আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع وعشرين ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৫৭২


আর এটা সেই কারণে ৷ ইবন খাল্লিকান উল্লেখ করেছেন যে , তার পুত্র নিজ পিতার মৃত্যুর পর
স্বপ্নে দেখেন যে, তার কাছে জনৈক আওন্তক এসে বলল, আমীরের আহ্বানে সাড়া দাও ৷ তার
পুত্র বলে, তখন আমি তার সাথে চললাম, সে তখন আমাকে কালো প্রাচীর বেষ্টিত দরজা ও ছাদ
বন্ধ এক নির্জ্য৷ ও ভীতিপ্রদ ঘরে প্রবেশ করাল ৷ এরপর আমাকে একটি সিড়িতে আরোহণ করাল
এবং একটি কক্ষে প্রবেশ করাল ৷ তখন আমি যে কক্ষের দেয়ালে আগুনের চিহ্ন এবং তার
মেঝেতে ছাইয়ের চিহ্ন দেখতে পেলাম এবং অকম্মাৎ সেখানে আমার পিতাকে দেখলাম তিনি
বিবস্ত্র অবস্থায় উভয় ইাটুর মাঝে মাথা ঢুকিয়ে রেখেছেন ৷ তিনি আমাকে দেখে প্রশ্ন করলেন
দৃলাফ নাকি ? তখন আমি বাংলায় , দুলাফ ৷ তখন তিনি আবৃত্তি করলেন-

৩থ্রে ৷ ৰু ৷
চুে১১৷ ৷ ১ট্র ১১
আমার আপনজনদের কাছে পৌছে দাও এবৎ৩ তাদের থেকে গোপন করো না যার সম্মুখীন
হয়েছি আমি সং কীর্ণ বারযাখে ৷ আমি যা কিছু করেছি তার প্রত্যেকটি সম্পর্কে জিজ্ঞা সিত হয়েছি ৷
সুতরাং তোমরা আমার একা ৷কীতৃ এবং আমি যে অবস্থার সম্মুখীন তার প্রতি ৩রহম কর ৷

তারপর তিনি আমাকে বললেন,তু মি কি বুঝেছ ? আমি বললাম , হ্যা ৷ তখন তিনি আবৃত্তি
করতে লাগলেন-


§ #

৷ থ্রে,



মৃত্যুর পর যদি আমাদেরকে ছেড়ে দেয়৷ হত তাহলে মৃত্যু প্রত্যেক প্রাণীর জন্য মহাপ্রশান্তি
হত ৷ কিন্তু মৃত্যুর পর আমাদেরকে পুনরুথিত করা হয় এবং তারপর সব কিছু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করা হয় ৷ এরপর তিনি বললেন, তুমি কি বুঝতে পেরেছ ৷ আমি বললাম, জ্বি হা৷ ! এবং
তৎক্ষণাৎ আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল ৷

২২৭ হিজৰীর সুচনা
এ বছর অবওষ্ঠনকারী আবু হারব ইয়ামা নী নামক জনৈক সীমান্তবাসী ব্যক্তি সিরিয়ার বিদ্রোহ
করে ৷ খলীফা ৷র আনুগত বর্জন করে যে নিজের আনুগত্যের প্রতি ৩(সকলকে) আহ্বান জানায় ৷
আর তার বিদ্রোহের কারণ ছিল, তার অনুপন্থিতিতে জনৈক সৈনিক তার গৃহে তার শ্রীর
আতিথেয়তা গ্রহণ করতে চায়, কিন্তু তা ৷র ন্তী তাতে বাধা প্রদান করে তখন সেই সৈনিক তার
হাতে আঘাত করে ফলে তার হাতের কজিতে সে আঘাতের চিহ্ন ফুটে ওঠে ৷ এরপর তার স্বামী
আবু হারব যখন উপস্থিত হয় তখন সে৩ তাকে বিষয়টি অব তকরে ৷ তখন আবু হারব গিয়ে
অসতর্ক অবস্থায় ঐ সৈনিককে হত্যা করে ৷ তারপর সে অওণ্ঠন ধারণ করে পাহাড়ের চুড়ায় গিয়ে
আশ্রয় গ্রহণ করে ৷ এরপর যখন কেউ তার কাছে যেত তখন সে তাকে “ভাল কাজের আদেশ
এবং মন্দ কাজে নিষেধ”-এর দিকে আহ্বান করত এবং খলীফার সমালোচনা করত ৷ তখন তার
এই আহ্বানের ফলে কৃষক ও অন্যদের মধ্য থেকে বহু সংখ্যক লোক তার অনুসরণ করে এবং


[سَنَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَتَيْنِ فِيهَا خَرَجَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْغَوْرِ بِالشَّامِ، يُقَالُ لَهُ: أَبُو حَرْبٍ الْمُبَرْقَعُ الْيَمَانِيُّ. فَخَلَعَ الطَّاعَةَ، وَدَعَا إِلَى نَفْسِهِ، وَكَانَ سَبَبَ خُرُوجِهِ أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْجُنْدِ أَرَادَ أَنْ يَنْزِلَ فِي مَنْزِلِهِ وَذَلِكَ فِي غَيْبَةِ أَبِي حَرْبٍ، فَمَانَعَتْهُ الْمَرْأَةُ، فَضَرَبَهَا الْجُنْدِيُّ فِي يَدِهَا فَأَثَّرَتِ الضَّرْبَةُ فِي مِعْصَمِهَا، فَلَمَّا جَاءَ بَعْلُهَا أَبُو حَرْبٍ أَخْبَرَتْهُ، فَذَهَبَ إِلَى الْجُنْدِيِّ وَهُوَ غَافِلٌ فَضَرَبَهُ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ تَحَصَّنَ فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ وَهُوَ مُبَرْقَعٌ، فَإِذَا جَاءَهُ أَحَدٌ دَعَاهُ إِلَى الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَيَذُمُّ مِنَ السُّلْطَانِ، فَاتَّبَعَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنَ الْحَرَّاثِينَ وَغَيْرِهِمْ، وَقَالُوا: هَذَا هُوَ السُّفْيَانِيُّ الْمَذْكُورُ أَنَّهُ يَمْلِكُ الشَّامَ. وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ جِدًّا، وَاتَّبَعَهُ نَحْوٌ مِنْ مِائَةِ أَلْفِ مُقَاتِلٍ، فَنَفَّذَ إِلَيْهِ الْخَلِيفَةُ الْمُعْتَصِمُ وَهُوَ فِي مَرَضِ مَوْتِهِ جَيْشًا نَحْوًا مِنْ أَلْفِ مُقَاتِلٍ، فَلَمَّا قَدِمَ الْأَمِيرُ وَجَدَ أُمَّةً كَثِيرَةً قَدِ اجْتَمَعُوا حَوْلَهُ فَخَشِيَ أَنْ يُنَاجِزَهُ،
পৃষ্ঠা - ৮৫৭৩

তারা বলতে থাকে ইনি হলেন সেই আলোচিত সুফয়ানী যিনি লিবিয়ার কতৃতৃ লাভ করবেন ৷

এভাবে তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর রুপ ধারণ করে ৷ এমনকি এক লক্ষের মত যোদ্ধা তার
অনুসরণ করে ৷ এসময় মৃত্যুশয্যায় থাকা অবস্থায়ত খলীফা মু তালিম তা ৷র বিরুদ্ধে এক লক্ষের
মত যোদ্ধা প্রেরণ করেন ৷ খলীফা ৷মু’তাসিমের সেনাপতি যখন তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে সেখানে
আগমন করেন তখন তিনি দেখতে পান আবু হ রবকে কেন্দ্র করে বিশাল ও বিপুল সংখ্যক যোদ্ধা
সমবেত হয়েছে ৷ তখন তিনি আশঙ্কা করেন যে এই অবস্থায় (হয়ত) আবুহারব তাকে আক্রমণ
করবে ৷ তাই তিনি ফসলের চাষাবাদ শুরুর মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করেন ৷ ফলে সমবেত
লোকজন নিজ নিজ ক্ষেত খামারে ছড়িয়ে পড়ে এবংঅ ৷৷বুহরবের সহযােদ্ধার সং খ্যাহ্রাস পেয়ে
ক্ষুদ্র দলে পরিণত হয় ৷ তখন খলীফা ৷র সেনাপতিতার বিরুদ্ধে মুকাবিলায় অবতীর্ণ হন এবং তাকে
বন্দী করেন আর তার সহযোদ্ধারা তাকে ছেড়ে পলায়ন করে ৷ এরপর (খলীফার) অগ্নবর্তী ঝটিকা
বাহিনীর আমীর রজা ইবন আইয়ুব তাকে নিয়ে মু তাসিমের কাছে উপস্থিত হন ৷ তখন খলীফা
মু’তাসিম তাকে সিবিয়ায় পৌছার পর তার প্রতিদ্বম্মিতায় বিলন্বের জন্য তিরস্কার করেন ৷ তখন
তিনি বলেন, তার সাথে এক লক্ষ কিৎবাত তার চেয়ে অধিক সং খ্যক যোদ্ধা ছিল ৷ত তাই আমি তা

