আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

باب ذكر جماعة من أنبياء بني إسرائيل بعد موسى عليه السلام

قصة حزقيل

পৃষ্ঠা - ৭৯৩
ষ্ষ্

হিয্কীল (আ) এর বিবরণ

আল্লাহ্র বাণী :

টা৷
তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা মৃত্যু-তয়ে হাজারে-হাজারে তাদের আবাস তুমি ত্যাগ
করেছিল? তারপর আল্লাহ্ তাদেরকে বলেছিলেন, “ণ্তামাদের মৃত্যু হোক ৷ তারপর আল্লাহ
তাদেরকে জীবিত করেছিলেন ৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল ; কিন্তু অধিকাৎশ
লোক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না ৷ (২ বাকারা : ২৪৩)

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ওহার ইবন মুনড়াব্বিহ্ সুত্রে বর্ণনা করেছেন : ইউশার মৃত্যুর পর
ন্ কালিব ইবন ইউফান্ন৷ রনী-ইসরাঈলের নেতা হন এবং তার ইন্তিকালের পর হিঘৃকীল ইবন
ইউযী রনী ইসরাঈলের পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ৷ এই হিযকীল ইরনুল আজুয তথা
বৃদ্ধার পুত্ররুপে পরিচিত, যার দােয়ায় আল্লাহ্ সে সব মৃত সোকদেরকে জীবিত করে
দিয়েছিলেন, যাদের ঘটনা পুর্বোক্ত আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এসব লোক মহামাৰীর ভয়ে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং এক
প্রাম্ভরে উপনীত হয় ৷ আল্লাহ বললেন, তোমাদের মৃত্যু হোক ৷ ফলে তারা সকলেই তথায় মারা
যায় ৷ অবশ্য তাদের লাশগুলো হিংস্র জন্তুর করল থেকে রক্ষা করার জন্য বেষ্টনীর ব্যবস্থা করা
হয় ৷ এভাবে সুদীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হয় ৷ একদা হযরত হিয্কীল তাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম
করছিলেন ৷ তিনি থমকে দীড়ান ও চিন্তা করতে থাকেন ৷ এ সময় একটি গায়েবী আওয়াজের
মাধ্যমে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, আল্লাহ্ এ মৃত লোকগুলােকে তোমার সম্মুখে জীবিত করে দেন
তা কি তুমি চাওন্ হিয্কীল বললেন, জী হীড়া ৷ এরপর তাকে বলা হল, তুমি হাড়গুলোকে আদেশ
কর, যাতে সেগুলো গোশত দ্বারা আবৃত হয় এবং শিরাগুলো যেন পরস্পর সংযুক্ত হয়ে যায় ৷
আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী হিযকীল হাড়গুলোকে সে আহ্বান করার সাথে সাথে লড়াশগুলো সবই
জীবিত হয়ে গেল এবং সমস্বরে তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করল ৷

আসরড়াত ঐতিহাসিক সুদ্দী থেকে বিভিন্ন সুত্রে ইবন আব্বাস, ইবন মাসউদ প্রমুখ সাহাবী
থেকে উপরোক্ত আয়াতে ( ৷র্দু, ট্রু র্মুপ্রুছু ;,;fi ৷ ষ্পু ৷ ;;: ;;’) উল্লিখিত ঘটনা সম্পর্কে
লিখেছেন : ওয়াসিত এর নিকটে অবস্থিত একটি জনপদের্বনাম ছিল দাওয়ার-দান ( ,) ৷ , এ ৷ এ)

[بَابُ ذِكْرِ جَمَاعَةٍ مِنْ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ بَعْدَ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ] [قِصَّةُ حِزْقِيلَ] ثُمَّ نُتْبِعُهُمْ بِذِكْرِ دَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ، فِي " تَارِيخِهِ ": لَا خِلَافَ بَيْنِ أَهْلِ الْعِلْمِ بِأَخْبَارِ الْمَاضِينَ، وَأُمُورِ السَّالِفِينِ مِنْ أُمَّتِنَا، وَغَيْرِهِمْ; أَنَّ الْقَيِّمَ بِأُمُورِ بَنِي إِسْرَائِيلَ بَعْدَ يُوشَعَ، كَالِبُ بْنُ يُوفَنَّا. يَعْنِي أَحَدَ أَصْحَابِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهُوَ زَوْجُ أُخْتِهِ مَرْيَمَ، وَهُوَ أَحَدُ الرَّجُلَيْنِ اللَّذَيْنِ مِمَّنْ يَخَافُونَ اللَّهَ، وَهُمَا يُوشَعُ، وَكَالِبُ وَهُمَا الْقَائِلَانِ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ حِينَ نَكَلُوا عَنِ الْجِهَادِ: {ادْخُلُوا عَلَيْهِمُ الْبَابَ فَإِذَا دَخَلْتُمُوهُ فَإِنَّكُمْ غَالِبُونَ وَعَلَى اللَّهِ فَتَوَكَّلُوا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ} [المائدة: 23] . قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِ كَانَ الْقَائِمُ بِأُمُورِ بَنِي إِسْرَائِيلَ حِزِقْيلَ بْنَ بُوذَى. وَهُوَ الَّذِي دَعَا اللَّهَ فَأَحْيَا الَّذِينَ خَرَجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ.
পৃষ্ঠা - ৭৯৪
قِصَّةُ حِزْقِيلَ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ اللَّهُ مُوتُوا ثُمَّ أَحْيَاهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ} [البقرة: 243] . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، إِنَّ كَالِبَ بْنَ يُوفَنَّا لَمَّا قَبَضَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ بَعْدَ يُوشَعَ، خَلَفَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ حِزْقِيلَ بْنَ بُوذَى، وَهُوَ ابْنُ الْعَجُوزِ، وَهُوَ الَّذِي دَعَا لِلْقَوْمِ الَّذِينَ ذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ، فِيمَا بَلَغَنَا: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ} [البقرة: 243] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فَرُّوا مِنَ الْوَبَاءِ، فَنَزَلُوا بِصَعِيدٍ مِنَ الْأَرْضِ، فَقَالَ لَهُمُ اللَّهُ: مُوتُوا. فَمَاتُوا جَمِيعًا، فَحَظَرُوا عَلَيْهِمْ حَظِيرَةً دُونَ السِّبَاعِ، فَمَضَتْ عَلَيْهِمْ دُهُورٌ طَوِيلَةٌ، فَمَرَّ بِهِمْ حِزْقِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَوَقَفَ عَلَيْهِمْ مُتَفَكِّرًا، فَقِيلَ لَهُ: أَتُحِبُّ أَنْ يَبْعَثَهُمُ اللَّهُ وَأَنْتَ تَنْظُرُ؟ فَقَالَ: نَعَمْ. فَأُمِرَ أَنْ يَدْعُوَ تِلْكَ الْعِظَامَ أَنْ تَكْتَسِيَ لَحْمًا، وَأَنْ يَتَّصِلَ الْعَصَبُ بَعْضُهُ بِبَعْضٍ. فَنَادَاهُمْ عَنْ أَمْرِ اللَّهِ لَهُ بِذَلِكَ، فَقَامَ الْقَوْمُ
পৃষ্ঠা - ৭৯৫
ষ্ষ্


এ জনপদে একবার ভয়াবহ মহামারী দেখা দেয় ৷ এতে সেখানকার অধিকাৎশ লোক ভয়ে
পালিয়ে যায় এবং পার্শ্ববর্তী এক এলাকায় অবস্থান করে ৷ জনপদে যারা থেকে গিয়েছিল তাদের
কিছু সংখ্যক মহামাবীতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়; কিন্তু বেশির ভাগ লোকই বেচে যায় ৷
মহামারী চলে যাওয়ার পর পালিয়ে যাওয়া লোকজন জনপদে ফিরে আসে ৷ জনপদে থেকে
যাওয়া লোকদের মধ্যে যারা বেচেছিল তারা পরস্পর বলারলি করল যে, আমাদের যেসব

ভায়েরা এলাকা ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলত র বাই বুদ্ধিমত্তাও দৃরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে ৷
তাদের মত যদি আমরাও চলে যেতাম তবে সবাই বেচে থাকতাম ৷ পুনরায় যদি এ রকম
মহামারী আসে তবে আমরাও তাদের সাথে চলে যার ৷ পরবর্তী বছর আবার মহামারী ছড়িয়ে
পড়ে ৷ এবার জনপদ শুন্য করে সবাই বেরিয়ে গেল এবং পুর্বের স্থানে গিয়ে অবস্থান নিল ৷
ৎখ্যায় এরা ছিল তেত্রিশ হাজার বা তার চাইতে কিছু বেশি ৷ যে স্থানে তারা সমবেত হয়, সে

স্থানটি ছিল একটি প্রশস্ত উপত্যকা ৷৷ তখন একজন ফিবিশত৷ উপত্যকাটির নীচের দিক থেকে
এবং আর একজন ফিরিশত ৷ উপতাকাটির উপর দিক থেকে আওয়াজ দিয়ে বললেন,

“তোমাদের মৃত্যু হোক” ৷ আগে যে সমস্ত লোক মারা গেল, তাদের মৃত দেহগুলাে সেখানে
পড়ে থাকল ৷ একদা নবী হিয্কীল ঐ পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ এ দৃশ্য দেখে তিনি বিম্ময়ে দাড়িয়ে
পেলেন, গভীরভাবে চিন্তা করতে লাপলেন এবং আপন মুখের চোয়াল ও হাতের আঙ্গুল মুচড়াতে
থাকলেন ৷ এ অবস্থায় আল্লাহ তার নিকট ওহী পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, হিয়কীলৰু তুমি কি
দেখতে চাও , আমি কিভাবে এদেরকে পুনরায় জীবিত করি? হিয্র্কীল বললেন জী হী , আমি তা
দেখতে চাই ৷ বস্তুত তিনি এখানে দাড়িয়ে এই ৰিষয়েই চিন্তামগ্ন ছিলেন এবং আল্লাহর শক্তি
প্রত্যক্ষ করে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন ৷ তাকে বলা হল, তুমি আহ্বান কর ৷ তিনি আহ্বান
করলেন, হে অন্থিসমুহ! আল্লাহ তোমাদেরকে একত্রিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ দেখা গেল,
যার যার অন্থি উড়ে উড়ে পরস্পর সংযুক্ত হয়ে কংকালে পরিণত হয়েছে ৷ তাকে পুনরায় বলা
হল, আহ্বান কর ৷ তিনি আহ্বান করলেন, “হে অন্থিসমুহ ! আল্লাহ তোমাদের কংকালগুলাে
গোশত ইত্যাদি দ্বারা আবৃত করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ ” দেখা গেল, কংকালগুলাে মাংস দ্বারা
আবৃত হয়ে তাতে শিরা-উপশিরা চালু হয়ে গিয়েছে এবং যে কাপড় পরিহিত অবস্থায় তাদের
মৃত্যু হয়েছিল, সে কাপড়গুলোই তাদের দেহে শোভা পাচ্ছে ৷ এরপর হিয়কীলকে বলা হল,
আহ্বান কর ৷ তিনি আহ্বান করলেন, “হে দেহসমুহ৷ আল্লাহ্র হুকুমে দাড়িয়ে যাও !” সাথে
সাথে সবাই দাড়িয়ে গেল ৷ আসবাত বলেন, মনসুর মুজাহিদ সুত্রে বংনাি করেছেন যে,
ণ্লাকগুলাে জীবিত হয়ে এ দােয়াটি পাঠ করে :


অর্থ৪ হে আল্লাহ আপনি অতি পবিত্র মহান, যাবতীয় প্রশংস ৷আপনার, আপনি ব্যতীত
অন্য কে ন ইলাহ নেই এরপর তারা জনপদে আপন সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে যায় ৷ জনপদের
অধিবাসীরা দেখেইত ৷ তাদেরকে চিনতে পা রল যে, এরাই ঐসব লোক, যা ৷রা আকস্মিকভারে মৃত্যু
মুখে পতিত হয়েছিল ৷ত তবে যে কাপড়ই তারা পরিধান করতেন, তাই পুরনো হয়ে যেতে৷ ৷
এরপর এ অবন্থায়ই নির্ধারিত সময়ে তাদের সকলের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৷ এদের সংখ্যা সম্পর্কে
বিভিন্ন মতামত পাওয়াযায় ৷ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত, এদের সং খ্যাটি চার হাজার;
অপর বর্ণনা মতে আট হাজার; আবু সালিহ্ এর মতে নয় হাজার; ইবন আব্বাস (রা ) এর
আপার এক বর্ণনায়ু মতে চল্লিশ হাজার ৷ সাঈদ ইবন আবদুল আযীয তাদের সম্বন্ধে বলেছেন


أَجْمَعُونَ، وَكَبَّرُوا تَكْبِيرَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ. وَقَالَ أَسْبَاطٌ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، وَعَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَعَنْ أُنَاسٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، فِي قَوْلِهِ: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ اللَّهُ مُوتُوا ثُمَّ أَحْيَاهُمْ} [البقرة: 243] قَالُوا: كَانَتْ قَرْيَةٌ يُقَالُ لَهَا: " دَاوَرْدَانُ "، قِبَلَ " وَاسِطَ " وَقَعَ بِهَا الطَّاعُونُ فَهَرَبَ عَامَّةُ أَهْلِهَا، فَنَزَلُوا نَاحِيَةً مِنْهَا، فَهَلَكَ مَنْ بَقِيَ فِي الْقَرْيَةِ، وَسَلِمَ الْآخَرُونَ، فَلَمْ يَمُتْ مِنْهُمْ كَثِيرٌ، فَلَمَّا ارْتَفَعَ الطَّاعُونُ، رَجَعُوا سَالِمِينَ، فَقَالَ الَّذِينَ بَقُوا: أَصْحَابُنَا هَؤُلَاءِ كَانُوا أَحْزَمَ مِنَّا، لَوْ صَنَعْنَا كَمَا صَنَعُوا بَقِينَا، وَلَئِنْ وَقَعَ الطَّاعُونُ ثَانِيَةً لَنَخْرُجَنَّ مَعَهُمْ. فَوَقَعَ فِي قَابِلٍ، فَهَرَبُوا وَهُمْ بِضْعَةٌ وَثَلَاثُونَ أَلْفًا، حَتَّى نَزَلُوا ذَلِكَ الْمَكَانَ، وَهُوَ وَادٍ أَفْيَحُ، فَنَادَاهُمْ مَلَكٌ مِنْ أَسْفَلِ الْوَادِي، وَآخَرُ مِنْ أَعْلَاهُ: أَنْ مُوتُوا. فَمَاتُوا، حَتَّى إِذَا هَلَكُوا، وَبَقِيَتْ أَجْسَادُهُمْ، مَرَّ بِهِمْ نَبِيٌّ، يُقَالُ لَهُ: حِزْقِيلُ. فَلَمَّا رَآهُمْ وَقَفَ عَلَيْهِمْ، فَجَعَلَ يَتَفَكَّرُ فِيهِمْ وَيَلْوِي شِدْقَيْهِ وَأَصَابِعَهُ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ: تُرِيدُ أَنْ أُرِيَكَ كَيْفَ أُحْيِيهِمْ؟ قَالَ: نَعَمْ. وَإِنَّمَا كَانَ تَفَكُّرُهُ أَنَّهُ تَعَجَّبَ مِنْ قُدْرَةِ اللَّهِ عَلَيْهِمْ، فَقِيلَ لَهُ: نَادِ. فَنَادَى: يَا أَيَّتُهَا الْعِظَامُ، إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكِ أَنْ تَجْتَمِعِي. فَجَعَلَتِ الْعِظَامُ
পৃষ্ঠা - ৭৯৬
يَطِيرُ بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ، حَتَّى كَانَتْ أَجْسَادًا مِنْ عِظَامٍ، ثُمَّ أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ; أَنْ نَادِ: يَا أَيَّتُهَا الْعِظَامُ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكِ أَنْ تَكْتَسِي لَحْمًا. فَاكْتَسَتْ لَحْمًا، وَدَمًا، وَثِيَابَهَا الَّتِي مَاتَتْ فِيهَا. ثُمَّ قِيلَ لَهُ: نَادِ. فَنَادَى: أَيَّتُهَا الْأَجْسَادُ، إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكِ أَنْ تَقُومِي. فَقَامُوا. قَالَ أَسْبَاطٌ: فَزَعَمَ مَنْصُورٌ، عَنْ مُجَاهِدٍ، أَنَّهُمْ قَالُوا حِينَ أُحْيُوْا: سُبْحَانَكَ رَبَّنَا، وَبِحَمْدِكَ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ. فَرَجَعُوا إِلَى قَوْمِهِمْ أَحْيَاءً، يَعْرِفُونَ أَنَّهُمْ كَانُوا مَوْتَى، سَحْنَةَ الْمَوْتِ عَلَى وُجُوهِهِمْ، لَا يَلْبَسُونَ ثَوْبًا إِلَّا عَادَ كَفَنًا دَسْمًا، حَتَّى مَاتُوا لِآجَالِهِمُ الَّتِى كُتِبَتْ لَهُمْ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ; أَنَّهُمْ كَانُوا أَرْبَعَةَ آلَافٍ. وَعَنْهُ: ثَمَانِيَةَ آلَافٍ. وَعَنْ أَبِي صَالِحٍ: تِسْعَةَ آلَافٍ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَيْضًا: كَانُوا أَرْبَعِينَ أَلْفًا. وَعَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ: كَانُوا مِنْ أَهْلِ " أَذَرِعَاتٍ ". وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ: هَذَا مَثَلٌ. يَعْنِي أَنَّهُ سِيقَ مَثَلًا مُبَيِّنًا أَنَّهُ لَنْ يُغْنِيَ حَذَرٌ مِنْ قَدَرٍ. وَقَوْلُ الْجُمْهُورِ أَقْوَى; أَنَّ هَذَا وَقَعَ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَصَاحِبَا " الصَّحِيحِ " مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ
পৃষ্ঠা - ৭৯৭
ষ্ষ্


তারা ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী একটি জাতি ৷ ইবন জুরায়জ আতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে শত
সতর্কতা অবলম্বন করা সত্বেও যে কেউ তাকদীর লিখন খণ্ডাতে পারে না, এটা তারই এক রুপক
দৃষ্টান্ত ৷ কিন্তু অধিকাৎশ আলিমের মতে এটা ছিল একটি বাস্তব ঘটনা

ইমাম আহমদ এবং বুখাবী ও মুসলিম (র) ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণনা করেন যে,
একবার হযরত উমর ইবন খড়াত্তাব (বা) সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ সারাগ (র্দুঠুছু) নামক
স্থানে পৌছলে আবু উবায়দা ইবন জাররাহ্ (বা) ও তার সঙ্গী সেনাধ্যক্ষগণ তার সাথে সাক্ষাৎ
করে জানান যে, সিরিয়ার বর্তমানে মহামারীর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে ৷ এ সংবাদ শুনে সম্মুখে
অগ্রসর হবেন কিনা সে বিষয়ে পরামর্শের জন্যে তিনি মুহাজির ও আনসারদের সাথে বৈঠকে
বসেন ৷ আলোচনায় তাদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয় ৷ এমন সময় আবদুর রহমান ইবন
আওফ (রা) এসে তথায় উপস্থিত হন ৷ তার কোন এক প্রয়োজনে তিনি প্রথমে পরামর্শ বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন না ৷ তিনি বললেন, এ ব্যাপারে আমার একটা হাদীস জানা আছে ৷ আমি
বাসুলুল্লাহ (স)-কে বলতে শুনেছি : যদি কোন এলাকায় মহামারী দেখা দেয়, আর পুর্ব থেকেই
তোমরা সেখানে অবস্থানরত থাক, তাহলে মহামারীর ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সে
এলাকা ত্যাগ করো না ৷ আর যদি কোন অঞ্চলে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার সংবাদ পাও এবং
তোমরা সে অঞ্চলের বাইরে থাক, তবে সে দিকে অগ্রসর হয়ো না ৷

হাদীসটি শোনার পর হযরত উমর (রা) আল্লাহর গােকর আদায় করেন এবং মদীনায় ফিরে
আসেন ৷ ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ ইবন আমির ইবন রাবীঅ৷ থেকে বংনাি করেন যে,
আবদুর রহমান ইবন আওফ (বা) সিরিয়ড়ায় হযরত উমর (রা)-কে রাসুল (না)-এর হাদীস
শুনিয়ে বলেছিলেন : “এই মহামারী দ্বারা পুর্ববর্তী যুগের উম্মতদেবকে শাস্তি দেয়া হত; সুতরাং
কোন এলাকায় মহামারী বিস্তারের সংবাদ শুনতে পেলে সেখানে তোমরা প্রবেশ করবে না; কিন্তু
কোন স্থানে তোমাদের অবস্থানকালে যদি মহামারী দেখা দেয় তাহলে ভয়ে সে স্থান ত্যাগ করবে
না ৷” এ কথা শোনার পর হযরত উমর (রা) সিরিয়া থেকে ফিরে আসেন ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, হিযকীল (আ) বনী-ইসরাঈলের মধ্যে কত কাল অবস্থান
করেছিলেন, সে সম্বন্ধে কোন তথ্য পাওয়া যায় না ৷ যা হোক, কোন এক সময়ে আল্লাহ তাকে
তার নিকট উঠিয়ে নেন ৷ হিযকীলের মৃত্যুর পর বনী-ইসরাঈলরা আল্লাহকে প্রদত্ত অঙ্গীকারের
কথা বে-মালুম ভুলে যায় ৷ ফলে তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বিদআতের প্রসার ঘটে ৷ তারা মুর্তি
পুজা আরম্ভ করে ৷ তাদের এক উপাস্য দেব-মুর্ডিং৷ নাম ছিল বাআল (ঞ ) ৷ অবশেষে আল্লাহ
তাদের প্রতি একজন নবী প্রেরণ করেন ৷ তার নাম ছিল ইলিয়াস ইবন ইয়াসীন ইবন ফিনহাস
ইবন ঈযার ইবন হড়ারুন ইবন ইমরান ৷ ইতিপুর্বে আমরা হযরত খিযির (আ)-এর আলোচনা
প্রসঙ্গে হযরত ইলিয়াস (আ)-এর আলোচনা করে এসেছি ৷ কেননা, বিভিন্ন স্থানে সাধারণত
তাদের উল্লেখ প্রায় এক সাথে করা হয়ে থাকে ৷ তাছাড়া সুরা সাফ্ফাতে হযরত মুসা (আ)-এর
ঘটনা উল্লেখ করার পর ইলিয়াস (আ)-এর ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এ কারণে তার সম্পর্কে
আমরা পুর্বেই আলোচনা করে এসেছি ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ওহব ইবন মুনাব্বিহ (র) সুত্রে
বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ইলিয়ড়াসের পর তারই উত্তরাধিকারী হযরত আল-য়াসা ( ৫ ৷ ৷ )
ইবন আখতৃব বনী ইসরাঈলের প্ৰতি নবীরুপে প্রেরিত হন ৷


بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَرَجَ إِلَى الشَّامِ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِسَرْغٍ، لَقِيَهُ أُمَرَاءُ الْأَجْنَادِ، أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ، وَأَصْحَابُهُ، فَأَخْبَرُوهُ أَنَّ الْوَبَاءَ وَقَعَ بِالشَّامِ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ. يَعْنِي فِي مُشَاوَرَتِهِ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارَ، فَاخْتَلَفُوا عَلَيْهِ، فَجَاءَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَكَانَ مُتَغَيِّبًا بِبَعْضِ حَاجَتِهِ، فَقَالَ: إِنَّ عِنْدِي مِنْ هَذَا عِلْمًا; سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا كَانَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا، فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ، وَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ; فَلَا تَقْدَمُوا عَلَيْهِ» فَحَمِدَ اللَّهَ عُمَرُ ثُمَّ انْصَرَفَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ وَيَزِيدُ الْمَعْنَى قَالَا: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ أَخْبَرَ عُمَرُ وَهُوَ فِي الشَّامِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ هَذَا السَّقَمَ عُذِّبَ بِهِ الْأُمَمُ قَبْلَكُمْ، فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ فِي أَرْضٍ فَلَا تَدْخُلُوهَا، وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا، فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ» قَالَ: فَرَجَعَ عُمَرُ مِنَ الشَّامِ. وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِنَحْوِهِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمْ يَذْكُرْ لَنَا مُدَّةَ لُبْثِ حِزِقْيلَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ قَبَضَهُ إِلَيْهِ، فَلَمَّا قُبِضَ نَسِيَ بَنُو إِسْرَائِيلَ عَهْدَ اللَّهِ إِلَيْهِمْ، وَعَظُمَتْ
পৃষ্ঠা - ৭৯৮
فِيهِمُ الْأَحْدَاثُ، وَعَبَدُوا الْأَوْثَانَ، وَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَا يَعْبُدُونَهُ مِنَ الْأَصْنَامِ، صَنَمٌ يُقَالُ لَهُ: بَعْلٌ. فَبَعَثَ اللَّهُ إِلَيْهِمْ إِلْيَاسَ بْنَ يَاسِيَنَ بْنِ فِنْحَاصَ بْنِ الْعَيْزَارِ بْنِ هَارُونَ بْنِ عِمْرَانَ. قُلْتُ: وَقَدْ قَدَّمْنَا قِصَّةَ إِلْيَاسَ تَبَعًا لِقِصَّةِ الْخَضِرِ; لِأَنَّهُمَا يُقْرَنَانِ فِي الذِّكْرِ غَالِبًا، وَلِأَجْلِ أَنَّهَا بَعْدَ قِصَّةِ مُوسَى فِي سُورَةِ " الصَّافَّاتِ " فَتَعَجَّلْنَا قِصَّتَهُ لِذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ فِيمَا ذُكِرَ لَهُ عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ قَالَ: ثُمَّ تَنَبَّأَ فِيهِمْ بَعْدَ إِلْيَاسَ، وَصِّيُهُ الْيَسَعُ بْنُ أَخْطُوبَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَهَذِهِ: