আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة زكريا ويحيى عليهما السلام

পৃষ্ঠা - ৯০৬
ষ্ষ্

যাকারিয়া ও ইয়াহয়া (আ)
আল্লাহ্র বাণী : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম








’ ’ ষ্ # ’ fl শ্ ’
এ)ন্দ্বুষ্১এ

’ : ’

হুা£ন্ধ্র
»

জ্বপু


এ্যা
এ ক্ট্র ) )

ণ্বুস্১পুচু

-কাফ-হা-ইয়া-আয়ন-সাদ; এটা তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের বিবরণ তার বান্দা
যাকারিয়ার প্রতি ৷ যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করেছিল নিতৃতে ৷ সে বলেছিল,
“আমার অস্থি দুর্বল হয়েছে ৷ বার্ধক্যে আমার মস্তুক শুদ্রোজ্জ্বল হয়েছে : হে আমার প্রতিপালক ৷
তোমাকে আহ্বান করে আমি কখনও ব্যর্থকাম হইনি ৷ আমি আশাৎকা করি আমার পর আমার
স্বগাে ৷ত্রীয়দের সম্পর্কে অ,ামার ত্রী বন্ধ্য৷ ৷ সুতরাং তৃমি৫ আমার নিকট হতে আমাকে দান কর
উত্তরাধিকারী ৷ যে আমার উত্তরাধিকা ৷রিতু করবে এবং উত্তরাধিকারিতু করবে ইয়াকুবের বংশের,
এবং হে আমার প্রতিপালক ! তাকে করো সন্তোষভাজন ৷ তিনি বললেন : “হে যাকারিয়্যা ! আমি
তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি ৷ তার নাম হবে ইয়াহ্ইয়া; এ নামে পুর্বে আমি কারও
নামকরণ করিনি ৷ ” সে বলল, “হে আমার প্রতিপালক ! কেমন করে আমার পুত্র হবে যখন


[قِصَّةُ زَكَرِيَّا وَيَحْيَى عَلَيْهِمَا السَّلَامُ] [قِصَّتُهُمَا كَمَا حَكَاهَا الْقُرْآنُ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ: {كهيعص ذِكْرُ رَحْمَةِ رَبِّكَ عَبْدَهُ زَكَرِيَّا إِذْ نَادَى رَبَّهُ نِدَاءً خَفِيًّا قَالَ رَبِّ إِنِّي وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّي وَاشْتَعَلَ الرَّأْسُ شَيْبًا وَلَمْ أَكُنْ بِدُعَائِكَ رَبِّ شَقِيًّا وَإِنِّي خِفْتُ الْمَوَالِيَ مِنْ وَرَائِي وَكَانَتِ امْرَأَتِي عَاقِرًا فَهَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا يَرِثُنِي وَيَرِثُ مِنْ آلِ يَعْقُوبَ وَاجْعَلْهُ رَبِّ رَضِيًّا يَا زَكَرِيَّا إِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَامٍ اسْمُهُ يَحْيَى لَمْ نَجْعَلْ لَهُ مِنْ قَبْلُ سَمِيًّا قَالَ رَبِّ أَنَّى يَكُونُ لِي غُلَامٌ وَكَانَتِ امْرَأَتِي عَاقِرًا وَقَدْ بَلَغْتُ مِنَ الْكِبَرِ عِتِيًّا قَالَ كَذَلِكَ قَالَ رَبُّكَ هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌ وَقَدْ خَلَقْتُكَ مِنْ قَبْلٌ وَلَمْ تَكُ شَيْئًا قَالَ رَبِّ اجْعَلْ لِي آيَةً قَالَ آيَتُكَ أَلَّا تُكَلِّمَ النَّاسَ ثَلَاثَ لَيَالٍ سَوِيًّا فَخَرَجَ عَلَى قَوْمِهِ مِنَ الْمِحْرَابِ فَأَوْحَى إِلَيْهِمْ أَنْ سَبِّحُوا بُكْرَةً وَعَشِيًّا يَا يَحْيَى خُذِ الْكِتَابَ بِقُوَّةٍ وَآتَيْنَاهُ الْحُكْمَ صَبِيًّا وَحَنَانًا مِنْ لَدُنَّا وَزَكَاةً وَكَانَ تَقِيًّا وَبَرًّا بِوَالِدَيْهِ وَلَمْ يَكُنْ جَبَّارًا عَصِيًّا وَسَلَامٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَمُوتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا} [مريم: 1] [مَرْيَمَ: 1 - 15] .
পৃষ্ঠা - ৯০৭
ষ্ষ্


আমার শ্রী বন্ধ্যা ও আমি বার্ব্যক্যের শেষ সীমার উপনীত ৷ তিনি বললেন, “এ এরুপই হবে ৷

মার প্রদিপ লক বললেন, এ তো আমার জন্যে সহজসাধ্য, আমি তো পুর্বে তোমাকে সৃষ্টি
করেছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না ৷” যাকারিয়্যা বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একটি
নিদর্শন দাও ৷ তিনি বললেন,তে তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি সুস্থ থাকাসত্বেও কারও সাথে তিন
দিন বাক্যালাপ করবে না ৷ অতঃপর সে কক্ষ হতে বের হয়ে তার সম্প্রদায়ের নিকট আসল ৷
ইংগিতে তাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে বলল ৷ (আমি
বললাম) হে ইয়াহ্ইয়া! এই কিতাব দৃঢ়তার সাথে গ্রহণ কর ৷ আমি তাকে শৈশবেই দান
করেছিলাম জ্ঞান এবং আমার নিকট হতে হৃদয়ের কােমলতা ও পবিত্রতা; সে ছিল মুত্তাকী ৷
পিতামাতার অনুগত এবং সে ছিলনা উদ্ধত-অবাধ্য ৷ তার প্রতি শান্তি যেদিন তার মৃত্যু হবে
এবং যে দিন যে জীবিত অবস্থায় পুনরুথিহবে (১৯ মারয়াম : ১ ১ ৫ )

উক্ত ঘটনা প্ৰসংগে আল্লাহ অন্যত্র বলেন :

ট্রুাষ্টু ৷ৰুাণ্হ্র ’ ঠু


’ এ এ ! : ’ ন্ ং শ্শ্শ্শ্শ্



)




fl শ্

ণ্দ্বুদ্বুছু ১া৷ ইএে৷ হুণ্া১দ্বু ট্রুএে

শু^াদ্বুাএ ৷

এবং তিনি তাকে (মরিয়মকে) যাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে রেখেছিলেন ৷ যখনই যাকারিয়া কক্ষে
তার সাথে সাক্ষাত করতে যেত, তখনই তার নিকট খাদাৰুসামগ্রী দেখতে পেত ৷ সে বলত , “হে
মরিয়ম ৷ এসব তুমি কোথায় গেলে?” সে বলত , এ আল্লাহ্র নিকট হতে ৷ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা
অপরিমিত জীবনােপকরণ দান করেন ৷ সেখানেই যাকারিয়া তার প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা
করে বলল, “হে আমার প্রতিপালক আমাকে তুমি৫ আমার নিকট হতে সৎ বং শধর দান কর ৷
ভুমিই প্রার্থনা শ্রবণকারী ৷” যখন যাকারিয়া কক্ষে সালাতে দাড়িয়েছিল তখন ফেরেশতাগণ
তাকে সম্বোধন করে বলল, “আল্লাহ তোমাকে ইয়াহইয়ার সুসংবাদ দিচ্ছেন, সে হবে আল্লাহর
বাণীর সমর্থক, নেতা , শ্রী-বিরার্গী এবং পুণ্যবানদের মধ্যে একজন নবী ৷ ” সে বলল, “ হে আমার
প্রতিপালক ! বার্ধক্য এসেছে এবং আমার ন্তী-বন্ধ্যা ৷” তিনি বললেন, এভাবেই ৷ আল্লাহ যা ইচ্ছা
তাই করেন ৷” সে বলল, “হে আমার প্রতিপালকা আমাকে একটি নিদর্শন দাও ৷ “তিনি
বললেন, তোমার নিদর্শন এই যে, তিন দিন তুমি ইঙ্গিত ব্যতীত কোন মানুষের সাথে কথা


وَقَالَ تَعَالَى: {وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّا كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِنْدَهَا رِزْقًا قَالَ يَا مَرْيَمُ أَنَّى لَكِ هَذَا قَالَتْ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهُ قَالَ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ فَنَادَتْهُ الْمَلَائِكَةُ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي الْمِحْرَابِ أَنَّ اللَّهَ يُبَشِّرُكَ بِيَحْيَى مُصَدِّقًا بِكَلِمَةٍ مِنَ اللَّهِ وَسَيِّدًا وَحَصُورًا وَنَبِيًّا مِنَ الصَّالِحِينَ قَالَ رَبِّ أَنَّى يَكُونُ لِي غُلَامٌ وَقَدْ بَلَغَنِيَ الْكِبَرُ وَامْرَأَتِي عَاقِرٌ قَالَ كَذَلِكَ اللَّهُ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ قَالَ رَبِّ اجْعَلْ لِي آيَةً قَالَ آيَتُكَ أَلَّا تُكَلِّمَ النَّاسَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ إِلَّا رَمْزًا وَاذْكُرْ رَبَّكَ كَثِيرًا وَسَبِّحْ بِالْعَشِيِّ وَالْإِبْكَارِ} [آل عمران: 37] [آلِ عِمْرَانَ: 37 - 41] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْأَنْبِيَاءِ ": {وَزَكَرِيَّا إِذْ نَادَى رَبَّهُ رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَوَهَبْنَا لَهُ يَحْيَى وَأَصْلَحْنَا لَهُ زَوْجَهُ إِنَّهُمْ كَانُوا يُسَارِعُونَ فِي الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُونَنَا رَغَبًا وَرَهَبًا وَكَانُوا لَنَا خَاشِعِينَ} [الأنبياء: 89] [الْأَنْعَامِ: 85] . قَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي كِتَابِهِ " التَّارِيخُ " الْمَشْهُورِ الْحَافِلِ: زَكَرِيَّا بْنُ حَنَّا وَيُقَالُ: زَكَرِيَّا بْنُ دَانٍ، وَيُقَالُ: زَكَرِيَّا بْنُ أَدَنِ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ صَدُوقِ
পৃষ্ঠা - ৯০৮
بْنِ مَحْمَانَ بْنِ دَاوُدَ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ صَدِيقَةَ بْنِ بِرْحِيَةَ بْنِ مَلْقَاطْيَةَ بْنِ نَاحُورَ بْنِ سَلُومَ بْنِ بَهَفَانْيَا بْنِ حَاشَ بْنِ أَنِي بْنِ خَثْعَمَ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، أَبُو يَحْيَى النَّبِيُّ عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، دَخَلَ الْبَثَنِيَّةَ مِنْ أَعْمَالِ دِمَشْقَ فِي طَلَبِ ابْنِهِ يَحْيَى. وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ بِدِمَشْقَ حِينَ قُتِلَ ابْنُهُ يَحْيَى. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ فِي نَسَبِهِ. وَيُقَالُ فِيهِ: زَكَرِيَّاءُ بِالْمَدِّ وَبِالْقَصْرِ. وَيُقَالُ: زَكَرِيٌّ أَيْضًا. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَمَرَ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَقُصَّ عَلَى النَّاسِ خَبَرَ زَكَرِيَّا عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ حِينَ وَهَبَهُ اللَّهُ وَلَدًا عَلَى الْكِبَرِ، وَكَانَتِ امْرَأَتُهُ عَاقِرًا فِي حَالِ شَبِيبَتِهَا، وَقَدْ أَسَنَّتْ أَيْضًا ; حَتَّى لَا يَيْأَسَ أَحَدٌ مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَرَحْمَتِهِ، وَلَا يَقْنَطَ مَنْ فَضْلِهِ، تَعَالَى وَتَقَدَّسَ، فَقَالَ تَعَالَى: {ذِكْرُ رَحْمَةِ رَبِّكَ عَبْدَهُ زَكَرِيَّا إِذْ نَادَى رَبَّهُ نِدَاءً خَفِيًّا} [مريم: 2] قَالَ قَتَادَةُ عِنْدَ تَفْسِيرِهَا: إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ الْقَلْبَ النَّقِيَّ وَيَسْمَعُ الصَّوْتَ الْخَفِيَّ وَقَالَ بَعْضُ
পৃষ্ঠা - ৯০৯
ষ্ষ্


বলতে পারবে না ৷ আর তোমার প্রতিপালককে অধিক স্মরণ করবে ৷ এবং সন্ধ্যায় ও প্রভাতে
তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করবে (৩ আলে-ইমরান : ৩ ৭-৪ ১ )

সুরা আম্বিয়ায় আল্লাহ তাআলা বলেন :


৩ ;া ;


০ ) ৩


-এবৎস্ম স্মরণ কর যাকারিয়্যার কথা যখন সে৩ তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল
“হে আমার প্ৰতিপালক! আমাকে একা রেখো না তুমি তো শ্রেষ্ঠ মালিকামার অধিক রী ৷
অতংপর আমি তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলাম এবৎত তাকে দান করেছিলাম ইয়াহ্ইয়া এবং তার
জন্যে তার শ্ৰীকে যোগ্য ন্া সম্পন্ন করেছিলাম তারা সৎ কাজে প্রতিযোগিতা করত তারা
আমাকে ডাকত আশা ও ডীতির সাথে এবং তারা ছিল আমার নিকট বনীত (২১ আম্বিয়াং :
৮৯-৯০ ) আল্লাহ আরও বলেন :

গ্রিএ-ন্ ১১

-এবৎ যাকারিয়্যা, ইয়াহ্ইয়া ঈসা ও ইলিয়াস, সকলেই সংকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত ৷

ইবন আসাকির তার বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থে হযরত যাকারিয়্যা (আ) এর বংশালিকাত
নিম্নরুপ বর্ণনা করেছেন, যথা : যাকাবিয়্যা ইবন বারখিয়া বা যাকারিয়্যা ইবন দান কিংবা

যাকারিয়্যা ইবন লাদুন ইবন মুসলিম ইবন সাদুক ইবন হাশবান ইবনা দ উদ ইবন সুলায়মান

ইবন মুসলিম সাদীকা ইবন বারখিয়া ইবন বালঅড়াতা ইবন নাহুর ইবন শালুম ইবন বাহনাশাত
ইবন আয়নড়ামান ইবন রাহ্বি’আম ইবন সুলায়মান ইবন দাউদ ৷ যাকারিয়্যা ছিলেন বনী
ইসরাঈলের নবী ইয়াহ্ইয়া (আ)-এর পিতা ৷ তিনি পুত্র ইয়াহইয়ার সন্ধানে দামিশকের বুছায়না
শহরে গিয়েছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, পুত্র ইয়াহ্ইয়া নিহত হওয়ার সময় তিনি দামিশকেই
অবস্থান করছিলেন ৷ তার নসবনামা সম্পর্কে আরও বিভিন্ন মত রয়েছে ৷ উচ্চারণে যাকারিয়্যা ৷
(দীর্ঘারবিশিষ্ট) যাকারিয়্যা বা যাকরা বলা হয়ে থাকে ৷

আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ (না)-কে যাকারিয়া নবীকে সন্তান প্রদানের ঘটনা মানুষের
নিকট বর্ণনা করার নির্দেশ দেন ৷ আল্লাহ যখন যাকারিয়াকে পুত্র সন্তান দান করেন তখন তিনি
ছিলেন বৃদ্ধ ৷ তার শ্রী যৌবনকাল থেকেই ছিলেন বন্ধ্যা ৷ আর এখন বার্ধক্যে আক্রান্ত ৷ কিন্তু
এসব প্রতিকুল অবস্থা বিদ্যমান থাকা সত্বেও তিনি আল্লাহ্র রহমত ও অনুগ্রহ থেকে নিরাশ
হননি ৷ আল্লাহ বলেন :


৫(এটা তামার পালনকতার অনুগ্নহের বিবরণ ত ব বান্দা যাকারিয়ার প্ৰতি, যখন সে তার
পালনকর্তাকে আহ্বান করেছিল নিতৃতে ৷) কাতাদা এ আয়াতের ব্যাখ্যার বলেছেন, আল্লাহাচ্ছ


السَّلَفِ: قَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَنَادَى رَبَّهُ مُنَادَاةً أَسَرَّهَا عَمَّنْ كَانَ حَاضِرًا عِنْدَهُ ; مُخَافَتَةً فَقَالَ: يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ. فَقَالَ اللَّهُ: لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ. {قَالَ رَبِّ إِنِّي وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّي} [مريم: 4] أَيْ: ضَعُفَ وَخَارَ مِنَ الْكِبَرِ. {وَاشْتَعَلَ الرَّأْسُ شَيْبًا} [مريم: 4] اسْتِعَارَةٌ مِنَ اشْتِعَالِ النَّارِ فِي الْحَطَبِ، أَيْ غَلَبَ عَلَى سَوَادِ الشَّعْرِ شَيْبُهُ، كَمَا قَالَ ابْنُ دُرَيْدٍ فِي مَقْصُورَتِهِ: إِمَّا تَرَى رَأْسِي حَاكَى لَوْنُهُ ... طُرَّةَ صُبْحٍ تَحْتَ أَذْيَالِ الدُّجَى وَاشْتَعَلَ الْمُبْيَضُّ فِي مُسْوَدِّهِ ... مِثْلَ اشْتِعَالِ النَّارِ فِي جَزْلِ الْغَضَا وَآضَ رَوْضُ اللَّهْوِ يَبْسًا ذَاوِيًا ... مِنْ بَعْدِ مَا قَدْ كَانَ مَجَّاجَ الثَّرَى يَذْكُرُ أَنَّ الضَّعْفَ قَدِ اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِ بَاطِنًا وَظَاهِرًا، وَهَكَذَا قَالَ زَكَرِيَّا عَلَيْهِ السَّلَامُ: {إِنِّي وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّي وَاشْتَعَلَ الرَّأْسُ شَيْبًا} [مريم: 4] وَقَوْلُهُ: {وَلَمْ أَكُنْ بِدُعَائِكَ رَبِّ شَقِيًّا} [مريم: 4] أَيْ: مَا عَوَّدْتَنِي فِيمَا أَسْأَلُكَ فِيهِ إِلَّا الْإِجَابَةَ. وَكَانَ الْبَاعِثُ لَهُ عَلَى هَذِهِ الْمَسْأَلَةِ، أَنَّهُ لَمَّا كَفَلَ مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ بْنِ مَاثَانَ،
পৃষ্ঠা - ৯১০
ষ্ষ্


অন্তর ও ক্ষীণ আওয়াজ সম্পর্কে সম্যক অবহিত ৷ কোন কোন প্রাচীন আলিম বলেছেন, হযরত
যাকারিয়া (আ) রাত্রিরেল৷ নিদ্র৷ থেকে উঠে অতি ক্ষীণ আওয়াজে, যাতে তার কাছের কেউ
শুনতে না পায় আল্লাহকে আহ্বান করে বলেন, হে আমার প্ৰভাে ! হে আমার প্রভো ! হে আমার
প্ৰভো ! আল্লাহ তাআল৷ আহ্বানে সাড়া দিয়ে বললেনং লাববায়েক লাব্বায়েক ! ! লাব্বায়েক ! ! !
এরপর যাকারিয়া বলেন, আমার অস্থি দুর্বল হয়ে
পড়েছে, বয়সে দেহ ভারাবনত হয়ে গিয়েছে ৷ ৷ বার্ধকে৷ মস্তক
সুশুভ্র হয়েছে ৷ অগ্নি শিখ৷ যেমন কাষ্ঠখণ্ড গ্রাস করে, তেমন বার্ধক্য আমার কাল চুল গ্রাস করে
নিয়েছে ৷

হযরত যাকারিয়া (আ) আল্লাহকে জানালেন যে, বার্ধক্যের দুর্বলত৷ বাহ্যিকভারে ও
অভ্যস্তরীণভ৷ ৷বে তাকে গ্রাস করে ফেলেছে ৷ ,

“হে আমার পালনকর্তা! আপনাকে ডেকে আমি কখন ও বিকল মনােরথ হইনি ৷” অর্থাৎ-
আমি ইতিপুর্বে আপনার নিকট যা কিছু চেয়েছি, আপনি তা আমাকে দিয়েছেন ৷ হযরত
যাকারিয়্যার সন্তান কামনার পশ্চাতে যে প্রেরণাটি কাজ করেছিল, তা এই যে তিনি হযরত
মরিয়ম বিনৃত ইমরান ইবন মাছানকে বায়তু ল মুকাদ্দাসে দেখাওনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ৷
বায়তৃল ঘুকাদ্দাসের যে কক্ষে বিবি মরিয়ম থাকতেন, সে কক্ষে যাকারিয়া! (আ) যখনই যেতেন
দেখতেন, ভিন্ন মওসুমের পর্যাপ্ত ফল মরিয়মের পাশে মওজ্বদ রয়েছে ৷ বন্তুত এটা ছিল
আওলিয়াদের কারামন্ব৩ র একটি নিদর্শন ৷ তা দেখে হযরত যাক৷ ৷বিয়ার অম্ভরে এ কথার উদয়
হল যে, যে সত্তা মরিয়মকে ভিন্ন মওসুমের ফল দান করছেন,৩ তিনি আমাকে এই বৃদ্ধ বয়সে
সম্ভানও দান’করতে পারেন ৷ সুরা আলে-ইমরানে আছে, সেখানেই যাকারিয়া তার পালনকর্তার
নিকট প্র৷ ৷র্থন৷ করল ৷ বললাে, হে আমার পালনকর্ত৷ ! তোমার নিকট থেকে আমাকে পুত-পবিত্র
সন্তান দা ন কর! নিশ্চয়ই তুমি প্রা ৷র্থনা শ্রবণকারী ৷ (৩হ্র ৩৮ )

সুরা মরিয়ামে আল্লাহর বাণীং :

র্দু ,ট্রুাএ

-আমি ভয় করি আমার পর আমার স্বগােত্রকে এবং আমার শ্রী বন্ধ্য৷ ৷ প্রু ;, বা
স্বগােত্র বলতে গোত্রের এমন একটি দলের কথা বুঝানো হয়েছে, যাদের ব্যাপারে নবীবি আশংকা
প্রকাশ করেছেন যে, তার মৃত্যুর পরে এর! বনী ইসরাঈলকে বিভ্রান্ত করে শরীয়তের পরিপন্থী ও
নবীর অ ৷৩নুগ বিরোধী কাজে জড়িয়ে ফেলবে ৷ এ কর বণে তিনি তা ৷ল্লাহ্র নিকট একটি সুসন্তান
প্রার্থনা করেন ৷ তিনি বললেন০ ৷ট্রু !, ৰু;!ট্রুা৷ পু ;০ শু! ধ্রু আপনি আমাকে নিজের পক্ষ
থেকে একজন উত্তরাধিকারী দান করুন ৷ ং ”;fi;:; নবৃওতের দায়িতৃ পালনে এবং বনী
ইসরাঈলের নেতৃত্ব প্রদানে সে হবে আমার স্থলাভিষিক্ত ৷ ; প্রুফুট্রু;ঠু ( ! ট্রু,০ ’; ,,;§ এবং
সে প্রতিনিধিতৃ করবে ইয়াকুব বং শের ! অর্থাৎ ইয়াকুবের সন্তানদের মধ্যে৩ তার ( অর্থাৎ আমার
প্রার্থিত পুত্রের) পুর্ব-পুরুষগণ যেভাবে নবুওত, মর্যাদা ও ওহী প্রাপ্ত হয়েছে,৩ তাকেও সেই
সুমহান মর্যাদার অধিষ্ঠিত করুন! এখানে উত্তরাধিকারী বলতে ধন-সম্পদের উত্তরাধিকারী হওয়া


وَكَانَ كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا مِحْرَابَهَا وَجَدَ عِنْدَهَا فَاكِهَةً فِي غَيْرِ أَوَانِهَا، وَلَا فِي أَوَانِهَا، وَهَذِهِ مِنْ كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ، فَعَلِمَ أَنَّ الرَّازِقَ لِلشَّيْءِ فِي غَيْرِ أَوَانِهِ قَادِرٌ عَلَى أَنْ يَرْزُقَهُ وَلَدًا، وَإِنْ كَانَ قَدْ طَعَنَ فِي سِنِّهِ {هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهُ قَالَ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ} [آل عمران: 38] وَقَوْلُهُ: {وَإِنِّي خِفْتُ الْمَوَالِيَ مِنْ وَرَائِي وَكَانَتِ امْرَأَتِي عَاقِرًا} [مريم: 5] قِيلَ: الْمُرَادُ بِالْمَوَالِي الْعُصْبَةُ، وَكَأَنَّهُ خَافَ مِنْ تَصَرُّفِهِمْ بَعْدَهُ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ بِمَا لَا يُوَافِقُ شَرْعَ اللَّهِ وَطَاعَتَهُ، فَسَأَلَ وُجُودَ وَلَدٍ مِنْ صُلْبِهِ يَكُونُ بَرًّا تَقِيًّا مَرْضِيًّا، وَلِهَذَا قَالَ: {فَهَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ} [مريم: 5] أَيْ: مِنْ عِنْدِكَ بِحَوْلِكَ وَقُوَّتِكَ {وَلِيًّا يَرِثُنِي} [مريم: 5] أَيْ: فِي النُّبُوَّةِ وَالْحُكْمِ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ. {وَيَرِثُ مِنْ آلِ يَعْقُوبَ وَاجْعَلْهُ رَبِّ رَضِيًّا} [مريم: 6] يَعْنِي كَمَا كَانَ آبَاؤُهُ وَأَسْلَافُهُ مِنْ ذُرِّيَّةِ يَعْقُوبَ أَنْبِيَاءَ، فَاجْعَلْهُ مِثْلَهُمْ فِي الْكَرَامَةِ الَّتِي أَكْرَمْتَهُمْ بِهَا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالْوَحْيِ. وَلَيْسَ الْمُرَادُ هَاهُنَا وِرَاثَةَ الْمَالِ، كَمَا زَعَمَ ذَلِكَ مَنْ زَعَمَهُ مِنَ الشِّيعَةِ وَوَافَقَهُمُ ابْنُ جَرِيرٍ هَاهُنَا وَحَكَاهُ عَنْ أَبِي صَالِحٍ مِنَ السَّلَفِ ; لِوُجُوهٍ: أَحَدُهَا مَا قَدَّمْنَا عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَوَرِثَ سُلَيْمَانُ دَاوُدَ} [النمل: 16] . أَيْ: فِي النُّبُوَّةِ وَالْمُلْكِ، كَمَا ذَكَرْنَا فِي الْحَدِيثِ الْمُتَّفَقِ عَلَيْهِ بَيْنَ الْعُلَمَاءِ، الْمَرْوِيِّ فِي
পৃষ্ঠা - ৯১১
" الصِّحَاحِ " وَ " الْمَسَانِيدِ " وَ " السُّنَنِ " وَغَيْرِهَا، مِنْ طُرُقٍ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ» فَهَذَا نَصٌّ عَلَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُورَثُ، وَلِهَذَا مَنَعَ الصِّدِّيقُ أَنْ يُصْرَفُ مَا كَانَ يَخْتَصُّ بِهِ فِي حَيَاتِهِ إِلَى أَحَدٍ مِنْ وُرَّاثِهِ الَّذِينَ لَوْلَا هَذَا النَّصُّ لَصُرَفَ إِلَيْهِمْ، وَهُمُ: ابْنَتُهُ فَاطِمَةُ، وَأَزْوَاجُهُ التِّسْعُ، وَعَمُّهُ الْعَبَّاسُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَاحْتَجَّ عَلَيْهِمُ الصِّدِّيقُ فِي مَنْعِهِ إِيَّاهُمْ بِهَذَا الْحَدِيثِ، وَقَدْ وَافَقَهُ عَلَى رِوَايَتِهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَطَلْحَةُ، وَالزُّبَيْرُ، وَأَبُو هُرَيْرَةَ، وَآخَرُونَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمُ. الثَّانِي أَنَّ التِّرْمِذِيَّ رَوَاهُ بِلَفْظٍ يَعُمُّ سَائِرَ الْأَنْبِيَاءِ: «نَحْنُ مُعَاشِرَ الْأَنْبِيَاءِ لَا نُورَثُ» وَصَحَّحَهُ. الثَّالِثُ أَنَّ الدُّنْيَا كَانَتْ أَحْقَرَ عِنْدَ الْأَنْبِيَاءِ مِنْ أَنْ يَكْنِزُوا لَهَا أَوْ يَلْتَفِتُوا إِلَيْهَا أَوْ يُهِمَّهُمْ أَمْرُهَا، حَتَّى يَسْأَلُوا الْأَوْلَادَ لِيَحُوزُوهَا بَعْدَهُمْ ; فَإِنَّ مَنْ لَا يَصِلُ إِلَى قَرِيبٍ مِنْ مَنَازِلِهِمْ فِي الزَّهَادَةِ لَا يَهْتَمُّ بِهَذَا الْمِقْدَارِ أَنْ يَسْأَلَ وَلَدًا يَكُونُ وَارِثًا لَهُ فِيهَا. الرَّابِعُ، أَنَّ زَكَرِيَّا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَانَ نَجَّارًا يَعْمَلُ بِيَدِهِ، وَيَأْكُلُ مِنْ كَسْبِهَا، كَمَا كَانَ دَاوُدُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، يَأْكُلُ مِنْ كَسْبِ يَدِهِ، وَالْغَالِبُ - وَلَا سِيَّمَا مَنْ مِثْلُ حَالِ الْأَنْبِيَاءِ - أَنَّهُ لَا يُجْهِدُ نَفْسَهُ فِي الْعَمَلِ إِجْهَادًا يَسْتَفْضِلُ مِنْهُ مَالًا يَكُونُ ذَخِيرَةً لَهُ يَخْلُفُهُ مِنْ بَعْدِهِ، وَهَذَا أَمْرٌ بَيِّنٌ وَاضِحٌ لِكُلِّ مِنْ تَأَمَّلَهُ بِتَدَبُّرٍ وَتَفَهُّمٍ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৯১২
ষ্ষ্


বুঝানো হয়নি ৷ কিন্তু শীআ সম্প্রদায় এখানে ধ্ন-সম্পদের উত্তরাধিকার অর্থই গ্রহণ করেছে ৷
ইবন জ বীবও এখানে শীয়া মতকে সমর্থন করেছেন ৷ তিনি সালিহ্ ইবন ইউসুফের উক্তির
কথাও নিজেরব্ মং তর সমর্থনে উল্লেখ করেছেন ৷

কিন্তু কয়েকটি কারণে এই মত গ্রহণযোগ্য নয় ৷

(এক) সুরা নামল’ এর ১৬ নং আয়াত ট্রুদ্বুাঠু :, £^া গ্লুট্রুটু -সুলায়মান দ উদেব
(নবুওত ও রাজাতৃর) উত্তরাধিকারী হয় ৷ এ আয়াতে র অরীনে আমরা ৰুখারী মুসলিমসহ সহীহ,
মুসনাদ ও সুনান গ্রন্থাদিতে বিভিন্ন সুত্রে বহু সংখ্যক সাহাবী থেকে বর্ণিত সেই প্রসিদ্ধ হাদীস
উল্লেখ করেছি, যাতে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন৪ ও দ্ব প্রুরু প্ এেপ্রুও ৷; ণ্প্রু৩ ১া
-আমরা কেন উত্তরাধিকারী রেখে যাই না, মৃত ত্যুর পরে যা কিছু পরিত্যক্ত সম্পদ থাকে,
সর্বসাধারণের জন্যে সাদাক ৷বা দান হিসেবে গণ্য হবে ৷” এ হাদীস থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে,
রাসুলুল্লাহ (না)-এর পরিত্যক্ত সম্পদের কোন উত্তরাধিকারী রেখে যাননি ৷ এ কারণেই রাসুল
(সা) তার জীবদ্দশায় যে সব সম্পত্তি ব্যক্তিগতভাবে ভোগ করতেন, হযরত আবু বকর সিদ্দীক
(রা) সেগুলো রাসুল (না)-এর উত্তরাধিকারীদের হাতে তুলে দেননি ৷ অথচ উপরোক্ত হাদীস
যদি না থাকত তাহলে সেগুলো রাসুলের উত্তরাধীকারী রাসুল তনয় হযরত ফাতিমা, তীর নয়জন
সহধর্মিণী ও তার চাচা হযরত আব্বাস (বা) প্রমুখের হাতে আসতো ৷ এসব উত্তরাধীকারীদের
দাবির বিরুদ্ধে হযরত আবু বকর (রা) উপরোক্ত হাদীসটি দলীল হিসেবে পেশ করেন ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনার প্রতি সমর্থন দেন হযরত উমর, হযরত উছমান,
হযরত আলী, হযরত আব্বাস, আবদুর রহমান ইবন আওফ তালহা, যুবায়র, আবু হুরায়রা (র ৷)
প্রমুখ সাহাবায়ে কিরাম ৷

(দুই) উপরোক্ত হাদীসটি ইমাম তিরমিযী তার গ্রন্থে বহুবচনের শব্দ দ্বা ৷র৷ বর্ণনা ৷করেছেন-
ফলে সকল নবীই এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান ৷ তিনি এভাবে বর্ণনা করেছেন ণ্শ্-^ ,১
গ্লুপ্রু১ ১৷ ৷১া৷ অর্থাৎ “আমরা নবীরা কোন উত্তরাধীকড়ারী বেধে যাই না ৷ ইমাম
তিরমিযী এ বর্ণনাটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেছেন ৷

(তিন) নবীগণের নিকট দুনিয়ার সহায়-সম্পদ সর্বদাই অতি নগণ্য ও তৃচ্ছ বলে গণ্য
হয়েছে ৷ র্তারা কখনই এগুলো সংগ্রহে লিপ্ত হননি, এর প্রতি ভ্রক্ষেপ করেননি এবং এর কোন
গুরুভৃই দেননি ৷ সুতরাং সন্তান ধন-সম্পদ সঞ্চয়ের জন্যে প্রার্থনা করার প্রশ্নই আসে না ৷ কারণ,
যে সন্তান ত্যাগের মহিমায় নবীদের মর্যাদার সীমানায় পৌছতে পারবে না, সে তে ত৷ নবীর
পরিত্যক্ত সামান্য সম্পদকে কোন গুরুতুই দেবে না ৷ত তাই সেই তুচ্ছ সম্পদের উত্তরাধিকারী
বানানোর লক্ষে কোন সন্তান কামনা করা একেব৷ ৷রেই অবাম্ভর ৷

(চার) ঐতিহাসিক মতে নবী যাকারিয়৷ পেশায় ছিলেন ছুতার ৷ স্বহস্তে উপার্জিত রোযগার
দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতেন, যেমনটি করতেন হযরত দাউদ (আ) ৷ বলাবাহুল্য , নবীগণ
সাধারণতং আয় রোযগারে এমনভাবে আত্মনিয়োগ করতেন না, যার দ্ব৷ ৷র৷ অতিরিক্ত মাল সঞ্চয়
হতে পারে এবং পরবর্তী সন্তানগণ তার উত্তরাধিকারী হতে পা ৷রবে ৷ ব্যাপারটি দিবালোকের মত
স্পষ্ট ৷ সামান্য চিন্তা করলেই যে কেউ বিষয়টি সহজেই বুঝতে পারে ৷


قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ - يَعْنِي ابْنَ هَارُونَ - أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَ زَكَرِيَّا نَجَّارًا» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَقَوْلُهُ: {يَا زَكَرِيَّا إِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَامٍ اسْمُهُ يَحْيَى لَمْ نَجْعَلْ لَهُ مِنْ قَبْلُ سَمِيًّا} [مريم: 7] وَهَذَا مُفَسَّرٌ بِقَوْلِهِ: {رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ} [آل عمران: 9] فَلَمَّا بُشِّرَ بِالْوَلَدِ وَتَحَقَّقَ الْبِشَارَةَ، شَرَعَ يَسْتَعْلِمُ - عَلَى وَجْهِ التَّعَجُّبِ - وُجُودَ الْوَلَدِ، وَالْحَالَةُ هَذِهِ لَهُ: {قَالَ رَبِّ أَنَّى يَكُونُ لِي غُلَامٌ وَكَانَتِ امْرَأَتِي عَاقِرًا وَقَدْ بَلَغْتُ مِنَ الْكِبَرِ عِتِيًّا} [مريم: 8] أَيْ: كَيْفَ يُوجَدُ وَلَدٌ مِنْ شَيْخٍ كَبِيرٍ، قِيلَ: كَانَ عُمْرُهُ إِذْ ذَاكَ سَبْعًا وَسَبْعِينَ سَنَةً. وَالْأَشْبَهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، أَنَّهُ كَانَ أَسَنَّ مِنْ ذَلِكَ. {وَكَانَتِ امْرَأَتِي عَاقِرًا} [مريم: 5] يَعْنِي، وَقَدْ كَانَتِ امْرَأَتِي فِي حَالِ شَبِيبَتِهَا عَاقِرًا لَا تَلِدُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. كَمَا قَالَ الْخَلِيلُ: {أَبَشَّرْتُمُونِي عَلَى أَنْ مَسَّنِيَ الْكِبَرُ فَبِمَ تُبَشِّرُونِ} [الحجر: 54] وَقَالَتْ سَارَّةُ: {يَا وَيْلَتَى أَأَلِدُ وَأَنَا عَجُوزٌ وَهَذَا بَعْلِي شَيْخًا إِنَّ هَذَا لَشَيْءٌ عَجِيبٌ قَالُوا أَتَعْجَبِينَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ رَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ إِنَّهُ حَمِيدٌ مَجِيدٌ} [هود: 72] أَيْ: هَذَا سَهْلٌ يَسِيرٌ عَلَيْهِ. {وَقَدْ خَلَقْتُكَ مِنْ قَبْلُ وَلَمْ تَكُ شَيْئًا} [مريم: 9] أَيْ: قُدْرَتُهُ أَوْجَدَتْكَ بَعْدَ أَنْ لَمْ تَكُنْ شَيْئًا مَذْكُورًا، أَفَلَا يُوجِدُ مِنْكَ
পৃষ্ঠা - ৯১৩
ষ্ষ্


ইমাম আহমদ আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
যাকারিয়া নবী ছিলেন একজন ছুতার ৷ ইমাম মুসলিম ও ইবন মজাহ অভিন্ন সুত্রে হাম্মাদ ইবন
সালমা থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আল্লাহর বাণী : “হে যাকারিয়া ! আমি তোমাকে এক
পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি, তার নাম হবে ইয়াহ্ইয়া; এ নামে পুর্বে আমি কারও নামকরণ করিনি ৷ ”
এখানে এ কথাটি সুরা আল-ইমরড়ানের-৩৯ নং আঘাতের ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়েছে ৷ সেখানে
বলা হয়েছে : “যখন যাকারিয়া কক্ষে সালাতে দীড়িয়েছিল তখন ফেরেশতাগণ তাকে সম্বোধন
করে বলল, আল্লাহ তোমাকে ইয়াহ্ইয়ার সুসংবাদ দিচ্ছেন, সে হবে আল্লাহর বাণী সমর্থক,
নেতা, ব্রী -বিরাগী এবং পুণবােনদের মধ্যে একজন নবী ৷ এরপর যখন তাকে পুত্র সন্তানের
সুসংৰাদ দেয়া হল এবং তিনি নিশ্চিত হলেন তখন নিজের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য করে সন্তান
হওয়ার বিষয়ে বিস্মিত হয়ে আল্লাহর নিকট জানতে চাইলেন ৷ তিনি বললেন, “হে আমার
প্রতিপালক ! কেমন করে আমার পুত্র হবে, যখন আমার পত্নী বল্যা ও আমি বার্ধক্যের শেষ
সীমার উপনীত?” অর্থাৎ একজন বৃদ্ধ লোকের সন্তান কিভাবে হতে পারো কেউ কেউ বলেছেন,
হযরত যাকারিয়ার বয়স ছিল তখন সাতাত্তর বছর ৷ প্রকৃত পক্ষে তার বয়স ছিল এর থেকে
আরও বেশী ৷ “আমার শ্রী বন্ধ্যা” অর্থাৎ যৌবনকাল থেকেই আমার শ্রী বন্ধ্যা, কোন সন্তানাদি
হয় না ৷ এমনি এক অবস্থায় হযরত ইব্রাহীম খলীলকে ফিরিশতাগণ পুত্র হওয়ার সুসংবাদ
দিয়েছিলেন, তখন তিনি বিস্ময়ভরে জিজ্ঞেস করেছিলেন “বার্ধক্য যখন আমাকে পেয়ে
বস্যেছ, তখন তোমরা আমাকে সুসংবাদ জানাচ্ছ, বল, কি সেই সসুৎবাদঃ” তার শ্রী সারা
বলেছিলেন, “কী আশ্চর্য! সন্তানের জননী হব আমি, যখন আমি বৃদ্ধা এবং এই আমার স্বামী
বৃদ্ধ ৷ এটা অবশ্যই এক অদ্ভুত ব্যাপার !” ফেরেশতারা বলল “আল্লাহর কাজে তুমি বিম্ময়বােধ
করছ? হে পরিবারবর্গ! তোমাদের প্ৰতি রয়েছে আল্লাহর অনুগ্রহ ও কল্যাণ! তিনি প্ৰশংসাহ ও
সম্মানাই” (১১ হ্রদ : ৭২, ৭৩) ৷
হযরত যাকারিয়া (আ)কেও আগত ফেরেশতা ঠিক এ জাতীয় উত্তর দিয়েছিলেন ৷
ফেরেশতা বলেছিলেন, “এরুপই হবে; তোমার প্রতিপালক বলেছেন, এ কাজ আমার জন্যে
সহজসাধ্য; আমি তো পুর্বে তোমাকে সৃষ্টি করেছি, যখন তুমি কিছুই ছিলে না ৷ অর্থাৎ আল্লাহ
যখন তোমাকে অস্তিতুহীন অবস্থা থেকে অন্তিতু দান করতে পেরেছেন , তখন তিনি কি তোমার
বৃদ্ধ অবস্থায় সন্তান দিতে পারবেন না? সুরা আন্বিয়ায় (৯০) আল্লাহর বাণী “অতঃপর আমি
তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে দান করেছিলাম ইয়ড়াহ্ইয়া এবং তার জন্যে তার
শ্ৰীকে যােগ্যতাসম্পন্ন করেছিলাম ৷ তারা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করত, তারা আমাকে ডাকত
আশা ও ভীতির সাথে এবং তারা ছিল আমার নিকট বিনীত ৷” ত্রীকে যোগ্যতা সম্পন্ন করার
অর্থ শ্ৰীর মাসিক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, পুনরায় তা চালু হয়ে যায় ৷ কারও মতে তার শ্রী মুখরা
ছিলেন, তা ভাল করে দেয়া হয় ৷ যাকারিয়া বললেন, “হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে একটি
নিদর্শন দাও ৷” অর্থাৎ আমাকে এমন একটি লক্ষণ দাও, যা দ্বারা আমি বুঝতে পারি যে, এই
প্রতিশ্রুত সন্তান আমার থেকে ত্রীর গর্ভে এসেছে ৷ আল্লাহ জানালেন, “তোমার নিদর্শন এই যে,
তুমি সুস্থ থাকা সত্বেও কারও সাথে তিন দিন বাক্যালাপ করবে না ৷” অর্থাৎ তোমার বুঝবার সে
লক্ষণ হল, তোমাকে নীরবতা আবিষ্ট করে ফেলবে, ফলে তিন দিন পর্যন্ত মানুষের সাথে ইশারা
ইংগিত ব্যতীত কথা বলতে পারবে না ৷ অথচ তোমার শরীর, মন ও মেজাজ সবই সুস্থ অবস্থায়
থাকবে ৷ এ সময়ে তাকে সকাল-সন্ধ্যড়ায় অধিক পরিমাণ আল্লাহর যিক্র ও তাসবীহ মনে মনে


وَلَدًا وَإِنْ كُنْتَ شَيْخًا كَبِيرًا؟! وَقَالَ تَعَالَى: {فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَوَهَبْنَا لَهُ يَحْيَى وَأَصْلَحْنَا لَهُ زَوْجَهُ إِنَّهُمْ كَانُوا يُسَارِعُونَ فِي الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُونَنَا رَغَبًا وَرَهَبًا وَكَانُوا لَنَا خَاشِعِينَ} [الأنبياء: 90] . وَمَعْنَى إِصْلَاحِ زَوْجَتِهِ، أَنَّهَا كَانَتْ لَا تَحِيضُ فَحَاضَتْ. وَقِيلَ: كَانَ فِي لِسَانِهَا شَيْءٌ ; أَيْ بَذَاءَةٌ. {قَالَ رَبِّ اجْعَلْ لِي آيَةً} [مريم: 10] أَيْ: عَلَامَةً عَلَى وَقْتَ تَعْلَقُ مِنِّي الْمَرْأَةُ بِهَذَا الْوَلَدِ الْمُبَشَّرِ بِهِ. {قَالَ آيَتُكَ أَلَّا تُكَلِّمَ النَّاسَ ثَلَاثَ لَيَالٍ سَوِيًّا} [مريم: 10] يَقُولُ: عَلَامَةُ ذَلِكَ أَنْ يَعْتَرِيَكَ سَكْتٌ، لَا تَنْطِقُ مَعَهُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ إِلَّا رَمْزًا، وَأَنْتَ فِي ذَلِكَ سَوِيُّ الْخَلْقِ، صَحِيحُ الْمِزَاجِ، مُعْتَدِلُ الْبِنْيَةِ. وَأُمِرَ بِكَثْرَةِ الذِّكْرِ فِي هَذِهِ الْحَالِ بِالْقَلْبِ، وَاسْتِحْضَارِ ذَلِكَ بِفُؤَادِهِ بِالْعَشِيِّ وَالْإِبْكَارِ، فَلَمَّا بُشِّرَ بِهَذِهِ الْبِشَارَةِ، خَرَجَ مَسْرُورًا بِهَا عَلَى قَوْمِهِ مِنْ مِحْرَابِهِ. {فَأَوْحَى إِلَيْهِمْ أَنْ سَبِّحُوا بُكْرَةً وَعَشِيًّا} [مريم: 11] وَالْوَحْيُ هَاهُنَا هُوَ الْأَمْرُ الْخَفِيُّ ; إِمَّا بِكِتَابَةٍ، كَمَا قَالَهُ مُجَاهِدٌ، وَالسُّدِّيُّ أَوْ إِشَارَةٍ، كَمَا قَالَهُ مُجَاهِدٌ - أَيْضًا - وَوَهْبٌ، وَقَتَادَةُ. قَالَ مُجَاهِدٌ، وَعِكْرِمَةُ، وَوَهُبٌ، وَالسُّدِّيُّ، وَقَتَادَةُ: اعْتُقِلَ لِسَانُهُ مِنْ غَيْرِ مَرَضٍ. وَقَالَ ابْنُ زَيْدٍ: كَانَ يَقْرَأُ وَيُسَبِّحُ، وَلَكِنْ لَا يَسْتَطِيعُ كَلَامَ أَحَدٍ. وَقَوْلُهُ: {يَا يَحْيَى خُذِ الْكِتَابَ بِقُوَّةٍ وَآتَيْنَاهُ الْحُكْمَ صَبِيًّا} [مريم: 12] يُخْبِرُ تَعَالَى عَنْ وُجُودِ الْوَلَدِ وَفْقَ الْبِشَارَةِ الْإِلَهِيَّةِ لِأَبِيهِ زَكَرِيَّا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَنَّ
পৃষ্ঠা - ৯১৪
اللَّهَ عَلَّمَهُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَهُوَ صَغِيرٌ فِي حَالِ صِبَاهُ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ: قَالَ مَعْمَرٌ: قَالَ الصِّبْيَانُ لِيَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا: اذْهَبْ بِنَا نَلْعَبُ. فَقَالَ: مَا لِلَّعِبِ خُلِقْنَا. قَالَ: وَذَلِكَ قَوْلُهُ: {وَآتَيْنَاهُ الْحُكْمَ صَبِيًّا} [مريم: 12] وَأَمَّا قَوْلُهُ: {وَحَنَانًا مِنْ لَدُنَّا} [مريم: 13] فَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ: لَا أَدْرِي مَا الْحَنَانُ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٍ، وَعِكْرِمَةَ، وَقَتَادَةَ، وَالضَّحَّاكِ: {وَحَنَانًا مِنْ لَدُنَّا} [مريم: 13] أَيْ: رَحْمَةً مِنْ عِنْدِنَا رَحِمْنَا بِهَا زَكَرِيَّا، فَوَهَبْنَا لَهُ هَذَا الْوَلَدَ. وَعَنْ عِكْرِمَةَ: (وَحَنَانًا) أَيْ: مَحَبَّةً عَلَيْهِ. وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ صِفَةً لِتَحَنُّنِ يَحْيَى عَلَى النَّاسِ، وَلَا سِيَّمَا عَلَى أَبَوَيْهِ، وَهُوَ مَحَبَّتُهُمَا وَالشَّفَقَةُ عَلَيْهِمَا، وَبِرُّهُ بِهِمَا. وَأَمَّا الزَّكَاةُ فَهُوَ طَهَارَةُ الْخُلُقِ وَسَلَامَتُهُ مِنَ النَّقَائِصِ وَالرَّذَائِلِ. وَالتَّقْوَى طَاعَةُ اللَّهِ بِامْتِثَالِ أَوَامِرِهِ وَتَرْكِ زَوَاجِرِهِ. ثُمَّ ذَكَرَ بِرَّهُ بِوَالِدَيْهِ وَطَاعَتَهُ لَهُمَا أَمْرًا وَنَهْيًا، وَتَرْكَ عُقُوقِهِمَا قَوْلًا وَفِعْلًا، فَقَالَ: {وَبَرًّا بِوَالِدَيْهِ وَلَمْ يَكُنْ جَبَّارًا عَصِيًّا} [مريم: 14] ثُمَّ قَالَ: {وَسَلَامٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَمُوتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا} [مريم: 15] هَذِهِ الْأَوْقَاتُ الثَّلَاثَةُ أَشَدُّ مَا تَكُونُ عَلَى الْإِنْسَانِ ; فَإِنَّهُ يَنْتَقِلُ فِي كُلٍّ مِنْهَا، مِنْ عَالَمٍ إِلَى عَالَمٍ آخَرَ فَيَفْقِدُ الْأَوَّلَ بَعْدَ مَا كَانَ أَلِفَهُ وَعَرَفَهُ، وَيَصِيرُ إِلَى الْآخَرِ وَلَا يَدْرِي مَا بَيْنَ يَدَيْهِ ; وَلِهَذَا يَسْتَهِلُّ صَارِخًا إِذَا خَرَجَ مِنْ بَيْنِ الْأَحْشَاءِ وَفَارَقَ لِينَهَا وَضَمَّهَا، وَيَنْتَقِلُ إِلَى هَذِهِ الدَّارِ لِيُكَابِدَ هُمُومَهَا وَغُمُومَهَا، وَكَذَلِكَ إِذَا فَارَقَ
পৃষ্ঠা - ৯১৫
ষ্ষ্


