আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

باب ذكر جماعة من أنبياء بني إسرائيل بعد داود وسليمان

পৃষ্ঠা - ৮৭১
ষ্ষ্

হযরত দাউদ ও ইয়াহয়া (আ) এর মধ্যবর্তী
ইসরাঈল বংশীয় নবীগণের ইতিহাস

উপরোক্ত সময়ের মধ্যে আগমনকারী নবীদের মধ্যে হযরত শাইয়া ইবন আমসিয়া
( ৰু !) অন্যতম (বাইবেলের ভাষায় আমােসোর পুত্র যিশাইয়) মুহাম্মদ ইবন ইসহাকের
মতে, তার আবির্ভাব হয়েছিল যাকারিয়া ও ইয়াহয়া (আ)-এর পুর্বে ৷ তিনি সেই সব নবীর
একজন, যারা হযরত ঈসা ও মুহাম্মদ (সা) এর আগমনের সুসংবাদ প্রচার করেছিলেন ৷ ঐ
সময়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে বনী ইসরাঈলের শাসক ছিলেন রাজা হিযকিয়া ৷ যে কোন সংস্কার ও
সংশোধনমুলক কাজে তিনি নবী শাইয়ার আদেশ-নিষেধ মেনে চলতেন ৷ বনী ইসরাঈলের মধ্যে
তখন ব্যাপক হারে দুর্নীতি , পাপাচার ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রাদুর্ভাব ঘটে ৷ তাদের রাজা অসুস্থ
হয়ে পড়েন এবং তার পারে একটি ক্ষত সৃষ্টি হয় ৷ এ সুযোগে ব্যাবিলনের রাজা সড়ানহড়ারীব
বায়তুল মুকাদ্দাস আক্রমণে উদ্যোগী হয় ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেছেন, এ অভিযানে ছয় লক্ষ
পতাকাবাহী সৈন্য অংশগ্রহণ করে ৷ তাতে লোকজন অত্যন্ত ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে ৷ রাজা
হযরত শাইয়ার নিকট জিজ্ঞেস করেন যে, সড়ানহারীব ও তার সৈন্যবাহিনী সম্পর্কে আল্লাহ
তাআলা কী ওহী প্রেরণ করেছেন? তিনি বললেন, তাদের সম্পর্কে আমার নিকট কোন প্রকার
ওহী আসেনি ৷ কিছুদিন অতিবাহিত হবার পর হযরত শাইয়ার নিকট এই মর্মে ওহী আসে যে
অল্প দিনের মধ্যে রাজার মৃত্যু হবে ৷ সুতরাং তিনি যেন তার পছন্দমত কাউকে স্থলাভিষিক্ত
করেন ৷ নবীর মাধ্যমে এ সংবাদ পেয়ে রাজা কিবলামুখী হয়ে সালাত ও তাসবীহ্ পাঠ করে
অত্যন্ত ভারাক্রাম্ভ হৃদয়ে আল্লাহর প্ৰতি পুর্ণ আস্থা রেখে ধৈর্যের সাথে কেদে কেদে এই দোয়া
করেন :

ণ্এঠু

হে আল্লাহ, মহা প্রতিপালক, রাজাধিরাজ, দয়াময়, পরম দয়ালু হে ঐ সত্তা, র্যাকে তন্দ্র৷ বা
নিদ্রা স্পর্শ করে না ৷ আমার জ্ঞান, আমার কার্যাবলী ও বনী ইসরাঈলদের উপর আমার
ন্যায়-বিচারের দিকে লক্ষ্য করে আপনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করুন ৷ আমার এ যা কিছু কৃতিতৃ ,

সবই আপনার করুণার দান ৷ এ সম্পর্কে আপনি সর্বাধিক অবগত ৷ আমার ভিতর ও বাছির সব
আপনাতে ন্যস্ত ৷


[بَابُ ذِكْرِ جَمَاعَةٍ مِنْ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ بَعْدَ دَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ] [شِعْيَا بْنُ أَمْصِيَا] َ وَقَبْلَ زَكَرِيَّا وَيَحْيَى عَلَيْهِمُ السَّلَامُ فَمِنْهُمْ شِعْيَا بْنُ أَمْصِيَا. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ قَبْلَ زَكَرِيَّا وَيَحْيَى، وَهُوَ مِمَّنْ بَشَّرَ بِعِيسَى وَمُحَمَّدٍ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَكَانَ فِي زَمَانِهِ مَلِكٌ اسْمُهُ صَدِيقَةُ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ بِبِلَادِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَكَانَ سَامِعًا مُطِيعًا لِشِعْيَا فِيمَا يَأْمُرُهُ بِهِ وَيَنْهَاهُ عَنْهُ مِنَ الْمَصَالِحِ، وَكَانَتِ الْأَحْدَاثُ قَدْ عَظُمَتْ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ فَمَرِضَ الْمَلِكُ وَخَرَجَتْ فِي رِجْلِهِ قُرْحَةٌ وَقَصَدَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ مَلِكُ بَابِلَ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَهُوَ سَنْحَارِيبُ، قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي سِتِّمِائَةِ أَلْفِ رَايَةٍ. وَفَزِعَ النَّاسُ فَزَعًا عَظِيمًا شَدِيدًا، وَقَالَ الْمَلِكُ لِلنَّبِيِّ شِعْيَا: مَاذَا أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْكَ فِي أَمْرِ سَنْحَارِيبَ وَجُنُودِهِ؟ فَقَالَ: لَمْ يُوحِ إِلَيَّ فِيهِمْ شَيْئًا بَعْدُ. ثُمَّ نَزَلَ عَلَيْهِ الْوَحْيُ بِالْأَمْرِ لِلْمَلِكِ صَدِيقَةَ بِأَنْ يُوصِيَ وَيَسْتَخْلِفَ عَلَى مُلْكِهِ مَنْ يَشَاءُ ; فَإِنَّهُ قَدِ اقْتَرَبَ أَجَلُهُ، فَلَمَّا أَخْبَرَهُ بِذَلِكَ أَقْبَلَ الْمَلِكُ عَلَى الْقِبْلَةِ فَصَلَّى وَسَبَّحَ
পৃষ্ঠা - ৮৭২
ষ্ষ্


আল্লাহ রাজার দোয়া কবুল করে তার প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করেন এবং শাইয়ার (যীশাইও)
নিকট ওহীর মাধ্যমে সৃসংবড়াদ দেন যে, তার কান্নাতে আল্লাহ সদয় হয়েছেন ৷ তিনি তার আয়ু
পনের বছর বৃদ্ধি করেছেন এবং তার শত্রু সানৃহারীবের করল থেকে তাকে রক্ষা করেছেন ৷
নবীর নিকট থেকে এ সৃসংবড়াদ শুনে রাজার অন্তর থেকে তয়-ভীতি ও দুশ্চিন্তা দুরীভুত হয় এবং
কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থে সিজদাবনত হয়ে তিনি নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করেন :


ক্ট্র

হে আল্লাহ ! আপনি সেই মহান সত্তা , আপনি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করেন এবং যার থেকে

ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নেন; যাকে ইচ্ছা মর্যাদা দান করেন, যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন ৷ দৃশ্যঅদৃশ্য

যাবতীয় বিষয়ে আপনি সম্যক অবগত ৷ আপনি আদি ও অম্ভ এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ৷
বিপদগ্রস্তদের আহ্বানে আপনিই সাড়া দেন ও অনুগ্রহ করেন ৷

সিজদা শেষ হলে আল্লাহ শাইয়ার নিকট ওহী প্রেরণ করেন এবং রাজাকে এ কথা জানিয়ে
দেয়ার নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন ডুঘুরের রস পায়ের ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দেন , তাতে তিনি
আরেগ্যে লাভ করবেন ৷ রাজা এ নির্দেশ পালন করেন এবং আরোপ্য লাভ করেন ৷ এরপর
আল্লাহ সানহারীবের সৈন্য-বাহিনীকে ধ্বংস করে দেন ৷ ফলে সানহারীর ও তার পাচজন
সঙ্গী ব্যতীত তার গোটা সৈন্যবাহিনী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ৷ এই পড়াচজনের মধ্যে একজন
বুখত নসর ৷

বনী ইসরাঈলের রাজা লোক পাঠিয়ে এদেরকে ধরে এনে বেড়ি পরিয়ে সত্তর দিন পর্যন্ত
শহরের অলি-গলিতে ঘুরিয়ে লাঞ্ছিত করেন ৷ প্রত্যহ এদের প্রতি জনকে মাত্র দুটি করে যবের
রুটি খেতে দেয়া হতো ৷ এরপর তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয় ৷ আল্লাহ তখন
শাইয়ার নিকট ওহী প্রেরণ করেন ৷ তিনি রাজাকে এদের ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন, যাতে এরা
আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিজেদের শান্তি ও লাইনা ভোগের বিবরণ শ্যেনড়াতে পারে ৷
সানহারীর মুক্তি পেয়ে ফিরে গিয়ে নিজ সম্প্রদায়ের লোকদেরকে সমবেত করে ঘটনার বিস্তারিত
বিবরণ দেয় ৷ প্রতি উত্তরে গণক ও যাদুকররা বলল, আমরা পুবেই আপনাকে ইস্রাঈলীদের
প্রতিপালক ও নবীগণ সম্পর্কে অবহিত করেছিলাম; কিন্তু আপনি আমাদের কথায় কান দেননি ৷
এরা এমন একটি জাতি, যাদের প্রতিপালকের মুকাবিলা করার ক্ষমতা কারও নেই ৷ এভাবে
সানহারীবের পরিণতি তাই হল, যে সম্পর্কে আল্লাহ পুর্বেই তাদেরকে সাবধান করেছিলেন ৷ এ
ঘটনার সাত বছর পর সানহড়ারীবের মৃত্যু হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন, বাদশাহ হিঘৃকিয়ড়ার মৃত্যুর
পর রনী ইসরাঈলের মধ্যে পাপ প্রবণতা, অপরাধ, বিশৃৎথলা ও সত্রাসী কার্যকলাপ অত্যধিক
বৃদ্ধি পায় ৷ হযরত শাইয়া তখন আল্লাহর প্রত্যাদেশ পেয়ে রনী ইসরাঈলের লোকদেরকে



টীকা একেই নেবুচাদ নেয়ার বা নেবুকাদ নেয়ার বলা হয়ে থাকে ৷


وَدَعَا وَبَكَى، فَقَالَ وَهُوَ يَبْكِي وَيَتَضَرَّعُ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، بِقَلْبٍ مُخْلِصٍ وَتَوَكُّلٍ وَصَبْرٍ: اللَّهُمَّ رَبَّ الْأَرْبَابِ وَإِلَهَ الْآلِهَةِ، يَا رَحْمَنُ يَا رَحِيمُ، يَا مَنْ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ، اذْكُرْنِي بِعِلْمِي، وَفِعْلِي، وَحُسْنِ قَضَائِي عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ وَذَلِكَ كُلُّهُ كَانَ مِنْكَ، فَأَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنْ نَفْسِي، سِرِّي وَإِعْلَانِي لَكَ. قَالَ: فَاسْتَجَابَ اللَّهُ لَهُ وَرَحِمَهُ، وَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى شِعْيَا أَنْ يُبَشِّرَهُ بِأَنَّهُ قَدْ رَحِمَ بُكَاءَهُ، وَقَدْ أَخَّرَ فِي أَجَلِهِ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَأَنْجَاهُ مِنْ عَدُوِّهِ سَنْحَارِيبَ. فَلَمَّا قَالَ لَهُ ذَلِكَ ذَهَبَ مِنْهُ الْوَجَعُ وَانْقَطَعَ عَنْهُ الشَّرُّ وَالْحُزْنُ، وَخَرَّ سَاجِدًا وَقَالَ فِي سُجُودِهِ: اللَّهُمَّ أَنْتَ الَّذِي تُعْطِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ، وَتَنْزِعُهُ مِمَّنْ تَشَاءُ، وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ، وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ، عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، أَنْتَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ، وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ، وَأَنْتَ تَرْحَمُ وَتَسْتَجِيبُ دَعْوَةَ الْمُضْطَرِّينَ. فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ أَوْحَى اللَّهُ إِلَى شِعْيَا أَنْ يَأْمُرَهُ أَنْ يَأْخُذَ مَاءَ التِّينِ فَيَجْعَلَهُ عَلَى قُرْحَتِهِ، فَيَشْفَى وَيُصْبِحَ قَدْ بَرِئَ. فَفَعَلَ ذَلِكَ، فَشُفِيَ، وَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَى جَيْشِ سَنْحَارِيبَ الْمَوْتَ فَأَصْبَحُوا وَقَدْ هَلَكُوا كُلُّهُمْ سِوَى سَنْحَارِيبَ وَخَمْسَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، مِنْهُمْ بُخْتُ نَصَّرَ فَأَرْسَلَ مَلِكُ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَجَاءَ بِهِمْ، فَجَعَلَهُمْ فِي الْأَغْلَالِ وَطَافَ بِهِمْ فِي الْبِلَادِ عَلَى وَجْهِ التَّنْكِيلِ بِهِمْ وَالْإِهَانَةِ لَهُمْ سَبْعِينَ يَوْمًا، وَيُطْعِمُ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ كُلَّ يَوْمٍ رَغِيفَيْنِ مِنْ شَعِيرٍ، ثُمَّ أَوْدَعَهُمُ السِّجْنَ، وَأَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَى شِعْيَا أَنْ يَأْمُرَ الْمَلِكَ بِإِرْسَالِهِمْ إِلَى بِلَادِهِمْ، لِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ مَا قَدْ حَلَّ بِهِمْ، فَلَمَّا رَجَعُوا جَمَعَ سَنْحَارِيبُ قَوْمَهُ
পৃষ্ঠা - ৮৭৩
ষ্ষ্


আহ্বান করলেন এবং আল্লাহর আদেশ পালনের জন্যে উপদেশ দান করলেন ৷ নবী তাদেরকে
সতর্ক করেছিলেন যে, আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘন করলে ও তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করলে তাদের
উপর শান্তি অবধারিত ৷ হযরত শাইয়ার বক্তব্য শেষ হলে উপস্থিত জনগণ তাকে আক্রমণ
করতে উদ্যত হল এবং হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার পশ্চাতে ধাওযা করল ৷ শাইয়৷ (আ)
আত্মরক্ষার জন্যে সেখান থেকে পালিয়ে যান ৷ এমন সময় তিনি সম্মুখে একটি বৃক্ষ দেখতে
পান ৷ বৃক্ষটি নবীকে শত্রুর কবল থেকে রক্ষার জন্যে দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায় ৷ তিনি তাতে
প্রবেশ করেন এবং বৃক্ষের ফাটল বন্ধ হয়ে যায় ৷ কিন্তু শয়তান তার কাপড় টেনে ধরার তার
জাচল বাইরে থেকে যায় ৷ ইতিমধ্যে শত্রুর৷ সেখানে এসে উপস্থিত হয় ৷ তারা বৃক্ষের মধ্যে
কাপড় আটকা দেখে করাত দ্বারা বৃক্ষটি দ্বিখণ্ডিত করে ফেলে ৷ ফলে হযরত শাইয়ার দেহও
দ্বিখণ্ডির্ত হয়ে যায়--ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলায়হি রাজিউন ৷

লাবী ইবন ইয়াকুবের বংশধর:হযরত আরমিয়া ইবন হালকিয়া

যাহ্হাক (র) ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, আরমিয়া ইবন হালকিয়া হচ্ছেন
হযরত খিযির (আ) ৷ কিন্তু এ বর্ণনাটি গরীব’ পর্যায়ের এবং তা বিশুদ্ধ নয় ৷ ইবন আসাকির
কোন কোন গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, দামিশকে হযরত ইয়াহইয়া ইবন যাকারিয়া ( আ ) এর
রক্ত সদা প্রবহমান ছিল ৷ আ ৷রমিয়া ইবন হালকিয়া সেই রক্তের উপর র্দাড়িয়ে বলেছিলেন হে
রক্ত! তুমি তে ৷ বহু মানুষকে পরীক্ষায় ফেলেছ, এখন যায় ৷ তখন রক্ত থেমে যায় এবং অদৃশ্য
হয়ে যায় ৷ আবু বকর ইবন আবিদু দুনয়া আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান থেকে বর্ণনা
করেন, হযরত আরমিয়া একদা আল্লাহ্র নিকট জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আমার প্রতিপালক!
আপনার নিকট প্রিয়তম বান্দ৷ কে? উত্তরে আল্লাহ বলেছিলেন, সৃষ্টিকুলের পরিবর্তে আমাকে
অধিক স্মরণ করে নশ্বরের ধোকায় সে পড়ে না এবং দুনিয়ার স্থায়ী থাকার বাসনাও করে না ৷
পার্থিব জীবনের সুখ শান্তিকে সে উপেক্ষা করে চলে এবং বিলাস-সামপ্রী থেকে বঞ্চিত হলে খুশী
হয় ৷ এ জাতীয় বান্দাদেরকে আমি আমার নৈকট্য দান করব এবং কল্পনাভীতভড়াবে পুরস্কৃত
করব ৷

বায়তুল মুকাদ্দাসের ধ্বংস

এ সম্পর্কে আল্লাহর বাণী :

’ ’ ’ ’



ক্রো;ষ্ চেএ্এএ্




টীকা বাইবেলে তাকে লেবী বলা হয়েছে ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড৷ ১পুে০-

وَأَخْبَرَهُمْ بِمَا قَدْ كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ، فَقَالَ لَهُ السَّحَرَةُ وَالْكَهَنَةُ: إِنَّا أَخْبَرْنَاكَ عَنْ شَأْنِ رَبِّهِمْ وَأَنْبِيَائِهِمْ فَلَمْ تُطِعْنَا، وَهِيَ أُمَّةٌ لَا يَسْتَطِيعُهَا أَحَدٌ مِنْ رَبِّهِمْ. فَكَانَ أَمْرُ سَنْحَارِيبَ مِمَّا خَوَّفَهُمُ اللَّهُ بِهِ. ثُمَّ مَاتَ سَنْحَارِيبُ بَعْدَ سَبْعِ سِنِينَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ ثُمَّ لَمَّا مَاتَ صَدِيقَةُ مَلِكُ بَنِي إِسْرَائِيلَ مَرَجَ أَمَرُهُمْ وَاخْتَلَطَتْ أَحْدَاثُهُمْ، وَكَثُرَ شَرُّهُمْ، فَأَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَى شِعْيَا، فَقَامَ فِيهِمْ فَوَعَظَهُمْ وَذَكَّرَهُمْ، وَأَخْبَرَهُمْ عَنِ اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ وَأَنْذَرَهُمْ بَأْسَهُ وَعِقَابَهُ إِنْ خَالَفُوهُ وَكَذَّبُوهُ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ مَقَالَتِهِ عَدَوْا عَلَيْهِ وَطَلَبُوهُ لِيَقْتُلُوهُ، فَهَرَبَ مِنْهُمْ، فَمَرَّ بِشَجَرَةٍ فَانْفَلَقَتْ لَهُ فَدَخَلَ فِيهَا، وَأَدْرَكَهُ الشَّيْطَانُ فَأَخَذَ بِهُدْبَةِ ثَوْبِهِ فَأَبْرَزَهَا، فَلَمَّا رَأَوْا ذَلِكَ جَاءُوا بِالْمِنْشَارِ فَوَضَعُوهُ عَلَى الشَّجَرَةِ، فَنَشَرُوهَا وَنَشَرُوهُ مَعَهَا، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ.
পৃষ্ঠা - ৮৭৪
ষ্ষ্


“১১১১; এদ্বু১ ৷ ১’হ্র১ ৫১১) ১১ ৰুাএও১পু ৷ ১ৰুএ এ ৷<এ ৬১১ ৷ হুা১া ৷এপু;ন্ন্




াএ ১হ্রট্রু ছুট্রু>া
৷ ৷এ১১১১১ এ

হে : :

৷ এ১১১১ এ১এ১হ্র১১ ১১১১ ৷১ শু১ এ ঢু১: ১১১: এ ৷ এ ১হ্র১ন্ন্এ১ ৷ ১হ্র১এ
-আমি মুসাকে কিতাব দিয়েছিলাম ও তাকে করেছিলাম রনী ইসরাঈলের জন্যে পথ
নির্দোণক ৷ আমি আদেশ করেছিলাম “ ৫ ৷মরা আমাকে ব্যতীত অপর ক ৷উকেও কর্মবিধায়করুপে
গ্রহণ করে৷ ন৷ ৷ ” হে তাদের বংশধর ! যাদেরকে আমি নুহের সাথে আরোহণ করিয়েছিলাম , সে
তো ছিল পরম কৃতজ্ঞ বান্দা ৷ এবং আমি কিভাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বনী ইসরাঈলকে
জানিয়েছিলাম, “নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দু’বার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমরা অতিশয়
অহংকার-স্ফীত হবে ৷ ” তারপর এ দু যেব প্রথমটির নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হল, তখন
আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম আমার বান্দাদেরকে, যুদ্ধে অতিশয় শক্তিশালী; তারা
ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সমস্ত ধ্বংস করেছিল ৷ আর প্রতিশ্রুতি কার্যকরী হয়েই থাকে ৷ তারপর
আমি তোমাদেরকে পুনরায় তাদের উপর প্রতিষ্ঠিত করলাম, তোমাদেরকে ধন ও সম্ভান-সম্ভতি
দ্বারা সাহায্য করলাম ও সংখ্যায় পরিষ্ঠ করলাম ৷ তোমরা সৎকর্য করলে সৎকর্ম নিজেদের জন্য
করবে এবং মন্দ কর্ম করলে তাও করবে নিজেদের জন্যে ৷ তারপর পরবর্তী নির্ধারিত কাল
উপস্থিত হলে আমি আমার বান্দাদেরকে প্রেরণ করলাম তোমাদের মুখমণ্ডল কালিমাচ্ছন্ন করবার
জন্যে, প্রথমবার তারা যেভাবে মসজিদে প্রবেশ ৷করেছিল পুনরায় সেভাবেই তাতে প্রবেশ
করবার জন্যে এবং তারা যা অধিকার করেছিল তা সম্পুর্ণভাবে ধ্ব স করবার জন্যে ৷ সম্ভবত
তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের প্রতি দয়া করবেন; কিন্তু তোমরা যদি তোমাদের পুর্ব
আচরণের পুনরাবৃত্তি কর তবে আমিও পুনরাবৃত্তি করব ৷ জাহান্নাময়ুক আমি করেছি কাফিরদের
জন্যে কারাগার ৷ (১৭ ইসরাং : ২ ৮)

ওহাব ইবন মুনাব্বিহ বলেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে যখন অনাচার ও পাপবৃত্তি সর্বগ্রাসীরদ্ প
লাভ করে তখন তাদের নবী আরমিয়ার নিকট আল্লাহ এই মর্মে ওহী প্রেরণ করেন যে, তুমি
তোমার সম্প্রদায়ের লোকদেরকে জানাও যে, তাদের হৃদয় আছে, কিন্তু তারা উপলব্ধি করে না,
চক্ষু আছে কিন্তু দেখে না, কান আছে শুনে ন৷ ৷ আমি তাদের পুর্ব পুরুষদের উত্তম কর্যসমুহ
স্মরণ করেছি--ফলে তাঃদর সন্তানদের উপর আমার করুণাধার৷ বর্ধিত হয়েছে ৷ ওদেরকে

জিজ্ঞেস করে দেখ, আমার আনৃগত্যের সুফল তারা কিভ৷ ৷বে লাভ করেছে ৷ আমার অবাধ হয়ে
কেউ কি সৌভা ৷গ্যবান হয়েছে, কিৎবা আমার আনুগত্য করে কি কেউ দৃর্ভাপা হয়েছো সমস্ত
প্রাণীই নিজ নিজ বাসস্থানের কথা স্মরণ করে এবং সে দিবেইি ফিরে যায় ৷ আর এই সম্প্রদায়ের


[أَرْمِيَا بْنُ حَلْقِيَا] وَمِنْهُمْ أَرْمِيَا بْنُ حَلْقِيَا مِنْ سِبْطِ لَاوِي بْنِ يَعْقُوبَ وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ الْخَضِرُ. رَوَاهُ الضَّحَّاكُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. وَهُوَ غَرِيبٌ وَلَيْسَ بِصَحِيحٍ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: جَاءَ فِي بَعْضِ الْآثَارِ أَنَّهُ وَقَفَ عَلَى دَمِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا وَهُوَ يَفُورُ بِدِمَشْقَ فَقَالَ: أَيُّهَا الدَّمُ، فَتَنْتَ النَّاسَ فَاسْكُنْ. فَسَكَنَ وَرَسَبَ حَتَّى غَابَ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَبَّابٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ. قَالَ: قَالَ أَرْمِيَا: أَيْ رَبِّ أَيُّ عِبَادِكَ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: أَكْثَرُهُمْ لِي ذِكْرًا، الَّذِينَ يَشْتَغِلُونَ بِذِكْرِي عَنْ ذِكْرِ الْخَلَائِقِ، الَّذِينَ لَا تَعْرِضُ لَهُمْ وَسَاوِسُ الْغَنَاءِ، وَلَا يُحَدِّثُونَ أَنْفُسَهُمْ بِالْبَقَاءِ، الَّذِينَ إِذَا عَرَضَ لَهُمْ عَيْشُ الدُّنْيَا قَلَوْهُ، وَاذَا زُوِيَ عَنْهُمْ سُرُّوا بِذَلِكَ. أُولَئِكَ أَنْحَلُهُمْ مَحَبَّتِي وَأُعْطِيهِمْ فَوْقَ غَايَاتِهِمْ.
পৃষ্ঠা - ৮৭৫
[ذِكْرُ خَرَابِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ] وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {وَآتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ وَجَعَلْنَاهُ هُدًى لِبَنِي إِسْرَائِيلَ أَلَّا تَتَّخِذُوا مِنْ دُونِي وَكِيلًا ذُرِّيَّةَ مَنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوحٍ إِنَّهُ كَانَ عَبْدًا شَكُورًا وَقَضَيْنَا إِلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي الْكِتَابِ لَتُفْسِدُنَّ فِي الْأَرْضِ مَرَّتَيْنِ وَلَتَعْلُنَّ عُلُوًّا كَبِيرًا فَإِذَا جَاءَ وَعْدُ أُولَاهُمَا بَعَثْنَا عَلَيْكُمْ عِبَادًا لَنَا أُولِي بَأْسٍ شَدِيدٍ فَجَاسُوا خِلَالَ الدِّيَارِ وَكَانَ وَعْدًا مَفْعُولًا ثُمَّ رَدَدْنَا لَكُمُ الْكَرَّةَ عَلَيْهِمْ وَأَمْدَدْنَاكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَجَعَلْنَاكُمْ أَكْثَرَ نَفِيرًا إِنْ أَحْسَنْتُمْ أَحْسَنْتُمْ لِأَنْفُسِكُمْ وَإِنْ أَسَأْتُمْ فَلَهَا فَإِذَا جَاءَ وَعْدُ الْآخِرَةِ لِيَسُوءُوا وُجُوهَكُمْ وَلِيَدْخُلُوا الْمَسْجِدَ كَمَا دَخَلُوهُ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَلِيُتَبِّرُوا مَا عَلَوْا تَتْبِيرًا عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يَرْحَمَكُمْ وَإِنْ عُدْتُمْ عُدْنَا وَجَعَلْنَا جَهَنَّمَ لِلْكَافِرِينَ حَصِيرًا} [الإسراء: 2] [الْإِسْرَاءِ: 2 - 8] . وَقَالَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ: أَوْحَى اللَّهُ إِلَى نَبِيٍّ مِنْ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ يُقَالُ لَهُ: أَرْمِيَا حِينَ ظَهَرَتْ فِيهِمُ الْمَعَاصِي، أَنْ قُمْ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ قَوْمِكَ، فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ لَهُمْ قُلُوبًا وَلَا يَفْقَهُونَ، وَأَعْيُنًا وَلَا يُبْصِرُونَ، وَآذَانًا وَلَا يَسْمَعُونَ، وَإِنِّي تَذَكَّرْتُ صَلَاحَ آبَائِهِمْ، فَعَطَفَنِي ذَلِكَ عَلَى أَبْنَائِهِمْ، فَسَلْهُمْ: كَيْفَ وَجَدُوا غِبَّ طَاعَتِي؟ وَهَلْ سَعِدَ أَحَدٌ مِمَّنْ عَصَانِي بِمَعْصِيَتِي؟ وَهَلْ شَقِيَ أَحَدٌ مِمَّنْ أَطَاعَنِي بِطَاعَتِي؟ إِنِ الدَّوَابَّ تَذْكُرُ أَوْطَانَهَا فَتَنْزِعُ إِلَيْهَا، وَإِنَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ تَرَكُوا الْأَمْرَ الَّذِي أَكْرَمْتُ عَلَيْهِ آبَاءَهُمْ، وَالْتَمَسُوا الْكَرَامَةَ مِنْ غَيْرِ
পৃষ্ঠা - ৮৭৬
ষ্ষ্


লোকেরা আমার সেই সব আদেশ লংঘন করেছে, যা মেনে চলার কারণে আমি এদের পুর্ব
পুরুষদেরকে সম্মানিত করেছিলাম ৷ এরা ভিন্ন পথে চলে সম্মান লাভ করতে চেয়েছে ৷ তাদের
ধর্মযাজকরা আমার হক বিস্মৃত হয়েছে ৷ তাদের বিদ্বান ব্যক্তিরা আমার পরিবর্তে অন্যের ইবাদত
করেছে, তাদের ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিরা নিজেদের জ্ঞান থেকে উপকৃত হয়নি এবং তাদের শাসকরা
আমার ও আমার রাসুলগণের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে ৷ তাদের অম্ভরে লুক্কায়িত আছে
গভীর ষড়যন্ত্র আর মুখে আছে মিথ্যা বুলি ৷ আমি আমার প্রতাপ ও মর্যাদার কসম করে বলছি,
আমি তাদের উপর এমন এক জাতিকে চাপিয়ে দিব, যারা বুঝবে না এদের ভাষা, চিনবে না
এদের চেহারা, ৰিগলিত হবে না তাদের অন্তর এদের কান্নড়ায় ৷ আমি তাদের মাঝে পাঠাব এমন
এক জালিম বাদশাহ, যার সৈন্য-রাহিনীর বহর হবে যেঘমালার ন্যায়, সৈন্যদের সারিগুলােকে
মনে হবে প্রশস্ত গিরিপথ, তাদের পতাকার শব্দ ধবনি শোনা যাবে শকুন পালের উড্ডয়নের
ধ্বনির ন্যায় ৷ তাদের অশ্ব বাহিনীর আক্রমণ হবে ঈগল পাথীর ছোবলের ন্যায় ৷ তারা
নগরসমুহকে ধ্বংসতুপে পরিণত করবে এবং পল্লীগুলোকে করবে বিরান ৷ হায় , কি দুর্ভাপ্য
ঈলিয়া ও তার অধিবাসীদের ৷ হত্যা ও বন্দীত্বের লাঞ্চুনা-রশ্যিত তাদেরকে আবদ্ধ করা হবে ৷
সইসাই পরিবর্তিত হয়ে যাবে বিবাহ অনুষ্ঠানের আনন্দ-কোলাহল বীভৎস চিৎকার ধ্বনিতে ৷

অশ্বের ৫হসা ধ্বনির স্থলে শ্রুত হবে হিংস্র শ্বাপদের তর্জন-গর্জন ৷ সুরমব্র ভবনাদি ঘেরা
মনােরম শহর পরিণত হবে বন্য জীব-জভুর আবাস ভুমিতে ৷ রাত্রিবেলা যে স্থান থাকত আলোর
দীপ্তিতে সদা ঝলমল, সেখানে নেমে আসবে অমানিশার ঘোর অন্ধকার ৷ এদের ভাগ্যে জুটরে
সম্মানের পরিবর্তে লাঞ্চুনা, ঐশ্বর্যের পরিবর্তে দাসতৃ ৷ তাদের শ্রীরা সুরভিত হওয়ার স্থলে হবে
ধুলি ধুসরিত ৷ উপাধান-আয়েশের স্থলে তারা চলবে নপ্নপদ উটের মত ৷ তাদের দেহগুলাে হবে
মাটির খাদ্য, পরিণত হবে জঞ্জালে এবং সুর্যের তাপে হাভিদ্রগুলাে চকচক করবে ৷ এগুলো
ব্যতীত আরও বিভিন্ন প্রকার শাস্তি দ্বারা আমি তাদেরকে নিম্পেষিত করব ৷ এরপর আমি
আকাশকে হুকুম দিব ৷ ফলে আকাশ লৌহস্তরে পরিণত হভ্রুব এবং যমীন বিণলিত ভাষায়
পরিণত হবে ৷ এমতাবস্থায় বৃষ্টি হলেও ফসল উৎপাদিত হবে না, যদি অল্প কিছু উৎপাদিত হয়ও
তবে বন্য জীবজন্তুর প্রতি আমার অনুগ্রহের কারণে হবে ৷ ফসল উৎপন্ন হওয়ার সময় আমি
বৃষ্টিপাত বন্ধ রাখবদিএবং ফসল উঠাবার সময় বৃষ্টিপাত ঘটড়াবাে ৷ এ সময়ের মধ্যে সামান্য
পরিমাণ ফসল উৎপাদন করতে যদি তারা সক্ষমও হয় তবে ফসল নষ্ট করার বিভিন্ন দুর্যোগ
আমি চাপিয়ে দেব ৷ সে দুর্যোগ থেকে কিছু অংশ যদি বক্ষাও পায়, তা থেকে আমি বরকত
উঠিয়ে নেব ৷ যদি তারা আমার নিকট ফরিয়াদও করে আমি তাতে সাড়া দেব না তারা আমার
অনুগ্রহ কামনা করলেও আমি কিছুই দান করব না ৷ তাদের কান্নকােটিতেও আমি সদয় হব
না ৷ তাদের কাকুতি-মিনতি সত্বেও আমি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব ৷ এটি ইবন
আসাকিরের বর্ণনা ৷

ইসহাক ইবন বিশৃর ওহাব ইবন মুনাব্বিহ্ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, আল্লাহ
নবী আরমিয়াকে বনী ইসরাঈলের মাঝে প্রেরণ করেন ৷ তখন তাদের পাপের মাত্রা , অপরাধ
প্রবণতা চরম পর্যায়ে পৌছে গিয়েছিল ৷ এমনকি বহু নবীকে তারা হত্যা করেছিল ৷ তখন আল্লাহ


وَجْهِهَا، أَمَّا أَحْبَارُهُمْ فَأَنْكَرُوا حَقِّي، وَأَمَّا قُرَّاؤُهُمْ فَعَبَدُوا غَيْرِي، وَأَمَّا نُسَّاكُهُمْ فَلَمْ يَنْتَفِعُوا بِمَا عَلِمُوا، وَأَمَّا وُلَاتُهُمْ فَكَذَبُوا عَلَيَّ وَعَلَى رُسُلِي، خَزَنُوا الْمَكْرَ فِي قُلُوبِهِمْ، وَعَوَّدُوا الْكَذِبَ أَلْسِنَتَهُمْ. وَإِنِّي أُقْسِمُ بِجَلَالِي وَعِزَّتِي، لَأُهَيِّجَنَّ عَلَيْهِمْ جُيُولًا لَا يَفْقَهُونَ أَلْسِنَتَهُمْ، وَلَا يَعْرِفُونَ وُجُوهَهُمْ، وَلَا يَرْحَمُونَ بُكَاءَهُمْ، وَلَأَبْعَثَنَّ فِيهِمْ مَلِكًا جَبَّارًا قَاسِيًا، لَهُ عَسَاكِرُ كَقِطَعِ السَّحَابِ، وَمَوَاكِبُ كَأَمْثَالِ الْفِجَاجِ، كَأَنَّ خَفَقَانَ رَايَاتِهِ طَيَرَانُ النُّسُورِ، وَكَأَنَّ حَمْلَ فُرْسَانِهِ كَرُّ الْعِقْبَانِ، يُعِيدُونَ الْعُمْرَانَ خَرَابًا، وَيَتْرُكُونَ الْقُرَى وَحْشَةً، فَيَا وَيْلَ إِيلِيَاءَ وَسُكَّانِهَا، كَيْفَ أُذَلِّلُهُمْ لِلْقَتْلِ وَأُسَلِّطُ عَلَيْهِمُ السِّبَاءَ، وَأُعِيدُ بَعْدَ لَجَبِ الْأَعْرَاسِ صُرَاخًا، وَبَعْدَ صَهِيلِ الْخَيْلِ عُوَاءَ الذِّئَابِ، وَبَعْدَ شُرَافَاتِ الْقُصُورِ مَسَاكِنَ السِّبَاعِ، وَبَعْدَ ضَوْءِ السُّرُجِ وَهَجَ الْعَجَاجِ، وَبِالْعِزِّ الذُّلَّ، وَبِالنِّعْمَةِ الْعُبُودِيَّةَ، وَأُبَدِّلَنَّ نِسَاءَهُمْ بَعْدَ الطِّيبِ التُّرَابَ، وَبِالْمَشْيِ عَلَى الزَّرَابِيِّ الْخَبَبَ. وَلَأَجْعَلَنَّ أَجْسَادَهُمْ زِبْلًا لِلْأَرْضِ، وَعِظَامَهُمْ ضَاحِيَةً لِلشَّمْسِ، وَلَأَدُوسَنَّهُمْ بِأَلْوَانِ الْعَذَابِ، ثُمَّ لَآمُرَنَّ السَّمَاءَ فَلَتَكُونَنَّ طَبَقًا مِنْ حَدِيدٍ، وَالْأَرْضَ سَبِيكَةً مِنْ نُحَاسٍ، فَإِنْ أَمْطَرَتْ لَمْ تَنْبُتِ الْأَرْضُ، وَإِنْ أَنْبَتَتْ شَيْئًا فِي خِلَالِ ذَلِكَ فَبِرَحْمَتِي لِلْبَهَائِمِ، ثُمَّ أَحْبِسُهُ فِي زَمَانِ الزَّرْعِ، وَأُرْسِلُهُ فِي زَمَانِ الْحَصَادِ، فَإِنْ زَرَعُوا فِي خِلَالِ ذَلِكَ شَيْئًا سَلَّطْتُ عَلَيْهِ الْآفَةَ
পৃষ্ঠা - ৮৭৭
ষ্ষ্


বুথ্ত নসরের অম্ভরে বনী ইসরাঈলের উপর হামলা করার ইচ্ছে জাগিয়ে দেন ৷ তাই বুথ্ত নসর
তাদেরকে আক্রমণ করার উদ্যোপ নেন ৷ এ সময় আল্লাহ আরমিয়ার নিকট ওহী পাঠান ৷ তিনি
জানান, আমি বনী ইসরাঈলকে ধ্বংস করব; তাদের পাপের সমুচিত৷ ৷৷স্তি দেরে৷ ৷ তুমি বায়তুল
মুকাদ্দ ৷সে সংরক্ষিত শুভ্র পাথরের উপর দাড়াও ৷ সেখানে ওে আমার নিকট আমার ওহী ও নিন্দোণ
আসবে ৷ আরমিয়া সেখানে গিয়ে দাড়ালেন এবং পবিধানের জামা ৷ছড়ে ফেললেন ৷ আপন
মাথায় ছ ই মাখলেন ৷৩ তারপরে সিজদায় গেলেন ৷ সিজদায় পড়ে তিনি বলতে লাগলেন হে
আমার প্ৰনিপালক ! কত ভাল হত যদি আমার যা আমাকে প্ৰসব না করতেন ৷ কেননা আপনি
আমাকে বনী ইসরাঈলের শেষ যুগের নবী বানিয়েছেন; আর আমার কারণেই বায়তুল যুকাদ্দাস
ধ্বংস হয়ে এবং বনী ইসরাঈল নির্মুল হবে ৷ আল্লাহ তাকে বললেন, সিজদ৷ থেকে মাথা উঠাও ৷
তিনি ম ৷থ৷ উঠালেন এবং র্কাদতে র্কাদতে বললেন হে আমার প্রতিপাল্ক বনী ইসরাঈলকে
পরাভুত করবে কে? আল্লাহ জানালেন, তারা এক অগ্নিপুজারী সম্প্রদায়ত তারা না আমার শান্তির
ভয় করে, না পুরস্কার কামনা করে ৷ আরমিয়া! তুমি উঠে দাড়াও এবং ওহী শ্ররণ কর! আমি
তোমাকে তোমার নিজের ও বনী ইসরাঈলের সংবাদ দেবাে ৷ আমি তামান্ক সৃষ্টি করার পুবেই

তোমাকে মনোনীত করেছি ৷ তে তামার মায়ের পেটে তে তামার আকৃতি দেওয়ার পুর্বেই তোমাকে
পবিত্র করেছি, ভুমিষ্ঠ হওয়ার পুর্বেই তোমাকে নিষ্কলুষ বানিয়েছি ৷ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পুবেই
তোমাকে নবুওত দান করেছি, পুর্ণ যৌবনে উপনীত ৩হওয়ার পুবেই তে ৷মাকে মনোনীত করেছি
এবং এক বিরাট গুরুতৃপুর্ণ বিষয়ের জন্যে তোমাকে আমি বাছাই করেছি ৷ তুমি দেশের রাজার
সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে সরল সঠিক পথ দেখাও ৷ এ আদেশ পেয়ে নবী রাজার সাথে মিলিত
হন ও সঠিক পথ প্রদর্শন করতে থাকেন ৷ আল্লাহর নিকট থেকে নবীর নিকট প্রয়োজনীয় ওহী
আসতে থাকে ৷

এরপর বনী ইসরাঈলর৷ ক্রমান্বয়ে জঘন৷ পাপে লিপ্ত হয়ে পড়ে ৷ তাদের শত্রু সানহা জীব ও

তার সৈন্য বাহিনীর কবল থেকে আল্লাহ তাদেরকে যে রক্ষা করেছিলেন যে কথাও তারা
বেমালুম ভুলে যায় ৷ তখন আল্লাহ নবীকে ওহীর মাধ্যমে জানান; আমি তোমাকে যে নির্দেশ
দিই তা তাদের নিকট ব্যক্ত কর ৷ আমার অনুগ্নহের কথ৷ তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দা ও ; তারা যে
সব পাপাচার ও রেদআতে লিপ্ত হয়েছে তা তাদেরকে দেখিয়ে “দাও ৷ আরমিয়া নিবেদন করল :
“হে আমার প্ৰতিপালক! আমি দুর্বল, যদি আপনি শক্তি না দেন; আমি অক্ষয়, যদি আপনি
ক্ষমতা প্রদান না করেন; আমি ভুল করব, যদি আপনি সঠিক পথে পরিচালিত না করেন, আমি
অসহায় যদি আপনি সাহায্য না করেন; আমি লাঞ্ছিত যদি আপনি ইজ্জত না দেন ৷ ”

আল্লাহ তাকে জানালেন, হে আ ৷রমিয়া,৫ তামার কি জানা নেই যে, যাবতীয় ঘটনা আমারই
ইচ্ছার বহিঃ প্ৰাকাশ্ ,সৃষ্টি ও নির্দেশ সবই আমার এখতিয়ারে ৷ সকলের অন্তর ও জিহ্বা আমারই
হাতে, যেমন ইচ্ছা আমি তা পরিবর্তন করি সুতরাৎঅ আমারই আনুগত্য কর ৷ আমার কোন
সমকক্ষ নেই ৷ আমার নিদোশ আসমান, যমীন ও এ দৃয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু অস্তিত্ব লাভ
করেছে ৷ একক সত্তা কেবল আমিই এবং সকল ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র আমিই ৷ আমার
নিকট যা কিছু আছে সে সম্পর্কে আমি ব্যতীত আর কেউই অবগত নয় ৷ আমি এমন সত্তা যে ,


فَإِنْ خَلُصَ مِنْهُ شَيْءٌ نَزَعْتُ مِنْهُ الْبَرَكَةَ، فَإِنْ دَعَوْنِي لَمْ أُجِبْهُمْ، وَإِنْ سَأَلُوا لَمْ أُعْطِهِمْ، وَإِنْ بَكَوْا لَمْ أَرْحَمْهُمْ، وَإِنْ تَضَرَّعُوا صَرَفْتُ وَجْهِي عَنْهُمْ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ بِهَذَا اللَّفْظِ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: أَنْبَأَنَا إِدْرِيسُ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَمَّا بَعَثَ أَرْمِيَا إِلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ وَذَلِكَ حِينَ عَظُمَتِ الْأَحْدَاثُ فِيهِمْ ; فَعَمِلُوا بِالْمَعَاصِي وَقَتَلُوا الْأَنْبِيَاءَ، طَمِعَ بُخْتُ نَصَّرَ فِيهِمْ، وَقَذَفَ اللَّهُ فِي قَلْبِهِ، وَحَدَّثَ نَفْسَهُ بِالْمَسِيرِ إِلَيْهِمْ ; لَمَّا أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَنْتَقِمَ بِهِ مِنْهُمْ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى أَرْمِيَا أَنِّي مُهْلِكٌ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَمُنْتَقِمٌ مِنْهُمْ، فَقُمْ عَلَى صَخْرَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ يَأْتِيكَ أَمْرِي وَوَحْيِي. فَقَامَ أَرْمِيَا، فَشَقَّ ثِيَابَهُ، وَجَعَلَ الرَّمَادَ عَلَى رَأْسِهِ، وَخَرَّ سَاجِدًا وَقَالَ: يَا رَبِّ، وَدِدْتُ أُمِّي لَمْ تَلِدْنِي حِينَ جَعَلْتَنِي آخِرَ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَيَكُونُ خَرَابُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَبَوَارُ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ أَجْلِي. فَقِيلَ لَهُ: ارْفَعْ رَأْسَكَ. فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَبَكَى، ثُمَّ قَالَ: يَا رَبِّ مَنْ تُسَلِّطُ عَلَيْهِمْ؟ قَالَ: عَبَدَةُ النِّيرَانِ، لَا يَخَافُونَ عِقَابِي وَلَا يَرْجُونَ ثَوَابِي، قُمْ يَا أَرْمِيَا، فَاسْتَمِعْ وَحْيِي أُخْبِرْكَ خَبَرَكَ وَخَبَرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ قَبْلِ أَنْ أَخْلُقَكَ اخْتَرْتُكَ، وَمِنْ قَبْلِ أَنْ أُصَوِّرَكَ فِي رَحِمِ أُمِّكَ قَدَّسْتُكَ، وَمِنْ قَبْلِ أَنْ أُخْرِجَكَ مِنْ بَطْنِ أُمِّكَ طَهَّرْتُكَ، وَمِنْ قَبْلِ أَنْ تَبْلُغَ نَبَّأْتُكَ، وَمِنْ قَبْلِ أَنْ تَبْلُغَ الْأَشُدَّ اخْتَرْتُكَ، وَلِأَمْرٍ عَظِيمٍ اجْتَبَيْتُكَ، فَقُمْ مَعَ الْمَلِكِ تُسَدِّدُهُ وَتُرْشِدُهُ. فَكَانَ مَعَ الْمَلِكِ يُرْشِدُهُ وَيَأْتِيهِ
পৃষ্ঠা - ৮৭৮
ষ্ষ্


সমুদ্রকে সম্বোধন করে বাক্যাল প করেছি ৷ যে তা বুঝতেও পেরেছে ৷ আমি তাকে নির্দেশ
দিয়েছি, যে সেই নির্দেশ পালনও করেছে ৷ আমি তাকে সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছি ৷ যে ঐ
সীমানা অতিক্রম করেনি ৷ সে পর্বতের ন্যায় সু উচ্চ তরঙ্গমালা উখিত করে ৷ তবে যখনই
আমার নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত পৌছে যায় তখনই আমার আনুগত্য ও নির্দেশ পালনার্থেত
শংকিত হয়েত তা গুটিয়ে ফেলে ৷ আমি তোমার সাথেই আছি ৷ আমি যখন আছি তখন কোন
কিছুইণ্ তামাকে স্পর্শ করতে পারবে না ৷ তোমাকে এক গুরুতৃপুর্ণ জ বিব নিকট প্রেরণ করা
হয়েছে ৷ তাদের নিকট তুমি আমার বাণী পৌছিয়ে দৰু ও ৷ যার৷ তোমার অনুসরণ করবে তাদের
সমপরিমাণ ছওয়াব তুমিও লাভ করবে ৷ এতে তাদের ছওয়াব থেকে কিল্ কমানো হবে না ৷
তুমি সম্প্রদায়ের নিকট যাও ৷ তাদেরকে সম্বোধন করে বল আল্লাহ তোমাদের পুর্ব পুরুষের
উত্তম গুণাবলীর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ৷ তোমরা নবী রাসুলগ ণের বংশধর ৷ তাদের উত্তম
কার্যাবলীর কারণেই তিনি তোমাদের অস্তিতু টিকিয়ে রেখেছেন ৷

লক্ষ্য কর, তোমাদের পুর্বপুরুষগণ আমার আনুগত্য কৰুা৷র কি সুফল লাভ করেছে ; আর
আমার অবাধ্য হয়ে তোমাদের কি পরিণতি হয়েছেঃ ওদেরকে জিজ্ঞেস কর , তারা কি দেখেছে
কোন লোক আমার অবাধ্য হয়ে সৌভাগ্যের অধিকারী হয়েছে? কিৎ ৷তারা কি জানে কেউ
আমার আনুগত্য করে দৃর্ভ ৷গ্যের শিকা ৷র হয়েছে? বনের পগুরাও যখন তাদের উত্তম বাসস্থানের
কথা স্মরণ করে তখন তথায় যাওয়ার জন্যে উদগ্রীব হয়ে পড়ে ৷ অথচ এই সম্প্রদায়টি অতি
উৎফুল্ল চিত্তে ধ্বংসের গহবরেব দিকে ধাবিত হচ্ছে ৷ত তাদের পুর্ব পুরুষদেরকে যেসব গুণাবলীর
জন্যে সম্মানে ভুষিত করেছিলাম এরা সেগুলো পরিহার করে ভিন্ন পথে মর্যাদা লাভে প্ৰয়াসী ৷
তাদের ধর্মযাজকর৷ আমার বন্দো দেরকে নিজেদের গোলাম বানিয়ে রেখেছে ৷ আমার কিতাবের
শিক্ষা উপেক্ষা করে তারা জনগণকে নিজেদের ইচ্ছামত পরিচালিত করছে ৷ সাধারণ মানুষকে
অজ্ঞতার অন্ধকারে ডুবিয়ে রেখেছে এবৎঅ ৷মার কর্মনীতি ও স্মরণ থেকে তাদেরকে গাফিল করে
রেখেছে ৷ এরা জনসাধারণকে আমার থেকে দুরে সরিয়ে রেখেছে ৷ ফলে তারা আমার বান্দা
হয়েও তাদের আনুগত্য করছে ও তাদের ভৈনকট্য লাভের প্ৰয়াসী হচ্ছে ৷ অথচ এ ধরনের
আনুগত্য পাওয়ার হক কেবল আমারই ৷ এভাবে আমার অবাধ্য হয়ে লোকজন ধর্মযাজকদের
আনুগত্য করছে ৷
তাদের শাসকবর্গ আমার অনুগ্রহ লাভ করে কৃত জ্ঞতার পরিবর্তে দা ৷ন্তিকত ৷ প্রদর্শন করছে ৷
এবং আমার নীতি কৌশলের পরিণতি থেকে নিশ্চিত নিরাপদ থাকবে বলে ধারণা করছে ৷
পার্থিব জীবন তাদেরকে প্রতারণার ঘুর্ণাবর্তে নিক্ষেপ করেছে ৷ ফলে তারা আমার প্রেরিত
কিত৷ ৷বকে পরিত্যাগ করেছে ৷ আমার সাথে কৃত প্রতিজ্ঞা ভুলে গিয়েছে ৷ আমার কিতাবের মধ্যে
পরিবর্তন করেছে, আমার প্রতি ও আমার রাসুলের প্ৰতি মিথ্যা আরোপের দুঃসাহস দেখিয়েছে ৷
আমার পবিত্র সত্তা, সুউচ্চ মর্যাদা ও মহা প্র৩ তা-প প্রতিপত্তির জন্যে আমার রাজোর মধ্যে কারও
অৎশীদারিত হু থাকা কি কখনও যুক্তিসংগত হতে পারে? আমার নির্দেশ উপেক্ষা করে অন্যের
আনুগত্য করা কি কোন মানুষের পক্ষে বাঞ্চুনীয় হতে পারে? আমার পক্ষে কি কোন বান্দাকে
মানুষের পুজনীয় করা কিৎরা কাউকে কোন মানুষের পুজা করার অনুমতি দেওয়া শোভা পায়?
নিরঙ্কুশ আনুগত্য তো কেবল আমারই প্রাপ্য ৷


الْوَحْيُ مِنَ اللَّهِ، حَتَّى عَظُمَتِ الْأَحْدَاثُ، وَنَسَوْا مَا نَجَّاهُمُ اللَّهُ بِهِ مِنْ عَدَوِّهِمْ سَنْحَارِيبَ وَجُنُودِهِ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى أَرْمِيَا قُمْ، فَاقْصُصْ عَلَيْهِمْ مَا آمُرُكَ بِهِ، وَذَكِّرْهُمْ نِعْمَتِي عَلَيْهِمْ وَعَرِّفْهُمْ أَحْدَاثَهُمْ. فَقَالَ أَرْمِيَا: يَا رَبِّ، إِنِّي ضَعِيفٌ إِنْ لَمْ تُقَوِّنِي، عَاجِزٌ إِنْ لَمْ تُبَلِّغْنِي، مُخْطِئٌ إِنْ لَمْ تُسَدِّدْنِي، مَخْذُولٌ إِنْ لَمْ تَنْصُرْنِي، ذَلِيلٌ إِنْ لَمْ تُعِزَّنِي، فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى لَهُ: أَوَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ الْأُمُورَ كُلَّهَا تَصْدُرُ عَنْ مَشِيئَتِي، وَأَنَّ الْخَلْقَ وَالْأَمْرَ كُلَّهُ لِي، وَأَنَّ الْقُلُوبَ وَالْأَلْسِنَةَ كُلَّهَا بِيَدِي، فَأُقَلِّبُهَا كَيْفَ شِئْتُ فَتُطِيعُنِي، فَأَنَا اللَّهُ الَّذِي لَيْسَ شَيْءٌ مِثْلِي، قَامَتِ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ وَمَا فِيهِنَّ بِكَلِمَتِي، وَأَنَّهُ لَا يَخْلُصُ التَّوْحِيدُ وَلَمْ تَتِمَّ الْقُدْرَةُ إِلَّا لِي، وَلَا يَعْلَمُ مَا عِنْدِي غَيْرِي، وَأَنَا الَّذِي كَلَّمْتُ الْبِحَارَ فَفَهِمَتْ قَوْلِي، وَأَمَرْتُهَا فَفَعَلَتْ أَمْرِي، وَحَدَّدْتُ عَلَيْهَا حُدُودًا فَلَا تَعْدُو حَدِّي، وَتَأْتِي بِأَمْوَاجٍ كَالْجِبَالِ، فَإِذَا بَلَغَتْ حَدِّي أَلْبَسْتُهَا مَذَلَّةً لِطَاعَتِي، وَخَوْفًا وَاعْتِرَافًا لِأَمْرِي، وَإِنِّي مَعَكَ، وَلَنْ يَصِلَ إِلَيْكَ شَيْءٌ مَعِي، وَإِنِّي بَعَثْتُكَ إِلَى خَلْقٍ عَظِيمٍ مِنْ خَلْقِي ; لِتُبَلِّغَهُمْ رِسَالَاتِي فَتَسْتَوْجِبَ لِذَلِكَ أَجْرَ مَنِ اتَّبَعَكَ، وَلَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا، وَإِنْ تُقَصِّرْ عَنْهَا تَسْتَحِقَّ بِذَلِكَ وِزْرَ مَنْ تَرَكْتَهُ فِي عِمَايَةٍ، وَلَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا، انْطَلِقْ إِلَى قَوْمِكَ فَقُمْ فِيهِمْ، وَقُلْ لَهُمْ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ ذَكَرَكُمْ بِصَلَاحِ آبَائِكُمْ ; فَلِذَلِكَ اسْتَبَقَاكُمْ يَا مَعْشَرَ
পৃষ্ঠা - ৮৭৯
أَبْنَاءِ الْأَنْبِيَاءِ، كَيْفَ وَجَدَ آبَاؤُكُمْ مَغَبَّةَ طَاعَتِي، وَكَيْفَ وَجَدْتُمْ مَغَبَّةَ مَعْصِيَتِي؟ وَهَلْ وَجَدُوا أَحَدًا عَصَانِي فَسَعِدَ بِمَعْصِيَتِي؟ وَهَلْ عَلِمُوا أَحَدًا أَطَاعَنِي فَشَقِيَ بِطَاعَتِي؟ إِنَّ الدَّوَابَّ إِذَا ذَكَرَتْ أَوْطَانَهَا الصَّالِحَةَ نَزَعَتْ إِلَيْهَا، وَإِنَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ رَتَعُوا فِي مُرُوجِ الْهَلَكَةِ وَتَرَكُوا الْأَمْرَ الَّذِي بِهِ أَكْرَمْتُ آبَاءَهُمْ وَابْتَغَوُا الْكَرَامَةَ مِنْ غَيْرِ وَجْهِهَا. أَمَّا أَحْبَارُهُمْ وَرُهْبَانُهُمْ فَاتَّخَذُوا عِبَادِي خَوَلًا يَتَعَبَّدُونَهُمْ وَيَحْكُمُونَ فِيهِمْ بِغَيْرِ كِتَابِي، حَتَّى أَجْهَلُوهُمْ أَمْرِي، وَأَنْسَوْهُمْ ذِكْرِي وَسُنَّتِي، وَغَرُّوهُمْ عَنِّي، فَدَانَ لَهُمْ عِبَادِي بِالطَّاعَةِ الَّتِي لَا تَنْبَغِي إِلَّا لِي، فَهُمْ يُطِيعُونَهُمْ فِي مَعْصِيَتِي. وَأَمَّا مُلُوكُهُمْ وَأُمَرَاؤُهُمْ، فَبَطَرُوا نِعْمَتِي، وَأَمِنُوا مَكْرِي، وَغَرَّتْهُمُ الدُّنْيَا، حَتَّى نَبَذُوا كِتَابِي، وَنَسُوا عَهْدِي، فَهُمْ يُحَرِّفُونَ كِتَابِي وَيَفْتَرُونَ عَلَى رُسُلِي ; جُرْأَةً مِنْهُمْ عَلَيَّ وَغِرَّةً بِي. فَسُبْحَانَ جَلَالِي، وَعُلُوِّ مَكَانِي، وَعَظَمَةِ شَأْنِي، هَلْ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ لِي شَرِيكٌ فِي مُلْكِي؟! وَهَلْ يَنْبَغِي لِبَشَرٍ أَنْ يُطَاعَ فِي مَعْصِيَتِي؟! وَهَلْ يَنْبَغِي لِي أَنْ أَخْلُقَ عِبَادًا أَجْعَلُهُمْ أَرْبَابًا مِنْ دُونِي؟! أَوْ آذَنَ لِأَحَدٍ بِالطَّاعَةِ لِأَحَدٍ وَهِيَ لَا تَنْبَغِي إِلَّا لِي! وَأَمَّا قُرَّاؤُهُمْ وَفُقَهَاؤُهُمْ، فَيَدْرُسُونَ مَا يَتَخَيَّرُونَ، فَيَنْقَادُونَ لِلْمُلُوكِ، فَيُتَابِعُونَهُمْ عَلَى الْبِدَعِ الَّتِي يَبْتَدِعُونَ فِي دِينِي، وَيُطِيعُونَهُمْ فِي مَعْصِيَتِي، وَيُوفُونَ لَهُمْ بِالْعُهُودِ النَّاقِضَةِ لِعَهْدِي، فَهُمْ جَهَلَةٌ بِمَا يَعْلَمُونَ، لَا يَنْتَفِعُونَ بِشَيْءٍ مِمَّا عَلِمُوا مِنْ كِتَابِي. وَأَمَّا
পৃষ্ঠা - ৮৮০
ষ্ষ্


এদের মধ্যে আলিম-ফকীহ ও শিক্ষিত শ্রেণীর অবস্থা এই যে, তারা তাদের পার্থিবার্থ
সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে পড়াশুনা করে, শাসকবর্গের অনুগত হয়ে থাকে ৷ ফলে শাসকদল
যেসব বেদআতী কাজে লিপ্ত হয় এরা সভুষ্টচিত্তে তা-ই অনুসরণ করে চরু ল আমার সাথে দেয়া
অঙ্গীকা র ভঙ্গ করে৩ তারা শাসকদেরকে দেয়া অঙ্গীকা র রক্ষা করে ৷ এভাবে আলিম হয়েও তারা
মুর্থের ভুমিকা পালন করছে ৷ আমার কিতড়াবের যে জ্ঞান তারা অর্জন করেছিল তা থেকে তারা
কােনভাবে উপকৃত হয়নি ৷

অপরদিকে নবীগণের ,বংশধরদের অবস্থা এমন শোচনীয় পর্যায়ে পৌছেছে যে, তারা অন্য
শক্তির নিকট পরাজিত, বিভিন্ন প্রকার সমস্যায় জর্জরিত ৷ বিভ্রাস্তিমুলক আলাপ-আলোচনায়
তারা লিপ্ত, তাদের পুর্ব-পুরুষদেরকে আমি যেভাবে সাহায্য ও সম্মান দান করেছি এরাও
সেইরুপ সাহায্য ও সম্মান পাওয়ার প্রতাশা করে ৷ তাদের ধারণা আমার অনুগ্রহ পা ওযাব যোগ্য
অধিকারী কেবলত তারাই, অন্য কেউ নয় ৷ কিন্তু তাদের মধ্যে সততা ও সৎ চিন্তা নেই ৷ তারা
স্মরণ করে না তাদের পুর্ব-পুরুষ কিভাবে ধৈর্যধারণ করেছিল এবং অনােরা যখন প্রতারণার
জালে আবদ্ধ হচ্ছিল তখন কত দৃঢ়তার সাথে তারা আমার নির্দেশ মেনে চলেছিল , কী পরিমাণ
আঅোৎসর্গ তারা করেছিল এবং রক্ত ঝরিয়েছিল ৷ তারা ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছিল এবং
ঈমানের দাবিকে সত্য প্রমাণিত করেছিল ৷ ফলে আমার বিধান মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়
এবং আমার দীন বিজয় লাভ করে ৷ তাদের বদৌলতেই এ জাতিকে আমি অবকাশ দিয়েছিলাম ৷
আশা ছিল এরা লজ্জিত হয়ে আমার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে ৷

এদেরকে আমি অবকাশ দিয়েছি৩ ৷৩াদের ত্রুটি বিচ্যুতি ক্ষমা করে দিয়েছি তাদের সং খ্যা
ও আয়ু বৃদ্ধি করে দিয়েছি ৷৩ তাদের কাকুতি মিনতি কবুল করেছি--যড়াতে তারা উপদেশ গ্রহণ
করে ৷ ফলে আকাশ তাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করেছে ৷ যমীন খাদ্য উৎপাদন করেছে, সুস্থ দেহ ও
াচ্ছন্দ জীবন তারা উপভোগ করেছে, শত্রুদের উপর জয়লাভ করেছে ৷ কিন্তু তা সত্বেও তারা
আরও বেশি পাপাসক্ত হয়েছে ৷ অপরাধের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং আমার নৈকট্য থেকে বহু
দুরে চলে গিয়েছে ৷ এ অবস্থা আর কতদিন চলতে দেয়া যায়? এরা কি আমার সাথে উপহাস
করছে, নাকি আমার সাথে ঘোকাবাজী করছে ? তারা আমার সাথে প্রতারণা করছে, নাকি স্পর্ধা
দেখাচ্ছেক্ট আমার মর্যাদার কসম, তাদের জন্যে এমন এক ভয়াবহ বিপর্যয় আমি নির্ধারণ করে
রেখেছি--যার প্রচণ্ডতায় বিজ্ঞ জ্ঞানী লোকও উদ্ভ্রান্ত হয়ে যাবে, দার্শনিকের৩ তত্ত্বজ্ঞান ও বিবেক
সম্পন্ন লোকের বিবেক-শক্তি লোপ পাবে ৷৩ তাদের উপর এক প্রতাপ,শালী পাষাণ হৃদয় নির্দয়
শাসক চাপিয়ে দেব ৷ ভয়ংকর তার চেহারা, দয়া মায়া শুন্য তার অন্তর ৷ আধার রাতের ন্যায়
বিশাল সৈন্য-বাহিনী অনুগামী হবে৩ তার ৷ সৈন্য-বাহিনীর ব্যুহগুলো হবে যেঘমালার ন্যায় ৷

ধোয়ার ন্যায় আচ্ছাদন করে চলবে সৈন্যদের খণ্ড খণ্ড মিছিলগুলো ৷ বাহিনীতে ব্যবহৃত
পতাকার শব্দ হবে শকুনপালের উড্ডয়নের শব্দের মত ৷ অশ্বারোহীদের ধাবমান গতি হবে ঈগল
পাথীর বাকের ন্যায় গতিশীল ৷ তারা সমস্ত শহর ধ্বংস করবে , গ্রাম উজাড় করবে এবং যা-ই
হাতের কাছে পারে, তাই বিনাশ করে ছাড়বে ৷ তাদের অন্তর হবে কঠিন, কোন কিছুই পরােয়া
করবে না, কারও অপেক্ষা করবে না , কারও প্রতি অনুগ্রহ দেখাবে না, কোন দিকে তাকাবে না,


أَوْلَادُ النَّبِيِّينَ، فَمَقْهُورُونَ وَمَفْتُونُونَ، يَخُوضُونَ مَعَ الْخَائِضِينَ، يَتَمَنَّوْنَ مِثْلَ نَصْرِي آبَاءَهُمْ، وَالْكَرَامَةَ الَّتِي أَكْرَمْتُهُمْ بِهَا، وَيَزْعُمُونَ أَنَّهُ لَا أَحَدَ أَوْلَى بِذَلِكَ مِنْهُمْ، بِغَيْرِ صِدْقٍ مِنْهُمْ، وَلَا تَفَكُّرٍ، وَلَا يَذْكُرُونَ كَيْفَ كَانَ صَبْرُ آبَائِهِمْ، وَكَيْفَ كَانَ جُهْدُهُمْ فِي أَمْرِي، حَتَّى اغْتَرَّ الْمُغْتَرُّونَ، وَكَيْفَ بَذَلُوا أَنْفُسَهُمْ وَدِمَاءَهُمْ، فَصَبَرُوا وَصَدَقُوا، حَتَّى عَزَّ أَمْرِي، وَظَهَرَ دِينِي، فَتَأَنَّيْتُ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ لَعَلَّهُمْ يَسْتَحْيُونَ مِنِّي وَيَرْجِعُونَ، فَتَطَوَّلْتُ عَلَيْهِمْ وَصَفَحْتُ عَنْهُمْ، فَأَكْثَرْتُ وَمَدَدْتُ لَهُمْ فِي الْعُمُرِ، وَأَعْذَرْتُ لَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ، وَكُلُّ ذَلِكَ أُمْطِرُ عَلَيْهِمُ السَّمَاءَ، وَأُنْبِتُ لَهُمُ الْأَرْضَ، وَأُلْبِسُهُمُ الْعَافِيَةَ، وَأُظْهِرُهُمْ عَلَى الْعَدُوِّ، وَلَا يَزْدَادُونَ إِلَّا طُغْيَانًا وَبُعْدًا مِنِّي، فَحَتَّى مَتَى هَذَا! أَبِي يَسْخَرُونَ! أَمْ بِي يَتَمَرَّسُونَ! أَمْ إِيَّايَ يُخَادِعُونَ! أَمْ عَلَيَّ يَجْتَرِئُونَ! فَإِنِّي أُقْسِمُ بِعِزَّتِي، لَأُتِيحَنَّ لَهُمْ فِتْنَةً يَتَحَيَّرُ فِيهَا الْحَلِيمُ وَيَضِلُّ فِيهَا رَأْيُ ذَوِي الرَّأْيِ وَحِكْمَةُ الْحَكِيمِ، ثُمَّ لَأُسَلِّطَنَّ عَلَيْهِمْ جَبَّارًا قَاسِيًا عَاتِيًا، أُلْبِسُهُ الْهَيْبَةَ، وَأَنْزِعُ مِنْ قَلْبِهِ الرَّأْفَةَ وَالرَّحْمَةَ، وَآلَيْتُ أَنْ يَتَّبِعَهُ عَدَدٌ وَسَوَادٌ مِثْلُ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ، لَهُ فِيهِ عَسَاكِرُ مِثْلُ قِطَعِ السَّحَابِ، وَمُوَاكِبُ مِثْلُ الْعَجَاجِ، وَكَأَنَّ حَفِيفَ رَايَاتِهِ طَيَرَانُ النُّسُورِ، وَحَمْلَ فُرْسَانِهِ كَسِرْبِ الْعِقْبَانِ، يُعِيدُونَ الْعِمْرَانَ خَرَابًا، وَالْقُرَى وَحْشًا، وَيَعِيثُونَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا، وَيُتَبِّرُونَ مَا عَلَوْا تَتْبِيرًا، قَاسِيَةً قُلُوبُهُمْ; لَا
পৃষ্ঠা - ৮৮১
ষ্ষ্


কারও কথা শুনবে না ৷ সিংহের মত গর্জন করতে করতে এক বজাের থেকে অন্য বাজারে ঘুরে
বেড়াবে ৷ তাদের ভয়ংকর রুপ দেখে শরীর শিউরে উঠবে ৷ তাদের কথা শুনে জ্ঞানীর জ্ঞান
লোপ পেয়ে যাবে ৷ এমন ভাষায় কথা বলবে, যা কেউ বুঝরে ন, এমন চেহারায় প্রকাশিত হবে,
যা কেউ চিনবে না৷ আমার ইজ্জতের কসম, এরপরে আমি তাদের বাড়ি-ঘর আমার পবিত্র
কিতাব থেকে বঞ্চিত করে দেব ৷ তাদের সভা-সমিতি ও ভৈবঠকাদিতে কিতাবের পাঠ ও
আলোচনা বন্ধ করে দেব, তাদের মসজিদগুলাে ঐসব আপভুক ও পরিচর্যাকারী থেকে শুনা করে
ফেলব, যারা অন্যের উদ্দেশ্যে এগুলোকে সুসজ্জিত করে রাখত, এর মধ্যে শয়ন করত ৷ পুণ্য
লাভের পরিবর্তে পার্থিব স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তারা ইবাদত করত, এখানে বসে দীনের
পরিপন্থী চিন্তা-গবেষণা করত এবং এ মসজিদগুলােতে বসেই আমলবিহীন শিক্ষা গ্রহণ করত ৷

তাদের অবস্থার আমুল পরিবর্জা সাধন করব--শাসক শ্রেণীর সম্মানের পরিবর্তে লাঞ্চুনা,
নিরাপত্তার পরিবর্তে ভয়-ভীতি ঐশ্বর্যের পরিবর্তে দারিদ্র, স্বচ্ছলতার পরিবর্তে অনাহার,
অনাবিল সুখ-শান্তির পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার সংকটসমন্ন্শে, রেশমী পোশাকের পরিবর্তে
জীর্ণশীর্ণ পশমী জামা, তেল-সুপন্ধি যুক্ত সংগীদের পরিবর্তে নিহত মানুষের লাশ এবং মাথায়
রাজ-মুকুটের পরিবর্তে গলায় লোহার রেড়ি ও পায়ে শৃৎখল পরিধানের দ্বার৷ আমি তাদের ভাগ্য
পরিবর্ত্য৷ করব ৷ তাদের সুরম্য অট্টালিকা ও দুর্ভেদ্য দুর্গকে ধ্বংসন্তুপে, নিচ্ছিদ্র গম্বুজ বিশিষ্ট
শয়ন-কক্ষকে হিংস্র শ্বড়াপদের আবাস স্থলে, অশ্ব হ্নেসার স্থলে নেকড়ের গর্জন, প্ৰদীপের আলোর
স্থলে আগুনের ধোয়া এবং কোলাহল-কলরবের স্থলে নীরব-নিস্তব্ধ পরিবেশে রুপান্তরিত করব ৷
তাদের ত্রীদের হাতে চুড়ির বদলে বেড়ি, গলায় স্বর্ণ ও মুক্তার হারের বদলে লোহার শিকল,
সৃগন্ধি ও সুবাসিত তেলের বদলে ধুলি-বালি ৷ কোমল বিছানায় উচু বালিশে হেলান দিয়ে থাকার
বদলে বাজার-ঘাটে রড়াত্রি-দিনে ঘুরে বেড়ানাের এবং অন্দর মহলে ঘোমটা দিয়ে থাকার বদলে
অনাবৃত চেহারায় থর-তাপের মধ্যে ভবঘুরে জীবন যাপনে বাধ্য করব ৷

এরপর আমি এদেরকে বিভিন্ন প্রকার শাস্তি দিয়ে নিম্পেযিত করব ৷ কেউ যদি সু-উচ্চ কোন
স্থানে আশ্রয় নেয়, তা হলে আমার শাস্তিও সেখানে গিয়ে পৌছরে ৷ যে আমাকে সমীহ করবে
আমি তার প্রতি অনুগ্রহ দেখার, আর যার দ্বারা আমার নির্দেশ পদদলিত হবে, আমি তাকে
লাঞ্ছিত করব ৷ এরপর আমার নির্দেশে আকাশ ত ৷ দের উপরে লোহার ঢাকনায় পরিণত হয়ে
এবং মাটি গলিত তামার মত কঠিন হবে ৷ ফলে আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ধিত হবে না এবং মাটি
থেকে কিছুই উৎপন্ন হয়ে না ৷ যদি অল্প কিছু বৃষ্টি হয়ও এবং তাতে যৎসামানা ফসলও উৎপন্ন
হয় তা হলে তা নষ্ট করার উপ্দ্বেব সৃষ্টি করব ৷ যদি কিছু ফসল রক্ষা পেয়ে যায় তবে তার থেকে
আমি বরকত উঠিয়ে নেব ৷ আমার নিকট প্রার্থনা করলে সাড়া দেব না, কিছু পাওয়ার আবেদন
করলে দান করব না, কান্নাকাটি করলে দয়া দেখার না, করজােড়ে অনুনয়-রিনয় করলে তাদের
থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখব ৷ তারা যদি এভাবে প্রার্থনা করে, হে আল্লাহ ! আপনি আমাদের
পুর্ব-পুরুষদের উপর আপনারবহমত ও কৃপা দান করেছেন এবং আমাদের উপরেও প্রথম দিকে
তা অব্যাহত রেখেছেন আমাদেরকে আপনার ভৈনকট্য দানের জন্যে বাছাই করেছেন, আমাদের
মধ্যে বহু নবী প্রেরণ করেছেন, আসমানী কিতাব নাযিল করেছেন, বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ


يَكْتَرِثُونَ، وَلَا يَرِقُّونَ، وَلَا يَرْحَمُونَ، وَلَا يُبْصِرُونَ، وَلَا يَسْمَعُونَ، يَجُولُونَ فِي الْأَسْوَاقِ بِأَصْوَاتٍ مُرْتَفِعَةٍ مِثْلَ زَئِيرِ الْأُسْدِ، تَقْشَعِرُّ مِنْ هَيْبَتِهَا الْجُلُودُ، وَتَطِيشُ مِنْ سَمْعِهَا الْأَحْلَامُ، بِأَلْسِنَةٍ لَا يَفْقَهُونَهَا، وَوُجُوهٍ ظَاهِرٌ عَلَيْهَا الْمُنْكَرُ، لَا يَعْرِفُونَهَا. فَوَعِزَّتِي لَأُعَطِّلَنَّ بُيُوتَهُمْ مِنْ كُتُبِي وَقُدُسِي، وَلَأُخْلِيَنَّ مَجَالِسَهُمْ مِنْ حَدِيثِهَا وَدُرُوسِهَا، وَلَأُوحِشَنَّ مَسَاجِدَهُمْ مِنْ عُمَّارِهَا وَزُوَّارِهَا، الَّذِينَ كَانُوا يَتَزَيَّنُونَ بِعِمَارَتِهَا لِغَيْرِي، وَيَتَهَجَّدُونَ فِيهَا وَيَتَعَبَّدُونَ لِكَسْبِ الدُّنْيَا بِالدِّينِ، وَيَتَفَقَّهُونَ فِيهَا لِغَيْرِ الدِّينِ، وَيَتَعَلَّمُونَ فِيهَا لِغَيْرِ الْعَمَلِ. لَأُبَدِّلَنَّ مُلُوكَهَا بِالْعِزِّ الذُّلَّ، وَبِالْأَمْنِ الْخَوْفَ، وَبِالْغِنَى الْفَقْرَ، وَبِالنِّعْمَةِ الْجُوعَ، وَبِطُولِ الْعَافِيَةِ وَالرَّخَاءِ أَنْوَاعَ الْبَلَاءِ، وَبِلِبَاسِ الدِّيبَاجِ وَالْحَرِيرِ مَدَارِعَ الْوَبَرِ وَالْعَبَاءَ، وَبِالْأَرْوَاحِ الطَّيِّبَةِ وَالْأَدْهَانِ جِيَفَ الْقَتْلَى، وَبِلِبَاسِ التِّيجَانِ أَطْوَاقَ الْحَدِيدِ وَالسَّلَاسِلَ وَالْأَغْلَالَ. ثُمَّ لَأُعِيدَنَّ فِيهِمْ بَعْدَ الْقُصُورِ الْوَاسِعَةِ وَالْحُصُونِ الْحَصِينَةِ الْخَرَابَ، وَبَعْدَ الْبُرُوجِ الْمُشَيَّدَةِ مَسَاكِنَ السِّبَاعِ، وَبَعْدَ صَهِيلِ الْخَيْلِ عُوَاءَ الذِّئَابِ، وَبَعْدَ ضَوْءِ السِّرَاجِ دُخَانَ الْحَرِيقِ، وَبَعْدَ الْأُنْسِ الْوَحْشَةَ وَالْقِفَارَ، ثُمَّ لَأُبَدِّلَنَّ نِسَاءَهَا بِالْأَسْوِرَةِ الْأَغْلَالَ، وَبِقَلَائِدِ الدُّرِّ وَالْيَاقُوتِ سَلَاسِلَ الْحَدِيدِ، وَبِأَلْوَانِ الطِّيبِ وَالْأَدْهَانِ النَّقْعَ وَالْغُبَارَ، وَبِالْمَشْيِ عَلَى الزَّرَابِيِّ عُبُورَ الْأَسْوَاقِ وَالْأَنْهَارِ وَالْخَبَبَ إِلَى اللَّيْلِ فِي بُطُونِ الْأَسْوَاقِ، وَبِالْخُدُورِ وَالسُّتُورِ الْحُسُورَ عَنِ الْوُجُوهِ وَالسُّوقِ وَالْإِسْفَارَ، وَالْأَرْوَاحِ السَّمُومَ، ثُمَّ لَأَدُوسَنَّهُمْ بِأَنْوَاعِ الْعَذَابِ حَتَّى لَوْ كَانَ الْكَائِنُ مِنْهُمْ فِي حَالِقٍ، لَوَصَلَ ذَلِكَ إِلَيْهِ. إِنِّي إِنَّمَا أُكْرِمُ مَنْ أَكْرَمَنِي، وَإِنَّمَا أُهِينُ مَنْ هَانَ عَلَيْهِ أَمْرِي. ثُمَّ لَآمُرَنَّ السَّمَاءَ خِلَالَ ذَلِكَ ; فَلَتَكُونَنَّ عَلَيْهِمْ طَبَقًا مِنْ حَدِيدٍ، وَلَآمُرَنَّ
পৃষ্ঠা - ৮৮২
ষ্ষ্


আমাদেরকে দিয়েছেন, আমাদেরকে শক্তিশালী করেছেন ও রাদ্রীয় ক্ষমতা দান করেছেন ৷
আমাদেরকে ও আমাদের পুর্ব-পুরুষদেরকে শিশুকালে আপন অনুগ্নহে লালন-পালন করেছেন
এবং যৌবনকালে আপন রহমত দিয়ে সব রকম ক্ষতি থেকে হেফাজত করেছেন ৷ আমরাই
আপনার অনুগ্নহপ্রাপ্ত লোকজন ৷ সুতরাং আমরা যদি ৰিপখগামী হয়েও থাকি তবুও আপনার
অনুগ্রহ আমাদের উপর অব্যাহত রাখুন, আমরা যদি বদলে গিয়েও থাকি আপনি বদলে যাবেন
না, বরং আপনার অনুগ্রহ, ইহ্সান, কথা ও দান পুরোপুরি আমাদের প্রতি বর্ষণ করুন ৷ তারা
যদি ঐভাবে প্রার্থনা করে তবে আমি বলবো, আমার বান্দাদের উপরে প্রথমে আমি দয়া ও
রহমত দেখিয়ে থাকি ৷ এরপর যদি তারা আমার দাসৎ কবুল করে নেয়, তা হলে আমি আমার
দান পুর্ণ করে দেই ৷ যদি তারা তা’ বৃদ্ধি করে আমিও আমার দান বৃদ্ধি করি ৷ যদি তারা
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, আমি তখন আমার দান দ্বিগুণ করে দেই ৷ যদি তারা পরিবর্তিত হয়ে যায়
এবং বিপখগামী হয় তখন আমিও আমার কার্যধারা পরিবর্তন করি ৷ তারা ৰিপথগামী হলে
আমি ক্রুদ্ধ হই ৷ আমি ক্রুদ্ধ হলে শান্তি দান করি ৷ আর আমার রুক্রাধের সামনে কিছুই টিকে
থাকতে পারে না ৷

কা’ব বর্ণনা করেন, তখন নবী আরমিয়া (আ) বললেন, হে আল্লাহ ! আমি তো আপনার
কৃপায় বেচে আছি, যা আমার তা আপনার থেকেই জানছি ৷ আমি দুর্বল ও অসহায়, আপনার
দরবারে কথা বলা আমার সাজে না ৷ আজকের এই দিন পর্যন্ত আপনি নিজ রহমতে আমাকে
জীবিত রেখেছেন ৷ এ আমার ও শাস্তির ঘোষণাকে আমার চেয়ে অধিক ভয় পাওয়ার আর কেউ
নেই ৷ দীর্ঘদিন যাবত আমি এসব পাপী লোকদের মধ্যে অবস্থান করে আসছি ৷ আমার পাশে
থেকেই এরা আপনার অবাধ্য হয়ে চলেছে ৷ আমি কোন প্রতিবাদ ও পরিবর্তন করতে পারিনি ৷
এখন যদি আপনি আমাকে শান্তি দেন, তা হলে সে শান্তি আমার ত্রুটির জন্যেই ভোগ করব;
আর যদি আমাকে ক্ষমা করে দেন, তা হলে আপনার দরবারে আমার প্রত্যাশা ৷

এরপর নবী আরমিয়া (আ) বলেন, হে আমার প্রতিপালক ! আপনি পবিত্র, যাবতীয় প্রশংসা
আপনার; হে আমার প্রতিপালক ! আপনি বরকতময় ও সুমহান ৷ আপনি কি এ জনপদ ও
পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ধ্বংস করে দেবেন, এটা তো আপনার প্রেরিত অসংখ্য নবীর বাসস্থান এবং
আপনার ওহীর অবতারণ স্থল ৷ হে আমার প্রতিপালক৷ আপনি পবিত্র, প্রশংসার অধিকারী, হে
আমার প্রতিপালক ! আপনি বরকতময়, মহান ৷ এ মসজিদ (বায়তুল মুকড়াদ্দাস) ধ্বংসের
প্রাক্কালে আমার ফরিয়াদ এ মসজিদের চতুর্ম্পার্শে আরও বহু মসজিদ ও বাড়ি-ঘর আছে,
যেগুলো আপনার যিক্র ও স্মরণ করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে ৷ হে আমার রব! আপনি
পবিত্র, প্রশংসনীয় , কল্যাণময় ও মহান, এ জাতিকে আপনি হত্যা ও শান্তি দিতে যাচ্ছেন, এরা
তো আপনার খলীল ইবরাহীম (আ)-এর বংশধর; আপনার সাথে একাভে সংলাপকারী মুসা
(আ)-এর অনুসারী এবং আপনার মনোনীত নবী দাউদ (আ)-এর সম্প্রদায় ৷ হে আমার
প্রতিপালক ! ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ্র বংশধর, মুসা নাজীউল্লাহ্র উস্মত এবং দাউদ খলীফাতৃল্লাহ্র
সম্প্রদায়, যাদেরকে শায়েস্তা করার জন্যে আপনি অগ্নি পুজারীদেরকে চাপিয়ে দেবেন এরপর
আর কােনৃ জনপদটি অবিশষ্ট থাকবে, যারা আপনার শাস্তি থেকে রক্ষা পাবে ?


