قصة عيسى بن مريم

পৃষ্ঠা - ৯২৯
ষ্ষ্

হযরত ঈসা (আ)-এর বিবরণ

খৃষ্টান সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, আল্লাহ্র সন্তান আছে ৷ তাদের এ ভ্রান্ত বিশ্বাসের খণ্ডনে আল্লাহ
তাআলা সুরা আলে-ইমরানের প্রথম দিকে ধারাবাহিকভাবে তিরাশিটি আয়াত অবতীর্ণ
করেছেন ৷ নাজরান থেকে খৃষ্টানদের একটি প্রতিনিধিদল রাসুলে করীম (না)-এর নিকট
উপস্থিত হয়ে তাদের ভ্রান্ত ধর্ম-বিশ্বাসের কথা ব্যক্ত করে বলে যে,৩ তারা ত্রিতৃবড়াদে বিশ্বাসী এবং
তাদের ধ বণা অনুসারে আল্লাহ হচ্ছেন তিন সত্তার এক সত্তা ৷৩ তাদের মধ্যকার বিভিন্ন দল
উপদলের মধ্যে এক দলের মতে সেই তিন সত্তা হলং আল্লাহ ঈসা (আ) ও মারয়াম ৷ এই
প্রেক্ষাপটে আল্লাহ৩ তা জানা সুরার প্রারন্তে উক্ত বিষয়ে আয়াত নাযিল করেন ৷ তাতে তিনি বলেন
যে, ঈসা (আ) আল্লাহ্র বন্দোদের মধ্যকার একজন বন্দো ৷ অন্যান্য সৃষ্টির ন্যায় আল্লাহ তড়াকেও
সৃষ্টি করেছেন এবং মাতৃগর্ভে আকৃতি দান করেছেন ৷ তবে, আল্লাহ তাকে পিতা ছাড়াই সৃষ্টি
করেছেন, যেমন আদমকে পিতা ও মতো ছাড়া পয়দা করেছেন ৷ তার ক্ষেত্রে তিনি কেবল
বলেছেন কুন’ (হয়ে যাও) তখনই তিনি সৃষ্ট হয়ে যান ৷ এ সুরায় আল্লাহ ঈসার মাতা
মাবৃয়ামের জন্মের বৃত্তান্ত এবং তার বৈশিষ্ট্যড়াবলীং এবং ঈসার গর্ভধারণ সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন ৷
সুরা মার য়ামেও এ সম্পর্কে তিনি বিশদ বর্ণনা করেছেন ৷ সে বিষয়ে আমরা পরে আলোচনা
করব ৷ সুরা আলে-ইমরানে আল্লাহ তাআলা বলেন :

স্পেএে ৷ ন্থএ৷ ৷ৰু,
<ন্টু১
স্পো ৷ চু;ট্রু,৷ পুা

াট্র১;;

ধ্ট্রুক্ট্রছু ,দ্বু
এেট্রুষ্

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ১৫-

[قِصَّةُ عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ] [قِصَّةُ مَرْيَمَ وَالْبِشَارَةِ بِعِيسَى] َ، عَلَيْهِ مِنَ اللَّهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَالسَّلَامِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي سُورَةِ " آلِ عِمْرَانَ "، الَّتِي أُنْزِلَ صَدْرُهَا، وَهُوَ ثَلَاثٌ وَثَمَانُونَ آيَةً مِنْهَا، فِي الرَّدِّ عَلَى النَّصَارَى، عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ، الَّذِينَ زَعَمُوا أَنَّ لِلَّهِ وَلَدًا، تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُونَ عُلُوًّا كَبِيرًا، وَكَانَ قَدْ قَدِمَ وَفْدُ نَجْرَانَ مِنْهُمْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلُوا يَذْكُرُونَ مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنَ الْبَاطِلِ، مِنَ التَّثْلِيثِ فِي الْأَقَانِيمِ، وَيَدَّعُونَ - بِزَعْمِهِمْ - أَنَّ اللَّهَ ثَالِثُ ثَلَاثَةٍ ; وَهُمُ الذَّاتُ الْمُقَدَّسَةُ، وَعِيسَى، وَمَرْيَمُ، عَلَى اخْتِلَافِ فِرَقِهِمْ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، صَدْرَ هَذِهِ السُّورَةِ بَيَّنَ فِيهَا، أَنَّ عِيسَى عَبْدٌ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ، خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ فِي الرَّحِمِ، كَمَا صَوَّرَ غَيْرَهُ مِنَ الْمَخْلُوقَاتِ، وَأَنَّهُ خَلَقَهُ مِنْ غَيْرِ أَبٍ، كَمَا خَلَقَ آدَمَ مِنْ غَيْرِ أَبٍ وَلَا أُمٍّ وَقَالَ لَهُ: كُنْ. فَكَانَ، وَبَيَّنَ تَعَالَى أَصْلَ مِيلَادِ أُمِّهِ مَرْيَمَ، وَكَيْفَ كَانَ مِنْ أَمْرِهَا، وَكَيْفَ حَمَلَتْ بِوَلَدِهَا عِيسَى، وَكَذَلِكَ بَسَطَ ذَلِكَ فِي سُورَةِ " مَرْيَمَ " كَمَا سَنَتَكَلَّمُ عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ بِعَوْنِ اللَّهِ وَحُسْنِ تَوْفِيقِهِ وَهِدَايَتِهِ، فَقَالَ تَعَالَى وَهُوَ أَصْدَقُ الْقَائِلِينَ: {إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى آدَمَ وَنُوحًا وَآلَ إِبْرَاهِيمَ وَآلَ عِمْرَانَ عَلَى الْعَالَمِينَ ذُرِّيَّةً بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ إِذْ قَالَتِ امْرَأَةُ عِمْرَانَ رَبِّ إِنِّي نَذَرْتُ لَكَ مَا فِي بَطْنِي مُحَرَّرًا فَتَقَبَّلْ مِنِّي إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ فَلَمَّا وَضَعَتْهَا قَالَتْ رَبِّ إِنِّي وَضَعْتُهَا أُنْثَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا وَضَعَتْ وَلَيْسَ الذَّكَرُ كَالْأُنْثَى وَإِنِّي سَمَّيْتُهَا مَرْيَمَ وَإِنِّي أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ فَتَقَبَّلَهَا رَبُّهَا بِقَبُولٍ حَسَنٍ وَأَنْبَتَهَا نَبَاتًا حَسَنًا وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّا كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِنْدَهَا رِزْقًا قَالَ يَا مَرْيَمُ أَنَّى لَكِ هَذَا قَالَتْ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ} [آل عمران: 33] [آلِ عِمْرَانَ: 33 - 37] .
পৃষ্ঠা - ৯৩০
ষ্ষ্


-নিশ্চয়ই আদমকে, নুহকে ও ইবরাহীমের বংশধর এবং ইমরানের বংশধ্রকে আল্লাহ
বিশ্বজগতে মনোনীত করেছেন ৷ এরা একে অপরের বংশধর ৷ আল্লাহ সর্বগ্রোতা, সর্বজ্ঞ ৷ স্মরণ
কর, যখন ইমরানের শ্রী বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক ! আমার গর্ভে যা’ আছে তা একান্ত
তোমার জন্যে আমি উৎসর্গ করলাম ৷ সুতরাং তুমি আমার নিকট হতে তা কবুল কর, তুমি
সর্বভৈশ্রাতা, সর্বজ্ঞ ; অতঃপর যখন সে তাকে প্ৰসব করল তখন সে বলল, হে আমার
প্রতিপালক! আমি কন্যা প্রসব করেছি ৷ সে যড়া’ প্রসব করেছে, আল্লাহ তা’ সম্যক অবগত ৷
ছেলে তো এই মেয়ের মত নয় আমি তার নাম মারয়াম রেখেছি এবং অভিশপ্ত শয়তান হতে
তার ও তার বংশধরদের জন্যে তোমার শরণ নিচ্ছি ৷ তারপর তার প্রতিপালক তাকে সাগ্রহে
কবুল করলেন এবং তাকে উত্তমরুপে লালনপালন করলেন এবং তিনি তাকে যাকারিয়ার
তত্ত্বাবধানে রেখেছিলেন ৷ যখনই যাকারিয়া কক্ষে তার সাথে সাক্ষাত করতে যেত, তখনই তার
নিকট খাদ্য-সামগ্রী দেখতে পেত ৷ সে বলত, হে মাবয়াম! এ সব তুমি কোথায় গেলো সে
বলত , এটা আল্লাহর নিকট হতে ৷ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবনোপকরণ দান করেন ৷
(৩ আবুল-ইমরান : ৩৩-৩ ৭ )

আল্লাহ এখানে আদম (আ)-কে এবং তার সন্তানদের মধ্যে যারা তার আনুগত্য ও অনুসরণে
অটল ও অৰিচল রয়েছিলেন, তাদের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ তারপর বিশেষভাবে বলেছেন,
ইবরাহীমের বংশধরদের কথা ৷ এর মধ্যে উক্ত বংশের ইসমাঈলী শাখা ও ইসহাকের শাখা
অন্তর্ভুক্ত ৷ এরপর তিনি এই পুতপবিত্র আলে-ইমরানের বা ইমরান পরিবারের ফষীলত বর্ণনা
করেছেন ৷ এখানে ইমরান বলতে মড়াবয়ামের পিতাকে বুঝানো হয়েছে ৷ মুহাম্মদ ইবন ইনহাক
ইমরানের নসবনড়ামা উল্লেখ করেছেন এভাবে : ইমরান ইবন বাশিম ইবন আমুন ইবন মীশা
ইবন হিযকিয়া ইবন আহ্রীক ইবন মৃছাম ইবন আযাযিয়া ইবন আমসিয়া ইবন ইয়াউশ ইবন
আহ্রীহু ইবন ইয়াযাম ইবন ইয়ড়াহ্ফাশাত ইবন ঈশা ইবন আয়ান ইবন রাহ্বিআম ইবন
সুলায়মান ইবন দাউদ (আ) ৷ অপর দিকে ইবন অসােকিরের বর্ণনা মতে হযরত মার য়ামের
বংশধারা নিম্নরুপ : মাবয়াম বিনৃত ইমরান ইবন মাছান ইবনুল আযির ইবনুল ইয়াওদ ইবন
আখনার ইবন সাদুক ইবন আয়াবুয ইবন আল-য়াফীম ইবন আয়বুদ ইবন যারয়াবীল ইবন
শালতাল ইবন য়ুহায়না ইবন ৰারশা ইবন আমুন ইবন মীশা ইবন হাযকা ইবন আহায ইবন
মাওছাম ইবন আযরিয়া ইবন য়ুরাম ইবন য়ুশাফাত ইবন ঈশা ইবন ঈবা ইবন রাহরিআম ইবন
সুলায়মান ইবন দাউদ (আ) ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের বর্ণিত নসব-নামার সাথে এই
নসব-নামার যথেষ্ট পার্থক্য আছে; তবে মারয়াম যে দাউদ (আ)-এর বংশধর, এ ব্যাপারে কোন
বিরোধ নেই ৷ মার য়ামের পিতা ইমরান ছিলেন সে যুগে বনী ইসরাঈলের ইমাম ৷ তার মা হান্না
ৰিনৃত ফাকুদ ইবন কাবীল ছিলেন ইবাদতগুজার মহিলা ৷ হযরত যাকারিয়া (আ) ছিলেন সে
যুগের নবী ৷

অধিকাৎশ ঐতিহাসিকের মতে তিনি ছিলেন মাবয়ামের বোন আশৃইয়া’র স্বামী ৷ কিন্তু
কারও কারও মতে মারয়ামের খালার নাম ছিল আশইয়া এবং যাকারিয়া ছিলেন এই
আশইয়ার স্বামী ৷


يَذْكُرُ تَعَالَى أَنَّهُ اصْطَفَى آدَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَالْخُلَّصَ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ الْمُتَّبِعِينَ شَرْعَهُ الْمُلَازِمِينَ طَاعَتَهُ، ثُمَّ خَصَّصَ فَقَالَ: وَآلَ إِبْرَاهِيمَ، فَدَخَلَ فِيهِمْ بَنُو إِسْمَاعِيلَ، وَبَنُو إِسْحَاقَ. ثُمَّ ذَكَرَ فَضْلَ هَذَا الْبَيْتِ الطَّاهِرِ الطَّيِّبِ، وَهُمْ آلُ عِمْرَانَ، وَالْمُرَادُ بِعِمْرَانَ هَذَا وَالِدُ مَرْيَمَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَهُوَ عِمْرَانُ بْنُ بَاشِمَ بْنُ أَمُونَ بْنِ مَنْشَا بْنِ حِزْقِيَا بْنِ أَحْزِيقَ بْنِ مَوْثِمَ بْنِ عَزَارْيَا بْنِ أَمْصِيَا بْنِ يَاوِشَ بْنِ أَحْزِيهُو بْنُ يَارِمَ بْنُ يَهْفَاشَاطَ بْنِ أَيْشِ بْنِ أَبَانَ بْنِ رَحْبَعَامَ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ.
পৃষ্ঠা - ৯৩১
وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ عَسَاكِرَ: مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ بْنِ مَاتَانَ بْنِ الَيعَازِرَ بْنِ الْيُودِ بْنِ أَجْبَنَ بْنِ صَادُوقَ بْنِ عَيَازُورَ بْنِ الْيَاقِيمِ بْنِ أَيْبُودَ بْنِ زَرْبَائِيلَ بْنِ شَالْتَانِ بْنِ يُوحِنْيَا بْنِ بِرِسْتِيَا بْنِ آمُونَ بْنِ مِيشَا بْنِ حَزْقِيلَ بْنِ أَجَازَ بْنِ يُوثَامَ بْنِ عَزِرْيَا بْنِ بُورَامَ بْنِ بُوسَافَاطَ بْنِ أَسَا بْنِ أَبْيَا بْنِ رَخِيعَمَ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَفِيهِ مُخَالَفَةٌ لِمَا ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَلَا خِلَافَ أَنَّهَا مِنْ سُلَالَةِ دَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَكَانَ أَبُوهَا عِمْرَانُ صَاحِبَ صَلَاةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي زَمَانِهِ، وَكَانَتْ أُمُّهَا، وَهِيَ حَنَّةُ بِنْتُ فَاقُودَ بْنِ قُبَيْلَ، مِنَ الْعَابِدَاتِ، وَكَانَ زَكَرِيَّا نَبِيُّ ذَلِكَ الزَّمَانِ زَوْجَ أُخْتِ مَرْيَمَ أَشْيَاعَ فِي قَوْلِ الْجُمْهُورِ، وَقِيلَ: زَوْجُ خَالَتِهَا أَشْيَاعَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ، أَنَّ أُمَّ مَرْيَمَ كَانَتْ لَا تَحْبَلُ، فَرَأَتْ يَوْمًا طَائِرًا يَزُقُّ فَرْخًا لَهُ،
পৃষ্ঠা - ৯৩২
ষ্ষ্


মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ও অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন, মাবৃয়ামের মায়ের কোন সন্তান
হতো না ৷ এ অবস্থায় একদিন তিনি দেখেন যে, একটি পাথী তার ছানাকে আদর-সােহাগ
করছে ৷ এ দৃশ্য দেখে তার অম্ভরে সন্তান লাভের অদম্য আগ্রহ জাগে ৷ তখনই তিনি মানত
করলেন যে, তিনি যদি গর্জাতী হন তবে তার পুত্র সন্তানকে আল্লাহর জন্যে উৎসর্গ করবেন ৷
অর্থাৎ বায়তু ল মুকাদ্দাসের খাদিম বানাবেন ৷ মানত করার সাথে সাথেই তার মাসিক স্রাব আরম্ভ
হয়ে যায় ৷ পবিত্র হওয়ার পর তার স্বামী তার সাথে মিলিত হন এবং মারয়াম তার গর্ভে
আসেন ৷ আ ল কুরআনের৩ ভাষ্য হচ্ছে অতংপর সে যখন তাকে প্ৰসব করল তখন সে বলল, হে
আমার প্রতিপালক! আমি কন্যা প্ৰসব করেছি ৷ অথচ সে যা প্ৰসব করেছিল আল্লাহ তা সম্যক
অবগত ৷ ট্রট্রুশ্ৰুও১১ এর অন্য কেরাত ছু১ছুছুণ্ট্রু অর্থাৎ আমি না প্ৰসব করেছি ৷ “আর পুত্র সন্তান
কন্যা সন্তানের মত হয় যায় ৷” অর্থাৎ বায়তুল মুকাদ্দাসের থেদমতের ব্যাপারে ৷ সে যুগের
লোক বায়তুল মুকাদ্দাসের থেদমতের জন্যে নিজেদের সন্তান মানত করত ৷ “মারয়ামের মায়ের
উক্তি, আমি তার নাম রাখলাম মারয়াম ৷” এ আয়াত থেকে দলীল গ্রহণ করে কেউ কেউ জন্মের
দিনেই সন্তানের নামকরণের কথা বলেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিমে হযরত আনাস (বা) থেকে
হাদীছ বর্ণিত আছে যে, তিনি তার নবজাত ভাইকে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর নিকট নিয়ে যান ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) একটি থােরমা চিবিয়ে তার রস নব-জাতকের মুখে দেন এবং তার নামকরণ
করেন আবদুল্লাহ ৷ হযরত হাসান (র) ছামুর৷ (রা) সুত্রে মারকু’ হাদীস বর্ণিত আছে, “প্রত্যেক
পুত্র-সন্তান তার আকীকার দ্বারা সুরক্ষিত ৷ জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু জবাই
করবে, তার নামকরণ করবে এবং মাথার চুল মুণ্ডন করবে ৷ ” এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম
আহমদসহ সকল সুনান গ্রন্থকার এবং তিরমিযী একে সহীহ্ বলে অভিহিত করেছেন ৷ এ
হাদীছের কোন কোন বর্ণনায় নামকরণে (ক্লেন্) এর স্থলে রক্তপ্রবাহিত করণ (র্সে১াৰু) এর
উল্লেখ আছে ৷ কেউ কেউ এ বর্ণনাকেও সহীহ বলেছেন ৷

তারপর মারয়াম বললেন, “আমি একে এবং এর ভবিষ্যৎ বংশধরকে বিতাড়িত শয়তান
থেকে রক্ষা করার জন্যে তােমারই শরণ নিচ্ছি ৷ মাবৃয়ামের মায়ের এই দোয়া তার মানতের
মতই কবুল হয়েছিল ৷ এ সম্পর্কে হাদীসেও উল্লেখ পাওয়া য়ায় ৷ ইমাম আহমদ আবু
হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : যে কোন সন্তান ভুমিষ্ঠ হওয়ার
সময় শয়তান তাকে স্পর্শ করে, তাই সে চিৎকার করে র্কাদতে থাকে, কেবল মারয়াম ও তার
পুত্র এর ব্যতিক্রম ৷ আবু হুরায়রা (রা) বলেন, তোমরা ইচ্ছে করলে কুরআনের এ আয়াত

fl ’

পড়তে ৷ ন্ ৷ ,

এ উভয় হাদীস আবদুর রায্যাক (র) সুত্রে বর্ণিত ৷ ইবন জারীর আবু হুরায়রা (রা)
থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহ্মদ৩ ভিন্ন সুত্রে আবু হুরায়রা (বা) থেকে
এ হাদীসটি নিম্নরুপভাবে বর্ণনা করেছেন; নবী করীম (সা) বলেছেন : বনী-আদমের প্রতিটি
নবজাত শিশুকে শয়তান আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করে, কেবল মাবৃয়াম বিনৃত ইমরান ও তার পুত্র
ঈসা এর ব্যতিক্রম ৷ এ হাদীসটি কেবল এই একটি সুত্রেই বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম মুসলিমও ভিন্ন
সনদে আবু হুরায়রা (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ ভিন্ন সুত্রে আবু


فَاشْتَهَتِ الْوَلَدَ، فَنَذَرَتْ لِلَّهِ إِنْ حَمَلَتْ لَتَجْعَلَنَّ وَلَدَهَا مُحَرَّرًا ; أَيْ حَبِيسًا فِي خِدْمَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ. قَالُوا: فَحَاضَتْ مِنْ فَوْرِهَا، فَلَمَّا طَهُرَتْ وَاقَعَهَا بَعْلُهَا، فَحَمَلَتْ بِمَرْيَمَ، عَلَيْهَا السَّلَامُ {فَلَمَّا وَضَعَتْهَا قَالَتْ رَبِّ إِنِّي وَضَعْتُهَا أُنْثَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا وَضَعَتْ} [آل عمران: 36] وَقُرِئَ بِضَمِّ التَّاءِ {وَلَيْسَ الذَّكَرُ كَالْأُنْثَى} [آل عمران: 36] أَيْ: فِي خِدْمَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَكَانُوا فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ يَنْذِرُونَ لِبَيْتِ الْمَقْدِسِ خُدَّامًا مِنْ أَوْلَادِهِمْ. وَقَوْلُهَا: {وَإِنِّي سَمَّيْتُهَا مَرْيَمَ} [آل عمران: 36] اسْتُدِلَّ بِهِ عَلَى تَسْمِيَةِ الْمَوْلُودِ يَوْمَ يُولَدُ، وَكَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " «عَنْ أَنَسٍ فِي ذَهَابِهِ بِأَخِيهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَنَّكَ أَخَاهُ وَسَمَّاهُ عَبْدَ اللَّهِ.» وَجَاءَ فِي حَدِيثِ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ مَرْفُوعًا: «كُلُّ غُلَامٍ رَهِينَةٌ بِعَقِيقَتِهِ، تُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ سَابِعِهِ، وَيُسَمَّى وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ» رَوَاهُ أَحْمَدُ، وَأَهْلُ السُّنَنِ، وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ، وَجَاءَ فِي بَعْضِ أَلْفَاظِهِ: وَ " يُدَمَّى " بَدَلَ: وَ " يُسَمَّى ". وَصَحَّحَهُ بَعْضُهُمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَوْلُهَا: {وَإِنِّي أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ} [آل عمران: 36] قَدِ اسْتُجِيبَ لَهَا فِي هَذَا، كَمَا تُقُبِّلَ مِنْهَا نَذْرُهَا ; فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلَّا وَالشَّيْطَانُ يَمَسُّهُ حِينَ يُولَدُ فَيَسْتَهِلُّ صَارِخًا مِنْ مَسِّ الشَّيْطَانِ إِيَّاهُ إِلَّا مَرْيَمَ وَابْنَهَا» ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ: وَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ: {وَإِنِّي أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ} [آل عمران: 36] أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ
পৃষ্ঠা - ৯৩৩
الرَّزَّاقِ. وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ الْفَرْجِ، عَنْ بَقِيَّةَ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ عَجْلَانَ مَوْلَى الْمُشْمَعِلِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُلُّ مَوْلُودٍ مِنْ بَنِي آدَمَ يَمَسُّهُ الشَّيْطَانُ بِأُصْبُعِهِ، إِلَّا مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ، وَابْنَهَا عِيسَى» . تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي الطَّاهِرِ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي يُونُسَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَيْثَمٌ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنِ الْعَلَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُلُّ إِنْسَانٍ تَلِدُهُ أُمُّهُ يَلْكُزُهُ الشَّيْطَانُ بِحِضْنَيْهِ، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ مَرْيَمَ وَابْنِهَا، أَلَمْ تَرَ إِلَى الصَّبِيِّ حِينَ يَسْقُطُ كَيْفَ يَصْرُخُ؟» قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: «ذَلِكَ حِينَ يَلْكُزُهُ الشَّيْطَانُ بِحِضْنَيْهِ» وَهَذَا عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَلَمْ يُخْرِجْهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَرَوَاهُ قَيْسٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ
পৃষ্ঠা - ৯৩৪
ষ্ষ্


হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, কোন না যখন সন্তান প্রসব করে
তখন মায়ের কােলেই শয়তান তাকে ঘুষি মারে, কেবল মারয়াম ও তার পুত্র এর ব্যতিক্রম ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা দেখেছ কি, শিশু যখন ভুমিষ্ঠ হয়, তখন চিৎকার
করে র্কাদে? সাহাবাগণ বললেন, হ্যা, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা দেখেছি ৷ রড়াসুলুল্লাহ (স) ণ্
বললেন, এ চিৎকার তখনই সে দেয়, যখন মায়ের কোলে শয়তান তাকে ঘুষি মারে ৷ এ
হাদীস মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী বর্ণিত ৷ কায়স আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন,
নবী করীম (সা) বলেছেন, যে কোন শিশু ভুমিষ্ঠ হলে শয়তান তাকে একবার বা দুবার চাপ
দেয়, কেবল ঈসা ইবন মারয়াম ও মারয়াম এ থেকে রক্ষা পেয়েছে ৷ তারপর রাসুল (সা) এ
আয়াত পাঠ করলেন ৷ “আমি অভিশপ্ত শয়তান থেকে তার ও তার বংশধরদের জন্যে তোমার
শরণ নিচ্ছি ৷ ”

মুহাম্মদ ইবন ইসহড়াক ও ইমাম আহমদ আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, নবী
করীম (সা) বলেছেন : প্রতিটি আদম সন্তান , যখন সে ভুমিষ্ঠ হয় তখন শয়তান তার পার্শ্বদেশে
খোচা মারে কেবল ঈসা ইবন মারয়াম এর ব্যতিক্রম ৷ শয়তান ঈসাকে খোচা মারতে গিয়ে
পর্দায় বেড়াচা মেরে চলে যায় ৷ এ হাদীস বুখারী ও মুসলিমের শর্তে বর্ণিত ৷ আল্লাহর বাণী :
অতঃপর তার প্রতিপালক তাকে ভালরুপে কবুল করলেন এবং তাকে উত্তমরুপে লালন পালন
করলেন, আর তাকে যাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে রেখেছিলেন ৷ অনেক ঘুফাসৃসির লিখেছেন, মারয়াম
ভুমিষ্ঠ হলে তার মা তাকে একটি কাপড়ে জড়িয়ে বায়তুল মুকাদ্দাস মুসজিদে চলে যান এবং
সেখানকার ইবাদতকারী লোকদের নিকট সােপর্দ করেন ৷ মারয়াম ছিলেন তাদের নেতা ও
সালাতের ইমামের কন্যা ৷ তাই তার দেখাশুনার দায়িতু কে নেবে, এ নিয়ে তারা বাদানুবাদে
লিপ্ত হয় ৷ বলাবাহুল্য যে, মারয়ামের দৃগ্ধ পানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই তাকে বায়তুল
মুকাদ্দাসে ইবাদতকারীদের দায়িত্বে সোপর্দ করা হয়েছিল ৷ মারয়ড়ামকে যখন তাদের কাছে
সােপর্দ করা হয়, তখন তারা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় যে তার দায়িতু গ্রহণ করবে ৷

হযরত যাকারিয়া (আ) ছিলেন সে যুগের নবী ৷ তিনি চাচ্ছিলেন, নিজের দায়িত্বে রাখতে
এবং এ ব্যাপারে অন্যদের তুলনায় তারই হক ছিল সর্বাধিক ৷ কেননা, তীর শ্রী ছিলেন
মারয়ামের বোন, মতাতরে খালা ৷ কিত্তু অন্যরা এতে প্রতিদ্বন্দিতা করল এবং লটরীির মাধ্যমে
ফয়সালা করার দাবি জানাল ৷ অতঃপর লটারী করা হল এবং তাতে যাকারিয়া (আ)-এর নাম
উঠলো ৷ প্রকৃতপক্ষে থালা তো মড়ায়েরই তুলা ৷ আল্লাহর বাণী : আর তাকে যাকারিয়ার
তত্ত্বড়াবধানে রেখেছিলেন ৷” যেহেতু লটারীতে তিনি জয়ী হয়েছিলেন ৷ এ বিষয়ে আল্লাহ
তাআলার বাণী : “এ হল গায়েবী সংবাদ, যা আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে অবহিত করছি ৷
মারয়ামের তত্তুড়াবধানের দায়িতু তাদের মধ্যে কে গ্রহণ করবে এর মধ্যে যখন তারা তাদের
কলম নিক্ষেপ করছিল তুমি তখন তাদের নিকট ছিলে না এবং তারা যখন বড়াদানুবাদ করছিল,
তখনও তুমি তাদের নিকট ছিলে না ৷” (৩:৪৪ )

মুফাস্সিরগণ লিখেছেন যে, কলমের মাধ্যমে লটাবী তিনবার হয়েছিল ৷ প্রথমবার প্রত্যেকে
নিজ নিজ কলমে চিহ্ন দিয়ে এক জায়গায় রেখে দেয় ৷ অতঃপর একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালককে


رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلَّا وَقَدْ عَصَرَهُ الشَّيْطَانُ عَصْرَةً أَوْ عَصْرَتَيْنِ ; إِلَّا عِيسَى بْنَ مَرْيَمَ، وَمَرْيَمَ» ثُمَّ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {وَإِنِّي أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ} [آل عمران: 36] وَكَذَا رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِأَصْلِ الْحَدِيثِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحِزَامِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُلُّ بَنِي آدَمَ يَطْعَنُ الشَّيْطَانُ فِي جَنْبِهِ حِينَ يُولَدُ، إِلَّا عِيسَى بْنَ مَرْيَمَ ذَهَبَ يَطْعَنُ، فَطَعَنَ فِي الْحِجَابِ» وَهَذَا عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ "، وَلَمْ يُخْرِجَاهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَوْلُهُ: {فَتَقَبَّلَهَا رَبُّهَا بِقَبُولٍ حَسَنٍ وَأَنْبَتَهَا نَبَاتًا حَسَنًا وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّا} [آل عمران: 37] ذَكَرَ كَثِيرٌ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ أَنَّ أُمَّهَا حِينَ وَضَعَتْهَا، لَفَّتْهَا فِي خُرُوقِهَا ثُمَّ خَرَجَتْ بِهَا إِلَى الْمَسْجِدِ، فَسَلَّمَتْهَا إِلَى الْعُبَّادِ الَّذِينَ هُمْ مُقِيمُونَ بِهِ، وَكَانَتِ ابْنَةَ إِمَامِهِمْ وَصَاحِبِ صَلَاتِهِمْ، فَتَنَازَعُوا فِيهَا. وَالظَّاهِرُ أَنَّهَا إِنَّمَا سَلَّمَتْهَا إِلَيْهِمْ بَعْدَ رَضَاعِهَا وَكَفَالَةِ مِثْلِهَا فِي صِغَرِهَا، ثُمَّ لَمَّا دَفَعَتْهَا إِلَيْهِمْ تَنَازَعُوا فِي أَيِّهِمْ يَكْفُلُهَا، وَكَانَ زَكَرِيَّا نَبِيَّهُمْ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَقَدْ أَرَادَ أَنْ يَسْتَبِدَّ بِهَا دُونَهُمْ ; مِنْ أَجْلِ أَنَّ زَوْجَتَهُ أُخْتُهَا أَوْ خَالَتُهَا، عَلَى الْقَوْلَيْنِ، فَشَاحُّوهُ فِي ذَلِكَ، وَطَلَبُوا أَنْ يَقْتَرِعَ مَعَهُمْ،
পৃষ্ঠা - ৯৩৫
ষ্ষ্


সেখান থেকে একটা কলম উঠিয়ে আনতে বলে ৷ দেখা গেল, যাকারিয়ার কলমই উঠে এসেছে ৷
তাদের দাবি অনুযায়ী দ্বিতীয়বার লটারী করা হয় ৷ এবার লটারীর পদ্ধতি ঠিক করা হয় যে,
প্রত্যেকের কলম নদীর মধ্যে ফেলে দেবে; তারপর যার কলম স্রোতের বিপরীত দিকে চলবে,
সে জয়ী হয়ে ৷ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলম নদীতে নিক্ষেপ করা হয় ৷ দেখা গেল , যাকারিয়ার কলম
স্রোতের বিপরীতে চলছে এবং অন্য সবার কলম স্রোতের অনুকুলে প্রবাহিত হচ্ছে ৷ তখন তারা
তভীয় বার লটারী করার দাবি জ লাল এবং বলল, এবার যার কলম স্রোতের অনুকুলে চলবে
এবং অন্যদের কলম উজানের দিকে উঠে যাবে সেই জয়ী হয়ে ৷ এবারের লটারীতে ও যাকারিয়া
(আ) জয়ী হলেন এবং মারয়ামের তত্ত্ব ৷বধানের অধিকার লাভ করলেন ৷ শরী’ আতের বিচারেও
লটারীতে জয়ী হওয়ায়৩ তার তপ্রোধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় ৷

আল্লাহর রাণী৪ যখনই যাকারিয়া মিহ্রাবের মধ্যেত তার কাছে আসত তখনই কিছু খাবার
দেখতে পেত ৷ জিজ্ঞেস করত, মারয়াম’ ! কোথা থেকে এসব তোমার কাছে এল? সে বল৩ ,
, এসব আল্লাহর নিকট থেকে আসে ৷ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান করেন ৷

মুফাসৃসিরগণ লিখেছেন, হযরত যাকারিয়া মারয়ামের জন্যে বায়তৃল মুকাদ্দাস মসজিদে
একটি উত্তম কক্ষ নির্ধারণ করে দেন ৷ তিনি ছাড়া ঐ কক্ষে অন্য কেউ প্রবেশ করত না ৷
মারয়াম এই কক্ষে অবস্থান করে আল্লাহর ইবাদত করতেন ৷ মসজিদের কোন থেদমতের সময়
সুযোগ যখন আসত, তখন তিনি সে দায়িত্ব পালন করতেন ৷ রাত দিন সর্বদা সেখানে তিনি
আল্লাহর ইবাদতে মশপুল থা ৷কতে তন ৷ তিনি এত বেশী পরিমাণে আল্লাহর ইবাদত করতেন যে,
বনী ইসরাঈলের মধ্যে৩ তার ইবাদতকে দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হত ৷ তার বহু কারামত ও
বৈশ্যিষ্ট্যর কথা ইসরা ঈলী সমাজে প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷ হযরত যাকারিয়া (আ) যখনই মারয়ামের
কক্ষে প্রবেশ করতেন তখনই তার নিকট বে-মৌসুমের বিরল খাদ্য দ্রব্য দেখতে পেতেন যেমন
শীত মৌসুমে গ্রীষ্মের ফল এবং গ্রীষ্ম মৌসুমে শীত কালের ফল দেখতে পেয়ে তিনি জিজ্ঞেস
করতেন, মারয়াম! এসব তুমি কোথায় গেলো সে বলত, এসব আল্লাহর নিকট থেকে অর্থাৎ
আল্লাইে এসব খাদ্য সামগ্রী আমার জন্যে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ৷ আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা
করেন অপরিমিত রিযক দান করেন ৷ সেখানেই যাকারিয়ার মনে পৃত্র-সন্তানের আকাক্ষে৷ আগে
এবং বয়স অনেক বেশী হওয়া সত্বেও আল্লাহর নিকট দোয়া করে বলেন, “হে আমার
পালনকর্তা আমাকে তুমি তোমার নিকট থেকে সৎ বংশধর দান কর ৷ নিশ্চয়ই তুমি প্রাত্নাি
শ্রবণকারী ৷” কোন কোন মুফাসৃসির বলেছেন, হযরত যাকারিয়া (আ) প্রার্থনায় এ কথাও
বলেছিলেন যে, হে মহান প্রভু! আপনি যেমন মারয়ামকে অসময়ে ফল দান করেছেন, আমাকেও
একটি সন্তান দান করুন, যদিও অসময় হয়ে গেছে ৷ এর পরবর্তী ঘটনাবলী আমরা যথা স্থানে
বর্ণনা করে এসেছি ৷

আল্লাহর বাণী৪
§





فَسَاعَدَتْهُ الْمَقَادِيرُ، فَخَرَجَتْ قُرْعَتُهُ غَالِبَةً لَهُمْ، وَذَلِكَ أَنَّ الْخَالَةَ بِمَنْزِلَةِ الْأُمِّ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى " {وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّا} [آل عمران: 37] أَيْ: بِسَبَبِ غَلَبِهِ لَهُمْ فِي الْقُرْعَةِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {ذَلِكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يُلْقُونَ أَقْلَامَهُمْ أَيُّهُمْ يَكْفُلُ مَرْيَمَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يَخْتَصِمُونَ} [آل عمران: 44] . قَالُوا: وَذَلِكَ أَنَّ كُلًّا مِنْهُمْ أَلْقَى قَلَمَهُ مَعْرُوفًا بِهِ، ثُمَّ حَمَلُوهَا وَوَضَعُوهَا فِي مَوْضِعٍ، وَأَمَرُوا غُلَامًا لَمْ يَبْلُغِ الْحِنْثَ، فَأَخْرَجَ وَاحِدًا مِنْهَا، وَظَهَرَ قَلَمُ زَكَرِيَّا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَطَلَبُوا أَنْ يَقْتَرِعُوا مَرَّةً ثَانِيَةً، وَأَنْ يَكُونَ ذَلِكَ بِأَنْ يُلْقُوا أَقْلَامَهُمْ فِي النَّهْرِ، فَأَيُّهُمْ جَرَى قَلَمُهُ عَلَى خِلَافِ جَرْيَةِ الْمَاءِ فَهُوَ الْغَالِبُ، فَفَعَلُوا، فَكَانَ قَلَمُ زَكَرِيَّا هُوَ الَّذِي جَرَى عَلَى خِلَافِ جَرْيَةِ الْمَاءِ، وَسَارَتْ أَقْلَامُهُمْ مَعَ الْمَاءِ، ثُمَّ طَلَبُوا مِنْهُ أَنْ يَقْتَرِعُوا ثَالِثَةً، فَأَيُّهُمْ جَرَى قَلَمُهُ مَعَ الْمَاءِ، وَتَكُونُ بَقِيَّةُ الْأَقْلَامِ قَدِ انْعَكَسَ سَيْرُهَا صُعُدًا ; فَهُوَ الْغَالِبُ، فَفَعَلُوا، فَكَانَ زَكَرِيَّا هُوَ الْغَالِبَ لَهُمْ، فَكَفَلَهَا إِذْ كَانَ أَحَقَّ بِهَا شَرْعًا وَقَدَرًا ; لِوُجُوهٍ عَدِيدَةٍ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِنْدَهَا رِزْقًا قَالَ يَامَرْيَمُ أَنَّى لَكِ هَذَا قَالَتْ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ} [آل عمران: 37] قَالَ الْمُفَسِّرُونَ: اتَّخَذَ لَهَا زَكَرِيَّا مَكَانًا شَرِيفًا مِنَ الْمَسْجِدِ، لَا يَدْخُلُهُ سِوَاهَا، فَكَانَتْ تَعْبُدُ اللَّهَ فِيهِ، وَتَقُومُ بِمَا يَجِبُ عَلَيْهَا مِنْ سَدَانَةِ الْبَيْتِ إِذَا جَاءَتْ نَوْبَتُهَا، وَتَقُومُ بِالْعِبَادَةِ لَيْلَهَا وَنَهَارَهَا، حَتَّى صَارَتْ يُضْرَبُ بِهَا الْمَثَلُ بِعِبَادَتِهَا فِي
পৃষ্ঠা - ৯৩৬
بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَاشْتَهَرَتْ بِمَا ظَهَرَ عَلَيْهَا مِنَ الْأَحْوَالِ الْكَرِيمَةِ، وَالصِّفَاتِ الشَّرِيفَةِ، حَتَّى إِنَّهُ كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ زَكَرِيَّا كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا مَوْضِعَ عِبَادَتِهَا، يَجِدُ عِنْدَهَا رِزْقًا غَرِيبًا فِي غَيْرِ أَوَانِهِ، فَكَانَ يَجِدُ عِنْدَهَا فَاكِهَةَ الصَّيْفِ فِي الشِّتَاءِ، وَفَاكِهَةَ الشِّتَاءِ فِي الصَّيْفِ، فَيَسْأَلُهَا: {أَنَّى لَكِ هَذَا} [آل عمران: 37] فَتَقُولُ: {هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ} [آل عمران: 78] أَيْ: رِزْقٌ رَزَقَنِيهِ اللَّهُ {إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ} [آل عمران: 37] فَعِنْدَ ذَلِكَ وَهُنَالِكَ طَمِعَ زَكَرِيَّا فِي وُجُودِ وَلَدٍ مِنْ صُلْبِهِ، وَإِنْ كَانَ قَدْ أَسَنَّ وَكَبِرَ. {قَالَ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ} [آل عمران: 38] قَالَ بَعْضُهُمْ: قَالَ: يَا مَنْ يَرْزُقُ مَرْيَمَ الثَّمَرَ فِي غَيْرِ أَوَانِهِ، هَبْ لِي وَلَدًا، وَإِنْ كَانَ فِي غَيْرِ أَوَانِهِ. فَكَانَ مِنْ خَبَرِهِ وَقَضِيَّتِهِ، مَا قَدَّمْنَا ذِكْرَهُ فِي قِصَّتِهِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ يَامَرْيَمُ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَاكِ وَطَهَّرَكِ وَاصْطَفَاكِ عَلَى نِسَاءِ الْعَالَمِينَ يَامَرْيَمُ اقْنُتِي لِرَبِّكِ وَاسْجُدِي وَارْكَعِي مَعَ الرَّاكِعِينَ ذَلِكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يُلْقُونَ أَقْلَامَهُمْ أَيُّهُمْ يَكْفُلُ مَرْيَمَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يَخْتَصِمُونَ إِذْ قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ يَامَرْيَمُ إِنَّ اللَّهَ يُبَشِّرُكِ بِكَلِمَةٍ مِنْهُ اسْمُهُ الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ وَجِيهًا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَمِنَ الْمُقَرَّبِينَ وَيُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلًا وَمِنَ الصَّالِحِينَ قَالَتْ رَبِّ أَنَّى يَكُونُ لِي وَلَدٌ وَلَمْ يَمْسَسْنِي بَشَرٌ قَالَ كَذَلِكِ اللَّهُ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ إِذَا قَضَى أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ وَيُعَلِّمُهُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَالتَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَرَسُولًا إِلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنِّي قَدْ جِئْتُكُمْ بِآيَةٍ مِنْ رَبِّكُمْ أَنِّي أَخْلُقُ لَكُمْ مِنَ الطِّينِ كَهَيْئَةِ الطَّيْرِ فَأَنْفُخُ فِيهِ فَيَكُونُ طَيْرًا بِإِذْنِ اللَّهِ وَأُبْرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ وَأُحْيِي الْمَوْتَى بِإِذْنِ اللَّهِ وَأُنَبِّئُكُمْ بِمَا تَأْكُلُونَ وَمَا تَدَّخِرُونَ فِي بُيُوتِكُمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ وَمُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَلِأُحِلَّ لَكُمْ بَعْضَ الَّذِي حُرِّمَ عَلَيْكُمْ وَجِئْتُكُمْ بِآيَةٍ مِنْ رَبِّكُمْ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ إِنَّ اللَّهَ رَبِّي وَرَبُّكُمْ فَاعْبُدُوهُ هَذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ فَلَمَّا أَحَسَّ} [آل عمران: 42] [آلِ عِمْرَانَ: 42 - 51] . يَذْكُرُ تَعَالَى أَنَّ الْمَلَائِكَةَ بَشَّرَتْ مَرْيَمَ بِاصْطِفَاءِ اللَّهِ لَهَا، مِنْ بَيْنِ سَائِرِ نِسَاءِ عَالَمِي زَمَانِهَا، بِأَنِ اخْتَارَهَا لِإِيجَادِ وَلَدٍ مِنْهَا، مِنْ غَيْرِ أَبٍ، وَبُشِّرَتْ بِأَنْ يَكُونَ نَبِيًّا شَرِيفًا {وَيُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ} [آل عمران: 46] أَيْ: فِي صِغَرِهِ، يَدْعُوهُمْ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَكَذَلِكَ فِي حَالِ كُهُولَتِهِ، فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ يَبْلُغُ الْكُهُولَةَ، وَيَدْعُو إِلَى اللَّهِ فِيهَا، وَأُمِرَتْ بِكَثْرَةِ الْعِبَادَةِ وَالْقُنُوتِ وَالسُّجُودِ وَالرُّكُوعِ ; لِتَكُونَ أَهْلًا لِهَذِهِ الْكَرَامَةِ، وَلِتَقُومَ بِشُكْرِ هَذِهِ النِّعْمَةِ. فَيُقَالُ: إِنَّهَا كَانَتْ تَقُومُ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى تَفَطَّرَتْ قَدَمَاهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَرَحِمَهَا، وَرَحِمَ أُمَّهَا وَأَبَاهَا. فَقَوْلُ الْمَلَائِكَةِ: {يَا مَرْيَمُ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَاكِ} [آل عمران: 42] أَيِ اخْتَارَكِ وَاجْتَبَاكِ. (وَطَهَّرَكِ) أَيْ: مِنَ الْأَخْلَاقِ الرَّذِيلَةِ، وَأَعْطَاكِ الصِّفَاتِ الْجَمِيلَةِ. {وَاصْطَفَاكِ عَلَى نِسَاءِ الْعَالَمِينَ} [آل عمران: 42] ، يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ الْمُرَادُ عَالَمِي زَمَانِهَا، كَقَوْلِهِ لِمُوسَى: {إِنِّي اصْطَفَيْتُكَ عَلَى النَّاسِ} [الأعراف: 144] وَكَقَوْلِهِ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ: {وَلَقَدِ اخْتَرْنَاهُمْ عَلَى عِلْمٍ عَلَى الْعَالَمِينَ} [الدخان: 32] . وَمَعْلُومٌ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَفْضَلُ مِنْ مُوسَى، وَأَنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَفْضَلُ
পৃষ্ঠা - ৯৩৭
ষ্ষ্


০ শ্ : :





) fl


৷ : ) শ্ , ; : :

র্ণএে



র্দু,ট্রুছুএোছু, , ৰু,স্পোা

(


৩ :

-ম্মরণ কর, যখন ফেরেশতাগণ বলেছিল, হে মারয়াম৷ আল্লাহ ৫৩ ৷মাকে মনোনীত

পবিত্র করেছেন এবং বিশ্বের নারীগণের মধ্যে (৩ তামাকে মনোনীত করেছেন ৷ হে মারয়াম!

তোমার প্রতিপালকের অনুগত হও ও সিজদা কর এবংয যায়৷ রুকু করে তাদের সাথে রুকু কর ৷
এটা অদৃশ্য বিষয়ের সংবাদ, যা তোমাকে ওহী দ্বারা অব তকরছি ৷ মারয়ামের তত্ত্বাবধানেদ্বির

দাযিতু তাদের মধ্যে কে গ্রহণ করবে এর জন্যে যখন তারা তান্থ দের কলম নিক্ষেপ করছিল,তু
তখন তাদের নিকট ছিলে না এবংত তারা যখন বাদড়ানুবাদ করছিল তখনও তুমি তাদের নিকট
ছিলে না ৷ স্মরণ কর, যখন ফেরেশতাগণ বলল, হে মারয়াম! আল্লাহ তোমাকে তার পক্ষ হতে
একটি কলেমার সুসংবাদ দিচ্ছেন ৷ তার নাম মসীহ-মারয়াম তনয় ঈসা সে দুনিয়া ও
আখিরাতে সম্মানিত এবং সান্নিধ্যপ্রাপ্তগণের অন্যতম হবে ৷ সে দােলনায় থাকা অবস্থায় ও
পরিণত বয়সে মানুষের সাথে কথা বলবে এবং সে হবে পুণ্যবানদের একজন ৷ সে বলল, হে
আমার প্রতিপালক৷ আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি, আমার সন্তান হবে কীভাবেঃ তিনি
বললেন, এ ভাবেই’ , আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন ৷ তিনি যখন কিছু স্থির করেন তখন বলেন,
হও’ এবং তা হয়ে যায় ৷ এবং তিনি তাকে শিক্ষা দিবেন কিতাব, হিকমত, তাওরাত ও ইনজীল
এবং তাকে বনী ইসরাঈলের জন্যে রাসুল করবেন ৷ সে বলবে, আমি তোমাদের প্ৰতিপালকের


مِنْهُمَا، وَكَذَلِكَ هَذِهِ الْأُمَّةُ أَفْضَلُ مِنْ سَائِرِ الْأُمَمِ قَبْلَهَا، وَأَكْثَرُ عَدَدًا، وَأَفْضَلُ عِلْمًا، وَأَزْكَى عَمَلًا، مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَغَيْرِهِمْ. وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ قَوْلُهُ: {وَاصْطَفَاكِ عَلَى نِسَاءِ الْعَالَمِينَ} [آل عمران: 42] مَحْفُوظَ الْعُمُومِ ; فَتَكُونَ أَفْضَلَ نِسَاءِ الدُّنْيَا مِمَّنْ كَانَ قَبْلَهَا، وَوُجِدَ بَعْدَهَا ; لِأَنَّهَا إِنْ كَانَتْ نَبِيَّةً، عَلَى قَوْلِ مَنْ يَقُولُ بِنُبُوَّتِهَا وَنُبُوَّةِ سَارَّةَ أُمِّ إِسْحَاقَ، وَنُبُوَّةِ أُمِّ مُوسَى، مُحْتَجًّا بِكَلَامِ الْمَلَائِكَةِ وَالْوَحْيِ إِلَى أُمِّ مُوسَى، كَمَا يَزْعُمُ ذَلِكَ ابْنُ حَزْمٍ وَغَيْرُهُ، فَلَا يَمْتَنِعُ عَلَى هَذَا أَنْ تَكُونَ مَرْيَمُ أَفْضَلَ مِنْ سَارَّةَ وَأُمِّ مُوسَى ; لِعُمُومِ قَوْلِهِ: {وَاصْطَفَاكِ عَلَى نِسَاءِ الْعَالَمِينَ} [آل عمران: 42] إِذْ لَمْ يُعَارِضْهُ غَيْرُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا عَلَى قَوْلِ الْجُمْهُورِ، كَمَا قَدْ حَكَاهُ أَبُو الْحَسَنِ الْأَشْعَرِيُّ وَغَيْرُهُ عَنْ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ، مِنْ أَنَّ النُّبُوَّةَ مُخْتَصَّةٌ بِالرِّجَالِ، وَلَيْسَ فِي النِّسَاءِ نَبِيَّةٌ، فَيَكُونُ أَعْلَى مَقَامَاتِ مَرْيَمَ، كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {مَا الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ وَأُمُّهُ صِدِّيقَةٌ} [المائدة: 75] . فَعَلَى هَذَا لَا يَمْتَنِعُ أَنْ تَكُونَ أَفْضَلَ الصِّدِّيقَاتِ الْمَشْهُورَاتِ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَهَا، وَمِمَّنْ يَكُونُ بَعْدَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ جَاءَ ذِكْرُهَا مَقْرُونًا مَعَ آسِيَةَ بِنْتِ مُزَاحِمٍ، وَخَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ، وَفَاطِمَةَ بِنْتِ مُحَمَّدٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُنَّ وَأَرْضَاهُنَّ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَالْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৯৩৮
مِنْ طُرُقٍ عَدِيدَةٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ نِسَائِهَا مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَخَيْرُ نِسَائِهَا خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حَسْبُكَ مِنْ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ بِأَرْبَعٍ ; مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَآسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ، وَخَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَفَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ زَنْجَوَيْهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ، وَصَحَّحَهُ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَرْدَوَيْهِ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، وَابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ تَمِيمِ بْنِ زِيَادٍ، كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ أَرْبَعٌ: مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَآسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ، وَخَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَفَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ، قَالَ: كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَيْرُ نِسَاءٍ
পৃষ্ঠা - ৯৩৯
ষ্ষ্


পক্ষ হতে তোমাদের নিকট নিদর্শন নিয়ে এসেছি ৷ আমি তোমাদের জন্যে কাদ৷ দ্বারা একটি
পাথীর মত আকৃতি গঠন করব; তারপর তাতে আমি ফুৎক ব দিব ,ফলে আল্লাহর হুক্যুম তা
পাখী হয়ে যাবে ৷ আমি জন্মা ন্ধ ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্তকে নিরাময় করব এবং আল্লাহ্র হুকুমে মৃতকে
জীবন্ত করব ৷ তোমরা তোমাদের ঘরসমুহে যা আহার কর ও মওজুদ কর, তা তোমাদেরকে
বলে দেব ৷ তোমরা যদি মু মিন হও তবে এতে তোমাদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে ৷ আর আমি
এসেছি আমার সম্মুখে তাওরাতের যা রয়েছে তার সমর্থকরুপে ও তোমাদের জান্য যা নিষিদ্ধ
ছিল তার কতকগুলোকে বৈধ করতে এবং আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমাদের
নিকট নিদর্শন নিয়ে এসেছি ৷ সুতরাং আল্লাহকে ভয় কর আর আমাকে অনুসরণ কর ৷ নিশ্চয়ই
আল্লাহ আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক ৷ সুতরাং তোমরা তার ইবাদত করবে ৷
এটাই সরল পথ ৷ (৩ আলে ইমরান : ৪ ২ ৫ ১ )

উপরোক্ত আয়াত সমুহে আল্লাহ এ কথা উল্লেখ করছেন যে, ফেরেশতাগণ মারয়ামকে এ
সুসৎবাদ পৌছান যে, আল্লাহ র্তাকে সে যুগের সমস্ত নারীদের মধ্যে মনোনীত করেছেন ৷ যেহে
তিনিত ৷ব থেকে সৃষ্টি করবেন ৷পতা ছাড়া পুত্র-সম্ভান এবং তাকে এ সুসং ×বাদও দেন যে, সে
পুত্রটি হবেন মর্যাদাশীল নবী ৷ “সে মানুষের সাথে কথা বলবে দােলনায় থাকা অবস্থায় ৷ ” অর্থাৎ
শিশুকালেই তিনি মানুষকে এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ্র ইবাদতের দিকে আহ্বান করবেন ৷ পরিণত
বয়সেও তিনি মানুষকে ঐ এবইি আহ্বান জানাতে থাকবেন ৷ এ থেকে বুঝা যায় যে, মারয়াম
তনয় পরিণত বয়স পর্যন্ত বেচে থাকবেন এবং মানুষকে আল্পাহ্র ইবাদতের দিকে আহবান
করবেন ৷ এবং তাকে বেশী বেশী ইবাদত বন্দেপী ও রুকু সিজদা করার নির্দেশ দেয়৷ হয় ৷
যাতে করে তিনি এই মর্যাদার যোগ্য হয়ে উঠেন এবং তিনি এ অপার নিয়ামতে র শুকরিয়া
আদায় করতে পারেন ৷ তিনি এ নির্দেশ পুণ্তািবে পালন করার চেষ্টা করতেন ৷ কথিত আছে যে,
দীর্ঘক্ষণ সালাতে র্দ৷ ৷ড়িয়ে থাকতে থাকতে তার দৃ’ পা ফেটে যেত ৷ আল্লাহত তার উপর এবং৩ তার
পিতা-মাত ৷র উপর শাস্তি বর্নিত করুন ৷

আয়াতে রয়েছে, ফেরেশতাপণ বলেন, “হে মারয়াম ! আল্লাহ তোমাকে মনোনীত করেছেন
এবং তোমাকে পবিত্র-পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছেন ৷ অর্থাৎ মন্দ চরিত্র থেকে তোমাকে পবিত্র
রেখেছেন এবং উত্তম গুণাবলী দ্বারা বিভৃষিত করেছেন ৷ “আর তোমাকে বিশ্বের নারীগণের মধ্যে
মনোনীত করেছেন ৷” বিশ্বের নারীদের দুটি অর্থ হতে পারে : এক, সে যুগে বিশ্বে যত নারী
ছিল, তাদের উর্ধে ৷ যেমন মুসা (আ)-কে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেছেন, “আমি তোমাকে
মানব জাতির উপর মনোনীত করেছি ৷ ” অনুরুপতা বে বনী ইসরাঈল সম্পর্কে আল্লাহ বলছেন,
আমি জেনে শুনেই তাদেরকে বিশ্বে শ্রেষ্ঠতু দিয়েছিলাম’ ৷ (৪৪ দৃখানং ৩২) কিন্তু সবাই জানে
যে, ইবরাহীম (আ) মুসা (আ) এর চাইতে শ্রেষ্ঠ, এবং মুহাম্মদ (সা) উভয়ের চাইতে শ্রেষ্ঠ ৷
অনুরুপ বিশ্বনবীব এ উম্মত অতীতের সমস্ত উম্মত থেকে শ্রেষ্ঠ এবং বনী ইসরাঈল ও
অন্যান্যদের তুলনায় সংখ্যায় অধিক, ইলম ও জ্ঞানে শ্রেষ্ঠ এবং আমলে ও ইখলাসে উন্নততর ৷


رَكِبْنَ الْإِبِلَ، صَالِحُ نِسَاءِ قُرَيْشٍ، أَحْنَاهُ عَلَى وَلَدٍ فِي صِغَرِهِ، وَأَرْعَاهُ لِزَوْجٍ فِي ذَاتِ يَدِهِ» قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَلَمْ تَرْكَبْ مَرْيَمُ بَعِيرًا قَطُّ. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ "، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَافِعٍ وَعَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عَلِيٍّ، سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ نِسَاءٍ رَكِبْنَ الْإِبِلَ نِسَاءُ قُرَيْشٍ، أَحْنَاهُ عَلَى وَلَدٍ فِي صِغَرِهِ، وَأَرْأَفُهُ بِزَوْجٍ عَلَى قِلَّةِ ذَاتِ يَدِهِ» قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَقَدْ عَلِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ ابْنَةَ عِمْرَانَ لَمْ تَرْكَبِ الْإِبِلَ. تَفَرَّدَ بِهِ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحِ ". وَلِهَذَا الْحَدِيثِ طُرُقٌ أُخَرُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى الْمُوصِلِيُّ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي الْفُرَاتِ، عَنْ عِلْبَاءَ بْنِ أَحْمَرَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৯৪০
ষ্ষ্


(২) “তোমাকে বিশ্বের নারীদের মধ্যে মনোনীত করেছেন ৷” এ কথাটি ব্যাপক অর্থেও হতে
পারে ৷ অর্থাৎ পুর্ববর্তী ও পরবর্তী বিশ্বের সমস্ত নারীকুলের মধ্যে মারয়ামই শ্রেষ্ঠ ৷ কেননা, তিনি
যদি নবী হয়ে থাকেন, যেমন ইবন হাযম প্রমুখের ধারণা যে, ঈসা নবীর মা মারয়াম , ইসহাক
নবীর যা সারা ও মুসা নবীর মা নবী ছিলেন ৷ কেননা, এদের প্রত্যেকের সাথে ফেরেশতা কথা
বলেছেন এবং মুসা নবীর মায়ের নিকট ওহী এসেছে ৷ এমত অনুযায়ী মারয়াম অন্যান্য নারীদের
তুলনায় তো বটেই, এমনকি সারা এবং মুসা (আ)-এর মায়ের তুলনায়ও শ্রেষ্ঠতর ৷ কেননা,
আয়াতে নবী অ-নবী সমস্ত নারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং এর সাথে
সাংঘর্ষিক অন্য কোন আয়াত নেই ৷ কিন্তু আবুল হাসান আশআরী ও অন্যান্য ধর্ম বিশারদগণ
জমহুর উলামা তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অভিমত উদ্ধৃত করে বলেছেন, নবুওত
পুরুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, নারীদের মধ্যে কাউকেই তা’ দান করা হয়নি ৷ এমত অনুযায়ী উক্ত
আঘাতের অর্থ হবে, মারয়ামকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করা হয়েছে ৷ যেমন আল্লাহ অপর এক
আয়াতে বলেছেন “মারয়াম-তনয় মসীহ তো কেবল একজন রাসুল, তার পুর্বে বহু রাসুল গত
হয়েছে এবং তার মা সিদ্দীকা (সত্যনিষ্ঠ) ছিল ৷ (মায়িদ৷ : ৭৫) ৷ এ মত হিসেবে পুর্বের ও
পরের সিদ্দীকা মর্যড়াদাপ্রাপ্ত নারীদের মধ্যে মারয়ামের শ্রেষ্ঠ হওয়ায় কোন বাধা নেই ৷ হাদীসে
মারয়ামের নাম আসিয়া বিনত মুযাহিম খাদীজা বিনত খুওয়ায়লিদ এবং নবী তনয়া হযরত
ফাতিমা (রা)-এর সাথে এক সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ, বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ (র) বিভিন্ন সুত্রে হযরত আলী
(বা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন : নারীদের মধ্যে সর্বোত্তম মারয়াম বিন্ত
ইমরান এবং নারীদের মধ্যে সর্বোত্তম খাদীজা বিনত খুওয়ায়লিদ ৷ ইমাম আহমদ আনাস
(রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : ৰিশ্বজগতে নারীদের মধ্যে কেবল
চারজনই শ্রেষ্ঠ ৷ তারা হলেন মারয়াম বিনত ইমরান, ফিরআউনের শ্রী আসিয়া , খাদীজা বিনত
খুওয়ায়লিদ ও ফাতিমা (রা) বিনত মুহাম্মদ (সা) ৷ তিরমিযী আবদুর রাঘৃযাকের সুত্রে উপরোক্ত
সনদে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ্’ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ইবন মারদুওবেহ এবং
ইবন আসাকির আনাস (বা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম (সা) বলেছেন :
উটে আরােহিণীদের মধ্যে উত্তম মহিলা হলেন সর্তী-সাধবী কুরড়ায়শী মহিলা ৷ ছোট শিশুদেরকে
তারা অধিক স্নেহ করে এবং স্বামীর সম্পদের পুর্ণ হেফাজত করে ৷ আবু হুরায়রা (রা) বলেন,
বিবি মারয়াম কখনও উটে আরোহণ করেন নি ৷ ইমাম মুসলিম ও ইমাম আহমদ ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে
এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

তারপর আবু হুরায়রা (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জানা ছিল যে, ইমরানের কন্যা
(মারয়াম) উটে আরোহণ করেন নি ৷ এ হাদীস সহীহর শর্ত অনুযায়ী আছে এবং আবু হুরায়রা
(রা) থেকে ভিন্ন সুত্রেও বর্ণিত হয়েছে ৷


خَطَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَرْضِ أَرْبَعَ خُطُوطٍ فَقَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا هَذَا؟» قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفْضَلُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ: خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَفَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ، وَمَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَآسِيَةُ بِنْتُ مُزَاحِمٍ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي الْفُرَاتِ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي بَكْرٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي دَاوُدَ سُلَيْمَانَ بْنِ الْأَشْعَثِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَاتِمٍ الْعَسْكَرِيُّ، نَبَّأَنَا بِشْرُ بْنُ مِهْرَانَ بْنِ حَمْدَانَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حَسْبُكَ مِنْهُنَّ أَرْبَعٌ، سَيِّدَاتُ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ: فَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ، وَخَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَآسِيَةُ بِنْتُ مُزَاحِمٍ، وَمَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ» . وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْوَاسِطِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، «عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ لِفَاطِمَةَ: أَرَأَيْتِ حِينَ أَكْبَبْتِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَكَيْتِ، ثُمَّ ضَحِكْتِ؟
পৃষ্ঠা - ৯৪১
قَالَتْ: أَخْبَرَنِي أَنَّهُ مَيِّتٌ مِنْ وَجَعِهِ هَذَا فَبَكَيْتُ، ثُمَّ أَكْبَبْتُ عَلَيْهِ، فَأَخْبَرَنِي أَنِّي أَسْرَعُ أَهْلِهِ لُحُوقًا بِهِ، وَأَنِّي سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ، إِلَّا مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ، فَضَحِكْتُ» . وَأَصْلُ هَذَا الْحَدِيثِ فِي " الصَّحِيحِ ". وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَفِيهِ أَنَّهُمَا أَفْضَلُ الْأَرْبَعِ الْمَذْكُورَاتِ. وَهَكَذَا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَزِيدَ، هُوَ ابْنُ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَاطِمَةُ سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ مَرْيَمَ بِنْتِ عِمْرَانَ» إِسْنَادٌ حَسَنٌ، وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ، وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُهُ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَلَكِنْ فِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ مَرْيَمَ وَفَاطِمَةَ أَفْضَلُ هَذِهِ الْأَرْبَعِ، ثُمَّ يَحْتَمِلُ الِاسْتِثْنَاءُ أَنْ تَكُونَ مَرْيَمُ أَفْضَلَ مِنْ فَاطِمَةَ، وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَا عَلَى
পৃষ্ঠা - ৯৪২
ষ্ষ্

আবু ইয়ালা ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত রাসুদুলুল্লাহ (সা) একদা মাটির উপরে

চারটি রেখা আকেন এবং সাহাবাগণের নিকট জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কি বুঝতে পেরেছ এ
রেখা ৷কিসেরঃ তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন,
জান্নাতবাসী মহিলাদের মধ্যে সর্বোত্তম মহিলা খুওয়ায়লিদের কন্যা খাদীজা, মুহাম্মদের কন্যা

ফাতিমা, ইমরানের কন্যা মারয়াম এবং ঘুযাহিমের কন্যা অর্থাৎ ফিরআওনের শ্রী আসিয়া ৷ ইমাম
নাসাঈ (র) ও অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আবুল কা ৷সিম বাপাবী (ব) আয়েশা (রা)
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি ফাতিমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, রাসুলুল্লাহ্র অন্তিমক৷ ৷লে তুমি

তার মুখের উপর ঝুকে পড়ে প্রথমে কেদে ফেললে এবং পরক্ষণে আবার হেসে উঠলে, এর
কারণ কি? ফাতিমা (বা) বললেন, আব্ব৷ আমাকে প্রথমে জানালেন, এই রােগেই তার ইন্তিকাল
হবে, তইি আমি কেদেছি ৷ দ্বিতীয়বার যখন ঝুকলাম তখন তিনি বললেন, আমার পরিবারের
মধ্যে তৃমিই সর্বপ্রথম আমার সাথে মিলিত হবে এবং তুমি হবে জান্নাভী মহিলাদের নেত্রী ৷
অবশ্য, মারয়াম বিনত ইমরান-এর ব্যতিক্রম-এ কথা শুনে আমি হেসেছি ৷ এ হাদীসের মুল
অংশ সহীহ গ্রন্থে আছে এবং উল্লেখিত সনদ মৃসলিমের শর্ত অনুযায়ী আছে ৷ এ হাদীস থেকে
প্রতীয়মান হয় যে, পুর্ব উল্লেখিত চারজন মহিলার মধ্যে উক্ত দু’জন শ্রেষ্ঠ ৷ অনুরুপ আর একটি
হাদীস ইমাম আহমদ আবু সাঈদ (র) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
জান্নাতবাসী মহিলাদের নেত্রী হবে ফাতিমা, তবে মারয়াম বিনত ইমরানের ব্যাপারটি ব্যতিক্রম ৷
এ হাদীসের উপরোক্ত সনদকে ইমাম তিরমিযী হাসান ও সহীহ বলেছেন ৷ অবশ্য হাদীসটি
দুর্বল সনদে হযরত আলী (আ) থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷

মােটকথা, উপরোক্ত হাদীস থেকে এটাই বুঝা যায় যে, চার জনের মধ্যে ফাতিমা ও

মারয়ামই শ্রেষ্ঠ ৷ এরপর কথা থাকে যে, এ দুজনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে? এ বিষয়ে হাদীসের অর্থ
দুরকম হতে পারে ৷ একঃ মারয়াম ফাতিমার চাইতে শ্রেষ্ঠ; দুই৪ মারয়াম ও ফাতিমা উভয়ে
সমমর্যাদা সম্পন্ন ৷ এ সম্ভাবনার কারণ হল, হাফিজ ইবন আসাকির ইবন আব্বাসের এক হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ তাতে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : জান্নাতবাসী মহিলাদের মধ্যে সবার
শীর্ষে থাকবে মারয়াম বিনত ইমরান, তারপরে ফাতিমা তারপরে খাদীজা, তারপরে
ফিরআওনের ত্রী আসিয়া ৷ এখানে শব্দ বিন্যাস থেকে তাদের, মর্যাদার ক্রমবিন্যাস বুঝা যায় ৷
ইতিপুর্বে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে সেখানেও চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে; যার দ্বারা
মর্যাদার বিন্যাসও বুঝায় না এবং বিন্যাসের পরিপন্থীও বুঝায় না ৷ এ হাদীসটিই আবু হাতিম
(র) ভিন্ন সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন সেখানেও বর্ণনা থেকে মর্যাদার ক্রম
বিন্যাস বুঝায় না ৷

ইবন মারদৃইবেহ্ কুররা থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, পুরুষদের মধ্যে বিপুল
সংখ্যক লোক পুর্ণতা (কামালিয়ত ত) লাভ করেছেন; কিন্তু মহিলাদের মধ্যে তিনজন ছাড়া আর
কেউই পুর্ণতা অর্জন করেন নি ৷ তার বাহচ্ছেন মারয়াম বিনত ইমরান, ফিরআওনের শ্রী আসিয়া
ও খাদীজা বিনত খুওয়ায়লিদ ৷ আর নারীদের মধ্যে আয়েশার মর্যাদা ৷সেই পরিমাণ ,যেই পরিমাণ
মর্যাদা সমস্ত খাদ্যের মধ্যে ছারীদের ৷ ন্



১ গোশতের ঝোলে ভেজনাে রুটি ৷


السَّوَاءِ فِي الْفَضِيلَةِ ; لَكِنْ وَرَدَ حَدِيثٌ، إِنْ صَحَّ عَيَّنَ الِاحْتِمَالَ الْأَوَّلَ، فَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ عَسَاكِرَ: أَخْبَرَنَا أَبُو الْحَسَنِ بْنُ الْفَرَّاءِ، وَأَبُو غَالِبٍ وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ، ابْنَا الْبَنَّا، قَالُوا: أَنْبَأَنَا أَبُو جَعْفَرِ بْنُ الْمُسْلِمَةِ، أَنْبَأَنَا أَبُو طَاهِرٍ الْمُخَلِّصُ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا الزُّبَيْرُ، هُوَ ابْنُ بَكَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، ثُمَّ فَاطِمَةُ، ثُمَّ خَدِيجَةُ، ثُمَّ آسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ» فَإِنْ كَانَ هَذَا اللَّفْظُ مَحْفُوظًا بِ " ثُمَّ " الَّتِي لِلتَّرْتِيبِ، فَهُوَ مُبَيِّنٌ لِأَحَدِ الِاحْتِمَالَيْنِ اللَّذَيْنِ دَلَّ عَلَيْهِمَا الِاسْتِثْنَاءُ، وَيُقَدَّمُ عَلَى مَا تَقَدَّمَ مِنَ الْأَلْفَاظِ الَّتِي وَرَدَتْ بِوَاوِ الْعَطْفِ، الَّتِي لَا تَقْتَضِي التَّرْتِيبَ وَلَا تَنْفِيهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَبُو حَاتِمٍ الرَّازِيُّ، عَنْ دَاوُدَ الْجَعْفَرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ، وَهُوَ الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا، فَذَكَرَهُ بِوَاوِ الْعَطْفِ لَا بِ " ثُمَّ " التَّرْتِيبِيَّةِ، فَخَالَفَهُ إِسْنَادًا وَمَتْنًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ مَرْدَوَيْهِ، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَمُلَ مِنَ الرِّجَالِ كَثِيرٌ، وَلَمْ
পৃষ্ঠা - ৯৪৩
يَكْمُلْ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا ثَلَاثٌ ; مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَآسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ، وَخَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَفَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ، كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ» . وَهَكَذَا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْجَمَاعَةُ، إِلَّا أَبَا دَاوُدَ، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُرَّةَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَمُلَ مِنَ الرِّجَالِ كَثِيرٌ وَلَمْ يَكْمُلْ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا آسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ، وَمَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَإِنَّ فَضْلَ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ، كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ» فَإِنَّهُ حَدِيثٌ صَحِيحٌ كَمَا تَرَى، اتَّفَقَ الشَّيْخَانِ عَلَى إِخْرَاجِهِ، وَلَفْظُهُ يَقْتَضِي حَصْرَ الْكَمَالِ فِي النِّسَاءِ فِي مَرْيَمَ وَآسِيَةَ، وَلَعَلَّ الْمُرَادَ بِذَلِكَ فِي زَمَانِهِمَا، فَإِنَّ كُلًّا مِنْهُمَا كَفَلَتْ نَبِيًّا فِي حَالِ صِغَرِهِ، فَآسِيَةُ كَفَلَتْ مُوسَى الْكَلِيمَ، وَمَرْيَمُ كَفَلَتْ وَلَدَهَا عَبْدَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ، فَلَا يَنْفِي كَمَالَ غَيْرِهِمَا فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ، كَخَدِيجَةَ وَفَاطِمَةَ ; فَخَدِيجَةُ خَدَمَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَبْلَ الْبَعْثَةِ خَمْسَةَ عَشَرَ سَنَةً، وَبَعْدَهَا أَزْيَدَ مِنْ عَشْرِ سِنِينَ، وَكَانَتْ لَهُ وَزِيرَ صِدْقٍ بِنَفْسِهَا وَمَالِهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا، وَأَمَّا فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّهَا خُصَّتْ بِمَزِيدِ فَضِيلَةٍ عَلَى أَخَوَاتِهَا ; لِأَنَّهَا أُصِيبَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبَقِيَّةُ أَخَوَاتِهَا مِتْنَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَّا عَائِشَةُ ; فَإِنَّهَا كَانَتْ أَحَبَّ أَزْوَاجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِ، وَلَمْ يَتَزَوَّجْ بِكْرًا غَيْرَهَا، وَلَا يُعْرَفُ فِي سَائِرِ النِّسَاءِ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ، بَلْ وَلَا فِي غَيْرِهَا، أَعْلَمُ مِنْهَا وَلَا أَفْهَمُ، وَقَدْ غَارَ اللَّهُ لَهَا حِينَ قَالَ لَهَا أَهْلُ الْإِفْكِ مَا قَالُوا، فَأَنْزَلَ بَرَاءَتَهَا مِنْ فَوْقِ سَبْعِ سَمَاوَاتٍ، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৯৪৪
ষ্ষ্


আবু দাউদ ব্যতীত অধিকাৎশ সিহাহ্ সিত্তার অন্যান্য সংকলকগণ আবু মুসা আশআরী
(আ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন: পুরুষদের মধ্যে অনেকেই পুর্ণতা লাভ
করেছেন; কিন্তু নারীদের মধ্যে কেবল ফিরঅড়াওনের শ্রী আসিয়া ও মারয়াম বিনত ইমরান ছাড়া
আর কেউই পুর্ণতা অর্জন করতে পারেন নি ৷ আর নারীদের উপর আয়েশার শ্রেষ্ঠতৃ তেমনি
যেমন শ্রেষ্ঠতৃ রয়েছে সকল খাদ্যের উপর ছারীদের ৷ এ হড়াদীছ সহীহ ৷ বুখারী ও মুসলিম
উভয়েই বর্ণনা করেছেন ৷ হাদীছের শব্দ থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, নারী জাতির মধ্যে পুর্ণতা
কেবল দু’জন নারীর মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং তারা হলেন মারয়াম ও আসিয়া ৷ কেননা, র্তারা
উভয়েই দু’জন শিশু নবীকে তত্ত্বাবধান করেছিলেন ৷ বিবি আসিয়া করে ছিলেন মুসা
কালীমুল্লাহকে এবং বিবি মারয়াম করেছিলেন ঈসা রুহুল্লাহ্কে ৷ তবে পুর্ণতা আসিয়া ও
মারয়ামের মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়ার অর্থ হল তাদের স্বান্ব যুগের নারীদের মধ্যে র্তারাই ছিলেন
পুর্ণাঙ্গ মানুষ ৷ এ ব্যাখ্যা অনুযায়ী শেষ নবীর উম্মতের মধ্যে আরও নারীদের পুর্ণতা লাভে এ
হাদীছের সাথে কোন বিরোধ থাকে না ৷ যেমন খাদীজা ও ফাতিমা ৷ খাদীজা (রা) রাসুলুল্লাহর
থেদমত করেছেন নবুওতের পুর্বে পনের বছর এবং নবুওতের পরে প্রায় দশ বছর ৷ তিনি নিজের
জানমাল দিয়ে নিষ্ঠার সাথে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সেবা-সহযোগিতড়া করেছেন ৷ আর রাসুল তনয়া
ফাতিমা তার অন্যান্য বোনদের তুলনায় অধিক ফযীলতের অধিকারিণী ৷ কেননা, রাসুলুল্লাহ
(স)-এর জন্যে তিনি কষ্ট-নিপীড়ন সহ্য করেছেন এবং পিতার ইনতিকালের শোক যাতনায় ধৈর্য
ধারণ করেছেন ৷ কিন্তু অন্যান্য বোনদের সবাই রাসুলুল্লাহ্র জীবদ্দশায়ই ইস্তিকাল করেন ৷

অন্যদিকে হযরত আয়েশা (রা) ছিলেন রাসুলুল্লাহর প্রিয়তমা সহধর্মিণী ৷ আয়েশা (রা)
ব্যতীত অন্য কোন কুমারীকে রাসুলুল্লাহ বিবাহ করেন নি ৷ শেষ নবীর উষ্মভ্রুতর মধ্যে এমনকি
পুর্ববর্তী নবীগণের উম্মতের মধ্যেও আয়েশার চাইতে অধিক জ্ঞানী গুণী আর কোন মহিলা
ছিলেন বলে জানা যায় না ৷ অপবাদকারীরা যখন হযরত আয়েশা (রা)-এর বিরুদ্ধে অপবাদ
রটায় তখন আল্লাহ তাআলা সপ্ত আসমানের উপর থেকে নিজে আয়েশার পবিত্রত৷ ঘোষণা
করে আয়াত নাযিল করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনতিকড়ালের পর তিনি প্রায় পঞ্চাশ বছর
জীবিত ছিলেন ৷ এ দীর্ঘ সময়ব্যাপী তিনি কুরআন ও সুন্নাহর প্রচার-প্রসারে অসামান্য অবদান
রাখেন, মুসলিম সমাজে উদ্ভুত সমস্যাবলীব সমাধান দেন এবং মুসলমানদের পারস্পারিক দ্বন্ধ
সহরুইে মীমাংসার গুরুদাযিতু পালন করেছেন ৷ হযরত আয়েশা (বা) ছিলেন সকল উম্মুল
মুমিনীনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ৷ এমনকি প্রাচীন ও আধুনিক বহু সংখ্যক আলিমের মতে, হযরত
খাদীজার চাইতেও আয়েশা (রা) শ্রেষ্ঠ ৷ কিন্তু উত্তম পন্থা হল উভয়ের মর্যাদার তড়ারতম্য করার
ব্যাপারে নীরবতড়া অবলম্বন করা ৷ যারা তারতম্য করেছেন তারা সেই হাদীছের প্রতি লক্ষ্য রেখে
করেছেন যে, নারীদের মধ্যে আয়েশার স্থান সে রকম, যে রকম খাদ্যের মধ্যে ছারীদের স্থান ৷
কিভু এ হাদীছের ব্যাখ্যা দু’রকম করা যেতে পারে ৷ এক, তিনি উল্লেখিত ও অনুল্লেখিত সকল
নারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ৷ দুই, উল্লেখিত নারীগণ ব্যতীত অন্যান্য নারীদের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ ৷

যাহোক,“ এখানে মুল আলোচনা ছিল হযরত মারয়াম বিনত ইমরান প্রসংগে ৷ কেননা
আল্লাহ তাকে পবিত্র করেছেন এবং তার যুগের সমস্ত নারীদের মধ্যে কিৎরা সকল যুগের সমস্ত


عُمِّرَتْ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَرِيبًا مِنْ خَمْسِينَ سَنَةً، تُبَلِّغُ عَنْهُ الْقُرْآنَ وَالسُّنَّةَ، وَتُفْتِي الْمُسْلِمِينَ وَتُصْلِحُ بَيْنَ الْمُخْتَلِفِينَ، وَهِيَ أَشْرَفُ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، حَتَّى خَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ أُمِّ الْبَنَاتِ وَالْبَنِينَ، فِي قَوْلِ طَائِفَةٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ السَّابِقِينَ وَاللَّاحِقِينَ، وَالْأَحْسَنُ الْوَقْفُ فِيهِمَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّ قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَفَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ، كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ» يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ عَامًّا بِالنِّسْبَةِ إِلَى الْمَذْكُورَاتِ وَغَيْرِهِنَّ، وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ عَامًّا بِالنِّسْبَةِ إِلَى مَا عَدَا الْمَذْكُورَاتِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ هَاهُنَا ذِكْرُ مَا يَتَعَلَّقُ بِمَرْيَمَ بِنْتِ عِمْرَانَ، عَلَيْهَا السَّلَامُ، فَإِنَّ اللَّهَ طَهَّرَهَا وَاصْطَفَاهَا عَلَى نِسَاءِ عَالَمِي زَمَانِهَا، وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ تَفْضِيلُهَا عَلَى النِّسَاءِ مُطْلَقًا، كَمَا قَدَّمْنَا. وَقَدْ وَرَدَ فِي حَدِيثٍ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْجَنَّةِ، هِيَ وَآسِيَةُ بِنْتُ مُزَاحِمٍ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " التَّفْسِيرِ " عَنْ بَعْضِ السَّلَفِ، أَنَّهُ قَالَ ذَلِكَ، وَاسْتَأْنَسَ بِقَوْلِهِ: {ثَيِّبَاتٍ وَأَبْكَارًا} [التحريم: 5] . قَالَ: فَالثَّيِّبُ آسِيَةُ، وَمِنَ الْأَبْكَارِ مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ. وَقَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي آخِرِ سُورَةِ " التَّحْرِيمِ ". فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَاجِيَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ الْعَوْفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَمِّيَ الْحُسَيْنُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ نُفَيْعٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৯৪৫
ষ্ষ্


নারীদের মধ্যেত তাকে মনোনীত তকরেছেন ৷ এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ইতিমধ্যেই হয়েছে ৷
হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত মারয়াম বিনত ইমরান এবং আসিয়৷ বিনত মুযাহিম
জান্নাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হিস সালামেব সহধর্মিণীগণের অন্তর্ভুক্ত হবেন ৷ তাফসীর গ্রন্থে
আমরা প্রাথমিক যুগের কোন কোন আলিমের ব্যাখ্যা উল্লেখ করেছি যেখানে টু ;,া
৷ ৷< ৷ (অর্থাৎ বিবাহিত ত্রী ও কুমারী শ্রী) এর ব্যাথ্যায় বিবাহিত ত্রী বলতে আসিয়৷ এবং
কুমারী বলতে মারয়ামকে বুঝানো হয়েছে ৷ তাফসীর গ্রন্থে সুরাত তাহ্রীমের শেষ দিকে এ বিষয়ে
বিস্তা রিত আলোচনা করা হয়েছে ৷

তাবারানী সা’দ ইবন জুনাদ৷ ৷আল আওফী থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ (না) বলেছেন,
জান্নাতের মধ্যে আল্লাহ আমার সংগে ইমরানের কন্যা মারয়াম, ফিরআওনের ত্রী ও মুসা নবীর
ভন্নীকে বিবাহ দিবেন ৷ আবু ইয়া ল৷ আবু উমাম৷ থেকে বর্ণিত হাদীছে মুসা (আ) এর
বোনের নাম কুলসুম বলে উল্লেখিত হয়েছে ৷ আবু জাফর উকায়লী এ হাদীছ শেষের দিকে কিছু
বৃদ্ধিসহ বর্ণনা করেছেন ৷ অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ্র কথা শোনার পর আবু উমাম৷ বলেছিলেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ! আপনার জন্যে এটা খুবই আনন্দের বিষয় ৷ অতঃপর উকায়লী মন্তব্য করেন যে
হাদীছের এ অংশটি নিভরিযোগ্য নয় ৷ যুবাযব ইবন বাক্কার ইবন আবু দাউদ থেকে বর্ণনা
করেন যে, একদা রাসুলুল্লাহ (সা) খাদীজার ঘরে প্রবেশ করেন ৷ খাদীজা (বা) তখন মৃত্যু
শয্যায় শায়িত ৷ রাসুলুল্লাহ বললেন, হে খাদীজা ! তোমার অবন্থ৷ আমার নিকট খুবই অগ্রীতিকর
ঠেকছে ৷ অবশ্য অপ্রীতিকর বিষয়ের মধ্যে আল্লাহ অনেক কল্যাণ রেখে থাকেন ৷ জেনে রেখ,
আল্লাহ জান্নাতের মধ্যে তোমার সাথে ইমরানের কন্যা মারয়াম, মুসার বোন কুলছুম ও
ফিরআওনের শ্রী আসিয়াকে আমার সংগে বিবাহ দিয়ে রেখেছেন ৷ খাদীজা ৷(রা) বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ! আল্লাহ আপনার সাথে এরুপ করেছেনঃ তিনি বললেন, হ্যা ৷ খাদীজা (বা ) বললেন,
বরকতময় হোক আপনাদের এ বিবাহ ও সন্তানাদি ৷

ইবন আসাকির ইবন আব্বাস (র) থেকে বর্ণিত ৷ হযরত খাদীজা (বা) যখন মৃত্যু
শয্যায় শায়িত তখন রাসুলুল্লাহ (না) তার নিকট গমন করেন এবং বলেন, হে খাদীজা ! যখন
তুমি তোমার সভীনদের সাথে মিলিত হবে তখন তাদেরকে আমার সালাম জানাবে ৷ খাদীজা
(বা) বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ! আমার পুর্বে কি আপনি কাউকে বিবাহ করেছিলেন? রাসুলুল্লাহ
বললেন, না, বিবাহ তো করিনি; কিন্তু আল্লাহ আমার সাথে মারয়াম বিনত ইমরান, আসিয়া
বিনত মুযাহিম এবং মুসার বোন কুলসুমকে বিবাহ দিয়েছেন ৷ ইবন আসাকির ইবন উমর
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একদা জিবরাঈল (আ) ওহী নিয়ে রাসুলুল্লাহর নিকট আসেন এবং
রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে বসে আলাপ করেন ৷ এমন সময় খাদীজা ঐ স্থান দিয়ে গমন
করছিলেন ৷ জিবরাঈল (আ) জিজ্ঞেস করলেন, হে মুহাম্মদ ! ইনি কে! রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
ইনি হলেন সিদ্দীক৷ আমার শ্রী ৷ জিবরাঈল (আ) বললেন, তার নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে
আমার কাছে কিছু বার্তা আছে ৷ আল্লাহ তাকে সালাম জা ৷নিয়েছেন এবং জান্নাতে তার জন্যে
নির্মিত মুল্যবান ঘরের সুস× বাদ দিয়েছেন, সেখানে নেই কোন দুঃখ, নেই কোন কােলাহল ৷
খাদীজা (বা) বললেন, আল্লাহর নাম সালাম বা শান্তি ৷ আর তার থেকে সালাম ও শান্তির আশা


جُنَادَةَ هُوَ الْعَوْفِيُّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ زَوَّجَنِي فِي الْجَنَّةِ مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ، وَامْرَأَةَ فِرْعَوْنَ، وَأُخْتَ مُوسَى» . وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَرْعَرَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ النُّورِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَشْعَرْتِ أَنَّ اللَّهَ زَوَّجَنِي مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ، وَآسِيَةَ بِنْتَ مُزَاحِمٍ، وَكَلْثَمَ أُخْتَ مُوسَى» رَوَاهُ ابْنُ جَعْفَرٍ الْعُقَيْلِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ النُّورِ بِهِ، وَزَادَ: فَقُلْتُ: هَنِيئًا لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. ثُمَّ قَالَ الْعُقَيْلِيُّ: وَلَيْسَ بِمَحْفُوظٍ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، عَنْ يَعْلَى بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنِ ابْنِ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: «دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى خَدِيجَةَ وَهِيَ فِي مَرَضِهَا الَّذِي تُوُفِّيَتْ فِيهِ، فَقَالَ لَهَا: بِالْكُرْهِ مِنِّي مَا أَرَى مِنْكِ يَا خَدِيجَةُ، وَقَدْ يَجْعَلُ اللَّهُ فِي الْكُرْهِ خَيْرًا كَثِيرًا، أَمَا عَلِمْتِ أَنَّ اللَّهَ قَدْ زَوَّجَنِي مَعَكِ فِي الْجَنَّةِ مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ، وَكَلْثَمَ أُخْتَ مُوسَى، وَآسِيَةَ امْرَأَةَ فِرْعَوْنَ؟ قَالَتْ: وَقَدْ فَعَلَ اللَّهُ بِكَ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قَالَتْ:
পৃষ্ঠা - ৯৪৬
بِالرِّفَاءِ وَالْبَنِينَ» . وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ زَكَرِيَّا الْغَلَّابِيِّ، حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ بَكَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْهُذَلِيُّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَى خَدِيجَةَ وَهِيَ فِي الْمَوْتِ، فَقَالَ: يَا خَدِيجَةُ، إِذَا لَقِيتِ ضَرَائِرَكِ فَأَقْرِئِيهِنَّ مِنِّي السَّلَامَ. قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَهَلْ تَزَوَّجْتَ قَبْلِي؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنَّ اللَّهَ زَوَّجَنِي مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ، وَآسِيَةَ بِنْتَ مُزَاحِمٍ، وَكَلْثَمَ أُخْتَ مُوسَى» . وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ سُوِيدِ بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ الضَّحَّاكِ وَمُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «نَزَلَ جِبْرِيلُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا أُرْسِلَ بِهِ، وَجَلَسَ يُحَدِّثُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ مَرَّتْ خَدِيجَةُ، فَقَالَ جِبْرِيلُ: مَنْ هَذِهِ يَا مُحَمَّدُ؟ قَالَ: هَذِهِ صِدِّيقَةُ أُمَّتِي قَالَ جِبْرِيلُ: مَعِي إِلَيْهَا رِسَالَةٌ مِنَ الرَّبِّ، عَزَّ وَجَلَّ، يُقْرِئُهَا السَّلَامَ، وَيُبَشِّرُهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ، بَعِيدٍ مِنَ اللَّهَبِ، لَا نَصَبَ فِيهِ وَلَا صَخَبَ. قَالَتِ: اللَّهُ السَّلَامُ، وَمِنْهُ السَّلَامُ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكُمَا، وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، مَا ذَلِكَ الْبَيْتُ الَّذِي مِنْ قَصَبٍ؟ قَالَ: لُؤْلُؤَةٌ جَوْفَاءُ بَيْنَ بَيْتِ مَرْيَمَ بِنْتِ عِمْرَانَ، وَبَيْتِ آسِيَةَ بِنْتِ مُزَاحِمٍ، وَهُمَا مِنْ أَزْوَاجِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ» وَأَصْلُ السَّلَامِ عَلَى خَدِيجَةَ مِنَ اللَّهِ وَبِشَارَتِهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ، مِنْ قَصَبٍ لَا صَخَبَ فِيهِ وَلَا نَصَبَ، فِي
পৃষ্ঠা - ৯৪৭
ষ্ষ্


করা যায় এবং আপনাদের দৃ’জনের উপর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ধিত হোক এবং আল্লাহর
রহমত ও বরকত রাসুলুল্লাহর উপর অবতীর্ণ হোক ৷ খাদীজা (বা) জিজ্ঞেস করলেন : কাসাব
নির্মিত ঐ ঘরটি কি? তিনি বললেন, আয়তাকার ঘুক্তা নির্মিত একটি বৃহৎ কক্ষ ৷ ঐ ঘরের
অবস্থান হবে মারয়াম বিনত ইমরানের ঘর ও আসিয়া বিনত মুযাহিমের ঘরের মধ্যবর্তী স্থানে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কিয়ামতের দিন ঐ দু’জন হবে আমার শ্ৰীদের অন্তর্ভুক্ত ৷ খাদীজার
প্রতি সালাম ও কষ্ট-কােলাহল মুক্ত মুক্তার ঘরের সুসংবাদের কথা সহীহ গ্রন্থে আছে; কিন্তু এই
অতিরিক্ত কথাটুকুর বর্ণনা একান্তই বিরল ৷ আর এ হাদীসসমুহের প্রতিটির সনদই সন্দেহযুক্ত ৷

ইবন আসাকির কাআব আহৰার থেকে বর্ণিত ৷ হযরত মুআবিয়৷ (বা) একবার র্তাকে
বয়েভুল মুকাদ্দাসের শুভ্র পাথর খণ্ড সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন উত্তরে তিনি বলেছিলেন, উক্ত
পাথর খণ্ডটি একটি খেজুর গাছের উপর স্থাপিত ৷ পাছটি জান্নাতের একটি নদীর উপর অবস্থিত ৷
ঐ গাছের নীচে বসে মারয়াম বিনত ইমরান ও আসিয়া বিনত মুযাহিম জান্নাতবাসীদের জন্যে
মালা পাথছেন ৷ কিয়ামত পর্যন্ত র্তারা এভাবে মালা পাথতে থাকবেন ৷ এরপর ইবন আসাকির
ভিন্ন সনদে উবাদা ইবনুস সামিত (রা) থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু উক্ত
সনদে এ হাদীস অগ্রহণযােপ্য বরং জাল ৷ আবু যুরআইবন আবিদ থেকে বর্ণনা করেন যে,
একদা মুআবিয়া (রা) কাব আহবারকে বায়তুল মুকাদ্দাসের পাথর খণ্ড সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করেছিলেন এবং উত্তরে তিনি অনুরুপ কথা বলেছিলেন ৷ ইবন আসাকির (র) বলেন,
উপরোল্লিখিত কথাটি কাব আহবারের কথা হতে পারে এবং তিনি এটা ইসরাঈলী উপাখ্যান
থেকে নিয়েছেন ৷ আর ইসরাঈলী উপাখ্যানের অনেক কথাই বানােয়াট ও কল্পিত-যা তাদের
মধ্যে ধর্মদ্রোহী মুর্থ লোকদের রচিত ৷


" الصَّحِيحِ ". وَلَكِنَّ هَذَا السِّيَاقَ بِهَذِهِ الزِّيَادَاتِ غَرِيبٌ جِدًّا. وَكُلٌّ مِنْ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ فِي أَسَانِيدِهَا نَظَرٌ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ حَدِيثِ أَبِي زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ سَأَلَهُ عَنِ الصَّخْرَةِ ; يَعْنِي صَخْرَةَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَقَالَ: الصَّخْرَةُ عَلَى نَخْلَةٍ، وَالنَّخْلَةُ عَلَى نَهْرٍ مِنْ أَنْهَارِ الْجَنَّةِ، وَتَحْتَ النَّخْلَةِ مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَآسِيَةُ بِنْتُ مُزَاحِمٍ، يَنْظِمَانِ سُمُوطَ أَهْلِ الْجَنَّةِ، حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ. ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْعُودٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِهِ. وَهَذَا مُنْكَرٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، بَلْ هُوَ مَوْضُوعٌ. ثُمَّ قَدْ رَوَاهُ أَبُو زُرْعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، عَنْ مَسْعُودِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ ابْنِ عَائِذٍ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ سَأَلَ كَعْبًا عَنْ صَخْرَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَذَكَرَهُ. قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَكَوْنُهُ مِنْ كَلَامِ كَعْبِ الْأَحْبَارِ،
পৃষ্ঠা - ৯৪৮
أَشْبَهُ. قُلْتُ: وَكَلَامُ كَعْبِ الْأَحْبَارِ هَذَا، إِنَّمَا تَلْقَاهُ مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، الَّتِي مِنْهَا مَا هُوَ مَكْذُوبٌ مُفْتَعَلٌ، وَضَعَهُ بَعْضُ زَنَادِقَتِهِمْ أَوْ جُهَّالِهِمْ، وَهَذَا مِنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৯৪৯
ষ্ষ্

সতী-সাধৰী নারী হযরত মারয়ামের পুত্র
হযরত ঈসা (আ)-এর জন্মের বিবরণ
আল্লাহর বাণী ০

ট্রুদ্বু;াদ্ভু

ন্ন্ন্ন্ন্ন্ন্ : ! :

;র্দু;:ার্দুব্লু

এা
াষ্টু




ষ্ শ্ ’

চেখো;স্






¢,§


হুাৰু; ৰু,া;

’ : ×



[ذِكْرُ مِيلَادِ الْعَبْدِ الرَّسُولِ عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ الْبَتُولِ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا مَكَانًا شَرْقِيًّا فَاتَّخَذَتْ مِنْ دُونِهِمْ حِجَابًا فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا قَالَتْ إِنِّي أَعُوذُ بِالرَّحْمَنِ مِنْكَ إِنْ كُنْتَ تَقِيًّا قَالَ إِنَّمَا أَنَا رَسُولُ رَبِّكِ لِأَهَبَ لَكِ غُلَامًا زَكِيًّا قَالَتْ أَنَّى يَكُونُ لِي غُلَامٌ وَلَمْ يَمْسَسْنِي بَشَرٌ وَلَمْ أَكُ بَغِيًّا قَالَ كَذَلِكِ قَالَ رَبُّكِ هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌ وَلِنَجْعَلَهُ آيَةً لِلنَّاسِ وَرَحْمَةً مِنَّا وَكَانَ أَمْرًا مَقْضِيًّا فَحَمَلَتْهُ فَانْتَبَذَتْ بِهِ مَكَانًا قَصِيًّا فَأَجَاءَهَا الْمَخَاضُ إِلَى جِذْعِ النَّخْلَةِ قَالَتْ يَا لَيْتَنِي مِتُّ قَبْلَ هَذَا وَكُنْتُ نَسْيًا مَنْسِيًّا فَنَادَاهَا مِنْ تَحْتِهَا أَلَّا تَحْزَنِي قَدْ جَعَلَ رَبُّكِ تَحْتَكِ سَرِيًّا وَهُزِّي إِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا فَكُلِي وَاشْرَبِي وَقَرِّي عَيْنًا فَإِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ الْبَشَرِ أَحَدًا فَقُولِي إِنِّي نَذَرْتُ لِلرَّحْمَنِ صَوْمًا فَلَنْ أُكَلِّمَ الْيَوْمَ إِنْسِيًّا فَأَتَتْ بِهِ قَوْمَهَا تَحْمِلُهُ قَالُوا يَا مَرْيَمُ لَقَدْ جِئْتِ شَيْئًا فَرِيًّا يَا أُخْتَ هَارُونَ مَا كَانَ أَبُوكِ امْرَأَ سَوْءٍ وَمَا كَانَتْ أُمُّكِ بَغِيًّا فَأَشَارَتْ إِلَيْهِ قَالُوا كَيْفَ نُكَلِّمُ مَنْ كَانَ فِي الْمَهْدِ صَبِيًّا قَالَ إِنِّي عَبْدُ اللَّهِ آتَانِيَ الْكِتَابَ وَجَعَلَنِي نَبِيًّا وَجَعَلَنِي مُبَارَكًا أَيْنَ مَا كُنْتُ وَأَوْصَانِي بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ مَا دُمْتُ حَيًّا وَبَرًّا بِوَالِدَتِي وَلَمْ يَجْعَلْنِي جَبَّارًا شَقِيًّا وَالسَّلَامُ عَلَيَّ يَوْمَ وُلِدْتُ وَيَوْمَ أَمُوتُ وَيَوْمَ أُبْعَثُ حَيًّا ذَلِكَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ قَوْلَ الْحَقِّ الَّذِي فِيهِ يَمْتَرُونَ مَا كَانَ لِلَّهِ أَنْ يَتَّخِذَ مِنْ وَلَدٍ سُبْحَانَهُ إِذَا قَضَى أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ وَإِنَّ اللَّهَ رَبِّي وَرَبُّكُمْ فَاعْبُدُوهُ هَذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ فَاخْتَلَفَ الْأَحْزَابُ مِنْ بَيْنِهِمْ فَوَيْلٌ لِلَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ مَشْهَدِ يَوْمٍ عَظِيمٍ} [مريم: 16]
পৃষ্ঠা - ৯৫০



,

ন্


“বর্ণনা কর এই কিতাবে উল্লেখিত মারয়ামের কথা, যখন যে তা ৷র পবিরারবর্গ থেকে পৃথক
হয়ে নিরালায় পুর্ব দিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল ৷ তারপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার
জন্যে সে পর্দা করল ৷ তারপর আমি তার নিকট আমার রুহ্কে পাঠালাম ৷ সে তার নিকট পুর্ণ
মানবাকৃতিতে তআত্মপ্রকাশ করল ৷ মারয়াম বলল, আমি ৫৩ তামার থেকে দয়াময়ের শরণ নিচ্ছি
যদি তুমি মুত্ত কী হও ৷ সে বলল, আমি তো তোমার প্রতিপালক প্রেরিত,€ তামাকে এক পবিত্র
পুত্র দ ন করার জন্যে ৷ মারয়াম বলল, কেমন করে আমার পুত্র হবে যখন আমাকে কোন পুরুষ
স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও নই? সে বলল এরুপই হরে ৷ তোমার প্রতিপালক
বলেছেন, এটা আমার জন্যে সহজসাধ্য এবং আমি তাকে এ জন্যে সষ্টি করব, যেন সে হয়
মানুষের জন্যে এক নিদর্শন ও আমার নিকট হতে এক অনুগ্রহ; এটা তো এক স্থিরীকৃত
ব্যাপার ৷ তারপর সে গর্ভে তাকে ধারণ করল; তারপর তাকে নিয়ে এক দুরবর্তী স্থানে চলে
গেল ৷ প্রসব বেদনা তাকে এক খেজুর গাছের নীচে আশ্রয় নিতে বাধ্য করল ৷ সে বলল হায়,
এর পুর্বে আমি যদি মারা যেত তাম ও লোকের স্মৃতি থেকে সম্পুর্ণ বিলুপ্ত হতাম ফিরিশত ৷ ৷তার
নীচ দিক থেকে আহ্বান করে তাকে বলল, “তুমি দুঃখ করে৷ না, তামর নীচ দিয়ে তোমার
প্রতিপালক এক নহব সৃষ্টি করেছেন ৷ তুমি৫ তামার দিকে খেজুর গাছের কাণ্ডে নাড়৷ দাও, তা
তোমাকে পাকা তাজা খেজুর দান করবে ৷ সুতরাং আহার কর, পান কর ও চোখ জুড়াও ৷
মানুষের মধ্যে কাউকেও যদি তুমি দেখ, তখন বলবে, আমি দয়াময়ের উদ্দেশে
মৌনতাবলম্বনেব মানত করেছি ৷ সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে বাক্যালাপ
করব না ৷ তারপর সে সম্ভানকে নিয়ে তার সম্প্রদা য়ের নিকট উপস্থিত হল; তারা বলল, “হে
মারয়াম! তুমি তো এক অদ্ভুত কাণ্ড করে বসেছ ৷ হে হ কনের বোন ওোমার পিতা অসৎ ব্যক্তি
ছিল না এবং তোমার যা ছিল না ব্যতিচ৷ রিণী ৷ ” তারপর মারয়াম সন্তানের প্রতি ইংন্ গিত করল ৷
তারা বলল, যে কো লের শিশু, তার সাথে আমরা কেমন করে কথা বলব? সে বলল, “আমি তো
আল্লাহর বান্দ৷ ৷ তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন, আমাকে নবী করেছেন ৷ যেখানেই আমি
থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময করেছেন, তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যত দিন
জীবিত থাকিত তদিন সালাত ও যাকাত আদায় করতে ৷ আর আমাকে আমার মায়ের প্ৰতি
অনুগত করেছেন এবং তিনি আমাকে করেন নি উদ্ধত ও হতভাগ্য ৷ আমার প্রতি শান্তি যে দিন
আমি জন্মলাভ করেছি, যেদিন আমার মৃত্যু হবে এবং যেদিন জীবিত তঅবন্থায় আমি পুনরুথিত
হব ৷” এই ই মারয়াম তনয় ঈসা ৷ আমি বললাম সত্য কথা, যে বিষয়ে তারা বি৩ ক করে ৷
সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর কা জ নয়,৩ তিনি পবিত্র মহিমময় ৷ তিনি যখন কিছু স্থির করেন তখন
বলেন, হও’ এবং তা হয়ে যায় ৷ আল্লাহই আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্ৰতিপালক; সুতরাং
তার ইবাদত কর, এটাই সরল পথ ৷ তারপর দলগুলি নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি করল;
সুতরাং দৃর্তোগ কাফিরদের মহ৷ দিবস আগমন কালে ৷” (১৯ মারয়াম : ১৬-৩ ৭ )

;


[مَرْيَمَ: 16 - 37] . ذَكَرَ تَعَالَى هَذِهِ الْقِصَّةَ بَعْدَ قِصَّةِ زَكَرِيَّا، الَّتِي هِيَ كَالْمُقَدِّمَةِ لَهَا وَالتَّوْطِئَةِ قَبْلَهَا، كَمَا ذَكَرَ فِي سُورَةِ " آلِ عِمْرَانَ " قَرَنَ بَيْنَهُمَا فِي سِيَاقٍ وَاحِدٍ، وَكَمَا قَالَ فِي سُورَةِ " الْأَنْبِيَاءِ ": {وَزَكَرِيَّا إِذْ نَادَى رَبَّهُ رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَوَهَبْنَا لَهُ يَحْيَى وَأَصْلَحْنَا لَهُ زَوْجَهُ إِنَّهُمْ كَانُوا يُسَارِعُونَ فِي الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُونَنَا رَغَبًا وَرَهَبًا وَكَانُوا لَنَا خَاشِعِينَ وَالَّتِي أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيهَا مِنْ رُوحِنَا وَجَعَلْنَاهَا وَابْنَهَا آيَةً لِلْعَالَمِينَ} [الأنبياء: 89] . وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ مَرْيَمَ، لَمَّا جَعَلَتْهَا أُمُّهَا مُحَرَّرَةً، تَخْدِمُ بَيْتَ الْمَقْدِسِ وَأَنَّهُ كَفَلَهَا زَوْجُ أُخْتِهَا - أَوْ خَالَتِهَا - نَبِيُّ ذَلِكَ الزَّمَانِ زَكَرِيَّا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَنَّهُ اتَّخَذَ لَهَا مِحْرَابًا، وَهُوَ الْمَكَانُ الشَّرِيفُ مِنَ الْمَسْجِدِ، لَا يَدْخُلُهُ أَحَدٌ عَلَيْهَا سِوَاهُ، وَأَنَّهَا لَمَّا بَلَغَتِ اجْتَهَدَتْ فِي الْعِبَادَةِ، فَلَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ نَظِيرُهَا
পৃষ্ঠা - ৯৫১
ষ্ষ্


আল্লাহ কুরআন মব্জীদে মারয়াম ও ঈস৷ (আ)-এর ঘটনাকে যাকারিয়ার ঘটনার পর পরই
আলোচনা করেছেন ৷ মারয়ামের ঘটনার পটভুমি রুপে যাকারিয়ার ঘটনাটি বর্ণনার পর এই
ঘটনাটি আল্লাহ তাআল৷ বর্ণনা করেছেন, সুরা আলে-ইমরানে উভয় ঘটনা একই সাথে বর্ণিত
হয়েছে ৷ সুরা আম্বিয়ায় ঘটনাদ্বয়কে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং স্মরণ কর যাকাবিয়ার
কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করেছিল হে আমার প্রতিপালক৷ আমাকে একা
রেখো না ৷ তুমি তো শ্রেষ্ঠ মালিকানার অধিকারী ৷” তারপর আমি তার আহ্বানে সাড়া
দিয়েছিলাম এবং৩ তাকে দান করেছিলাম ইয়াহ্য়া এবং তার জন্যে তার শ্রীকে যোগ্যতা সম্পন্ন
করেছিলাম ৷৩ তারা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করতো, তারা আশা ও ভীতি ৩সহকারে আমাকে ডাকত
এবং তারা ছিল আমার কাছে বিনীত ৷ এবং স্মরণ কর সেই নারীর কথা, যে নিজ সভীতৃকে রক্ষা
করছিল ৷৩ তারপর আমি তার মধ্যে আমার রুহ্ ফুকে দিয়েছিলাম এবং তাকে ও তার পুত্রকে
করেছিলাম বিশ্ববাসীর জন্যে এক নিদর্শন ৷ ” (২১ আম্বিয়াং : ৮৯-৯ ১ )

ইতিপুর্বে আমরা আলোচনা করেছি যে, মারয়ামকে তার মা বায়তুল মুকাদ্দাসের
খিদমদেতর জন্যে উৎসর্গ করেছিলেন ৷ সেখানে মারয়ামের বোনের স্বামী বা খালার স্বামী
যাকারিয়্যা ভারত তত্ত্বাবধানের দায়িতৃ গ্রহণ করেন ৷ যিনি ছিলেন এ যামানার নবী ৷ যাকারিয়্যা
(আ) মারয়ামের জন্যে বায়তুল মুকাদ্দাসে একটি উত্তম কক্ষ বরাদ্দ করেন ৷ সেখানে তিনি
ব্যতীত অন্য কারও প্রবেশের অনুমতি ছিল না ৷ প্রাপ্ত বয়স্কা হলে মারয়াম আল্লাহর ইবাদতে
এতো গভীরভাবে নিমগ্ন হন যে, সে যুগে৩ তার মত এত অধিক ইবাদতকা রী অন্য কেউ ছিল না
তার থেকে এমন সব অলৌকিক ঘটনা ৷প্রকা শ পেতে থাকে না দেখে হযরত যাকা ৷রিয়্যার (আ ৷
মনে ঈর্ষার উদ্রেক হয় ৷ একদা ফিরিশতা তাকে সুসংবাদ দিলেন যে, আল্লাহ তাকে বিশেষ
উদ্দেশ্যে মনোনীত করেছেন; অচিরেই তার এক পুত্র সন্তান জন্মলাভ করবেন তিনি হবেন
পুত-পবিত্র সম্মানিত নবীও ংবিভিন্ন মু জিয়ার অধিকারী ৷ পিতা ব্যতীত সন্তান হওয়ার সৎ বাদে
মারয়াম অবাক হয়ে যান ৷ তিনি বললেন, আমার বিবাহ হয়নি, স্বামী নেই, কিরুপে আমার
সন্তান হবো জবাবে ফিরিশতা জানালেন, আল্লাহ সব কিছু করতে সক্ষম ৷ তিনি যখন কোন
কিছু অস্তিত্বে আনতে চান, তখন শুধু বলেনা৷ হয়ে যাও’ অমনি তা হয়ে যায় ৷ মারয়াম অতঃপর
আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর বিনয়ের সাথে আত্মসমর্পণ করলেন ৷ তিনি বুঝতে পারলেন, তার
সম্মুখে এক বিরাট পরীক্ষা ৷ কেননা, সাধারণ লোক এতে সমালোচনার ঝড় উঠাবে ৷ আল্লাহর
শক্তি সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব ও সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকার ফলে শুধু বাহ্যিক দৃষ্টিতে বিচার
কবেই৩ার৷ নানা কথা উঠাতে থাকবে ৷ বায়তুল মুকাদ্দাসে অবস্থানকালে বিভিন্ন প্রয়োজনে
মারয়াম কখনও কখনও মসজিদের বাইরে আসতে ন ৷ যেমন মাসিক ঋ তুস্রাব হলে কিৎব৷ পানি
ও খাদ্যের সন্ধানে অথবা অন্য কে ন অতি প্রয়োজনীয় কাজে তিনি মসজিদ থেকে বেরিয়ে
আসতেন ৷ একদা এ জাতীয় এক বিশেষ প্রয়োজনে তিনি মসজিদ থেকে বের হলেন এবং দুরে
এক স্থানে আশ্রয় নিলেন অর্থাৎ তিনি বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদের পুর্ব দিকে অনেক দুর পর্যন্ত
একাকী চলে যান ৷ আল্লাহ হযরত জিবরাঈল আমীনকে তথায় প্রেরণ করেন ৷ জিবরাঈল (আ)
মারয়ামের নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করল ৷ মারয়াম তাকে দেখেই বলে উঠলেন,
“আমি তোমার থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি যদি তুমি আল্লাহ ভীরু হও ৷ আবুল


فِي فُنُونِ الْعِبَادَاتِ، وَظَهَرَ عَلَيْهَا مِنَ الْأَحْوَالِ مَا غَبَطَهَا بِهِ زَكَرِيَّا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَنَّهَا خَاطَبَتْهَا الْمَلَائِكَةُ بِالْبِشَارَةِ لَهَا بِاصْطِفَاءِ اللَّهِ لَهَا، وَبِأَنَّهُ سَيَهَبُ لَهَا وَلَدًا زَكِيًّا، يَكُونُ نَبِيًّا كَرِيمًا طَاهِرًا مُكَرَّمًا، مُؤَيَّدًا بِالْمُعْجِزَاتِ، فَتَعَجَّبَتْ مِنْ وُجُودِ وَلَدٍ مِنْ غَيْرِ وَالِدٍ ; لِأَنَّهَا لَا زَوْجَ لَهَا، وَلَا هِيَ مِمَّنْ تَتَزَوَّجُ، فَأَخْبَرَتْهَا الْمَلَائِكَةُ بِأَنَّ اللَّهَ قَادِرٌ عَلَى مَا يَشَاءُ، إِذَا قَضَى أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ: كُنْ. فَيَكُونُ ; فَاسْتَكَانَتْ لِذَلِكَ وَأَنَابَتْ وَسَلَّمَتْ لِأَمْرِ اللَّهِ وَعَلِمَتْ أَنَّ هَذَا فِيهِ مِحْنَةٌ عَظِيمَةٌ لَهَا ; فَإِنَّ النَّاسَ يَتَكَلَّمُونَ فِيهَا بِسَبَبِهِ، لِأَنَّهُمْ لَا يَعْلَمُونَ حَقِيقَةَ الْأَمْرِ، وَإِنَّمَا يَنْظُرُونَ إِلَى ظَاهِرِ الْحَالِ مِنْ غَيْرِ تَدَبُّرٍ وَلَا تَعَقُّلٍ، وَكَانَتْ إِنَّمَا تَخْرُجُ مِنَ الْمَسْجِدِ فِي زَمَنِ حَيْضِهَا، أَوْ لِحَاجَةٍ ضَرُورِيَّةٍ لَا بُدَّ مِنْهَا ; مِنَ اسْتِقَاءِ مَاءٍ أَوْ تَحْصِيلِ غِذَاءٍ، فَبَيْنَمَا هِيَ يَوْمًا قَدْ خَرَجَتْ لِبَعْضٍ شُئُونِهَا وَانْتَبَذَتْ أَيِ انْفَرَدَتْ وَحْدَهَا شَرْقِيَّ الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى، إِذْ بَعَثَ اللَّهُ إِلَيْهَا الرُّوحَ الْأَمِينَ، جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ {فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا} [مريم: 17] فَلَمَّا رَأَتْهُ {قَالَتْ إِنِّي أَعُوذُ بِالرَّحْمَنِ مِنْكَ إِنْ كُنْتَ تَقِيًّا} [مريم: 18] قَالَ أَبُو الْعَالِيَةِ: عَلِمَتْ أَنَّ التَّقِيَّ ذُو نُهْيَةٍ. وَهَذَا يَرُدُّ قَوْلَ مَنْ زَعَمَ أَنَّهُ كَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ رَجُلٌ فَاسِقٌ مَشْهُورٌ بِالْفِسْقِ، اسْمُهُ تَقِيٌّ، فَإِنَّ هَذَا قَوْلٌ بَاطِلٌ بِلَا دَلِيلٍ، وَهُوَ مِنْ أَسْخَفِ الْأَقْوَالِ. {قَالَ إِنَّمَا أَنَا رَسُولُ رَبِّكِ} [مريم: 19] أَيْ خَاطَبَهَا الْمَلَكُ قَائِلًا: إِنَّمَا أَنَا رَسُولُ رَبِّكِ، أَيْ: لَسْتُ بِبَشَرٍ وَلَكِنِّي مَلَكٌ بَعَثَنِي اللَّهُ إِلَيْكِ {لِأَهَبَ لَكِ غُلَامًا زَكِيًّا} [مريم: 19] أَيْ وَلَدًا زَكِيًّا. {قَالَتْ أَنَّى يَكُونُ لِي غُلَامٌ} [مريم: 20] أَيْ: كَيْفَ يَكُونُ لِي غُلَامٌ، أَوْ يُوجَدُ لِي وَلَدٌ،
পৃষ্ঠা - ৯৫২
ষ্ষ্


আলিয়া বলেন, আয়াতে উল্লেখিত তাকিয়্যা বলা হয় এমন ব্যক্তিকে, যে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলে,
নিষিদ্ধ কাজকে যে ভয় করে ৷ একটি দুর্বল মত অনুযায়ী বনী ইসরাঈলের এক বিখ্যাত লম্পটের
নাম ছিল তাকিয়্যা ৷ মারয়ামের নিকট জিবরাঈল মানবাকৃতিতে উপস্থিত হলে তাকে তাকিয়্যা
ভেবে তিনি এ কথাটি বলেছিলেন ৷ এ মতটি সম্পুর্ণ ভ্রান্ত ও একান্তই দুর্বল; এর কোন ভিত্তি বা
দলীল প্রমাণ নেই ৷

জিবরাঈল (আ) বলল, “আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তার প্রেরিত এক দুত ৷” অর্থাৎ
আমি মানুষ নই-যা তুমি ভেবেছ; বরং আমি ফিরিশত৷ ৷ আল্লাহ তোমার নিকট আমাকে প্রেরণ
করেছেন ৷ তোমাকে আমি এক পবিত্র পুত্র দান করে যাব ৷ মারয়াম বলল কিরুপে আমার পুত্র
হবে যখন কোন মানব আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও কখনও ছিলাম না ৷”
অর্থাৎ আমার এখনও বিবাহ হয়নি এবং আমি কখনও অশ্লীল কাজে লিপ্ত হ্ইনি এমতাবস্থায়
আমার সন্তান হবে কিভাবেঃ সে বলল, এমনিতেই হবে ৷ তোমার পালনকর্ত৷ বলেছেন, এটা
আমার জন্যে সহজসাধ্য ৷ অর্থাৎ পুত্র হওয়ার সংবাদে মারয়াম ৰিস্ময় ৎকোশ করে যে প্রশ্ন
করেছিলেন, তার উত্তরে ফিরিশতা বললেন, স্বামী না থাকা সত্বেও এবং ব্যভিচারিণী না হওয়া
সত্বেও তোমার পুত্র সন্তান সৃষ্টির ব্যাপারে আল্লাহ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; আর তার জন্যে এ কাজ
অতি সহজ ৷ কেননা, তিনি যা ইচ্ছা করেন সব কিছুই করতে পারেন ৷ অতঃপর আল্লাহ বলেন :
“আমি তাকে মানুষের জন্যে একটি নিদর্শন ও আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ করতে চাই ৷ অর্থাৎ
এই অবস্থায় তাকে সৃষ্টি করে আমি বিভিন্ন পন্থায় আমার সৃষ্টি কৌশলের ক্ষমতার দৃষ্টান্ত পেশ
করতে চাই ৷ কেননা, আল্লাহ আদমকে নর-নারী ছাড়াই সৃষ্টি করেছেন, হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন
নারী ছাড়া নব থেকে, ঈসাকে সৃষ্টি করেছেন নর ছাড়া নারী থেকে এবং অন্যান্য সবাইকে সৃষ্টি
করেছেন নয় ও নারী উভয় থেকে ৷ “আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরুপ” এ কথার অর্থ
হল-এই ঈসার সাহায্যে আমি মানুষের প্ৰতি আমার অনুগ্রহ প্রকাশ করতে চাই ৷ কেননা, সে
তার শৈশবে মানুষকে কেবল আমার ইবাদতের দিকে আহ্বান করবে এবং আল্লাহ্কে ত্রী,
সন্তান, অংশীদার সমকক্ষ, শরীক ও সাদৃশ্য থেকে মুক্ত থাকার বাণী প্রচার করবে ৷

াএ্যা ৷ৰুৰুর্দুখু৷ ;-, ৷ব্রএ “এটা তো এক ন্থিরীকৃত ব্যাপার”-এ কথাটিকে দুই অর্থে নেয়া যায়,
যর্খা: এক, মারয়ামের সাথে জিবরাঈলের যে কথাবার্তা হয়, এটা ছিল তার শেষ কথা ৷ অর্থাৎ এ
বিষয়টি আল্লাহ চুড়ান্ত করে ফেলেছেন যার বাস্তবায়ন অবধারিত এবং যা অবশ্যই সংঘটিত
হবে ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক এই অর্থ গ্রহণ করেছেন এবং ইবন জারীর এটা সমর্থন করেছেন ৷
দুই, মারয়ামের মধ্যে জিবরাঈল (আ) কর্তৃক ঈসার রুহ্কে কুকে দেওয়ার অর্থে ব্যবহৃত
হয়েছে ৷ যেমন সুরা তাহ্রীমে আল্লাহ বলেছেন : “আল্লাহ মু’মিনদের জন্যে আরও উপস্থিত
করছেন, ইমরান তনয়া মারয়ামের দৃষ্টান্ত — যে তার সতীতু রক্ষা করেছিল, ফলে আমি তার
মধ্যে রুহ্ কুকে দিয়েছিলাম ৷ ” (৬৬ তাহ্রীম : ১২)

জিবরাঈল (আ) কিভাবে কুক দিয়েছিলেন, সে সম্পর্কে একাধিক মুফাসসির লিখেছেন যে,
জিবরাঈল হযরত মারয়ামের আমার আস্তিনে কুক দিয়েছিলেন ৷ ঐ কুক আমার মধ্যে দিয়ে তার
গুপ্ত অংগে প্রবেশ করে এবং সংগে সংগে তিনি অন্তঃসত্ত্বন্ব হন, যেরুপ নারীরা অন্তঃসত্ত্বড়া হয়ে


{وَلَمْ يَمْسَسْنِي بَشَرٌ وَلَمْ أَكُ بَغِيًّا} [مريم: 20] أَيْ: وَلَسْتُ ذَاتَ زَوْجٍ، وَمَا أَنَا مِمَّنْ يَفْعَلُ الْفَاحِشَةَ. {قَالَ كَذَلِكِ قَالَ رَبُّكِ هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌ} [مريم: 9] أَيْ: فَأَجَابَهَا الْمَلَكُ عَنْ تَعَجُّبِهَا مِنْ وُجُودِ وَلَدٍ مِنْهَا، وَالْحَالَةُ هَذِهِ، قَائِلًا: {كَذَلِكِ قَالَ رَبُّكِ} [مريم: 21] أَيْ: وَعَدَ أَنَّهُ سَيَخْلُقُ مِنْكِ غُلَامًا وَلَسْتِ بِذَاتِ بَعْلٍ، وَلَا تَكُونِينَ مِمَّنْ يَبْغِينَ. {هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌ} [مريم: 21] أَيْ: وَهَذَا سَهْلٌ عَلَيْهِ، وَيَسِيرٌ لَدَيْهِ، فَإِنَّهُ عَلَى مَا يَشَاءُ قَدِيرٌ. وَقَوْلُهُ: {وَلِنَجْعَلَهُ آيَةً لِلنَّاسِ} [مريم: 21] أَيْ: وَلِنَجْعَلَ خَلْقَهُ، وَالْحَالَةُ هَذِهِ، دَلِيلًا عَلَى كَمَالِ قُدْرَتِنَا عَلَى أَنْوَاعِ الْخَلْقِ ; فَإِنَّهُ تَعَالَى خَلَقَ آدَمَ مِنْ غَيْرِ ذَكَرٍ وَلَا أُنْثَى، وَخَلَقَ حَوَّاءَ مِنْ ذَكَرٍ بِلَا أُنْثَى، وَخَلَقَ عِيسَى مِنْ أُنْثَى بِلَا ذَكَرٍ، وَخَلَقَ بَقِيَّةَ الْخَلْقِ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى. وَقَوْلُهُ: {وَرَحْمَةً مِنَّا} [مريم: 21] أَيْ: نَرْحَمُ بِهِ الْعِبَادَ، بِأَنْ يَدْعُوَهُمْ إِلَى اللَّهِ فِي صِغَرِهِ وَكِبَرِهِ، فِي طُفُولَتِهِ وَكُهُولَتِهِ، بِأَنْ يُفْرِدُوا اللَّهَ بِالْعِبَادَةِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَيُنَزِّهُوهُ عَنِ اتِّخَاذِ الصَّاحِبَةِ وَالْأَوْلَادِ وَالشُّرَكَاءِ وَالنُّظَرَاءِ، وَالْأَضْدَادِ وَالْأَنْدَادِ. وَقَوْلُهُ: {وَكَانَ أَمْرًا مَقْضِيًّا} [مريم: 21] يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ هَذَا مِنْ تَمَامِ كَلَامِ جِبْرِيلَ مَعَهَا، يَعْنِي أَنَّ هَذَا أَمْرٌ قَدْ قَضَاهُ اللَّهُ وَحَتَّمَهُ وَقَدَّرَهُ وَقَرَّرَهُ. وَهَذَا مَعْنَى قَوْلِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَاخْتَارَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، وَلَمْ يَحْكِ سِوَاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ قَوْلُهُ: {وَكَانَ أَمْرًا مَقْضِيًّا} [مريم: 21] كِنَايَةً عَنْ نَفْخِ جِبْرِيلَ فِيهَا، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَمَرْيَمَ ابْنَتَ عِمْرَانَ الَّتِي أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيهِ مِنْ رُوحِنَا} [التحريم: 12] . فَذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ السَّلَفِ، أَنَّ جِبْرِيلَ نَفَخَ فِي جَيْبِ دِرْعِهَا، فَنَزَلَتِ النَّفْخَةُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৯৫৩
ষ্ষ্


থাকে স্বামীর সাথে সহবাসের মাধ্যমে ৷ যারা বলেছেন, জিবরাঈল (আ) মারয়ামের মুখে কুক
দিয়েছিলেন অথবা মারয়ড়ামের সাথে কথােপকথনকারী ছিলেন স্বয়ং ঐ রুহ্, যা তার মুখের মধ্য
দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেছিল ৷ তাদের এই বক্তব্য কুরআনের বর্ণনা ধারার পরিপন্থি ৷ কারণ
মারয়ামের ঘটন্যার বর্ণনা পদ্ধতি থেকে স্পষ্ট জানা যায় যে, মারয়ামের নিকট যাকে প্রেরণ করা
হয়েছিল, তিনি ছিলেন একজন ফিরিশতা এবং সেই ফিরিশতা হলেন হযরত জিবরাঈল আমীন
(আ) ৷ আর তিনিই তীর মধ্যে কুক দিয়েছিলেন ৷ ফিরিশতা মারয়ামের গুপ্তঅংপে কুক দেননি ৷
বরং তিনি মারয়ামের আমার আস্তিনে কুক দিয়েছিলেন ৷ সেই কুক ভিতর দিয়ে গুপ্ত অংপে
অবতরণ করে ৷ এভাবেই মারয়ামের মধ্যে ফিরিশতার কুক প্রবেশ করে, যেমন আল্লাহ বলেনঃ
“অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার রুহ্ কুকে দিই ৷ ” এ বাণী থেকে বুঝা যায় যে, কুক তার
মধ্যে প্রবেশ করেছিল ৷ তবে তা মুখের মধ্য দিয়ে নয়-যেমন উবায় ইবন কাব বলেছেন, কিৎবা
তার বক্ষ দিয়ে প্রবেশ করেনি যেমন সুদ্দী কোন কোন সাহাবার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন ৷ তাই
আল্লাহ বলেন : “অতঃপর সে গর্ভে সন্তান ধারণ করল” অর্থাৎ তার পুত্র গর্ভে এল এবং তাকে
নিয়ে সে এক দুরবর্তী স্থানে চলে গেল ৷ কেননা, গর্ভে সন্তান আসার পর মারয়ামের অম্ভরে
স্বাভাবিক ভাবেই সংকোচ সৃষ্টি হয় ৷ তিনি বুঝতে পারলেন, অচিরেই লোকজন তার প্রসংপে
নানা কথা ছাড়াবে ৷ প্রথম যুগের একাধিক তাফসীরবিদ এ ব্যাপারে বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ
করেছেন ৷

ওহাব ইবন মুনাবৃবিহ বলেন, মারয়ামের অন্তঃসত্ত্ব৷ হওয়া সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি টের
পড়ায়, সে হল বনী ইসরাঈলের ইউসুফ ইবন ইয়াকুব আন-নাজ্জার নামক এক ব্যক্তি ৷ তিনি
ছিলেন মারয়ামেরই খালাত ভাই ৷ মারয়ামের পুত-পবিত্র চরিত্র, তার ইবাদত-বন্দেপী ও
দীনদারী সম্পর্কে তিনি ভালভাবেই অবগত ছিলেন ৷ কিন্তু বিবাহ ব্যতীত অন্তঃসত্ত্ব৷ হওয়ায় তিনি
ভীষণভাবে বিস্মিত হন ৷ একদিন তিনি মারয়ামকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, মারয়াম ! বল তো
বীজ ছাড়াই কি শস্য হয় কখনও? মারয়াম বললেন, কেন হবে না? সর্বপ্রথম শস্য কিভাবে সৃষ্টি
হল? তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, বৃষ্টি ও পানি ব্যতীত কি বৃক্ষ জন্মায়ঃ মারয়াম বললেন,
জন্মায় ভৈব কি? না হলে প্রথম বৃক্ষের জন্ম হল কিভাবাে তিনি বললেন, আচ্ছা, পুরুষের স্পর্শ
ব্যতীত কি সন্তান জন্মগ্রহণ করে? মারয়াম বললেন, হীড়া, হয় ৷ আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করছিলেন
নর-নারী ব্যতীত; এরপর তিনি বললেন, এখন তোমার ব্যাপারটা আমাকে খুলে বল, কি
হয়েছেঃ মারয়াম বললেন, আল্লাহ আমাকে তার এক বাণীর সুসংবাদ দিয়েছেন, “যার নাম হল
মসীহ্ মারয়াম তনয় ঈসা; দুনিয়া ও আখিরাতের সে মহা সম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর
ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভুক্ত ৷ যখন সে মায়ের কোলে থাকবে এবং পুর্ণ বয়স্ক হবে তখন যে মানুষের
সংগে কথা বলবে,আর সে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে ৷ বর্ণিত আছে যে, হযরত যাকারিয়্যা
(আ)-ও মারয়ড়ামকে এ ধরনের প্রশ্ন করেছিলেন এবং তিনি র্তাকেও অনুরুপ উত্তর দিয়েছিলেন ৷

সুদ্দী সনদ উল্লেখ পুর্বক কতিপয় সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন যে , একদা মারয়াম তীর
বোনের নিকট উপস্থিত হন ৷ বোন র্তাকে বললেন, আমি যে অন্তঃসত্ম, তাকি তুমি টের
পেয়েছো? মারয়াম বললেন, আমিও যে অন্তঃসত্ম? তখন একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন ও

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ১ ৭-

فَرْجِهَا، فَحَمَلَتْ مِنْ فَوْرِهَا، كَمَا تَحْمِلُ الْمَرْأَةُ عِنْدَ جِمَاعِ بَعْلِهَا. وَمَنْ قَالَ أَنَّهُ نَفَخَ فِي فَمِهَا، أَوْ أَنَّ الَّذِي كَانَ يُخَاطِبُهَا هُوَ الرُّوحُ الَّذِي وَلَجَ فِيهَا مِنْ فَمِهَا، فَقَوْلُهُ خِلَافُ مَا يُفْهَمُ مِنْ سِيَاقَاتِ هَذِهِ الْقِصَّةِ فِي مَحَالِّهَا مِنَ الْقُرْآنِ ; فَإِنَّ هَذَا السِّيَاقَ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الَّذِي أُرْسِلَ إِلَيْهَا مَلَكٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، وَهُوَ جِبْرِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَنَّهُ إِنَّمَا نَفَخَ فِيهَا، وَلَمْ يُوَاجِهِ الْمَلَكُ الْفَرْجَ، بَلْ نَفَخَ فِي جَيْبِهَا فَنَزَلَتِ النَّفْخَةُ إِلَى فَرْجِهَا، فَانْسَلَكَتْ فِيهِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَنَفَخْنَا فِيهِ مِنْ رُوحِنَا} [التحريم: 12] فَدَلَّ عَلَى أَنَّ النَّفْخَةَ وَلَجَتْ فِيهِ، لَا فِي فَمِهَا، كَمَا رُوِيَ عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، وَلَا فِي صَدْرِهَا، كَمَا رَوَاهُ السُّدِّيُّ بِإِسْنَادِهِ عَنْ بَعْضِ الصَّحَابَةِ، وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: فَحَمَلَتْهُ. أَيْ: فَحَمَلَتْ وَلَدَهَا {فَانْتَبَذَتْ بِهِ مَكَانًا قَصِيًّا} [مريم: 22] وَذَلِكَ لِأَنَّ مَرْيَمَ عَلَيْهَا السَّلَامُ، لَمَّا حَمَلَتْ ضَاقَتْ بِهِ ذَرْعًا، وَعَلِمَتْ أَنَّ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ سَيَكُونُ مِنْهُمْ كَلَامٌ فِي حَقِّهَا، فَذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ السَّلَفِ، مِنْهُمْ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ، أَنَّهَا لَمَّا ظَهَرَتْ عَلَيْهَا مَخَايِلُ الْحَمْلِ كَانَ أَوَّلَ مَنْ فَطِنَ لِذَلِكَ رَجُلٌ مِنْ عُبَّادِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، يُقَالُ لَهُ: يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ النَّجَّارُ. وَكَانَ ابْنَ خَالِهَا، فَجَعَلَ يَتَعَجَّبُ مِنْ ذَلِكَ عَجَبًا شَدِيدًا، وَذَلِكَ لِمَا يَعْلَمُ مِنْ دِيَانَتِهَا، وَنَزَاهَتِهَا، وَعِبَادَتِهَا، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ يَرَاهَا حُبْلَى وَلَيْسَ لَهَا زَوْجٌ، فَعَرَّضَ لَهَا ذَاتَ يَوْمٍ فِي الْكَلَامِ، فَقَالَ: يَا مَرْيَمُ هَلْ يَكُونُ زَرْعٌ مِنْ غَيْرِ بَذْرٍ؟! قَالَتْ: نَعَمْ، فَمَنْ خَلَقَ الزَّرْعَ الْأَوَّلَ؟! ثُمَّ قَالَ: فَهَلْ يَكُونُ شَجَرٌ
পৃষ্ঠা - ৯৫৪
مِنْ غَيْرِ مَاءٍ وَلَا مَطَرٍ؟! قَالَتْ: نَعَمْ، فَمَنْ خَلَقَ الشَّجَرَ الْأَوَّلَ؟! ثُمَّ قَالَ: فَهَلْ يَكُونُ وَلَدٌ مِنْ غَيْرِ ذَكَرٍ؟! قَالَتْ: نَعَمْ، إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ مِنْ غَيْرِ ذَكَرٍ وَلَا أُنْثَى. قَالَ لَهَا: فَأَخْبِرِينِي خَبَرَكِ. فَقَالَتْ: إِنَّ اللَّهَ بَشَّرَنِي {بِكَلِمَةٍ مِنْهُ اسْمُهُ الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ وَجِيهًا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَمِنَ الْمُقَرَّبِينَ وَيُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلًا وَمِنَ الصَّالِحِينَ} [آل عمران: 45] [آلِ عِمْرَانَ: 45، 46] . وَيُرْوَى مِثْلُ هَذَا عَنْ زَكَرِيَّا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنَّهُ سَأَلَهَا فَأَجَابَتْهُ بِمِثْلِ هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ السُّدِّيُّ بِإِسْنَادِهِ عَنِ الصَّحَابَةِ، أَنَّ مَرْيَمَ دَخَلَتْ يَوْمًا عَلَى أُخْتِهَا، فَقَالَتْ لَهَا أُخْتُهَا: أَشَعَرْتِ أَنِّي حُبْلَى؟ فَقَالَتْ مَرْيَمُ: وَشَعَرْتِ أَيْضًا أَنِّي حُبْلَى؟ فَاعْتَنَقَتْهَا، وَقَالَتْ لَهَا أُمُّ يَحْيَى: إِنِّي أَرَى مَا فِي بَطْنِي يَسْجُدُ لِمَا فِي بَطْنِكِ. وَذَلِكَ قَوْلُهُ: {مُصَدِّقًا بِكَلِمَةٍ مِنَ اللَّهِ} [آل عمران: 39] . وَمَعْنَى السُّجُودِ هَاهُنَا، الْخُضُوعُ وَالتَّعْظِيمُ، كَالسُّجُودِ عِنْدَ الْمُوَاجَهَةِ لِلسَّلَامِ، كَمَا كَانَ فِي شَرْعِ مَنْ قَبْلَنَا، وَكَمَا أَمَرَ اللَّهُ الْمَلَائِكَةَ بِالسُّجُودِ لِآدَمَ. وَقَالَ ابْنُ الْقَاسِمِ: قَالَ مَالِكٌ: بَلَغَنِي أَنَّ عِيسَى بْنَ مَرْيَمَ وَيَحْيَى بْنَ زَكَرِيَّا، ابْنَا خَالَةٍ، وَكَانَ حَمْلُهُمَا جَمِيعًا مَعًا، فَبَلَغَنِي أَنَّ أُمَّ يَحْيَى قَالَتْ لِمَرْيَمَ: إِنِّي أَرَى مَا فِي بَطْنِي يَسْجُدُ لِمَا فِي بَطْنِكِ. قَالَ مَالِكٌ: أَرَى ذَلِكَ لِتَفْضِيلِ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ ; لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى جَعْلَهُ يُحْيِي الْمَوْتَى وَيُبَرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ. وَرَوَى عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: قَالَتْ مَرْيَمُ: كُنْتُ إِذَا خَلَوْتُ حَدَّثَنِي وَكَلَّمَنِي، وَإِذَا كُنْتُ
পৃষ্ঠা - ৯৫৫
ষ্ষ্


আলিঙ্গন করলেন ৷ অতঃপর ইয়াহ্ইয়ার মা বললেন, আমি স্বপ্নে দেখেছি আমার পেটে যে
সন্তান আছে সে তোমার পেটের সন্তানকে সিজদা করছে ৷

কুরআন মজীদের আয়াতে সে ইংপিতই রয়েছে : সে (ইয়াহ্ইয়া) হবে আল্লাহর বাণীর
সমার্থক ৷ হাদীসে উক্ত সিজদা বলতে এখানে বিনয় ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা বুঝানো হয়েছে ৷
যেমন সালাম করার সময় করা হয় ৷ পুর্বেকার শরীয়তে এ রকম নিয়ম চালু ছিল ৷ আল্লাহ আদম
(আ)-কে সিজদা করার জন্যে ফেরেশতাদেরকে যে হুকুম দিয়েছিলেন, সেটাও এই অর্থেই
ছিল ৷ আবুল কাসিম বলেন যে, সিজদা সংক্রান্ত উক্ত হাদীসের ব্যাথ্যায় মালিক (ব) বলেছেন,
আমার ধারণা, এটা ঈসা (আ)-এর শ্রেষ্ঠতু বুঝানোর জন্যে ছিল ৷ কেননা , আল্লাহ তাকে মৃতকে
জীবিত করার এবং অন্ধ ও কুষ্ঠ রোগীকে নিরাময় করার ক্ষমতা দান করেছিলেন ৷

ইবন আবি হাতিম এটি বর্ণনা করেছেন ৷ মুজাহিদ থেকে বর্ণিত আছে, মারয়াম বলতেন
আমি যখন একাকী নির্জনে থাকতাম, তখন আমার পেটের বাচ্চা আমার সাথে কথা বলত ৷ আর
যখন আমি লোক সমাজে থাকতাম, তখন সে আমার পেটের মধ্যে তড়াসবীহ পাঠ করত ৷

স্পষ্টত মারয়াম অন্যান্য নারীদের মত স্বাভাবিকভারে নয় মাস গর্ভ ধারণের পর প্রসব
করেছিলেন ৷ কেননা, এর ব্যতিক্রম হলে তার উল্লেখ করা হত ৷ ইকরিমা ও ইবন আব্বাস (রাঃ
থেকে বর্ণনা করেন, তীর এ গর্ভকাল ছিল আট মাস ৷ ইবন আব্বাসেব অপর বর্ণনায় রয়েছে যে ,
তিনি গর্ভধারণ মাত্রই সন্তান প্রসব করেছিলেন ৷ আবার কেউ কেউ তার গর্ভকাল মাত্র নয় ঘন্টা
স্থায়ী ছিল বলে বলেছেন ৷

এ মতের সমর্থনে নিম্নের আঘাতের উল্লেখ করেছেন : তৎপর সে গর্ভে তাকে ধারণ করল ৷
অতঃপর তৎসহ এক দুরবর্তী স্থানে চলে গেল ৷ প্রসব রেদনা তাকে এক খেজুর বৃক্ষ মুলে আশ্রয়
নিতে বাধ্য করল ৷ (১৯ মারয়াম ২২-২৩) ১ (অতঃপর) অক্ষরটি একাধিকবার ব্যবহৃত
হয়েছে এবং এ অক্ষরটি দু’টি কাজের মধ্যে স্বল্প সময়ের ব্যবধান বুঝাবার জন্যে ব্যবহৃত হয় ৷
তবে বিশুদ্ধতর মত হল, একটি কাজ বা ঘটনার পর আর একটি কাজ বা ঘটনা তার স্বাভাবিক
ব্যবধান সহ আসে ৷ যেমন সুরা হারুজ্জ আল্লাহ বলেন, “ তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ বারি
বর্ষণ করেন আকাশ হতে অতঃপর সবুজ শ্যামল হয়ে উঠে পৃথিবী ? (২২: ৬৩১ (এখানে
স্পষ্ট যে, বারি বর্ষণের অল্পক্ষণ্৷ পরেই পৃথিবী সবুজ শ্যামল হয়ে উঠে না : বরং স্বাভাবিক
নিয়মে ব্যবধানের পরেই সে রকম হয় ৷) অনুরুপ সুরা মুমিনুনে আল্লাহ বলেনঃ “অতঃপর আমি
শুক্র বিন্দুকে পরিণত করি আলাকে ৷ এবং আলাককে পরিণত করি অস্থিপুঞ্জরে অতঃপর
অন্থিপুঞ্জকে ঢেকে দেই গোশৃত দ্বারা ৷ অবশেষে তাকে গড়ে তৃলি অন্য এক সৃষ্টিরুপে ৷ অতএব
সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কত মহান!” (২৩৪ ১৩ )

আয়াতে বর্ণিত মানব সৃষ্টির প্রতিটি পর্যায় অতিক্রম করতে সময় লাগে চল্লিশ দিন ৷ এ
কথা বুখারী ও মুসলিমের হাদীসে আছে ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক লিখেছেন গোটা বনী
ইসরাঈলের মধ্যে এ সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে, মারয়াম অন্তঃসত্তু৷ হয়েছেন ৷ এতে
যাকারিয়া পরিবার দুঃখ শোকে সর্বাধিক মুহ্যমান হয়ে পড়ে ৷ কোন কোন ধর্মহীন ব্যক্তি


بَيْنَ النَّاسِ سَبَّحَ فِي بَطْنِي. ثُمَّ الظَّاهِرُ، أَنَّهَا حَمَلَتْ بِهِ تِسْعَةَ أَشْهُرٍ كَمَا تَحْمِلُ النِّسَاءُ وَيَضَعْنَ لِمِيقَاتِ حَمْلِهِنَّ وَوَضْعِهِنَّ، إِذْ لَوْ كَانَ خِلَافَ ذَلِكَ لَذُكِرَ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعِكْرِمَةَ، أَنَّهَا حَمَلَتْ بِهِ ثَمَانِيَةَ أَشْهُرٍ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: مَا هُوَ إِلَّا أَنْ حَمَلَتْ بِهِ فَوَضَعَتْهُ. قَالَ بَعْضُهُمْ: حَمَلَتْ بِهِ تِسْعَ سَاعَاتٍ. وَاسْتَأْنَسُوا لِذَلِكَ بِقَوْلِهِ: {فَحَمَلَتْهُ فَانْتَبَذَتْ بِهِ مَكَانًا قَصِيًّا فَأَجَاءَهَا الْمَخَاضُ إِلَى جِذْعِ النَّخْلَةِ} [مريم: 22] وَالصَّحِيحُ أَنَّ تَعْقِيبَ كُلِّ شَيْءٍ بِحَسْبِهِ ; لِقَوْلِهِ: {فَتُصْبِحُ الْأَرْضُ مُخْضَرَّةً} [الحج: 63] . وَكَقَوْلِهِ: {ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظَامًا فَكَسَوْنَا الْعِظَامَ لَحْمًا ثُمَّ أَنْشَأْنَاهُ خَلْقًا آخَرَ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ} [المؤمنون: 14] وَمَعْلُومٌ أَنْ بَيْنَ كُلِّ حَالَيْنِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، كَمَا ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ الْمُتَّفَقِ عَلَيْهِ. [الْمُؤْمِنُونَ: 14] . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ شَاعَ أَمْرُهَا وَاشْتَهَرَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنَّهَا حَامِلٌ، فَمَا دَخَلَ عَلَى أَهْلِ بَيْتٍ مَا دَخَلَ عَلَى آلِ زَكَرِيَّا. قَالَ: وَاتَّهَمَهَا بَعْضُ الزَّنَادِقَةِ بِيُوسُفَ الَّذِي كَانَ يَتَعَبَّدُ مَعَهَا فِي الْمَسْجِدِ، وَتَوَارَتْ عَنْهُمْ مَرْيَمُ، وَاعْتَزَلَتْهُمْ وَانْتَبَذَتْ مَكَانًا قَصِيًّا. وَقَوْلُهُ: {فَأَجَاءَهَا الْمَخَاضُ إِلَى جِذْعِ النَّخْلَةِ} [مريم: 23] أَيْ: فَأَلْجَأَهَا وَاضْطَرَّهَا الطَّلْقُ إِلَى جِذْعِ النَّخْلَةِ، وَهُوَ - بِنَصِّ الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ النَّسَائِيُّ بِإِسْنَادٍ لَا بَأْسَ بِهِ، عَنْ أَنَسٍ مَرْفُوعًا، وَالْبَيْهَقِيُّ
পৃষ্ঠা - ৯৫৬
ষ্ষ্


(যিনদীক) জনৈক ইউসুফের দ্বারা এরুপ হয়েছে বলে অপবাদ রটায় ৷ ইউসুফ বায়তুল
মুকাদ্দাসে একই সময়ে ইবাদত বন্দেগী করতেন ৷ মারয়াম লোকালয় থেকে বহু দুরে লোকচক্ষুর
অম্ভরালে চলে যান ৷ আল্লাহ বলেন, “প্রসব বেদনা তাকে এক খর্জুর বৃক্ষ তলে আশ্রয় নিতে
বাধ্য করল ৷ ” ইমাম নাসাঈ (র) আনাস (রা) থেকে এবং বায়হাকী শাদ্দাদ ইবন আওস থেকে
নির্দোষ সনদে মারফু’ হাদীছ বর্ণনা করেন যে, যে স্থানে মারয়াম আশ্রয় নিয়েছিলেন সে স্থানের
নাম বায়তে লাহ্ম (রেথেলহড়াম) ৷ পরবর্তীকালে জনৈক রোমান সম্রাট ঐ স্থানে একটি সৌধ
নির্মাণ করেন ৷ সে স্মৃতি সৌধ সম্পর্কে আমরা পরে আলোচনা করব ৷

আল্লাহর বাণী “মারয়াম বলল হায়, আমি যদি কােনরুপে এর পুর্বে মারা যেতাম এবং
মানুষের স্মৃতি থেকে সম্পুর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যেতাম ৷” মারয়ামের এ মৃত্যু কামনা থেকে দলীল গ্রহণ
করা হয়ে থাকে যে, ফিত্না বা মহা বিপদকালে মৃত্যু কামনা করা বৈধ ৷ মারয়ামও এরুপ
মহা-বিপদকালে মৃত্যু কামনা করেছিলেন ৷ কেননা তিনি নিশ্চিত রুপেই বুঝতে পেরেছিলেন
যে, আমার ইবাদত-বন্দেগী, পবিত্রতা, সার্বক্ষণিক মসজিদে অবস্থান ও ইতিকাফ করা, নবী
পরিবারের লোক হওয়া ও দীনদারী সম্পর্কে লোকজন যতই অবগত থাকুক না কেন, যখনই
আমি সন্তান কোলে নিয়ে তাদের মাঝে আসর তখনই তারা আমার বিরুদ্ধে অপবাদ দিবে ৷
আমি যতই সত্য কথা বলি না কেন, তারা আমাকে মিথ্যাৰাদী প্রতিপন্ন করবে ৷

এসব চিন্তা করেই তিনি উপরোক্ত কামনা করেন যে, এ অবস্থার সম্মুখীন হওয়ার আগেই
যদি আমার মৃত্যু হয়ে যেত! কিত্বা “ মানুষের স্মৃতি থেকে সম্পুর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যেতাম ৷” অর্থাৎ
যদি আমার জন্মই না হত ৷

আল্পাহ্র বাণী, “ অতঃপর নিম্ন দিক থেকে তাকে আহবান করল” কে এই আহবানকারী?
আত্তফী (ব) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ননা করেন যে, তিনি ছিলেন জিবরীল ফিরিশতা ৷ শিশু
ঈসা আহবানকারী নন; কেননা জনসম্মুখে যাওয়ার পুর্বে ঈসা (আ)এর মুখ থেকে কোন কথা
বের হয়নি ৷ সাঈদ ইবন জুবায়র, আমর ইবন মায়মুন, যাহ্হাক, সুদ্দী ও কাতাদা এরুপই
বলেছেন ৷ বিক্ষ্ম মুজাহিদ, হাসান, ইবন য়ায়দ এবং সাঈদ ইবন জুবায়রের এক বর্ণনা মতে এই
আহবানকারী ছিলেন, শিশু ঈসা (আ) ৷ ইবন জারীর এই মতের সমর্থক ৷

আল্লাহর বাণী৪ “ তুমি দুঃখ করো না ৷ তোমার পালনকর্তা তোমার পাদদেশে একটি নহ্র
সৃষ্টি করেছেন ৷” ৷ প্রুছু এর অর্থ অধিকাৎশ তাফসীরবিদদের মতে ছোট নহ্র ৷ তাবারানী এ
প্রসংগে একটি হাদীছ বর্ণনা করেছেন; জ্যি সে হাদীছের সনদ দুর্বল ৷ ইবন জারীর এ মত
সমর্থন করেন এবং এটি বিশুদ্ধ মত ৷ পক্ষান্তরে, হাসান, রাবী ইবন আনাস, ইবন আসলাম
প্রমুখ মনীষীদের মতে fi );, দ্বারা এখানে শিশু পুত্র ঈসাকে বুঝানো হয়েছে ৷ কিন্তু পরবর্তী
আঘাতের প্ৰতি লক্ষ্য করলে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, প্রথম মতই সঠিক ৷ আল্লাহ বলেন, “ তুমি
নিজের দিকে খেজুর গাছের কাণ্ডে নাড়া দাও, তা থেকে তোমার উপর সুপক্ক তাজা খেজুর
পতিত হবে ৷” আল্লাহ এ দৃ’ আয়াতে প্রথমে পানি ও পরে খাদ্যের ব্যবহার কথা জানিয়ে
দিয়েছেন ৷ তাই পরবর্তী আয়াতে বলেন; “এখন আহার কর, পান কর ও চক্ষু শীতল কর ৷”
কেউ বলেছন, খেজুর পাছটির কাওটি শুষ্ক ছিল ৷ কেউ বলেছেন, শুষ্ক নয় ফলবান ছিল ৷ এ রকম


بِإِسْنَادٍ صَحَّحَهُ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ مَرْفُوعًا أَيْضًا - بِبَيْتِ لَحْمٍ، الَّذِي بَنَى عَلَيْهِ بَعْضُ مُلُوكِ الرُّومِ فِيمَا بَعْدُ - عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ - هَذَا الْبِنَاءَ الْمُشَاهَدَ الْهَائِلَ. {قَالَتْ يَالَيْتَنِي مِتُّ قَبْلَ هَذَا وَكُنْتُ نَسْيًا مَنْسِيًّا} [مريم: 23] فِيهِ دَلِيلٌ عَلَى جَوَازِ تَمَنِّي الْمَوْتِ عِنْدَ الْفِتَنِ، وَذَلِكَ أَنَّهَا عَلِمَتْ أَنَّ النَّاسَ يَتَّهِمُونَهَا وَلَا يُصَدِّقُونَهَا، بَلْ يُكَذِّبُونَهَا حِينَ تَأْتِيهِمْ بِغُلَامٍ عَلَى يَدِهَا، مَعَ أَنَّهَا قَدْ كَانَتْ عِنْدَهُمْ مِنَ الْعَابِدَاتِ النَّاسِكَاتِ، الْمُجَاوِرَاتِ فِي الْمَسْجِدِ، الْمُنْقَطِعَاتِ إِلَيْهِ، الْمُعْتَكِفَاتِ فِيهِ، وَمِنْ بَيْتِ النُّبُوَّةِ وَالدِّيَانَةِ، فَحَمَلَتْ بِسَبَبِ ذَلِكَ مِنَ الْهَمِّ مَا تَمَنَّتْ أَنْ لَوْ كَانَتْ مَاتَتْ قَبْلَ هَذَا الْحَالِ أَوْ كَانَتْ نَسْيًا مَنْسِيًّا أَيْ: لَمْ تُخْلَقْ بِالْكُلِّيَّةِ. وَقَوْلُهُ: {فَنَادَاهَا مَنْ تَحْتَهَا} [مريم: 24] ، وَقُرِئَ: {مِنْ تَحْتِهَا} [مريم: 24] عَلَى الْخَفْضِ، وَفِي الْمُضْمَرِ قَوْلَانِ: أَحَدُهُمَا، أَنَّهُ جِبْرِيلُ. قَالَهُ الْعَوْفِيُّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. قَالَ: وَلَمْ يَتَكَلَّمْ عِيسَى إِلَّا بِحَضْرَةِ الْقَوْمِ. وَهَكَذَا قَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَعَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، وَالضَّحَّاكُ وَالسُّدِّيُّ، وَقَتَادَةُ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ، وَالْحَسَنُ، وَابْنُ زَيْدٍ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، فِي رِوَايَةٍ: هُوَ ابْنُهَا عِيسَى. وَاخْتَارَهُ ابْنُ جَرِيرٍ. وَقَوْلُهُ: {أَلَّا تَحْزَنِي قَدْ جَعَلَ رَبُّكِ تَحْتَكِ سَرِيًّا} [مريم: 24] قِيلَ: النَّهْرُ. وَإِلَيْهِ ذَهَبَ الْجُمْهُورُ. وَجَاءَ فِيهِ حَدِيثٌ رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، لَكِنَّهُ ضَعِيفٌ، وَاخْتَارَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَهُوَ
পৃষ্ঠা - ৯৫৭
ষ্ষ্


হওয়াও সম্ভব যে, খেজুর গাছটি তাজা ছিল, কিন্তু ঐ সময় তাতে ফল ছিল না ৷ কেননা ঈসা
(আ)-এর জন্ম হয়েছিল শীতকালে ৷ আর শীতকাল খেজুর ফলের মওসুম নয় ৷ মারয়ামের প্রতি
আল্লাহর অনুগ্রহ সুচক বাণী “তোমার উপর সুপক্ক তাজা ফল পতিত হবে” থেকে এই শ্যেষাক্ত
মতের সমর্থন বুঝা যায় ৷ আমর ইবন মায়মুন বলেন, প্রসুতিদের জন্য খুরমা ও সুপক্ক তাজা

খেজুরের চেয়ে অধিক উৎকৃষ্ট খাদ্য আর নেই ৷ এ কথা বলার পর তিনি উপরোক্ত আয়াত
তিলাওয়াত করেন ৷ ইবন আৰি হাতিম আলী ইবন আবি তালির (রা) থেকে বর্ণনা করেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ খেজুর গাছকে তোমরা ভালবাস, সে তোমাদের ফুফু ৷ কেননা
তোমাদের পিতা আদমকে যে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছিল সেই মাটি থেকেই খেজুর গাছের

সৃষ্টি আর খেজুর গাছ ব্যতীত অন্য কোন গাছের নর-মাদার প্রজনন করা হয় না ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) বলেছেনঃ তোমাদের ত্রীগণ যেন শিশু সন্তানকে তাজা খেজুর যাওয়ায় ৷ যদি তাজা খেজুর
পাওয়া না যায় তা হলে অম্ভত খুরমা যেন খেতে দেয় ৷ জোন রেখো, আল্লাহর নিকট সেই
বৃক্ষের চেয়ে উত্তম কোন বৃক্ষ নেই, যে বৃক্ষের নীচে মারয়াম বিনত ইমরান অবতরণ
করেছিলেন ৷ এ হাদীসটি আবু ইয়ালা ও তার যুসনাদ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন ৷

আল্লাহর বাণী : “যদি মানুষের মধ্যে কাউকে তুমি দেখ, তবে বলে দিওন্তু আমি আল্লাহর
উদ্দেশ্যে সওম মানত করেছি ৷ সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে কথা বলব
না ৷” মারয়ামকে তার নীচের দিক থেকে যিনি আহবান করেছিলেন সেই আহবানকারীর কথা
এই পর্যন্ত শেষ হল ৷ “ তুমি যদি কোন লোককে দেখ, তবে তাকে বলে দিও এখানে মুখ
দিয়ে কথা বলা নয় বরং ইশারা করে ও আপন অবস্থার প্রতি ইংপিত করার কথা বুঝানো
হয়েছে ৷ “আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে সওম মানত করেছি” ৷ এখানে সওম অর্থ চুপ থাকা ও
মৌনৃত৷ অবলম্বন করা ৷ সে যুগের শরীআতে পানাহার ও বাক্যালাপ থেকে বিরত থাকাকে সওম
বলা হত ৷ কাতাদা, সুদ্দী ও ইবন আসলড়াম এ কথা বলেছেন ৷ পরবর্তী আঘাতের দ্বারা তা’ বুঝা
যায় ৷ “আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে কথা বলব না ৷ ” কিন্তু আমাদের শরীআতে
কোন রােযাদার ব্যক্তি যদি সকাল থেকে স্যাম পর্যন্ত চুপচাপ থাকে ও মৌনতা অবলম্বন করে
কটিড়ায় তবে তার রােযা মাকরুহ হয়ে যায় ৷

আল্লাহর বাণী : “অতঃপর মাবৃয়াম সম্ভানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থিত হল ৷
তারা বলল : “হে মাবৃয়াম, তুমি তো একটি অদ্ভুত কাণ্ড করে বসেছ ৷ হে হারুন-তগিনী,
তোমার পিতা তো অসৎ লোক ছিল না এবং তোমার মা-ও ছিল না ব্যভিচারিণী ৷ ”
অড়াহলি-কিতাবদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রাথমিক যুগের বহু সংখ্যক আলিম বলেন যে, মার্য়ামের
সম্প্রদায়ের লোকেরা যখন (দখল, মার্য়াম তাদের মাঝে নেই, তখন তারা তার সন্ধানে বের
হয় ৷ অবশেষে তারা মারয়ামের নিকট পৌছে সে স্থানটিকে জ্যোতির্ময় দেখতে গেল এবং তার
সাথে নবজাত সন্তান দেখে বলল, হে মারয়াম, তুমি তো এক বড় ধরনের অপরাধ করে বসেছ ৷
কিছু; তাদের এই বক্তব্য সংশয়মুক্ত নয় ৷ এর প্রথম অংশ শেষ অংশের সাথে সাংঘর্ষিক ৷
কেননা, কুরআনের ভাষ্য থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, মাবৃয়ড়াম তার নবজাত শিশুকে নিজে
কোলে নিয়ে সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, সন্তান ভুমিষ্ঠ


الصَّحِيحُ. وَعَنِ الْحَسَنِ، وَالرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، وَابْنِ أَسْلَمَ وَغَيْرِهِمْ، أَنَّهُ ابْنُهَا. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ ; لِقَوْلِهِ: {وَهُزِّي إِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا} [مريم: 25] فَذَكَرَ الطَّعَامَ وَالشَّرَابَ، وَلِهَذَا قَالَ: {فَكُلِي وَاشْرَبِي وَقَرِّي عَيْنًا} [مريم: 26] ثُمَّ قِيلَ: كَانَ جِذْعُ النَّخْلَةِ يَابِسًا. وَقِيلَ: كَانَتْ نَخْلَةً مُثْمِرَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَيَحْتَمِلُ أَنَّهَا كَانَتْ نَخْلَةً، لَكِنَّهَا لَمْ تَكُنْ مُثْمِرَةً إِذْ ذَاكَ ; لِأَنَّ مِيلَادَهُ كَانَ فِي زَمَنِ الشِّتَاءِ، وَلَيْسَ ذَاكَ وَقْتَ ثَمَرٍ، وَقَدْ يُفْهَمُ ذَلِكَ مِنْ قَوْلِهِ تَعَالَى، عَلَى سَبِيلِ الِامْتِنَانِ: {تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا} [مريم: 25] قَالَ عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ: لَيْسَ شَيْءٌ خَيْرًا لِلنُّفَسَاءِ مِنَ التَّمْرِ وَالرُّطَبِ. ثُمَّ تَلَا هَذِهِ الْآيَةَ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، حَدَّثَنَا مَسْرُورُ بْنُ سَعِيدٍ التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ رُوَيْمٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَكْرِمُوا عَمَّتَكُمُ النَّخْلَةَ، فَإِنَّهَا خُلِقَتْ مِنَ الطِّينِ الَّذِي خُلِقَ مِنْهُ آدَمُ، وَلَيْسَ شَيْءٌ مِنَ الشَّجَرِ يُلَقَّحُ غَيْرَهَا» وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَطْعِمُوا نِسَاءَكُمُ الْوُلَّدَ الرُّطَبَ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ رُطَبٌ، فَتَمْرٌ، وَلَيْسَ مِنَ الشَّجَرِ شَجَرَةٌ أَكْرَمَ عَلَى اللَّهِ مِنْ شَجَرَةٍ نَزَلَتْ تَحْتَهَا مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ» وَكَذَا رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى فِي " مُسْنَدِهِ "، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৯৫৮
ষ্ষ্


হওয়ার চল্লিশ দিন পর ও নিফাসের ইদ্দত থেকে পবিত্র হওয়ার পর মারয়াম সম্প্রদায়ের নিকট
এসেছিলেন ৷

মোটকথা, মাবৃয়ামের সম্প্রদায়ের লোকেরা যখন তার কোলে নবজাত শিশু সন্তানকে (দখল
তখন বলল : “হে মারয়াম ! তুমি তো এক বিরাট অন্যায় কাজ করে ফেলেছ ৷ ৷ প্রুণ্এ ৰ্)১
হচ্ছে যে কোন গুরুতর অপকর্ম বা জঘন্য উক্তি ৷ অতঃপর তারা মারয়ামকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“হে হারুনের বোন !” এই হারুন কে, সে সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে ৷ এক মতানৃযায়ী ঐ
যুগে হারুন নামে একজন সুপ্রসিদ্ধ ইবাদতকারী লোক ছিলেন ৷ মারয়াম বেশী পরিমাণ ইবাদত
করে তার সমপর্যায়ে উন্নীত হয়েছিলেন ৷ এই সাদৃশ্যের জন্যই মাবৃয়ামকে হারুনের বোন বলা
হয়েছে ৷ সাঈদ ইবন জুবায়র বলেন, ঐ যুগে হারুন নামে এক জঘন্য লোক ছিল ৷ তার সাথে
তুলনা করে হারুনের বোন বলা হয়েছে ৷ তৃতীয় মতানুযায়ী ইনি মুসা (আ)-এর ভাই হারুন ৷
তার ইবাদতের সাথে মারয়ামের ইবদতের সাদৃশ্য থাকায় এখানে হারুনের বোন বলা হয়েছে ৷
চতুর্থ মত মুহাম্মদ ইবন কাব আল-কৃরার্জীর, যাতে বলা হয়েছে, এই মারয়াম মুসা ও হারুন
(আ)-এর সহােদর বোন ৷ সে কারণে হারুনের বোন বলা হয়েছে ৷ কিন্তু এ মতটি যে সম্পুর্ণ
ভ্রান্ত তা সামান্য শিক্ষিত লোকের কাছেও স্পষ্ট ৷ কেননা ঈসার মা মারয়াম ও হারুন-মুসার মধ্যে
দীর্ঘ সময়ের ব্যবধান রয়েছে ৷ তবে মুহাম্মদ কুরাজী সম্ভবত তাওরাতের একটি বর্ণনা থেকে
বিভ্রান্ত হয়েছেন ৷ ঐ বর্ণনায় আছে, যে তারিখে আল্লাহ্ মুসা (আ )-কে মুক্তি দিয়েছিলেন এবং
ফিরআওন ও তার দলবলকে ডুবিয়ে মেরেছিলেন, প্রতি বছর সেই তারিখে মুসা ও হারুনের
বোন মারয়াম আনন্দে ঢোল পিটাতেন ৷ কুরাজী মনে করেছেন এই মারয়াম ও ঐ মারয়াম
অভিন্ন ৷ কিন্তু তার এ ধারণা সম্পুর্ণ ভুল ৷ তা ছাড়া এটা সহীহ হাদীস ও কুরআনী বর্ণনার
পরিপন্থী ৷ তাফসীর গ্রন্থে এ বিষয়ে আমরা বিশদ আলোচনা করেছি ৷ পঞ্চম মতে, হারুন
মারয়ামেরই সহােদর ভাই ৷ সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, ঈসার মা মাবৃয়ামের হারুন নামে
এক ভাই ছিলেন ৷ মাবৃয়ামের জন্ম ও তার মা কর্তৃক মানত করার ঘটনায় কোথাও এ কথা বলা
হয়নি যে, মারয়াম তার বাপ মায়ের একমাত্র কন্যা ছিলেন, তার কোন ভাই ছিল না ৷

ইমাম আহমদ মুগীরা ইবন শুবা থেকে বর্ণিত ৷ মুগীরা বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
আমাকে নাজরানে প্রেরণ করেন ৷ নাজরানবাসীরা আমাকে বলল, আপনারা কুরআনে পড়েন ৷
দুগ্রা ৷ ,;;-> ! হে হারুনের বোন ! কিন্তু এর অর্থের দিকে কি লক্ষ্য করেছেন ? কেননা হারুনের
ভাই মুসা ও মারয়াম-তনয় ঈসার মাঝে তো সময়ের বিরাট ব্যবধান ৷ মুগীরা বলেন, আমি
মদীনায় ফিরে এসে রাসুলুল্লাহ (না)-কে বিষয়টি জানাই ৷ তিনি বললেন, ভুমি তাদেরকে এ
কথা কেন বললে না যে, মানুষ তখন পুর্ববর্তী নবী ও সত্যনিষ্ঠ লোকের নামের সাথে মিলিয়ে
নাম রাখত ৷ ইমাম মুসলিম, নাসাঈ ও তিরমিযী এ হাদীসঢি আবদুল্লাহ ইবন ইদ্রীস থেকে
বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী একে হাসান, সহীহ ও গরীব আখ্যায়িত করে বলেছেন, ইবন ইদ্রীস
ব্যতীত অন্য কারও থেকে আমরা এ হাদীস পাইনি ৷ অন্য বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ (না)
বলেছিলেন : তাদেরকে তুমি কেন এ উত্তর দিলে না যে, তারা তাদের পুর্ববর্তী সৎলোক ও
নবীদের নামের অনুসরণে নাম রাখত ৷ কাতাদা প্রমুখ আলিমপণ উল্লেখ করেছেন যে , সে সময়ে


شَيْبَانَ بْنِ فَرُّوخٍ، عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ سَعِيدٍ. وَفِي رِوَايَةٍ: مَسْرُورِ بْنِ سَعْدٍ. وَالصَّحِيحُ: مَسْرُورُ بْنُ سَعِيدٍ التَّمِيمِيُّ، أَوْرَدَ لَهُ ابْنُ عَدِيٍّ هَذَا الْحَدِيثَ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ بِهِ، ثُمَّ قَالَ: وَهُوَ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ، وَلَمْ أَسْمَعَ بِذِكْرِهِ إِلَّا فِي هَذَا الْحَدِيثِ. وَقَالَ ابْنُ حِبَّانَ: يَرْوِي عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ الْمَنَاكِيرَ الْكَثِيرَةَ الَّتِي لَا يَجُوزُ الِاحْتِجَاجُ بِمَنْ يَرْوِيهَا. وَقَوْلُهُ: {فَإِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ الْبَشَرِ أَحَدًا فَقُولِي إِنِّي نَذَرْتُ لِلرَّحْمَنِ صَوْمًا فَلَنْ أُكَلِّمَ الْيَوْمَ إِنْسِيًّا} [مريم: 26] وَهَذَا مِنْ تَمَامِ كَلَامِ الَّذِي نَادَاهَا مِنْ تَحْتِهَا. قَالَ: {فَكُلِي وَاشْرَبِي وَقَرِّي عَيْنًا فَإِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ الْبَشَرِ أَحَدًا} [مريم: 26] أَيْ: فَإِنْ رَأَيْتِ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ فَقَوْلِي لَهُ، أَيْ بِلِسَانِ الْحَالِ وَالْإِشَارَةِ: {إِنِّي نَذَرْتُ لِلرَّحْمَنِ صَوْمًا} [مريم: 26] أَيْ: صَمْتًا. وَكَانَ مِنْ صَوْمِهِمْ فِي شَرِيعَتِهِمْ تَرْكُ الْكَلَامِ وَالطَّعَامِ. قَالَهُ قَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ، وَابْنُ أَسْلَمَ. وَيَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ قَوْلُهُ: {فَلَنْ أُكَلِّمَ الْيَوْمَ إِنْسِيًّا} [مريم: 26] فَأَمَّا فِي شَرِيعَتِنَا فَيُكْرَهُ لِلصَّائِمِ صَمْتُ يَوْمٍ إِلَى اللَّيْلِ. وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {فَأَتَتْ بِهِ قَوْمَهَا تَحْمِلُهُ قَالُوا يَا مَرْيَمُ لَقَدْ جِئْتِ شَيْئًا فَرِيًّا يَا أُخْتَ هَارُونَ مَا كَانَ أَبُوكِ امْرَأَ سَوْءٍ وَمَا كَانَتْ أُمُّكِ بَغِيًّا} [مريم: 27] ذَكَرَ كَثِيرٌ مِنَ السَّلَفِ مِمَّنْ يَنْقُلُ عَنْ أَهْلِ الْكِتَابِ، أَنَّهُمْ لَمَّا افْتَقَدُوهَا مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ ذَهَبُوا فِي طَلَبِهَا، فَمَرُّوا عَلَى مَحِلَّتِهَا وَالْأَنْوَارُ حَوْلَهَا، فَلَمَّا وَاجَهُوهَا وَجَدُوا مَعَهَا وَلَدَهَا، فَقَالُوا لَهَا: {يَا مَرْيَمُ لَقَدْ جِئْتِ شَيْئًا فَرِيًّا} [مريم: 27] أَيْ أَمْرًا عَظِيمًا مُنْكَرًا. وَفِي هَذَا الَّذِي قَالُوهُ نَظَرٌ، مَعَ أَنَّهُ كَلَامٌ يَنْقُضُ أَوَّلُهُ آخِرَهُ ; وَذَلِكَ لِأَنَّ ظَاهِرَ سِيَاقِ الْقُرْآنِ الْعَظِيمِ يَدُلُّ عَلَى أَنَّهَا حَمَلَتْهُ
পৃষ্ঠা - ৯৫৯
ষ্ষ্


প্রচুর লোকের নাম রাখা হত হারুন বলে ৷ কথিত আছে, একবার তাদের এক জানাযায় বহু
লোক উপস্থিত হয় ৷ তন্মধ্যে হড়ারুন নামধারী লোকের সংখ্যাই ছিল চল্লিশ হাজার ৷

মোটকথা, তারা বলেছিল, “হে হারুনের বোন” এবং হাদীস থেকেও প্রমাণ পাওয়া যায় যে,
হড়ারুন নামে মারয়ামের এক জ্ঞাতি ভাই ছিলেন এবং দীনদারী ও পরহেযগারীতে তার সুথ্যাতি
ছিল ৷ তখন তারা বলল : ”তোমার পিতা অসৎ লোক ছিলেন না এবং তোমার মা-ও ছিলেন না
ব্যভিচারিণী ৷ অর্থাৎ তুমি তো এমন পরিবারের মেয়ে নও, যাদের চরিত্র এত নীচু পর্যায়ের ৷
তোমার পরিবারের কেউই তো মন্দ কাজে জড়িত ছিল না ৷ তোমার ভাই, পিতা ও মাতা কেউ
তো এরুপ ছিলেন না ৷ এভাবে তারা মারয়ামের চরিত্রে কলংক লেপে দিল এবং মহা অপবাদ
আরোপ করল ৷ ইবন জারীর (ব) তার ইতিহাস গ্রন্থে লিখেছেন, তারা হযরত যাকারিয়া (আ)
এর উপর অসৎ কর্মের অপবাদ দেয় এবং তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে ৷ যাকারিয়া (আ)
সেখান থেকে পলায়ন করলে তারাও তার পিছু ধাওয়া করে ৷ সম্মুখে একটি গাছে তাকে আশ্রয়
দেয়ার জন্যে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় ৷ তিনি তার মধ্যে প্রবেশ করেন কিন্তুইবলীস তার চাদরের
আচল টেনে ধরে ৷ তখন তারা পাছটি সহ র্তাকে দ্বিখণ্ডিত করে দেয় ৷

কতিপয় মুনাফিক মাবৃয়ামকে তার খালাত ভাই ইউসুফ ইবন ইয়াকুব আল-নাজ্জারকে
জড়িয়ে অপবাদ দেয় ৷ সম্প্রদায়ের লোকদের এ সব অপবাদের মুখে মারয়ামের অবস্থা যখন
সঙ্গীন হয়ে পড়ল, বাকশক্তি রুদ্ধ হয়ে গেল এবং নিজেকে অপবাদ থেকে মুক্ত করার কোন
উপায়ই রইলো না, তখন তিনি মহান আল্লাহ্র উপর ভরসা রেখে “হাত দ্বারা সন্তানের দিকে
ইংগিত করলেন ৷” অর্থাৎ সন্তানের দিকে ইংগিত করে তাদেরকে বুঝিয়ে দিলেন যে, তোমরা
ওর কাছে জিজ্ঞেস কর এবং তার সাথে কথা বল ৷ কেননা, তোমাদের প্রশ্নের জওয়াব তার
কাছে পাওয়া যাবে এবং তোমরা যা শুনতে চচ্ছে, তা তার কাছেই আছে ৷ তখন উপস্থিত
জনতার মধ্য থেকে দৃষ্ট-দৃর্দাম্ভ প্রকৃতির লোকেরা বলল : “যে কােলের শিশু, তার সাথে আমরা
কেমন করে কথা বলব ? অর্থাৎ তুমি আমাদের প্রশ্নের উত্তর অবুঝ শিশু বাচ্চার উপর কি করে
ছেড়ে দিলো সে তো সবেমাত্র কােলেব শিশু ৷ যে মাখন ও ঘোলের মধ্যে পার্থক্য করতে জানে
না ৷ তুমি আমাদের সাথে ঠাট্টা-বিদ্ধপ করছ এবং মুখ দ্বারা কথা না বলে, অবুঝ শিশুর দিকে
ইংগিত করে আমাদের সাথে উপহড়াস করছ ৷ ঠিক এমন সময় শিশু ঈসা বলে উঠলেন : “আমি
তো আল্লাহ্র বান্দা ৷ তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন ৷ আমি
যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন ৷ তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন
জীবিত থাকি, ততদিন সালাত ও যাকাত আদায় করতে এবং মায়ের অনুগত থাকতে এবং
আমাকে তিনি উদ্ধত ও হতভাগ্য করেন নি ৷ আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি জন্মগ্রহণ
করেছি ৷ যে দিন মৃত্যুবরণ করব এবং যে দিন পুনরুজ্জীবিত হয়ে উথিত হব ৷ ” (১৯ মারয়াম
৩ :

এই হল ঈসা (আ) মুখ থেকে প্রকাশিত প্রথম কথা ৷

সর্বপ্রথম তিনি বললেন : “আমি আল্লাহর বান্দা” , এ কথার দ্বারা তিনি আল্লাহ্র দাসতৃকে
স্বীকার করে নেন এবং আল্লাহ্ যে তার প্রতিপালক এ কথার ঘোষণা দেন ৷ ফলে জালিম
লোকেরা দাবি করে যে, ঈসা (আ) আল্লাহর পুত্র, এ থেকে আল্লাহ যে পবিত্র তা তিনি ঘোষণা


بِنَفْسِهَا، وَأَتَتْ بِهِ قَوْمَهَا وَهِيَ تَحْمِلُهُ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَذَلِكَ بَعْدَ مَا تَعَالَّتْ مِنْ نِفَاسِهَا بَعْدَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُمْ لَمَّا رَأَوْهَا تَحْمِلُ مَعَهَا وَلَدَهَا {قَالُوا يَا مَرْيَمُ لَقَدْ جِئْتِ شَيْئًا فَرِيًّا} [مريم: 27] وَالْفِرْيَةُ هِيَ الْفِعْلَةُ الْمُنْكَرَةُ الْعَظِيمَةُ مِنَ الْفِعَالِ وَالْمَقَالِ. ثُمَّ قَالُوا لَهَا: {يَا أُخْتَ هَارُونَ} [مريم: 28] قِيلَ: شَبَّهُوهَا بِعَابِدٍ مِنْ عُبَّادِ زَمَانِهِمْ كَانَتْ تُسَامِيهِ فِي الْعِبَادَةِ، وَكَانَ اسْمُهُ هَارُونَ. وَقِيلَ: شَبَّهُوهَا بِرَجُلٍ فَاجِرٍ فِي زَمَانِهِمُ، اسْمُهُ هَارُونُ. قَالَهُ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ. وَقِيلَ: أَرَادُوا بِهَارُونَ أَخَا مُوسَى شَبَّهُوهَا بِهِ فِي الْعِبَادَةِ. وَأَخْطَأَ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ فِي زَعْمِهِ أَنَّهَا أُخْتُ مُوسَى وَهَارُونَ نَسَبًا ; فَإِنَّ بَيْنَهُمَا مِنَ الدُّهُورِ الطَّوِيلَةِ مَا لَا يَخْفَى عَلَى أَدْنَى مَنْ عِنْدَهُ مِنَ الْعِلْمِ مَا يَرُدُّهُ عَنْ هَذَا الْقَوْلِ الْفَظِيعِ، وَكَأَنَّهُ غَرَّهُ أَنَّ فِي التَّوْرَاةِ أَنَّ مَرْيَمَ أُخْتَ مُوسَى وَهَارُونَ ضَرَبَتْ بِالدُّفِّ يَوْمَ نَجَّى اللَّهُ مُوسَى وَقَوْمَهُ، وَأَغْرَقَ فِرْعَوْنَ وَمَلَأَهُ، فَاعْتَقَدَ أَنَّ هَذِهِ هِيَ هَذِهِ، وَهَذَا فِي غَايَةِ الْبُطْلَانِ وَالْمُخَالَفَةِ لِلْحَدِيثِ الصَّحِيحِ مَعَ نَصِّ الْقُرْآنِ كَمَا قَرَّرْنَاهُ فِي " التَّفْسِيرِ " مُطَوَّلًا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ وَرَدَ الْحَدِيثُ الصَّحِيحُ الدَّالُّ
পৃষ্ঠা - ৯৬০
عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ لَهَا أَخٌ اسْمُهُ هَارُونُ وَلَيْسَ فِي ذِكْرِ قِصَّةِ وِلَادَتِهَا وَتَحْرِيرِ أُمِّهَا لَهَا، مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهَا لَيْسَ لَهَا أَخٌ سِوَاهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، سَمِعْتُ أَبِي يَذْكُرُهُ عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ: «بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى نَجْرَانَ فَقَالُوا: أَرَأَيْتَ مَا تَقْرَءُونَ: {يَا أُخْتَ هَارُونَ} [مريم: 28] وَمُوسَى قَبْلَ عِيسَى بِكَذَا وَكَذَا. قَالَ: فَرَجَعْتُ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَلَا أَخْبَرْتَهُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا يُسَمُّونَ بِالْأَنْبِيَاءِ وَالصَّالِحِينَ قَبْلَهُمْ» وَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَالنَّسَائِيُّ، وَالتِّرْمِذِيُّ، مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ: «أَلَا أَخْبَرْتَهُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا يُسَمُّونَ بِأَسْمَاءِ صَالِحِيهِمْ وَأَنْبِيَائِهِمْ» وَذَكَرَ قَتَادَةُ وَغَيْرُهُ، أَنَّهُمْ كَانُوا يُكْثِرُونَ مِنَ التَّسْمِيَةِ بِهَارُونَ، حَتَّى قِيلَ: إِنَّهُ حَضَرَ بَعْضَ جَنَائِزِهِمْ بَشَرٌ كَثِيرٌ مِنْهُمْ، مِمَّنْ يُسَمَّى بِهَارُونَ، أَرْبَعُونَ أَلْفًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُمْ قَالُوا: {يَا أُخْتَ هَارُونَ} [مريم: 28] وَدَلَّ الْحَدِيثُ عَلَى أَنَّهَا قَدْ كَانَ لَهَا أَخٌ نَسَبِيٌّ اسْمُهُ هَارُونُ، وَكَانَ مَشْهُورًا بِالدِّينِ وَالصَّلَاحِ وَالْخَيْرِ ; وَلِهَذَا قَالُوا: {مَا كَانَ أَبُوكِ امْرَأَ سَوْءٍ وَمَا كَانَتْ أُمُّكِ بَغِيًّا} [مريم: 28] أَيْ: لَسْتِ مِنْ بَيْتٍ هَذَا شِيمَتُهُمْ وَلَا سَجِيَّتُهُمْ ; لَا أَخُوكِ وَلَا أُمُّكِ وَلَا أَبُوكِ، فَاتَّهَمُوهَا
পৃষ্ঠা - ৯৬১
ষ্ষ্


করেন ৷ ঈসা আল্লাহর পুত্র নন বরং তিনি যে, র্তার বান্দা ও রাসুল এবং তার এক দাসীর পুত্র
একথাও ঘোষণা করেন ৷ এরপর জাহিল লোকেরা র্তার মায়ের উপর যে অপবাদ দিয়েছিল সে
অপবাদ থেকে তার মা যে পবিত্র ছিলেন সে সম্পর্কে বলেন, “আল্লাহ আমাকে কিতাব দিয়েছেন
ও নবী করেছেন ৷” কেননা আল্লাহ এমন ব্যক্তিকে নবুওত দান করেন না, যার জন্ম হয়
ব্যভিচড়ারের মাধ্যমে ৷ অথচ ঐসব অভিশপ্ত লোকগুলো ঈস৷ (আ)-এর প্ৰতি সেরুপ কুৎসিৎ
ধারণাই পোষণ করেছিল ৷ সুরা নিসায় আল্লাহ বলেন, “তারা লানতগ্রস্ত হয়েছিল তাদের

কুফরীর জ্যন্য এবং মারয়ামের প্রতি গুরুতর অপবাদ দেওয়ার জন্যে (৪ নিসা : ১৫৬) ৷

সেই যুগের কতিপয় ইহুদী এই অপবাদ রটিয়ে দিয়েছিল যে মাবৃয়াম ঋতুবডী অবস্থায়
ব্যভিচারে লিপ্ত হন ৷ এতে তিনি অন্তঃসত্ত্ব৷ হন (আল্লাহর লানত তাদের প্রতি) ৷ আল্লাহ এ
অপবাদ থেকে তাকে মুক্ত বলে ঘোষণা করেন এবং জানান যে, তিনি মহাসতবােদী তীর পুত্রকে
আল্লাহ নবী ও রাসুল বানিয়েছেন ৷ শুধু নবী-রাসুলই বানাননি , সমস্ত নবীদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়
পড়াচজনের অন্যতম করেছেন ৷ এ দিকেই ইংগিত করে শিশু ঈসা (আ) বললেন : “য়েখানেই
আমি থাকি না কেন, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন ৷ কেননা, তিনি যেখানেই থাকতেন
সেখানেই মানুষকে এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর ইবাদতের দিকে আহ্বান জানাতেন ৷ একই সাথে
আল্লাহ্কে ত্রী-পুত্র গ্রহণসহ যাবতীয় দােষ-ত্রুটি যুক্ত হওয়ার ঘোষণা করতেন ৷ “তিনি আমাকে
সালাত ও যাকাতের নির্দেশ দিয়েছেন যতদিন আমি জীবিত থাকি ৷” এখানে বন্দোর জন্যে দদ্বুটি
স্থায়ী কর্মসুচীর উল্লেখ করা হয়েছে, যথা : সালাতে আল্লাহর সম্মুখে দণ্ডায়মান হওয়া ও যাকাত
প্রদানের মাধ্যমে সৃষ্টির সেবা করা ৷ সালাতের দ্বারা দাসত্বের গুণাবলী বিকশিত হয় আর যাকাত
আদায়সহ অভাবী লোকদের সাহায্য, অতিথি সেবা, পব্রিবারবর্গের ভরণ-পােষণ, দাস-মুক্তি ও
অন্যান্য সৎকাজে অর্থ ব্যয়ের দ্বারা যেমন উত্তম চরিত্র গড়ে ওঠে, তেমনি অর্থ-সম্পদও পবিত্র
হয় ৷ অতঃপর বলেন : “এবং নির্দেশ দিয়েছেন আমার মায়ের অনুগত থাকতে এবং আমাকে
তিনি উদ্ধত ও হতভাগ্য করেন নি ৷” অর্থাৎ আল্লাহ আমাকে মায়ের অনুগত করে সৃষ্টি
করেছেন ৷ শুধুমাত্র মায়ের আনুগত্যের কথা এ জন্যে বলেছেন যে, তিনি পিতা বিহীনই জন্মগ্রহণ
করেন ৷ মহান সেই সত্তা যিনি সমগ্র জগতের স্রষ্টা এবং যিনি তীর সৃষ্টিকে পবিত্র রেখেছেন এবং
প্রত্যেককে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন ৷ “এবং আমাকে তিনি উদ্ধত ও হতভাগ্য করেন
নি ৷ অর্থাৎ আল্লাহ আমাকে পাষাণ-হৃদয় ও কর্কশভাষী করেন নি এবং আল্লাহ্র নির্দেশ ও
আনুগতের পরিপন্থী কোন কথা বা কাজ আমার দ্বারা হবার নয় ৷ “আমার প্ৰতি শান্তি যেদিন
আমি জন্মলাভ করেছি, যেদিন আমার মৃত্যু হবে এবং যেদিন জীবিত অবস্থায় আমি পুনরুখি ত
হব ৷” উল্লেখিত তিনটি অবস্থায় শাস্তির গুরুত্ব সম্পর্কে ইতিপুর্বে হযরত ইয়াহ্ইয়া ইবন
যাকারিয়ার বর্ণনা প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে ৷

এ পর্যন্ত হযরত ঈসা ইবন মাবৃয়াম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার পর আল্লাহ
বলেছে : “এই মাবৃয়াম-তনয় ঈসা, আমি সত্য কথা বলে দিলাম, যে বিষয়ে লোকেরা বিতর্ক
করছে ৷ সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর কাজ নয়, তিনি পবিত্র মহিমময় সত্তা ৷ তিনি যখন কিছু
করার সিদ্ধান্ত করেন তখন বলেন, হও’ এবং তা হয়ে যায় ৷ (১৯ মারয়াম : ৩৪ , ৩৫)


بِالْفَاحِشَةِ الْعُظْمَى، وَرَمَوْهَا بِالدَّاهِيَةِ الدَّهْيَاءِ، فَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي " تَارِيخِهِ " أَنَّهُمُ اتَّهَمُوا بِهَا زَكَرِيَّا، وَأَرَادُوا قَتْلَهُ، فَفَرَّ مِنْهُمْ فَلَحِقُوهُ وَقَدِ انْشَقَّتْ لَهُ الشَّجَرَةُ فَدَخَلَهَا، وَأَمْسَكَ إِبْلِيسُ بِطَرَفِ رِدَائِهِ فَنَشَرُوهُ فِيهَا، كَمَا قَدَّمْنَا. وَمِنَ الْمُنَافِقِينَ مَنِ اتَّهَمَهَا بِابْنِ خَالِهَا يُوسُفَ بْنِ يَعْقُوبَ النَّجَّارِ، فَلَمَّا ضَاقَ الْحَالُ، وَانْحَصَرَ الْمَجَالُ وَامْتَنَعَ الْمَقَالُ، عَظُمَ التَّوَكُّلُ عَلَى ذِي الْجَلَالِ، وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا الْإِخْلَاصُ وَالِاتِّكَالُ {فَأَشَارَتْ إِلَيْهِ} [مريم: 29] أَيْ: خَاطِبُوهُ وَكَلِّمُوهُ ; فَإِنَّ جَوَابَكُمْ عَلَيْهِ، وَمَا تَبْغُونَ مِنَ الْكَلَامِ لَدَيْهِ. فَعِنْدَهَا قَالَ مَنْ كَانَ مِنْهُمْ جَبَّارًا شَقِيًّا: {كَيْفَ نُكَلِّمُ مَنْ كَانَ فِي الْمَهْدِ صَبِيًّا} [مريم: 29] أَيْ: كَيْفَ تُحِيلِينَنَا فِي الْجَوَابِ عَلَى صَبِيٍّ صَغِيرٍ لَا يَعْقِلُ الْخِطَابَ، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ رَضِيعٌ فِي مَهْدِهِ، وَلَا يُمَيِّزُ بَيْنَ مَحْضٍ وَزَبَدِهِ، وَمَا هَذَا مِنْكِ إِلَّا عَلَى سَبِيلِ التَّهَكُّمِ بِنَا وَالِاسْتِهْزَاءِ، وَالتَّنَقُّصِ لَنَا وَالِازْدِرَاءِ ; إِذْ لَا تَرُدِّينَ عَلَيْنَا قَوْلًا نُطْقِيًّا، بَلْ تُحِيلِينَ فِي الْجَوَابِ عَلَى مَنْ كَانَ فِي الْمَهْدِ صَبِيًّا، فَعِنْدَهَا {قَالَ إِنِّي عَبْدُ اللَّهِ آتَانِيَ الْكِتَابَ وَجَعَلَنِي نَبِيًّا وَجَعَلَنِي مُبَارَكًا أَيْنَ مَا كُنْتُ وَأَوْصَانِي بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ مَا دُمْتُ حَيًّا} [مريم: 30] هَذَا أَوَّلُ كَلَامٍ تَفَوَّهَ بِهِ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، فَكَانَ أَوَّلَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ أَنْ قَالَ {إِنِّي عَبْدُ اللَّهِ} [مريم: 30] اعْتَرَفَ لِرَبِّهِ تَعَالَى بِالْعُبُودِيَّةِ، وَأَنَّ اللَّهَ رَبُّهُ، فَنَزَّهَ جَنَابَ اللَّهِ عَنْ قَوْلِ الظَّالِمِينَ فِي زَعْمِهِمْ أَنَّهُ ابْنُ اللَّهِ، بَلْ هُوَ عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَابْنُ أَمَتِهِ، ثُمَّ بَرَّأَ أُمَّهُ مِمَّا نَسَبَهَا إِلَيْهِ الْجَاهِلُونَ، وَقَذَفُوهَا بِهِ وَرَمَوْهَا
পৃষ্ঠা - ৯৬২
ষ্ষ্


এখানে যেমন বলা হয়েছে তেমনি সুরা আলে-ইমরানেও ঈসা (আ)-এর ঘটনা বিস্তারিত
আলোচনা করার পর বলা হয়েছে :

ছু)হ্রদ্বু’

০ ’ :

৷ ছুার্দুষ্
স্পে


ণ্

-যা আমি তোমার নিকট বিবৃত করছি আর নিদর্শন ও সারগর্ভ বাণী হতে ৷ আল্লাহর
নিকট ঈসার দৃষ্টা ত আদমের দৃষ্টান্ত সদৃশ ৷ তাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছিলেন অতঃপর তাকে
বলেছিলেন, হও’ ফলে সে হয়ে গেল ৷ এ সত্য তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে, সুতরাং ভুমি
সংশয়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়াে না ৷ তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর যে কেউ এ বিষয়ে তোমার
সাথে তর্ক করে তাকে বল, এস, আমরা আহ্বান করি আমাদের পুত্রগণকে ও তোমাদের
পুত্রগণকে, আমাদের নারীগণকে ওণ্ তামাদের নারীগণকে, আমাদের নিজদেরকে ও তোমাদের
নিজদেরকে; অতঃপর আমরা বিনীত আবেদন করি এবং মিথ্যাবাদীদের উপর দেই আল্লাহর
লা নত ৷ নিশ্চয়ই এটা স৩ ৷ বৃত্তান্ত ৷ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেন ইলাহ নেই ৷ নিশ্চয় আল্লাহ
পরম প্রতাপশালী, প্ৰজ্ঞা ময় ৷ যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ফাসাদকা ড়ারীদের
সম্বন্ধে সম্যক অবহিত ৷ (আল-ইমরান : ৫৮-৬৩)

এ কারণে নাজরান থেকে আগত প্রতিনিধি দলের সাথে রাসুলুল্লাহ (না)-এর বিতর্কের
পরিপ্রেক্ষিতে মুবাহা লার আয়াত নাযিল হয় ৷ নাজরানের এই খৃষ্টান প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিল
ষাটজন ৷ তন্মধ্যে চৌদ্দজন ছিল নেতৃস্থানীয় এবং তিনজন ছিল সকলের শীর্ষস্থানীয় ৷ তাদের
সিদ্ধ ম্ভই ছিল সবার জন্যে পালনীয় ৷ তারা হল আকিব, সাব্যিদ ও আৰু হারিছা ইবন
আলকামা ৷ তারা রাসুলুল্লাহ (সা ) এর সাথে হযরত ঈসা (আ) সম্বন্ধে ৰি৩ র্কে লিপ্ত হয় ৷ তখন
এ প্রসৎভৈ গে আল্লাহ সুরা আলে ইমরানের প্ৰথমাংশে অবতীর্ণ করেন ৷ এতে ঈসা মাসীহ সম্পর্কে,
তীর জন্ম ও তার মায়ের জন্ম প্রসংপে আলোচনা করা হয় এবং রাসুলুল্লাহ (না)-কে নির্দেশ
দেওয়া হয় যে, তারা যদি কথা না সালে ও তোমার আনুগত্য না করে তবে তাদের সাথে
মুবাহালা (বিনীত প্রার্থনা) করবে ৷ কিন্তু দেখা গেল, তারা মুবাহালা করা থেকে সরে র্দাড়াল
এবং রাসুলুল্লাহর সাথে সন্ধি করার জন্যে অগ্রসর হল ৷ প্রতিনিধি দলের অন্যতম নেতা আকিব


بِسَبَبِهِ بِقَوْلِهِ: {آتَانِيَ الْكِتَابَ وَجَعَلَنِي نَبِيًّا} [مريم: 30] فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُعْطِي النُّبُوَّةَ مَنْ هُوَ كَمَا زَعَمُوا، لَعَنَهُمُ اللَّهُ وَقَبَّحَهُمْ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَبِكُفْرِهِمْ وَقَوْلِهِمْ عَلَى مَرْيَمَ بُهْتَانًا عَظِيمًا} [النساء: 156] . وَذَلِكَ أَنَّ طَائِفَةً مِنَ الْيَهُودِ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ قَالُوا: إِنَّهَا حَمَلَتْ بِهِ مِنْ زِنًا فِي زَمَنِ الْحَيْضِ، لَعَنَهُمُ اللَّهُ. فَبَرَّأَهَا اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ، وَأَخْبَرَ عَنْهَا أَنَّهَا صِدِّيقَةٌ، وَاتَّخَذَ وَلَدَهَا نَبِيًّا مُرْسَلًا، أَحَدَ أُولِي الْعَزْمِ الْخَمْسَةِ الْكِبَارِ، وَلِهَذَا قَالَ: {وَجَعَلَنِي مُبَارَكًا أَيْنَ مَا كُنْتُ} [مريم: 31] وَذَلِكَ أَنَّهُ حَيْثُ كَانَ دَعَا إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَنَزَّهَ جَنَابَهُ عَنِ النَّقْصِ وَالْعَيْبِ ; مِنِ اتِّخَاذِ الصَّاحِبَةِ وَالْوَلَدِ، تَعَالَى وَتَقَدَّسَ. {وَأَوْصَانِي بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ مَا دُمْتُ حَيًّا} [مريم: 31] وَهَذِهِ وَظِيفَةُ الْعَبِيدِ فِي الْقِيَامِ بِحَقِّ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ ; بِالصَّلَاةِ، وَالْإِحْسَانِ إِلَى الْخَلِيقَةِ بِالزَّكَاةِ، وَهِيَ تَشْتَمِلُ عَلَى طَهَارَةِ النُّفُوسِ مِنَ الْأَخْلَاقِ الرَّذِيلَةِ، وَتَطْهِيرِ الْأَمْوَالِ الْجَزِيلَةِ بِالْعَطِيَّةِ لِلْمَحَاوِيجِ، عَلَى اخْتِلَافِ الْأَصْنَافِ، وَقِرَى الْأَضْيَافِ، وَالنَّفَقَاتِ عَلَى الزَّوْجَاتِ، وَالْأَرِقَّاءِ، وَالْقَرَابَاتِ، وَسَائِرِ وُجُوهِ الطَّاعَاتِ وَأَنْوَاعِ الْقُرُبَاتِ، ثُمَّ قَالَ: {وَبَرًّا بِوَالِدَتِي وَلَمْ يَجْعَلْنِي جَبَّارًا شَقِيًّا} [مريم: 32] أَيْ: وَجَعَلَنِي بَرًّا بِوَالِدَتِي، وَذَلِكَ أَنَّهُ تَأَكَّدَ حَقُّهَا عَلَيْهِ، لِتَمَحُّضِ جِهَتِهَا، إِذْ لَا وَالِدَ لَهُ سِوَاهَا، فَسُبْحَانَ مَنْ خَلَقَ الْخَلِيقَةَ وَبَرَأَهَا، وَأَعْطَى كُلَّ نَفْسٍ هُدَاهَا. {وَلَمْ يَجْعَلْنِي جَبَّارًا شَقِيًّا} [مريم: 32] أَيْ: لَسْتُ بِفَظٍّ وَلَا غَلِيظٍ، وَلَا يَصْدُرُ مِنِّي قَوْلٌ وَلَا فِعْلٌ يُنَافِي أَمْرَ اللَّهِ وَطَاعَتَهُ. {وَالسَّلَامُ عَلَيَّ يَوْمَ وُلِدْتُ وَيَوْمَ أَمُوتُ وَيَوْمَ أُبْعَثُ حَيًّا} [مريم: 33] وَهَذِهِ الْمَوَاطِنُ الثَّلَاثَةُ الَّتِي تَقَدَّمَ الْكَلَامُ عَلَيْهَا فِي قِصَّةِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، ثُمَّ لَمَّا ذَكَرَ تَعَالَى قِصَّتَهُ عَلَى الْجَلِيَّةِ، وَبَيَّنَ أَمْرَهُ وَوَضَّحَهُ وَشَرَحَهُ، قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৯৬৩
ষ্ষ্


ৎগী খৃষ্টানদের সম্বোধন করে বলল, তোমরা তাে নিশ্চিত জান যে , মুহাম্মদ অবশ্যই আল্লাহর
প্রেরিত নবী, তোমাদের নবী ঈসার সংবাদ অনুযায়ী সময়ের নির্দিষ্ট ব্যবধানে তিনি এসেছেন ৷
তোমরা অবশ্যই অবগত আছ যে , কোন সম্প্রদায় আল্লাহর নবীর সাথে মুবাহালা করলে গোটা
সম্প্রদাযই ধ্বংস হয়ে যায় ৷ তােমরাও যদি তার সাথে মুবাহালা কর, তবে সমুলে ধ্বংস হয়ে
যাবে ৷ আর যদি মুবাহালা না কর তাহলে তোমাদের ধর্ম সুসংহত হবে এবং ঈসা (আ) সম্বন্ধে
তোমাদের যে দাবি, তাও প্রতিষ্ঠিত থাকবে ৷ সুতরাং তার সাথে সন্ধি চুক্তি করে দেশে ফিরে
যাও ৷

অতঃপর তারা রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট সন্ধির প্রস্তাব দিল এবং জিযিয়া কর ধার্যের
আবেদন জানান এবং সেই সাথে রাসুলের পক্ষ থেকে একজন নির্ভরযোগ্য লোক তাদের সংগে
পাঠাবার অনুরোধ করে ৷ রাসুলুল্লাহ (না) তাদের প্রস্তাবে সম্মত হয়ে আবু উবায়দা ইবন
জাররাহ (রা)-কে তাদের সাথে পাঠিয়ে দিলেন ৷ সুরা আলেইমরানের তাফসীরে আমরা এ
বিষয়ে বিন্তারিত আলোচনা করেছি ৷ সীরাতুন-নবী অধ্যায়ে এ প্রসংগে বিশদ আলোচনা করা
হবে ৷

মােটকথা , আল্লাহ হযরত ঈসা-মাসীহর ঘটনা সুর্ম্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি আপন
রাসুলকে বলেছেন : “এ-ই-মারয়ামের পুত্র ঈসা, সত্য কথা, যে সম্পর্কে লোকেরা বিতর্ক
করে ৷ ”অর্থাৎ ঈসা (আ) আল্লাহর এক সৃষ্ট দাস ৷ তার এক দাসীর গর্ত থেকে তাকে সৃষ্টি করা
হয়েছে ৷ এ কারণে আল্লাহ বলেন : আল্লাহ এমন নন যে , সন্তান গ্রহণ করবেন, তিনি পবিত্র ও
মহিমাময় সত্তা ৷ তিনি যখন কোন কাজ করার সিদ্ধান্ত করেন, তখন এ কথাই বলেন : হও
এবং তা হয়ে যায় ৷ অর্থাৎ কোন কিছুই তার সিদ্ধান্তকে অচল করতে পারে না ৷ কোন কিছুর
তিনি পরোয়া করেন না এবং কোন কাজে তিনি ক্লান্ত হন না ৷ বরং তিনি সব কিছুই করতে
সক্ষম যা ইচ্ছা করেন তাই করে থাকেন ৷ “তার বিষয়টা হল এমন যে , যখন কোন কিছু ইচ্ছা
করেন, তখন বলেন, হও’ অতঃপর তা হয়ে যায় ৷ এরপর তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ আমার
পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা ৷ অতএব, তোমরা তার ইবাদত কর ৷ এটা সরল পথ ৷”

মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় হযরত ঈসার কথা এই পর্যন্ত শেষ ৷ তিনি তাদেরকে জানিয়ে
দিলেন, আল্লাহ তার প্রতিপালক এবং তাদেরও প্রতিপালক ; তার প্রভু এবং তাদেরও প্রভু ৷ আর
এটাই সরল পথ ৷ আল্লাহ বলেন : “অতঃপর দলগুলো নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি করল ৷
সুতরাং দুর্তোপ কাফিরদের মহাদিবস আগমন কালে ৷” অর্থাৎ সেই যুগের ও পরবর্তী যুগের
লোক হযরত ঈসা (আ) সম্পর্কে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে ৷ ইয়াহুদীদের এক দল বলল,
ঈসার ব্যভিচার জাত সন্তান এবং এ কথার উপরই তারা অটল হয়ে থড়াকল ৷ আর এক দল
আরও অগ্রসর হয়ে বলল, ঈসাই আল্লাহ ৷ অন্য দল বলল, যে আল্লাহর পুত্র ৷ বিন্দু সৃষ্টিজ্ঞান
সম্পন্ন লোকেরা বললেন, তিনি আল্লাহর বান্দা ও তার রাসুল ৷ আল্লাহর এক র্বাদীর সন্তান এবং
আল্লাহর কলেমা যা মারয়ামের প্রতি প্রদান করেছিলেন এবং তিনি আল্লাহর প্রেরিত রুহ্ ৷ এই

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ১৮-

{ذَلِكَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ قَوْلَ الْحَقِّ الَّذِي فِيهِ يَمْتَرُونَ مَا كَانَ لِلَّهِ أَنْ يَتَّخِذَ مِنْ وَلَدٍ سُبْحَانَهُ إِذَا قَضَى أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ} [مريم: 34] كَمَا قَالَ تَعَالَى بَعْدَ ذِكْرِ قِصَّتِهِ، وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ فِي آلِ عِمْرَانَ: {ذَلِكَ نَتْلُوهُ عَلَيْكَ مِنَ الْآيَاتِ وَالذِّكْرِ الْحَكِيمِ إِنَّ مَثَلَ عِيسَى عِنْدَ اللَّهِ كَمَثَلِ آدَمَ خَلَقَهُ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ قَالَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ فَلَا تَكُنْ مِنَ الْمُمْتَرِينَ فَمَنْ حَاجَّكَ فِيهِ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ وَنِسَاءَنَا وَنِسَاءَكُمْ وَأَنْفُسَنَا وَأَنْفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْقَصَصُ الْحَقُّ وَمَا مِنْ إِلَهٍ إِلَّا اللَّهُ وَإِنَّ اللَّهَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِالْمُفْسِدِينَ} [آل عمران: 58] [آلِ عِمْرَانَ: 58 - 63] . وَلِهَذَا لَمَّا قَدِمَ وَفْدُ نَجْرَانَ وَكَانُوا سِتِّينَ رَاكِبًا، يَرْجِعُ أَمْرُهُمْ إِلَى أَرْبَعَةَ عَشَرَ مِنْهُمْ، وَيَؤُولُ أَمْرُ الْجَمِيعِ إِلَى ثَلَاثَةٍ، هُمْ أَشْرَافُهُمْ وَسَادَاتُهُمْ، وَهُمْ: الْعَاقِبُ، وَالسَّيِّدُ، وَأَبُو حَارِثَةَ بْنُ عَلْقَمَةَ، فَجَعَلُوا يُنَاظِرُونَ فِي أَمْرِ الْمَسِيحِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ صَدْرَ سُورَةِ " آلِ عِمْرَانَ " فِي ذَلِكَ، وَبَيَّنَ أَمْرَ الْمَسِيحِ وَابْتِدَاءَ خَلْقِهِ وَخَلْقِ أُمِّهِ مِنْ قَبْلِهِ، وَأَمَرَ رَسُولَهُ بِأَنْ يُبَاهِلَهُمْ إِنْ لَمْ يَسْتَجِيبُوا لَهُ وَيَتَّبِعُوهُ، فَلَمَّا رَأَوْا عَيْنَيْهَا وَأُذُنَيْهَا نَكَصُوا، وَامْتَنَعُوا عَنِ الْمُبَاهَلَةِ، وَعَدَلُوا إِلَى الْمُسَالَمَةِ وَالْمُوَادَعَةِ، وَقَالَ قَائِلُهُمْ، وَهُوَ الْعَاقِبُ عَبْدُ الْمَسِيحِ: يَا مَعْشَرَ النَّصَارَى، لَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنَّ مُحَمَّدًا لَنَبِيٌّ مُرْسَلٌ، وَلَقَدْ جَاءَكُمْ بِالْفَصْلِ مِنْ خَبَرِ صَاحِبِكُمْ، وَلَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنَّهُ مَا لَاعَنَ قَوْمٌ نَبِيًّا قَطُّ، فَبَقِيَ كَبِيرُهُمْ وَلَا نَبَتَ صَغِيرُهُمْ، وَإِنَّهَا لَلِاسْتِئْصَالُ مِنْكُمْ إِنْ فَعَلْتُمْ، فَإِنْ كُنْتُمْ قَدْ أَبَيْتُمْ إِلَّا إِلْفَ دِينِكُمْ وَالْإِقَامَةَ عَلَى مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ مِنَ الْقَوْلِ
পৃষ্ঠা - ৯৬৪
ষ্ষ্


শেষোক্ত দলই মুক্তিপ্রাপ্ত ৷ সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং আল্লাহর সাহায্যপুষ্ট ৷ যে ব্যক্তিই হযরত
ঈসা (আ) সম্পর্কে উপরোক্ত বিষয়গুলোর> কোন একটি ব্যাপারেও বিরোধিতা করবে, সেই হবে
কাফির পথভ্রষ্ট ও জাহিল ৷ এ জাতীয় লোকদেরকেই সাবধান করে আল্লাহ বলেছেন : “সুতরাং
মহাদিবস আগমন কালে কাফিরদের জন্যে ধ্বংস ৷

ইমাম বুখারী (র) সাদাকা ইবনুল ফযলের সুত্রে উবাদা ইবনুসৃ সামিত (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে , আল্লাহ, ব্যতীত আর কোন ইলাহ
নেই, তিনি একক, তার কোন অংশীদার নেই, মুহাম্মদ (সা) তার বান্দা ও রাসুল, ঈসা আল্লাহর
বন্দো রাসুল ও কলেমা, যা মারয়ামের প্রতি অর্পণ করেছেন এবং আল্লাহর পক্ষ হতে প্রেরিত
রুহ্ ৷ জান্নাত জাহান্নাম সত্য ৷ আল্লাহ র্তাকে জান্নাত দান করবেন ৷ তার আমল যে রকম হউক
না কেন ৷ ওয়ালীদ বলেন রাবী জুনাদা আরও কিছু বেশী বর্ণনা করেছেন যে, জান্নাতের
আটটি দরজার মধ্যে যেটি দ্বারা ইচ্ছা সে প্রবেশ করতে পারবে ৷ ইমাম মুসলিম দাউদ ইবন
রশীদের সুত্রে জাৰির (রা) থেকে এবং অন্য সুত্রে আওযাঈ ৰু£থকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷


فِي صَاحِبِكُمْ، فَوَادِعُوا الرَّجُلَ وَانْصَرِفُوا إِلَى بِلَادِكُمْ. فَطَلَبُوا ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسَأَلُوهُ أَنْ يَضْرِبَ عَلَيْهِمْ جِزْيَةً، وَأَنْ يَبْعَثَ مَعَهُمْ رَجُلًا أَمِينًا، فَبَعَثَ مَعَهُمْ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ، وَقَدْ بَيَّنَّا ذَلِكَ فِي تَفْسِيرِ " آلِ عِمْرَانَ " وَسَيَأْتِي بَسْطُ هَذِهِ الْقَضِيَّةِ فِي السِّيرَةِ النَّبَوِيَّةِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَمَّا بَيَّنَ أَمْرَ الْمَسِيحِ، قَالَ لِرَسُولِهِ: {ذَلِكَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ قَوْلَ الْحَقِّ الَّذِي فِيهِ يَمْتَرُونَ} [مريم: 34] يَعْنِي مِنْ أَنَّهُ عَبْدٌ مَخْلُوقٌ مِنِ امْرَأَةٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ، وَلِهَذَا قَالَ: {مَا كَانَ لِلَّهِ أَنْ يَتَّخِذَ مِنْ وَلَدٍ سُبْحَانَهُ إِذَا قَضَى أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ} [مريم: 35] أَيْ لَا يُعْجِزُهُ شَيْءٌ وَلَا يَكْرُثُهُ وَلَا يَؤُودُهُ، بَلْ هُوَ الْقَدِيرُ الْفَعَّالُ لِمَا يَشَاءُ. {إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ} [يس: 82] . وَقَوْلُهُ: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مُوسَى إِنَّهُ كَانَ مُخْلَصًا وَكَانَ رَسُولًا نَبِيًّا} [مريم: 51] هُوَ مِنْ تَمَامِ كَلَامِ عِيسَى لَهُمْ فِي الْمَهْدِ، أَخْبَرَهُمْ أَنَّ اللَّهَ رَبُّهُ وَرَبُّهُمْ وَإِلَهُهُ وَإِلَهُهُمْ، وَأَنَّ هَذَا هُوَ الصِّرَاطُ الْمُسْتَقِيمُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَاخْتَلَفَ الْأَحْزَابُ مِنْ بَيْنِهِمْ فَوَيْلٌ لِلَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ مَشْهَدِ يَوْمٍ عَظِيمٍ} [مريم: 37] أَيْ: فَاخْتَلَفَ أَهْلُ ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَمَنْ بَعْدَهُمْ فِيهِ، فَمِنْ قَائِلٍ مِنَ الْيَهُودِ: إِنَّهُ وَلَدُ زَنْيَةٍ. وَاسْتَمَرُّوا عَلَى كُفْرِهِمْ وَعِنَادِهِمْ، وَقَابَلَهُمْ آخَرُونَ فِي الْكُفْرِ فَقَالُوا: هُوَ اللَّهُ. وَقَالَ آخَرُونَ: هُوَ ابْنُ اللَّهِ. وَقَالَ الْمُؤْمِنُونَ:
পৃষ্ঠা - ৯৬৫
هُوَ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، وَابْنُ أَمَتِهِ، وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ، وَرُوحٌ مِنْهُ. وَهَؤُلَاءِ هُمُ النَّاجُونَ الْمُثَابُونَ، الْمُؤَيَّدُونَ الْمَنْصُورُونَ، وَمَنْ خَالَفَهُمْ فِي شَيْءٍ مِنْ هَذِهِ الْقُيُودِ، فَهُمُ الْكَافِرُونَ الظَّالِمُونَ، الضَّالُّونَ الْجَاهِلُونَ، وَقَدْ تَوَعَّدَهُمُ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ الْحَكِيمُ الْعَلِيمُ، بِقَوْلِهِ: {فَوَيْلٌ لِلَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ مَشْهَدِ يَوْمٍ عَظِيمٍ} [مريم: 37] . قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ، أَنْبَأَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي عُمَيْرُ بْنُ هَانِئٍ، حَدَّثَنِي جُنَادَةُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَأَنَّ عِيسَى عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ، وَالْجَنَّةَ حَقٌّ، وَالنَّارَ حَقٌّ - أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ عَلَى مَا كَانَ مِنَ الْعَمَلِ» قَالَ الْوَلِيدُ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ عُمَيْرٍ، عَنْ جُنَادَةَ، وَزَادَ: «مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةِ أَيَّهَا شَاءَ» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ دَاوُدَ بْنِ رَشِيدٍ عَنِ الْوَلِيدِ، عَنِ ابْنِ جَابِرٍ بِهِ، وَمِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৯৬৬
ষ্ষ্


এ প্রসংগে সুরা মারয়ামে আল্লাহ বলেন :


,
¥’ তাং)ধুস্ষ্ত্নী গ্রস্পো শুশ্ংপুট্রু
,


-তার৷ বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন ! তোমরা তো এক বীভৎস কথার অবতারণা
করেছ; (অর্থাৎ তোমাদের এ কথা অত্যন্ত ভয়াবহ, কুরুচিপুর্ণ ও নিরেট মিথ্যা ৷) এতে যেন
আকাশমণ্ডলী বিদীর্ণ হয়ে যাবে, পৃথিবী খণ্ড-বিখণ্ড হবে ও পর্বতমওলী চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে আপতিত
হবে, যেহেতু তারা দয়াময়ের প্রতি সন্তান আরোপ করে ৷ অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের
জন্যে শোভন নয় ৷ আক কাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে এমন কেউ নেই, যে দয়াময়ের নিকট বান্দারুপে
উপস্থিত হয়ে না ৷ তিনি তাদেরকে পরিরেষ্টন করে রেখেছেন এবৎ৩ তিনি তাদেরকে বিশেষভাবে
গণনা করেছেন, এবং কিয়ামত দিবসে তাদের সকলেই তার নিকট আসবে একাকী অবস্থায় ৷
(১৯ মারয়াম৪ ৮৮ ৯৫)

উক্ত আয়া৩ তসমুহে আল্লাহ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে, সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর জন্যে
মোটেই শোভনীয় নয় ৷ কেননা তিনি সব কিছুরই সৃষ্টিকর্তা ও মালিক এবং সব কিছু তার
মুখাপেক্ষী ও অনুগত ৷ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সকলেই তার দাস, তিনি এ সবের প্রতিপালক ৷
তিনি ব্যতীত আর কো ন উপাস্য নেই , আর কো ন প্ৰতিপালকও নেই ৷ যেমন আল্লাহ তা আলা
বলেন :




ণ্ট্টড্রু

ৰুট্রুৰুষ্টুণ্ পুওপ্লু;স্পোঠু-ষ্টুটুঠুপুর্মু;এেৰু ;;ৰুাহ্র’ ;পুা হু ৰু,ট্রুা৷১া৷ব্লুৰ্া৷১াট্রুড্রুষুর্দু এ
)

১া


[بَابُ بَيَانِ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى مُنَزَّهٌ عَنِ الْوَلَدِ] قَالَ تَعَالَى فِي آخِرِ هَذِهِ السُّورَةِ: {وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَنُ وَلَدًا لَقَدْ جِئْتُمْ شَيْئًا إِدًّا} [مريم: 88] أَيْ شَيْئًا عَظِيمًا، وَمُنْكَرًا مِنَ الْقَوْلِ وَزُورًا. {تَكَادُ السَّمَاوَاتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَتَنْشَقُّ الْأَرْضُ وَتَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّا أَنْ دَعَوْا لِلرَّحْمَنِ وَلَدًا وَمَا يَنْبَغِي لِلرَّحْمَنِ أَنْ يَتَّخِذَ وَلَدًا إِنْ كُلُّ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ إِلَّا آتِي الرَّحْمَنِ عَبْدًا لَقَدْ أَحْصَاهُمْ وَعَدَّهُمْ عَدًّا وَكُلُّهُمْ آتِيهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَرْدًا} [مريم: 90] فَبَيِّنَ أَنَّهُ تَعَالَى لَا يَنْبَغِي لَهُ الْوَلَدُ ; لِأَنَّهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ وَمَالِكُهُ، وَكُلُّ شَيْءٍ فَقِيرٌ إِلَيْهِ، خَاضِعٌ ذَلِيلٌ لَدَيْهِ، وَجَمِيعُ سُكَّانِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ عَبِيدُهُ، وَهُوَ رَبُّهُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، وَلَا رَبَّ سِوَاهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَجَعَلُوا لِلَّهِ شُرَكَاءَ الْجِنَّ وَخَلَقَهُمْ وَخَرَقُوا لَهُ بَنِينَ وَبَنَاتٍ بِغَيْرِ عِلْمٍ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يَصِفُونَ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنَّى يَكُونُ لَهُ وَلَدٌ وَلَمْ تَكُنْ لَهُ صَاحِبَةٌ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْءٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ فَاعْبُدُوهُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الْأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ} [الأنعام: 100] [الْأَنْعَامِ: 100 - 103] . فَبَيَّنَ أَنَّهُ خَالِقُ كُلِّ
পৃষ্ঠা - ৯৬৭
ষ্ষ্


তারা জিনকে আল্লাহর শরীক করে, অথচ তিনিই ওদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তারা
অজ্ঞতাবশত আল্লাহর প্ৰতি পুত্রকন্যা আরোপ করে; তিনি পবিত্র মহিমম্বিত৷ এবং তারা যা
বলে, তিনি তার উভ্রুর্ধ্ব ৷ তিনি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, তার সন্তান হাব কিরুপে? তার তো
কো ন ত্রী নেই? তিনিইতে ৷সমন্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্যেক বস্তু সম্পর্কে তিনিই সবিশেষ
অবহিত ৷ তিনিই তো আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপা ৷লক; তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই; তিনিই
সব কিছুর স্রষ্টা; সুতরাং তামরা তীর ইবাদত কর; তিনি সব কিছুরত তত্ত্বাবধায়ক ৷ তিনি
দৃষ্টির অধিগম্য নহেন কিন্তু দৃষ্টি শক্তি তার অধিগত এবং তিনিই সৃক্ষ্মদর্শী সম্যক পরিজ্ঞাত
(৬ আনআমং ১০০ ১০৩)

এখানে আল্লাহ স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, তিনি সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা ৷ সৃতবাৎ কিরুপে তার
সন্তান হতে পারে? আমরা জানি, সম-শ্রেণীর দু’জনের মিলন ব্যতীত সন্তান হয় না ৷ আর
আল্লাহর সমকক্ষ, সদৃশ ও সমশ্রেণীর কেউ নেই ৷ অতএব, তার শ্লীও £নই ৷ সুতরাং তার
সন্তানও হতে পারে না ৷ যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেন :


বল, তিনিই আল্লাহ একক ও অদ্বিভীয় ৷ আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নভ্রুহন সকলেই তার
মুখাপেক্ষী ৷ তিনি কাউকেও জন্ম দেননি এবং তাকেও জন দেয়া হয়নি এবং তার সমতুল্য
কেউ-ই নেই ৷ ( ১ ১ ২ ইখলাস :; ১ ৪)

আল্লাহ একক’ অর্থ তিনি এমন এক অস্তিতু র্যার সত্তার কোন সদৃশ নেই ৷ গুণারলীর কোন
দৃষ্ট৷ ম্ভ নেই এবং কর্মকাণ্ডের কো ন উদাহরণ নেই ৷াপ্এ ৷ (আ স সামাদ) এমন মনিবকে বলা
হয় যার মধ্যে জ্ঞান প্রজ্ঞা, করুণ৷ ও সমস্ত গুণাবলী পরিপুর্ণভাবে থাকে ৷ এ ংণ্পুত তিনি কাউকে
জন্ম দেননি ৷ এ ণ্৷ এ অর্থ পুর্বের কোন কিছু থেকে তিনি সৃষ্টি নন ৷ ৷ ম্র-^-ৰু fl ং;,:<; ট্রু৷ §
া১ ৷ অর্থাৎ তার সমকক্ষ, সমপর্যায়ের ও সমান আর কেউ নেই ৷ এ আয়াতগুলো থেকে জানা
গেল যে, আল্লাহর নবীর, কাছাকাছি, তার চেয়ে উধের্ব বা সমপর্যায়ের অন্য কেউ নেই ৷ সুতরাং
তীর সন্তান হওয়ার কোন পথই খোলা নেই ৷ কেননা সন্তান জন্ম হয় সম জাতীয় বা অন্তত
সম শ্রেণীর কাছাক কাছি দু’ জনের মাধ্যমে কিন্তু আল্লাহত তার অনেক উধের্ব ৷ অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ

৷ ৷ প্রু;১াঠু



ৰু৷ ৷ ণ্এা৷ৰু ৷র্টু;শুাহ্ন্

ঢেপ্লৰু এ গ্র০বু)খু

০ :

ধ্এ ৷প্রু

প্ ; :



شَيْءٍ، فَكَيْفَ يَكُونُ لَهُ وَلَدٌ، وَالْوَلَدُ لَا يَكُونُ إِلَّا بَيْنَ شَيْئَيْنِ مُتَنَاسِبَيْنِ! وَاللَّهُ تَعَالَى لَا نَظِيرَ لَهُ، وَلَا شَبِيهَ لَهُ، وَلَا عَدِيلَ لَهُ، وَلَا صَاحِبَةَ لَهُ، فَلَا يَكُونُ لَهُ وَلَدٌ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ اللَّهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ} [الإخلاص: 1] وَهُوَ السَّيِّدُ الَّذِي كَمُلَ فِي عِلْمِهِ وَحِكْمَتِهِ وَرَحْمَتِهِ، وَجَمِيعِ صِفَاتِهِ. {لَمْ يَلِدْ} [الإخلاص: 3] أَيْ: لَمْ يُوجَدْ مِنْهُ وَلَدٌ. {وَلَمْ يُولَدْ} [الإخلاص: 3] أَيْ: وَلَمْ يَتَوَلَّدْ عَنْ شَيْءٍ قَبْلَهُ. {وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ} [الإخلاص: 4] أَيْ: وَلَيْسَ لَهُ عِدْلٌ وَلَا مُكَافِئٌ وَلَا مُسَاوٍ، فَقَطَعَ النَّظِيرَ الْمُدَانِيَ وَالْأَعْلَى وَالْمُسَاوِيَ ; فَانْتَفَى أَنْ يَكُونَ لَهُ وَلَدٌ، إِذْ لَا يَكُونُ الْوَلَدُ إِلَّا مُتَوَلِّدًا بَيْنَ شَيْئَيْنِ مُتَعَادِلَيْنِ أَوْ مُتَقَارِبَيْنِ، وَتَعَالَى اللَّهُ عَنْ ذَلِكَ عُلُوًّا كَبِيرًا. وَقَالَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَتَقَدَّسَ: {يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَا تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلَا تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلَّا الْحَقَّ إِنَّمَا الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَسُولُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ وَلَا تَقُولُوا ثَلَاثَةٌ انْتَهُوا خَيْرًا لَكُمْ إِنَّمَا اللَّهُ إِلَهٌ وَاحِدٌ سُبْحَانَهُ أَنْ يَكُونَ لَهُ وَلَدٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَكَفَى بِاللَّهِ وَكِيلًا لَنْ يَسْتَنْكِفَ الْمَسِيحُ أَنْ يَكُونَ عَبْدًا لِلَّهِ وَلَا الْمَلَائِكَةُ الْمُقَرَّبُونَ وَمَنْ يَسْتَنْكِفْ عَنْ عِبَادَتِهِ وَيَسْتَكْبِرْ فَسَيَحْشُرُهُمْ إِلَيْهِ جَمِيعًا فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَيُوَفِّيهِمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدُهُمْ مِنْ فَضْلِهِ وَأَمَّا الَّذِينَ اسْتَنْكَفُوا وَاسْتَكْبَرُوا فَيُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَلَا يَجِدُونَ لَهُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا} [النساء: 171] [النِّسَاءِ: 171 - 173] .
পৃষ্ঠা - ৯৬৮
ষ্ষ্


৩ ’ ’ ৷ন্ )

ণ্ট্রি

১াটু ;ট্রু১

১ছুৰুন্শ্১ট্ট ৰু৷ ১ ৷ট্রুন্৷ চুএে ৷ ১ ১এ ১ন্ষ্ ণ্শুএ ১ ১ ১হ্ঠু
-হে কিতাবীগণ দীনের ব্যাপারে বাড়াব৷ ৷ড়ি করে নাও আল্লাহ সম্বন্ধে সত্য ব্যতীত বলো
ন৷ ৷ মারয়াম তনয় ঈসা মসীহ্ তো আল্লাহর রাসুল এবং ৩ ৷র রাণী, যা তিনি ৷মারয়ামের নিকট
প্রেরণ করেছিলেন ও তার আদেশ ৷ সুতরাং তোমরা আল্লাহ ও তার রাসুলে ঈমান আন এবং
বলো না তিন ৷ নিবৃত্ত হও, এটা তোমাদের জন্যে কল্যাণকর হবে ৷ আল্লাহ তাে একমাত্র ইলাহ;
তার সন্তান হবে-৩ তিনি এ থেকে পবিত্র ৷ আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই;
কর্মবিধানে আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ মসীহ আল্লাহর বান্দা হওয়তৃক কখনো হেয় জ্ঞান করে না এবং
ঘনিষ্ঠ ফেরেশতাগণও করে না ৷ এবং কেউ তার ইবাদতকে হেয় জ্ঞান করলে এবং অহংকার
করলে তিনি অবশ ৷ই তাদের সকলকে তার নিকট একত্র করবেন ৷ যারা ঈমান আসে ও সৎকার্য
করে তিনি তাদেরকে পুর্ণ পুরস্কার দান করবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশী দিবেন; কিন্তু
যায়া হেয় জ্ঞান করে ও অহংকার করে তাদেরকে৩ তিনি মর্যত্তুদ শাস্তি দান করবেন এবং আল্লাহ
ব্যতীত তাদের জন্যে তারা কো ন অভিতাবক ও সহায় পাবে না ৷ (৪ নিসা : ১৭১ ১ ৭৩)

আল্লাহ আহ্লে কিতাব ও তাদের অনুরুপ সম্প্রদায়কে ধর্মীয় বিষয়ে বাড়াবাড়ি ও অহ কার
প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন ৷ ধর্মে বাড়া বাড়ি অর্থ আকীদা বিশ্বাস ও ক্রিয়া কর্মে নির্ধারিত
সীমা লঙ্ঘন করা ৷ নাসারা বা খৃষ্ট ন সম্প্রদায় মাসীহ্-এর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি ও সীমা লঙ্ঘন
করেছে ৷ এ ক্ষেত্রে তাদের উচিত ছিল তাকে আল্লাহর বান্দ৷ ও রাসুল হিসেবে বিশ্বাস করা এবং
এই আকীদা পোষণ করা যে, তিনি আল্লাহর সতী বীদী কুমারী মারয়ামের সন্তান ৷ ফিরিশতা
জিবরাঈলকে আল্লাহ মারয়ামের নিকট প্রেরণ করেন ৷ তিনি আল্লাহর হকুম অনুযায়ী মারয়ামের
মধ্যে কুক দেন ৷ এই প্রক্রিয়ায় হযরত ঈসা (আ) মারয়ামের গর্ভে আসেন ৷ ফিরিশতার কুকে
মারয়ামের ভিতর যে জিনিসটি প্রবেশ করে, তা হল রুহুল্লাহ বা আল্লাহর রুহ্ ৷ এই রুহ্ আল্লাহর
কোন অংশ নয় বরং আল্লাহর সৃষ্টি বা মাখৃলুক ৷ অ ৷ল্লাহ্র দিকে রুহ্কে সম্পর্কিত করা ৷হয়েছে
সম্মানার্থে ও গুরুতৃ প্রকাশের উদ্দেশ্যে ৷ যেমন বলা হয়ে থাকে, রায়তৃল্লাহ্ (আল্লাহর ঘর)

কাতুল্লাহ (আ ল্লাহ্র উষ্টী) আবদুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা) ই৩ ৷৷দি ৷ অনুরুপ একই উদ্দেশে বলা
হয়েছে রুহুল্লাহ্ অর্থাৎ আল্লাহর রুহ ৷ বিনা পিতার জন্ম হওয়ায় হযরত ঈসাকে বলা হয়েছে
রুহল্লাহ্ ৷ তাকে কালেমাভুল্লাহ ব৷ আল্লাহর কলেমাও (বাণী) বলা হয় ৷ £কনন৷ আল্লাহর এক
কলেমার (বাণী) দ্বারাই তিনি অস্তিত্ব লাভ করেন ৷ যেমন আল্লাহ বলেছেন :

া!ন্শ্ শ্ ষ্হু

) ৷ন্




يَنْهَى تَعَالَى أَهْلَ الْكِتَابِ وَمَنْ شَابَهَهُمْ، عَنِ الْغُلُوِّ وَالْإِطْرَاءِ فِي الدِّينِ، وَهُوَ مُجَاوَزَةُ الْحَدِّ ; فَالنَّصَارَى - لَعَنَهُمُ اللَّهُ - غَلَوْا وَأَطْرَوُا الْمَسِيحَ حَتَّى جَاوَزُوا الْحَدَّ، فَكَانَ الْوَاجِبُ عَلَيْهِمْ أَنْ يَعْتَقِدُوا أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، وَابْنُ أَمَتِهِ الْعَذْرَاءِ الْبَتُولِ، الَّتِي أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا، فَبَعَثَ اللَّهُ الْمَلَكَ جِبْرِيلَ إِلَيْهَا، فَنَفَخَ فِيهَا عَنْ أَمْرِ اللَّهِ نَفْخَةً حَمَلَتْ مِنْهَا بِوَلَدِهَا عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَالَّذِي اتَّصَلَ بِهَا مِنَ الْمَلَكِ هِيَ الرُّوحُ الْمُضَافَةُ إِلَى اللَّهِ إِضَافَةَ تَشْرِيفٍ وَتَكْرِيمٍ، وَهِيَ مَخْلُوقَةٌ مِنْ مَخْلُوقَاتِ اللَّهِ تَعَالَى، كَمَا يُقَالُ: بَيْتُ اللَّهِ، وَنَاقَةُ اللَّهِ، وَعَبْدُ اللَّهِ، وَكَذَا: رُوحُ اللَّهِ، أُضِيفَتْ إِلَيْهِ تَشْرِيفًا لَهَا وَتَكْرِيمًا، وَسُمِّيَ عِيسَى بِهَا ; لِأَنَّهُ كَانَ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَبٍ، وَهِيَ الْكَلِمَةُ أَيْضًا الَّتِي عَنْهَا خُلِقَ، وَبِسَبَبِهَا وُجِدَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {إِنَّ مَثَلَ عِيسَى عِنْدَ اللَّهِ كَمَثَلِ آدَمَ خَلَقَهُ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ قَالَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ} [آل عمران: 59] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَقَالُوا اتَّخَذَ اللَّهُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ بَلْ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ كُلٌّ لَهُ قَانِتُونَ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَإِذَا قَضَى أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ} [البقرة: 116] [التَّوْبَةِ: 30] . فَأَخْبَرَ تَعَالَى أَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى، عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ، كُلٌّ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৯৬৯
ষ্ষ্


আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্ট৷ ম্ভ আদমের দৃষ্টান্ত সদৃশ ৷৩ তাকে বলেছিলেন, হও, ফলে সে হয়ে
গেল ৷ (৩ আলে ইমরান৪ ৫৯) ৷ অন্যত্র আল্লাহ বলেছেন০ : তারা বলে , আল্লাহ সন্তান গ্রহণ
করেছেন ৷ তিনি অতি পবিত্র ৷ বরং আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই ৷
সব কিছু ত ৷রই এক ম্ভ অনুগত ৷ আল্লাহ আকাশমওলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা ৷ এর ফলে তিনি কোন
কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন তার জন্য শুধু বলেন, হও আর তা হয়ে যায় ৷ (২ বাকারা
১ ১৬ ১ ১ ৭)

এখানে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ইয়াহুদীরা বলে, উযায়র আল্লাহর পুত্র এবং খৃষ্টানরা
বলে, মসীহ্ আল্লাহর পুত্র ৷ এটা তাদের মুখের কথা ৷ পুর্বে যারা কুফরী করেছিল এরা তাদের
মত কথা বলে ৷ আল্লাহ ওদেরকে ধ্বংস করুন ৷ তারা (কমন করে সত্য বিমুখ হয় ৷ ” (৯ তা ওরা
৪ ৩০) ৷ এখানে আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইয়াহুদী ও খৃষ্টান অভিশপ্ত উভয় দলই আল্লাহর
ব্যাপারে অন্যায় ও অযৌক্তিক দাবি করেছে এবং ধারণা করেছে যে আল্লাহর পুত্র সন্তান আছে ৷
অথচ তাদের এ দাবির বহু উরুর্ধ্ব আল্লাহর মর্যাদা ৷ আল্লাহ আরও জানিয়েছেন যে, তাদের এ
দাবি সম্পুর্ণ মনগড়া ৷ এদের পুর্ববর্তী পথভ্রষ্ট মানুষও এ জাতীয় মনগড়া উক্তি করেছে ৷ তাদের
সাথে এদের অম্ভরের মিল রয়েছে ৷ যেমন পথভ্রষ্ট গ্রীক দার্শনিকগণ বলেছেন, ওয়াজিবুল উজ্ব দে
ঈশ্বর বা আল্লাহ তাদের পরিভাষার আদি কারণ বা প্রথম অস্তিত্ব ৷া ০০ ৷ , ৰুা৷৷ ৷ ডা; )
( এ এ১৷ ৷ থেকে আকলে আউয়াল (বুদ্ধি সত্তা) প্রকাশ পায় ৷ অতঃপর আকলে আউয়াল থেকে
দ্বিতীয় অ কলে (বুদ্ধিমত্তা) প্রাণ (গ্রা০ৰুরু০) আকাশকক্ষপথ (;া৷ৰু ) সৃষ্টি হয় ৷ অত০পর দ্বিতীয়
আকল থেকে অনুরুপ৩ তিনটি সৃষ্টির উদ্ভব হয় ৷ এভাবে চলতে চলতে বুদ্ধিসত্তা ১০টি প্রাণ
(প্লেপ্ ) ৯টি এব০ আকাশকক্ষপথ ৯ টিতে গিয়ে শেষ হয়েছে ৷ এগুলোর প্রকৃত কটির যে সব
নাম ত রা উল্লেখ করেছে এবংত তাদের শক্তি ও ক্ষমত তার যে বর্ণনা দিয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা,
মনগড়া ও নেহাৎ ধারণা প্রসুত ৷ তাদের বক্তব্যের অসারতা, ভ্রষ্টত৷ ও যুর্থতা বর্ণনা করার স্থান
এটা নয় ৷ অনুরুপ আরবের কতিপয় মুশরিক গোত্র মুর্থতাবশত বিশ্বাস করত যে, ফিরিশতাগণ
আল্লাহর কন্যা ৷ তাদের মতে, আল্লাহ মর্যাদাবা ন জিন সর্দারদের জামাত৷ ৷ উভয়ের মাধ্যমে জন্ম
হয়েছে ফিরিশত ৷ ৷ এ সুত্রেই ফিরিশতাগণ আল্লাহর কন্যা অথচ আল্লাহ এ জাতীয় শির্ক থেকে
সম্পুর্ণ মুক্ত ও পবিত্র ৷
আল্লাহর বাণী :
তারা দয়াময় আল্লাহর বান্দ৷ ফিরিশতাদরকে নারী গণ্য করেছে; এদের সৃষ্টি কিত
প্রত্যক্ষ করেছিল? তাদের উক্তি লিপিবদ্ধ করা হবে এর০ তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে ৷ (৪৩
যুখরুফং : ১৯)

এ প্রসংগে অন্যত্র আল্লাহ বলেন : এখন তাদেরকে জিজ্ঞেস কর, তোমার প্ৰতিপালকের
জংন্যই কি রয়েছে কন্যা সন্তান এবং ওদের জন্যে পুত্র সন্তান? অথবা আমি কি ফিরিশতাদেরকে


الْفَرِيقَيْنِ ادَّعَوْا عَلَى اللَّهِ شَطَطًا، وَزَعَمُوا أَنَّ لَهُ وَلَدًا، تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُونَ عُلُوًّا كَبِيرًا، وَأَخْبَرَ أَنَّهُمْ لَيْسَ لَهُمْ مُسْتَنَدٌ فِيمَا زَعَمُوهُ، وَلَا فِيمَا ائْتَفَكُوهُ، إِلَّا مُجَرَّدُ الْقَوْلِ وَمُشَابَهَةُ مَنْ سَبَقَهُمْ إِلَى هَذِهِ الْمَقَالَةِ الضَّالَّةِ، تَشَابَهَتْ قُلُوبُهُمْ، وَذَلِكَ أَنَّ الْفَلَاسِفَةَ - عَلَيْهِمْ لَعْنَةُ اللَّهِ - زَعَمُوا أَنَّ الْعَقْلَ الْأَوَّلَ صَدَرَ عَنْ وَاجِبِ الْوُجُودِ، الَّذِي يُعَبِّرُونَ عَنْهُ بِعِلَّةِ الْعِلَلِ، وَالْمَبْدَأِ الْأَوَّلِ، وَأَنَّهُ صَدَرَ عَنِ الْعَقْلِ الْأَوَّلِ عَقْلٌ ثَانٍ، وَنَفْسٌ وَفَلَكٌ، ثُمَّ صَدَرَ عَنِ الثَّانِي كَذَلِكَ، حَتَّى تَنَاهَتِ الْعُقُولُ إِلَى عَشَرَةٍ، وَالنُّفُوسُ إِلَى تِسْعَةٍ، وَالْأَفْلَاكُ إِلَى تِسْعَةٍ، بِاعْتِبَارَاتٍ فَاسِدَةٍ ذَكَرُوهَا، وَاخْتِيَارَاتٍ بَارِدَةٍ أَوْرَدُوهَا، وَلِبَسْطِ الْكَلَامِ مَعَهُمْ، وَبَيَانِ جَهْلِهِمْ وَقِلَّةِ عَقْلِهِمْ، مَوْضِعٌ آخَرُ. وَهَكَذَا طَوَائِفُ مِنْ مُشْرِكِي الْعَرَبِ ; زَعَمُوا لِجَهْلِهِمْ أَنَّ الْمَلَائِكَةَ بَنَاتُ اللَّهِ، وَأَنَّهُ صَاهَرَ سَرَوَاتِ الْجِنِّ فَتَوَلَّدَ مِنْهُمَا الْمَلَائِكَةُ، تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُونَ، وَتَنَزَّهَ عَمَّا يُشْرِكُونَ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَجَعَلُوا الْمَلَائِكَةَ الَّذِينَ هُمْ عِبَادُ الرَّحْمَنِ إِنَاثًا أَشَهِدُوا خَلْقَهُمْ سَتُكْتَبُ شَهَادَتُهُمْ وَيُسْأَلُونَ} [الزخرف: 19] . وَقَالَ تَعَالَى: {فَاسْتَفْتِهِمْ أَلِرَبِّكَ الْبَنَاتُ وَلَهُمُ الْبَنُونَ أَمْ خَلَقْنَا الْمَلَائِكَةَ إِنَاثًا وَهُمْ شَاهِدُونَ أَلَا إِنَّهُمْ مِنْ إِفْكِهِمْ لَيَقُولُونَ وَلَدَ اللَّهُ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ أَصْطَفَى الْبَنَاتِ عَلَى الْبَنِينَ مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ أَمْ لَكُمْ سُلْطَانٌ مُبِينٌ فَأْتُوا بِكِتَابِكُمْ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ وَجَعَلُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا وَلَقَدْ عَلِمَتِ الْجِنَّةُ إِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ} [الصافات: 149] [الصَّافَّاتِ: 149 - 160] .
পৃষ্ঠা - ৯৭০
ষ্ষ্


নরীরুপে সৃষ্টি করেছিলাম আর তারা তা প্রত্যক্ষ করছিল? দেখ, ওরা তো মনগড়া কথা বলে
যে, আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন ৷ ওর নিশ্চয়ই মিথ্যারাদী ৷ তিনি কি পুত্র সন্তানের পরিবর্তে
কন্যা সন্তান পছন্দ করতেন : তোমাদের কী হয়েছে, তমর কিরুপ বিচার করঃত তবে কি
তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না তোমাদের কী সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণ আছে? তোমরা সত্যবদী
হলে তোমাদের কিতাব উপস্থিত কর ওরা আল্লাহ ও জিন জাতির মধ্যে আত্মীয়তর সম্পর্ক
স্থির করেছে, অথচ জিনেরা জানে তদেরকেও উপস্থিত করা হবে শাস্তির জন্যে ৷ ওরা যা বলে
তা থেকে আল্লাহ পবিত্র মহান ৷ আল্লাহর একনিষ্ঠ বড়ান্দগণ ব্যতীত ৷ ( ৩৭ আয়াত :
১ : ৯ ১৬০ )

অন্যত্র আল্লাহ বলেন : ওরা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন ৷ তিনি পবিত্র মহান !
তারা তো তার সম্মানিত বন্দা ৷ তারা আগে বেড়ে কথা বলে না; ওরা তো তার আদেশ
অনুসরেই কাজ করে থাকে ওদের সম্মুখে ও পশ্চা তে য কিছু আছে ত৩ তিনি অবগত তারা
সুপারিশ করে শুধু৩ তাদের জন্যে, যাদের প্ৰতি তিনি সন্তুষ্ট এবং তারা তার তার ভীত সন্ত্রম্ভ ৷
তাদের মধ্যে যে বলবে, আমিই ইলাহ তিনি ব্যতীত তাকে আমি প্ৰতিফল দিব জাহান্নড়াম ,
এভাবেই আমি জালিমদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি ৷ ( ২১ আন্বিয়া : ২৬ ২৯)

মকী সুরা কাহ্ফের শুরুতে আল্লাহ বলেন : “ ৎসা আল্লাহরই যিনি তার বন্দার প্রতি

এই কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং এতে তিনি বক্রতা রাখেন নি ৷ একে করেছেন সুপ্ৰতিষ্ঠিত

র্ত তার কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করার জন্যে এবং মৃমিনগণ, যারা সৎকর্ম করে , তাদেরকে এই

সুসং বাদ দেবা র জন্যে যে, তাদের জন্যে আছে উত্তম পুরস্কার, যাতে তা রা হবে চিরস্থায়ী ৷ এবং

সতর্ক করার জন্যে তাদেরকে যারা বলে যে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন ৷ এ বিষয়ে ওদের

কোন জ্ঞান নেই এবং ওদের পি৩ তপুরুষদেরও ছিল না ৷ ওদের মুখ নি ৪সৃত বাক্য কী সাংঘাতিক
ওরা তো কেবল মিশ্ধ্যাই বলে ৷ (১৮ কা হ্ফ৪ ১ ৫ )

অন্যত্র আল্লাহ বলেন : তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন ৷ তিনি মহান, পবিত্র ৷
তিনি অতবমুক্ত আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে,৩ তারই ৷ এ বিষয়ে তোমাদের
নিকট কোন সনদ নেই ওে মরা কি আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলছ যে বিষয়ে তোমাদের
কোন জ্ঞান বেইঃ বল, যারা আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করবে তারা সফলকম হবে না
পৃথিবীতে ওদের জন্যে আছে কিছু সুখ সস্তোগ; পরে আমারই নিকট ওদের প্রত্যাবর্তন ৷ আর
কুফরীর কারণে ওদেরকে আমি কঠোর শান্তির আস্বাদ গ্রহণ করার (১০ য়ুনুস০ : ৬৮ ৭০ )

কুরআন মজীদের উপরোক্ত মক্কী আয়তগুলােতে ইহুদী খৃষ্টন, মুশরিক ও দর্শনিকদের
সমস্ত দল-উপদলের মতামতের খণ্ডন করা হয়েছে যারা অজ্ঞতাবশত , বিশ্বাস করে ও দাবি করে
যে, আল্লাহ্র সন্তান আছে ৷ এসব জালিমদের সীমালংঘনমুলক উক্তি থেকে আল্লাহ পবিত্র ও
মহান

এ জঘন্য উক্তি উচ্চরণকরীদের মধ্যে সবচাইতে প্রসিদ্ধ দল হল খ্রিষ্টান সম্প্রদায় ৷ এ
কারণে কুরআন মজীদে তাদের খণ্ডন করা হয়েছে সবচাইতে বেশী তাদের স্ব বিরােধী উক্তি,
অজ্ঞতা ও জ্ঞানের দৈন্যের কথা বিশদভবে আলোচনা করা হয়েছে তাদের এই কুফরী উক্তির


وَقَالَ تَعَالَى: {وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَنُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ بَلْ عِبَادٌ مُكْرَمُونَ لَا يَسْبِقُونَهُ بِالْقَوْلِ وَهُمْ بِأَمْرِهِ يَعْمَلُونَ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَشْفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ارْتَضَى وَهُمْ مِنْ خَشْيَتِهِ مُشْفِقُونَ وَمَنْ يَقُلْ مِنْهُمْ إِنِّي إِلَهٌ مِنْ دُونِهِ فَذَلِكَ نَجْزِيهِ جَهَنَّمَ كَذَلِكَ نَجْزِي الظَّالِمِينَ} [الأنبياء: 26] [الْكَهْفِ: 1 - 5] . وَقَالَ تَعَالَى: {قَالُوا اتَّخَذَ اللَّهُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ هُوَ الْغَنِيُّ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ إِنْ عِنْدَكُمْ مِنْ سُلْطَانٍ بِهَذَا أَتَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ قُلْ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ لَا يُفْلِحُونَ مَتَاعٌ فِي الدُّنْيَا ثُمَّ إِلَيْنَا مَرْجِعُهُمْ ثُمَّ نُذِيقُهُمُ الْعَذَابَ الشَّدِيدَ بِمَا كَانُوا يَكْفُرُونَ} [يونس: 68] [يُونُسَ: 68 - 70] . فَهَذِهِ الْآيَاتُ الْمَكِّيَاتُ الْكَرِيمَاتُ تَشْمَلُ الرَّدَّ عَلَى سَائِرِ فِرَقِ الْكَفَرَةِ ; مِنَ الْفَلَاسِفَةِ وَمُشْرِكِي الْعَرَبِ وَالْيَهُودِ وَالنَّصَارَى، الَّذِينَ ادَّعَوْا وَزَعَمُوا بِلَا عِلْمٍ، أَنَّ لِلَّهِ وَلَدًا، سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يَقُولُ الظَّالِمُونَ الْمُعْتَدُونَ عُلُوًّا كَبِيرًا. وَلَمَّا كَانَتِ النَّصَارَى، عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ الْمُتَتَابِعَةُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، مِنْ أَشْهَرِ
পৃষ্ঠা - ৯৭১
ষ্ষ্


মধ্যে আবার বিভিন্ন দল উপদলের সৃষ্টি হয়েছে ৷ আর এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক ৷ কেননা,
বাতিল পন্থীরা নানা দলাদলি, মত বিরোধ ও স্ব-বিরােধিত ৷র শিকার হয়েই থাকে ৷ পক্ষান্তয়ে
হক এর মধ্যে কে ন স্ব-বিরোধ থাকে না ৷ আল্লাহ তাআল৷ বলেন :

ট্রু,০ ঠু,াওর্দু,ট্রু
এ যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও পক্ষ থেকে হত, তবে তারা তাতে অনেক অসং গতি
পেত ৷ (৪ নিসাং : ৮২)

এ থেকে বুঝা গেল, যা হক ও সত্য, তা অভিন্ন ও অপরিবর্তিত থাকে এবং যা বাতিল ও
অসত্য তা বিকৃত ও অঙ্গতিপুর্ণ হয় ৷ এ কারণে পথভ্রষ্ট ও অভিশপ্ত খ্রিস্টানদের একদল বলছে
যে, মাসীহ্-ই আল্লাহ; অন্য দল বলছে, মসীহ৷ অ ৷ল্লাহ্র পুত্র; তৃতীয় আর একদল বলছে, আল্লাহ
হলেন৩ তিন জনের তভীয় জন ৷ সুরা আল মাযিদায় আল্লাহর বানী০ : “যারা বলে, মারয়াম তনয়
মসীহ্-ই আল্লাহ, তারা তো কুফরী করেছেই ৷ বল, আল্লাহ মারয়াম তনয় মসীহ্, তার মতো
এবং দুনিয়ার সকলকে যদি ধ্বংস করতে ইচ্ছা করেন তবে তাকে বা ধ ৷দিবার শক্তি কার আছে?
আসমান ও যমীনের এবং ওগুলোর মধ্যে যা ’কিছু আছে তার সার্বতৌমতু আল্লাহরই ৷ তিনি যা
ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবংঅ অ ৷ল্লাহ সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান ৷” (৫ মায়িদাং : ১ ৭)

এ আয়াতে আল্লাহ খ্রিস্টানদের কুফরী ও অজ্ঞতার কথা প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছেন যে ,
তিনিই সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও নিয়ন্ত্রণকারী, সব কিছুর উপর ইচ্ছামত ক্ষমতা প্রয়োপকারী , সব
কিছুর প্রভু ও পালনকারী এবং তিনি সব কিছুর রাজাধিরড়াজ ও উপাস্য ৷ উক্ত সুরার শেষ দিকে
আল্লাহ বলেন, “যারা বলে, আল্লাহ-ই মারয়াম তনয় মসীহ্, তার৷ তো কুফরী করেছেই অথচ
মসীহ্ বলেছিল, হে বনী ইসরাঈল, তোমরা আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালক
আল্লাহর ইবাদত কর ৷ কেউ আল্লাহর শরীক সাব্যস্ত করলে আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত নিষিদ্ধ
করবেন ও তার আবাস জাহান্নাম; জালিমদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই ৷

যারা বলে, আল্লাহ তো তিনের মধ্যে একজন, তারা তো কুফরী করেছেই, যদিও এক ইলাহ্
ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই ৷ তারা যা বলে তা হতে নিবৃত্ত না হলে, তাদের মধ্যে যারা
কুফরী করেছে৩ তাদের উপর অবশ্যই মর্মত্তুদ শাস্তি আপতি ত হবেই ৷ তবে কি তারা আল্লাহর
দিকে প্রত্যাবর্তন করবে না ও তার নিকট ক্ষমা ৷প্রার্থন৷ করবে না? আল্লাহ ওে ৷ ক্ষমাশীল, পরম
দয়ালু ৷ মারয়াম তনয় মসীহ্ তো কেবল একজন রাসুল! তার পুর্বে বহু রাসুল গত হয়েছে এবং
তার মাত৷ ৷সত্যনিষ্ঠ ছিল ৷ তারা উতয়ে খাদ্য গ্রহণ করত ৷ দেখ, আমি ওদের জন্যে আয়াত
সমুহ কিরুপ বিশদভাবে বর্ণনা করি; আরও দেখ, ওরা কিভা ৷বে সত্যবিযুখ হয় ৷ (৫ মাযিদাং :
৭২ ৭৫) ৷

উপরোক্ত আয়াত সমুহে আল্লাহ দ্ব্যর্থহীন ভাবে খ্রিস্টানদের কুফরীর কথা জানিয়ে বলে
দিয়েছেন যে, তারা তাদের নবী ঈস৷ (আ)-কে আল্লাহর পুত্র বলে, অথচ সেই ঈসাই তাদেরকে
সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি আল্লাহর সৃষ্ট, আল্লাহ-ই তাকে প্রতিপালন করেছেন
এবং মায়ের গর্ভে তাকে আকৃতি দান করেছেন ৷ তিনি এক ও অদ্বিভীয় আল্লাহর ইবাদতের


مَنْ قَالَ بِهَذِهِ الْمَقَالَةِ، ذُكِرُوا فِي الْقُرْآنِ كَثِيرًا ; لِلرَّدِّ عَلَيْهِمْ وَبَيَانِ تَنَاقُضِهِمْ، وَقِلَّةِ عِلْمِهِمْ، وَكَثْرَةِ جَهْلِهِمْ، وَقَدْ تَنَوَّعَتْ أَقْوَالُهُمْ فِي كُفْرِهِمْ ; وَذَلِكَ أَنَّ الْبَاطِلَ كَثِيرُ التَّشَعُّبِ وَالِاخْتِلَافِ وَالتَّنَاقُضِ، وَأَمَّا الْحَقُّ فَلَا يَخْتَلِفُ وَلَا يَضْطَرِبُ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا} [النساء: 82] . فَدَلَّ عَلَى أَنَّ الْحَقَّ يَتَّحِدُ وَيَتَّفِقُ، وَالْبَاطِلَ يَخْتَلِفُ وَيَضْطَرِبُ. فَطَائِفَةٌ مِنْ ضُلَّالِهِمْ وَجُهَّالِهِمْ زَعَمُوا أَنَّ الْمَسِيحَ هُوَ اللَّهُ. تَعَالَى اللَّهُ، وَطَائِفَةٌ قَالُوا: هُوَ ابْنُ اللَّهِ، عَزَّ اللَّهُ. وَطَائِفَةٌ قَالُوا: هُوَ ثَالِثُ ثَلَاثَةٍ. جَلَّ اللَّهُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي أَوَّلِ سُورَةِ " الْمَائِدَةِ ": {لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ قُلْ فَمَنْ يَمْلِكُ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا إِنْ أَرَادَ أَنْ يُهْلِكَ الْمَسِيحَ ابْنَ مَرْيَمَ وَأُمَّهُ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا وَلِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ} [المائدة: 17] . فَأَخْبَرَ تَعَالَى عَنْ كُفْرِهِمْ وَجَهْلِهِمْ، وَبَيَّنَ أَنَّهُ الْخَالِقُ الْقَادِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ، الْمُتَصَرِّفُ فِي كُلِّ شَيْءٍ وَأَنَّهُ رَبُّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكُهُ وَإِلَهُهُ. وَقَالَ فِي أَوَاخِرِهَا: {لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ وَقَالَ الْمَسِيحُ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اعْبُدُوا اللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ ثَالِثُ ثَلَاثَةٍ وَمَا مِنْ إِلَهٍ إِلَّا إِلَهٌ وَاحِدٌ وَإِنْ لَمْ يَنْتَهُوا عَمَّا يَقُولُونَ لَيَمَسَّنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ أَفَلَا يَتُوبُونَ إِلَى اللَّهِ وَيَسْتَغْفِرُونَهُ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ مَا الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ وَأُمُّهُ صِدِّيقَةٌ كَانَا يَأْكُلَانِ الطَّعَامَ انْظُرْ كَيْفَ نُبَيِّنُ لَهُمُ الْآيَاتِ ثُمَّ انْظُرْ أَنَّى يُؤْفَكُونَ} [المائدة: 72] [الْمَائِدَةِ: 72 - 75] .
পৃষ্ঠা - ৯৭২
ষ্ষ্


দিকে মানুষকে আহ্বান করেছেন এবং এর বিরুদ্ধকারীদেরকে পরকালের শাস্তি , লাঞ্চুনা, ব্যর্থতা
ও জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শন করেছেন ৷ আল্লাহর বাণী : “নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে
অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার বাসস্থান হয়
জাহান্নাম ৷ অতাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই ৷” এরপর বলেছেন : “নিশ্চয় তারা কাফির,
যারা বলে : আল্লাহ তিনের এক; অথচ এক উপাস্য ছাড়া কোন উপাস্য নেই ৷”

ইবন জারীর প্রমুখ বলেছেন, “আল্লাহ তিনের এক” এ কথা দ্বারা খ্রিস্টানদের ত্রিত্বাদের
কথা বলা হয়েছে ৷ কেননা তারা তিন সভায় বিশ্বাসী ৷ যথা : পিতার সত্তা, পুত্রের সত্তা এবং
কলেম৷ বা বাণীর সত্তা যা পিতার থেকে পুত্রের নিকট অবতরণ করে ৷ এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে
মতবিরোধ হয়েও তিনটি উপদলের সৃষ্টি হয় যথা০ ং মালিকিয়্যা, ইয়া’ কুৰিয়্যা ও নাসতৃরিয়া৷ ৷
পরবর্তীতে আমরা তাদের মতবিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ৷ খ্রিস্টানদের মধ্যে এই
ত্রিতুবাদের জন্ম হয় মসীহ্ এর তিন শ বছর পরে এবং শেষ নবীর আগমনের তিন শ’ বছর
পুর্বে সম্রাট কনষ্টানটাইন ইবন কুসতুস এর আমলে ৷ এ কারণে আল্লাহ বলেছেন : “এক উপাস্য
ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই ৷” অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কোন প্রভু নেই ৷ তিনি একক ৷ তবে
কোন শরীক নেই ৷ তার কোন সদৃশ নেই ৷ তার সমতুল্য কেউ নেই ৷ তার শ্রী নেই, সন্তান
নেই ৷

এরপর তাদেরকে সাবধান ও সতর্ক করে আল্লাহ বলেন “তারা যদি তাদের এসব কথা
তবিরত না হয় তবে তাদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে৩ তাদেরকে কঠিন যস্ত্রণাদায়ক শাস্তি
দান করা হবে ৷ অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে তার নিজ করুণাবশে এসব জঘন্য বিষয় থেকে
তওবা ও ইসৃতিপফারের দিকে আহ্বান করে বলেছেন, “তারা কি আল্লাহ্র নিকট তওবা করবে
ণ্া৷,তার নিকট ক্ষমা চাইবে না? বস্তুত আল্লাহ বড় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷” এরপরে আল্লাহ
হযরত ঈস৷ ও তার মায়ের অবস্থা বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন যে, মসীহ্ কেবল আল্লাহর
বান্দা ও রাসুল এবং তার মা একজন পবিত্র ও সত ৷নিষ্ঠ মহিলা, পাপাচারিণী নন ৷ অথচ
অভিশপ্ত ইয়াহুদীরা তার উপর ঐরুপ অপবাদ দিয়ে থাকে ৷ এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে,
মরায়াম নবী ছিলেন না ৷ যেমনটি আমাদের একদল আলিম ধারণা করেছেন ৷ “তারা উভয়েই
খাদ্য গ্রহণ করত” এ কথা দ্বারা ইং গত করা হয়েছে যে , অন্যদের মত তাদেরও
পেশাব-পায়খানার প্রয়োজন হতো ৷ এমতাবস্থায় তারা ইলাহ্ হন কীরুপে? আল্লাহ তাদের এ
মুর্থতাব্যঞ্জক উক্তি থেকে মুক্ত ও পবিত্র ৷ সুদ্দী প্রমুখ আলিমগণ বলেছেন, আল্লাহর বাণী ং “
নিশ্চয়ত ৷রা কাফির, যারা বলেং আল্লাহ তিন জনের একজন ৷” এখানে ঈস৷ ও তার মাকে
সম্পর্কে থ্রিষ্টানদের বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে ৷ তারা ঈস৷ ও তার মা ইলাহ্ বলত যেমন
ইলাহ্ বলত আল্লাহ্কে ৷ এই সুরার শেষ দিকে আল্লাহ তাদের এ বিশ্বাসের কথা উল্লেখ
করেছেন ৷ আল্লাহর বাণী :

০ )



আল-বিদায়া ওয়ান নিহড়ায়া (২য় খণ্ড) ১৯-

حَكَمَ تَعَالَى بِكُفْرِهِمْ شَرْعًا وَقَدَرًا، وَأَخْبَرَ أَنَّ هَذَا صَدَرَ مِنْهُمْ، مَعَ أَنَّ الرَّسُولَ إِلَيْهِمْ، وَهُوَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، قَدْ بَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ عَبْدٌ مَرْبُوبٌ مَخْلُوقٌ، مُصَوَّرٌ فِي الرَّحِمِ، دَاعٍ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَتَوَعَّدَهُمْ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ بِالنَّارِ، وَعَدَمِ الْفَوْزِ بِدَارِ الْقَرَارِ، وَالْخِزْيِ فِي الدَّارِ الْآخِرَةِ، وَالْهَوَانِ وَالْعَارِ، وَلِهَذَا قَالَ: {إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ} [المائدة: 72] ثُمَّ قَالَ: {لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ ثَالِثُ ثَلَاثَةٍ وَمَا مِنْ إِلَهٍ إِلَّا إِلَهٌ وَاحِدٌ} [المائدة: 73] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ: الْمُرَادُ بِذَلِكَ قَوْلُهُمْ بِالْأَقَانِيمِ الثَّلَاثَةِ: أُقْنُومُ الْأَبِ، وَأُقْنُومُ الِابْنِ، وَأُقْنُومُ الْكَلِمَةِ الْمُنْبَثِقَةِ مِنَ الْأَبِ إِلَى الِابْنِ، عَلَى اخْتِلَافِهِمْ فِي ذَلِكَ مَا بَيْنَ الْمَلَكِيَّةِ وَالْيَعْقُوبِيَّةِ وَالنَّسْطُورِيَّةِ، عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ، كَمَا سَنُبَيِّنُ كَيْفِيَّةَ اخْتِلَافِهِمْ فِي ذَلِكَ، وَمَجَامِعَهُمُ الثَّلَاثَةَ فِي زَمَنِ قُسْطَنْطِينَ بْنِ قَسْطَسَ، وَذَلِكَ بَعْدَ الْمَسِيحِ بِثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ، وَقَبْلَ الْبَعْثَةِ الْمُحَمَّدِيَّةِ بِثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ، وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {وَمَا مِنْ إِلَهٍ إِلَّا إِلَهٌ وَاحِدٌ} [المائدة: 73] أَيْ: وَمَا مِنْ إِلَهٍ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَلَا نَظِيرَ لَهُ، وَلَا كُفْءَ لَهُ، وَلَا
পৃষ্ঠা - ৯৭৩
ষ্ষ্







আল্লাহ যখন বলবেন, হে মারয়াম তনয় ঈসাৰু তুমি কি ৷:লকদেরকে বলেছিলে যে

তে ৩ামরা আল্লাহ ব্যতীত আমাকে ও আমার মাকে ইলাহরুপে গ্রহণ করা সে বলবে, ভুমিই
মহিমাম্বিত! যা বলা র অধিকার আমার নেই তা বলা আমার পক্ষে শোভন নয় ৷ যদি আমিওা
বলতাম, তবে নিশ্চয়ই তুমি তা জানতে ৷ আমার অম্ভরে যা আছে তা’ ৫৩ ৷ তুমি অবগত আছ

কিন্তু তোমার অন্তরে কী আছে, আমি তা’ অবগত নই; তুমি তো অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক
পরিজ্ঞাত ৷ তুমি আমাকে যে আদেশ করেছ তা’ ব্যতীত তাদেরকে আমি কিছুই বলিনি ; তা এই :
তোমরা আমার ও তোমাদের প্রতিপালক আল্পাহ্র ইবাদত কর; এবং যতদিন আমি তাদের
মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি ছিলাম তাদের কার্যকলাপের সা ৷ক্ষী; কিন্তু যখন তুমি আমাকে তুলে
নিলে তখন ভুমি ইণ্ তা ছিতুল তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক এবং তুমিই সর্ববিষয়ে সাক্ষী ৷

তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও তবে তারা তো তােমারই ৰান্দা, আর যদি তাদেরকে ক্ষমা কর
তবে তুমি তাে পরাত্রুমশা লী , প্ৰজ্ঞাময় ৷ (৫ মায়িদা : ১ ১৬ ১ ১৮ )

এখানে আল্লাহ ভবিষ্যতের সংবাদ দিয়েছেন যে , কিয়ামতের দিন আল্লাহ হযরত ঈসা
(আ)-কে তার উম্মত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন ৷ তার উম্মতের মধ্যে যারা তাকে আল্লাহর পুত্র
অথবা আল্লাহ্র শরীক কিৎব৷ তাকেই আল্লাহ বলে বিশ্বাস করতো এবং ঈসাই তাদেরকে এ
বিশ্বাস করতে বলেছেন বলে তার উপর মিথ্যা আরোপ করেছে তাদের ব্যাপারে এই
জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷ আল্লাহ তো ভালরুপেই জানেন যে, ঈসা এরুপ কথা আদৌ বলেন নি
তবুও তাকে জিজ্ঞেস করবেন তার সত্যতা প্রকাশ ও মিথ্যা আরোপকারীদের মুখােশ উন্যোচন
করার উদ্দেশ্যে ৷ আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করবেন : “হে ঈসা ইবন মারয়াম! তুমি কি
ণ্লাকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে , আল্লাহ্কে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাকে উপাস্য সাব্যস্ত কর?
ঈসা (আ) বলবেন, “আপনি পবিত্র অর্থাৎ আপনি সকল শরীফের উধের্ব ৷ “আমার জানা
শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা’ বলার কোন অধিকার আমার সেই ৷ অর্থাৎ
আপনি ব্যতীত এ কথা বলার অধিকার অন্য কারও নেই ৷ ” যদি আমি বলে থাকি তবে আপনি
অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনে যা আছে জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার
মনে আছে ৷ নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞা৩ ৷”

হযরত ঈসা (আ) এ জবাবে আদবের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন : আমি তো তাদেরকে
কিছুই বলিনি, শুধু যে কথাই বলেছি যা আপনি বলতে আদেশ করেছিলেন ৷ অর্থাৎ যখন
আমাকে রাসুলরুপে প্রেরণ করেন এবং আমাকে কিতাব দান করেন যা তাঃদ্যাকে আমি পড়ে


صَاحِبَةَ لَهُ وَلَا وَلَدَ، ثُمَّ تَوَعَدَهُمْ وَتَهَدَّدَهُمْ فَقَالَ: {وَإِنْ لَمْ يَنْتَهُوا عَمَّا يَقُولُونَ لَيَمَسَّنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ} [المائدة: 73] ثُمَّ دَعَاهُمْ بِرَحْمَتِهِ وَلُطْفِهِ إِلَى التَّوْبَةِ وَالِاسْتِغْفَارِ مِنْ هَذِهِ الْأُمُورِ الْكِبَارِ، وَالْعَظَائِمِ الَّتِي تُوجِبُ النَّارَ، فَقَالَ: {أَفَلَا يَتُوبُونَ إِلَى اللَّهِ وَيَسْتَغْفِرُونَهُ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [المائدة: 74] ثُمَّ بَيَّنَ حَالَ الْمَسِيحِ وَأُمِّهِ، وَأَنَّهُ عَبْدٌ رَسُولٌ، وَأُمُّهُ صِدِّيقَةٌ، أَيْ لَيْسَتْ بِفَاجِرَةٍ، كَمَا يَقُولُهُ الْيَهُودُ، لَعَنَهُمُ اللَّهُ. وَفِيهِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهَا لَيْسَتْ بِنَبِيَّةٍ، كَمَا زَعَمَهُ طَائِفَةٌ مِنْ عُلَمَائِنَا. وَقَوْلُهُ: {كَانَا يَأْكُلَانِ الطَّعَامَ} [المائدة: 75] كِنَايَةٌ عَنْ خُرُوجِهِ مِنْهُمَا، كَمَا يَخْرُجُ مِنْ غَيْرِهِمَا، أَيْ: وَمَنْ كَانَ بِهَذِهِ الْمَثَابَةِ، كَيْفَ يَكُونُ إِلَهًا؟! تَعَالَى اللَّهُ عَنْ قَوْلِهِمْ وَجَهْلِهِمْ عُلُوًّا كَبِيرًا. وَقَالَ السُّدِّيُّ وَغَيْرُهُ: الْمُرَادُ بِقَوْلِهِ: {لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ ثَالِثُ ثَلَاثَةٍ} [المائدة: 73] زَعْمُهُمْ فِي عِيسَى وَأُمِّهِ أَنَّهُمَا إِلَهَانِ مَعَ اللَّهِ ; يَعْنِي كَمَا بَيَّنَ تَعَالَى كُفْرَهُمْ فِي ذَلِكَ بِقَوْلِهِ فِي آخِرِ هَذِهِ السُّورَةِ الْكَرِيمَةِ: {وَإِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَءَأَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَهَيْنِ مِنْ دُونِ اللَّهِ قَالَ سُبْحَانَكَ مَا يَكُونُ لِي أَنْ أَقُولَ مَا لَيْسَ لِي بِحَقٍّ إِنْ كُنْتُ قُلْتُهُ فَقَدْ عَلِمْتَهُ تَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِي وَلَا أَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِكَ إِنَّكَ أَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ مَا قُلْتُ لَهُمْ إِلَّا مَا أَمَرْتَنِي بِهِ أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 116] [الْمَائِدَةِ: 116 - 118] .
পৃষ্ঠা - ৯৭৪
ষ্ষ্


শুন ই ৷ অ৩ তঃপর তিনি তাদেরকে যা বলেছিলেন তা ব্যাখ্যা করে রলেন০ “তোমরা আল্লাহর
দাসতু অবলম্বন কর, যিনি আমার ও তোমাদের পালনকর্তা’ ৷ ’অখাৎ যিনি আমারও সৃষ্টিকর্তা
তােমাদেরও সৃষ্টিকর্তা এবং যিনি আমারও রিযিকদাতা, তােমাদেরও রিযিকদাত৷ ৷ “আমি তাদের
সম্পর্কে অবগত ছিলাম যতদিন তাদের মধ্যে ছিলাম ৷” “অতঃপর যখন আপনি আমাকে তুলে
নিলেন ৷” অর্থাৎ তারা যখন আমাকে হত্যার ও শুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করে, তখন দয়া পররশ
হয়ে আপনি আমাকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে আপনার নিকট তুলে নেন এবং তাদের
একজনের চেহারাকে আমার চেহ ৷রায় পরিবর্তন করে দেন, ফলে তারা তার উপর আক্রমণ করে
ও নিজেদের জিঘাৎস৷ চরি৩ার্থ করে ৷ এ অবস্থা হওয়ার পরে “আপনিই তাদের সম্পর্কে অবগত
রয়েছেন ৷ আপনি সর্ববিযয়ে পুর্ণ পরিজ্ঞাত ৷” এরপর হযরত ঈস৷ তার অনুসারী নাসারা বা
থ্রিষ্ট৷ ৷নদের থেকে নিজের সম্পর্ক ছিন্ন করে৩াদের ব্যাপারটি আল্লাহ্র নিকট সোপর্দ করে বলেন
“ যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন তবে তারা আপনার দাস ৷” অর্থাৎ তারা যে শাস্তির
উপযুক্ত ৷ আর যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন, তবে আপনিই পরাক্রাম্ভ , মহাবিজ্ঞ ৷” ক্ষমা
করার ব্যাপারে আল্লাহর ইচ্ছার উপর সোপর্দ করার অর্থ এই নয় যে, বাস্তবেও তাদেরকে ক্ষমা
করা হবে ৷ এ জন্যেই এখানে আল্লাহ্র ণ্ডণাবলীর মধ্য থেকে পাফুরুর রাহীম (ক্ষমাশীল , দয়াল্যু
না বলে আযীযুন হাকীম (মহা পরাক্রমশালী প্ৰজ্ঞাময়) বলা হয়েছে ৷

তাফসীর কি৩াবে আমরা ইমাম আহমদের বর্ণিত হযরত আবু যর (রা)-এর হাদীস উল্লেখ
করেছি-যা তেতিনি বলেছেন, এক রাত্রে রাসুলুল্লাহ (সা ) স ৷লাতে দাড়িয়ে সকাল পর্যন্ত নিম্নের
আয়াতটি তিলাওয়াত করতে থাকেন :

’ :


“ আপনি যদি তাদেরকে শাস্তি দেন তবে তারা তো আপনারই দাস; আর যদি তাদেরকে
ক্ষমা করেন তবে আপনি মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন ৷ আমি
আল্লাহর নিকট আমার উম্মতের জন্যে শাফাআত প্রার্থনা করলে তিনি আমাকে তা দান করেন ৷
আল্লাহ চাহে (তা মুশরিক রাতী৩ অনা৷ন৷ পাপী রস্পোর৷ তা লাভ করবে ৷ এরপর তিনি
নিম্নলিখিত আয়াতসমুহ পাঠ করেন :




ঞা (র্চু fl”


এ ¥’ ৷ এ

¢ fl fl :

ণ্ এ,,;এস্র৷ ’ ৷রু৷ ৷এ এ৷ ৷
“আকাশ ৷ও পৃথিবী এবং যা কিছু ওগুলোর অন্তর্বর্তী তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি ৷
মি যদি ক্রীড়ার উপকরণ চাইতাম৩ আর আমি আমার নিকট য৷ আছে৩ তা নিয়েই তা করতড়াম;


يُخْبِرُ تَعَالَى أَنَّهُ يَسْأَلُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، عَلَى سَبِيلِ الْإِكْرَامِ لَهُ وَالتَّقْرِيعِ وَالتَّوْبِيخِ لِعَابِدِيهِ، مِمَّنْ كَذَبَ عَلَيْهِ وَافْتَرَى وَزَعَمَ أَنَّهُ ابْنُ اللَّهِ، أَوْ أَنَّهُ اللَّهُ، أَوْ أَنَّهُ شَرِيكُهُ، تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُونَ، فَيَسْأَلُهُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ مِنْهُ مَا يَسْأَلُهُ عَنْهُ، وَلَكِنْ لِتَوْبِيخِ مَنْ كَذَبَ عَلَيْهِ، فَيَقُولُ لَهُ: {ءَأَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَهَيْنِ مِنْ دُونِ اللَّهِ قَالَ سُبْحَانَكَ} [المائدة: 116] أَيْ: تَعَالَيْتَ أَنْ يَكُونَ مَعَكَ شَرِيكٌ. {مَا يَكُونُ لِي أَنْ أَقُولَ مَا لَيْسَ لِي بِحَقٍّ} [المائدة: 116] أَيْ: لَيْسَ هَذَا يَسْتَحِقُّهُ أَحَدٌ سِوَاكَ. {إِنْ كُنْتُ قُلْتُهُ فَقَدْ عَلِمْتَهُ تَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِي وَلَا أَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِكَ إِنَّكَ أَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ} [المائدة: 116] وَهَذَا تَأَدُّبٌ عَظِيمٌ فِي الْخِطَابِ وَالْجَوَابِ. {مَا قُلْتُ لَهُمْ إِلَّا مَا أَمَرْتَنِي بِهِ} [المائدة: 117] حِينَ أَرْسَلْتَنِي إِلَيْهِمْ، وَأَنْزَلْتَ عَلَيَّ الْكِتَابَ الَّذِي كَانَ يُتْلَى عَلَيْهِمْ، ثُمَّ فَسَّرَ مَا قَالَ لَهُمْ بِقَوْلِهِ: {أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ} [المائدة: 117] أَيْ خَالِقِي وَخَالِقُكُمْ، وَرَازِقِي وَرَازِقُكُمْ. {وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي} [المائدة: 117] أَيْ: رَفَعْتَنِي إِلَيْكَ حِينَ أَرَادُوا قَتْلِي وَصَلْبِي، فَرَحِمْتَنِي وَخَلَّصْتَنِي مِنْهُمْ، وَأَلْقَيْتَ شَبَهِي عَلَى أَحَدِهِمْ، حَتَّى انْتَقَمُوا مِنْهُ، فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ. {كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ} [المائدة: 117] ثُمَّ قَالَ عَلَى وَجْهِ التَّفْوِيضِ إِلَى الرَّبِّ، عَزَّ وَجَلَّ، وَالتَّبَرِّي مِنْ أَهْلِ النَّصْرَانِيَّةِ: {إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ} [المائدة: 118] أَيْ: وَهُمْ يَسْتَحِقُّونَ ذَلِكَ. {وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 118] ، وَهَذَا التَّفْوِيضُ وَالْإِسْنَادُ إِلَى الْمَشِيئَةِ بِالشَّرْطِ، لَا يَقْتَضِي وُقُوعَ ذَلِكَ، وَلِهَذَا قَالَ: {فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 118]
পৃষ্ঠা - ৯৭৫
ষ্ষ্


আমি তা করিনি ৷ কিন্তু আমি সত্য দ্বারা আঘাত হানি মিথ্যার উপর, ফলে তা মিথ্যাকে
চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয় এবং তৎক্ষণাৎ মিথ্যা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ৷ দুর্ভেম্পো তোমাদের তোমরা যা
বলছ তার জন্যে ! আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা তারই ৷ তার সান্নিধ্যে যারা আছে
তারা অহংকারবশে তার ইবাদত করা হতে বিমুখ হয় না এবং শ্রান্তিও বোধ করে না ৷ তারা
দিনরাত তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, তারা শৈথিল্য করে না ৷ (২১ আম্বিয়া : ১৬ ২০ )

আল্লাহ বলেন : “আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করতে ইচ্ছা করলে তিনি তার সৃষ্টির মধ্যে যাকে
ইচ্ছা মনোনীত করতে পারতেন ৷ পবিত্র ও মহান তিনি ৷ তিনি আল্লাহ, এক, প্রবল পরাক্রমশালী
তিনি যথাযথভাবে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন ৷ তিনি রাত দ্বারা দিনকে আচ্ছাদিত
করেন এবং রাতকে আচ্ছাদিত করেন দিনের দ্বারা ৷ সুর্য ও চন্দ্রকে তিনি করেছেন নিয়ম! ধীন ৷
প্রত্যেকেই পরিভ্রমণ করে এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ৷ জেনে রেখো, তিনি পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল ৷
(৩৯ যুমার : ৪ ৫) ৷ আল্লাহ বলেন : “বল, দয়াময় আল্লাহ্র কোন সন্তান থাকলে আমি হতড়াম
তার উপাসকগণেব্অগ্রণী ৷ তারা বা আরোপ করে তা হতে আকাশমলীে ও পৃথিবীর অধিকারী
ও আরশের অধিকারী পবিত্র ও মহান ৷ (৪৩ যুখরুফ : ৮১-৮২) ৷ আল্লাহ বলেন ? “বল,
প্রশংসা আল্লাহ্রই , যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, তার সার্বভৌমত্বে কোন অংশীদার নেই
এবং যিনি দৃর্দশাগ্রস্ত হন না, যে কারণে তার অভিভাবকের প্রয়োজন হতে পারে ৷ সুতরাং
সসজ্রমে তার মাহড়াত্ম্য ঘোষণা কর ৷ (১৭ ইসৃরা : ১১১)

আল্লাহ বলেন : “বল, তিনিই আল্লাহ, একক ও অদ্বিতীয় ৷ আল্লাহ কারও মুথাপেক্ষী নন,
সকলেই তার মুখাপেক্ষী ৷ তিনি কাউকেও জন্ম দেননি এবং তড়াকেও জন্ম দেয়া হয়নি এবং তার
সমতুল্য কেউই নেই ৷ ” (১১২ : সুরা ইখলাস) সহীহ্ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন, “আল্লাহ বলেন : বনী আদম আমাকে পালি দেয় ; কিন্তু তার জন্যে এটা শোভা পায়
না ৷ সে বলে, আমার সন্তান আছে ৷ অথচ আমি একক, মুখাপেক্ষাহীন ৷ আমি কাউকে জন্ম
দেইনি এবং কারও থেকে আমি জন্মগ্রহণ করিনি ৷ আমার সমতুল্য কেউ নেই ৷ সহীহ্ হাদীসে
আরও বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, পীড়াদায়ক কথা শোনার পর তাতে ধৈর্য ধরার
ক্ষেত্রে আল্পাহ্র চইিতে অধিক ধৈর্যধারণকারী আর কেউ নেই ৷ কারণ যে সব লোক আল্লাহর
জন্যে সন্তান সাবস্তি করে তাদেরকে তিনি রিযিক দিচ্ছেন এবং রোগ থেকে নিরাময় করছেন ৷
তবে অন্য সহীহ্ হড়াদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন ঙ্ক আল্লাহ জালিমকে কিছু
দিনের জন্যে অবকাশ দিয়ে থাকেন ৷ যখন তাকে পাকড়াও করবেন তখন আর রেহাই দিবেন
না ৷ অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা) নিম্নের অড়ায়াতগুলাে পাঠ করেন :

;ৰুএ্দ্বুন্টি৷ :ঞা ৰু,৷ হ্পুএে; গু;ধ্ৰুব্লু,ৰুণ্া৷ ন্১৷ ৷া৷ এন্ ) এ১৷ এপুাএ্দ্বুগ্লু

এইরুপ তোমার প্রতিপালকের শাস্তি! তিনি শান্তিদান করেন জনপদসমুহকে যখন তারা
জুলুম করে থাকে ৷ নিশ্চয়ই তার শান্তি মর্মন্তুদ কঠিন ৷ (১১ হ্রদ : ১০২)


وَلَمْ يَقُلْ: الْغَفُورُ الرَّحِيمُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " التَّفْسِيرِ " مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَامَ بِهَذِهِ الْآيَةِ الْكَرِيمَةِ لَيْلَةً حَتَّى أَصْبَحَ: {إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 118] وَقَالَ: «إِنِّي سَأَلْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ الشَّفَاعَةَ لِأُمَّتِي فَأَعْطَانِيهَا، وَهِيَ نَائِلَةٌ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، لِمَنْ لَا يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا» وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لَاعِبِينَ لَوْ أَرَدْنَا أَنْ نَتَّخِذَ لَهْوًا لَاتَّخَذْنَاهُ مِنْ لَدُنَّا إِنْ كُنَّا فَاعِلِينَ بَلْ نَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَى الْبَاطِلِ فَيَدْمَغُهُ فَإِذَا هُوَ زَاهِقٌ وَلَكُمُ الْوَيْلُ مِمَّا تَصِفُونَ وَلَهُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ عِنْدَهُ لَا يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِهِ وَلَا يَسْتَحْسِرُونَ يُسَبِّحُونَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ لَا يَفْتُرُونَ} [الأنبياء: 16] [الزُّمَرِ: 4، 5] . وَقَالَ تَعَالَى: {قُلْ إِنْ كَانَ لِلرَّحْمَنِ وَلَدٌ فَأَنَا أَوَّلُ الْعَابِدِينَ سُبْحَانَ رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ} [الزخرف: 81] [الزُّخْرُفِ: 81، 82] . وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৯৭৬
ষ্ষ্


অনুরুপ কথা আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন :
স্পো
এবং আমি অবকাশ দিয়েছি কত জনপদকে যখন ওরা ছিল জালিম; তারপর ওদেরকে শাস্তি
দিয়েছি এবং প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট ) (২২ হাজ্জ : ৪৮) ,

আল্লাহ বলেন : মোঃ ন্ ৷ ;; , ৷ ন্ণ্ড্রঠুট্রু১ট্রু১শু ণ্ও ১এেণ্ ন্প্রু;ছুৰুৰুৰু

র্দ ×

“আমি ওদেরকে জীবনেম্পোকরণ ভোগ করতে দিব স্বল্পকান্সের জন্যে ৷ তারপর ওদেরকে
কঠিন শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য করব ৷ ” (৩১ লুকমান : ২৪)

আল্লাহ বলেন : “বল, যারা আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করবে তারা সফলকাম হবে না ৷
পৃথিবীতে ওদের জন্যে আছে কিছু সুখ-সাঙ্কাগ; পরে আমারই নিকট ওদের প্রত্যাবর্তন ৷ তারপর
কুফরী হেতু ওদেরকে আমি কঠোর শাস্তির আস্বাদ গ্রহণ করার ৷” ( ১ : ইউনুস : ৬৯ ৭০ )
আল্লাহ আরও বলেছেন : ৷ৰুট্রু ৰু

“অতএব কাফিরদেরকে অবকাশ দাও : ওদেরকে অবকাশ দাও কিছুকালের জন্যে ৷ (৮৫
আত-তারিক : ১ ৭)


تَعَالَى: {وَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُنْ لَهُ شَرِيكٌ فِي الْمُلْكِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ وَلِيٌّ مِنَ الذُّلِّ وَكَبِّرْهُ تَكْبِيرًا} [الإسراء: 111] . وَقَالَ تَعَالَى: {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ اللَّهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ} [الإخلاص: 1] . وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: شَتَمَنِي ابْنُ آدَمَ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ ذَلِكَ ; يَزْعُمُ أَنَّ لِي وَلَدًا، وَأَنَا الْأَحَدُ الصَّمَدُ، الَّذِي لَمَّ أَلِدْ وَلَمْ أُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لِي كُفُوًا أَحَدٌ» وَفِي " الصَّحِيحِ " أَيْضًا، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «لَا أَحَدَ أَصْبَرُ عَلَى أَذًى سَمِعَهُ مِنَ اللَّهِ ; إِنَّهُمْ يَجْعَلُونَ لَهُ وَلَدًا، وَهُوَ يَرْزُقُهُمْ وَيُعَافِيهِمْ» وَلَكِنْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " أَيْضًا، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ لَيُمْلِي لِلظَّالِمِ، حَتَّى إِذَا أَخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ» ثُمَّ قَرَأَ: {وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ} [هود: 102] . وَهَكَذَا قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَكَأَيِّنْ مِنْ قَرْيَةٍ أَمْلَيْتُ لَهَا وَهِيَ ظَالِمَةٌ ثُمَّ أَخَذْتُهَا وَإِلَيَّ الْمَصِيرُ} [الحج: 48] . وَقَالَ تَعَالَى: {نُمَتِّعُهُمْ قَلِيلًا ثُمَّ نَضْطَرُّهُمْ إِلَى عَذَابٍ غَلِيظٍ} [لقمان: 24] . وَقَالَ تَعَالَى: {قُلْ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ لَا يُفْلِحُونَ مَتَاعٌ فِي الدُّنْيَا ثُمَّ إِلَيْنَا مَرْجِعُهُمْ ثُمَّ نُذِيقُهُمُ الْعَذَابَ الشَّدِيدَ بِمَا كَانُوا يَكْفُرُونَ} [يونس: 69] [الطَّارِقِ: 17] .
পৃষ্ঠা - ৯৭৭
ষ্ষ্

হযরত ঈসড়া (আ)-এব জন্ম ও ওহীর সুচনা

পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, হযরত ঈসা (আ) বায়তৃল মুকদ্দোসের সন্নিকটে বায়তে
লাহমে’ জন্মগ্রহণ করেন ৷ কিন্তু ওহাব ইবন মুনাববিহ্ (র)-এর ধারণা, হযরত ঈসা (আ) এর
জন্ম হয় মিসরে এবং মারয়াম ও ইউসুফ ইবন ইয়াকুব আল-নাজ্জার একই পাধার পিঠে
আরোহণ করে ভ্রমণ করেন এবং পাবার পিঠের গদি ব্যতীত তাদের মধ্যে অন্য কোন আড়াল
ছিল না ৷ কিন্তু এ বর্ণনা সঠিক নয় ৷ কেননা, ইতিপুর্বে উল্লেখিত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে
যে, ঈসা (আ) এর জন্মস্থান হচ্ছে বায়তে লাহাম ৷ সুতরাং এ হাদীসেরমুকাবিলায় অন্য যে
কোন বর্ণনা অগ্রহণযোগ্য ৷

ওহাব ইবন মুনাববিহ উল্লেখ করেছেন যে, হযরত ঈসা (আ) যখন ভুষিষ্ঠ হন তখন পুর্ব ও
পশ্চিমের সমস্ত মুর্তি ভেঙ্গে পড়ে যায় ৷ ফলে শয়তানরা অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়ে ৷ এর কোন
কারণ তারা খুজে পাচ্ছিল না ৷ অবশেষে বড় ইবলীস তাদেরকে জানা নাল যে, ঈসা (আ ) এর জন্ম
, হয়েছে ৷ শয়তানরা শিশু ঈসাকে তার মায়ের কোলে আর চারদিকে ফেরেশ৩ ৷গণ দাড়িয়ে
তাকে ঘিরে রেখেছেন দেখতে পেল ৷ তারা আকাশে উদিত একটি বিরাট নক্ষত্রও দেখতে পেল ৷
পারস্য সম্রাট এই নক্ষত্র দেখে শংকিত হয়ে পড়েন এবং জোাতিষীদের নিকট এর উদিত
হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করেন ৷ জোড়াতিষীরা জানলে, পৃথিবীতে এক মহান ব্যক্তির জন্ম হয়েছে ৷
এজন্য এই নক্ষত্র উদিত হয়েছে৷ তখন পারস্য সম্রাট উপচৌকন হিসেবে স্বর্ণ, চান্দি ও কিছু
লুবান দিয়ে নবজ্যতকের সন্ধানে কতিপয় দুত প্রেরণ করেন ৷ দুতগণ সিরিয়ার এসে পৌছে ৷
সিরিয়ার বাদশাহ তাদের আগমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন ৷ তারা উক্ত নক্ষত্র ও
জ্যেত্ত্বতিষীদের মন্তব্যের কথা তাকে জানায় ৷ বাদশাহ দুতদের নিকট নক্ষত্রটির উদয়কাল
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন ৷ উত্তর শুনে তিনি বুঝলেন, ঐ শিশুটি বায়তৃল মুকাদ্দাসে জন্ম গ্রহণকারী
মারয়াম পুত্র ঈসা ৷ ইতিমধ্যেই ব্যাপক প্রচার হয়ে গিয়েছিল যে, নবজাত শিশুটি দে লনায
থেকেই মানুষের সাথে কথা বলেছেন ৷ এরপর বাদশাহ দুতদেরকে৩ তাদের সাথে আনীত
উপচৌকনসহ শিশু ঈসা ৷র নিকট পাঠিয়ে দেন এবং এদেরকে চিনিয়ে দেয়ার জন্যে সাথে একজন
ল্যেকও দেন ৷ বাদশাহ্র উদ্দেশ্য ছিল, দুতগণ যখন উপচৌকন প্রদান করে চলে আসবে, তখন
এ লোক ঈসাকে হত্যা করে ফেলবে ৷ পারস্যের দুতগণ মড়ারয়ামের নিকট গিয়ে উপচৌকনগুলো
প্রদান করে চলে আসার সময় বলে আসলো যে, সিরিয়ার বাদশাহ আপনার নবজাত শিশুকে
হত্যা করার জন্যে চর পাঠিয়েছে ৷ এ সংবাদ শুনে মারয়াম শিশুপুত্র ঈসাকে নিয়ে মিসরে চলে
আসেন এবং একটানা বার বছর সেখানে অবস্থান করেন ৷ এ সময়ের মধ্যে ঈসা (আ)-এর
বিভিন্ন রকম কারামত ও মুজিযা প্রকাশ হতে থাকে ৷ ওহাব ইবন মুনাবৃবিহ কতিপয় মুজিযার
কথা উল্লেখ করেছেন ৷ যথা :


[ذِكْرُ مَنْشَأِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ وَبَيَانُ بَدْءِ الْوَحْيِ إِلَيْهِ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى] قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ وُلِدَ بِبَيْتِ لَحْمٍ، قَرِيبًا مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَزَعَمَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ أَنَّهُ وُلِدَ بِمِصْرَ، وَأَنَّ مَرْيَمَ سَافَرَتْ هِيَ وَيُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ النَّجَّارُ، وَهِيَ رَاكِبَةٌ عَلَى حِمَارٍ. لَيْسَ بَيْنَهُمَا وَبَيْنَ الْإِكَافِ شَيْءٌ. وَهَذَا لَا يَصِحُّ، وَالْحَدِيثُ الَّذِي تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ مَوْلِدَهُ كَانَ بِبَيْتِ لَحْمٍ، كَمَا ذَكَرْنَا، وَمَهْمَا عَارَضَهُ فَبَاطِلٌ. وَذَكَرَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ، أَنَّهُ لَمَّا وُلِدَ خَرَّتِ الْأَصْنَامُ يَوْمَئِذٍ فِي مَشَارِقِ الْأَرْضِ وَمَغَارِبِهَا، وَأَنَّ الشَّيَاطِينَ حَارَتْ فِي سَبَبِ ذَلِكَ، حَتَّى كَشَفَ لَهُمْ إِبْلِيسُ الْكَبِيرُ أَمْرَ عِيسَى، فَوَجَدُوهُ فِي حِجْرِ أُمِّهِ، وَالْمَلَائِكَةُ مُحْدِقَةٌ بِهِ، وَأَنَّهُ ظَهَرَ نَجْمٌ عَظِيمٌ فِي السَّمَاءِ، وَأَنَّ مَلِكَ الْفُرْسِ أَشْفَقَ مِنْ ظُهُورِهِ، فَسَأَلَ الْكَهَنَةَ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৯৭৮
ষ্ষ্


(এক) বিবি মারয়াম মিসরের যে সর্দারের বাড়িতে অবস্থান করেন, একদা ঐ বাড়ি থেকে
একটি বস্তু হারিয়ে যায় ৷ ভিক্ষুক, দরিদ্র ও অসহায় লোকজন সে বাড়িতে বসবাস করত ৷ কে
বা কারা বন্তুটি চুরি করেছে, তা অনুসন্ধান করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া গেল না ৷ বিষয়টি

মারয়ামকে ভীষণ চিন্তায় ফেলে দিল ৷ বাড়ির মালিক ও অন্যান্য লো ৷কজনও বিব্রত অবস্থায় পড়ে
গেল ৷ অবশেষে শিশু ঈস৷ সেখানে অবস্থানকারী এক অন্ধ ও এক পঙ্গু ব্যক্তির নিকট ৫ভুালেন
অন্ধকে বললেন, ভুমি এ পঙ্গুকে ধরে উঠাও এবংত তাকে সাথে নিয়ে চুরি করা বর্ন্ত৷ নিয়ে এস ৷
অন্ধ বলল, আমি তো তাকে উঠাতে সক্ষম নই ৷ ঈস৷ বললেন, কেন, তোমরা উভয়ে যেভাবে
ঘরের জানালা দিয়ে বন্তুটি নিয়ে এসেছিলে, সেভ৷ ৷বেইগ্ গিয়ে নিয়ে এস ৷ এ কথা শোনার পর

তারা এর সত্যতা স্বীকার করল এবং চুরি করা বন্তুটি নিয়ে আস্লো ৷ এ ঘটনার পর ঈসার
মর্যাদা মানুষের নিকট অত্যধিক বেড়ে যায় ৷ যদিও তিনি তখন শিশু মাএ ৷

(দুই) উক্ত সর্দারের পুত্র আপন সন্তানদের পবিত্রতা অর্জনের উৎসবের দিনে এক ভোজ
সভার আয়োজন করে ৷ লোকজন সমবেত হল ৷ খাওয়া-দাওয় শেষ হল ৷ সে যুগের
নিয়মানুযায়ী এখন মদ পরিবেশনের পালা ৷ কিন্তু মদ ঢালতে গিয়ে ;দখা গেল কোন কলসীতেই
মদ নেই ৷ সর্দার পুত্র ভীষণ লজ্জায় পড়ে, গেল ৷ হযরত ঈস৷ (আ) এ অবস্থা দেখে প্রতিটি
কলসীর মুখে হাত ঘুরিয়ে আসলেন ৷ ফলে সেগুলো সাথে সাথে উৎকৃষ্ট মদে পুর্ণ হয়ে গেল ৷
লোকজন এ ঘটনা দেখে বিস্মিত হলো ৷ ফলে, তাদের নিকট আরও মর্যাদা বৃদ্ধি পেল ৷ মানুষ
বিজ্যি রকম উপটোকন এনে ঈসা ও তার মার কাছে পেশ করলো কিত্তু তারা এর কিছুই গ্রহণ
করলেন না ৷ তারপর তারা বায়ভুল ঘুক ৷দ্দাসের উদ্দেশ্যে রওয়ড়ান৷ হয়ে পড়লেন ৷

ইসহ্াক ইবন বিশৃর আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ হযরত ঈসা ইবন
মারয়ামই প্রথম মানুষ, যিনি শিশুকালে কথা বলেছেন ৷ আল্লাহ্ তার রসন৷ খুলে দেন এবং তিনি
আল্লাহ্র প্রশংসায় এমন অনেক কথা বলেন, যা ইতিপুর্বে কোন কান কখনও শোনেনি ৷ এ
ৎসায় তিনি র্চাদ, সুরুজ, পর্বত, নদী, ঝর্ণা কোন কিছুকেই উল্লেখ করতে বাদ দেননি ৷

তিনি বলেন : হে আল্লাহ! সু-উচ্চ মর্যাদার থেকেও আপনি বান্দার নিকটবর্তী ৷ বান্দার
নিকটবর্তী থেকেও আপনি সু-মহড়ান মর্যাদা ৷য় অধিষ্ঠিত ৷ সমস্ত সৃষ্টিকুলের উপরে আ পনা র শক্তি
ও ক্ষমতা ৷ আপনি এমন ক্ষমতাবান সত্তা, যিনি আপন বাণী দ্বারা মহাশুনাে সাত টি স্তরে
আকাশকে সৃষ্টি ও বিন্যস্ত করেছেন ৷ এগুলো প্রথম দিকে ধোয়ার আকারে ছিল ৷ পরে আপনার
নির্দেশ মতে ওগুলো আপনার অনুগত হয় ৷ এসব আকাশে ফিরিশতাকুল আপনার মহিমা
বর্ণনায় তাসবীহ পাঠে রত ৷ এগুলোতে আপনি রাতের অন্ধকারে আলোর ব্যবস্থা করেছেন এবং
সুর্যের আলো দ্বারা দিনকে আলোকিত করেছেন ৷ আকাশে বজ্র ধ্বনিকে আপনার ত্তুতি পাঠে
নিয়োজিত রেখেছেন ৷ আপনার সক্সমের সম্মানে সেগুলোর অন্ধকার বিদুরিত হয়ে আলোয়
উদ্ভাসিত হয়ে উঠে ৷ আসমান রাজিতে আপনার স্থাপিত নক্ষত্রপ্নঞ্জরুপী প্রদীপমালার সাহায্যে
দিশাহারা পথিকগণ পথের দিশা পড়ায় ৷ অতএব হে আল্লাহ, আসমান বাজিকে বিন্যস্ত করে এবং
য়মীনকে বিন্তুত করে আপনি মহা কল্যাণ সাধন করেছেন ৷ য়মীনকে আপনি পানির উপরে
বিছিয়েছেন ৷ তারপর পানির বিশাল ঢেউয়ের উপরে উচু করে রেখেছেন এবং ঢেউণ্ডলােকে


ذَلِكَ فَقَالُوا: هَذَا لِمَوْلِدِ عَظِيمٍ فِي الْأَرْضِ. فَبَعَثَ رُسُلَهُ وَمَعَهُمْ ذَهَبٌ وَمُرٌّ وَلِبَانٌ، هَدِيَّةً إِلَى عِيسَى، فَلَمَّا قَدِمُوا الشَّامَ سَأَلَهُمْ مَلِكُهَا عَمَّا أَقْدَمَهُمْ، فَذَكَرُوا لَهُ ذَلِكَ، فَسَأَلَ عَنْ ذَلِكَ الْوَقْتِ، فَإِذَا قَدْ وُلِدَ فِيهِ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَاشْتَهَرَ أَمْرُهُ بِسَبَبِ كَلَامِهِ فِي الْمَهْدِ، فَأَرْسَلَهُمْ إِلَيْهِ بِمَا مَعَهُمْ وَأَرْسَلَ مَعَهُمْ مَنْ يَعْرِفُهُ لَهُ ; لِيَتَوَصَّلَ إِلَى قَتْلِهِ إِذَا انْصَرَفُوا عَنْهُ، فَلَمَّا وَصَلُوا إِلَى مَرْيَمَ بِالْهَدَايَا وَرَجَعُوا، قِيلَ لَهَا: إِنَّ رُسُلَ مَلِكِ الشَّامِ إِنَّمَا جَاءُوا لِيَقْتُلُوا وَلَدَكِ. فَاحْتَمَلَتْهُ، فَذَهَبَتْ بِهِ إِلَى مِصْرَ، فَأَقَامَتْ بِهَا حَتَّى بَلَغَ عُمْرُهُ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، وَظَهَرَتْ عَلَيْهِ كَرَامَاتٌ وَمُعْجِزَاتٌ فِي حَالِ صِغَرِهِ، فَذَكَرَ مِنْهَا، أَنَّ الدِّهْقَانَ الَّذِي نَزَلُوا عِنْدَهُ افْتَقَدَ مَالًا مِنْ دَارِهِ، وَكَانَتْ دَارُهُ لَا يَسْكُنُهَا إِلَّا الْفُقَرَاءُ وَالضُّعَفَاءُ وَالْمَحَاوِيجُ، فَلَمْ يَدْرِ مَنْ أَخَذَهُ، وَعَزَّ ذَلِكَ عَلَى مَرْيَمَ، عَلَيْهَا السَّلَامُ، وَشَقَّ عَلَى النَّاسِ وَعَلَى رَبِّ الْمَنْزِلِ، وَأَعْيَاهُمْ أَمْرُهَا، فَلَمَّا رَأَى عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، ذَلِكَ، عَمَدَ إِلَى رَجُلٍ أَعْمَى، وَآخَرَ مُقْعَدٍ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ هُوَ مُنْقَطِعٌ إِلَيْهِ، فَقَالَ لِلْأَعْمَى: احْمِلْ هَذَا الْمُقْعَدَ وَانْهَضْ بِهِ. فَقَالَ: إِنِّي لَا أَسْتَطِيعُ ذَلِكَ. فَقَالَ: بَلَى، كَمَا فَعَلْتَ أَنْتَ وَهُوَ حِينَ أَخَذْتُمَا هَذَا الْمَالَ مِنْ تِلْكَ الْكُوَّةِ مِنَ الدَّارِ. فَلَمَّا قَالَ ذَلِكَ صَدَّقَاهُ فِيمَا قَالَ، وَأَتَيَا بِالْمَالِ، فَعَظُمَ عِيسَى فِي أَعْيُنِ النَّاسِ وَهُوَ صَغِيرٌ جِدًّا. وَمِنْ ذَلِكَ، أَنَّ ابْنَ الدِّهْقَانِ عَمِلَ ضِيَافَةً لِلنَّاسِ بِسَبَبِ طُهُورِ أَوْلَادِهِ، فَلَمَّا اجْتَمَعَ النَّاسُ وَأَطْعَمَهُمْ، ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَسْقِيَهُمْ شَرَابًا، يَعْنِي خَمْرًا، كَمَا
পৃষ্ঠা - ৯৭৯
ষ্ষ্


নমনীয় হওয়ার আদেশ দিয়েছেন ৷ আপনার আদেশ পালনার্থে ঢেউগুলে৷ অবনত মস্তকে নমনীয়
হয় ৷ এরপর আপনি প্রথমে সমুদ্র ও সমুদ্র থেকে নদী সৃষ্টি করেছেন ৷ তারপর ছোট ছোট নালা
ও ঝর্ণা সৃষ্টি করেছেন ৷ এরপর আপনি এ থেকে সৃষ্টি করেছেন খাল, বিল, গাছপালা ও ফল-
ফলাদি ৷ তারপর যমীনের উপরে স্থাপন করেছেন পাহাড়, পাহাড়গুলো পানির উপরে পেরেকের
ন্যায় যমীনকে স্থির করে রেখেছে ৷ এসব কাজে পর্বতমালা ও পাথরসমুহ আপনার পুর্ণ আনুগত্য
করে ৷ অতএব, হে আল্লাহ ৷ আপনি অত্যন্ত ববকতময় ৷ এমন কে আছে, যে আপনার মত করে
আপনার প্রশংসা করতে পারো কে আছে এমন, যে আপনার মত করে আপনার গুণাবলী বর্ণনা
করতে সক্ষম? আপনি যেঘপুঞ্জকে ছড়িয়ে দেন ৷ বাধা-বন্ধনকে মুক্ত করেন, সঠিক ফয়সালা
করেন, এবং আপনিই শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী ৷ আপনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই ৷ আপনি
মহা পবিত্র ৷ আপনি আমাদেকে যাবতীয় পাপ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করার হুকুম করেছেন ৷
আপনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই ৷ আপনি মহা পবিত্র ৷ আকাশ ৷৷মওলীকে আপনি মানুষের ধরা
ছোয়৷ থেকে দুরে রেখে দিয়েছেন ৷ আপনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই ৷ আপনি মহা পবিত্র ৷
জ্ঞানী লােকই কেবল আপনাকে উপলব্ধি করতে পারে ৷ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি আমাদের
নিজেদের উদ্ভাবিত উপাস্য নন ৷ আপনি এমন পালনকর্ত৷ নন, যার আলোচনা শেষ হতে পারে ৷
আপনার কোন অ শীদার নেই যে, আপনাকে ডাকার সাথে তাদেবকেও আমরা ডাকবাে ৷
আমাদের সৃষ্টি কাজে আপনাকে কেউ সাহায্য করেনি যে, আপনার ব্যাপারে আমাদের কোন
সন্দেহ হতে পারে ৷ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি — আপনি একক, মুখাপেক্ষীহীন, আপনি কাউকে জন্ম
দেননি, আপনাকেও কেউ জন্ম দেয়নি, কোন দিক দিয়েই আপনার সমকক্ষ কেউ নেই ৷

ইসহাক ইবন বিশ্ব ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ ঈস৷ ইবন মারয়াম
(আ) শিশু অবস্থায় একবার কথা বলেন ৷ এরপর তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায় ৷ অন্যান্য শিশুরা
যখন স্বাভাবিক বয়সে কথা বলে থাকে, তিনিও সে বয়সে পুনরায় কথা বলতে শুরু করেন ৷
আল্লাহ তখন তাকে যুক্তিপুর্ণ কথা ও বা ৷গিাতা শিক্ষা ৷দেন ৷ ইয়াহুদীরা ঈস৷ (আ) ও তার মা
সম্পর্কে জঘন্য উক্তি করে ৷ তাকে তারা জারজ সন্তান বলত ৷ অ ল্লা৷হ্র বাণী৪

ণ্ঐএ-হ্রন্এ

এবং তারা লা নতগ্নস্ত হয়েছিল ৩াদের কুফরীর জন্যে ও মারয়ামের বিরুদ্ধে গুরুতর
অপবাদের জন্যে ৷ (৪ নিসাঃ ১৫৬) ৷ ঈস৷ (আ) এর বয়স যখন সাত বছর, তখন তারা তাকে
লেখাপড়া শিখাবড়ার জন্যে বিদ্যালয়ে পাঠান ৷ কিন্তু ঘটনা এমন হল যে, শিক্ষক তীকে যে
বিষয়টিই শিখাতে চাইতের্ন, তিনি আগেই সে বিষয় সম্পর্কে বলে দিতেন ৷ এমতাবস্থায় এক
শিক্ষক তাকে আবু জাদ’ শিখালেন ৷ ঈস৷ জিয়ুজ্জস করলেন, আবু জাদ’ কি? শিক্ষক বললেন,
আবু জাদ কি তা আমি বলতে পারি না ৷ ঈস৷ বললেন, যে বিষয়ে আপনি জ৷ নেন না সে বিষয়ে
আমাকে কেমন করে শিখাবেনঃ শিক্ষক বললেন, তা হলে তুমিই আমাকে শিখাও ৷ ঈসা
বললেন, তবে আপনি ঐ আসন থেকে নেমে আসুন! শিক্ষক নেমে আসলেন ৷ তারপর ঈসা
(আ) সে আসলে গিয়ে বললেন এবং বললেন, আমার নিকট জিৰুজ্ঞস করুন! শিক্ষক জিজ্ঞেস
করলেন, আবু জাদ কি? উত্তরে ঈস৷ বললেন, এ ৷ দ্বারা ধ্া৷ ৷ ১৷ ৷ (আল্লাহর নিয়ামতরাশি) ৷া


كَانُوا يَصْنَعُونَ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، لَمْ يَجِدْ فِي جِرَارِهِ شَيْئًا، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ، فَلَمَّا رَأَى عِيسَى ذَلِكَ مِنْهُ قَامَ فَجَعَلَ يَمُرُّ عَلَى تِلْكَ الْجِرَارِ وَيَمُرُّ يَدَهُ عَلَى أَفْوَاهِهَا، فَلَا يَفْعَلُ بِجَرَّةٍ مِنْهَا ذَلِكَ إِلَّا امْتَلَأَتْ شَرَابًا مِنْ خِيَارِ الشَّرَابِ، فَتَعَجَّبَ النَّاسُ مِنْ ذَلِكَ جِدًّا، وَعَظَّمُوهُ وَعَرَضُوا عَلَيْهِ وَعَلَى أُمِّهِ مَالًا جَزِيلًا، فَلَمْ يَقْبَلَاهُ وَارْتَحَلَا قَاصِدِينَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: أَنْبَأَنَا عُثْمَانُ بْنُ السَّاجِ وَغَيْرُهُ، عَنْ مُوسَى بْنِ وَرْدَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَعَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: إِنَّ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ أَوَّلَ مَا أَطْلَقَ اللَّهُ لِسَانَهُ، بَعْدَ الْكَلَامِ الَّذِي تَكَلَّمَ بِهِ وَهُوَ طِفْلٌ، فَمَجَّدَ اللَّهَ تَمْجِيدًا لَمْ تَسْمَعِ الْآذَانُ بِمِثْلِهِ، لَمْ يَدَعْ شَمْسًا وَلَا قَمَرًا وَلَا جَبَلًا وَلَا نَهْرًا وَلَا عَيْنًا إِلَّا ذَكَرَهُ فِي تَمْجِيدِهِ فَقَالَ: اللَّهُمَّ أَنْتَ الْقَرِيبُ فِي عُلُوِّكَ، الْمُتَعَالِي فِي دُنُوِّكَ، الرَّفِيعُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ مِنْ خَلْقِكَ، أَنْتَ الَّذِي خَلَقْتَ سَبْعًا فِي الْهَوَاءِ بِكَلِمَاتِكَ، مُسْتَوِيَاتٍ طِبَاقًا، أَجَبْنَ وَهُنَّ دُخَانٌ مِنْ فَرَقِكَ، فَأَتَيْنَ طَائِعَاتٍ لِأَمْرِكَ، فِيهِنَّ مَلَائِكَتُكَ يُسَبِّحُونَ قُدْسَكَ لِتَقْدِيسِكَ، وَجَعَلْتَ فِيهِنَّ نُورًا عَلَى سَوَادِ الظَّلَامِ، وَضِيَاءً مِنْ ضَوْءِ الشَّمْسِ بِالنَّهَارِ، وَجَعَلْتَ فِيهِنَّ الرَّعْدَ الْمُسَبِّحَ بِالْحَمْدِ، فَبِعِزَّتِكَ تَجْلُو ضَوْءَ ظُلْمَتِكَ، وَجَعَلْتَ فِيهِنَّ مَصَابِيحَ يَهْتَدِي بِهِنَّ فِي الظُّلُمَاتِ الْحَيْرَانُ، فَتَبَارَكْتَ اللَّهُمَّ فِي مَفْطُورَ سَمَاوَاتِكَ، وَفِيمَا دَحَوْتَ مِنْ أَرْضِكَ، دَحَوْتَهَا عَلَى الْمَاءِ، فَسَمَكْتَهَا
পৃষ্ঠা - ৯৮০
عَلَى تَيَّارِ الْمَوْجِ الْمُتَغَامِرِ، فَأَذْلَلْتَهَا إِذْلَالَ الْمَاءِ الْمُتَطَاهِرِ، فَذَلَّ لِطَاعَتِكَ صَعْبُهَا، وَاسْتَحْيَى لِأَمْرِكَ أَمْرُهَا، وَخَضَعَتْ لِعِزَّتِكَ أَمْوَاجُهَا، فَفَجَّرْتَ فِيهَا بَعْدَ الْبُحُورِ الْأَنْهَارَ، وَمِنْ بَعْدِ الْأَنْهَارِ الْجَدَاوِلَ الصِّغَارَ، وَمِنْ بَعْدِ الْجَدَاوِلِ يَنَابِيعَ الْعُيُونِ الْغِزَارَ ثُمَّ أَخْرَجْتَ مِنْهَا الْأَنْهَارَ وَالْأَشْجَارَ وَالثِّمَارَ، ثُمَّ جَعَلْتَ عَلَى ظَهْرِهَا الْجِبَالَ فَوَتَّدْتَهَا أَوْتَادًا عَلَى ظَهْرِ الْمَاءِ، فَأَطَاعَتْ أَطْوَادُهَا وَجُلْمُودُهَا، فَتَبَارَكْتَ اللَّهُمَّ، فَمَنْ يَبْلُغُ بِنَعْتِهِ نَعْتَكَ؟ أَمَّنْ يَبْلُغُ بِصِفَتِهِ صِفَتَكَ؟ تَنْشُرُ السَّحَابَ، وَتَفُكُّ الرِّقَابَ وَتَقْضِي الْحَقَّ، وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاصِلِينَ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ، أَمَرْتَ أَنْ نَسْتَغْفِرَكَ مِنْ كُلِّ ذَنْبٍ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ، سَتَرْتَ السَّمَاوَاتِ عَنِ النَّاسِ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ، إِنَّمَا يَخْشَاكَ مِنْ عِبَادِكَ الْأَكْيَاسُ، نَشْهَدُ أَنَّكَ لَسْتَ بِإِلَهٍ اسْتَحْدَثْنَاكَ، وَلَا رَبٍّ يَبِيدُ ذِكْرُهُ، وَلَا كَانَ مَعَكَ شُرَكَاءُ يَقْضُونَ مَعَكَ فَنَدْعُوَهُمْ وَنَذَرَكُ، وَلَا أَعَانَكَ عَلَى خَلْقِنَا أَحَدٌ فَنَشُكَّ فِيكَ، نَشْهَدُ أَنَّكَ أَحَدٌ صَمَدٌ، لَمْ تَلِدْ وَلَمْ تُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لَكَ كُفُوًا أَحَدٌ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ جُوَيْبِرٍ وَمُقَاتِلٍ عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: إِنَّ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ أَمْسَكَ عَنِ الْكَلَامِ بَعْدَ إِذْ كَلَّمَهُمْ طِفْلًا، حَتَّى بَلَغَ
পৃষ্ঠা - ৯৮১
ষ্ষ্


দ্বারা (আল্লাহর অনুপম
সৌন্দর্য) ৷

এ উত্তর শুনে শিক্ষক বিস্মিত হয়ে গেলেন ৷ হযরত ঈসা-ই সর্ব প্রথম আবু জাদ ( ; ৷ ,ৰু ৷ )
শব্দের ব্যাখ্যা প্রদান করেন ৷

অতঃপর ইসহাক ইবন বিশর এক দীর্ঘ হাদীস উল্লেখ করে বলেছেন যে, হযরত উছমান
রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) তার প্রতিটি শব্দের
উত্তর দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু এ হাদীস মাওযু জান ৷ অনুরুপ ইবন আদীও আবু সাঈদ থেকে
এক ম ৷রকু’ হাদীসের মাধ্যমে ঈসার মকতবে প্রবেশ, শিক্ষক কর্তৃক আবু জাদ এর অক্ষর
সমুহের অর্থ শিক্ষা দান ইত্যাদির উল্লেখ করেছেন ৷ কিছু এ হাদীসও গ্রহণযোগ্য নয় ৷ ইবন
আদী বলেছেন, এ হাদীস মিথ্যা ৷ ইসমাঈল ব্যতীত আর কেউ এ হাদীস বর্ণনা ৷করেন নি ৷ ইবন
লুহায়অ৷ আব্দুল্লাহ ইবন হুবায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন যে , আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা ) বলেছেনঃ
ঈস৷ ইবন মারয়াম (আ) কিশোর বয়সে অন্যান্য বালকদের সাথে মাঠে খেলাধুলা করতেন ৷
মাঝে মধ্যে তিনি তাদের কাউকে ডেকে বলতেন তুমি কি চশ্ও যে, তোমার মা কি কি খাদ্য
তোমাকে না দিয়ে গোপন করে রেখেছে, আমি তা বলে দেইঃ সে বলত, বলে দিন ৷ ঈসা
বলতেন, অমুক অমুক জিনিস গোপন করে রেথোছ ৷ বালকটি তৎক্ষণাৎ দৌড়ে গিয়ে মাকে
বলত, আপনি যে সব খাদ্য আমাকে না দিয়ে গোপন করে রেখে দিয়েছেন, তা আমাকে খেতে
দিন ৷ মা বলরু ত,ন কি জিনিস আমি গোপন করে রেখেছি? বালক বলত, অমুক অমুক জিনিস ৷
মা বলতেন, এ কথা তোমাকে কে বলেছে? ছেলে বলত , ঈসা ৷ইবন মারয়াম বলেছে ৷ এ কথা
জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর লোকজন পরামর্শ করল, আমরা যদি ছেলেদেরকে ঈসার সাথে এ
ভাবে মেলামেশার সুযোগ দিই তাহলে ঈস৷ তাদেরকে নষ্ট করে ছাড়বে ৷ সুতরাং সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী পরদিন তারা সকল ছেলেদেরকে একটা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখল ৷ ঈসা
বালকদেরকে সন্ধান করে ফিরলেন; কিন্তু কাউকেও খুজে পেলেন না ৷ অবশেষে একটি ঘর
থেকে তাদের কান্নাজড়িত চিৎকার শুনতে পেয়ে সোকজনের নিকট জিজ্ঞেস করলেন, ঐ
ঘরটির ভিতর শব্দ কিসের? তারা ঈসাকে জামাল, ঘরের ওগুলো হচ্ছে বড়ানর ও শুকর ৷ তখন
ঈস৷ বললেন, হে আল্লাহ ঐ রকমই করে দিন ৷ ফলে বালকগুলাে বানর ও শুকরে পরিণত হয়ে
গেল ৷ (ইবন আসাকির)

ইসহাক ইবন বিশৃর ইবন আব্বাস (যা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ হযরত ঈস৷ আল্লাহর
ইঙ্গিত (ইলহাম) অনুযায়ী ব ৷ল্যকালে বিস্ময়কর কাজকর্ম দেখাতেন ৷ ইয়াহুদীদের মধ্যে এ কথা
ছড়িয়ে পড়ে ৷ ঈসা (আ ) বয়ােবৃদ্ধি লাভ করেন ৷ বনী ইসরাঈলরাত তার প্রতি শত্রুতা পোষণ
করতে থাকে ৷ তার মা এ জন্যে শংকিত হয়ে পড়েন ৷ তখন আল্লাহ তাকে ওহীর মাধ্যমে
ছেলেসহ মিসরে চলে যাওয়ার নির্দেশ ৷দেন ৷ কুরআন পাকে আল্লাহ বলেন ং

-এবং আমি মারয়াম তনয় ও তার মাকে করেছিলাম এক নিদর্শন, তাদেরকে আশ্রয়
দিয়েছিলাম এক নিরাপদ ও প্ৰস্রবণ ৷বিশিষ্ট উচ্চ ভুমিতে ৷ (২৩ মু’মিনুনং ৫০)

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (২য় খণ্ড) ২০
ণোণোণো(হ্রা৷ব্রা৷৪গাে০ওোড়া

مَا يَبْلُغُ الْغِلْمَانُ، ثُمَّ أَنْطَقَهُ اللَّهُ بَعْدَ ذَلِكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْبَيَانِ، فَأَكْثَرَ الْيَهُودُ فِيهِ وَفِي أُمِّهِ مِنَ الْقَوْلِ، كَانُوا يُسَمُّونَهُ ابْنَ الْبَغِيَّةِ، وَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَبِكُفْرِهِمْ وَقَوْلِهِمْ عَلَى مَرْيَمَ بُهْتَانًا عَظِيمًا} [النساء: 156] . قَالَ: فَلَمَّا بَلَغَ سَبْعَ سِنِينَ أَسْلَمَتْهُ أُمُّهُ فِي الْكُتَّابِ، فَجَعَلَ لَا يُعَلِّمُهُ الْمُعَلِّمُ شَيْئًا إِلَّا بَدَرَهُ إِلَيْهِ، فَعَلَّمَهُ أَبَا جَادٍ، فَقَالَ عِيسَى: مَا أَبُو جَادٍ؟ فَقَالَ الْمُعَلِّمُ: لَا أَدْرِي. فَقَالَ عِيسَى: كَيْفَ تُعَلِّمُنِي مَا لَا تَدْرِي؟ فَقَالَ الْمُعَلِّمُ: إِذًا فَعَلِّمْنِي. فَقَالَ لَهُ عِيسَى: فَقُمْ مِنْ مَجْلِسِكَ. فَقَامَ فَجَلَسَ عِيسَى مَجْلِسَهُ فَقَالَ: سَلْنِي. فَقَالَ الْمُعَلِّمُ: فَمَا أَبُو جَادٍ؟ فَقَالَ عِيسَى: الْأَلِفُ آلَاءُ اللَّهِ، الْبَاءُ بَهَاءُ اللَّهِ، الْجِيمُ بَهْجَةُ اللَّهِ وَجَمَالُهُ. فَعَجِبَ الْمُعَلِّمُ مِنْ ذَلِكَ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ فَسَّرَ أَبَا جَادٍ. ثُمَّ ذَكَرَ أَنَّ عُثْمَانَ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ ذَلِكَ، فَأَجَابَهُ عَلَى كُلِّ كَلِمَةٍ كَلَّمَهُ، بِحَدِيثٍ طَوِيلٍ مَوْضُوعٍ، لَا يُشَكُّ فِيهِ وَلَا يُتَمَارَى. وَهَكَذَا رَوَى ابْنُ عَدِيٍّ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ يَحْيَى، عَنِ ابْنِ مُلَيْكَةَ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَعَنْ مِسْعَرِ بْنِ كِدَامٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، رَفَعَ الْحَدِيثَ فِي دُخُولِ عِيسَى إِلَى الْكُتَّابِ وَتَعْلِيمِهِ الْمُعَلِّمَ مَعْنَى حُرُوفِ أَبِي جَادٍ، وَهُوَ مُطَوَّلٌ لَا يُفْرَحُ بِهِ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ عَدِيٍّ وَهَذَا الْحَدِيثُ بَاطِلٌ بِهَذَا الْإِسْنَادِ، لَا يَرْوِيهِ غَيْرُ إِسْمَاعِيلَ. وَرَوَى ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هُبَيْرَةَ، قَالَ: كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৯৮২
ষ্ষ্


আয়াতে উল্লেখিত নিরাপদ ও প্রস্রবণ বিশিষ্ট উচ্চ ভুমি দ্বারা কেন্ন্থানঃকে বুঝানো হয়েছে,
ত নির্ণয়ে প্রথম যুগের উলাম ও মুফা সৃসিরগণের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে ৷ কেননা এ ধরনের
ভৈবশিষ্ট্যময় স্থান খুবই বিরল ৷ যেহেতু সম৩ ল থেকে উচ্চ ভুমি, য র উপবিভা গ হবে প্রশস্ত ও
সমতল এবং যেখানে রয়েছে পানির প্রস্রবণ ৷ টু,ন্ প্রুট্রুৰু বলা হয় এমন ঝর্ণাকে, যার পানি যমীনের
উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ে ৷ উচ্চ ভুমিতে এ ধরনের প্রস্রবণ সাধারণত হয় না ৷ এজন্যে এর অর্থ
নির্ণয়ে বিভিন্ন মতামতের সৃষ্টি হয়েছে যথা ং ৰু

(১) সেই স্থু ন যেখানে মসীহ্ জন্মঃহণ করেছিলেন অর্থ ৎ বয়তুল মুকদ্দাসের নিকটবর্তী
একটি খেজুর বাগান ৷ আল্লাহর বণী৪


ফেরেশতী তার নিম্নপার্শ্ব হতে আহবান করে তাকে বলল, ন্মি দৃংখ কর না তোমার
পাদদেশে তোমার প্রতিপালক এক নহর সৃষ্টি করেছেন ৷ (১৯ মরয়ম৪ ২৪) ৷ অধিকাৎশ
প্রাচীন আলিমদের মতে এটি একটি ছোট নহর ইবন আব্বাস (রা) থেকে বিশুদ্ধ সুত্রে বর্ণিত
-নহর দ্বারা এখানে দা শিমকের একাধিক নহরকে বুঝানো হয়েছে ৷ সম্ভবত তিনি দা মিশকের
নহর সমুহের সাথে ঐ স্থানের সদৃশ্যের কথা ব্যক্ত করেছেন ৷

(২) কারও কারও মতে উচ্চ ভুমি দ্বারা মিসরকে বুঝানো হয়েছে ৷ যেমন আহলে
কিতবদেব একটি অংশ এবং তাদের অনুসারীগণ ধারণা পোষণ করেন ৷

(৩) কেউ বলেছেন উচ্চ ভুমি অর্থ এখানে রসুল্লাকে বুঝানো হয়েছে

ইসহক ইবন বিশ্ব ওহব ইবন মুনাবৃবিহ থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত ঈসার
বয়স যখন তেব বছর, তখন আল্লাহ তাকে মিসর ত্যাগ করে ঈলিয়া যাওয়ার নির্দেশ দেন ৷
তখন ঈসার মায়ের মমত ভাই ইউসুফ এসে ঈসা ও মারয়ামকে একটি গাধার পিঠে উঠিয়ে
ঈলিয়া নিয়ে যান এবং সেখানেই অবস্থান করতে থাকেন ৷ আল্লাহ এখানেই তার উপর ইনজীল
অবতীর্ণ করেন, তওরাত শিক্ষা দেন, মৃতকে জীবিত করা, রোগীকে আরোগ্য করা, বাড়িতে
প্ৰস্ততকৃত খাদ্য সম্পর্কে না দেখেই জানিয়ে দেওয়ার জ্ঞান দান করেন ৷ ঈলিয়ার লোকদের
মধ্যে তার আগমন বার্তা পৌছে যায় ৷৩ তার দ্বারা বিস্ময়কর ঘটনাবলী প্রকাশিত হতে দেখে
তরা থাংড়িয়ে যায় এবংঅ আশ্চর্যবোধ করতে থাকে ৷ ঈসা (আ) তাদেরকে আল্লাহর দিকে
আহবান জানান ৷ এভাবে তীর নবুওতী প্রচার কার্য জনগণের মধ্যে বিকাশ লাভ করে ৷

প্রসিদ্ধ চারখানা আসমানী কিতাব নাযিলের সময়কাল

আবু যুরআ দমেশকী (র) বর্ণনা করেন যে, তওরাত কিতাব হযরত মুসা (আ)-এর উপর
৬ রমযানে অবতীর্ণ হয় ৷ এর চার শ’ বিরাশি বছর পর হযরত দাউদ (অ)-এর উপর যাবুর
নাযিল হয় ১২ রমযানে এর এক হাজার পঞ্চাশ বছর পর ১৮ রমযানে হযরত ঈসা (আ) এর
উপর ইনজীল অবতীর্ণ হয় এবং ২৪ রমযানে হযরত মুহাম্মদ (সা ) এর উপর কুরআন মজিদ
নাযিল হয় ৷ ৷ ট্রু;ষ্৷ ৷ ৰুট্রু প্ হু,ৰু৷ এে;ার্দু৷ ছু,£;পুর্মু,,ছুৰু:

ণোণোণো ৫০ শে)

عَمْرٍو يَقُولُ: كَانَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ وَهُوَ غُلَامٌ يَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ، فَكَانَ يَقُولُ لِأَحَدِهِمْ: تُرِيدُ أَنْ أُخْبِرَكَ مَا خَبَّأَتْ لَكَ أُمُّكَ؟ فَيَقُولُ: نَعَمْ. فَيَقُولُ: خَبَّأَتْ لَكَ كَذَا وَكَذَا. فَيَذْهَبُ الْغُلَامُ مِنْهُمْ إِلَى أُمِّهِ فَيَقُولُ لَهَا: أَطْعِمِينِي مَا خَبَّأْتِ لِي. فَتَقُولُ: وَأَيُّ شَيْءٍ خَبَّأْتُ لَكَ؟ فَيَقُولُ: كَذَا وَكَذَا. فَتَقُولُ لَهُ: مَنْ أَخْبَرَكَ؟ فَيَقُولُ: عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ. فَقَالُوا: وَاللَّهِ لَئِنْ تَرَكْتُمْ هَؤُلَاءِ الصِّبْيَانَ مَعَ ابْنِ مَرْيَمَ لَيُفْسِدَنَّهُمْ. فَجَمَعُوهُمْ فِي بَيْتٍ وَأَغْلَقُوا عَلَيْهِمْ، فَخَرَجَ عِيسَى يَلْتَمِسُهُمْ فَلَمْ يَجِدْهُمْ، فَسَمِعَ ضَوْضَاءَهُمْ فِي بَيْتٍ، فَسَأَلَ عَنْهُمْ، فَقَالُوا: إِنَّمَا هَؤُلَاءِ قِرَدَةٌ وَخَنَازِيرُ. فَقَالَ: اللَّهُمَّ كَذَلِكَ. فَكَانُوا كَذَلِكَ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ جُوَيْبِرٍ وَمُقَاتِلٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: وَكَانَ عِيسَى يَرَى الْعَجَائِبَ فِي صِبَاهُ إِلْهَامًا مِنَ اللَّهِ، فَفَشَا ذَلِكَ فِي الْيَهُودِ، وَتَرَعْرَعَ عِيسَى فَهَمَّتْ بِهِ بَنُو إِسْرَائِيلَ، فَخَافَتْ أُمُّهُ عَلَيْهِ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى أُمِّهِ أَنْ تَنْطَلِقَ بِهِ إِلَى أَرْضِ مِصْرَ ; فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَجَعَلْنَا ابْنَ مَرْيَمَ وَأُمَّهُ آيَةً وَآوَيْنَاهُمَا إِلَى رَبْوَةٍ ذَاتِ قَرَارٍ وَمَعِينٍ} [المؤمنون: 50] . وَقَدِ اخْتَلَفَ السَّلَفُ وَالْمُفَسِّرُونَ فِي الْمُرَادِ بِهَذِهِ الرَّبْوَةِ الَّتِي ذَكَرَ اللَّهُ مِنْ صِفَتِهَا أَنَّهَا ذَاتُ قَرَارٍ وَمَعِينٍ، وَهَذِهِ صِفَةٌ غَرِيبَةُ الشَّكْلِ ; وَهِيَ أَنَّهَا رَبْوَةٌ، وَهُوَ الْمَكَانُ الْمُرْتَفِعُ مِنَ الْأَرْضِ، الَّذِي أَعْلَاهُ مُسْتَوٍ يُقَرُّ عَلَيْهِ، فَمَعَ ارْتِفَاعِهِ، مُتَّسِعٌ،
পৃষ্ঠা - ৯৮৩
وَمَعَ عُلُوِّهِ، فِيهِ عَيْنٌ مِنَ الْمَاءِ مَعِينٌ ; وَهُوَ الْجَارِي السَّارِحُ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ، فَقِيلَ: الْمُرَادُ الْمَكَانُ الَّذِي وَلَدَتْ فِيهِ الْمَسِيحَ. وَهُوَ مَحِلَّةُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَلِهَذَا {فَنَادَاهَا مِنْ تَحْتِهَا أَلَّا تَحْزَنِي قَدْ جَعَلَ رَبُّكِ تَحْتَكِ سَرِيًّا} [مريم: 24] وَهُوَ النَّهْرُ الصَّغِيرُ، فِي قَوْلِ جُمْهُورِ السَّلَفِ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِإِسْنَادٍ جَيِّدٍ، أَنَّهَا أَنْهَارُ دِمَشْقَ. فَلَعَلَّهُ أَرَادَ تَشْبِيهَ ذَلِكَ الْمَكَانِ بِأَنْهَارِ دِمَشْقَ. وَقِيلَ: ذَلِكَ بِمِصْرَ. كَمَا زَعَمَهُ مَنْ زَعَمَهُ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَمَنْ تَلَقَّاهُ عَنْهُمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقِيلَ: هِيَ الرَّمْلَةُ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: قَالَ لَنَا إِدْرِيسُ، عَنْ جَدِّهِ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ: إِنَّ عِيسَى لَمَّا بَلَغَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً، أَمَرَهُ اللَّهُ أَنْ يَرْجِعَ مِنْ بِلَادِ مِصْرَ إِلَى بَيْتِ إِيلِيَا. قَالَ: فَقَدِمَ عَلَيْهِ يُوسُفُ ابْنُ خَالِ أُمِّهِ، فَحَمَلَهُمَا عَلَى حِمَارٍ، حَتَّى جَاءَ بِهِمَا إِلَى إِيلِيَا وَأَقَامَ بِهَا حَتَّى أَحْدَثَ اللَّهُ لَهُ الْإِنْجِيلَ، وَعَلَّمَهُ التَّوْرَاةَ، وَأَعْطَاهُ إِحْيَاءَ الْمَوْتَى، وَإِبْرَاءَ الْأَسْقَامِ، وَالْعِلْمَ بِالْغُيُوبِ مِمَّا يَدَّخِرُونَ فِي بُيُوتِهِمْ، وَتَحَدَّثَ النَّاسُ بِقُدُومِهِ، وَفَزِعُوا لِمَا كَانَ يَأْتِي مِنَ الْعَجَائِبِ، فَجَعَلُوا يَعْجَبُونَ مِنْهُ، فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ فَفَشَا فِيهِمْ أَمْرُهُ.
পৃষ্ঠা - ৯৮৪
ষ্ষ্


রমযান মাস, এতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে (২ বাকারা : ১৮৫) এ আঘাতের অধীনে আমরা
তাফসীর গ্রন্থে এতদ সম্পর্কীয় হাদীসগুলো উল্লেখ করেছি ৷ সেখানে এ কথাও বলা হয়েছে যে,
ঈসা (আ)-এর উপরে ইনজীল ১৮ রমযানে অবতীর্ণ হয় ৷

ইবন জারীর (র) তীর ইতিহাস গ্রন্থে লিখেছেন যে, ত্রিশ বছর বয়সকালে হযরত ঈসা
(আ)-এর প্ৰতি ইনজীল অবতীর্ণ হয় এবং ৫তত্রিশ বছর বয়সের সময় র্তাকে আসমান উঠিয়ে
নেয়া হয় ৷ ইসহাক ইবন বিশৃর আবু হুরড়ায়রা (বা) থেকে বর্ণিত ৷ আল্লাহ তড়াআলা হযরত
ঈসা ইবন মারয়ামের নিকট নিম্নলিখিত ওহী প্রেরণ করেন :

হে ঈসা! আমার নির্দেশ পালনে কঠােরভাবে চেষ্টা কর, হীনবল হয়াে না ৷ আমার বাণী
শ্রবণ কর ও আনুগত্য কর ৷ হে ঈসা ! তুমি এক পবিত্র সতী কুমারী ও তাপসী নারীর সন্তান ৷
পিতা বিহীন তোমার জন্ম ৷ বিশ্ববাসীর নিদর্শন স্বরুপ আমি তোমাকে সৃষ্টি করেছি ৷ সুতরাং
আমারই দাসতৃ কর, আমার উপরই ভরসা রাখ ৷ সর্বশক্তি দিয়ে আমার কিতাবের অনুসরণ কর ৷
সুরিয়ানী ভাষা-ভাষীদের নিকট কিতাবের বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করে শোনা ও ৷ তোমার সম্মুখে যারা
আছে তাদের কাছে আমার বাণীগুলো পৌছিয়ে দাও ৷ আমিই মহড়াসত্য , চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী ও
অক্ষয় ৷ সােকজনের কাছে প্রচার করবে যে, আরবের উঘী নবীকে সত্য বলে জানবে ৷ তিনি
হচ্ছে উষ্ট্ররেড়াহী, পাগডীধারী, বর্মধারী, জুতা পরিধানকারী এবং লাঠি ব্যবহারে অভ্যস্ত ৷ তিনি
বলেন আয়তণ্লাচন, প্রশস্ত কপাল উজ্জ্বল চেহারা কেচ্কড়ান চুল , ঘন দীড়ি , জোড়া তুরু , উচু
নাক বিশিষ্ট ৷ তার সামনের র্দাতগুলােতে সামান্য র্ফাক থাকবে; থুতনীর উপরের ও ঠোট সংলগ্ন
ছোট দীড়ি হবে দৃশ্যমান ৷ তীর ঘাড় হবে রৌপ্য পাত্রের মত উজ্জ্বল ৷ তীর হীসুলীর হীড় দু’টি
হবে যেন প্রবহমান স্বর্ণ ৷ তার বুক থেকে নাভি পর্যন্ত কাল পশমের রেখা থাকবে ৷ এই রেখা
ব্যতীত পেটে বা বুকের অন্য কোথাও চুল থাকবে না ৷ তীর হাতের তালু ও পায়ের তলা হবে
মাংসল ৷ কোন দিকে তাকালে পুর্ণ দৃষ্টিতে তাকাবেন ৷ ইাটার সময় মনে হবে সম্মুখে ঝুকে
যেন নিম্ন দিকে নেমে আসছেন ৷ ঘযাক্ত অবস্থায় দেখলে মনে হবে যেন ঢেহারার উপরে মুক্তার
দানা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং মিশকের ঘ্রড়াণ চারিদিকে ছড়াচ্ছে ৷ তীর পুর্বেও কাউকে এমন
দেখা যায়নি এবং পরেও কেউ এমন আসবে না ৷ তার দৈহিক গঠন ও অবয়ব হবে অত্যন্ত
সৃশ্ৰী ৷ তিনি অধিকবিবাহকারী, র্তার সন্তান সংখ্যা হবে কম এবং তীর বংশধারা চলবে এক
বরকতময় মহিলা থেকে ৷ জান্নাতে তার জন্যে থাকবে নির্ধারিত প্ৰক্যেষ্ঠ ৷ প্রক্যেষ্ঠটি একটি
প্রকাণ্ড ফীপা মুক্তোয় নির্মিত ৷ সেখানে থাকবে না কোন ক্লান্তি, থাকবে না কোন চিৎকার ধ্বনি ৷
হে ঈসা ! তুমি শেষ যামানার যিম্মাদার হবে, যেমন ষাকারিয়া ছিল তোমার মায়ের যিম্মাদার,
জান্নড়াতে তার জন্যে থাকবে সাক্ষ্য দানকারী দ ট্রুটি পাথীর ছানা ৷ আমার নিকট তার যে মর্যাদা,
তা অন্য কোন মানুষের নেই ৷ তার কিতাবের নাম হবে কুরআন, ধর্মের নাম হবে ইসলাম ৷
আমার এক নাম সালাম ৷ ধন্য সেই, যে তীর সময়কাল পাবে, তার কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করবে ও
তীর কথা শ্রবণ করবে ৷



টীকা : শামাইলে তিরমিযীর ১ম অধ্যায়ের দ্বিতীয় হাদীসের বর্ণনা মতে তার চুল না ছিল অত্যধিক কুঞ্চিত, না ছিল
একেবারে সোজা ৷


[بَيَانُ نُزُولِ الْكُتُبِ الْأَرْبَعَةِ وَمَوَاقِيتِهَا] قَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ قَالَ: أُنْزِلَتِ التَّوْرَاةُ عَلَى مُوسَى فِي سِتِّ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ، وَنَزَلَ الزَّبُورُ عَلَى دَاوُدَ فِي اثْنَتَيْ عَشْرَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ، وَذَلِكَ بَعْدَ التَّوْرَاةِ بِأَرْبَعِمِائَةِ سَنَةٍ وَاثْنَتَيْنِ وَثَمَانِينَ سَنَةً، وَأُنْزِلَ الْإِنْجِيلُ عَلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ فِي ثَمَانِي عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ، بَعْدَ الزَّبُورِ بِأَلْفِ عَامٍ وَخَمْسِينَ عَامًا، وَأُنْزِلَ الْفَرْقَانُ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " التَّفْسِيرِ " عِنْدَ قَوْلِهِ: {شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ} [البقرة: 185] الْأَحَادِيثَ الْوَارِدَةَ فِي ذَلِكَ، وَفِيهَا أَنَّ الْإِنْجِيلَ أُنْزِلَ عَلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي ثَمَانِي عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي " تَارِيخِهِ " أَنَّهُ أُنْزِلَ عَلَيْهِ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثِينَ سَنَةً، وَمَكَثَ حَتَّى رُفِعَ إِلَى السَّمَاءِ، وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً. كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: وَأَنْبَأْنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، وَمُقَاتِلٌ،
পৃষ্ঠা - ৯৮৫
ষ্ষ্


তুব৷ বৃক্ষের বর্ণনা
নবী ঈস৷ (আ) একদা আল্লাহর নিকট নিবেদন করলেন, হে আমার প্ৰতিপালক ! তুবা কী?
আল্লাহ জানালেন, তৃব৷ একটি বৃক্ষের নাম ৷ আমি নিজ হা৷ত তা রােপণ করেছি ৷ এটা

প্রত্যেকটা জ ন্নাবু তর জন্যই ৷ এর শ্মিকড় রিয্ওয়ানে এবং তার পানির উৎস তাসনীম ৷ এর
শিশির কর্মুরের মত, এর স্বাদ আমার এবৎঘ্র ঘ্রাণ মিশকের মত ৷ যে ব্যক্তি এর থেকে একবার
পান করবে সে কখনও পিপাসাবােধ করবে না ৷ ঈস৷ (আ) বললেন আমাকে একবার সে পানি
পান করার সুযোগ দিন ৷ আল্লাহ বললেন, সেই নবী পান করার পুর্বে অন্য নবীদের জন্যে এটা
পান করা নিষিদ্ধ এবং সেই নবীর উম্মতরা পান করার পুর্বে অন্য নৰীদের উম্মতদের জন্যে এর
স্বাদ গ্রহণ নিষিদ্ধ ৷ আল্লাহ বললেন, হে ঈসা আমি৫ তামাকে আমার নিকট উঠিয়ে আনব ৷ ঈসা
বললেন, প্ৰভাে কেন আমাকে উঠিয়ে নিবেনঃ আল্লাহ বললেন, আমি প্রথমে তোমাকে উঠিয়ে
আনব ৷ তারপর শেষ ন্ যামানায় আবার পৃথিবীতে পাঠাব ৷ এতে তুমি সেই নবীর উম্মতের
বিস্ময়কর অবস্থা প্রত্যক্ষ করতে পারবে এবং অভিশপ্ত দাজ্জালকে হত্যা করার ব্যাপারে
তাদেরকে সাহায্য করতে পারবে ৷ কোন এক নামাযের সময় তোমাকে পৃথিবীতে নামাব ৷ কিন্তু
তু তাদের নামাযে ইমামতি ৩করবে না ৷ কেননড়া তারা হচ্ছে রহমতপ্রাপ্ত উম্মত ৷ তাদের যিনি
নবী,৩৷ তারপর আর কোন নবী নেই ৷

হিশাম ইবন আমার যায়দ থেকে বর্ণিত ৷ ঈসা বলেছিলেন, প্রভাে আমাকে এই
রহমত প্রাপ্ত উম্মত সম্পর্কে কিছু জানান ৷ আল্লাহ বললেন, তারা আহমদ নবীর উম্মত ৷ ত যা
হবে নবীতুল্য আলিম ও প্রজ্ঞাবান ৷ আমার অল্প অনুগ্নহে তারা সন্তুষ্ট থাকবে ৷ শুধু লা ৷-ইলাহা
ইল্লাল্লাহুর বদৌলতেই তাদেরকে আমি জান্নাতে প্রবেশ করাবাে ৷ তারাই হবে জান্নাতের
অধিকাংশ অধিবাসী ৷ কেননা, লা-ইলাহ৷ ইল্লড়াল্লাহুর যিকির দ্বারা তাদের জিহব৷ যে পরিমাণ
সিক্ত হয়েছে, যে পরিমাণ সিক্ত অন্য কোন জাতির হয়নি এবং সিজদা করাতে তাদের গর্দান
যতবার তু-লুষ্ঠিত হয়েছে, ততবার অন্য কোন জাতির গর্দান ভুলুষ্ঠিত হয়নি ৷ (ইবন আসাকির)

ইবন আসাকির আব্দুল্লাহ ইবন আওসাজা থেকে বর্ণনা করেন ৷ আল্লাহ ওহীর মাধ্যমে ঈসা
ইবন মারয়ামকে বলেন, তোমার চিন্তা ভ৷ ৷বনায় আমাকেও নিত্য সা ৷থী করে বা যে এবং তোমার
আখিরাতে র জন্যে আমাকে সম্বলরুপে রাখ ৷ নফল ইবাদতের দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন কর,
তাহলে আমি তোমাকে প্রিয় জানবাে ৷ আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে তে তামার বন্ধু বানিয়াে
ন৷ ৷ এরুপ করলে তুমি লাঞ্ছিত হবে ৷ বিপদে ধৈয ধারণ কর এবং তাকদীবের প্রতি সভুষ্ট থাক ৷
তোমার মধ্যে আমার সভুষ্টিকে জাগ্রত রাখ ৷ কেননা তে তামার সত্তুষ্টি আমার আনুগরু তা নি৩
অবাধ্যতায় নয় ৷ আমার নৈকট্য লাভের চেষ্টাক কর আমাকে সর্বদা স্মরণ রাখ ৷ তোমার অম্ভবে
যেন আমার ভ ৷৷লবস সাবিরাজ করে ৷ অবসর সময়ে সদা সচেতন থাক ৷ সুক্ষ্ম প্রজ্ঞাকে সুদৃঢ়
কর ৷ আমার প্রতি আগ্রহ ও ভীতি পোষণ কর ৷ আমার ডীতি দ্বারা অম্ভরকে সমাহিত কর ৷
আমার সত্তুষ্টি অর্জনের জন্যে রাতের সদ্ব্যবহার করবে ৷ এবং দিনের বেলা থাকবে তষ্ণা,র্থ যাতে
করে আমার নিকট পুর্ণ পরিতৃপ্তির দিল লাভ করতে পার ৷ কল্যাণকর কাজে তোমার
চেষ্টা-সাধন৷ নিয়োজিত রাখ ৷ যেখানেই থাক, কল্যাণকর কাজের সহায়ক থাক ৷ মানুষের


عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ آدَمَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: أَوْحَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ: يَا عِيسَى جِدَّ فِي أَمْرِي وَلَا تَهِنْ، وَاسْمَعْ وَأَطِعْ يَا ابْنَ الطَّاهِرَةِ الْبِكْرِ الْبَتُولِ، إِنَّكَ مِنْ غَيْرِ فَحْلٍ وَأَنَا خَلَقْتُكَ آيَةً لِلْعَالَمِينَ، إِيَّايَ فَاعْبُدْ وَعَلَيَّ فَتَوَكَّلْ، خُذِ الْكِتَابَ بِقُوَّةٍ، فَسِّرْ لِأَهْلِ السُّرْيَانِيَّةِ، بَلِّغْ مَنْ بَيْنَ يَدَيْكَ أَنِّي أَنَا الْحَيُّ الْقَائِمُ الَّذِي لَا أَزُولُ، صَدِّقُوا النَّبِيَّ الْأُمِّيَّ الْعَرَبِيَّ، صَاحِبَ الْجَمَلِ وَالتَّاجِ - وَهِيَ الْعِمَامَةُ - وَالْمِدْرَعَةِ وَالنَّعْلَيْنِ وَالْهِرَاوَةِ - وَهِيَ الْقَضِيبُ - الْأَنْجَلَ الْعَيْنَيْنِ، الصَّلْتَ الْجَبِينِ، الْوَاضِحَ الْخَدَّيْنِ، الْجَعْدَ الرَّأْسِ، الْكَثَّ اللِّحْيَةِ، الْمَقْرُونَ الْحَاجِبَيْنِ، الْأَقْنَى الْأَنْفِ، الْمُفَلَّجَ الثَّنَايَا، الْبَادِيَ الْعَنْفَقَةِ، الَّذِي كَأَنَّ عُنُقَهُ إِبْرِيقُ فِضَّةٍ، وَكَأَنَّ الذَّهَبَ يَجْرِي فِي تَرَاقِيهِ، لَهُ شَعَرَاتٌ مِنْ لَبَّتِهِ إِلَى سُرَّتِهِ تَجْرِي كَالْقَضِيبِ، لَيْسَ عَلَى بَطْنِهِ وَلَا عَلَى صَدْرِهِ شَعْرٌ غَيْرُهُ، شَثْنَ الْكَفِّ وَالْقَدَمِ، إِذَا الْتَفَتَ الْتَفَتَ جَمِيعًا، وَإِذَا مَشَى كَأَنَّمَا يَتَقَلَّعُ مِنْ صَخْرٍ وَيَنْحَدِرُ مِنْ صَبَبٍ، عَرَقُهُ فِي وَجْهِهِ كَاللُّؤْلُؤِ، وَرِيحُ الْمِسْكِ يَنْفَحُ مِنْهُ، لَمْ يُرَ قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ مِثْلُهُ، الْحَسَنَ الْقَامَةِ، الطَّيِّبَ الرِّيحِ، نَكَّاحَ النِّسَاءِ، ذَا النَّسْلِ الْقَلِيلِ، إِنَّمَا نَسْلُهُ مِنْ مُبَارَكَةٍ لَهَا بَيْتٌ - يَعْنِي فِي الْجَنَّةِ - مِنْ قَصَبٍ، لَا نَصَبَ فِيهِ وَلَا صَخَبَ، تُكَفِّلُهُ - يَا عِيسَى - فِي آخِرِ الزَّمَانِ كَمَا كَفَّلَ زَكَرِيَّا أُمَّكَ، لَهُ مِنْهَا فَرْخَانِ مُسْتَشْهَدَانِ، وَلَهُ عِنْدِي مَنْزِلَةٌ لَيْسَتْ لِأَحَدٍ مِنَ الْبَشَرِ، كَلَامُهُ الْقُرْآنُ، وَدِينُهُ الْإِسْلَامُ، وَأَنَا السَّلَامُ، طُوبَى لِمَنْ أَدْرَكَ زَمَانَهُ، وَشَهِدَ أَيَّامَهُ، وَسَمِعَ كَلَامَهُ.
পৃষ্ঠা - ৯৮৬
[بَيَانُ شَجَرَةِ طُوبَى مَا هِيَ] قَالَ عِيسَى: يَا رَبِّ، وَمَا طُوبَى؟ قَالَ: غَرْسُ شَجَرَةٍ أَنَا غَرَسْتُهَا بِيَدِي فَهِيَ لِلْجِنَانِ كُلِّهَا، أَصْلُهَا مِنْ رِضْوَانٍ، وَمَاؤُهَا مِنْ تَسْنِيمٍ، وَبَرْدُهَا بَرْدُ الْكَافُورِ، وَطَعْمُهَا طَعْمُ الزَّنْجَبِيلِ، وَرِيحُهَا رِيحُ الْمِسْكِ، مَنْ شَرِبَ مِنْهُ شَرْبَةً لَمْ يَظْمَأْ بَعْدَهَا أَبَدًا. قَالَ عِيسَى: يَا رَبِّ، اسْقِنِي مِنْهَا. قَالَ: حَرَامٌ عَلَى النَّبِيِّينَ أَنْ يَشْرَبُوا مِنْهَا، حَتَّى يَشْرَبَ ذَلِكَ النَّبِيُّ، وَحَرَامٌ عَلَى الْأُمَمِ أَنْ يَشْرَبُوا مِنْهَا، حَتَّى تَشْرَبَ مِنْهَا أُمَّةُ ذَلِكَ النَّبِيِّ. قَالَ: يَا عِيسَى، أَرْفَعُكَ إِلَيَّ. قَالَ: يَا رَبِّ، وَلِمَ تَرْفَعُنِي؟ قَالَ: أَرْفَعُكَ ثُمَّ أُهْبِطُكَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ ; لِتَرَى مِنْ أُمَّةِ ذَلِكَ النَّبِيِّ الْعَجَائِبَ، وَلِتُعِينَهُمْ عَلَى قِتَالِ اللَّعِينِ الدَّجَّالِ، أُهْبِطُكَ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ، ثُمَّ لَا تُصَلِّي بِهِمْ ; لِأَنَّهَا أُمَّةٌ مَرْحُومَةٌ، وَلَا نَبِيَّ بَعْدَ نَبِيِّهِمْ. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عِيسَى قَالَ: يَا رَبِّ، أَنْبِئْنِي عَنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ الْمَرْحُومَةِ. قَالَ: أُمَّةُ أَحْمَدَ، هَمْ عُلَمَاءُ حُكَمَاءُ كَأَنَّهُمْ أَنْبِيَاءُ، يَرْضَوْنَ مِنِّي بِالْقَلِيلِ مِنَ الْعَطَاءِ، وَأَرْضَى مِنْهُمْ بِالْيَسِيرِ مِنَ الْعَمَلِ، وَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ بِلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، يَا عِيسَى، هُمْ أَكْثَرُ سُكَّانِ الْجَنَّةِ ; لِأَنَّهُ لَمْ تَذِلَّ أَلْسُنُ قَوْمٍ قَطُّ بِلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ كَمَا ذَلَّتْ أَلْسِنَتُهُمْ، وَلَمْ تَذِلَّ رِقَابُ قَوْمٍ قَطُّ بِالسُّجُودِ كَمَا ذَلَّتْ بِهِ رِقَابُهُمْ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ.
পৃষ্ঠা - ৯৮৭
ষ্ষ্


নিকট আমার উপদেশ পৌছিয়ে দাও ৷ আমার ন্যায়পরায়ণতার সাথে আমার বান্দাদের মধ্যে
ফয়সালা কর ৷ তোমার নিকট আমি এমন উপদেশ নাযিল করেছি, যা মনের সন্দেহ-সংশয় ও
ৰিস্মৃতি রোগের নিরাময় স্বরুপ ৷ তা চোখের আবরণ দুর করে ও দৃষ্টিকে প্রখর করে ৷ তুমি
কোথাও মৃতবৎ স্থবির হয়ে থেকো না, যতক্ষণ তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস চলে ৷ হে ঈসা ইবন
মারয়াম! আমার প্রতি যে লোকই ঈমান আসে, যে আমাকে ভয় করে ৷ আর যে আমাকে ভয়
করে, সে আমার থেকে পুরষ্কারেরও আশা রাখে ৷ অতএব, তুমি সড়াক্ষী থেক্যে, ঐ ব্যক্তি আমার
শাস্তি থেকে নিরাপদ থাকবে যাবৎ না সে আমার নীতি পরিবর্তাব্ করে ৷ হে কুমারী তাপসী
মারয়ামের পুত্র ঈসা! জীবনভর র্কাদতে থাক, যেভাবে কেদে থাকে পরিবার-পরিজনকে বিদায়
দান কালে কোন লোক এবং প্দুনিয়াকে প্রত্যাখ্যান করে, দুনিয়ার স্বাদ বর্জন করে এবং আপন
প্ৰভুর নিকট পুরস্কারের আকাক্ষোয় থাকে ৷ লোকের সাথে কোমল ব্যবহার করবে ৷ সালামের
প্রসার ঘটাবে ৷ মানুষ যখন নিদ্রায় বিভাের থাকে তখন তুমি কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থা ও
বিভীষিকাময় কঠিন ভু-কম্পনের ভয়ে জাগ্রত থাকবে ৷

সেদিন আপন পরিবার ও ধন-সস্পদ কোনই কাজে আসবে না ৷ নির্বোধরা যখন হাসি-
ঠাট্টারত থাকে, তখন ভুমি ন্চক্ষুদ্বয়কে চিন্তার বিষড়াদের সুর্মা মেখে রাখ এবং এ ব্যাপারে ধৈর্য
ধারণ কর এবং একে তোমার পুণ্যপ্রাপ্তির হেভু কর ৷ ধৈর্য অবলম্বককারীদের জন্যে আমি যে
পুরস্কারের ওয়াদা করেছি, তা যদি তুমি পেয়ে যাও, তবে তোমার জীবন ধন্য ৷ দুনিয়ার মােহ
ছিন্ন করে ক্রমান্বয়ে আল্লাহর দিকে অগ্রসর হতে থাক ৷ যে নিয়ামত তোমার আয়ত্বে এসেছে
তা থেকে সামান্য স্বাদ গ্রহণ কর ৷ যে নিয়ামত তোমার আয়ত্বে আসেনি তার লোড করো না ৷
দুনিয়ার অল্পতেই সন্তুষ্ট থাক ৷ জীবন ধারণের জন্যে একটি শুকনা থেজুরই তোমার জন্যে
যথেষ্ট মনে করবে ৷ দুনিয়া কোন পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে তা তুমি প্রত্যক্ষ করছ ৷
পরকালের হিসাবের কথা স্মরণ রেখে আমল করতে থাক ৷ কেননা সেখানে তোমাকে জবাবদিহি
করতে হবে ৷ আমি আমার মনোনীত নেককার লোকদের জন্যে সেখানে যেসব পুরস্কারের
ব্যবস্থা রেখেছি, তা যদি তুমি দেখতে তাহলে তোমার অন্তর বিগলিত হয়ে যেত এবং সহ্য
করতে না পেরে তুমি মারাই যেতে ৷

আবু দাউদ তার কিভাবে তাকদীর অধ্যায়ে লিখেছেন, মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্য়া তউিস
থেকে বর্ণিত ৷ একদা ঈসা ইবন মারয়ামের সাথে ইবলীসের সাক্ষাত হয় ৷ ঈসা ইবলীসকে
বললেন, তুমি তো জান, তোমার তাকদীরে যা লেখা হয়েছে তার ব্যতিক্রম কিছুতেই হবে না ৷
ইবলীস বলল, তা হলে আপনি এই পাহাড়ের চুড়ায় উঠুন এবং সেখান থেকে লাফ দিয়ে নীচে
পড়ে দেখুন জীবিত থাকেন কিনা ৷ ঈসা (আ) বললেন, তুমি জান না, আল্লাহ বলেছেন, বান্দা
আমাকে পরীক্ষা করতে পারে না, আমি যা’ চাই তাই করে থাকি ? যুহ্রী বলেছেন, মানুষ কোন
বিষয়ে আল্লাহকে পরীক্ষা করতে পারে না, বরং আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করে থাকেন ৷ আবু
দাউদ বলেন, আহমদ তাউসের ররাতে বলেন ৷ একবার শয়তান হযরত ঈসার নিকটে এসে
বলল, আপনি তো নিজেকে সতঙ্কুবাদী বলে মনে করেন, তা হলে আপনি উধের্ব উঠে নীচে
লাফিয়ে পড়ুন দেখি ৷ ঈসা বললেন, তোমার অমঙ্গল হোক, আল্লাহ কি এ কথা বলেন নি যে,


وَرَوَى مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ بْنِ بَدِيلٍ الْعُقَيْلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْسَجَةَ، قَالَ: أَوْحَى اللَّهُ إِلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ: أَنْزِلْنِي مِنْ نَفْسِكَ كَهَمِّكَ، وَاجْعَلْنِي ذُخْرًا لَكَ فِي مَعَادِكَ، وَتَقَرَّبْ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ أُحِبَّكَ، وَلَا تَوَلَّ غَيْرِي فَأَخْذُلَكَ، اصْبِرْ عَلَى الْبَلَاءِ، وَارْضَ بِالْقَضَاءِ، وَكُنْ لِمَسَرَّتِي فِيكَ، فَإِنَّ مَسَرَّتِي أَنْ أُطَاعَ فَلَا أُعْصَى، وَكُنْ مِنِّي قَرِيبًا، وَأَحْيِ ذِكْرِي بِلِسَانِكَ، وَلْتَكُنْ مَوَدَّتِي فِي صَدْرِكَ، تَيَقَّظْ مِنْ سَاعَاتِ الْغَفْلَةِ، وَاحْكُمْ لِي لَطِيفَ الْفِطْنَةِ، وَكُنْ لِي رَاغِبًا رَاهِبًا، وَأَمِتْ قَلْبَكَ مِنَ الْخَشْيَةِ لِي، وَرَاعِ اللَّيْلَ لِحَقِّ مَسَرَّتِي، وَأَظْمِ نَهَارَكَ لِيَوْمِ الرَّيِّ عِنْدِي، نَافِسْ فِي الْخَيْرَاتِ جَهْدَكَ وَأَعْرِفْ بِالْخَيْرِ حَيْثُ تَوَجَّهْتَ وَقُمْ فِي الْخَلَائِقِ بِنَصِيحَتِي، وَاحْكُمْ فِي عِبَادِي بِعَدْلِي، فَقَدْ أَنْزَلْتُ عَلَيْكَ شِفَاءَ وَسَاوِسِ الصُّدُورِ مِنْ مَرَضِ النِّسْيَانِ، وَجِلَاءَ الْأَبْصَارِ مِنْ غِشَاءِ الْكَلَالِ، وَلَا تَكُنْ حَلِسًا كَأَنَّكَ مَقْبُوضٌ وَأَنْتَ حَيٌّ تَنَفَّسُ، يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، مَا آمَنَتْ بِي خَلِيقَةٌ إِلَّا خَشَعَتْ، وَلَا خَشَعَتْ لِي إِلَّا رَجَتْ ثَوَابِي، فَأُشْهِدُكَ أَنَّهَا آمِنَةٌ مِنْ عِقَابِي، مَا لَمْ تُغَيِّرْ أَوْ تُبَدِّلْ سُنَّتِي، يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ الْبِكْرِ الْبَتُولِ، ابْكِ عَلَى نَفْسِكَ أَيَّامَ الْحَيَاةِ بُكَاءَ مَنْ وَدَّعَ الْأَهْلَ وَقَلَا الدُّنْيَا، وَتَرَكَ اللَّذَّاتِ لِأَهْلِهَا، وَارْتَفَعَتْ رَغْبَتُهُ فِيمَا عِنْدَ إِلَهِهِ، وَكُنْ فِي ذَلِكَ تُلِينُ الْكَلَامَ، وَتُفْشِي السَّلَامَ، وَكُنْ يَقِظَانَ إِذَا نَامَتْ عُيُونُ الْأَبْرَارِ، حَذَارِ مَا هُوَ آتٍ مِنْ أَمْرِ الْمَعَادِ، وَزَلَازِلِ شَدَائِدِ الْأَهْوَالِ، قَبْلَ أَنْ لَا يَنْفَعَ أَهْلٌ وَلَا مَالٌ، وَاكْحَلْ عَيْنَكَ بِمُلْمُولِ الْحُزْنِ
পৃষ্ঠা - ৯৮৮
ষ্ষ্


হে আদম সন্তান ! তোমরা আমার নিকট মৃত্যু কামনা করবে না? কেননা আমি যা চাই তা-ই
করে থাকি ৷ আবু তাওয়া আর রবী’ খালিদ ইবন ইয়াযীদ থেকে বর্ণিত ৷ শয়তান দশ বছর
কিৎবা দট্রু বছর যাবত ঈসা’ (আ)-এব সাথে ইবাদত বন্দেগী করতে থাকে ৷ একদিন তারা এক
পাহাড়ের উপরে অবস্থান করছিলেন ৷ তখন শয়তান ঈসা (আ)-কে বলল, আমি যদি এখান
থেকে লাফ দিয়ে নীচে পড়ি, তাহলে আমার তাকদীরে যা লেখা আছে তার কি কোন ব্যক্তিক্রম
ঘটবেঃ ঈসা (আ) বললেন, আমি আল্লাহ্কে পরীক্ষা করার ক্ষমতা রাখি না , বরং আল্লাহর যখন
ইচ্ছা আমাকে পরীক্ষা করে থাকেন ৷ ঈসা (আ) এতক্ষাণ চিনতে পারলেন যে, এ শয়তান ছাড়া
আর কিছু নয় ৷ সুতরাং তিনি তাকে তাড়িয়ে দিলেন ৷ আবু বকর ইবন আবিদ দুনিয়া আবু
উছমান (র) থেকে বর্ণিত ৷ একদা হযরত ঈসা (আ) এক পাহাড়ের উপরে সালাত আদায়
করছিলেন ৷ এমন সময় তার নিকট ইবলীস এসে বলল, আপনি কি এই দাবী করে থাকেন যে,
প্রতিটি বিষয়ই তার পুর্ব নির্ধারিত তাকদীর অনুযায়ী সংঘটিত হয়? ঈসা (আ) বললেন, হ্যা ৷
ইবলীস বলল, তাহলে আপনি এ পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে নীচে পড়ুন এবং বলুন যে, এটাই
আমার তাকদীরে ছিল ৷ ঈসা (আ) বললেন, ওহে অন্ডিশপ্ত শয়তান! আল্লাহ তার বান্দাকে
পরীক্ষা করতে পারেন, কিন্তু বান্দারা কখনও আল্লাহকে পরীক্ষা করতে পারে না ৷
আবু বকর ইবন আবিদ দুনিয়া সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (র) থেকে বর্ণনা করেন যে,
একদা হযরত ঈসড়ার সাথে ইবলীসের সাক্ষাত হয় ৷ ইবলীস বলল, হে ঈসা ইবন মারয়াম !
আপনি দােলনায় শিশু অবস্থায় মানুষের সাথে কথা বলেছেন, এটা আপনার প্রভুত্বের বড়
নিদর্শন ৷ আপনার পুর্বে আর কোন মানব সন্তান ঐ অবস্থায় কথা বলেনি ৷ ঈসা (আ) বললেন,
না প্রভুতু তো ঐ আল্লাহর জন্যে নির্ধারিত, যিনি আমাকে শিশু অবস্থায় কথা বলার শক্তি
দিয়েছেন, এরপরে এক সময় আমাকে মৃত্যু দিবেন এবং পুনরায় জীবিত করবেন ৷ ইবলীস
বলল, আপনি মৃতকে জীবিত করে থাকেন, এটা আপনার প্রভু হওয়ার বড় প্রমাণ ৷ ঈসা (আ)
বললেন, তা হয় কিভাবে, প্রভু তো একমাত্র তিনি, যিনি জীবিত করার প্রকৃত মালিক ৷ এবং
আমি যাকে জীবিত করি, তিনি তাকে মৃত্যু দেন এবং পুনরায় তাকে জীবিত করেন ৷ ইবলীস
বলল, আল্লাহর কলম, আপনি আকান্থশরও প্রভু এবং দুনিয়ারও প্রভু ৷ এ কথা বলার সাথে সাথে
ফিরিশ্তা জিবরীল (আ) তাকে আপন ডানা দ্বারা এক ঝাপটা মেরে সুর্যের কিনারায় পৌছিয়ে
দেন ৷ তারপরে আর এক ঝাপটা মেরে সপ্তম সমুদ্রের তলদেশে পৌছিয়ে দেন ৷ এমনকি ইবলীস
সমুদ্রের নীচে কাদার সংগে লেগে যায় ৷ সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ঈসা ইবন মারয়ামকে
বলে, আমি আপনার থেকে যে শিক্ষা পেলাম, এমন শিক্ষা কেউ কারও থেকে পায় না ৷ এ
জাতীয় ঘটনা আরও বিশদভাবে ভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷
হাফিজ আবু বকর আল খাতীব আৰু সালমা সুয়ড়ায়দ থেকে বর্ণিত ৷ হযরত ঈসা (আ)
একদা রায়তৃল মুকাদ্দাসে সালাত আদায় করে বাড়ি ফিরছিলেন ৷ একটি গিরিপথ দিয়ে যাওয়ার
সময় ইবলীস তার সম্মুখে এসে পথরোধ করে দাড়ায় ৷ ঈসা (আ) ঘুরে গেলে সে আবার সম্মুখে
এসে দীড়ায় এবং বলতে থাকে আপনার জন্যে অন্য কারও দাসতু করা শোভা পায় না ৷ এ
কথাটি সে বারবার ঈসা (আ)-কে বলতে থাকে ৷ ঈসা (আ) তার হাত থেকে ছুটে আমার জন্যে


إِذَا ضَحِكَ الْبَطَّالُونَ، وَكُنْ فِي ذَلِكَ صَابِرًا مُحْتَسِبًا، فَطُوبَى لَكَ إِنْ نَالَكَ مَا وَعَدْتُ الصَّابِرِينَ، رَجِّ مِنَ الدُّنْيَا بِاللَّهِ: يَوْمٌ بِيَوْمٍ، وَذُقْ مَذَاقَةَ مَا قَدْ هَرَبَ مِنْكَ أَيْنَ طَعْمُهُ، وَمَا لَمْ يَأْتِكَ كَيْفَ لَذَّتُهُ، فَرَجِّ مِنَ الدُّنْيَا بِالْبُلْغَةِ، وَلْيَكْفِكَ مِنْهَا الْخَشِنُ الْجَشِيبُ، قَدْ رَأَيْتَ إِلَى مَا تَصِيرُ، اعْمَلْ عَلَى حِسَابٍ فَإِنَّكَ مَسْئُولٌ، لَوْ رَأَتْ عَيْنُكَ مَا أَعْدَدْتُ لِأَوْلِيَائِي الصَّالِحِينَ، ذَابَ قَلْبُكَ وَزَهَقَتْ نَفْسُكَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي كِتَابِ " الْقَدَرِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَعَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: لَقِيَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ إِبْلِيسَ، فَقَالَ: أَمَا عَلِمْتَ أَنَّهُ لَنْ يُصِيبَكَ إِلَّا مَا كُتِبَ لَكَ؟ قَالَ إِبْلِيسُ: فَارْقَ بِذِرْوَةِ هَذَا الْجَبَلِ، فَتَرَدَّ مِنْهُ فَانْظُرْ تَعِيشُ أَمْ لَا؟ فَقَالَ ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ: فَقَالَ عِيسَى: أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ اللَّهَ قَالَ: لَا يُجَرِّبُنِي عَبْدِي، فَإِنِّي أَفْعَلُ مَا شِئْتُ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: إِنَّ الْعَبْدَ لَا يَبْتَلِي رَبَّهُ، وَلَكِنَّ اللَّهَ يَبْتَلِي عَبْدَهُ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ طَاوُسٍ قَالَ: أَتَى الشَّيْطَانُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَقَالَ: أَلَيْسَ تَزْعُمُ أَنَّكَ صَادِقٌ؟ فَأْتِ هَذِهِ فَأَلْقِ نَفْسَكَ. قَالَ: وَيْلَكَ! أَلَيْسَ قَالَ: يَا ابْنَ آدَمَ، لَا تَسْأَلْنِي هَلَاكَ نَفْسِكَ، فَإِنِّي أَفْعَلُ مَا أَشَاءُ.
পৃষ্ঠা - ৯৮৯
وَحَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ طَلْحَةَ، سَمِعْتُ خَالِدَ بْنَ يَزِيدَ، قَالَ: تَعَبَّدَ الشَّيْطَانُ مَعَ عِيسَى عَشْرَ سِنِينَ أَوْ سَنَتَيْنِ، أَقَامَ يَوْمًا عَلَى شَفِيرِ جَبَلٍ، فَقَالَ الشَّيْطَانُ: أَرَأَيْتَ إِنْ أَلْقَيْتُ نَفْسِي، هَلْ يُصِيبُنِي إِلَّا مَا كُتِبَ لِي؟ قَالَ: إِنِّي لَسْتُ بِالَّذِي أَبْتَلِي رَبِّي وَلَكِنَّ رَبِّي إِذَا شَاءَ ابْتَلَانِي. وَعَرَفَ أَنَّهُ الشَّيْطَانُ، فَفَارَقَهُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، عَنِ الْخَطَّابِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ: كَانَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، يُصَلِّي عَلَى رَأْسِ جَبَلٍ فَأَتَاهُ إِبْلِيسُ فَقَالَ: أَنْتَ الَّذِي تَزْعُمُ أَنَّ كُلَّ شَيْءٍ بِقَضَاءٍ وَقَدَرٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَلْقِ نَفْسَكَ مِنْ هَذَا الْجَبَلِ وَقُلْ: قَدَرٌ عَلَيَّ. فَقَالَ: يَا لِعَيْنُ، اللَّهُ يَخْتَبِرُ الْعِبَادَ، وَلَيْسَ الْعِبَادُ يَخْتَبِرُونَ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ، سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ يَقُولُ: لَقِيَ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ إِبْلِيسُ، فَقَالَ لَهُ إِبْلِيسُ: يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، أَنْتَ الَّذِي بَلَغَ مِنْ عِظَمِ رُبُوبِيَّتِكَ أَنَّكَ تَكَلَّمْتَ فِي الْمَهْدِ صَبِيًّا، وَلَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ أَحَدٌ قَبْلَكَ. قَالَ: بَلِ الرُّبُوبِيَّةُ لِلْإِلَهِ الَّذِي أَنْطَقَنِي، ثُمَّ يُمِيتُنِي، ثُمَّ يُحْيِينِي. قَالَ: فَأَنْتَ الَّذِي بَلَغَ مِنْ عِظَمِ رُبُوبِيَّتِكَ أَنَّكَ تُحْيِي الْمَوْتَى. قَالَ: بَلِ الرُّبُوبِيَّةُ لِلَّهِ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ مَنْ أَحْيَيْتُ ثُمَّ يُحْيِيهِ. قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّكَ
পৃষ্ঠা - ৯৯০
ষ্ষ্


আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন, কিত্তু পারছিলেন না ৷ ইবলীস বারবার এ কথাই বলছিল যে, হে ঈস৷ !
কারও দাস হওয়া আপনাকে মানায় না ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা
করেন ৷ তখন হযরত জিবরীল ও মিকাঈল ফিরিশ৩ তাদ্বয় সেখানে হাজির হলেন ৷ ইবলীস
তাদেরকে দেখা মাত্র থেমে গেল ৷ কিছুক্ষণ পর ঐ গিরিপথেই ইবলীস ঈসা( ৷( আ)-এর সম্মুখে
উপস্থিত হল ৷ তখন ফিরিশতাদ্বয় ঈস৷ (আ) এর সাহায্যে অগ্রসর হলেন ৷ হযরত জিবরীল তার
ডানা দ্বারা ঝাপটা মেরে ইবলীসকে৷ বা তনে ওয়াদীতে নিক্ষেপ করে দেন ৷ ইবলীস সেখান থেকে
উঠে পুনরায় ঈস৷ (আ)-এর নিকট আসল ৷ যে ধারণা করল, যে ফেরেশতাদ্বয়কে যাহ হুকুম করা
হয়েছিল তা পালন করে তারা চলে গিয়েছেন, আর আসবেন না ৷ সুতরাং সে ঈস৷ (আ)-কে
পুনরায় বলল, আমি আপনাকে ইতিপুর্বেই বলেছি, দাস হওয়া আপনার জন্যে শোভনীয় নয় ৷
আপনার ক্রোধ কোন দাসের ক্রোধ নয় ৷ আপনার সাথে সাক্ষাতকালে প্রকাশিত ক্রোধ্ থেকে
আমি এ কথা বৃঝেছি ৷ আমি আপনাকে এমন এক বিষয়ের প্রতি আহবান জানাচ্ছি যা আপনার
জন্যে লাভজনক ৷ আমি শয়তানদেরকে হুকু ম দিব, তারা আপনাকে প্রভু মানবে ৷ মানুষ যখন
দেখবে জিনরা আপনাকে প্রভু মানছে তখন তারাও আপনাকে প্রভু বলে মানবে এবং আপনার
ইবাদত করবে ৷ আমি এ কথা বলছি না যে, আপনিই একমাত্র মাবুদ আর কোন মাবুদ নেই ৷
আমার কথা হচ্ছে, আল্লাহ থাকবেন আসমানের মাবুদ আর আপনি হবেন দুনিয়ার মাবুদ ৷

ইবলীসের মুখে এ কথা শুনার পর ঈস৷ (আ) আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেন এবং
উচু আওয়াজ করেন ৷ তখন হযরত ৩ইসরাফীল (আ) উপর থেকে নীচে নেমে আসেন ৷ জিবরীল
ও মীক৷ ঈল ফিরিশাদ্বয় তার দিকে লক্ষ্য করেন ৷ ইবলীস থেমে যায় ৷ অত০পর ইসরাফীল তার
ডানা দ্বারা ইবলীসকে আঘাত করেন এবং আয়নুশ শামসে’ নিক্ষেপ করেন ৷ কিছুক্ষণ পর
দ্বিতীয়বার আঘাত করেন ৷ এরপর ইবলীস সেখান থেকে অবতরণ করে ঈস৷ (আ)-কে একই
স্থানে দেখতে পায় এবং তাকে উদ্দেশ্য করে বলে, হে ঈস৷ ! আজ আমি আপনার জন্যেই দারুণ
কষ্ট ভোগ করেছি ৷ তারপর তাকে আয়নুশ শামসে নিক্ষেপ করা হয় ৷ সেখানে আয়নুল
হামিয়াতে সাত রাজাকে দেখতে পায়, তারা তাকে তাতে ডুবিয়ে দেয় ৷ যখনই সে চিৎকার
করেছে তখনই তারা তাকে সেই কর্দমে ডুবিয়ে দেয় ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর ইবলীস
কখনও ঈস৷ (আ) এর নিকট আসেনি ৷ ইসমাঈল আক্তার আবু হুযায়ফা (রা) থেকে
বর্ণনা করেন যে, অতঃপর ইবলীসের নিকট তা ৷র দলবল শয়তানরা জমায়েত হয় এবং বলে, হে
আমাদের সর্দার আজ যে আপনাকে খুবই ক্লান্ত শ্রাস্ত মনে হচ্ছে! ইবলীস হয়রত ৩ঈসার প্রতি
ইংগিত করে বললঃত তিনি হচ্ছেন আল্লাহর নিষ্পাপ বান্দা ৷৩ তার উপর প্রভাব বিস্তার করার মধ্যে
আমার সেই ৷ তবে তাকে কেন্দ্র করে আমি বিপুল সংখ্যক লোককে বিপদপামী করব ৷ বিভিন্ন
প্রকার কামনা-বাসনা তাদের মধ্যে জাগিয়ে ৰুষ্লব ৷ তাদেরকে নানা দলেউপদলে বিভক্ত করব ৷
তার৷ তাকে ও তার মাকে আল্লাহর আসনে বসাবে ৷ কুরআন মজীদে আল্লাহ হযরত ঈসাকে
ইবললীসের ঘে৷ ৷ক৷ থেকে হেফা জত করাকে তবে অনুগ্রহ হিসেবে উল্লেখ করে বলেনঃ



€ :




لَإِلَهٌ فِي السَّمَاءِ وَإِلَهٌ فِي الْأَرْضِ. قَالَ: فَصَكَّهُ جِبْرِيلُ صَكَّةً بِجَنَاحِهِ فَمَا تَنَاهَى دُونَ قُرُونِ الشَّمْسِ، ثُمَّ صَكَّهُ أُخْرَى بِجَنَاحِهِ فَمَا تَنَاهَى دُونَ الْعَيْنِ الْحَامِيَةِ، ثُمَّ صَكَّهُ أُخْرَى فَأَدْخَلَهُ بِحَارَ السَّابِعَةِ فَأَسَاخَهُ - وَفِي رِوَايَةٍ: فَأَسْلَكَهُ - فِيهَا حَتَّى وَجَدَ طَعْمَ الْحَمْأَةِ، فَخَرَجَ مِنْهَا وَهُوَ يَقُولُ: مَا لَقِيَ أَحَدٌ مِنْ أَحَدٍ مَا لَقِيتُ مِنْكَ يَا ابْنَ مَرْيَمَ. وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُ هَذَا بِأَبْسَطَ مِنْهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ ; فَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَطِيبُ: أَخْبَرَنِي أَبُو الْحَسَنِ بْنُ رَزْقَوَيْهِ، أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ سِنْدِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عِيسَى الْعَطَّارُ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ سُوَيْدٌ، عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ، قَالَ: صَلَّى عِيسَى بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ فَانْصَرَفَ، فَلَمَّا كَانَ بِبَعْضِ الْعَقَبَةِ، عَرَضَ لَهُ إِبْلِيسُ فَاحْتَبَسَهُ، فَجَعَلَ يَعْرِضُ عَلَيْهِ وَيُكَلِّمُهُ وَيَقُولُ لَهُ: إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي لَكَ أَنْ تَكُونَ عَبْدًا. فَأَكْثَرَ عَلَيْهِ، وَجَعَلَ عِيسَى يَحْرِصُ عَلَى أَنْ يَتَخَلَّصَ مِنْهُ، فَجَعَلَ لَا يَتَخَلَّصُ مِنْهُ، فَقَالَ لَهُ فِيمَا يَقُولُ: لَا يَنْبَغِي لَكَ يَا عِيسَى أَنْ تَكُونَ عَبْدًا. قَالَ: فَاسْتَغَاثَ عِيسَى بِرَبِّهِ، فَأَقْبَلَ جِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ، فَلَمَّا رَآهُمَا إِبْلِيسُ كَفَّ، فَلَمَّا اسْتَقَرَّا مَعَهُ عَلَى الْعَقَبَةِ، اكْتَنَفَا عِيسَى، وَضَرَبَ جِبْرِيلُ إِبْلِيسَ بِجَنَاحِهِ، فَقَذَفَهُ فِي بَطْنِ الْوَادِي. قَالَ: فَعَادَ إِبْلِيسُ مَعَهُ، وَعَلِمَ أَنَّهُمَا لَمْ يُؤْمَرَا بِغَيْرِ ذَلِكَ، فَقَالَ لِعِيسَى: قَدْ أَخْبَرْتُكَ أَنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ تَكُونَ عَبْدًا، إِنَّ غَضَبَكَ لَيْسَ
পৃষ্ঠা - ৯৯১
ষ্ষ্


হে মারয়াম তনয় ঈসা তোমার প্রতি ও তোমার জননীর প্রতি আমার অনুগ্রহ স্মরণ কর ৷
পবিত্র আত্মা অর্থাৎ জিবরীল ফিবিশতা দ্বারা আমি তোমাকে শক্তিশালী করেছিলাম ৷ হিকমত,
তাওরাত ও ইনজীল শিক্ষা দিয়েছিলাম; তুমি কর্দম দ্বারা আমার অনুমতিক্রমে পাখি সদৃশ
আকৃতি গঠন করতে এবং তাতে কুৎকার দিতে, ফলে আমার অনুমতিক্রমে তা পাখি হয়ে যেত ;
জন্মড়ান্ধ ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্নস্তকে তুমি আমার অনুমতিক্রমে নিরাময় করতে এবং আমার অনুমতি
ক্রমে তুমি মৃতকে জীবিত করতে; আমি তােমা হতে বনী ইসরাঈলকে নিবৃত্ত রেখেছিলাম ; তুমি
যখন তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন এনেছিলে তখন তাদের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তারা
বলেছিল, এ তো স্পষ্ট য়াদৃ ৷ (৫ মায়িসাঃ ১১০) ৷

আমি গরীব ও মিসকীন লোকদেরকে তোমার একান্ত ভক্ত ও সাথী বানিয়েছি যাদের
উপরে তুমি সভুষ্ট; এমন সব শিষ্য ও সাহায্যকারী তোমাকে দিয়েছি, যারা তোমাকে জান্নড়াতের
পথ প্রদর্শনকারী রুপে পেয়ে সভুষ্ট ৷ জেনে রেখো, উক্ত গুণ দপুটি বন্দোর জনেব্লু প্রধান গুণ ৷ যারা
এ গুণ দু’টি নিয়ে আমার কাছে আসবে, তারা আমার নিকট সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও মনোনীত বান্দা
হিসেবে গণ্য হবে ৷ বনী ইসরাঈলরা তোমাকে বলবে, আমরা রোজা রেখেছি কিভু তা কবুল
হয়নি, নামায পড়েছি কিভু তা গৃহীত হয়নি, দান-সড়াদকা করেছি কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি, উটের
কান্নার ন্যায় করুণ সুরে কেদেছি কিভু আমাদের কান্নার প্রতি দয়া প্রদর্শন করা হয়নি ৷ এ সব
অভিযোগের জবাব তাদের কাছে জিজ্ঞেস কর , এমনটা কেন হল? কোন জিনিসটি আমাকে এসব
কবুল করা থেকে বাধা দিয়েছে? আসমান ও যমীনের সমস্ত ধন ভাণ্ডার কি আমার হাতে নেই?
আমি আমার ধন ভাণ্ডার থেকে যেরুপ ইচ্ছা খরচ করে থাকি ৷ কৃপণতা আমাকে স্পর্শ করে না ৷
আমি কি প্রার্থনা শ্রবণের ক্ষেত্রে সর্বেড়াত্তম এবং দান করার ব্যাপারে সবচেয়ে উদার সত্তা নই? না
আমার দান অনুগ্রহ সংকুচিত হয়ে গিয়েছে? দুনিয়ার কেউ কারও প্রতি অনুগ্রহশীল হলে সে
তো আমারই দয়ার কারণে তা করে থাকে ৷

হে ঈসা ইবন মারয়াম! ঐ সম্প্রদায়ের লোকদের অস্তরে আমি যে সব সদগুণ প্রদান
করেছিলাম তারা যদি সেগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগতে তা হলে আখিরাতের জীবনের
উপরে দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিত না এবং বুঝতে পারত যে, কোথা থেকে তাদেরকে দান
করা হয়েছে, আর তারা এটাও বিশ্বাস করত যে, মনের কামনা বাসনাই তাদের বড় দৃশমন ৷
তাদের রোজা আমি কিভাবে কবুল করি ৷ যখন হারাম খাবার গ্রহণের মাধ্যমে তারা শক্তি
সঞ্চয় করেছে? তাদের নামায আমি কিভাবে কবুল করি , যখন তাদের অম্ভর ঐ সব লোকদের
প্রতি আকৃষ্ট যারা আমার বিরোধিতা করে এবং আমার নিষিদ্ধ বন্তুকে হালাল জানে? কি করে
তাদের দান-সাদকা আমি মঞ্জুর করি, যখন তারা মানুষের উপর জুলুম করে অবৈধ পস্থায়
তাদের ধন-সম্পদ ছিনিয়ে নেয় ৷ হে ঈসা! আমি ঐ সব লোকদেরকে যথাযথ প্রতিদান দিব ৷ হে
ঈসা! তাদের কান্নায় আমি দয়া দেখার কিভাবে, যখন তাদের হাত নবীদের রক্তে রঞ্জিত৷ এ
কারণে তাদের প্রতি আমার ক্রোধ অতি মাত্রায় বেশী ৷ হে ঈসা ! যে দিন আমি আকাশ ও পৃথিবী
সৃষ্টি করেছি সে দিন-ই আমি এ বিষয়টি চুড়ান্ত করে রেখেছি যে, যে ব্যক্তি আমার দাসৎ কবুল
করবে এবং তোমার ও তোমার মা সম্পর্কে আমার বাণীকে সঠিক বলে মেনে নিবে, তাকে আমি
তোমার ঘরের প্রতিবেশী বানাব, সফরের সাথী করব এবং অলৌকিক ঘটনা প্রকাশে তোমার


بِغَضَبِ عَبْدٍ، وَقَدْ رَأَيْتَ مَا لَقِيتُ مِنْكَ حِينَ غَضِبْتَ، وَلَكِنْ أَدْعُوكَ إِلَى أَمْرٍ هُوَ لَكَ ; آمُرُ الشَّيَاطِينَ فَلْيُطِيعُوكَ، فَإِذَا رَأَى الْبَشَرُ أَنَّ الشَّيَاطِينَ أَطَاعُوكَ، عَبَدُوكَ، أَمَا إِنِّي لَا أَقُولُ أَنْ تَكُونَ إِلَهًا لَيْسَ مَعَهُ إِلَهٌ، وَلَكِنَّ اللَّهَ يَكُونُ إِلَهًا فِي السَّمَاءِ، وَتَكُونُ أَنْتَ إِلَهًا فِي الْأَرْضِ. فَلَمَّا سَمِعَ عِيسَى ذَلِكَ مِنْهُ، اسْتَغَاثَ بِرَبِّهِ وَصَرَخَ صَرْخَةً شَدِيدَةً، فَإِذَا إِسْرَافِيلُ قَدْ هَبَطَ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ جِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ، فَكَفَّ إِبْلِيسُ، فَلَمَّا اسْتَقَرَّ مَعَهُمْ ضَرَبَ إِسْرَافِيلُ إِبْلِيسَ بِجَنَاحِهِ، فَصَكَّ بِهِ عَيْنَ الشَّمْسِ، ثُمَّ ضَرَبَهُ ضَرْبَةً أُخْرَى، فَأَقْبَلَ إِبْلِيسُ يَهْوِي، وَمَرَّ بِعِيسَى وَهُوَ بِمَكَانِهِ، فَقَالَ: يَا عِيسَى، لَقَدْ لَقِيتُ فِيكَ الْيَوْمَ تَعَبًا شَدِيدًا. فَرَمَى بِهِ فِي عَيْنِ الشَّمْسِ، فَوَجَدَ سَبْعَةَ أَمْلَاكٍ عِنْدَ الْعَيْنِ الْحَامِيَةِ. قَالَ: فَغَطُّوهُ، فَجَعَلَ كُلَّمَا خَرَجَ غَطُّوهُ فِي تِلْكَ الْحَمْأَةِ. قَالَ: وَاللَّهِ مَا عَادَ إِلَيْهِ بَعْدُ. قَالَ: وَحَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا أَبُو حُذَيْفَةَ، قَالَ: وَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ شَيَاطِينُهُ، فَقَالُوا: سَيِّدُنَا، قَدْ لَقِيتَ تَعَبًا. قَالَ: إِنَّ هَذَا عَبْدٌ مَعْصُومٌ، لَيْسَ لِي عَلَيْهِ مِنْ سَبِيلٍ، وَسَأُضِلُّ بِهِ بَشَرًا كَثِيرًا، وَأَبُثُّ فِيهِمْ أَهْوَاءً مُخْتَلِفَةً، وَأَجْعَلُهُمْ شِيَعًا، وَيَجْعَلُونَهُ وَأُمَّهُ إِلَهَيْنِ مِنْ دُونِ اللَّهِ. قَالَ: وَأَنْزَلَ اللَّهُ فِيمَا أَيَّدَ بِهِ عِيسَى وَعَصَمَهُ مِنْ إِبْلِيسَ قُرْآنًا نَاطِقًا بِذِكْرِ نِعْمَتِهِ عَلَى عِيسَى، فَقَالَ: {يَاعِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ اذْكُرْ نِعْمَتِي عَلَيْكَ وَعَلى وَالِدَتِكَ إِذْ أَيَّدْتُكَ بِرُوحِ الْقُدُسِ} [المائدة: 110] يَعْنِي: إِذْ قَوَّيْتُكَ بِرُوحِ الْقُدُسِ 72، يَعْنِي جِبْرِيلَ {تُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلًا وَإِذْ عَلَّمْتُكَ الْكِتَابَ} [المائدة: 110]
পৃষ্ঠা - ৯৯২
ষ্ষ্


শরীক করব ৷ যে দিন আমি আসমান যমীন সৃষ্টি করেছি, যে দিন এ বিষয়ে চুড়ান্ত ফয়সড়ালা করে
রেখেছি যে, যে সব লোক তোমাকে ও তোমার মাকে আল্লাহর সাথে শরীফ করে প্রভু বানাবে,
তাদেরকে আমি জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে স্থান দিব ৷ যে দিন আমি আসমান ও যমীন সৃষ্টি
করেছি, যে দিন এই সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করে রেখেছি যে, আমি আমার প্রিয় বান্দা মুহাম্মদের হাতে
এ বিষয়টি নিষ্পত্তি করব ৷ তার উপরেই নবুওত ও রিসালাতেব পরিসমাপ্তি টানব ৷ তার জন্ম
হবে মক্কায়, ইিজরতস্থুল (মদীনা) তায়িবাে ৷ শ্যাম দেশ তার করতলগত হবে ৷ সে কর্কশ তাষী
ও কঠোর হৃদয় হবে না, বাজারে চিৎকার করে ফিরবে না, অশ্লীল অশ্রাব্য কথাবার্তা বলবে না ৷
প্রতিটি বিষয়ে উত্তম পন্থা অবলম্বনের জন্যে আমি তাকে তাওফীক দিব ৷ সৎ চরিত্রের যাবতীয়
গুণাবলী তাকে প্রদান করব ৷ তার অন্তর থাকবে তড়াক্ওয়ড়ায় পরিপুর্ণ ৷ জ্ঞান হবে প্রজ্ঞায়
সমৃদ্ধ ৷ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা তার স্বভাব, ন্যায় বিচার তার চরিত্র, সত্য তার শরীআত , ইসলাম
তার আদর্শ, নাম হবে তার আহমদ ৷

আমি তার সাহায্যে মানুষকে বিভ্রান্তি থেকে সঠিক পথ দেখার, অজ্ঞতা থেকে ফিরিয়ে
জ্ঞানের দিকে আসর, নিঃস্ব অবস্থা থেকে স্বচ্ছলতার দিকে আনব, বিপর্যন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার
করে উন্নতির সােপানে উঠার ৷ তার দ্বারা সঠিক পথ প্রদর্শন করবো ৷ তার সাহায্যে বধির
ব্যক্তিকে শ্রবণ শক্তি দান করব , আচ্ছাদিত হৃদয় সমুহকে উন্মুক্ত করে দিব , বিভিন্ন
কামনা-বাসনাকে সংযত করব ৷ তার উম্মতকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উম্মতের মর্যাদা দান করব ৷ মানব
জাতির কল্যাণ সাধনের জন্যে তাদের অভ্যুদয় ঘটবে ৷ তারা মানুষকে ভাল কাজে আহবান
জানাবে ও গর্হিত কাজ থেকে নিষেধ করবে ৷ আমার নামে তারা নিঃষ্ঠাবান থাকবে ৷ রাসুলের
আনীত আদর্শকে তারা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করবে ৷ তারা তাদের মসজিদে, সভা সমিতিতে বাড়ি
ঘরে ও চলতে ফিরতে সর্বাবস্থায় আমার তাসবীহ পাঠ করবে, পবিত্রতা ঘোষণা করবে ও লা-
ইলাহা ইল্লালাহ্ কলেমা পড়বে ৷ তারা দীড়ানো অবস্থায়, বসা অবস্থায় রুকু’ সিজদার মাধ্যমে
আমার জন্যে সালাত আদায় করবে ৷ আমার পথে তারা সারিবদ্ধ হয়ে দৃশমনের বিরুদ্ধে লড়াই
করবে ৷ আল্লাহর পথে রক্ত দান হচ্ছে তাদের নিকট পুণ্যকর্ম ৷ সুসংবাদের আশায় তাদের অন্তর
ভরপুর, তাদের পুন্যক্াজসমুহপ্ৰদর্শনীমুক্ত ৷ রাতের বেলায় তারা আল্লাহর ধ্যানে মশত্নওল
তাপস আর দিনের বেলায় যুদ্ধের ময়দানে সাক্ষাত সিংহ এ সবই আমার অনুগ্রহ ৷ যাকে ইচ্ছা
তাকে দিই ৷ আমি মহা অনুগ্নহশীল ৷

উপরে যা কিছু আলোচনা হল, এর সপক্ষে প্রমাণাদি আমরা সুরা মায়িদা ও সুরা সাফ্ এর
প্রসঙ্গে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করব ইনশা আল্লাহ ৷ আবু হযায়ফা ইসহাক ইবন বিশ্ব বিভিন্ন
সুত্রে কাব আল-আহবার, ওহাব ইবন মুনাব্বিহ, ইবন আব্বাস (রা) ও সালমান ফারসী (বা )
থেকে বর্ণনা করেন ৷ বর্ণনায় তাদের একজনের বক্তব্য অন্যজনের বক্তব্যের সাথে মিশে গেছে ৷
তারা বলেন যে, হযরত ঈসা ইবন মারয়াম যখন বনী ইসরাঈলের নিকট প্রেরিত হলেন এবং
তাদের সম্মুখে সুস্পষ্ট নিদর্শনাদি তুলে ধরলেন তখন বনী ইসরাঈলের মুনাফিক ও কাফির
শ্রেণীর লোকেরা তার সাথে উপহাস করতো ৷ তারা জিজ্ঞেস করত, বলুন তো, অমুক গতকাল
কী খাবার থেয়েছে এবং বাড়িতে যে কী রেখে এসেছেঃ হযরত ঈসা (আ) তাদেরকে সঠিক
জবাব দিয়ে দিতেন ৷ এতে মুমিনদের ঈমান এবং কাফির ও মুনাফিকদের সন্দেহ ও অবিশ্বাস
আরও বেড়ে যেত, এতদসত্বে ও হযরত ঈসার মাথা পৌজায় মত কোন ঘর বাড়ী ছিল না ৷
খোলা আকাশের নীচে মাটির উপর তিনি সালাত ও তাসবীহ আদায় করতেন ৷ তার কোন

আল-বিদায়া ওয়ান নি ড়ায়৷ য় খণ্ড ১-

يَعْنِي الْإِنْجِيلَ وَالتَّوْرَاةَ وَالْحِكْمَةَ، {وَإِذْ كَفَفْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَنْكَ} [المائدة: 110] . وَإِذْ جَعَلْتُ الْمَسَاكِينَ لَكَ بِطَانَةً وَصَحَابَةً وَأَعْوَانًا تَرْضَى بِهِمْ، وَصَحَابَةً وَأَعْوَانًا يَرْضَوْنَ بِكَ هَادِيًا وَقَائِدًا إِلَى الْجَنَّةِ، فَذَلِكَ - فَاعْلَمْ - خُلُقَانِ عَظِيمَانِ، مَنْ لَقِيَنِي بِهِمَا فَقَدْ لَقِيَنِي بِأَزْكَى الْخَلَائِقِ وَأَرْضَاهَا عِنْدِي، وَسَيَقُولُ لَكَ بَنُو إِسْرَائِيلَ: صُمْنَا فَلَمْ يَتَقَبَّلْ صِيَامَنَا، وَصَلَّيْنَا فَلَمْ يَقْبَلْ صَلَاتَنَا، وَتَصَدَّقْنَا فَلَمْ يَقْبَلْ صَدَقَاتِنَا، وَبَكَيْنَا بِمِثْلِ حَنِينِ الْجِمَالِ فَلَمْ يَرْحَمْ بُكَاءَنَا. فَقُلْ لَهُمْ: وَلَمَّ ذَلِكَ؟ وَمَا الَّذِي يَمْنَعُنِي، أَنَّ ذَاتَ يَدِي قَلَّتْ؟! أَوَلَيِسَ خَزَائِنُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ بِيَدِي أُنْفِقَ مِنْهَا كَيْفَ أَشَاءُ، أَوْ أَنَّ الْبُخْلَ يَعْتَرِينِي؟ أَوَلَسْتُ أَجْوَدَ مَنْ سُئِلَ وَأَوْسَعَ مَنْ أَعْطَى؟ أَوْ أَنَّ رَحْمَتِي ضَاقَتْ؟ وَإِنَّمَا يَتَرَاحَمُ الْمُتَرَاحِمُونَ بِفَضْلِ رَحْمَتِي، وَلَوْلَا أَنَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ، يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، عَدُّوا أَنْفُسَهُمْ بِالْحِكْمَةِ الَّتِي تُورِثُ فِي قُلُوبِهِمْ مَا اسْتَأْثَرُوا بِهِ الدُّنْيَا أَثَرَةً عَلَى الْآخِرَةِ، لَعَرَفُوا مِنْ أَيْنَ أُتُوا، وَإِذًا لَأَيْقَنُوا أَنَّ أَنْفُسَهُمْ هِيَ أَعْدَى الْأَعْدَاءِ لَهُمْ، وَكَيْفَ أَقْبَلُ صِيَامَهُمْ وَهُمْ يَتَقَوَّوْنَ عَلَيْهِ بِالْأَطْعِمَةِ الْحَرَامِ؟! وَكَيْفَ أَقْبَلُ صَلَاتَهُمْ وَقُلُوبُهُمْ تَرْكَنُ إِلَى الَّذِينَ يُحَارِبُونِي وَيَسْتَحِلُّونَ مَحَارِمِي؟! وَكَيْفَ أَقْبَلُ صَدَقَاتِهِمْ وَهُمْ يَغْصِبُونَ النَّاسَ عَلَيْهَا، فَيَأْخُذُونَهَا مِنْ غَيْرِ حِلِّهَا؟! يَا عِيسَى، إِنَّمَا أَجْزِي عَلَيْهَا أَهْلَهَا، وَكَيْفَ أَرْحَمُ بُكَاءَهُمْ وَأَيْدِيهِمْ تَقْطُرُ مِنْ دِمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ، ازْدَدْتُ عَلَيْهِمْ غَضَبًا، يَا عِيسَى، وَقَضَيْتُ يَوْمَ خَلَقْتُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ أَنَّهُ مَنْ عَبَدَنِي وَقَالَ فِيكُمَا بِقَوْلِي، أَنْ أَجْعَلَهُمْ جِيرَانَكَ فِي الدَّارِ، وَرُفَقَاءَكَ فِي الْمَنَازِلِ، وَشُرَكَاءَكَ فِي الْكَرَامَةِ،
পৃষ্ঠা - ৯৯৩
وَقَضَيْتُ يَوْمَ خَلَقْتُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، أَنَّهُ مَنِ اتَّخَذَكَ وَأُمَّكَ إِلَهَيْنِ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَنْ أَجْعَلَهُمْ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ، وَقَضَيْتُ يَوْمَ خَلَقْتُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، أَنِّي مُثَبِّتٌ هَذَا الْأَمْرَ عَلَى يَدَيْ عَبْدِي مُحَمَّدٍ وَأَخْتِمُ بِهِ الْأَنْبِيَاءَ وَالرُّسُلَ، وَمَوْلِدُهُ بِمَكَّةَ، وَمُهَاجَرُهُ بِطَيْبَةَ، وَمُلْكُهُ بِالشَّامِ، لَيْسَ بِفَظٍّ وَلَا غَلِيظٍ وَلَا سَخَّابٍ فِي الْأَسْوَاقِ، وَلَا مُتَزَيِّنٌ بِالْفُحْشِ، وَلَا قَوَّالٍ بِالْخَنَا، أُسَدِّدُهُ لِكُلِّ أَمْرٍ جَمِيلٍ، وَأَهَبُّ لَهُ كُلَّ خُلُقٍ كَرِيمٍ، أَجْعَلُ التَّقْوَى ضَمِيرَهُ، وَالْحِكْمَةَ مَعْقُولَهُ، وَالْوَفَاءَ طَبِيعَتَهُ، وَالْعَدْلَ سِيرَتَهُ، وَالْحَقَّ شَرِيعَتَهُ، وَالْإِسْلَامَ مِلَّتَهُ، وَاسْمُهُ أَحْمَدُ، أَهْدِي بِهِ بَعْدَ الضَّلَالَةِ، وَأُعَلِّمُ بِهِ بَعْدَ الْجَهَالَةِ، وَأُغْنِي بِهِ بَعْدَ الْعَائِلَةِ، وَأَرْفَعُ بِهِ بَعْدَ الضَّعَةِ، أَهْدِي بِهِ، وَأَفْتَحُ بِهِ بَيْنَ آذَانٍ صُمٍّ، وَقُلُوبٍ غُلْفٍ، وَأَهْوَاءٍ مُخْتَلِفَةٍ مُتَفَرِّقَةٍ، أَجْعَلُ أُمَّتَهُ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ، يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ ; إِخْلَاصًا لِاسْمِي وَتَصْدِيقًا لِمَا جَاءَتْ بِهِ الرُّسُلُ، أُلْهِمُهُمُ التَّسْبِيحَ وَالتَّهْلِيلَ وَالتَّقْدِيسَ فِي مَسَاجِدِهِمْ وَمَجَالِسِهِمْ وَبُيُوتِهِمْ وَمُنْقَلَبِهِمْ وَمَثْوَاهُمْ، يُصَلُّونَ لِي قِيَامًا وَقُعُودًا وَرُكَّعًا وَسُجَّدًا، وَيُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِي صُفُوفًا وَزُحُوفًا، قُرْبَانُهُمْ دِمَاؤُهُمْ، وَأَنَاجِيلُهُمْ فِي صُدُورِهِمْ، وَقُرْبَانُهُمْ فِي بُطُونِهِمْ، رُهْبَانٌ بِاللَّيْلِ، لُيُوثٌ بِالنَّهَارِ، ذَلِكَ فَضْلِي أُوتِيهِ مَنْ أَشَاءُ، وَأَنَا ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ.
পৃষ্ঠা - ৯৯৪
ষ্ষ্


স্থায়ী আবাসস্থল বা ঠিকানা ছিল না ৷ সর্বপ্রথম তিনি যে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করেন যে
ঘটনাটি ছিল এরুপ :

একদা তিনি কোন এক কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ ঐ কবরের নিকটে এক মহিলা বসে
কাদছিল ৷ ঈস৷ যহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন তে ৷মার কী হয়েছেঃ মহিলা টি বলল, আমার একটি
মাত্র কন্যা ৷ছল ৷ সে ছাড়া আমার আর কোন সন্তান নেই ৷ আমা র সে কন্যাঢি মারা গিয়েছে ৷
আমি আল্লাহর সাথে প্রতিজ্ঞা করেছি যে , হয় তিনি আমার কন্যাকে জীবিত করে দিবেন, না হয়
আমিও তার মত মারা যাব, এ জায়গা তা৷গ করব না ৷ আপনি এর দিকে একটু লক্ষ্য করুন ৷
ঈস৷ (আ) বললেন, আমি যদি লক্ষ্য করি তবে কি তুমি এখান থেকে ফিরে যাবে? যহিলাটি
বলল, হ্যা তা ই করব ৷ ৷রপর হযরত ঈস৷ (আ) দৃ’ রাকআ ৷ত সলাত আদায় করে কবরের
পাশে এসে বললেন এবং বললেনঃ ওহে অমুক, তুমি অ ল্লাহ্র হুকুমে উঠে দাড়৷ ও, এবং বের
হয়ে এস ৷ তখন কবরটি সামান্য কেপে উঠল ৷ ঈস৷ (আ) দ্বিতীয়বার আহবান করলেন ৷
এবার কবরটি ফেটে গে ৷ল ৷ তৃভীয়বা ৷র আহবান করলে কবরবাসিনী বেরিয়ে আসল এবং মাথার
চুল থেকে ধুলাবালি ঝেড়ে ফেলতে লাগল ৷ ঈস৷ (আ ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, বের হতে
তোমার দেরী হল কেন? যেয়েটি বলল প্রথম আওয়াজ শোনার পর আল্লাহ আমার নিকট
একজন ফিরিশত ৷ পাঠান ৷ তিনি আমার দেহের অংগ প্রতাংগগুলি জোড়া লাপান৷ দ্বিচীয
আওয়াজের পর রুহ আমার দেহের ভিতর প্রবেশ করে ৷ তট্রুভীয় আ য়াজ যখন হল আর
আমার ধারণা হল, এটা কিয়াযতের আওয়াজ ৷ আমি ভীত-শংকিত হয়ে পড়লাম ৷ কিয়ামতের
ভয়ে আমার মাথার চুল ও চোখের ভ্রু সব সাদা হয়ে গিয়েছে ৷ তারপর মেয়েঢি তার মায়ের
কাছে গিয়ে বলল , মা ৷ আপনি আমাকে মৃত্যুর তিক্ত স্বাদ দুইবার গ্রহণ করালেন কেন? না ৷ ধৈর্য
ধরুন, পুণ্যের আশা করুন ৷ দুনিয়ার উপরে থাকার কোন আগ্রহ আমার সেই ৷ হে রুহুল্লাহ ! হে
কলেমাতুল্লাহ! আপনি আল্লাহর নিকট দোয়া করুন, যেন আমাকে তিনি আখিরাতের জীবন
ফিরিয়ে দেন এবং মৃত্যুর কষ্ট কমিয়ে দেন ৷ ঈস৷ (আ) আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন ৷ ফলে
মেয়েটির দ্বিতীয়বার মৃত্যু হল এবং তাকে কবরন্থ করা হল ৷ এ সংবাদ ইয়াহুদীদের নিকট
পৌছলে তারা ঈস৷ (আ) এর প্ৰতি পুর্বের চা ৷ইতে অধিক বিদ্বেষ পরায়ণ হয়ে উঠে ৷

ইতিপুর্বে হযরত নুহ (আ) এর ঘটনা বর্ণনা করার পরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হযরত
নুহের পুত্র সায কে জ বি করে দেয়ার জন্যে বনী ইসরাঈলরা ৷হযরত ঈসার নিকট দাবী
জানায় ৷ তিনি সালাত আদায় করে আল্লাহর নিকট দোয়া করেন ৷ ফলে আল্লাহত তাকে জীবিত
করে দেন ৷ সান জীবিত হয়ে বনী ইসরাঈলদেরকে নুহ (আ)এর নৌকা সম্বন্ধে অবহিত করেন,
ঈস৷ (আ) পুনরায় দোয়া করলে তিনি আবার মাটির সাথে মিশে যান ৷

সুদ্দী ইবন আব্বাস (রা) এর বরাত একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন ৷ ঘটনাটি হল,
বনী ইসরাঈলের কোন এক বাদশাহ্র মৃত্যু হয় ৷ কবরস্থু করার জন্যে তাকে খাটের উপর রাখা
হয় ৷ এ সময় হযরত ঈস৷ (আ) সেখানে উপস্থিত হন ৷ তিনি আল্লাহর নিকট দোয়া করেন ৷
ফলে বাদশাহ জীবিত হয়ে যায় ৷ মানুষ অবাক দৃষ্টিতে এ আশ্চর্য ও অভুত ৩পুর্ব ঘটনা প্রত্যক্ষ
করে ৷ আল্লাহর বাণী :


وَسَنَذْكُرُ مَا يُصَدِّقُ كَثِيرًا مِنْ هَذَا السِّيَاقِ، بِمَا سَنُورِدُهُ مِنْ سُورَتَيْ " الْمَائِدَةِ " وَ " الصَّفِّ "، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ. وَقَدْ رَوَى أَبُو حُذَيْفَةَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ بِأَسَانِيدِهِ، عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَوَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَسَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ - دَخَلَ حَدِيثُ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ - قَالُوا: لَمَّا بُعِثَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ وَجَاءَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ، جَعَلَ الْكَافِرُونَ وَالْمُنَافِقُونَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ يَعْجَبُونَ مِنْهُ وَيَسْتَهْزِئُونَ بِهِ فَيَقُولُونَ: مَا أَكَلَ فُلَانٌ الْبَارِحَةَ، وَمَا ادَّخَرَ فِي بَيْتِهِ؟ فَيُخْبِرُهُمْ، فَيَزْدَادُ الْمُؤْمِنُونَ إِيمَانًا، وَالْكَافِرُونَ وَالْمُنَافِقُونَ شَكًّا وَكُفْرَانًا، وَكَانَ عِيسَى، مَعَ ذَلِكَ، لَيْسَ لَهُ مَنْزِلٌ يَأْوِي إِلَيْهِ، إِنَّمَا يَسِيحُ فِي الْأَرْضِ لَيْسَ لَهُ قَرَارٌ وَلَا مَوْضِعٌ يُعْرَفُ بِهِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَا أَحْيَا مِنَ الْمَوْتَى، أَنَّهُ مَرَّ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى امْرَأَةٍ قَاعِدَةٍ عِنْدَ قَبْرٍ وَهِيَ تَبْكِي، فَقَالَ لَهَا: مَا لَكِ أَيَّتُهَا الْمَرْأَةُ؟ فَقَالَتْ: مَاتَتِ ابْنَةٌ لِي لَمْ يَكُنْ لِي وَلَدٌ غَيْرُهَا، وَإِنِّي عَاهَدْتُ رَبِّي أَنْ لَا أَبْرَحُ مِنْ مَوْضِعِي هَذَا حَتَّى أَذُوقَ مَا ذَاقَتْ مِنَ الْمَوْتِ، أَوْ يُحْيِيَهَا اللَّهُ لِي فَأَنْظُرُ إِلَيْهَا. فَقَالَ لَهَا عِيسَى: أَرَأَيْتِ إِنْ نَظَرْتِ إِلَيْهَا أَرَاجِعَةٌ أَنْتِ؟ قَالَتْ: نَعَمْ. قَالُوا: فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ جَاءَ فَجَلَسَ عِنْدَ الْقَبْرِ، فَنَادَى: يَا فُلَانَةُ قُومِي بِإِذْنِ الرَّحْمَنِ فَاخْرُجِي. قَالَ: فَتَحَرَّكَ الْقَبْرُ، ثُمَّ نَادَى الثَّانِيَةَ، فَانْصَدَعَ الْقَبْرُ بِإِذْنِ اللَّهِ، ثُمَّ نَادَى الثَّالِثَةَ، فَخَرَجَتْ وَهِيَ تَنْفُضُ رَأْسَهَا مِنَ التُّرَابِ، فَقَالَ لَهَا عِيسَى: مَا بَطَّأَ بِكِ عَنِّي؟ فَقَالَتْ: لَمَّا جَاءَتْنِي الصَّيْحَةُ الْأُولَى بَعَثَ اللَّهُ لِي مَلَكًا فَرَكَّبَ خَلْقِي، ثُمَّ جَاءَتْنِي الصَّيْحَةُ الثَّانِيَةُ، فَرَجَعَ إِلَيَّ رُوحِي، ثُمَّ جَاءَتْنِي
পৃষ্ঠা - ৯৯৫


এ : এ

১১১&৷ ৷ ৷ ৰু এ এ১ ;া;১১’া
১১ ১ ৷ এ


ব্লে৷ ৷ এ ৷ ৰুট্রুছুন্ং১১ ৷এ’এব্লুঙ্ এ১ ১৷ ৷ চুাএে ১

০ ) : )

০সৌং
আল্লাহ বলবেন, হে মারয়াম তন্য় ঈস৷ তোমার প্রতিও তোমার মায়ের প্রতি আমার
অনুগ্রহ স্মরণ কর ও পবিত্র আত্মা দ্বারা আমি তোমাকে শাক্তিশালী করেছিলাম এবং তুমি
দোলনায় থাকা অবস্থায় ও পরিণত বয়সে মানুষের সাথে কথা বলতে; তোমাকে কিতাব
হিক্মত, তাওরাত ও ইনৃজীল শিক্ষা দিয়েছিলাম; তুমি কাদা দ্বারা আমার অনুমতিক্রমে পাখী
সদৃশ আকৃতি ৩গঠন করতে এবং তাতে কুৎকা র দিতে, ফলে আমার অনুমতিক্রমে তা পাখী হয়ে
যেত; জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্তকে তুমি আমার অনুমতিক্রমে নিরাময় করতে এবং আমার
অনুমতিক্রমে তুমি মৃত তকে জীবিত করতে; আমি তোমা হতে বনী ইসরাঈলকে নিবৃত্ত
রেখেছিলাম; তুমি যখন তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন এনেছিলে তখন তাদের মধ্যে যারা কুফরী
করেছিল তারা বলেছিল, এতে ৷ স্পষ্ট যাদু ৷ আরও স্মরণ কর, আমি যখন হাওয়ারীদেরকে এই
আদেশ দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার প্রতি ও আমার রাসুলের প্রতি ঈমান আন, তারা
বলেছিল, আমরা ঈমান আনলাম এবং তুমি সাক্ষী থাক যে , আমরা তো মুসলিম ৷ (৫ মায়িদা :
১ ১ : ১ ১ ১ )

এখানে আল্লাহ তা আলা হযরত ঈসার প্রতি প্রদত্ত অনুগ্রহসমুহ ও পি ৷ ব্যতীত মায়ের
থেকে সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেছেন ৷৩ তাকে তিনি৷ মা নব জাতির জন্যে নিদর্শন বানিয়েছেন ৷ বলা
বাহুলা, এটা আল্লাহর অসীম ক্ষমত তারই সুস্পষ্ট প্রমাণ ৷ এ সরের পরেও তাকে রাসুল বানিয়ে
নিজ অনুগ্রহ পুর্ণ করেন ৷ “( তামার মায়ের প্রতি আমার অনুগ্রহ” অর্থাৎ প্রথমত এই বিশাল
নিয়াময়ুত র অধিকারী মহান নবীর মা হওয়ার জন্যে তার প্রতি যে কুৎসা রটনা করেছিলত
থেকে মুক্ত করার জন্যে প্রমাণ উপস্থাপন ৷ “পবিত্র আত্মা দ্বারা আমি তে তামাকে শক্তিশালী
করেছিলাম ৷ পবিত্র আত্মা অর্থ জিবরাঈল ফিরিশত ৷ ৷ জিবরাঈলের দ্বারা শক্তিশালী করেছিলেন
এভাবে যে,৩ তিনি তার রুহ্কে তার মায়ের আমার হাতার মধ্যে কুৎকার দিয়ে প্রবেশ করিয়ে
দিয়েছিলেন; রিসালাতের দায়িতু পালনকালে তিনি ঈস৷ (আ)-এর সাথে সাথে থাকতেন এবং
নবীর বিরোধীদেরকে তিনি প্রতিহত করতেন ৷ দোলনায় থাকা অবস্থায় ও পরিণত বয়সে কথা
বলার” অর্থ তুমি শিশুকালে দোলনায় থাকা অবস্থায় মানুষকে আল্লাহ্র দিকে আহ্বান করেছ
এবং পরিণত বয়সেও তাদেরকে আহ্বান করবে ৷” কিত৷ ৷ব ও হিক্মত শিক্ষা দেওয়ার অর্থ লিপি


الصَّيْحَةُ الثَّالِثَةُ، فَخِفْتُ أَنَّهَا صَيْحَةُ الْقِيَامَةِ، فَشَابَ رَأْسِي وَحَاجِبَايَ وَأَشْفَارُ عَيْنِي ; مِنْ مَخَافَةِ الْقِيَامَةِ. ثُمَّ أَقْبَلَتْ عَلَى أُمِّهَا فَقَالَتْ: يَا أُمَّتَاهُ، مَا حَمَلَكِ عَلَى أَنْ أَذُوقَ كَرْبَ الْمَوْتِ مَرَّتَيْنِ؟ يَا أُمَّتَاهُ، اصْبِرِي وَاحْتَسِبِي، فَلَا حَاجَةَ لِي فِي الدُّنْيَا، يَا رُوحَ اللَّهِ وَكَلِمَتَهُ، سَلْ رَبِّي أَنْ يَرُدَّنِي إِلَى الْآخِرَةِ، وَأَنْ يُهَوِّنَ عَلَيَّ كَرْبَ الْمَوْتِ. فَدَعَا رَبَّهُ فَقَبَضَهَا إِلَيْهِ، وَاسْتَوَتْ عَلَيْهَا الْأَرْضُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ الْيَهُودَ، فَازْدَادُوا عَلَيْهِ غَضَبًا. وَقَدَّمْنَا فِي قِصَّةِ نُوحٍ، أَنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ سَأَلُوهُ أَنْ يُحْيِيَ لَهُمْ سَامَ بْنَ نُوحٍ، فَدَعَا اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، وَصَلَّى لَهُ، فَأَحْيَاهُ اللَّهُ لَهُمْ، فَحَدَّثَهُمْ عَنِ السَّفِينَةِ وَأَمْرِهَا، ثُمَّ دَعَا فَعَادَ تُرَابًا. وَقَدْ رَوَى السُّدِّيُّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ وَأَبِي مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي خَبَرٍ ذَكَرَهُ، وَفِيهِ أَنَّ مَلِكًا مِنْ مُلُوكِ بَنِي إِسْرَائِيلَ مَاتَ وَحُمِلَ عَلَى سَرِيرِهِ، فَجَاءَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَدَعَا اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، فَأَحْيَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، فَرَأَى النَّاسُ أَمْرًا هَائِلًا وَمَنْظَرًا عَجِيبًا. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى وَهُوَ أَصْدَقُ الْقَائِلِينَ: {إِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ اذْكُرْ نِعْمَتِي عَلَيْكَ وَعَلَى وَالِدَتِكَ إِذْ أَيَّدْتُكَ بِرُوحِ الْقُدُسِ تُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلًا وَإِذْ عَلَّمْتُكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَالتَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَإِذْ تَخْلُقُ مِنَ الطِّينِ كَهَيْئَةِ الطَّيْرِ بِإِذْنِي فَتَنْفُخُ فِيهَا فَتَكُونُ طَيْرًا بِإِذْنِي وَتُبْرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ بِإِذْنِي وَإِذْ تُخْرِجُ الْمَوْتَى بِإِذْنِي وَإِذْ كَفَفْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَنْكَ إِذْ جِئْتَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ فَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ إِنْ هَذَا إِلَّا سِحْرٌ مُبِينٌ وَإِذْ أَوْحَيْتُ إِلَى الْحَوَارِيِّينَ أَنْ آمِنُوا بِي وَبِرَسُولِي قَالُوا آمَنَّا وَاشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ} [المائدة: 110] [الْمَائِدَةِ: 110، 111] .
পৃষ্ঠা - ৯৯৬
يُذَكِّرُهُ تَعَالَى بِنِعْمَتِهِ عَلَيْهِ، وَإِحْسَانِهِ إِلَيْهِ فِي خَلْقِهِ إِيَّاهُ مِنْ غَيْرِ أَبٍ، بَلْ مِنْ أُمٍّ بِلَا ذَكَرٍ، وَجَعْلِهِ لَهُ آيَةً لِلنَّاسِ، وَدَلَالَةً عَلَى كَمَالِ قُدْرَتِهِ تَعَالَى، ثُمَّ إِرْسَالِهِ بَعْدَ هَذَا كُلِّهِ {وَعَلَى وَالِدَتِكَ} [المائدة: 110] فِي اصْطِفَائِهَا وَاخْتِيَارِهَا لِهَذِهِ النِّعْمَةِ الْعَظِيمَةِ، وَإِقَامَةِ الْبُرْهَانِ عَلَى بَرَاءَتِهَا مِمَّا نَسَبَهَا إِلَيْهِ الْجَاهِلُونَ ; وَلِهَذَا قَالَ: {إِذْ أَيَّدْتُكَ بِرُوحِ الْقُدُسِ} [المائدة: 110] وَهُوَ جِبْرِيلُ، بِإِلْقَاءِ رُوحِهِ إِلَى أُمِّهِ، وَقَرْنِهِ مَعَهُ فِي حَالِ رِسَالَتِهِ، وَمُدَافَعَتِهِ عَنْهُ لِمَنْ كَفَرَ بِهِ {تُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلًا} [المائدة: 110] أَيْ: تَدْعُو النَّاسَ إِلَى اللَّهِ فِي حَالِ صِغَرِكَ فِي مَهْدِكَ، وَفِي كُهُولَتِكَ {وَإِذْ عَلَّمْتُكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ} [المائدة: 110] أَيِ الْخَطَّ وَالْفَهْمَ. نَصَّ عَلَيْهِ بَعْضُ السَّلَفِ {وَالتَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ} [المائدة: 110] وَقَوْلُهُ {وَإِذْ تَخْلُقُ مِنَ الطِّينِ كَهَيْئَةِ الطَّيْرِ بِإِذْنِي} [المائدة: 110] أَيْ: تُصَوِّرُهُ وَتُشَكِّلُهُ مِنَ الطِّينِ عَلَى هَيْئَتِهِ، عَنْ أَمْرِ اللَّهِ لَهُ بِذَلِكَ {فَتَنْفُخُ فِيهَا فَتَكُونُ طَيْرًا بِإِذْنِي} [المائدة: 110] أَيْ: بِأَمْرِي. يُؤَكِّدُ تَعَالَى بِذِكْرِ الْإِذْنِ لَهُ فِي ذَلِكَ ; لِرَفْعِ التَّوَهُّمِ. وَقَوْلُهُ: {وَتُبْرِئُ الْأَكْمَهَ} [المائدة: 110] قَالَ بَعْضُ السَّلَفِ: وَهُوَ الَّذِي يُولَدُ أَعْمَى، وَلَا سَبِيلَ لِأَحَدٍ مِنَ الْحُكَمَاءِ إِلَى مُدَاوَاتِهِ {وَالْأَبْرَصَ} [المائدة: 110] وَهُوَ الَّذِي لَا طِبَّ فِيهِ، بَلْ قَدْ مَرِضَ بِالْبَرَصِ وَصَارَ دَاؤُهُ عُضَالًا {وَإِذْ تُخْرِجُ الْمَوْتَى} [المائدة: 110] أَيْ مِنْ قُبُورِهِمْ أَحْيَاءً بِإِذْنِي. وَقَدْ تَقَدَّمَ مَا فِيهِ دَلَالَةٌ عَلَى وُقُوعِ ذَلِكَ مِرَارًا مُتَعَدِّدَةً
পৃষ্ঠা - ৯৯৭

জ্ঞান ও গভীর অনুধাবন শ্ ৷ক্তি দান করা ৷ প্রাচীন যুগের আলিম এরুপ ব্যাখ্যা করেছেন ৷ “কাদা
দ্বারা পাথীর আকৃতি ৩নগঠ অর্থাং আল্লাহর অনুমতিক্রয়েতু মি কাদা দ্বার বাপাখীর আকৃতি অবয়ব
গঠন করতে ৷ “আমার অনুমতিত্রুমেপাখী হ য় যেত ৷” অনুমতিক্রমে অর্থ আদেশক্রমে আল্লাহর
অনুমতি কথাটি আমার উদ্দেশ্য হল, মানুষ যাতে এই সন্দেহন৷ করে যে, ঈস৷ নিজের ক্ষমতা
বলেই এরুপ করেছেন ৷ জন্মান্ধ বলতে এখানে কোন কোন আলিম বলেছেন : যার কোন
চিকিৎসা নেই ৷ কুষ্ঠ রােগীও এমন কুষ্ঠরোগ, যার কোন চিকিৎসা নেই ৷ “মৃতকে জীবিত করা”
অর্থাৎ কবর থেকে জীবিত অবস্থায় উঠানাে ৷ আমার অনুমতিক্রা ম শব্দটির পুনরুক্তি ৷ এ কথা
দ্বারা ঐ ঘটনার দিকে ইংগিত করা হয়েছে, যখন বনী ইসরাঈলরা র্তাকে শুলে টড়াবার জন্যে
উদ্যত হয়েছিল ৷ তখন আল্লাহ র্তাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং আপন সান্নিধ্যে
তুলে নিয়েছিলেন ৷ “আমি যখন হাওয়ারীদেরকে ওহী মারফত আদেশ দিয়েছিলাম ” এখানে
ওহীব দৃ’প্রকার ব্যাখ্যা পাওয়া যায় ৷

এক; ওহী অর্থ ইলহাম বা প্রেরণা জাগিয়ে দেওয়া ৷ এ অর্থে কুরআনের আয়াত যেমন :

ং ৷ ৷ ;;-ৰু ৷ এ ৰু,এ শু১টুট্রি তোমার প্রতিপালক মৌমাছিকে উহার অম্ভরে ইংগিত দ্বারা
নির্দেশ দিয়েছেন (১৬ নাহ্ল : ৬৮);

এে

মুসার মায়ের অম্ভরে আমি ইহা গতে নিদের্শ করলাম শিশুটিকে স্তন দান করতে থাক ৷
যখন তুমি তার সম্পর্কে কোন আশংকা করবে তখন একে দরিয়ায় নিক্ষেপ করে দিও ৷ (২৮
কাসাস : ৭ )

দুই; রাসুলের মাধ্যমে প্রেরিত ওহী এবং তাদেরকে সত্য গ্রহণের তাওফীক দেওয়া ৷ এ
জন্যেই তারা প্ৰতি উত্তরে বলেছিল ষ্সৌং £ট্রুাৰু ধ্,ন্ ৷ ব্লু ৷ “আমরা ঈমান আনলাম
এবং তুমি সাক্ষী থ৷ ৷ক যে আমরা মুসলিম ৷” হযরত ঈস৷ ৷-(আ) এর প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত অনুগ্রহ
সমুহের মধ্যে অন্যতম বড় অনুগ্রহ এই যে, তিনি তাকে এমন একদল সাহায্যকারী ও সেবক
দিয়েছিলেন, বাবা তাকে সর্বোততাবে সাহায্য সহযোগিতা করতেন এবং মানুষকে এক অদ্বিভীয়
আল্লাহর ইবাদবুত র দিকে আহ্বান জানাতেন ৷ যেমন আল্লাহ তা আল৷ হযরত মুহাম্মাদ (সা)
সম্পর্কে বলেছেন :

ট্রুণ্ মোঃা

০ : fl ) !

);,; ণ্াছু ৷ ষ্০টুখু ৷
তিনিণ্ তামাকে আপন সাহায্য ও মুমিনদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন; এবং তিনি ওদের
পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন ৷ পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ ব্যয় করলেও তুমি
তাদের হৃদয়ে প্রীতি স্থাপন করতে পারতে না; কিন্তু আল্লাহত তাদের মধ্যে প্রীতি স্থাপন
করেছেন ৷ নিশ্চয়ই তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ (৮ আনফাল০ : ৬২৬২)


مِمَّا فِيهِ كِفَايَةٌ. وَقَوْلُهُ: {وَإِذْ كَفَفْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَنْكَ إِذْ جِئْتَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ فَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ إِنْ هَذَا إِلَّا سِحْرٌ مُبِينٌ} [المائدة: 110] وَذَلِكَ حِينَ أَرَادُوا صَلْبَهُ فَرَفَعَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ، وَأَنْقَذَهُ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ ; صِيَانَةً لِجَنَابِهِ الْكَرِيمِ عَنِ الْأَذَى، وَسَلَامَةً لَهُ مِنَ الرَّدَى. وَقَوْلُهُ: {وَإِذْ أَوْحَيْتُ إِلَى الْحَوَارِيِّينَ أَنْ آمِنُوا بِي وَبِرَسُولِي قَالُوا آمَنَّا وَاشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ} [المائدة: 111] قِيلَ: الْمُرَادُ بِهَذَا الْوَحْيِ وَحْيُ إِلْهَامٍ. أَيْ أَرْشَدَهُمُ اللَّهُ إِلَيْهِ، وَدَلَّهُمْ عَلَيْهِ، كَمَا قَالَ: {وَأَوْحَى رَبُّكَ إِلَى النَّحْلِ} [النحل: 68] . {وَأَوْحَيْنَا إِلَى أُمِّ مُوسَى أَنْ أَرْضِعِيهِ فَإِذَا خِفْتِ عَلَيْهِ فَأَلْقِيهِ فِي الْيَمِّ} [القصص: 7] . وَقِيلَ: الْمُرَادُ وَحْيٌ بِوَاسِطَةِ الرَّسُولِ، وَتَوْفِيقٌ فِي قُلُوبِهِمْ لِقَبُولِ الْحَقِّ ; وَلِهَذَا اسْتَجَابُوا قَائِلِينَ: {آمَنَّا وَاشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ} [المائدة: 111] . وَهَذَا مِنْ جُمْلَةِ نِعَمِ اللَّهِ عَلَى عَبْدِهِ وَرَسُولِهِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ; أَنْ جَعْلَ لَهُ أَنْصَارًا وَأَعْوَانًا يَنْصُرُونَهُ وَيَدْعُونَ مَعَهُ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى لِعَبْدِهِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {هُوَ الَّذِي أَيَّدَكَ بِنَصْرِهِ وَبِالْمُؤْمِنِينَ وَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ لَوْ أَنْفَقْتَ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا مَا أَلَّفْتَ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ وَلَكِنَّ اللَّهَ أَلَّفَ بَيْنَهُمْ إِنَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ} [الأنفال: 62] [آلِ عِمْرَانَ: 48 - 54] .
পৃষ্ঠা - ৯৯৮
ষ্ষ্

স্পোহ্র ৷

এহ্রাএ এংএন্১৷ ৷ হ্৷ ,, হ্র১৷ ৷ ণ্’এএট্রুাএ ণ্এে ৷ :ং-ৰুএি ৷ ,াষ্ ’এংএ’হ্রং ষ্টু ৰুট্রুান্ ছুএট্রুা৯ এ;শ্রো


এ হ্এএ্ ৷ ৷এছুক্ট্রা১ ণ্ন্নুন্ এ এ; ১ ণ্ন্নু;১এ ণ্এে; ণ্এ ট্রু ;;এ ৷ র্দু)ণ্ংট্ ন্এাশু ১৷ এ



;প্ৰুণ্ ছো
“এবং তিনি তাকে শিক্ষা দিবেন কিতাব, হিকমত তাওরাত ও ইনজীল এবং তাকে বনী
ইসরাঈলের জন্যে রাসুল করবেন ৷ সে বলবে, আমি তোমাদের প্ৰনি প লকেব পক্ষ হতে
তোমাদের নিকট নিদর্শন নিয়ে এসেছি ৷ আমি তোমাদের জন্যে কাদা দিয়ে একটি পাখীর
আকৃতি গঠন করব; তাতে আমি কুৎকার দিব; ফলে আল্লাহর হুকুমেত তা পাথী হয়ে যাবে ৷ আমি
জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্তকে নিরাময় করব এবং আল্লাহর ছকুমে মৃতকে জীবন্ত করব ৷ তোমরা
তোমাদের ঘরে যা আহার কর ও মওজুদ কর তা’তোমাদেরকে বলে দেব ৷ তোমরা যদি মৃমিন
হও তবে এতে তোমাদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে ৷ আর আমি এসেছি আমার সম্মুখে তাওরাতের
যা রয়েছে তার সমর্থকরুপে ও তোমাদের জন্যে যা নিষিদ্ধ ছিল তার কতকগুলােকে বৈধ
করতে ৷ এবং আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে ৫৩ তামাদের নিকট নিদর্শন নিয়ে
এসেছি ৷ সুতরাংঅ অ ৷ল্লাহ্কে ভয় কর ও আমাকে অনুসরণ কর ৷ আল্লাহ আমার প্রতিপালক এবং
তোমাদেরও প্ৰতিপালক, সুতরাং তোমরা তার ইবাদত করবে ৷ এটাই সরল পথ ৷ যখন ঈসা
তাদের অবিশ্বাস উপল ব্ধি করল তখন সে বলল, আল্লাহর পথে কারা আমার সা ধ্ায্যকারীা
হাওয়ারীরা বলল, আমর ই আল্লাহ্র পথে সাহায্যকারী ৷ আমরা আল্লাহ্তে মানঈ এসেছি ৷
আমরা আত্মসমর্পণকড়ারী, তুমি এর সাক্ষী থাক ৷ হে আমাদের প্রতিপালক ! তুমি যা অবতীর্ণ
করেছ তাতে আমরা ঈমান এনেছি এবং আমরা এই রাসুলের অনুসরণ করেছি ৷ সুতরাং
আমাদেরকে সাক্ষ্য দানকারীদের তালিকাভুক্ত কর ৷ এবং৩ তারা চক্রাম্ভ করেছিল, আল্লাহও
কৌশল করেছিলেন; আল্লাহ কৌশলীদের শ্রেষ্ঠ ৷” (৩ আলে ইমরান : : ৮-৫৮ )


كَانَتْ مُعْجِزَةُ كُلِّ نَبِيٍّ فِي زَمَانِهِ بِمَا يُنَاسِبُ أَهْلَ ذَلِكَ الزَّمَانِ ; فَذَكَرُوا أَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَانَتْ مُعْجِزَتُهُ مِمَّا يُنَاسِبُ أَهْلَ زَمَانِهِ، فَكَانُوا سَحَرَةً أَذْكِيَاءَ، فَبُعِثَ بِآيَاتٍ بَهَرَتِ الْأَبْصَارَ، وَخَضَعَتْ لَهَا الرِّقَابُ، وَلَمَّا كَانَ السَّحَرَةُ خَبِيرِينَ بِفُنُونِ السِّحْرِ وَمَا يَنْتَهِي إِلَيْهِ، وَعَايَنُوا مَا عَايَنُوا مِنَ الْأَمْرِ الْبَاهِرِ الْهَائِلِ، الَّذِي لَا يُمْكِنُ صُدُورُهُ إِلَّا مِمَّنْ أَيَّدَهُ اللَّهُ وَأَجْرَى الْخَارِقَ عَلَى يَدَيْهِ تَصْدِيقًا لَهُ، أَسْلَمُوا سِرَاعًا، وَلَمْ يَتَلَعْثَمُوا، وَهَكَذَا عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، بُعِثَ فِي زَمَنِ الطَّبَائِعِيَّةِ الْحُكَمَاءِ، فَأُرْسِلَ بِمُعْجِزَاتٍ لَا يَسْتَطِيعُونَهَا وَلَا يَهْتَدُونَ إِلَيْهَا، وَأَنَّى لِحَكِيمٍ إِبْرَاءُ الْأَكْمَهِ، الَّذِي هُوَ أَسْوَأُ حَالًا مِنَ الْأَعْمَى وَالْأَبْرَصِ وَالْمَجْذُومِ، وَمَنْ بِهِ مَرَضٌ مُزْمِنٌ، وَكَيْفَ يَتَوَصَّلُ أَحَدٌ مِنَ الْخَلْقِ إِلَى أَنْ يُقِيمَ الْمَيِّتَ مِنْ قَبْرِهِ، هَذَا مِمَّا يَعْلَمُ كُلُّ أَحَدٍ أَنَّهُ مُعْجِزَةٌ دَالَّةٌ عَلَى صِدْقِ مَنْ قَامَتْ بِهِ، وَعَلَى قُدْرَةِ مَنْ أَرْسَلَهُ، وَهَكَذَا مُحَمَّدٌ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ، بُعِثَ فِي زَمَنِ
পৃষ্ঠা - ৯৯৯
الْفُصَحَاءِ الْبُلَغَاءِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْقُرْآنَ الْعَظِيمَ، الَّذِي لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ، تَنْزِيلٌ مِنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ، فَلَفْظُهُ مُعْجِزٌ تَحَدَّى بِهِ الْإِنْسَ وَالْجِنَّ أَنْ يَأْتُوا بِمِثْلِهِ أَوْ بِعَشْرِ سُوَرٍ مِنْ مَثَلِهِ، أَوْ بِسُورَةٍ، وَقَطَعَ عَلَيْهِمْ بِأَنَّهُمْ لَا يَقْدِرُونَ، لَا فِي الْحَالِ وَلَا فِي الِاسْتِقْبَالِ، فَإِنْ لَمْ يَفْعَلُوا وَلَنْ يَفْعَلُوا، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّهُ كَلَامُ الْخَالِقِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَاللَّهُ تَعَالَى لَا يُشْبِهُهُ شَيْءٌ لَا فِي ذَاتِهِ وَلَا فِي صِفَاتِهِ وَلَا فِي أَفْعَالِهِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا أَقَامَ عَلَيْهِمُ الْحُجَجَ وَالْبَرَاهِينَ، اسْتَمَرَّ أَكْثَرُهُمْ عَلَى كُفْرِهِمْ وَضَلَالِهِمْ وَعِنَادِهِمْ وَطُغْيَانِهِمْ، فَانْتَدَبَ لَهُ مِنْ بَيْنِهِمْ طَائِفَةً صَالِحَةً، فَكَانُوا لَهُ أَنْصَارًا وَأَعْوَانًا، قَامُوا بِمُتَابَعَتِهِ وَنُصْرَتِهِ وَمُنَاصَحَتِهِ، وَذَلِكَ حِينَ هَمَّ بِهِ بَنُو إِسْرَائِيلَ، وَوَشَوْا بِهِ إِلَى بَعْضِ مُلُوكِ ذَلِكَ الزَّمَانِ، فَعَزَمُوا عَلَى قَتْلِهِ وَصَلْبِهِ، فَأَنْقَذَهُ اللَّهُ مِنْهُمْ، وَرَفَعَهُ إِلَيْهِ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، وَأَلْقَى شَبَهَهُ عَلَى أَحَدِ أَصْحَابِهِ، فَأَخَذُوهُ فَقَتَلُوهُ وَصَلَبُوهُ، وَهُمْ يَعْتَقِدُونَهُ عِيسَى، وَهْمُ فِي ذَلِكَ غَالِطُونَ، وَلِلْحَقِّ مُكَابِرُونَ، وَسَلَّمَ لَهُمْ كَثِيرٌ مِنَ النَّصَارَى مَا ادَّعَوْهُ، وَكِلَا الْفَرِيقَيْنِ فِي ذَلِكَ مُخْطِئُونَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَمَكَرُوا وَمَكَرَ اللَّهُ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ} [آل عمران: 54] وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِنْ بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ فَلَمَّا جَاءَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا هَذَا سِحْرٌ مُبِينٌ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ وَهُوَ يُدْعَى إِلَى الْإِسْلَامِ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ يُرِيدُونَ لِيُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ} [الصف: 6] [الصَّفِّ: 6 - 9] .
পৃষ্ঠা - ১০০০
ষ্ষ্


প্রত্যেক নবীর মু ’জিয) ছিল তার নিজ যুগের মানুষের চাহিদার উপযোগী ৷ যেমন হযরত
মুসা (আ) এর যুগের লোকের) ছিল ভীক্ষ্ণধী যাদুকর ৷ অ )ল্লাহ তাকে এমন মু’জিয) দান করলেন
যা য)দুকরদের চোখ ঝলসিয়ে দিয়েছিল এবং য)দুকররাত তার নিকট আত্মসমর্পণ করেছিল)
, য)দুকরর) যাদু সং ক্রান্ত তথ্যাদি সম্পর্কে অবগত ছিল ৷ যাদুর দৌড় যে কী পর্যন্ত, যে সম্পর্কেও
তার) অবস্থিত ছিল ৷ সুতরাং যখন তারা মুসা (আ) এর মুজিয) প্রত্যক্ষ করল তখন তার)
বুঝতে পারলে) যে এতো )ম)নবীয় ক্ষমতার বহির্ভুত ব্যাপার আল্লাহর সাহায্য ও প্রদত্ত ক্ষমতা
ব্যভীত কোন মানুষের ক্ষেত্রে এ ধরনের কিছু প্রকাশ হতে ৩পারে না ) কোন নবীর সতা৩ )
প্রমাণের জন্যে আল্লাহ এরুপ ম)নবীয ক্ষমতার বহির্ভুত কিছু প্রকাশ করে থাকেন ) সুতরাং
ক)লবিলম্ব না করে তারা মুসা (আ) এর নিকট আত্মসমর্পণ করলেন এবং ইসলাম গ্রহণ
করলেন ৷ অনুরুপভ) বে হযরত ঈসা ইবন মারয়াম (আ) কে যে যুগে প্রেরণ করা হয় সে যুপটি
ছিল উন্নত চিকিৎসার জন্যে প্রসিদ্ধ ) আল্লাহ৩ তাকে এর সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ এমন ঘু’জিযা দান
করলেন যা ছিল তাদের ক্ষমতা ও আয়ত্তের ব) )ইরে ৷ একজন চিকিৎসক যখন অন্ধ, খঞ্জ,কুষ্ঠ ও
পঙ্গুকে ভাল করতে অক্ষম , সেখানে একজন জন্ম)ন্ধকে ভাল করার প্রল্লুই উঠে ন) ৷ আর একজন
মৃত ব্যক্তিকে কবর থেকে জীবিত উঠাব)র শক্তি মানুষের জন্যে তে) কল্পন)ই কর) যায় ন) ৷
ত্যেকেই বুঝে যে, এসব এমন মু’,জিযা যার মাধ্যমে এগুলো প্রকাশ পায় তার দাবির পক্ষে
এটা হয়ে থাকে সুস্পষ্ট প্রমাণ এবং যে সত্তা তাকে প্রেরণ করেন তার কুদরত ও মহ)শক্তির
প্রমাণ ৷

একই পদ্ধতিতে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) কে যে যুগে প্রেরণ কর) হয় সে ষুপটি ছিল
ব)ল)প)ত ফ)স)হ)ত তথা অলৎকারশাস্তে সমৃদ্ধ উন্নত ভাষা শিল্পের যুগ ৷ আল্লাহ তার উপর
কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ করেন ৷ যে কোন ত্রুটি থেকে তা মুক্ত ৷ কুরআনের বাক্য ও শব্দগুলো
এমনই মু’জিয) যে, মানব ও জিন জাতিকে সম্মিলিতভাবে এই কুরআনের অনুরুপ একটি
কুরআন, কিৎব) অনুরুপ ১০টি সুরা অথবা মাত্র ক্ষুদ্র একটি সুরা রচনা করার চ্যালেঞ্জ কর)
হয়েছে ) এরপর দৃঢ়ত)র সাথে বল) হয়েছে যে, তার) কোন দিন এ চ্যালেঞ্জের মুক)বিলা করতে
পারবে ন)-বর্তম)নেও ন), ভবিষ্যতেও ন), এখনই যখন পারেনি, ভবিষ্যতে কখনও পারবে ন) ৷
এরকম ভ যে) তার) তৈরি করতে ৩এ জন্যে পারবে ন), যেহেতু এটা আল্লাহর বাণী ৷ আর আল্লাহর
সাথে কে ন কিছুরই তুলনা হতে পারে ন) ন) তার সত্তার সাথে ন) তার গুণ)বলীর সাথে, ন)
ত)র ক) )র্যারলীর সাথে ৷

হযরত ঈসা (আ) যখন বনী ইসর) ঈলের নিকট অকাট্য দলীল প্রমাণ স্পষ্টভ) )বে তুলে ধরেন
তখন তাদের অধিক) ংশ লে)রইি কুফরী, ভ্রষ্টত), বিদ্বেষ ও অব)ধ্য৩ )র উপর অটল থেকে যায় ৷
তবে তাদের একটি ক্ষুদ্র দল তার পক্ষ অবলম্বন করে এবং বিরোধিতাক)রীদের প্রতিবাদ
)জন)ন ৷ তার) নবীর স)হ)য্যকা )রী হন ও তার শিষ্যতু বরণ করেন ৷ তার) নবীর আনুগত্য করেন,
স)হ)য) সহযোগিতা করেন ও উপদেশ মেনে চলেন ৷ এই ক্ষুদ্র দলটির আত্মপ্রকাশ তখন ঘটে
যখন বনী ইসর)ঈল তাকে হত্যার জন্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং সে যুগের জনৈক ব)দশ)হর
সাথে ষড়যন্ত্র পাক)পে)ক্ত করে তাকে হত্যা ও শুলে চড়ানাের চক্র)ম্ভ সম্পন্ন করে ৷ কিভু আল্লাহ


إِلَى أَنْ قَالَ بَعْدَ ذَلِكَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا أَنْصَارَ اللَّهِ كَمَا قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ لِلْحَوَارِيِّينَ مَنْ أَنْصَارِي إِلَى اللَّهِ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنْصَارُ اللَّهِ فَآمَنَتْ طَائِفَةٌ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَكَفَرَتْ طَائِفَةٌ فَأَيَّدْنَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَى عَدُوِّهِمْ فَأَصْبَحُوا ظَاهِرِينَ} [الصف: 14] . فَعِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، هُوَ خَاتَمُ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَقَدْ قَامَ فِيهِمْ خَطِيبًا فَبَشَّرَهُمْ بِخَاتَمِ الْأَنْبِيَاءِ الْآتِي بَعْدَهُ، وَنَوَّهَ بِاسْمِهِ، وَذَكَرَ لَهُمْ صِفَتَهُ لِيَعْرِفُوهُ وَيُتَابِعُوهُ إِذَا شَاهَدُوهُ ; إِقَامَةً لِلْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ، وَإِحْسَانًا مِنَ اللَّهِ إِلَيْهِمْ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ الْأُمِّيَّ الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِنْدَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالْأَغْلَالَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ فَالَّذِينَ آمَنُوا بِهِ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَاتَّبَعُوا النُّورَ الَّذِي أُنْزِلَ مَعَهُ أُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ} [الأعراف: 157] . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، «عَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخْبِرْنَا عَنْ نَفْسِكَ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ১০০১
ষ্ষ্


তাকে তাদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেন ৷ তাদের মধ্য থেকে নবীকে তার সান্নিধ্যে উঠিয়ে নেন

ৎতার একটি শিষ্যকে তার চেহারার অনুরুপ চেহারায় রুপান্তরিত ৩করে দেন ৷ কিন্তু বনী

ইসরা ঈলরা তাকে ঈস৷ মনে করে হত্যা করে ও শুলে চড়ায় ৷ এব্যাপারে তারা ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ

করে ও সতাকে উপেক্ষা করে ৷ খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের অধিকা ৷ৎশ লোক এদের দাবিকে সমর্থন
করে ৷ কিন্তু উভয় দলই এ ব্যাপারে ভুলের মধ্যে রয়েছে ৷

আল্লাহর বাণী “তারা এক চক্রাম্ভ করেছিল আর আল্লাহ এক কৌশল অবলম্বন করলেন ৷
আল্লাহই উত্তম কৌশল অবলম্বনকাবী’ ৷ আল্লাহ আরও বালনং : স্মরণ কর মারয়াম তনয় ঈসা
বলেছিল, হে বনী ইসরাঈল! আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসুল এবং আমার পুর্ব হতে
তোমাদের নিকট যে তাওরাত রয়েছে আমি তার সমর্থক এবং আমার পরে আহ্ ৷দ নামে যে
রাসুল আসবেন আমি তার সুসংরাদদাতা ৷ পরে সে যখন স্পষ্ট নিদর্শনসহ তাদের ৷নকট আসল
তারা বলতে লাগল, এতো এক স্পষ্ট যাদৃ ৷ যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে আহুত হয়েও আল্লাহ সম্বন্ধে
মিথ্যা রচনা করে তার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে? আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়াক সৎপাথ
পরিচালিত করেন না ৷ তারা তা ৷ল্পাহ্র নুর ফুৎক৷ রে নিভা৩ ৷তে চায় কিন্তু আল্লাহ তার নুর পুর্ণরুপে
উদ্ভাসিত করবেন যদিও কাফিরর৷ তা অপছন্দ করে ৷” (সুরা সাফ্ং : ৬-৮)

এরপরে আল্লাহ বলেন “হে মুমিনগণ ৷! আল্লাহর দীানর সাহায্যকারী হও যেমন মারয়াম
ত তনয় ঈসা বলেছিল তার শিষ্যগণকে, আল্লাহর পথে কে আমার সাহায্যকারী হলো শিষ্যপণ
বলেছিল, আমরা ৷তেই ৩াআল্লাহ্র পথে সাহায্যকারী ৷ অতঃপর বনী ইসরাঈলদের একদল ঈমান
আনল এবং একদল কুফরী করল ৷ পরে আমি মুামনদেরকে শক্তিশালী করলাম তাদের শত্রুদের
মুকাবিলায়: ফলে৩ তারা বিজয়ী হল ৷ (৬ সুরা সাফ্ ১৪) ৷ অত এর, ঈস৷ (আ ) হলেন বনী
ইসরাঈলের শেষ নবী ৷ তিনি তাদের তার পরে আগমনকারী সর্বশেষ নবীর সুসংবাদ দনে
করেন, তার নাম উল্লেখ করেন এবং৩ তার লক্ষণ ও বৈশিষ্ট্যসমুহ বর্ণনা করেন, যাতে করে সেই
নবী যখন আগমন করবেন তখন তারা তাকে চিনতে পারে ও তার আনুগত্য করতে পারে ৷
তারা যাতে কোন রকম অজুহাত তুলতে না পারে, সে জন্যে তিনি দলীল-প্রমাণচ চুড়াম্ভত্যাব
পেশ করেন এবং তাদের প্রতি এটা ছিল আল্লাহ্র অনুকষ্প৷ স্বরুপ ৷ যেমনটি আল্লাহ বলেন :
“যায়৷ অনুসরণ করে বার্তাবাহক উমী নবীর যার উল্লেথ৩ ৷ ওাবাত ও ইনৃজীল যা তাদের নিকট
আছে তাতে লিপিবদ্ধ পায় ৷ যে৩ তাদেরকে সৎকাজর নির্দেশ দেয় ও অসৎকাজে বাধা দেয়, যে
তাদের জন্যে পবিত্র বন্তু বৈধ করে ও অপবিত্র বন্তু অবৈধ করে এবং যে মুক্ত করে তাদেরকে
তাদের গুরুভার থেকে ও শৃত্খল থেকে যা তাদের উপর ছিল ৷ সুতরাং যারা৩ তার প্ৰতি বিশ্বাস
স্থাপন করে, তাকে সম্মান করে, তাকে সাহায্য করে এবং যে নুর তার সাথে অবতীর্ণ হয়েছে
তার অনুসরণ করে, তারাই সফলকাম ৷ ( ৭ আরাফ : ১৫৭)

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক রাসুল (না)-এর কতিপয় সাহাৰীদের বরাতে বর্ণনা করেন যে,
একদা তারা বলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ৷ আমাদেরকে আপনার নিজের সম্পর্কে অবহিত করুন ৷
উত্তরে তিনি বলেন, আমি ইবরাহীম (আ)-এর দােয়ার ফলে, ঈসা (আ)এর সুসংরাদ ৷ যখন
আমি মায়ের পেটে ছিলাম তখন আমার মা স্বপ্ন দেখেছিলেন যে, তার থেকে একটি নুর বের


دَعْوَةُ أَبِي إِبْرَاهِيمَ، وَبُشْرَى عِيسَى، وَرَأَتْ أُمِّي حِينَ حَمَلَتْ بِي كَأَنَّهُ خَرَجَ مِنْهَا نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ بُصْرَى مِنْ أَرْضِ الشَّامِ» وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، وَأَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوُ هَذَا، وَفِيهِ: «دَعْوَةُ أَبِي إِبْرَاهِيمَ، وَبُشْرَى عِيسَى» وَذَلِكَ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ لَمَّا بَنَى الْكَعْبَةَ قَالَ: {رَبَّنَا وَابْعَثْ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْهُمْ} [البقرة: 129] . الْآيَةَ. وَلَمَّا انْتَهَتِ النُّبُوَّةُ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ إِلَى عِيسَى، قَامَ فِيهِمْ خَطِيبًا، فَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ النُّبُوَّةَ قَدِ انْقَطَعَتْ عَنْهُمْ، وَأَنَّهَا بَعْدَهُ فِي النَّبِيِّ الْعَرَبِيِّ الْأُمِّيِّ، خَاتَمِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَى الْإِطْلَاقِ، أَحْمَدَ، وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ، الَّذِي هُوَ مِنْ سُلَالَةِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا جَاءَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا هَذَا سِحْرٌ مُبِينٌ} [الصف: 6] يُحْتَمَلُ عَوْدُ الضَّمِيرِ إِلَى عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَيُحْتَمَلُ عُودُهُ إِلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ حَرَّضَ تَعَالَى عِبَادَهُ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى نُصْرَةِ الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ، وَنُصْرَةِ نَبِيِّهِ وَمُؤَازَرَتِهِ وَمُعَاوَنَتِهِ عَلَى إِقَامَةِ الدِّينِ وَنَشْرِ الدَّعْوَةِ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا أَنْصَارَ اللَّهِ كَمَا قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ لِلْحَوَارِيِّينَ مَنْ أَنْصَارِي إِلَى اللَّهِ} [الصف: 14] أَيْ: مَنْ يُسَاعِدُنِي فِي الدَّعْوَةِ إِلَى اللَّهِ {قَالَ الْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنْصَارُ اللَّهِ} [الصف: 14] وَكَانَ ذَلِكَ فِي قَرْيَةٍ يُقَالُ لَهَا: النَّاصِرَةُ. فَسُمُّوا النَّصَارَى بِذَلِكَ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَآمَنَتْ طَائِفَةٌ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَكَفَرَتْ طَائِفَةٌ} [الصف: 14] يَعْنِي، لَمَّا دَعَا عِيسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ وَغَيْرَهُمْ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى، مِنْهُمْ مَنْ آمَنَ وَمِنْهُمْ مَنْ كَفَرَ،
পৃষ্ঠা - ১০০২
فَكَانَ مِمَّنْ آمَنَ بِهِ أَهْلُ أَنْطَاكِيَةَ بِكَمَالِهِمْ، فِيمَا ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ السِّيَرِ وَالتَّوَارِيخِ وَالتَّفْسِيرِ، بَعَثَ إِلَيْهِمْ رُسُلًا ثَلَاثَةً، أَحَدُهُمْ شَمْعُونُ الصَّفَا، فَآمَنُوا وَاسْتَجَابُوا، وَلَيْسَ هَؤُلَاءِ هُمُ الْمَذْكُورِينَ فِي سُورَةِ " يس " لِمَا تَقَدَّمَ تَقْرِيرُهُ فِي قِصَّةِ أَصْحَابِ الْقَرْيَةِ، وَكَفَرَ آخَرُونَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَهْمُ جُمْهُورُ الْيَهُودِ، فَأَيَّدَ اللَّهُ مَنْ آمَنَ بِهِ عَلَى مَنْ كَفَرَ فِيمَا بَعْدُ، وَأَصْبَحُوا ظَاهِرِينَ عَلَيْهِمْ قَاهِرِينَ لَهُمْ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {إِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى إِنِّي مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَيَّ وَمُطَهِّرُكَ مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا وَجَاعِلُ الَّذِينَ اتَّبَعُوكَ فَوْقَ الَّذِينَ كَفَرُوا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ} [آل عمران: 55] . الْآيَةَ. فَكُلُّ مَنْ كَانَ إِلَيْهِ أَقْرَبَ، كَانَ غَالِبًا لِمَنْ دُونَهُ، وَلَمَّا كَانَ قَوْلُ الْمُسْلِمِينَ فِيهِ هُوَ الْحَقَّ الَّذِي لَا شَكَّ فِيهِ، مِنْ أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، كَانُوا ظَاهِرِينَ عَلَى النَّصَارَى الَّذِينَ غَلَوْا فِيهِ وَأَطْرَوْهُ، وَأَنْزَلُوهُ فَوْقَ مَا أَنْزَلَهُ اللَّهُ بِهِ، وَلَمَّا كَانَ النَّصَارَى أَقْرَبَ فِي الْجُمْلَةِ مِمَّا ذَهَبَ إِلَيْهِ الْيَهُودُ فِيهِ، عَلَيْهِمْ لِعَائِنُ اللَّهِ، كَانَ النَّصَارَى قَاهِرِينَ لِلْيَهُودِ فِي أَزْمَانِ الْفَتْرَةِ إِلَى زَمَنِ الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১০০৩
ষ্ষ্


হয়ে শাম দেশের বুসরা নগরী প্রাসাদরাজিকে আলোকে উদ্ভাসিত করে দিয়েছে ৷ ইরবায ইবন
সারিয়া ও আবু উমামাও রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তাদের বর্ণনায় এসেছে
যে, আমি ইবরাহীম (আ)-এর দোয়া এবং ঈসা (আ)-এর সুসংবাদ ৷ ইবরাহীম (আ) যখন
কা’বা ঘর নির্মাণ করেন তখন আল্লাহর নিকট দোয়া করেছিলেন যে, “হে আমাদের প্রতিপালক ৷
তাদের মধ্য হতে তাদের নিকট এক রাসুল প্রেরণ কর ৷ (২ বকোরা ল্গু ১২৯) ৷

অতঃপর বনী ইসরাঈলের মধ্যে নবুওতের ধারাবাহিকতা যখন ঈসা (আ) পর্যন্ত এসে শেষ
হল তখন তিনি তাদেরকে জানিয়ে দেন যে, তাদের মধ্যে নবী প্রেরণের ধারা শেষ হয়ে
গিয়েছে ৷ এরপর আরবদের মধ্যে এক উঘী নবী আসবেন ৷ তিনি হবেন খাতিমুল আন্বিয়া বা
শেষ নবী ৷ তার নাম হবে আহমদ, তিনি হচ্ছেন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মুত্তালিব
ইবন হাশিম ৷ ইসমাঈল ইবন ইবরাহীমের বংশধর ৷

আল্লাহ বলেন, “পরে সে যখন স্পষ্ট নিদশ্নিসহ তাদের নিকট আসল, তারা বলতে লাগল,
এতেড়া এক স্পষ্ট যাদু” (৬ সাফ্ : ৬) ৷ “সে যখন আসল এখানে ’সে’ সর্বনাম দ্বারা ঈসা
(আ)-কেও বুঝান হতে পারে, এবং আবার মুহাম্মদ (সা)-কেও বুঝান হতে পারে ৷ তারপার
আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে ইসলামের সেৰায় আত্মনিয়োগ করতে , মুসলমানদেরকে সাহায্য
করতে এবং নবীকে সম্মান করতে ও ইকামতে দীন এবং দাওয়াত সম্প্রসারণ কাজে সহযোগিতা
করতে নির্দেশ দান করেন ৷

আল্লাহ বলেন, “হে ঘুমিনগণশু আল্লাহর দীনেব সাহায্যকারী হও, যেমন মারয়ামতনয়
বলেছিল তার শিষ্যগণকে , আল্লাহর পথে কে আমার সাহায্যকারী হবে ৷ ” অর্থাং আল্লাহর দিকে
মানুষকে আহ্বান জানাবার কাজে কে আমাকে সাহায্য করবো “শিষাগণ বলেছিল, আমরাই
তো আল্লাহর পথে সাহায্যকারী ৷ ” নাসিরা নামক একটি গ্রামে ঈসা নবীর সাথে শিষ্যদের এই
কথাবার্তা হয়েছিল; এ জন্যেই পরবর্তীতে তারা নাসারা নামে আখ্যায়িত হয় ৷

আল্লাহ্ড়ার বাণী : “অতঃপর বনী ইসরাঈলদের একদল ঈমান আনল এবং একদল কুফবী
করল ৷” অর্থাং ঈসা (আ) যখন বনী ইসরাঈলসহ অন্যদেরকে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেন
তখন কিছু লোক দাওয়াত কবুল করল এবং কিছু লোক প্রত্যাখ্যান করল ৷ সীরাতবেত্তা
ইতিহাসবিদ ও তাকন্সীরবিদগণ লিখেছেন যে, এন্টিয়কের সমস্ত অধিবাসী ঈসা৷ (আ) এর প্ৰতি
ঈমান আনয়ন করে ৷ ঈসা (আ) এন্টিয়কে তিনজন দুত প্রেরণ করেন তাদের এক জনের নাম
শামউন আস-সাফা ৷ তারা তার আহ্বানে সাড়া দেয় এবং ঈমান গ্রহণ করে ৷ সুরা ইয়াসীনে যে
তিনজন দুতের উল্লেখ আছে, এরা সেই তিনজন নন, আলাদা তিনজন ৷ আসহাবুল কারিয়ার
ঘটনায় আমরা এ বিষয়ে আলোচনা ইতিপুর্বে করেছি ৷ বনী ইসরাঈলের অধিকাংশ ইয়াহুদী ঈসা
(আ)-এর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে ৷ পরবর্তীতে আল্লাহ ঈমান গ্রহণকারীদেরকে সাহায্য ও
শক্তি দান করেন ৷ ফলে তারা ঈমান প্ৰত্যাখ্যানকাবীদেরকে পর্বুদস্ত করে এবং তাদের উপর
বিজয় লাভ করে ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ বলেন,“ম্মরণ কর, যখন আল্লাহ বললেন, হে ঈসা ! আমি
তোমার মেয়াদ পুর্ণ করছি এবং আমার নিকট তোমাকে তুলে নিচ্ছি এবং যারা সত্য প্রত্যাখ্যান
করেছে তাদের মধ্য হতে তোমাকে মুক্ত করছি ৷ আর তোমার অনুসাবীগণকে কিয়ামত পর্যন্ত


[ذِكْرُ خَبَرِ الْمَائِدَةِ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِذْ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ هَلْ يَسْتَطِيعُ رَبُّكَ أَنْ يُنَزِّلَ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ قَالَ اتَّقُوا اللَّهَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ قَالُوا نُرِيدُ أَنْ نَأْكُلَ مِنْهَا وَتَطْمَئِنَّ قُلُوبُنَا وَنَعْلَمَ أَنْ قَدْ صَدَقْتَنَا وَنَكُونَ عَلَيْهَا مِنَ الشَّاهِدِينَ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنْزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لِأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِنْكَ وَارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ قَالَ اللَّهُ إِنِّي مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ فَمَنْ يَكْفُرْ بَعْدُ مِنْكُمْ فَإِنِّي أُعَذِّبُهُ عَذَابًا لَا أُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِنَ الْعَالَمِينَ} [المائدة: 112] [الْمَائِدَةِ: 112 - 115] . قَدْ ذَكَرْنَا فِي التَّفْسِيرِ الْآثَارَ الْوَارِدَةَ فِي نُزُولِ الْمَائِدَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَسَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، وَعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ وَغَيْرِهِمْ مِنَ السَّلَفِ، وَمَضْمُونُ ذَلِكَ، أَنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَمَرَ الْحَوَارِيِّينَ بِصِيَامِ ثَلَاثِينَ يَوْمًا، فَلَمَّا أَتَمُّوهَا سَأَلُوا مِنْ عِيسَى إِنْزَالَ مَائِدَةٍ مِنَ السَّمَاءِ عَلَيْهِمْ لِيَأْكُلُوا مِنْهَا وَتَطْمَئِنَّ بِذَلِكَ قُلُوبُهُمْ، أَنَّ اللَّهَ قَدْ تَقَبَّلَ صِيَامَهُمْ وَأَجَابَهُمْ إِلَى طَلِبَتِهِمْ، وَتَكُونَ لَهُمْ عِيدًا يُفْطِرُونَ عَلَيْهَا يَوْمَ فِطْرِهِمْ، وَتَكُونَ كَافِيَةً لِأَوَّلِهِمْ وَآخِرِهِمْ، لِغَنِيِّهِمْ وَفَقِيرِهِمْ، فَوَعَظَهُمْ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي ذَلِكَ وَخَافَ عَلَيْهِمْ أَنْ لَا يَقُومُوا بِشُكْرِهَا، وَلَا يُؤَدُّوا حَقَّ شُرُوطِهَا، فَأَبَوْا عَلَيْهِ إِلَّا أَنْ يَسْأَلَ لَهُمْ ذَلِكَ مِنْ رَبِّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَلَمَّا لَمْ يُقْلِعُوا عَنْ ذَلِكَ، قَامَ إِلَى مُصَلَّاهُ وَلَبِسَ مِسْحًا مِنْ شَعْرٍ، وَصَفَّ بَيْنَ قَدَمَيْهِ وَأَطْرَقَ رَأْسَهُ، وَأَسْبَلَ عَيْنَيْهِ بِالْبُكَاءِ، وَتَضَرَّعَ
পৃষ্ঠা - ১০০৪
ষ্ষ্


কাফিরদের উপরে প্রাধান্য দিচ্ছি ৷ (৩ আলে ইমরান : ৫৫) এ আঘাতের আলোকে যে সব দল
ও সম্প্রদায় হযরত ঈসা(আ)-এর দীন ও দাওয়াতের অধিক নিকটবর্তী, তারা তুলনামুলক
নিম্নবর্তীদের উপর বিজয় ও প্রাধান্য লাভ করবে ৷ সুতরাং ঈসা (আ ) এর ব্যাপারে
ঘুসলামানদের বিশ্বাসই যথার্থ যাতে কো ন সন্দেহ নেই ৷ আর তা হচ্ছে৩ তিনি আল্লাহর বান্দ৷ ও
রাসুল ৷ সুতরাং নাসাবাদেব (খ্রীষ্টানদের) উপর৩শর৷ বিজয়ী থাকবেন ৷ কেননা, নাসারাগণ তার
ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে৩ তার ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করেছে এবং আল্লাহ তাকে যে মর্যাদা
দিয়েছেন তার ৷ বতার চাইতে উর্ধে স্থান দিয়েছে ৷

যেহেতু মােটাঘুটিভাবে অভিশপ্ত ইয়াহুদীদের তুলনায় ঈসা (আ)-এর আদর্শের কাছাকাছি
অবস্থানে আছে, সে জন্যে তারা ইয়াহুদীদের উপরে বিজয়ী হয়ে ইসলামের পুর্বেও ছিল এবং
ইসলামের অড়াবির্ভাবের পরেও রয়েছে ৷

আসমানী খাঞ্চার বিবরণ
আল্লাহ্র বাণী ;

ন্শ্শ্ র্বু,শু×র্বু,শ্’০
১ন্দ্বু১ ৷টুাট্রুশু ৰু,ট্রু;;ৰুৰু;পু ;£§’: ং ৷ ব্লুএপু ৷ ৷ প্রু; ৷ ৰুাএে £;৷ ৷ ,,ঠু ৰু১;,টু;ঙ্ ঙ্া;
(

ড্রু,;দ্বু,াহুা৷ ;: ;; ৰু:;৷ এেব্লু,া, ;াট্রু; ৰু;া, ৷ন্,১১ এেড্রছগু ট্টহ্ন্৫ এে :ট্টৰুৰু

০ fl : : এ

১া৷ট্রুা;ধ্;ছুট্রু১:৷ ম্ড্রুণ্ৰুর্দু ;ঠু,শুন্নুন্স্পে ণ্ড্রু;া;£ঠু’া);এে

ট্রু,ট্রু ন্ণ্ঠুঠুং৷ ৷ ;,; ৷ র্মু; ৷
“স্মরণ কর, হাওয়ারীগণ বলেছিল, হে মারয়াম তনয় ঈসা! তোমার প্ৰতিপালক কি
আমাদের জন্যে আসমান হতে খাদ্য পরিপুর্ণ খাঞ্চা (মায়িদা) প্রেরণ করতে সক্ষম ? সে বলেছিল,
আল্লাহ্কে ভয় কর, যদি তোমরা ৷মৃমিন হও ৷৩ তারা বলেছিল আমরা ৷চাই যে, শ থেকে কিছু
খাব এবং আমাদের অন্তর প্রশা ৷ন্তি লাভ করবে ৷ আর আমরা জানতে চ ই যে,তু মি আমাদেরকে
সত্য বলেছ এবং আমরা এর সাক্ষী থাকতে চাই ৷ মারয়াম-তনয় ঈসা বলল, হে আল্লাহ,
আমাদের প্রতিপালক ! আমাদের জন্যে আসমান হতে খাদ্যপুর্ণ খাঞ্চা প্রেরণ কর; এটা আমাদের
পুর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্যে হবে আনন্দোৎসব স্বরুপ ও তোমার নিকট হতে নিদশ্নি ৷
এবং আমাদেরকে জীবিকা দান কর; তৃমিই তো শ্রেষ্ঠ জীবিকাদাতা ৷ আল্লাহ বললেন, আমিই
তোমাদের নিকট এটা প্রেরণ করব; কিন্তু এরপর তোমাদের মধ্যে কেউ কুফরী করলে তাকে
এমন শাস্তি দিব, যে শাস্তি বিশ্বজপতের অপর কাউকেও দিব না ৷ ” (মায়িদা : ১ ১ ২ ১ ১ ৫ )

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ২২-

إِلَى اللَّهِ فِي الدُّعَاءِ وَالسُّؤَالِ، أَنْ يُجَابُوا إِلَى مَا طَلَبُوا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى الْمَائِدَةَ مِنَ السَّمَاءِ، وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ إِلَيْهَا تَنْحَدِرُ بَيْنَ غَمَامَتَيْنِ، وَجَعَلَتْ تَدْنُو قَلِيلًا قَلِيلًا، وَكُلَّمَا دَنَتْ سَأَلَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، رَبَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، أَنْ يَجْعَلَهَا رَحْمَةً لَا نِقْمَةً وَأَنْ يَجْعَلَهَا بَرَكَةً وَسَلَامَةً، فَلَمْ تَزَلْ تَدْنُو حَتَّى اسْتَقَرَّتْ بَيْنَ يَدَيْ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهِيَ مُغَطَّاةٌ بِمَنْدِيلٍ، فَقَامَ عِيسَى يَكْشِفُ عَنْهَا، وَهُوَ يَقُولُ: بِسْمِ اللَّهِ خَيْرُ الرَّازِقِينَ. فَإِذَا عَلَيْهَا سَبْعَةٌ مِنَ الْحِيتَانِ، وَسَبْعَةُ أَرْغِفَةٍ، وَيُقَالُ: وَخَلٌّ. وَيُقَالُ: وَرُمَّانٌ وَثِمَارٌ. وَلَهَا رَائِحَةٌ عَظِيمَةٌ جِدًّا. قَالَ اللَّهُ لَهَا: كُونِي. فَكَانَتْ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ بِالْأَكْلِ مِنْهَا، فَقَالُوا: لَا نَأْكُلُ حَتَّى تَأْكُلَ. فَقَالَ: إِنَّكُمُ الَّذِينَ ابْتَدَأْتُمُ السُّؤَالَ لَهَا. فَأَبَوْا أَنْ يَأْكُلُوا مِنْهَا ابْتِدَاءً، فَأَمَرَ الْفُقَرَاءَ وَالْمَحَاوِيجَ وَالْمَرْضَى وَالزَّمْنَى، وَكَانُوا قَرِبَيًا مِنْ أَلْفٍ وَثَلَاثِمِائَةٍ، فَأَكَلُوا مِنْهَا فَبَرَأَ كُلُّ مَنْ بِهِ عَاهَةٌ، أَوْ آفَةٌ، أَوْ مَرَضٌ مُزْمِنٌ، فَنَدِمَ النَّاسُ عَلَى تَرْكِ الْأَكْلِ مِنْهَا ; لِمَا رَأَوْا مِنْ إِصْلَاحِ حَالِ أُولَئِكَ، ثُمَّ قِيلَ: إِنَّهَا كَانَتْ تَنْزِلُ كُلَّ يَوْمٍ مَرَّةً، فَيَأْكُلُ النَّاسُ مِنْهَا، يَأْكُلُ آخِرُهُمْ كَمَا يَأْكُلُ أَوَّلُهُمْ، حَتَّى قِيلَ: إِنَّهَا كَانَ يَأْكُلُ مِنْهَا نَحْوُ سَبْعَةِ آلَافٍ. ثُمَّ كَانَتْ تَنْزِلُ يَوْمًا بَعْدَ يَوْمٍ، كَمَا كَانَتْ نَاقَةُ صَالِحٍ يَشْرَبُونَ لَبَنَهَا يَوْمًا بَعْدَ يَوْمٍ. ثُمَّ أَمَرَ اللَّهُ عِيسَى أَنْ يَقْصُرَهَا عَلَى الْفُقَرَاءِ أَوِ الْمَحَاوِيجِ، دُونَ الْأَغْنِيَاءِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ، وَتَكَلَّمَ مُنَافِقُوهُمْ فِي ذَلِكَ، فَرُفِعَتْ بِالْكُلِّيَّةِ، وَمُسِخَ الَّذِينَ تَكَلَّمُوا فِي ذَلِكَ خَنَازِيرَ.
পৃষ্ঠা - ১০০৫
ষ্ষ্


তাফসীর গ্রন্থে এ আঘাতের ব্যাখ্যার আমরা খাঞ্চা অবতারণ প্রসংগে সেই সব হাদীস
উল্লেখ করেছি যা হযরত ইবন আব্বাস, সালমান ফারসী, আম্মার ইবন ইয়াসির প্রমুখ থেকে
বর্ণিত হয়েছে ৷ ঘটনার সারসংহ্মেপ এই; হযরত ঈস৷ (আ) হাওয়ারীগণকে ত্রিশ দিন সওম
পালনের নির্দেশ দেন ৷ তার৷ ত্রিশ দিন সওম পালন শেষে ঈস৷ (আ) এর নিকট আসমান
থেকে খাদ্যপুর্ণ খাঞ্চা অবতীর্ণ করার আবদার জানায় ৷ উদ্দেশ্য ছিল্ তারা আল্লাহর প্রেরিত
এই খাদ্য আহার করবে ৷ তাদের সওম ও দোয়া আল্লাহ কবুল করেছেন এ ব্যাপারে অম্ভরে
প্রশান্তি লাভ করবে, সওমের মেয়াদ শেষে সওম তংগের দিনে ঈদ উৎসব পালন করবে,
তাদের পুর্ব পুরুষ ও উত্তর পুরুষ এবং তা ধনী ও দরিদ্র সকলের জন্যে আনন্দের বিষয় হিসেবে
গণ্য হবে ৷ ঈস৷ (আ) এ ব্যাপারে তাদেরকে অনেক উপদেশ দিলেন ৷ তার আশংকা হল এরা
আল্লাহর এ নিয়ামতের শুকরিয়৷ আদায় করতে এবং এর শর্তা ৷দি পুরণ করতে সক্ষম হবে না৷
কিন্তু তারা তাদের আবদার পুরণ না হওয়া পর্যন্ত উপদেশ শুনতে প্রস্তুত হল না ৷ অবশেষে
তাদের পীড়াপীড়িতে বাধ্য হয়ে তিনি আল্লাহর নিকট দোয়া করতে প্রস্তুত হন ৷ তিনি সালাতে
দণ্ডায়মান হলেন ৷ পশম ও চুলের তৈরি কম্বল পরিধান করলেন এবং অবনত মস্তকে কান্নায় বুক
তাসিয়ে দিলেন ৷ তিনি আল্লাহর নিকট কাকুতি-মিনতি করে দোয়া করলেন যেন তাদের প্ৰার্থীত
জিনিস তিনি দিয়ে দেন আর আল্লাহ আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা অবতীর্ণ করেন ৷

মানুষ তাকিয়ে দেখছিল যে, দু’টি মেঘের মাঝখান থেকে খাঞ্চাটি ধীরে ধীরে নীচের দিকে
নেমে আসছে ৷ খাঞ্চাটি যতই পৃথিবীর নিকটবর্তী হচ্ছিল ততই ঈস৷ (আ) বেশী বেশী করে
আল্লাহর নিকট দোয়া করছিলেন, “হে আল্লাহ! একে তুমি রহমত, বরকত ও শান্তি হিসেবে
দান কর ৷ শাস্তি হিসেবে দিও না ৷” খাঞ্চাটি ক্রমান্বয়ে নেমে এসে একেবারে নিকটবর্তী হয়ে
গেল এবং ঈস৷ (আ) এর সম্মুখে মাটির উপর থামল ৷ খাঞ্চ টি ছিল রুমাল দিয়ে ঢাকা ৷ ঈসা
(আ) বলে রুমালখা না উঠালেন ৷ দেখলেন, তাতে সাতটি
মাছ ও সাতটি রুটি আছে ৷ কেউ বলেছেন, এর সাথে সির্ক৷ ছিল ৷ আবার কেউ কেউ বলেছেন,
ঐগুলোর সাথে তালিম এবং ফল ফলাদিও ছিল ৷ উক্ত খাদ্য দ্রব্যগু লো ছিল অত্যন্ত সুগন্ধি ৷
আল্লাহ বলেছিলেন, হও আর তাতে তা হয়ে গিয়েছিল ৷’ তারপর ঈস৷ ৷(আ) তাদেরকে
খাওয়ার জন্যে আহ্বান করেন ৷ তারা বলল, আপনি প্রথমে খাওয়া আরম্ভ করুন তারপরে আমরা
খাব ৷ ঈস৷ ৷(আ) বললেন, এ খাঞ্চার জন্যে তোমরা ৷ই প্রথমে আবেদন করেছিলে; কিন্তু প্রথমে
খেতে ত বা কিছুতে ই রাজি হল না ৷ হযরত ঈস৷ ( আ) তখন ফকীর, মিসকীন, অভা ৷বগ্রস্ত,
রোপাক্রান্ত ও পঙ্গুদেরকে খাওয়ার আদেশ দেন ৷ এ জাতীয় লোকদের সং খ্যা ছিল তেরশ ৷
সকলেই তা ৷থেকে থােলা ৷ ফলে দুঃখ-দুর্দশা ও রোগ-শোক যার যে সমস্যা ছিল , এই খাদ্যের
বরকতে তা থেকে সে নিরাময় লাভ করল ৷ যায়৷ খেতে অস্বীকার করেছিল তা দেখে তারা
খুবই লজ্জিত হল ও অনুশোচন৷ করতে লাগল ৷ কথিত আছে, এই খাঞ্চা প্রতিদিন একবার করে
আসত ৷ লোক এ থেকে তৃপ্তি সহকারে আহার করত ৷ খাদ্য একর্টুও হ্রাস পেতে৷ না ৷ প্রথম
দল যেভাবে আহার করত, শেষের দলও ঐ একইভ৷ রুাব আহার করত ৷ কথিত আছে, প্রতিদিন
সাত হাজার লোক ঐ খাদ্য আহার করত ৷


وَقَدْ رَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وَابْنُ جَرِيرٍ جَمِيعًا، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ قَزَعَةَ الْبَاهِلِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ عَنْ، خِلَاسٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «نَزَلَتِ الْمَائِدَةُ مِنَ السَّمَاءِ خُبْزٌ وَلَحْمٌ، وَأُمِرُوا أَنْ لَا يَخُونُوا، وَلَا يَدَّخِرُوا، وَلَا يَرْفَعُوا لِغَدٍ، فَخَانُوا وَادَّخَرُوا وَرَفَعُوا، فَمُسِخُوا قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ» ثُمَّ رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ بُنْدَارٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ خِلَاسٍ، عَنْ عَمَّارٍ، مَوْقُوفًا، وَهَذَا أَصَحُّ، وَكَذَا رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ سِمَاكٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي عِجْلٍ، عَنْ عَمَّارٍ مَوْقُوفًا، وَهُوَ الصَّوَابُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَخِلَاسٌ عَنْ عَمَّارٍ مُنْقَطِعٌ، فَلَوْ صَحَّ هَذَا الْحَدِيثُ مَرْفُوعًا لَكَانَ فَيْصَلًا فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ ; فَإِنَّ الْعُلَمَاءَ اخْتَلَفُوا فِي الْمَائِدَةِ، هَلْ نَزَلَتْ أَمْ لَا؟ فَالْجُمْهُورُ أَنَّهَا نَزَلَتْ، كَمَا دَلَّتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الْآثَارُ، وَكَمَا هُوَ الْمَفْهُومُ مِنْ ظَاهِرِ سِيَاقِ الْقُرْآنِ، وَلَا سِيَّمَا قَوْلُهُ: {إِنِّي مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ} [المائدة: 115] كَمَا قَرَّرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ إِلَى مُجَاهِدٍ، وَإِلَى الْحَسَنِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، أَنَّهُمَا قَالَا: لَمْ تَنْزِلْ. وَإِنَّهُمْ أَبَوْا نُزُولَهَا، حِينَ قَالَ: {فَمَنْ يَكْفُرْ بَعْدُ مِنْكُمْ فَإِنِّي أُعَذِّبُهُ عَذَابًا لَا أُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِنَ الْعَالَمِينَ} [المائدة: 115]
পৃষ্ঠা - ১০০৬
وَلِهَذَا قِيلَ: إِنَّ النَّصَارَى لَا يَعْرِفُونَ خَبَرَ الْمَائِدَةِ، وَلَيْسَ مَذْكُورًا فِي كِتَابِهِمْ مَعَ أَنَّ خَبَرَهَا مِمَّا تَتَوَفَّرُ الدَّوَاعِي عَلَى نَقْلِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَصَّيْنَا الْكَلَامَ عَلَى ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ "، فَلْيُكْتَبْ مِنْ هُنَاكَ، وَمَنْ أَرَادَ مُرَاجَعَتَهُ فَلْيَنْظُرْهُ مِنْ ثَمَّ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
পৃষ্ঠা - ১০০৭
ষ্ষ্


কিছু দিন অতিবাহিত হলে একদিন পর পর খাঞ্চা অবতরণ করত ৷ যেমন সালিহ (অড়া)-এর
উটনীর দুধ একদিন পর পর লোকেরা পান করত ৷ অতঃপর আল্লাহ্ হযরত ঈসা (আ)-কে
আদেশ দেন যে, এখন থেকে খাঞ্চার খাবার শুধুমাত্র দরিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্ত লোকেরাই আহার
করবে ৷ ধনী লোকেরা তা থেকে আহার করতে পারবে না ৷ এই নির্দেশ অনেককেই পীড়া দেয় ৷
মুনাফিকরা এ নিয়ে বিরুপ সমালোচনা করতে শুরু করল ৷ ফলে আসমানী খাঞ্চা সম্পুণরুপে বন্ধ
হয়ে গেল এবং সমালোচনাকারীরা শুকরে পরিণত হল ৷

ইবন আবি হাতিম ও ইবন জারীর উভয়ে আমার ইবন ইয়াসির (রা) থেকে বপ্টা

করেন ৷ নবী করীম (সা) বলেছেন : রুটি ও গোশতসহ খাঞ্চা আসমান থেকে অবতীর্ণ হয়েছিল
এবং বনী ইসরাঈলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তারা এর অপব্যবহার করবে না, সঞ্চয় করে
রাখবে না ও আগামী দিনের জন্যে ঘরে তুলে নিবে না ৷ কিভু তারা এতে খিয়ানত করে সঞ্চয়
করে রাখে ও আগামী দিনের জন্যে ঘরে তুলে নেয় ৷ ফলে তাদেরকে বানর ও শুকরে পরিণত
করা হয় ৷ ইবন জারীর আমার (বা) থেকে বিভিন্ন সুত্রে মওকুফরুগে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন
এবং এটাই সঠিক ৷ হাদীসটি যে সুত্রে মারফুরুগে বর্ণিত হয়েছে তা মুনকাতা বা বিভিন্ন সুত্রের
হাদীস ৷ হাদীসটির মারফু হওয়া নিশ্চিত হলে এ ব্যাপারে এটি হবে চুড়ান্ত ফয়সালা ৷ কেননা,
খড়াদ্যপুর্ণ খাঞ্চা আদৌ অবতীর্ণ হয়েছিল কি না সে সম্পর্কে অড়ালিমদের মধ্যে মতভেদ আছে ৷
তবে অধিকাৎশের মতে তা’ অবতীর্ণ হয়েছিল ৷ উপরোক্ত হাদীস ও কুরআনের প্ৰকাশতংগী
থেকে তাই বুঝা যায় ৷

বিশেষ করে এই আয়াত : ;§;£; ’€;’;; হেট্রু, (আমি অবশ্যই তা তোমাদের উপর
অবতীর্ণ করব ৷)” ইবন জারীর দৃঢ়তার সাথে এই মতের্ব পক্ষে প্ৰমাণাদি উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি
বিশুদ্ধ সনদে মুজাহিদ ও হাসান বসরীর মতামত উল্লেখ করেছেন ৷ তারা বলেছেন, মাযিদা
আদৌ অবতীর্ণ হয়নি ৷ তারা বলেন, এই আয়াত “এরপর তোমাদের মধ্যে কেউ কুফরী করলে
তাকে এমন শাস্তি দিব, যে শাস্তি বিশ্বজগতের অপর কাউকেও দিব না” ৷ (মায়িদা : ১ ১ ৫ ) যখন
নাযিল হয় তখন বনীইসরাঈলরা মাযিদা অবতীর্ণের আবদার প্রত্যাহার করে নেয় ৷ এ কারণেই
বলা হয়ে থাকে যে, নাসারাপণ মায়িদার ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নয় এবং তাদের কিতাবেও এ
ঘটনার বাস্তবে কোন উল্লেখ নেই ৷ অথচ এমন একটি ঘটনা বাস্তবে সংঘটিত হলে তার উল্লেখ
না থেকে পারে না ৷ তাফসীর গ্রন্থে এ বিষয়ে আমরা বির্শদভাবে আলোচনা করেছি ৷ আগ্রহী
ব্যক্তি সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন ৷

পরিচ্ছেদ

আবু বকর ইবন আবিদ দুনিয়া বকর ইবন আবদিল্লাহ মুমানী থেকে বর্ণনা করেনঃ
একদা হাওয়াবীপণ হযরত ঈসা (আ) কে খুজে পাচ্ছিলেন না ৷ জনৈক ব্যক্তি তাদেরকে বলল,
তিনি সমুদ্রের দিকে গিয়েছেন ৷ তারা সন্ধান করতে করতে সমুদ্রের দিকে গেল ৷ সমুদ্রের তীরে
গিয়ে দেখেন, তিনি পানির উপর দিয়ে হীটছেন ৷ সমুদ্রের তরঙ্গ একবার তাকে উপরে উঠাচ্ছে
এবার নীচে নামাচ্ছে ৷ একটি চাদরের অর্ধেক গায়ের উপর দিয়ে রেখেছেন আর বাকী অর্ধেক
তার পরিধানে আছে ৷ পানির উপর দিয়ে হীটতে হীটতে তিনি তাদের নিকটে আসেন ৷ তাদের


[فَصَلٌ فِي مَشْيِ عِيسَى عَلَى الْمَاءِ] فَصْلٌ قَالَ أَبُو بَكْرٍ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا رَجُلٌ سَقَطَ اسْمُهُ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو هِلَالٍ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ، قَالَ: فَقَدَ الْحَوَارِيُّونَ نَبِيَّهُمْ عِيسَى، فَقِيلَ لَهُمْ: تَوَجَّهَ نَحْوَ الْبَحْرِ. فَانْطَلَقُوا يَطْلُبُونَهُ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَى الْبَحْرِ، إِذَا هُوَ يَمْشِي عَلَى الْمَاءِ، يَرْفَعُهُ الْمَوْجُ مَرَّةً وَيَضَعُهُ أُخْرَى، وَعَلَيْهِ كِسَاءٌ، مُرْتَدٍ بِنِصْفِهِ، وَمُؤْتَزِرٌ بِنِصْفِهِ حَتَّى انْتَهَى إِلَيْهِمْ، فَقَالَ لَهُ بَعْضُهُمْ - قَالَ أَبُو هِلَالٍ: ظَنَنْتُ أَنَّهُ مَنْ أَفَاضِلِهِمْ -: أَلَا أَجِيءُ إِلَيْكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ؟ قَالَ: بَلَى. قَالَ: فَوَضَعَ إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الْمَاءِ، ثُمَّ ذَهَبَ لِيَضَعَ الْأُخْرَى فَقَالَ: أَوَّهْ، غَرِقْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ. فَقَالَ: أَرِنِي يَدَكَ يَا قَصِيرَ الْإِيمَانِ، لَوْ أَنَّ لِابْنِ آدَمَ مِنَ الْيَقِينِ قَدْرَ شَعِيرَةٍ، مَشَى عَلَى الْمَاءِ. وَرَوَاهُ أَبُو سَعِيدِ بْنُ الْأَعْرَابِيِّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ابْنِ أَبِي الْجَحِيمِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ بَكْرٍ، بِنَحْوِهِ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْعَثِ، عَنِ الْفُضَيْلِ بْنِ عِيَاضٍ قَالَ: قِيلَ لِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ: يَا عِيسَى، بِأَيِّ شَيْءٍ تَمْشِي عَلَى الْمَاءِ؟ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ১০০৮
ষ্ষ্


মধ্যকার শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তিটি বললেন, “হে আল্লাহর নবী ! আমি কি আপনার নিকট আসর ? তিনি
বললেন, হীা, এস, যখন তিনি এক পা পানিতে রেখে অন্য পা তুলেছেন, অমনি চিৎকার করে
উঠেন উহ্৪ হে আল্লাহর নবী! আমি তো ডুবে গেলাম ৷ ঈস৷ (আ) বললেন, ওহৈ দুর্বল
ঈমানদার তোমার হাত আমার দিকে বাড়াও ৷ কোন আদম সন্তানের যদি একটা বব পরিমাণও
ঈমান থাকে তাহলে সে পানির উপর দিয়েছু ন্ ৷টতে পারে ৷

আবু সাঈদ ইবনুল আরাবী বকর থেকে অনুরুপ ঘটনা বণ্ না করেছেন ৷ ইবন আবিদ
দুনিয়া ফুযায়ল ইবন ইয়ায থেকে বর্ণনা ৷করেনং , জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে ঈস৷
আপনি কিসের সাহায্যে পানির উপর দিয়ে ইাটেনঃ তিনি বললেন ঈমন ও ইয়াকীনের বলে ৷
উপস্থিত লোকেরা বলল, আপনি যেমন ইয়াকীন রাখেন, আমরাও তেমনি ইয়াকীন রাখি ৷ ঈসা
বললেন, ত ই যদি হয় তা হলে তোমরাও পানির উপর দিয়ে হেটে চল ৷ তখন নতারা নবী
ঈসার সাথে পানির উপর দিয়ে হাট৷ শুরু করল ৷ কিন্তু ঢেউ আস৷ মাত্রই তারা সকলেই ডুবে
গেল ৷ নবী বললেন, তে ৷মাদের কী হল হে? তারা বলল, আমর ঢেউ দেখে ভীত হয়ে
গিয়েছিলাম ৷ নবী বললেন, কত ৩াল হত যদি ঢেউ এর মালিককে তোমরা ভয় করতে ৷
অতংপর তিনি৩ তাদেরকে বের করে আনলেন ৷ কিছুক্ষণ পর তিনি মাটিতে হাত মেরে এক মুষ্টি
মাটি নিলেন ৷ পরে হাত খুললে দেখা গেল এক হাতে স্বর্ণ এবং অন্য হাতে মাটির ঢেলা কিৎবা
কঙ্কর ৷ তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন এ দুহাভ্রুত র কােনটির বস্তু তোমাদের কাছে
প্রিয়তর? তারা বলল, স্বর্ণ ৷ নবী বললেন, আমার নিকট স্বর্ণ ও মাটি উভয়ই সমান ৷ ইতিপুর্বে
ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকারিয়৷ (আ)-এর ঘটনায় আমরা উল্লেখ করেছি যে, হযরত ঈস৷ (আ) পশমী
বস্ত্র পরিধান করতেন, গাছের পাতা আহার করতেন ৷ তার বসবাসের কোন ঘরবাড়ী ছিল না ৷
পরিবার ছিল না, অর্থ সম্পদ ছিল না এবং আগামী দিনের জ্যন্য কিছু সঞ্চয় করেও তিনি
রাখতেন না ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তিনি তার মায়ের সুতা কাটার চরকার আয় থেকে আহার
করতেন ৷

ইবন আসাকির শা’বী থেকে বংনাি করেছেন যে, ঈস৷ (আ) এর সম্মুখে কিয়ামতের
আলোচনা করা হলে তিনি চিৎকার করে উঠতেন এবং বলতেন, ইবন মারয়ামের নিকট
কিয়ামতের আলাচনা করা হবে আ র তিনি চুপচাপ থাকবেন তা’ হয় না ৷ আবদুল মালিক ইবন
সাঈদ ইবন বাহ্র থেকে বর্ণিত৪ হযরত ঈস৷ (আ) যখন উপদেশ বাণী শুনাতেন তখন তিনি
সন্তান হারা মায়ের ন্যায় কান্া৷ক টি করতেন ৷ আবদুর রায্যাক জা ’ফর ইবন বালকাম থেকে
বর্ণনা করেন যে, ঈস৷ (আ) সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এরুপ দোয়া করতেন, “হে আল্লাহ !
আমার যা অপছন্দ তা থেকে আত্মরক্ষ৷ করতে আমি সক্ষম নই; যে কল্যাণ আমি পেতে চাই তা
আমার অধিকারে সেই, সব বিষয় রয়েছে অন্যের হাতে আমি আমার কাজের মধ্যে বন্দী;
সুতরাং আমার চেয়ে অসহায় আর কেউ নেই ৷ হে আল্লাহ ! আমার শত্রুকে হাসিয়ো না এবং
আমার কারণে আমার বন্ধুকে কষ্ট দিও না ৷ আমার দীনের মধ্যে ৎকট সৃষ্টি করিও না এবং
আমার প্রতি সদয় হবে না এমন লোককে আমার উপর চাপিয়ে দিও না ৷”


بِالْإِيمَانِ وَالْيَقِينِ. قَالُوا: فَإِنَّا آمَنَّا كَمَا آمَنْتَ وَأَيْقَنَّا كَمَا أَيْقَنْتَ. قَالَ: فَامْشُوا إِذًا. قَالَ: فَمَشَوْا مَعَهُ فِي الْمَوْجِ فَغَرِقُوا. فَقَالَ لَهُمْ عِيسَى: مَا لَكُمْ؟ فَقَالُوا: خِفْنَا الْمَوْجَ. قَالَ: أَلَا خِفْتُمْ رَبَّ الْمَوْجِ. قَالَ: فَأَخْرَجَهُمْ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ إِلَى الْأَرْضِ، فَقَبَضَ بِهَا ثُمَّ بَسَطَهَا، فَإِذَا فِي إِحْدَى يَدَيْهِ ذَهَبٌ، وَفِي الْأُخْرَى مَدَرٌ أَوْ حَصًى، فَقَالَ: أَيُّهُمَا أَحْلَى فِي قُلُوبِكُمْ؟ قَالُوا: هَذَا الذَّهَبُ. قَالَ: فَإِنَّهُمَا عِنْدِي سَوَاءٌ. وَقَدَّمْنَا فِي قِصَّةِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا عَنْ بَعْضِ السَّلَفِ أَنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَانَ يَلْبَسُ الشَّعْرَ وَيَأْكُلُ مِنْ وَرَقِ الشَّجَرِ، وَلَا يَأْوِي إِلَى مَنْزِلٍ وَلَا أَهْلٍ وَلَا مَالٍ، وَلَا يَدَّخِرُ شَيْئًا لِغَدٍ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: كَانَ يَأْكُلُ مِنْ غَزْلِ أُمِّهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ عَنِ الشَّعْبِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: كَانَ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ، إِذَا ذُكِرَ عِنْدَهُ السَّاعَةُ صَاحَ، وَيَقُولُ: لَا يَنْبَغِي لِابْنِ مَرْيَمَ أَنْ تُذْكَرَ عِنْدَهُ السَّاعَةُ وَيَسْكُتَ. وَعَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبْجَرَ، أَنَّ عِيسَى كَانَ إِذَا سَمِعَ الْمَوْعِظَةَ صَرَخَ صُرَاخَ الثَّكْلَى. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ: أَنَّ عِيسَى كَانَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَصْبَحْتُ لَا أَسْتَطِيعُ دَفْعَ مَا أَكْرَهُ، وَلَا أَمْلِكُ نَفْعَ مَا أَرْجُو، وَأَصْبَحَ الْأَمْرُ بِيَدِ غَيْرِي، وَأَصْبَحْتُ مُرْتَهِنًا بِعَمَلِي، فَلَا فَقِيرَ أَفْقَرُ مِنِّي،
পৃষ্ঠা - ১০০৯
اللَّهُمَّ لَا تُشْمِتْ بِيَ عَدُوِّي، وَلَا تَسُؤْ بِي صَدِيقِي، وَلَا تَجْعَلْ مُصِيبَتِي فِي دِينِي، وَلَا تُسَلِّطْ عَلَيَّ مَنْ لَا يَرْحَمُنِي. وَقَالَ الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ كَانَ عِيسَى يَقُولُ: لَا يُصِيبُ أَحَدٌ حَقِيقَةَ الْإِيمَانِ حَتَّى لَا يُبَالِيَ مِنْ أَكْلِ الدُّنْيَا. قَالَ الْفُضَيْلُ: وَكَانَ عِيسَى يَقُولُ: فَكَّرْتُ فِي الْخَلْقِ، فَوَجَدْتُ مَنْ لَمْ يُخْلَقْ أَغْبَطَ عِنْدِي مِمَّنْ خُلِقَ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: إِنَّ عِيسَى رَأْسُ الزَّاهِدِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. قَالَ: وَإِنَّ الْفَرَّارِينَ بِذُنُوبِهِمْ يُحْشَرُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ عِيسَى. قَالَ: وَبَيْنَمَا عِيسَى يَوْمًا نَائِمٌ عَلَى حَجَرٍ قَدْ تَوَسَّدَهُ، وَقَدْ وَجَدَ لَذَّةَ النَّوْمِ، إِذْ مَرَّ بِهِ إِبْلِيسُ، فَقَالَ: يَا عِيسَى، أَلَسْتَ تَزْعُمُ أَنَّكَ لَا تُرِيدُ شَيْئًا مِنْ عَرَضِ الدُّنْيَا؟ فَهَذَا الْحَجَرُ مِنْ عَرَضِ الدُّنْيَا. فَقَامَ عِيسَى فَأَخَذَ الْحَجَرَ فَرَمَى بِهِ إِلَيْهِ، وَقَالَ: هَذَا لَكَ مَعَ الدُّنْيَا. وَقَالَ مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ: خَرَجَ عِيسَى عَلَى أَصْحَابِهِ، وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ صُوفٌ وَكِسَاءٌ وَتُبَّانٌ، حَافِيًا بَاكِيًا شَعِثًا، مُصْفَرَّ اللَّوْنِ مِنَ الْجُوعِ، يَابِسَ الشَّفَتَيْنِ مِنَ الْعَطَشِ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ، أَنَا الَّذِي أَنْزَلْتُ الدُّنْيَا مَنْزِلَتَهَا بِإِذْنِ اللَّهِ، وَلَا عَجَبَ وَلَا فَخْرَ، أَتَدْرُونَ أَيْنَ بَيْتِي؟ قَالُوا: أَيْنَ بَيْتُكَ يَا رُوحَ اللَّهِ؟ قَالَ: بِيتِي الْمَسَاجِدُ، وَطِيبِي الْمَاءُ، وَإِدَامِي الْجُوعُ، وَسِرَاجِي الْقَمَرُ بِاللَّيْلِ، وَصَلَاتِي فِي الشِّتَاءِ مَشَارِقُ
পৃষ্ঠা - ১০১০
ষ্ষ্

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১ ৭৩

ফুযায়ল ইবন ইয়ায, ইউনুস ইবন উবায়দ সুত্রে বর্ণনা করেন, হযরত ঈসা (আ) রলতেন
যতক্ষণ আমরা দুনিয়ার ভোগ বিমান থেকে বিমুখ হতে না পারবো, ততক্ষণাপ্ৰকৃত ঈমানের
াদ অনুভব করতে পারব না ৷ ফুযায়ল আরও বলেছেন, ঈসা (আ) বলরু তন, আমি সৃষ্টিতত্ত্ব
নিয়ে চিন্তা গবেষণা করেছি ৷ তাতে আমি দেখেছি যে মাঝে সৃষ্টি করা হয়েছে তার তুলনায়
যাকে সৃষ্টি করা হয়নি সে ই আমার কা ছে বেশী ঈর্ষণীয় ৷ ইসহাক ইবন বিশর হাসান (র)
সুত্রে বংনাি করেন, কিয়ামভ্রু তর দিন হযরত ৩ঈসা (আ) হবেন সংসার বিমুখদের নেতা তিনি
আরও বলেছেন০ কিয়ামতৃত তর দিন পাপ থেকে পলাযনকারী লোকদের হাশর হভ্রুব ঈসা
(আ ) এর সাথে ৷

রাবী আরও বলেনঃ একদিন হযরত ঈসা (আ) একটি পাথরের উপর মাথা রেখে শুয়ে
পড়েন ৷ তিনি গভীর ফ্লিায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন ৷ এমন সময় ৯ স্থান দিয়ে ইবলিস যাচ্ছিল ৷ সে
বলল, “ওহে ঈসা তুমি কি বলে থাক না যে, দুনিয়ার ;কান বস্তুর প্ৰতিঢন্ ৩ামার আগ্রহ (নই?
কিভু এই পাথরটি তো দুনিয়ার বস্তু তখন হযরত ঈসা (আ) পাথরটি ধরে তার দিকে ছুড়ে
মারলেন এবং বললেন, দুনিয়ার সাথে এটিও তুই নিয়ে যা ৷ ণুতামির ইবন সুলায়মান বলেন
একদা হযরত ঈসা (আ) তার শিষ্যদের সাথে নিয়ে বের হন ৷ ৩ার পরিধানে ছিল পশমের
জুব্বা, চাদর ও অতর্বাস ৷ তার পায়ে কো ন জুতা ছিল না ৷ তিনি ছিলেন ক্রন্দনরত ৷ র্তার মাথার
চুল ছিল এলােমেলো৷ ক্ষুধার তীব্রায় ঢেহারা ছিল ফাকাশে ৷াপপাসায় ঠোট দু টি শুষ্ক ৷ এ
অবস্থায় তিনি বনী ইসরাঈলের লোকদেরকে সালাম দিয়ে বললেন০ : আল্লাহর যেহেরবানীতে
আমি দুনিয়াকেতারা সঠিক অবস্থানে রেখেছি ৷ এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই এবং এর জন্যে
আমার গৌরবেরও কিছু নেই ৷ তামরা কি জান আমার ঘর কোথায়? তারা বলল, হে কহুল্লাহ্!
কোথায় আপনার ঘর? তিনি বললেন আমার ঘর হল মসজিদ, পানি দিয়েই আমার অঙ্গসজ্জা ৷
ক্ষুধাই আমার ব্যঞ্জন ৷ রাতে র র্চাদ আমার বাতি শীতকালে আমার স লাত পুবাচল, শাক সজিই
আমার জীবিকা, যে টা পশমই আমার পোষাক ৷ আল্লাহর ভয়ই আমার পরিচিতি, পঙ্গু ও
নিঃারা আমার সঙ্গী-সাথী ৷ আমি যখন সকালে উঠি তখন আমার হাত শুন্য যখন সন্ধ্য৷ হয়
তখনও আমার হাতে কিছু থাকে না ৷ এতে আমি সন্তুষ্ট ও তৃপ্ত এবং নিরুদ্বিগ্ন ৷ সুতরাং আমার
চাইতে ধনী ও সচ্ছল আর কে আছো বংনিাটি ইবন আসাকিরের ৷

আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে তিনি বংনাি করেছেনং রাসুলুল্লাহ (না) বলেন আল্লাহ হযরত
ঈসার নিকট এই মর্মে ওহী পাঠান যে, তোমাকে শত্রুরা যাতে চিনতে ও কষ্ট দিতে না পারে সে
জন্যে ভুমি সর্বদা স্থান পরিবর্তন করতে থাকবে ৷ আমার স্স্তুম ও প্ৰতিপত্তির কলম, আমি
তোমাকে এক হাজার হুরের সাথে বিবাহ দিব এবং চারশ’ বছর যাবত ওলীমা খাওয়ার ৷ এ
হাদীসটি গরীব পর্যায়ের ৷ এটা একটি ইসরাঈলী বর্ণনা ৷ আবদুল্লাহ ইবন মুরারক, খালফ ইবন
হাওশব থেকে বর্ণনা করেন, হযরত ঈসা (আ) হাওয়ারীদেরকে বলেছিলেন, রাজা-বাদশাহরা
যেমন দীন ও হিকমত তোমাদের জন্যে ছেড়ে দিয়েছে, তােমরাও তেমন তাদের জন্যে দুনিয়া
ছেড়ে দাও ৷ কাতাদা বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) বলেছিলেন : তোমরা আমার নিকট প্রশ্ন কর ৷
কেননা, আমার অন্তর কোমল, নিজের কাছে আমি ক্ষুদ্র ৷ ইসমাঈল ইবন আইয়্যাশ ইবন


الشَّمْسِ، وَرَيْحَانِي بُقُولُ الْأَرْضِ، وَلِبَاسِي الصُّوفُ، وَشِعَارِي خَوْفُ رَبِّ الْعِزَّةِ، وَجُلَسَائِي الزَّمْنَى وَالْمَسَاكِينُ، أُصْبِحُ وَلَيْسَ لِي شَيْءٌ، وَأُمْسِي وَلَيْسَ لِي شَيْءٌ، وَأَنَا طَيِّبُ النَّفْسِ غَنِيٌّ مُكْثِرٌ، فَمَنْ أَغْنَى مِنِّي وَأَرْبَحُ؟ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَرَوَى فِي تَرْجَمَةِ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبَانِ بْنِ حِبَّانَ أَبِي الْحَسَنِ الْعُقَيْلِيِّ الْمِصْرِيِّ، حَدَّثَنَا هَانِئُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْإِسْكَنْدَرَانِيُّ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي الْوَلِيدِ، عَنْ شُفَيِّ بْنِ مَاتِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَى عِيسَى، أَنْ يَا عِيسَى انْتَقِلَ مِنْ مَكَانٍ إِلَى مَكَانٍ، لِئَلَّا تُعْرَفَ فَتُؤْذَى، فَوَعِزَّتِي وَجَلَالِي، لَأُزَوِّجَنَّكَ أَلْفَ حَوْرَاءَ، وَلَأُولِمَنَّ عَلَيْكَ أَرْبَعَمِائَةِ عَامٍ» . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ رَفْعُهُ، وَقَدْ يَكُونُ مَوْقُوفًا مِنْ رِوَايَةِ شُفَيِّ بْنِ مَاتِعٍ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ أَوْ غَيْرِهِ مِنَ الْإِسْرَائِيلِيِّينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ خَلَفِ بْنِ حَوْشَبٍ قَالَ: قَالَ عِيسَى لِلْحَوَارِيِّينَ: كَمَا تَرَكَ لَكُمُ الْمُلُوكَ الْحِكْمَةَ، فَكَذَلِكَ فَاتْرُكُوا لَهُمُ الدُّنْيَا.
পৃষ্ঠা - ১০১১
ষ্ষ্


উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) হাওয়ারীদেরকে বলেছিলেন : যবের রুটি আহার
কর খালিস পানি পান কর এবং দুনিয়া থেকে শান্তি ও নিরাপদের সাথে বের হয়ে যাও ৷ আমি

তােমাদেরকে নিপুঢ় তত্ত্বকথ৷ জা ৷নাচ্ছি যে, দুনিয়ার যা সুস্বাদু, আখিরাতে তা বিস্বাদ আর দুনিয়ার
যা বিস্বাদ আখিরাতে তা ই সুস্বাদু ৷ আল্লাহর প্রকৃত বান্দ বা দুনিয়ার ভোগ বিলাসের জীবন
যাপন করতে পারে না ৷ তােমাদেরকে আমি সঠিক বলছি যে, তোমাদের মাঝে সবচেয়ে নিকৃষ্ট
ব্যক্তি হচ্ছে সেই লোক, যে জ্ঞানী হওয়া সত্বেও প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং চার যে, সকলেই
যেন তার মত হয় ৷

আবু হুরায়রা (বা) থেকেও অনুরুপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ আর মুসআব মালিক থেকে

বর্ণনা করেন ঈসা (আ) বনী ইসরাঈলদেরকে বলতে ন৪ খালিস পানি পান কর, তাজা সজি
খাও এবং ঘরের রুটি আহার কর ৷ পমের রুটি থেয়ো না যেন ৷ কেননা তোমরা এর শোকর
আদায় করতে পারবে না ৷ ইবন ওহাব ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ)
বলতেন : তোমরা দুনিয়া অতিক্রম করে যাও ৷ একে আবাদ করো না ৷ তিনি বলতেন :
দুনিয়ার মহব্বত সকল গুনাহের মুল এবং কুদৃষ্টি অম্ভরেয় মধ্যে কাম-ভাব উৎপন্ন করে ৷
উহায়ব ইবন ওয়াবদও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তার বর্ণনায় এইটুকু বেশী আছে যে,
কামনা-বাসনা অধিকাৎশ ক্ষেত্রে মানুষকে দীর্ঘস্থায়ী দুঃখে ফেলে ৷ ঈসা (আ) বলতেন, হে
দুর্বল আদম-সন্তান ! যেখানেই থাক আল্লাহ্কে ভয় কর, দুনিয়ার মেহমান হিসেবে জীবন যাপন
কর ৷ মসজিদকে নিজের ঘর বানাও ৷ চক্ষুদ্বয়কে র্কাদতে শিখাও , দেহকে ধৈর্যধারণ করতে ও
অন্তরকে চিন্তা করতে অভ্যস্ত কর ৷ আগামী দিনের খাদ্যের জন্যে দুশ্চিম্ভা করে৷ না এটা পাপ ৷
তিনি বলতেন, সমুদ্রেরত তরঙ্গের উপরে ঘর বানান যেমন সম্ভব নয় তেমনি দুনিয়ার স্থায়ীভাবে
থাকাও সম্ভব নয় ৷ ’কবি সাবিকুল বরবরী এ প্ৰসংগে সুন্দর কথা বলেছেন যথা :

অর্থাৎ তলোয়ারের পথেই তোমাদের ঘর শোভা পায় ৷ যে ঘরের ভিত্তি মাটির উপবে,ত
কি পানির উপরে বানানো সম্ভব ?

সুফিয়ান ছাওরী বলেন, ঈসা (আ) বলেছেন : মুমিনের অস্তরে দুনিয়ার মহব্বত ও
আখিরাতের মহব্বত একত্রে থাকতে পারে না যেভাবে একত্রে থাকতে পারে না একই পাত্রে
আগুন ও পানি ৷ ইব্রাহীম হারবী আবৃ আবদুল্লাহ সুফী সুত্রে বলেন, ঈসা (আ ) বলেছেন :
দুনিয়া অম্বেষণকাবী লোক সমুদ্রের পানি পানকারীর সাথে তুলনীয় ৷ সমুদ্রের পানি যত বেশী
পান করবে ৩৩ বেশী পিপাসা বৃদ্ধি পাবে এবংত তা তাকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেবে ৷ ঈসা (আ)
বলেছেন : শয়তান দুনিয়া অন্বেষণ ও কামনাকে আকর্ষণীয় করে এবং প্রবৃত্তির লালসার সময়
শক্তি যোগায় ৷

আ’মাশ খায়ছামা থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) সংপী-সাথীদের সামনে আহার্য রেখে
নিজে আহার থেকে বিরত থাকতেন এবং বলতেন, মেহমানদের সাথে তােমরাও এইরুপ আচরণ
করবে ৷ জনৈক মহিলা ঈসা (আ)-কে বলেছিল , ধন্য সেই লোক, যে আপনাকে ধারণ করেছিল


وَقَالَ قَتَادَةُ: قَالَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: سَلُونِي فَإِنِّي لَيِّنُ الْقَلْبِ، وَإِنِّي صَغِيرٌ عِنْدَ نَفْسِي. وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لِلْحِوَارِيَّيْنِ: كُلُوا خُبْزَ الشَّعِيرِ، وَاشْرَبُوا الْمَاءَ الْقَرَاحَ، وَاخْرُجُوا مِنَ الدُّنْيَا سَالِمِينَ آمِنِينَ، لَحَقٌّ مَا أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّ حَلَاوَةَ الدُّنْيَا مَرَارَةُ الْآخِرَةِ، وَإِنَّ مَرَارَةَ الدُّنْيَا حَلَاوَةُ الْآخِرَةِ، وَإِنَّ عِبَادَ اللَّهِ لَيْسُوا بِالْمُتَنَعِّمِينَ، لَحَقٌّ مَا أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّ شَرَّكُمْ عَالِمٌ يُؤْثِرُ هَوَاهُ عَلَى عِلْمِهِ، يَوَدُّ أَنَّ النَّاسَ كُلَّهُمْ مِثْلُهُ. وَرُوِيَ نَحْوُهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَقَالَ أَبُو مُصْعَبٍ، عَنْ مَالِكٍ: إِنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عِيسَى كَانَ يَقُولُ: يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ، عَلَيْكُمْ بِالْمَاءِ الْقَرَاحِ، وَالْبَقْلِ الْبَرِّيِّ، وَالْخُبْزِ الشَّعِيرِ، وَإِيَّاكُمْ وَخُبْزَ الْبُرِّ، فَإِنَّكُمْ لَنْ تَقُومُوا بِشُكْرِهِ. وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ: كَانَ عِيسَى يَقُولُ: اعْبُرُوا الدُّنْيَا وَلَا تُعَمِّرُوهَا. وَكَانَ يَقُولُ: حُبُّ الدُّنْيَا رَأْسُ كُلِّ خَطِيئَةٍ، وَالنَّظَرُ يَزْرَعُ فِي الْقَلْبِ الشَّهْوَةَ. وَحَكَى وُهَيْبُ بْنُ الْوَرْدِ مِثْلَهُ، وَزَادَ: وَرُبَّ شَهْوَةٍ أَوْرَثَتْ أَهْلَهَا حُزْنًا طَوِيلًا. وَعَنْ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: يَا ابْنَ آدَمَ الضَّعِيفَ، اتَّقِ اللَّهَ حَيْثُمَا كُنْتَ، وَكُنْ فِي الدُّنْيَا ضَيْفًا، وَاتَّخَذِ الْمَسَاجِدَ بَيْتًا، وَعَلِّمْ عَيْنَكَ الْبُكَاءَ، وَجَسَدَكَ الصَّبْرَ، وَقَلْبَكَ التَّفَكُّرَ، وَلَا تَهْتَمَّ
পৃষ্ঠা - ১০১২
بِرِزْقِ غَدٍ، فَإِنَّهَا خَطِيئَةٌ. وَعَنْهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنَّهُ قَالَ: كَمَا أَنَّهُ لَا يَسْتَطِيعُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَتَّخِذَ عَلَى مَوْجِ الْبَحْرِ دَارًا، فَلَا يَتَّخِذِ الدُّنْيَا قَرَارًا. وَفِي هَذَا يَقُولُ سَابِقٌ الْبَرْبَرِيُّ: لَكُمْ بُيُوتٌ بِمُسْتَنِّ السُّيُولِ وَهَلْ ... يَبْقَى عَلَى الْمَاءِ بَيْتٌ أُسُّهُ مَدَرُ وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ: قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ: لَا يَسْتَقِيمُ حُبُّ الدُّنْيَا وَحُبُّ الْآخِرَةِ فِي قَلْبِ مُؤْمِنٍ، كَمَا لَا يَسْتَقِيمُ الْمَاءُ وَالنَّارُ فِي إِنَاءٍ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ الْحَرْبِيُّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ رَشِيدٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الصُّوفِيِّ، قَالَ: قَالَ عِيسَى: طَالِبُ الدُّنْيَا مِثْلُ شَارِبِ مَاءِ الْبَحْرِ، كُلَّمَا ازْدَادَ شُرْبًا ازْدَادَ عَطَشًا، حَتَّى يَقْتُلَهُ. وَعَنْ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنَّ الشَّيْطَانَ مَعَ الدُّنْيَا، وَمَكْرَهُ مَعَ الْمَالِ، وَتَزْيِينَهُ مَعَ الْهَوَى، وَاسْتِمْكَانَهُ عِنْدَ الشَّهَوَاتِ. وَقَالَ الْأَعْمَشُ، عَنْ خَيْثَمَةَ: كَانَ عِيسَى يَصْنَعُ الطَّعَامَ لِأَصْحَابِهِ وَيَقُومُ عَلَيْهِمْ، وَيَقُولُ: هَكَذَا فَاصْنَعُوا بِالْقِرَى. وَبِهِ: قَالَتِ امْرَأَةٌ لِعِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: طُوبَى لِحِجْرٍ حَمَلَكَ، وَلِثَدْيٍ
পৃষ্ঠা - ১০১৩
ষ্ষ্


এবং ধন্য সেই স্থান যে আপনাকে দুধ পান করিয়েছিল ৷ উত্তরে ঈসা (আ) বলেছিলেন, ধন্য
সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর কিতাব পাঠ করে ও তার বিধান মেনে চলে ৷ ঈসা (আ) আরও
বলেছেন, সেই ব্যক্তিই সৌভাগ্যের অধিকারী যে নিজের গুনাহ স্মরণ করে কান্নাকাটি করে ,
জিহ্বাকে সংযত রাখে এবং যার ঘরই তার জন্য যথেষ্ট হয় ৷ তিনি বলেছেন, ঐ চক্ষুর জানা
সুসংবাদ, যে গুনাহ থেকে চিন্তামুক্ত অবস্থায় ঘুমিয়ে যায় এবং, জেগে উঠে গুনাহ বিহীন কাজে
মনোনিবেশ করে ৷ মালিক ইবন দীনার থেকে বর্ণিত ৷ ঈসা (আ) আপন শিষ্যবর্গের সাথে
কোথাও যাচ্ছিলেন ৷ পথে একটি মৃত দেহ দেখতে পেলেন ৷ শিষ্যরা বলল , মৃত দেহ থেকে তীব্র
দুর্গন্ধ বের হচ্ছে ৷ ঈসা (আ) বললেন, তার দীতগুলাে কত সাদা ৷ এ কথা বলে তিনি
শিষ্যদেরকে পীবত করা থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিচ্ছিলেন ৷ আবু বকর ইবন আবিদু

দুনিয়া যাকারিয়া ইবন আদী সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ একদা ঈসা (আ) ইবন মারয়াম বললেন,
হে হাওয়ারীগণ ! দীন নিরাপদ থাকলে দুনিয়ার নিম্নমান নিয়েই সন্তুষ্ট থাক; যেমন দুনিয়াদার
ব্যক্তিরা দুনিয়ার জীবন নিরাপদ থাকলে দীনের নিম্নমান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে ৷ এ প্রসংগে করি
বলেন :

(র্চু)া

অর্থাৎ আমি লক্ষ্য করেছি, এক শ্রেণীর লোক আছে যাদের মধ্যে দীন কম থাকলেও তাতে
তারা সত্তুষ্ট ৷ কিন্তু দুনিয়ার সৎকীর্ণতড়ায় তারা রাজী নয় ৷ সৃতরাৎ রাজা বাদশাহ্দের দুনিয়া
থেকে বিমুখ হয়ে দীন নিয়েই তুমি সন্তুষ্ট থাক, যেমন রজো বাদশাহ্রা দীন থেকে বিমুখ হয়ে
দুনিয়া পেয়ে সন্তুষ্ট থাকে ৷

আবু মাসআব মালিক থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা ইবন মারয়াম বলেছেন : আল্লাহর যিকির
ব্যতীত কথাবার্তা বেশী বল না; অন্যথায় তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে যাবে ৷ আর কঠিন অন্তর
আল্লাহ থেকে দুরে থাকে, কিন্তু তোমরা সে বিষয়ে অবগত নও ৷ মানুষের গুনাহের প্ৰতি
এমনভাবে দৃষ্টি দিও না, যেন তুমিই প্রভু বরং নিজেকে দাসের ভুমিকায় রেখে যে দিকে লক্ষ্য
কর ৷ কেননা, মানুষ দুই শ্রেণীর হয়ে থাকে ৷ কেউ বিপদ থেকে মুক্ত, কেউ বিপদগ্রস্ত ৷
বিপদগ্রস্তের প্ৰতি সদর হও এবং বিপদমুক্তের জনেই আল্লাহর প্রশংসা কর ৷ ছাওরী
ইবরাহীম তড়ায়মী সুত্রে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) তীর সাথীদেরকে বলেছেন, আমি ভোমড়াদেরকে
যথার্থ বলছি, যে ব্যক্তি ফিরদাউস আশা করেন তার উচিত যবের রুটি আহার করা এবং
আবর্জনা ন্তুপের মধ্যে কুকুরদের সাথে বেশী বেশী ঘুমড়ান ৷ মালিক ইবন দীনার বলেন, ঈসা
(আ) বলেছেন, ছাইযুক্ত যৰ্ আহার করা এবং আবর্জনার উপরে কুকুরের সাথে ঘুমানাের
অভ্যাস ফিরদাউস প্রত্যাশীদের মধ্যে খুব কমই দেখা যাচ্ছে ৷


أَرْضَعَكَ. فَقَالَ: طُوبَى لِمَنْ قَرَأَ كِتَابَ اللَّهِ وَاتَّبَعَهُ. وَعَنْهُ: طُوبَى لِمَنْ بَكَى مِنْ ذِكْرِ خَطِيئَتِهِ، وَحَفِظَ لِسَانَهُ، وَوَسِعَهُ بَيْتُهُ. وَعَنْهُ: طُوبَى لِعَيْنٍ نَامَتْ، وَلَمْ تُحَدِّثْ نَفْسَهَا بِالْمَعْصِيَةِ، وَانْتَبَهَتْ إِلَى غَيْرِ إِثْمٍ. وَعَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ، قَالَ: مَرَّ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ بِجِيفَةٍ، فَقَالُوا: مَا أَنْتَنَ رِيحَهَا. فَقَالَ: مَا أَبْيَضَ أَسْنَانَهَا. لِيَنْهَاهُمْ عَنِ الْغِيِبَةِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ عَدِيٍّ، قَالَ: قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ: يَا مَعْشَرَ الْحَوَارِيِّينَ، ارْضَوْا بِدَنِيِّ الدُّنْيَا مَعَ سَلَامَةِ الدِّينِ، كَمَا رَضِيَ أَهْلُ الدُّنْيَا بَدَنِيِّ الدِّينِ مَعَ سَلَامَةِ الدُّنْيَا. قَالَ زَكَرِيَّا: وَفِي ذَلِكَ يَقُولُ الشَّاعِرُ: أَرَى رِجَالًا بِأَدْنَى الدِّينِ قَدْ قَنَعُوا ... وَلَا أَرَاهُمْ رَضُوا فِي الْعَيْشِ بِالدُّونِ فَاسْتَغْنِ بِالدِّينِ عَنْ دُنْيَا الْمُلُوكِ كَمَا ... اسْتَغْنَى الْمُلُوكُ بِدُنْيَاهُمْ عَنِ الدِّينِ وَقَالَ أَبُو مُصْعَبٍ، عَنْ مَالِكٍ: قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ: لَا تُكْثِرُوا الْحَدِيثَ بِغَيْرِ ذِكْرِ اللَّهِ، فَتَقْسُوَ قُلُوبُكُمْ، فَإِنَّ الْقَلْبَ الْقَاسِيَ بَعِيدٌ مِنَ اللَّهِ وَلَكِنْ لَا تَعْلَمُونَ، وَلَا تَنْظُرُوا فِي ذُنُوبِ الْعِبَادِ كَأَنَّكُمْ أَرْبَابٌ، وَانْظُرُوا فِيهَا
পৃষ্ঠা - ১০১৪
ষ্ষ্


আবদুল্লাহ ইবন মুবারক সালিম ইবন আরিল জা’দ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ হযরত ঈসা
(আ) বলেছেন : তোমরা কাজ কর আল্লাহর জন্যে, পেটের জন্যে নয় ৷ পাখীদের প্রতি লক্ষ্য
কর, তারা সকালে বের হয় ৷ সন্ধ্যায় ফিরে তারা চাষাবাদও করে না ফসলও ফলায় না;
আল্লাহ ই তাদেরকে থাওয়ান ৷ যদি বল যে, পাখীদের চেয়ে আমাদের পেট বড় ৷ তা হলে গরু
ও গাধার দিকে ত ৷কাও ৷ সকালে যায়, সন্ধ্যায় ফিরে আসে ৷ এব৷ ও না ক্ষেত করে, না ফসল
ফলায়; আল্লাহ-ই এদেরকে রিযিক দান করেন ৷ সাফওয়ান ইবন আমরইয়াযীদ ইবন
মায়সার৷ থেকে বর্ণনা করেন, একদা হাওয়ারীগণ ঈস৷ ৷(আ) কে বললেন হে মাসীহুল্লাহ!
দেখুন, আল্লাহর মসজিদ ক৩ ই না সুন্দর ৷ মাসীহ বললেন, ঠিক ঠিক তবে আমি তোমাদেরকে
যথার্থ জ৷ ৷নাচ্ছি, আল্লাহ এ মসজিদের পাথরগুলোকে স্থা ৷য়ীভ৷ ৷বে দণ্ড য়মান রাখবেন না ৷ বরং তার
সাথে সৎশ্রিষ্টদের গুনাহের কারণে ধ্বংস করে দিবেন ৷ তোমাদের স্বর্ণ রৌপ্য ও পছন্দনীয়
ধন-সম্পদ দিয়ে আল্লাহর কোন কাজ সেই ৷ এই দুনিয়ায় আল্লাহর নিকট প্রিয় বস্তু হচ্ছে সৎ
অন্তর ৷ এর সাহায্যেই আল্লাহ দুনিয়াকে আবাদ রেখেছেন এবং এর জন্য তিনি দুনিয়া ধ্বংস
করে দিবেন, যখন তা’ পরিবর্তিত হয়ে যাবে ৷

ইবন আসাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে মুজাহিদের সুত্রে ইবন আব্বাস (বা ) থেকে বর্ণনা
করেন, নবী আকরম (সা) বলেছেন৪ একদা হযরত ৩ঈসা (আ) একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরের উপর
দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ শহরের বিধ্বস্ত প্রাসাদরাজি দেখে তিনি অবাক হয়ে৩ তাকিয়ে থাকেন ৷ কিছু
সময় পর তিনি আল্লাহ্র নিকট আবেদন করেন, হে আল্লাহ! এই শহরকে আমার কতিপয়
প্রশ্নের উত্তর দেয়ার অনুমতি দিন ৷ আল্লাহ তা’আলা বিধ্বস্ত শহরটিকে ঈসার প্রশ্নের উত্তর
দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ তখন শহরটি ঈস৷ (আ)-কে ডেকে বলল, হে প্রিয় নবী ঈসা
(আ) ! আপনি আমার নিকট কী জানতে চান? ঈস৷ (আ) বললেন, তোমার বৃক্ষরাজি কোথায়
গেল? তোমার নদী-নালার কী হলো? তোমার প্রাসাদ-রাজির কী অবস্থা ?৫ তোমার বাসিন্দারা
কোথায় গেল? উত্তরে শহর বলল হে প্রিয় নবী আল্লাহর ওয়াদা কার্যকরী হয়েছে ৷৩ তাই আমার
বৃক্ষরাজি শুকিয়ে গিয়েছে, নদী-ন৷ ৷ল৷ পানিশুন্য হয়ে গিয়েছে, প্রাসাদরাজি ধ্বংস ন্তুপে পরিণত
হয়েছে এবং আমার বাসিন্দারা সবাই মারা গিয়েছে ৷ ঈস৷ (আ) বললেন, তবে তাদের
ধন সম্পদ কোথায়? শহরটি উত্তর দিল, ত বা হ লাল ও হারাম পন্থায় নির্বিচারে সম্পদ সঞ্চয়
করেছিল, যে সবই আমার অভ্যন্তরে রক্ষিত আছে ৷ আসমান ও যমীনের সব কিছুর সত্ত্ব৷ ৷ধিকারী

তো আল্লাহ্ই ৷

অতঃপর ঈস৷ (আ) বললেন : তিন ব্যক্তির ব্যাপারে আমার অবাক লাগে ৷ তারা হল ( ১ )
যে ব্যক্তি দুনিয়ার সন্ধানে মত্ত ৷ অথচ মৃত্যু তার পশ্চাতে লেগে আছে (২) যে ব্যক্তি প্রাসাদ
নির্মাণ করছে, অথচ কবর৩ তার ঠিক না (৩) যে ব্যক্তি অট্টহাসিতে মজে থাকে, অথচ তার
সম্মুখে আগুন ৷ আদম সন্তানের অবস্থা ৷এই যে, অধিক পেয়েও সে তৃপ্ত হয় না; আর কম
পেলেও ভুষ্ট থাকে না ৷ হে আদম সন্ত ন তুমি তোমার ধন-সম্পদ এমন লোকদের জন্যে সঞ্চয়
করে রেখে যাচ্ছ, যার৷ তোমার প্রশংসা করবে না ৷ তুমি এমন প্রভুর পানে এগিয়ে চলছ, যিনি


كَأَنَّكُمْ عَبِيدٌ، فَإِنَّمَا النَّاسُ رَجُلَانِ: مُعَافًى وَمُبْتَلًى، فَارْحَمُوا أَهْلَ الْبَلَاءِ، وَاحْمَدُوا اللَّهَ عَلَى الْعَافِيَةِ. وَقَالَ الثَّوْرِيُّ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، قَالَ: قَالَ عِيسَى لِأَصْحَابِهِ: بِحَقٍّ أَقُولُ لَكُمْ: مَنْ طَلَبَ الْفِرْدَوْسَ، فَخُبْزُ الشَّعِيرِ لَهُ، وَالنَّوْمُ فِي الْمَزَابِلِ مَعَ الْكِلَابِ كَثِيرٌ. وَقَالَ مَالِكُ بْنُ دِينَارٍ: قَالَ عِيسَى: إِنَّ أَكْلَ الشَّعِيرِ مَعَ الرَّمَادِ، وَالنَّوْمَ عَلَى الْمَزَابِلِ مَعَ الْكِلَابِ لَقَلِيلٌ فِي طَلَبِ الْفِرْدَوْسِ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ: أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، قَالَ: قَالَ عِيسَى: اعْمَلُوا لِلَّهِ وَلَا تَعْمَلُوا لِبُطُونِكُمُ، انْظُرُوا إِلَى هَذِهِ الطَّيْرِ تَغْدُو وَتَرُوحُ، لَا تَحْرُثُ وَلَا تَحْصُدُ، وَاللَّهُ يَرْزُقُهَا، فَإِنْ قُلْتُمْ: نَحْنُ أَعْظَمُ بُطُونًا مِنَ الطَّيْرِ. فَانْظُرُوا إِلَى هَذِهِ الْأَبَاقِرِ مِنَ الْوُحُوشِ وَالْحُمُرِ، فَإِنَّهَا تَغْدُو وَتَرُوحُ لَا تَحْرُثُ وَلَا تَحْصُدُ، وَاللَّهُ يَرْزُقُهَا. وَقَالَ صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ مَيْسَرَةَ، قَالَ: قَالَ الْحَوَارِيُّونَ لِلْمَسِيحِ: يَا مَسِيحَ اللَّهِ، انْظُرْ إِلَى مَسْجِدِ اللَّهِ مَا أَحْسَنَهُ. قَالَ: آمِينَ آمِينَ، بِحَقٍّ أَقُولُ لَكُمْ: لَا يَتْرُكُ اللَّهُ مِنْ هَذَا الْمَسْجِدِ حَجَرًا قَائِمًا
পৃষ্ঠা - ১০১৫
إِلَّا أَهْلَكَهُ بِذُنُوبِ أَهْلِهِ، إِنَّ اللَّهَ لَا يَصْنَعُ بِالذَّهَبِ وَلَا بِالْفِضَّةِ، وَلَا بِهَذِهِ الْأَحْجَارِ الَّتِي تُعْجِبُكُمْ شَيْئًا، إِنَّ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا الْقُلُوبُ الصَّالِحَةُ، وَبِهَا يُعَمِّرُ اللَّهُ الْأَرْضَ، وَبِهَا يُخَرِّبُ اللَّهُ الْأَرْضَ إِذَا كَانَتْ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ فِي " تَارِيخِهِ ": أَخْبَرَنَا أَبُو مَنْصُورٍ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصُّوفِيُّ، أَخْبَرَتْنَا عَائِشَةُ بِنْتُ الْحَسَنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْوَرْكَانِيَّةُ، قَالَتْ: حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَيْثَمِ إِمْلَاءً، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبَانٍ إِمْلَاءً، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِ الْمُعْتَمِرِ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَرَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَلَى مَدِينَةٍ خَرِبَةٍ فَأَعْجَبَهُ الْبُنْيَانُ، فَقَالَ: أَيْ رَبِّ، مُرْ هَذِهِ الْمَدِينَةَ أَنْ تُجِيبَنِي. فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى الْمَدِينَةِ أَيَّتُهَا الْمَدِينَةُ الْخَرِبَةُ جَاوِبِي عِيسَى. قَالَ: فَنَادَتِ الْمَدِينَةُ عِيسَى: حَبِيبِي، وَمَا تُرِيدُ مِنِّي؟ قَالَ: مَا فَعَلَ أَشْجَارُكِ، وَمَا فَعَلَ أَنْهَارُكِ، وَمَا فَعَلَ قُصُورُكِ، وَأَيْنَ سُكَّانُكِ؟ قَالَتْ: حَبِيبِي، جَاءَ وَعْدُ رَبِّكَ الْحَقُّ، فَيَبِسَتْ أَشْجَارِي، وَنَشَفَتْ أَنْهَارِي، وَخَرِبَتْ قُصُورِي، وَمَاتَ سُكَّانِي. قَالَ: فَأَيْنَ أَمْوَالُهُمْ؟ قَالَتْ: جَمَعُوهَا مِنَ الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ مَوْضُوعَةٌ فِي بَطْنِي، لِلَّهِ مِيرَاثُ
পৃষ্ঠা - ১০১৬
ষ্ষ্