পাঠ করার নির্দেশ দেয়৷ হয় ৷ এ সুসংবাদ পাওয়ার পর হযরত যাকারিয়া (আ) কক্ষ হতে বের
হয়ে আপন সম্প্রদায়ের নিকট চলে আসলেন এবং তাদেরকে সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহ্র পবিত্রতা
ও মহিমা ঘোষণা করতে ইঙ্গিত (ওহী) করলেন ৷ এখানে ওহী শব্দটি গোপন নির্দেশ অর্থে
ব্যবহৃত হয়েছে ৷ মুজাহিদ ও সুদ্দীর মতে এখানে ওহী’ অর্থ লিখিত গোপন নির্দেশ ৷ কিন্তু
ওহাব, ক ৷তাদ৷ ও মুজা ৷হিদের ভিন্ন মতে ৎগিরু তর মাধ্যমে নির্দেশ ৷ মুজাহিদ, ইকবিমা, ওহাব
সুদ্দী ও কা৩ ৷দ৷ বলেছেন, কোনরুপ অসুখ ব্যতীতই যাক বিয়া (আ) এর জিহ্বা আড়ষ্ট হয়ে
যায় ৷ ইবন যায়দ বলেছেন, তিনি পড়তে ও তড়াসবীহ পাঠ করতে পড়ার ত;ন কিভু কারও সাথে
কথা বলতে পারতেন না ৷ আল্লাহর বাণী, “হে ইয়াহ্ইয়া, এই কিতাব দৃঢ়তার সাথে গ্রহণ কর
আমি তাকে শৈশবেই৷ দান করেছিলাম জ্ঞ৷ ৷ন ৷ এ আয়াতে র মাধ্যমে পুর্বে যাকারিয়৷ (আ) কে
যে পুত্রের সুসংবাদ দেয়া হয়েছিল,৩ারই অস্তিত্বে আমার কথা বলা হয়েছে ৷ আল্লাহ তাকে
শৈশবকালেই কিতড়াবের জ্ঞান ও প্রজ্ঞ৷ দান করেছিলেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন মুবারক (র) বলেন, মামার বলেছেন ;; একবার কতিপয় বালক ইয়াহ্ইয়া
ইবন যাকারিয়াকে তাদের সাথে খেলতে যেতে বলেছিল, তখন তিনি তাদেরকে বলেছিলেন,
“খেলার জন্যে আমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়নি ৷ “শৈশবে তাকে জ্ঞান দান করেছিলাম এ
আয়াতেরই বহিঃপ্রকাশ্ ৷ঘটেছিল উক্ত ঘটনায় ৷ আল্লাহর বাণীং : “এবং আমার নিকট হতে তাকে
দেয়া ৷হয়েছিল হানানা, অর্থাৎ হৃদয়ের কােমল৩ ৷ ও পবিত্রত৷ এবং সে ছিল মুত্তাকী ৷” ইবন
জারীর ইবন আব্বাস (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,৩ তিনি বলেছেন, হানান৷ কি তা
আমি জানি না ৷ ইবন আব্বাস (রা) থেকে অপর সুত্রে এবং মুজাহিদ, ইকরিম৷ , কাতাদ৷ ও
যাহ্হাক থেকে বর্ণিত, হানানা অর্থ দয়া ৷ আমার নিকট থেকে দয়া এসেছিল অর্থাৎ
যাকারিয়ার প্রতি আমি দয়া করেছিলাম, ফলে তাকে এই পুত্র সন্তান দান করা হয়েছিল ৷
ইকবিম৷ বলেন, হানান৷ অর্থ মহব্বত; অর্থাৎ তাকে আমি মহব্বত করেছিলাম ৷ উপরোক্ত অর্থ
ছাড়া হানান৷ শব্দটি ইয়াহ্ইয়া (আ) এর বিশেষ গুণও হতে ৩পারে ৷ অর্থাৎ মানুষের প্ৰতি
ইয়াহ্ইয়ার ভালবাসা ছিল অধিক; বিশেষ করে তার পিতা মাতার প্রতি মহব্বত ও ভালবাসা
ছিল অতি ৩প্রগাঢ় ৷ ইয়াহ্ইয়াকে পবিত্রত৷ দেয়৷ হয়েছিল অর্থাৎ তার চরিত্র ছিল নিষ্কলুষ এবং
ত্রুটিমুক্ত ৷
মুত্তাকী অর্থ আল্লাহর নির্দেশ পালনকারী ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে দুরে অবস্থানকারী ৷ এরপর
আল্লাহ পিতা-মাতার প্রতি ইয়াহ্ইয়া (আ)-এর উত্তম ব্যবহার , র্তাদের আদেশ-নিষেধের
আনুগত্য এবং কথা ও কাজের দ্বারা পিতা-মাতার অবাধ্যত৷ থেকে বিরত থাকার কথা উল্লেখ
পুর্বক বলেন : “এবং সে ছিল পিতা-মাতার অনুগত এবং সে ছিল না উদ্ধত, অবাধ ৷ ” অত০পর
আল্লাহ বলেন : “তার প্রতি শান্তি যে দিন যে জন্মলাত করে যে দিন তার মৃত্যু হবে এবং যে
,দিন যে জীবিত অবস্থায় পুনৰুথিত হবে ৷ উল্লেখিত সময় তিনটি মানব জীবনে অত্যধিক
গুরুত্বপুর্ণ ও কঠিন অবস্থা হিসাবে বিবেচিত ৷ ক৷ ৷রণ এ তিনটি সময় হল এক জগত থেকে আর
এক জগতে স্থান৷ স্তরের সময় ৷ এক জগতে কিছুকাল অবস্থান করার যে জগতে র সাথে পরিচিতি
লাভ ও ভালবাসা সৃষ্টি হওয়ার পর তা ছিন্ন করে এমন এক জগতে চলে যেতে হয়, যে জগত
সম্পর্কে ত ৷র কিছুই জানা থা ৷কে না ৷ ত ৷ই দেখা যায় নবজা ত শিশু মাতৃগর্ভের কোমল ও সংকীর্ণ
স্থান ত্যাগ করে যখন এ সমস্যাপুর্ণ পৃথিবীতে আসে তখন সে চিৎকার করে কাদতে থাকে ৷


هَذِهِ الدَّارَ، وَانْتَقَلَ إِلَى عَالَمِ الْبَرْزَخِ بَيْنَهَا وَبَيْنَ دَارِ الْقَرَارِ، وَصَارَ بَعْدَ الدُّورِ وَالْقُصُورِ، إِلَى عَرْصَةِ الْأَمْوَاتِ سُكَّانِ الْقُبُورِ، وَانْتَظَرَ هُنَاكَ النَّفْخَةَ فِي الصُّوَرِ لِيَوْمِ الْبَعْثِ وَالنُّشُورِ، فَمِنْ مَسْرُورٍ وَمَحْبُورٍ، وَمِنْ مَحْزُونٍ وَمَثْبُورٍ، وَمَا بَيْنَ جَبِيرٍ وَمَكْسُورٍ، وَفَرِيقٍ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٍ فِي السَّعِيرِ. وَلَقَدْ أَحْسَنَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ حَيْثُ قَالَ: وَلَدَتْكَ أُمُّكَ بَاكِيًا مُسْتَصْرِخًا ... وَالنَّاسُ حَوْلَكَ يَضْحَكُونَ سُرَورًا فَاحْرِصْ لِنَفْسِكَ أَنْ تَكُونَ إِذَا بَكَوْا ... فِي يَومِ مَوْتِكَ ضَاحِكًا مَسْرُورًا وَلَمَّا كَانَتْ هَذِهِ الْمَوَاطِنُ الثَّلَاثَةُ أَشَقَّ مَا تَكُونُ عَلَى ابْنِ آدَمَ سَلَّمَ اللَّهُ عَلَى يَحْيَى فِي كُلِّ مَوْطِنٍ مِنْهَا، فَقَالَ: {وَسَلَامٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَمُوتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا} [مريم: 15] وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ الْحَسَنَ قَالَ: إِنْ يَحْيَى وَعِيسَى الْتَقَيَا فَقَالَ لَهُ عِيسَى: اسْتَغْفِرْ لِي، أَنْتَ خَيْرٌ مِنِّي. فَقَالَ لَهُ الْآخَرُ: اسْتَغْفِرْ لِي، أَنْتَ خَيْرٌ مِنِّي. فَقَالَ لَهُ عِيسَى: أَنْتَ خَيْرٌ مِنِّي ; سَلَّمْتُ عَلَى نَفْسِي، وَسَلَّمَ اللَّهُ عَلَيْكَ. فَعَرَفَ وَاللَّهِ فَضْلَهَا. وَأَمَّا قَوْلُهُ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {وَسَيِّدًا وَحَصُورًا وَنَبِيًّا مِنَ الصَّالِحِينَ} [آل عمران: 39] فَقِيلَ: الْمُرَادُ بِالْحَصُورِ، الَّذِي لَا يَأْتِي النِّسَاءَ. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ. وَهُوَ أَشْبَهُ ; لِقَوْلِهِ: {هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً} [آل عمران: 38] .
পৃষ্ঠা - ৯১৬
ষ্ষ্


অনুরুপভারে এ পৃথিবী ছেড়ে যখন সে বরয়খ জগতে যায়, তখনও একই অবস্থা দেখা দেয় ৷
এসব জগত ত্যাগ করে মৃত্যুর আং পিনায় পৌছে সে কবরের বাসিন্দা হয়ে ইস্রাফীলের সিংপায়
কুক দেওয়ার অপেক্ষায় থাকে ৷ এর পরেই তার স্থায়ী ব সস্থান ৷ কবর থেকে পুনরুথিত হবার
পর হয় স্থায়ী শান্তি ও সুখ, না হয় চিরস্থায়ী শান্তি ও দুঃখ ৷ ;কউ হবে জান্নাতের অধিবাসী, আর
কেউ হবে জাহান্নামের বাসিন্দা ৷ জনৈক করি অতি সুন্দরভাবে কথাটি বলেছেন :

এএেএ্যা এট্টএএএ
অর্থ৪ যে দিন তোমার মা তোমাকে ভুমিষ্ট করেছিল, যে দিন তুমি চিৎকার দিয়ে র্কাদছিলে,

আর লোকজন পাশে থেকে খুশিতে হাসছিল ৷ এখন তুমি এমনভা রে জীবন গড়ে (তাল, যেন
মৃতুকোলে তুমি আনন্দচিত্তে হাসতে হাসতে মরতে প্ব আর লোকজন তোমার পাশে বসে
র্কাদতে বাধ্য হয়

উপরোক্ত স্থান তিনটি যখন মানুষের উপর অত্যধিক কঠিন, তখন আল্লাহ হযরত
ইয়াহ্ইয়াকে প্রতিটি স্থানেই শান্তি ও নিরাপত্তার ঘোষণা দান করে বলেছেন৪ “তার প্রতি শান্তি
যে দিন যে জন্ম লাভ করে, যে দিন তার মৃত্যু হবে এবং যে দিন যে জীবিত অবস্থায় পুনরুথিত
হবে ৷” সাঈদ ইবন আবী আরুবা কাতাদার সুত্রে হাসান থেকে বর্ণনা করেন, এক দিন ইয়াহ্ইয়া
ও ঈসা (আ) পরস্পর সাক্ষাতে মিলিত হন ৷ ঈসা (আ) ইয়াহ্ইয়া (আ)-কে বললেন, আমার
জন্যে ইস্তিগফ৷ ৷র কর, কেননা তুমি আমার চাইতেউ ওত্তম ৷ ইয়াহ্ইয়া বললেন, বরং আপনি
আমার জন্যে ইসৃতিগফ৷ ৷র করুন, যেহেতু আমার তুলনায় আপনি শ্রেষ্ঠ ৷ ঈসা বললেন, তুমি
আমার চাইতে শ্রেষ্ঠ ৷ কেননা, আমি নিজেই আমার উপর শান্তি ঘোষণা করেছি, আর তোমার
উপর শান্তি ঘোষণা করেছেন স্বয়ং আল্লাহ ৷ এর দ্বারা উভয়ের উচ্চ মর্যাদার কথা জানা গেল ৷
সুরা ৷আলে-ইমরানের ৩৯নৎ আয়াতে উল্লেখিত “সে হবে নেতা, শ্রী বিরাগী এবং পুণ্যবানদের
মধ্যে একজন নবী” এখানে হাসুর দ্রী
বিরাগী প্রসংগে কেউ কেউ বলেছেন হাসুব বর্লা হয় ঐ ব্যক্তিকে, যে কখনও কোন নারীর সঙ্গ
ভোগ করে না, কেউ কেউ ভিন্ন অর্থও করেছেন ৷ এটিই অধিকতর ষুক্তিসঙ্গত ৷ কেননা
যাক বিযা (আ) দােয়ায় বলেছিলেন, “আমাকে তুমি তোমার নিকট থেকে পবিত্র বংশধর দান
কর ৷” এ দো যার সাথে উপরোক্ত অহুইি বেশী মিলে ৷ ইমাম আহমদ ইবন আব্বাস থেকে
বর্ণনা করেন, বাসৃল্লুল্পাহ (সা) বলেছেন, আদম সন্তানের মধ্যে এমন কেউ নেই, যে কোন গুনড়াহ
করেনি; কিৎবা অন্ততঃ গুনাহ্ব ইচ্ছা পোষণ করেনি, একমাত্র ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকারিয়া ব্যতীত
আর কারও পক্ষেই এরুপ কথা বলা বাঞ্চুনীয় নয় যে, “আমি ইউনুস ইবন মাত্তার চেয়ে ভাল ৷
এ হাদীছের সনদে আলী ইবন যায়দ ইবন জড়াদআন নামক বর্ণনাকারী সম্পর্কে একাধিক ইমাম
বিরুপ মন্তব্য করেছেন ৷ তার বর্ণিত হাদীছ গ্রহণযোগ্য নয় ৷ ইবন খুযায়মা ও দারাকুতনীও
হাদীছটিকে আবু আ ৷সিম আবাদানীর সুত্রে উক্ত আলী ইবন যড়ায়দ ইবন জাদ আন থেকে আরও
বিশদভাবে বর্ণনা করার পর ইবন খুযায়মা (ব) বলেছেন৪ এই হাদীছের সনদ আমাদের শত
অনুযায়ী নয় ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ১৪-


وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا مِنْ أَحَدٍ مِنْ وَلَدِ آدَمَ إِلَّا وَقَدْ أَخْطَأَ أَوْ هَمَّ بِخَطِيئَةٍ لَيْسَ يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، وَمَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى» عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ تَكَلَّمَ فِيهِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَهُوَ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ، وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ، وَالدَّارَقُطْنِيُّ، مِنْ طَرِيقِ أَبِي عَاصِمٍ الْعَبَّادَانِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ بِهِ مُطَوَّلًا ثُمَّ قَالَ ابْنُ خُزَيْمَةَ: وَلَيْسَ عَلَى شَرْطِنَا. وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَصْحَابِهِ يَوْمًا وَهُمْ يَتَذَاكَرُونَ فَضْلَ الْأَنْبِيَاءِ، فَقَالَ قَائِلٌ: مُوسَى كَلِيمُ اللَّهِ. وَقَالَ قَائِلٌ: عِيسَى رُوحُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ. وَقَائِلٌ يَقُولُ: إِبْرَاهِيمُ خَلِيلُ اللَّهِ. فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُمْ يَذْكُرُونَ ذَلِكَ، فَقَالَ: أَيْنَ الشَّهِيدُ، أَيْنَ الشَّهِيدُ يَلْبَسُ الْوَبَرَ، وَيَأْكُلُ الشَّجَرَ، مَخَافَةَ
পৃষ্ঠা - ৯১৭
الذَّنْبِ» قَالَ ابْنُ وَهْبٍ: يُرِيدُ يَحْيَى بْنَ زَكَرِيَّا. وَقَدْ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَهُوَ مُدَلِّسٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْعَاصِ: أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «كُلُّ ابْنِ آدَمَ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَهُ ذَنْبٌ، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا» فَهَذَا مِنْ رِوَايَةِ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَهُوَ مِنَ الْمُدَلِّسِينَ، وَقَدْ عَنْعَنَ هَاهُنَا. ثُمَّ قَدْ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، مُرْسَلًا. ثُمَّ رَأَيْتُ ابْنَ عَسَاكِرَ سَاقَهُ مِنْ طَرِيقِ أَبِي أُسَامَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ بِهِ. ثُمَّ قَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَعْقُوبَ الْجُوزْجَانِيِّ خَطِيبِ دِمَشْقَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْأَصْبَهَانِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: مَا أَحَدٌ إِلَّا يَلْقَى اللَّهَ بِذَنْبٍ، إِلَّا يَحْيَى بْنَ زَكَرِيَّا. ثُمَّ تَلَا: {وَسَيِّدًا وَحَصُورًا} [آل عمران: 39] ثُمَّ رَفَعَ شَيْئًا مِنَ الْأَرْضِ فَقَالَ: مَا كَانَ مَعَهُ إِلَّا مِثْلُ هَذَا، ثُمَّ ذُبِحَ ذَبْحًا. وَهَذَا مَوْقُوفٌ مِنْ هَذِهِ الطَّرِيقِ، وَكَوْنُهُ مَوْقُوفًا أَصَحُّ مِنْ رَفْعِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَوْرَدَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، مِنْ ذَلِكَ مَا أَوْرَدَهُ مِنْ حَدِيثِ إِسْحَاقَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৯১৮
ষ্ষ্


ইবন ওহাব ইবন শিহড়াব থেকে বর্ণনা করেছেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা ) সাহাবাদের
মাঝে আসেন ৷ তারা তখন বিভিন্ন নবীদের শ্রেষ্ঠতু নিয়ে আলোচনা করছিল ৷

একজন বলছিল, মুসা (আ) আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন, তিনি কালীমুল্লাহ্ ৷ আর একজন
বলছিল, ঈসা আল্লাহর রুহ্ ও তার কালেমা-ঈসা রুহুল্লাহ্ ৷ আর একজন বলছিল, ইবরাহীম
আল্লাহর বন্ধু খলীলুল্লাহ ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বলছেন: শহীদের পুত্র শহীদের উল্লেখ করছ না
কেন? তিনি তো পাপের ভয়ে উটের লোমের তৈরী বস্ত্র পরতেন এবং গাছের পাতা থেতেন ৷
ইবন ওহাব বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এ কথার দ্বারা ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকারিয়াকে বুঝিয়েছিলেন ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসৃলুল্লাহ (যা) বলেছেন,
প্রত্যেক আদম-সন্তান কিয়ামতের দিন কোন না কোন ত্রুটিসহ আল্লাহর সম্মুখে হাজির হবে;
কেবল ইয়াহ্য়া ইবন যাকারিয়ইি হবেন তার ব্যতিক্রম ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহড়াক হাদীস বংনািয়
তাদলীস১ করেন ৷

আবদুর রাঘৃযাক সাঈদ ইবনুল মুসায়িক্লব (রা) থেকে এ হাদীস মুরসালভাবে বর্ণনা
করেছেন ৷ ইবন আ সাকিরও এ হাদীসখানা বিভিন্ন সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ এ কথা বলে রাবী
তিলাওয়াত করতেন : ৷ওপ্রুপ্গ্রা ৷া এ ৷ এরপর তিনি মাটি থেকে কিছু একটা তুলে ধরে
বললেন, এ জাতীয় কিছু ব্যতীত তার নিকট আর কিছুই ছিল না; তারপর তিনি একটা পশু
কুরবানী করেন ৷ এ বনািটি মাওকুফ পর্যায়ের, তবে এর মারকু হওয়ার চাইতে মাওকুফ
হওয়াটি বিশুদ্ধতর ৷ ইবন আসাকির মামার থেকে বিভিন্ন সুত্রে উক্ত হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷
অনুরুপ তিনি আবু দাউদ আত্-তায়ালিসী প্রমুখ আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন , রাসুলুল্লাহ
(যা) বলেছেন ও হাসান ও হুসায়ন জান্নাতবাসী যুবকদের নেতা; তবে দুই খালাত ভাই ইয়াহ্য়া
ও ঈসা (আ) তার ব্যতিক্রম ৷ আবু ৰুআয়ম ইসফাহানী আবু সুলায়মান থেকে বর্ণনা করেন,
একদা ঈসা ইবন মারয়াম ও ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকারিয়া (আ) একত্রে হেটে হ্াড়াচ্ছিলেন ৷ পথে এক
মহিলার সাথে ইয়াহ্ইয়ায় ধাক্কা লাগে ৷ ঈসা (আ) বললেন, ওহে খালাত ভাই ৷ আজ তুমি এমন
একটি গুনাহ করে ফেল্যেছ যা কখনও মাফ হবে বলে মনে হয় না ৷ ইয়াহ্ইয়া (আ) জিজ্ঞেস
করলেন, খালাত ভাই ! সেটা কী? ঈসা (আ) বললেন, এক মহিলাকে যে ধাক্কা দিলে ! ইয়াহ্ইয়া
বললেন, আল্লাহ্র কসম, আমি তো টেরই পাইনি ৷ ঈসা বললেন, সুবহানাল্লাহ্৷ কী আশ্চর্য!
তোমার দেহ তো আমার সাথেই ছিল, তা হলে তোমার রুহ্ কোথায় ছিল? ইয়াহ্ইয়া (আ)
বললেন, আমার রুহ্ আরশের সাথে সম্পৃক্ত ছিল ৷ আমার রুহ যদি জিরবাঈল (আ) পর্যন্ত যেয়ে
প্রশাস্তি পড়ায় , তাহলে আমি মনে করি, আল্লাহ্কে আমি কিছু মাত্রই বুঝতে পারিনি ৷ এ বর্ণনাটি
গরীব পর্যায়ের এটা ইস্রাঈলী উপাখ্যান থেকে নেয়া হয়েছে ৷ রাবী ইসরাঈল খড়ায়ছামা
থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা ইবন মারয়াম ও ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকারিয়া ছিলেন পরস্পর খালাত
ভাই ৷ ঈসা ভেড়ার পশমজাত বস্ত্র পরতেন, আর ইয়াহ্য়া পরতেন উটের লোমের তৈরী বস্ত্র ৷
উভয়ের মধ্যে কারোরই কোন দীনার-দিরহাম দাস-দাসী ছিল না ৷ ছিল না আশ্রয় গ্রহণের মত
কোন ঠিকানা ৷ যেথানেই রাত হত সেখানেই শুয়ে পড়তেন ৷ তারপর যখন একে অপর থেকে
বিদায় নেয় তখন ইয়াহ্ইয়া (আ) ঈসা (আ)-কে বললেন, আমাকে কিছু উপদেশ দিন ৷ ঈসা



১ যার নিকট থেকে হাদীস শুনেছেন, তার নাম উহ্য রেখে পরবর্তী বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ করাকে তন্দেলীস বলে ৷


بِشْرٍ، وَهُوَ ضَعِيفٌ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ سَاجٍ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ مُعَاذٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَرُوِيَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، وَغَيْرِهِ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ إِلَّا ابْنَيِ الْخَالَةِ يَحْيَى، وَعِيسَى عَلَيْهَا السَّلَامُ» . وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ الْحَافِظُ الْأَصْبَهَانِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ، سَمِعْتُ أَبَا سُلَيْمَانَ يَقُولُ: خَرَجَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ وَيَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا يَتَمَاشَيَانِ، فَصَدَمَ يَحْيَى امْرَأَةً، فَقَالَ لَهُ عِيسَى: يَابْنَ خَالَةِ، لَقَدْ أَصَبْتَ الْيَوْمَ خَطِيئَةً، مَا أَظُنُّ أَنْ يُغْفَرَ لَكَ أَبَدًا. قَالَ: وَمَا هِيَ يَابْنَ خَالَةِ؟ قَالَ: امْرَأَةٌ صَدَمْتَهَا. قَالَ: وَاللَّهِ مَا شَعَرْتُ بِهَا. قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! بَدَنُكَ مَعِي، فَأَيْنَ رُوحُكَ؟ قَالَ: مُعَلَّقٌ بِالْعَرْشِ، وَلَوْ أَنَّ قَلْبِي اطْمَئَنَّ إِلَى جِبْرِيلَ، لَظَنَنْتُ أَنِّي مَا عَرَفْتُ اللَّهَ طَرْفَةَ عَيْنٍ. فِيهِ غَرَابَةٌ، وَهُوَ مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ. وَقَالَ إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ خَيْثَمَةَ قَالَ: كَانَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، وَيَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا ابْنَيْ خَالَةٍ، وَكَانَ عِيسَى يَلْبَسُ الصُّوفَ،
পৃষ্ঠা - ৯১৯
ষ্ষ্


বললেন, ৫ক্রাধ সংবরণ কর ৷ ইয়াহ্ইয়া বললেন, ৫ক্রাধ সংবরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় ৷
ঈসা (আ) বললেন, সম্পদের মােহে পড়াে না ৷ ইয়াহ্য়া (আ) বললেন, এটা সম্ভব ৷

হযরত যাকারিয়া (আ) স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, না নিহত হয়েছিলেন এ
সম্পর্কে ওহাব ইবন মুনাব্বিহ থেকে একটি বর্ণনায় রয়েছেশ্ যাকারিয়া (আ) তার সম্প্রদায়
থেকে পালিয়ে একটি গাছের মধ্যে ঢুকে পড়েন ৷ সম্প্রদায়ের লোকজন ঐ পাছটি করতে দ্বারা
দ্বিখণ্ডিত করে ফেলে ৷ করাত যখন তার দেহ স্পর্শ করে, তখন তিনি চিৎকার করেন ৷ আল্লাহ
তখন ওহী প্রেরণ করে তাকে জানান, তোমার চিৎকার বন্ধ না হলে মমীন উল্টিয়ে দেয়া হবে ৷
অতঃপর তিনি চিৎকার বন্ধ করে দেন এবং তীর দেহ দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় ৷ এ ঘটনা
মারকু’ভাবেও বর্ণিত হয়েছে যা আমরা পরে উল্লেখ করব ৷ অপর বর্ণনায় বলা হয় যে , যিনি
গাছের মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন, তার নাম যীশাইর ৷ আর হযরত যাকারিয়া স্বাভাবিকভাবেই
ইনতিকাল করেছিলেন ৷

ইমাম আহমদ হারিছ আনসারী থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম (সা) বলেছেন,
আল্লাহ তাআলা ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকারিয়াকে পাচটি বিষয়ে আমল করতে এবং বনী
ইসরাঈলকেও আমল করার নির্দেশ দিতে প্ৰত্যাদেশ পাঠান ৷ তিনি একটু বিলম্ব করেছিলেন ৷
তখন ঈসা (আ) র্তাকে বলেছিলেন, আল্লাহ তোমাকে পাচটি বিষয়ে আমল করতে ও বনী
ইসরাঈলকে আমল করার হুকুম করতে আদেশ পাঠিয়েছেন ৷ এখন বল, বনী ইসরাঈলের নিকট
এ সংবাদ তুমি পৌছিয়ে দিবে, না আমি যেয়ে পৌছিয়ে দিব? ইয়াহ্ইয়া (আ) বললেন, ভাই!
তুমি যদি পৌছিয়ে দাও, তাহলে আমার আশংকা হয়, আমাকে হয় শাস্তি দেয়া হবে, না হয়
মাটির মধ্যে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে ৷ অতঃপর ইয়াহ্ইয়া (আ) ইসরাঈলীদেরকে বায়তুল মুকাদ্দাসে
সমবেত করলেন ৷ মসজিদ লোকে পরিপুর্ণ হয়ে গেল ৷ ইয়াহ্ইয়া সম্মুখ দিকের উচু স্থানে
বললেন ৷ প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও ন্তুতি জানালেন ৷ অতঃপর বললেন, আল্লাহ পাচটি বিষয়ের
হুকুম করেছেন ৷ আমাকে ঐগুলাে আমল করতে বলেছেন এবং তোমাদেরকেও আমল করার
আদেশ দিতে বলেছেন ৷

এক : তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত করবে, র্তার সাথে অন্য কাউকে শরীক করবে না ৷
কেননা তীর সাথে শরীক করার উদাহরণ হল যেমন, এক ব্যক্তি তার উপার্জিত র্খাটি স্বর্ণ বা
রৌপ্য দ্বারা একটা গোলাম ক্রয় করল ৷ ঐ গোলাম সারা দিন কাজ করে উপার্জিত ফসল নিজের
মনিবকে বাদ দিয়ে অন্যের বাড়িতে উঠায় ৷ তবে এরুপ গোলামের উপর তোমরা কেউ কি সন্তুষ্ট
থাকবেঃ জেনে রেখো, আল্লাহই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই তোমাদের রিযিকের ব্যবস্থা
করেছেন; সুতরাং একমাত্র র্তারই ইবাদত করবে, অন্য কাউকে তীর সাথে শরীক করবে না ৷
দুই ; আমি তোমাদেরকে সালাতের আদেশ দিচ্ছি ৷ কেননা আল্লাহ তার বান্দার প্রতি তীর
অনুগ্রহ অব্যাহত রাখেন, যতক্ষণ না বান্দা অন্য দিকে ফিরে তাকায় ৷ অতএব, যখন তোমরা
সালাত আদায় করবে, তখন অন্য দিকে তাকাবে না ৷
তিন : সিয়াম পালন করার জন্যে আমি তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছি ৷ কেননা, যে ব্যক্তি
সিয়াম পালন করে, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমন ব্যক্তি, যে একটি দলের মধ্যে অবস্থান করছে ৷ তার


وَكَانَ يَحْيَى يَلْبَسُ الْوَبَرَ، وَلَمْ يَكُنْ لِوَاحِدٍ مِنْهُمَا دِينَارٌ وَلَا دِرْهَمٌ، وَلَا عَبْدٌ وَلَا أَمَةٌ، وَلَا مَا يَأْوِيَانِ إِلَيْهِ، أَيْنَمَا جَنَّهُمَا اللَّيْلُ أَوَيَا، فَلَمَّا أَرَادَا أَنْ يَتَفَرَّقَا قَالَ لَهُ يَحْيَى: أَوْصِنِي. قَالَ: لَا تَغْضَبْ. قَالَ: لَا أَسْتَطِيعُ إِلَّا أَنْ أَغْضَبَ. قَالَ: فَلَا تَقْتَنِ مَالًا. قَالَ: أَمَّا هَذِهِ فَعَسَى. وَقَدِ اخْتَلَفَتِ الرِّوَايَةُ عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، هَلْ مَاتَ زَكَرِيَّا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مَوْتًا، أَوْ قُتِلَ قَتْلًا؟ عَلَى رِوَايَتَيْنِ ; فَرَوَى عَبْدُ الْمُنْعِمِ بْنُ إِدْرِيسَ بْنِ سِنَانٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، أَنَّهُ قَالَ: هَرَبَ مِنْ قَوْمِهِ، فَدَخَلَ شَجَرَةً فَجَاءُوا فَوَضَعُوا الْمِنْشَارَ عَلَيْهَا، فَلَمَّا وَصَلَ الْمِنْشَارُ إِلَى أَضْلَاعِهِ أَنَّ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ: لَئِنْ لَمْ يَسْكُنْ أَنِينُكَ لَأَقْلِبَنَّ الْأَرْضَ وَمَنْ عَلَيْهَا. فَسَكَنَ أَنِينُهُ حَتَّى قُطِعَ بِاثْنَتَيْنِ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا فِي حَدِيثٍ مَرْفُوعٍ، سَنُورِدُهُ بَعْدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَرَوَى إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ إِدْرِيسَ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ وَهْبٍ، أَنَّهُ قَالَ: الَّذِي انْصَدَعَتْ لَهُ الشَّجَرَةُ هُوَ أَشْعِيَا، فَأَمَّا زَكَرِيَّا فَمَاتَ مَوْتًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا أَبُو خَلَفٍ مُوسَى بْنُ خَلَفٍ، وَكَانَ يُعَدُّ مِنَ الْبُدَلَاءِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ سَلَامٍ، عَنْ جَدِّهِ مَمْطُورٍ، عَنِ الْحَارِثِ الْأَشْعَرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ أَمَرَ يَحْيَى بْنَ زَكَرِيَّا بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ، أَنْ يَعْمَلَ بِهِنَّ، وَأَنْ يَأْمُرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنْ يَعْمَلُوا بِهِنَّ،
পৃষ্ঠা - ৯২০
وَكَادَ أَنْ يُبْطِئَ، فَقَالَ لَهُ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: إِنَّكَ قَدْ أُمِرْتَ بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ، أَنْ تَعْمَلَ بِهِنَّ وَتَأْمُرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنْ يَعْمَلُوا بِهِنَّ ; فَإِمَّا أَنْ تُبْلِّغَهُنَّ، وَإِمَّا أَنَّ أُبَلِّغَهُنَّ. فَقَالَ: يَا أَخِي إِنِّي أَخْشَى إِنْ سَبَقْتَنِي أَنْ أُعَذَّبَ أَوْ يُخْسَفَ بِي. قَالَ: فَجَمَعَ يَحْيَى بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ حَتَّى امْتَلَأَ الْمَسْجِدُ، فَقَعَدَ عَلَى الشَّرَفِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، أَمَرَنِي بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ، أَنْ أَعْمَلَ بِهِنَّ، وَآمُرَكُمْ أَنْ تَعْمَلُوا بِهِنَّ ; أَوَّلُهُنَّ أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ لَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا، فَإِنَّ مَثَلَ ذَلِكَ مَثَلُ مَنِ اشْتَرَى عَبْدًا مِنْ خَالِصِ مَالِهِ بِوَرِقٍ أَوْ ذَهَبٍ، فَجَعَلَ يَعْمَلُ وَيُؤَدِّي غَلَّتَهُ إِلَى غَيْرِ سَيِّدِهِ، فَأَيُّكُمْ يَسُرُّهُ أَنْ يَكُونَ عَبْدُهُ كَذَلِكَ؟ وَإِنَّ اللَّهَ خَلَقَكُمْ وَرَزَقَكُمْ فَاعْبُدُوهُ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا. وَآمُرُكُمْ بِالصَّلَاةِ، فَإِنَّ اللَّهَ يَنْصِبُ وَجْهَهُ قِبَلَ عَبْدِهِ مَا لَمْ يَلْتَفِتْ، فَإِذَا صَلَّيْتُمْ فَلَا تَلْتَفِتُوا. وَآمُرُكُمْ بِالصِّيَامِ، فَإِنَّ مَثَلَ ذَلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ مَعَهُ صُرَّةٌ مِنْ مِسْكٍ فِي عِصَابَةٍ، كُلُّهُمْ يَجِدُ رِيحَ الْمِسْكِ، وَإِنَّ خُلُوفَ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ. وَآمُرُكُمْ بِالصَّدَقَةِ، فَإِنَّ مَثَلَ ذَلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ أَسَرَهُ الْعَدُوُّ فَشَدُّوا يَدَهُ إِلَى عُنُقِهِ وَقَدَّمُوهُ لِيَضْرِبُوا عُنُقَهُ، فَقَالَ: هَلْ لَكَمَ أَنْ أَفْتَدِيَ نَفْسِي مِنْكُمْ؟ فَجَعَلَ يَفْتَدِي نَفْسَهُ مِنْهُمْ بِالْقَلِيلِ وَالْكَثِيرِ حَتَّى فَكَّ نَفْسَهُ. وَآمُرُكُمْ بِذِكْرِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، كَثِيرًا، فَإِنَّ مَثَلَ ذَلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ طَلَبَهُ الْعَدُوُّ سِرَاعًا فِي إِثْرِهِ فَأَتَى حِصْنًا حَصِينًا، فَتَحَصَّنَ فِيهِ، وَإِنَّ الْعَبْدَ أَحْصَنُ مَا يَكُونُ مِنَ الشَّيْطَانِ، إِذَا كَانَ فِي ذِكْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ: وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَأَنَا آمُرُكُمْ بِخَمْسٍ، اللَّهُ أَمَرَنِي بِهِنَّ: بِالْجَمَاعَةِ، وَالسَّمْعِ، وَالطَّاعَةِ،
পৃষ্ঠা - ৯২১
ষ্ষ্


নিকট মিশৃকের একটা কৌট৷ আছে ৷ আর ঐ মিশৃকের সুঘ্রাণ দলের প্রতিটি লোক পাচ্ছে ৷ আর
গুন, সত্তম পালনকারীর মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশৃকের চাইতে অধিকতর সুঘ্রাণ
হিসেবে বিবেচিত ৷

চার৪ দান সাদৃক৷ করার জন্যে আমি ৫৩ তামাদেরকে আদেশ দিচ্ছি ৷ কেননা যে ব্যক্তি দান
সাদ্ক৷ করে, তার উদাহরণ ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে শত্রুর হাতে ধরা পড়ে বন্দী হয়েছে ৷ তারা
তার হাত পা বেধে হত্যা করার জন্যে উদ্যোগ নিয়েছে ৷ ঠিক সেই মুহুর্তে সে প্রস্তাব দিল,
আমি অর্থের বিনিময়ে মুক্তি চাই ৷ তারা রাজী হল এবং সে ব্যক্তি কম-বেশী অর্থ দান করে
জীবন রক্ষা করল ৷

পাচ : আল্লাহর যিক্র (স্মরণ) অধিক পরিমাণ করার জন্যে আমি তােমাদেরকে আদেশ
দিচ্ছি ৷ কেননা, যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিক্ব করে তার দৃষ্টান্ত এমন এক ব্যক্তিশু
যাকে ধরার জন্যে শত্রুর৷ দ্রুত ধাওয়৷ করছে ৷ অতঃপর সে একটি সুরক্ষিত দুর্গে প্রবেশ করে
আত্মরক্ষা করল ৷ অনুরুপ বান্দা যতক্ষণ আল্লাহর যিকিরে নিমগ্ন থাকে ততক্ষণ সে শয়তানের
পাকড়াও থেকে নিরাপদে অবস্থান করে ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : আমি নিজে তােমাদেরকে পাচটি বিষয়ের আমল করার জন্যে
নির্দেশ দিচ্ছি ৷ এগুলো সম্পর্কে আল্লাহ আমাকে হুকুম করেছেন; (১) জামায়াত বদ্ধভাবে থাকা
(২) নেতার কথা গোন৷ (৩) নেতার আনুগত্য করা (৪) প্রয়োজনে হিজরত করা এবং (৫)
আল্লাহর পথে জিহাদ করা ৷ কেননা যে ব্যক্তি জামায়াত থেকে এক বিঘত পরিমাণও বের হয়ে
যায়, সে প্রকৃত পক্ষে ইসলামের বজ্জ্বকে নিংজব খাত থেকে খুলে ফেলে ৷ তবে যদি পুনরায়
জামায়াতে ফিরে আসে তা হলে ভিন্ন কথা ৷ আর যে ব্যক্তি জাহিলী যুগের রীতি নীতি
প্রতিষ্ঠার জন্যে আহ্বান করবে, সে জাহান্নামের ধুলিকণায় পরিণত হয়ে ৷ এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস
করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! সে ব্যক্তি যদি সালাত-সাওমে অভ্যস্ত হয়? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
যদি সে সালাত সাওম আদায় করে এবং নিজেকে মুসলমান বলে মনে করে তবুও ৷
মুসলমানদেরকে সেই নামে ডাকবে, যে নাম তাদেরকে আল্লাহ দিয়েছেন ৷ অর্থাৎ মুমিন,
মুসলমান আল্লাহর বান্দা ৷ আবু ইয়া’,ল৷ তিবমিযী, ইবন মাজ হ হাকিম তাবারানী বিভিন্ন
সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন আসাকির রাবী’ ইবন আনাস থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সাহাবীগণের উদ্ধৃতি দিয়ে আমাদেরকে জানান হয়েছে; তারা বনী ইসরাঈলের আলিমদের থেকে
শুনেছেন যে, ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকারিয়া পাচটি বিধানসহ প্রেরিত হয়েছিলেন ৷ অতঃপর
পুর্বোল্লেখিত পাচটি বিষয়ের উল্লেখ করেন ৷৩ তারা আরো বলেছেন ইয়াহ্ইয়৷ (আ) অধিকাৎশ
সময় মানুষের সং স্পর্শ থেকে দুরেগ্ গিয়ে নির্জ্যন অবস্থান করতে ন ৷ তিনি বলে জং গলে থাকতে
বেশী পছন্দ করতেন, গাছের পাতা খেয়ে নদীর পানি পান করে, কখনও কখনও টিডিদ্র খেয়ে
জীবন ধারণ করতেন এবং নিজেকে সম্বোধন করে বলতে তন, হে ইয়াহ্ইয়া ওে তামার চেয়ে অধিক
নিয়ামত আর করি ভাগ্যে জুটেছে? ইবন আসাকির বর্ণনা করেন, একবার ইয়াহ্ইয়ার
পিতা-মাতা ছেলের সন্ধানে বের হন ৷ বহু অনুসন্ধানের পর তাকে জদান নদীর তীরে দেখতে


وَالْهِجْرَةِ، وَالْجِهَادِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَإِنَّ مَنْ خَرَجَ عَنِ الْجَمَاعَةِ قِيدَ شِبْرٍ، فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ مِنْ عُنُقِهِ، إِلَّا أَنْ يَرْجِعَ، وَمَنْ دَعَا بِدَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ، فَهُوَ مِنْ جُثَاءِ جَهَنَّمَ. قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى؟ قَالَ: وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أَنَّهُ مُسْلِمٌ، ادْعُوَا الْمُسْلِمِينَ بِأَسْمَائِهِمْ، بِمَا سَمَّاهُمُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، الْمُسْلِمِينَ الْمُؤْمِنِينَ عِبَادَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى عَنْ هُدْبَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ أَبَانِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ بِهِ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، وَمُوسَى بْنِ إِسْمَاعِيلَ، كِلَاهُمَا عَنْ أَبَانِ بْنِ يَزِيدَ الْعَطَّارِ بِهِ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ عَنْ هِشَامِ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ شُعَيْبِ بْنِ سَابُورَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ سَلَامٍ، عَنْ أَخِيهِ زَيْدِ بْنِ سَلَامٍ، عَنْ أَبِي سَلَامٍ، عَنِ الْحَارِثِ الْأَشْعَرِيِّ بِهِ. وَرَوَاهُ الْحَاكِمُ مِنْ طَرِيقِ مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ الطَّاطَرِيِّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ سَلَامٍ عَنْ أَخِيهِ بِهِ. ثُمَّ قَالَ: تَفَرَّدَ بِهِ مَرْوَانُ الطَّاطَرِيِّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ سَلَامٍ. قُلْتُ: وَلَيْسَ كَمَا
পৃষ্ঠা - ৯২২
ষ্ষ্


পান ৷ পুত্রকে সেখানে আল্লাহ্র ইবাদত ও তার তার ভীতকম্পিত দেখে তারা উতয়ে অঝোরে
কাদতে থাকেন ৷ ইবন ওহাব মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন, ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকাবিয়ার
খাদ্য ছিল সবুজ ঘাস ৷ আল্লাহর ভয়ে তিনি অঝোরে কাদতেন ৷ তার এ কান্ন৷ এত বেশী হতো
যে, যদি চোখে আল-ক্যতরার আস্তরও থাকতো, তবে নিশ্চয়ই তাও ভেদ করে অশ্রু পড়তাে ৷

মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার আমি ইদবীস
আল-খাওলানীর মজলিসে বসা ছিলাম ৷ তিনি বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করছিলেন ৷ এক পর্যায়ে এসে
বললেন তোমরা কি জান, সবচেয়ে উত্তম খাদ্য কে থােতনা সকলেই তখন তার দিকে দৃষ্টি
ফিরালো ৷ তিনি বললেন, সবচেয়ে উত্তম খাদ্য থেরু তন হযরত ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকাবিয়া (আ) ৷
তিনি বনের পশুদের সাথে আহার করতেন ৷ কেননা মানুষের সাথে জীবিকা নির্বাহ তার নিকট
খুবই অপছন্দনীয় ছিল ৷ ইবনুল মুবারক বর্ণনা করেন, হযরত তযাকাবিয়া (আ) একবার তার পুত্র
ইয়াহ্ইয়াকে তিন দিন যাবত পাচ্ছিলেন না ৷ অতঃপর জিনি তাকে সন্ধান করার জন্যে জংগলে
গমন করেন ৷ সেখানে তিনি দেখতে পান যে ইয়াহ্ইয়া কঢিকবর খনন করে তার মধ্যে
দাড়িয়ে অঝোরে কাদছেন ৷ তিনি বললেন, প্রিয় বৎস! তোমাকে আমি তিন দিন যাবত খুজে
ফিরছি, আর তুমি কিনা ৷কবর খুড়ে তার মধ্যে দাড়িয়ে কাদছ ৷ তখন ইয়াহ্ইয়া উত্তর দিলেন,
আব্বাজান ! আপনিই তো আমাকে বলেছেন, জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝে এক বিশাল কঠিন ও
দুর্গম ময়দান- যা কান্নার পানি ব্যতীত অতিক্রম করা যায় না ৷ পিতা বললেন, সত্যিই বৎস !
প্রাণ ভরে কাদো ৷ তখন পিতা পুত্র উভয়ে একত্রে কাদতে লাগলেন ৷ ওহাব ইবন মুনাব্বিহ ও
মুজাহিদ অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন আসাকির মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেছেন
জান্নাতবাসীদের নিকট যে নিয়ামত সামগ্রী থাকবে, তার স্বাদ উপভােগে মও থাকা ৷য়ত তারা নিদ্রা
যাবে না ৷ সুতরাং সিদ্দীকীন যারা , তাদের অম্ভরে আল্লাহর মহব্বতের যে নিয়ামত আছে, তার
ারণে তাদেরও নিদ্র৷ যাওয়া ৷সমীচীন নয় ৷ অতঃপর তিনি বলেন, কতই না পার্থক্য উক্ত দুই
নিয়ামরুত র মধ্যে ৷ বর্ণনাকারীগণ বলেছেন, নবী ইয়াহ্ইয়া (আ) এত অধিক পরিমাণ কাদতেন
যে, চোখের পা ৷নি গড়িয়ে পড়তে পড়তে তার দুই গালে স্পষ্ট দা ৷গ পড়ে যায় ৷

হযরত ইয়াহ্ইয়া (আ) এর হত্যার বর্ণনা

হযরত ইয়াহ্ইয়া (আ ) এর হত আর বিভিন্ন কারণের মধ্যে প্রসিদ্ধতম কারণ এই যে সে যুগে
দামিশকের জনৈক রাজাত ৷র এক মুহরাম নারীকে বিবাহ করার সৎকল্প করে ৷ হযরত
ইয়াহ্ইয়া (আ)ত তাকে এ বিবাহ করতে নিষেধ করেন ৷ এতে মহিলাটির মনে ইয়াহ্ইয়ার প্রতি
ক্ষোভের সঞ্চার হয় ৷ এক পর্যায়ে উক্ত মহিলা ও বাজার মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়ে ওঠে ৷ তখন
মহিলাটি রাজার নিকট ইয়াহ্ইয়াকে হত্যার আরদার জানায় ৷ সে মতে তরাজা তাকে উক্ত
মহিলার হা৩ ৩তুলে দেন ৷ মহিলাটি ইয়াহ্ইয়া (আ) ৫ক হত্যা করার জন্যে ঘাতক নিয়োগ
করে ৷ ঐ ঘাতক নির্দো৷ মত তাকে হত্যা করে এবংক কর্তিত মস্তক ও তার রক্ত একটি পাত্রে
রেখে মহিলার সামনে হাজির করে ৷ কথিত আছে, মহিলাটি তৎক্ষণাৎ মারা যায় ৷



যাকে বিবাহ করা বৈধ্য নয় ৷


قَالَ. وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدَةَ، عَنْ أَبِي تَوْبَةَ الرَّبِيعِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ سَلَامٍ، عَنْ أَبِي سَلَامٍ، عَنِ الْحَارِثِ الْأَشْعَرِيِّ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ، فَسَقَطَ ذِكْرُ زَيْدِ بْنِ سَلَامٍ مِنْ هَذِهِ الرِّوَايَةِ. ثُمَّ رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، قَالَ: ذُكِرَ لَنَا عَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا سَمِعُوا مِنْ عُلَمَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، أَنَّ يَحْيَى بْنَ زَكَرِيَّا أُرْسِلَ بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ. وَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. وَقَدْ ذَكَرُوا أَنَّ يَحْيَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَانَ كَثِيرَ الِانْفِرَادِ مِنَ النَّاسِ، إِنَّمَا كَانَ يَأْنَسُ إِلَى الْبَرَارِي، وَيَأْكُلُ مِنْ وَرَقِ الْأَشْجَارِ، وَيَرِدُ مَاءَ الْأَنْهَارِ، وَيَتَغَذَّى بِالْجَرَادِ فِي بَعْضِ الْأَحْيَانِ، وَيَقُولُ: مَنْ أَنْعَمُ مِنْكَ يَا يَحْيَى. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، أَنَّ أَبَوَيْهِ خَرَجَا فِي تَطَلُّبِهِ، فَوَجَدَاهُ عِنْدَ بُحَيْرَةِ الْأُرْدُنِّ، فَلَمَّا اجْتَمَعَا بِهِ أَبْكَاهُمَا بُكَاءً شَدِيدًا ; لِمَا هُوَ فِيهِ مِنَ الْعِبَادَةِ وَالْخَوْفِ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: كَانَ طَعَامُ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا الْعُشْبَ، وَإِنْ كَانَ لَيَبْكِي مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ، حَتَّى لَوْ كَانَ الْقَارُ عَلَى عَيْنَيْهِ لَحَرَقَهُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الذُّهْلِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৯২৩
اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: جَلَسْتُ يَوْمًا إِلَى أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ وَهُوَ يَقُصُّ، فَقَالَ: أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِمَنْ كَانَ أَطْيَبَ النَّاسِ طَعَامًا؟ فَلَمَّا رَأَى النَّاسَ قَدْ نَظَرُوا إِلَيْهِ قَالَ: إِنَّ يَحْيَى بْنَ زَكَرِيَّا، كَانَ أَطْيَبَ النَّاسِ طَعَامًا ; إِنَّمَا كَانَ يَأْكُلُ مَعَ الْوَحْشِ ; كَرَاهَةَ أَنْ يُخَالِطَ النَّاسَ فِي مَعَايِشِهِمْ. وَقَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ وُهَيْبِ بْنِ الْوَرْدِ، قَالَ: فَقَدَ زَكَرِيَّا ابْنَهُ يَحْيَى ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَخَرَجَ يَلْتَمِسُهُ فِي الْبَرِّيَّةِ، فَإِذَا هُوَ قَدِ احْتَفَرَ قَبْرًا وَأَقَامَ فِيهِ يَبْكِي عَلَى نَفْسِهِ. فَقَالَ: يَا بُنَيَّ أَنَا أَطْلُبُكَ مِنْ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، وَأَنْتَ فِي قَبْرٍ قَدِ احْتَفَرْتَهُ، قَائِمٌ تَبْكِي فِيهِ؟! فَقَالَ: يَا أَبَتِ، أَلَسْتَ أَنْتَ أَخْبَرْتَنِي أَنَّ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ مَفَازَةً لَا تُقْطَعُ إِلَّا بِدُمُوعِ الْبَكَّائِينَ؟ فَقَالَ لَهُ: ابْكِ يَا بُنَيَّ. فَبَكَيَا جَمِيعًا. وَهَكَذَا حَكَاهُ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ، وَمُجَاهِدٌ بِنَحْوِهِ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ لَا يَنَامُونَ لِلَذَّةِ مَا هُمْ فِيهِ مِنَ النَّعِيمِ، فَكَذَا يَنْبَغِي لِلصِّدِّيقِينَ أَنْ لَا يَنَامُوا ; لِمَا فِي قُلُوبِهِمْ مِنْ نَعِيمِ الْمَحَبَّةِ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. ثُمَّ قَالَ: كَمْ بَيْنَ النَّعِيمَيْنِ وَكَمْ بَيْنَهُمَا. وَذَكَرُوا أَنَّهُ كَانَ كَثِيرَ الْبُكَاءِ، حَتَّى أَثَّرَ الْبُكَاءُ فِي خَدَّيْهِ مِنْ كَثْرَةِ دُمُوعِهِ.
পৃষ্ঠা - ৯২৪
ষ্ষ্


অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে, উল্লেখিত রাজার স্তীই হযরত ইয়াহ্ইয়াকে মনে মনে ভালবাসত
এবং তার সাথে মিলনের প্রস্তাব পাঠায় ৷ হযরত ইয়াহ্ইয়া (আ) তাতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন ৷
মহিলাটি নিরাশ হয়ে তাকে হত্যার বাহানা খোজে ৷ সে রজাের নিকট সে জন্য অনুমতি প্রার্থনা
করে ৷ রাজা প্রথমে নিষেধ করলেও পরে অনুমতি দিয়ে দেয় ৷ মহিলাটি ঘাতক নিয়োগ করে ৷
সে ইয়াহ্ইয়ার রক্তমাখা ছিন্ন মস্তক একটি পাত্রে করে মহিলার সামনে হাজির করে ৷

ইসহড়াক ইবন বিশ্ব-এর মুবতাদা’ নামক গ্রন্থে এই মর্মে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷
তিনি ইবন আব্বাস (যা) থেকে বর্ণনা করেন: মি’রাজের রাত্রে রাসুলুল্লাহ (সা) হযরত
যাকারিয়া (আ)-কে আসমানে দেখতে পান ৷ তিনি সালাম দিয়ে বললেন হে ইযাহ্য়ার পিতা !
বনী-ইসরাঈলরা আপনাকে কেন এবং কিভাবে হত্যা করেছিল, আমাকে বলুন ! তিনি বললেন
হে মুহাম্মদ! এ বিষয়ে আমি আপনাকে বিস্তারিত বলছি, শুনুন! আমার পুত্র ইয়াহ্ইয়া ছিল তার
যুগের অনন্য গুণের অধিকারী শ্রেষ্ঠ যুবক, সুদর্শন ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত ৷ যার সম্পর্কে
আল্লাহ নিজেই বলছেন, “সে হবে নেতা ও ত্রী বিরাগী ৷” নারীদের প্রতি তার কোন যােহ ছিল
না ৷ বনী ইসরাঈলের রাজার ত্রী ইয়াহ্ইয়ার প্ৰতি আসক্ত হয় ৷ সে ছিল ব্যাভিচারিণী ৷ সে
ইয়াহ্ইয়ার নিকট কু-প্রস্তাব পাঠায় ৷ আল্লাহ তাকে হেফড়াজত করেন ৷ সে মহিলার প্রস্তাব
ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে ৷ এতে মহিলাটি ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে ৷ বনী ইসরাঈল
সমাজে একটি বার্ষিক উৎসবের প্রচলন, যে দিন সবাই নির্দিষ্ট স্থানে একত্রিত হয় ৷ উক্ত রাজার
নীতি ছিল, কাউকে প্রতিশ্রুতি দিলে ভঙ্গ করত না এবং মিথ্যা কথা বলত না ৷ রাজা উক্ত
উৎসবের নির্দিষ্ট দিনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় ৷ তার ত্রী তাকে বিদায় অভিনন্দন জানায় ৷ রাজা
তাকে খুব ভালবাসত, অতীতে কিন্তু রাজা কখনো এরুপ করেনি ৷ অভিনন্দন পেয়ে খুশী হয়ে
রাজা বলল, তুমি আমার নিকট যে আবদার করবে, আমি তাই পুরণ করবো ৷ শ্রী বলল, আমি
যাকারিয়ার পুত্র ইয়াহ্ইয়ার রক্ত চাই ৷

রাজা বলল, এটা নয়, অন্য কিছু চাও ৷ শ্রী বলল, না, ওটাই আমি চাই ৷ রাজা বলল, ঠিক
আছে, তা-ই হবে ৷ অতঃপর রাজার শ্রী ইয়াহ্ইয়ার হত্যার জন্যে জল্লাদ পাঠিয়ে দেয় ৷ তখন
তিনি মিহ্রড়াবের মধ্যে সালাত আদায়ে রত ছিলেন ৷ যাকারিয়া (আ) বলেন, আমি পুত্রের পাশেই
সালাত রত ছিলাম ৷ এ অবস্থায় জ়ল্পাদ ইয়াহ্ইয়াকে হত্যা করে এবং তার রক্ত ও ছিন্ন মস্তক
একটি পাত্রে করে উক্ত মহিলার নিকট নিয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আপনার ধৈর্য তো
প্রশংসাহ ৷ যাকারিয়া (আ) বললেন, এ ঘটনার সময় আমি সালাত থেকে কোনরুপ অন্যমনষ্ক
হইনি ৷ যাকারিয়া (আ) আরো বলেন, জল্লাদ ইয়াহ্ইয়ার কর্তিত মস্তক মহিলার সম্মুখে রেখে
দেয় ৷ দিন শেষে যখন সন্ধ্য৷ ঘনিয়ে আসে তখন আল্লাহ ঐ রাজা, তার পরিবারবর্গ ও
ল্যেক-লশৃকরকে মাটির নীচে ধ্বসিয়ে দেন ৷ পরদিন সকালে ঘটনা দেখে বনী ইসরাঈলরা
পরস্পর বলাবলি করল, যাকারিয়ার মনিব যাকারিয়ার অনুকুলে ক্রুদ্ধ হয়েছেন; চল আমরাও
আমাদের রাজার অনুকুলে ক্রুদ্ধ হই এবং যাকারিয়াকে হত্যা করি ৷ তখন আমাকে হত্যার
উদ্দেশ্যে তারা সম্মিলিতভাবে আমার সন্ধানে বের হয় ৷ ইতিমধ্যে এক ব্যক্তি বনী ইসরাঈলের এ
ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আমাকে সাবধান করে দেয় ৷ আমি তাদের হাত থেকে বীচার জন্যে সে স্থান


[بَيَانُ سَبَبِ قَتْلِ يَحْيَى عَلَيْهِ السَّلَامُ] وَذَكَرُوا فِي قَتْلِهِ أَسْبَابًا كَثِيرَةً ; مِنْ أَشْهَرِهَا أَنَّ بَعْضَ مُلُوكِ ذَلِكَ الزَّمَانِ بِدِمَشْقَ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَتَزَوَّجَ بِبَعْضِ مَحَارِمِهِ، أَوْ مَنْ لَا يَحِلُّ لَهُ تَزْوِيجُهَا، فَنَهَاهُ يَحْيَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَنْ ذَلِكَ، فَبَقِيَ فِي نَفْسِهَا مِنْهُ، فَلَمَّا كَانَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ الْمَلِكِ مَا يُحِبُّ مِنْهَا، اسْتَوْهَبَتْ مِنْهُ دَمَ يَحْيَى فَوَهَبَهُ لَهَا فَبَعَثَتْ إِلَيْهِ مَنْ قَتَلَهُ وَجَاءَ بِرَأْسِهِ وَدَمِهِ فِي طَسْتٍ إِلَى عِنْدِهَا، فَيُقَالُ: إِنَّهَا هَلَكَتْ مِنْ فَوْرِهَا وَسَاعَتِهَا. وَقِيلَ: بَلْ أَحَبَّتْهُ امْرَأَةُ ذَلِكَ الْمَلِكِ وَرَاسَلَتْهُ، فَأَبَى عَلَيْهَا، فَلَمَّا يَئِسَتْ مِنْهُ تَحَيَّلَتْ فِي أَنِ اسْتَوْهَبَتْهُ مِنَ الْمَلِكِ، فَتَمَنَّعَ عَلَيْهَا الْمَلِكُ، ثُمَّ أَجَابَهَا إِلَى ذَلِكَ، فَبَعَثَتْ مَنْ قَتَلَهُ وَأَحْضَرَ إِلَيْهَا رَأْسَهُ وَدَمَهُ فِي طَسْتٍ. وَقَدْ وَرَدَ مَعْنَاهُ فِي حَدِيثٍ رَوَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ فِي كِتَابِهِ " الْمُبْتَدَأُ " حَيْثُ قَالَ: أَنْبَأَنَا يَعْقُوبٌ الْكُوفِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ أُسَرِيَ بِهِ رَأَى زَكَرِيَّا فِي السَّمَاءِ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ وَقَالَ لَهُ: يَا أَبَا يَحْيَى، خَبِّرْنِي عَنْ قَتْلِكَ ; كَيْفَ كَانَ؟ وَلِمَ قَتَلَكَ بَنُو
পৃষ্ঠা - ৯২৫
ষ্ষ্


থেকে পলায়ন করি ৷ কিন্তু ইবলীস তাদের সম্মুখে থেকে আমার গমন পথ দেখিয়ে দেয় ৷ যখন
দেখলাম, তাদের হাত থেকে বীচার কোন উপায় নেই, তখন সম্মুখে একটি গাছ দেখতে পইি ৷
তার নিকট যাওয়ার জন্যে পাছটি তখন আমাকে আহ্বান করছিল এবং দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে
গিয়েছিল ৷ আমি তখন তাতে ঢুকে পড়ি ৷ কিন্তু ইবলিস তখন আমার চাদয়ের আচল টেনে ধরে,
বৃক্ষের ফাটল মুদে যায় ৷ কিন্তু আমার চাদরের আচলটি বাইরে থেকে যায় ৷ বনী ইসরড়াঈল
সেখানে উপস্থিত হলে ইবলীস জানায় যে, যাকারিয়া যাদুবলে এই গাছটির মধ্যে ঢুকে পড়েছে ৷
বনী ইসরাঈল বলল, তা’হলে গাছটিকে আমরা পুড়িয়ে ফেলি ৷ ইবলীস বলল, না বরং গাছটি
করতে দিয়ে চিরে ফেল ৷ যাকারিয়া বলেন, ফলে বৃক্ষের সাথে আমিও দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাই ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি করড়াতের স্পর্শ বুঝতে পেয়েছিলেন, কিংবা
ব্যাখ্যা অনুভব করেছিলেন? যাকারিয়া বললেন, না; বরং ঐ গাছটি তা অনুভব করেছে, যার
মধ্যে আল্লাহ আমার রুহ্ রেখে দিয়েছিলেন ৷ এ হাদীসটি অত্যন্ত গরীব পর্যায়ের ৷ এ এক অদ্ভুত
কাহিনী ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে এ হাদীছ বর্ণিত হওয়ার বড়াপারটি আদৌ গ্রহণযেগ্যে নয় ৷ এ
ঘটনার মধ্যে এমন কিছু কথা আছে, যা কোন মতেই গ্রহণ করা চলে না ৷ এ বংনাি ছাড়া
মিরাজ সম্পর্কে বর্ণিত কোন হাদীসেই যাকারিয়া (আ) এর উল্লেখ নেই ৷ অবশ্য সহীহ হাদীসের
কোন কোন বর্ণনায় এ কথা আছে যে, আমি ইয়াহ্ইয়া ও ঈসা দৃ’খালাত ভাইয়ের পাশ দিয়ে
গমন করেছিলাম ৷ অধিকাংশ আলিমের মতে তারা ছিলেন পরস্পর খালাত ভাই ৷ হাদীস
থেকেও তাই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে ৷ কেননা, ইয়াহ্ইয়ার মা আশৃয়া’ বিনৃত ইমরান মারয়াম বিনৃত
ইমরানের বোন ছিলেন ৷ কিন্তু কারও কারও মতে ইয়াহ্ইয়ার মা অড়াশৃয়া’ অর্থাৎ যাকারিয়ার ত্রী
ছিল মারয়ামের মা হান্না ৷ অর্থাৎ ইমরানের ত্রীর বোন ৷ এ হিসেব মতে ইয়াহ্ইয়া হয়ে যান
মারয়ামের খালাতাে ভাই ৷

হযরত ইয়াহ্ইয়া (আ) কোন স্থানে নিহত হয়েছিলেন, সে সম্পর্কে মতভেদ আছে ৷ কারও
মতে বায়তুল মুকাদ্দাসের ভিতরে; কারও মতে মসজিদের বাইরে অন্য কোথাও ৷ সুফিয়ান
ছাওরী (র) বলেন যে, বড়ায়তৃল মুকাদ্দাসের অভ্যন্তরে যে ঐতিহাসিক পাথর আছে, সেখানে
সত্তরজন নবীকে হত্যা শুকরা হয় ৷ ইয়াহ্ইয়া (আ) র্তাদের অন্যতম ৷ আবু উবায়দ সাঈদ
ইবনুল মুসামািব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, বুখৃত নসর য়খন দামিশৃকে অভিযানে আসে, তখন
ইয়াহ্ইয়া (আ)-এর রক্ত মাটির দীচ থেকে উপরের দিকে উথিত হতে দেখতে পায় ৷ যে এর
কারণ জিজ্ঞেস করলে লোকজন প্রকৃত ঘট্টনা জানায় ৷ তখন বৃখৃত নসর এ রক্তের উপরে সত্তর
হাজার বনী ইসরাঈলকে জবইি করে ৷ “ফলে রক্ত উঠা বন্ধ হয়ে যায় ৷ এ বর্ণনার সুত্রে সাঈদ
ইবনুল মুসায়িব (বা) পর্যন্ত সহীহ ৷ এ বংনাি অনুযায়ী ইয়াহ্ইয়ার হত্যাস্থল দামিশৃক ৷ আর
বুখত নসরের ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল হযরত ঈসা মাসীহ্র পরে ৷ আতা ও হাসান বসরী (র)
এই মত পোষ্ণ করেন ৷

ইবন আসাকির যায়দ ইবন ওয়াকিদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তার আমলে দামিশকের
মসজিদ পুনঃনির্মাণের সময় হযরত ইয়াহ্ইয়া (আ)-এর মস্তক বের হয়ে পড়ে ৷ আমি তা

প্রত্যক্ষ করেছিলাম ৷ মসজিদের পুর্ব দিকের মিহরাবের নিবল্ট কিবলার যে দেয়াল ছিল, তার
নীচ থেকে ঐ মস্তক বের হয়েছিল ৷ মন্ত্রকের চামড়া ও চুল অক্ষত ছিল ৷ এক বর্ণনায় বলা


إِسْرَائِيلَ؟ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أُخْبِرُكَ أَنَّ يَحْيَى كَانَ خَيْرَ أَهْلِ زَمَانِهِ، وَكَانَ أَجْمَلَهُمْ، وَأَصْبَحَهُمْ وَجْهًا، وَكَانَ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {سَيِّدًا وَحَصُورًا} [آل عمران: 39] وَكَانَ لَا يَحْتَاجُ إِلَى النِّسَاءِ، فَهَوِيَتْهُ امْرَأَةُ مَلِكِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَكَانَتْ بَغِيَّةً، فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ، وَعَصَمَهُ اللَّهُ، وَامْتَنَعَ يَحْيَى وَأَبَى عَلَيْهَا، وَأَجْمَعَتْ عَلَى قَتْلِ يَحْيَى، وَلَهُمْ عِيدٌ يَجْتَمِعُونَ فِي كُلِّ عَامٍ، وَكَانَتْ سُنَّةُ الْمَلِكَ أَنْ يُوعِدَ وَلَا يُخْلِفَ وَلَا يَكْذِبَ. قَالَ: فَخَرَجَ الْمَلِكُ إِلَى الْعِيدِ فَقَامَتِ امْرَأَتُهُ فَشَيَّعَتْهُ، وَكَانَ بِهَا مُعْجَبًا، وَلَمْ تَكُنْ تَفْعَلُهُ فِيمَا مَضَى، فَلَمَّا أَنْ شَيَّعَتْهُ قَالَ الْمَلِكُ: سَلِينِي، فَمَا سَأَلْتِنِي شَيْئًا إِلَّا أَعْطَيْتُكِ. قَالَتْ: أُرِيدُ دَمَ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا. قَالَ لَهَا: سَلِينِي غَيْرَهُ. قَالَتْ: هُوَ ذَاكَ. قَالَ: هُوَ لَكِ. قَالَ: فَبَعَثَتْ جَلَاوِزَتَهَا إِلَى يَحْيَى، وَهُوَ فِي مِحْرَابِهِ يُصَلِّي، وَأَنَا إِلَى جَانِبِهِ أُصَلِّي. قَالَ: فَذُبِحَ فِي طَسْتٍ وَحُمِلَ رَأْسُهُ وَدَمُهُ إِلَيْهَا. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَمَا بَلَغَ مِنْ صَبْرِكَ؟ قَالَ: مَا انْفَتَلْتُ مِنْ صَلَاتِي. قَالَ: فَلَمَّا حُمِلَ رَأْسُهُ إِلَيْهَا، فَوُضِعَ بَيْنَ يَدَيْهَا، فَلَمَّا أَمْسَوْا خَسَفَ اللَّهُ بِالْمَلِكِ وَأَهْلِ بَيْتِهِ وَحَشَمِهِ، فَلَمَّا أَصْبَحُوا قَالَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ: قَدْ غَضِبَ إِلَهُ زَكَرِيَّا لِزَكَرِيَّا، فَتَعَالَوْا حَتَّى نَغْضَبَ لِمَلِكِنَا، فَنَقْتُلَ زَكَرِيَّا. قَالَ: فَخَرَجُوا فِي طَلَبِي لِيَقْتُلُونِي، وَجَاءَنِي النَّذِيرُ فَهَرَبْتُ مِنْهُمْ، وَإِبْلِيسُ أَمَامَهُمْ يَدُلُّهُمْ عَلَيَّ، فَلَمَّا تَخَوَّفْتُ أَنْ لَا أُعْجِزَهُمْ، عَرَضَتْ لِي شَجَرَةٌ فَنَادَتْنِي وَقَالَتْ: إِلَيَّ إِلَيَّ. وَانْصَدَعَتْ لِي فَدَخَلْتُ فِيهَا. قَالَ: وَجَاءَ إِبْلِيسُ حَتَّى أَخَذَ بِطَرَفِ رِدَائِي، وَالْتَأَمَتِ الشَّجَرَةُ، وَبَقِيَ طَرَفُ رِدَائِي
পৃষ্ঠা - ৯২৬
خَارِجًا مِنَ الشَّجَرَةِ، وَجَاءَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ فَقَالَ إِبْلِيسُ: أَمَا رَأَيْتُمُوهُ دَخَلَ هَذِهِ الشَّجَرَةَ؟ هَذَا طَرَفُ رِدَائِهِ، دَخَلَهَا بِسِحْرِهِ. فَقَالُوا: نُحَرِّقُ هَذِهِ الشَّجَرَةَ. فَقَالَ إِبْلِيسُ: شُقُّوهُ بِالْمِنْشَارِ شَقًّا. قَالَ: فَشُقِقْتُ مَعَ الشَّجَرَةِ بِالْمِنْشَارِ. قَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَلْ وَجَدْتَ لَهُ مَسًّا أَوْ وَجَعًا؟ قَالَ: لَا، إِنَّمَا وَجَدَتْ ذَلِكَ الشَّجَرَةُ جَعَلَ اللَّهُ رُوحِي فِيهَا» . هَذَا سِيَاقٌ غَرِيبٌ، وَحَدِيثٌ عَجِيبٌ، وَرَفْعُهُ مُنْكَرٌ، وَفِيهِ مَا يُنْكَرُ عَلَى كُلِّ حَالٍ وَلَمْ نَرَ فِي شَيْءٍ مِنْ أَحَادِيثِ الْإِسْرَاءِ ذِكْرًا لِزَكَرِيَّا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، إِلَّا فِي هَذَا الْحَدِيثِ، وَإِنَّمَا الْمَحْفُوظُ فِي بَعْضِ أَلْفَاظِ " الصَّحِيحِ " فِي حَدِيثِ الْإِسْرَاءِ: «فَمَرَرْتُ بِابْنَيِ الْخَالَةِ: يَحْيَى وَعِيسَى» وَهُمَا ابْنَا الْخَالَةِ عَلَى قَوْلِ الْجُمْهُورِ كَمَا هُوَ ظَاهِرُ الْحَدِيثِ ; فَإِنَّ أُمَّ يَحْيَى أَشْيَاعُ بِنْتُ عِمْرَانَ أُخْتُ مَرْيَمَ بِنْتِ عِمْرَانَ. وَقِيلَ: بَلْ أَشْيَاعُ، وَهِيَ امْرَأَةُ زَكَرِيَّا أُمُّ يَحْيَى هِيَ أُخْتُ حَنَّةَ امْرَأَةِ عِمْرَانَ أَمِّ مَرْيَمَ، فَيَكُونُ يَحْيَى ابْنَ خَالَةِ مَرْيَمَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ اخْتُلِفَ فِي مَقْتَلِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا، هَلْ كَانَ فِي الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى أَمْ بِغَيْرِهِ؟ عَلَى قَوْلَيْنِ ; فَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ شِمْرِ بْنِ عَطِيَّةَ، قَالَ: قُتِلَ عَلَى الصَّخْرَةِ الَّتِي بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ سَبْعُونَ نَبِيًّا، مِنْهُمْ يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَقَالَ أَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَامٍ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، قَالَ: قَدِمَ
পৃষ্ঠা - ৯২৭
ষ্ষ্


হয়েছে যে, মস্তকটি দেখলে মনে হয় যেন এই মাত্র কর্তন করা হয়েছে ৷ অতঃপর উক্ত
মসজিদের সাকাসিকা’ নামক প্রসিদ্ধ স্তন্তের নীচে মস্তকটি দাফন করা হয় ৷

ইবন আসাকির তীর আল-মুসতাকসা ফী ফাযাইলিল আকসা’ নামক গ্রন্থে মুআবিয়ার
আপন দাস কাসিম থেকে বর্ণনা করেন, দামিশৃকের জনৈক রাজার নাম ছিল হাদ্দাদ ইবন
হাদার ৷ রাজা তার এক পুত্রকে তার ভাই আরয়ালের কন্যার সাথে বিবাহ করার ৷ পুত্র বধুটি
ছিল বহু ভু-সম্পত্তির মালিক ৷ দামিশৃকের সকল বাজার ঘ ট ছিল তার কর্তৃত্ত্বাধীন ৷ রাজপুএ
একদা কসম খেয়ে শ্ৰীকে তিন তালাক দিয়ে দেয় ৷ কিন্তু কিছু দিন পর সে আবার ঐ শ্ৰীকে
ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধা ৷ন্ত গ্রহণ করে এবং হযরত ইয়৷ হ্ইয়৷ (আ) এর নিকট এ ব্যাপারে মাসৃআলা
জিজ্ঞেস করে ৷ ইয়াহ্ইয়৷ বললেন, অন্যত্র বিবাহ ব্যভীত এই শ্রী পুনরায় গ্রহণ করা তোমার
জন্যে বৈধ নয় ৷ এ রকম সিদ্ধান্ত দেওয়ার উক্ত মহিলার মনে ইয়াহ্ইয়ার প্রতি ভৈবরিত৷ সৃষ্টি হয়
এবং সে তাকে হত্যা করার জন্যে রাজার নিকট অনুমতি চায় ৷ মহিলার মা-ই এ কাজে তাকে
প্ররোচিত করে ৷ রাজা প্রথম দিকে বারণ করলেও পরে অনুমতি দিয়ে দেয় ৷ ইয়াহ্ইয়৷ (আ )
জায়রুন নামক স্থানে এক মসজিদে সালাত আদায় করছিলেন ৷ এ অবস্থায় উক্ত মহিলা কর্তৃক
প্রেরিত এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করে এবং ছিন্ন মস্তক একটি পাত্রে করে নিয়ে যায় ৷ কিভু তখনও


ঐ পা এ থেকে আওয়াজ আসছিলং : র্দুাশুঠুও১া

(অন্যত্র বিবাহ ব্যতীত ঐ স্বামীর কাছে যাওয়া বৈধ হবে না বৈধ হবে না) এ অবস্থা দেখে
মহিলাঢি পাত্রের উপর ঢ৷ ৷কনা দিয়ে আবদ্ধ করে নিজের মাথার উপর রেখে তার মায়ের নিকট
নিয়ে আসে ৷ কিন্তু তখনও পাত্রের মধ্য থেকে অনুরুপ আওয়াজ বের হচ্ছিল ৷ মহিলাঢি
ইয়াহ্ইয়ার মস্তক রেখে তার মায়ের সম্মুখে যখন ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিল, তখন তার দুই পা
মাটির মধ্যে পুতে ৩যায় ৷ কিছুক্ষ্যণর মধ্যে৩ তার দেহ কোমর পর্যন্ত মাটির নীচে চলে যায় ৷
মহিলার ম৷ তুলুল এবৎ৩ ৷ ৷র দাসীরা ভী৩ ত-সন্ত্রস্ত হয়ে চীৎকা ৷র করতে থাকে এবং নিজ নিজ মুখে
করাঘাত করতে থাকে ৷ দেখতে দেখতে মহিলার র্কাধ পর্যন্ত মাটির মধ্যে গেড়ে যায় ৷ তখন
তার মা সান্তুনা লাভের উদ্দেশ্যে যেয়েটির মস্তক মাটির নীচে চলে যাওয়ার আগে কেটে রাখার
জন্যে এক জনকে নির্দেশ দেয় ৷ উপস্থিত জল্লাদ সাথে সাথে তরবারী দ্বারা মস্তক কেটে নিয়ে
আসে ৷ কিন্তু সেই মুহভ্রুজী ম৷ ৷টি মহিলার অবশিষ্ট দেহ ভিতর থেকে উপরে ফেলে দেয় ৷ এভাবে
মহিলাটির গো ৷টা পরিবারই লাঞ্চুন৷ ও অভিশাপে ধবৃৎ স হয়ে যায় ৷

অপরদিকে ইয়৷ হ্ইয়৷ (আ) যে স্থা নিহতইযুযছিলেন ,সে স্থানে মাটির নীচ থেকে রক্ত
উপরের দিকে উথলে উঠছিল ৷ এরপর ট্রুখত নসর এদ্ভুস পচাত্তর হাজার বনী ইসরাঈলকে হত্যা
করলে রক্তের ঐ প্রবাহ বন্ধ হয় ৷ সাঈদ ইখুন আবদিল আযীম (র) বলেছেন, ঐ রক্ত ছিল সমস্ত
নবীদের মিশ্রিত রক্ত ৷ মাটির৩ তলদেশ থেকে সর্বদা উথলে উঠত এবৎব বাইরে পড়িয়ে যেত
হযরত আ ৷রমিয়৷ (আ) সে স্থানে দাড়িয়ে রক্তকে সম্বোধন করে বলেন, “হে রক্ত বনী ইসরাঈল
তো শেষ হয়ে গিয়েছে, )আল্লাহর হুকুমে এখন থাম ৷” এরপর রক্ত থেমে যায়৷ বুখত নসর
অতঃপর হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে এবং তলোয়ার গুটিয়ে নেয় ৷৩ তার এ অভিযানকালে দামিশ্কের বহু
লোক পালিয়ে বায়তুল ঘুক ৷দ্দাসে চলে যায় ৷ বুখৃত নসর সেখানে গিয়েও তাদেরকে ধাওয়া করে

বংহত্য৷ করে ৷ কত লোক যে এ অভিযানে তার হাতে নিহত হয়েছিল তার কোন হিসেব
নেই ৷ হত্যাযজ্ঞ শেষ হলে বহু সংখ্যক লোক বন্দী করে বুখৃত নসর দা ৷মিশৃক ত্যাগ করে ৷


بُخْتُ نَصَّرَ دِمَشْقَ فَإِذَا هُوَ بِدَمِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا يَغْلِي، فَسَأَلَ عَنْهُ فَأَخْبَرُوهُ، فَقَتَلَ عَلَى دَمِهِ سَبْعِينَ أَلْفًا، فَسَكَنَ. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، وَهُوَ يَقْتَضِي أَنَّهُ قُتِلَ بِدِمَشْقَ، وَأَنَّ قِصَّةَ بُخْتُ نَصَّرَ كَانَتْ بَعْدَ الْمَسِيحِ، كَمَا قَالَهُ عَطَاءٌ وَالْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَاقِدٍ، قَالَ: رَأَيْتُ رَأْسَ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا حِينَ أَرَادُوا بِنَاءَ مَسْجِدِ دِمَشْقَ، أُخْرِجَ مِنْ تَحْتِ رُكْنٍ مِنْ أَرْكَانِ الْقِبْلَةِ، الَّذِي يَلِي الْمِحْرَابَ، مِمَّا يَلِي الشَّرْقَ، فَكَانَتِ الْبَشَرَةُ وَالشَّعْرُ عَلَى حَالِهِ لَمْ يَتَغَيَّرْ. وَفِي رِوَايَةٍ: كَأَنَّمَا قُتِلَ السَّاعَةَ. وَذُكِرَ فِي بِنَاءِ مَسْجِدِ دِمَشْقَ، أَنَّهُ جُعِلَ تَحْتَ الْعَمُودِ الْمَعْرُوفِ بِعَمُودِ السَّكَاسِكَةِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي " الْمُسْتَقْصَى فِي فَضَائِلِ الْأَقْصَى " مِنْ طَرِيقِ الْعَبَّاسِ بْنِ صُبْحٍ، عَنْ مَرْوَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ قُسَيْمٍ مَوْلَى مُعَاوِيَةَ، قَالَ: كَانَ مَلِكُ هَذِهِ الْمَدِينَةِ - يَعْنِي دِمَشْقَ - هَدَادَ
পৃষ্ঠা - ৯২৮
ابْنَ هَدَادٍ، وَكَانَ قَدْ زَوَّجَ ابْنَهُ بِابْنَةِ أَخِيهِ أَرِيلَ، مَلِكَةِ صَيْدَا. قُلْتُ: وَقَدْ كَانَ مِنْ جُمْلَةِ أَمْلَاكِهَا سُوقُ الْمُلُوكِ بِدِمَشْقَ، وَهُوَ الصَّاغَةُ الْعَتِيقَةُ. قَالَ: وَكَانَ قَدْ حَلَفَ بِطَلَاقِهَا ثَلَاثًا، ثُمَّ إِنَّهُ أَرَادَ مُرَاجَعَتَهَا، فَاسْتَفْتَى يَحْيَى بْنَ زَكَرِيَّا، فَقَالَ: لَا تَحِلُّ لَكَ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَكَ. فَحَقَدَتْ عَلَيْهِ وَسَأَلَتْ مِنَ الْمَلِكِ رَأْسَ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا، وَذَلِكَ بِإِشَارَةِ أُمِّهَا، فَأَبَى عَلَيْهَا، ثُمَّ أَجَابَهَا إِلَى ذَلِكَ وَبَعَثَ إِلَيْهِ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي بِمَسْجِدِ جَيْرُونَ مَنْ أَتَاهُ بِرَأْسِهِ فِي صِينِيَّةٍ، فَجَعَلَ الرَّأْسَ يَقُولُ: لَا تَحِلُّ لَهُ، لَا تَحِلُّ لَهُ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ. فَأَخَذَتِ الْمَرْأَةُ الطَّبَقَ، فَحَمَلَتْهُ عَلَى رَأْسِهَا وَأَتَتْ بِهِ أُمَّهَا، وَهُوَ يَقُولُ كَذَلِكَ، فَلَمَّا تَمَثَّلَتْ بَيْنَ يَدَيْ أُمِّهَا خُسِفَ بِهَا إِلَى قَدَمَيْهَا ثُمَّ إِلَى حَقْوَيْهَا، وَجَعَلَتْ أُمُّهَا تُوَلْوِلُ وَالْجَوَارِي يَصْرُخْنَ وَيَلْطِمْنَ وُجُوهَهُنَّ، ثُمَّ خُسِفَ بِهَا إِلَى مَنْكِبَيْهَا، فَأَمَرَتْ أُمُّهَا السَّيَّافَ أَنْ يَضْرِبَ عُنُقَهَا لِتَتَسَلَّى بِرَأْسِهَا، فَفَعَلَ، فَلَفَظَتِ الْأَرْضُ جُثَّتَهَا عِنْدَ ذَلِكَ، وَوَقَعُوا فِي الذُّلِّ وَالْفَنَاءِ، وَلَمْ يَزَلْ دَمُ يَحْيَى يَفُورُ حَتَّى قَدِمَ بُخْتُ نَصَّرَ، فَقَتَلَ عَلَيْهِ خَمْسَةً وَسَبْعِينَ أَلْفًا. قَالَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: وَهِيَ دَمُ كُلِّ نَبِيٍّ. وَلَمْ يَزَلْ يَفُورُ، حَتَّى وَقَفَ عِنْدَهُ أَرْمِيَا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَقَالَ: أَيُّهَا الدَّمُ أَفْنَيْتَ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَاسْكُنْ بِإِذْنِ اللَّهِ. فَسَكَنَ، فَرُفِعَ السَّيْفُ وَهَرَبَ مَنْ هَرَبَ مِنْ أَهْلِ دِمَشْقَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَتَبِعَهُمْ إِلَيْهَا، فَقَتَلَ خَلْقًا كَثِيرًا لَا يُحْصَوْنَ كَثْرَةً، وَسَبَا مِنْهُمْ، ثُمَّ رَجَعَ عَنْهُمْ.