الْأَرْضَ فَلَتَكُونَنَّ سَبِيكَةً مِنْ نُحَاسٍ، فَلَا سَمَاءَ تُمْطِرُ وَلَا أَرْضَ تُنْبِتُ، فَإِنْ أَمْطَرَتْ خِلَالَ ذَلِكَ شَيْئًا سَلَّطْتُ عَلَيْهِمُ الْآفَةَ، فَإِنْ خَلُصَ مِنْهُ شَيْءٌ نَزَعْتُ مِنْهُ الْبَرَكَةَ، وَإِنْ دَعَوْنِي لَمْ أُجِبْهُمْ، وَإِنْ سَأَلُونِي لَمْ أُعْطِهِمْ، وَإِنْ بَكَوْا لَمْ أَرْحَمْهُمْ، وَإِنْ تَضَرَّعُوا إِلَيَّ صَرَفْتُ وَجْهِي عَنْهُمْ. وَإِنْ قَالُوا: اللَّهُمَّ أَنْتَ الَّذِي ابْتَدَأْتَنَا وَآبَاءَنَا مِنْ قَبْلِنَا بِرَحْمَتِكَ وَكَرَامَتِكَ وَذَلِكَ بِأَنَّكَ اخْتَرْتَنَا لِنَفْسِكَ وَجَعَلْتَ فِينَا نُبُوَّتَكَ وَكِتَابَكَ وَمَسَاجِدَكَ، ثُمَّ مَكَّنَتْ لَنَا فِي الْبِلَادِ وَاسْتَخْلَفْتَنَا فِيهَا وَرَبَّيْتَنَا وَآبَاءَنَا مِنْ قَبْلِنَا بِنِعْمَتِكَ صِغَارًا، وَحَفِظْتَنَا وَإِيَّاهُمْ بِرَحْمَتِكَ كِبَارًا، فَأَنْتَ أَوْفَى الْمُنْعِمِينَ، فَلَا تُغَيِّرْ وَإِنْ غَيَّرْنَا، وَلَا تُبَدِّلْ وَإِنْ بَدَّلْنَا، وَأَنْ تُتِمَّ فَضْلَكَ وَمَنَّكَ وَطَوْلَكَ وَإِحْسَانَكَ. فَإِنْ قَالُوا ذَلِكَ قُلْتُ لَهُمْ: إِنِّي أَبْتَدِئُ عِبَادِي بِرَحْمَتِي وَنِعْمَتِي، فَإِنْ قَبِلُوا أَتْمَمْتُ، وَإِنِ اسْتَزَادُوا زِدْتُ، وَإِنْ شَكَرُوا ضَاعَفْتُ، وَإِنْ بَدَّلُوا غَيَّرْتُ، وَإِذَا غَيَّرُوا غَضِبْتُ، وَإِذَا غَضِبْتُ عَذَّبْتُ، وَلَيْسَ يَقُومُ شَيْءٌ لِغَضَبِي. قَالَ كَعْبٌ: فَقَالَ أَرْمِيَا: بِرَحْمَتِكَ أَصْبَحْتُ أَتَكَلَّمُ بَيْنَ يَدَيْكَ، وَهَلْ يَنْبَغِي ذَلِكَ لِي وَأَنَا أَذَلُّ وَأَضْعَفُ مِنْ أَنْ يَنْبَغِيَ لِي أَنْ أَتَكَلَّمَ بَيْنَ يَدَيْكَ، وَلَكِنْ بِرَحْمَتِكَ أَبْقَيْتَنِي لِهَذَا الْيَوْمِ، وَلَيْسَ أَحَدٌ أَحَقَّ أَنْ يَخَافَ هَذَا الْعَذَابَ وَهَذَا الْوَعِيدَ مِنِّي، بِمَا رَضِيتَ بِهِ مِنِّي طَوْلًا، وَالْإِقَامَةِ فِي دَارِ الْخَاطِئِينَ وَهُمْ يَعْصُونَكَ حَوْلِي بِغَيْرِ نَكِيرٍ وَلَا تَغْيِيرٍ مِنِّي، فَإِنْ
পৃষ্ঠা - ৮৮৩
ষ্ষ্


আল্লাহ বলেন, “হে আরমিয়া ৷ যে কেউ আমার অবাধ্য হয় সে আমার শাস্তি থেকে আদৌ
অনবহিত থাকে না ৷ ঐসব লোকদেরকে আমি সম্মানিত করেছিলাম, কারণ তারা আমার
আনুগত্য করেছিল ৷ যদি তারা আমার অবাধ্য হত, তবে অবশ্যই আমি তাদেরকে
অবাধ্যদের অন্তর্ভুক্ত করতাম ৷ তবে আমি তাদের প্রতি সদয় হলে নিজ দয়ায় তাদেরকে
সংশোধন করে থাকি ৷

আরমিয়া (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক ! আপনি নবী ইবরাহীমকে আপন
খলীলরুপে গ্রহণ করেছেন এবং তার বদৌলতে আমাদেরকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করেছেন ৷ নবী
মুসাকে আপনি একান্তে ডেকে নিয়ে সংলাপ করেছেন ৷ সুতরাং আমাদের প্রার্থনা, তার ওসীলায়
আমাদেরকে রক্ষা করুন এবং আমাদের শত্রুদেরকে আমাদের উপরে চাপিয়ে দেবেন না ৷ তখন
আল্লাহ তাআলা তার প্রতি ওহী নাযিল করলেন : হে আরমিয়া! তুমি যখন মায়ের উদরে ছিলে
তখন থেকেই আমি তোমাকে পবিত্র রেখেছি এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত জীবিত রেখেছি ৷ তোমার
সম্প্রদায় যদি ইয়াতীম, বিধবা, মিসর্কীন ও পখিক লোকদের সাহায্য-সহযোগিতা করত তবে
আমি তাদেরকে আপন আশ্রয়ে রাখতাম ৷ তারা আমার নিকট এমন একটি উদ্যানের ন্যায়
সমাদৃত হত, যার বৃক্ষগুলি সতেজ এবং পানি স্বচ্ছ-পবিত্র এবং যার পানি কখনও শুকিয়ে যায়
না ৷ ফল নষ্ট হয় না এবং শেষও হয় না ৷ কিন্তু তোমার সম্প্রদায় বনী ইসরাঈলের অবস্থাটা কী ?
তাদের ব্যাপারে আমার অনুযোগ হচ্ছে আমি তাদেরকে দয়ালু আহ্বানকারীর মত আমার দিকে
আহ্বান করেছি, সকল প্রকার দুর্যোগ ও দৃর্ভিক্ষ থেকে নিরাপদে রেখেছি ৷ সালে ও সজীব জীবন
তারা উপভোগ করেছে ৷ কিভু আমার এ নিয়ামত ভোগ করে তারা মােটা-তাজা মেয়ের মত
পরস্পর লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে ৷ তাদের জন্যে শত আক্ষেপ , আমি (তা কেবল ঐসব
সোকদেরকে সম্মানিত করি , যারা আমার প্রতি সম্মান দেখায় ৷ পক্ষান্তরে যারা আমার বিধানকে
পদদলিত করে আমি তাদেরকে লাঞ্ছিত করে ছাড়ি ৷ বনী ইসরাঈলের পুর্বে যে সব জাতি
এসেছে, তারা পাপাচারে লিপ্ত হতো গোপনে, আর এরা পাপ কাজ করে প্রকাশ্যে ৷ এরা পাপ
করে মসজিদে, বাজারঘাটে, পর্বত শিখরে এবং বৃক্ষের ছায়ায় ৷ ওদের ঘৃণা পাপাচারে অতিষ্ঠ
হয়ে আসমান-যমীন ও পাহাড় পর্বত চিৎকার করে আমার নিকট ফরিয়াদ করেছে;
বন্য-জীবত্তস্থে ও কীট-পতৎগ এলাকা ত্যাগ করে দুর-দুরাম্ভে পালিয়ে গিয়েছে ৷ এর পরেও তারা
পাপাচার থেকে নিবৃত্ত হচ্ছে না এবং আমার কিতড়াবের যে জ্ঞান তারা লাভ করেছে তা থেকে
কোন উপকার লাভ করছে না ৷

তারপর আরমিয়া যখন বনী ইসরাঈলের নিকট গিয়ে এসব কথা জানালেন এবং সবকিছু
খুলে বললেন, তখন তারা এ শান্তি ও আযাবের কথা শুনে নবীর অবাধ্য হয়ে নবীকে বলল, তুমি
মিথ্যা বলছ এবং আল্লাহ্র উপরে মিথ্যা আরোপ করছ! তুমি কি মনে করছ যে, আল্লাহ তার
এ যমীনকে ও মসজিদসমুহকে নিজের কিতাব, তার ইবাদত ও তাওহীদ থেকে শুন্য করে
দেবেন ? এ সব চলে যাওয়ার পর তিনি এ পৃথিবীতে আর কাকে পাবেন ? তুমি আল্লাহর উপর
জঘন্য মিথ্যা আরোপ করেছ, আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছি তুমি পাগল হয়েছ ৷ এ কথা বলে তারা
নবীকে ধরে বন্দী করল এবং জেলখানায় আবদ্ধ করল ৷ আল্লাহ এ সময় তাদের বিরুদ্ধে বুখৃত

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য খণ্ড) ১ ১-

تُعَذِّبْنِي فَبِذَنْبِي وَإِنْ تَرْحَمْنِي فَذَلِكَ ظَنِّي بِكَ. ثُمَّ قَالَ: يَا رَبِّ، سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ، وَتَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ، أَتُهْلِكُ هَذِهِ الْقَرْيَةَ وَمَا حَوْلَهَا وَهِيَ مَسَاكِنُ أَنْبِيَائِكَ، وَمَنْزِلُ وَحْيِكَ؟ يَا رَبِّ، سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ لِمَخْرَبِ هَذَا الْمَسْجِدِ وَمَا حَوْلَهُ مِنَ الْمَسَاجِدِ، وَمِنَ الْبُيُوتِ الَّتِي رُفِعَتْ لِذِكْرِكَ؟ يَا رَبِّ، سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ لِمَقْتِكَ هَذِهِ الْأُمَّةَ وَعَذَابِكَ إِيَّاهُمْ وَهُمْ مِنْ وَلَدِ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِكَ، وَأُمَّةِ مُوسَى نَجِيِّكَ، وَقَوْمِ دَاوُدَ صَفِيِّكَ، يَا رَبِّ، أَيُّ الْقُرَى تَأْمَنُ عُقُوبَتَكَ بَعْدَ أُورْشَلِيمَ؟ وَأَيُّ الْعِبَادِ يَأْمَنُونَ سَطْوَتَكَ بَعْدَ وَلَدِ خَلِيلِكَ إِبْرَاهِيمَ، وَأُمَّةِ نَجِيِّكَ مُوسَى، وَقَوْمِ خَلِيفَتِكَ دَاوُدَ؟ تُسَلِّطُ عَلَيْهِمْ عَبَدَةَ النِّيرَانِ! قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: يَا أَرْمِيَا مَنْ عَصَانِي فَلَا يَسْتَنْكِرُ نِقْمَتِي ; فَإِنِّي إِنَّمَا أَكْرَمْتُ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ عَلَى طَاعَتِي، وَلَوْ أَنَّهُمْ عَصَوْنِي لَأَنْزَلْتُهُمْ دَارَ الْعَاصِينَ، إِلَّا أَنْ أَتَدَارَكَهُمْ بِرَحْمَتِي. قَالَ أَرْمِيَا: يَا رَبِّ، اتَّخَذْتَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا وَحَفِظْتَنَا بِهِ، وَمُوسَى قَرَّبْتَهُ نَجَّيًا، فَنَسْأَلُكَ أَنْ تَحْفَظَنَا وَلَا تَتَخَطَّفَنَا، وَلَا تُسَلِّطَ عَلَيْنَا عَدُوَّنَا. فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ: يَا أَرْمِيَا إِنِّي قَدَّسْتُكَ فِي بَطْنِ أُمِّكَ، وَأَخَّرْتُكَ إِلَى هَذَا الْيَوْمِ، فَلَوْ أَنَّ قَوْمَكَ حَفِظُوا الْيَتَامَى وَالْأَرَامِلَ وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ، لَكُنْتُ الدَّاعِمَ لَهُمْ، وَكَانُوا عِنْدِي بِمَنْزِلَةِ جَنَّةٍ نَاعِمٍ شَجَرُهَا، طَاهِرٍ مَاؤُهَا، وَلَا يَغُورُ مَاؤُهَا، وَلَا تَبُورُ ثِمَارُهَا، وَلَا تَنْقَطِعُ
পৃষ্ঠা - ৮৮৪
وَلَكِنْ سَأَشْكُو إِلَيْكَ بَنِي إِسْرَائِيلَ ; إِنِّي كُنْتُ لَهُمْ بِمَنْزِلَةِ الرَّاعِي الشَّفِيقِ، أُجَنِّبُهُمْ كُلَّ قَحْطٍ وَكُلَّ عُسْرَةٍ، وَأُتْبِعُ بِهِمُ الْخَصْبَ، حَتَّى صَارُوا كِبَاشًا يَنْطَحُ بَعْضُهَا بَعْضًا، فَيَا وَيْلَهُمْ ثُمَّ يَا وَيْلَهُمْ، إِنَّمَا أُكْرِمُ مَنْ أَكْرَمَنِي، وَأُهِينَ مَنْ هَانَ عَلَيْهِ أَمْرِي، إِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ مِنَ الْقُرُونِ يَسْتَخْفُونَ بِمَعْصِيَتِي، وَإِنَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ يَتَبَرَّعُونَ بِمَعْصِيَتِي تَبَرُّعًا ; فَيُظْهِرُونَهَا فِي الْمَسَاجِدِ، وَالْأَسْوَاقِ، وَعَلَى رُءُوسِ الْجِبَالِ، وَظِلَالِ الْأَشْجَارِ، حَتَّى عَجَّتِ السَّمَاءُ إِلَيَّ مِنْهُمْ، وَعَجَّتِ الْأَرْضُ وَالْجِبَالُ، وَنَفَرَتْ مِنْهَا الْوُحُوشُ بِأَطْرَافِ الْأَرْضِ وَأَقَاصِيهَا، وَفِي كُلِّ ذَلِكَ لَا يَنْتَهُونَ وَلَا يَنْتَفِعُونَ بِمَا عَلِمُوا مِنَ الْكِتَابِ. قَالَ: فَلَمَّا بَلَّغَهُمْ أَرْمِيَا رِسَالَةَ رَبِّهِمْ، وَسَمِعُوا مَا فِيهَا مِنَ الْوَعِيدِ وَالْعَذَابِ، عَصَوْهُ وَكَذَّبُوهُ وَاتَّهَمُوهُ وَقَالُوا: كَذَبْتَ وَعَظَّمْتَ عَلَى اللَّهِ الْفِرْيَةَ، فَتَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ مُعَطِّلٌ أَرْضَهُ وَمَسَاجِدَهُ مِنْ كِتَابِهِ وَعِبَادَتِهِ وَتَوْحِيدِهِ، فَمَنْ يَعْبُدُهُ حِينَ لَا يَبْقَى لَهُ فِي الْأَرْضِ عَابِدٌ وَلَا مَسْجِدٌ وَلَا كِتَابٌ؟ لَقَدْ أَعْظَمْتَ الْفِرْيَةَ عَلَى اللَّهِ وَاعْتَرَاكَ الْجُنُونُ. فَأَخَذُوهُ وَقَيَّدُوهُ وَسَجَنُوهُ، فَعِنْدَ ذَلِكَ بَعَثَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ بُخْتُ نَصَّرَ فَأَقْبَلَ يَسِيرُ بِجُنُودِهِ حَتَّى نَزَلَ بِسَاحَتِهِمْ، ثُمَّ حَاصَرَهُمْ، فَكَانَ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَجَاسُوا خِلَالَ الدِّيَارِ} [الإسراء: 5] . قَالَ: فَلَمَّا طَالَ بِهِمُ الْحَصْرُ نَزَلُوا عَلَى حُكْمِهِ، فَفَتَحُوا الْأَبْوَابَ، وَتَخَلَّلُوا الْأَزِقَّةَ، وَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {فَجَاسُوا خِلَالَ الدِّيَارِ} [الإسراء: 5] وَحَكَمَ فِيهِمْ حُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ وَبَطْشَ
পৃষ্ঠা - ৮৮৫
ষ্ষ্

৮২ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

নসরদুক প্রেরণ করেন ৷ বৃঘৃত নসর সসৈন্যে বনী ইসরাঈদুলর এলাকায় উপনীত হয় এবং
সকলকে অবরোধ করে রাখে ৷ এ অবস্থায় কথাই আল্লাহ তা“আলা কুরআনে বদুলদুছন
এাা ,১া াপ্রুদু১১ তারপর তারা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সবকিছু ধ্বংস করেছিল ৷
(বনী ইসবাঈল ং ৫) ৷ দীঘদিন অবরুদ্ধ থাকার পর বাধ্য হয়ে তারা বুখৃত নসদুরর নিকট
আত্মসমর্পণ করল এবং শহরের দুতারণ খুদুল দিল ৷ সাথে সাথে বুহ্াত নসরের সৈনাবাস্থিনী
শহরের অলিদুত-গলিদুত এবং ঘরে ঘরে প্রবেশ করল ৷ বৃহুাত নসর তাদের ব্যাপারে নিষ্ঠুর
জাহিলী নীতি অবলম্বন করে এবং অতাচারী শাসকসুলভ কঠিন নিদুর্দন্া জারী করে ; ফলে বনী
ইসরাঈদুলর মোট জনসংখ্যার এক তৃভীয়াৎশদুক হত্যা করা হয় ৷ এ ব তভীয়া ৎশদুক বন্দী করা
হয় এবং পঙ্গু, বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদেরদুক ছেড়ে দেয়া হয় ৷ তারপর নিহতদুদর মৃত দেদুহর উপর ঘোড়া
চালিয়ে দুসগুদুলাদুক দলিত-মথিত করে ৷ বুখৃত নসর বায়তুল মুকাদ্দাস ধ্বংস করে ,
শিশু-বালকদেরদুক ধরে নিয়ে যায়, নাবীদেরদুক ঘোমটামুক্ত করে বাজারে উঠায় ঘুদ্ধক্ষম
পুরুষদেরদুক হত্যা করে, দুর্পসমুহ গুড়িদুয় ফেলে, মসজিদগুদুলা বিধ্বস্ত করে , তা ওরতে কিতাব
জ্বালিদুয় দেয় এবং দ র্মিযাল (আ) দুক খোজ করে, যারানধ্;ট্ন্ বুখৃত নসর প্ার্বেই পত্র
লিখেছিল ৷ কিভু দেখা ৷ গল তিনি ইতিপুর্বেই ইনদুতকাল করেছেন ৷ দানিয়াষ্ লর পারবারবর্গ সে
পত্রটি বের করে দিল ৷ নিহত দানিয়াদুলর পরিবারে যারা জীবিত ছিলেন তারা হলেন
হিযকীল-তনয় ছোট দানিয়াল, মিশাঈল, আযরাঈল ও মিখাঈল ৷ উক্ত চিাঠর নর্ম আবুয়ান্নী
তাদের প্রতি আচরণ করা হয় ৷ দানিয়াল ইবন হিযর্কীল (ছোট দানিয়াল ) বড় দানিয়াদুলর
স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন ৷

বুখত নসর তার সৈনব্রবাহিনীসহ বায়তু ল ঘুকাদ্দাদুস প্রবেশ করে, সমগ্র সিরিয়ার ধ্বংসযজ্ঞ
চালায় এবং বনী ইসরা ঈলদুক সমুদুল ৰিনাশ করে ৷ ধ্বংসলীলাসম্পন্ন করে বুখৃত নসর স ×গৃহীত
ধন-সম্পদও বন্দীদেরকে নিয়োদেদুশ ফিরে যায় ৷ বন্দীদের মধ্যে কেবল ধর্ম যাজক ও শাসক
শ্রেণীর পরিরারভুক্ত শিশু বালকদের সং ×থ্যা ছিাল নব্বই হাজার ৷ বায়তুল ঘৃকাদ্দাদুস অবস্থিত
উপাসনালয়গুদুলা পাথর ছুড়ে ধুলিসাৎ করে দেয়া হয় এবং মসজিদের অভ্যন্তরে শুকর য়দুবহ্
করা হয় ৷ বন্দী বালকদের মধ্যে সাত হাজার ছিল দাউদ পরিবারের , এপার হাজার ইউসুফ ইবন
ইয়াকুব ও র্তার ভাই বিনয়ামীন এর বংশধর, আট হাজার ঈশ্া ইবন ইয়াকুব এর বংশের চৌদ্দ
হাজার হযরত ইয়াকুদুবর দ ’পুত্র য়াবালুণ্া ও নাফতালী এর বংশের চৌদ্দ হাজার দরুা ইবন
ইয়াকুরুবর বংশের অটি হ জাব ইয়াস৩াখির ইবন ইয়াকুদুবর বংশ, দু হাজার যাবালুন ইবন
ইয়াকুবের অন্য এক শাখার, চার হা জাব রুবেলও দুলবীয় বংশের এব×ব বার হাজার ছিল বনী
ইসরাঈদুলর অনান্য শাখার ৷ এসব কিছু সৎ ,গ নিয়ে বুখৃত নাসর বাবিল শহরে গিয়ে ৷ পাদুছ ৷

ন্ ইসহাক ইবন বিশ্ব বলেন, ওহাব ইবন মুনাববিহ্ বলেছেন, বায়তৃল ঘৃকাদ্দাস ও নদী
ইসরাঈদুলর ধ্বংস কার্য সম্পন্ন হওয়ার পর বুখৃত নসরদুক বলা হয় যে বনী ইসরাঈদুলর মধ্যে
এক ব্যক্তি তাদুদরদুক এই পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করবেন, আপনার বৈশিষ্ট্যাবলী তাদুদর নিকট
তলে ধরদুবন এবং এই কথা ও শুনাদুত ন যে আপনি তাদের যোদ্ধাদের হত্যা করবেন, শিশু
সন্তানদের বন্দী করবেন, মসজিদসমুহ ধ্বংস করবেন এবং উপাসনালয়সমুহ জ্বালিয়ে দেবেন ৷


الْجَبَّارِينَ، فَقَتَلَ مِنْهُمُ الثُّلُثَ، وَسَبَى الثُّلُثَ، وَتَرَكَ الزَّمْنَى وَالشُّيُوخَ وَالْعَجَائِزَ، ثُمَّ وَطِئَهُمْ بِالْخَيْلِ، وَهَدَمَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، وَسَاقَ الصِّبْيَانَ، وَأَوْقَفَ النِّسَاءَ فِي الْأَسْوَاقِ مُحْسَرَاتٍ، وَقَتَلَ الْمُقَاتِلَةَ، وَخَرَّبَ الْحُصُونَ، وَهَدَمَ الْمَسَاجِدَ، وَحَرَقَ التَّوْرَاةَ، وَسَأَلَ عَنْ دَانْيَالَ الَّذِي كَانَ كَتَبَ لَهُ الْكِتَابَ، فَوَجَدُوهُ قَدْ مَاتَ، وَأَخْرَجَ أَهْلُ بَيْتِهِ الْكِتَابَ إِلَيْهِ، وَكَانَ فِيهِمْ دَانْيَالُ بْنُ حِزْقِيلَ الْأَصْغَرُ وَمِيشَائِيلُ، وَعِزْرَائِيلُ، وَمِيخَائِيلُ، فَأَمْضَى لَهُمْ ذَلِكَ الْكِتَابَ، وَكَانَ دَانْيَالُ بْنُ حِزْقِيلَ خَلَفًا مِنْ دَانْيَالَ الْأَكْبَرِ، وَدَخَلَ بُخْتُ نَصَّرَ بِجُنُودِهِ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، وَوَطِئَ الشَّامَ كُلَّهَا، وَقَتَلَ بَنِي إِسْرَائِيلَ حَتَّى أَفْنَاهُمْ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْهَا انْصَرَفَ رَاجِعًا، وَحَمَلَ الْأَمْوَالَ الَّتِي كَانَتْ بِهَا وَسَاقَ السَّبَايَا، فَبَلَغَ مَعَهُ عِدَّةُ صِبْيَانِهِمْ مِنْ أَبْنَاءِ الْأَحْبَارِ وَالْمُلُوكِ تِسْعِينَ أَلْفَ غُلَامٍ، وَقَذَفَ الْكُنَاسَاتِ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَذَبَحَ فِيهِ الْخَنَازِيرَ، وَكَانَ الْغِلْمَانُ سَبْعَةَ آلَافِ غُلَامٍ مَنْ بَيْتِ دَاوُدَ، وَأَحَدَ عَشَرَ أَلْفًا مِنْ سِبْطِ يُوسُفَ بْنِ يَعْقُوبَ وَأَخِيهِ بِنْيَامِينَ، وَثَمَانِيَةَ آلَافٍ مِنْ سِبْطِ إِيشَا بْنِ يَعْقُوبَ وَأَرْبَعَةَ عَشَرَ أَلْفًا مِنْ سِبْطِ زَبَالُونَ وَنِفْتَالِي ابْنَيْ يَعْقُوبَ، وَأَرْبَعَةَ عَشَرَ أَلْفًا مِنْ سِبْطِ دَانِ بْنِ يَعْقُوبَ، وَثَمَانِيَةَ آلَافٍ مِنْ سِبْطِ يَسْتَاخِرَ بْنِ يَعْقُوبَ، وَأَلْفَيْنِ مِنْ سِبْطِ رَايْلُونَ بْنِ يَعْقُوبَ، وَأَرْبَعَةَ آلَافٍ مِنْ سِبْطِ رُوبِيلَ وَلَاوِي، وَاثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا مِنْ سَائِرِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَانْطَلَقَ حَتَّى قَدِمَ أَرْضَ بَابِلَ.
পৃষ্ঠা - ৮৮৬
ষ্ষ্