(এই যুদ্ধ) বিলম্ব কবি ৷ অবশেষে আল্লাহ আমাকেতার বিরুদ্ধে সুযোগ করে দেন ৷ একথা শুনে
খলীফাত তাকে শুকবিয়৷ জন ৷ন ৷

এ বছর রবীউল আওয়াল মাসের আঠার তারিখ বৃহস্পতিবার আবু ইসহাক মুহাম্মদ
আল-মু’তাসিম বিল্লাহ্ ইবন হারুন আররশীদ ইবন আল-মাহদী ইবন মানসুর ইনতিকাল করেন ৷

খলীফা মৃতাসিমের জীবন চবিত

তিনি হলেন আমীরুল মু’মিনীন আবুইসহাক মুহাম্মদ আল-মু’তাসিম ইবন হারুন আর রশীদ
ইবন মড়াহদী ইবন মানসুর আল-আব্বাসী ৷ তাকে মুছাম্মান বা অষ্টমানব১ বলা হয় ৷ কেননাতিনি
তার উর্ধ্বতন পুরুষ আব্বাসের অষ্টম অধস্তন,৩ তার বা শধরদের মাঝে অষ্টম খলীফা, তিনি আটটি
বিজয় অর্জন করেন ৷ তিনি আট বছর আট মাস আ ৷টদিন মত তাম্ভরে দুই দিন খিলাফত পরিচালনা
করেন এবৎ৩ তিনি একশ আশি হিজরীর শা বা ন মাসে জন্মগ্রহণ করেন যা হল (চান্দ্র) বছরের অষ্টম
মাসএবৎ তিনি ৪৮ (আ ৷টচল্লিশ) বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ৷ এছাড়াও তিনি আট পুত্র ও আট
কন্যা রেখে মারা যান এবৎ৩ তিনি তার ভাই ম৷ মুনের মৃত্যুর পর বছরের আট মাস পুর্ণ করে দুইশ
আঠা ৷র হিজরীর রময়৷ ন মাসের প্রথম দিকে সিরিয়া থেকে বাণদাদে প্রবেশ করেন ৷

ঐতিহাসিকগণ বলেন, তিনি ছিলেন নিরক্ষর, ভালভাবে লিখতে পারতেন না ৷ এর কারণ ছিল,
একটি বালক তার সাথে মকতবে যাওয়া-আসা করত, কিন্তু ঘটনাক্রমে বালকটি মারা যায় ৷ তখন
তার পিতা আর-রশীদ তাকে বলেন, তােমার সহপাঠি বালকঢি কোথায় ? উত্তরে মু’তাসিম বলেন,
যে মার৷ গিয়ে মকতব থেকে বিস্তার লাভ করেছে ৷ তখন রশীদ বলেন, মকতবের প্রতি তোমার
এতই বিতৃষ্ণা য়ে তুমি মৃত্যুকেত তার থেকোনিস্ত ৷র’ বলছ ৷ হে বৎস ! আল্লাহর কসম আজকের
পর আর তুমি মকতবে যাবে না ৷ ৩ খন তারা (তা র অভিভা ৷বকগণ) তাকে এ অবস্থায় ছেড়ে দেন
ফলে তিনি নিরক্ষর হয়ে থাকেন ৷ অবশ্য কারও কারও মতে তিনি কোন রকম লিখতে পারতেন ৷



১ অর্থাৎ আট স খ্যার সাথে বিশেষভাবে সম্পৃক্ত ৷

০০ ৷৷া



وَالْحَالَةُ هَذِهِ فَانْتَظَرَ حَتَّى جَاءَ وَقْتُ حَرْثِ الْأَرَاضِي، فَتَصَرَّمَ عَنْهُ النَّاسُ إِلَى أَرَاضِيهِمْ، وَبَقِيَ فِي شِرْذِمَةٍ قَلِيلَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَنَاهَضَهُ، فَأَسَرَهُ جَيْشُ الْخَلِيفَةِ وَتَفَرَّقَ عَنْهُ أَصْحَابُهُ، وَحَمَلَهُ أَمِيرُ السَّرِيَّةِ وَهُوَ رَجَاءُ بْنُ أَيُّوبَ حَتَّى قَدِمَ بِهِ عَلَى الْمُعْتَصِمِ، فَلَامَهُ الْمُعْتَصِمُ فِي تَأَخُّرِهِ عَنْ مُنَاجَزَتِهِ أَوَّلَ مَا قَدِمَ الشَّامَ فَاعْتَذَرَ بِأَنَّهُ كَانَ مَعَهُ مِائَةُ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ، فَلَمْ يَزَلْ يُطَاوِلُهُ حَتَّى أَمْكَنَ اللَّهُ مِنْهُ. فَشَكَرَهُ عَلَى ذَلِكَ. وَقَدْ ذَكَرَ قِصَّتَهُ مَبْسُوطَةً الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَتِهِ مِنَ الْكُنَى. [وَفَاةُ الْمُعْتَصِمِ] [فُتُوحَاتُ بِلَادِ بَابَكَ عَلَى يَدِ الْمُعْتَصِمِ] ذِكْرُ وَفَاةِ الْمُعْتَصِمِ وَفِي يَوْمِ الْخَمِيسِ لِسَاعَتَيْنِ مَضَتَا مِنْهُ الثَّامِنَ عَشَرَ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ كَانَتْ وَفَاةُ أَبِي إِسْحَاقَ مُحَمَّدٍ الْمُعْتَصِمِ بِاللَّهِ بْنِ هَارُونَ الرَّشِيدِ بْنِ الْمَهْدِيِّ بْنِ الْمَنْصُورِ.
পৃষ্ঠা - ৮৫৭৪
[تَرْجَمَةُ الْخَلِيفَةِ الْمُعْتَصِمِ] وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ الْخَلِيفَةِ الْمُعْتَصِمِ هُوَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، أَبُو إِسْحَاقَ مُحَمَّدٌ الْمُعْتَصِمُ ابْنُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ هَارُونَ الرَّشِيدِ ابْنِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ الْمَهْدِيِّ مُحَمَّدٍ بْنِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ أَبِي جَعْفَرٍ عَبْدِ اللَّهِ الْمَنْصُورِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْعَبَّاسِ، يُقَالُ لَهُ: الْمُثَمَّنُ. لِوُجُوهٍ؛ مِنْهَا أَنَّهُ ثَامِنُ وَلَدِ الْعَبَّاسِ، وَمِنْهَا أَنَّهُ ثَامِنُ الْخُلَفَاءِ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ، وَمِنْهَا أَنَّهُ فَتَحَ ثَمَانِيَ فُتُوحَاتٍ؛ بِلَادَ بَابَكَ عَلَى يَدِ الْأَفْشِينِ وَعَمُّورِيَةَ بِنَفْسِهِ، وَالزُّطَّ بِعُجَيْفٍ، وَبَحْرَ الْبَصْرَةِ وَقَلْعَةَ الْأَجْرَافِ، وَأَعْرَابَ دِيَارِ رَبِيعَةَ، وَالشَّارَكَ، وَفَتَحَ مِصْرَ بَعْدَ عِصْيَانِهَا، وَقَتَلَ ثَمَانِيَةَ أَعْدَاءٍ: بَابَكَ، وَمَازَايَارَ، وَيَاطَسَ الرُّومِيَّ، وَالْأَفْشِينَ، وَعُجَيْفًا، وَقَارَنَ، وَقَائِدَ الرَّافِضَةِ، وَمِنْهَا أَنَّهُ أَقَامَ فِي الْخِلَافَةِ ثَمَانِيَ سِنِينَ، وَثَمَانِيَةَ أَشْهُرٍ، وَثَمَانِيَةَ أَيَّامٍ. وَقِيلَ: وَيَوْمَيْنِ. وَأَنَّهُ وُلِدَ سَنَةَ ثَمَانِينَ وَمِائَةٍ فِي شَعْبَانَ، وَهُوَ الشَّهْرُ الثَّامِنُ، وَأَنَّهُ تُوُفِّيَ وَلَهُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৮৫৭৫


