আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان عشرة ومائتين

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৮৫২৪


ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র)-এর জীবনীতে ২৪ ১ (দুইশ একচল্লি ) ন্থিক্তই স্ষ্ন্ণ্ র্ভর্ভুল্চন্হ্

শীঘ্রই আসছে ৷

এছাড়া এ বছর অন্য যে সকল বিশিষ্টজন মৃত্যুবরণ করেন র্তাদের অন্যতম হলো

ৰিশর আল-মুরায়সী

এই ব্যক্তির পুর্ণ নাম হল বিশর ইবন গিয়াছ ইবন আবু কারীমা আবু আবদুর রহমান
আল-মুরায়সী কালাম শাস্ত্রবিদ এবং মু’তাযিলীদের গুরু, খলীফা মা’মুনকে যারা বিভ্রান্ত করেছিলে
এ হল তাদের অন্যতম ৷ প্রথম জীবনে এই ব্যক্তি কিঞ্চিৎ ফিকাহশাস্ত্র চর্চা করত এবং তখন সে
কাযী আবু ইউসুফ থেকে ইলুম ফিকাহ শিক্ষা করে ৷ তার থেকে হস্ফোদ ইবন সালামা থেকে,
সুফিয়ান ইবন উয়ায়না থেকে এবং অন্যদের থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করে ৷ এরপর তার উপর
ইলমুল কালাম শাস্তের তীব্র প্রভাব দেখা দেয় ৷ আর ইতিপুর্বে ইমাম শাফিঈ (র) তাকে তা
শিখতে এবং তার চর্চা করতে নিষেধ করেন ৷ কিভু সে তার কথা গ্রহণ করেনি ৷ আর (ইলমুল
কালাম সম্পর্কে) ইমাম শাফিঈ বলেন, শিরক ব্যতীত আর সকল পাপ নিয়ে বান্দার আল্লাহর সাথে
সাক্ষাৎ করা আমার কাছে ইলমুল কালাম নিয়ে সাক্ষাৎ করার চেয়ে আন্ক পসন্দনীয় ৷ ইমাম
শাফিঈ (র) যখন বাগদাদে আসেন তখন ৰিশর তার সাথে মিলিত হয় ৷

ইবন খাল্লিকান বলেন, যে (মিশর) নতুনভাবে থালকে কুরআনের মতবাদের উদ্ভব ঘটায়
এবং তার সম্পর্কে কদর্য মতামত বর্ণিত আছে ৷ আর সে মুরজিয়া এবং মুরজিয়াদের শাখা
মুরায়সিয়াকে তারই দিকে সম্পৃক্ত করা হয় ৷ সে বলত, চন্দ্র সুর্যকে সিজদা বা প্রমান করা কুফরী
নয় ৷ তা হল কুফরীর চিহ্ন মাত্র ৷ সে ইমাম শাফিঈর সাথে বিতর্কে লিপ্ত হত ৷ আর নাহু বা আরই
ব্যাকরণ শাদ্রে তার দুর্বলতা ছিল ফলে সে গুরুতর ব্যাকরণগত ত্রুটির শিকার হত ৷ বলা হয় তর
পিতা ছিল কুফার জনৈক ইয়াহ্রদী রঞ্জক কর্মী ৷ আর সে বাস করত বাপদাদের মুরায়সী পলিক্রুত ৰু
আর মুরায়স’ হল ঘি ও খেজুর মিশ্রিত চাপাতি (পাতলা) রুটি বিশেষ ৷ ইবন খাল্লিকান বলেন
মুরায়স হল নাওব৷ অঞ্চলের একটি ভুখণ্ড যেখানে শীত মৌসুমে হিরুণ্ণ্ল বায়ু প্রবাহিত হয় ৷

এছাড়া এ বছর আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ আশ-শায়বী, আবু মুসহির আবদুল আ’লা ইবন
ঘুস্হির আলপাসসানী আদ-দামেশকী এবং ইয়াহ্ইয়া ইবন আবদুল্লাহ আল-বাবলতি মৃত্যুবরণ
করেন ৷ আরো যারা মৃত্যুবরণ করে ন্



আবু মুহাম্মদ আবদুল মালিক ইবন হিশাম ইবন আইয়ুব আল-মুআফিরী

ইনি ছিলেন যিয়াদ ইবন আবদুল্লাহ্ আল-বাকালঈ সুত্রে (নবী জীবনী গ্রন্থ) আস-সীরাতএর
বর্ণনড়াকারী তার মুল লেখক ইবন ইসহাক থেকে ৷ এই সীরাত গ্নন্থকে তার দিকে সম্পৃক্ত র্ভর
সীরাতে ইবন হিশাম বলা হয় ৷ কেননা তিনিই এর পরিমার্জন , পরিবর্ধন ও সংকোচন এবং ন্ন্থন্
বিশেষে সম্পাদনা ও অনেক কিছু সংযোজন করেছেন ৷ ইনি ছিলেন আরবী তথ্যে ও ব্যাকরণ শত্বম্ভের
পুরোধা ৷ ইনি মিসরে অবস্থান করতেন ৷ ইমাম শাফিঈ যখন সেখানে যান তখন ৷ট্রনি তার সঙ্গে;
মিলিত হন এবং তারা উভয়ে একে অন্যকে বহু ত্খভ্রক আরবী কবিতা আবৃত্তি করে শেদ্ন্
ইবন হিশাম এ বছরের রবীউল আখির মাসের তের তাস্কিখ স্নিসরে ইনতিকাল করেন ৷ তইন্দুহ্


وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ دَخَلَ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنْ أَهْلِ هَمَذَانَ وَأَصْبَهَانَ وَمَاسَبَذَانَ، وَمِهْرَجَانَ فِي دِينِ الْخُرَّمِيَّةِ، فَتَجَمَّعَ مِنْهُمْ بَشَرٌ كَثِيرٌ فَجَهَّزَ إِلَيْهِمِ الْمُعْتَصِمُ جُيُوشًا كَثِيرَةً، آخِرُ مَنْ جَهَّزَ إِلَيْهِمْ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُصْعَبٍ فِي جَيْشٍ عَظِيمٍ، وَعَقَدَ لَهُ عَلَى الْجِبَالِ فَخَرَجَ مِنْ بَغْدَادَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ، وَقُرِئَ كِتَابُهُ بِالْفَتْحِ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ، وَأَنَّهُ قَهَرَ الْخُرَّمِيَّةَ، وَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَهَرَبَ بَقِيَّتُهُمْ إِلَى بِلَادِ الرُّومِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَعَلَى يَدَيْهِ جَرَتْ فِتْنَةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ وَضُرِبَ بَيْنَ يَدَيْهِ كَمَا سَيَأْتِي بَسْطُ ذَلِكَ فِي تَرْجَمَةِ أَحْمَدَ عِنْدَ ذِكْرِ وَفَاتِهِ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَبِهِ الثِّقَةُ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ صَالِحُ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ مُحَمَّدٍ وَضَحَّى أَهْلُ مَكَّةَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَأَهْلُ بَغْدَادَ ضَحَّوْا يَوْمَ السَّبْتِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْمَشَاهِيرِ وَالْأَعْيَانِ: بِشْرٌ الْمَرِيسِيُّ. وَهُوَ بِشْرُ بْنُ غِيَاثِ بْنِ أَبِي كَرِيمَةَ، أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَرِيسِيُّ
পৃষ্ঠা - ৮৫২৫
الْمُتَكَلِّمُ شَيْخُ الْمُعْتَزِلَةِ، وَأَحَدُ مَنْ أَضَلَّ الْمَأْمُونَ وَقَدْ كَانَ هَذَا الرَّجُلُ يَنْظُرُ أَوَّلًا فِي شَيْءٍ مِنَ الْفِقْهِ، وَأَخَذَ عَنِ الْقَاضِي أَبِي يُوسُفَ، وَرَوَى الْحَدِيثَ عَنْهُ، وَعَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ وَغَيْرِهِمْ، ثُمَّ غَلَبَ عَلَيْهِ عِلْمُ الْكَلَامِ، وَقَدْ نَهَاهُ الشَّافِعِيُّ عَنْ تَعَلُّمِهِ وَتَعَاطِيهِ فَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُ، وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: لَأَنْ يَلْقَى اللَّهَ الْعَبْدُ بِكُلِّ ذَنْبٍ مَا عَدَا الشِّرْكَ بِاللَّهِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَلْقَاهُ بِعِلْمِ الْكَلَامِ. وَقَدِ اجْتَمَعَ بِشْرٌ بِالشَّافِعِيِّ عِنْدَمَا قَدِمَ الشَّافِعِيُّ بَغْدَادَ. وَقَالَ الْقَاضِي ابْنُ خِلِّكَانَ: جَرَّدَ الْقَوْلَ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، وَحُكِيَ عَنْهُ أَقْوَالٌ شَنِيعَةٌ، وَكَانَ مُرْجِئِيًّا، وَإِلَيْهِ تُنْسَبُ الْمَرِيسِيَّةُ مِنَ الْمُرْجِئَةِ، وَكَانَ يَقُولُ: إِنَّ السُّجُودَ لِلشَّمْسِ وَالْقَمَرِ لَيْسَ بِكُفْرٍ، وَإِنَّمَا هُوَ عَلَامَةُ الْكُفْرِ، وَكَانَ يُنَاظِرُ الْإِمَامَ الشَّافِعِيَّ، وَكَانَ لَا يُحْسِنُ النَّحْوَ، وَكَانَ يَلْحَنُ لَحْنًا فَاحِشًا، وَيُقَالُ: إِنَّ أَبَاهُ كَانَ يَهُودِيًّا صَبَّاغًا بِالْكُوفَةِ. وَكَانَ يَسْكُنُ دَرْبَ الْمَرِيسِ بِبَغْدَادَ، وَالْمَرِيسُ عِنْدَهُمْ هُوَ الْخُبْزُ الرُّقَاقُ يُمْرَسُ بِالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ. قَالَ: وَمَرِيسُ نَاحِيَةٌ بِبِلَادِ النُّوبَةِ تَهُبُّ عَلَيْهَا فِي الشِّتَاءِ رِيحٌ بَارِدَةٌ. قُلْتُ: ثُمَّ رَاجَ بِشْرٌ الْمَرِيسِيُّ عِنْدَ الْمَأْمُونِ وَحَظِيَ
পৃষ্ঠা - ৮৫২৬
عِنْدَهُ، وَقُدِّمَ فِي حَضْرَتِهِ، وَنَفَقَ سُوقُهُ الْكَاسِدُ، وَاسْتُجِيدَ ذِهْنُهُ الْبَارِدُ. وَلَمَّا تُوُفِّيَ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذَا الْعَامِ أَوِ الَّذِي قَبْلَهُ فِي قَوْلٍ - صَلَّى عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنَ الْمُحَدِّثِينَ يُقَالُ لَهُ: عُبَيْدٌ الشُّونِيزِيُّ. فَلَامَهُ بَعْضُ الْمُحَدِّثِينَ، فَقَالَ لَهُمْ: أَلَا تَسْمَعُونَ كَيْفَ دَعَوْتُ لَهُ فِي صَلَاتِي؟ قُلْتُ: اللَّهُمَّ إِنَّ عَبْدَكَ هَذَا كَانَ يُنْكِرُ عَذَابَ الْقَبْرِ، اللَّهُمَّ فَأَذِقْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَكَانَ يُنْكِرُ شَفَاعَةَ نَبِيِّكَ فَلَا تَجْعَلْهُ مِنْ أَهْلِهَا، وَكَانَ يُنْكِرُ رُؤْيَتَكَ فِي الدَّارِ الْآخِرَةِ فَاحْجُبْ وَجْهَكَ الْكَرِيمَ عَنْهُ. فَقَالُوا لَهُ: أَصَبْتَ. وَهَذَا الَّذِي نَطَقَ بِهِ بَعْضُ السَّلَفِ حَيْثُ قَالُوا: مَنْ كَذَّبَ بِكَرَامَةٍ لَمْ يَنَلْهَا. وَفِي هَذَا الْعَامِ تُوُفِّيَ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ التِّنِّيسِيُّ. وَأَبُو مُسْهِرٍ عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ مُسْهِرٍ الْغَسَّانِيُّ الدِّمَشْقِيُّ. وَيَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَابْلُتِّيُّ. وَأَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ هِشَامِ بْنِ أَيُّوبَ الْحِمْيَرِيُّ الْمَعَافِرِيُّ. رَاوِي
পৃষ্ঠা - ৮৫২৭
السِّيرَةِ عَنْ زِيَادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَكَّائِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ مُصَنِّفِهَا، وَإِنَّمَا تُنْسَبُ إِلَيْهِ فَيُقَالُ: سِيرَةُ ابْنِ هِشَامٍ لِأَنَّهُ هَذَّبَهَا وَزَادَ فِيهَا وَنَقَصَ مِنْهَا، وَحَرَّرَ أَمَاكِنَ، وَاسْتَدْرَكَ أَشْيَاءَ. وَكَانَ إِمَامًا فِي اللُّغَةِ وَالنَّحْوِ، وَكَانَ مُقِيمًا بِمِصْرَ، وَقَدِ اجْتَمَعَ بِهِ الشَّافِعِيُّ حِينَ وَرَدَهَا، وَتَنَاشَدَا مِنْ أَشْعَارِ الْعَرَبِ شَيْئًا كَثِيرًا. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِمِصْرَ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْآخِرِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، قَالَهُ ابْنُ يُونُسَ فِي " " تَارِيخِ مِصْرَ " ". وَزَعَمَ السُّهَيْلِيُّ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي سَنَةِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ كَمَا تَقَدَّمَ فَاللَّهُ أَعْلَمُ.