আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

باب ذكر جماعة من أنبياء بني إسرائيل بعد موسى عليه السلام

قصة اليسع عليه السلام

পৃষ্ঠা - ৭৯৯
ষ্ষ্


আল্লাহ তা’আলা আল-য়াসাআ-এয় নাম অন্যান্য নবীর নামের সাথে কুরআনের বিভিন্ন
স্থানে উল্লেখ করেছেন ৷ সুরা আনআমে বলা হয়েছে :
তো
( ঞ্জে প্লুৰুখু ৷ )
অর্থ : আরও সৎ পথে পরিচালিত করেছিলাম ইসমাঈল, আল্-য়াসাআ, ইউনুস ও লুতকে;
এবং গ্রেষ্ঠতু দান করেছিলাম বিশ্ব জগতের উপর প্ৰত্যেককে (আনআম : ৮৬) ৷
সুরা সাদ এ বলা হয়েছে :
(
স্মরণ কর, ইসমাঈল, আল-য়াসাআ ও যুল-কিফ্লের কথা, এরা প্রতেকেই ছিল সজ্জন ৷
(৩৮ সাদ : ৪৮) ৷
ইসহাক ইবন বিশর আবু হুযায়ফা হাসান (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে ইলিয়াস
(আ)-এর পরে আল-য়াসাআ ছিলেন বনী ইসরাঈলের নবী ৷ তিনি আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী
নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তাদের মধ্যে অবস্থান করেন ৷ বনী ইসরাঈলকে তিনি আল্লাহর আনুগত্য
করার ও ইলিয়াসের শরীআতের অনুবর্তী হওয়ার আহ্বান জানান ৷ মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত তিনি এ
দায়িত্ব পালন করেন যান ৷ তার ইনতিকালের পর আগত বনী ইসরাঈলের বহু প্রজন্ম এ
পৃথিবীতে আগমন করে ৷ তাদের মধ্যে ব্যাপক হারে বিভিন্ন প্রকার বিদআত ও পাপাচার
ৎক্রামক ব্যাধির ন্যায় ছড়িয়ে পড়ে ৷ এ সময়ে বহু অত্যাচারী বাদশাহর আবির্ভাব ঘটে ৷ তারা
আল্লাহর নবীগণকে নির্বিচারের হত্যা করে ৷ এদের মধ্যে একজন ছিল অত্যন্ত অহংকারী ও
সীমালংঘনকারী ৷ কথিত আছে, হযরত যুল-কিফ্ল (আ) এই অহংকারী বাদশাহ সম্পর্কে

বলেছিলেন যে, সে যদি তওবা করে ও অন্যায় কাজ ত্যাগ করে তবে আমি তার জান্নত্ত্বতের
যিম্মদোর ৷ এ কারণেই তিনি যুল-কিফ্ল বা যিম্মাদার অভিধড়ায় অভিহিত হন ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেছেন, আল-য়াসাআ ছিলেন আখতুবের পুত্র ৷ কিন্তু হাফিজ
আবুল কাসিম ইবন আসাকির তার বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থে ইয়া’ ( ; ৷ন্ ) হরফের অধীনে
লিখেছেন, আল-য়াসাআর নাম আসবাত এবং পিতার নাম আদী; বংশ তালিকা নিম্নরুপ :
আল-য়াসাআ আসবাত ইবন আদী ইবন শুতড়ালিম (ৰুগ্লুর্দু) ইবন আফরাঈম (ণ্ন্ ও ! )১ ) ইবন
ইউসুফ ইবন ইয়াকুব ইবন ইসহাক ইবন ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ) ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি
ছিলেন হযরত ইলিয়াস (আ)-এর চাচাত ভাই ৷ কথিত আছে, হযরত আল-য়াসাআ হযরত
ইলিয়াসের সাথে কাসিয়ুন (গ্রেৰুাপ্) নামক পর্বতে বালা-বাক্কা বাদশাহর ভয়ে আত্মগােপন

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৩-

[قِصَّةُ الْيَسَعَ عَلَيْهِ السَّلَامُ] وَقَدْ ذَكَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى مَعَ الْأَنْبِيَاءِ، فِي سُورَةِ " الْأَنْعَامِ " فِي قَوْلِهِ: {وَإِسْمَاعِيلَ وَالْيَسَعَ وَيُونُسَ وَلُوطًا وَكُلًّا فَضَّلْنَا عَلَى الْعَالَمِينَ} [الأنعام: 86] [الْأَنْعَامِ: 86] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " ص ": {وَاذْكُرْ إِسْمَاعِيلَ وَالْيَسَعَ وَذَا الْكِفْلِ وَكُلٌّ مِنَ الْأَخْيَارِ} [ص: 48] . قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، أَبُو حُذَيْفَةَ: أَنْبَأَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: كَانَ بَعْدَ إِلْيَاسَ، الْيَسَعُ - عَلَيْهِمَا السَّلَامُ - فَمَكَثَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَمْكُثَ; يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ مُسْتَمْسِكًا بِمِنْهَاجِ إِلْيَاسَ وَشَرِيعَتِهِ، حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، إِلَيْهِ، ثُمَّ خَلَفَ فِيهِمُ الْخُلُوفُ، وَعَظُمَتْ فِيهِمُ الْأَحْدَاثُ وَالْخَطَايَا، وَكَثُرَتِ الْجَبَابِرَةُ، وَقَتَلُوا الْأَنْبِيَاءَ، وَكَانَ فِيهِمْ مَلَكٌ جَبَّارٌ عَنِيدٌ طَاغٍ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ الَّذِي تَكَفَّلَ لَهُ ذُو الْكِفْلِ إِنْ هُوَ تَابَ وَرَاجَعَ، دَخَلَ الْجَنَّةَ; فَسُمِّى ذَا الْكِفْلِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: هُوَ الْيَسَعُ بْنُ أَخْطُوبَ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ، فِي حَرْفِ الْيَاءِ مِنْ " تَارِيخِهِ ": الْيَسَعُ; وَهُوَ: الْأَسْبَاطُ بْنُ عَدِيِّ بْنِ شُوتَلْمَ بْنِ أَفْرَاثِيمَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ يَعْقُوبَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৮০০
إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ. وَيُقَالُ: هُوَ ابْنُ عَمِّ إِلْيَاسَ النَّبِيِّ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ. وَيُقَالُ: كَانَ مُسْتَخْفِيًا مَعَهُ بِجَبَلِ قَاسِيُونَ مِنْ مَلِكِ بَعْلَبَكَّ، ثُمَّ ذَهَبَ مَعَهُ إِلَيْهَا، فَلَمَّا رُفِعَ إِلْيَاسُ خَلَفَهُ الْيَسَعُ فَى قَوْمِهِ، وَنَبَّأَهُ اللَّهُ بَعْدَهُ. ذَكَرَ ذَلِكَ عَبْدُ الْمُنْعِمِ بْنُ إِدْرِيسَ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ: وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ الْأَسْبَاطُ بِبَانْيَاسَ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ قِرَاءَةَ مَنْ قَرَأَ: الْيَسَعُ، بِالتَّخْفِيفِ وَبِالتَّشْدِيدِ، وَمَنْ قَرَأَ: " اللَّيْسَعَ "، وَهُوَ اسْمٌ وَاحِدٌ لِنَبِيٍّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ. قُلْتُ: قَدْ قَدَّمْنَا قِصَّةَ ذِي الْكِفْلِ بَعْدَ قِصَّةِ أَيُّوبَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ; لِأَنَّهُ قَدْ قِيلَ: إِنَّهُ ابْنُ أَيُّوبَ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ.