকরণ চাইতাম৩ আর আমি আমার নিকট য৷ আছে৩ তা নিয়েই তা করতড়াম;


يُخْبِرُ تَعَالَى أَنَّهُ يَسْأَلُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، عَلَى سَبِيلِ الْإِكْرَامِ لَهُ وَالتَّقْرِيعِ وَالتَّوْبِيخِ لِعَابِدِيهِ، مِمَّنْ كَذَبَ عَلَيْهِ وَافْتَرَى وَزَعَمَ أَنَّهُ ابْنُ اللَّهِ، أَوْ أَنَّهُ اللَّهُ، أَوْ أَنَّهُ شَرِيكُهُ، تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُونَ، فَيَسْأَلُهُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ مِنْهُ مَا يَسْأَلُهُ عَنْهُ، وَلَكِنْ لِتَوْبِيخِ مَنْ كَذَبَ عَلَيْهِ، فَيَقُولُ لَهُ: {ءَأَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَهَيْنِ مِنْ دُونِ اللَّهِ قَالَ سُبْحَانَكَ} [المائدة: 116] أَيْ: تَعَالَيْتَ أَنْ يَكُونَ مَعَكَ شَرِيكٌ. {مَا يَكُونُ لِي أَنْ أَقُولَ مَا لَيْسَ لِي بِحَقٍّ} [المائدة: 116] أَيْ: لَيْسَ هَذَا يَسْتَحِقُّهُ أَحَدٌ سِوَاكَ. {إِنْ كُنْتُ قُلْتُهُ فَقَدْ عَلِمْتَهُ تَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِي وَلَا أَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِكَ إِنَّكَ أَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ} [المائدة: 116] وَهَذَا تَأَدُّبٌ عَظِيمٌ فِي الْخِطَابِ وَالْجَوَابِ. {مَا قُلْتُ لَهُمْ إِلَّا مَا أَمَرْتَنِي بِهِ} [المائدة: 117] حِينَ أَرْسَلْتَنِي إِلَيْهِمْ، وَأَنْزَلْتَ عَلَيَّ الْكِتَابَ الَّذِي كَانَ يُتْلَى عَلَيْهِمْ، ثُمَّ فَسَّرَ مَا قَالَ لَهُمْ بِقَوْلِهِ: {أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ} [المائدة: 117] أَيْ خَالِقِي وَخَالِقُكُمْ، وَرَازِقِي وَرَازِقُكُمْ. {وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي} [المائدة: 117] أَيْ: رَفَعْتَنِي إِلَيْكَ حِينَ أَرَادُوا قَتْلِي وَصَلْبِي، فَرَحِمْتَنِي وَخَلَّصْتَنِي مِنْهُمْ، وَأَلْقَيْتَ شَبَهِي عَلَى أَحَدِهِمْ، حَتَّى انْتَقَمُوا مِنْهُ، فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ. {كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ} [المائدة: 117] ثُمَّ قَالَ عَلَى وَجْهِ التَّفْوِيضِ إِلَى الرَّبِّ، عَزَّ وَجَلَّ، وَالتَّبَرِّي مِنْ أَهْلِ النَّصْرَانِيَّةِ: {إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ} [المائدة: 118] أَيْ: وَهُمْ يَسْتَحِقُّونَ ذَلِكَ. {وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 118] ، وَهَذَا التَّفْوِيضُ وَالْإِسْنَادُ إِلَى الْمَشِيئَةِ بِالشَّرْطِ، لَا يَقْتَضِي وُقُوعَ ذَلِكَ، وَلِهَذَا قَالَ: {فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 118]
পৃষ্ঠা - ৯৭৫
ষ্ষ্


আমি তা করিনি ৷ কিন্তু আমি সত্য দ্বারা আঘাত হানি মিথ্যার উপর, ফলে তা মিথ্যাকে
চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয় এবং তৎক্ষণাৎ মিথ্যা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ৷ দুর্ভেম্পো তোমাদের তোমরা যা
বলছ তার জন্যে ! আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা তারই ৷ তার সান্নিধ্যে যারা আছে
তারা অহংকারবশে তার ইবাদত করা হতে বিমুখ হয় না এবং শ্রান্তিও বোধ করে না ৷ তারা
দিনরাত তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, তারা শৈথিল্য করে না ৷ (২১ আম্বিয়া : ১৬ ২০ )

আল্লাহ বলেন : “আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করতে ইচ্ছা করলে তিনি তার সৃষ্টির মধ্যে যাকে
ইচ্ছা মনোনীত করতে পারতেন ৷ পবিত্র ও মহান তিনি ৷ তিনি আল্লাহ, এক, প্রবল পরাক্রমশালী
তিনি যথাযথভাবে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন ৷ তিনি রাত দ্বারা দিনকে আচ্ছাদিত
করেন এবং রাতকে আচ্ছাদিত করেন দিনের দ্বারা ৷ সুর্য ও চন্দ্রকে তিনি করেছেন নিয়ম! ধীন ৷
প্রত্যেকেই পরিভ্রমণ করে এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ৷ জেনে রেখো, তিনি পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল ৷
(৩৯ যুমার : ৪ ৫) ৷ আল্লাহ বলেন : “বল, দয়াময় আল্লাহ্র কোন সন্তান থাকলে আমি হতড়াম
তার উপাসকগণেব্অগ্রণী ৷ তারা বা আরোপ করে তা হতে আকাশমলীে ও পৃথিবীর অধিকারী
ও আরশের অধিকারী পবিত্র ও মহান ৷ (৪৩ যুখরুফ : ৮১-৮২) ৷ আল্লাহ বলেন ? “বল,
প্রশংসা আল্লাহ্রই , যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, তার সার্বভৌমত্বে কোন অংশীদার নেই
এবং যিনি দৃর্দশাগ্রস্ত হন না, যে কারণে তার অভিভাবকের প্রয়োজন হতে পারে ৷ সুতরাং
সসজ্রমে তার মাহড়াত্ম্য ঘোষণা কর ৷ (১৭ ইসৃরা : ১১১)

আল্লাহ বলেন : “বল, তিনিই আল্লাহ, একক ও অদ্বিতীয় ৷ আল্লাহ কারও মুথাপেক্ষী নন,
সকলেই তার মুখাপেক্ষী ৷ তিনি কাউকেও জন্ম দেননি এবং তড়াকেও জন্ম দেয়া হয়নি এবং তার
সমতুল্য কেউই নেই ৷ ” (১১২ : সুরা ইখলাস) সহীহ্ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন, “আল্লাহ বলেন : বনী আদম আমাকে পালি দেয় ; কিন্তু তার জন্যে এটা শোভা পায়
না ৷ সে বলে, আমার সন্তান আছে ৷ অথচ আমি একক, মুখাপেক্ষাহীন ৷ আমি কাউকে জন্ম
দেইনি এবং কারও থেকে আমি জন্মগ্রহণ করিনি ৷ আমার সমতুল্য কেউ নেই ৷ সহীহ্ হাদীসে
আরও বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, পীড়াদায়ক কথা শোনার পর তাতে ধৈর্য ধরার
ক্ষেত্রে আল্পাহ্র চইিতে অধিক ধৈর্যধারণকারী আর কেউ নেই ৷ কারণ যে সব লোক আল্লাহর
জন্যে সন্তান সাবস্তি করে তাদেরকে তিনি রিযিক দিচ্ছেন এবং রোগ থেকে নিরাময় করছেন ৷
তবে অন্য সহীহ্ হড়াদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন ঙ্ক আল্লাহ জালিমকে কিছু
দিনের জন্যে অবকাশ দিয়ে থাকেন ৷ যখন তাকে পাকড়াও করবেন তখন আর রেহাই দিবেন
না ৷ অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা) নিম্নের অড়ায়াতগুলাে পাঠ করেন :

;ৰুএ্দ্বুন্টি৷ :ঞা ৰু,৷ হ্পুএে; গু;ধ্ৰুব্লু,ৰুণ্া৷ ন্১৷ ৷া৷ এন্ ) এ১৷ এপুাএ্দ্বুগ্লু

এইরুপ তোমার প্রতিপালকের শাস্তি! তিনি শান্তিদান করেন জনপদসমুহকে যখন তারা
জুলুম করে থাকে ৷ নিশ্চয়ই তার শান্তি মর্মন্তুদ কঠিন ৷ (১১ হ্রদ : ১০২)