তার পিত তপুরুষদের থেকে তার সুত্রে খতীব দু টি মুনকার হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷ একটি হল
বনু উমায়্যার খলীফাদের সমালোচনা ও নিন্দা এবং বনু আব্বাসের খলীফাদের প্রশংসায় ৷ আর
অপরটি হল বৃহস্পতিবার শিঙ্গা লাগাংনা ৷র নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে ৷ তিনি নিজ সনদে খলীফা মৃ’তাসিম
থেকে উল্লেখ করেছেন যে, (একবার) রোম সম্রটি তাকে হুমকি প্রদর্শন করে তার কাছে একটি
পত্র প্রেরণ করেন ৷ তখন তিনি তার উত্তর লেখার জন্য তার কেরানীকে বলেন, লেখ আমি
আপনার পত্র পাঠ করেছি এবং আপনার উদ্দেশ্য অবগত হয়েছি ৷৩ তার জবাব আপনি দেখবেন,
শুনবেন না ৷ আর অচিরেই কাফিররা জা নতে পারবে পরকালের শুভ পরিণাম তাদের জন্য ৷ খভীর
বলেন, দৃইশ ণ্তইশ হিজরীতে খলীফা মৃ তালিম রোমক ভুখণ্ডে যুদ্ধা৩ ৷ভিয ন পরিচ৷ ৷লন করেন এবং
শক্রদেরকে ভীষণভাবে পরাজিত ও পর্বুদস্ত করেন ৷ এ সময় তিনি (দুর্ভেদ্য রােমক শহর)
আমুরিয়া জয় করেন এবং তার তিরিশ হাজার অধিবাসীকে হত্যা করেন এবং সমসংখ্যককে বন্দী
করেন ৷ ঐ সকল বন্দীর মাঝে ষাটজন পডী ছিলেন ৷ আমুরিয়ার চতুর্দিকে আগুন লাগিয়ে তিনি তা
জ্বালিয়ে দেন এবং তার প্রশাসককে (বন্দী করে) বাগদাদে নিয়ে আসেন ৷ এমনকি তিনি নগর
দ্বারও তার সাথে নিয়ে আসেন ৷ আ তা এখন পর্যন্ত রাজ প্রাসাদের জামে মসজিদ সংলগ্ন দারুল
খিলাফতের একটি প্রবেশ দ্বারে স্থাপিত রয়েছে ৷ কাষী আহমদ ইবন আবু দাউদ থেকে বর্ণিত
হয়েছে ৷ তিনি বলেন, কখনও বা খলীফা ঘুতাসিম তার বাহু বের করে আমাকে বলতেন হে আবু
আবদুল্লাহ ৷ তুমি তোমার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে আমার বাহুতে কামড় দাও ৷ তখন আমি বলতাম ,
হে আমীরুল মৃ’মিনীন আপনার বাহুতে কামড় দেয়া আমার মন ৪পুত নয় ৷ তিনি বলতেন, তা

আমার কোন ক্ষতি করবে না ৷ তখন আমি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তার হাতে কামড় দিতাম কিন্তু
তার হাতে এর কোন চিহ্ন দেখা যেত না ৷

একদিন তিনি তার ভাইয়ের খিলাফতকালে ফৌজি র্তাবুর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেন ৷
সেখানে তিনি জনৈক স্তীলােককে হয়ে ৷ আমার ছেলে ৷ হায় ! আমার ছেলে বলে বিলাপ করতে
শুনেন ৷ তিনি তাকে প্রশ্ন করেন, তোমার কী হয়েছে ? তখন শ্রী লোকটি বলে , এই তাবুর মালিক
আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ৷ তখন ঘু’তাসিম সেই লোকটির কাছে এসে বলেন, এই
বালকটিকে ছেড়ে দাও ৷ কিন্তু লোকটি তার কথা মানতে অস্বীকার করে ৷ তখন মৃ’তাসিম তার
হাত দিয়ে লোকটির শরীর (শক্তভাবে) ধরেন ৷ এ সময় তার হাতের নীচে লোকটির হাড় ভাঙ্গার
শব্দ শোনা যায় ৷ তারপর তিনি তাকে ছেড়ে দিলে লোকটি মৃত অবস্থায় মাটিতে পতিত হয়
এরপর তিনি বালকটিকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন ৷ তিনি যখন খিলাফতেহু
দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন তিনি বিচক্ষণ ও দুরদর্শী ছিলেন ৷ যুদ্ধের ব্যাপারে তিনি উচু মনােবলের
অধিকারী ছিলেন আর প্রজাদের অন্তরে তার প্রতি ভীতি ও সমীহ বিদ্যমান ছিল ৷ তার একমাত্র
আসক্তি ছিল যুদ্ধ-ব্যয়ে, ভবন নির্মাণ কিংবা অন্য কিছুতে নয় ৷

আহমদ ইবন দাউদ বলেন, খলীফা মৃ তামিম আমার হাতে যে পরিমাণ দান-সাদাকা করেন
তার অর্থ মুল্য দশ কোটি দিরহাম ৷ অন্য কেউ বলেন, খলীফা মৃ তালিম যখন ক্রুদ্ধ হতেন তা;
তিনি কোন পর ওয়া করতেন না, কাকে হত্যা করলেন অথবা কী করলেন ৷ ইসহাক ইবন্
ইব্রাহীম আল-মাওসিলী বলেন, একদিন আমি খলীফা মৃ’তাসিমের সাক্ষাতে প্রবেশ করে £ন্ন্ণ্ৰ্
তার এক সুরা পরিবেশনকারিণী বাদী তড়াকে গান গেয়ে শোনাচ্ছে ৷ তখন তিনি আমাকে উৰেশ্ান্

০০ ৷৷া


الْعُمُرِ ثَمَانِيَةٌ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً، وَمِنْهَا أَنَّهُ خَلَّفَ ثَمَانِيَةَ بَنِينَ وَثَمَانِيَ بَنَاتٍ، وَمِنْهَا أَنَّهُ دَخَلَ بَغْدَادَ مِنَ الشَّامِ وَهُوَ خَلِيفَةٌ فِي مُسْتَهَلِّ رَمَضَانَ سَنَةَ ثَمَانِي عَشْرَةَ، وَمِائَتَيْنِ بَعْدَ اسْتِكْمَالِ ثَمَانِيَةِ أَشْهُرٍ مِنَ السَّنَةِ، بَعْدَ مَوْتِ أَخِيهِ الْمَأْمُونِ بِطَرَسُوسَ، كَمَا تَقَدَّمَ. قَالُوا: وَكَانَ أُمِّيًّا لَا يُحْسِنُ الْكِتَابَةَ، وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ يَتَرَدَّدُ مَعَهُ إِلَى الْكُتَّابِ غُلَامٌ، فَمَاتَ الْغُلَامُ، فَقَالَ لَهُ أَبُوهُ الرَّشِيدُ: مَا فَعَلَ غُلَامُكَ؟ قَالَ: مَاتَ وَاسْتَرَاحَ مِنَ الْكُتَّابِ. فَقَالَ لَهُ أَبُوهُ الرَّشِيدُ: وَقَدْ بَلَغَ مِنْكَ كَرَاهَةُ الْكُتَّابِ إِلَى أَنْ تَجْعَلَ الْمَوْتَ رَاحَةً مِنْهُ؟ وَاللَّهِ يَا بُنَيَّ لَا تَذْهَبُ إِلَى الْكُتَّابِ بَعْدَهَا. فَتَرَكُوهُ فَكَانَ أُمِّيًّا، وَقِيلَ: بَلْ كَانَ يَكْتُبُ كِتَابَةً ضَعِيفَةً. وَقَدْ أَسْنَدَ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ مِنْ طَرِيقِهِ عَنْ آبَائِهِ حَدِيثَيْنِ مُنْكَرَيْنِ؛ أَحَدُهُمَا فِي ذَمِّ بَنِي أُمَيَّةَ، وَمَدْحِ بَنِي الْعَبَّاسِ مِنَ الْخُلَفَاءِ، وَالثَّانِي فِي النَّهْيِ عَنِ الْحِجَامَةِ يَوْمَ الْخَمِيسِ. وَذَكَرَ بِسَنَدِهِ عَنِ الْمُعْتَصِمِ أَنَّ مَلِكَ الرُّومِ كَتَبَ إِلَيْهِ كِتَابًا يَتَهَدَّدُهُ فِيهِ،
পৃষ্ঠা - ৮৫৭৬
فَقَالَ لِلْكَاتِبِ: اكْتُبْ: قَدْ قَرَأْتُ كِتَابَكَ، وَسَمِعْتُ خِطَابَكَ، وَالْجَوَابُ مَا تَرَى لَا مَا تَسْمَعُ، " وَسَيَعْلَمُ الْكَافِرُ لِمَنْ عُقْبَى الدَّارِ ". قَالَ الْخَطِيبُ: غَزَا الْمُعْتَصِمُ بِلَادَ الرُّومِ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَتَيْنِ، فَأَنْكَى نِكَايَةً عَظِيمَةً فِي الْعَدُوِّ، وَنَصَبَ عَلَى عَمُّورِيَةَ الْمَجَانِيقَ، وَأَقَامَ عَلَيْهَا حَتَّى فَتَحَهَا وَدَخَلَهَا فَقَتَلَ فِيهَا ثَلَاثِينَ أَلْفًا، وَسَبَى مِثْلَهُمْ، وَكَانَ فِي سَبْيِهِ سِتُّونَ بِطْرِيقًا، وَطَرَحَ النَّارَ فِي عَمُّورِيَةَ مِنْ سَائِرِ نَوَاحِيهَا فَأَحْرَقَهَا وَجَاءَ بِبَابِهَا إِلَى الْعِرَاقِ وَهُوَ بَاقٍ حَتَّى الْآنَ مَنْصُوبٌ عَلَى أَحَدِ أَبْوَابِ دَارِ الْخِلَافَةِ مِمَّا يَلِي الْمَسْجِدَ الْجَامِعَ فِي الْقَصْرِ. وَرُوِيَ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي دَاوُدَ الْقَاضِي، أَنَّهُ قَالَ: رُبَّمَا أَخْرَجَ الْمُعْتَصِمُ سَاعِدَهُ إِلَيَّ، وَقَالَ لِي: عَضَّ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ بِكُلِّ مَا تَقْدِرُ عَلَيْهِ. فَأَقُولُ: إِنَّهُ لَا تَطِيبُ نَفْسِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَيَقُولُ: إِنَّهُ لَا يَضُرُّنِي. فَأَكْدُمُ بِكُلِّ مَا أَقْدِرُ عَلَيْهِ فَلَا يُؤَثِّرُ ذَلِكَ فِي يَدِهِ. قَالَ: وَمَرَّ يَوْمًا فِي خِلَافَةِ أَخِيهِ بِمُخَيَّمِ الْجُنْدِ، فَإِذَا امْرَأَةٌ تَقُولُ: ابْنِي ابْنِي.
পৃষ্ঠা - ৮৫৭৭


করে বলেন, তোমার কী মনে হয় ? গায়িকারুপে সে কেমন ? তখন আমি তাকে এর উত্তরে বলি-
ন্সামি তো দেখেছি সে তাকে (গান বা তার সুর) কৌশলের সাথে আয়ত্তে রাখছে এবং
কোমলতার সাথে টেনে যাচ্ছে এবং তার প্রতিটি পরবর্তী সুর তার পুর্ববর্তী সুরের তুলনায়
চমৎকার হচ্ছে ৷ তার কণ্ঠ নিঃসৃত শব্দমালা হল স্বর্ণখওসমুহ যা কণ্ঠলগ্ন মুক্তার মালার চেয়ে
আকর্ষণীয় ও সুন্দর ৷ তখন তিনি বলেন, তোমার এই অলঙ্কারময় বর্ণনা তো তার চেয়ে এবং তার
গানের চেয়ে সুন্দর ৷ এরপর তিনি তার পুত্র হারুন আল-ওয়াছিককে বলেন যিনি ছিলেন ঘোষিত
তাবী খলীফা একথা শুনে রাখ ৷ খলীফা মু’তাসিম বহুসংখ্যক তৃর্কীকে কাজে নিয়োগ করেন ৷
তার নিজের বিশ হাজারের কাছাকাছি তুর্কী দাস-দাসী ছিল ৷ তিনি এমন সব যুদ্ধাস্ত্র ও বাহ্নের
অধিকারী হন যা অন্য কেউ হতে পারেনি ৷ যখন তার মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন তিনি বলেন : ” :;

ণ্ : ) ৷ ’ ষ্ ’

৷ “অবশেষে তাদেরকে যা দেয়া
হল যখন তারা তাতে উল্লাসিত হল তখন অকস্মাছু তাদেরকে খরলাম, ফলে তখনি তারা নিরাশ
হল ১ বলতে থাকেন এবং বলেন আমি যদি জানতাম, আমার জীবনকাল সংক্ষিপ্ত তাহলে (আমি
যা যা করেছি তার অনেক কিছুই) করতাম না ৷ তিনি আরো বলতে থাকেন, সবকৌশল বিগত
হয়েছে আর কোন কৌশল নেই ৷ বর্ণিত আছে, তিনি তার মৃত্যু শয্যায় বলেন, হে আল্লাহ ৷ আমি
আপনাকে ভয় করি আমার দিক থেকে (পাপ ও অপরাধের কারণে) কিন্তু আপনার (রহমত ও
অনুগ্নহের কারণে) দিক থেকে আমি আপনাকে ভয় করি না এবং আমি আপনাকে প্রত্যাশা করি
আপনার দিক থেকে, কিন্তু আমি আমার দিক থেকে আপনাকে প্রত্যাশা করি না ৷

এ বছর অর্থাৎ দৃইশ সাতাশ হিজরীর রবীউল আওয়াল মাসের সতের তারিখ বৃহস্পতিবার

পুন্হ্নে তিনি সুররা মানরাআ ২ (এটু :-,; ,:) শহরে ইনতিকাল করেন ৷ আর তিনি খিলাফতের
ন্য়িতৃ গ্রহণ করেন দৃইশ আঠার হিজরীর রজব মাসে ৷

খলীফা মু’তাসিম ছিলেন শুভ্রবর্ণ এবং লালচে ও দীর্ঘদাড়ির অধিকারী ৷ তার দেহাকৃতি ছিল
মধ্যম গড়নের এবং গাত্রবর্ণ ছিল মিশ্র রঙের তার মা ছিলেন উম্মু ওয়ালাদ যার নাম ছিল মারিদা ৷
আর তিনি হলেন খলীফা হড়ারুনুর রশীদের হয় পুত্রের অন্যতম, যাদের প্রত্যেকের আসল নাম
মুহাম্মদ ৷ তারা হলেন আবু ইসহাক মুহাম্মদ আল মুতাসিম, আবুল আব্বাস মুহাম্মদ আল-আমীন,
আবু ঈসা মুহাম্মদ, আবু আহমদ, আবুইয়াকুব এবং আবুআইযুব ৷ হিশাম ইবন কালবী বলেন,
ন্তুরে পর খিলাফতেৱ দায়িত্ব গ্রহণ করে তার পুত্র হারুন আল-ওয়াছিক ৷ ইবন জারীর উল্লেখ
করেছেন যে, খলীফা মু’তাসিমের ওযীর মুহাম্মদ ইবন মালিক ইবন যায়্যাত তার মৃত্যুশোভ্রুত্

াবৃত্তি করেন :

;ট্র
যখন লোকেরা আপনাকে (সমাধিতে) অদৃশ্য করল এবং আপনার মৃতদেহের উপর মুষ্টিত্তে
মাটিপুর্ণ হাতওলাে ঝেড়ে ফেলা হল তখন আমি বললাম :



১ সুরা আনআম : ৪৪ ,
২ অর্থ যে শহর তার (সৌন্দর্যের কারণে) দশ্নাির্থীকে আনন্দিত করে ৷ পুর্ণবাক্য দ্বারা ব্যক্তি বা বস্তুর নাম রাখার
প্রচলন আরবীতে বিদ্যমান যেমন ইয়ামানের একটি অঞ্চলের নাম হাযরামাউত ( , ,প্রু ;) ৷

আল-বিদায়ড়া ওয়ান নিহায়া ( ১০ম মোঃ)জ্জম্রড্রুপ্লুমোঃজ্যো

فَقَالَ لَهَا: مَا شَأْنُكِ؟ فَقَالَتْ: ابْنِي أَخَذَهُ صَاحِبُ هَذِهِ الْخَيْمَةِ. فَجَاءَ إِلَيْهِ الْمُعْتَصِمُ، فَقَالَ لَهُ: أَطْلِقْ هَذَا الصَّبِيَّ. فَامْتَنَعَ عَلَيْهِ، فَقَبَضَ عَلَى جَسَدِهِ بِيَدِهِ، فَسُمِعَ صَوْتُ عِظَامِهِ مِنْ تَحْتِ يَدِهِ، ثُمَّ أَرْسَلَهُ فَسَقَطَ مَيِّتًا، وَأَمَرَ بِإِخْرَاجِ الصَّبِيِّ إِلَى أُمِّهِ وَلَمَّا وَلِيَ الْخِلَافَةَ كَانَ شَهْمًا فِي أَيَّامِهِ وَلَهُ هِمَّةٌ عَالِيَةٌ، وَمَهَابَةٌ عَظِيمَةٌ جِدًّا، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّمَا كَانَتْ هِمَّتُهُ فِي الْحَرْبِ، لَا فِي الْبِنَاءِ، وَلَا فِي غَيْرِهِ. وَقَالَ الْقَاضِي أَحْمَدُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ: تَصَدَّقَ الْمُعْتَصِمُ عَلَى يَدَيَّ، وَوَهَبَ مَا قَيمَتُهُ مِائَةُ أَلْفِ أَلْفِ دِرْهَمٍ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ الْمُعْتَصِمُ إِذَا غَضِبَ لَا يُبَالِي مَنْ قَتَلَ وَلَا مَا فَعَلَ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمَوْصِلِيُّ: دَخَلْتُ يَوْمًا عَلَى الْمُعْتَصِمِ وَعِنْدَهُ قَيْنَةٌ لَهُ تُغَنِّيهِ، فَقَالَ لِي: كَيْفَ تَرَاهَا؟ فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَرَاهَا تَقْهَرُهُ بِحِذْقٍ، وَتَخْتُلُهُ بِرِفْقٍ، وَلَا تَخْرُجُ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا إِلَى أَحْسَنَ مِنْهُ،
পৃষ্ঠা - ৮৫৭৮
وَفِي صَوْتِهَا قِطَعُ شُذُورٍ أَحْسَنُ مِنْ نَظْمِ الدُّرِّ عَلَى النُّحُورِ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَصِفَتُكَ لَهَا أَحْسَنُ مِنْهَا وَمِنْ غِنَائِهَا. ثُمَّ قَالَ لِابْنِهِ هَارُونَ الْوَاثِقِ، وَلِيِّ عَهْدِهِ مِنْ بَعْدِهِ: اسْمَعْ هَذَا الْكَلَامَ. وَقَدِ اسْتَخْدَمَ الْمُعْتَصِمُ مِنَ الْأَتْرَاكِ خَلْقًا عَظِيمًا كَانَ لَهُ مِنَ الْمَمَالِيكِ التُّرْكِ قَرِيبٌ مِنْ عِشْرِينَ أَلْفًا، وَتَمَّ لَهُ مِنْ آلَاتِ الْحَرْبِ وَالدَّوَابِّ مَا لَمْ يَتَّفِقْ لِغَيْرِهِ. وَلَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ جَعَلَ يَقُولُ {حَتَّى إِذَا فَرِحُوا بِمَا أُوتُوا أَخَذْنَاهُمْ بَغْتَةً فَإِذَا هُمْ مُبْلِسُونَ} [الأنعام: 44] وَقَالَ: لَوْ عَلِمْتُ أَنَّ عُمْرِي قَصِيرٌ مَا فَعَلْتُ مَا فَعَلْتُ، وَقَالَ: إِنِّي أُخِذْتُ مِنْ بَيْنِ هَذَا الْخَلْقِ، وَجَعَلَ يَقُولُ: ذَهَبَتِ الْحِيَلُ، لَيْسَتْ حِيلَةٌ. وَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ فِي مَرَضِ مَوْتِهِ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَخَافُكَ مِنْ قِبَلِي، وَلَا أَخَافُكَ مِنْ قِبَلِكَ، وَأَرْجُوكَ مِنْ قِبَلِكَ، وَلَا أَرْجُوكَ مِنْ قِبَلِي. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِسُرَّ مَنْ رَأَى فِي يَوْمِ الْخَمِيسِ ضَحًى لِتِسْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ
পৃষ্ঠা - ৮৫৭৯
مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، أَعْنِي سَنَةَ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَتَيْنِ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِعَشَرٍ خَلَوْنَ مِنْ شَعْبَانَ سَنَةَ ثَمَانِينَ وَمِائَةٍ، وَوَلِيَ الْخِلَافَةَ فِي رَجَبٍ سَنَةَ ثَمَانِي عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ. وَكَانَ الْمُعْتَصِمُ أَبْيَضَ، أَصْهَبَ اللِّحْيَةِ طَوِيلَهَا، مَرْبُوعًا، وَمُشْرَبَ اللَّوْنِ، أُمُّهُ أُمُّ وَلَدٍ اسْمُهَا مَارِدَةُ وَهُوَ أَحَدُ أَوْلَادٍ سِتَّةٍ مِنْ أَوْلَادِ الرَّشِيدِ، كُلٌّ مِنْهُمُ اسْمُهُ مُحَمَّدٌ؛ وَهُمْ أَبُو إِسْحَاقَ الْمُعْتَصِمُ، وَأَبُو الْعَبَّاسِ الْأَمِينُ، وَأَبُو عِيسَى، وَأَبُو أَحْمَدَ، وَأَبُو يَعْقُوبَ، وَأَبُو أَيُّوبَ، قَالَهُ هِشَامُ بْنُ الْكَلْبِيِّ، وَقَدْ قَامَ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَهُ وَلَدُهُ هَارُونُ الْوَاثِقُ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ وَزِيرَهُ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الزَّيَّاتِ رَثَاهُ فَقَالَ: قَدْ قُلْتُ إِذْ غَيَّبُوكَ وَاصْطَفَقَتْ ... عَلَيْكَ أَيْدِي التُّرَابِ وَالطِّينِ اذْهَبْ فَنِعْمَ الْحَفِيظُ كُنْتَ عَلَى الدُّ ... نْيَا وَنِعْمَ الظَّهِيرُ لِلدِّينِ لَا جَبَرَ اللَّهُ أُمَّةً فَقَدَتْ ... مِثْلَكَ إِلَّا بِمِثْلِ هَارُونِ وَقَالَ مَرْوَانُ بْنُ أَبِي الْجَنُوبِ وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَفْصَةَ: أَبُو إِسْحَاقَ مَاتَ ضُحًى فَمِتْنَا ... وَأَمْسَيْنَا بِهَارُونَ حَيِينَا لَئِنْ جَاءَ الْخَمِيسُ بِمَا كَرِهْنَا ... لَقَدْ جَاءَ الْخَمِيسُ بِمَا هَوِينَا
পৃষ্ঠা - ৮৫৮০





আপনি প্রস্থ ন করুন, দুনিয়ার বিষয়ে আপনি কত উত্তমত তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন, আর দীনের
বিষয়ে কত উত্তম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ৷

; ৷ এ


আপনার ন্যয়ে যোগ্য নেতাকে যে সম্প্রদায় হারিয়েরুহু আল্পাহ্ যেন হারুনের ন্যয়ে ব্যক্তি

ব্যতীত অন্য কারও দ্বার ৷ তার ক্ষতিপুরণ না করেন ৷ হাফসার ভ্র৷ তুম্পুত্র মারওয়ান ইবন আবুল
জানুব বলেন ং


পুর্বাহ্নে আবু ইসহাকের মৃত্যুতে আমরাও মৃতবৎ হয়ে পড়লাম, আর অপরাহ্নে হারুনের
(াখলাফতলাভে) আমরা নবপ্রাণ ফিরে পেলাম ৷ বৃহস্পতিবার যদি আমাদের অপ্রিয় বিষয়ের

অবতারণা করে থাকে তাহলে একথা বলতে হবে যে আমাদের প্রিয় বিষয়েরও অবতারণা
করেছে ৷

হারুন ওয়াছিক ইবন মুতাসিমের খিলাফত

এ বছর অর্থাৎ দৃশ্ সাত ৷শ হিজরীর রবীউল অ ৷ওয়াল মাসের আট তবিখ বুধবারত তার পিতার
মৃত্যুর পুর্বে তা ৷র অনুকুলে খিলাফতের বায়আত গৃহীত হয় ৷ তবে উপনাম আবু জা ফর, তার মা
হলেন রোম দেশীয় উম্মু ওয়ালাদ হাকে কারাতীস বলা হত ৷ তিনি এ বছর হব্লুজ্জর উদ্দেশ্যে বের
হন কিন্তু পথিমধ্যে হীরাতে মৃত্যুবরণ করেন এবং কুফায় দারে দাউদ ইবন ঈসাতে সমাধিস্থ হন ৷
আর তা সংঘটিত হয় এ বছর যিলকদ মাসের চার তারিখ ৷ এ বছর হজ্জ পরিচালনা করেন জাফর
ইবন মু’তাসিম ৷

এছাড়া এ বছর রোম সম্রাট তৃফ৷ ৷য়ল ইবন মীখাঈল মৃত্যুবরণ করেন ৷ তার রাজতৃকা ল ছিল

বার বছর ৷ ত৷ ৷র মৃত্যুর পর শাসন ক্ষমতা র ৷অধিকারিণী হনত তার শ্রী তাদওয়৷ রা৷হ’ কেননা তা ৷র পুত্র
মীখ৷ ঈল ইবনত ফায়ল অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিল ৷ এছাড়া এ বছর ইনতিকা ৷ল করেন

প্রসিদ্ধ যাইিদ১ ৰিশর হাফী
তিনি হলেন বিশর ইবনুল হারিছ ইবন আবদুর রহমান ইবন আত৷ ইবন হিলাল ইবন মাহান
ইবন আবদুল্লাহ আল-মারওয়াযী ২ আবু নসর আষ্ষাহিদ যিনি আল-হাফী নামে পরিচিত ৷ তার
অবস্থান ক্ষেত্র ছিল বা ৷গদাদ ৷ ইবন খাল্পিকান বলেন, তার পিতামহ হলেন আত্মসষ্ম৷ নী আবদুল্লাহ্’
যিনি আলী ইবন আবুত তালিবের হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ অল ৷ল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, তিনি
একশ পঞ্চাশ হিজরীতে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন ৷ সেখানে তিনি৷ হাম্ম ৷দ ইবন যায়দ, আবদুল্লাহ্

১ দুনিয়া বিরাগী, দুনিয়ার প্রতি বীতরাপ ৷
২ অর্থাৎ মারবের অধিবাসী ৷




[خِلَافَةُ الْوَاثِقِ هَارُونَ بْنِ الْمُعْتَصِمِ] بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ قَبْلَ أَنْ مَاتَ أَبُوهُ الْمُعْتَصِمُ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِثَمَانٍ خَلَوْنَ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، أَعَنِي سَنَةَ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَتَيْنِ، وَيُكَنَّى بِأَبِي جَعْفَرٍ، وَأُمُّهُ أُمُّ وَلَدٍ رُومِيَّةٌ، يُقَالُ لَهَا: قَرَاطِيسُ. وَقَدْ خَرَجَتْ فِي هَذِهِ السَّنَةِ قَاصِدَةً الْحَجَّ، فَمَاتَتْ بِالْحِيرَةِ، وَدُفِنَتْ بِالْكُوفَةِ فِي دَارِ دَاوُدَ بْنِ عِيسَى، وَذَلِكَ لِأَرْبَعٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ الَّذِي أَقَامَ لِلنَّاسِ الْحَجَّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ جَعْفَرُ بْنُ الْمُعْتَصِمِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْمَشَاهِيرِ: مَلِكُ الرُّومِ تَوْفِيلُ بْنُ مِيخَائِيلَ. وَكَانَتْ مُدَّةُ مُلْكِهِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً فَمَلَكَتْ بَعْدَهُ امْرَأَتُهُ تُدُورَةُ، وَكَانَ ابْنُهَا مِيخَائِيلُ بْنُ تَوْفِيلَ صَغِيرًا. وَفِيهَا تُوُفِّيَ: بِشْرٌ الْحَافِي. الزَّاهِدُ الْمَشْهُورُ، وَهُوَ بِشْرُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَطَاءِ بْنِ هِلَالِ بْنِ مَاهَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمَرْوَزِيُّ أَبُو نَصْرٍ الزَّاهِدُ الْمَعْرُوفُ بِالْحَافِي نَزِيلُ بَغْدَادَ.
পৃষ্ঠা - ৮৫৮১
قَالَ ابْنُ خِلِّكَانَ وَكَانَ اسْمُ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بَعْبُورَ، أَسْلَمَ عَلَى يَدَيْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قُلْتُ: وَكَانَ مَوْلِدُهُ بِبَغْدَادَ سَنَةَ خَمْسِينَ وَمِائَةٍ، وَسَمِعَ بِهَا شَيْئًا كَثِيرًا مِنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، وَابْنِ مَهْدِيٍّ، وَمَالِكٍ، وَأَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ، وَغَيْرِهِمْ. وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ؛ مِنْهُمْ أَبُو خَيْثَمَةَ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَسَرِيٌّ السَّقَطِيُّ، وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: سَمِعَ بِشْرٌ كَثِيرًا، ثُمَّ اشْتَغَلَ بِالْعِبَادَةِ، وَاعْتَزَلَ النَّاسَ وَلَمْ يُحَدِّثْ، وَقَدْ أَثْنَى عَلَيْهِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ فِي عِبَادَتِهِ وَزُهْدِهِ وَوَرَعِهِ وَنُسُكِهِ وَتَقَشُّفِهِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ يَوْمَ بَلَغَهُ مَوْتُهُ: لَمْ يَكُنْ لَهُ نَظِيرٌ إِلَّا عَامِرُ بْنُ عَبْدِ قَيْسٍ، وَلَوْ تَزَوَّجَ لَكَانَ قَدْ تَمَّ أَمْرُهُ، وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ الْحَرْبِيُّ مَا أَخْرَجَتْ بَغْدَادُ أَتَمَّ عَقْلًا، وَلَا أَحْفَظَ لِلِسَانِهِ مِنْهُ، مَا عُرِفَ لَهُ غِيبَةٌ لِمُسْلِمٍ، وَكَانَ فِي كُلِّ شَعْرَةٍ مِنْهُ عَقْلٌ، وَلَوْ قُسِّمَ عَقْلُهُ عَلَى أَهْلِ بَغْدَادَ لَصَارُوا عُقَلَاءَ، وَمَا نَقَصَ مِنْ عَقْلِهِ شَيْءٌ.
পৃষ্ঠা - ৮৫৮২


ইবন ঘুবারক, ইবন মাহদী, ম৷ ৷লিক এবং আবুবকর ইবন আয়াশ এবং অন্যদের থেকে বহু হাদীস
শ্রবণ করেন ৷ এছাড়া৩ তার থেকে আলিম হাদীস শ্রবণ করেন যাদের অন্যতম হলেন আবু
খায়ছামা , যুহায়র ইবন হড়ারব, সারী সাক্ভী, আব্বাস ইবন আবদুল আযীম এবং মুহাম্মদ ইবন
হাতিম ৷ মুহাম্মদ ইবন সাঈদ বলেন, বিশর বহুসংখ্যক হাদীস শ্রবণ করেন ৷ এরপর তিনি ইবাদত
বন্দেগীতে আত্মনিয়োগ করেন এবং লোক সংশ্রব বর্জন করেন ৷ ফলে তিনি হাদীস বিওয়ায়াতও

করেননি ৷ একাধিক ইমাম তার ইবাদত বন্দেগী, পার্থিব নির্মোহ৩ ৷, আল্লাহ্ভীতি এবং কৃচ্ছুসাধনার
ত্স সা করেছেন

ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলের কাছে যেদিন তার মৃত্যু সং বাদ পৌছে সেদিন তিনি বলেন,
আমির ইবন আবদ ক ৷য়স বভীত৩ ৷ ৷র কোন দৃষ্টান্ত নেই ৷ আর যদি তিনি বিবাহ করত তাহলে
তার স ৷ধ্না পুর্ণতা লাভ করত ৷ এছাড়া ইমাম আহমদ থেকে আরেকটি রিওয়ায়াত ৩আছে যে তিনি
বলেছেন বিশর তার মত কাউকে রেখে যাননি ৷ ইবরাহীম আল-হারবী বলেন, বাগদাদ শহর তার
চেয়ে অধিক আকল-বুদ্ধিসম্পন্ন এবং বাকসৎয়মী ক ৷উকে জন্ম দেয়নি ৷ তিনি কো ন মুসলমানের

অগােচরে তার নিন্দা বা সমালোচনা করেছেন বলে শোনা যায়নি ৷৩ তার ৷শরীরের প্রতিটি বিন্দুতে

আকল-বুদ্ধি বিদ্যমান ছিল ৷ তার আকল-বুদ্ধি যদি গোটা বাগদাদবাসীর মাঝে বণ্টন করা হত
তাহলে তারা সবাই আকল-বুদ্ধির অধিকারী হয়ে যেত এবং তার আকল-বুদ্ধি সামান্যতমহ্রাস
পেত না ৷

একাধিক ঐতিহাসিক উল্লেখ করেছেন যে বিশরতার প্রথম জীবনে মন্দলােক ছিলেন ৷ আর
তার তওবার কা র৭’ হল৩ তিনি (একবার) আল্পাহ্ তা আলার নাম লিখিত একটি চিরকুট পান এক
হাম্মামখানার চুলায় ৷ তখন তিনি সেখান থেকে তা উঠা নি এবং আসমানের দিকে তাকিয়ে বলেন,
হে আমার মনিব ! এখানে আপনার নাম পতিত ৩অবস্থায় পদদলিত ৩হচ্ছে ৷ এরপর তিনি একজন
সুগন্ধি বিক্রেতার কাছে যান এবং৩ তার কাছ থেকে এক দিরহামের বিনিময়ে মিশ্র সুগন্ধি ক্রয়
করেন এবং সেই চিরকুটটিতে তা মাখিয়ে তাকে সকলের নাগালের বাইরে সযত্নে হেফাযত
করেন ৷ তখন আল্লাহ তার অন্তরকে জীবিত করেন এবং তার হৃদয়ে কল্যাণ চিন্তা ও সুবােধ
প্রক্ষিপ্ত করেন এবং তারই ফলশ্রুতিতে তিনি যে ইবাদত বন্দেগী এবং যুহদের যোগ্যতা অর্জন
করার তা করেন ৷

তবে নির্বাচিত উক্তি হল যে ব্যক্তি দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হল সে যেন লাঞ্চুনা-অপমানের জন্য
প্রস্তুত থাকে ৷ বিশ ৷র শুধু রুটি (তরক৷ ৷রিবিহীন) থেতেন এ ব্যাপারে যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়,
আপনার কি কোন তরকাবি নেই ? তখন তিনি বলেন, অবশ্যই আছে ৷ আমি আফিযাত’ ১ কে
স্মরণ কবি এবং তাকে আমার তরকা ৷বি বানিয়ে নেই ৷ তিনি পাদুকা ব্যবহার করতেন না, খালি
পায়ে হ ট তন ৷ একদিন তিনি কোন এক দরজায় এসে করাঘাত করেন, তখন প্রশ্ন করা হয় কে ?
, তিনিউ ৩ত্তরে বলেন, বিশর হাফী অর্থাৎ নগ্নপদ বিশর ৷ তখন এক ছোট্ট বালিকা মন্তব্য করে, এক
দিরহামের বিনিময়ে সে যদি একজাে ড়৷ পাদুকা কিনে নিত তাহলে তার এই নগ্নপদ’ উপাধি দুর
হয়ে যেত ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, তা ৷র পাদুকা বর্জানর কারণ হল যে একবার তিনি জনৈক জুতা
বিক্রেতার কাছে এসে তার জুতার জন একটি ফিতা চান ৷ তখন যে ব্যক্তি বলে উঠে, হে
১ আফিয়াত অর্থ রোগব্যাধি ও বালা-মৃসীবত থেকে নিরাপদ অরহুয়ু৷ ৷




وَذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ: أَنَّ بِشْرًا كَانَ شَاطِرًا فِي بَدْءِ أَمْرِهِ، وَأَنَّ سَبَبَ تَوْبَتِهِ أَنَّهُ وَجَدَ رُقْعَةً فِيهَا اسْمُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي أَتُونِ حَمَّامٍ فَرَفَعَهَا وَرَفَعَ طَرَفَهُ إِلَى السَّمَاءِ وَقَالَ: سَيِّدِي اسْمُكَ هَاهُنَا مُلْقًى يُدَاسُ! ثُمَّ ذَهَبَ إِلَى عَطَّارٍ فَاشْتَرَى بِدِرْهَمٍ غَالِيَةً وَضَمَّخَ تِلْكَ الرُّقْعَةَ مِنْهَا، وَوَضَعَهَا حَيْثُ لَا تُنَالُ فَأَحْيَا اللَّهُ قَلْبَهُ، وَأَلْهَمَهُ رُشْدَهُ، وَصَارَ إِلَى مَا صَارَ إِلَيْهِ مِنَ الْعِبَادَةِ وَالزَّهَادَةِ. وَمِنْ كَلَامِهِ: مَنْ أَحَبَّ الدُّنْيَا فَلْيَتَهَيَّأْ لِلذُّلِّ. وَكَانَ بِشْرٌ يَأْكُلُ الْخُبْزَ وَحْدَهُ فَقِيلَ لَهُ: بِمَاذَا تَأْتَدِمُ؟ فَقَالَ: أَذْكُرُ الْعَافِيَةَ فَأَجْعَلُهَا أُدْمًا. وَكَانَ لَا يَلْبَسُ نَعْلًا بَلْ يَمْشِي حَافِيًا، طَرَقَ يَوْمًا بَابًا، فَقِيلَ: مَنْ؟ فَقَالَ بِشْرٌ الْحَافِي فَقَالَتْ جَارِيَةٌ صَغِيرَةٌ: أَمَا وَجَدَ هَذَا دَانِقَيْنِ يَشْتَرِي بِهِمَا نَعْلًا وَيَسْتَرِيحُ مِنْ هَذَا الِاسْمِ. قَالُوا: وَكَانَ سَبَبُ تَرْكِهِ النَّعْلَ أَنَّهُ جَاءَ إِلَى حَذَّاءٍ، فَطَلَبَ مِنْهُ شِرَاكًا لِنَعْلِهِ، فَقَالَ لَهُ: مَا أَكْثَرَ كُلْفَتَكُمْ عَلَى النَّاسِ! فَطَرَحَ النَّعْلَ مِنْ يَدِهِ، وَخَلَعَ الْأُخْرَى مِنْ رِجْلِهِ وَحَلَفَ لَا يَلْبَسُ نَعْلًا أَبَدًا. قَالَ ابْنُ خِلِّكَانَ: وَكَانَتْ وَفَاتُهُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ. وَقِيلَ فِي رَمَضَانَ
পৃষ্ঠা - ৮৫৮৩
بِبَغْدَادَ. وَقِيلَ: بِمَرْوَ. قُلْتُ: الصَّحِيحُ بِبَغْدَادَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ سِتٍّ وَعِشْرِينَ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَحِينَ مَاتَ اجْتَمَعَ فِي جِنَازَتِهِ أَهْلُ بَغْدَادَ عَنْ بَكْرَةِ أَبِيهِمْ، فَأُخْرِجَ مِنْ بَعْدِ صَلَاةِ الْفَجْرِ، فَلَمْ يَسْتَقِرَّ فِي قَبْرِهِ إِلَّا بَعْدَ الْعَتَمَةِ، وَكَانَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ، وَغَيْرُهُ مِنْ أَئِمَّةِ الْحَدِيثِ يَصِيحُ بِأَعْلَى صَوْتِهِ فِي الْجِنَازَةِ: هَذَا وَاللَّهِ شَرَفُ الدُّنْيَا قَبْلَ شَرَفِ الْآخِرَةِ. وَرُوِيَ أَنَّ الْجِنَّ كَانَتْ تَنُوحُ عَلَيْهِ فِي بَيْتِهِ الَّذِي كَانَ يَسْكُنُ فِيهِ، وَأَنَّهُ رَآهُ بَعْضُهُمْ فِي الْمَنَامِ فَقَالَ لَهُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ؟ فَقَالَ: غَفَرَ لِي، وَلِكُلِّ مَنْ شَهِدَ جِنَازَتِي، وَلِكُلِّ مَنْ أَحَبَّنِي إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ. وَذَكَرَ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ أَنَّهُ كَانَ لَهُ أَخَوَاتٌ ثَلَاثٌ؛ وَهُنَّ مَخَّةُ، وَمُضْغَةُ، وَزُبْدَةُ، وَكُلُّهُنَّ عَابِدَاتٌ زَاهِدَاتٌ مِثْلَهُ، وَأَشَدُّ وَرَعًا أَيْضًا. ذَهَبَتْ إِحْدَاهُنَّ فَاسْتَأْذَنَتْ عَلَى أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فَقَالَتْ: إِنِّي رُبَّمَا طَفِئَ السِّرَاجُ وَأَنَا أَغْزِلُ، فَإِذَا كَانَ ضَوْءُ الْقَمَرِ غَزَلْتُ فِيهِ فَعَلَيَّ
পৃষ্ঠা - ৮৫৮৪


দরিদ্রের দল, মানুষের কাছে তোমাদের চাহিদা কত বেশী ! তখন তিনি তার হাত থেকে জুতা

ছুড়ে ফেলেন এবং অন্যটিও পা থেকে খুলে ফেলে দেন এবং শপথ করেন যে আর কখনও কোন
পাদুকা পরবেন না ৷

ইবন খাল্লিকান বলেন, তিনি বাগদাদ শহরে আশুরার দিন ইনতিকাল করেন ৷ মতাত্তরে
রমযান মাসে ৷ কারও কারও মতে তিনি মারব শহরে ইনতিকাল করেন ৷ তবে বিশুদ্ধ মত হল
তিনি এ বছর বাগদাদে ইনতিকাল করেন ৷ অবশ্য কারও করেও মতে দৃইশ ছাব্বিশ হিজরীতে,
তবে প্রথম মতটি বিশুদ্ধত র ৷ আর আল্লাহ্ই সর্বাধিক জানেন ৷ তিনি যেদিন মৃত্যুবরণ করেন
সেদিন গোটা বাগদাদবাসী তার জানাযায় শবীক হয় ৷ এসময় তাকে ফজর নামাংযর পর দাফনের
উদ্দেশ্যে বের করা হয় কিন্তু সন্ধ্যাৱ পর ব্যতীত তিনি কবরে সুস্থির হতে পারেননি ৷ আলী ইবনুল
মাদায়িনী এবং হাদীসেৱ অন্য ইমামগণ তার জানাযায় উভৈচ্চ:স্বরে বলেছিলেন, আল্লাহর কসম ৷
এটা আখিরাতের মর্যাদার পুর্বে দুনিয়ার মর্যাদা ৷ বর্ণিত আছে, তিনি যে গৃহে বাস করতেন (তার
মৃত্যুর পর) জিনরা সেখানে তার মৃতৃব্রশোকে বিলাপ করত ৷ জনৈক ব্যক্তি তাকে স্বপ্নে দেখে প্রশ্ন
করেন, আল্পাহ্ আপনার সাথে কিরুপ আচরণ করেছেন ? তখন তিনি বলেন, তিনি আমাকে ক্ষমা

করেছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত আমাকে যারা ভালবাসার ভাদেরকেও ক্ষাং৷ করেছেন ৷ ১ খতীব
বলেন, বিশর হাফীর তিনজন বোন ছিলেন মুখৃখাহ্, মুষ্পাহ ও ঘুবৃদাহ যীদের প্রত্যেকেই তার ন্যায়
ইবাদত গুযার এবং পার্থিব মােহমুক্ত ছিলেন এবং তার চেয়ে অধিক আল্লাহ্ভীরু ছিলেন ৷

তাদের একজন (একবার) ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করেন, কখনও
কখনও আমার বাতি নিতে যায় তখন আমি চীদের আলোয় সুতা বুনি ৷ তাহলে কি এ বিক্রির সময়
আমাকে এ দু’য়ের মাঝে পার্থক্য করতে হবে ? তখন ইমাম আহমদ বলেন, যদি উভয়ের মাঝে
(মানের ক্ষেত্রে) পার্থক্য থাকে তাহলে ক্রেতার জন্য উভয়টি পৃথক করে দেবে ৷

একবার তাদের তিনজনের একজন ইমাম আহমদকে প্রশ্ন করেন, কখনও কখনও বনু
তাহিরের লণ্ঠনসমুহ আমাদেরকে অতিক্রম করে যায় আর সে সময় আমরা বুনন কর্মে থাকি ৷
আর এভাবে আমরা (সেই লণ্ঠনের আলোয়) বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সুভা বৃনে ফেলি ৷ আপনি
আমাদেরকে এই সংশয়পুর্ণ বিষয় থেকে নিকৃতি দিন ৷ তখন ইমাম আহমদ সন্দেহযুক্ত অংশটুকু
সবটুকুর সাথে মিশে যাওয়ায় ঐ সুভার সবটুকু সাদাকা করার নির্দেশ দেন ৷ এছাড়া তিনি তাকে
ব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তির কাতরানাে (উহ্ ! আহ !) সম্পর্কে প্রশ্ন করেন, তাতে কোন অভিযোগ আছে কি
না ? তখন ইমাম আহমদ বলেন, তা হল আল্লাহর কাছে সকাতর প্রার্থনা ৷ এরপর তিনি বেরিয়ে
পড়েন তখন ইমাম আহমদ তার পুত্র আবদুল্লাহ্কে বলেন বৎস এই ন্তীলোকটিকে অনুসরণ করে
আমাকে তার পরিচয় বল ৷ আবদুল্লাহ বলেন, তখন আমি তাকে অনুসরণ করে দেখি তিনি
ৰিশরের গৃহে প্রবেশ করেন এবং তিনি হলেন মিশরের ভগ্নি ৷

খতীব বিশর ভগ্নি যুবদাহ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, কোন এক রাতে আমার ভাই
বিশর এসে তার একপা গৃহাভ্যন্তরে রাখেন আর অপর পা বাইরে থেকে যায় এবং এভাবে তার
সম্পুর্ণ রাত কেটে যায় এমনকি সকলে হয়ে যায় ৷ তখন তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় রাতে
আপনি কী বিষয়ে ভেবেছেন : তখন তিনি বলেন, আমি খৃক্টান বিশর , ইয়াহুদী বিশর , মাজুসী বিশর
১ এই বক্তব্যের শেষাংশ গ্রহণযোণহ্র নয় ৷


عِنْدَ الْبَيْعِ أَنْ أُمَيِّزَ هَذَا مِنْ هَذَا؟ فَقَالَ لَهَا: إِنْ كَانَ بَيْنَهُمَا فَرْقٌ فَأَعْلِمِي بِهِ الْمُشْتَرِي، وَقَالَتْ لَهُ مَرَّةً إِحْدَاهُنَّ: رُبَّمَا تَمُرُّ بِنَا مَشَاعِلُ بَنِي طَاهِرٍ فِي اللَّيْلِ وَنَحْنُ نَغْزِلُ فَنَغْزِلُ الطَّاقَ وَالطَّاقَيْنِ وَالطَّاقَاتِ، فَخَلِّصْنِي مِنْ ذَلِكَ، فَأَمَرَهَا أَنْ تَتَصَدَّقَ بِذَلِكَ الْغَزْلِ كُلِّهِ لِمَا اشْتَبَهَ عَلَيْهَا مِنْ مَعْرِفَةِ ذَلِكَ الْمِقْدَارِ. وَسَأَلَتْهُ عَنْ أَنِينِ الْمَرِيضِ أَفِيهِ شَكْوَى؟ قَالَ: لَا، إِنَّمَا هُوَ شَكْوَى إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، ثُمَّ خَرَجَتْ. فَقَالَ لِابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ: يَا بُنَيَّ اذْهَبْ خَلْفَهَا فَاعْلَمْ لِي مَنْ هَذِهِ الْمَرْأَةُ؟ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَذَهَبْتُ وَرَاءَهَا فَإِذَا هِيَ قَدْ دَخَلَتْ دَارَ بِشْرٍ الْحَافِي وَإِذَا هِيَ أُخْتُهُ. وَرَوَى الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ أَيْضًا عَنْ زُبْدَةَ قَالَتْ: جَاءَ لَيْلَةً أَخِي بِشْرٌ، فَدَخَلَ بِرِجْلِهِ فِي الدَّارِ، وَبَقِيَتِ الْأُخْرَى خَارِجَ الدَّارِ، فَاسْتَمَرَّ كَذَلِكَ لَيْلَتَهُ حَتَّى أَصْبَحَ، فَقِيلَ لَهُ: فِيمَ تَفَكَّرْتَ لَيْلَتَكَ؟ قَالَ: تَفَكَّرْتُ فِي بِشْرٍ النَّصْرَانِيِّ، وَبِشْرٍ الْيَهُودِيِّ، وَبِشْرٍ الْمَجُوسِيِّ، وَفِي نَفْسِي وَاسْمِي بِشْرٌ فَقُلْتُ: مَا الَّذِي سَبَقَ مِنْكَ حَتَّى خَصَّكَ بِالْإِسْلَامِ مِنْ بَيْنِهِمْ؟ فَتَفَكَّرْتُ فِي تَفَضُّلِهِ
পৃষ্ঠা - ৮৫৮৫
عَلَيَّ، وَحَمِدْتُهُ عَلَى أَنْ جَعَلَنِي مِنْ خَاصَّتِهِ، وَأَلْبَسَنِي لِبَاسَ أَحْبَابِهِ. وَقَدْ تَرْجَمَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فَأَطْنَبَ وَأَطْيَبَ وَأَطَالَ مِنْ غَيْرِ مَلَالٍ، وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ أَشْعَارًا حَسَنَةً، وَذَكَرَ أَنَّهُ كَانَ يَتَمَثَّلُ بِهَذِهِ الْأَبْيَاتِ: تَعَافُ الْقَذَى فِي الْمَاءِ لَا تَسْتَطِيعُهُ ... وَتَكْرَعُ مِنْ حَوْضِ الذُّنُوبِ فَتَشْرَبُ وَتُؤْثِرُ مِنْ أَكْلِ الطَّعَامِ أَلَذَّهُ ... وَلَا تَذْكُرُ الْمُخْتَارَ مِنْ أَيْنَ يَكْسِبُ وَتَرْقُدُ يَا مِسْكِينُ فَوْقَ نَمَارِقٍ ... وَفِي حَشْوِهَا نَارٌ عَلَيْكَ تَلَهَّبُ فَحَتَّى مَتَى لَا تَسْتَفِيقُ جَهَالَةً ... وَأَنْتَ ابْنُ سَبْعِينَ بِدِينِكَ تَلْعَبُ وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ الْيَرْبُوعِيُّ. وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ عَمْرٍو الْبَجَلِيُّ. وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ. صَاحِبُ السُّنَنِ الْمَشْهُورَةِ الَّتِي لَا يُشَارِكُهُ فِي
পৃষ্ঠা - ৮৫৮৬
مِثْلِهَا إِلَّا الْقَلِيلُ. وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الدُّولَابِيُّ. وَلَهُ سُنَنٌ أَيْضًا. وَأَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ. وَأَبُو الْهُذَيْلِ الْعَلَّافُ الْمُتَكَلِّمُ الْمُعْتَزِلِيُّ.