আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثنتين وثلاثين ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৬১৫


নির্মাণ করে, রোমকগণ যখন কোন মুসলিম বন্দী কিংবা বন্দিনীকে তাদের র্সাকাে ৷তে পাঠ৷ ৷ত এবং
সে মুসলমানদের কাছে পৌছে যেত তখন সে তাকবীর বলত এবং মুসলমানরাওত তাকবীর
বলতেন ৷ এরপর মুসলমানগণ রোমকদের একজন বন্দীকে তাদের সাকে৷ ৷তে পাঠাত ৷ সে যখন

তাদের কাছে পৌছে যেত তখন সে ও তাকবীরের ন্যায় কিছু কথা বলত ৷ একজনের বিনিময়ে
একজন করে এভাবে চারদিন পর্যন্ত বন্দী বিনিময় চলতে থাকে ৷ তারপর খাকানের কাছে বন্দী

রোমকদের একটি দল অবশিষ্ট থাকে ৷ তিনি তাদেরকে বিনিময় ব্যভীত মুক্ত করে দেন যাতে
তাদের উপর তার শ্রেষ্ঠতু বজায় থাকে ৷

ইবন জা ৷রীর বলেন, এ বছর রমযান মাসে তাহিরের ভাই হাসান ইবন হুসায়নত তাবারিস্তানে
মৃত্যুবরণ করেন ৷ এছাড়া এ বছর যা ত্তা৷ব ইবন ওয়াজহ্ আল ল-ফ৷ লস মৃত্যুবরণ করেন ৷ আ র ৷বিশিষ্ট
রাবী আবু আবদুল্লাহ ইবনুল আরাবী আশি বছর বয়সে এ বছরের শা’বান মাসের তের তারিখ
বুধবার ইনতিকাল করেন ৷ এছাড়া এ বছর আলী ইবন মুসা রিযার তগ্নি উম্মু আবীহ৷ বিনত মুসা ,
গায়ক মুখারিক , আসমায়ীর রাবী আবু নাসর আহমদ ইবন খাতিম , আমর ইবন আবু আমর
আশ-শায়বানী এবং মুহাম্মদ ইবন সাদ৷ ন আন-নাহবী ইনতিকা ৷ল করেন ৷ আ ৷ল-বিদায়া প্রণেতা
বলেন, এ বছর আরও যারা ইনতিকাল করেন তাদের অন্যতম হলেন, আহমদ ইবন নাসর
আল খুযাঈ যেমন পুর্বে বর্ণিত হয়েছে, ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবন আরআরা, উমায়্যা ইবন
বুসতাম, আবু ত ৷ম্মাম আততা ৷ঈ (একমতে) তবে প্রসিদ্ধ মত হল যা পুর্বে উল্লেখ হয়েছে, কা ৷মিল
ইবন তা ৷লহা, মুহাম্মদ ইবন সালাম আ ল-জুমাহী,তা রে ভাই আবদুর রহমান, দৃষ্টিহীন মুহাম্মদ ইবন
মিনহাল, হাজ্জাজের ভাই মুহাম্মদ ইবন মিনহাল, হারুন ইবন মারুফ, ইমাম শাফিঈর শাগরিদ
বুওয়ায়তী যিনি খালকে কুরআনের পক্ষে মত প্রকাশ থেকে বিরত থাকার কারণে শৃগ্রলিত
অবস্থায় জেলখানায় ইনতিকাল করেন এবং ইয়াহ্ইয়৷ ইবন বুকায়র যিনি ইমাম মালিক (র) থেকে
মুওয়াত্তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷

২৩২ হিজরীর সুচনা

এ বছর বনু নুমায়র নামক গোত্র ইয়ামামা অঞ্চলে ব্যাপক ভৈনরাজ্য ও বিশৃতখলা সৃষ্টি করে ৷
তখন খলীফ৷ ওয়াছিক হিজায ভুখণ্ডে অবস্থানরত বড় বাপৃগাকে এর প্ৰতিকারের জন্য লিখিত
নির্দেশ ৷প্রদান করেন ৷ খলীফার নির্দেশ পেয়ে তিনি তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন ৷ এ
সময়৩ তিনি একদলকে হত্যা করেন এবং আরেকদলকে বন্দী করেন ৷ আর অবশিষ্টদের পরাজিত
করেন ৷ এরপরত তিনি দুই হাজার অশ্বারােহী যোদ্ধা নিয়ে বনুত তামীমের তিন হাজার অশ্বারােহীর
বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন ৷ তখন তাদের মাঝে একা ৷ধিক যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং অবশেষে

বাগৃগা তাদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন ৷ আর এ যুদ্ধ সৎ ঘটিত হয় জুমাদা ল আখিরার মাঝামাঝি
সময়ে ৷ পরিশে ৷ষে তিনিতাদের নেতৃস্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একটি দলকে যেড়ি পরি ত অবস্থায়

বন্দী করে বাণদাদে নিয়ে আসেন ৷ বনুসুলায়ম, নুমায়র, মুররা, কিলাব, ফায যারা, ছ৷ ’লাবা, তা
তদ্বমীম ও অন্যা ন৷ গোত্রের দুই হাজারের অধিক সংখ্যক নেত স্থানীয় ব্যক্তি বিভিন্ন যুদ্ধ ৰিগ্রহে
নিহত হয় ৷ এছাড়া এ বছর হজ্জ থেকে ফেরার পথে হাজীগণ ভীষণ পানীয় জলের সৎকটে
, নিপতিত হন এবং নিদারুণ পিপাস৷ কষ্টের শিকার হন ৷ এমনকি একবার পিপাস৷ নিবারণের


[سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَتَيْنِ فِيهَا عَاثَتْ قَبِيلَةٌ يُقَالُ لَهَا: بَنُو نُمَيْرٍ بِالْيَمَامَةِ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا، فَكَتَبَ الْوَاثِقُ إِلَى بُغَا الْكَبِيرِ وَهُوَ مُقِيمٌ بِأَرْضِ الْحِجَازِ، فَحَارَبَهُمْ فَقَتَلَ مِنْهُمْ جَمَاعَةً، وَأَسَرَ مِنْهُمْ آخَرِينَ، وَهَزَمَ بَقِيَّتَهُمْ، ثُمَّ الْتَقَى مَعَ بَنِي تَمِيمٍ وَهُوَ فِي أَلْفَيْ فَارِسٍ وَهُمْ فِي ثَلَاثَةِ آلَافٍ فَكَانَتْ بَيْنَهُمْ حُرُوبٌ طَوِيلَةٌ، ثُمَّ كَانَ الظَّفَرُ لَهُ عَلَيْهِمْ آخِرًا، وَذَلِكَ فِي النِّصْفِ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ ثُمَّ عَادَ بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ إِلَى بَغْدَادَ وَمَعَهُ مِنْ أَعْيَانِ رُءُوسِ الْعَرَبِ فِي الْأَسْرِ وَالْقُيُودِ، وَقَدْ قَتَلَ مِنْ أَشْرَافِهِمْ فِي الْوَقَائِعِ الْمُتَقَدِّمِ ذِكْرُهَا مَا يُنَيِّفُ عَلَى أَلْفَيْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ، وَنُمَيْرٍ، وَكِلَابٍ، وَمُرَّةَ، وَفَزَارَةَ، وَثَعْلَبَةَ، وَطَيِّئٍ، وَتَمِيمٍ، وَغَيْرِهِمْ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ أَصَابَ الْحَجِيجَ فِي الرُّجُوعِ عَطَشٌ شَدِيدٌ حَتَّى بِيعَتِ الشَّرْبَةُ بِالدَّنَانِيرِ الْكَثِيرَةِ، وَمَاتَ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنَ الْعَطَشِ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৮৬১৬


পরিমাণ পানি বহু দীনার বিনিময়ে বিক্রি হয় ৷ এসময় পিপাসার যন্ত্রণায় বহুলোক মৃত্যুমুখে পতিত
হন ৷ এ বছর খলীফা ওয়াছিক সমুদ্রপামী নৌযানের কর মওকুফের নির্দেশ প্রদান করেন এবং এ
বছরেই খলীফা ওয়াছিক ইবন মুহাম্মদ আল মু’তাসিম ইবন হারুন আর রশীদ আবু জাফর হারুন
আল-ওয়াছিক মৃত্যুবরণ করেন ৷ তার মৃত্যু সং ঘটিত হয় এ বছর যিলহজ্জ মাসে ইল্লাতৃল
ইসতিসক৷ ( ওট্রু;১ন্ ৷ ধ্পু;) নামক গুরুতর এক প্রকার ব্যাধিতে ৷ ফলে সে বছর৩ তিনি ঈদের
নামায়ে উপস্থিত হতে অক্ষম হয়ে ৷রত কাযী আহমদ ইবন আবু দ উদ আল আয়াদী আল
মু ত৷ ৷যিলীকে তার স্থলবর্তীরুপে নামায়ের ইমাম নিয়োগ করেন ৷ তিনি এ বছর যিলহাৰুজ্জা পচিশ

তারিখ মৃত্যুবরণ করেন ৷ আর তার বিবরণ হল তার এই ব্যাধি তীব্রতর হলে ব্যাধিযস্ত্রণা
উপশমের জন্যও তাকে উত্তপ্তত তন্দুরের অভ্যন্তরে বিশেষভা ৷বে বসান হয় ৷ তখন তার যন্ত্রণ৷ কিছুটা
লাঘব হয় ৷ পরদিন তিনি তন্দুরের সা ধারণ অবস্থার চেয়ে অধিক উত্তপ্ত করার নির্দেশ দেন ৷ এরপর
তাকে সেখানে বসানো হয়, সেখান থেকে উঠিয়ে (ট্রেচার জাতীয়) হাওদ৷ ৰিশেষে রাখা হয় এবং
তাতে তাকে বহন করা হয় ৷ এসময় তার আশেপাশে তার আমির-উমারা, ওযীরগণ এবং তার
কাযী উপস্থিত ছিলেন ৷ এই হাওদায় বহন করা অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন, কিন্তু তারা অনুভব
করতে পারেননি এমনকি মৃত অবস্থায় তার কপাল হাওদায় কাত হয়ে পড়ে তখন কাযী তার
চক্ষুদ্বয় বন্ধ করে দেন এবং তার গোসল, জানাষার নামায, এবং খলীফা হাদীরপ্ৰাসাদে তার
দাফনের দায়িত্ব আঞ্জাম দেন ৷ আল্লাহ তাদের উভয়কে প্রাপ্য প্রতিদান প্রদান করুন ৷ খলীফা
ওয়াছিক ছিলেন, লালাত ফর্সা, সুদর্শন , সুঠামদেহী কিন্তু অপবিত্র অন্তর ও মন্দ ইচ্ছার অধিকারী ৷
তবে বামচক্ষু ছিল লালচে ধুসর বর্ণবিশিষ্ট ৷ তাতে ছিল একটি সাদা ফুন্টকি ৷ তিনি জন্মগ্রহণ করেন
একশ ছিয়ানব্বই হিজরীতে মক্কার পথে ৷ আর (মাত্র) ছত্রিশ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ৷ তার
খিলাফতকাল ছিল, পাচ বছর নয় মাস পাচ দিন, মত৷ স্তরে সাতদিন বারঘণ্টা ৷ আর অনাচারী
বিশৃত্তখলাকারী এবং বিদআ৩ পন্থীদের ক৩তুক ল এমন স্বল্পই হয়ে থাকে ৷ খলীফা ওয়াছিকের
ব্যাধি যখন তীব্রত র হয় তখন তিনি৩ ৷র কালের জোদ্রাতিষীদের সমবেত করেন ৷ আর আহমদ
ইবন নাসরকে হত্যা করার পর তাকে তার অনুগামী হয়ে আল্লাহর সামনে উপস্থিত করার জন্যই
৷ তবে এই ব্যাধি তীব্রতর হয় ৷ তিনি তাদেরকে সমবেত করে নির্দেশ ৷প্রদান করেন তার জন্ম-তিথি
নিরীক্ষণ করে দেখতে তযে জ্যোতিষ-শা স্ব অনুযায়ী তার রাজতুক৷ ৷ল আর কতদিন স্থায়ী হবে ৷ তখন
এই উপলক্ষে একদল শীর্ষস্থানীয় জোাতিষীদের সমাবেশ ঘটে ৷ যাদের অন্যতম হল, হাসান ইবন
সাহল, ফাযল ইবন ইসহাক আল-হড়াশিমী, ইসমাঈল ইবন নাখবাখত, মুহাম্মদ ইবন মুসা
আল-খাওয়াবিযমী আল-মাজুসী আল-কাতাৱবালী ও মুহাম্মদ ইবন ইবন হায়ছামের শিষ্য সিনদ
এবং সমকালীন অধিকাত্শ জোতিষ ৷ এরপর তারা তার জন্ম-তিথি নিৰীক্ষণ করে এবং তাদের
বিদ্যানুযায়ী সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে সকলে এই সিদ্ধান্তে পৌছে যে তিনি আরও দীর্ঘকাল
জীবিত থেকে খিলাফতের দায়িত্ব পালন করবেন ৷ তারা তাদের নিরীক্ষণ দিবস থেকে আরও
পঞ্চাশ বছর তার আযু ও খিলাফতকাল নির্ধারণ করে ৷ অতর্বৃষ্টিহীন ব্যক্তির অবস্থা লক্ষণীয় ৷ তিনি
ও তো তাদের এই নিরীক্ষণ ও নির্ধারণের পর মাত্র দশদিন জীবিত থাকেন ৷ ইমাম আবু জ্বাফর
আততাবা ৷রী তা উল্লেখ করেছেন ৷ অ ৷ল্লাহ্ তাকে রহম করুন ৷

ইবন জারীর বলেন, হুসায়ন ইবন যাহ্হাক উল্লেখ করেছেন যে , তিনি খলীফা মু’তাসিমের


وَفِيهَا أَمَرَ الْوَاثِقُ بِتَرْكِ جِبَايَةِ أَعْشَارِ سُفُنِ الْبَحْرِ. وَفَاةُ الْخَلِيفَةِ أَبِي جَعْفَرٍ هَارُونَ الْوَاثِقِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمُعْتَصِمِ بْنِ هَارُونَ الرَّشِيدِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمَهْدِيِّ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ عَبْدِ اللَّهِ ذِي الدَّوَانِيقِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْإِمَامِ بْنِ عَلِيٍّ السَّجَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ الْهَاشِمِيِّ الْعَبَّاسِيِّ كَانَ هَلَاكُهُ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ بِعِلَّةِ الِاسْتِسْقَاءِ فَلَمْ يَقْدِرْ عَلَى حُضُورِ الْعِيدِ عَامَئِذٍ فَاسْتَنَابَ فِي الصَّلَاةِ بِالنَّاسِ قَاضِيَهُ أَحْمَدَ بْنَ أَبِي دُوَادٍ الْإِيَادِيَّ الْمُعْتَزِلِيَّ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ لِسِتٍّ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَذَلِكَ أَنَّهُ قَوِيَ بِهِ الِاسْتِسْقَاءُ فَأُقْعِدَ فِي تَنُّورٍ قَدْ أُحْمِيَ لَهُ بِحَيْثُ يُمْكِنُ إِجْلَاسُهُ فِيهِ ; لِيَسْكُنَ وَجَعُهُ، فَلَانَ عَلَيْهِ أَمْرُهُ بَعْضَ الشَّيْءِ، فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ أَمَرَ بِأَنْ يُحْمَى أَكْثَرَ مِنَ الْعَادَةِ فَأُجْلِسَ فِيهِ ثُمَّ أُخْرِجَ فَوُضِعَ فِي مِحَفَّةٍ فَحُمِلَ فِيهَا وَحَوْلَهُ أُمَرَاؤُهُ، وَوُزَرَاؤُهُ وَقَاضِيهِ، فَمَاتَ وَهُوَ مَحْمُولٌ فِيهَا فَمَا شَعَرُوا حَتَّى سَقَطَ جَبِينُهُ عَلَى الْمِحَفَّةِ وَهُوَ مَيِّتٌ فَغَمَّضَ الْقَاضِي عَيْنَيْهِ بَعْدَ
পৃষ্ঠা - ৮৬১৭
ذَلِكَ وَهُوَ الَّذِي وَلِيَ غَسْلَهُ وَالصَّلَاةَ عَلَيْهِ، وَدَفَنَهُ فِي قَصْرِ الْهَادِي، وَكَانَ أَبْيَضَ اللَّوْنِ مُشْرَبًا حُمْرَةً، جَمِيلًا رَبْعَةً حَسَنَ الْجِسْمِ، قَاتِمَ الْعَيْنِ الْيُسْرَى، فِيهَا نُكْتَةٌ بَيْضَاءُ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ سَنَةَ سِتٍّ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ بِطْرِيقِ مَكَّةَ فَمَاتَ وَهُوَ ابْنُ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ سَنَةً، وَكَانَتْ مُدَّةُ خِلَافَتِهِ خَمْسَ سِنِينَ وَتِسْعَةَ أَشْهُرٍ وَخَمْسَةَ أَيَّامٍ، وَقِيلَ: سَبْعَةَ أَيَّامٍ وَثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَاعَةً. وَكَانَ قَدْ جَمَعَ أَصْحَابَ النُّجُومِ فِي زَمَانِهِ حِينَ اشْتَدَّتْ عِلَّتُهُ ; لِيَنْظُرُوا فِي مَوْلِدِهِ وَمَا تَقْتَضِيهِ صِنَاعَةُ النُّجُومِ كَمْ تَدُومُ أَيَّامُ دَوْلَتِهِ، فَاجْتَمَعَ عِنْدَهُ مِنْ رُءُوسِهِمْ جَمَاعَةٌ ; مِنْهُمُ الْحَسَنُ بْنُ سَهْلٍ وَالْفَضْلُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَاشِمِيُّ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ نَوْبَخْتَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْخُوَارِزْمِيُّ الْمَجُوسِيُّ الْقُطْرُبُّلِيُّ، وَسَنَدٌ صَاحِبُ مُحَمَّدِ بْنِ الْهَيْثَمِ، وَعَامَّةُ مَنْ يَتَكَلَّمُ فِي النُّجُومِ، فَنَظَرُوا فِي مَوْلِدِهِ، وَمَا يَقْتَضِيهِ الْحَالُ عِنْدَهُمْ، ثُمَّ أَجْمَعُوا أَنَّهُ يَعِيشُ دَهْرًا طَوِيلًا، وَقَدَرُوا لَهُ خَمْسِينَ سَنَةً مُسْتَقْبَلَةً فَلَمْ يَلْبَثْ
পৃষ্ঠা - ৮৬১৮

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৫২৫

মৃত্যুর কয়েকদিন পর খলীফা ওয়াছিককে তার খিলাফতে অতিরিক্ত হওয়ার পর প্রথম মজলিসে
প্রত্যক্ষ করেন ৷ আর সে মজলিসে সর্বপ্রথম যে গান গাওয়া হয়ত তা হল ইররাহীম ইবনুল মাহদীর
বাদী শারিয়ার পাওয়া নিম্বোক্তা গা ন-

যেদিন বহনকারীরা তার খাটিয়া বহন করেছে সেদিন তারা জানতে পারেনি তা কি মৃত্যুর
স্থানের জন্য না সাক্ষাতের জন্য ৷

সুতরাং তোমার শোকে ক্রন্দনকাবিণীরা তোমার সম্পর্কে প্রত্যেক সন্ধ্যায় বিলাপ চিৎকার
করে যা ইচ্ছা বলুক ৷

বর্ণনাকারী বলেন, তখন তিনি র্কাদলেন এবৎ আমরা র্কাদলাম এমনকি কান্না আমাদের
অন্যসব কিছু থেকে বিরত রাখল ৷ এরপর উপন্থিতদের কেউ আবৃত্তি করতে লাগল-

’ fl ’

ট্রুপুৰুটুা ৷ ৰুপ্ ট্টঠু
“ হ্রায়রা’ বিদায় জানিয়েছে, কেননা যাত্রীদল প্রন্থানােদ্যত আর ওহে লোক, তুমি কি বিদায়
যাতৃনা সহ্য করতে পারবে ৷

তখন খলীফা ওয়াছিকের কান্না আরও বৃদ্ধি পেল এবং তিনি বললেন, আজকের ন্যায় অদ্ভু
সান্তুনা সম্পর্কে আমি ইতিপুর্বে কখনও শুনিনি ৷৩ তারপর সেই মজলিস ভেঙ্গে যায় ৷ খর্তীব বর্ণনা
করেছেন যে, ওয়া ছিাক যখন খিলাফন্ব তের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন কবি দি বল ইবন আলী একখণ্ড
কাগজে কয়েকটি কবি৩া পঙ্ক্তি লিখেন এবং খলীফার দ্বাররক্ষীর কাছে এসে চিরকুটটি তার হাতে
দিয়ে বলেন, আমীরুল মু’মিনীনকে আমার সালাম জানাবে এবং বলবে, এই কবিতা পঙ্াক্ত
কয়েকটি দ্বারা দিবল আপনার প্রশংসা করেছে ৷ এরপর খলীফা ওয়াছিক যখন তা থুলেন তখন
দেখেন তাতে রয়েছে-


বিদআ৩ পন্থীরা যখন মৃত্যুবরণ করে তখন আল্লাহর শোকর, কোন ধৈর্য, মানসিক দৃঢ়তা
কিংবা সান্তুনা নিম্প্রয়ােজন ৷

× ৷ ”(fl ৷ ণ্

এমন এক খলীফা মৃত্যুবরণ করেছেন যার জন্য কেউ পোকা হত ৩হয়নি এবং এমন একজন
তার স্থুলরর্তী হয়েছে যার কারণে কেউ উৎফুল্ল হয়নি ৷
র্টু১
তিনি চলে গেলেন ফলে তার অনুপামী, কুলক্ষাণর অবসান হল ৷ আর ইনি আারর্ভুত হলেন
ফলে সর্বনাশ ও সংকটের আাবির্ভাব যটল ৷

০০াা

بَعْدَ قَوْلِهِمْ إِلَّا عَشَرَةَ أَيَّامٍ حَتَّى مَاتَ. ذَكَرَهُ الْإِمَامُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ الطَّبَرِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَذَكَرَ الْحُسَيْنُ بْنُ الضَّحَّاكِ أَنَّهُ شَهِدَ الْوَاثِقَ بَعْدَ أَنْ مَاتَ الْمُعْتَصِمُ بِأَيَّامٍ، وَقَدْ قَعَدَ مَجْلِسًا كَانَ أَوَّلَ مَجْلِسٍ قَعَدَهُ، فَكَانَ أَوَّلُ مَا غُنِّيَ بِهِ فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ أَنْ تَغَنَّتْ شَارِيَةُ، جَارِيَةُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمَهْدِيِّ: مَا دَرَى الْحَامِلُونَ يَوْمَ اسْتَقَلُّوا ... نَعْشَهُ لِلثَّوَاءِ أَمْ لِلِقَاءِ فَلْيَقُلْ فِيكَ بَاكِيَاتُكَ مَا شِئْ ... نَ صَبَاحًا وَعِنْدَ كُلِّ مَسَاءِ قَالَ: فَبَكَى وَبَكَيْنَا حَتَّى شَغَلَنَا الْبُكَاءُ عَنْ جَمِيعِ مَا كُنَّا فِيهِ، ثُمَّ انْدَفَعَ بَعْضُهُمْ يُغَنِّي: وَدِّعْ هُرَيْرَةَ إِنَّ الرَّكْبَ مُرْتَحِلُ ... وَهَلْ تُطِيقُ وَدَاعًا أَيُّهَا الرَّجُلُ فَازْدَادَ وَاللَّهِ بُكَاؤُهُ، وَقَالَ: مَا سَمِعْتُ كَالْيَوْمِ قَطُّ تَعْزِيَةً بِأَبٍّ وَنَعْيَ
পৃষ্ঠা - ৮৬১৯
نَفْسٍ. ثُمَّ ارْفَضَّ ذَلِكَ الْمَجْلِسُ. وَرَوَى الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ أَنَّ دِعْبَلَ بْنَ عَلِيٍّ الشَّاعِرَ لَمَّا تَوَلَّى الْوَاثِقُ عَمَدَ إِلَى طُومَارٍ، فَكَتَبَ فِيهِ أَبْيَاتَ شِعْرٍ، ثُمَّ جَاءَ إِلَى الْحَاجِبِ فَدَفَعَهُ إِلَيْهِ، وَقَالَ: أَقْرِئْ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ السَّلَامَ، وَقُلْ: هَذِهِ أَبْيَاتٌ امْتَدَحَكَ بِهَا دِعْبَلٌ. فَلَمَّا فَضَّهَا الْوَاثِقُ إِذَا فِيهَا: الْحَمْدُ لِلَّهِ لَا صَبْرٌ وَلَا جَلَدُ ... وَلَا عَزَاءٌ إِذَا أَهْلُ الْهَوَى رَقَدُوا خَلِيفَةٌ مَاتَ لَمْ يَحْزَنْ لَهُ أَحَدٌ ... وَآخَرُ قَامَ لَمْ يَفْرَحْ بِهِ أَحَدُ فَمَرَّ هَذَا وَمَرَّ الشُّؤْمُ يَتْبَعُهُ ... وَقَامَ هَذَا فَقَامَ الْوَيْلُ وَالنَّكَدُ قَالَ: فَتَطَلَّبَهُ الْخَلِيفَةُ بِكُلِّ مَا يُمْكِنُهُ، فَلَمْ يَقْدِرْ عَلَيْهِ حَتَّى مَاتَ الْوَاثِقُ. وَرَوَى أَيْضًا أَنَّهُ لَمَّا اسْتَخْلَفَ الْوَاثِقُ ابْنَ أَبِي دُؤَادٍ عَلَى الصَّلَاةِ فِي يَوْمِ الْعِيدِ فَرَجَعَ إِلَيْهِ قَالَ: كَيْفَ كَانَ عِيدُكُمْ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ؟ قَالَ: كُنَّا فِي نَهَارٍ لَا شَمْسَ فِيهِ. فَضَحِكَ وَقَالَ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَنَا مُؤَيَّدٌ بِكَ. قَالَ الْخَطِيبُ: وَكَانَ ابْنُ أَبِي دُؤَادٍ قَدِ اسْتَوْلَى عَلَى الْوَاثِقِ، وَحَمَلَهُ عَلَى التَّشْدِيدِ فِي الْمِحْنَةِ، وَدَعَا النَّاسَ إِلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ. قَالَ: وَيُقَالُ: إِنَّ
পৃষ্ঠা - ৮৬২০


বর্ণনাক৷ রী বলেন, এই কবিতা পঙ্ক্তিসমুহ পাঠ করার পর খলীফা ওয়াছিক সম্ভাব্য সকল
উপায়ে তাবুক খোজ করেন, কিন্তু তিনি মৃত্যুর পুবুর্বত তাবুক আয়ত্তে পাননি ৷ খতীব আরও বর্ণনা
করেন, খলীফা ওয়াছিক যখন ঈদের দিন ইবন আবু দ ৷উশ্যেকে ৷র স্থলে নামাযের ইমাম নিয়োগ
করেন তখন নামায সম্পন্ন করে তিনি তার কাছে আসেন ৷ এ সময় খলীফাত ৷ তবে প্রশ্ন করেন, হে
আবুআবদুল্লাহ্ ! তোমাদের ঈদ কেমন ছিল ?৩ তিনি বলেন, আমাদের এই ঈদের দিবুন কো ন সুর্য
ছিল না ৷ তখন তিনি (ওয়াছিক) হেসে বলেন, হে আবু আবদুল্লাহ ! আমি তোমার দ্বারা সমর্থিত ও
সাবহায্যপ্রাপ্ত ৷ খর্তীব বলেন, এই ইবন আবুদউিদ খলীফা ওয়াছিকের উপর প্রভ৷ ৷ব বিস্তার করে

ৎতাকে খালকে কুরআনের মতবাদ যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কঠােরত ৷য় প্রবুরাচিত করে এবং
র্টুলবাকজনকে খালকে কুরআনের অনুকুলে মত প্রকাশের দিকে আহ্বান করে ৷ তিনি বলেন, বলা
হয় খলীফা ওয়াছিক তার মৃত্যুর পুর্বে তা থেকে তওবা করে তার মত প্রত্যাহার করেন ৷ আমাকে
আবদুল্লাহ ইবন আবুল ফা তহ বর্ণনা করেছেন আহমদ ইবন ইব্রাহীম ইবন হাসান সুত্রে,ত তিনি
ইব্রাহীম ইবন মৃহ৷ ম্মদ ইবন৷ অ ৷রাফ৷ থেকে,৩ তিনি হামিদ ইবন আব্বাস থেকে, তিনি জনৈক ব্যক্তি
থেকে মাহদীর উদ্ধৃতিবুত যে, খলীফা ওয়াছিক মৃত্যুর পুর্বে খালকে কুরআনের মতবাদ থেকে
ভালো করেন ৷ বর্ণিত আছে, একদিন খলীফা ওয়াছিক সাথে তার গৃহশিক্ষক সাক্ষাৎ করেন, তখন
তিনি তাকে অনেক সম্মান করেন ৷ এরপর যখন তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি
ববুলন, ইনি হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি আমার জিহ্বাকে আল্লাহর স্মরণে সিক্ত করেছেন এবং
আমাকে আল্লাহর রহমবুতর নিকটবর্তী করেছেন ৷ জনৈক করি তার কাছে লিখে পাঠান :


সচ্ছলতার সন্ধান থেকে মনের আকাত্তক্ষাসমুহ নিম্পৃহ হয়ে পড়েছে, আর আমি তাকে
(মনকে) প্রবােধ দিয়ে বলেছি সামান্য পরিমাণের সামনে থেকে নিবৃত্ত থাক ৷ কেননা আমীরুল
মু ’যিনীবুনর হাত ৩জীবিকা চক্রের নিয়ন্ত্রণ যা সদাসচল ৷

তখন খলীফা ওয়া ৷ছিক তার চিরকুটে স্বাক্ষর করেত তাকে লিখে পাঠান বুতামার মন তোমাকে
বিরত রেবুখবুছত তাকে লাঞ্ছিত করা থেকে এবং তোমাকে আহ্বান করেছে তার সম্মান রক্ষায় ৷
সুতরাং তুমি যা প্রত্যাশা কবুরবুছাত তা সহজে নিয়ে নাও এবং ৩নিনি তাকে প্রচুর পরিমাণে বথশিশ
দেন ৷ তার রচিত অন্যত তম কবিতা পঙ্ক্তি হল-

তা হল তা গো বিধ৷ ৷নসমুহ যা নিজ হ বৃত্তে চলমান ৷ সুতরাং আমি ধৈর্যধারণ করব, কেননা তা
(ভাগ্য বিধানসমুহ) কোন অবস্থায় স্থির নয় ৷

এছাড়া ওয়া ৷ছিকের রচিত অন্যতম কবিতা পঙ্ক্তি হল

শ্ ৷






الْوَاثِقَ رَجَعَ عَنْ ذَلِكَ قَبْلَ مَوْتِهِ، فَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الْفَتْحِ، أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَسَنِ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرَفَةَ، حَدَّثَنِي حَامِدُ بْنُ الْعَبَّاسِ، عَنْ رَجُلٍ، عَنِ الْمُهْتَدِي أَنَّ الْوَاثِقَ مَاتَ، وَقَدْ تَابَ مِنَ الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ. وَرَوَى أَنَّ الْوَاثِقَ دَخَلَ عَلَيْهِ يَوْمًا مُؤَدِّبُهُ فَأَكْرَمَهُ إِكْرَامًا كَثِيرًا فَقِيلَ لَهُ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: هَذَا أَوَّلُ مَنْ فَتَقَ لِسَانِي بِذِكْرِ اللَّهِ، وَأَدْنَانِي مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ. وَكَتَبَ إِلَيْهِ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ: جَذَبْتُ دَوَاعِي النَّفْسِ عَنْ طَلَبِ الْغِنَى ... وَقُلْتُ لَهَا عِفِّي عَنِ الطَّلَبِ النَّزْرِ فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِكَفِّهِ ... مَدَارُ رَحَا الْأَرْزَاقِ دَائِبَةً تَجْرِي فَوَقَّعَ لَهُ فِي رُقْعَتِهِ: جَذَبَتْكَ نَفْسُكَ عَنِ امْتِهَانِهَا، وَدَعَتْكَ إِلَى صَوْنِهَا، فَخُذْ مَا طَلَبْتَهُ هَنِيئًا. وَأَجْزَلَ لَهُ الْعَطَاءَ. وَمِنْ شَعْرِهِ قَوْلُهُ:
পৃষ্ঠা - ৮৬২১
هِيَ الْمَقَادِيرُ تَجْرِي فِي أَعِنَّتِهَا ... فَاصْبِرْ فَلَيْسَ لَهَا صَبْرٌ عَلَى حَالِ وَمِنْ شِعْرِ الْوَاثِقِ قَوْلُهُ: تَنَحَّ عَنِ الْقَبِيحِ وَلَا تُرِدْهُ ... وَمَنْ أَوْلَيْتَهُ حُسْنًا فَزِدْهُ سَتُكْفَى مِنْ عَدُوِّكَ كُلَّ كَيْدٍ ... إِذَا كَادَ الْعَدُوُّ وَلَمْ تَكِدْهُ وَقَالَ الْقَاضِي يَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ مَا أَحْسَنَ أَحَدٌ مِنْ خُلَفَاءِ بَنِي الْعَبَّاسِ إِلَى آلِ أَبِي طَالِبٍ مَا أَحْسَنَ إِلَيْهِمُ الْوَاثِقُ، مَا مَاتَ وَفِيهِمْ فَقِيرٌ. وَلَمَّا احْتُضِرَ الْوَاثِقُ جَعَلَ يُرَدِّدُ هَذَيْنَ الْبَيْتَيْنِ: الْمَوْتُ فِيهِ جَمِيعُ الْخَلْقِ مُشْتَرِكٌ ... لَا سُوقَةٌ مِنْهُمْ يَبْقَى وَلَا مَلِكُ مَا ضَرَّ أَهْلَ قَلِيلٍ فِي تَفَاقُرِهِمْ ... وَلَيْسَ يُغْنِي عَنِ الْأَمْلَاكِ مَا مَلَكُوا ثُمَّ أَمَرَ بِالْبُسُطِ فَطُوِيَتْ ثُمَّ أَلْصَقَ خَدَّهُ بِالْأَرْضِ، وَجَعَلَ يَقُولُ: يَا مَنْ لَا يَزُولُ مُلْكُهُ ارْحَمْ مَنْ قَدْ زَالَ مُلْكُهُ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَمَّا احْتُضِرَ الْوَاثِقُ وَنَحْنُ حَوْلُهُ غُشِيَ عَلَيْهِ، فَقَالَ بَعْضُنَا لِبَعْضٍ: انْظُرُوا هَلْ قَضَى نَحْبَهُ؟ قَالَ: فَدَنَوْتُ مِنْ بَيْنِهِمْ إِلَيْهِ لِأَنْظُرَ هَلْ هَدَأَ نَفَسُهُ، فَأَفَاقَ فَلَحَظَ إِلَيَّ بِعَيْنِهِ فَرَجَعْتُ الْقَهْقَرَى ; خَوْفًا مِنْهُ، فَتَعَلَّقَتْ قَائِمَةُ سَيْفِي بِشَيْءٍ فَكِدْتُ أَنْ أَهْلِكَ، فَمَا كَانَ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৮৬২২

কদর্যকার্য থেকে দুরে থাক, তার ইচ্ছা করো না, আর যাকে কোন অনুগ্রহ কর তাকে তা
বাড়িয়ে দাও ৷

শত্রুর সকল চক্রান্ত থেকে তুমি রক্ষা পারে যদি শত্রু চক্রান্ত করে ( তোমার বিরুদ্ধে) কিন্তু
তুমি তার বিরুদ্ধে কোন চক্রান্ত না কর ৷

কাযী ইয়াহ্ইয়া ইবন আকছাম বলেন, আবু৩ তালিব পরিবারের প্ৰতি খলীফ৷ ওয়াছিক যে
সদাচার করেছেন বনুআব্বাসের অন্য কোন খলীফা তা করেননি ৷ ওয়৷ ৷ছিক যখন মৃত্যুবরণ করেন

তখন তাদের মাঝে একজন দরিদ্রও ছিল না ৷ মুমুর্মু অবন্থায়৩ তিনি বারবার নিম্নোক্ত পঙ্ক্তিদ্বয়
আবৃত্তি করতে থাকেন,

৷ ৷ ৷ ৷ ’



মৃত্যুতে সকল সৃষ্টি অংশীদ৷ ৷র, কোন সাধারণ ব্যক্তি যেমন জীবিত থাকবে না, তেমনি কোন
রাজা-বাদশাহও নয় ৷ স্বল্পাধিকারীরা তাদের দারিদ্রো কোন ক্ষতির শিকার হয়নি, আর
রাজা-বাদশাহরা যার মালিক হয়েছে তা তাদের কোন কাজে আ ৷সেনি ৷

এরপর তিনি নির্দেশ দিলে তার ফরা৷ গুঢিয়ে নেয়া হয়, তারপর তার গণ্ডদেশ কে মাটিতে
লাগানো হয় ৷ আর এসময়৩ তিনি বলতে থ৷ ৷কেন হে ঐ সত্তা, যার রাজত্ব কখনও শেষ হবে না ৷ ঐ
ব্যক্তিকে রহম করুন যার রাজত্ব ণ্লাপ পেয়েছে ৷ জনৈক বর্ণনড়াকায়ী বলেন, খলীফা ওয়াছিক যখন
মৃত্যুক্ষণে উপস্থিত হন তখন আমরা তার চারপাশে, এমন সময়৩ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন, তখন
আমরা বলাবলি করি, লক্ষ্য করে দেখ, তিনি’কি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ? বর্ণনাক ৷রী বলেন,
এসময় আমি তার হৃদযত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য৩ তার দিকে অগ্রসর হই ৷
তখন তিনি চেতনা ফিরে পেয়ে আমার দিকে গভীর দৃষ্টিতে ডাকা ন, ফলে আমি তার থেকে ভয়ে
পিছু হটে যাই, এসময় কোন কিছুতে আমার ৩রবারির হাতল আটকে যাওয়ায় আমি (আঘাতপ্রাপ্ত
হয়ে) মারা যাওয়ার উপক্রম হই ৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং তিনি যে
গৃহে ছিলেন তার দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং তিনি একাকী হয়ে যান ৷ এসময় লোকজন তার
ভাই জা ফর আল-মুতাওয়াক্কিলের বায়আতে ব্যস্ত হওয়ার কারণে তার দাফন কাফনের বিষয়টি
বিলম্বিত হয়ে যায় ৷ আর আমি দরজা য় পাহারায় থাকি, এমন সময় আমি সেই ঘরের ভিতর থেকে
নড়াচডা র শব্দ শুনে ভিতরে প্রবেশ করি, তখন আমি দেখতে পাই তিনি যে চোখ দিয়ে আমার
দিকে তাকিয়ে ছিলেন সেই চোখ এবং চারপাশের গণ্ডদেশ একটি ইদুর খেয়ে ফেলেছে ৷

এ বছর অর্থাৎ দৃইশ বত্রিশ হিজরীর যিলহ৷ ৷জ্জ মাসের চব্বিশ তারিখ বুধবার তার আব্বাসস্থুল
সুরর৷ মানরাআ’ শহরের আল-কাসরুল হারুনীতে তিনি ইানতিক ৷ল করেন ৷ এসময় তার বয়স
ছিল ছত্রিশ বছর, মতাম্ভরে বত্রিশ বছর ৷ তার ৷খলাফতকাল ছিল পাচ বছর নয়মাস পাচদিন
মতান্তরে পাচ বছর দৃইমাস একুশ দিন ৷ আর তার জানাযার নামায পড়েন তার ভাই জা’ফর
আল-ঘুতাওয়াক্কিল আলাল্লাহ ৷ আর আল্লাহ্ই অধিক জানেন ৷

মুতাওয়াক্কিল আলাল্লাহ জা’ফর ইবনুল মুতাসিমের খিলাফত তার ভাই ওয়া ৷ছিকের মৃত্যুর পর
যিলহ্াজ্জ মাসের চব্বিশ তারিখ বুধবার মধ্যাহ্নকালে তার ৷খলাফতেব্র অনৃকুলে বায়আত ৩পৃহীত


قَرِيبٍ حَتَّى مَاتَ، وَأُغْلِقَ عَلَيْهِ الْبَابُ الَّذِي هُوَ فِيهِ وَبَقِيَ فِيهِ وَحْدَهُ، وَاشْتَغَلُوا عَنْ تَجْهِيزِهِ بِالْبَيْعَةِ لِأَخِيهِ جَعْفَرٍ الْمُتَوَكِّلِ وَجَلَسْتُ أَنَا أَحْرُسُ الْبَابَ فَسَمِعْتُ حَرَكَةً مِنْ دَاخِلِ الْبَيْتِ، فَدَخَلْتُ فَإِذَا جُرَذٌ قَدْ أَكَلَ عَيْنَهُ الَّتِي لَحَظَ إِلَيَّ بِهَا، وَمَا كَانَ بَيْنَ الْحَالَيْنِ إِلَّا الْيَسِيرُ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِسُرَّ مَنْ رَأَى الَّتِي كَانَ يَسْكُنُهَا فِي الْقَصْرِ الْهَارُونِيِّ، فِي يَوْمِ الْأَرْبِعَاءِ لِسِتٍّ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَتَيْنِ عَنْ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ سَنَةً، وَقِيلَ: ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَكَانَتْ مُدَّةُ خِلَافَتِهِ خَمْسَ سِنِينَ وَتِسْعَةَ أَشْهُرٍ وَخَمْسَةَ أَيَّامٍ، وَقِيلَ: خَمْسَ سِنِينَ وَشَهْرَيْنِ وَأَحَدٍ وَعِشْرِينَ يَوْمًا، وَصَلَّى عَلَيْهِ أَخُوهُ جَعْفَرٌ الْمُتَوَكِّلُ عَلَى اللَّهِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. خِلَافَةُ الْمُتَوَكِّلِ عَلَى اللَّهِ جَعْفَرِ بْنِ الْمُعْتَصِمِ بِاللَّهِ بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ أَخِيهِ هَارُونَ الْوَاثِقِ، وَكَانَتْ بَيْعَتُهُ وَقْتَ زَوَالِ الشَّمْسِ مِنْ يَوْمِ الْأَرْبِعَاءِ لِسِتٍّ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَكَانَتِ الْأَتْرَاكُ قَدْ عَزَمُوا
পৃষ্ঠা - ৮৬২৩
عَلَى تَوْلِيَةِ مُحَمَّدٍ ابْنِ الْوَاثِقِ، فَاسْتَصْغَرُوهُ فَتَرَكُوهُ، وَعَدَلُوا إِلَى جَعْفَرٍ هَذَا، وَكَانَ عُمْرُهُ إِذْ ذَاكَ سِتًّا وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَكَانَ الَّذِي أَلْبَسَهُ خِلْعَةَ الْخِلَافَةِ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي دُؤَادٍ الْقَاضِي، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ سَلَّمَ عَلَيْهِ بِالْخِلَافَةِ، وَبَايَعَهُ الْخَاصَّةُ، ثُمَّ الْعَامَّةُ، وَكَانُوا قَدِ اتَّفَقُوا عَلَى تَسْمِيَتِهِ بِالْمُنْتَصِرِ بِاللَّهِ إِلَى صَبِيحَةِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ، فَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي دُؤَادٍ: قَدْ رَأَيْتُ أَنْ يُلَقَّبَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ بِالْمُتَوَكِّلِ عَلَى اللَّهِ. فَاتَّفَقُوا عَلَى ذَلِكَ، وَكَتَبَ إِلَى الْآفَاقِ، وَأَمَرَ بِعَطَاءِ الشَّاكِرِيَّةِ مِنَ الْجُنْدِ ثَمَانِيَةَ شُهُورٍ، وَلِلْمَغَارِبَةِ أَرْبَعَةَ شُهُورٍ، وَلِغَيْرِهِمْ ثَلَاثَةَ شُهُورٍ، وَاسْتَبْشَرَ النَّاسُ بِهِ. وَقَدْ كَانَ الْمُتَوَكِّلُ رَأَى فِي مَنَامِهِ فِي حَيَاةِ أَخِيهِ هَارُونَ الْوَاثِقِ كَأَنَّ شَيْئًا نَزَلَ عَلَيْهِ مِنَ السَّمَاءِ مَكْتُوبٌ فِيهِ: جَعْفَرٌ الْمُتَوَكِّلُ عَلَى اللَّهِ فَعَبَرَهَا فَقِيلَ لَهُ: هِيَ الْخِلَافَةُ. فَبَلَغَ ذَلِكَ أَخَاهُ الْوَاثِقَ فَسَجَنَهُ حِينًا، ثُمَّ أَرْسَلَهُ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ أَمِيرُ مَكَّةَ شَرَّفَهَا اللَّهُ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى، وَعَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ النَّاقِدُ.