وَلَمْ يَقُلْ: الْغَفُورُ الرَّحِيمُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " التَّفْسِيرِ " مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَامَ بِهَذِهِ الْآيَةِ الْكَرِيمَةِ لَيْلَةً حَتَّى أَصْبَحَ: {إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 118] وَقَالَ: «إِنِّي سَأَلْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ الشَّفَاعَةَ لِأُمَّتِي فَأَعْطَانِيهَا، وَهِيَ نَائِلَةٌ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، لِمَنْ لَا يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا» وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لَاعِبِينَ لَوْ أَرَدْنَا أَنْ نَتَّخِذَ لَهْوًا لَاتَّخَذْنَاهُ مِنْ لَدُنَّا إِنْ كُنَّا فَاعِلِينَ بَلْ نَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَى الْبَاطِلِ فَيَدْمَغُهُ فَإِذَا هُوَ زَاهِقٌ وَلَكُمُ الْوَيْلُ مِمَّا تَصِفُونَ وَلَهُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ عِنْدَهُ لَا يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِهِ وَلَا يَسْتَحْسِرُونَ يُسَبِّحُونَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ لَا يَفْتُرُونَ} [الأنبياء: 16] [الزُّمَرِ: 4، 5] . وَقَالَ تَعَالَى: {قُلْ إِنْ كَانَ لِلرَّحْمَنِ وَلَدٌ فَأَنَا أَوَّلُ الْعَابِدِينَ سُبْحَانَ رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ} [الزخرف: 81] [الزُّخْرُفِ: 81، 82] . وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৯৭৬
ষ্ষ্


অনুরুপ কথা আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন :
স্পো
এবং আমি অবকাশ দিয়েছি কত জনপদকে যখন ওরা ছিল জালিম; তারপর ওদেরকে শাস্তি
দিয়েছি এবং প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট ) (২২ হাজ্জ : ৪৮) ,

আল্লাহ বলেন : মোঃ ন্ ৷ ;; , ৷ ন্ণ্ড্রঠুট্রু১ট্রু১শু ণ্ও ১এেণ্ ন্প্রু;ছুৰুৰুৰু

র্দ ×

“আমি ওদেরকে জীবনেম্পোকরণ ভোগ করতে দিব স্বল্পকান্সের জন্যে ৷ তারপর ওদেরকে
কঠিন শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য করব ৷ ” (৩১ লুকমান : ২৪)

আল্লাহ বলেন : “বল, যারা আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করবে তারা সফলকাম হবে না ৷
পৃথিবীতে ওদের জন্যে আছে কিছু সুখ-সাঙ্কাগ; পরে আমারই নিকট ওদের প্রত্যাবর্তন ৷ তারপর
কুফরী হেতু ওদেরকে আমি কঠোর শাস্তির আস্বাদ গ্রহণ করার ৷” ( ১ : ইউনুস : ৬৯ ৭০ )
আল্লাহ আরও বলেছেন : ৷ৰুট্রু ৰু

“অতএব কাফিরদেরকে অবকাশ দাও : ওদেরকে অবকাশ দাও কিছুকালের জন্যে ৷ (৮৫
আত-তারিক : ১ ৭)


تَعَالَى: {وَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُنْ لَهُ شَرِيكٌ فِي الْمُلْكِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ وَلِيٌّ مِنَ الذُّلِّ وَكَبِّرْهُ تَكْبِيرًا} [الإسراء: 111] . وَقَالَ تَعَالَى: {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ اللَّهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ} [الإخلاص: 1] . وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: شَتَمَنِي ابْنُ آدَمَ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ ذَلِكَ ; يَزْعُمُ أَنَّ لِي وَلَدًا، وَأَنَا الْأَحَدُ الصَّمَدُ، الَّذِي لَمَّ أَلِدْ وَلَمْ أُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لِي كُفُوًا أَحَدٌ» وَفِي " الصَّحِيحِ " أَيْضًا، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «لَا أَحَدَ أَصْبَرُ عَلَى أَذًى سَمِعَهُ مِنَ اللَّهِ ; إِنَّهُمْ يَجْعَلُونَ لَهُ وَلَدًا، وَهُوَ يَرْزُقُهُمْ وَيُعَافِيهِمْ» وَلَكِنْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " أَيْضًا، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ لَيُمْلِي لِلظَّالِمِ، حَتَّى إِذَا أَخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ» ثُمَّ قَرَأَ: {وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ} [هود: 102] . وَهَكَذَا قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَكَأَيِّنْ مِنْ قَرْيَةٍ أَمْلَيْتُ لَهَا وَهِيَ ظَالِمَةٌ ثُمَّ أَخَذْتُهَا وَإِلَيَّ الْمَصِيرُ} [الحج: 48] . وَقَالَ تَعَالَى: {نُمَتِّعُهُمْ قَلِيلًا ثُمَّ نَضْطَرُّهُمْ إِلَى عَذَابٍ غَلِيظٍ} [لقمان: 24] . وَقَالَ تَعَالَى: {قُلْ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ لَا يُفْلِحُونَ مَتَاعٌ فِي الدُّنْيَا ثُمَّ إِلَيْنَا مَرْجِعُهُمْ ثُمَّ نُذِيقُهُمُ الْعَذَابَ الشَّدِيدَ بِمَا كَانُوا يَكْفُرُونَ} [يونس: 69] [الطَّارِقِ: 17] .