তোমার কোন ওযর শুনবেন না ৷ তুমি তো তোমার পেট ও প্ৰবৃত্তির গোলাম হয়ে রয়েছে ৷ কিন্তু
তোমার পেট সেই দিন পুর্ণ হবে, যে দিন তুমি কবরে প্রবেশ করবে ৷ হে আদম-সন্তান ৷
অচিরেই তুমি কবরে প্রবশ করবে ৷ হে আদম সন্তান ! অচিরেই তুমি দেখতে পাবে, তোমার
সঞ্চিত ধন-রতু অন্যের পাল্লাকে ভারী করছে ৷ এ হড়াদীসটি সনদের বিচারে খুবই গরীব ’
পর্যায়ের ৷ কিন্তু উক্তা উপদেশপুর্ণ হওয়ায় উল্লেখিত হলো ৷

সুফিয়ান ছাওরী ইবরাহীম তড়ায়মী সুত্রে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) বলেন : হে হাওয়ারীগণ ৷
তোমরা তোমাদের মুল্যবান সম্পদ আসমানে রাখ ৷ কেননা, মানুষের অন্তর সেই দিকেই আকৃষ্ট
থাকে, যেখানে তার মুল্যবান সম্পদ সঞ্চিত থাকে ৷ ছাওর ইবন ইয়াযীদ আবদুল আযীয ইবন
যুবয়ান থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা ইবন মারয়াম থেকে বংনাি করেন,ঈসা ইবন মারয়াম
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইলম শিখে অন্যকে শিখায় এবং সে মতে আমল করে , উর্ধজগতে তাকে
বিরাট সম্মানে ভুষিত করা হয় ৷ আবু কুরায়ব বলেন, বর্ণিত আছে , হযরত ঈসা (আ) বলেছেন :
যেই ইলম তোমাকে কাজের ময়দানে নিয়ে যায় না, কেবল মজলিস মাহফিলে নিয়ে যায়, তাতে
কোন কল্যাণ নেই ৷ ইবন আসড়াকির এক গরীর ’ সনদে ইবন আব্বাস থেকে মারকু হাদীস বর্ণনা
করেছেন যে, ঈসা (আ) বনী ইসরাঈলদের মাঝে গিয়ে এক ভাষণে বলেন ? হে হাওয়ারীগণ ৷
অযোগ্য লোকদের নিকট হিকমতের কথা বলিও না ৷ এরুপ করলে হিকমত ও প্রজ্ঞাকে হেয়
করা হবে ৷ কিন্তু যোগ্য লোকদের নিকট তা’ বলতে কৃপণতা কর না ৷ তা হলে তাদের উপর
অবিচার করা হবে ৷ যে কোন বিষয়ের তিনটি অবস্থা হতে পারে ( ১ ) যার উত্তম হওয়া স্পষ্ট ;
এগুলোর অনুসরণ কর ৷ (২) বার মন্দ হওয়া স্পষ্ট ; এর থেকে দুরে থাক ; (৩) যার ভাল বা
মন্দ হওয়া সন্দেহযুক্ত ; তার ফয়সাল) আল্লাহর উপর ছেড়ে দাও ৷ আবদুর রায্যাক ইকরিমা
থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) বলেছেন শুকরের কাছে ঘুক্তা ছড়ায়ো না ৷ কেননা মুক্তা দিয়ে
সে কিছুই করতে পারে না, আর জ্ঞানপুর্ণ কথা ঐ ব্যক্তিকে বলো না, যে তা শুনতে চায় না ৷
কেননা জ্ঞানপুর্ণ কথা মুক্তার চাইতেও মুল্যবান আর যে তা’ চায় না, সে শুকরের চাইতেও
অধম ৷ ওহাব প্রমুখ রাবী ইকরিমা থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইকরিমা আরও বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) হাওয়ারীদেরকে বলেছেনঃ তোমরা হচ্ছ পৃথিবীতে
লবণ তু ল্য ৷ যদি নষ্ট হয়ে যাও তবে তোমাদের জন্য কোন ঔষধ নেই ৷ তোমাদের মধ্যে
মুহতিার দু’টি অভ্যাস আছে (১) বিনা কারণে হলো এবং (২) রাত্রি জাগরণ না করে সকালে
উঠা ৷ ইকরিমা থেকে বর্ণিত , ঈসা (আ)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়, কোন ব্যক্তির ফিৎনা সবচাইতে
মারাত্মক? তিনি বললেনঃ আলিমের পদস্খালন ৷ কেননা আলিমের পদস্থালনে আরও বহু লোক
বিপথপামী হয়ে যায় ৷ রাবী আরও বলেন, হয রত ঈসা (আ) বলেছেনঃ হে জ্ঞান পাপীরা!
দুনিয়াকে তোমরা মাথার উপরে রেখেছ, আর আখিরাতকে রেখেছ পায়ের নীচে ৷ তোমাদের
কথাবার্তা যেন সর্বরােগের নিরাময় হয় ৷ কিন্তু তোমাদের কার্যকলাপ হচ্ছে মহাব্যাধি ৷ তোমাদের
উপমা হচ্ছে সেই মাকাল গাছ যা দেখলে মানুষ আকৃষ্ট হয় কিন্তু তার ফল খেলে মারা যায় ৷
ওহাব থেকে বর্ণিত, ঈসা (আ) বলেছেনঃ হে নিকৃষ্ট জ্ঞান পাপীরা ! তোমরা জান্নাতের দরজায়

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ২৩-

السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ. قَالَ: فَنَادَى عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: فَعَجِبْتُ مِنْ ثَلَاثِ أُنَاسٍ: طَالِبِ الدُّنْيَا وَالْمَوْتُ يَطْلُبُهُ، وَبَانِي الْقُصُورِ وَالْقَبْرُ مَنْزِلُهُ، وَمَنْ يَضْحَكُ مِلْءَ فِيهِ وَالنَّارُ أَمَامَهُ، ابْنَ آدَمَ، لَا بِالْكَثِيرِ تَشْبَعُ، وَلَا بِالْقَلِيلِ تَقْنَعُ، تَجْمَعُ مَالَكَ لِمَنْ لَا يَحْمَدُكَ، وَتُقْدِمُ عَلَى رَبٍّ لَا يَعْذُرُكَ، إِنَّمَا أَنْتَ عَبْدُ بَطْنِكَ وَشَهْوَتِكَ، وَإِنَّمَا تَمْلَأُ بَطْنَكَ إِذَا دَخَلْتَ قَبْرَكَ، وَأَنْتَ يَا ابْنَ آدَمَ تَرَى حَشْدَ مَالِكَ فِي مِيزَانِ غَيْرِكَ» . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا، وَفِيهِ مَوْعِظَةٌ حَسَنَةٌ، فَكَتَبْنَاهُ لِذَلِكَ. وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، قَالَ: قَالَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: يَا مَعْشَرَ الْحَوَارِيِّينَ، اجْعَلُوا كُنُوزَكُمْ فِي السَّمَاءِ، فَإِنَّ قَلْبَ الرَّجُلِ حَيْثُ كَنْزُهُ. وَقَالَ ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ ظَبْيَانَ، قَالَ: قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: مَنْ تَعَلَّمَ وَعَلَّمَ وَعَمِلَ، دُعِيَ عَظِيمًا فِي مَلَكُوتِ السَّمَاءِ. وَقَالَ أَبُو كُرَيْبٍ: رُوِيَ أَنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، قَالَ: لَا خَيْرَ فِي عِلْمٍ لَا يَعْبُرُ مَعَكَ الْوَادِيَ، وَلَا يَعْمُرُ بِكَ النَّادِيَ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، بِإِسْنَادٍ غَرِيبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا، «أَنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، قَامَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الْحَوَارِيِّينَ، لَا تُحَدِّثُوا بِالْحِكْمَةِ غَيْرَ أَهْلِهَا فَتَظْلِمُوهَا، وَلَا تَمْنَعُوهَا أَهْلَهَا، فَتَظْلِمُوهُمْ، وَالْأُمُورُ ثَلَاثَةٌ: أَمْرٌ تَبَيَّنَ رُشْدُهُ فَاتَّبِعُوهُ، وَأَمْرٌ تَبَيَّنَ غَيُّهُ فَاجْتَنِبُوهُ، وَأَمْرٌ اخْتُلِفَ عَلَيْكُمْ.»
পৃষ্ঠা - ১০১৭
ষ্ষ্


বসে আছ, কিন্তু তাতে প্রবেশ করছো না আর নিঃস্বদেরকে তাতে প্রবেশ করার জন্যে আহবানও
করছ না ৷ আল্লাহর নিকট সর্বাধিক নিকৃষ্ট মানুষ সেই জ্ঞানী ব্যক্তি, যে তার জ্ঞানের বিনিময়ে
দুনিয়া অর্জন করে ৷ মাকহ্রল বর্ণনা করেন, একবার ঈসার সাথে ইয়াইয়া (আ )-এর সাক্ষাত
হয় ৷ ঈসা (আ) হাসিমুখে তার সাথে মুসাফাহা করেন ৷ ইয়াহ্ইয়া (আ) বললেন, কি খালাত
ডাই! হাসছেন যে, মনে হচ্ছে আপনি নিরাপদ হয়ে গেছেনঃ ঈসা (আ) বললেন, তোমাকে
বিষণ্ন দেখাচ্ছে কেন, নৈরাশ্যে ভুগছ না কি? তখন আল্লাহ উভয়ের নিকট ওহী প্রেরণ করে
জানালেন, তোমাদের দুজনের মধ্যে সে-ই আমার নিকট প্রিয়তরন্ যে তার সঙ্গীর সাথে
অধিকতর হাসিমুখে মিলিত হয় ৷ ’

ওহাব ইবন মুনাবৃবিহ বর্ণনা করেছেন, একদা হযরত ঈসা ও তার সংগীরা একটি কবরের
পাশে থামলেন ৷ ঐ কবরবাসী সংকটপুর্ণ অবস্থায় ছিল ৷ তখন সংগীরা কবরের সংকীংতাি নিয়ে
আলাপ করতে লাগলেন ৷ তাদের কথা শুনে ঈসা (আ) বললেনঃ তোমরা মায়ের পেটে এর
চেয়ে সংকীর্ণ স্থানে ছিলে ৷ তারপরে আল্লাহ যখন চাইলেন প্রশস্ত জায়গায় নিয়ে আসলেন ৷
আবু উমর বলেন, ঈসা (আ) যখন মৃত্যুর কথা আলোচনা করতেন, তখন তার চামড়া ভেদ
করে রক্ত ঝরে পড়ত ৷ হযরত ঈসা (আ)-এর থেকে এ জাতীয় অনেক উক্তি বর্ণিত আছে ৷
হাফিজ ইবন আসাকির তার গ্রন্থে বহু উক্তি উদ্ধৃত করেছেন ৷ আমরা এখানে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু
উল্লেখ করলাম ৷


فِيهِ فَرُدُّوا عِلْمَهُ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ: قَالَ عِيسَى: لَا تَطْرَحُوا اللُّؤْلُؤَ إِلَى الْخِنْزِيرِ ; فَإِنَّ الْخِنْزِيرَ لَا يَصْنَعُ بِاللُّؤْلُؤِ شَيْئًا، وَلَا تُعْطُوا الْحِكْمَةَ مَنْ لَا يُرِيدُهَا ; فَإِنَّ الْحِكْمَةَ خَيْرٌ مِنَ اللُّؤْلُؤِ، وَمَنْ لَا يُرِيدُهَا شَرٌّ مِنَ الْخِنْزِيرِ. وَكَذَا حَكَى وَهْبٌ وَغَيْرُهُ عَنْهُ. وَعَنْهُ أَنَّهُ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: أَنْتُمْ مِلْحُ الْأَرْضِ، فَإِذَا فَسَدْتُمْ فَلَا دَوَاءَ لَكُمْ، وَإِنَّ فِيكُمْ خَصْلَتَيْنِ مِنَ الْجَهْلِ: الضَّحِكُ مِنْ غَيْرِ عَجَبٍ، وَالصُّبْحَةُ مِنْ غَيْرِ سَهَرٍ. وَعَنْهُ أَنَّهُ قِيلَ لَهُ: مَنْ أَشَدُّ النَّاسِ فِتْنَةً؟ قَالَ: زَلَّةُ الْعَالِمِ، فَإِنَّ الْعَالِمَ إِذَا زَلَّ يَزِلُّ بِزَلَّتِهِ عَالَمٌ كَثِيرٌ. وَعَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: يَا عُلَمَاءَ السُّوءِ جَعَلْتُمُ الدُّنْيَا عَلَى رُءُوسِكُمْ، وَالْآخِرَةَ تَحْتَ أَقْدَامِكُمْ، قَوْلُكُمْ شِفَاءٌ وَعَمَلُكُمْ دَاءٌ، مَثَلُكُمْ مَثَلُ شَجَرَةِ الدِّفْلَى، تُعْجِبُ مَنْ رَآهَا، وَتَقْتُلُ مَنْ أَكَلَهَا. وَقَالَ وَهْبٌ: قَالَ عِيسَى: يَا عُلَمَاءَ السُّوءِ، جَلَسْتُمْ عَلَى أَبْوَابِ الْجَنَّةِ، فَلَا أَنْتُمْ تَدْخُلُونَهَا، وَلَا تَدَعُونَ الْمَسَاكِينَ يَدْخُلُونَهَا، إِنَّ شَرَّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ عَالِمٌ يَطْلُبُ الدُّنْيَا بِعِلْمِهِ. وَقَالَ مَكْحُولٌ: التَقَى يَحْيَى وَعِيسَى، فَصَافَحَهُ عِيسَى، وَهُوَ يَضْحَكُ، فَقَالَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ১০১৮
يَحْيَى: يَا ابْنَ خَالَةٍ، مَا لِي أَرَاكَ ضَاحِكًا كَأَنَّكَ قَدْ أَمِنْتَ. فَقَالَ لَهُ عِيسَى: مَا لِي أَرَاكَ عَابِسًا كَأَنَّكَ قَدْ يَئِسْتَ. فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِمَا: إِنَّ أَحَبَّكُمَا إِلَيَّ أَبَشُّكُمَا بِصَاحِبِهِ. وَقَالَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ: وَقَفَ عِيسَى هُوَ وَأَصْحَابُهُ عَلَى قَبْرٍ، وَصَاحِبُهُ يُدْلَى فِيهِ، فَجَعَلُوا يَذْكُرُونَ الْقَبْرَ وَضِيقَهُ، فَقَالَ: قَدْ كُنْتُمْ فِيمَا هُوَ أَضْيَقُ مِنْهُ فِي أَرْحَامِ أُمَّهَاتِكُمْ، فَإِذَا أَحَبَّ اللَّهُ أَنْ يُوَسِّعَ وَسَّعَ. وَقَالَ أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ: بَلَغَنِي أَنَّ عِيسَى كَانَ إِذَا ذَكَرَ الْمَوْتَ يَقْطُرُ جِلْدُهُ دَمًا. وَالْآثَارُ فِي مِثْلِ هَذَا كَثِيرَةٌ جِدًّا، وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْهَا طَرَفًا صَالِحًا، اقْتَصَرْنَا مِنْهُ عَلَى هَذَا الْقَدْرِ، وَاللَّهُ تَعَالَى الْمُوَفَّقُ لِلصَّوَابِ.
পৃষ্ঠা - ১০১৯
ষ্ষ্

হযরত ঈসা (আ) কে আসমানে উঠিয়ে নেয়ার বর্ণনা

আল্লাহ তআিলা কতৃক ঈসা (আ) কে রক্ষা এবং ইয়াহুদী ও নাসারাদের
তান্ক শুলে চড়াৰার মিথ্যা দাবি প্রসঙ্গ

এ প্রস গে আল্লাহর বাণী৪


ভ্রুভ্রুভ্রুভ্রুভ্রু


এবং তারা চক্রান্ত করেছিল, আল্লাহও কৌশল করেছিলেন, আল্লাহ কৌশলীদের শ্রেষ্ঠ ৷

স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বললেন, “হে ঈসা ! আমি তোমার কাল পুর্ণ করছি এবং আমার নিকট

তোমাকে তুলে নিচ্ছি এবং যারা কুযহ্বী করেছে তাদের মধ্য হতে তোমাকে পবিত্র করছি ৷ আর

তোমার অনুসারীদেরকে কিয়ড়ামত পর্যন্ত কাফিরদের উপর প্রাধান্য দিচ্ছি ৷ অতঃপর আমার কাছে

তোমাদের প্রত্যাবর্তন ৷ তারপর যে বিষয়ে তোমাদের মতাম্ভর ঘটছে আমি তা মীমাংসা করে
দিব ৷ ” (আলে-ইমরান : ৫৪ ৫৫)

অৰুল্লাহ্ আরও বলেন০ ং

প্

টু,া,
ৰু




[ذِكْرُ رَفْعِ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ] ُ، إِلَى السَّمَاءِ فِي حِفْظِ الرَّبِّ، وَبَيَانُ كَذِبِ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى، عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ، فِي دَعْوَى الصَّلْبِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَمَكَرُوا وَمَكَرَ اللَّهُ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ إِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى إِنِّي مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَيَّ وَمُطَهِّرُكَ مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا وَجَاعِلُ الَّذِينَ اتَّبَعُوكَ فَوْقَ الَّذِينَ كَفَرُوا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأَحْكُمُ بَيْنَكُمْ فِيمَا كُنْتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ} [آل عمران: 54] [النِّسَاءِ: 155 - 159] .
পৃষ্ঠা - ১০২০
ষ্ষ্


এবং তারা লানতগ্রস্ত হয়েছিল তাদের অংগীকার তংগের জন্যে, আল্লাহর আয়াতকে

প্রত্যাখ্যান করার জন্যে ,নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার জন্যে এবং আমাদের হৃদয়
আচ্ছাত,দি তাদের এই উক্তির জন্যে ৷ বরং তাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ তাতে মােহর মেরে
দিয়েছেন ৷ সুতরাং তাদের অল্প সং ×থ্যাক লোকই বিশ্বাস করে ৷ এবং তারা লা’নতগ্রস্ত হয়েছিল
তাদের কুফরীর জন্যে ও মারয়ামের বিরুদ্ধে গুরুতর অপবাদেব জন্যে ৷ আর আমরা আল্লাহর
রাসুল মারয়াম-তনয় ঈস৷ মসীহ্কে হত্যা করেছি তাদের এই উক্তির জন্যে ৷ অথচ তারা
তাকে হত্যা করেনি, ক্রুশ্াৰিদ্ধও করেনি, কিন্তু তাদের এরুপ বিভ্রম হয়েছিল ৷ যারা তার সম্বন্ধে
মতভেদ করেছিল, তারা নিশ্চয়ই তার সম্বন্ধে সং ×শয়যুক্ত ছিল; এ সম্পর্কে অনুমানের অনুসরণ
ব্যতীত তাদের কোন জ্ঞা ৷নই ছিল না ৷ এটা নিশ্চিত যে, তারা তাদুক হত ৷ করেনি, এব০ আল্লাহ

তাকে তার নিকট তলে নিয়েছেন এবং অ আভৃা৷হ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ কিত ৷বীদের মধ্যে
প্রত্যেকে তার মৃত্যুর পুর্বে তাকে বিশ্বাস করবেই এবং কিয়ামতের দিন যে তাদের বিরুদ্ধে
সাক্ষ্য দিবে ৷ (নিসা : ১ ৫৫ ১৫৯)

উপরোক্ত আয়াতসমুহ দ্বারা আল্লাহ মানুষকে জানিয়ে দিলেন যে তিনি হযরত ঈস৷ ৷ আ)
কে নিদ্রাচ্ছনু করার পরে আসমানে তুলে নেন এটা সন্দেহাভীতত৷ ৩াবে বিশুদ্ধ মত ৷ ইযাছদীরা
ঐ যুগের জনৈক কাফির বাদশাহর সাথে ষড়যন্ত্র করে তাকে যে নির্যাতন করতে ঢেয়েছিল,
আল্লাহ তা থেকে তাকে মুক্ত করেন ৷

হাসান বসরী ও মুহাম্মদ ইসহাক বলেন, ঐ বাদশাহ্র নাম ছিল দাউদ ইবন নুর৷ ৷ সে ঈসা
(আ) কে হত্যা ও ক্রুশবিদ্ধ করার হুকুম দেয় ৷ হুকুম পেয়ে ইয়ড়াহুদীরা শুক্রবার দিবাগত
শনিবার রাত্রে বায়ত ল মুকাদ্দাসের একটি কক্ষে ঈসা (আ )-কে অবরুদ্ধ করে রাখে ৷ পরে যখন
হত্যার উদ্দেশ্যে তারা কক্ষে প্রবেশ করে তখন আল্লাহ্ তা আলা কক্ষে বিদ্যমান ঈসা ( ন্ত্র৷ ) এর
অনুসারীদের মধ্য হতে একজনের চেহারাকে তার চেহারার সদৃশ করে দেন এবং ঈস৷ (আ) )-কে
বাতায়ন পথে আকাশে তলে নেন ৷ কক্ষে যারা ছিলত তারা ঈস৷ (অ ) কে তুলে নেয়ার দৃশ্য
প্রত্যক্ষ করছিল ৷ ইতিমধ্যে বাদশাহ্র রক্ষীরা কক্ষে প্রবেশ করে ঈসা (আ) এর চেহারা বিশিষ্ট
ঐ যুবককে দেখতে পায় ৷ তারা তাকেই ঈসা (আ) মনে করে ধরে এনে শুলে চড়ায় এবং
মাথায় কটি ব টুপি পরায় ৷ত তাকে অধিক লাঞ্ছিত করার জন্যেত তারা এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে ৷
সাধারণ নাসারা, যারা ঈসা (আ ) এর ঘটনা প্রত তাক্ষ করেনি,ত ইরয়াহুদীদের ঈসা (আ ) (ক
ক্রুশ বিদ্ধ করার দাবি মেনে নেয় ৷ ফলে, তার রাও সত্য থেকে স্পন্ট ও চুড়ান্ত বিভ্রান্তির অতল

তলে নিক্ষিপ্ত হয় ৷ সেই জন্যে আল্লাহ বলেন, কিত ৷বীদের প্রত্যেকেই তার মৃত্যুর পুর্বেত

প্ৰতি বিশ্বাস করবে ৷” অর্থাৎ কিয়ড়ামতের পুর্বে শেষ যুগে ঈসা (আ) যখন পৃথিবীতে পুনরায়
আসবেন তখন ত ৷র স্বাভাবিক মৃত ত্যুর পুর্বে তখনকার সকল কিতাবীরাই তার প্রতি বিশ্বাস
আনবে ৷ কেননা তিনি পুনর্বার পৃথিবীতে আসবেন এব০ শুকর বধ করবেন ক্রুশ ধ্বং ×স করবেন
জিযিয়া কর রহিত করবেন এবং ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দীন কবুল করবেন না তাফসীর
গ্রন্থে সুরা নিসায় এই আয়াতে র ব্যাখ্যার এ প্রসহ্গে যাবতীয় হাদীস আমরা উল্লেখ করেছি এবং
এই কিভাবে ’ফিত ৷ন ও মালাহিম (কিয়ামত পুর্ব বিপর্যয় ও মহাযুদ্ধ) অধ্যায়ে মাসীহুদ্


فَأَخْبَرَ تَعَالَى أَنَّهُ رَفَعَهُ إِلَى السَّمَاءِ بَعْدَ مَا تَوَفَّاهُ بِالنَّوْمِ عَلَى الصَّحِيحِ الْمَقْطُوعِ بِهِ، وَخَلَّصَهُ مِمَّنْ كَانَ أَرَادَ أَذِيَّتَهُ مِنَ الْيَهُودِ الَّذِينَ وَشَوْا بِهِ إِلَى بَعْضِ الْمُلُوكِ الْكَفَرَةِ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ. قَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: كَانَ اسْمُهُ دَاوُدَ بْنَ يُورَا فَأَمَرَ بِقَتْلِهِ وَصَلْبِهِ فَحَصَرُوهُ فِي دَارٍ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَذَلِكَ عَشِيَّةَ الْجُمُعَةِ لَيْلَةَ السَّبْتِ، فَلَمَّا حَانَ وَقْتُ دُخُولِهِمْ أُلْقِيَ شَبَهُهُ عَلَى بَعْضِ أَصْحَابِهِ الْحَاضِرِينَ عِنْدَهُ، وَرُفِعَ عِيسَى مِنْ رَوْزَنَةٍ مِنْ ذَلِكَ الْبَيْتِ إِلَى السَّمَاءِ، وَأَهْلُ الْبَيْتِ يَنْظُرُونَ، وَدَخَلَ الشُّرَطُ فَوَجَدُوا ذَلِكَ الشَّابَّ الَّذِي أُلْقِيَ عَلَيْهِ شَبَهُهُ، فَأَخَذُوهُ ظَانِّينَ أَنَّهُ عِيسَى، فَصَلَبُوهُ وَوَضَعُوا الشَّوْكَ عَلَى رَأْسِهِ إِهَانَةً لَهُ، وَسَلَّمَ لِلْيَهُودِ عَامَّةُ النَّصَارَى الَّذِينَ لَمْ يُشَاهِدُوا مَا كَانَ مِنْ أَمْرِ عِيسَى أَنَّهُ صُلِبَ، وَضَلُّوا بِسَبَبِ ذَلِكَ ضَلَالًا مُبِينًا كَثِيرًا فَاحِشًا بَعِيدًا، وَأَخْبَرَ تَعَالَى بِقَوْلِهِ: {وَإِنْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ إِلَّا لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ} [النساء: 159] أَيْ: بَعْدَ نُزُولِهِ إِلَى الْأَرْضِ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، قَبْلَ قِيَامِ السَّاعَةِ، فَإِنَّهُ يَنْزِلُ وَيَقْتُلُ الْخِنْزِيرَ، وَيَكْسِرُ الصَّلِيبَ وَيَضَعُ الْجِزْيَةَ، وَلَا يَقْبَلُ إِلَّا الْإِسْلَامَ، كَمَا بَيَّنَّا ذَلِكَ بِمَا وَرَدَ فِيهِ مِنَ الْأَحَادِيثِ عِنْدَ تَفْسِيرِ هَذِهِ الْآيَةِ الْكَرِيمَةِ مِنْ سُورَةِ " النِّسَاءِ " وَكَمَا سَنُورِدُ ذَلِكَ مُسْتَقْصًى
পৃষ্ঠা - ১০২১
ষ্ষ্


দাজ্জাল প্রসংণে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ৷ দাজ্জালকে হত্যার জন্যে ইমাম
মাহদীর অবতরণ প্রসংগে যত হাদীস ও রিওয়ায়ত আছে, সবই সেখানে বর্ণনা করা হবে ৷
এখানে আমরা ঈসা (আ)-কে আসমানে উঠিয়ে নেয়া সম্পর্কে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখব ৷

ইবন আবি হাতিম ইবন আব্বাস (না)-এর বরাতে বর্ণনা করেন, আল্লাহ যখন ঈসা
(আ)-কে আসমানে তুলে নিতে ইচ্ছা করলেন তখন ঘটনা ছিল এই যে, বায়তৃল মুকাদ্দাসের
একটি কক্ষে ঈসা (আ)-এর বারজন হাওয়ারী অবস্থান করছিলেন ৷ তিনি মসজিদের একটি
ঝরনায় গোসল করে ঐ কক্ষে শিষ্যদের নিকট যান ৷ তীর মাথার চুল থেকে তখনও পানি ঝরে
পড়ছিল ৷ তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তি আছে, যে তার প্রতি ঈমান আনার
পর বারো (১২) বার আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে ৷ এরপরে তিনি তাদের নিকট
জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে কে রাজী আছে যাকে আমার গঠনাকৃতি দ্বারা পরিবতনি করা
হবে এবং আমার স্থলে তাকে হত্যা করা হবে, পরিণামে আমার সাথে সেমর্যদাে লাভ করবে?
উপস্থিত শিষ্যদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ এক যুবক দণ্ডায়মান হলেন ৷ ঈসা (আ) তাকে বললেন, বন ৷
এরপর তিনি দ্বিতীয় বার একই আহ্বান জানান ৷ এবারও ঐ যুবকটি দণ্ডায়মান হলেন ৷ ঈসা
(আ) র্তাকে বসতে বললেন ৷ তৃতীয়বার তিনি আবারও একই আহ্বান রাখেন ৷ ঐ যুবক দাড়িয়ে
বললেন, এ জন্যে আমি প্রস্তুত ৷ ঈসা (আ) বললেন, তাই হবে, তুমিই এর অধিকারী ৷ অতঃপর
যুবকটির গঠনাকৃতিকে ঈসার গঠনাকৃতি দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়া এবং মসজিদের একটি
বাতায়ন পথে ঈসা (আ) কে আসমানে তুলে নেয়া হয় ৷ এরপর ইয়ড়াহুদীদের একটি
অনুসন্ধানকারী দল ঈসা (আ)-কে ধরার জন্যে এসে উক্ত যুবককে ঈসা (আ) মনে করে ধরে
নিয়ে আসে ও তাকে হত্যা করে এবং ক্রুশবিদ্ধ করে ৷ জনৈক শিষ্য ঈসা (আ)-এর প্রতি ঈমান
আনার পর বার বার বিশ্বাসঘাতকতা করে ৷ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বনী ইসরাঈল তিন দলে
বিভক্ত হয়ে পড়ে; যথা৪

১ আল-ইয়াকুবিয়্যা৪ এই দল বিশ্বাস করে যে, এতদিন আল্লাহ স্বয়ং আমাদের মাঝে
বিদ্যমান ছিলেন, এখন তিনি আসমানে উঠে গিয়েছেনৃ ৷

২ আলনাসতৃরিয়্যা : এই দলের বিশ্বাস হল, আল্লাহ্র পুত্র আমাদের মধ্যে এতদিন
ছিলেন, এখন র্তাকে আল্লাহ নিজের কাছে উঠিয়ে নিয়েছেন;

৩ আল মুসলিমুন : এই দলের মতে ঈসা (আ) আল্লাহ্র বান্দা ও রাসুল ৷ আল্লাহর
যতদিন ইচ্ছা ছিল ততদিন তিনি আমাদের মধ্যে ছিলেন ৷ এখন র্তাকে আল্লাহ নিজের সান্নিধ্যে
উঠিয়ে নিয়েছেন ৷ উক্ত তিন দলের মধ্যে কাফির দুই দল একত্রিত হয়ে মুসলিম দলের বিরুদ্ধে
লড়াই অব্যাহত রাখে; ফলে মুসলিম দল নিস্তেজ হয়ে পড়ে ৷ এ অবস্থা দীর্ঘদিন চলার পর
আল্লাহ মুহাম্মাদ (না)-কে রসুলরুপে প্রেরণ করেন ৷ ইবন আব্বাস (রা) বলেন, এই দিকে
ইৎগিত করেই কুরআনে বলা হয়েছে “পরে আমি মুমিনদেরকে শক্তিশালী করলাম তাদের
শত্রুদের মুকাবিলায়; ফলে তারা বিজয়ী হল (৬ সাফ : ১৪) ৷ এ হাদীসের সনদ ইবন আব্বাস
(রা) পর্যন্ত বিশুদ্ধ এবং মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ্ ৷ ইমাম নাসাঈ আবু কুরায়বের সুত্রে আবু
মুআবিয়া থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন জারীর মুসলিম ইবন জানাদার সুত্রে আবু


فِي كِتَابِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ " عِنْدَ أَخْبَارِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، فَنَذْكُرُ مَا وَرَدَ فِي نُزُولِ الْمَسِيحِ الْمَهْدِيِّ، عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنْ ذِي الْجَلَالِ ; لِقَتْلِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ الْكَذَّابِ الدَّاعِي إِلَى الضَّلَالِ. وَهَذَا ذِكْرُ مَا وَرَدَ فِي الْآثَارِ فِي صِفَةِ رَفْعِهِ إِلَى السَّمَاءِ. قَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: لَمَّا أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَرْفَعَ عِيسَى إِلَى السَّمَاءِ، خَرَجَ عَلَى أَصْحَابِهِ، وَفِي الْبَيْتِ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا مِنْهُمْ - مِنَ الْحَوَارِيِّينَ يَعْنِي - فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ مِنْ عَيْنٍ فِي الْبَيْتِ، وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ مَاءً فَقَالَ: إِنَّ مِنْكُمْ مَنْ يَكْفُرُ بِي اثْنَتَيْ عَشْرَةَ مَرَّةً بَعْدَ أَنْ آمَنَ بِي. ثُمَّ قَالَ: أَيُّكُمْ يُلْقَى عَلَيْهِ شَبَهِي فَيُقْتَلَ مَكَانِي، وَيَكُونَ مَعِي فِي دَرَجَتِي؟ فَقَامَ شَابٌّ مِنْ أَحْدَثِهِمْ سِنًّا، فَقَالَ لَهُ: اجْلِسْ. ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِمْ، فَقَامَ الشَّابُّ، فَقَالَ: اجْلِسْ. ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِمْ، فَقَامَ الشَّابُّ، فَقَالَ: أَنَا. فَقَالَ: أَنْتَ هُوَ ذَاكَ. فَأُلْقِيَ عَلَيْهِ شَبَهُ عِيسَى، وَرُفِعَ عِيسَى مِنْ رَوْزَنَةٍ فِي الْبَيْتِ إِلَى السَّمَاءِ. قَالَ: وَجَاءَ الطَّلَبُ مِنَ الْيَهُودِ فَأَخَذُوا الشَّبَهَ فَقَتَلُوهُ ثُمَّ صَلَبُوهُ، فَكَفَرَ بِهِ بَعْضُهُمُ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ مَرَّةً بَعْدَ أَنْ آمَنَ بِهِ، وَافْتَرَقُوا ثَلَاثَ فِرَقٍ، فَقَالَتْ طَائِفَةٌ: كَانَ اللَّهُ فِينَا مَا شَاءَ ثُمَّ صَعِدَ إِلَى السَّمَاءِ. وَهَؤُلَاءِ الْيَعْقُوبِيِّةُ، وَقَالَتْ
পৃষ্ঠা - ১০২২
فِرْقَةٌ: كَانَ فِينَا ابْنُ اللَّهِ مَا شَاءَ، ثُمَّ رَفَعَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ. وَهَؤُلَاءِ النَّسْطُورِيَّةُ، وَقَالَتْ فِرْقَةٌ: كَانَ فِينَا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ رَفَعَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ، وَهَؤُلَاءِ الْمُسْلِمُونَ، فَتَظَاهَرَتِ الْكَافِرَتَانِ عَلَى الْمُسْلِمَةِ فَقَتَلُوهَا، فَلَمْ يَزَلِ الْإِسْلَامُ طَامِسًا حَتَّى بَعَثَ اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {فَأَيَّدْنَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَى عَدُوِّهِمْ فَأَصْبَحُوا ظَاهِرِينَ} [الصف: 14] . وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ - إِلَى ابْنُ عَبَّاسٍ - عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ بِهِ نَحْوَهُ، وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ سَلْمِ بْنِ جُنَادَةَ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، وَهَكَذَا ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ السَّلَفِ، وَمِمَّنْ ذَكَرَ ذَلِكَ مُطَوَّلًا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ: وَجَعَلَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، يَدْعُو اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، أَنْ يُؤَخِّرَ أَجَلَهُ، يَعْنِي لِيُبَلِّغَ الرِّسَالَةَ، وَيُكْمِلَ الدَّعْوَةَ، وَيُكْثِرَ النَّاسُ الدُّخُولَ فِي دِينِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ. قِيلَ: وَكَانَ عِنْدَهُ مِنَ الْحَوَارِيِّينَ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا ; بُطْرُسُ، وَيَعْقُوبُ بْنُ زَبْدِي، وَيَحْنَسُ أَخُو يَعْقُوبَ، وَأَنْدَرَاوِسُ، وَفِلِيبُّسُ، وَأَبْرَثَلْمَا، وَمَتَّى، وَتُومَاسُ، وَيَعْقُوبُ بْنُ حَلْقِيَا، وَتُدَّاوُسُ، وَفَتَاتْيَا، يُودُسُ زَكَرِيَّا يَوُطَا، وَهَذَا هُوَ الَّذِي دَلَّ الْيَهُودَ عَلَى عِيسَى. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَكَانَ فِيهِمْ رَجُلٌ آخَرُ اسْمُهُ سَرْجَسُ، كَتَمَتْهُ
পৃষ্ঠা - ১০২৩
ষ্ষ্


মুআবিয়া থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ এ ছাড়া আরও অনেক গ্রন্থকার এ হাদীস স্ব-স্ব
কিতাবে উল্লেখ করেছেন ৷ এ হাদীসটি সবচেয়ে দীর্ঘড়ায়িতভাবে বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবন
ইসহাক ৷ তার বর্ণনায় এস্যেছ, ঈসা (আ) আল্লাহর নিকট তার মত্যুকে পিছিয়ে দেয়ার জন্যে
দোয়া করতেন, যাতে তিনি রিসালাতের দায়িত্ব পুর্ণ করতে পারেন ৷ দাওয়াতী কাজ সম্প্রসারণ
করতে পারেন এবং অধিক পরিমাণ লোক যাতে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করতে পারে ৷ কথিত
আছে, হযরত ঈসা (আ)-এর সান্নিধ্যে রারজন হাওয়ারী ছিলেন; (১) পিতর, (২) ইয়াকুব ইবন
যাবদা (সিবদিয়), (৩) ,ইয়াহ্নাস (য়ুহড়ান্না) ইনি ইয়াকুবের ভাই ছিলেন (৪) ইনদারাউস
(আশ্রিয়), (৫) ফিলিপ, (৬) আবরো ছালমা (বর্তলময়), (৭) মথি, (৮) টমাস (থমা), (৯)
ইয়াকুব ইবন হালকুবা (আলকেয়) , (১০) তড়াদাউস (থদ্দেয়), (১১) ফাতাতিয়া শিমন ও ( ১২)
(ইয়াহুদা ইস্কারিযােৎ) ইউদাস কারয়া ইউতা এই শেষোক্ত ব্যক্তি ইয়াহুদীদেরকে ঈসা
(আ)-এর সন্ধান দিয়েছিল ৷ ইবন ইসহাক লিখেছেন, হাওয়াবীদের মধ্যে সারজিস নামক আর
এক ব্যক্তি ছিল যার কথা নাসারারা গোপন রাখে ৷ এই ব্যক্তিকেই মাসীহ্র রুপ দেয়া হয়েছিল
এবং ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৷ কিংহ্ নাসারাদের কিছু অংশের মতে যাকে মাসীহ্র রুপ দেয়া হয়
ও ক্রুশে ৰিদ্ধ করা হয়, তার নাম জভাস ইবন কারয়া ইউতা ৷

যাহ্হড়াক ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) শামউনকে তার
স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন এবং ইয়াহুদীরা জভাসকে হত্যা করেছিল যাকে ঈসার অনুরুপ আকৃতি
দেয়া হয়েছিল ৷ আহমদ ইবন মারওয়ান বলেন, মুহাম্মদ ইবন জাহ্ম ফাবৃরা থেকে শুনেছেন
কুরআনের আয়াত “তারা চক্রাম্ভ করেছিল আর আল্লাহ্ও কৌশল অবলম্বল করেছিলেন এবং
আল্লাহ কৌশলীদের শ্রেষ্ঠ ৷” এ সম্পর্কে ফাবৃরা বলেছেন যে, ঈসা (আ) দীর্ঘ দিন তার খালার
নিকট থেকে দুরে থাকার পর একদিন খালার বাড়িতে আসেন ৷ তার আগমন দেখে রা’স আল
জালুত নামক ইয়াহুদী সেখানে উপস্থিত হয় এবং ঈসা (আ)ষ্এর বিরুদ্ধে লোকজনকে জমায়েত
করে ৷ ফলে বহু লোক জমায়েত হলো আর তারা দরজা ভেত্গে ফেলে এবং রাস আল-জালুত
ঈসা ,(আ)-কে ধরে আমার জন্যে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ৷ আল্লাহ ঈসা (আ ) কে তার দৃষ্টি
থেকে আড়াল করে রাখেন ৷ কিছু সময় পর সে বেরিয়ে এসে বলল, ঈসাকে ঘরের মধ্যে
দেখতে পেলাম না ৷ রা’স আল জালুতের সাথে ছিল নাংগা তলােয়ার ৷ এ দিকে আল্লাহ তাকেই
ঈসার রুপে রুপান্তরিত করে দিয়েছিলেন ৷ উপস্থিত সবাই বলল, তুমি-ই তাে ঈসা ৷ সুতরাং
তারা তাকে ধরে হত্যা করল ও শুলে বিদ্ধ করল ৷ এদিকে ইংগিত করেই আল্লাহ বলেছেন ;
“তারা তাকে হত্যা করেনি, ক্রুশবিদ্ধও করেনি; বিৎ তাদের এইরুপ বিভ্রম হয়েছিল ৷” ইবন
জারীর ওহব ইবন মুনাববিহ্ থেকে বর্ণনা করেন যে, ঈসা (আ) সতের জন হাওয়ারী সহ
এক ঘরে প্রবেশ করেন ৷ এ অবস্থা তাদেরকে যেরাও করে ফেলে ৷ যখন তারা দেখে
ইয়াহুদীরা ঘরের ভেতর প্রবেশ করে তখন আল্লাহ তাদের সকলের চেহারাকে ঈসা (আ) এর
চেহারার মত করে দেন ৷ এ দেখে বনী ইসরাঈলরা বলল, তোমরা সবাই যাদু করে আমাদেরকে
ঘেড়াকা দিচ্ছ ৷ হয় আসল ঈসাকে আমাদের নিকট বের করে দাও, নচেৎ তোমাদের সবাইকে



টীকা ও বন্ধনীযুক্ত নামগুলো বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটির প্রকাশিত ইনজীল শরীফ থেকে গৃহীত ৷


النَّصَارَى، وَهُوَ الَّذِي أُلْقِيَ شَبَهُ الْمَسِيحِ عَلَيْهِ، فَصُلِبَ عَنْهُ. قَالَ: وَبَعْضُ النَّصَارَى يَزْعُمُ أَنَّ الَّذِي صُلِبَ عَنِ الْمَسِيحِ وَأُلْقِيَ عَلَيْهِ شَبَهُهُ، يُودُسُ زَكَرِيَّا يَوُطَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الضَّحَّاكُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: اسْتَخْلَفَ عِيسَى شَمْعُونَ، وَقَتَلَتِ الْيَهُودُ يُودُسُ زَكَرِيَّا يَوُطَا الَّذِي أُلْقِيَ عَلَيْهِ الشَّبَهُ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ مَرْوَانَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْجَهْمِ. قَالَ: سَمِعْتُ الْفَرَّاءَ يَقُولُ فِي قَوْلِهِ: {وَمَكَرُوا وَمَكَرَ اللَّهُ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ} [آل عمران: 54] قَالَ: إِنَّ عِيسَى غَابَ عَنْ خَالَتِهِ زَمَانًا، فَأَتَاهَا فَقَامَ رَأْسُ الْجَالُوتِ الْيَهُودِيُّ، فَضَرَبَ عَلَى عِيسَى، حَتَّى اجْتَمَعُوا عَلَى بَابِ دَارِهِ، فَكَسَرُوا الْبَابَ، وَدَخَلَ رَأْسُ الْجَالُوتِ لِيَأْخُذَ عِيسَى، فَطَمَسَ اللَّهُ عَيْنَيْهِ عَنْ عِيسَى ثُمَّ خَرَجَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: لَمْ أَرَهُ. وَمَعَهُ سَيْفٌ مَسْلُولٌ، فَقَالُوا: أَنْتَ عِيسَى. وَأَلْقَى اللَّهُ شَبَهَ عِيسَى عَلَيْهِ، فَأَخَذُوهُ، فَقَتَلُوهُ، وَصَلَبُوهُ، فَقَالَ جَلَّ ذِكْرُهُ: {وَمَا قَتَلُوهُ وَمَا صَلَبُوهُ وَلَكِنْ شُبِّهَ لَهُمْ} [النساء: 157] وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنَا ابْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ الْقُمِّيُّ، عَنْ هَارُونَ بْنِ عَنْتَرَةَ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ: أَتَى عِيسَى وَمَعَهُ سَبْعَةَ عَشَرَ مِنَ الْحَوَارِيِّينَ فِي بَيْتٍ، فَأَحَاطُوا بِهِمْ، فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَيْهِمْ صَوَّرَهُمُ اللَّهُ كُلَّهُمْ عَلَى صُورَةِ عِيسَى، فَقَالُوا لَهُمْ: سَحَرْتُمُونَا، لَتُبْرِزُنَّ لَنَا عِيسَى أَوْ لَنَقْتُلَنَّكُمْ جَمِيعًا، فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ১০২৪
ষ্ষ্


হত্যা করব ৷ তখন ঈসা (আ) সাথীদেরকে বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আছ, যে নিজের
প্রাণের বিনিময়ে আজ জান্নাত ক্রয় করবে ৷ এক ব্যক্তি বললেন, আমি রাজি আছি ৷ এরপর যে
ব্যক্তি বনী-ইসরাঈলদের সম্মুখে এসে বললেন, আমিই ঈসা বন্তুত ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ ঈসা
(আ)-এর আকৃতি দান করেছিলেন ৷ তখন তারা র্তাকে ধরে হত্যা করল ও ক্রুশবিদ্ধ করল ৷ এ
জন্যই বনী-ইসরাঈলরা বিভ্রান্ত হয় ও ধারণা করে যে, তারা ঈসা (আ)-কেই হত্যা করেছে ৷
অন্যান্য খ্রীষ্টানরাও এই একই ধারণা পোষণ করে এবং বলে ঈসাকে হত্যা করা হয়েছে ৷ অথচ
ঐ দিনই আল্লাহ ঈসা (আ) কে আসমানে তুলে নিয়েছিলেন ৷

ইবন জারীর ওহব থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহ যখন ঈসা (আ) কে জানিয়ে দেন যে,
অচিরেই তুমি দুনিয়া থেকে নিকৃতি পাচ্ছ তখন তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হন ৷
এ সময় তিনি হড়াওয়ারীগণকে দাওয়াত করেন ৷ তাদের জন্যে খাদ্য প্রস্তুত করেন ৷ র্তাদেরকে
জানিয়ে দেন যে, রাত্রে তোমরা আমার নিকট আসবে, তোমাদের কাছে আমার প্রয়োজন আছে; ৷
হাওয়ারীগণ রাত্রে আসলে ঈসা (আ) তাদেরকে নিজ হাতে পানা পরিবেশন করে খাওয়ার ৷
আহার শেষে নিজেই র্তাদের হাত ধুয়ে দেন ও নিজের কাপড় দ্বারা র্তাদের হাত মুছে দেন ৷ এ
সব দেখে হড়াওয়ারীগণ আশ্চর্যানিত হলেন এবং বিরত বোধ করলেন ৷ ঈসা (আ) বললেন দেখ,
আমি যা কিছু করব কেউ যদি তার প্রতিবাদ করে তবে সে আমার শিষ্যদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং
আমিও তার কেউ নই ৷ তখন তারা তা মেনে নিলেন ৷

আর ঈসা (আ) বললেন, আমি আজ রাত্রে তোমাদের সাথে যে আচরণ করলাম, ণ্তামাদের
সেবা করলাম, খাদ্য পরিবেশন করলাম, হাত ধুয়ে দিলাম, এ যেন তোমাদের জন্যে অনুকরণীয়
আদর্শ হয়ে থাকে ৷ তোমরা জান যে, আমি তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ৷ সুতরাং তোমরা একে
অপরের উপর নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করবে না; ৷ বরং নিজেকে অপরের চাইতে ছোট জ্ঞান
করবে ৷ তোমরা তো প্রত্যক্ষ করলে, কিভাবে আমি তোমাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত
করলাম ৷ তোমরাও ঠিক এই ভাবে করবে ৷ আর তোমাদের কাছে আমার যে প্রয়োজন তা হল,
তোমরা আমাকে সাহায্য করবে, আমার জন্যে আল্লাহ্র নিকট দোয়া করবে এবং মনে প্রাণে
দোয়া করবে যেন তিনি আমার মৃত্যকে পিছিয়ে দেন ৷ ঈসা (আ)-এর কথা শোনার পর
হাওয়ারীগণ যখন দোয়া করার জন্যে প্রস্তুত হলেন এবং নিবিষ্ট চিত্তে দোয়া করতে বললেন
তখন গভীর নিঃদৃ৷ তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেললো ৷ ফলে র্তারা দোয়া করতে সমর্থ হলেন না ৷
ঈসা (আ) তাদেরকে ঘুম থেকে জাগাবার চেষ্টা করেন এবং বলেন, কী আশ্চর্য, তোমরা কি মাত্র
একটা রাত আমার জন্যে ধৈর্যধারণ করতে ও আমাকে সাহায্য করতে পারবে না? তারা
বললেন, আল্লাহ্র কসম, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না যে, আমাদের এ কী হল? আমরা তো
প্রতি দিন রাত্রে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত জেগে থাকি, কথাবার্তা বলি; কিন্তু আজ রাত্রে তার কিছুই
করতে পারছি না ৷ যখনই দোয়া করতে যাই তখনই ঘুম এসে মাঝখানে বাধা হয়ে দাড়ায় ৷
তখন হযরত ঈসা (আ) বললেন, রাখলে মাঠ থেকে বিদায় নিচ্ছে আর বকরীগুলো চারিদিকে
ছড়িয়ে পড়ছে ৷ এ জাতীয় আরও বিভিন্ন কথা তিনি বলতে থাকেন এবং নিজের বিয়োগ রাখার
কথা ব্যক্ত করেন ৷


عِيسَى لِأَصْحَابِهِ: مَنْ يَشْتَرِي مِنْكُمْ نَفْسَهُ الْيَوْمَ بِالْجَنَّةِ. فَقَالَ رَجُلٌ: أَنَا. فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: أَنَا عِيسَى. وَقَدْ صَوَّرَهُ اللَّهُ عَلَى صُورَةِ عِيسَى، فَأَخَذُوهُ فَقَتَلُوهُ وَصَلَبُوهُ، فَمِنْ ثَمَّ شُبِّهَ لَهُمْ، وَظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ قَتَلُوا عِيسَى، وَظَنَّتِ النَّصَارَى مِثْلَ ذَلِكَ، أَنَّهُ عِيسَى، وَرَفَعَ اللَّهُ عِيسَى مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَحَدَّثَنَا الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ مَعْقِلٍ أَنَّهُ سَمِعَ وَهْبًا يَقُولُ: إِنَّ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ لَمَّا أَعْلَمَهُ اللَّهُ أَنَّهُ خَارِجٌ مِنَ الدُّنْيَا جَزِعَ مِنَ الْمَوْتِ، وَشَقَّ عَلَيْهِ، فَدَعَا الْحَوَارِيِّينَ وَصَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا فَقَالَ: احْضُرُونِي اللَّيْلَةَ ; فَإِنَّ لِي إِلَيْكُمْ حَاجَةً. فَلَمَّا اجْتَمَعُوا إِلَيْهِ مِنَ اللَّيْلِ عَشَّاهُمْ، وَقَامَ يَخْدِمُهُمْ، فَلَمَّا فَرَغُوا مِنَ الطَّعَامِ، أَخَذَ يَغْسِلُ أَيْدِيَهُمْ وَيُوَضِّئُهُمْ بِيَدِهِ، وَيَمْسَحُ أَيْدِيَهُمْ بِثِيَابِهِ، فَتَعَاظَمُوا ذَلِكَ وَتَكَارَهُوهُ، فَقَالَ: أَلَا مَنْ رَدَّ عَلَيَّ شَيْئًا اللَّيْلَةَ مِمَّا أَصْنَعُ فَلَيْسَ مِنِّي وَلَا أَنَا مِنْهُ. فَأَقَرُّوهُ حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْ ذَلِكَ قَالَ: أَمَّا مَا صَنَعْتُ بِكُمُ اللَّيْلَةَ مِمَّا خَدَمْتُكُمْ عَلَى الطَّعَامِ، وَغَسَلْتُ أَيْدِيَكُمْ بِيَدِي، فَلْيَكُنْ لَكُمْ بِي أُسْوَةٌ، فَإِنَّكُمْ تَرَوْنَ أَنِّي خَيْرُكُمْ فَلَا يَتَعَظَّمْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ، وَلْيَبْذُلْ بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ نَفْسَهُ كَمَا بَذَلْتُ نَفْسِي لَكُمْ، وَأَمَّا حَاجَتِي الَّتِي اسْتَعَنْتُكُمْ عَلَيْهَا، فَتَدْعُونَ لِيَ اللَّهَ وَتَجْتَهِدُونَ فِي الدُّعَاءِ أَنْ يُؤَخِّرَ أَجَلِي. فَلَمَّا نَصَبُوا أَنْفُسَهُمْ لِلدُّعَاءِ وَأَرَادُوا أَنْ يَجْتَهِدُوا، أَخَذَهُمُ النَّوْمُ حَتَّى لَمَّ يَسْتَطِيعُوا دُعَاءً، فَجَعَلَ يُوقِظُهُمْ وَيَقُولُ: سُبْحَانَ اللَّهِ،
পৃষ্ঠা - ১০২৫
أَمَا تَصْبِرُونَ لِي لَيْلَةً وَاحِدَةً، تُعِينُونِي فِيهَا؟ فَقَالُوا: وَاللَّهِ مَا نَدْرِي مَا لَنَا، وَاللَّهِ لَقَدْ كُنَّا نَسْمُرُ فَنُكْثِرُ السَّمَرَ، وَمَا نُطِيقُ اللَّيْلَةَ سَمَرًا، وَمَا نُرِيدُ دُعَاءً إِلَّا حِيلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ. فَقَالَ: يُذْهَبُ بِالرَّاعِي وَتَتَفَرَّقُ الْغَنَمُ. وَجَعَلَ يَأْتِي بِكَلَامٍ نَحْوَ هَذَا يَنْعَى بِهِ نَفْسَهُ. ثُمَّ قَالَ: الْحَقُّ لَيَكْفُرَنَّ بِي أَحَدُكُمْ قَبْلَ أَنْ يَصِيحَ الدِّيكُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، وَلَيَبِيعَنِّي أَحَدُكُمْ بِدَرَاهِمَ يَسِيرَةٍ، وَلَيَأْكُلَنَّ ثَمْنِي. فَخَرَجُوا وَتَفَرَّقُوا، وَكَانَتِ الْيَهُودُ تَطْلُبُهُ فَأَخَذُوا شَمْعُونَ - أَحَدَ الْحَوَارِيِّينَ - فَقَالُوا: هَذَا مِنْ أَصْحَابِهِ. فَجَحَدَ وَقَالَ: مَا أَنَا بِصَاحِبِهِ. فَتَرَكُوهُ ثُمَّ أَخَذَهُ آخَرُونَ فَجَحَدَ كَذَلِكَ، ثُمَّ سَمِعَ صَوْتَ دِيكٍ فَبَكَى وَأَحْزَنَهُ. فَلَمَّا أَصْبَحَ أَتَى أَحَدُ الْحَوَارِيِّينَ إِلَى الْيَهُودِ، فَقَالَ: مَا تَجْعَلُونَ لِي إِنْ دَلَلْتُكُمْ عَلَى الْمَسِيحِ. فَجَعَلُوا لَهُ ثَلَاثِينَ دِرْهَمًا فَأَخَذَهَا وَدَلَّهُمْ عَلَيْهِ. وَكَانَ شُبِّهَ عَلَيْهِمْ قَبْلَ ذَلِكَ فَأَخَذُوهُ وَاسْتَوْثَقُوا مِنْهُ، وَرَبَطُوهُ بِالْحَبْلِ وَجَعَلُوا يَقُودُونَهُ، وَيَقُولُونَ: أَنْتَ كُنْتَ تُحْيِي الْمَوْتَى وَتَنْتَهِرُ الشَّيْطَانَ، وَتُبْرِئُ الْمَجْنُونَ، أَفَلَا تُنَجِّي نَفْسَكَ مِنْ هَذَا الْحَبْلِ؟ وَيَبْصُقُونَ عَلَيْهِ، وَيُلْقُونَ عَلَيْهِ الشَّوْكَ، حَتَّى أَتَوْا بِهِ الْخَشَبَةَ الَّتِي أَرَادُوا أَنْ يَصْلُبُوهُ عَلَيْهَا، فَرَفَعَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ وَصَلَبُوا مَا شُبِّهَ لَهُمْ، فَمَكَثَ سَبْعًا. ثُمَّ إِنْ أُمَّهُ وَالْمَرْأَةَ الَّتِي كَانَ يُدَاوِيهَا عِيسَى، فَأَبْرَأَهَا اللَّهُ مِنَ الْجُنُونِ، جَاءَتَا تَبْكِيَانِ حَيْثُ كَانَ الْمَصْلُوبُ، فَجَاءَهُمَا عِيسَى، فَقَالَ: عَلَامَ تَبْكِيَانِ. قَالَتَا: عَلَيْكَ. فَقَالَ: إِنِّي قَدْ رَفَعَنِي اللَّهُ إِلَيْهِ، وَلَمْ يُصِبْنِي إِلَّا خَيْرٌ، وَإِنَّ هَذَا شَيْءٌ شُبِّهَ لَهُمْ، فَأْمُرَا الْحَوَارِيِّينَ أَنْ يَلْقَوْنِي إِلَى مَكَانِ كَذَا وَكَذَا. فَلَقَوْهُ إِلَى ذَلِكَ الْمَكَانِ أَحَدَ عَشَرَ، وَفَقَدَ الَّذِي كَانَ بَاعَهُ وَدَلَّ عَلَيْهِ الْيَهُودَ، فَسَأَلَ عَنْهُ أَصْحَابَهُ فَقَالُوا: إِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ১০২৬

প্ অতঃপর ঈসা (আ) বললেন : আমি তোমাদেরকে একটি সত্য কথা বলছি তোমাদের
মধ্যে একজন আজ মােরগ ডাক দেয়ার পুর্বে আমার সাথে তিনবার বিশ্বাসঘাতকতা করবে,
তোমাদের মধ্যে একজন সামান্য কয়েকটি দিরহামের বিনিময়ে শত্রুদের কাছে আমার সন্ধান
বলে দেবে এবং আমার বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থ ভক্ষণ করবে ৷ এরপর তারা সেখান থেকে বেরিয়ে
পড়ল ও বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল ৷ এদিকে ইয়াহুদীরা ঈসা (আ)-কে সন্ধান করে ফিরছে ৷ তারা
শামউন নামক এক হাওয়ারীকে ধরে বলল, এই ব্যক্তি ঈসার শিষ্য ৷ কিন্তু সে অস্বীকার করে
বলল, আমি ঈসার শিষ্য নই ৷ এ কথা বললে, তারা শামউনকে ছেড়ে দিল ৷ কিছুক্ষণ পরে
তাকে অন্য ইয়াহুদীরা পাকড়াও করলে সে পুর্বের ন্যায় উত্তর দিয়ে আত্মরক্ষা করল ৷ এমন সময়
ঈসা হঠাৎ মোরগের ডাক শুনতে পান ৷ মোরগের ডাক শুনে তিনি চিস্তিত হয়ে পড়েন এবং
র্কাদতে থাকেন ৷ প্রভাত হওয়ার পর র্জ্যনক হাওয়ারী ইয়াহুদীদের নিকট গিয়ে বলল, আমি যদি
তোমাদেরকে ঈসা মাসীহ্র সন্ধান দিই, তা হলে তোমরা আমাকে কী পুরস্কার দিবে? ইয়াহুদীরা
তাকে ত্রিশটি দিরহাম দিল, বিনিময়ে সে তাদের নিকট তার সন্ধান বসে দিল ৷ কিন্তু এর পুর্বেই
তাকে ঈসার অনুরুপ চেহারা দান করা হয় এবং তাদেরকে বিভ্রাস্তিতে ফেলা হয় ৷ ফলে তাকেই
তারা পাকড়াও করে বলি দ্বারা শক্ত করে বাধল এবং একথা বলতে বলতে টেনে হেচড়ে নিয়ে
গেল যে, তৃমিই তো মৃতকে জীবিত করতে, জীন-ভুত তাড়াতে, পাগল মানুষকে সুস্থ করে
দিতে ৷ এখন এই রশির বন্ধন থেকে নিজেকে যুক্ত কর দেখি তারা তার উপর থুথু নিক্ষেপ
করল, দেহে র্কাটা ফুটাল এবং যেই ক্রুশে বিদ্ধ করার জন্যে স্থাপন করা হয়েছিল সেখানে
তাকে নিয়ে আসল ৷

ইতিমধ্যে ঈসা (আ) কে আল্লাহ নিজ সান্নিধ্যে তুলে নিয়েছেন এবং ইয়াহুদীরা ঐ চেহারা
পরিবর্তিত ব্যক্তিকে ক্রুশবিদ্ধ করল ৷ ক্রুশের উপরে লাশ সাত দিন পর্যন্ত ছিল ৷ এরপর ঈসা
(আ)-এর মা এবং অন্য এক মহিলা যে পাগল ছিল এবং যাকে ঈসা (আ) সুস্থ করেছিলেন
উভয়ে র্কাদতে র্কাদতে ক্রুশবিদ্ধ লােকটির কাছে আসলেন ৷ তখন হযরত ঈসা (আ )-র্তাদের
কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা র্কাদছেন কেন? তারা বললেন, আমরা তো তোমার
জন্যে র্কাদছি ৷ ঈসা (আ) বললেন, আমাকে আল্লাহ তার সান্নিধ্যে তুলে নিয়েছেন এবং উত্তম
অবস্থায় রেখেছেন; আর এই যাকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছে তার ব্যাপারে ইয়াহুদীরা বিভ্রান্তির
শিকার হয়েছে ৷ অতঃপর তিনি হাওয়ারীদের প্রতি নির্দেশ দিলেন যেন, অমুক স্থানে তারা তার
সাথে সাক্ষাত করেন ৷ নির্দেশ মতে এগারজন হাওয়ারী তথায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাতে মিলিত
হন ৷ সেই এক হাওয়ারী অনুপস্থিত থাকে, যে ঈসাকে দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করেছিল এবং
ইয়াহুদীদেরকে তার সন্ধান বলে দিয়েছিল; তার সম্পর্কে ঈসা (আ) শিষ্যদের নিকট জিজ্ঞেস
করলেন ৷ উত্তরে তারা জানাল যে, সে তার কর্মের উপর অনুতপ্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে ৷ ঈসা
(আ) বললেন, যদি সে তওবা করত তবে আল্লাহ তার তওবা কবৃল করতেন ৷ অতঃপর তিনি
ইয়াহ্ইয়া নামক সেই যুবকের কথা জিজ্ঞেস করলেন, যে তাদেরকে অনুসরণ করত ৷ তিনি
জানালেন, সে তোমাদের সাথেই আছে ৷ এরপর ঈসা (আ) বললেন, তোমরা এখান থেকে চলে
যাও; কেননা, অচিরেই তোমরা নিজ নিজ সম্প্রদায়ের ভাষায় কথা বলবে ৷ সুতরাং তাদেরকে
সতর্ক করবে এবং দীনের দাওয়াত দেবে ৷


نَدِمَ عَلَى مَا صَنَعَ، فَاخْتَنَقَ وَقَتَلَ نَفْسَهُ. فَقَالَ: لَوْ تَابَ لَتَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ. ثُمَّ سَأَلَهُمْ عَنْ غُلَامٍ يَتْبَعُهُمْ يُقَالُ لَهُ: يُحَنَّا. فَقَالَ: هُوَ مَعَكُمْ فَانْطَلِقُوا فَإِنَّهُ سَيُصْبِحُ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْكُمْ يُحَدِّثُ بِلُغَةِ قَوْمٍ فَلْيُنْذِرْهُمْ وَلْيَدْعُهُمْ. وَهَذَا إِسْنَادٌ غَرِيبٌ عَجِيبٌ، وَهُوَ أَصَحُّ مِمَّا ذَكَرَهُ النَّصَارَى، لَعَنَهُمُ اللَّهُ، مِنْ أَنَّ الْمَسِيحَ جَاءَ إِلَى مَرْيَمَ، وَهِيَ جَالِسَةٌ تَبْكِي عِنْدَ جِذْعِهِ، فَأَرَاهَا مَكَانَ الْمَسَامِيرِ مِنْ جَسَدِهِ، وَأَخْبَرَهَا أَنَّ رُوحَهُ رُفِعَتْ، وَأَنَّ جَسَدَهُ صُلِبَ، وَهَذَا بُهْتٌ وَكَذِبٌ وَاخْتِلَاقٌ وَتَحْرِيفٌ وَتَبْدِيلٌ وَزِيَادَةٌ بَاطِلَةٌ فِي الْإِنْجِيلِ عَلَى خِلَافِ الْحَقِّ وَمُقْتَضَى النَّقْلِ. وَحَكَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ يَحْيَى بْنِ حَبِيبٍ، فِيمَا بَلَغَهُ أَنَّ مَرْيَمَ سَأَلَتْ مِنْ بَيْتِ الْمَلِكِ - بَعْدَ مَا صُلِبَ الْمَصْلُوبُ بِسَبْعَةِ أَيَّامٍ، وَهِيَ تَحْسَبُ أَنَّهُ ابْنُهَا - أَنْ يُنْزِلَ جَسَدَهُ، فَأَجَابَهُمْ إِلَى ذَلِكَ، وَدُفِنَ هُنَالِكَ، فَقَالَتْ مَرْيَمُ لِأُمِّ يَحْيَى: أَلَا تَذْهَبِينَ بِنَا نَزُورُ قَبْرَ الْمَسِيحِ. فَذَهَبَتَا فَلَمَّا دَنَتَا مِنَ الْقَبْرِ، قَالَتْ مَرْيَمُ لِأُمِّ يَحْيَى: أَلَا تَسْتَتِرِينَ. فَقَالَتْ: وَمِمَّنْ أَسْتَتِرُ. فَقَالَتْ: مِنْ هَذَا الرَّجُلِ الَّذِي هُوَ عِنْدَ الْقَبْرِ. فَقَالَتْ أُمُّ يَحْيَى: إِنِّي لَا أَرَى أَحَدًا. فَرَجَتْ مَرْيَمُ أَنْ يَكُونَ جِبْرِيلَ، وَكَانَتْ قَدْ بَعُدَ عَهْدُهَا بِهِ فَاسْتَوْقَفَتْ أُمَّ يَحْيَى وَذَهَبَتْ نَحْوَ الْقَبْرِ، فَلَمَّا دَنَتْ مِنَ الْقَبْرِ قَالَ لَهَا جِبْرِيلُ، وَعَرَفَتْهُ: يَا مَرْيَمُ، أَيْنَ تُرِيدِينَ؟ فَقَالَتْ: أَزُورُ قَبْرَ الْمَسِيحِ وَأُسَلِّمُ عَلَيْهِ وَأَحْدِثُ عَهْدًا بِهِ. فَقَالَ: يَا مَرْيَمُ، إِنَّ هَذَا لَيْسَ الْمَسِيحَ، إِنَّ اللَّهَ قَدْ رَفَعَ الْمَسِيحَ وَطَهَّرَهُ مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا، وَلَكِنْ هَذَا الْفَتَى الَّذِي أُلْقِيَ شَبَهُهُ عَلَيْهِ وَصُلِبَ وَقُتِلَ مَكَانَهُ، وَعَلَامَةُ ذَلِكَ أَنَّ أَهْلَهُ قَدْ
পৃষ্ঠা - ১০২৭
ষ্ষ্


এই হাদীসের সনদ গরীব ও অভিনব ৷ তবে নাসারাদের বর্ণনা সমুহের মধ্যে এটা অনেকটা
বিশুদ্ধ ৷ত তারা বলেছে মসীহ্ মারয়ামের নিকট এসেছিলেন ৷ মারযাম খেজুর গাছের শাখার
কাছে বসে কাদছিলেন ৷ ঈসা (আ)ত তাকে দেহের ক্ষত-ৰিক্ষত স্থানগুলাে দেখান এবং
মারয়ামকে জানান যে, তার রুহ্কে উপরে তুলে নেয়া হয়েছে এবং দেহকে ক্রুশবিদ্ধ করা
হয়েছে ৷ নাসা রাদের বর্ণিত এ ঘটনা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া , অতিবঞ্জিত ও বাতিল ৷
সত্যের পরিপন্থী ও অতিরিক্ত সং৷ য়ােজন ৷

ইবন আসাকির ইয়াহ্ইয়া ইবন হাবীবেব সুত্রে বর্ণনা করেন যে যে ব্যক্তিকে ক্রুশবিদ্ধ করা
হয়েছিল, মারযাম ধারণা করেছিলেন যে, সে তারই পুত্র ৷ত তাই তিনি ঘটনার সাত দিন পর
বাদশাহ্র লোকদের নিকট গিয়ে লাশটি নামিয়ে দেয়ার আবেদন জানান ৷ তারা তার আবেদনে
সাড়া দেয় এবং সেখানেই লাশটি দাফন করা হয় ৷ত তারপর মারযাম ইয়াহ্ইয়া ৷র মাকে বললেন,
চল, আমরা মাসীহ্র কবর যিয়ারত করে আসি ৷ উভয়ে রওয়ানা হলেন ৷ কবরের কাছাকাছি
পৌছলে মারযাম ইয়াহ্ইয়ার মাকে বললেন, পর্দা কর ৷ ইয়াহ্ইয়ার মা বললেন কার থেকে পর্দা
করব? বললেন কেন কবরের কাছে ঐ যে লোকটিকে দেখা যায়, তার থেকে ৷ ইয়াহ্ইয়ার মা
বললেন, কী বলছ? আমি তে ৷ কাউকে দেখতে পাচ্ছি না ! মারযাম তখন ভাবলেন, ইনি
জিবর৷ ঈল ফিরিশতা হযেন ৷ বস্তুত জিবরাঈলকে ৷তান বহু পুর্বে দেখেছিলেন ৷



যা হোক, ইয়াহ্ইয়া ৷র মাকে সেখানে রেখে মারযাম কবরের কাছে গেলেন ৷ কবরের নিকট
গেলে তিনি তাকে চিনতে পান ৷ আর জিবরাঈল বললেন, মারযাম ! কোথায় যাচ্ছা মারযাম
বললেন, মাসীহ্র কবর যিয়ারত করতে এবং তাকে সালাম জানাতে ৷ জিবরাঈল বললেন
মারযাম এ তো মাসীহ্ নয় ৷ তাকে তাে আল্লাহ তার স ৷তুন্নিধ্যে লে নিয়েছেন কাফিরদের হাত
থেকে তাকে পবিত্র করেছেন ৷ তবে কবরবাসীকে মসীহ্র আকৃতি বদলে দেয়৷ হয়েছে এবং
তাকেই, ক্রুশৰিদ্ধ করা হয়েছে ৷ এর নিদর্শন হচ্ছে এটা যে, ঐ লোকটির পরিবারের লোকজন
একে খুজে বেড়াচ্ছে, কোথাও তার সন্ধান পাচ্ছে না এবং তার কি হয়েছে তাও তারা জানে না;
এর জন্যে তারা কেবল কান্নাকাটি করে ফিরছে ৷ তুমি অমুক দিন অমুক বাগানের নিকট আসলে
মাসীহ্র সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে ৷ এ কথা বলে জিবরাঈল সেখান থেকে প্রস্থান করেন ৷

মারযাম তার বোনের নিকট ফিরে এসে জিবরাঈলের ব্যাপারে জানালেন এবং বাগানের
বিষয়টিও বললেন ৷ নির্দিষ্ট দিনে মারয়াম সেই বাগানের নিকট গেলে সেখানে মাসীহ্কে দেখতে
পান ৷ ঈসা ৷(আ) মাকে দেখতে পেয়ে তার দিকে ছুটে আসেন, মা তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং
তার মাথায় চুম্বন দেন ৷ তিনি পুর্বের মত তার জন্যে দোয়া করেন ৷ তারপর বলেন যা! আমার
সম্প্রদায়ের লোকেরা আমাকে হত্যা করতে পারেনি, আল্লাহ আমা৷,ক তার সান্নিধ্যে তুলে
নিয়েছেন এবং আপনার সাথে সাক্ষাত করার অনুমতি দিয়েছেন ৷ অচিরেই আপনার মৃত্যু হবে ৷
ধৈর্য ধরুন ও বেশী বেশী আল্লাহ্কে স্মরণ করুন ৷ অত ংপর ঈসা উর্ধলোকে চলে গেলেন ৷
এরপর মারয়ামের সাথে তার মৃত্যুর পুর্বে ঈসার আর সাক্ষাত হয়নি ৷ রাবী বলেন, ঈসা
(আ) এর উর্ধারোহনের পরে তার মা পাচ বছর জীবিত ছিলেন এবং তিপ্পান্ন বছর বয়সকালে
তিনি ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷
আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ২৪-


فَقَدُوهُ فَلَا يَدْرُونَ مَا فُعِلَ بِهِ، فَهُمْ يَبْكُونَ عَلَيْهِ، فَإِذَا كَانَ يَوْمُ كَذَا وَكَذَا، فَأْتِي غَيْضَةَ كَذَا وَكَذَا، فَإِنَّكِ تَلْقَيْنَ الْمَسِيحَ. قَالَ: فَرَجَعَتْ إِلَى أُخْتِهَا، وَصَعِدَ جِبْرِيلُ فَأَخْبَرَتْهَا عَنْ جِبْرِيلَ، وَمَا قَالَ لَهَا مِنْ أَمْرِ الْغَيْضَةِ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ الْيَوْمُ، ذَهَبَتْ فَوَجَدَتْ عِيسَى فِي الْغَيْضَةِ، فَلَمَّا رَآهَا أَسْرَعَ إِلَيْهَا فَأَكَبَّ عَلَيْهَا، فَقَبَّلَ رَأْسَهَا وَجَعَلَ يَدْعُو لَهَا كَمَا كَانَ يَفْعَلُ، وَقَالَ: يَا أُمَّهْ، إِنَّ الْقَوْمَ لَمْ يَقْتُلُونِي، وَلَكِنَّ اللَّهَ رَفَعَنِي إِلَيْهِ، وَأَذِنَ لِي فِي لِقَائِكَ، وَالْمَوْتُ يَأْتِيكِ قَرِيبًا، فَاصْبِرِي وَاذْكُرِي اللَّهَ. ثُمَّ صَعِدَ عِيسَى فَلَمْ تَلْقَهُ إِلَّا تِلْكَ الْمَرَّةَ حَتَّى مَاتَتْ. قَالَ: وَبَلَغَنِي أَنَّ مَرْيَمَ بَقِيَتْ بَعْدَ عِيسَى خَمْسَ سِنِينَ، وَمَاتَتْ وَلَهَا ثَلَاثٌ وَخَمْسُونَ سَنَةً، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا. وَقَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ: كَانَ عُمَرُ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، يَوْمَ رُفِعَ، أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَفِي الْحَدِيثِ: «إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ يَدْخُلُونَهَا جُرْدًا مُرْدًّا مُكَحَّلِينَ، أَبْنَاءَ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً» وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ: «عَلَى مِيلَادِ عِيسَى، وَحُسْنِ يُوسُفَ» وَكَذَا قَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنَّهُ قَالَ: رُفِعَ عِيسَى، وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ "، وَيَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ الْفَسَوِيُّ فِي " تَارِيخِهِ "، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