কিন্তু এরা তার কথা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেয়, তাকে অপবাদ দেয়, প্রহড়ার করে বন্দী করে ও
জেলে আবদ্ধ করে রাখে ৷ তখন বুখত নসর সেই ণ্যত্তিংওে হাজির করার নির্দেশ দেয় ৷ ফলে
আরমিয়াকে জেলখানা থেকে মুক্তি দেয়া হয় ৷ বুখত নসর তাকে জিজ্ঞেস করল, আপনি কি এই
পরিণতি সম্পর্কে ঐ সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছিলেন ? আরমিয়া বললেন, হ্যা ৷



বুখত নসর জিজ্ঞেস করল, আপনি তা কিভাবে জানতে পারলেন ? আরমিয়া (আ) বললেন,
আল্লাহ আমাকে তাদের নিকট রাসুলরুপে পাঠিয়েছেন ৷ তিনিই আমাকে তা জানিয়েছিলেন ৷
বুখৃত নসর জিজ্ঞেস করল, তারা কি আপনাকে মিথ্যারাদী বলে প্রহার করে তোলে আবদ্ধ
করেছে ? আরমিয়া বললেন, ই৷ , তাই করেছে ৷ বুখত নসর বলল, ঐ জাতি বড়ই দুর্ভাপা, যারা
তাদের নবীকে মিথ্যাবাদী বলে, আল্লাহর রাসুলকে অস্বীকার করে ৷ তখন বুখৃত নসর
আরমিয়াকে বলল, আপনি যদি আমাদের সাথে যেতে চান, তবে চলুন , আমি আপনাকে সম্মান
করব, সহযোগিতা করব; আর যদি নিজ শহরে থাকতে চান তা হলে থাকুন, আমি আপনাকে
পুর্ণ নিরাপত্তা দান করব ৷ এ প্রস্তাবের উত্তরে আরমিয়া বুখত নসরকে জানালেন, আমি সর্বদা
আল্লাহর নিরাপত্তায় আছি, এক মুহুর্ভের জন্যেও তার নিরাপত্তা থেকে বেরিয়ে আসিনি ৷ বনী
ইসরাঈলও যদি তার নিরাপত্তা থেকে বেরিয়ে না আসত তা হলে তারা আপনাকে বা অন্য
কাউকে ভয় করত না এবং আপনিও তাদের উপর শক্তি প্রয়োগ করতে পারতেন না ৷

আরমিয়ার মুখে এ বক্তব্য শুনার পর বুখত নসর তাকে তার স্ব-ন্থানে রেখে চলে গেল ৷
আরমিয়া নিজ শহর ঈলিয়ড়ায় বসবাস করতে থাকেন ৷ এ বর্ণনাটি পরীব পর্যায়ের ৷ তবে এর
মধ্যে উপদেশ ও সুক্ষ্ম তাৎপর্য নিহিত আছে ৷ এ বর্ণনার আরবী ভাষা শৈলী নেহাৎ দুর্বল ৷

হিশাম ইবন মুহাম্মদ আল-কালবী বলেছেন, বুখত নসর ছিল পারস্য সম্রাটের অধীনে
আহ্ওয়ড়াজ ও রোমের মধ্যবর্তী অঞ্চলের শাসনকর্তা ৷ সম্রাটের নাম ছিল লাহ্রাসব ৷ তিনি বলট্রুখ
শহর নির্মাণ করেন, যা খানসা নামে অভিহিত ৷ তিনি তৃর্কদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে
তাদেরকে কােণঠাসা করে ফেলেন ৷ পারস্য সম্রাট বুখত নসরকে সিরিয়ার বনী ইসরাঈলের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে প্রেরণ করেন ৷ তিনি যখন সিরিয়ার পৌচছন তখন দামেশৃকের
অধিবাসীগণ তার সাথে সন্ধি করে ৷ কোন কোন ঐতিহাসিক লিখেছেন, পারস্যের যে সম্রাট
বুখৃত নসরকে যুদ্ধে প্রেরণ করেছিলেন, তার নাম ছিল বাহ্মন ৷ তিনি লাহ্রাসবের পুত্র
বাশতাসবের পরে পারস্যের সম্রাট হন ৷ বাহ্মন কর্তৃক প্রেরিত দুতকে লাঞ্ছিত করার প্ৰতিশোধ
গ্রহণের জন্যে বনী ইসরাঈলের বিরুদ্ধে এ অভিযান প্রেরিত হয়েছিল ৷

ইবন জারীর সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিব (বা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বুখত নসর
দামেশৃকে এসে একটি আবর্জনাতুপের মধ্য থেকে অবিরাম রক্ত উথিত হতে দেখে লোকের
নিকট এর কারণ জিজ্ঞেস করে ৷ তারা জানায়, আমাদের পুর্ব-পুরুষদের আমল থেকেই এ
অবস্থা চলে আসছে এবং আমরা এ রকমই সর্বদা দেখে আসছি ৷ এ রক্তের উপর যখনই
অড়াবর্জনা ফেলে ঢেকে দেয়া হয় তখনই তা আবর্জনার উপরে উঠে আসে ৷ আর বুখত নসর ঐ
স্থানে সত্তর হাজার লোক হত্যা করে ৷ ফলে রক্ত ওঠা বন্ধ হয়ে যায় ৷ উপরোক্ত ঘটনা সাঈদ
ইবনুল-মুসাব্যিব(রা) থেকে বিশুদ্ধ সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ এটা হযরত ইয়াহ্য়া ইবন যাকারিয়ার


قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: قَالَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ: فَلَمَّا فَعَلَ مَا فَعَلَ قِيلَ لَهُ: كَانَ لَهُمْ صَاحِبٌ يُحَذِّرُهُمْ مَا أَصَابَهُمْ، وَيَصِفُكَ وَخَبَرَكَ لَهُمْ، وَيُخْبِرُهُمْ أَنَّكَ تَقْتُلُ مُقَاتِلَتَهُمْ وَتَسْبِي ذَرَارِيَّهُمْ وَتَهْدِمُ مَسَاجِدَهُمْ وَتَحْرِقُ كَنَائِسَهُمْ، فَكَذَّبُوهُ وَاتَّهَمُوهُ، وَضَرَبُوهُ، وَقَيَّدُوهُ، وَحَبَسُوهُ. فَأَمَرَ بُخْتَ نَصَّرَ فَأَخْرَجَ أَرْمِيَا مِنَ السِّجْنِ، فَقَالَ لَهُ: أَكُنْتَ تُحَذِّرُ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ مَا أَصَابَهُمْ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَإِنِّي عَلِمْتُ ذَلِكَ. قَالَ: أَرْسَلَنِي اللَّهُ إِلَيْهِمْ فَكَذَّبُونِي. قَالَ: كَذَّبُوكَ وَضَرَبُوكَ وَسَجَنُوكَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: بِئْسَ الْقَوْمُ قَوْمٌ كَذَّبُوا نَبِيَّهُمْ وَكَذَّبُوا رِسَالَةَ رَبِّهِمْ، فَهَلْ لَكَ أَنْ تَلْحَقَ بِي، فَأُكْرِمُكَ وَأُوَاسِيكَ، وَإِنْ أَحْبَبْتَ أَنْ تُقِيمَ فِي بِلَادِكَ فَقَدْ أَمَّنْتُكَ. قَالَ لَهُ أَرْمِيَا: إِنِّي لَمْ أَزَلْ فِي أَمَانِ اللَّهِ مُنْذُ كُنْتُ لَمْ أَخْرُجْ مِنْهُ سَاعَةً قَطُّ، وَلَوْ أَنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمْ يَخْرُجُوا مِنْهُ، لَمْ يَخَافُوكَ وَلَا غَيْرَكَ، وَلَمْ يَكُنْ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَانٌ. فَلَمَّا سَمِعَ بُخْتَ نَصَّرَ هَذَا الْقَوْلَ مِنْهُ، تَرَكَهُ، فَأَقَامَ أَرْمِيَا مَكَانَهُ بِأَرْضِ إِيلِيَاءَ. وَهَذَا سِيَاقٌ غَرِيبٌ، وَفِيهِ حِكَمٌ وَمَوَاعِظُ وَأَشْيَاءُ مَلِيحَةٌ، وَفِيهِ مِنْ جِهَةِ التَّعْرِيبِ غَرَابَةٌ. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيُّ: كَانَ بُخْتُ نَصَّرَ أُصْفَهْبَذًا لِمَا بَيْنَ الْأَهْوَازِ إِلَى الرُّومِ ; لِلْمَلِكِ عَلَى الْفُرْسِ وَهُوَ لِهْرَاسْبُ، وَكَانَ قَدْ بَنَى مَدِينَةَ بَلْخَ الَّتِي تُلَقَّبُ بِ " الْخَنْسَاءِ، وَقَاتَلَ التُّرْكَ، وَأَلْجَأَهُمْ إِلَى أَضْيَقِ الْأَمَاكِنِ،
পৃষ্ঠা - ৮৮৭
ষ্ষ্


রক্ত বলে হাফিজ ইবন আসাকিরের যে মন্তব্য পুর্বেই উল্লেখিত হয়েছে,, তা যথার্থ নয় ৷
কেননা, ইয়াহ্য়া ইবন যাকারিয়ার আগমন হয় বুখৃত নসরের পর ৷ তবে এ কথা সত্য যে এটা
হয় কোন নবীর রক্ত, না হয় কোন পুণ্যবান লোকের রক্ত অথবা অন্য কারও রক্ত যা আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷

হিশাম ইবন কালবী বর্ণনা করেন, তারপর বুখৃত নসর বায়তুল মুকাদ্দাসে যায় এবং
সেখানকার শাসক তার সাথে সন্ধি করেন ৷ শাসক ছিলেন দাউদ (আ) এর বংশধর ৷ তিনি বনী
ইসরাঈলের পক্ষ থেকে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ৷ বুখৃত নসর উক্ত শাসকের নিকট থেকে
মুচলেকা স্বরুপ কিছু লোক সংগে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করে ৷ তিবরিয়া নামক স্থানে পৌছে বুখৃত
নসর সংবাদ পায় যে, সন্ধি করার কারণে ইসরাঈল বংশীয়রা তাদের শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
করে এবং তাকে হত্যা করে ৷ এ সংবাদ শুনামাত্র বুখৃত নসর মৃচলেকাস্বরুপ নেয়া লোকগুলােকে
হত্যা করে অতর্কিতে শহর আক্রমণ করে দখল করে নেয় এবং সকল সক্ষম লোকদেরকে হত্যা
করে এবং শিশু-বালকদেরকে বন্দী করে ৷

হিশাম আরও বলেছেন, বুখৃত নসর জেলখড়ানা থেকে নবী অবেঃমিয়াকে বের করে আনে ৷
নবী তার নিকট বনী ইসরাঈলকে এ পরিণতি থেকে সতর্ক করার জান্য যা যা করেছিলেন
সবকিছু খুলে বলেন; তারা নবীকে মিথ্যাবাদী বলে জেলে আটক করার কথাও তাকে তিনি
জানান ৷ বুখৃত নসর বলল, যারা আল্লাহ্র নবীকে অমান্য ও অবমাননা করে , তারা একটি নিকৃষ্ট
সম্প্রদায় ৷ বনীর সাথে উত্তম ব্যবহার করে বুখৃত নসর সেখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায় ৷
এরপর নবী ইসরাঈলের অবশিষ্ট দুর্বল লোকজন আরমিয়ার নিকট এসে সমবেত হয় এবং
করুণ, কণ্ঠে ফরিয়াদ জানিয়ে বলে, আমরা অপরাধ করেছি, জুলুম করেছি, এখন আল্লাহর নিকট
নিজেদের কৃত অপকর্মের জন্যে তওবা করছি ৷ আপনি আল্লাহ্র নিকট দোয়া করুন, যাতে তিনি
আমাদের তওবা কবুল করেন ৷ নবী আল্লাহর নিকট আবেদন করলে তিনি জানান, তুমি যা বলছ
তা’ হবার নয় ৷ দেখ, তারা যদি আন্তরিকভাবেই বলে থাকে, তবে তোমার সাথে যেন তারা এই
শহরে অবস্থান করে ৷ নবী তাদেরকে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে এ কথা জানালেন ৷ তারা বলল, এ
শহরে কীভাবে থাকা যায়, এখানকার অধিবাসীদের উপর আল্লাহ্র গযব পড়েছে ৷ শহর ধ্বংস
হয়েছে ৷” সুতরাং এখানে অবস্থান করতে তারা অস্বীকার করল ৷

ইবনৃল কালবী বলেন, তখন থেকে বনী ইসরাঈল বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে একদল যায়
হিজাযে, একদল ইয়াছরিবে, এক দল যায় ওয়াদিল করার এবং একটি ক্ষুদ্র দল যায় মিসরে ৷
তখন বুখৃত নসর নবী ইসরাঈলের বাদশাহর নিকট এই মর্মে পত্র লিখে যে, তাদের যে সব
লোক পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদেরকে যেন তার নিকট পাঠিয়ে দেয়া হয় ৷
বাদশাহ এতে অস্বীকৃতি জানান ৷ তখন বুখৃত নসর সসৈন্যে উক্ত শহরে আক্রমণ চালিয়ে তাকে
শোচনীয়ভারে পরাজিত করে ৷ সে তাদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে তাদের ত্রীলোকদেরকে বন্দী
করে এবং সেখান থেকে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয় ৷ এ অভিযান অব্যাহতভাবে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত
চালিয়ে মরক্কো, মিসর, মিসর, বায়তুল মুকাদ্দাস, ফিলিস্তীন ও জর্দান থেকে অসংখ্য বন্দী সাথে
নিয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে ৷ উক্ত বন্দীদের মধ্যে দানিয়াল (আ) ও ছিলেন ৷ তবে ইনি হলেন
দানিয়াল ইবন হিয্কীল (ছোট দানিয়াল) , দানিয়াল আকারে (বড় দানিয়াল) নন ৷ এ বর্ণনাটি
ওহাব ইবন মুনাবৃবিহ্র ৷


وَبَعَثَ بُخْتُ نَصَّرَ لِقِتَالِ بَنِي إِسْرَائِيلَ بِالشَّامِ، فَلَمَّا قَدِمَ الشَّامَ صَالَحَهُ أَهْلُ دِمَشْقَ وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ الَّذِي بَعَثَ بُخْتُ نَصَّرَ إِنَّمَا هُوَ بَهْمَنُ مَلِكُ الْفُرْسِ بَعْدَ بَشْتَاسِبُ بْنِ لَهْرَاسِبُ ; وَذَلِكَ لِتَعَدِّي بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى رُسُلِهِ إِلَيْهِمْ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنَّ بُخْتُ نَصَّرَ لَمَّا قَدِمَ دِمَشْقَ، وَجَدَ بِهَا دَمًا يَغْلِي عَلَى كِبًا - يَعْنِي الْقُمَامَةَ - فَسَأَلَهُمْ: مَا هَذَا الدَّمُ؟ فَقَالُوا: أَدْرَكْنَا آبَاءَنَا عَلَى هَذَا، وَكُلَّمَا ظَهَرَ عَلَيْهِ الْكِبَا ظَهَرَ. قَالَ: فَقَتَلَ عَلَى ذَلِكَ سَبْعِينَ أَلْفًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَغَيْرِهِمْ، فَسَكَنَ. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ مِنْ كَلَامِ الْحَافِظِ ابْنِ عَسَاكِرَ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ هَذَا دَمُ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا وَهَذَا لَا يَصِحُّ ; لِأَنَّ يَحْيَى بْنَ زَكَرِيَّا بَعْدَ بُخْتُ نَصَّرَ بِمُدَّةٍ، وَالظَّاهِرُ أَنَّ هَذَا دَمُ نَبِيٍّ مُتَقَدِّمٍ، أَوْ دَمٌ لِبَعْضِ الصَّالِحِينَ، أَوْ لِمَنْ شَاءَ اللَّهُ مِمَّنِ اللَّهُ أَعْلَمُ بِهِ. قَالَ هِشَامُ بْنُ الْكَلْبِيِّ: ثُمَّ قَدِمَ بُخْتُ نَصَّرَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، فَصَالَحَهُ مَلِكُهَا، وَكَانَ مِنْ آلِ دَاوُدَ وَصَانَعَهُ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَأَخَذَ مِنْهُ بُخْتُ نَصَّرَ رَهَائِنَ وَرَجَعَ، فَلَمَّا بَلَغَ طَبَرِيَّةَ بَلَغَهُ أَنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ ثَارُوا عَلَى مَلِكِهِمْ فَقَتَلُوهُ لِأَجْلِ أَنَّهُ صَالَحَهُ، فَضَرَبَ رِقَابَ مَنْ مَعَهُ مِنَ الرَّهَائِنِ وَرَجَعَ إِلَيْهِمْ، فَأَخَذَ الْمَدِينَةَ عَنْوَةً وَقَتَلَ الْمُقَاتِلَةَ وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ. قَالَ: وَبَلَغَنَا أَنَّهُ وَجَدَ فِي السِّجْنِ أَرْمِيَا النَّبِيَّ، فَأَخْرَجَهُ، وَقَصَّ عَلَيْهِ مَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ إِيَّاهُمْ، وَتَحْذِيرِهِ لَهُمْ عَنْ ذَلِكَ، فَكَذَّبُوهُ وَسَجَنُوهُ، فَقَالَ بُخْتُ نَصَّرَ: بِئْسَ الْقَوْمُ قَوْمٌ عَصَوْا رَسُولَ
পৃষ্ঠা - ৮৮৮
اللَّهِ. وَخَلَّى سَبِيلَهُ وَأَحْسَنَ إِلَيْهِ. وَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ مَنْ بَقِيَ مِنْ ضُعَفَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَقَالُوا: إِنَّا قَدْ أَسَأْنَا وَظَلَمْنَا وَنَحْنُ نَتُوبُ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِمَّا صَنَعْنَا، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَقْبَلَ تَوْبَتَنَا. فَدَعَا رَبَّهُ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ أَنَّهُ غَيْرُ فَاعِلٍ، فَإِنْ كَانُوا صَادِقِينَ فَلْيُقِيمُوا مَعَكَ بِهَذِهِ الْبَلْدَةِ. فَأَخْبَرَهُمْ مَا أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِهِ، فَقَالُوا: كَيْفَ نُقِيمُ بِهَذِهِ الْبَلْدَةِ وَقَدْ خَرِبَتْ، وَغَضِبَ اللَّهُ عَلَى أَهْلِهَا! فَأَبَوْا أَنْ يُقِيمُوا. قَالَ ابْنُ الْكَلْبِيِّ: وَمِنْ ذَلِكَ الزَّمَانِ تَفَرَّقَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ فِي الْبِلَادِ، فَنَزَلَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمُ الْحِجَازَ وَطَائِفَةٌ يَثْرِبَ وَطَائِفَةٌ وَادِي الْقُرَى وَذَهَبَتْ شِرْذِمَةٌ مِنْهُمْ إِلَى مِصْرَ فَكَتَبَ بُخْتُ نَصَّرَ إِلَى مَلِكِهَا يَطْلُبُ مِنْهُ مَنْ شَرَدَ مِنْهُمْ إِلَيْهِ، فَأَبَى عَلَيْهِ، فَرَكِبَ فِي جَيْشِهِ فَقَاتَلَهُ وَقَهَرَهُ وَغَلَبَهُ، وَسَبَى ذَرَارِيَّهُمْ، ثُمَّ رَكِبَ إِلَى بِلَادِ الْمَغْرِبِ، حَتَّى بَلَغَ أَقْصَى تِلْكَ النَّاحِيَةِ. قَالَ: ثُمَّ انْصَرَفَ بِسَبْيٍ كَثِيرٍ مِنْ أَرْضِ الْمَغْرِبِ، وَمِصْرَ، وَأَهْلِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَأَرْضِ فِلَسْطِينَ، وَالْأُرْدُنِّ وَفِي السَّبْيِ دَانْيَالُ. قُلْتُ: وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ دَانْيَالُ بْنُ حَزْقِيلَ الْأَصْغَرُ لَا الْأَكْبَرُ، عَلَى مَا ذَكَرَهُ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৮৮৯
ষ্ষ্

হযরত দানিয়াল (আ)-এর বিবরণ

ইবন আবিদ দৃনৃয়া আবদুল্লাহ ইবন হুজায়ল থেকে বর্ণনা করেন যে, বুখৃত নসর
দু’টি সিংহ ধরে একটি কুপের মধ্যে নিক্ষেপ করে এবং নবী দানিয়ালকে এনে এ দুটি সিংহের
মধ্যে ছেড়ে দেয় ৷ কিন্তু সিংহ দু’টি তার উপর কোনরুপ আক্রমণ করেনি ৷ তিনি দীর্ঘক্ষণ
সেখানে স্বাভাবিক ভাবেই অবস্থান করার পর মানুষের জৈবিক চাহিদা অনুযায়ী তার খাদ্য
পানীয়ের প্রয়োজন দেখা দেয় ৷ তখন আল্লাহ ওহীর মাধ্যমে নবী আরমিয়াকে দানিয়ালের জন্যে
খাদ্য পানীয় প্রস্তুত করতে বলেন ৷ তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক ! আমি থাকি রায়তুল
মুকাদ্দাস এলাকায়, আর দানিয়াল আছেন সুদুঢ় ইরাকের ববিল শহরে ৷ সেখানে আমি কিভাবে
খাদ্য পানীয় পৌছাব? আল্লাহ বললেন, হে আরমিয়া, আমি তোমাকে যা আদেশ করেছি, তুমি
তা-ই কর; প্রন্তুতকৃত খাদ্য সড়ামগ্রীসহ তোমাকে সেখানে পৌছিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা শীঘ্রই আমি
করছি ৷ আরমিয়া (আ) খাদ্য তৈরি করলেন ৷ তারপর এমন একজনকে প্রেরণ করা হলো, যিনি
খাদ্য পানীয়সহ আরমিয়াকে উক্ত কুপের পাড়ে পৌছিয়ে দিলেন ৷ দানিয়াল ভিতর থেকে
জ্যিজ্ঞস করলেন, এখানে কে? আরমিয়া (আ) নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন আমি আরমিয়া ৷
দানিয়াল (আ) বললেন, কেন আপনি এখানে এসেছেন? আরমিয়া (আ) জানালেন, আপনার প্রভু
আমাকে আপনার নিকট পাঠিয়েছেন ৷ দানিয়াল (আ) বললেন, তা হলে আমার প্রভু আমাকে
স্মরণ করেছেন ? আরমিয়া বললেন, জী ছুব্রু৷ ৷ তখন বলে উঠলেন : সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ্র
যীকে কেউ স্মরণ করলে তিনি তাকে ভুলেন না; সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, মাকে কেউ
আহ্বান করলে তিনি সে আহ্বানে সাড়া দেন; সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, র্যার প্রতি কেউ
নির্ভরশীল হলে তিনি তাকে অন্যের দিকে ঠেলে দেন না; সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি
উত্তম কাজের উত্তম বিনিময় দান করেন; সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি ধৈর্যের বিনিময়ে
মুক্তি দান করেন; সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন ?;
সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি আমাদের বিশ্বাস ও কর্মদ্যেড়াম শিথিল হয়ে পড়লে দৃঢ়তা দান
করেন; সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি আমাদের সকল উপায় শেষ হবার পর একমাত্র
ভরসা স্থল ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র আবুল আলিয়া থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমরা যখন
তুস্তর শহর জয় করি, তখন হরযুযানের বাড়িতে একটি খাটের উপর একটি মৃত দেহ দেখতে
পাই ৷ তার লাশের শিয়রের কাছে একটি আসমানী কিতাব ৷ আমরা তা’ নিয়ে আমি এবং
হযরত উমর ইবনুল খাত্তাবকে দেখাই ৷ তিনি হযরত কা’বকে ডেকে তার দ্বারা তা আরবীতে

অনুবাদ করান ৷ আবুল আলিয়া বলেন, আরবদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম ঐ কিতাবখানড়ার

[ذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ خَبَرِ دَانْيَالَ عَلَيْهِ السَّلَامُ] قَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى الشَّيْبَانِيُّ قَالَ: إِنْ لَمْ أَكُنْ سَمِعْتُهُ مِنْ شُعَيْبِ بْنِ صَفْوَانَ فَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا عَنْهُ، عَنِ الْأَجْلَحِ الْكِنْدِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْهُذَيْلِ، قَالَ: ضَرَّى بُخْتُ نَصَّرَ أَسَدَيْنِ، فَأَلْقَاهُمَا فِي جُبٍّ وَجَاءَ بِدَانْيَالَ فَأَلْقَاهُ عَلَيْهِمَا، فَلَمْ يُهَيِّجَاهُ فَمَكَثَ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ اشْتَهَى مَا يَشْتَهِي الْآدَمِيُّونَ مِنَ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى أَرْمِيَا وَهُوَ بِالشَّامِ: أَنْ أَعْدِدْ طَعَامًا وَشَرَابًا لِدَانْيَالَ. فَقَالَ: يَا رَبِّ، أَنَا بِالْأَرْضِ الْمُقَدَّسَةِ وَدَانْيَالُ بِأَرْضِ بَابِلَ مِنْ أَرْضِ الْعِرَاقِ. فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ: أَنْ أَعْدِدْ مَا أَمَرْنَاكَ بِهِ فَإِنَّا سَنُرْسِلُ مَنْ يَحْمِلُكَ وَيَحْمِلُ مَا أَعْدَدْتَ. فَفَعَلَ، وَأَرْسَلَ إِلَيْهِ مَنْ حَمَلَهُ وَحَمَلَ مَا أَعَدَّ حَتَّى وَقَفَ عَلَى رَأْسِ الْجُبِّ فَقَالَ: دَانْيَالُ، دَانْيَالُ. فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: أَنَا أَرْمِيَا. فَقَالَ: مَا جَاءَ بِكَ؟ فَقَالَ: أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ رَبُّكَ. قَالَ: وَقَدْ ذَكَرَنِي رَبِّي؟ قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ دَانْيَالُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَا يَنْسَى مَنْ ذَكَرَهُ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَا يُخَيِّبُ مَنْ رَجَاهُ،
পৃষ্ঠা - ৮৯০
ষ্ষ্


অনুদিত কপি পাঠ করি, যেভাবে আমি কুরআন পাঠ করে থাকি ৷ খুলদ ইবন দীনার বলেন ,
আমি আবুল অড়ালিয়াকে জিজ্ঞেস করলাম, তাতে কী লেখা ছিল ? তিনি বললেন, তাতে
লিখিত ছিল তোমাদের কর্মকাণ্ড, ঘটনাবলী, কথাবার্তা ও পরবর্তীকালে বটিতব্য সার্বিক অবস্থা ৷
আমি বললড়াম, আপনারা সে লোকটিকে কী করলেনঃ তিনি বললেন আমরা দিনের বেলা
তেবটি কবর খুড়লাম এবং রাত্রিকালে একটি কবরে তাকে দাফন করে সবক’টি কবর একই রুপ
করে দিলাম ৷ এ ব্যবস্থা করলাম যাতে সাধারণ লোক তার কবরের সন্ধান না পায় এবং কবর
খুড়ে না ফেলে ৷

বর্ণনাকারী জিজ্ঞেস করলেন, মানুষ তার কাছে কী প্রত্যাশা করে ; অন্ন্বুল আলিয়া বললেন,
বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ হয়ে গেলে লোকজন এ খাট নিয়ে ময়দানে এসে বৃষ্টি কামনা করতো এবং এর
ফলে বৃষ্টিপাত হত ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এ মৃত লোকটিকে জানেন কিং আবুল আলিয়া
বললেন, তার নাম দানিযাল বলে শোনা যায় ৷ রাবী পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কত বছর
পুর্বে মৃত্যুবরণ করেছেন ? আবুল আলিয়া বললেন তিনশ বছর পুৰ্:ণ্হ্র ৷ রাবী পুনরায় জিজ্ঞেস
করলেন, এ সময়ের মধ্যে তার মৃতদেহের কোন পরিবর্তন হয়েছিল কি ? আবুল আলিয়া
বললেন, না, তবে মাথার পিছনের দিকের কয়েকটি চুলের পরিবর্তন হয়েছে মাত্র ৷ নবীদের দেহ
মাটিতেও পচে না এবং জীবজন্তুও খায় না ৷ এ ঘটনাটি আবুল আলিয়া থেকে বিশুদ্ধ সনদে
বর্ণিত হয়েছে ৷ তবে তার মৃত্যু তারিখ যদি তিনশ বছর পুর্বে হওয়া সঠিক হয় তা হলে তিনি
নবী নন, বরং কোন পুণ্যবান ব্যক্তি হবেন ৷ কেননা, সহীহ্ বুখারী শরীফের বর্ণনা অনুযায়ী
রাসুলুল্লাহ (মা) ও ঈসা ইবন মারয়ামের মধ্যে অন্য কোন নবীর আগমন ঘটেনি ৷ আর এ দুই
নবীর মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান চারশ’ বছর ৷ কারও মতে ছয়শ’ বছর কারও মতে ছয়শ’ বিশ
বছর ৷ কোন কোন লেখক ঐ ব্যক্তির মৃত্যু আটশ’ বছর পুর্বে হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন ৷

ঐতিহাসিক মতে দানিয়ালের মৃত্যুও প্রায় এই সময়ে হয়েছিল ৷ এ হিসাব অনুযায়ী মৃত
ব্যক্তি দড়ানিয়ালও হতে পারেন, বা অন্য কোন নবীও হতে পারেন, কিংবা কোন নেককার ল্যেকও
হতে পারেন ৷ তবে দানিয়াল হওয়ার সন্তাবনাই অধিক ৷ কেননা দানিয়াল নবীকেই পারস্য সম্রাট
ধরে নিয়ে বন্দী করে রেখেছিল ৷ আবুল আলিয়া থেকে সহীহ্ সনদে বর্ণিত হয়েছে যে, মৃত
ব্যক্তিটির নাক এক বিঘত লম্বা ছিল ৷ আনাস ইবন মালিক (রা ) থেকে বিশুদ্ধ সুত্রে বর্ণিত হয়েছে
যে, তার নাক এক হাত লম্বা ছিল ৷ এ দিকে লক্ষ্য করলে বলা যেতে পারে যে এ লাশ বহু
পুর্বের, দুর অতীতের কোন নবীর লাশ ৷

আবু বকর ইবন আৰিদ্দুনয়া তীর রচিত কিতাবু আহকামিল কুবুর গ্রন্থে আবুল
আশ’আছের বরাতে লিখেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা ) বলেছেন : নবী দানিয়াল আল্লাহর নিকট দোয়া
করেছিলেন যে, তার দাফনকার্য যেন উম্মতে মুহান্মাদীর হাতে সুসষ্পন্ন হয় ৷ পরবর্তীকালে আবু
মুসা আশআরীর হাতে তুসৃতর নগরী বিজিত হলে তার লাশ একটি সিব্দুকের মধ্যে দেখতে
পান ৷ এ সময় তার দেহের শিরা ও র্কাধের মোটা রগ দু’টি নড়াচড়৷ করছিল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা )
বলেছিলেন, “যে ব্যক্তি দানিয়ালের লাশ সনাক্ত করিয়ে দেবে, তাকে জান্নন্বতের সু-সংবাদ
দিবে ৷ হারকুস নামক এক ব্যক্তি দানিয়ালের লাশ সনাক্ত করেছিলেন ৷ আবু মুসা ( র ৷ ) হযরত


وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي مَنْ وَثِقَ بِهِ لَمْ يَكِلْهُ إِلَى غَيْرِهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي يَجْزِي بِالْإِحْسَانِ إِحْسَانًا، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي يَجْزِي بِالصَّبْرِ نَجَاةً، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هُوَ يَكْشِفُ ضُرَّنَا بَعْدَ كَرْبِنَا، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هُوَ ثِقَتُنَا حِينَ تَسُوءُ ظُنُونُنَا بِأَعْمَالِنَا، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هُوَ رَجَاؤُنَا حِينَ تَنْقَطِعُ الْحِيَلُ عَنَّا. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي خَلْدَةَ خَالِدِ بْنِ دِينَارٍ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَالِيَةِ قَالَ: لَمَّا افْتَتَحْنَا تُسْتَرَ وَجَدْنَا فِي مَالِ بَيْتِ الْهُرْمُزَانِ سَرِيرًا، عَلَيْهِ رَجُلٌ مَيِّتٌ، عِنْدَ رَأْسِهِ مُصْحَفٌ، فَأَخَذْنَا الْمُصْحَفَ فَحَمَلْنَاهُ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَدَعَا لَهُ كَعْبًا فَنَسَخَهُ بِالْعَرَبِيَّةِ، فَأَنَا أَوَّلُ رَجُلٍ مِنَ الْعَرَبِ قَرَأَهُ، قَرَأْتُهُ مِثْلَ مَا أَقْرَأُ الْقُرْآنَ هَذَا. فَقُلْتُ لِأَبِي الْعَالِيَةِ: مَا كَانَ فِيهِ؟ قَالَ: سِيَرُكُمْ وَأُمُورُكُمْ وَلُحُونُ كَلَامِكُمْ وَمَا هُوَ كَائِنٌ بَعْدُ. قُلْتُ: فَمَا صَنَعْتُمْ بِالرَّجُلِ؟ قَالَ: حَفَرْنَا بِالنَّهَارِ ثَلَاثَةَ عَشَرَ قَبْرًا مُتَفَرِّقَةً، فَلَمَّا كَانَ بِاللَّيْلِ دَفَنَّاهُ وَسَوَّيْنَا الْقُبُورَ كُلَّهَا ; لِنُعَمِّيَهُ عَلَى النَّاسِ فَلَا يَنْبِشُونَهُ. قُلْتُ: فَمَا يَرْجُونَ مِنْهُ؟ قَالَ: كَانَتِ السَّمَاءُ إِذَا حُبِسَتْ عَنْهُمْ بَرَزُوا بِسَرِيرِهِ فَيُمْطَرُونَ. قُلْتُ: مَنْ كُنْتُمْ تَظُنُّونَ الرَّجُلَ؟ قَالَ: رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ دَانْيَالُ. قُلْتُ: مُنْذُ كَمْ وَجَدْتُمُوهُ قَدْ مَاتَ؟ قَالَ: مُنْذُ ثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ. قُلْتُ: مَا تَغَيَّرَ مِنْهُ شَيْءٌ؟ قَالَ: لَا إِلَّا شَعَرَاتٌ مِنْ قَفَاهُ ; إِنَّ لُحُومَ الْأَنْبِيَاءِ لَا تُبْلِيهَا الْأَرْضُ وَلَا تَأْكُلُهَا السِّبَاعُ. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ إِلَى أَبِي الْعَالِيَةِ وَلَكِنْ إِنْ كَانَ تَارِيخُ وَفَاتِهِ مَحْفُوظًا مِنْ ثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ، فَلَيْسَ بِنَبِيٍّ بَلْ هُوَ رَجُلٌ صَالِحٌ ; لِأَنَّ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৮৯১
ষ্ষ্


উমর (রা)-কে এ বিষয়ে অবহিত করেন ৷ তখন হযরত উমর (রা ) পএ মারফত তাকে জানান
যে, দানিয়ালকে ওখানে দাফন কর এবং হারকুসকে আমার নিবল্ট পাঠিয়ে দাও কেননা নবী
করীম (সা) তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দান করেছেন ৷ বর্ণিত সুত্রে হাদীছটি মুরসাল এবং এর
বিগুদ্ধতড়ার ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে ৷

ইবন আবিদ্ দুনিয়া আষাসা ইবন সাঈদ থেকে বর্ণনা করেন যে , আবু মুসা মৃত
দানিয়ালের সাথে একখানা আসমানী কিতাব, চর্বি ভর্তি একটি কলস কিছু সংখ্যক দিৰুক্১;াম ও
তার ব্যবহৃত আৎটি পান ৷ এরপর হযরত উমর (রা)-যেৰু এ সম্পর্কে অবহিত করে আবু মুসা
(রা ) পত্র লিখেন ৷ হযরত উমর (রা ) চিঠির মাধ্যমে আবু যুসাকে জানান, অড়াসমানী কিতাবখানা
আমাদের নিকট পাঠিয়ে দাও, চর্বির কিছু অংশ অড়ামাদ্দোর ঢ়না পাঠাও এবং অবশিষ্ট অংশ
থেকে আরোগ্য লাভের জন্যে মুসলমানদেবকে তোমার পক্ষ ৷;থাক ব্যবহার করতে ম্াও আর
দিরহামগুলাে তাদের মাঝে বণ্টন কর এবং আৎটিটি তুমি ব্যবহার কর! ভিন্ন সুত্রে ইবন আবিদ্
দুনিয়া থেকে বর্ণিত, আবু মুসা (বা) যখন দানিযহ্লের লাশ পেলেন , তখন তিনি ত ন্ধ্রতিঃয়
ধরেন, ও চুম্বন করেন ৷ অতঃপর তিনি হযরত উমর (রা)-ব্;যশ্ এ বিষয়ে অবহিত করেন এবং
জানান যে, তার লাশের সাথে প্রায় দশ হাজার দিরহাম মুল্যের ধ্নসম্পদ পাওয়া গিয়েছে ৷
বিভিন্ন লোক তাখেকে ধার নেয় এবং পরে ফেরত দিয়ে যায় ৷ কেউ ফেরত না দিরু’ল রোগে
আক্রান্ত হয় ৷ তার পাশে ত্মাতর ভর্তি একটি কৌটাও রয়েছে ৷ হযরত উমর (রা ) আর মসাকে
জানান যে, তাকে বরই পাতা মিশানো পানি দ্বারা গোসল করিয়ে, কাফন পরিয়ে দ:’ফন কর
এবং তীর কবরটি এমনভাবে গোপন রাখ যেন কেউ তার সন্ধান না পায় ৷ মালামাল সম্পভৈর্ক
জানান যে, সেগুলো বায়তুলমালে জম৷ কর, আতরের কৌটা পাঠিয়ে দাও এবং আংটিটি তুন্ম
নিজে ব্যবহার কর ৷

আবু মুসা (বা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তার নির্দেশত্রুমে চারজন বন্দী নদীর মধ্যে রাধ্
দিয়ে তার তলদেশে কবর খুড়ে সেখানে হযরত দানিয়ালের লদ্বশ দাফন করে ৷ পরে আবু মুক্তাহ্র
(বা) ঐ চার বন্দীকে ডেকে এনে হত্যা করে দেন ৷ যণ্ব্লুষ্া আবু মুসা আশআবী ৷ রা ) বাদ্রীত্তে ট্টত
কবরের সন্ধান জানার মত আর কেউ অবশিষ্ট থাকল না ৷ ইবন আযিদ দৃনিয়৷
আবুবৃ-যিনাদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আবু মৃস৷ অম্পোত্যাবীর দ্বুষ্ত্র অ ৷ বু
বৃরদার হাতে একটি আৎটি দেখেছি যাতে দুটি সিৎহ এবং সিংহদ্বয়ের মহ্বঝে জনৈক ব্যক্তির
চিত্র অত্কিত রয়েছে; আর সিংহ দু’টি ঐ ৷লাকটিকে জিহ্বা দ্বারা চাটছে ৷ আবু বুরদা বললেন
এটি ঐ ল্যেকটির আৎটি-মাকে এই শহরের লোক দানিয়াল নামে জানে ৷ র্তাকে দাযক্ষা করার
সময় আবু মুসা (বা) তা ’ নিজের কাছে তুলে রাখেন ৷

আবু বুরদা বলেন, আবু মুসা আশআথ্:র্দুত্ব (বা) উক্ত জনপদের লোকজনের নিকট আংটিতে
অংকিত এ চিত্রের কারণ জানতে চাইলে তার৷ জানায়, দানিয়ালের আবিণ্র্তাবকালে দেশের যিনি
শাসনকর্তা ছিলেন, তার নিকট ৰুজ্যাতিৰী ও গণবণ্দল এসে ভবিষ্যদ্বাণী করে যে ন্সমৃক ৰাত্রে
আপনার রাজেব্র এমন একজন শিশুর জন হবে, যে এ রাজ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে ৷



১ সম্ভবত এরা ছিল মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত কয়েদী ৷


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيٌّ، بِنَصِّ الْحَدِيثِ الَّذِي فِي الْبُخَارِيِّ وَالْفَتْرَةُ الَّتِي كَانَتْ بَيْنَهُمَا أَرْبَعُمِائَةِ سَنَةٍ، وَقِيلَ: سِتُّمِائَةٍ. وَقِيلَ: سِتُّمِائَةٍ وَعِشْرُونَ سَنَةً. وَقَدْ يَكُونُ تَارِيخُ وَفَاتِهِ مِنْ ثَمَانِمِائَةِ سَنَةٍ، وَهُوَ قَرِيبٌ مِنْ وَقْتِ دَانْيَالَ إِنْ كَانَ كَوْنُهُ دَانْيَالَ هُوَ الْمُطَابِقَ لِمَا فِي نَفْسِ الْأَمْرِ ; فَإِنَّهُ قَدْ يَكُونُ رَجُلًا آخَرَ ; إِمَّا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ أَوِ الصَّالِحِينَ، وَلَكِنْ قَرُبَتِ الظُّنُونُ أَنَّهُ دَانْيَالُ لِأَنَّ دَانْيَالَ كَانَ قَدْ أَخَذَهُ مَلِكُ الْفُرْسِ، فَأَقَامَ عِنْدَهُ مَسْجُونًا كَمَا تَقَدَّمَ. وَقَدْ رُوِيَ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ إِلَى أَبِي الْعَالِيَةِ أَنَّ طُولَ أَنْفِهِ شِبْرٌ. وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ بِإِسْنَادٍ جَيِّدٍ، أَنَّ طُولَ أَنْفِهِ ذِرَاعٌ. فَيَحْتَمِلُ عَلَى هَذَا أَنْ يَكُونَ رَجُلًا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ الْأَقْدَمِينَ قَبْلَ هَذِهِ الْمُدَدِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ أَبُو بَكْرٍ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا فِي كِتَابِ " أَحْكَامِ الْقُبُورِ ": حَدَّثَنَا أَبُو بِلَالٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ الْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ الْأَحْمَرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ دَانْيَالَ دَعَا رَبَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَدْفِنَهُ أُمَّةُ مُحَمَّدٍ فَلَمَّا افْتَتَحَ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ تُسْتَرَ، وَجَدَهُ فِي تَابُوتٍ، تَضْرِبُ عُرُوقُهُ وَوَرِيدَهُ، وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ دَلَّ عَلَى دَانْيَالَ فَبَشِّرُوهُ بِالْجَنَّةِ. فَكَانَ الَّذِي دَلَّ عَلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: حُرْقُوصٌ فَكَتَبَ أَبُو مُوسَى إِلَى عُمَرَ بِخَبَرِهِ،
পৃষ্ঠা - ৮৯২
ষ্ষ্


রাজা বললেন, আল্লাহর কসম ! ঐ রাত্রে যত শিশুর জন্ম হবে, আমি তাদের সকলকে হত্যা
করব ৷ বাস্তবে রাজা তাই করলেন ৷ অবশ্য, শিশু দানিয়ালকে রাজার লোকজন সিংহ সালের
মধ্যে নিক্ষেপ করে চলে যায় ৷ কিন্তু সিংহ তার কোন ক্ষতি করল না; বরং দু’টি সিংহ শিশুটিকে
জিহ্বা দ্বারা চেটে সুস্থ রাখে ৷ অতঃপর শিশুঢির মাতা এসে সন্তানকে এ অবস্থায় দেখে সেখান
থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান ৷ এভাবে আল্লাহ দানিয়ালকে রক্ষা করেন এবং স্বীয় ইচ্ছা কার্যকরী
করেন ৷ আবু মুসা (রা) বলেন, ঐ জনপদের লোকজন জানায় যে, দানিয়ালের প্রতি আল্লাহর এ
অনুগ্রহ স্মৃতিতে ধরে রাখার জন্যে দানিয়াল তার আৎটিতে নিজেকে সিংহদ্বয়ের চাটারত অবস্থা
চিত্রাৎকিত করে রাখেন ৷ এ বর্ণনার সুত্রটি হাসান’ পর্যায়ের ৷

বিধ্বস্ত বায়ভুল মুকাদ্দাস পুনঃনির্মাণ এবং বিক্ষিপ্ত
বনী ইসরাঈলের পুনরায় একত্রিত হওয়ার বর্ণনা
এ প্রসঙ্গে আল্লাহর রাণী :

ং;এে ১!এব্রেএেব্লুপ্রুছুষ্ঠাংইপ্লুব্লুএে শঃহ্,ওম্,া ,ৰু;এোও,া


এপ্রুাঠু;:ড্রু
ণ্এ

০ :

ট্রুাহ্র ষ্া;

;ণ্ :


-অথবা তুমি কী যে ব্যক্তিকে দেখনি, যে এমন এক নগরে উপনীত হয়েছিল, যা
ধ্বংসভুপে পরিণত হয়েছিল ৷ সে বলল, “মৃত্যুর পর কিরুপে আল্লাহ একে জীবিত করবেন?
তারপর আল্লাহ তাকে একশ’ বছর মৃত রাখলেন ৷ পরে ত কে পুনর্জীবিত করলেন ৷ আল্লাহ
বললেন, “তুমি কতকাল অবস্থান করলে?” সে বলল, একদিন অথবা একদিনেরও কিছু কম
অবস্থান করেছি ৷ তিনি বললেন, না, বরং তুমি একশ’ বছর অবস্থান করেছ ৷ তোমার খাদ্য
সামগ্রী ও পানীয় বস্তুর প্রতি লক্ষ্য কর, তা অবিকৃত রয়েছে এবং তোমার পাধাটির প্রতি লক্ষ্য
কর, কারণ তোমাকে মানব জাতির জন্য নিদর্শন স্বরুপ করব ৷ আর অস্থিগুলোর প্রতি লক্ষ্য
কর, কিভাবে সেগুলোকে সংযোজিত করি এবং গোশত দ্বারা ঢেকে দেই ৷’ যখন এ তার
নিকট সুস্পষ্ট হল তখন সে বলে উঠল, আমি জানি যে, আল্লাহ নিশ্চয়ই সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান ৷

(২ বড়াকারা : ২৫৯) ৷


فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ أَنِ ادْفِنْهُ، وَابْعَثْ إِلَى حُرْقُوصٍ ; فَإِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَشَّرَهُ بِالْجَنَّةِ» . وَهَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَفِي كَوْنِهِ مَحْفُوظًا نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا أَبُو بِلَالٍ، حَدَّثَنَا قَاسِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ سَعِيدٍ، - وَكَانَ عَالِمًا - قَالَ: وَجَدَ أَبُو مُوسَى مَعَ دَانْيَالَ مُصْحَفًا، وَجَرَّةً فِيهَا وَدَكٌ وَدَرَاهِمُ، وَخَاتَمُهُ، فَكَتَبَ أَبُو مُوسَى بِذَلِكَ إِلَى عُمَرَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ: أَمَّا الْمُصْحَفُ فَابْعَثْ بِهِ إِلَيْنَا، وَأَمَّا الْوَدَكُ فَابْعَثْ إِلَيْنَا مِنْهُ، وَمُرْ مَنْ قِبَلَكَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَسْتَشْفُونَ بِهِ، وَاقْسِمِ الدَّرَاهِمَ بَيْنَهُمْ، وَأَمَّا الْخَاتَمُ فَقَدْ نَفَّلْنَاكَهُ. وَرَوَى ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، أَنَّ أَبَا مُوسَى لَمَّا وَجَدَهُ وَذَكَرُوا لَهُ أَنَّهُ دَانْيَالُ، الْتَزَمَهُ وَعَانَقَهُ وَقَبَّلَهُ، وَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ يَذْكُرُ لَهُ أَمْرَهُ، وَأَنَّهُ وَجَدَ عِنْدَهُ مَالًا مَوْضُوعًا، قَرِيبًا مِنْ عَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ، وَكَانَ مَنْ جَاءَ اقْتَرَضَ مِنْهَا، فَإِنْ رَدَّهَا وَإِلَّا مَرِضَ، وَأَنَّ عِنْدَهُ رَبْعَةً، فَأَمَرَ عُمَرُ بِأَنْ يُغْسَلَ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ، وَيُكَفَّنَ وَيُدْفَنَ، وَيُخْفَى قَبْرُهُ، فَلَا يَعْلَمُ بِهِ أَحَدٌ، وَأَمَرَ بِالْمَالِ أَنْ يُرَدَ إِلَى بَيْتِ الْمَالِ، وَبِالرَّبْعَةِ فَتُحْمَلُ إِلَيْهِ، وَنَفَلَهُ خَاتَمَهُ. وَرُوِيَ عَنْ أَبِي مُوسَى، أَنَّهُ أَمَرَ أَرْبَعَةً مِنَ الْأُسَرَاءِ فَسَكَرُوا نَهْرًا، وَحَفَرُوا فِي وَسَطِهِ قَبْرًا، فَدَفَنَهُ فِيهِ، ثُمَّ قَدَّمَ الْأَرْبَعَةَ الْإُسَرَاءَ فَضَرَبَ أَعْنَاقَهُمْ، فَلَمْ يَعْلَمْ مَوْضِعَ قَبْرِهِ غَيْرُ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، رَضِيَ
পৃষ্ঠা - ৮৯৩
ষ্ষ্


হিশাম ইবন কালবী বলেন, অতঃপর আল্লাহ আরমিয়া নবীর নিকট ওহী প্রেরণ করে
জানালেন যে, আমি বায়তুল-মুকাদ্দাসকে পুনরায় আবাদ করব ৷ সুতরাং তুমি সেখানে যাও ও
অবস্থান কর ৷ নির্দেশ মতে আরমিয়া (আ) সেখানে গোলন এবং দেখলেন যে, গোটা নগরী
সম্পুর্ণরুপে ধ্বংসদ্ভুপে পরিণত হয়েছে ৷ অবাক বিম্ময়ে তিনি ভাবলেন, সুবহানাল্লাহ৷ আল্লাহ
আমাকে এ নগরীতে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, তিনি একে পুনরায়
আবাদ করবেন; কিন্তু তা করে? এমন বিধ্বস্ত নগরীকে তিনি কতদিনে কিভাবে আবাদ করবেন?
এসব চিন্তা করতে করতে তিনি ঘুমিয়ে গেলেন ৷ তার সাথে ছিল একটি পাধা ও কিছু খাদ্য
দ্রব্য ৷ এ ঘুমের মধ্যে তার সত্তর বছর কেটে যায় ৷ ইতিমধ্যে বুখৃত নসর ও তার মনিব সম্রাট
লাহ্রাসার মৃত্যু হয় ৷ লাহ্রাসার একশ বিশ বছর যাবত রাজতু করেছিলেন ৷ তার মৃত্যুর পর
তার পুত্র বাশৃতাসাব তার স্থলাভিষিক্ত হন ৷ তারই রাজতুকালে বুখৃত নসরের মৃত্যু হয় ৷
বাশৃতাসড়াব সিরিয়া (শাম) সম্পর্কে অবগত হলেন যে, :দশশ্ণ্ট ধ্বংসদ্ভুপে পরিণত হয়ে আছে,
সমগ্র ফিলিস্তীন হিংস্র শ্বাপদে ভরে গিয়েছে এবং মানুষের কোন অস্তিত্ব সেখানে নেই ৷ তাই
তিনি সদয় হয়ে বাবিলে অবস্থানরত বনী ইসরাঈলদেরকে আহ্বান করে জানালেন ৷ তোমরা
যারা নিজেদের দেশে সিরিয়ার ফিরে যেতে চাও, যেতে পার ৷ তিনি দাউদ বংশের একজনকে
তাদের রাজা বানিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসসহ অন্যান্য মসজিদ পুনর্নির্মাণ করার নির্দেশ দেন ৷ রনী
ইসরাঈলরা তাদের রাজার সাথে আপন দেশ সিরিয়ার চলে গেল এবং বায়তুল মুকাদ্দাস
পুনঃপ্ৰতিষ্ঠা করল ৷

আল্লাহ তখন আরমিয়ার চোখ খুলে দিলেন ৷ তিনি নগরীর আবাদ হওয়া দৃশ্যটি প্রত্যক্ষ
করতে থাকলেন ৷ এভাবে তার আরও ত্রিশ বছর কেটে যায় ৷ ফলে পুর্ণ নিদ্রাকাল একশ বছর
পুর্ণ হয় এবং তারপরে তিনি জাগ্রত হন ৷ কিন্তু তিনি ধারণা করতে থাকেন যে, তার নিদ্রাকাল
কয়েক ঘণ্টার বেশি হয়নি ৷ অথচ নগরীকে তিনি দেখেছিলেন ধ্বংস ও বিধ্বস্ত ৷ আর নিদ্রা থেকে
জেগে এখন দেখতে পাচ্ছেন আবাদ নগরী হিসেবে ৷ তাই সহসা বলে উঠলেন, আল্লাহ সবকিছুই
করতে পারেন ৷ অতঃপর বনী ইসরাঈলরা তথায় বসবাস করতে থাকে ৷ আল্লাহ তাদের রাজতৃ
ফিরিয়ে দিলেন ৷ এভাবে দীর্ঘকাল অতিবাহিত হয় ৷ তারপর তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে দ্বন্দু
কলহে লিপ্ত হয় ৷ এ সুযোগে রোমান সম্রাট তাদের উপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের দেশ দখল
করে নেয় ৷ রোমীয় খৃষ্টানদের শাসনাধীনে থেকে বনী ইসরাঈলের শক্তি ও ঐক্য-সৎহতি কিছুই
অবশিষ্ট থাকল না ৷

ইবন জারির (র) তার ইতিহাস গ্রন্থে উক্ত ঘটনা এভাবেই বনাি করেছেন ৷ তিনি আরও
লিখেছেন যে, লাহ্রাসার ছিলেন একজন ন্যায়পরড়ায়ণ শাসক ৷ প্রজাবর্গ, সামত রাজগণ,
অধিনায়কগণ ও শহর-নগর সবই ছিল তার অনুগত আজ্ঞাবহ ৷ নগর তৈরি , নদী খনন ও
সরাইখানা নির্মাণে তিনি ছিলেন অতিশয় বিজ্ঞ ও পারদর্শী ৷ একশ বছরের উধের্ব রাজ্য শাসনের
পর দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়লে আপন পুত্র রাশতাসবের নিকট ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তিনি অবসর
গ্রহণ করেন ৷ রাশতাসবের আমলে সেদেশে মাজুসী ধর্মের (অগ্নিপুজার ) উদ্ভব হয় ৷ এ ধর্মের

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ১২

اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: رَأَيْتُ فِي يَدِ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ خَاتَمًا، نَقْشُ فَصِّهِ أَسَدَانِ بَيْنَهُمَا رَجُلٌ يَلْحَسَانِ ذَلِكَ الرَّجُلَ، قَالَ أَبُو بُرْدَةُ: هَذَا خَاتَمُ ذَلِكَ الرَّجُلِ الْمَيِّتِ الَّذِي زَعَمَ أَهْلُ هَذِهِ الْبَلْدَةِ أَنَّهُ دَانْيَالُ أَخَذَهُ أَبُو مُوسَى يَوْمَ دَفَنَهُ. قَالَ أَبُو بُرْدَةَ: فَسَأَلَ أَبُو مُوسَى عُلَمَاءَ تِلْكَ الْقَرْيَةِ عَنْ نَقْشِ ذَلِكَ الْخَاتَمِ، فَقَالُوا: إِنَّ الْمَلِكَ الَّذِي كَانَ دَانْيَالُ فِي سُلْطَانِهِ جَاءَهُ الْمُنَجِّمُونَ وَأَصْحَابُ الْعِلْمِ، فَقَالُوا لَهُ: إِنَّهُ يُولَدُ لَيْلَةَ كَذَا وَكَذَا غُلَامٌ يَعُورُ مُلْكَكَ وَيُفْسِدُهُ. فَقَالَ الْمَلِكُ: وَاللَّهِ لَا يَبْقَى تِلْكَ اللَّيْلَةَ غُلَامٌ إِلَّا قَتَلْتُهُ. إِلَّا أَنَّهُمْ أَخَذُوا دَانْيَالَ فَأَلْقَوْهُ فِي أَجَمَةِ الْأَسَدِ، فَبَاتَ الْأَسَدُ وَلَبْوَتُهُ يَلْحَسَانِهِ، وَلَمْ يَضُرَّاهُ، فَجَاءَتْ أُمُّهُ فَوَجَدَتْهُمَا يَلْحَسَانِهِ، فَنَجَّاهُ اللَّهُ بِذَلِكَ حَتَّى بَلَغَ مَا بَلَغَ. قَالَ أَبُو بُرْدَةَ: قَالَ أَبُو مُوسَى: قَالَ عُلَمَاءُ تِلْكَ الْقَرْيَةِ: فَنَقَشَ دَانْيَالُ صُورَتَهُ وَصُورَةَ الْأَسَدَيْنِ يَلْحَسَانِهِ فِي فَصِّ خَاتَمِهِ ; لِئَلَّا يَنْسَى نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ. إِسْنَادٌ حَسَنٌ.
পৃষ্ঠা - ৮৯৪
ষ্ষ্


সুচনা করেন যারদাশৃত নামক এক ব্যক্তি ৷ তিনি নবী আরমিয়ার সঙ্গে থাকতেন ৷ নবীর উপর
কোন এক কারণে তিনি রাগাম্বিত হন ৷ নবী তাকে অভিশাপ দেন ৷ ফলে যারদাশৃত কুষ্ঠ রোগে
আক্রান্ত হয় ৷ অতঃপর তিনি আজার-বাইজানে গিয়ে বাশৃতাসবের সাথে মিলিত হন এবং তাকে
নিজের উদ্ভাবিত মাজুসী ধর্মে দীক্ষিত করেন ৷ এই ধর্ম গ্রহণ করার জন্যে বাশতাসব জনগণের
উপর ভীষণভাবে চাপ সৃষ্টি করে ৷ যারা স্বীকার করতে রাজি হয়নি তাদেরকে সে পাইকারীভাবে
হত্যা করে ৷ বাশৃতাসরের পরে তার পুত্র বাহ্মান পারস্যের সম্রাট হয় এবং রাজ্য শাসনে যথেষ্ট
খ্যাতি অর্জন করে ৷

বুখৃত নসর উপরোক্ত তিনজন সম্রাটের অধীনে আঞ্চলিক শাসনকর্তা ছিল এবং দীর্ঘ জীবন
লাভ করেছিল ৷ উপরোক্ত বর্ণনার সারমর্ম হল ইবন জারিরের যডে উক্ত জনপরুদর মধ্য
দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তি হলেন হযরত আরমিয়া (আ) ৷ কিন্তু ওহহ্বব ইবন ন্মুনাববিহ,, আবদৃল্লাহ্
ইবন উবায়দ প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ হযরত আলী, আবদুল্লাহ ইবন সলাম, ইবন আব্বাস ৰু
হাসান, কাতাদা, সুদ্দী, সুলায়মান ইবন বুরায়দা প্রমুখ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উক্ত
অতিক্রমকারী ব্যক্তি হযরত উযায়র (আ) ৷ গােষাক্ত বর্ণনার সুত্র উপরের মতের বর্ণনার সুত্রের
অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী এবং প্রথম যুগের ও পরবর্তী যুগের আলিমগণের অধিকাৎশের নিকট
বেশি প্রসিদ্ধ ৷


[ذِكْرُ عِمَارَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ بَعْدَ خَرَابِهَا] وَهَذَا ذِكْرُ عِمَارَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ بَعْدَ خَرَابِهَا، وَاجْتِمَاعِ بَنِي إِسْرَائِيلَ بَعْدَ تَفَرُّقِهِمْ فِي بِقَاعِ الْأَرْضِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ الْمُبِينِ، وَهُوَ أَصْدَقُ الْقَائِلِينَ: {أَوْ كَالَّذِي مَرَّ عَلَى قَرْيَةٍ وَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلَى عُرُوشِهَا قَالَ أَنَّى يُحْيِي هَذِهِ اللَّهُ بَعْدَ مَوْتِهَا فَأَمَاتَهُ اللَّهُ مِائَةَ عَامٍ ثُمَّ بَعَثَهُ قَالَ كَمْ لَبِثْتَ قَالَ لَبِثْتُ يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ قَالَ بَلْ لَبِثْتَ مِائَةَ عَامٍ فَانْظُرْ إِلَى طَعَامِكَ وَشَرَابِكَ لَمْ يَتَسَنَّهْ وَانْظُرْ إِلَى حِمَارِكَ وَلِنَجْعَلَكَ آيَةً لِلنَّاسِ وَانْظُرْ إِلَى الْعِظَامِ كَيْفَ نُنْشِزُهَا ثُمَّ نَكْسُوهَا لَحْمًا فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ قَالَ أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ} [البقرة: 259] . قَالَ هِشَامٌ ابْنُ الْكَلْبِيِّ: ثُمَّ أَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَى أَرْمِيَا، عَلَيْهِ السَّلَامُ - فِيمَا بَلَغَنِي - أَنَّى عَامِرٌ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، فَاخْرُجْ إِلَيْهَا فَانْزِلْهَا. فَخَرَجَ حَتَّى قَدِمَهَا وَهِيَ خَرَابٌ، فَقَالَ فِي نَفْسِهِ: سُبْحَانَ اللَّهِ، أَمَرَنِي اللَّهُ أَنْ أَنْزِلَ هَذِهِ الْبَلْدَةَ وَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ عَامِرُهَا، فَمَتَى يَعْمُرُهَا، وَمَتَى يُحْيِيهَا اللَّهُ بَعْدَ مَوْتِهَا؟ ثُمَّ وَضَعَ رَأْسَهُ فَنَامَ وَمَعَهُ حِمَارُهُ وَسَلَّةٌ مِنْ طَعَامٍ، فَمَكَثَ فِي نَوْمِهِ سَبْعِينَ سَنَةً
পৃষ্ঠা - ৮৯৫
حَتَّى هَلَكَ بُخْتُ نَصَّرَ وَالْمَلِكُ الَّذِي فَوْقَهُ، وَهُوَ لِهْرَاسْبُ وَكَانَ مُلْكُهُ مِائَةً وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَقَامَ بَعْدَهُ وَلَدُهُ بَشْتَاسِبُ بْنُ لِهْرَاسْبَ، وَكَانَ مَوْتُ بُخْتُ نَصَّرَ فِي دَوْلَتِهِ، فَبَلَغَهُ عَنْ بِلَادِ الشَّامِ أَنَّهَا خَرَابٌ، وَأَنَّ السِّبَاعَ قَدْ كَثُرَتْ فِي أَرْضِ فِلَسْطِينَ، فَلَمْ يَبْقَ بِهَا مِنَ الْإِنْسِ أَحَدٌ، فَنَادَى فِي أَرْضِ بَابِلَ، فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنَّ مَنْ شَاءَ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الشَّامِ، فَلْيَرْجِعْ. وَمَلَّكَ عَلَيْهِمْ رَجُلًا مِنْ آلِ دَاوُدَ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَعْمُرَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، وَيَبْنِيَ مَسْجِدَهَا، فَرَجَعُوا فَعَمَرُوهَا، وَفَتَحَ اللَّهُ لِأَرْمِيَا عَيْنَيْهِ فَنَظَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ كَيْفَ تُبْنَى وَكَيْفَ تُعَمَّرُ، وَمَكَثَ فِي نَوْمِهِ ذَلِكَ حَتَّى تَمَّتْ لَهُ مِائَةُ سَنَةٍ، ثُمَّ بَعَثَهُ اللَّهُ، وَهُوَ لَا يَظُنُّ أَنَّهُ نَامَ أَكْثَرَ مِنْ سَاعَةٍ، وَقَدْ عَهِدَ الْمَدِينَةَ خَرَابًا فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهَا عَامِرَةً آهِلَةً قَالَ: أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ. قَالَ: فَأَقَامَ بَنُو إِسْرَائِيلَ بِهَا وَرَدَّ اللَّهُ عَلَيْهِمْ أَمْرَهُمْ، فَمَكَثُوا كَذَلِكَ حَتَّى غَلَبَتْ عَلَيْهِمُ الرُّومُ فِي زَمَنِ مُلُوكِ الطَّوَائِفِ، ثُمَّ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ جَمَاعَةٌ وَلَا سُلْطَانٌ، يَعْنِي بَعْدَ ظُهُورِ النَّصَارَى عَلَيْهِمْ. هَكَذَا حَكَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ فِي " تَارِيخِهِ " عَنْهُ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، أَنَّ لِهْرَاسْبَ كَانَ مَلِكًا عَادِلًا سَائِسًا لِمَمْلَكَتِهِ، قَدْ دَانَتْ لَهُ الْعِبَادُ وَالْبِلَادُ، وَالْمُلُوكُ وَالْقُوَّادُ، وَأَنَّهُ كَانَ ذَا رَأْيٍ جَيِّدٍ فِي عِمَارَةِ الْأَمْصَارِ وَالْأَنْهَارِ وَالْمَعَاقِلِ، ثُمَّ لَمَّا ضَعُفَ عَنْ تَدْبِيرِ الْمَمْلَكَةِ، بَعْدَ